সপ্তম শ্রেণির আনন্দ পাঠ অলক্ষুণে জুতো
অলক্ষুণে জুতো মোহাম্মদ নাসির আলী গল্পটি পড়ে যা জানতে পারব কৃপণতার পরিণাম আলী আবুর দুর্ভাগ্যের কথা লেখক পরিচিতি নাম মোহাম্মদ নাসির আলী। জন্ম পরিচয় জন্ম সাল : ১০ই জানুয়ারি ১৯১০ খ্রিষ্টাব্দ। জন্মস্থান : ধাইদা, বিক্রমপুর। পিতৃপরিচয় পিতার নাম : হায়দার আলী। শিক্ষাজীবন এন্ট্রান্স (১৯২৬), তেলিরবাগ কালীমোহন-দুর্গামোহন ইনস্টিটিউট। বিকম (১৯৩১), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। কর্মজীবন/পেশা ১৯৩৩ সালে তিনি কলকাতা হাইকোর্টে অনুবাদক হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীকালে দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার শিশু বিভাগের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর ঢাকায় এসে হাইকোর্টের চাকরিতে যোগদান করেন এবং ১৯৬৭ সালে অবসরে যান। অবশ্য এর আগেই ১৯৪৯ সালে তিনি নওরোজ কিতাবিস্তান নামে একটি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান তৈরি করেন এবং পুস্তক ব্যবসা চালিয়ে যান। ১৯৫২ সালে দৈনিক আজাদে শিশু-কিশোর বিভাগে ‘মুকুলের মাহফিল’ পরিচালনা করেন এবং ‘বাগবান’ ছদ্মনামে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত ঐ দায়িত্ব পালন করেন। সাহিত্য সাধনা উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ : মণিকণিকা (১৯৪৯), শাহী দিনের কাহিনী (১৯৪৯), ছোটদের ওমর ফারুক (১৯৫১), আকাশ যারা করলো জয় (১৯৭৫), আলী বাবা (১৯৫৮), ইতালির জনক গ্যারিবল্ডি (১৯৬৩), বীরবলের খোশ গল্প (১৯৬৪), সাত পাঁচ গল্প (১৯৬৫), বোকা বকাই (১৯৬৬), যোগাযোগ (১৯৬৮), লেবু মামার সপ্তকাণ্ড (১৯৬৮) ইত্যাদি। পুরস্কার ও সম্মাননা সাহিত্যে বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৬৭)। মৃত্যু ৩০শে জানুয়ারি, ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে। বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর ১. শিশিগুলো গোলাপজলে ভর্তি করে আলী আবু যতœ করে রেখেছিলÑ ছ ক. খাটের নিচে তক্তার ওপর খ. জানালা বরাবর তাকের ওপর গ. উঁচু কাচের আলমারির ভেতর ঘ. সিল্কের কাপড় দিয়ে মুড়িয়ে ২. জেলে আলী আবুর বাড়িতে যখন গেল তখন Ñ চ ক. বাড়িতে কেউ ছিল না খ. আলী আবুর স্ত্রী বাড়িতে ছিল গ. ঘরের দরজাগুলো খোলা ছিল ঘ. আলী আবু বাড়িতে ছিল ৩. আলী আবুর জুতো জেলের কাছে মূল্যবান, কারণÑ চ ক. তা ফেরত দিলে জেলের বকশিশ মিলবে খ. তা বাজারে বিক্রি করে সে অর্থ পাবে গ. আবু তা পেলে জেলেকে ধন্যবাদ দেবে ঘ. কাজির দরবারে জমা দিলে আবুর শাস্তি হবে ৪. শিশিগুলো বিক্রি করে আবু ভেবেছিলÑ চ ক. তার টাকা বেড়ে দ্বিগুণ হবে খ. একজোড়া নতুন জুতো কিনতে পারবে গ. মনটা খুশিতে ভরে উঠবে ঘ. মানুষকে ব্যবসায় সাহায্য করবে সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর অনুচ্ছেদটি পড়ে নিচের প্রশ্নের জবাব লেখ : অগত্যা আবুও ছুটল কুকুরকে তাড়া করে। ছুটতে ছুটতে সামনে পড়ল একটা দেয়াল। কুকুর দেয়াল টপকে যেতেই জুতোটা ফসকে গিয়ে পড়ল দেয়ালের ওপাশে একটা ছোট ছেলের মাথায়। আবুর ভারী জুতোর ঘায়ে ছেলে অজ্ঞান হয়ে পড়ল। বাড়িতে হইচই পড়ে গেল। সবাই এল ছুটে। ক. আবু কুকুরটিকে তাড়া করছিল কেন? ১ খ. সবাই ছুটে এলো কেন? ২ গ. কুকুরটি কীভাবে আবুর ভাগ্য বিপন্ন করল, ব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. উদ্দীপকের আলোকে জুতোকে অলক্ষুণে বলার যৌক্তিকতা বিচার করো। ৪ ১ এর ক নং প্র. উ. কুকুরটির কাছ থেকে নিজের একপাটি জুতো উদ্ধার করার জন্য আবু কুকুরটিকে তাড়া করেছিল। ১ এর ক নং প্র. উ. আলী আবুর জুতোর আঘাতে বাড়ির একটা ছোট ছেলে আহত হওয়ায় সবাই দৌড়ে এসেছিল। আলী আবুর জুতোজোড়া ছিল অনেক পুরোনো আর ভীষণ ভারী। একটা কুকুর তার একপাটি জুতো কেড়ে নিয়ে দৌড় দিয়েছিল। আবুও কুকুরটাকে সাথে সাথে তাড়া করল। তাড়া খেয়ে পালানোর সময় কুকুরটা একটা দেয়াল টপকে যায়। তখন জুতোটা তার মুখ থকে ফসকে গিয়ে ছোট একটা ছেলের মাথায় পড়ে। ভারী জুতোর আঘাতে ছেলেটি সংজ্ঞা হারায়। এ কারণেই সবাই তাকে সাহায্য করতে ছুটে আসে। ১ এর গ নং প্র. উ. কুকুরটির কেড়ে নেওয়া জুতোটা ঘটনাক্রমে ছোট একটা ছেলেকে আঘাত করায় আবুর ভাগ্য বিপন্ন হলো। আলী আবুর জুতোজোড়া তার বেশ ক্ষতি করে ফেলেছিল। সেগুলো সে কোনোভাবেই নিজের কাছ থেকে দূরে সরাতে পারছিল না। এমনকি কুকুর একপাটি জুতো ছিনিয়ে নিয়ে চলে গেলেও দুর্ভাগ্য আবুর পিছু ছাড়ে না। কুকুর আবুর একপাটি জুতো নিয়ে পালাচ্ছিল। এ সময় আবুও কুকুরটিকে ধাওয়া করে। দেয়াল টপকাতে গিয়ে জুতোটা কুকুরের মুখ থেকে খসে গিয়ে পড়ে ছোট একটা ছেলের মাথায়। ভারী সেই জুতোর আঘাতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে ছেলেটি। সবাই মিলে আবুকে ধরে বিচারের জন্য কাজির দরবারে নিয়ে যায়। কাজি আবুকে ছেলেটির চিকিৎসার খরচ ও সমপরিমাণ অর্থ ক্ষতিপূরণ দিতে বলেন। এভাবেই কুকুরটির কারণে আবুকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ১ এর ঘ নং প্র. উ. জুতোর কারণে আলী আবুকে অনেক অপমান ও আর্থিক ক্ষতির শিকার হতে হয়েছিল। তাই এটিকে অলুক্ষণে জুতো বলাই শ্রেয়। আলী আবু ধনী লোক হলেও চালচলনে ছিল খুবই সাধারণ। সে তার অতি পুরোনো জুতোজোড়া দীর্ঘদিন ধরে জোড়াতালি দিয়ে ব্যবহার করত। এরপর একসময় জুতোজোড়াকে কেন্দ্র করে ঘটতে থাকে নানা দুর্ঘটনা। সবই আলী আবুর জন্য দুর্ভোগ বয়ে আনে। আবু যতবার জুতোজোড়ার হাত থেকে মুক্তি পেতে চেয়েছে ততবারই জুতোজোড়া তার কাছে নাটকীয়ভাবে ফিরে এসেছে। নদীতে ফেলে, নর্দমায় ফেলেও লাভ হয়নি। বরং জুতার জন্য তার ব্যবসার ক্ষতি হয়েছে, আর্থিক জরিমানা হয়েছে। তাছাড়া অনেক অপমানও সহ্য করতে হয়েছে। উদ্ধৃতাংশে দেখা যায় জুতোর একপাটি কুকুর নিয়ে পালালে তাতেও নতুন করে বিপত্তি দেখা দেয়। এভাবে জুতোজোড়া আলী আবুকে বারবার কষ্ট দেয়। কিছুতেই দুর্ভাগ্য তার পিছু ছাড়ে না। এ কারণেই জুতোটিকে অলুক্ষণে জুতা বলা খুবই যুক্তিসংগত। সেদিন সন্ধ্যায় পাঁচজন পুলিশ সাদিকদের বাসায় উপস্থিত। অবৈধ মোবাইল ফোন রাখার অভিযোগে সাদিককে পুলিশ গ্রেফতার করতে এসেছে। জানা গেল যে, একদল ছিনতাইকারী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রাকিব চৌধুরীকে খুন করে তার টাকা-পয়সা, মোবাইল সেট ছিনতাই করে নিয়ে যায়। পরে এ চক্রের এক সদস্যের কাছ থেকে সাদিক না জেনেই নামমাত্র মূল্যে মোবাইল সেটটি ক্রয় করে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে মোবাইল ফোনের অবস্থান নিশ্চিত হয়েই সাদিকদের বাসায় এসেছে। এরপর থেকে শুরু হয় সাদিকের চরম ভোগান্তি। ক. আতরের শিশিগুলোর দাম কত? ১ খ. আবু আলীর পিঠে দশ দোররা মারার হুকুম দেওয়া হলো কেন? ২ গ. সাদিক ‘অলক্ষুণে জুতো’ গল্পের আলী আবুরই আরেক রূপ- ব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. সামান্য ভুলেও মানুষের জীবনে নেমে আসে বিপর্যয়- উদ্দীপক ও ‘অলক্ষুণে জুতো’ গল্পের আলোকে বিশ্লেষণ করো। ৪ ২ নং প্র. উ. ক. আতরের শিশিগুলোর দাম ছিল পঞ্চাশ দিনার। খ. জুতো চুরির শাস্তি হিসেবে আলী আবুকে দশ দোররা মারার হুকুম দেওয়া হলো। আলী আবু শহরের হাম্মামখানায় গোসল করতে ঢুকল। গোসল থেকে বের হয়ে সে দেখল তার জুতার জায়গায় নতুন একজোড়া জুতা। আলী আবু ভাবল তার বন্ধু হয়ত তাকে নতুন জুতা উপহার হিসেবে দিয়ে গেছে। এ কথা মনে করে সে যখন জুতাজোড়া নিয়ে চলে গেল, বিপত্তি ঘটল তখনই। আসলে জুতোজোড়া কেউ তাকে উপহার হিসেবে দেয়নি। সে জুতোজোড়া ছিল শহরের কাজির। জুতোজোড়ার অবস্থান পরিবর্তন হওয়ায় আলী আবু ভুল বুঝেছিল। ফলে আলী আবুর জুতা গ্রহণ চুরি হিসেবে স্বীকৃত হলো এবং আবু আলীকে দশ দোররা মারার হুকুম দেওয়া হলো। গ. দুর্ভাগ্যের শিকার হওয়ার দিক থেকে ‘অলুক্ষণে জুতো’ গল্পের আলী আবুর সাথে উদ্দীপকের সাদিকের সাদৃশ্য রয়েছে। আলী আবু
সপ্তম শ্রেণির আনন্দ পাঠ অলক্ষুণে জুতো Read More »