অষ্টম শ্রেণি

অষ্টম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ

দ্বিতীয় অধ্যায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়-সংক্ষেপ ১৯৭০ সালের জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠীর ভিত নাড়িয়ে দিলে তারা ক্ষমতা হস্তান্তরের পরিবর্তে ষড়যন্ত্র ও বাঙালি নিধনের নীল নকশা আঁটে। এ প্রেক্ষাপটেই শুরু হয় বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের নতুন অধ্যায়Ñ অসহযোগ আন্দোলন। অসহযোগ আন্দোলনের ব্যাপ্তি বাড়তে থাকে। ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণে বাঙালির মুক্তির সনদ ঘোষিত হয়। ‘বাংলাদেশ’ নামক রাষ্ট্রের স্বপ্ন কোটি বাঙালির কাছে বাস্তবরূপে প্রতিভাত হতে থাকে। এদিকে পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকচক্র গণহত্যার প্রস্তুতি নেয়। প্রস্তুতি অনুযায়ী ২৫শে মার্চ রাতে বাঙালিদের নির্মমভাবে হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। ২৬শে মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণার পর থেকে দেশবাসী দেশকে শত্রæমুক্ত করার প্রত্যয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। গঠিত হয় স্বাধীন বাংলাদেশ ‘মুজিবনগর সরকার’। মুজিবনগর সরকারের নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনী সংগঠিত হয়ে পাক হানাদারদের বীর বিক্রমে প্রতিহত করতে থাকে। স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকেও তারা রুখে দেয়। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে প্রবাসী বাঙালিরাও নিজ অবস্থানে থেকে লড়তে থাকে। বহির্বিশ্বেও ছড়িয়ে পড়ে বাঙালির মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। বাংলাদেশ গঠনের ন্যায্য দাবির পক্ষে বিভিন্ন রাষ্ট্রশক্তি অবস্থান নেয়। আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত সর্বাত্মকভাবে পাশে এসে দাঁড়ায়। নভেম্বর থেকে ভারতীয় বাহিনী সম্মুখ সমরে অবতীর্ণ হয়। অবশেষে যৌথবাহিনীর নিকট ১৬ই ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করে। এভাবে আমাদের মুক্তিবাহিনীর বীরত্বপূর্ণ লড়াই, সমগ্র দেশবাসীর দৃঢ় ঐক্য, মিত্র বাহিনীর সক্রিয় সহায়তা এবং বিশ্ব জনমতের সমর্থনে মাত্র নয় মাসে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ সফল সমাপ্তিতে পৌঁছে। পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি মুক্তিযুদ্ধের পটভ‚মি : ১৯৭০ সালের নির্বাচন এবং নির্বাচনোত্তর ঘটনাবলি বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ১৯৭১ সালের ৩রা জানুয়ারি আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদ সদস্যরা রেসকোর্স ময়দানে প্রকাশ্যে শপথ গ্রহণ করে। একদিকে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা গ্রহণের প্রস্তুতি নেয় আর অন্যদিকে জুলফিকার আলী ভুট্টো তা বানচালের জন্য ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে ষড়যন্ত্র শুরু করেন। তিনি ঢাকায় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন বর্জনের ঘোষণা দিয়ে পাকিস্তানের রাজনীতিতে নতুন সংকট তৈরি করেন। ভুট্টোর চালে সাড়া দিয়ে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ১লা মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করায় আওয়ামী লীগের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। ফলে ওই দিন আওয়ামী লীগের পার্লামেন্টারি কমিটির বৈঠকে সর্বাত্মক আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। ফলে মুক্তিযুদ্ধের পটভ‚মি তৈরি হয়। ৭ই মার্চের ভাষণের বৈশিষ্ট্য : বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ ছিল বাঙালির মুক্তির সনদ। এ ভাষণ সারাদেশের মানুষকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করে। তাদের ঐক্যবদ্ধ করে এবং সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে দেশের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করে। এ ভাষণ যেন জাদুর স্পর্শে বাঙালি জাতিকে বীরের জাতিতে রূপান্তরিত করেছে। তাই অনেকেই মনে করেন, এ ভাষণ বিশ্বের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক অনন্য দৃষ্টান্ত। গণহত্যার প্রস্তুতি : পাকিস্তানি সেনারা ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাতে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে যে গণহত্যার অভিযান চালিয়েছিল তার নাম দিয়েছিল ‘অপারেশন সার্চলাইট’। ২৫শে মার্চ মধ্যরাতে এ অপারেশন সংঘটিত হলেও মূলত এর প্রস্তুতি চলতে থাকে মার্চের প্রথম থেকে। ৩রা মার্চ পশ্চিম পাকিস্তান থেকে আগত অস্ত্র ও রসদ বোঝাই এম.ভি. সোয়াত জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছে। প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ১৫ই মার্চ থেকে ২৪শে মার্চ ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সঙ্গে আলোচনার ভান করে আসলে অভিযানের প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণ করেন ও অপারেশন সার্চলাইট চ‚ড়ান্ত করেন। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা : ২৬শে মার্চ বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা ছিল মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। তিনি বলেন, “এটাই হয়তো আমার শেষ বার্তা। আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন। এ ঘোষণা ওয়ারলেসযোগে চট্টগ্রামে প্রেরণ করা হয়। ২৬শে মার্চ দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল হান্নান এই বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পত্রটি প্রচার করেন। মুজিবনগর সরকার : ১৯৭১ সালের ১০ই এপ্রিল গঠিত হয় মুজিবনগর বা বাংলাদেশ সরকার। ওই দিনই মন্ত্রীসভা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ২৬শে মার্চ ঘোষিত স্বাধীনতার ঘোষণা অনুমোদন করে। তবে মুজিবনগর সরকার শপথগ্রহণ করে ১৯৭১ সালের ১৭ই এপ্রিল। শপথ বাক্য পাঠ করান অধ্যাপক ইউসুফ আলী। মুক্তিবাহিনী গঠন ও কার্যক্রম : মুজিবনগর সরকার সুষ্ঠু ও পরিকল্পিতভাবে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করে। মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি ছিলেন কর্নেল এম.এ.জি. ওসমানী। এছাড়া চিফ অব স্টাফ ছিলেন কর্নেল (অব) আবদুর রব। ডেপুটি চিফ অব স্টাফ ছিলেন গ্রæপ ক্যাপ্টেন এ. কে. খন্দকার। মুক্তিযুদ্ধের ১১টি সেক্টর : মুক্তিযুদ্ধের সময় যুদ্ধ পরিচালনার সুবিধার্থে বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করে ১১ জন সেক্টর কমান্ডার নিযুক্ত করা হয়। প্রত্যেক সেক্টর বেশ কয়েকটি সাব-সেক্টরে বিভক্ত ছিল। মুক্তিযুদ্ধে বিরোধী শক্তির তৎপরতা ও ভ‚মিকা : এদেশেরই মানুষের খুব ক্ষুদ্র একটি অংশ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা ও দেশবাসীর স্বার্থের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে পাকিস্তান বাহিনীর সহযোগী হয়। পাকিস্তানের অখণ্ডতা রক্ষার নামে ও ধর্মের দোহাই দিয়ে এই স্বাধীনতা-বিরোধীরা পাকিস্তানি সৈন্যদের সঙ্গে মিলে হত্যা, লুট, অগ্নিকাণ্ড, নারী নির্যাতনসহ সারা দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিকামী বাঙালি ও প্রগতিশীল বাঙালিদের খুঁজে বের করে তাদের তালিকা তারা পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে তুলে দেয়। তাদের অত্যাচার কখনো কখনো পাকিস্তানি বাহিনীর অত্যাচারকেও ছাড়িয়ে যেত। মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী ছিল জামায়াতে ইসলামী, নেজামে ইসলামী, পিডিপি ও মুসলিম লীগ নেতাকর্মী। প্রবাসী বাঙালিদের ভ‚মিকা : মুক্তিযুদ্ধের সময় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী বাঙালির গণহত্যার প্রতিবাদে ও মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে একত্রিত হতে থাকে। যুক্তরাজ্যকে কেন্দ্র করে সমগ্র ইউরোপে প্রবাসীদের আন্দোলন চলে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, সুইডেন, ফ্রান্স, কানাডা ও ইন্দোনেশিয়ার বাঙালিরাও সোচ্চার হয়ে উঠে। গণহত্যার প্রতিবাদে তারা সভা-সমাবেশ আয়োজন করে, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠন ও অর্থ সংগ্রহ করে। কেউ কেউ ভারতে গিয়েও যুদ্ধে অংশ নেয়। মুক্তিযুদ্ধে বহির্বিশ্বের ভ‚মিকা : বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পৃথিবীর বৃহৎ কয়েকটি দেশ যেমন : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন, চীন এবং প্রতিবেশী ভারত বিভিন্নভাবে যুক্ত হয়ে পড়ে। এসব দেশের মধ্যে ভারত ও সোভিয়েত ইউনিয়ন সরাসরি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিল। যৌথ বাহিনীর নেতৃত্বে চ‚ড়ান্ত যুদ্ধ : পাকিস্তানি বাহিনীর উপর সুদৃঢ় আক্রমণের জন্য ২১শে নভেম্বর বাংলাদেশ ও ভারত সরকার একটি যৌথ-কমান্ড গঠন করে। মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর সমন্বয়ে এটি গঠিত হয়। যুদ্ধকালীন মুক্তিবাহিনীর সহায়তাকারী ভারতীয় বাহিনীকে মিত্রবাহিনী বলা হতো। যৌথ-কমান্ড গঠনের ফলে স্বাভাবিকভাবেই যুদ্ধ দারুণ গতি লাভ করে। গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধ : দখলদার পাকিস্তানি বাহিনী মুক্তিযুদ্ধের পুরো নয়মাস জুড়ে নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। আমরা এর আগে জেনেছি, তারা ২৫শে মার্চ মধ্যরাত থেকে নিরস্ত্র বাঙালিদের উপরে হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় নির্যাতন করে পরে তারা আটককৃতদের হত্যা করত। হাত-পা বেঁধে গুলি করে, নদী, জলাশয় ও গর্তে ফেলে রাখা ছিল সাধারণ ঘটনা। এছাড়া একটি একটি করে অঙ্গচ্ছেদ করে, তারপর গুলি করে হত্যা করা হতো। চোখ উপড়ে ফেলা, মাথায় আঘাত করে চ‚র্ণ-বিচ‚র্ণ করা, মুখ থেঁতলে দেওয়া, বেয়নেট ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে হৃৎপিণ্ড উপড়ে ফেলা, আঙ্গুলে সূঁচ ফুটানো, নখ উপড়ে ফেলা, শরীরের চামড়া কেটে লবণ ও মরিচ দেওয়া ছিল অত্যাচারের নিষ্ঠুর ধরন। পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণ : বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটে ১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭১। ওইদিন পাকিস্তানি বাহিনী তাদের শোচনীয় পরাজয় মেনে নিয়ে যৌথ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে। এর মধ্য দিয়ে আমরা লাভ করি আমাদের বর্তমান বাংলাদেশ রাষ্ট্র। বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ১. ১৯৭১ সালের কোন তারিখে মুজিবনগর সরকার গঠিত হয়?

অষ্টম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ Read More »

অষ্টম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ঔপনিবেশিক যুগ ও বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রাম

প্রথম অধ্যায় ঔপনিবেশিক যুগ ও বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রাম বিষয়-সংক্ষেপ ভাস্কো-ডা-গামা, আল বুকার্ক প্রমুখের হাত ধরে বাংলায় পর্তুগিজ ও ইংরেজদের পাশাপাশি ফরাসি, ওলন্দাজ ও দিনেমাররা স্থায়ী কুঠি স্থাপন করে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করতে থাকে। তবে ইউরোপীয় শক্তিগুলোর মধ্যে ইংরেজরা অন্যান্য বহিঃশক্তির ওপর প্রাধান্য লাভ করে। ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি ধীরে ধীরে বাংলায় তাদের প্রভাব প্রতিপত্তি বাড়িয়ে নবাবের দরবারে প্রভাব বিস্তারের মতো ক্ষমতা ভোগ করতে শুরু করে। এ পর্যায়ে তারা বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় এবং ১৭৫৭ সালের ২৩শে জুন তাকে পরাজিত করে বাংলার প্রকৃত শাসন ক্ষমতা নিজেদের হাতে নিয়ে নেয়। তাদের শাসন-শোষণে বাংলার জনগণ অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। তাদের এই শোষণের বিরুদ্ধে ১৮৫৭ সালে ভারতের বিভিন্ন ব্যারাকে বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়ে। বিদ্রোহ দমাতে ১৮৫৮ সালের ২রা আগস্ট ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ভারত-শাসন আইন পাস হয়। ফলে ভারতের রাষ্ট্রক্ষমতা ব্রিটিশ রাজের হাতে চলে যায়। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন সমগ্র ভারতবর্ষে সংঘটিত হলেও সর্বভারতীয় রাজনীতির নেতৃত্ব শেষ পর্যন্ত বাঙালিদের হাতে থাকেনি। ১৯৪০ সালে মুসলিম লীগ কর্তৃক দ্বিজাতিতত্ত¡ প্রচারের পর জনগণ হিন্দু-মুসলমান পরিচয়ে বিভক্ত হয়ে পড়ে। ১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে। তবে পূর্ব বাংলা পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চল হিসেবে ব্রিটিশদের অধীনতা থেকে মুক্তি লাভ করলেও ১৯৪৭ সালের ১৪ই আগস্টের পর থেকে পূর্ব বাংলার জনগণকে নতুন করে আন্দোলন সংগ্রামে নামতে হয়। পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি ঔপনিবেশিক শাসন : কোনো দেশ অন্য কোনো দেশের ওপর জুড়ে বসাকে বলে দখলদারদের উপনিবেশ স্থাপন। আর এই উপনিবেশে প্রতিষ্ঠা করা শাসনকে বলা হয় ঔপনিবেশিক শাসন। বাংলায় স্বাধীন সুলতানি যুগ : ১৩৩৮ সালে সোনারগাঁওয়ের শাসনকর্তা ফখরউদ্দিন মুবারক শাহ দিল্লির মুসলমান সুলতানদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলায় দু’শ বছরের স্বাধীন সুলতানি যুগ। ওয়েস্টফালিয়ার চুক্তি : ১৬৪৮ সালে ইউরোপের যুদ্ধরত বিভিন্ন দেশের মধ্যে একটি শান্তিচুক্তি হয়। একে বলে ওয়েস্টফালিয়ার চুক্তি। ভারতবর্ষে ইউরোপীয়দের বাণিজ্য বিস্তার : সতেরো শতকে পুঁজির জোর আর উন্নত কারিগরি জ্ঞানের সমন্বয় করে ইউরোপীয় বণিকরা ভারতবর্ষের স্থানীয় শ্রমিকদের খাটিয়ে বড় বড় শিল্পকারখানা স্থাপন করে প্রচুর মুনাফা করতে থাকে। ক্রমে পর্তুগিজদের চেয়ে ব্যাপক হয়ে দাঁড়ায় ভারতবর্ষে ইংরেজ ব্যবসায়ীদের ভ‚মিকা। এভাবে ভারতবর্ষে ইউরোপীয়দের বাণিজ্য বিস্তার হয়। বাংলায় কোম্পানি শাসন : ১৭৫৭ সালে পলাশির যুদ্ধে নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয়ের পর বাংলায় রাজস্ব আদায়ের ক্ষমতা ইংরেজদের হাতে চলে যায়। ক্লাইভ বাংলায় কিছুকাল দ্বৈতশাসন চালিয়ে যান, দ্বৈতশাসন ছিল একটি অদ্ভুত ব্যবস্থা। এ ব্যবস্থায় নবাব হলেন ক্ষমতাহীন দ্বায়িত্ব পালনকারী। অন্যদিকে কোম্পানির শাসকরা হলেন দায়িত্বহীন ক্ষমতাবান। এভাবে বাংলায় কোম্পানি শাসন লাভ করে। বাংলায় ব্রিটিশ শাসন : ভারত শাসন আইন জারির ফলে ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটে। ভারতের রাষ্ট্র ক্ষমতা ব্রিটিশ রাজের হাতে ন্যস্ত হয়। এর ফলে ব্রিটিশ মন্ত্রীসভা কর্তৃক একজন মন্ত্রীকে ভারত-সচিব পদে (ঝবপৎবঃধৎু ড়ভ ঝঃধঃব ভড়ৎ ওহফরধ) মনোনীত করা হয়। যিনি ১৫ সদস্যবিশিষ্ট পরামর্শক সভা বা কাউন্সিলের মাধ্যমে ভারত শাসনের ব্যবস্থা করবেন। এই আইন অনুসারে গভর্নর জেনারেলকে ভাইসরয় বা ব্রিটিশ রাজ প্রতিনিধি নামে অভিহিত করা হয়। লর্ড ক্যানিং প্রথম ভাইসরয় নিযুক্ত হন। এভাবেই বাংলায় ব্রিটিশ শাসন লাভ করে। স্বদেশি আন্দোলন : ১৯০৫ সালে ইংরেজরা বাংলাকে বিভক্ত করে দেয়। বাংলার এই বিভক্তিকে বাংলার মানুষ বিশেষ করে হিন্দু সমাজ অপছন্দ করে। বঙ্গভঙ্গ করা থেকে শাসকদের বিরত করার জন্যই তারা স্বদেশি আন্দোলন গড়ে তোলে। বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ১. বাংলায় স্বাধীন সুলতানি শাসন প্রতিষ্ঠা করেন কে? ক নবাব সিরাজউদ্দৌলা খ নবাব আলীবর্দী খাঁ  ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ ঘ ইখতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ বিন বখতিয়ার খলজি ২. শশাঙ্কের মৃত্যুর পর একশত বছরকে মাৎস্যন্যায়ের যুগ বলা হয়। কারণ তখনÑ র. দেশে সর্বত্র বিশৃঙ্খলা বিরাজ করত রর. বড়মাছ ছোট ছোট মাছকে ধরে খেয়ে ফেলত ররর. শাসকবর্গ সুশাসনে অক্ষম ছিল নিচের কোনটি সঠিক? ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩ ও ৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও : আশার দাদু তাকে একটি ঐতিহাসিক ঘটনা প্রসঙ্গে বললেন যে, বাংলার নবাবকে শাসন কাজের জন্য জবাবদিহি করতে হতো। তবে তাকে এ কাজে অর্থের জন্য অন্য একটি কর্তৃপক্ষের মুখাপেক্ষী থাকতে হতো। ৩. আশার দাদুর বর্ণিত ঘটনায় কোন শাসনের চিত্র প্রতিফলিত হয়? ক নবাবী শাসন  দ্বৈত শাসন গ সুবাদারী শাসন ঘ ইংরেজ শাসন ৪. বর্ণিত ঘটনার ফলেÑ র. দেশে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ঘটে রর. জনগণ দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ররর. জনগণের মধ্যে বিদ্রোহী মনোভাব জেগে ওঠে নিচের কোনটি সঠিক? ক র খ ররর  রর ঘ র, রর ও ররর ৫. কত সালে ওয়েস্টফালিয়ার চুক্তি হয়? ক ১৬৪৭  ১৬৪৮ গ ১৬৪৯ ঘ ১৬৫০ ৬. কিসের মাধ্যমে খুব অল্প সময়ে ও কম খরচে দেশে-বিদেশে চিঠি ও তথ্য আদান-প্রদান করা যায়? ক ই-কমার্স  ই-মেইল গ ফেসবুক ঘ টুইটার ৭. ইংরেজরা কীভাবে অনুগত শ্রেণি তৈরি করেছিল? ক দেশ বিভাগের মাধ্যমে খ কুসংস্কার দূরিকরণের মাধ্যমে গ ভারত শাসন আইন প্রণয়নের মাধ্যমে  চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবর্তন করে ৮. ‘বর্গী’ কাদের বলা হতো? ক সেনদের খ তুর্কীদের গ আফগানদের  মারাঠাদের ৯. দিল্লির সাথে বাংলার সম্পর্কের বড় ধরনের পরিবর্তনের কারণÑ ক আকবরের মসনদে বসা খ হুমায়ুনের মসনদে বসা  জাহাঙ্গীরের মসনদে বসা ঘ বাবরের মসনদে বসা ১০. মৌর্যদের পর ভারতে কোন সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়? ক মোঘল  গুপ্ত গ পাল ঘ সেন ১১. কোন তারিখে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ভারত শাসন আইন পাস হয়?  ১৮৫৮ সালের ২ আগস্ট খ ১৮৫৮ সালের ২ সেপ্টেম্বর গ ১৮৫৮ সালের ২ অক্টোবর ঘ ১৮৫৮ সালের ২ নভেম্বর ১২. ১৮৫৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কেন প্রতিষ্ঠিত হয়?  গবেষণার জন্য খ মুসলমানদের সন্তুষ্ট করার জন্য গ হিন্দুদের সন্তুষ্ট করার জন্য ঘ ব্রিটিশদের শাসন পাকাপোক্ত করার জন্য ১৩. বাংলার স্বাধীন সুলতানি শাসনের অবসান ঘটে কত সালে? ক ১২০৬ খ ১৩৩৮  ১৫৩৮ ঘ ১৫৭৬ ১৪. এদেশে ইংরেজদের শিক্ষা বিস্তারের ফলেÑ  প্রচলিত বিশ্বাস ভঙ্গ হয় খ মানুষের মনে হিংসা দানা বাঁধে গ ভ্রাতৃত্ব গড়ে উঠে ঘ জনমনে অসন্তোষ সৃষ্টি হয় ১৫. সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বাংলাকে দুইভাগ করার প্রস্তাব দেন কে? ক লর্ড বেন্টিক  লর্ড কার্জন গ লর্ড হার্ডিঞ্জ ঘ লর্ড ক্লাইভ ১৬. কোন শক্তির হাতে সেন শাসনের অবসান ঘটে? ক আর্য খ মৌর্য গ পাল  মুসলিম ১৭. কত সালে ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ বাংলার স্বাধীন সুলতানি প্রতিষ্ঠা করেন? ক ১২৩৮  ১৩৩৮ গ ১৪৪৮ ঘ ১৫৩৮ ১৮. সতীদাহ প্রথা বিল কে পাস করেন? ক লর্ড ডালহৌসি খ লর্ড হার্ডিং  লর্ড উইলিয়াম বেন্টিংক ঘ লর্ড ওয়েলেসলি ১৯. কত সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়? ক ১৬৫৭ খ ১৭৫৭  ১৮৫৭ ঘ ১৯৫৭ ২০. ব্রিটিশ ভারতে প্রথম ভাইসরয় কে ছিলেন? ক লর্ড বেন্টিঙ্ক  লর্ড ক্যানিং গ লর্ড কার্জন ঘ লর্ড হার্ডিঞ্জ ২১. ইংরেজদের এদেশে শিক্ষা বিস্তারের উদ্দেশ্য ছিলোÑ ক বাণিজ্য বিস্তার করা খ আয় বৃদ্ধি করা  শাসন

অষ্টম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ঔপনিবেশিক যুগ ও বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রাম Read More »

অষ্টম শ্রেণির শারীরিক শিক্ষা জীবনের জন্য খেলাধুলা

পঞ্চম অধ্যায় জীবনের জন্য খেলাধুলা  খেলাধুলার জন্য প্রয়োজনীয় প্রতিষ্ঠানিক ও অবকাঠামোগত সুবিধা : শারীরিক শিক্ষার ব্যবহারিক দিক হচ্ছে খেলাধুলা। খেলাধুলার কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য সুপরিকল্পিত প্রতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনা ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন খুবই জরুরি। এজন্য স্থানীয়ভাবে স্টেডিয়াম, সুইমিংপুুল নির্মাণ ও খেলার মাঠের উন্নয়ন করতে হবে। সেই সাথে বিদ্যালয়গুলোতে মানসম্মত ক্রীড়া সামগ্রীর সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে।  ব্যাডমিন্টন : ১৮৭০ সালে ভারতের পুনায় প্রথম ব্যাডমিন্টন খেলা শুরু হয়েছিল। জনৈক ইংরেজ সৈনিক কর্তৃক এই খেলা ভারত থেকে ইংল্যান্ডে নিয়ে যাওয়ার আগে তেমন জনপ্রিয় ছিল না। ১৯৩৪ সালে ওহঃবৎহধঃরড়হধষ ইধফসরহঃড়হ ঋবফবৎধঃরড়হ (ও.ই.ঋ) ইংল্যান্ডের সিলটেন হামে প্রতিষ্ঠিত হয়। ব্যাডমিন্টন খেলা ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হলে প্রয়োজন হাত ও কব্জির নমীয়তা এবং পায়ের কাজ।  বাস্কেটবল : বাস্কেটবল খেলার প্রথম প্রচলন হয় ১৮৮১ সালে আমেরিকায়। এ খেলার জনক হলেন আমেরিকার ¯িপ্রং ফিল্ডে ওয়াই.এম.সি.এ কলেজের শারীরিক শিক্ষার পরিচালক ড. জেমস নেইসমিথ। ১৯৩২ সালে জর্মানিতে আন্তর্জাতিক বাস্কেটবল সংস্থা (ঋওইঅ) গঠিত হয়। বাস্কেটবল খেলতে হলে দরকার দম, দৌড়াবার ও জাম্প দেওয়ার ক্ষমতা এবং সেই সাথে শারীরিক ক্ষিপ্রতা।  হকি : ১৯২৪ সালে আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশন গঠিত হয়। অলিম্পিকে পুরুষদের হকি ১৯০৮ সালে এবং মহিলাদের হকি ১৯৮০ সালে প্রথম অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯৫৮ সালে এশিয়ান গেমসে হকি অন্তর্ভুক্ত হয়। প্রথম বিশ্বকাপ হকি প্রতিযোগিতা শুরু হয় ১৯৭১ সালে।  সাঁতার : সুইমিং শব্দ ইংরেজি সুইমিন থেকে এসেছে। ১৮৩৭ সালে লন্ডনে প্রথম প্রতিযোগিতামূলক সাঁতার অনুষ্ঠিত হয়। ১৯০৮ সালে সাঁতারের আন্তর্জাতিক সংস্থা ঋওঘঅ গঠিত হয়। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশন প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতামূলক সাঁতার চার প্রকার। যথা : ক. মুক্ত সাঁতার, খ. চিৎ সাঁতার, গ. বুক সাঁতার ও ঘ. প্রজাপতি সাঁতার।  অ্যাথলেটিকস : খেলাধুলার ক্ষেত্রে দৌড়, ঝাঁপ ও নিক্ষেপকে এক কথায় অ্যাথলেটিক্স বলা হয়। ১৯১২ সালে ইন্টারন্যাশনাল অ্যামেচার অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন এবং ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ অ্যামেচার অ্যাথলেটিক ফেডারেশন গঠিত হয়। ১. ভায়োলেশন কোন খেলার সাথে সম্পৃক্ত? ক ভলিবল খ হ্যান্ডবল  বাস্কেটবল ঘ ফুটবল ২. লে-আপ শুট কোন খেলার একটি কৌশল? ক ভলিবল খ হ্যান্ডবল  বাস্কেটবল ঘ ফুটবল ৩. দৌড়ের ক্ষেত্রে সমাপ্তি রেখায় কোনটি স্পর্শ করতে হয়? ক হাত খ পা  টর্সো ঘ কপাল ৪. সাঁতারের আন্তর্জাতিক সংস্থার নাম কোনটি? ক ঋওঋঅ খ ইঐঋ  ঋওঘঅ ঘ ওঐঋ ৫. কোন সাঁতারের হাতের কাজ ইংরেজি ‘ঝ’ বর্ণের মতো?  মুক্ত খ প্রজাপতি গ চিৎ ঘ বুক ৬. গোলক নিক্ষেপে একজন প্রতিযোগী সুযোগ হারাবে যদি- র. স্টপ বোর্ডের উপরিভাগ স্পর্শ করে রর. বৃত্তের সামনের অংশ দিয়ে বের হয় ররর. নাম ডাকার ৬০ সেকেন্ডের মধ্যে গোলক নিক্ষেপ করে নিচের কোনটি সঠিক?  র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর নিচের চিত্রটি লক্ষ কর এবং ৭ ও ৮ নং প্রশ্নের উত্তর দাও : ৭. উপরের চিত্রটি কোন খেলার ইঙ্গিত বহন করে?  জেভলিন খ পোলভল্ট গ শটপুট ঘ ট্রিপল জাম্প ৮. উক্ত খেলায় একজন প্রতিযোগী অকৃতকার্য হওয়ার কারণ- র. সেক্টর লাইন স্পর্শ বা বাইরে যাওয়া রর. আর্কের দাগ স্পর্শ করা ররর. রানওয়ের নির্দিষ্ট রেখার বাইরের ভ‚মি স্পর্শ করা নিচের কোনটি সঠিক? ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর নিচের চিত্রটি লক্ষ কর এবং ৯ ও ১০ নং প্রশ্নের উত্তর দাও : ৯. উল্লেখিত চিত্রটি কোন খেলার সাথে সম্পৃক্ত? ক লন টেনিস  ব্যাডমিন্টন গ টেবিল টেনিস ঘ ভলিবল ১০. উক্ত খেলা ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হলে প্রয়োজনÑ র. হাতের নমনীয়তা রর. সঠিক গ্রিপ ররর. ভালো ফুটওয়ার্ক নিচের কোনটি সঠিক? ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ১১ ও ১২ নং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও : অ, ই ও ঈ তিন ধরনের খেলার মাঠের আকার ১১. অ চিহ্নিত চিত্রটি কোন খেলার মাঠকে নির্দেশ করে?  ব্যাডমিন্টন খ হ্যান্ডবল গ বাস্কেটবল ঘ হকি ১২. নিচের কোন কৌশলটি ই ও ঈ উভয় খেলার জন্য প্রযোজ্য?  ড্রিবলিং খ লে-আপ শুট গ স্ম্যাশ ঘ সার্ভিস নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ১৩ ও ১৪ নং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও : খেলার ধরণ তালিকাভুক্ত খেলোয়াড় সংখ্যা অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড় সংখ্যা অ ১২ ৫ ই ১২ ৭ ১৩. চিত্রে ‘ই’ কোন খেলাকে নির্দেশ করে? ক ব্যাডমিন্টন  হ্যান্ডবল গ বাস্কেটবল ঘ হকি ১৪. কোন কৌশলটির প্রয়োগ উভয় খেলায় দেখা যায়? ক স্ম্যাশ খ সার্ভিস গ লে-আপ শুট  ড্রিবলিং ১৫. নিচের কোন দৌড় ট্র্যাক ইভেন্টের অন্তর্ভুক্ত নয়?  পোল ভল্ট খ স্বল্প দূরত্বের গ মধ্য দূরত্বের ঘ দীর্ঘ দূরত্বের ১৬. কোথায় সর্বপ্রথম প্রতিযোগিতামূলক সাঁতার অনুষ্ঠিত হয়? ক মস্কো খ নিউইয়র্ক  লন্ডন ঘ বার্লিন ১৭. ‘শ্যুটিং সার্কেল’ শব্দটি কোন খেলার সাথে সম্পর্কযুক্ত?  হকি খ ভলিবল গ হ্যান্ডবল ঘ সাঁতার ১৮. ১৪ বছরের ঊর্ধ্বে মহিলাদের জন্য হ্যান্ডবলের ওজন কত গ্রাম? ক ২২৫২৭৫ খ ২৫০৩০০ গ ৩০৫৩২৫  ৩২৫৩৭৫ ১৯. হকি খেলার মৌলিক কৌশল কোনটি?  স্টপিং খ গোল কিপিং গ গোলে কিক করা ঘ স্টিক নিয়ে দৌড়ানো ২০. ব্যাডমিন্টন একক ও দ্বৈত খেলার কোর্টের পরিমাপ কত? ক ৪০  ১৭ ও ৪৪  ১৭ খ ৪৪  ২০ ও ৪০  ১৭  ৪৪  ১৭ ও ৪৪  ২০ ঘ ৪০  ২০ ও ৪৪  ২০ ২১. এক জায়গায় দাঁড়ানো অবস্থায় যে শুট করা হয় তাকে  সেট শুট বলে খ জাম্প শুট বলে গ লে-অপ শুট বলে ঘ পেনাল্টি শুট বলে ২২. হ্যান্ডবল খেলায় বল পার্শ্বরেখা অতিক্রম করলে পুনঃখেলা আরম্ভ হবে  পার্শ্বরেখায় এক পা রেখে থ্রো ইনের মাধ্যমে খ কোর্টের ভিতর থেকে বল নিক্ষেপ করে গ কোর্টের বাহির থেকে জাম্প শুট করে ঘ সেন্টার লাইন থেকে থ্রো করে ২৩. মন ও শরীর গঠনের অন্যতম উৎস কোনটি? ক বই পড়া  খেলাধুলা গ ঘুমানো ঘ ফাস্টফুড খাওয়া ২৪. এক পা একস্থানে রেখে অন্য পা ঘুরানোকে কি বলে? ক পাসিং খ ড্রিবলিং গ মুভিং  পিভটিং ২৫. ব্যাডমিন্টন খেলায় সার্ভিসের সময় অবশ্যই কী করতে হবে? ক লম্বা সার্ভিস করতে হবে খ বুকের নিচ থেকে সার্ভিস করতে হবে  দু’পা মাটিতে স্পর্শ করতে হবে ঘ এক পা উঁচুতে এবং এক পা ভ‚মিতে থাকতে হবে ২৬. ব্যাডমিন্টন একক কোর্টের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ কত? ক ৩৮ ফুট ও ১৪ ফুট খ ৪০ ফুট ও ১৬ ফুট গ ৪২ ফুট ও ১৮ ফুট  ৪৪ ফুট ও ১৭ ফুট ২৭. লে-আপ শুট কোন খেলার সাথে সম্পৃক্ত?  বাস্কেটবল খ হ্যান্ডবল গ হকি ঘ ভলিবল ২৮. কোন সাঁতার পানিতে নেমে হাতল ধরে আরম্ভ করতে হয়? ক মুক্ত সাঁতার খ প্রজাপতি সাঁতার  চিৎ সাঁতার ঘ বুক সাঁতার ২৯. হ্যান্ডবল খেলায় বিপক্ষ

অষ্টম শ্রেণির শারীরিক শিক্ষা জীবনের জন্য খেলাধুলা Read More »

অষ্টম শ্রেণির শারীরিক শিক্ষা আমাদের জীবনে প্রজনন স্বাস্থ্য

চতুর্থ অধ্যায় আমাদের জীবনে প্রজনন স্বাস্থ্য  প্রজনন স্বাস্থ্যসংক্রান্ত ধারণা : প্রজনন প্রক্রিয়ার সাথে সম্পর্কযুক্ত বিষয়কে প্রজনন স্বাস্থ্য বলে। প্রজনন হচ্ছে সন্তান জন্মদানের একটি প্রক্রিয়া।  প্রজনন স্বাস্থ্যরক্ষার প্রয়োজনীয়তা : প্রজনন স্বাস্থ্যরক্ষার প্রথম কথা হলো বয়ঃসন্ধিকালের পরিবর্তনে করণীয়সমূহ জানা এবং সেগুলো মেনে চলা। প্রজনন স্বাস্থ্য সঠিকভাবে রক্ষা করলে প্রজনন স্বাস্থ্যের সুস্থতা বজায় থাকবে এবং নবজাতক স্বাস্থ্যবান ও নীরোগ হবে।  প্রজনন স্বাস্থ্যসংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি : নিরাপদ ও উন্নত জীবনযাপনের জন্য প্রত্যেকেরই প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে মৌলিক জ্ঞান থাকা আবশ্যক। প্রজনন স্বাস্থ্য মানুষের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের একটা বিশেষ অংশ। তাই এ সম্পর্কে জানা না থাকলে নানা সমস্যা সৃষ্টি হয়। প্রজনন স্বাস্থ্যসংক্রান্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো : ১. উপযুক্ত বয়সে গর্ভধারণ, ২. প্রজননকালীন সতর্কতা, ৩. প্রজননতন্ত্রের বিভিন্ন রোগের সেবা ও রোগ প্রতিরোধ।  অপরিণত বয়সে গর্ভধারণের ফলে সৃষ্ট সমস্যা : অপরিণত বয়সে গর্ভধারণের ফলে গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত সমস্যা যেমন : রক্তক্ষরণ, শরীরে পানি আসা, প্রচণ্ড মাথাব্যথা, খিচুনি, গর্ভপাত ইত্যাদি ঘটে থাকে। এছাড়া শিক্ষাগত, পারিবারিক ও আর্থিক সমস্যাও সৃষ্টি হয়।  অপরিণত বয়সে গর্ভধারণ প্রতিরোধ : অপরিণত বয়সে গর্ভধারণ প্রতিরোধে আমাদের সকলের উচিত বাল্যবিবাহ আইন মেনে অপরিণত বয়সে ছেলেমেয়ের বিয়ে না দেয়া। তাছাড়া সংবাদপত্র, রেডিও, টেলিভিশন, নাটক, গান প্রভৃতির মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করা। ১. বয়ঃসন্ধিকালে জটিল কোনো শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে কার শরণাপন্ন হওয়া অধিক যুক্তিযুক্ত? ক মা-বাবা খ শিক্ষক গ বন্ধুবান্ধব  চিকিৎসক ২. কত বছরের নিচে বাংলাদেশে মেয়েদের গর্ভধারন করা উচিত নয়? ক ১৪ বছর খ ১৬ বছর গ ১৮ বছর  ২০ বছর ৩. ছেলেমেয়েদের কখন দ্রæত শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন ঘটে? ক শিশুকালে খ কৈশোরকালে  বয়ঃসন্ধিকালে ঘ যৌবনকালে ৪. বয়ঃসন্ধিকালে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কোনটি? ক প্রচুর পরিমাণে ঘুমানো খ আমিষ জাতীয় খাবার গ্রহণ গ খেলাধুলায় ব্যস্ত থাকা  পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা ৫. বয়ঃসন্ধিকালে প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন থাকা প্রয়োজন, কেননা এতেÑ র. মানুষের প্রতিভার যথাযথ বিকাশ ঘটে রর. সুস্থ ও স্বাস্থ্যবান শিশুর জন্মের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায় ররর. শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে সুস্থ থাকা যায় নিচের কোনটি সঠিক? ক র খ র ও রর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৬ ও ৭ নং প্রশ্নের উত্তর দাও : ৭ম শ্রেণির ছাত্রী বকুলের মা বয়স পরিবর্তন করে বার্ষিক পরীক্ষার পরপরই বকুলকে বিয়ে দিয়ে দেন। বিয়ের কয়েকমাস যেতে না যেতেই বকুলের ঘন ঘন বমি হতে লাগল। খাবারের প্রতি অনীহা বেড়ে গেল। মাঝে মাঝে রক্তক্ষরণ হতে লাগল। ডাক্তারের নিকট নিয়ে গেলে কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর ডাক্তার চিন্তিত হয়ে পড়েন। ৬. বকুলের এই অবস্থার কারণ নিচের কোনটি? ক আর্থিক অস্বচ্ছলতা খ শিক্ষার অপ্রতুলতা গ সমাজের দায়িত্বহীনতা  অপরিণত বয়সে গর্ভধারণ ৭. বকুলের মত মেয়েদের এ অবস্থা থেকে উত্তরণে করণীয়Ñ র. স্বাস্থ্যবিধির ব্যাপক প্রচার রর. প্রচুর ডাক্তার ও নার্স নিয়োগ ররর. সঠিক বয়সে বিয়ের ব্যবস্থা নিশ্চিতকরন নিচের কোনটি সঠিক? ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৮ ও ৯ নং প্রশ্নের উত্তর দাওÑ অর্পা ৮ম শ্রেণির ছাত্রী। সারাদিন সে নিজের ঘরে আনমনা হয়ে বসে থাকে। স্বাভাবিক কাজকর্ম, পড়ালেখা, খাওয়া দাওয়া সবকিছুতেই সে অন্য মনস্ক। তাকে দেখে মনে হয় সে সারাক্ষণ কিছু একটা নিয়ে ভাবছে। ৮. বয়স অনুসারে অর্পা কোন কাল অতিক্রম করছে? ক শৈশবকাল খ বাল্যকাল গ যৌবনকাল  বয়ঃসন্ধিকাল ৯. এ সময় অর্পাÑ র. আবেগ দ্বারা পরিচালিত হতে পারে রর. পুষ্টিকর খাবারের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারে ররর. কোন বিষয়ের প্রতি কৌতুহলী হয়ে উঠতে পারে নিচের কোনটি সঠিক? ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর ১০. নিরাপদ ও উন্নত জীবন যাপনের জন্য কোনটি সম্পর্কে জ্ঞান থাকা জরুরি?  প্রজনন স্বাস্থ্য খ স্বাস্থ্য গ পারিবারিক রীতি-নীতি ঘ গর্ভধারণ ১১. কোনটি প্রজননতন্ত্রের রোগ? ক হেপাটাইটিস খ ম্যালেরিয়া গ জন্ডিস  এইডস ১২. বয়ঃসন্ধিকালের যেকোনো পরিবর্তনে করণীয় কী? ক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বই পড়া  বাবা-মায়ের সাথে আলোচনা করা গ ডাক্তার এর পরামর্শ নেয়া ঘ শিক্ষকের পরামর্শ নেয়া ১৩. প্রজনন স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য গর্ভধারণের উপযুক্ত সময় কোনটি? ক ১৫ বৎসর খ ১৮ বৎসর  ২০ বৎসর ঘ ১৭ বৎসর ১৪. নিরাপদ ও উন্নত জীবনযাপনের জন্য প্রত্যেকেরই প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে কী থাকা জরুরি? ক ক্ষুদ্র জ্ঞান খ বৃহৎ জ্ঞান গ যৌগিক জ্ঞান  মৌলিক জ্ঞান ১৫. প্রজনন স্বাস্থ্যের সাথে সম্পর্কযুক্ত ক স্নায়ুতন্ত্র খ চেনতন্ত্র  প্রজননতন্ত্র ঘ পৌষ্টিকতন্ত্র ভ‚মিকা  সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ১৬. সন্তান জš§দানে জড়িত অঙ্গের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিষয়কে কী বলে? (জ্ঞান) ক স্বাস্থ্যবিধি খ প্রজননতন্ত্র গ স্বাস্থ্যবিজ্ঞান  প্রজনন স্বাস্থ্য ১৭. প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে প্রচলিত ভুল ধারণাটি কী? (অনুধাবন) ক প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে শুধু ছেলেরা জানবে  প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে শুধু মেয়েরা জানবে গ প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে সবাই জানবে ঘ প্রজনন স্বাস্থ্য সাধারণ স্বাস্থ্যের সাথে জড়িত ১৮. একজন মানুষ সাধারণত জীবনের কয়টি স্তর অতিক্রম করে? (জ্ঞান) ক ২ খ ৩  ৪ ঘ ৫ ১৯. প্রজনন স্বাস্থ্যের ব্যাপারটি কোনটির সাথে সম্পর্কযুক্ত? (অনুধাবন) ক ছেলেদের কৈশোর স্তর খ মেয়েদের বয়ঃসন্ধিকাল গ ছেলেমেয়ে সকলের বয়ঃসন্ধিকাল  ছেলেমেয়ে সকলের সাধারণ স্বাস্থ্য ২০. নি¤েœর কোন কারণে ছেলেমেয়েদের শারীরিক পরিবর্তন ঘটে? [মোহাম্মদপুর মডেল স্কুল এন্ড কলেজ; খুলনা মডেল স্কুল এন্ড কলেজ] ক ভিটামিনের কারণে  হরমোনজনিত কারণে গ স্নায়ুতন্ত্রের কারণে ঘ ফুসফুসের কারণে ২১. ছেলেমেয়েদের শরীর সম্পর্কে সচেতন হতে হবে কোন সময়? [রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ] ক কৈশোরকালে  বয়ঃসন্ধিকালে গ যৌবনকালে ঘ বৃদ্ধকালে ২২. আরিফ বয়ঃসন্ধিকালের বালক। শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সে কোন কাজটি করবে? (প্রয়োগ) ক নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক বই পড়বে  প্রজনন স্বাস্থ্য সুরক্ষা করবে গ নিয়মিত ব্যায়াম অনুশীলন করবে ঘ বিভিন্ন ঘাতকব্যাধি সম্পর্কে জানবে ২৩. বয়ঃসন্ধিকালে ছেলেমেয়েদের প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে ধারণা থাকে না। এ কারণে তাদের অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোন ব্যাপারটি ঘটে? (উচ্চতর দক্ষতা) ক তারা তাদের শারীরিক পরিবর্তনে খুশি হয় খ তারা আবেগের বশে দ্রæত সিদ্ধান্ত নেয় গ তারা মানসিক পরিবর্তনে দুঃসাহসী হয়ে ওঠে  তারা স্বাস্থ্যসংক্রান্ত জটিলতায় সম্মুখীন হয় ২৪. কখন ছেলেমেয়েরা স্বাস্থ্যসংক্রান্ত অনেক জটিলতার সম্মুখীন হয়? (জ্ঞান) ক শিশুকালে  বয়ঃসন্ধিকালে গ যৌবনকালে ঘ প্রৌঢ়ত্বকালে ২৫. শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য বজায় রাখার অন্যতম প্রধান শর্ত কী? (জ্ঞান) ক প্রাথমিক চিকিৎসা জানা খ সুষম খাদ্য গ্রহণ করা  প্রজনন স্বাস্থ্য সুরক্ষা করা ঘ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ২৬. বয়ঃসন্ধিকালে স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা এড়াতে কোনটি প্রয়োজন? (অনুধাবন)  প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে ধারণা থাকা খ শারীরিক পরিবর্তনে সতর্ক থাকা গ বড়দের সাথে দূরত্ব বজায় রাখা ঘ কৌত‚হল ও আবেগকে দমন করা ২৭. ভবিষ্যৎ প্রজšে§র স্বাস্থ্য নিশ্চিত করার জন্য প্রত্যেকেরই কোন ধরনের বিধি মেনে চলা প্রয়োজন? (জ্ঞান)  প্রজনন স্বাস্থ্য খ

অষ্টম শ্রেণির শারীরিক শিক্ষা আমাদের জীবনে প্রজনন স্বাস্থ্য Read More »

অষ্টম শ্রেণির শারীরিক শিক্ষা স্বাস্থ্যবিজ্ঞান পরিচিতি ও স্বাস্থ্যসেবা

তৃতীয় অধ্যায় স্বাস্থ্যবিজ্ঞান পরিচিতি ও স্বাস্থ্যসেবা  এইচআইভি ও এইডসের ধারণা : এইডস এক ধরনের ভাইরাসজনিত রোগ। এই ভারাসটির নাম এইচআইভি। বিভিন্ন উপায়ে এই ভাইরাস মানবদেহে প্রবেশ করে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ধ্বংস করে দেয়। এইচআইভি সংক্রমণের সর্বশেষ পর্যায় হলো এইডস।  এইচআইভি ও এইডস এর প্রভাব : এইডস এর প্রভাব মানব জীবনের সকল ক্ষেত্রে বিপর্যয় ডেকে আনে। স্বাস্থ্যব্যবস্থায় যেমন এইচআইভি ও এইডস এর ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে তেমনি পারিবারিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এইচআইভি বিস্তারের মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে।  এইচআইভি যেভাবে মানবদেহে সংক্রমিত হয় : এইচআইভি ভাইরাস সাধারণত মানবদেহের কয়েকটি তরল পদার্থে যেমন : রক্ত, বীর্য, মায়ের বুকের দুধে থাকে। ফলে মানবদেহের এই তরল পদার্থগুলোর আদান-প্রদানের মাধ্যমে এইচআইভি ছড়ায়।  এইডসের লক্ষণসমূহ : এইডসের লক্ষণসমূহ হলোÑ শরীরের ওজন দ্রæত হ্রাস পাওয়া। অজানা কারণে দুই মাসের অধিক সময় জ্বর থাকা। দীর্ঘদিন ধরে শুকনো কাশি থাকা। দুই মাসের অধিক সময় ধরে পাতলা পায়খানা হওয়া।  এইচআইভি ও এইডস সংক্রমণের ঝুঁকি : এইডস একটি ঘাতক ব্যাধি। এই রোগ সম্পূর্ণরূপে নিরাময়ের ওষুধ এখনও আবিষ্কার হয়নি। এইচআইভি ভাইরাস মানবদেহে প্রবেশ করে দেহের নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেয় বলে এর একমাত্র পরিণতি মৃত্যু।  এইচআইভি ও এইডস প্রতিরোধে করণীয় : অপরীক্ষিত রক্ত গ্রহণ করা যাবে না। অন্যের ব্যবহৃত সিরিঞ্জ, বেøড বা রেজার ব্যবহার করা যাবে না। অনৈতিক, অনিরাপদ ও অনিয়ন্ত্রিত শারীরিক সম্পর্ক করা যাবে না। অপারেশনে বিশুদ্ধ যন্ত্রপাতি ব্যবহার করতে হবে। ১. এইডস সর্বপ্রথম কত সালে সনাক্ত হয়? ক ১৯৮০  ১৯৮১ গ ১৯৮২ ঘ ১৯৮৩ ২. এইচআইভি কী? ক রোগ  ভাইরাস গ ব্যাকটেরিয়া ঘ আয়োডিন ৩. সর্বপ্রথম এইডস সনাক্ত হয় কোন দেশে?  আমেরিকা খ ভিয়েতনাম গ ভারত ঘ কম্পোডিয়া ৪. এইডস আক্রান্ত মায়েদের শিশুর এইডস হতে পারে- র. মায়ের দুধ পান করলে রর. মায়ের শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে ররর. মায়ের রক্ত গ্রহণের মাধ্যমে নিচের কোনটি সঠিক? ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর ৫. এইডস-এর ক্ষেত্রে- র. এর নির্দিষ্ট কোন লক্ষণ নেই রর. এটি একটি নীরব ঘাতক ররর. সঠিক নিয়মে ওষুধ খেলে এটি ভালো হয় নিচের কোনটি সঠিক?  র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর ৬. এইডস প্রতিরোধে সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ কোনটি? ক চিকিৎসকদের এইডস সম্পর্কে প্রশিক্ষণ প্রদান খ এইডস আক্রান্ত ব্যক্তিদের সঠিক চিকিৎসা করা  এইডস সম্পর্কে সকলকে সচেতন করা ঘ এইডস আক্রান্ত লোকদের চিহ্নিত করা নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৭ ও ৮ নং প্রশ্নের উত্তর : সড়ক দুর্ঘটনায় আহত আকাশের জরুরি রক্তের প্রয়োজন হলে তৎক্ষনাৎ অপরিচিত একজনের রক্ত আকাশকে দেওয়া হয়। সুস্থ হওয়ার কিছুদিন পর আকাশ এক রোগে আক্রান্ত হয়। এতে তার একটানা জ্বর, কাশি এবং লসিকা গ্রন্থি ফুলে যাওয়ার লক্ষণ দেখা যায়। ৭. আকাশ নিচের কোন রোগে আক্রান্ত হয়েছে? ক ক্যান্সার খ নিউমোনিয়া  এইডস ঘ জন্ডিস ৮. আকাশের রোগটিতে আক্রান্ত হওয়ার কারণÑ র. সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হওয়া রর. পরীক্ষা ছাড়া রক্ত গ্রহণ ররর. রোগটি সম্পর্কে অসচেতনতা নিচের কোনটি সঠিক? ক র খ র ও রর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর উদ্দীপকটি পড়ে ৯ ও ১০ নং প্রশ্নের উত্তর দাও : করিম একটি ফার্মে চাকুরি করেন। দুইমাস ধরে তার জ্বর এবং কাশি থাকায় তার ঘনিষ্ঠ সহকর্মী জামান তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। ডাক্তার করিমের রক্ত পরীক্ষা করে জামানকে জানায় করিম এইডস রোগে আক্রান্ত। ভয়ে জামান করিমকে ডাক্তারখানায় রেখেই বাড়ি চলে গেল। খবরটি শুনে করিমের বাড়ির সবাই কেমন যেন আচরণ করতে থাকে। এতে করিম মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ল। ৯. করিমের এই মানসিক অবস্থার জন্য দায়ী- র. পরিবারের অসহযোগিতা রর. ভাগ্যের নির্মম পরিহাস ররর. রোগটি ছড়ানোর ভয় নিচের কোনটি সঠিক? ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর ১০. জামানের এরূপ আচরণ পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন কোনটি?  রোগ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা খ আবেগ প্রশমনের ব্যবস্থা করা গ ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা ঘ এইডসের ঝুঁকি এড়িয়ে চলা ১১. এইচআইভি কয়টি উপায়ে ছড়ায়? ক ৩ খ ৪  ৫ ঘ ৬ ১২. নিচের কোনটি অনৈতিক সম্পর্ক? ক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রচার খ মেয়েদের বিশেষ শারীরিক বৈশিষ্ট্য গ এইডস সম্পর্কে জ্ঞানের অভাব  এইডস আক্রান্ত নারী পুরুষের শারীরিক সম্পর্ক ১৩. অওউঝ-এর পূর্ণরূপ হলো  অপয়ঁরৎবফ ওসসঁহব উবভরপরবহপু ঝুহফৎড়সব খ অপয়ঁরৎবফ ওসসঁহব উবভরপরঃ ঝুহফৎড়সব গ অপয়ঁরৎবফ ওসসঁহড় উবভরপরবহপু ঝুফৎড়সব ঘ অপয়ঁরৎবফ ওসসঁহড় উবভরপরবহপু ঝুসঢ়ঃড়স ১৪. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কত সালে সর্বপ্রথম এইডস শনাক্ত হয়? ক ১৯৮০ সালে  ১৯৮১ সালে গ ১৯৮২ সালে ঘ ১৯৮৩ সালে ১৫. ১৫-২৪ বছরের মেয়েদের অধিক পরিমাণে এইডস ঝুঁকিতে থাকার কারণ র. দারিদ্র্য রর. জ্ঞানের অভাব ররর. দুর্বল অবস্থান নিচের কোনটি সঠিক? ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর ১৬. বাংলাদেশে এইডস হওয়ার প্রধান কারণ র. এইডস আক্রান্ত রোগীর রক্ত সুস্থ ব্যক্তির দেহে পরিসঞ্চালন করলে রর. আক্রান্ত ব্যক্তির জামা কাপড় সুস্থ ব্যক্তি পরিধান করলে ররর. শিশু যদি আক্রান্ত মায়ের দুধ পান করে নিচের কোনটি সঠিক? ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর ১৭. ঝুঁকিপূর্ণ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান কোনটি? র. না বলা রর. গোপনে ডাকা ররর. দৃঢ় হওয়া রা. সরাসরি না বলা নিচের কোনটি সঠিক? ক র ও ররর খ র ও রর গ র, রর ও ররর  র ও রা ১৮. এইডস রোগের লক্ষণ হলো র. অজানা কারণে দুই মাসের অধিক সময় জ্বর থাকা রর. লসিকা গ্রন্থি ফুলে যাওয়া ররর. শরীরের ওজন দ্রæত বেড়ে যাওয়া নিচের কোনটি সঠিক?  র ও রর খ র গ রর ঘ র ও ররর ভ‚মিকা  সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ১৯. মানবদেহের সমস্যা সমাধানের জন্য কী প্রয়োজন? (অনুধাবন) ক নিয়মিত ডাক্তারের নিকট যাওয়া  দৈহিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে ধারণা থাকা গ নিয়মিত ব্যায়াম অনুশীলন করা ঘ প্রাথমিক চিকিৎসা সম্পর্কে ধারণা থাকা ২০. প্রাণঘাতী রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে কেন? (অনুধাবন) ক মানুষকে সচেতন করার জন্য খ চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির জন্য  মানুষের জীবন ধ্বংসের জন্য ঘ মানুষের জ্ঞানের পরিধি বাড়ানোর জন্য ২১. সারাবিশ্বে আশঙ্কাজনকভাবে কোন রোগটি বিস্তার লাভ করছে? [বিদ্যাময়ী গভ. গার্লস হাই স্কুল, ময়মনসিংহ; বøু-বার্ড উচ্চ বিদ্যালয়, সিলেট]] ক কলেরা  এইডস গ গলগণ্ড ঘ য²া ২২. কোন রোগের প্রতিষেধক এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়নি? (জ্ঞান)  এইডস খ বাতজ্বর গ জন্ডিস ঘ ডিপথেরিয়া ২৩. এইডস কী? [ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড আন্ত. বিদ্যালয়; যশোর জিলা স্কুল] ক মানসিক ব্যাধি খ ছোঁয়াচে রোগ  ঘাতক ব্যাধি ঘ পুষ্টিহীন ব্যাধি ২৪. এইডস রোগ প্রতিরোধে কোনটি আবশ্যক? (অনুধাবন)  আমাদের সবার সচেতনতা

অষ্টম শ্রেণির শারীরিক শিক্ষা স্বাস্থ্যবিজ্ঞান পরিচিতি ও স্বাস্থ্যসেবা Read More »

অষ্টম শ্রেণির শারীরিক শিক্ষা স্কাউটিং, গার্ল গাইডিং ও বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি

দ্বিতীয় অধ্যায় স্কাউটিং, গার্ল গাইডিং ও বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি  হাইকিং : হাইকিং শব্দের অর্থ উদ্দেশ্যমূলক ভ্রমণ। হাইকিং -এ যেকোনো পথ নির্দেশিকা অনুসরণ করে নির্দিষ্ট গন্তব্যের উদ্দেশ্যে স্কাউট ও গার্ল গাইডকে পায়ে হেঁটে ভ্রমণ এবং ভ্রমণকালে পথিমধ্যে আশপাশের পরিবেশ ও প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ করতে হয়।  পেট্রোল সিস্টেম : ছোট ছোট উপদলে ভাগ হয়ে কাজ করাকে পেট্রোল সিস্টেম বলে।  নেতৃত্বদান ও মানবসেবায় স্কাউটিং ও গার্ল গাইডিং : স্কাউটিং এবং গার্ল গাইডের মূলমন্ত্রই হচ্ছে ‘সেবা’ ও ‘সদা প্রস্তুত’। প্রত্যেক স্কাউট ও গার্ল গাইড অপরের সেবার জন্য বা যেকোনো ভালো কাজ করার জন্য সব সময় প্রস্তুত থাকে। ছোট হোক, বড় হোক যেকোনো কাজ করে মানুষের সেবা করাই তাদের মূল উদ্দেশ্য। এই কাজের মধ্য দিয়ে একজন স্কাউট ও গার্ল গাইড নেতৃত্বের গুণাবলি অর্জন করে।  রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্টের জন্ম ও ইতিহাস : সুইজারল্যান্ডের এক যুবক জিন হেনরি ডুনান্ট একটি সেবামূলক সংস্থা গঠন করতে ১৮৬৩ সালে ৯ ফেব্রæয়ারি চারজন জেনেভাবাসীকে নিয়ে ‘কমিটি অব ফাইভ’ নামে একটি কমিটি গঠন করেন। পরবর্তীতে এই কমিটির নাম পরিবর্তিত হয়ে আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটি নামে পরিচিত হয়। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশে রেড ক্রস সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত হয়।  আন্তর্জাতিক রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট আন্দোলনের মূলনীতি : ১৯৬৫ সালে ভিয়েনায় অনুষ্ঠিত রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্টের ২০তম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে সাতটি মৌলিক নীতি গৃহীত হয়। নীতিগুলো হলো : ১. মানবতা, ২. পক্ষপাতহীনতা, ৩. নিরপেক্ষতা, ৪. স্বাধীনতা, ৫. স্বেচ্ছামূলক সেবা, ৬. একতা ও ৭. সার্বজনীনতা।  প্রাথমিক চিকিৎসা : প্রাথমিক চিকিৎসা হচ্ছে হঠাৎ দুর্ঘটনায় আহত রোগীকে ডাক্তার আসার পূর্বে প্রাথমিকভাবে সাহায্য করা।  ড্রেসিং : ক্ষতস্থানকে জীবাণুমুক্ত বা পরিষ্কার করার জন্য যে প্রক্রিয়া ব্যবহার করা হয় তাকে ড্রেসিং বলে।  ব্যান্ডেজ : ড্রেসিংকে ঠিকমতো ধরে রাখার জন্য ক্ষতস্থানে ব্যান্ডেজ করা হয়। ব্যান্ডেজ তিন প্রকার। যথা : ১. ট্রায়াঙ্গুলার ব্যান্ডেজ, ২. রোলার ব্যান্ডেজ ও ৩. মাল্টি টেইল ব্যান্ডেজ।  আর্ম ¯িøং ও কলার এন্ড কাফ ¯িøং : সম্পূর্ণ বাহু বেঁধে ঝুলিয়ে রাখাকে স্মল আর্ম ¯িøং বলে। আর হাতের কব্জি ঝুঁলিয়ে রাখার জন্য কলার এন্ড কাফ ¯িøং ব্যবহার করা হয়। ১. হাইকিং কোন ধরনের কর্মসূচি? ক রাজনৈতিক খ সামাজিক  শিক্ষামূলক ঘ উন্নয়নমূলক ২. প্রাথমিক চিকিৎসার কথা সর্বপ্রথম কে বলেছেন?  ডা. ফ্রেডিক এজমার্ক খ ড. জেমস নেইসমিথ গ জিন হেনরি ডুনান্ট ঘ লর্ড ব্যাডেন পাওয়েল ৩. হাতের কব্জি ঝুলিয়ে রাখতে কোন ব্যান্ডেজ ব্যবহার করা হয়?  রোলার খ আর্ম ¯িøং গ মাল্টি টেইল ঘ ট্রায়াঙ্গুলার ৪. হাইকিংয়ের সফলতা নির্ভর করে কোনটির উপর?  পরিকল্পনা খ তাবু জলসা গ কম্পাস ঘ মানচিত্র ৫. সাধারণত ক্ষতস্থানে কোনটি ব্যবহার করা ভালো? ক স্পিরিট খ পটাসিয়াম পারম্যাংগানেট গ টিংচার আয়োডিন  অ্যান্টিসেপটিক পাউডার ৬. মাল্টিটেইল ব্যান্ডেজÑ র. সাধারণত চোয়ালের ক্ষতে ব্যবহৃত হয় রর. কপালে ব্যবহার করা হয় ররর. বহু প্রান্তিক বা ঞ আকৃতির হয় নিচের কোনটি সঠিক? ক র খ রর  র ও ররর ঘ রর ও ররর নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৭ ও ৮ নং প্রশ্নের উত্তর দাও : সদিচ্ছা ছোট বেলা হতে পরোপকারী। মানুষের কষ্ট তার ভালো লাগে না। কীভাবে সে মানুষকে তাদের বিপদে আপদে সাহায্য করবে প্রায়ই এ বিষয়ে বাবা মাকে প্রশ্ন করে। বাবা বললেন, তোমাদের বিদ্যালয়েই অনেক সেবামূলক সংগঠন আছে। শিক্ষকদের সাথে পরামর্শ করে যেকোনো একটির সদস্য হয়ে যাও। ৭. সদিচ্ছার জন্য সুবিধাজনক সেবামূলক সংগঠন কোনটি? ক স্কাউট  গার্ল গাইড গ রেড ক্রস ঘ রেড ক্রিসেন্ট ৮. সেবামূলক সংগঠনের সদস্য হলে সদিচ্ছার যা করার সম্ভাবনা তা হলোÑ র. শিশু ও বয়স্কদের প্রয়োজনে রাস্তা পারাপারে সাহায্য করা রর. হারিয়ে যাওয়া শিশুদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়া ররর. আহত কাউকে হাসপাতালে বা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া নিচের কোনটি সঠিক? ক র খ র ও রর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৯ ও ১০ নং প্রশ্নের উত্তর দাও : খুশবু বিদ্যালয় থেকে বাড়িতে আসার পর বিকালে মাঠে খেলতে গিয়েছিল। খেরার সময় ইটের উপর পড়ে গিয়ে পা কেটে যায় এবং রক্তক্ষরণ শুরু হয়। খুশবুর বন্ধুরাই তাকে সহযোগিতার জন্য দৌঁড়ে আসে এবং তাদের সঙ্গে যা ছিল তা দিয়ে প্রথমে রক্ত পড়া বন্ধ করলে তারপর তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেল। ৯. খুশবুর বন্ধুদের প্রতি সম্পাদিত কাজটি কী? ক হাতুড়ে চিকিৎসা  প্রাথমিক চিকিৎসা গ পর্যবেক্ষণ ঘ চিকিৎসা ১০. খুশবুর বন্ধুদের মতো সবার করণীয়Ñ র. ক্ষতস্থান থেকে রক্ত পড়া বন্ধ করা রর. ক্ষতস্থানে কিছু থাকলে বের করে দেয়া ররর. ক্ষতস্থানে ম্যাসেজ করা নিচের কোনটি সঠিক?  র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ১১ ও ১২ নং প্রশ্নের উত্তর দাও : স্বনন তার বিদ্যালয়ের একটি সংগঠনের সাথে জড়িত। এই সংগঠনের মূল বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সর্বদা কাজের জন্য প্রস্তুত থাকা। সংগঠনটি সাতটি আইনের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এই সংগঠনটির কর্মকাণ্ডের ফলে তার বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির হার আগের চেয়ে অনেক বেড়ে গেছে। ১১. স্বনন কোন সংগঠনের সাথে জড়িত? ক গার্ল গাইড  স্কাউট গ রেড ক্রিসেন্ট ঘ রেড ক্রস ১২. স্বননের সংগঠনটির সফল বাস্তবায়ন হলে শিক্ষার্থীদের মধ্যেÑ র. মানবিক মূলবোধ সৃষ্টি হবে রর. সমাজে সচেতনতা দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে উঠবে ররর. গোষ্ঠীগত দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হবে নিচের কোনটি সঠিক?  র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর ১৩. কার সুপারিশক্রমে হাইকিং এর কর্মসূচি প্রণয়ন করতে হবে? ক উপদল নেতা খ জমির মালিক গ থানা কমিশনার  গ্রæপ স্কাউট কাউন্সিল ১৪. দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত বিবেচনায় আমাদের জাতীয় পতাকার অনুরূপ নিচের কোন সংস্থার পতাকা? ক স্কাউট ও গার্ল গাইড  রেড ক্রিসেন্ট গ জাতিসংঘ ঘ বাংলাদেশ ক্রিকেট কাউন্সিল ১৫. কোন কাপড়ের ব্যান্ডেজ সাধারণ ক্ষেত্রে বেশি ভালো? ক অধিক ইলাস্টিক  শক্ত গ রেশম ঘ নরম ১৬. একজন খেলোয়াড়ের হাঁটুতে আঘাত লাগলে কী ধরনের ব্যান্ডেজ ব্যবহার করা হয়? ক নি ব্যান্ডেজ  রোলার ব্যান্ডেজ গ ক্রেপ ব্যান্ডেজ ঘ ট্রায়াঙ্গুলার ব্যান্ডেজ ১৭. ব্যান্ডেজ কত প্রকার? ক ২ প্রকার  ৩ প্রকার গ ৪ প্রকার ঘ ৫ প্রকার ১৮. ১৯৬৩ সালে জিন হেনরি কী নামে কমিটি গঠন করেছিলেন?  কমিটি অব ফাইভ খ কমিটি অব ফোর গ কমিটি অব সিক্স ঘ কমিটি অব রেড ক্রিসেন্ট ১৯. কম্পাস যন্ত্রটি কী কাজে ব্যবহৃত হয়? ক গতি নির্ণকারী খ শব্দ নির্ণয়কারী গ আলো নির্ণয়কারী  দিক নির্ণয়কারী ২০. রেড ক্রিসেন্ট শব্দটি ব্যবহৃত হয় কোন অঞ্চলে?  মুসলিম বিশ্বে খ ইউরোপে গ ইহুদি রাষ্ট্রে ঘ ওশেনিয়া অঞ্চলে ২১. ক্ষতস্থানকে ঢেকে রাখার জন্য গজ, ব্যান্ডেজ, তুলা ইত্যাদি ব্যবহারকে কী বলে? ক হাইকিং খ ট্রাকিং  ড্রেসিং ঘ ব্যান্ডিং ২২. স্কাউট ও গার্ল গাইডের ¯েøাগান কোনটি?

অষ্টম শ্রেণির শারীরিক শিক্ষা স্কাউটিং, গার্ল গাইডিং ও বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি Read More »

অষ্টম শ্রেণির শারীরিক শিক্ষা শরীরচর্চা ও সুস্থজীবন

প্রথম অধ্যায় শরীরচর্চা ও সুস্থজীবন  শারীরিক সুস্থতায় ব্যায়ামের প্রভাব : শারীরিক সুস্থতার প্রধান বাহনই হলো ব্যায়াম। ব্যায়াম ছাড়া একজন মানুষের শারীরিক সুস্থতা আশা করা যায় না। ব্যায়াম ও খেলাধুলা শুধু দেহের বৃদ্ধি ঘটায় না, মনেরও উন্নতি সাধন করে।  সরঞ্জামবিহীন ব্যায়াম : সরঞ্জাম ছাড়া যে সমস্ত ব্যায়াম করা হয় তাকে সরঞ্জামবিহীন ব্যায়াম বলে। যেমন : স্পিড এক্সারসাইজ, এবডোমিনাল এক্সারসাইজ। জিমন্যাস্টিকের ভাষায় এসব ব্যায়ামকে ‘ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ’ বা খালি হাতের ব্যায়াম বলে।  সরঞ্জামসহ ব্যায়াম : যেকোনো উদ্দেশ্য সামনে রেখে সরঞ্জাম নিয়ে ব্যায়াম করাকে সরঞ্জামসহ ব্যায়াম বলে। যেমন : ক্লাইম্বিং রোপ, রোমান রিং, ফ্রিজবি, বল পাসিং, বল নিয়ন্ত্রণ, সাইক্লিং ইত্যাদি।  বিশ্রাম, ঘুম ও বিনোদনের প্রয়োজনীয়তা : চলাফেরা, কাজকর্ম ও ব্যায়ামের পর শরীর পরিশ্রান্ত হয়, শরীরের জীবকোষগুলো ক্ষয় হতে থাকে। শরীরের জীবকোষগুলোর ক্ষয়পূরণ ও পূর্বাবস্থায় ফিরে আসার জন্য বিশ্রামের প্রয়োজন। বিশ্রামে শরীরের ক্লান্তি ও অবসাদ দূর হয়। ঘুমের সময় দেহের সমস্ত অঙ্গপ্রত্যঙ্গ স্থির হয়ে পূর্ণ বিশ্রামে থাকে। শিক্ষামূলক বিনোদনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা চিত্তবিনোদনের সাথে সাথে জ্ঞানার্জন করে থাকে।  ব্রতচারী নৃত্য : বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চিত্তবিনোদনের জন্য লোকগীতির মাধ্যমে যে লোকনৃত্য করা হয় তাকেই ব্রতচারী নৃত্য বলে।  এডুকেশনাল জিমন্যাস্টিকস : ম্যাট বা গদির উপর মুক্ত হাতে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ব্যায়াম করাকে এডুকেশনাল জিমন্যাস্টিকস বা শিক্ষামূলক জিমন্যাস্টিকস বলা হয়। যেমন : হেড ¯িপ্রং, নেক ¯িপ্রং, হ্যান্ড ¯িপ্রং ইত্যাদি। ১. কোন ব্যায়াম করতে হলে সরঞ্জামের প্রয়োজন হয়? ক হেড স্ট্যান্ড খ হ্যান্ড ¯িপ্রং  হেড ¯িপ্রং ঘ হ্যান্ড স্ট্যান্ড ২. কোন ব্যায়াম করার সময় একজন সাহায্যকারীর প্রয়োজন?  হেড ¯িপ্রং খ হ্যান্ড ¯িপ্রং গ হেড স্ট্যান্ড ঘ হ্যান্ড স্ট্যান্ড ৩. সবচেয়ে বেশি ঘুমের প্রয়োজন হয় কাদের?  শিশু খ কিশোর গ যুবক ঘ বয়স্ক ৪. এবডোমিনাল এক্সারসাইজে শরীরের কোন অংশের মেদ কমে? ক বাহুর খ উরুর গ নিতম্বের  তলপেটের ৫. প্রাত্যহিক ব্যায়ামকে কার্যকর করতে প্রধান ভ‚মিকা পালন করে নিম্নের কোনটি?  বিশ্রাম ও ঘুম খ খেলাধুলা গ চিত্তবিনোদন ঘ নির্মল পরিবেশ ৬. শারীরিক সুস্থতার প্রধান বাহন কোনটিÑ  প্রাত্যহিক ব্যায়াম খ পরিমিত খাবার গ আর্থিক সচ্ছলতা ঘ নিয়মিত চিকিৎসা নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৭ ও ৮ নং প্রশ্নের উত্তর দাও। হৃদিতা অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। ঘুম ঘুম চোখে তার মা সকাল সাতটায় তাকে বিদ্যালয়ে নিয়ে যায়। বিদ্যালয় থেকে ফিরে গান শেখা, ছবি আঁকা, আরবি পড়া আর বাড়ির কাজ করতে করতে সারাটা দিন লেগে যায়। ঘুমাতে ঘুমাতে রাত ১১টা বেজে যায়। এভাবে কিছুদিন পর দেখা গেল হৃদিতা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। কারো সাথে মেশার সুযোগ না পাওয়ায় পড়ালেখা তার কাছে এখন বিরক্তিকর মনে হয়। ৭. হৃদিতার কাছে লেখাপড়া বিরক্তিকর মনে হওয়ার কারণÑ র. পিতা-মাতার অসচেতনতা রর. বয়স অনুপাতে বেশি পরিশ্রম করা ররর. পাঠ্যপুস্তকের বিষয়বস্তু কঠিন নিচের কোনটি সঠিক?  র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর ৮. হৃদিতার শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে কোনটি? ক পুষ্টিকর খাবার খ নিয়মিত শরীরচর্চা  প্রয়োজনীয় বিশ্রাম ও ঘুম ঘ সহপাঠিদের সাথে খেলাধুলা নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৯ ও ১০ নং প্রশ্নের উত্তর দাও। প্রধান শিক্ষক জামাল সাহেবের মেদ বেড়ে যাওয়ায় শারীরিক শিক্ষার শিক্ষকের পরামর্শে এক ধরনের ব্যায়াম করেন। এতে তার মেদ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে যায়। এতে তিনি বিদ্যালয়ে অধিক সময় থেকে শিক্ষকদের ক্লাসরুম মনিটরিংসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ডে আগের চাইতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতে লাগলেন। ৯. জামাল সাহেবের ব্যায়ামটি কোন ধরনের? ক স্পিড এক্সারসাইজ  এবডোমিনাল এক্সারসাইজ গ এডুকেশনাল জিমন্যাস্টিক্স ঘ সরঞ্জামসহ ব্যায়াম ১০. উক্ত ব্যায়ামের ফলে জামাল সাহেবের কি উপকার হয়? ক হাতের শক্তি বাড়ে খ পায়ের শক্তি বাড়ে গ দৈহিক কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়  পেটের পেশির শক্তি বৃদ্ধি পায় ১১. ১২-১৪ বছরের শিক্ষার্থীদের কত ঘণ্টা ঘুমানো উচিত? ক ৩-৪ খ ৪-৫ গ ৭-৮  ৮-৯ ১২. সিট আপ ব্যায়াম করার সময় যেটা বাঁকানো যাবে না ক হাত  পা গ পিঠ ঘ পেট ১৩. সখা নৃত্যে কয়টি সংকেত ব্যবহার করা হয়? ক ৩ খ ৪  ৫ ঘ ৬ ১৪. হেডস্ট্যান্ড করতে শরীরের ভর কোথায় থাকে? ক হাতে  মাথায় গ গলায় ঘ কপালে ১৫. বিশ্রামে শরীরের কী দূর হয়? ক শরীরের ময়লা খ ঘুম না আসা  ক্লান্তি ঘ দূষিত পদার্থ ১৬. ৮-১১ বছর বয়সের শিক্ষার্থীদের কতক্ষণ ঘুমানো প্রয়োজন? ক ১০-১১ ঘণ্টা  ৯-১০ ঘণ্টা গ ৮ ঘণ্টা ঘ ৭ ঘণ্টা ১৭. জারিগান কোন ধরনের সংগীত? ক আধুনিক সংগীত খ শাস্ত্রীয় সংগীত গ নজরুল গীতি  লোকগীতি ১৮. যে সব জিমন্যাস্টিকসে ভল্টিং বক্স প্রয়োজন হয় সেগুলো হলো র. হেড ¯িপ্রং রর. হ্যান্ড ¯িপ্রং ররর. নেক ¯িপ্রং নিচের কোনটি সঠিক? ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর ভ‚মিকা  সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ১৯. কোন ধরনের সক্ষমতা অর্জনের জন্য ব্যায়াম করা হয়? (জ্ঞান)  শারীরিক খ মানসিক গ অর্থনৈতিক ঘ নৈতিক ২০. ব্যায়াম দেহ ও মনের কী ঘটায়? (জ্ঞান) ক বিভেদ খ বিচ্ছেদ  উন্নয়ন ঘ অবনতি ২১. দেহের কাঠামোকে সুদৃঢ় করতে সহায়তা করে কোনটি? (অনুধাবন) ক দামি খাবার খ অধিক বিশ্রাম  পরিমিত ব্যায়াম ঘ শারীরিক পরিশ্রম ২২. ব্যায়াম করলে শরীরের জীবকোষগুলো কী হতে পারে? [ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ, রংপুর; পুলিশ লাইন স্কুল এন্ড কলেজ, রংপুর] ক সতেজ  ক্ষয় গ মজবুত ঘ নরম ২৩. একটানা ব্যায়াম ও পরিশ্রম করার ফলে কোনটি ঘটে? (অনুধাবন) ক মস্তিষ্কের ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি পায় খ দেহ ও মনে সতেজভাব অর্জিত হয় গ শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পায়  শরীরের জীবকোষগুলোর ক্ষয় হয় ২৪. শারীরিক সুস্থতা অর্জনের জন্য কী করা উচিত? (অনুধাবন)  নিয়মিত ব্যায়াম করা খ দামি পোশাক পরিধান করা গ বন্ধুদের সাথে মেলামেশা ঘ অধিক খাবার গ্রহণ করা ২৫. একটানা ব্যায়াম করলে শরীরের কোষগুলো কী করার সময় পায় না? (জ্ঞান) ক বিশ্রাম  ক্ষয়পূরণ গ অবসাদ দূর ঘ পুন্যুৎপাদন ২৬. আমাদের অবসাদগ্রস্ত হওয়ার কারণ কী? (অনুধাবন) ক অতিরিক্ত বিশ্রাম খ পরিমিত পরিশ্রম গ পরিমিত ব্যায়াম  জীবকোষের ক্ষয় ২৭. দেহের কর্মোদ্যম পুনরুজ্জীবিত করার জন্য কী প্রয়োজন? (জ্ঞান) ক দামি খাবার খ সঠিক ওষুধ  পূর্ণ বিশ্রাম ঘ নিবিড় পরিচর্যা ২৮. পরিশ্রমের পর ক্ষয়প্রাপ্ত জীবকোষগুলোকে কীভাবে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনা যায়? (অনুধাবন) ক সহজ পাচ্য খাবার গ্রহণ করে খ প্রচুর পরিমাণে পানি পান করে গ সঠিক নিয়মে ব্যায়াম করে  পূর্ণ বিশ্রাম নিয়ে ২৯. একটানা ব্যায়াম করায় অয়ন অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। এখন তার কী প্রয়োজন? (প্রয়োগ) ক পর্যাপ্ত খাবার খ কোমল পানি গ দীর্ঘ ঘুম  পূর্ণ বিশ্রাম ৩০. কোনটি আমাদের শরীর ও মনকে বিশ্রাম দেয়? (জ্ঞান)  ঘুম খ ভ্রমণ গ ব্যায়াম ঘ অনুশীলন ৩১. প্রকৃতপক্ষে ঘুম আমাদের কোন অঙ্গকে বিশ্রাম দেয়? [যশোর জিলা স্কুল]

অষ্টম শ্রেণির শারীরিক শিক্ষা শরীরচর্চা ও সুস্থজীবন Read More »

Scroll to Top