ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা

নবম-দশম ইসলাম তৃতীয় অধ্যায় ইবাদত

তৃতীয় অধ্যায় ইবাদত অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সংক্ষেপে জেনে রাখি  ইবাদত : ইবাদত আরবি শব্দ। এর অর্থ হলো চ‚ড়ান্তভাবে দীনতা-হীনতা ও বিনয় প্রকাশ করা এবং নমনীয় হওয়া। আর ইসলামি পরিভাষায় দৈনন্দিন জীবনের সকল কাজ-কর্মে আল্লাহ তায়ালার বিধি-বিধান মেনে চলাকে ইবাদত বলা হয়।  সালাত : সালাত আরবি শব্দ। এর ফার্সি প্রতিশব্দ হলো নামায। এর অর্থ দোয়া, ক্ষমা প্রার্থনা করা ও রহমত (দয়া) কামনা করা। যেহেতু সালাতের মাধ্যমে বান্দা প্রভুর নিকট দোয়া করে, দয়া ও ক্ষমা প্রার্থনা করে থাকে তাই একে সালাত বলা হয়।  সাওম : সাওম আরবি শব্দ। এর ফার্সি প্রতিশব্দ হলো রোযা। এর আভিধানিক অর্থ হলো বিরত থাকা। ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায় সাওম হলোÑ সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় নিয়তের সাথে পানাহার ও ইন্দ্রিয় তৃপ্তি থেকে বিরত থাকা।  যাকাত : যাকাত শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো পবিত্রতা, পরিশুদ্ধতা ও বৃদ্ধি পাওয়া। ইসলামি শরিয়তের দৃষ্টিতে কোনো মুসলিম নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলে বছরান্তে তার সম্পদের শতকরা ২৫০ হারে নির্দিষ্ট খাতে ব্যয় করাকে যাকাত বলে।  হজ : হজ ইসলামের পঞ্চম ভিত্তি। হজ এর আভিধানিক অর্থ হলো সংকল্প করা, ইচ্ছা করা। ইসলামের পরিভাষায় আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে জিলহজ মাসের নির্ধারিত দিনসমূহে নির্ধারিত পদ্ধতিতে বাইতুল্লাহ (আল্লাহর ঘর) ও সংশ্লিষ্ট স্থানসমূহ যিয়ারত করাকে হজ বলে।  ইলম : ইলম আরবি শব্দ। এর অর্থ হলো জ্ঞান, জানা, অবগত হওয়া, বিদ্যা ইত্যাদি। ইসলামি পরিভাষায়, ইলম হলো কোনো বস্তুর প্রকৃত অবস্থা উপলব্ধি করা। অপরদিকে ইসলাম অর্থ আনুগত্য করা ও আত্মসমর্পণ করা।  শিক্ষার্থীর বৈশিষ্ট্য : যে নিয়মিত লেখাপড়া করে এবং শেখার প্রতি আগ্রহী ও যতœশীল থাকে তাকে শিক্ষার্থী বলা হয়। একজন প্রকৃতি শিক্ষার্থীর কিছু বৈশিষ্ট্য থাকা আবশ্যক।  ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক : শিক্ষক হলেন আদর্শ জাতি গঠনের কারিগর। পিতা-মাতার পরই শিক্ষকের মর্যাদা। শিক্ষক পরম ভক্তি ও শ্রদ্ধার পাত্র। পিতা-মাতা সন্তানকে জন্ম দিয়ে শুধু লালন-পালন করেন। পক্ষান্তরে শিশুদেরকে প্রকৃত মানুষরূপে গড়ে তোলেন একজন শিক্ষক। ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক হলো আত্মার সম্পর্ক। এটি পিতা-পুত্রের সম্পর্কের ন্যায়।  শিক্ষা ও নৈতিকা : শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। শিক্ষাহীন জাতি মেরুদণ্ডহীন প্রাণীর মতো। সঞ্চিত জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতাকে নিজের জীবনে সফলভাবে প্রয়োগ করাকেই শিক্ষা বলে। এ শিক্ষা মানুষকে প্রকৃত মানুষ হতে সাহায্য করে এবং মানব হৃদয়কে অজ্ঞতার অন্ধকার থেকে মুক্ত করে জ্ঞানের আলোয় উদ্ভাসিত করে।  জিহাদ : জিহাদ আরবি শব্দ। এর আভিধানিক অর্থ পরিশ্রম, সাধনা, কষ্ট, চেষ্টা ইত্যাদি। আর ইসলামি পরিভাষায় জান-মাল, ইলম, আমল, লেখনী ও বক্তৃতার মাধ্যমে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় আল্লাহর দীনকে (ইসলামকে) সমুন্নত করাই হলো জিহাদ। অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর  বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর  ১. ইসলামের চতুর্থ স্তম্ভ কোনটি? ক সালাত খ যাকাত  সাওম ঘ হজ ২. ‘যাতে সম্পদ শুধু তোমাদের অর্থশালীদের হাতেই পুঞ্জীভ‚ত না হয়।’ অত্র আয়াত কোন বিষয়টি নির্দেশ করে? ক হজ করা খ দান করা  যাকাত আদায় ঘ সাহায্য করা নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও : বেলাল সাহেব বাংলাদেশ থেকে পবিত্র হজব্রত পালনের উদ্দেশ্যে মক্কায় গমন করেন। হজের সকল বিধি-বিধান সুষ্ঠুভাবে পালন করলেও অসুস্থতার কারণে তাওয়াফে যিয়ারত করতে পারেননি। ৩. বেলাল সাহেব হজের কোন বিধানটি পালনে অপারগ হয়েছেন? ক মুস্তাহাব খ সুন্নত গ ওয়াজিব  ফরজ ৪. এমতাবস্থায় বেলাল সাহেবের করণীয় কী?  পুনরায় হজ করা খ দম প্রদান করা গ সামর্থ্য থাকলে পুনরায় হজ করা ঘ আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা  সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর  প্রশ্ন- ১  ইবাদত জনাব শফিকুর রহমান একজন রিকশা চালক। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ইসলামের বিধি-বিধান মেনে চলেন। কেউ অসুস্থ হলে তার রিকশায় হাসপাতালে নিয়ে যান। একদা রিকশাচালক জনাব শফিকুর রহমান জনৈক যাত্রীর ব্যাগসহ রেখে যাওয়া পাঁচ লক্ষ টাকা স্থানীয় স্কুলের প্রধান শিক্ষকের নিকট জমা দেন। প্রধান শিক্ষক সাহেব টাকার মালিকের ব্যাগে সংরক্ষিত ঠিকানার মাধ্যমে টাকাসহ ব্যাগ মালিকের বাড়িতে পৌঁছে দেন। ক. হজের ওয়াজিব কয়টি? খ. ইসলাম শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য কী? বুঝিয়ে লেখ। গ. প্রধান শিক্ষক সাহেবের কাজের মাধ্যমে কোন ধরনের ইবাদত পালন হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ঘ. জনাব শফিকুর রহমানের কর্মকাণ্ডগুলো সংশ্লিষ্ট বিষয়ের আলোকে বিশ্লেষণ কর। ক হজের ওয়াজিব ৭টি। খ ইসলাম শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হলো দুনিয়া ও আখিরাতের শান্তি ও সফলতা লাভ। ইসলাম শিক্ষার মাধ্যমে আমরা আল্লাহ তায়ালার ইবাদত ও আনুগত্য শিখতে পারি। কল্যাণমূলক ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করার জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞানার্জন করতে পারি। পরকালীন জীবনে জান্নাত লাভ ও জাহান্নাম থেকে মুক্তির উপায় জানতে পারি। সুতরাং বলা যায়, দুনিয়া ও আখিরাতের শান্তি ও সফলতার দিকনির্দেশনা লাভ করাই ইসলাম শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য। গ প্রধান শিক্ষকের কাজের মাধ্যমে হাক্কুল ইবাদ বা মানুষের অধিকার আদায় সম্পর্কিত ইবাদত পালিত হয়েছে। মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য হলো ইবাদত করা। আল্লাহর হুকুম ও আদেশ পালন করা এবং নিষেধ মেনে চলা যেমন ইবাদত তেমনি নবি রাসুলের দেখানো পথ অনুযায়ী চলা ও একে অপরের সাথে উত্তম আচার ব্যবহার করাও ইবাদত। ইবাদতের দুই প্রকারের মধ্যে হাক্কুল ইবাদত হলো বান্দার হক। ইসলামে বান্দার হক তথা মানবাধিকারের প্রতি অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এ গুরুত্ব উপলব্ধি করে উদ্দীপকের প্রধান শিক্ষক রিকশাচালক জনাব শফিকুর রহমানের নিকট থেকে জনৈক যাত্রীর ব্যাগসহ পাঁচ লক্ষ টাকা পেয়ে প্রকৃত মালিকের ঠিকানায় তা পৌঁছে দেন। একজন আদর্শ শিক্ষক হিসেবে প্রধান শিক্ষক এ কাজের মাধ্যমে হাক্কুল ইবাদ বা বান্দার হক আদায় করেছেন। যা একটি ফরজ ইবাদত। ঘ জনাব শফিকুর রহমানের কর্মকাণ্ডগুলো হাক্কুল ইবাদ বা মানবাধিকারের সাথে সংশ্লিষ্ট। আমরা পিতামাতা, ভাইবোন, আত্মীয়স্বজন, পাড়াপ্রতিবেশীদের নিয়ে সামাজিকভাবে একসাথে বসবাস করি। একজনের দুঃখে অন্যজন সাড়া দেই। আপদে-বিপদে একে অপরকে সাহায্য-সহযোগিতা করি। পরস্পরের এই সহানুভ‚তি ও দায়িত্বই হাক্কুল ইবাদ বা বান্দার অধিকার। ইসলামে মানবাধিকারের প্রতি অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এ গুরুত্ব কারণে করে উদ্দীপকের রিকশাচালক জনাব শফিকুর রহমান মানুষের প্রতি তার দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি অসুস্থ মানুষকে তার রিকশায় করে হাসপাতালে নিয়ে যান। তাছাড়া জনৈক যাত্রীর ব্যাগসহ রেখে যাওয়া পাঁচ লক্ষ টাকা স্থানীয় স্কুলের প্রধান শিক্ষকের নিকট জমা দিয়ে তিনি সততার পরিচয় দিয়েছেন। আর এর মাধ্যমে তিনি হাক্কুল ইবাদ পালন করেছেন, যা ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত। কুরআন ও হাদিসে এ বিষয়ে অত্যন্ত গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। মহানবি (স) বলেছেন, “এক মুসলিমের উপর অপর মুসলিমের ছয়টি অধিকার রয়েছে। যেমন : সালামের জবাব দেওয়া, রোগীকে দেখতে যাওয়া, জানাযায় অংশগ্রহণ করা, দাওয়াত কবুল করা, মজলুমকে সাহায্য করা ও হাঁচির জবাব দেওয়া।” সুতরাং জনাব শফিকুর রহমানের মতো আমাদের সকলকে আল্লাহর ইবাদতের পাশাপাশি মানুষের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে সচেষ্ট হতে হবে। প্রশ্ন- ২  মালিক-শ্রমিক সম্পর্ক এবং ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক সাজ্জাদ ও সাকিব সাহেব দুই বন্ধু। সাজ্জাদ সাহেব একটি পোশাক শিল্পের মালিক। গত রমযানের ঈদে শ্রমিকদের বোনাস দিতে গড়িমসি করায় কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দেয়। শ্রমিকরা তাদের প্রাপ্য পেতে একদিন কর্মবিরতি পালন করে। অপরদিকে সাকিব ছাত্রজীবন থেকে পরোপকারী ছিলেন। বর্তমানে তিনি মেডিকেল

নবম-দশম ইসলাম তৃতীয় অধ্যায় ইবাদত Read More »

নবম-দশম ইসলাম দ্বিতীয় অধ্যায় শরিয়তের উৎস

দ্বিতীয় অধ্যায় শরিয়তের উৎস অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সংক্ষেপে জেনে রাখি  শরিয়ত : শরিয়ত আরবি শব্দ। এর অর্থ পথ, রাস্তা। এটি জীবনপদ্ধতি, আইন-কানুন, বিধিবিধান অর্থেও ব্যবহৃত হয়। ব্যাপক অর্থে শরিয়ত হলো এমন সুদৃঢ় ও সুস্পষ্ট পথ, যা অনুসরণ করলে মানুষ সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে নিজ গন্তব্যে পৌঁছতে পারে। ইসলামি পরিভাষায় ইসলামি কার্যনীতি বা জীবনপদ্ধতিকে শরিয়ত বলা হয়।  আল-কুরআন : শরিয়তের সর্বপ্রথম ও সর্বপ্রধান উৎস হলো আল-কুরআন। ইসলামি শরিয়তের সকল বিধিবিধানের মূল উৎসই আল-কুরআন। এর ওপরই ইসলামি শরিয়তের ভিত্তি ও কাঠামো প্রতিষ্ঠিত। আল-কুরআন শরিয়তের অকাট্য ও প্রামাণ্য দলিল।  মক্কি ও মাদানি সূরা : আল-কুরআন সর্বমোট ৩০টি অংশে বিভক্ত। এ অংশগুলোকে পারা বলা হয়। কুরআন মজিদে রয়েছে ১১৪টি সূরা এবং ৬২৩৬টি মতান্তরে ৬৬৬৬টি আয়াত। অবতরণের সময় বিবেচনায় কুরআন মজিদের সূরাসমূহ ২ ভাগে বিভক্ত। যথা : মক্কি ও মাদানি। সাধারণভাবে বলা যায়, পবিত্র মক্কা নগরীতে আল-কুরআনের যেসব সূরা নাজিল হয়েছে সেগুলো মক্কি সূরা। আর মদিনাতে নাজিল হওয়া সূরাগুলো মাদানি সূরা।  তিলাওয়াতের গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য : তিলাওয়াত শব্দের অর্থ পাঠ করা, আবৃত্তি করা, পড়া, অনুসরণ করা ইত্যাদি। আল-কুরআন পাঠ করাকে ইসলামি পরিভাষায় কুরআন তিলাওয়াত বলা হয়। হালকাভাবে আল-কুরআন পাঠ করলে চলবে না বরং একে খুবই গুরুত্বের সাথে তিলাওয়াত করতে হবে। এর মর্মার্থ ও তাৎপর্য উপলব্ধি করতে হবে।  সূরা আশ-শামস : সূরা আশ-শামস মক্কি সূরার অন্তর্গত। এর আয়াত সংখ্যা ১৫টি। এ সূরার প্রথম শব্দ শামস থেকে এর নামকরণ করা হয়েছে আশ-শামস। এটি আল-কুরআনের ৯১তম সূরা।  সূরা আদ-দুহা : সূরা আদ-দুহা আল-কুরআনের ৯৩তম সূরা। এর আয়াত সংখ্যা ১১, এটি পবিত্র মক্কা নগরীতে নাজিল হয়। সূরাটির প্রথম শব্দ দুহা থেকে এ সূরার নামকরণ করা হয়েছে আদ-দুহা।  সূরা আল-ইনশিরাহ : সূরা আল-ইনশিরাহ মক্কি সূরাসমূহের অন্যতম। এর আয়াত সংখ্যা মোট ৮। এটি আল-কুরআনের ৯৪তম সূরা। সূরার প্রথম আয়াতে নাশরাহ শব্দের ক্রিয়ামূল বিবেচনায় এ সূরার নাম রাখা হয়েছে আল-ইনশিরাহ।  সূরা আত-তীন : সূরা আত-তীন আল-কুরআনের ৯৫তম সূরা। এটি মক্কায় অবতীর্ণ এবং আয়াত সংখ্যা ৮। সুরার প্রথম শব্দ তীন থেকে এর নাম আত-তীন হয়েছে।  শরিয়তের তৃতীয় উৎস আল-ইজমা : শরিয়তের তৃতীয় উৎস হলো ইজমা। ইজমা আরবি শব্দ। এর আভিধানিক অর্থ- একমত হওয়া, ঐক্যবদ্ধ হওয়া, মতৈক্য প্রতিষ্ঠা করা ইত্যাদি। ব্যবহারিক অর্থে কোনো বিষয় বা কথায় ঐকমত্য পোষণ করাকে ইজমা বলে। ইসলামি পরিভাষায়, শরিয়তের কোনো বিষয়ে একই যুগের মুসলিম উম্মতের পুণ্যবান মুজতাহিদগণের (গবেষক) ঐকমত্য পোষণ করাকে ইজমা বলা হয়।  শরিয়তের চতুর্থ উৎস আল-কিয়াস : শরিয়তের চতুর্থ উৎস হলো কিয়াস। কিয়াস শব্দের অর্থ অনুমান করা, তুলনা করা, পরিমাপ করা ইত্যাদি। ইসলামি পরিভাষায় কুরআন ও সুন্নাহর আইন বা নীতির সাদৃশ্যের ভিত্তিতে বিচার-বুদ্ধি প্রয়োগ করে পরবর্তীতে উদ্ভূত সমস্যার সমাধানকে কিয়াস বলে। অন্য কথায়, কুরআন, সুন্নাহ ও ইজমাতে যে সমস্যার সমাধান পাওয়া যায় না ইসলামি মূলনীতি অনুযায়ী বিচার-বুদ্ধি প্রয়োগ করে সে সমস্যার সমাধান করাই হলো কিয়াস।  শরিয়তের আহকাম সংক্রান্ত পরিভাষা : শরিয়ত হলো ইসলামি বিধিবিধানের সমন্বিত রূপ। পরিভাষায় শরিয়ত বলতে এমন সুদৃঢ় সোজাপথকে বুঝায় যার দ্বারা তার অবলম্বনকারী ব্যক্তি হিদায়াত ও সামঞ্জস্যপূর্ণ কর্মপন্থা লাভ করতে পারেন। আর আহকাম হলো বিধানাবলি। ইসলামি শরিয়তের আহকাম বা বিধানাবলি সংক্রান্ত পরিভাষাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নত, মুস্তাহাব  , মুবাহ, হালাল-হারাম ইত্যাদি। অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর  বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর  ১. لَا تَـقْـهَـرْ (লা-তাক্হার) অর্থ কী? ক ধমক দেবেন না খ নিষেধ করবেন না গ আশ্রয় দেবেন না  কঠোর হবেন না ২. ওহি লেখক সাহাবিদের সংখ্যা কত ছিল? ক ২৮  ৪২ গ ৪৭ ঘ ৮৬ ৩. মক্কি সূরার বৈশিষ্ট্যে বর্ণনা করা হয়েছেÑ র. শিরক-কুফরের পরিচয় রর. মুনাফিকদের ষড়যন্ত্রের কথা ররর. শরিয়তের সাধারণ নীতিমালা নিচের কোনটি সঠিক? ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৪Ñ৬ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও : আলম সাহেব গ্রামের একজন গণ্যমান্য ব্যক্তি। তিনি তাঁর ছোট ভাইয়ের মৃত্যুর পর তার সকল সম্পদ দখল করে ছোট ভাইয়ের সন্তানদের বাড়ি থেকে বের করে দেন। ৪. আলম সাহেবের কাজের মাধ্যমে কাদের অধিকার ক্ষুণœ হয়েছে? ক গরিবদের খ অসহায়দের  ইয়াতিমদের ঘ বঞ্চিতদের ৫. আলম সাহেবের কাজের মাধ্যমে শরিয়তের কোন উৎসের বিধান লঙ্ঘিত হয়েছে?  কুরআন খ হাদিস গ ইজমা ঘ কিয়াস ৬. আলম সাহেবের কাজের জন্য তাকে কী বলা যায়? ক ফাসিক খ কাফির  মুনাফিক ঘ যালিম  সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর  প্রশ্ন- ১  সূরা আল-ইনশিরাহ ও সূরা আল-মাউন সাজিব ও সাজিদ ঘনিষ্ঠ বন্ধু। সাজিব প্রায়ই ফজরের সালাত সূর্যোদয়ের পর এবং আসরের সালাত সূর্যাস্তের সময় আদায় করে। সাজিদ এলাকার যুবকদের সত্য কথা বলা ও নিয়মিত সালাত আদায় করার জন্য আহŸান জানালে কতিপয় যুবক তার কথা শুনে কটুক্তি করে। যুবকদের অত্যাচার অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছলে সে শিক্ষকের শরণাপন্ন হয়, শিক্ষক কুরআনের নিম্নোক্ত আয়াতটি পড়ে শোনান ক. ‘ফারগব’ শব্দের অর্থ কী? খ. ‘আমি মানুষকে সুন্দরতম আকৃতিতে সৃষ্টি করেছি’Ñ বুঝিয়ে লেখ। গ. সাজিবের কাজের মাধ্যমে কাদের বিশেষ বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর। ঘ. সাজিদের কার্যক্রম সূরা আল-ইনশিরাহ এর আলোকে বিশ্লেষণ কর। ক ‘ফারগব’ ( ) শব্দের অর্থÑ অনন্তর মনোনিবেশ করুন। খ ‘আমি মানুষকে সুন্দরতম আকৃতিতে সৃষ্টি করেছি।’Ñ এটি পবিত্র কুরআনের সূরা আত-তীনের ৪নং আয়াত। মানুষ আল্লাহর সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ ও সুন্দরতম সৃষ্টি আশরাফুল মাখলুকাত । মানুষকে সুন্দর আকৃতি ও চমৎকার গঠনে সৃষ্টি করে আল্লাহ অন্যান্য মাখলুকাত থেকে মানুষকে শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন। অত্র আয়াতে এটাই বোঝানো হয়েছে। গ সাজিবের কাজের মাধ্যমে মুনাফিকদের বিশেষ বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠেছে। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনের সূরা আল-মাউনে বলেন, ‘দুর্ভোগ সেই সালাত আদায়কারীদের যারা তাদের সালাত সম্পর্কে উদাসীন। যারা লোক দেখানোর জন্য তা করে। প্রকৃতপক্ষে মুনাফিকরা লোক দেখানোর জন্যই সালাত আদায় করে। সালাত সম্পর্কে তারা উদাসীন। যেমনটি আমরা দেখি উদ্দীপকের সাজিবের চরিত্রে। সে প্রায়ই ফজরের সালাত সূর্যোদয়ের পর এবং আসরের সালাত সূর্যাস্তের সময় আদায় করে। সাজিবের এ ধরনের কর্মকাণ্ডে মুনাফিকদের বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠেছে। কারণ মুনাফিকদের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো তারা ঠিকমতো সালাত আদায় করে না। বরং তারা সালাত সম্পর্কে উদাসীন। শুধু মুসলমানদের দেখানোর জন্যই তারা সালাত আদায় করে। সালাতের গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে তারা কোনো খবর রাখে না। অথচ সালাতে অবহেলার জন্য দুনিয়া ও আখিরাতে তাদের জন্য রয়েছে মহাধ্বংস। ঘ পবিত্র কুরআনের সূরা আল-ইনশিরাহর আলোকে উদ্দীপকের সাজিদের কার্যক্রম বিশ্লেষণ করা হয়েছে। সাজিদ একজন ইমানদার ব্যক্তি। সে এলাকার যুবকদের সত্য কথা বলা ও নিয়মিত সালাত আদায় করার আহŸান জানালে কতিপয় যুবক তার কথা শুনে কটূক্তি করে। যুবকদের অসহনীয় অত্যাচারে সাজিদ ব্যথিত হয়। পবিত্র কুরআনের সূরা আল-ইনশিরাহ পাঠ করলে আমরা এ ঘটনার প্রতিচ্ছবি দেখতে পাই। নবুয়ত লাভের পর রাসুলুল­াহ (স) আরবদের মাঝে ইসলাম প্রচার শুরু করলে মক্কার কাফিররা তাঁর বিরোধিতা শুরু করে। তারা নানাভাবে তাঁকে বাধা

নবম-দশম ইসলাম দ্বিতীয় অধ্যায় শরিয়তের উৎস Read More »

নবম-দশম ইসলাম প্রথম অধ্যায় আকাইদ ও নৈতিক জীবন

প্রথম অধ্যায় আকাইদ ও নৈতিক জীবন অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সংক্ষেপে জেনে রাখি  ইসলাম : ইসলাম আরবি শব্দ। আভিধানিক অর্থ হলোÑ আনুগত্য করা, আত্মসমর্পণ করা, শান্তির পথে চলা ইত্যাদি। ব্যবহারিক অর্থে আল্লাহ তায়ালা ও রাসুল (স)-এর আনুগত্য করাকে ইসলাম বলে।  ইমান : ইমান শব্দটি আমনুন মূল ধাতু থেকে নির্গত। যার অর্থ : বিশ্বাস করা, আস্থা স্থাপন, স্বীকৃতি দেওয়া, নির্ভর করা, মেনে নেওয়া ইত্যাদি। ইসলামি পরিভাষায়, শরিয়তের যাবতীয় বিধিবিধান অন্তরে বিশ্বাস করা, মুখে স্বীকার করা এবং তদনুযায়ী আমল করাকে ইমান বলে।  তাওহিদ : তাওহিদ শব্দের অর্থ একত্ববাদ। ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায় আল্লাহ তায়ালাকে এক ও অদ্বিতীয় হিসেবে স্বীকার করে নেওয়াকে তাওহিদ বলে। তাওহিদের মূল কথা হলো- আল্লাহ তায়ালা এক ও অদ্বিতীয়। তিনি তাঁর সত্তা ও গুণাবলিতে অদ্বিতীয়।  আল্লাহ তায়ালার পরিচয় : আল্লাহ তায়ালা এ বিশ্বজগতের অধিপতি ও মালিক। তিনি একক ও অদ্বিতীয় সত্তা। তাঁর কোনো শরিক নেই। তিনি অনন্য ও অতুলনীয়।  কুফর : কুফর শব্দের আভিধানিক অর্থ অস্বীকার করা, অবিশ্বাস করা, ঢেকে রাখা, গোপন করা, অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা, অবাধ্য হওয়া ইত্যাদি। ইসলামি পরিভাষায় আল্লাহ তায়ালার মনোনীত দীন ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলোর কোনো একটির প্রতি অবিশ্বাস করাকে কুফর বলা হয়। যে ব্যক্তি কুফরে লিপ্ত হয় তাকে বলা হয় কাফির।  শিরক : শিরক শব্দের অর্থ অংশীদার সাব্যস্ত করা, একাধিক স্রষ্টা বা উপাস্যে বিশ্বাস করা। ইসলামি পরিভাষায় মহান আল্লাহর সাথে কোনো ব্যক্তি বা বস্তুকে শরিক করা কিংবা তাঁর সমতুল্য মনে করাকে শিরক বলা হয়। যে ব্যক্তি শিরক করে তাকে বলা হয় মুশরিক।  নিফাক : নিফাক শব্দের আভিধানিক অর্থ ভণ্ডামি, কপটতা, দ্বিমুখীভাব, ধোঁকাবাজি, প্রতারণা ইত্যাদি। এর ব্যবহারিক অর্থ হলো অন্তরে একরকম ভাব রেখে বাইরে এর বিপরীত অবস্থা প্রকাশ করা। ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায়, অন্তরে কুফর ও অবাধ্যতা গোপন করে মুখে ইসলামকে স্বীকার করার নাম হলো নিফাক। যে এরূপ কাজ করে তাকে বলা হয় মুনাফিক।  রিসালাত : রিসালাত শব্দের আভিধানিক অর্থ বার্তা, চিঠি পৌঁছানো, পয়গাম, সংবাদ বা কোনো ভালো কাজের দায়িত্ব বহন করা। ইসলামি পরিভাষায়, মহান আল্লাহ তায়ালার পবিত্র বাণী মানুষের নিকট পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্বকে রিসালাত বলা হয়। যিনি এ দায়িত্ব পালন করেন তাঁকে বলা হয় রাসুল।  আসমানি কিতাব : কিতাব শব্দের অর্থ লিপিবদ্ধ বা লিখিত বস্তু। এর প্রতিশব্দ হলো গ্রন্থ, পুস্তক, বই ইত্যাদি। আসমানি কিতাব হলো এমন গ্রন্থ যা আল্লাহ তায়ালা থেকে অবতীর্ণ হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা ১০৪ খানা আসমানি কিতাব নাজিল করেছেন। এর মধ্যে ৪ খানা বড় ১০০ খানা ছোট।  আখিরাত : আখিরাত অর্থ পরকাল। মানুষের মৃত্যুর পরবর্তী জীবনকে আখিরাত বলা হয়। মানবজীবনের দুটি পর্যায় রয়েছে। ইহকাল ও পরকাল। ইহকাল হলো দুনিয়ার জীবন। আর মৃত্যুর পরে মানুষের যে নতুন জীবন শুরু হয় তার নাম পরকাল বা আখিরাত। আখিরাত জীবনের কয়েকটি স্তর রয়েছে। যেমন : মৃত্যু, কবর, কিয়ামত, হাশর, মিযান, সিরাত, শাফাআত, জান্নাত, জাহান্নাম প্রভৃতি। অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর  বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর  ১. ইসলামের মূল বিষয়গুলোর প্রতি পূর্ণ বিশ্বাসকে কী বলা হয়?  ইমান খ ইসলাম গ ইহসান ঘ ইনসাফ ২. ‘আলহিকমাতু’ শব্দের অর্থ কী? ক উপদেশ  প্রজ্ঞা গ জ্যোতি ঘ অনুগ্রহ ৩. মুনাফিকরা জাহান্নামের সর্ব নিম্নস্তরে অবস্থান করবে, কারণ তারা- র. সমাজে চিহ্নিত মানুষ রর. অন্তরে কুফর লুকিয়ে রাখে ররর. কাফিরদের চেয়েও বেশি ক্ষতিকর নিচের কোনটি সঠিক? ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৪ ও ৫ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও : পৃথিবী সৃষ্টির শুরু থেকে এ পর্যন্ত সূর্যের উদয় ও অস্ত যাওয়ার পদ্ধতি একই নিয়মে চলে আসছে। এ অবস্থা দেখে সুলতান সাহেব মনে করেন, পৃথিবী আর ধ্বংস হবে না। ৪. সুলতান সাহেব আখিরাতের কোন বিষয়টিকে অস্বীকার করেন? ক কবর খ হাশর  কিয়ামত ঘ মিযান ৫. সুলতান সাহেবের ধারণার ফলে, তাকে বলা যায়-  কাফির খ মুশরিক গ ফাসিক ঘ মুনাফিক  সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর  প্রশ্ন- ১  নিফাক ও কুফর ফরিদ ও সেলিম সহপাঠী। তারা উভয়ে আগামীকাল ৯.০০ ঘটিকায় বিদ্যালয়ে আসবে বলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়। পরদিন সেলিম নির্দিষ্ট সময়ে উপস্থিত থাকলেও ফরিদ বিদ্যালয়ে যথাসময়ে আসেনি। বেলা ১১.০০ ঘটিকায় তার সাথে দেখা হলে সে বলে আমি তো তোমার সাথে ঠাট্টা করেছি। এরপর দুইজন মিলে ক্যান্টিনে গিয়ে খেতে বসল। খাওয়ার পর তারা দেখল জনৈক ব্যক্তি কিছু তরল নেশাজাতীয় দ্রব্য পান করছে। ফরিদ ঐ ব্যক্তিকে নিষেধ করতে চাইলে সেলিম তাকে বিরত রেখে বলল, ‘এতে দোষের কিছু নেই।’ ক. ইসলামের মৌলিক ইবাদতগুলো অস্বীকার করাকে কী বলে? খ. আখিরাতে বিশ্বাস স্থাপন করা অপরিহার্য কেন? গ. ফরিদের আচরণে কী প্রকাশ পেয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ঘ. সেলিমের বক্তব্য ইসলামের দৃষ্টিতে বিশ্লেষণ কর। ক ইসলামের মৌলিক ইবাদতগুলো অস্বীকার করাকে কুফর বলে। খ আখিরাতে বিশ্বাস স্থাপন করা ইমানের সাতটি মৌলিক বিষয়ের মধ্যে অন্যতম। আখিরাতে বিশ্বাস ছাড়া মুমিন ও মুত্তাকি হওয়া যায় না। আখিরাতে বিশ্বাস মানুষকে দায়িত্বশীল ও সৎকর্মশীল এবং ইহজীবনের আমল সম্বন্ধে সতর্ক করে তোলে। তাই আখিরাতে বিশ্বাস স্থাপন করা অপরিহার্য। গ ফরিদের আচরণে নিফাকি প্রকাশ পেয়েছে। কারণ ফরিদ তার সহপাঠী সেলিমকে কথা দিয়ে কথা রাখেনি। অর্থাৎ সে ওয়াদা ভঙ্গ করেছে। আর ওয়াদা ভঙ্গ করা মুনাফিকের লক্ষণ। মহানবি (স) বলেছেন, মুনাফিকের চিহ্ন তিনটি : যখন কথা বলে মিথ্যা বলে, যখন ওয়াদা করে তা ভঙ্গ করে আর যখন তার নিকট কোনো কিছু আমানত রাখা হয় তার খিয়ানত করে। উদ্দীপকে আমরা দেখি, দুই বন্ধু ফরিদ ও সেলিম একটি নির্দিষ্ট সময়ে বিদ্যালয়ে একত্রিত হতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকলেও ফরিদ প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করে। সুতরাং, আলোচনার দ্বারা একথা নির্দ্বিধায় বলা যায় যে, ফরিদের আচরণে নিফাকি প্রকাশ পেয়েছে। ঘ সেলিমের বক্তব্য কুফরের শামিল। মানুষ নানাভাবে কাফির বা অবিশ্বাসী হতে পারে। তন্মধ্যে হারামকে হালাল মনে করাও কুফরি। মদ, জুয়া, সুদ, ঘুষ ইত্যাদিকে আল্লাহ হারাম করেছেন। যদি কেউ এ কাজগুলোকে হালাল মনে করে তবে নিঃসন্দেহে সে কাফির হয়ে যাবে। মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেছেন, “হে মুমিনগণ, মদ, জুয়া, মূর্তি ও ভাগ্য নির্ণয় করা এসব নোংরা ও অপবিত্র শয়তানের কাজ ব্যতীত আর কিছুই নয়। সুতরাং তোমরা এসব (অপকর্ম) থেকে বেঁচে থাক। আশা করা যায়, তোমরা সফলতা লাভে সক্ষম হবে।” আর মহানবি (স) বলেছেন, “প্রত্যেক নেশাজাতীয় দ্রব্য হারাম।” উদ্দীপকের সেলিম হারামকে হালাল বা বৈধ মনে করে বলে, ‘এতে দোষের কিছু নেই’। তার এ বক্তব্য ইসলামের দৃষ্টিতে বিশ্লেষণ করলে প্রমাণিত হয় যে, সে এ কাজে সহযোগিতা করেছে। যার পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ। তার উচিত হালালকে হালাল হিসেবে গ্রহণ ও হারামকে হারাম হিসেবে বর্জন করা। সুতরাং উপরোক্ত আলোচনার দ্বারা একথা প্রমাণিত হয় যে, সেলিমের বক্তব্য ইসলামের দৃষ্টিতে কুফরির অন্তর্ভুক্ত। প্রশ্ন- ২  নিফাক ও আখিরাতে বিশ্বাস প্রেক্ষাপট-১ আদ্যক্ষর সু নামক প্রতিষ্ঠানের কোনো কর্মকর্তার পেশাগত প্রশিক্ষণ, এমনকি ডিপ্লোমা সনদ নেই। তারপরও তাঁরা চিকিৎসক ও সেবিকা

নবম-দশম ইসলাম প্রথম অধ্যায় আকাইদ ও নৈতিক জীবন Read More »

ষষ্ঠ ইসলামশ্রেণির ইবাদত

দ্বিতীয় অধ্যায় ইবাদত ভ‚মিকা আল­াহ তা‘য়ালার দাসত্ব স্বীকার করাকে ইবাদত বলে। অর্থাৎ আল­াহর সকল আদেশ-নিষেধ, বিধিবিধান মেনে চলার নামই ইবাদত। ইবাদতকে তিনভাগে ভাগ করা যায়। যথা : ১. ইবাদতে বাদানি বা শারীরিক ইবাদত; ২. ইবাদতে মালি বা আর্থিক ইবাদত; ৩. ইবাদতে মালি ও বাদানি বা শরীর ও অর্থ উভয়ের সংমিশ্রণে ইবাদত। সালাতসহ যাবতীয় ইবাদত এ তিন প্রকারের অন্তর্ভুক্ত। যেকোনো ইবাদতের শর্ত পবিত্রতা। এজন্য শরীর ও পোশাকের নাপাকি দূর করে পবিত্রতা অর্জনের জন্য ওযু, গোসল ও তায়াম্মুম করা জরুরি। বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর  বিষয়ক্রম অনুযায়ী বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ন্ধ পাঠ-১ : ইবাদতের ধারণা ও তাৎপর্য º বোর্ড বই, পৃষ্ঠা ১৯ সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ১. ইবাদত শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান) ক বার্তা খ বিশ্বাস  আনুগত্য ঘ একত্ববাদ ২. যাকাত শব্দের অর্থ কী? ক হ্রাস পাওয়া খ দান করা  বৃদ্ধি পাওয়া ঘ গ্রহণ করা ৩. ইবাদত কোন ভাষার শব্দ? (জ্ঞান) ক হিন্দি  আরবি গ উর্দু ঘ ফারসি ৪. আমাদের জীবন-মরণ কার হাতে? (অনুধাবন) ক আজরাইল (আ.) এর  আল্লাহ তায়ালার গ মুহাম্মদ (স.) এর ঘ ফেরেশতার ৫. সবকিছুর শুরুতে আমাদের বিসমিল্লাহ বলতে হবে কেন?  বরকতের জন্য খ সময় ব্যয় করার জন্য গ লাভের জন্য ঘ এটি একটি নিয়ম ৬. আল­াহর দাসত্ব ও আনুগত্যকে কী বলে? (অনুধাবন) ক তাজবিদ খ আখিরাত  ইবাদত ঘ তাওহিদ ৭. শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সাহায্যে ইবাদত করাকে কী বলা হয়?(অনুধাবন) ক আর্থিক ইবাদত খ ইবাদত  শারীরিক ইবাদত ঘ মানসিক ইবাদত ৮. আল­াহর কোনো নিয়ামত খাওয়ার পরে আলহামদুলিল্লাহ বলতে হয়। এটাকে কী বলে? (প্রয়োগ) ক গালি দেওয়া খ উপহাস করা  শুকরিয়া আদায় ঘ কিছু না বলা ৯. যিকির করা, দান করা ও সালাত আদায় করা আল্লাহর হুকুম। এগুলোকে একত্রে কী বলে? (প্রয়োগ) ক ফিকির খ দান  ইবাদত ঘ সালাত ১০. ইবাদতের প্রকৃত সময় কখন? (জ্ঞান) ক সকালে খ বিকালে  সবসময় ঘ সন্ধ্যায় ১১. সবসময় আল্লাহর ইবাদতে মশগুল থাকা আমাদের কর্তব্য। এর ফলে সাওয়াবের পাশাপাশি আমাদের কী হবে? (উচ্চতর দক্ষতা)  শারীরিক ব্যায়াম হয় খ আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া যায় গ মানসিক শান্তি পাওয়া যায় ঘ সামাজিক ক্ষতি হয় ১২. মরিয়ম ইবাদতে বাদানি পালন করতে চায়। এক্ষেত্রে সে কোন ইবাদত করবে? (প্রয়োগ)  সালাত আদায় খ যাকাত প্রদান করা গ গরিবকে সাহায্য করা ঘ হজ করা ১৩. “আল্লাহ জিন ও মানবজাতিকে একটি বিশেষ উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করেছেন। সে উদ্দেশ্যটি কী? (প্রয়োগ) ক হযরত মুহাম্মদ (স.)-এর ইবাদত খ ফেরেশতার ইবাদত  আল­াহর ইবাদত ঘ জিনের ইবাদত বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ১৪. ইবাদত বলতে বোঝায় (অনুধাবন) র. দাসত্ব রর. প্রভুত্ব ররর. আনুগত্য নিচের কোনটি সঠিক? ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৫ ও ১৬ নং প্রশ্নের উত্তর দাও : মসজিদের ইমাম মাওলানা ইয়াকুব সাহেব বলেন, ইবাদতের শ্রেণিবিভাগ রয়েছে। সবসময় আমাদের ইবাদত করতে হবে। এতে আল­াহ খুশি হবেন। ১৫. অনুচ্ছেদে নির্দেশিত বিষয়টি কত প্রকার?  তিন খ চার গ পাঁচ ঘ ছয় ১৬. উক্ত প্রকারগুলো হলো র. ইবাদতে বাদানি রর. ইবাদতে মালি ররর. ইবাদতে বাদানি ও মালি নিচের কোনটি সঠিক? ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর ন্ধ পাঠ-২ : অপবিত্রতা সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ১৭. অপবিত্রতা কত প্রকার? (জ্ঞান) ঘ ৪ খ ৩ ২ ক ১ ১৮. অপবিত্রতার আরবি প্রতিশব্দ কী? (জ্ঞান) ক তাহারাতুন খ তায়াম্মুম  নাজাসাতুন ঘ তাশাহ্হুদ ১৯. অপবিত্রতার বিপরীত কী? (জ্ঞান)  পবিত্রতা খ পরিপূর্ণ নাপাক ঘ অপরিচ্ছন্ন ২০. কতিপয় বস্তুর দ্বারা পবিত্র জিনিস অপবিত্র হয়ে যায় তাকে কী বলে?(অনুধাবন) ক তাহারাত  নাজাসাত গ তায়াম্মুম ঘ ইকামত ২১. কোনটি ওযু ভঙ্গের কারণ? (জ্ঞান)  পেশাব করা খ নামায না পড়া গ বেশি থুথু আসা ঘ ঘাম বের হওয়া ২২. সাহিন বাথরুমে গিয়ে পেশাব-পায়খানা করল। সে কোন ধরনের অপবিত্র হলো? (প্রয়োগ) ক হুকমি খ হাকিকি ও হুকমি  হাকিকি ঘ নাওমি ২৩. কোনটি দ্বারা নাজাসাতে হাকিকি হয়?  পেশাব খ গোসলের প্রয়োজন হওয়া গ ওযু ভঙ্গ হওয়া ঘ চোগলখোরি করা ২৪. কোনটি দ্বারা নাজাসাতে হুকমি হয়? (জ্ঞান)  ওযু ভঙ্গ হওয়া খ পায়খানা গ মদ ঘ রক্ত ২৫. পবিত্র কুরআনের কোন সুরায় পোশাক-পরিচ্ছদ পবিত্র করার কথা বলা হয়েছে? (জ্ঞান) ক সুরা বাকারা খ সুরা আল-ইমরান  সুরা আল-মুদ্দাসসির ঘ সুরা আর রহমান ২৬. কবরস্থ ব্যক্তির আযাব হচ্ছিল কেন? (অনুধাবন) ক পবিত্র থাকার জন্য খ ঝগড়া করার জন্য  অপবিত্র থাকার জন্য ঘ হত্যা করার জন্য বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ২৭. মানুষের শরীর অপবিত্র হয় (প্রয়োগ) র. খাওয়ার মাধ্যমে রর. পায়খানার মাধ্যমে ররর. পেশাবের মাধ্যমে নিচের কোনটি সঠিক? ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর ২৮. কবরে আযাব হচ্ছিল এরা এমন ব্যক্তি ছিল যারা (উচ্চতর দক্ষতা) র. নামায আদায় করত না রর. অপবিত্র থাকত ররর. অন্যের দুর্নাম করত নিচের কোনটি সঠিক? ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর ২৯. পবিত্র হওয়ার অনেক মাধ্যম রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো (প্রয়োগ) র. নামায রর. ওযু ররর. গোসল নিচের কোনটি সঠিক? ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩০ ও ৩১ নং প্রশ্নের উত্তর দাও : সাইদুল খুবই নোংরা প্রকৃতির। তার পোশাক-পরিচ্ছদ অপরিচ্ছন্ন থাকে। সে পেশাব-পায়খানার পর ঢিলা-কুলুখ ব্যবহার করে না এবং নিয়মিত গোসল করে না। এজন্য তার শিক্ষক ও সহপাঠীরা তাকে অপছন্দ করে। ৩০. সাইদুলের কর্মকাণ্ড কীসের পরিপন্থী? (অনুধাবন) ক নাজাসাতের  তাহারাতের গ হাকিকতের ঘ নিফাকের ৩১. এরূপ কর্মকাণ্ডের ফলে সে- (উচ্চতর দক্ষতা) র. কবরে শাস্তি ভোগ করবে রর. পরকালে সফলতা লাভ করবে ররর. সম্মান ও মর্যাদা লাভ করবে নিচের কোনটি সঠিক?  র খ রর গ ররর ঘ র, রর ও ররর ন্ধ পাঠ-৩ : পবিত্রতা সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ৩২. তাহারাতুন শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান) ক অপবিত্রতা খ বিশৃঙ্খলা  পবিত্রতা ঘ ভালোবাসা ৩৩. পবিত্র না থাকলে কী হয় না? (জ্ঞান) ক রোযা  নামায গ কালিমা ঘ যিকির ৩৪. পবিত্রতা কত প্রকার? [বিএএফ শাহীন কলেজ, তেজগাঁও, ঢাকা]  ২ খ ৩ গ ৪ ঘ ৫ ৩৫. কার ইবাদত কবুল হয় না? (জ্ঞান)  অপবিত্র ব্যক্তির খ অসুস্থ ব্যক্তির গ পবিত্র ব্যক্তির ঘ মাযুর ব্যক্তির ৩৬. কোনটি বাহ্যিক পবিত্রতা? (জ্ঞান) ক আকিদা খ গিবত  গোসল ঘ রিয়া ৩৭. অভ্যন্তরীণ পবিত্রতা বলতে কী বোঝায়? [বিএএফ শাহীন কলেজ, তেজগাঁও, ঢাকা] ক ওযু করা

ষষ্ঠ ইসলামশ্রেণির ইবাদত Read More »

পঞ্চম শ্রেণির ইসলাম পঞ্চম অধ্যায় মহানবি (স)-এর জীবনাদর্শ ও অন্যান্য নবিগণের পরিচয়

৫ম শ্রেণির ইসলাম পঞ্চম অধ্যায় মহানবি (স)-এর জীবনাদর্শ ও অন্যান্য নবিগণের পরিচয় ⇒ অনুশীলনীর প্রশ্ন ও সমাধান ক নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন : বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর : সঠিক উত্তরের পাশে টিক চিহ্ন (√) দাও : ১. মহানবি (স) কত খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন? ক. ৫২২ খ্রি. খ. ৫৭০ খ্রি. গ. ৬১০ খ্রি. ঘ. ৬২২ খ্রি. ২. হযরত মুহাম্মদ (স)-এর প্রথম দুধমাতা কে ছিলেন? ক. সোয়েবা খ. হালিমা গ. আম্বিয়া ঘ. সালেহা ৩. কত বছর বয়সে মুহাম্মদ (স)-এর দাদা মারা যান? ক. ৩ বছর খ. ৫ বছর গ. ৭ বছর ঘ. ৮ বছর ৪. নবুয়তের কত সনে মহানবি (স)-এর মিরাজ হয়েছিল? ক. দশম খ. একাদশ গ. দ্বাদশ ঘ. চতুর্দশ ৫. মহানবি (স) কত খ্রিষ্টাব্দে মদিনায় হিজরত করেন? ক. ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দে খ. ৬১০ খ্রিষ্টাব্দে গ. ৬২২ খ্রিষ্টাব্দে ঘ. ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দে ৬. হযরত আদম (আ) কিসের তৈরি? ক. আগুন খ. পাথর গ. মাটি ঘ. পানি ৭. হযরত নূহ (আ) কত বছর আল্লাহর দীনের দাওয়াত দিয়েছিলেন? ক. সাড়ে ছয় শ বছর খ. সাড়ে নয় শ বছর গ. সাড়ে আট শ বছর ঘ. সাড়ে সাত শ বছর ৮. হযরত ইবরাহীম (আ)-এর পিতার নাম কী? ক. আযম খ. হাতেম গ. আজর ঘ. আমর ৯. হযরত দাউদ (আ) কোন বংশে জন্মগ্রহণ করেন? ক. বানু ইসরাইল খ. বানু তামীম গ. বানু পায়েস ঘ. বানু গালিব ১০. আল্লাহ তায়ালা হযরত ঈসা (আ)-এর ওপর কোন কিতাব নাজেল করেন? ক. কুরআন খ. তাওরাত গ. ইনজিল ঘ. যাবুর ১১. হযরত সুলায়মান (আ)-এর পিতার নাম কী? ক. হযরত ঈসা (আ) খ. হযরত দাউদ (আ) গ. হযরত মূসা (আ) ঘ. হযরত ইবরাহীম (আ) ==== উত্তরমালা ==== ১. খ ২. ক ৩. ঘ ৪. খ ৫. গ ৬. গ ৭. খ ৮. গ ৯. ক ১০. গ ১১. খ খ শূন্যস্থান পূরণ কর : ১. হযরত মুহাম্মদ (স) —- বংশে জন্মগ্রহণ করেন। ২. ফিজার যুদ্ধ —- গোত্র কুরাইশদের ওপর চাপিয়ে দিয়েছিল। ৩. —- পর্বতের গুহায় হযরত মুহাম্মদ (স) ধ্যানমগ্ন থাকতেন। ৪. হিজরতের সময় মহানবি (স) —- পাহাড়ের গুহায় আশ্রয় নেন। ৫. মদিনা সনদে —- টি ধারা ছিল। ৬. আল্লাহর কোনো —- নেই। ৭. হযরত নূহ (আ) আল্লাহর নির্দেশে এক বিরাট —- তৈরি করলেন। ৮. হযরত ইবরাহীম (আ)-এর আমলে সেখানকার বাদশাহ ছিলেন —- । ৯. হযরত দাউদ (আ) শৈশবে —- চরাতেন। ১০. হযরত ঈসা (আ) আল্লাহর হুকুমে মৃত ব্যক্তিকে —- করতেন। উত্তর : ১. কুরাইশ; ২. কায়াস; ৩. হেরা; ৪. মক্কার সাওর; ৫. ৪৭; ৬. শরিক; ৭. নৌকা; ৮. নমরূদ; ৯. মেষ; ১০. জীবিত। গ বাম পাশের শব্দগুলোর সাথে ডান পাশের শব্দগুলো মিলাও বাম পাশ ডান পাশ মহানবি (স)-এর পিতা মহানবি (স)-এর মাতা মহানবি (স)-এর দাদা মহানবি (স)-এর চাচা মহানবি (স)-এর দুধমা হযরত আদম (আ)-এর সঙ্গির নাম নৌকা জুদি পাহাড়ে এসে হযরত দাউদ (আ) বাদশাহ তালুতের হযরত ঈসা (আ)-এর আম্মার নাম আব্দুল মুত্তালিব হালিমা আবু তালিব আব্দুল্লাহ আমিনা থামল হযরত মরিয়ম (আ) হযরত হাওয়া (আ) সেনাপতি ছিলেন উত্তর : মহানবি (স)-এর পিতা আব্দুল্লাহ। মহানবি (স)-এর মাতা আমিনা। মহানবি (স)-এর দাদা আব্দুল মুত্তালিব। মহানবি (স)-এর চাচা আবু তালিব। মহানবি (স)-এর দুধমা হালিমা। হযরত আদম (আ)-এর সঙ্গির নাম হযরত হাওয়া (আ)। নৌকা জুদি পাহাড়ে এসে থামল। হযরত দাউদ (আ) বাদশাহ তালুতের সেনাপতি ছিলেন। হযরত ঈসা (আ)-এর আম্মার নাম হযরত মরিয়ম (আ)। = সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন : প্রশ্ন- ১ \ পাদ্রি বহীরা হযরত মুহাম্মদ (স) সম্বন্ধে কী মন্তব্য করেছিলেন? উত্তর : পাদ্রি বহীরা হযরত মুহাম্মদ (স) কে অসাধারণ বালক বলে মন্তব্য করেন এবং শেষ নবি বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেন। প্রশ্ন- ২ \ হযরত মুহাম্মদ (স)-এর গঠিত সংঘের নাম কী? উত্তর : হযরত মুহাম্মদ (স)-এর গঠিত সংঘের নাম হিলফুল ফুযূল বা শান্তিসংঘ। প্রশ্ন- ৩ \ হাজরে আসওয়াদ কোথায় স্থাপন করা হয়েছিল? উত্তর : মহানবি (স) নিজের হাতে হাজরে আসওয়াদ বা পাথরখানা কাবার দেয়ালে স্থাপন করেছিলেন। প্রশ্ন- ৪ \ মহানবি (স) প্রথমে কাদের মধ্যে ইসলাম প্রচার করেন? উত্তর : নবুয়ত লাভের পর হযরত মুহাম্মদ (স) আল্লাহর নির্দেশে প্রথমে নিকট আত্মীয়স্বজনের মধ্যে ইসলাম প্রচার করেন। প্রশ্ন- ৫ \ আনসার কারা? উত্তর : মুহাজিরদের মদিনায় যাঁরা আশ্রয় ও সাহায্য-সহযোগিতা দিয়েছিলেন, তাঁরা হলেন আনসার। প্রশ্ন- ৬ \ মুহাজির কাদের বলে? উত্তর : মক্কা থেকে হিজরত করে যাঁরা মদিনায় যান তাঁদেরকে বলা হয় মুহাজির। প্রশ্ন- ৭ \ বদর যুদ্ধের কারণ কী? উত্তর : মদিনায় ইসলামের উত্তরোত্তর উন্নতি দেখে মক্কার কাফির মুশরিকরা হিংসায় জ্বলে ওঠে। মদিনার ইহুদিরা তাদের প্ররোচিত করেছিল। এ সময় আবু সুফিয়ানের বাণিজ্য কাফেলা মুসলমানদের দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার গুজবও উঠেছিল। এসবই বদর যুদ্ধের কারণ। প্রশ্ন- ৮ \ মদিনার সনদ কী? উত্তর : মদিনায় শান্তি, স¤প্রীতি বজায় রেখে স্বাধীনভাবে নিজ ধর্মকর্ম পালন এবং মদিনার নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের উদ্দেশ্যে মহানবি (স) সকল স¤প্রদায়কে নিয়ে একটি লিখিত চুক্তি সম্পাদন করেন, এটিই ‘মদিনা সনদ’ নামে পরিচিত। প্রশ্ন- ৯ \ হুদাইবিয়ার সন্ধি কী? উত্তর : হুদাইবিয়া নামক স্থানে মক্কার কুরাইশরা মুসলমানদের সাথে একটি সন্ধি করে, যা হুদাইবিয়ার সন্ধি নামে খ্যাত। প্রশ্ন- ১০ \ বিদায় হজ কাকে বলে? উত্তর : মহানবি (স)-এর জীবনের সর্বশেষ হজকেই বিদায় হজ বলা হয়। প্রশ্ন- ১১ \ পৃথিবীর আদি মানব কে ছিলেন? উত্তর : পৃথিবীর আদিমানব ছিলেন হযরত আদম (আ)। প্রশ্ন- ১২ \ হযরত নূহ (আ)-এর সময় কী আজাব এসেছিল? উত্তর : হযরত নূহ (আ)- এর সময়ে মানুষের অবাধ্যতার ফলস্বরূপ তুফানের আজাব এসেছিল। প্রশ্ন- ১৩ \ হযরত ঈসা (আ) বর্তমানে কোথায় জীবিত আছেন? উত্তর : হযরত ঈসা (আ) বর্তমানে দ্বিতীয় বা চতুর্থ আসমানে জীবিত অবস্থায় আছেন। প্রশ্ন- ১৪ \ ইবরাহীম (আ) কোথায় জন্মগ্রহণ করেন? উত্তর : হযরত ইবরাহীম (আ) ইরাক দেশের বাবেল শহরে এক পুরোহিত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। প্রশ্ন- ১৬ \ হযরত দাউদ (আ)-এর ওপর কোন কিতাব নাজেল হয়? উত্তর : হযরত দাউদ (আ)-এর ওপর প্রসিদ্ধ কিতাব ‘যাবুর’ নাজেল হয়। প্রশ্ন- ১৭ \ হযরত দাউদ (আ)-এর বীরত্বের উদাহরণ দাও। উত্তর : হযরত দাউদ (আ) আল্লাহদ্রোহী ও অত্যাচারী শাসক জালুতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তাকে যুদ্ধে পরাজিত ও হত্যা করেছিলেন। প্রশ্ন- ১৮ \ হযরত ঈসা (আ)-এর মোজেযা উল্লেখ কর। উত্তর : ১. আল্লাহর হুকুমে মৃত ব্যক্তিকে জীবিত করা; ২. শিশু বয়সে দোলনায় থাকা অবস্থায় কথাবার্তা বলা; ৩. জন্মান্ধকে চোখের দৃষ্টিশক্তি দান; ৪. ধবল-শ্বেত ও কুষ্ঠ রোগীদের আল্লাহর রহমতে রোগমুক্ত করা। প্রশ্ন- ১৯ \ আল্লাহর হুকুমে হযরত সুলায়মান (আ)-এর অধীনে কী কী ছিল? উত্তর : হযরত সুলায়মান (আ) জিন-পরী, পশুপাখি, গাছপালার ভাষা বুঝতে পারতেন। আল্লাহর আদেশে এসব তাঁর অধীনে ছিল। এমনকি বাতাসও তাঁর অধীনে ছিল। = বর্ণনামূলক প্রশ্ন ও উত্তর : প্রশ্ন- ১ \ হযরত মুহাম্মদ (স)-এর জন্ম ও বংশ পরিচয় দাও। উত্তর : মহানবি হযরত মুহাম্মদ (স) ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের ২০ এপ্রিল এবং

পঞ্চম শ্রেণির ইসলাম পঞ্চম অধ্যায় মহানবি (স)-এর জীবনাদর্শ ও অন্যান্য নবিগণের পরিচয় Read More »

পঞ্চম শ্রেণির ইসলাম চতুর্থ অধ্যায় কুরআন মজিদ শিক্ষা

৫ম শ্রেণির ইসলাম চতুর্থ অধ্যায় চতুর্থ অধ্যায় কুরআন মজিদ শিক্ষা ⇒অনুশীলনীর প্রশ্ন ও সমাধান ক নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন : বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর : সঠিক উত্তরের পাশে টিক চিহ্ন (√) দাও : ১. কণ্ঠনালির মাঝখান থেকে উচ্চারিত হয়- ক. ﮦ – ﺀ খ. ﺥ – ﻍ গ. ﺡ – ﻉ ঘ. ﻒ ২. কণ্ঠনালির শেষ অংশ থেকে উচ্চারিত হয়- ক. ﺡ – ﻉ খ. ﺥ – ﻍ গ. ﻱ – ﺶ – ﺝ ঘ. ﮦ – ﺀ ৩. জিহ্বার অগ্রভাগ তালুর সাথে লাগিয়ে উচ্চারিত হয়- ক. ﻝ খ. ﻚ গ. ﻦ ঘ. ﺾ ৪. জিহ্বার অগ্রভাগ সামনের নিচের দুই দাঁতের অগ্রভাগে লাগিয়ে উচ্চারিত হয়- ক. ﺖ ﺪ ﻃ খ. ﺯ ﺲ ﺺ গ. ﮦ – ﺀ ঘ. ﻒ ৫. জিহ্বার গোড়া তালুর সাথে লাগিয়ে উচ্চারিত হয়- ক. ﮦ – ﺀ খ. ﻖ গ. ﺥ – ﻍ ঘ. ﻚ ৬. জিহ্বার মধ্যভাগ তালুর সাথে লাগিয়ে উচ্চারিত হয়- ক. ﻱ – ﺶ – ﺝ খ. ﺮ গ. ﺖ ﺪ ﻃ ঘ. ﺯ ﺲ ﺺ ৭. জিহ্বার অগ্রভাগ ওপরের দুই দাঁতের গোড়ার সাথে লাগিয়ে উচ্চারিত হয়- ক. ﺙ ﺫ ﻇ খ. ﻦ গ. ﺯ ﺲ ﺺ ঘ. ﺖ ﺪ ﻃ ==== উত্তরমালা ==== ১. গ ২. খ ৩. গ ৪. খ ৫. খ ৬. ক ৭. ঘ খ শূন্যস্থান পূরণ কর : ১. কুরআন মজিদ আল্লাহর —- । ২. জিহ্বার গোড়া তালুর সাথে লাগিয়ে উচ্চারিত হয় —-। ৩. ح—- ع কণ্ঠনালির —- থেকে উচ্চারিত হয়। ৪. বিরাম চিহ্নকে —- বলে। ৫. কুরআন মজিদের ভাষা —- । উত্তর : ১. কালাম; ২. ﻖ ; ৩. মাঝখান; ৪. ওয়াক্ফ; ৫. আরবি। গ বাম পাশের কথাগুলোর সাথে ডান পাশের কথাগুলো মিল কর : বাম পাশ ডান পাশ কুরআন মজিদ তিলাওয়াতের উদ্দেশ্য কুরআন মজিদ হলো সর্বশেষ দুই ঠোঁট থেকে উচ্চারিত হয় জিহ্বার গোড়া তালুর সাথে লাগিয়ে উচ্চারিত হয় কণ্ঠনালির শুরু থেকে উচ্চারিত হয় আসমানি কিতাব ৪টি ﻖ   ﻩ – ﺀ ﻡ ﺐ ﻭ উত্তর : কুরআন মজিদ তিলাওয়াতের উদ্দেশ্য ৪টি। কুরআন মজিদ হলো সর্বশেষ আসমানি কিতাব। দুই ঠোঁট থেকে উচ্চারিত হয় ﻡ ﺐ ﻭ জিহ্বার গোড়া তালুর সাথে লাগিয়ে উচ্চারিত হয় ﻖ কণ্ঠনালির শুরু থেকে উচ্চারিত হয় ﻩ – ﺀ ⇒ সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন : প্রশ্ন- ১ \ কুরআন মজিদ পাঠের উদ্দেশ্য কয়টি? উত্তর : কুরআন মজিদ পাঠের উদ্দেশ্য হলো চারটি। প্রশ্ন- ২ \ মাখরাজ কয়টি? উত্তর : মাখরাজ ১৭টি। প্রশ্ন- ৩ \ কণ্ঠনালির হরফ কয়টি? উত্তর : কণ্ঠনালির হরফ ছয়টি। প্রশ্ন- ৪ \ ﻈ ﺬ ﺚ কোথা থেকে উচ্চারিত হয়? উত্তর : জিহ্বার অগ্রভাগ সামনের ওপরের দুই দাঁতের অগ্রভাগে লাগিয়ে ﻈ ﺬ ﺚ এই তিনটি অক্ষর উচ্চারিত হয়। প্রশ্ন- ৫ \ দুই ঠোঁট থেকে কোন কোন হরফ উচ্চারিত হয়? উত্তর : দুই ঠোঁট থেকে উচ্চারিত হয়। ﻮ (ওয়াও); ﺐ (বা) এবং ﻢ (মিম)। ⇒ বর্ণনামূলক প্রশ্ন ও উত্তর : প্রশ্ন- ১ \ কুরআন মজিদ কার বাণী? কুরআন মজিদ তিলাওয়াতের উদ্দেশ্য কয়টি ও কী কী? উত্তর : কুরআন মজিদ আল্লাহ তায়ালার বাণী। কুরআন মজিদ তিলাওয়াতের উদ্দেশ্য হলো চারটি। যথা : ১. সহিহ শুদ্ধভাবে তিলাওয়াত করা ২. এর অর্থ বুঝা। ৩. আল্লাহপাক যা আদেশ করেছেন তা পালন করা। ৪. আল্লাহপাক যা নিষেধ করেছেন তা থেকে বিরত থাকা। প্রশ্ন- ২ \ কুরআন মজিদ বুঝে তিলাওয়াত করলে কী কী বিষয়ে জানতে পারবে তার একটি তালিকা তৈরি কর। উত্তর : কুরআন মজিদ বুঝে তিলাওয়াত করলে যেসব বিষয় আমরা জানতে পারব তার একটি তালিকা নিচে উল্লেখ করা হলো : ক. আল্লাহপাকের বিধি-বিধান ১. আল্লাহপাকের পরিচয় ও নবি-রাসুলগণের পরিচয় সম্পর্কে জানতে পারব। ২. ফেরেশতাগণের পরিচয় ও পরকালের পরিচয় সম্পর্কে জানতে পারব। ৩. কে আমাদের সৃষ্টিকর্তা, রিজিকদাতা ও পালনকর্তা তা জানতে পারব। ৪. কে একমাত্র সর্বশক্তিমান, সবকিছুর মালিক, পরম দয়ালু ও একমাত্র শান্তিদাতা তা জানতে পারব। খ. মানবজীবনের পদ্ধতি ১. আমাদের কাজকর্ম ও চরিত্র কীরূপ হওয়া উচিত তা জানতে পারব। ২. দুনিয়ায় আমাদের কীরূপে জীবনযাপন ও লেনদেন করতে হবে তা জানতে পারব। ৩. দুনিয়ায় আমরা কার হুকুম মানব, আর কার হুকুম মানব না সে সম্পর্কে জানতে পারব। ৪. কীসে আমাদের সম্মান, সফলতা, ব্যর্থতা এবং লাঞ্ছনা তা জানতে পারব। প্রশ্ন- ৩ \ তাজবিদ কাকে বলে? সঠিক উচ্চারণে কুরআন মজিদ তিলাওয়াত করার কী কী লাভ আছে উল্লেখ কর। উত্তর : শুদ্ধভাবে কুরআন মজিদ তিলাওয়াতের নিয়মকে তাজবিদ বলে। সঠিক উচ্চারণে কুরআন মজিদ তিলাওয়াতের লাভ : সঠিক উচ্চারণে কুরআন মজিদ তিলাওয়াত করলে আল্লাহপাকের কালামের অর্থ ঠিক থাকে। সালাত সহিহশুদ্ধ হয়। সঠিক ও শুদ্ধভাবে কুরআন মজিদ তিলাওয়াত করতে না পারলে আল্লাহর কালামের অর্থ ঠিক থাকে না। সালাত শুদ্ধ হয় না, পাপ হয়। সুতরাং সঠিক উচ্চারণে আমাদের কুরআন মজিদ তিলাওয়াত করা শিখতে হবে। প্রশ্ন- ৪ \ মাখরাজ কাকে বলে? উদাহরণসহ লিখ। উত্তর : আরবি হরফ উচ্চারণের স্থানকে মাখরাজ বলে। কোনো একটি হরফকে সাকিন করে ডানে একটি হরকতবিশিষ্ট আলিফ বসিয়ে উচ্চারণ করলে সাকিন হরফটির আওয়াজ যে স্থানে গিয়ে থেমে যায় তাহলো ঐ হরফের মাখরাজ বা উচ্চারণের স্থান। যেমন : আলিফ বা যবর ‘আব’। এখানে ‘ب’ বর্ণের উচ্চারণের সময় আওয়াজ দুই ঠোঁটে এসে থেমে গেছে। কাজেই ‘ب’ বর্ণের মাখরাজ দুই ঠোঁট। প্রশ্ন- ৫ \ কোন কোন স্থান থেকে আরবি বর্ণগুলো উচ্চারিত হয় তার একটি তালিকা তৈরি কর। উত্তর : উচ্চারণস্থান মোট ১৭টি। আরবি বর্ণগুলো যেসব স্থান থেকে উচ্চারিত হয়, তার একটি তালিকা উপস্থাপন করা হলো : ক. নাসাগহŸর, মুখগহŸর, জিহ্বার, তালু, আলাজিহ্বার, কণ্ঠনালির শুরু, মধ্যভাগ ও শেষ অংশ। খ. ডান দিকের উপরের মাড়ির দাঁত, বাম দিকের উপরের মাড়ির দাঁত। গ. উপরের ঠোঁট, সামনে উপরের দুটি দাঁত, সামনের নিচের দুটি দাঁত। প্রশ্ন- ৬ \ কণ্ঠনালি থেকে কোন কোন বর্ণ উচ্চারিত হয় তা লিখ। উত্তর : কণ্ঠনালি থেকে নিম্নোক্ত বর্ণগুলো উচ্চারিত হয়। যেমন : ১. কণ্ঠনালির শুরু থেকে উচ্চারিত হয় ﺀ ,ﻩ (হা, হামযাহ) ২. কণ্ঠনালির মাঝখান থেকে উচ্চারিত হয় ﻉ ,ﺡ (হা, আইন) ৩. কণ্ঠনালির শেষ অংশ থেকে উচ্চারিত হয় ﻍ ,ﺥ (খা, গাইন) প্রশ্ন- ৭ \ জিহ্বার থেকে যেসব বর্ণ উচ্চারিত হয় তার একটি তালিকা তৈরি কর। উত্তর : জিহ্বার থেকে যেসব বর্ণ উচ্চারিত হয় তা হলো : ১. জিহ্বার গোড়া তালুর সাথে লাগিয়ে উচ্চারিত হয়- ‘ﻖ’ (ক্বাফ) ২. জিহ্বার গোড়ার কিছুটা সামনের অংশ তালুর সাথে লাগিয়ে উচ্চারিত হয় ‘ﻚ’ (কাফ) ৩. জিহ্বার মধ্যভাগ তালুর সাথে লাগিয়ে উচ্চারিত হয় ‘ﺝ’ (জিম), ‘ﺲ’ (শিন), ‘ﻯ’ (ইয়া), ৪. জিহ্বার গোড়ার কিনারা, উপরের মাড়ির দাঁতের গোড়ার সাথে লাগিয়ে উচ্চারিত হয় ‘ﺾ’ (দোয়াদ) ৫. জিহ্বার অগ্রভাগের কিনারা, সামনের ওপরের দাঁতের সাথে লাগিয়ে উচ্চারিত হয় ‘ﻞ’ (লাম) ৬. জিহ্বার অগ্রভাগ তালুর সাথে লাগিয়ে উচ্চারিত হয় ﻦ (নুন) ৭.

পঞ্চম শ্রেণির ইসলাম চতুর্থ অধ্যায় কুরআন মজিদ শিক্ষা Read More »

চতুর্থ শ্রেণির ইসলাম পঞ্চম অধ্যায় নবি ও রাসুলগণের পরিচয় ও জীবনাদর্শ

পঞ্চম অধ্যায় নবি ও রাসুলগণের পরিচয় ও জীবনাদর্শ  অধ্যায়টি পড়ে জানতে পারব  মহানবি হযরত মুহাম্মদ (স.)-এর জন্ম পরিচয়  ইসলাম প্রচারের মহানবি (স.)-এর অক্লান্ত চেষ্টা সম্পর্কে  মহানবি (স.)-এর জীবনের ঘটনা ও বিভিন্ন চারিত্রিক গুণাবলি সম্পর্কে  হযরত মূসা (আ.)-এর জন্ম পরিচয় ও নবুয়ত লাভ সম্পর্কে  ফিরআউনের ধ্বংস হওয়ার কাহিনী  হযরত হুদ (আ.), হযরত সালিহ (আ.), হযরত ইসহাক (আ.) ও হযরত লূত (আ.)-এর স¤প্রদায় সম্পর্কে  হযরত শুয়াইব (আ.), হযরত ইলিয়াস (আ.), হযরত যুলকিফল (আ.) এবং হযরত যাকারিয়া (আ.)-এর জীবনাদর্শ সম্পর্কে  অধ্যায়ের মূল বিষয়বস্তু জেনে নিই আল্লাহ তায়ালা মানুষের হিদায়াতের উদ্দেশ্যে এই পৃথিবীতে অনেক নবি-রাসুল পাঠিয়েছেন। কুরআন মজিদে ২৫ জন নবি-রাসুলের নাম উল্লেখ আছে। এদের মধ্যে হযরত আদম (আ.) পৃথিবীর প্রথম মানুষ এবং প্রথম নবি। আর হযরত মুহাম্মদ (স.) সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবি। কোন পথে চললে মহান আল্লাহ খুশি হবেন, কী কাজ করলে দুনিয়াতে সুখে- শান্তিতে থাকব, এসবের সন্ধান আমরা পেয়েছি নবি-রাসুলগণের মাধ্যমে। নবি-রাসুলগণ ছিলেন মানুষের জন্য আদর্শ শিক্ষক। তাঁরা আমাদের মহান আল্লাহর ইবাদত করার নিয়ম কানুন শিখিয়েছেন। সঠিক পথে জীবন যাপন করার পদ্ধতি শিখিয়েছেন। আমরা নবি-রাসুলগণের জীবনাদর্শ অনুসরণ ও অনুকরণ করব। অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর ক. বহুনির্বাচনি প্রশ্ন : সঠিক উত্তরের পাশে টিক () চি‎‎হ্ন দাও। ১. আমাদের সৃষ্টি করেছেন কে? ক. মানুষ খ. রাসুল  গ. আল্লাহ ঘ. জিন ২. মহানবি (স.)-এর আম্মার নাম কী? ক. মরিয়ম  খ. আমিনা গ. আছিয়া ঘ. ফাতিমা ৩. হারবুল ফিজর শব্দের অর্থ কী?  ক. অন্যায় সমর খ. ন্যায় সমর গ. শান্তি ঘ. শৃঙ্খলা ৪. হিলফুল ফুজুল কতো বছর স্থায়ী ছিল? ক. ২০ বছর খ. ৩০ বছর গ. ৪০ বছর  ঘ. ৫০ বছর ৫. সূরা আলাকের কয়টি আয়াত সর্বপ্রথম অবতীর্ণ হয়েছিল? ক. ৩টি খ. ৪টি  গ. ৫টি ঘ. ৬টি ৬. মহানবি (স.) কতো বছর বয়সে নবুয়ত লাভ করেন?  ক. ৪০ বছর খ. ৪৫ বছর গ. ৫০ বছর ঘ. ৫৩ বছর ৭. হযরত মূসা (আ.)-এর পিতার নাম কী? ক. ইউসুফ  খ. ইমরান গ. ইদরীস ঘ. ইউনুস ৮. হযরত মূসা (আ.) কোন বংশে জন্মগ্রহণ করেন?  ক. বনি ইসরাইল খ. কিবতী গ. বনি বকর ঘ. বনি হাসেম ৯. ফিরআউনের স্ত্রীর নাম কী? ক. আম্বিয়া খ. হাজেরা  গ. আছিয়া ঘ. আমিনা ১০. মিশর ছেড়ে হযরত মূসা (আ.) কোথায় গিয়েছিলেন? ক. ইরাকে খ. ইরানে গ. সিরিয়া  ঘ. মাদায়ানে ১১. হযরত হূদ (আ.)-কে কোন জাতির কাছে পাঠানো হয়েছিল?  ক. আদ খ. সামুদ খ. কুরাইশ ঘ. কিবতী ১২. হযরত সালিহ (আ.)Ñকে কোন জাতির কাছে পাঠানো হয়েছিল?  ক. সামুদ খ. সেলজুক গ. সাউদ ঘ. আদ ১৩. হযরত ইছহাক (আ.)-এর পিতার নাম কী? ক. হযরত নূহ (আ.) খ. হযরত ইদরীস (আ.)  গ. হযরত ইররাহীম (আ.) ঘ. হযরত সুলায়মান (আ.) ১৪. হযরত ইলিয়াস (আ.) কোন নবির স্থলাভিষিক্ত হন? ক. হযরত হারুন (আ.) খ. হযরত মূসা (আ.)  গ. হযরত হিযকীল (আ.) ঘ. হযরত লূত (আ.) ১৫. হযরত যুলকিফল কার পুত্র ছিলেন? ক. হযরত ইউনুস (আ.)  খ. হযরত আইয়্যুব (আ.) গ. হযরত ইসমাঈল (আ.) ঘ. হযরত লূত (আ.) ১৬. হযরত যাকারিয়া (আ.)-এর পুত্রের নাম কী? ক. হারুন খ. ইউসুফ  গ. ইয়াহিয়া ঘ. ইমরান খ. শূন্যস্থান পূরণ কর : ১) কুরআন মজিদে  জন নবি-রাসুলের নাম উল্লেখ আছে। ২) মহানবি (স.)-এর  নাম আবু তালিব। ৩) মহানবি (স.)-এর  ওপর অটল বিশ্বাস ছিল। ৪) হিলফুল ফুজুল শব্দের অর্থ  সংঘ। ৫) প্রথম তিন বছর  জন নর-নারী ইসলাম গ্রহণ করেন। উত্তর : ১) ২৫ ২) চাচার ৩) আল্লাহর ৪) শান্তি ৫) ৪৫ গ. বাম পাশের কথাগুলোর সাথে ডান পাশের কথাগুলো মিল কর : বাম পাশ ডান পাশ ক) মহানবি (স.)-এর আম্মা আমিনা ইন্তিকাল করেন মহানবি (স.)-এর খ) মহানবি (স.) হিলফুল ফুজুল গঠন করেন গ) মুহাম্মদ (স.) নবুয়ত লাভ করেন ১৫ বছর বয়সে ৬৩ বছর বয়সে ৬ বছর বয়সে ৪০ বছর বয়সে উত্তর : ক) মহানবি (স.)-এর আম্মা আমিনা ইন্তিকাল করেন মহানবি (স.)-এর ৬ বছর বয়সে। খ) মহানবি (স.) হিলফুল ফুজুল গঠন করেন ১৫ বছর বয়সে। গ) মুহাম্মদ (স.) নবুয়ত লাভ করেন ৪০ বছর বয়সে। সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর : ১. মহানবি (স.) কতো খ্রিস্টাব্দে কোথায় জন্মগ্রহণ করেন? উত্তর : মহানবি হযরত মুহাম্মদ (স.) ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে মক্কানগরীতে কুরাইশ বংশে জন্মগ্রহণ করেন। ২. মুহাম্মদ শব্দের অর্থ কী? উত্তর : মুহাম্মদ শব্দের অর্থ প্রশংসিত। ৩. পৃথিবীর সর্বপ্রথম নবি (আ.)-এর নাম লেখ। উত্তর : পৃথিবীর সর্বপ্রথম নবি হলেন হযরত আদম (আ.)। ৪. হিলফুল ফুজুল কী? উত্তর : হিলফুল ফুজুল হলো একটি শান্তিসংঘ। এ সংঘের মাধ্যমে মহানবি (স.) দুঃখী ও অসহায় মানুষের দুঃখ-কষ্ট দূর করার চেষ্টা করতেন। ৫. মহানবি (স.) চাকরদের সম্পর্কে কী বলেছেন? উত্তর : মহানবি (স.) চাকরদের সম্পর্কে বলেছেন, যারা কাজ করে তারা তোমাদের ভাই। তাদের কষ্ট দেবে না। তাদের মর্যাদা দেবে। নিজেরা যা খাবে তাদের তা খাওয়াবে। কাজ-কর্মে তাদের সাহায্য করবে। ৬. প্রাচীনকালে মিশরের বাদশাহকে কী বলা হতো? উত্তর : প্রাচীনকালে মিশরের বাদশাহকে ফিরআউন বলা হতো। ৭. মূসা (আ.) কার ঘরে এবং অর্থ ব্যয়ে লালিত পালিত হয়েছিলেন? উত্তর : মূসা (আ.) ফিরআউন ওলীদের ঘরে এবং তারই অর্থব্যয়ে লালিত পালিত হয়েছিলেন। ৮. তিনজন নবি (আ.)-এর নাম লেখ। উত্তর : তিনজন নবি (আ.)-এর নাম হলোÑ (১) হযরত ইসহাক (আ.), (২) হযরত আদম (আ.), (৩) হযরত ইবরাহীম (আ.)। বর্ণনামূলক প্রশ্নের উত্তর : ১। মহানবি (স.)-এর আম্মা ইন্তিকালের পর তাঁকে কে লালনপালন করেন? উত্তর : মহানবি (স.)-এর জন্মের আগেই তাঁর বাবা ইন্তিকাল করেন। আর ছয় বছর বয়সে তাঁর আম্মা ইন্তিকাল করেন। বাবা-মা হারা ইয়াতিম শিশুকে তখন থেকে লালন-পালন করেন তাঁর দাদা আব্দুল মুত্তালিব। দাদার ইন্তিকালের পর তাঁর চাচা আবু তালিব তাঁর লালনপালনের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২। মুহাম্মদ (স.)-এর চরিত্রের ৫টি সুন্দর আদর্শ লেখ। সামাজিক জীবনে উক্ত আদর্শগুলোর গুরুত্ব কী? উত্তর : মুহাম্মদ (স.)-এর চরিত্রের পাঁচটি সুন্দর আদর্শ হলোÑ ১. সব সময় সত্য কথা বলতেন। ২. মানুষের উপকার করতেন। ৩. বড়দের সম্মান করতেন। ৪. ছোটদের আদর করতেন। ৫. কাউকে গালি দিতেন না। সামাজিক জীবনে মহানবি (স.)-এর চরিত্রের আদর্শগুলোর গুরুত্ব অপরিসীম। কেননা এ আদর্শগুলোর অনুসরণ ছাড়া প্রকৃত অর্থে একজন মানুষ চরিত্রবান হতে পারে না। আর অসৎ চরিত্রের মানুষ কখনো সুন্দর সমাজ গঠনে কোনো ভ‚মিকা রাখতে পারে না। উক্ত আদর্শগুলো অনুসরণ করে চললে সমাজজীবন শান্তিময় ও সুন্দর হয়ে উঠবে। সমাজে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সৌহার্দ্য বাড়বে। সমাজ থেকে হিংসা বিদ্বেষ দূর হবে। সমাজের উন্নতি হবে। তাই বলা যায়, আমাদের সামাজিক জীবনকে সুখময় করে তুলতে মহানবি (স.)-এর আদর্শগুলোর ভ‚মিকা অপরিসীম গুরুত্ব রাখে। ৩। শিশু মুহাম্মদ (স.) কীভাবে অন্যের অধিকার সংরক্ষণ করেছেন বর্ণনা কর। উত্তর : মহানবি (স.)

চতুর্থ শ্রেণির ইসলাম পঞ্চম অধ্যায় নবি ও রাসুলগণের পরিচয় ও জীবনাদর্শ Read More »

Scroll to Top