এইচএসসি

এইচএসসি ব্যবসায় উদ্যোগ অষ্টম অধ্যায় ব্যবসায়ের আইনগত দিক সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

অধ্যায়-৮ ব্যবসায়ের আইনগত দিক গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর প্রশ্ন১ জনাব অর্ণব একজন সংগীত শিল্পী। তিনি গান লিখেন এবং সুর করেন। প্রিজম নামের একজন নতুন শিল্পী গানের একক অ্যালবাম বাজারে ছাড়েন। জনাব অর্ণব প্রিজমের প্রকাশিত সিডির একটি গানের সুর তার নিজের বলে দাবি করে আদালতে মামলা করেন। কিন্তু তিনি তাতে কোনো প্রতিকার পাননি। [ঢা. বো. ১৭] অ ক. সামাজিক ব্যবসায় কী? ১ অ খ. ওঝঙ সনদ বলতে কী বোঝ? ২ অ গ. উদ্দীপকে কোন আইনের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৩ অ ঘ. জনাব অর্ণব আদালতের আশ্রয় নিয়েও কোনো প্রতিকার না পাওয়ার যৌক্তিকতা মূল্যায়ন করো। ৪ ১ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক যে ব্যবসায়ে বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ প্রাপ্তির কোনো প্রত্যাশা থাকে না বরং সমাজের কল্যাণ ও দারিদ্র্য দূরীকরণের উদ্দেশ্যে গঠন করা হয় তাকে সামাজিক ব্যবসায় বলে। খ ওঝঙ (ওহঃবৎহধঃরড়হধষ ঙৎমধহরুধঃরড়হ ভড়ৎ ঝঃধহফধৎফরুধঃরড়হ) হলো আন্তর্জাতিক মান নিয়ন্ত্রণ সংস্থা। এটি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের পণ্য/সেবার গুণগত মান পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করে সনদ প্রদান করে। ওঝঙ সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি আন্তর্জাতিক মানের শিল্পকে আরও দক্ষ ও কার্যকর করতে সাহায্য করে। এ সনদ অর্জনের মাধ্যমে একটি প্রতিষ্ঠানের পণ্য আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হয়। গ উদ্দীপকে কপিরাইট আইনের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। কপিরাইটের মাধ্যমে লেখক বা শিল্পী কর্তৃক তার সৃষ্টিকর্মের ওপর একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য স্থায়ী আইনগত অধিকার দেয়া হয়। কপিরাইট আইনের ফলে শিল্পকর্ম নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিক্রয়, উন্নয়ন বা ব্যবহারের একচ্ছত্র অধিকার লাভ করা যায়। গল্প, প্রবন্ধ, কবিতা, নাটক, গান, চলচ্চিত্র প্রভৃতির সুরক্ষার জন্য কপিরাইট আইনের সহায়তা নিতে হয়। উদ্দীপকে বলা হয়েছে, জনাব অর্ণব একজন সঙ্গীত শিল্পী। তিনি গান লিখেন ও সুর করেন। প্রিজম নামের একজন নতুন শিল্পী গানের একক এ্যালবাম করে বাজারে ছাড়েন। জনাব অর্ণব প্রিজমের প্রকাশিত সিডির একটি গানের সুর তার নিজের বলে দাবি করে আদালতে মামলা করেন। কারণ, তিনি তার গানের সুর ব্যবহারের ও বিক্রয়ের একক অধিকারী। কেউ যদি তার সৃষ্টিকর্ম নকল করতে চেষ্টা করে তাহলে তার বিরুদ্ধে মামলা করা যাবে। এসব বৈশিষ্ট্য কপিরাইট আইনের সাথে মিল রয়েছে। সুতরাং, উদ্দীপকে কপিরাইট আইনের প্রতিই ইঙ্গিত করা হয়েছে। ঘ জনাব অর্ণবের সুর করা গান কপিরাইট আইনে নিবন্ধিত না থাকায় আদালতের আশ্রয় নিয়েও কোনো প্রতিকার না পাওয়ার যৌক্তিকতা রয়েছে। লেখক বা শিল্পীর সৃষ্টিকর্ম যাতে কেউ নকল করতে না পারে সেজন্য কপিরাইট নিবন্ধন করা প্রয়োজনীয়। এ নিবন্ধন করা না হলে যে কেউ এটি নকল করতে পারে। তখন আদালতে মামলা করেও ক্ষতিপূরণ পাওয়া সম্ভব হয় না। উদ্দীপকের প্রিজম নামের একজন নতুন শিল্পী গানের একক অ্যালবাম বাজারে ছাড়েন। জনাব অর্ণব প্রিজমের প্রকাশিত সিডির একটি গানের সুর তার নিজের বলে দাবি করে আদালতে মামলা করেন। কিন্তু জনাব অর্ণবের সুর করা গানের এ্যালবামটি কপিরাইট আইনে নিবন্ধিত ছিল না। কোনো শিল্পী বা লেখক তার সৃষ্টিকর্ম কপিরাইটের মাধ্যমে নিজের ব্যবহারের একক অধিকার লাভ করেন। কিন্তু, তিনি যদি তা কপিরাইট নিবন্ধনের আওতায় না আনেন তাহলে অন্য কেউ ঐ সৃষ্টিকর্ম নকল বা ব্যবহার করলেও সেক্ষেত্রে প্রকৃত সৃষ্টিকারী কোনো আইনি প্রতিকার পান না। উদ্দীপকের জনাব অর্ণবের গানের সুর কপিরাইট আইনে নিবন্ধন করা ছিল না। এ কারণে তার সুর নকল করলে আদালতে মামলা করেও তিনি কোনো আইনি সুরক্ষা পাননি। সুতরাং বলা যায়, কপিরাইট আইনানুযায়ী তার এরূপ আইনি প্রতিকার না পাওয়া সম্পূর্ণ যৌক্তিক। মমমপ্রশ্ন২ গ্যালাক্সি লি.-এর কয়েকজন প্রকৌশলী বিশেষ এক ধরনের কাঁচ উদ্ভাবন করেছেন। এ কাঁচ ভবনের দরজা বা জানালায় ব্যবহার করলে তা একই সাথে সৌরবিদ্যুতের উৎস হিসেবে কাজ করবে। এ বিদ্যুৎ যেকোনো কাজে ব্যবহার করা সম্ভব। প্রতিষ্ঠানটি এ কাঁচ উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের একক অধিকার পেতে চায়। তারা এ বিষয়ে সরকারের সাথে একটি চুক্তি সম্পাদন করে। [ঢা. বো., রা. বো., কু. বো., চ. বো. ১৭] অ ক. ব্যবসায় পরিবেশ কী? ১ অ খ. পানি দূষণ বলতে কী বোঝায়? ২ অ গ. গ্যালাক্সি লি.-এর উদ্ভাবিত পদ্ধতিটি কোন ধরনের? ব্যাখ্যা করো। ৩ অ ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত চুক্তিটি কি এ প্রতিষ্ঠানকে একক অধিকার ভোগের সুযোগ দিবে? বিশ্লেষণ করো। ৪ ২ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের গঠন, পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ যেসব পারিপার্শ্বিক উপাদান বা শক্তির দ্বারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রভাবিত হয় সেগুলোর সমষ্টিকে ব্যবসায় পরিবেশ বলে। খ পানিতে ক্ষতিকর উপাদান মিশ্রিত হয়ে তা ব্যবহারের অনুপযোগী ও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হওয়াকে পানি দূষণ বলে। গৃহস্থালি ও শিল্পবর্জ্য পানিতে মিশে পানি দূষিত হয়। পানি দূষণের কারণে পানিবাহিত রোগের বিস্তার ঘটে জলজ প্রাণীর বসবাসের স্বাভাবিক অবস্থা নষ্ট হয়। এ দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য কলকারখানার বর্জ্য শোধনের ব্যবস্থা করতে হবে। সাথে সাথে পানি দূষণ নিয়ন্ত্রণ আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ করতে হবে। গ উদ্দীপকে গ্যালাক্সি লি.-এর উদ্ভাবিত পদ্ধতিটি মেধাসম্পদের অন্তর্ভুক্ত। সৃজনশীল ব্যক্তি তার মেধা ও মননশীলতা প্রয়োগ করে মেধাসম্পদ সৃষ্টি করেন। এক্ষেত্রে তার অনুমতি ছাড়া অন্য কেউ তার মেধাসম্পদ ব্যবহার করতে পারে না। গল্প, নাটক, চলচ্চিত্র, ফটোগ্রাফ, সফটওয়্যার মেধাসম্পদের উদাহরণ। উদ্দীপকে গ্যালাক্সি লি.-এর কয়েকজন প্রকৌশলী বিশেষ এক ধরনের কাঁচ উদ্ভাবন করেছেন। এ কাঁচ ভবনের দরজা বা জানালায় ব্যবহার করলে তা একই সাথে সৌর বিদ্যুতের উৎস হিসেবে কাজ করবে। এ বিদ্যুৎ যেকোনো কাজে ব্যবহার করা সম্ভব। এখানে প্রকৌশলীগণ নিজেদের মেধাকে কাজে লাগিয়ে এ কাঁচ উদ্ভাবন করেছেন। এটি বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের বা মেধাসম্পদের বৈশিষ্ট্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। সুতরাং, গ্যালাক্সি লি.-এর উদ্ভাবিত পদ্ধতিটি মেধাসম্পদের আওতাভুক্ত। ঘ উদ্দীপকে বর্ণিত উদ্ভাবিত কাঁচের জন্য পেটেন্ট চুক্তি গ্রহণ করায় উক্ত প্রতিষ্ঠান এককভাবে পণ্য ভোগের অধিকার লাভ করবে। নতুন আবিষ্কৃত পণ্যের ওপর আবিষ্কারকের একক অধিকার অর্জনের জন্য সরকারের সাথে পেটেন্ট চুক্তি করা হয়। এর মাধ্যমে আবিষ্কারক আবিষ্কৃত পণ্যের উন্নয়ন, ব্যবহার ও বিক্রয়ের একক অধিকার ভোগ করেন। উদ্দীপকে গ্যালাক্সি লি.-এর কয়েকজন প্রকৌশলী এক বিশেষ ধরনের কাঁচ উদ্ভাবন করেন। এটি সৌর বিদ্যুতের উৎস হিসেবে কাজ করবে। প্রতিষ্ঠানটি এ কাঁচ উৎপাদন ও বিপণনের একক অধিকার পেতে চায়। এজন্য প্রতিষ্ঠানটি সরকারের সাথে একটি চুক্তি সম্পাদন করে; যা পেটেন্ট চুক্তির আওতায় পড়ে। উদ্ভাবিত কাঁচের জন্য পেটেন্ট চুক্তি করায় প্রতিষ্ঠানটি উক্ত কাঁচ ব্যবহারে একক অধিকার অর্জন করবে। অন্যদের হস্তক্ষেপ ছাড়াই একক অধিকারে এটি বিক্রয়, ব্যবহার বা ভোগ করতে পারবে। প্রতিষ্ঠানটির অনুমতি ছাড়া কেউ এটি ব্যবহার বা বিক্রয় করলে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। আদালতের মাধ্যমে ক্ষতিপূরণও আদায় করা যাবে। সুতরাং, পেটেন্ট চুক্তিটি অবশ্যই উক্ত প্রতিষ্ঠানকে আইনানুযায়ী পণ্যের এককভাবে ভোগের সুযোগ দিবে। মমমপ্রশ্ন৩ মিসেস রিনা পণ্য ক্রয়ের বিষয়ে খুবই সাবধান থাকেন। বাংলাদেশি কোনো পণ্য কিনতে গেলে তিনি দেখেন যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন রয়েছে কিনা। বিশেষ করে খাদ্য ও প্রসাধনী সামগ্রীর বেলায় এটি থাকতেই হবে। ব্র্যান্ড পণ্য কেনার প্রতি তার আগ্রহ। তিনি মনে করেন স্কয়ার, প্রাণ ইত্যাদি বড় প্রতিষ্ঠানে একটি মান মেনে চলা হয়। এক্ষেত্রে নকলের সম্ভাবনাও কম। [রা. বো. ১৭] অ ক. ট্রেডমার্ক কী? ১ অ খ. পরিবেশ আইন কী? ব্যাখ্যা করো। ২ ই গ. মিসেস রিনা কোন ধরনের কর্তৃপক্ষের অনুমোদন আছে কিনা তা

এইচএসসি ব্যবসায় উদ্যোগ অষ্টম অধ্যায় ব্যবসায়ের আইনগত দিক সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর Read More »

এইচএসসি ব্যবসায় উদ্যোগ সপ্তম অধ্যায় রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

অধ্যায়-৭ রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর প্রশ্ন১ অমিত রবীন্দ্রনাথের ছোট গল্পটি পড়েছে। তৎকালীন সময় তথা ব্রিটিশ আমল থেকে অদ্যবধি এ সার্ভিস চালু আছে। তবে মোবাইল ফোন, কুরিয়ার সার্ভিস ইত্যাদির উদ্ভবের কারণে এর গুরুত্বকে হ্রাস করেছে। বাংলাদেশে ব্রিটিশ আমল থেকে চলে আসা আরেকটি নিরাপদ ও সাশ্রয়ী গণপরিবহন সার্ভিস রয়েছে। সহজ ও আরামদায়ক সেবা হওয়ায় এর চাহিদা বেশি। এ প্রতিষ্ঠানকে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের সাথে প্রতিযোগিতা করতে হয় না। তা সত্তে¡ও প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকদের সন্তুষ্টি অর্জনে সক্ষম হয়নি। [ঢা. বো. ১৭] অ ক. ইঞঞই কী? ১ ই খ. বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন বলতে কী বোঝ? ২ অ গ. উদ্দীপকে প্রথমত কোন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের কথা বলা হয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৩ ই ঘ. উদ্দীপকে পরবর্তীতে যে প্রতিষ্ঠানের কথা বলা হয়েছে তার গ্রাহকসেবার মান বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে মতামত দাও। ৪ ১ নং প্রশ্নের উত্তর অ ই ক বাংলাদেশে স্থায়ী টেলিফোন সঞ্চালন লাইন প্রতিষ্ঠা, পরিচালন, সংযোগ প্রদান এবং ইন্টারনেট সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে নিয়োজিত সরকারি প্রতিষ্ঠান হলো বাংলাদেশ টেলিগ্রাফ অ্যান্ড টেলিফোন বোর্ড (ইঞঞই  ইধহমষধফবংয ঞবষবমৎধঢ়য ্ ঞবষবঢ়যড়হব ইড়ধৎফ)। খ বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন হলো বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি বিধিবদ্ধ সংস্থা। এটি দেশের জাতীয় পর্যটন সংস্থা, যা পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে কাজ করে। এটি দেশে ও দেশের বাহিরে পর্যটকদের জন্য অভ্যর্থনার ব্যবস্থা করে। এছাড়া এটি প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহের ব্যবস্থাও করে; যাতে পর্যটকরা স্বাচ্ছন্দ্যে দেশ পরিভ্রমণ করতে পারে। গ উদ্দীপকে প্রথমত ‘বাংলাদেশ ডাক বিভাগ’Ñএ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের কথা বলা হয়েছে। ডাক বিভাগ সংশ্লিষ্ট পণ্য বা সেবা জনগণের নিকট পৌঁছে দেওয়ার জন্য ডাক বিভাগ। এটি দেশের সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি বিভাগ সরকারি মালিকানায় প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত হয়। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের জনগণকে অল্প খরচে চিঠিপত্র ও অর্থ আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে এটি ভ‚মিকা রাখে। উদ্দীপকে উলে­খ্য, তৎকালীন সময়ে তথা ব্রিটিশ আমল থেকে অদ্যবধি একটি সার্ভিস চালু আছে। তবে মোবাইল ফোন, কুরিয়ার সার্ভিস ইত্যাদির উদ্ভবের কারণে এর গুরুত্বকে হ্রাস করছে। এটি ব্রিটিশ আমল থেকেই সাশ্রয়ী ও নির্ভরযোগ্য সেবা দিয়ে আসছে। বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে এটিকে চালানো যাচ্ছে না। এত বড় ও সম্ভাবনাময় এ প্রতিষ্ঠানটিকে প্রযুক্তিনির্ভর কর্মকাণ্ডে পরিচালিত করতে পারলে সাধারণ মানুষ অল্প খরচে আরও অনেক বেশি সেবা গ্রহণের সুযোগ পাবে। এসব কার্যক্রম বাংলাদেশ ডাক বিভাগ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের ডাকসেবার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। সুতরাং, উদ্দীপকে প্রথমে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের কথাই বলা হয়েছে। ঘ উদ্দীপকে পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রতিষ্ঠানের কথা বলা হয়েছে, যার গ্রাহকসেবার মান বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা অনেক। সরকারি মালিকানায় ও পরিচালনায় দেশের প্রধান পরিবহন সংস্থা হলো বাংলাদেশ রেলওয়ে। এটি যাত্রীদেরকে সাশ্রয়ী, নিরাপদ ও স্বল্প ব্যয়ে পরিবহন সেবা প্রদান করে। উদ্দীপকে উলে­খ্য, এদেশে ব্রিটিশ আমল থেকে চলে আসা আরেকটি নিরাপদ ও সাশ্রয়ী গণপরিবহন সার্ভিস আছে। সহজ ও আরামদায়ক সেবা হওয়ায় যাত্রীদের কাছে এর চাহিদা বেশি। এ প্রতিষ্ঠানকে অন্য প্রতিষ্ঠানের সাথে প্রতিযোগিতা করতে হয় না। তা সত্তে¡ও প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহক সন্তুষ্টি অর্জনে সক্ষম হয়নি। এ প্রতিষ্ঠানটি হলো বাংলাদেশ রেলওয়ে। রেলওয়ে পরিবহন সেবা জনগণের কাছে আরও গ্রহণযোগ্য করে তুলতে এ সংস্থাকে বিশেষ পদক্ষেপ নিতে হবে। যাত্রীদের সুবিধার্থে এটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ, কেবিন সুবিধা ইত্যাদি বৃদ্ধি করতে পারে। ইন্টারনেটে ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে রেলের টিকিট সংগ্রহের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। স্বয়ংক্রিয় ও কম্পিউটারাইজড রেলসেবার উদ্যোগ ইতিমধ্যে নেয়া হয়েছে; যা যাত্রীদেরকে সুলভ মূল্যে এবং কম সময়ে দক্ষ রেল পরিবহন সেবা দিতে সহায়ক হবে। এতে যাত্রীদের থেকে রেলওয়ে পরিবহনের প্রতি স্থায়ীভাবে আস্থা ও সন্তুষ্টি অর্জন করা সম্ভব হবে। সুতরাং, রেলওয়ে প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকসেবার মান বৃদ্ধি অত্যন্ত ফলপ্রসূ হবে। মমমপ্রশ্ন২ সরকার চায় দেশের সর্বত্র শিল্প ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে। সরকার সাশ্রয়ী মূল্যে মানুষ ও পণ্য পরিবহনের কথা চিন্তা করে সারাদেশে গণপরিবহন পরিচালনা করে আসছে। যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অধীন গণপরিবহন গণমানুষের সেবা দিতে আগ্রহী হলেও তাদের বাস ও ট্রাকের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় একবারেই কম বলে তা সম্ভব হচ্ছে না। [রা. বো. ১৭] অ ক. বিআরটিসি কী? ১ অ খ. কোন ব্যবসায়ের উদ্দেশ্য জনকল্যাণ? ব্যাখ্যা করো। ২ অ গ. উদ্দীপকে বর্ণিত শিল্প গড়ার ক্ষেত্রে সরকারের কোন উদ্দেশ্যের প্রতিফলন ঘটছে? ব্যাখ্যা করো। ৩ ই ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত গণপরিবহন জনগণকে আরও উন্নত সেবা দিতে পারবে কি? তোমার মতামত ব্যক্ত করো। ৪ ২ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক বাংলাদেশে সাশ্রয়ী মূল্যে সড়কপথে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত সরকারি দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান হলো বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সংস্থা (ইধহমষধফবংয জড়ধফ ্ ঞৎধহংঢ়ড়ৎঃ ঈড়ৎঢ়ড়ৎধঃরড়হ) বলে। খ রাষ্ট্রীয় ব্যবসায়ের মূল উদ্দেশ্য হলো জনকল্যাণ সাধন করা। রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয় না বরং রাষ্ট্রের প্রত্যেকটি ব্যক্তি যাতে উপকৃত হয়, তা নিশ্চিত করা। তবে এ ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা অব্যাহত রাখার জন্য পরিচালন খরচ ওঠানোর চেষ্টা করে। এ ব্যবসায়ের মাধ্যমে জনকল্যাণ নিশ্চিত করা সম্ভব হয়। তাই, রাষ্ট্রীয় ব্যবসায়ের মূল উদ্দেশ্য হয় জনকল্যাণ সাধন করা। গ উদ্দীপকে বর্ণিত শিল্প গড়ার ক্ষেত্রে সরকারের ‘সুষম শিল্পায়ন’ উদ্দেশ্যের প্রতিফলন ঘটছে। অনুন্নত দেশে প্রয়োজনীয় মূলধন ও উদ্যোগের অভাবে ব্যক্তিমালিকানায় শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে না। তাই সরকার নিজে উদ্যোগী হয়ে দেশে দ্রুত শিল্পায়নের জন্য শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে। এটি হয় সুষম শিল্পায়ন। উদ্দীপকে উলে­খ্য, সরকার দেশের সর্বত্র শিল্প ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে চায়। সরকারের এরূপ উদ্যোগ অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের দ্রুত উন্নয়নে অবদান রাখে। অনুন্নত দেশগুলোতে সরকার এভাবে শিল্পায়ন ব্যবস্থা করতে চায়। এতে শিল্পায়ন খাতে দেশের সম্পদের সুষ্ঠু বণ্টন ও ব্যবহার হয়। এর ফলে সম্পদ কোনো একটি নির্দিষ্ট শ্রেণির হাতে পুঞ্জিভ‚ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। কারণ, সরকার নিজ উদ্যোগেই শিল্প ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার জন্য অধিক পরিমাণ মূলধন বিনিয়োগ করে থাকে। এভাবে সরকার শিল্প গড়ার ক্ষেত্রে সুষম শিল্পায়ন উদ্দেশ্যের প্রতিফলন ঘটাতে চায়। ঘ উদ্দীপকে বর্ণিত গণপরিবহন ব্যবস্থা ‘বাংলাদেশ রেলওয়ে’ জনগণকে উন্নত সেবা দিতে পারবে বলে আমি মনে করি। বাংলাদেশ রেলওয়ে সরকারি মালিকানায় ও পরিচালনায় দেশের প্রধান গণপরিবহন সংস্থা হিসেবে কাজ করে। এর লক্ষ্য হলো রেল ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও জনগণকে নিরাপদ এবং স্বল্প ব্যয়ে পরিবহন সেবা প্রদান করা। উদ্দীপকে উলে­খ্য, সরকার সাশ্রয়ী মূল্যে মানুষ ও পণ্য পরিবহনের কথা চিন্তা করে সারাদেশে গণপরিবহনের পরিচালনা করে আসছে। এখানে গণপরিবহন বলতে বাংলাদেশ রেলওয়ে ব্যবস্থাকে বোঝানো হয়েছে, যা অন্যান্য পরিবহনের চেয়ে অধিক নিরাপদ ও সাশ্রয়ী মূল্যে যাত্রীদের পরিবহন সেবা প্রদান করে। বাংলাদেশ রেলওয়ে বর্তমানে কিছু নতুন মিশন বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে, যা যাত্রীদের আরও উন্নত সেবা নিশ্চিত করবে। সরকার সারা দেশে রেলপথ ও স্টেশন অবকাঠামো উন্নত ও বৃদ্ধি করছে। নিরাপদ, গতিসম্পন্ন ও দক্ষ ট্রেন চালনা নিশ্চিত করছে, অর্থাৎ রেলওয়ে সেক্টর সরকারের পরিবহন পলিসি বাস্তবায়ন করছে, যা যাত্রীদের আরও সুলভ মূল্যে নিরাপদ পরিবহন সেবা নিশ্চিত করবে। এভাবে বাংলাদেশ রেলওয়ে জনগণকে আরও উন্নত সেবা দিতে পারবে। মমমপ্রশ্ন৩ দেশের জনগণের জন্য নিরাপদে যাতায়াত ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সরকার একটি প্রতিষ্ঠান গঠনের জন্য সংসদে আইন পাস করে। প্রতিষ্ঠানটি নানা রকম অব্যবস্থাপনার কারণে লোকসান দিতে থাকে। লোকসান

এইচএসসি ব্যবসায় উদ্যোগ সপ্তম অধ্যায় রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর Read More »

এইচএসসি ব্যবসায় উদ্যোগ ষষ্ঠ অধ্যায় সমবায় সমিতি সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

অধ্যায়-৬ সমবায় সমিতি গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর প্রশ্ন১ মধ্যস্থব্যবসায়ীদের হাত থাকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কুমারখালীর তাঁতিরা ২০১২ সালে ৫০ জন সদস্য একত্রিত হয়ে একটি সমবায় সমিতি গঠন করেন। পরবর্তী তিন বছরে তাদের অর্র্জিত মুনাফার পরিমাণ যথাক্রমে ৬০,০০০, ৬৫,০০০ ও ৭৫,০০০ টাকা। তারা বিধিবদ্ধ নিয়ম অনুসারে ন্যূনতম হারে সঞ্চিতি তহবিল সংরক্ষণ করেন। তারা প্রতিটা তাঁতকল ১৫,০০০ টাকা দরে দুইটি তাঁতকল ক্রয়ের জন্য সংরক্ষিত তহবিল ব্যবহারের চিন্তা করছেন। [ঢা. বো. ১৭] অ ক. সমবায়ের মূলমন্ত্র কী? ১ অ খ. সমবায়ের উপবিধি বলতে কী বোঝ? ২ অ গ. উদ্দীপকে তিন বছরের মোট মুনাফার সর্বোচ্চ কত পরিমাণ অর্থ সদস্যদের মধ্যে বণ্টিত হবে? নির্ণয় করো। ৩ অ ঘ. তুমি কি মনে করো সংরক্ষিত তহবিলের টাকা হতে দুটি তাঁতকল ক্রয়ের সমুদয় অর্থের সংস্থান হবে? যুক্তিসহ মতামত দাও। ৪ ১ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক ‘একতাই বল’ সমবায়ের মূলমন্ত্র। খ সমবায় সমিতির পরিচালনা সংক্রান্ত যাবতীয় নিয়ম-কানুন যে দলিলে লেখা থাকে তাকে সমবায় উপবিধি (ইু-ষধংি) বলে। এটি সমবায়ের মূল বা প্রধান দলিল। এর ওপর ভিত্তি করে সমবায় সমিতি গঠিত ও পরিচালিত হয়। এর বাইরে কোনো কাজ করা সমিতির সদস্যদের জন্য বৈধ নয়। উপবিধি বহিভর্‚ত কোনো বিষয়ের উদ্ভব হলে তা সমবায় নিবন্ধকের অনুমতি নিয়ে সমবায় আইন ও বিধিমালা অনুযায়ী সমাধান করতে হয়। গ উদ্দীপকে গঠিত সমবায় সমিতিটির তিন বছরের অর্জিত মুনাফা হলো ৬০,০০০ টাকা, ৬৫,০০০ টাকা ও ৭৫০০০ টাকা। তারা বিধিবদ্ধ নিয়ম অনুসারে ন্যূনতম হারে সঞ্চিতি তহবিল সংরক্ষণ করেন। এর মধ্যে সমবায় আইনানুযায়ী ১৫% সংরক্ষিত তহবিল এবং ৩% উন্নয়ন তহবিলে চাঁদা হিসেবে সংরক্ষণ করতে হয়। এ ১৮% বাদে বাকি ৮২% মুনাফা সদস্যদের মধ্যে বণ্টন করতে হয়। সেক্ষেত্রে প্রতি সদস্য তার ক্রয়কৃত শেয়ার অনুপাতে মুনাফা পাবে। সুতরাং সদস্যদের বণ্টনযোগ্য মুনাফার পরিমাণ হবেÑ তিন বছরে অর্জিত মোট মুনাফা (৬০,০০০ + ৬৫০০০ + ৭৫,০০০) টাকা = ২,০০,০০০ টাকা বাদ: ১৫% সংরক্ষিত তহবিল (২,০০,০০০  ১৫%) = ৩০,০০০ টাকা বাদ: ৩% উন্নয়ন তহবিল (২,০০,০০০  ৩%) = ৬,০০০ টাকা  বণ্টনযোগ্য মোট মুনাফা হবে = ১,৬৪,০০০ টাকা।  সদস্যদের বণ্টনযোগ্য মোট মুনাফার পরিমাণ ১,৬৪,০০০ টাকা। ঘ আমি মনে করি, সংরক্ষিত তহবিলের টাকা হতে দুটি তাঁতকল ক্রয়ের সমুদয় অর্থের সংস্থান হবে। সমবায় সমিতির অর্জিত মুনাফার সম্পূর্ণই সদস্যদের মধ্যে বণ্টন করা হয় না। আইনানুযায়ী বাধ্যতামূলকভাবে অর্জিত মুনাফার ন্যূনতম ১৫% সংরক্ষিত তহবিলে এবং ৩% উন্নয়ন তহবিলে চাঁদা হিসেবে সংরক্ষণ করা হয়। উদ্দীপকের কুমারখালীর তাঁতিরা একটি উৎপাদন সমবায় সমিতি গঠন করে তারা সমিতির অর্জিত মুনাফার ১৫% সংরক্ষিত তহবিলে জমা রাখেন। পরে ১৫,০০০ টাকা দরে দুইটি তাঁতকল ক্রয়ের জন্য সংরক্ষিত তহবিল ব্যবহারের চিন্তা করছেন। তাঁতকল ক্রয়ের জন্য মোট (১৫,০০০২) বা ৩০,০০০ টাকা প্রয়োজন। সংরক্ষিত তহবিলে জমাকৃত অর্থের পরিমাণ দাঁড়ায়Ñ(৬০,০০০ + ৬৫,০০০ + ৭৫,০০০)  ১৫% = ৩০, ০০০ টাকা। তাদের তাঁতকল কেনার জন্যও ৩০,০০০ টাকা প্রয়োজন। সুতরাং এ সংরক্ষিত তহবিলের টাকা হতেই তারা ২টি তাঁতকল ক্রয়ের সমুদয় অর্থসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারবেন। মমমপ্রশ্ন২ ঢাকার মিরপুর এলাকায় ‘মেঘনা সমবায় সমিতি’ ও ‘আশার আলো’ নামে দুটি সমবায় সমিতি রয়েছে। মেঘনা সমবায় সমিতির সদস্যরা তাদের তৈরি করা খেলনাসামগ্রী একত্র করে ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করে। এতে অত্র এলাকার মানুষের আয় বেড়েছে। অপরদিকে আশার আলো সমবায় সমিতির সদস্যরা তাদের প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য সরাসরি কোম্পানি থেকে কিনে এনে নিজেরা ভাগ করে নেয়। [রা. বো., কু. বো., চ. বো. ১৭] অ ক. ট্রেডমার্ক কী? ১ অ খ. আচরণে অনুমিত অংশীদার বলতে কী বোঝায়? ২ অ গ. উদ্দীপকে বর্ণিত ‘আশার আলো’ কোন ধরনের সমবায় সমিতি? ব্যাখ্যা করো। ৩ অ ঘ. অত্র এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে মেঘনা সমবায় সমিতির ভ‚মিকা বিশ্লেষণ করো। ৪ ২ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক কোনো প্রতিষ্ঠান বা এর পণ্যের স্বাতন্ত্র্যতা প্রকাশ করার জন্য যে বিশেষ চিহ্ন, প্রতীক, শব্দ বা লোগো ব্যবহার করা হয় তাকে ট্রেডমার্ক বলে। খ কোনো ব্যক্তি আচরণের মাধ্যমে নিজেকে কোনো ব্যবসায়ের অংশীদার হিসেবে পরিচয় দিলে ঐ ব্যক্তিকে আচরণে অনুমিত অংশীদার বলে। অংশীদারি আইনের ২৮(ক) ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি ব্যবসায়ের অংশীদার না হয়েও যদি মৌখিক কথাবার্তা বা অন্য কোনো আচরণের দ্বারা নিজেকে ব্যবসায়ের অংশীদার বলে পরিচয় দেয় তবে তাকে আচরণে অনুমিত অংশীদার বলে। এ ধরনের অংশীদারের আচরণের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তৃতীয় পক্ষ কোনো প্রকার ঋণ দিলে তার জন্য আচরণে অনুমিত অংশীদার দায়ী থাকেন। গ উদ্দীপকে বর্ণিত ‘আশার আলো’ ভোক্তা সমবায় সমিতির অন্তর্ভুক্ত। পণ্য ক্রয়ে সুবিধা পাওয়ার জন্য একই এলাকার সমশ্রেণির কয়েক জন ভোক্তা মিলে ভোক্তা সমবায় সমিতি গঠন করেন। এ সমিতির মাধ্যমে তারা ন্যায্যমূল্যে উন্নতমানের পণ্যসামগ্রী সংগ্রহ করতে পারেন। আবার, সমিতি থেকে অর্জিত মুনাফাও তারা ভোগ করতে পারেন। এ ধরনের সমিতিতে সদস্যদের বার্ষিক ক্রয়কৃত পণ্যের মূল্য অনুপাতে সদস্যদের মাঝে অর্জিত মুনাফা বণ্টিত হয়। উদ্দীপকের ঢাকার মিরপুর এলাকায় ‘আশার আলো’ নামে একটি সমিতি রয়েছে। এর সদস্যরা তাদের প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য সরাসরি কোম্পানি থেকে কিনে এনে নিজেরা ভাগ করে নেন। ভোক্তারা তাদের আর্থিক সাশ্রয়ের জন্য এ সমিতি পরিচালনা করছেন। তারা সমিতি থেকে ন্যায্যমূল্যে পণ্য ক্রয় করেন। এসব বৈশিষ্ট্য ভোক্তা সমবায় সমিতির কার্যক্রমের আওতায় পড়ে। সুতরাং বলা যায়, উদ্দীপকের ‘আশার আলো’ ভোক্তা সমবায় সমিতির অন্তর্ভুক্ত। ঘ অত্র এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ‘মেঘনা সমবায় সমিতি’ গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখে। কোনো এলাকায় একই ধরনের ক্ষুদ্র উৎপাদনকারীগণ তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রয়ের ক্ষেত্রে অধিক সুবিধা আদায়ের লক্ষ্যে বিক্রয় সমবায় সমিতি গঠন করেন। এর ফলে মধ্যস্থব্যবসায়ীদের দৌরাÍ্য কমিয়ে ন্যায্য মূল্যে পণ্য বিক্রয়ের সুযোগ সৃষ্টি হয়। উদ্দীপকে উলে­খ্য, ঢাকার মিরপুরে ‘মেঘনা সমবায় সমিতি’ নামে একটি সমিতি রয়েছে। এর সদস্যরা তাদের তৈরি খেলনা সামগ্রী একত্র করে ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করেন। সমিতিটি বিক্রয় সমবায় সমিতির অন্তর্ভুক্ত। এরূপ সমিতি গঠনের ফলে কোনো মধ্যস্থব্যবসায়ীর সাহায্য ছাড়াই তারা ন্যায্য দামে পণ্য বিক্রয়ের সুযোগ পাচ্ছেন। এতে তারা অধিক লাভবান হচ্ছেন। ফলে সদস্যদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটছে। তাছাড়া সমিতির সাফল্য দেখে এলাকার অন্যান্য লোকজনও এ ধরনের সমিতি গঠনে আগ্রহী হয়। এখানে অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়। এভাবে সমিতিটি অত্র এলাকায় আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখে। মমমপ্রশ্ন৩ পাবনার বিল­ালসহ ৫০ জন তাঁতি মিলে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুললেন। তিন বছরে তাদের মূলধন দাঁড়ায় ২০ লক্ষ টাকা। চতুর্থ বছরে মোট মুনাফা ১,০০,০০০ টাকা হতে ৩৫,০০০ টাকা তাদের সংরক্ষিত তহবিলে এবং ১৫,০০০ টাকা উন্নয়ন তহবিলে জমা করেন। অবশিষ্ট টাকা সদস্যরা নিজেদের মধ্যে সমানভাবে ভাগ করে নিলেন। [দি. বো. ১৭] অ ক. সমবায়ের ‘উপবিধি’ কাকে বলে? ১ অ খ. সমবায় সমিতিতে ‘একতাই বল’ ধারণাটি ব্যাখ্যা করো। ২ অ গ. উদ্দীপকে বর্ণিত প্রতিষ্ঠানটি কোন ধরনের সমবায় সমিতি? ব্যাখ্যা করো। ৩ অ ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত বিভিন্ন তহবিলে টাকা সংরক্ষণের পরিমাণ যাচাই করো। ৪ ৩ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক যে দলিলে সমবায় সমিতির অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক কাজ পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত যাবতীয় নিয়ম-কানুন উলে­খ থাকে তাকে সমবায় সমিতির উপবিধি (ইু-খধংি) বলে। খ ‘একতাই বল’ এ মৌলিক নীতির ওপর ভিত্তি করে সমবায়

এইচএসসি ব্যবসায় উদ্যোগ ষষ্ঠ অধ্যায় সমবায় সমিতি সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর Read More »

এইচএসসি ব্যবসায় উদ্যোগ পঞ্চম অধ্যায় যৌথ মূলধনী ব্যবসায় সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

অধ্যায়-৫ যৌথ মূলধনী ব্যবসায় গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর প্রশ্ন১ জনাব আরিফ ও তার ছয় বন্ধু একত্রিত হয়ে ৯০ কোটি টাকা মূলধন নিয়ে আনন্দ ট্রেডার্স নামে একটি ব্যবসায় গঠন করেন। আরিফ ও তার বন্ধু রিপন পরিচালক নিযুক্ত হন। তাদের সঠিক পরিচালনায় প্রতিষ্ঠানটি অল্প সময়েই সফলতার মুখ দেখে। পরবর্তীতে তারা পরিচালকের সংখ্যা ও মূলধন বৃদ্ধিসহ ব্যবসায়টি সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এ লক্ষ্যে তারা জনগণের মাঝে উচ্চহার সুদের ব্যাংক ঋণের পরিবর্তে শেয়ার বিক্রি করে মূলধন সংগ্রহের উদ্যোগ নেন। [ঢা. বো. ১৭] অ ক. পরিমেল নিয়মাবলি কী? ১ অ খ. কোম্পানির চিরন্তন অস্তিত্ব বলতে কী বোঝ? ২ অ গ. উদ্দীপকে উলি­খিত প্রথম পর্যায়ের ব্যবসায়টি কোন ধরনের? ব্যাখ্যা করো। ৩ অ ঘ. উদ্দীপকে ১ম ও ২য় পর্যায়ের ব্যবসায়ের মধ্যে কোনটি অর্থনীতিতে অধিক গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করবে? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও। ৪ ১ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক যে দলিলে কোম্পানির অভ্যন্তরীণ ও দৈনন্দিন কাজ পরিচালনা সংক্রান্ত নিয়ম-নীতি লিপিবদ্ধ থাকে এবং যা প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত বিভিন্ন ব্যক্তির ক্ষমতা, কর্তৃত্ব ও সম্পর্কের দিকনির্দেশনা প্রদান করে তাকে পরিমেল নিয়মাবলি (অৎঃরপষবং ড়ভ অংংড়পরধঃরড়হ) বলে। খ চিরন্তন অস্তিত্ব বলতে সহজে বিলুপ্ত হয় না এমন অস্তিত্বকে বোঝায়। কোম্পানি সংগঠন অন্যান্য ব্যবসায়ের মতো সহজে বিলুপ্ত হয় না। আইনানুযায়ী এ ব্যবসায় চিরন্তন অস্তিত্বের মর্যাদা লাভ করে। পৃথক ও স্বাধীন সত্তার কারণে শেয়ারহোল্ডারদের মৃত্যু, দেউলিয়াত্ব ও শেয়ার হস্তান্তর এ ব্যবসায়ের অস্তিত্বকে বিপন্ন করে না। তাই কোম্পানি হলো চিরন্তন অস্তিত্বসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান। গ উদ্দীপকে উলি­খিত প্রথম পর্যায়ের ব্যবসায়টি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি সংগঠন। প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির সদস্য সংখ্যা সর্বনিæ ২ এবং সর্বোচ্চ ৫০ জন হয়ে থাকে। এর পরিচালক সংখ্যা ২ জন। এ কোম্পানির শেয়ার অবাধে হস্তান্তরযোগ্য নয়। এছাড়া এটি জনগণের উদ্দেশ্যে শেয়ার ও ঋণপত্র ক্রয়ের আহŸান জানাতে পারে না। উদ্দীপকে উলি­খিত প্রথম পর্যায়ের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের সদস্য সংখ্যা ৭ জন। ব্যবসায়টিতে আরিফ ও তার বন্ধু রিপন এ দু’জন পরিচালক নিযুক্ত হন। তারা কোম্পানি পরিচালনায় ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে ভ‚মিকা রাখেন। এসব বৈশিষ্ট্য প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির সাথে মিল রয়েছে। সুতরাং, পরিচালক ও সদস্য সংখ্যার ভিত্তিতে প্রথম পর্যায়ের ব্যবসায়টি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি সংগঠন। ঘ উদ্দীপকের ২য় পর্যায়ের ব্যবসায় পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিই অর্থনীতিতে অধিক গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করবে। পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির সর্বনিæ সদস্য সংখ্যা ৭ জন এবং সর্বোচ্চ এর শেয়ার সংখ্যা দ্বারা সীমাবদ্ধ। এর ন্যূনতম পরিচালক সংখ্যা ৩ জন। এর শেয়ার জনসাধারণের নিকট অবাধে হস্তান্তরযোগ্য। তাই অর্থসংস্থানের সুযোগ বেশি থাকে। উদ্দীপকের ১ম পর্যায়ের ব্যবসায়টি ছিল একটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি। পরবর্তীতে তারা পরিচালকের সংখ্যা ও মূলধন বৃদ্ধিসহ ব্যবসায়টি সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নেন। এ লক্ষ্যে তারা জনগণের মাঝে শেয়ার বিক্রি করে মূলধন সংগ্রহের উদ্যোগ নেন। ফলে ২য় পর্যায়ের ব্যবসায়টি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি সংগঠনে পরিণত হয়েছে। পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির সদস্য সংখ্যা বেশি বলে এখানে অধিক লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। তাছাড়া পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি শেয়ার ও ঋণপত্র অবাধে হস্তান্তর করতে পারে । ফলে অর্থনীতিতে মূলধন গঠনে অধিক ভ‚মিকা রাখতে পারে। অন্যদিকে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির সদস্য সংখ্যা কম থাকায়, বেশি মূলধন গঠনের সুযোগ থাকে না। অতএব, সুযোগ-সুবিধা বেচনায় ২য় পর্যায়ের পাবলিক লি. কোম্পানিটি অর্থনীতিতে অধিক গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করবে। মমমপ্রশ্ন২ “রাইট কোং লি.” অতিরিক্ত মূলধনের প্রয়োজন হওয়ায় তা সংগ্রহ করার জন্য পুরাতন শেয়ারহোল্ডারদের অগ্রাধিকার দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। ব্যবসায়ে লোকসানের কারণে প্রতিষ্ঠানটির ৫ কোটি টাকা দেনা হয়ে যায় যা কোম্পানিটি পরিশোধে অক্ষম। এ অবস্থা নিরসনে তারা উপরোক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। [দি. বো. ১৭] অ ক. ন্যূনতম চাঁদা কী? ১ অ খ. শেয়ার ও ঋণপত্রের মধ্যে পার্থক্য কী? ব্যাখ্যা করো। ২ অ গ. উদ্দীপকের কোম্পানিটি কোন ধরনের শেয়ার ইস্যু করতে চায়? ব্যাখ্যা করো। ৩ অ ঘ. অতিরিক্ত দেনার দায়ে কোম্পানিটি পরিচালনা সম্ভব না হলে সেটি কোন ধরনের অবসানে পড়বে? বিশ্লেষণ করো। ৪ ২ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির পরিমেল নিয়মাবলিতে কোম্পানি গঠনের প্রাথমিক খরচ নির্ধারণের জন্য যে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ সংগ্রহের প্রতিশ্র“তি উলে­খ থাকে তাকে ন্যূনতম চাঁদা বলে। খ নিচে শেয়ার ও ঋণপত্রের মৌলিক পার্থক্যসমূহ উলে­খ করা হলোÑ শেয়ার ঋণপত্র ১. শেয়ার কোম্পানির মূলধনের অংশ। ১.ঋণপত্র কোম্পানির ঋণ গ্রহণের দলিল। ২. মূলধন সংগ্রহ শেয়ার বিক্রয়ের মুখ্য উদ্দেশ্য। ২. ঋণ সংগ্রহ ঋণপত্র বিক্রয়ের মুখ্য উদ্দেশ্য। ৩. শেয়ার গ্রহীতাগণ কোম্পানির মালিক। ৩.ঋণপত্র গ্রহীতাগণ কোম্পানির পাওনাদার। ৪.শেয়ার বিক্রয়লব্ধ অর্থ কোম্পানির নিজস্ব মূলধন। ৪.ঋণপত্র বিক্রয়লব্ধ অর্থ কোম্পানির ঋণকৃত মূলধন। ৫.শেয়ারমালিকগণ ব্যবসায় হতে লভ্যাংশ পেয়ে থাকেন। ৫.ঋণপত্রের মালিকগণ ব্যবসায় হতে সুদ পেয়ে থাকেন। গ উদ্দীপকের কোম্পানিটি রাইট শেয়ার ইস্যু করতে চায়। কোম্পানি অধিকতর মূলধন সংগ্রহের উদ্দেশ্যে নতুন শেয়ার বিক্রির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে। এ সময় তারা পুরাতন শেয়ারহোল্ডারদের অগ্রাধিকার প্রদান করে। এ ধরনের শেয়ার রাইট শেয়ার নামে পরিচিত। উদ্দীপকের ‘রাইট কোং লি.’ অতিরিক্ত মূলধনের প্রয়োজন হওয়ায় তা সংগ্রহ করার জন্য পুরাতন শেয়ারহোল্ডারদের অগ্রাধিকার দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। কোম্পানিতে অধিক মূলধনের প্রয়োজন হলেই এ ধরনের শেয়ার ইস্যুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাছাড়া ভালো অবস্থায় থাকলে শেয়ার বাজারে তার শেয়ারের দামও বেশি থাকে। সে অবস্থায় নতুন ইস্যুকৃত শেয়ারে পুরাতন শেয়ার মালিকগণ তাদের স্বার্থ দাবি করতে পারেন। এরূপ দাবি পূরণের জন্যই কার্যত এ ধরনের শেয়ার বণ্টন পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। সুতরাং বলা যায়, উদ্দীপকের কোম্পানিটি রাইট শেয়ার ইস্যু করতে চায়। ঘ অতিরিক্ত দেনার দায়ে কোম্পানি পরিচালনা সম্ভব না হলে আদালত কর্তৃক বাধ্যতামূলক অবসান ঘটাতে পারে। শেয়ার মালিক, পাওনাদার বা কোম্পানির নিবন্ধকের আবেদনের প্রেক্ষিতে বা অন্য কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণে আদালত কোম্পানি বিলোপসাধনের নির্দেশ দিতে পারে। এরূপ ক্ষেত্রে নির্দেশপ্রাপ্ত কোম্পানির আদালত কর্তৃক বাধ্যতামূলক অবসান হয়ে থাকে। উদ্দীপকের ‘রাইট কোং লি.’ ব্যবসায়ের লোকসানের কারণে প্রতিষ্ঠানটির ৫ কোটি টাকা দেনা হয়ে যায় যা কোম্পানিটি পরিশোধে অক্ষম। এ অবস্থা নিরসনে কোম্পানিটি রাইট শেয়ার ইস্যুর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। কোম্পানি আইনের ২৪২ ধারার বিধান অনুযায়ী, পাঁচ হাজার টাকা বা এর বেশি পরিমাণ কোনো ঋণ পরিশোধে অক্ষম হলে ঐ কোম্পানির আদালতের নির্দেশানুযায়ী বাধ্যতামূলক বিলোপসাধন হয়। উদ্দীপকের কোম্পনিটির দেনা হয়েছে ৫ কোটি টাকা এবং তা পরিশোধেও কোম্পানিটি অক্ষম। সুতরাং, এখন আদালতের নির্দেশে কোম্পানিটি বাধ্যতামূলকভাবে অবসান ঘটাতে পারে । মমমপ্রশ্ন৩ রতন তার পাঁচ বন্ধুকে নিয়ে টাঙ্গাইলে ‘বিডি ফার্নিচার’ নামে একটি কারখানা গড়ে তোলেন। তাদের প্রাথমিক মূলধন ১০ কোটি টাকা। সবার প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠানটি দ্রুত সফলতার মুখ দেখে। পরবর্তীতে তারা প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নেন। এজন্য তারা ব্যাংক ঋণের পরিবর্তে জনগণের মাঝে শেয়ার বিক্রি করে মূলধন সংগ্রহ করতে চান। [কু. বো. ১৭] অ ক. বাণিজ্য কী? ১ অ খ. বিবরণপত্র বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা করো। ২ অ গ. উদ্দীপকে উলি­খিত ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানটি কোন ধরনের? ব্যাখ্যা করো। ৩ অ ঘ. তুমি কি মনে করো প্রতিষ্ঠানটি শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে মূলধন সংগ্রহ করতে পারবে? মতামত দাও। ৪ ৩ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক উৎপাদিত পণ্যসামগ্রী ভোক্তা কিংবা ব্যবহারকারীর কাছে পৌঁছানোর জন্য সম্পাদিত যাবতীয় (ক্রয়, বিক্রয়, পরিবহন) কাজকে বাণিজ্য বলে। খ পাবলিক

এইচএসসি ব্যবসায় উদ্যোগ পঞ্চম অধ্যায় যৌথ মূলধনী ব্যবসায় সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর Read More »

এইচএসসি ব্যবসায় উদ্যোগ চতুর্থ অধ্যায় অংশীদারি ব্যবসায় সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

অধ্যায়-৪ অংশীদারি ব্যবসায় গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর প্রশ্ন১ রনি, জনি ও তাদের আরও ৫ বন্ধু মিলে সমঝোতার ভিত্তিতে একটি কম্পিউটার ব্যবসায় শুরু করলেন। সুমি কম্পিউটার বিষয়ক জ্ঞানে পারদর্শী। সে কারণে এ ব্যবসায়ে তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কিন্তু সুমি কোনো মূলধন সরবরাহ করেনি। হঠাৎ রনি পাগল হয়ে গেলে তাদের ব্যবসায়টি জটিলতার সম্মুখীন হয়। [দি. বো. ১৭] অ ক. ঘুমন্ত অংশীদার কাকে বলে? ১ অ খ. নাবালক কি অংশীদার হতে পারে? ব্যাখ্যা করো। ২ অ গ. উদ্দীপকের সুমি কোন ধরনের অংশীদার? ব্যাখ্যা করো। ৩ অ ঘ. রনি পাগল হওয়ায় ব্যবসায়টির কীরূপ বিলোপসাধন ঘটবে? তোমার মতামত দাও। ৪ ১ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক যে অংশীদার ব্যবসায়ে মূলধন সরবরাহ করে এবং লাভ-লোকসান ভোগ করে, কিন্তু অধিকার থাকা সত্তে¡ও ব্যবসায় পরিচালনায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে না তাকে ঘুমন্ত বা নি®িক্রয় অংশীদার বলে। খ আইন অনুযায়ী নাবালক অংশীদার হিসেবে গণ্য হতে পারে না। অংশীদারি আইনের ৩০(১) ধারায় বলা হয়েছে যে, কোনো নাবালক আইনানুযায়ী অংশীদার হওয়ার যোগ্য নয়। কিন্তু সব অংশীদার সম্মত হলে সাবালকত্ব প্রাপ্তি পর্যন্ত নাবালককে অংশীদারি ব্যবসায়ের সুবিধা দেওয়া যেতে পারে। সেক্ষেত্রে নাবালক বিনিয়োগকৃত মূলধন পর্যন্ত দায় বহন করবে। গ উদ্দীপকের সুমি একজন কর্মী অংশীদার। কর্মী অংশীদার ব্যবসায়ে কোনো মূলধন বিনিয়োগ করে না। শুধু নিজস্ব শ্রম ও দক্ষতা দিয়ে ব্যবসায়ে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে। চুক্তি অনুযায়ী এরা অন্যান্য অংশীদারের ন্যায় ব্যবসায়ের লাভ-ক্ষতিতে অংশ নেয় এবং অসীম দায় বহনেও বাধ্য থাকে। উদ্দীপকের রনি, জনি ও তাদের ৫ বন্ধু মিলে সমঝোতার ভিত্তিতে একটি কম্পিউটার ব্যবসায় শুরু করলেন, যা অংশীদারি ব্যবসায় হিসেবে গঠিত হয়েছে। সুমি কম্পিউটার বিষয়ক জ্ঞানে পারদর্শী। এ কারণে তাকে ব্যবসায়ের অংশীদার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এক্ষেত্রে সে কোনো মূলধন বিনিয়োগ করেনি। শুধু নিজস্ব কর্মদক্ষতার জন্যই এ ব্যবসায়ে তাকে অংশীদার করা হয়েছে। যাতে ব্যবসায়টি দক্ষভাবে চলে এবং অধিক মুনাফা অর্জন করতে সক্ষম হয়। অন্যান্য অংশীদারের মতোই সে ব্যবসায়ের লাভে অংশগ্রহণ করে। এসব বৈশিষ্ট্য কর্মী অংশীদারের কার্যক্রমের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। সুতরাং বলা যায়, উদ্দীপকের সুমি একজন কর্মী অংশীদার। ঘ উদ্দীপকের রনি পাগল হওয়ায় ব্যবসায়টি আদালতের নির্দেশে বিলোপসাধন হবে। আদালতের নির্দেশে অংশীদারি ব্যবসায়ের বিলোপসাধন হতে পারে। সাধারণত কোনো অংশীদার পাগল হলে বা মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটলে কিংবা ব্যবসায় পরিচালনায় স্থায়ীভাবে অক্ষম হলে আদালত ঐ ব্যবসায় বিলোপসাধনের নির্দেশ দেয়। উদ্দীপকের রনি, জনি ও তাদের ৫ বন্ধু মিলে সমঝোতার ভিত্তিতে একটি অংশীদারি ব্যবসায় গঠন করেছেন। হঠাৎ রনি পাগল হয়ে গেলে তাদের ব্যবসায়টি পরিচালনায় জটিলতার সম্মুখীন হয়। উদ্দীপকের অংশীদারি ব্যবসায়ে রনি একজন অংশীদার। তার মস্তিষ্ক বিকৃতি হওয়ায় সে প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় অক্ষম হয়ে পড়ে। অন্য অংশীদারগণও আইনানুযায়ী ব্যবসায় চালাতে পারবেন না। অংশীদারি আইনের ৪৪ ধারা অনুযায়ী, কোনো অংশীদারের মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটলে আদালতের নির্দেশে ঐ ব্যবসায়ের বিলোপসাধন হয়। এ অবস্থায় আদালতের নির্দেশেই এ ব্যবসায়ের বিলোপসাধন করতে হবে। সুতরাং বলা যায়, রনি পাগল হওয়ায় ব্যবসায়টির আদালতের নির্দেশেই বিলোপ ঘটবে। মমমপ্রশ্ন২ রফিক, শফিক ও করিম একটি অংশীদারি ব্যবসায়ের সদস্য। রফিক ব্যবসায়ে মূলধন বিনিয়োগ করেন ও পরিচালনায়ও অংশগ্রহণ করেন। শফিক মূলধন বিনিয়োগ করেন কিন্তু পরিচালনায় অংশগ্রহণ করেন না। করিম মূলধন বিনিয়োগ করেন না আবার পরিচালনায়ও অংশ নেন না। তবে ব্যবসায়ে তার যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। হঠাৎ রফিক মস্তিষ্ক বিকৃতির কারণে কর্তব্য পালনে স্থায়ীভাবে অসমর্থ হন। [কু. বো., চ. বো. ১৭] অ ক. ক্রেডিট কার্ড কী? ১ অ খ. ই-ব্যাংকিং বলতে কী বোঝ? ২ অ গ. করিম কোন ধরনের অংশীদার? ব্যাখ্যা করো। ৩ অ ঘ. উলি­খিত অংশীদারি ব্যবসায় টিকে থাকার সম্ভাবনা কতটুকু? যুক্তিসহ লেখো। ৪ ২ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক চুম্বকীয় শক্তিসম্পন্ন যে প্লাস্টিক কার্ড ব্যাংক তার গ্রাহকদের অর্থ উত্তোলন, ঋণ সুবিধা প্রদানসহ বাকিতে পণ্যদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য সরবরাহ করে তাকে ক্রেডিট কার্ড বলে। খ আধুনিক ইলেকট্রনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে অতি দ্রুত, নির্ভুল ও বিস্তৃত ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করাকে ই-ব্যাংকিং বলে। ইন্টারনেট নির্ভর কম্পিউটার প্রযুক্তি ব্যবহার করে সার্বক্ষণিক ব্যাংকিং সুবিধা প্রদান করা যায়। এক্ষেত্রে স্বল্প সময়ে ও ব্যয়ে অর্থ জমা, উত্তোলন, স্থানান্তর এবং লেনদেনের তথ্য পাওয়া যায়। আবার ই-ব্যাংকিং-এর মাধ্যমে অঞগ (অঁঃড়সধঃবফ ঞবষষবৎ গধপযরহব) কার্ড ব্যবহার করে ২৪ ঘণ্টা ব্যাংকের বুথ থেকে লেনদেনের সুবিধা প্রদান পাওয়া যায়। গ উদ্দীপকের করিম একজন নামমাত্র অংশীদার। নামমাত্র অংশীদার মূলধন, শ্রম ও দক্ষতা কিছুই বিনিয়োগ করে না শুধু তার নামটি ব্যবসায়ের কাজে ব্যবহারের অনুমতি দেন। তবে অন্যান্য অংশীদারের মতো অসীম দায় বহনে তিনি বাধ্য থাকেন না। উদ্দীপকের রফিক, শফিক ও করিম একটি অংশীদারি ব্যবসায়ের সদস্য। ব্যবসায়টিতে করিম মূলধন বিনিয়োগ করেননি। আবার ব্যবসায় পরিচালনায়ও অংশ নেন না। কিন্তু ব্যবসায়ে তার যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। যা তিনি ব্যবসায়ে ব্যবহারের অনুমতি দেন। তার সুনাম বা খ্যাতি ব্যবহার করেই ব্যবসায়ে অধিক মুনাফা অর্জনে সমর্থ হয়। এজন্যই তাকে অংশীদার হিসেবে নেওয়া হয়েছে। এসব কার্যক্রম নামমাত্র অংশীদারের বৈশিষ্ট্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। সুতরাং বলা যায়, করিম একজন নামমাত্র অংশীদার। ঘ উলি­খিত অংশীদারি ব্যবসায় আদালতের নির্দেশে বিলোপসাধন করতে হবে বলে এর টিকে থাকার সম্ভাবনা নেই। আদালতের নির্দেশে অংশীদারি ব্যবসায় বিলোপসাধন হতে পারে। সাধারণত কোনো অংশীদার পাগল হলে বা মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটলে কিংবা ব্যবসায় পরিচালনায় স্থায়ীভাবে অক্ষম হলে আদালত ঐ ব্যবসায় বিলোপসাধনের নির্দেশ দেয়। উদ্দীপকের রফিক, শফিক ও করিম একটি অংশীদারি ব্যবসায়ের সদস্য। তারা প্রত্যেকেই সক্রিয় অংশীদার ছিলেন। হঠাৎ রফিক মস্তিষ্ক বিকৃতির কারণে কর্তব্য পালনে স্থায়ীভাবে অক্ষম হন। অংশীদারি আইনের ৪৪ ধারা অনুযায়ী কোনো অংশীদারের মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটলে ঐ ব্যবসায় আদালতের নির্দেশে বিলোপসাধন করতে হয়। রফিকের মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটায় তিনি ব্যবসায় পরিচালনায় ও দায় পরিশোধে অসমর্থ। এ অবস্থায় ব্যবসায়টি পরিচালনা করা সম্ভব নয় বলে আদালতের নির্দেশে ব্যবসায়টির বিলোপ ঘটবে। তাই বলা যায়, উক্ত অংশীদারি ব্যবসায়টির টিকে থাকার আর কোনো সম্ভাবনা নেই। মমমপ্রশ্ন৩ শফিক, আজিম ও রনি পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে একটি গৃহনির্মাণ ফার্ম গঠন করার পরিকল্পনা করেন। তারা উক্ত ফার্মে প্রকৌশলী রফিকের সুনাম ব্যবহার করার জন্য তাকে অংশীদার হিসেবে গ্রহণ করেন। চুক্তি অনুযায়ী তিনি উক্ত ব্যবসায়ে মূলধন, শ্রম বা দক্ষতা কিছুই বিনিয়োগ করেন না। কিন্তু মুনাফা ভোগ করেন এবং তিনি ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত দায় বহন করবেন। তিন বছর পর আজিম দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন। তার ১৫ বছর বয়সী সন্তান তামীমকে তারা অংশীদার হিসেবে গ্রহণ করে। পরবর্তী দুই বছরের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির দশ লক্ষ টাকা দায় সৃষ্টি হয়। প্রতিষ্ঠানের সম্পদ ও মূলধনসহ মোট দুই লক্ষ টাকা দায় মিটানো সম্ভব। অবশিষ্ট দায় মিটানোর জন্য শফিক ও রনি দুই লক্ষ টাকা করে চার লক্ষ টাকা প্রদান করে এবং রফিক ও তামীমকে দুই লক্ষ টাকা করে প্রদান করার জন্য চিঠি দেওয়া হয়। [সি. বো. ১৭] অ ক. ঘুমন্ত অংশীদার কী? ১ অ খ. চুক্তিকে অংশীদারি ব্যবসায়ের মূল ভিত্তি বলা হয় কেন? ২ অ গ. উদ্দীপকে উলি­খিত অংশীদারি ব্যবসায়ের ধরন ব্যাখ্যা করো। ৩ অ ঘ. উদ্দীপকে দায় মেটানোর জন্য রফিক ও তামীমকে প্রদত্ত চিঠির যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ করো। ৩ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক যে

এইচএসসি ব্যবসায় উদ্যোগ চতুর্থ অধ্যায় অংশীদারি ব্যবসায় সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর Read More »

এইচএসসি ব্যবসায় উদ্যোগ তৃতীয় অধ্যায় একমালিকানা ব্যবসায় সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

অধ্যায়-৩ একমালিকানা ব্যবসায় গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর প্রশ্ন১ জনাব শফিক তার নিজস্ব কারখানায় মানসম্মত চামড়ার জুতা উৎপাদন করে বিভিন্ন বৃহদায়তন শিল্প কারখানায় সরবরাহ করে থাকেন। তাকে সহযোগিতা করার জন্য তার দুই বন্ধু শ্যামল ও সজল উক্ত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। জনাব শফিকের উৎপাদিত জুতা মানসম্মত হওয়ায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তা ব্যাপকভাবে সমাদৃত। তিনি তার বন্ধুদের সহযোগিতায় নিজস্ব তত্ত¡াবধানের মাধ্যমে উৎপাদনকার্য পরিচালনা করেন। তিনি এখন আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের পরিকল্পনা করছেন। [ঢা. বো. ১৭] অ ক. ব্যবসায় কী? ১ অ খ. ব্যবসায়ে অসীম দায় বলতে কী বোঝ? ২ অ গ. জনাব শফিকের ব্যবসায়টি কোন ধরনের সংগঠন? ব্যাখ্যা করো। ৩ অ ঘ. জনাব শফিকের ব্যবসায়টি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কী ধরনের ভ‚মিকা রাখতে পারে? মতামত দাও। ৪ ১ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে বৈধভাবে পরিচালিত যাবতীয় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে ব্যবসায় বলে। খ ব্যবসায়ে অসীম দায় বলতে মালিকের বিনিয়োগকৃত নিজস্ব মূলধনের বাইরেও দায় সৃষ্টি হওয়াকে বোঝায়। ব্যবসায়ের দেনার জন্য মালিকের বিনিয়োগকৃত মূলধন ও ব্যক্তিগত সম্পত্তি দায়বদ্ধ থাকে। বিনিয়োগকৃত মূলধন দ্বারা দায় পরিশোধ করা সম্ভব না হলে মালিকের ব্যক্তিগত সম্পত্তি বিক্রি করে দেনা শোধ করতে হয়। একমালিকানা ও অংশীদারি ব্যবসায়ের মালিককে সাধারণত অসীম দায় বহন করতে হয়। গ উদ্দীপকের জনাব শফিকের ব্যবসায়টি একমালিকানা ব্যবসায় সংগঠন। একক মালিকানায় গঠিত, পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত ব্যবসায় হলো একমালিকানা ব্যবসায়। এ ব্যবসায়ে মালিক নিজেই মূলধনের ব্যবস্থা করেন। সীমিত মূলধনের মাধ্যমেই এ ব্যবসায় গঠন করা যায়। ব্যবসায়ের সব মুনাফা মালিক একাই ভোগ করেন। উদ্দীপকের জনাব শফিক তার নিজস্ব কারখানায় মানসম্মত চামড়ার জুতা উৎপাদন করেন। পরে উৎপাদিত জুতা বিভিন্ন বৃহদায়তন শিল্প কারখানায় সরবরাহ করে থাকেন। তাকে সহযোগিতা করার জন্য তার দুই বন্ধু শ্যামল ও সজল উক্ত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন। তারা নির্দিষ্ট পারিশ্রমিকের বিনিময়ে এখানে নিযুক্ত আছেন। এরা লাভ-ক্ষতিতে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পান না, শুধু ব্যবসায়িক কাজে সহযোগিতা করতে পারেন। জনাব শফিকই ব্যবসায়ের একমাত্র নিয়ন্ত্রণকারী। তিনি একাই মুনাফা ভোগ করেন। সুতরাং বলা যায়, জনাব শফিক একমালিকানা ব্যবসায় পরিচালনা করছেন। ঘ জনাব শফিকের একমালিকানা ব্যবসায়টি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইতিবাচক অবদান রাখতে পারে। একমালিকানা ব্যবসায়ে মালিক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সঞ্চয়কে মূলধন হিসেবে বিনিয়োগ করে ব্যবসায় গঠন করে। এতে দেশের আয় ও সম্পদ বৃদ্ধির সুযোগ সৃষ্টি হয়। ফলে দেশের সুষম অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়। উদ্দীপকের জনাব শফিক তার নিজস্ব কারখানায় মানসম্মত চামড়ার জুতা উৎপাদন করে বিভিন্ন বৃহদায়তন শিল্পে সরবরাহ করেন। তার এ কারখানাটি একমালিকানা ব্যবসায়ের অন্তর্ভুক্ত। এখানে উৎপাদিত জুতা মানসম্মত হওয়ায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তা ব্যাপকভাবে সমাদৃত। তাই তিনি এখন আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের পরিকল্পনা করছেন। জনাব শফিক উৎপাদিত জুতা যদি আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি করেন তাহলে তিনি বিদেশ থেকে প্রচুর পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবেন। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন আমাদের দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখবে। তিনি বিশ্ববাজারে মানসম্মত পণ্য উৎপাদনের জন্য সমাদৃত হবেন। ফলে বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে। তার ব্যবসায়িক সাফল্য অনেককেই এরূপ ব্যবসায় গঠনে উৎসাহিত করবে। এতে দেশে কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগ তৈরি হবে। এভাবে জনাব শফিকের গঠিত একমালিকানা ব্যবসায় দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখবে। মমমপ্রশ্ন২ সালাম কলেজের নিকট একটি স্টেশনারি দোকান পরিচালনা করে। সততা ও দক্ষতার কারণে তার ব্যবসায়টি খুব লাভজনক হয়ে ওঠে। তাই সে এর পাশাপাশি একটি ফটোকপি মেশিন ও কম্পিউটার ক্রয় করে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকে। এজন্য সে মাসিক নির্দিষ্ট টাকার বিনিময়ে তার ভাইকে এ কাজে নিযুক্ত করে। বছরান্তে সালামের ভাই মুনাফা দাবি করে। [দি. বো. ১৭] অ ক. একমালিকানা ব্যবসায় কাকে বলে? ১ অ খ. একমালিকানা ব্যবসায়ে স্থায়িত্বের অভাব কেন? ২ অ গ. উদ্দীপকে সালামের ব্যবসায়টি কোন প্রকৃতির? বিশ্লেষণ করো। ৩ অ ঘ. সালামের ভাইয়ের মুনাফা দাবির যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ করো। ৪ ২ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক কোনো ব্যক্তি এককভাবে ব্যবসায় গঠন ও নিয়ন্ত্রণ, মূলধন সরবরাহ, ঝুঁকি ও পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ এবং মুনাফা বা ক্ষতি একাই ভোগ করলে তাকে একমালিকানা ব্যবসায় বলে। খ একক মালিকানায় গঠিত, পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত সংগঠনকে একমালিকানা ব্যবসায় বলে। একমালিকানা ব্যবসায়ের স্থায়িত্ব মালিকের ইচ্ছা-অনিচ্ছার ওপর নির্ভর করে। মালিকের মৃত্যু, শারীরিক অসুস্থতা, দেউলিয়া হয়ে যাওয়া ইত্যাদি কারণেও ব্যবসায় যেকোনো সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তাই একমালিকানা ব্যবসায়ে স্থায়িত্বের অভাব পরিলক্ষিত হয়। গ উদ্দীপকের সালামের ব্যবসায়টি একমালিকানা ব্যবসায়। একক ব্যক্তির মালিকানায় প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত ব্যবসায় হলো একমালিকানা ব্যবসায়। যে কেউ স্বল্প পুঁজি নিয়ে সহজেই এ ব্যবসায় গঠন ও পরিচালনা করতে পারে। প্রয়োজনে কর্মচারী সাথে নিয়ে ব্যবসায় চালায়। তবে লাভ-ক্ষতি মালিক একাই বহন করে। উদ্দীপকের সালাম কলেজের নিকটে একটি স্টেশনারি দোকান পরিচালনা করে। সততা ও দক্ষতার কারণে তার ব্যবসায়টি খুব লাভজনক হয়ে ওঠে। সালাম তার এ ব্যবসায়টি একাই পরিচালনা করে এবং তার ব্যবসায়ের পরিধিও সীমিত। স্বল্প পরিসরে ও উপযুক্ত স্থানে গঠিত বলে সে এ ব্যবসায়ে দ্রুত সাফল্য অর্জন করতে পেরেছে। এসব বৈশিষ্ট্য একমালিকানা ব্যবসায়ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। সুতরাং বলা যায়, সালামের পরিচালিত ব্যবসায়টি প্রকৃতিগতভাবে একমালিকানা ব্যবসায়ের অন্তর্ভুক্ত। ঘ উদ্দীপকের সালামের ভাই ব্যবসায়টির মালিক নয় বলে তার মুনাফা দাবির বিষয়টি অযৌক্তিক। একমালিকানা ব্যবসায়ের মালিক নিজ দায়িত্বে ব্যবসায়ের অর্থসংস্থান করে। প্রয়োজনে কর্মচারী সাথে নিয়ে ব্যবসায় পরিচালনা করে। তবে মুনাফা বা ক্ষতি উভয়ই মালিক একাই বহন করে। উদ্দীপকের সালামের স্টেশনারি দোকানটি তার সততা ও দক্ষতার কারণে খুব লাভজনক হয়ে ওঠে। তাই সে এর পাশাপাশি একটি ফটোকপি মেশিন ও কম্পিউটার ক্রয় করে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকে। এজন্য সে মাসিক নির্দিষ্ট টাকার বিনিময়ে তার ভাইকে এ কাজে নিযুক্ত করে। বছরান্তে তার ভাই মুনাফা দাবি করে। এখানে সালাম ব্যবসায়িক কাজের সহায়তার জন্য তার ভাইকে নিযুক্ত করে। তার ভাই যেহেতু এ ব্যবসায়ে কোনো মূলধন বিনিয়োগ করেনি, তাই সে এ ব্যবসায়ের বিনিয়োগকারী বা অংশীদার নয়। একমালিকানা ব্যবসায়ে মালিক তার লাভের সম্পূর্ণ অংশ একাই ভোগ করে। তাই এক্ষেত্রে সালামের ভাই মুনাফার কোনো অংশ পাওয়ার অধিকার রাখে না। সুতরাং বলা যায়, বছর শেষে উক্ত মুনাফা দাবি করা তার জন্য সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। মমমপ্রশ্ন৩ মি. রহমান একজন ফল ব্যবসায়ী। ঢাকার কাওরান বাজারে তার আড়ত রয়েছে। তিনি নিজেই তার ব্যবসায়ের যাবতীয় কাজ তদারকি করেন। তিনি কখনো আম, কাঁঠাল, তরমুজ বিক্রি করেন। আবার কখনো আনারস, আপেল ও খেজুর বিক্রি করেন। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ফল ব্যবসায়ীদের নিকট তিনি একজন জনপ্রিয় ব্যবসায়ী। তিনি সবসময় একটি নীতি মেনে চলেন, তাহলো ‘সৎ ব্যবসায়ী সবসময়ই সুখী।’ [চ. বো. ১৭] অ ক. প্রত্যক্ষ সেবা কী? ১ অ খ. পরিবেশ দূষণ বলতে কী বোঝ? ২ অ গ. মি. রহমানের ব্যবসায়টি কোন ধরনের? ব্যাখ্যা করো। ৩ অ ঘ. মি. রহমানের ব্যবসায়ের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর কি দীর্ঘদিন টিকে থাকা সম্ভব? মতামত দাও। ৪ ৩ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক গ্রাহকদের প্রত্যক্ষভাবে সেবাকর্ম প্রদানের বিনিময়ে অর্থ উপার্জন করাকে প্রত্যক্ষ সেবামূলক ব্যবসায় বলে। যেমন: ডাক্তারি, ওকালতি। খ প্রাকৃতিক বিভিন্ন উপাদানের (পানি,বায়ু ও মাটি) সাথে জীবনের যে স্বাভাবিক ভারসাম্য বিদ্যমান, কোনো কারণে তা ব্যাহত হলে বা প্রকৃতিতে তার নেতিবাচক প্রভাব প্রতিফলিত

এইচএসসি ব্যবসায় উদ্যোগ তৃতীয় অধ্যায় একমালিকানা ব্যবসায় সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর Read More »

এইচএসসি ব্যবসায় উদ্যোগ দ্বিতীয় অধ্যায় ব্যবসায় পরিবেশ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

অধ্যায়-২ ব্যবসায় পরিবেশ গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর প্রশ্ন১ গণি মিয়া কৃষক পরিবারের কর্মঠ ছেলে। নদী বিধৌত পদ্মার পাড়ে তারা বাস করতো। জমিতে পলি থাকায় সেখানে প্রচুর ফসল উৎপন্ন হতো। ফলে তারা সচ্ছল জীবিকা নির্বাহ করতো। বন্যায় নদীভাঙনের ফলে গত বছর গণি মিয়াদের ভিটেমাটি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ায় তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তার ব্যবসায় করার ইচ্ছা ছিল। ব্যাংক ঋণ না পেয়ে তিনি ইটের ভাটায় কাজ শুরু করেন। পরবর্তীতে নদীভাঙন এলাকায় সরকার ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করলে গণি মিয়াদের আর্থিক অবস্থার উন্নতি হয়। [ঢা. বো. ১৭] অ ক. প্রযুক্তিগত পরিবেশ কী? ১ অ খ. সামাজিক পরিবেশ বলতে কী বোঝ? ২ অ গ. গণি মিয়াদের মানবেতর জীবনযাপনের ওপর কোন পরিবেশের প্রভাব ছিল? ব্যাখ্যা করো। ৩ অ ঘ. সরকারি নীতিমালা প্রণয়নের কারণে গণি মিয়ার মতো যুবকদের আর্থিক অবস্থার উন্নয়ন কি সম্ভব? মতামত দাও। ৪ ১ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষা, বিজ্ঞান সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ ও গবেষণা, উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার, প্রযুক্তি আমদানির সুযোগÑ এসব নিয়ে একটি দেশের অভ্যন্তরে সৃষ্ট পরিবেশকে প্রযুক্তিগত পরিবেশ বলে। খ সমাজে বসবাসরত মানুষের সংখ্যা, শিক্ষা ব্যবস্থা, বেকারত্ব, রীতি-নীতি, যা জীবনধারণে প্রভাব বিস্তার করে তাকে সামাজিক পরিবেশ বলে। সামাজিক পরিবেশের উপাদানগুলো মূলত মানুষের কার্যক্রম দ্বারা প্রভাবিত হয়। এ পরিবেশ ব্যবসায়ের আয় ও লাভ-লোকসানকে প্রভাবিত করে। গ উদ্দীপকের গণি মিয়াদের মানবেতর জীবনযাপনের ওপর প্রাকৃতিক পরিবেশের প্রভাব ছিল। কোনো দেশের প্রকৃতির বিভিন্ন উপাদান নিয়ে তার প্রাকৃতিক পরিবেশ গঠিত হয়। সাধারণত দেশভেদে প্রাকৃতিক পরিবেশ আলাদা হয়ে থাকে। দেশের জলবায়ু, ভ‚-প্রকৃতি, মৃত্তিকা, নদ-নদী, সাগর এসবের সমন্বয়ে এ পরিবেশ গঠিত। এসব উপাদানের পার্থক্যহেতু দেশের ব্যবসায় কার্যকলাপ ও মানুষের জীবনধারণও ভিন্নতর হতে পারে। উদ্দীপকের গণি মিয়ারা নদী বিধৌত পদ্মার পাড়ে বাস করতেন। জমিতে পলি থাকায় তারা সেখানে প্রচুর ফসল উৎপাদন করতে পারতেন। এর ফলে তারা সচ্ছল জীবিকা নির্বাহ করতেন। বন্যায় নদীভাঙনের ফলে গত বছর তাদের ভিটেমাটি নদীতে বিলীন হওয়ায় তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। মানুষ এরূপ প্রতিক‚ল পরিবেশকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। প্রকৃতিগত কারণেই এরূপ নদীভাঙন হয়েছে। পরিবেশের এরূপ প্রতিক‚ল ভ‚-প্রকৃতিগত অবস্থা প্রাকৃতিক পরিবেশের উপাদান। সুতরাং গণি মিয়াদের মানবেতর জীবনযাপনের ওপর প্রাকৃতিক পরিবেশেরই প্রভাব ছিল। ঘ রাজনৈতিক পরিবেশের আওতায় সরকারি নীতিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে গণি মিয়ার মতো যুবকদের আর্থিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব বলে আমি মনে করি। দেশের রাজনৈতিক উপাদান নিয়ে এ পরিবেশ গঠিত হয়। সরকারের স্থিতিশীলতা, নীতিমালা, দেশের সার্বভৌমত্ব, রাজনৈতিক দল, নেতৃত্ব, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এ পরিবেশের উপাদান। উন্নত ও সহনশীল রাজনৈতিক পরিবেশ দেশের ব্যবসায়ের জন্য সহায়ক। উদ্দীপকে গণি মিয়াদের অঞ্চলে নদীভাঙনে তাদের ভিটেমাটি নদীতে বিলীন হয়ে যায়। তারপর ব্যবসায় করার ইচ্ছা থাকলেও ব্যাংক ঋণ না পেয়ে তিনি ইটভাটায় কাজ নেন। পরবর্তী সময়ে সরকারি নীতিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে নদীভাঙন এলাকায় সরকার ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করে। এ সরকারি নীতিমালা রাজনৈতিক পরিবেশের উপাদান। গণি মিয়াদের মতো এদেশে অসংখ্য যুবক আছেন যারা সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণের অভাবে ব্যবসায় করতে পারেন না। সরকার যদি ব্যবসায়-বান্ধব নীতিমালা প্রণয়ন করে তাহলে এ যুবকরা সহজভাবে ব্যবসায় শুরু করতে পারবেন। এতে অনেক লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। এভাবে তারা নিজেদের অর্থনৈতিক উন্নতি সাধন করতে পারবেন। তাদের মাধ্যমে বেকার যুবকদেরও কর্মের ব্যবস্থা হবে। এর ফলে তারা পারিবারিক আয়ের উৎস বাড়াতে পারবেন। সুতরাং বলা যায়, সরকারি নীতিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে গণি মিয়ার মতো যুবকদের আর্থিক অবস্থার উন্নয়ন সম্ভব। মমমপ্রশ্ন২ বাংলাদেশে রয়েছে প্রচুর জনশক্তি। এ জনশক্তি ও সস্তা শ্রমিকের ওপর নির্ভর করে গড়ে ওঠেছে পোশাক শিল্প। বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের বিদেশে যথেষ্ট সুনাম আছে। তবে পোশাক শিল্পে অনেক সমস্যাও আছে। এসব সমস্যার কারণে এ শিল্পের উন্নয়ন কিছুটা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। [রা. বো. ১৭] অ ক. অর্থনৈতিক পরিবেশ কী? ১ অ খ. সামাজিক পরিবেশ বলতে কী বোঝায়? ২ অ গ. বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের উন্নয়নে কোন পরিবেশ সবচেয়ে বেশি ভ‚মিকা পালন করছে? ব্যাখ্যা করো। ৩ অ ঘ. উদ্দীপকের আলোকে পোশাক শিল্পের উন্নয়নে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত? মতামত দাও। ৪ ২ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক কোনো দেশের অর্থ ও ঋণ ব্যবস্থা, জনগণের আয় ও সঞ্চয়, বিনিয়োগ, মূলধন, জনসম্পদ এসব উপাদানের ওপর ভিত্তি করে যে পরিবেশের সৃষ্টি হয় তাকে অর্থনৈতিক পরিবেশ বলে। খ সমাজে বসবাসরত মানুষের সংখ্যা, শিক্ষা ব্যবস্থা, বেকারত্ব, রীতি-নীতি এসব উপাদান নিয়ে যে পরিবেশের সৃষ্টি হয় তাকে সামাজিক পরিবেশ বলে। সামাজিক পরিবেশের উপাদানগুলো মূলত মানুষের সৃষ্টি এবং মানুষের কার্যক্রম দ্বারা প্রভাবিত হয়। এটি ব্যবসায়ের আয়, লাভ-লোকসানকে নানাভাবে প্রভাবিত করে। গ বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের উন্নয়নে অর্থনৈতিক পরিবেশ সবচেয়ে বেশি ভ‚মিকা পালন করছে। অর্থনৈতিক উপাদান নিয়ে যে পরিবেশ গঠিত হয় তাই হলো অর্থনৈতিক পরিবেশ। জনগণের আয় ও সঞ্চয়, অর্থ ও ঋণ ব্যবস্থা, বিনিয়োগ, মূলধন, জনসম্পদ এ পরিবেশের উপাদান। যে দেশের অর্থনৈতিক পরিবেশ যত ভালো, সে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য তত অগ্রগতি লাভ করতে পারে। উদ্দীপকে উলে­খ্য, বাংলাদেশে প্রচুর জনশক্তি রয়েছে। এখানে জনশক্তি ও সস্তা শ্রমিকের ওপর নির্ভর করে পোশাক শিল্প গড়ে ওঠেছে। বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের বিদেশে যথেষ্ট সুনাম আছে। এ জনশক্তি ও সস্তা শ্রমিক হলো দেশের ‘মানবসম্পদ’। এ সম্পদকে কাজে লাগিয়ে দেশের পোশাক শিল্পের সব কাজ করানো হচ্ছে। এদেশে তৈরি পোশাক বর্তমানে বাইরের দেশেও জনপ্রিয় হচ্ছে। এ মানবসম্পদ অর্থনৈতিক পরিবেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। সুতরাং বলা যায়, বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের উন্নয়নে মূলত অথনৈতিক পরিবেশই অবদান রাখছে। ঘ বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের উন্নয়নে এখানকার অর্থনৈতিক পরিবেশকে আরও উন্নত করা উচিত বলে আমি মনে করি। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিবেশের কিছু উপাদান যেমন: মূলধন স্বল্পতা, সুদের উচ্চহার, শ্রমিকদের কম আয় পোশাক শিল্পের উন্নয়নের পথে বড় ধরনের বাধা হয়ে আছে। এসব সমস্যা দূর করা গেলে এ শিল্পের দ্রুত উন্নয়ন আশা করা যায়। উদ্দীপকে উলে­খ্য, জনশক্তি ও সস্তা শ্রমিকের ওপর নির্ভর করে এদেশে পোশাক শিল্প গড়ে ওঠেছে। এ শিল্প বিদেশে বেশ সুনামও অর্জন করেছে। তবে নানা সমস্যার কারণে এ শিল্পের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য পোশাক শিল্পের শ্রমিকদেরকে ন্যায্য পারিশ্রমিকের ব্যবস্থা করতে হবে। এক্ষেত্রে জনগণের মাথাপিছু আয় বাড়িয়ে তাদের সঞ্চয় ও মূলধন গঠনের সামর্থ্য বাড়াতে হবে। এছাড়া শেয়ারবাজারকে গতিশীল করা গেলে তা মূলধন সংস্থানে ভ‚মিকা রাখতে পারে। ব্যাংকগুলোতে সুদের উচ্চহার কমাতে হবে, যাতে ঋণ নিতে দক্ষ ব্যবসায়ী বা শিল্প উদ্যোক্তাগণ উৎসাহিত হন। এভাবে অর্থনৈতিক উপাদানসমূহের উন্নয়নের মাধ্যমে পোশাক শিল্পের উন্নয়ন সম্ভব। মমমপ্রশ্ন৩ খুলনার বাসিন্দা রাজিব একজন কৃষক। তার জমিতে প্রচুর ফসল উৎপাদিত হতো। এসব ফসল বিক্রি করে তিনি স্বাচ্ছন্দ্যে জীবনযাপন করতেন। কিন্তু লবণাক্ততার কারণে তার জমিতে কয়েক বছর যাবত উৎপাদন ব্যাপকভাবে কমে যাওয়ায় তিনি নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। বর্তমানে রাজিব কৃষিকাজ ছেড়ে একটি দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করছেন। [রা. বো., কু. বো. ১৭] অ ক. ইঝঞও-এর পূর্ণরূপ কী? ১ অ খ. শিল্প বলতে কী বোঝায়? ২ অ গ. রাজিবের পেশা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে কোন পরিবেশের উপাদান প্রভাব ফেলেছে? ব্যাখ্যা করো। ৩ অ ঘ. বাংলাদেশে রাজিবের মতো অনেক ব্যক্তির পেশা পরিবর্তনের কারণ বিশ্লেষণ করো। ৪ ৩

এইচএসসি ব্যবসায় উদ্যোগ দ্বিতীয় অধ্যায় ব্যবসায় পরিবেশ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর Read More »

Scroll to Top