এইচএসসি

এইচএসসি বাংলা আমার পথ সৃজনশীল ও জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর

আমার পথ কাজী নজরুল ইসলাম লেখক পরিচিতি নাম ও উপাধি প্রকৃত নাম : কাজী নজরুল ইসলাম। ডাক নাম : দুখু মিয়া উপাধি : বিদ্রোহী কবি জন্ম পরিচয় জন্ম তারিখ : ২৫ মে, ১৮৯৯; ১১ জ্যৈষ্ঠ, ১৩০৬। জন্মস্থান : পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রাম। পিতৃ ও মাতৃ পরিচয় পিতার নাম : কাজী ফকির আহমেদ। মাতার নাম : জাহেদা খাতুন। প্রাথমিক শিক্ষা : গ্রামের মক্তব থেকে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। শিক্ষাজীবন মাধ্যমিক শিক্ষা : প্রথমে রাণীগঞ্জের সিয়ারসোল স্কুল,পরে মারখুন উচ্চ ইংরেজি স্কুল, অতঃপর ১৯১৪ সালে ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশালের দরিরামপুর স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি হন। এক বছর পর তিনি পুনরায় নিজের গ্রামে ফিরে যান এবং ১৯১৫ সালে পুনরায় রাণীগঞ্জ সিয়ারসোল রাজ স্কুলে ৮ম শ্রেণিতে ভর্তি হন। এ স্কুলে নজরুল ১৯১৫ থেকে ১৯১৭ সাল পর্যন্ত একটানা অষ্টম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশুনা করেন। কর্মজীবন দারিদ্র্যের কারণে প্রথম জীবনে তিনি কবিয়াল, লেটো গানের দলে ও রুটির দোকানে কাজ করেন। ১৯১৭ সালে সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। পরবর্তীতে পত্রিকা সম্পাদনার চাকরি নেন। তাছাড়া গ্রামোফোন রেকর্ডের জন্যে গানলেখা, সুরারোপ এবং সাহিত্য সাধনার মাধ্যমে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময় অতিবাহিত করেন। জীবনের শেষ তিন দশক নজরুল নির্বাক ও কর্মহীন ছিলেন। সাহিত্য সাধনা   নজরুলের সাহিত্য সাধনার মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যে এক নতুন দিগন্তের উন্মোচন হয়। তাঁর শ্রেষ্ঠ রচনাবলি হচ্ছেÑ কাব্যগ্রন্থ : অগ্নিবীণা, বিষের বাঁশী, ভাঙার গান, সাম্যবাদী, সর্বহারা, ফণি-মনসা, জিঞ্জির, সন্ধ্যা, প্রলয় শিখা, দোলনচাঁপা, ছায়ানট, সিন্ধু-হিন্দোল, চক্রবাক, নতুন চাঁদ, ঝিঙেফুল, চন্দ্রবিন্দু ইত্যাদি। উপন্যাস : বাঁধনহারা, মৃত্যুক্ষুধা, কুহেলিকা ইত্যাদি। প্রবন্ধগ্রন্থ : রাজবন্দীর জবানবন্দী, যুগ-বাণী, ধূমকেতু, রুদ্র-মঙ্গল, দুর্দিনের যাত্রী ইত্যাদি। গল্পগ্রন্থ : ব্যথার দান, রিক্তের বেদন, শিউলিমালা, পদ্মগোখরা, জিনের বাদশা ইত্যাদি। নাটক : ঝিলিমিলি, আলেয়া, পুতুলের বিয়ে, মধুমালা, রক্তকমল, মহুয়া, জাহাঙ্গীর, কারাগার ইত্যাদি। জীবনীগ্রন্থ : মরুভাস্কর (হযরত মুহাম্মদ (স)-এর জীবনীগ্রন্থ)। অনুবাদ : রুবাইয়াত-ই-হাফিজ, রুবাইয়াত-ই-ওমর খৈয়াম, কাব্যে আমপারা। গানের সংকলন : বুলবুলি, চোখের চাতক, চন্দ্রবিন্দু, নজরুল গীতি, সুরলিপি, গানের মালা, চিত্তনামা ইত্যাদি। সম্পাদিত পত্রিকা : ধূমকেতু, লাঙ্গল, দৈনিক নবযুগ। পুরস্কার ও সম্মাননা ১৯৪৫ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ‘জগত্তারিণী স্বর্ণপদক’, ভারত সরকার কর্তৃক ১৯৬০ সালে ‘পদ্মভ‚ষণ’ পদক, রবীন্দ্রভারতী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি-লিট উপাধি এবং বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ‘একুশে পদক’ লাভ করেন। বিশেষ কৃতিত্ব বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নাগরিকত্ব এবং জাতীয় কবির মর্যাদা লাভ। জীবনাবসান মৃত্যু তারিখ ও স্থান : ২৯ আগস্ট, ১৯৭৬ ঢাকার পিজি হাসপাতাল। সমাধি স্থান : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণ। গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। আবদুল মালেক সারাটি জীবন শিক্ষকতা করেছেন, গড়েছেন আলোকিত মানুষ। অবসর গ্রহণের পর তিনি গড়ে তুলেছেন ‘তারুণ্য’ নামে সেবা-সংগঠন। বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজের পাশাপাশি পথশিশুদের শিক্ষাদান, দুর্নীতি-বিরোধী অভিযান, নৈতিকতা ও মূল্যবোধ বিষয়ক সেমিনারের আয়োজন করেন তিনি। অনেকে তাঁর কাজের প্রশংসা করেন আবার নিন্দা ও কটূক্তি করতেও ছাড়েন না কেউ কেউ। তিনি তরুণদের উদ্দেশে বলেন ‘মনেরে আজ কহ যে ভালো মন্দ যাহাই আসুক সত্যেরে লও সহজে।’ ক. কাজী নজরুল ইসলামের মতে কোনটি আমাদের নিষ্ক্রিয় করে দেয়? খ. কবি নিজেকে ‘অভিশাপ রথের সারথি’ বলে অভিহিত করেছেন কেন? গ. উদ্দীপকে আবদুল মালেকের মাধ্যমে ‘আমার পথ’ প্রবন্ধের যে বাণী উচ্চারিত হয়েছে তা ব্যাখ্যা কর। ঘ. উদ্দীপকের কবিতাংশের বক্তব্য চেতনায় ধারণ করে আলোকিত পৃথিবী গড়ে তোলা সম্ভব। প্রবন্ধের আলোকে মন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ কর। ১ ২ ৩ ৪ ১ নং প্রশ্নের উত্তর  পরনির্ভরতা আমাদের নিষ্ক্রিয় করে দেয়।  সমাজের অনিয়মকে ভেঙে ফেলতে কবির যে অবস্থান, তার প্রেক্ষিতে তিনি নিজেকে ‘অভিশাপ রথের সারথি’ বলে অভিহিত করেছেন।  সমাজের প্রচলিত, পুরাতন নিয়মকে ভেঙে নতুনকে প্রতিষ্ঠা করা খুব সহজ নয়। এতে প্রতিনিয়ত সমাজরক্ষকদের আক্রমণের শিকার হতে হয়, নানা প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়। এসব জেনেও কবি তাঁর বিশ্বাসকে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছেন। সকল অন্যায়, অবিচার আর অনিয়মের বিরুদ্ধে তিনি অভিশাপ হয়ে আবির্ভূত হয়েছেন। তাই তিনি নিজেকে ‘অভিশাপ রথের সারথি’ বলে অভিহিত করেছেন।  উদ্দীপকের আবদুল মালেকের মাধ্যমে ‘আমার পথ’ প্রবন্ধের সত্য পথের পথিক হওয়ার বাণী উচ্চারিত হয়েছে।  নিজের অন্তরের সত্যকে যারা উপলব্ধি করতে পারে তারাই প্রকৃত মানুষ। তারা সমাজ, দেশ ও জাতির মঙ্গল প্রত্যাশী। এ প্রত্যাশা থেকেই তারা সমাজের কুসংস্কার, মিথ্যা আর ভণ্ডামির মূলোৎপাটন করতে চান। সমাজে প্রতিষ্ঠা করতে চান সত্য ও মনুষ্যত্বকে।  ‘আমার পথ’ প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক বলেছেন সত্য পথের কথা। সত্য প্রকাশে তিনি নির্ভীক, অসংকোচ। সত্যের তেজেই তিনি অন্যায়কে ধ্বংস করতে চান। তিনি জাগ্রত করতে চান মনুষ্যত্ববোধকে, মানুষের মূল্যবোধকে। উদ্দীপকের আবদুল মালেকও এ সত্য পথের বাণী উচ্চারণ করেছেন, হৃদয়-সত্যের আলোতে আলোকিত হয়ে সমাজকল্যাণে এগিয়ে এসেছেন।  উদ্দীপকের কবিতাংশের বক্তব্য চেতনায় ধারণ করে আলোকিত পৃথিবী গড়ে তোলা সম্ভব-মন্তব্যটি সঠিক।  সত্য তার আপন দীপ্তি ও শক্তিতে ভাস্বর। সত্যের পথই জীবনের প্রকৃত পথ। সত্যের সুন্দর ও নির্মম উভয় রূপই আছে। সত্যের নির্মমতার ভয়ে মিথ্যাকে গ্রহণ করলে সে-মিথ্যাই ধ্বংস ডেকে আনে। তাই সত্য যেমনই হোক তাকে গ্রহণ করতে হবে, হৃদয়ে ধারণ করতে হবে।  ‘আমার পথ’ প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক তাঁর অন্তরের সত্যকে উন্মোচিত করেছেন। তিনি জানেন এ সত্য যত নির্মমই হোক না কেন, এ সত্যই তাঁকে পথ দেখাবে। এ সত্যের আলোতেই তাঁর হৃদয় আলোকিত হয়ে উঠবে। তিনি এটা বিশ্বাস করেন যে, সত্যের দম্ভ যাদের মধ্যে রয়েছে তারাই কেবল অসাধ্য সাধন করতে পারেন। উদ্দীপকের কবিতাংশেও এই বিষয়েরই ইঙ্গিত পাওয়া যায়। সত্য যেমনই হোক তাকে স্বীকার করার, হৃদয়ে ধারণ করার শক্তি থাকতে হবে। যাদের হৃদয় সত্যের আলোয় উদ্ভাসিত তারাই আলোকিত পৃথিবী গড়ে তুলতে পারবেন।  যারা সত্য পথের সাধক তারা সমাজে সত্যকে প্রতিষ্ঠা করতে চান। সমাজে সত্য প্রতিষ্ঠিত হলে গোটা পৃথিবী আলোকিত হয়ে উঠবে। আর এ বিচারেই প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটিকে যথার্থ বলা যায়।  অতিরিক্ত অনুশীলন (সৃজনশীল) অংশ নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। সক্রেটিস বলেছেন, ‘শহড়ি ঃযুংবষভ’; সেজন্য আত্মপরিচয় জানা ব্যক্তি সত্যের শক্তিতে ভাস্বর। সে সত্যকে দ্বিধাহীনচিত্তে হাজারবার সালাম জানাতে পারে; কিন্তু মিথ্যাকে মিথ্যার শক্তিতে বলীয়ান শয়তানকে কখনো কুর্নিশ করে না। সত্যই তার পথপ্রদর্শক। সত্যের আলোয় সে সঠিক গন্তব্যে পৌঁছতে পারে। সত্য থেকে এক পা বিচ্যুত হলে সে নিজ মনুষ্যত্ব হারাবে। ক. অতিরিক্ত বিনয় মানুষকে কী করে? খ. মেয়েলি বিনয়ের চেয়ে অহংকারের পৌরুষ অনেক অনেক ভালো-কেন? গ. উদ্দীপকের লেখকের ভাবনার সঙ্গে ‘আমার পথ’ প্রবন্ধের ভাবনার তুলনামূলক আলোচনা কর। ঘ. “উদ্দীপক ও ‘আমার পথ’ প্রবন্ধের চেতনাগত ঐক্য থাকলেও উদ্দীপকটি প্রবন্ধের সম্পূর্ণ ভাবার্থ নয়।”Ñউক্তিটির যথার্থতা নিরূপণ কর। ১ ২ ৩ ৪ ২ নং প্রশ্নের উত্তর  অতিরিক্ত বিনয় মানুষকে ছোট করে।  নিজের সত্যকে অস্বীকার করে অতিরিক্ত বিনয় প্রদর্শন মেয়েলি বিনয়। তার থেকে আত্মবিশ্বাস ও সততার বলিষ্ঠ স্বীকৃতি প্রদর্শন করে পৌরুষকে জাহির করা, যাকে বলা যেতে পারে অহংকারের পৌরুষ, তা অনেক ভালো।  মেয়েলি বিনয় দুর্বলতার নামান্তর; তার চেয়ে নিজেকে চিনে আপনার সত্যকে আপনার গুরু, পথপ্রদর্শক কাণ্ডারি বলে জানা অনেক ভালো। কেউ কেউ এটাকে অহংকার বলে মনে করতে পারে।

এইচএসসি বাংলা আমার পথ সৃজনশীল ও জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর Read More »

এইচএসসি বাংলা আহ্বান সৃজনশীল ও জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর

আহ্বান বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায় লেখক পরিচিতি নাম বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় জন্ম পরিচয় জন্ম তারিখ : ১২ সেপ্টেম্বর, ১৮৯৪ খ্রিষ্টাব্দ। জন্মস্থান : মুরারিপুর (মাতুলালয়), চব্বিশ পরগনা। পৈতৃক নিবাস : ব্যারাকপুর, চব্বিশ পরগনা। পিতৃ পরিচয় পিতার নাম : মহানন্দা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাতার নাম : মৃণালিনী দেবী। শিক্ষাজীবন মাধ্যমিক : এন্ট্রান্স (১৯১৪), বনগ্রাম স্কুল। উচ্চ মাধ্যমিক : আর.এ. (১৯১৬), বনগ্রাম স্কুল। উচ্চতর : বি.এ.(ডিস্টিংশনসহ), ১৯১৮, কলকাতা রিপন কলেজ। কর্মজীবন শিক্ষকতা : হুগলি জেলার জাঙ্গীপাড়া স্কুল, সোনারপুর হরিনাভি স্কুল, কলকাতা খেলাৎচন্দ্র মেমোরিয়াল স্কুল, ব্যারাকপুরের নিকটবর্তী গোপালনগর স্কুল। সাহিত্য সাধনা উপন্যাস : পথের পাঁচালী, অপরাজিতা, আরণ্যক, ইছামতি, দৃষ্টি প্রদীপ, আদর্শ হিন্দু হোটেল, দেবযান, অশনিসংকেত ইত্যাদি। ছোটগল্প : মেঘমল­ার, মৌরিফুল, যাত্রাবদল, কিন্নর দল ইত্যাদি। আত্মজীবনীমূলক রচনা : তৃণাঙ্কুর। পুরস্কার ও সম্মাননা ‘ইছামতি’ উপন্যাসের জন্য রবীন্দ্র পুরস্কার লাভ। মৃত্যু মৃত্যু তারিখ : ১ নভেম্বর, ১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দ। গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন দিন মজুর কেরামত। হঠাৎ দেখতে পান মৃতপ্রায় একটি শিশু পথের ধারে পড়ে আছে। পরম যতেœ তিনি শিশুটিকে ঘরে তুলে আনেন। নিজের ছেলেমেয়ে নিয়ে অভাবের সংসারে স্ত্রী প্রথমে খানিকটা আপত্তি করলেও শিশুটির অবস্থা দেখে তিনিও বুকে জড়িয়ে ধরেনবড় করতে থাকেন নিজের সন্তান পরিচয়ে। ক. বুড়িকে মা বলে ডাকত কে? খ. ‘স্নেহের দান এমন করা ঠিক হয়নি’-কথাটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? গ. কেরামত দম্পতির মধ্য দিয়ে “আহŸান” গল্পের কোন বিশেষ দিকটির ইঙ্গিত রয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ঘ. ‘মানুষের স্নেহ-মমতা-প্রীতির যে বাঁধন তা ধন-সম্পদে নয়, নিবিড় আন্তরিকতার স্পর্শেই গড়ে ওঠে।’-উদ্দীপক ও “আহŸান” গল্পের আলোকে বিশ্লেষণ কর। ১ ২ ৩ ৪ ১ নং প্রশ্নের উত্তর  বুড়িকে মা বলে ডাকত হাজরা ব্যাটার বউ।  লেখক খাঁটি দুধ খেতে পায় না শুনে বৃদ্ধা তাঁর জন্য দুধ নিয়ে এলে লেখক তাকে রূঢ় স্বরে দুধের দাম জিজ্ঞাসা করে টাকা দিলে বুড়ি বিব্রত হয়ে টাকা নিয়ে চলে যায়। তখন অনুশোচনায় লেখক উক্ত উক্তিটি করেন।  বুড়ি জানতে পারেন যে, ঘুঁটি গোয়ালিনীর জল মেশানো দুধ লেখক খান। তখন সন্তান স্নেহে লেখকের জন্য বুড়ি এক ঘটি দুধ হাজরা ব্যাটার বৌয়ের কাছ থেকে চেয়ে আনেন। লেখক তার দাম দিয়ে দিলে বুড়ি মনঃক্ষুণœ হয়ে চলে যান। লেখক তখন ভাবেন স্নেহের দানের আর্থিক প্রতিদান দেয়া ঠিক হয়নি। এটা ভেবে লেখক উক্ত উক্তিটি করেন।  কেরামত দম্পতির মধ্যে ‘আহŸান’ গল্পের সন্তানের প্রতি স্নেহ এবং মানবিক চেতনার দিকটির প্রতি ইঙ্গিত রয়েছে।  মানুষের মন অত্যন্ত সংবেদনশীল। সন্তানের প্রতি স্নেহ-ভালোবাসা মানুষের একটা সহজাত ধর্ম। কিন্তু সন্তানতুল্য অপরের সন্তানের প্রতি অপরিসীম স্নেহ-ভালোবাসা মানুষের এই সংবেদনশীল মনের পরিচায়ক।  উদ্দীপকের কেরামত দম্পতির মধ্যে এমনই মনের পরিচয় পাওয়া যায়। যা ‘আহŸান’ গল্পের স্নেহ-ভালোবাসা ও উদার মানবিকতার প্রতি ইঙ্গিত করে। কেরামত দম্পতি একটা পথে কুড়িয়ে পাওয়া শিশুর প্রতি যে স্নেহ-ভালোবাসা প্রকাশ করেন তা সত্যিই বিরল। শিশুটির প্রতি তাঁদের এই মায়া বা স্নেহ-মমতা উদার মানবিকতার পরিচয় দেয়। যা ‘আহŸান’ গল্পেও লক্ষ করা যায়। গল্পে দেখা যায়, লেখক ও দরিদ্র মুসলমান বৃদ্ধার মাঝে স্নেহ-ভালোবাসার উদার মানবিক সম্পর্ক। যেখানে শ্রেণি-বৈষম্য, জাতপাত বা ধর্মভেদ কোনো বাধার সৃষ্টি করতে পারেনি। সবকিছুর ঊর্ধ্বে মানবিকতাকে স্থান দেওয়া হয়েছে গল্পটিতে। সংকীর্ণতা ও সংস্কারমুক্ত এই ভাবের প্রতি ইঙ্গিত রয়েছে উদ্দীপকটিতে।  মানুষের স্নেহ-মমতা-প্রীতির যে বাঁধন তা ধন-সম্পদে নয়, নিবিড় আন্তরিকতার স্পর্শেই গড়ে ওঠে। উদ্দীপক এবং ‘আহŸান’ গল্প অনুসারে মন্তব্যটি যথার্থ। মানুষ মানুষের জন্য সংবেদনশীলতার হাত বাড়িয়ে দেবে এটা খুবই স্বাভাবিক একটা বিষয়। অথচ এটা এখন শুধুই একটা মানবিক বুলিমাত্র। সর্বত্রই মানুষের মাঝে স্বার্থান্বেষী চিন্তার প্রতিফলন দেখা যায়। সেখানে স্নেহ-মায়া-মমতা একটা বোকামিপূর্ণ আচরণ মনে হয়।  উদ্দীপকে রহমান দম্পত্তির মাঝে যে মানবিক আচরণ লক্ষ করা যায় তা সত্যিই বিরল। রহমান দিনমজুর হলেও পথের এক মৃত-প্রায় শিশুকে বুকে তুলে নিয়ে আসে। সন্তানদের ভরণ-পোষণ না দিতে পারলেও তার স্ত্রী তাকে সন্তান স্নেহে বুকে জড়িয়ে ধরে। এখানে যে স্নেহ-মমতা-প্রীতির বাঁধন তা কোনো ধন-সম্পদের নয়, নিবিড় আন্তরিকতার স্পর্শেই গড়ে উঠেছে। ‘আহŸান’ গল্পেও এমন ভাবের পরিচয় পাওয়া যায় লেখক এবং বৃদ্ধার স্নেহ-ভালোবাসা আদান-প্রদানের সাথে।  ‘আহŸান’ গল্পে এক উদার মানবিক সম্পর্কের পরিচয় পাওয়া যায়। লেখক এবং বৃদ্ধার মাঝে যে মা-সন্তানের স্নেহের সম্পর্ক, তাতে কোনো ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য, ধর্মের প্রভেদ কিংবা, জাতিভেদ বাধা সৃষ্টি করতে পারেনি। লেখকের প্রতি বুড়ির স্নেহের দাবি সকল বাধাকে অতিক্রম করে মানবতার জয় ঘোষণা করেছে। লেখকও তার হৃদয়ে মুসলমান বৃদ্ধার মাঝে মায়ের বা পিসিমার ছায়া দেখতে পেয়েছেন। তাঁকে মাতৃজ্ঞানে ভালোবেসেছেন। তাঁর শেষ আহŸানে মনের অজান্তে তাঁর অন্তিম যাত্রায় উপস্থিত হয়েছেন। এই যে আত্মিক বন্ধন এটা স্নেহ-মায়ামমতা প্রীতির বাঁধন, এটা শুধু নিবিড় আন্তরিকতায় গড়ে ওঠে। তাই বলা যায়, প্রশ্নের মন্তব্য যথার্থ।  অতিরিক্ত অনুশীলন (সৃজনশীল) অংশ নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। কাঙালির মা ছোটজাত, দুলের মেয়ে বলিয়া কাছে যাইতে সাহস পাইল না, তফাতে একটা উঁচু ঢিপির মধ্যে দাঁড়াইয়া সমস্ত অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া প্রথম হইতে শেষ পর্যন্ত উৎসুক আগ্রহে চোখ মেলিয়া দেখিতে লাগিল। প্রশস্ত ও পর্যাপ্ত চিতার পরে যখন শব স্থাপিত করা হইল তখন তাহার রাঙ্গা পা-দুখানি দেখিয়া তাহার দু’চক্ষু জুড়াইয়া গেল, ইচ্ছা হইল ছুটিয়া গিয়া একবিন্দু আলতা মুছাইয়া লইয়া মাথায় দেয়। বহুকণ্ঠের হরিধ্বনির সহিত পুত্রহস্তের মন্ত্রপুত অগ্নি যখন সংযোজিত হইল তখন তাহার চোখ দিয়া ঝরঝর করিয়া জল পড়িতে লাগিল, মনে মনে বারংবার বলিতে লাগিল, ভাগ্যিমানী মা, তুমি সগ্যে যাচ্চোÑআমাকেও আশীর্বাদ করে যাও, আমিও যেন এমনি কাঙালির হাতের আগুনটুকু পাই। ছেলের হাতের আগুন! সে ত সোজা কথা নয়! [তথ্যসূত্র : অভাগীর স্বর্গ-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়] ক. বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৈতৃক নিবাস কোন গ্রামে? খ. বুড়ি কেন দমে গেলেন? গ. উদ্দীপকের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সাথে ‘আহŸান’ গল্পের বুড়ি অন্তিম শয়নের বিষয়ের বৈসাদৃশ্য আলোচনা কর। ঘ. “উদ্দীপকের কাঙালির মা এবং ‘আহŸান’ গল্পের বৃদ্ধার প্রত্যাশার ধরন এক।”মন্তব্যটি যাচাই কর। ১ ২ ৩ ৪ ২ নং প্রশ্নের উত্তর  বিভূতিভূষণের পৈতৃক নিবাস ব্যারাকপুর গ্রামে।  লেখক রুক্ষ স্বরে দুধের দাম জিজ্ঞাসা করায় বুড়ি প্রথমে খুব দমে গেলেন।  লেখকের দুধের জোগান দেয় ঘুঁটি গোয়ালিনী। একথা শুনে বুড়ি বলেন ‘এর তো অর্ধেক জল’। এজন্য তিনি তাঁর পাতানো মেয়ের কাছ থেকে খাঁটি দুধ চেয়ে লেখকের জন্য নিয়ে আসেন। তখন লেখক বুড়িকে দাম দিয়ে তাড়াতাড়ি বিদায় করার জন্য বেশ রুক্ষ স্বরে তার দাম জিজ্ঞাসা করেন। কিন্তু স্নেহের দানের আর্থিক প্রতিদান দিতে গেলে বুড়ি অপ্রস্তুত হন এবং লেখকের রুক্ষ স্বরে তিনি দমে যান।  উদ্দীপকের সাথে ‘আহŸান’ গল্পের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার বা অন্তিম শয়ানের বৈসাদৃশ্য রয়েছে।  এ পৃথিবী থেকে সকলেরই এক সময় বিদায় নিতে হয় । কারো আগে, কারো পরে। কেউ বা রাজকীয়ভাবে অন্তিম যাত্রা করে, কেউ বা দীনহীনভাবে অন্তিম শয়ানে শায়িত হয়।  উদ্দীপকে দেখা যায়, কর্তা গিন্নি বা ভাগ্যিমানী মার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হচ্ছে। প্রশস্ত ও পর্যাপ্ত চিতার পরে বা তার শব বা মৃতদেহ শায়িত। তার রাঙা দুখানি গায়ে আলতা মাখা। সম্ভ্রান্ত পরিবারের গৃহিণী হওয়ায় তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়াও আড়ম্বরের

এইচএসসি বাংলা আহ্বান সৃজনশীল ও জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর Read More »

এইচএসসি বাংলা চাষার দুক্ষু সৃজনশীল ও জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর

চাষার দুক্ষু রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন লেখক পরিচিতি নাম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন জন্ম ও পরিচয় জন্ম তারিখ : ৯ ডিসেম্বর, ১৮৮০ খ্রিষ্টাব্দ। জন্মস্থান : পায়রাবন্দ, মিঠাপুকুর, রংপুর। পিতৃ ও মাতৃ পরিচয় পিতার নাম : জহীরুদ্দিন মোহাম্মদ আবু আলী হায়দার সাবের। মাতার নাম : সাবেরা চৌধুরানী। শিক্ষাজীবন পারিবারিক রক্ষণশীলতার কারণে তিনি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা লাভ করতে পারেন নি। তবে নিজের ঐকান্তিক চেষ্টা এবং বড় ভাই ও তাঁর স্বামীর অনুপ্রেরণা ও সহযোগিতায় জ্ঞানচর্চায় সাফল্য অর্জন করেন। কর্মজীবন বিবাহোত্তর প্রথম জীবনে গৃহিণী। স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি সমাজসংস্কার, নারীর শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠায় আত্মনিয়োগ করেন। এসব কাজে তিনি বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন। সাহিত্য সাধনা গদ্যগ্রন্থ : মতিচুর, অবরোধবাসিনী, ড্যালিসিয়া হত্যা, নূর ইসলাম প্রভৃতি। উপন্যাস : পদ্মরাগ। অনুবাদগ্রন্থ : সুলতানার স্বপ্ন। বিশেষ কৃতিত্ব তিনি ছিলেন নারীজাগরণের অগ্রদূত। তিনি মুসলিম নারীদের সংস্কার ও মুক্তির জন্য তাদেরকে শিক্ষার আলোকে উদ্ভাসিত করার মানসে আজীবন ক্ষুরধার সাহিত্য সৃষ্টি করে গেছেন। মৃত্যু ৯ ডিসেম্বর, ১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দ। গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। সোনাকুড়া গ্রামের শিল্পী ও সবুর কৃষক-দম্পতি। ঋণগ্রস্ত সবুর একে একে সব বন্ধক রেখে আজ নিঃস্ব। বাঁচার তাগিদে শিল্পী গ্রাম ছেড়ে শহরে চলে যান। সেখানে এক ধনী পরিবারে গৃহপরিচারিকার কাজ নেন তিনি। সেখানে তিনি দেখেন গ্রামের নারীদের তৈরি নকশি কাঁথার কদর অনেক বেশি। নিজের পায়ে দাঁড়ানোর তীব্র আকাক্সক্ষা নিয়ে শিল্পী গ্রামে ফিরে আসেন। আরও কয়েকজন নারীকে নিয়ে তিনি একটি কর্মীদল গঠন করেন। তারা সবাই মিলে নকশি কাঁথা প্রস্তুত করে শহরে বিক্রির মাধ্যমে নিজেদের দারিদ্র্য মোচন করেন। শিল্পীও বন্ধক রাখা সব জমি পুনরুদ্ধার করেন। ক. রংপুর অঞ্চলে রেশমকে স্থানীয় ভাষায় কী বলে? খ. “শিরে দিয়ে বাঁকা তাজ ঢেকে রাখে টাক” বলতে প্রাবন্ধিক কী বুঝিয়েছেন? গ. ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধের কোন দিকটি শিল্পীর মধ্যে প্রকাশ পেয়েছে তা ব্যাখ্যা কর। ঘ. শিল্পীর স্বাবলম্বন ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধে লেখকের বর্ণিত দিক-নির্দেশনার আলোকে ব্যাখ্যা কর। ১ ২ ৩ ৪ ১ নং প্রশ্নের উত্তর  স্থানীয় ভাষায় ‘এন্ডি’ বলে।  প্রাবন্ধিক বাংলার কৃষকদের বর্তমান অবস্থাকে বুঝিয়েছেন।  আমাদের দেশের কৃষকরা নিদারুণ কষ্ট ও দারিদ্র্যের মধ্যে দিনযাপন করে। কিন্তু চরম দারিদ্র্যের মধ্যে অবস্থান করেও কোনো কোনো কৃষক বিলাসিতায় আক্রান্ত। আলোচ্য অংশে ‘বাঁকা তাজ’ তাদের সেই বিলাসিতাকে ইঙ্গিত করেছে। আর টাক তাদের চরম দারিদ্র্যের পরিচায়ক।  ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনের দিকটি শিল্পীর মধ্যে প্রকাশ পেয়েছে।  অতীতে বাংলাদেশের গ্রামে গ্রামে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের ব্যাপক প্রচলন ছিল। এসব শিল্পের মাধ্যমে সংসারের অভাব অনেকাংশে ঘুচে যেত। কিন্তু মানুষের বিলাসিতা ও আধুনিক সভ্যতার ছোঁয়ায় গ্রামীণ কুটির শিল্প আজ ধ্বংসের সম্মুখীন। এর সাথে সাথে গ্রামের কৃষক-শ্রেণির দরিদ্রতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।  প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক বলেছেন যে, একসময় কুটির শিল্পের মাধ্যমে এদেশের গ্রামগুলো স্বনির্ভরতা অর্জন করেছিল। ব্রিটিশ শাসকগোষ্ঠীর কারণে এই কুটির শিল্পগুলো একে একে ধ্বংস হয়ে গেছে। গ্রামীণ কুটির শিল্পের বিপর্যয় কৃষকদের জীবনে নিয়ে এসেছে চরম দারিদ্র্য। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য প্রাবন্ধিক গ্রামীণ কুটির শিল্প পুনরুদ্ধারের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। উদ্দীপকের কৃষকবধূ শিল্পী কুটির শিল্পের মাধ্যমেই তার ভাগ্যের চাকাকে ঘুরিয়ে দিয়েছে। কুটির শিল্পের মাধ্যমে তিনি তার সংসারের দারিদ্র্য মোচন করতে সক্ষম হয়েছেন।  ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক গ্রামীণ কুটির শিল্পের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনের দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন।  একসময় বাংলাদেশের ঘরে ঘরে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের প্রচলন ছিল। এ শিল্পের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিল নারীরা। অবসর সময়ে বসে বসে তারা নকশিকাঁথা, বাঁশ ও বেতের তৈরি নানা জিনিস, পাটের তৈরি দ্রব্যাদি তৈরি করত। কিন্তু সভ্যতার ক্রমবিকাশে মানুষের বিলাসিতা বৃদ্ধি পাওয়ায় গ্রামীন হস্ত-শিল্পও কুটির শিল্প আজ ধ্বংসপ্রায়। অথচ এর সাথে পাল­া দিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে মানুষের দারিদ্র্যও। তাই নারী শিল্পসমূহ পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে নারীদের দারিদ্র্যবিমোচনের পথে অগ্রসর হতে হবে।  ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক খেদোক্তির সাথে বলেছেন যে, ভারতবর্ষের কৃষকদের দুরবস্থার অন্যতম কারণ তাদের বিলাসিতা। এ কারণেই কুটির শিল্পগুলো ক্রমশ ধ্বংস হয়ে গেছে। তাই এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য তিনি শিল্পসমূহ পুনরুদ্ধারের কথা বলেছেন। উদ্দীপকের শিল্পী যেন প্রাবন্ধিকের নির্দেশিত পথেই দারিদ্র্য ঘুচিয়েছেন। সংসারে তীব্র দারিদ্র্য দেখা দিলে তিনি নিজের পায়ে দাঁড়ানোর তীব্র আকাক্সক্ষা নিয়ে নকশিকাঁথা তৈরিতে মনোযোগী হন। এতে সফলও হন তিনি।  ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক কৃষকের দারিদ্র্য বিমোচনের উপায় হিসেবে গ্রামীণ হস্তশিল্পে ও কুটির শিল্পে নারীর সম্পৃক্ততা ও তার স্বাবলম্বনের কথা বলেছেন। উদ্দীপকের শিল্পী এ পথেই অগ্রসর হয়েছেন। গ্রামীণ কুটির শিল্পে সম্পৃক্ততার মাধ্যমেই তিনি সংসারের দারিদ্র্য ঘুচিয়েছেন।  অতিরিক্ত অনুশীলন (সৃজনশীল) অংশ নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। সভ্যতা বলতে কেবল বস্তুগত উন্নতিকেই বোঝায় না। বর্তমান যুগের ভারতের বিজ্ঞানবল মহান সাধক গৌতম বুদ্ধের যুগের ভারতের চেয়ে অনেক বেশি। এখন ভারতে রেলগাড়ি ছুটছে, মোটর ছুটছে, বিমান ও স্টিমার চলছে। আগ্নেয়াস্ত্রকামান, কলকারখানা সবই আছে। আর প্রাচীন ভারতে এসবের কোনো অস্তিত্বই ছিল না। এসব সত্তে¡ও মহাবীর, বুদ্ধের প্রাচীন ভারতকে আমরা বর্তমান ভারত অপেক্ষা বেশি সভ্য বলে মনে করি। কেননা, সভ্যতা হলো মানবজীবনের সার্বিক বিকাশ। ক. কত বছর পূর্বে ভারতবাসী অসভ্য বর্বর ছিল বলে জনশ্র“তি আছে? খ. “এখন আমাদের সভ্যতা ও ঐশ্বর্য রাখিবার স্থান নাই।” লেখিকা একথা কেন বলেছেন? গ. উদ্দীপকের বক্তব্যের সাথে ‘চাষার দুক্ষু’ রচনার বৈসাদৃশ্য তুলে ধর। ঘ. উদ্দীপকে ‘চাষার দুক্ষু’ রচনার লেখিকার এ বিষয়ে ভাবনা ভিন্ন প্রেক্ষাপটে পরিবেশিত হয়েছে। মন্তব্যটির মূল্যায়ন কর। ১ ২ ৩ ৪ ২ নং প্রশ্নের উত্তর  দেড়শ বছর পূর্বে ভারতবাসী অসভ্য ও বর্বর ছিল বলে জনশ্র“তি আছে।  নগর সভ্যতার অনুষঙ্গরূপে বিভিন্ন স্থাবরÑঅস্থাবর ও যান্ত্রিক সামগ্রীর প্রাচুর্যের প্রতি লক্ষ করে লেখিকা উপর্যুক্ত কথা বলেছেন।  সভ্যতার একাংশ বস্তুগত সামগ্রী তথা আকাশছোঁয়া পাকা বাড়ি, রেল, স্টিমার, এ্যারোপ্লেন, মোটরলরি, টেলিফোন, টেলিগ্রাফ, পোস্ট অফিস, নানা কলকারখানা, ডাক্তারের প্রাচুর্য, ওষুধ-পথ্যের ছড়াছড়ি, অপারেশন থিয়েটার, ইলেকট্রিক যান ইত্যাদি। এসবের প্রাচুর্যকেই ব্যঙ্গ করে লেখিকা বলেন, “এখন আমাদের সভ্যতা ও ঐশ্বর্য রাখিবার স্থান নাই।”  শুধু বস্তুগত উন্নতিকেই সভ্যতা বলা সম্পর্কে উদ্দীপকের বক্তব্যের সাথে ‘চাষার দুক্ষু’ রচনার বৈসাদৃশ্য রয়েছে।  ইংরেজি ঈরারষরুধঃরড়হ-এর বাংলা প্রতিশব্দ সভ্যতা। সভ্যতা মূলত অগ্রসরমান জটিল সংস্কৃতির একটি পর্যায় বা অবস্থান। এ অর্থে সংস্কৃতি ও সভ্যতার মধ্যে খুব একটা পার্থক্য পরিলক্ষিত হয় না। সভ্যতা বলতে মানব প্রয়াসের ফলে অর্জিত এমন এক সার্বিক সাফল্য যার বস্তুগত রূপ-প্রকৃতি সংস্কৃতির একটি চরম উন্নতির পর্যায়কে বোঝায়।  উদ্দীপকে বলা হয়েছে, সভ্যতা বলতে কেবল বস্তুগত উন্নতিকেই বোঝায় না। বক্তব্যের সপক্ষে উদাহরণ হিসেবে বলা হয়েছেÑ বর্তমানে ভারতে রেলগাড়ি, মোটরগাড়ি, স্টিমার, বিমান, তোপ, কামান, কলকারখানার মতো বস্তুগত উন্নয়নের চরম উৎকর্ষ সাধিত হয়েছে, যা মহাবীর ও গৌতম বুদ্ধের ভারতে ছিল না। তারপরও আমরা প্রাচীন ভারতকে বর্তমান ভারত অপেক্ষা বেশি সভ্য বলে মনে করি। কেননা, সভ্যতা হলো মানবজীবনের সার্বিক বিকাশ। উদ্দীপকের এ বক্তব্য বিষয়ের সম্পূর্ণ বিপরীত বক্তব্য ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধে দৃশ্যমান। প্রবন্ধের শুরুতেই লেখিকা দেড়শ বছর আগেকার ভারতবাসীকে অসভ্য বর্বর অনুমান করছেন আর বর্তমান ভারতকে সভ্য

এইচএসসি বাংলা চাষার দুক্ষু সৃজনশীল ও জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর Read More »

এইচএসসি বাংলা অপরিচিতা সৃজনশীল ও জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর

অপরিচিতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লেখক পরিচিতি নাম প্রকৃত নাম : শ্রী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ছদ্মনাম : ভানুসিংহ ঠাকুর। জন্ম জন্ম তারিখ : ৭ মে, ১৮৬১ খ্রি. (২৫ বৈশাখ ১২৬৮ বঙ্গাব্দ)। জন্মস্থান : জোড়াসাঁকো, কলকাতা, ভারত। বংশ পরিচয় পিতার নাম : মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর। মাতার নাম : সারদা দেবী। পিতামহের নাম : প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর। শিক্ষাজীবন রবীন্দ্রনাথ বাল্যকালে ওরিয়েন্টাল সেমিনারি, নর্মাল স্কুল, বেঙ্গল একাডেমি, সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুল প্রভৃতি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন করলেও স্কুলের পাঠ শেষ করতে পারেন নি। ১৭ বছর বয়সে ব্যারিস্টারি পড়তে ইংল্যান্ড গেলেও কোর্স সম্পন্ন করা সম্ভব হয় নি। তবে গৃহশিক্ষকের কাছ থেকে জ্ঞানার্জনে কোনো ত্র“টি হয় নি। পেশা/কর্মজীবন ১৮৮৪ খ্রি. থেকে রবীন্দ্রনাথ তাঁর পিতার আদেশে বিষয়কর্ম পরিদর্শনে নিযুক্ত হন এবং ১৮৯০ থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে জমিদারি দেখাশুনা করেন। এ সূত্রে তিনি কুষ্টিয়ার শিলাইদহ ও সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুরে দীর্ঘ সময় অবস্থান করেন। সাহিত্য সাধনা কাব্য : মানসী, সোনার তরী, চিত্রা, চৈতালি, ক্ষণিকা, নৈবেদ্য, গীতাঞ্জলি, বলাকা, পূরবী, পুনশ্চ, বিচিত্রা, সেঁজুতি, জন্মদিনে, শেষলেখা বিশেষ উলে­খযোগ্য। উপন্যাস : গোরা, ঘরে-বাইরে, চতুরঙ্গ, চোখের বালি, নৌকাডুবি, যোগাযোগ, রাজর্ষি, শেষের কবিতা প্রভৃতি। কাব্যনাট্য : কাহিনী, চিত্রাঙ্গদা, বসন্ত, বিদায় অভিশাপ, বিসর্জন, রাজা ও রাণী প্রভৃতি। নাটক : অচলায়তন, চিরকুমার সভা, ডাকঘর, মুকুট, মুক্তির উপায়, রক্তকরবী, রাজা প্রভৃতি। গল্পগ্রন্থ : গল্পগুচ্ছ, গল্পস্বল্প, তিনসঙ্গী, লিপিকা, সে, কৈশোরক প্রভৃতি। ভ্রমণ কাহিনী : জাপানযাত্রী, পথের সঞ্চয়, পারস্য, রাশিয়ার চিঠি, য়ুরোপ যাত্রীর ডায়েরী, য়ুরোপ প্রবাসীর পত্র প্রভৃতি। পুরস্কার ও সম্মাননা নোবেল পুরস্কার (১৯১৩), কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ডিলিট (১৯১৩), অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ডিলিট (১৯৪০), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ডিলিট (১৯৩৬)। মৃত্যু মৃত্যু তারিখ : ৭ আগস্ট, ১৯৪১ খ্রি. (২২ শ্রাবণ ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ)। গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। মা মরা ছোট মেয়ে লাবনি আজ শ্বশুড় বাড়ি যাবে। সুখে থাকবে এই আশায় দরিদ্র কৃষক লতিফ মিয়া আবাদের সামান্য জমিটুকু বন্ধক রেখে পণের টাকা যোগাড় করলেন। কিন্তু তাতেও কিছু টাকার ঘাটতি রয়ে গেল। এদিকে বর পারভেজের বাবা হারুন মিয়ার এক কথা সম্পূর্ণ টাকা না পেলে তিনি ছেলেকে নিয়ে চলে যাবেন। বিষয়টি পারভেজের কানে গেলে সে বাপকে সাফ জানিয়ে দেয়, ‘সে দরদাম বা কেনাবেচার পণ্য নয়। সে একজন মানুষকে জীবনসঙ্গী করতে এসেছে, অপমান করতে নয়। ফিরতে হলে লাবনিকে সঙ্গে নিয়েই বাড়ি ফিরবে।’ ক. শম্ভুনাথ স্যাকরার হাতে কী পরখ করতে দিয়েছিলেন? খ. ‘বাংলাদেশের মধ্যে আমিই একমাত্র পুরুষ যাহাকে কন্যার বাপ বিবাহ আসর হইতে নিজে ফিরাইয়া দিয়াছে’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? গ. অনুপম ও পারভেজের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের বৈপরীত্য ব্যাখ্যা কর। ঘ. অনুপমের মামা ও হারুন মিয়ার মতো মানুষের কারণে আজও কল্যাণী ও লাবনিরা অপমানের শিকার হয়-বিশ্লেষণ কর। ১ ২ ৩ ৪ ১ নং প্রশ্নের উত্তর  শম্ভুনাথ স্যাকরার হাতে এয়ারিং পরখ করতে দিয়েছিলেন।  উক্তিটি দ্বারা যৌতুক নিয়ে অবমাননাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করায় কন্যা স¤প্রদানে পিতার অসম্মতির মধ্য দিয়ে কথক অনুপমের অপমানের বিষয়টি বোঝানো হয়েছে।  অনুপম-কল্যাণীর বিয়ে শুরুর পূর্বে অনুপমের মামা কন্যাপক্ষ প্রদত্ত গহনাগুলো স্যাকরা দিয়ে পরখ করায়। এমন অবমাননাকর পরিস্থিতিতে অনুপমের ভূমিকা না থাকায় কল্যাণীর বাবা কন্যা স¤প্রদানের অসম্মতি জানান। বাবা হয়ে মেয়ের বিয়ে ভেঙে দেয়া এমন ঘটনা সচরাচর লক্ষণীয় নয়। এখানে এই ঘটনাকে অনুপমের ভাষায় বিরল এবং সমাজে অপমানজনক।  পারভেজ এবং ‘অপরিচিতা’ গল্পের অনুপম চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য দিক থেকে সম্পূর্ণ বিপরীত।  ‘অপরিচিতা’ গল্পের নায়ক অনুপম কেবল একটি কণ্ঠস্বর শুনে কল্পনাবিলাসী হয়ে পড়ে। এরপর সেই কণ্ঠস্বরের মেয়েটিকে আড়চোখে বার বার দেখে। মেয়েটির চঞ্চলতা, সাহসিকতা, শিক্ষাগত যোগ্যতা তাকে মুগ্ধ করে। উদার ও স্বাধীনচেতা মনোভাবের এমন মেয়ে হয়তো আর দ্বিতীয়টি নেই, সে ভাবে, এর সাথেই কি আমার বিয়ে হবার কথা ছিল?  উদ্দীপকের পারভেজ সম্পূর্ণ বাস্তবধর্মী। পারভেজের বিয়েতে তার বাবা যৌতুক নিতে চাইলে সে তা অস্বীকার করে। সে বলে যে, সে কেনাবেচার পণ্য নয়। একজন মানুষকে সে জীবনসঙ্গী করতে এসেছে। ফিরতে হলে তাকে নিয়েই সে বাড়ি ফিরবে।  “অনুপমের মামা ও হারুন মিয়ার মতো মানুষের কারণে আজও কল্যাণী ও লাবনিরা অপমানের শিকার হয় ।” মন্তব্যটি যথার্থ।  যারা যৌতুক দাবি করে তারা লোভী, নিষ্ঠুর, অমানুষ। বিয়েতে নিজেদের দাবিকৃত পণ না পেলে তাদের এসব চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সহজেই ধরা পড়ে। এমনকি চাহিদামাফিক যৌতুক না পেলে তারা বিয়ের আসর ত্যাগ করার মতো সিদ্ধান্ত নিতেও দ্বিধা করে না। তাদের এ ধরনের আচরণ সত্যিই অমানবিক।  ‘অপরিচিতা’ গল্পে মামা অনুপমের বিয়েতে টাকা ও গহনা যৌতুক হিসেবে দাবি করেন এবং কন্যার পিতা এতে সম্মত হন। বিয়ের দিন, বিয়ে অনুষ্ঠানের ঠিক কিছুক্ষণ আগে তিনি কন্যার বাবাকে কন্যার গা থেকে গহনাগুলো খুলে আনতে বলেন; তিনি তা স্যাকরা দিয়ে যাচাই করাবেন। মামা এ ধরনের আচরণ ও কথাবার্তায় তার হীনতা, লোভ ও অমানবিকতারই পরিচয় দেন। উদ্দীপকের হারুন মিয়াও অনুপমের মামার মতোই লোভী। তিনিও কন্যাপক্ষের কাছে অঢেল যৌতুক দাবি করেন। কিন্তু কন্যার পিতা তা দিতে অসমর্থ হলে তিনি বিয়ের আসর থেকে চলে যাওয়ার হুমকি দেন।  ‘অপরিচিতা’ গল্পের অনুপমের মামা এবং উদ্দীপকের হারুন মিয়া উভয়ই সমগোত্রীয়। তারা লোভী, হীন ও অমানবিক। এ কারণেই তারা একসূত্রে গাঁথা। তাই বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।  অতিরিক্ত অনুশীলন (সৃজনশীল) অংশ নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। জুয়েল আহমেদ বড় চাকরি করেন। মধ্যবিত্ত বাবার একমাত্র মেয়ে ফাতেমার সাথে তার বিয়ের দিন ধার্য হলো। পাত্র পক্ষ ৫০ হাজার টাকা ও ২ ভরি স্বর্ণালংকার যৌতুক হিসেবে চাইল। এমন পাত্র হাতছাড়া করা ঠিক হবে না ভেবে অসহায় পিতা রাজি হলেন। ক. অনুপম হাতজোড় করার পর কার হৃদয় গলেছে? খ. ‘অপরিচিতা’ গল্পে কল্যাণী আর বিয়ে করবে না কেন? গ. উদ্দীপকটি ‘অপরিচিতা’ গল্পের বিষয়বস্তুর সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ,ব্যাখ্যা কর। ঘ. ‘অপরিচিতা’ গল্পের পুরোপুরি ভাব উদ্দীপকে ফুটে উঠেছে, তুমি কি একমত? পক্ষে যুক্তি দাও। ১ ২ ৩ ৪ ২ নং প্রশ্নের উত্তর  অনুপম হাতজোড় করার পর শম্ভুনাথ বাবুর হৃদয় গলেছে।  পাত্রপক্ষের যৌতুকের স্বর্ণালংকার যাচাই করার মানসিকতার কারণে বিয়ে ভেঙে গেছে বলে কল্যাণী আর বিয়ে করবে না।  কল্যাণী বধূ সাজে সেজে বিয়ের জন্য প্রস্তুত। অথচ যৌতুক লোভী পাত্রপক্ষ তাদের গহনা যাচাই করতে চাইলে তাকে গহনাগুলো খুলে দিতে হয়। পাত্রপক্ষের এই হীন-মানসিকতার ফলে শম্ভুনাথ বাবু বিয়ে ভেঙে দেন এবং কল্যাণীও পণ করে কুসংস্কারাচ্ছন্ন এ সমাজে সে আর বিয়ের পিঁড়িতে বসবে না।  উদ্দীপকে যৌতুকের বিষয়টি যেভাবে ফুটে উঠেছে তা রবীন্দ্রনাথের ‘অপরিচিতা’ গল্পের মূলভাবের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।  যৌতুকের বিষয়টি ‘অপরিচিতা’ গল্পে যথার্থরূপে তুলে ধরা হয়েছে। এ গল্পে বিয়ে হবে কী হবে না সেটা মুখ্য বিষয় নয়; বরং যৌতুকের গহনা খাঁটি ও পরিমাণে সঠিক কিনা সেটাই বেশি বিবেচ্য। এর ফলে বিয়ে ভেঙে গেলেও বরের যৌতুকলোভী মামার কিছু আসে যায় না।  উদ্দীপকেও যৌতুকের বিষয়টিকে মুখ্য হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। তবে এখানে বিয়ে ভেঙে যায়নি; বরং ভালো ছেলে পেয়ে কনের পিতার যৌতুক প্রদানে নিরুপায় সম্মতি লক্ষ করা যায়। সুতরাং দেখা

এইচএসসি বাংলা অপরিচিতা সৃজনশীল ও জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর Read More »

এইচএসসি বাংলা অপরিচিতা সৃজনশীল ও জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর

অপরিচিতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর  লেখক পরিচিতি নাম প্রকৃত নাম : শ্রী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ছদ্মনাম : ভানুসিংহ ঠাকুর। জন্ম জন্ম তারিখ : ৭ মে, ১৮৬১ খ্রি. (২৫ বৈশাখ ১২৬৮ বঙ্গাব্দ)। জন্মস্থান : জোড়াসাঁকো, কলকাতা, ভারত। বংশ পরিচয় পিতার নাম : মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর। মাতার নাম : সারদা দেবী। পিতামহের নাম : প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর। শিক্ষাজীবন রবীন্দ্রনাথ বাল্যকালে ওরিয়েন্টাল সেমিনারি, নর্মাল স্কুল, বেঙ্গল একাডেমি, সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুল প্রভৃতি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন করলেও স্কুলের পাঠ শেষ করতে পারেন নি। ১৭ বছর বয়সে ব্যারিস্টারি পড়তে ইংল্যান্ড গেলেও কোর্স সম্পন্ন করা সম্ভব হয় নি। তবে গৃহশিক্ষকের কাছ থেকে জ্ঞানার্জনে কোনো ত্র“টি হয় নি। পেশা/কর্মজীবন ১৮৮৪ খ্রি. থেকে রবীন্দ্রনাথ তাঁর পিতার আদেশে বিষয়কর্ম পরিদর্শনে নিযুক্ত হন এবং ১৮৯০ থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে জমিদারি দেখাশুনা করেন। এ সূত্রে তিনি কুষ্টিয়ার শিলাইদহ ও সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুরে দীর্ঘ সময় অবস্থান করেন। সাহিত্য সাধনা কাব্য : মানসী, সোনার তরী, চিত্রা, চৈতালি, ক্ষণিকা, নৈবেদ্য, গীতাঞ্জলি, বলাকা, পূরবী, পুনশ্চ, বিচিত্রা, সেঁজুতি, জন্মদিনে, শেষলেখা বিশেষ উলে­খযোগ্য। উপন্যাস : গোরা, ঘরে-বাইরে, চতুরঙ্গ, চোখের বালি, নৌকাডুবি, যোগাযোগ, রাজর্ষি, শেষের কবিতা প্রভৃতি। কাব্যনাট্য : কাহিনী, চিত্রাঙ্গদা, বসন্ত, বিদায় অভিশাপ, বিসর্জন, রাজা ও রাণী প্রভৃতি। নাটক : অচলায়তন, চিরকুমার সভা, ডাকঘর, মুকুট, মুক্তির উপায়, রক্তকরবী, রাজা প্রভৃতি। গল্পগ্রন্থ : গল্পগুচ্ছ, গল্পস্বল্প, তিনসঙ্গী, লিপিকা, সে, কৈশোরক প্রভৃতি। ভ্রমণ কাহিনী : জাপানযাত্রী, পথের সঞ্চয়, পারস্য, রাশিয়ার চিঠি, য়ুরোপ যাত্রীর ডায়েরী, য়ুরোপ প্রবাসীর পত্র প্রভৃতি। পুরস্কার ও সম্মাননা নোবেল পুরস্কার (১৯১৩), কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ডিলিট (১৯১৩), অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ডিলিট (১৯৪০), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ডিলিট (১৯৩৬)। মৃত্যু মৃত্যু তারিখ : ৭ আগস্ট, ১৯৪১ খ্রি. (২২ শ্রাবণ ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ)। গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। মা মরা ছোট মেয়ে লাবনি আজ শ্বশুড় বাড়ি যাবে। সুখে থাকবে এই আশায় দরিদ্র কৃষক লতিফ মিয়া আবাদের সামান্য জমিটুকু বন্ধক রেখে পণের টাকা যোগাড় করলেন। কিন্তু তাতেও কিছু টাকার ঘাটতি রয়ে গেল। এদিকে বর পারভেজের বাবা হারুন মিয়ার এক কথা সম্পূর্ণ টাকা না পেলে তিনি ছেলেকে নিয়ে চলে যাবেন। বিষয়টি পারভেজের কানে গেলে সে বাপকে সাফ জানিয়ে দেয়, ‘সে দরদাম বা কেনাবেচার পণ্য নয়। সে একজন মানুষকে জীবনসঙ্গী করতে এসেছে, অপমান করতে নয়। ফিরতে হলে লাবনিকে সঙ্গে নিয়েই বাড়ি ফিরবে।’ ক. শম্ভুনাথ স্যাকরার হাতে কী পরখ করতে দিয়েছিলেন? খ. ‘বাংলাদেশের মধ্যে আমিই একমাত্র পুরুষ যাহাকে কন্যার বাপ বিবাহ আসর হইতে নিজে ফিরাইয়া দিয়াছে’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? গ. অনুপম ও পারভেজের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের বৈপরীত্য ব্যাখ্যা কর। ঘ. অনুপমের মামা ও হারুন মিয়ার মতো মানুষের কারণে আজও কল্যাণী ও লাবনিরা অপমানের শিকার হয়-বিশ্লেষণ কর। ১ ২ ৩ ৪ ১ নং প্রশ্নের উত্তর  শম্ভুনাথ স্যাকরার হাতে এয়ারিং পরখ করতে দিয়েছিলেন।  উক্তিটি দ্বারা যৌতুক নিয়ে অবমাননাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করায় কন্যা স¤প্রদানে পিতার অসম্মতির মধ্য দিয়ে কথক অনুপমের অপমানের বিষয়টি বোঝানো হয়েছে।  অনুপম-কল্যাণীর বিয়ে শুরুর পূর্বে অনুপমের মামা কন্যাপক্ষ প্রদত্ত গহনাগুলো স্যাকরা দিয়ে পরখ করায়। এমন অবমাননাকর পরিস্থিতিতে অনুপমের ভূমিকা না থাকায় কল্যাণীর বাবা কন্যা স¤প্রদানের অসম্মতি জানান। বাবা হয়ে মেয়ের বিয়ে ভেঙে দেয়া এমন ঘটনা সচরাচর লক্ষণীয় নয়। এখানে এই ঘটনাকে অনুপমের ভাষায় বিরল এবং সমাজে অপমানজনক।  পারভেজ এবং ‘অপরিচিতা’ গল্পের অনুপম চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য দিক থেকে সম্পূর্ণ বিপরীত।  ‘অপরিচিতা’ গল্পের নায়ক অনুপম কেবল একটি কণ্ঠস্বর শুনে কল্পনাবিলাসী হয়ে পড়ে। এরপর সেই কণ্ঠস্বরের মেয়েটিকে আড়চোখে বার বার দেখে। মেয়েটির চঞ্চলতা, সাহসিকতা, শিক্ষাগত যোগ্যতা তাকে মুগ্ধ করে। উদার ও স্বাধীনচেতা মনোভাবের এমন মেয়ে হয়তো আর দ্বিতীয়টি নেই, সে ভাবে, এর সাথেই কি আমার বিয়ে হবার কথা ছিল?  উদ্দীপকের পারভেজ সম্পূর্ণ বাস্তবধর্মী। পারভেজের বিয়েতে তার বাবা যৌতুক নিতে চাইলে সে তা অস্বীকার করে। সে বলে যে, সে কেনাবেচার পণ্য নয়। একজন মানুষকে সে জীবনসঙ্গী করতে এসেছে। ফিরতে হলে তাকে নিয়েই সে বাড়ি ফিরবে।  “অনুপমের মামা ও হারুন মিয়ার মতো মানুষের কারণে আজও কল্যাণী ও লাবনিরা অপমানের শিকার হয় ।” মন্তব্যটি যথার্থ।  যারা যৌতুক দাবি করে তারা লোভী, নিষ্ঠুর, অমানুষ। বিয়েতে নিজেদের দাবিকৃত পণ না পেলে তাদের এসব চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সহজেই ধরা পড়ে। এমনকি চাহিদামাফিক যৌতুক না পেলে তারা বিয়ের আসর ত্যাগ করার মতো সিদ্ধান্ত নিতেও দ্বিধা করে না। তাদের এ ধরনের আচরণ সত্যিই অমানবিক।  ‘অপরিচিতা’ গল্পে মামা অনুপমের বিয়েতে টাকা ও গহনা যৌতুক হিসেবে দাবি করেন এবং কন্যার পিতা এতে সম্মত হন। বিয়ের দিন, বিয়ে অনুষ্ঠানের ঠিক কিছুক্ষণ আগে তিনি কন্যার বাবাকে কন্যার গা থেকে গহনাগুলো খুলে আনতে বলেন; তিনি তা স্যাকরা দিয়ে যাচাই করাবেন। মামা এ ধরনের আচরণ ও কথাবার্তায় তার হীনতা, লোভ ও অমানবিকতারই পরিচয় দেন। উদ্দীপকের হারুন মিয়াও অনুপমের মামার মতোই লোভী। তিনিও কন্যাপক্ষের কাছে অঢেল যৌতুক দাবি করেন। কিন্তু কন্যার পিতা তা দিতে অসমর্থ হলে তিনি বিয়ের আসর থেকে চলে যাওয়ার হুমকি দেন।  ‘অপরিচিতা’ গল্পের অনুপমের মামা এবং উদ্দীপকের হারুন মিয়া উভয়ই সমগোত্রীয়। তারা লোভী, হীন ও অমানবিক। এ কারণেই তারা একসূত্রে গাঁথা। তাই বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।  অতিরিক্ত অনুশীলন (সৃজনশীল) অংশ নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। জুয়েল আহমেদ বড় চাকরি করেন। মধ্যবিত্ত বাবার একমাত্র মেয়ে ফাতেমার সাথে তার বিয়ের দিন ধার্য হলো। পাত্র পক্ষ ৫০ হাজার টাকা ও ২ ভরি স্বর্ণালংকার যৌতুক হিসেবে চাইল। এমন পাত্র হাতছাড়া করা ঠিক হবে না ভেবে অসহায় পিতা রাজি হলেন। ক. অনুপম হাতজোড় করার পর কার হৃদয় গলেছে? খ. ‘অপরিচিতা’ গল্পে কল্যাণী আর বিয়ে করবে না কেন? গ. উদ্দীপকটি ‘অপরিচিতা’ গল্পের বিষয়বস্তুর সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ,ব্যাখ্যা কর। ঘ. ‘অপরিচিতা’ গল্পের পুরোপুরি ভাব উদ্দীপকে ফুটে উঠেছে, তুমি কি একমত? পক্ষে যুক্তি দাও। ১ ২ ৩ ৪ ২ নং প্রশ্নের উত্তর  অনুপম হাতজোড় করার পর শম্ভুনাথ বাবুর হৃদয় গলেছে।  পাত্রপক্ষের যৌতুকের স্বর্ণালংকার যাচাই করার মানসিকতার কারণে বিয়ে ভেঙে গেছে বলে কল্যাণী আর বিয়ে করবে না।  কল্যাণী বধূ সাজে সেজে বিয়ের জন্য প্রস্তুত। অথচ যৌতুক লোভী পাত্রপক্ষ তাদের গহনা যাচাই করতে চাইলে তাকে গহনাগুলো খুলে দিতে হয়। পাত্রপক্ষের এই হীন-মানসিকতার ফলে শম্ভুনাথ বাবু বিয়ে ভেঙে দেন এবং কল্যাণীও পণ করে কুসংস্কারাচ্ছন্ন এ সমাজে সে আর বিয়ের পিঁড়িতে বসবে না।  উদ্দীপকে যৌতুকের বিষয়টি যেভাবে ফুটে উঠেছে তা রবীন্দ্রনাথের ‘অপরিচিতা’ গল্পের মূলভাবের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।  যৌতুকের বিষয়টি ‘অপরিচিতা’ গল্পে যথার্থরূপে তুলে ধরা হয়েছে। এ গল্পে বিয়ে হবে কী হবে না সেটা মুখ্য বিষয় নয়; বরং যৌতুকের গহনা খাঁটি ও পরিমাণে সঠিক কিনা সেটাই বেশি বিবেচ্য। এর ফলে বিয়ে ভেঙে গেলেও বরের যৌতুকলোভী মামার কিছু আসে যায় না।  উদ্দীপকেও যৌতুকের বিষয়টিকে মুখ্য হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। তবে এখানে বিয়ে ভেঙে যায়নি; বরং ভালো ছেলে পেয়ে কনের পিতার যৌতুক প্রদানে নিরুপায় সম্মতি লক্ষ করা যায়। সুতরাং

এইচএসসি বাংলা অপরিচিতা সৃজনশীল ও জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর Read More »

এইচএসসি বাংলা বিড়াল সৃজনশীল ও জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর

বিড়াল বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়  লেখক পরিচিতি নাম বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। জন্ম ও পরিচয় জন্মতারিখ : ২৬ জুন, ১৮৩৮ খ্রিষ্টাব্দ। জন্মস্থান : কাঁঠালপাড়া, চব্বিশ পরগণা, পশ্চিমবঙ্গ। পিতৃ-পরিচয় পিতার নাম : যাদবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। পেশা : ডেপুটি কালেক্টর। শিক্ষাজীবন মাধ্যমিক : এন্ট্রান্স (১৮৫৭), কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। উচ্চতর : বিএ (১৮৫৮), কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়; বিএল (১৮৬৯), প্রেসিডেন্সি কলেজ। কর্মজীবন ও পেশা পদবি : ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট (১৮৫৮-১৮৯১ খ্রি.)। কর্মস্থল : যশোর, খুলনা, মুর্শিদাবাদ, হুগলি, মেদিনীপুর, বারাসাত, হাওড়া, আলীপুর প্রভৃতি। সাহিত্য সাধনা উপন্যাস : দুর্গেশনন্দিনী, কপালকুণ্ডলা, মৃণালিনী, বিষবৃক্ষ, কৃষ্ণকান্তের উইল, রজনী, আনন্দমঠ, দেবী চৌধুরাণী, সীতারাম প্রভৃতি। প্রবন্ধ : লোকরহস্য, বিজ্ঞানরহস্য, কমলাকান্তের দপ্তর, সাম্য, কৃষ্ণচরিত্র, ধর্মতত্ত¡ অনুশীলন প্রভৃতি। কৃতিত্ব তাঁর রচিত ‘দুর্গেশনন্দিনী’ (১৮৬৫) বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাস হিসেবে স্বীকৃত। উপাধি ও সম্মাননা ‘সাহিত্য সম্রাট’Ñ সাহিত্যের রসবোদ্ধাদের কাছ থেকে উপাধিপ্রাপ্ত। ‘ঋষি’Ñ হিন্দু ধর্মানুরাগীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত খেতাব। মৃত্যু মৃত্যু তারিখ : ৮ এপ্রিল, ১৮৯৪ খ্রিষ্টাব্দ। গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। নাজমার বড় সংসার। স্বামী অকর্মণ্য। তাই সে বাড়িতে বাড়িতে কাজ করে। এ স্বল্প আয়ে সংসার চলে না বলে বাধ্য হয়ে তাকে বিভিন্ন বাড়ি থেকে মশলা, তৈল, তরকারি চুরি করে সংসারের চাহিদা পূরণ করতে হয়। চুরি করার কারণে এখন আর কেউ তাকে কাজে নেয় না। তাই পরিবারের প্রয়োজন কীভাবে পূরণ হবে এ চিন্তায় সে আকুল হয়ে ওঠে। ক. মার্জারের মতে, সমাজের ধনবৃদ্ধির অর্থ কী? খ. ‘তোমার কথাগুলি ভারি সোশিয়ালিস্টিক’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? গ. ‘নাজমা ও বিড়ালের জীবন কোন দিক থেকে বিপন্ন’?Ñ ‘বিড়াল’ রচনার আলোকে ব্যাখ্যা কর। ঘ. ‘নাজমার কাজ নীতিবিরুদ্ধ ও ধর্মাচারবিরোধী’Ñ ‘বিড়াল’ রচনা অবলম্বনে মূল্যায়ন কর। ১ ২ ৩ ৪ ১ নং প্রশ্নের উত্তর  সমাজের ধনবৃদ্ধির অর্থ হচ্ছে ধনীর ধনবৃদ্ধি।  বিড়ালের কথাগুলো যে সমাজতান্ত্রিক মতাদর্শপূর্ণ -এ কথাটিই বোঝানো হয়েছে।  কমলাকান্তের দুধ বিড়াল চুরি করে খেয়ে ফেললে সে তাকে লাঠি দিয়ে মারতে উদ্যত হয় এবং ‘দিব্যকর্ণপ্রাপ্ত’ হয়ে তার সঙ্গে কথোপকথন করে। বিড়াল তাকে জানায়, এ সমাজব্যবস্থার চরম বৈষম্যের কারণেই মূলত সে খেতে না পেয়ে অভুক্ত অবস্থায় থাকে। তার কথায় প্রচলিত অর্থ ও সমাজব্যবস্থা এমনই যে, এখানে কেবল এক শ্রেণির মানুষের ধনবৃদ্ধি হয় আর বাকিরা না খেয়ে মরে। সাম্যবাদী ‘সমাজতান্ত্রিক’ মতবাদের সঙ্গে এ কথাটি সামঞ্জস্যপূর্ণ বলেই কমলাকান্ত তাকে বলে ‘তোমার কথাগুলি ভারি সোশিয়ালিস্টিক’। সুতরাং বলা যায়, কথাটির মাধ্যমে বিড়ালের মতামত সমাজতান্ত্রিক ভাবাপন্ন -এ কথাই বোঝানো হয়েছে।  নাজমা এবং বিড়ালের জীবন প্রাণির প্রাণধারণের মৌলিক চাহিদা অন্নসংস্থান করতে না পারার দিক থেকে বিপন্ন।  প্রাণির প্রাণধারণের যে মৌলিক চাহিদা রয়েছে সেগুলোর মধ্যে অন্নসংস্থান অন্যতম। খাদ্য ছাড়া কোনো প্রাণীই বেঁচে থাকতে পারে না। প্রাকৃতিক বা মানবসৃষ্ট কোনো কারণে যদি মানুষ বা অন্য প্রাণীরা খাদ্যসংস্থান করতে না পারে তখন তাদের জীবন চরমভাবে বিপন্ন হয়ে পড়ে।  উদ্দীপকের নাজমার স্বামী অকর্মণ্য বলেই তাকে বাড়ি বাড়ি ঘুরে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। খুব স্বল্প আয় বলে বাধ্য হয়েই তাকে তেল, মশলা, তরকারিসহ বিভিন্ন জিনিস চুরি করে পরিবারের সকলের মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে হয়। কিন্তু সবাই এক সময় বুঝে ফেলে যে, নাজমা চুরি করে; তাই তাকে আর কেউ কাজে নিতে চায় না। কাজ না থাকার কারণে সংসারের সকল প্রয়োজন কীভাবে পূরণ করবে এতেই তার জীবন বিপন্ন হয়ে ওঠে। অন্যদিকে আমরা ‘বিড়াল’ গল্পে চরম সামাজিক বৈষম্যের বিষয়টি লক্ষ করতে পারি। গল্পে বিড়াল ক্ষুৎপিপাসার তাড়নায় এক প্রকার বাধ্য হয়েই চুরি করে কমলাকান্তের দুধ খেয়ে ফেলে। এভাবে চুরি করার কারণে শুধু কমলাকান্তই নয়, সমাজের সকল মানুষই তাদের ওপর ব্যাপক নির্যাতন চালায় বলে বিড়াল জানায়। তার মতে, মানুষের এ অন্যায় আচরণের জন্যই তার জীবন বিপন্ন। সুতরাং বলা যায় যে, প্রাণধারণের প্রয়োজনীয় খাদ্যসংস্থান করতে না পারার তাড়নার দিক দিয়ে নাজমা ও বিড়ালের জীবন বিপন্ন।  নাজমার কাজ অবশ্যই নীতিবিরুদ্ধ এবং ধর্মাচারবিরোধী; তবে এর পেছনে মূলত আমাদের সমাজব্যবস্থার চরম অসঙ্গতি দায়ী।  কোনো মানুষই পৃথিবীতে অপরাধী হয়ে জন্মগ্রহণ করে না। সমাজের নানামুখী বৈষম্য এবং অসামঞ্জস্যতার কারণে মানুষ ধীরে ধীরে অপরাধের জগতে পা বাড়ায়। তাই সমাজে সকল অন্যায়, অনাচার ও অপরাধের মূল হলো সামাজিক বৈষম্য বা ভারসাম্যহীনতা।  উদ্দীপকের নাজমা বড়ই অসহায়। তাকে বাড়ি বাড়ি ঘুরে কাজ করে সংসার চালাতে হয়। কিন্তু সে যেসব বাড়িতে কাজ করে সমাজের সেই তথাকথিত ধনিকশ্রেণির মানুষ তাকে এত স্বল্প বেতনই দেয় যে, এতে তার সংসারও ঠিকমতো চলে না। এমনকি মানবিক দায়বোধ থেকেও তারা তার পরিবারকে কোনো সাহায্য-সহযোগিতা করে না। এজন্যই ক্ষুধার তাড়না সহ্য করতে না পেরে সে চুরি করে।  অপরদিকে ‘বিড়াল’ গল্পের বিড়ালও ক্ষুৎপিপাসা সহ্য করতে না পেরেই চুরি করে। সমাজের মানুষ নিজেদের খাবারের উচ্ছিষ্ট বা সামান্য মাছের কাঁটাটুকু পর্যন্ত তাকে দেয় না। এজন্য সে কমলাকান্তের জন্য রেখে দেয়া দুধটুকু খেতে দ্বিধাবোধ করে না; তার সঙ্গে সোশিয়ালিস্টিক তর্কে লিপ্ত হয়।  অতিরিক্ত অনুশীলন (সৃজনশীল) অংশ নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। কঞ্জুস ধনী রূপলাল সেনের বাড়িতে দুপুরে একজন সুবেশী ও স্বাস্থ্যবান অতিথি এলে তিনি যথেষ্ট আপ্যায়ন করেন। অতিথি তৃপ্তমনে বাড়ি ফেরেন। কদিন পরে জনৈক ভিখারি দুপুরে রূপলাল সেনের বাড়িতে এসে খাবার চাইলে তিনি তাকে তিরষ্কার করেন এবং তাড়িয়ে দেন। রূপলাল সেন ধনী অতিথিকে আপ্যায়ন করেন আর গরিব ভিখারিকে ভর্ৎসনা করেন। ক. কমলাকান্ত কীসের উপর ঝিমাচ্ছিল? খ. চোরকে সাজা দেওয়ার আগে বিচারককে তিনদিন উপবাস করার কথা বলা হয়েছে কেন? গ. উদ্দীপকে ‘বিড়াল’ রচনার কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর। ঘ. ‘রূপলাল সেন আর কমলাকান্ত একই মেরুর মানুষ’Ñ মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর। ১ ২ ৩ ৪ ২ নং প্রশ্নের উত্তর  কমলাকান্ত চারপায়ীর উপর ঝিমাচ্ছিল।  পেটের ক্ষুধার কারণেই যে মানুষ ন্যায়নীতি বিসর্জন দিয়ে চুরি করে সেটি বোঝানোর জন্যই উক্ত কথাটি বলা হয়েছে।  বিচারকের কাজ সর্বদা ন্যায় প্রতিষ্ঠা এবং নিরপেক্ষভাবে অপরাধের কারণ বের করে অপরাধীকে শাস্তি দেয়া। ক্ষুধা না লাগলে কেউ চুরি করে না। তাই চোরের বিচার করার আগে বিচারক যদি তিনদিন উপবাস করেন তবেই তিনি বুঝতে পারবেন ক্ষুধার জ্বালা কেমন এবং চোরের চুরির কারণ কী? বিষয়টি বোঝাতেই প্রশ্নোক্ত কথাটি বলা হয়েছে।  উদ্দীপকে ‘বিড়াল’ রচনায় ধনীদের তোষণ ও দরিদ্রকে অবহেলা করার মানসিকতার দিকটি ফুটে উঠেছে।  ‘বিড়াল’ রচনায় বিড়ালের জবানীতে মানুষের ধনী তোষণের মানসিকতার কথা বলা হয়েছে।  উদ্দীপকের রূপলাল সেনের ধনীর তোষণের মানসিকতা ফুটে উঠেছে। কৃপণ রূপলাল সেন স্বাস্থ্যবান ও সুন্দর পোশাকে সজ্জিত অতিথিকে সাদর সম্ভাষণে আপ্যায়ন করেন। কিন্তু গরিব ভিখারিকে খাবার দেন না। গরিবের ক্ষুধা রূপলাল সেনের হৃদয়ে দাগ কাটতে পারেনি। বরং প্রভাবশালী মান্য লোককে আন্তরিকভাবে আপ্যায়ন করেন। অনুরূপ অভিযোগের অবতারণা ঘটেছে ‘বিড়াল’ রচনায় বিড়ালের কথোপকথনের মধ্য দিয়ে। সেখানে কোনো ভদ্রকুল শিরোমণি কিংবা কোনো ন্যায়বান তর্কালঙ্কার এসে কমলাকান্তের দুধ খেয়ে গেলে তিনি কিছুই বলতেন না। কিন্তু বিড়ালের মতো ক্ষুদ্র প্রাণী খেয়েছে বলেই আপত্তি উঠেছে। অর্থাৎ উভয়ক্ষেত্রেই তেলা মাথায় তেল ঢালা হয়েছে। এক্ষেত্রে ‘বিড়াল’ রচনার ধনী

এইচএসসি বাংলা বিড়াল সৃজনশীল ও জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর Read More »

এইচএসসি ২০২২ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ডাউনলোড HSC 2022 Short Syllabus Pdf Download

২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ড সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রদান করেছে। ২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য আজকে আমরা সেই এইচএসসি সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ২০২২ এর প্রত্যেকটি বিষয়ের জন্য আলাদা আলাদা ডাউনলোড লিংক দেওয়া হল। এইচএসসি সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ২০২২ ক্রমিক নং  – বিষয় –   বিষয়সমূহ বিষয় কোড ১. বাংলা ১ম পত্র ১০১ এইচএসসি ২০২২ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ২. বাংলা ২য় পত্র ১০২ এইচএসসি ২০২২ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস  ৩. ইংরেজি ১ম পত্র ১০৭ এইচএসসি ২০২২ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ৪. ইংরেজি ২য় পত্র ১০৮ এইচএসসি ২০২২ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস  ৫. তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ২৭৫ এইচএসসি ২০২২ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ৬. পদার্থ বিজ্ঞান ১ম পত্র ১৭৪ এইচএসসি ২০২২ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ৭. পদার্থ বিজ্ঞান ২য় পত্র ১৭৫ এইচএসসি ২০২২ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ৮. রসায়ন ১ম পত্র ১৭৬ এইচএসসি ২০২২ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস  ৯. রসায়ন ২য় পত্র ১৭৭ এইচএসসি ২০২২ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ১০. জীব বিজ্ঞান ১ম পত্র ১৭৮ এইচএসসি ২০২২ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ১১. জীব বিজ্ঞান ২য় পত্র ১৭৯এ ইচএসসি ২০২২ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ১২. উচ্চতর গণিত ১ম পত্র ২৬৫ এইচএসসি ২০২২ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ১৩. উচ্চতর গণিত ২য় পত্র ২৬৬ এইচএসসি ২০২২ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ১৪. ইতিহাস ১ম পত্র ৩০৪ এইচএসসি ২০২২ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ১৫. ইতিহাস ২য় পত্র ৩০৫ এইচএসসি ২০২২ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ১৬. ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি ১ম পত্র ২৬৭ এইচএসসি ২০২২ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ১৭. ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি ২য় পত্র ২৬৮ এইচএসসি ২০২২ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ১৮. পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র ২৬৯ এইচএসসি ২০২২ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ১৯. পৌরনীতি ও সুশাসন ২য় পত্র ২৭০ এইচএসসি ২০২২ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ২০. অর্থনীতি ১ম পত্র ১০৯ এইচএসসি ২০২২ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ২১. অর্থনীতি ২য় পত্র ১১০ এইচএসসি ২০২২ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ২২. যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ১২১ এইচএসসি ২০২২ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ২৩. যুক্তিবিদ্যা ২য় পত্র ১২২ এইচএসসি ২০২২ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ২৪. সমাজ বিজ্ঞান ১ম পত্র ১১৭ এইচএসসি ২০২২ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ২৫. সমাজ বিজ্ঞান ২য় পত্র ১১৮ এইচএসসি ২০২২ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ২৬. সমাজকর্ম ১ম পত্র ২৭১ এইচএসসি ২০২২ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ২৭. সমাজকর্ম ২য় পত্র ২৭২ এইচএসসি ২০২২ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ২৮. ভূগোল ১ম পত্র ১২৫ এইচএসসি ২০২২ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস এইচএসসি ২০২২ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস pdf ডাউনলোড ক্র: নং বিষয়সমূহ বিষয় কোড  ২৯. ভূগোল ২য় পত্র ১২৬ এইচএসসি ২০২২ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ৩০. ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ১ম পত্র ২৭৭ এইচএসসি ২০২২ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ৩১. ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ২য় পত্র ২৭৮ এইচএসসি ২০২২ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ৩২. হিসাববিজ্ঞান ১ম পত্র ২৫৩ এইচএসসি ২০২২ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ৩৩. হিসাববিজ্ঞান ২য় পত্র ২৫৪ এইচএসসি ২০২২ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ৩৪. ফিনান্স, ব্যাংকিং ও বিমা ১ম পত্র ২৯২  এইচএসসি ২০২২ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ৩৫. ফিনান্স, ব্যাংকিং ও বিমা ২য় পত্র ২৯৩ এইচএসসি ২০২২ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ৩৬. উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন ১ম পত্র ২৮৬ এইচএসসি ২০২২ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ৩৭. উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন ২য় পত্র ২৮৭ এইচএসসি ২০২২ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ৩৮. ইসলাম শিক্ষা ১ম পত্র ২৪৯ এইচএসসি ২০২২ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ৩৯. ইসলাম শিক্ষা ২য় পত্র ২৫০ এইচএসসি ২০২২ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ৪০. শিশুর বিকাশ ১ম পত্র ২৯৮ এইচএসসি ২০২২ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ৪১. শিশুর বিকাশ ২য় পত্র ২৯৯ এইচএসসি ২০২২ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ৪২. খাদ্য ও পুষ্টি ১ম পত্র ২৭৯ এইচএসসি ২০২২ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ৪৩. খাদ্য ও পুষ্টি ২য় পত্র ২৮০ এইচএসসি ২০২২ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ৪৪. গৃহ ব্যবস্থাপনা ও পারিবারিক জীবন ১ম পত্র ২৮২ এইচএসসি ২০২২ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ৪৫. গৃহ ব্যবস্থাপনা ও পারিবারিক জীবন ২য় পত্র ২৮৩ এইচএসসি ২০২২ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ৪৬. কৃষিশিক্ষা ১ম পত্র ২৩৯ এইচএসসি ২০২২ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ৪৭. কৃষিশিক্ষা ২য় পত্র ২৪০ এইচএসসি ২০২২ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ৪৮. মনোবিজ্ঞান ১ম পত্র ১২৩ এইচএসসি ২০২২ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ৪৯. মনোবিজ্ঞান ২য় পত্র ১২৪ এইচএসসি ২০২২ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ৫০. পরিসংখ্যান ১ম পত্র ১২৯ এইচএসসি ২০২২ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ৫১. পরিসংখ্যান ২য় পত্র ১৩০ এইচএসসি ২০২২ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ৫২. মৃত্তিকাবিজ্ঞান ১ম পত্র ২৮৮ এইচএসসি ২০২২ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ৫৩. মৃত্তিকাবিজ্ঞান ২য় পত্র ২৮৯ এইচএসসি ২০২২ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ৫৪. গার্হস্থ্যবিজ্ঞান ১ম পত্র ২৭৩ এইচএসসি ২০২২ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ৫৫. গার্হস্থ্যবিজ্ঞান ২য় পত্র ২৭৪ এইচএসসি ২০২২ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ৫৬. চারু ও কারুকলা ১ম পত্র ২২৫ এইচএসসি ২০২২ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ৫৭. চারু ও কারুকলা ২য় পত্র ২২৬ এইচএসসি ২০২২ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ৫৮. শিল্পকলা ও বস্ত্র পরিচ্ছদ ১ম পত্র ২৮৪ এইচএসসি ২০২২ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ৫৯. শিল্পকলা ও বস্ত্র পরিচ্ছদ ২য় পত্র ২৮৫ এইচএসসি ২০২২ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ৬০. আরবি ১ম পত্র ১৩৩ এইচএসসি ২০২২ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস এইচএসসি ২০২২ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস পিডিএফ ডাউনলোড ক্র: নং বিষয়সমূহ বিষয় কোড ৬১. আরবি ২য় পত্র ১৩৪ এইচএসসি ২০২২ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ৬২. সংস্কৃত ১ম পত্র ১৩৭ এইচএসসি ২০২২ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ৬৩. সংস্কৃত ২য় পত্র ১৩৮ এইচএসসি ২০২২ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ৬৪. পালি ১ম পত্র ১৩৯ এইচএসসি ২০২২ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ৬৫. পালি ২য় পত্র ১৪০ এইচএসসি ২০২২ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ৬৬. লঘু সংগীত ১ম পত্র ২১৬ এইচএসসি ২০২২ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ৬৭. লঘু সংগীত ২য় পত্র ২১৭ এইচএসসি ২০২২ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ৬৮. উচ্চাঙ্গ সংগীত ১ম পত্র ২১৮ এইচএসসি ২০২২ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ৬৯. উচ্চাঙ্গ সংগীত ২য় পত্র ২১৯ এইচএসসি ২০২২ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ৭০. প্রকৌশলন অংকন ও ওয়ার্কশপ প্র্যাকটিস ১ম পত্র ১৮০ এইচএসসি ২০২২ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ৭১. প্রকৌশলন অংকন ও ওয়ার্কশপ প্র্যাকটিস ২য়পত্র (ধাতুর কাজ) ২২২ এইচএসসি ২০২২ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ৭২. প্রকৌশলন অংকন ও ওয়ার্কশপ প্র্যাকটিস ২য়পত্র (জরিপ বিজ্ঞান) ১৮২ এইচএসসি ২০২২ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ৭৩. প্রকৌশলন অংকন ও ওয়ার্কশপ প্র্যাকটিস ২য়পত্র (কাঠের কাজ) ১৮৩ এইচএসসি ২০২২ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস সবগুলো একসাথে ডাউনলোড করুন

এইচএসসি ২০২২ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ডাউনলোড HSC 2022 Short Syllabus Pdf Download Read More »

Scroll to Top