তৃতীয় শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা

তৃতীয় শ্রেণির ইসলাম পঞ্চম অধ্যায় নবি-রাসুল (স)

তৃতীয় শ্রেণির ইসলাম পঞ্চম অধ্যায় নবি-রাসুল (স)

তৃতীয় শ্রেণির ইসলাম পঞ্চম অধ্যায় নবি-রাসুল (স) পোস্টে অনুশীলনীর প্রশ্নউত্তরের সাথে সাথে অতিরিক্ত সংক্ষিপ্ত ও সৃজনশীলন প্রশ্নউত্তর দেওয়া হলো। ৩য় শ্রেণির ইসলাম ৫ম অধ্যায় নবি-রাসুল (স) ⇒ অধ্যায়টির মূলভাব জেনে নিই মহান আল্লাহ তায়ালা যুগে যুগে মানবজাতির হিদায়াতের জন্য এ পৃথিবীতে অসংখ্য নবি-রাসুল পাঠিয়েছেন। তাঁরা সকলেই মানবজাতিকে সৎ কাজের পথ দেখিয়েছেন এবং অসৎ কাজ করতে নিষেধ করেছেন। যারা নবি-রাসুলগণের কথা শুনেছে ও মেনেছে তারা ইহকাল ও পরকালে শান্তি ও নাযাত পেয়েছে। আমরা শেষ নবি হযরত মুহাম্মদ (স)-এর উম্মত। তাঁর দেখানো পথে চললে আমরা দুনিয়া ও আখিরাতে সফলকাম হব। ৩য় শ্রেণির ইসলাম ৫ম অধ্যায় অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর ১. সঠিক উত্তরে টিক (√) চি‎‎হ্ন : ক) পৃথিবীর প্রথম নবি কে ছিলেন? ১. ঈসা (আ) ২. মূসা (আ) ৩. নূহ (আ) √ ৪. আদম (আ) খ) মহানবি (স) এর দাদার নাম কী? ১. আবু তালিব ২. হাশিম √ ৩. আবদুল মুত্তালিব ৪. হামজা গ) মহানবি (স) কোন বংশে জন্মগ্রহণ করেন? ১. তামীম ২. কিলাব √ ৩. কুরাইশ ৪. আওস ঘ) আনসার অর্থ কী? ১. দেশ ত্যাগকারী ২. ভীতি প্রদর্শনকারী √ ৩. সাহায্যকারী ৪. অত্যাচারী ঙ) হাজরে আসওয়াদ মানে কী? ১. সাদা পাথর ২. লাল ইট ৩. সবুজ পাথর √ ৪. কালো পাথর চ) হেরাগুহায় ধ্যানমগ্ন অবস্থায় মহানবি (স)-এর নিকট কুরআন মজিদের কয়টি আয়াত নাজেল হয়? ১. ৪টি ২. ৬টি √ ৩. ৫টি ৪. ১০টি ছ) ‘রহমাতুললিল আলামীন’ অর্থ কী? √ ১. সারা জগতের জন্য রহমত বা দয়া ২. সারা জগতের জন্য উপকার ৩. সারা জগতের জন্য আনন্দ ৪. সারা জগতের জন্য উৎসব জ) মহানবি (স) একজন বৃদ্ধ লোকের কাজ করে দেন সেই লোকটি কী কাজ করছিলেন? ১. উট চরাচ্ছিলেন ২. গরুকে খাবার খাওয়াচ্ছিলেন √ ৩. বাগানে পানি দিচ্ছিলেন ৪. বোঝা মাথায় করে নিচ্ছিলেন ঝ) মহানবি (স) কোনদিন আমার কোন কাজের জন্য আমাকে ধমক দেননি- এ কথাটি কে বলেছেন? √ ১. আনাস (রা) ২. আবু বকর (রা) ৩. আলী (রা) ৪. তালহা (রা) ঞ) উটের দাম দিতে কে টালবাহানা করছিল? ১. আবু লাহাব ২. আবু সুফিয়ান √ ৩. আবু জাহল ৪. হারিছ ট) কার সামনে সত্য কথা বলা সবচেয়ে বড় জিহাদ? ১. মিথ্যাবাদীর সামনে ২. চোর-ডাকাতের সামনে ৩. নিন্দুকের সামনে √ ৪. জালিমের সামনে ঠ) কোথায় কেবল সুখ আর সুখ? √ ১. জান্নাতে ২. জাহান্নামে ৩. বারজাখে ৪. হাশরে ২. শূন্যস্থান পূরণ কর : তোমরা ___ দেশের নাম শুনেছ? আমাদের দেশ থেকে বহু ___ আরব দেশ। মরুভ‚মির দেশ। চারদিকে কেবল ___। সেই দেশের একটি প্রসিদ্ধ শহর ___। এখানে অবস্থিত পবিত্র ___। যেখানে হাজিগণ ___ করতে যান। উত্তর : আরব, পশ্চিমে, বালু আর বালু, মক্কা মুয়াজ্জামা, কাবাঘর, হজ। ৩. সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন : ক. নবি-রাসুলগণকে কে পাঠিয়েছেন? উত্তর : নবি-রাসুলগণকে এ পৃথিবীতে মহান আল্লাহ তায়ালা পাঠিয়েছেন। খ. এ পৃথিবীর প্রথম মানুষ কে? উত্তর : এ পৃথিবীর প্রথম মানুষ হযরত আদম (আ)। গ. সর্বশেষ নবি ও রাসুল কে? উত্তর : সর্বশেষ নবি ও রাসুল হলেন আমাদের প্রিয় নবি হযরত মুহাম্মদ (স)। ঘ. আল্লাহ তায়ালার সবচেয়ে বেশি প্রিয় মানুষ কে? উত্তর : আল্লাহ তায়ালার সবচেয়ে বেশি প্রিয় মানুষ হলেন মহানবি হযরত মুহাম্মদ (স)। ঙ. আমাদের মহানবি (স)-এর নাম কী? উত্তর : আমাদের মহানবি (স)-এর নাম হচ্ছে হযরত মুহাম্মদ (স)। চ. আমাদের মহানবি (স) কত সনে, কোন মাসের কত তারিখ জন্মগ্রহণ করেন? উত্তর : আমাদের মহানবি (স) ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দে আরবি রবিউল আওয়াল মাসের ১২ তারিখ জন্মগ্রহণ করেন। ছ. আমাদের মহানবি (স)-এর আব্বা ও আম্মার নাম কী? উত্তর : মহানবি (স)-এর আব্বার নাম আবদুল্লাহ। আম্মার নাম আমিনা। জ. আমাদের মহানবি (স)-এর দুধমার নাম কী? উত্তর : মহানবি হযরত মুহাম্মদ (স)-এর দুধমার নাম হালিমা। ঝ. আল-আমীন মানে কী? উত্তর : আল-আমীন মানে হচ্ছে পরম বিশ্বস্ত। ঞ. নবিজি (স)-এর মক্কা ছেড়ে মদিনায় চলে যাওয়াকে কী বলে? উত্তর : নবিজি (স)-এর মক্কা ছেড়ে মদিনায় চলে যাওয়াকে হিজরত বলে। ট. হিজরত অর্থ কী? উত্তর : হিজরত অর্থ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য দেশ ত্যাগ করা। ঠ. আনসার অর্থ কী? উত্তর : আনসার অর্থ সাহায্যকারী। ড. মহানবি (স) কত সনে এবং কোন মাসের কত তারিখ ইন্তিকাল করেন? উত্তর : মহানবি হযরত মুহাম্মদ (স) ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দে আরবি রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখ ইন্তিকাল করেন। ঢ. মহানবি (স)-এর কতজন ছেলে ও কতজন মেয়ে ছিল? উত্তর : মহানবি (স)-এর চারজন ছেলে ও চারজন মেয়ে ছিল। ণ. মহানবি (স) একটি শান্তি ও সেবাসংঘ গঠন করেন, সেটির নাম কী? উত্তর : মহানবি (স)-এর শান্তি ও সেবাসংঘের নাম হলো হিলফুল ফুযুল। ত. মহানবি (স) যে গুহায় নবুয়ত লাভ করেন, সেই গুহাটির নাম কী? উত্তর : মহানবি (স) যে গুহায় নবুয়ত লাভ করেন, সেই গুহাটির নাম হেরাগুহা। থ. মহানবি (স) কত বছর বয়সে নবুয়ত লাভ করেন? উত্তর : মহানবি (স) চল্লিশ বছর বয়সে নবুয়ত লাভ করেন। দ. মহানবি (স)-এর একজন বিখ্যাত সাহাবি ও খাদিমের নাম কী? উত্তর : মহানবি (স)-এর একজন বিখ্যাত সাহাবি ও খাদিমের নাম হলো হযরত আনাস (রা)। ধ. নবি-রাসুলগণের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ কে? উত্তর : নবি-রাসুলগণের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ হলেন মহানবি হযরত মুহাম্মদ (স)। ন. এক ব্যক্তি একটা উট নিয়ে মক্কায় আসে, সে কোন গোত্রের? উত্তর : যে ব্যক্তি একটা উট নিয়ে মক্কায় আসে, সে ছিল ইরাশ গোত্রের। ৪. বর্ণনামূলক প্রশ্নোত্তর : ক. ছোটবেলায় মহানবি (স) এর স্বভাব-চরিত্র কেমন ছিল? উত্তর : মহানবি (স) ছোটবেলা থেকেই খুব সুন্দর চরিত্রের অধিকারী ছিলেন। কোনোদিন কারও সাথে মারামারি করতেন না। কাউকে গালি দিতেন না। তিনি সবাইকে ভালোবাসতেন। দুঃখী মানুষের কষ্ট দূর করতেন। সত্য ছাড়া কখনো মিথ্যা বলতেন না। সব সময় কথা দিয়ে কথা রাখতেন। এজন্য সবাই তাঁকে ভালোবাসত, বিশ্বাস করত। ‘আল-আমীন’ বলে ডাকত। আল-আমীন অর্থ ‘পরম বিশ্বস্ত’। খ. মহানবি (স)-এর জন্মের সময় আরব দেশের লোকেরা কেমন ছিল? উত্তর : মহানবি (স)-এর জন্মের সময় আরব দেশের লোকেরা খুবই খারাপ চরিত্রের ছিল। তারা নিজেরা মারামারি করত, চুরি-ডাকাতি করত, রাস্তায় চলাচলকারী লোকদের টাকা-পয়সা কেড়ে নিত। গরিব-দুঃখী, ইয়াতিম ও দুর্বল মানুষকে কষ্ট দিত। এমনকি তারা এক আল্লাহকে মানত না। আল্লাহর সাথে শরিক করত। বহু দেব-দেবীর পূজা করত। গ. মহানবি (স) হাজরে আসওয়াদ কাবার দেয়ালে কীভাবে স্থাপন করেন? উত্তর : মহানবি (স) যখন একজন অল্প বয়সী তরুণ তখন কুরাইশরা পবিত্র কাবাঘর ভেঙে নতুন করে তৈরি করে। কিন্তু কাবার দেয়ালে পবিত্র হাজরে আসওয়াদ বসানোর সময় তারা সমস্যায় পড়ে। কুরাইশ গোত্র বিভিন্ন শাখায় বিভক্ত ছিল। প্রত্যেকটি শাখা গোত্রের দাবি ছিল তারাই হাজরে আসওয়াদটি কাবার দেয়ালে বসাবে। সবাই নিজেদের দাবিতে অটল থাকে। বিষয়টি মারামারি ও খুন-খারাবিতে রূপ নেওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। অবশেষে সকলে আল-আমীন মুহাম্মদ (স)-এর ওপর এই বিরোধ মীমাংসার ভার দেয়। মুহাম্মদ (স) একটি চাদর বিছান। নিজ হাতে হাজরে আসওয়াদটি

তৃতীয় শ্রেণির ইসলাম পঞ্চম অধ্যায় নবি-রাসুল (স) Read More »

তৃতীয় শ্রেণির ইসলাম চতুর্থ অধ্যায় কুরআন মজিদ শিক্ষা

তৃতীয় শ্রেণির ইসলাম চতুর্থ অধ্যায় কুরআন মজিদ শিক্ষা

তৃতীয় শ্রেণির ইসলাম চতুর্থ অধ্যায় কুরআন মজিদ শিক্ষা পোস্টে সকলকে স্বাগতম। এখানের ৩য় শ্রেণির ইসলাম ৪র্থ অধ্যায় কুরআন মজিদ শিক্ষা এর অনুশীলনীর প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়া আছে। সেই সাথে অতিরিক্ত সংক্ষিপ্ত ও সৃজনশীল প্রশ্নউত্তর দেওয়া আছে। ৩য় শ্রেণির ইসলাম ৪র্থ অধ্যায় কুরআন মজিদ শিক্ষা ⇒ অধ্যায়টির মূলভাব জেনে নিই কুরআন মজিদ আল্লাহপাকের সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ আসমানি কিতাব। এতে মানবজীবনের ভালো-মন্দের সব দিক সুন্দরভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। কুরআন মজিদের ভাষা আরবি। বিশুদ্ধভাবে কুরআন তিলাওয়াত করা যাবে যদি আরবি হরফ ও মাদ্দ, গুন্নাহ শিখে নেওয়া যায়। আমরা এগুলো শিখে শুদ্ধভাবে কুরআন মজিদ তিলাওয়াতের চেষ্টা করব। তৃতীয় শ্রেণির ইসলাম চতুর্থ অধ্যায় অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর ১. সঠিক উত্তরে টিক (√) চিহ্ন দাও। ক) কুরআন মজিদের ভাষা কী? ১. বাংলা ২. হিব্রæ ৩. ইংরেজি √ ৪. আরবি খ) আরবি হরফ কয়টি? ১. ২৫টি √ ২. ২৯টি ৩. ৩০টি ৪. ৫০টি গ) আরবিতে নুকতা ছাড়া হরফ কয়টি? ১. ১২টি √ ২. ১৪টি ৩. ১৭টি ৪. ১৮টি ঘ) ‘যের’ চিহ্ন কোনটি? ১. ২. √ ৩. ৪. ঙ) হরকত কয়টি? ১. ৪টি ২. ৬টি ৩. ৫টি √ ৪. ৩টি চ) মাদ্দের হরফ কয়টি? ১. ৪টি ২. ৬টি ৩. ৫টি √ ৪. ৩টি ২. শূন্যস্থান পূরণ কর : ক. আরবি ভাষায় ___ টি অক্ষর আছে। খ. আরবি পড়তে হয় ___ দিক থেকে। গ. আরবি ___ টি হরফে কোনো নুকতা নেই। ঘ. স্বরচিহ্নকে আরবি ভাষায় ___ বলে। ঙ. আরবি শব্দের কোন হরফ দীর্ঘ করে টেনে পড়াকে ___ বলে। চ. তোমাদের মধ্যে সে সবচেয়ে ___, যে কুরআন মজিদ ___ এবং অন্যকে তা ___। উত্তর : ক. ২৯, খ. ডান, গ. ১৪, ঘ. হরকত, ঙ. মাদ্দ, চ. উত্তম, শেখে, শেখায়। ৩. সংক্ষিপ্ত উত্তর-প্রশ্ন : ক. আরবি বর্ণমালা কয়টি? উত্তর : আরবি বর্ণমালা ২৯টি। খ. হরকত কাকে বলে? উত্তর : আরবি লেখার সময় হরফের সাথে (যবর), (যের) ও (পেশ) এই তিনটি স্বরচিহ্ন ব্যবহার করা হয়। এই স্বরচিহ্নগুলোকে হরকত বলে। গ. নুকতা কাকে বলে? উত্তর : আরবি হরফের নিচে বা উপরে এক বা একাধিক ফোঁটা দেখা যায়। এই ফোঁটাকে নুকতা বলে। ঘ. তানবীন কাকে বলে? উত্তর : দুই যবর , দুই যের , দুই পেশ কে তানবীন বলে। ঙ. কুরআন মজিদের ভাষা কী? উত্তর : কুরআন মজিদের ভাষা আরবি। ৪. বর্ণনামূলক প্রশ্ন : ক. আরবি হরফ কয়টি ও কী কী লেখ। উত্তর : আরবি হরফ ২৯টি। যথা- ح হা ج জিম ث ছা ت তা ب বা ا আলিফ س ছিন ز যা ر রা ذ যাল د দাল خ খা ع আইন ظ যোয়া ط ত্বোয়া ض দোয়াদ ص সোয়াদ ش শীন م মিম ل লাম ك কাফ ق ক্বাফ ف ফা غ গাইন ي ইয়া ء হামযাহ্ ه হা و ওয়াও ن নূন খ. নুকতা কাকে বলে? নুকতাযুক্ত ৫টি হরফ লেখ। উত্তর : আরবি হরফের নিচে বা ওপরে এক বা একাধিক ফোঁটা দেখা যায়। এই ফোঁটাকে নুকতা বলে। আরবি ১৪টি হরফের মধ্যে নুকতা আছে। ৫টি নুকতাযুক্ত হরফ হচ্ছে- ب ت ث ظ غ গ. হরকত কাকে বলে? হরকত কয়টি? উদাহরণ দাও। উত্তর : আমরা বাংলা লিখতে বর্ণের সাথে া, ,ি ু , ে ইত্যাদি চিহ্ন ব্যবহার করি। যেমন- ব + া = বা। এসব চি‎হ্নকে বলা হয় স্বরচিহ্ন। আরবি ভাষায় এরূপ স্বরচিহ্ন দেখা যায়। এগুলোকে বলা হয় হরকত। হরকত তিনটি। যথা : যবর , যের , পেশ । ঘ. কুরআন মজিদ পড়া সম্পর্কে মহানবি (স) কী বলেছেন? উত্তর : কুরআন মজিদ পড়া সম্পর্কে মহানবি (স) বলেছেন, “তোমাদের মধ্যে সে সবচেয়ে উত্তম, যে কুরআন মজিদ শেখে এবং অন্যকে তা শেখায়”। আমরা কুরআন মজিদ শিখব এবং প্রতিদিন তিলাওয়াত করব। ঙ. জযম কাকে বলে? উদাহরণ দাও। উত্তর : আরবিতে এমন অনেক হরফ আছে যাতে যবর, যের, পেশ নেই। কিন্তু আগের হরফে যবর, যের, পেশ আছে। এই যবর, যের, পেশবিহীন হরফটি উচ্চারণের জন্য একটি চিহ্ন ব্যবহার করা হয়। এই চিহ্নটিকে ( ) জযম বলা হয়। জযমের অপর নাম সাকিন। যেমন- মীম নুন যবর = মান মীম নুন যের = মিন মীম নুন পেশ = মুন চ. তানবীন কাকে বলে? উদাহরণ দাও। উত্তর : দুই যবর , দুই যের , দুই পেশ কে তানবীন বলে। উদাহরণ : مً মীম দুই যবর = মান مٍ মীম দুই যের = মিন مٌ মীম দুই পেশ = মুন ছ. তাশদীদ কাকে বলে? উদাহরণ দাও। উত্তর : আরবি ভাষায় কোনো হরফকে পাশাপাশি এক সাথে দুইবার উচ্চারণ করতে হলে ঐ হরফের উপর হরকতসহ এক বিশেষ চিহ্ন বসে। চিহ্নটি হলো এরূপ ( )। এই চিহ্নের নাম তাশদীদ। তাশদীদ দেখতে ছিন হরফের মাথার মতো। তাশদীদযুক্ত হরফ দুইবার উচ্চারিত হয়। যেমনÑ আলিফ মীম যবর আম, মীম যবর মা = আম্মা = اَمَّ = مَ + اَمْ এখানে আরবি আম্মা শব্দের মীম-এর ওপর তাশদীদ। জ. শব্দ কাকে বলে? কীভাবে শব্দ গঠন করা হয় উদাহরণ দাও। উত্তর : পাশাপাশি দুই বা ততোধিক অক্ষর মিলে একটি শব্দ হয়। যেমনÑ ‘বই’ একটি শব্দ। এতে ব + ই, দুইটি অক্ষর আছে। কলম একটি শব্দ। এতে ক + ল + ম, তিনটি অক্ষর আছে। আরবিতে এরূপভাবে কয়েকটি হরফ মিলে একটি শব্দ হয়। যেমনÑ এখানে م + ل + ق তিনটি হরফ আছে। এখানে ة + ك + ك + م চারটি হরফ আছে। ঝ. সূরা আল ফাতিহা মুখস্থ বল। উত্তর : বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। বাংলা উচ্চারণ : আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন। আর রাহমানির রাহীম। মালিকি ইয়াওমিদ্দীন। ইয়্যাকা না’বুদু ওয়া ইয়্যাকা নাসতাঈন। ইহদিনাস সিরাতাল মুসতাকীম। সিরাতাল লাযীনা আন্আম্তা আলাইহিম। গাইরিল মাগদূবি আলাইহিম ওয়ালাদ্দললীন। ঞ. সূরা আন নাস মুখস্থ বল। উত্তর : বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। বাংলা উচচ্চারণ : কুল আউযু বিরাব্ব্নি নাস। মালিকিন্ নাস। ইলাহিন্ নাস। মিন্ র্শারিল্ ওয়াস্ওয়াসিল্ খান্নাস। আল্লাযী ইউওয়াসবিসু ফী সুদূরিন নাস্। মিনাল জিন্নাতি ওয়ান্ নাস। ট. মাদ্দ কাকে বলে? মাদ্দের অক্ষর কয়টি লিখ। উত্তর : আরবি শব্দের কোনো হরফ অল্প আবার কোনো হরফ দীর্ঘ করে টেনে পড়তে হয়। এই দীর্ঘ করে টেনে পড়াকে মাদ্দ বলে। মাদ্দের হরফ ৩টি। যথা- ي, و, ا এই তিনটি হরফের সাথে মাদ্দের চিহ্ন ব্যবহৃত হয়। যেমনÑ بِى – بُوْ – بَا ঠ. সূরা আল ফালাক মুখস্থ বল। উত্তর : বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। বাংলা উচ্চারণ : কুল আউযু বিরাব্বিল্ ফালাক। মিন্ র্শারি মা খালাক। ওয়া মিন্ র্শারি গাসিকিন ইযা ওয়াকাব। ওয়া মিন্ র্শারিন নাফ্ফাসাতি ফিল উকাদ। ওয়া মিন্ র্শারি হাসিদিন ইযা হাসাদ্। ৩য় শ্রেণির ইসলাম ৪র্থ অধ্যায় অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর ⇒ শুদ্ধ/অশুদ্ধ নির্ণয় ১) কুরআন মজিদের ভাষা আরবি। ২) আরবি পড়তে হয় ডান দিক থেকে। ৩) তাশদীদ দেখতে মীম হরফের মাথার মতো। ৪)

তৃতীয় শ্রেণির ইসলাম চতুর্থ অধ্যায় কুরআন মজিদ শিক্ষা Read More »

তৃতীয় শ্রেণির ইসলাম তৃতীয় অধ্যায় আখলাক

তৃতীয় শ্রেণির ইসলাম তৃতীয় অধ্যায় আখলাক

তৃতীয় শ্রেণির ইসলাম তৃতীয় অধ্যায় আখলাক এর অনুশীলনীর সকল প্রশ্নউত্তর সহ অতিরিক্ত সংক্ষিপ্ত ও কাঠামোবদ্ধ প্রশ্নউত্তর নিচে দেওয়া হলো। ৩য় শ্রেণির ইসলাম ৩য় অধ্যায় আখলাক ⇒ অধ্যায়টির মূলভাব জেনে নিই এ পৃথিবীতে আব্বা-আম্মা আমাদের সবচেয়ে আপনজন। অনেক কষ্ট করে তাঁরা আমাদের লালন-পালন করেন। তাঁদের আদেশ-নিষেধ মেনে চলা আমাদের কর্তব্য। আমরা সবার সাথেই ভালো ব্যবহার করব। মানুষের বিপদে আপদে এগিয়ে যাব। বাড়ির সবাইকে সালাম দেব। গুরুজনদের সম্মান করব। মেহমানের সেবাযতœ করব। পশু-পাখিদের কষ্ট দেব না। সকল জীবের প্রতি দয়া দেখাব। সত্য বলা একটি মহৎ গুণ। আমরা সর্বদা সত্য কথা বলব। এভাবে আমরা সুন্দর চরিত্র গঠন করব। ৩য় শ্রেণির ইসলাম ৩য় অধ্যায় অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর ১। সঠিক উত্তরের পাশে টিক (√) চিহ্ন দাও। ক) মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের কী? ১. খুশি ২. জাহান্নাম √ ৩. জান্নাত ৪. স্থান খ) সহপাঠী অর্থ কী? √ ১. পড়ার সাথী ২. বই ৩. আত্মীয় ৪. প্রতিবেশী গ) সহপাঠী বিপদে পড়লে কী করব? ১. খেলা করব ২. বেড়াতে যাব ৩. বলে দেব √ ৪. সাহায্য করব ঘ) কোনো মুসলিমের সাথে দেখা হলে প্রথমে কী করব? ১. বসতে দেব √ ২. সালাম দেব ৩. নাস্তা দেব ৪. কথা বলব ঙ) যারা আমাদের বাড়িতে বেড়াতে আসেন তারা কে? ১. আব্বা-আম্মা ২. দাদা-দাদি √ ৩. মেহমান ৪. মেজবান চ) আল্লাহর সৃষ্টির মধ্যে সবার সেরা কে? √ ১. মানুষ ২. পশু ৩. পাখি ৪. জিন ছ) এক বুড়ি প্রতিদিন মহানবি (স)-এর চলার পথে কী দিত? ১. বিছানা দিত ২. পাথর দিত √ ৩. কাঁটা দিত ৪. ইট দিত জ) সকল জীবের প্রতি কে দয়া দেখান? ১. মানুষ ২. জিন ৩. ফেরেশতা √ ৪. আল্লাহ ২। শূন্যস্থান পূরণ কর : ক) আমরা আব্বা-আম্মার ___ শুনব। খ) পিতার সন্তুষ্টিতে ___ সন্তুষ্টি। গ) যে আগে সালাম দেবে সে বেশি ___ পাবে। ঘ) মানুষের সেবা করা আল্লাহর ___। ঙ) পশুপাখি কাউকে ___ দিতে নেই। চ) সত্য মানুষকে ___ দেয়। উত্তর : ক) কথা খ) আল্লাহর গ) সওয়াব ঘ) ইবাদত ঙ) কষ্ট চ) মুক্তি। ৩। বাম পাশের কথাগুলোর সাথে ডান পাশের কথাগুলো মিল কর : ক) আমরা আব্বা-আম্মার সাথে খুশি হন খ) আমরা সকলে একে অপরের মহাপাপ গ) সালাম দিলে আল্লাহ ভাই ঘ) পড়ার সাথী ঝগড়া করব না ঙ) মিথ্যা বলা সহপাঠী উত্তর : ক) আমরা আব্বা-আম্মার সাথে ঝগড়া করব না। খ) আমরা সকলে একে অপরের ভাই। গ) সালাম দিলে আল্লাহ খুশি হন। ঘ) পড়ার সাথী সহপাঠী। ঙ) মিথ্যা বলা মহাপাপ। ৪। সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন : ক) আব্বা-আম্মা খুশি থাকলে কী লাভ হয়? উত্তর : আব্বা-আম্মা খুশি থাকলে আল্লাহ আমাদের ওপর খুশি ও সন্তুষ্ট থাকবেন। আল্লাহকে সন্তুষ্ট করতে পারলে আমরা জান্নাত পাব। খ) সহপাঠীর অসুখ হলে কী করব? উত্তর : সহপাঠীর বিপদে-আপদে আমরা এগিয়ে যাব। অসুখ হলে দেখতে যাব। তার সেবা করব। তাকে সান্ত¡না দেব। গ) সালাম বিনিময়ের বাক্যটি আরবিতে লেখ। উত্তর : সালাম বিনিময়ের বাক্যটি আরবিতে নিচে দেওয়া হলো- ঘ) সালামের জওয়াবে কী বলতে হয়? উত্তর : সালামের জওয়াবে বলতে হয়- ওয়া আলাইকুমুস সালাম। অর্থ : আপনার ওপরও শান্তি বর্ষিত হোক। ঙ) মেহমানের সাথে ভালো ব্যবহার করলে কী উপকার হয়? উত্তর : মেহমানের সাথে ভালো ব্যবহার করলে মেহমান খুশি হয়। মেজবানের সুনাম বাড়ে। উভয়ের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। এতে আল্লাহ খুশি হন। চ) জীবে দয়া করলে আল্লাহ কী হন? উত্তর : জীবে দয়া করলে আল্লাহ খুশি হন। আল্লাহর দয়া ও সাহায্য পাওয়া যায়। ছ) মিথ্যা বলার ক্ষতি কী? উত্তর : মিথ্যা বলা মহাপাপ। যে মিথ্যা বলে তাকে কেউ ভালোবাসে না। বিশ্বাস করে না। আদর ও সম্মান করে না। তার বিপদে কেউ এগিয়ে আসে না। মিথ্যাবাদীর স্থান হবে জাহান্নাম। ৫। বর্ণনামূলক প্রশ্ন : ক) আব্বা-আম্মার সাথে কিরূপ ব্যবহার করব? উত্তর : আব্বা-আম্মার সাথে সব সময় ভালো ব্যবহার করব। তাঁদের সালাম দেব। সম্মান করব। বিনয়ের সাথে কথা বলব। তাঁরা যখন ডাকেন তখনই হাজির হব এবং ‘জি’ বলে উত্তর দেব। তাঁদের সেবা করব। তাঁদের কথা শুনব ও মানব। সবসময় তাঁদেরকে খুশি এবং সন্তুষ্ট রাখব। তাঁদের মনে কষ্ট দেব না। খ) সহপাঠীদের সাথে ভালো ব্যবহারের উপকারিতা কী কী? উত্তর : সহপাঠী অর্থ পড়ার সাথী। সহপাঠীদের সাথে ভালো ব্যবহারের অনেক উপকারিতা রয়েছে। সহপাঠীদের সাথে ভালো ব্যবহার করলেÑ ১. আব্বা-আম্মা খুশি থাকবেন। ২. শিক্ষকগণ খুশি হবেন। ৩. আল্লাহ খুশি হবেন। ৪. পরিবেশ সুন্দর হবে। ৫. সকলে ভালোবাসবেন, আদর করবেন। সর্বোপরি, সহপাঠীর সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠবে। গ) সালাম দেওয়া-নেওয়ার নিয়ম লিখ। উত্তর : সালাম হলো শান্তির জন্য দোয়া করা। নিচে সালাম দেওয়া-নেওয়ার নিয়ম উল্লেখ করা হলো- একজন মুসলমান অপর মুসলমানের সাথে দেখা হলে প্রথমে ‘আসসালামু আলাইকুম’ বলে সালাম দেবে। সালাম শুনলে সালামের জওয়াব দিতে হয়। সালামের জওয়াবে বলতে হয়- ‘ওয়া আলাইকুমুস সালাম’। চেনা-অচেনা সকল মুসলিমকে সালাম দিতে হয়। ঘ) মেহমানের সাথে ভালো ব্যবহার সম্পর্কে মহানবি (স) কী বলেছেন? উত্তর : আমাদের বাড়িতে যারা বেড়াতে আসেন তাঁরাই আমাদের মেহমান। মহানবি (স) মেহমানের সাথে সুন্দর ব্যবহার করতেন। নিজেই তাদের সেবা-যতœ করতেন। মেহমানের সাথে ভালো ব্যবহার সম্পর্কে মহানবি (স) বলেছেন, “যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখিরাতে ইমান রাখে সে যেন মেহমানকে সম্মান করে।” ঙ) আমরা জীবের প্রতি কীভাবে দয়া দেখাব? উত্তর : আল্লাহ তায়ালা মানুষকে সকল জীবের প্রতি দয়া দেখাতে বলেছেন। আল্লাহর সৃষ্ট সকল জীবকে আমরা ভালোবাসব। হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল, বিড়াল-কুকুর এদের আমরা কষ্ট দেব না। আঘাত করব না। আমরা এদের আদর করব। যতœ নেব। ফড়িংয়ের পায়ে সুতা বেঁধে খেলা করব না। পাখির বাচ্চা চুরি করে আনব না। গরু-মহিষের গাড়িতে বেশি বোঝা দেব না। হাটবাজার থেকে হাঁস-মুরগি কিনলে এদের ডানাগুলো আস্তে করে ধরে বাড়িতে নিয়ে আসব। এভাবে আমরা সকল জীবের প্রতি দয়া দেখাব। চ) সত্য কথা বলার একটি ঘটনা উল্লেখ কর। উত্তর : সত্য কথা বলার একটি ঘটনা : একদিন একজন লোক মহানবি (স)-এর কাছে এসে বলল, হে আল্লাহর নবি! আমি চুরি করি। মিথ্যা কথা বলি। আরও অনেক অন্যায় করি। এখন আমি এ অন্যায় কাজগুলো কীভাবে ছেড়ে দেব? মহানবি (স) বললেন, “প্রথমে মিথ্যা বলা ছেড়ে দাও”। লোকটি মিথ্যা কথা বলা ছেড়ে দিল। সব সময় সত্য কথা বলতে থাকল। এরপর আস্তে আস্তে সব অন্যায় ছেড়ে দিল। এভাবে সে অন্যায় থেকে বাঁচল। পাপমুক্ত হলো। ৩য় শ্রেণির ইসলাম ৩য় অধ্যায় অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর ⇒ শুদ্ধ/অশুদ্ধ নির্ণয় ১) পিতার সন্তুষ্টিতে আল্লাহর সন্তুষ্টি। ২) এক সাথে একই শ্রেণিতে যারা পড়ে তাদেরকে সহপাঠী বলা হয়। ৩) যে আগে সালাম দেবে সে বেশি সওয়াব পাবে। ৪) মহানবি (স) সব সময় মানুষের সেবা করতেন না। ৫) সত্য মানুষকে পুণ্যের পথে নিয়ে যায়। উত্তর : ১) ‘শু’ ২) ‘শু’ ৩) ‘শু’ ৪) ‘অ’ ৫) ‘শু’। ⇒ বাম অংশের সাথে ডান অংশ মিলকরণ

তৃতীয় শ্রেণির ইসলাম তৃতীয় অধ্যায় আখলাক Read More »

তৃতীয় শ্রেণির ইসলাম দ্বিতীয় অধ্যায় ইবাদত

তৃতীয় শ্রেণির ইসলাম দ্বিতীয় অধ্যায় ইবাদত

তৃতীয় শ্রেণির ইসলাম দ্বিতীয় অধ্যায় ইবাদত এর অনুশীলনীর প্রশ্নউত্তরের সাথে সাথে অতিরিক্ত সংক্ষিপ্ত ও কাঠামোবদ্ধ প্রশ্নউত্তর দেখতে নিচে চোখ রাখুন। ৩য় শ্রেণির ইসলাম ২য় অধ্যায় ইবাদত ⇒ অধ্যায়টির মূলভাব জেনে নিই ইবাদত অর্থ গোলামি করা। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মানুষকে তাঁর ইবাদত করার জন্যই সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (স)-এর কথামতো কাজ করলে সব কিছুই ইবাদতের মধ্যে গণ্য হবে। ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি লাভ করা যায়। সালাত হলো সর্বপ্রধান ইবাদত। ৩য় শ্রেণির ইসলাম ২য় অধ্যায় অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর ১। সঠিক উত্তরে টিক (√) চি‎‎হ্ন দাও। ক) সময়মতো সালাত আদায় করা কার হুকুম? ১. আব্বার ২. আম্মার √ ৩. আল্লাহর ৪. শিক্ষকের খ) ওযুতে কনুই পর্যন্ত হাত ধোয়া কী? ১. সুন্নত √ ২. ফরজ ৩. নফল ৪. ওয়াজিব গ) সালাতে মেয়েরা কোথায় তাহরিমা বাঁধবে? ১. বুকের নিচে ২. নাভি বরাবর ৩. নাভির ওপরে √ ৪. বুকের ওপরে ঘ) সানা কখন পড়তে হয়? ১. সালাতের শেষে ২. সালাতের মাঝে ৩. সালাতের শুরুতে √ ৪. তাহরিমা বাঁধার পর ঙ) ভালো কাজ আরম্ভ করার সময় কী বলতে হয়? √ ১. বিসমিল্লাহ ২. সুবহানাল্লাহ ৩. মাশাআল্লাহ ৪. ইন্না লিল্লাহ চ) সিজদাহর তাসবিহ কোনটি? ১. আল্লাহু আকবর ২. সুবহানাল্লাহ √ ৩. সুবহানা রাব্বিয়াল আ’লা ৪. রাব্বানা লাকাল হামদ ২। শূন্যস্থান পূরণ কর : ক. আল্লাহ তায়ালা ___ কথা বলতে নিষেধ করেছেন। খ. পাকসাফ থাকা ইমানের ___ অংশ। গ. ওযুর ___ চারটি। ঘ. সালাতে প্রথমে ___ করতে হয়। ঙ. ___ দ্বারা সালাত শেষ হয়ে যায়। উত্তর : ক. মিথ্যা খ. অর্ধেক গ. ফরজ ঘ. ওযু ঙ. সালাম। ৩। সংক্ষিপ্ত উত্তর-প্রশ্ন : ক. রূকুর তাসবিহ কী? উত্তর : রূকুর তাসবিহ হলো- সুবহানা রাব্বিয়াল আযীম। অর্থ : আমার সুমহান প্রতিপালকের পবিত্রতা ঘোষণা করছি। খ. সিজদাহর তাসবিহ কী? উত্তর : সিজদাহর তাসবিহ হলোÑ সুবহানা রাব্বিয়াল আ’লা। অর্থ : আমার সর্বশ্রেষ্ঠ প্রতিপালকের পবিত্রতা ঘোষণা করছি। গ. সালাত কয় ওয়াক্ত? উত্তর : সালাত দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত। ঘ. ওযুর ফরজ কয়টি? উত্তর : ওযুর ফরজ চারটি। ঙ. ইসলামের ভিত্তি কয়টি? উত্তর : ইসলামের ভিত্তি পাঁচটি। ৪। বর্ণনামূলক প্রশ্নোত্তর ক. ইবাদত কাকে বলে? উদাহরণসহ লেখ। উত্তর : ইবাদত অর্থ গোলামি করা, আমল করা, কাজ করা। আল্লাহ তায়ালা ও রাসুল (স)-এর কথামতো কাজ করাকে ইবাদত বলে। আমাদেরকে আল্লাহ তায়ালা শুধু তাঁর ইবাদত করার জন্যই সৃষ্টি করেছেন। প্রধান ইবাদতসমূহ হচ্ছে- সালাত, যাকাত, সাওম ও হজ। তবে লেখাপড়া, খাওয়া-দাওয়া, চলাফেরা, ঘুমানো সব কিছুই ইবাদত হবে যদি আমরা এগুলো আল্লাহর হুকুম অনুযায়ী ও রাসুলের শেখানো পথে করি। সালাম দেওয়া, আব্বা-আম্মার কথামতো চলা, জীবে দয়া করা, রোগীর সেবা করা, ইয়াতিম-মিসকিনকে সাহায্য করা, সত্য কথা বলা, সালাত আদায় করা ইত্যাদি সবই ইবাদত। খ. ইসলামের ভিত্তি কয়টি ও কী কী? উত্তর : ইসলামের ভিত্তি পাঁচটি। যথা : (১) ইমান (২) সালাত (৩) যাকাত (৪) সাওম (৫) হজ। গ. পাকসাফ থাকলে কী উপকার হয়? উত্তর : পাকসাফ থাকলে অনেক অসুখ-বিসুখ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। শরীর ও মন সুস্থ থাকে। যারা পাকসাফ থাকে সবাই তাদের ভালোবাসে; আল্লাহ তায়ালাও তাদের ভালোবাসেন। ঘ. হাত-পা পরিষ্কার রাখার উপকারিতা কী? উত্তর : হাত-পা পরিষ্কার রাখার অনেক উপকারিতা রয়েছে। এর মাধ্যমে রোগ-জীবাণুর আক্রমণ থেকে বেঁচে থাকা যায়। শরীর সুস্থ থাকে ও মন ভালো থাকে। মহানবি (স) সব সময় পাকসাফ থাকতেন। হাত-পা পরিষ্কার রাখতেন। সপ্তাহে অন্তত একবার নখ কাটতেন। যারা সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকেন তাঁদের আল্লাহ তায়ালা ভালোবাসেন। ঙ. চোখ পরিষ্কার রাখার উপায় কী? উত্তর : চোখ পরিষ্কার রাখার জন্য ঘুম থেকে উঠে পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালোভাবে চোখ ধুয়ে ফেলতে হবে। অপরিষ্কার হাত চোখে লাগানো যাবে না। চোখের পিঁচুটি ভালোভাবে সাফ করতে হবে। সবুজ শাকসবজি বেশি বেশি খেতে হবে। এছাড়া নিয়মিত ওযু করে সালাত আদায় করলে চোখ পরিষ্কার থাকে। চোখের অসুখ হয় না। চ. ওযুর নিয়ম লেখ। উত্তর : ওযুর নিয়ম হলো- ১. নিয়ত করা। ২. বিসমিল্লাহ বলে ওযু শুরু করা। ৩. কবজি পর্যন্ত দুই হাত তিনবার ধোয়া। ৪. তিনবার কুলি করা। ৫. মেসওয়াক দিয়ে দাঁত মাজা অথবা না থাকলে আঙুল দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করা। ৬. পানি দিয়ে তিনবার নাক সাফ করা। ৭. সমস্ত মুখ তিনবার ধোয়া। ৮. কনুইসহ প্রথমে ডান, পরে বাম হাত তিনবার ধোয়া। ৯. মাথা, কান ও ঘাড় একবার মাসহ করা। ১০. টাখনু গিরাসহ প্রথমে ডান ও পরে বাম পা তিনবার ধোয়া। ১১. ওযু শেষ করার পর কালেমা শাহাদত পড়া। ছ. ওযুর ফরজ কয়টি ও কী কী? উত্তর : ওযুর ফরজ চারটি। যথা- ১. সমস্ত মুখমÐল একবার ধোয়া। ২. কনুইসহ দুই হাত একবার ধোয়া। ৩. মাথার চার ভাগের এক ভাগ একবার মাসহ করা। ৪. গিরাসহ দুই পা একবার ধোয়া। জ. দিনে-রাতে কয়বার সালাত আদায় করতে হয়? ওয়াক্তগুলোর নাম লেখ। উত্তর : দিনে-রাতে পাঁচবার সালাত আদায় করতে হয়। সালাতের ওয়াক্তগুলোর নাম নিচে উল্লেখ করা হলো- ১. ফজর, ২. যোহর, ৩. আসর, ৪. মাগরিব, ৫. ইশা। ঝ. কীভাবে তাহরিমা বাঁধতে হয়? উত্তর : আল্লাহু আকবার বলে তাকবিরে তাহরিমা বাঁধতে হয়। তাকবিরে তাহরিমা বাঁধার সময় ছেলেরা তাদের উভয় হাত কান বরাবর উঠাবে আর মেয়েরা তাদের হাত বুক বরাবর উঠাবে। হাত বাঁধার নিয়ম হলো, ছেলেরা বাম হাতের তালু নাভি বরাবর রাখবে। ডান হাতের তালু বাম হাতের পিঠের ওপর রেখে বাঁধবে। মেয়েরা বাঁধবে বুকের ওপর। ঞ. রূকু কীভাবে করতে হয়? উত্তর : সালাতে সূরা ফাতিহা ও অন্য একটি সূরা বা আয়াত পড়ব। এরপর রূকুতে চলে যাব। রূকু করার জন্য দুই হাত দুই হাঁটুর উপর রাখব। মাথা, পিঠ ও কোমর এক বরাবর রাখব। কনুই পাঁজর থেকে ফাঁক করে রাখব। এরপর রূকুর তসবিহ পাঠ করব। রূকুর তসবিহ হলো- “সুবহানা রাব্বিয়াল আযীম” ট. সিজদাহ করার নিয়ম বল। উত্তর : আল্লাহু আকবার বলতে বলতে সিজদায় যাব। সিজদায় প্রথমে দুই হাঁটু তারপর দুই হাত জায়নামাজে রাখব। এরপর দুই হাতের মাঝখানে প্রথমে নাক এরপর কপাল রাখব। সিজদায় গিয়ে সিজদাহর তসবিহ পাঠ করব। সিজদাহর তসবিহ হলো- “সুবহানা রাব্বিআল আ’লা” ঠ. সালাতের নৈতিক উপকার কী? উত্তর : সালাত আদায়ের মাধ্যমে আমাদের মনে আল্লাহর প্রতি ভয় তৈরি হয়। আর এই ভয় আমাদেরকে সকল অন্যায় ও পাপ কাজ থেকে বিরত রাখে। এর ফলে আমরা চরিত্রবান হয়ে উঠি। জামাতে সালাত আদায়ের মাধ্যমে ধনী ও দরিদ্রের মাঝে ব্যবধান দূর হয়। সমাজে স¤প্রীতি সৃষ্টি হয়। এভাবে শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়ে ওঠে।   ৩য় শ্রেণির ইসলাম ২য় অধ্যায় অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর ⇒ শুদ্ধ/অশুদ্ধ নির্ণয় ১) আল্লাহ তায়ালা মিথ্যা কথা বলতে নিষেধ করেছেন। ২) ফরজ অর্থ অবশ্য পালনীয়। ৩) পাক পবিত্র হওয়ার প্রধান উপায় হলো ওযু। ৪) ওযু না হলে সালাত আদায় হবে। ৫) তাকবিরে তাহরিমা বলা ওয়াজিব। ৬) সালাতে রুকু সিজদা করা ফরজ। ৭) সালাত সঠিক হলে জীবন সুন্দর হয়। উত্তর :

তৃতীয় শ্রেণির ইসলাম দ্বিতীয় অধ্যায় ইবাদত Read More »

Scroll to Top