নবম-দশম

নবম-দশম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান পঞ্চম অধ্যায় দেখতে হলে আলো চাই

এসএসসি সাধারণ বিজ্ঞান পঞ্চম অধ্যায় দেখতে হলে আলো চাই পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি দর্পণ : যে মসৃণ তলে আলোর নিয়মিত প্রতিফলন ঘটে তাকে দর্পণ বলে। চকচকে ধাতব পাত, পলিশ করা টেবিল ইত্যাদি দর্পণ হিসেবে কাজ করে।  গোলীয় দর্পণ : যে দর্পণের প্রতিফলক পৃষ্ঠ কোনো গোলকের অংশবিশেষ তাকে গোলীয় দর্পণ বলে।  আলোর প্রতিসরণ : আলোকরশ্মি এক স্বচ্ছ মাধ্যম থেকে অন্য স্বচ্ছ মাধ্যমে যাওয়ার সময় মাধ্যমদ্বয়ের বিভেদতলে তীর্যকভাবে আপতিত আলোকরশ্মির দিক পরিবর্তন করার ঘটনাকে আলোর প্রতিসরণ বলে।  আলোর প্রতিসরণের সূত্র : আলোর প্রতিসরণ দুটি সূত্র মেনে চলে প্রথম সূত্র : আপতিত রশ্মি, প্রতিসরিত রশ্মি ও আপতন বিন্দুতে বিভেদতলের উপর অঙ্কিত অভিলম্ব একই সমতলে অবস্থান করে। দ্বিতীয় সূত্র : একজোড়া নির্দিষ্ট মাধ্যম ও নির্দিষ্ট বর্ণের আলোর জন্য আপতন কোণের সাইন ও প্রতিসরণ কোণের সাইনের অনুপাত সর্বদা ধ্রæবক। এ ধ্রæবককে সাধারণত  দ্বারা প্রকাশ করা হয়। অর্থাৎ, যদি আপতন কোণ = র এবং প্রতিসরণ কোণ = ৎ হয় তবে,  = ংরহ রংরহ ৎ  প্রতিসরাঙ্ক : আলোকরশ্মি যখন এক স্বচ্ছ মাধ্যম থেকে অন্য স্বচ্ছ মাধ্যমে তীর্যকভাবে প্রবেশ করে তখন নির্দিষ্ট রঙের আলোর জন্য আপতন কোণের সাইন ও প্রতিসরণ কোণের সাইনের অনুপাত যে ধ্রæব সংখ্যা হয় তাকে প্রথম মাধ্যমের সাপেক্ষে দ্বিতীয় মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক বা আপেক্ষিক প্রতিসরাঙ্ক বলে।  লেন্স : দুটি গোলীয় পৃষ্ঠ দ্বারা সীমাবদ্ধ কোনো স্বচ্ছ প্রতিসারক মাধ্যমকে লেন্স বলে। লেন্স প্রধানত দুই রকমের হয়। যথা : উত্তল বা অভিসারী লেন্স এবং অবতল বা অপসারী লেন্স।  উত্তল বা অভিসারী লেন্স : যে লেন্সের মধ্যভাগ মোটা ও প্রান্ত সরু তাকে উত্তল লেন্স বলে। এ লেন্সে আলোকরশ্মি উত্তল পৃষ্ঠে আপতিত হয় বলে একে উত্তল লেন্স বলে। এ লেন্স সাধারণত এক গুচ্ছ সমান্তরাল আলোকরশ্মিকে অভিসারী করে থাকে বলে একে অভিসারী লেন্সও বলা হয়।  অবতল বা অপসারী লেন্স : যে লেন্সের মধ্যভাগ সরু ও প্রান্তের দিকে মোটা তাকে অবতল লেন্স বলে। এ লেন্সে আলোকরশ্মি অবতল পৃষ্ঠে আপতিত হয় বলে একে অবতল লেন্স বলে। এ লেন্স সাধারণত একগুচ্ছ আলোকরশ্মিকে অপসারী করে থাকে বলে একে অপসারী লেন্সও বলে।  বক্রতার কেন্দ্র : সাধারণত লেন্সের পৃষ্ঠসমূহ যে গোলকের অংশ তার কেন্দ্রকে বক্রতার কেন্দ্র বলে। লেন্সের দুই পৃষ্ঠের জন্য বক্রতার কেন্দ্র দুইটি।  প্রধান অক্ষ : লেন্সের উভয় পৃষ্ঠের বক্রতার কেন্দ্র দুটির মধ্য দিয়ে গমনকারী সরলরেখাকে প্রধান অক্ষ বলে।  লেন্সের প্রধান ফোকাস : লেন্সের প্রধান অক্ষের সমান্তরাল এবং নিকটবর্তী রশ্মিগুচ্ছ প্রতিসরণের পর প্রধান অক্ষের ওপর যে বিন্দুতে মিলিত হয় (উত্তল লেন্সে) বা যে বিন্দু থেকে অপসৃত হচ্ছে বলে মনে হয় (অবতল লেন্সে) সেই বিন্দুকে লেন্সের প্রধান ফোকাস বলে।  ফোকাস দূরত্ব : লেন্সের আলোক বিন্দু থেকে প্রধান ফোকাস পর্যন্ত দূরত্বকে লেন্সের ফোকাস দূরত্ব বলে।  লেন্সের ক্ষমতা : একগুচ্ছ সমান্তরাল আলোক রশ্মিকে কোনো লেন্সের অভিসারী (উত্তল লেন্সে) গুচ্ছে বা অপসারী (অবতল লেন্সে) গুচ্ছে পরিণত করার প্রবণতাকে ঐ লেন্সের ক্ষমতা বলে।  ডায়অপ্টার : লেন্সের ক্ষমতার প্রচলিত একক হলো ডায়অপ্টার। এক মিটার ফোকাস দূরত্বের কোনো লেন্সের ক্ষমতাকে এক ডায়অপ্টার বলে। কোনো লেন্সের ফোকাস দূরত্ব ƒ মিটার এবং ক্ষমতা চ ডায়অপ্টার হলে, চ = ১ƒ।  চোখের নিকট বিন্দু ও দূরবিন্দু : সুস্থ ও স্বাভাবিক চোখ যে নিকটতম বিন্দু পর্যন্ত বিনা শ্রান্তিতে স্পষ্ট দেখতে পায় তাকে চোখের নিকট বিন্দু প্রায় ২৫ সে.মি. বলে। সবচেয়ে দূরে অবস্থিত যে বিন্দু পর্যন্ত স্বাভাবিক চোখ স্পষ্ট দেখতে পায় তাকে চোখের দূরবিন্দু (সাধারণত অসীম) বলে।  স্পষ্ট দর্শনের নিকটতম দূরত্ব ২৫ সেমি-এর অর্থ : কোনো ব্যক্তির স্পষ্ট দর্শনের নিকটতম বিন্দু ২৫ সে.মি. বলতে বোঝায় কোনো বস্তু ২৫ সে.মি. দূরে থাকলে একজন ব্যক্তির চোখ বিনা বাধায় তা স্পষ্ট দেখতে পায়।  চোখের ত্রæটি : স্বাভাবিক চোখের দৃষ্টির পাল্লা ২৫ পস থেকে অসীম পর্যন্ত বিস্তৃত অর্থাৎ স্বাভাবিক চোখ ২৫ সে.মি. থেকে অসীম দূরত্বের মধ্যে যে কোনো বস্তু স্পষ্ট দেখতে পায়। যদি কোনো চোখ এই পাল্লার মধ্যে কোনো বস্তুকে স্পষ্ট দেখতে না পায় তাহলে সেই চোখ ত্রæটিপূর্ণ বলে ধরা হয়। চোখে মোট চার ধরনের ত্রæটি দেখা যায় (ক) হ্রস্বদৃষ্টি বা মাইওপিয়া, (খ) দীর্ঘদৃষ্টি বা হাইপারমেট্রোপিয়া, (গ) বার্ধক্য দৃষ্টি বা চালশে ও (ঘ) বিষম দৃষ্টি বা নকুলান্ধতা। এদের মধ্যে হ্রস্বদৃষ্টি বা মাইওপিয়া ও দীর্ঘদৃষ্টি বা হাইপারমেট্রোপিয়া এই দুটিকে দৃষ্টির প্রধান ত্রæটি বলা হয়।  হ্রস্বদৃষ্টি বা মাইওপিয়া : এই ত্রæটিগ্রস্ত চোখ দূরের জিনিস ভালোভাবে দেখতে পায় না কিন্তু কাছের জিনিস স্পষ্ট দেখতে পায়। এমনকি এই চোখের নিকট বিন্দু ২৫ সে.মি. এরও কম হতে পারে। কারণ : অক্ষিগোলকের ব্যাসার্ধ বেড়ে গেলে বা চোখের লেন্সের ফোকাস দূরত্ব কমে গেলে অর্থাৎ অভিসারী ক্ষমতা বেড়ে গেলে এই ত্রæটি দেখা যায়।  দীর্ঘ দৃষ্টি বা হাইপারমেট্রোপিয়া : এই ত্রæটিগ্রস্ত চোখ দূরের জিনিস দেখতে পায় কিন্তু কাছের জিনিস স্পষ্ট দেখতে পায় না। কারণ : অক্ষিগোলকের ব্যাসার্ধ কমে গেলে বা চোখের লেন্সের ফোকাস দূরত্ব বেড়ে গেলে অর্থাৎ অভিসারী ক্ষমতা কমে গেলে চোখে এই ধরনের ত্রæটি দেখা দেয়। অনুশীলনীর বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ১. স্বাভাবিক চোখে স্পষ্ট দৃষ্টির ন্যূনতম দূরত্ব কত? ক ৫ সেমি খ ১০ সেমি  ২৫ সেমি ঘ ৫০ সেমি ২. উত্তল লেন্সের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হলোÑ র. এটির ক্ষমতা ধনাত্মক রর. লেন্সের মধ্যভাগ সরু ও মোটা ররর. সমান্তরাল রশ্মিগুলোকে একটি বিন্দুতে মিলিত করে নিচের কোনটি সঠিক? ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর নিচের চিত্রটি লক্ষ কর এবং ৩ ও ৪নং প্রশ্নের উত্তর দাও : ৩. উদ্দীপকে উল্লিখিত চোখের ত্রæটিকে কী বলা হয়?  হ্রস্বদৃষ্টি খ দীর্ঘদৃষ্টি গ বার্ধক্য দৃষ্টি ঘ বিষম দৃষ্টি ৪. উল্লিখিত ত্রæটি দূর করতে হলে কোন ধরনের লেন্স ব্যবহার করতে হবে? ক উত্তল লেন্স  অবতল লেন্স গ উত্তলাবতল লেন্স ঘ সমতলাবতল লেন্স গুরুত্বপূর্ণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ৫. কাছের বস্তুকে দেখার জন্য ব্যবহার করা হয় নিচের কোন লেন্স? ক অবতল লেন্স খ সমতলাবতল লেন্স  উত্তল লেন্স ঘ উত্তলাবতল লেন্স ৬. শিশুর চোখের স্পষ্ট দৃষ্টির ন্যূনতম দূরত্ব কত? ক ৫০ সে.মি. খ ২৫ সে.মি. গ ১০ সে.মি.  ৫ সে.মি. ৭. চোখের অক্ষিগোলকের ব্যাসার্ধ হ্রাস পেলে কোন ত্রæটি হয়? ক বার্ধক্য দৃষ্টি খ বিষম দৃষ্টি গ হ্রস্বদৃষ্টি  দূর দৃষ্টি ৮. কোনটি দীর্ঘদৃষ্টির কারণ?  চোখের লেন্সের অভিসারী ক্ষমতা হ্রাস পেলে খ চোখের লেন্সের অভিসারী ক্ষমতা বৃদ্ধি পেলে গ কোনো কারণে অক্ষিগোলকের ব্যাসার্ধ বৃদ্ধি পেলে ঘ চোখের লেন্সের ফোকাস দূরত্ব হ্রাস পেলে ৯. আবছা আলোয় সংবেদনশীল হয় কোনটি? ক কোন  রড গ রেটিনা ঘ চোখের লেন্স ১০. অক্ষিগোলকের ব্যাসার্ধ বৃদ্ধি পেলে কোন ত্রæটি হয়?  ক্ষীণদৃষ্টি খ দূর দৃষ্টি গ চালশে ঘ নকুলান্ধতা ১১. চিত্রের ক্ষেত্রে প্রতিসরাঙ্ক কত? ২ খ ১২ গ ৩২ ঘ ১২ ১২. লেন্সের ক্ষমতার

নবম-দশম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান পঞ্চম অধ্যায় দেখতে হলে আলো চাই Read More »

নবম-দশম শ্রেণির অর্থনীতি অধ্যায় ৪ উৎপাদন ও সংগঠন

চতুর্থ অধ্যায়  উৎপাদন ও সংগঠন উৎপাদন বলতে মূলত উপযোগ সৃষ্টি করা বোঝায়। উপকরণ বা প্রাথমিক দ্রব্য ব্যবহার করে নতুন কোন দ্রব্য বা উপযোগ সৃষ্টি করাকে উৎপাদন বলা হয়। উৎপাদন ক্ষেত্রে ভ‚মি, শ্রম, মূলধন ইত্যাদি উপকরণের মধ্যে সমন্বয় ঘটিয়ে উৎপাদন কার্য পরিচালনা করাকে সংগঠন বলা হয়। শিখনফল  উৎপাদনের ধারণা এবং উৎপাদনের সাথে উৎপাদকের সম্পর্ক  উৎপাদনের উপকরণসমূহ  সংগঠন ও এর বিকাশ  গড় ও প্রান্তিক উৎপাদনের মধ্যে সম্পর্ক  উৎপাদন ব্যয়ের ধারণা  প্রকাশ্য ব্যয় ও অপ্রকাশ্য ব্যয়  ব্যক্তিগত ও সামাজিক ব্যয়ের মধ্যে পার্থক্য  উৎপাদনশীল কর্মকাণ্ড এবং উদ্যোগ  ক্রমহ্রাসমান উৎপাদন বিধি অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সংক্ষেপে জেনে রাখি  উৎপাদন ও উৎপাদক : উৎপাদন বলতে মূলত উপযোগ সৃষ্টি করাকে বোঝায়। উৎপাদিত দ্রব্যের বিনিময় মূল্য থাকতে হবে। আবার উপযোগ সৃষ্টি না হলে উৎপাদন বোঝায় না। উপকরণ বা প্রাথমিক দ্রব্য ব্যবহার করে নতুন কোনো দ্রব্য বা উপযোগ সৃষ্টি করাকে উৎপাদন বলে। উপকরণ সংগ্রহ থেকে বাজারে নিয়ে যাওয়া পর্যন্ত সব কাজ তদারকি করে সংগঠন। সব কিছু সংগঠন দক্ষতার সংগে তদারকি না করতে পারলে নির্দিষ্ট পরিমাণ উপকরণ থেকে সর্বোচ্চ পরিমাণ উৎপাদন পাওয়া সম্ভব হবে না। একই ব্যক্তি সংগঠক এবং উৎপাদক হতে পারে।  উৎপাদনের উপকরণ : কোনো কিছু উৎপাদনের জন্য যেসব দ্রব্য বা সেবাকর্ম প্রয়োজন হয় সেগুলোকে উৎপাদনের উপকরণ বলে। উৎপাদনের উপকরণ মূলত চার ধরনের হয়। যেমন : ১. ভ‚মি, ২. শ্রম, ৩. মূলধন এবং ৪. সংগঠন।  সংগঠন ও তার বৈশিষ্ট্য : ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে উৎপাদনমুখী কার্যক্রম পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ করাকে সংগঠন বলে। সত্যিকার অর্থে সংগঠন ছাড়া উৎপাদন ও ব্যবসায় নিয়ন্ত্রণ এবং ব্যবস্থাপনা প্রায় অসম্ভব। সংগঠনই হলো ব্যবসায়ের মৌলিক ও প্রধান বিষয়।  মোট উৎপাদন : বিভিন্ন উপকরণ নিয়োগের দ্বারা যে উৎপাদন পাওয়া যায় তাকে মোট উৎপাদন বলে।  গড় উৎপাদন : মোট উৎপাদনের পরিমাণকে মোট উপকরণ বা উপাদান দ্বারা ভাগ করলে গড় উৎপাদন পাওয়া যায়।  প্রান্তিক উৎপাদন : এক একক উৎপাদনের উপকরণ পরিবর্তনের (অর্থাৎ শ্রম বা মূলধন) ফলে উৎপাদনের যে পরিবর্তন হয় তাকে প্রাপ্তিক উৎপাদন বলে।  ক্রমহ্রাসমান প্রান্তিক উৎপাদন বিধি : উৎপাদন প্রক্রিয়ায় উৎপাদন কৌশল ও অন্যান্য উপকরণ স্থির রেখে একটি উপকরণ বৃদ্ধির ফলে উৎপাদন প্রাথমিকভাবে ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ে। একপর্যায়ে উপকরণটি বাড়ালে উৎপাদন ক্রমহ্রাসমান হারে বাড়ে। উপকরণ ব্যবহারের সাথে উৎপাদন বাড়ার এ নিয়মকে অর্থনীতিতে ক্রমহ্রাসমান প্রান্তিক উৎপাদন বিধি বলে।  উৎপাদন ব্যয় : উৎপাদন ব্যয় কেবল অর্থ ব্যয়ের মাধ্যমে নয় বরং মানসিক ত্যাগের মধ্যেও নিহিত। তাই আমরা আর্থিক উৎপাদন ব্যয় এবং প্রকৃত উৎপাদন ব্যয় চিহ্নিত করতে পারি। তদ্রƒপ প্রকাশ্য ব্যয় এবং অ-প্রকাশ্য ব্যয়ের ধারণাও গুরুত্বপূর্ণ।  বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর  ১. উৎপাদনের উপকরণ কয়টি? ক ২টি  ৪টি গ ৬টি ঘ ৮টি ২. কোন ধরনের ব্যয় ফার্মের হিসাব বইতে থাকে না? ক স্থির ব্যয় খ মোট ব্যয় গ প্রকাশ্য ব্যয়  অ-প্রকাশ্য ব্যয় উপরের চিত্রটি দেখ এবং ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও : ৩. সর্বোচ্চ প্রান্তিক উৎপাদন বিন্দুতে শ্রমের পরিমাণ কতটুকু? ক ঙখ  ঙখ১ গ ঙখ২ ঘ ঙখ৩ ৪. গচ রেখার উপরোক্ত আকৃতি থেকে বোঝা যায় র. উৎপাদন ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ে রর. প্রান্তিক উৎপাদন ক্রমশ কমে ররর. উৎপাদন ক্রমহ্রাসমান হারে বাড়ে নিচের কোনটি সঠিক? ক র খ রর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর  সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর  প্রশ্ন- ১  সংগঠন ও এর বিকাশ কবির একজন ব্যবসায়ী। দেশের বিভিন্ন স্থানে তাঁর কয়েকটি ফার্নিচারের দোকান আছে। তিনি ৩০ জন কর্মচারীর সাহায্যে কাঠ থেকে বিভিন্ন ধরনের আসবাবপত্র তৈরি করে দোকানে সরবরাহ করেন। প্রতিটি দোকানের জন্য তিনি আলাদা লোক নিয়োগ করেন। পণ্যের বাজার বিস্তৃত করার জন্য তিনি প্রদর্শনীতে অংশ নিয়ে থাকেন। বাজারে তার আসবাবপত্রের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে। ক. শ্রম কাকে বলে? খ. ক্রমহ্রাসমান উৎপাদন বিধি বলতে কী বুঝায়? গ. কবিরের উপযোগ সৃষ্টির প্রক্রিয়াটি তোমার পাঠ্যবইয়ের আলোকে ব্যাখ্যা কর। ঘ. কবিরকে কি একজন সফল সংগঠক বলা যায়? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও। ক উৎপাদন কাজে ব্যবহৃত মানুষের সব ধরনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমকে শ্রম বলে। খ যদি কোনো নির্দিষ্ট পরিমাণ জমিতে ক্রমাগত অধিক শ্রম ও মূলধন নিয়োগ করা হয় তাহলে শ্রম ও মূলধন যে হারে নিয়োগ করা হয় উৎপাদন তা অপেক্ষা কম হারে বৃদ্ধি পায়। উৎপাদন বৃদ্ধির এ প্রবণতাই অর্থনীতিতে ক্রমহ্রাসমান প্রান্তিক উৎপাদন বিধি নামে পরিচিত। অধ্যাপক মার্শাল বলেন, “বর্ধিত পরিমাণ মূলধন ও শ্রম কৃষিক্ষেত্রে নিয়োগ করলে উৎপাদন সাধারণত আনুপাতিক হার অপেক্ষা কম হারে বৃদ্ধি পায়।” এটিই ক্রমহ্রাসমান প্রান্তিক উৎপাদনের মূলকথা। গ কবিরের উপযোগ সৃষ্টির প্রক্রিয়াটি পাঠ্যবইয়ে বর্ণিত উৎপাদন ও উৎপাদককে ইঙ্গিত করে। উৎপাদন বলতে মূলত উপযোগ সৃষ্টি করা বোঝায়। অর্থাৎ উপকরণ বা প্রাথমিক দ্রব্য ব্যবহার করে নতুন কোনো দ্রব্য বা উপযোগ সৃষ্টি করাকে উৎপাদন বলে। এই উৎপাদিত দ্রব্যের বিনিময় মূল্য থাকা আবশ্যক। উদ্দীপকের কবির একজন ব্যবসায়ী। দেশের বিভিন্ন স্থানে তার কয়েকটি ফার্নিচারের দোকান আছে। তিনি ৩০ জন কর্মচারীর সাহায্যে কাঠ থেকে বিভিন্ন ধরনের আসবাবপত্র তৈরি করে দোকানে সরবরাহ করেন। প্রতিটি দোকানের জন্য তিনি আলাদা লোক নিয়োগ করেন। পণ্যের বাজার বিস্তৃত করার জন্য তিনি প্রদর্শনীতে অংশ নিয়ে থাকেন। বাজারে তার আসবাবপত্রের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। এক্ষেত্রে উদ্দীপকের কবিরকে প্রথমেই কাঠের রূপগত উৎপাদন করতে হয়। অর্থাৎ কাঠের রূপ পরিবর্তনের মাধ্যমে নতুন দ্রব্য উৎপাদন করা তথা কাঠকে সুবিধামতো পরিবর্তন করে খাট, চেয়ার, টেবিল বানানো হয়। এরপর স্থানগত উপযোগের মাধ্যমে পণ্যের বাজারজাতকরণ কাজ সম্পাদন করা হয়। সুতরাং কবিরের উপযোগ সৃষ্টির প্রক্রিয়াটি দ্বারা রূপগত ও স্থানগত উপযোগ সৃষ্টি হয়েছে, যা সঠিক উৎপাদন ও দক্ষ উৎপাদকের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। ঘ সাংগঠনিকভাবে পণ্যের উপযোগ সৃষ্টি করায় কবিরকে একজন সফল সংগঠক বলা যায়। একজন সফল সংগঠক নিজেই উৎপাদনের সকল পরিকল্পনা প্রণয়ন ও নীতি নির্ধারণ করেন এবং সে অনুযায়ী কারবার গঠন ও পরিচালনা করেন। ফলে ব্যবসায় পূর্বনির্ধারিত পরিকল্পনা ও নীতি অনুযায়ী পরিচালনা করা সম্ভব হয়। কবির সাহেব তার কাঠের ব্যবসা পরিচালনা করতে গিয়ে নিজে ব্যবসায়ের সকল নীতি প্রণয়ন করেন এবং সে অনুযায়ী ব্যবসায় পরিচালনা করেন। এজন্য তিনি সফলভাবে ব্যবসায় করতে পারেন। একজন সফল সংগঠক উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ সংগ্রহ করে তাদের মধ্যে সমন্বয় সাধন করেন। তারপর তা উৎপাদন কাজে নিয়োগ করেন। কবির সাহেব তার ব্যবসায় পরিচালনা করতে গিয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে বিভিন্ন ধরনের কাঠ, যন্ত্রপাতি এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য উপকরণ সংগ্রহ করে এগুলোর মধ্যে সমন্বয় করেন এবং তা উৎপাদন কাজে ব্যবহার করেন। একজন সফল সংগঠক ব্যবসায়ের উন্নতি ও প্রসারের জন্য নতুন নতুন জিনিস উদ্ভাবন করেন। এর ফলে ব্যবসায়ের ভিত্তি দৃঢ় ও অধিক মুনাফা লাভের পথ প্রশস্ত হয়। কবির সাহেব তার কাঠের বিভিন্ন দোকানে নতুন ধরনের আসবাবপত্র বিক্রির ব্যবস্থা করেন। তিনি আসবাবপত্রের বিভিন্ন প্রদর্শনীতেও অংশগ্রহণ করেন। কবির সাহেবের এসব কাজের ফলে তার ব্যবসায়ের পরিধি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই বলা যায়,

নবম-দশম শ্রেণির অর্থনীতি অধ্যায় ৪ উৎপাদন ও সংগঠন Read More »

নবম-দশম শ্রেণির অর্থনীতি অধ্যায় ৩ উপযোগ, চাহিদা, যোগান ও ভারসাম্য

তৃতীয় অধ্যায়  উপযোগ, চাহিদা, যোগান ও ভারসাম্য উপযোগ একটি মানবিক ধারণা। ক্রেতার একটি পণ্য নির্দিষ্ট সময়ে কেনার আকাক্সক্ষা, সামর্থ্য এবং নির্দিষ্ট মূল্যে দ্রব্যটি ক্রয় করার ইচ্ছাকে অর্থনীতিতে চাহিদা বলে। অপরদিকে বিক্রেতা বিভিন্ন দামে দ্রব্যের যে বিভিন্ন পরিমাণ বিক্রয় করতে ইচ্ছুক তাকে অর্থনীতিতে যোগান বলে। যে দামে দ্রব্যটির চাহিদা ও যোগান সমান হয় তাকে ভারসাম্য বলে। শিখনফল  উপযোগের ধারণা  উপযোগ, ভোগ ও ভোক্তার মধ্যে সম্পর্ক  মোট উপযোগ যে প্রান্তিক উপযোগের সমষ্টি  ক্রমহ্রাসমান প্রান্তিক উপযোগ বিধি চিত্র  দাম ও চাহিদার পরিমাণের সম্পর্ক  দাম ও যোগানের পরিমাণের সম্পর্ক  ভারসাম্য দাম ও পরিমাণ অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সংক্ষেপে জেনে রাখি  উপযোগ : উপযোগ একটি মানসিক ধারণা। অর্থনীতিতে উপযোগ বলতে কোনো দ্রব্যের মানুষের অভাব পূরণের ক্ষমতাকে বোঝানো হয়।  ভোগ : অর্থনীতিতে মানুষের অভাব পূরণের জন্য কোনো দ্রব্যের উপযোগ নিঃশেষ করাকে ভোগ বলা হয়।  ভোক্তা : কোনো অবাধ সহজলভ্য দ্রব্য ছাড়া অন্য সব দ্রব্য ভোগ করার জন্য যে ব্যক্তি অর্থ ব্যয় করতে প্রস্তুত থাকে তাকে ভোক্তা বলা হয়।  মোট উপযোগ : কোনো নির্দিষ্ট সময়ে একটি দ্রব্যের বিভিন্ন একক থেকে প্রাপ্ত তৃপ্তির সমষ্টিকে মোট উপযোগ বলে।  প্রান্তিক উপযোগ : অতিরিক্ত এক একক দ্রব্য বা সেবা ভোগ করে যে অতিরিক্ত উপযোগ বা তৃপ্তি পাওয়া যায় তাকে প্রান্তিক উপযোগ বলে।  ক্রমহ্রাসমান প্রান্তিক উপযোগ বিধি : ভোগের একক বৃদ্ধির ফলে প্রান্তিক উপযোগ কমে যাওয়ার প্রবণতাকে ক্রমহ্রাসমান প্রান্তিক উপযোগ বিধি বলে। ক্রমহ্রাসমান প্রান্তিক উপযোগ বিধির শর্ত হলো ভোক্তা হবে স্বাভাবিক বিচারবুদ্ধিসম্পন্ন; ভোক্তা চাইলে দ্রব্যের উপযোগ অর্থ দিয়ে পরিমাপ করতে পারে; দ্রব্যের দাম প্রান্তিক উপযোগের সমান হবে; দ্রব্যটি ভোগ করার সময় ভোক্তার আয়, রুচি এবং পছন্দের পরিবর্তন হবে না; নির্দিষ্ট সময় বিবেচ্য।  চাহিদা : সুতরাং ক্রেতার একটি পণ্য নির্দিষ্ট সময়ে কেনার আকাক্সক্ষা, সামর্থ্য এবং নির্দিষ্ট মূল্যে দ্রব্যটি ক্রয় করার ইচ্ছা থাকলে তাকে অর্থনীতিতে চাহিদা (উবসধহফ) বলে।  চাহিদাবিধি : চাহিদার সাথে দামের একটি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। চাহিদা বিধি বা সূত্র অনুসারে “অন্যান্য অবস্থা অপরিবর্তিত থেকে কোনো নির্দিষ্ট সময়ে পণ্যের দাম কমলে তার চাহিদার পরিমাণ বাড়ে এবং দাম বাড়লে চাহিদার পরিমাণ কমে।”  যোগান : অর্থনীতিতে যোগান বলতে একজন বিক্রেতা কোনো একটি দ্রব্যের যে পরিমাণ একটি নির্দিষ্ট সময়ে এবং একটি নির্দিষ্ট দামে বিক্রয় করতে ইচ্ছুক ও সমর্থ থাকে তাকে যোগান বলে। অতএব, বিক্রেতা বিভিন্ন দামে দ্রব্যের যে বিভিন্ন পরিমাণ বিক্রয় করতে ইচ্ছুক তাকেই অর্থনীতিতে যোগান (ঝঁঢ়ঢ়ষু) বলে।  যোগান বিধি : দ্রব্যের দাম বৃদ্ধির সাথে সাথে দ্রব্যের যোগানের পরিমাণ বাড়ে এবং দাম কমার সাথে সাথে দ্রব্যের যোগানের পরিমাণ কমে যায়। অতএব দাম ও যোগানের সম্পর্ক সমমুখী। দাম যেদিকে পরিবর্তিত হয় যোগানও সেদিকে পরিবর্তিত হয়। অর্থাৎ অন্যান্য অবস্থা অপরিবর্তিত থেকে দাম বৃদ্ধি পেলে যোগানের পরিমাণ বৃৃদ্ধি পায় এবং দাম হ্রাস পেলে যোগানের পরিমাণ হ্রাস পায়।  ভারসাম্য দাম ও পরিমাণ : বাজারের একটি সাধারণ দৃশ্য হলো ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে দ্রব্যের দাম নিয়ে দর কষাকষি করা। ক্রেতা চেষ্টা করে সর্বনিম্ন দামে দ্রব্যটি ক্রয় করতে। আবার, বিক্রেতা চেষ্টা করে সর্বোচ্চ দামে দ্রব্য বিক্রয় করতে। ক্রেতা-বিক্রেতার দর কষাকষির ফলে এমন একটি দামে দ্রব্যটি ক্রয়-বিক্রয় হয় যেখানে চাহিদা ও যোগান পরস্পর সমান। যে দামে দ্রব্যটির চাহিদা ও যোগান সমান হয় তাকে ভারসাম্য দাম বলে। ভারসাম্য দামে যে পরিমাণ দ্রব্য কেনা-বেচা হয় তাকে ভারসাম্য পরিমাণ বলে।  বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর  ১. অর্থনীতিতে চাহিদার শর্ত কয়টি? ক ২  ৩ গ ৪ ঘ ৫ ২. বাজার ভারসাম্যের ক্ষেত্রে নিচের কোন শর্তটি আবশ্যক?  যে বিন্দুতে চাহিদা = যোগান খ যে বিন্দুতে চাহিদা > যোগান গ যে বিন্দুতে যোগান > চাহিদা ঘ যোগান দাম < চাহিদা দাম নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও : তাহসীন স্কুলে গিয়ে পেয়ারা কিনে খেল। তার ভাগকৃত পেয়ারার উপযোগ সূচি নিচে দেওয়া হলো- দ্রব্যের একক মোট উপযোগ (টাকায়) প্রান্তিক উপযোগ (টাকায়) ১ ৫ ৫ ২ ৯ ৪ ৩ ১২ ৩. তাহসীনের ৩য় পেয়ারার প্রান্তিক উপযোগ কত? ক ৫ টাকা খ ৪ টাকা  ৩ টাকা ঘ ২ টাকা ৪. তাহসীনের উক্ত আচরণে র. স্বাভাবিক অবস্থা প্রকাশ পেয়েছে রর. পেয়ারার প্রতি আকর্ষণ অপরিবর্তিত রয়েছে ররর. পেয়ারার প্রতি প্রান্তিক উপযোগ ক্রমান্বয়ে কমেছে নিচের কোনটি সঠিক? ক র খ রর ও ররর  র ও ররর ঘ র, রর ও ররর  সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর  প্রশ্ন- ১  চাহিদা রেখা ক ও খ ব্যক্তির ক্ষেত্রে ‘ঢ’ দ্রব্যের চাহিদা সূচি দেওয়া হলো Ñ প্রতি একক দ্রব্যের দাম (টাকায়) ক ব্যক্তির চাহিদার পরিমাণ (কুইন্টাল) খ ব্যক্তির চাহিদার পরিমাণ (কুইন্টাল) ২০ টাকা ৫ ৭ ১৫ টাকা ১০ ১১ ১০ টাকা ১৫ ১৫ ক. উপযোগ কাকে বলে? খ. মোট উপযোগ ও প্রান্তিক উপযোগের মধ্যে একটি সম্পর্ক ব্যাখ্যা কর। গ. ‘ঢ’ দ্রব্যের চাহিদা সূচি থেকে ‘ক’ ব্যক্তির চাহিদা রেখা অংকন করে ব্যাখ্যা কর। ঘ. ‘ঢ’ দ্রব্যের বাজার চাহিদা রেখা অংকন করে ‘ক’ ব্যক্তির চাহিদা রেখার সাথে তুলনা কর। ক অর্থনীতিতে কোনো দ্রব্যের অভাব পূরণের ক্ষমতাকে উপযোগ বলে। খ অর্থনীতিতে মোট উপযোগ ও প্রান্তিক উপযোগের মধ্যে একটি বিপরীতমুখী সম্পর্ক বিদ্যমান। কোনো দ্রব্যের ভোগ বাড়লে মোট উপযোগ ক্রমহ্রাসমান হারে বাড়ে। কিন্তু প্রান্তিক উপযোগ ক্রমহ্রাসমান হারে কমে। প্রকৃতপক্ষে, ক্রমহ্রাসমান প্রান্তিক উপযোগ বিধির কার্যকারিতার কারণে কোনো দ্রব্যের ভোগ বাড়ার সাথে সাথে ভোক্তার কাছে তার প্রান্তিক এককগুলোর উপযোগ ক্রমান্বয়ে কমে। তাই প্রান্তিক এককগুলোর উপযোগ যোগ করলে দেখা যায়, মোট উপযোগ বাড়ে আর প্রান্তিক এককগুলোর উপযোগ ক্রমান্বয়ে কমে। গ নিচে ঢ-দ্রব্যের চাহিদা সূচি হতে ক ব্যক্তির চাহিদা রেখা অঙ্কন করা হলো : উপরের রেখাচিত্রে ঙঢ ভ‚মি অক্ষে চাহিদার পরিমাণ এবং ঙণ লম্ব অক্ষে দ্রব্যের দাম দেখানো হয়েছে। দ্রব্যের দাম যখন ১০ টাকা তখন চাহিদার পরিমাণ ১৫ কুইন্টাল এবং রেখা দুটি ধ বিন্দুতে মিলিত হয়েছে। দ্রব্যের দাম বেড়ে যখন ১৫ ও ২০ টাকা তখন চাহিদার পরিমাণ কমে যথাক্রমে ১০ ও ৫ কুইন্টাল হয়েছে। যাদের রেখাগুলো যথাক্রমে ন ও প বিন্দুতে মিলিত হয়েছে। এখন ধ, ন ও প বিন্দুগুলো যোগ করলে আমরা উউ রেখা পাই। এই উউ রেখাই হলো ক ব্যক্তির চাহিদা রেখা। উউ চাহিদা রেখার বিন্দুগুলো দ্রব্যের বিভিন্ন দামে চাহিদার বিভিন্ন পরিমাণ নির্দেশ করছে। এভাবে আমরা চাহিদা বিধি অনুযায়ী যেকোনো চাহিদা রেখা অঙ্কন করতে পারি। ঘ নিচে ‘ঢ’ দ্রব্যের বাজার চাহিদা রেখা অঙ্কন করে ক ব্যক্তির চাহিদা রেখার সাথে তুলনা করা হলো : ‘ঢ’ দ্রব্যের মূল্যের প্রেক্ষিতে ক ব্যক্তির ব্যক্তিগত চাহিদা রেখায় যেমন দাম কমার সাথে সাথে চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে তেমনি বাজার চাহিদা রেখায়ও দাম কমার পাশাপাশি চাহিদার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ‘ক’ ব্যক্তির চাহিদা রেখা একজন ভোক্তার তথ্য নিয়ে তৈরি করা হয়। অন্যদিকে, ‘ঢ’ দ্রব্যের বাজার চাহিদায় দুইজন ভোক্তার তথ্য

নবম-দশম শ্রেণির অর্থনীতি অধ্যায় ৩ উপযোগ, চাহিদা, যোগান ও ভারসাম্য Read More »

নবম-দশম শ্রেণির মানবিক অর্থনীতি অধ্যায় ২ অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ ধারণাসমূহ

দ্বিতীয় অধ্যায়  অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ ধারণাসমূহ অর্থনীতিতে সম্পদ হলো সেসব জিনিস বা দ্রব্য যেগুলো পেতে চাইলে অর্থ ব্যয় করতে হয়। সংক্ষেপে আমরা এ দ্রব্যগুলোকে অর্থনৈতিক দ্রব্যও বলে থাকি। যেমন : ঘরবাড়ি, আসবাবপত্র, টিভি ইত্যাদি দৃশ্যমান বস্তুগত সম্পদ এবং ডাক্তারের সেবা, শিক্ষকের পাঠদান ইত্যাদি অদৃশ্যমান বা অবস্তুগত সম্পদ। উল্লিখিত জিনিসগুলো পেতে চাইলে অর্থ ব্যয় করতে হবে। শিখনফল  অর্থনৈতিক সম্পদের ধারণা  প্রাকৃতিক সম্পদ, মানবসম্পদ এবং উৎপাদিত সম্পদের মধ্যে তুলনা  বাংলাদেশের বিভিন্ন অর্থনৈতিক সম্পদ চিহ্নিত  অবাধলভ্য দ্রব্য এবং অর্থনৈতিক দ্রব্যের মধ্যে পার্থক্য  স্থায়ী ও অস্থায়ী ভোগ্যদ্রব্যের তুলনা  মধ্যবর্তী দ্রব্য ও মূলধনী দ্রব্যের মধ্যে পার্থক্য  সুযোগ ব্যয় ও নির্বাচনের ধারণা  আয়, সঞ্চয় ও বিনিয়োগের মধ্যে সম্পর্ক  বাংলাদেশের বিভিন্ন অর্থনৈতিক কার্যাবলি অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সংক্ষেপে জেনে রাখি  অর্থনৈতিক সম্পদ : অর্থনীতিতে সম্পদ হলো সেসব জিনিস বা দ্রব্য যেগুলো পেতে চাইলে অর্থ ব্যয় করতে হয়। সংক্ষেপে আমরা এ দ্রব্যগুলোকে অর্থনৈতিক দ্রব্যও বলে থাকি। যেমন : ঘরবাড়ি, আসবাবপত্র, টিভি ইত্যাদি দৃশ্যমান বস্তুগত সম্পদ এবং ডাক্তারের সেবা, শিক্ষকের পাঠদান ইত্যাদি অদৃশ্যমান বা অবস্তুগত সম্পদ। উল্লিখিত জিনিসগুলো পেতে চাইলে অর্থ ব্যয় করতে হবে। কোনো জিনিসকে যদি অর্থনীতিতে সম্পদ বলতে হয় তবে তার চারটি বৈশিষ্ট্য থাকা আবশ্যক। বৈশিষ্ট্যগুলো হলো : ১. উপযোগ; ২. অপ্রাচুর্যতা; ৩. হস্তান্তরযোগ্য; ৪. বাহ্যিকতা।  সম্পদের শ্রেণিবিভাগ : উৎপত্তির দিক থেকে সম্পদ তিন প্রকার। যথা : ১. প্রাকৃতিক সম্পদ; ২. মানবিক সম্পদ; ৩. উৎপাদিত সম্পদ।  বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পদ : বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। উন্নয়নের সাথে দেশের অর্থনৈতিক সম্পদের বিশেষ সম্পর্ক থাকে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পদের মধ্যে রয়েছে : ১. কৃষি সম্পদ; ২. খনিজ সম্পদ; ৩. বনজ সম্পদ; ৪. প্রাণিজ সম্পদ; ৫. শক্তি সম্পদ; ৬. পানি সম্পদ প্রভৃতি।  দ্রব্য : অর্থনীতিতে যে জিনিসের উপযোগ আছে তাই দ্রব্য। অর্থনীতিতে এসব দ্রব্যকে আবার অবাধলভ্য দ্রব্য, অর্থনৈতিক দ্রব্য; ভোগ্য দ্রব্য; মধ্যবর্তী দ্রব্য; চ‚ড়ান্ত দ্রব্য; মূলধনী দ্রব্য প্রভৃতি বৈশিষ্ট্যে ভাগ করা হয়।  সুযোগ ব্যয় : অর্থনীতিতে বহুল ব্যবহৃত একটি ধারণা ‘সুযোগ ব্যয়’। কোনো একটি জিনিস পাওয়ার জন্য অন্যটিকে ত্যাগ করতে হয়Ñ এই ত্যাগকৃত পরিমাণই হলো অন্য দ্রব্যটির ‘সুযোগ ব্যয়’ (ঙঢ়ঢ়ড়ৎঃঁহরঃু ঈড়ংঃ)।  নির্বাচন : অর্থনীতিতে সম্পদের স্বল্পতার জন্যই নির্বাচন করতে হয় এবং এটি ব্যক্তি পর্যায়ের পাশাপাশি সমাজ ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সম্পদে স্বল্পতার জন্য হয়ে থাকে।  আয় : উৎপাদনের কোনো উপকরণ ব্যবহারের জন্য উপকরণটি বা এটির মালিক একটি নির্দিষ্ট সময়ে যে অর্থ পায় তাকে আয় বলে। শ্রমের জন্য প্রাপ্ত আয়কে মজুরি বলে।  সঞ্চয় : মানুষ আয় করে ভোগ করার জন্য। ভবিষ্যতের কথা ভেবে বর্তমানে অর্জিত আয়ের পুরোটাই মানুষ ভোগ করে না। আয়ের একটি অংশ রেখে দেয় কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানে। এই রেখে দেওয়া অংশের নাম সঞ্চয়।  বিনিয়োগ : মানুষ আয় থেকে সঞ্চয় করে থাকে। সঞ্চিত অর্থ যখন উৎপাদন বাড়ানো কাজে ব্যবহৃত হয় তখন তাকে বিনিয়োগ বলে।  অর্থনৈতিক কার্যাবলি : মানুষ জীবিকা সংগ্রহের জন্য যে কার্যাবলি করে থাকে তাকে অর্থনৈতিক কার্যাবলি বলা হয়। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে মানুষ অর্থ উপার্জন করে এবং জীবনধারণের জন্য তা ব্যয় করে। মানুষের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের মূল প্রেরণা হলো দ্রব্যসামগ্রীর অভাব পূরণ করা।  অ-অর্থনৈতিক কার্যাবলি : যে সমস্ত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অর্থ উপার্জিত হয় না এবং তা জীবনধারণের জন্য ব্যয় করা যায় না তাকে অ-অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বলা হয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড মানুষের অভাব পূরণ করলেও অর্থ উপার্জনে ভ‚মিকা রাখতে পারে না।  বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর  ১. কোনটি সমষ্টিগত সম্পদ? ক ঘরবাড়ি  ডাকঘর গ পদ্মা নদী ঘ বঙ্গোপসাগর ২. ব্যবসায়ের সুনাম সম্পদ। কারণ এর র. অভাব পূরণের ক্ষমতা আছে রর. স্বত্ব পরিবর্তন করা যায় ররর. সামষ্টিক মালিকানা দেখা যায় নিচের কোনটি সঠিক? ক র  র ও রর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও : রাহেলার একটি সেলাই মেশিন আছে। এর থেকে তার মাসিক আয় ১০,০০০/- টাকা। তিনি পারিবারিক ভরণপোষণ, সন্তানের শিক্ষা ব্যয় বাদে বাকি টাকা সঞ্চয় পত্রে জমা করেন। সঞ্চয়ের অর্থ থেকে এ বছর তিনি আরেকটি সেলাই মেশিন ক্রয় করেছেন। ৩. রাহেলার নতুন সেলাই মেশিন ক্রয়কে অর্থনীতিতে কী বলে? ক সঞ্চয় খ মূলধন  বিনিয়োগ ঘ সুযোগ ব্যয় ৪. রাহেলার শেষোক্ত কাজের মাধ্যমে র. পারিবারিক নিরাপত্তা বাড়বে রর. সন্তানের প্রতি দায়িত্ব বৃদ্ধি পাবে ররর. কর্মসংস্থান বৃদ্ধি হবে নিচের কোনটি সঠিক? ক র খ র ও রর গ রর ও ররর  র ও ররর  সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর  প্রশ্ন- ১  সুযোগ ব্যয় ও নির্বাচন শফিকদের বাড়িতে কয়েকজন মেহমান এসেছেন। তার মা তাকে ১০০০/- টাকা দিয়ে কিছু মাছ ও মাংস কিনতে বাজারে পাঠান। সে বাজারে গিয়ে দেখে পুরো টাকা দিয়ে ২ কেজি মাছ অথবা ৪ কেজি মাংস কিনতে পারে। অনেক চিন্তার পর সে ১ কেজি মাছ এবং ২ কেজি মাংস ক্রয় করে। ক. আয় কী? খ. শক্তি সম্পদ বলতে কী বোঝায়? গ. শফিকের মাছ-মাংস ক্রয়ের ধারণাটি চিত্রে উপস্থাপন করে ব্যাখ্যা কর। ঘ. শফিকের দুটি দ্রব্য নির্বাচনের অর্থনৈতিক তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর। ক উৎপাদনের কোনো উপকরণ ব্যবহারের জন্য উপকরণটি বা এটির মালিক একটি নির্দিষ্ট সময়ে যে অর্থ পায়, তাই আয় নামে পরিচিত। খ কলকারখানা, যানবাহন ও যোগাযোগ, যান্ত্রিক চাষাবাদ ও গৃহকর্ম প্রভৃতি ক্ষেত্রে যে শক্তি ব্যবহার হয় তাকে শক্তি সম্পদ বলা হয়। কয়লা, খনিজ তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস, পানি, আণবিক শক্তি, সৌরশক্তি প্রভৃতি হচ্ছে শক্তি সম্পদের উদাহরণ। গ উদ্দীপকের শফিকের মাছ-মাংস ক্রয়ের ধারণাটি নিচের চিত্রে উপস্থাপন করা হলো : প্রদত্ত চিত্রে ঙঢ ভ‚মি অক্ষে মাংসের পরিমাণ এবং ঙণ লম্ব অক্ষে মাছের পরিমাণ অঙ্কন করা হয়েছে। এখানে ১০০০ টাকা দিয়ে কেবল ২ কেজি মাছ কিংবা ৪ কেজি মাংস কিনলে জঞ উৎপাদন সম্ভাবনা রেখাটি পাওয়া যায়। শফিকের মাছ-মাংস উভয় দ্রব্যই কেনার প্রয়োজন হওয়ায় সে জঞ রেখার ঝ বিন্দুতে অবস্থান করে। এখানে সে ১০০০ টাকা দিয়ে ১ কেজি মাছ ও ২ কেজি মাংস কিনতে সক্ষম হয়। সুতরাং উৎপাদন সম্ভাবনা রেখার উপরিস্থিত যেকোনো বিন্দু সীমিত সম্পদ দিয়ে দুটি দ্রব্যের বিভিন্ন সংমিশ্রণ ক্রয় নির্দেশ করে। ঘ অর্থনৈতিক দ্রব্য হওয়ায় শফিকের মাছ-মাংস নির্বাচনে অর্থনৈতিক তাৎপর্য রয়েছে। মানুষের জীবনে অভাব অসীম, কিন্তু তা পূরণের জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদ নিতান্তই কম। সম্পদের এ সীমাবদ্ধতার জন্য মানুষ কিছু অভাব পূরণ করলে অন্যগুলো তার হাতছাড়া হয়। কিন্তু সুন্দরভাবে জীবনযাপনের জন্য অনেক অভাব পূরণের প্রয়োজন পড়ে। সেক্ষেত্রে মানুষ অভাব নির্বাচন করে। অভাব নির্বাচন করতে গিয়ে মানুষ আগে সেসব অভাব পূরণ করে যেগুলো অধিক প্রয়োজনীয়। এক্ষেত্রে সমস্যার অন্ত নেই। সম্পদ কম বলে তাকে অধিক প্রয়োজনীয় অভাবের মধ্যেও অভাব নির্বাচন করতে হয়। কিন্তু অতি প্রয়োজনীয় অভাবগুলোর মধ্যে একটির বদলে অন্যটি পূরণ করা বাস্তবোচিত হয় না। তাই সে তার অনেক অভাবই পূরণ

নবম-দশম শ্রেণির মানবিক অর্থনীতি অধ্যায় ২ অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ ধারণাসমূহ Read More »

নবম-দশম শ্রেণির মানবিক অর্থনীতি অধ্যায় ১ অর্থনীতি পরিচয়

প্রথম অধ্যায়  অর্থনীতি পরিচয় অর্থনীতি একটি স্বতন্ত্র বিষয় হিসেবে স্বীকৃতি পায় যখন ইংরেজ অর্থনীতিবিদ অ্যাডাম স্মিথ ১৭৭৬ সালে তার বিখ্যাত বই “অহ ওহয়ঁরৎু রহঃড় ঃযব ঘধঃঁৎব ধহফ ঈধঁংবং ড়ভ ঃযব ডবধষঃয ড়ভ ঘধঃরড়হং” রচনা করেন। আজকের অর্থনীতির মূল ভিত্তি হলো স্মিথের এ বই। শিখনফল  অর্থনীতির উৎপত্তি ও এর বিকাশ  দু®প্রাপ্যতা ও অসীম অভাবের পারস্পরিক সম্পর্ক  অর্থনীতির ধারণা  অর্থনীতির প্রধান দশটি নীতি  বিভিন্ন অর্থনৈতিক ব্যবস্থার পরিচয়  বিভিন্ন অর্থনৈতিক ব্যবস্থার তুলনামূলক সুবিধা ও অসুবিধা অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সংক্ষেপে জেনে রাখি  অর্থনীতির উৎপত্তি ও বিকাশ : অর্থনীতি একটি স্বতন্ত্র বিষয় হিসেবে স্বীকৃতি পায় যখন ইংরেজ অর্থনীতিবিদ অ্যাডাম স্মিথ ১৭৭৬ সালে তার বিখ্যাত বই “অহ ওহয়ঁরৎু রহঃড় ঃযব ঘধঃঁৎব ধহফ ঈধঁংবং ড়ভ ঃযব ডবধষঃয ড়ভ ঘধঃরড়হং” রচনা করেন। আজকের অর্থনীতির মূল ভিত্তি হলো স্মিথের এ বই।  দুষ্প্রাপ্যতা ও অসীম অভাব  দুটি মৌলিক অর্থনৈতিক সমস্যা : চাওয়া অনুযায়ী সবকিছু না পাওয়াই মানুষের মূল সমস্যা। যেকোনো দ্রব্য (যেমন : বই) বা সেবাসামগ্রী (চিকিৎসা সেবা) উৎপাদন করতে সম্পদ দরকার হয়। কিন্তু “সম্পদ সীমিত”। সীমিত সম্পদ দিয়ে সীমিত দ্রব্য বা সেবা পাওয়া সম্ভব। সেজন্যই সীমিত সম্পদ দিয়ে মানুষের সব অভাব পূরণ হয় না। দু®প্রাপ্যতার কারণ এটাই। সম্পদ অসীম হলে দু®প্রাপ্যতার সৃষ্টি হতো না।  অর্থনীতির ধারণা : জ্ঞান-বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে অর্থনীতি বিষয়ের পরিধিও অনেক বেড়েছে। অতীত ও বর্তমান অর্থনীতি বিষয়ের সমন্বয়ে অর্থনীতি বিষয় এখন অনেক উন্নত বা সমৃদ্ধ। প্রথমে যারা অর্থনীতি বিষয়ে উপস্থাপন করেছেন এদের মধ্যে অ্যাডাম স্মিথ, ডেভিড রিকার্ডো, জন স্টুয়ার্ট মিল অর্থনীতিকে সম্পদের বিজ্ঞান বলে মনে করেন। এদের মধ্যে অ্যাডাম স্মিথকে অর্থনীতির জনক বলা হয়।  অর্থনীতির দশটি নীতি : আমাদের সমাজে সম্পদ স্বল্পতার প্রেক্ষিতে অসীম অভাব মোকাবিলা করতে হয়। অর্থনীতিবিদ গ্রেগরি ম্যানকিউর মতে অর্থনীতির বিভিন্ন ধারণাসমূহের আলোচনার পূর্বে অর্থনীতির দশটি মৌলিক নীতি জানা প্রয়োজন। এগুলো হলো : ১. মানুষ দেওয়া-নেওয়া করে; ২. সুযোগ ব্যয়; ৩. মানুষ প্রান্তিক পর্যায়ে চিন্তা করে; ৪. মানুষ প্রণোদনায় সাড়া দেয়; ৫. বাণিজ্যে সবাই উপকৃত হয়; ৬. অর্থনৈতিক কার্যক্রম সংগঠিত করার জন্য বাজার একটি উত্তম পন্থা; ৭. সরকার কখনো কখনো বাজার নির্ধারিত ফলাফলের উৎকর্ষ সাধন করতে পারে; ৮. একটি দেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান নির্ভর করে সে দেশের দ্রব্য ও সেবা উৎপাদন ক্ষমতার ওপর; ৯. যখন সরকার অতি মাত্রায় মুদ্রা ছাপায় তখন দ্রব্যমূল্য বেড়ে যায়; ১০. সমাজ মুদ্রাস্ফীতি এবং বেকারত্বের মধ্যে স্বল্পকালীন দেওয়া-নেওয়ার মুখোমুখি হয়।  আয়ের বৃত্তাকার প্রবাহ (দুটিখাত) : একটি সরল অর্থনীতিতে দুই ধরনের প্রতিনিধি থাকে। ভোক্তা বা পরিবার এবং উৎপাদক বা ফার্ম। এ ধরনের প্রতিনিধির মধ্যে আয়-ব্যয় চক্রাকারে প্রবাহিত হয়।  বিভিন্ন অর্থনৈতিক ব্যবস্থা : অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধান করে দেশের কল্যাণ বাড়ানো বিশ্বের সব দেশেরই কাম্য। অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বলতে যে অর্থনৈতিক বিধি-বিধান, দর্শন, নিয়ম-কানুন ও যে পরিবেশে অর্থনৈতিক কার্য-কলাপ পরিচালিত হয় তাকে বোঝায়। পৃথিবীতে বিভিন্ন অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রচলিত আছে। যেমন : ক. ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা, খ. সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা, গ. মিশ্র অর্থব্যবস্থা এবং ঘ. ইসলামি অর্থব্যবস্থা।  বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর  ১. অর্থনীতির জনক কে? ক ডেভিড রিকার্ডো খ এরিস্টটল  অ্যাডাম স্মিথ ঘ এল. রবিন্স ২. অর্থনৈতিক কার্যক্রম সংগঠিত করার জন্য বাজার একটি উত্তম পন্থা। কেননা এতেÑ র. দর কষাকষি করা যায় রর. সস্তায় ভোগ্যদ্রব্য ক্রয় করা যায় ররর. চাহিদা অনুযায়ী দ্রব্য উৎপাদন করা যায় নিচের কোনটি সঠিক? ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও : নাবিল বাজারে চিনি কিনতে যেয়ে দেখলেন, চিনির দাম অনেক বেশি। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একজন ক্রেতা বলল, রাস্তার ওপারে এই চিনি সরকারি বিক্রয় কেন্দ্রে ন্যায্যমূল্যে বিক্রি হচ্ছে। ৩. নাবিলের দেশে কোন ধরনের অর্থব্যবস্থা বিদ্যমান? ক ইসলামি  মিশ্র গ ধনতান্ত্রিক ঘ সমাজতান্ত্রিক ৪. নাবিলের দেশের অর্থব্যবস্থায় ক আয় বৈষম্য দেখা দেয় খ সুদবিহীন ঋণের লেনদেন হয়  মূল্যের স্থিতিশীলতা বজায় থাকে ঘ ব্যক্তিগত উদ্যোগের স্বাধীনতা থাকে না  সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর  প্রশ্ন- ১  সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা রুমি ও তার প্রবাসী বন্ধুর টেলিফোনে কথোপকথন- রুমি : প্রতিমাসে চালের খরচ বেড়েই চলেছে। সুমি : আমার মাসিক খরচ সবসময় একই থাকে। রুমি : তোমাদের দেশে এটি কীভাবে সম্ভব? সুমি : কেউ ইচ্ছে করলেই এ দেশের দ্রব্যের দাম বাড়াতে পারে না। ক. ভ‚মিবাদীদের মতে উৎপাদনশীল খাত কোনটি? খ. দুষ্প্রাপ্যতা বলতে কী বোঝায়? গ. সুমির দেশে কোন অর্থব্যবস্থা বিদ্যমান? ব্যাখ্যা কর। ঘ. সুমির দেশের অর্থব্যবস্থার সাথে মিশ্র অর্থব্যবস্থার পার্থক্য বিশ্লেষণ কর। ক ভ‚মিবাদীদের মতে কৃষি, (খনিজ ও মৎস্যক্ষেত্রসহ) খাতই হলো উৎপাদনশীল খাত। খ অর্থনীতিতে ‘দুষ্প্রাপ্যতা’ বলতে সম্পদের স্বল্পতা বা অপ্রাচুর্যতাকে বোঝায়। দৈনন্দিন জীবনে মানুষের অভাব পূরণের জন্য প্রয়োজন হলো পর্যাপ্ত সম্পদ। কিন্তু মানুষের প্রয়োজনের তুলনায় সম্পদ খুবই সীমিত। এই সীমিত সম্পদ দিয়ে মানুষের পক্ষে সকল অভাব পূরণ করা সম্ভব হয় না। তাই স্বল্পতার সমস্যা দেখা দেয়। সম্পদের এই স্বল্পতা বা অভাব পূরণের উপকরণের সীমাবদ্ধতাকেই দু®প্রাপ্যতা বলা হয়। গ সুমির দেশে সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা বিদ্যমান। সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় সম্পদের রাষ্ট্রীয় মালিকানা বিদ্যমান। এ অর্থব্যবস্থায় উৎপাদনের উপকরণের ওপর কোনো ব্যক্তিগত মালিকানা থাকে না। সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতিতে দেশের সকল কলকারখানা, খনি, জমি প্রভৃতি সামাজিক সম্পত্তি হিসেবে পরিগণিত হয়। এখানে ব্যক্তিগত মুনাফার কোনো সুযোগ নেই। দেশের জনগণ বা রাষ্ট্রই এসব সম্পদের মালিক। সম্পদের ব্যক্তিগত মালিকানা না থাকায় ব্যক্তিগত মুনাফার কোনো সুযোগ নেই। এখানে স্বয়ংক্রিয় দাম ব্যবস্থা অনুপস্থিত। অন্যান্য অর্থব্যবস্থার মতো এ অর্থব্যবস্থায় চাহিদা ও যোগানের ঘাত-প্রতিঘাত দ্বারা দাম নির্ধারণ হয় না। বরং কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা দ্বারা দাম নির্ধারিত হয়। এ কারণে কোনো উৎপাদক বেশি মুনাফা লাভের আশায় কোনো দ্রব্যের দাম বাড়াতে পারে না। উদ্দীপকে সুমির দেশেও কেউ ইচ্ছে করলেই এদেশের দ্রব্যের দাম বাড়াতে পারে না। সুতরাং বলা যায়, সুমির দেশে সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা বিদ্যমান। ঘ সুমির দেশের অর্থব্যবস্থা হলো সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা। এ অর্থব্যবস্থার সাথে মিশ্র অর্থব্যবস্থার বেশ কিছু পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতিতে অধিকাংশ সম্পদ উৎপাদনের উপাদানগুলোর মালিক হলো সরকার। এতে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভোক্তারা সরকার নির্ধারিত উৎপাদিত দ্রব্যাদি ভোগ করে থাকে। কোনো ভোক্তা ইচ্ছাকৃত অর্থ ব্যয় করে কোনো কিছু ভোগ করতে পারে না। সরকার নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় বহুসংখ্যক বেসরকারি উদ্যোক্তার অবাধ প্রতিযোগিতা থাকে না। এখানে ব্যক্তিগত উদ্যোগে কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে না। কৃষি, শিল্প, ব্যবসায়-বাণিজ্য সবই সরকারের অধীনে থাকে বলে ব্যক্তিগত মুনাফা থাকে না। অপরপক্ষে, মিশ্র অর্থব্যবস্থায় বেসরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি ব্যক্তিমালিকানায় অর্থব্যবস্থা পরিচালিত হয়ে থাকে। এখানে উৎপাদন, ব্যবসায়-বাণিজ্য, বণ্টন ও ভোগসহ অধিকাংশ অর্থনৈতিক কার্যাবলি ব্যক্তিগত উদ্যোগে সংগঠিত ও পরিচালিত হয়। মিশ্র অর্থনীতিতে বেসরকারি খাতে ব্যাপক অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করার মাধ্যমে মুনাফা অর্জন করা সম্ভব। এ ব্যবস্থায় ভোক্তা সাধারণ দ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় ও ভোগের ক্ষেত্রে অবাধ স্বাধীনতা ভোগ করে। এতে চাহিদা ও যোগানের স্বয়ংক্রিয় ঘাত-প্রতিঘাতের দ্বারা দাম নির্ধারিত

নবম-দশম শ্রেণির মানবিক অর্থনীতি অধ্যায় ১ অর্থনীতি পরিচয় Read More »

নবম-দশম শ্রেণির মানবিক নাগরিক ও নাগরিকত্ব অধ্যায় ১১ বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক সংগঠন

একাদশ অধ্যায়  বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক সংগঠন বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে। ১৯৭২ সালের ২৮ এপ্রিল বাংলাদেশ কমনওয়েলথের সদস্যপদ লাভ করে। ১৯৭৪ সালের ফেব্রæয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশ ওআইসির সদস্যপদ পায়। শিক্ষার্থীরা যা জানবে  সার্কের গঠন, উদ্দেশ্য এবং বাংলাদেশের সাথে এর সম্পর্ক বিশ্লেষণ করতে পারবে।  জাতিসংঘের গঠন ও উদ্দেশ্য বর্ণনা করতে পারবে।  জাতিসংঘ ও বাংলাদেশের সম্পর্ক বর্ণনা করতে পারবে।  জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের ভ‚মিকা ব্যাখ্যা করতে পারবে।  কমনওয়েলথের গঠন, উদ্দেশ্য এবং বাংলাদেশের সাথে এর সম্পর্ক বর্ণনা করতে পারবে।  ওআইসির গঠন, উদ্দেশ্য এবং বাংলাদেশের সাথে এর সম্পর্ক বর্ণনা করতে পারবে। অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সংক্ষেপে জেনে রাখি সার্ক (ঝঅঅজঈ) : সার্কের পুরো নাম দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (ঝড়ঁঃয অংরধহ অংংড়পরধঃরড়হ ভড়ৎ জবমরড়হধষ ঈড়ড়ঢ়বৎধঃরড়হ)। শুরুতে এটি দক্ষিণ এশিয়ার সাতটি উন্নয়নশীল রাষ্ট্র নিয়ে গঠিত হয়। পরবর্তীকালে আফগানিস্তান এর সদস্যভুক্ত হয়। সার্কের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক : সার্কের সাথে বাংলাদেশের রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক। সার্কের উদ্যোক্তা হিসেবে বাংলাদেশ সার্কের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে বলিষ্ঠ ও গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করছে। সার্কের সদস্য হিসেবে সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের স¤প্রসারণ ও ভারসাম্য রক্ষা, আঞ্চলিক বিরোধ নিষ্পত্তি এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে বিদ্যমান সংকট সমাধানে বাংলাদেশ অব্যাহত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। জাতিসংঘ : তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট থিওডর রুজভেল্টের উদ্যোগে এবং বিভিন্ন দেশের নেতৃবৃন্দের সাথে দীর্ঘ আলাপ-আলোচনার ফলশ্রæতিতে ১৯৪৫ সালের ২৪ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিসকো শহরে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। শুরুতে জাতিসংঘের সদস্যসংখ্যা ছিল ৫০। বর্তমানে এর সদস্য সংখ্যা ১৯৩। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে এর সদর দপ্তর অবস্থিত। জাতিসংঘের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক : বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে। জন্মলগ্ন থেকেই বাংলাদেশ জাতিসংঘের নীতি ও আদর্শের প্রতি আস্থাশীল রয়েছে। বাংলাদেশ বিভিন্ন সময়ে তার নানা সমস্যা মোকাবিলায় জাতিসংঘের সহযোগিতা পেয়েছে। আবার জাতিসংঘের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে আসছে। বিশ্ব শান্তিরক্ষী বাহিনীতে বাংলাদেশের ভ‚মিকা : বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর অন্যতম সদস্য দেশ। এ পর্যন্ত বাংলাদেশ ২৫টি দেশে জাতিসংঘের শান্তি রক্ষাকারী মিশনে অংশগ্রহণ করেছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবস্থান খুবই গৌরবের। এ পর্যন্ত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে সেনাসদস্য প্রেরণকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ শীর্ষস্থান দখল করে আছে। কমনওয়েলথ : কমনওয়েলথ একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা। ১৯৪৯ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ব্রিটেন এটি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়। ব্রিটেন ও এর পূর্বতন অধীনস্ত দেশসমূহ এর সদস্য। এর বর্তমান সদস্য সংখ্যা ৫৩। বাংলাদেশ ও কমনওয়েলথ : স্বাধীনতা লাভের পরপরই ১৯৭২ সালের ২৮ এপ্রিল বাংলাদেশ কমনওয়েলথের সদস্যপদ লাভ করে। বাংলাদেশ সৃষ্টির শুরু থেকেই কমনওয়েলথের সাথে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়। বাংলাদেশ কমনওয়েলথের একনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে এর প্রতিটি সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে। এর ফলে বাংলাদেশের অনেক শিক্ষার্থী কমনওয়েলথ বৃত্তি নিয়ে কমনওয়েলথভুক্ত বিভিন্ন দেশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পায়। ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) : বিশ্বের মুসলিম প্রধান দেশগুলোর একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন হচ্ছে ওআইসি। এর পুরো নাম ঙৎমধহরুধঃরড়হ ড়ভ ওংষধসরপ ঈড়-ড়ঢ়বৎধঃরড়হ (ঙওঈ)। বাংলায় একে বলা হয় ‘ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা’। বাংলাদেশ ও ইসলামি সম্মেলন সংস্থা : বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালের ফেব্রæয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় শীর্ষ সম্মেলনে ওআইসির সদস্যপদ পায়। এই সদস্যপদ লাভের মধ্য দিয়ে মুসলিম বিশ্বের সাথে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওআইসির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের প্রতি সংহতি প্রদর্শনের মাধ্যমে বাংলাদেশ মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন ঘটনাপ্রবাহে যথাসম্ভব সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। যেমনÑ ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা সংগ্রামকে অব্যাহত সমর্থন জানিয়ে আসছে। ইরান-ইরাক যুদ্ধ বন্ধে প্রচেষ্টা চালিয়েছে। আফগানিস্তানে রাশিয়ার আগ্রাসনকে নিন্দা জানিয়েছে।  বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর  ১. ঙওঈ গঠিত হয় কত সালে? ক ১৯৩৯ খ ১৯৪৯  ১৯৬৯ ঘ ১৯৭২ ২. জাতিসংঘের কোন পরিষদটি সামরিক শক্তি প্রয়োগ করতে পারে? ক সাধারণ পরিষদ  নিরাপত্তা পরিষদ গ অছি পরিষদ ঘ আন্তর্জাতিক আদালত ৩. আন্তর্জাতিক বিরোধ মীমাংসায় কাজ করেÑ র. নিরাপত্তা পরিষদ রর. অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ ররর. আন্তর্জাতিক আদালত নিচের কোনটি সঠিক? ক র খ রর গ র ও রর  র ও ররর ডায়াগ্রামটির আলোকে ৪ ও ৫ নং প্রশ্নের উত্তর দাও : ৪. ‘?’ চিহ্নের সাথে সম্পৃক্ত সংস্থা কোনটি?  সাধারণ পরিষদ খ নিরাপত্তা পরিষদ গ কমনওয়েলথ ঘ সার্ক ৫. উক্ত সংস্থাটি- র. প্রত্যেক বছর একজন সভাপতি নির্বাচিত করে রর. ২ বছর পর পর একজন সভাপতি নির্বাচন করে ররর. নতুন সদস্য রাষ্ট্র গ্রহণের অধিকার রাখে নিচের কোনটি সঠিক? ক র খ রর গ র ও রর  র ও ররর সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর  প্রশ্ন- ১  জাতিসংঘ ও ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা হাসান সাহেব ও হাকিম সাহেব তাদের গ্রাম সূর্যনগরে দুইটি ভিন্ন সংস্থা গঠন করেন। হাসান সাহেবের সংস্থাটির নাম ‘শান্তি সংস্থা’। এর গঠন, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হাকিম সাহেবের সংস্থাটির নাম ‘বাগমারা সমবায় সমিতি’। এর গঠন, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ১. হাসান সাহেব সংস্থার মহাসচিব। তাঁর সংস্থার প্রাথমিক সদস্য ২৩। ১. হাকিম সাহেব সমিতির মহাসচিব। তাঁর সংস্থার প্রাথমিক সদস্য ৫০। ২. এলাকার মসজিদ, মাদ্রাসার উন্নয়ন করা এবং সা¤প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স¤প্রদায়ের সাথে সদ্ভাব বজায় রাখা। ২. গ্রামের বিভিন্ন জাতি, ধর্ম, বর্ণের লোক সমিতির সদস্য। ৩. অর্থনৈতিক মুক্তির মাধ্যমে গ্রামের শান্তিশৃঙ্খলার উন্নয়নসহ পাঠাগার, খেলাধুলার ক্লাব গড়ে তোলা। ক. ঝঅঅজঈ এর পূর্ণরূপ কী? খ. ‘অছি এলাকা’ কী? ব্যাখ্যা কর। গ. হাসান সাহেবের ‘শান্তি সংস্থার’ সাথে কোন আন্তর্জাতিক সংস্থার উদ্দেশ্যের মিল রয়েছে Ñ ব্যাখ্যা কর। ঘ. হাকিম সাহেবের সংস্থার সাথে জাতিসংঘের উদ্দেশ্যের অনেক প্রতিফলন লক্ষ করা যায় Ñ এর সত্যতা নিরূপণ কর। ক ঝঅঅজঈ-এর পূর্ণরূপ হচ্ছে ঝড়ঁঃয অংরধহ অংংড়পরধঃরড়হ ভড়ৎ জবমরড়হধষ ঈড়-ড়ঢ়বৎধঃরড়হ। খ বিশ্বের যেসব জনপদের পৃথক সত্তা আছে কিন্তু স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নেই এবং অন্য রাষ্ট্রের তত্ত¡াবধানে পরিচালিত হয়, তাকে অছি এলাকা বলে। এসব এলাকার তত্ত¡াবধানের দায়িত্ব জাতিসংঘের অছি পরিষদের। গ উদ্দীপকের হাসান সাহেবের শান্তি সংস্থার সাথে ইসলামি সম্মেলন সংস্থার (ওআইসি) উদ্দ্যেশের মিল রয়েছে। উদ্দীপকে উল্লিখিত হাসান সাহেবের শান্তি সংস্থার প্রাথমিক সদস্য ২৩। তদ্রƒপ শুরুতে ২৩ সদস্য নিয়ে যাত্রা শুরু করা ওআইসির প্রাথমিক লক্ষ্য সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ঐক্য ও সংহতি বজায় রেখে শত্র“র কবল থেকে ইসলামি স্থানগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও বহিঃশত্রæর ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সম্মিলিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা। এছাড়া ওআইসির আরও কিছু উদ্দেশ্য আছে। যেমন : ইসলামি ভ্রাতৃত্ব ও সংহতি জোরদার করা; ইসলামি পবিত্র স্থানগুলোর নিরাপত্তা বিধান করা; মুসলমানদের মর্যাদা রক্ষা করা; অনুরূপভাবে উদ্দীপকে হাসান সাহেবের সংস্থাটিও মসজিদ, মাদ্রাসার উন্নয়নে কাজ করে। আবার সংস্থাটি সা¤প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় এবং শান্তি ও সদ্ভাব বজায় রাখে। ওআইসির উদ্দেশ্যের মাঝেও আমরা দেখি, বর্ণবৈষম্যবাদ বিলোপ করা; আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যাপারে সমর্থন করা; সংস্থাভুক্ত সকল দেশ ও অন্যান্য দেশের সাথে সৌহার্দ ও সহযোগিতা বৃদ্ধি করা। সুতরাং আমরা বলতে পারি যে, উদ্দীপকের হাসান সাহেবের শান্তি সংস্থার সাথে আন্তর্জাতিক সংস্থা ওআইসির উদ্দেশ্যের মিল রয়েছে। ঘ হাকিম সাহেবের সংস্থার নাম বাগমারা সমবায় সমিতি। হাকিম সাহেব সমিতির মহাসচিব। তার সংস্থার প্রাথমিক সদস্য ৫০। গ্রামের বিভিন্ন

নবম-দশম শ্রেণির মানবিক নাগরিক ও নাগরিকত্ব অধ্যায় ১১ বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক সংগঠন Read More »

নবম-দশম শ্রেণির মানবিক নাগরিক ও নাগরিকত্ব অধ্যায় ১০ স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে নাগরিক চেতনা

নবম-দশম শ্রেণির মানবিক নাগরিক ও নাগরিকত্ব অধ্যায় ১০ স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে নাগরিক চেতনা Read More »

Scroll to Top