নবম-দশম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান পঞ্চম অধ্যায় দেখতে হলে আলো চাই
এসএসসি সাধারণ বিজ্ঞান পঞ্চম অধ্যায় দেখতে হলে আলো চাই পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি দর্পণ : যে মসৃণ তলে আলোর নিয়মিত প্রতিফলন ঘটে তাকে দর্পণ বলে। চকচকে ধাতব পাত, পলিশ করা টেবিল ইত্যাদি দর্পণ হিসেবে কাজ করে। গোলীয় দর্পণ : যে দর্পণের প্রতিফলক পৃষ্ঠ কোনো গোলকের অংশবিশেষ তাকে গোলীয় দর্পণ বলে। আলোর প্রতিসরণ : আলোকরশ্মি এক স্বচ্ছ মাধ্যম থেকে অন্য স্বচ্ছ মাধ্যমে যাওয়ার সময় মাধ্যমদ্বয়ের বিভেদতলে তীর্যকভাবে আপতিত আলোকরশ্মির দিক পরিবর্তন করার ঘটনাকে আলোর প্রতিসরণ বলে। আলোর প্রতিসরণের সূত্র : আলোর প্রতিসরণ দুটি সূত্র মেনে চলে প্রথম সূত্র : আপতিত রশ্মি, প্রতিসরিত রশ্মি ও আপতন বিন্দুতে বিভেদতলের উপর অঙ্কিত অভিলম্ব একই সমতলে অবস্থান করে। দ্বিতীয় সূত্র : একজোড়া নির্দিষ্ট মাধ্যম ও নির্দিষ্ট বর্ণের আলোর জন্য আপতন কোণের সাইন ও প্রতিসরণ কোণের সাইনের অনুপাত সর্বদা ধ্রæবক। এ ধ্রæবককে সাধারণত দ্বারা প্রকাশ করা হয়। অর্থাৎ, যদি আপতন কোণ = র এবং প্রতিসরণ কোণ = ৎ হয় তবে, = ংরহ রংরহ ৎ প্রতিসরাঙ্ক : আলোকরশ্মি যখন এক স্বচ্ছ মাধ্যম থেকে অন্য স্বচ্ছ মাধ্যমে তীর্যকভাবে প্রবেশ করে তখন নির্দিষ্ট রঙের আলোর জন্য আপতন কোণের সাইন ও প্রতিসরণ কোণের সাইনের অনুপাত যে ধ্রæব সংখ্যা হয় তাকে প্রথম মাধ্যমের সাপেক্ষে দ্বিতীয় মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক বা আপেক্ষিক প্রতিসরাঙ্ক বলে। লেন্স : দুটি গোলীয় পৃষ্ঠ দ্বারা সীমাবদ্ধ কোনো স্বচ্ছ প্রতিসারক মাধ্যমকে লেন্স বলে। লেন্স প্রধানত দুই রকমের হয়। যথা : উত্তল বা অভিসারী লেন্স এবং অবতল বা অপসারী লেন্স। উত্তল বা অভিসারী লেন্স : যে লেন্সের মধ্যভাগ মোটা ও প্রান্ত সরু তাকে উত্তল লেন্স বলে। এ লেন্সে আলোকরশ্মি উত্তল পৃষ্ঠে আপতিত হয় বলে একে উত্তল লেন্স বলে। এ লেন্স সাধারণত এক গুচ্ছ সমান্তরাল আলোকরশ্মিকে অভিসারী করে থাকে বলে একে অভিসারী লেন্সও বলা হয়। অবতল বা অপসারী লেন্স : যে লেন্সের মধ্যভাগ সরু ও প্রান্তের দিকে মোটা তাকে অবতল লেন্স বলে। এ লেন্সে আলোকরশ্মি অবতল পৃষ্ঠে আপতিত হয় বলে একে অবতল লেন্স বলে। এ লেন্স সাধারণত একগুচ্ছ আলোকরশ্মিকে অপসারী করে থাকে বলে একে অপসারী লেন্সও বলে। বক্রতার কেন্দ্র : সাধারণত লেন্সের পৃষ্ঠসমূহ যে গোলকের অংশ তার কেন্দ্রকে বক্রতার কেন্দ্র বলে। লেন্সের দুই পৃষ্ঠের জন্য বক্রতার কেন্দ্র দুইটি। প্রধান অক্ষ : লেন্সের উভয় পৃষ্ঠের বক্রতার কেন্দ্র দুটির মধ্য দিয়ে গমনকারী সরলরেখাকে প্রধান অক্ষ বলে। লেন্সের প্রধান ফোকাস : লেন্সের প্রধান অক্ষের সমান্তরাল এবং নিকটবর্তী রশ্মিগুচ্ছ প্রতিসরণের পর প্রধান অক্ষের ওপর যে বিন্দুতে মিলিত হয় (উত্তল লেন্সে) বা যে বিন্দু থেকে অপসৃত হচ্ছে বলে মনে হয় (অবতল লেন্সে) সেই বিন্দুকে লেন্সের প্রধান ফোকাস বলে। ফোকাস দূরত্ব : লেন্সের আলোক বিন্দু থেকে প্রধান ফোকাস পর্যন্ত দূরত্বকে লেন্সের ফোকাস দূরত্ব বলে। লেন্সের ক্ষমতা : একগুচ্ছ সমান্তরাল আলোক রশ্মিকে কোনো লেন্সের অভিসারী (উত্তল লেন্সে) গুচ্ছে বা অপসারী (অবতল লেন্সে) গুচ্ছে পরিণত করার প্রবণতাকে ঐ লেন্সের ক্ষমতা বলে। ডায়অপ্টার : লেন্সের ক্ষমতার প্রচলিত একক হলো ডায়অপ্টার। এক মিটার ফোকাস দূরত্বের কোনো লেন্সের ক্ষমতাকে এক ডায়অপ্টার বলে। কোনো লেন্সের ফোকাস দূরত্ব ƒ মিটার এবং ক্ষমতা চ ডায়অপ্টার হলে, চ = ১ƒ। চোখের নিকট বিন্দু ও দূরবিন্দু : সুস্থ ও স্বাভাবিক চোখ যে নিকটতম বিন্দু পর্যন্ত বিনা শ্রান্তিতে স্পষ্ট দেখতে পায় তাকে চোখের নিকট বিন্দু প্রায় ২৫ সে.মি. বলে। সবচেয়ে দূরে অবস্থিত যে বিন্দু পর্যন্ত স্বাভাবিক চোখ স্পষ্ট দেখতে পায় তাকে চোখের দূরবিন্দু (সাধারণত অসীম) বলে। স্পষ্ট দর্শনের নিকটতম দূরত্ব ২৫ সেমি-এর অর্থ : কোনো ব্যক্তির স্পষ্ট দর্শনের নিকটতম বিন্দু ২৫ সে.মি. বলতে বোঝায় কোনো বস্তু ২৫ সে.মি. দূরে থাকলে একজন ব্যক্তির চোখ বিনা বাধায় তা স্পষ্ট দেখতে পায়। চোখের ত্রæটি : স্বাভাবিক চোখের দৃষ্টির পাল্লা ২৫ পস থেকে অসীম পর্যন্ত বিস্তৃত অর্থাৎ স্বাভাবিক চোখ ২৫ সে.মি. থেকে অসীম দূরত্বের মধ্যে যে কোনো বস্তু স্পষ্ট দেখতে পায়। যদি কোনো চোখ এই পাল্লার মধ্যে কোনো বস্তুকে স্পষ্ট দেখতে না পায় তাহলে সেই চোখ ত্রæটিপূর্ণ বলে ধরা হয়। চোখে মোট চার ধরনের ত্রæটি দেখা যায় (ক) হ্রস্বদৃষ্টি বা মাইওপিয়া, (খ) দীর্ঘদৃষ্টি বা হাইপারমেট্রোপিয়া, (গ) বার্ধক্য দৃষ্টি বা চালশে ও (ঘ) বিষম দৃষ্টি বা নকুলান্ধতা। এদের মধ্যে হ্রস্বদৃষ্টি বা মাইওপিয়া ও দীর্ঘদৃষ্টি বা হাইপারমেট্রোপিয়া এই দুটিকে দৃষ্টির প্রধান ত্রæটি বলা হয়। হ্রস্বদৃষ্টি বা মাইওপিয়া : এই ত্রæটিগ্রস্ত চোখ দূরের জিনিস ভালোভাবে দেখতে পায় না কিন্তু কাছের জিনিস স্পষ্ট দেখতে পায়। এমনকি এই চোখের নিকট বিন্দু ২৫ সে.মি. এরও কম হতে পারে। কারণ : অক্ষিগোলকের ব্যাসার্ধ বেড়ে গেলে বা চোখের লেন্সের ফোকাস দূরত্ব কমে গেলে অর্থাৎ অভিসারী ক্ষমতা বেড়ে গেলে এই ত্রæটি দেখা যায়। দীর্ঘ দৃষ্টি বা হাইপারমেট্রোপিয়া : এই ত্রæটিগ্রস্ত চোখ দূরের জিনিস দেখতে পায় কিন্তু কাছের জিনিস স্পষ্ট দেখতে পায় না। কারণ : অক্ষিগোলকের ব্যাসার্ধ কমে গেলে বা চোখের লেন্সের ফোকাস দূরত্ব বেড়ে গেলে অর্থাৎ অভিসারী ক্ষমতা কমে গেলে চোখে এই ধরনের ত্রæটি দেখা দেয়। অনুশীলনীর বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ১. স্বাভাবিক চোখে স্পষ্ট দৃষ্টির ন্যূনতম দূরত্ব কত? ক ৫ সেমি খ ১০ সেমি ২৫ সেমি ঘ ৫০ সেমি ২. উত্তল লেন্সের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হলোÑ র. এটির ক্ষমতা ধনাত্মক রর. লেন্সের মধ্যভাগ সরু ও মোটা ররর. সমান্তরাল রশ্মিগুলোকে একটি বিন্দুতে মিলিত করে নিচের কোনটি সঠিক? ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর নিচের চিত্রটি লক্ষ কর এবং ৩ ও ৪নং প্রশ্নের উত্তর দাও : ৩. উদ্দীপকে উল্লিখিত চোখের ত্রæটিকে কী বলা হয়? হ্রস্বদৃষ্টি খ দীর্ঘদৃষ্টি গ বার্ধক্য দৃষ্টি ঘ বিষম দৃষ্টি ৪. উল্লিখিত ত্রæটি দূর করতে হলে কোন ধরনের লেন্স ব্যবহার করতে হবে? ক উত্তল লেন্স অবতল লেন্স গ উত্তলাবতল লেন্স ঘ সমতলাবতল লেন্স গুরুত্বপূর্ণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ৫. কাছের বস্তুকে দেখার জন্য ব্যবহার করা হয় নিচের কোন লেন্স? ক অবতল লেন্স খ সমতলাবতল লেন্স উত্তল লেন্স ঘ উত্তলাবতল লেন্স ৬. শিশুর চোখের স্পষ্ট দৃষ্টির ন্যূনতম দূরত্ব কত? ক ৫০ সে.মি. খ ২৫ সে.মি. গ ১০ সে.মি. ৫ সে.মি. ৭. চোখের অক্ষিগোলকের ব্যাসার্ধ হ্রাস পেলে কোন ত্রæটি হয়? ক বার্ধক্য দৃষ্টি খ বিষম দৃষ্টি গ হ্রস্বদৃষ্টি দূর দৃষ্টি ৮. কোনটি দীর্ঘদৃষ্টির কারণ? চোখের লেন্সের অভিসারী ক্ষমতা হ্রাস পেলে খ চোখের লেন্সের অভিসারী ক্ষমতা বৃদ্ধি পেলে গ কোনো কারণে অক্ষিগোলকের ব্যাসার্ধ বৃদ্ধি পেলে ঘ চোখের লেন্সের ফোকাস দূরত্ব হ্রাস পেলে ৯. আবছা আলোয় সংবেদনশীল হয় কোনটি? ক কোন রড গ রেটিনা ঘ চোখের লেন্স ১০. অক্ষিগোলকের ব্যাসার্ধ বৃদ্ধি পেলে কোন ত্রæটি হয়? ক্ষীণদৃষ্টি খ দূর দৃষ্টি গ চালশে ঘ নকুলান্ধতা ১১. চিত্রের ক্ষেত্রে প্রতিসরাঙ্ক কত? ২ খ ১২ গ ৩২ ঘ ১২ ১২. লেন্সের ক্ষমতার
নবম-দশম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান পঞ্চম অধ্যায় দেখতে হলে আলো চাই Read More »