নবম-দশম

নবম-দশম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান চতুর্থ অধ্যায় নবজীবনের সূচনা

এসএসসি সাধারণ বিজ্ঞান চতুর্থ অধ্যায় নবজীবনের সূচনা পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি বয়ঃসন্ধিকাল : দশ বছর বয়স থেকে উনিশ বছর বয়স পর্যন্ত এই সময়কালে একটি মেয়েকে কিশোরী এবং একটি ছেলেকে কিশোর বলা হয়। মানুষের জীবনের এই সময়কে বয়ঃসন্ধিকাল বলে। এই সময়কালে বালক ও বালিকার শরীর যথাক্রমে পুরুষের এবং নারীর শরীরে পরিণত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। মেয়েদের বয়ঃসন্ধিকাল শুরু হয় আট থেকে তের বছর বয়সের মধ্যে। ছেলেদের ক্ষেত্রে বয়ঃসন্ধিকাল শুরুর বয়স দশ থেকে পনেরো বছর। বয়ঃসন্ধিকাল হলো বাল্যাবস্থা ও যৌবনকালের মধ্যবর্তী সময়।  বয়ঃসন্ধিকালে শারীরিক পরিবর্তনের কারণ : বয়ঃসন্ধিকালে শরীরে অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হরমোনের প্রভাবে শারীরিক পরিবর্তনগুলো ঘটে। ছেলে ও মেয়েদের শরীরে এ হরমোন এক রকম নয়। এ কারণে এদের শরীরে যে পরিবর্তন হয় তা ভিন্ন। মেয়েদের শরীরে প্রধানত দুটি হরমোন যথা : ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টেরন বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটায়। এসব হরমোনের প্রভাবে মেয়েদের দ্রæত দৈহিক বৃদ্ধি হয় এবং শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের আকারের বৃদ্ধি ঘটে। এসব হরমোনের প্রভাবে ঋতুস্রাব শুরু হয়। ছেলেদের বয়ঃসন্ধিকালে টেস্টোস্টেরন হরমোনের প্রভাবে শারীরিক পরিবর্তন ঘটে। এ হরমোনের প্রভাবে ছেলেদের গলার স্বর ভারী হয়। মুখে দাড়ি ও গোঁফ গজায়। দ্রæত দৈহিক বৃদ্ধি ঘটে এবং শুক্রাণু তৈরি হয়।  বয়ঃসন্ধিকালে মানসিক ও আচরণিক পরিবর্তনে নিজেকে খাপ খাওয়ানোর উপায় : বয়ঃসন্ধিকালে মানসিক ও আচরণিক পরিবর্তনগুলোর সাথে ছেলেমেয়েদের খাপ খাওয়ানোর চেষ্টা করা উচিত। এ সময় পরিবর্তনগুলো যে স্বাভাবিক, এ বিষয়টি খুব স্পষ্ট করে বুঝতে হবে। এটি বুঝতে পারলে অস্বস্তি বা ভয় কমে যাবে। এ সময়ের পরিবর্তনগুলো নিয়ে খোলা মনে মা-বাবা বা বড় ভাই-বোনের সাথে আলোচনা করলে সংকোচ অনেকটা কেটে যায়। এতে একা থাকা বা লোকজন এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা কমে যায়। এছাড়া ভালো গল্পের বই পড়া, সাথীদের সাথে খেলাধুলা করলে মানসিক প্রফুল্লতা বজায় থাকে।  বয়ঃসন্ধিকালে দৈহিক ও মানসিক স্বাস্থ্যরক্ষার কৌশল : বয়ঃসন্ধিকালে দৈহিক ও মানসিক স্বাস্থ্যরক্ষার কৌশলগুলো হলোÑ ১. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা এবং নিয়মিত গোসল করা। ২. পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং বেশি পরিমাণে পানি পান করা। ৩. এ সময় দেহকোষ ও জননকোষের ভাঙাগড়া সর্বাধিক হয় বলে মাছ, মাংস, সবজি এবং ফলমূল বেশি পরিমাণে খাওয়া দরকার। ৪. সাধারণত বেশি বিশ্রাম নেওয়া দরকার। ৫. সহপাঠীদের সাথে খেলাধুলা করা ও মানসিক প্রফুল্লতা বজায় রাখা।  বয়ঃসন্ধিকালীন বিবাহে স্বাস্থ্য ঝুঁকি এবং এর প্রভাব : বয়ঃসন্ধিকালীন বিবাহে স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দেয়। এ বয়সে গর্ভধারণ করলে গর্ভাবস্থায় রক্তক্ষরণ, শরীরে পানি আসা, খুব বেশি ব্যথা, চোখে ঝাপসা দেখা, গর্ভপাত ইত্যাদি ঘটে থাকে। তাছাড়া মা ও সন্তানের মৃত্যু ঝুঁকিও বেশি থাকে। এর প্রভাবে মেয়েদের শারীরিক বৃদ্ধি ও গঠন সম্পূর্ণ হয় না। শারীরিক ও মানসিকভাবে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। লেখাপড়ার অনীহা আসে। অনেক ক্ষেত্রে মানসিক চাপ বেড়ে যায়। এতে পরিবার এবং সমাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।  টেস্টটিউব বেবি : কৃত্রিম উপায়ে দেহের বাইরে শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর মিলন ঘটিয়ে প্রাথমিক ভ্রƒণ সৃষ্টি করে তাকে স্ত্রীলোকের জরায়ুতে প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে শিশুর জš§ হলে তাকে টেস্টটিউব বেবি বলা হয়। পর্যায়ক্রমে কতগুলো পদ্ধতি অনুসরণ করে ইনভিট্রো ফার্টিলাইজেশন ঘটিয়ে টেস্টটিউব বেবির জš§ দেওয়া হয়।  লিঙ্গ নির্ধারণের কৌশল : লিঙ্গ নির্ধারণকারী ক্রোমোসোমগুলোকে আখ্যায়িত করা হয় ঢ এবং ণ ক্রোমোসোম নামে। মানুষের ক্ষেত্রে মহিলাদের দেহকোষে ডিপ্লয়েড অবস্থায় ঢঢ সেক্স ক্রোমোসোম থাকে এবং পুরুষের দেহকোষে ডিপ্লয়েড অবস্থায় ঢণ ক্রোমোসোম থাকে। গর্ভধারণকালে ডিম্বাণুর মিলন যদি ঢ ক্রোমোসোমবিশিষ্ট শুক্রাণুর সাথে হয়, তাহলে কন্যা সন্তান হবে, কারণ তখন ঢঢ এক সাথে হবে। আর গর্ভধারণকালে ডিম্বাণুর মিলন যদি ণ ক্রোমোসোমবিশিষ্ট শুক্রাণুর সাথে হয়, তাহলে যে সন্তান হবে সেটি ছেলে সন্তান হবে, কারণ তখন ঢণ একসাথে হবে।  পৃথিবীতে জীবনের উৎপত্তি এবং জীবজগতে বিবর্তনের ধারণা : ধারণা করা হয় প্রোটিন ও নিউক্লিক এসিড সহযোগে সৃষ্টি হয় নিউক্লিওপ্রোটিন। এই নিউক্লিওপ্রোটিন থেকেই সৃষ্টি হয় প্রোটোভাইরাস এবং তা থেকে সৃষ্টি হয় ভাইরাস। এরপর সম্ভবত উদ্ভব হয় ব্যাকটেরিয়া এবং আরও পরে সৃষ্টি হয় প্রোটোজোয়া। পরে প্রোটোজোয়ানদের দেহে দেখা গেল সুগঠিত নিউক্লিয়াস। কিছু এককোষী জীবদেহে সৃষ্টি হলো ক্লোরোফিল। ফলে একদিকে যেমন খাদ্য সংশ্লেষ সম্ভব হলো তেমনি পরিবেশে অক্সিজেনের সৃষ্টি হলো। তখন সবাত শ্বসনকারী জীবদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকল। উদ্ভব হলো এককোষী থেকে বহুকোষী জীব। জীবনের উৎপত্তির মূলে রয়েছে বিবর্তন। যে ধীর, অবিরাম ও গতিশীল পরিবর্তন দ্বারা কোনো সরলতর উদবংশীয় জীবের পরিবর্তন দ্বারা জটিল ও উন্নততর নতুন প্রজাতির বা জীবের উদ্ভব ঘটে তাকে বিবর্তন বলে। সময়ের সাথে কোনো জীবের পরিবর্তনের ফলে যখন নতুন কোনো প্রজাতি সৃষ্টি হয় তখন তাকে বলা হয় জৈব বিবর্তন।  পৃথিবীতে নতুন প্রজাতির উৎপত্তির ধারণা : ল্যামার্কের তত্ত¡ অনুযায়ী, অর্জিত বৈশিষ্ট্যের বংশানুসরণের কারণে এবং প্রতিটি প্রজšে§ নতুন নতুন বৈশিষ্ট্য অর্জিত হওয়ায় ধীরে ধীরে একটি প্রজাতি থেকে অপর একটি নতুন প্রজাতির সৃষ্টি হয়। আধুনিক যুগের বিজ্ঞানীরা ল্যামার্কের এ মতবাদ গ্রহণ করতে পারেননি। কারণ বাস্তবে অর্জিত বৈশিষ্ট্য যে পরবর্তী প্রজন্মে সঞ্চালিত হয় এর সপক্ষে বর্তমান বংশগতিবিদগণ কোনো প্রমাণ পাননি। ডারউইনের মতবাদ অনুসারে সুবিধাজনক প্রকরণযুক্ত প্রাণী ও উদ্ভিদ পরিবেশের সাথে নিজেদের মানিয়ে নিতে পারে এবং অযোগ্যদের তুলনায় বেশি হারে বংশবিস্তার করতে পারে। এদের বংশধরদের মধ্যে প্রকরণগুলো উত্তরাধিকার সূত্রে যায়। এই বংশধরদের মধ্যে যাদের সুবিধাজনক প্রকরণ বেশি থাকে, প্রকৃতি আবার তাদের নির্বাচন করে। এভাবে যুগ যুগান্তর ধরে নির্বাচিত করে প্রকৃতি প্রাণী ও উদ্ভিদের নতুন প্রজাতি সৃষ্টি করে। বর্তমানে বংশগতিবিদ, কোষতত্ত¡বিদ ও শ্রেণিবিদগণ নতুন প্রজাতির উৎপত্তির বিষয়ে মেন্ডেলের বংশগতি মতবাদের এবং ডারউইনের বিবর্তন মতবাদের ভিত্তিতে বলেন, ধীর গতিতে নতুন প্রজাতির সৃষ্টি হতে পারে। অনুশীলনীর বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ১. কোন পানিতে সর্বপ্রথম জীবের উৎপত্তি হয়েছিল? ক নদীর খ ঝরনার  সমুদ্রের ঘ পুকুরের ২. প্রোটোভাইরাস সৃষ্টির আগে বায়ুমণ্ডলে যে গ্যাসটি ছিল তা হলোÑ i, অক্সিজেন ii, হাইড্রোজেন iii. নাইট্রোজেন নিচের কোনটি সঠিক? ক র ও ii খ র ও iii  ii ও iii ঘ র, ii ও iii নিচের গ্রাফটি থেকে ৩ ও ৪নং প্রশ্নের উত্তর দাও : ৩. গ্রাফের অ অবস্থানে কোন প্রাণীটি থাকবে? ক মাছ  ব্যাঙ গ সাপ ঘ কচ্ছপ ৪. প্লাটিপাসের অবস্থান গ্রাফের কোথায়? ক অ ও ই খ ই ও ঈ  ই ও উ ঘ ঈ ও উ জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর  প্রশ্ন \ ১ \ প্রকরণ কাকে বলে? উত্তর : প্রতিটি জীবের প্রজাতির বৈশিষ্ট্যের মধ্যে যে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পার্থক্য দেখা যায় তাদের প্রকরণ বা ভেরিয়েশন বলে। প্রশ্ন \ ২ \ আন্তঃপ্রজাতি সংগ্রাম কাকে বলে? উত্তর : বিভিন্ন প্রজাতির অন্তর্গত বিভিন্ন প্রাণী বা উদ্ভিদের মধ্যে আশ্রয়, খাদ্য, জনন ইত্যাদির জন্য যে সংগ্রাম ঘটে তাকে আন্তঃপ্রজাতি সংগ্রাম বলে। প্রশ্ন \ ৩ \ অন্তঃপ্রজাতি সংগ্রাম কী? উত্তর : একটি প্রজাতির অন্তর্গত বিভিন্ন প্রাণী বা উদ্ভিদের মধ্যে আশ্রয়, খাদ্য, প্রজনন ইত্যাদির জন্য যে সংগ্রাম ঘটে তাকে অন্তঃপ্রজাতি সংগ্রাম বলে। প্রশ্ন \ ৪ \ গর্ভধারণ কী? উত্তর : পুরুষের শুক্রাণু যখন মেয়েদের ডিম্বাণুর সাথে মিলিত হয় তখনই একটি মেয়ের গর্ভে সন্তান

নবম-দশম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান চতুর্থ অধ্যায় নবজীবনের সূচনা Read More »

নবম – দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অষ্টম অধ্যায় বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও নির্বাচন

অষ্টম অধ্যায় বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও নির্বাচন অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সংক্ষেপে জেনে রাখি  গণতন্ত্রের ধারণা : আমেরিকার বিখ্যাত প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন গণতন্ত্রের সংজ্ঞা দিয়েছেন এভাবে “গণতন্ত্র হচ্ছে জনগণের, জনগণের জন্য ও জনগণ দ্বারা নির্বাচিত সরকার ব্যবস্থা।” অধ্যাপক গেটেলের মতে, “যে শাসন ব্যবস্থায় জনগণ সার্বভৌম ক্ষমতার প্রয়োগে অংশ নেয়ার অধিকারী তাই গণতন্ত্র।”  গণতন্ত্রের প্রকারভেদ : গণতন্ত্র সাধারণত দুটি পদ্ধতিতে কার্যকর হয়। যথা : ১. প্রত্যক্ষ বা বিশুদ্ধ গণতন্ত্র ও ২. পরোক্ষ বা প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্র।  গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র : গণতন্ত্র সফল করার উপায় ও গণতান্ত্রিক আচরণ : যে শাসনব্যবস্থায় রাষ্ট্রের শাসনক্ষমতা রাষ্ট্রের সকল সদস্য তথা জনগণের হাতে ন্যস্ত থাকে তাকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বলে। গণতন্ত্র বর্তমান যুগে প্রচলিত শাসনব্যবস্থাগুলোর মধ্যে সর্বোৎকৃষ্ট এবং সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য শাসনব্যবস্থা। কিন্তু এর চর্চা বা বাস্তবায়নের পথে অনেক প্রতিবন্ধকতা আছে। এসব প্রতিবন্ধকতা দূর করে গণতন্ত্রের সাফল্যের জন্য প্রয়োজন শিক্ষিত ও সচেতন জনগোষ্ঠী, অর্থনৈতিক সাম্য ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজব্যবস্থা, দক্ষ প্রশাসন এবং উপযুক্ত নেতৃত্ব।  রাজনৈতিক দল : রাজনৈতিক দল হচ্ছে একটি দেশের জনগোষ্ঠীর সেই অংশ, যারা একটি আদর্শ বা কিছু নীতি বা কর্মসূচির ভিত্তিতে রাষ্ট্রীয় সমস্যা সমাধানে সংগঠিত হয়। রাজনৈতিক দলের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে ক্ষমতায় গিয়ে দলের নীতি ও আদর্শ অনুযায়ী দেশ পরিচালনা এবং নির্বাচনি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা।  গণতন্ত্রের বিকাশে রাজনৈতিক দল : গণতন্ত্র মানেই হচ্ছে রাজনৈতিক দলের উপস্থিতি। গণতন্ত্রের সফলতার জন্য রাজনৈতিক দলের গুরুত্ব অপরিসীম। কেননা রাজনৈতিক দলই জনগণের মতামতকে সুসংগঠিত করে এবং জনগণের মধ্যে রাজনৈতিক চেতনার বিকাশ ঘটায়।  নির্বাচন : নির্বাচন হচ্ছে জনপ্রতিনিধি বাছাইয়ের পদ্ধতি। স্থানীয় পর্যায় থেকে জাতীয় পর্যায় ভোটাধিকার প্রাপ্ত সকল নাগরিক ভোট দিয়ে প্রতিনিধি বাছাই করে। প্রতিনিধি বাছাইয়ের প্রক্রিয়াকে নির্বাচন বলে। যারা ভোট দেয়, তাদের নির্বাচক বা ভোটার বলে।  নির্বাচন কমিশন : গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান নির্মাণের পূর্ব শর্ত হচ্ছে কার্যকর নির্বাচনব্যবস্থা। আর সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের।  জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর  প্রশ্ন \ ১ \ বর্তমান বিশ্বের সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য সরকারব্যবস্থা কোনটি? উত্তর : বর্তমান বিশ্বের সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য সরকারব্যবস্থা হলো গণতন্ত্র। প্রশ্ন \ ২ \ গণতন্ত্রে কী প্রতিষ্ঠিত হয়? উত্তর : গণতন্ত্রে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রশ্ন \ ৩ \ কোথায় প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র চালু আছে? উত্তর : সুইজারল্যান্ডে প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র চালু আছে। প্রশ্ন \ ৪ \ গণতন্ত্র সর্বপ্রথম কোথায় প্রচলিত হয়? উত্তর : গণতন্ত্র সর্বপ্রথম গ্রিসে প্রচলিত হয়। প্রশ্ন \ ৫ \ পাকিস্তান গণপরিষদের সংবিধান প্রণয়নে কত বছর লাগে? উত্তর : পাকিস্তান গণপরিষদের সংবিধান প্রণয়নে ৯ বছর লাগে। প্রশ্ন \ ৬ \ কে গণতন্ত্রকে অযোগ্য শাসনব্যবস্থা বলেছেন? উত্তর : প্রখ্যাত দার্শনিক প্লেটো ও এরিস্টটল গণতন্ত্রকে অযোগ্য শাসনব্যবস্থা বলেছেন । প্রশ্ন \ ৭ \ কত সালে বাংলাদেশে স্বাধীনতাযুদ্ধ হয়েছিল? উত্তর : ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে স্বাধীনতাযুদ্ধ হয়েছিল। প্রশ্ন \ ৮ \ কার নেতৃত্বে প্রথম তত্ত¡াবধায়ক সরকার গঠিত হয়? উত্তর : বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহাম্মদের নেতৃত্বে প্রথম তত্ত¡াবধায়ক সরকার গঠিত হয়। প্রশ্ন \ ৯ \ ১৯৯১ সালে সরকার গঠন করে কোন দল? উত্তর : ১৯৯১ সালে সরকার গঠন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। প্রশ্ন \ ১০ \ নতুন রাষ্ট্র হিসেবে কতটি দেশ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দান করে। উত্তর : নতুন রাষ্ট্র হিসেবে ১৪০টি দেশ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দান করে। প্রশ্ন \ ১১ \ বাংলাদেশের প্রথম সংবিধান প্রণয়ন করা হয় কত সালে? উত্তর : বাংলাদেশের প্রথম সংবিধান প্রণয়ন করা হয় ১৯৭২ সালে। প্রশ্ন \ ১২ \ নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয় কত সালে? উত্তর : নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয় ২০০৮ সালে। প্রশ্ন \ ১৩ \ কোন সংস্থা নির্বাচনি তফসিল ঘোষণা করে? উত্তর : নির্বাচন কমিশন নির্বাচনি তফসিল ঘোষণা করে। প্রশ্ন \ ১৪ \ কে নির্বাচন কমিশনের সভাপতি হিসেবে কাজ করেন? উত্তর : প্রধান নির্বাচন কমিশনার নির্বাচন কমিশনের সভাপতি হিসেবে কাজ করেন। প্রশ্ন \ ১৫ \ নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ কত বছর? উত্তর : নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ ৫ বছর। প্রশ্ন \ ১৬ \ মনোনয়নপত্র বাছাই করার দায়িত্ব কার? উত্তর : মনোনয়নপত্র বাছাই করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। প্রশ্ন \ ১৭ \ নির্বাচনি অপরাধের জন্য কমপক্ষে কত বছর সশ্রম কারাদণ্ড হতে পারে? উত্তর : নির্বাচনি অপরাধের জন্য কমপক্ষে ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড হতে পারে। প্রশ্ন \ ১৮ \ বর্তমান বিশ্বের সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য সরকারব্যবস্থা কোনটি? উত্তর : বর্তমান বিশ্বের সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য সরকারব্যবস্থা হলো গণতন্ত্র। প্রশ্ন \ ১৯ \ গণতন্ত্র কাকে বলে? উত্তর : যে শাসনব্যবস্থায় শাসন ক্ষমতা মুষ্টিমেয় লোকের হাতে না থেকে রাষ্ট্রের সব জনসাধারণের ওপর ন্যস্ত থাকে এবং জনগণই তাদের সরকারকে গঠন করে তাকে গণতন্ত্র বলে। প্রশ্ন \ ২০ \ বাংলাদেশে কী ধরনের সরকারব্যবস্থা বিদ্যমান? উত্তর : বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক সরকারব্যবস্থা বিদ্যমান। প্রশ্ন \ ২১ \ আব্রাহাম লিংকন প্রদত্ত গণতন্ত্রের সংজ্ঞাটি লেখ। উত্তর : আব্রাহাম লিংকনের মতে, ‘গণতন্ত্র হচ্ছে জনগণের, জনগণের জন্য ‘জনগণ দ্বারা নির্বাচিত সরকারব্যবস্থা’। প্রশ্ন \ ২২ \ বর্তমানে সরকার পরিচালনায় সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যবস্থা হিসেবে কোনটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। উত্তর : বর্তমানে সরকার পরিচালনায় সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যবস্থা হিসেবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্রশ্ন \ ২৩ \ প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র কাকে বলে? উত্তর : যে শাসনব্যবস্থায় নাগরিকগণ প্রত্যক্ষ বা সরাসরিভাবে শাসনকার্য পরিচালনায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ পায় তাকে প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র বলে। প্রশ্ন \ ২৪ \ পরোক্ষ গণতন্ত্রে কারা আইন প্রণয়নসহ শাসনকার্য পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকেন? উত্তর : পরোক্ষ গণতন্ত্রে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা আইন প্রণয়নসহ শাসনকার্য পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকেন। প্রশ্ন \ ২৫ \ আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে কোন ধরনের গণতন্ত্র প্রচলিত রয়েছে? উত্তর : আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরোক্ষ বা প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্র প্রচলিত রয়েছে। প্রশ্ন \ ২৬ \ দায়িত্বশীল শাসনব্যবস্থা কোনটি? উত্তর : গণতন্ত্র হলো দায়িত্বশীল শাসনব্যবস্থা। প্রশ্ন \ ২৭ \ কোন শাসনব্যবস্থায় রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারণের ক্ষেত্রে জনগণের স্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়া হয়? উত্তর : গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারণের ক্ষেত্রে জনগণের স্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। প্রশ্ন \ ২৮ \ সংসদীয় ব্যবস্থায় বিকল্প সরকার কোনটি? উত্তর : সংসদীয় ব্যবস্থায় বিকল্প সরকার হলো বিরোধী দল। প্রশ্ন \ ২৯ \ কোনটি ছাড়া গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চিন্তা করা যায় না? উত্তর : নির্বাচন ছাড়া গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চিন্তা করা যায় না। প্রশ্ন \ ৩০ \ কোনটির মাধ্যমে জনগণের সার্বভৌমত্বের প্রয়োগ ঘটে? উত্তর : নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সার্বভৌমত্বের প্রয়োগ ঘটে। প্রশ্ন \ ৩১ \ রাজনৈতিক দলের অন্যতম কাজ কী? উত্তর : রাজনৈতিক দলের অন্যতম কাজ হচ্ছে নির্বাচনে জয়লাভের পর সরকার গঠন করা। প্রশ্ন \ ৩২ \ কত সালে পাকিস্তানে পার্লামেন্টারি শাসনব্যবস্থা গৃহীত হয়? উত্তর : ১৯৪৭ সালে পাকিস্তানে পার্লামেন্টারি শাসনব্যবস্থা গৃহীত হয়। প্রশ্ন \ ৩৩ \ জেনারেল আইয়ুব খান কত সালে পাকিস্তানে সামরিক শাসন জারি করেন? উত্তর : জেনারেল আইয়ুব খান ১৯৫৮ সালে পাকিস্তানে সামরিক শাসন জারি করেন। প্রশ্ন \ ৩৪ \ স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে আজ পর্যন্ত রাজনৈতিক দল বিচারে বাংলাদেশে কয়টি রাজনৈতিক প্রশাসন এসেছে? উত্তর : স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে আজ পর্যন্ত রাজনৈতিক

নবম – দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অষ্টম অধ্যায় বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও নির্বাচন Read More »

নবম – দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় সপ্তম অধ্যায় বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন অঙ্গ ও প্রশাসন ব্যবস্থা

সপ্তম অধ্যায় বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন অঙ্গ ও প্রশাসন ব্যবস্থা অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সংক্ষেপে জেনে রাখি  বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন বিভাগ : পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সরকারব্যবস্থার মতো বাংলাদেশ সরকারের তিনটি বিভাগ আছে। সেগুলো হচ্ছে : ১. শাসন বিভাগ ২. আইন বিভাগ ও ৩. বিচার বিভাগ।  শাসন বিভাগ : শাসন বিভাগকে নির্বাহী বিভাগও বলা হয়ে থাকে। রাষ্ট্রের শাসনকার্য তথা নিত্যদিনকার প্রশাসনিক ও দাপ্তরিক কাজ পরিচালনা, আইন শৃঙ্খলা রক্ষা এবং রাষ্ট্রের সার্বিক সিদ্ধান্ত এবং সুবিধাসমূহ বাস্তবায়ন করে যে বিভাগ তাকে শাসন বিভাগ বলে।  বাংলাদেশের বিচার বিভাগ : বাংলাদেশ সরকারের তিনটি বিভাগের মধ্যে বিচার বিভাগ অন্যতম। সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা রাষ্ট্রের অন্যতম দায়িত্ব। সরকারের যে বিভাগ আইন অনুসারে বিচার কাজ পরিচালনা। বাংলাদেশের বিচার বিভাগ সুপ্রিম কোর্ট, অধস্তন আদালত এবং প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল নিয়ে গঠিত।  রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও কার্যাবলি : সংসদীয় ব্যবস্থায় রাষ্ট্রপতি নিয়মতান্ত্রিক প্রধান। প্রজাতন্ত্রের সকল কাজ তার নামে পরিচালিত হয়। তার হাতে কোনো নির্বাহী ক্ষমতা নেই। কিন্তু তবু দেশের সরকার গঠন, শাসন পরিচালনা, আইন প্রণয়ন, অর্থ সংক্রান্ত, বিচার, প্রতিরক্ষা ও ক‚টনীতি বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ কাজ তিনি সম্পাদন করেন।  প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা ও কার্যাবলি : প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা ও কার্যাবলির মধ্যে রয়েছে ১. শাসন বিষয়ক ও নির্বাহী ক্ষমতা, ২. আইন সংক্রান্ত ক্ষমতা, ৩. সংসদ পরিচালনায় প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা, ৪. অর্থবিষয়ক ক্ষমতা, ৫. রাষ্ট্রীয় কাজের সমন্বয়ে প্রধানমন্ত্রী, ৬. জাতির মুখপাত্র হিসেবে প্রধানমন্ত্রী, ৭. দলের নেতা হিসেবে।  আইন বিভাগ : সরকারের তিনটি বিভাগের একটি হচ্ছে আইন বিভাগ। আইন বিভাগ আইন প্রণয়ন এবং প্রয়োজনবোধে প্রচলিত আইনের সংশোধন বা রদবদল করে থাকে। আইন বিভাগের একটি অংশ হলো আইনসভা বা পার্লামেন্ট। আইনসভা আইন প্রণয়ন করে। আইনসভা নির্বাচিত গণপ্রতিনিধিদের নিয়ে কিংবা কোনো কোনো ক্ষেত্রে মনোনীত সদস্যদের নিয়ে গঠিত হয়। আইনসভা প্রণীত আইন রাষ্ট্রপ্রধানের সম্মতি লাভের পর কার্যকর হয়। প্রত্যেক রাষ্ট্রের আইনসভা রয়েছে এবং এসব আইনসভা বিভিন্ন নামে পরিচিত। বাংলাদেশের আইনসভার নাম জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশের আইনসভা এক কক্ষ বিশিষ্ট।  বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামো : বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামো স্তরভিত্তিক। এর দুটি প্রধান স্তর আছে। প্রথম স্তরটি হলো কেন্দ্রীয় প্রশাসন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের দ্বিতীয় স্তরটি হলো মাঠ প্রশাসন। মাঠ প্রশাসনের প্রথম ধাপ হলো বিভাগীয় প্রশাসন। দ্বিতীয় ধাপে রয়েছে জেলা প্রশাসন। জেলার পর আছে উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা প্রশাসন একেবারে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত বিস্তৃত।  কেন্দ্রীয় প্রশাসন : সেক্রেটারীয়েট বা সচিবালয় বাংলাদেশ প্রশাসন ব্যবস্থার কেন্দ্রে অবস্থিত যা শাসন ব্যবস্থার স্নায়ুকেন্দ্র স্বরূপ। সরকারি যাবতীয় সিদ্ধান্ত সর্বপ্রথম সচিবালয়ে গৃহীত হয়। সাধারণত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও তার বিভাগসমূহের অফিসগুলোকে যৌথভাবে সচিবালয় বলে। প্রধামন্ত্রীর পছন্দানুযায়ী প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে একজন মন্ত্রী নিযুক্ত হন। মন্ত্রী হলেন একজন রাজনৈতিক ব্যক্তি ও মন্ত্রণালয়ের প্রধান। মন্ত্রণালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তথা প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন একজন সচিব।  স্থানীয় প্রশাসন : স্থানীয় শাসন বলতে স্থানীয় পর্যায়ের বিভাগীয়/জেলা এবং উপজেলা শাসন ব্যবস্থাকে বোঝায়। প্রশাসনের সুবিধার্থে এর সৃষ্টি। এ প্রক্রিয়ায় কেন্দ্রীয় শাসন ও নিয়ন্ত্রণকে নিম্ন পর্যায় পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, রাজস্ব আদায় ও সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নই এর মুখ্য উদ্দেশ্য। এ ব্যবস্থায় স্থানীয় শাসনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তা ব্যক্তিবৃন্দ সরকারের এজেন্ট বা প্রতিনিধি হিসেবে গণ্য। যেমন : আমাদের দেশে বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসক এবং থানা/উপজেলা নির্বাহী অফিসার।  বিভাগীয় প্রশাসন : কেন্দ্রের পরেই বাংলাদেশে বিভাগীয় প্রশাসনের স্থান। বাংলাদেশের প্রশাসন ব্যবস্থাকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সমগ্র বাংলাদেশকে ৭টি বিভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। ১. ঢাকা বিভাগ, ২. চট্টগ্রাম বিভাগ, ৩. রাজশাহী বিভাগ, ৪. খুলনা ভিাগ, ৫. বরিশাল বিভাগ, ৬. সিলেট বিভাগ ও ৭. রংপুর বিভাগ। বিভাগীয় প্রশাসনের শীর্ষে অবস্থান করেন বিভাগীয় কমিশনার। একজন অতিরিক্ত কমিশনার এবং কমিশনারের ব্যক্তিগত সহকারীসহ বহুসংখ্যক কর্মচারী বিভাগীয় প্রশাসনে কর্মরত থাকেন।  সিটি কর্পোরেশন : মহানগর এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা, বিভিন্ন সমস্যার সমাধান এবং উন্নয়নের জন্য সিটি কর্পোরেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে। প্রত্যেক সিটি কর্পোরেশন নির্ধারিত সংখ্যক ওয়ার্ডে বিভক্ত থাকে। একজন মেয়র, নির্ধারিত ওয়ার্ডের সমানসংখ্যক কাউন্সিলর এবং নির্ধারিত ওয়ার্ডের এক-তৃতীয়াংশ সংখ্যক সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলর নিয়ে সিটি কর্পোরেশন গঠিত হয়।  ইউনিয়ন পরিষদ : গড়ে ১০-১৫টি গ্রাম নিয়ে একটি ইউনিয়ন পরিষদ গঠিত। এর একজন নির্বাচিত চেয়ারম্যান, নয়জন নির্বাচিত সাধারণ সদস্য ও তিনজন নির্বাচিত মহিলা সদস্য (সংরক্ষিত আসনে) রয়েছেন। একটি ইউনিয়ন ৯টি ওয়ার্ডে বিভক্ত। প্রত্যেক ওয়ার্ড থেকে একজন করে ৯টি ওয়ার্ড থেকে ৯ জন সাধারণ সদস্য জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হন।  উপজেলা পরিষদ : আমাদের দেশে থানা/উপজেলা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক স্তর। একজন চেয়ারম্যান, দুইজন ভাইস চেয়ারম্যান (এদের মধ্যে একজন হবেন মহিলা) এবং উপজেলার আওতাধীন ইউনিয়ন পরিষদসমূহের চেয়ারম্যানবৃন্দ, পৌরসভার (যদি থাকে) মেয়র এবং তিনজন মহিলা সদস্যের সমন্বয়ে উপজেলা পরিষদ গঠিত হয়।  জেলা পরিষদ : ২০০০ সালের জেলা পরিষদ আইন অনুযায়ী জেলা পরিষদ গঠিত হবে একজন চেয়ারম্যান, পনেরোজন সদস্য এবং সংরক্ষিত আসনে ৫ জন মহিলা সদস্যদেরকে নিয়ে। এরা সবাই পরোক্ষভাবে নির্বাচিত হবেন একটি নির্দিষ্ট জেলার অধীনে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, কমিশনারবৃন্দ, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং সদস্যদের ভোটে। এই পরিষদের মেয়াদ হবে পাঁচ বছর।  বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর  ১. এককক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা আছে এমন দেশের উদাহরণ নিচের কোনটি? ক যুক্তরাষ্ট্র খ যুক্তরাজ্য গ ভারত  বাংলাদেশ নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ২ ও ৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও : হৃদয় তার প্রবাসী বন্ধুকে জানায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সরকারি বিলের পৃষ্ঠপোষকতা, অর্থবিষয়ক কাজ, দলের নেতা, সংসদবিষয়ক ক্ষমতা প্রভৃতি ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন ও ক্ষমতা প্রয়োগ করেন। ২. জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে হৃদয় প্রদত্ত কোন তথ্যটি সঠিক? র. সরকারি বিলের পৃষ্ঠপোষকতা করা রর. বার্ষিক বাজেট অনুমোদন ররর. সংসদ সদস্যদের অধিকার সংরক্ষণ নিচের কোনটি সঠিক? ক র ও রর খ রর ও ররর  র ও ররর ঘ র, রর ও ররর ৩. উপরোক্ত দায়িত্ব পালনের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে বলা হয়-  সরকার প্রধান খ নির্বাহী প্রধান গ সংসদ প্রধান ঘ দলীয় প্রধান  জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর  প্রশ্ন \ ১ \ প্রশাসন পরিচালনা কয় ধরনের? উত্তর : প্রশাসন পরিচালনা দুই ধরনের। প্রশ্ন \ ২ \ আইনসভা কাদের নিয়ে গঠিত? উত্তর : নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে আইনসভা গঠিত। প্রশ্ন \ ৩ \ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভার নাম কী? উত্তর : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভার নাম হচ্ছে কংগ্রেস। প্রশ্ন \ ৪ \ প্রধানমন্ত্রীকে নিযুক্ত করেন কে? উত্তর : প্রধানমন্ত্রীকে নিযুক্ত করেন রাষ্ট্রপতি। প্রশ্ন \ ৫ \ কার অধ্যাদেশ জারি করার ক্ষমতা রয়েছে? উত্তর : রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারি করার ক্ষমতা রয়েছে। প্রশ্ন \ ৬ \ কার ভাষণের ওপর সংসদ আলোচনা করে? উত্তর : রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর সংসদ আলোচনা করে। প্রশ্ন \ ৭ \ বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কে? উত্তর : বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রশ্ন \ ৮ \ বাংলাদেশের সরকার প্রধান কে? উত্তর : বাংলাদেশের সরকার প্রধান হলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রশ্ন \ ৯ \ সংসদীয় ব্যবস্থায় কে মন্ত্রীদের নিয়োগ ও তাদের দপ্তর

নবম – দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় সপ্তম অধ্যায় বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন অঙ্গ ও প্রশাসন ব্যবস্থা Read More »

নবম – দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ষষ্ঠ অধ্যায় রাষ্ট্র, নাগরিকতা ও আইন

ষষ্ঠ অধ্যায় রাষ্ট্র, নাগরিকতা ও আইন অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সংক্ষেপে জেনে রাখি  রাষ্ট্র : রাষ্ট্র একটি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। বিশ্বের সকল মানুষ কোনো না কোনো রাষ্ট্রে বসবাস করে। আমাদের এই পৃথিবীতে ছোট-বড় মিলিয়ে ২০৬টি রাষ্ট্র আছে। প্রতিটি রাষ্ট্রেরই আছে নির্দিষ্ট ভ‚খণ্ড এবং জনসংখ্যা। এছাড়া ও আছে সরকার এবং রাষ্ট্র পরিচালনার সর্বোচ্চ ক্ষমতা অর্থাৎ সার্বভৌমত্ব।  রাষ্ট্রের উপাদান : রাষ্ট্রের ধারণা ব্যাখ্যা করলে আমরা রাষ্ট্রের চারটি উপাদান দেখতে পাই।। যথা : ১. জনসমষ্টি, ২. নির্দিষ্ট ভ‚খণ্ড, ৩. সরকার ও ৪. সার্বভৌমত্ব।  রাষ্ট্রের কার্যাবলি : মানুষের প্রয়োজনেই রাষ্ট্র গড়ে উঠেছে। মানবজীবনের সামগ্রিক কল্যাণ সাধনই রাষ্ট্রের কাজ। আধুনিক রাষ্ট্রের কার্যাবলিকে দুটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়। যেমন : অপরিহার্য বা মুখ্য কার্যাবলি এবং কল্যাণমূলক বা ঐচ্ছিক কার্যাবলি।  নাগরিকের ধারণা : আজ থেকে প্রায় ২,৫০০ বছর পূর্বে প্রাচীন গ্রিসে নাগরিক ও নাগরিকতার ধারণার উদ্ভব হয়। প্রাচীন গ্রিসে তখন নগরকেন্দ্রিক ছোট ছোট রাষ্ট্র ছিল, সেগুলোকে নগর-রাষ্ট্র বলা হতো। এসব নগর-রাষ্ট্রে যারা প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করত, তারা নাগরিক হিসেবে পরিচিত ছিল। তাদের ভোটাধিকার ছিল।  নাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য : রাষ্ট্রের নিকট নাগরিকের যেমন অধিকার রয়েছে, অনুরূপ রাষ্ট্রের প্রতিও নাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে। কর্তব্য পালন ব্যতীত শুধু অধিকার ভোগ করা প্রত্যাশিত নয়।  আইনের ধারণা : আইন বলতে সমাজ স্বীকৃত এবং রাষ্ট্র কর্তৃক অনুমোদিত নিয়ম-কানুনকে বোঝায়, যা মানুষের বাহ্যিক আচরণ নিয়ন্ত্রণ করে। আইন মানুষের মঙ্গলের জন্য প্রণয়ন করা হয়। সাধারণত আইনকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন : ১. সরকারি আইন, ২. বেসরকারি আইন ও ৩. আন্তর্জাতিক আইন।  আইনের উৎস : আইনের বিভিন্ন উৎস রয়েছে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী হল্যান্ড আইনের ৬টি প্রধান উৎসের কথা উল্লেখ করেছেন। এগুলো হলোÑ ১. প্রথা, ২. ধর্ম, ৩. বিচার সংক্রান্ত রায়, ৪. বিজ্ঞানসম্মত আলোচনা, ৫. ন্যায়বোধ ও ৬. আইনসভা।  তথ্য অধিকার আইন : জনগণের মৌলিক অধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে তথ্য অধিকার আইন একটি যুগান্তকারী আইন। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ কর্তৃক গৃহীত তথ্য অধিকার আইনটি ৫ এপ্রিল, ২০০৯ (২২ চৈত্র, ১৪১৫) তারিখে রাষ্ট্রপতির সম্মতি লাভ করে এবং এ আইনটি সর্বসাধারণের অবগতির জন্য প্রকাশ করা হয়।  বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর  ১. ‘আইন হচ্ছে মানুষের বাহ্যিক আচরণ নিয়ন্ত্রণের কতগুলো সাধারণ নিয়ম, যা সার্বভৌম শক্তি কর্তৃক প্রণীত হয়’Ñ উক্তিটি কার? ক টি. এইচ. গ্রীণ  হল্যান্ড গ উড্রো উইলসন ঘ এরিস্টটল ২. নাগরিকের দায়িত্ব হলো  রাস্তায় ট্রাফিক আইন মেনে চলা খ অধিক সংখ্যক লোককে শিল্পকারখানায় কাজে লাগানো গ দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা ঘ রাজনৈতিক সংগঠন গড়ে তোলা ৩. আইনের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে র. মানুষের বাহ্যিক আচরণ নিয়ন্ত্রণ করা রর. সকলের অধিকার সমভাবে সংরক্ষণ করা ররর. বিধিবিধান মানতে বাধ্য করা উপরের তথ্যের আলোকে নিম্নের কোনটি সঠিক? ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৪ ও ৫ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও : অভি ও রাফি দুই বন্ধু একদিন প্রতিবেশীর গাছ থেকে পেয়ারা পাড়তে গিয়ে ধরা পড়ে যায়। বাড়িওয়ালা দুইজনকে থানায় সোপর্দ করেন। রাফির বাবা প্রভাবশালী হওয়ায় তিনি তাকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নেন। অভির দরিদ্র বাবা-মা অনেক মিনতি করেও অভিকে ছাড়াতে পারেননি। ৪. অভির ক্ষেত্রে আইনের অনুশাসনের যে দিকটি প্রযোজ্য হয়নি র. আইনের প্রাধান্য রর. আইনের দৃষ্টিতে সাম্য ররর. আইনের সর্বজনীনতা নিচের কোনটি সঠিক? ক র  রর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর  জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর  প্রশ্ন \ ১ \ আধুনিক রাষ্ট্রে বিজ্ঞানীগণ রাষ্ট্রকে মানুষের কী বিকাশের জন্য অপরিহার্য প্রতিষ্ঠান বলে ব্যাখ্যা করেছেন? উত্তর : আধুনিক রাষ্ট্রে বিজ্ঞানীগণ রাষ্ট্রকে মানুষের স্বাধীনতা ও ব্যক্তিত্ব বিকাশের জন্য অপরিহার্য প্রতিষ্ঠান বলে ব্যাখ্যা করেছেন। প্রশ্ন \ ২ \ রাষ্ট্র কোন ধরনের প্রতিষ্ঠান? উত্তর : রাষ্ট্র একটি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। প্রশ্ন \ ৩ \ কার মতে, “স্বয়ংসম্পূর্ণ জীবনের জন্য কতিপয় পরিবার ও গ্রামের সমন্বয়ে গঠিত সংগঠনই রাষ্ট্র”। উত্তর : এরিস্টটলের মতে, “স্বয়ংসম্পূর্ণ জীবনের জন্য কতিপয় পরিবার ও গ্রামের সমন্বয়ে গঠিত সংগঠনই রাষ্ট্র”। প্রশ্ন \ ৪ \ রাষ্ট্রকে পরিচালনা করে কে? উত্তর : রাষ্ট্রকে পরিচালনা করে সরকার। প্রশ্ন \ ৫ \ রাষ্ট্রের প্রাথমিক উপাদান কোনটি? উত্তর : রাষ্ট্রের প্রাথমিক উপাদান জনসমষ্টি। প্রশ্ন \ ৬ \ বাংলাদেশে কখন স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়? উত্তর : বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়। প্রশ্ন \ ৭ \ কোনটি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে রাষ্ট্রের গঠন পূর্ণতা পায়? উত্তর : সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে রাষ্ট্রের গঠন পূর্ণতা পায়। প্রশ্ন \ ৮ \ ঞযব গড়ফবৎহ ঝঃধঃব গ্রন্থের লেখক কে? উত্তর : ঞযব গড়ফবৎহ ঝঃধঃব গ্রন্থের লেখক হলেন আর. এম. ম্যাকাইভার। প্রশ্ন \ ৯ \ বিশ্লেষকদের মতে, রাষ্ট্র প্রধানত কত ধরনের ভ‚মিকা পালন করে থাকে? উত্তর : বিশ্লেষকদের মতে, রাষ্ট্র প্রধানত দুই ধরনের ভ‚মিকা পালন করে থাকে। প্রশ্ন \ ১০ \ বিভিন্ন চুক্তি সম্পাদন, আঞ্চলিক কোর্ট গঠন রাষ্ট্রের কোন ধরনের কাজ? উত্তর : বিভিন্ন চুক্তি সম্পাদন, আঞ্চলিক কোর্ট গঠন রাষ্ট্রের পররাষ্ট্র বিষয়ক অপরিহার্য কাজ। প্রশ্ন \ ১১ \ শরণার্থীদের আশ্রয়দান রাষ্ট্রের কোন ধরনের কাজ? উত্তর : শরণার্থীদের আশ্রয়দান রাষ্ট্রের ঐচ্ছিক রাজনৈতিক কাজ। প্রশ্ন \ ১২ \ রাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সম্পদ কী? উত্তর : রাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সম্পদ হচ্ছে শিক্ষিত জনগোষ্ঠী। প্রশ্ন \ ১৩ \ পৌরনীতি পাঠের মূল বিষয়বস্তু কী? উত্তর : পৌরনীতি পাঠের মূল বিষয়বস্তু হলো নাগরিকত্ব ও রাষ্ট্র। প্রশ্ন \ ১৪ \ নাগরিকের প্রধান কর্তব্য কী? উত্তর : নাগরিকের প্রধান কর্তব্য হলো রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করা। প্রশ্ন \ ১৫ \ “রাষ্ট্র কর্তৃক আরোপিত অধিকার এবং বাধ্যবাধকতাসমূহ আইন”। উক্তিটি কার? উত্তর : “রাষ্ট্র কর্তৃক আরোপিত অধিকার এবং বাধ্যবাধকতাসমূহ আইন” উক্তিটি টি এইচ গ্রিনের। প্রশ্ন \ ১৬ \ আইনের ৬টি প্রধান উৎসের কথা বলেছেন কে? উত্তর : আইনের ৬টি প্রধান উৎসের কথা বলেছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী হল্যান্ড। প্রশ্ন \ ১৭ \ আইনের সবচেয়ে প্রাচীন উৎস কী? উত্তর : আইনের সবচেয়ে প্রাচীন উৎস হলো প্রথা। প্রশ্ন \ ১৮ \ ইসলামি রাষ্ট্রের আইন কিসের ওপর নির্ভরশীল? উত্তর : ইসলামি রাষ্ট্রের আইন কুরআন ও সুন্নাহের ওপর নির্ভরশীল। প্রশ্ন \ ১৯ \ আধুনিক রাষ্ট্রে আইনের প্রধান উৎস কী? উত্তর : আধুনিক রাষ্ট্রে আইনের প্রধান উৎস হলো আইনসভা। প্রশ্ন \ ২০ \ কোন দেশের অধিকাংশ আইন প্রথা থেকে সৃষ্ট? উত্তর : ব্রিটেনের অধিকাংশ আইন প্রথা থেকে সৃষ্ট। প্রশ্ন \ ২১ \ বাংলাদেশ সরকার কখন তথ্য অধিকার আইন জারি করে? উত্তর : বাংলাদেশ সরকার ৫ এপ্রিল, ২০০৯ তথ্য অধিকার আইন জারি করে। প্রশ্ন \ ২২ \ তথ্য অধিকার আইন জারির মূল লক্ষ্য কী? উত্তর : তথ্য অধিকার আইন জারির মূল লক্ষ্য হলো জনগণের তথ্য প্রাপ্তির অধিকার সুনিশ্চিত করা। প্রশ্ন \ ২৩ \ বর্তমানে প্রত্যেকটি রাষ্ট্রই কী হিসেবে নিজেদের দাবি করে? উত্তর : বর্তমানে প্রত্যেকটি রাষ্ট্রই কল্যাণমূলক রাষ্ট্র হিসেবে নিজেদের দাবি করে। প্রশ্ন \ ২৪

নবম – দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ষষ্ঠ অধ্যায় রাষ্ট্র, নাগরিকতা ও আইন Read More »

নবম – দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় পঞ্চম অধ্যায় বাংলাদেশের নদ নদী ও প্রাকৃতিক সম্পদ

পঞ্চম অধ্যায় বাংলাদেশের নদ নদী ও প্রাকৃতিক সম্পদ অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সংক্ষেপে জেনে রাখি  বাংলাদেশের নদনদী ও পানিসম্পদ : বাংলাদেশে নদীর সংখ্যা প্রায় ৭০০। পদ্মা, ব্র‏হ্মপুত্র, যমুনা, মেঘনা ও কর্ণফুলী বাংলাদেশের প্রধান নদনদী। ১. পদ্মা : বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম নদী পদ্মা। এটি হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে উৎপন্ন হয়ে রাজশাহী অঞ্চলের দক্ষিণে কুষ্টিয়ার উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। ২. ব্র‏হ্মপুত্র : এ নদ হিমালয় পর্বতের কৈলাশ শৃঙ্গের নিকটে মানস সরোবর থেকে উৎপন্ন হয়েছে এবং কুড়িগ্রাম জেলার মধ্যদিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। ৩. যমুনা : এ নদী ময়মনসিংহ জেলার দেওয়ানগঞ্জের কাছে ব্র‏হ্মপুত্রের শাখানদী নামে দক্ষিণে প্রবাহিত হয়ে দৌলতদিয়ার কাছে পদ্মার সাথে মিলিত হয়েছে। ৪. মেঘনা : আসামের বরাক নদী নাগা-মণিপুর অঞ্চল থেকে উৎপন্ন হয়ে সুরমা ও কুশিয়ারা নামে বিভক্ত হয়ে বাংলাদেশে সিলেট জেলায় প্রবেশ করেছে। ৫. কর্ণফুলী : আসামের লুসাই পাহাড় থেকে উৎপন্ন হয়ে প্রায় ৩২০ কিলোমিটার দীর্ঘ কর্ণফুলী নদী রাঙামাটি ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পড়েছে। এছাড়া আরও রয়েছে তিস্তা, পশুর, সাঙ্গু ফেনী, নাফ ও মাতামুহুরী নদী।  যাতায়াত ব্যবস্থা : যাতায়াত ব্যবস্থা বলতে বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগের মাধ্যম এবং মালপত্র ও লোক চলাচলের মাধ্যমকে বোঝানো হয়। যেমন : সড়কপথ, রেলপথ, নৌপথ, সমুদ্রপথ, আকাশপথ।  জলবিদ্যুৎ : নদী ও জলপ্রপাতের পানির বেগ ব্যবহার করে টার্বাইন যন্ত্রের সাহায্যে যে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় তাকে জলবিদ্যুৎ বলে।  বাণিজ্য : মানুষের অভাব ও চাহিদা মেটানোর উদ্দেশ্যে পণ্যদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় এবং এর আনুষঙ্গিক কার্যাবলি হচ্ছে বাণিজ্য। বাণিজ্য প্রধানত দুই প্রকার। যথা : অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য।  প্রাকৃতিক সম্পদ : প্রকৃতি থেকে প্রাপ্ত সম্পদকে প্রাকৃতিক সম্পদ বলে। যথা : কৃষিজ সম্পদ, বনজ সম্পদ, মৎস্য সম্পদ, খনিজ সম্পদ ও সৌরশক্তি।  বাংলাদেশের বনভ‚মির শ্রেণিবিভাগ : বৃক্ষরাজি যে ভ‚মিতে সমারোহ ঘটায় তাকে বনভ‚মি বলা হয়। এসব বনে কাঠ, মধু, মোম ইত্যাদি বনজ সম্পদ পাওয়া যায়। মূলত জলবায়ু ও মাটির ভিন্নতার কারণে এক এক অঞ্চলে এক এক ধরনের বনের সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশের বন এলাকাকে মোটামুটি চারটি ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন : চট্টগ্রামের বনাঞ্চল, সিলেটের বন, সুন্দরবন ও ঢাকা-টাঙ্গাইল ময়মনসিংহ অঞ্চলের বনভ‚মি। উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য অনুসারেও বনাঞ্চলের শ্রেণিবিভাগ করা যায়। যেমন : ১. ক্রান্তীয় চিরহরিৎ এবং পত্র পতনশীল বনভ‚মি, ২. ক্রান্তীয় পাতাঝরা ও পত্র পতনশীল বনভ‚মি এবং ৩. স্রোতজ (ম্যানগ্রোভ) বা গরান বনভ‚মি।  বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর  ১. মাতামুহুরী নদীর উৎপত্তিস্থল কোথায়?  সাইভার পর্বত খ লুসাই পাহাড় গ মানস সরোবর ঘ গঙ্গোত্রী হিমবাহ ২. গজারি বৃক্ষের বৈশিষ্ট্য হলো র. ঋতুভেদে সকল পাতা ঝরে পড়ে রর. এর পাতাগুলো চিরসবুজ থাকে ররর. এটি লবণাক্ত মাটিতে জন্মায় নিচের কোনটি সঠিক?  র খ র ও রর গ র ও ররর ঘ রর ও ররর নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও : সজীব শিক্ষাসফরে ভারতের পূর্বাঞ্চলের একটি বনভ‚মিতে যেয়ে লক্ষ করে সেখানকার বৃক্ষগুলো বেশ উঁচু এবং ঘন। শিক্ষক তাদের বলেন যে, বাংলাদেশের একটি অঞ্চলে এরূপ বৃক্ষ প্রচুর পরিমাণে জন্মায়। ৩. সজীবের দেখা বনভ‚মিতে কোন বৃক্ষ জন্মায়?  সেগুন খ বহেরা গ শিরিষ ঘ ধুন্দল ৪. বাংলাদেশের কোথায় উক্ত বনভ‚মির অনুরূপ বনভ‚মি পরিলক্ষিত হয়? ক টাঙ্গাইল খ দিনাজপুর  পার্বত্য চট্টগ্রাম ঘ নোয়াখালী  জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর  প্রশ্ন \ ১ \ এদেশে নদীপথের দৈর্ঘ্য কত কিলোমিটার প্রায়? উত্তর : এদেশের নদী পথের দৈর্ঘ্য প্রায় ৯,৮৩৩ কিলোমিটার। প্রশ্ন \ ২ \ কত সালে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থা তৈরি করা হয়েছে? উত্তর : ১৯৫৮ সালে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থা তৈরি করা হয়েছে। প্রশ্ন \ ৩ \ নদী শুকিয়ে গেলে কিসের অভাব দেখা দেয়? উত্তর : নদী শুকিয়ে গেলে মাছের অভাব দেখা দেয়। প্রশ্ন \ ৪ \ সবচেয়ে কম খরচে কোন বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়? উত্তর : সবচেয়ে কম খরচে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়। প্রশ্ন \ ৫ \ বাংলাদেশে মোট কত কিলোমিটার গরান বনভ‚মি রয়েছে? উত্তর : বাংলাদেশে মোট ৪,১৯২ বর্গকিলোমিটার গরান বনভ‚মি রয়েছে। প্রশ্ন \ ৬ \ কোন জায়গার পাহাড়ে প্রচুর বাঁশ ও বেত জন্মে? উত্তর : সিলেটের পাহাড়ে প্রচুর বাঁশ ও বেত জন্মে। প্রশ্ন \ ৭ \ মেঘনার শাখা নদী কোনটি? উত্তর : মেঘনার শাখা নদী হচ্ছে গোমতী। প্রশ্ন \ ৮ \ পদ্মা নদীর উৎপত্তিস্থল কোথায়? উত্তর : পদ্মা নদীর উৎপত্তিস্থল গাঙ্গোত্রী হিমবাহ। প্রশ্ন \ ৯ \ ব্রহ্মপুত্রের অববাহিকার আয়তন কত? উত্তর : ব্রহ্মপুত্রের অববাহিকার আয়তন ৫,৮০,১৬০ বর্গকিলোমিটার। প্রশ্ন \ ১০ \ যমুনার শাখা নদী কোনটি? উত্তর : যমুনার শাখা নদী ধলেশ্বরী। প্রশ্ন \ ১১ \ মাতামুহুরী নদীর উৎপত্তি হয়েছে কোথায়? উত্তর : লামার মাইভার পর্বতে মাতামুহুরী নদীর উৎপত্তি হয়েছে। প্রশ্ন \ ১২ \ চট্টগ্রাম বন্দর কোন নদীর তীরে অবস্থিত? উত্তর : চট্টগ্রাম বন্দর কর্ণফুলী নদীর তীরে অবস্থিত। প্রশ্ন \ ১৩ \ কোন নদীর মোহনা অত্যন্ত প্রশস্ত? উত্তর : মেঘনা নদীর মোহনা অত্যন্ত প্রশস্ত । প্রশ্ন \ ১৪ \ সাঙ্গু নদীর দৈর্ঘ্য কত? উত্তর : সাঙ্গু নদীর দৈর্ঘ্য ২০৮ কিলোমিটার। প্রশ্ন \ ১৫ \নদীসমূহে কোথা থেকে প্রচুর পানি আসে? উত্তর : নদীসমূহের উজান থেকে প্রচুর পানি আসে। প্রশ্ন \ ১৬ \ দেশের মোট যাত্রীসেবার কত শতাংশ নদীপথে হচ্ছে? উত্তর : দেশের মোট যাত্রীসেবার ৭৫ শতাংশ নদীপথে হচ্ছে। প্রশ্ন \ ১৭ \ নদীর তলদেশে কী জমা পড়ে? উত্তর : নদীর তলদেশে পলি জমা পড়ে। প্রশ্ন \ ১৮ \ কর্ণফুলী বহুমুখী পরিকল্পনা থেকে কত লক্ষ একর জমিতে কৃষিজ ফলন হচ্ছে? উত্তর : কর্ণফুলী বহুমুখী পরিকল্পনা থেকে ১০ লক্ষ একর জমিতে কৃষিজ ফলন হচ্ছে। প্রশ্ন \ ১৯ \ কোন দেশের ভ‚তাত্তি¡ক অবস্থা বৈচিত্র্যময়? উত্তর : ভারতের ভ‚তাত্তি¡ক অবস্থা বৈচিত্র্যময়। প্রশ্ন \ ২০ \ ভারতের কোথায় চা উৎপাদন হচ্ছে? উত্তর : ভারতের উত্তরাঞ্চলে চা উৎপাদন হচ্ছে। প্রশ্ন \ ২১ \ বঙ্গোপসাগরে কিসের ভাণ্ডার রয়েছে? উত্তর : বঙ্গোপসাগরে মাছের ভাণ্ডার রয়েছে। প্রশ্ন \ ২২ \ ফসল উৎপাদন করতে কী দরকার হয়? উত্তর : ফসল উৎপাদন করতে সুনির্দিষ্ট মাত্রার তাপমাত্রা ও বৃষ্টিপাতের দরকার হয়। প্রশ্ন \ ২৩ \ কোন দেশকে ট্রানজিট দেওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন নদীপথ ব্যবহার করা হচ্ছে? উত্তর : ভারতকে ট্রানজিট দেওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন নদীপথ ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রশ্ন \ ২৪ \ স্বাধীনতার চল্লিশ বছরে খাদ্যোৎপাদন কত গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে? উত্তর : স্বাধীনতার চল্লিশ বছরে খাদ্যোৎপাদন তিন গুণ বৃদ্ধি। প্রশ্ন \ ২৫ \ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষকে সংক্ষেপে কী বলা হয়? উত্তর : অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থাকে সংক্ষেপে বলা হয় ‘আইডবিøউটিএ’। প্রশ্ন \ ২৬ \ কত সালে বাংলাদেশের শিপিং কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠিত হয়? উত্তর : ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের শিপিং কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠিত হয় । অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর  প্রশ্ন \ ১ \ পানির অভাবে প্রকৃতির ওপর কী ধরনের বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়তে পারে? ব্যাখ্যা কর। উত্তর : পানি অত্যন্ত মূল্যবান সম্পদ। প্রকৃতির সজীবতা বজায়

নবম – দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় পঞ্চম অধ্যায় বাংলাদেশের নদ নদী ও প্রাকৃতিক সম্পদ Read More »

নবম – দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় চতুর্থ অধ্যায় বাংলাদেশের ভূূ‚প্রকৃতি ও জলবায়ু

চতুর্থ অধ্যায় বাংলাদেশের ভূূ‚প্রকৃতি ও জলবায়ু অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সংক্ষেপে জেনে রাখি  ভৌগোলিক অবস্থান ও সীমানা : বাংলাদেশ ২০৩র্৪ উত্তর অক্ষরেখা থেকে ২৬৩র্৮ উত্তর অক্ষরেখার মধ্যে এবং ৮৮০১র্ পূর্ব দ্রাঘিমারেখা থেকে ৯২৪১র্ পূর্ব দ্রাঘিমারেখার মধ্যে অবস্থিত।  আয়তন : বাংলাদেশের আয়তন ১,৪৭,৫৭০ বর্গকিলোমিটার। বাংলাদেশের নদী অঞ্চলের আয়তন ৯,৪০৫ বর্গকিলোমিটার। বনাঞ্চলের আয়তন ২১,৬৫৭ বর্গকিলোমিটার।  বাংলাদেশের ভ‚প্রকৃতি : ভ‚প্রকৃতির ভিত্তিতে বাংলাদেশকে প্রধানত তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায় ১. টারশিয়ারি যুগের পাহাড়সমূহ : হিমালয় পর্বত উত্থিত হওয়ার সময় পাহাড়সমূহ সৃষ্টি হয়। এটিকে দুইভাগে বিভক্ত করা হয় ক. দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়সমূহ, খ. উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়সমূহ ২. প্লাইস্টোসিনকালের সোপানসমূহ : আনুমানিক ২৫,০০০ বছর পূর্বে প্লাইস্টোসিনকালে এ সোপানসমূহ সৃষ্টি হয়। তিনটি অঞ্চল এর অন্তর্ভুক্তÑ ক. বরেন্দ্রভ‚মি খ. মধুপুর ও ভাওয়ালের গড় গ. লালমাই পাহাড় ৩. সা¤প্রতিককালের প্লাবন সমভ‚মি : বাংলাদেশ নদীবিধৌত একটি বিস্তীর্ণ সমভ‚মি। সা¤প্রতিককালের প্লাবন সমভ‚মির আয়তন প্রায় ১,২৪,২৬৬ বর্গকিলোমিটার।  বাংলাদেশের জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য : বাংলাদেশের জলবায়ু সাধারণত সমভাবাপন্ন। উষ্ণ ও আর্দ্র গ্রীষ্মকাল এবং শুষ্ক শীতকাল বাংলাদেশের জলবায়ুর প্রধান বৈশিষ্ট্য। এদেশের জলবায়ুকে তিনটি ঋতুতে ভাগ করা হয়েছে। যথা : ১. গ্রীষ্মকাল, ২. বর্ষাকাল ও ৩. শীতকাল।  ভ‚মিকম্প : প্রাকৃতিক কারণবশত পৃথিবীর কঠিন ভ‚ত্বকের কোনো কোনো অংশ সময়ে সময়ে ক্ষণিকের জন্য কেঁপে ওঠে। এই কম্পনকে ভ‚মিকম্প বলে।  বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর  ১. বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ কোন জেলায় অবস্থিত? ক চট্টগ্রাম খ খাগড়াছড়ি  বান্দরবান ঘ রাঙ্গামাটি নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ২ ও ৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও। রিস্তানা ডিসেম্বর মাসের এক বিকেলে বাবা-মায়ের সাথে মেলায় যায়। হঠাৎ করেই বৃষ্টি শুরু হলে তারা দ্রুত একটি গাছের নিচে আশ্রয় নেয়। তবে সামান্য বৃষ্টিপাতের পরেই মেঘ কেটে যায়। ২. রিস্তানার দেখা বৃষ্টিপাতটি কোন বায়ুর প্রভাবে ঘটেছে?  উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ু খ উত্তর- পশ্চিম শীতল বায়ু গ দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু ঘ দক্ষিণ-পশ্চিম শুষ্ক বায়ু ৩. উক্ত বৃষ্টিপাতটির ফলে কোন ফসল উৎপাদন করা যায়? ক ভুট্টা  গম গ পাট ঘ তুলা ৪. জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলেÑ র. মানুষের পেশাগত পরিবর্তন ঘটছে রর. সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে ররর. বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী বিপন্ন হচ্ছে নিচের কোনটি সঠিক? ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর  প্রশ্ন \ ১ \ এশিয়া মহাদেশের কোনদিকে বাংলাদেশের অবস্থান? উত্তর : এশিয়া মহাদেশের দক্ষিণে বাংলাদেশের অবস্থান। প্রশ্ন \ ২ \ বাংলাদেশের আয়তন কত বর্গকিলোমিটার? উত্তর : বাংলাদেশের আয়তন ১,৪৭,৫৭০ বর্গকিলোমিটার। প্রশ্ন \ ৩ \ কোনটি পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ বদ্বীপ? উত্তর : বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ ব-দ্বীপ। প্রশ্ন \ ৪ \ ভ‚প্রকৃতির ভিত্তিতে বাংলাদেশকে প্রধানত কয়টি ভাগে ভাগ করা যায়? উত্তর : ভ‚প্রকৃতির ভিত্তিতে বাংলাদেশকে প্রধানত ৩টি ভাগে ভাগ করা যায়। প্রশ্ন \ ৫ \ বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের উচ্চতা কত? উত্তর : বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের উচ্চতা ১,২৩১ মিটার। প্রশ্ন \ ৬ \ উত্তরের পাহাড়গুলো স্থানীয়ভাবে কী নামে পরিচিত? উত্তর : উত্তরের পাহাড়গুলো স্থানীয়ভাবে টিলা নামে পরিচিত। প্রশ্ন \ ৭ \ বরেন্দ্রভ‚মির আয়তন কত? উত্তর : বরেন্দ্রভ‚মির আয়তন ৯,৩২০ বর্গকিলোমিটার। প্রশ্ন \ ৮ \ বাংলাদেশের কত শতাংশ ভ‚মি নদীবিধৌত এক বিস্তীর্ণ সমভ‚মি? উত্তর : বাংলাদেশের ৮০ শতাংশ ভ‚মি নদীবিধৌত এক বিস্তীর্ণ সমভ‚মি। প্রশ্ন \ ৯ \ বর্তমান বাংলাদেশের প্রতি বর্গকিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব কত? উত্তর : বর্তমান বাংলাদেশের প্রতি বর্গকিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব ১০১৫ জন। প্রশ্ন \ ১০ \ জনসংখ্যার দিক দিয়ে বাংলাদেশের স্থান কততম? উত্তর : জনসংখ্যার দিক দিয়ে বাংলাদেশের স্থান নবম। প্রশ্ন \ ১১ \ ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে মাথাপিছু জমির পরিমাণ ছিল কত একর? উত্তর : ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে মাথাপিছু জমির পরিমাণ ছিল .২৮ একর। প্রশ্ন \ ১২ \ বাংলাদেশের শীতলতম মাস কোনটি? উত্তর : বাংলাদেশের শীতলতম মাস জানুয়ারি। প্রশ্ন \ ১৩ \ গ্রীষ্মকালে বাংলাদেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কত ডিগ্রি সেলসিয়াস? উত্তর : গ্রীষ্মকালে বাংলাদেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রশ্ন \ ১৪ \ ভারতের জলবায়ু কয়টি ঋতুতে বিভক্ত? উত্তর : ভারতের জলবায়ু ৪টি ঋতুতে বিভক্ত। প্রশ্ন \ ১৫ \ ভারতের মোট বৃষ্টিপাতের কতভাগ বর্ষাকালে হয়ে থাকে? উত্তর : ভারতের মোট বৃষ্টিপাতের ৭৫ ভাগ বর্ষাকালে হয়ে থাকে। প্রশ্ন \ ১৬ \ গ্রীষ্মকালে মায়ানমারে গড় তাপমাত্রা কত? উত্তর : গ্রীষ্মকালে মায়ানমারে গড় তাপমাত্রা প্রায় ২৯০ সেলসিয়াসের কাছাকাছি। প্রশ্ন \ ১৭ \ নেপালে বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কত সেন্টিমিটার? উত্তর : নেপালে বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১৫৪ সেন্টিমিটার। প্রশ্ন \ ১৮ \ পৃথিবীর ভ‚মিকম্পপ্রবণ এলাকাগুলোকে কয়টি প্রধান অংশে ভাগ করা যায়? উত্তর : পৃথিবীর ভ‚মিকম্পপ্রবণ এলাকাগুলোকে ৩টি প্রধান অংশে ভাগ করা যায়। প্রশ্ন \ ১৯ \ পৃথিবীতে কতগুলো বড় মাপের ভ‚মিকম্প প্রতি বছর হয়ে থাকে? উত্তর : পৃথিবীতে ২০টি বড় মাপের ভ‚মিকম্প প্রতিবছর হয়ে থাকে। প্রশ্ন \ ২০ \ ফরাসি ইঞ্জিনিয়ারিং কনসোর্টিয়াম কত সালে বাংলাদেশের ভ‚মিকম্প বলয় সংবলিত মানচিত্র তৈরি করেন? উত্তর : ফরাসি ইঞ্জিনিয়ারিং কনসোর্টিয়াম ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশের ভ‚মিকম্প বলয় সংবলিত মানচিত্র তৈরি করেন। প্রশ্ন \ ২১ \ কিসের ঝাঁকুনিতে পর্বতগাত্র হতে বৃহৎ বরফখণ্ড হঠাৎ নিচে পতিত হয়? উত্তর : ভ‚মিকম্পের ঝাঁকুনিতে পর্বতগাত্র হতে বৃহৎ বরফখণ্ড হঠাৎ নিচে পতিত হয়। প্রশ্ন \ ২২ \ বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কোনটি? উত্তর : বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কিওক্রাডং। প্রশ্ন \ ২৩ \ লালমাই পাহাড়ের আয়তন কত? উত্তর : লালমাই পাহাড়ের আয়তন ৩৪ বর্গকিলোমিটার। প্রশ্ন \ ২৪ \ বর্তমানে বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কত? উত্তর : বর্তমানে বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.৩৭। প্রশ্ন \ ২৫ \ কোন অঞ্চলে জীবিকার সংস্থান কষ্টসাধ্য? উত্তর : পার্বত্য অঞ্চলে জীবিকার সংস্থান কষ্টসাধ্য। প্রশ্ন \ ২৬ \ তাজিওডং কোন জেলায় অবস্থিত? উত্তর : তাজিওডং বান্দরবান জেলায় অবস্থিত। প্রশ্ন \ ২৭ \ কোন বায়ু দুটি শাখায় বিভক্ত হয়ে ভারতে প্রবেশ করে? উত্তর : দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু দুটি শাখায় বিভক্ত হয়ে ভারতে প্রবেশ করে। প্রশ্ন \ ২৮ \ কত বছর পূর্বের সময়কে প্লাইস্টোসিন কাল বলা হয়? উত্তর : আনুমানিক ২৫০০০ বছর পূর্বের সময়কে প্লাইস্টোসিন কাল বলা হয়। প্রশ্ন \ ২৯ \ বাংলাদেশে বর্ষাকালে গড় উষ্ণতা কত ডিগ্রি সেলসিয়াস? উত্তর : বাংলাদেশে বর্ষাকালে গড় উষ্ণতা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রশ্ন \ ৩০ \ ভারত কোন অঞ্চলে অবস্থিত? উত্তর : ভারত মৌসুমি অঞ্চলে অবস্থিত। প্রশ্ন \ ৩১ \ কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ অকস্মাৎ সংঘটিত হয়? উত্তর : প্রাকৃতিক দুর্যোগ ভ‚মিকম্প অকস্মাৎ সংঘটিত হয়। প্রশ্ন \ ৩২ \ জনসংখ্যা বণ্টনের নিয়ামকগুলোকে কয়টি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়? উত্তর : জনসংখ্যা বণ্টনের নিয়ামকগুলোকে দুটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়। প্রশ্ন \ ৩৩ \ ভ‚মিকম্পের মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বাস করছে বাংলাদেশের কত লাখ লোক? উত্তর : ভ‚মিকম্পের মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বাস করছে বাংলাদেশের প্রায় ২ কোটি ১০ লাখ লোক। প্রশ্ন \ ৩৪ \ সমভ‚মি থেকে ভাওয়ালের সোপানভ‚মির উচ্চতা কত? উত্তর : সমভ‚মি থেকে

নবম – দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় চতুর্থ অধ্যায় বাংলাদেশের ভূূ‚প্রকৃতি ও জলবায়ু Read More »

Scroll to Top