Loading [MathJax]/jax/output/HTML-CSS/config.js

রসায়ন

নবম দশম রসায়ন ৮ম অধ্যায় রসায়ন ও শক্তি সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

নবম দশম রসায়ন ৮ম অধ্যায় রসায়ন ও শক্তি সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর নিচে দেওয়া হলো। এসএসসি রসায়ন ৮ম অধ্যায় রসায়ন ও শক্তি সৃজনশীল প্রশ্ন রসায়ন অষ্টম অধ্যায় উত্তর সহ কিছু সৃজনশীল প্রশ্ন প্রশ্ন -1 : নিচের বিক্রিয়াসমূহ দেখে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও : i. পেট্রোলিয়াম + O2 → CO2 + H2O + শক্তি ii. 238U + On1 → 56Ba + 36Kr + 3On1 + শক্তি iii. Zn + CuCl2 → ZnCl2 + Cu + শক্তি ক. ইলেকট্রোপ্লেটিং কী? খ. তড়িৎরাসায়নিক কোষে লবণসেতু ব্যবহার করা হয় কেন? গ. উদ্দীপকের দ্বিতীয় বিক্রিয়াটি রাসায়নিক বিক্রিয়া নয়-ব্যাখ্যা কর। ঘ. শক্তি উৎপাদনে (র) ও (ররর) এর বিক্রিয়া তুলনা কর। ⇔ 1নং প্রশ্নের উত্তর ⇔ ক. তড়িৎবিশ্লেষণের সাহায্যে কোনো সক্রিয় ধাতুর তৈরি জিনিসপত্রের উপর অন্য একটি কম সক্রিয় ধাতুর প্রলেপ সৃষ্টি করাকে ইলেকট্রোপ্লেটিং বলে। খ. তড়িৎ রাসায়নিক কোষে প্রধানত দুটি কারণে লবণ সেতু ব্যবহার করা হয়। i. অর্ধকোষদ্বয়ের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করার জন্য। ii. দুই পাত্রের মধ্যে আয়নের সমতা বজায় রাখার জন্য। গ. উদ্দীপকের দ্বিতীয় বিক্রিয়ায় নতুন মৌল সৃষ্টি হয় বলে এটি নিউক্লিয়ার শিকল বিক্রিয়া, রাসায়নিক বিক্রিয়া নয়। রর নং বিক্রিয়ায় ইউরেনিয়াম-238 কে উচ্চশক্তিসম্পন্ন নিউট্রন দ্বারা আঘাত করলে ফিসন বিক্রিয়ার ফলে 56Ba ও 36Kr তৈরি হয় ও তিনটি উচ্চশক্তিসম্পন্ন নিউট্রন নির্গত হয়। উৎপন্ন নিউট্রন তিনটি নতুন করে ইউরেনিয়াম-238 বা 56Ba ও 36Kr কে আঘাত করে অনুরূপভাবে নতুন পরমাণু ও নিউট্রন তৈরি করে। এভাবে শিকলের ন্যায় নিউক্লিয়ার বিক্রিয়া চলতে থাকে, যতক্ষণ পর্যন্ত বিক্রিয়ার মাধ্যমে ভেঙে ছোট পরমাণু হওয়ার মতো পরমাণু অবশিষ্ট থাকে। একে নিউক্লিয়ার শিকল বিক্রিয়া বলে। রাসায়নিক বিক্রিয়ায় কোনো নতুন পরমাণু গঠিত হয় না। পরমাণুগুলো সর্ববহিঃস্থ শক্তিস্তরের ইলেকট্রনের পরিবর্তনের মাধ্যম সংযুক্ত হয়ে যৌগ গঠন করে। রর নং বিক্রিয়ায় দেখা যায় এতে ইলেকট্রনের বিষয়টি সম্পূর্ণ অনুপস্থিত। এখানে বিক্রিয়ার ফলে নতুন মৌলের সৃষ্টি হয়। সুতরাং, দ্বিতীয় বিক্রিয়াটি নিউক্লিয়ার বিক্রিয়া। এটি রাসায়নিক বিক্রিয়া নয়। ঘ. উদ্দীপকের র নং বিক্রিয়ায় পেট্রোলিয়াম পুড়িয়ে ও ররর নং বিক্রিয়ায় তড়িৎরাসায়নিক কোষের সাহায্যে শক্তি উৎপাদন করা হয়। র নং ও ররর নং উভয় তাপ উৎপাদী বিক্রিয়া। র নং বিক্রিয়ায় পেট্রোলিয়াম পোড়ালে কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস, পানি ও তাপ উৎপন্ন হয়। ররর নং বিক্রিয়ায় তড়িৎ রাসায়নিক কোষের মাধ্যমে রাসায়নিক বিক্রিয়া সংঘটিত হয়। এতে জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ার মাধ্যমে শক্তি উৎপন্ন হয়। র নং ও ররর নং উভয় বিক্রিয়াতে রাসায়নিক শক্তিকে তাপশক্তিতে পরিণত করা হয়। র নং বিক্রিয়ায় পেট্রোলিয়াম দহনের ফলে উৎপন্ন পদার্থের অভ্যন্তরীণ শক্তি জ্বালানির অণুর মধ্যে স্থিত রাসায়নিক শক্তির তুলনায় কম। ফলে অতিরিক্ত শক্তি তড়িৎ-চুম্বকীয় রশ্মি হিসেবে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। রর নং বিক্রিয়ায় তড়িৎ রাসায়নিক কোষে ইলেকট্রন আদান প্রদানের দ্বারা তাপশক্তি উৎপাদন করা হয়। র নং বিক্রিয়ায় পেট্রোলিয়াম পোড়ানোর ফলে উদ্ভূত তাপশক্তিকে ব্যবহার করে তাপ ইঞ্জিনের টারবাইন ঘুরিয়ে বিদ্যুৎশক্তিতে রূপান্তর করা হয়। ররর নং বিক্রিয়ায় সরাসরি রাসায়নিক শক্তি বিদ্যুৎ শক্তিতে পরিণত হয়। এক্ষেত্রে তড়িৎ রাসায়নিক কোষে নিম্নোক্ত জারণ-বিজারণ বিক্রিয়া সংঘটিত হয় : অ্যানোড বিক্রিয়া : Zn(ঝ) → Zn2+(aq) + 2e¯ ক্যাথোড বিক্রিয়া : Cu2+(aq) + 2e¯→ Cu(s) Zn(s) + Cu2+(aq) → Zn2+(aq)+Cu(s) র নং বিক্রিয়ায় শক্তি উৎপাদনের সাথে সাথে কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস ও জলীয় বাষ্প উৎপন্ন হয়। ররর নং বিক্রিয়ায় শুধু বিদ্যুৎশক্তি উৎপন্ন হয়। সুতরাং, শক্তি উৎপাদনে র নং ও ররর নং উভয় ভ‚মিকা রাখলেও দুটি বিক্রিয়ায় তুলনামূলক কিছু পার্থক্য রয়েছে। প্রশ্ন -2 : নিচের চিত্র দেখে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও : ক. ধাতব পরিবাহী কী? খ. এসিড মিশ্রিত পানিকে তড়িৎ বিশ্লেষ্য পরিবাহী বলা হয় কেন? ব্যাখ্যা কর। গ. উপরের কোষে অ্যানোডে সংঘটিত বিক্রিয়াটি ব্যাখ্যা কর। ঘ. উদ্দীপকে সংঘটিত বিক্রিয়ায় তড়িৎপ্রবাহের প্রয়োজনীয়তার যৌক্তিক ব্যাখ্যা দাও। ⇔ 2নং প্রশ্নের উত্তর ⇔ ক. যে সকল পরিবাহী ইলেকট্রন প্রবাহের মাধ্যমে বিদ্যুৎ প্রবাহিত করে তাদেরকে ধাতব বা ইলেকট্রনীয় পরিবাহী বলে। খ. এসিড মিশ্রিত পানি হাইড্রোজেন আয়ন পরিবহনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ পরিবহন করতে পারে বলে একে তড়িৎবিশ্লেষ্য পরিবাহী বলে। বিদ্যুৎ প্রবাহ যদি পরিবাহীর আয়ন দ্বারা সাধিত হয় তাহলে ওইসব পরিবাহীকে তড়িৎবিশ্লেষ্য পরিবাহী বলে। যেমন : গলিত লবণ, এসিড, ক্ষার ও লবণের দ্রবণে ধাতব প্লাটিনাম (Pt) পাতের অ্যানোড ও ক্যাথোড ব্যবহার করে এসিড মিশ্রিত পানির মধ্যে বিদ্যুৎ প্রবাহিত করলে তা বিশ্লেষিত হয়ে হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন গ্যাস উৎপন্ন হয়। গ. বিগলিত MgCl2 আয়নিত অবস্থায় থাকে এবং তড়িৎ পরিবহনে সক্ষম। বিগলিত MgCl2, Mg2+ ও Cl¯ আয়ন উৎপন্ন করে যা নিম্নরূপে দেখানো যায়- MgCl2(aq) → Mg2+(aq) + 2Cl¯(aq) অ্যানোড ও ক্যাথোডের সাথে ব্যাটারির দুই প্রান্ত সংযুক্ত করা হলে অ্যানোডে জারণ সংঘটিত হয় এবং ক্লোরাইড আয়ন ইলেকট্রন ত্যাগ করে ক্লোরিন পরমাণুতে পরিণত হয়। এরূপ দুটি ক্লোরিন পরমাণু একে অপরের সাথে যুক্ত হয়ে ক্লোরিন গ্যাস উৎপন্ন করে। অ্যানোড বিক্রিয়া : 2Cl-(aq) – 2e- →2Cl (জারণ) 2Cl→Cl2(g) অ্যানোডে দান করা ইলেকট্রনগুলো ক্যাথোডে যায় এবং ম্যাগনেসিয়াম আয়নকে বিজারিত করে ম্যাগনেসিয়াম ধাতু উৎপন্ন করে। ক্যাথোড বিক্রিয়া : Mg2+ + 2e- → Mg (বিজারণ) ঘ. উপরের কোষটি একটি তড়িৎবিশ্লেষ্য কোষ। এই কোষে বিদ্যুৎ প্রবাহের ফলে নিম্নোক্ত রাসায়নিক বিক্রিয়া সংঘটিত হয়। অ্যানোড বিক্রিয়া : 2Cl–2e- → Cl2 ক্যাথোড বিক্রিয়া : Mg2+ + 2e- → Mg বিগলিত MgCl2 থেকে ম্যাগনেসিয়াম (Mg) ধাতু নিষ্কাশন করতে তড়িৎবিশ্লেষ্য কোষের প্রয়োজন হয়। আর তড়িৎবিশ্লেষ্য কোষের অন্যতম শর্ত হলো তড়িৎ প্রবাহ। কারণ তড়িৎ প্রবাহের ফলে ক্যাথোড ঋণাত্মক (-াব) চার্জে ও অ্যানোড ধনাত্মক (+াব) চার্জে চার্জিত হয়। ফলে বিগলিত MgCl2 থেকে আয়ন Mg2+ ক্যাথোডে ইলেকট্রন গ্রহণ করে জমা হয় অপরদিকে অ্যানোডে ক্লোরাইড (Cl-) আয়ন ক্লোরিন গ্যাস উৎপন্ন করে। যদি বিদ্যুৎ প্রবাহ না দেয়া হতো তাহলে কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়া সংঘটিত হতো না। অর্থাৎ বিক্রিয়ার মাধ্যমে কাক্সিক্ষত Mg ও Cl2 পাওয়ার জন্যই বিদ্যুৎ প্রবাহের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। প্রশ্ন-3 : ক. COD কী? 1 খ. ক্ষার মিশ্রিত পানিকে তড়িৎ বিশ্লেষ্য পরিবাহী বলা হয় কেন? 2 গ. উক্ত কোষ ব্যবহার করে বৈদ্যুতিক বাল্ব জ্বালানো যায়- ব্যাখ্যা কর। 3 ঘ. চিত্রে NH4+ ও NO3-এর গতির দিক বিপরীত হওয়ার কারণ বিশ্লেষণ কর। 4 ⇔ 3নং প্রশ্নের সমাধান ⇔ ক COD বলতে রাসায়নিক অক্সিজেনের চাহিদাকে বোঝায় যেটি পানিতে মোট কতটুকু রাসায়নিক দ্রব্য আছে তা বুঝানোর জন্য ব্যবহার করা হয়। খ. ক্ষার মিশ্রিত পানিতে তড়িৎ প্রবাহ চালনা করলে তা বিভিন্ন আয়নে বিশ্লিষ্ট হয় বলে একে তড়িৎ বিশ্লেষ্য পরিবাহী বলা হয়। ক্ষারের জলীয় দ্রবণে হাইড্রক্সাইড আয়ন (OH-) উপস্থিত থাকে। কঠিন অবস্থায় ক্ষারের আয়ন মুক্ত অবস্থায় থাকে না। এদের দ্রবীভ‚ত করার সাথে সাথেই সম্পূর্ণরূপে আয়নিত হয়ে মুক্ত হাইড্রক্সাইড আয়ন (OH-) উৎপন্ন করে। অর্থাৎ তড়িৎ চালনা করলে ক্ষার মিশ্রিত পানি নিম্নরূপে বিশ্লেষিত হয়। KOH(s) + H2O → ক+ + OH- NaOH(s) + H2O → Na+ + OH- অতএব, হাইড্রক্সাইড আয়নের জন্যই ক্ষারমিশ্রিত পানি বিদ্যুৎ পরিবহন করে। তাই একে তড়িৎ বিশ্লেষ্য পরিবাহী বলা হয়। গ. উদ্দীপকের চিত্রের শেষে রাসায়নিক শক্তি বিদ্যুৎশক্তিতে পরিণত হয়। এ ধরনের কোষে তড়িৎদ্বার

নবম দশম রসায়ন ৮ম অধ্যায় রসায়ন ও শক্তি সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর Read More »

নবম দশম রসায়ন ৮ম অধ্যায় রসায়ন ও শক্তি বহুনির্বাচনী MCQ

নবম দশম রসায়ন ৮ম অধ্যায় রসায়ন ও শক্তি বহুনির্বাচনী MCQ নিচে দেওয়া হলো। যা এসএসসি রসায়ন ৮ম অধ্যায় রসায়ন ও শক্তি বহুনির্বাচনী প্রশ্ন হিসেবে গণ্য হবে। এসএসসি রসায়ন ৮ম অধ্যায় রসায়ন ও শক্তি বহুনির্বাচনী ১. বিদ্যুৎ পরিবহনের কৌশলের উপর ভিত্তি করে পরিবাহী কত প্রকার? ক এক √ দুই গ তিন ঘ চার উপরের চিত্রের আলোকে ২ ও ৩ নং প্রশ্নের উত্তর দাও : ২. উদ্দীপকের প্রক্রিয়া লোহার- ক পরিমাণ বৃদ্ধি করে √ ক্ষয়রোধ করে গ দৃঢ়তা বৃদ্ধি করে ঘ বিশুদ্ধতা বৃদ্ধি করে ৩. উপরের চিত্রে- i. Ni ক্ষয়প্রাপ্ত হয় ii. Fe অ্যানোড তড়িৎদ্বার হিসেবে কাজ করে iii. ইলেকট্রনের আদান-প্রদান ঘটে নিচের কোনটি সঠিক? ক i ও ii খ ii ও iii √ i ও iii ঘ i, ii ও iii ৪. ড্রাইসেলে নিচের কোনটি জারক হিসেবে কাজ করে? ক Zn দণ্ড √ MnO2 গ কার্বন দণ্ড ঘ NH4+ নবম দশম রসায়ন ৮ম অধ্যায় রসায়ন ও শক্তি MCQ ৫. গ্লুকোজ সেন্সরে তড়িৎ বিশ্লেষ্য কোনটি? ক ধাতুর পাতলা আবরণ খ গ্লুকোজ √ রক্ত ঘ হাতের চামড়া ৬. Cl – Cl বন্ধন ভাঙতে কত কিলোজুল শক্তি লাগে? √ ২৪৪ খ ৩২৬ গ ৪১৪ ঘ ৪৩১ ৭. সূর্যের মধ্যে কোন ধরনের বিক্রিয়া ঘটে? ক নিউক্লিয়ার ফিসন √ নিউক্লিয়ার ফিউসন গ জারণ-বিজারণ ঘ পারমাণবিক পুনর্বিন্যাস ৮. নিচের কোনটি জৈব জ্বালানি? √ ইথানল খ কেরোসিন গ সিএজি ঘ পেট্রোল ৯. ড্রাইসেলে নিচের কোনটি জারক হিসাবে কাজ করে? √ Zn দণ্ড খ MnO2 গ কার্বন দণ্ড ঘ NH4+ ১০. ১ মোল মিথেন গ্যাস পোড়ালে কী পরিমাণ শক্তি পাওয়া যায়? √ ৮৯১০০০ জুল খ ১৮৯১০০ জুল গ ৮৯০১০০ জুল ঘ ৮৯১০০ জুল ১১. Cr দ্বারা Fe এর উপরে ইলেকট্রোপ্লেটিং করার সময় শেষ পাত্রে কোন যৌগটি থাকবে? ক CuSO4 খ FeSO4 √ Cr২(SO4)২ ঘ NiSO4 ১২. পানির তড়িৎ বিশ্লেষণের সময় তড়িৎ পরিবাহিতা বাড়ানোর জন্য কোনটি ব্যবহার করা হয়? ক MgCO2 খ Na২CO৩ √ H2SO4 ঘ MnO4 ১৩. ব্রিডার চুল্লি- i. একটি পারমাণবিক চুল্লি ii. এটি বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত হয় iii. এতে ফিসন বিক্রিয়া ঘটে নিচের কোনটি সঠিক? ক i ও ii খ i ও iii গ ii ও iii √ i, ii ও iii ১৪. 238U স্বতঃস্ফ‚র্তভাবে ভেঙে গিয়ে উৎপন্ন হয়- i. ২৩৪Th ii. ৪২He২+ iii. ২০৬Pb নিচের কোনটি সঠিক? √ i ও ii খ i ও iii গ ii ও iii ঘ i, ii ও iii উপরের চিত্রানুসারে ১৫ ও ১৬নং প্রশ্নের উত্তর দাও : ১৫. উদ্দীপকের কোষের অ্যানোড কর্তৃক আকৃষ্ট হয়- i. H+ ii. SO4২- iii. OH- নিচের কোনটি সঠিক? ক i ও ii √ ii ও iii গ i ও iii ঘ i, ii ও iii ১৬. কোষে লঘু H2SO4 এর পরিবর্তে লঘু HCl নিলে ক্যাথোডে কোন বিক্রিয়া সংঘটিত হবে? ক ২Cl- – 2e- → Cl২ খ ৪০H- – 4e- → ২H2O + O2 √ ২H+ + 2e- → H2 ঘ O2- – 2e- → O2 এসএসসি রসায়ন অষ্টম অধ্যায় রসায়ন ও শক্তি MCQ পাঠ্যাংশ অনুযায়ী ৮.১ রাসায়নিক শক্তি ১৭. যে আসক্তির বলে মৌলসমূহ একে অপরের সাথে যুক্ত থাকে তাকে কী বলে? (জ্ঞান) √ রাসায়নিক বন্ধন খ অষ্টক সূত্র গ মৌলের যোজ্যতা ঘ আন্তঃআণবিক শক্তি ১৮. আন্তঃআণবিক শক্তি কী? (অনুধাবন) ক পরমাণুসমূহের পরস্পর আকর্ষণ √ অণুসমূহের পরস্পর আকর্ষণ গ পরমাণুসমূহের পরস্পর বিকর্ষণ ঘ অণুসমূহের পরস্পর বিকর্ষণ ১৯. কোনটির আন্তঃআণবিক শক্তি বেশি? (অনুধাবন) ক কেরোসিন √ সাধারণ লবণ গ পানি ঘ নাইট্রোজেন ২০. আন্তঃআণবিক শক্তির ক্রমানুযায়ী কোনটি সঠিক? (অনুধাবন) √ বরফ > জলীয় বাষ্প > পানি খ বরফ < পানি < জলীয় বাষ্প গ জলীয় বাষ্প < পানি < বরফ ঘ পানি < বরফ < জলীয় বাষ্প ২১. কোন পদার্থের আন্তঃআণবিক শক্তি সবচেয়ে কম? (অনুধাবন) √ নাইট্রোজেন খ পানি গ সাধারণ লবণ ঘ কেরোসিন তেল ২২. পানি থেকে তাপ বের করে নিলে কী পাওয়া যায়? (উচ্চতর দক্ষতা) √ বরফ খ পানি গ বাষ্প ঘ বায়ু ২৩. কোন পদার্থটির আন্তঃআণবিক শক্তি সবচেয়ে কম? (অনুধাবন) ক পাথর খ পেট্রোল গ লোহা √ কার্বন ডাইঅক্সাইড ২৪. অণুসমূহের মধ্যকার আকর্ষণকে কী বলে? (জ্ঞান) ক মাধ্যাকর্ষণ খ অভিকর্ষ √ আন্তঃআণবিক শক্তি ঘ পারমাণবিক শক্তি ২৫. পদার্থের তিন অবস্থায় রূপান্তরের কারণ কী? (উচ্চতর দক্ষতা) √ তাপের প্রভাব খ অণুর বিন্যাস গ পরমাণুর বিন্যাস ঘ রাসায়নিক পরিবর্তন ২৬. আন্তঃআণবিক শক্তি সবচেয়ে কম কোন পদার্থের? (অনুধাবন) ক কঠিন √ গ্যাসীয় গ তরল ঘ মৌলিক ২৭. যদি রাসায়নিক বিক্রিয়ায় উৎপন্ন যৌগের মোট শক্তি বিক্রিয়কসমূহের মোট শক্তির চেয়ে কম হয় তাহলে কী ঘটবে? (উচ্চতর দক্ষতা) ক শক্তির শোষণ ঘটবে খ শক্তির পরিবর্তন ঘটবে √ শক্তির উদ্ভব ঘটবে ঘ শক্তির রূপান্তর ঘটবে ২৮. যদি রাসায়নিক বিক্রিয়ায় উৎপন্ন যৌগের মোট শক্তি বিক্রিয়কসমূহের মোট শক্তির চেয়ে বেশি হয় তাহলে কী ঘটবে? (উচ্চতর দক্ষতা) ক শক্তির উদ্ভব ঘটবে খ শক্তির রূপান্তর ঘটবে গ শক্তির পরিবর্তন ঘটবে √ শক্তির শোষণ ঘটবে ২৯. তাপের পরিবর্তনের ভিত্তিতে রাসায়নিক বিক্রিয়াকে কত ভাগে ভাগ করা যায়? (জ্ঞান) √ দুই খ তিন গ চার ঘ পাঁচ ৩০. কোনটি পানিতে রাখলে পানি গরম হয়? (অনুধাবন) ক CaCO৩ খ CaCl২ গ Ca(OH)২ √ CaO ৩১. CH3CH3(g) + Cl২(g) → CH3CH2Cl(g) + HCl(g) এ বিক্রিয়ায় C–H, H–H, C–Cl, O–H, Cl–Cl, O = O ও H–Cl এর বন্ধন শক্তি যথাক্রমে ৪১৪, ৪৩৫, ৩২৬, ৪৬৪, ২৪৪, ৪৯৮ ও ৪৩১ kJ/mole। এখানে ΔH এর মান কত হবে? (প্রয়োগ) ক ৩১৫ kJ খ – ৪২৫kJ গ –৭৫ kJ √ –৯৯kJ ৩২. Cl২ অণুতে Cl – Cl বন্ধন শক্তির মান কত কিলোজুল প্রতি মোল? (জ্ঞান) ক ৪১৪ খ ৩২৬ √ ২৪৪ ঘ ৪৩১ ৩৩. ১ মোল H–H বন্ধন ভাঙতে ৪৩৫kJ শক্তি শোষিত হয়, ১ মোল O–O বন্ধন ভাঙতে ৪৯৮kJ শক্তি শোষিত হলে H2 + ১/২ O2 → H2O এই বিক্রিয়ার ক্ষেত্রে কোনটি সঠিক? (প্রয়োগ) ক ৪৬৯ kJ তাপ উৎপন্ন হবে খ ৪৬৯ kJ তাপ শোষিত হবে √ ২৪৪ kJ তাপ উৎপন্ন হবে ঘ ২৪৪ kJ তাপ শোষিত হবে ৩৪. ১ম পানির তাপমাত্রা ১0C বাড়াতে প্রয়োজনীয় তাপশক্তিকে কী বলা হয়? (জ্ঞান) ক এক জুল √ এক ক্যালরি গ এক কিলোজুল ঘ এক কিলোক্যালরি ৩৫. তাপ রাসায়নিক সমীকরণে প্রমাণ তাপমাত্রা কত? (জ্ঞান) ক ১০C ঈ খ ২৭৩ K √ ২৯৮ K ঘ ২৮৮ K ৩৬. কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়ার তাপ পরিবর্তনকে কী দ্বারা প্রকাশ করা হয়? (জ্ঞান) ক ΔA √ ΔH গ ΔQ ঘ ΔT ৩৭. এক মোল H – H বন্ধনে কত কিলোজুল শক্তি শোষিত হয়? (জ্ঞান) ক ৩২৬ kJ খ ২৪৪ kJ √ ৪৩৫ kJ ঘ ৪৩১ kJ ৩৮. রাসায়নিক বিক্রিয়ায় তাপশক্তি পরিবর্তনের কারণ কী?

নবম দশম রসায়ন ৮ম অধ্যায় রসায়ন ও শক্তি বহুনির্বাচনী MCQ Read More »

নবম দশম রসায়ন ৮ম অধ্যায় রসায়ন ও শক্তি জ্ঞানমূলক ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

নবম দশম/এসএসসি রসায়ন অষ্টম অধ্যায় রসায়ন ও শক্তি এর পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি,জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর নিচে দেওয়া হলো। এসএসসি রসায়ন অষ্টম অধ্যায় রসায়ন ও শক্তি রসায়ন ও শক্তি পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি ⇒ রাসায়নিক বন্ধন : যে আকর্ষণী বল দ্বারা অণুতে পরমাণুগুলো পরস্পরের সাথে যুক্ত থাকে তাকে রাসায়নিক বন্ধন বলা হয়। যৌগে বিভিন্ন মৌলের পরমাণু মোটামুটি দৃঢ়ভাবে যুক্ত থাকে। ⇒ আন্তঃআণবিক শক্তি : প্রত্যেক পদার্থের অণুসমূহ পরস্পর পরস্পরকে আকর্ষণ করে। এ আকর্ষণ শক্তিকে আন্তঃআণবিক শক্তি বলা হয়। কঠিন পদার্থের আন্তঃআণবিক শক্তি সবচেয়ে বেশি। তরল পদার্থের আন্তঃআণবিক শক্তি কঠিন পদার্থের তুলনায় কিছুটা কম। বায়বীয় পদার্থের আন্তঃআণবিক শক্তি সবচেয়ে কম। ⇒ রাসায়নিক বিক্রিয়ায় শক্তির রূপান্তর : রাসায়নিক বিক্রিয়ায় তাপ উৎপন্ন বা শোষিত হয়। কয়লা পোড়ালে তাপ পাওয়া যায়। চুনকে পানিতে রাখলে পানি গরম হয়ে ওঠে। এসব বিক্রিয়ায় তাপ উৎপাদিত হয়। আবার অক্সিজেন গ্যাসের নিঃশব্দ বিদ্যুৎ ক্ষরণে যে ওজোন গ্যাস উৎপন্ন হয় তাতে তাপ শোষিত হয়। বাতাসের নাইট্রোজেন ও অক্সিজেন গ্যাসের সংযোগে নাইট্রিক অক্সাইড গ্যাস উৎপন্ন হওয়ার সময় তাপ শোষিত হয়। রাসায়নিক বিক্রিয়ায় তাপশক্তির এরূপ পরিবর্তনকে শক্তির রূপান্তর বলা হয়। ⇒ বিক্রিয়া তাপ : কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়ায় পরিবর্তিত তাপকে বিক্রিয়া তাপ বলে। ⇒ দহন তাপ : ১atm চাপে কোনো যৌগিক বা মৌলিক পদার্থের ১ mole সম্পূর্ণরূপে অক্সিজেনে দহনকালে তাপশক্তির যে পরিবর্তন হয় তাকে ওই পদার্থের দহন তাপ বলা হয়। দহনের সময় পদার্থের অণুর বন্ধনসমূহ ভাঙে। এ কারণেই দহনে সর্বদা শক্তি নির্গত হয়। যেমন- ১ mole অর্থাৎ ১৬ম মিথেনকে অক্সিজেনে পোড়ালে ৮৯০ kJ তাপ নির্গত হয়। সুতরাং, মিথেনের দহন তাপ হচ্ছে ৮৯০ kJ/mole। CH4(g) + ২O2 (g) → CO2(g) + ২H2O (g) ; ΔH = – ৮৯০kJ ⇒ দ্রবণ তাপ : কোনো পদার্থের এক মোলকে যথেষ্ট পরিমাণ দ্রাবকে দ্রবীভ‚ত করলে তাপের যে পরিবর্তন হয় তাকে সে পদার্থের দ্রবণ তাপ বলা হয়। দ্রাবকের পরিমাণের ওপর দ্রবণ তাপ কিছুটা নির্ভর করে। সাধারণত দ্রাবকের পরিমাণ এতটা বেশি রাখা হয় যেন দ্রবণকে খুব লঘু বলে ধরা যায়। ⇒ বিক্রিয়ায় তাপশক্তির পরিবর্তন : বিক্রিয়ায় তাপশক্তির পরিবর্তনকে ΔH সংকেত দ্বারা প্রকাশ করা হয়। ΔH চিহ্ন দ্বারা বিক্রিয়া তাপোৎপাদী না তাপহারী তা বোঝা যায়। আধুনিক রীতি অনুযায়ী যদি বিক্রিয়ায় তাপ উৎপাদিত হয় তবে ΔH ঋণাত্মক। বিক্রিয়ায় তাপ শোষিত হলে ΔH ধনাত্মক। ΔH এর একক kJ ধরা হয়। ΔH এর মান পদার্থের অবস্থা, তাপমাত্রা ও চাপের ওপর নির্ভরশীল। বিক্রিয়ায় তাপশক্তির পরিবর্তন মাপার জন্য প্রমাণ তাপমাত্রা ও চাপ ব্যবহার করতে হয়। এক্ষেত্রে প্রমাণ তাপমাত্রা ২৫0C বা ২৯৮K এবং প্রমাণ চাপ ১ atm। ⇒ রাসায়নিক বিক্রিয়ায় তাপশক্তির পরিবর্তনের কারণ : যেকোনো বস্তুর অণুতে বিভিন্ন পরমাণু বা আয়নের মধ্যে রাসায়নিক বন্ধন বিদ্যমান। এ সকল বন্ধন শক্তির আধার। এ শক্তিকে রাসায়নিক শক্তি বলা হয়। একটি বন্ধন ভাঙতে শক্তি যোগান দিতে হয়। আবার ঐ বন্ধন সৃষ্টি হলে সেই শক্তি নির্গত হয়। রাসায়নিক বিক্রিয়ায় কোনো পরমাণু সৃষ্টি বা ধ্বংস হয় না। তাদের মধ্যকার বন্ধন ভাঙে এবং নতুন বন্ধন গড়ে। এ বন্ধন ভাঙা ও গড়ায় সর্বমোট যে শক্তির পরিবর্তন হয় সেটাই বিক্রিয়ায় তাপ ও অন্যান্য শক্তির পরিবর্তন হিসেবে দেখা যায়। যদি বন্ধন ভাঙতে কম পরিমাণ শক্তির প্রয়োজন হয় এবং নতুন বন্ধন সৃষ্টিতে অধিক পরিমাণ শক্তি নির্গত হয় তাহলে বিক্রিয়ায় এ দুই শক্তির পার্থক্যের সমপরিমাণ শক্তি নির্গত হবে। অপরদিকে, বন্ধন ভাঙতে যদি অধিক পরিমাণ শক্তির প্রয়োজন হয় তবে বিক্রিয়ায় দুই শক্তির পার্থক্যের সমান পরিমাণ শক্তি শোষিত হবে। বন্ধন ভাঙার প্রয়োজনীয় শক্তি > বন্ধন সৃষ্টিতে নির্গত শক্তি ⇒ তাপহারী বিক্রিয়া বন্ধন ভাঙার প্রয়োজনীয় শক্তি < বন্ধন সৃষ্টিতে নির্গত শক্তি ⇒ তাপোৎপাদী বিক্রিয়া ⇒ জীবাশ্ম জ্বালানি : অতীত যুগের জীবের দেহাবশেষ জীবাশ্মে পরিণত হয় এবং সৃষ্ট জীবাশ্ম কঠিন বা তরল আকারে খনি থেকে তুলে জ্বালানিরূপে ব্যবহার করা হয়। এই জ্বালানিকে জীবাশ্ম জ্বালানি বা খনিজ জ্বালানি বলে। কয়লা, পেট্রোল, কেরোসিন, ডিজেল, প্রাকৃতিক গ্যাস ইত্যাদি কয়েকটি জীবাশ্ম জ্বালানির নাম। ⇒ বিদ্যুৎ পরিবাহী : যেসব পদার্থ বিদ্যুৎ পরিবহনে সক্ষম বা যেসব পদার্থের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয় তাদের বিদ্যুৎ পরিবাহী পদার্থ বলে। যেমন : তামা, সোনা, রুপা, অ্যালুমিনিয়াম, গ্রাফাইট, গ্যাস কার্বন ইত্যাদি। বিদ্যুৎ পরিবাহী দুই প্রকারের- ধাতব পরিবাহী ও তড়িৎ বিশ্লেষ্য। ⇒ ধাতব পরিবাহী : যেসব পদার্থের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ পরিবহনের সময় কোনোরূপ রাসায়নিক পরিবর্তন হয় না তাদেরকে ধাতব পরিবাহী বলে। তামা, রুপা, অ্যালুমিনিয়ামসহ সকল ধাতু ও গ্রাফাইট এ ধরনের পরিবাহী। ⇒ তড়িৎ বিশ্লেষ্য : কতকগুলো পদার্থ গলিত বা পানিতে দ্রবীভ‚ত অবস্থায় বিদ্যুৎ পরিবহন করে এবং বিদ্যুৎ পরিবহনকালে পদার্থগুলো বিশ্লিষ্ট হয়ে নতুন পদার্থ উৎপন্ন করে। এ জাতীয় পদার্থকে তড়িৎ বিশ্লেষ্য বলে। এসিড, ক্ষার ও লবণের জলীয় দ্রবণ উত্তম তড়িৎ বিশ্লেষ্যের উদাহরণ। যেমন : H2SO4, HCl, NaOH, KOH, NaCl, CuSO4, AgNO3 ইত্যাদি। ⇒ তড়িৎ অবিশ্লেষ্য : যেসব যৌগ জলীয় দ্রবণে বা গলিত অবস্থায় বিদ্যুৎ পরিবহন করতে পারে না তাদের তড়িৎ অবিশ্লেষ্য পদার্থ বলে। বিশুদ্ধ পানি, চিনির জলীয় দ্রবণ, গিøসারিন, অ্যালকোহল, বেনজিন, কেরোসিন প্রভৃতি বিদ্যুৎ পরিবহন করে না। তাই এরা তড়িৎ অবিশ্লেষ্য পদার্থ। ⇒ বিদ্যুৎ অপরিবাহী : যেসব পদার্থের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয় না সেগুলোকে বিদ্যুৎ অপরিবাহী পদার্থ বলে। যেমন : কাঠ, কাচ, মোম, কয়লা, গন্ধক, চিনি, রবার, অ্যাবোনাইট ইত্যাদির মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ চলাচল করতে পারে না। তাই এগুলো বিদ্যুৎ অপরিবাহী। ⇒ তড়িৎ বিশ্লেষণ : যে প্রক্রিয়ায় গলিত বা দ্রবীভ‚ত অবস্থায় তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহ চালনা করে পদার্থটির রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটিয়ে নতুন পদার্থ উৎপন্ন করা হয় তাকে তড়িৎ বিশ্লেষণ বলে। যেমন : NaCl একটি তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ। দ্রবীভ‚ত অবস্থায় এর মধ্যে বিদ্যুৎ প্রবাহ চালনা করলে এতে রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে এবং Na+ ক্যাটায়ন এবং Cl- অ্যানায়ন উৎপন্ন হয়। ⇒ তড়িৎ বিশ্লেষণ কোষ : কোনো তড়িৎ বিশ্লেষ্যের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহ চালনা করতে হলে পদার্থটিকে গলিত বা পানিতে দ্রবীভ‚ত অবস্থায় একটি পাত্রের মধ্যে নেয়া হয়। সাধারণভাবে এ ধরনের পাত্রকে তড়িৎ বিশ্লেষণ কোষ বা ভোল্টামিটার বলা হয়। তড়িৎ বিশ্লেষণ কোষ বিভিন্ন আকৃতির হতে পারে। ⇒ তড়িৎদ্বার : তড়িৎ বিশ্লেষণ কোষে বা ভোল্টামিটারে তড়িৎ বিশ্লেষ্য দ্রবণের মধ্যে দুটি সুপরিবাহী ধাতব পাত বা দণ্ড (যেমন : প্লাটিনাম বা কপার) ডুবিয়ে রাখা হয়। এ তড়িৎ পরিবাহী পাত বা দণ্ড দুটিকে তড়িৎদ্বার বলে। এ পাত বা দণ্ড দুটির একটি ব্যাটারির ধনাত্মক প্রান্তের সঙ্গে এবং অপরটি ঋণাত্মক প্রান্তের সঙ্গে যুক্ত করা হয়। তড়িৎদ্বার হিসেবে প্লাটিনাম এবং কপারের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি। তাছাড়া আয়রন, নিকেল, গ্রাফাইট ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়। ⇒ অ্যানোড : যে তড়িৎদ্বারটি ব্যাটারির ধনাত্মক প্রান্তের সঙ্গে যুক্ত থাকে এবং যার মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎপ্রবাহ ব্যাটারি থেকে তড়িৎ বিশ্লেষ্যের মধ্যে প্রবেশ করে তাকে অ্যানোড বলে। ⇒ ক্যাথোড : যে তড়িৎদ্বারটি ব্যাটারির ঋণাত্মক প্রান্তের সঙ্গে যুক্ত থাকে এবং যার মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎপ্রবাহ তড়িৎ বিশ্লেষ্য থেকে পুনরায় ব্যাটারিতে

নবম দশম রসায়ন ৮ম অধ্যায় রসায়ন ও শক্তি জ্ঞানমূলক ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর Read More »

নবম দশম শ্রেণির রসায়ন সপ্তম অধ্যায় রাসায়নিক বিক্রিয়া সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

শিক্ষার্থী বন্ধুরা তোমরা যারা নবম দশম/ এসএসসি রসায়ন সপ্তম অধ্যায় রাসায়নিক বিক্রিয়া সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর খুজছো তাদের জন্য আজকের পোস্ট। এখানে তোমরা এসএসসি রসায়ন সপ্তম অধ্যায় রাসায়নিক বিক্রিয়া সৃজনশীল প্রশ্ন ব্যাংক পেয়ে যাবে। এসএসসি রসায়ন সপ্তম অধ্যায় রাসায়নিক বিক্রিয়া সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর প্রশ্ন -1 : নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও : অপু ও সেতু উভয়ের বাসায় রান্নার কাজে প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করা হয়। অপুর বাসার পাত্রের নিচে কালো দাগ পড়লেও সেতুর বাসার পাত্রের নিচে কোনো দাগ নেই। ক. একমুখী বিক্রিয়া কাকে বলে? খ. রাসায়নিক সাম্যাবস্থা বলতে কী বোঝায়? গ. রান্নার সময় তাদের বাসায় সম্পন্ন বিক্রিয়াটি কোন ধরনের? ব্যাখ্যা কর। ঘ. উদ্দীপকের কোন বাসায় রান্নার কাজে গ্যাসের অপচয় হয় বলে তুমি মনে কর? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও। — 1নং প্রশ্নের উত্তর — ক. যে বিক্রিয়ায় বিক্রিয়ক পদার্থ বা পদার্থসমূহ শুধু উৎপাদে পরিণত হয় এবং বিপরীত বিক্রিয়া করে উৎপাদ আর বিক্রিয়কে পরিণত হতে পারে না তাকে একমুখী বিক্রিয়া বলে। খ. যে অবস্থায় কোনো উভমুখী বিক্রিয়ার সম্মুখ বিক্রিয়ার গতিবেগ বিপরীতমুখী বিক্রিয়ার গতিবেগের সমান হয় সে অবস্থাকে রাসায়নিক সাম্যাবস্থা বলে। বিক্রিয়ার উভমুখিতার ফলে সাম্যাবস্থার উদ্ভব ঘটে। একটি উভমুখী বিক্রিয়ার শুরুতে সম্মুখ বিক্রিয়ার বেগ সবচেয়ে বেশি থাকে এবং বিপরীত বিক্রিয়ার বেগ কম থাকে। সময়ের সঙ্গে বিক্রিয়কের পরিমাণ কমতে থাকে ও উৎপাদের পরিমাণ বাড়তে থাকে। এক সময় সম্মুখ ও বিপরীত বিক্রিয়ার বেগ সমান হয়। এ অবস্থাকে বলে রাসায়নিক সাম্যাবস্থা। গ. রান্নার সময় তাদের বাসার সম্পন্ন বিক্রিয়াটি হলো দহন বিক্রিয়া। অপু ও সেতুর বাসায় গ্যাসের চুলায় প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ প্রাকৃতিক গ্যাস জ্বালিয়ে বা পুড়িয়ে যে তাপশক্তি পাওয়া যায় তা দিয়ে রান্নার কাজ করা হয়। রান্নার সময় প্রাকৃতিক গ্যাস অর্থাৎ মিথেনের দহন ঘটে, যা নিম্নোক্ত সমীকরণের সাহায্যে দেখানো যেতে পারে- CH4(g) + O2(g) → CO2(g) + H2O(g) + তাপ যেহেতু বিক্রিয়ায় তাপ উৎপন্ন হয় তাই এটি একটি তাপ উৎপাদী বিক্রিয়া। এই বিক্রিয়ায় বায়ুর অক্সিজেনের উপস্থিতিতে মিথেনকে পুড়িয়ে তাপ পাওয়া যায় বলে একে দহন বিক্রিয়া বলে। ঘ. অপুর বাসায় রান্নার কাজে প্রাকৃতিক গ্যাসের অপচয় হয়। প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান উপাদান হলো মিথেন (CH4)। মিথেনকে পুড়িয়ে বা দহন করে প্রচুর তাপ পাওয়া যায়, যা রান্নাসহ অন্যান্য কাজে ব্যবহার করা হয়। এক্ষেত্রে নিম্নরূপ বিক্রিয়া ঘটে : CH4(g) + 2O2(g) → CO2(g) + 2H2O(g) + তাপ এক্ষেত্রে প্রাকৃতিক গ্যাস তথা মিথেনের পূর্ণদহন ঘটে। কিন্তু অক্সিজেনের সরবরাহ কম হলে মিথেনের আংশিক দহনের ফলে কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিবর্তে কার্বন এবং কম তাপ উৎপন্ন হয়। এক্ষেত্রে, নিম্নরূপ বিক্রিয়া ঘটে : CH4(g) + O2(g) → ঈ(s) + 2H2O(g) + শক্তি প্রাকৃতিক গ্যাস তথা মিথেনের অসম্পূর্ণ দহনের ফলে, উৎপন্ন কার্বন পাত্রের নিচে কালো দাগ হিসেবে জমা হয়। এ দাগ প্রাকৃতিক গ্যাসের অসম্পূর্ণ দহনকে নির্দেশ করে, যার ফলে প্রাকৃতিক গ্যাসের অপচয় ঘটে। উদ্দীপক থেকে দেখা যায় যে, অপুর বাসায় পাত্রের নিচে কালো দাগ পড়লেও সেতুর বাসায় পাত্রের নিচে কোনো দাগ পড়ে না। কালো দাগ পড়ার মূল কারণ হলো প্রাকৃতিক গ্যাস বা মিথেনের অসম্পূর্ণ দহন। তাই বলা যায় যে, অপুর বাসায় রান্নার কাজে গ্যাসের অপচয় হয়। প্রশ্ন -2 : নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও : Pb (NO3)2 + 2KI-→ উপরের বিক্রিয়ার আলোকে নিচের ছকটি পূরণ করা হলো [K = 39, I= 127] : ক. তাপোৎপাদী বিক্রিয়া কাকে বলে? খ. যোজনী ও জারণ সংখ্যা এক নয় কেন? ব্যাখ্যা কর। গ. সারণিতে ব্যবহৃত মোট KI এর পরিমাণ কত গ্রাম? নির্ণয় করে দেখাও। ঘ. কোন পাত্রের দ্রবণটি অধিক হলুদ হবে বলে তুমি মনে কর? যুক্তিসহ ব্যাখ্যা কর। — 2নং প্রশ্নের উত্তর — ক. যে বিক্রিয়ায় বিক্রিয়ক থেকে উৎপাদ উৎপন্ন হওয়ার সময় তাপশক্তি উৎপন্ন হয় তাকে তাপোৎপাদী বিক্রিয়া বলে। খ. কোনো মৌলের যোজনী বলতে অন্য মৌলের সাথে যুক্ত হওয়ার ক্ষমতাকে বোঝায়। আর জারণ সংখ্যা হলো ইলেকট্রন গ্রহণ বা বর্জনের ফলে সৃষ্ট তড়িৎচার্জের সংখ্যা। যোজনী একটি বিশুদ্ধ সংখ্যা হলেও জারণ সংখ্যা ধনাত্মক বা ঋণাত্মক হতে পারে। জারণ সংখ্যা কখনো কখনো শূন্য হলেও যোজনী কখনোই শূন্য হয় না। আবার, জারণ সংখ্যা ভগ্নাংশ হতে পারে কিন্তু যোজনী সবসময়ই পূর্ণ সংখ্যা। এসব কারণেই জারণ সংখ্যা ও যোজনী এক নয়। গ. সারণি থেকে দেখা যায়, ব্যবহৃত KI এর মোট আয়তন = 4 mL KI এর ঘনমাত্রা = ০.5M KI এর আণবিক ভর = (39 + 127) gm = 166 gm = 1০০০ mL = 1 M KI এর ভর ∴ 1০০০ mL 1M KI এর ভর = 166 gm 4 mL ০.5 M KI এর ভর = (166 × 4 × ০.5gm)÷1০০০ = ০.332gm ∴ সারণিতে ব্যবহৃত KI এর মোট পরিমাণ = ০.332gm ঘ. উদ্দীপকে সংঘটিত বিক্রিয়ার সমীকরণটি নিম্নরূপ : Pb(NO3)2 + 2KI → 2KNO3 + PbI2 (হলুদ অধঃক্ষেপ) সুতরাং, যে পাত্রে অধিক PbI2 উৎপন্ন হবে সেই পাত্রের দ্রবণ অধিক হলুদ হবে। সারণি থেকে দেখা যায় যে, চারটি পাত্রের প্রত্যেকটিতে ০.5M 1 mL KI দ্রবণ নেয়া হয়েছে। কিন্তু প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ পাত্রে যথাক্রমে 1mL, 2mL, 3mL ও 4mL ০.2M Pb(NO3)2 দ্রবণ নেয়া হয়েছে। Pb(NO3)2 এর আণবিক ভর = 2০8 + (1৪ + 16 × 3) × 2 = 332 KI এর আণবিক ভর = (39 + 127) = 166 ∴ ০.5 গ ষ mL KI দ্রবণে KI থাকে = (০.5×1×166)÷1০০০ গ্রাম = ০.০83 গ্রাম 1ম পাত্রে, ০.2গ ষ mL Pb(NO3)2 দ্রবণে Pb(NO3)2 থাকে = ০.2 × 1 × 332)÷1০০০ গ্রাম = ০.০664 গ্রাম 2য় পাত্রে, ০.2গ 2mL Pb(NO3)2 দ্রবণে Pb(NO3)2 থাকে = ০.2 × 2 × 332)÷1০০০ গ্রাম = ০.1৩28 গ্রাম 3য় পাত্রে, ০.2গ 3mL Pb(NO3)2 দ্রবণে Pb(NO3)2 থাকে = ০.2 × 3 × 332)÷1০০০ গ্রাম = ০.1992 গ্রাম 4র্থ পাত্রে, ০.2গ 4mL Pb(NO3)2 দ্রবণে Pb(NO3)2 থাকে = ০.2 × 4 × 332)÷1০০০ গ্রাম = ০.2656 গ্রাম যেহেতু, চতুর্থ পাত্রে Pb(NO3)2 এর পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। তাই চতুর্থ পাত্রের দ্রবণটি অধিক হলুদ হবে। প্রশ্ন -3 : নিচের বিক্রিয়াগুলো লক্ষ কর এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও : (i) 2SO2(g) + O2(g) –→ 2SO3(g) ; ΔH = -197kJ/mole; (ii) Zn + H2SO4 = ZnSO4 + H2 ক. মুদ্রা ধাতু কী? 1 খ. মোম এর দহন কোন ধরনের পরিবর্তন- ব্যাখ্যা কর। 2 গ. উদ্দীপকের (ii) নং বিক্রিয়াটি একটি জারণ-বিজারণ বিক্রিয়া ব্যাখ্যা কর। 3 ঘ. (i) নং বিক্রিয়ায় লা-শাতেলিয়ারের নীতির প্রয়োগ ব্যাখ্যা কর। 4 — 3নং প্রশ্নের উত্তর — ক. পর্যায় সারণির গ্রুপ 11 তে অবস্থিত মৌল তামা (Cu), রুপা (Ag) ও সোনা (Au) কে মুদ্রা ধাতু বলা হয়। খ. মোমের দহনে ভৌত ও রাসায়নিক উভয় পরিবর্তন সংঘটিত হয়। মোমের প্রধান উপাদান বিভিন্ন হাইড্রোকার্বনের মিশ্রণ। মোম জ্বালালে তার কিছু অংশ শুধু ভৌত পরিবর্তনের মাধ্যমে গলে কঠিন অবস্থা থেকে

নবম দশম শ্রেণির রসায়ন সপ্তম অধ্যায় রাসায়নিক বিক্রিয়া সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর Read More »

নবম দশম শ্রেণির রসায়ন সপ্তম অধ্যায় রাসায়নিক বিক্রিয়া বহুনির্বাচনী প্রশ্নোত্তর MCQ

নবম দশম/এসএসসি রসায়ন সপ্তম অধ্যায় রাসায়নিক বিক্রিয়া এর পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বহুনির্বাচনী প্রশ্নোত্তর MCQ নিচে দেওয়া হলো। এসএসসি রসায়ন সপ্তম অধ্যায় রাসায়নিক বিক্রিয়া বহুনির্বাচনী/ MCQ রসায়ন সপ্তম অধ্যায় বহুনির্বাচনী প্রশ্নোত্তর/ MCQ   1. ভিনেগারে নিচের কোন এসিডটি উপস্থিত থাকে? ক সাইট্রিক এসিড √ এসিটিক এসিড গ টারটারিক এসিড ঘ এসকরবিক এসিড 2. মৌমাছি কামড় দিলে ক্ষতস্থানে কোনটি ব্যবহার করা যেতে পারে? √ কলিচুন খ ভিনেগার গ খাবার লবণ ঘ পানি 3. এন্টাসিড জাতীয় ঔষধ সেবনে কোন ধরনের বিক্রিয়া সম্পন্ন হয়? √ প্রশমন খ দহন গ সংযোজন ঘ প্রতিস্থাপন 4. H2SO4 + MgO→ বিক্রিয়ায়- i. তাপ উৎপন্ন হয় ii. ইলেকট্রন স্থানান্তর ঘটে iii. অধঃক্ষেপ পড়ে নিচের কোনটি সঠিক? √ র খ ii ও iii গ i ও iii ঘ i, ii ও iii 5. নিচের কোনটি ভৌত পরিবর্তন? √ পানি ও চিনির দ্রবণ খ লোহায় মরিচা পড়া গ পানির তড়িৎ বিশ্লেষণ ঘ মোমের দহন 6. কোন আয়নিক যৌগটি পানিতে অদ্রবণীয়? √ CaCl2 খ AgCl গ MgCl2 ঘ SrCl2 7. নিচের কোন যৌগটি পানিতে দ্রবণীয়? ক CuSO4 √ CaCl2 গ BaSO2 ঘ BaCl2 8. CuSO4 যৌগে সালফারের জারণ সংখ্যা কত? √ + 6 খ + 5 গ + 4 ঘ + 2 9. HClO4 যৌগে ক্লোরিনের জারণ সংখ্যা কত? ক +5 খ +6 √ +7 ঘ +8 1০. কোনটি ননরেডক্স বিক্রিয়া? √ পানিযোজন খ দহন গ সংযোজন ঘ প্রতিস্থাপন 11. H2SO4 এ কেন্দ্রীয় মৌলের জারণ সংখ্যা কত? ক +2 খ +4 √ +6 ঘ +8 12. Mg(s) + Zn2+ (aq) → Mg2+ (aq) + Zn(s) উপরের বিক্রিয়ায় কোনটি বিজারক? √ Mg(s) খ Zn2+(aq) গ Mg2+(aq) ঘ Zn(s) 1৩. পটাশিয়াম ডাইক্রোমেটে ক্রোমিয়ামের জারণ সংখ্যা কত? ক +4 খ +5 √ +6 ঘ +7 1৪. Na2S2O3 এ সালফারের জারণ সংখ্যা কত? ক +6 খ +4 √ +2 ঘ +০ 1৫. K2Cr2O7 যৌগের Cr পরমাণুর জারণ সংখ্যা কত? ক +2 খ +4 √ +6 ঘ +7 16. MgO + 2HCl → MgCl2 + H2O, বিক্রিয়াটি- i. তাপোৎপাদী ii. জারণ-বিজারণ iii. প্রশমন নিচের কোনটি সঠিক? ক i ও ii √ i ও iii গ ii ও iii ঘ i, ii ও iii 1৭. S + O2 -→SO2 বিক্রিয়াটি- i. দহন ii. সংশ্লেষণ iii. সংেেযাজন নিচের কোনটি সঠিক? ক i ও ii খ i ও iii গ ii ও iii √ i, ii ও iii 18. H2 + O2 → H2O বিক্রিয়াটি- i. সংযোজন ii. দহন iii. সংশ্লেষণ নিচের কোনটি সঠিক? ক i ও ii খ i ও iii গ i ও iii √ i, ii ও iii 19. 2Na(s) + Cl2(g) → 2NaCl(s); বিক্রিয়াটি- i. একটি জারণ-বিজারণ বিক্রিয়া ii. একটি সংযোজন বিক্রিয়া iii. একটি সংশ্লেষণ বিক্রিয়া নিচের কোনটি সঠিক? ক i ও ii খ i ও iii গ ii ও iii √ i, ii ও iii এসএসসি রসায়ন সপ্তম অধ্যায় বহুনির্বাচনী (সমন্মিত) 31০. Zn + CuSO4 →ZnSO4 + Cu বিক্রিয়াটিতে কোনটি বিজারক? √ Zn খ CuSO4 গ ZnSO4 ঘ Cu 311. CH3CH2OH + CH3COOH (H+) →? 312. LiAlH4 -এ হাইড্রোজেনের জারণ সংখ্যা কত? ক +1 √ -1 গ +2 ঘ – 2 31৩. কোনটি জারণ বিক্রিয়া? √ Sn++ → 2e- + Sn++++ খ 2Hg++ + 2e → 2Hg গ Cl2 + 2e→2Cl- ঘ Fe3+ + e-→Fe2+ 31৪. K2Cr2O7 এ Cr এর জারণ সংখ্যা কত? ক -6 √ + 6 গ -1 ঘ + 1 31৫. কোনটি বিজারক পদার্থ? √ O2 খ Na গ F2 ঘ Br2 316. কোনটি জারক পদার্থ? ক CO খ H2S গ H2 √ O2 31৭. ধাতব হাইড্রাইডে হাইড্রোজেনের জারণ সংখ্যা কত? ক +1 খ +2 √ -1 ঘ -2 318. কোনটি তাপহারী বিক্রিয়া? ক N2(g) + O2(g) —→ 2NHO2(g) √ N2(g) + O2(g) → 2NO(g) গ C(s) + O2(g) → CO2(g) ঘ 2H2(g) + O2(g) → H2O(l) 319. NH4CNO -→ কী হবে? 32০. CH3COOC2H5 + H2O = CH3COOH + C2H5-OH বিক্রিয়াটি কোন প্রকারের? ক জারণ বিজারণ খ পানিযোজন √ আর্দ্রবিশ্লেষণ ঘ বিযোজন 321. কোন যৌগে সমানুকরণ বিক্রিয়া হয়? ক CH3COOH খ Al(OH)3 √ NH4CNO ঘ FeCl3 322. সংশ্লেষণ বিক্রিয়া কোনটি? √ H2(g) + Cl2(g) → 2HCl(g) খ PCl5(l) -→ PCl3(l) + Cl2(g) গ 2Na(s) + CuSO4 (aq) → Na2SO4 (aq) + Cu(s) ঘ 2Mg(s) + O2(g) → 2MgO(s) 323. কোনটি টলেন বিকারক? √ [Ag(NH3)2]+Cl খ [Cu(NH3)4]2+ গ [Ag(NH3)2]+OH- ঘ ZnCl2+ গাঢ় HCl 324. পলিথিনের মনোমার কোনটি? ক CH ≡CH √ CH2 = CH2 গ CH2 = CH-H3 ঘ CH4 325. লোহা + অক্সিজেন জলীয় বস্তু—→ ? ক কাবর্ন ডাইঅক্সাইড √ মরিচা গ ভেজা লোহা ঘ পার অক্সাইড 326. এন্টাসিড জাতীয় ওষুধ সেবনে কোন ধরনের বিক্রিয়া সম্পন্ন হয়? √ প্রশম খ দহন গ সংযোজন ঘ প্রতিস্থাপন 327. গ্যালভানাইজিং কী? ক Ni এর প্রলেপ খ Cr এর প্রলেপ √ Zn এর প্রলেপ ঘ Fe এর প্রলেপ 328. নিচের কোন বিক্রিয়ার সাম্যাবস্থায় চাপের কোনো প্রভাব নেই? ক 2NO2(g) N2O4(g) খ N2(g) + 3H2(g) 2NH3(g) গ 2H2(g) + O2(g) 2H2O(g) √ N2(g) + O2(g) 2NO(g) 329. কোন বিক্রিয়াটিতে চাপের কোনো প্রভাব নেই? ক N2+ 3H2 2NH3 খ N2O4 2NO2 গ 2Al + 3Cl -→ 2AlCl3 √ CO + H2O CO2 + H2 33০. বিক্রিয়ার হারের একক কী? ক মোল-লিটার-1 √ মোল-লিটার-1 সময়-1 গ মোল-সময়-1 ঘ মোল-কিলোজুল-1 331. N2O4 2NO2 বিক্রিয়াটিতে চাপ প্রয়োগ করলে- i. সম্মুখ বিক্রিয়ার বেগ বাড়বে ii. পশ্চাৎ বিক্রিয়ার বেগ বাড়বে iii. সাম্যবস্থা বামদিকে সরে যাবে নিচের কোনটি সঠিক? √ i ও ii খ i ও iii গ ii ও iii ঘ i, ii ও iii 332. জারক পদার্থ- i.Cl2 ii. O2 iii. ঈ নিচের কোনটি সঠিক? √ i ও ii খ i ও iii গ ii ও iii ঘ i, ii ও iii 333. CO2 + ঈ→ 2CO বিক্রিয়ায়- i. কার্বন জারক ii. কার্বন ডাইঅক্সাইড জারক iii. কার্বন জারিত হয়েছে নিচের কোনটি সঠিক? ক i ও ii খ i ও iii √ ii ও iii ঘ i, ii ও iii নিচের সমীকরণের আলোকে 334 ও 335 নং প্রশ্নের উত্তর দাও : MnO2 + 4HCl = MnCl2 + Cl2 + 2H2O 334. বিক্রিয়াটিতে কোনটি জারক? √ MnO2 খ HCl গ MnCl2 ঘ Cl2 335. বিক্রিয়াটিতে- i. MnO2 দ্বারা HCl এর জারণ ঘটেছে ii. HCl দ্বারা MnO2 এর বিজারণ ঘটেছে iii. MnO2 দ্বারা HCl এর বিজারণ ঘটেছে নিচের কোনটি সঠিক? √ i ও ii খ i ও iii গ ii ও iii ঘ i,

নবম দশম শ্রেণির রসায়ন সপ্তম অধ্যায় রাসায়নিক বিক্রিয়া বহুনির্বাচনী প্রশ্নোত্তর MCQ Read More »

নবম দশম শ্রেণির রসায়ন সপ্তম অধ্যায় রাসায়নিক বিক্রিয়া

নবম দশম/এসএসসি রসায়ন সপ্তম অধ্যায় রাসায়নিক বিক্রিয়া এর পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি,জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর নিচে দেওয়া হলো। এসএসসি রসায়ন সপ্তম অধ্যায় রাসায়নিক বিক্রিয়া রসায়ন সপ্তম অধ্যায় পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি ⇒ পদার্থের পরিবর্তন : যে পরিবর্তন থেকে পদার্থের বাহ্যিক অবস্থা এবং মূল গঠন বা অণুর গঠনের সাধারণ পরিচয় পাওয়া যায় তাকে পদার্থের পরিবর্তন বলে। ⇒ ভৌত পরিবর্তন : যে পরিবর্তনে পদার্থের মূল গঠনের কোনো পরিবর্তন ঘটে না অর্থাৎ কোনো নতুন পদার্থ উৎপন্ন হয় না, শুধু পদার্থের বাহ্যিক বা ভৌত অবস্থার রূপান্তর ঘটে, সেই পরিবর্তনকে ভৌত পরিবর্তন বলে। ভৌত পরিবর্তন অস্থায়ী। এই পরিবর্তনে পদার্থের অণুর গঠনের কোনো পরিবর্তন হয় না। বরফের গলন, পানির স্ফুটন, লোহার চুম্বকে পরিবর্তন, মোমের গলন ইত্যাদি ভৌত পরিবর্তনের উদাহরণ। ⇒ রাসায়নিক পরিবর্তন : যে পরিবর্তনে পদার্থের মূল গঠনের পরিবর্তন ঘটে এবং পদার্থটি এক বা একাধিক ভিন্ন ধর্মবিশিষ্ট নতুন পদার্থে পরিণত হয়, সেই পরিবর্তনকে রাসায়নিক পরিবর্তন বলে। রাসায়নিক পরিবর্তন স্থায়ী। এই পরিবর্তনে পদার্থের অণুর গঠনে আমূল পরিবর্তন ঘটে। লোহায় মরিচা পড়া, মোমবাতির দহন, দুধ থেকে দই প্রস্তুত, চাল থেকে ভাত তৈরি ইত্যাদি রাসায়নিক পরিবর্তনের উদাহরণ। ⇒ একমুখী বিক্রিয়া : যে বিক্রিয়ায় সকল বিক্রিয়ক পদার্থ একটি নির্দিষ্ট সময় পরে উৎপাদে পরিণত হয় তাকে একমুখী বিক্রিয়া বলে। একমুখী বিক্রিয়া শুধু সম্মুখদিকে অগ্রসর হয়। এ বিক্রিয়ায় বিক্রিয়ক ও উৎপাদের মধ্যে একমুখী (→) চিহ্ন ব্যবহার করা হয়। যেমন : পটাসিয়াম ক্লোরেটকে উত্তপ্ত করলে এটি বিয়োজিত হয়ে পটাসিয়াম ক্লোরাইড ও অক্সিজেন উৎপন্ন হয়। বিপরীতভাবে, পটাসিয়াম ক্লোরাইড ও অক্সিজেনের মধ্যে কোনো বিক্রিয়া ঘটে না। সুতরাং, এটি একটি একমুখী বিক্রিয়া। 2KClO3 → 2KCl + 3O2 ⇒ উভমুখী বিক্রিয়া : যদি কোনো বিক্রিয়া একসাথে সম্মুখদিক ও বিপরীত দিক থেকে সংঘটিত হয়, ওই বিক্রিয়াকে উভমুখী বিক্রিয়া বলে। উভমুখী বিক্রিয়ায় বিক্রিয়কসমূহ কখনোই সম্পূর্ণরূপে উৎপাদে পরিণত হয় না। নির্দিষ্ট তাপমাত্রা ও চাপে বিক্রিয়কের একটি অংশমাত্র উৎপাদে পরিণত হয়। উভমুখী বিক্রিয়ায় বিক্রিয়ক এবং উৎপাদের মধ্যে উভমুখী তীর চি‎হ্ন (⇔ ) ব্যবহার করা হয়। যেমন : হাইড্রোজেন ও আয়োডিনকে একটি আবদ্ধ পাত্রে নিয়ে উত্তপ্ত করা হলে কিছুটা বিক্রিয়ক হাইড্রোজেন আয়োডাইড উৎপন্ন করে। বিক্রিয়াটি নিম্নরূপে ঘটে- H2 + I2 ⇔ 2HI ⇒ তাপ উৎপাদী বিক্রিয়া : যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় তাপ উৎপন্ন হয় তাকে তাপ উৎপাদী বিক্রিয়া বলে। যেমন : হাইড্রোজেন ও নাইট্রোজেনের বিক্রিয়ায় অ্যামোনিয়া উৎপন্ন হয়। এতে তাপ উৎপন্ন হয়। N2 + 3H2 (Fe প্রভাবক)⇔ 2NH3 + 92 kJ ⇒ তাপহারী বিক্রিয়া : যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় তাপ শোষিত বা গৃহীত হয় তাকে তাপহারী বা তাপগ্রাহী বা তাপ শোষক বিক্রিয়া বলে। যেমন : নাইট্রোজেন এবং অক্সিজেনের সংযোগে নাইট্রিক অক্সাইড গ্যাস উৎপন্ন হয় এবং তাপ শোষিত হয়। N2 + O2 = 2NO – 180 kJ ⇒ রেডক্স বিক্রিয়া : রেডক্স অর্থ জারণ-বিজারণ। যে বিক্রিয়া ইলেকট্রন স্থানান্তরের মাধ্যমে সংঘটিত হয় তাকে জারণ-বিজারণ বিক্রিয়া বা রেডক্স বিক্রিয়া বলে। এতে বিক্রিয়কের জারণ সংখ্যার পরিবর্তন হয়। ⇒ জারণ সংখ্যা : যৌগ গঠনের সময় কোনো মৌল যত সংখ্যক ইলেকট্রন বর্জন করে ধনাত্মক আয়ন উৎপন্ন করে অথবা যত সংখ্যক ইলেকট্রন গ্রহণ করে ঋণাত্মক আয়ন উৎপন্ন করে তাকে মৌলের জারণ সংখ্যা বলে। নিরপেক্ষ বা মুক্ত মৌলের জারণ সংখ্যা শূন্য (০) ধরা হয়। ইলেকট্রন গ্রহণ করে ঋণাত্মক আয়নে পরিণত হলে মৌলের জারণ সংখ্যাকে ঋণাত্মক জারণ সংখ্যা এবং ইলেকট্রন বর্জন করে ধনাত্মক আয়নে পরিণত হলে মৌলের জারণ সংখ্যাকে ধনাত্মক জারণ সংখ্যা বলে। ⇒ জারক ও বিজারক : জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ার সময় যে বিক্রিয়ক ইলেকট্রন গ্রহণ করে তাকে জারক এবং যে বিক্রিয়ক ইলেকট্রন বর্জন করে তাকে বিজারক বলে। O2, H2O2, O3, HNO3, গাঢ় H2SO4, হ্যালোজেন (F2, Cl2, Br2, I2), MnO2, KMnO4, K2Cr2O7, KClO3 প্রভৃতি জারক পদার্থ। H2, H2S, C, CO, SO2, Na, Mg, SnCl2, HI, HBr, NH3, HNO2 প্রভৃতি বিজারক পদার্থ। ⇒ জারণ ও বিজারণ একই সঙ্গে ঘটে : রাসায়নিক বিক্রিয়ায় জারণ ও বিজারণ ক্রিয়া একই সঙ্গে ঘটে। কারণ জারণ ক্রিয়ায় জারক পদার্থ বিজারিত হয়। আবার, বিজারণ ক্রিয়ায় বিজারক পদার্থ নিজে জারিত হয়। সুতরাং, জারণ ক্রিয়া ঘটলেই বিজারণ ক্রিয়াও ঘটবে। জারণ ও বিজারণ বিক্রিয়াকে একই সঙ্গে রেডক্স (Redox) বিক্রিয়া বলা হয়। ⇒ সংযোজন বিক্রিয়া : দুই বা ততোধিক যৌগ বা মৌল যুক্ত হয়ে নতুন যৌগ উৎপন্ন হওয়ার প্রক্রিয়ার নাম সংযোজন বিক্রিয়া। যেমন : 2FeCl2 (aq) + Cl2(g) ® 2FeCl3 (aq); H2(g) + Cl2 (g) ® 2HCl (g) ⇒ বিযোজন বিক্রিয়া : কোনো যৌগকে ভেঙে একাধিক যৌগ বা মৌলে পরিণত করার প্রক্রিয়ার নাম বিযোজন বিক্রিয়া। যেমন : 2FeCl2 (aq) + Cl2(g) ® 2FeCl3 (aq); H2(g) + Cl2 (g) ® 2HCl (g) ⇒ প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া : কোনো যৌগের একটি মৌল বা যৌMgূলককে অপর কোনো মৌল বা যৌMgূলক দ্বারা প্রতিস্থাপন করে নতুন যৌগ উৎপন্ন করার প্রক্রিয়ার নাম প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া। যেমন : Zn Zn (s) + H2SO4 (aq) ® ZnSO4 (aq) + H2 (g); 2Na (s) + CuSO4(aq) ®Na2SO4(aq) + Cu(s) ⇒ দহন বিক্রিয়া : কোনো মৌলকে বা যৌগকে বায়ুর অক্সিজেনের উপস্থিতিতে পুড়িয়ে তার উপাদান মৌলের অক্সাইডে পরিণত করার প্রক্রিয়াকে দহন বিক্রিয়া বলে। যেমন : CH4(g) + 2O2(g) ® CO2(g) + 2H2O(g); C(s) + O2(g) ® CO2(g) 2H2(g) + O2(g) → 2H2O(g) ⇒ নন-রেডক্স বিক্রিয়া : এক বা একাধিক বিক্রিয়ক থেকে নতুন যৌগ উৎপন্ন হওয়ার সময় বিক্রিয়কে বিদ্যমান মৌলসমূহের মধ্যে ইলেকট্রন আদান-প্রদান না হলে বিক্রিয়াকে নন-রেডক্স বিক্রিয়া বলে। প্রশমন বিক্রিয়া ও অধঃক্ষেপণ বিক্রিয়া নন-রেডক্স বিক্রিয়া। ⇒ প্রশমন বিক্রিয়া : জলীয় দ্রবণে এসিড ও ক্ষার বিক্রিয়া করে লবণ ও পানি উৎপন্ন করার বিক্রিয়াকে প্রশমন বিক্রিয়া বলে। প্রশমন বিক্রিয়া সম্পন্ন হলে pH-এর মান 7 হয়। যেমন : HCl(aq) + NaOH(aq) → NaCl(aq) + H2(l) ⇒ অধঃক্ষেপণ বিক্রিয়া : যে বিক্রিয়ায় উৎপন্ন যৌগ অধঃক্ষেপ হিসেবে পাত্রের তলদেশে জমা হয় তাকে অধঃক্ষেপণ বিক্রিয়া বলে। অধঃক্ষেপকে প্রকাশ করার জন্য উৎপাদের সামনে  চিহ্ন ব্যবহার করা হয়। যেমন : NaCl(aq) + AgNO3(aq) → NaNO3(aq) + AgCl(s) ⇒ আর্দ্রবিশ্লেষণ বা পানি বিশ্লেষণ বিক্রিয়া : পানির অণুতে ধনাত্মক হাইড্রোজেন আয়ন (H+) ও ঋণাত্মক হাইড্রোক্সিল আয়ন (OH-) থাকে। কোনো যৌগের দুই অংশ পানির বিপরীত আধানবিশিষ্ট দুই অংশের সাথে যুক্ত হয়ে নতুন যৌগ উৎপন্ন করে। এই বিক্রিয়াকে আর্দ্রবিশ্লেষণ বিক্রিয়া বলে। যেমন : AlCl3(s) + 3H2O(l) → Al(OH)3(s) + 3HCl(aq) SiCl4 + 4H2O → Si(OH)4 + 4HCl ⇒ পানিযোজন বিক্রিয়া : আয়নিক যৌগ কেলাস গঠনের সময় এক বা একাধিক সংখ্যক পানির অণুর সাথে যুক্ত হয়। এই বিক্রিয়াকে পানিযোজন বিক্রিয়া বলে। যেমন : CaCl2 + 6H2O → CaCl2.6H2O MgCl2 + 7H2O → MgCl2.7H2O CuSO4 + 5H2O → CuSO4.5H2O ⇒ সমাণুকরণ বিক্রিয়া : একই আণবিক সংকেতবিশিষ্ট দুটি যৌগের ধর্ম ভিন্ন হলে তাদেরকে পরস্পরের সমাণু বলে। যেমন : C2H6O আণবিক সংকেত বিশিষ্ট দুটি যৌগ CH3CH2OH (ইথানল) ও CH3OCH3 (ডাই মিথাইল ইথার) ⇒ পলিমারকরণ বিক্রিয়া : যে বিক্রিয়ায় অসংখ্য মনোমার থেকে পলিমার উৎপন্ন

নবম দশম শ্রেণির রসায়ন সপ্তম অধ্যায় রাসায়নিক বিক্রিয়া Read More »

নবম দশম শ্রেণির রসায়ন ষষ্ঠ অধ্যায় মোলের ধারণা ও রাসায়নিক গণনা বহুনির্বাচনী প্রশ্নত্তর MCQ

নবম দশম/এসএসসি রসায়ন দ্বিতীয় অধ্যায় পদার্থের অবস্থা এর পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি,জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর নিচে দেওয়া হলো। এসএসসি রসায়ন ষষ্ঠ অধ্যায় বহুনির্বাচনী প্রশ্নত্তর রসায়ন ষষ্ঠ অধ্যায় MCQ ১. প্রমাণ অবস্থায় ২ গ্রাম হাইড্রোজেন গ্যাসের আয়তন কত? ক ২.২৪ L খ ১১.২ L √ ২২.৪ L ঘ ৪৪.৮ L ২. নিচের কোনটি ক্যালসিয়াম ফসফেটের সংকেত? ক CaPO4 খ Ca(PO4)2 গ Ca2(PO4)3 √ Ca3(PO4)2 নিচের উদ্দীপকের আলোকে ৩ ও ৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও : ৫ গ্রাম হাইড্রোজেন গ্যাসকে ৭৫ গ্রাম ক্লোরিন গ্যাসের মধ্যে চালনা করা হলো। ৩. উদ্দীপকে ব্যবহৃত ক্লোরিন পরমাণুর সংখ্যা কতটি? √ ১.২৭ × ১০২৪ খ ২.৫৪ × ১০২৪ গ ৬.০২ × ১০২৩ ঘ ৬.৩৬ × ১০২৩ ৪. উদ্দীপকের বিক্রিয়ায় অবশিষ্ট থাকে- √ ১.৪৪ মোল H2 খ ১.৪৪ মোল Cl2 গ ২.৮৯ মোল H2 ঘ ২.৮৯ মোল Cl2 এসএসসি রসায়ন ষষ্ঠ অধ্যায় MCQ ৫. CO2 অণু গঠনে ৩ গ্রাম কার্বন কত গ্রাম অক্সিজেনের সাথে যুক্ত হবে? √ ৮ খ ১২ গ ৩২ ঘ ৪৪ ৬. ফসফেট আয়নের যোজ্যতা কত? ক ১ খ ২ √ ৩ ঘ ৪ ৭. প্রমাণ অবস্থায় ১৭ গ্রাম অ্যামোনিয়া গ্যাসের আয়তন কত? ক ২৪.২ লিটার √ ২২.৪ লিটার গ ১২.২ লিটার ঘ ১১.৪ লিটার ৮. কোনটি ত্রিযোজী যৌMgূলক? ক নাইট্রেট খ সালফেট গ কার্বনেট √ ফসফেট ৯. তুঁতেতে কত অণু পানি বিদ্যমান? ক ২ √ ৫ গ ৭ ঘ ১০ ১০. 10. Na2CO3 যৌগে ঈ মৌলটির শতকরা সংযুতি কত? ক ৪৫.২৮% খ ৪৩.৩৯% গ ১৪.৬৩% √ ১১.৩২% ১১. ধনাত্মক যৌMgূলক কোনটি? √ ফসফোনিয়াম খ কার্বনেট গ নাইট্রেট ঘ ফসফেট ১২. ২৫০ মিলি 10. Na2CO3 এর সেমি মোলার দ্রবণ তৈরি করতে কী পরিমাণ দ্রব লাগবে? ক ১২.৫০ ম √ ১৩.২৫ম গ ১৩.৫০ম ঘ ১৪.২৪ম ১৩. পানিতে হাইড্রোজেন এর শতকরা পরিমাণ কত? √ ১১.১১ খ ৮৮.৮৯ গ ২২.১১ ঘ ৩৩.৩৩ ১৪. STP-তে ৮.৫g অ্যামোনিয়ার আয়তন কত? ক ১১.৫ লিটার খ ১১.৫ লিটার √ ১১.২ লিটার ঘ ১১.১১ লিটার ১৫. H2SO3 এ সালফারের সংযুতি কত? ক ৩৬.০২% খ ২৯.০২% √ ৩৯.০২% ঘ ৪০.০২% ১৬. ২ gm খাদ্য লবণে কয়টি অণু আছে? √ ২.০৫৮ × ১০২২টি খ ২.০৫৮ × ১০২৩টি গ ২.৫৮ × ১০২৩টি ঘ ২.৫৮ × ১০২২টি ১৭. Fe2O2 + HNO3 ® Fe(NO3)3 + H2O  সমীকরণটির সমতা বিধানে যথাক্রমে কোন কোন সংখ্যা ব্যবহার করতে হবে? ক ০, ৬, ২, ৩ √ ১, ৬, ২, ৩ গ ২,২, ২, ৩ ঘ ১, ৬, ২, ২ ১৮. সালফেট যৌMgূলকটির যোজনী কত? ক ১ √ ২ গ ৩ ঘ ৪ ১৯. কোন মৌলের যোজনী ও যোজনী ইলেকট্রন সমান? ক O2 খ F2 √ Mg ঘ Ar ২০. বিক্রিয়াটি লক্ষ কর : Al + O2 → Al2O3 বিক্রিয়াটি অনুসারে ২০০ম অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইড প্রস্তুতিতে কী পরিমাণ অ্যালুমিনিয়াম প্রয়োজন? ক ১৪৩.৫০ম √ ১০৫.৮৮ম গ ১০৪ ম ঘ ৫২.৯৪ ম ২১. ১০ম CaCO3 এ কতটি অণু বিদ্যমান? ক ৬.০২ × ১০২৩ √ ৬.০২ × ১০২২ গ ৬.০২ × ১০২১ ঘ ৬.০২ × ১০২০ ২২. নিচের কোনটি চুনাপাথরের সংকেত? ক  Na2CO3 খ NH4HCO3 গ NaHCO3 √ CaCO3 ২৩. ১০ mL ০.২ মোলার 10. Na2CO3 কে প্রশমিত করতে কত গ্রাম ০.১ মোলার HCl লাগবে? ক ০.১৪৬gm √ ১.৪৬gm গ ১০.০gm ঘ ২০.০gm ২৪. নিচের কোনটির যোজনী ২? ক Na খ F √ Ca ঘ K ২৫. নিচের কোনটি অ্যালুমিনিয়াম সালফেটের সংকেত? √ Al2(SO4)3 খ AlSO4 গ Al(SO4)3 ঘ Al2SO4 ২৬. অক্সিজেনের যোজ্যতা ইলেকট্রন কতটি? ক ২ খ ৪ √ ৬ ঘ ৮ নিচের উদ্দীপকটির আলোকে ২৭ ও ২৮ নং প্রশ্নের উত্তর দাও : ১ gmH2 + ৮৫ gmCl2 Δ—→ উৎপাদন ২৭. সর্বোচ্চ কী পরিমাণ ক্লোরিন হাইড্রোজেনের সাথে যুক্ত হবে? ক ৩.৩৫ gm খ ৮.৫ gm √ ৩৫.৫ gm ঘ ৮৫ gm ২৮. বিক্রিয়কে অবশিষ্ট ক্লোরিনের পরিমাণ কত? ক ৩৫.৫ gm খ ৩৯.৫ gm গ ৪৩.৫ gm √ ৪৯.৫ gm নিচের উদ্দীপকটির আলোকে ২৯ ও ৩০ নং প্রশ্নের উত্তর দাও : দুটি মৌল ঢ এবং ণ যাদের পারমাণবিক সংখ্যা যথাক্রমে ৬ ও ৯২ এবং পারমাণবিক ভর যথাক্রমে ১২ এবং ২৩৫। এক মোল ঢ কে দহন করলে ৩৯৪০০০ জুল শক্তি পাওয়া যায়। অপরপক্ষে এক মোল ণ থেকে নিউক্লিয় বিক্রিয়ার মাধ্যমে ২ × ১০১৩ জুল শক্তি পাওয়া যায়। ২৯. এক মোল ণ এর সমপরিমাণ শক্তি পেতে কত মোল ঢ এর দহন ঘটাতে হবে? ক ১.৯৭ × ১০৮ মোল খ ৫.০৮ × ১০১০ মোল √ ৫.০৭ ×১০১০ মোল ঘ ৬.০২ × ১০১৩ মোল ৩০. উদ্দীপকের ঢ মৌলটি- i. হাইড্রোজেনের সাথে পোলার যৌগ গঠন করে ii. দহনের ফলে গ্রিন হাউস গ্যাস উৎপন্ন করে iii. এর একটি রূপভেদ ইলেকট্রনীয় পরিবাহী নিচের কোনটি সঠিক? ক i ও ii খ i ও iii √ ii ও iii ঘ i, ii ও iii নিচের উদ্দীপকের আলোকে ৩১ ও ৩২ নং প্রশ্নের উত্তর দাও : ৩১. চিত্র ১.১ নং পাত্রের পানি যোগ করে ৫০০ mL দ্রবণ তৈরি করলে, দ্রবণের মোলারিটি কত হবে? ক ০.০১ গ খ ০.১ গ গ ০.৫ গ ঘ ১.০ গ [দ্রষ্টব্য : কঠিন CaCO3 পানিতে অদ্রবণীয় বিধায় মোলারিটি শূন্য (০) হবে।] ৩২. চিত্র : ১.১ ও চিত্র : ১.২নং পাত্রের পদার্থসমূহ : i. বিক্রিয়া করে ২২ গ্রাম CO2 উৎপন্ন করে ii. বিক্রিয়া করে এবং এদের মধ্যে CaCO3 লিমিটিং বিক্রিয়ক iii. বিক্রিয়ার সময় একই ভৌত অবস্থায় থাকে নিচের কোনটি সঠিক? ক i ও ii খ i ও iii √ ii ও iii ঘ i, ii ও iii এসএসসি রসায়ন ষষ্ঠ অধ্যায় বহুনির্বাচনী ২৯৭. অ্যাভোগেড্রো সংখ্যার মান কত? √ ৬˙০২ × ১০২৩ খ ০˙৬২ × ১০২৩ গ ৬˙০২ × ১০২৪ ঘ ৬০.২ × ১০২৩ ২৯৮. HCl এর গ্রাম আণবিক ভর কত? √ ৩৬˙৫gm খ ৩৬˙০ gm গ ৩৬˙৭gm ঘ ৩৬˙১০gm ২৯৯. ২০০ gm CaCO3 এর মোল সংখ্যা কত? √ ২ খ ১ গ ৫ ঘ ০.৫ ৩০০. রসায়নে মোল শব্দের অর্থ কী? ক রাসায়নিক বিক্রিয়ার হার √ পদার্থের নির্দিষ্ট পরিমাণ গ অণুর সংখ্যার পরিবর্তন ঘ পদার্থের পরিবর্তনের মাত্রা ৩০১. ১ সড়ষব O2 এর ভর কত গ্রাম? ক ১৬ খ ১৮ গ ২২ √ ৩২ ৩০২. অ্যামোনিয়াম ফসফেটে পরমাণুর সংখ্যা কত? ক ১০ খ ১৫ গ ১৮ √ ২০ ৩০৩. প্রমাণ তাপমাত্রা ও চাপে ২ লিটার মিথেন অণুর সংখ্যা কত? ক ৫˙৩৭ × ১০¯২২ খ ৫˙৩৭ × ১০২৩ গ ৫˙৩৭ × ১০২৪ √ ৫˙৩৭৭ × ১০২২ ৩০৪. প্রমাণ তাপমাত্রা ও চাপে ১১.২ লিটার অ্যামোনিয়ার ভর কত? ক ১.৭ম √ ৮.৫ম গ ১৭ম ঘ ১৭০ম ৩০৫. প্রমাণ তাপমাত্রা ও চাপের মান

নবম দশম শ্রেণির রসায়ন ষষ্ঠ অধ্যায় মোলের ধারণা ও রাসায়নিক গণনা বহুনির্বাচনী প্রশ্নত্তর MCQ Read More »