মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক চতুর্দশ সপ্তাহের যে অ্যাসাইনমেন্ট প্রকাশ পেয়েছে তার একটি অংশ হিসেবে তোমাদের ১৪ সপ্তাহের ৭ম শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ২০২১ নমুনা উত্তর দেওয়া হলো। প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা তোমরা অধির আগ্রহে তোমাদের ৭ম শ্রেণির ইসলাম শিক্ষা এসাইনমেন্টের জন্য অপেক্ষা করছিলে। আজ তোমাদের সেই কাঙ্খিত ১৪ সপ্তাহের ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা ৭ম শ্রেণি প্রকাশ করা হলো। ১৪ সপ্তাহের ৭ম শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ২০২১ তোমরা হয়তো অনেকেই আমাদের মেসেজ দিয়েছো। তোমাদের ১৪ সপ্তাহের এসাইনমেন্টটি প্রকাশ পায় গত বৃহস্পতিবার। কিন্তু আমাদের নমুনা উত্তর দিতে একটু দেরি হয়ে গেছে। সেজন্য আমরা আন্তরিক ভাবে দুঃখিত। তোমাদের দ্রুত অ্যাসাইনমেন্ট নমুনা উত্তর দেওয়ার কথা ছিলো আমাদের। তোমরা কি জানো তোমাদের ১৫ সপ্তাহে কোন কোন অ্যাসাইনমেন্ট লিখতে হবে। যদি না জেনে থাকো তাহলে চলো জেনে নিই। ১৫ সপ্তাহে তোমদের বিজ্ঞান, কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা অ্যাসাইনমেন্ট লিখতে হবে। ১৪ সপ্তাহে তোমাদের দুটি এসাইনমেন্ট লিখতে হবে একটি হলো ইসলাম ও অন্যটি কৃষি শিক্ষা। তবে যাবে ইসলাম বা কৃষি নেই তারা এর পরিবর্তে অন্যটি লিখতে হবে। যেমন হিন্দু ধর্ম শিক্ষা, বৈদ্ধ ধর্ম শিক্ষা, খ্রিষ্ট ধর্ম শিক্ষা আর কৃষি শিক্ষার পরিবর্তে গার্হস্থ্য শিক্ষা চলো আমরা তোমাদের ১৪ সপ্তাহের ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষার প্রশ্নগুলো দেখে নিই। ১৪ সপ্তাহের ৭ম শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা অ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্ন ২০২১ বিষয়ঃ ৭ম শ্রেণি ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা অধ্যায়ঃ তৃতীয় অধ্যায় অ্যাসাইনমেন্ট অ্যাসাইনমেন্ট ক্রমঃ সপ্তম শ্রেণি ইসলাম শিক্ষা অ্যাসাইনমেন্ট ৩ বিষয়বস্তুঃ পাঠ-১ (কুরআন মজিদ)পাঠ-২ (তাজবিদ)পাঠ-৩ (মাদ্দ)পাঠ-৪ (ওয়াক্ফ)পাঠ-৫ (নাধিরা তিলাওয়াত)পাঠ-৬ (সুরা আল আদিয়াত) নির্ধারিত কাজঃ নিবন্ধ লিখন: (সর্বোচ্চ ২৫০ শব্দ) বিষয়বন্ত: একজন মুসলিম হিসেবে মহান আল্লাহর বিধান মেনে চলার পদ্ধতি উৎসঃ সূরা বাকারার ৫ম রুকু-র নির্দেশনা অনুসরণ । নির্দেশনাঃ পবিত্র কুর’আনুল কারীমের যে কোনো ব্যাখ্যাগ্রস্থ (তাফসীর) থেকে সূরা বাকারার ৫ম কুকুর সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যার সহযোগিতা নিতে হবে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করা যেতে পারে। প্রয়োজনে নিজ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে আলোচনা করে এর যথার্থ সমাধান করবে । কোনো তথ্য উৎস থেকে অবিকল (হুবহু) কোনো তথ্য লিখে আযাসাইনমেন্ট জমা দেওয়া যাবে না। আযাসাইনমেন্ট অবশ্যই নিজ হাতে লিখে জমা দিতে হবে। মূল্যায়ন রুব্রিক্সঃ অতি উত্তম১. বিষয়বনত পূর্ণমাত্রায় সঠিক ও ধারাবাহিক২. কুরআন ও হাদিসের উদ্ৃতি আরবিতে সঠিকভাবে লিখতে পারা৩. লেখায় লক্ষনীয়মাত্রায় নিজন্বতা ও সৃজনশীলতাউত্তম:১. বিষয়বন্ত্র অধিকাংশক্ষেত্রে সঠিক ও ধারাবাহিক২. কুরআন ও হাদিসের উদ্ভৃতি আরবিতে লিখতে পান্রা৩. লেখায় আংশিক নিজন্বতা ও সৃজনশীলতাভালো:১. বিষয়বন্ত্র সঠিক থাকলেও ধারাবাহিকতান্র অভাব২. কুরআন ও হাদিসের উদ্ভৃতি আংশিকভাবে আরবিতে লিখতে পারা৩. লেখায় সামান্য মাত্রায় নিজন্বতা ও সৃজনশীলতাঅগ্রগতি প্রয়োজন:১. বিষয়বন্ত সঠিকতা ও ধারাবাহিকতান্র অভাব২. কুরআন ও হাদিসের উদ্ভৃতি লিখতে না পারা৩. লেখায় নিজস্বতা ও সৃজনশীলতা অনুপস্থিত উপরের প্রশ্নগুলো যদি তোমরা পড়ে থাকো তাহলে বুঝতে পারবে তোমাদের কিভাবে উত্তরটি লিখতে হবে। যদি না পড়ে থাকো তাহলে এক্ষুখি পড়ে আসো। নিচে তোমাদের সুবিধার্তে একটি নমুনা উত্তর দেওয়া হলো। ৭ম শ্রেণির ১৪ সপ্তাহের ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ২০২১ এসাইনমেন্ট শুরু “একজন মুসলিম হিসেবে মহান আল্লাহর বিধান মেনে চলার পদ্ধতি“ ভূমিকাঃ আল্লাহর নাজিলকৃত সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য কিতাব কুরআনুল কারিমের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও বৃহৎ সূরা হলো সূরাতুল বাকারা। এই সূরায় আল্লাহ তায়ালা মানুষের জীবন পরিচলনার জন্য কিছু বিধানের কথা উল্লেখ করেছেন। সূরাটিতে আল্লাহ তায়ালা তার বিধান মেনে চলার কিছু পদ্ধতির কথা বলেছেন। সেই বিধানগুলো মেনে চলার কিছু পদ্ধতি নিচে দেওয়া হলো ১) মুমিন-মুক্তাকীদের গাযেব বা অদৃশ্যে বিশ্বাসী হতে হবেঃ আল্লাহ তায়লাকে আমরা কেউ দেখতে পাই না, জান্নাত, জাহান্নাম আমরা দেখতে পায় না। আবার আল্লাহর ফেরেসতাকুল কেও আমরা দেখতে পাইনা। অর্থাৎ এসবগুলি এখনও আমাদের কাছে গায়িবি বা অদৃশ্য ভাবেই আছে। এর এগুলোকে বিশ্বাস না করলে একজন কখনোই মুমিন হতে পারবেনা। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘কে আছে তাঁর অনুমতি ছাড়া তাঁর কাছে সুপারিশ করবে? যা কিছু মানুষের সামনে আছে তা তিনি জানেন এবং যা কিছু তাদের অগোচরে আছে সে সম্পর্কেও তিনি অবগত। তিনি নিজে যে জিনিসের জ্ঞান মানুষকে দিতে চান সেটুকু ছাড়া তাঁর জ্ঞানের কিছুই তারা আয়ত্ত করতে পারে না’ (সূরা বাকারাহ-২৫৫) ২) একজন মুসলিমকে সালাত কায়েম করতে হবেঃ হাশরের ময়দানে সবচেয়ে আগে হিসাব নেওয়া হবে নামাজের। নামাজের হিসাব যার সহজ হয়ে যাবে তার সকল হিসাব সহজ হয়ে যাবে। তাই একজন মুমিন ব্যক্তির মূল কাজ হচ্ছে সালাত কায়েম করা। আল্লাহ তাআলা বলেন, নিঃসন্দেহে সালাত বিশ্বাসীদের ওপর সময়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে আবশ্যকীয় করা হয়েছে। (সূরা নিসা, আয়াত-১০৩) তাই মুমিন হওয়ার প্রথম শর্ত হল সালাত আদায় করা এবং অন্যকে সালাত আদায়ে উৎসাহিত করা। ৩) একজন মুসলিমকে আল্লাহর দেওয়া রিযিক থেকে ব্যয় করতে হবেঃ ইসলামে দানের গুরুত্ব অপরিসীম। দান মানুষের বালা মসিবত দুর করে দেয়। দান কররে মানুষের মন বড় হয়। আল্লাহ তায়ালাকে খুশি করার অন্যতম মাধ্যম হল দান করা। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যদি তোমরা দান প্রকাশ্যে করো, তবে তা উত্তম; আর যদি তা গোপনে করো এবং অভাবীদের দাও, তবে তা তোমাদের জন্য শ্রেয়। এর মাধ্যমে আল্লাহ তোমাদের মন্দগুলো মোচন করে দেবেন। তোমরা যা করো, আল্লাহ তা অবগত আছেন।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ২৭১) তাই একজন মুসলিম তথা মুমিন ব্যক্তির কাজ হবে বেশি বেশি দান করা ও ইসতেগফার করা। ৪) একজন মুসলিমকে আসমানী কিতাবে বিশ্বাস করতে হবেঃ ইসলামের ৭ টি স্তম্ভের মধ্যে একটি হলো আসমানি কিতাবের উপর বিশ্বাস। কুরআনুল কারিম হলো শেষ আসমানি কিতাব। কউ যদি কুরআনে বিশ্বাস না করে তবে সে আসমানি কিতাবে অবিশ্বাস করলো অর্থাৎ সে কফির হয়ে গেলো। আল্লাহ তাআলা তওরাতের ব্যাপারে বলেন:“আর আমি তার জন্য ফলকসমূহে লিখে দিয়েছি প্রত্যেক বিষয়ের উপদেশ এবং প্রত্যেক বিষয়ের বিস্তারিত ব্যাখ্যা।”[সূরা আরাফ, আয়াত: ১৪৫] আসমানি কিতাবের প্রতি বিশ্বাস না করলে আল্লাহ, রাসুল, জান্নাত, জাহান্নাম সব কিছুর উপরই পরোক্ষভাবে অবিশ্বাস করা হয়। তাই একজন মুসলিমের প্রধান কাজ হলো আসমানী কিতাবের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা। ৫) একজন মুসলিমকে আখিরাত জীবনের প্রতি সুদৃঢ় বিশ্বাসী হতে হবেঃ মানুষের শেষ পরিণতি মৃত্যু। এবং এই মৃত্যুর মধ্য দিয়ে আখিরাত জীবনের শুরু হয়। আখিরাতের দুটি অংশের মধ্যে একটি কবর ও অন্যটি হাশর। কেউ যদি আখিরাতে বিশ্বাস না করে তাহলে মূলত সে মৃত্যুর পরের জীবনকে অস্বিকার করলো। আর এটি অস্বিকারের মাধ্যমে সে কাফের হয়ে যাবে। আল্লাহ বলেন, ‘আর তোমরা ওই দিনকে ভয় করো, যেদিন তোমরা সবাই আল্লাহর কাছে ফিরে যাবে। অতঃপর সেদিন প্রত্যেকে নিজ নিজ কর্মের ফল পুরোপুরি পাবে এবং তাদের প্রতি কোনো ধরনের অবিচার করা হবে না।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ২৮১) তাই আমাদের মুমিন ও খাটি মুসলিম হতে হলে আখিরাতের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে। এবং আখিরাত কে ভয় করে পৃথিবীতে ভালো কাজ করতে হবে এবং আল্লাহর ইবাদত করতে হবে। উপসাংহারঃ আমরা মানুষ আল্লাহর বান্দা। আল্লাহ আমাদের সৃষ্টি করেছেন তার েইবাদতের জন্য। এবং তিনি আমাদের জীবন পরিচালনার জন্য দিয়েছেন কিছু বিধিবিধান। সেই বিধি বিধান না মেনে চললে আমাদের স্থান হবে