১০ম শ্রেণি

দশম শ্রেণির গণিত এসাইনমেন্ট ৪র্থ সপ্তাহ

দশম শ্রেণির গণিত এসাইনমেন্ট ৪র্থ সপ্তাহ সমাধান ২০২২

দশম শ্রেণির গণিত এসাইনমেন্ট ৪র্থ সপ্তাহ সমাধান ২০২২ পোস্টে তোমাদের স্বাগতম। আজকে তোমরা এখানে ১০ম শ্রেণীর চতুর্থ সপ্তাহের গণিত অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ এর সম্পূর্ণ নির্ভুল উত্তর পেয়ে যাবে। দশম শ্রেণির গণিত এসাইনমেন্ট ৪র্থ সপ্তাহ প্রিয় দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী বন্ধুরা তোমরা কি তোমাদের গণিত অ্যাসাইনমেন্ট চতুর্থ সপ্তাহ নিয়ে চিন্তিত আছো? চিন্তার কোন কারণ নেই আমরা তোমাদের জন্য চতুর্থ সপ্তাহের গণিত অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ২০২২ নিয়ে হাজির হয়েছি। এখানে তোমরা যে উত্তরটি পাবে সেটি শতভাগ নির্ভুল। তোমরা যারা দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী তারা নিশ্চয় তোমাদের আগের সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট গুলো সম্পূর্ণ করেছ। তারই ধারাবাহিকতায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর তোমাদের চতুর্থ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট প্রদান করেছে। চতুর্থ সপ্তাহে এসাইনমেন্টে তোমাদের দুটি বিষয়ে লিখতে হবে যার একটি হচ্ছে গণিত এবং উন্নতি নির্ভর করবে তোমরা কোন বিভাগের শিক্ষার্থী। জন্তু বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী হয়ে থাকো তবে তোমাদের পদার্থবিজ্ঞান লিখতে হবে, মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী হলে তোমাদের বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা অ্যাসাইনমেন্ট লিখতে হবে, আর তোমরা যদি বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থী হয়ে থাকে তবে তোমাদের হিসাববিজ্ঞান এসাইনমেন্ট চতুর্থ সপ্তাহ লিখতে হবে। দশম শ্রেণির ৪র্থ সপ্তাহের গণিত অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ গণিত চতুর্থ সপ্তাহ সব বিভাগের শিক্ষার্থীদের লিখতে হবে। ৪র্থ সপ্তাহের গণিত অ্যাসাইনমেন্ট তোমরা বুঝতে পারবে তোমরা সমস্যাগুলো সমাধান করতে পারবে কিনা। তোমাদের যাদের সাধারণ গণিত তৃতীয় অধ্যায় অংক গুলো ভালোভাবে করা রয়েছে তাদের এই অ্যাসাইনমেন্ট করতে কোন সমস্যা তৈরি হবে না। কিন্তু তোমরা যারা করোনার কারণে ফাঁকি দিয়ে এসেছো তাদের জন্য একটু সমস্যা হতে পারে। তবে চতুর্থ সপ্তাহের গণিত নমুনা উত্তর প্রদান করব তা তোমাদের সাহায্য করবে এই এসাইনমেন্ট সম্পন্ন করতে। দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী বন্ধুরা তোমাদের সপ্তাহের গণিত অ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্নটিই দেখে আসি। তোমরা অবশ্যই আসামের প্রশ্ন গুলো ভালো করে পড়ে নেবে তারপর উত্তরটি পড়ে নিজের মত করে লেখার চেষ্টা করবেন। চতুর্থ সপ্তাহ গণিত অ্যাসাইনমেন্ট না পড়ে তোমরা যেন উত্তর লেখা শুরু করে দিও না। দশম শ্রেণির গণিত এসাইনমেন্ট ৪র্থ সপ্তাহ প্রশ্ন চতুর্থ সপ্তাহ গণিত প্রশ্ন গুলো পড়ে তোমাদের এখন কি মনে হচ্ছে। প্রশ্নগুলো অনেক সহজ শুধু ধারাবাহিকভাবে ক্যালকুলেশন করলেই এর উত্তর চলে আসবে। তো চলো দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা গণিত চতুর্থ সপ্তাহে অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ এর উত্তর দেখে নেই। দশম শ্রেণির গণিত এসাইনমেন্ট ৪র্থ সপ্তাহ সমাধান অ্যাসাইনমেন্ট শুরু অ্যাসাইনমেন্ট শিরোনামঃ অন্বয় ও বিজগাণিতিক রাশি ’ক’ প্রশ্নের উত্তর একটি সংখ্যা হলো =p সংখ্যাটি বর্গ করলে হবে = p2 প্রশ্নমতে, p2+1=2√6p বা, p2+1p=26   বা, p2p+1p=26   ∴ p+1p=26 (দেখানো হলো)   ’খ’ প্রশ্নের উত্তর ’ক’ হতে পাই, p+1p=26 আমরা জানি, p–1p2=p+1p2–4.p.1p   =(26)2–4 = 24-4 = 20 ∴p–1p=20   =4×5   =25   প্রদত্ত রাশি, p6–1p3=p6p3–1p3   =p3–1p3   =p–1p3+3.p.1pp–1p   =253+3.25   =8.55+65   =405+65   =465 (ans)   ‘গ’ প্রশ্নের উত্তর ’ক’ হতে পাই, p+1p=26 এখন, p3+1p3=p+1p3–3.p.1pp+1p   =(26)3–3.26   =8.66–66   =486–66   =426 আবার, p2+1p2=p+1p2–2.p.1p   =(26)2–2 =24-2 =22 আমরা জানি, p5+1p5=p3+1p3p2+1p2–p+1p   বা, p10+1p5=426×22–26   বা, p10+1p5=9246–26   বা, p10+1p5=9226   বা, p10+1 = 9226p5   বা, p10–9226p5+1 = 0  (প্রমাণিত)   ’ঘ’ প্রশ্নের উত্তর উদ্দীপক হতে পাই, 12 এর গুণনীয়কগুলো হলোঃ 1,2,3,4,6,12 ∴ A ={1,2,3,4,6,12} দেওয়া আছে, R={(x,y): x∈A, y∈A এবং y=x+1} এখানে শর্তটি হলোঃ y=x+1 এখন প্রত্যেক x∈A এর জন্য y=x+1 কতগুলো মান নির্ণয় করি। x 1 2 3 4 6 12 y 2 3 4 5 7 13   যেহেতু    5,7,13∉A  সুতরাং (4,5), (6,7), (12,13)∉A ∴ R = {(1,2), (2,3), (3,4)} ∴ ডোম R = {1,2,3) এবং রেন্জ R = {2, 3, 4} (answer)   অ্যাসাইনমেন্ট শেষ আরো পড়ুনঃ  সকল শ্রেণির সকল বিষয় একসাথে ষষ্ঠ/৬ষ্ঠ শ্রেণির ইংরেজি ৪র্থ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ সপ্তম/৭ম শ্রেণির ইংরেজি ৪র্থ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ অষ্টম/৮ম শ্রেণির ইংরেজি ৪র্থ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ ষষ্ঠ/৬ষ্ঠ শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ৪র্থ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ সপ্তম/৭ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ৪র্থ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ অষ্টম/৮ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ৪র্থ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ নবম/৯ম শ্রেণির গণিত ৪র্থ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ দশম/১০ম শ্রেণির গণিত ৪র্থ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ নবম/৯ম শ্রেণির পদার্থবিজ্ঞান ৪র্থ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ দশম/১০ম শ্রেণির পদার্থবিজ্ঞান ৪র্থ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ নবম/৯ম শ্রেণির হিসাববিজ্ঞান ৪র্থ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ দশম/১০ম শ্রেণির হিসাববিজ্ঞান ৪র্থ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ নবম/৯ম শ্রেণির বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা ৪র্থ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ দশম/১০ম শ্রেণির বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা ৪র্থ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২   রিলেটেড সার্চ ২০২২ সালের এসএসসি গণিত অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর দশম শ্রেণির গণিত এসাইনমেন্ট ২০২২ দশম শ্রেণির গণিত এসাইনমেন্ট উত্তর দশম শ্রেণির গণিত এসাইনমেন্ট ২য় সপ্তাহ দশম শ্রেণির গণিত এসাইনমেন্ট ১ম সপ্তাহ দশম শ্রেণির এসাইনমেন্ট ২০২১ গণিত ৩য় সপ্তাহ দশম শ্রেণির গণিত এসাইনমেন্ট নবম সপ্তাহ দশম শ্রেণির গণিত এসাইনমেন্ট ৭ম সপ্তাহ

দশম শ্রেণির গণিত এসাইনমেন্ট ৪র্থ সপ্তাহ সমাধান ২০২২ Read More »

নবম দশম শ্রেণির রসায়ন ১১তম অধ্যায় খনিজ সম্পদ-জীবাশ্ম সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

নবম দশম/এসএসসি রসায়ন ১১তম অধ্যায় খনিজ সম্পদ-জীবাশ্ম এর পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর নিচে দেওয়া হলো। এসএসসি রসায়ন ১১তম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন -1 : নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও : মার্চ-জুন মাসে বাংলাদেশে সংরক্ষণের অভাবে প্রচুর পরিমাণে আলু নষ্ট হয়। আলু থেকে নিচের বিক্রিয়ায় ইথানল উৎপন্ন করা যায়। স্টার্চ এনজাইম (ডায়াসটেজ ও ম্যালটেজ) ≡≡ H2O→ গøুকোজ এনজাইম (জাইমেজ)≡-→ ইথানল ক. পেট্রোলিয়ামের প্রধান উপাদান কী? খ. অ্যালকেন অপেক্ষা অ্যালকিন সক্রিয় কেন? ব্যাখ্যা কর। গ. উদ্দীপকের বিক্রিয়া ব্যবহার করে আলু থেকে মিথেন প্রস্তুতির বর্ণনা দাও। ঘ. অতিরিক্ত আলুকে জীবাশ্ম জ্বালানির বিকল্প হিসেবে ব্যবহারের সম্ভাবনা বিশ্লেষণ কর। ⇔ 1নং প্রশ্নের উত্তর ⇔ ক. পেট্রোলিয়ামের প্রধান উপাদান হাইড্রোকার্বন। খ. অ্যালকেন একক বন্ধন ও অ্যালকিন দ্বিবন্ধন দ্বারা গঠিত বলে অ্যালকেন অপেক্ষা অ্যালকিন সক্রিয়। অ্যালকেনসমূহ কার্বন-কার্বন ও কার্বন-হাইড্রোজেন শক্তিশালী একক সমযোজী বন্ধনের মাধ্যমে গঠিত। যা ভেঙে সহজে অন্য বন্ধন গঠন করে না বলে এরা সাধারণত অন্য মৌল বা যৌগের সাথে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে না। কারণে অ্যালকেনসমূহ কম সক্রিয় যৌগ। অন্যদিকে অ্যালকিনসমূহের অণুতে কার্বন-কার্বন দ্বিবন্ধন বিদ্যমান। এ দ্বিবন্ধনের প্রথমটি সিগমা বন্ধন যা শক্তিশালী হলেও দ্বিতীয় বন্ধনটি প্রথম বন্ধন অপেক্ষা দুর্বল পাই () বন্ধন যার ভাঙন সহজেই ঘটে। এ কারণেই অ্যালকিন রাসায়নিকভাবে অ্যালকেন অপেক্ষা সক্রিয়। গ. উদ্দীপকের বিক্রিয়ায় স্টার্চ থেকে গøুকোজ ও গøুকোজকে জাইমেজ নামক এনজাইমের উপস্থিতিতে ইথানলে রূপান্তরিত করা হয়। আলুতে প্রচুর পরিমাণ স্টার্চ রয়েছে। এ স্টার্চ থেকে আমরা উদ্দীপকের বিক্রিয়া ব্যবহার করে ইথানল পেতে পারি। ইথানলকে এসিডযুক্ত পটাসিয়াম ডাইক্রোমেট অথবা পটাসিয়াম পারম্যাঙ্গানেট দ্বারা জারিত করলে প্রথমে ইথান্যাল (অ্যাসিটালডিহাইড) ও পরে ইথানয়িক এসিড উৎপন্ন হয়। K2Cr2O7 + H2SO4→K2SO4 + Cr2(SO4)3 + H2O + [O] CH3CH2OH + [O]→CH3CHO + H2O ইথানল                          ইথান্যাল CH3CHO+[O]→CH3 COOH ইথানয়িক এসিড এভাবে উৎপন্ন ইথানয়িক এসিডকে NaOH এর সাথে মিশ্রিত করলে সোডিয়াম ইথানোয়েট উৎপন্ন হয়। CH3COOH + NaOH→CH3COONa + H2O সোডিয়াম ইথানয়েট এই সোডিয়াম ইথানয়েটকে (CH3COONa) সোডালাইম (NaOH + CaO এর মিশ্রণ) সহ উত্তপ্ত করলে মিথেন ( CH4) পাওয়া যায়। বিক্রিয়া : CH3COONa (NaOH + CaO) ≡ সোডালাইম →CH4 + Na2CO3(CaO) এভাবে আমরা আলু থেকে মিথেন ( CH4) প্রস্তুত করতে পারি। ঘ. আলু আমাদের দেশের অন্যতম প্রধান খাদ্য। এটি শর্করা নামক পুষ্টিগুণের অন্যতম উৎস। এদেশে আলুর ফলনও হয় প্রচুর। বাংলাদেশের মানুষের শর্করা চাহিদা পূরণ করার পরও অনেক আলু রয়ে যায় প্রতিবছর। ফলে সংরক্ষণের অভাবে প্রচুর পরিমাণ আলু নষ্ট হয়ে যায়। অথচ অতিরিক্ত আলুর নানাবিধ ব্যবহার করা সম্ভব। বিশেষ করে আলু থেকে ইথানল, মিথেন ইত্যাদি গ্যাস তৈরি করে আমাদের প্রয়োজনীয় জ্বালানির চাহিদা মেটানো যায়। অর্থাৎ অতিরিক্ত আলুকে জীবাশ্ম জ্বালানির বিকল্প হিসেবে ব্যবহার সম্ভব। অতিরিক্ত আলুতে বিদ্যমান স্টার্চ থেকে আমরা নিম্নলিখিত উপায়ে ইথানল প্রস্তুত করতে পারি। 2 (C6H10O5)হ + nH2O ডায়াসটেজ-→ C12H22O11 স্টার্চ                         মল্টোজ ম্যালটেজ এনজাইম মল্টোজকে গøুকোজে এবং জাইমেজ নামক এনজাইম গøুকোজকে ফারমেন্ট করে ইথানলে পরিণত করে। বিক্রিয়া : C12H22O11+ H2O ম্যালটেজ-→ C6H12O6 মল্টোজ গøুকোজ C6H12O6 জাইমেজ-→ CH3CH2OH + 2CO2 গøুকোজ ইথানল আলু থেকে এভাবে গাঁজন প্রক্রিয়ায় প্রাপ্ত ইথানল জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে মোটর ইঞ্জিন, বিমান, বাস, ট্রাক, কলকারখানায় বিকল্প জ্বালানিরূপে ব্যবহার করা যায়। পেট্রোলের সাথে (1০-2০%) ইথানল মিশ্রিত করে গ্যাসহোল (এধংড়যড়ষ) নামক জ্বালানি তৈরি করা যায় যাকে জ্বালানিরূপে ব্যবহার করা সম্ভব। CH3CH2OH + O2 → 2CO2 + 6H2O + তাপশক্তি। অ্যালকোহল থেকে আমরা প্রচুর তাপশক্তি পাই। আবার, ‘গ’ থেকে দেখা যায় আলু থেকে প্রাকৃতিক গ্যাস মিথেনও উৎপাদন করা যায়। তাই অতিরিক্ত আলু থেকে জীবাশ্ম জ্বালানির বিকল্প ব্যবহার করার অপার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রশ্ন -2 : নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও : পর্যায়ক্রমে একটি গ্যাসকে র থেকে ররর বিক্রিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন পদার্থে পরিণত করা হয়। i. 2 CH4 15০০0C-→ HC ≡ CH + H2 ii. HC ≡ CH + HCl -→ CH2 = CHCl iii. nCH2 = CHCl ≡-→ – CH2 – CH । Cln ক. হাইড্রোকার্বন কাকে বলে? খ. বেনজিন অ্যারোমেটিক হাইড্রোকার্বন কেন? গ. রর নং বিক্রিয়াটি কোন ধরনের বিক্রিয়া? ব্যাখ্যা কর। ঘ. উদ্দীপকের প্রথম বিক্রিয়ক গ্যাসটির ব্যবহার বহুমুখীকরণের সম্ভাবনা বিশ্লেষণ কর। ⇔ 2নং প্রশ্নের উত্তর ⇔ ক. হাইড্রোজেন ও কার্বন দ্বারা গঠিত দ্বিমৌল যৌগসমূহকে হাইড্রোকার্বন বলা হয়। খ. বেনজিন একটি ছয় সদস্যের সমতলীয় চক্রিয় যৌগ। এর অণুতে একান্তর দ্বিবন্ধন বিদ্যমান। অর্থাৎ, কার্বন-কার্বন একটি একক বন্ধন এবং একটি দ্বিবন্ধন থাকে। আমরা জানি, অ্যারোমেটিক যৌগসমূহ সাধারণত 5, 6 বা 7 সদস্যের সমতলীয় চক্রিয় যৌগ। এ কারণেই বেনজিন একটি অ্যারোমেটিক হাইড্রোকার্বন। গ. (রর) নং বিক্রিয়াটি একটি সংযোজন বিক্রিয়া। যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় কোনো যৌগ তার সরলতম উপাদানসমূহের প্রত্যক্ষ সংযোগে সৃষ্টি হয়, তাকে সংযোজন বিক্রিয়া বলা হয়। যেমন : উদ্দীপকে প্রদত্ত (রর) নং বিক্রিয়াটি নিম্নরূপ : CH ≡ CH + HCl -→ H2C = CHCl (অ্যাসিটিলিন) (ভিনাইল ক্লোরাইড) এ বিক্রিয়ায় অ্যাসিটিলিনের (HC ≡ CH) সাথে HCl এর প্রত্যক্ষ সংযোগে ভিনাইল ক্লোরাইড (H2C = CHCl) উৎপন্ন হয়েছে। এখানে HCl এর ঐ+ ও Cl- অংশ দুটি ত্রিবন্ধনযুক্ত কার্বন দুটির প্রত্যেকটির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। ফলে ত্রিবন্ধনের একটি বন্ধন ভেঙে গিয়ে দ্বিবন্ধনে পরিণত হয়েছে। অতএব, (রর) নং বিক্রিয়াটি একটি সংযোজন বিক্রিয়া। ঘ. উদ্দীপকের প্রথম বিক্রিয়ক গ্যাসটি মিথেন ( CH4)। মিথেনের বহুমুখী ব্যবহার নিচে আলোচনা করা হলো : 1. মিথেনকে বায়ুর উপস্থিতিতে দহন করলে CO2, H2O ও প্রচুর পরিমাণ তাপশক্তি উৎপন্ন হয়, যা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। 2. মিথেন থেকে প্রাপ্ত মিথাইল ক্লোরাইড (CH3Cl) শিল্পক্ষেত্রে বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য যেমন : অ্যালকোহল, অ্যালডিহাইড, জৈব এসিড প্রস্তুতিতে ব্যবহার করা হয়। ডাইক্লোরোমিথেন (CH2Cl2) রং শিল্পে দ্রাবক হিসেবে, ক্লোরোফরম (CHCl3) কে চেতনানাশক হিসেবে এবং কার্বন টেট্রাক্লোরাইড (CCl4) কে ড্রাইওয়াশের দ্রাবক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কারণ, টেট্রাক্লোরোমিথেন গ্রিজ ও ময়লাকে সহজে দ্রবীভ‚ত করতে পারে। 3. মিথেন থেকে অন্য সকল শ্রেণির জৈব যৌগ যেমন : অ্যালকিন, অ্যালকাইন, অ্যালডিহাইড, অ্যালকোহল, জৈব এসিড ইত্যাদি প্রস্তুত করা সম্ভব। 4. মিথেন থেকে উৎপন্ন মিথানল একটি বিষাক্ত পদার্থ। ঔষধ ও খাদ্যশিল্প ব্যতীত অন্য শিল্পে ব্যবহৃত রেকটিফাইড স্পিরিটে সামান্য মিথানল যোগে বিষাক্ত করা হয় যার নাম মেথিলেটেড স্পিরিট। এটি কাঠ এবং ধাতুর তৈরি আসবাবপত্র বার্নিশ করার জন্য ব্যবহৃত হয়। 5. মিথানলকে (CH3OH) শক্তিশালী জারক দ্বারা জারিত করলে ফরমালডিহাইড উৎপন্ন হয় যার (3০-4০%) জলীয় দ্রবণকে ফরমালিন বলা হয় যা জৈব বস্তু সংরক্ষণ কাজে ব্যবহৃত হয়। 6. মিথেন ( CH4) থেকে প্রাপ্ত মিথান্যাল (HCHO) এর জলীয় দ্রবণকে অতি নিম্ন চাপে উত্তপ্ত করলে ডেরলিন (উবৎষরহ) নামক শক্ত পলিমার উৎপন্ন হয়। ডেরলিন পলিমার দিয়ে চেয়ার, ডাইনিং টেবিল, বালতি জাতীয় দ্রব্য তৈরি করা হয় যা পূর্বে কাঠ ও ধাতু দিয়ে তৈরি করা হতো। 7. ফরমালডিহাইড (মিথান্যাল) ও

নবম দশম শ্রেণির রসায়ন ১১তম অধ্যায় খনিজ সম্পদ-জীবাশ্ম সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর Read More »

নবম দশম শ্রেণির রসায়ন ১১তম অধ্যায় খনিজ সম্পদ-জীবাশ্ম বহুনির্বাচনী প্রশ্ন ও উত্তর (MCQ)

নবম দশম/এসএসসি রসায়ন দ্বিতীয় অধ্যায় পদার্থের অবস্থা এর পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বহুনির্বাচনী প্রশ্ন ও উত্তর নিচে দেওয়া হলো। এসএসসি রসায়ন ১১তম অধ্যায় বহুনির্বাচনী প্রশ্ন ও উত্তর   1. প্রাকৃতিক গ্যাসে শতকরা কত ভাগ ইথেন থাকে? ক 3 ভাগ খ 4 ভাগ গ 6 ভাগ √ 7 ভাগ 2. নিচের কোন যৌগটি ব্রোমিন দ্রবণের লাল বর্ণকে বর্ণহীন করতে পারে? ক C3H8 খ C3H8O গ C3H6O √ C3H4 বিক্রিয়া : CH3 – C ≡ CH Br2→ X Br2→ ণ উপরের বিক্রিয়া থেকে 3 ও 4 নং প্রশ্নের উত্তর দাও : 3. ণ যৌগটির নাম কী? ক 1, 1-ডাইব্রোমো প্রোপেন খ 1, 2-ডাইব্রোমো প্রোপেন √ 1, 1, 2, 2-টেট্রাব্রোমো প্রোপেন ঘ 1, 2-ড্রাইব্রোমোপ্রোপিন 4. উদ্দীপকের ‘ঢ’ যৌগটি- i. সংযোজন বিক্রিয়া দেয় ii. প্লাস্টিক তৈরিতে ব্যবহৃত হয় iii. ণ অপেক্ষা কম সক্রিয় নিচের কোনটি সঠিক? √ i ও ii খ ii ও iii গ i ও iii ঘ i, ii ও iii 5. নিচের কোন যৌগটি পানিতে দ্রবণীয়? ক C6H6 খ CH3 – O – CH3 গ CCl4 √ KOH 6. C4H10 এর গলনাঙ্ক কত? ক -19০0C খ – 1830C √ -1380C ঘ 13০0C 7. কোনটি অসম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বন? ক C2H6 √ C3H6 গ C3H8 ঘ C4H10 8. কোনটি কৃত্রিম পলিমার? √ পলিস্টার খ পাট গ তুলা ঘ চুল 9. কোনটি এস্টারের কার্যকরী মূলক? ক -OH খ -COOH √ -COOR ঘ -CHO 1০. প্রাকৃতিক গ্যাসে সাধারণত কত শতাংশ প্রোপেন পাওয়া যায়? ক 3% খ 5% √ 6% ঘ 7% 11. ডাইমিথাইল ইথারের স্ফুটনাঙ্ক কত? ক 780C খ 240C √ -240C ঘ -780C 12. অপরিশোধিত তেলকে কত তাপমাত্রায় আংশিক পাতন করলে কেরোসিন পাওয়া যায়? ক 7০0C খ 12০0C √ 17০0C ঘ 27০0C 13. C3H6 যৌগটি শনাক্তকরণে নিচের কোন দ্রবণ ব্যবহার করা যায়? i. ব্রোমিন দ্রবণ ii. K2Cr2O7 দ্রবণ iii. KMnO4 দ্রবণ নিচের কোনটি সঠিক? ক i ও ii খ i ও iii গ ii ও iii ঘ i, ii ও iii নিচের উদ্দীপকের আলোকে 14 ও 15 নং প্রশ্নের উত্তর দাও : CH3 – CH = CH2(g) KMnO4→H2O ণ 14. উপরিউক্ত বিক্রিয়ার বিক্রিয়কের কার্বনের শতকরা সংযুতি কত? ক 14.29% খ 25.০% গ 75% √ 85.71% 15. উদ্দীপকের ণ যৌগটি- i. হচ্ছে প্রোপিলিন গøাইকল ii. হচ্ছে 1, 2-ডাই হাইড্রোক্সি প্রোপেন iii. জলীয় KMnO4 এর গোলাপি বর্ণকে বর্ণহীন করে নিচের কোনটি সঠিক? ক i ও ii খ i ও iii গ ii ও iii √ i, ii ও iii নবম দশম রসায়ন ১১তম অধ্যায় বহুনির্বাচনী প্রশ্ন ও উত্তর (পাঠ্যাংশ অনুযায়ী) 11.1 জীবাশ্ম জ্বালানি * জেনে রাখ ⇒ কয়লা, তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস জীবাশ্ম জ্বালানির উদাহরণ। ⇒ উচ্চ তাপ ও চাপে বায়ুর অনুপস্থিতিতে উদ্ভিদ ও প্রাণিদেহ হাজার হাজার বছরে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে জীবাশ্ম জ্বালানিতে পরিণত হয়। ⇒ প্রায় সকল জ্বালানির মূল উপাদান কার্বন ও কার্বন যৌগ। ⇒ হাইড্রোকার্বন হলো কার্বন ও হাইড্রোজেনের যৌগ। ⇒ প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান উপাদান মিথেন 8০%। ⇒ বাংলাদেশে এ পর্যন্ত পাওয়া প্রাকৃতিক গ্যাসের 99.99% মিথেন। » সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর 16. কোনটি জীবাশ্ম জ্বালানি? (অনুধাবন) √ খনিজ তেল খ গোবর গ পাটকাঠি ঘ শুকনো পাতা 17. ভ‚গর্ভে শিলাস্তরে খনিজ তেলের উপরে উচ্চচাপে বিভিন্ন হাইড্রোকার্বনের যে মিশ্রণ পাওয়া যায়, তাকে কী বলে? (অনুধাবন) ক পেট্রোলিয়াম √ প্রাকৃতিক গ্যাস গ কোল ঘ আলকাতরা 18. প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান উপাদানের নাম কী? (জ্ঞান) ক ইথেন খ প্রোপেন গ বিউটেন √ মিথেন 19. পচা জৈব পদার্থ থেকে কী নির্গত হয়? (জ্ঞান) √ মিথেন খ বিউটেন গ অকটেন ঘ প্রোপেন 2০. কোন উপাদানের জন্য জীবাশ্ম জ্বালানিকে পোড়ানো যায়? (অনুধাবন) √ C ও H-এর জন্য খ C ও N-এর জন্য গ C, H ও O-এর জন্য ঘ C, H, O ও N-এর জন্য 21. জীবাশ্ম জ্বালানি মূলত কিসের যৌগ? (অনুধাবন) ক সালফারের √ কার্বনের গ হাইড্রোজেনের ঘ নাইট্রোজেনের 22. প্রাকৃতিক গ্যাসের মধ্যে মিথেনের পরিমাণ কত? (জ্ঞান) ক 6০% খ 7০% √ 8০% ঘ 9০% 23. উদ্ভিদদেহ মাটির নিচে পরিবর্তিত হয়ে কিসে রূপান্তরিত হয়? (জ্ঞান) ক পচা আবর্জনা খ ইথেন গ তেল √ কয়লা 24. জ্বালানিকে দহন করলে কী উৎপন্ন হয়? (অনুধাবন) √ তাপশক্তি খ সৌরশক্তি গ শব্দশক্তি ঘ রাসায়নিক শক্তি 25. পেট্রোলিয়াম প্রধানত কিসের মিশ্রণ? (জ্ঞান) √ হাইড্রোকার্বন খ হ্যালোজেন গ অ্যালকোহল ঘ জৈব এসিড 26. প্রাকৃতিক গ্যাসের বর্ণ কিরূপ? (জ্ঞান) ক কালো খ বাদামি গ সবুজ √ বর্ণহীন 27. সব জ্বালানির মূল উপাদান কী? (জ্ঞান) √ C খ S গ O ঘ N 28. কোক সৃষ্টি হয় কোনটি থেকে? (অনুধাবন) √ কয়লা খ প্রাকৃতিক গ্যাস গ তেল ঘ মিথেন 29. কোনটি থেকে জীবাশ্ম জ্বালানি তৈরি হয়? (অনুধাবন) ক ক্যালসিয়াম কার্বনেট খনিজ থেকে খ সমুদ্রের তলার মাটি থেকে √ মৃত গাছপালা ও প্রাণিদেহ থেকে ঘ ভ‚গর্ভের কঠিন শিলাখণ্ড থেকে 3০. খনিতে প্রাকৃতিক গ্যাসের সাথে আর কী পাওয়া যায়? (অনুধাবন) ক ইথেন √ খনিজ তেল গ প্রোপেন ঘ বিউটেন 31. প্রাকৃতিক গ্যাসে কোনগুলোর উপস্থিতি নেই? (অনুধাবন) ক মিথেন ও ইথেন খ প্রোপেন ও বিউটেন গ আইসো বিউটেন ও পেনটেন √ অক্সিজেন ও নাইট্রোজেন 32. উদ্ভিদ ও প্রাণিদেহ জীবাশ্ম জ্বালানিতে পরিণত হতে কোন শর্তটি অবশ্যই দরকার? (উচ্চতর দক্ষতা) ক বায়ুর উপস্থিতি √ বায়ুর অনুপস্থিতি গ গাঁজন ঘ সংশ্লেষণ ও বিযোজন 33. প্রাণিদেহ মাটির নিচে পরিবর্তিত হয়ে কিসে রূপান্তরিত হয়? (জ্ঞান) ক বিটুমিনে খ ন্যাপথায় গ কয়লায় √ পেট্রোলিয়ামে 34. মিথেন বা ইথেন গ্যাসকে বায়ুতে পোড়ালে একটি গ্যাস নির্গত হয় যা বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়াতে ভ‚মিকা রাখে। এ গ্যাসটি কী? (উচ্চতর দক্ষতা) ক কার্বন মনোঅক্সাইড √ কার্বন ডাইঅক্সাইড গ অক্সিজেন ঘ নাইট্রাস অক্সাইড 35. কয়লার প্রধান উপাদান কী? (জ্ঞান) ক হাইড্রোজেন √ কার্বন গ বিউটেন ঘ ইথেন 36. কয়লা থেকে গ্যাস নির্গত হওয়ার পর প্রাপ্ত অবশেষকে কী বলে? (প্রয়োগ) ক ন্যাপথা খ বিটুমিন √ কোক ঘ আলকাতরা 37. জ্বালানির দহনে প্রাপ্ত শক্তি বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়। এ শক্তির কাজের সাথে কোনটি অমিল প্রকাশ করে? (উচ্চতর দক্ষতা) ক বিদ্যুৎ উৎপাদন খ মোটর ইঞ্জিন চালানো গ রান্নার কাজ √ নৌকা চালানো » বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর 38. জ্বালানির দহন থেকে প্রাপ্ত শক্তি ব্যবহৃত হয়- (অনুধাবন) i. মোটর ইঞ্জিন চালাতে ii. বিমান চালাতে iii. বায়োগ্যাস উৎপাদনে নিচের কোনটি সঠিক? ক র √ i ও ii গ i ও iii ঘ i, ii ও iii 39. কয়লা ও প্রাকৃতিক গ্যাস পোড়ালে তার মধ্যে সঞ্চিত শক্তি বের হয়- (অনুধাবন) i. আলোকশক্তি রূপে ii. তড়িৎশক্তি রূপে iii. তাপশক্তি হিসেবে নিচের কোনটি সঠিক? ক i ও ii √ i ও iii গ ii ও iii ঘ i, ii ও iii »» অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি

নবম দশম শ্রেণির রসায়ন ১১তম অধ্যায় খনিজ সম্পদ-জীবাশ্ম বহুনির্বাচনী প্রশ্ন ও উত্তর (MCQ) Read More »

নবম দশম শ্রেণির রসায়ন ১১তম অধ্যায় খনিজ সম্পদ-জীবাশ্ম জ্ঞানমূলক, অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

নবম দশম/এসএসসি রসায়ন একাদশ অধ্যায় খনিজ সম্পদ-জীবাশ্ম এর পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি,জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর নিচে দেওয়া হলো। এসএসসি রসায়ন ১১ অধ্যায় খনিজ সম্পদ-জীবাশ্ম একাদশ অধ্যায় খনিজ সম্পদ-জীবাশ্ম পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি ⇒ জীবাশ্ম জ্বালানি : শক্তির অতি পরিচিত উৎস হলো কয়লা, খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস। কোটি কোটি বছর পূর্বে এ পৃথিবীতে বিশাল বিশাল বনভ‚মি ছিল। বনভ‚মিতে যেসব গাছপালা, জীবজন্তু ছিল প্রচণ্ড ভ‚মিকম্প বা কোনো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে বা অন্য কোনো কারণে মাটির নিচে চাপা পড়ে এবং ক্রমান্বয়ে জমতে থাকে। এদেরই দেহাবশেষ জীবাশ্ম। ভ‚অভ্যন্তরভাগে প্রচণ্ড চাপে ও তাপে বায়ুর অনুপস্থিতিতে রাসায়নিক পরিবর্তনের ফলে এদের ধ্বংসাবশেষ ক্রমশ কয়লা, খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসে পরিণত হয়। এ জীবাশ্ম কঠিন, তরল বা বায়বীয় আকারে খনি থেকে তুলে জ্বালানিরূপে ব্যবহার করা হয়। তাই এদেরকে জীবাশ্ম জ্বালানি বলা হয়। ⇒ পেট্রোলিয়াম বা খনিজ তেল : শক্তির অন্যতম প্রধান উৎস পেট্রোলিয়াম বা খনিজ তেল। খনি থেকে যে তেল আহরিত হয় তা অপরিশোধিত তেল যা মূলত হাইড্রোকার্বন ও অন্যান্য কিছু জৈব যৌগের মিশ্রণ। অপরিশোধিত তেলকে ব্যবহার উপযোগী করার জন্য এর বিভিন্ন অংশকে আংশিক পাতন পদ্ধতিতে পৃথক করা হয়। পেট্রোলিয়ামে বিদ্যমান উপাদানের স্ফুটনাংকের ওপর ভিত্তি করে তেল পরিশোধনাগারে পৃথকীকৃত বিভিন্ন অংশের নাম পর্যায়ক্রমে পেট্রোলিয়াম গ্যাস, পেট্রোল (গ্যাসোলিন), ন্যাপথা, কেরোসিন, ডিজেল তেল, লুব্রিকেটিং তেল ও বিটুমিন। পেট্রোলের বিভিন্ন অংশকে বিভিন্ন ক্ষেত্রের জ্বালানি ও পেট্রোকেমিক্যাল শিল্পে বিভিন্ন রাসায়নিক যৌগ প্রস্তুতিতে ব্যবহার করা হয়। ⇒ প্রাকৃতিক গ্যাস : খনিতে পেট্রোলিয়াম যে প্রক্রিয়ায় সৃষ্টি হয় প্রাকৃতিক গ্যাসের সৃষ্টির প্রক্রিয়াও একই রকম। সাধারণত খনির উপরের অংশে গ্যাস আর নিচের দিকে খনিজ তেল থাকে। খনিজ তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাস উভয়ই জৈব পদার্থ। এগুলো কার্বন ও হাইড্রোজেনের বিভিন্ন অনুপাতে মিশ্রণের ফলে গঠিত হয়। প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান উপাদান মিথেন (8০%)। এছাড়াও প্রাকৃতিক গ্যাসে থাকে ইথেন (7%), প্রোপেন (6%), বিউটেন ও আইসো বিউটেন (4%), পেনটেন (3%)। বাংলাদেশে প্রাপ্ত প্রাকৃতিক গ্যাসে মিথেনের হার 99.99%। প্রাকৃতিক গ্যাসকে বায়ুতে পোড়ালে তাপশক্তি পাওয়া যায়। ⇒ হাইড্রোকার্বন : কার্বন এবং হাইড্রোজেন পরমাণু দ্বারা গঠিত যৌগসমূহকে হাইড্রোকার্বন বলে। যেমন : CH4, C2H6, C6H6, C6H12 প্রভৃতি। আণবিক গঠন অনুযায়ী হাইড্রোকার্বন প্রধানত দুই প্রকার। যথা : অ্যালিফেটিক হাইড্রোকার্বন ও অ্যারোমেটিক হাইড্রোকার্বন। অ্যালিফেটিক হাইড্রোকার্বনকে দুইভাগে ভাগ করা হয়। মুক্ত শিকল ও বদ্ধ শিকল হাইড্রোকার্বন। মুক্ত শিকল হাইড্রোকার্বনসমূহ আবার দুই ভাগে বিভক্ত। যথা : সম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বন ও অসম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বন। যেসব হাইড্রোকার্বনে কার্বন-কার্বন একক বন্ধন থাকে তাদের সম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বন বলে। যেমন : ইথেন, প্রোপেন। যেসব হাইড্রোকার্বনে কার্বন-কার্বন পরমাণুর মধ্যে কমপক্ষে একটি দ্বিবন্ধন বা একটি ত্রিবন্ধন থাকে তাদের অসম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বন বলে। যেমন : ইথিন, ইথাইন ইত্যাদি। ⇒ অ্যালকেন : সকল সম্পৃক্ত অ্যালিফেটিক হাইড্রোকার্বনকে অ্যালকেন বলা হয়। এদের সাধারণ আণবিক সংকেত CnH2n+2 (n = 1, 2, 3 ………)। এ শ্রেণির প্রথম (n = 1) সদস্যের নাম মিথেন CH4 এবং দ্বিতীয় সদস্য (n = 2) হচ্ছে ইথেন C2H6। প্রতিটি অ্যালকেনের নামের শেষে এন (ane) থাকবে। অ্যালকেনের C – C এবং C – H বন্ধনসমূহ শক্তিশালী হওয়ায় এরা রাসায়নিকভাবে নিষ্ক্রিয়। এরা সাধারণ অবস্থায় তীব্র এসিড, ক্ষারক ও জারক বা বিজারক পদার্থের সঙ্গে বিক্রিয়া করে না। এজন্য এদের ‘প্যারাফিন’ বা আসক্তিহীন বলা হয়। তবে বায়ু বা অক্সিজেন এবং ক্লোরিনের সাথে বিক্রিয়া করে। ⇒ অ্যালকিন : যেসব অসম্পৃক্ত অ্যালিফেটিক হাইড্রোকার্বনের মধ্যে কমপক্ষে দুটি কার্বন পরমাণু পরস্পরের সঙ্গে দ্বিবন্ধন দ্বারা যুক্ত থাকে তাদের অ্যালকিন বলে। এদের সাধারণ আণবিক সংকেত CnH2n। এ শ্রেণির প্রথম সদস্যের নাম ইথিলিন (C2H4)। প্রতিটি অ্যালকিনের নামের শেষে ইন (ene) থাকবে। অ্যালকিনসমূহের রাসায়নিক ধর্ম কার্বন-কার্বন দ্বিবন্ধন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এ দ্বিবন্ধনের কারণে এরা অনেক সংযোজন বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে, তখন এ দ্বিবন্ধন ভেঙে যায় এবং একক বন্ধনের সৃষ্টি হয়। ⇒ অ্যালকাইন : যেসব অসম্পৃক্ত অ্যালিফেটিক হাইড্রোকার্বনের মধ্যে কমপক্ষে দুটি কার্বন পরমাণু পরস্পরের সঙ্গে ত্রিবন্ধন দ্বারা যুক্ত থাকে তাদের অ্যালকাইন বলে। এদের সাধারণ আণবিক সংকেত CnH2n-2। এ শ্রেণির প্রথম সদস্যের নাম অ্যাসিটিলিন (CH – CH)। মূল হাইড্রোকার্বনের নামের শেষে এন (ane) বাদ দিয়ে সেখানে আইন (-yne) যোগ করলে অ্যালকাইনের নাম পাওয়া যায়। ⇒ অ্যালকোহল : সম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বনের অণু থেকে একটি হাইড্রোজেন পরমাণু হাইড্রক্সিল (- OH) গ্রুপ দ্বারা প্রতিস্থাপিত হলে যে যৌগসমূহ গঠিত হয়, তাদের অ্যালকোহল বলা হয়। অ্যালকেন থেকে উদ্ভূত অ্যালকোহলসমূহের সাধারণ সংকেত CnH2n+1OH। এ শ্রেণির প্রথম সদস্য হচ্ছে মিথানল বা মিথাইল অ্যালকোহল CH3OH, দ্বিতীয় সদস্য হচ্ছে ইথাইল অ্যালকোহল বা ইথানল CH3CH2OH। অ্যালকোহলের বিক্রিয়া প্রধানত -OH গ্রুপের বিক্রিয়া। ⇒ অ্যালডিহাইড : সম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বনের অণু থেকে একটি হাইড্রোজেন পরমাণু -CHO গ্রুপ দ্বারা প্রতিস্থাপিত হলে যে যৌগসমূহ গঠিত হয়, তাদের অ্যালডিহাইড বলা হয়। অ্যালকেন থেকে উদ্ভূত অ্যালডিহাইডের সাধারণ সংকেত CnH2n+1, CHO। এ শ্রেণির প্রথম সদস্য হচ্ছে ফরম্যালডিহাইড (HCHO)। ⇒ জৈব এসিড : একটি কার্বক্সিলমূলক বিশিষ্ট অ্যালিফেটিক জৈব যৌগসমূহকে জৈব এসিড বা ফ্যাটি এসিড বলা হয়। এদের সাধারণ সংকেত RCOOH। প্রথম ফ্যাটি এসিডের নাম মিথানয়িক এসিড (HCOOH)। দ্বিতীয় ফ্যাটি এসিডের নাম ইথানয়িক এসিড (CH3COOH)। ফ্যাটি এসিডসমূহের কার্যকরী মূলক হচ্ছে -COOH। প্রায় সব বিক্রিয়ায় এ মূলক অংশগ্রহণ করে। ⇒ পলিমার : একই পদার্থের অসংখ্য অণু পরস্পরের সাথে যুক্ত হয়ে যে বৃহৎ অণু গঠন করে তাকে পলিমার বলে। মেলামাইনের থালা-বাসন, বৈদ্যুতিক সুইচ বোর্ড, কার্পেট, পিভিসি পাইপ, পলিথিনের ব্যাগ, সিল্কের বা উলের কাপড়, নাইলনের সুতা, রাবার সবই পলিমার। দুই ধরনের পলিমার আছে- প্রাকৃতিক পলিমার ও কৃত্রিম পলিমার। ⇒ প্রাকৃতিক পলিমার : প্রাকৃতিকভাবে অনেক পলিমার উৎপন্ন হয়। যেমন : উদ্ভিদের সেলুলোজ ও স্টার্চ দুটোই পলিমার যা বহুসংখ্যক গøুকোজ অণুযুক্ত হয়ে গঠিত হয়েছে। প্রোটিন অ্যামাইনো এসিডের পলিমার। ইনসুলিন নামক পলিমারে দুটি অ্যামাইনো এসিড থাকে। রাবার নামক গাছের কষ একটি প্রাকৃতিক পলিমার। ⇒ কৃত্রিম পলিমার বা প্লাস্টিক : সকল প্লাস্টিক দ্রব্য কৃত্রিম পলিমার। প্লাস্টিক শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ চষধংঃরশড়ং থেকে যার অর্থ গলানো সম্ভব। যেসব প্লাস্টিক গলিয়ে ছাঁচে ঢেলে যে কোনো আকার দেওয়া যায়, সেগুলো কৃত্রিম পলিমার। রাসায়নিক পদার্থ বিশেষত দ্বিবন্ধন বিশিষ্ট অ্যালকিন, অ্যালডিহাইড, অ্যালকোহল, অ্যামিন, জৈব এসিডের পলিমারকরণ বিক্রিয়ার মাধ্যমে প্লাস্টিক প্রস্তুত করা হয়। ⇒ পলিমারকরণ : উচ্চতাপ (2০০0C) ও উচ্চচাপে (1০০০ বায়ুচাপে) অসংখ্য অ্যালকিন অণু পরস্পরের সাথে যুক্ত হয়ে বৃহৎ আকৃতির অণু গঠন করে। এ বিক্রিয়ায় উৎপন্ন বৃহৎ অণুকে পলিমার এবং বিক্রিয়াকে পলিমারকরণ বিক্রিয়া বলে। যে অসংখ্য বিক্রিয়ক অণু যুক্ত হয় তাদের প্রত্যেকটি অণুকে মনোমার বলে। ⇒ জৈব ও অজৈব যৌগের পার্থক্য : কার্বন ও হাইড্রোজেন যুক্ত যৌগসমূহকে জৈব যৌগ বলে। অর্থাৎ সকল হাইড্রোকার্বনই জৈব যৌগ। জৈব যৌগসমূহ সমযোজী বন্ধনের মাধ্যমে এবং অজৈব যৌগসমূহ আয়নিক বন্ধনের মাধ্যমে গঠিত হয়। কিছু সমযোজী যৌগ থাকে যারা আয়নিক বৈশিষ্ট্য অর্জন করে এবং কিছু আয়নিক যৌগ থাকে যারা সমযোজী বৈশিষ্ট্য অর্জন করে। নবম দশম শ্রেণির রসায়ন ১১তম অধ্যায় জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন \ 1 \ রিফাইনিং কী? উত্তর :

নবম দশম শ্রেণির রসায়ন ১১তম অধ্যায় খনিজ সম্পদ-জীবাশ্ম জ্ঞানমূলক, অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর Read More »

নবম দশম শ্রেণির রসায়ন ১০ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

নবম দশম/এসএসসি রসায়ন ১০ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর নিচে দেওয়া হলো। সেই সাথে ১০ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক দেওয়া হলো। এসএসসি রসায়ন ১০ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন -১ : নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও : ক্যালামাইনের তাপজারণে উৎপন্ন ZnS কে চিত্রের ন্যায় রিটর্টে নিয়ে জিংক ধাতু আহরণ করা হয়। উৎপন্ন ধাতুকে তড়িৎ বিশ্লেষণের সাহায্যে আরেও বিশুদ্ধ করা হয়। ক. ক্যালামাইনের রাসায়নিক সংকেত লিখ। খ. তাপজারণের ব্যাখ্যা দাও। গ. রিটর্টে সংঘটিত মূল বিক্রিয়াটি ব্যাখ্যা কর। ঘ. উদ্দীপকের ধাতু কেবল তড়িৎ বিশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় নিষ্কাশন না করে তিন ধাপে করার কারণ মূল্যায়ন কর। ⇔ ১নং প্রশ্নের উত্তর ⇔ ক. ক্যালামাইনের রাসায়নিক সংকেত ZnCO3। খ. তাপজারণ হলো আকরিক থেকে ধাতু নিষ্কাশনের একটি ধাপ। ঘনীকৃত আকরিককে অক্সাইডে রূপান্তরের সময় যেসব পদ্ধতি অবলম্বন করা হয় সেগুলোর মধ্যে তাপজারণ একটি। সাধারণত সালফাইড আকরিকের তাপজারণ করা হয়। সালফাইড আকরিককে বায়ু প্রবাহের উপস্থিতিতে গলনাঙ্ক তাপমাত্রার নিম্ন তাপমাত্রায় উত্তপ্ত করা হয়। খনিজমল যেমন : সালফার, আর্সেনিক, ফসফরাস ইত্যাদি উদ্বায়ী অক্সাইডরূপে দূরীভূত হয়। ২ZnS (জিংক বেøন্ড) + ৩O2 –→ ২ZnS + ২SO2 ২PbS (গ্যালেনা) + ৩O2 –→ ২PbO + ২SO2 গ. রিটর্টে সংঘটিত মূল বিক্রিয়াটি হলো কার্বন বিজারণ বিক্রিয়া। রিটর্টের মধ্যে রাখা রাসায়নিক পদার্থসমূহ হচ্ছে জিঙ্ক অক্সাইড (ZnS) এবং কোক তথা কার্বন (ঈ)। রিটর্টের মধ্যে নিম্নরূপ বিক্রিয়া সংঘটিত হয় : ZnO(s) + C(s) -→ Zn(s) + CO(g) এই বিক্রিয়ায় কার্বন বিজারণ পদ্ধতিতে ধাতুর অক্সাইডের সাথে কোক যোগ করে বিজারণের মাধ্যমে ধাতুকে মুক্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ ZnS কার্বন দ্বারা বিজারিত হয়ে Zn ধাতুর বাষ্প এবং কার্বন মনোক্সাইড উৎপন্ন হয়। সুতরাং, রিটর্টে সংঘটিত মূল বিক্রিয়াটি হলো কার্বন বিজারণ বিক্রিয়া। ঘ. Zn মধ্যম সক্রিয় ধাতু বলে কেবল তড়িৎ বিশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় ধাতু নিষ্কাশন না করে তিন ধাপে করা হয়। উচ্চ সক্রিয় ধাতুসমূহকে তড়িৎ বিশ্লেষণ দ্বারা মুক্ত করা হয়। সক্রিয়তা সিরিজে ক থেকে Al পর্যন্ত ধাতুগুলো অত্যন্ত সক্রিয় বলে এদের প্রকৃতিতে মুক্ত অবস্থায় পাওয়া যায় না এবং এদের তড়িৎ বিশ্লেষণের মাধ্যমে মুক্ত করা হয়। অপরদিকে, Mn, Zn, Cr, Fe মধ্যম সক্রিয় ধাতু। এদের কার্বন বিজারণ পদ্ধতিতে মুক্ত করা হয়। যেহেতু, Zn একটি মধ্যম সক্রিয় ধাতু, তাই নিম্নোক্ত তিন ধাপে Zn ধাতু নিষ্কাশন করা হয়। i. ঘনীকৃত আকরিককে অক্সাইডে রূপান্তর ii. ধাতব অক্সাইডকে মুক্ত ধাতুতে রূপান্তর iii. ধাতু বিশোধন বিক্রিয়াগুলো নিম্নরূপ- ২ZnS(s) + ৩O2(g) -→ ২ZnS(s) + ২SO2(g) [তাপজারণ] ZnO(s) + C(s) -→ Zn (s) + CO (g) [কার্বন বিজারণ] প্রশ্ন -২ : নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও : একটি খনিতে বক্সাইট ও ক্যালামাইন মিশ্রিত কিছু খনিজের অস্তিত্ব পাওয়া গেল। ড. টমাসের নেতৃত্বে একদল রসায়নবিদ উক্ত খনিজ থেকে দুটি ভিন্ন পদ্ধতিতে ধাতু দুটি নিষ্কাশন করলেন। ক. খনিজ কাকে বলে? খ. “সকল খনিজই আকরিক নয়” ব্যাখ্যা কর। গ. দ্বিতীয় আকরিকটির বিযোজনে প্রাপ্ত অক্সাইডদ্বয়ের প্রকৃতি ব্যাখ্যা কর। ঘ. ভিন্ন পদ্ধতিতে ধাতু দুটি নিষ্কাশনের কারণ যুক্তিসহ লিখ। ⇔ ২নং প্রশ্নের উত্তর ⇔ ক. ভ‚পৃষ্ঠে বা ভ‚গর্ভে কোনো কোনো শিলাস্তূপে প্রচুর পরিমাণ যৌগ অথবা মুক্ত মৌল হিসেবে যেসব মূল্যবান ধাতু বা অধাতু পাওয়া যায়, সেগুলোকে খনিজ বলে। খ. ভ‚পৃষ্ঠে বা ভ‚গর্ভের কোনো কোনো শিলাস্তূপে জমাকৃত যৌগ বা মুক্ত মৌলই হলো সংশ্লিষ্ট যৌগ বা মৌলের খনিজ। অন্যদিকে, আকরিক বলতে বোঝায় যেগুলো থেকে লাভজনকভাবে ধাতু নিষ্কাশন করা যায়। অর্থাৎ একটি মৌলের বা যৌগের সকল খনিজ আকরিক নাও হতে পারে। কেবল লাভজনক হলেই আকরিক বলা হয়। তাই বলা যায় সকল খনিজই আকরিক নয়। গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত দ্বিতীয় আকরিকটি হচ্ছে ক্যালামাইন। ক্যালামাইন হলো Zn-এর একটি আকরিক যার রাসায়নিক সংকেত হচ্ছে ZnCO3। ZnCO3 উত্তাপে নিম্নোক্তরূপে বিযোজিত হয় : ZnCO3(s) ZnS(s) + CO2(g) উপর্যুক্ত সমীকরণ থেকে দেখা যায় যে, ক্যালামাইনের বিযোজনে যে দুটি অক্সাইড পাওয়া যায় তা হলো জিঙ্ক অক্সাইড (ZnS) এবং কার্বন ডাইঅক্সাইড (CO2)। জিঙ্ক অক্সাইড সাদা পাউডার জাতীয় পদার্থ। অন্যদিকে, কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস। ZnS উভধর্মী এবং CO2 অম্লধর্মী। কারণ, জিংক অক্সাইড এসিড ও ক্ষারক উভয়ের সাথে বিক্রিয়া করে লবণ ও পানি তৈরি করে। ZnS + ২HCl = ZnCl২ + H2O ZnS + ২NaOH = Na২ZnS২ + H2O সোডিয়াম জিংকেট কার্বন ডাইঅক্সাইড (CO2) পানির সাথে বিক্রিয়া করে কার্বনিক এসিড (H2CO3) উৎপন্ন করে। CO2 + H2O -→ H2CO3 সুতরাং, দ্বিতীয় আকরিকটির বিযোজনে প্রাপ্ত জিংক অক্সাইড (ZnS) উভধর্মী এবং কার্বন ডাইঅক্সাইড (CO2) অম্লধর্মী অক্সাইড। ঘ. ভিন্ন পদ্ধতিতে ধাতু দুটি নিষ্কাশনের কারণ হলো ধাতু দুটির সক্রিয়তার ভিন্নতা। ধাতু নিষ্কাশনের দুটি ভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে। যথা : (র) কার্বন বিজারণ ও (রর) তড়িৎ বিশ্লেষণ। কার্বন বিজারণ পদ্ধতিতে ধাতব অক্সাইডের সাথে কোক তথা কার্বন (ঈ) মিশিয়ে উত্তপ্ত করার মাধ্যমে ধাতুকে মুক্ত করা হয়। সাধারণত মধ্যম সক্রিয় ধাতু যেমন : Mn, Zn, Cr, Fe প্রভৃতি ধাতুর বেলায় এই পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়। আবার, তড়িৎ বিশ্লেষণ পদ্ধতিতে সংশ্লিষ্ট আকরিকের গলিত দ্রবণের মধ্যে তড়িৎ প্রবাহ চালনা করে ধাতুকে মুক্ত করা হয়। সাধারণত অধিক সক্রিয় ধাতুসমূহের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়। উদ্দীপকে উল্লিখিত খনিজ দুটি হলো বক্সাইট ও ক্যালামাইন। এরা যথাক্রমে অ্যালুমিনিয়াম (Al) এবং জিঙ্ক (Zn) এর খনিজ। Zn হলো মধ্যম সক্রিয় ধাতু। তাই কার্বন বিজারণ পদ্ধতিতে ক্যালামাইন থেকে নিম্নোক্ত পদ্ধতিতে Zn ধাতু নিষ্কাশন করা হয় : ZnCO3 –→ ZnS + CO2 ২ZnS + C -→ ২Zn + CO2 অন্যদিকে Al একটি সক্রিয় ধাতু, তাই তড়িৎ বিশ্লেষণের মাধ্যমে নিম্নোক্তভাবে বক্সাইট থেকে Al ধাতু নিষ্কাশন করা হয়- Al২O3(aq) -→ ২Al৩+(aq) + ৩O2- ক্যাথোডে : অ্যালুমিনিয়াম আয়ন ইলেকট্রন গ্রহণ করে অ্যালুমিনিয়ামে বিজারিত হয়। Al৩+ + ৩e- -→ Al অ্যানোডে : অক্সাইড আয়ন ইলেকট্রন ত্যাগ করে অক্সিজেনে পরিণত হয়। O2- -→ O + ২e- O + O-→ O2 সুতরাং, উপরের আলোPbা তুলনামূলক বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, ধাতুদ্বয়ের সক্রিয়তার ভিন্নতার কারণেই ভিন্ন পদ্ধতিতে ধাতু দুটি নিষ্কাশনের মূল কারণ। প্রশ্ন -৩ : নিচের চিত্রটি লক্ষ কর এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও : ক. ব্রাস কী? ১ খ. Al ধাতু প্রকৃতিতে যৌগ হিসেবে থাকে কেন? ২ গ. চুল্লিতে সংঘটিত বিক্রিয়াসমূহ লেখ। ৩ ঘ. বিক্রিয়ার উৎপাদ, আর কারো সাথে বিক্রিয়া করতে পারে কিনা? তোমার মতামত বিশ্লেষণ কর। ৪ ⇔ ৩নং প্রশ্নের উত্তর ⇔ ক. ব্রাস হলো ৩৫% Cu এবং ৬৫% Zn এর সংকর। খ. Al ধাতু রাসায়নিকভাবে অত্যন্ত সক্রিয় এবং তীব্র তড়িৎ ধনাত্মক মৌল। সহজেই অন্য মৌল বা যৌগের সাথে বিক্রিয়া করে। প্রকৃতিতে কখনো মুক্ত অবস্থায় পাওয়া যায় না। এজন্য Al ধাতু প্রকৃতিতে যৌগ হিসেবে অবস্থান করে। গ. চুল্লিতে সংঘটিত বিক্রিয়াসমূহ হলো : হেমাটাইট + কার্বন মনোঅক্সাইড = ম্যাগনেটাইট + কার্বন ডাইঅক্সাইড ৩Fe২O3 + CO = ২Fe৩O4 + CO2 ম্যাগনেটাইট + কার্বন মনোঅক্সাইড = ফেরাস অক্সাইড + কার্বন ডাইঅক্সাইড Fe৩O4 + CO = ৩FeO + CO2 ফেরাস অক্সাইড + কার্বন মনোঅক্সাইড = আয়রন + কার্বন

নবম দশম শ্রেণির রসায়ন ১০ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর Read More »

নবম দশম শ্রেণির রসায়ন ১০ম অধ্যায় বহুনির্বাচনী প্রশ্ন ও উত্তর (MCQ)

নবম দশম/এসএসসি রসায়ন ১০ম অধ্যায় ধাতু ও অধাতু এর পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বহুনির্বাচনী প্রশ্ন ও উত্তর (MCQ) নিচে দেওয়া হলো। এসএসসি রসায়ন ১০ম অধ্যায় বহুনির্বাচনী প্রশ্ন ও উত্তর নবম দশম রসায়ন ১০ম অধ্যায় বহুনির্বাচনী ১. টেবিলের কোন রেকর্ডটি সাধারণত ধাতুর বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করে? গলনাঙ্ক স্ফুটনাঙ্ক ঘনত্ব √ ১৫৩৯ ২৮৮৭ ৭.৮৬ খ -২১৯ ১৮৩ .০০২ গ -১১৩ ৪৫ ০.৭৯ ঘ ১১৭ ৪৪৪ ১.৯৬ উদ্দীপক থেকে ২ ও ৩ নং প্রশ্নের উত্তর দাও : একদল শিক্ষার্থী মরিচার অনুসন্ধান করছিল। তারা বাম থেকে ক্রমান্বয়ে চারটি টেস্টটিউবে চারটি লোহার পেরেক রাখল এবং নিচের চিত্রানুযায়ী ব্যবস্থা নিল। ২. কোন টেস্টটিউবটিতে সবচেয়ে বেশি মরিচা ধরবে? ক প্রথম খ দ্বিতীয় গ তৃতীয় √ চতুর্থ ৩. পরীক্ষাটির ভিত্তিতে যে সিদ্ধান্তসমূহ গ্রহণ করা যায়- i. মরিচা ধরার জন্য অক্সিজেন আবশ্যক ii. লবণ প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে iii. কেবল অক্সিজেন উপস্থিত থাকলেই মরিচা ধরে না নিচের কোনটি সঠিক? ক i ও ii খ ii ও iii √ i ও iii ঘ i, ii ও iii ৪. গিনি সোনার কোন নমুনাটি সর্বোচ্চ দৃঢ়? ক ১৮ ক্যারেট খ ২১ ক্যারেট √ ২২ ক্যারেট ঘ ২৪ ক্যারেট ৫. লঘুকরণে পানিতে ফোঁটায় ফোঁটায় সালফিউরিক এসিড যোগ করার কারণ সালফিউরিক এসিড- i. এর হাইড্রেশন তাপ অত্যধিক ii. একটি দ্বিক্ষারকীয় এসিড iii. ক্ষয়কারক পদার্থ নিচের কোনটি সঠিক? ক র খ i ও ii গ ii ও iii √ i, ii ও iii ৬. SO3 কে ৯৮% সালফিউরিক এসিডে শোষণ করে পানি যোগে প্রয়োজনমতো লঘু করা হয়, কারণ সালফিউরিক এসিড- i. জলীয়বাষ্পের সাথে ঘন কুয়াশা সৃষ্টি করে ii. পানি যোগে প্রচুর তাপ নির্গত করে iii. একটি নিরুদক পদার্থ নিচের কোনটি সঠিক? ক র খ i ও ii গ ii ও iii √ i, ii ও iii ৭. পিতল তৈরিতে নিচের কোন দুটি ধাতু ব্যবহৃত হয়? √ কপার ও জিংক খ লোহা ও কপার গ টিন ও কপার ঘ ক্রোমিয়াম ও কপার ৮. নিচের কোনটি খনিজ মল? ক Al২O3 খ ZnS √ SiO2 ঘ PbS ৯. অলঙ্কার তৈরিতে কোনটি ব্যবহৃত হয়? ক ব্রোঞ্জ খ স্টিল গ ডুরালমিন √ পিতল ১০. সিন্নাবার কোন ধাতুর আকরিক? √ মার্কারি খ কপার গ জিংক ঘ লেড ১১. অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইডের গলনাঙ্ক কত? √ ২০৫০0C খ ২০০০0C গ ১০০০0C ঘ ৯৫০0C ১২. ২১ ক্যারেট স্বর্ণে শতকরা কতভাগ স্বর্ণ থাকে? ক ৮.৩৩ খ ১২.৫০ √ ৮৭.৫০ ঘ ৯১.৬৭ ১৩. কাঁসাতে টিনের পরিমাণ কত? ক ৯০% খ ৬৫% গ ৩৫% √ ১০% ১৪. নিচের কোনটি সক্রিয়তা বেশি? ক Cu √ Zn গ Fe ঘ Pb ১৫. ধূমায়মান H2SO4 এ কত % সালফিউরিক এসিড থাকে? ক ৯৬% √ ৯৮% গ ৯৯% ঘ ১০০% ১৬. অ = 1s2 2s2 2p6 3s2 3p4 অ মৌলটি- i. অক্সিজেনের সাথে একই গ্রুপে অবস্থান করে ii. যে অক্সাইড তৈরি করে তা Ag্লধর্মী iii. অলিয়াম তৈরিতে ব্যবহৃত হয় নিচের কোনটি সঠিক? ক i ও ii খ i ও iii গ ii ও iii √ i, ii ও iii নিচের বিক্রিয়া দুইটির আলোকে ১৭ ও ১৮নং প্রশ্নের উত্তর দাও : (i) S + O2 ¾® X (ii) X + H2O ¾® Y ১৭. Y এর শতকরা সংযুক্তি; হাইড্রোজেন, সালফার এবং অক্সিজেন যথাক্রমে- ক ১.১২%, ৩৫.৯৫%, ৬২.৯২% খ ২.০৪%, ৩২.৬৫%, ৬৫.৩০% √ ২.৪৩%,৩৯.০২%, ৫৮.৫৩% ঘ ৩.৪৪%, ৫৫.১৭%, ৪১.৩৭% ১৮. উদ্দীপকের বিক্রিয়ায়- i. X ঝাঁঝালো গন্ধযুক্ত বিষাক্ত গ্যাস ii. Y এসিড বৃষ্টি সৃষ্টি করে iii. Y পানির সাথে যুক্ত হয়ে অলিয়াম তৈরি করে নিচের কোনটি সঠিক? ক রর √ i ও ii গ ii ও iii ঘ i, ii ও iii নবম দশম শ্রেণির রসায়ন ১০ম অধ্যায় বহুনির্বাচনী পাঠ্যাংশ ভিত্তিক ১০.১ খনিজ সম্পদ  ভূত্বকে উপস্থিত গুরুত্বপূর্ণ মৌলসমূহ হলো অক্সিজেন (৪৬%), সিলিকন (২৭%), অ্যালুমিনিয়াম (৮%), আয়রন (৫%), ক্যালসিয়াম (৪%), পটাসিয়াম (৩%), সোডিয়াম (৩%) ও ম্যাগনেসিয়াম (২%)।  সাধারণ বহুনির্বাচনী প্রশ্নোত্তর ১৯. সাদা মাটির পাহাড় কোথায় অবস্থিত? (জ্ঞান) ক দুর্গাপুর √ বিজয়পুর গ সোমপুর ঘ বিজয়নগর ২০. পৃথিবীর উপরিভাগের মাটির আবরণকে কী বলা হয়? (জ্ঞান) √ ভূত্বক খ খনিজ গ শিলা ঘ ভ‚পৃষ্ঠ ২১. ভূত্বকের প্রধান উপাদান দুটি কী কী? (জ্ঞান) ক অ্যালুমিনিয়াম ও আয়রন √ অক্সিজেন ও সিলিকন গ ক্যালসিয়াম ও পটাসিয়াম ঘ সোডিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম ২২. ভূত্বকের প্রধান দুটি উপাদান কোন ধরনের পদার্থ? (জ্ঞান) ক ধাতু খ উপধাতু √ অধাতু ঘ নিষ্ক্রিয় ধাতু ২৩. ভূত্বকে প্রাপ্ত প্রধান প্রধান উপাদানের সঠিক ধারাক্রম? (উচ্চতর দক্ষতা) ক সিলিকন > অ্যালুমিনিয়াম > আয়রন > অক্সিজেন খ অ্যালুমিনিয়াম > আয়রন > অক্সিজেন > সিলিকন গ আয়রন > অ্যালুমিনিয়াম > সিলিকন > অক্সিজেন √ অক্সিজেন > সিলিকন > অ্যালুমিনিয়াম > আয়রন ২৪. কোন ধাতু ভূত্বকে সবচেয়ে বেশি আছে? (অনুধাবন) √ অ্যালুমিনিয়াম খ আয়রন গ ক্যালসিয়াম ঘ পটাসিয়াম ২৫. প্রকৃতিতে মুক্ত মৌল হিসেবে পাওয়া যায় কোনটি? (অনুধাবন) ক Mg খ Zn গ Ag √ Au ২৬. কোনটির গলনাঙ্ক বেশি? (অনুধাবন) ক ফসফরাস খ অক্সিজেন √ সোডিয়াম ঘ হাইড্রোজেন ২৭. ভূত্বকে অ্যালুমিনিয়ামের পরিমাণ কত? (জ্ঞান) ক ২৭% √ ৮% গ ৫% ঘ ৪% ২৮. ভূত্বকে অক্সিজেনের পরিমাণ কত? (জ্ঞান) √ ৪৬% খ ২৭% গ ৮% ঘ ৫% ২৯. ভূত্বকে উপস্থিত মৌলসমূহের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আছে কোনটি? (জ্ঞান) ক আয়রন খ অ্যালুমিনিয়াম গ সিলিকন √ অক্সিজেন ৩০. ভূত্বকে কী পরিমাণ সিলিকন আছে? (জ্ঞান) ক ২৯% খ ২৬% √ ২৭% ঘ ৮% ৩১. কোন সোডিয়াম যৌগ প্রকৃতিতে প্রচুর পাওয়া যায়? (অনুধাবন) ক বালি √ খাবার লবণ গ চুনাপাথর ঘ বক্সাইট ৩২. কোন ক্যালসিয়াম যৌগ প্রকৃতিতে প্রচুর পাওয়া যায়? (অনুধাবন) ক বালি খ খাবার লবণ √ চুনাপাথর ঘ বক্সাইট ৩৩. সিলিকন মৌল প্রকৃতিতে কী আকারে থাকে? (জ্ঞান) ক খাবার লবণ খ চুনাপাথর গ হেমাটাইট √ বালি ৩৪. বালির সংকেত কোনটি? (জ্ঞান) √ SiO2 খ NaSiO3 গ NiS ঘ FeSiO3 ৩৫. প্রকৃতিতে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় কী? (অনুধাবন) ক কম সক্রিয় ধাতুসমূহের যৌগ √ সক্রিয় ধাতুসমূহের যৌগ গ নিষ্ক্রিয় ধাতুসমূহের যৌগ ঘ মধ্যম সক্রিয় ধাতুসমূহের যৌগ ৩৬. প্রকৃতিতে কোন সক্রিয় ধাতুর যৌগ অধিক আছে? (অনুধাবন) √ Al খ Fe গ Ca ঘ Na ৩৭. কোনটি অধিক সক্রিয় মৌল? (অনুধাবন) ক জিঙ্ক খ কপার গ আয়রন √ ক্যালসিয়াম ৩৮. কোনটিকে বিরল ধাতু বলা হয়? (জ্ঞান) √ Au খ Ag গ Sn ঘ Na ৩৯. স্বর্ণ অত্যন্ত মূল্যবান কেন? (উচ্চতর দক্ষতা) ক পারমাণবিক সংখ্যা বেশি বলে √ প্রকৃতিতে অতি অল্প আছে বলে গ বিশেষ ধাতব দ্যুতি আছে বলে ঘ আলোক বিচ্ছুরণ ক্ষমতা আছে বলে ৪০. আবিষ্কৃত মৌলের মধ্যে প্রকৃতিতে কতটি পাওয়া যায়? (জ্ঞান) ক ৭২ খ ১০৮ √ ৯৮ ঘ ৮৪ ৪১. Al দিয়ে থালা, বাটি, ডেসকি অনেক

নবম দশম শ্রেণির রসায়ন ১০ম অধ্যায় বহুনির্বাচনী প্রশ্ন ও উত্তর (MCQ) Read More »

নবম দশম শ্রেণির রসায়ন ১০ম অধ্যায় খনিজ সম্পদ ধাতু অধাতু

নবম দশম শ্রেণির রসায়ন 1০ম অধ্যায় খনিজ সম্পদ ধাতু অধাতু এর পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি,জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর নিচে দেওয়া হলো। এসএসসি রসায়ন 1০ম অধ্যায় খনিজ সম্পদ ধাতু অধাতু পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি ⇒ ভূত্বকের উপাদান : পৃথিবীর উপরিভাগের মাটির আবরণ হলো ভূত্বক। ভূত্বক নানা প্রকার খনিজ উপাদানে গঠিত। অক্সিজেন 46%, সিলিকন 27%, অ্যালুমিনিয়াম 8%, আয়রন 5%, ক্যালসিয়াম 4%, পটাসিয়াম 3%, সোডিয়াম 3%, ম্যাগনেসিয়াম 2% এ উপাদানগুলো দ্বারা ভূত্বক গঠিত। ⇒ ধাতু : যেসব মৌলিক পদার্থ (1) উজ্জ্বল ও চকচকে, (2) সাধারণ অবস্থায় কঠিন, (3) ওজনে ভারী, (4) আঘাত করলে ধাতব শব্দ উৎপন্ন হয়, (5) তাপ ও বিদ্যুতের পরিবাহী সেসব মৌলিক পদার্থকে ধাতু বলে। যেমন : ক্যালসিয়াম, সোনা, রুপা, তামা ইত্যাদি। প্রায় সব ধাতুই সাধারণ অবস্থায় কঠিন থাকে। তবে পারদ ধাতু হলেও স্বাভাবিক অবস্থায় তরল। ⇒ অধাতু : যেসব মৌলিক পদার্থ (1) সাধারণ অবস্থায় কঠিন, তরল বা গ্যাসীয়, (2) ওজনে হালকা, (3) উজ্জ্বল বা চকচকে নয়, (4) সহজে ভেঙে যায়, (5) আঘাত করলে ধাতব শব্দ উৎপন্ন হয় না, (6) তাপ ও বিদ্যুতের অপরিবাহী সেসব মৌলিক পদার্থকে অধাতু বলে। যেমন : হাইড্রোজেন, অক্সিজেন, সালফার, কার্বন ইত্যাদি। কার্বন এবং সালফার অধাতু হলেও কঠিন। কার্বন আবার তাপ ও বিদ্যুৎ পরিবাহী। আয়োডিন অধাতু হলেও চকচকে। ⇒ শিলা : শিলা মূলত যৌগিক পদার্থ। পৃথিবী যখন উত্তপ্ত অবস্থায় ছিল তখন পৃথিবীর মৌলিক পদার্থগুলো আলাদা ছিল। পৃথিবী ধীরে ধীরে শীতল হওয়ায় এ মৌলিক পদার্থগুলো মিলেমিশে দানা বেঁধে নানা রকম যৌগিক পদার্থ তৈরি করে। এসব দানাকে কেলাস বলে। এসব দানা চাপ বেঁধে শিলা গঠন করেছে। ⇒ আগ্নেয় শিলা : উত্তপ্ত তরল অবস্থা থেকে তাপ বিকিরণের ফলে শীতল ও কঠিন হওয়ার সময়ে পৃথিবীর অভ্যন্তরে যে শিলার সৃষ্টি হয় তাকে আগ্নেয় শিলা বলে। আগ্নেয় শিলা কেলাসিত এবং এ শিলার স্ফটিক দেখা যায়। এ শিলা সহজে ক্ষয়প্রাপ্ত হয় না। ⇒ পাললিক শিলা : সমুদ্র, নদী বা হ্রদের তলদেশে স্তরে স্তরে পলি সঞ্চিত হয়ে জমাট বেঁধে যে শিলার সৃষ্টি হয় তাকে পাললিক শিলা বলে। এ শিলায় স্ফটিক থাকে না। হালকা ও সহজে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। স্তরের মধ্যে উদ্ভিদ ও প্রাণীর জীবাশ্ম পাওয়া যায়। ⇒ খনিজ : বিভিন্ন প্রকার শিলার গঠন উপাদানই খনিজ। খনিজ হচ্ছে একটি যৌগিক পদার্থ যার সৃষ্টি হয়েছে ভূত্বকে প্রাপ্ত দুই বা ততোধিক স্বাভাবিক মৌলিক উপাদানের রাসায়নিক সংযোগে। তবে এমন খনিজও আছে যা একটি মাত্র মৌলিক পদার্থ দিয়ে তৈরি। যেমন : হীরা, সোনা, গন্ধক, তামা ইত্যাদি। প্রকৃতিতে হীরা ও সোনা মৌলিক অবস্থাতেই পাওয়া যায়। সালফার, তামা ইত্যাদি মৌলিক ও যৌগিক উভয় অবস্থাতেই পাওয়া যায়। ⇒ সক্রিয়তাক্রম : সবচেয়ে বেশি তড়িৎ ধনাত্মক ধাতুগুলো উপরে এবং তা অপেক্ষা কম সক্রিয় ধাতুকে নিচে বসিয়ে ধাতুর একটি সংখ্যাক্রম পাওয়া যায়। একে ধাতুসমূহের সক্রিয়তাক্রম বলা হয়। সক্রিয়তাক্রমের উপরের দিকের ধাতু পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও অ্যালুমিনিয়াম প্রভৃতি তীব্র তড়িৎ ধনাত্মক এবং অধিক সক্রিয়। এ ধাতুগুলো প্রকৃতিতে মুক্ত অবস্থায় পাওয়া যায় না। এদের যৌগ থেকে তড়িৎ বিশ্লেষণ দ্বারা মুক্ত করা হয়। ম্যাঙ্গানিজ, জিংক, ক্রোমিয়াম ও আয়রন ধাতুসমূহ মধ্যম সক্রিয়। প্রকৃতিতে এরা অক্সাইড, কার্বনেট বা সালফাইড হিসেবে থাকে। এসব ধাতুকে কোক কয়লা বা কার্বন মনোক্সাইড দ্বারা বিজারিত করে নিষ্কাশন করা হয়। হাইড্রোজেনের নিচের ধাতুসমূহ যেমন কপার ও সিলভার কম সক্রিয় বলে প্রকৃতিতে তাদের মৌল অবস্থায় পাওয়া যায়। এগুলোর নিষ্কাশন সহজসাধ্য। ⇒ আকরিক : যেসব খনিজ থেকে লাভজনকভাবে ধাতু নিষ্কাশন করা যায় তাকে আকরিক বলে। যেমন : অ্যালুমিনিয়ামের আকরিক বক্সাইট (Al2O3, 2H2O), দস্তার আকরিক জিংক ব্লেন্ড (ZnS)। ⇒ ধাতু নিষ্কাশন : আকরিক থেকে মুক্ত ধাতু উৎপন্ন করার পদ্ধতিকে ধাতু নিষ্কাশন বলা হয়। ধাতু নিষ্কাশন প্রকৃতপক্ষে একটি বিজারণ প্রক্রিয়া। ⇒ তড়িৎ বিশ্লেষণের সাহায্যে ধাতু নিষ্কাশন : যে প্রক্রিয়ায় গলিত অথবা দ্রবীভ‚ত অবস্থায় কোনো তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থের মধ্যে তড়িৎ চালনা করলে পদার্থটির রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে এবং নতুন ধর্মবিশিষ্ট পদার্থ উৎপন্ন হয় তাদেরকে তড়িৎ বিশ্লেষণ বলা হয়। সবচেয়ে বেশি তড়িৎ ধনাত্মক ধাতু যেমন : পটাসিয়াম, সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও অ্যালুমিনিয়াম তড়িৎ বিশ্লেষণের সাহায্যে নিষ্কাশন করা হয়। এ পদ্ধতিতে তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থের অণুগুলো ভেঙে পজেটিভ এবং নেগেটিভ আয়নে পরিণত হয়। পজেটিভ আয়নকে ক্যাটায়ন এবং নেগেটিভ আয়নকে অ্যানায়ন বলা হয়। ক্যাটায়ন তড়িৎ রাসায়নিক কোষের ক্যাথোডের সংস্পর্শে এসে ইলেকট্রন গ্রহণ করে তড়িৎ নিরপেক্ষ পরমাণু বা মূলকে পরিণত হয়। অ্যানায়ন তড়িৎ রাসায়নিক কোষের অ্যানোডের সংস্পর্শে এসে ইলেকট্রন বর্জন করে তড়িৎ নিরপেক্ষ পরমাণু বা মূলকে পরিণত হয়। ⇒ কার্বন বিজারণের সাহায্যে ধাতু নিষ্কাশন : কার্বন বিজারণের সাহায্যে মধ্যম সক্রিয় ধাতু ম্যাঙ্গানিজ, জিংক, ক্রোমিয়াম ও আয়রন নিষ্কাশন করা হয়। সাধারণত ধাতুসমূহ প্রকৃতিতে অক্সাইড বা লবণ হিসেবে থাকে। এসব অক্সাইড বা লবণ আয়নিক যৌগ, যার মধ্যে ধাতু ক্যাটায়ন হিসেবে থাকে। অক্সাইড বা লবণ হতে ধাতু নিষ্কাশনের সময় ধাতু প্রয়োজনীয় সংখ্যক ইলেকট্রন গ্রহণ করে তড়িৎ নিরপেক্ষ পরমাণুতে রূপান্তরিত হয়। আমরা জানি, ইলেকট্রন গ্রহণ হচ্ছে বিজারণ; কোনো বিজারক ইলেকট্রন প্রদান করে। যেমন : জিংক প্রকৃতিতে জিংক সালফাইড ZnS বা Zn2+S2-, জিংক কার্বনেট ZnCO3 বা Zn2+CO32-এবং জিংক অক্সাইড ZnS বা Zn2+O2- হিসেবে থাকে। নিষ্কাশনের প্রথম দিকের ধাপসমূহে তাদের জিংক অক্সাইডে রূপান্তরিত করা হয়। অতঃপর, কার্বন দ্বারা বিজারণ করে জিংক ধাতু মুক্ত করা হয়। ⇒ ধাতুসমূহের প্রধান আকরিক: ধাতু আকরিকের নাম Na খাবার লবণ (NaCl), সল্টপিটার (NaNO3), সাজিমাটি (Na2CO3) Al বক্সাইট (Al2O3.2H2O), ডায়াস্পোর (Al2O3.H2O), কেওলিন (Al2O3. 2SiO2. 2H2O), ফেলস্পার (K2O2. Al2O3. 6SiO2) Zn জিংক বেøন্ড (ZnS), ক্যালামাইন (ZnCO3), জিংকাইট (ZnS), ফ্রাঙ্কলিনাইট (ZnS. Fe2O3) Ca চুনাপাথর (CaCO3), জিপসাম (CaSO4. 2H2O), ফসফোরাইট Ca3(PO4)2 Mg ডলোমাইট (MgCO3. CaCO3), ম্যাগনেসাইট (MgCO3), কাইসেরাইট (MgSO4.H2O) Pb গ্যালেনা (PbS), আংলেসাইট (PbSO4), লেড ওকার (PbO) Fe ম্যাগনেটাইট (Fe3O4), হেমাটাইট (Fe2O3), লিমোনাইট (Fe2O3.3H2O) Cu চালকোসাইট (Cu2S), কপার পাইরাইটস (CuFeS2), কিউপ্রাইট (Cu2O), চেলকোসাইট (Cu2S) ⇒ সংকর ধাতু : দুই বা ততোধিক ধাতু সমসত্ত¡ বা অসমসত্ত¡ মিশ্রণে যে কঠিন পদার্থ তৈরি হয় তাকে সংকর ধাতু বলে। সংকর ধাতু তার উপাদান মৌলগুলো থেকে বেশি নমনীয়, ঘাতসহ এবং ক্ষয় কম হয়। ধাতু অপেক্ষা ধাতু সংকর অনেক বেশি ব্যবহার উপযোগী।   ⇒ কয়েকটি সংকর ধাতুর নাম, উপাদান এবং ব্যবহার সংকর ধাতু উপাদান ও শতকরা পরিমাণ ব্যবহার পিতল বা ব্রাস Cu – 65%, Zn – 35% বাসনপত্র, মূর্তি, নল ইত্যাদি তৈরিতে কাঁসা বা ব্রোঞ্জ Cu – 90%, Sn – 10% বাসনপত্র, মুদ্রা, মূর্তি প্রভৃতি প্রস্তুত করতে স্টিল Fe – 99%, C – 1% ছুরি, কাঁচি, যানবাহন, জাহাজ, কৃষি যন্ত্রপাতি, ইঞ্জিন ইত্যাদি তৈরিতে ডুরালামিন Al – 95%, Cu – 4% Mg, Mn I Fe – 1% বিমান ও মোটর গাড়ির বিভিন্ন অংশ এবং যন্ত্রাংশ তৈরিতে স্টেইনলেস স্টিল Fe-74%, Cr-18%, Ni-8% রুপার মতো চকচকে এ ধাতু সংকর বাসনপত্র, ছুরি, কাঁচি প্রভৃতি তৈরিতে নাইক্রোম Ni Ni – 60%, Fe – 25%, Cr – 15% বৈদ্যুতিক

নবম দশম শ্রেণির রসায়ন ১০ম অধ্যায় খনিজ সম্পদ ধাতু অধাতু Read More »

Scroll to Top