Uncategorized

নবম-দশম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় উন্নততর জীবনধারা

এসএসসি সাধারণ বিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় উন্নততর জীবনধারা অনুশীলনীর বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ১. গাজরে প্রধানত কোনটি পাওয়া যায়?  গøুকোজ খ ফ্রুকটোজ গ সুক্রোজ ঘ বিটা ক্যারোটিন ২. স্নেহে দ্রবণীয় ভিটামিনগুলো হলোÑ র. অ, উ, ঊ রর. অ, ই, ঈ ররর. অ, উ, ক নিচের কোনটি সঠিক? ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩ ও ৪নং প্রশ্নের উত্তর দাও : রহিমার ওজন ৫০ কেজি ও উচ্চতা ১.৫ মিটার। গতকাল সকাল থেকে তার বমি ও পাতলা পায়খানা হওয়ায় দেহে পানির অভাবসহ ওজন হ্রাস পেয়ে ৪৭ কেজি হয়ে গেছে। ৩. রহিমার দেহে প্রয়োজনীয় উপাদানটির অভাবে- র. রক্ত চলাচলে বিঘœ ঘটে রর. পেশি নাজুক হয়ে পড়ে ররর. লবণের ভারসাম্য বজায় থাকে নিচের কোনটি সঠিক?  র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর ৪. অসুস্থ হওয়ার পর রহিমার ভরসূচি (ইগও) কত হয়েছে? ক ২২.৩ (প্রায়)  ২০.৯ (প্রায়) গ ৪৯.২৫ (প্রায়) ঘ ৪৪.৭৫ (প্রায়) গুরুত্বপূর্ণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ৫. নিচের কোনটির অভাবে বয়স্ক মহিলাদের অস্টিমম্যালেসিয়া রোগ হয় ক ফসফরাসের খ লৌহের  ক্যালসিয়ামের ঘ পটাসিয়ামের ৬. ৬৫ কেজি দেড় মিটার উচ্চতা বিশিষ্ট একজন ব্যক্তির ইগও নিচের কোনটি? ক ৯৭.৫ খ ৪৩.৩৩  ২৮.৮৯ ঘ ০.০৩ ৭. ভিটামিন ঊ এর অভাবে নিচের কোনটি ঘটে?  ভ্রূণের মৃত্যু হতে পারে খ বুক ধড়ফড় করতে পারে গ অস্থির গঠন মজবুত হতে পারে ঘ ধমনিতে ক্যালসিয়াম জমা হতে পারে ৮. খাদ্যের উপাদান কত প্রকার? ক দুই খ চার  ছয় ঘ আট ৯. এক গ্রাম শর্করা জারণে কত কিলোক্যালরি শক্তি উৎপন্ন হয়?  ৪.১ খ ৪.২ গ ৪.৩ ঘ ৪.৪ ১০. আমিষ গঠনের একক কোনটি? ক হাইড্রোক্লোরিক এসিড খ কার্বোলিক এসিড গ ফরমিক এসিড  অ্যামাইনো এসিড ১১. পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন কোনটি? ক অ  ঈ গ উ ঘ ক ১২. প্রভার উচ্চতা ১.৭ মিটার এবং ওজন ৭০ কেজি। তার বি.এম.আই (ইগও) কত? ক ২৬.২২ খ ২৫.২২  ২৪.২২ ঘ ২৩.২২ ১৩. রক্তে হিমোগেøাবিন্ তৈরি করে কোনটি? ক শর্করা খ ভিটামিন গ আমিষ  খনিজ লবণ ১৪. কোনটির অভাবে অস্থির গঠন শক্ত ও মজবুত হতে পারে না? ক খনিজ লবণ খ প্রোটিন  ভিটামিন-সি ঘ ভিটামিন-এ ১৫. তরমুজে কোনটি পাওয়া যায়? ক গøুকোজ খ ফ্রুকটোজ গ সুক্রোজ  সেগুলোজ ১৬. ১০ গ্রাম চিংড়িতে ১.৯১ গ্রাম আমিষ আছে। এটি থেকে কী পরিমাণ শক্তি পাওয়া যাবে? ক ৯৩ ক.ঈধষ খ ৮৯ ক.ঈধষ  ৮.৯ ক.ঈধষ ঘ ৭.৮ ক.ঈধষ ১৭. একটি বাড়ন্ত শিশুর প্রত্যহ কী পরিমাণ ক্যালসিয়াম প্রয়োজন হয়?  ৫০০৬০০ সম খ ৪৫০৫৫০ সম গ ৪০০৪৫০ সম ঘ ৩০০৪০০ সম ১৮. তুবার ওজন ৫০ কেজি এবং উচ্চতা ১.১ মিটার। তুবার বি এম আই কত?  ৪১.৩২ খ ৪২.৩২ গ ৪৪.৩২ ঘ ৪৬.৩২ ১৯. মানুষের প্রধান খাদ্য কোনটি? ক স্নেহ  শর্করা গ আমিষ ঘ ভিটামিন ২০. রাফেজ-এর কাজ কোনটি? ক তাপ ও শক্তি উৎপন্ন করে খ দাঁতের মাড়ি সুস্থ রাখে গ হিমোগেøাবিন গঠন করে  অতিরিক্ত চর্বি কমানো ২১. রহিমের ওজন ৭২ কেজি এবং উচ্চতা ১.৮ মিটার, রহিমের ইগও কত?  ২২.২ (প্রায়) খ ২৩.২ (প্রায়) গ ২৪.২ (প্রায়) ঘ ২৫.২ (প্রায়) ২২. কোন জাতীয় খাদ্য আঁশযুক্ত?  সেলুলোজ খ স্টার্চ গ প্রোটিন ঘ ভিটামিন ২৩. কোন জাতীয় খাদ্য সবচেয়ে বেশি তাপ ও শক্তি উৎপন্ন করে? ক খাদ্যপ্রাণ  স্নেহ পদার্থ গ খনিজ লবণ ঘ শর্করা ২৪. কোনটি পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন? ক ভিটামিন অ খ ভিটামিন উ গ ভিটামিন ঈ  ভিটামিন ই ২৫. মানবদেহে কয় ধরনের অ্যামাইনো এসিড রয়েছে?  ২০ খ ১৮ গ ১৬ ঘ ১৪ ২৬. ভিটামিন ঈ এর অভাবে কোন রোগটি হয়?  স্কার্ভি খ অ্যানিমিয়া গ বেরিবেরি ঘ রাতকানা ২৭. ঁেঢকি ছাঁটা চাল ও আটায় কোন ভিটামিন থাকে? ক রাইবোফ্ল্যাভিন খ পিরিডক্সিন গ কোবালমিন  থায়ামিন ২৮. মিলনের ওজন ৭০ কেজি, উচ্চতা ১.৫ মিটার হলে তার বি.এম.আই কত?  ৩১.১১ খ ৩৫.১৫ গ ৪০.১৩ ঘ ৪৬.৬৬ ২৯. ফুসফুসের ক্যান্সারের জন্য দায়ী র. সালফার ডাইঅক্সাইড রর. কার্বন মনোঅক্সাইড ররর. নাইট্রোস অক্সাইড নিচের কোনটি সঠিক?  র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর ৩০. ভিটামিন ‘সি’ র. অস্থির গঠন শক্ত ও মজবুত করে রর. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ররর. ত্বকে ঘা সৃষ্টি করে, ক্ষত শুকাতে দেরি হয় নিচের কোনটি সঠিক?  র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর ৩১. নিচের তথ্যগুলোর ভিত্তিতে প্রযোজ্য র. একমাত্র প্রাণিজ উৎস থেকে ভিটামিন ডি পাওয়া যায় রর. পামতেল ভিটামিন “ঊ” এর উত্তম উৎস ররর. “ই” ভিটামিন সংখ্যায় এগারটি নিচের কোনটি সঠিক?  র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর  প্রশ্ন \ ১ \ নিউট্রিয়েন্টস কী? উত্তর : খাদ্যের যেসব জৈব অথবা অজৈব উপাদান জীবের জীবনীশক্তির জোগান দেয়, তাদের একসঙ্গে পরিপোষক বা নিউট্রিয়েন্টস বলে। প্রশ্ন \ ২ \ খাদ্য উপাদানগুলোর মধ্যে কোনগুলো দেহ পরিপোষক? উত্তর : খাদ্য উপাদানগুলোর মধ্যে শর্করা, আমিষ ও স্নেহ পদার্থ বা ফ্যাট দেহ পরিপোষক। প্রশ্ন \ ৩ \ খাদ্য উপাদানগুলোর মধ্যে কোনগুলো দেহ সংরক্ষক? উত্তর : ভিটামিন, খনিজ লবণ ও পানি দেহ সংরক্ষক খাদ্য উপাদান। প্রশ্ন \ ৪ \ শর্করা কী দ্বারা গঠিত? উত্তর : শর্করা কার্বন, হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন নিয়ে গঠিত। প্রশ্ন \ ৫ \ প্রতি গ্রাম শর্করা জারণে কী পরিমাণ শক্তি উৎপন্ন হয়? উত্তর : প্রতি গ্রাম শর্করা জারণে ৪.১ কিলোক্যালরি শক্তি উৎপন্ন হয়। প্রশ্ন \ ৬ \ আমিষে কী পরিমাণ নাইট্রোজেন থাকে? উত্তর : আমিষে ১৬% পরিমাণ নাইট্রোজেন থাকে। প্রশ্ন \ ৭ \ মানুষের মধ্যে কয় ধরনের অ্যামাইনো এসিডের সন্ধান পাওয়া গেছে? উত্তর : মানুষের মধ্যে ২০ ধরনের অ্যামাইনো এসিডের সন্ধান পাওয়া গেছে। প্রশ্ন \ ৮ \ চর্বি কী? উত্তর : চর্বি হলো সম্পৃক্ত ফ্যাটি এসিড। প্রশ্ন \ ৯ \ উৎস অনুযায়ী স্নেহ পদার্থ কয় প্রকার? উত্তর : উৎস অনুযায়ী স্নেহ পদার্থ দুই প্রকার। প্রশ্ন \ ১০ \ ভিটামিন উ কোথায় সংশ্লেষিত হয়? উত্তর : ভিটামিন উ মানুষের দেহে সংশ্লেষিত হয়। প্রশ্ন \ ১১ \ লৌহের প্রধান কাজ কী? উত্তর : লৌহের প্রধান কাজ হিমোগেøাবিন গঠনে সাহায্য করা। প্রশ্ন \ ১২ \ অস্টিওম্যালেসিয়া কী? উত্তর : অস্টিওম্যালেসিয়া বয়স্ক মহিলাদের ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত রোগ। প্রশ্ন \ ১৩ \ থায়ামিন কী? উত্তর : ভিটামিন ই১ কে থায়ামিন বলে। প্রশ্ন \ ১৪ \ শর্করা ও প্রোটিনের ক্যালরি মান কত? উত্তর : শর্করা ও প্রোটিনের ক্যালরি

নবম-দশম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় উন্নততর জীবনধারা Read More »

সপ্তম শ্রেণির বাংলা গরবিনী মা-জননী

গরবিনী মা-জননী সিকান্দার আবু জাফর  লেখক পরিচিতি  নাম সিকান্দার আবু জাফর। জন্ম পরিচয় জন্ম : ১৯১৯ খ্রিষ্টাব্দ। জন্মস্থান : সাতক্ষীরা। পিতৃ-মাতৃপরিচয় পিতার নাম : সৈয়দ মঈনুদ্দীন হাশেমী। শিক্ষাজীবন তালা বি.দে ইন্সটিটিউশন থেকে ১৯৩৬ সালে ম্যাট্রিক পাস। কিছু কাল কলকাতার বঙ্গবাসী কলেজে অধ্যয়ন। পেশা/কর্মজীবন সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করে প্রথম দিকে কলকাতায় ‘দৈনিক নবযুগ’-এ সাংবাদিকতা। দেশভাগের পর ১৯৫৩-তে ‘দৈনিক ইত্তেফাক’-এর সহযোগী সম্পাদক, ১৯৫৪-তে ‘দৈনিক মিল্লাত’-এর প্রধান সম্পাদক, ১৯৫৭-১৯৭০ পর্যন্ত মাসিক ‘সমকাল’ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক। ১৯৫৮-তে ‘সমকাল মুদ্রায়ণ’ নামে একটি ছাপাখানা ও ‘সমকাল’ প্রকাশনী’ নামে একটি প্রকাশনালয় স্থাপন। সাহিত্য সাধনা কাব্যগ্রন্থ : প্রসন্ন প্রহর, বৈরীবৃষ্টিতে, তিমিরান্তিক, কবিতা, বৃশ্চিক লগ্ন, বাঙলা ছাড়ো। নাটক : শকুন্ত উপাখ্যান, সিরাজউদ্দৌলা, মহাকবি আলাওল। উপন্যাস : মাটি আর অশ্রæ, পূরবী, নতুন সকাল । গল্পগ্রন্থ : মতি আর অশ্রæ। কিশোর উপন্যাস : জয়ের পথে, নবী কাহিনী (জীবনী, । অনুবাদ : রুবাইয়াৎ ওমর খৈয়াম, সেন্ট লুইয়ের সেতু, বারনাড মালামুডের যাদুর কলস, সিংয়ের নাটক । গান : মালব কৌশিক। পুরস্কার ও সম্মাননা ১৯৬৬ খ্রিষ্টাব্দে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ জীবনাবসান ৫ আগস্ট, ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দ।  সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ মা দিবসে রতœগর্ভা স্বীকৃত মায়েদের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সাহেদা বেগমের বড় ছেলে সাজিদ অনুভ‚তি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন- আমাদের মা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মা। আমরা পিঠাপিঠি পাঁচ ভাই-বোন যখন খুব ছোট, তখনই বাবাকে হারালাম। মাকে কখনো ভেঙে পড়তে দেখিনি। দুঃখ-দারিদ্র্য-অভাব আমাদের নিত্য সঙ্গী ছিল। মা সব সময় আমাদেরকে খুশি রেখে, পড়াশুনা শিখিয়ে মানুষ হিসেবে গড়ে তুলেছেন। তোমাকে শত সালাম ‘মা’। তোমার মুখের হাসির জন্য আমরা যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত। ক. সন্ধ্যা দুপুর মার পায়ে কী বাজে? খ. ‘রক্তে ধোওয়া সরোজিনী’- বলতে কি বোঝানো হয়েছে? গ. সাজিদের মাধ্যমে ‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতার কোন বিশেষ দিকটি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে- ব্যাখ্যা কর। ঘ.“প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও উদ্দীপক ও ‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতার বক্তব্য একই ধারায় প্রবাহিত”- বিশ্লেষণ কর। ক সন্ধ্যা দুপুর মায়ের পায়ে ধুলার নূপুর বাজে। খ ‘রক্তে ধোওয়া সরোজিনী’ বলতে বাংলা মাকে রক্তের জলে ¯œান করা পদ্ম ফুলের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। পরাধীনতার শৃঙ্খল ভাঙতে বাংলা মাকে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। বর্গিদের হামলা ও কায়েমিগোষ্ঠীদের হামলায় বারবার নদীমাতৃক এ বাংলার স্বচ্ছ জল টকটকে লাল হয়েছে। তাই কবি বাংলা মাকে বীরদের রক্তের জলে ¯œান করা সরোজিনী বলে অভিহিত করেছেন। গ সাজিদের বক্তব্যের মাধ্যমে ‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতায় দেশমাতৃকার রক্ষার প্রয়োজনে বাংলার সূর্য সন্তানরা যে আত্মত্যাগ করতে পিছপা হয় না- সে বিষয়টি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। ‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতায় আমরা পুণ্যবতী বাংলা মাকে দেখি। যিনি বীর সন্তান প্রসবের গরবে গরবিনী। আর বাংলা মা কেনইবা গরবিনী হবে না- কারণ তার প্রিয় ছেলেরাতো কোনো শাসন কারা, কোনো মরণ মারের দণ্ডকে পরোয়া করে না। যেকোনো প্রয়োজনে বাংলার বীর সন্তানরা আত্মত্যাগের জন্য প্রস্তুত। উদ্দীপকের সাজিদের বক্তব্যের মধ্যেও ‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতায় আত্মত্যাগের সুর ধ্বনিত হয়েছে। বাংলা মা আর নিজের মা কোনো আলাদা সত্তা নয়। দুইয়ের ¯েœহ ছায়ায় আমরা বেড়ে উঠি। তাই বাংলা মা হোক আর রক্ত সম্পর্কের মা হোক, মায়ের সুখের জন্য যেকোনো সন্তানই আত্মত্যাগের জন্য প্রস্তুত। মূলত ‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতা ও উদ্দীপকে বাংলা মায়ের সন্তানদের যেকোনো প্রয়োজনে আত্মত্যাগের বিষয়টি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। ঘ “প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও উদ্দীপক ও ‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতার বক্তব্য একই ধারায় প্রবাহিত”- উক্তিটি যথাযথ। ‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতায় আমরা দেখি বাংলা মায়ের হাজার হাজার বীর ছেলে আছে। যারা বাংলা মায়ের নামে পাগল। মায়ের নামে ভয়ঙ্করের দুর্বিপাকে ঝাঁপিয়ে পড়তে তারা দ্বিতীয় বার ভাবে না। দুখের ধূপে সুখকে পুড়িয়ে তারা বাংলা মায়ের মুখ উজ্জ্বল রাখে। উদ্দীপকের সাজিদ ও তার রক্ত সম্পর্কের মায়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছে। সে রোজ একটু একটু করে বড় হয়েছে হয়েছে আর সাহসী মায়ের আত্মত্যাগকে অবলোকন করেছে। আজ সাজিদ যৌবনের মধ্য গগনে দাঁড়িয়ে, শক্তি আর তারুণ্যে ভরপুর। আজ সে মায়ের একটু সুখের জন্য নিজের সকল সুখভোগকে বিসর্জন দিতে পারে। যেকোনো আত্মত্যাগের জন্য সাজিদ প্রস্তুত। তাই এ কথা নির্দ্বিধায় বলা চলে উদ্দীপকে ও কবিতায় দুই মায়ে মায়ের সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। একজন বাংলা মা অন্যজন নিজ মা। কিন্তু প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও উভয়ক্ষেত্রে চেতনার ভিত্তি ভ‚মি এক এবং একই ভাবধারায় প্রবাহিত। প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ শাহেদ মেধাবী ছাত্র। বাবা মারা গেছে ছোট বেলায়। তার মা অনেক কষ্টে তাকে বড় করে। অনেক কষ্টে মা তার লেখাপড়ার খরচ চালায় এবং মায়ের ঐকান্তিক চেষ্টায় সে ডাক্তার হয়েছে। পাস করার পর সে মাকে বলে,- “আমার চেয়ে ভাগ্যবান পৃর্থিবীতে আর কেউ নেই। কারণ আমি তোমার সন্তান।” ক. উজল কোন শব্দের কোমল রূপ? ১ খ. ‘তোর মত আর পুণ্যবতী, ভাগ্যবতী বল মা কে?’- ব্যাখ্যা কর। ২ গ. উদ্দীপকের শাহেদের মায়ের সাথে ‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতার সাদৃশ্য দেখাও। ৩ ঘ. ‘আমার চেয়ে ভাগ্যবান পৃথিবীতে আর কেউ নেই। কারণ আমি তোমার সন্তান।’- কথাটি ‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতার মূল ভাষ্যটি ধারণ করেছে। – বিশ্লেষণ কর। ৪ ক উজল ‘উজ্জ্বল’ শব্দের কোমল রূপ। খ ‘তোমার মত আর পুণ্যবতী ভাগ্যবতী বল মা কে।’- চরণটি দ্বারা বাংলা মা তথা বাংলাদেশের প্রশস্তি করা হয়েছে। বাংলাদেশের মাটি লক্ষ লক্ষ শহিদের রক্তে ভেজা। এ মাটির জন্য এদেশের সন্তানেরা অকাতরে প্রাণ দিয়েছে। তাছাড়া এদেশের মাটিতে দেহ রেখেছেন জ্ঞানী, গুণি, শিল্পী, সাহিত্যিক, গবেষক কতো মানুষ। দেশের বীর সন্তানদের আত্মত্যাগের জন্য বাংলা মাকে পুণ্যবতী, ভাগ্যবতী বলা হয়েছে। গ আলোচ্য উদ্দীপকের শাহেদের মায়ের সাথে কবি সিকান্দার-আবু জাফর রচিত ‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতার ভাবগত সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়। উদ্দীপকে আমরা দেখি মেধাবী ছাত্র শাহেদ তার মায়ের কষ্ট দেখে বড় হয়। মায়ের আপ্রাণ চেষ্টায় সে ডাক্তার হয়। মায়ের প্রতি শাহেদের অসামান্য ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতাবোধ প্রকাশিত হয়েছে এই উদ্দীপকের মধ্যে। গরবিনী-মা-জননী কবিতায় আমরা দেখি কবি জন্মভ‚মি বাংলার মাহাত্ম্য কীর্তন করেছেন এবং সর্বক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠ বাঙালি সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য দেশকে ভাগ্যবতী মা জননী হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন। দেশ মাকে বাঁচাতে এদেশের হাজারো সন্তানের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে কবি দেশকে ভাগ্যবতী বলেছেন। তাই বলা যায় উদ্দীপক এবং কবিতার মধ্যে সমভাব প্রকাশ পেয়েছে। ঘ ‘আমার চেয়ে ভাগ্যবান পৃথিবীতে আর কেউ নেই। কারণ আমি তোমার সন্তান’ শাহেদের এরূপ মন্তব্যটির মধ্যদিয়ে আমরা ‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতার মূল বক্তব্যের সাদৃশ্য দেখতে পাই। উদ্দীপকের শাহেদ তার মায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা থেকে বলেছে আমার মতো ভাগ্যবান পৃথিবীতে আর কেউ নেই। কারণ মায়ের অসামান্য ত্যাগের বিনিময়ে সে ডাক্তার হয়েছে । তার এই উক্তি আসলে নিজের মায়ের প্রতি অসামান্য কৃতজ্ঞতাবোধের প্রকাশ। আমরা ‘গরবিনী মা-জননী’ কবিতায় দেখি, কবি দেশ মাকে ভাগ্যবতী, গর্বিত মা হিসাবে ব্যক্ত করেছেন। কারণ এদেশের সন্তানেরা দেশ মাকে রক্ষা করতে অকাতরে প্রাণ দিয়েছে। এদেশ যেমন রূপসী, তেমনি এর সন্তানেরা অদম্য সাহসী। এদেশের সব শ্রেণি পেশার মানুষ নিজের অবস্থান থেকে দেশ রক্ষার আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। এদেশের বীর কন্যারা দেশের জন্য তাদের সম্ভ্রম বিসর্জন দিয়েছে। আবার দেশ মা তার সন্তানকে সর্বস্ব দিয়ে আগলে রেখেছে। দেশের জন্য তাই

সপ্তম শ্রেণির বাংলা গরবিনী মা-জননী Read More »

সপ্তম শ্রেণির বাংলা বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তা

বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তা এ. কে. শেরাম লেখক ও রচনা সম্পর্কিত তথ্য  লেখক পরিচিতি নাম এ. কে. শেরাম। জন্ম পরিচয় জন্ম : ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দ। জন্মস্থান : হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার বিশগাঁও গ্রাম। শিক্ষাজীবন এ. কে. শেরাম ১৯৭১ সালে হবিগঞ্জ বৃন্দাবন কলেজ থেকে স্নাতক (বাণিজ্য) এবং ১৯৭৬ সালে সিলেট আইন মহাবিদ্যালয় থেকে এলএলবি পাস করেন। পেশা/কর্মজীবন কর্মজীবনে তিনি ব্যাংকার ছিলেন। সাহিত্য সাধনা কাব্যগ্রন্থ : ‘বসন্ত কুন্নি পালগী লৈরাং, মণিপুরি কবিতা, (১৯৮২), চৈতন্যে অধিবাস (১৯৮৮)। প্রবন্ধ-গবেষণা : মনিদীপ্ত মণিপুরি ও বিষ্ণুপ্রিয়া বিতর্ক (১৯৯৩)। সম্পাদনা : বাংলাদেশের মণিপুরি কবিতা (১৯৯০)। পুরস্কার ও সম্মাননা সাহিত্যকর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ১৯৯৪ সালে সোনামনি মেমোরিয়াল অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন।  সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ বাহার তার বন্ধু সঞ্জীবের সাথে একটি পার্বত্য অঞ্চলে বেড়াতে যায়। সেখানে গিয়ে সে জানতে পারে স্থানীয় লোকজন সবাই বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী, পিতৃতান্ত্রিক। তারা দেব-দেবীর পূজা করে এবং নববর্ষ এলে সংগ্রাই উৎসব পালন করে। সেখানে কয়েকদিন থাকার পর তারা অন্যত্র বেড়াতে যায়। সেখানকার সমাজের প্রধান হলেন রাজা। গ্রামের প্রধান হলেন কারবারি। সেখানে পুরুষেরা ধুতি ও মহিলারা ‘পিনন’ পরিধান করে থাকে। পুরুষেরা নিজেদের তৈরি ‘সিলুম’ পরে। মেয়েরা খাদিকে ওড়না হিসেবে ব্যবহার করে। ক. চাকমারা পহেলা বৈশাখকে কী বলে আখ্যায়িত করে? খ. পঞ্চায়েতের ভ‚মিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কেন? গ. উদ্দীপকের প্রথম স্থানটি ‘বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তা’ রচনার কোন জাতিসত্তাকে নির্দেশ করে? ব্যাখ্যা কর। ঘ. শেষ স্থানটি বাংলাদেশের একটি ক্ষুদ্র জাতিসত্তার বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করে। উদ্দীপক ও রচনার আলোকে বিশ্লেষণ কর। ক চাকমারা পহেলা বৈশাখকে ‘গর্য্যাপর্য্যা’ বলে আখ্যায়িত করে। খ পড়ার যাবতীয় ধর্মীয় ও সামাজিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য পঞ্চায়েতের ভ‚মিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মনিপুরিদের প্রতিটি পাড়াতেই থাকে দেবমন্দির ও মণ্ডপ। ঐ মন্দির ও মণ্ডপকে ঘিরেই আবর্তিত হয় ঐ পাড়ার যাবতীয় ধর্মীয় ও সামাজিক কর্মকাণ্ড। মন্দির পরিচালনা ও দেবতাদের পূজা ও অর্চনার জন্য থাকে এক বা একাধিক ব্রাহ্মণ পরিবার। কয়েকটি পাড়া মিলে আবার গঠিত হয় পানচায় বা পঞ্চায়েত। মনিপুরি সমাজে পাঞ্চায়েতের ভ‚মিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গ উদ্দীপকের প্রথম স্থানটি ‘বাংলাদেশ ক্ষুদ্র জাতিসত্তা’ রচনার মারমা জাতিসত্তাকে নির্দেশ করে। ‘বাংলাদেশ ক্ষুদ্র জাতিসত্তা’ রচনায় মারমাদের প্রধান বসতি পার্বত্য অঞ্চলে। তারা মঙ্গোলীয় জাতিগোষ্ঠীর অর্ন্তগত। মারমারা প্রাচীন কাল থেকেই বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী, পিতৃতান্ত্রিক। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী হলেও মারমারা এখনো বিভিন্ন দেবদেবীর পূজা করে। এদের সবচেয়ে বড় উৎসব হলো নববর্ষে সাংগ্রাই দেবীর পূজা উপলক্ষে আায়োজিত সাংগ্রাই উৎসব। মারমা জাতি গোষ্ঠীর এদিকগুলো উদ্দীপকেও পরিলক্ষিত হয়। বাহার তার বন্ধুদের নিয়ে পার্বত্য অঞ্চলে বেড়াতে যায়। প্রথম যে স্থানে বেড়াতে যায়, সেখানকার লোকজন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী, পিতৃতান্ত্রিক তারা দেবদেবীর পূজা কর এবং নববর্ষ এলে সাংগ্রাই উৎসব পালন করে। অর্থাৎ উদ্দীপকের প্রথম স্থানটি বাংলাদেশ ক্ষুদ্র জাতিসত্তা’ রচনার মারমা জাতিসত্তাকেই নির্দেশ করে। ঘ শেষ স্থানটি বাংলাদেশের একটি ক্ষুদ্র জাতিসত্তা অর্থাৎ (চাকমা) জাতিসত্তার বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করে। ‘বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তা’ রচনায় চাকমাদের সমাজের প্রধান হলেন রাজা। আর গ্রামের প্রধান হলেন কারবারি। গ্রামের যাবতীয় সমস্যা তিনিই নিষ্পত্তি করেন। বাংলাদেশে যেসব স্বল্পসংখ্যা জাতিসত্তা বাস করে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো চাকমা। এদের পুরুষেরা ‘ধুতি’ ও মহিলারা ‘পিনন’ পরিধান করে, পুরুষেরা নিজেদের হাতে তৈরি ‘সিলুম’ (জামা) পরে। মেয়েরা ‘খাদিকে ওড়না হিসেবে ব্যবহার করে। উদ্দীপকের বাহার তার বন্ধু সজীবের সাথে শেষে যে স্থানটিতে বেড়াতে গিয়েছিল সেখানকার লোকজন ও বৌদ্ধ ধর্মালম্বী। তাদের পিতৃতান্ত্রিক পরিবার। তারা দেবদেবীর পূজা করে। সেখানকার পুরুষেরা ‘ধুতি’ ও মহিলা ‘পিনন’ পরিধান করে এবং মেয়েরা খাদিকে ওড়না হিসেবে ব্যবহার করে। পরিশেষে উল্লিখিত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় উদ্দীপকের শেষ স্থানটি বাংলাদেশের চাকমা ক্ষুদ্র জাতিসত্তার বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করে। প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ শফিপুর গ্রামের অধিবাসীরা প্রধানত কৃষিজীবী। তবে যাদের ভ‚মির পরিমাণ কম তাদের পরিবারের দু-একজন শ্রমিকের কাজও করে নারীদের দায়িত্ব শুধু ঘর গৃহস্থালির কাজ সামলানো। মাঠে পুরুষদের কাজে তারা কোনো রকম সাহায্য করার সুযোগ পায় না। সন্তান লালন-পালনেই তাদের দিন চলে যায়। ক. মণিপুরী জনগোষ্ঠী কয়টি গোত্রে বিভক্ত? ১ খ. ‘বৈসাবি’ কী- আলোচনা কর। ২ গ. শফিপুর গ্রামের নারীদের সাথে গারো নারীদের তুলনা কর। ৩ ঘ. ‘পরিবারের অর্থনৈতিক উন্নয়নে শফিুর গ্রামের নারীদের তুলনায় গারো নারীদের ভ‚মিকা বেশি’ উক্তিটি বিশ্লেষণ কর। ৪ ক মণিপুরী জনগোষ্ঠী সাতটি গোত্রে বিভক্ত। খ নববর্ষ উপলক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রামের জাতীয় উৎসবকে বলা হয় বৈসাবি। বৈসাবি হচ্ছে ত্রিপুরাদের নববর্ষ উৎসব বৈসুখ -এর বৈ, মারমাদের প্রধান উৎসব সাংগ্রাই-এর সা এবং চাকমাদের প্রধান উৎসব বিজুর বি নিয়ে গঠিত। ‘বৈসাবি’ এখন নববর্ষ উপলক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রধান উৎসব। গ উদ্দীপকের শফিপুর গ্রামের নারীদের জীবনযাত্রা এবং ‘বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তা’ প্রবন্ধের গারো নারীদের জীবনযাত্রা এক রকম নয়। বাংলাদেশে বসবাসকারী জনসংখ্যার বৃহত্তম অংশ হলো বাঙালি জনগোষ্ঠী। বাঙালি ছাড়াও এদেশে আরো কিছু ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী রয়েছে যাদের ভাষা, খাদ্যাভ্যাস, আচার-ব্যবহার, সামাজিক রীতিনীতি, সংস্কৃতি অনেক আলাদা। উদ্দীপকের শফিপুর গ্রামের নারীদের জীবনচিত্র ফুটে উঠেছে। তাদের দায়িত্ব শুধু ঘর-গৃহস্থালির কাজ সামলানো। মাঠে পুরুষদের কাজে তারা কোনো রকম সাহায্য করার সুযোগ পায় না। সন্তান লালন-পালনেই তাদের দিন চলে যায়। পক্ষান্তরে বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তা’ প্রবন্ধের গারো নারীরা পুরুষের সাথে এক সাথে মাঠে কাজ করে। মাতৃতান্ত্রিক পরিবার প্রথার কারণে বিয়ের পর তারা স্বামীগৃহে যায় না, স্বামীই তাদের গৃহে আগমন করে। সন্তান-সšুÍতিরা মায়ের পদবি ধারণ করে। এসব দিক বিবেচনায় শফিপুর গ্রামের নারীদের সাথে গারো নারীদের নানা দিক দিয়ে পার্থক্য চোখে পড়ে। ঘ “পরিবারের অর্থনৈতিক উন্নয়নে শফিপুর গ্রামের নারীদের তুলনায় গারো নারীদের ভ‚মিকা বেশি।”-মন্তব্যটি যথার্থ। বাঙালি ছাড়াও এদেশে আরো অনেক জাতিগোষ্ঠীর মানুষ বাস করে। ক্ষদ্র এই জাতিসত্তার মধ্যে আছে চাকমা, গারো, মারমা, মণিপুরি, ত্রিপুুরা, সাঁওতাল প্রভৃতি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী। ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর প্রত্যেকটিরই রয়েছে স্বতন্ত্র পরিচয়, নিজস্ব সংস্কৃতি ও জীবনাচার। উদ্দীপকের দেখা যায়, পুরুষপ্রধান শফিুর গ্রামের কৃষিজীবী জনগোষ্ঠীর নারীদের দায়িত্ব শুধু ঘর গৃহস্থালির কাজ সামলানো। মাঠে পুরুষদের কাজে তারা কোনো রকম সাহায্য করার সুযোগ পায় না। সন্তান লালন-পালনেই তাদের দিন চলে যায়। পক্ষান্তরে ‘বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তা’ প্রবন্ধে দেখা যায়, গারো নারীরা পুরুষের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মাঠে কাজ করে। উদ্দীপকের শফিপুরের নারীরা অর্থনৈতিক কার্যক্রমে পুরুষের সহযোগী হতে না পারায় পরিবারের অর্থনৈতিক উন্নয়নে তাদের ভ‚মিকা অপ্রশস্ত ও সীমিত। পক্ষান্তরে, ‘বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তা’ প্রবন্ধের নারীরা অর্থনৈতিক কার্যক্রমে পুরুষের সহযোগী হওয়ায় পরিবারের অর্থনৈতিক উন্নয়নে তাদের ভ‚মিকা বেশি। তাছাড়া মাতৃসূত্রীয় পরিবার প্রথা থাকায় পরিবারের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গারো নারীরা স্বাভাবিকভাবেই বেশি ভ‚মিকা রাখতে পারে। তাই বলা যায়, প্রশ্নের মন্তব্যটি যথার্থ। প্রশ্ন- ২ ল্ফল্ফ বাঙালিদের অনেকগুলো উৎসবের মধ্যে অসা¤প্রদায়িক ও সর্বজনীন অনুষ্ঠান পয়লা বৈশাখ বা বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন। পয়লা বৈশাখে বাংলার জনসমষ্টি অতীতের দুখ-দুঃখ ভুলে গিয়ে নতুনের আহবানে সাড়া দিয়ে উঠে। বাঙালিরা এ দিন প্রাত্যহিক কাজকর্ম ছেড়ে দিয়ে ঘরবাড়ি ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করে। নতুন পোশাক পরিধান করে আত্মীয়স্বজনদের সাথে পানহারে মেতে উঠে। বটতলায় জড়ো হয়ে গান গায়, মুখে বাঁশি ফুলেক সবকিছু মিলে দেশটা যেন হয়ে উঠে উৎসবমুখর। ক. গারোদের প্রধান পেশা কী? খ. ক্ষুদ্র জাতিসত্তা বলতে কী বোঝ? গ. উদ্দীপকের সাথে সাঁওতার জনপদের সাদৃশ্য ব্যাখ্যা কর। ঘ. বাংলাদেশের

সপ্তম শ্রেণির বাংলা বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তা Read More »

সপ্তম শ্রেণির বাংলা সেই ছেলেটি

সেই ছেলেটি মামুনুর রশীদ লেখক ও রচনা সম্পর্কিত তথ্য  লেখক পরিচিতি নাম মামুনুর রশীদ। জন্ম পরিচয় জন্ম : ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দে। জন্মস্থান : পাইকড়া গ্রাম, কালিহাতি, টাঙ্গাইল। পৈতৃক নিবাস : ভাবনদত্ত গ্রাম, ঘাটাইল, টাঙ্গাইল। পিতৃ-মাতৃপরিচয় : পিতা : মো: হাফিজা, মাতা : মাহমুদা। শিক্ষাজীবন উচ্চতর শিক্ষা : স্নাতকোত্তর (রাষ্ট্রবিজ্ঞান), ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। পেশা/কর্মজীবন নাট্যকার, অভিনেতা ও নির্দেশক। সাহিত্য সাধনা নাটক : ওরা কদম আলী, ওরা আছে বলেই, ইবলিশ, গিনিপিগ, সমতট, পাথর, রাঢ়াঙ, লেবেদেফ, চের সাইকেল। পুরস্কার ও সম্মাননা বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, আলাওল সাহিত্য পুরস্কার। সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ আবিদ স্যার ৭ম শ্রেণির ছাত্র রওশনের কাছে তার স্কুলে অনুপস্থিতির কারণ জানতে চাইলে সে কিছু না বলে চুপ থাকে। শ্রেণির অন্য শিক্ষার্থীদের জিজ্ঞেস করলে তারা প্রায় একযোগে বলে স্যার, রওশন প্রায়ই স্কুল কামাই করে। শিক্ষক রওশনকে বলেন আর কামাই করবে? কোনো উত্তর দেয় না রওশন। পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলি দিয়ে মেঝে খুঁড়তে থাকে। উত্তর না পেয়ে শিক্ষক রওশনকে অনেক বকা দেন। কয়েকদিন পর রওশনের বাবা আবিদ স্যারকে বলেন স্যার, রওশনের ¯œœায়ু রোগ আছে। নিয়মিত স্কুল করলে ওর অসুখটা বেড়ে যায়। বকাঝকা করলে ওর স্কুলে আসা বন্ধ হয়ে যাবে। ক. মিঠু আরজুকে কোথায় বসে থাকতে দেখেছে? খ. আইসক্রিমওয়ালা আরজুকে স্কুল ফাঁকি দিতে নিষেধ করল কেন? বুঝিয়ে লেখ। গ. রওশন ও আরজুর মধ্যকার সাদৃশ্য ব্যাখ্যা কর। ঘ. আবিদ স্যারের বিচার কাজটি লতিফ স্যারের তুলনায় কতটুকু যৌক্তিক হয়েছে তা মূল্যায়ন কর। ক মিঠু আরজুকে পলাশতলীর আমবাগানে বসে থাকতে দেখেছে। খ স্কুল ফাঁকি দেওয়ার ফলে আইসক্রিমওয়ালা জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে পারেনি বলে সে আরজুকে স্কুল ফাঁকি দিতে নিষেধ করল। আইসক্রিমওয়ালা ছাত্র থাকা অবস্থায় স্কুল ফাঁকি দিয়েছে। ফলে লেখাপড়া হয়নি, তাই ভালো কিছু করতেও পারেনি। ফলে আজ তাকে আইসক্রিম বিক্রি করতে হচ্ছে। যদি সে স্কুল ফাঁকি না দিত, পড়ালেখা করত তবে আজ আইসক্রিম বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতে হতো না। জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়া থেকে বঞ্চিত না হওয়ার জন্য আরজুকে স্কুল ফাঁকি দিতে নিষেধ করল। গ শারীরিক প্রতিবন্ধকতার দিক দিয়ে আরজু ও রওশনের মধ্যে সাদৃশ্য বিদ্যমান। ‘সেই ছেলেটি’ নাটিকায় দেখা যায় যে, আরজু বেশি দূর হাঁটতে পারে না। একটু হাঁটলেই তার পা দুটো অবশ হয়ে আসে। তাই প্রায় স্কুলে যাওয়ার পথে আরজু রাস্তায় বসে পড়ে। তার বন্ধুরা জানে না আরজুর সমস্যা কী। তাই তারা তাকে রেখেই স্কুলে চলে যায়। মূলত ছোটবেলায় ভীষণ অসুখে আরজুর পা সরু হয়ে যায়। ফলে এখন তার পা মাঝে মাঝেই হাঁটতে গিয়ে অবশ হয়ে আসে। আরজুর পায়ের সমস্যায় তার পক্ষে স্কুলে যাওয়া সম্ভব হয় না। ফলে স্কুলের স্যার আরজুর অনুপস্থিতির কারণ জানতে চান তার বন্ধুদের কাছে। উদ্দীপকে আমরা দেখি, রওশন প্রায়ই স্কুলে অনুপস্থিত থাকে, তার অসুস্থতার জন্য। রওশন নিয়মিত স্কুলে গেলে অসুস্থ হয়। স্কুলে আসতে না পারার কারণ জিজ্ঞেস করলে রওশন বৃদ্ধাঙ্গুলি দিয়ে মেঝে খুঁড়তে থাকেÑ মুখ দিয়ে উত্তর বের হয় না। আরজুও অসুস্থতার কারণে স্কুলে যেতে না পেরে একলা বসে থাকে পথের ধারে বাগানে। কষ্টে তার বুক ফেটে যায়। তারা উভয়েই তাদের সমবয়সিদের তুলনায় সমস্যাগ্রস্ত। রওশন ও আরজু উভয়ই অসুস্থতার কারণে মানসিকভাবে কষ্টে থাকে। অর্থাৎ নিয়মিত স্কুলে আসা এবং পড়াশোনার ইচ্ছে থাকলেও তারা পারে না। তারা স্বাভাবিক জীবনের অধিকারী হতে পারেনি। কারণ তারা উভয়ই বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুর অন্তর্ভুক্ত। এখানেই তাদের সাদৃশ্য। ঘ আবিদ স্যারের বিচার কাজটি লতিফ স্যারের তুলনায় অমানবিক। ‘সেই ছেলেটি’ নাটিকায় লতিফ স্যার আরজুকে স্কুলে না দেখে তার বন্ধু সাবুকে আরজুর কথা জিজ্ঞাসা করে। আরজু যে স্কুলে মাঝপথে এসে আর আসে না, তা লতিফ স্যারের কাছে রহস্যজনক মনে হয়। তারপর পলাশতলীর আমবাগানে গিয়ে যখন জানতে পারেন বেশি হাঁটলে আরজুর পা অবশ হয়ে আসে তখন তিনি এর কারণ অনুসন্ধান করেন। আরজুর শৈশবের রোগের কথা জানতে পেরে তিনি সহানুভ‚তিশীল হয়ে তার চিকিৎসার জন্য কিছু করতে চান। উদ্দীপকের আবিদ স্যার রওশনের স্কুলে অনুপস্থিতির কারণ জিজ্ঞাসা করে জানতে পারে, রওশন প্রায়ই স্কুল কামাই করে। শিক্ষক রওশনকে আর স্কুল কামাই করবে কি না জিজ্ঞাসা করলে রওশন কোনো উত্তর প্রদান করে না। আবিদ হাসান উত্তর না পেয়ে রওশনকে বকা দেন। পক্ষান্তরে ‘সেই ছেলেটি গল্পের লতিফ স্যার আরজুর প্রতি সহানুভ‚তি প্রদর্শন করলেও উদ্দীপকের আবিদ স্যার তার ছাত্র রওশনের স্কুল ফাঁকি দেয়ার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান না করে বকা দিয়েছেন, যা লতিফ স্যারের আচরণের চেয়ে যৌক্তিক ও ভালো বলা যায় না। তাই বলা যায়, লতিফ স্যারের সহানুভ‚তিশীল আচরণের বিপরীত আবিদ স্যার যে অসহিষ্ণু আচরণ করেছেন তা অমানবিক ও অযৌক্তিক। প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ আজাদ গ্রামের স্কুলে পড়ালেখা করে। ক্লাসরুমে প্রতিদিন পেছনের বেঞ্চে বসে। আফাজ উদ্দীন স্যার প্রায়ই পড়া জিজ্ঞেস করলে আজাদ পারে না। পড়া তৈরি না করতে পারার কারণ জিজ্ঞেস করলে আজাদ কোনো উত্তর দেয় না। শুধু ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে। স্যার বুঝতে পারেনÑ আজাদের কোথাও সমস্যা আছে। আফাজ উদ্দীন স্যার রাস্তায় আজাদের বাবার সঙ্গে দেখা হলে আজাদের পড়ালেখা না পারার প্রসঙ্গ তোলেন। তখন আজাদের বাবা বলেন আজাদ তো প্রতিদিন পড়তে বসে। বই চোখের খুব কাছে নিয়ে মনোযোগ দিয়ে পড়ে। কোথায় যেন সমস্যা আছে, মনে হচ্ছে বলে স্যার সেদিন বিদায় নেন। পরদিন ব্লাকবোর্ডে চক দিয়ে পাঁচটা দাগ কেটে দাগ সংখ্যা জিজ্ঞাসা করলে আজাদ বলতে পারে না। তখন স্যার বুঝতে পারেন আজাদের চোখে সমস্যা। স্যার তার চিকিৎসার জন্য আজাদের বাবাকে পরামর্শ দেন। ক. কে আরজুকে স্কুল ফাঁকি না দেওয়ার পরামর্শ দেয়? ১ খ. আরজুর জন্য লতিফ স্যারের দুশ্চিন্তা হয় কেন? ব্যাখ্যা কর। ২ গ. উদ্দীপকের আজাদের সঙ্গে ‘সেই ছেলেটি’ নাটিকার আরজুর সাদৃশ্য দেখাও। ৩ ঘ. “লতিফ স্যার ও আফাজ উদ্দীন স্যার অনুসন্ধানী, সহানুভ‚তিতে এক ও অভিন্ন।”Ñ মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর। ৪ ক আইসক্রিমওয়ালা আরজুকে স্কুল ফাঁকি না দেওয়ার পরামর্শ দেয়। খ আরজু স্কুলে আসার পথে রাস্তায় বসে থেকে স্কুলে আসে না জেনে লতিফ স্যারের দুশ্চিন্তা হয়। লতিফ স্যার স্কুলে আরজুকে দেখতে না পেয়ে তার বন্ধুদের জিজ্ঞেস করেন, বন্ধুরা জানায়, আরজু স্কুলে আসার পথে রাস্তায় বসে পড়েছে এরকম মাঝে মধ্যেই হয়। এতে লতিফ স্যারের দুশ্চিন্তা হয়। গ উদ্দীপকের আজাদের সঙ্গে ‘সেই ছেলেটি’ নাটিকার আরজুর সাদৃশ্য হলো তারা দুজনেই প্রতিবন্ধী। ‘সেই ছেলেটি’ নাটিকায় আরজু অনেক সময় স্কুলে আসতে পারে না। কারণ তার পায়ে সমস্যা, বেশি হাঁটলে পা অবশ হয়ে আসে। স্কুলে যেতে অনেক সময় দেরি হয়। মাঝেমধ্যে স্কুলে যেতেই পারে না। উদ্দীপকে আজাদের ক্ষেত্রেও আমরা দেখি, শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় সে নিয়মিত স্কুলের পড়া তৈরি করতে পারে না। মূলত চোখে কম দেখার কারণে আজাদ বই খুব কাছ থেকেও পড়তে পারে না। অর্থাৎ শারীরিক প্রতিবন্ধকতার দিক দিয়ে আরজু ও আজাদের মধ্যে সাদৃশ্য রয়েছে। ঘ “লতিফ স্যার ও আফাজ উদ্দীন স্যার অনুসন্ধানী, সহানুভ‚তিতে এক ও অভিন্ন।”এ মন্তব্যটি যথার্থ। ‘সেই ছেলেটি’ নাটিকায় লতিফ স্যার আরজুকে স্কুলে না দেখে তার বন্ধুদের কাছ থেকে খোঁজ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন

সপ্তম শ্রেণির বাংলা সেই ছেলেটি Read More »

সপ্তম শ্রেণির বাংলা রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন

রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন সেলিনা হোসেন লেখক ও রচনা সম্পর্কিত তথ্য  লেখক পরিচিতি নাম সেলিনা হোসেন। জন্ম পরিচয় জন্ম : ১৯৪৭। জন্মস্থান : রাজশাহী। পৈতৃক নিবাস : ল²ীপুর জেলার হাজিরপাড়া গ্রাম। শিক্ষাজীবন মাধ্যমিক : পিএন গার্লস হাইস্কুল। উচ্চ মাধ্যমিক : রাজশাহী মহিলা কলেজ। উচ্চতর শিক্ষা : বিএ সম্মান, এমএ (বাংলা) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। পেশা/কর্মজীবন বাংলা একাডেমির পরিচালক ছিলেন। সাহিত্য সাধনা জলোচ্ছ¡াস, হাঙর নদী গ্রেনেড, মগ্ন চৈতন্যে শিস, পোকামাকড়ের ঘরবসতি, যাপিত জীবন, নিরন্তর ঘণ্টাধ্বনি, কাঁটাতারে প্রজাপতি, মুক্তিযুদ্ধের গল্প ইত্যাদি। বিশেষ কৃতিত্ব তার লেখা গল্প, উপন্যাস বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। তার লিখিত উপন্যাস অবলম্বনে চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। পুরস্কার ও সম্মাননা তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮০), ফিলিপস সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৮), বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৯৭), সুরমা চৌধুরী আন্তর্জাতিক স্মৃতি পুরস্কার (ভারত) এবং সর্বশেষ ২০১০ খ্রিষ্টাব্দে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সম্মানসূচক ডিলিট উপাধিতে ভ‚ষিত করে। সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ শরীফা ও নীলা দুজনেই মানব সেবায় নিয়োজিত। শরীফা খুঁজে খুঁজে অসহায় মেয়েদের স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেন। শত বাঁধা এলেও এ বিষয়ে তিনি আপোস করেন নি। অন্যদিকে নীলা উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে কয়েকটি সেবা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। সেখানে নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকল মানুষকে, রোগ, দুঃখ ও দারিদ্র্য থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য কাজ করেন। ক. বেগম রোকেয়া কার অনুপ্রেরণায় সাহিত্য রচনায় আগ্রহী হয়ে ওঠেন? খ. বেগম রোকেয়ার সময়ে নারীর অবস্থা কেমন ছিল? বুঝিয়ে লেখ। গ. শরীফার কাজে বেগম রোকেয়ার কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর। ঘ. মানব সেবার ক্ষেত্রে নীলা ও বেগম রোকেয়ার ভ‚মিকার তুলনামূলক আলোচনা কর। ক ভাই ইব্রাহীম সাবেরের অনুপ্রেরণায় বেগম রোকেয়া সাহিত্য রচনায় আগ্রহী হয়ে ওঠেন। খ বেগম রোকেয়া সময়ে নারীর অবস্থা ছিল খুবই শোচনীয়। বেগম রোকেয়া যে সময়ে জন্মগ্রহণ করেন তখন বাঙালি মুসলিম সমাজে শিক্ষার ব্যাপক প্রচলন ছিল না। শিক্ষা-দীক্ষা, চাকরি, সামাজিক প্রতিষ্ঠার দিক দিয়ে মুসলমানরা ছিল পিছিয়ে। মেয়েদের অবস্থান ছিল আরো শোচনীয়। পর্দাপ্রথা কঠোরভাবে মানা হতো বলে মেয়েদের শিক্ষা লাভের কোনো সুযোগ ছিল না। গ শরীফার কাজে বেগম রোকেয়ার নারী শিক্ষা প্রসারের দিকটি ফুটে উঠেছে। ‘রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন’ প্রবন্ধে আমরা পাই বেগম রোকেয়ার সময়ে নারীদের শিক্ষা লাভের কোনো সুযোগ ছিল না। পর্দা প্রথা দেখে শিক্ষা লাভের জন্য বাইরে বের হওয়া ছিল অসম্ভব। নারী শিক্ষার প্রসারে বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত গার্লস স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। শুধু তাই নয়, বাঙালি মেয়েদের শিক্ষিত করার জন্য ঘরে ঘরে গিয়ে মেয়েদের স্কুলে পাঠানোর জন্য বাবা-মায়ের কাছে আবেদন-নিবেদন করেছেন। তাঁর অক্লান্ত প্রচেষ্টায় মেয়েরা ধীরে ধীরে শিক্ষার আলোর দিকে এগুতে থাকে। দুঃস্থ নারীদের স্বাবলম্বী করার জন্য তিনি ‘আঞ্জুমানে খাওয়াতিনে ইসলাম’ নামে মহিলা সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। উদ্দীপকের শরীফা বাড়িতে বাড়িতে খুঁজে অসহায় মেয়েদের স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেন। শত বাঁধা এলেও তিনি থেমে যাননি বা আপোস করেননি কোনো কিছুর সাথে। মানব সেবা ও শিক্ষার মাধ্যমে নারীর আত্মিক উন্নতির জন্য শরীফা নিরলস কাজ করে গেছেন। ‘রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন’ প্রবন্ধে লেখক বেগম রোকেয়ার নারী শিক্ষার প্রসার ও নারীর উন্নতির বিষয়টি তুলে ধরেছেন। কাজেই শরীফার কাজে বেগম রোকেয়ার নারী শিক্ষা প্রসারের দিকটি ফুটে উঠেছে। ঘ মানব সেবার ক্ষেত্রে নীলা ও বেগম রোকেয়া উভয়ের ভ‚মিকা অপরিসীম। ‘রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন’ প্রবন্ধে আমরা পাই, বেগম রোকেয়া শুধু নারী শিক্ষার জন্যই কাজ করেন নি। তিনি মানবতার সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন। মুসলমানরা তখন শিক্ষা-দীক্ষা, চাকরি, সামাজিক প্রতিষ্ঠার দিক দিয়ে পিছিয়ে ছিল। রোকেয়া তার খেনির মধ্য দিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করেন। নারীদের মধ্যে জাগরণের সূত্রপাত করেন। দুঃস্থ নারীদের সেবায় তিনি ‘আঞ্জুমান খাওয়াতিনে ইসলাম’ নামে মহিলা সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। উদ্দীপকের নীলা এক মহিয়সী নারী যিনি উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে কয়েকটি সেবা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। সেখানে নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকল মানুষকে রোগ, দুখ ও দারিদ্র্য থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য কাজ করেন তিনি। বেগম রোকেয়া শুধু নারী জাগরণের অগ্রদূতই নন, তিনি ছিলেন মানবদরদি এক মহীয়সী নারী। সামাজিক শত বাঁধা অতিক্রম করে তিনি তার লক্ষ্য অর্জনে ব্রতী হয়েছিলেন। সফলও হয়েছেন। তাঁর লেখনী ও তাঁর প্রতিষ্ঠিত নারী সংগঠন নারী জাগরণের ক্ষেত্রে অনন্য ভ‚মিকা পালন করেছে। অন্যদিকে উদ্দীপকের নীলা নিজের সুখ-সমৃদ্ধির কথা না ভেবে উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে কয়েকটি সেবা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। তাই বলা যায় সমাজের কল্যাণের জন্য নীলা ও বেগম রোকেয়া উভয়েই স্বীয় ক্ষেত্র থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করেছেন। প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ শরীফা চৌধুরী হার না মানা মনোভাব ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে আজ সমাজে সুপ্রতিষ্ঠিত। কিন্তু শৈশবে তিনি পড়াশোনার তেমন সুযোগ পান নি। জীবনের অভিজ্ঞতা দিয়ে তিনি বুঝতে পেরেছেন, সমাজে মেয়েরা পিছিয়ে আছে। তাই তিনি খুঁজে খুঁজে অসহায় মেয়েদেরকে স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেন। শত বাধা এলেও মেয়েদের শিক্ষার বিষয়ে আপস করেন নি তিনি। ক. বেগম রোকেয়া কোথায় জন্মগ্রহণ করেন? ১ খ. বেগম রোকেয়াকে নারীমুক্তির অগ্রদূত বলা হয়েছে কেন? ব্যাখ্যা কর। ২ গ. অনুচ্ছেদের শরীফা চৌধুরী এবং বেগম রোকেয়ার শৈশবে কী অমিল লক্ষ করা যায়? আলোচনা কর। ৩ ঘ. শরীফা চৌধুরী বেগম রোকেয়ার অসমাপ্ত কাজকেই পূর্ণতা দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেনÑ বিশ্লেষণ কর। ৪ ক বেগম রোকেয়া রংপুর জেলার পায়রাবন্দ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। খ নারী শিক্ষায় অসামান্য অবদানের জন্য রোকেয়াকে নারীমুক্তির অগ্রদূত বলা হয়। বিশ শতকের শুরুতে বাঙালি মুসলিম সমাজের নারীদের অবস্থান ছিল পেছনের সারিতে। সে সময় নারীদের ন্যূনতম শিক্ষার অধিকার ছিল না। এমন এক পরিস্থিতিতে বেগম রোকেয়া স্বশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিক‚ল পরিবেশে কঠোর পরিশ্রম করে তিনি মেয়েদের শিক্ষার আলোর দিকে এগিয়ে নিয়ে যান। দুস্থ নারীদের স্বাবলম্বী করার জন্য ‘আঞ্জুমানে খাওয়াতিনে ইসলাম’ নামে মহিলা সমিতি গঠন করেন। নিজের লেখনীশক্তি দ্বারা নারীকে তার অধিকার সম্পর্কে সচেতন করেন। এসব অবদানের জন্যই তাকে নারীমুক্তির অগ্রদূত বলা হয়। গ রোকেয়া শৈশবে শিক্ষালাভের সুযোগ পেলেও উদ্দীপকের শরীফা চৌধুরী তেমন সুযোগ পাননি। বেগম রোকেয়া এক সম্ভ্রান্ত বাঙালি উচ্চশিক্ষিত সংস্কৃতিমনা মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। লেখাপড়ার প্রতি রোকেয়ার প্রবল আগ্রহ দেখে তার বড় ভাই ইব্রাহীম সাবের তাকে ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলেন। আত্মীয়স্বজন উর্দু, ফারসি পড়ায় মেয়েদের বাধা না দিলেও বাংলা পড়ার ব্যাপারে ঘোরবিরোধী ছিল। বেগম রোকেয়া পড়ালেখার বিষয়ে প্রতিবন্ধকতার শিকার হলেও পড়ালেখার সুযোগ করে নিয়েছিলেন। উদ্দীপকের শরীফা বেগমের ক্ষেত্রে আমরা দেখি তিনি বেগম রোকেয়ার মতো হার না মানা মনোভাব আর কঠোর পরিশ্রম করে জীবনের অভিজ্ঞতা দিয়ে বুঝতে পেরেছেন, সমাজে মেয়েরা পিছিয়ে আছে। প্রবল ইচ্ছা শক্তির জোরে তিনি সমাজে প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন। ফলে তিনি বুঝেছেন যে, মেয়েদেরকে অবশ্যই শিক্ষিত হতে হবে। সমাজে প্রতিষ্ঠিত হলেও শৈশবে পড়ালেখার তেমন সুযোগ পাননি। প্রতিক‚ল পরিবেশে জš§গ্রহণ করেও বেগম রোকেয়া লেখাপড়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু উদ্দীপকের শরীফা বেগম তা পাননি। মূলত শৈশবে শিক্ষার সুযোগ পাওয়ার বিষয়টি বেগম রোকেয়ার সঙ্গে শরীফা চৌধুরীর অমিল তৈরি করেছে। ঘ বেগম রোকেয়ার নারীশিক্ষার জন্য আমরণ সংগ্রামের অসমাপ্ত কাজকেই পূর্ণতা দেয়ার লক্ষ্যে কাজ করে গেছেন উদ্দীপকের শরীফা চৌধুরী। বেগম রোকেয়া রংপুরের অভিজাত পরিবারে জন্মগ্রহণ করলেও তৎকালীন সমাজে শিক্ষালাভ করা তার

সপ্তম শ্রেণির বাংলা রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন Read More »

Scroll to Top