শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে আমরা তোমাদের তৃতীয় শ্রেণির বাংলা ঘুড়ি অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর ও মডেল টেস্ট প্রদান করব। এখানে তোমরা তৃতীয় শ্রেণি বাংলা ১৭ অধ্যায় ঘুড়ি এর অনুশীলনীর সকল প্রশ্ন উত্তর সহ অতিরিক্ত কিছু প্রশ্ন উত্তর এবং একটি মডেল টেস্ট এ যাবে অনুশীলন করলে বাংলা বিষয়ে এই অধ্যায়ে তোমাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে।
৩য় শ্রেণির বাংলা ঘুড়ি
কবি পরিচিতি
নাম : আবুল হোসেন।
জন্ম : ১৯২২ সালে, বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট থানার আড়–য়াভাঙা গ্রামে।
উল্লেখযোগ্য শিশুবিষয়ক গ্রন্থ : নব বসন্ত, অরণ্যের ডাক।
কবিতাটি পড়ে জানতে পারব
ঘুড়ি ওড়ার বর্ণনা নানা রঙের ঘুড়ির কথা
ঘুড়ি ওড়ানোর কৌশল সম্পর্কে ঘুড়ি ওড়ানোর আনন্দ সম্পর্কে
কবিতাটির মূলভাব জেনে নিই
ঘুড়ি ওড়ানোর খেলা ভারি মজার। হালকা বাতাসে নানা রঙের ঘুড়ি উড়তে উড়তে বনের মাথায় চলে যায়। সুতায় টান বাড়লে ঘুড়ি হয় টালমাটাল। তাকে তখন সহজে সামলানো যায় না। এক ঘুড়ির সুতো আরেকটির সুতোর সাথে প্যাঁচ লেগে কেটে যায়। কেটে যাওয়া ঘুড়ি কোথায় উড়ে গিয়ে কার হাতে পড়ে, তার খবর কেউ রাখে না।
বানানগুলো লক্ষ করি
গোধূলি, নীল, টালমাটাল, সাধ্যি, প্যাঁচ, হোঁচট, কৌশল।
৩য় শ্রেণির বাংলা ঘুড়ি অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর
১. শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি। অর্থ বলি।
গোধূলি হোঁচট চাল
উত্তর :
গোধূলি সূর্য ডোবার সময়।
হোঁচট চলার সময় পা আটকে যাওয়া।
চাল কৌশল।
২. ঘরের ভিতরের শব্দগুলো খালি জায়গায় বসিয়ে বাক্য তৈরি করি।
চাল হোঁচট গোধূলি
উত্তর :
ক) সাবধানে চলো, ভাঙা রাস্তায় হোঁচট খেয়ে পড়বে।
খ) ঘুড়ি ওড়াতে নানা চাল খাটাতে হয়।
গ) গোধূলি বেলায় আকাশ নানা রঙে রঙিন হয়ে ওঠে।
৩. কথাগুলো বুঝে নিই।
বন মাথায় – বনের মাথায়।
মন মাতায় – মনকে মাতায়।
হালকা বায় – হালকা বাতাসে।
টাল মাটাল – টলমল অবস্থা। পড়ে যাওয়ার মতো অবস্থা।
নাগাল পাওয়া – ধরতে পারা। কাছে যেতে পারা।
৪. মুখে মুখে উত্তর বলি ও লিখি।
ক) কবি কত রঙের ঘুড়ির কথা বলেছেন?
উত্তর : কবি ছয়টি রঙের ঘুড়ির কথা বলেছেন। রংগুলো হলো- হলুদ, সবুজ, লাল, সাদা, নীল ও কালো।
খ) ঘুড়ি কোথায় উড়ে যায়?
উত্তর : ঘুড়ি বনের মাথার উপর দিয়ে আকাশে উড়ে যায়।
গ) ঘুড়ি যখন অনেক উপরে উঠে তখন কেমন অবস্থা হয়?
উত্তর : ঘুড়ি যখন অনেক উপরে উঠে তখন সুতায় টান বাড়ানো হয়। আকাশে তখন ঘুড়িরা হোঁচট খায় এবং তাকে সামলে রাখা কষ্টকর হয়ে পড়ে। এর ফলে টালমাটাল হয়ে ঘুড়ি উপরে-নিচে ওঠানামা করে।
ঘ) ঘুড়ি কেটে যাওয়ার পরে কোথায় যায়?
উত্তর : ঘুড়ি প্যাঁচ লেগে কেটে গেলে আকাশে হারিয়ে যায়। তারপর ঘুড়ি কোথায় কার হাতে গিয়ে পড়ে সে খবর কেউ রাখে না।
৫. ঠিক উত্তরটি বাছাই করে বলি ও লিখি।
ক) আকাশে ঘুড়িরা কী করে?
১. ঘুরে বেড়ায় ২. প্যাঁচ লাগায়
৩. হোঁচট খায় ৪. ছুটে পালায়
খ) কখন ঘুড়ির অবস্থা টালমাটাল হয়?
১. সন্ধ্যার অল্প আলোয়
২. সুতার টান বাড়লে
৩. বাতাসের বেগ বাড়লে
৪. প্যাঁচ লেগে কেটে গেলে
গ) চিলেরা ঘুড়ির নাগাল পায় না। কারণÑ
১. বাতাসে ঘুড়ি টালমাটাল হয়
২. চিলের চেয়ে ঘুড়ি উঁচুতে ওড়ে
৩. ঘুড়ি কৌশলে ওড়ানো হয়
৪. ঘুড়ি কেটে অনেক দূরে যায়
উত্তর : ক) ৩. হোঁচট খায়; খ) ২. সুতার টান বাড়লে; গ) ৩. ঘুড়ি কৌশলে ওড়ানো হয়।
৬. ডান দিক থেকে ঠিক শব্দটি বেছে নিয়ে খালি জায়গায় বসাই।
ক) হলুদে সবুজে নীল কালোয়/মন মাতায়
খ) একটু বাড়িলে টান সুতায়/হোঁচট খায়
গ) উঠিছে নামিছে ঘুড়ির চাল/টালমাটাল
ঘ) প্যাঁচ লেগে ঘুড়ি কোথায় যায়/কেটে পালায়
উত্তর :
ক) হলুদে সবুজে মন মাতায়।
খ) একটু বাড়িলে টান সুতায়।
গ) উঠিছে নামিছে টালমাটাল।
ঘ) প্যাঁচ লেগে ঘুড়ি কেটে পালায়।
তৃতীয় শ্রেণির বাংলা ঘুড়ি অনুশীলনীর অতিরিক্ত প্রশ্ন উত্তর
সঠিক উত্তরটি লেখ।
১. বন মাথায় কী উড়ছে?
ক পাখি খ মেঘ গ ঘুড়ি ঘ স্বপ্ন
২. কে ঘুড়ির নাগাল পায় না?
ক বন খ সুতা গ চিল ঘ বাতাস
৩. প্যাঁচ লেগে ঘুড়ি কী করে?
ক কেটে পালায় খ টালমাটাল হয়
গ হোঁচট খায় ঘ মন মাতায়
নিচের শব্দগুলো দিয়ে বাক্য রচনা কর।
কঠিন, নাগাল, ঝিকিমিকি, বন।
উত্তর :
শব্দ বাক্য
কঠিন চেষ্টা করলে কঠিন কাজও সহজ হয়ে যায়।
নাগাল বাবু পেয়ারাটার নাগাল পাচ্ছে না।
ঝিকিমিকি জোনাকির আলোয় চারপাশ ঝিকিমিকি করছে।
বন বাঘ থাকে বনের গভীরে।
শূন্যস্থান পূরণ কর।
ক) ঘুড়িরা হোঁচট খায়।
খ) সাধ্যি কি চিল পায় ।
গ) ঘুড়িরা উড়িছে হালকা ।
ঘ) ভারি যে ঘুড়ির চাল।
উত্তর : ক) আকাশে; খ) নাগাল; গ) বায়; ঘ) কঠিন।
ডান পাশের বাক্যাংশের সাথে বাম পাশের বাক্যাংশের মিল কর।
ঘুড়িরা উড়িছে হোঁচট খায়।
আকাশে ঘুড়িরা রাখা যে দায়।
সামলে তখন বন মাথায়।
মন মাতায়।
কেটে পালায়।
উত্তর : ঘুড়িরা উড়িছে বন মাথায়।
আকাশে ঘুড়িরা হোঁচট খায়।
সামলে তখন রাখা যে দায়।
নিচের শব্দগুলোর সমার্থক শব্দ লেখ।
বন, আলো, খবর, মন, আকাশ।
উত্তর : শব্দ সমার্থক শব্দ
বন অরণ্য, জঙ্গল।
আলো আলোক, জ্যোতি।
খবর সংবাদ, সন্দেশ।
মন অন্তর, হৃদয়।
আকাশ অম্বর, গগন।
নিচের শব্দগুলোর বানান শুদ্ধ করে লেখ।
গোধূলী, হোচট, প্যঁচ, সাদ্যি, কৈশল।
উত্তর : ভুল বানান শুদ্ধ বানান
গোধূলী গোধূলি
হোচট হোঁচট
প্যঁচ প্যাঁচ
সাদ্যি সাধ্যি
কৈশল কৌশল
নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
ক) আকাশে ঘুড়িরা কখন হোঁচট খায়?
উত্তর : সুতায় টান বাড়লে আকাশে ঘুড়িরা হোঁচট খায়।
খ) প্যাঁচ লেগে ঘুড়ির কী অবস্থা হয়?
উত্তর : প্যাঁচ লেগে ঘুড়ি কেটে পালায়। তারপর ঘুড়ির আর খবর পাওয়া যায় না।
তৃতীয় শ্রেণির বাংলা ঘুড়ি মডেল টেস্ট
নিচের কবিতাংশটি পড়ে ১, ২, ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর লেখ।
ঘুড়িরা উড়িছে বন মাথায়
হলদে সবুজে মন মাতায়
গোধূলির ঝিকিমিকি আলোয়
লাল সাদা আর নীল কালোয়,
ঘুড়িরা উড়িছে হালকা বায়।
একটু বাড়িলে টান সুতায়,
আকাশে ঘুড়িরা হোঁচট খায়
সামলে তখন রাখা যে দায়
উঠিছে নামিছে টালমাটাল
১. সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ।
১) আকাশে ঘুড়িরা কী করে?
(ক) ঘুরে বেড়ায় (খ) প্যাঁচ লাগায়
(গ) হোঁচট খায় (ঘ) ছুটে পালায়
২) কোনটি মন মাতায়?
(ক) শীতল বাতাস (খ) হালকা বাতাস
(গ) ঘুড়ির রং (ঘ) ঘুড়ির চাল
৩) কখন ঘুড়ির অবস্থা টালমাটাল হয়?
(ক) বাতাসের বেগ বাড়লে
(খ) সুতার টান বাড়লে
(গ) দিনের আলোয়
(ঘ) প্যাঁচ লেগে কেটে গেলে
৪) ঘুড়ি আকাশে হোঁচট খেলে কী হয়?
(ক) কেটে যায়
(খ) অনেক নিচে নেমে আসে
(গ) সামলে রাখতে কষ্ট হয়
(ঘ) অনেক উপরে উঠে যায়
৫) কবিতাংশে প্রকাশিত হয়েছে
(ক) শৈশবের আনন্দময় দিনের কথা
(খ) ঘুড়ি ওড়ানোর আনন্দের কথা
(গ) ঘুড়ির হারিয়ে যাওয়ার কথা
(ঘ) আকাশের নানা রঙের মেঘের কথা
উত্তর : ১) (গ) হোঁচট খায়; ২) (গ) ঘুড়ির রং; ৩) (খ) সুতার টান বাড়লে; ৪) (গ) সামলে রাখতে কষ্ট হয়; ৫) (খ) ঘুড়ি ওড়ানোর আনন্দের কথা।
২. নিচের শব্দগুলোর অর্থ লেখ।
গোধূলি, হোঁচট, বায়, টালমাটাল, দায়।
উত্তর : শব্দ অর্থ
গোধূলি সূর্য ডোবার সময়।
হোঁচট চলার সময় পা আটকে যাওয়া।
বায় বাতাসে।
টালমাটাল টলমল অবস্থা।
দায় বিপদ।
৩. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
ক) ঘুড়ি কোথায় উড়ে যায়?
উত্তর : ঘুড়ি বনের মাথার উপর দিয়ে আকাশে উড়ে যায়।
খ) অনুচ্ছেদে কতটি রঙের ঘুড়ির কথা আছে?
উত্তর : অনুচ্ছেদে ছয়টি রঙের ঘুড়ির কথা আছে।
গ) সুতার টান বাড়লে ঘুড়ির কী অবস্থা হয়?
উত্তর : সুতার টান বাড়ালে ঘুড়ি আকাশে হোঁচট খায়। তখন ঘুড়িকে সামলে রাখতে কষ্ট হয়।
৪. কবিতাংশটির মূলভাব লেখ।
উত্তর : বনের মাথায় হালকা বাতাসে উড়ছে নানা রঙের ঘুড়ি। দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়। সুতায় একটু টান বাড়লেই ঘুড়ি আকাশে হোঁচট খায়। তার অবস্থা হয় টালমাটাল। ঘুড়িকে তখন সামলানো কষ্টকর হয়ে পড়ে।
এ অংশে পাঠ্য বই বহিভর্‚ত অনুচ্ছেদ/কবিতাংশ দেওয়া থাকবে। প্রদত্ত অনুচ্ছেদ/কবিতাংশ পড়ে ৩ ধরনের প্রশ্নের উত্তর করতে হবে। এখানে থাকবে- ৫. বহুনির্বাচনি প্রশ্ন, ৬. শূন্যস্থান পূরণ ও ৭. প্রশ্নের উত্তর লিখন। প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর করতে হবে।
পাঠ্য বই বহিভর্‚ত অনুচ্ছেদ/কবিতাংশ পরীক্ষায় কমন পড়বে না। তাই এটি এখানে দেওয়া হলো না। তবে পরীক্ষার প্রশ্নের পূর্ণাঙ্গ নমুনা (ঋড়ৎসধঃ) বোঝার সুবিধার্থে বইয়ের প্রথম দুটি অধ্যায়ে পাঠ্য বই বহিভর্‚ত অংশটি সংযোজন করা হয়েছে।
৮. নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ নিয়ে তৈরি ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে শব্দ গঠন করে বাক্যে প্রয়োগ দেখাও।
চ্ছ, ন্ধ, ন্দ, দ্র, স্ত।
উত্তর :
চ্ছ – চ + ছ = গচ্ছিত
– মায়ের কাছে আমার কিছু টাকা গচ্ছিত আছে।
ন্ধ – ন + ধ = বন্ধ
– জানালাটা বন্ধ করে দাও।
ন্দ – ন + দ = বন্দি
– সারাক্ষণ ঘরে বন্দি থাকতে ভালো লাগে না।
দ্র – দ + র-ফলা ( ্র ) = ক্ষুদ্র
– ক্ষুদ্র পিঁপড়াও সময়ের মূল্য জানে।
স্ত = স + ত = সমস্ত
বাবা সমস্ত কাজ একাই করলেন।
৯. সঠিক স্থানে বিরামচিহ্ন বসিয়ে অনুচ্ছেদটি আবার লেখ।
(কবিতার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়)
১০. ক্রিয়াপদের চলিত রূপ লেখ।
উড়িছে, রাখিতে, বাড়িলে, সামলাইয়া, কাটিয়া।
উত্তর : ক্রিয়াপদ চলিত রূপ
উড়িছে উড়ছে
রাখিতে রাখতে
বাড়িলে বাড়লে
সামলাইয়া সামলে
কাটিয়া কেটে
১১. নিচের শব্দগুলোর বিপরীত শব্দ লেখ।
হালকা, উঠছে, আলো, কঠিন, বাড়লে।
উত্তর : শব্দ বিপরীত শব্দ
হালকা ভারী
উঠছে নামছে
আলো অন্ধকার
কঠিন সহজ
বাড়লে কমলে
১২. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
আকাশের কোথা কোন কোনায়
খবর রেখেছে কেউ কি তার?
ভারি যে কঠিন ঘুড়ির চাল,
প্যাঁচ লেগে ঘুড়ি কেটে পালায়
ঘুড়িরা পড়েছে হাতেতে কার,
সাধ্যি কি চিল পায় নাগাল
ক) কবিতার লাইনগুলো সাজিয়ে লেখ।
খ) কবিতাংশটি কোন কবিতার অংশ?
গ) কবিতাটির কবির নাম কী?
ঘ) ঘুড়ি কেটে যাওয়ার পর কোথায় যায়?
উত্তর :
ক) কবিতার লাইনগুলো নিচে সাজিয়ে লেখা হলো
ভারি যে কঠিন ঘুড়ির চাল,
সাধ্যি কি চিল পায় নাগাল।
প্যাঁচ লেগে ঘুড়ি কেটে পালায়
আকাশের কোথা কোন কোনায়
ঘুড়িরা পড়েছে হাতেতে কার,
খবর রেখেছে কেউ কি তার?
খ) কবিতাংশটি ‘ঘুড়ি’ কবিতার অংশ।
গ) কবিতাটির কবির নাম আবুল হোসেন।
ঘ) ঘুড়ি প্যাঁচ লেগে কেটে গেলে আকাশে হারিয়ে যায়। তারপর ঘুড়ি কোথায় কার হাতে গিয়ে পড়ে সে খবর কেউ রাখে না।