ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা নীলনদ আর পিরামিডের দেশ

নীলনদ আর পিরামিডের দেশ
সৈয়দ মুজতবা আলী
 লেখক পরিচিতি
নাম সৈয়দ মুজতবা আলী।
জন্ম পরিচয় জন্ম : ১৩ সেপ্টেম্বর ১৯০৪ খ্রিষ্টাব্দ। জন্মস্থান : আসামের করিমগঞ্জ।
পিতৃ পরিচয় পিতার নাম : সৈয়দ সিকান্দর আলী।
শিক্ষাজীবন প্রাথমিক শিক্ষা : সিলেট গভর্নমেন্ট হাই স্কুলে থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত অধ্যয়ন। অতঃপর শান্তিনিকেতনের স্কুল বিভাগে ভর্তি (১৯২১)। সেখানে পাঁচ বছর অধ্যয়নের পর শান্তিনিকেতন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ (১৯২৬)। আলীগড় কলেজ, বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয় এবং কায়রোর আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেছেন।
কর্মজীবন/পেশা কাবুলের কৃষি বিজ্ঞান কলেজে ফারসি ও ইংরেজি ভাষায় অধ্যাপক পদে যোগদান (১৯২৭), বারোদা কলেজে তুলনামূলক ধর্মতত্তে¡র অধ্যাপক পদে যোগদান (১৯৩৫), বগুড়ার আযিযুল হক কলেজে অধ্যক্ষ পদে যোগদান (১৯৪৯), কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামের ইতিহাস বিভাগে অধ্যাপক (১৯৫০)।
সাহিত্য সাধনা দেশে বিদেশে (১৩৫৬), পঞ্চতন্ত্র (১৩৫৯), চাচা কাহিনী (১৯৫৯), ময়ূরকণ্ঠী (১৩৫৯), জলে ডাঙায় (১৩৬৭), শবনম (১৩৬৭), টুনিমেম (১৩৭০), বড়বাবু (১৩৭২), শহর-ইয়ার (১৩৭৬), কত না অশ্রæজল (১৩৭৮) ইত্যাদি তাঁর বিশিষ্ট গ্রন্থ।
জীবনাবসান ১১ ফেব্রæয়ারি, ১৯৭৪ খ্রিষ্টাব্দ, ঢাকায়।

 বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর 
১. কোন দেশকে পিরামিডের দেশ বলা হয়?
ক সুদান খ সৌদি আরব
গ ইরান  মিশর
২. ‘ক্যারাভান’ শব্দটির অর্থ কী?
 কাফেলা খ গাড়ি
গ উড়োজাহাজ ঘ মেলা
অনুচ্ছেদটি পড়ে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
বাংলাদেশের কুয়াকাটার নয়নাভিরাম প্রকৃতির দৃশ্য দেখে সকলেই মুগ্ধ হয়। এখানেই সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখা যায়। নদীমাতৃক বাংলাদেশ এভাবেই সারা বিশ্বকে আকর্ষণ করে।
৩. উপরের প্রকৃতির দৃশ্যের সঙ্গে লেখকের ভ্রমণ কাহিনির কোন দিকটির সাথে সাদৃশ্য আছে?
ক জমির উর্বরতা
 নীলনদের সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের দৃশ্য
গ নদনদীর আধিক্য
ঘ অর্থনৈতিক অবস্থা
৪. উদ্দীপকে বর্ণিত প্রকৃতির দৃশ্য মানুষের মনে-
র. প্রফুল্লতা আনে
রর. বিনোদনের প্রবণতা জাগায়
ররর. কল্পনা বিলাসের জন্ম দেয়
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন- ১  নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভ‚মি

আমরা কয়েকজন বন্ধু গ্রীষ্মের ছুটিতে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। উদ্দেশ্য, দুচোখ ভরে প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করা। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম আবার সেখান থেকে কক্সবাজার গেলাম, সেখান থেকে সেন্ট মার্টিন, কী অপূর্ব দৃশ্য আর সৌন্দর্যের মাখামাখি। কোরাল পাথরের ছড়াছড়ি সেন্ট মার্টিন-এর এক বিশাল অহঙ্কার। এছাড়াও আছে নীল পানির এক রাজপুরী। সেখানে কচ্ছপেরা অবাধে ঘুরে বেড়ায়, ডিম পাড়ে; কাঁকড়ারা দল বেঁধে আলপনা আঁকে। সেন্ট মার্টিনে না গেলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এই লীলাভ‚মি অদেখাই থেকে যেত।
ক. ‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’-কার লেখা?
খ. উটের চোখগুলো রাতের বেলা সবুজ দেখাচ্ছিল কেন?
গ. ভ্রমণকারীদের যাত্রাপথের সাথে লেখকের মিশর ভ্রমণের কী মিল খুঁজে পাওয়া যায়? বর্ণনা কর।
ঘ. ‘সেন্ট মার্টিন না গেলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এই লীলাভ‚মি অদেখাই থেকে যেত’- এই বক্তব্য অনুসরণে নীলনদের সৌন্দর্যের সাদৃশ্য দেখাও।

ক ‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’- সৈয়দ মুজতবা আলীর লেখা।
খ রাতের বেলা উটের চোখের উপর মোটরের হেডলাইট পড়াতে চোখগুলো সবুজ দেখাচ্ছিল।
লেখক যখন মোটর নিয়ে রাতে মরুভ‚মির উপর দিয়ে চলছিলেন তখন মোটরের হেডলাইটের আলো উটের চোখগুলোর উপর পড়ে। এতে সেগুলো জ্বলজ্বল করে ওঠে। তখন সবুজ দেখায়।
গ অপূর্ব সৌন্দর্যের লীলাভ‚মি দেখার ক্ষেত্রে উদ্দীপকের ভ্রমণকারীদের যাত্রাপথের সাথে লেখকের মিশর ভ্রমণের ব্যাপক মিল খুঁজে পাওয়া যায়।
মিশরের নানারূপ সৌন্দর্যে মুগ্ধ লেখক ‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’ নামক ভ্রমণ কাহিনিতে তার পরিচয় তুলে ধরেছেন। নীলনদের রমণীয় সৌন্দর্যে লেখকের চোখ আটকে গেল। চাঁদের আলোয় দেখতে পেলেন মহাজনি নৌকা যেন পেট ফুলিয়ে চলছে। নীলের জল থেকে হঠাৎ চোখ পড়ল পৃথিবীর সবচেয়ে পুরনো কীর্তিস্তম্ভ পিরামিডের দিকে। এছাড়া মসজিদের মিনার কিংবা মসজিদের ভেতরের কারুকাজ দেখে লেখক যে অভিভ‚ত হয়েছেন তা তাঁর বর্ণনাতে স্পষ্ট।
উদ্দীপকে উল্লিখিত হয়েছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভ‚মি কক্সবাজার ও সেন্ট মার্টিনের নয়নাভিরাম সৌন্দর্য। সেন্ট মার্টিনে কোরাল পাথরের সমাহার আর এর চতুর্পাশ পরিবেষ্টিত নীল পানি একে পরিণত করেছে এক রাজপুরীতে। কচ্ছপের অবাধ বিচরণ আর কাঁকড়াদের দল বেঁধে চলা কার না মন কাড়ে। কক্সবাজার ও সেন্ট মার্টিনে কয়েকজন বন্ধুর ভ্রমণের সময় তারা তাদের যাত্রাপথে একের পর এক সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়েছে। ঠিক একইভাবে ‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’-এর ভ্রমণ কাহিনিতেও তেমনি লেখক মিশরের নানা সৌন্দর্যে মুগ্ধ ও অভিভ‚ত হয়েছেন। নীলনদের নীল পানি আর সেন্ট মার্টিনের নীল পানি অনুরূপ হয়ে ধরা দিয়েছে।
ঘ ‘সেন্ট মার্টিন না গেলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এই লীলাভ‚মি অদেখাই থেকে যেত’, উক্তিটি ‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’ -এর লেখকের অভিব্যক্তির অনুরূপ।
‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’-ভ্রমণ কাহিনিতে লেখক সৈয়দ মুজতবা আলী নীলনদের এক অপরূপ বর্ণনা দিয়েছেন। চাঁদের আলোতে লেখক দেখতে পেয়েছেন নীলনদের রমণীয় দৃশ্য। নীলের উপর দিয়ে ছুটে চলা মহাজনি নৌকা, যার তেকোণা পাল যেন পেটুক ছেলের মতো পেট ফুলিয়ে আছে। একটুখানি জোরে হাওয়া বইলেই যেন তা ডিগবাজি খেয়ে নীলের অতল জলে হারিয়ে যাবে। নীলের জল দিয়েই হয় চাষাবাদ আবার এই জলপথেই মিশরে সর্বত্র ফসলাদি পৌঁছে দেওয়া হয়।
উদ্দীপকের সেন্ট মার্টিন যেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধার। অপূর্ব দৃশ্য আর সৌন্দর্যে চারপাশ মাখামাখি। সেন্ট মার্টিনের সর্বত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে কোরাল পাথর। নীল পানি বেষ্টিত দ্বীপটি এক রাজপুরি। সেন্ট মার্টিনে অবাধে ঘুরে বেড়ায় কচ্ছপেরা। কাঁকড়ারা দলবেঁধে বিচরণ করে মাটিতে আলপনা আঁকে। সমুদ্রের বিশালতার মাঝে এমন হৃদয়কাড়া স্নিগ্ধ অপরূপ সৌন্দর্যে দেহ-মন-প্রাণ প্রশান্ত হয়ে যায়।
নীলনদ আর সেন্ট মার্টিনের প্রাকৃতিক রূপ, সৌন্দর্যপিপাসু মানুষের মনে বিস্ময় সৃষ্টি না করে পারে না। নীলনদ আর সেন্ট মার্টিনের সৌন্দর্য প্রকৃতি প্রদত্ত। এর নান্দনিকতার কোনো সীমা পরিসীমা নেই। নীলনদের রূপ-সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়েছেন লেখক। আর সেন্ট মার্টিন ভ্রমণকারীরা তো বলেই দিয়েছে সেন্ট মার্টিন না গেলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এই লীলাভ‚মি অদেখাই থেকে যেত। উভয়ের সৌন্দর্য অবলোকন করার বিষয়টি তাই সাদৃশ্যপূর্ণ।
প্রশ্ন- ২  ভ্রমণ ও জ্ঞানার্জন

কামাল তার বন্ধুদের নিয়ে রাজধানী ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হলো। পদ্মা ও যমুনার রুপালি স্রোত পাড়ি দিয়ে তারা এক সময় ঢাকায় পৌঁছায়। সেখানে তারা প্রথমেই যায় লালবাগের দুর্গে। এ যেন ফেলে আসা মুঘল সাম্রাজ্যের একটুকরো রাজত্ব। মুঘল সম্রাটদের স্থাপত্য ঐশ্বর্য এখানে লুকিয়ে আছে। এখানকার দরবার হল, পরীবিবির মাজার ও শাহজাদা আজমের মসজিদ দেখে তারা ছবি তুলতে লাগলো। তারা শেষ পর্যন্ত স্বীকার করলো এখানে না আসলে অতীত ইতিহাস ও সম্রাটদের হারিয়ে যেতে বসা বিশাল কীর্তি অজানাই থেকে যেত।
ক. ‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’-এর লেখকের জন্মস্থান কোথায়? ১
খ. এই নীলের জল দিয়ে এ দেশের চাষ হয়- কেন? ২
গ. ‘উদ্দীপকের কামাল ও তার বন্ধুদের ভ্রমণ আর লেখকের ভ্রমণের উদ্দেশ্য একই’- ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ‘লালবাগ দুর্গের স্থাপত্য শৈলীর সাথে পিরামিডের স্থাপত্য শৈলীর মিল খুঁজে পাওয়া যায়।’ মতটি বিশ্লেষণ কর। ৪

ক ‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’-এর লেখকের জন্মস্থান আসামের করিমগঞ্জে।
খ নীলনদের তীরে মিশর অবস্থিত হওয়ায় নীলের জল দিয়েই এ অঞ্চলের চাষাবাদ হয়।
নীলনদ মিশরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নদী। মিশরীয় সভ্যতা গড়ে উঠেছিল নীলনদকে কেন্দ্র করে। নীলনদের পানি গোটা দেশে ছড়িয়ে দিয়ে গোটা অঞ্চলের চাষাবাদ করা হয়। মিশরের কৃষিক্ষেত্রে বিশাল অবদান এই নদের। এ কারণেই বলা হয় মিশর নীলনদের দান। কারণ নীলের পানি দিয়েই এদেশের যাবতীয় চাষ হয়।
গ ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে জানার ক্ষেত্রে উদ্দীপকের কামাল ও তার বন্ধুদের ভ্রমণ আর লেখকের ভ্রমণের উদ্দেশ্য একই।
নীলনদ আর পিরামিডের দেশ রচনার লেখক পৃথিবীর রূপ-রস সৌন্দর্যকে স্বচক্ষে দেখতে পেয়েছেন। তাই তিনি বিভিন্ন দেশের পথে প্রান্তরে ঘুরে বেড়িয়েছেন। মরুভ‚মির দুর্গম পথ পাড়ি দিয়েছেন। কায়রো নগরীর জনজীবন, আচার, অভ্যাস, খাবার-দাবার ইত্যাদির সাথে পরিচিত হয়েছেন। নীলনদের বুকে ভাসমান নৌকা, পৃথিবীর সপ্তাশ্চর্য পিরামিড, মসজিদের মিনার ও কারুকাজ সবকিছুকেই গভীর আন্তরিকতা দিয়ে প্রত্যক্ষ করেছেন। অজানাকে জানার দুর্নিবার আকাক্সক্ষা ছিল তার সহজাত বৈশিষ্ট্য।
উদ্দীপকের কামাল ও তার বন্ধুরা অজানাকে জানার আকাক্সক্ষা নিয়েই রাজধানী ঢাকার লালবাগ দুর্গে ভ্রমণ করতে আসে। মুঘল সাম্রাজ্যের স্থাপত্য ঐশ্বর্য দরবার হল, পরীবিবির মাজার, শাহজাদা আজমের মসজিদ ইত্যাদি পরিদর্শনকালে তারা প্রাচীন কীর্তিসমূহ স্বচক্ষে দেখে প্রত্যক্ষ জ্ঞান লাভের চেষ্টা করে। তাই নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, উদ্দীপকের কামাল ও তার বন্ধুদের ভ্রমণ আর লেখকের ভ্রমণের উদ্দেশ্য একই।
ঘ উদ্দীপকের দুর্গের স্থাপত্যশৈলীর সাথে ‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’ রচনায় পিরামিডের স্থাপত্যশৈলীর যথেষ্ট মিল খুঁজে পাওয়া যায়।
‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’ রচনায় লেখক পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের একটি পিরামিড সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দিয়েছেন। এই পিরামিডের নির্মাণশৈলী অপূর্ব। পৃথিবীর সবচেয়ে পুরনো কীর্তিস্তম্ভ এই পিরামিড। এটি নিয়ে জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই। গিজে অঞ্চলের পিরামিডই পৃথিবী বিখ্যাত। প্রায় পাঁচশ ফুট উঁচু এই পিরামিড। সামনা সামনি দেখেও এর উচ্চতা সম্পর্কে ধারণা করা যায় না। বহুদূরে গিয়েও দেখা যায় পিরামিড তিনটি মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে।
উদ্দীপকের কামাল ও তার বন্ধুরা পরিদর্শন করেছিল লালবাগ দুর্গ। এটি ছিল ফেলে আসা মুঘল সাম্রাজ্যের একটুকরো রাজত্ব। মুঘল সম্রাটদের স্থাপত্য ঐশ্বর্যের নিদর্শন দরবার হল, পরীবিবির মাজার ও শাহজাদা আজমের মসজিদ ইত্যাদি। এসব নিদর্শন তাদের প্রাচীন কীর্তির কথাই মনে করিয়ে দেয়। পুরো দুর্গটি ঘুরে দেখলে বোঝা যায় এটি কত দীর্ঘ সময় ধরে নির্মাণ করা হয়েছে।
নীলনদ আর পিরামিডের দেশ রচনায় বলা হয়েছে। অর্থাৎ প্রাচীন মিশরীয় ফারাও স¤প্রদায় তাদের সমৃদ্ধির নিদর্শন হিসেবে নির্মাণ করেছিলেন পিরামিড। যেটা বিশ্বের আশ্চর্য স্থাপত্য। আর উদ্দীপকেও লালবাগ দুর্গের মুঘল আমলের স্থাপত্য নিদর্শনের অপূর্ব নির্মাণশৈলী অনুধাবন করা যায়। তাই লালবাগের স্থাপত্যশৈলীর সাথে পিরামিডের স্থাপত্যশৈলীর যথেষ্ট মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

 বিষয়ক্রম অনুযায়ী বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
ন্ধ লেখক পরিচিতি º বোর্ড বই, পৃষ্ঠা ১৬
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নত্তোর
১. সৈয়দ মুজতবা আলী কত সালে জন্মগ্রহণ করেন? (জ্ঞান)
ক ১৯০৩  ১৯০৪ গ ১৯০৫ ঘ ১৯০৬
২. বাংলা সাহিত্যের অন্যতম রম্য রচয়িতা কে? (জ্ঞান)
ক এস ওয়াজেদ আলী খ রফিকুল ইসলাম
 সৈয়দ মুজতবা আলী ঘ সৈয়দ শামসুল হক
৩. ‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’ রচনাটি কোন শ্রেণির রচনা? (অনুধাবন)
ক কল্পকাহিনি খ রম্যরচনা  ভ্রমণ কাহিনি ঘ পত্র রচনা
৪. সৈয়দ মুজতবা আলী কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
ক মোরেলগঞ্জে খ সুনামগঞ্জে গ মানিকগঞ্জে  করিমগঞ্জে
৫. সৈয়দ মুজতবা আলী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্নেহসান্নিধ্যে কত বছর লেখাপড়ার সুযোগ পেয়েছিলেন?
ক তিন খ চার  পাঁচ ঘ ছয়
৬. সৈয়দ মুজতবা আলী কোথা থেকে স্নাতক পাস করেন?
ক বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয়  শান্তিনিকেতন
গ আলীগড় কলেজ ঘ ঢাকা কলেজ
৭. সৈয়দ মুজতবা আলীর লেখা গ্রন্থ কোনটি?
ক কত রং কত মেঘ খ পুতুল সৈনিক
গ ছেলে বুড়োর গল্প  পঞ্চতন্ত্র
৮. ‘জলে ডাঙ্গায়’ রচনাটির লেখক কে?
ক মোতাহের হোসেন খ সৈয়দ শামসুল হক
 সৈয়দ মুজতবা আলী ঘ শওকত ওসমান
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৯. সৈয়দ মুজতবা আলীর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলো হলো
র. শবনম রর. দেশ ভ্রমণ
ররর. চাচা কাহিনী
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১০. সৈয়দ মুজতবা আলী অধ্যয়ন করেছেন
র. আলীগড় কলেজে রর. বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয়ে
ররর. ঢাকা কলেজে
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১১. সৈয়দ মুজতবা আলী মৃত্যুবরণ করেন-
র. ১৯৭৪ খ্রিষ্টাব্দে রর. ১১ ফেব্রæয়ারি
ররর. ঢাকা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ রর ও ররর গ র ও ররর  র, রর ও ররর
ন্ধ মূলপাঠ º বোর্ড বই, পৃষ্ঠা ১২-১৫
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নত্তোর
১২. জাহাজ সুয়েজ বন্দরে পৌঁছাল কখন? (জ্ঞান)
ক বিকালে খ সকালে  সন্ধ্যায় ঘ দুপুরে
১৩. সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে নীলাকাশের লাল আর সমুদ্রের নীল মিলে কোন রং ধারণ করে? (জ্ঞান)
 বেগুনি খ সবুজ গ হলুদ ঘ কমলা
১৪. শহরের বিজলি বাতি ক্রমেই কেমন হয়ে আসছিল? (জ্ঞান)
ক প্রজ্বলিত  নি®প্রভ গ নিবু নিবু ঘ উজ্জ্বল
১৫. সোনালি বালিতে সূর্যরশ্মি প্রতিফলিত হয়ে সেটা কোথায় হানা দেয়? (জ্ঞান)
ক পৃথিবীতে খ মরুভ‚মিতে গ বাতাসে  আকাশে
১৬. কে উটের জমানো জল খায় প্রাণ বাঁচানোর জন্য? (জ্ঞান)
 বেদুইন খ লেখক গ ঘোড়া ঘ ভেড়া
১৭. উটের চোখের ওপর মোটরের হেডলাইট পড়লে কেমন রং ধারণ করে?
(অনুধাবন)
ক বাদামি খ সোনালি  সবুজ ঘ লাল
১৮. মৃত্যু থেকে নিষ্কৃতি পাওয়ার জন্য বেদুইন কী করেছিলেন? (জ্ঞান)
 উটের গলা কেটেছিল খ মহিষের গলা কেটেছিল
গ ঘোড়ার গলা কেটেছিল ঘ জিরাফের গলা কেটেছিল
১৯. ‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’ রচনায় লেখক খোলা জানালা দিয়ে সারি সারি কী দেখছিল? (জ্ঞান)
ক গাছ  আলো গ পাহাড় ঘ গাড়ি
২০. কায়রো কেমন শহর?
ক নীরব খ কোলাহল  নিশাচর ঘ জনবহুল
২১. ‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’ রচনায় লেখকের কীসের কারণে ঘুম ভেঙে যায়? (অনুধাবন)
ক গাড়ির শব্দে খ উটের ডাকে
 মোটরের ঝাঁকুনিতে ঘ মানুষের কোলাহলে
২২. মিশরীয়দের রান্না কেমন? (জ্ঞান)
 ভারতীয়দের রান্নার মামাতো বোনের মতো
খ চাকমাদের রান্নার মামাতো বোনের মতো
গ ‘বাঙালিদের রান্নার মামাতো বোনের মতো
ঘ অস্ট্রেলীয়দের রান্নার মামাতো বোনের মতো
২৩. ‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’ রচনায় কায়রোর রেস্তোরাঁগুলো কেমন ছিল? (প্রয়োগ)
ক পরিপাটি খ বিলাশবহুল
গ গতানুগতিক  নোংরা
২৪. ‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’ রচনায় লেখক যখন শহরতলি রেস্তোরাঁয় যান তখন রাত কয়টা? (জ্ঞান)
ক নয় খ দশ  এগারো ঘ বারো
২৫. টপি একটি শহরে বেড়াতে গিয়ে দেখতে পেল গণ্ডায় গণ্ডায় রেস্তোরাঁ, হোটেল, সিনেমা, ক্যাবারে। টপির দেখা শহরের সাথে কোন শহরের সাদৃশ্য রয়েছে? (প্রয়োগ)
ক দুবাই খ কলকাতা  কায়রো ঘ হংকং
২৬. নিগ্রোদের দাঁত দেখতে কেমন? (প্রয়োগ)
ক ডালিমের বিচির মতো  ঝিনুকের মতো
গ সাদা পাথরের মতো ঘ ধূসর পাথরের মতো
২৭. সুদানবাসীর গায়ের রং কেমন?
 ব্রোঞ্জের মতো খ তামার মতো
গ কাঁচা হলুদের মতো ঘ কালোপাথরের মতো
২৮. কাদের সর্বাঙ্গ দিয়ে তেল ঝরে? (অনুধাবন)
ক গারোদের  নিগ্রোদের গ চাকমাদের ঘ সাঁওতালদের
২৯. কায়রোতে বৃষ্টি হয় কখন? (জ্ঞান)
ক মাঝে মাঝে খ হঠাৎ  দৈবাৎ ঘ প্রায়
৩০. মিশরের পিরামিডের উচ্চতা প্রায় কত ফুট? (জ্ঞান)
ক তিনশ খ চারশ  পাঁচশ ঘ ছয়শ
৩১. পিরামিডের আকার দেখতে কেমন? (জ্ঞান)
 চ্যাপ্টা খ গোলাকার গ ত্রিকোণা ঘ সুগোল
৩২. সবচেয়ে বড় পিরামিড বানাতে এক লক্ষ লোকের কত বছর সময় লেগেছিল? (জ্ঞান)
ক দশ খ পনেরো  বিশ ঘ পঁচিশ
৩৩. কারা বিশ্বাস করতেন মৃত্যুর পর পচে কিংবা কোনো প্রকার আঘাতে ক্ষত হলে তারা পরলোক পাবে না? (জ্ঞান)
ক হিন্দু সম্রাটরা  ফারাও সম্রাটরা
গ পাদ্রি সম্রাটরা ঘ খ্রিষ্টান সম্রাটরা
৩৪. বাংলাদেশে ঢাকা শহরের মসজিদের শহরের মতো কোন দেশের শহরের সাদৃশ্য রয়েছে? (প্রয়োগ)
ক পাকিস্তান খ ইন্দোনেশিয়া  মিশর ঘ ফিলিপাইন
৩৫. নীলনদের উপর দিয়ে কী চলছিল? (জ্ঞান)
ক জাহাজ  মহাজনি নৌকা গ লঞ্চ ঘ স্টিমার
৩৬. মহাজনি নৌকা হাওয়াতে কাত হয়ে কেমন দেখাচ্ছিল? (অনুধাবন)
 পেটুক ছেলের মতো খ উড়ন্ত বলাকার মতো
গ গ্যাসে ভরা বেলুনের মতো ঘ পেটুক গাভির মতো
৩৭. ‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’ রচনায় লেখকের গাড়ি কেমন চলছিল? (জ্ঞান)
ক ধীরে খ গড়গড়িয়ে গ হেলেদুলে  তাড়াতাড়ি
৩৮. ফুটপাতে লোহার চেয়ারের উপর পদ্মাসনে দু-চারটি সুদানি দারোয়ান কী করছিল? (জ্ঞান)
ক ধ্যান করছে খ মালা জপছে  তসবি জপছে ঘ প্রার্থনা করছে
৩৯. ‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’ রচনার মূল প্রতিপাদ্য বিষয় কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
 প্রতিবেশী কোনো দেশের সংস্কৃতির পরিচয় তুলে ধরা
খ প্রতিবেশী কোনো দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট
গ প্রতিবেশী কোনো দেশের সামাজিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরা
ঘ প্রতিবেশী কোনো দেশের জীবনাচরণ তুলে ধরা
৪০. কোনটিকে ঘিরে প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতা গড়ে উঠেছে? (জ্ঞান)
ক স্থল বন্দর খ মসজিদ  নীলনদ ঘ নৌবন্দর
৪১. মিশরের সভ্যতা কালের কবলে হারিয়ে যায়নি কেন? (অনুধাবন)
 শুষ্ক আবহাওয়ায় খ নীলনদের জন্য
গ সংরক্ষণ করায় ঘ নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়ার জন্য
৪২. কায়রো শহর কীসে ঘেরা? (জ্ঞান)
ক নদীতে খ বনে গ পাহাড়ে  মরুভ‚মিতে
৪৩. ‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’ রচনাটি কোন গ্রন্থ থেকে পরিমার্জিত করে সংকল্পিত করা হয়েছে? (জ্ঞান)
ক পঞ্চতন্ত্র খ শবনম  জলে ডাঙ্গায় ঘ দেশ বিদেশে
৪৪. কায়রোর রেস্তোরাঁর খাবারের অবস্থা কেমন? (অনুধাবন)
ক পচা দুর্গন্ধ  সুগন্ধযুক্ত
গ তেলকটা গন্ধযুক্ত ঘ বাসি গন্ধযুক্ত
৪৫. মিশরের পিরামিড নির্মিত হয়েছিল কেন? (উচ্চতর দক্ষতা)
 সম্রাট ফারাওদের মৃতদেহ কবরস্থ করে রাখার জন্য
খ সম্রাট ফারাওদের সংস্কৃতিকে টিকিয়ে রাখার জন্য
গ সম্রাট ফারাওদের পরবর্তী প্রজন্ম স্মরণ করার জন্য
ঘ সম্রাট ফারাওদের মমি সংরক্ষণের জন্য
৪৬. ‘মমি’ হচ্ছে- (প্রয়োগ)
ক ফরমালিনে ডোবানো মৃতদেহ
 কৃত্রিমভাবে সংরক্ষিত মৃহদেহ
গ পানিতে ডোবানো মৃতদেহ
ঘ তেলে ডোবানো মৃতদেহ
৪৭. ভ‚ত-প্রেত সম্পর্কিত রহস্যময় বিষয় হচ্ছে- (অনুধাবন)
ক ভুতুরে খ তিতিরে  ভুতুড়ে ঘ ভুতুয়া
৪৮. ‘অরুণোদয়’ অর্থ কী? (জ্ঞান)
 সূর্যের উদয় খ সূর্যের অস্ত গ সূর্যের পতন ঘ সূর্যের গ্রহণ
৪৯. গণ্ডা হয়- (প্রয়োগ)
ক ২টিতে  ৪টিতে গ ৬টিতে ঘ ৮টিতে
৫০. মমি কোথায় রাখা হতো? (জ্ঞান)
ক গর্তের ভিতর খ বাক্সের ভিতর
 পিরামিডের ভিতর ঘ কবরের ভিতর
৫১. সূর্যের লম্ব ও আকাশের নীল মিলে কী রং ধারণ করেছে? (জ্ঞান)
ক ধূসর খ কালো
গ সাদা  বেগুনি
৫২. ভ‚মধ্যসাগর থেকে কেমন বাতাস আসছিল? (অনুধাবন)
 মন্দমধুর হাওয়া খ গরম হাওয়া
গ লু হাওয়া ঘ ঝিরঝিরে হাওয়া
৫৩. শহরের বিজলি বাতি ক্রমেই নি®প্রভ হয়ে আসছিল। কারণ- (অনুধাবন)
ক লেখক শহরে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন
খ আকাশ মেঘে ঢেকে নিয়েছিল
গ বৃষ্টি পড়ছিল
 লেখক শহর ছেড়ে মরুভ‚মিতে ঢুকছিলেন?
৫৪. কোন শহরের রাস্তা খাবারের সুগন্ধে ম-ম করে? (জ্ঞান)
ক ঢাকা খ গিজে গ দিল্লি  কায়রো
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৫৫. রেস্তোরাঁর মধ্যে সাজিয়ে রাখা ছিল (অনুধাবন)
র. ছোট ছোট তিনখানি টেবিল
রর. এক জোড়া করে চেয়ার
ররর. এক জোড়া করে টুল
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫৬. বারকোশে হরেকরকমের খাবারের মধ্যে রয়েছে (অনুধাবন)
র. মুরগি মুসল্লম রর. শিক কাবাব
ররর. শাহী কাবাব
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫৭. শহরতলি রেস্তোরাঁয় লেখকের প্রাণ কাঁদছিল (অনুধাবন)
র. সোনামুগের ডালের জন্য রর. উচ্ছে ভাজার জন্য
ররর. পটল আর মাছের ঝোলের জন্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৫৮. নিগ্রোরা দেখতে (অনুধাবন)
র. বোঁচা নাক
রর. গোলাপি পুরু দুখানা ঠোঁট
ররর. কোঁকড়া কালো চুল
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫৯. মিশরের পিরামিডের বৈশিষ্ট্য হলো (অনুধাবন)
র. পৃথিবীর সবচেয়ে পুরানো কীর্তিস্তম্ভ
রর. দেয়ালে লিপি খোদাই করা
ররর. পৃথিবীর সপ্তাশ্চর্যের অন্যতম
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৬০. মিশরের অতুলনীয় সৌন্দর্যের প্রতীক হলো (অনুধাবন)
র. প্রকৃতির গড়া নীল
রর. মানুষের গড়া পিরামিড
ররর. ভুবন বিখ্যাত পাহাড়
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬১. কায়রোর অদূরে গিজে শহরে অবস্থিত (অনুধাবন)
র. পিরামিড রর. মসজিদ
ররর. নীলনদ
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬২. সারা বিশ্বের পর্যটকরা কায়রো ছুটে যাওয়ার কারণ (অনুধাবন)
র. নীলনদ রর. পিরামিড
ররর. মসজিদ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৬৩ ও ৬৪ প্রশ্নের উত্তর দাও :
ঈদের ছুটিতে বকুল তার বন্ধুদের নিয়ে সিলেটের মাধবকুণ্ডে বেড়াতে যায়। তারা মাধবকুণ্ডের দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হলো, বকুল বলল, দেশভ্রমণ না করলে প্রাকৃতিক রোমাঞ্চকর অনুভ‚তি উপভোগ করা যেত না।
৬৩. অনুচ্ছেদটির সাথে পাঠ্যবইয়ের কোন রচনার সাদৃশ্য রয়েছে? (প্রয়োগ)
ক সততার পুরস্কার খ তোলপাড়
গ মিনু  নীলনদ আর পিরামিডের দেশ
৬৪. অনুচ্ছেদটিতে উক্ত রচনার প্রতিফলিত বিষয় (উচ্চতর দক্ষতা)
র. ভ্রমণে মনের আত্মতৃপ্তি
রর. প্রাকৃতি সৌন্দর্য উপভোগের
ররর. ভ্রমণের বিচিত্র অভিজ্ঞতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৬৫ ও ৬৬ প্রশ্নের উত্তর দাও :
পুরনো ঢাকায় গেলেই কাচ্চি বিরিয়ানির কথা মনে পড়ে যায়। রাস্তার ধারে ছোট ছোট দোকান। বড়-বড় হাঁড়িতে সদ্য রান্না করা বিরিয়ানি। সুবাসে গোটা রাস্তা মেতে ওঠে। মন বলে এক্ষুনি খেয়ে যাই।
৬৫. অনুচ্ছেদের সাথে তোমার পঠিত কোন রচনার সাদৃশ্য আছে? (প্রয়োগ)
 নীলনদ আর পিরামিডের দেশ
খ কতদিকে কত কারিগর
গ তোলপাড়
ঘ কতকাল ধরে
৬৬. অনুচ্ছেদের সুবাসে রাস্তা যেতে উঠে, ঠিক যেন ‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’ রচনায় বর্ণিত- (প্রয়োগ)
র. কায়রোর রান্না
রর. শামি কাবাব, শিক কাবাবের সুবাস
ররর. সোনামুগের ডাল ও রান্না মাছের সুবাস
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র  র ও রর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ন্ধ শব্দার্থ ও টীকা º বোর্ড বই, পৃষ্ঠা ১৫
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নত্তোর
৬৭. ‘পূর্বাভাস’ হচ্ছে- (অনুধাবন)
ক ঘটে যাওয়া ঘটনার সংকেত
খ পুরনো ঘটনার সংকেত
 ভাবী ঘটনার সংকেত
ঘ চলমান ঘটনার সংকেত
৬৮. ‘ক্যাবারে’ শব্দটির অর্থ কী? (জ্ঞান)
 নাচঘরে খ শোয়ারঘরে গ বসারঘরে ঘ রান্নাঘরে
৬৯. চাঁদের অস্ত যাওয়াকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক চন্দ্রাগমন  চন্দ্রাস্ত গ চন্দ্রগ্রহণ ঘ চন্দ্রগ্রস্ত
৭০. মহৎ অবদান স্মরণে নির্মিত সৌধকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক স্মৃতিসৌধ খ বুদ্ধিজীবী সৌধ
 কীর্তিস্তম্ভ ঘ শহিদ মিনার
৭১. ‘নি®প্রভ’ শব্দটির অর্থ দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? (জ্ঞান)
ক চরিত্রহীন খ জ্ঞানহীন গ মূল্যহীন  প্রবাহহীন
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৭২. ‘তামাম’ শব্দের অর্থ হলো (অনুধাবন)
র. সমস্ত রর. পুরো
ররর. স্বল্প
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭৩. ‘ভুতুড়ে’ শব্দের অর্থ (অনুধাবন)
র. ভ‚তপ্রেত সম্পর্কিত
রর. গভীর অন্ধকার
ররর. রহস্যময়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ন্ধ পাঠ পরিচিতি º বোর্ড বই, পৃষ্ঠা ১৬
৭৪. পিরামিড কোন শহরে অবস্থিত? (জ্ঞান)
ক লুঙর শহরে  গিজে শহরে
গ গিসে শহরে ঘ মসুর শহরে
৭৫. কোন শহরে রাতের বেলা আলোর পসরা বসে? (জ্ঞান)
ক আহমেদাবাদ খ ইসলামাবাদ
গ ফরিদাবাদ  কায়রো
৭৬. পিরামিড কি? (জ্ঞান)
ক আবাসভবন খ যাদুঘর  সমাধিস্থান ঘ চিত্রশালা
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৭৭. ‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’ রচনা উঠে এসেছে- (প্রয়োগ)
র. কায়রো শহর রর. গিজের অবস্থিত পিরামিড
ররর. ভুবন বিখ্যাত মসজিদ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও ররর খ রর ও ররর গ র ও ররর  র, রর ও ররর
৭৮. কায়রো শহরের- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. চারদিকে মরুভ‚মি ঘেরা রর. অদূরেই গিজে
ররর. নিকটেই আগ্রা
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ রর ও ররর গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর

 মাস্টার ট্রেইনার প্রণীত সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১  ভ্রমণ জ্ঞানের আধার

রাসেল তার বন্ধু পান্নাকে নিয়ে বান্দরবান থেকে থানচি পর্যটন এলাকা দেখার জন্য রওনা হলো। আঁকাবাঁকা উঁচুনিচু পাহাড়ি ঝুঁকিপূর্ণ পথ পাড়ি দিয়ে তারা সন্ধ্যার দিকে থানচি পৌঁছল। পথে তাঁরা স্বর্ণমন্দির, পাহাড়ি ঝরনা, নীলগিরি, নীলাচল ও পাহাড়ি পথের নৈসর্গিক দৃশ্য অবলোকন করল। থানচিতে স্বচ্ছ জলের নদী, ঝরনা, নদীতে ছোটবড় পাথর ও নদীর দৃশ্যাবলি দেখে তারা মুগ্ধ হয়। তারা ভাবল পাহাড়ি পথে ভ্রমণ একটি রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা।
ক. পৃথিবীর সপ্তাশ্চর্যের অন্যতম পিরামিড কোথায় অবস্থিত? ১
খ. কায়রোকে নিশাচর শহর বলা হয়েছে কেন? ২
গ. উদ্দীপকের আঁকাবাঁকা উঁচুনিচু ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ি পথের সাথে ‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’ রচনার সাদৃশ্যপূর্ণ অংশ কোনটি- ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ‘ভ্রমণপিপাসুদের হৃদয় জয় করার জন্য মিশর ও বান্দরবানের থানচি উভয় স্থানই সমান উপযুক্ত’ বিশ্লেষণ কর। ৪

ক পৃথিবীর সপ্তাশ্চর্যের অন্যতম পিরামিড মিশরের গিজে অঞ্চলে অবস্থিত।
খ অধিক রাতে রেস্তোরাঁগুলোতে জনসমাগম দেখে লেখক কায়রোকে নিশাচর শহর বলে অভিহিত করেছেন।
কায়রো শহরে ঢুকে রাত ১১টায় ও লেখক দেখলেন রেস্তোরাঁ- ক্যাফেগুলো খদ্দেরে খদ্দেরে গিসগিস করছে। কায়রোর রান্নার সুগন্ধে তখনো রাস্তা ম-ম করছে। শহরটা মনে হয় রাতে ঘুমায় না, জেগে থাকে। তাই লেখক কায়রোকে নিশাচর শহর বলেছেন।
গ উদ্দীপকের আঁকাবাঁকা উঁচুনিচু ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ি পথের সাথে ‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’ রচনায় মরুপথের রাস্তা সাদৃশ্যপূর্ণ।
‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’ রচনায় লেখক দুর্গম মরুভ‚মির পথের একটি বর্ণনা উপস্থাপন করেছেন। লেখক একরূপ ভুতুড়ে পরিবেশে মরুভ‚মির পথ অতিক্রম করছিলেন। তাকে বহনকারী মোটরগাড়ি মাঝে মাঝে উঁচুতে উঠছিল আবার নিচে নামছিল। এছাড়া হেডলাইটের আলোতে উটের চোখের সবুজ রঙ দেখে লেখক ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। লেখকের তখন মনে পড়েছিল মরুভ‚মিতে তৃষ্ণায় বেদুইন মারা যায়। আর বেদুইনরা প্রিয় উটের গলা কেটে তার জমানো জল খেয়ে প্রাণ বাঁচায়। লেখক আশঙ্কা করছিলেন যদি মোটর ভেঙে যায় কিংবা এ পথে যদি আর কেউ না আসে ইত্যাদি।
উদ্দীপকে বলা হয়েছে রাসেল তার বন্ধু পান্নাকে নিয়ে বান্দরবান থেকে থানচি পর্যটন এলাকা দেখার জন্য রওনা হলো। তারা আঁকাবাঁকা উঁচু নিচু পাহাড়ি ঝুঁকিপূর্ণ পথ পাড়ি দিয়ে থানচি পৌঁছল। যদিও এলাকাটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর ছিল তথাপি রাস্তাটি বিপজ্জনক। কারণ পাহাড়ি এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থেকেই যায়।
‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’-রচনায় দুর্গম মরুপথের বর্ণনাও দিয়েছেন লেখক। জনমানবহীন মরুভ‚মি ভ্রমণে কার না ভয় ও আতঙ্ক জাগে। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের পাহাড়ি ঝুঁকিপূর্ণ পথের সাথে রচনায় মরু পথের ঝুঁকিপূর্ণ ভ্রমণের সাথে সাদৃশ্য রয়েছে।
ঘ বান্দরবানের থানচি ও মিশরের প্রাকৃতিক ও স্থাপত্য সৌন্দর্যই প্রমাণ করে উভয় স্থানই ভ্রমণপিপাসুদের হৃদয় জয় করার উপযুক্ত স্থান।
‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’-রচনায় লেখক বর্ণনা করেছেন মিশর ও কায়রোর। প্রাচীন সভ্যতার দেশ মিশর। মরুভ‚মি ঘেরা ঐতিহাসিক শহর কায়রো। কায়রোর অদূরে গিজেয় অবস্থিত পিরামিড ও কারুকাজ খচিত মসজিদ দেখার জন্য সারা বিশ্বের পর্যটকরা ছুটে যায় কায়রোর অভিমুখে। রাতের বেলা আলোয় আলোয় ভরে যায় কায়রো শহর। রেস্তোরাঁগুলো থেকে ভেসে আসে নানা রকম খাবারের সুগন্ধ।
উদ্দীপকে উল্লেখ করা হয়েছে বান্দরবানের থানচি পর্যটন এলাকার নৈসর্গিক দৃশ্যাবলি। আঁকাবাঁকা উঁচুনিচু পাহাড়ি পথ পাড়ি দিয়ে রাসেল ও তার বন্ধুরা পৌঁছে যায় থানচি। স্বর্ণমন্দির পাহাড়ি ঝরনা, নীলগিরি, নীলাচল ও পাহাড়ি পথের সৌন্দর্য অবলোকন করে তারা। স্বচ্ছ জলের নদী, ঝরনা, নদীতে ছোট বড় পাথর ও নদীর দৃশ্যাবলি দেখে তারা মুগ্ধ হয়। রোমাঞ্চকর এই ভ্রমণ তাদের জন্য ছিল খুবই উপভোগ্য।
মিশরের পিরামিড, মরুভ‚মি ঘেরা কায়রোর আলো ঝলমলে ব্যস্ত নগরী, নীলনদ, কারুকাজখচিত মসজিদ ও মিনার প্রভৃতি নিঃসন্দেহে ভ্রমণপিপাসু মানুষের দেখার পিপাসা মেটায়। আবার থানচির প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও পর্যটকদের মন কাড়ে। জ্ঞান অর্জনের প্রথম উৎস বই দ্বিতীয় উৎস হচ্ছে ভ্রমণ। তাই ভ্রমণপ্রিয় মানুষের কাছে উভয় স্থান সমান উপযুক্ত।
প্রশ্ন- ২  দেশীয় খাবার ভোজনের প্রতি দুর্বলতা

ব্যবসায়ী মান্নান সাহেব মেয়ের বাসায় বেড়াতে ঢাকায় এলেন। দুই নাতি-নাতনি বায়না ধরল নানা ভাই, আমাদের চায়নিজ খাওয়াতে হবে। সন্ধ্যার পর তিনি তার মেয়ে নাতি-নাতনিসহ বিজয়নগরের সুং-গার্ডেনে এলেন। মান্নান সাহেব বললেন, তোমরা তোমাদের পছন্দের খাবার অর্ডার দাও আর আমি সাদা ভাত ইলিশ, ডাল, বেগুন ভাজি এসব খাব। মেয়ে তাহমিনা বললেন বাবা এখানে ওসব পাওয়া যাবে না। আমরা সবাই একই খাবার খাব। মান্নান সাহেব বুঝলেন এবং রাজি হলেন।
ক. কাদের সর্বাঙ্গ দিয়ে যেন তেল ঝরছে? ১
খ. ফারাওদের মৃত্যুর পর দেহকে ‘মমি’ বানিয়ে রাখত কেন? ২
গ. উদ্দীপক ও নীলনদ আর পিরামিডের দেশ রচনার কোন দিকটি সাদৃশ্যপূর্ণ ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপক ও ‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’ -রচনার আলোকে ‘ভাতে-মাছে বাঙালি’ কথাটির যৌক্তিকতা নিরূপণ কর। ৪

ক নিগ্রোদের সর্বাঙ্গ দিয়ে যেন তেল ঝরছে।
খ পরকালে অনন্ত জীবন লাভের জন্য ফারাওরা তাদের মৃত্যুর পর মৃতদেহকে মমি বানিয়ে রাখত।
প্রাচীন মিশরীয় ফারাও (সম্রাটরা) বিশ্বাস করতেন তাদের শরীর যদি মৃত্যুর পর পচে যায় কিংবা কোনো প্রকারের আঘাতে ক্ষত হয় তবে তাঁরা পরকালে অনন্ত জীবন পাবেন না। তাই মৃত্যুর পর দেহকে ‘মমি’ বানিয়ে সেটাকে একটা শক্ত পিরামিডের ভিতর সংরক্ষণ করত।
গ দেশীয় খাবারের প্রতি দুর্বলতার দিকটি উদ্দীপক ও ‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’ রচনায় সাদৃশ্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’ -রচনায় লেখক কায়রোর জনাকীর্ণ হোটেলগুলোর একটিতে ঢুকলেন সঙ্গীদের নিয়ে। সবাই প্রচণ্ড ক্ষুধায় কাতর। রান্নার খুশবুতে চারিদিক ম-ম করছে। লেখক দেখলেন বারকোশে মুরগি মুসল্লম, শিক কাবাব, শামি কাবাব, আর পাঁচ-ছয় অজানা জিনিস। লেখকের প্রাণ তখন কাঁদছিল চারটি আতপ চাল, উচ্ছে ভাজা, সোনামুগের ডাল, পটলভাজা আর মাছের ঝোলের জন্য। অথবা শুধু ঝোল-ভাত। কিন্তু দেশের বাইরে ওসব পাওয়া যায় না বলে নিবৃত হলেন।
উদ্দীপকে মান্নান সাহেব একজন মফস্বলের ব্যবসায়ী। নাতি-নাতনিদের আবদারে তিনি চায়নিজ রেস্তোরাঁয় গেলেন খাওয়া-দাওয়া করার জন্য। তার মন চাইছিল দেশীয় খাবার খেতে। সাদা ভাত, ইলিশ খেতে চাইলেও ওখানে এসবের আয়োজন নেই তাই বাধ্য হয়ে সম্মত হলেন সবার সাথে একই খাবার খেতে। ‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’ -রচনার লেখক অনিচ্ছা সত্তে¡ও বিদেশ বিভুঁইয়ের খাবার গ্রহণ করেছেন। তার মন দেশীয় খাবার খেতে ব্যাকুল হয়ে উঠেছিল। তাই দেখা যায় দেশীয় খাবারের প্রতি দুর্বলতার দিকটি উদ্দীপক ও ‘নীলনদ ও পিরামিডের দেশ’ রচনায় সাদৃশ্যপূর্ণ।
ঘ উদ্দীপক ও ‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’ রচনায় ‘ভাতে মাছে বাঙালি’ কথাটি সত্য হয়ে উঠেছে। উভয় ক্ষেত্রেই আমরা এর বাস্তবতা দেখতে পাই।
‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’-রচনাটি লেখকের ব্যক্তিগত ভ্রমণ কাহিনি ‘জলে ডাঙ্গায়’ অবলম্বনে সংকলিত। রচনায় তিনি নানা বিষয়ের অবতারণা করেছেন। লেখক কায়রো পৌঁছে খাবার খেতে ঢোকেন এক রেস্তোরাঁয়। সেখানে তিনি দেখতে পান মুরগির মুসল্লম, শিক কাবাব, সামি কাবাব ইত্যাদি। কিন্তু লেখকের প্রাণ কাঁদছিল চারটি আতপ চাল, উচ্ছেভাজা, সোনামুগের ডাল, পটলভাজা মাছের ঝোলের জন্য। নিতান্ত বাধ্য হয়ে লেখককে ঐ খাবারই খেতে হয়েছিল।
উদ্দীপকের ব্যবসায়ী মান্নান সাহেব তার নাতি-নাতনিদের অনুরোধে গিয়েছিলেন চায়নিজ খেতে। তিনি সবাইকে চায়নিজ খেতে বলে নিজে ইলিশ, ডাল, বেগুন ভাজি ইত্যাদি খাবার খাওয়ার ইচ্ছে পোষণ করলেন। তার মেয়ে তাহমিনা যখন বললেন এখানে অন্য খাবারে ব্যবস্থা নেই। তখন তিনি বাধ্য হয়ে সকলের সাথে একই খাবার গ্রহণ করলেন।
উদ্দীপক এবং ‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’ রচনা পর্যালোচনা করলে দেখা যায় মান্নান সাহেব যে দেশি খাবারে অভ্যস্ত সেই খাবারই রেস্তোরাঁয় খেতে চাইলেন। অন্যদিকে লেখক গভীর আকাক্সক্ষা ব্যক্ত করেছেন দেশিয় খাবার খেতে। তাই উভয় ক্ষেত্রে বাঙালি প্রবাদ ‘মাছে ভাতে বাঙালি’ কথাটি সার্থকভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।
প্রশ্ন- ৩  অনিন্দ্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য

পানি পাথর আর মেঘ-পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে সিলেটের
গোয়াইনঘাট উপজেলায় বিছনাকান্দিতে পর্যটকদের ভিড় -প্রথম আলো।
ক. পিরামিড কী দিয়ে তৈরি? ১
খ. সমঝদার আর ঘরছাড়া মানুষ কেন মিশরে ছুটে যায়? ২
গ. উদ্দীপকের দৃশ্যকল্পের সাথে ‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’-রচনায় কোন নান্দনিক দৃশ্য সাদৃশ্যপূর্ণ -ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ‘উদ্দীপকের মতোই পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয় মিশর’- উক্তিটি বিশ্লেষণ কর। ৪

ক পিরামিড শক্ত পাথরের চাঁই দিয়ে তৈরি।
খ স্থাপত্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টানে সমঝদার আর ঘরছাড়া মানুষ মিশরে ছুটে যায়।
প্রাচীন সভ্যতার দেশ মিশর। এদেশে গড়ে উঠেছে বিশ্ব বিখ্যাত সভ্যতার সংস্কৃতি। প্রাকৃতিক আর স্থাপত্য নিদর্শনে ভরপুর এই দেশ। মিশরের ঐতিহাসিক পিরামিড নীলনদ, ভুবন বিখ্যাত কারুকাজখচিত মসজিদ ও মিনার- এসবের টানেই সমঝদার আর ঘরছাড়া মানুষ ছুটে যায় মিশর।
গ উদ্দীপকের দৃশ্যকল্পটি ‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’- রচনার নীলনদের সাথে নান্দনিকতার দিক দিয়ে সাদৃশ্যপূর্ণ।
চাঁদের আলোতে লেখক দেখেছেন, নীলের উপর দিয়ে চলেছে মাঝারি ধরনের খোলা মহাজনি নৌকা- হাওয়াতে কাত হয়ে তেকোণা পাল পেটুক ছেলের মতো পেট ফুলিয়ে চলছে। লেখক আকাক্সক্ষা করছিলেন, আর সামান্য একটুখানি জোর হাওয়া বইলেই, হয় পালটা এক ঝটকায় চৌচির হয়ে যাবে, নয়তো নৌকাটা পিছনে ধাক্কা খেয়ে গোটা আড়াই ডিগবাজি খেয়ে নীলের অতলে তলিয়ে যাবে। নাইল নদীর জল দিয়ে হয় সেদেশের চাষাবাদ আবার কৃষিপণ্য নীলনদের মধ্যে দিয়েই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে যায়।
উদ্দীপকে আমরা সিলেটের গোয়াইনঘাটের বিছনাকান্দি এলাকায় নান্দনিক প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখে অবগত হই। সেখানে পানি পাথর আর মেঘ-পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে জড় হয়েছে শত শত মানুষ। পর্যটকরা প্রকৃতির একান্ত কাছে এসে প্রকৃতির রূপ-সৌন্দর্য উপভোগ করছে। পানি, পাথর, মেঘ, পাহাড় কার মনে না অনুভ‚তি জাগায়। নান্দনিক প্রকৃতির সাথে তুলনা করা যায় নীলনদের সৌন্দর্যকে। নীলের নীল জল চিত্তকে দান করে চরম প্রশান্তি। পালতোলা নৌকাগুলো আমাদের নিয়ে যায় এক কল্পনার রাজ্যে। যা দেখে আমরা হই বিমুগ্ধ বিমোহিত। তাই এ কথা বলা যায় দৃশ্যকল্পের সাথে নীলনদের সাথে সাদৃশ্য বিদ্যমান।
ঘ প্রাকৃতিক ও স্থাপত্য নিদর্শন দেখার জন্য উদ্দীপকের মতোই পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয় মিশর।
প্রাচীন সভ্যতার দেশ মিশরের প্রাকৃতিক ও স্থাপত্য নিদর্শন পৃথিবী বিখ্যাত। মরুভ‚মি ঘেরা দেশটির নীলনদ, ব্যস্ত শহর, সপ্তাশ্চর্য পিরামিড, সুরম্য মসজিদ ইত্যাদি দেশটিকে এক স্বপ্নপুরীতে পরিণত করেছে। যে কারণে লেখক নিজে দেশটির অলিগলিতে ঘুরে বেড়িয়েছেন। চোখের সামনে হঠাৎ সুউচ্চ পিরামিড দেখে লেখক অভিভ‚ত ও আনন্দিত হয়েছেন।
উদ্দীপকের দৃশ্যকল্পটি এক অভাবনীয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভ‚মি। সেখানে স্বচ্ছ পানি ও পাথর মাড়িয়ে পর্যটকরা সৌন্দর্য উপভোগ করেন। পাশে সুউচ্চ পাহাড়, আকাশের মেঘ এক অনিন্দ্যসুন্দর দৃশ্যের অবতারণা করে। সিলেটের গোয়াইনঘাট এলাকায় এ দৃশ্য দেখার জন্য দেশ বিদেশের মানুষ ভিড় জমায়।
কাজেই উদ্দীপক এবং ‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’ রচনায় আমরা দেখি উভয় স্থানে পর্যটক আকর্ষণের নানা উপাদান রয়েছে। এমন নৈসর্গিক দৃশ্য আর ইতিহাসের পুরনো স্থাপত্য শিল্পকর্ম না দেখে পারা যায় না। সঙ্গত কারণেই উভয় স্থানের রূপ-সৌন্দর্যের মাঝে পর্যটকরা সেখানে ভিড় করে। ইতিহাস আর ঐতিহ্যের সন্ধানে প্রতিদিন মানুষ মিশরে যায়। সেখানকার সংস্কৃতি আর সৌন্দর্যে মানুষ মুগ্ধ হয়ে যায়। ফলে সবসময় মিশর পর্যটকে মুখরিত থাকে। এ যেন পৃথিবীর পাঠশালা।
প্রশ্ন- ৪  সৌন্দর্য উপভোগ ও হৃদয়ের প্রশান্তি

স্কুল ছুটি থাকায় নবনী তার পরিবারের সাথে ঘুরতে গেল কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে। দিনের রৌদ্রোজ্জ্বল আলো ধীরে ধীরে নিস্তেজ হতে শুরু করেছে। আশপাশের পাহাড় ঘুরে দেখার পর তারা রওনা দিল সূর্যাস্তের দৃশ্য দেখার আশায়। সৈকতে দাঁড়িয়ে তারা অপেক্ষা করে কাক্সিক্ষত সেই মাহেন্দ্রক্ষণের। এক রঙিন থালার মতো ওঠে বিশাল জলরাশি আর সূর্য রশ্মি। শত শত মানুষ কিন্তু কোথাও কোনো সাড়া শব্দ নেই। সবার সামনে ঘটল সূর্যাস্তের দৃশ্য। সূর্যটা যখন অস্ত যাচ্ছে তখন মনে হলো তা সমুদ্রের জলে ডুব দিচ্ছে। নিস্তেজ রক্তিম সূর্যটাকে তখন বিশাল দেখাচ্ছিল অনেক বড় কোনো থালার মতো। সূর্যের আলো ক্রমে নিভে গিয়ে দেখা দেয় শান্ত সন্ধ্যা।
ক. মিশরীয় রান্না ভারতীয় রান্নার কি? ১
খ. নিগ্রোরা দেখতে কেমন? ২
গ. নৈসর্গিক দৃশ্যের ক্ষেত্রে উদ্দীপকের সমুদ্রে সূর্যাস্তের সাথে ‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’ রচনার মরুভ‚মিতে সূর্যাস্তের সাদৃশ্য নিরূপণ কর। ৩
ঘ. ‘মরিতে চাহি না আমি সুন্দর ভুবনে’ এ উক্তিটি উদ্দীপক ও ‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’ রচনায় কীভাবে সত্য হয়ে উঠেছে বিশ্লেষণ কর। ৪

ক মিশরীয় রান্না ভারতীয় রান্নার মামাতো বোন।
খ নিগ্রোদের মাঝে আমরা দেখতে পাই অন্যরকম শারীরিক সৌন্দর্য। ভেড়ার লোমের মতো তাদের কোঁকড়া কালো চুল, লাল লাল পুরু দুখানা ঠোঁট, বোঁচা নাক, ঝিনুকের মতো দাঁত আর কালো চামড়ার কী অসীম সৌন্দর্য। তারা তেল মাখে না কিন্তু সারা শরীর দিয়ে যেন তেল ঝরে।
গ সমুদ্রে সূর্যাস্তের সাথে মরুভ‚মিতে সূর্যাস্তের সাদৃশ্য রয়েছে। উভয়ক্ষেত্রে অপার নৈসর্গিক দৃশ্যের অবতারণা হয়।
‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’ রচনায় লেখক প্রাচীন সভ্যতার দেশ মিশরের অপরূপ সৌন্দর্যের বর্ণনা দিয়েছেন। রচনার শুরুতে লেখক উল্লেখ করেছেন। তাকে বহনকারী জাহাজ সন্ধ্যার দিকে সুয়েজ বন্দরে পৌঁছায়। সূর্য অস্ত গেল মিশরের মরুভ‚মির পিছনে। সোনালি বালিতে সূর্যরশ্মি প্রতিফলিত হয়ে সেটা আকাশের বুকে হানা দেয় এবং ক্ষণেক্ষণে সেখানকার রং বদলাতে থাকে। তার একটা রং ঠিক চেনা কোনো জিনিসের রং সেটা বুঝতে-না-বুঝতে সে রং বদলে গিয়ে অন্য জিনিসের রং ধরে ফেলে। সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে ঘন নীলাকাশ কেমন যেন সূর্যের লাল আর নীল মিলে বেগুনি রং ধারণ করে। ভ‚মধ্যসাগর থেকে একশ মাইল পেরিয়ে আসে সুমধুর ঠান্ডা হাওয়া।
উদ্দীপকে উল্লেখ করা হয়েছে, দিনের রৌদ্রোজ্জ্বল আলো সন্ধ্যার দিকে কীভাবে নিস্তেজ হয়ে পড়ে, আর বিশাল জলরাশির মাঝে সূর্যাস্তের মোহনীয় রূপের বর্ণনা। শত শত মানুষ সমুদ্রের পাড়ে দাঁড়িয়ে উপভোগ করে সে দৃশ্য। কিছুক্ষণের জন্য নিস্তেজ হয়ে পড়ে চারপাশের পরিবেশ, কোথাও কোনো সাড়াশব্দ থাকে না। বিশাল আকারের সূর্যটা যেন সমুদ্রের জলে ডুব দিচ্ছে। তখন রঙিন খেলায় মেতে ওঠে বিশাল জলরাশি আর সূর্যরশ্মি। রূপে মানুষ মুগ্ধ না হয়ে পারে না। ‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’ রচনায় ও মরুভ‚মিতে সূর্যাস্ত তেমনি অনিন্দ্যসুন্দর পরিবেশের সৃষ্টি করে। তাই মরুভ‚মিতে সূর্যাস্ত আর সমুদ্রে সূর্যাস্তের মধ্যে নান্দনিকতার দিক দিয়ে সাদৃশ্য বিদ্যমান।
ঘ ‘মরিতে চাহি না আমি সুন্দর ভুবনে’ উক্তিটি উদ্দীপক ও ‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’ উভয় ক্ষেত্রে সত্য হয়ে উঠেছে।
প্রাচীন ও ঐতিহাসিক নিদর্শনের দেশ মিশর। সৌন্দর্যপিপাসা আর নতুনকে জানার দুর্নিবার আকাক্সক্ষা লেখককে নিয়ে গিয়েছিল মিশরে। রচনায় তিনি সার্থকভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন মিশরের মরুভ‚মিতে সূর্যাস্ত, উটের কাফেলা, নিশাচর কায়রো শহরের প্রাণচাঞ্চল্য, বিভিন্ন জাতির পরিচয়, নীলনদের অপরূপ বর্ণনা, ভুবন বিখ্যাত পিরামিড, কারুকাজখচিত মসজিদ ও মিনার। যা দেখতে হাজার হাজার পর্যটক ছুটে আসে।
উদ্দীপকে বর্ণিত হয়েছে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে সূর্যাস্তের দৃশ্য। সমুদ্রের বিশাল জলরাশির বুকে কীভাবে সূর্য অস্ত যায় আর সেই দুর্লভ স্থানটিকে কেন্দ্র করে যে অভাবনীয় দৃশ্যের অবতারণা হয় তার বর্ণনা রয়েছে উদ্দীপকে। এমন দৃশ্য নিঃসন্দেহে মানুষের মনকে আলোড়িত করে। প্রকৃতির এমন দৃশ্যে মানুষ মুগ্ধ হয়। যে কারণে মানুষ সুযোগ পেলেই ছুটে যায় প্রকৃতির কাছে। প্রকৃতির এই সৌন্দর্য সুধা পান করে মানুষ নিজেদের চিত্তকে বিমোহিত করে তোলে।
প্রকৃতির রূপ সৌন্দর্যপিপাসু মানুষে বার বার সেই সৌন্দর্যের কাছে ফিরে যেতে চায়। উদ্দীপক এবং আলোচ্য রচনায় আমরা সেই প্রয়াসই লক্ষ করি। সৃষ্টিকর্তা এই পৃথিবীকে অত্যন্ত সুন্দরভাবে সাজিয়েছেন। প্রকৃতির সন্তান হিসেবে মানুষ তার স্বাদ আস্বাদন করে। মানুষ তখন এই পৃথিবীকে ভালোবেসে ফেলে। পৃথিবী ছেড়ে আর চলে যেতে চায় না। প্রকৃতির রূপ-রস-সৌন্দর্যের মাঝে সে বেঁচে থাকতে চায়। মনের অজান্তেই মানুষের কণ্ঠ থেকে তখন উচ্চারিত হয়- মরিতে চাহি না আমি সুন্দর ভুবনে।
 অনুশীলনের জন্য সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক (উত্তরসংকেতসহ)
প্রশ্ন- ৫ ল্ফল্ফ ভ্রমণের মধ্য দিয়ে জ্ঞানার্জন

যুগ যুগ ধরে ভ্রমণপিপাসু মন একস্থান থেকে অন্যস্থানে ভ্রমণ করছে। এ কারণ ভ্রমণ মানুষের অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করে। ভ্রমণ করে মানুষ যেমন আনন্দ পায়, তেমনি জ্ঞান অর্জন করে। ভ্রমণের মাধ্যমে নতুন নতুন মানুষ, পরিবেশ ও ইতিহাসের সাথে যে পরিচয় ঘটে, বই পড়ে বা অন্য কোনো মাধ্যমে তা হয় না। ভ্রমণ মানুষকে বাস্তবজীবনের সাথে আন্তরিক সম্বন্ধ পাতিয়ে দেয়।
ক. কোন অঞ্চলে তিনটি পিরামিড অবস্থিত? ১
খ. “তরল অন্ধকার সরল আলোর জন্য ক্রমেই জায়গা ছেড়ে দিচ্ছে”- ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকটি তোমার পাঠ্যপুস্তকের কোন রচনার বিষয় ধারণ করে- ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ‘উদ্দীপক ও তোমার পাঠ্যবইয়ের রচনা উভয় ক্ষেত্রেই ভ্রমণ ও আনন্দ প্রাধান্য পেয়েছে’- মন্তব্যটির যথার্থতা বিচার কর। ৪

ক কায়রোর গিজ অঞ্চলে তিনটি পিরামিড অবস্থিত।
খ রাত যখন ভোর হয় তখন ধীরে ধীরে আঁধার কেটে যায়। চলে আসে আলো। আঁধার সবসময়ই গাঢ়। তাই আঁধার কেটে যাওয়াকে তরল অন্ধকার হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। আর আলো সবসময় সোজা পথে চলে। সরল সহজ আলোকে তাই পথ ছেড়ে দেয়। প্রকৃতির চিরায়ত এই নিয়মকে লেখক সৈয়দ মুজতবা আলী এভাবেই সহজ কথায় উপস্থাপন করেছেন।
ঢপষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে-
গ উদ্দীপকটি আমার পঠিত ‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’ রচনার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ এবং সাদৃশের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে হবে।
ঘ উদ্দীপক এবং তোমার পঠিত পাঠ্যপুস্তক উভয় ক্ষেত্রে ভ্রমণ বিষয়টি সর্বাগ্রে আলোচনায় উঠে এসেছে। এ বিষয়ে তুলনামূলক আলোচনা করতে হবে।
প্রশ্ন- ৬ ল্ফল্ফ রোমাঞ্চকর ভ্রমণের আনন্দ

শামীম তার পরিবার নিয়ে রাঙামাটি বেড়াতে গেল। পথে রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু। বৌদ্ধমন্দির, কালি বাড়ি ইত্যাদি দেখে বান্দরবানের উদ্দেশ্যে রওনা হলো। বান্দরবানের সেফটিপিনের মতো আঁকাবাঁকা রাস্তায় গাড়ি চালাতে শামীমদের ড্রাইভারের বেশ বেগ পেতে হচ্ছিল। তবে বান্দরবানের উঁচুনিচু সরু রাস্তা হলে কী হবে চারপাশের দৃশ্য ছিল খুবই মনোমুগ্ধকর। শামীম মনে মনে উপলব্ধি করে পাহাড়ি পথ ভ্রমণ একটি রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা।
ক. কোন লিপির অর্থ উদ্ধারে এখনো চেষ্টা চলছে? ১
খ. ‘যুগ যুগ ধরে মানুষ এদের সামনে দাঁড়িয়ে বিস্তর জল্পনা-কল্পনা করেছে’- ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের সাথে ‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’ রচনাটি কোন দিক থেকে সাদৃশ্যপূর্ণ’?- বুঝিয়ে বল। ৩
ঘ. ‘ভ্রমণ একটি রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা’- উদ্দীপক ও ‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’ রচনার আলোকে উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর। ৪

ক পিরামিডের গায়ে খচিত লিপির অর্থ উদ্ধারের চেষ্টা এখনো চলছে।
খ পিরামিড অনাদি অতীত কাল শুরু করে তখন পর্যন্ত সাধারণ মানুষের বিস্তর জল্পনা-কল্পনার কেন্দ্রবিন্দু।
প্রায় ৪৫০০ বছর পূর্বে মানবসভ্যতার আদি স্থাপত্য পিরামিড নির্মিত হয়। পিরামিড মমি রাখার গৃহ হিসেবে ব্যবহৃত হলেও মিশরবাসীরা একে আত্মার ঘর বলে অভিহিত করে। এর শরীরে যে লিপি খোদাই করা আছে তার অর্থ এখনো উদ্ঘাটন করা সম্ভব হয়নি। তাই লেখক পিরামিডের সামনে দাঁড়িয়ে অনুভব করেছেন যুগ যুগ ধরে মানুষ এ নিয়ে বিস্তর জল্পনা-কল্পনা করেছে। কিন্তু কোনো কুলকিনারা করতে পারেনি।
ঢপষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে-
গ উদ্দীপকের সাথে নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’ রচনায় প্রধান সাদশ্যপূর্ণ বিষয় হচ্ছে- আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথ ও চারপাশের সৌন্দর্য- এটি মুখ্য বিষয় হিসেবে আলোচনায় উঠে আসবে।
ঘ ‘ভ্রমণের মধ্য দিয়ে রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা অর্জিত হয়’- এ বিষয়ে উদ্দীপক ও ‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’ রচনার আলোকে আলোচনা করতে হবে।

 জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন \ ১ \ লেখক কখন সুয়েজ বন্দরে পৌঁছালেন?
উত্তর : লেখক সন্ধ্যায় সুয়েজ বন্দরে পৌঁছালেন।
প্রশ্ন \ ২ \ লেখক কী দেখে ভ‚তের চোখ ভেবেছিলেন?
উত্তর : লেখক উটের সবুজ চোখ দেখে ভ‚তের চোখ ভেবেছিলেন।
প্রশ্ন \ ৩ \ বেদুইনরা জীবনযাপনের প্রয়োজনে কোন প্রাণীর গলা কেটে পানি পান করে?
উত্তর : বেদুইনরা জীবনযাপনের প্রয়োজনে উটের গলা কেটে পানি পান করে।
প্রশ্ন \ ৪ \ লেখক কখন কায়রো শহরে পৌঁছালেন?
উত্তর : লেখক রাত এগারোটার সময় কায়রো শহর পৌঁছালেন।
প্রশ্ন \ ৫ \ কারা কখনো গায়ে তেল মাখে না?
উত্তর : নিগ্রোরা কখনো গায়ে তেল মাখে না।
প্রশ্ন \ ৬ \ কারা প্রায় ছয় ফুট লম্বা হয়?
উত্তর : সুদানবাসীরা প্রায় ছয় ফুট লম্বা হয়।
প্রশ্ন \ ৭ \ কাদের দেহের রং ব্রোঞ্জের মতো?
উত্তর : সুদানবাসীদের দেহের রং ব্রোঞ্জের মতো।
প্রশ্ন \ ৮ \ মিশরীয়রা কোন নদীর জল দিয়ে চাষাবাস করে?
উত্তর : মিশরীয়রা নীলনদের জল দিয়ে চাষাবাদ করে।
প্রশ্ন \ ৯ \ পেটুক ছেলের মতো পেট ফুলিয়ে দাঁড়িয়ে আছে কে?
উত্তর : পাল তোলা নৌকা পেটুক ছেলের মতো পেট ফুলিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
প্রশ্ন \ ১০ \ কোন অঞ্চলের পিরামিড পৃথিবীর সবচেয়ে পুরনো কীর্তিস্তম্ভ?
উত্তর : গিজে অঞ্চলের তিনটি পিরামিড পৃথিবীর সবচেয়ে পুরনো কীর্তিস্তম্ভ।
প্রশ্ন \ ১১ \ পাঁচশ ফুটের পিরামিড তৈরি করতে কত লক্ষ টুকরো পাথরের প্রয়োজন হয়েছিল?
উত্তর : পাঁচশ ফুটের পিরামিড তৈরি করতে তেইশ লক্ষ টুকরো পাথরের প্রয়োজন হয়েছিল।
প্রশ্ন \ ১২ \ সব থেকে বড় পিরামিড তৈরি করতে এক লক্ষ লোকের কত সময় লেগেছিল?
উত্তর : সব থেকে বড় পিরামিড তৈরি কতে এক লক্ষ লোকে ২০ বছর সময় লেগেছিল।
প্রশ্ন \ ১৩ \ কারা মৃত্যুর পর দেহকে মমি করে রাখত?
উত্তর : ফারাওরা মৃত্যুর পর দেহকে মমি করে রাখত।
প্রশ্ন \ ১৪ \ কারা পদ্মাসনে বসে তসবি জপছে?
উত্তর : দু-চার জন সুদানি পদ্মাসনে বসে তসবি জপছে।
 অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন \ ১ \ একটা রং বদলে গিয়ে অন্য রং ধরে কেন?
উত্তর : সূর্যাস্তের দৃশ্য মরুভ‚মির বালিতে প্রতিফলিত হয়ে রং বদলায়।
মিশর মরুভ‚মির দেশ। লেখক সৈয়দ মুজতবা আলীর মিশর ভ্রমণে এই অভিজ্ঞতা হয়েছে। মরুভ‚মিতে সূর্যাস্তের সময় সূর্যের তীর্যক আলো বালিতে প্রতিফলিত হয়। এতে আকাশের গায়ে রঙের খেলা শুরু হয়। ফলে ক্ষণে ক্ষণে রং বদলায়।
প্রশ্ন \ ২ \ মরুভ‚মির চন্দ্রালোক সবুজ শ্যামল বাংলায় দেখা যায় না কেন?
উত্তর : বাংলাদেশে মরুভ‚মি না থাকায় মরুভ‚মির চন্দ্রালোক সবুজ বাংলায় দেখা যায় না।
সবুজ শ্যামল বাংলাদেশের চন্দ্রালোক মোহনীয়। তবে বিভিন্ন ঋতুতে বাংলাদেশে চন্দ্রালোক বিভিন্ন রূপ ধারণ করে। বর্ষার সাথে শীতের চন্দ্রালোকের মিল থাকে না। তবে মরুভ‚মিতে চন্দ্রালোক অদ্ভুত। কোথাও উঁচু কোথাও নিচু হওয়ায় পরিবেশটা ভুতুড়ে মনে হয়। দিগন্ত বিস্তৃত শূন্যতার মাঝে নতুন রূপ যা বাংলার শ্যামলিমার মতো স্নিগ্ধ হয় না।
প্রশ্ন \ ৩ \ ‘বেদুইনরা উটের গলায় জমানো জল খায় প্রাণ বাঁচার জন্য’- ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : জীবন বাঁচানোর প্রয়োজনে বেদুইনরা উটের গলা কেটে জমানো জল পান করে।
মরুভ‚মি দুর্গম এলাকা। গাছগাছালিহীন বালুকাময় বিশাল বিস্তীর্ণ এলাকা। কোথাও পানি নেই। এমন প্রান্তরে পথ চলতে গিয়ে মানুষ বড় অসহায় হয়ে পড়ে। বিশেষ করে মরুভ‚মিতে নিত্য পথ চলা বেদুইন স¤প্রদায়ের লোকজন বিশেষ কৌশলে বেঁচে থাকে। তাদের কাছে অতি প্রিয় জিনিস হচ্ছে উট। উট নিজের শরীরের মধ্যে জল জমিয়ে রাখতে পারে। এই বেদুইনরা প্রয়োজনে প্রিয় উটকে হত্যা করে শুধু জলের জন্য।
প্রশ্ন \ ৪ \ উটের ক্যারাভান কী?
উত্তর : সারিবদ্ধভাবে উটের চলাকে ক্যারাভান বলে।
মরুর জাহাজ হচ্ছে উট। উটের পিঠে চড়েই মরুভ‚মিতে চলাচল করা হয়। মালপত্র পরিবহনেও উট ব্যবহার হয়। মরুভ‚মিতে সারি বেধে অনেক উট এক সাথে চলে। এই সারিবাধা উটের দল হচ্ছে ক্যারাভান। যাকে মিশরীয়রা বলে কাফেলা।
প্রশ্ন \ ৫ \ ‘রান্নার খুশবাইয়ে রাস্তা ম-ম করছে’ উক্তিটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর : লেখক সৈয়দ মুজতবা আলী মিশর ভ্রমণের সময় কায়রো শহরে যান। রাতের বেলা জেগে থাকা শহর কায়রো। গোটা শহর রেস্তোরাঁয় ভর্তি। প্রত্যেকটা রেস্তোরাঁয় রান্না হয় নানা ধরনের সুস্বাদু খাবার। রান্না করা খাবারের সুবাস রান্নাঘর ছেড়ে রাস্তা পর্যন্ত চলে আসে। এই উক্তিটি দ্বারা আসলে কায়রো শহরের ভোজনবিলাসিতা আর সংস্কৃতির নিদর্শন বোঝানো হয়েছে।
প্রশ্ন \ ৬ \ রেস্তোরাঁগুলো আমাদের পাড়ার দোকানের মতো নোংরা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : লেখক প্রশ্নোক্ত মন্তব্য দ্বারা মিশরের কায়রো শহরের সংস্কৃতির সাথে বাংলাদেশের সংস্কৃতির সাদৃশ্য তুলে ধরেছেন।
বাংলাদেশের গ্রাম মফস্বলের হোটেল রেস্তোরাঁগুলো বেশ নোংরা। রাস্তার উপর ধুলোবালির মধ্যে খাবার রান্না ও বিক্রি হয় এবং মিশরের পরিবেশও তেমনি নোংরা। সেগুলোও রাস্তার উপরে অবস্থিত এবং নোংরা।
প্রশ্ন \ ৭ \ মিশরীয় রান্না ভারতীয় রান্নার মামাতো বোন-কেন?
উত্তর : মিশর পুরনো সংস্কৃতির দেশ। মুসলিম শাসন ও সংস্কৃতির যেখানে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর তাদের সংস্কৃতির সাথে ভারতীয় মোগল সংস্কৃতির মিল তৈরি হয়। মোগলরা মাংসনির্ভর খাদ্য বেশি খেত। যেমন : বিরিয়ানি, কাবাব, মুসল্লম, মোগলাই পরাটা ইত্যাদি। এরকম মিশরীয়রাও কাবাব, মুসল্লম জাতীয় খাবারে অভ্যস্ত। মুসলিম শাসন ও সংস্কৃতির ঐতিহ্যগত সাদৃশ্য কল্পনা করে লেখক একথা বলেছেন।
প্রশ্ন \ ৮ \ ‘খদ্দেরে তামাম শহরটি আবজাব করেছে’- ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : লেখক সৈয়দ মুজতবা আলী মিশর ভ্রমণের সময় কায়রো শহরে যান। সেখানে রাতের বেলা তিনি দেখেন, গোটা শহর জেগে আছে।
কায়রোতে রেস্তোরাঁ, হোটেল, ডান্স হল, ক্যাবারেসহ বিনোদনের সমস্ত উপকরণ আছে। বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন জাতির মানুষের যেন এক মিলনমেলা। বহু জাত-বেজাতের লোক কায়রোতে আসেন ভ্রমণের জন্য। ভ্রমণপিপাসু মানুষের বিনোদনের ব্যবস্থার জন্য গোটা কায়রো যেন প্রস্তুতি নিয়ে থাকে সব সময়। তামাম শহর জেগে থাকে রাতভর।
প্রশ্ন \ ৯ \ ‘ওদের সর্বাঙ্গ দিয়ে যেন তেল ঝরছে’- কাদের প্রসঙ্গে ও কেন একথা বলা হয়েছে- ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : নিজেদের দৈহিক সৌন্দর্য সম্পর্কে প্রশ্নোক্ত উক্তিটি করা হয়েছে।
মিশর নিগ্রোদের আবাসভ‚মি। নিগ্রোরা কালো মানুষ। তাদের সংস্কৃতি তাদেরকে গোটা বিশ্বে বিশেষভাবে পরিচিত করেছে। তবে নিগ্রোদের মধ্যে যারা উচ্চবর্ণের অর্থাৎ উচ্চশ্রেণির তাদের শারীরিক গঠন ও সৌন্দর্য ভিন্ন রকমের। তাদের ভেড়ার মতো কোঁকড়া চুল, লাল লাল পুরু ঠোঁট, বোঁচা নাক ও ঝিনুকের মতো দাঁত। কালো চামড়াতেও অসীম সৌন্দর্য মনে হয়। তেল না মাখলেও তেলের চাকচিক্য তাদের সর্বাঙ্গে। এটা নিগ্রোদের খানদানি সৌন্দর্য।
প্রশ্ন \ ১০ \ ‘মিশর নীলনদের দান’- কথাটি নীলনদ আর পিরামিডের দেশ রচনার সাথে কতটা যৌক্তিক?
উত্তর : মিশর প্রাচীন সভ্যতার উৎস ভ‚মি। নীলনদের প্রসারের কারণে মিশর গড়ে উঠেছে।
নীলনদ এর জলে গোটা মিশরকে শস্য চাষের জন্য উপযোগী করেছে। তাছাড়া নীলনদের মাধ্যমেই গোটা মিশরে পণ্য পরিবহন ও যাতায়াত ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। অর্থাৎ সংস্কৃতির সমৃদ্ধি ও অর্থনীতি সবকিছুতে নীলনদ। একথাগুলো প্রকাশিত হয়েছে আলোচ্য রচনায়। যার সার কথা হলো মিশর নীলনদের দান।
প্রশ্ন \ ১১ \ ‘পিরামিড সব কিছু ছাড়িয়ে, মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে’ – কথাটি দিয়ে কি বোঝানো হয়েছে?
উত্তর : কথাটির মাধ্যমে বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্য পিরামিড এর মাহাত্ম্য বর্ণনা করা হয়েছে।
মিশরীয় সভ্যতার নিদর্শন হচ্ছে পিরামিড। এগুলো পাথরে তৈরি বিশাল স্মৃতিস্তম্ভ। লক্ষ লক্ষ লোকের শ্রমে আর অগণিত পাথর খণ্ডের মাধ্যমে গড়ে উঠেছে এই বিরল কীর্তি। ধীরে ধীরে উঁচু হয়ে ওঠা পিরামিডগুলোর উচ্চতা ও বিশালত্ব তাই কাছ থেকে অনুমান করা যায় না। দূর থেকে দেখলে বোঝা যায় -এগুলো সবার উপরে দাঁড়িয়ে আছে।
প্রশ্ন \ ১২ \ মমি সংরক্ষণে পদ্ধতি কেমন?
উত্তর : প্রাচীন মিশরীয়রা ছিল সংস্কৃতি সচেতন। তাদের সম্রাটরা নিজেদের ঐতিহ্য ধরে রাখতে ভালোবাসতেন। তাই তারা নিজেদের দেহের যতœ করতে চাইতেন মৃত্যুর পরেও। তাঁরা মৃতদেহকে মমি বানিয়ে পাথরে নির্মিত সুরক্ষিত পিরামিডে রাখতেন। যাতে তাঁদের কেউ ক্ষতি করাতো দূরের কথা ছুঁতে পর্যন্ত না পারে।
প্রশ্ন \ ১৩ \ ‘তরল অন্ধকার সরল আলোর জন্য ক্রমেই জায়গা ছেড়ে দিচ্ছে’Ñ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : রাত যখন ভোর হয় তখন ধীরে ধীরে আঁধার কেটে যায়। চলে আসে আলো। আঁধার সবসময়ই গাঢ়। তাই আঁধার কেটে যাওয়াকে তরল অন্ধকার হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। আর আলো সবসময় সোজা পথে চলে। সরল সহজ আলোকে তাই পথ ছেড়ে দেয়। প্রকৃতির চিরায়ত এই নিয়মকে লেখক সৈয়দ মুজতবা আলী এভাবেই সহজ কথায় উপস্থাপন করেছেন।

 

Leave a Reply