প্রথম অধ্যায় বাংলাদেশের ইতিহাস
শিক্ষার্থীরা যা জানবে
বাঙালির মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার কারণ
মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি কীভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল
বাংলাদেশে মানব বসতির ধারা
রাজনৈতিক ইতিহাসের যুগ বিভাজন
প্রাচীন বাংলাদেশের আর্থসামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় জীবন
মধ্যযুগে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থা
আধুনিক যুগে বাংলাদেশের রাজনৈতিক জীবন
দেশটির জন্মকথা, সংস্কৃতি, সভ্যতা, ঐতিহ্য ও মুক্তিযুদ্ধ
বিষয়-সংক্ষেপ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (মার্চ ১৭, ১৯২০- আগস্ট ১৫, ১৯৭৫) বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক নেতা। যিনি পূর্ব পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব এবং বাংলাদেশের জাতির জনক হিসেবে বিবেচিত। বাংলার জনগণের নিকট তিনি ‘শেখ মুজিব’ এবং শেখ সাহেব হিসেবে বেশি পরিচিত। তাঁর উপাধি হলো বঙ্গবন্ধু।
বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. কোন তারিখে বিজয়দিবস পালিত হয়?
ক ২১এ ফেব্রæয়ারি খ ২৬এ মার্চ গ ১৭ই এপ্রিল ১৬ই ডিসেম্বর
২. প্রাচীন বাংলায় ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারের কারণ কী?
ক অত্যন্ত কর্মঠ জনগণ খ উন্নত অর্থনৈতিক ব্যবস্থা
অধিক উৎপাদনশীল কৃষি ও শিল্প ঘ অত্যাধুনিক যাতায়াত ব্যবস্থা
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
তথ্য-১ : নরসিংদীতে পাথর ও কাঠের তৈরি হাত কুঠার, বাটালি, তীরের ফলা আবিষ্কৃত হয়েছে।
তথ্য-২ : ঢাকার একটি বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সভ্যতার নিদর্শন দেখার জন্য বগুড়া ও নরসিংদীতে শিক্ষা সফরে যায়।
৩. তথ্য-১ কোন যুগকে নির্দেশ করে?
ক মধ্যযুগ খ আধুনিক যুগ গ তাম্র প্রস্তর যুগ প্রাগৈতিহাসিক যুগ
৪. তথ্য-১ ও ২ এর স্থানে শিক্ষার্থীরা পর্যবেক্ষণ করবে-
র. পুণ্ড্রনগরের লিপি রর. নানারকম প্রাচীন হাতিয়ার
ররর. বিদেশে রপ্তানিকৃত শস্যভাণ্ডার
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১ প্রাচীন বাংলাদেশের গৌরব : অর্থনীতি
প্রধান ফসল ধান।
প্রচুর ধান উৎপাদন।
রপ্তানিকৃত দ্রব্য চিংড়ি ও ব্যাঙ। আকাশপথে আমেরিকায় তৈরি পোশাক রপ্তানি।
পাটজাত দ্রব্য বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত।
চিত্র-১ চিত্র-২
ক. কোন সম্রাট ৫০টি বৌদ্ধবিহার নির্মাণ করেন?
খ. ‘টোল’ বলতে কী বোঝায়?
গ. চিত্র-১ এর মতো প্রাচীন বাংলাদেশের গৌরবময় ক্ষেত্রটি ব্যাখ্যা কর।
ঘ. চিত্র-২ এ উল্লেখিত বিষয়গুলো প্রাচীন বাংলাদেশের গৌরবের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ-মতামত দাও।
ক সম্রাট ধর্মপাল ৫০টি বৌদ্ধবিহার নির্মাণ করেন।
খ প্রাচীন বাংলাদেশে হিন্দুদের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বলা হতো টোল। হিন্দু ধর্মগ্রন্থ টোলের প্রধান পাঠ্য বিষয় ছিল। প্রাচীন বাংলাদেশে হিন্দুদের প্রাথমিক বিদ্যালয় ছিল তিন ধরনের। যেমন : গুরুগৃহ, চতুষ্পাঠী এবং পাঠশালা। চতুষ্পাঠীতে পড়তে পারত কেবল ব্রাহ্মণ ঘরের ছেলেমেয়েরা। এখানে সংস্কৃত ভাষা শেখানো হতো, যাতে টোলে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে সুবিধা হয়।
গ চিত্র-১ প্রাচীন বাংলাদেশের গৌরবময় ক্ষেত্রটি হলো অর্থনীতি যা কৃষি, কুটিরশিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্যকে বোঝায়। প্রাচীনযুগে বাংলাদেশের অর্থনীতি ছিল কৃষি নির্ভর। এ সময় কৃষিতে উদ্বৃত্ত ছিল। ধান ছিল প্রধান ফসল। প্রচুর আখও উৎপাদন হতো। আখ থেকে উৎপাদিত গুড় ও চিনির খ্যাতি ছিল। এই গুড় ও চিনি বিদেশে রপ্তানি হতো। তুলা, সরিষা ও পান চাষের জন্যও বাংলাদেশের খ্যাতি ছিল। প্রাচীনযুগ থেকেই বাংলাদেশের তাঁতিরা মিহি সুতি ও রেশমি কাপড় বুনতে পারদর্শী ছিল। আমরা জানি বাংলাদেশের মসলিন কাপড় পৃথিবী বিখ্যাত ছিল। এই মসলিন তখনও রপ্তানি হতো। কৃষি ও শিল্পক্ষেত্রে উৎপাদন বাড়ায় ব্যবসা-বাণিজ্য বিকাশ লাভ করে। প্রাচীন বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য নদীপথেই বেশি হতো। যা প্রাচীন আমলে বাংলাদেশের গৌরবময় ক্ষেত্রটি সুস্পষ্টভাবে ফুটে ওঠে।
ঘ আমি মনে করি চিত্র-২ এ উল্লেখিত বিষয়গুলো প্রাচীন বাংলাদেশের গৌরবের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। প্রাচীনকাল থেকেই বাংলার কারিগররা বেশ ভালো কাপড় বুনত। তাই এদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখত মসলিন কাপড়। সে সময় তাঁতিরা মিহি সুতি ও রেশমি কাপড় বুনতে পারত। দেশের চাহিদা মিটিয়েও কাপড় বিদেশে রপ্তানি করা হতো। বাংলার মসলিন কাপড়ের সুনাম সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছিল। অনুরূপভাবে, বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় তৈরি পোশাক ও পাটজাত দ্রব্য রপ্তানি করে বিশ্বব্যাপী সুনাম অর্জন করছে। বর্তমান পোশাক রপ্তানি করে সিংহভাগ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। এমন কি সারা বিশ্বে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের কদর রয়েছে। বর্তমান তৈরি পোশাক ও পাটজাত দ্রব্য যেমন বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত তেমনি প্রাচীন বাংলার মসলিন ও জামদানি কাপড়ও বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত ছিল। সুতরাং, দৃশ্যকল্প ২-এ উল্লেখিত বিষয়গুলো প্রাচীন বাংলাদেশের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
প্রশ্ন- ২ মুক্তিযুদ্ধের পটভ‚মি
আধুনিক ইতালির জনক ছিলেন কাউন্ট ক্যাভুর। ইতালির স্বাধীনতা ও ঐক্য অর্জনে তাঁর দান ছিল সর্বাধিক। অন্যদিকে যোসেফ মাৎসিনি ইতালির যুবশক্তিকে সংঘবদ্ধ করেন। যুব সমাজ অত্যাচার, অবিচার, কারাবাস প্রভৃতির ভয়ভীতি না করে দলে দলে তার সংঘে যোগ দেয়। তাঁর নেতৃত্বে ইতালির জনগণের মধ্যে এক ব্যাপক জাগরণের সৃষ্টি হলো।
ক. পূর্ব-পাকিস্তান ও পশ্চিম-পাকিস্তানের মধ্যে দূরত্ব কত মাইল?
খ. পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে সর্বস্তরের বাঙালি ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল কেন? ব্যাখ্যা কর।
গ. কাউন্ট ক্যাভুরের মধ্যে কোন মহান নেতার প্রতিচ্ছবি লক্ষ করা যায়? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. মাৎসিনির মতো উক্ত নেতার নেতৃত্বের ফলেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল-মূল্যায়ন কর।
ক পূর্ব-পাকিস্তান ও পশ্চিম-পাকিস্তানের মধ্যে দূরত্ব প্রায় ১২০০ মাইল।
খ পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার জন্য সর্বস্তরের বাঙালি ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্ত হয়ে জন্ম হয় পাকিস্তান রাষ্ট্রটির। পাকিস্তান দুটি অংশে বিভক্ত ছিল, পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তান নামে। পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী পূর্ব পাকিস্তানের জনগণকে সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিকভাবে বৈষম্যমূলক আচরণের সম্মুখীন করে। অবশেষে পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে সর্বস্তরের বাঙালি ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে দেশকে স্বাধীন করে।
গ উদ্দীপকের কাউন্ট ক্যাভুরের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিচ্ছবি লক্ষ করা যায়। তাঁর নেতৃত্বে বাঙালি ঐক্যবদ্ধ হয় এবং স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে উঠে। উজ্জীবিত জাতি ১৯৭০-এর
সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়ে বিজয়ী করে। কিন্তু সামরিক সরকার এ পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তখন এ দেশের রাজনীতিবিদ, ছাত্র-জনতাসহ আপামর জনসাধারণ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আপসহীন অবস্থান নেয়। ১৯৭১ সালের ২৬এ মার্চ প্রথম প্রহরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে একটি বার্তা সারা দেশে পাঠিয়ে দেন। যা পরবর্তীতে বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটাতে নিয়ামক শক্তি হিসেবে কাজ করে। তাই বঙ্গবন্ধুকে বাঙালি জাতির পিতা এবং বাংলাদেশের স্থপতি বলা হয়। উদ্দীপকে আধ্ুিনক ইতালির জনক কাউন্ট ক্যাভুরের ইতালির স্বাধীনতা ও ঐক্য অর্জনে যেমন তাঁর অবদান ছিল সর্বাধিক অনুরূপভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতাও ঐক্যের ক্ষেত্রে সর্বাধিক অবদান রেখেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
ঘ উদ্দীপকের মাৎসিনির মতো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বের ফলেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম হয়। দেশটি ছিল দুই অংশে বিভক্ত। যথা : পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তান। পশ্চিম পাকিস্তানিরা তখন থেকেই পূর্ব পাকিস্তানি তথা বাঙালিদের ওপর বৈষম্য, শোষণ ও বঞ্চনা চালাতে থাকে। এ সময়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো এক সাহসী, ত্যাগী ও দূরদর্শী নেতার আবির্ভাব হয়। তাঁর নেতৃত্বে বাঙালি ঐক্যবদ্ধ হয় এবং স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়। তিনি ৭ই মার্চের ভাষণের মাধ্যমে স্বাধীনতার জন্য জনগণকে উদ্বুদ্ধ করেন এবং ২৬এ মার্চ প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। অবশেষে অনেক রক্ত ও আত্মত্যাগের মাধ্যমে ১৬ই ডিসেম্বরে বিজয় অর্জন হয়। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালি জাতি বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন রাষ্ট্র অর্জন করে। বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির পিতা এবং বাংলাদেশের স্থপতি। পরিশেষে বলা যায়, যোসেফ মাৎসিনি ইতালির যুবশক্তিকে অত্যাচার, অবিচার, আপোসহীন, বৈষম্য প্রতিরোধে যেমন সংঘবদ্ধ করেন; অনুরূপ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলার যুবসমাজকে পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ করে বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন রাষ্ট্র উপহার দেন।
বিষয়ক্রম অনুযায়ী বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
ন্ধ পাঠ-১ ও ২ : বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ º বোর্ড বই, পৃষ্ঠা-১
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. কোন সময়ে বাংলাদেশ পাকিস্তানের অংশ ছিল? (জ্ঞান)
ক ১৭৫৭-১৮৫৭ খ ১৮৫৭-১৯৪৭ ১৯৪৭-১৯৭১ ঘ ১৯৫৬-১৯৭৫
২. কত সালে পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম হয়? (জ্ঞান)
ক ১৭৫৭ খ ১৮৫৭ ১৯৪৭ ঘ ১৯৫৬
৩. সাদ্দাম সাহেব একজন মুক্তিযোদ্ধা। তিনি দেশের স্বাধীনতার জন্য কত সালে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন? (প্রয়োগ)
ক ১৯৪৭ খ ১৯৫৬ গ ১৯৭০ ১৯৭১
৪. কীসের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে? (অনুধাবন)
ক চুক্তির মুক্তিযুদ্ধের
গ অর্থের ঘ আলোচনার
৫. বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয় কখন? (জ্ঞান)
ক ২৫এ মার্চ প্রথম প্রহরে ২৬এ মার্চ প্রথম প্রহরে
গ ২৭এ মার্চ প্রথম প্রহরে ঘ ২৬এ মার্চ মধ্যরাতে
৬. বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা করেন কে? (জ্ঞান)
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান খ সৈয়দ নজরুল ইসলাম
গ তাজউদ্দিন আহমদ ঘ আতাউল গণি ওসমানি
৭. বাঙালি জাতি পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে কয় মাস যুদ্ধ করেছে? (জ্ঞান)
ক আট নয় গ দশ ঘ এগারো
৮. পাকিস্তান রাষ্ট্রের কয়টি অংশ ছিল? (জ্ঞান)
দুইটি খ তিনটি গ চারটি ঘ পাঁচটি
৯. পাকিস্তানের রাজধানী কোথায় ছিল? (জ্ঞান)
ক পূর্ব পাকিস্তানে পশ্চিম পাকিস্তানে
গ ঢাকায় ঘ সোঁনারগাওয়ে
১০. বাঙালি জাতি স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত হয় কোন নেতার আবির্ভাবে? (জ্ঞান)
ক হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী খ শেরেবাংলা এ. কে. ফজলুল হক
গ মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
১১. ১৯৭০ সালে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সে নির্বাচনে বিজয়ী দল কোনটি? (অনুধাবন)
আওয়ামী লীগ খ বিএনপি গ জাতীয় পার্টি ঘ ওয়ার্কার্স পার্টি
১২. পাকিস্তানি সৈন্যরা কাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে? (জ্ঞান)
ক পশুপাখির ওপর খ গাছপালার ওপর
গ ঘরবাড়ির ওপর ঘুমন্ত মানুষের ওপর
১৩. পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে কখন? (জ্ঞান)
স্বাধীনতা ঘোষণার পর খ স্বাধীনতা ঘোষণার আগে
গ ঘুমন্ত অবস্থায় ঘ বক্তৃতাকালে
১৪. প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রপতি কে ছিলেন? (জ্ঞান)
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান খ তাজউদ্দিন আহমদ
গ সৈয়দ নজরুল ইসলাম ঘ ক্যাপ্টেন মনসুর আলী
১৫. প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন? (জ্ঞান)
ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান খ সৈয়দ নজরুল ইসলাম
তাজউদ্দিন আহমদ ঘ আতাউল গণি ওসমানি
১৬. মুক্তিযুদ্ধের সময় ভিটেমাটি ছেড়ে কত মানুষ ভারতে আশ্রয় নেয়? (জ্ঞান)
ক ত্রিশ লক্ষ মানুষ খ দশ লক্ষ মানুষ
গ দেড় কোটি মানুষ এক কোটি মানুষ
১৭. পাকিস্তানিদের হত্যাযজ্ঞে প্রাণ দিয়েছিল কত মানুষ? (জ্ঞান)
ত্রিশ লক্ষ খ এক কোটি গ দশ লক্ষ ঘ তিন লক্ষ
১৮. ১৬ই ডিসেম্বর আমরা কোন দিবস পালন করি? (জ্ঞান)
ক বুদ্ধিজীবী দিবস বিজয় দিবস
গ স্বাধীনতা দিবস ঘ মাতৃভাষা দিবস
১৯. কতজন পাকিস্তানি সৈন্য আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়েছিল? (জ্ঞান)
ক ৯১ হাজার খ ৯২ হাজার ৯৩ হাজার ঘ ৯৪ হাজার
২০. বাঙালি জাতির জনক কে? (জ্ঞান)
ক হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী খ শেরেবাংলা এ.কে. ফজলুল হক
গ মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
২১. কাকে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি বলা হয়? (উত্তরা হাইস্কুল, ঢাকা)
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান খ মেজর জিয়াউর রহমান
গ তাজউদ্দিন আহমদ ঘ এ. কে. ফজলুল হক
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২২. পাকিস্তান আমলে এদেশের মানুষ নানাভাবে শিকার হয়েছে- (অনুধাবন)
র. শোষণের রর. বৈষম্যের ররর. বঞ্চনার
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
২৩. বাঙালি জাতি পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়েছে- (অনুধাবন)
র. বিচ্ছিন্নভাবে রর. ঐক্যবদ্ধভাবে
ররর. অসংগঠিতভাবে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র রর গ ররর ঘ র, রর ও ররর
২৪. পাকিস্তানের দুই অংশের মধ্যে ব্যবধান ছিল- (অনুধাবন)
র. বারো’শ মাইলের রর. তেরো’শ মাইলের
ররর. চৌদ্দ’শ মাইলের
নিচের কোনটি সঠিক?
র খ রর গ ররর ঘ র, রর ও ররর
২৫. পাকিস্তানিরা প্রথম আক্রমণ করে- (অনুধাবন)
র. বাঙালিদের সংস্কৃতির ওপর রর. মাতৃভাষা বাংলার ওপর
ররর. ধর্মের ওপর
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৬. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন- (অনুধাবন)
র. সাহসী রর. ত্যাগী
ররর. দূরদর্শী
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
২৭. ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ- (অনুধাবন)
র. জয়ী হয়েছিল রর. জোটবদ্ধ হয়েছিল
ররর. সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৮. ১৯৭১ সালে গভীর রাতে পাকিস্তানি সৈন্যরা হত্যাযজ্ঞ চালায়- (অনুধাবন)
র. ভারী অস্ত্র নিয়ে রর. নৌবহর নিয়ে
ররর. ট্যাংকবহর নিয়ে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৯. ১৯৭১ সালে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি- (অনুধাবন)
র. বহু মানুষের ত্যাগের মাধ্যমে রর. হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে
ররর. অনেক রক্তের বিনিময়ে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৩০. বাঙালি জাতি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র অর্জন করে- (অনুধাবন)
র. এ. কে. ফজলুল হকের নেতৃত্বে রর. মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে
ররর. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩১ ও ৩২ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
মিশরের প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের স্বৈরাচারি কর্মকাণ্ডে জনগণ প্রতিবাদী ও বিক্ষুব্ধ হয়। গণবিক্ষোভ দমনের জন্য তিনি সামরিক বাহিনীকে লেলিয়ে দেন। নিরস্ত্র জনগণের সঙ্গে সশস্ত্র বাহিনীর অসম লড়াইয়ে দেশপ্রেমিক অনেক মানুষ প্রাণ হারায়। এতে বিক্ষোভ চরম আকার ধারণ করে। অবশেষে হোসনি মোবারক পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।
৩১. অনুচ্ছেদে ঘটনা বাংলাদেশের কোন আন্দোলনের ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয়? (প্রয়োগ)
মুক্তিযুদ্ধ খ ভাষা আন্দোলন গ গণঅভ্যুত্থান ঘ গণআন্দোলন
৩২. এ ধরনের ঘটনা জনগণকে করে তুলতে পারে- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. স্বাধীনতাকামী রর. ক্ষমতালোভী
ররর. জাতীয় চেতনা সমৃদ্ধ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩৩ ও ৩৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
শান্তার বাবা ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে গিয়ে শহিদ হন। এজন্য তার পরিবার গর্বিত। শান্তা তার চাচার কাছে মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনেছে।
(ভোলা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়)
৩৩. শান্তার বাবা ওই বছর কখন মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন?
ক ফেব্রæয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত খ এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত
গ জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত
৩৪. শান্তার বাবা মুক্তিযুদ্ধে শহিদ হয়েছিলেন-
র. স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে
রর. বাঙালির স্বাধীন আবাসভ‚মির জন্য
ররর. নিরাপদ ও সুন্দর জীবনযাপনের জন্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
ন্ধ পাঠ-৩, ৪ ও ৫ : বাংলাদেশে মানব বসতি ও রাজনৈতিক ইতিহাস º বোর্ড বই, পৃষ্ঠা-৪
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৩৫. আউয়াল প্রতœতান্ত্রিক নিদর্শন দেখার জন্য উয়ারী-বটেশ্বরে যেতে চায়। সে জায়গাটি কোন জেলায়? (প্রয়োগ)
ক বগুড়া খ দিনাজপুর গ কুমিল্লা নরসিংদী
৩৬. প্রাগৈতিহাসিক যুগকে কোন যুগ বলা হয়? (জ্ঞান)
ক তাম্র যুগ খ তাম্র-প্রস্তর যুগ প্রস্তর যুগ ঘ মধ্যযুগ
৩৭. যাযাবরের মতো জীবনযাপন করেছে কোন যুগের মানুষ? (জ্ঞান)
প্রস্তুর যুগ খ তাম্র যুগ গ তাম্র-প্রস্তর যুগ ঘ মধ্য যুগ
৩৮. উয়ারী-বটেশ্বরে কী আবিষ্কৃত হয়েছে? (জ্ঞান)
ক ঘরবাড়ি গর্ত-বসতির চিহ্ন গ মসজিদ ঘ মধ্যযুগের নিদর্শন
৩৯. হরপ্পা ও মহেঞ্জোদারো কোথায় অবস্থিত? (জ্ঞান)
ক ভারত খ বাংলাদেশ গ নেপাল পাকিস্তান
৪০. ভারত উপমহাদেশের প্রথম সভ্যতা কোনটি? (জ্ঞান)
ক মহেঞ্জোদারো সভ্যতা খ মেসোপটেমিয়া সভ্যতা
গ পুন্ড্র সভ্যতা সিন্ধু সভ্যতা
৪১. ভারতের সিন্ধু সভ্যতাটি কত খ্রিষ্টপূর্বাব্দে ধ্বংস হয়? (রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, ঢাকা)
ক ২৮৫০ খ ৩১৫০ ১৭০০ ঘ ৩০৫০
৪২. কত খ্রিষ্টপূর্বাব্দে সিন্ধু সভ্যতা গড়ে ওঠে? (জ্ঞান)
ক ১৭৫০ খ ২৫৫০ গ ২৮৫০ ২৭০০
৪৩. সিন্ধু সভ্যতার অপর নাম কী? (ভোলা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়)
ক মহেঞ্জোদারো সভ্যতা খ পুন্ড্র সভ্যতা
হরপ্পা সভ্যতা ঘ মেসোপটেমীয় সভ্যতা
৪৪. মহাস্থানগড় কোথায় অবস্থিত? (জ্ঞান)
বগুড়ায় খ নওগাঁয় গ কুমিল্লায় ঘ নরসিংদীতে
৪৫. মহাস্থানগড়ে অবস্থিত প্রাচীন নগরের নাম কী ছিল? (জ্ঞান)
ক বঙ্গ পুণ্ড্রনগর গ সমতট ঘ হরিকেল
৪৬. মহাস্থানগড় কোন সাম্রাজ্যের শাসনকালে গড়ে ওঠে? (অনুধাবন)
ক গুপ্ত মৌর্য গ পাল ঘ সেন
৪৭. ভারত উপমহাদেশে কয়টি বিখ্যাত জনপদ ছিল? (জ্ঞান)
ক ১৪ খ ১৫ ১৬ ঘ ১৭
৪৮. বাংলাদেশ অংশের কথা কোন যুগ থেকে জানা যায়? (জ্ঞান)
মৌর্য খ আর্য গ গুপ্ত ঘ পাল
৪৯. বশির বগুড়ায় লেখাপড়া করে। সেটি এক সময় কোন শাসক শাসন করেছিলেন? (প্রয়োগ)
ক শশাঙ্ক খ গোপাল সম্রাট অশোক ঘ ধর্মপাল
৫০. বাংলাদেশ অঞ্চলে কোন যুগের পোড়ামাটির ফলক আবিষ্কৃত হয়েছে? (অনুধাবন)
ক আর্য যুগ খ মৌর্য যুগ গ গুপ্ত যুগ শুঙ্গ ও কুষাণ যুগ
৫১. গুপ্তরা ভারত উপমহাদেশের কোন অঞ্চলের শাসক ছিলেন? (জ্ঞান)
ক পূর্ব খ পশ্চিম উত্তর ঘ দক্ষিণ
৫২. শশাঙ্ক কোন শতকের শাসক ছিলেন? (জ্ঞান)
ক ৬ষ্ঠ সপ্তম গ অষ্টম ঘ নবম
৫৩. শশাঙ্ক কোন অঞ্চলের শাসক ছিলেন? (জ্ঞান)
গৌড়ের খ বঙ্গের গ সমতটের ঘ হরিকেলের
৫৪. শ্রেণিতে শিক্ষক বাংলাদেশের প্রথম দীর্ঘস্থায়ী একটি রাজবংশের কথা উল্লেখ করলেন। তিনি কোন বংশের কথা উল্লেখ করলেন? (প্রয়োগ)
ক গুপ্ত খ মৌর্য পাল ঘ সেন
৫৫. পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা কে ছিলেন? (জ্ঞান)
ক ধর্মপাল খ দেবপাল গ মহীপাল গোপাল
৫৬. পাল বংশ প্রায় কত বছর বাংলা শাসন করেন? (জ্ঞান)
ক ৩০০ ৪০০ গ ৫০০ ঘ ৬০০
৫৭. কার শাসনামলে কৈবর্ত বিদ্রোহ সংঘটিত হয়? (জ্ঞান)
ক গোপাল খ ধর্মপাল গ দেবপাল দ্বিতীয় মহীপাল
৫৮. কৈবর্তদের নেতার নাম কী? (জ্ঞান)
ক শিব্য দিব্য গ বাগ্মী ঘ চিতাম্বর
৫৯. হিউয়েন সাঙ কে ছিলেন? (জ্ঞান)
ক সৈনিক খ বীর যোদ্ধা চীনা পরিব্রাজক ঘ কবি
৬০. পাল রাজারা কোন ধর্মের অনুসারী ছিলেন? (জ্ঞান)
ক হিন্দু খ আর্য গ খ্রিষ্টান বৌদ্ধ
৬১. সেনদের আদিনিবাস কোথায় ছিল? (জ্ঞান)
ক বার্মায় খ বিহারে কর্ণাটকে ঘ আজারবাইজানে
৬২. পাল রাজা মদন পালের রাজত্বকালে কে ক্ষমতায় আসেন? (জ্ঞান)
ক বল্লাল সেন বিজয় সেন গ লক্ষণ সেন ঘ হেমন্ত সেন
৬৩. ইখতিয়ার উদ্দিন বখতিয়ার খিলজি কত খ্রিষ্টাব্দে বাংলা বিজয় করে? (অনুধাবন)
ক ১১২০ ১২০৪ গ ১৪৮০ ঘ ১৬০৬
৬৪. কত সালে সেন রাজত্বের অবসান ঘটে? (ভি.জে.সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়,
চুয়াডাঙ্গা; ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল, ঢাকা; ধানমণ্ডি গভ: বয়েজ হাইস্কুল, ঢাকা)
ক ১২০৩ ১২০৪ গ ১২০৫ ঘ ১২০৬
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬৫. বাংলাদেশের প্রাচীনতম ভ‚মি- (অনুধাবন)
র. সিলেট রর. চট্টগ্রাম ররর. কুমিল্লা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৬৬. প্রাগৈতিহাসিক যুগের হাতিয়ার- (অনুধাবন)
র. পাথর ও কাঠের হাতকুঠার রর. বাটালি
ররর. তীরের ফলক
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৬৭. সিন্ধু সভ্যতার নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়েছেÑ (অনুধাবন)
র. হরপ্পায় রর. মহেঞ্জোদারোয় ররর. নদীয়ায়
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬৮. পাল বংশের বিখ্যাত শাসক ছিলেন- (অনুধাবন)
র. ধর্মপাল রর. দেবপাল
ররর. দ্বিতীয় মহীপাল
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ র ও ররর র ও রর ঘ র, রর ও ররর
৬৯. প্রাচীন বাংলার প্রধান ধর্ম ছিলÑ (অনুধাবন)
র. ইসলাম রর. হিন্দু ররর. বৌদ্ধ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭০. কৈবর্ত বিদ্রোহ ছিল- (অনুধাবন)
র. দ্বিতীয় মহীপালের বিরুদ্ধে
রর. কৃষক ও জেলে স¤প্রদায়ের বিদ্রোহ
ররর. দিব্যের বিরুদ্ধে
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭১. সেনযুগের রাজারা হচ্ছেন- (অনুধাবন)
র. বিজয়সেন রর. বল্লালসেন
ররর. লক্ষণসেন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৭২ ও ৭৩ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
নওগাঁর পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারে গিয়ে অতীতের কোনো একটা যুগের নিদর্শন দেখা যায়। সেখান পোড়ামাটির ফলকে দেখা যায় হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি। বৌদ্ধ বিহারে হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি সে যুগের অন্যতম বৈশিষ্ট্য নির্দেশ করে।
(গভ: ল্যাবরেটরি হাইস্কুল, খুলনা)
৭২. অনুচ্ছেদে উল্লিখিত স্থানে কোন যুগের নিদর্শন রয়েছে?
ক মৌর্য খ গুপ্ত পাল ঘ আর্য
৭৩. অনুচ্ছেদে প্রাচীন বাংলার ঐ যুগের যে বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠেছে তা হলো-
র. উদার নেতৃত্ব রর. স্বাধীন জীবনযাপন
ররর. উদারতা ও স¤প্রীতির ভাব
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৭৪, ৭৫ ও ৭৬ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
সেন বংশের রাজত্বকাল ছিল প্রায় দু’শ বছর। সেন যুগে বাংলার সমাজ নানা শ্রেণি ও বর্ণে বিভক্ত হয়ে যায়। জীবনধারাতে আসে পরিবর্তন।
৭৪. অনুচ্ছেদে উল্লিখিত বংশের সর্বশেষ রাজা কে ছিলেন? (প্রয়োগ)
ক হেমন্ত সেন খ বিজয় সেন গ বল্লাল সেন লক্ষণ সেন
৭৫. উক্ত বংশের রাজাদের সম্পর্কে নিচের কোন উক্তিটি প্রযোজ্য? (প্রয়োগ)
ক তারা ধর্মসহিষ্ণু ছিলেন খ প্রজাদের সুখ-দুঃখ অনুভব করতেন
তাদের আদিনিবাস বাংলার বাইরে ছিল ঘ তারা ছিল বৌদ্ধ
৭৬. উক্ত বংশের পতন হয়- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. মুসলমানদের বাংলা জয়ের কারণে রর. তুর্কি সেনাপতির আক্রমণে
ররর. পাল রাজাদের দুর্বলতায়
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ন্ধ পাঠ-৬ : প্রাচীন বাংলাদেশের গৌরব : সমাজ, অর্থনীতি, ধর্ম º বোর্ড বই, পৃষ্ঠা-৬
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৭৭. প্রাচীনযুগে বাংলাদেশের প্রধান ফসল কী ছিল? (জ্ঞান)
ধান খ পাট গ গম ঘ আখ
৭৮. প্রাচীনযুগে বিদেশে কী রপ্তানি করা হতো? (জ্ঞান)
ক চাউল খমাছ গুড় ও চিনি ঘ চামড়া
৭৯. প্রাচীনযুগে বাংলাদেশের খ্যাতি অর্জন করে একটি বস্তু রপ্তানির মাধ্যমে। সেটি কোনটি? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক সুতি কাপড় খ রেশমি কাপড়
মসলিন কাপড় ঘ নিলেন কাপড়
৮০. নদীর তীরে কী গড়ে উঠেছিল? (জ্ঞান)
ক স্কুল-কলেজ খ মাদ্রাসা
গ হাসপাতাল হাট-বাজার ও গঞ্জ
৮১. প্রাচীনযুগে বাংলাদেশের অধিকাংশ ব্যবসা-বাণিজ্য কোন পথে হতো? (অনুধাবন)
নদীপথে খ স্থলপথে গ আকাশপথে ঘ রেলপথে
৮২. অষ্টম শতকে কোন সমুদ্র বন্দরের মাধ্যমে এদেশের পণ্য আরবে যেত? (জ্ঞান)
চট্টগ্রাম খ মংলা গ এডেন ঘ তাম্রলিপ্ত
৮৩. প্রাচীন বাংলাদেশে কোন ধর্ম প্রচলিত ছিল? (জ্ঞান)
ক হিন্দু ধর্ম খ বৌদ্ধ ধর্ম গ খ্রিষ্ট ধর্ম জৈন ধর্ম
৮৪. ধর্মীয় স¤প্রীতির নীতি গ্রহণ করেছিলেন কে? (জ্ঞান)
ক গোপাল ধর্মপাল গ দেবপাল ঘ মহীপাল
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৮৫. প্রাচীনযুগে বাংলাদেশের অর্থনীতি ছিলÑ (অনুধাবন)
র. কৃষি নির্ভর রর. শিল্প নির্ভর ররর. বাণিজ্য নির্ভর
নিচের কোনটি সঠিক?
র খ রর গ ররর ঘ র, রর ও ররর
৮৬. প্রাচীনকালে প্রশংসনীয় শিল্প ছিল- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. পোড়ামাটি রর. ভাস্কর্য ররর. মূর্তি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৮৭. ঐতিহাসিক যুগে বাংলাদেশে প্রাধান্য ছিলÑ (অনুধাবন)
র. ব্রাহ্মণ ধর্ম রর. আজীবক স¤প্রদায়
ররর. বৈদ্ধ ধর্ম
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮৮. ধর্মপালের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন- (অনুধাবন)
র. ব্রাহ্মণ রর. শিক্ষক
ররর. পাল শাসনের সাথে জড়িত
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৮৯ ও ৯০ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
এখনকার মতো প্রাচীন বাংলার অর্থনীতির প্রধান শক্তি ছিল কৃষি। কৃষির পাশাপাশি তখন কারখানায় মাটির পাত্র, সোনা ও রূপার অলঙ্কার, নানা ধরনের কারুকার্য করা দ্রব্যসামগ্রী তৈরি হতো। এদেশের তাঁতিরা তখন খুব ভালো মানের কাপড় বুনতে পারত।
৮৯. অনুচ্ছেদে বাংলার অর্থনৈতিক অবস্থার সাথে নিচের কোন অভিধা সাদৃশ্যপূর্ণ? (প্রয়োগ)
সচ্ছল খ দুর্বল গ ভঙ্গুর ঘ স্বাভাবিক
৯০. উক্ত সময়ে এদেশের কাপড় শিল্পের বিকাশ লাভ করার কারণ ছিল- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. কারিগরি দক্ষতা রর. তাঁতিদের দক্ষতা
ররর. ব্যবসায়িক দক্ষতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর র ও রর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৯১ ও ৯২ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
বর্তমান বাংলাদেশে প্রাচীনকালের দুই যুগের ধর্মের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। এছাড়া এই দুই যুগে সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিকাশের ফলাফলও বর্তমান সমাজে লক্ষণীয়। চর্যাপদ ছিল সেই সময়কার অবদান। (উত্তরা হাইস্কুল, ঢাকা)
৯১. অনুচ্ছেদে যে যুগের কথা বলা হয়েছে তা হলো-
র. সেন রর. মৌর্য ররর. পাল
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর র ও ররর ঘ রর ও ররর
৯২. বর্তমান সময়ের যে রীতিটি উক্ত সময়কার রীতির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ তা হলো-
র. বাঙালির প্রধান খাদ্য ভাত-মাছ রর. মেয়েদের সালোয়ার কামিজ পরা
ররর. খাবারের পরে পান দেওয়ার রীতি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ন্ধ পাঠ-৭ : প্রাচীন বাংলাদেশের গৌরব : বিনোদন সংস্কৃতি, স্থাপত্য, ভাস্কর্য ও চিত্রকলা º বোর্ড বই, পৃষ্ঠা-৭
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৯৩. মানুষের জীবনযাপনের মধ্য দিয়ে কোনটির প্রকাশ ঘটে? (অনুধাবন)
ক সমাজের সংস্কৃতির গ সভ্যতার ঘ ঐতিহ্যের
৯৪. সংস্কৃতি বলতে কী বোঝায়? (অনুধাবন)
জীবনের সব কিছু খ জীবনের অর্থনৈতিক বিষয়
গ প্রাকৃতিক পরিবেশ ঘ ভৌগোলিক পরিবেশ
৯৫. বাংলাদেশে স্থাপত্য শিল্প উৎকর্ষ অর্জন করে কোন শাসনামলে? (জ্ঞান)
ক আর্য খ মৌর্য পাল ঘ সেন
৯৬. সম্রাট ধর্মপাল কয়টি বৌদ্ধবিহার নির্মাণ করেন?
ক ৪০ ৫০ গ ৬০ ঘ ৭০
৯৭. সোমপুর মহাবিহার কত শতকে নির্মিত হয়? (জ্ঞান)
ক সপ্তম-অষ্টম অষ্টম-নবম
গ নবম-দশম ঘ দশম-একাদশ
৯৮. শালবন বিহার কোথায় অবস্থিত? (জ্ঞান)
ক মহাস্থানগড় খ নওগাঁ ময়নামতি ঘ দিনাজপুর
৯৯. বাংলাদেশের স্থাপত্যশিল্পের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন কোনটি? (জ্ঞান)
ক বগুড়ার স্থাপত্যসমূহ খ দিনাজপুরের স্থাপত্যসমূহ
গ নওগাঁর স্থাপত্যসমূহ বিক্রমপুরের স্থাপত্যসমূহ
১০০. বৌদ্ধধর্মে বৌদ্ধ দেবদেবীর রূপ কীসের মাধ্যমে প্রকাশ করা হতো? (অনুধাবন)
চিত্রের মাধ্যমে খ লেখনির মাধ্যমে
গ গল্পের মাধ্যমে ঘ অর্থের মাধ্যমে
১০১. এ পর্যন্ত কতটি চিত্রিত বৌদ্ধ পাণ্ডুলিপি আবিষ্কৃত হয়েছে? (জ্ঞান)
ক ২৩ ২৪ গ ২৫ ঘ ২৬
১০২. চব্বিশটি বৌদ্ধ পাণ্ডুলিপি আবিষ্কৃত হয়েছে কোন শতকে? (জ্ঞান)
ক নবম থেকে দ্বাদশ দশম থেকে দ্বাদশ
গ একাদশ থেকে দ্বাদশ ঘ একাদশ থেকে ত্রয়োদশ
১০৩. রাহাত উয়ারী-বটেশ্বরে ভ্রমণে গিয়ে কিছু চিত্রশিল্পের নিদর্শন দেখল। তার দেখা নিদর্শনগুলো কত বছরের পরিচয় বহন করে। (উচ্চতর দক্ষতা)
ক দেড় হাজার খ দুই হাজার আড়াই হাজার ঘ তিন হাজার
১০৪. আড়াই হাজার বছরের চিত্রশিল্পের নিদর্শন পাওয়া গেছে কোথায়? (অনুধাবন)
ক মহাস্থানগড়ে খ ময়নামতিতে
গ পাহাড়পুরে উয়ারী-বটেশ্বরে
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১০৫. প্রাচীনযুগে বাংলাদেশে বিনোদনের অংশ ছিল- (অনুধাবন)
র. নাচ রর. গান ররর. মল্লযুদ্ধ ও কুস্তি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১০৬. নাটক মঞ্চস্থ হওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়- (অনুধাবন)
র. পাহাড়পুরের বৌদ্ধবিহারে রর. কুমিল্লার ময়নামতিতে
ররর. দিনাজপুরের কান্তজির মন্দির
নিচের কোনটি সঠিক?
র খ রর গ ররর ঘ র, রর ও ররর
১০৭. পোড়ামাটির ফলকে দেখা যায়- (অনুধাবন)
র. কাঁসর রর. করতাল ররর. ঢাক
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১০৮. ইট নির্মিত স্থাপত্য আবিষ্কৃত হয়েছে- (অনুধাবন)
র. উয়ারী-বটেশ্বরে রর. পুণ্ড্রনগরে
ররর. পাহাড়পুরে
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১০৯. সোমপুর মহাবিহারের পরিকল্পনা অনুকরণ করে- (অনুধাবন)
র. ইন্দোনেশিয়া রর. মালয়েশিয়া ররর. মিয়ানমার
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১১০. ভাস্কর্য ও মূর্তি শিল্প উৎকর্ষের সাক্ষ্য বহন করে- (জ্ঞান)
র. পোড়ামাটি রর. পাহাড় ও ধাতব ভাস্কর্য
ররর. পাণ্ডুলিপি
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১১১. পাল যুগের বিখ্যাত ভাস্কর ও চিত্রশিল্পী ছিলেন- (অনুধাবন)
র. ধীমানপাল রর. শৃলপাণি ররর. বীটপাল
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১১২. উয়ারী-বটেশ্বরে আবিষ্কৃত হয়েছে- (অনুধাবন)
র. মৃৎপাত্র রর. মূল্যবান পাথরের পুঁতি
ররর. কাচের পুঁতি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১১৩ ও ১১৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
নাসির তার শিক্ষকের কাছে জানতে পারল, প্রাচীন বাংলা বিনোদন, সংস্কৃতি, স্থাপত্য ও চিত্রকলায় ছিল সমৃদ্ধ। আবিষ্কৃত বিভিন্ন প্রতœতাত্তি¡ক নিদর্শনের মাধ্যমে তখনকার এইসব বিষয় সম্পর্কে জানা যায়। যার মধ্যে অনেক স্থাপত্য ও চিত্রকলা বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে।
১১৩. প্রাচীনযুগের কোন স্থাপনাটি ইউনস্কো কর্তৃক বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান করে নেয়? (অনুধাবন)
সোমপুর বিহার খ শালবন বিহার
গ উয়ারী-বটেশ্বর ঘ কুচবিহার
১১৪. উক্ত স্থাপত্যটির ক্ষেত্রে সত্য হলো (উচ্চতর দক্ষতা)
র. অষ্টম-নবম শতকে নির্মিত রর. নওগাঁ জেলায় অবস্থিত
ররর. নিদর্শন পাওয়া যায়নি
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ন্ধ পাঠ-৮ : প্রাচীন বাংলাদেশের গৌরব : ভাষা, সাহিত্য, শিক্ষা º বোর্ড বই, পৃষ্ঠা-৮
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১১৫. প্রাচীন বাঙালি সংস্কৃতির প্রভাব আজও বিদ্যমান কেন? (উচ্চতর দক্ষতা)
অসা¤প্রদায়িক জীবনধারা বিকাশের কারণে
খ সা¤প্রদায়িক জীবনধারা বিকাশের কারণে
গ সামাজিক জীবনধারা বিকাশের কারণে
ঘ রাজনৈতিক জীবনধারা বিকাশের কারণে
১১৬. প্রাচীনযুগে কয়টি বড় ভাষাজাতি তাদের ভাষা ও সংস্কৃতি নিয়ে এদেশে এসেছে? (জ্ঞান)
ক দুই তিন গ চার ঘ পাঁচ
১১৭. মহাস্থানগড়ের পাথরে খোদিত ব্রাহ্মী লিপিটির সময়কাল কত? (জ্ঞান)
ক খ্রিষ্টপূর্ব দ্বিতীয় শতক খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতক
গ খ্রিষ্টপূর্ব চতুর্থ শতক ঘ খ্রিষ্টপূর্ব পঞ্চম শতক
১১৮. বাংলা ভাষার আদি নিদর্শন চর্যাপদ। এটি কোন আমলে রচিত হয়? (প্রয়োগ)
ক গুপ্ত খ মৌর্য পাল ঘ সেন
১১৯. ‘অদ্ভুতসাগর’ কে রচনা করেন? (জ্ঞান)
বল্লাল সেন খ রাম সেন গ শ্রীধর ঘ শীকর নন্দী
১২০. বিহারের শিক্ষকদের কী বলা হতো? (জ্ঞান)
ক শিক্ষক খ গুরু গ প্রদর্শক ভিক্ষু
১২১. ব্রাহ্মণ ঘরের ছেলেমেয়েরা কোথায় পড়ত? (অনুধাবন)
ক গুরুগৃহে চতুষ্পাঠী গ পাঠশালা ঘ কলেজে
১২২. টোলের প্রধান পাঠ্য বিষয় কী ছিল? (জ্ঞান)
হিন্দু ধর্মগ্রন্থ খ বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ গ নাথসাহিত্য ঘ বৈষ্ণব পদাবলী
১২৩. বাংলা ভাষা ও সাহিত্য কোন যুগে সৃষ্টি হয়? (জ্ঞান)
ক আদিম যুগে প্রাচীন যুগে
গ মধ্য যুগে ঘ আধুনিক যুগে
১২৪. বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন কোনটি? (বগুড়া জিলা স্কুল)
ক মহাভারত খ লাইলি মজনু
চর্যাপদ ঘ রামচরিত
১২৫. আর্যদের ধর্মকে কী বলা হতো? (জ্ঞান)
ক লৌহিত্য ব্রাহ্মণ্য গ জৈন ঘ পার্সী
১২৬. আমাদের মুখের ভাষার একটি লেখ্য রূপ প্রথম কোথায় পাওয়া যায়? (জ্ঞান)
ক সদুক্তিকর্ণামৃতে খ রামচরিতে
গ মঙ্গলকাব্যে চর্যাপদে
১২৭. চর্যাপদ রচিত হওয়ার আগে প্রাচীন বাংলায় সাহিত্য কোন ভাষায় রচিত হতো? (জ্ঞান)
সংস্কৃত খ মৈথলী গ নেপালি ঘ মারাঠি
১২৮. ‘সদুক্তিকর্ণামৃত’ কোন যুগের সাহিত্যকর্ম? (অনুধাবন)
ক পাল সেন গ মৌর্য ঘ মোঘল
১২৯. সেন রাজাগণ রাজ্যবিস্তারের পাশাপাশি নিজেরাও বিদ্যাচর্চা ও সাহিত্য রচনা করতেন। তাদের বিদ্যাচর্চা ও সাহিত্য রচনা দ্বারা কোন বিষয়টি ফুটে ওঠে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা খ বইয়ের ব্যবসা
বিদ্যানুরাগী ঘ দেশের অনুন্নয়ন
১৩০. সেনদের রাজসভায় কাদের সমাবেশ ঘটেছিল? (জ্ঞান)
ক পণ্ডিত ব্রাহ্মণ ও ক্ষত্রিয়দের খ পণ্ডিত, বৈশ্য ও শীলদের
গ শিল্পী, কবি ও গায়কদের পণ্ডিত, জ্ঞানী ও কবিদের
১৩১. চর্যাপদ কী? (জ্ঞান)
ক এক প্রকার গান খ কবিতা
গ উপন্যাস ধর্মবিষয়ক বই
১৩২. ‘সদুক্তিকর্ণামৃত’ গ্রন্থটি কার নামের সঙ্গে জড়িত? (জ্ঞান)
ক রামাই পণ্ডিত খ বল্লাল সেন গ গোবিন্দ দাস শ্রীধর দাস
১৩৩. ‘রামচরিত’ কে লিখেন? (জ্ঞান)
সন্ধ্যাকরনন্দী খ শ্রীধর দাস গ অতীশ দীপঙ্কর ঘ শীলভদ্র
১৩৪. পালযুগের প্রসিদ্ধ কাব্যগ্রন্থ কোনটি? (জ্ঞান)
ক দান সাগর খ অদ্ভুত সাগর
গ রামসাগর রামচরিত
১৩৫. শ্রেণিতে শিক্ষক সেন যুগের রচিত ‘গীতগোবিন্দ’ সাহিত্যের কথা বললেন। সেটি কার সাহিত্যকর্ম? (প্রয়োগ)
ক লক্ষণ সেনের খ বল্লাল সেনের
জয়দেবের ঘ কবীন্দ্র ধোয়ারির
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৩৬. লক্ষণ সেন ছিলেন- (অনুধাবন)
র. শিক্ষক রর. পণ্ডিত ররর. কবি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৩৭. প্রাচীন বাংলাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর প্রকার হলো (অনুধাবন)
র. গুরুগৃহ রর. চতুষ্পাঠী ররর. কলেজ
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৩৮. প্রাচীন বৌদ্ধবিহারগুলো গড়ে উঠেছিল (অনুধাবন)
র. বাংলাদেশে রর. ভারতের পশ্চিমবঙ্গে
ররর. বিহারে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১৩৯. ইউরোপের বিশ্ববিদল্যায়গুলোর মধ্যে অন্যতম (অনুধাবন)
র. ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটি রর. সাংহাই ইউনিভার্সিটি
ররর. অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৪০. প্রাচীন বাংলার কবি ছিলেন- (অনুধাবন)
র. কবি নজরুল রর. বল্লাল সেন ররর. লক্ষণ সেন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৪১ ও ১৪২ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
শোয়েব ইংল্যান্ডের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে যায়। সে জানতে পারে এটা বারো-তেরো শতকে গড়ে উঠেছে। ইতিহাস থেকে সে জানতে পারে বাংলাদেশের বৌদ্ধ বিহারগুলোতে আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা আরো আগে থেকেই শুরু হয়েছে।
১৪১. প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে খ্যাত বৌদ্ধবিহারগুলো কোন শতকে গড়ে উঠেছিল? (জ্ঞান)
ক সপ্তম অষ্টম গ নবম ঘ দশম
১৪২. বৌদ্ধবিহারের শিক্ষাব্যবস্থা ছিল (উচ্চতর দক্ষতা)
র. ছাত্ররা বিহারে থাকত রর. শিক্ষকদের বলা হতো আচার্য
ররর. শিক্ষার্থীদের বলা হতো শ্রমণ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৪৩ ও ১৪৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
বর্তমানে বাংলাদেশে প্রাচীনকালে দুই যুগের ধর্মের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। এছাড়া এই দুই যুগে সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিকাশের ফলাফলও বর্তমান সমাজে লক্ষণীয়। চর্যাপদ ছিল সেই সময়কার অবদান। (উত্তরা হাইস্কুল, ঢাকা)
১৪৩. অনুচ্ছেদে যে যুগের কথা বলা হয়েছে তা হলো-
র. সেন রর. মৌর্য ররর. পাল
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর র ও ররর ঘ রর ও ররর
১৪৪. উক্ত সময়কার সাহিত্যের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হলো-
র. গীতগোবিন্দ রর. পানদূত ররর. সদুক্তিকর্ণামৃত
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
ন্ধ পাঠ-৯ ও ১০ : মধ্যযুগ ও আধুনিক যুগে বাংলাদেশ
º বোর্ড বই, পৃষ্ঠা৯
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৪৫. মধ্যযুগের সূচনা হয় কাদের মাধ্যমে? (জ্ঞান)
মুসলমানদের শাসন ক্ষমতা খ হিন্দুদের শাসন ক্ষমতা
গ ইংরেজদের শাসন ক্ষমতা ঘ বৌদ্ধদের শাসন ক্ষমতা
১৪৬. রাজা লক্ষণ সেন কত খ্রিষ্টাব্দে পরাজিত হন? (জ্ঞান)
ক ১২০০ ১২০৪ গ ১২০৮ ঘ ১২১২
১৪৭. ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বখতিয়ার খলজি কাকে পরাজিত করেন? (জ্ঞান)
ক গোপাল খ ধর্মপাল গ রামপাল লক্ষণ সেন
১৪৮. সুলতানরা ধন-সম্পদে ভরা দিল্লির বিরুদ্ধে কী ঘোষণা করলেন? (অনুধাবন)
ক যুদ্ধ স্বাধীনতা গ অপপ্রচার ঘ অন্য একটি রাজধানী
১৪৯. রফিক দিল্লির সুলতানি শাসনের অবসানের কথা বললেন। সেটি কত খ্রিষ্টাব্দে হয়েছিল? (প্রয়োগ)
১৫২৬ খ ১৫১৬ গ ১৪২৬ ঘ ১৪২৮
১৫০. মোঘলরা কাদের পরাজিত করে ভারতে শাসন পরিচালনা করে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক তুর্কি সুলতানি গ মারাঠা ঘ সেন বংশ
১৫১. আফগানিদের জমিদারি ছিল কোন এলাকায়? (জ্ঞান)
ক ‘গুজরাটে খ কাবুলে গ ঢাকায় বিহারে
১৫২. মোঘলদের হাত থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করেন কে? (জ্ঞান)
ক ঈসা খাঁ খ শেরশাহ শের খান শূর ঘ শায়েস্তা খাঁ
১৫৩. ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে শিক্ষক বললেন এক সময় বাংলাদেশের বড় বড় জমিদারদের একটি নামে ডাকা হতো। সেটি কী? (জ্ঞান)
ক বড় লোক খ ধনাঢ্য বারভ‚ঁইয়া ঘ শাহু
১৫৪. ১৬১০ সালে বাংলাদেশ কোন সম্রাটের অধীনে আসে? (অনুধাবন)
জাহাঙ্গীর খ আকবর গ শেরশাহ ঘ মজনুশাহ
১৫৫. বাংলাদেশ ১৬১০-১৭৫৭ সাল পর্যন্ত কাদের অধীনে ছিল? (জ্ঞান)
ক মারাঠা মোগল গ পাল ঘ সেন
১৫৬. সন্ধ্যা ৭ টার সংবাদে একদা বলা হলো আমাদের বাংলাদেশে সুলতানি যুগ থেকে মোঘল শাসন আমলের পূর্বে একটি যুগ খুব পরিচিতি ছিল। কোন যুগের কথা বলা হয়েছে? (উচ্চতর দক্ষতা)
মধ্যযুগ খ প্রাচীন যুগ গ আধুনিক যুগ ঘ ডিজিটাল যুগ
১৫৭. ইংরেজরা কোন শাসনের অবসান ঘটিয়ে ক্ষমতায় বসে? (অনুধাবন)
ক হিন্দু খ মোঘল মুসলমান ঘ ব্রাহ্মণ
১৫৮. ভারত উপমহাদেশে কারা প্রায় ২০০ বছর শাসন করেছিল? (জ্ঞান)
ক মোঘল খ মুসলমান ইংরেজ ঘ সেন
১৫৯. ইংরেজ বণিকরা প্রথম ১০০ বছর কী নামে পরিচিত ছিল? (অনুধাবন)
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি খ বেঙ্গল কোম্পানি
গ রয়েল কোম্পানি ঘ ডাচ কোম্পানি
১৬০. সাঈদ সাহেব তার নাতিকে বলল, আমাদের দেশ থেকে ১৯৪৭ সালে একটি বণিক গোষ্ঠী চলে যায়। তিনি কোন বণিকদের কথা বলেছেন? (প্রয়োগ)
ক মারাঠা খ মোঘল গ তুর্কি ইংরেজ
১৬১. কত সালে পাকিস্তান স্বাধীন হয়? (উচ্চতর দক্ষতা)
১৯৪৭ খ ১৯৪৯ গ ১৯৬৯ ঘ ১৯৭১
১৬২. বাংলাদেশ ১৯৫২ সালে কী নামে পরিচিতি ছিল? (উচ্চতর দক্ষতা)
পূর্ব পাকিস্তান খ পশ্চিম পাকিস্তান
গ উত্তর পাকিস্তান ঘ দক্ষিণ পাকিস্তান
১৬৩. তুমি বাংলাদেশে বাস কর। তোমার দেশ কত সালে স্বাধীন হয়? (প্রয়োগ)
ক ১৯৫৭ খ ১৯৪৯ ১৯৭১ ঘ ১৯৮২
১৬৪. বাংলাদেশের বিজয় দিবস কবে? (অনুধাবন)
ক ২১ ফেব্রæয়ারি খ ৭ মার্চ গ ২৬ মার্চ ১৬ ডিসেম্বর
১৬৫. বাংলাদেশের সাংবিধানিক নাম কী? (জ্ঞান)
ক বাংলাদেশ খ সাবাস বাংলাদেশ
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ ঘ সাংবিধানিক বাংলাদেশ
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৬৬. ১২০৪ সালে রাজা লক্ষণ সেনকে পরাজিত করে ক্ষমতায় আসে- (অনুধাবন)
র. বখতিয়ার খলজি রর. তুর্কি মুসলমান
ররর. সুলতানরা
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৬৭. মধ্যযুগে দিল্লি ছিলÑ (অনুধাবন)
র. রাজধানী রর. প্রদেশ ররর. ধনসম্পদে ভরা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১৬৮. মোঘলদের শাসনকাল ছিলÑ (অনুধাবন)
র. ১৬১০ রর. ১৭৫৭ ররর. ১৮৫৭
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৬৯. ইংরেজ বণিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিলÑ (প্রয়োগ)
র. নাথান কোম্পানি রর. ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি
ররর. রানি ভিক্টোরিয়া
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৭০. পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত ছিলÑ (অনুধাবন)
র. মধ্য পাকিস্তান রর. পূর্ব পাকিস্তান
ররর. পশ্চিম পাকিস্তান
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৭১. মুক্তিযুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে – (প্রয়োগ)
র. পাকবাহিনীর পরাজয়ে রর. পাকবাহিনীর আত্মসমর্পণে
ররর. পাকবাহিনীর মৃত্যুতে
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৭২, ১৭৩ ও ১৭৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
মুক্তিযোদ্ধা আকরাম হোসেন মুক্তিযুদ্ধের সময় তার যুদ্ধকালীন স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, যেখান থেকে নির্দেশনা পেয়ে যুদ্ধে গিয়েছিলাম আবার সেখানেই ১৬ ডিসেম্বর বিকাল পাঁচটায় ফিরে এলাম। জানতে পারলাম যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটেছে এবং পাকবাহিনী আত্মসমর্পণ করেছে।
১৭২. অনুচ্ছেদে আকরাম সাহেব ১৬ ডিসেম্বর বিকেল পাঁচটায় কোথায় গিয়েছিল? (প্রয়োগ)
ক রমনা পার্কে খ পল্টন ময়দানে
রেসকোর্স ময়দানে ঘ চন্দ্রিমা উদ্যানে
১৭৩. ১৬ ডিসেম্বর বিকেল পাঁচটার ঘোষণাÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র.যুদ্ধবিরতি রর. স্বাধীনতা অর্জন
ররর. এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ র ও রর ঘ র, রর ও ররর
১৭৪. ১৬ ডিসেম্বর বিকাল পাঁচটার ঘোষণার ফলাফল- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. অসহযোগ আন্দোলন রর. পাকবাহিনীর আত্মসমর্পণ
ররর. পাকবাহিনীর সকল নৃশংসতার অবসান
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ র ও রর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
মাস্টার ট্রেইনার প্রণীত সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১ মুক্তিযুদ্ধের পটভ‚মি
আজগর আলী তার নাতিদের সাথে গল্প করতে গিয়ে বলেন, ১৯৪৭ সালে জন্ম নেয়া একটি রাষ্ট্রের কথা যে রাষ্ট্রটি দুটি প্রদেশে বিভক্ত থাকলেও একটি অপরটি কর্তৃক নানাভাবে শোষণ ও বঞ্চনার শিকার হতো। দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে শোষিত প্রদেশটির জনগণ আন্দোলন ও সংগ্রামে লিপ্ত হয়। যে আন্দোলনের সফল পরিণতি ঘটে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর।
ক. কাদেরকে বারভ‚ঁইয়া বলা হতো? ১
খ. সেন যুগের সাহিত্যচর্চা সম্পর্কে ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকে আজগর আলীর গল্পে পাঠ্যবইয়ের কোন ঘটনার পটভ‚মি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উক্ত পটভ‚মির মূল নিয়ামকসমূহ তোমার পঠিত বিষয়ে আলোকে মূল্যায়ন কর। ৪
ক বাংলাদেশের বড় বড় জমিদারদের বারভ‚ঁইয়া বলা হতো।
খ প্রাচীনকালে সেন রাজাগণ রাজ্য বিস্তারের পাশাপাশি সাহিত্য রচনা ও বিদ্যাচর্চা করতেন। তারা পণ্ডিতগণকে সাহিত্য রচনায় উদ্বুদ্ধ করতেন। বল্লাল সেন ‘দানসাগর’ ও ‘অদ্ভুতসাগর’ রচনা করেন। সেনদের রাজসভায় পণ্ডিত, জ্ঞানী ও কবিদের সমাবেশ ঘটেছিল। শ্রীধর দাস মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে থাকা কবিতা সংকলন করে নাম দেন ‘সদুক্তিকর্ণামৃত’।
গ উদ্দীপকে আজগর আলীর গল্পে পাঠ্যবইয়ের মুক্তিযুদ্ধের পটভ‚মি ফুটে উঠেছে। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম হয়। পাকিস্তান রাষ্ট্রের মূল ক্ষমতা কেন্দ্রীভ‚ত ছিল পশ্চিম পাকিস্তানের কাছে। জনগণের দিক থেকে সংখ্যাগরিষ্ঠ হবার পরও পূর্ব পাকিস্তান পশ্চিম পাকিস্তান কর্তৃক শোষণের স্বীকার হয়। ১৯৬৬ সালে লাহোরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার ঐতিহাসিক ৬ দফা দাবি তুলে ধরেন। উদ্দীপকের আজগর আলীর গল্পে পাঠ্যবইয়ের এ ঘটনার প্রতিই ইঙ্গিত করা হয়েছে যে, ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করার পরও তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তান সরকার আওয়ামী লীগের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেনি। জনগণের নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করার জন্য পূর্ব পাকিস্তানের ছাত্রসমাজ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে অসহযোগ আন্দোলন শুরু করে। উক্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চ ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী গণহত্যা চালায়। ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণার মধ্য দিয়ে নয় মাস ব্যাপি মুক্তিযুদ্ধের সূচনা ঘটে।
ঘ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হবার পেছনে অনেক নিয়ামক কাজ করেছে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এসব নিয়ামকসমূহ বাঙালিদের মুক্তি সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে। পশ্চিম পাকিস্তান পূর্ব পাকিস্তানকে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে নানাভাবে বঞ্চিত করে। এই বঞ্চনার স্বীকার হয়ে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ তাদের স্বায়ত্ত¡শাসনের জন্য আন্দোলন শুরু করে এবং বিভিন্ন প্রস্তাবনার মাধ্যমে তাদের দাবি আদায়ে সোচ্চার হয়। আইয়ুব খানের স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ তীব্র আন্দোলন করে দেশকে স্বৈরশাসনমুক্ত করে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রেখেছিল। ১৯৭০ সালের জাতীয় নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ অর্জন করার পরও পশ্চিম পাকিস্তান ক্ষমতা হস্তান্তর করেনি। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে শুরু হয় অসহযোগ আন্দোলন। এরপর পশ্চিম পাকিস্তান পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ২৫ মার্চ গণহত্যা চালায় যার সুস্পষ্ট ফলস্বরূপ মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। উপরিউক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায়, উল্লিখিত বিভিন্ন নিয়ামকসমূহ মুক্তিযুদ্ধের পটভ‚মিতে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রেখেছে।
প্রশ্ন- ২ ২৫ মার্চের গণহত্যা ও আমাদের বিজয়
ক. আফগানদের নেতা কে ছিলেন? ১
খ. পালযুগের ধর্মীয় স¤প্রীতির ব্যাখ্যা দাও। ২
গ. দৃশ্যমান চিত্রটি কোন ঘটনার ইঙ্গিত বহন করে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. “উক্ত ঘটনাটি বাঙালির স্বাধীনতার চেতনাকে বেগবান করেছিল” মতামত দাও। ৪
ক আফগানদের নেতা ছিলেন শেরখান শূর।
খ পাল সম্রাটগণ ছিলেন বৌদ্ধধর্মের অনুসারী। কিন্তু প্রজাগণের অধিকাংশ ছিলেন ব্রাহ্মণ ধর্মমতের। সম্রাট ধর্মপাল ধর্মীয় স¤প্রীতির নীতি গ্রহণ করেছিলেন। ব্রাহ্মণদের তিনি রাজ্যের উচ্চপদে অধিষ্ঠিত করেছেন। তৎকালীন একাধিক তাম্রশাসনে ব্রাহ্মণ্য মন্দিরে ভ‚মিদান করেন পাল রাজারা। ব্রাহ্মণ ও বৌদ্ধদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ ছিল না। ধর্মীয় স¤প্রীতি পালযুগে প্রধান বৈশিষ্ট্য হিসেবে চিহ্নিত হয়।
গ দৃশ্যমান চিত্রটি ২৫ মার্চ কালরাত্রির গণহত্যার ঘটনা নির্দেশ করে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ঘুমন্ত বাঙালিদের ওপর ভারি অস্ত্র ও ট্যাংক নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। সেদিন রাত্রে হানাদার বাহিনী নির্বিচারে গণহত্যা চালায়। এই গণহত্যার নাম দেয়া হয় ‘অপারেশন সার্চলাইট’। অপারেশনের অংশ হিসেবে পাকবাহিনী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে আক্রমণ চালিয়ে অনেক ঘুমন্ত ছাত্র শিক্ষককে হত্যা করে। পাকবাহিনী সারাদেশে সেনানিবাস, ইপিআর ঘাটিতে আক্রমণ চালিয়ে অনেক বাঙালি সেনাকে হত্যা করে। সেদিন শুধুমাত্র ঢাকাতে ৭ থেকে ৮ হাজার নিরীহ মানুষ নিহত হয়। দৃশ্যমান চিত্রে দেখা যাচ্ছে মানুষের লাশের স্তুপ। যা ১৯৭১ এর ২৫ মার্চের গণহত্যাকে নির্দেশ করে।
ঘ উক্ত ঘটনাটি অর্থাৎ ২৫ মার্চের গণহত্যার চ‚ড়ান্ত পরিণতি হলো স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়। ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে একটি বার্তা সারাদেশে পাঠিয়ে দেন। তাঁর এই স্বাধীনতার ঘোষণা ওয়ারলেসের মাধ্যমে প্রচার করা হয়। স্বাধীনতা ঘোষণার পরপরই তিনি পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন। এরপর থেকেই বাঙালি সেনা ও জনতা দ্রæত সংগঠিত হয়ে মুক্তিযুদ্ধ শুরু করে। এদেশের কৃষক-শ্রমিক-ছাত্র জনতা সর্বস্তরের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। মুজিবনগর সরকার সারাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করে এবং প্রতিটি সেক্টরে একজন সেক্টর কমান্ডার নিয়োগ করে। বিশ্ব জনমত সৃষ্টি ও যৌথ বাহিনী গঠনসহ মুজিব নগর সরকারের নানা কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের অভ্যুদয় ও চ‚ড়ান্ত বিজয়ে ভ‚মিকা রাখে। অনেক রক্ত ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জন করি। সেদিন প্রায় তিরানব্বই হাজার পাকিস্তানি সৈন্য ঢাকার তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে আত্মসমর্পণ করে। উপরিউক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, ২৫ মার্চের গণহত্যা এদেশের মানুষকে স্বাধীনতার চেতনায় উজ্জীবিত করে।
প্রশ্ন- ৩ বাংলাদেশের মানব বসতি
আব্দুস সাত্তার নরসিংদীতে তার বন্ধু সাদ্দামের বাড়িতে বেড়াতে যায়। সেখানে গ্রাম ঘুরে দেখতে গিয়ে সে তাম্র ও প্রস্তর যুগের গর্ত বসতির চিহ্ন লক্ষ করল। এ ব্যাপারে সে সাদ্দামকে জিজ্ঞাসা করলে সে বলল, গুপ্ত যুগ সম্পর্কে পঠন পাঠনের মাধ্যমে তুমি এ ব্যাপারে সঠিক ধারণা লাভ করতে পার।
ক. বাংলাদেশে মুসলিম শাসনের সূত্রপাত করেন কে? ১
খ. গুপ্ত পরবর্তী যুগ ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকে আব্দুস সাত্তার পাঠ্যবইয়ের কোন বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা পেল? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উক্ত বিষয় সম্পর্কে সাদ্দামের শেষোক্ত বক্তব্যটি কি যথার্থ? যুক্তি দাও। ৪
ক ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বখতিয়ার খলজি বাংলাদেশে মুসলিম শাসনের সূত্রপাত করেন।
খ গুপ্ত শাসনের শেষের দিকে বাংলাদেশে অনেক রাজার নাম পাওয়া যায় যা পরবর্তী গুপ্ত নামে পরিচিত। সপ্তম শতকে শশাঙ্ক নামে এক শাসকের পরিচয় পাওয়া যায়। তিনি গৌড়ের প্রথম স্বাধীন শাসক ছিলেন। রাজা শশাঙ্কের মৃত্যুর পর প্রায় একশ বছর প্রাচীন বাংলাদেশের কোনো স্থায়ী শাসকের তথ্য পাওয়া যায়নি। শাসকের অভাবে ছোট ছোট রাজাগণ কলহ ও যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে।
গ উদ্দীপকে আব্দুস সাত্তার প্রাচীনকালে বাংলাদেশের মানববসতি সম্পর্কে ধারণা পায়। বর্তমানকালে নানাবিধ প্রতœতাত্তি¡ক আবিষ্কারের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রাচীন মানব বসতি সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যায়। তবে ভারতীয় উপমহাদেশের দ্বিতীয় নগরসভ্যতার নিদর্শন বগুড়ার বরেন্দ্রভ‚মি ও নরসিংদীর মধুপুর ভ‚মি উয়ারী-বটেশ্বরে আবিষ্কৃত হয়েছে। প্রাগৈতিহাসিক যুগের হাতিয়ার যেমন পাথর ও কাঠের হাতকুঠার, কটালি, তীরের ফলক ইত্যাদি আবিষ্কৃত হয়েছে নরসিংদীর উয়ারী-বটেশ্বর হতে। প্রাচীনকালে এখানে যে মানববসতি ছিল আব্দুস সাত্তার সে বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা লাভ করে।
ঘ উক্ত বিষয় অর্থাৎ মানব বসতি সম্পর্কে সাদ্দামের শেষোক্ত বক্তব্যটি যথার্থ। কারণ বাংলাদেশের বিস্তারিত ইতিহাস জানা যায় গুপ্ত যুগ থেকে। বাংলাদেশের উত্তরাংশে পুন্ড্রবর্ধন ভ‚ক্তি নামে একটি প্রদেশ গুপ্তদের শাসনাভুক্ত ছিল। বাংলাদেশ তখন পুণ্ড্রবর্ধন, বঙ্গ, সমতট, গৌড়, বরেন্দ্র, হরিকেল প্রভৃতি জনপদ নামে পরিচিত ছিল। এসমস্ত জনপদ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমেই প্রাচীনকালে মানুষের বসতি সম্পর্কে জানা যায়। গুপ্ত যুগে শশাঙ্ক নামে এক শাসকের পরিচয় পাওয়া যায়। তিনি গৌড় জনপদের শাসক ছিলেন। গুপ্ত যুগের রাজা ও জনপদের সম্পর্কে ধারণা লাভের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রাচীন মানব বসতি সম্পর্কে ধারণা লাভ করা সম্ভব। তাই উদ্দীপকে সাদ্দাম গুপ্ত যুগ সম্পর্কে পঠন পাঠনের মাধ্যমে উক্ত বিষয় সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারবে বলে উক্তি করে।
প্রশ্ন- ৪ পাল রাজবংশ
সোনাপুর অঞ্চলের শেষ স্বাধীন শাসকের মৃত্যুর পর প্রায় একশ বছর এ অঞ্চলে কোনো স্থায়ী শাসক ছিল না। সোনাপুরের জনগণ এক ব্যক্তিকে শাসক হিসেবে নির্বাচন করে এবং তার বংশধররাই দীর্ঘদিন যাবত সোনাপুর শাসন করেন। এই রাজবংশের শাসনামলেই দিব্য এর নেতৃত্বে একটি বিদ্রোহ সংঘটিত হয়। [রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, ঢাকা]
ক. ‘সদুক্তিকর্ণামৃত’ বইটি কে সংকলন করেন? ১
খ. অস্থায়ী সরকার কেন গঠন করা হয়? ২
গ. উদ্দীপকে কোন রাজ বংশ প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উক্ত রাজবংশের সংগঠিত বিদ্রোহের ঘটনা পাঠ্যপুস্তকের আলোকে আলোচনা কর। ৪
ক শ্রীধর দাস।
খ মুক্তিযুদ্ধ সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য ১০ এপ্রিল ১৯৭১ সালে তৎকালীন মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলায় অস্থায়ী সরকার গঠন করা হয়। মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য এ সরকার পুরো দেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করে প্রতি সেক্টরে কমান্ডার নিয়োগ করে। অস্থায়ী সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন। বিশ্বে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত সৃষ্টি করা ছিল অস্থায়ী সরকারের প্রধান কাজ।
গ উদ্দীপকে পাল রাজবংশ প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে। রাজা শশাঙ্কের মৃত্যুর পর প্রায় একশ বছর প্রাচীন বাংলাদেশে কোনো স্থায়ী শাসকের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। ফলে অঞ্চলগুলো নিজেদের মধ্যে কলহ ও যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। অবশেষে পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা গোপাল শতবর্ষ ব্যাপি কলহ, নৈরাজ্য ও হানাহানির অবসান ঘটিয়ে বরেন্দ্র (গৌড়)-এর সিংহাসনে বসেন। কথিত আছে যে, প্রজাদের প্রতিনিধি বা কর্মচারীদের প্রতিনিধিরাই গোপালকে নির্বাচন করে। অপর একটি মত আছে যে, সামন্তরা গোপালকে ক্ষমতায় বসায়। গোপাল যোগ্য শাসকের পরিচয় দেন। ধর্মপাল ও দেবপাল এ বংশের বিখ্যাত শাসক ছিলেন। পাল বংশের দীর্ঘ শাসনামলে বাংলাদেশের অর্থনীতি, স্থাপত্য, চিত্রশিল্প ও শিল্পকলাসহ অন্যান্য অনেক ক্ষেত্রে উৎকর্ষ অর্জন করে। পালবংশ বাংলাদেশের প্রথম দীর্ঘস্থায়ী রাজবংশ। দীর্ঘ ৪০০ বছর তারা বাংলাদেশ শাসন করেন।
ঘ উক্ত রাজবংশ তথা পাল রাজবংশ ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজবংশ হিসেবে পরিচিত। দীর্ঘকাল ব্যাপী শাসনকালে পাল রাজাদের মধ্যে অনেকেই দক্ষতা ও বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন। আবার কতিপয় শাসকগণ তাদের অযোগ্যতা ও অদক্ষতার কারণে সাময়িক ক্ষমতাচ্যুতও হয়েছেন। ইতিহাসের দিকে ফিরে তাকালে দেখা যায় রাজা দ্বিতীয় মহীপাল এর শাসনামলে রাজ্যে বিদ্রোহের ঘটনা ঘটে। উত্তরাধিকার নিয়ে ভ্রাতৃকলহে লিপ্ত থাকার দরুণ তিনি দুর্বল হয়ে পড়েন। তার এই দুর্বলতার সুযোগ নেয় কৈবর্ত নামের জেলে স¤প্রদায়ের জনগণ। ১০৮০ খ্রিষ্টাব্দে দিব্য-এর নেতৃত্বে কৈবর্ত নামের ঐ জেলে স¤প্রদায়ের মানুষ সফল বিদ্রোহ করে রাজা দ্বিতীয় মহীপালকে পরাজিত করে সিংহাসন দখল করে। সিংহাসন দখল করলেও কৈবর্তরা বেশি দিন ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি। মহীপালের ভাই রামপাল সামন্তদের সাহায্যে ও সহযোগিতা নিয়ে কৈবর্ত শাসক ভীমকে এক ভয়াবহ যুদ্ধে পরাজিত ও হত্যা করে ১০৮২ খ্রিষ্টাব্দে বরেন্দ্র অঞ্চলে পাল শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে। উদ্দীপকের ঘটনাটিও যেন ঐতিহাসিক কৈবর্ত বিদ্রোহের অনুরূপ একটি ঘটনা তা সন্দেহাতীতভাবেই প্রমাণিত হয়।
প্রশ্ন- ৫ ভাষা, সাহিত্য ও শিক্ষা
ক. বাংলা ভাষার প্রাচীন নিদর্শন কোনটি? ১
খ. ২৫এ মার্চকে কালরাত বলা হয় কেন? ২
গ. ছক ক -এর ন্যায় প্রাচীন বাংলাদেশের গৌরবময় ক্ষেত্রটি ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. প্রদত্ত ছক খ-এ ইঙ্গিতকৃত বিষয়ের সাথে প্রাচীন বাংলার তুলনামূলক আলোচনা কর। ৪
ক বাংলা ভাষার প্রাচীন নিদর্শন হলো চর্যাপদ।
খ ১৯৭১ সালের ২৫এ মার্চ রাতে পাকিস্তানি বাহিনী নিরীহ, নিরস্ত্র মানুষের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে নির্বিচারে তাদেরকে হত্যা করে, সেদিন রাতে পাকবাহিনী রাজারবাগ পুলিশ লাইন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ইপিআর ও পিলখানায় হত্যাযজ্ঞ চালায়। সে রাতে সারাদেশের বিভিন্ন সেনানিবাসে হামলা চালিয়ে তারা অনেক বাঙালি সেনাদের হত্যা করে। শুধু ঢাকা শহরেই প্রায় সাত থেকে আট হাজার লোক প্রাণ হারায়। তাই ২৫এ মার্চকে কাল রাত বলা হয়।
গ উদ্দীপকে ছক-ক-এ বর্ণিত প্রতিষ্ঠানগুলো সাধারণত ভাষা ও সাহিত্য চর্চার কেন্দ্র। উক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো ভাষার উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ সম্পর্কে উপর্যুক্ত ব্যাখ্যা প্রদান করে। পাল ও সেন যুগের রাজারাও ভাষা পণ্ডিত ছিলেন এবং সাহিত্যচর্চা করতেন। তাদের প্রত্যেকের সভাকবি ছিল যারা সাহিত্য রচনা করতেন এবং রাজাদের সাহিত্য চর্চায় সহযোগিতা প্রদান করতেন। পালযুগে কবি সন্ধাকর নন্দী রচনা করেন ‘রামচরিত’। পাল আমলে রচিত হয় বাংলা ভাষার আদি নিদর্শন চর্যাপদ। সেন রাজারাও বিদ্যাচর্চা ও সাহিত্য রচনা করেন। বল্লাল সেন রচনা করেন ‘দান সাগর’ ও ‘অদ্ভুত সাগর’। লক্ষণ সেন ও পিতার অসমাপ্ত রচনা ‘অদ্ভুত সাগর’ সমাপ্ত করেন। সাধারণ মানুষের মুখে ছড়িয়ে থাকা কবিতা সেন যুগের শেষের দিকে শ্রীধর দাস সংকলন করে নাম দেন ‘সদুক্তিকর্ণামৃত’। আধুনিক উল্লিখিত ছক-ক এর মতো প্রাচীনকালেও ভাষা ও সাহিত্য চর্চায় রাজা, জ্ঞানীগুণী ও পণ্ডিতদের যথেষ্ঠ অবদান যা প্রাচীন বাংলাদেশের গৌরবময় ক্ষেত্র।
ঘ ছক-খ-এ উল্লিখিত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেখানে শিক্ষার্থীরা বিবিধ বিষয়ে উচ্চশিক্ষা লাভ করে। উক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্রছাত্রীরা আবাসিক হোস্টেলগুলোতে থেকে শিক্ষাগ্রহণ করে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যারা শিক্ষাদান করেন তাদেরকে প্রভাষক, অধ্যাপক, আচার্য ও উপাচার্য নামে অভিহিত করা হয়। বর্তমানকালে শিক্ষাব্যবস্থা ব্যাপক প্রসার লাভ করেছে। প্রাচীনকালে পালযুগে শিক্ষার ব্যাপক প্রসার লাভ করে। ঐ যুগের অনেক বৌদ্ধ বিহার বাংলাদেশে আবিষ্কৃত হয়েছে। বিহারগুলো ছিল এক একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেখানে বৌদ্ধ ছাত্ররা পড়াশুনা করত। বিহারগুলোর শিক্ষকদের বলা হতো আচার্য বা ভিক্ষু। ছাত্রদের বলা হতো শ্রমন। বর্তমান যুগের আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বিহারেও ছাত্রদের থাকার ব্যবস্থা ছিল। প্রাচীন হিন্দুদের প্রাথমিক বিদ্যালয় ছিল তিন ধরনের। যেমন : গুরুগৃহ, চতুষ্পাঠী এবং পাঠশালা। রাজা, মন্ত্রী ও অভিজাত শ্রেণির ছেলেমেয়েরা গুরুগৃহে, ব্রাহ্মণ পরিবারে ছেলেমেয়েরা চুতষ্পাঠী এবং সাধারণ ঘরের ছেলেমেয়েরা পড়ত পাঠশালায়। চতুষ্পাঠীতে সংস্কৃত ভাষা শেখানো হতো যাতে তাদের টোলে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে সুবিধা হয়। হিন্দুদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণের স্থানকে বলা হতো টোল। উপরিউক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, বর্তমানকালের শিক্ষাব্যবস্থা প্রাচীনকালের শিক্ষাব্যবস্থার সমন্বিত রূপ।
প্রশ্ন- ৬ মধ্য ও আধুনিক যুগে বাংলাদেশ
ক. চতুর্দশ শতকে কোথায় পাল যুগের চিত্রশিল্পের প্রভাব লক্ষ করা যায়? ১
খ. সংস্কৃতি বলতে কী বোঝায়? ২
গ. শ্রেণিকক্ষে দৃশ্যমান বোর্ডে পার্ট-১ এ কোন যুগের বাংলাদেশ উপস্থাপিত হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. শ্রেণিকক্ষের বোর্ডটিতে উল্লিখিত যে যুগে তোমার অবস্থান সে যুগের পর্যায়ক্রমিক ধারা বিশ্লেষণ কর। ৪
ক চতুর্দশ শতকে নেপাল ও তিব্বতের চিত্রকলায় পাল যুগের চিত্রশিল্পের প্রভাব লক্ষ করা যায়।
খ সমাজবিজ্ঞানীদের মতে আমরা যা করি তাই সংস্কৃতি। মানুষের জীবনের সকল কিছুই সংস্কৃতির অংশ। জামাকাপড়, খাওয়া-দাওয়া, বাড়িঘর, তৈজসপত্র থেকে শুরু করে ধর্মকর্ম শিল্পসাহিত্য এ সবই সংস্কৃতির অংশ।
গ বোর্ডে দৃশ্যমান পাঠ-১ এ মধ্যযুগের বাংলাদেশ উপস্থাপিত হয়েছে। ১২০৪ সালে তুর্কি সেনাপতি ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বখতিয়ার খলজি রাজা লক্ষণ সেনকে পরাজিত করে বাংলাদেশে মুসলিম শাসনের সূত্রপাত করেন। মুসলমানরা পুরো ভারতে শাসন প্রতিষ্ঠা করেন এবং দিল্লি ছিল তাদের রাজধানী। মুসলমান শাসকরা দিল্লির অধীনে না থেকে স্বাধীনভাবে পরিচালনার জন্য দিল্লির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতেন। এ খবর দিল্লিতে পৌছানো মাত্র বিদ্রোহীদের দমন করার জন্য সৈন্য পাঠানো হতো। এভাবে জয় ও পরাজয়ের মাধ্যমে এক সময় পুরো বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। এ স্বাধীনতা প্রায় ২০০ বছর স্থায়ী হয়। ১৫২৬ খ্রিষ্টাব্দে দিল্লির সুলতানি শাসনের অবসান ঘটে এবং ভারত দখল করতে শুরু করে আরেকটি মুসলমান শক্তি যারা মোগল নামে পরিচিত। পরবর্তীতে আফগান বিখ্যাত নেতা শেরখান শূর মোগলদের থেকে বাংলাদেশ রক্ষা করেন। বাংলাদেশে স্বাধীন আফগান শাসন শুরু হয়। এই বারভ‚ঁইয়ারা একজোট হয়ে মোগলদের হাত থেকে বাংলার স্বাধীনতা টিকিয়ে রেখেছিলেন। মোঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের সময় ১৬১০ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশ মোগলদের অধীনে আসে। মোগল শাসন ১৭৫৭ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত চলে। সুলতানি থেকে মোগল পর্ব পর্যন্ত বাংলাদেশে মুসলমানদের শাসনকাল মধ্যযুগ নামে পরিচিত।
ঘ শ্রেণিকক্ষে উল্লিখিত যে যুগে আমার অবস্থান তা হলো আধুনিক যুগ। বাংলাদেশ প্রাচীনকাল হতে ভারত উপমহাদেশের অংশ। ১৭৫৭ সালে মুসলমান শাসকদের পরাজিত করে ভারত উপমহাদেশের শাসন ক্ষমতায় বসে ইংরেজরা। ১৭৫৭ সাল হতে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত প্রায় দু’শ বছর ইংরেজরা শাসন করে। এই বিদেশি শাসনকে মেনে নিতে পারেনি বাংলাদেশের মানুষ। তাই তারা বিভিন্ন পর্যায়ে ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে। শেষ পর্যন্ত ইংরেজরা ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে ভারত উপমহাদেশ ছেড়ে চলে যায়। এ সময় জন্ম হয় ভারত ও পাকিস্তান নামে দুইটি স্বাধীন রাষ্ট্র। পাকিস্তান ছিল দুইটি ভিন্ন অঞ্চল নিয়ে একটি বেমানান রাষ্ট্র। পশ্চিম অঞ্চলকে বলা হতো পশ্চিম পাকিস্তান আর পূর্ব অংশকে বলা হতো পূর্ব পাকিস্তান। পাকিস্তানের শাসন ক্ষমতা ছিল পশ্চিম পাকিস্তানের অবাঙালিদের হাতে। তারা নানাভাবে পূর্ব পাকিস্তানকে শাসন করে। স্বাধীনতা আদায়েরা লক্ষ্যে বাঙালিরা ঐক্যবদ্ধ হয় পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে। অবশেষে ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ঝাঁপিয়ে পড়ে মুক্তিযুদ্ধে। দীর্ঘ নয়মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ করে ১৬ই ডিসেম্বর বাঙালি অর্জন করে স্বাধীনতা। জন্ম হয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের।
অনুশীলনের জন্য সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক (উত্তরসংকেতসহ)
প্রশ্ন- ৭ সেন রাজবংশ
‘ক’ নামক একটি জাতির লোকেরা চাকরি করার জন্য রূপপুরে আসে। ধীরে ধীরে এ জাতি তাদের ক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে রূপপুরের রাজাকে পরাজিত করে শাসন ক্ষমতা নিজেদের করায়ত্ব করে। তারা প্রায় সমগ্র রূপপুর নিজেদের শাসন প্রতিষ্ঠা করে এবং দীর্ঘদিন শাসন পরিচালনা করে।
ক. মুক্তিযুদ্ধে কারা অংশগ্রহণ করেছিলেন? ১
খ. কৈবর্ত বিদ্রোহের ব্যাখ্যা দাও। ২
গ. উদ্দীপকে কোন রাজবংশ প্রতিষ্ঠার ইঙ্গিত পাওয়া যায়? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. বাংলাদেশে উক্ত রাজবংশের শাসনামল মূল পাঠের আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪
ক মুক্তিযুদ্ধে এদেশের কৃষক-শ্রমিক-ছাত্র-জনতাসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করেছিল।
খ কৈবর্ত বলা হতো মূলত জেলে স¤প্রদায়কে। এগারো শতকের শেষ দিকে পালরাজা দ্বিতীয় মহীপালের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ কৃষক আর জেলে স¤প্রদায়ের যে বিদ্রোহ করে সেটাই ইতিহাসে ‘কৈবর্ত বিদ্রোহ’ নামে পরিচিত।
ঢ-পষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে
গ সেন রাজবংশ প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা কর।
ঘ বাংলাদেশে সেন রাজবংশের শাসনামল বিশ্লেষণ কর।
প্রশ্ন- ৮ প্রাচীন বাংলা বিনোদন সংস্কৃতি ও স্থাপত্য
রিপা তার অধিকাংশ সময় ভিডিও গেমস খেলে সময় কাটায়। তার মা বিষয়টি লক্ষ করে তাকে বলল, আমাদের সময় আমরা নাচ, গান, মল্লযুদ্ধ ও কুস্তি খেলা করতাম। চল পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার থেকে আমরা ঘুরে আসি।
ক. পাকিস্তান আমলে বাংলাদেশের নাম কী ছিল? ১
খ. সেন রাজত্বের অবদান সম্পর্কে আলোচনা কর। ২
গ. উদ্দীপকের রিপা ও তার মা সময়কার বিনোদন সংস্কৃতির পার্থক্য নিরূপণ কর। ৩
ঘ. রিপা ও তার মা বেড়াতে যাওয়া স্থানাটিতে কীসের পরিচয় পাওয়া যায়? বিশ্লেষণ কর। ৪
ক পাকিস্তান আমলে বাংলাদেশের নাম ছিল পূর্ব পাকিস্তান।
খ পাল রাজাদের দুর্বলতার সুযোগে সেনরা সিংহাসন দখল করে নিয়ে সেনরাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সামন্ত সেন। তারপর পর্যায়ক্রমে বাংলার রাজা ছিলেন বিজয় সেন, বল্লাল সেন ও লক্ষণ সেন। কিন্তু ১২০৪ সনে তুর্কি সেনাপতি ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বিন বখতিয়ার খলজির আক্রমণে সেন রাজত্বের অবসান ঘটে।
ঢ-পষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে
গ প্রাচীন বাংলাদেশ বিনোদন সংস্কৃতি ব্যাখ্যা কর।
ঘ প্রাচীন বাংলাদেশের স্থাপত্য কীর্তির সম্পর্কে আলোচনা কর।
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন \ ১ \ বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয় কখন থেকে?
উত্তর : বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয় ১৯৭১ সাল থেকে।
প্রশ্ন \ ২ \ পাকিস্তান রাষ্ট্রটি যে দুই ভাগে বিভক্ত ছিল তার নাম কী?
উত্তর : পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তান।
প্রশ্ন \ ৩ \ পাকিস্তান আমলে বাংলাদেশের নাম কী ছিল?
উত্তর : পূর্ব পাকিস্তান।
প্রশ্ন \ ৪ \ একতরফা ক্ষমতা ভোগ করে পাকিস্তানিরা কীসের ওপর আঘাত হানে?
উত্তর : আমাদের অর্থনীতির ওপর।
প্রশ্ন \ ৫ \ কার নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে উঠে?
উত্তর : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে ওঠে।
প্রশ্ন \ ৬ \ পাকিস্তানি সৈন্যরা নির্বিচারে গণহত্যা চালায় কখন?
উত্তর : ১৯৭১ সালের ২৫এ মার্চ গভীর রাতে।
প্রশ্ন \ ৭ \ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা করেন কখন?
উত্তর : ১৯৭১ সালের ২৫এ মার্চ মধ্যরাত শেষে অর্থাৎ ২৬এ মার্চ প্রথম প্রহরে।
প্রশ্ন \ ৮ \ মুক্তিযুদ্ধের সময় বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন?
উত্তর : মুক্তিযুদ্ধের সময় বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে সৈয়দ নজরুল ইসলাম রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন।
প্রশ্ন \ ৯ \ মুক্তিযুদ্ধে কারা অংশগ্রহণ করেছিলেন?
উত্তর : মুক্তিযুদ্ধে এদেশের কৃষক-শ্রমিক-ছাত্র-জনতাসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করেছিল।
প্রশ্ন \ ১০ \ মুক্তিযুদ্ধের সময় কোন দুটি দেশ বাংলাদেশের পাশে এসে দাঁড়ায়?
উত্তর : ভারত ও সোভিয়েত ইউনিয়ন।
প্রশ্ন \ ১১ \ ১৬ই ডিসেম্বর বাঙালি জাতি বিজয় অর্জন করেছে কীসের মাধ্যমে?
উত্তর : অনেক রক্ত ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে।
প্রশ্ন \ ১২ \ কার নেতৃত্বে বাঙালি জাতি বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন রাষ্ট্র অর্জন করে?
উত্তর : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালি জাতি বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন রাষ্ট্র অর্জন করে।
প্রশ্ন \ ১৩ \ কখন থেকে বাংলাদেশে মানব বসতি ছিল?
উত্তর : প্রাচীনকাল থেকে বাংলাদেশে মানব বসতি ছিল।
প্রশ্ন \ ১৪ \ ভারত উপমহাদেশের প্রথম নগর সভ্যতার নাম কী?
উত্তর : সিন্ধু সভ্যতা।
প্রশ্ন \ ১৫ \ বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরনো নগর সভ্যতার নিদর্শন কোথায় পাওয়া গেছে?
উত্তর : বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরনো নগরসভ্যতার নিদর্শন পাওয়া গেছে মহাস্থানগড় ও উয়ারী-বটেশ্বরে।
প্রশ্ন \ ১৬ \ পুণ্ড্রনগর গড়ে উঠেছিল কখন?
উত্তর : খ্রিষ্টপূর্ব চতুর্থ শতকে পুণ্ড্রনগর গড়ে উঠেছিল।
প্রশ্ন \ ১৭ \ বাংলাদেশের বিস্তারিত ইতিহাস জানা যায় কোন যুগ থেকে?
উত্তর : বাংলাদেশের বিস্তারিত ইতিহাস জানা যায় গুপ্ত যুগ থেকে।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন \ ১ \ আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : আমাদের এ দেশটি আগে পাকিস্তানের একটি অংশ ছিল। পাকিস্তানিরা দীর্ঘ তেইশ বছর ধরে এদেশের মানুষের ওপর অত্যাচার চালায়। তারা এ দেশের সম্পদ শোষণ করে। ভাষা ও সংস্কৃতির ওপর আক্রমণ করে। ন্যায্য অধিকার থেকে মানুষকে বঞ্চিত করে। এসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে মানুষ আন্দোলন ও সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে। অবশেষে ১৯৭১ সালে এ আন্দোলন ও সংগ্রাম স্বাধীনতা যুদ্ধে রূপ নেয়।
প্রশ্ন \ ২ \ প্রাচীনকাল থেকে বাংলায় কোন ধরনের অর্থনীতি গড়ে উঠেছিল?
উত্তর : প্রাচীনকাল থেকে বাংলায় কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি গড়ে উঠেছিল। কারণ প্রাচীন বাংলার অর্থনীতির প্রধান উৎস ছিল কৃষি। নদী-নালা-খাল-বিলের দেশ এই বাংলার মূল ভ‚মি নদীর পলি দিয়ে গঠিত হওয়ায় বাংলার মাটি খুব উর্বর ছিল। এই মাটিতে খুব সহজে ফসল ফলানো যেত বলেই প্রাচীনকাল থেকেই বাংলার অর্থনীতির ভিত্তি হয়ে ওঠে কৃষি।
প্রশ্ন \ ৩ \ প্রাচীন বাংলার কৃষি অর্থনীতি কীভাবে বাংলার খ্যাতি এনে দিয়েছিল?
উত্তর : প্রাচীন বাংলার অর্থনীতির প্রধান উৎস ছিল কৃষি। তখন ধান ছিল প্রধান ফসল। এছাড়া প্রচুর আখ উৎপাদন হতো। আখের রস দিয়ে তৈরি হতো গুড় ও চিনি। গুপ্ত যুগে আখ এবং আখের তৈরি গুড় ও চিনির জন্য বাংলার যথেষ্ট খ্যাতি ছিল। এছাড়া প্রাচীনকালে তুলা, সরিষা ও পান চাষের জন্যও বাংলার খ্যাতি ছিল।
প্রশ্ন \ ৪ \ পাকিস্তান কেন আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়েছিল?
উত্তর : পাকিস্তানিদের অন্যায়, অত্যাচার, বৈষম্য ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে বাঙালি জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে অধিকার আদায়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাদের বীরত্ব ও ত্যাগের কাছে তিরানব্বই হাজার পাকিস্তানি সৈন্য আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়।