অষ্টম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ঔপনিবেশিক যুগ ও বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রাম

প্রথম অধ্যায়
ঔপনিবেশিক যুগ ও বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রাম

বিষয়-সংক্ষেপ

ভাস্কো-ডা-গামা, আল বুকার্ক প্রমুখের হাত ধরে বাংলায় পর্তুগিজ ও ইংরেজদের পাশাপাশি ফরাসি, ওলন্দাজ ও দিনেমাররা স্থায়ী কুঠি স্থাপন করে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করতে থাকে। তবে ইউরোপীয় শক্তিগুলোর মধ্যে ইংরেজরা অন্যান্য বহিঃশক্তির ওপর প্রাধান্য লাভ করে। ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি ধীরে ধীরে বাংলায় তাদের প্রভাব প্রতিপত্তি বাড়িয়ে নবাবের দরবারে প্রভাব বিস্তারের মতো ক্ষমতা ভোগ করতে শুরু করে। এ পর্যায়ে তারা বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় এবং ১৭৫৭ সালের ২৩শে জুন তাকে পরাজিত করে বাংলার প্রকৃত শাসন ক্ষমতা নিজেদের হাতে নিয়ে নেয়। তাদের শাসন-শোষণে বাংলার জনগণ অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। তাদের এই শোষণের বিরুদ্ধে ১৮৫৭ সালে ভারতের বিভিন্ন ব্যারাকে বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়ে। বিদ্রোহ দমাতে ১৮৫৮ সালের ২রা আগস্ট ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ভারত-শাসন আইন পাস হয়। ফলে ভারতের রাষ্ট্রক্ষমতা ব্রিটিশ রাজের হাতে চলে যায়। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন সমগ্র ভারতবর্ষে সংঘটিত হলেও সর্বভারতীয় রাজনীতির নেতৃত্ব শেষ পর্যন্ত বাঙালিদের হাতে থাকেনি। ১৯৪০ সালে মুসলিম লীগ কর্তৃক দ্বিজাতিতত্ত¡ প্রচারের পর জনগণ হিন্দু-মুসলমান পরিচয়ে বিভক্ত হয়ে পড়ে। ১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে। তবে পূর্ব বাংলা পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চল হিসেবে ব্রিটিশদের অধীনতা থেকে মুক্তি লাভ করলেও ১৯৪৭ সালের ১৪ই আগস্টের পর থেকে পূর্ব বাংলার জনগণকে নতুন করে আন্দোলন সংগ্রামে নামতে হয়।
পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি

ঔপনিবেশিক শাসন : কোনো দেশ অন্য কোনো দেশের ওপর জুড়ে বসাকে বলে দখলদারদের উপনিবেশ স্থাপন। আর এই উপনিবেশে প্রতিষ্ঠা করা শাসনকে বলা হয় ঔপনিবেশিক শাসন।
বাংলায় স্বাধীন সুলতানি যুগ : ১৩৩৮ সালে সোনারগাঁওয়ের শাসনকর্তা ফখরউদ্দিন মুবারক শাহ দিল্লির মুসলমান সুলতানদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলায় দু’শ বছরের স্বাধীন সুলতানি যুগ।
ওয়েস্টফালিয়ার চুক্তি : ১৬৪৮ সালে ইউরোপের যুদ্ধরত বিভিন্ন দেশের মধ্যে একটি শান্তিচুক্তি হয়। একে বলে ওয়েস্টফালিয়ার চুক্তি।
ভারতবর্ষে ইউরোপীয়দের বাণিজ্য বিস্তার : সতেরো শতকে পুঁজির জোর আর উন্নত কারিগরি জ্ঞানের সমন্বয় করে ইউরোপীয় বণিকরা ভারতবর্ষের স্থানীয় শ্রমিকদের খাটিয়ে বড় বড় শিল্পকারখানা স্থাপন করে প্রচুর মুনাফা করতে থাকে। ক্রমে পর্তুগিজদের চেয়ে ব্যাপক হয়ে দাঁড়ায় ভারতবর্ষে ইংরেজ ব্যবসায়ীদের ভ‚মিকা। এভাবে ভারতবর্ষে ইউরোপীয়দের বাণিজ্য বিস্তার হয়।
বাংলায় কোম্পানি শাসন : ১৭৫৭ সালে পলাশির যুদ্ধে নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয়ের পর বাংলায় রাজস্ব আদায়ের ক্ষমতা ইংরেজদের হাতে চলে যায়। ক্লাইভ বাংলায় কিছুকাল দ্বৈতশাসন চালিয়ে যান, দ্বৈতশাসন ছিল একটি অদ্ভুত ব্যবস্থা। এ ব্যবস্থায় নবাব হলেন ক্ষমতাহীন দ্বায়িত্ব পালনকারী। অন্যদিকে কোম্পানির শাসকরা হলেন দায়িত্বহীন ক্ষমতাবান। এভাবে বাংলায় কোম্পানি শাসন লাভ করে।
বাংলায় ব্রিটিশ শাসন : ভারত শাসন আইন জারির ফলে ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটে। ভারতের রাষ্ট্র ক্ষমতা ব্রিটিশ রাজের হাতে ন্যস্ত হয়। এর ফলে ব্রিটিশ মন্ত্রীসভা কর্তৃক একজন মন্ত্রীকে ভারত-সচিব পদে (ঝবপৎবঃধৎু ড়ভ ঝঃধঃব ভড়ৎ ওহফরধ) মনোনীত করা হয়। যিনি ১৫ সদস্যবিশিষ্ট পরামর্শক সভা বা কাউন্সিলের মাধ্যমে ভারত শাসনের ব্যবস্থা করবেন। এই আইন অনুসারে গভর্নর জেনারেলকে ভাইসরয় বা ব্রিটিশ রাজ প্রতিনিধি নামে অভিহিত করা হয়। লর্ড ক্যানিং প্রথম ভাইসরয় নিযুক্ত হন। এভাবেই বাংলায় ব্রিটিশ শাসন লাভ করে।
স্বদেশি আন্দোলন : ১৯০৫ সালে ইংরেজরা বাংলাকে বিভক্ত করে দেয়। বাংলার এই বিভক্তিকে বাংলার মানুষ বিশেষ করে হিন্দু সমাজ অপছন্দ করে। বঙ্গভঙ্গ করা থেকে শাসকদের বিরত করার জন্যই তারা স্বদেশি আন্দোলন গড়ে তোলে।
বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

১. বাংলায় স্বাধীন সুলতানি শাসন প্রতিষ্ঠা করেন কে?
ক নবাব সিরাজউদ্দৌলা
খ নবাব আলীবর্দী খাঁ
 ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ
ঘ ইখতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ বিন বখতিয়ার খলজি
২. শশাঙ্কের মৃত্যুর পর একশত বছরকে মাৎস্যন্যায়ের যুগ বলা হয়। কারণ তখনÑ
র. দেশে সর্বত্র বিশৃঙ্খলা বিরাজ করত
রর. বড়মাছ ছোট ছোট মাছকে ধরে খেয়ে ফেলত
ররর. শাসকবর্গ সুশাসনে অক্ষম ছিল
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩ ও ৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
আশার দাদু তাকে একটি ঐতিহাসিক ঘটনা প্রসঙ্গে বললেন যে, বাংলার নবাবকে শাসন কাজের জন্য জবাবদিহি করতে হতো। তবে তাকে এ কাজে অর্থের জন্য অন্য একটি কর্তৃপক্ষের মুখাপেক্ষী থাকতে হতো।
৩. আশার দাদুর বর্ণিত ঘটনায় কোন শাসনের চিত্র প্রতিফলিত হয়?
ক নবাবী শাসন  দ্বৈত শাসন গ সুবাদারী শাসন ঘ ইংরেজ শাসন
৪. বর্ণিত ঘটনার ফলেÑ
র. দেশে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ঘটে রর. জনগণ দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়
ররর. জনগণের মধ্যে বিদ্রোহী মনোভাব জেগে ওঠে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ ররর  রর ঘ র, রর ও ররর

৫. কত সালে ওয়েস্টফালিয়ার চুক্তি হয়?
ক ১৬৪৭  ১৬৪৮ গ ১৬৪৯ ঘ ১৬৫০
৬. কিসের মাধ্যমে খুব অল্প সময়ে ও কম খরচে দেশে-বিদেশে চিঠি ও তথ্য আদান-প্রদান করা যায়?
ক ই-কমার্স  ই-মেইল গ ফেসবুক ঘ টুইটার
৭. ইংরেজরা কীভাবে অনুগত শ্রেণি তৈরি করেছিল?
ক দেশ বিভাগের মাধ্যমে খ কুসংস্কার দূরিকরণের মাধ্যমে
গ ভারত শাসন আইন প্রণয়নের মাধ্যমে  চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবর্তন করে
৮. ‘বর্গী’ কাদের বলা হতো?
ক সেনদের খ তুর্কীদের গ আফগানদের  মারাঠাদের
৯. দিল্লির সাথে বাংলার সম্পর্কের বড় ধরনের পরিবর্তনের কারণÑ
ক আকবরের মসনদে বসা খ হুমায়ুনের মসনদে বসা
 জাহাঙ্গীরের মসনদে বসা ঘ বাবরের মসনদে বসা
১০. মৌর্যদের পর ভারতে কোন সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়?
ক মোঘল  গুপ্ত গ পাল ঘ সেন
১১. কোন তারিখে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ভারত শাসন আইন পাস হয়?
 ১৮৫৮ সালের ২ আগস্ট খ ১৮৫৮ সালের ২ সেপ্টেম্বর
গ ১৮৫৮ সালের ২ অক্টোবর ঘ ১৮৫৮ সালের ২ নভেম্বর
১২. ১৮৫৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কেন প্রতিষ্ঠিত হয়?
 গবেষণার জন্য খ মুসলমানদের সন্তুষ্ট করার জন্য
গ হিন্দুদের সন্তুষ্ট করার জন্য ঘ ব্রিটিশদের শাসন পাকাপোক্ত করার জন্য
১৩. বাংলার স্বাধীন সুলতানি শাসনের অবসান ঘটে কত সালে?
ক ১২০৬ খ ১৩৩৮  ১৫৩৮ ঘ ১৫৭৬
১৪. এদেশে ইংরেজদের শিক্ষা বিস্তারের ফলেÑ
 প্রচলিত বিশ্বাস ভঙ্গ হয় খ মানুষের মনে হিংসা দানা বাঁধে
গ ভ্রাতৃত্ব গড়ে উঠে ঘ জনমনে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়
১৫. সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বাংলাকে দুইভাগ করার প্রস্তাব দেন কে?
ক লর্ড বেন্টিক  লর্ড কার্জন গ লর্ড হার্ডিঞ্জ ঘ লর্ড ক্লাইভ
১৬. কোন শক্তির হাতে সেন শাসনের অবসান ঘটে?
ক আর্য খ মৌর্য গ পাল  মুসলিম
১৭. কত সালে ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ বাংলার স্বাধীন সুলতানি প্রতিষ্ঠা করেন?
ক ১২৩৮  ১৩৩৮ গ ১৪৪৮ ঘ ১৫৩৮
১৮. সতীদাহ প্রথা বিল কে পাস করেন?
ক লর্ড ডালহৌসি খ লর্ড হার্ডিং
 লর্ড উইলিয়াম বেন্টিংক ঘ লর্ড ওয়েলেসলি
১৯. কত সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়?
ক ১৬৫৭ খ ১৭৫৭  ১৮৫৭ ঘ ১৯৫৭
২০. ব্রিটিশ ভারতে প্রথম ভাইসরয় কে ছিলেন?
ক লর্ড বেন্টিঙ্ক  লর্ড ক্যানিং গ লর্ড কার্জন ঘ লর্ড হার্ডিঞ্জ
২১. ইংরেজদের এদেশে শিক্ষা বিস্তারের উদ্দেশ্য ছিলোÑ
ক বাণিজ্য বিস্তার করা খ আয় বৃদ্ধি করা
 শাসন স্থায়ী করা ঘ জনকল্যাণ করা
২২. বর্তমানে ঢাকা শহরকে উত্তর ও দক্ষিণ ঢাকা নামে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ইতিহাসের কোন ঘটনাকে ইঙ্গিত করে।
ক দেশ ভাগ  বঙ্গভঙ্গ
গ স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘ ভারত পাকিস্তান সৃষ্টি
২৩. ব্রিটিশ শাসনামলে নারীসমাজ পিছিয়ে ছিল কেন?
 সামাজিক অনুশাসনের জন্য খ ব্রিটিশদের কঠোর নীতির জন্য
গ ধর্মীয় গোঁড়ামির জন্য ঘ শিক্ষা গ্রহণে অনাগ্রহের জন্য
২৪. কারা সর্বপ্রথম বাংলা তথা ভারতবর্ষে আগমন করেন?
ক ইংরেজরা  পর্তুগিজরা গ দিনেমাররা ঘ ওলন্দাজরা
২৫. নিচের ছকে (?) স্থানে কাদের নাম বসবে?
ঘাঁটি স্থাপন ব্যবসায়ী
চন্দননগর, চুঁচুড়া ?
ক পর্তুগিজরা খ ওলন্দাজরা গ ফরাসিরা  ইংরেজরা
২৬. কলকাতা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন কে?
ক লর্ড ডালহৌসি খ লর্ড ওয়েলেসলি
 ওয়ারেন হেস্টিংস ঘ লর্ড কর্নওয়ালিস
২৭. ব্রিটিশরা কেন বাংলা প্রদেশকে দ্বিখন্ডিত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল?
ক হিন্দু মুসলমানদের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন খ অধিক রাজস্ব আদায় করা
 তাদের কর্তৃত্ব স্থায়ীকরণ ঘ নারী সমাজের উন্নয়ন
২৮. বঙ্গভঙ্গের ফলেÑ
র. মুসলিম লীগের জন্ম ত্বরান্বিত হয়
রর. সা¤প্রদায়িক দ্ব›দ্ব স্পষ্ট হয়
ররর. দ্বিজাতিতত্তে¡র উদ্ভব হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর

পাঠ-১ : বহিরাগত শাসকদের অধীনে বাংলাদেশ এবং ঔপনিবেশিক যুগ
 সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২৯. উপনিবেশে প্রতিষ্ঠা করা শাসনকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
˜ ঔপনিবেশিক খ দ্বৈত গ এককেন্দ্রিক ঘ প্রাদেশিক
৩০. বাংলা ও ভারতে প্রতিষ্ঠিত ইংরেজ শাসনযুগকে ঔপনিবেশিক শাসন বলা হয় কেন? (অনুধাবন)
˜ ঔপনিবেশিক শাসনের বৈশিষ্ট্যের সাথে মিল থাকায়
খ কেন্দ্রীয় শাসনের বৈশিষ্ট্যের সাথে মিল থাকায়
গ এককেন্দ্রিক শাসনের বৈশিষ্ট্য অনুসরণ করায়
ঘ দ্বৈত শাসননীতি মেনে চলায়
৩১. কাদের আগমনের অনেক আগে থেকেই বাংলাদেশে বহিরাগত শক্তি প্রবেশ করেছিল? (জ্ঞান)
ক মৌর্ঘ খ গুপ্ত ˜ ইংরেজ ঘ পাল
৩২. বহিরাগত শাসকদের বাংলার দিকে দৃষ্টি ছিল কেন? (অনুধাবন)
 ধনসম্পদের কারণে খ খনিজ সম্পদের কারণে
গ মৎস্য সম্পদের কারণে ঘ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে
৩৩. নিচের কোন বংশ বাংলায় কোনো শাসন প্রতিষ্ঠা করেনি? (জ্ঞান)
ক মৌর্য খ গুপ্ত  আর্য ঘ পাল
৩৪. কে খ্রিষ্টপূর্ব তিন শতকে বাংলার উত্তরাংশ দখল করেন? (জ্ঞান)
 মহামতি অশোক খ রাজা শশাঙ্ক
গ রাজা লক্ষণসেন ঘ সম্রাট হুমায়ুন
৩৫. মৌর্যদের পর ভারতে কোন সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়? (জ্ঞান)
ঘ পাল খ সেন  গুপ্ত ঘ আর্য
৩৬. চার শতকে উত্তর বাংলা ও দক্ষিণ-পূর্ব বাংলার কিছু অংশ ‘ক’ নামক সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়। উক্ত সাম্রাজ্য ভারতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ‘ক’ নামক সাম্রাজ্যের সাথে নিচের কোন সাম্রাজ্যের সাদৃশ্য রয়েছে? (প্রয়োগ)
ক মৌর্য  গুপ্ত গ মোগল ঘ পাল
৩৭. কত শতকে উত্তর বাংলায় প্রথম বাঙালি স্বাধীন রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়? (জ্ঞান)
ক চার খ পাঁচ গ ছয়  সাত
৩৮. কাদের পতনের পর উত্তর বাংলায় প্রথম বাঙালি স্বাধীন রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়? (জ্ঞান)
 গুপ্ত খ সেন গ পাল ঘ আর্য
৩৯. কার মৃত্যুর পর একশ বছর ধরে বাংলায় অরাজকতা চলতে থাকে? (জ্ঞান)
 শশাঙ্ক খ হুমায়ুন গ অশোক ঘ লক্ষণসেন
৪০. পাল রাজারা কত বছর বাংলা শাসন করেন? (জ্ঞান)
ক প্রায় দুইশ খ প্রায় তিনশ ˜ প্রায় চারশ ঘ প্রায় পাঁচশ
৪১. কাদের পতনের পর বাংলা পুনরায় বিদেশি শাসনের অধীনে চলে যায়? (জ্ঞান)
 পাল খ সেন গ গুপ্ত ঘ মৌর্য
৪২. নিচের কোন ব্যক্তি তুর্কি সেনাপতি ছিলেন? (জ্ঞান)
 ইখতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ বিন বখতিয়ার খলজি
খ নবাব সিরাজউদ্দৌলা
গ ফখরউদ্দিন মুবারক শাহ
ঘ নবাব আলীবর্দী খাঁ
৪৩. কার মাধ্যমে বাংলায় তুর্কি সুলতানদের শাসনের পথ প্রশস্ত হয়েছিল? (জ্ঞান)
ক ফখরউদ্দিন মুবরাক শাহ
খ কুতুবউদ্দিন আইবেক
 ইখতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ বিন বখতিয়ার খলজি
ঘ সম্রাট জাহাঙ্গীর
৪৪. বখতিয়ার খলজি কত সালে মৃত্যুবরণ করেন? (জ্ঞান)
 ১২০৬ খ ১২০৮ গ ১২১০ ঘ ১২১২
৪৫. ১২০৬ সাল থেকে কত সাল পর্যন্ত বাংলাজুড়ে মুসলিম শাসনের বিস্তার ঘটতে থাকে? (জ্ঞান)
ক ১২৩৬ খ ১২৩৮ গ ১৩৩৬  ১৩৩৮
৪৬. কত সালে সোনারগাঁওয়ের শাসনকর্তা ফখরউদ্দিন মুবারক শাহ দিল্লির মুসলমান সুলতানদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন? (জ্ঞান)
 ১৩৩৮ খ ১৩৩৯ গ ১৩৪০ ঘ ১৩৪১
৪৭. কখন বাংলার স্বাধীন সুলতানি শাসনের অবসান ঘটে? (জ্ঞান)
 ১৫৩৮ সালে খ ১৫৪০ সালে গ ১৫৪২ সালে ঘ ১৫৪৪ সালে
৪৮. কে ১৫৩৮ সালে ইকলিম লখনৌতি দখল করেন? (জ্ঞান)
ক মহামতি অশোক খ রাজা লক্ষণসেন
গ সম্রাট আকবর  সম্রাট হুমায়ুন
৪৯. বারো ভ‚ঁইয়াদের নেতা কে ছিলেন? (জ্ঞান)
˜ ঈশা খাঁ খ মানসিংহ গ অশোক ঘ লক্ষণ সেন
৫০. কে চ‚ড়ান্তভাবে বারো ভ‚ঁইয়াদের পরাজিত করে ঢাকা অধিকার করেন? (জ্ঞান)
ক সম্রাট হুমায়ুন খ বখতিয়ার খলজি
 ইসলাম খান চিশতি ঘ সম্রাট জাহাঙ্গীর
৫১. কত সালে মোগল শাসনের চ‚ড়ান্ত অবসান ঘটে? (জ্ঞান)
 ১৭৫৭ খ ১৭৫৮ গ ১৭৬১ ঘ ১৭৬৭
৫২. বহিরাগত শাসকদের বাংলাদেশে আগমনের কারণ হিসেবে কোনটি যুক্তিযুক্ত? (উচ্চতর দক্ষতা)
 সম্পদের প্রাচুর্যতা খ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা
গ ধর্ম নিরপেক্ষতা ঘ ভৌগোলিক অবস্থান
৫৩. ‘ক’ দেশটি উর্বর এবং ধনসম্পদে পরিপূর্ণ। তাই একসময় ইংরেজসহ অনেক বহিরাগত শক্তি দেশটিতে প্রবেশ করেছিল। ‘ক’ দেশের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ দেশ কোনটি? (প্রয়োগ)
 যুক্তরাজ্য খ যুক্তরাষ্ট্র গ রাশিয়া ঘ বাংলাদেশ
 বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৫৪. ঔপনিবেশিক শাসনের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে (উচ্চতর দক্ষতা)
র. দখলদার শক্তি চিরস্থায়ীভাবে শাসন প্রতিষ্ঠা করতে আসে না
রর. দখলদার শক্তি চিরস্থায়ীভাবে শাসন প্রতিষ্ঠা করতে আসে
ররর. দখলকৃত দেশের ধন-সম্পদ নিজ দেশে পাচার করে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫৫. ইংরেজরা ঔপনিবেশিক শাসন প্রতিষ্ঠা করে (অনুধাবন)
র. বাংলায় রর. ভারতে ররর. যুক্তরাষ্ট্রে
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫৬. ১২০৪ থেকে ১২০৬ সাল পর্যন্ত বখতিয়ার খলজির দখলে ছিল Ñ (অনুধাবন)
র. নদীয়া রর. পশ্চিমবঙ্গ ররর. উত্তরবাংলার কিছুটা অংশ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫৭. আফগান শাসক শের খান সুর হুমায়ুনকে বিতাড়িত করেন যথাক্রমে Ñ (অনুধাবন)
র. বাংলা থেকে রর. ভারত থেকে ররর. আফগান থেকে
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫৮. ১৫৭৬ সালে মোগলদের অধিকারে আসে Ñ (অনুধাবন)
র. পূর্ব বাংলা রর. পশ্চিম বাংলা ররর. উত্তর বাংলার অনেকটা অংশ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
 অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৫৯ ও ৬০ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
১৯৫৭ সালের একটি যুদ্ধে নবাব সিরাজউদ্দৌলার পতন হয়। তার এ পতনের মধ্যদিয়ে বাংলায় ইউরোপীয় শক্তির শাসন শুরু হয়।
৫৯. অনুচ্ছেদে কোন যুদ্ধের প্রতিফলন ঘটেছে? (প্রয়োগ)
ক উপসাগরীয় খ পানিপথের  পলাশীর ঘ বক্সারের
৬০. উক্ত যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলায় Ñ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. মোগল শাসন চ‚ড়ান্ত রূপ লাভ করে
রর. শাসন ক্ষমতার পরিবর্তন হয়
ররর. নতুন বিদেশি শক্তির আগমন ঘটে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
পাঠ-২ : বাংলায় ইউরোপীয়দের বিস্তার
 সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬১. ১৬৪৮ সালে ইউরোপের যুদ্ধরত বিভিন্ন দেশের মধ্যে সম্পাদিত শক্তির চুক্তির নাম কী ছিল? (জ্ঞান)
ক ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি খ জেনেভা চুক্তি
গ ডেটন চুক্তি ˜ ওয়েস্টফালিয়ার চুক্তি
৬২. ইংরেজ কোম্পানিগুলোর গভর্নর হিসেবে উইলিয়াম হেজেজ হুগলিতে আসেন কত সালে? (জ্ঞান)
ক ১৬৬২ খ ১৬৮৩ ˜ ১৬৮২ ঘ ১৭৬২
৬৩. ১৪৯৮ সালে ভাষ্কো-ডা-গামা দক্ষিণ ভারতের কোন বন্দরে এসে পৌছেন? (জ্ঞান)
ক কোচিন ˜ কালিকট গ বোম্বাই ঘ গোয়া
৬৪. কখন ইউরোপে যুগান্তকারী বাণিজ্য বিপ্লবের সূচনা হয়? (জ্ঞান)
ক ১২শ শতক খ ১৩শ শতক ˜ ১৪শ শতক ঘ ১৫শ শতক
৬৫. ভাস্কো-ডা-গামা কোন দেশের নাবিক ছিলেন? [সেন্ট জোসেফ উচ্চ বিদ্যালয়, খুলনা]
˜ পর্তুগীজ খ ইটালীয় গ ফরাসি ঘ আইরিশ
৬৬. বাংলায় যে সকল ইউরোপীয় ব্যবসায়ী বাণিজ্য করতে এসেছে তাদের মধ্যে অন্যতম হলো [সেন্ট জোসেফ উচ্চ বিদ্যালয়, খুলনা]
র. ওলন্দাজ রর. পর্তুগীজ ররর. ফরাসি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ র ও ররর ˜ র, রর ও ররর
৬৭. ইউরোপের অর্থনীতি তেজি হওয়ার ক্ষেত্রে কোনটি প্রভাব রেখেছিল? (জ্ঞান)
˜ সমুদ্রপথে বাণিজ্যের বিস্তার খ শ্রমিকের সহজলভ্যতা
গ কুটিরশিল্পের বিস্তার ঘ দাস প্রথার বিলোপ
৬৮. ইউরোপে বাণিজ্য বিপ্লবের ফলে কাঁচামাল ও উৎপাদিত সামগ্রীর জন্য কিসের সন্ধান গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে? (জ্ঞান)
˜ বাজারের খ পরিবহণের গ শ্রমের ঘ শ্রমিকের
৬৯. ভারতবর্ষকে বিশ্ব-বাণিজ্য বিস্তারের প্রতিযোগিতার মধ্যে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে কার ভ‚মিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল? (জ্ঞান)
ক বার্নিয়ে খ ইবনে বতুতা
˜ ভাস্কো-ডা-গামা ঘ ইউলিয়াম হেজেজ
৭০. দক্ষ নাবিক আল বুকার্ক কোন মহাসাগরের কর্তৃত্ব অধিকার করেছিলেন? (জ্ঞান)
ক প্রশান্ত খ আটলান্টিক ˜ ভারত ঘ বঙ্গোপসাগর
৭১. কোন নাবিক প্রায় পুরো ভারতের বহির্বাণিজ্য করায়ত্ত করে নেন? (জ্ঞান)
˜ আল বুকার্ক খ কলম্বাস গ ম্যাগালান ঘ ভাস্কো-ডা-গামা
৭২. ১৬৪৮ সালের ওয়েস্ট ফলিয়ার চুক্তিটি মূলত কী ধরনের চুক্তি ছিল? (জ্ঞান)
 শান্তি চুক্তি খ অস্ত্রবিরোধী চুক্তি
গ যুদ্ধবিরতি চুক্তি ঘ বৈদেশিক চুক্তি
৭৩. ইউরোপীয় জাতিসমূহের বহির্বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অধিকাংশের লক্ষ কোন অঞ্চল ছিল? (জ্ঞান)
ক আফ্রিকা খ উত্তর আমেরিকা  ভারতবর্ষ ঘ পূর্ব এশিয়া
৭৪. কোন জাতিটি বাংলায় কারখানা স্থাপন করে ব্যবসা করেছিল? (জ্ঞান)
ক আফ্রিকান খ কিউন গ অসি ˜ দিনেমার
৭৫. ১৬৮০-৮৩ সালের মধ্যে শুধুমাত্র ইংল্যান্ড থেকে বাংলার রপ্তানি আয় কত টাকা ছিল? (জ্ঞান)
ক ১৬ লক্ষ টাকা ˜ ১৮ লক্ষ টাকা গ ২০ লক্ষ টাকা ঘ ২২ লক্ষ টাকা
৭৬. বার্নিয়ের কে ছিলেন? [ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম;
রামদেও বাজলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, জয়পুরহাট; বøু-বার্ড উচ্চ বিদ্যালয়, সিলেট]
ক জার্মান পর্যটক  ফরাসি পর্যটক গ চীনা পর্যটক ঘ ব্রিটিশ পর্যটক
৭৭. বার্ণিয়ের বর্ণনা অনুসারে কাসিমবাজারে কিসের ফ্যাক্টরি ছিল? (জ্ঞান)
 সিল্কের খ পাটের গ তাঁতের ঘ বস্ত্রের
৭৮. বার্ণিয়ের বর্ণনা অনুযায়ী কেবল কাশিমবাজারে বছরে কী পরিমাণ সিল্ক উৎপাদিত হতো? (জ্ঞান)
 ২২ হাজার বেল খ ২৩ হাজার বেল
গ ২৪ হাজার বেল ঘ ২৫ হাজার বেল
৭৯. ফরাসি পর্যটক বার্নিয়ের কত সালে কাশিমবাজারের সিল্ক ফ্যাক্টরির কথা লিখেছেন? (জ্ঞান)
ক ১৫৬৬  ১৬৬৬ গ ১৭৬৬ ঘ ১৮৬৬
৮০. উইলিয়াম হেজেজ কত সালে স্বদেশ থেকে সৈন্য এনে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেন? (জ্ঞান)
ক ১৬৮৫  ১৬৮৬ গ ১৬৮৭ ঘ ১৬৮৮
৮১. কত সাল পর্যন্ত ইংরেজদের সাথে মোগল শক্তির বেশ কয়েকটি খণ্ডযুদ্ধ হয়? (জ্ঞান)
 ১৬৮৭ থেকে ১৬৯০ খ ১৬৯০ থেকে ১৬৯২
গ ১৬৯২ থেকে ১৬৯৪ ঘ ১৬৯৪ থেকে ১৬৯৬
৮২. প্রিয়ন্ত তার শিক্ষকের নিকট থেকে জানতে পারে, ১৪৯৮ সালে একজন পর্তুগিজ নাবিক দক্ষিণ ভারতের কালিকট বন্দরে পৌঁছে ভারতবর্ষকে বিশ্ব-বাণিজ্য বিস্তারের প্রতিযোগিতার মধ্যে নিয়ে আসেন। প্রিয়ন্ত তার শিক্ষকের নিকট থেকে কার কথা জানতে পারে? (প্রয়োগ)
˜ ভাস্কো-ডা-গামা খ আল বুকার্ক
গ উইলিয়াম হেজেজ ঘ রবার্ট ক্লাইভ
 বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৮৩. ইউরোপে বাণিজ্য-বিপ্লবের সূচনার ফলে (অনুধাবন)
র. দস্যুপনা বৃদ্ধি পায় রর. অর্থনৈতিক সংগঠন শক্তিশালী হয়
ররর. কাঁচামালের বাজার সন্ধান শুরু হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর ˜ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮৪. ইউরোপীয় জাতিগুলোর কাছে ভারতবর্ষের যে জিনিসগুলো আকর্ষণীয় হয়ে উঠে সেগুলো হলোÑ [অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, ব্রা‏‏হ্মণবাড়িয়া]
র. বাংলার সিল্ক রর. কয়লা সম্পদ ররর. মসলা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮৫. বিদেশি বণিকরা এদেশে স্থানীয় শ্রমিকদের খাটিয়ে প্রচুর মুনাফা করতে থাকে যার ভিত্তি  (অনুধাবন)
র. পুঁজির জোর রর. মেধার বিকাশ
ররর. উন্নত কারিগরি জ্ঞানের সমন্বয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮৬. ১৬৮৭ থেকে ১৬৯০ সাল পর্যন্ত মুঘল-ইংরেজদের মাঝে কয়েকটি যুদ্ধ হয়। এ যুদ্ধগুলোর পেছনে ইংরেজদের উদ্দেশ্য ছিল (প্রয়োগ)
র. সৈন্য রেখে ব্যবসা করা রর. প্রশাসনিক ব্যবস্থা পরিবর্তন
ররর. কুঠি ও কারখানা তৈরি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮৭. যেসব কারণে ইউরোপের কোনো কোনো দেশের অর্থনীতি তেজি হয়ে উঠেছিল তা হলো (অনুধাবন)
র. কারিগরি ও বাণিজ্যিক বিকাশ রর. খনিজ সম্পদের আবিষ্কার
ররর. সমুদ্রপথে বাণিজ্যের বিস্তার
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৮৮. এদেশে কলকারখানা স্থাপন ইউরোপিয়ানদের যে বৈশিষ্ট্যের পরিচয় বহন করেÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. অধিক মুনাফা লাভ রর. দীর্ঘমেয়াদি ব্যবসা
ররর. ফায়দা উসুল
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
 অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৮৯ ও ৯০ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে বলেন, সতেরো শতকে উপনিবেশবাদী বেশ কিছু দেশের বণিকের বাংলা তথা ভারতবর্ষে আগমন ঘটে। বাণিজ্যের নামে তারা স্থায়ীভাবে বাংলায় অবস্থান করতে শুরু করে।
৮৯. অনুচ্ছেদে কোন উপনিবেশবাদীদের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে? (প্রয়োগ)
˜ ইউরোপীয় খ ভারতীয় গ অস্ট্রেলীয় ঘ নিগ্রোয়েড
৯০. উক্ত উপনিবেশবাদীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য তথ্য (উচ্চতর দক্ষতা)
র. বাংলা থেকে পুঁজি পাচার করে নিয়ে যায়
রর. বাংলার কয়েকটি স্থানে বাণিজ্যকেন্দ্র স্থাপন করে
ররর. চিরস্থায়ীভাবে বাংলা তাদের অধিকারভুক্ত হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
˜ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
পাঠ-৩ : বাংলায় ঔপনিবেশিক শক্তির বিজয়ের কারণ
 সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৯১. কত বছর বয়সে সিরাজউদ্দৌলা সিংহাসনে আরোহণ করেন? (জ্ঞান)
ক ২০ ˜ ২২ গ ২৪ ঘ ২৬
৯২. নবাব সিরাজউদ্দৌলার বড় খালার নাম কী ছিল? (জ্ঞান)
 ঘসেটি বেগম খ জাহানারা বেগম
গ আনোয়ারা বেগম ঘ ঝোঁধা বাঈ
৯৩. সিরাজউদ্দৌলা কাদের হাতে পরাজিত হন? (জ্ঞান)
ক মারাঠা  ইংরেজ গ আফগান ঘ পাকিস্তানি
৯৪. সিরাজউদ্দৌলার পরাজয়ের অন্যতম কারণ কোনটি? (জ্ঞান)
˜ ঘনিষ্ঠজনদের ষড়যন্ত্র খ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি
গ ধর্মীয় গোঁড়ামি ঘ প্রজাদের প্রতি শোষণ
৯৫. ভারতে ক্ষমতালোভী বণিক সমাজের অভ্যুদয় ঘটে কেন? (অনুধাবন)
ক সামাজিক কর্মকাণ্ডের জন্য খ শিক্ষা বিস্তারের জন্য
 অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিস্তারের জন্য ঘ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য
৯৬. রাজু একটি ঐতিহাসিক নাটকে অভিনয় করে। রাজুর চরিত্রটি ছিল বাংলার শেষ স্বাধীন নবাবের। নাটকে রাজুর চরিত্রের সাথে কার সাদৃশ্য রয়েছে? (প্রয়োগ)
ক মীর জাফর আলী খানের  নবাব সিরাজউদ্দৌলার
গ মীর কাশিমের ঘ ল²ণ সেনের
৯৭. পলাশীর যুদ্ধে সিরাজউদ্দৌলার পরাজয়ের অন্যতম কারণ ছিল আত্মীয়দের ষড়যন্ত্র। এজন্য প্রধানত দায়ী ছিলেন কে? (অনুধাবন) [খুলনা জিলা স্কুল]
ক মীর কাশিম খ মীর জাফর গ লর্ড ক্লাইভ  ঘসেটি বেগম
৯৮. নবাব সিরাজউদ্দৌলা ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই কোনটির সম্মুখীন হয়েছিলেন? (জ্ঞান)
ক অর্থনৈতিক সংকট  ইংরেজ শক্তি সামলানো
গ দুর্যোগ মোকাবিলা ঘ বয়স নিয়ে সমালোচনা
৯৯. আলীবর্দী খাঁর মৃত্যুর পর সিরাজউদ্দৌলা ক্ষমতায় বসে কোন সমস্যায় পতিত হয়েছিলেন? (জ্ঞান)
 ষড়যন্ত্র খ দুর্ভিক্ষ গ জলদস্যু ঘ মহামারি
১০০. মারওয়াড়িরা কোথা থেকে বাংলায় এসেছিলেন? (জ্ঞান)
ক আফগান খ পাঞ্জাব গ সিন্ধু  রাজপুতনা
১০১. বাংলায় রাজপুতনা থেকে কারা এসেছিলেন? (জ্ঞান)
ক বর্গীরা খ কাবুলিওয়ালারা
 মারওয়াড়িরা ঘ পাঠানরা
১০২. স্বাধীন সুলতানি আমল কত বছর দীর্ঘস্থায়ী হয়েছিল? (জ্ঞান)
ক একশ বছর  দুশ বছর গ তিনশ বছর ঘ চারশ বছর
১০৩. বাণিজ্য বিস্তারের ফলে সৃষ্ট নতুন সুযোগ কাজে লাগানোর মতো উদ্দীপনা বাংলার মানুষের মধ্যে ছিল না কেন? (জ্ঞান)
 দরিদ্রতার কারণে
খ উদাসীনতার জন্য
গ যথেষ্ট কারিগরি জ্ঞানের অভাবে
ঘ বাংলার শাসকদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জন্য
১০৪. ইংরেজদের উত্তরোত্তর শক্তি বৃদ্ধির কারণ কী ছিল? (জ্ঞান)
ক জনশক্তি  সামরিক শক্তি
গ কৃষিভিত্তিক উৎপাদন শক্তি ঘ রাজনৈতিক শক্তি
 বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১০৫. সিরাজউদ্দৌলার বিরোধী শক্তি ছিল (অনুধাবন)
র. মীর জাফর আলী খান রর. মারওয়াড়ি ব্যবসায়ীরা
ররর. ফরাসি সৈন্যবাহিনী
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১০৬. সিরাজউদ্দৌলার সিংহাসনে বসার পর তার সামনে যে কাজটি কঠিন ছিল তা হলো (প্রয়োগ)
র. ইংরেজদের সামলানো রর. রাজ্য পরিধি বৃদ্ধি
ররর. ষড়যন্ত্র মোকাবিলা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১০৭. বহিরাগত শাসকদের দীর্ঘ শাসনকালে বাংলার সাধারণ মানুষ শিকার হয়েছে Ñ (অনুধাবন)
র. চরম অর্থনৈতিক শোষণের রর. নির্যাতনের
ররর. চরম দারিদ্র্যের
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
১০৮. বাংলার ঔপনিবেশিক শাসনের কারণ হলোÑ
[গভ. মডেল গার্লস হাই স্কুল, ব্রা‏হ্মণবাড়িয়া; চট্টগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়; উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বরিশাল]
র. শাসকের প্রতি জনগণের উদাসীনতা
রর. শাসকদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল
ররর. প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির অভাব
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
১০৯. সিরাজের বিরুদ্ধে তৃতীয় আরেকটি পক্ষ কাজ করেছে। সেই তৃতীয় পক্ষের স্বার্থ ছিলÑ (প্রয়োগ)
র. ব্যবসায়িক রর. আর্থিক ররর. রাজনৈতিক
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১১০. আমাদের পার্শ্ববর্তী একটি রাষ্ট্রে বহুজাতিক ব্যবসায়ীরা তাদের স্বার্থের কারণে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটায়। নবাব সিরাজউদ্দৌলার সময়ের অনুরূপ ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে বলা যায়Ñ (প্রয়োগ)
র. নবাবের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী তৃতীয় পক্ষ
রর. শুধুমাত্র বাংলা অঞ্চলেই এদের প্রভাব ছিল
ররর. রাজপুতনা থেকে আগত ছিল
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১১১. ইংরেজরা বাংলার স্বাধীনতা হরণ করলে দেশবাসীর এ বিষয়ে তেমন আগ্রহ ছিল না। এতে সমাজের যে চিত্রটি ফুটে উঠেছেÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. সমাজে শিক্ষার অভাব ছিল
রর. সমাজবাসী অসচেতন ছিল
ররর. সমাজে অর্থনৈতিক দৈন্যদশা ছিল
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
 অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১১২ ও ১১৩নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
আফগানিস্তানের তালেবান শাসকদের হঠানোর জন্য মার্কিনিরা প্রথমে তালেবান বিরোধীদের সাথে হাত মেলায়। তালেবান বিরোধীদের অস্ত্র ও বিভিন্ন রসদ দিয়ে সহায়তা করে। এতে তালেবানদের পতন ঘটে ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের আজ্ঞাবহ সরকারের নিকট আফগানিস্তানের ক্ষমতা তুলে দেয়।
১১২. অনুচ্ছেদে উল্লিখিত তালেবান শাসকদের পতনের সাথে বাংলার কোন শাসকের পতনের মিল খুঁজে পাওয়া যায়? (প্রয়োগ)
 নবাব সিরাজউদ্দৌলা খ নবাব মীর কাশিম
গ নবাব আলীবর্দী খান ঘ নবাব সুজাউদ্দৌলা
১১৩. উক্ত শাসকের পতনের মূলে কাজ করেছে ইংরেজদেরÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. রাজনৈতিক সহনশীলতা রর. উত্তরোত্তর শক্তি বৃদ্ধি
ররর. ধূর্ত পরিকল্পনা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
পাঠ-৪ : বাংলায় ইংরেজ শক্তির উত্থান
 সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১১৪. দি ব্রিটিশ ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি কত সালে স্থাপিত হয়? (জ্ঞান)
˜ ১৫৩৪ খ ১৬০০ গ ১৬২০ ঘ ১৭০০
১১৫. চন্দন নগরে বাণিজ্যকুঠি কারা স্থাপন করে? (জ্ঞান)
˜ ফ্রেঞ্চ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি খ ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি
গ ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ঘ দিনেমার ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি
১১৬. ডাচ ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি কত সালে বাংলায় প্রবেশ করে? (জ্ঞান)
ক ১৬২০  ১৬৩০ গ ১৬৪০ ঘ ১৬৫০
১১৭. ফ্রেঞ্চ ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলায় প্রবেশ করে কত সালে? (জ্ঞান)
ক ১৬৩২ খ১৬৫০ গ ১৬৬০ ˜ ১৬৬৪
১১৮. কত সালে আলিবর্দী খাঁ মৃত্যুবরণ করেন? [ঝিনাইদহ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, ঝিনাইদহ]
ক ১৭২০ খ ১৭৩০ ˜ ১৭৫৬ ঘ ১৭৭০
১১৯. কত সালে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ভারত শাসন আইন পাস হয়?
[জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড হাই স্কুল, সিলেট]
ক ১৮২০ ˜ ১৮৫৮ গ ১৮৭৪ ঘ ১৯৩৭
১২০. ডাচ ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলা ছেড়ে চলে যায় কেন? (অনুধাবন)
ক বাংলায় তাদের ব্যবসায়ের সুযোগ না দেয়ায়
˜ ইংরেজ কোম্পানির সঙ্গে টিকতে না পারায়
গ ফরাসি কোম্পানির সাথে দ্ব›দ্ব হওয়ায়
ঘ দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ায়
১২১. সিপাহি বিদ্রোহে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন কে? (জ্ঞান)
˜ হাবিলদার রজব আলী খ রাজা রামমোহন রায়
গ আলিবর্দী খাঁ ঘ নবাব সিরাজউদ্দৌলা
১২২. নারায়ণের মাসি একজন বিধবা মহিলা। তার মাসির মতো বিধবারা কবে থেকে সমাজে বেঁচে থাকার অধিকার লাভ করে? (প্রয়োগ)
ক সেন আমল  ব্রিটিশ আমল গ মোঘল আমল ঘ সুলতানি আমল
১২৩. বাণিজ্য বিস্তারের যুগে ইউরোপের প্রভাবশালী নৌ-শক্তির অধিকারী দেশগুলো বহির্বিশ্বে বেরিয়ে পড়ে কেন? (জ্ঞান)
ক শিক্ষা অর্জনের জন্য ˜ সম্পদের সন্ধানে
গ ভ্রমণের জন্য ঘ ধর্মীয় স্থান দর্শনের জন্য
১২৪. ইউরোপের প্রভাবশালী নৌ-শক্তির অধিকারী দেশগুলোর লক্ষ্য ছিল কোন দেশ? (জ্ঞান)
ক মিশর খ আমেরিকা ˜ ভারতবর্ষ ঘ অস্ট্রেলিয়া
১২৫. ১৬৫৮ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কোথায় বাণিজ্য কুঠি স্থাপন করে? (জ্ঞান)
ক হুগলিতে ˜ কাসিমবাজারে গ কলকাতায় ঘ পাটনায়
১২৬. ডাচ ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি ইংরেজ কোম্পানির সাথে টিকতে না পেরে কোন দিকে চলে যায়? [রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল]
˜ মালয়েশিয়ার দিকে খ মিশরের দিকে
গ ইরাকের দিকে ঘ আমেরিকার দিকে
১২৭. ফ্রেঞ্চ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কত সালে বাংলায় প্রতিষ্ঠিত হয়? (জ্ঞান)
ক ১৬০৮ খ ১৬১০ গ ১৬২৮ ˜ ১৬৬৪
১২৮. চন্দননগর ও চুঁচুড়ায় শক্ত ঘাঁটি গড়ে তুলেছিল কারা? [বরিশাল জিলা স্কুল]
˜ ফরাসিরা খ পর্তুগিজরা গ ইংরেজরা ঘ ওলন্দাজরা
১২৯. পলাশীর যুদ্ধ কত সালে সংঘটিত হয়েছিল?
[আলী আমজাদ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মৌলভীবাজার]
ক ১৬৫৭ ˜ ১৭৫৭ গ ১৮৫৭ ঘ ১৯৫৭
১৩০. বাংলার নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয়ের পশ্চাতে কোনটি কার্যকর ভ‚মিকা রেখেছিল? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক মীর কাসিমের মৃত্যু খ মীর জাফরের মৃত্যু
গ মীর কাসিমের বিশ্বাসঘাতকতা ˜ প্রাসাদ ষড়যন্ত্র
১৩১. নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয়ের পর কে বাংলার নবাব হন? (জ্ঞান)
ক রবার্ট ক্লাইভ খ মীর কাসিম ˜ মীর জাফর ঘ মীর নিসার
১৩২. লর্ড ক্লাইভ কে ছিলেন? (জ্ঞান)
ক ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ˜ ইংরেজ সেনাপতি
গ ভারতীয় রাষ্ট্রপতি ঘ মার্কিন সেনাপতি
১৩৩. রবার্ট ক্লাইভ কত সালে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানি লাভ করেন? (জ্ঞান)
ক ১৭৫৬ খ ১৭৫৭ গ ১৭৫৮ ˜ ১৭৬৫
১৩৪. রবার্ট ক্লাইভ বাংলায় কিছুকাল কোন শাসন চালিয়ে ছিলেন? [বরগুনা জিলা স্কুল]
ক সামরিক শাসন ˜ দ্বৈত শাসন
গ সামন্ত শাসন ঘ একনায়ক শাসন
১৩৫. ছিয়াত্তরের মন্বন্তর বাংলা কত সালে হয়েছিল?
[অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, ব্রা‏‏হ্মণবাড়িয়া]
˜ ১১৭৬ খ ১২৭৬ গ ১৩৭৬ ঘ ১৪৭৬
১৩৬. কত সালে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত চালু করা হয়?
[গভ. ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা; রামদেও বাজলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, জয়পুরহাট;
নড়াইল সরকারি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়]
ক ১৭৩৯ খ ১৭৭৬ গ ১৭৭৩ ˜ ১৭৯৩
 বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৩৭. ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছে পরাজিত হয়Ñ (অনুধাবন)
র. জার্মান ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি রর. ফ্রেঞ্চ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি
ররর. ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর ˜ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৩৮. ছিয়াত্তরের মন্বন্তরের কারণ হলো Ñ (অনুধাবন)
র. জনগণের ওপর অতিরিক্ত করের বোঝা
রর. ফসলে পোকার আক্রমণ
ররর. তিন বছরের অনাবৃষ্টি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৩৯. সিপাহীদের বিদ্রোহে সমর্থন জানিয়েছিলেনÑ (অনুধাবন)
র. ঝাঁসির রানি ল²ীবাই রর. মহারাষ্ট্রের তাঁতিয়া টোপি
ররর. দিল্লির বাদশাহ বাহাদুর শাহ জাফর
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও ররর খ র ও ররর গ রর ও ররর ˜ র, রর ও ররর
১৪০. সিপাহি বিদ্রোহে সিপাহিরা যেসব কারণে পরাজিত হয়েছিল? (অনুধাবন)
র. ইংরেজদের চতুরতা রর. প্রাসাদ ষড়যন্ত্র
ররর. ইংরেজদের উন্নত অস্ত্র
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর ˜ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
 অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৪১ ও ১৪২নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
নাহিয়ান এবার পিএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। তার মায়ের ইচ্ছা তাকে একটি নামকরা স্কুলে ভর্তি করাবে। নাহিয়ানের মা নাহিয়ানের বাবাকে এ ব্যাপারে বললেন। নাহিয়ানের বাবা বললেন, দেখ সংসারের আয় রোজগারের দিকটা আমি সামলাই তাই তুমি বাচ্চাদের পড়াশোনার দিকটা দেখবে। এ ব্যাপারে মা হিসেবে তোমার সিদ্ধান্তই চ‚ড়ান্ত।
১৪১. নাহিয়ানদের বাসায় যে বিষয়টি পরিলক্ষিত হয়েছে তাকে কী বলা যাবে? (প্রয়োগ)
ক পিতৃশাসন খ মাতৃশাসন ˜ দ্বৈতশাসন ঘ গণতন্ত্র
১৪২. বাংলায় এ শাসনের ফলে (উচ্চতর দক্ষতা)
র. দুর্ভিক্ষ দেখা দেয় রর. পুঁজি পাচার হয়
ররর. নবাব শক্তিশালী হন
নিচের কোনটি সঠিক?
˜ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৪৩ ও ১৪৪নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
ইতিহাস প্রবন্ধ থেকে হামিম জানতে পারে ইংরেজ শাসনের প্রথম পর্ব ছিল ইংরেজ বণিকদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট। ১৭৬৫-১৭৭২ সাল পর্যন্ত একটি নীতিতে দেশ পরিচালিত হয়। শাসন দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য সবক্ষেত্রে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। [ভি.জে. সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, চুয়াডাঙ্গা]
১৪৩. অনুচ্ছেদে উল্লিখিত ১৭৬৫-১৭৭২ সাল পর্যন্ত দেশ পরিচালনা করেন কারা?
ক চীনা কোম্পানি খ ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি
˜ ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ঘ ভারতীয় কোম্পানি
১৪৪. এ শাসন ব্যবস্থার গৃহীত পদক্ষেপ ছিলÑ
র. পরিকল্পিত পরিবার গঠন রর. ভ‚মি রাজস্ব ব্যবস্থা
ররর. চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
পাঠ-৫ : বাংলায় ব্রিটিশ শাসন ১৮৫৮-১৯৪৭ খ্রি.
 সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৪৫. ভারত সচিব ভারত শাসনের ব্যবস্থা করেন কত সদস্যবিশিষ্ট কাউন্সিলের মাধ্যমে? (জ্ঞান)
ক ১২  ১৫ গ ২০ ঘ ২৫
১৪৬. ভারত শাসন আইন অনুসারে গভর্নর জেনারেলকে কী নামে অভিহিত করা হয়? (জ্ঞান)
ক প্রেসিডেন্ট  ভাইসরয় গ জেনারেল ঘ সেক্রেটারি
১৪৭. কে ভারতবর্ষে প্রথম ভাইসরয় নিযুক্ত হন? (জ্ঞান)
 লর্ড ক্যানিং খ লর্ড কর্নওয়ালিস
গ লর্ড ডালহৌসি ঘ লর্ড বেন্টিঙ্ক
১৪৮. বঙ্গীয় আইনসভা প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয়া হয় কত সালে? (জ্ঞান)
 ১৮৬১ খ ১৮৭১ গ ১৮৭৫ ঘ ১৮৯১
১৪৯. বঙ্গীয় আইনসভার কার্যক্রম শুরু হয় কত সালে? (জ্ঞান)
 ১৮৬২ খ ১৮৭২ গ ১৮৭৫ ঘ ১৮৮২
১৫০. বঙ্গীয় আইনসভা প্রতিষ্ঠাকালে এর সদস্য সংখ্যা ছিল কতজন? (জ্ঞান)
ক ১১  ১২ গ ১৫ ঘ ২৫
১৫১. কত সালে ব্রিটিশরা বাংলাকে দ্বিখণ্ডিত করার পরিকল্পনা করে? (জ্ঞান)
ক ১৮৪৩ খ ১৮৫০ গ ১৮৫১  ১৮৫৩
১৫২. বাংলা প্রদেশকে দ্বিখণ্ডিত করার লক্ষ্যে সীমানা নির্ধারণ করা হয় কত সালে? (জ্ঞান)
ক ১৯০১  ১৯০৩ গ ১৯০৫ ঘ ১৯০৯
১৫৩. ভারতশাসন আইন ব্রিটিশ ভারতে একটি পরিবর্তন এনেছিল। সেই পরিবর্তনটি কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক ইংরেজি ভাষার বিকাশ  কোম্পানি শাসনের অবসান
গ ভারতের স্বাধীনতা ঘ ফারসি ভাষার বিলুপ্তি
১৫৪. কোন কারণে ১৯০৩ সালে ব্রিটিশরা সীমানা নির্ধারণ করে?
[রংপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক ভারতকে দ্বিখণ্ডিত করার জন্য  বাংলাকে দ্বিখণ্ডিত করার জন্য
গ বার্মাকে আলাদা করার জন্য ঘ প্রশাসনিক সুবিধার জন্য
১৫৫. ব্রিটিশ শাসনামলে মুষ্টিমেয় জমিদার শ্রেণিকে কী বলা হতো?
[ঝিনাইদহ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়]
ক বুদ্ধিজীবী শ্রেণি  সুবিধাপ্রাপ্ত শ্রেণি
গ বণিক শ্রেণি ঘ সুবিধাবঞ্চিত শ্রেণি
১৫৬. ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটে কেন? (অনুধাবন)
 ভারত শাসন আইন জারির ফলে
খ সার্বভৌম আইন জারি করার কারণে
গ ভারত স্বাধীনতা আইন জারির ফলে
ঘ ব্রিটিশ শাসন আইন জারি করার কারণে
১৫৭. ১৮৯২ সালে বঙ্গীয় আইনসভার সদস্য বাড়িয়ে কতজন করা হয়? (জ্ঞান)
ক ১২ খ ১৮ গ ২০  ২১
১৫৮. কত সালে বঙ্গবঙ্গ হয়েছিল? [নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়]
ক ১৯০৩  ১৯০৫ গ ১৯০৬ ঘ ১৯১১
১৫৯. পূর্ববঙ্গ বাংলাদেশের একটি পরিচয়। এই পরিচয়ের সাথে কোনটি সম্পৃক্ত? [গভ. মডেল গার্লস হাই স্কুল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া; বিএএফ শাহীন স্কুল এন্ড কলেজ, যশোর]
ক ভারত শাসন আইন  বঙ্গভঙ্গ
গ বঙ্গভঙ্গ রদ ঘ সাইমন কমিশন
১৬০. ব্রিটিশ শাসনকালে কারা বাংলার সমাজে বিরাট সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ ছিল?
ক শ্রমিক  জমিদার গ কৃষক ঘ সৈনিক
১৬১. ব্রিটিশ শাসনকালে কারা বাংলার সমাজে বিরাট সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ ছিল?
ক শ্রমিক খ জমিদার  কৃষক ঘ সৈনিক
১৬২. ব্রিটিশ শাসনামলে সামাজিক অনুশাসনের দাপটে কারা ব্যাপকভাবে পিছিয়ে পড়ে? (জ্ঞান)
ক কৃষক সমাজ খ শিল্পী সমাজ  নারী সমাজ ঘ কারিগর সমাজ
১৬৩. নাবিল ইতিহাস বই পড়ে জানতে পারে, ব্রিটিশ শাসনকালে এক শ্রেণির লোক বিশেষ সুবিধা পেত। তবে তারা সংখ্যায় অনেক কম ছিল। নাবিল কোন শ্রেণির লোকের কথা জানতে পারে? (প্রয়োগ)
 জমিদার খ কৃষক গ শিক্ষক ঘ আইনজীবী
 বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৬৪. বঙ্গীয় আইনসভা সম্পর্কিত তথ্য হলো (অনুধাবন)
র. ১৮৬২ সালে কার্যক্রম শুরু হয় রর. ১৮৯২ সালে সদস্য ছিল ২৩ জন
ররর. গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে ওঠে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৬৫. ব্রিটিশদের শাসন মূলত ছিল শোষণ। তাদের শোষণের প্রমাণ বহন করে (উচ্চতর দক্ষতা)
র. কৃষি ব্যবস্থার অবনতি রর. অর্থনীতিতে দুর্বলতা সৃষ্টি
ররর. তাঁত শিল্পের অবনতি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর ঘ রর ও ররর  র, রর ও ররর
১৬৬. ব্রিটিশ শাসনকালে বাংলার সমাজজীবনে (অনুধাবন)
র. কৃষক শ্রেণি সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল রর. মধ্যবিত্ত সমাজ শক্তিশালী ছিল
ররর. জমিদার ছিল সুবিধাপ্রাপ্ত শ্রেণি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৬৭. ভাইসরয় সম্পর্কিত তথ্য হলো [বিএএফ শাহীন স্কুল এন্ড কলেজ, যশোর]
র. ব্রিটিশ রাজ প্রতিনিধি রর. হেস্টিংস প্রথম ভাইসরয়
ররর. ভারত শাসন আইনের দ্বারা সৃষ্টি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
 অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৬৮ ও ১৬৯নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
আনোয়ার স্যার ক্লাসে বলেন, বর্তমানে জনগণের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত বাংলাদেশে ৩৫০ সদস্যবিশিষ্ট যে প্রতিষ্ঠানটি দেখ তার ভিত্তি স্থাপিত হয়েছিল ১৮৬২ সালে। দীর্ঘ বিবর্তনের পথ পাড়ি দিয়ে এটি বর্তমান অবস্থায় পৌঁছেছে।
১৬৮. অনুচ্ছেদে বর্ণিত প্রতিষ্ঠানটি নিচের কোনটির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ? (প্রয়োগ)
 বঙ্গীয় আইনসভা খ সিনেট
গ গণপরিষদ ঘ পার্লামেন্ট
১৬৯. উক্ত প্রতিষ্ঠানটির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য তথ্যসমূহ হলো (উচ্চতর দক্ষতা)
র. ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সিদ্ধান্তে স্থাপিত রর. স্বৈরতন্ত্রের উৎপত্তিস্থল
ররর. গণতন্ত্রের ভিত্তি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
পাঠ-৬ : বাংলায় নবজাগরণ
 সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৭০. ১৭৯১ সালে কোনটি প্রতিষ্ঠা করা হয়? (জ্ঞান)
ক কলকাতা মাদ্রাসা খ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
˜ সংস্কৃত কলেজ ঘ শ্রীরামকৃষ্ণ মিশন
১৭১. কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় কত সালে? (জ্ঞান)
ক ১৭৫২ খ ১৮৪২ ˜ ১৮৫৭ ঘ ১৮৬৫
১৭২. বাংলার মানুষের মনকে জাগিয়ে তোলার জন্য ইংরেজরা কোনটি স্থাপন করে? (জ্ঞান)
ক অট্টালিকা খ রাজপ্রাসাদ ˜ মুদ্রণযন্ত্র ঘ বাণিজ্যকুঠি
১৭৩. ওয়ারেন হেস্টিংস কলকাতা মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন কেন? (অনুধাবন)
ক হিন্দুদের সন্তুষ্ট করার জন্য
 মুসলমানদের সন্তুষ্ট করার জন্য
গ হিন্দুদের সঙ্গে দ্ব›দ্ব সৃষ্টি করার জন্য
ঘ সা¤প্রদায়িক মনোভাব সৃষ্টি করার জন্য
১৭৪. রাজা রামমোহন রায় ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন। এর যথার্থ কারণ হিসেবে কোনটি ভ‚মিকা রেখেছে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক ব্যাকরণ বই লেখা খ মূর্তিপূজার বিরোধিতা করা
 সংস্কার কার্যাবলি ঘ ব্যক্তিত্ব ও সততা
১৭৫. ইংরেজরা দেশীয়দের মধ্য থেকে ইংরেজি শিক্ষিত শ্রেণি তৈরিতে মনোযোগ দেয় কেন? (অনুধাবন)
ক দেশের উন্নতির জন্য খ শিক্ষা বিস্তারের জন্য
গ মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য  শাসন পাকাপোক্ত করার জন্য
১৭৬. ১৮৫৭ সালে উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণার জন্য কলকাতায় কোনটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল? (জ্ঞান)
ক সংস্কৃত কলেজ খ আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়
 কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ঘ কলকাতা মাদরাসা
১৭৭. মাসুমের পরদাদা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। তিনি প্রথম দিককার একজন ছাত্র। তিনি কত সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন? (প্রয়োগ)
ক ১৮৫৫ সালে  ১৮৫৭ সালে গ ১৮৬০ সালে ঘ ১৮৬২ সালে
১৭৮. ১৮২১ সালে কোথায় মুদ্রণযন্ত্র স্থাপন করা হয়? (জ্ঞান)
ক চন্ডিনগর খ পশ্চিমবঙ্গে গ কলকাতায়  শ্রীরামপুরে
১৭৯. কোন ধর্মাবলম্বীদের জন্য ১৭৯১ সালে সংস্কৃত কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়? (জ্ঞান)
 হিন্দু খ মুসলমান গ বৌদ্ধ ঘ খ্রিষ্টান
১৮০. কোন সমাজ থেকে সতীদাহের মতো প্রথার বিরুদ্ধে রীতিমতো আন্দোলন শুরু হয়? (জ্ঞান)
 হিন্দু খ মুসলমান গ বৌদ্ধ ঘ খ্রিষ্টান
 বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৮১. কলকাতা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ছিল Ñ (অনুধাবন)
র. ফারসি চর্চা বাড়ানো রর. মুসলমানদের খুশি করা
ররর. অনুগতশ্রেণি তৈরি করা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৮২. ১৭৯১ সালে প্রতিষ্ঠিত সংস্কৃত কলেজ ভ‚মিকা রাখেÑ (অনুধাবন)
র. সতীদাহ বিলুপ্তকরণে রর. বিধবা বিবাহ চালুতে
ররর. কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
১৮৩. কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, মুদ্রণযন্ত্র স্থাপন বাংলার অগ্রগতিতে যে ভ‚মিকা পালন করে তা হলো Ñ (অনুধাবন)
র. উপনিবেশকদের ভিত্তি মজবুতকরণ রর. জাতীয়তাবাদ সৃষ্টি
ররর. গণতান্ত্রিক অধিকার বোধের উšে§ষ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৮৪. আজাদ সাহেব একজন সমাজ সচেতন ব্যক্তি। তিনি নাগরিক অধিকার, সচেতনতা, পরিবেশ দূষণ রোধ, হত্যা, ছিনতাই ইত্যাদি সম্পর্কিত আন্দোলনে জড়িত। তার কর্মের সাথে মিল আছে (প্রয়োগ)
র. কাজী নজরুল ইসলামের রর. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের
ররর. রাজা রামমোহন রায়ের
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর ˜ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
 অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৮৫ ও ১৮৬নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
রিজওয়ান পাঠ্যবই থেকে জানতে পারে, বহিরাগত একটি শক্তি বাংলায় তাদের শাসন পাকাপোক্ত করার লক্ষ্যে দেশীয়দের মধ্য থেকে ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত একটি অনুগত শ্রেণি তৈরিতে মনোযোগ দেয়। এ উদ্দেশ্যে তারা কলকাতা মাদরাসা ও সংস্কৃত কলেজ প্রতিষ্ঠা করে।
১৮৫. অনুচ্ছেদে কোন বহিরাগত শক্তির ইঙ্গিত রয়েছে? (প্রয়োগ)
ক ফরাসি খ পর্তুগিজ গ ওলন্দাজ  ইংরেজ
১৮৬. উক্ত বহিরাগত শক্তিÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. বাংলা থেকে ধনসম্পদ নিজ দেশে নিয়ে যায়
রর. বাংলার জনগণকে শোষণ করে
ররর. ১৯৭১ সাল পর্যন্ত বাংলা শাসন করে
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
পাঠ-৭ : ব্রিটিশ-বিরোধী আন্দোলনের চ‚ড়ান্ত পরিণতি
 সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৮৭. কলকাতা কেন্দ্রিক ইংরেজ শাসকদের পক্ষে দূরবর্তী অঞ্চলে সুশাসন প্রতিষ্ঠা কঠিন ছিল কেন? (অনুধাবন)
 বাংলার সীমানা অনেক বড় ছিল বলে
খ কলকাতাকেন্দ্রিক উন্নয়নের মনোভাব থাকার ফলে
গ লর্ড কার্জনের অসহযোগিতার কারণে
ঘ শাসন কাজে অদক্ষতার ফলে
১৮৮. ইংরেজ ভাইসরয় লর্ড কার্জন ১৯০৩ সালে সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাকে কয়ভাগে ভাগ করার প্রস্তাব রাখেন? (জ্ঞান)
 দুই খ তিন গ চার ঘ পাঁচ
১৮৯. লর্ড কার্জন ১৯০৩ সালে কোন শহরকে রাজধানী করে নতুন প্রদেশ করার প্রস্তাব রাখেন? (জ্ঞান)
ক খুলনা  ঢাকা গ রাজশাহী ঘ চট্টগ্রাম
১৯০. কারা বঙ্গভঙ্গের বিরোধিতা করেন? (জ্ঞান)
ক শিক্ষিত মুসলিম নেতারা খ আইনজীবী পরিষদ
 শিক্ষিত হিন্দু নেতারা ঘ কতিপয় রাজনৈতিক দলের নেতারা
১৯১. বঙ্গভঙ্গকে কেন্দ্র করে হিন্দু-মুসলিম স¤প্রদায়ের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে কেন? (অনুধাবন)
 শিক্ষিত হিন্দু নেতারা বঙ্গভঙ্গের বিরোধিতা করার কারণে
খ কতিপয় মুসলিম নেতারা বঙ্গভঙ্গের বিরোধিতা করেন বলে
গ হিন্দু নেতাদের সা¤প্রদায়িক আচরণ করার কারণে
ঘ মুসলমানদের হিন্দু বিদ্বেষী মনোভাবের কারণে
১৯২. ১৯০৬ সালের পূর্বে কোনটি ভারতীয়দের একমাত্র রাজনৈতিক সংগঠন ছিল? (জ্ঞান)
ক মুসলিম লীগ খ জামায়াতে ইসলামী
গ নেজামে পার্টি  ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস
১৯৩. ব্রিটিশ শাসনামলে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের বড় নেতাদের অধিকাংশ কোন স¤প্রদায়ের ছিলেন? (জ্ঞান)
ক মুসলিম  হিন্দু গ বৌদ্ধ ঘ খ্রিষ্টান
১৯৪. তারিন তার দাদুর কাছ থেকে জানতে পারে মুসলমানরা তাদের দাবি আদায়ের জন্য ১৯০৬ সালে একটি রাজনৈতিক সংগঠন গড়ে তোলে। তারিন তার দাদুর কাছ থেকে কোন রাজনৈতিক সংগঠন সম্পর্কে জানতে পারে? (প্রয়োগ)
 মুসলিম লীগ খ আওয়ামী লীগ
গ ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ঘ জামায়াতে ইসলামী
১৯৫. বঙ্গভঙ্গ কত সালে কার্যকর হয়? (জ্ঞান)
ক ১৯০৩ খ ১৯০৪  ১৯০৫ ঘ ১৯০৬
১৯৬. নিচের কোনটি কার্যকর হওয়ার পর হিন্দু-মুসলিম স¤প্রদায়ের দ্ব›দ্ব স্পষ্ট হয়ে ওঠে? (জ্ঞান)
 বঙ্গভঙ্গ খ রাওলাট আইন
গ ভারত শাসন আইন ঘ লাহোর প্রস্তাব
১৯৭. ব্রিটিশ শাসনামলে কোনটি কার্যকর করা থেকে শাসকদের বিরত করার জন্য বাঙালি হিন্দু নেতারা একের পর এক চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন? (জ্ঞান)
ক লাহোর প্রস্তাব খ রাওলাট আইন
 বঙ্গভঙ্গ ঘ ভারত শাসন আইন
১৯৮. কারা ‘ভাগ কর-শাসন কর নীতি’ প্রয়োগ করে? (জ্ঞান)
 ইংরেজরা খ ফরাসিরা গ পর্তুগিজরা ঘ ওলন্দাজরা
১৯৯. ‘ভাগ কর-শাসন কর নীতি’ প্রয়োগ করা হয় কেন? (অনুধাবন)
ক হিন্দু-মুসলিম দ্ব›দ্ব দূর করার জন্য
 পুনরায় বাঙালি নেতাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির জন্য
গ হিন্দু-মুসলিম সা¤প্রদায়িক মনোভাব তৈরির জন্য
ঘ অসা¤প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গি গঠন করার জন্য
২০০. কোন রাজনৈতিক দল ১৯৪০ সালে দ্বিজাতিতত্তে¡র ভিত্তিতে ভারত বিভক্তির ফর্মূলা প্রদান করে? (জ্ঞান)
 মুসলিম লীগ খ কংগ্রেস গ ন্যাপ ঘ গণতন্ত্রী পার্টি
২০১. ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির ক্ষেত্রে কোন ধারণা কার্যকর করা হয়? [ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
ক হিন্দু স্বাধীনতা আইন  লাহোর প্রস্তাব
গ রাওলাট আইন ঘ ভারত শাসন আইন
২০২. পূর্ব বাংলা পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চল হিসেবে কাদের অধীনতা থেকে মুক্তি পায়? (জ্ঞান)
ক ফরাসি খ পর্তুগিজ গ ভারতীয়  ব্রিটিশ
২০৩. পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী পূর্ব বাংলার জনগণের ওপর কী চাপিয়ে দিয়েছিল? (জ্ঞান)
 পরাধীনতা খ স্বাধীনতা গ সার্বভৌমত্ব ঘ স্বায়ত্তশাসন
২০৪. ব্রিটিশরা এদেশ থেকে চলে যাওয়ার পর ভারত, পাকিস্তান বিভক্ত হয়ে পড়ে। এই বিভক্তির সাথে কোনটি জড়িত? [ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ, রংপুর]
ক লাহোর প্রস্তাব খ পলাশীর যুদ্ধ
গ ভারত শাসন আইন  সিপাহি বিদ্রোহ
 বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২০৫. ব্রিটিশ শাসনামলে বাংলার সীমানার অন্তুর্ভুক্ত ছিল Ñ (অনুধাবন)
র. পশ্চিম বাংলা রর. পূর্ব বাংলা ররর. উড়িষ্যা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
২০৬. ১৯০৩ সালে লর্ড কার্জনের প্রস্তাব অনুযায়ী নতুন প্রদেশেরÑ (অনুধাবন)
র. নাম হবে ‘পূর্ব বঙ্গ ও আসাম’
রর. একজন লেফটেন্যান্ট গভর্নর প্রদেশ শাসন করবেন
ররর. একজন ভাইসরয় ও দুইজন মন্ত্রী প্রদেশ শাসন করবেন
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২০৭. বঙ্গভঙ্গ কার্যকর করা থেকে শাসকদের বিরত করার জন্য শুরু করা হয়Ñ (অনুধাবন)
র. সশস্ত্র আন্দোলন রর. বয়কট আন্দোলন
ররর. স্বদেশী আন্দোলন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
২০৮. ব্রিটিশরা এদেশে শাসনকাল দীর্ঘায়িত করার জন্য ‘ভাগ কর ও শাসন কর’ নীতি অবলম্বন করে। এই তত্তে¡র আড়ালে তাদের কাজ ছিল Ñ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. হিন্দু মুসলিম বিভাজন রর. মুসলিম ব্রিটিশ বিভাজন
ররর. প্রশাসনিক বিভাজন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২০৯. কলকাতা ও নোয়াখালীর দাঙ্গা অসম্ভব করে তোলেÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. ব্রিটিশ শাসনের অবসান রর. অবিভক্ত ভারতবর্ষ
ররর. অসা¤প্রদায়িক ভারতবর্ষ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২১০. বাংলায় দ্বৈতশাসনের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো
[ইবনে তাইমিয়া স্কুল এন্ড কলেজ, কুমিল্লা]
র. ইংরেজদের ক্ষমতা হ্রাস রর. ইংরেজদের ক্ষমতা বৃদ্ধি
ররর. নবাবের ক্ষমতা হ্রাস
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর ˜ রর ও ররর ঘ রর ও ররর
 অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ২১১ ও ২১২নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
তাজিন একটি প্রামাণ্যচিত্র দেখছিল। উক্ত প্রামাণ্যচিত্রে সে দেখত পায় বাংলাদেশ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বহিরাগত শাসকদের দ্বারা শাসিত এবং শোষিত হয়েছে। এমন একটি বহিরাগত শাসকদের ভাইসরয় লর্ড কার্জন ১৯০৩ সালে বাংলাকে দুই ভাগে ভাগ করার প্রস্তাব দেন।
২১১. অনুচ্ছেদে কোন বহিরাগত শাসকদের প্রতিফলন ঘটেছে? (প্রয়োগ)
ক পর্তুগিজ খ দিনেমার গ ওলন্দাজ  ইংরেজ
২১২. উক্ত বহিরাগত শাসকরা বাংলাদেশে (উচ্চতর দক্ষতা)
র. শাসন-শোষণ দীর্ঘস্থায়ী করার পরিকল্পনা করে
রর. বাঙালি নেতাদের স¤প্রীতিতে ফাটল ধরায়
ররর. পর্তুগিজদের সাথে নিয়ে শাসনকার্য পরিচালনা করে
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

২১৩. ১৪ শতকে ইউরোপে যুগান্তকারী বাণিজ্য বিপ্লবের সূচনার ফলে
[উচ্চতর দক্ষতা]
র. ইউরোপীয় শক্তির শাসন শুরু হয় রর. অর্থনৈতিক সংগঠন শক্তিশালী হয়
ররর. কাঁচামালের বাজার সন্ধান শুরু হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
২১৪. ওয়েস্টফালিয়ার চুক্তির ফলে [উচ্চতর দক্ষতা]
র. বাংলায় মোগল শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়
রর. ইউরোপীয় জাতির মধ্যে বাণিজ্যের নতুন উদ্যম সৃষ্টি হয়
ররর. ইউরোপীয় জাতিতে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২১৫. বাংলায় ঔপনিবেশিক শক্তির বিজয়ের কারণ [প্রয়োগ]
র. নবাবের ঘনিষ্ঠজনদের ষড়যন্ত্র রর. নবাবের অনভিজ্ঞতা
ররর. সেনাপতি মীর জাফরের বিশ্বাসঘাতকতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
২১৬. ভারত শাসন জারির ফলে বাংলায় যে বিষয়গুলো ঘটে তা হলো [অনুধাবন]
র. কোম্পানি শাসনের দেওয়ানি লাভ রর. কোম্পানি শাসনের অবসান
ররর. ভাইসরয় নিয়োগ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২১৭. প্রতাপ চন্দ্র ১৮৫৩ সালে কলেজের ছাত্র। ইংরেজিতে সে ছিল তুখোড়। সে সময় [প্রয়োগ]
র. ছাত্ররা ইংরেজদের অনুগত হতো রর. বঙ্গীয় আইনসভার কার্যক্রম শুরু হয়
ররর. বঙ্গভঙ্গের পরিকল্পনা করা হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
২১৮. ঔপনিবেশিক শাসনামলে ব্রিটিশদের ‘ভার কর ও শাসন কর’ নীতির উদ্দেশ্য ছিলÑ [উচ্চতর দক্ষতা]
র. হিন্দু-মুসলিম বিভাজন রর. ব্রিটিশ-বাঙালি বিভাজন
ররর. ব্রিটিশ শাসন পাকাপোক্ত করা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ২১৯ ও ২২০নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
ঘটনা-১ : ১৯০৫ সাল বঙ্গভঙ্গ পরিকল্পনার বাস্তবায়ন
ঘটনা-২ : ১৯৪৭ সাল ভারত বিভক্তি বাস্তবায়ন
২১৯. ঘটনা-১ এর প্রেক্ষাপটে কারা খুশি হয়েছিল? [প্রয়োগ]
 বাঙালি মুসলমানেরা খ ইংরেজ বণিকেরা
গ বাঙালি হিন্দুরা ঘ কলকাতার ব্যবসায়ীরা
২২০. ঘটনা-২ প্রসঙ্গে প্রযোজ্যÑ [উচ্চতর দক্ষতা]
র. ভারতের স্বাধীনতা রর. পাকিস্তানের স্বাধীনতা
ররর. ঔপনিবেশিক শাসনের অবসান
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর

প্রশ্ন

সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন -২  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
দুই বন্ধুর কথোপকথন :
১ম বন্ধু : আবিদ তুমি কি লক্ষ্য করেছ যে, বর্তমানে শিক্ষার ক্ষেত্রে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি?
২য় বন্ধু : হ্যাঁ জানি। একটি বিশেষ সুবিধাভোগী শ্রেণি তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল তা আমাদের জন্য সুবিধাই বয়ে এনেছে।
১ম বন্ধু : তুমি ঠিকই বলেছ। তাদের গৃহীত পদক্ষেপের কারণে আমাদের দেশের মানুষ আধুনিক চিন্তা-চেতনায় জাগরিত হয়ে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়।
ক. ভাস্কো-দা-গামা কোন দেশের নাবিক ছিলেন? ১
খ. ‘ইকলিম’ ধারণাটি ব্যাখ্যা কর। ২
গ. ২য় বন্ধুর উক্তির শাসকদের প্রথম পর্যায়ের প্রধান প্রধান কাজগুলো ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.১ম বন্ধুর শেষোক্ত উক্তিটি বিশ্লেষণ কর। ৪
 ২নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. ভাস্কো -দা-গামা পর্তুগিজ নাবিক ছিলেন।
খ. ১২০৬ সালের পর বাংলার তিনটি অংশে দিল্লির মুসলিম সুলতানদের যে বিভাগগুলো প্রতিষ্ঠিত হয় সেগুলোকে ফারসি ভাষায় ‘ইকলিম’ বলা হয়। উত্তর বাংলা জুড়ে প্রতিষ্ঠিত ছিল ইকলিম লখনৌতি, পশ্চিম বাংলায় ইকলিম সাতগাঁও এবং পূর্ব বাংলায় ইকলিম সোনারগাঁও।
গ. ২য় বন্ধুর উক্তির শাসকদের তথা ইংরেজদের প্রথম পর্যায়ের অসংখ্য উন্নয়নমূলক কাজ ছিল। ইস্টইন্ডিয়া কোম্পানির শাসকগণ তাদের শাসনকে স্থায়ীরূপ দেওয়ার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। এ সকল কাজের উদ্দেশ্য নেতিবাচক হলেও তা দ্বারা বাংলার সামাজিক অবস্থার উন্নতি ঘটেছিল। শাসনক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করার জন্য তারা দেশীয়দের মধ্য থেকে ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত একটি অনুগত শ্রেণি তৈরির প্রতি মনোযোগ দেয়। এ প্রেক্ষিতে ওয়ারেন হেস্টিংস ১৭৮১ সালে কলকাতা মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৭৯১ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় সংস্কৃত কলেজ। অবশেষে ১৮৫৭ সালে উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণার প্রতিষ্ঠান হিসেবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আধুনিক শিক্ষার সংস্পর্শে এসে স্থানীয় মানুষের মধ্যে নতুন চেতনার স্ফুরণ ঘটতে থাকে।
উদ্দীপকের ২য় বন্ধু তার আলোচনায় এ বিষয়টিরই ইঙ্গিত করে বলেছে যে, সুবিধাভোগী ধূর্ত ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসকগণ তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য এসব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল।
ঘ. “তাদের গৃহীত পদক্ষেপের কারণে আমাদর দেশের মানুষ আধুনিক চিন্তা চেতনায় জাগরিত হয়ে দেশপ্রেম উদ্বুদ্ধ হয়েছিল।” ১ম বন্ধুর শেষোক্ত এ উক্তিটি যথার্থ।
ইস্টইন্ডিয়া কোম্পানির শাসকগণ তাদের শাসনকে স্থায়ীরূপে রূপ দেওয়ার জন্য বিভিন্ন উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল। এর ফলে হিন্দু সমাজ থেকে সতীদাহর মতো প্রথার বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয় এবং বিধবা বিবাহের পক্ষে মত তৈরি হয়। শাসকগণ ১৮২১ সালে শ্রীরামপুরে মুদ্রণযন্ত্র স্থাপন করে। এর দ্বারাও বাংলার সামাজিক ব্যবস্থার উন্নতি ঘটেছিল। উদ্দীপকে ১ম বন্ধু তার শেষোক্ত উক্তির দ্বারা ঠিক এ বিষয়টিরই ইঙ্গিত করে বলেছে যে, আমাদের দেশের মানুষ আধুনিক চিন্তা- চেতনায় জাগরিত হয়ে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়। এ সময়কালে রাজা রামমোহন রায় ও ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরও সমাজ সংস্কারে হাত দেন। ডিরোজিও, বিদ্যাসাগর প্রমুখ অবাধে মুক্তমনে জ্ঞানচর্চার ধারা তৈরি করেন। ফলে দেশটির সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটে। সর্বোপরি ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনামলে বাংলার সামাজিক অবস্থার বেশ উন্নতি ঘটেছিল। এ প্রেক্ষাপটে শিক্ষিত শ্রেণির মধ্যে জাতীয়তাবোধের চেতনা জন্ম নেয়। এবং তারা পুরো দেশবাসীকে এ চেতনায় ঐক্যবদ্ধ করে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে। সুতরাং, উপরোক্ত আলোচনায় ১ম বন্ধুর শেষোক্ত উক্তিটি যথার্থ।
প্রশ্ন -৩ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
দৃশ্যকল্প-১ : মাত্র ২২ বছর বয়সে সিরাজউদ্দৌলা সিংহাসনে বসেন। তিনি দেশি ও বিদেশি ষড়যন্ত্রে ক্ষমতাচ্যুত হন।
দৃশ্যকল্প-২ : ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলার শাসন ক্ষমতায় চলে আসে। শাসন ব্যবস্থাকে রাজাস্ব আদায় ও প্রশাসন পরিচালনায় ভাগ করে।
ক. কত সালে ফখরউদ্দিন মোবারক শাহ স্বাধীন সুলতানী যুগ প্রতিষ্ঠা করেন? ১
খ. চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত বলতে কী বোঝায়? ২
গ. দৃশ্যকল্প-১ বাংলার ইতিহাসের কোন ঘটনাকে ইঙ্গিত করে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. “দৃশ্যকল্প-২ এর ফল ছিয়াত্তরের মন্বন্তর” উক্তিটি বিশ্লেষণ কর। ৪
 ৩নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. ১৩৩৮ সালে ফখরউদ্দীন মোবারক শাহ স্বাধীন সুলতানি যুগ প্রতিষ্ঠা করেন।
খ. ১৭৯৩ সালে কর্নওয়ালিস প্রশাসন কর্তৃক ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সরকার ও বাংলার জমি মালিকদের (সকল শ্রেণীর জমিদার ও স্বতন্ত্র তালুকদারদের) মধ্যে সম্পাদিত একটি যুগান্তকারী চুক্তি। এ চুক্তির আওতায় জমিদার ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় ভ‚-সম্পত্তির নিরঙ্কুশ স্বত্বাধিকারী হন।
গ. দৃশ্যকল্প-১ বাংলার ইতিহাসের কলঙ্কজনক অধ্যায় বাংলায় ইংরেজ শক্তির উত্থানকে ইঙ্গিত করে। তরুণ নবাব সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে তাঁর খালা ঘসেটি বেগম, মীরজাফর, মীর কাসিম, উমিচাঁদ, জগতশেঠ ও রাজবল্লভ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হলে ইংরেজ বণিকরা তাদের সাথে যোগ দেয়। এ সুযোগে মাদ্রাজ থেকে সৈন্যবাহিনী নিয়ে ইরেজ সেনাপতি ওয়াটসন ও ক্লাইভ কলকাতা দখল করে নেয়। এরপর নবাবের রাজধানী মুর্শিদাবাদ দখল করতে ক্লাইভ পলাশির আম্রকাননে উপস্থিত হয়। ১৭৫৭ সালের ২৩ শে জুন সে যুদ্ধে প্রবীণ সেনাপতি মীর জাফরের বিশ্বাসঘাতকতায় বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয় ঘটে। নবাবকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। বিজয়ের পর মীর জাফরকে নবাব বানালেও মূল ক্ষমতা চলে যায় ধূর্ত ও দুর্ধর্ষ ইংরেজ সেনাপতি রবার্ট ক্লাইভের হাতে।
উদ্দীপকে এ বিষয়টিরই ইঙ্গিত করে বলা হয়েছে যে, মাত্র ২২ বছর বয়সে সিরাজদ্দৌলা সিংহাসনে বসে দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্রে ক্ষমতাচ্যুত হন।
ঘ. “দৃশ্যকল্প-২ এর ফল ছিয়াত্তরের মন্বন্তর” উক্তিটি যথার্থ।
দৃশ্যকল্প-২ এ বাংলায় দ্বৈতশাসন ব্যবস্থা ফুটে উঠেছে। ক্লাইভ বাংলায় কিছুকাল দ্বৈতশাসন চালিয়ে যান। দ্বৈতশাসন ছিল একটি অদ্ভূত ব্যবস্থা। এ ব্যবস্থায় রাজস্ব আদায়, সামরিক ব্যবস্থা এবং প্রশসন পরিচালনার ক্ষমতা রইল কোম্পানীর হাতে। আর নবাব হলেন নামেমাত্র শাসক। এভাবেই নবাব হলেন ক্ষমতাহীন দায়িত্ব পালনকারী। অন্যদিকে কোম্পানীর শাসকরা হলেন দায়িত্বহীন ক্ষমতাবান। রাজস্বের দায়িত্ব পেয়ে ইংরেজরা প্রজাদের ওপর অতিরিক্ত করের বোঝা চাপিয়ে তা আদায়ে প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করে। এর ওপর ১৭৬৮ সাল থেকে তিন বছরের অনাবৃষ্টির ফলে দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। এটিই ইতিহাসে ছিয়াত্তরের মন্বন্তর নামে পরিচিত।
উদ্দীপকে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলার শাসন ক্ষমতায় চলে এসে শাসন ব্যবস্থাকে রাজস্ব আদায় ও প্রশাসন পরিচালনায় ভাগ করার কারণেই ১৭৬৮ সালে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। যা ইতিহাসে ছিয়াত্তরের মন্বন্তর নামে পরিচিত পায়। এ প্রেক্ষাপটে যথার্থই বলা যায়, দৃশ্যকল্প-২ এর ফল ছিয়াত্তরের মন্বন্তর।
প্রশ্ন -৪ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
রায়ান তার দাদার কাছ থেকে ১৬৮০-৮৩ সালের একটি ঐতিহাসিক ঘটনা শুনে বুঝতে পারে এদেশে একসময় বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়ীরা বাণিজ্য করত। তারা তাদের স্বার্থ হাসিল করার জন্য নানা কৌশল অবলম্বন কর থাকত। তবে এতে একটি দেশের ব্যবসায়ীরা বেশী লাভভান হয়।
ক. ইউরোপের শান্তি চুক্তি কী নামে পরিচিত। ১
খ. ‘ইকলিম’ ধারণাটি ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উল্লিখিত সময়ে লাভবানকৃত দেশটির বাণিজ্য বিস্তারের কারণ ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.বাংলার অভ্যন্তরের কোন্দলই কি উক্ত দেশটির বিজয়ের পিছনে কাজ করেছে? পাঠপুস্তকের আলোকে তুরে ধর। ৪
 ৪নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. ইউরোপের শান্তি চুক্তি ওয়েস্টফালিয়ার চুক্তি নামে পরিচিত।
খ. ১২০৬ সালে বখতিয়ার খলজির মৃত্যুর পর থেকে ১৩৩৮ সাল পর্যন্ত বাংলা জুড়ে মুসলিম শাসনের বিস্তার ঘটতে থাকে। এ সময়ের মধ্যে বাংলার তিনটি অংশে দিল্লির মুসলিম সুলতানদের তিনটি প্রদেশ বা বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়। বিভাগগুলোকে ফারসি ভাষায় ‘ইকলিম’ বলা হতো। উত্তর বাংলা জুড়ে প্রতিষ্ঠিত ছিল ইকলিম লখনৌতি, পশ্চিম বাংলায় ইকলিম সাতগাঁও এবং পূর্ব বাংলায় ইকলিম সোনারগাঁও।
গ. উল্লিখিত সময়ে তথা ১৬৮০ এই সময়ে যেমন : ১৬৮০-৮৩ এই চার বছরে শুধু ইংল্যাণ্ড থেকে বাংলার রপ্তানি আর দাঁড়ায় দুই লক্ষ পাউন্ড বা তৎকালীন হিসাবে আঠার লক্ষ টাকা। অর্থাৎ এ সময়ে লাভবানকৃত দেশটি হচ্ছে ইংল্যান্ড। আর এ সময়ে ইংল্যান্ডের বাণিজ্য বিস্তারের কারণ হলো পুঁজির জোর আর উন্নত কারিগরি জ্ঞানের সমন্বয়।
পুঁজির জোর আর উন্নত কারিগরি জ্ঞানের সমন্বয় করে ইংরেজ বণিকরা এদেশের স্থানীয় শ্রমিকদের খাটিয়ে বড় বড় শিল্পকারখানা স্থাপন করে প্রচুর মুনাফা অর্জন করতে থাকে। এ সময় ইংরেজরা অনেকগুলো কারখানা চালাত, এভাবে যখন এদেশে ইংরেজদের ব্যবসা ফুলে ফেঁপে উঠে, তখন বাংলা থেকে প্রচুর অর্থ ইংল্যান্ডে পাচার হতো। পাচারকৃত সম্পদের প্রাচুর্যের কথা স্বয়ং ক্লাইভ ইংল্যান্ড পার্লামেন্টে সবিষ্ময়ে উল্লেখ করেছিলেন। ১৬৮২ সালে বাংলার ইংরেজ কোম্পানিগুলোর গভর্ণর হিসেবে উইলিয়াম হেজেজ হুগলিতে আসেন। এ সময় বাংলার সুবেদার শায়েস্তা খানের বিভিন্ন স্তরের কর্মচারীদের দূর্নীতির কারণে ইংরেজদের ব্যবসায়ের ক্ষতি তিনি সরেজমিনে প্রত্যক্ষ করেন এবং ইংল্যান্ডের রাজা দ্বিতীয় জেমসকে বুঝিয়ে ১৬৮৬ সালে স্বদেশ থেকে সৈন্য এনে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেন। ১৬৮৭ থেকে ১৬৯০ পর্যন্ত ইংরেজদের সাথে মোগল শক্তির বেশ কয়েকটি খণ্ড যুদ্ধ হয় এবং শেষ পর্যন্ত ইংরেজরা তাদের ব্যবসায়িক সুবিধা আদায় করে এক ঢিলে দুই পাখি মারে। তারা এখানে তাদের কুঠি ও কারখানা তৈরি এবং সৈন্য রেখে ব্যবসায়ের অধিকার পায়। আবার সাথে সাথে প্রতিদ্ব›দ্বী অন্য ইউরোপীয় শক্তির উপর প্রাধান্য লাভ করে। এভাবেই বাংলা তথা ভারতীয় উপমহাদেশে ইংল্যান্ডের বাণিজ্য বিস্তার লাভ করে।
ঘ. বাংলার অভ্যন্তরের কোন্দলই উক্ত দেশ তথা ইংল্যান্ডের বিজয়ের পেছনে অগ্রণী ভ‚মিকা পালন করেছে।
আলিবর্দীর মৃত্যুর পর তার প্রিয় নাতি সিরাজউদ্দৌলা মাত্র ২২ বছর বয়সে সিংহাসনে বসলেন। তার সামনে এক দিকে উদীয়মান ইংরেজ শক্তি ও হামলাকারী বর্গিদের সামলানোর কঠিন কাজ আর অন্যদিকে বড় খালা ঘসেটি বেগম ও সিপাহসালার মীরজাফর আলী খানের মতো ঘনিষ্ঠজনদের ষড়যন্ত্র মোকাবিলার কাজ। সিরাজের বিরুদ্ধে তৃতীয় আরেকটি পক্ষও কাজ করেছে যথা : অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিস্তার ঘটার সাথে সাথে ভারতের বড় বড় ব্যবসাকেন্দ্রগুলোতে ক্ষমতালোভী ভারতীয় বণিক সমাজের অভ্যুদয় ঘটে। বাংলায় রাজপুতনা থেকে আগত মারওয়াড়িরা এই ক্ষমতাবান বণিক। তারাও ব্যবসায়িক স্বার্থে ইংরেজ বণিকদের পক্ষে যোগ দেয় ও বাংলার নবাবের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। অভ্যন্তরীণ এ কোন্দলকে যদিও ইংল্যান্ডের বিজয়ের প্রধান কারণ ধরা হয়, তবে এছাড়া আরও কিছু কারণ রয়েছে যেমন : শাসকদের প্রতি বাংলার জনগণের বিমুখতা ও উদাসীনতা; ইংরেজদের অর্থনৈতিক ও সামারিক শক্তি ছিল বেশ শক্তিশালী; এবং সিরাজউদ্দৌলার অদক্ষতা।
উপরোক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বলতে পারি বাংলার অভ্যন্তরের কোন্দল ইংল্যান্ডের বিজয়ের পেছনে কাজ করেছে সত্য, কিন্তু এটিই একমাত্র কারণ নয়।
প্রশ্ন -৫ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
‘ক’ এলাকায় বণিক শ্রেণির কিছু লোক বাহির থেকে ব্যবসার উদ্দেশ্যে এসে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে। স্থানীয় লোকজনকে বিভিন্নভাবে শাসন-শোষণ করে এবং নিজ দেশে সম্পদ পাচার করে। স্থানীয় জনগণ সচেতন হওয়ায় এক সময় তাদেরকে নিজ দেশে চলে যেতে হয়।
ক. ভাস্কো-ডা-গামা কত সালে কালিকট বন্দরে পৌছে? ১
খ. পুঁজি পাচার বলতে কী বোঝায়? ২
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত ঘটনাবলি বাংলার ইতিহাসের কোন ঘটনাকে স্মরণ করিয়ে দেয়? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.“উক্ত বণিক শ্রেণির রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলের পিছনে রয়েছে বাংলার শাসকদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও চক্রান্ত”- বিশ্লেষণ কর। ৪
 ৫নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. পর্তুগিজ নাবিক ভাস্কো-ডা-গামা ১৪৯৮ সালে কালিকট বন্দরে পৌঁছে।
খ. ব্যাপকহারে অর্থ ও সম্পদ দেশের বাইরে চলে যাওয়াকে পুঁজি পাচার বলে। ইতিহাস থেকে জানা যে, সম্রাট জাহাঙ্গীর বিভিন্ন অজুহাতে বাংলার কোষাগার থেকে টাকা ও সম্পদ নিতে শুরু করেন। সুবেদার শায়েস্তা খান ও সুবেদার সুজাউদ্দিনও বাংলা থেকে প্রচুর টাকা ও সম্পদ দিল্লিতে নিয়ে যান। যা পুঁজি পাচার হিসেবে বিবেচিত।
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত ঘটনাবলি বাংলার ইতিহাসের ইংরেজ শক্তির উত্থান ও তাদের পরিণতিকে স্মরণ করিয়ে দেয়। দি ব্রিটিশ ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি ধীরে ধীরে এদেশের তাদের প্রতিপত্তি বাড়িয়ে নবাবের দরবারে প্রভাব বিস্তারের মতো ক্ষমতা ভোগ করতে শুরু করে। ১৭৫৬ সালে আলিবর্দী খাঁর মৃত্যুর পর ক্ষমতার উত্তরাধিকার নিয়ে নবাব পরিবার এবং রাজপ্রাসাদের অভিজাতদের মধ্যে যে দ্ব›দ্ব শুরু হয় কোম্পানির কর্তারা তার সুযোগ নিতে কসুর করে নি। ১৭৫৭ সালের ২৩ শে জুন পলাশীর যুদ্ধে প্রবীণ সেনাপতি মীরজাফরের বিশ্বাসঘাতকতায় বাংলা-বিহার উড়িষ্যার নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয় ঘটে। ক্ষমতা চলে যায় ধূর্ত ও দুর্ধর্ষ ইংরেজ সেনাপতি রবার্ট ক্লাইভের হাতে। শেষ পর্যন্ত ১৭৬৫ সালে ক্লাইভ দিল্লির সম্রাটের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানি লাভ করেন। অতঃপর প্রায় দুইশ বছর ইংরেজরা স্থানীয় লোকজন তথা বাংলা ও ভারতবর্ষ শাসন শোষণ করে; নানাভাবে, নানা কৌশলে। তবে তাদের শত প্রচেষ্টাও তাদের শাসনকে স্থায়ী করেনি। ব্রিটিশদের অনুগত শ্রেণি সৃষ্টিতে তারা ইংরেজ শিক্ষার প্রসার ঘটায়। কিন্তু ফলাফলে শিক্ষিত শ্রেণির মধ্যে জাতীয়তাবোধের উন্মেষ ঘটে। সমগ্র বাংলাকে বরং পুরো ভারতবর্ষকে তারা কুসংস্কারমুক্ত, সচেতন ও দেশেপ্রেমে উদ্ধুদ্ধ জনগোষ্ঠীতে পরিণত করে। স্থানীয় জনগণের এ সচেতনতায় তথা জাতীয়তাবোধের চেতনার বলে ইংরেজরা ১৯৪৭ সালের আগস্টে এদেশ ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়। উদ্দীপকটি ইংরেজদের এ উত্থান পতনের ঘটনাই স্মরণ করিয়ে দেয়।
ঘ. উক্ত বণিক তথা ইংরেজ বণিক শ্রেণির রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলের পেছনে রয়েছে বাংলার শাসকদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও চক্রান্ত।
১৭৫৬ সালে আলিবর্দী খাঁর মৃত্যুর পর ক্ষমতার উত্তরাধিকার নিয়ে নবাব পরিবার এবং রাজপ্রাসাদের অভিজাতদের মধ্যে দ্বন্ধ শুরু হয়। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর কর্তারা এটিকে বাংলার ক্ষমতা গ্রহণের মহাসুযোগ হিসেবে গ্রহণ করে। এছাড়া তরুণ নবাব সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে তাঁর খালা ঘসেটি বেগম, মীরজাফর মীরকাসিমসহ রাজদরবারের প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গ এবং উমিচাঁদ, জগৎ শেঠ ও রাজবল্লভদের মতো তৎকালীন ধনী অভিজাতদের একটি অংশ গভীর চক্রান্তে লিপ্ত হয়। এমতাবস্থায় ইংরেজ বণিকরা চক্রান্তকারীদের মদদ দিতে থাকে। অন্তর্দ্ব›দ্ব ও অভ্যন্তরীণ চক্রান্তের সুযোগ কাজে লাগিয়ে ইংরেজ সেনাপতি ওয়াটসন ও ক্লাইভ সৈন্য বাহিনী নিয়ে এসে কলকাতা দখল করে নেয়। এরপর নবাবের রাজধানী মুর্শিদাবাদ দখল করতে ক্লাইভ পলাশীর আম্রকাননে উপস্থিত হয়। ১৭৫৭ সালের ২৩ শে জুন সেই যুদ্ধে প্রবীণ সেনাপতি মীরজাফরের বিশ্বাসঘাতকতায় বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয় ঘটে এবং নবাবকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এরই সাথে সাথে বাংলার শাসনক্ষমতা চলে যায় ইংরেজ বণিকদের হাতে।
উপরোক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, ইংরেজ বণিক শ্রেণির রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পেছনে বাংলার শাসকদের আভ্যন্তরীণ কোন্দল ও চক্রান্তই দায়ী।
প্রশ্ন -৬ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
মোহাম্মদ আব্দুস ছামাদ যুবক বয়সে ঘিওর উপজেলার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পান। কিন্তু প্রথম থেকেই তার কিছু নিকট আত্মীয়স্বজন নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় এবং পরবর্তীকালে তার কাজকর্ম পরিচালনার সময় বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে।
ক. ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কত সালে কাশিম বাজারে বাণিজ্য কুঠি স্থাপন করে? ১
খ. পুঁজি পাচার বলতে কী বোঝায়? ২
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত কারণটি নবাব সিরাজউদ্দৌলার পতনের কোন কারণের সাথে মিল আছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. তুমি কি মনে কর, উক্ত কারণটিই নবাব সিরাজউদ্দৌলার পতনের একমাত্র কারণ? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও। ৪
ল্ফল্প ৬নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ১৬৫৮ সালে কাশিমবাজারে বাণিজ্য কুঠি স্থাপন করে।
খ. ব্যাপক হারে অর্থ ও সম্পদ দেশের বাইরে চলে যাওয়াকে পুঁজি পাচার বলে। ইতিহাস থেকে জানা যায় যে, সম্রাট জাহাঙ্গীর বিভিন্ন অজুহাতে বাংলার কোষাগার থেকে টাকা ও সম্পদ নিতে শুরু করেন। সুবেদার শায়েস্তা খান ও সুবেদার সুজাউদ্দিনও বাংলা থেকে প্রচুর টাকা ও সম্পদ দিল্লীতে নিয়ে যান। এগুলোই পুঁজি পাচার হিসেবে বিবেচিত।
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত কারণটি নবাব সিরাজউদ্দৌলার পতনের গুরুত্বপূর্ণ কারণ নিকট-আত্মীয় বড় খালা ঘসেটি বেগম ও সিপাহসালার মীর জাফর আলী খানের ষড়যন্ত্রের সাথে মিল আছে।
উদ্দীপকে বর্ণিত মোহাম্মদ আব্দুস সামাদ যুবক বয়সে ঘিওর উপজেলার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পান। কিন্তু প্রথম থেকেই তার কিছু নিকট আত্মীয়স্বজন নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় এবং পরবর্তীকালে তার কাজকর্ম পরিচালনার সময় বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে। তার এ ঘটনার সাথে নবাব সিরাজউদ্দৌলার তুলনা করলে দেখা যায়, তার আত্মীয়-স্বজন যেমন ঘসেটি বেগম ও মীর জাফর আলী খান তার পতনের জন্য প্রথম থেকেই ষড়যন্ত্র শুরু করে। নবাব সিরাজউদ্দৌলার পতনে এই ষড়যন্ত্র বিরাট ভ‚মিকা পালন করে। তিনি তরুণ বয়সে এদের ওপরই বেশি বিশ্বাস স্থাপন করেছিলেন। কিন্তু তার এসব নিকট আত্মীয়রা তার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য বিদেশিদের সাথে হাত মিলিয়েছিলেন।
ঘ. অনেকগুলো কারণেই নবাব সিরাজউদ্দৌলার পতন হয়েছিল। এর মধ্যে তাঁর নিকট আত্মীয়দের ষড়যন্ত্র একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ সন্দেহ নেই। তবে এ কারণটিই তার পতনের একমাত্র কারণ বলে আমি মনে করি না।
নবাব সিরাজউদ্দৌলার অনভিজ্ঞতা। কারণ তিনি মাত্র ২২ বছর বয়সে সিংহাসনের বসেন, তাঁর রাজ্য পরিচালনার কোন পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিল না। উদীয়মান ইংরেজ শক্তি ও হামলাকারী বর্গিদের বিরুদ্ধে আক্রমণ করার মতো যথেষ্ট শক্তি নবাবের ছিল না। ভারতীয় বণিক সমাজের অভ্যুদয়ও নবাবের পতনের একটি অন্যতম কারণ। রাজপুতনা থেকে আগত মাওয়াড়িরা তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থে ইংরেজ বণিকদের সাথে একযোগে নবাবের পতনে অংশগ্রহণ করে। কাজেই উপরিউক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায় যে, কেবল নিকট আত্মীয়দের ষড়যন্ত্রেই নবাব সিরাজউদ্দৌলার পতন হয় নি। তার পতনের জন্য আরও কতকগুলো কারণ দায়ী ছিল।
প্রশ্ন -৭ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
৮ম শ্রেণির ছাত্র সাইম টেলিভিশনে মোগল শাসকের উপর নির্মিতি একটি প্রামাণ্য চিত্র দেখেছিল। তখন শাসকদের সম্পদের কোনো অভাব ছিলো না। জিনিসপত্রের দামও খুব সস্তা ছিল। কিন্তু সাধারণ মানুষের জিনিসপত্র কেনার সামর্থ ছিল না।
ক. মোগল সম্রাট আকবরের সেনাপতি ছিলেন কে? ১
খ. ইউরোপে যুদ্ধরত দেশগুলির মধ্যে সম্পাদিত শান্তি চুক্তিটি ব্যাখ্যা কর। ২
গ. সাইমের দেখা প্রামাণ্য চিত্রে কার শাসনামলের চিত্র প্রতিফলিত হয়েছে? বর্ণনা কর। ৩
ঘ.“উদ্দীপকে বর্ণিত পরিস্থিতির ফলে বাংলায় ঔপনিবেশিক শক্তির বিজয় ঘটে”- মতামত দাও। ৪
ল্ফল্প ৭নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. মোগল সম্রাট আকবরের সেনাপতি ছিলেন মানসিংহ।
খ. ১৬৪৮ সালে ইউরোপের যুদ্ধরত বিভিন্ন দেশের মধ্যে একটি শান্তিচুক্তি হয়। একে বলে ওয়েস্টফালিয়ার চুক্তি। এটি সম্পাদিত হওয়ার পর শান্তি প্রতিষ্ঠিত হলে বিভিন্ন ইউরোপীয় জাতি নতুন উদ্যমে বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ে। এদের অধিকাংশের লক্ষ্য ছিল ভারতবর্ষ।
গ. সাইমের দেখা প্রামাণ্য চিত্রে শায়েস্তা খানের শাসনামলের চিত্র প্রতিফলিত হয়েছে।
সুবেদার শায়েস্তা খানের আমলে জিনিসপত্রের দাম অনেক সস্তা ছিল। কিন্তু তখন সাধারণত মানুষের দারিদ্র্য এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে, তাদের ক্রয়ক্ষমতা বলে আসলে কিছুই ছিল না। তাই চালসহ নিত্যব্যবহার্য জিনিস বা গরু ছাগলের দাম অবিশ্বাস্য রকম কম হলেও তা প্রজাদের কোনো উপকারে আসেনি।
উদ্দীপকে সাইমের দেখা প্রামাণ্য চিত্রের শাসকেরও সম্পদের কোনো অভাব ছিল না। জিনিসপত্রের দামও খুব সস্তা ছিল। কিন্তু সাধারণ মানুষের কেনার সামর্থ্য ছিল না।
সুতরাং বলা যায়, সাইমের দেখা প্রামাণ্য চিত্রে সুবেদার শায়েস্তা খানের শাসনামলের চিত্র প্রতিফলিত হয়েছে।
ঘ. উদ্দীপকে মুঘল শাসক সুবেদার শায়েস্তা খানের শাসনামলের চিত্র ফুটে উঠেছে। তার শাসনামলে বর্ণিত পরিস্থিতির ফলে বাংলায় ঔপনিবেশিক শক্তির বিজয় ঘটে।
সুবেদার শায়েস্তা খানের আমলে জিনিসপত্রের দাম অনেক সস্তা তখন সাধারণ মানুষের দারিদ্র্য এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে, তাদের ক্রয়ক্ষমতা বলে আসলে কিছুই ছিল না। তার সময় বাংলা থেকে প্রচুর অর্থ দিলি­তে পাচার হতো। শুধুমাত্র ১৬৭৮ সালে তিনি একবার নগদ ৩০ লাখ টাকা মূল্যের সোনা পাঠান দিলি­তে। এ ধারা পরবর্তী সময়ে কেবল বেড়েছেই। সুবেদার সুজাউদ্দিন তার ১১ বছরের সুবেদারি আমলে দিলি­তে প্রায় ১৪ কোটি ৬৩ লাখ টাকা পাঠান। এভাবে বহুকাল ধরে বাংলা থেকে ব্যাপক হারে অর্থ সম্পদ বাইরে চলে যায়।
দীর্ঘকাল ধরে পুঁজি পাচারের ফলে বাংলার দারিদ্র্য ও গ্রাম সমাজের স্থবিরতা এতই প্রকট ও গভীর ছিল যে, বাণিজ্য বিস্তারের ফলে সৃষ্ট নতুন সুযোগ কাজে লাগানোর মতো উদ্দীপনা তাদের ছিল না। তারা শাসকদের প্রতি এতটাই উদাসীন ছিল যে, ইংরেজরা খুব সহজেই বাংলায় ঔপনিবেশিক শাসন প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছিল।
প্রশ্ন -৮ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ছক-১ ছক-২
প্রতিষ্ঠাকাল – প্রতিষ্ঠান সাল Ñ ঘটনা
১৭৮১ Ñ কলকাতা মাদরাসা ১৮৫৭ Ñ সিপাহি বিদ্রোহ
১৭৯১ Ñ সংস্কৃত কলেজ ১৯০৫ বঙ্গভঙ্গ
১৮৫৭ Ñ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৪৭ Ñ ভারতবর্ষের স্বাধীনতা
ক. পর্তুগিজ নাবিক ভাস্কো-ডা-গামা কোন সালে ভারতের কালিকট বন্দরে পৌঁছে? ১
খ. ইউরোপীয় বণিকদের বাণিজ্যের জন্য ভারতবর্ষ লক্ষ্য ছিল কেন? ২
গ. ছক-১ এ উল্লিখিত বিষয়টি বাংলার ইতিহাসে কোন ঘটনাকে প্রতিফলিত করেছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.“ছক-২ এ উল্লিখিত নিরবচ্ছিন্ন ধারাবাহিক আন্দোলনের ফলেই ঔপনিবেশিক শাসনের অবসান ঘটে।” তুমি কি এর সাথে একমত? যুক্তিসহ বিশ্লেষণ কর।
ল্ফল্প ৮নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. পর্তুগিজ নাবিক ভাস্কো-ডা-গামা ১৪৯৮ সালে ভারতের কালিকট বন্দরে পৌঁছে।
খ. ইউরোপীয় বণিকদের বাণিজ্যের জন্য ভারতবর্ষ লক্ষ্য হওয়ার কারণ ছিল ভারতবর্ষের ধনসম্পদ। ভারতবর্ষ উর্বর দেশ ছিল এবং এখানে ধনসম্পদের প্রাচুর্য ছিল। এছাড়া ভারতবর্ষের অন্তর্ভুক্ত বাংলার সিল্ক ও অন্যান্য মিহি কাপড় এবং মসলা ইউরোপীয়দের প্রধান আকর্ষণ হয়ে ওঠে। এসব কারণে বাণিজ্যের জন্য ইউরোপীয় বণিকদের লক্ষ্য ছিল ভারতবর্ষ।
গ. ছক-১ এ উল্লিখিত বিষয়টি বাংলার ইতিহাসে যে ঘটনাকে প্রতিফলিত করেছে তাহলো বাংলায় নবজাগরণ। ছক-১ এ কলকাতা মাদরাসা, সংস্কৃত কলেজ ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সময়কাল উল্লেখ করা হয়েছে যা বাংলায় নবজাগরণের বিষয়কে নির্দেশ করে।
ইংরেজরা তাদের শাসন পাকাপোক্ত করার লক্ষ্যে দেশীয়দের মধ্য থেকে ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত একটি অনুগত শ্রেণি তৈরিতে মনোযোগ দেয়। এ উদ্দেশ্যে ১৭৮১ সালে ওয়ারেন হেস্টিংস কলকাতা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় হিন্দুদের জন্য ১৭৯১ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় সংস্কৃত কলেজ। তবে ইংরেজদের উদ্দেশ্য সাধনের পাশাপাশি আধুনিক শিক্ষার সংস্পর্শে এসে স্থানীয় মানুষের মধ্যে নতুন চেতনার স্ফুরণ ঘটতে থাকে।
রাজা রামমোহন রায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, ডিরোজিও প্রমুখ অবাধে মুক্তমনে জ্ঞানচর্চার ধারা তৈরি করেন। বাঙালির এই নবজাগরণ কলকাতা মহানগরীতে ঘটলেও এর পরোক্ষ প্রভাব সারা বাংলাতেই পড়ে।
ঘ. “ছক-২ এ উল্লিখিত নিরবচ্ছিন্ন ধারাবাহিক আন্দোলনের ফলেই ঔপনিবেশিক শাসনের অবসান ঘটে।” এ বিষয়টির সাথে আমি একমত পোষণ করি।
ছক-২ এ উল্লিখিত নিরবচ্ছিন্ন ধারাবাহিক ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহ ও ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গ এবং এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষের স্বাধীনতা অর্জন।
১৭৫৭ সালে বাংলা তথা ভারতবর্ষের শাসন ক্ষমতা ইংরেজদের হাতে চলে যায়। এ সময় ইংরেজ কোম্পানির শাসনে বৃহত্তর বাঙালি সমাজ প্রকৃতপক্ষে শোষিত হয়েছে। তাদের এই শোষনের বিরুদ্ধে ১৮৫৭ সালে ইংরেজ অধ্যুষিত ভারতের বিভিন্ন ব্যারাকে সিপাহীদের মধ্যে বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়ে। সিপাহিদের এই বিদ্রোহে ভারতবর্ষের অন্যান্য অঞ্চলের স্বাধীনচেতা শাসকরাও যোগ দেন। কিন্তু উন্নত অস্ত্র ও দক্ষ সেনাবাহিনীর সাথে চাতুর্য ও নিষ্ঠুরতার যোগ ঘটিয়ে ইংরেজরা এ বিদ্রোহ দমন করে। ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ কার্যকর করা হয়।
বঙ্গভঙ্গকে কেন্দ্র করে ভারতবর্ষের হিন্দু-মুসলিম দুই স¤প্রদায়ের মধ্যে যে দ্ব›দ্ব তৈরি হয় বঙ্গভঙ্গ কার্যকর হওয়ার পর থেকে তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। বঙ্গভঙ্গকে কেন্দ্র করে বাঙালি হিন্দু নেতারা ভারতবর্ষে বিভিন্ন আন্দোলন শুরু করে। অবশেষে ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ ইংজেদের নিকট থেকে স্বাধীনতা অর্জন করে।
প্রশ্ন -৯ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
জনাব ‘ক’ একটি ভিনদেশী বাণিজ্যিক কোম্পানির কর্মকর্তা ছিলেন। তারই ধূর্ততায় ১৭৬৫ সালে প্রতিষ্ঠানটি এক বিশেষ ক্ষমতা লাভ করে। এই ক্ষমতার কারণে স্থানীয় শাসকরা হয়ে পড়েন ক্ষমতাহীন। পক্ষান্তরে প্রতিষ্ঠানটির ক্ষমতা এতই বৃদ্ধি পায় যে তারা এক সময় সমগ্র দেশটাই দখল করে নেয়।
ক. পাল বংশের পর কোন রাজবংশ বাংলা শাসন করে? ১
খ. ছিয়াত্তরের মন্বন্তর কী? ২
গ. উদ্দীপকের ঘটনাটির সঙ্গে কোন ঐতিহাসিক ঘটনার সাদৃশ্য রয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.উক্ত প্রতিষ্ঠানটির শাসনামলে দেশটির সামাজিক অবস্থার উন্নতি ঘটেছিল Ñ পাঠ্যপুস্তকের আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪
ল্ফল্প ৯নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. পাল বংশের পর সেন রাজবংশ বাংলা শাসন করে।
খ. ১৭৬৫ সালে দেওয়ানি লাভের পর ইংরেজরা প্রজাদের ওপর অতিরিক্ত কর আদায়ে প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করে। এছাড়া ইংরেজি ১৭৬৮ সাল থেকে টানা তিন বছর অনাবৃষ্টি দেখা দেয়। মূলত এ দুটি কারণেই বাংলা ১১৭৬ সনে দেশে যে মারাত্মক দুর্ভিক্ষ দেখা দেয় সেটাই ইতিহাসে ছিয়াত্তরের মন্বন্তর নামে পরিচিত।
গ. উদ্দীপকের ঘটনাটির সাথে ইংরেজদের ‘দি ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া’ কোম্পানির বাংলার শাসন ক্ষমতা দখল করার ঘটনার সাদৃশ্য রয়েছে।
ধূর্ত রবার্ট ক্লাইভ ১৭৬৫ সালে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানি লাভের পর বাংলার রাজস্ব আদায়ের ক্ষমতা ইংরেজদের হাতে চলে যায়। প্রশাসনেও তাদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়। ক্লাইভ বাংলায় কিছুকাল দ্বৈতশাসন চালিয়ে যান। দ্বৈতশাসন ব্যবস্থায় রাজস্ব আদায়, সামরিক ব্যবস্থা এবং প্রশাসন পরিচালনার ক্ষমতা ইংরেজ কোম্পানির হাতে থাকে। এভাবেই নবাব ক্ষমতাহীন হয়ে পড়েন। অন্যদিকে কোম্পানির শাসকরা ক্ষমতাবান হন এবং এ সময় সমগ্র ভারতবর্ষ দখল করেন। অনুরূপভাবে উদ্দীপকেও দেখা যায়, জনাব ‘ক’ একটি ভিনদেশি বাণিজ্যিক কোম্পানির কর্মকর্তা ছিলেন। তারই ধূর্ততায় ১৭৬৫ সালে প্রতিষ্ঠানটি এক বিশেষ ক্ষমতা লাভ করে। এই ক্ষমতার কারণে স্থানীয় শাসকরা ক্ষমতাহীন হয়ে পড়েন। পক্ষান্তরে প্রতিষ্ঠানটির ক্ষমতা এতই বৃদ্ধি পায় যে তারা এক সময় সমগ্র দেশটাই দখল করে নেয়।
ঘ. উক্ত প্রতিষ্ঠানটির অর্থাৎ ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনামলে দেশটির সামাজিক অবস্থার উন্নতি ঘটেছিল।
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসকগণ তাদের শাসনকে স্থায়ীরূপ দেওয়ার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। এসকল কাজের উদ্দেশ্য নেতিবাচক হলেও তা দ্বারা বাংলার সামাজিক অবস্থার উন্নতি ঘটেছিল। শাসনক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করার জন্য তারা দেশীয়দের মধ্য থেকে ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত একটি অনুগত শ্রেণি তৈরির প্রতি মনোযোগ দেয়। এ প্রেক্ষিতে ওয়ারেন হেস্টিংস ১৭৮১ সালে কলকাতা মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৭৯১ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় সংস্কৃত কলেজ। অবশেষে ১৮৫৭ সালে উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণার প্রতিষ্ঠান হিসেবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আধুনিক শিক্ষার সংস্পর্শে এসে স্থানীয় মানুষের মধ্যে নতুন চেতনার স্ফুরণ ঘটতে থাকে। হিন্দু সমাজ থেকে সতীদাহের মতো প্রথার বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়, বিধবা বিবাহের পক্ষে মত তৈরি হয়। সর্বোপরি ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনামলে বাংলার সামাজিক অবস্থার বেশ উন্নতি ঘটেছিল।

প্রশ্ন -১০ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
‘অ’ নামধারী একটি বিদেশি শক্তি ‘ই’ নামকধারী দেশটি দখল করে ধৈত শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করে। ‘অ’ দেশে স্থায়ীভাবে থাকা তাদের কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। এজন্য তারা পুঁজি পাচারের দিকে মনোযোগী হয়। অবশ্য ‘ই’ দেশে এর অনেক আগে থেকেই বিদেশি শাসকরা এসেছিল যারা শাসন করার পাশাপাশি স্থায়ীভাবে বসবাস করেছিল।
ক. বার্নিয়ের কে ছিলেন? ১
খ. ঔপনিবেশিক শাসন বলতে কী বোঝ? ২
গ. দৃশ্যকল্পের শেষাংশে বর্ণিত শাসকদের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ বাংলার শাসকদের তালিকা তৈরি কর। ৩
ঘ.দৃশ্যকল্পের শেষাংশে উল্লিখিত শাসকবৃন্দ নয় ‘অ’ শক্তিই ‘ই’ দেশে উপনিবেশ প্রতিষ্ঠা করেছিল পাঠ্যবইয়ের আলোকে মতামত দাও। ৪
ল্ফল্প ১০নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. বার্নিয়ের ছিলেন একজন পর্যটক।
খ. কোনো দেশের উপর অন্য কোনো দেশের জুড়ে বসাকে দখলদারদের উপনিবেশ স্থাপন বলে। আর এই উপনিবেশে প্রতিষ্ঠা করা শাসনকে ঔপনিবেশিক শাসন বলা হয়।
গ. দৃশ্যকল্পের ‘ই’ দেশের সাথে বাংলার শাসনব্যবস্থার সাদৃশ্য পাওয়া যায়। বাংলার ধনসম্পদের আকর্ষণে খ্রিষ্টপূর্ব যুগে বহিরাগত শাসকদের আগমন ঘটেছিল। যারা স্থায়ীভাবে এ দেশ শাসন করতে এসেছিল। বাংলায় আগত বিদেশি শাসকরা হলো মৌর্য সম্রাট মহামতি অশোক, গুপ্ত সাম্রাজ্য, সেন সাম্রাজ্য, তুর্কি সেনাপতি ইখতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ বিন বখতিয়ার খলজি, মোগল সাম্রাজ্য, ফখরউদ্দিন মুবারক শাহ, শের খান সুর, সম্রাট আকবর, সম্রাট জাহাঙ্গীর।
ঘ. দৃশ্যকল্পের শেষাংশে বাংলায় আগত যে সকল বিদেশি শাসকদের কথা বলা হয়েছে তারা এদেশে স্থায়ীভাবে শাসনের উদ্দেশ্যে এসেছিল। কিন্তু দৃশ্যকল্পের ‘অ’ নামক দেশটি অর্থাৎ ইংরেজরা বাংলা শাসনের উদ্দেশ্যে নয়, এসেছিল বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে।
কোনো দেশ দখল করে শাসন প্রতিষ্ঠা করলেই তাকে ঔপনিবেশিক শাসন বলা যায় না। কারণ দখলদার শক্তি স্থায়ীভাবে শাসন প্রতিষ্ঠা করতে আসে না। তারা জানে একদিন এই শাসনের পাঠ উঠিয়ে ফিরে যেতে হবে নিজ দেশে। তবে যতদিন শাসক হিসেবে থাকবে ততদিন সেই দেশের ধন-সম্পদ নিজ দেশে পাচার করবে। তারপর যখন তাদের শাসনের বিরুদ্ধে স্থানীয় মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠবে তখন তারা নিজ দেশে ফিরে যাবে। এভাবে অন্য কোনো দেশের ওপর জুড়ে বসাকে বলে দখলদার উপনিবেশ স্থাপন। যেমনটি আমরা দেখতে পাই প্রথমাংশে, দৃশ্যকল্পের ‘অ’ নামক বিদেশি শক্তি ‘ই’ নামক দেশ দখল করে শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করে। কিন্তু শাসনের চেয়ে তাদের উদ্দেশ্য ছিল পুঁজি পাচারের দিকে। সুতরাং বলা যায় ‘অ’ শক্তিই ‘ই’ দেশে উপনিবেশ প্রতিষ্ঠা করেছিল।
প্রশ্ন -১১ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
আরাফাত একটি ঐতিহাসিক নাটক দেখছে। নাটকের কাহিনীতে দেখা যায়, একজন সম্রাটের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র চলে। সম্রাটের কিছু আত্মীয়, তার পরিষদের কিছু সদস্য ও একটি বিদেশি কোম্পানি চক্রান্ত করে সম্রাটকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য। অবশেষে কোম্পানির সৈন্যদের সাথে যুদ্ধে সম্রাটের সেনাপতির বিশ্বাসঘাতকতায় সম্রাটের পরাজয় ঘটে।
ক. ছিয়াত্তরের মন্বন্তরে মৃতের সংখ্যা কত ছিল? ১
খ. স্বদেশি আন্দোলনের কারণ কী? ২
গ. আরাফাতের দেখা নাটকটিতে বাংলার কোন সময়ের ইতিহাস প্রতিফলিত হয়েছে দেখাও। ৩
ঘ.উক্ত সময়ে কীভাবে বাংলায় ঔপনিবেশিক শাসনের সূত্রপাত হয় বিশ্লেষণ কর। ৪
ল্ফল্প ১১নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. ছিয়াত্তরের মন্বন্তরে মৃতের সংখ্যা ছিল প্রায় এক কোটি।
খ. ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গই স্বদেশি আন্দোলনের কারণ।
১৯০৫ সালে ইংরেজরা বাংলাকে বিভক্ত করে দেয়। বাংলার এই বিভক্তিকে বাংলার মানুষ বিশেষ করে হিন্দু সমাজ অপছন্দ করে। বঙ্গভঙ্গ কার্যকর করা থেকে শাসকদের বিরত করার জন্যই তারা স্বদেশি আন্দোলন গড়ে তোলে।
গ. আরাফাতের দেখা ঐতিহাসিক নাটকটিতে বাংলার শেষ নবাব সিরাজউদ্দৌলার শাসনামলের সময়ের চিত্র প্রতিফলিত হয়েছে।
সিরাজউদ্দৌলা ছিলেন বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব। তিনি ছিলেন নবাব আলিবর্দী খানের দৌহিত্র। আলিবর্দী খান মৃত্যুর পূর্বে সিরাজকে উত্তরাধিকারী মনোনীত করে যান।
তিনি মাত্র ২২ বছর বয়সে মুর্শিদাবাদের সিংহাসনে আরোহণ তিনি মাত্র ২২ বছর বয়সে মুর্শিদাবাদের সিংহাসনে আরোহণ করেন। এ কারণে তার আত্মীয়স্বজনেরা অনেকেই ঈর্ষান্বিত হন। এ সূত্র ধরে অভিজাতদের একটি অংশ, নবাব দরবারের একটি অংশ এবং ইংরেজ বণিক গোষ্ঠী এ ষড়যন্ত্রে অংশ নেয়। নবাব ইংরেজদের দমন করার চিন্তা নিয়ে অগ্রসর হলেই যুদ্ধ শুরু হয়। যুদ্ধে নবাবের পক্ষে কেউ অগ্রসর হয়নি। নবাবের প্রধান সেনাপতি মীর জাফর আলী খানের বিশ্বাসঘাতকতায় নবাবের পরাজয় ঘটে।
উদ্দীপকের আরাফাত নাটকটিতে এ বিষয়টিই দেখেছে যে, সম্রাটের দরবারের কিছু লোক ও নিকটাত্মীয়রা ইংরেজদের যোগসাজশে বিরোধিতার ফলে সম্রাটের পরাজয় ঘটে।
ঘ. নবাব সিরাজউদ্দৌলার ক্ষমতাচ্যুতির মাধ্যমে ইংরেজরা ঔপনিবেশিক শাসনের সূত্রপাত করে।
সিরাজউদ্দৌলার সিংহাসন আরোহণ তার অন্য আত্মীয়স্বজনরা ভালোভাবে গ্রহণ করতে পারেনি। ফলে ইংরেজদের সাথে যুদ্ধে নবাব একাকী হয়ে পড়েন। তার বিরুদ্ধে তিন অপশক্তি ঐক্যবদ্ধ হয়। নবাবের রাজধানী হস্তগত করার জন্য ইংরেজ শাসকরা পলাশীর আম্রকাননে নবাবকে পরাজিত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করে।
ইংরেজদের হাতকে শক্ত করে সিরাজউদ্দৌলার প্রধান সেনাপতি মীর জাফর। ফলে পলাশীর যুদ্ধে বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয় ঘটে। নবাবের পরাজয়ের সঙ্গে সঙ্গে বাংলার স্বাধীনতার অবসান ঘটে। শুরু হয় ঔপনিবেশিক শাসনের যুগ।
উদ্দীপকের ঘটনার আলোকে বলা যায়, প্রাচীন বাংলার নবাব ও শাসকদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণেই ইংরেজরা বাংলায় নিজেদের ভিত ধীরে ধীরে মজবুত করে। যার ফলে বাংলায় শুরু হয় পরাধীনতার যুগ তথা ঔপনিবেশিক যুগ। এভাবে ইংরেজগণ নিজেদের একচেটিয়া বাণিজ্যিক সুবিধার পাশাপাশি রাজনৈতিক ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে থাকে।
প্রশ্ন -১২  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
‘ক’ দেশে ১৭৫৭ সাল থেকে একটি বহিরাগত শক্তির শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। উক্ত বহিরাগত শক্তি ‘ক’ দেশ থেকে প্রচুর ধন-সম্পদ নিজ দেশে নিয়ে যায়। এক সময় উক্ত দেশের স্থানীয় জনগণ তাদের শাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে তারা নিজ দেশে ফিরে যায়।
ক. বাংলায় স্বাধীন সুলতানি যুগ পর্ব কত বছর স্থায়ী হয়েছিল? ১
খ. বাংলায় ঔপনিবেশিক শাসনের একটি কারণ উল্লেখ কর। ২
গ. ‘ক’ দেশে কিরূপ শাসনের বৈশিষ্ট্যের প্রতিফলন ঘটেছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.‘ক’ দেশে উক্ত বহিরাগত শক্তির আগমনের পূর্বে অন্য কোনো বহিরাগত শক্তির প্রবেশ ঘটেনি Ñ তুমি কি বক্তব্যটি সমর্থন কর? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও। ৪
 ১২নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. বাংলায় স্বাধীন সুলতানি যুগ পর্ব দু’শ বছর স্থায়ী হয়েছিল।
খ. বিভিন্ন কারণে বাংলায় ঔপনিবেশিক শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। এগুলোর মধ্যে একটি কারণ নিচে উল্লেখ করা হলোÑ
বাংলার শাসকদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও চক্রান্ত অনেক গভীর ছিল। তরুণ অনভিজ্ঞ সিরাজের পক্ষে তা মোকাবিলা করা সম্ভব হয় নি। ফলে বাংলায় ঔপনিবেশিক শাসন প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হয়।
গ. ‘ক’ দেশ তথা ভারতীয় উপমহাদেশে ঔপনিবেশিক শাসনের বৈশিষ্ট্যের প্রতিফলন ঘটেছে। ১৭৫৭ সাল থেকে বাংলায় ইংরেজদের যে শাসন প্রতিষ্ঠিত হয় সাধারণত আমরা তাকে ঔপনিবেশিক শাসন বলি। সাধারণত কোন বিদেশি শক্তি কোনো দেশ দখল করে শাসন প্রতিষ্ঠা করলেই তাকে ঔপনিবেশিক শাসন বলা হয় না। ঔপনিবেশিক শাসনের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে দখলদার শক্তি চিরস্থায়ীভাবে শাসন প্রতিষ্ঠা করতে আসেনা। তারা জানে একদিন এই শাসনের পাট উঠিয়ে তাদের ফিরে যেতে হবে নিজ দেশে। তবে যতদিন শাসক হিসেবে থাকবে ততদিন সেই দেশের ধন-সম্পদ নিজদেশে পাচার করবে। তারপর যখন তাদের শাসনের বিরুদ্ধে স্থানীয় মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠবে বা অন্য কোনো কারণে অন্যের দেশ শাসন করা আর সুবিধাজনক মনে হবে না তখন নিজ দেশে ফিরে যাবে।
অনুরূপভাবে উদ্দীপকেও দেখা যায়, ‘ক’ দেশে তথা ভারতীয় উপমহাদেশে ১৭৫৭ সাল থেকে একটি বহিরাগত শক্তির শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। উক্ত বহিরাগত শক্তি ‘ক’ দেশ থেকে প্রচুর ধন-সম্পদ নিজ দেশে নিয়ে যায়। এক সময় উক্ত দেশের স্থানীয় জনগণ তাদের শাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে তারা নিজ দেশে ফিরে যায়। কাজেই বলা যায়, ‘ক’ দেশে ঔপনিবেশিক শাসনের বৈশিষ্ট্যের প্রতিফলন ঘটেছে।
ঘ. ‘ক’ দেশে উক্ত বহিরাগত শক্তির আগমনের পূর্বে অন্য কোনো বহিরাগত শক্তির প্রবেশ ঘটেনিÑ বক্তব্যটি আমি সমর্থন করি না।
‘ক’ দেশটি হচ্ছে বাংলা এবং উক্ত বহিরাগত শক্তি হচ্ছে ইংরেজ। কেননা উদ্দীপকে দেখা যায়, ১৭৫৭ সাল থেকে ‘ক’ দেশে একটি বহিরাগত শক্তির শাসন প্রতিষ্ঠিত হয় যা বাংলায় ইংরেজদের শাসনকে নির্দেশ করে। তবে ইংরেজদের আগমনের অনেক আগে থেকেই বাংলায় বহিরাগত শক্তি প্রবেশ করেছিল। যেমন- খ্রিষ্টপূর্ব যুগেই বহিরাগত আর্যরা বাংলায় প্রবেশ করেছিল। এরপর খ্রিষ্টপূর্ব ৩ শতকে ভারতের মৌর্য সম্রাট মহামতি অশোক বাংলার উত্তরাংশ দখল করেন। মৌর্যদের পর ভারতে গুপ্ত সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর এগার শতকের শেষ দিকে বাংলা পুনরায় বহিরাগত শক্তি সেনাদের হাতে চলে যায়। তুর্কি সেনাপতি ইখতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ বিন বখতিয়ার খলজি সেন রাজা লক্ষণসেনকে পরাজিত করে বাংলার এক ছোট্ট অংশ দখল করেন। ১২০৬ সালে বখতিয়ার খলজির মৃত্যুর পর থেকে ১৩৩৮ সাল পর্যন্ত বাংলা জুড়ে মুসলিম শাসনের বিস্তার ঘটতে থাকে। ১৩৩৮ সালে সোনারগাঁওয়ের শাসনকর্তা ফখরউদ্দিন মুবারক শাহ দিল্লির মুসলমান সুলতানদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এভাবে বাংলায় দু’শ বছরের স্বাধীন সুলতানি যুগ প্রতিষ্ঠিত হয়।
কাজেই আলোচনার শেষে বলা যায়, বাংলায় ইংরেজ শক্তির আগমনের পূর্বে বিভিন্ন বহিরাগত শক্তির প্রবেশ ঘটেছিল।
প্রশ্ন -১৩ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
নাঈম একজন গার্মেন্টস শ্রমিক। অনেক পরিশ্রমের পর সে যে বেতন পায় তা দিয়ে তার সংসার চালাতে হিমসিম খেতে হয়। অথচ তারই কারখানার মালিক মমিনুল ইসলাম নিজের নার্সারিতে পড়–য়া মেয়েকে স্কুলে নেবার জন্য আলাদা একটি দামি গাড়ি কিনেছেন এবং মেয়ের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে আরও কয়েকটি শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছেন। এভাবে সম্পদ গড়তে শ্রমিকদের শোষণ করতেও তিনি কিঞ্চিত দ্বিধাবোধ করেন না।
ক. ওয়েস্টফালিয়ার চুক্তি কী? ১
খ. ভাস্কো-ডা-গামা ইতিহাসে বিখ্যাত কেন? ২
গ. উদ্দীপকের শোষিত নাঈমের সাথে বাংলায় আগত যে বহিরাগত বণিকদের শোষণনীতির সাদৃশ্য রয়েছে তার ব্যাখ্যা দাও। ৩
ঘ.মমিনুল ইসলামের শোষণনীতি ও উক্ত বহিরাগত বণিকদের শোষণনীতির তুলনামূলক আলোচনা কর। ৪
 ১৩ প্রশ্নের উত্তর 
ক. ১৬৪৮ সালে ইউরোপের যুদ্ধরত বিভিন্ন দেশের মধ্যে যে শান্তিচুক্তি হয়। তাকে ওয়েস্টফালিয়ার চুক্তি বলে।
খ. ভাস্কো-ডা-গামা একজন পর্তুগিজ নাবিক ছিলেন। তিনি ১৪৯৮ সালে ইউরোপ থেকে ভারতে আসার নতুন জলপথ আবিষ্কার করেন। এ জলপথ আবিষ্কারের ফলে ভারতের সাথে ইউরোপের সহজ যোগাযোগ স্থাপিত হয়। তাই ভাস্কো-ডা-গামা ইতিহাস বিখ্যাত হয়ে আছেন।
গ. উদ্দীপকের শোষিত নাঈমের সাথে বাংলায় আগত বহিরাগত ইউরোপীয় বণিকদের শোষণনীতির সাদৃশ্য রয়েছে।
উদ্দীপকের নাঈম গার্মেন্টসে চাকরি করে। তার মতো অনেক নারী-পুরুষ এদেশের শিল্পকারখানায় চাকরি করে। মালিকরা তাদের অনেক পরিশ্রম করায়। কিন্তু সেই তুলনায় তাদের পারিশ্রমিক দেয় না। এত পরিশ্রম করেও তারা মানবেতর জীবনযাপন করে। অনুরূপভাবে ইউরোপীয় বণিকরা বাংলায় ব্যবসা বাণিজ্য করতে এসে স্থানীয় শ্রমিকদের প্রচুর খাটাতো এবং প্রচুর মুনাফা অর্জন করত। কিন্তু শ্রমিকদের সেই তুলনায় পারিশ্রমিক দিত না। পুঁজির জোর আর উন্নত কারিগরি জ্ঞানের সমন্বয় করে ক্রমে বিদেশি বণিকরা এদেশে স্থানীয় শ্রমিকদের খাটিয়ে বড় বড় শিল্পকারখানা স্থাপন করে প্রচুর মুনাফা অর্জন করতে থাকে। এক পর্যায়ে ইউরোপীয় বণিকরা বিভিন্ন স্থানে বাণিজ্যকেন্দ্র স্থাপন করে। এসব বাণিজ্যকেন্দ্রগুলো ব্যবসায়িকভাবে সাফল্য লাভ করে এবং তারা নিজেদের দেশে প্রচুর সম্পদ পাচার করে।
ঘ. উক্ত বহিরাগত বণিক হলো ইউরোপীয় বণিক। ইউরোপীয় বণিকদের শোষণনীতি বাংলার বণিকদের মধ্যে যথেষ্ট প্রভাব ফেলে ছিল। পুঁজির জোর আর উন্নত কারিগরি জ্ঞানের সমন্বয় করে ক্রমে বিদেশি বণিকরা এদেশে স্থানীয় শ্রমিকদের খাটিয়ে বড় বড় শিল্পকারখানা স্থাপন করে প্রচুর মুনাফা অর্জন করত। কিন্তু শ্রমিকদের ন্যায্যমূল্য দিত না। ইউরোপীয় বণিকদের বিভিন্ন শিল্প ফ্যাক্টরিতে ৭ থেকে ৮ শত লোক কাজ করত। অনুরূপভাবে বাংলার বণিকরাও শ্রমিকদের প্রচুর পরিমাণে খাটিয়ে অনেক মুনাফা অর্জন করত। কিন্তু শ্রমিকদের নামেমাত্র টাকা দিত। যা ছিল ইংরেজদের শেখানো নীতি। বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন শিল্পকারখানাগুলোতেও এরুপ নীতি অবলম্বনের অভিযোগ শোনা যায়। যেটি আমরা উদ্দীপকে বর্ণিত মমিনুল ইসলামের কারখানার ক্ষেত্রেও দেখতে পাই। তদুপরি বর্তমানে শিল্পকারখানাগুলোর অবস্থার অনেক পরিবর্তন ঘটেছে। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা শ্রমিকদের স্বার্থ বিপন্ন করলেও সামগ্রিক পরিস্থিতি ভালোর দিকেই ইঙ্গিত করে।
প্রশ্ন -১৪ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
নিলয় ইতিহাস বই পড়ে জানতে পারে একটি বিদেশি শক্তি বাংলাকে প্রায় ২০০ বছর শাসন করেছে। উক্ত বিদেশি শক্তি ১৭৫৭ সালে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে পরাজিত ও হত্যা করে বাংলার শাসন ক্ষমতা দখল করে।
ক. কত সালে মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়? ১
খ. মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার কারণ ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকে যে শাসনের কথা বিবৃত হয়েছে তার ব্যাখ্যা দাও। ৩
ঘ.বাংলায় উক্ত শাসনব্যবস্থার পরিণতি বিশ্লেষণ কর। ৪
 ১৪নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. ১৯০৬ সালে মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়।
খ. মুসলমানরা তাদের দাবি-দাওয়া আদায়ের ক্ষেত্রে পিছিয়ে ছিল। যার ফলে তারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বঞ্চিত হয়। মুসলমানদের রাজনৈতিক দাবি-দাওয়া ইংরেজ শাসকদের কাছে তুলে ধরা এবং অধিকার আদায়ের জন্য মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়।
গ. উদ্দীপকে ব্রিটিশ শাসনের কথা বিবৃত হয়েছে।
উদ্দীপকে বর্ণিত নিলয় ইতিহাস বই পড়ে জানতে পারে একটি বিদেশি শক্তি বাংলাকে প্রায় দু’শো বছর শাসন করেছে। উক্ত বিদেশি শক্তি ১৭৫৭ সালে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে পরাজিত ও হত্যা করে বাংলার শাসন ক্ষমতা দখল করে যা বাংলায় ব্রিটিশ শাসনকে নির্দেশ করে।
১৭৫৭ সালের ২৩শে জুন নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে পরাজিত করে ধূর্ত ইংরেজ সেনাপতি রবার্ট ক্লাইভ মীর জাফরকে নামেমাত্র নবাব বানিয়ে বাংলার মূল ক্ষমতা নিজ হাতে নিয়ে নেন। এরপর ১৮৫৮ সালে ভারত শাসন আইন জারির মাধ্যমে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটে এবং ভারতের রাষ্ট্রক্ষমতা ব্রিটিশ রাজের হাতে ন্যাস্ত হয়।
ঘ. ব্রিটিশ শাসনব্যবস্থার পরিণতি নিচে বিশ্লেষণ করা হলো :
বাংলায় ব্রিটিশদের পরিণতি ভালো হয় নি। এদেশের জনগণের স্বাধীনচেতা মনোভাবের কাছে তারা পরাজিত হয়ে বিতাড়িত হয়েছিল। দু’শ বছরের শাসন-শোষণ আর নির্যাতনের যাঁতাকলে পিষ্ট হতে হতে এদেশের মানুষ সচেতন হয়ে উঠেছিল। হিন্দু-মুসলিম সকল স¤প্রদায়ের লোকেরা বুঝতে শিখেছিল তারা আমাদের শত্রæ। তাদের কাছে আমাদের জীবন নিরাপদ নয়। এজন্য অসংখ্য বিদ্রোহ হয় তাদের বিরুদ্ধে। গড়ে ওঠে সশস্ত্র যুদ্ধবিদ্রোহ, গুপ্তহত্যা ইত্যাদি।
রাজনৈতিকভাবেও এদেশের মানুষ সচেতন হয়ে ওঠে। রাজনৈতিক দল গঠন এবং আন্দোলনের মাধ্যমে এদেশের মানুষ জানিয়ে দেয় যে, তারা স্বাধীনতা চায়। যার ফলে ১৯৪৭ সালে ইংরেজ সরকার এদেশ ছাড়তে বাধ্য হয়। বাংলার মানুষ স্বাধীনতা লাভ করে।
প্রশ্ন -১৫ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
১৮৫৮ সালের ২রা আগস্ট ব্রিটিশ পার্লামেন্টে একটি আইন পাস হয়। উক্ত আইন জারির মাধ্যমে বাংলায় কোম্পানি শাসনের অবসান ঘটে।
ক. দিল্লির কোন বাদশাহ সিপাহি বিদ্রোহকে সমর্থন জানিয়েছিলেন? ১
খ. কোম্পানি শাসনের অবসান ঘটে কীভাবে? ২
গ. উদ্দীপকে প্রতিফলিত আইনের ব্যাখ্যা দাও। ৩
ঘ.উক্ত আইনের অধীনে বাংলার সামাজিক অবস্থার চিত্র তুলে ধর। ৪
 ১৫নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. দিল্লির বাদশাহ বাহাদুর শাহ জাফর সিপাহি বিদ্রোহকে সমর্থন জানিয়েছিলেন।
খ. সিপাহি বিপ্লবের প্রতিক্রিয়ায় ভারতবর্ষে কোম্পানি শাসনের অবসান ঘটে। ১৮৫৭ সালে ভারতীয় সৈনিকদের মাঝে অসন্তুষ্টি ছড়িয়ে পড়ে। এম প্রধান কারণ ছিল বৈষম্য। এতে ১৮৫৭ সালে সিপাহি বিদ্রোহ দেখা দেয়। এর প্রতিক্রিয়ায় ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটে।
গ. উদ্দীপকে প্রতিফলিত আইনটি হচ্ছে ভারত শাসন আইন। উদ্দীপকে দেখা যায়, ১৮৫৮ সালের ২রা আগস্ট ব্রিটিশ পার্লামেন্টে একটি আইন পাস হয় এবং উক্ত আইন জারির মাধ্যমে বাংলায় কোম্পানি শাসনের অবসান ঘটে যা ভারত শাসন আইনের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
ভারত শাসন আইন জারির ফলে ভারতের রাষ্ট্র ক্ষমতা ব্রিটিশ রাজের হাতে ন্যস্ত হয়। এর ফলে ব্রিটিশ মন্ত্রীসভা কর্তৃক একজন মন্ত্রীকে ভারত-সচিব পদে মনোনীত করা হয়। যিনি ১৫ সদস্যবিশিষ্ট পরামর্শক সভা বা কাউন্সিলের মাধ্যমে ভারত শাসনের ব্যবস্থা করবেন। এই আইন অনুসারে গভর্নর জেনারেলকে ভাইসরয় বা ব্রিটিশ রাজ প্রতিনিধি নামে অভিহিত করা হয়। লর্ড ক্যানিং প্রথম ভাইসরয় নিযুক্ত হন। এভাবেই ব্রিটিশ সরকার ভারতবর্ষের ওপর তাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে।
ঘ. উক্ত আইন হচ্ছে ভারত শাসন আইন। ভারত শাসন আইনের অধীনে বাংলার সামাজিক অবস্থার চিত্র নিচে তুলে ধরা হলো :
১৮৫৮ সালে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ভারত শাসন আইন পাস হয়। এরপর বাংলার শাসন ক্ষমতা চলে যায় ব্রিটিশ সরকারের হাতে ব্রিটিশ শাসনকালে (১৮৫৮-১৯৪৭) বাংলার সমাজে একদিকে কৃষক, অন্যদিকে মুষ্টিমেয় জমিদার শ্রেণি অবস্থান করছিল। সমাজে কুটির ও ক্ষুদ্র শিল্পের সঙ্গে জড়িত মানুষের সংখ্যা যথেষ্ট ছিল না। বণিকগোষ্ঠী তেমন সংগঠিত ছিল না। শিল্পেও বাংলার অবস্থান উল্লেখ করার মতো ছিল না। নারী সমাজ ব্যাপকভাবে পিছিয়ে ছিল। মধ্যবিত্ত সমাজও ততটা শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারেনি। ব্রিটেন এ সময়ে পৃথিবীর প্রধান ধনী দেশ হলেও উপনিবেশ হিসেবে আমাদের অবস্থান বেশ পিছিয়ে ছিল।
সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক

প্রশ্ন-১৬  বিউটি একটি ঐতিহাসিক নাটক দেখছে। নাটকের কাহিনীতে দেখা যায়, একজন সম্রাটের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র চলে। একটি বিদেশি কোম্পানির সৈন্যদের সাথে যুদ্ধে সম্রাটের সেনাপতির বিশ্বাসঘাতকতায় সম্রাটের পরাজয় ঘটে। [বরিশাল সরকারি বালিকা বিদ্যালয়]
ক. ফরাসিরা কত সালে বাংলায় প্রবেশ করে? ১
খ. ইউরোপীয়দের জন্য বাজার সন্ধান গুরুত্বপূর্ণ হয় কেন? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. বিউটির দেখা নাটকটিতে বাংলার কোন সময়ের ইতিহাস প্রতিফলিত হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উক্ত সময় কীভাবে বাংলায় ঔপনিবেশিক শাসনের সূত্রপাত হয় Ñ বিশ্লেষণ কর। ৪
প্রশ্ন-১৭  ইহিতাস ক্লাসে রায়হান সাহেব বাংলায় বিদেশি শাসনের কথা বলছিলেন। প্রশাসনিক নানা পরিবর্তনের মাধ্যমে তারা শাসক হিসেবে ভারতবর্ষে চেপে বসে থাকে। প্রায় দু’শ বছর শাসন করলেও তাদের উদ্দেশ্য ছিল মুনাফা অর্জন।
ক. কে বাংলায় স্বাধীন সুলতানি শাসন প্রতিষ্ঠা করেন? ১
খ. দ্বৈতশাসন বলতে কী বোঝ? ২
গ. উদ্দীপকে কোন বিদেশি শাসনের কথা বলা হয়েছে তারা কীভাবে শাসন ক্ষমতা গ্রহণ করেছিল তা উলে­খ কর। ৩
ঘ. বাংলার কৃষি ও তাঁত শিল্প ধ্বংসের জন্য উক্ত শাসকরাই দায়ীÑ বক্তব্যটি মূল্যায়ন কর। ৪
প্রশ্ন-১৮  রফিক স্যার ক্লাসে বাংলায় বিদেশি শাসনের বিস্তার নিয়ে আলোচনা করছিলেন। স্যার ছাত্রদের উদ্দেশ্য করে বললেন বাংলায় অনেক বিদেশি শক্তির আগমন ঘটলেও সবাই এখানে টিকে থাকতে পারেনি। তবে একটি কোম্পানি এদেশে ব্যবসা করতে এসে তারা সারা ভারতবর্ষে ছড়িয়ে পড়ে এবং দেশের শাসন ক্ষমতা দখল করে নেয়। নিজেদের স্বার্থে তারা এদেশের মানুষকে শোষণ করে।
ক. ভারত শাসন আইন পাশ হয় কত সালে? ১
খ. সিপাহি বিদ্রোহ কেন ব্যর্থ হয়েছিল? ২
গ. রফিক স্যার উদ্দীপকে যাদের কথা বলেছেন, তাদের শাসন আমলে বেশিরভাগ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও লাভবান হয়েছিল মুষ্টিমেয় জমিদার-পাঠ্যপুস্তকের আলোকে ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ‘শিক্ষা ও আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানে তাদের অবদান রয়েছে’ Ñ উক্তিটি মূল্যায়ন কর। ৪
প্রশ্ন-১৯  চায়ের আড্ডায় রনি ও জনির মধ্যে বিশ্ব অর্থনীতি সম্পর্কে আলোচনা হচ্ছিল। দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হিসেবে চীনের আবির্ভাবে রনি বিস্ময় প্রকাশ করে। জনি বলে, পৃথিবীর স্বনামধন্য শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে উঠেছে চীনে। এটি শুনে রনি বলে আমাদের দেশেও বহির্বিশ্বের অনেকেই শিল্প স্থাপন করেছিল। কিন্তু আমরা তো উন্নত হইনি। জনি বলে, ওরা আমাদের শোষণ করতে শিল্প স্থাপন করেছিল, আমাদের উন্নতির জন্য নয়।
ক. কত খ্রিষ্টাব্দে ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয়? ১
খ. বিদেশি বণিকদের ভারতে আসার কারণ ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের রনি কাদের কথা বলতে চেয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত কারণটিই বাংলাদেশ উন্নত হতে না পারার একমাত্র কারণÑ বিশ্লেষণ কর। ৪
প্রশ্ন-২০  নাইজার বদ্বীপ অঞ্চলে অক্সফার্ম কোম্পানির তেলের প্রধান পাইপ লাইন ধ্বংস করে দিয়েছে বিদ্রোহী গ্রæপ এসএলডি। এক বিবৃতিতে তারা বলেছে বহুজাতিক কোম্পানিগুলো এদেশের পুঁজিপতিদের সহায়তায় তেল সম্পদ লুটে নিচ্ছে। অথচ নাইজেরিয়ানদের খাদ্যের ব্যবস্থাটুকুও করছে না। এ খবরটি পড়ে রাজিয়ার দাদু বলে একটি বিদেশি শক্তিও এদেশের এরকম পরিণতি করেছিল। তবে বাঙালিরা তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল।
ক. কারা কলকাতাকে গুরুত্বপূর্ণ নগরী হিসেবে গড়ে তোলে? ১
খ. ব্রিটিশ শাসনামলে বাংলার নবজাগরণে কোন বিষয়গুলো ভ‚মিকা রেখেছিল? ব্যাখ্যা করো। ২
গ. রাজিয়ার দাদু তার বক্তব্যে কোন বিদেশি শক্তির প্রতি ইঙ্গিত করেছেন? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. বাংলায় উক্ত বিদেশি শক্তির শাসন পদ্ধতি আলোচনা করো। ৪

অনুশীলনের জন্য দক্ষতাস্তরের প্রশ্ন ও উত্তর

 জ্ঞানমূলক প্রশ্ন //
প্রশ্ন \ ১ \ মৌর্যদের পর ভারতে কোন সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তর : মৌর্যদের পর ভারতে গুপ্ত সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়।
প্রশ্ন \ ২ \ কখন উত্তর বাংলায় প্রথম বাঙালি স্বাধীন রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তর : সাত শতকে উত্তর বাংলায় প্রথম বাঙালি স্বাধীন রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়।
প্রশ্ন \ ৩ \ কার মৃত্যুর পর বাংলায় একশ বছর ধরে অরাজকতা চলতে থাকে?
উত্তর : রাজা শশাঙ্কের মৃত্যুর পর বাংলায় একশ বছর ধরে অরাজকতা চলতে থাকে।
প্রশ্ন \ ৪ \ মীর জাফর ও মীর কাশিমের আমলে বাংলার প্রচুর সম্পদ কোন দেশে পাচার হয়ে যায়?
উত্তর : মীর জাফর ও মীর কাশিমের আমলে বাংলার প্রচুর সম্পদ ইংল্যান্ডে পাচার হয়ে যায়।
প্রশ্ন \ ৫ \ সিরাজউদ্দৌলা কত বছর বয়সে সিংহাসনে বসেন?
উত্তর : সিরাজউদ্দৌলা ২২ বছর বয়সে সিংহাসনে বসেন।
প্রশ্ন \ ৬ \ বাংলা কত সালে ছিয়াত্তরের মন্বন্তর হয়?
উত্তর : বাংলা ১১৭৬ সালে ছিয়াত্তরের মন্বন্তর হয়।
প্রশ্ন \ ৭ \ ‘ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি’ কত সালে বাংলায় প্রবেশ করে?
উত্তর : ‘ডাচ ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি’ ১৬৩০ সালে বাংলায় প্রবেশ করে।
প্রশ্ন \ \ কখন বঙ্গভঙ্গ হয়?
উত্তর : ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ হয় ।
প্রশ্ন \ ৮ \ ভারত শাসন আইন অনুযায়ী গভর্নর জেনারেলকে কী নামে অভিহিত করা হয়?
উত্তর : ভারত শাসন আইন অনুযায়ী গভর্নর জেনারেলকে ভাইসরয় বা ব্রিটিশ রাজ প্রতিনিধি নামে অভিহিত করা হয়।
প্রশ্ন \ ৯ \ ব্রিটিশরা কখন বাংলা প্রদেশকে দ্বিখন্ডিত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করে?
উত্তর : ব্রিটিশরা ১৮৫৩ সালে বাংলা প্রদেশকে দ্বিখণ্ডিত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করে।
প্রশ্ন \ ১০ \ ১৭৯১ সালে কাদের জন্যে সংস্কৃত কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়?
উত্তর : ১৭৯১ সালে হিন্দুদের জন্যে সংস্কৃত কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়।
প্রশ্ন \ ১১ \ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তর : কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ১৮৫৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
প্রশ্ন \ ১২ \ কে ১৭৮১ সালে কলকাতা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তর : ওয়ারেন হেস্টিংস ১৭৮১ সালে কলকাতা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন।
প্রশ্ন \ ১৩ \ ১৯০৩ সালে কে বাংলাকে দুই ভাগে ভাগ করার প্রস্তাব দেন?
উত্তর : ১৯০৩ সালে ইংরেজ ভাইসরয় লর্ড কার্জন বাংলাকে দুই ভাগে ভাগ করার প্রস্তাব দেন।
 অনুধাবনমূলক //
প্রশ্ন \ ১ \ ঔপনিবেশিক শাসন বলতে কী বোঝ?
উত্তর : কোনো দেশের উপর অন্য কোনো দেশের জুড়ে বসাকে দখলদারদের উপনিবেশ স্থাপন বলে। আর এই উপনিবেশে প্রতিষ্ঠা করা শাসনকে ঔপনিবেশিক শাসন বলা হয়।
প্রশ্ন \ ২ \ মাৎসন্যায়ের যুগ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : গুপ্তদের পতনের পর সাত শতকে উত্তর বাংলায় প্রথম বাঙালি স্বাধীন রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়। এ স্বাধীন রাজ্যের রাজা ছিলেন শশাঙ্ক। তবে শশাঙ্কের রাজত্ব দীর্ঘস্থায়ী ছিল না। শশাঙ্কের মৃত্যুর পর একশ বছর ধরে বাংলায় অরাজকতা চলতে থাকে। একেই সংস্কৃত ভাষায় মাৎসন্যায়ের যুগ বলা হয়।
প্রশ্ন \ ৩ \ চতুর্দশ শতকে ইউরোপীয়দের নিকট বাজার সন্ধান গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে কেন?
উত্তর : ইউরোপীয়দের শক্তিশালী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ও সংগঠনগুলোর জন্য ইউরোপীয়দের নিকট বাজার সন্ধান গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। মূলত চতুর্দশ শতকে ইউরোপীয়দের অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ও সংগঠনগুলো শক্তিশালী হতে শুরু করলে তাদের কাঁচামালের প্রয়োজন হয়। এছাড়া উৎপাদিত সামগ্রী বিক্রি করারও প্রয়োজন দেখা দেয়। ফলে তাদের জন্য বাজার সন্ধান গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।
প্রশ্ন \ ৪ \ স্বদেশি আন্দোলনের কারণ কী?
উত্তর : ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গই স্বদেশি আন্দোলনের কারণ।
১৯০৫ সালে ইংরেজরা বাংলাকে বিভক্ত করে দেয়। বাংলার এই বিভক্তিকে বাংলার মানুষ বিশেষ করে হিন্দু সমাজ অপছন্দ করে। বঙ্গভঙ্গ কার্যকর করা থেকে শাসকদের বিরত করার জন্যই তারা স্বদেশি আন্দোলন গড়ে তোলে।
প্রশ্ন \ ৫ \ ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির প্রাক্কালে বাংলা ভ‚খণ্ডের ঐক্য প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির প্রাক্কালে বেশ কিছু কারণে বাংলা ভ‚খণ্ডের ঐক্য প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। ভারত বিভক্তির প্রাক্কালে বাংলা ভ‚খণ্ডকে ঐক্যবদ্ধ রাখার চেষ্টা হলেও ১৯৪৬ সালের নির্বাচন এবং কলকাতা ও নোয়াখালীর দাঙ্গা এ প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দেয়।
প্রশ্ন \ ৬ \ বাংলার জনগণ হিন্দু-মুসলমান পরিচয়ে বিভক্ত হয়ে পড়ে কেন?
উত্তর : ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ও মুসলিম লীগের রেষারেষিতে বাংলার জনসাধারণ দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। অসা¤প্রদায়িক রাজনীতির ধারা থেকে কংগ্রেস ও মুসলিম লীগ দূরে সরে যায়। ১৯৪০ সালে মুসলিম লীগ দ্বিজাতিতত্তে¡র ভিত্তিতে ভারত বিভক্তির ফর্মুলা প্রদান করে। ফলে বাংলার জনগণ হিন্দু মুসলমান পরিচয়ে বিভক্ত হয়ে পড়ে।

প্রথম অধ্যায়
ঔপনিবেশিক যুগ ও বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রাম

বিষয়-সংক্ষেপ

ভাস্কো-ডা-গামা, আল বুকার্ক প্রমুখের হাত ধরে বাংলায় পর্তুগিজ ও ইংরেজদের পাশাপাশি ফরাসি, ওলন্দাজ ও দিনেমাররা স্থায়ী কুঠি স্থাপন করে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করতে থাকে। তবে ইউরোপীয় শক্তিগুলোর মধ্যে ইংরেজরা অন্যান্য বহিঃশক্তির ওপর প্রাধান্য লাভ করে। ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি ধীরে ধীরে বাংলায় তাদের প্রভাব প্রতিপত্তি বাড়িয়ে নবাবের দরবারে প্রভাব বিস্তারের মতো ক্ষমতা ভোগ করতে শুরু করে। এ পর্যায়ে তারা বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় এবং ১৭৫৭ সালের ২৩শে জুন তাকে পরাজিত করে বাংলার প্রকৃত শাসন ক্ষমতা নিজেদের হাতে নিয়ে নেয়। তাদের শাসন-শোষণে বাংলার জনগণ অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। তাদের এই শোষণের বিরুদ্ধে ১৮৫৭ সালে ভারতের বিভিন্ন ব্যারাকে বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়ে। বিদ্রোহ দমাতে ১৮৫৮ সালের ২রা আগস্ট ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ভারত-শাসন আইন পাস হয়। ফলে ভারতের রাষ্ট্রক্ষমতা ব্রিটিশ রাজের হাতে চলে যায়। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন সমগ্র ভারতবর্ষে সংঘটিত হলেও সর্বভারতীয় রাজনীতির নেতৃত্ব শেষ পর্যন্ত বাঙালিদের হাতে থাকেনি। ১৯৪০ সালে মুসলিম লীগ কর্তৃক দ্বিজাতিতত্ত¡ প্রচারের পর জনগণ হিন্দু-মুসলমান পরিচয়ে বিভক্ত হয়ে পড়ে। ১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে। তবে পূর্ব বাংলা পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চল হিসেবে ব্রিটিশদের অধীনতা থেকে মুক্তি লাভ করলেও ১৯৪৭ সালের ১৪ই আগস্টের পর থেকে পূর্ব বাংলার জনগণকে নতুন করে আন্দোলন সংগ্রামে নামতে হয়।
পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি

ঔপনিবেশিক শাসন : কোনো দেশ অন্য কোনো দেশের ওপর জুড়ে বসাকে বলে দখলদারদের উপনিবেশ স্থাপন। আর এই উপনিবেশে প্রতিষ্ঠা করা শাসনকে বলা হয় ঔপনিবেশিক শাসন।
বাংলায় স্বাধীন সুলতানি যুগ : ১৩৩৮ সালে সোনারগাঁওয়ের শাসনকর্তা ফখরউদ্দিন মুবারক শাহ দিল্লির মুসলমান সুলতানদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলায় দু’শ বছরের স্বাধীন সুলতানি যুগ।
ওয়েস্টফালিয়ার চুক্তি : ১৬৪৮ সালে ইউরোপের যুদ্ধরত বিভিন্ন দেশের মধ্যে একটি শান্তিচুক্তি হয়। একে বলে ওয়েস্টফালিয়ার চুক্তি।
ভারতবর্ষে ইউরোপীয়দের বাণিজ্য বিস্তার : সতেরো শতকে পুঁজির জোর আর উন্নত কারিগরি জ্ঞানের সমন্বয় করে ইউরোপীয় বণিকরা ভারতবর্ষের স্থানীয় শ্রমিকদের খাটিয়ে বড় বড় শিল্পকারখানা স্থাপন করে প্রচুর মুনাফা করতে থাকে। ক্রমে পর্তুগিজদের চেয়ে ব্যাপক হয়ে দাঁড়ায় ভারতবর্ষে ইংরেজ ব্যবসায়ীদের ভ‚মিকা। এভাবে ভারতবর্ষে ইউরোপীয়দের বাণিজ্য বিস্তার হয়।
বাংলায় কোম্পানি শাসন : ১৭৫৭ সালে পলাশির যুদ্ধে নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয়ের পর বাংলায় রাজস্ব আদায়ের ক্ষমতা ইংরেজদের হাতে চলে যায়। ক্লাইভ বাংলায় কিছুকাল দ্বৈতশাসন চালিয়ে যান, দ্বৈতশাসন ছিল একটি অদ্ভুত ব্যবস্থা। এ ব্যবস্থায় নবাব হলেন ক্ষমতাহীন দ্বায়িত্ব পালনকারী। অন্যদিকে কোম্পানির শাসকরা হলেন দায়িত্বহীন ক্ষমতাবান। এভাবে বাংলায় কোম্পানি শাসন লাভ করে।
বাংলায় ব্রিটিশ শাসন : ভারত শাসন আইন জারির ফলে ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটে। ভারতের রাষ্ট্র ক্ষমতা ব্রিটিশ রাজের হাতে ন্যস্ত হয়। এর ফলে ব্রিটিশ মন্ত্রীসভা কর্তৃক একজন মন্ত্রীকে ভারত-সচিব পদে (ঝবপৎবঃধৎু ড়ভ ঝঃধঃব ভড়ৎ ওহফরধ) মনোনীত করা হয়। যিনি ১৫ সদস্যবিশিষ্ট পরামর্শক সভা বা কাউন্সিলের মাধ্যমে ভারত শাসনের ব্যবস্থা করবেন। এই আইন অনুসারে গভর্নর জেনারেলকে ভাইসরয় বা ব্রিটিশ রাজ প্রতিনিধি নামে অভিহিত করা হয়। লর্ড ক্যানিং প্রথম ভাইসরয় নিযুক্ত হন। এভাবেই বাংলায় ব্রিটিশ শাসন লাভ করে।
স্বদেশি আন্দোলন : ১৯০৫ সালে ইংরেজরা বাংলাকে বিভক্ত করে দেয়। বাংলার এই বিভক্তিকে বাংলার মানুষ বিশেষ করে হিন্দু সমাজ অপছন্দ করে। বঙ্গভঙ্গ করা থেকে শাসকদের বিরত করার জন্যই তারা স্বদেশি আন্দোলন গড়ে তোলে।
বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

১. বাংলায় স্বাধীন সুলতানি শাসন প্রতিষ্ঠা করেন কে?
ক নবাব সিরাজউদ্দৌলা
খ নবাব আলীবর্দী খাঁ
 ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ
ঘ ইখতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ বিন বখতিয়ার খলজি
২. শশাঙ্কের মৃত্যুর পর একশত বছরকে মাৎস্যন্যায়ের যুগ বলা হয়। কারণ তখনÑ
র. দেশে সর্বত্র বিশৃঙ্খলা বিরাজ করত
রর. বড়মাছ ছোট ছোট মাছকে ধরে খেয়ে ফেলত
ররর. শাসকবর্গ সুশাসনে অক্ষম ছিল
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩ ও ৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
আশার দাদু তাকে একটি ঐতিহাসিক ঘটনা প্রসঙ্গে বললেন যে, বাংলার নবাবকে শাসন কাজের জন্য জবাবদিহি করতে হতো। তবে তাকে এ কাজে অর্থের জন্য অন্য একটি কর্তৃপক্ষের মুখাপেক্ষী থাকতে হতো।
৩. আশার দাদুর বর্ণিত ঘটনায় কোন শাসনের চিত্র প্রতিফলিত হয়?
ক নবাবী শাসন  দ্বৈত শাসন গ সুবাদারী শাসন ঘ ইংরেজ শাসন
৪. বর্ণিত ঘটনার ফলেÑ
র. দেশে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ঘটে রর. জনগণ দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়
ররর. জনগণের মধ্যে বিদ্রোহী মনোভাব জেগে ওঠে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ ররর  রর ঘ র, রর ও ররর

৫. কত সালে ওয়েস্টফালিয়ার চুক্তি হয়?
ক ১৬৪৭  ১৬৪৮ গ ১৬৪৯ ঘ ১৬৫০
৬. কিসের মাধ্যমে খুব অল্প সময়ে ও কম খরচে দেশে-বিদেশে চিঠি ও তথ্য আদান-প্রদান করা যায়?
ক ই-কমার্স  ই-মেইল গ ফেসবুক ঘ টুইটার
৭. ইংরেজরা কীভাবে অনুগত শ্রেণি তৈরি করেছিল?
ক দেশ বিভাগের মাধ্যমে খ কুসংস্কার দূরিকরণের মাধ্যমে
গ ভারত শাসন আইন প্রণয়নের মাধ্যমে  চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবর্তন করে
৮. ‘বর্গী’ কাদের বলা হতো?
ক সেনদের খ তুর্কীদের গ আফগানদের  মারাঠাদের
৯. দিল্লির সাথে বাংলার সম্পর্কের বড় ধরনের পরিবর্তনের কারণÑ
ক আকবরের মসনদে বসা খ হুমায়ুনের মসনদে বসা
 জাহাঙ্গীরের মসনদে বসা ঘ বাবরের মসনদে বসা
১০. মৌর্যদের পর ভারতে কোন সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়?
ক মোঘল  গুপ্ত গ পাল ঘ সেন
১১. কোন তারিখে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ভারত শাসন আইন পাস হয়?
 ১৮৫৮ সালের ২ আগস্ট খ ১৮৫৮ সালের ২ সেপ্টেম্বর
গ ১৮৫৮ সালের ২ অক্টোবর ঘ ১৮৫৮ সালের ২ নভেম্বর
১২. ১৮৫৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কেন প্রতিষ্ঠিত হয়?
 গবেষণার জন্য খ মুসলমানদের সন্তুষ্ট করার জন্য
গ হিন্দুদের সন্তুষ্ট করার জন্য ঘ ব্রিটিশদের শাসন পাকাপোক্ত করার জন্য
১৩. বাংলার স্বাধীন সুলতানি শাসনের অবসান ঘটে কত সালে?
ক ১২০৬ খ ১৩৩৮  ১৫৩৮ ঘ ১৫৭৬
১৪. এদেশে ইংরেজদের শিক্ষা বিস্তারের ফলেÑ
 প্রচলিত বিশ্বাস ভঙ্গ হয় খ মানুষের মনে হিংসা দানা বাঁধে
গ ভ্রাতৃত্ব গড়ে উঠে ঘ জনমনে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়
১৫. সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বাংলাকে দুইভাগ করার প্রস্তাব দেন কে?
ক লর্ড বেন্টিক  লর্ড কার্জন গ লর্ড হার্ডিঞ্জ ঘ লর্ড ক্লাইভ
১৬. কোন শক্তির হাতে সেন শাসনের অবসান ঘটে?
ক আর্য খ মৌর্য গ পাল  মুসলিম
১৭. কত সালে ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ বাংলার স্বাধীন সুলতানি প্রতিষ্ঠা করেন?
ক ১২৩৮  ১৩৩৮ গ ১৪৪৮ ঘ ১৫৩৮
১৮. সতীদাহ প্রথা বিল কে পাস করেন?
ক লর্ড ডালহৌসি খ লর্ড হার্ডিং
 লর্ড উইলিয়াম বেন্টিংক ঘ লর্ড ওয়েলেসলি
১৯. কত সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়?
ক ১৬৫৭ খ ১৭৫৭  ১৮৫৭ ঘ ১৯৫৭
২০. ব্রিটিশ ভারতে প্রথম ভাইসরয় কে ছিলেন?
ক লর্ড বেন্টিঙ্ক  লর্ড ক্যানিং গ লর্ড কার্জন ঘ লর্ড হার্ডিঞ্জ
২১. ইংরেজদের এদেশে শিক্ষা বিস্তারের উদ্দেশ্য ছিলোÑ
ক বাণিজ্য বিস্তার করা খ আয় বৃদ্ধি করা
 শাসন স্থায়ী করা ঘ জনকল্যাণ করা
২২. বর্তমানে ঢাকা শহরকে উত্তর ও দক্ষিণ ঢাকা নামে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ইতিহাসের কোন ঘটনাকে ইঙ্গিত করে।
ক দেশ ভাগ  বঙ্গভঙ্গ
গ স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘ ভারত পাকিস্তান সৃষ্টি
২৩. ব্রিটিশ শাসনামলে নারীসমাজ পিছিয়ে ছিল কেন?
 সামাজিক অনুশাসনের জন্য খ ব্রিটিশদের কঠোর নীতির জন্য
গ ধর্মীয় গোঁড়ামির জন্য ঘ শিক্ষা গ্রহণে অনাগ্রহের জন্য
২৪. কারা সর্বপ্রথম বাংলা তথা ভারতবর্ষে আগমন করেন?
ক ইংরেজরা  পর্তুগিজরা গ দিনেমাররা ঘ ওলন্দাজরা
২৫. নিচের ছকে (?) স্থানে কাদের নাম বসবে?
ঘাঁটি স্থাপন ব্যবসায়ী
চন্দননগর, চুঁচুড়া ?
ক পর্তুগিজরা খ ওলন্দাজরা গ ফরাসিরা  ইংরেজরা
২৬. কলকাতা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন কে?
ক লর্ড ডালহৌসি খ লর্ড ওয়েলেসলি
 ওয়ারেন হেস্টিংস ঘ লর্ড কর্নওয়ালিস
২৭. ব্রিটিশরা কেন বাংলা প্রদেশকে দ্বিখন্ডিত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল?
ক হিন্দু মুসলমানদের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন খ অধিক রাজস্ব আদায় করা
 তাদের কর্তৃত্ব স্থায়ীকরণ ঘ নারী সমাজের উন্নয়ন
২৮. বঙ্গভঙ্গের ফলেÑ
র. মুসলিম লীগের জন্ম ত্বরান্বিত হয়
রর. সা¤প্রদায়িক দ্ব›দ্ব স্পষ্ট হয়
ররর. দ্বিজাতিতত্তে¡র উদ্ভব হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর

পাঠ-১ : বহিরাগত শাসকদের অধীনে বাংলাদেশ এবং ঔপনিবেশিক যুগ
 সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২৯. উপনিবেশে প্রতিষ্ঠা করা শাসনকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
˜ ঔপনিবেশিক খ দ্বৈত গ এককেন্দ্রিক ঘ প্রাদেশিক
৩০. বাংলা ও ভারতে প্রতিষ্ঠিত ইংরেজ শাসনযুগকে ঔপনিবেশিক শাসন বলা হয় কেন? (অনুধাবন)
˜ ঔপনিবেশিক শাসনের বৈশিষ্ট্যের সাথে মিল থাকায়
খ কেন্দ্রীয় শাসনের বৈশিষ্ট্যের সাথে মিল থাকায়
গ এককেন্দ্রিক শাসনের বৈশিষ্ট্য অনুসরণ করায়
ঘ দ্বৈত শাসননীতি মেনে চলায়
৩১. কাদের আগমনের অনেক আগে থেকেই বাংলাদেশে বহিরাগত শক্তি প্রবেশ করেছিল? (জ্ঞান)
ক মৌর্ঘ খ গুপ্ত ˜ ইংরেজ ঘ পাল
৩২. বহিরাগত শাসকদের বাংলার দিকে দৃষ্টি ছিল কেন? (অনুধাবন)
 ধনসম্পদের কারণে খ খনিজ সম্পদের কারণে
গ মৎস্য সম্পদের কারণে ঘ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে
৩৩. নিচের কোন বংশ বাংলায় কোনো শাসন প্রতিষ্ঠা করেনি? (জ্ঞান)
ক মৌর্য খ গুপ্ত  আর্য ঘ পাল
৩৪. কে খ্রিষ্টপূর্ব তিন শতকে বাংলার উত্তরাংশ দখল করেন? (জ্ঞান)
 মহামতি অশোক খ রাজা শশাঙ্ক
গ রাজা লক্ষণসেন ঘ সম্রাট হুমায়ুন
৩৫. মৌর্যদের পর ভারতে কোন সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়? (জ্ঞান)
ঘ পাল খ সেন  গুপ্ত ঘ আর্য
৩৬. চার শতকে উত্তর বাংলা ও দক্ষিণ-পূর্ব বাংলার কিছু অংশ ‘ক’ নামক সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়। উক্ত সাম্রাজ্য ভারতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ‘ক’ নামক সাম্রাজ্যের সাথে নিচের কোন সাম্রাজ্যের সাদৃশ্য রয়েছে? (প্রয়োগ)
ক মৌর্য  গুপ্ত গ মোগল ঘ পাল
৩৭. কত শতকে উত্তর বাংলায় প্রথম বাঙালি স্বাধীন রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়? (জ্ঞান)
ক চার খ পাঁচ গ ছয়  সাত
৩৮. কাদের পতনের পর উত্তর বাংলায় প্রথম বাঙালি স্বাধীন রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়? (জ্ঞান)
 গুপ্ত খ সেন গ পাল ঘ আর্য
৩৯. কার মৃত্যুর পর একশ বছর ধরে বাংলায় অরাজকতা চলতে থাকে? (জ্ঞান)
 শশাঙ্ক খ হুমায়ুন গ অশোক ঘ লক্ষণসেন
৪০. পাল রাজারা কত বছর বাংলা শাসন করেন? (জ্ঞান)
ক প্রায় দুইশ খ প্রায় তিনশ ˜ প্রায় চারশ ঘ প্রায় পাঁচশ
৪১. কাদের পতনের পর বাংলা পুনরায় বিদেশি শাসনের অধীনে চলে যায়? (জ্ঞান)
 পাল খ সেন গ গুপ্ত ঘ মৌর্য
৪২. নিচের কোন ব্যক্তি তুর্কি সেনাপতি ছিলেন? (জ্ঞান)
 ইখতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ বিন বখতিয়ার খলজি
খ নবাব সিরাজউদ্দৌলা
গ ফখরউদ্দিন মুবারক শাহ
ঘ নবাব আলীবর্দী খাঁ
৪৩. কার মাধ্যমে বাংলায় তুর্কি সুলতানদের শাসনের পথ প্রশস্ত হয়েছিল? (জ্ঞান)
ক ফখরউদ্দিন মুবরাক শাহ
খ কুতুবউদ্দিন আইবেক
 ইখতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ বিন বখতিয়ার খলজি
ঘ সম্রাট জাহাঙ্গীর
৪৪. বখতিয়ার খলজি কত সালে মৃত্যুবরণ করেন? (জ্ঞান)
 ১২০৬ খ ১২০৮ গ ১২১০ ঘ ১২১২
৪৫. ১২০৬ সাল থেকে কত সাল পর্যন্ত বাংলাজুড়ে মুসলিম শাসনের বিস্তার ঘটতে থাকে? (জ্ঞান)
ক ১২৩৬ খ ১২৩৮ গ ১৩৩৬  ১৩৩৮
৪৬. কত সালে সোনারগাঁওয়ের শাসনকর্তা ফখরউদ্দিন মুবারক শাহ দিল্লির মুসলমান সুলতানদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন? (জ্ঞান)
 ১৩৩৮ খ ১৩৩৯ গ ১৩৪০ ঘ ১৩৪১
৪৭. কখন বাংলার স্বাধীন সুলতানি শাসনের অবসান ঘটে? (জ্ঞান)
 ১৫৩৮ সালে খ ১৫৪০ সালে গ ১৫৪২ সালে ঘ ১৫৪৪ সালে
৪৮. কে ১৫৩৮ সালে ইকলিম লখনৌতি দখল করেন? (জ্ঞান)
ক মহামতি অশোক খ রাজা লক্ষণসেন
গ সম্রাট আকবর  সম্রাট হুমায়ুন
৪৯. বারো ভ‚ঁইয়াদের নেতা কে ছিলেন? (জ্ঞান)
˜ ঈশা খাঁ খ মানসিংহ গ অশোক ঘ লক্ষণ সেন
৫০. কে চ‚ড়ান্তভাবে বারো ভ‚ঁইয়াদের পরাজিত করে ঢাকা অধিকার করেন? (জ্ঞান)
ক সম্রাট হুমায়ুন খ বখতিয়ার খলজি
 ইসলাম খান চিশতি ঘ সম্রাট জাহাঙ্গীর
৫১. কত সালে মোগল শাসনের চ‚ড়ান্ত অবসান ঘটে? (জ্ঞান)
 ১৭৫৭ খ ১৭৫৮ গ ১৭৬১ ঘ ১৭৬৭
৫২. বহিরাগত শাসকদের বাংলাদেশে আগমনের কারণ হিসেবে কোনটি যুক্তিযুক্ত? (উচ্চতর দক্ষতা)
 সম্পদের প্রাচুর্যতা খ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা
গ ধর্ম নিরপেক্ষতা ঘ ভৌগোলিক অবস্থান
৫৩. ‘ক’ দেশটি উর্বর এবং ধনসম্পদে পরিপূর্ণ। তাই একসময় ইংরেজসহ অনেক বহিরাগত শক্তি দেশটিতে প্রবেশ করেছিল। ‘ক’ দেশের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ দেশ কোনটি? (প্রয়োগ)
 যুক্তরাজ্য খ যুক্তরাষ্ট্র গ রাশিয়া ঘ বাংলাদেশ
 বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৫৪. ঔপনিবেশিক শাসনের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে (উচ্চতর দক্ষতা)
র. দখলদার শক্তি চিরস্থায়ীভাবে শাসন প্রতিষ্ঠা করতে আসে না
রর. দখলদার শক্তি চিরস্থায়ীভাবে শাসন প্রতিষ্ঠা করতে আসে
ররর. দখলকৃত দেশের ধন-সম্পদ নিজ দেশে পাচার করে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫৫. ইংরেজরা ঔপনিবেশিক শাসন প্রতিষ্ঠা করে (অনুধাবন)
র. বাংলায় রর. ভারতে ররর. যুক্তরাষ্ট্রে
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫৬. ১২০৪ থেকে ১২০৬ সাল পর্যন্ত বখতিয়ার খলজির দখলে ছিল Ñ (অনুধাবন)
র. নদীয়া রর. পশ্চিমবঙ্গ ররর. উত্তরবাংলার কিছুটা অংশ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫৭. আফগান শাসক শের খান সুর হুমায়ুনকে বিতাড়িত করেন যথাক্রমে Ñ (অনুধাবন)
র. বাংলা থেকে রর. ভারত থেকে ররর. আফগান থেকে
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫৮. ১৫৭৬ সালে মোগলদের অধিকারে আসে Ñ (অনুধাবন)
র. পূর্ব বাংলা রর. পশ্চিম বাংলা ররর. উত্তর বাংলার অনেকটা অংশ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
 অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৫৯ ও ৬০ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
১৯৫৭ সালের একটি যুদ্ধে নবাব সিরাজউদ্দৌলার পতন হয়। তার এ পতনের মধ্যদিয়ে বাংলায় ইউরোপীয় শক্তির শাসন শুরু হয়।
৫৯. অনুচ্ছেদে কোন যুদ্ধের প্রতিফলন ঘটেছে? (প্রয়োগ)
ক উপসাগরীয় খ পানিপথের  পলাশীর ঘ বক্সারের
৬০. উক্ত যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলায় Ñ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. মোগল শাসন চ‚ড়ান্ত রূপ লাভ করে
রর. শাসন ক্ষমতার পরিবর্তন হয়
ররর. নতুন বিদেশি শক্তির আগমন ঘটে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
পাঠ-২ : বাংলায় ইউরোপীয়দের বিস্তার
 সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬১. ১৬৪৮ সালে ইউরোপের যুদ্ধরত বিভিন্ন দেশের মধ্যে সম্পাদিত শক্তির চুক্তির নাম কী ছিল? (জ্ঞান)
ক ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি খ জেনেভা চুক্তি
গ ডেটন চুক্তি ˜ ওয়েস্টফালিয়ার চুক্তি
৬২. ইংরেজ কোম্পানিগুলোর গভর্নর হিসেবে উইলিয়াম হেজেজ হুগলিতে আসেন কত সালে? (জ্ঞান)
ক ১৬৬২ খ ১৬৮৩ ˜ ১৬৮২ ঘ ১৭৬২
৬৩. ১৪৯৮ সালে ভাষ্কো-ডা-গামা দক্ষিণ ভারতের কোন বন্দরে এসে পৌছেন? (জ্ঞান)
ক কোচিন ˜ কালিকট গ বোম্বাই ঘ গোয়া
৬৪. কখন ইউরোপে যুগান্তকারী বাণিজ্য বিপ্লবের সূচনা হয়? (জ্ঞান)
ক ১২শ শতক খ ১৩শ শতক ˜ ১৪শ শতক ঘ ১৫শ শতক
৬৫. ভাস্কো-ডা-গামা কোন দেশের নাবিক ছিলেন? [সেন্ট জোসেফ উচ্চ বিদ্যালয়, খুলনা]
˜ পর্তুগীজ খ ইটালীয় গ ফরাসি ঘ আইরিশ
৬৬. বাংলায় যে সকল ইউরোপীয় ব্যবসায়ী বাণিজ্য করতে এসেছে তাদের মধ্যে অন্যতম হলো [সেন্ট জোসেফ উচ্চ বিদ্যালয়, খুলনা]
র. ওলন্দাজ রর. পর্তুগীজ ররর. ফরাসি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ র ও ররর ˜ র, রর ও ররর
৬৭. ইউরোপের অর্থনীতি তেজি হওয়ার ক্ষেত্রে কোনটি প্রভাব রেখেছিল? (জ্ঞান)
˜ সমুদ্রপথে বাণিজ্যের বিস্তার খ শ্রমিকের সহজলভ্যতা
গ কুটিরশিল্পের বিস্তার ঘ দাস প্রথার বিলোপ
৬৮. ইউরোপে বাণিজ্য বিপ্লবের ফলে কাঁচামাল ও উৎপাদিত সামগ্রীর জন্য কিসের সন্ধান গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে? (জ্ঞান)
˜ বাজারের খ পরিবহণের গ শ্রমের ঘ শ্রমিকের
৬৯. ভারতবর্ষকে বিশ্ব-বাণিজ্য বিস্তারের প্রতিযোগিতার মধ্যে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে কার ভ‚মিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল? (জ্ঞান)
ক বার্নিয়ে খ ইবনে বতুতা
˜ ভাস্কো-ডা-গামা ঘ ইউলিয়াম হেজেজ
৭০. দক্ষ নাবিক আল বুকার্ক কোন মহাসাগরের কর্তৃত্ব অধিকার করেছিলেন? (জ্ঞান)
ক প্রশান্ত খ আটলান্টিক ˜ ভারত ঘ বঙ্গোপসাগর
৭১. কোন নাবিক প্রায় পুরো ভারতের বহির্বাণিজ্য করায়ত্ত করে নেন? (জ্ঞান)
˜ আল বুকার্ক খ কলম্বাস গ ম্যাগালান ঘ ভাস্কো-ডা-গামা
৭২. ১৬৪৮ সালের ওয়েস্ট ফলিয়ার চুক্তিটি মূলত কী ধরনের চুক্তি ছিল? (জ্ঞান)
 শান্তি চুক্তি খ অস্ত্রবিরোধী চুক্তি
গ যুদ্ধবিরতি চুক্তি ঘ বৈদেশিক চুক্তি
৭৩. ইউরোপীয় জাতিসমূহের বহির্বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অধিকাংশের লক্ষ কোন অঞ্চল ছিল? (জ্ঞান)
ক আফ্রিকা খ উত্তর আমেরিকা  ভারতবর্ষ ঘ পূর্ব এশিয়া
৭৪. কোন জাতিটি বাংলায় কারখানা স্থাপন করে ব্যবসা করেছিল? (জ্ঞান)
ক আফ্রিকান খ কিউন গ অসি ˜ দিনেমার
৭৫. ১৬৮০-৮৩ সালের মধ্যে শুধুমাত্র ইংল্যান্ড থেকে বাংলার রপ্তানি আয় কত টাকা ছিল? (জ্ঞান)
ক ১৬ লক্ষ টাকা ˜ ১৮ লক্ষ টাকা গ ২০ লক্ষ টাকা ঘ ২২ লক্ষ টাকা
৭৬. বার্নিয়ের কে ছিলেন? [ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম;
রামদেও বাজলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, জয়পুরহাট; বøু-বার্ড উচ্চ বিদ্যালয়, সিলেট]
ক জার্মান পর্যটক  ফরাসি পর্যটক গ চীনা পর্যটক ঘ ব্রিটিশ পর্যটক
৭৭. বার্ণিয়ের বর্ণনা অনুসারে কাসিমবাজারে কিসের ফ্যাক্টরি ছিল? (জ্ঞান)
 সিল্কের খ পাটের গ তাঁতের ঘ বস্ত্রের
৭৮. বার্ণিয়ের বর্ণনা অনুযায়ী কেবল কাশিমবাজারে বছরে কী পরিমাণ সিল্ক উৎপাদিত হতো? (জ্ঞান)
 ২২ হাজার বেল খ ২৩ হাজার বেল
গ ২৪ হাজার বেল ঘ ২৫ হাজার বেল
৭৯. ফরাসি পর্যটক বার্নিয়ের কত সালে কাশিমবাজারের সিল্ক ফ্যাক্টরির কথা লিখেছেন? (জ্ঞান)
ক ১৫৬৬  ১৬৬৬ গ ১৭৬৬ ঘ ১৮৬৬
৮০. উইলিয়াম হেজেজ কত সালে স্বদেশ থেকে সৈন্য এনে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেন? (জ্ঞান)
ক ১৬৮৫  ১৬৮৬ গ ১৬৮৭ ঘ ১৬৮৮
৮১. কত সাল পর্যন্ত ইংরেজদের সাথে মোগল শক্তির বেশ কয়েকটি খণ্ডযুদ্ধ হয়? (জ্ঞান)
 ১৬৮৭ থেকে ১৬৯০ খ ১৬৯০ থেকে ১৬৯২
গ ১৬৯২ থেকে ১৬৯৪ ঘ ১৬৯৪ থেকে ১৬৯৬
৮২. প্রিয়ন্ত তার শিক্ষকের নিকট থেকে জানতে পারে, ১৪৯৮ সালে একজন পর্তুগিজ নাবিক দক্ষিণ ভারতের কালিকট বন্দরে পৌঁছে ভারতবর্ষকে বিশ্ব-বাণিজ্য বিস্তারের প্রতিযোগিতার মধ্যে নিয়ে আসেন। প্রিয়ন্ত তার শিক্ষকের নিকট থেকে কার কথা জানতে পারে? (প্রয়োগ)
˜ ভাস্কো-ডা-গামা খ আল বুকার্ক
গ উইলিয়াম হেজেজ ঘ রবার্ট ক্লাইভ
 বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৮৩. ইউরোপে বাণিজ্য-বিপ্লবের সূচনার ফলে (অনুধাবন)
র. দস্যুপনা বৃদ্ধি পায় রর. অর্থনৈতিক সংগঠন শক্তিশালী হয়
ররর. কাঁচামালের বাজার সন্ধান শুরু হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর ˜ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮৪. ইউরোপীয় জাতিগুলোর কাছে ভারতবর্ষের যে জিনিসগুলো আকর্ষণীয় হয়ে উঠে সেগুলো হলোÑ [অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, ব্রা‏‏হ্মণবাড়িয়া]
র. বাংলার সিল্ক রর. কয়লা সম্পদ ররর. মসলা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮৫. বিদেশি বণিকরা এদেশে স্থানীয় শ্রমিকদের খাটিয়ে প্রচুর মুনাফা করতে থাকে যার ভিত্তি  (অনুধাবন)
র. পুঁজির জোর রর. মেধার বিকাশ
ররর. উন্নত কারিগরি জ্ঞানের সমন্বয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮৬. ১৬৮৭ থেকে ১৬৯০ সাল পর্যন্ত মুঘল-ইংরেজদের মাঝে কয়েকটি যুদ্ধ হয়। এ যুদ্ধগুলোর পেছনে ইংরেজদের উদ্দেশ্য ছিল (প্রয়োগ)
র. সৈন্য রেখে ব্যবসা করা রর. প্রশাসনিক ব্যবস্থা পরিবর্তন
ররর. কুঠি ও কারখানা তৈরি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮৭. যেসব কারণে ইউরোপের কোনো কোনো দেশের অর্থনীতি তেজি হয়ে উঠেছিল তা হলো (অনুধাবন)
র. কারিগরি ও বাণিজ্যিক বিকাশ রর. খনিজ সম্পদের আবিষ্কার
ররর. সমুদ্রপথে বাণিজ্যের বিস্তার
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৮৮. এদেশে কলকারখানা স্থাপন ইউরোপিয়ানদের যে বৈশিষ্ট্যের পরিচয় বহন করেÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. অধিক মুনাফা লাভ রর. দীর্ঘমেয়াদি ব্যবসা
ররর. ফায়দা উসুল
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
 অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৮৯ ও ৯০ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে বলেন, সতেরো শতকে উপনিবেশবাদী বেশ কিছু দেশের বণিকের বাংলা তথা ভারতবর্ষে আগমন ঘটে। বাণিজ্যের নামে তারা স্থায়ীভাবে বাংলায় অবস্থান করতে শুরু করে।
৮৯. অনুচ্ছেদে কোন উপনিবেশবাদীদের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে? (প্রয়োগ)
˜ ইউরোপীয় খ ভারতীয় গ অস্ট্রেলীয় ঘ নিগ্রোয়েড
৯০. উক্ত উপনিবেশবাদীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য তথ্য (উচ্চতর দক্ষতা)
র. বাংলা থেকে পুঁজি পাচার করে নিয়ে যায়
রর. বাংলার কয়েকটি স্থানে বাণিজ্যকেন্দ্র স্থাপন করে
ররর. চিরস্থায়ীভাবে বাংলা তাদের অধিকারভুক্ত হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
˜ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
পাঠ-৩ : বাংলায় ঔপনিবেশিক শক্তির বিজয়ের কারণ
 সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৯১. কত বছর বয়সে সিরাজউদ্দৌলা সিংহাসনে আরোহণ করেন? (জ্ঞান)
ক ২০ ˜ ২২ গ ২৪ ঘ ২৬
৯২. নবাব সিরাজউদ্দৌলার বড় খালার নাম কী ছিল? (জ্ঞান)
 ঘসেটি বেগম খ জাহানারা বেগম
গ আনোয়ারা বেগম ঘ ঝোঁধা বাঈ
৯৩. সিরাজউদ্দৌলা কাদের হাতে পরাজিত হন? (জ্ঞান)
ক মারাঠা  ইংরেজ গ আফগান ঘ পাকিস্তানি
৯৪. সিরাজউদ্দৌলার পরাজয়ের অন্যতম কারণ কোনটি? (জ্ঞান)
˜ ঘনিষ্ঠজনদের ষড়যন্ত্র খ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি
গ ধর্মীয় গোঁড়ামি ঘ প্রজাদের প্রতি শোষণ
৯৫. ভারতে ক্ষমতালোভী বণিক সমাজের অভ্যুদয় ঘটে কেন? (অনুধাবন)
ক সামাজিক কর্মকাণ্ডের জন্য খ শিক্ষা বিস্তারের জন্য
 অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিস্তারের জন্য ঘ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য
৯৬. রাজু একটি ঐতিহাসিক নাটকে অভিনয় করে। রাজুর চরিত্রটি ছিল বাংলার শেষ স্বাধীন নবাবের। নাটকে রাজুর চরিত্রের সাথে কার সাদৃশ্য রয়েছে? (প্রয়োগ)
ক মীর জাফর আলী খানের  নবাব সিরাজউদ্দৌলার
গ মীর কাশিমের ঘ ল²ণ সেনের
৯৭. পলাশীর যুদ্ধে সিরাজউদ্দৌলার পরাজয়ের অন্যতম কারণ ছিল আত্মীয়দের ষড়যন্ত্র। এজন্য প্রধানত দায়ী ছিলেন কে? (অনুধাবন) [খুলনা জিলা স্কুল]
ক মীর কাশিম খ মীর জাফর গ লর্ড ক্লাইভ  ঘসেটি বেগম
৯৮. নবাব সিরাজউদ্দৌলা ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই কোনটির সম্মুখীন হয়েছিলেন? (জ্ঞান)
ক অর্থনৈতিক সংকট  ইংরেজ শক্তি সামলানো
গ দুর্যোগ মোকাবিলা ঘ বয়স নিয়ে সমালোচনা
৯৯. আলীবর্দী খাঁর মৃত্যুর পর সিরাজউদ্দৌলা ক্ষমতায় বসে কোন সমস্যায় পতিত হয়েছিলেন? (জ্ঞান)
 ষড়যন্ত্র খ দুর্ভিক্ষ গ জলদস্যু ঘ মহামারি
১০০. মারওয়াড়িরা কোথা থেকে বাংলায় এসেছিলেন? (জ্ঞান)
ক আফগান খ পাঞ্জাব গ সিন্ধু  রাজপুতনা
১০১. বাংলায় রাজপুতনা থেকে কারা এসেছিলেন? (জ্ঞান)
ক বর্গীরা খ কাবুলিওয়ালারা
 মারওয়াড়িরা ঘ পাঠানরা
১০২. স্বাধীন সুলতানি আমল কত বছর দীর্ঘস্থায়ী হয়েছিল? (জ্ঞান)
ক একশ বছর  দুশ বছর গ তিনশ বছর ঘ চারশ বছর
১০৩. বাণিজ্য বিস্তারের ফলে সৃষ্ট নতুন সুযোগ কাজে লাগানোর মতো উদ্দীপনা বাংলার মানুষের মধ্যে ছিল না কেন? (জ্ঞান)
 দরিদ্রতার কারণে
খ উদাসীনতার জন্য
গ যথেষ্ট কারিগরি জ্ঞানের অভাবে
ঘ বাংলার শাসকদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জন্য
১০৪. ইংরেজদের উত্তরোত্তর শক্তি বৃদ্ধির কারণ কী ছিল? (জ্ঞান)
ক জনশক্তি  সামরিক শক্তি
গ কৃষিভিত্তিক উৎপাদন শক্তি ঘ রাজনৈতিক শক্তি
 বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১০৫. সিরাজউদ্দৌলার বিরোধী শক্তি ছিল (অনুধাবন)
র. মীর জাফর আলী খান রর. মারওয়াড়ি ব্যবসায়ীরা
ররর. ফরাসি সৈন্যবাহিনী
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১০৬. সিরাজউদ্দৌলার সিংহাসনে বসার পর তার সামনে যে কাজটি কঠিন ছিল তা হলো (প্রয়োগ)
র. ইংরেজদের সামলানো রর. রাজ্য পরিধি বৃদ্ধি
ররর. ষড়যন্ত্র মোকাবিলা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১০৭. বহিরাগত শাসকদের দীর্ঘ শাসনকালে বাংলার সাধারণ মানুষ শিকার হয়েছে Ñ (অনুধাবন)
র. চরম অর্থনৈতিক শোষণের রর. নির্যাতনের
ররর. চরম দারিদ্র্যের
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
১০৮. বাংলার ঔপনিবেশিক শাসনের কারণ হলোÑ
[গভ. মডেল গার্লস হাই স্কুল, ব্রা‏হ্মণবাড়িয়া; চট্টগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়; উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বরিশাল]
র. শাসকের প্রতি জনগণের উদাসীনতা
রর. শাসকদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল
ররর. প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির অভাব
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
১০৯. সিরাজের বিরুদ্ধে তৃতীয় আরেকটি পক্ষ কাজ করেছে। সেই তৃতীয় পক্ষের স্বার্থ ছিলÑ (প্রয়োগ)
র. ব্যবসায়িক রর. আর্থিক ররর. রাজনৈতিক
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১১০. আমাদের পার্শ্ববর্তী একটি রাষ্ট্রে বহুজাতিক ব্যবসায়ীরা তাদের স্বার্থের কারণে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটায়। নবাব সিরাজউদ্দৌলার সময়ের অনুরূপ ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে বলা যায়Ñ (প্রয়োগ)
র. নবাবের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী তৃতীয় পক্ষ
রর. শুধুমাত্র বাংলা অঞ্চলেই এদের প্রভাব ছিল
ররর. রাজপুতনা থেকে আগত ছিল
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১১১. ইংরেজরা বাংলার স্বাধীনতা হরণ করলে দেশবাসীর এ বিষয়ে তেমন আগ্রহ ছিল না। এতে সমাজের যে চিত্রটি ফুটে উঠেছেÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. সমাজে শিক্ষার অভাব ছিল
রর. সমাজবাসী অসচেতন ছিল
ররর. সমাজে অর্থনৈতিক দৈন্যদশা ছিল
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
 অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১১২ ও ১১৩নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
আফগানিস্তানের তালেবান শাসকদের হঠানোর জন্য মার্কিনিরা প্রথমে তালেবান বিরোধীদের সাথে হাত মেলায়। তালেবান বিরোধীদের অস্ত্র ও বিভিন্ন রসদ দিয়ে সহায়তা করে। এতে তালেবানদের পতন ঘটে ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের আজ্ঞাবহ সরকারের নিকট আফগানিস্তানের ক্ষমতা তুলে দেয়।
১১২. অনুচ্ছেদে উল্লিখিত তালেবান শাসকদের পতনের সাথে বাংলার কোন শাসকের পতনের মিল খুঁজে পাওয়া যায়? (প্রয়োগ)
 নবাব সিরাজউদ্দৌলা খ নবাব মীর কাশিম
গ নবাব আলীবর্দী খান ঘ নবাব সুজাউদ্দৌলা
১১৩. উক্ত শাসকের পতনের মূলে কাজ করেছে ইংরেজদেরÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. রাজনৈতিক সহনশীলতা রর. উত্তরোত্তর শক্তি বৃদ্ধি
ররর. ধূর্ত পরিকল্পনা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
পাঠ-৪ : বাংলায় ইংরেজ শক্তির উত্থান
 সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১১৪. দি ব্রিটিশ ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি কত সালে স্থাপিত হয়? (জ্ঞান)
˜ ১৫৩৪ খ ১৬০০ গ ১৬২০ ঘ ১৭০০
১১৫. চন্দন নগরে বাণিজ্যকুঠি কারা স্থাপন করে? (জ্ঞান)
˜ ফ্রেঞ্চ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি খ ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি
গ ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ঘ দিনেমার ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি
১১৬. ডাচ ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি কত সালে বাংলায় প্রবেশ করে? (জ্ঞান)
ক ১৬২০  ১৬৩০ গ ১৬৪০ ঘ ১৬৫০
১১৭. ফ্রেঞ্চ ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলায় প্রবেশ করে কত সালে? (জ্ঞান)
ক ১৬৩২ খ১৬৫০ গ ১৬৬০ ˜ ১৬৬৪
১১৮. কত সালে আলিবর্দী খাঁ মৃত্যুবরণ করেন? [ঝিনাইদহ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, ঝিনাইদহ]
ক ১৭২০ খ ১৭৩০ ˜ ১৭৫৬ ঘ ১৭৭০
১১৯. কত সালে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ভারত শাসন আইন পাস হয়?
[জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড হাই স্কুল, সিলেট]
ক ১৮২০ ˜ ১৮৫৮ গ ১৮৭৪ ঘ ১৯৩৭
১২০. ডাচ ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলা ছেড়ে চলে যায় কেন? (অনুধাবন)
ক বাংলায় তাদের ব্যবসায়ের সুযোগ না দেয়ায়
˜ ইংরেজ কোম্পানির সঙ্গে টিকতে না পারায়
গ ফরাসি কোম্পানির সাথে দ্ব›দ্ব হওয়ায়
ঘ দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ায়
১২১. সিপাহি বিদ্রোহে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন কে? (জ্ঞান)
˜ হাবিলদার রজব আলী খ রাজা রামমোহন রায়
গ আলিবর্দী খাঁ ঘ নবাব সিরাজউদ্দৌলা
১২২. নারায়ণের মাসি একজন বিধবা মহিলা। তার মাসির মতো বিধবারা কবে থেকে সমাজে বেঁচে থাকার অধিকার লাভ করে? (প্রয়োগ)
ক সেন আমল  ব্রিটিশ আমল গ মোঘল আমল ঘ সুলতানি আমল
১২৩. বাণিজ্য বিস্তারের যুগে ইউরোপের প্রভাবশালী নৌ-শক্তির অধিকারী দেশগুলো বহির্বিশ্বে বেরিয়ে পড়ে কেন? (জ্ঞান)
ক শিক্ষা অর্জনের জন্য ˜ সম্পদের সন্ধানে
গ ভ্রমণের জন্য ঘ ধর্মীয় স্থান দর্শনের জন্য
১২৪. ইউরোপের প্রভাবশালী নৌ-শক্তির অধিকারী দেশগুলোর লক্ষ্য ছিল কোন দেশ? (জ্ঞান)
ক মিশর খ আমেরিকা ˜ ভারতবর্ষ ঘ অস্ট্রেলিয়া
১২৫. ১৬৫৮ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কোথায় বাণিজ্য কুঠি স্থাপন করে? (জ্ঞান)
ক হুগলিতে ˜ কাসিমবাজারে গ কলকাতায় ঘ পাটনায়
১২৬. ডাচ ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি ইংরেজ কোম্পানির সাথে টিকতে না পেরে কোন দিকে চলে যায়? [রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল]
˜ মালয়েশিয়ার দিকে খ মিশরের দিকে
গ ইরাকের দিকে ঘ আমেরিকার দিকে
১২৭. ফ্রেঞ্চ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কত সালে বাংলায় প্রতিষ্ঠিত হয়? (জ্ঞান)
ক ১৬০৮ খ ১৬১০ গ ১৬২৮ ˜ ১৬৬৪
১২৮. চন্দননগর ও চুঁচুড়ায় শক্ত ঘাঁটি গড়ে তুলেছিল কারা? [বরিশাল জিলা স্কুল]
˜ ফরাসিরা খ পর্তুগিজরা গ ইংরেজরা ঘ ওলন্দাজরা
১২৯. পলাশীর যুদ্ধ কত সালে সংঘটিত হয়েছিল?
[আলী আমজাদ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মৌলভীবাজার]
ক ১৬৫৭ ˜ ১৭৫৭ গ ১৮৫৭ ঘ ১৯৫৭
১৩০. বাংলার নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয়ের পশ্চাতে কোনটি কার্যকর ভ‚মিকা রেখেছিল? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক মীর কাসিমের মৃত্যু খ মীর জাফরের মৃত্যু
গ মীর কাসিমের বিশ্বাসঘাতকতা ˜ প্রাসাদ ষড়যন্ত্র
১৩১. নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয়ের পর কে বাংলার নবাব হন? (জ্ঞান)
ক রবার্ট ক্লাইভ খ মীর কাসিম ˜ মীর জাফর ঘ মীর নিসার
১৩২. লর্ড ক্লাইভ কে ছিলেন? (জ্ঞান)
ক ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ˜ ইংরেজ সেনাপতি
গ ভারতীয় রাষ্ট্রপতি ঘ মার্কিন সেনাপতি
১৩৩. রবার্ট ক্লাইভ কত সালে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানি লাভ করেন? (জ্ঞান)
ক ১৭৫৬ খ ১৭৫৭ গ ১৭৫৮ ˜ ১৭৬৫
১৩৪. রবার্ট ক্লাইভ বাংলায় কিছুকাল কোন শাসন চালিয়ে ছিলেন? [বরগুনা জিলা স্কুল]
ক সামরিক শাসন ˜ দ্বৈত শাসন
গ সামন্ত শাসন ঘ একনায়ক শাসন
১৩৫. ছিয়াত্তরের মন্বন্তর বাংলা কত সালে হয়েছিল?
[অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, ব্রা‏‏হ্মণবাড়িয়া]
˜ ১১৭৬ খ ১২৭৬ গ ১৩৭৬ ঘ ১৪৭৬
১৩৬. কত সালে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত চালু করা হয়?
[গভ. ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা; রামদেও বাজলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, জয়পুরহাট;
নড়াইল সরকারি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়]
ক ১৭৩৯ খ ১৭৭৬ গ ১৭৭৩ ˜ ১৭৯৩
 বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৩৭. ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছে পরাজিত হয়Ñ (অনুধাবন)
র. জার্মান ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি রর. ফ্রেঞ্চ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি
ররর. ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর ˜ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৩৮. ছিয়াত্তরের মন্বন্তরের কারণ হলো Ñ (অনুধাবন)
র. জনগণের ওপর অতিরিক্ত করের বোঝা
রর. ফসলে পোকার আক্রমণ
ররর. তিন বছরের অনাবৃষ্টি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৩৯. সিপাহীদের বিদ্রোহে সমর্থন জানিয়েছিলেনÑ (অনুধাবন)
র. ঝাঁসির রানি ল²ীবাই রর. মহারাষ্ট্রের তাঁতিয়া টোপি
ররর. দিল্লির বাদশাহ বাহাদুর শাহ জাফর
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও ররর খ র ও ররর গ রর ও ররর ˜ র, রর ও ররর
১৪০. সিপাহি বিদ্রোহে সিপাহিরা যেসব কারণে পরাজিত হয়েছিল? (অনুধাবন)
র. ইংরেজদের চতুরতা রর. প্রাসাদ ষড়যন্ত্র
ররর. ইংরেজদের উন্নত অস্ত্র
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর ˜ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
 অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৪১ ও ১৪২নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
নাহিয়ান এবার পিএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। তার মায়ের ইচ্ছা তাকে একটি নামকরা স্কুলে ভর্তি করাবে। নাহিয়ানের মা নাহিয়ানের বাবাকে এ ব্যাপারে বললেন। নাহিয়ানের বাবা বললেন, দেখ সংসারের আয় রোজগারের দিকটা আমি সামলাই তাই তুমি বাচ্চাদের পড়াশোনার দিকটা দেখবে। এ ব্যাপারে মা হিসেবে তোমার সিদ্ধান্তই চ‚ড়ান্ত।
১৪১. নাহিয়ানদের বাসায় যে বিষয়টি পরিলক্ষিত হয়েছে তাকে কী বলা যাবে? (প্রয়োগ)
ক পিতৃশাসন খ মাতৃশাসন ˜ দ্বৈতশাসন ঘ গণতন্ত্র
১৪২. বাংলায় এ শাসনের ফলে (উচ্চতর দক্ষতা)
র. দুর্ভিক্ষ দেখা দেয় রর. পুঁজি পাচার হয়
ররর. নবাব শক্তিশালী হন
নিচের কোনটি সঠিক?
˜ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৪৩ ও ১৪৪নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
ইতিহাস প্রবন্ধ থেকে হামিম জানতে পারে ইংরেজ শাসনের প্রথম পর্ব ছিল ইংরেজ বণিকদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট। ১৭৬৫-১৭৭২ সাল পর্যন্ত একটি নীতিতে দেশ পরিচালিত হয়। শাসন দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য সবক্ষেত্রে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। [ভি.জে. সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, চুয়াডাঙ্গা]
১৪৩. অনুচ্ছেদে উল্লিখিত ১৭৬৫-১৭৭২ সাল পর্যন্ত দেশ পরিচালনা করেন কারা?
ক চীনা কোম্পানি খ ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি
˜ ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ঘ ভারতীয় কোম্পানি
১৪৪. এ শাসন ব্যবস্থার গৃহীত পদক্ষেপ ছিলÑ
র. পরিকল্পিত পরিবার গঠন রর. ভ‚মি রাজস্ব ব্যবস্থা
ররর. চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
পাঠ-৫ : বাংলায় ব্রিটিশ শাসন ১৮৫৮-১৯৪৭ খ্রি.
 সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৪৫. ভারত সচিব ভারত শাসনের ব্যবস্থা করেন কত সদস্যবিশিষ্ট কাউন্সিলের মাধ্যমে? (জ্ঞান)
ক ১২  ১৫ গ ২০ ঘ ২৫
১৪৬. ভারত শাসন আইন অনুসারে গভর্নর জেনারেলকে কী নামে অভিহিত করা হয়? (জ্ঞান)
ক প্রেসিডেন্ট  ভাইসরয় গ জেনারেল ঘ সেক্রেটারি
১৪৭. কে ভারতবর্ষে প্রথম ভাইসরয় নিযুক্ত হন? (জ্ঞান)
 লর্ড ক্যানিং খ লর্ড কর্নওয়ালিস
গ লর্ড ডালহৌসি ঘ লর্ড বেন্টিঙ্ক
১৪৮. বঙ্গীয় আইনসভা প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয়া হয় কত সালে? (জ্ঞান)
 ১৮৬১ খ ১৮৭১ গ ১৮৭৫ ঘ ১৮৯১
১৪৯. বঙ্গীয় আইনসভার কার্যক্রম শুরু হয় কত সালে? (জ্ঞান)
 ১৮৬২ খ ১৮৭২ গ ১৮৭৫ ঘ ১৮৮২
১৫০. বঙ্গীয় আইনসভা প্রতিষ্ঠাকালে এর সদস্য সংখ্যা ছিল কতজন? (জ্ঞান)
ক ১১  ১২ গ ১৫ ঘ ২৫
১৫১. কত সালে ব্রিটিশরা বাংলাকে দ্বিখণ্ডিত করার পরিকল্পনা করে? (জ্ঞান)
ক ১৮৪৩ খ ১৮৫০ গ ১৮৫১  ১৮৫৩
১৫২. বাংলা প্রদেশকে দ্বিখণ্ডিত করার লক্ষ্যে সীমানা নির্ধারণ করা হয় কত সালে? (জ্ঞান)
ক ১৯০১  ১৯০৩ গ ১৯০৫ ঘ ১৯০৯
১৫৩. ভারতশাসন আইন ব্রিটিশ ভারতে একটি পরিবর্তন এনেছিল। সেই পরিবর্তনটি কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক ইংরেজি ভাষার বিকাশ  কোম্পানি শাসনের অবসান
গ ভারতের স্বাধীনতা ঘ ফারসি ভাষার বিলুপ্তি
১৫৪. কোন কারণে ১৯০৩ সালে ব্রিটিশরা সীমানা নির্ধারণ করে?
[রংপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক ভারতকে দ্বিখণ্ডিত করার জন্য  বাংলাকে দ্বিখণ্ডিত করার জন্য
গ বার্মাকে আলাদা করার জন্য ঘ প্রশাসনিক সুবিধার জন্য
১৫৫. ব্রিটিশ শাসনামলে মুষ্টিমেয় জমিদার শ্রেণিকে কী বলা হতো?
[ঝিনাইদহ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়]
ক বুদ্ধিজীবী শ্রেণি  সুবিধাপ্রাপ্ত শ্রেণি
গ বণিক শ্রেণি ঘ সুবিধাবঞ্চিত শ্রেণি
১৫৬. ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটে কেন? (অনুধাবন)
 ভারত শাসন আইন জারির ফলে
খ সার্বভৌম আইন জারি করার কারণে
গ ভারত স্বাধীনতা আইন জারির ফলে
ঘ ব্রিটিশ শাসন আইন জারি করার কারণে
১৫৭. ১৮৯২ সালে বঙ্গীয় আইনসভার সদস্য বাড়িয়ে কতজন করা হয়? (জ্ঞান)
ক ১২ খ ১৮ গ ২০  ২১
১৫৮. কত সালে বঙ্গবঙ্গ হয়েছিল? [নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়]
ক ১৯০৩  ১৯০৫ গ ১৯০৬ ঘ ১৯১১
১৫৯. পূর্ববঙ্গ বাংলাদেশের একটি পরিচয়। এই পরিচয়ের সাথে কোনটি সম্পৃক্ত? [গভ. মডেল গার্লস হাই স্কুল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া; বিএএফ শাহীন স্কুল এন্ড কলেজ, যশোর]
ক ভারত শাসন আইন  বঙ্গভঙ্গ
গ বঙ্গভঙ্গ রদ ঘ সাইমন কমিশন
১৬০. ব্রিটিশ শাসনকালে কারা বাংলার সমাজে বিরাট সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ ছিল?
ক শ্রমিক  জমিদার গ কৃষক ঘ সৈনিক
১৬১. ব্রিটিশ শাসনকালে কারা বাংলার সমাজে বিরাট সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ ছিল?
ক শ্রমিক খ জমিদার  কৃষক ঘ সৈনিক
১৬২. ব্রিটিশ শাসনামলে সামাজিক অনুশাসনের দাপটে কারা ব্যাপকভাবে পিছিয়ে পড়ে? (জ্ঞান)
ক কৃষক সমাজ খ শিল্পী সমাজ  নারী সমাজ ঘ কারিগর সমাজ
১৬৩. নাবিল ইতিহাস বই পড়ে জানতে পারে, ব্রিটিশ শাসনকালে এক শ্রেণির লোক বিশেষ সুবিধা পেত। তবে তারা সংখ্যায় অনেক কম ছিল। নাবিল কোন শ্রেণির লোকের কথা জানতে পারে? (প্রয়োগ)
 জমিদার খ কৃষক গ শিক্ষক ঘ আইনজীবী
 বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৬৪. বঙ্গীয় আইনসভা সম্পর্কিত তথ্য হলো (অনুধাবন)
র. ১৮৬২ সালে কার্যক্রম শুরু হয় রর. ১৮৯২ সালে সদস্য ছিল ২৩ জন
ররর. গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে ওঠে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৬৫. ব্রিটিশদের শাসন মূলত ছিল শোষণ। তাদের শোষণের প্রমাণ বহন করে (উচ্চতর দক্ষতা)
র. কৃষি ব্যবস্থার অবনতি রর. অর্থনীতিতে দুর্বলতা সৃষ্টি
ররর. তাঁত শিল্পের অবনতি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর ঘ রর ও ররর  র, রর ও ররর
১৬৬. ব্রিটিশ শাসনকালে বাংলার সমাজজীবনে (অনুধাবন)
র. কৃষক শ্রেণি সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল রর. মধ্যবিত্ত সমাজ শক্তিশালী ছিল
ররর. জমিদার ছিল সুবিধাপ্রাপ্ত শ্রেণি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৬৭. ভাইসরয় সম্পর্কিত তথ্য হলো [বিএএফ শাহীন স্কুল এন্ড কলেজ, যশোর]
র. ব্রিটিশ রাজ প্রতিনিধি রর. হেস্টিংস প্রথম ভাইসরয়
ররর. ভারত শাসন আইনের দ্বারা সৃষ্টি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
 অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৬৮ ও ১৬৯নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
আনোয়ার স্যার ক্লাসে বলেন, বর্তমানে জনগণের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত বাংলাদেশে ৩৫০ সদস্যবিশিষ্ট যে প্রতিষ্ঠানটি দেখ তার ভিত্তি স্থাপিত হয়েছিল ১৮৬২ সালে। দীর্ঘ বিবর্তনের পথ পাড়ি দিয়ে এটি বর্তমান অবস্থায় পৌঁছেছে।
১৬৮. অনুচ্ছেদে বর্ণিত প্রতিষ্ঠানটি নিচের কোনটির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ? (প্রয়োগ)
 বঙ্গীয় আইনসভা খ সিনেট
গ গণপরিষদ ঘ পার্লামেন্ট
১৬৯. উক্ত প্রতিষ্ঠানটির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য তথ্যসমূহ হলো (উচ্চতর দক্ষতা)
র. ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সিদ্ধান্তে স্থাপিত রর. স্বৈরতন্ত্রের উৎপত্তিস্থল
ররর. গণতন্ত্রের ভিত্তি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
পাঠ-৬ : বাংলায় নবজাগরণ
 সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৭০. ১৭৯১ সালে কোনটি প্রতিষ্ঠা করা হয়? (জ্ঞান)
ক কলকাতা মাদ্রাসা খ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
˜ সংস্কৃত কলেজ ঘ শ্রীরামকৃষ্ণ মিশন
১৭১. কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় কত সালে? (জ্ঞান)
ক ১৭৫২ খ ১৮৪২ ˜ ১৮৫৭ ঘ ১৮৬৫
১৭২. বাংলার মানুষের মনকে জাগিয়ে তোলার জন্য ইংরেজরা কোনটি স্থাপন করে? (জ্ঞান)
ক অট্টালিকা খ রাজপ্রাসাদ ˜ মুদ্রণযন্ত্র ঘ বাণিজ্যকুঠি
১৭৩. ওয়ারেন হেস্টিংস কলকাতা মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন কেন? (অনুধাবন)
ক হিন্দুদের সন্তুষ্ট করার জন্য
 মুসলমানদের সন্তুষ্ট করার জন্য
গ হিন্দুদের সঙ্গে দ্ব›দ্ব সৃষ্টি করার জন্য
ঘ সা¤প্রদায়িক মনোভাব সৃষ্টি করার জন্য
১৭৪. রাজা রামমোহন রায় ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন। এর যথার্থ কারণ হিসেবে কোনটি ভ‚মিকা রেখেছে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক ব্যাকরণ বই লেখা খ মূর্তিপূজার বিরোধিতা করা
 সংস্কার কার্যাবলি ঘ ব্যক্তিত্ব ও সততা
১৭৫. ইংরেজরা দেশীয়দের মধ্য থেকে ইংরেজি শিক্ষিত শ্রেণি তৈরিতে মনোযোগ দেয় কেন? (অনুধাবন)
ক দেশের উন্নতির জন্য খ শিক্ষা বিস্তারের জন্য
গ মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য  শাসন পাকাপোক্ত করার জন্য
১৭৬. ১৮৫৭ সালে উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণার জন্য কলকাতায় কোনটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল? (জ্ঞান)
ক সংস্কৃত কলেজ খ আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়
 কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ঘ কলকাতা মাদরাসা
১৭৭. মাসুমের পরদাদা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। তিনি প্রথম দিককার একজন ছাত্র। তিনি কত সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন? (প্রয়োগ)
ক ১৮৫৫ সালে  ১৮৫৭ সালে গ ১৮৬০ সালে ঘ ১৮৬২ সালে
১৭৮. ১৮২১ সালে কোথায় মুদ্রণযন্ত্র স্থাপন করা হয়? (জ্ঞান)
ক চন্ডিনগর খ পশ্চিমবঙ্গে গ কলকাতায়  শ্রীরামপুরে
১৭৯. কোন ধর্মাবলম্বীদের জন্য ১৭৯১ সালে সংস্কৃত কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়? (জ্ঞান)
 হিন্দু খ মুসলমান গ বৌদ্ধ ঘ খ্রিষ্টান
১৮০. কোন সমাজ থেকে সতীদাহের মতো প্রথার বিরুদ্ধে রীতিমতো আন্দোলন শুরু হয়? (জ্ঞান)
 হিন্দু খ মুসলমান গ বৌদ্ধ ঘ খ্রিষ্টান
 বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৮১. কলকাতা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ছিল Ñ (অনুধাবন)
র. ফারসি চর্চা বাড়ানো রর. মুসলমানদের খুশি করা
ররর. অনুগতশ্রেণি তৈরি করা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৮২. ১৭৯১ সালে প্রতিষ্ঠিত সংস্কৃত কলেজ ভ‚মিকা রাখেÑ (অনুধাবন)
র. সতীদাহ বিলুপ্তকরণে রর. বিধবা বিবাহ চালুতে
ররর. কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
১৮৩. কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, মুদ্রণযন্ত্র স্থাপন বাংলার অগ্রগতিতে যে ভ‚মিকা পালন করে তা হলো Ñ (অনুধাবন)
র. উপনিবেশকদের ভিত্তি মজবুতকরণ রর. জাতীয়তাবাদ সৃষ্টি
ররর. গণতান্ত্রিক অধিকার বোধের উšে§ষ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৮৪. আজাদ সাহেব একজন সমাজ সচেতন ব্যক্তি। তিনি নাগরিক অধিকার, সচেতনতা, পরিবেশ দূষণ রোধ, হত্যা, ছিনতাই ইত্যাদি সম্পর্কিত আন্দোলনে জড়িত। তার কর্মের সাথে মিল আছে (প্রয়োগ)
র. কাজী নজরুল ইসলামের রর. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের
ররর. রাজা রামমোহন রায়ের
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর ˜ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
 অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৮৫ ও ১৮৬নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
রিজওয়ান পাঠ্যবই থেকে জানতে পারে, বহিরাগত একটি শক্তি বাংলায় তাদের শাসন পাকাপোক্ত করার লক্ষ্যে দেশীয়দের মধ্য থেকে ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত একটি অনুগত শ্রেণি তৈরিতে মনোযোগ দেয়। এ উদ্দেশ্যে তারা কলকাতা মাদরাসা ও সংস্কৃত কলেজ প্রতিষ্ঠা করে।
১৮৫. অনুচ্ছেদে কোন বহিরাগত শক্তির ইঙ্গিত রয়েছে? (প্রয়োগ)
ক ফরাসি খ পর্তুগিজ গ ওলন্দাজ  ইংরেজ
১৮৬. উক্ত বহিরাগত শক্তিÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. বাংলা থেকে ধনসম্পদ নিজ দেশে নিয়ে যায়
রর. বাংলার জনগণকে শোষণ করে
ররর. ১৯৭১ সাল পর্যন্ত বাংলা শাসন করে
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
পাঠ-৭ : ব্রিটিশ-বিরোধী আন্দোলনের চ‚ড়ান্ত পরিণতি
 সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৮৭. কলকাতা কেন্দ্রিক ইংরেজ শাসকদের পক্ষে দূরবর্তী অঞ্চলে সুশাসন প্রতিষ্ঠা কঠিন ছিল কেন? (অনুধাবন)
 বাংলার সীমানা অনেক বড় ছিল বলে
খ কলকাতাকেন্দ্রিক উন্নয়নের মনোভাব থাকার ফলে
গ লর্ড কার্জনের অসহযোগিতার কারণে
ঘ শাসন কাজে অদক্ষতার ফলে
১৮৮. ইংরেজ ভাইসরয় লর্ড কার্জন ১৯০৩ সালে সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাকে কয়ভাগে ভাগ করার প্রস্তাব রাখেন? (জ্ঞান)
 দুই খ তিন গ চার ঘ পাঁচ
১৮৯. লর্ড কার্জন ১৯০৩ সালে কোন শহরকে রাজধানী করে নতুন প্রদেশ করার প্রস্তাব রাখেন? (জ্ঞান)
ক খুলনা  ঢাকা গ রাজশাহী ঘ চট্টগ্রাম
১৯০. কারা বঙ্গভঙ্গের বিরোধিতা করেন? (জ্ঞান)
ক শিক্ষিত মুসলিম নেতারা খ আইনজীবী পরিষদ
 শিক্ষিত হিন্দু নেতারা ঘ কতিপয় রাজনৈতিক দলের নেতারা
১৯১. বঙ্গভঙ্গকে কেন্দ্র করে হিন্দু-মুসলিম স¤প্রদায়ের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে কেন? (অনুধাবন)
 শিক্ষিত হিন্দু নেতারা বঙ্গভঙ্গের বিরোধিতা করার কারণে
খ কতিপয় মুসলিম নেতারা বঙ্গভঙ্গের বিরোধিতা করেন বলে
গ হিন্দু নেতাদের সা¤প্রদায়িক আচরণ করার কারণে
ঘ মুসলমানদের হিন্দু বিদ্বেষী মনোভাবের কারণে
১৯২. ১৯০৬ সালের পূর্বে কোনটি ভারতীয়দের একমাত্র রাজনৈতিক সংগঠন ছিল? (জ্ঞান)
ক মুসলিম লীগ খ জামায়াতে ইসলামী
গ নেজামে পার্টি  ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস
১৯৩. ব্রিটিশ শাসনামলে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের বড় নেতাদের অধিকাংশ কোন স¤প্রদায়ের ছিলেন? (জ্ঞান)
ক মুসলিম  হিন্দু গ বৌদ্ধ ঘ খ্রিষ্টান
১৯৪. তারিন তার দাদুর কাছ থেকে জানতে পারে মুসলমানরা তাদের দাবি আদায়ের জন্য ১৯০৬ সালে একটি রাজনৈতিক সংগঠন গড়ে তোলে। তারিন তার দাদুর কাছ থেকে কোন রাজনৈতিক সংগঠন সম্পর্কে জানতে পারে? (প্রয়োগ)
 মুসলিম লীগ খ আওয়ামী লীগ
গ ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ঘ জামায়াতে ইসলামী
১৯৫. বঙ্গভঙ্গ কত সালে কার্যকর হয়? (জ্ঞান)
ক ১৯০৩ খ ১৯০৪  ১৯০৫ ঘ ১৯০৬
১৯৬. নিচের কোনটি কার্যকর হওয়ার পর হিন্দু-মুসলিম স¤প্রদায়ের দ্ব›দ্ব স্পষ্ট হয়ে ওঠে? (জ্ঞান)
 বঙ্গভঙ্গ খ রাওলাট আইন
গ ভারত শাসন আইন ঘ লাহোর প্রস্তাব
১৯৭. ব্রিটিশ শাসনামলে কোনটি কার্যকর করা থেকে শাসকদের বিরত করার জন্য বাঙালি হিন্দু নেতারা একের পর এক চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন? (জ্ঞান)
ক লাহোর প্রস্তাব খ রাওলাট আইন
 বঙ্গভঙ্গ ঘ ভারত শাসন আইন
১৯৮. কারা ‘ভাগ কর-শাসন কর নীতি’ প্রয়োগ করে? (জ্ঞান)
 ইংরেজরা খ ফরাসিরা গ পর্তুগিজরা ঘ ওলন্দাজরা
১৯৯. ‘ভাগ কর-শাসন কর নীতি’ প্রয়োগ করা হয় কেন? (অনুধাবন)
ক হিন্দু-মুসলিম দ্ব›দ্ব দূর করার জন্য
 পুনরায় বাঙালি নেতাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির জন্য
গ হিন্দু-মুসলিম সা¤প্রদায়িক মনোভাব তৈরির জন্য
ঘ অসা¤প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গি গঠন করার জন্য
২০০. কোন রাজনৈতিক দল ১৯৪০ সালে দ্বিজাতিতত্তে¡র ভিত্তিতে ভারত বিভক্তির ফর্মূলা প্রদান করে? (জ্ঞান)
 মুসলিম লীগ খ কংগ্রেস গ ন্যাপ ঘ গণতন্ত্রী পার্টি
২০১. ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির ক্ষেত্রে কোন ধারণা কার্যকর করা হয়? [ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
ক হিন্দু স্বাধীনতা আইন  লাহোর প্রস্তাব
গ রাওলাট আইন ঘ ভারত শাসন আইন
২০২. পূর্ব বাংলা পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চল হিসেবে কাদের অধীনতা থেকে মুক্তি পায়? (জ্ঞান)
ক ফরাসি খ পর্তুগিজ গ ভারতীয়  ব্রিটিশ
২০৩. পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী পূর্ব বাংলার জনগণের ওপর কী চাপিয়ে দিয়েছিল? (জ্ঞান)
 পরাধীনতা খ স্বাধীনতা গ সার্বভৌমত্ব ঘ স্বায়ত্তশাসন
২০৪. ব্রিটিশরা এদেশ থেকে চলে যাওয়ার পর ভারত, পাকিস্তান বিভক্ত হয়ে পড়ে। এই বিভক্তির সাথে কোনটি জড়িত? [ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ, রংপুর]
ক লাহোর প্রস্তাব খ পলাশীর যুদ্ধ
গ ভারত শাসন আইন  সিপাহি বিদ্রোহ
 বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২০৫. ব্রিটিশ শাসনামলে বাংলার সীমানার অন্তুর্ভুক্ত ছিল Ñ (অনুধাবন)
র. পশ্চিম বাংলা রর. পূর্ব বাংলা ররর. উড়িষ্যা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
২০৬. ১৯০৩ সালে লর্ড কার্জনের প্রস্তাব অনুযায়ী নতুন প্রদেশেরÑ (অনুধাবন)
র. নাম হবে ‘পূর্ব বঙ্গ ও আসাম’
রর. একজন লেফটেন্যান্ট গভর্নর প্রদেশ শাসন করবেন
ররর. একজন ভাইসরয় ও দুইজন মন্ত্রী প্রদেশ শাসন করবেন
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২০৭. বঙ্গভঙ্গ কার্যকর করা থেকে শাসকদের বিরত করার জন্য শুরু করা হয়Ñ (অনুধাবন)
র. সশস্ত্র আন্দোলন রর. বয়কট আন্দোলন
ররর. স্বদেশী আন্দোলন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
২০৮. ব্রিটিশরা এদেশে শাসনকাল দীর্ঘায়িত করার জন্য ‘ভাগ কর ও শাসন কর’ নীতি অবলম্বন করে। এই তত্তে¡র আড়ালে তাদের কাজ ছিল Ñ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. হিন্দু মুসলিম বিভাজন রর. মুসলিম ব্রিটিশ বিভাজন
ররর. প্রশাসনিক বিভাজন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২০৯. কলকাতা ও নোয়াখালীর দাঙ্গা অসম্ভব করে তোলেÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. ব্রিটিশ শাসনের অবসান রর. অবিভক্ত ভারতবর্ষ
ররর. অসা¤প্রদায়িক ভারতবর্ষ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২১০. বাংলায় দ্বৈতশাসনের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো
[ইবনে তাইমিয়া স্কুল এন্ড কলেজ, কুমিল্লা]
র. ইংরেজদের ক্ষমতা হ্রাস রর. ইংরেজদের ক্ষমতা বৃদ্ধি
ররর. নবাবের ক্ষমতা হ্রাস
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর ˜ রর ও ররর ঘ রর ও ররর
 অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ২১১ ও ২১২নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
তাজিন একটি প্রামাণ্যচিত্র দেখছিল। উক্ত প্রামাণ্যচিত্রে সে দেখত পায় বাংলাদেশ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বহিরাগত শাসকদের দ্বারা শাসিত এবং শোষিত হয়েছে। এমন একটি বহিরাগত শাসকদের ভাইসরয় লর্ড কার্জন ১৯০৩ সালে বাংলাকে দুই ভাগে ভাগ করার প্রস্তাব দেন।
২১১. অনুচ্ছেদে কোন বহিরাগত শাসকদের প্রতিফলন ঘটেছে? (প্রয়োগ)
ক পর্তুগিজ খ দিনেমার গ ওলন্দাজ  ইংরেজ
২১২. উক্ত বহিরাগত শাসকরা বাংলাদেশে (উচ্চতর দক্ষতা)
র. শাসন-শোষণ দীর্ঘস্থায়ী করার পরিকল্পনা করে
রর. বাঙালি নেতাদের স¤প্রীতিতে ফাটল ধরায়
ররর. পর্তুগিজদের সাথে নিয়ে শাসনকার্য পরিচালনা করে
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

২১৩. ১৪ শতকে ইউরোপে যুগান্তকারী বাণিজ্য বিপ্লবের সূচনার ফলে
[উচ্চতর দক্ষতা]
র. ইউরোপীয় শক্তির শাসন শুরু হয় রর. অর্থনৈতিক সংগঠন শক্তিশালী হয়
ররর. কাঁচামালের বাজার সন্ধান শুরু হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
২১৪. ওয়েস্টফালিয়ার চুক্তির ফলে [উচ্চতর দক্ষতা]
র. বাংলায় মোগল শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়
রর. ইউরোপীয় জাতির মধ্যে বাণিজ্যের নতুন উদ্যম সৃষ্টি হয়
ররর. ইউরোপীয় জাতিতে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২১৫. বাংলায় ঔপনিবেশিক শক্তির বিজয়ের কারণ [প্রয়োগ]
র. নবাবের ঘনিষ্ঠজনদের ষড়যন্ত্র রর. নবাবের অনভিজ্ঞতা
ররর. সেনাপতি মীর জাফরের বিশ্বাসঘাতকতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
২১৬. ভারত শাসন জারির ফলে বাংলায় যে বিষয়গুলো ঘটে তা হলো [অনুধাবন]
র. কোম্পানি শাসনের দেওয়ানি লাভ রর. কোম্পানি শাসনের অবসান
ররর. ভাইসরয় নিয়োগ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২১৭. প্রতাপ চন্দ্র ১৮৫৩ সালে কলেজের ছাত্র। ইংরেজিতে সে ছিল তুখোড়। সে সময় [প্রয়োগ]
র. ছাত্ররা ইংরেজদের অনুগত হতো রর. বঙ্গীয় আইনসভার কার্যক্রম শুরু হয়
ররর. বঙ্গভঙ্গের পরিকল্পনা করা হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
২১৮. ঔপনিবেশিক শাসনামলে ব্রিটিশদের ‘ভার কর ও শাসন কর’ নীতির উদ্দেশ্য ছিলÑ [উচ্চতর দক্ষতা]
র. হিন্দু-মুসলিম বিভাজন রর. ব্রিটিশ-বাঙালি বিভাজন
ররর. ব্রিটিশ শাসন পাকাপোক্ত করা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ২১৯ ও ২২০নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
ঘটনা-১ : ১৯০৫ সাল বঙ্গভঙ্গ পরিকল্পনার বাস্তবায়ন
ঘটনা-২ : ১৯৪৭ সাল ভারত বিভক্তি বাস্তবায়ন
২১৯. ঘটনা-১ এর প্রেক্ষাপটে কারা খুশি হয়েছিল? [প্রয়োগ]
 বাঙালি মুসলমানেরা খ ইংরেজ বণিকেরা
গ বাঙালি হিন্দুরা ঘ কলকাতার ব্যবসায়ীরা
২২০. ঘটনা-২ প্রসঙ্গে প্রযোজ্যÑ [উচ্চতর দক্ষতা]
র. ভারতের স্বাধীনতা রর. পাকিস্তানের স্বাধীনতা
ররর. ঔপনিবেশিক শাসনের অবসান
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর

প্রশ্ন

সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন -২  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
দুই বন্ধুর কথোপকথন :
১ম বন্ধু : আবিদ তুমি কি লক্ষ্য করেছ যে, বর্তমানে শিক্ষার ক্ষেত্রে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি?
২য় বন্ধু : হ্যাঁ জানি। একটি বিশেষ সুবিধাভোগী শ্রেণি তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল তা আমাদের জন্য সুবিধাই বয়ে এনেছে।
১ম বন্ধু : তুমি ঠিকই বলেছ। তাদের গৃহীত পদক্ষেপের কারণে আমাদের দেশের মানুষ আধুনিক চিন্তা-চেতনায় জাগরিত হয়ে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়।
ক. ভাস্কো-দা-গামা কোন দেশের নাবিক ছিলেন? ১
খ. ‘ইকলিম’ ধারণাটি ব্যাখ্যা কর। ২
গ. ২য় বন্ধুর উক্তির শাসকদের প্রথম পর্যায়ের প্রধান প্রধান কাজগুলো ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.১ম বন্ধুর শেষোক্ত উক্তিটি বিশ্লেষণ কর। ৪
 ২নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. ভাস্কো -দা-গামা পর্তুগিজ নাবিক ছিলেন।
খ. ১২০৬ সালের পর বাংলার তিনটি অংশে দিল্লির মুসলিম সুলতানদের যে বিভাগগুলো প্রতিষ্ঠিত হয় সেগুলোকে ফারসি ভাষায় ‘ইকলিম’ বলা হয়। উত্তর বাংলা জুড়ে প্রতিষ্ঠিত ছিল ইকলিম লখনৌতি, পশ্চিম বাংলায় ইকলিম সাতগাঁও এবং পূর্ব বাংলায় ইকলিম সোনারগাঁও।
গ. ২য় বন্ধুর উক্তির শাসকদের তথা ইংরেজদের প্রথম পর্যায়ের অসংখ্য উন্নয়নমূলক কাজ ছিল। ইস্টইন্ডিয়া কোম্পানির শাসকগণ তাদের শাসনকে স্থায়ীরূপ দেওয়ার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। এ সকল কাজের উদ্দেশ্য নেতিবাচক হলেও তা দ্বারা বাংলার সামাজিক অবস্থার উন্নতি ঘটেছিল। শাসনক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করার জন্য তারা দেশীয়দের মধ্য থেকে ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত একটি অনুগত শ্রেণি তৈরির প্রতি মনোযোগ দেয়। এ প্রেক্ষিতে ওয়ারেন হেস্টিংস ১৭৮১ সালে কলকাতা মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৭৯১ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় সংস্কৃত কলেজ। অবশেষে ১৮৫৭ সালে উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণার প্রতিষ্ঠান হিসেবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আধুনিক শিক্ষার সংস্পর্শে এসে স্থানীয় মানুষের মধ্যে নতুন চেতনার স্ফুরণ ঘটতে থাকে।
উদ্দীপকের ২য় বন্ধু তার আলোচনায় এ বিষয়টিরই ইঙ্গিত করে বলেছে যে, সুবিধাভোগী ধূর্ত ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসকগণ তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য এসব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল।
ঘ. “তাদের গৃহীত পদক্ষেপের কারণে আমাদর দেশের মানুষ আধুনিক চিন্তা চেতনায় জাগরিত হয়ে দেশপ্রেম উদ্বুদ্ধ হয়েছিল।” ১ম বন্ধুর শেষোক্ত এ উক্তিটি যথার্থ।
ইস্টইন্ডিয়া কোম্পানির শাসকগণ তাদের শাসনকে স্থায়ীরূপে রূপ দেওয়ার জন্য বিভিন্ন উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল। এর ফলে হিন্দু সমাজ থেকে সতীদাহর মতো প্রথার বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয় এবং বিধবা বিবাহের পক্ষে মত তৈরি হয়। শাসকগণ ১৮২১ সালে শ্রীরামপুরে মুদ্রণযন্ত্র স্থাপন করে। এর দ্বারাও বাংলার সামাজিক ব্যবস্থার উন্নতি ঘটেছিল। উদ্দীপকে ১ম বন্ধু তার শেষোক্ত উক্তির দ্বারা ঠিক এ বিষয়টিরই ইঙ্গিত করে বলেছে যে, আমাদের দেশের মানুষ আধুনিক চিন্তা- চেতনায় জাগরিত হয়ে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়। এ সময়কালে রাজা রামমোহন রায় ও ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরও সমাজ সংস্কারে হাত দেন। ডিরোজিও, বিদ্যাসাগর প্রমুখ অবাধে মুক্তমনে জ্ঞানচর্চার ধারা তৈরি করেন। ফলে দেশটির সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটে। সর্বোপরি ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনামলে বাংলার সামাজিক অবস্থার বেশ উন্নতি ঘটেছিল। এ প্রেক্ষাপটে শিক্ষিত শ্রেণির মধ্যে জাতীয়তাবোধের চেতনা জন্ম নেয়। এবং তারা পুরো দেশবাসীকে এ চেতনায় ঐক্যবদ্ধ করে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে। সুতরাং, উপরোক্ত আলোচনায় ১ম বন্ধুর শেষোক্ত উক্তিটি যথার্থ।
প্রশ্ন -৩ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
দৃশ্যকল্প-১ : মাত্র ২২ বছর বয়সে সিরাজউদ্দৌলা সিংহাসনে বসেন। তিনি দেশি ও বিদেশি ষড়যন্ত্রে ক্ষমতাচ্যুত হন।
দৃশ্যকল্প-২ : ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলার শাসন ক্ষমতায় চলে আসে। শাসন ব্যবস্থাকে রাজাস্ব আদায় ও প্রশাসন পরিচালনায় ভাগ করে।
ক. কত সালে ফখরউদ্দিন মোবারক শাহ স্বাধীন সুলতানী যুগ প্রতিষ্ঠা করেন? ১
খ. চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত বলতে কী বোঝায়? ২
গ. দৃশ্যকল্প-১ বাংলার ইতিহাসের কোন ঘটনাকে ইঙ্গিত করে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. “দৃশ্যকল্প-২ এর ফল ছিয়াত্তরের মন্বন্তর” উক্তিটি বিশ্লেষণ কর। ৪
 ৩নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. ১৩৩৮ সালে ফখরউদ্দীন মোবারক শাহ স্বাধীন সুলতানি যুগ প্রতিষ্ঠা করেন।
খ. ১৭৯৩ সালে কর্নওয়ালিস প্রশাসন কর্তৃক ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সরকার ও বাংলার জমি মালিকদের (সকল শ্রেণীর জমিদার ও স্বতন্ত্র তালুকদারদের) মধ্যে সম্পাদিত একটি যুগান্তকারী চুক্তি। এ চুক্তির আওতায় জমিদার ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় ভ‚-সম্পত্তির নিরঙ্কুশ স্বত্বাধিকারী হন।
গ. দৃশ্যকল্প-১ বাংলার ইতিহাসের কলঙ্কজনক অধ্যায় বাংলায় ইংরেজ শক্তির উত্থানকে ইঙ্গিত করে। তরুণ নবাব সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে তাঁর খালা ঘসেটি বেগম, মীরজাফর, মীর কাসিম, উমিচাঁদ, জগতশেঠ ও রাজবল্লভ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হলে ইংরেজ বণিকরা তাদের সাথে যোগ দেয়। এ সুযোগে মাদ্রাজ থেকে সৈন্যবাহিনী নিয়ে ইরেজ সেনাপতি ওয়াটসন ও ক্লাইভ কলকাতা দখল করে নেয়। এরপর নবাবের রাজধানী মুর্শিদাবাদ দখল করতে ক্লাইভ পলাশির আম্রকাননে উপস্থিত হয়। ১৭৫৭ সালের ২৩ শে জুন সে যুদ্ধে প্রবীণ সেনাপতি মীর জাফরের বিশ্বাসঘাতকতায় বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয় ঘটে। নবাবকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। বিজয়ের পর মীর জাফরকে নবাব বানালেও মূল ক্ষমতা চলে যায় ধূর্ত ও দুর্ধর্ষ ইংরেজ সেনাপতি রবার্ট ক্লাইভের হাতে।
উদ্দীপকে এ বিষয়টিরই ইঙ্গিত করে বলা হয়েছে যে, মাত্র ২২ বছর বয়সে সিরাজদ্দৌলা সিংহাসনে বসে দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্রে ক্ষমতাচ্যুত হন।
ঘ. “দৃশ্যকল্প-২ এর ফল ছিয়াত্তরের মন্বন্তর” উক্তিটি যথার্থ।
দৃশ্যকল্প-২ এ বাংলায় দ্বৈতশাসন ব্যবস্থা ফুটে উঠেছে। ক্লাইভ বাংলায় কিছুকাল দ্বৈতশাসন চালিয়ে যান। দ্বৈতশাসন ছিল একটি অদ্ভূত ব্যবস্থা। এ ব্যবস্থায় রাজস্ব আদায়, সামরিক ব্যবস্থা এবং প্রশসন পরিচালনার ক্ষমতা রইল কোম্পানীর হাতে। আর নবাব হলেন নামেমাত্র শাসক। এভাবেই নবাব হলেন ক্ষমতাহীন দায়িত্ব পালনকারী। অন্যদিকে কোম্পানীর শাসকরা হলেন দায়িত্বহীন ক্ষমতাবান। রাজস্বের দায়িত্ব পেয়ে ইংরেজরা প্রজাদের ওপর অতিরিক্ত করের বোঝা চাপিয়ে তা আদায়ে প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করে। এর ওপর ১৭৬৮ সাল থেকে তিন বছরের অনাবৃষ্টির ফলে দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। এটিই ইতিহাসে ছিয়াত্তরের মন্বন্তর নামে পরিচিত।
উদ্দীপকে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলার শাসন ক্ষমতায় চলে এসে শাসন ব্যবস্থাকে রাজস্ব আদায় ও প্রশাসন পরিচালনায় ভাগ করার কারণেই ১৭৬৮ সালে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। যা ইতিহাসে ছিয়াত্তরের মন্বন্তর নামে পরিচিত পায়। এ প্রেক্ষাপটে যথার্থই বলা যায়, দৃশ্যকল্প-২ এর ফল ছিয়াত্তরের মন্বন্তর।
প্রশ্ন -৪ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
রায়ান তার দাদার কাছ থেকে ১৬৮০-৮৩ সালের একটি ঐতিহাসিক ঘটনা শুনে বুঝতে পারে এদেশে একসময় বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়ীরা বাণিজ্য করত। তারা তাদের স্বার্থ হাসিল করার জন্য নানা কৌশল অবলম্বন কর থাকত। তবে এতে একটি দেশের ব্যবসায়ীরা বেশী লাভভান হয়।
ক. ইউরোপের শান্তি চুক্তি কী নামে পরিচিত। ১
খ. ‘ইকলিম’ ধারণাটি ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উল্লিখিত সময়ে লাভবানকৃত দেশটির বাণিজ্য বিস্তারের কারণ ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.বাংলার অভ্যন্তরের কোন্দলই কি উক্ত দেশটির বিজয়ের পিছনে কাজ করেছে? পাঠপুস্তকের আলোকে তুরে ধর। ৪
 ৪নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. ইউরোপের শান্তি চুক্তি ওয়েস্টফালিয়ার চুক্তি নামে পরিচিত।
খ. ১২০৬ সালে বখতিয়ার খলজির মৃত্যুর পর থেকে ১৩৩৮ সাল পর্যন্ত বাংলা জুড়ে মুসলিম শাসনের বিস্তার ঘটতে থাকে। এ সময়ের মধ্যে বাংলার তিনটি অংশে দিল্লির মুসলিম সুলতানদের তিনটি প্রদেশ বা বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়। বিভাগগুলোকে ফারসি ভাষায় ‘ইকলিম’ বলা হতো। উত্তর বাংলা জুড়ে প্রতিষ্ঠিত ছিল ইকলিম লখনৌতি, পশ্চিম বাংলায় ইকলিম সাতগাঁও এবং পূর্ব বাংলায় ইকলিম সোনারগাঁও।
গ. উল্লিখিত সময়ে তথা ১৬৮০ এই সময়ে যেমন : ১৬৮০-৮৩ এই চার বছরে শুধু ইংল্যাণ্ড থেকে বাংলার রপ্তানি আর দাঁড়ায় দুই লক্ষ পাউন্ড বা তৎকালীন হিসাবে আঠার লক্ষ টাকা। অর্থাৎ এ সময়ে লাভবানকৃত দেশটি হচ্ছে ইংল্যান্ড। আর এ সময়ে ইংল্যান্ডের বাণিজ্য বিস্তারের কারণ হলো পুঁজির জোর আর উন্নত কারিগরি জ্ঞানের সমন্বয়।
পুঁজির জোর আর উন্নত কারিগরি জ্ঞানের সমন্বয় করে ইংরেজ বণিকরা এদেশের স্থানীয় শ্রমিকদের খাটিয়ে বড় বড় শিল্পকারখানা স্থাপন করে প্রচুর মুনাফা অর্জন করতে থাকে। এ সময় ইংরেজরা অনেকগুলো কারখানা চালাত, এভাবে যখন এদেশে ইংরেজদের ব্যবসা ফুলে ফেঁপে উঠে, তখন বাংলা থেকে প্রচুর অর্থ ইংল্যান্ডে পাচার হতো। পাচারকৃত সম্পদের প্রাচুর্যের কথা স্বয়ং ক্লাইভ ইংল্যান্ড পার্লামেন্টে সবিষ্ময়ে উল্লেখ করেছিলেন। ১৬৮২ সালে বাংলার ইংরেজ কোম্পানিগুলোর গভর্ণর হিসেবে উইলিয়াম হেজেজ হুগলিতে আসেন। এ সময় বাংলার সুবেদার শায়েস্তা খানের বিভিন্ন স্তরের কর্মচারীদের দূর্নীতির কারণে ইংরেজদের ব্যবসায়ের ক্ষতি তিনি সরেজমিনে প্রত্যক্ষ করেন এবং ইংল্যান্ডের রাজা দ্বিতীয় জেমসকে বুঝিয়ে ১৬৮৬ সালে স্বদেশ থেকে সৈন্য এনে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেন। ১৬৮৭ থেকে ১৬৯০ পর্যন্ত ইংরেজদের সাথে মোগল শক্তির বেশ কয়েকটি খণ্ড যুদ্ধ হয় এবং শেষ পর্যন্ত ইংরেজরা তাদের ব্যবসায়িক সুবিধা আদায় করে এক ঢিলে দুই পাখি মারে। তারা এখানে তাদের কুঠি ও কারখানা তৈরি এবং সৈন্য রেখে ব্যবসায়ের অধিকার পায়। আবার সাথে সাথে প্রতিদ্ব›দ্বী অন্য ইউরোপীয় শক্তির উপর প্রাধান্য লাভ করে। এভাবেই বাংলা তথা ভারতীয় উপমহাদেশে ইংল্যান্ডের বাণিজ্য বিস্তার লাভ করে।
ঘ. বাংলার অভ্যন্তরের কোন্দলই উক্ত দেশ তথা ইংল্যান্ডের বিজয়ের পেছনে অগ্রণী ভ‚মিকা পালন করেছে।
আলিবর্দীর মৃত্যুর পর তার প্রিয় নাতি সিরাজউদ্দৌলা মাত্র ২২ বছর বয়সে সিংহাসনে বসলেন। তার সামনে এক দিকে উদীয়মান ইংরেজ শক্তি ও হামলাকারী বর্গিদের সামলানোর কঠিন কাজ আর অন্যদিকে বড় খালা ঘসেটি বেগম ও সিপাহসালার মীরজাফর আলী খানের মতো ঘনিষ্ঠজনদের ষড়যন্ত্র মোকাবিলার কাজ। সিরাজের বিরুদ্ধে তৃতীয় আরেকটি পক্ষও কাজ করেছে যথা : অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিস্তার ঘটার সাথে সাথে ভারতের বড় বড় ব্যবসাকেন্দ্রগুলোতে ক্ষমতালোভী ভারতীয় বণিক সমাজের অভ্যুদয় ঘটে। বাংলায় রাজপুতনা থেকে আগত মারওয়াড়িরা এই ক্ষমতাবান বণিক। তারাও ব্যবসায়িক স্বার্থে ইংরেজ বণিকদের পক্ষে যোগ দেয় ও বাংলার নবাবের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। অভ্যন্তরীণ এ কোন্দলকে যদিও ইংল্যান্ডের বিজয়ের প্রধান কারণ ধরা হয়, তবে এছাড়া আরও কিছু কারণ রয়েছে যেমন : শাসকদের প্রতি বাংলার জনগণের বিমুখতা ও উদাসীনতা; ইংরেজদের অর্থনৈতিক ও সামারিক শক্তি ছিল বেশ শক্তিশালী; এবং সিরাজউদ্দৌলার অদক্ষতা।
উপরোক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বলতে পারি বাংলার অভ্যন্তরের কোন্দল ইংল্যান্ডের বিজয়ের পেছনে কাজ করেছে সত্য, কিন্তু এটিই একমাত্র কারণ নয়।
প্রশ্ন -৫ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
‘ক’ এলাকায় বণিক শ্রেণির কিছু লোক বাহির থেকে ব্যবসার উদ্দেশ্যে এসে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে। স্থানীয় লোকজনকে বিভিন্নভাবে শাসন-শোষণ করে এবং নিজ দেশে সম্পদ পাচার করে। স্থানীয় জনগণ সচেতন হওয়ায় এক সময় তাদেরকে নিজ দেশে চলে যেতে হয়।
ক. ভাস্কো-ডা-গামা কত সালে কালিকট বন্দরে পৌছে? ১
খ. পুঁজি পাচার বলতে কী বোঝায়? ২
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত ঘটনাবলি বাংলার ইতিহাসের কোন ঘটনাকে স্মরণ করিয়ে দেয়? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.“উক্ত বণিক শ্রেণির রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলের পিছনে রয়েছে বাংলার শাসকদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও চক্রান্ত”- বিশ্লেষণ কর। ৪
 ৫নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. পর্তুগিজ নাবিক ভাস্কো-ডা-গামা ১৪৯৮ সালে কালিকট বন্দরে পৌঁছে।
খ. ব্যাপকহারে অর্থ ও সম্পদ দেশের বাইরে চলে যাওয়াকে পুঁজি পাচার বলে। ইতিহাস থেকে জানা যে, সম্রাট জাহাঙ্গীর বিভিন্ন অজুহাতে বাংলার কোষাগার থেকে টাকা ও সম্পদ নিতে শুরু করেন। সুবেদার শায়েস্তা খান ও সুবেদার সুজাউদ্দিনও বাংলা থেকে প্রচুর টাকা ও সম্পদ দিল্লিতে নিয়ে যান। যা পুঁজি পাচার হিসেবে বিবেচিত।
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত ঘটনাবলি বাংলার ইতিহাসের ইংরেজ শক্তির উত্থান ও তাদের পরিণতিকে স্মরণ করিয়ে দেয়। দি ব্রিটিশ ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি ধীরে ধীরে এদেশের তাদের প্রতিপত্তি বাড়িয়ে নবাবের দরবারে প্রভাব বিস্তারের মতো ক্ষমতা ভোগ করতে শুরু করে। ১৭৫৬ সালে আলিবর্দী খাঁর মৃত্যুর পর ক্ষমতার উত্তরাধিকার নিয়ে নবাব পরিবার এবং রাজপ্রাসাদের অভিজাতদের মধ্যে যে দ্ব›দ্ব শুরু হয় কোম্পানির কর্তারা তার সুযোগ নিতে কসুর করে নি। ১৭৫৭ সালের ২৩ শে জুন পলাশীর যুদ্ধে প্রবীণ সেনাপতি মীরজাফরের বিশ্বাসঘাতকতায় বাংলা-বিহার উড়িষ্যার নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয় ঘটে। ক্ষমতা চলে যায় ধূর্ত ও দুর্ধর্ষ ইংরেজ সেনাপতি রবার্ট ক্লাইভের হাতে। শেষ পর্যন্ত ১৭৬৫ সালে ক্লাইভ দিল্লির সম্রাটের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানি লাভ করেন। অতঃপর প্রায় দুইশ বছর ইংরেজরা স্থানীয় লোকজন তথা বাংলা ও ভারতবর্ষ শাসন শোষণ করে; নানাভাবে, নানা কৌশলে। তবে তাদের শত প্রচেষ্টাও তাদের শাসনকে স্থায়ী করেনি। ব্রিটিশদের অনুগত শ্রেণি সৃষ্টিতে তারা ইংরেজ শিক্ষার প্রসার ঘটায়। কিন্তু ফলাফলে শিক্ষিত শ্রেণির মধ্যে জাতীয়তাবোধের উন্মেষ ঘটে। সমগ্র বাংলাকে বরং পুরো ভারতবর্ষকে তারা কুসংস্কারমুক্ত, সচেতন ও দেশেপ্রেমে উদ্ধুদ্ধ জনগোষ্ঠীতে পরিণত করে। স্থানীয় জনগণের এ সচেতনতায় তথা জাতীয়তাবোধের চেতনার বলে ইংরেজরা ১৯৪৭ সালের আগস্টে এদেশ ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়। উদ্দীপকটি ইংরেজদের এ উত্থান পতনের ঘটনাই স্মরণ করিয়ে দেয়।
ঘ. উক্ত বণিক তথা ইংরেজ বণিক শ্রেণির রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলের পেছনে রয়েছে বাংলার শাসকদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও চক্রান্ত।
১৭৫৬ সালে আলিবর্দী খাঁর মৃত্যুর পর ক্ষমতার উত্তরাধিকার নিয়ে নবাব পরিবার এবং রাজপ্রাসাদের অভিজাতদের মধ্যে দ্বন্ধ শুরু হয়। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর কর্তারা এটিকে বাংলার ক্ষমতা গ্রহণের মহাসুযোগ হিসেবে গ্রহণ করে। এছাড়া তরুণ নবাব সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে তাঁর খালা ঘসেটি বেগম, মীরজাফর মীরকাসিমসহ রাজদরবারের প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গ এবং উমিচাঁদ, জগৎ শেঠ ও রাজবল্লভদের মতো তৎকালীন ধনী অভিজাতদের একটি অংশ গভীর চক্রান্তে লিপ্ত হয়। এমতাবস্থায় ইংরেজ বণিকরা চক্রান্তকারীদের মদদ দিতে থাকে। অন্তর্দ্ব›দ্ব ও অভ্যন্তরীণ চক্রান্তের সুযোগ কাজে লাগিয়ে ইংরেজ সেনাপতি ওয়াটসন ও ক্লাইভ সৈন্য বাহিনী নিয়ে এসে কলকাতা দখল করে নেয়। এরপর নবাবের রাজধানী মুর্শিদাবাদ দখল করতে ক্লাইভ পলাশীর আম্রকাননে উপস্থিত হয়। ১৭৫৭ সালের ২৩ শে জুন সেই যুদ্ধে প্রবীণ সেনাপতি মীরজাফরের বিশ্বাসঘাতকতায় বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয় ঘটে এবং নবাবকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এরই সাথে সাথে বাংলার শাসনক্ষমতা চলে যায় ইংরেজ বণিকদের হাতে।
উপরোক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, ইংরেজ বণিক শ্রেণির রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পেছনে বাংলার শাসকদের আভ্যন্তরীণ কোন্দল ও চক্রান্তই দায়ী।
প্রশ্ন -৬ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
মোহাম্মদ আব্দুস ছামাদ যুবক বয়সে ঘিওর উপজেলার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পান। কিন্তু প্রথম থেকেই তার কিছু নিকট আত্মীয়স্বজন নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় এবং পরবর্তীকালে তার কাজকর্ম পরিচালনার সময় বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে।
ক. ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কত সালে কাশিম বাজারে বাণিজ্য কুঠি স্থাপন করে? ১
খ. পুঁজি পাচার বলতে কী বোঝায়? ২
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত কারণটি নবাব সিরাজউদ্দৌলার পতনের কোন কারণের সাথে মিল আছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. তুমি কি মনে কর, উক্ত কারণটিই নবাব সিরাজউদ্দৌলার পতনের একমাত্র কারণ? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও। ৪
ল্ফল্প ৬নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ১৬৫৮ সালে কাশিমবাজারে বাণিজ্য কুঠি স্থাপন করে।
খ. ব্যাপক হারে অর্থ ও সম্পদ দেশের বাইরে চলে যাওয়াকে পুঁজি পাচার বলে। ইতিহাস থেকে জানা যায় যে, সম্রাট জাহাঙ্গীর বিভিন্ন অজুহাতে বাংলার কোষাগার থেকে টাকা ও সম্পদ নিতে শুরু করেন। সুবেদার শায়েস্তা খান ও সুবেদার সুজাউদ্দিনও বাংলা থেকে প্রচুর টাকা ও সম্পদ দিল্লীতে নিয়ে যান। এগুলোই পুঁজি পাচার হিসেবে বিবেচিত।
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত কারণটি নবাব সিরাজউদ্দৌলার পতনের গুরুত্বপূর্ণ কারণ নিকট-আত্মীয় বড় খালা ঘসেটি বেগম ও সিপাহসালার মীর জাফর আলী খানের ষড়যন্ত্রের সাথে মিল আছে।
উদ্দীপকে বর্ণিত মোহাম্মদ আব্দুস সামাদ যুবক বয়সে ঘিওর উপজেলার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পান। কিন্তু প্রথম থেকেই তার কিছু নিকট আত্মীয়স্বজন নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় এবং পরবর্তীকালে তার কাজকর্ম পরিচালনার সময় বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে। তার এ ঘটনার সাথে নবাব সিরাজউদ্দৌলার তুলনা করলে দেখা যায়, তার আত্মীয়-স্বজন যেমন ঘসেটি বেগম ও মীর জাফর আলী খান তার পতনের জন্য প্রথম থেকেই ষড়যন্ত্র শুরু করে। নবাব সিরাজউদ্দৌলার পতনে এই ষড়যন্ত্র বিরাট ভ‚মিকা পালন করে। তিনি তরুণ বয়সে এদের ওপরই বেশি বিশ্বাস স্থাপন করেছিলেন। কিন্তু তার এসব নিকট আত্মীয়রা তার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য বিদেশিদের সাথে হাত মিলিয়েছিলেন।
ঘ. অনেকগুলো কারণেই নবাব সিরাজউদ্দৌলার পতন হয়েছিল। এর মধ্যে তাঁর নিকট আত্মীয়দের ষড়যন্ত্র একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ সন্দেহ নেই। তবে এ কারণটিই তার পতনের একমাত্র কারণ বলে আমি মনে করি না।
নবাব সিরাজউদ্দৌলার অনভিজ্ঞতা। কারণ তিনি মাত্র ২২ বছর বয়সে সিংহাসনের বসেন, তাঁর রাজ্য পরিচালনার কোন পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিল না। উদীয়মান ইংরেজ শক্তি ও হামলাকারী বর্গিদের বিরুদ্ধে আক্রমণ করার মতো যথেষ্ট শক্তি নবাবের ছিল না। ভারতীয় বণিক সমাজের অভ্যুদয়ও নবাবের পতনের একটি অন্যতম কারণ। রাজপুতনা থেকে আগত মাওয়াড়িরা তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থে ইংরেজ বণিকদের সাথে একযোগে নবাবের পতনে অংশগ্রহণ করে। কাজেই উপরিউক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায় যে, কেবল নিকট আত্মীয়দের ষড়যন্ত্রেই নবাব সিরাজউদ্দৌলার পতন হয় নি। তার পতনের জন্য আরও কতকগুলো কারণ দায়ী ছিল।
প্রশ্ন -৭ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
৮ম শ্রেণির ছাত্র সাইম টেলিভিশনে মোগল শাসকের উপর নির্মিতি একটি প্রামাণ্য চিত্র দেখেছিল। তখন শাসকদের সম্পদের কোনো অভাব ছিলো না। জিনিসপত্রের দামও খুব সস্তা ছিল। কিন্তু সাধারণ মানুষের জিনিসপত্র কেনার সামর্থ ছিল না।
ক. মোগল সম্রাট আকবরের সেনাপতি ছিলেন কে? ১
খ. ইউরোপে যুদ্ধরত দেশগুলির মধ্যে সম্পাদিত শান্তি চুক্তিটি ব্যাখ্যা কর। ২
গ. সাইমের দেখা প্রামাণ্য চিত্রে কার শাসনামলের চিত্র প্রতিফলিত হয়েছে? বর্ণনা কর। ৩
ঘ.“উদ্দীপকে বর্ণিত পরিস্থিতির ফলে বাংলায় ঔপনিবেশিক শক্তির বিজয় ঘটে”- মতামত দাও। ৪
ল্ফল্প ৭নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. মোগল সম্রাট আকবরের সেনাপতি ছিলেন মানসিংহ।
খ. ১৬৪৮ সালে ইউরোপের যুদ্ধরত বিভিন্ন দেশের মধ্যে একটি শান্তিচুক্তি হয়। একে বলে ওয়েস্টফালিয়ার চুক্তি। এটি সম্পাদিত হওয়ার পর শান্তি প্রতিষ্ঠিত হলে বিভিন্ন ইউরোপীয় জাতি নতুন উদ্যমে বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ে। এদের অধিকাংশের লক্ষ্য ছিল ভারতবর্ষ।
গ. সাইমের দেখা প্রামাণ্য চিত্রে শায়েস্তা খানের শাসনামলের চিত্র প্রতিফলিত হয়েছে।
সুবেদার শায়েস্তা খানের আমলে জিনিসপত্রের দাম অনেক সস্তা ছিল। কিন্তু তখন সাধারণত মানুষের দারিদ্র্য এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে, তাদের ক্রয়ক্ষমতা বলে আসলে কিছুই ছিল না। তাই চালসহ নিত্যব্যবহার্য জিনিস বা গরু ছাগলের দাম অবিশ্বাস্য রকম কম হলেও তা প্রজাদের কোনো উপকারে আসেনি।
উদ্দীপকে সাইমের দেখা প্রামাণ্য চিত্রের শাসকেরও সম্পদের কোনো অভাব ছিল না। জিনিসপত্রের দামও খুব সস্তা ছিল। কিন্তু সাধারণ মানুষের কেনার সামর্থ্য ছিল না।
সুতরাং বলা যায়, সাইমের দেখা প্রামাণ্য চিত্রে সুবেদার শায়েস্তা খানের শাসনামলের চিত্র প্রতিফলিত হয়েছে।
ঘ. উদ্দীপকে মুঘল শাসক সুবেদার শায়েস্তা খানের শাসনামলের চিত্র ফুটে উঠেছে। তার শাসনামলে বর্ণিত পরিস্থিতির ফলে বাংলায় ঔপনিবেশিক শক্তির বিজয় ঘটে।
সুবেদার শায়েস্তা খানের আমলে জিনিসপত্রের দাম অনেক সস্তা তখন সাধারণ মানুষের দারিদ্র্য এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে, তাদের ক্রয়ক্ষমতা বলে আসলে কিছুই ছিল না। তার সময় বাংলা থেকে প্রচুর অর্থ দিলি­তে পাচার হতো। শুধুমাত্র ১৬৭৮ সালে তিনি একবার নগদ ৩০ লাখ টাকা মূল্যের সোনা পাঠান দিলি­তে। এ ধারা পরবর্তী সময়ে কেবল বেড়েছেই। সুবেদার সুজাউদ্দিন তার ১১ বছরের সুবেদারি আমলে দিলি­তে প্রায় ১৪ কোটি ৬৩ লাখ টাকা পাঠান। এভাবে বহুকাল ধরে বাংলা থেকে ব্যাপক হারে অর্থ সম্পদ বাইরে চলে যায়।
দীর্ঘকাল ধরে পুঁজি পাচারের ফলে বাংলার দারিদ্র্য ও গ্রাম সমাজের স্থবিরতা এতই প্রকট ও গভীর ছিল যে, বাণিজ্য বিস্তারের ফলে সৃষ্ট নতুন সুযোগ কাজে লাগানোর মতো উদ্দীপনা তাদের ছিল না। তারা শাসকদের প্রতি এতটাই উদাসীন ছিল যে, ইংরেজরা খুব সহজেই বাংলায় ঔপনিবেশিক শাসন প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছিল।
প্রশ্ন -৮ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ছক-১ ছক-২
প্রতিষ্ঠাকাল – প্রতিষ্ঠান সাল Ñ ঘটনা
১৭৮১ Ñ কলকাতা মাদরাসা ১৮৫৭ Ñ সিপাহি বিদ্রোহ
১৭৯১ Ñ সংস্কৃত কলেজ ১৯০৫ বঙ্গভঙ্গ
১৮৫৭ Ñ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৪৭ Ñ ভারতবর্ষের স্বাধীনতা
ক. পর্তুগিজ নাবিক ভাস্কো-ডা-গামা কোন সালে ভারতের কালিকট বন্দরে পৌঁছে? ১
খ. ইউরোপীয় বণিকদের বাণিজ্যের জন্য ভারতবর্ষ লক্ষ্য ছিল কেন? ২
গ. ছক-১ এ উল্লিখিত বিষয়টি বাংলার ইতিহাসে কোন ঘটনাকে প্রতিফলিত করেছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.“ছক-২ এ উল্লিখিত নিরবচ্ছিন্ন ধারাবাহিক আন্দোলনের ফলেই ঔপনিবেশিক শাসনের অবসান ঘটে।” তুমি কি এর সাথে একমত? যুক্তিসহ বিশ্লেষণ কর।
ল্ফল্প ৮নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. পর্তুগিজ নাবিক ভাস্কো-ডা-গামা ১৪৯৮ সালে ভারতের কালিকট বন্দরে পৌঁছে।
খ. ইউরোপীয় বণিকদের বাণিজ্যের জন্য ভারতবর্ষ লক্ষ্য হওয়ার কারণ ছিল ভারতবর্ষের ধনসম্পদ। ভারতবর্ষ উর্বর দেশ ছিল এবং এখানে ধনসম্পদের প্রাচুর্য ছিল। এছাড়া ভারতবর্ষের অন্তর্ভুক্ত বাংলার সিল্ক ও অন্যান্য মিহি কাপড় এবং মসলা ইউরোপীয়দের প্রধান আকর্ষণ হয়ে ওঠে। এসব কারণে বাণিজ্যের জন্য ইউরোপীয় বণিকদের লক্ষ্য ছিল ভারতবর্ষ।
গ. ছক-১ এ উল্লিখিত বিষয়টি বাংলার ইতিহাসে যে ঘটনাকে প্রতিফলিত করেছে তাহলো বাংলায় নবজাগরণ। ছক-১ এ কলকাতা মাদরাসা, সংস্কৃত কলেজ ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সময়কাল উল্লেখ করা হয়েছে যা বাংলায় নবজাগরণের বিষয়কে নির্দেশ করে।
ইংরেজরা তাদের শাসন পাকাপোক্ত করার লক্ষ্যে দেশীয়দের মধ্য থেকে ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত একটি অনুগত শ্রেণি তৈরিতে মনোযোগ দেয়। এ উদ্দেশ্যে ১৭৮১ সালে ওয়ারেন হেস্টিংস কলকাতা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় হিন্দুদের জন্য ১৭৯১ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় সংস্কৃত কলেজ। তবে ইংরেজদের উদ্দেশ্য সাধনের পাশাপাশি আধুনিক শিক্ষার সংস্পর্শে এসে স্থানীয় মানুষের মধ্যে নতুন চেতনার স্ফুরণ ঘটতে থাকে।
রাজা রামমোহন রায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, ডিরোজিও প্রমুখ অবাধে মুক্তমনে জ্ঞানচর্চার ধারা তৈরি করেন। বাঙালির এই নবজাগরণ কলকাতা মহানগরীতে ঘটলেও এর পরোক্ষ প্রভাব সারা বাংলাতেই পড়ে।
ঘ. “ছক-২ এ উল্লিখিত নিরবচ্ছিন্ন ধারাবাহিক আন্দোলনের ফলেই ঔপনিবেশিক শাসনের অবসান ঘটে।” এ বিষয়টির সাথে আমি একমত পোষণ করি।
ছক-২ এ উল্লিখিত নিরবচ্ছিন্ন ধারাবাহিক ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহ ও ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গ এবং এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষের স্বাধীনতা অর্জন।
১৭৫৭ সালে বাংলা তথা ভারতবর্ষের শাসন ক্ষমতা ইংরেজদের হাতে চলে যায়। এ সময় ইংরেজ কোম্পানির শাসনে বৃহত্তর বাঙালি সমাজ প্রকৃতপক্ষে শোষিত হয়েছে। তাদের এই শোষনের বিরুদ্ধে ১৮৫৭ সালে ইংরেজ অধ্যুষিত ভারতের বিভিন্ন ব্যারাকে সিপাহীদের মধ্যে বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়ে। সিপাহিদের এই বিদ্রোহে ভারতবর্ষের অন্যান্য অঞ্চলের স্বাধীনচেতা শাসকরাও যোগ দেন। কিন্তু উন্নত অস্ত্র ও দক্ষ সেনাবাহিনীর সাথে চাতুর্য ও নিষ্ঠুরতার যোগ ঘটিয়ে ইংরেজরা এ বিদ্রোহ দমন করে। ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ কার্যকর করা হয়।
বঙ্গভঙ্গকে কেন্দ্র করে ভারতবর্ষের হিন্দু-মুসলিম দুই স¤প্রদায়ের মধ্যে যে দ্ব›দ্ব তৈরি হয় বঙ্গভঙ্গ কার্যকর হওয়ার পর থেকে তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। বঙ্গভঙ্গকে কেন্দ্র করে বাঙালি হিন্দু নেতারা ভারতবর্ষে বিভিন্ন আন্দোলন শুরু করে। অবশেষে ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ ইংজেদের নিকট থেকে স্বাধীনতা অর্জন করে।
প্রশ্ন -৯ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
জনাব ‘ক’ একটি ভিনদেশী বাণিজ্যিক কোম্পানির কর্মকর্তা ছিলেন। তারই ধূর্ততায় ১৭৬৫ সালে প্রতিষ্ঠানটি এক বিশেষ ক্ষমতা লাভ করে। এই ক্ষমতার কারণে স্থানীয় শাসকরা হয়ে পড়েন ক্ষমতাহীন। পক্ষান্তরে প্রতিষ্ঠানটির ক্ষমতা এতই বৃদ্ধি পায় যে তারা এক সময় সমগ্র দেশটাই দখল করে নেয়।
ক. পাল বংশের পর কোন রাজবংশ বাংলা শাসন করে? ১
খ. ছিয়াত্তরের মন্বন্তর কী? ২
গ. উদ্দীপকের ঘটনাটির সঙ্গে কোন ঐতিহাসিক ঘটনার সাদৃশ্য রয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.উক্ত প্রতিষ্ঠানটির শাসনামলে দেশটির সামাজিক অবস্থার উন্নতি ঘটেছিল Ñ পাঠ্যপুস্তকের আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪
ল্ফল্প ৯নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. পাল বংশের পর সেন রাজবংশ বাংলা শাসন করে।
খ. ১৭৬৫ সালে দেওয়ানি লাভের পর ইংরেজরা প্রজাদের ওপর অতিরিক্ত কর আদায়ে প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করে। এছাড়া ইংরেজি ১৭৬৮ সাল থেকে টানা তিন বছর অনাবৃষ্টি দেখা দেয়। মূলত এ দুটি কারণেই বাংলা ১১৭৬ সনে দেশে যে মারাত্মক দুর্ভিক্ষ দেখা দেয় সেটাই ইতিহাসে ছিয়াত্তরের মন্বন্তর নামে পরিচিত।
গ. উদ্দীপকের ঘটনাটির সাথে ইংরেজদের ‘দি ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া’ কোম্পানির বাংলার শাসন ক্ষমতা দখল করার ঘটনার সাদৃশ্য রয়েছে।
ধূর্ত রবার্ট ক্লাইভ ১৭৬৫ সালে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানি লাভের পর বাংলার রাজস্ব আদায়ের ক্ষমতা ইংরেজদের হাতে চলে যায়। প্রশাসনেও তাদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়। ক্লাইভ বাংলায় কিছুকাল দ্বৈতশাসন চালিয়ে যান। দ্বৈতশাসন ব্যবস্থায় রাজস্ব আদায়, সামরিক ব্যবস্থা এবং প্রশাসন পরিচালনার ক্ষমতা ইংরেজ কোম্পানির হাতে থাকে। এভাবেই নবাব ক্ষমতাহীন হয়ে পড়েন। অন্যদিকে কোম্পানির শাসকরা ক্ষমতাবান হন এবং এ সময় সমগ্র ভারতবর্ষ দখল করেন। অনুরূপভাবে উদ্দীপকেও দেখা যায়, জনাব ‘ক’ একটি ভিনদেশি বাণিজ্যিক কোম্পানির কর্মকর্তা ছিলেন। তারই ধূর্ততায় ১৭৬৫ সালে প্রতিষ্ঠানটি এক বিশেষ ক্ষমতা লাভ করে। এই ক্ষমতার কারণে স্থানীয় শাসকরা ক্ষমতাহীন হয়ে পড়েন। পক্ষান্তরে প্রতিষ্ঠানটির ক্ষমতা এতই বৃদ্ধি পায় যে তারা এক সময় সমগ্র দেশটাই দখল করে নেয়।
ঘ. উক্ত প্রতিষ্ঠানটির অর্থাৎ ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনামলে দেশটির সামাজিক অবস্থার উন্নতি ঘটেছিল।
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসকগণ তাদের শাসনকে স্থায়ীরূপ দেওয়ার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। এসকল কাজের উদ্দেশ্য নেতিবাচক হলেও তা দ্বারা বাংলার সামাজিক অবস্থার উন্নতি ঘটেছিল। শাসনক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করার জন্য তারা দেশীয়দের মধ্য থেকে ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত একটি অনুগত শ্রেণি তৈরির প্রতি মনোযোগ দেয়। এ প্রেক্ষিতে ওয়ারেন হেস্টিংস ১৭৮১ সালে কলকাতা মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৭৯১ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় সংস্কৃত কলেজ। অবশেষে ১৮৫৭ সালে উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণার প্রতিষ্ঠান হিসেবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আধুনিক শিক্ষার সংস্পর্শে এসে স্থানীয় মানুষের মধ্যে নতুন চেতনার স্ফুরণ ঘটতে থাকে। হিন্দু সমাজ থেকে সতীদাহের মতো প্রথার বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়, বিধবা বিবাহের পক্ষে মত তৈরি হয়। সর্বোপরি ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনামলে বাংলার সামাজিক অবস্থার বেশ উন্নতি ঘটেছিল।

প্রশ্ন -১০ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
‘অ’ নামধারী একটি বিদেশি শক্তি ‘ই’ নামকধারী দেশটি দখল করে ধৈত শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করে। ‘অ’ দেশে স্থায়ীভাবে থাকা তাদের কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। এজন্য তারা পুঁজি পাচারের দিকে মনোযোগী হয়। অবশ্য ‘ই’ দেশে এর অনেক আগে থেকেই বিদেশি শাসকরা এসেছিল যারা শাসন করার পাশাপাশি স্থায়ীভাবে বসবাস করেছিল।
ক. বার্নিয়ের কে ছিলেন? ১
খ. ঔপনিবেশিক শাসন বলতে কী বোঝ? ২
গ. দৃশ্যকল্পের শেষাংশে বর্ণিত শাসকদের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ বাংলার শাসকদের তালিকা তৈরি কর। ৩
ঘ.দৃশ্যকল্পের শেষাংশে উল্লিখিত শাসকবৃন্দ নয় ‘অ’ শক্তিই ‘ই’ দেশে উপনিবেশ প্রতিষ্ঠা করেছিল পাঠ্যবইয়ের আলোকে মতামত দাও। ৪
ল্ফল্প ১০নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. বার্নিয়ের ছিলেন একজন পর্যটক।
খ. কোনো দেশের উপর অন্য কোনো দেশের জুড়ে বসাকে দখলদারদের উপনিবেশ স্থাপন বলে। আর এই উপনিবেশে প্রতিষ্ঠা করা শাসনকে ঔপনিবেশিক শাসন বলা হয়।
গ. দৃশ্যকল্পের ‘ই’ দেশের সাথে বাংলার শাসনব্যবস্থার সাদৃশ্য পাওয়া যায়। বাংলার ধনসম্পদের আকর্ষণে খ্রিষ্টপূর্ব যুগে বহিরাগত শাসকদের আগমন ঘটেছিল। যারা স্থায়ীভাবে এ দেশ শাসন করতে এসেছিল। বাংলায় আগত বিদেশি শাসকরা হলো মৌর্য সম্রাট মহামতি অশোক, গুপ্ত সাম্রাজ্য, সেন সাম্রাজ্য, তুর্কি সেনাপতি ইখতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ বিন বখতিয়ার খলজি, মোগল সাম্রাজ্য, ফখরউদ্দিন মুবারক শাহ, শের খান সুর, সম্রাট আকবর, সম্রাট জাহাঙ্গীর।
ঘ. দৃশ্যকল্পের শেষাংশে বাংলায় আগত যে সকল বিদেশি শাসকদের কথা বলা হয়েছে তারা এদেশে স্থায়ীভাবে শাসনের উদ্দেশ্যে এসেছিল। কিন্তু দৃশ্যকল্পের ‘অ’ নামক দেশটি অর্থাৎ ইংরেজরা বাংলা শাসনের উদ্দেশ্যে নয়, এসেছিল বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে।
কোনো দেশ দখল করে শাসন প্রতিষ্ঠা করলেই তাকে ঔপনিবেশিক শাসন বলা যায় না। কারণ দখলদার শক্তি স্থায়ীভাবে শাসন প্রতিষ্ঠা করতে আসে না। তারা জানে একদিন এই শাসনের পাঠ উঠিয়ে ফিরে যেতে হবে নিজ দেশে। তবে যতদিন শাসক হিসেবে থাকবে ততদিন সেই দেশের ধন-সম্পদ নিজ দেশে পাচার করবে। তারপর যখন তাদের শাসনের বিরুদ্ধে স্থানীয় মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠবে তখন তারা নিজ দেশে ফিরে যাবে। এভাবে অন্য কোনো দেশের ওপর জুড়ে বসাকে বলে দখলদার উপনিবেশ স্থাপন। যেমনটি আমরা দেখতে পাই প্রথমাংশে, দৃশ্যকল্পের ‘অ’ নামক বিদেশি শক্তি ‘ই’ নামক দেশ দখল করে শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করে। কিন্তু শাসনের চেয়ে তাদের উদ্দেশ্য ছিল পুঁজি পাচারের দিকে। সুতরাং বলা যায় ‘অ’ শক্তিই ‘ই’ দেশে উপনিবেশ প্রতিষ্ঠা করেছিল।
প্রশ্ন -১১ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
আরাফাত একটি ঐতিহাসিক নাটক দেখছে। নাটকের কাহিনীতে দেখা যায়, একজন সম্রাটের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র চলে। সম্রাটের কিছু আত্মীয়, তার পরিষদের কিছু সদস্য ও একটি বিদেশি কোম্পানি চক্রান্ত করে সম্রাটকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য। অবশেষে কোম্পানির সৈন্যদের সাথে যুদ্ধে সম্রাটের সেনাপতির বিশ্বাসঘাতকতায় সম্রাটের পরাজয় ঘটে।
ক. ছিয়াত্তরের মন্বন্তরে মৃতের সংখ্যা কত ছিল? ১
খ. স্বদেশি আন্দোলনের কারণ কী? ২
গ. আরাফাতের দেখা নাটকটিতে বাংলার কোন সময়ের ইতিহাস প্রতিফলিত হয়েছে দেখাও। ৩
ঘ.উক্ত সময়ে কীভাবে বাংলায় ঔপনিবেশিক শাসনের সূত্রপাত হয় বিশ্লেষণ কর। ৪
ল্ফল্প ১১নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. ছিয়াত্তরের মন্বন্তরে মৃতের সংখ্যা ছিল প্রায় এক কোটি।
খ. ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গই স্বদেশি আন্দোলনের কারণ।
১৯০৫ সালে ইংরেজরা বাংলাকে বিভক্ত করে দেয়। বাংলার এই বিভক্তিকে বাংলার মানুষ বিশেষ করে হিন্দু সমাজ অপছন্দ করে। বঙ্গভঙ্গ কার্যকর করা থেকে শাসকদের বিরত করার জন্যই তারা স্বদেশি আন্দোলন গড়ে তোলে।
গ. আরাফাতের দেখা ঐতিহাসিক নাটকটিতে বাংলার শেষ নবাব সিরাজউদ্দৌলার শাসনামলের সময়ের চিত্র প্রতিফলিত হয়েছে।
সিরাজউদ্দৌলা ছিলেন বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব। তিনি ছিলেন নবাব আলিবর্দী খানের দৌহিত্র। আলিবর্দী খান মৃত্যুর পূর্বে সিরাজকে উত্তরাধিকারী মনোনীত করে যান।
তিনি মাত্র ২২ বছর বয়সে মুর্শিদাবাদের সিংহাসনে আরোহণ তিনি মাত্র ২২ বছর বয়সে মুর্শিদাবাদের সিংহাসনে আরোহণ করেন। এ কারণে তার আত্মীয়স্বজনেরা অনেকেই ঈর্ষান্বিত হন। এ সূত্র ধরে অভিজাতদের একটি অংশ, নবাব দরবারের একটি অংশ এবং ইংরেজ বণিক গোষ্ঠী এ ষড়যন্ত্রে অংশ নেয়। নবাব ইংরেজদের দমন করার চিন্তা নিয়ে অগ্রসর হলেই যুদ্ধ শুরু হয়। যুদ্ধে নবাবের পক্ষে কেউ অগ্রসর হয়নি। নবাবের প্রধান সেনাপতি মীর জাফর আলী খানের বিশ্বাসঘাতকতায় নবাবের পরাজয় ঘটে।
উদ্দীপকের আরাফাত নাটকটিতে এ বিষয়টিই দেখেছে যে, সম্রাটের দরবারের কিছু লোক ও নিকটাত্মীয়রা ইংরেজদের যোগসাজশে বিরোধিতার ফলে সম্রাটের পরাজয় ঘটে।
ঘ. নবাব সিরাজউদ্দৌলার ক্ষমতাচ্যুতির মাধ্যমে ইংরেজরা ঔপনিবেশিক শাসনের সূত্রপাত করে।
সিরাজউদ্দৌলার সিংহাসন আরোহণ তার অন্য আত্মীয়স্বজনরা ভালোভাবে গ্রহণ করতে পারেনি। ফলে ইংরেজদের সাথে যুদ্ধে নবাব একাকী হয়ে পড়েন। তার বিরুদ্ধে তিন অপশক্তি ঐক্যবদ্ধ হয়। নবাবের রাজধানী হস্তগত করার জন্য ইংরেজ শাসকরা পলাশীর আম্রকাননে নবাবকে পরাজিত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করে।
ইংরেজদের হাতকে শক্ত করে সিরাজউদ্দৌলার প্রধান সেনাপতি মীর জাফর। ফলে পলাশীর যুদ্ধে বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয় ঘটে। নবাবের পরাজয়ের সঙ্গে সঙ্গে বাংলার স্বাধীনতার অবসান ঘটে। শুরু হয় ঔপনিবেশিক শাসনের যুগ।
উদ্দীপকের ঘটনার আলোকে বলা যায়, প্রাচীন বাংলার নবাব ও শাসকদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণেই ইংরেজরা বাংলায় নিজেদের ভিত ধীরে ধীরে মজবুত করে। যার ফলে বাংলায় শুরু হয় পরাধীনতার যুগ তথা ঔপনিবেশিক যুগ। এভাবে ইংরেজগণ নিজেদের একচেটিয়া বাণিজ্যিক সুবিধার পাশাপাশি রাজনৈতিক ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে থাকে।
প্রশ্ন -১২  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
‘ক’ দেশে ১৭৫৭ সাল থেকে একটি বহিরাগত শক্তির শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। উক্ত বহিরাগত শক্তি ‘ক’ দেশ থেকে প্রচুর ধন-সম্পদ নিজ দেশে নিয়ে যায়। এক সময় উক্ত দেশের স্থানীয় জনগণ তাদের শাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে তারা নিজ দেশে ফিরে যায়।
ক. বাংলায় স্বাধীন সুলতানি যুগ পর্ব কত বছর স্থায়ী হয়েছিল? ১
খ. বাংলায় ঔপনিবেশিক শাসনের একটি কারণ উল্লেখ কর। ২
গ. ‘ক’ দেশে কিরূপ শাসনের বৈশিষ্ট্যের প্রতিফলন ঘটেছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.‘ক’ দেশে উক্ত বহিরাগত শক্তির আগমনের পূর্বে অন্য কোনো বহিরাগত শক্তির প্রবেশ ঘটেনি Ñ তুমি কি বক্তব্যটি সমর্থন কর? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও। ৪
 ১২নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. বাংলায় স্বাধীন সুলতানি যুগ পর্ব দু’শ বছর স্থায়ী হয়েছিল।
খ. বিভিন্ন কারণে বাংলায় ঔপনিবেশিক শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। এগুলোর মধ্যে একটি কারণ নিচে উল্লেখ করা হলোÑ
বাংলার শাসকদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও চক্রান্ত অনেক গভীর ছিল। তরুণ অনভিজ্ঞ সিরাজের পক্ষে তা মোকাবিলা করা সম্ভব হয় নি। ফলে বাংলায় ঔপনিবেশিক শাসন প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হয়।
গ. ‘ক’ দেশ তথা ভারতীয় উপমহাদেশে ঔপনিবেশিক শাসনের বৈশিষ্ট্যের প্রতিফলন ঘটেছে। ১৭৫৭ সাল থেকে বাংলায় ইংরেজদের যে শাসন প্রতিষ্ঠিত হয় সাধারণত আমরা তাকে ঔপনিবেশিক শাসন বলি। সাধারণত কোন বিদেশি শক্তি কোনো দেশ দখল করে শাসন প্রতিষ্ঠা করলেই তাকে ঔপনিবেশিক শাসন বলা হয় না। ঔপনিবেশিক শাসনের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে দখলদার শক্তি চিরস্থায়ীভাবে শাসন প্রতিষ্ঠা করতে আসেনা। তারা জানে একদিন এই শাসনের পাট উঠিয়ে তাদের ফিরে যেতে হবে নিজ দেশে। তবে যতদিন শাসক হিসেবে থাকবে ততদিন সেই দেশের ধন-সম্পদ নিজদেশে পাচার করবে। তারপর যখন তাদের শাসনের বিরুদ্ধে স্থানীয় মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠবে বা অন্য কোনো কারণে অন্যের দেশ শাসন করা আর সুবিধাজনক মনে হবে না তখন নিজ দেশে ফিরে যাবে।
অনুরূপভাবে উদ্দীপকেও দেখা যায়, ‘ক’ দেশে তথা ভারতীয় উপমহাদেশে ১৭৫৭ সাল থেকে একটি বহিরাগত শক্তির শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। উক্ত বহিরাগত শক্তি ‘ক’ দেশ থেকে প্রচুর ধন-সম্পদ নিজ দেশে নিয়ে যায়। এক সময় উক্ত দেশের স্থানীয় জনগণ তাদের শাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে তারা নিজ দেশে ফিরে যায়। কাজেই বলা যায়, ‘ক’ দেশে ঔপনিবেশিক শাসনের বৈশিষ্ট্যের প্রতিফলন ঘটেছে।
ঘ. ‘ক’ দেশে উক্ত বহিরাগত শক্তির আগমনের পূর্বে অন্য কোনো বহিরাগত শক্তির প্রবেশ ঘটেনিÑ বক্তব্যটি আমি সমর্থন করি না।
‘ক’ দেশটি হচ্ছে বাংলা এবং উক্ত বহিরাগত শক্তি হচ্ছে ইংরেজ। কেননা উদ্দীপকে দেখা যায়, ১৭৫৭ সাল থেকে ‘ক’ দেশে একটি বহিরাগত শক্তির শাসন প্রতিষ্ঠিত হয় যা বাংলায় ইংরেজদের শাসনকে নির্দেশ করে। তবে ইংরেজদের আগমনের অনেক আগে থেকেই বাংলায় বহিরাগত শক্তি প্রবেশ করেছিল। যেমন- খ্রিষ্টপূর্ব যুগেই বহিরাগত আর্যরা বাংলায় প্রবেশ করেছিল। এরপর খ্রিষ্টপূর্ব ৩ শতকে ভারতের মৌর্য সম্রাট মহামতি অশোক বাংলার উত্তরাংশ দখল করেন। মৌর্যদের পর ভারতে গুপ্ত সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর এগার শতকের শেষ দিকে বাংলা পুনরায় বহিরাগত শক্তি সেনাদের হাতে চলে যায়। তুর্কি সেনাপতি ইখতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ বিন বখতিয়ার খলজি সেন রাজা লক্ষণসেনকে পরাজিত করে বাংলার এক ছোট্ট অংশ দখল করেন। ১২০৬ সালে বখতিয়ার খলজির মৃত্যুর পর থেকে ১৩৩৮ সাল পর্যন্ত বাংলা জুড়ে মুসলিম শাসনের বিস্তার ঘটতে থাকে। ১৩৩৮ সালে সোনারগাঁওয়ের শাসনকর্তা ফখরউদ্দিন মুবারক শাহ দিল্লির মুসলমান সুলতানদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এভাবে বাংলায় দু’শ বছরের স্বাধীন সুলতানি যুগ প্রতিষ্ঠিত হয়।
কাজেই আলোচনার শেষে বলা যায়, বাংলায় ইংরেজ শক্তির আগমনের পূর্বে বিভিন্ন বহিরাগত শক্তির প্রবেশ ঘটেছিল।
প্রশ্ন -১৩ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
নাঈম একজন গার্মেন্টস শ্রমিক। অনেক পরিশ্রমের পর সে যে বেতন পায় তা দিয়ে তার সংসার চালাতে হিমসিম খেতে হয়। অথচ তারই কারখানার মালিক মমিনুল ইসলাম নিজের নার্সারিতে পড়–য়া মেয়েকে স্কুলে নেবার জন্য আলাদা একটি দামি গাড়ি কিনেছেন এবং মেয়ের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে আরও কয়েকটি শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছেন। এভাবে সম্পদ গড়তে শ্রমিকদের শোষণ করতেও তিনি কিঞ্চিত দ্বিধাবোধ করেন না।
ক. ওয়েস্টফালিয়ার চুক্তি কী? ১
খ. ভাস্কো-ডা-গামা ইতিহাসে বিখ্যাত কেন? ২
গ. উদ্দীপকের শোষিত নাঈমের সাথে বাংলায় আগত যে বহিরাগত বণিকদের শোষণনীতির সাদৃশ্য রয়েছে তার ব্যাখ্যা দাও। ৩
ঘ.মমিনুল ইসলামের শোষণনীতি ও উক্ত বহিরাগত বণিকদের শোষণনীতির তুলনামূলক আলোচনা কর। ৪
 ১৩ প্রশ্নের উত্তর 
ক. ১৬৪৮ সালে ইউরোপের যুদ্ধরত বিভিন্ন দেশের মধ্যে যে শান্তিচুক্তি হয়। তাকে ওয়েস্টফালিয়ার চুক্তি বলে।
খ. ভাস্কো-ডা-গামা একজন পর্তুগিজ নাবিক ছিলেন। তিনি ১৪৯৮ সালে ইউরোপ থেকে ভারতে আসার নতুন জলপথ আবিষ্কার করেন। এ জলপথ আবিষ্কারের ফলে ভারতের সাথে ইউরোপের সহজ যোগাযোগ স্থাপিত হয়। তাই ভাস্কো-ডা-গামা ইতিহাস বিখ্যাত হয়ে আছেন।
গ. উদ্দীপকের শোষিত নাঈমের সাথে বাংলায় আগত বহিরাগত ইউরোপীয় বণিকদের শোষণনীতির সাদৃশ্য রয়েছে।
উদ্দীপকের নাঈম গার্মেন্টসে চাকরি করে। তার মতো অনেক নারী-পুরুষ এদেশের শিল্পকারখানায় চাকরি করে। মালিকরা তাদের অনেক পরিশ্রম করায়। কিন্তু সেই তুলনায় তাদের পারিশ্রমিক দেয় না। এত পরিশ্রম করেও তারা মানবেতর জীবনযাপন করে। অনুরূপভাবে ইউরোপীয় বণিকরা বাংলায় ব্যবসা বাণিজ্য করতে এসে স্থানীয় শ্রমিকদের প্রচুর খাটাতো এবং প্রচুর মুনাফা অর্জন করত। কিন্তু শ্রমিকদের সেই তুলনায় পারিশ্রমিক দিত না। পুঁজির জোর আর উন্নত কারিগরি জ্ঞানের সমন্বয় করে ক্রমে বিদেশি বণিকরা এদেশে স্থানীয় শ্রমিকদের খাটিয়ে বড় বড় শিল্পকারখানা স্থাপন করে প্রচুর মুনাফা অর্জন করতে থাকে। এক পর্যায়ে ইউরোপীয় বণিকরা বিভিন্ন স্থানে বাণিজ্যকেন্দ্র স্থাপন করে। এসব বাণিজ্যকেন্দ্রগুলো ব্যবসায়িকভাবে সাফল্য লাভ করে এবং তারা নিজেদের দেশে প্রচুর সম্পদ পাচার করে।
ঘ. উক্ত বহিরাগত বণিক হলো ইউরোপীয় বণিক। ইউরোপীয় বণিকদের শোষণনীতি বাংলার বণিকদের মধ্যে যথেষ্ট প্রভাব ফেলে ছিল। পুঁজির জোর আর উন্নত কারিগরি জ্ঞানের সমন্বয় করে ক্রমে বিদেশি বণিকরা এদেশে স্থানীয় শ্রমিকদের খাটিয়ে বড় বড় শিল্পকারখানা স্থাপন করে প্রচুর মুনাফা অর্জন করত। কিন্তু শ্রমিকদের ন্যায্যমূল্য দিত না। ইউরোপীয় বণিকদের বিভিন্ন শিল্প ফ্যাক্টরিতে ৭ থেকে ৮ শত লোক কাজ করত। অনুরূপভাবে বাংলার বণিকরাও শ্রমিকদের প্রচুর পরিমাণে খাটিয়ে অনেক মুনাফা অর্জন করত। কিন্তু শ্রমিকদের নামেমাত্র টাকা দিত। যা ছিল ইংরেজদের শেখানো নীতি। বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন শিল্পকারখানাগুলোতেও এরুপ নীতি অবলম্বনের অভিযোগ শোনা যায়। যেটি আমরা উদ্দীপকে বর্ণিত মমিনুল ইসলামের কারখানার ক্ষেত্রেও দেখতে পাই। তদুপরি বর্তমানে শিল্পকারখানাগুলোর অবস্থার অনেক পরিবর্তন ঘটেছে। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা শ্রমিকদের স্বার্থ বিপন্ন করলেও সামগ্রিক পরিস্থিতি ভালোর দিকেই ইঙ্গিত করে।
প্রশ্ন -১৪ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
নিলয় ইতিহাস বই পড়ে জানতে পারে একটি বিদেশি শক্তি বাংলাকে প্রায় ২০০ বছর শাসন করেছে। উক্ত বিদেশি শক্তি ১৭৫৭ সালে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে পরাজিত ও হত্যা করে বাংলার শাসন ক্ষমতা দখল করে।
ক. কত সালে মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়? ১
খ. মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার কারণ ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকে যে শাসনের কথা বিবৃত হয়েছে তার ব্যাখ্যা দাও। ৩
ঘ.বাংলায় উক্ত শাসনব্যবস্থার পরিণতি বিশ্লেষণ কর। ৪
 ১৪নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. ১৯০৬ সালে মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়।
খ. মুসলমানরা তাদের দাবি-দাওয়া আদায়ের ক্ষেত্রে পিছিয়ে ছিল। যার ফলে তারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বঞ্চিত হয়। মুসলমানদের রাজনৈতিক দাবি-দাওয়া ইংরেজ শাসকদের কাছে তুলে ধরা এবং অধিকার আদায়ের জন্য মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়।
গ. উদ্দীপকে ব্রিটিশ শাসনের কথা বিবৃত হয়েছে।
উদ্দীপকে বর্ণিত নিলয় ইতিহাস বই পড়ে জানতে পারে একটি বিদেশি শক্তি বাংলাকে প্রায় দু’শো বছর শাসন করেছে। উক্ত বিদেশি শক্তি ১৭৫৭ সালে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে পরাজিত ও হত্যা করে বাংলার শাসন ক্ষমতা দখল করে যা বাংলায় ব্রিটিশ শাসনকে নির্দেশ করে।
১৭৫৭ সালের ২৩শে জুন নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে পরাজিত করে ধূর্ত ইংরেজ সেনাপতি রবার্ট ক্লাইভ মীর জাফরকে নামেমাত্র নবাব বানিয়ে বাংলার মূল ক্ষমতা নিজ হাতে নিয়ে নেন। এরপর ১৮৫৮ সালে ভারত শাসন আইন জারির মাধ্যমে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটে এবং ভারতের রাষ্ট্রক্ষমতা ব্রিটিশ রাজের হাতে ন্যাস্ত হয়।
ঘ. ব্রিটিশ শাসনব্যবস্থার পরিণতি নিচে বিশ্লেষণ করা হলো :
বাংলায় ব্রিটিশদের পরিণতি ভালো হয় নি। এদেশের জনগণের স্বাধীনচেতা মনোভাবের কাছে তারা পরাজিত হয়ে বিতাড়িত হয়েছিল। দু’শ বছরের শাসন-শোষণ আর নির্যাতনের যাঁতাকলে পিষ্ট হতে হতে এদেশের মানুষ সচেতন হয়ে উঠেছিল। হিন্দু-মুসলিম সকল স¤প্রদায়ের লোকেরা বুঝতে শিখেছিল তারা আমাদের শত্রæ। তাদের কাছে আমাদের জীবন নিরাপদ নয়। এজন্য অসংখ্য বিদ্রোহ হয় তাদের বিরুদ্ধে। গড়ে ওঠে সশস্ত্র যুদ্ধবিদ্রোহ, গুপ্তহত্যা ইত্যাদি।
রাজনৈতিকভাবেও এদেশের মানুষ সচেতন হয়ে ওঠে। রাজনৈতিক দল গঠন এবং আন্দোলনের মাধ্যমে এদেশের মানুষ জানিয়ে দেয় যে, তারা স্বাধীনতা চায়। যার ফলে ১৯৪৭ সালে ইংরেজ সরকার এদেশ ছাড়তে বাধ্য হয়। বাংলার মানুষ স্বাধীনতা লাভ করে।
প্রশ্ন -১৫ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
১৮৫৮ সালের ২রা আগস্ট ব্রিটিশ পার্লামেন্টে একটি আইন পাস হয়। উক্ত আইন জারির মাধ্যমে বাংলায় কোম্পানি শাসনের অবসান ঘটে।
ক. দিল্লির কোন বাদশাহ সিপাহি বিদ্রোহকে সমর্থন জানিয়েছিলেন? ১
খ. কোম্পানি শাসনের অবসান ঘটে কীভাবে? ২
গ. উদ্দীপকে প্রতিফলিত আইনের ব্যাখ্যা দাও। ৩
ঘ.উক্ত আইনের অধীনে বাংলার সামাজিক অবস্থার চিত্র তুলে ধর। ৪
 ১৫নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. দিল্লির বাদশাহ বাহাদুর শাহ জাফর সিপাহি বিদ্রোহকে সমর্থন জানিয়েছিলেন।
খ. সিপাহি বিপ্লবের প্রতিক্রিয়ায় ভারতবর্ষে কোম্পানি শাসনের অবসান ঘটে। ১৮৫৭ সালে ভারতীয় সৈনিকদের মাঝে অসন্তুষ্টি ছড়িয়ে পড়ে। এম প্রধান কারণ ছিল বৈষম্য। এতে ১৮৫৭ সালে সিপাহি বিদ্রোহ দেখা দেয়। এর প্রতিক্রিয়ায় ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটে।
গ. উদ্দীপকে প্রতিফলিত আইনটি হচ্ছে ভারত শাসন আইন। উদ্দীপকে দেখা যায়, ১৮৫৮ সালের ২রা আগস্ট ব্রিটিশ পার্লামেন্টে একটি আইন পাস হয় এবং উক্ত আইন জারির মাধ্যমে বাংলায় কোম্পানি শাসনের অবসান ঘটে যা ভারত শাসন আইনের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
ভারত শাসন আইন জারির ফলে ভারতের রাষ্ট্র ক্ষমতা ব্রিটিশ রাজের হাতে ন্যস্ত হয়। এর ফলে ব্রিটিশ মন্ত্রীসভা কর্তৃক একজন মন্ত্রীকে ভারত-সচিব পদে মনোনীত করা হয়। যিনি ১৫ সদস্যবিশিষ্ট পরামর্শক সভা বা কাউন্সিলের মাধ্যমে ভারত শাসনের ব্যবস্থা করবেন। এই আইন অনুসারে গভর্নর জেনারেলকে ভাইসরয় বা ব্রিটিশ রাজ প্রতিনিধি নামে অভিহিত করা হয়। লর্ড ক্যানিং প্রথম ভাইসরয় নিযুক্ত হন। এভাবেই ব্রিটিশ সরকার ভারতবর্ষের ওপর তাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে।
ঘ. উক্ত আইন হচ্ছে ভারত শাসন আইন। ভারত শাসন আইনের অধীনে বাংলার সামাজিক অবস্থার চিত্র নিচে তুলে ধরা হলো :
১৮৫৮ সালে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ভারত শাসন আইন পাস হয়। এরপর বাংলার শাসন ক্ষমতা চলে যায় ব্রিটিশ সরকারের হাতে ব্রিটিশ শাসনকালে (১৮৫৮-১৯৪৭) বাংলার সমাজে একদিকে কৃষক, অন্যদিকে মুষ্টিমেয় জমিদার শ্রেণি অবস্থান করছিল। সমাজে কুটির ও ক্ষুদ্র শিল্পের সঙ্গে জড়িত মানুষের সংখ্যা যথেষ্ট ছিল না। বণিকগোষ্ঠী তেমন সংগঠিত ছিল না। শিল্পেও বাংলার অবস্থান উল্লেখ করার মতো ছিল না। নারী সমাজ ব্যাপকভাবে পিছিয়ে ছিল। মধ্যবিত্ত সমাজও ততটা শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারেনি। ব্রিটেন এ সময়ে পৃথিবীর প্রধান ধনী দেশ হলেও উপনিবেশ হিসেবে আমাদের অবস্থান বেশ পিছিয়ে ছিল।
সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক

প্রশ্ন-১৬  বিউটি একটি ঐতিহাসিক নাটক দেখছে। নাটকের কাহিনীতে দেখা যায়, একজন সম্রাটের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র চলে। একটি বিদেশি কোম্পানির সৈন্যদের সাথে যুদ্ধে সম্রাটের সেনাপতির বিশ্বাসঘাতকতায় সম্রাটের পরাজয় ঘটে। [বরিশাল সরকারি বালিকা বিদ্যালয়]
ক. ফরাসিরা কত সালে বাংলায় প্রবেশ করে? ১
খ. ইউরোপীয়দের জন্য বাজার সন্ধান গুরুত্বপূর্ণ হয় কেন? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. বিউটির দেখা নাটকটিতে বাংলার কোন সময়ের ইতিহাস প্রতিফলিত হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উক্ত সময় কীভাবে বাংলায় ঔপনিবেশিক শাসনের সূত্রপাত হয় Ñ বিশ্লেষণ কর। ৪
প্রশ্ন-১৭  ইহিতাস ক্লাসে রায়হান সাহেব বাংলায় বিদেশি শাসনের কথা বলছিলেন। প্রশাসনিক নানা পরিবর্তনের মাধ্যমে তারা শাসক হিসেবে ভারতবর্ষে চেপে বসে থাকে। প্রায় দু’শ বছর শাসন করলেও তাদের উদ্দেশ্য ছিল মুনাফা অর্জন।
ক. কে বাংলায় স্বাধীন সুলতানি শাসন প্রতিষ্ঠা করেন? ১
খ. দ্বৈতশাসন বলতে কী বোঝ? ২
গ. উদ্দীপকে কোন বিদেশি শাসনের কথা বলা হয়েছে তারা কীভাবে শাসন ক্ষমতা গ্রহণ করেছিল তা উলে­খ কর। ৩
ঘ. বাংলার কৃষি ও তাঁত শিল্প ধ্বংসের জন্য উক্ত শাসকরাই দায়ীÑ বক্তব্যটি মূল্যায়ন কর। ৪
প্রশ্ন-১৮  রফিক স্যার ক্লাসে বাংলায় বিদেশি শাসনের বিস্তার নিয়ে আলোচনা করছিলেন। স্যার ছাত্রদের উদ্দেশ্য করে বললেন বাংলায় অনেক বিদেশি শক্তির আগমন ঘটলেও সবাই এখানে টিকে থাকতে পারেনি। তবে একটি কোম্পানি এদেশে ব্যবসা করতে এসে তারা সারা ভারতবর্ষে ছড়িয়ে পড়ে এবং দেশের শাসন ক্ষমতা দখল করে নেয়। নিজেদের স্বার্থে তারা এদেশের মানুষকে শোষণ করে।
ক. ভারত শাসন আইন পাশ হয় কত সালে? ১
খ. সিপাহি বিদ্রোহ কেন ব্যর্থ হয়েছিল? ২
গ. রফিক স্যার উদ্দীপকে যাদের কথা বলেছেন, তাদের শাসন আমলে বেশিরভাগ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও লাভবান হয়েছিল মুষ্টিমেয় জমিদার-পাঠ্যপুস্তকের আলোকে ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ‘শিক্ষা ও আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানে তাদের অবদান রয়েছে’ Ñ উক্তিটি মূল্যায়ন কর। ৪
প্রশ্ন-১৯  চায়ের আড্ডায় রনি ও জনির মধ্যে বিশ্ব অর্থনীতি সম্পর্কে আলোচনা হচ্ছিল। দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হিসেবে চীনের আবির্ভাবে রনি বিস্ময় প্রকাশ করে। জনি বলে, পৃথিবীর স্বনামধন্য শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে উঠেছে চীনে। এটি শুনে রনি বলে আমাদের দেশেও বহির্বিশ্বের অনেকেই শিল্প স্থাপন করেছিল। কিন্তু আমরা তো উন্নত হইনি। জনি বলে, ওরা আমাদের শোষণ করতে শিল্প স্থাপন করেছিল, আমাদের উন্নতির জন্য নয়।
ক. কত খ্রিষ্টাব্দে ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয়? ১
খ. বিদেশি বণিকদের ভারতে আসার কারণ ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের রনি কাদের কথা বলতে চেয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত কারণটিই বাংলাদেশ উন্নত হতে না পারার একমাত্র কারণÑ বিশ্লেষণ কর। ৪
প্রশ্ন-২০  নাইজার বদ্বীপ অঞ্চলে অক্সফার্ম কোম্পানির তেলের প্রধান পাইপ লাইন ধ্বংস করে দিয়েছে বিদ্রোহী গ্রæপ এসএলডি। এক বিবৃতিতে তারা বলেছে বহুজাতিক কোম্পানিগুলো এদেশের পুঁজিপতিদের সহায়তায় তেল সম্পদ লুটে নিচ্ছে। অথচ নাইজেরিয়ানদের খাদ্যের ব্যবস্থাটুকুও করছে না। এ খবরটি পড়ে রাজিয়ার দাদু বলে একটি বিদেশি শক্তিও এদেশের এরকম পরিণতি করেছিল। তবে বাঙালিরা তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল।
ক. কারা কলকাতাকে গুরুত্বপূর্ণ নগরী হিসেবে গড়ে তোলে? ১
খ. ব্রিটিশ শাসনামলে বাংলার নবজাগরণে কোন বিষয়গুলো ভ‚মিকা রেখেছিল? ব্যাখ্যা করো। ২
গ. রাজিয়ার দাদু তার বক্তব্যে কোন বিদেশি শক্তির প্রতি ইঙ্গিত করেছেন? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. বাংলায় উক্ত বিদেশি শক্তির শাসন পদ্ধতি আলোচনা করো। ৪

অনুশীলনের জন্য দক্ষতাস্তরের প্রশ্ন ও উত্তর

 জ্ঞানমূলক প্রশ্ন //
প্রশ্ন \ ১ \ মৌর্যদের পর ভারতে কোন সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তর : মৌর্যদের পর ভারতে গুপ্ত সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়।
প্রশ্ন \ ২ \ কখন উত্তর বাংলায় প্রথম বাঙালি স্বাধীন রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তর : সাত শতকে উত্তর বাংলায় প্রথম বাঙালি স্বাধীন রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়।
প্রশ্ন \ ৩ \ কার মৃত্যুর পর বাংলায় একশ বছর ধরে অরাজকতা চলতে থাকে?
উত্তর : রাজা শশাঙ্কের মৃত্যুর পর বাংলায় একশ বছর ধরে অরাজকতা চলতে থাকে।
প্রশ্ন \ ৪ \ মীর জাফর ও মীর কাশিমের আমলে বাংলার প্রচুর সম্পদ কোন দেশে পাচার হয়ে যায়?
উত্তর : মীর জাফর ও মীর কাশিমের আমলে বাংলার প্রচুর সম্পদ ইংল্যান্ডে পাচার হয়ে যায়।
প্রশ্ন \ ৫ \ সিরাজউদ্দৌলা কত বছর বয়সে সিংহাসনে বসেন?
উত্তর : সিরাজউদ্দৌলা ২২ বছর বয়সে সিংহাসনে বসেন।
প্রশ্ন \ ৬ \ বাংলা কত সালে ছিয়াত্তরের মন্বন্তর হয়?
উত্তর : বাংলা ১১৭৬ সালে ছিয়াত্তরের মন্বন্তর হয়।
প্রশ্ন \ ৭ \ ‘ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি’ কত সালে বাংলায় প্রবেশ করে?
উত্তর : ‘ডাচ ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি’ ১৬৩০ সালে বাংলায় প্রবেশ করে।
প্রশ্ন \ \ কখন বঙ্গভঙ্গ হয়?
উত্তর : ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ হয় ।
প্রশ্ন \ ৮ \ ভারত শাসন আইন অনুযায়ী গভর্নর জেনারেলকে কী নামে অভিহিত করা হয়?
উত্তর : ভারত শাসন আইন অনুযায়ী গভর্নর জেনারেলকে ভাইসরয় বা ব্রিটিশ রাজ প্রতিনিধি নামে অভিহিত করা হয়।
প্রশ্ন \ ৯ \ ব্রিটিশরা কখন বাংলা প্রদেশকে দ্বিখন্ডিত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করে?
উত্তর : ব্রিটিশরা ১৮৫৩ সালে বাংলা প্রদেশকে দ্বিখণ্ডিত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করে।
প্রশ্ন \ ১০ \ ১৭৯১ সালে কাদের জন্যে সংস্কৃত কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়?
উত্তর : ১৭৯১ সালে হিন্দুদের জন্যে সংস্কৃত কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়।
প্রশ্ন \ ১১ \ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তর : কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ১৮৫৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
প্রশ্ন \ ১২ \ কে ১৭৮১ সালে কলকাতা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তর : ওয়ারেন হেস্টিংস ১৭৮১ সালে কলকাতা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন।
প্রশ্ন \ ১৩ \ ১৯০৩ সালে কে বাংলাকে দুই ভাগে ভাগ করার প্রস্তাব দেন?
উত্তর : ১৯০৩ সালে ইংরেজ ভাইসরয় লর্ড কার্জন বাংলাকে দুই ভাগে ভাগ করার প্রস্তাব দেন।
 অনুধাবনমূলক //
প্রশ্ন \ ১ \ ঔপনিবেশিক শাসন বলতে কী বোঝ?
উত্তর : কোনো দেশের উপর অন্য কোনো দেশের জুড়ে বসাকে দখলদারদের উপনিবেশ স্থাপন বলে। আর এই উপনিবেশে প্রতিষ্ঠা করা শাসনকে ঔপনিবেশিক শাসন বলা হয়।
প্রশ্ন \ ২ \ মাৎসন্যায়ের যুগ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : গুপ্তদের পতনের পর সাত শতকে উত্তর বাংলায় প্রথম বাঙালি স্বাধীন রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়। এ স্বাধীন রাজ্যের রাজা ছিলেন শশাঙ্ক। তবে শশাঙ্কের রাজত্ব দীর্ঘস্থায়ী ছিল না। শশাঙ্কের মৃত্যুর পর একশ বছর ধরে বাংলায় অরাজকতা চলতে থাকে। একেই সংস্কৃত ভাষায় মাৎসন্যায়ের যুগ বলা হয়।
প্রশ্ন \ ৩ \ চতুর্দশ শতকে ইউরোপীয়দের নিকট বাজার সন্ধান গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে কেন?
উত্তর : ইউরোপীয়দের শক্তিশালী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ও সংগঠনগুলোর জন্য ইউরোপীয়দের নিকট বাজার সন্ধান গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। মূলত চতুর্দশ শতকে ইউরোপীয়দের অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ও সংগঠনগুলো শক্তিশালী হতে শুরু করলে তাদের কাঁচামালের প্রয়োজন হয়। এছাড়া উৎপাদিত সামগ্রী বিক্রি করারও প্রয়োজন দেখা দেয়। ফলে তাদের জন্য বাজার সন্ধান গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।
প্রশ্ন \ ৪ \ স্বদেশি আন্দোলনের কারণ কী?
উত্তর : ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গই স্বদেশি আন্দোলনের কারণ।
১৯০৫ সালে ইংরেজরা বাংলাকে বিভক্ত করে দেয়। বাংলার এই বিভক্তিকে বাংলার মানুষ বিশেষ করে হিন্দু সমাজ অপছন্দ করে। বঙ্গভঙ্গ কার্যকর করা থেকে শাসকদের বিরত করার জন্যই তারা স্বদেশি আন্দোলন গড়ে তোলে।
প্রশ্ন \ ৫ \ ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির প্রাক্কালে বাংলা ভ‚খণ্ডের ঐক্য প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির প্রাক্কালে বেশ কিছু কারণে বাংলা ভ‚খণ্ডের ঐক্য প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। ভারত বিভক্তির প্রাক্কালে বাংলা ভ‚খণ্ডকে ঐক্যবদ্ধ রাখার চেষ্টা হলেও ১৯৪৬ সালের নির্বাচন এবং কলকাতা ও নোয়াখালীর দাঙ্গা এ প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দেয়।
প্রশ্ন \ ৬ \ বাংলার জনগণ হিন্দু-মুসলমান পরিচয়ে বিভক্ত হয়ে পড়ে কেন?
উত্তর : ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ও মুসলিম লীগের রেষারেষিতে বাংলার জনসাধারণ দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। অসা¤প্রদায়িক রাজনীতির ধারা থেকে কংগ্রেস ও মুসলিম লীগ দূরে সরে যায়। ১৯৪০ সালে মুসলিম লীগ দ্বিজাতিতত্তে¡র ভিত্তিতে ভারত বিভক্তির ফর্মুলা প্রদান করে। ফলে বাংলার জনগণ হিন্দু মুসলমান পরিচয়ে বিভক্ত হয়ে পড়ে।

 

Leave a Reply