নবম-দশম শ্রেণির ব্যবসায় উদ্যোগ পঞ্চম অধ্যায় ব্যবসায়ের আইনগত দিক সৃজনশীল ও জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর

পঞ্চম অধ্যায়
ব্যবসায়ের আইনগত দিক

ব্যবসায়ের আইনগত দিক : ব্যবসায় উদ্যোক্তাদের কিছু বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ থাকে যেমন : কপিরাইট, পেটেন্ট, ট্রেডমার্ক ইত্যাদি। এগুলো ব্যবসায় উদ্যোগের গবেষণার ফসল এবং ব্যবসায়ের অতিমূল্যবান সম্পদ। এসব সম্পদ সংরক্ষণের জন্য সব দেশেই আইনগত বিধিবিধান রয়েছে। এগুলো সম্পর্কে ব্যবসায় উদ্যোক্তাদের প্রাথমিক জ্ঞান থাকা আবশ্যক। আইনকানুন সম্পর্কে ধারণা ব্যবসায়ের আইনগত সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে সাহায্য করে।
 লাইসেন্স : যেকোনো ব্যবসায় শুরু করার আগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হয় বা নিবন্ধন করতে হয়। অনুমোদন বা নিবন্ধন করার পদ্ধতি বিভিন্ন রকমের। একক মালিকানা ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে যদি এর অবস্থান পৌর এলাকার ভিতরে হয় তাহলে পৌর কর্তৃপক্ষের এবং পৌর এলাকার বাইরে হলে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ করতে হবে। বাংলাদেশে অংশীদারি ব্যবসায় নিবন্ধন বাধ্যতামূলক নয়।
 যৌথ মূলধনী কোম্পানি নিবন্ধন : কোম্পানি আইন অনুসারে বাংলাদেশ যৌথ মূলধনী ব্যবসায়ের নিবন্ধন বাধ্যতামূলক। এক্ষেত্রে কোম্পানির নিবন্ধকের ভ‚মিকা পালন করেন রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানি। প্রবর্তকগণ কোম্পানি আইন অনুসারে প্রয়োজনীয় দলিলসহ ফি প্রদান করে নিবন্ধকের নিকট আবেদন করেন। দলিলাদি ও প্রমাণপত্র পরীক্ষা নিরীক্ষা করে সন্তুষ্ট হলে নিবন্ধক নিবন্ধনপত্র ইস্যু করেন।
 ফ্রানসাইজিং : বর্তমানে ফ্রানসাইজিং পদ্ধতিতে ব্যবসায় স্থাপন ও পরিচালন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কোনো খ্যাতনামা কোম্পানির নাম ব্যবহার এবং এর পণ্য তৈরি, বিক্রি বা বিতরণ করার অধিকারকে ফ্রানসাইজিং বলে। ফ্রানসাইজিং ব্যবসায়ের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো :
 ফ্রানসাইজর ও ফ্রানসাইজিং এর মধ্যে চুক্তিপত্র।
 ব্র্যান্ডেড পণ্য বা সেবা।
 পণ্য বা সেবা স্বীকৃত মান ও প্রক্রিয়া অনুযায়ী হচ্ছে কিনা তা যাচাইয়ের জন্য ফ্রানসাইজার কর্তৃক মনিটরিং।
 ফ্রানসাইজ চুক্তি : ফ্রানসাইজিং ব্যবসায়ের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো ফ্রানসাইজং চুক্তি যা ফ্রানসাইজি ও ফ্রানসাইজারের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়। পুঁজির পরিমাণ, প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ব্যবস্থাপনায় সাহায্য, ফ্রানসাইজ এলাকা ইত্যাদি ভেদে চুক্তির ধারাগুলো বিভিন্ন রকম হতে পারে। চুক্তিপত্রের শর্তাবলি যদি উভয়ের কাছে গ্রহণযোগ্য হয় তাহলে চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হবে।
 মেধাসম্পদ : মনন ও মেধা দ্বারা সৃষ্ট কাজই মেধাসম্পদ। ব্যবসায়, শিল্পে বা বাণিজ্যে প্রয়োগ উপযোগী আবিষ্কার, সাহিত্য ও শিল্পকর্ম, নকশা, প্রতীক, নাম ইত্যাদি মেধাসম্পদের অন্তর্ভুক্ত। শিল্প বা ব্যবসায় উদ্যোক্তার মেধাসম্পদ বলতে ঐসব মূল্যবান সম্পদকে বোঝায় যা সে দীর্ঘদিন প্রচেষ্টা চালিয়ে উদ্ভাবন করেছে। এসব সম্পদের মধ্যে পেটেন্ট, ট্রেডমার্ক এবং কপিরাইট অন্যতম।
 পেটেন্ট : পেটেন্ট হলো এক ধরনের মেধাসম্পদ। পেটেন্টের মাধ্যমে এরূপ আবিষ্কারের জন্য আবিষ্কারককে তার স্বীকৃতিস্বরূপ একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য একচেটিয়া মালিকানা প্রদান করা হয়। পেটেন্ট করার প্রধান উদ্দেশ্য হলো শিল্পোদ্যোক্তার পরিশ্রমলব্ধ উদ্ভাবন নকল বা অন্য কোনো উপায়ে তৈরি বা বিক্রি করে যাতে কেউ আর্থিক সুবিধা অর্জন না করতে পারে তার ব্যবস্থা করা।
 পণ্য প্রতীক/ ট্রেডমার্ক : ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে কোনো পণ্যকে অন্যের অনুরূপ বা অভিন্ন পণ্য হতে স্বতন্ত্র করার লক্ষ্যে ব্যবহৃত প্রতীককে ট্রেডমার্ক বলে। ঠিক একই উদ্দেশ্যে সেবার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত প্রতীককে সার্ভিস মার্ক বলে। ডিভাইস, ব্রান্ড, শিরোনাম, লেবেল, টিকিট, নাম, স্বাক্ষর, শব্দ, অক্ষর, প্রতীক, সংখ্যা যুক্ত উপাদান, রঙের সমন্বয় বা এগুলোর যে কোনো রূপ সমন্বয় প্রতীকের অনুর্ভুক্ত হবে।
 ট্রেডমার্ক রেজিস্ট্রেশনের প্রয়োজনীয়তা : কোনো প্রতীক বা মার্কের রেজিস্ট্রেশন ঐ পণ্য বা সেবার ক্ষেত্রে প্রতীকটি ব্যবহারের বিষয়ে রেজিস্টার্ড মালিককে একচ্ছত্র স্বত্ব বা অধিকার প্রদান করে। রেজিস্টার্ড মালিকের অনুমতি ছাড়া কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ঐ প্রতীকটি ব্যবহার করতে পারবে না। আইন দ্বারা এ অধিকার সুরক্ষিত। এ অধিকার লঙ্ঘিত হলে মালিক আদালতে মামলা করে এর প্রতিকার পায়।
 ট্রেডমার্ক রেজিস্ট্রেশনের সময়সীমা : ট্রেডমার্কের রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হয় ৭ বছরের জন্য। মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার আগে আবেদন করলে ১০ বছরের জন্য নবায়ন করা যায়। অনির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত পুনঃপুন নবায়ন করা যায় ট্রেডমার্ক।
 কপিরাইট : কপিরাইট একটি বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ যা রক্ষা করার ব্যবস্থা না করলে এর স্বত্বাধিকারী বা মালিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গল্প, নাটক, প্রবন্ধ, কবিতা, জাতীয় সাহিত্যকর্ম, চিত্রকর্ম, চলচ্চিত্র, সঙ্গীত, ভাস্কর্য কপিরাইট দ্বারা সংরক্ষিত হয়। ব্রান্ডের পণ্য, খেলার তারকাদের নাম প্রভৃতি কপিরাইট চুক্তির মাধ্যমে বিপণন করা যায়। প্রকৃতপক্ষে কপিরাইট চুক্তি পণ্য বাজারজাতকরণের একটি জনপ্রিয় উপায়।
 বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন : কোনো বিশেষ পণ্য উৎপাদন, বিপণন বা সেই বিশেষ পণ্যটিকে বাজারে প্রচলিত পণ্য থেকে আলাদা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন বা বিএসটিআইর অনুমোদন নিতে হয়। নির্ধারিত ফরমে আবেদন করে এবং প্রয়োজনীয় ফি জমা দিয়ে পণ্য প্রতীক বা ট্রেডমার্ক নিবন্ধিকরণ করা যেতে পারে। পণ্যের মান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নির্ধারিত মান অনুযায়ী সেই সকল পণ্য উৎপাদন বা সার্টিফিকেট থেকে বাধ্যতামূলকভাবে সনদপত্র বা সার্টিফিকেট নিতে হয়।
 বিমা : যে চুক্তির মাধ্যমে কোনো প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি কর্তৃক নির্দিষ্ট প্রিমিয়ামের বিনিময়ে কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা বিষয় সম্পত্তি সম্পর্কিত কোনো ঘটনাজনিত ক্ষতির বা ঘটনার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করা হয় তাকে বিমাচুক্তি বলে। উক্ত ক্ষতিপূরণের জন্য বা নির্দিষ্ট অর্থ প্রদানের জন্য যে পক্ষ স্বীকৃত হয় তাকে বিমাকারী এবং যার ক্ষতিপূরণের জন্য বা যাকে অর্থ প্রদানের জন্য উক্ত চুক্তি সম্পাদিত হয় তাকে বিমাগ্রহীতা বলে।
 ব্যবসায়ে বিমার প্রয়োজনীয়তা : বিমা ব্যবসায়ের জন্য অত্যন্ত সহায়ক। বিমাকারী প্রতিষ্ঠান না থাকলে ঝুঁকির আশঙ্কায় অনেক ব্যবসায়ীকে প্রাথমিক পর্যায়েই তাদের ব্যবসায় বন্ধ করে দিতে হতো। তাই ব্যবসায়ের ঝুঁকিগত প্রতিবন্ধকতা ও বিরাজমান অশ্চিয়তা দূর করে ব্যবসায়কে নিরবচ্ছিন্নভাবে পরিচালনার জন্য বিমার প্রয়োজনীয়তা খুব বেশি।
 বিমার প্রকারভেদ : বর্তমানে বিভিন্ন প্রকার বিমার প্রচলন হয়েছে। এর মধ্যে চার প্রকার বিমা সর্বাধিক প্রচলিত। (১) জীবন বিমা, (২) নৌ বিমা (৩) অগ্নি বিমা এবং (৪) দুর্ঘটনা বিমা। বর্তমানকালে মানুষ ক্রমশই বিমার সুবিধা উপলব্ধি করায় উপরিউক্ত চার প্রকার বিমা ছাড়াও আরো কয়েক শ্রেণির বিমার প্রচলন হয়েছে।
 জীবন বিমা : যে বিমা চুক্তির মাধ্যমে বিমাকারী বিমা কিস্তির বিনিময়ে বিমা গ্রহণকারী ব্যক্তিকে বা তার নির্বাচিত ব্যক্তি বা উত্তরাধিকারীকে একটি বিশেষ সময়ের পরে বা বিমাগ্রহিতার মৃত্যুতে বিমাকৃত অর্থ প্রদান করে থাকে সেই বিমা চুক্তিকে জীবন বিমা বলে।
 অগ্নি বিমা : যে বিমা চুক্তির মাধ্যমে বিমাগ্রহীতা ব্যক্তিকে অগ্নিজনিত ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণ দান করা হয় তাকে অগ্নি বিমা বলে।
 নৌ বিমা : যে বিমায় নদী ও সামুদ্রিক যাত্রা থেকে সৃষ্ট ঝুঁকির জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রতিশ্র“তি দেওয়া হয় তাকে নৌ বিমা বলা হয়।
 দুর্ঘটনা বিমা : ব্যক্তির জীবন বা সম্পত্তি বিনাশের ঝুঁকি দুর্ঘটনা বিমার আওতাভুক্ত। এ জাতীয় বিমার শর্তানুসারে নির্দিষ্ট প্রিমিয়ামের পরিবর্তে আশঙ্কিত দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতি সংঘটিত হলে বিমাকারী বিমাগ্রহিতাকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করে।

অনুশীলনীর সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন-১  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
বার্ষিক পরীক্ষার পর ইসমাম হাতিয়া থেকে ঢাকায় বেড়াতে এলো। কলেজ পড়–য়া মামাতো ভাইয়ের সাথে চিড়িয়াখানা, নভোথিয়েটার, জাতীয় জাদুঘরসহ বিভিন্ন দর্শনীয় এলাকা ঘুরে বেড়াল। ইসমাম লক্ষ করল তার ভাই যেখানে যায়, সেখানে একই নামে একটি রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়া করে। কারণ জিজ্ঞাসা করে সে জানতে পারল এটি একটি বিদেশি রেস্টুরেন্ট। বাংলাদেশের বড় শহরগুলোতে এটির শাখা আছে। তবে এ জাতীয় ব্যবসায় এখনও বাংলাদেশে জনপ্রিয়তা লাভ করেনি।
ক. কত সালের ট্রেডমার্কস আইন বর্তমানে বাংলাদেশে চালু আছে?
খ. কপিরাইট বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়টি কোন ধরনের? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. এ জাতীয় ব্যবসায়ের জনপ্রিয়তা বাড়াতে করণীয় সম্পর্কে তোমার মতামত দাও।
 ১নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. ২০০৯ সালের ট্রেডমার্কস আইন বর্তমানে বাংলাদেশে চালু আছে।
খ. কপিরাইট একটি গুরুত্বপূর্ণ বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ যা রক্ষা করার ব্যবস্থা না করলে এর স্বত্বাধিকারী বা মালিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কপিরাইটের মাধ্যমে সাহিত্য, শিল্পকর্ম ও অন্যান্য শিল্পকলা সৃষ্টিকারীকে তার সৃষ্ট মেধাসম্পদ ব্যবহারের একচ্ছত্র অধিকার প্রদান করা হয়। গল্প, নাটক, প্রবন্ধ, কবিতায় জাতীয় সাহিত্যকর্ম, চিত্রকর্ম, চলচ্চিত্র, সংগীত, যন্ত্র সংগীত, ভাস্কর্য, স্থাপত্যকলা, কম্পিউটার সফটওয়্যার কপিরাইট দ্বারা সংরক্ষিত হয়। কপিরাইট চুক্তি পণ্য বাজারজাতকরণের জন্য একটি জনপ্রিয় উপায়।
গ. উদ্দীপকের রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়টি এক ধরনের ফ্রানসাইজিং ব্যবসায়।
বর্তমানে ফ্রানসাইজিং একটি জনপ্রিয় ব্যবসায় পদ্ধতি। কোনো খ্যাতনামা কোম্পানির নাম ব্যবহার এবং এর পণ্য তৈরি, বিক্রি বা বিতরণ করার অধিকারকে ফ্রানসাইজিং বলা হয়। ব্যান্ড বক্স কোম্পানি, পিজ্জাহাট, কেএফসি ইত্যাদি এ ব্যবসায়ের উদাহরণ। উদ্দীপকের ইসমাম ঢাকায় বেড়াতে এসে দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখার সময় লক্ষ করল তার মামাতো ভাই যেখানে যায়, সেখানে একই নামে একটি রেস্টুরেন্টে খাবার খায়। সে কারণ জিজ্ঞাসা করলে জানতে পারে এটি একটি বিদেশি রেস্টুরেন্ট। এ জাতীয় ব্যবসায়ের দুটি পক্ষ ফ্রানসাইজার ও ফ্রানসাইজির মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তির বলে ফ্রানসাইজি ফ্রানসাইজরের পণ্য বা সেবা বিক্রয়ের অধিকার পায়। এ জন্য ফ্রানসাইজিকে নির্দিষ্ট অঙ্কের ফি প্রদান করতে হয়। ব্যবসায় হতে অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্যকে মুখ্য বিবেচনা করে উভয়পক্ষ এ চুক্তি সম্পাদন করে থাকে। উদ্দীপকের রেস্টুরেন্টের ক্ষেত্রে এ ধরনের বৈশিষ্ট্য থাকায় এটি ফ্রানসাইজিং ব্যবসায়ের অন্তর্ভুক্ত।
ঘ. ফ্রানসাইজিং ব্যবসায়ের জনপ্রিয়তা বাড়াতে এ জাতীয় ব্যবসায়ের সুযোগ সুবিধার দিকগুলো প্রচারসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
ফ্রানসাইজিং ব্যবসায় বিদেশে জনপ্রিয়তা লাভ করলেও বাংলাদেশে এখনও তেমন পরিচিতি লাভ করেনি। ফ্রানসাইজিং ব্যবসায়ের মাধ্যমে ব্যবসায় শুরু করার অনেকগুলো সুবিধা আছে। এগুলোর মধ্যে ব্র্যান্ডের পণ্য, বাজারজাতকরণ সুবিধা, কর্মচারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ফ্রানসাইজরের কাছ থেকে ব্যবসায় সংক্রান্ত পরামর্শ নেওয়া প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। উদ্দীপকে উল্লিখিত ফ্রানসাইজিং ব্যবসায়টি এলাকাভিত্তিক স্থাপিত হয়ে থাকে। তাই দেশের প্রতিটি বড় বড় শহরের কেন্দ্রস্থলে প্রয়োজনীয় শাখা খোলার পাশাপাশি জেলা শহরগুলোতেও শাখা খুলতে হবে। এক্ষেত্রে বিদেশি কোম্পানিটিকে ব্যবসায় প্রসারের জন্য চুক্তিপত্রের শর্ত নমনীয় করতে হবে। অনুক‚ল ব্যবসায়িক পরিবেশ, প্রয়োজনীয় প্রচার, বিজ্ঞাপন, পণ্যের গুণাগুণ সবার সামনে তুলে ধরার মাধ্যমে ফ্রানসাইজিং ব্যবসায়কে জনপ্রিয় করা যেতে পারে। তাছাড়া এ প্রকার ব্যবসায়ের জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। তাই প্রয়োজনীয় অর্থায়নের ব্যবস্থা করতে হবে। ফ্রানসাইজি শুধু ওই আইটেমসমূহ বিক্রয় করতে পারবে যা ফ্রানসাইজর গ্রহণযোগ্য মনে করে। তাই যথাযোগ্য আইটেম নির্বাচনও জনপ্রিয়তা অর্জনের একটি উপায়। ফ্রানসাইজিং-এর ক্ষেত্রে বাজারজাতকরণ ব্যবস্থার ওপর যথেষ্ট জ্ঞান থাকতে হবে। তবেই ব্যবসায়ের জনপ্রিয়তা বাড়ানো সম্ভব হবে।
সুতরাং উপরিউক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বিদেশের মতো বাংলাদেশেও ফ্রানসাইজিং ব্যবসায়ের জনপ্রিয়তা বাড়বে বলে আশা করা যায়।
প্রশ্ন-২  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
জনাব সবুজ একজন উদ্ভাবক। তিনি দীর্ঘদিন গবেষণা করে এমন একটি সৌরশক্তি চালিত পানি সেচের যন্ত্র আবিষ্কার করেন যেটি বাজারে প্রচলিত অন্যান্য সেচ যন্ত্র থেকে আলাদা। জাতীয় বিজ্ঞান মেলায় অংশগ্রহণ করে এটি প্রথম স্থান অধিকার করে। তিনি এটি বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উৎপাদন করে বাজারে ছাড়েন এবং ব্যাপক সাড়া পান। কিছুদিনের মধ্যেই অন্য একটি প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি তার এ যন্ত্র নকল করে বাজারজাত করে। কিন্তু তিনি ঐ কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করেও আইনগত কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেননি।
ক. প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির ন্যূনতম প্রবর্তক কত জন?
খ. লাইসেন্স বলতে কী বোঝায়? বর্ণনা কর।
গ. জনাব সবুজের পানি সেচ যন্ত্রটি কোন সম্পদের অন্তর্ভুক্ত? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. জনাব সবুজ কোনো আইনি সহায়তা না পাওয়ার কারণ বিশ্লেষণ কর।
 ২নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির ন্যূনতম প্রবর্তক দুই জন।
খ. যেকোনো ব্যবসায় শুরু করার আগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হয় বা নিবন্ধন করতে হয় যা লাইসেন্স নামে পরিচিত। লাইসেন্স করার পদ্ধতি বিভিন্ন রকমের। একক মালিকানা ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে যদি এর অবস্থান পৌর এলাকার ভিতরে হয় তাহলে পৌর কর্তৃপক্ষের এবং পৌর এলাকার বাইরে হলে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ করতে হয়। বাংলাদেশে অংশীদারি ব্যবসায় নিবন্ধন বাধ্যতামূলক নয়। লাইসেন্সের জন্য ব্যবসায়ীকে নির্দিষ্ট হারে ফি জমা দিতে হয়।
গ. জনাব সবুজের পানি সেচ যন্ত্রটি মেধাসম্পদের অন্তর্ভুক্ত।
মেধাসম্পদ হলো মনন ও মেধা দ্বারা সৃষ্ট কাজ। ব্যবসায় শিল্পে বা বাণিজ্যে প্রয়োগ উপযোগী আবিষ্কার, সাহিত্য ও শিল্পকর্ম, নকশা, প্রতীক, নাম ইত্যাদি মেধাসম্পদের অন্তর্ভুক্ত। শিল্প বা ব্যবসায় উদ্যোক্তার মেধাসম্পদ বলতে সেসব মূল্যবান সম্পদকে বোঝায় যা সে দীর্ঘদিন প্রচেষ্টা চালিয়ে উদ্ভাবন করেছে। উদ্দীপকের জনাব সবুজ একজন উদ্ভাবক। তিনি একটি সৌরশক্তি চালিত পানি সেচের যন্ত্র আবিষ্কার করেছেন। এটি বাজারে প্রচলিত অন্যান্য সেচ যন্ত্র থেকে আলাদা। সেচ যন্ত্রটি উদ্ভাবন করার জন্য সবুজ দীর্ঘ সময় ও মেধা ব্যয় করেছেন। ফলশ্রæতিতে সর্বজন নন্দিত পানির সেচ যন্ত্রটি উদ্ভাবন করতে পেরেছেন। তাই জনাব সবুজের আবিষ্কৃত সেচ যন্ত্রটি মেধাসম্পদের অন্তর্ভুক্ত।
ঘ. জনাব সবুজের আবিষ্কৃত যন্ত্রটি তার নামে পেটেন্ট করা না থাকায় তিনি কোনো আইনি সহায়তা পাননি।
পেটেন্ট হলো এক ধরনের মেধাসম্পদ। পেটেন্টের মাধ্যমে আবিষ্কারের জন্য আবিষ্কারককে তার স্বীকৃতিস্বরূপ একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য একচেটিয়া মালিকানা প্রদান করা হয়। এক্ষেত্রে পণ্য বা সেবার উদ্ভাবক বা আবিষ্কারক ও সরকারের মধ্যে চুক্তি হয়। আবিষ্কারককে পেটেন্টটি প্রদানের অর্থ হলো নির্দিষ্ট সময়ে অন্য কেউ এটি তৈরি, ব্যবহার এবং বিক্রয় করতে পারবে না। উদ্দীপকের জনাব সবুজ একজন উদ্ভাবক। তিনি দীর্ঘদিন গবেষণা করে এমন একটি সৌরশক্তি চালিত পানি সেচের যন্ত্র আবিষ্কার করেন যেটি বাজারে প্রচলিত অন্যান্য সেচ যন্ত্র থেকে আলাদা। তিনি এটি বাণিজ্যিকভিত্তিতে উৎপাদন করে বাজারে ছাড়েন এবং ব্যাপক সাড়া পান। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই অন্য একটি প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি তার এ যন্ত্র নকল করে বাজারজাত করে। ফলে তিনি আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হন। এক্ষেত্রে সবুজ মামলা করে কোনো আইনি সহায়তা পাননি। কারণ সবুজ তার উদ্ভাবিত যন্ত্রটির প্যাটেন্ট করেননি। কিন্তু তিনি যদি তার উদ্ভাবিত যন্ত্রটির পেটেন্ট করতেন তাহলে কোনো অসাধু ব্যবসায়ী তার পরিশ্রমলব্ধ উদ্ভাবন নকল বা অন্য কোনো উপায়ে তৈরি বা বিক্রি করে আর্থিক সুবিধা অর্জন করতে পারত না।
সুতরাং বলা যায়, জনাব সবুজের আইনি সহায়তা না পাওয়ার মূল কারণ হলো পেটেন্ট না থাকা।

প্রশ্ন-৩  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ইঞ্জিনিয়ারিং পড়–য়া সুমন বিজ্ঞান মেলা থেকে একটি ল্যাপটপ ক্রয় করলেন। ল্যাপটপ নিয়ে সুমন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসে যাওয়ার পর তার বন্ধুরা দেখল তার ল্যাপটপের উপর একটি চি‎‎হ্ন এবং কোম্পানির নাম লেখা। এগুলো দেখে সুমন এবং তার বন্ধুরা বুঝতে পারল চি‎‎হ্নটিই পণ্যটিকে অন্য পণ্য হতে স্বতন্ত্র করেছে। এরূপ ল্যাপটপের প্রচুর চাহিদা থাকায় ‘ঢ’ কোংও একই চিহ্ন‎‎ ব্যবহার করলে প্রকৃত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ‘ঢ’ কোং এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে ক্ষতিপূরণ আদায় করেন।
ক. সমবায়ের শাব্দিক অর্থ কী? ১
খ. রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় কাকে বলে? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. ল্যাপটপে ব্যবহৃত চি‎‎হ্নটির বর্ণনা দাও। ৩
ঘ. ‘ঢ’ কোং উদ্দীপকে একই চি‎হ্ন ব্যবহার করায় ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য হলেন কেন? বিশ্লেষণ কর। ৪
 ৩নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. সমবায়ের শাব্দিক অর্থ হলো সম্মিলিত উদ্যোগে বা প্রচেষ্টায় কাজ করা।
খ. সরকার কর্তৃক গঠিত, পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত ব্যবসায়কে রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় বলে। এরূপ ব্যবসায় রাষ্ট্র কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। আবার ব্যক্তিমালিকানাধীন যে কোনো ব্যবসায়কে রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে জাতীয়করণের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ব্যবসায়ে রূপান্তরিত হতে পারে। জনগণের স্বার্থ সংরক্ষণ করার জন্যই রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় সংগঠন গঠিত হয়।
গ. সুমনের ল্যাপটপে ব্যবহৃত চি‎হ্নটি ঐ পণ্যের প্রতীক বা ট্রেডমার্ক।
পণ্য প্রতীক বা ট্রেডমার্ক হলো এমন একটি চি‎হ্ন যার মাধ্যমে কোনো পণ্যকে অন্যের অনুরূপ বা অভিন্ন পণ্য হতে আলাদা বা স্বতন্ত্র করা হয়। স্বাতন্ত্র্যতাই মার্ক বা প্রতীকের মূল বিষয়। ডিভাইস, ব্রান্ড, শিরোনাম, লেবেল, টিকেট, নাম, স্বাক্ষর, শব্দ, অক্ষর, প্রতীক বা এগুলোর যেকোনো রূপ সমন্বয় প্রতীকের অন্তর্ভুক্ত হবে। উদ্দীপকে সুমনের ল্যাপটপে ব্যবহৃত চি‎হ্নটির মাধ্যমে শুধুমাত্র ঐ কোম্পানির পণ্যকেই বোঝাবে। ট্রেডমার্ক ব্যবহারের মাধ্যমে কোম্পানি তার নিজস্ব পণ্যের ওপর একচ্ছত্র অধিকার লাভ করে। কোম্পানির মালিকের অনুমতি ছাড়া কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ঐ চি‎‎হ্ন বা প্রতীক ব্যবহার করতে পারবে না। ভবিষ্যত নিরাপত্তার জন্য প্রতিটি কোম্পানিকেই নিজেদের পণ্যের স্বাতন্ত্র্যতা রক্ষা এবং সুরক্ষার জন্য ট্রেডমার্ক করা প্রয়োজন।
ঘ. ‘ঢ’ কোং অন্য প্রতিষ্ঠানের একই চি‎হ্ন তার পণ্যে ব্যবহার করায় ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য হলেন কারণ ঐ প্রতিষ্ঠান তাদের ট্রেডমার্ক রেজিস্ট্রেশন করে রেখেছিল।
কোনো প্রতীক বা মার্কের রেজিস্ট্রেশন ঐ পণ্য বা সেবার ক্ষেত্রে প্রতীকটি ব্যবহারের বিষয়ে রেজিস্টার্ড মালিককে একচ্ছত্র স্বত্ব বা অধিকার প্রদান করে। রেজিস্টার্ড মালিকের অনুমতি ছাড়া কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ঐ প্রতীকটি ব্যবহার করতে পারবে না। এ অধিকার লঙ্ঘিত হলে আদালতে মামলা করে প্রতিকার পাওয়া যাবে। উদ্দীপকে দেখা যায়, অন্য একটি কোম্পানির ল্যাপটপের প্রচুর চাহিদা থাকায় ‘ঢ’ কোংও একই চিহ্ন ব্যবহার করে ল্যাপটপ উৎপাদন ও বাজারজাত করে। কিন্তু ঐ চি‎হ্ন বা প্রতীকটি প্রকৃত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের নামে রেজিস্ট্রেশন করা ছিল। তাই ট্রেডমার্ক আইন অনুযায়ী ঐ একই চি‎হ্ন বা প্রতীকটি অন্য কারোর ব্যবহার করার সুযোগ নেই। আর আইন ভঙ্গ করে কেউ যদি তা ব্যবহার করে এবং এ কারণে প্রতীকটির প্রকৃত মালিক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হন তাহলে তিনি আইন ভঙ্গকারীর কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করতে পারবেন। সে কারণে চি‎হ্ন বা প্রতীকটির মালিক প্রকৃত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানটি ‘ঢ’ কোং এর বিরুদ্ধে ট্রেডমার্ক নকল করার দায়ে মামলা করে ক্ষতিপূরণ আদায়ের দাবি করেন। আইন দ্বারা তার এই অধিকার সুরক্ষিত ছিল। তাই ‘ঢ’ কোংকে ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য হলেন।
সুতরাং ‘ঢ’ কোং প্রকৃত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের অনুমতি ছাড়া রেজিস্টার্ডকৃত চি‎হ্ন ব্যবহার করায় তাকে ক্ষতিপূরণ দিতে হয়েছে।

প্রশ্ন-৪  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
আমেরিকার কেএফসি বাংলাদেশ ট্রান্সকম গ্রæপের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয় এই বলে, কেএফসি’র ফাস্টফুড আইটেম ট্রান্সকম গ্রæপ তৈরি করে কেএফসি নামে এদেশে বিক্রি করবে। চুক্তিতে উল্লেখ করা হয় মাসিক বিক্রয়ের ওপর ট্রান্সকম গ্রæপ কেএফসিকে নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি প্রদান করবে। এতে উভয়পক্ষই বাজারজাতকরণ সুবিধা ভোগ করে।
ক. ফ্রানসাইজি কে? ১
খ. ব্যবসায়ের প্রাথমিক কার্য বলতে কী বোঝায়? ২
গ. কেএফসি এবং ট্রান্সকম গ্রæপের মধ্যে কোন ধরনের চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে তা বর্ণনা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত চুক্তির ফলে ট্রান্সকম গ্রæপ যে সুবিধা ভোগ করবে তা বিশ্লেষণ কর। ৪
 ৪নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. যিনি ফ্রানসাইজরের পণ্য বা সেবা বিক্রি বা বিতরণের অধিকার পান তাকে ফ্রানসাইজি বলে।
খ. একটি ব্যবসায় শুরু করার পূর্বে একজন উদ্যোক্তাকে যে সকল কাজ সম্পাদন করতে হয় তাকে ব্যবসায়ের প্রাথমিক কার্যাবলি বলে। প্রাথমিক কার্যাবলির মধ্যে রয়েছে ব্যবসায় নিবন্ধিকরণ, ব্যবসায়ের লাইসেন্স সংগ্রহ, কারখানার অনুমোদন, শ্রম আইন সম্পর্কে ধারণা নেওয়া প্রভৃতি। তবে ব্যবসায়ের ধরন অনুযায়ী প্রাথমিক কাজগুলো ভিন্ন হতে পারে।
গ. কেএফসি এবং ট্রান্সকম গ্রæপের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তিটি হলো ফ্রানসাইজিং চুক্তি।
ব্যবসায় স্থাপন ও পরিচালনার ক্ষেত্রে বর্তমানে ফ্রানসাইজিং পদ্ধতিটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। কোনো খ্যাতনামা কোম্পানির নাম ব্যবহার এবং এর পণ্য তৈরি, বিক্রি বা বিতরণ করার অধিকারকে ফ্রানসাইজিং বলে। উদ্দীপকে আমেরিকার কেএফসি এবং বাংলাদেশের ট্রান্সকম গ্রæপ একটি চুক্তিতে আবদ্ধ হয়। এ চুক্তির ফলে কেএফসির ব্রান্ডের পণ্য ফাস্টফুডের আইটেমসমূহ ট্রান্সকম গ্রæপ বাংলাদেশে বিক্রয় করবে। তবে এ ধরনের বিক্রয়ের সুবিধা পাওয়ার জন্য ট্রান্সকম গ্রæপ কেএফসিকে নির্দিষ্ট হারে ফি প্রদান করবে। কেএফসি কর্তৃক নিয়োজিত মনিটরিং কর্তৃপক্ষ চুক্তি অনুযায়ী ট্রান্সকম গ্রæপ কেএফসির মান অনুযায়ী তাদের পণ্য বিক্রয় হচ্ছে কিনা তা যাচাই করবে। ট্রান্সকম গ্রæপটি বাংলাদেশে পণ্য বিক্রয় করলেও পণ্য বা ব্রান্ডের নাম কেএফসিই থাকবে। এসব বৈশিষ্ট্যের আলোকে বলা যায় কেএফসি এবং ট্রান্সকম গ্রæপের মধ্যে ফ্রানসাইজিং চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত চুক্তির ফলে ট্রান্সকম গ্রæপ বেশ কিছু সুবিধা সে ভোগ করবে।
ফ্রানসাইজিং ব্যবসায় দুটি পক্ষের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তির মাধ্যমে শুরু হয়। একটি পক্ষ ফ্রানসাইজার অন্য পক্ষটি ফ্রানসাইজিং।
উদ্দীপকে উল্লিখিত কেএফসি এবং ট্রান্সকম গ্রæপের মাধ্যমে সম্পাদিত চুক্তিটি ফ্রানসাইজিং চুক্তি। এ চুক্তির ফলে ট্রান্সকম গ্রæপ বেশকিছু সুবিধা ভোগ করবে। এদের মধ্যে অন্যতম হলো প্রতিষ্ঠানটি কেএফসির ব্রান্ডের পণ্য বাজারজাতকরণের সুবিধা পাবে। বাজারজাতকরণের জন্য কর্মীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের জন্য কেএফসির সহায়তা পাবে। বাংলাদেশে ব্যবসায় করার ক্ষেত্রে কেএফসি প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা ট্রান্সকম গ্রæপকে প্রদান করবে। ফ্রানসাইজিং চুক্তি হওয়ার ফলে যেকোনো সময় প্রয়োজনীয় অর্থায়নের ব্যবস্থা করার ক্ষেত্রেও সহায়তা পাবে। সার্বিকভাবে উল্লিখিত সুবিধাসমূহ পাওয়ার মাধ্যমে ট্রান্সকম গ্রæপ তাদের ব্যবসায় সফলভাবে পরিচালনা করতে পারবে।
পরিশেষে বলা যায়, ট্রান্সকম গ্রæপ কেএফসি কোম্পানির সাথে ফ্রানসাইজিং চুক্তি করায় ব্যবসায় পরিচালনার ক্ষেত্রে উপরিউক্ত সুবিধাগুলো পাবে।
প্রশ্ন -৫ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
মাকসুদ আলম বাংলাদেশের একজন নামকরা প্রবন্ধক। তিনি তার নতুন লেখা একটি প্রবন্ধ মুদ্রণ ও বাজারজাতকরণের উদ্দেশ্যে একজন প্রকাশকের সাথে চুক্তি করেন ভবিষ্যতের সম্ভাব্য ক্ষতি মোকাবিলা করতে তিনি তার চুক্তিপত্রটি রেজিস্ট্রি করে রাখেন। ফলে যাতে তিনি নির্বিঘেœ প্রবন্ধটি বাজারে বিক্রয় করতে পারেন এক্ষেত্রে তাকে কোনো ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়নি।
ক. সার্ভিস মার্ক কী? ১
খ. বিমা বলতে কী বোঝায়? ২
গ. মাকসুদ আলম ও প্রকাশকের মধ্যে কোন ধরনের চুক্তি হয়েছে? বর্ণনা কর। ৩
ঘ. মেধাসম্পদ সংরক্ষণের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার কারণেই মাকসুদ আলম কোনো ক্ষতির সম্মুখীন হননি তুমি কি এর সাথে একমত? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও। ৪
 ৫নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. ব্যবসার ক্ষেত্রে কোনো সেবাকে অন্যের অনুরূপ বা অভিন্ন সেবা থেকে আলাদা করার লক্ষ্যে ব্যবহৃত প্রতীককে সার্ভিস মার্ক বলে।
খ. জীবন ও সম্পদে ঝুঁকি জড়িত। জীবন ও সম্পদের সাথে যে সকল ঝুঁকি জড়িত তা প্রিমিয়াম প্রদানের মাধ্যমে অন্যের ওপর অর্পিত করাকে বিমা বলে। অর্থাৎ ঝুঁকি বণ্টনের একটি প্রক্রিয়ার নাম হলো বিমা। বিমা ঝুঁকির বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলে।
গ. মাকসুদ আলম ও প্রকাশকের মধ্যে কপিরাইট চুক্তি হয়েছে।
যখন কোনো পুস্তকের লেখক এবং প্রকাশকের মধ্যে পুস্তক মুদ্রণ ও বাজারজাতকরণের জন্য নির্দিষ্ট সময়ের চুক্তি হয় তখন একে কপিরাইট চুক্তি বলে। এরূপ চুক্তিপত্রে সময়, রয়েলটির পরিমাণ প্রভৃতি উল্লেখ থাকে। উদ্দীপকে মাকসুদ আলম একজন প্রবন্ধ লেখক। তিনি কিছু প্রবন্ধ লিখে মুদ্রণ ও বাজারজাতকরণের উদ্দেশ্যে একজন প্রকাশকের সাথে চুক্তি করেন। যাতে তিনি নির্বিঘেœ প্রবন্ধটি একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য একচেটিয়াভাবে বাজারে বিক্রয় করতে পারেন। অর্থাৎ চুক্তিটির মাধ্যমে মাকসুদ আলমকে তার সৃষ্ট মেধাসম্পদ ব্যবহারের একচ্ছত্র অধিকার প্রদান করা। সুতরাং সবদিক বিবেচনায় বলা যায় চুক্তিটি কপিরাইট চুক্তি।
ঘ. মেধাসম্পদ সংরক্ষণের উপায় যথাযথভাবে পালনের কারণেই মাকসুদ আলম কোনো ক্ষতির সম্মুখীন হননি বলে আমি মনে করি।
কপিরাইট হলো এক প্রকার বুদ্ধিবৃত্তিক বা মেধাসম্পদ যা রক্ষা করার ব্যবস্থা না করলে স্বত্বাধিকারী বা মালিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কপিরাইটের মাধ্যমে সাহিত্য, শিল্পকর্ম ও অন্যান্য শিল্পকলা সৃষ্টিকারীকে তার সৃষ্ট মেধাসম্পদ ব্যবহারের একচ্ছত্র অধিকার প্রদান করা হয়। গল্প, নাটক, প্রবন্ধ, চিত্রকর্ম, সংগীত প্রভৃতি কপিরাইট দ্বারা সংরক্ষিত হয়। লেখক তার প্রবন্ধ মুদ্রণ ও বাজারজাত করার জন্য প্রকাশকের সাথে কপিরাইট চুক্তি করেন। কপিরাইট চুক্তি রেজিস্ট্রি করা থাকলে লেখকের আর্থিক ক্ষতির কোনো সম্ভাবনা থাকে না। উদ্দীপকে মাকসুদ আলম তার লেখা একটি প্রবন্ধ মুদ্রণ ও বাজারজাত করার জন্য একজন প্রকাশকের সাথে কপিরাইট চুক্তি করেছেন। ভবিষ্যতের ক্ষতির কথা চিন্তা করে তিনি তার চুক্তিপত্রটি রেজিস্ট্রি করেছেন। তাই প্রকাশক যদি কোনো কারণে চুক্তি ভঙ্গ করে এবং সে কারণে তার আর্থিকভাবে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয় তাহলে তিনি কোর্টে প্রতিকার চাইতে পারবেন। প্রকাশকও ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য থাকবেন। এসব তথ্য প্রকাশকেরও জানা ছিল বিধায় তিনি চুক্তি অনুযায়ী মাকসুদ আলমের প্রবন্ধটি মুদ্রণ ও বাজারজাত করেছেন। প্রকাশক চুক্তির শর্তাবলি যথাযথভাবে পালন করায় মাকসুদ আলমকে কোনো ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়নি।
সুতরাং বলা যায়, মাকসুদ আলম তার কপিরাইট চুক্তিটি রেজিস্ট্রি করায় তথা মেধাসম্পদ সংরক্ষণের উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করায় কোনো ধরনের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়নি।
প্রশ্ন -৬ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
মি. মওলা সাভার ট্র্যাজেডি-তে মারা যান। স্বামীর মৃত্যুর পর স্ত্রী হেলেনা বেগম দিশেহারা হয়ে যান তিন সন্তান নিয়ে। পরে তিনি জানতে পারেন মি. মওলা স্ত্রী-সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে এক বছর আগে একটি বিমা চুক্তি করেছিলেন। মি. মওলার মতো রানা প্লাজার মালিক যদি তার ব্যবসায়ের জন্য কোনো ধরনের বিমা করে রাখতেন আজ তিনিও উপকৃত হতেন।
ক. পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির নূন্যতম প্রবর্তক কয়জন? ১
খ. ব্রান্ডেড পণ্য বা সেবা বলতে কী বোঝায়? ২
গ. মি. মওলা কোন ধরনের বিমা করেছিলেন? বর্ণনা কর। ৩
ঘ. রানা প্লাজার মালিকের মতো ব্যবসায়ীদের বিমার প্রয়োজনীয়তা বিশ্লেষণ কর। ৪
 ৬নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির নূন্যতম প্রবর্তক সাতজন।
খ. ব্র্যান্ড হতে পারে নাম, চিহ্ন, প্রতীক, ছবি ইত্যাদি। কোনো বিশেষ প্রতীক, চিহ্ন বা নাম দ্বারা যখন কোনো বিশেষ প্রতিষ্ঠান বা পণ্যকে বোঝানো হয় তখন তাকে ব্র্যান্ড বলে। ব্র্যান্ড কোম্পানি কর্তৃক উৎপাদিত বা সরবরাহকৃত পণ্য বা সেবাকে ব্র্যান্ডেড পণ্য বা সেবা বলা হয়। যেমন : অ্যাপল কোম্পানির ল্যাপটপ, কেএফসির পিজ্জা ইত্যাদি।
গ. মি. মওলা জীবন বিমা করেছিলেন।
যে বিমা চুক্তির মাধ্যমে বিমাকারী বিমা কিস্তির বিনিময়ে বিমা গ্রহণকারী ব্যক্তিকে বা তার নির্বাচিত ব্যক্তি বা উত্তরাধিকারীকে একটি বিশেষ সময়ের পর বা বিমাগ্রহীতার মৃত্যুতে বিমাকৃত অর্থ প্রদান করে থাকে সেই বিমা চুক্তিকেই জীবন বিমা বলে। এ বিমার বিষয়বস্তু হচ্ছে মানুষের জীবন। উদ্দীপকে মি. মওলা স্ত্রী-সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে একটি বিমা চুক্তির করেছিলেন। এই চুক্তি করার এক বছর পর সাভার ট্রাজেডি-তে তিনি মারা যান। বিমা চুক্তি অনুযায়ী বিমা কোম্পানি মি. মওলানার মনোনীত ব্যক্তিকে বিমার অর্থ প্রদান করবে। এতে তার ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিবর্গ অনিশ্চিত ভবিষ্যতের হাত হতে রক্ষা পাবে। তাই সবদিক বিবেচনায় বলা যায়, মি. মওলার যে বিমাটি করেছিলেন তা হলো জীবন বিমা।
ঘ. রানা প্লাজার মালিকের মতো ব্যবসায়ীদের বিমার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।
মানব জীবন ও সম্পদের আর্থিক ঝুঁকির বিপক্ষে প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থাই হলো বিমা ব্যবস্থা। ব্যবসায়ের ঝুঁকিগত প্রতিবন্ধকতা ও বিরাজমান অনিশ্চয়তা দুর করে ব্যবসায়কে নিরবচ্ছিন্নভাবে পরিচালনার জন্য বিমার প্রয়োজনীয়তা খুব বেশি। উদ্দীপকে সাভারে রানা প্লাজার মালিক তার ব্যবসায়ের জন্য কোনো প্রকার বিমা করেননি। রানা সাহেবের ব্যবসায়ের জন্য যদি বিমা করা থাকত তাহলে তিনি আজ অনেক উপকৃত হতে পারতেন। ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে ঝুঁকি ও অনিশ্চিয়তা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এরূপ ঝুঁকির সম্মুখীন হয়েছেন রানা সাহেব। তার ব্যবসায়ের বিমা করা থাকলে এরূপ ঝুঁকির বিপক্ষে তিনি আর্থিক অনিশ্চিয়তা পেতেন। বিমা প্রতিষ্ঠান ব্যবসায়ীদের সাহায্যে ঝুঁকিপূর্ণ খাতে বিনিয়োগে এগিয়ে আসে। এছাড়াও বৈদেশিক ব্যবসায়ে ঝুঁকির পরিমাণও বেশি থাকে। এ অবস্থায় বিমাকারী ব্যবসায়ীদের রক্ষার চেষ্টা করে। ফলে বৈদেশিক ব্যবসায়ের উন্নয়ন ঘটে। ব্যবসায়ের উন্নয়নের পাশাপাশি বিমা কর্মীদের মাঝেও আগ্রহ সৃষ্টি করে। যখন কর্মীরা ব্যবসায়ের ঝুঁকির মাত্রা কম দেখেন তখন তারা উৎসাহিত হন। এছাড়া কর্মীদের গ্রæপ বিমার ব্যবস্থা করা হলে কর্মীরা উৎসাহিত হন।
সুতরাং বলা যায়, বিমা ব্যবসায়ীদের ঝুঁকি নিরসনে আর্থিক নিশ্চয়তা প্রদান করে; যার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।
প্রশ্ন-৭  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
সাগর ঢাকা সিটি কলেজের ছাত্র। সে প্রতিদিন বাসে মতিঝিল হয়ে বাসায় ফেরে। রাস্তায় জ্যাম থাকায় সে কী আর করবে দু’পাশের সাইনবোর্ডগুলো পড়ে। সে দুইটি সাইনবোর্ড দেখতে পেল। একটিতে লেখা পদ্মা লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি, অপরটি গোমতী ইনস্যুরেন্স কোম্পানি। সে আগেই পড়েছে বিমা প্রধানত দুই প্রকার। উভয়ই ক্ষতির বিপক্ষে আর্থিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলে।
ক. বিমা চুক্তি কী? ১
খ. প্রিমিয়াম বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. সাগর প্রথমে যে বিমা কোম্পানির সাইনবোর্ডটি পড়েছে তা কোন ধরনের বিমা? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. তুমি কি মনে কর সাগরের দেখা দ্বিতীয় বিমা কোম্পানি ব্যবসায়-বাণিজ্যে সহায়ক? মতামত দাও। ৪
 ৭নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. যে চুক্তির মাধ্যমে কোনো প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি কর্তৃক নির্দিষ্ট প্রিমিয়ামের বিনিময়ে কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা বিষয় সম্পত্তি সম্পর্কিত কোনো ঘটনাজনিত ক্ষতির বা ঘটনার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করা হয় তাকে বিমাচুক্তি বলে।
খ. বিমাগ্রহিতা তার জীবন ও সম্পদের ঝুঁকি বিমাকারীর ওপর অর্পণ করেন। ঝুঁকি অর্পণের বিনিময়ে বিমাগ্রহীতা কর্তৃক বিমাকারীকে যে অর্থ প্রদান করা হয় তাই বিমা প্রিমিয়াম। বিমা প্রিমিয়াম বিমার ক্ষেত্রে একটি প্রতিদান হিসেবে গণ্য হয়। বিমাচুক্তির অর্থ অনুযায়ী বিমাগ্রহীতা বিমা প্রিমিয়াম প্রদান করেন।
গ. সাগর প্রথমে যে বিমা কোম্পানির সাইনবোর্ডটি পড়েছে তা হলো জীবন বিমা।
বিমা ব্যবসায়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে জীবন বিমা। যে বিমা চুক্তির মাধ্যমে বিমাকারী বিমা কিস্তির বিনিময়ে বিমা গ্রহণকারী ব্যক্তিকে বা তার নির্বাচিত ব্যক্তি বা উত্তরাধিকারীকে একটি বিশেষ সময়ের পরে বা বিমাগ্রহীতার মৃত্যুতে বিমাকৃত অর্থ প্রদান করে থাকে সেই বিমা চুক্তিকেই জীবন বিমা বলে।
মানুষের জীবন সম্পর্কিত ঝুঁকি আর্থিকভাবে মোকাবিলার ব্যবস্থাই হলো জীবন বিমা। জীবন বিমা চুক্তি সব সময় মানবজীবনের সাথে সংশ্লিষ্ট। এটি হলো নিশ্চয়তার চুক্তি। অন্যান্য বিমার মতো এটি ক্ষতিপূরণের চুক্তি নয়। কারণ মানুষের জীবনের মূল্য অর্থ দিয়ে পরিমাপ করা যায় না। জীবন বিমায় মৃত্যুর ঝুঁকির ওপর প্রিমিয়ামের হার নির্ভর করে। বিভিন্ন বয়সের ব্যক্তিবর্গের মৃত্যুর আশঙ্কা মৃত্যুহার পুঞ্জি থেকে জানা যায়। তাছাড়া জীবন বিমায় এমন কিছু আলাদা বৈশিষ্ট্য লক্ষণীয় যা একে অন্যান্য বিমা থেকে স্বতন্ত্র দান করেছে।
ঘ. সাগরের দেখা দ্বিতীয় বিমা কোম্পানি তথা সাধারণ বিমা কোম্পানি ব্যবসায়-বাণিজ্যে সহায়ক বলে আমি মনে করি।
বিমাকারী প্রতিষ্ঠান না থাকলে ঝুঁকির আশঙ্কায় অনেক ব্যবসায়ীকে প্রাথমিক পর্যায়েই তাদের ব্যবসায় বন্ধ করে দিতে হতো। তাই ব্যবসায়ের ঝুঁকিগত প্রতিবন্ধকতা ও বিরাজমান অনিশ্চয়তা দূর করে ব্যবসায়কে নিরবচ্ছিন্নভাবে পরিচালনার জন্য বিমার প্রয়োজনীয়তা খুব বেশি। উদ্দীপকে সাগর দ্বিতীয় যে বিমা কোম্পানির সাইনবোর্ডটি পড়েছে তা হলো সাধারণ বিমা। সাধারণ বিমার মধ্যে রয়েছে অগ্নি বিমা, নৌ বিমা ইত্যাদি। নির্ধারিত প্রিমিয়ামের বিনিময়ে নৌপথে চলাচলকারী জাহাজ ও জাহাজস্থিত পণ্যসামগ্রী বিমাকৃত ঝুঁকি দ্বারা আক্রান্ত হয়ে ধ্বংশ বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে তা ক্ষতিপূরণের প্রতিশ্র“তি দিয়ে যে বিমা চুক্তি করা হয় তা হলো নৌ বিমা। নৌ বিমা হলো ক্ষতিপূরণের চুক্তি, ক্ষতি আংশিক বা সম্পূর্ণ যাই হোক না কেন বিমাকারী তা পূরণ করে। সাধারণ বিমার ক্ষেত্রে আরো আছে অগ্নি বিমা। অগ্নি বিমা হলো অগ্নিজনিত বিপদের ঝুঁকি মোকাবিলার একটি আর্থিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। অগ্নি বিমার উদ্দেশ্য হলো অগ্নিজনিত ঝুঁকির হাত থেকে বিমাগ্রহীতাকে সহায়তা করা। বিমাকারী প্রতিষ্ঠান বিমাকৃত ব্যক্তি বা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিতে উলি­খিত প্রদত্ত প্রিমিয়ামের বিনিময়ে এই জাতীয় ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণ দিয়ে থাকে।
সুতরাং বলা যায় যে, সাগরের দেখা দ্বিতীয় বিমা কোম্পানিটি ব্যবসায়-বাণিজ্যে অধিক সহায়ক।

প্রশ্ন-৮  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
জাপানে গপ উড়হধষফ’ং কোম্পানি তাদের ‘এড়ষফবহ অৎপযবং’ ট্রেডমার্ক নিজেদের নামে রেজিস্ট্রেশন করে। জাপানি সুপ্রিম কোর্টের সাথে একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ব্যয়বহুল আইনগত প্রক্রিয়ার পর কোম্পানি এই ট্রেডমার্কের ওপর তাদের আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠা করে।
ক. পণ্যের মান নির্ধারণে সার্টিফিকেট প্রদান করে কে? ১
খ. ট্রেডমার্ক রেজিস্ট্রেশনের সময়সীমা উলে­খ কর। ২
গ. ট্রেডমার্ক রেজিস্ট্রেশনের প্রয়োজনীয়তা উদ্দীপকের আলোকে বর্ণনা কর। ৩
ঘ. ট্রেডমার্ক রেজিস্ট্রেশনের সুবিধা উদ্দীপকের আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪
 ৮নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. পণ্যের মান নির্ধারণে সার্টিফিকেট প্রদান করে বিএসটিআই।
খ. ট্রেডমার্ক হলো কোনো পণ্যের জন্য নির্দিষ্ট রেজিস্টার্ড প্রতীক। ৭ বছরের জন্য এর রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হয়। মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার আগে আবেদন করলে ১০ বছরের জন্য নবায়ন করা যায়। অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত পুনঃপুন নবায়ন করা যেতে পারে।
গ. পণ্যের ওপর আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ট্রেডমার্ক রেজিস্ট্রেশনের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।
বাজারে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রয়েছে। এসব পণ্যের মধ্যে কোম্পানির পণ্যটিকে আলাদা করে চিনতে ট্রেডমার্ক ব্যবহার করা হয়। কোনো প্রতীক বা মার্কের রেজিস্ট্রেশন খুব জরুরি। কোনো প্রতীক বা মার্কের রেজিস্ট্রেশন ঐ পণ্য বা সেবার ক্ষেত্রে প্রতীকটি ব্যবহারের বিষয়ে রেজিস্টার্ড মালিককে একচ্ছত্র স্বত্ব বা অধিকার প্রদান করে। রেজিস্টার্ড মালিকের অনুমতি ছাড়া কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ঐ প্রতীকটি ব্যবহার করতে পারবে না। উদ্দীপকে গপ উড়হধষফ’ং কোম্পানি তাদের ‘এড়ষফবহ অৎপযবং’ ট্রেডমার্ক নিজেদের নামে রেজিস্ট্রেশন করে। প্রচুর অর্থ ও সময় ব্যয় করার পর আইনগত প্রক্রিয়া অবলম্বন করে তারা তাদের ট্রেডমার্কের ওপর অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারে। গপ উড়হধষফ’ং কোম্পানিটি এখন ‘এড়ষফবহ অৎপযবং’ প্রতীকটি ব্যবহারের অনুমতিপ্রাপ্ত একমাত্র প্রতিষ্ঠান। কোম্পানিটির অনুমতি ছাড়া কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান প্রতীকটি ব্যবহার করতে পারবে না। রেজিস্টার্ড মার্কটি সুপরিচিত হলে অন্যান্য পণ্য বা সেবার ক্ষেত্রেও মালিকের এ অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। আইন দ্বারা এ অধিকার সুরক্ষিত। এ অধিকার লঙ্ঘিত হলে আদালতে মামলা করে প্রতিকার পাওয়া যাবে।
ঘ. ট্রেডমার্ক ব্যবহারে কোম্পানি তার নিজস্ব পণ্যের উপর একচ্ছত্র অধিকারের মাধ্যমে ব্যবসায়িক সুবিধা লাভ করে।
কোম্পানি যখন রেজিস্ট্রাড ট্রেডমার্ক ব্যবহার করে তখন তার অনুমতি ছাড়া কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ঐ প্রতীক ব্যবহার করতে পারে না। ফলে রেজিস্টার্ড মার্কটি সুপরিচিত হলে কোম্পানি অন্যান্য পণ্য বা সেবার ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারে। রেজিস্টার্ড ট্রেডমার্কের অধিকার আইন দ্বারা সুরক্ষিত। এক্ষেত্রে ট্রেডমার্কের অপব্যবহার অন্য কেউ করতে পারে না। উদ্দীপকে জাপানি সুপ্রিম কোর্টের সাথে দীর্ঘমেয়াদি এবং ব্যয়বহুল আইনগত প্রক্রিয়ার পর কোম্পানি এই ট্রেডমার্কের ওপর তাদের আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠা করে। এভাবে ট্রেডমার্ক ব্যবহারে ব্যবসায়িক সুবিধার পাশাপাশি আইনি সুবিধা পাওয়া যায়। ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে কোনো পণ্যকে অন্যের অনুরূপ বা অভিন্ন পণ্য হতে স্বতন্ত্র করার লক্ষ্যে ট্রেডমার্ক ব্যবহার করা হয়।
সুতরাং বলা যায়, ট্রেডমার্কের অপব্যবহার অন্য কেউ যেন করতে না পারে সেজন্য ট্রেডমার্ক রেজিস্টার্ড করা হয়।
প্রশ্ন -৯ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
মি. ওয়াদুদের প্রতিষ্ঠান ল্যাম্প বিশ্বের নামকরা কোম্পানি এডিডাস-এর বিভিন্ন পণ্য বাংলাদেশে বিক্রয় করে থাকে। পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে তিনি সমুদ্র ও নদী পথ ব্যবহার করেন। পণ্য আমদানির সময় কোনো পণ্য বা জাহাজের ক্ষয়-ক্ষতি হলে তা পূরণের নিমিত্তে তিনি একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন।
ক. উপমহাদেশে কতসালে ট্রেডমার্কস আইন প্রণয়ন হয়? ১
খ. বিমা কেন করা হয়? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. মি. ওয়াদুদের ব্যবসায়টি বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে কোন ধরনের ব্যবসায়? বর্ণনা কর। ৩
ঘ. পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে মি. ওয়াদুদের গৃহীত চুক্তিটির যথার্থতা তুলে ধর। ৪
 ৯নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. উপমহাদেশে ১৯৪০ সালে ট্রেডমার্কস আইন প্রণয়ন হয়।
খ. কোনো দুর্ঘটনা বা আর্থিক ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বিমা করা হয়। ভবিষ্যৎ সর্বদা অনিশ্চিত। অগ্নিকাণ্ড, জাহাজ ডুবি বা অন্য কোনো দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতি মানুষকে নিঃস্ব করে দিতে পারে। আর এরূপ ধ্বংসাত্মক অবস্থা থেকে পরিত্রাণের লক্ষ্যে আর্থিক ক্ষতিপূরণ পেতে বিমা করা প্রয়োজন।
গ. মি. ওয়াদুদের ব্যবসায়টি বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে ফ্রানসাইজিং ব্যবসায়।
কোনো খ্যাতনামা কোম্পানির নাম এবং এর পণ্য তৈরি, বিক্রি বা বিতরণ করার অধিকারকে ফ্রানসাইজিং বলে। ফ্রানসাইজিং ব্যবসায় দুটি পক্ষ থাকে, ফ্রানসাইজার ও ফ্রানসাইজি। উদ্দীপকে মি. ওয়াদুদ বিশ্বের খ্যাতনামা এডিডাস কোম্পানির বিভিন্ন পণ্য বাংলাদেশে বিক্রয় করছেন। এডিডাস মি. ওয়াদুদের প্রতিষ্ঠান ল্যাম্পকে পণ্য বিক্রি করার অধিকার প্রদান করেছে। এখানে এডিডাস ফ্রানসাইজার এবং ল্যাম্প ফ্রানসাইজি, তারা এ শর্তে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে যে, ল্যাম্প এডিডাসের পণ্য বিক্রয় করবে এবং এজন্য ল্যাম্প প্রথমে নির্দিষ্ট অঙ্কের ফি এবং পরে বিক্রয়ের ওপর নির্দিষ্ট মাসিক ফি প্রদান করবে। ফ্রি প্রাপ্তির দিন থেকেই এডিডাস কোম্পানি আয় করতে পারবে।
সুতরাং, মি. ওয়াদুদের ব্যবসায়টি বৈশিষ্ট্যগত দিক থেকে ফ্রানসাইজিং ব্যবসায়।
ঘ. পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে মি. ওয়াদুদের নৌ বিমাচুক্তি গ্রহণ করা যথার্থ হয়েছে।
যে বিমা চুক্তিতে সামুদ্রিক বা নদী পথে যাত্রা থেকে সৃষ্ট ঝুঁকির জন্য ক্ষয়-ক্ষতি পূরণের প্রতিশ্রæতি দেয়া হয় তাকে নৌ বিমা চুক্তি বলে। সারা পৃথিবীর ব্যবসায়-বাণিজ্যের অধিকাংশ পণ্যই নৌপথে পরিবাহিত হয়। তাই নৌ পথে বিরাজমান ঝুঁকি এড়াতে নৌ বিমা চুক্তি করা হয়। উদ্দীপকে মি. ওয়াদুদ পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে সমুদ্র ও নদী পথ ব্যবহার করেন। নদী বা সামুদ্রিক যাত্রা পথে বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকির আশঙ্কা থাকে যেমন : ঝড়-ঝঞ্ঝা, ঢেউ, সুনামি, দস্যুতা, জলোচ্ছ¡াস ইত্যাদি। এ সকল ঝুঁকি থেকে সৃষ্ট ক্ষয়-ক্ষতি পূরণের জন্য বিমা কোম্পানি পণ্যের বা জাহাজের মালিকদের সাথে নির্দিষ্ট প্রিমিয়ামের বিনিময়ে চুক্তিবদ্ধ হয়ে থাকে। ক্ষতি হলে বিমাকারী প্রতিষ্ঠান অবশ্যই বিমা গ্রহীতাকে ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য থাকে। মি. ওয়াদুদ যেহেতু নদী বা সামুদ্রিক যাত্রা পথে পণ্যের ক্ষয়-ক্ষতি পূরণের জন্য বিমা করেছে সেহেতু পণ্যের ক্ষয়-ক্ষতি হলে মি. ওয়াদুদ বিমা প্রতিষ্ঠান থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করতে পারবেন। এরূপ ক্ষতিপূরণ তার ব্যবসায় করার জন্য অত্যন্ত সহায়ক হবে।
সুতরাং বলা যায়, পণ্য আমদানির সময় কোনো পণ্য বা জাহাজের ক্ষয়-ক্ষতি হলে তা পূরণের নিমিত্তে নৌ-বিমা চুক্তি করা মি. ওয়াদুদের জন্য যথার্থই হয়েছে।
প্রশ্ন -১০ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
সারওয়ার সাহেব মালয়েশিয়া থেকে পণ্য আনার জন্য পণ্য বিমা করলেন তিন লক্ষ টাকায়। কোনো প্রকার ক্ষতি ছাড়াই পণ্যগুলো যথাসময়ে বন্দরে পৌঁছায়। বর্তমানে উক্ত পণ্যের যথেষ্ট চাহিদা থাকায় চলতি বছরে তার প্রচুর মুনাফা হয়েছে।
ক. বিমা কী? ১
খ. বিমার প্রকারভেদ উল্লেখ কর। ২
গ. সারওয়ার সাহেব কোন ধরনের বিমাপত্র সংগ্রহ করেছেন? বর্ণনা কর। ৩
ঘ. সারওয়ার সাহেবের নিকট বিমার ব্যবসায়িক গুরুত্ব কতটুকু? মূল্যায়ন কর। ৪
 ১০নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. বিমা হলো এক প্রকার লিখিত চুক্তি যেখানে বিমাকারী নির্দিষ্ট প্রিমিয়ামের বিনিময়ে বিমাগ্রহীতার সম্ভাব্য ঝুঁকি হ্রাস করে।
খ. বর্তমানে বিভিন্ন প্রকার বিমার প্রচলন হয়েছে। এর মধ্যে চার প্রকার বিমা সর্বাধিক প্রচলিত। ১. জীবন বিমা, ২. নৌ বিমা, ৩. অগ্নি বিমা, ৪. দুর্ঘটনা বিমা। বর্তমানকালে মানুষ ক্রমশই বিমার সুবিধা উপলব্ধি করায় উপরোক্ত চার প্রকার বিমা ছাড়াও আরো কয়েক শ্রেণির বিমার প্রচলন হয়েছে। যেমন : চৌর্য বিমা, বিশ্বস্ততা বিমা, দাঙ্গা বিমা, দায় বিমা, মোটর গাড়ি বিমা, শস্য বিমা ইত্যাদি।
গ. সারওয়ার সাহেব নৌ বিমাপত্র সংগ্রহ করেছেন।
সারা বিশ্বের ব্যবসায়-বাণিজ্যের অধিকাংশ পণ্যই নৌপথে পরিবাহিত হয়। সমুদ্রপথে জাহাজ চলাচলের সময় ঝড়-ঝঞ্ঝা, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া, চুরি, জলদস্যুর আক্রমণ ইত্যাদি নানাবিধ কারণে জাহাজ, জাহাজের পণ্যদ্রব্য ও জাহাজ ভাড়ার ক্ষতি হতে পারে। এ প্রকার অনিশ্চিত ক্ষতিপূরণের নিমিত্তে যে বিমা করা হয় তাকে নৌ বিমা বলে। উদ্দীপকে সারওয়ার সাহেব মালয়েশিয়া থেকে পণ্য আনার জন্য পণ্য বিমা করেন তিন লক্ষ টাকায়। কিন্তু কোনো প্রকার ক্ষতি ছাড়াই পণ্যগুলো যথাসময়ে বন্দরে পৌঁছায় বিধায় সারওয়ার সাহেব কোনো প্রকার ক্ষতিপূরণ পাবেন না। কিন্তু বিমাকৃত পণ্যের কোনো প্রকার ক্ষতি সাধিত হলে সারওয়ার সাহেব ক্ষতিপূরণ পেতেন। অর্থাৎ তিনি নৌপথে বিরাজমান ঝড়-ঝঞ্ঝা, ঢেউ, সুনামি, দুস্যুতা, যুদ্ধ-বিগ্রহ সকল প্রকার ঝুঁকি এড়াতে নৌ বিমাপত্র সংগ্রহ করেছেন।
ঘ. সারওয়ার সাহেবের নিকট বিমার ব্যবসায়িক গুরুত্ব অপরিসীম। অগ্নিকাণ্ড, জাহাজডুবি বা অন্য কোনো দুর্ঘটনা জনিত ক্ষতি ব্যবসায়িদেরকে নিঃস্ব করে দেয়। এরূপ ধ্বংসাত্মক অবস্থায় উপশমকারী ব্যবস্থা হিসেবে বিমার প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। বিমা ঝুঁকির প্রতিবন্ধকতা দূর করে ব্যবসায়িক লেনদেন স¤প্রসারণে সাহায্য করে। উদ্দীপকের সারওয়ার সাহেব বিমা ব্যবস্থার মাধ্যমে তার ব্যবসায়কে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে পারেন। তিনি বিমা চুক্তি করার মাধ্যমে বিমাকারীর সাথে ঝুঁকি বণ্টন ও ক্ষতি পূরণের এক সমবায় ব্যবস্থা করেন। জাহাজডুবি বা জলদস্যুতা বা অন্য কোনো দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতির বিপরীতে উপশমকারী ব্যবস্থারূপে সারওয়ার সাহেব বিমা চুক্তি করেন। বিমাকারী প্রতিষ্ঠান তাকে চুক্তিতে উল্লিখিত প্রদত্ত প্রিমিয়ামের বিনিময়ে এই জাতীয় ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণ দিবে। তাই তার ব্যবসায়ের জন্য বিমা অত্যন্ত সহায়ক। বিমাকারী প্রতিষ্ঠান না থাকলে ঝুঁকির আশঙ্কায় তার মতো ব্যবসায়ীদের অনেকেই প্রাথমিক পর্যায়ে তাদের ব্যবসায় বন্ধ করে দিতে হতো। তাই ব্যবসায়ের ঝুঁকিগত প্রতিবন্ধকতা ও বিরাজমান অনিশ্চিয়তা দূর করে ব্যবসায়কে নিরবচ্ছিন্নভাবে পরিচালনার জন্য বিমার প্রয়োজনীয়তা খুব বেশি। সুতরাং বলা যায়, ব্যবসায়ের সম্ভাব্য ঝুঁকি মোকাবিলার জন্য সারওয়ার সাহেবের নিকট বিমার গুরুত্ব অপরিসীম।

 জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন \ ১ \ কোন শিক্ষাবর্ষ থেকে ব্যবসায় উদ্যোগ বিষয়টি ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়?
উত্তর : ১৯৯৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে ব্যবসায় উদ্যোগ বিষয়টি ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
প্রশ্ন \ ২ \ যৌথ মূলধনী কোম্পানির নিবন্ধকের ভ‚মিকায় কে থাকেন?
উত্তর : যৌথ মূলধনী কোম্পানির নিবন্ধকের ভ‚মিকায় রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানি থাকেন।
প্রশ্ন \ ৩ \ লাইসেন্স কী?
উত্তর : যে কোনো ব্যবসায় শুরু করার আগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হয় বা নিবন্ধন করতে হয়। একেই লাইসেন্স বলে।
প্রশ্ন \ ৪ \ কোন পত্রটি পাওয়ার পর কোম্পানি জন্মলাভ করে?
উত্তর : নিবন্ধনপত্র পাওয়ার পর কোম্পানি জন্মলাভ করে।
প্রশ্ন \ ৫ \ ফ্রানসাইজিং-এর প্রধান বৈশিষ্ট্য কোনটি?
উত্তর : ফ্রানসাইজিং-এর প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো ফ্রানসাইজিং চুক্তি।
প্রশ্ন \ ৬ \ ফ্রানসাইজর কে?
উত্তর : যিনি পণ্য বা সেবা ফ্রানসাইজিং-এর মাধ্যমে অন্যকে পণ্য বা সেবা বিক্রি বা বিতরণের অধিকার প্রদান করেন তাকে ফ্রানসাইজর বলে।
প্রশ্ন \ ৭ \ বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস কবে পালিত হয়?
উত্তর : বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস ২৬ এপ্রিল পালিত হয়।
প্রশ্ন \ ৮ \ সব উদ্ভাবন ও সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের মূলে কী রয়েছে?
উত্তর : সব উদ্ভাবন ও সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের মূলে রয়েছে মেধাসম্পদ।
প্রশ্ন \ ৯ \ পেটেন্ট কী?
উত্তর : পেটেন্ট এক প্রকার মেধাসম্পদ।
প্রশ্ন \ ১০ \ পণ্যের অভিন্নতা রক্ষার জন্য ব্যবহৃত প্রতীককে কী বলে?
উত্তর : পণ্যের অভিন্নতা রক্ষার জন্য ব্যবহৃত প্রতীককে ট্রেডমার্ক বলে।
প্রশ্ন \ ১১ \ ট্রেডমার্কের রেজিস্ট্রেশনের সময়সীমা কত বছর?
উত্তর : ট্রেডমার্কের রেজিস্ট্রেশনের সময়সীমা ৭ বছর।
প্রশ্ন \ ১২ \ কপিরাইট কোন ধরনের সম্পদ?
উত্তর : কপিরাইট একটি গুরুত্বপূর্ণ বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ।
প্রশ্ন \ ১৩ \ কত সালে উপমহাদেশে প্রথম কপিরাইট আইন প্রণীত হয়?
উত্তর : উপমহাদেশে ১৯১২ সালে প্রথম কপিরাইট আইন প্রণীত হয়।
প্রশ্ন \ ১৪ \ ইঝঞও-এর পূর্ণরূপ কী?
উত্তর : ইঝঞও এর পূর্ণরূপ হচ্ছে ইধহমষধফবংয ঝঃধহফধৎফং ধহফ ঞবংঃরহম ওহংঃরঃঁঃরড়হ।
প্রশ্ন \ ১৫ \ ব্যবসায় ঝুঁকি কী?
উত্তর : কোনো না কোনো কারণে ব্যবসায় ক্ষতির সম্ভাবনাকে ব্যবসায় ঝুঁকি বলে।
প্রশ্ন \ ১৬ \ ব্যবসায়ের ঝুঁকি পরিহারের ক্ষেত্রে উত্তম উপায় কোনটি?
উত্তর : ব্যবসায়ের ঝুঁকি পরিহারের ক্ষেত্রে উত্তম উপায় হলো বিমাকরণ।
প্রশ্ন \ ১৭ \ কোন বিমা ক্ষতিপূরণের চুক্তি নয়?
উত্তর : জীবন বিমা ক্ষতিপূরণের চুক্তি নয়।
প্রশ্ন \ ১৮ \ প্রিমিয়াম কী?
উত্তর : চুক্তি অনুযায়ী বিমা গ্রহীতা এককালীন বা নিয়মিত কিস্তিতে যে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বিমাকারীকে প্রদান করে তাকে প্রিমিয়াম বলে।
প্রশ্ন \ ১৯ \ ব্যক্তির জীবন বা সম্পত্তি বিনাশের ঝুঁকি কোন বিমার আওতার্ভুক্ত?
উত্তর : ব্যক্তির জীবন বা সম্পত্তি বিনাশের ঝুঁকি দুর্ঘটনা বিমার আওতার্ভুক্ত।
প্রশ্ন \ ২০ \ জীবন বিমার বিষয়বস্তু কোনটি?
উত্তর : জীবন বিমার বিষয়বস্তু মানুষের জীবন।
প্রশ্ন \ ২১ \ ব্যবসায়ের ক্ষতির সম্ভাবনাকে কী বলে?
উত্তর : ব্যবসায়ের ক্ষতির সম্ভাবনাকে ঝুঁকি বলে।

 অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন \ ১ \ শিল্পকর্মকে মেধাসম্পদ বলা হয় কেন?
উত্তর : মেধা ও মনন দ্বারা সৃষ্ট কাজই মেধাসম্পদ। মানুষ যখন তার সৃজনশীলতা ও চিন্তাভাবনার মাধ্যমে কোনো সম্পদ সৃষ্টি করে তাকে মেধাসম্পদ বলে। শিল্পকর্মের কাজ মানুষের মেধা ও মননশীলতার সাথে সম্পর্কিত। এতে মানসিক শ্রম জড়িত। মেধাকে কাজে লাগিয়ে মানুষ শিল্পকর্ম তৈরি করে। এজন্যই শিল্পকর্মকে মেধাসম্পদ বলা হয়।
প্রশ্ন \ ২ \ একচেটিয়া মালিকানা বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : কোনো কিছুর মালিকানা যখন একজনকেই প্রদান করা হয় এবং তিনি ছাড়া অন্য কেউ সেটি ব্যবহার করতে পারেন না তখন সেটিকে একচেটিয়া মালিকানা বলা হয়। মেধাসম্পদের ক্ষেত্রে একচেটিয়া মালিকানা প্রদান করা হয়। কোনো লেখা বা শিল্পকর্মের ক্ষেত্রে এটির মালিক এককভাবে উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের আইনগত অধিকার লাভ করে।
প্রশ্ন \ ৩ \ নিবন্ধনপত্র বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : কোম্পানির জন্মসনদ হলো নিবন্ধনপত্র। পাবলিক এবং প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির প্রবর্তনকালে কোম্পানির আইন অনুসারে নিবন্ধক বরাবর নির্দিষ্ট ফি প্রদান করে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেন। দলিলাদি ও প্রমাণপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সন্তুষ্ট হলে নিবন্ধক যে পত্র ইস্যু করে সেটিই নিবন্ধনপত্র। নিবন্ধকের খাতায় কোম্পানির নাম যে নিবন্ধিত করা হয়েছে তার প্রমাণ হলো নিবন্ধনপত্র।
প্রশ্ন \ ৪ \ পেটেন্ট ধারণা উৎপত্তির কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : অনেক সময় কোনো অসাধু ব্যবসায়ী বা প্রতিযোগী বিধি লঙ্ঘন করে নকল পণ্য বাজারে বিক্রয় করে উদ্ভাবনকারীকে আর্থিকভবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। পেটেন্ট করার প্রধান উদ্দেশ্য হলো শিল্পোদ্যোক্তার পরিশ্রমলব্ধ উদ্ভাবন নকল বা অন্য কোনো উপায়ে তৈরি বা বিক্রি করে যাতে আর্থিক সুবিধা অর্জন না করতে পারে তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা। ব্যবসায় খাতে উদ্ভাবক এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে পেটেন্ট ধারণার উৎপত্তি হয়েছে।
প্রশ্ন \ ৫ \ ব্যবসায়ের বুদ্ধিবৃত্তি সম্পদ রক্ষা করার উপায় কী? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ব্যবসায়ের বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ যেমন : কপিরাইট, পেটেন্ট, ট্রেডমার্ক ইত্যাদি। এসব সম্পদ সংরক্ষণের জন্য সব দেশেই আইনগত বিধি-বিধান রয়েছে। ব্যবসায়ের আইনকানুন যথাযথ পালন করে ব্যবসায়ের বুদ্ধিবৃত্তি সম্পদ রক্ষা করা যায়।
প্রশ্ন \ ৬ \ মান নিয়ন্ত্রণ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : পণ্য বা সেবার একটি লক্ষ্য মান নির্ধারণ করা হয়। এটি সরকারি সংস্থা এবং অন্যান্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত হতে পারে। উৎপাদিত পণ্য বা সেবা লক্ষ্যমান অর্জন করতে পেরেছে কিনা তা যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় সংশোধনীমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করাই হলো মান নিয়ন্ত্রণ। অর্থাৎ পণ্যের কাক্সিক্ষত মান বজায় রাখার জন্য যে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা তাই মান নিয়ন্ত্রণ।
প্রশ্ন \ ৭ \ পণ্যের মান নিশ্চিত করার উপায়টি ব্যাখ্যা কর?
উত্তর : পণ্যের মান নিশ্চিত করার জন্য বিএসটিআই থেকে বাধ্যতামূলকভাবে সনদপত্র বা সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে হয়। বিএসটিআই বাধ্যতামূলক সার্টিফিকেটের আওতাধীন পণ্যের তালিকা সংরক্ষণ করে। নির্ধারিত মান অনুযায়ী পণ্য উৎপাদন না করলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিএসটিআই কর্তৃক প্রদত্ত সার্টিফিকেট বা লাইসেন্স বাতিল হয়ে যাবে।
প্রশ্ন \ ৮\ ট্রেডমার্ক রেজিস্ট্রেশনের প্রয়োজনীয়তা লেখ।
উত্তর : কোনো প্রতীক বা মার্কের রেজিস্ট্রেশন ঐ পণ্য বা সেবার ক্ষেত্রে প্রতীকটি ব্যবহারের বিষয়ে রেজিস্টার্ড মালিককে একচ্ছত্র স্বত্ব বা অধিকার প্রদান করে। রেজিস্টার্ড মালিকের অনুমতি ছাড়া কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ঐ প্রতীকটি ব্যবহার করতে পারবে না। রেজিস্টার্ড মার্কটি সুপরিচিত হলে অন্যান্য পণ্য বা সেবার ক্ষেত্রেও মালিকের এ অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। আইন দ্বারা এ অধিকার সুরক্ষিত। এ অধিকার লঙ্ঘিত হলে আদালতে মামলা করে প্রতিকার পাওয়া যাবে।
প্রশ্ন \ ৯ \ বিমা চুক্তি বলতে কী বোঝ? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : যে চুক্তির মাধ্যমে কোনো প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি কর্তৃক নির্দিষ্ট প্রিমিয়ামের বিনিময়ে কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা বিষয় সম্পত্তি সম্পর্কিত কোনো ঘটনাজনিত ক্ষতির বা ঘটনার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ প্রদান করা হয় তাকে বিমা চুক্তি বলে। বিমা চুক্তি যে দলিল দ্বারা সম্পাদিত হয় তাকে বিমাপত্র বলা হয়। বিমাপত্রে বিমার যাবতীয় শর্ত লিখিত হয়। বাংলাদেশে বর্তমানে বিমা আইন, ২০১০ চালু আছে।
প্রশ্ন \ ১০ \ অগ্নিজনিত ক্ষতি বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : আগুন যেমন মানুষের পরম বন্ধু তেমনি এটি মারাত্মক ক্ষতিরও কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অগ্নিকাণ্ডের ফলে জীবন ও সম্পদের যে ক্ষতি সাধিত হয় তাকে অগ্নিজনিত ক্ষতি বলা হয়। সাধারণত পণ্য, গুদাম, কারখানা, যন্ত্রপাতি ইত্যাদি আগুনে পুড়ে এ ক্ষতির উদ্ভব ঘটে।

 

Leave a Reply