নবম-দশম শ্রেণির ভূগোল অধ্যায় ১১ বাংলাদেশের সম্পদ ও শিল্প

একাদশ অধ্যায়
 বাংলাদেশের সম্পদ ও শিল্প
ছবি সংক্রান্ত তথ্য শিখনফল
 বাংলাদেশের প্রধান কৃষিপণ্য ও তাদের বণ্টন বর্ণনা করতে পারবে।
 বাংলাদেশের বিভিন্ন বনাঞ্চলের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতে পারবে।
 বাংলাদেশের খনিজ তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস, কয়লা ও কঠিন শিলার অবস্থান বর্ণনা করতে পারবে।
 বাংলাদেশের অর্থনীতিতে খনিজ তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস ও কয়লার গুরুত্ব বিশ্লেষণ করতে পারবে।
 বাংলাদেশের প্রধান শিল্প সম্পর্কে বর্ণনা দিতে পারবে।
 বাংলাদেশের অর্থনীতিতে পোশাক শিল্পের অবদান বিশ্লেষণ করতে পারবে।
 বাংলাদেশের প্রধান পর্যটনকেন্দ্রের বর্ণনা করতে পারবে।
 বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের গুরুত্ব ও সম্ভাবনা সম্পর্কে বর্ণনা করতে পারবে।
 বনজ সম্পদ সংরক্ষণে সর্বত্র সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারবে।
 পর্যটক হিসেবে পর্যটন কেন্দ্রের সুস্থ পরিবেশ সংরক্ষণে নাগরিক দায়িক্ত পালন করবে।
অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সংক্ষেপে জেনে রাখি
 কৃষিপণ্য : কৃষি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে। লাভজনক, টেকসই ও পরিবেশবান্ধব কৃষিব্যবস্থা একটি দেশের উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ২০১২-১৩ অর্থবছরের জিডিপিতে কৃষিখাতের অবদান ১৩ শতাংশ। এদেশের শ্রমশক্তির মোট ৪৭.৫০ শতাংশ কৃষিখাতে নিয়োজিত।
র. বাংলাদেশের খাদ্যশস্যের মধ্যে ধান প্রধান। এদেশে আউশ, আমন, বোরো প্রভৃতি ধরনের ধান চাষ হয়। বাংলাদেশের সকল জেলায় ধান উৎপাদিত হয়। বাংলাদেশের উর্বর দোআঁশ মাটি গম চাষের জন্য বিশেষ সহায়ক। গম চাষের জন্য ১৬ থেকে ২২ সেলসিয়াস তাপমাত্রা ও ৫০ থেকে ৭৫ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাতের প্রয়োজন হয়। উত্তরাঞ্চল গম চাষের জন্য ভালো।
রর. যেসব ফসল সরাসরি বিক্রির উদ্দেশ্য উৎপাদিত হয় তাকে অর্থকরী ফসল বলে। পাট, ইক্ষু, চা বাংলাদেশের অর্থকরী ফসল।
 বাংলাদেশের বনাঞ্চল : কোনো দেশের প্রাকৃতিক ভারসাম্য এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য মোট ভ‚মির ২৫ ভাগ বনভ‚মি থাকা প্রয়োজন। কিন্তু ২০১২-১৩ সালের হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশে বনভ‚মির পরিমাণ শতকরা প্রায় ১৭ ভাগ। বাংলাদেশের বনভ‚মিকে তিন শ্রেণিতে বিভক্ত করা যায়।
১. বাংলাদেশের পাহাড়ি এলাকার অধিক বৃষ্টিপ্রবণ অঞ্চলে ক্রান্তীয় চিরহরিৎ এবং কম বৃষ্টিপ্রবণ অঞ্চলে পাতাঝরা গাছের বনভ‚মি দেখা যায়।
২. বাংলাদেশের প্লাইস্টোসিনকালের সোপানসমূহে ক্রান্তীয় পাতাঝরা গাছের বনভ‚মি দেখা যায়। শীতকালে এ বনভ‚মির বৃক্ষের পাতা ঝরে যায় এবং গ্রীষ্মকালে আবার নতুন পাতা গজায়।
৩. খুলনা বিভাগের ৬,০০০ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে স্রোতজ বনভ‚মি বা সুন্দরবন বিস্তৃত। সমুদ্রের জোয়ারভাটা ও লোনা পানি এবং প্রচুর বৃষ্টিপাতের জন্য এ অঞ্চল বৃক্ষসমৃদ্ধ।
 বাংলাদেশের খনিজ সম্পদ : প্রাকৃতিক সম্পদের মধ্যে খনিজ সম্পদ হিসেবে খনিজ তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস, কয়লা ও কঠিন শিলা গুরুত্বপূর্ণ। দেশের এই খনিজ সম্পদসমূহের অনুসন্ধান, উৎপাদন এবং বিতরণের মধ্যে সমন্বয় সাধন করলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব।
 বাংলাদেশের প্রধান শিল্প : কোনো দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতির পূর্বশর্ত হচ্ছে শিল্পায়ন। আর্থসামাজিক ও দারিদ্র্যবিমোচনে শিল্পখাত গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখতে পারে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০১৪ অনুযায়ী ২০১২-১৩ অর্থবছরে জিডিপিতে শিল্পখাতের অবদান হলো শতকরা ২৯ ভাগ। বাংলাদেশের প্রধান শিল্পগুলো হলো :
পাট শিল্প : বাংলাদেশে কৃষিনির্ভর শিল্পগুলোর মধ্যে পাট শিল্প অন্যতম। এদেশে পর্যাপ্ত ও উৎকৃষ্ট পাট চাষ হওয়ায় পাট শিল্পের উন্নতিতে সহায়তা করছে।
কার্পাস বয়নশিল্প : কার্পাস বয়নশিল্প বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রধান গুরুত্বপূর্ণ শিল্প। বিদেশ থেকে আমদানিকৃত তুলা ও সুতা দিয়ে বাংলাদেশের সুতা ও বস্ত্রকলগুলো পরিচালিত হয়।
সার শিল্প : বাংলাদেশে বর্তমানে ১৭টি সার কারখানা থেকে সার উৎপাদন হচ্ছে।
তৈরি পোশাক শিল্প : বাংলাদেশে তৈরি পোশাক শিল্প বিকাশের অনুক‚ল পরিবেশ বিদ্যমান। ২০১২-১৩ সালে এ শিল্পে বাংলাদেশ ৮০৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে, যা মোট রপ্তানি আয়ের শতকরা ৪১.১০ ভাগ।
 বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প : পর্যটনের জন্য সম্ভাবনাময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সমুদ্র সৈকত, ঘন অরণ্য, পাহাড়ি এলাকা প্রকৃতিগতভাবেই এখানে বিদ্যমান। বাংলাদেশের পর্যটকদের ভ্রমণ কেন্দ্রগুলোর মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য এ দেশের পর্যটন শিল্পের জন্য বিরাট সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র। এ দেশে পৃথিবীর দীর্ঘতম বালুময় সমুদ্রসৈকত, ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট, দ্বীপ, হ্রদ, নদী ও পালতোলা নৌকার অনুপম দৃশ্যাবলি, সবুজ-শ্যামলিমা ঘেরা পাহাড়ি ভ‚মি রয়েছে, যা দেখলে মন ভরে যায়।
 বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের গুরুত্ব : বাংলাদেশ পর্যটনকে শিল্প হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর ২০০৫ সালে প্রণীত জাতীয় শিল্পনীতিতে একে অগ্রাধিকার শিল্প হিসেবে চি‎িহ্নত করা হয়। পর্যটন শিল্পের মাধ্যমে আয়, কর্মসংস্থান ও জাতীয় রাজস্ব আয় বৃদ্ধি করা যায়। বাংলাদেশে ২০০৬ সালে বিদেশি পর্যটক এসেছে প্রায় ২,০০,৩১১ জন এবং ২০০৯ সালে ২,৬৭,১০৭ জন। এতে বিদেশি পর্যটক ভ্রমণে আয় হয়েছে ২০০৬ সালে ৫৫৩০.৬০ মিলিয়ন টাকা এবং ২০০৯ সালে ৫৭৬২.২৪ মিলিয়ন টাকা।

 বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর 
১. বাংলাদেশের কোন অঞ্চলের জেলাগুলোতে গম চাষ বেশি প্রসার লাভ করেছে?
ক পূর্বাঞ্চলের খ পশ্চিমাঞ্চলের
গ দক্ষিণাঞ্চলের  উত্তরাঞ্চলের
২. ইক্ষু উৎপাদনের জন্য কোন ধরনের মৃত্তিকার প্রয়োজন?
র. বেলে দোআঁশ
রর. কর্দমাক্ত দোআঁশ
ররর. জৈব পদার্থ মিশ্রিত দোআঁশ
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের মানচিত্র পর্যবেক্ষণ কর এবং ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

৩. ‘ঞ’ চিহ্নিত অঞ্চলে কোন ধরনের বনভ‚মি গড়ে উঠেছে?
ক ক্রান্তীয় চিরহরিৎ  ক্রান্তীয় পাতাঝরা
গ স্রোতজ ঘ ক্রান্তীয় চিরহরিৎ এবং পাতাঝরা
৪. উক্ত বনভ‚মিতে কোন ধরনের বৃক্ষ জন্মায়?
র. চাপালিশ রর. শাল ররর. হিজল
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন- ১  অর্থকরী ফসল ও খনিজ সম্পদ

নিচের চিত্র দেখে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

ক. বাংলাদেশের দ্বিতীয় তেলক্ষেত্র কোন জেলায় অবস্থিত?
খ. গম চাষের উপযোগী জলবায়ু বর্ণনা কর।
গ. ‘ঢ’ অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ ফসলটি উৎপন্নের কারণ ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘ঢ’ এবং ‘ণ’ অঞ্চলের প্রাপ্ত প্রধান খনিজ সম্পদের মধ্যে কোনটির অর্থনৈতিক গুরুত্ব বেশি সে সম্পর্কে তোমার মতামত দাও।

ক বাংলাদেশের দ্বিতীয় তেলক্ষেত্রটি মৌলভীবাজার জেলার বরমচালে অবস্থিত।
খ গম চাষের জন্য বাংলাদেশের শীত ঋতু বিশেষ উপযোগী। সাধারণত গম চাষের জন্য ১৬ থেকে ২২ সেলসিয়াস তাপমাত্রা এবং ৫০ থেকে ৭৫ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাতের প্রয়োজন। বাংলাদেশে বৃষ্টিহীন শীত মৌসুমে পানি সেচের মাধ্যমে গম চাষ করা হয়।
গ চিত্রের ‘ঢ’ চি‎িহ্নত অঞ্চলটি হলো মৌলভীবাজার জেলা। মৌলভীবাজার জেলায় বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অর্থকরী ফসল চা জন্মায়। পানি নিষ্কাশন যেখানে সহজ এমন ঢালু জমিতে চা ভালো হয়। মৌলভীবাজার জেলায় ছোট ছোট টিলা এ ধরনের বৈশিষ্ট্য বহন করে। তাছাড়া চা চাষের জন্য ১৬ থেকে ১৭ সেলসিয়াস তাপমাত্রা ও ২৫০ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত প্রয়োজন। যা উক্ত অঞ্চলে বিদ্যমান। এ অঞ্চলের উর্বর লৌহ ও জৈব পদার্থ মিশ্রিত দোআঁশ মাটিতে চা চাষ ভালো হয়। প্রাকৃতিক এসব নিয়ামক ছাড়াও মূলধন, শ্রমিক, পরিবহন, বাজার প্রভৃতি নিয়ামক এ অঞ্চলে চা উৎপাদনে অনুক‚ল ভ‚মিকা রাখে।
ঘ চিত্রের ‘ঢ’ অঞ্চল হলো পূর্বাঞ্চলের মৌলভীবাজার জেলা ও ‘ণ’ হলো উত্তর-পূর্বাঞ্চলের দিনাজপুর জেলা। জেলা দুটোতে প্রাপ্ত খনিজ সম্পদ হলো প্রাকৃতিক গ্যাস ও কয়লা। প্রাকৃতিক গ্যাস বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদ। দেশের মোট বাণিজ্যিক জ্বালানি ব্যবহারের প্রায় ৭৩ শতাংশ প্রাকৃতিক গ্যাস পূরণ করে। শিল্পকারখানায় কাঁচামাল হিসেবে প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহৃত হয়। ফেঞ্চুগঞ্জের সার কারখানায় ও ছাতকের সিমেন্ট কারখানায় হরিপুরের প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহৃত হয়। ঘোড়াশালের সার কারখানায় তিতাস গ্যাস কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কীটনাশক, ঔষধ, রাবার, প্লাস্টিক, কৃত্রিম তন্তু প্রভৃতি তৈরির জন্য প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করা হয়। চা বাগানগুলো রশিদপুরের প্রাকৃতিক গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল। কয়েকটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ফার্নেস তেলের পরিবর্তে প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার হয়। যেমনÑ সিদ্ধিরগঞ্জ, আশুগঞ্জ, ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ব্রা‏‏‏‏‏হ্মণবাড়িয়ার তিতাস গ্যাস ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও গৃহস্থালি ও বাণিজ্যিক কাজে প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহৃত হয়। অপরদিকে শক্তির অন্যতম উৎস কয়লা। কলকারখানা, রেলগাড়ি, জাহাজ প্রভৃতি চালানোর জন্য কয়লা ব্যবহৃত হয়। জ্বালানি হিসেবেও কয়লা ব্যবহৃত হয়। কিন্তু বাংলাদেশ কয়লা সম্পদে তত উন্নত নয়, মজুদও খুব বেশি নেই। সুতরাং বাস্তবতা এই যে, উভয় খনিজ সম্পদের মধ্যে প্রাকৃতিক গ্যাসের অর্থনৈতিক গুরুত্ব অধিক।

প্রশ্ন- ২  বস্ত্র শিল্প ও সার শিল্প

সিমার বাড়ি দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে। সেখানে এমন একটি শিল্প গড়ে উঠেছে যার কাঁচামাল বাইরের দেশ থেকে আমদানি করা হয়। অপরদিকে পলির বাড়ি দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সেখানে একটি শিল্প গড়ে উঠেছে যা দেশের খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
ক. শিল্প কী?
খ. বাংলাদেশে পাট শিল্প গড়ে ওঠার কারণ ব্যাখ্যা কর।
গ. সিমার অঞ্চলে গড়ে ওঠা শিল্পটি ব্যাখ্যা কর।
ঘ. পলির অঞ্চলের শিল্পটির ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা কতটুকু সে সম্পর্কে মতামত দাও।

ক প্রাকৃতিক সম্পদ ও অন্যান্য সম্পদকে কাজে লাগিয়ে প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী উৎপাদন করা হলো শিল্প।
খ বাংলাদেশে পর্যাপ্ত ও উৎকৃষ্টমানের পাট চাষ হওয়ায় এদেশে পাট শিল্প গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশে কৃষিনির্ভর শিল্পগুলোর মধ্যে পাট শিল্প অন্যতম। কাঁচামালের সহজলভ্যতা এ দেশে পাট শিল্পের উন্নতিতে সহায়তা করছে। এদেশে পাটের দক্ষ ও সুলভ শ্রমিক রয়েছে। সর্বোপরি পাট শিল্পের প্রতি সরকারের সাহায্য ও সহযোগিতা রয়েছে। এসব কারণে বাংলাদেশে পাট শিল্প গড়ে উঠেছে।
গ সিমার অঞ্চল হলো দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল। বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বস্ত্রশিল্প প্রসার লাভ করেছে। বস্ত্রশিল্প বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রধান শিল্প। বাংলাদেশের আবহাওয়া বস্ত্রশিল্পের অনুক‚ল, তারপরও বাংলাদেশ বস্ত্রশিল্পে স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। বাংলাদেশের বস্ত্রকলগুলো বিদেশ থেকে আমদানিকৃত তুলা ও সুতা দিয়ে পরিচালিত হয়। উদ্দীপকে এজন্যই বলা হয়েছে এ শিল্পের কাঁচামাল বাইরের দেশ থেকে আমাদনি করা হয়। বাংলাদেশ প্রতি বছর জাপান, সিঙ্গাপুর, হংকং, কোরিয়া, ভারত, পাকিস্তান প্রভৃতি দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ তুলা, সুতিবস্ত্র ও সুতা আমদানি করে থাকে। মূলত এ আমদানিকৃত কাঁচামালের ওপর ভর করেই সিমার অঞ্চলে তথা দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বস্ত্রশিল্প প্রসার লাভ করেছে।
ঘ পলির বসবাসকৃত অঞ্চল দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সার শিল্প প্রসার লাভ করেছে। সার দেশের খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে সহায়তা করে। বর্তমানে বাংলাদেশে ১৭টি সার কারখানা থেকে সার উৎপাদিত হচ্ছে। বাংলাদেশের বৃহৎ শিল্পের মধ্যে সার অন্যতম। প্রাকৃতিক গ্যাসের সহজলভ্যতার জন্য সার শিল্পের উন্নয়নে প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। হরিপুরের প্রাকৃতিক গ্যাস ফেঞ্চুগঞ্জ সার কারখানায় ব্যবহৃত হয়। ঘোড়াশাল সার কারখানায় তিতাস গ্যাস কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশে আবিষ্কৃত গ্যাসক্ষেত্র ২৫টি এবং বর্তমানে দেশে ১৬.১২ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদ আছে। বর্তমানে দেশের ১৯টি গ্যাসক্ষেত্রের ৮৩টি ক‚প থেকে গ্যাস উৎপাদিত হচ্ছে। তাই প্রাকৃতিক গ্যাসনির্ভর সার শিল্পের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাময়।

 বোর্ড ও সেরা স্কুলের বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. তারা মসজিদ কোথায়? [স. বো.’১৬]
ক পটুয়াখালি খ নোয়াখালী
গ গাজীপুর ঘ ঢাকা
২. ২০০৬ সালে পর্যটন শিল্প থেকে কত টাকা আয় হয়? [স. বো.’১৬]
ক ৫৭৬২.২৪ মিলিয়ন টাকা খ ৫৫৩০.৬০ মিলিয়ন টাকা
গ ৫৩৩০.২৪ মিলিয়ন টাকা ঘ ৫১৬০.৬০ মিলিয়ন টাকা

চিত্র : বাংলাদেশের আংশিক মানচিত্র
৩. মানচিত্রে প্রদর্শিত স্থানটিতে জন্মে [স. বো.’১৬]
ক চা, রাবার খ আখ, আম
গ কলা, পেয়ারা ঘ পান, সুপারি
৪. কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত কোন জেলায় অবস্থিত? [স. বো.’১৬]
ক নোয়াখালী খ পটুয়াখালী
গ কক্সবাজার ঘ বরিশাল
৫. বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে দৈনিক কী পরিমাণ কয়লা উত্তোলিত হয়?
[স. বো.’১৬]
ক প্রায় ১.৯৯ মিলিয়ন মেট্রিক টন খ প্রায় ২.৯৯ মিলিয়ন মেট্রিক টন
গ প্রায় ৩.৯৯ মিলিয়ন মেট্রিক টন ঘ প্রায় ৪.৯৯ মিলিয়ন মেট্রিক টন
[বি. দ্র.. সঠিক উত্তর ৩,০০০ মে.টন।]
৬. আমিন সাহেব তার ৪/৫ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেন। কারণ তিনি জানেন পাট একটি [স. বো.’১৬]
র. অর্থকরী ফসল
রর. সোনালি আঁশ
ররর. খাদ্যশস্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭. বাংলাদেশের প্রথম কাগজকল কোন সালে স্থাপিত হয়? [স. বো.’১৬]
ক ১৯৫০ খ ১৯৫১
গ ১৯৫২ ঘ ১৯৫৩
৫. বাহাদুর শাহ পার্ক কত সালে নির্মিত? [স. বো. ’১৫]
ক ১৭৫৭  ১৮৫৭ গ ১৮৭৫ ঘ ১৯৭৫
৬. সিলেট জেলায় কোন ধান ভালো জন্মে? [স. বো. ’১৫]
ক আমন খ আউশ গ ইরি  বোরো
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৭, ৮ ও ৯নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
[স. বো. ’১৫]
৭. অনুচ্ছেদের (?) চি‎ি‎হ্নত খালি ঘরে নিচের কোনটি প্রযোজ্য?
ক ধান চাষ  পাট চাষ
গ গম চাষ ঘ ইক্ষু চাষ
৮. উক্ত ফসল চাষের উপযুক্ত অঞ্চল কোনটি?
 উষ্ণ অঞ্চল খ উষ্ণ ও আর্দ্র অঞ্চল
গ আর্দ্র অঞ্চল ঘ প্রচুর বৃষ্টিপাত
৯. কিসের কারণে এ দেেেশর আবহাওয়া আর্দ্র থাকে? [স. বো. ’১৫]
 নদী খ পাহাড়
গ বনভ‚মি ঘ সাগর
১০. বাংলাদেশের খাদ্যশস্যের মধ্যে কোনটি প্রধান?
[চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
 ধান খ গম গ আলু ঘ ডাল
১১. বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে অধিক গম উৎপাদিত হয়?
[মোহাম্মদপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, ঢাকা]
ক পূর্বাঞ্চল খ পশ্চিমাঞ্চল
গ দক্ষিণাঞ্চল  উত্তরাঞ্চল
১২. গম চাষের উপযোগী মাটি কোনটি? [হলিক্রস উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, ঢাকা]
 উর্বর দোআঁশ খ বেলে মাটি
গ উর্বর কর্দমাময় মাটি ঘ পলি মাটি
১৩. বাংলাদেশের প্রধান অর্থকরী ফসল কোনটি?
[আজিমপুর গভ. গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
 পাট খ চা গ চিনি ঘ তামাক
১৪. বেলে দোআঁশ ও কর্দমাময় দোআঁশ মাটিতে কী চাষ ভালো হয়?
[মোহাম্মদপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, ঢাকা]
ক ধান  ইক্ষু
গ পাট ঘ চা
১৫. চা চাষের জন্য কত সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাতের প্রয়োজন?
[শেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক ১৫০ খ ১৭৫ গ ২০০  ২৫০
১৬. চা চাষের জন্য প্রয়োজন [মানিকগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়]
র. উষ্ণ ও আর্দ্র জলবায়ু
রর. ১৬ থেকে ১৭ সেলসিয়াস তাপমাত্রা
ররর. উর্বর লৌহ ও জৈব পদার্থ মিশ্রিত দোআঁশ মাটি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
১৭. বাংলাদেশের প্লাইস্টোসিনকালের বনভ‚মিকে কী বলে?
[নাটোর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়]
ক ক্রান্তীয় চিরহরিৎ বনভ‚মি
 ক্রান্তীয় পাতাঝরা গাছের বনভ‚মি
গ ক্রান্তীয় চিরহরিৎ এবং পাতাঝরা গাছের বনভ‚মি
ঘ স্রোতজ বনভ‚মি
১৮. বাংলাদেশে কত সালে সর্বপ্রথম খনিজ তেল পাওয়া যায়?
[ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজ, ঢাকা]
ক ১৯৮১  ১৯৮৬ গ ১৯৮৮ ঘ ১৯৯০
১৯. কত সালে সিলেট জেলার হরিপুরে প্রাকৃতিক গ্যাসের সপ্তম ক‚পে তেল পাওয়া যায়? [মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, টাঙ্গাইল]
ক ১৯৮৩ খ ১৯৮৪  ১৯৮৬ ঘ ১৯৮৮
২০. বাংলাদেশের কোন গ্যাসক্ষেত্র থেকে খনিজ তেল পাওয়া যায়?
[নরসিংদী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক ছাতক খ রশিদপুর গ বাখরাবাদ  হরিপুর
২১. বাংলাদেশের দ্বিতীয় তেলক্ষেত্রটি কোথায় অবস্থিত?
[আঞ্জুমান আদর্শ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, নেত্রকোনা]
 মৌলভীবাজারে খ হবিগঞ্জে
গ সিলেটে ঘ সুনামগঞ্জে
২২. বাংলাদেশে আবিষ্কৃত গ্যাসক্ষেত্রের সংখ্যা কতটি? [বিএএফ শাহীন কলেজ, ঢাকা]
ক ১৯ খ ২১  ২৫ ঘ ২৯
২৩. সেমুতাং কী? [খিলগাঁও গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
ক কয়লাক্ষেত্র খ নদীবন্দর
 গ্যাসক্ষেত্র ঘ পাহাড়
২৪. দিনাজপুরের বড় পুকুরিয়া বিখ্যাত কেন? [বর্ণমালা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, ঢাকা]
ক প্রাকৃতিক গ্যাসের কারণে খ খনিজ তেলের কারণে
গ আকরিক লোহার কারণে  কয়লার কারণে
২৫. উন্নতমানের কয়লা কোনটি? [পুলিশ লাইন হাই স্কুল, ফরিদপুর]
 লিগনাইট খ পিট
গ কোক ঘ অ্যানথ্রাসাইট
২৬. আশুগঞ্জ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে জ্বালানি হিসেবে কী ব্যবহার করা
হয়? [খিলগাঁও গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
ক পেট্রল  প্রাকৃতিক গ্যাস
গ ডিজেল ঘ কয়লা
২৭. বর্তমানে বাংলাদেশে কতটি কাগজ কল রয়েছে?
[বর্ণমালা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, ঢাকা]
ক ৪ খ ৫  ৬ ঘ ৭
২৮. বর্তমানে বাংলাদেশে কতটি বোর্ড মিলস আছে?
[বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজ, ঢাকা]
ক ১  ৪ গ ৬ ঘ ৮
২৯. কোনটি কাগজ উৎপাদনের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়?
[গাজীপুর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড আন্ত. উচ্চ বিদ্যালয়]
 নলখাগড়া খ তুলা
গ শণ ঘ নারিকেলের ছোবড়া
৩০. বাংলাদেশে প্রথম সার কারখানা কোনটি?
[মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, টাঙ্গাইল]
ক ঘোড়াশাল সার কারখানা  ফেঞ্চুগঞ্জ সার কারখানা
গ জিয়া সার কারখানা ঘ পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা
৩১. “অ ংষববঢ়রহম নবধঁঃু বসবৎমরহম ভৎড়স সরংঃং ধহফ ধিঃবৎ.” উক্তিটি কার? [শেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
 হিউয়েন সাং খ ফা হিয়েন
৩২. কোন শিল্পের মাধ্যমে বিশ্বের সকল দেশের সাথে ভ্রাতৃত্বসুলভ সম্পর্ক গড়ে ওঠে? [জামালপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক বস্ত্র  পর্যটন
গ পাট ঘ পোশাক
৩৩. গান্ধী আশ্রম কোথায় অবস্থিত? [ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজ, ঢাকা]
ক মৌলভীবাজার খ সিলেট
 নোয়াখালী ঘ ময়মনসিংহ
৩৪. রাঙামাটির প্রধান আকর্ষণ কোনটি? [বিএএফ শাহীন কলেজ, ঢাকা]
ক বৌদ্ধবিহার খ চাকমা রাজার বাড়ি
 কাপ্তাই হ্রদ ঘ মাতামুহুরী নদী
৩৫. পর্যটন শিল্প থেকে বৃদ্ধি করা যায় [নেত্রকোনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
র. আয়
রর. কর্মসংস্থান
ররর. জাতীয় রাজস্ব বৃদ্ধি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৩৬. ঢাকার পর্যটন কেন্দ্র Ñ[আহম্মদ উদ্দিন শাহ শিশু নিকেতন স্কুল ও কলেজ, গাইবান্ধা]
র. কার্জন হল
রর. আহসান মঞ্জিল
ররর. তারা মসজিদ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর  র, রর ও ররর

 বিষয়ক্রম অনুযায়ী বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
 ভ‚মিকা  বোর্ড বই, পৃষ্ঠা- ০০
১.

সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৩৭. একটি দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন কিসের ওপর নির্ভর করে? (জ্ঞান)
ক সম্পদ ও জনসংখ্যা খ জনসংখ্যা ও শিক্ষা
 সম্পদ ও শিল্প ঘ শিল্প ও কৃষি
৩৮. বাংলাদেশে শিল্পের গুরুত্ব অপরিসীম হওয়ার কারণ কী? (অনুধাবন)
 উন্নয়ন খ প্রবৃদ্ধি গ অগ্রগতি ঘ কর্মসংস্থান
৩৯. বাংলাদেশেরে অর্থনৈতিক উন্নয়নে যথেষ্ট অবদান রাখছে কোন শিল্প? (অনুধাবন
ক বস্ত্র খ পোশাক  পাট ঘ পর্যটন
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৪০. বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ 
র. কৃষিজ ও বনজ
রর. কয়লা
ররর. প্রাকৃতিক গ্যাস
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
 কৃষিপণ্য  বোর্ড বই, পৃষ্ঠা- ১৪৩
¡ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে-কৃষি।
¡ বাংলাদেশের কৃষিজ ফসল ২ প্রকার- খাদ্যশস্য ও অর্থকরী ফসল।
¡ বাংলাদেশে- আউশ, আমন, বোরো প্রভৃতি ধরনের ধান চাষ হয়।
¡ বাংলাদেশে বৃষ্টিহীন শীত মৌসুমে- পানি সেচের মাধ্যমে গম চাষ ভালো হয়।
¡ বাংলাদেশের উর্বর দোআঁশ মাটি- গম চাষের জন্য সহায়ক।
¡ বাংলাদেশে দুধরনের পাট চাষ হয়- দেশি এবং তোষা।
¡ ইক্ষু চাষের জন্য প্রয়োজন- সমতলভ‚মি।
¡ চা চাষের জন্য প্রয়োজন- উষ্ণ ও আর্দ্র জলবায়ুর।
¡ জমিতে একই শস্য চাষ- মাটির পুষ্টিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৪১. কৃষিব্যবস্থা কখন দেশের উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে? (প্রয়োগ)
 লাভজনক, টেকসই ও পরিবেশবান্ধব হলে
খ অধিকাংশ লোক এ পেশায় জড়িত হলে
গ দেশের ভোগ্যপণ্য উৎপাদিত হলে
ঘ দেশের শিল্পের কাঁচামালের যোগানদাতা হলে
৪২. ২০১২-১৩ অর্থবছরের জিডিপিতে কৃষিখাতের অবদান কত ছিল? (জ্ঞান)
ক ১১%  ১৩% গ ১৬% ঘ ১৯%
৪৩. বর্তমান শ্রমশক্তির মোট কত শতাংশ কৃষিখাতে নিয়োজিত? (জ্ঞান)
ক ৪৩.৫০ খ ৪৫.৩০  ৪৭.৫০ ঘ ৪৯.৩০
৪৪. বাংলাদেশের সকল জেলায় উৎপাদিত হয় এমন খাদ্যশস্য কোনটি? (অনুধাবন)
ক ডাল  ধান গ আলু ঘ ভুট্টা
৪৫. আমন ধান কোথায় ভালো হয়? (জ্ঞান)
ক সিলেট  রংপুর গ বগুড়া ঘ নোয়াখালী
৪৬. ধান চাষের জন্য কত তাপমাত্রা প্রয়োজন? (জ্ঞান)
ক ১০ থেকে ১৫ সেলসিয়াস খ ১২ থেকে ২৮ সেলসিয়াস
 ১৬ থেকে ৩০ সেলসিয়াস ঘ ১৮ থেকে ২৩ সেলসিয়াস
৪৭. বাংলাদেশের সর্বত্রই ধান ভালো জন্মে কেন? (অনুধাবন)
ক তাপমাত্রা ও বৃষ্টিপাত অনুক‚ল বলে
 নদী অববাহিকার পলিমাটি সমৃদ্ধ বলে
গ মাটিতে বালির ভাগ বেশি থাকে বলে
ঘ সারা বছর মৌসুমি বায়ু প্রবাহিত হয় বলে
৪৮. গম চাষের জন্য কত তাপমাত্রা প্রয়োজন? (জ্ঞান)
ক ১১ থেকে ১৩ সেলসিয়াস খ ১২ থেকে ১৭ সেলসিয়াস
গ ১৪ থেকে ২০ সেলসিয়াস  ১৬ থেকে ২২ সেলসিয়াস
৪৯. কোনটি চাষে রংপুর ও যশোর জেলার সম্পৃক্ততা নেই? (জ্ঞান)
ক ইক্ষু  চা
গ পাট ঘ গম
৫০. তেলবীজ জাতীয় খাদ্যশস্যের সাথে অমিল প্রকাশ করে কোনটি? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক সরিষা খ বাদাম
গ তিসি  মটর
৫১. ডাল জাতীয় খাদ্যশস্য নয় নিচের কোনটি? (অনুধাবন)
ক মুগ খ মটর
 বাদাম ঘ মাসকলাই
৫২. আমাদের দেশে নিচের কোন ফসলটি সরাসরি বিক্রির জন্য চাষ করা হয়? (অনুধাবন)
ক ধান খ আলু
গ ডাল  ইক্ষু
৫৩. বাংলাদেশে সাধারণত কত প্রকারের পাটচাষ হয়? (জ্ঞান)
 দুই খ তিন
গ চার ঘ পাঁচ
৫৪. উষ্ণ অঞ্চলের ফসল কোনটি? (অনুধাবন)
ক গম খ আলু
 পাট ঘ ইক্ষু
৫৫. অধিক তাপমাত্রা এবং প্রচুর বৃষ্টিপাত কী চাষে প্রয়োজন হয়? (অনুধাবন)
ক ধান খ গম
গ চা  পাট
৫৬. পাট চাষে কত সেমি বৃষ্টিপাতের প্রয়োজন? (অনুধাবন)
ক ১০০-১৫০ খ ১০০-২০০
 ১৫০-২৫০ ঘ ২০০-৩০০
৫৭. কী চাষের জন্য ২০ থেকে ৩৫ সেলসিয়াস তাপমাত্রা এবং ১৫০ থেকে ২৫০ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত প্রয়োজন? (অনুধাবন)
ক ধান  পাট
গ গম ঘ চা
৫৮. কোন ধরনের মাটিতে পাট চাষ প্রসার লাভ করে? (জ্ঞান)
ক পলিমাটি খ বেলে মাটি
 উর্বর দোআঁশ মাটি ঘ উর্বর কর্দমাময় মাটি
৫৯. চিনি বা গুড় উৎপাদনের জন্য বাংলাদেশে কোন ফসল চাষ করা হয়? (জ্ঞান)
ক আলু খ বিট
গ খেজুর  ইক্ষু
৬০. ইক্ষু চাষের জন্য কত তাপমাত্রা প্রয়োজন? (জ্ঞান)
ক ১০ থেকে ১৫ সেলসিয়াস খ ১২ থেকে ২৬ সেলসিয়াস
গ ১৬ থেকে ৩০ সেলসিয়াস  ১৯ থেকে ৩০ সেলসিয়াস
৬১. বাংলাদেশে উৎপাদিত কোন অর্থকরী ফসলের বেশির ভাগ বিদেশে রপ্তানি হয়? (জ্ঞান)
 চা খ ইক্ষু
গ তুলা ঘ তামাক
৬২. পানি নিষ্কাশনবিশিষ্ট ঢালু জমিতে কী চাষ ভালো হয়? (অনুধাবন)
ক ইক্ষু  চা
গ পাট ঘ গম
৬৩. চা চাষের জন্য কত তাপমাত্রা প্রয়োজন? (জ্ঞান)
ক ১০ থেকে ১২ সেলসিয়াস
খ ১৩ থেকে ১৪ সেলসিয়াস
গ ১৪ থেকে ১৫ সেলসিয়াস
 ১৬ থেকে ১৭ সেলসিয়াস
৬৪. উর্বর লৌহ ও জৈব পদার্থ মিশ্রিত দোআঁশ মাটিতে কী ভালো হয়? (অনুধাবন)
ক পাট খ গম
গ ইক্ষু  চা
অঞ্চল তাপমাত্রা বৃষ্টিপাত মাটি
ক ১৬-১৭ ২৫০ সেমি লৌহ সমৃদ্ধ দোআঁশ
৬৫. ক অঞ্চলে কোন কৃষিপণ্যটির উৎপাদন ভালো হয়? (প্রয়োগ)
ক ধান খ গম
 চা ঘ ইক্ষু
৬৬. কোনটি চাষে রংপুর ও যশোর জেলার সম্পৃক্ততা নেই? (জ্ঞান)
ক ইক্ষু  চা
গ পাট ঘ গম
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬৭. বাংলাদেশের প্রধান খাদ্যশস্য ধান। এর কারণ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. নদীবহুল বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ সমভ‚মি পলিমাটি
রর. প্রচুর উৎপাদন
ররর. বাঙালির প্রধান খাদ্য ভাত
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
 রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬৮. ভালো ধানের ফলনের জন্য দরকার (প্রয়োগ)
র. ১৬ থেকে ৩০ সেলসিয়াস তাপমাত্রা
রর. ১০০ থেকে ২০০ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত
ররর. নদী অববাহিকার পলিমাটি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৬৯. গম চাষের উপযোগী অবস্থা  (অনুধাবন)
র. উর্বর দোআঁশ মাটি
রর. বৃষ্টিবহুল শীত মৌসুম
ররর. প্রয়োজনীয় ১৬ থেকে ২২ সেলসিয়াস তাপমাত্রা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭০. গম চাষের উপযোগী অবস্থা  (প্রয়োগ)
র. ১৬ থেকে ২২ সেলসিয়াস তাপমাত্রা
রর. ১০০ থেকে ২০০ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত
ররর. উর্বর দোআঁশ মাটি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ র ও রর
 র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭১. বাংলাদেশে চা বাগান আছে (অনুধাবন)
র. মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলায়
রর. সিলেট ও কুমিল্লা জেলায়
ররর. ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় জেলায়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৭২. আমাদের কৃষিখাতের প্রধান রপ্তানি পণ্য  (অনুধাবন)
র. হিমায়িত খাদ্য ও কাঁচা পাট
রর. পাটজাত দ্রব্য ও চা
ররর. পোশাক শিল্প ও হস্তশিল্প
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র  র ও রর
গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের মানচিত্রটি দেখে ৪৬ ও ৪৭নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

৭৩. ‘ক’ চি‎িহ্নত অঞ্চলে নিচের কোন অর্থকরী ফসল ভালো জন্মে? (প্রয়োগ)
ক পাট  ইক্ষু
গ চা ঘ তামাক
৭৪. ‘খ’ চি‎ি‎হ্নত স্থানে গমের ফলন ভালো হওয়ার কারণ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. বৃষ্টিহীন শীত মৌসুম
রর. ১৬ থেকে ২২ সেলসিয়াস তাপমাত্রা থাকে
ররর. উর্বর দোআঁশ মাটি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
নিচের ছকটি দেখে ৪৮ ও ৪৯ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
২০ থেকে ৩৫ সেলসিয়াস তাপমাত্রা  পাট
ক  চা
১৬ থেকে ৩০ সেলসিয়াস তাপমাত্রা  খ
৭৫. ‘ক’ এর জন্য অনুক‚ল তাপমাত্রা কত? (প্রয়োগ)
 ১৬ থেকে ১৭ সেলসিয়াস খ ১৯ থেকে ৩০ সেলসিয়াস
গ ২০ থেকে ৩৫ সেলসিয়াস ঘ ১৩ থেকে ২১ সেলসিয়াস
৭৬. ‘খ’ বাংলাদেশের সর্বত্র ভালো জন্মানোর কারণ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. চি‎িহ্নত কৃষিপণ্যটি হলো ধান
রর. নদী অববাহিকার উর্বর পলিমাটির বিস্তার
ররর. ২০০ সেন্টিমিটারের অধিক বৃষ্টিপাত
নিচের কোনটি সঠিক?
 রর খ র ও রর
গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৫০ ও ৫১ প্রশ্নের উত্তর দাও :
রিয়াজ সিলেটে এসে চা বাগানে বেড়াতে যায়। তার নিজ জেলায় এর চাষ না হওয়ার কারণ সে ভাবতে থাকে।
৭৭. রিয়াজের দেখা বাগানে কিরূপ ফসল উৎপন্ন হয়? (প্রয়োগ)
ক মিশ্র কৃষিফসল খ খাদ্যশস্য
 অর্থকরী ফসল ঘ খামারজাত ফসল
৭৮. রিয়াজের নিজ জেলায় চা চাষ না হওয়ার কারণ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. পানি নিষ্কাশন হয় এমন ঢালু জমির অভাব
রর. লৌহ ও জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ দোআঁশ মাটির অপর্যাপ্ততা
ররর. উষ্ণ ও আর্দ্র জলবায়ুর অপ্রতুলতা
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
 বাংলাদেশের বনাঞ্চল  বোর্ড বই, পৃষ্ঠা- ১৪৬
¡ বনভ‚মি থেকে যে সম্পদ পাওয়া যায় তাকে বলে বনজ সম্পদ।
¡ বাংলাদেশের বনভ‚মির পরিমাণ- শতকরা ১৭ ভাগ।
¡ জলবায়ু ও মাটির গুণাগুণের তারতম্যের কারণে- বাংলাদেশের বনভ‚মি ৩ ভাগে বিভক্ত।
¡ পাহাড়ের অধিক বৃষ্টিপ্রবণ অঞ্চলে দেখা যায়- ক্রান্তীয় চিরহরিৎ গাছের বনভ‚মি।
¡ সমুদ্রের জোয়ার ভাটা ও লোনা পানি এবং প্রচুর বৃষ্টিপাতের জন্য স্রোতজ বনভ‚মি বৃক্ষ সমৃদ্ধ।
¡ পারস্পরিক ভারসাম্য ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য মোট ভ‚মির-২৫ ভাগ বনভ‚মি থাকা প্রয়োজন।
¡ পাতাঝরা গাছের বনভ‚মি দেখা যায়- কম বৃষ্টিপ্রবণ অঞ্চলে।
¡ শতিকালে বৃক্ষের পাতা ঝরে যায়- ক্রান্তীয় পাতাঝরা গাছের বনভ‚মিতে।
¡ স্রোতজ বনভ‚মি খুলনা বিভাগের ৬,০০০ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত।
¡ অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বনভ‚মির গুরুত্ব অপরিসীম।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৭৯. বনভ‚মি থেকে যে সম্পদ আহরিত হয় তাকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক প্রাকৃতিক সম্পদ খ কৃত্রিম সম্পদ
গ সামাজিক সম্পদ  বনজ সম্পদ
৮০. বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে ক্রান্তীয় চিরহরিৎ এবং পাতাঝরা গাছের বনভ‚মি আছে? (অনুধাবন)
ক খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট
খ ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল ও গাজীপুর
গ সিলেট, রংপুর ও দিনাজপুর
 খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবান
৮১. ২০১২-১৩ সালের হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের বর্তমান বনাঞ্চল মোট আয়তনের কত শতাংশ? (জ্ঞান)
ক ৯% খ ১৩%
 ১৭% ঘ ১৯%
৮২. জলবায়ু ও মাটির গুণাগুণের তারতম্যের কারণে বাংলাদেশের বনভ‚মিকে কয় শ্রেণিতে বিভক্ত করা হয়েছে? (জ্ঞান)
ক দুই  তিন
গ চার ঘ পাঁচ
৮৩. কী কারণে বাংলাদেশে চিরহরিৎ বনভ‚মি সৃষ্টি হয়েছে? (জ্ঞান)
ক অল্পবৃষ্টি খ অনাবৃষ্টি
গ সীমিত বৃষ্টি  অতিবৃষ্টি
৮৪. পাহাড়ের কম বৃষ্টিপ্রবণ অঞ্চলে কী ধরনের বনভ‚মি দেখা যায়? (জ্ঞান)
ক ক্রান্তীয় চিরহরিৎ  পাতাঝরা গাছের
গ স্রোতজ ঘ সরলবর্গীয়
৮৫. নিচের কোন বনভ‚মির বৃক্ষের পাতা শীতকালে ঝরে যায় এবং গ্রীষ্মকালে আবার গজায়? (জ্ঞান)
 বরেন্দ্র খ ভাওয়ালের
গ চিরহরিৎ ঘ স্রোতজ
৮৬. নিচের কোন দুটি জেলায় সুন্দরবন অবস্থিত? (অনুধাবন)
ক খুলনা ও যশোর খ খুলনা ও পটুয়াখালী
গ পটুয়াখালী ও বাগেরহাট  সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট
৮৭. সুন্দরবনের উত্তরে কোন জেলা অবস্থিত? (অনুধাবন)
ক পিরোজপুর খ বরিশাল
 বাগেরহাট ঘ বরগুনা
৮৮. সুন্দরবনের পূর্বে কোন নদীটি অবস্থিত? (অনুধাবন)
 হরিণঘাটা খ রাইমঙ্গল
গ হাড়িয়াভাঙা ঘ বালেশ্বর
৮৯. সুন্দরবনের আয়তন কত? (জ্ঞান)
ক ৬০০ বর্গকিলোমিটার খ ৬০ বর্গকিলোমিটার
 ৬,০০০ বর্গকিলোমিটার ঘ ৬০,০০০ বর্গকিলোমিটার
৯০. প্রাত্যহিক জোয়ারভাটা বাংলাদেশের কোন বনভ‚মির গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক? (অনুধাবন)
 স্রোতজ খ মধুপুর
গ পাতাঝরা ঘ ক্রান্তীয় চিরহরিৎ
৯১. বাংলাদেশের কোন বন সমুদ্র সমতলে অবস্থিত? (অনুধাবন)
 সুন্দরবন খ শালবন
গ সিলেটের বনভ‚মি ঘ বরেন্দ্রভ‚মি
৯২. কোনটি সুন্দরবনের বৃক্ষ? (অনুধাবন)
 গেওয়া খ শাল
গ কড়ই ঘ হরীতকী
৯৩. ক্রান্তীয় পাতাঝরা গাছের বনভ‚মিতে কোন গাছের প্রাধান্য রয়েছে? (জ্ঞান)
ক হরীতকী খ তেলসুর
 শাল ঘ সুন্দরী
৯৪. চাপালিশ কোন বনাঞ্চলের উদ্ভিদ? (অনুধাবন)
ক বরেন্দ্র বনভ‚মি খ ভাওয়ালের বনভ‚মি
গ স্রোতজ বনভ‚মি  ক্রান্তীয় চিরহরিৎ বনভ‚মি
৯৫. কোন গাছের পাতা একেবারে ঝরে যায় না? (অনুধাবন)
 চাপালিশ খ শাল
গ কড়ই ঘ হিজল
৯৬. সামুদ্রিক জলোচ্ছ¡াসের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে কোনটি সহায়ক ভ‚মিকা পালন করে? (অনুধাবন)
ক ভ‚মিধস খ পর্যটন শিল্প
 বনাঞ্চল ঘ উপক‚লীয় বাঁধ
৯৭. কোনটি একটি অঞ্চলের আবহাওয়াকে আর্দ্র রাখে? (অনুধাবন)
 বনভ‚মি খ জলাভ‚মি
গ বৃষ্টিপাত ঘ বায়ুপ্রবাহ
৯৮. বনাঞ্চল এলাকায় বৃষ্টিপাত বেশি হয়। এর কারণ কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
 বায়ুর আর্দ্রতা বেশি খ বায়ুর তাপমাত্রা বেশি
গ জনসংখ্যা কম ঘ বায়ুদূষণের হার কম
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৯৯. বাংলাদেশের প্লাইস্টোসিনকালের বনভ‚মি  (অনুধাবন)
র. মধুপুর ও ভাওয়ালের বনভ‚মি
রর. বরেন্দ্র বনভ‚মি
ররর. সুন্দরবন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর
 র ও রর ঘ র, রর ও ররর
১০০. সুন্দরবনে বনাঞ্চল গড়ে ওঠার কারণ  (উচ্চতর দক্ষতা)
র. জোয়ার ভাটার প্রভাব
রর. সমুদ্রের লোনা পানি
ররর. অপর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১০১. সমুদ্রের জোয়ারভাটা ও লোনা পানির বনাঞ্চলকে বলা হয় (অনুধাবন)
র. স্রোতজ বনভ‚মি
রর. সুন্দরবন
ররর. ক্রান্তীয় পাতাঝরা বন
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১০২. স্রোতজ বনভ‚মি বা সুন্দরবনের অবস্থান (অনুধাবন)
র. পূর্বে হরিণঘাটা নদী, পিরোজপুর ও বরিশাল জেলা
রর. পশ্চিমে রাইমঙ্গল ও হাড়িয়াভাঙা নদী
ররর. উত্তরে খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
১০৩. বনজ সম্পদের গুরুত্ব হলো  (উচ্চতর দক্ষতা)
র. ভ‚মির উর্বরতা বৃদ্ধি
রর. সামাজিক বনায়ন সৃজন
ররর. আবহাওয়া বিশুদ্ধিকরণ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১০৪. বনজ সম্পদের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছেÑ (প্রয়োগ)
র. কর্ণফুলী কাগজকল
রর. খুলনার নিউজপ্রিন্ট কারখানা
ররর. বাংলাদেশ হার্ডবোর্ড মিলস
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৭৯ ও ৮০নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
জনাব মোজাম্মেল হোসেন এমন একটি অঞ্চলে বাস করেন যেখানে নিবিড় বনভ‚মি দেখা যায় এবং প্রতিক‚ল আবহাওয়ার জন্য কৃষিকাজ তেমন প্রসার লাভ করেনি।
১০৫. উক্ত অঞ্চলে কোন প্রকৃতির বনভ‚মি দেখা যায়? (প্রয়োগ)
 চিরহরিৎ খ পর্ণমোচী
গ সরলবর্গীয় ঘ মিশ্র
১০৬. উক্ত অঞ্চলের জন্য প্রযোজ্য (উচ্চতর দক্ষতা)
র. জলবায়ু স্বাস্থ্যকর
রর. শক্ত কাঠের বৃক্ষ জন্মে
ররর. অধিক বৃষ্টিপাত হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৮১ ও ৮২নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
গ্রীষ্মের ছুটিতে আজাদ ও তার বন্ধুরা দেশের সর্ব উত্তরের থানা তেঁতুলিয়া ভ্রমণ শেষে ফেরার পথে গাছে গাছে পাতার সমারোহ দেখে মুগ্ধ হলো। আবার শীতকালে আজাদ ওই এলাকায় বিশেষ কাজে এসে সেসব গাছ পাতাবিহীন অবস্থায় দেখতে পেল।
১০৭. আজাদের দেখা বৃক্ষসমূহ কোন বনভ‚মির অন্তর্গত? (প্রয়োগ)
ক ক্রান্তীয়  বরেন্দ্র গ স্রোতজ ঘ সংরক্ষিত
১০৮. উক্তরূপ বনভ‚মির শ্রেণিবিভাগ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল ও গাজীপুর জেলার মধুপুর ও ভাওয়ালের বনভ‚মি
রর. খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট ও বরগুনা জেলার বনভ‚মি
ররর. দিনাজপুর ও রংপুর জেলার বনভ‚মি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৮৩ ও ৮৪নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
রায়হানের মামার বাড়ি দেশের মধ্যভাগে অবস্থিত। কুমিল্লা থেকে রায়হান মামার বাড়িতে গিয়ে দেখল সেখানকার মাটির রং লাল ও ধূসর।
১০৯. রায়হানের মামার বাড়ি যে অঞ্চলে অবস্থিত সেখানে কোন ধরনের বনভ‚মি দেখা যায়? (প্রয়োগ)
ক ক্রান্তীয় চিরহরিৎ ও পাতাঝরা
খ ক্রান্তীয় চিরহরিৎ
গ স্রোতজ বনভ‚মি
 ক্রান্তীয় পাতাঝরা
১১০. উক্ত বনভ‚মির প্রধান বৃক্ষ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. আসবাবপত্র নির্মাণে ব্যবহৃত হয়
রর. গ্রীষ্মকালে নতুন পাতা ধারণ করে
ররর. বছর শেষে শুকিয়ে যায়
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের মানচিত্রটি দেখে ৮৫ ও ৮৬নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

১১১. খ অঞ্চলের অধিক বৃষ্টিপ্রবণ এলাকায় কী ধরনের বনভ‚মি দেখা যায়? (প্রয়োগ)
 ক্রান্তীয় চিরহরিৎ খ পাতাঝরা গাছের
গ স্রোতজ ঘ সরলবর্গীয়
১১২. ক অঞ্চলের বনভ‚মি (উচ্চতর দক্ষতা)
র. মিঠা ও লোনা পানির সংযোগস্থলে গড়ে উঠেছে
রর. সামুদ্রিক জলোচ্ছ¡াসের ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসে ভ‚মিকা রাখে
ররর. নিউজপ্রিন্ট কারখানা গড়ে ওঠার অনুক‚ল নিয়ামক
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
 বাংলাদেশের খনিজ তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস, কয়লা ও কঠিন শিলা  বোর্ড বই, পৃষ্ঠা- ১৪৯
¡ ১৯৮৬ সালে সিলেট জেলার হরিপুরে- প্রাকৃতিক গ্যাসের সপ্তমক‚পে তেল পাওয়া গেছে।
¡ মৌলভীবাজার জেলার বরমচাল তেলক্ষেত্রটি থেকে তেল উত্তোলিত হয়- দৈনিক প্রায় ১২০০ ব্যারেল।
¡ দেশের মোট বাণিজ্যিক জ্বালানি ব্যবহারের প্রায় ৭৩ শতাংশ পূরণ করে- প্রাকৃতিক গ্যাস।
¡ বর্তমানে ১৯টি গ্যাসক্ষেত্রের ৮৩টি ক‚প থেকে গ্যাস উত্তোলিত হচ্ছে।
¡ শক্তির অন্যতম উৎস- কয়লা।
¡ দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়ার কয়লাক্ষেত্র থেকে- কয়লা উত্তোলিত হয়- দৈনিক প্রায় ৩,০০০ মেট্রিক টন।
¡ কলকারখানা, রেলগাড়ি, জাহাজ প্রভৃতি চালানোর জন্য কয়লা ব্যবহৃত হয়।
¡ দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের আবিষ্কৃত ৫টি কয়লাক্ষেত্রের মোট মজুদের পরিমাণ- ২,৭০০ মিলিয়ন টন।
¡ বিটুমিনাস ও লিগনাইট কয়লার সন্ধান পাওয়া গেছে- রাজশাহী, বগুড়া নওগাঁ ও সিলেট জেলায়।
¡ শক্তি, আলো, তাপ উৎপাদনের জন্য প্রয়োজন -খনিজ তেল।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১১৩. বাংলাদেশের উপক‚ল অঞ্চলে কোন খনিজসম্পদ আছে বলে বিশেষজ্ঞগণ মনে করেন? (জ্ঞান)
ক কয়লা খ প্রাকৃতিক গ্যাস
গ চুনাপাথর  খনিজ তেল
১১৪. হরিপুরে প্রাকৃতিক গাসের সপ্তম ক‚প থেকে দৈনিক কত ব্যারেল অপরিশোধিত তেল উত্তোলন করা হয়? (জ্ঞান)
 ৬০০ খ ৭০০
গ ৯০০ ঘ ১০০০
১১৫. অপরিশোধিত তেল কোথায় পরিশোধন করা হয়? (জ্ঞান)
ক ঢাকায় খ খুলনায়
গ পাবনায়  চট্টগ্রামে
১১৬. কোনটি বাংলাদেশের তেলক্ষেত্র? (অনুধাবন)
ক রানীপুকুর খ টাকেরহাট
 বরমচাল ঘ বালিজুড়ি
১১৭. মৌলভীবাজার জেলার বরমচাল তেলক্ষেত্রটি থেকে দৈনিক কত ব্যারেল তেল উত্তোলিত হয়? (জ্ঞান)
ক প্রায় ১,০০০  প্রায় ১,২০০
গ প্রায় ১,৪০০ ঘ প্রায় ১,৫০০
১১৮. বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি সম্পদ কোনটি? (অনুধাবন)
ক কয়লা  প্রাকৃতিক গ্যাস
গ খনিজ তেল ঘ বায়োগ্যাস
১১৯. দেশের মোট বাণিজ্যিক জ্বালানি ব্যবহারের প্রায় কত শতাংশ প্রাকৃতিক গ্যাস পূরণ করে? (জ্ঞান)
ক ২৫ খ ৪৫
গ ৫৫  ৭৩
১২০. ডিসেম্বর, ২০১২ পর্যন্ত কত ট্রিলিয়ন ঘনফুট প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলন করা হয়েছে? (জ্ঞান)
 ১০.৯২ খ ১৬.৬০
গ ২৬.৭৩ ঘ ১৫.১৪
১২১. জানুয়ারি ২০১৩ পর্যন্ত বাংলাদেশে প্রাকৃতিক গ্যাস মজুতের পরিমাণ কত ট্রিলিয়ন ঘনফুট? (জ্ঞান)
 ১৬.১২ খ ১৮.৭৯
গ ২৪.৭৫ ঘ ১৫.৭৯
১২২. বর্তমানে বাংলাদেশে কয়টি গ্যাসক্ষেত্র থেকে গ্যাস উৎপাদিত হচ্ছে? (জ্ঞান)
ক ১২ খ ১৬
 ১৯ ঘ ২২
১২৩. বর্তমানে ১৯টি গ্যাসক্ষেত্রের কতটি ক‚প থেকে গ্যাস উৎপাদিত হচ্ছে? (জ্ঞান)
ক ৭০ খ ৭৫
 ৮৩ ঘ ৮৫
১২৪. কৈলাশটিলায় কোনটি পাওয়া গেছে? (অনুধাবন)
ক খনিজ তেল  প্রাকৃতিক গ্যাস
গ কঠিন শিলা ঘ কয়লা
১২৫. নিচের কোন গ্যাসক্ষেত্র এখনও উৎপাদনে যায়নি? (অনুধাবন)
ক সেমুতাং খ ফেনী
 বেগমগঞ্জ ঘ রশিদপুর
১২৬. শক্তি উৎপাদনে কোনটি ব্যবহৃত হয়? (অনুধাবন)
ক লোহা  কয়লা
গ পাথর ঘ ইস্পাত
১২৭. বাংলাদেশের অধিকাংশ কয়লাক্ষেত্র কোথায় অবস্থিত? (অনুধাবন)
ক উত্তর-পূর্বাঞ্চলে  উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে
গ দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ঘ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে
১২৮. বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের আবিষ্কৃত কয়লাক্ষেত্রের মোট মজুত কত? (জ্ঞান)
ক ২,৩০০ মিলিয়ন টন খ ২,৫০০ মিলিয়ন টন
 ২,৭০০ মিলিয়ন টন ঘ ২,৯০০ মিলিয়ন টন

 বোর্ড ও সেরা স্কুলের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১  ক্ষুদ্র ও বৃহৎ শিল্প

দৃশ্যকল্প-১ : রশিদ সাহেব তার গ্রামের বাড়ি কাজীপুরে ৬০টি তাঁত নিয়ে একটি কারখানা গড়ে তুলেছেন। সেখানে তার গ্রামের নারী পুরুষেরা কাজ করে।
দৃশ্যকল্প-২ : মামুন সাহেব ৬ কোটি টাকা মূলধনে সাভারে একটি পোশাক শিল্প কারখানা প্রতিষ্ঠা করেন। সেখানকার উৎপাদিত পণ্য বিদেশে রপ্তানি করেন। [স. বো.’১৫]
ক. বাংলাদেশে কয়টি গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে? ১
খ. বনজ সম্পদ রক্ষায় কয়লার ভ‚মিকা ব্যাখ্যা কর। ২
গ. আকার অনুযায়ী রশিদ সাহেবের শিল্পটি কী ধরনের ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. দৃশ্যকল্প- ১ ও দৃশ্যকল্প-২ এর মধ্যে কোন শিল্পটি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অধিক ভ‚মিকা রাখে? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও। ৪

ক বাংলাদেশে ২৫টি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে।
খ বনজ সম্পদ রক্ষায় কয়লা গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে। কয়লা জ্বালানি হিসেবে গ্যাসের ও লাকড়ির পরিপূরক হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। যেমনÑ বাংলাদেশে বর্তমানে বড়পুকুরিয়া থেকে উত্তোলিত কয়লার ৬৫ শতাংশ বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত হচ্ছে। অবশিষ্ট ৩৫ শতাংশ কয়লা ব্যবহৃত হচ্ছে ইটভাটা, কলকারখানাসহ অন্যান্য খাতে সরাসরি কাঠ বা লাকড়ি পোড়ালে পরিবেশের যে দূষণ হয় কয়লা ব্যবহার করলে সেই দূষণ হয় না। এভাবে বনজ সম্পদ রক্ষা ও দূষণ রোধে কয়লা প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায় সাহায্য করে।
গ আকার অনুযায়ী রশিদ সাহেবের শিল্পটি ক্ষুদ্র শিল্প। সাধারণত শিল্পের আকার অনুসারে একে তিন ভাগের ভাগ করা যায়। যথা:১. ক্ষুদ্র শিল্প, ২. মাঝারি শিল্প, ৩. বৃহৎ শিল্প। এর মধ্যে ক্ষুদ্র শিল্পে কম শ্রমিক ও স্বল্প মূলধনের প্রয়োজন হয়। এ শিল্পে শ্রমিক ক্ষুদ্র যন্ত্রপাতি ও উপকরণের সাহায্যে সম্পন্ন করে থাকে। কম কাঁচামালে স্বল্প উৎপাদন করা হয়। এই ধরনের শিল্পগুলো গ্রাম ও শহর এলাকায় ব্যক্তি মালিকানায় গড়ে ওঠে, যেমনÑ তাঁত শিল্প, বেসরকারি কারখানা, ডেইরি ফার্ম প্রভৃতি। উদ্দীপকের দৃশ্যকল্প-১ এ রশিদ সাহেব তার গ্রামের বাড়ি কাজীপুরে ৬০টি তাঁত নিয়ে ব্যক্তি উদ্যোগে একটি কারখানা গড়ে তুলেছেন। সেখানে তার গ্রামের নারী পুরুষেরা কাজ করে। সুতরাং আকার অনুযায়ী রশিদ সাহেবের শিল্পটি ক্ষুদ্র শিল্প।
ঘ দৃশ্যকল্প -১ ও দৃশ্যকল্প -২ এর মধ্যে দৃশ্যকল্প-২ এর বৃহৎ শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অধিক ভ‚মিকা রাখে। দৃশ্যকল্প -১ ও ক্ষুদ্রশিল্প এবং দৃশ্যকল্প-২ ও বৃহৎ শিল্প নির্দেশিত হয়েছে। দৃশ্যকল্প -২ এ দেখা যায় মামুন সাহেব ৬ কোটি টাকা মূলধনে সাভারে একটি পোশাক শিল্প কারখানা প্রতিষ্ঠা করেন। পাঠ্যপুস্তকে উল্লিখিত হয়েছে বৃহৎ শিল্প সাধারণত শহরের কাছাকাছি গড়ে ওঠে এবং এতে প্রচুর শ্রমিক ও মূলধনের প্রয়োজন হয়। এ আলোকে দৃশ্যকল্প-২ এর শিল্পটি বৃহৎ শিল্পের অন্তর্গত। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বৃহৎ শিল্পের ভ‚মিকা ব্যাপক। এই শিল্পের ব্যাপক অবকাঠামো, প্রচুর শ্রমিক ও বিশাল মূলধনের প্রয়োজন হয়। দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন, বৈদেশিক মুদ্রার আয় এবং হাজার হাজার বেকারের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হচ্ছে বৃহৎ শিল্পের মধ্য দিয়ে। সরকার ও দেশের উন্নয়নে রপ্তানিমুখী বৃহৎ শিল্পের ওপর জোর দিচ্ছে। উদ্দীপকেও দেখা যায় দৃশ্যকল্পÑ২ এ মামুন সাহেব তার পোশাক শিল্প কারখানার উৎপাদিত পণ্য বিদেশে রপ্তানি করেন। অন্যদিকে দৃশ্যকল্প-১ এর ক্ষুদ্র শিল্প বেকারত্ব দূরীকরণে কিছুটা ভ‚মিকা রাখলেও জাতীয় অর্থনীতিতে অপেক্ষাকৃত নগন্য ভ‚মিকা পালন করে। সুতরাং উপরের আলোচনা থেকে স্পষ্ট হয় যে, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে দৃশ্যকল্প-১ ও দৃশ্যকল্প-২ এর মধ্যে অর্থাৎ ক্ষুদ্র ও বৃহৎ শিল্পের মধ্যে বৃহৎ শিল্পই অধিক ভ‚মিকা রাখে।

প্রশ্ন- ২  বাংলাদেশের পাট, ইক্ষু ও চা উৎপাদনকারী অঞ্চলসমূহ

নিচের ছকটি দেখে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
অর্থকরী ফসল নাম
অ পাট
ই ইক্ষু
ঈ চা
[নেত্রকোনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক. বাংলাদেশে কী কী খাদ্যশস্য উৎপাদিত হয়? ১
খ. বাংলাদেশে ধান চাষের উপযোগী অবস্থা ব্যাখ্যা কর। ২
গ. বাংলাদেশের একটি মানচিত্র অঙ্কন করে অ, ই ও ঈ অর্থকরী ফসল কোন অঞ্চলে ভালো জন্মে তা চিহ্নিত কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত বাংলাদেশের প্রধান অর্থকরী ফসলটির উৎপাদন অঞ্চল ও চাষের উপযোগী অবস্থা বর্ণনা কর। ৪

ক বাংলাদেশে ধান, গম, ডাল, তেলবীজ, আলু, ভুট্টা, সবজি, ফলমূল ইত্যাদি খাদ্যশস্য উৎপাদিত হয়।
খ নদী অববাহিকার পলিমাটি ধান চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী। এজন্য বাংলাদেশের সর্বত্রই ধান জন্মে। ধান চাষের জন্য ১৬ থেকে ৩০ সেলসিয়াস তাপমাত্রা প্রয়োজন। ১০০ থেকে ২০০ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপ্রবণ এলাকায় ধানের ফলন ভালো হয়। বাংলাদেশে প্রায় সারাবছরই এরূপ তাপমাত্রা ও বৃষ্টিপাত বিরাজ করায় ধান চাষের উপযোগী অবস্থা বিদ্যমান।
গ নিচে বাংলাদেশের একটি মানচিত্র অঙ্কন করে ছকের অ, ই, ঈ তথা পাট, ইক্ষু ও চা উৎপাদনকারী অঞ্চলসমূহ চিহ্নিত করা হলো :

চিত্র : বাংলাদেশের পাট, ইক্ষু ও চা উৎপাদনকারী অঞ্চলসমূহ
ঘ উদ্দীপকে উল্লিখিত বাংলাদেশের প্রধান অর্থকরী ফসল হলো পাট যা অ দ্বারা চি‎িহ্নত। রংপুর, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, কুমিল্লা, যশোর, ঢাকা, কুষ্টিয়া, জামালপুর, টাঙ্গাইল, পাবনা প্রভৃতি জেলায় পাট উৎপন্ন হয়। বাংলাদেশে সাধারণত দুই শ্রেণির পাট চাষ হয়, দেশি এবং তোষা পাট। পাট উষ্ণ অঞ্চলের ফসল। পাট চাষের জন্য অধিক তাপমাত্রা (২০ থেকে ৩৫ সেলসিয়াস) এবং প্রচুর বৃষ্টিপাতের (১৫০ থেকে ২৫০ সেন্টিমিটার) প্রয়োজন হয়। নদীর অববাহিকার পলিযুক্ত দোআঁশ মাটি পাট চাষের জন্য বিশেষ সহায়ক।

প্রশ্ন- ৩  সুন্দরবন

চিত্র : বাংলাদেশের বনাঞ্চল
[দি বাড্স রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, শ্রীমঙ্গল]
ক. সুন্দরবনে কী কী উদ্ভিদ জন্মে? ১
খ. রাঙামাটিতে কাগজের মিল গড়ে উঠেছে কেন? ২
গ. অ চি‎ি‎হ্নত বনাঞ্চলের বনজসম্পদ কমে গেলে আমাদের দেশে এর কী প্রভাব পড়বে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. বিশেষ ধরনের উদ্ভিদ ও প্রাণীর জন্যই অ অঞ্চলের বনাঞ্চল দেশের অন্য বনগুলো থেকে আলাদা-আলোচনা কর। ৪

ক সুন্দরবনে সুন্দরী, গরান, গেওয়া, ধুন্দল, কেওড়া, গোলপাতা ইত্যাদি উদ্ভিদ জন্মে।
খ রাঙামাটিতে ক্রান্তীয় চিরহরিৎ এবং পাতাঝরা গাছের বনভ‚মি বিস্তৃত। এই বনে প্রচুর বাঁশ জন্মে। এই বাঁশ কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করে রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে কর্ণফুলী কাগজের মিল গড়ে উঠেছে।
গ অ চি‎হ্নি‎িত বনাঞ্চল হলো সুন্দরবন। গোলপাতা ও সুন্দরী গাছ সুন্দরবনের উল্লেখযোগ্য গাছ। গোলপাতা দক্ষিণ অঞ্চলের লোকেরা ঘরের চালা ও বেড়া তৈরিতে ব্যবহার করে। সুন্দরী কাঠকে হার্ডবোর্ড মিলে ব্যবহার করা হয় কাঁচামাল হিসেবে। সুন্দরবন থেকে প্রচুর পরিমাণ মধু পাওয়া যায়। এছাড়া সুন্দরবনের বৃক্ষরাজি প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঝড়, তুফান, জলোচ্ছ¡াস থেকে রক্ষা করে। সুতরাং এই বনের বনজসম্পদ কমে গেলে আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এছাড়া আমরা নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হব।
ঘ অ অঞ্চলের সুন্দরবন একটি লোনা মাটির বন। এটিকে ম্যানগ্রোভ বন বলে। এ বনের গাছপালার বৈশিষ্ট্য দেশের অন্যান্য বনের গাছ থেকে আলাদা। সুন্দরবনের গাছে শ্বাসমূল নামে এক ধরনের বিশেষ মূল আছে। এ মূলের সাহায্যে বৃক্ষাদি শ্বাসকার্য সম্পন্ন করে। প্রতিদিন জোয়ার ভাটার ফলে ভ‚মি প্লাবিত থাকে। জোয়ার-ভাটার স্রোতে যাতে ফল ও বীজ ভেসে না যেতে পারে তাই বনের বেশ কিছু গাছে জরায়ুজ অঙ্গুরোদগম হয় এবং ফলটি বীজসহ মাটিতে গেঁথে থেকে যায়। এছাড়া এ বনের আর একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এ বনের প্রাণিকুল। বিখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগার, চিত্রল হরিণ, বানর, কুমির ও বন্যশূকর এ বনাঞ্চলের প্রাণিকুল। এ বনটির ভৌগোলিক অবস্থান, এর গাছগুলোর অভিযোজনে বিশেষ ধরনের বৈশিষ্ট্য ও প্রাণিকুলের জন্য সুন্দরবন আমাদের দেশের অন্যান্য বনাঞ্চল থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।

প্রশ্ন- ৪  বাংলাদেশের খনিজ সম্পদ

দুই বন্ধু বাংলাদেশের খনিজ সম্পদ নিয়ে আলোচনা করছে
জামাল : প্রাকৃতিক সম্পদের মধ্যে খনিজ সম্পদ হিসেবে তেল-গ্যাস, কয়লা ও কঠিন শিলা গুরুত্বপূর্ণ।
একরাম : দেশের এই খনিজ সম্পদসমূহের অনুসন্ধান, উৎপাদন এবং বিতরণের মধ্যে সমন্বয় আনয়ন করলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব। [খড়রিয়া এ জি এম মাধ্যমিক বিদ্যালয়, নড়াইল]
ক. কত সালে সিলেট জেলার হরিপুরে প্রাকৃতিক গ্যাসের সপ্তম ক‚পে তেল পাওয়া গেছে? ১
খ. এককভাবে জ্বালানি হিসেবে গ্যাসের ওপর নির্ভরশীলতা কিভাবে হ্রাস করা যায়? ২
গ. মানচিত্রে উদ্দীপকের খনিজ সম্পদসমূহ চি‎িহ্নত কর। ৩
ঘ. জামালের উল্লিখিত খনিজ সম্পদগুলোর ব্যবহার ও অবস্থান ব্যাখ্যা কর। ৪

ক ১৯৮৬ সালে সিলেট জেলার হরিপুরে প্রাকৃতিক গ্যাসের সপ্তম ক‚পে তেল পাওয়া গেছে।
খ জ্বালানি হিসেবে গ্যাসের বিকল্প হিসেবে খনিজ তেলও ব্যবহার করা যায়। খনিজ তেল পরিশোধিত করে গ্যাসোলিন, ডিজেল, গ্যাস, কেরোসিন, পিচ্ছিলকারক তেল, প্যারাফিন প্রভৃতি পাওয়া যায়। রেলগাড়ি, মোটরগাড়ি, জাহাজ, বিমান ইত্যাদি চালাতে পেট্রল ও ডিজেল ব্যবহার করা যায়। তেল কেন্দ্রগুলো থেকে পর্যাপ্ত তেল উত্তোলনের মাধ্যমে এককভাবে জ্বালানি হিসেবে গ্যাসের ওপর নির্ভরশীলতা কমানো যায়।
গ উদ্দীপকে জামাল ও একরামের কথপোকথনে খনিজ তেল, গ্যাস, কয়লা ও কঠিন শিলার উল্লেখ রয়েছে। মানচিত্রে উক্ত খনিজ সম্পদগুলো চি‎িহ্নত করা হলো :

ঘ উদ্দীপকে জামালের উল্লিখিত খনিজ সম্পদগুলো হলো তেল, গ্যাস, কয়লা ও কঠিনশিলা। খনিজসম্পদগুলোর বর্ণনা দেওয়া হলো :
১. তেল : বাংলাদেশের সিলেট জেলার হরিপুরে প্রাকৃতিক গ্যাসের সপ্তম ক‚পে তেল পাওয়া গেছে। এ ক‚প থেকে দৈনিক প্রায় ৬০০ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল তোলা হচ্ছে। মৌলভীবাজার জেলার বরমচালে বাংলাদেশের দ্বিতীয় তেলক্ষেত্র অবস্থিত। এ থেকে দৈনিক প্রায় ১,২০০ ব্যারেল তেল উত্তোলিত হয়।
২. প্রাকৃতিক গ্যাস : বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি হচ্ছে প্রাকৃতিক গ্যাস। দেশের মোট বাণিজ্যিক জ্বালানি ব্যবহারের প্রায় ৭৩ শতাংশ প্রাকৃতিক গ্যাস পূরণ করে থাকে। বর্তমানে ১৯টি গ্যাসক্ষেত্রের ৮৩টি ক‚প থেকে গ্যাস উৎপাদিত হচ্ছে। এর অধিকাংশই দেশের উত্তর-পূর্ব ও পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত।
৩. কয়লা : কলকারখানা, রেলগাড়ি, জাহাজ প্রভৃতি চালানোর জন্য কয়লা ব্যবহৃত হয়। জ্বালানি হিসেবেও কয়লা ব্যবহৃত হয়। দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের আবিষ্কৃত মোট ৫টি কয়লাক্ষেত্রে মজুত প্রায় ২৭০০ মিলিয়ন টন।
৪. কঠিন শিলা : রেলপথ, রাস্তাঘাট, গৃহ, সেতু, বাঁধ নির্মাণ এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রভৃতি কাজে কঠিন শিলা ব্যবহৃত হয়। রংপুরের রানীপুকুর ও শ্যামপুর এবং দিনাজপুর জেলার মধ্যপাড়ায় কঠিন শিলার সন্ধান পাওয়া গেছে।

 মাস্টার ট্রেইনার প্রণীত সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ৫  বাংলাদেশের ধান উৎপাদন ও খাদ্য

বাংলাদেশের শতকরা ৮০ জনেরও বেশি জনগোষ্ঠী কৃষিকাজে নিয়োজিত। কৃষকসমাজ প্রায় সারা বছরই ধান চাষে ব্যস্ত থাকেন। তবে প্রকৃতির উপর অতিমাত্রার নির্ভরশীলতার কারণে এদেশে মাঝে মাঝে খাদ্য ঘাটতি দেখা দেয়।
ক. খাদ্যশস্য কী? ১
খ. বাংলাদেশের কৃষির অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের খাদ্যশস্যটি বাংলাদেশে কেন প্রসার লাভ করেছে ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. বাংলাদেশে খাদ্য ঘাটতির কারণ উদ্দীপকের আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪

ক যে শস্যের মাধ্যমে মানুষের খাদ্য চাহিদা পূরণ হয় তাকে খাদ্যশস্য বলে।
খ বাংলাদেশের কৃষির অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য হলো “প্রকৃতি নির্ভরতা” কারণ এ দেশের কৃষি কাজ ভ‚প্রকৃতি, জলবায়ু, মৃত্তিকা, নদী ও জলসেচ দ্বারা প্রভাবিত।
গ উদ্দীপকের খাদ্যশস্যটি ধান। বাংলাদেশের সকল জেলায় ধান উৎপাদিত হয়। রংপুর, কুমিল্লা, সিলেট, যশোর, কিশোরগঞ্জ, রাজশাহী, বরিশাল, ময়মনসিংহ, বগুড়া, দিনাজপুর, ঢাকা, নোয়াখালী প্রভৃতি অঞ্চলে ধান চাষ বেশি হয়। বাংলাদেশে ধান উৎপাদন প্রসার লাভ করার কারণ
বিস্তীর্ণ সমভ‚মি : মাটি নদীবিধৌত পলি দ্বারা গঠিত। মাটির উর্বরাশক্তি অত্যন্ত বেশি যা ধান চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী। এ জন্য বাংলাদেশের সর্বত্রই ধান জন্মে।
জলবায়ু : ধান উৎপাদনে মৌসুমি জলবায়ু গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখে। ধান চাষের জন্য ১৬ থেকে ৩০ সেলসিয়াস তাপমাত্রা প্রয়োজন। বাংলাদেশে সারা বছর ধরে প্রায়ই এ তাপমাত্রা বিদ্যমান। ধান চাষের অনুক‚ল জলবায়ু উৎপাদনে ভ‚মিকা রাখছে।
বৃষ্টিপাত : ধান চাষের জন্য ১০০ থেকে ২০০ সেন্টিমিটার বৃষ্টির প্রয়োজন। বাংলাদেশের সর্বত্রই এ পরিমাণ বৃষ্টি হয়। প্রয়োজনীয় তাপমাত্রা, বৃষ্টিপাত ও মৌসুমি জলবায়ু বিদ্যমান থাকায় ধান উৎপাদন বাংলাদেশে প্রসার লাভ করেছে।
ঘ উদ্দীপকে বলা হয়েছে- প্রকৃতির উপর অতিমাত্রার নির্ভরশীলতার কারণে এদেশে মাঝে মাঝে খাদ্য ঘাটতি দেখা দেয়। এর সাথে যে কারণগুলো জড়িত তা হলো :
প্রাচীন চাষ পদ্ধতি : বাংলাদেশের দারিদ্র্য, অশিক্ষা ইত্যাদি কারণে এখনো প্রাচীন পদ্ধতিতে চাষাবাদ হয়। যে কারণে উৎপাদন কম হয়। ফলে খাদ্য ঘাটতি দেখা দেয়।
প্রকৃতির উপর নির্ভরশীলতা : বাংলাদেশের কৃষি প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল। কোনো কোনো সময় প্রয়োজনের অতিরিক্ত বৃষ্টি অথবা অনাবৃষ্টি হয়ে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত করে। ফলে খাদ্য ঘাটতি দেখা দেয়।
উন্নত সার ও বীজের অভাব : অধিক ফসল উৎপাদনের জন্য পর্যাপ্ত উন্নত সার ও বীজের যথেষ্ট অভাব আছে। ফলে খাদ্য ঘাটতি দেখা দেয়।
খণ্ড-বিখণ্ড ও বিচ্ছিন্ন কৃষিজমি : বাংলাদেশে পারিবারিক, সামাজিক ও ধর্মীয় কারণে ভ‚মিগুলো খণ্ড-বিখণ্ড ও বিচ্ছিন্ন। কৃষিকে আধুনিক চাষের আওতায় এনে পর্যাপ্ত ফসল উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না।
পানি সেচের অভাব : খরা ও শুষ্ক মৌসুমে পর্যাপ্ত পানি সেচের ব্যবস্থা না থাকায় প্রচুর জমি পতিত থাকে। যা খাদ্য ঘাটতির অন্যতম কারণ। সুতরাং আমাদের দেশে মাঝে মাঝে খাদ্য ঘাটতির জন্য প্রকৃতির উপর অধিক নির্ভরশীলতাই দায়ী।

প্রশ্ন- ৬  বাংলাদেশের গম উৎপাদন

খাদ্যশস্যের মধ্যে বাংলাদেশে গমের স্থান দ্বিতীয়। এটি শীতকালীন ফসল। গম উৎপাদনের জন্য বাংলাদেশে অনুক‚ল পরিবেশ রয়েছে। ২০০৫-২০০৬ অর্থবছরে ৭.৩৫, ২০০৬-২০০৭ অর্থবছরে ৭.২৫, ২০০৭-২০০৮ অর্থবছরে ৮.৪৪ এবং ২০০৮-২০০৯ অর্থবছরে ৯.০০ লক্ষ মেট্রিক টন গমের ফলন হয়।
[উৎস : বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা-২০০৯]
ক. বাংলাদেশে ধান চাষের জন্য কী ধরনের তাপমাত্রা প্রয়োজন? ১
খ. উত্তরাঞ্চলে গম চাষ প্রসার লাভ করার কারণ ব্যাখ্যা কর। ২
গ. অনুচ্ছেদে প্রদত্ত তথ্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশের গম চাষের ওপর একটি স্তম্ভ চিত্র তৈরি কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকের শস্য চাষে চাষিদের উৎসাহিত করার জন্য কী কী পদক্ষেপ নেয়া যায় ব্যাখ্যা কর। ৪

ক বাংলাদেশে ধান চাষের জন্য ১৬ থেকে ৩০ সেলসিয়াস তাপমাত্রা প্রয়োজন হয়।
খ বিস্তীর্ণ সমভ‚মি, অনুক‚ল আবহাওয়া, একর প্রতি অধিক উৎপাদন ও শ্রমিকের সহজলভ্যতা উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোকে গম চাষের জন্য উপযোগী করেছে। সাধারণত গম চাষের জন্য ১৬ থেকে ২২ সেলসিয়াস তাপমাত্রা এবং ৫০ থেকে ৭৫ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাতের প্রয়োজন হয়। বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে বৃষ্টিহীন শীত মৌসুমে পানি সেচের মাধ্যমে গম চাষ করা হয়।
গ অনুচ্ছেদে প্রদত্ত তথ্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশের গম চাষের স্তম্ভ চিত্র তৈরি করা হলো :

ঘ উদ্দীপকের শস্যটি হলো গম। বাংলাদেশের চাষিদের গম চাষে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে গৃহীত পদক্ষেপসমূহ হতে পারে :
মূলধন সরবরাহ : দরিদ্র চাষিদের গম চাষের জন্য উন্নত বীজ, সার, কীটনাশক, পরিবহন খরচ সংকুলানের জন্য সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণদানের মাধ্যমে চাষিদের উৎসাহিত করতে পারে।
পানিসেচ ব্যবস্থা : গম একটি শীতকালীন ফসল বলে সেচ ব্যবস্থার মাধ্যমে গম খেতে পানির ব্যবস্থা করতে হয় যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। এ ব্যাপারে সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন সমবায় সমিতি, এনজিওগুলো সার্বিক সহযোগিতার মাধ্যমে পানি সেচের ব্যবস্থা করে চাষিদের গম চাষে উদ্বুদ্ধ করতে পারে।
ব্যাপক বাজার ব্যবস্থা : গমের স্থানীয় বাজার প্রশস্ত করতে হবে। জনসাধারণকে গম থেকে তৈরি আটা, ময়দা, সুজির ব্যবহারিক উপযোগিতার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করে তোলার লক্ষ্যে প্রচারণামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
পরিবহন ব্যবস্থা : স্থানীয় বাজারে পৌঁছানোর জন্য সুষ্ঠু পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য স্থানীয় সরকার স্বল্প ভাড়ার বিনিময়ে পরিবহন ব্যবস্থা করতে পারে।
উপরিউক্ত পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়ন করা গেলে বাংলাদেশের গম চাষিরা গম চাষে উৎসাহিত হবে।

প্রশ্ন- ৭  বাংলাদেশের পাট ও চা শিল্প

নিচের মানচিত্রটি দেখে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

ক. অর্থকরী ফসল কাকে বলে? ১
খ. ইক্ষুকে অর্থকরী ফসল কেন বলা হয়? ২
গ. ‘অ’ জেলায় অর্থকরী ফসল চাষের অনুক‚ল নিয়ামকসমূহ ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ‘ই’ ও ‘ঈ’ জেলার অর্থকরী ফসলের মধ্যে কোনটি বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ে অধিক ভ‚মিকা রাখছে বিশ্লেষণ কর। ৪

ক যেসব ফসল সরাসরি বিক্রির জন্য চাষ করা হয় তাকে অর্থকরী ফসল বলা হয়।
খ চিনি ও গুড় উৎপাদনের জন্য ইক্ষু চাষ করা হয়। কাগজকল ও বোর্ড মিলে আখের ছোবড়া ব্যবহার হয়। এ উদ্দেশে ইক্ষু ফসল সরাসরি বিক্রির জন্য চাষ করা হয় বলে ইক্ষুকে অর্থকরী ফসল বলা হয়।
গ মানচিত্রে ‘অ’ চি‎িহ্নত জেলা হলো জামালপুর জেলা। এ জেলায় পাট চাষ ভালো হয়। পাট বাংলাদেশের প্রধান অর্থকরী ফসল। এ অঞ্চলে পাট চাষের অনুক‚ল নিয়ামকসমূহ হলো :
মাটি : নদীর অববাহিকার পলিযুক্ত দোআঁশ মাটি পাট চাষের জন্য বিশেষ সহায়ক। জামালপুর জেলার মাটি যমুনা ও ব্র‏হ্মপুত্র নদের পলি দ্বারা গঠিত বলে এখানে পাট চাষ ভালো হয়।
জলবায়ু : পাট উৎপাদনে মৌসুমি জলবায়ু গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখে। পাট চাষের জন্য ২০ থেকে ৩৫ সেলসিয়াস তাপমাত্রা প্রয়োজন। গ্রীষ্ম ঋতুতে জামালপুর জেলায় এ তাপমাত্রা বিরাজ করে।
বৃষ্টিপাত : পাট চাষের জন্য প্রচুর বৃষ্টিপাতের প্রয়োজন হয়। প্রায় ১৫০ থেকে ২৫০ সেন্টিমিটার। জামালপুর জেলায় এ পরিমাণ বৃষ্টি হয়। প্রয়োজনীয় তাপমাত্রা, বৃষ্টিপাত ও মৌসুমি জলবায়ু বিদ্যমান থাকায় পাট উৎপাদন জামালপুরে প্রসার লাভ করেছে।
ঘ মানচিত্রে ‘ই’ চি‎িহ্নত অঞ্চল হলো দিনাজপুর জেলা। আর ‘ঈ’ চি‎ি‎হ্নত জেলা হলো মৌলভীবাজার জেলা। ‘ই’ চি‎ি‎হ্নত অঞ্চলে ইক্ষু আর ‘ঈ’ চি‎ি‎হ্নত অঞ্চলে চা এই অর্থকরী ফসল দুটি জন্মে। চিনি ও গুড় উৎপাদনের জন্য ইক্ষু আমাদের দেশে চাষ করা হয়। উৎপাদিত ইক্ষুর বেশিরভাগ চিনি উৎপাদনকারী মিলে পাঠানো হয়। এসব মিল থেকে উৎপাদিত চিনি দেশের চাহিদা মেটায়। অন্যদিকে দেশে উৎপাদিত চা-এর প্রায় বেশিরভাগ বিদেশে রপ্তানি হয়। বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে চা-এর স্থান ষষ্ঠ। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, নেদারল্যান্ডস, জাপান, পাকিস্তান প্রভৃতি দেশে বাংলাদেশ চা রপ্তানি করে থাকে। সুতরাং ই ও ঈ স্থানের অর্থকরী ফসলের মধ্যে ঈ জেলা তথা মৌলভীবাজার জেলায় জন্মানো চা বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ে অধিক ভ‚মিকা রাখে।

প্রশ্ন- ৮  বাংলাদেশের বনভ‚মি ও এর গুরুত্ব

প্রয়োজন – দেশের আয়তনের ২৫ ভাগ
বিদ্যমান – দেশের আয়তনের ১৭ ভাগ
প্রভাব – বিপন্ন পরিবেশ
ক. খুলনা বিভাগে সুন্দরবনের আয়তন কত? ১
খ. বাংলাদেশে শস্য বহুমুখীকরণ প্রয়োজন কেন? ২
গ. উদ্দীপকে ইঙ্গিতকৃত বিষয় ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. কৃষি, শিল্প এবং পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় উক্ত বিষয়ের গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর। ৪

ক খুলনা বিভাগে সুন্দরবনের আয়তন ৬,০০০ বর্গকিলোমিটার।
খ বাংলাদেশে শীতকাল প্রধানত রবিশস্য চাষের জন্য উপযোগী। এক্ষেত্রে বিভিন্ন অঞ্চলে প্রায় একই ধরনের শস্য চাষ করা হয়। এর ফলে কৃষক শস্যের মূল্য কম পায়। জমিতে একই শস্য চাষ মাটির পুষ্টিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। পাশাপাশি বহু ধরনের শস্য চাষ উচ্চ মূল্য প্রাপ্তিতে কৃষককে সহায়তা করে। এভাবে কৃষক বহুমুখী শস্য চাষ করে নিজে এবং পরিবেশকে উপকৃত করতে পারে। বাংলাদেশে তাই শস্য বহুমুখীকরণ প্রয়োজন।
গ উদ্দীপকে বাংলাদেশে বনভ‚মির বর্তমান অবস্থার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। বাংলাদেশে ২০১২-১৩ সালের হিসাব অনুযায়ী বনভ‚মির পরিমাণ মাত্র ১৭ শতাংশ, উদ্দীপকে যা উল্লিখিত হয়েছে। অথচ কোনো দেশে ভারসাম্যপূর্ণ পরিবেশের জন্য ২৫ শতাংশ বনভ‚মি প্রয়োজন। চাহিদার সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ এই বনভ‚মির কারণে বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিচ্ছে। আবহাওয়ার ক্ষেত্রে সৃষ্টি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন। পরিবর্তিত আবহাওয়ার কারণে বাংলাদেশের ঋতুগুলো এখন আর সঠিক সময়ে আসে না। বন্যা, খরা, জলোচ্ছ¡াস, পাহাড় ধস এখন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে বিদ্যমান বনভ‚মি দেশটির পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে পারছে না। ফলে স্বাভাবিক পরিবেশ বিনষ্ট হয়ে ক্রমেই পরিবেশ মানুষের বসবাসের অনুপযোগী হয়ে উঠছে। সুতরাং বাংলাদেশের বর্তমান বনভ‚মির পরিমাণ দেশটির পরিবেশের জন্য মোটেও সহায়ক নয়।
ঘ কৃষি, শিল্প এবং পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় উক্ত বিষয় তথা বাংলাদেশের বনাঞ্চলের গুরুত্ব অপরিসীমÑ
কৃষি : বনভ‚মি দেশের আবহাওয়াকে আর্দ্র রাখে। ফলে প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটে যা কৃষি উন্নয়নে সহায়ক।
শিল্প : কাগজ, রেয়ন, দিয়াশলাই, ফাইবার বোর্ড, খেলার সরঞ্জাম প্রভৃতি শিল্পের কাঁচামাল বনাঞ্চল থেকে সংগ্রহ করা হয়। বনাঞ্চলের সম্পদ শিল্পের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করে। কর্ণফুলী কাগজকল, খুলনা নিউজপ্রিন্ট কারখানা বনজ সম্পদের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। সুতরাং শিল্পের উন্নতিতে বনাঞ্চলের ভ‚মিকা গুরুত্বপূর্ণ।
এছাড়া সুন্দরবন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনাময় স্থান। এর জীববৈচিত্র্য পর্যটকদের আকর্ষণ করে, যা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখতে পারে।
পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা : বনভ‚মি থেকে কাঠ সংগ্রহ করে তা দিয়ে রেললাইনের সিøপার, মোটরগাড়ি, নৌকা, লঞ্চ, জাহাজ ইত্যাদির কাঠামো, বৈদ্যুতিক খুঁটি, রাস্তার পুল প্রভৃতি নির্মাণ করা হয়।

প্রশ্ন- ৯  বাংলাদেশের বনাঞ্চল ও বনজ সম্পর্কে ভ‚মিকা

যে কোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নতিতে মোট ভ‚মির শতকরা ২৫% বনভ‚মি থাকা প্রয়োজন। ‘অ’ দেশটিতে এর পরিমাণ মাত্র ১৭%। তথাপি বনজ সম্পদ দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখছে।
ক. বনজসম্পদ কাকে বলে? ১
খ. পরিবেশ রক্ষায় বনভ‚মি গুরুত্বপূর্ণ কেন? ২
গ. মানচিত্র এঁকে ‘অ’ দেশটির বনাঞ্চলের অবস্থান চি‎িহ্নত কর। ৩
ঘ. অর্থনৈতিক উন্নয়নে উদ্দীপকের ‘অ’ দেশটির বনজ সম্পদের ভ‚মিকা বিশ্লেষণ কর। ৪

ক বনভ‚মি থেকে যে সম্পদ পাওয়া যায় তাকে বনজ সম্পদ বলে।
খ পরিবেশ রক্ষায় বনভ‚মি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ
১. জীববৈচিত্র্য রক্ষা, মাটি বা ভ‚মিক্ষয় রোধ, ভ‚মিধস রোধ, বৃষ্টিপাত বৃদ্ধি, আবহাওয়া আর্দ্র রাখা ও বন্যা নিয়ন্ত্রণে বনভ‚মি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
২. উপক‚লীয় অঞ্চলের বনভ‚মি সামুদ্রিক জলোচ্ছ¡াসের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে সহায়ক ভ‚মিকা পালন করে।
গ ‘অ’ দেশটি বাংলাদেশকে নির্দেশ করে। উদ্দীপকে বলা হয়েছে দেশটির বনভ‚মির পরিমাণ মাত্র ১৭%, যা বাংলাদেশের বনাঞ্চলের শতকরা পরিমাণ। নিচে বাংলাদেশের একটি মানচিত্রে বনাঞ্চলের অবস্থান চি‎িহ্নত করা হলো :

ঘ ‘অ’ দেশ তথা বাংলাদেশের বনজ সম্পদ দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখে। যথা :
১. পণ্যসামগ্রী সংগ্রহ : মানুষ তার দৈনন্দিন প্রয়োজনে কাঠ, বাঁশ, বেত, মধু, মোম প্রভৃতি বন থেকে সংগ্রহ করে থাকে। এছাড়াও জীবজন্তুর চামড়া ও ভেষজ দ্রব্য বনভ‚মি থেকে সংগ্রহ করা হয়।
২. নির্মাণের উপকরণ : মানুষ বনভ‚মি থেকে তার ঘরবাড়ি ও আসবাবপত্র নির্মাণের জন্য কাঠ, বাঁশ, বেত ইত্যাদি যাবতীয় উপকরণ সংগ্রহ করে।
৩. শিল্পের উন্নতি : কাগজ, রেয়ন, দিয়াশলাই, ফাইবার বোর্ড, খেলনার সরঞ্জাম প্রভৃতির উৎপাদন কাজে বনজ সম্পদ ব্যবহৃত হয়ে শিল্পের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করে। কর্ণফুলী কাগজকল, খুলনার নিউজপ্রিন্ট কারখানা বনজ সম্পদের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে।
৪. পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা : বনভ‚মি থেকে কাঠ সংগ্রহ করে তা দিয়ে রেললাইনের ¯িøপার, মোটরগাড়ি, নৌকা, লঞ্চ, জাহাজ ইত্যাদির কাঠামো, বৈদ্যুতিক খুঁটি, রাস্তার পুল প্রভৃতি নির্মাণ করা হয়।
৫. সরকারের আয়ের উৎস : বনজ সম্পদ সরকারের আয়ের একটি উৎস। যেমন : বনজ সম্পদ বিক্রি ও এর উপর কর ধার্য করে সরকার রাজস্ব আয় বাড়িয়ে থাকে।
৬. কৃষি উন্নয়ন : বনভ‚মি দেশের আবহাওয়াকে আর্দ্র রাখে। ফলে প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটে যা কৃষি উন্নয়নে সহায়ক।
৭. বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন : বনের বিভিন্ন প্রাণীর চামড়া, দাঁত, শিং, পশম এবং কিছু জীবন্ত বন্য জন্তু রপ্তানি করে বাংলাদেশ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে।
সুতরাং বনভ‚মির পরিমাণ কম হলেও বাংলাদেশ বনজ সম্পদে সমৃদ্ধ। এ সম্পদ সংরক্ষণে আমাদের যতœবান হওয়া উচিত।

প্রশ্ন- ১০  বাংলাদেশের খনিজ সম্পদ

জনাব আসিফ ঢাকার একজন প্রতিষ্ঠিত শিল্পপতি। তিনি তার ডাইং অ্যান্ড প্রিন্টিং কারখানায় গ্যাসভিত্তিক উৎপাদন ব্যবস্থা চালু করেছেন। সরকার সার ও বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের ব্যবহার বৃদ্ধি করেছে। ফলে গ্যাসের ওপর চাপ পড়েছে। বাংলাদেশে বর্তমানে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে কয়লার মোট মজুত প্রায় ২,৭০০ মিলিয়ন টন। এখন তিনি বিকল্প জ্বালানি হিসেবে কয়লার ব্যবহারের কথা ভাবছেন।
ক. বাংলাদেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের উত্তোলনযোগ্য ও সম্ভাব্য মজুতের পরিমাণ কত ট্রিলিয়ন ঘনফুট? ১
খ. গ্যাস ব্যবহারের গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রসমূহ ব্যাখ্যা কর। ২
গ. জনাব আসিফ তাঁর কারখানায় কেন গ্যাসভিত্তিক উৎপাদন ব্যবস্থা চালু করছেন? ৩
ঘ. বাংলাদেশের কয়লার মজুতের বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে আসিফের সিদ্ধান্তের পক্ষে তোমার যুক্তি উপস্থাপন কর। ৪

ক বাংলাদেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের উত্তোলনযোগ্য সম্ভাব্য ও প্রমাণিত মজুতের পরিমাণ ২৭.০৪ ট্রিলিয়ন ঘনফুট।
খ প্রাকৃতিক গ্যাস বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদ। এ সম্পদ দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির গুরুত্বপূর্ণ অবলম্বন। বহুবিধ ব্যবহারের মাধ্যমে এ সম্পদের গুরুত্ব অন্যান্য খনিজ সম্পদের চেয়ে বেশি। শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে গ্যাসের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব বহন করে। প্রাকৃতিক গ্যাস সারশিল্পের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কীটনাশক, ওষুধ, রাবার, প্লাস্টিক, কৃত্রিম তন্তু প্রভৃতি তৈরির জন্য প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করা হয়।
গ জনাব আসিফ তাঁর কারখানায় গ্যাসভিত্তিক উৎপাদন ব্যবস্থা চালু করেছেন। কেননাÑ গ্যাসভিত্তিক উৎপাদনে খরচ কম। এছাড়া গ্যাসের ব্যবহার নানাবিধ। তাই বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা যায়। তদুপরি গ্যাস সিলিন্ডারে মজুত করে ব্যবহার করা যায়। যন্ত্রচালিত সামগ্রীতে গ্যাসের ব্যবহার সুবিধাজনক। সুতরাং জনাব আসিফ উৎপাদন খরচ বিবেচনা করে বহুমুখী ব্যবহারের লক্ষে তার কারখানায় গ্যাসভিত্তিক উৎপাদন ব্যবস্থা চালু করেছেন।
ঘ দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে আবিষ্কৃত মোট কয়লার মজুত প্রায় ২,৭০০ মিলিয়ন টন। এদেশের সবক্ষেত্রে গ্যাস ব্যবহার করার ফলে গ্যাসের চাপ বাড়ছে। তাই জনাব আসিফ সিদ্ধান্ত নিলেন দেশে প্রচুর পরিমাণ কয়লা মজুত থাকায় তিনি গ্যাসের পরিবর্তে কয়লা ব্যবহার করবেন। আসিফের এ সিদ্ধান্ত সঠিক কারণ গ্যাস ও কয়লার ব্যবহারিক গুরুত্ব একই। এছাড়া দেশে প্রচুর পরিমাণ কয়লা মজুত রয়েছে এবং বর্তমানে উন্নতমানের কয়লার সন্ধানও পাওয়া গেছে। শক্তির অন্যতম উৎস কয়লা। কয়লা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়। শিল্পক্ষেত্রে শিল্পের কাঁচামাল, উপজাত ও শক্তি হিসেবে কয়লা ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা যায়। কয়লা খনির নিকট বিভিন্ন প্রকার শিল্পের সন্নিবেশ ঘটানোও সম্ভব। আবার জ্বালানি হিসেবেও তা ব্যবহৃত হতে পারে। যেমন : কয়লা দ্বারা ইট পোড়ানো হয়। সুতরাং কয়লা ও গ্যাসের ব্যবহারিক ক্ষেত্র প্রায় একই। তাই ডাইং অ্যান্ড প্রিন্টিং কারখানায় বিকল্প জ্বালানি হিসেবে জনাব আসিফ কয়লা ব্যবহার করলে গ্যাসের ওপর চাপ হ্রাস পাবে।

 জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন \ ১ \ বাংলাদেশের কৃষিখাতে প্রধান রপ্তানি পণ্যগুলোর নাম লিখ।
উত্তর : বাংলাদেশের কৃষিখাতে প্রধান রপ্তানি পণ্যগুলো হলো হিমায়িত খাদ্য, কাঁচাপাট, পাটজাত দ্রব্য, চা প্রভৃতি।
প্রশ্ন \ ২ \ এদেশের শ্রম শক্তির মোট কত শতাংশ কৃষিখাতে নিয়োজিত?
উত্তর : এদেশের শ্রম শক্তির মোট ৪৭.৫০ শতাংশ কৃষিখাতে নিয়োজিত।
প্রশ্ন \ ৩ \ বাংলাদেশের খাদ্যশস্যের মধ্যে কোনটি প্রধান?
উত্তর : বাংলাদেশের খাদ্যশস্যের মধ্যে ধান প্রধান।
প্রশ্ন \ ৪ \ ধান চাষের জন্য কত তাপমাত্রা প্রয়োজন?
উত্তর : ধান চাষের জন্য ১৬ থেকে ৩০ সেলসিয়াস তাপমাত্রা প্রয়োজন।
প্রশ্ন \ ৫ \ রংপুরে কোন ধান ভালো হয়?
উত্তর : রংপুরে আমন ধান ভালো হয়।
প্রশ্ন \ ৬ \ কত সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাতের প্রয়োজন হয়?
উত্তর : পাট চাষের জন্য ১৫০-২৫০ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাতের প্রয়োজন হয়।
প্রশ্ন \ ৭ \ কোন ধরনের মাটি ধান চাষের উপযোগী?
উত্তর : নদী উপত্যকায় পলিমাটি ধান চাষের উপযোগী।
প্রশ্ন \ ৮ \ উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে কোন শস্যের চাষ বেশি প্রসার লাভ করেছে?
উত্তর : উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে গম চাষ বেশি প্রসার লাভ করেছে।
প্রশ্ন \ ৯ \ ইক্ষু উৎপাদনের জন্য কত ডিগ্রি সেলসিয়াস উত্তাপ প্রয়োজন হয়?
উত্তর : ১৯ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
প্রশ্ন \ ১০ \ সবচেয়ে বেশি চা বাগান কোথায় রয়েছে?
উত্তর : সবচেয়ে বেশি চা বাগান মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সিলেটে জেলায়।
প্রশ্ন \ ১১ \ কোথায় চা চাষ ভালো হয়?
উত্তর : পানি নিষ্কাশনবিশিষ্ট ঢালু জমিতে চা চাষ ভালো হয়।
প্রশ্ন \ ১২ \ চা চাষের জন্য কত সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাতের প্রয়োজন?
উত্তর : চা চাষের জন্য ২৫০ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাতের প্রয়োজন।
প্রশ্ন \ ১৩ \ কোন মাটিতে চা চাষ ভালো হয়?
উত্তর : উর্বর লৌহ ও জৈব পদার্থ মিশ্রিত দোআঁশ মাটিতে।
প্রশ্ন \ ১৪ \ কত সালে সিলেট জেলার হরিপুরে প্রাকৃতিক গ্যাসের সপ্তম ক‚পে তেল পাওয়া গেছে?
উত্তর : ১৯৮৬ সালে সিলেট জেলার হরিপুরে প্রাকৃতিক গ্যাসের সপ্তম ক‚পে তেল পাওয়া গেছে।
প্রশ্ন \ ১৫ \ হরিপুরে প্রাকৃতিক গ্যাসের ক‚প থেকে দৈনিক কত ব্যারেল অপরিশোধিত তেল উত্তোলন করা হয়?
উত্তর : হরিপুরে প্রাকৃতিক গ্যাসের ক‚প থেকে দৈনিক ৬০০ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল উত্তোলন করা হয়।
প্রশ্ন \ ১৬ \ বাংলাদেশের দ্বিতীয় তেলক্ষেত্রটি কোথায় অবস্থিত?
উত্তর : বাংলাদেশের দ্বিতীয় তেলক্ষেত্রটি মৌলভীবাজার জেলার বরমচালে অবস্থিত।
প্রশ্ন \ ১৭ \ দেশের মোট বাণিজ্যিক জ্বালানি ব্যবহারের প্রায় কত শতাংশ প্রাকৃতিক গ্যাস পূরণ করে?
উত্তর : দেশের মোট বাণিজ্যিক জ্বালানি ব্যবহারের প্রায় ৭৩ শতাংশ প্রাকৃতিক গ্যাস পূরণ করে।
প্রশ্ন \ ১৮ \ এ যাবৎ বাংলাদেশে আবিষ্কৃত গ্যাসক্ষেত্রের সংখ্যা কতটি?
উত্তর : এ যাবৎ বাংলাদেশে আবিষ্কৃত গ্যাসক্ষেত্রের সংখ্যা ২৫টি।
প্রশ্ন \ ১৯ \ দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে দৈনিক কত মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন করা হয়?
উত্তর : দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে দৈনিক ৩,০০০ মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন করা হয়।
প্রশ্ন \ ২০ \ দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে দৈনিক কত মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলিত হয়?
উত্তর : দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে দৈনিক প্রায় ৩,০০০ মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলিত হয়?
প্রশ্ন \ ২১ \ ফেঞ্চুগঞ্জের সার কারখানায় ও ছাতকের সিমেন্ট কারখানায় কোন গ্যাস ব্যবহৃত হয়?
উত্তর : ফেঞ্চুগঞ্জের সার কারখানায় ও ছাতকের সিমেন্ট কারখানায় হরিপুরের গ্যাস ব্যবহৃত হয়?
প্রশ্ন \ ২২ \ খনিজ তেল পরিশোধিত করে কী পাওয়া যায়?
উত্তর : খনিজ তেল পরিশোধিত করে গ্যাসোলিন, ডিজেল, গ্যাস, কেরোসিন, পিচ্ছিলকারক তেল, প্যারাফিন প্রভৃতি পাওয়া যায়।
প্রশ্ন \ ২৩ \ কয়লা জ্বালানি হিসেবে কিসের পরিপূরক হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে?
উত্তর : গ্যাস ও লাকড়ির পরিপূরক কয়লা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।
প্রশ্ন \ ২৪ \ কোন গ্যাসক্ষেত্রগুলো উৎপাদনে যায়নি?
উত্তর : বেগমগঞ্জ, কুতুবদিয়া গ্যাসক্ষেত্র উৎপাদনে যায়নি।
প্রশ্ন \ ২৫ \ ডিসেম্বর, ২০১২ পর্যন্ত কত ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হয়েছে?
উত্তর : ডিসেম্বর, ২০১২ পর্যন্ত ১০.৯২ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হয়েছে।
প্রশ্ন \ ২৬ \ কোন বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ব্রা‏হ্মণবাড়িয়ার তিতাস গ্যাস ব্যবহৃত হয়?
উত্তর : সিদ্ধিরগঞ্জ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ব্রা‏হ্মণবাড়িয়ার তিতাস গ্যাস ব্যবহৃত হয়।
প্রশ্ন \২৭\ কোথায় উৎকৃষ্টমানের বিটুমিনাস ও লিগনাইট কয়লার সন্ধান পাওয়া গেছে?
উত্তর : রাজশাহী, বগুড়া নওগাঁ এবং সিলেট জেলায় উৎকৃষ্টমানের বিটুমিনাস ও লিগনাইট কয়লার সন্ধান পাওয়া গেছে।
প্রশ্ন \২৮\ কোথায় কঠিন শিলার সন্ধান পাওয়া গেছে?
উত্তর : রংপুর জেলার রানীপুকুর ও শ্যামপুর এবং দিনাজপুর জেলার মধ্যপাড়ায় কঠিন শিলার সন্ধান কোথায় পাওয়া গেছে।
প্রশ্ন \ ২৯ \ বর্তমানে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে উত্তোলিত কয়লার কত শতাংশ বড় পুকুড়িয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত হচ্ছে?
উত্তর : বর্তমানে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে উত্তোলিত কয়লার ৬৫ শতাংশ বড় পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত হচ্ছে।
প্রশ্ন \ ৩০ \ বাংলাদেশের প্রথম কাগজ কল প্রথম কোথায় কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তর : বাংলাদেশের প্রথম কাগজ কল চন্দ্রঘোনায় ১৯৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
প্রশ্ন \ ৩১ \ বর্তমানে বাংলাদেশে কতটি কাগজকল রয়েছে?
উত্তর : বর্তমানে বাংলাদেশে ৬টি কাগজকল রয়েছে।
প্রশ্ন \ ৩২ \ বাংলাদেশে প্রথম সার কারখানা কোথায় কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তর : বাংলাদেশে প্রথম সার কারখানা সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে ১৯৫১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
প্রশ্ন \ ৩৩ \ ঢাকা অঞ্চলে কত ভাগ রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্প ইউনিট রয়েছে।
উত্তর : ঢাকা অঞ্চলে ৭৫ ভাগ রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্প ইউনিট রয়েছে।
প্রশ্ন \ ৩৪ \ ২০১২-১৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ পোশাক শিল্পে কত বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে?
উত্তর : ২০১২-১৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ পোশাক শিল্পে ৮০৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে।
প্রশ্ন \ ৩৫ \ বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ কোনগুলো?
উত্তর : বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ কৃষি, বনজ সম্পদ, তেল, গ্যাস, কয়লা ইত্যাদি।
প্রশ্ন \ ৩৬ \ বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রধান গুরুত্বপূর্ণ শিল্প কোনটি?
উত্তর : কার্পাস বয়নশিল্প বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রধান গুরুত্বপূর্ণ শিল্প।
প্রশ্ন \ ৩৭ \ পোশাক শিল্পকে এখন কী বলা হয়?
উত্তর : পোশাক শিল্পকে এখন বলা হয় ‘বিলিয়ন ডলার শিল্প’।
প্রশ্ন \ ৩৮ \ কোনো দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতির পূর্বশর্ত কী?
উত্তর : কোনো দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতির পূর্বশর্ত হচ্ছে শিল্পায়ন।
প্রশ্ন \৩৯\ কোথায় দুইটি কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে?
উত্তর : চট্টগ্রাম ও ঢাকা ইপিজেডে দুইটি কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
প্রশ্ন \ ৪০\ বাংলাদেশের পাটশিল্পজাত দ্রব্য কোনগুলো?
উত্তর : বাংলাদেশের পাটশিল্পজাত দ্রব্য হচ্ছে চট, বস্তা, কার্পেট, দড়ি, ব্যাগ, স্যান্ডেল, ম্যাট, পুতুল, শোপিস।
প্রশ্ন \৪১\ কোথা থেকে বৈদেশিক সহযোগিতায় শিলা উত্তোলনের ব্যবস্থা করা হয়েছে?
উত্তর : রংপুরের রাণীপুকুর থেকে বৈদেশিক সহযোগিতায় শিলা উত্তোলনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
প্রশ্ন \ ৪২\ পোশাক শিল্পে উৎপাদিত পোশাকের নাম লেখ।
উত্তর : পোশাক শিল্পে ট্রাউজার, জিন্স প্যান্ট, স্কার্টস, সোয়েটার, জ্যাকেট, মেয়েদের পুলওভার, কার্ডিগ্যান বøাউস, টি-শার্ট প্রভৃতি উৎপাদিত হয়।
প্রশ্ন \৪৩\ প্রখ্যাত চৈনিক পরিব্রাজক কবি হিউয়েন সাং কত শতাব্দীতে বাংলাদেশে এসেছিলেন?
উত্তর : প্রখ্যাত চৈনিক পরিব্রাজক কবি হিউয়েন সাং সপ্তম শতাব্দীতে বাংলাদেশে এসেছিলেন।
প্রশ্ন \ ৪৪\ নাটোরের দুটি দর্শনীয় স্থানের নাম লিখ।
উত্তর : নাটোরের দুটি দর্শনীয় স্থানের নাম হলো রানি ভবানীর বাড়ি ও দিঘাপাতিয়া রাজবাড়ি (উত্তরা গণভবন)।
প্রশ্ন \ ৪৫ \ বেগম রোকেয়ার বাড়ির ধ্বংসাবশেষ কোথায় অবস্থিত?
উত্তর : বেগম রোকেয়ার বাড়ির ধ্বংসাবশেষ পায়রাবন্দে অবস্থিত।
প্রশ্ন \ ৪৬ \ কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মস্থান কোথায়?
উত্তর : কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মস্থান যশোরের সাগরদাড়িতে।

 অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন \ ১ \ ইক্ষু চাষের অন্যতম পূর্বশর্ত কী?
উত্তর : চিনি উৎপাদনের কাঁচামাল ইক্ষু বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ফসল। ইক্ষু চাষের জন্য সমতল ভ‚মি প্রয়োজন। ইক্ষু উৎপাদনের জন্য ১৯ থেকে ৩০ সেলসিয়াস উত্তাপ এবং কমপক্ষে ১৫০ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাতের প্রয়োজন। বেলে দোআঁশ ও কর্দমাময় দোআঁশ মাটিতে ইক্ষু চাষ ভালো হয়।
প্রশ্ন \ ২ \ বনভ‚মির প্রাকৃতিক গুরুত্ব লেখ।
উত্তর : পরিবেশের উপাদান বায়ু, পানি, মাটি, উদ্ভিদ, প্রাণী ও মানুষ একে অপরের ওপর নির্ভরশীল। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে পরিবেশের একটি উপাদান বনভূমি গুরুত্বপূর্ণ। পরিবেশ দূষণ রোধ, ভ‚মির উর্বরতা বৃদ্ধি, ভ‚মির ক্ষয়রোধ, মরুকরণ প্রক্রিয়া রোধ, বন্যা নিয়ন্ত্রণ, ঝড়-তুফানের ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে রক্ষা, আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ ও বৃষ্টিপাত সংঘটন এবং গ্রিনহাউস গ্যাস প্রতিরোধের মাধ্যমে বনভ‚মি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে এবং আমাদের দৈনন্দিন জীবনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
প্রশ্ন \ ৩ \ বনজ সম্পদের মাধ্যমে কীভাবে শিল্পের উন্নয়ন ঘটেছে?
উত্তর : বাংলাদেশে বনজ সম্পদের গুরুত্ব অপরিসীম। অর্থনৈতিক উন্নয়নে বনজ সম্পদের ভ‚মিকা অপরিহার্য। বাংলাদেশে কাগজ, রেয়ন, দিয়াশলাই, ফাইবার বোর্ড, খেলনার সরঞ্জাম প্রভৃতির উৎপাদন কাজে বনজ সম্পদ ব্যবহৃত হয়ে শিল্পের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করেছে। কর্ণফুলী কাগজকল, খুলনার নিউজপ্রিন্ট কারখানা বনজ সম্পদের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে।
প্রশ্ন \ ৪ \ বনজ সম্পদ পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় কীভাবে প্রভাব ফেলে?
উত্তর : বনজ সম্পদ দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে। বাংলাদেশে বনজ সম্পদের পরিমাণ সীমিত। তবুও অর্থনৈতিক উন্নয়ন, প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য আনয়নে বনভ‚মির গুরুত্ব অপরিসীম। বনজ সম্পদ পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থায়ও প্রভাব ফেলে। বনভ‚মি থেকে কাঠ সংগ্রহ করে তা দিয়ে রেললাইনের ¯িøপার, মোটরগাড়ি, নৌকা, লঞ্চ, জাহাজ ইত্যাদির কাঠামো, বৈদ্যুতিক খুঁটি, রাস্তার পুল প্রভৃতি নির্মাণ করা হয়।
প্রশ্ন \ ৫ \ বাংলাদেশের প্রাকৃতিক গ্যাসের দুটি ব্যবহার লেখ।
উত্তর : বাংলাদেশ প্রাকৃতিক গ্যাসে সমৃদ্ধ। নিচে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক গ্যাসের দুটি ব্যবহার উল্লেখ করা হলো :
ক. শিল্প কারখানার জ্বালানি : প্রাকৃতিক গ্যাস আমাদের শিল্প কারখানাতে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এতে জ্বালানি সমস্যা লাঘব হয়।
খ. বিদ্যুৎ উৎপাদন : প্রাকৃতিক গ্যাসের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। যেমন : সিদ্ধিরগঞ্জ, শাহজীবাজার, আশুগঞ্জ, ঘোড়াশাল প্রভৃতি তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে তাপ বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়।
প্রশ্ন \ ৬ \ কয়লা কোন কোন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়?
উত্তর : প্রাকৃতিক সম্পদের মধ্যে খনিজ সম্পদ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। খনিজ সম্পদের মধ্যে কয়লা অন্যতম। শক্তির অন্যতম উৎস কয়লা। কলকারখানা, রেলগাড়ি, জাহাজ প্রভৃতি চালানোর জন্য কয়লা ব্যবহৃত হয়। এছাড়া জ্বালানি হিসেবেও কয়লার ব্যবহার হয়।
প্রশ্ন \ ৭ \ কয়লা কীভাবে প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায় সাহায্য করে?
উত্তর : শক্তির অন্যতম উৎস কয়লা। বনজ সম্পদ রক্ষায় কয়লা গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করছে। সরাসরি কাঠ বা লাকড়ি পোড়ালে পরিবেশের যে দূষণ হয়, কয়লা ব্যবহার করলে সেই দূষণ হয় না। বনজ সম্পদ রক্ষা ও দূষণ কমানোর মাধ্যমে কয়লা প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায় সাহায্য করে।
প্রশ্ন \ ৮ \ কোথায় কঠিন শিলার সন্ধান পাওয়া গেছে।
উত্তর : বাংলাদেশের খনিজ সম্পদের মধ্যে কঠিন শিলা অন্যতম। রেলপথ, রাস্তাঘাট, গৃহ, সেতু ও বাঁধ নির্মাণ এবং বন্যানিয়ন্ত্রণ প্রভৃতি কাজে কঠিন শিলা ব্যবহৃত হয়। রংপুর জেলার রাণীপুকুর ও শ্যামপুর এবং দিনাজপুর জেলার মধ্যপাড়ায় কঠিন শিলার সন্ধান পাওয়া গেছে। রংপুরের রাণীপুকুর থেকে বিদেশি সহযোগিতায় শিলা উত্তোলনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
প্রশ্ন \ ৯ \ বাংলাদেশে কেন সার শিল্পের উন্নয়নের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে?
উত্তর : বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। এদেশে ফসল ফলানোর জন্য সারের প্রয়োজন দেখা দেয়। বাংলাদেশে বৃহৎ শিল্পের মধ্যে সার অন্যতম। এদেশে সার শিল্পের উন্নয়নের আশা করা হচ্ছে। কারণ প্রাকৃতিক গ্যাসের সহজলভ্যতা রয়েছে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে সার রপ্তানি করতে বাংলাদেশ সক্ষম হবে।
প্রশ্ন \ ১০ \ বিশ্বব্যাপী পাট ও পাটজাত দ্রব্যের ব্যবহার কমে যাওয়ার দুইটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ লিখ।
উত্তর : বাংলাদেশ পৃথিবীর বৃহত্তম কাঁচাপাট ও পাটজাতদ্রব্য রপ্তানিকারক দেশ। এদেশ পৃথিবীর প্রায় এক-চতুর্থাংশ পাট উৎপাদন করে থাকে। তা সত্তে¡ও পৃথিবীব্যাপী পাট ও পাটজাত দ্রব্যের ব্যবহার কমে গেছে। এর দুটি কারণ হলো : ১. পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ব্যাপকভাবে কৃত্রিম তন্তুজাত দ্রব্য ব্যবহার শুরু হওয়ায় বিশ্বের বাজারে পাটজাত দ্রব্যের চাহিদা বহুলাংশে হ্রাস পেয়েছে ও ২. ব্যাপকভাবে বিশ্বব্যাপী পলিথিনের ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় পাট ও পাটজাত দ্রব্যের ব্যবহার কমে গেছে।
প্রশ্ন \ ১১ \ বাংলাদেশে বস্ত্র শিল্প বিকাশের কারণ কী?
উত্তর : বাংলাদেশের ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, নোয়াখালি, যশোর ও পাবনা অঞ্চলে বস্ত্রশিল্পগুলো গড়ে উঠেছে। এ শিল্প বিকাশের পেছনে যে কারণগুলো কাজ করছে তা হলো আর্দ্র জলবায়ু, সহজ ও সুলভ কাঁচামাল আমদানি, স্থানীয় ব্যাপক বাজারপ্রাপ্তি, সুলভ শ্রমিক সরবরাহ এবং পরিবহন ও যোগাযোগ সুবিধা। ফলশ্রæতিতে এ শিল্পের দ্রæত বিকাশ লাভ ঘটেছে।
প্রশ্ন \ ১২ \ বাংলাদেশে পোশাক শিল্পের স্থানীয়করণের কারণ ছক আকারে উপস্থাপন কর?
উত্তর : বাংলাদেশে তৈরি পোশাক শিল্প দ্রæত গড়ে ওঠার পেছনে নিম্নলিখিত কারণগুলো কাজ করছে।

পোশাক শিল্প স্থানীয়করণের কারণ
প্রাকৃতিক কারণ অর্থনৈতিক কারণ
১. সহজে পর্যাপ্ত কাঁচামাল প্রাপ্তি
২. অনুক‚ল জলবায়ু ১. সস্তা শ্রমিক প্রাপ্তি
২. মূলধনের প্রাচুর্য
৩. আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বাজারে ব্যাপক চাহিদা
৪. উন্নত পরিবহন ব্যবস্থা
৫. সরকারি উদ্যোগ ও পৃষ্ঠপোষকতা
প্রশ্ন \ ১৩ \ কোন কোন দেশে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়?
উত্তর : বাংলাদেশের পোশাক শিল্প একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্প হিসেবে গড়ে উঠেছে। সত্তর দশকের শেষে এবং আশির দশকের প্রথম থেকে রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্পের যাত্রা শুরু হয়। এরপর এ শিল্প অতি দ্রæত বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্যের শীর্ষে নিজের স্থান করে নেয়। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক যেসব দেশে রপ্তানি হয় সেই দেশগুলো হলোÑ আমেরিকা, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, ব্রিটেন, নেদারল্যান্ডস, কানাডা, বেলজিয়াম, স্পেন ও যুক্তরাজ্য।
প্রশ্ন \ ১৪ \ বাংলাদেশে পর্যটন শিল্পের গুরুত্ব লেখ।
উত্তর : বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্প হলো পর্যটন শিল্প। এই শিল্পের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সামাজিক গতিশীলতা, আঞ্চলিক উন্নয়ন, সংস্কৃতি বিনিময়, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন ও পরিবেশগত উন্নয়ন সম্ভব। পর্যটন শিল্পের মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে বন্ধুত্বমূলক সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং পারস্পরিক সহযোগিতা ও সহমর্মিতার পথ সুগম হয়।

 

 

 

Leave a Reply