নবম-দশম শ্রেণির বাংলাদেশের ইতিহাস অধ্যায় ১৪ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনকাল (১৯৭২-১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দ)

চতুর্দশ অধ্যায়
 বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনকাল (১৯৭২-১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দ)
১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ১০ জানুয়ারি দেশে ফেরার আগে পাকিস্তান থেকে সরাসরি বঙ্গবন্ধুকে লন্ডন নিয়ে যাওয়া হয় পাকিস্তান বাহিনীর বিশেষ বিমানে। অতঃপর ব্রিটিশ রাজকীয় কমেট বিমানে দিল্লি হয়ে তিনি ঢাকায় আসেন। ঢাকায় এ মহান নেতাকে জানানো হয় অভ‚তপূর্ব অভিনন্দন। অবিসংবাদিত নেতার প্রতি জনগণের আবেগময় অভিনন্দন ছিল স্বতঃস্ফ‚র্ত। শিখনফল
 যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের পুনর্গঠন কার্যক্রম বর্ণনা করতে পারবে।
 সংবিধান প্রণয়নের পটভ‚মি ব্যাখ্যা করতে পারবে।
 বঙ্গবন্ধুর শাসনকালের উল্লেখযোগ্য ঘটনাপ্রবাহ বর্ণনা করতে পারবে।
 জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে।
 দেশের সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে।
অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সংক্ষেপে জেনে রাখি

যুদ্ধের পর কীভাবে দেশ গড়ে তোলা হলো : স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশের অবস্থা ছিল ভয়াবহ। আক্ষরিক অর্থে শূন্য হাতে যাত্রা শুরু করে বঙ্গবন্ধুর সরকার। পাকিস্তান বাহিনীর ‘পোড়ামাটি’ নীতির কারণে বাংলাদেশ ভ‚খণ্ড এক বিধ্বস্ত জনপদে পরিণত হয়েছিল। প্রশাসন, ভৌত অবকাঠামো সবকিছুই ছিল বিপর্যস্ত। পুনর্বাসন ও পুনর্গঠনের কঠিন দায়িত্ব নিয়ে কাজ শুরু করে সরকার। প্রশাসনিক কাঠামো ভেঙে পড়ায় রেডক্রস সোসাইটি এবং ত্রাণ ও পুনর্বাসন কমিটির মাধ্যমে জেলা থেকে গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়। ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের শুরুতে পুনর্বাসন কার্যক্রমের জন্য সরকারি হিসেবে মাসভিত্তিক এক চাহিদাপত্র তৈরি করা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সরকার প্রধান হিসেবে ১৪ জানুয়ারি, ১৯৭২ প্রথম সংবাদ সম্মেলনে সরকারের জরুরি কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপনের পাশাপাশি বিশ্বের সকল রাষ্ট্র, স্বাধীনতাপ্রিয় মানুষ ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে উদার সাহায্য প্রদানের আহŸান জানান।
সংবিধান প্রণয়ন ১৯৭২ : সংবিধান একটি রাুেষ্ট্রর সর্বোচ্চ দলিল। এই দলিল লিখিত বা অলিখিত হতে পারে। বাংলাদেশের সংবিধান একটি লিখিত দলিল। দীর্ঘ সংগ্রাম, ত্যাগ আর রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশের জনগণ এই সংবিধান লাভ করে। উল্লেখ করা যেতে পারে, ভারত ও পাকিস্তান ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে স্বাধীনতা অর্জন করে। দুই বছরে ভারত সংবিধান প্রণয়নে সফল হলেও পাকিস্তানের সময় লেগেছে নয় বছর, তাও তা কার্যকর হয়নি। অপরপক্ষে মাত্র নয় মাসে সদিচ্ছা, আন্তরিকতা আর জনগণের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রæতির প্রতি সৎ থেকে সংক্ষিপ্ততম সময়ে বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংবিধান প্রণীত হয়েছে বঙ্গবন্ধুর সরকারের নেতৃত্বে।
বৈদেশিক সম্পর্ক : তৃতীয় বিশ্বের সদ্য স্বাধীন একটি রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অস্তিত্ব ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পররাষ্ট্রনীতির ভ‚মিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নবীন রাষ্ট্রটির পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারকের ভ‚মিকায় ছিলেন স্বয়ং বঙ্গবন্ধু। তিনি সব সময় স্বাধীন ও জোটনিরপেক্ষ পররাষ্ট্রনীতির কথা বলেছেন। তিনি পররাষ্ট্রনীতির দিক-নির্দেশনা দিতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার সুইজারল্যান্ড হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।’ ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের সংবিধানে পররাষ্ট্রনীতির রূপরেখায় বঙ্গবন্ধুর চিন্তা-ভাবনার প্রতিফলন লক্ষ করা যায়। পররাষ্ট্রনীতির মূল কথা হলো, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এবং সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রæতা নয়। সাম্রাজ্যবাদ, উপনিবেশবাদ ও বর্ণবাদের বিরুদ্ধে বিশ্বের নিপীড়িত জনগণের পক্ষে থাকবে বাংলাদেশ।
রাষ্ট্রপতিশাসিত সরকার পদ্ধতির প্রবর্তন : ১৯৭৫-এর ২৫ জানুয়ারি দেশে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার পদ্ধতির প্রবর্তন করা হয়। রাষ্ট্রপতি সকল ক্ষমতার অধিকারী হয়ে পড়েন। এই ব্যবস্থায় মন্ত্রিপরিষদ ও জাতীয় সংসদের কোনো ক্ষমতা ছিল না। সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে সরকার পদ্ধতির পরিবর্তন আনা হয়।
১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ড : ১৫ আগস্ট, ১৯৭৫ বাংলাদেশের ইতিহাসে কলঙ্কময় একটি দিন। ঘাতকরা এই দিন জাতির পিতা ও পাঁচ পরিবারের সদস্যদের নির্মম ও নৃশংসভাবে হত্যা করে। বর্বর হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠা খুনিরা ছিল সেনাবাহিনীর বিপথগামী কিছু সদস্য। পর্দার অন্তরালে ছিল সামরিক ও বেসামরিক ষড়যন্ত্রকারীরা।

 বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর 
১. বঙ্গবন্ধু ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের কত তারিখে গ্রেফতার হন?
ক ২৫ মার্চ  ২৬ মার্চ গ ২৭ মার্চ ঘ ২৮ মার্চ
২. বঙ্গবন্ধু প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব কেন পালন করেন?
 সংসদীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাসী ছিলেন বলে
খ দেশ পুনর্গঠনের জন্য
গ রাজাকারদের শাস্তি দেয়ার জন্য
ঘ স্বাধীন রাষ্ট্র পরিচালনা করতে
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৩ ও ৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
‘ক’ রাষ্ট্রের রমেশ, আবদুল্লা, লিন্ডা গোমেজ ও অমল বড়–য়া সবাই তাদের পূজা, ঈদ, বড় দিন ও বৌদ্ধ পূর্ণিমা ইত্যাদি অনুষ্ঠান স্বাধীনভাবে ধুমধাম করে পালন করে। এসব অনুষ্ঠান উদযাপনে রাষ্ট্র কাউকে কোনো বিশেষ পৃষ্ঠপোষকতা দেয় না।
৩. ‘ক’ রাষ্ট্রে ১৯৭২-এর সংবিধানের কোন বৈশিষ্ট্যটি প্রকাশ পেয়েছে?
ক গণতন্ত্র  ধর্মনিরপেক্ষতা গ জাতীয়তাবাদ ঘ সমাজতন্ত্র
৪. এ বৈশিষ্ট্য মানুষকে দেয়
 ধর্মীয় স্বাধীনতা খ অর্থনৈতিক স্বাধীনতা
গ সামাজিক স্বাধীনতা ঘ সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা

 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন- ১  ১৯৭২ সংবিধানের বৈশিষ্ট্য

রাসেলের বিদেশি বন্ধু রবার্ট বাংলাদেশে এসে মুগ্ধ। এদেশের সবুজ প্রকৃতি তার খুব পছন্দ হয়। তবে রবার্টের খুব কষ্ট লেগেছে বড় বড় দালানের পাশে নোংরা বস্তি দেখে। তাদের দেশে মানুষের খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা, বাসস্থান ইত্যাদির চাহিদা পূরণে রাষ্ট্র প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়। তাদের সংবিধানের মূল লক্ষ শোষণহীন সমাজ গঠন। রাসেল বলে, আমাদের সংবিধানে মানবাধিকার ও স্বাধীনতার নিশ্চয়তা আছে এবং নির্বাচিত প্রতিনিধির মাধ্যমে সরকার পরিচালিত হয়। জনগণের সরাসরি ভোটের মাধ্যমে জাতীয় সংসদ গঠিত হয়। রাষ্ট্রের সকল নির্বাহী ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর হাতে। তবে রাষ্ট্রপতি সর্বোচ্চ সম্মানের অধিকারী।
ক. বঙ্গবন্ধু কবে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন?
খ. বঙ্গবন্ধু কেন সংসদীয় পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন?
গ. রবার্ট এর দেশে ৭২ এর সংবিধানের কোন বৈশিষ্ট্যটি লক্ষ করা যায় ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘রাসেলের কথায় ৭২ এর সংবিধানের আংশিক বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠেছে’-মূল্যায়ন কর।

ক বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন।
খ যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা এবং আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায় করে দেশের মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য বঙ্গবন্ধু সংসদীয় পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থা চালু করেন। স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পরদিনই ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ১১ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু দেশের সরকার ব্যবস্থা গঠনের জন্য মন্ত্রিসভায় দীর্ঘ অলোচনার পর “অস্থায়ী সংবিধান আদেশ” জারির মাধ্যমে দেশে সংসদীয় পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন।
গ রবার্ট-এর দেশে ৭২-এর সংবিধানের সমাজতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য লক্ষ করা যায়। ৭২-এর সংবিধানের প্রস্তাবনায় চারটি আদর্শকে গ্রহণ করা হয় রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি হিসেবে। এই চারটি আদর্শের একটি হলো সমাজতন্ত্র। বঙ্গবন্ধু তার রাজনৈতিক জীবনে সবসময় সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির কথা বলেছেন। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য সংগ্রাম করেছেন। স্বাধীনতার পর দেশের মানুষের স্বপ্ন ছিল সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে মৌলিক চাহিদা পূরণে রাষ্ট্র প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। তাই সংবিধানে সমাজতন্ত্রকে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করা হয়। মূলত মানুষের ওপর মানুষের শোষণহীন সমাজ গঠনের জন্য সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা চালু করাই ছিল এর লক্ষ্য।
উদ্দীপকের রর্বাটের দেশেও সাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্র খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা প্রভৃতি মৌলিক চাহিদা পূরণ করে এবং শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করে। এ দিকটি সমাজতান্ত্রিক নীতির বহিঃপ্রকাশ। আর দিকটির সাথে ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের সংবিধানের সমাজতন্ত্র মূলনীতির সাদৃশ্য রয়েছে।
ঘ রাসেলের কথায় ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের সংবিধানের আংশিক বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠেছে। মানবাধিকার, ভোটাধিকার, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা নিয়ে উদ্দীপকের রাসেল তার বন্ধু রবার্টের সাথে আলোচনা করেছে। কিন্তু ৭২-এর সংবিধানে উক্ত বিষয়গুলো ছাড়া আরও অনেক কিছু অন্তর্ভুক্ত ছিল।
১৯৭২-এর সংবিধান ছিল একটি লিখিত দলিল। বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় সংবিধান রচিত হয়। এই সংবিধানে একটি প্রস্তাবনা, ১১টি ভাগ, ১৫৩টি অনুচ্ছেদ এবং ৪টি তফসিল ছিল। সংবিধানের প্রথম ভাগে প্রজাতন্ত্রের বৈশিষ্ট্যসমূহ, দ্বিতীয় ভাগে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিসমূহ, তৃতীয় ভাগে মৌলিক অধিকারসমূহ, চতুর্থ ভাগে নির্বাহী বিভাগ, পঞ্চম ভাগে জাতীয় সংসদ, ষষ্ঠ ভাগে বিচার বিভাগ, সপ্তম ভাগে নির্বাচন, অষ্টম ভাগে মহাহিসাব নিরীক্ষণ ও নিয়ন্ত্রক, নবম ভাগে কর্মকমিশন, দশম ভাগে সংবিধান সংশোধন ও একাদশ ভাগে বিবিধ বিষয়াবলি আলোচনা করা হয়েছে। রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি হিসেবে জাতয়ীতাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতাকে গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া মৌলিক অধিকার, এককেন্দ্রিক সরকার, মন্ত্রিপরিষদ শাসিত সরকার, এক কক্ষবিশিষ্ট আইন পরিষদ, সা¤প্রদায়িক রাজনীতি নিষিদ্ধ ও স্বাধীন বিচার বিভাগের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তদুপরি সংবিধান সংশোধন পদ্ধতিও ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের সংবিধানে উল্লেখ করা হয়েছে। সুতরাং পরিশেষে বলা যায় যে, রাসেলের কথায় ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের সংবিধানের আংশিক বৈশিষ্ট্যই ফুটে উঠেছে।

 বোর্ড ও সেরা স্কুলের বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. বঙ্গবন্ধু শিক্ষকদের কয় মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ করেন?
[স. বো. ’১৬]
ক ৬ খ ৭ গ ৮  ৯
২. বঙ্গবন্ধু জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের কততম অধিবেশনে প্রথমবারের মতো বাংলায় ভাষণ দেন? [স. বো. ’১৫]
ক ২৬ খ ২৭ গ ২৮  ২৯
৩. ১৫ই আগস্ট বাংলাদেশের ইতিহাসে কলঙ্কময় দিন কেন? [স. বো. ’১৫]
ক জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করার জন্য
 বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার জন্য
গ বৃদ্ধিজীবীদের হত্যা করার জন্য
ঘ মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করার জন্য
৪. কোনটি বঙ্গবন্ধুর শাসনকাল? [যশোর জিলা স্কুল, যশোর]
ক ১৯৭২-১৯৭৪ খ ১৯৭৩-১৯৭৫
গ ১৯৭৪-১৯৭৬  ১৯৭২-১৯৭৫
৫. ‘অস্থায়ী সংবিধান আদেশ’ জারি করা হয় কখন?
[এ. ভি. জে এম সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক ১০ জানুয়ারি ১৯৭২  ১১ জানুয়ারি ১৯৭২
গ ১২ জানুয়ারি ১৯৭২ ঘ ১৩ জানুয়ারি ১৯৭২
৬. দেশে সংসদীয় পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন হয় কত তারিখে?
[খাগড়াছড়ি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক ১৯৭০ ৯ জানুয়ারি খ ১৯৭১ ১০ জানুয়ারি
 ১৯৭২ ১১ জানুয়ারি ঘ ১৯৭৩ ১২ জানুয়ারি
৭. দেশে সংসদীয় পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থার প্রবর্তক কে?
[শাহজালাল জামেয়া ইসলামিয়া স্কুল এন্ড কলেজ, সিলেট]
ক তাজউদ্দিন আহমদ খ ফজলুল হক
গ সোহরাওয়ার্দী  শেখ মুজিবুর রহমান
৮. বঙ্গবন্ধু প্রধানমন্ত্রী হলে রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিয়োগ পান কে?
[শাহজালাল জামেয়া ইসলামিয়া স্কুল এন্ড কলেজ, সিলেট]
ক মোহাম্মদ সায়েম খ তাজউদ্দিন আহমদ
 আবু সাঈদ চৌধুরী ঘ জিয়াউর রহমান
৯. কার নেতৃত্বে শিক্ষা কমিশন গঠন করা হয়?
[এস এম মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ]
ক বঙ্গবন্ধুর  ড. কুদরত-ই-খুদার
গ বিচারপতি সাঈদের ঘ বিচারপতি সায়েমের
১০. বাংলাদেশ সরকার ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ মার্চ গণপরিষদ আদেশ জারি করে কেন? [যশোর জিলা স্কুল]
 সংবিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্যে খ গণতন্ত্র পুনর্বহালের উদ্দেশ্যে
গ সংসদ কার্যকর করার উদ্দেশ্যে ঘ শাসনতান্ত্রিক বৈধতার উদ্দেশ্যে
১১. গণপরিষদের একমাত্র কাজ ছিল কোনটি?
[অগ্রগামী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, সিলেট]
ক নির্বাচন পরিচালনা খ সরকার গঠন
গ পাঁচসালা পরিকল্পনা প্রণয়ন  সংবিধান প্রণয়ন
১২. সংবিধান কমিটির সদস্য ছিল কয়জন? [ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড হাইস্কুল, মোমেনশাহী]
ক ৩৩  ৩৪ গ ৩৫ ঘ ৩৬
১৩. বাংলাদেশের সংবিধান কেমন? [বিএএফ শাহীন কলেজ, তেজগাঁও, ঢাকা]
 লিখিত খ অলিখিত গ সুপরিবর্তনীয় ঘ অপরিবর্তনীয়
১৪. বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ কতটি? [ভিকারুন নিসা নূন স্কুল ও কলেজ, ঢাকা]
ক ১৫০ খ ১৫১ গ ১৫২  ১৫৩
১৫. বাংলাদেশের সংবিধানের প্রস্তাবনায় কয়টি আদর্শকে গ্রহণ করা হয়েছে?
[সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, বি-বাড়িয়া]
ক ২ খ ৩  ৪ ঘ ৫
১৬. বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তি হিসেবে কোনটি অধিক যুক্তিযুক্ত?
[ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড আন্তঃবিদ্যালয়, ঢাকা]
ক সা¤প্রদায়িক চেতনা  অসা¤প্রদায়িক চেতনা
গ বাঙালি চেতনা ঘ ধর্মীয় চেতনা
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৭. বাংলাদেশের সংবিধান হলো [এসএম মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ]
র. লিখিত দলিল রর. অলিখিত দলিল
ররর. সর্বোচ্চ দলিল
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৮. বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক সাহায্যের জন্য নির্ভর করতে হয়েছে
[মাগুরা সরকারি বালিকা]
র. পুঁজিবাদী দেশের ওপর রর. মুসলিম দেশের ওপর
ররর. সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোর ওপর
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৯ ও ২০ প্রশ্নের উত্তর দাও :
সালাম টিভিতে একটি নাটকে দেখে যে, রফিক সাহেব কারাগারে বন্দী। তিনি মানুষের কল্যাণের জন্য লড়াই করেন। তিনি এক বক্তব্যে বলেন, আমি সকল মানুষকে পরাধীনতা থেকে মুক্ত করতে চাই। এটাই আমার ব্রত। ইহা দেখে সালামের মন কেঁদে উঠল। [স. বো. ’১৬]
১৯. অনুচ্ছেদে কোন মহান নেতার চরিত্র ফুটে উঠেছে?
ক মওলানা ভাসানী খ একে ফজলুল হক
 বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘ মহাত্মা গান্ধী
২০. আলোচ্য নেতার গৃহীত পদক্ষেপ
র. পাঁচসালা পরিকল্পনা রর. সংবিধান প্রণয়ন ১৯৭২
ররর. সাধারণ নির্বাচন ১৯৭৩
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
 বিষয়ক্রম অনুযায়ী বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
 ভ‚মিকা  বোর্ড বই, পৃষ্ঠা- ১৯৬
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২১. বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস কোনটি? (জ্ঞান)
 ২৬ মার্চ খ ২৭ মার্চ
গ ১৬ ডিসেম্বর ঘ ২১ আগস্ট
২২. বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন কে? (জ্ঞান)
ক আবদুস সাত্তার  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
গ ইয়াহিয়া খান ঘ ফজলুল হক
২৩. ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ২৬ মার্চ ‘ক’ দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়। ‘ক’ দেশের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ দেশ কোনটি? (প্রয়োগ)
 বাংলাদেশ খ ভারত
গ নেপাল ঘ ভুটান
২৪. বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করা হয় কত তারিখে? (জ্ঞান)
 ২৬ মার্চ খ ২৭ মার্চ
গ ২৮ মার্চ ঘ ২৯ মার্চ
২৫. পাকিস্তান সামরিক আদালত বঙ্গবন্ধুকে ফাঁসির রায় দিয়েছিল কেন? (অনুধাবন)
ক হত্যার অভিযোগে
 রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে
গ ভারতের সাথে আঁতাতের অভিযোগে
ঘ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করার কারণে
২৬. পশ্চিম পাকিস্তান থেকে বঙ্গবন্ধু কত খ্রিষ্টাব্দে দেশে ফিরে আসেন? (জ্ঞান)
ক ১৯৭১  ১৯৭২ গ ১৯৭৩ ঘ ১৯৭৪
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ২৭ ও ২৮ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
‘ম’ নামক ব্যক্তিকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় এবং নয় মাস কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়। তিনি বেঁচে আছেন কিনা তা দেশের মানুষ জানত না।
২৭. ‘ম’ নামক ব্যক্তির সাথে কার মিল রয়েছে? (প্রয়োগ)
 বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান খ জিয়াউর রহমান
গ খালেদ মোশাররফ ঘ সৈয়দ নজরুল ইসলাম
২৮. ‘ম’ নামক ব্যক্তি সম্পর্কে জনগণকে অবগত করা হয়নি। এর ফলে জনগণের মধ্যে যে প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয়Ñ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. জনতার মধ্যে অধীর অপেক্ষা
রর. সারা দেশের মানুষের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা
ররর. দেশজুড়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

 বঙ্গবন্ধুর দেশে ফেরা (স্বদেশ প্রত্যাবর্তন)
 বোর্ড বই, পৃষ্ঠা- ১৯৬
 বঙ্গবন্ধু স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন ১০ জানুয়ারি ১৯৭২।
 বঙ্গবন্ধু ঢাকায় আসেন লন্ডন ও দিল্লী হয়ে।
 অবিসংবাদিত নেতার প্রতি জনগণের আবেগময় অভিনন্দন ছিল স্বতঃস্ফ‚র্ত।
 সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভাষণে তিনি নীতিনির্ধারণী বিষয়ে ধারণা দেন।
 বঙ্গবন্ধু বলেন, বাংলাদেশ হবে একটি আদর্শ রাষ্ট্র।
 গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও ধর্মনিরপেক্ষতা হবে রাষ্ট্রের ভিত্তি।
 সংসদীয় পদ্ধতির সরকারব্যবস্থা প্রবর্তন করেন ‘অস্থায়ী সংবিধান আদেশ’ জারির মাধ্যমে।
 রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী।
 বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রপতি পদ হতে পদত্যাগ করে প্রদানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন।
 বঙ্গবন্ধুর সরকারের স্থায়ীত্বকাল ছিল মাত্র তিন বছর সাত মাস তিনদিন।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২৯. বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস কবে? (জ্ঞান)
 ১০ জানুয়ারি খ ১১ জানুয়ারি
গ ২০ জানুয়ারি ঘ ২১ জানুয়ারি
৩০. দেশে ফেরার পূর্বে পাকিস্তান থেকে সরাসরি বঙ্গবন্ধুকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়? (জ্ঞান)
ক ত্রিপলী খ দিল্লি
 লন্ডন ঘ ওয়াশিংটন
৩১. রাজকীয় কমেট বিমান কোন দেশের? (জ্ঞান)
 ইংল্যান্ডের খ ফ্রান্সের
গ ঘানার ঘ ভারতের
৩২. বঙ্গবন্ধু লন্ডন থেকে কোথায় আসেন? (জ্ঞান)
 দিলি­ খ ঢাকা
গ কলকাতা ঘ করাচি
৩৩. বঙ্গবন্ধু নিজে কাঁদলেন কেন? (অনুধাবন)
 নিজ জাতিকে কাছে পাওয়ার আবেগে
খ প্রিয়জনদের হারানোর কষ্টে
গ রাজাকারদের অত্যাচারের অতিষ্ঠ হয়ে
ঘ দেশের জনগণের দুঃখ দেখে
৩৪. পুরাতন বিমানবন্দর থেকে রমনা রেসকোর্স ময়দান পর্যন্ত লক্ষ লক্ষ জনতা উপস্থিত হয় কেন? (অনুধাবন)
ক প্রিয় নেতার বক্তৃতা শোনার জন্য
 প্রিয় নেতাকে একনজর দেখার জন্য
গ প্রিয় নেতার আগমনের বাধা দেওয়ার জন্য
ঘ হানাদারদের প্রতি ঘৃণা প্রদর্শনের জন্য
৩৫. বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে কেমন রাষ্ট্র করতে চেয়েছিলেন? (অনুধাবন)
ক ধনী খ প্রতিভাবান  আদর্শ ঘ সংখ্যাগরিষ্ঠ
৩৬. মুক্তিযুদ্ধের সূচনালগ্নে গঠিত বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রপতি কে ছিলেন? (জ্ঞান)
ক জেনারেল ওসমানী খ তাজউদ্দিন আহমদ
গ নজরুল ইসলাম  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
৩৭. অস্থায়ী সংবিধান আদেশ জারি করেন কে? (জ্ঞান)
ক জিয়াউর রহমান  বঙ্গবন্ধু
গ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ঘ আবুল হোসেন
৩৮. ১২ জানুয়ারি শেখ মুজিবুর রহমান প্রধান বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমের নিকট কোন পদের জন্য শপথ নেন? (জ্ঞান)
ক প্রধানমন্ত্রী  রাষ্ট্রপতি গ অর্থমন্ত্রী ঘ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
৩৯. বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী কত তারিখে রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন? (জ্ঞান)
ক ১১ জানুয়ারি ১২ জানুয়ারি
গ ১৩ জানুয়ারি ঘ ১৪ জানুয়ারি
৪০. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কত খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন? (জ্ঞান)
 ১৯৭৫ খ ১৯৭৬ গ ১৯৭৮ ঘ ১৯৮০
৪১. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কতদিন দায়িত্ব পালনের সুযোগ পায়? (জ্ঞান)
ক ৩ বছর ৫ মাস ২ দিন  ৩ বছর ৭ মাস ৩ দিন
গ ৩ বছর ২ মাস ২ দিন ঘ ৩ বছর ১ মাস ৫ দিন
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৪২. বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ভিত্তি (অনুধাবন)
র. গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্র
রর. বাঙালি জাতীয়তাবাদ
ররর. ধর্মনিরপেক্ষতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৪৩. ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু বক্তব্য দেন (অনুধাবন)
র. যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠন সম্পর্কে
রর. বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রকৃতি সম্পর্কে
ররর. পাকিস্তান রাষ্ট্রের প্রকৃতি সম্পর্কে
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪৪. বঙ্গবন্ধুর ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ১০ জানুয়ারির বক্তব্য অনুযায়ী বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ভিত্তি হবে (অনুধাবন)
র. সমাজতন্ত্র
রর. ধর্মনিরপেক্ষতা
ররর. গণতন্ত্র
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৪৫ ও ৪৬ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
‘ী’ জাতির পিতা দেশ স্বাধীনের পর দেশে ফিরলেন। তাকে জানানো হলো অভ‚তপূর্ব অভিনন্দন। এক বিশাল জনসভায় তিনি রাষ্ট্রের মূলনীতি ঘোষণা করলেন।
৪৫. অনুচ্ছেদের কোন নেতার প্রতি ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে? (প্রয়োগ)
 বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান খ সৈয়দ নজরুল ইসলাম
গ তাজউদ্দিন আহমদ ঘ মনসুর আলী
৪৬. উক্ত নেতা রাষ্ট্রের ভিত্তি হিসেবে ঘোষণা করেন (উচ্চতর দক্ষতা
র. গণতন্ত্র
রর. ধনিকতন্ত্র
ররর. সমাজতন্ত্র
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৪৭ ও ৪৮ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
সদ্য স্বাধীন হওয়া ‘ক’ নামক দেশটি ‘খ’ নামক দেশের হানাদার বাহিনীর ধ্বংসযজ্ঞ থেকে দেশকে গড়ে তোলা এবং আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের মাধ্যমে বহির্বিশ্বে সম্মানজনক ভাবমূর্তি নির্মাণে দ্রæততার সাথে সাফল্য লাভ করে।
৪৭. অনুচ্ছেদে ‘ক’ নামক দেশ বলতে কোন দেশকে বুঝানো হয়েছে? (প্রয়োগ)
 বাংলাদেশ খ পাকিস্তান গ ভারত ঘ মায়ানমার
৪৮. ‘ক’ নামক দেশের রাষ্ট্রপতি যদি দেশকে গড়তে না পারতেন তাহলে (উচ্চতর দক্ষতা)
র. দেশের অস্তিত্ব সংকট দেখা দিত
রর. দেশের স্বাধীনতার বিপর্যয় ঘটত
ররর. বহির্বিশে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হতো
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর

 যুদ্ধের পর কীভাবে দেশ গড়ে তোলা হলো
 বোর্ড বই, পৃষ্ঠা- ১৯৭
 স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের অবস্থা ছিল ভয়াবহ।
 পুনর্বাসন ও পুনর্গঠনের কঠিন দায়িত্ব নিয়ে কাজ শুরু করে বাংলাদেশ সরকার।
 যুদ্ধের পর সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় রেডক্রস সোসাইটি।
 পরিকল্পিতভাবে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা ও ব্যাংকিং খাত ধ্বংস করে দেয় পাকিস্তানী বাহিনী।
 মুক্তিযুদ্ধের পর এদেশের ৮৫ ভাগ জনগণের জীবিকা ছিল কৃষিনির্ভর।
 ২৬ জুলাই ১৯৭২ সালে শিক্ষা কমিটি গঠন করা হয় বিজ্ঞানী ড. কুদরত-ই-খুদার নেতৃত্বে।
 দেশের সমস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে সরকারীকরণ করেন।
 যমুনা নদীর উপর সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা করেন বঙ্গবন্ধু।
 ব্যবহার উপযোগি করে গড়ে তোলা হয় তেজগাঁও বিমানবন্দর।
 সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে গৃহিত হয় পাঁচশালা পরিকল্পনা।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৪৯. পোড়ামাটি নীতি কোন বাহিনীর? (জ্ঞান)
ক ভারতীয়  পাকিস্তানি গ নেপালি ঘ ভুটানি
৫০. মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশ এক বিধ্বস্ত জনপদে পরিণত হয়েছিল কেন? (অনুধাবন)
ক প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে
খ জনগণ ভারতে চলে যাওয়ার কারণে
গ মুক্তিবাহিনীর সম্মুখ যুদ্ধের কারণে
 পাকিস্তান বাহিনীর ‘পোড়ামাটি’ নীতির কারণে
৫১. ভারতের পর কোন দেশ এদেশকে স্বীকৃতি দান করে? (জ্ঞান)
 ভুটান খ নেপাল গ মালদ্বীপ ঘ রাশিয়া
৫২. বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের সম্মানজনক ভাবমূর্তি নির্মাণের প্রয়োজন ছিল কেন? (অনুধাবন)
 আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের জন্য খ গবেষণার জন্য
গ সাহিত্য চর্চার জন্য ঘ ত্রাণ বিতরণের জন্য
৫৩. পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসররা কত লক্ষ বসতবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়? (জ্ঞান)
 প্রায় ৪৩ খ প্রায় ৪৪ গ প্রায় ৪৫ ঘ প্রায় ৪৬
৫৪. পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসররা কত হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জ্বালিয়ে দেয়? (জ্ঞান)
 ১৮ খ ১৯ গ ২০ ঘ ২৫
৫৫. পাকবাহিনী হাইস্কুল ও মাদরাসা পুড়িয়ে দেয় কতগুলো? (জ্ঞান)
ক ৫ হাজার  ৬ হাজার গ ৭ হাজার ঘ ৮ হাজার
৫৬. হানাদার বাহিনী কতগুলো কলেজ ভবন পুড়িয়ে দেয়? (জ্ঞান)
ক ৫শ’ খ ৭শ’ গ ৮শ’  ৯শ’
৫৭. পাকবাহিনী কত হাজার গ্রামীণ হাটবাজার জ্বালিয়ে দেয়? (জ্ঞান)
ক ১৫ খ ১৭ গ ১৮  ১৯
৫৮. মুক্তিযুদ্ধে কতটি সড়ক সেতু ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়? (জ্ঞান)
 ২৭৪ খ ২৭৫ গ ২৭৮ ঘ ২৮০
৫৯. মুক্তিযুদ্ধে পাকবাহিনী কতটি রেলসেতু ধ্বংস করে? (জ্ঞান)
ক ২০০  ৩০০ গ ৪০০ ঘ ৫০০
৬০. মুক্তিযুদ্ধের পর এদেশকে পুনর্গঠনের দায়িত্ব নেন কে? (জ্ঞান)
 বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান খ জিয়াউর রহমান
গ সাইদুর রহমান ঘ এইচ এম এরশাদ
৬১. ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের কত তারিখে প্রথম সংবাদ সম্মেলন হয়? (জ্ঞান)
ক ১০ জানুয়ারি খ ১৩ জানুয়ারি  ১৪ জানুয়ারি ঘ ১৫ জানুয়ারি
৬২. স্বাধীনতার পর পর এদেশের শতকরা কতভাগ জনগণের জীবিকা কৃষির ওপর নির্ভরশীল ছিল? (জ্ঞান)
ক ৭০ খ ৭৫  ৮৫ ঘ ১০০
৬৩. স্বাধীনতার পর জাতীয় আয়ের কত ভাগ কৃষি খাত থেকে আসত? (জ্ঞান)
 অর্ধেকের বেশি খ অর্ধেক
গ শত ভাগ ঘ অর্ধেকের চেয়ে কম
৬৪. স্বাধীনতার পর কত বিঘা পর্যন্ত জমির খাজনা মওকুফ করা হয়? (জ্ঞান)
ক ২৭ খ ২৬  ২৫ ঘ ২০
৬৫. স্বাধীনতার পর একটি পরিবারের জন্য সর্বাধিক কত বিঘা জমির মালিকানা নির্ধারণ করা হয়? (জ্ঞান)
ক ২৫ খ ২৮ গ ৫০  ১০০
৬৬. স্বাধীনতার পর কত লাখের অধিক কৃষক পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়? (জ্ঞান)
ক ২০  ২২ গ ৩০ ঘ ৩৫
৬৭. কৃষির উন্নয়নের কারণ কী ছিল? (অনুধাবন)
 অর্থনৈতিক খ ধর্মীয় গ সামাজিক ঘ রাজনৈতিক
৬৮. ড. মুহাম্মদ কুদরত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশন কার নির্দেশে গঠিত হয়? (জ্ঞান)
ক জিয়াউর রহমানের খ ফজলুল হকের
গ সোহরাওয়ার্দীর  শেখ মুজিবুর রহমানের
৬৯. বাংলাদেশে প্রথম শিক্ষা কমিশন কত খ্রিষ্টাব্দে গঠিত হয়? (জ্ঞান)
ক ১৯৭১  ১৯৭২ গ ১৯৭৩ ঘ ১৯৭৪
৭০. ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের কত তারিখে বাংলাদেশে প্রথম শিক্ষা কমিশন গঠন করা হয়? (জ্ঞান)
 ২৬ জুলাই খ ১ মে
গ ২৫ জুলাই ঘ ২ আগস্ট
৭১. শিক্ষার উন্নয়নে জরুরি ভিত্তিতে বঙ্গবন্ধু কতটি কলেজ ভবন পুনর্নির্মাণ করেন? (জ্ঞান)
ক ৫০০ খ ৭০০ গ ৮০০  ৯০০
৭২. শিক্ষার উন্নয়নে জরুরি ভিত্তিতে বঙ্গবন্ধু কতগুলো হাইস্কুল নির্মাণ করেন? (জ্ঞান)
ক ৩০০  ৪০০ গ ৪৫০ ঘ ৭০০
৭৩. প্রথমবারের মতো সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সরকারিকরণ করেন কে? (জ্ঞান)
ক জিয়াউর রহমান খ হাবিবুর রহমান
গ আবু সাঈদ চৌধুরী  শেখ মুজিবুর রহমান
৭৪. মুক্তিযুদ্ধের সময় শিক্ষকদের পাওনা ছিল কত মাসের? (জ্ঞান)
ক ৬ খ ৭ গ ৮  ৯
৭৫. জাতীয় সংসদে কত খ্রিষ্টাব্দে বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস করা হয়? (জ্ঞান)
ক ১৯৭২  ১৯৭৩ গ ১৯৭৪ ঘ ১৯৭৫
৭৬. মুক্তিযুদ্ধের পর কোন খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা একটা সন্তোষজনক অবস্থায় উন্নীত হয়? (জ্ঞান)
ক ১৯৭২ খ ১৯৭৩ ১৯৭৪ ঘ ১৯৭৫
৭৭. স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর উদ্যোগে কতটি নতুন সড়ক সেতু নির্মাণ করা হয়? (জ্ঞান)
ক ৯৫ খ ৯৬  ৯৭ ঘ ৯৮
৭৮. ১৯৭৪ খ্রিষ্টাব্দের ৪ নভেম্বর কোন সেতুর প্রাথমিক সম্ভাব্যতা প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়? (জ্ঞান)
ক তিস্তা  যমুনা গ পদ্মা ঘ মেঘনা
৭৯. দেশের অভ্যন্তরীণ বিমান যোগাযোগ কার্যকর হয় কত খ্রিষ্টাব্দে? (জ্ঞান)
ক ১৯৭১  ১৯৭২ গ ১৯৭৩ ঘ ১৯৭৫
৮০. ঢাকা-লন্ডন রুটে প্রথম ফ্লাইট চালু হয় কত খ্রিষ্টাব্দে? (জ্ঞান)
ক ১৯৭২  ১৯৭৩ গ ১৯৭৪ ঘ ১৯৭৫
৮১. বাংলাদেশ সরকার পরিকল্পনা কমিশন গঠন করে কত খ্রিষ্টাব্দে? (জ্ঞান)
ক ১৯৭০ খ ১৯৭১  ১৯৭২ ঘ ১৯৭৩
৮২. যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনের জন্য প্রবৃদ্ধি ৩% থেকে কত ভাগে উন্নীত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়? (জ্ঞান)
 ৫.৫% খ ৫.৭%
গ ৬% ঘ ৬.৬%
৮৩. প্রথম পাঁচসালা পরিকল্পনা কার্যকর করা হয় কেন? (অনুধাবন)
ক ধর্মীয় উন্নতির জন্য  অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য
গ সামাজিক উন্নয়নের জন্য ঘ সাংস্কৃতিক উন্নয়নের জন্য
৮৪. প্রথম পাঁচসালা পরিকল্পনা কত খ্রিষ্টাব্দে কার্যকর হয়? (জ্ঞান)
ক ১৯৭২  ১৯৭৩ গ ১৯৭৪ ঘ ১৯৭৫
৮৫. পাঁচসালা পরিকল্পনা কত তারিখে কার্যকর হয়? (জ্ঞান)
ক ১ জানুয়ারি খ ১ মে
 ১ জুলাই ঘ ১ আগস্ট
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৮৬. ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসর ছিল (অনুধাবন)
র. রাজাকার
রর. আলবদর
ররর. আল শামস
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৮৭. মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসররা জ্বালিয়ে দেয় (অনুধাবন)
র. ৩ হাজার অফিস ভবন
রর. ২ হাজার কলেজ ভবন
ররর. ১৮ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮৮. বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো তাহবিল শূন্য হওয়ার কারণ, হানাদার বাহিনী (প্রয়োগ)
র. ব্যাংকের কাগজের নোট জ্বালিয়ে দেয়
রর. গচ্ছিত স্বর্ণ লুটে নেয়
ররর. ব্যাংকের ভবন উড়িয়ে দেয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮৯. ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের সরকারি হিসাবমতে পুনর্বাসনের জন্য প্রতি মাসে প্রয়োজন ছিল (অনুধাবন)
র. পঞ্চাশ হাজার টন ঢেউটিন
রর. পঞ্চাশ হাজার টন কাঠ
ররর. দুই থেকে আড়াই লক্ষ টন খাদ্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৯০. বঙ্গবন্ধু কৃষিব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য (অনুধাবন)
র. ২৫ বিঘা পর্যন্ত জমির খাজনা মওকুফ করেন
রর. সর্বাধিক ১০০ বিঘা পর্যন্ত জমির মালিকানা নির্ধারণ করেন
ররর. দুই থেকে আড়াই লক্ষ টন খাদ্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৯১. শিক্ষাক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর জরুরি ভিত্তিতে গৃহীত পদক্ষেপের অন্তর্ভুক্ত হলো (অনুধাবন)
র. ৯০০ কলেজ ভবন পুনর্নির্মাণ
রর. ৪০০ হাইস্কুল পুনর্নির্মাণ
ররর. ২০টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৯২. ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ৭ মার্চ ঢাকার সাথে বিমান যোগাযোগ চালু হয়- (অনুধাবন)
র. চট্টগ্রামের রর. সিলেটের ররর. কুমিল্লার
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৯৩. প্রথম পাঁচসালা পরিকল্পনা (১৯৭৩-১৯৭৮)-এর উদ্দেশ্য ছিল (অনুধাবন)
র. খাদ্য উৎপাদনের স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন
রর. অর্থনৈতিক উন্নয়ন
ররর. ক্রমান্বয়ে বৈদেশিক সাহায্যের নির্ভরশীলতা হ্রাস
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৯৪ ও ৯৫ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
স্বাধীনতার পর ‘ক’ দেশের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের পুনর্গঠনে মনোনিবেশ করেন। এজন্য তিনি শিক্ষা, কৃষি ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে জরুরি ভিত্তিতে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
৯৪. ‘ক’ দেশের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ দেশ কোনটি? (প্রয়োগ)
 বাংলাদেশ খ ভারত
গ পাকিস্তান ঘ ভুটান
৯৫. উক্ত দেশের প্রধানমন্ত্রীর গৃহীত কার্যক্রম (উচ্চতর দক্ষতা)
র. অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভ‚মিকা রাখবে
রর. শিক্ষিত জাতি গড়ে তুলতে অবদান রাখবে
ররর. কৃষি উৎপাদন হ্রাস করবে
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৯৬ ও ৯৭ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলের প্রবীণ নেতা আসন্ন নির্বাচনি ইশতেহারে ঘোষণা করেন যে, তার দল ক্ষমতায় গেলে ১০ একর পর্যন্ত জমির খাজনা মওকুফ করা হবে এবং পূর্বের সমস্ত বকেয়া খাজনা মওকুফ করে দেওয়া হবে।
৯৬. অনুচ্ছেদে বর্ণিত নেতা কোন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন? (প্রয়োগ)
ক মহাত্মা গান্ধী খ মাস্টারদা সূর্যসেন
গ চিত্তরঞ্জন দাস  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
৯৭. উক্ত নেতার কর্মকাণ্ডের মধ্যে ছিল- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. সত্যাগ্রহ বন্দিদের মুক্তিদানের দাবি
রর. শিক্ষার উন্নয়ন
ররর. যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

 সংবিধান প্রণয়ন ১৯৭২  বোর্ড বই, পৃষ্ঠা- ১৯৯
 বাংলাদেশের সংবিধান হলো একটি লিখিত দলিল।
 সংবিধান প্রণয়নের লক্ষ্যে গণপরিষদ আদেশ জারি করা হয় ২৩ মার্চ ১৯৭২।
 গণপরিষদের প্রথম অধিবেশন বসে ১০ এপ্রিল ১৯৭২।
 সংবিধান গঠন কমিটির আহবায়ক ছিলেন ড. কামাল হোসেন।
 বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন করতে সময় লেগেছে মাত্র নয় মাস।
 বাংলাদেশের সংবিধান কার্যকর হয় ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে।
 বাংলাদেশের সংবিধানে ভাগ রয়েছে ১১টি।
 বাংলাদেশের সংবিধানে তফসিল ৪টি।
 বাংলাদেশের সংবিধানে ১৫৩টি অনুচ্ছেদ রয়েছে।
 নতুন রাষ্ট্র হিসেবে পথচলার ক্ষেত্রে মূলনীতিসমূহ ও আলোকবর্তীকা হিসেবে কাজ করেছে বাংলাদেশের সংবিধান।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৯৮. একটি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ দলিল কোনটি? (জ্ঞান)
 সংবিধান খ সামাজিক আইন
গ শাসনতান্ত্রিক আইন ঘ সরকারি আইন
৯৯. বাংলাদেশের সংবিধানের বৈশিষ্ট্য কোনটি? (জ্ঞান)
 লিখিত খ অলিখিত গ সা¤প্রদায়িকতা ঘ সুপরিবর্তনীয়
১০০. ভারত ও পাকিস্তান কত খ্রিষ্টাব্দে স্বাধীনতা অর্জন করে? (জ্ঞান)
 ১৯৪৭ খ ১৯৪৮ গ ১৯৫০ ঘ ১৯৭০
১০১. পাকিস্তান রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে এদেশের মানুষ কত খ্রিষ্টাব্দ থেকে গণতান্ত্রিক অধিকার পায়নি (জ্ঞান)
 ১৯৪৭ খ ১৯৪৮ গ ১৯৭০ ঘ ১৯৭২
১০২. গণপরিষদ আদেশ জারি করা হয় কত খ্রিষ্টাব্দে? (জ্ঞান)
ক ১৯৭০  ১৯৭২ গ ১৯৭৩ ঘ ১৯৭৫
১০৩. কত তারিখে গণপরিষদ আদেশ জারি করা হয়? (জ্ঞান)
 ২৩ মার্চ খ ১ মে
গ ১ জুলাই ঘ ১ জানুয়ারি
১০৪. গণপরিষদের প্রথম অধিবেশন বসে কত খ্রিষ্টাব্দে? (জ্ঞান)
 ১৯৭২ খ ১৯৭৩ গ ১৯৭৪ ঘ ১৯৭৫
১০৫. কত তারিখে গণপরিষদের প্রথম অধিবেশন বসে? (জ্ঞান)
ক ১ জানুয়ারি  ১০ এপ্রিল গ ১ মে ঘ ২০ আগস্ট
১০৬. গণপরিষদের প্রথম স্পিকার নির্বাচিত হন কে? (জ্ঞান)
ক আবু সাদাত খ আবু সায়েম
 আবদুল হামিদ ঘ আবদুস সাত্তার
১০৭. গণপরিষদের ডেপুটি স্পিকার কে ছিলেন? (জ্ঞান)
 মোহাম্মদ উল­াহ খ আবদুল হামিদ
গ মোশতাক আহমেদ ঘ মনসুর আলী
১০৮. সংবিধান কমিটির আহŸায়ক কে ছিলেন? (জ্ঞান)
ক মোস্তফা কামাল খ জিয়াউর রহমান
গ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান  ড. কামাল হোসেন
১০৯. সংবিধান কমিটি খসড়া সংবিধান ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দের অক্টোবরের কত তারিখের মধ্যে চ‚ড়ান্তভাবে প্রণয়ন শেষ করে? (জ্ঞান)
 ১১ খ ১২ গ ১৩ ঘ ১৮
১১০. সংবিধান বিল সম্পর্কে গণপরিষদে কত অক্টোবর থেকে আলোচনা শুরু হয়? (জ্ঞান)
খ ১৭ খ ১৮  ১৯ ঘ ২০
১১১. বাংলাদেশ সংবিধান গণপরিষদে পাস হয় কত তারিখে? (জ্ঞান)
ক ১ মে খ ১ আগস্ট
গ ৩ নভেম্বর  ৪ নভেম্বর
১১২. বাংলাদেশের সংবিধান প্রণীত হয় কখন? (জ্ঞান)
ক জুন ১৯৭২ খ জুলাই ১৯৭২
গ সেপ্টেম্বর ১৯৭২  নভেম্বর ১৯৭২
১১৩. সংবিধান কার্যকর হয় কোন দিবসে? (জ্ঞান)
 বিজয় দিবসে খ ভাষা দিবসে
গ স্বাধীনতা দিবসে ঘ নারী দিবসে
১১৪. সংবিধান প্রণয়ন করতে পাকিস্তানের সময় লেগেছে কত বছর? (জ্ঞান)
ক ৫ খ ৭ গ ৮  ৯
১১৫. সংবিধান প্রণয়ন করতে ভারতের সময় লেগেছে কত বছর? (জ্ঞান)
ক ১  ২ গ ৩ ঘ ৪
১১৬. বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন করতে সময় লেগেছে কত মাস? (জ্ঞান)
 ১০ খ ১১ গ ১২ ঘ ১৩
১১৭. ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের সংবিধানের প্রস্তাবনা কতটি? (জ্ঞান)
 ১ খ ২ গ ৩ ঘ ৪
১১৮. বাংলাদেশ সংবিধানের ভাগ কয়টি? (জ্ঞান)
ক ১০  ১১ গ ১২ ঘ ১৫
১১৯. ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের সংবিধানে তফসিল ছিল কয়টি? (জ্ঞান)
ক ১ খ ২ গ ৩  ৪
১২০. সংবিধানের তৃতীয় ভাগে কী নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে? (জ্ঞান)
 মৌলিক অধিকার খ বিচার বিভাগ
গ জাতীয় সংসদ ঘ নির্বাহী বিভাগ
১২১. গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন কোনটি? (জ্ঞান)
 বাংলাদেশের সংবিধান খ যুদ্ধাপরাধীর শাস্তি
গ জনগণের নিরাপত্তা বিধান ঘ জনগণের খাদ্য ব্যবস্থা প্রণয়ন
১২২. “সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ” এটি কার ঘোষণা? (প্রয়োগ)
ক বঙ্গবন্ধুর  সংবিধানের
গ স্পিকারের ঘ জনগণের
১২৩. রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি কয়টি? (জ্ঞান)
ক ৩  ৪ গ ৫ ঘ ৬
১২৪. মূলত শোষণহীন সমাজ গঠনের জন্য সংবিধানে কিরূপ অর্থনৈতিক ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছিল? (জ্ঞান)
 সমাজতান্ত্রিক খ পুঁজিবাদী
গ মিশ্র ঘ ইসলামী
১২৫. ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের সংবিধানি অনুযায়ী বাংলাদেশে কেমন শাসনব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়? (জ্ঞান)
ক যুক্তরাষ্ট্রীয় খ গণতান্ত্রিক  এককেন্দ্রিক ঘ বহুদলীয়
১২৬. সারা দেশের প্রশাসন পরিচালিত হয় কীভাবে? (অনুধাবন)
ক প্রশাসনিকভাবে খ যুক্তরাষ্ট্রীয়ভাবে
গ আমলাতান্ত্রিক পদ্ধতিতে  কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে
১২৭. ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের সংবিধানে কত কক্ষবিশিষ্ট আইন পরিষদ গঠন করা হয়? (জ্ঞান)
 এক খ দুই
গ তিন ঘ চার
১২৮. ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের সংবিধান অনুযায়ী আইন পরিষদের মোট আসন সংখ্যা কত? (জ্ঞান)
ক ৩০০  ৩১৫
গ ৩২০ ঘ ৩৩০
১২৯. বাংলাদেশের সংবিধান সংশোধনী বিলে রাষ্ট্রপতি কত দিনের মধ্যে সম্মতি দেবেন? (জ্ঞান)
ক ৫ খ ৬
 ৭ ঘ ১০
১৩০. নবীন বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের পথচলার ক্ষেত্রে সংবিধানের মূলনীতিসমূহ কাজ করছে (্উচ্চতর দক্ষতা)
 আলোকবর্তিকা হিসেবে খ পথচলার কৌশল হিসেবে
গ উন্নয়নের হাতিয়ার হিসেবে ঘ ব্যর্থতারোধের কৌশল হিসেবে
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৩১. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চাইতেন, রাষ্ট্রের ভিত্তি হবেÑ(অনুধাবন)
র. গণতন্ত্র
রর. সমাজতন্ত্র
ররর. সা¤প্রদায়িকতা
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৩২. ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের সংবিধানে ছিল (অনুধাবন)
র. একটি প্রস্তাবনা
রর. ১১টি ভাগ
ররর. ৪টি তফসিল
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
১৩৩. বাংলাদেশ সংবিধানের বৈশিষ্ট্য হলো (অনুধাবন)
র. জাতীয়তাবাদ
রর. গণতন্ত্র
ররর. মৌলিক অধিকার
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
১৩৪. বাংলাদেশ একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। ফলে এদেশেÑ (প্রয়োগ)
র. কোনো ধর্মকে রাজনৈতিক মর্যাদা দেওয়া হবে না
রর. ধর্মকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না
ররর. সকল ধর্মের মানুষ সমান প্রাধান্য পাবে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৩৫ ও ১৩৬ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
জিনিয়ার বসবাসরত দেশে ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বর মাসে সংবিধান প্রণীত হয়। সংবিধানটি উক্ত দেশের প্রথম বিজয় দিবসে কার্যকর হয়।
১৩৫. জিনিয়ার বসবাসরত দেশের সাথে কোন দেশের মিল রয়েছে? (প্রয়োগ)
ক ভারত খ নেপাল
গ শ্রীলঙ্কা  বাংলাদেশ
১৩৬. উক্ত দেশের সংবিধানের ক্ষেত্রে সঠিক তথ্য হলো (অনুধাবন)
র. সা¤প্রদায়িক রাজনীতিকে উৎসাহিত করে
রর. বিচার বিভাগের স্বাধীনতার স্বীকৃতি দেয়
ররর. মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
 বৈদেশিক সম্পর্ক  বোর্ড বই, পৃষ্ঠা- ২০১
 একটি সদ্য স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে এর অস্তিত্ব ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পররাষ্ট্রনীতির ভ‚মিকা অপরিসীম।
 পররাষ্ট্রনীতির মূল কথা হলো সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারও সাথে শত্রæতা নয়।
 বাংলাদেশ জাতিসংঘের ১৩৬ তম সদস্য।
 বঙ্গবন্ধু বাংলায় ভাষণ দেন জাতিসংঘের ২৯ তম অধিবেশনে।
 বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় ১৩০টি রাষ্ট্র।
 বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে বাংলাদেশ ১৪টি সংগঠনের সদস্যপদ লাভ করে।
 ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের জুন মাস পর্যন্ত বিদেশি সাহায্যের শতকরা ৬৭.০১ ভাগ প্রদান করত ভারত।
 বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়েছেন।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৩৭. আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়ের সাহায্য-সহযোগিতা লাভ এদেশের জন্য জরুরি হয়ে পড়ে কেন? (অনুধাবন)
 যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনের জন্য খ সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্য
গ জাতিসংঘের সদস্যপদের জন্য ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার জন্য
১৩৮. নবীন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারকের ভ‚মিকায় কে ছিলেন? (জ্ঞান)
ক সৈয়দ মনসুর আলী  শেখ মুজিবুর রহমান
গ সৈয়দ নজরুল ইসলাম ঘ মওলানা ভাসানী
১৩৯. বঙ্গবন্ধু পররাষ্ট্রনীতির দিক নির্দেশনা দিতে গিয়ে বাংলাদেশকে কী হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক দক্ষিণ এশিয়ার ম্যাগনাকার্টা খ উন্নয়নশীল সিঙ্গাপুর
 দক্ষিণ এশিয়ার সুইজারল্যান্ড ঘ মাহাথিরের মালয়েশিয়া
১৪০. বাংলাদেশ কত খ্রিষ্টাব্দে জাতিসংঘের সদস্য পদ লাভ করে? (জ্ঞান)
খ ১৯৭৩  ১৯৭৪ গ ১৯৭৫ ঘ ১৯৭৬
১৪১. বঙ্গবন্ধু কত খ্রিষ্টাব্দে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বাংলায় ভাষণ দেন? (জ্ঞান)
 ১৯৭৪ খ ১৯৭৫ গ ১৯৭৬ ঘ ১৯৭৭
১৪২. ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দের জুন মাস পর্যন্ত প্রাপ্ত বিদেশি সাহায্যের শতকরা কত ভাগ ভারত প্রদান করে? (জ্ঞান)
 ৬৭.০১ খ ৬৬.০১ গ ৬০.০১ ঘ ৬০.৫০
১৪৩. স্বাধীনতার পর কোন দেশের সাহায্য ছাড়া বাংলাদেশকে বড় ধরনের মানবিক বিপর্যয় থেকে বাঁচানো সম্ভব হতো না? (জ্ঞান)
ক চীন  ভারত
গ ভুটান ঘ নেপাল
১৪৪. বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে বাংলাদেশ বিশ্বের কতটি দেশের স্বীকৃতি পায়? (জ্ঞান)
ক ১২০  ১৩০
গ ১৪০ ঘ ১৫০
১৪৫. বঙ্গবন্ধু শাসনামলে বাংলাদেশ বিশ্বের কতটি আন্তর্জাতিক সংগঠনের সদস্যপদ লাভ করে? (জ্ঞান)
 ১৪ খ ১৫ গ ১৬ ঘ ২০
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৪৬. বঙ্গবন্ধু পররাষ্ট্রনীতিতে গুরুত্ব দিয়েছিলেনÑ (অনুধাবন)
র. আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি করাকে
রর. দেশ পুনর্গঠনে বিদেশি সাহায্য-সহযোগিতা নিশ্চিত করাকে
ররর. উপনিবেশবাদ দীর্ঘস্থায়ী করাকে
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৪৭. মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশকে যেসব দেশ সাহায্য করেÑ (অনুধাবন)
র. ভারত
রর. আমেরিকা
ররর. রাশিয়া
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৪৮. এদেশের পররাষ্ট্রনীতির মূল কথা হলো (উচ্চতর দক্ষতা)
র. শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান
রর. সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব
ররর. কারও সঙ্গে শত্রæতা নয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
১৪৯. বাংলাদেশের জনগণ সবসময় সোচ্চার থাকবে (উচ্চতর দক্ষতা)
র. সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে
রর. উপনিবেশবাদের রিবুদ্ধে
ররর. বর্ণবাদের বিরুদ্ধে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ১৫০ ও ১৫১ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
‘ক’ দেশের রাষ্ট্রপতি তাদের মাতৃভাষায় জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ২৯তম অধিবেশনে ভাষণ দেন। এতে তাদের দেশের সবাই খুব খুশি হয়।
১৫০. ‘ক’ দেশের নেতার সাথে বাংলাদেশের কোন নেতার মিল রয়েছে? (প্রয়োগ)
 শেখ মুজিবুর রহমান খ জিয়াউর রহমান
গ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ঘ শাহ আবদুল হামিদ
১৫১. উক্ত নেতার মাতৃভাষায় ভাষণ প্রদানের ফলেÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. তাদের দেশের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ হয়
রর. তাদের মাতৃভাষা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মর্যাদা লাভ করে
ররর. তাদের দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

বোর্ড ও সেরা স্কুলের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১  বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নের পটভ‚মি

বরকতপুর উন্নয়ন সংস্থা একটি অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য কিছু নিয়মনীতি তৈরি করা হয়। নিয়মগুলোর ৪টি ভাগ, ২৫টি অনুচ্ছেদ ছিল। ১ম ভাগে প্রতিষ্ঠানের কাজ লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য, ২য় ভাগে প্রতিষ্ঠান পরিচালনার মূলনীতি, ৩য় ভাগে অপরাধের শাস্তি ও ৪র্থ ভাগে অন্য বিষয়াবলি আলোচনা করা হয়েছে। এ নিয়মনীতিগুলো একটি লিখিত দলিল। এর ফলে বরকতপুর উন্নয়ন সংস্থা সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হচ্ছে এবং এলাকার উন্নয়নে অবদান রাখছে। [স. বো. ’১৫]
ক. বঙ্গবন্ধু কবে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন? ১
খ. প্রথম পাঁচশালা পরিকল্পনা আলোচনা কর। ২
গ. উদ্দীপকের বিষয়ের সাথে তোমার পাঠ্যবইয়ের যে বিষয়ের মিল রয়েছে তা প্রণয়নের পটভ‚মি ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. বরকতপুর উন্নয়ন সংস্থার নিয়মনীতির মতো ৭২ সালের সংবিধানের মাধ্যমে জাতির আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটেছেÑ উক্তিটি মূল্যায়ন কর। ৪

ক ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন।
খ প্রথম পাঁচসালা পরিকল্পনার আওতায় নবীন রাষ্ট্র হিসেবে দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশ সরকার পরিকল্পনা কমিশন গঠন করে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠন, দারিদ্র হ্রাস, প্রবৃদ্ধির হার ৩% থেকে ৫.৫%-উন্নীত করার জন্য ববস্থা গ্রহণ করা হয়। খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন এবং ক্রমান্বয়ে বৈদেশিক সাহায্যের ওপর নির্ভরশীলতা হ্রাস করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এ ছাড়া সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে প্রথম পাঁচসালা পরিকল্পনা (১৯৭৩-১৯৭৮) ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দের ১ জুলাই থেকে কার্যকর হয়।
গ উদ্দীপকের বিষয়ের সাথে আমার পাঠ্যবইয়ের ‘সংবিধান’ প্রণয়ন ১৯৭২’-এর মিল রয়েছে। উদ্দীপকে বরকতপুর উন্নয়ন সংস্থার নিয়মনীতিতে ৪টি ভাগ, ২৫টি অনুচ্ছেদ এবং বিভিন্ন ভাগে প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক বিষয়াবলি আলোচিত হয় যা আবার একটি লিখিত দলিল। এ সমস্ত তথ্যাদি ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের সংবিধান প্রণয়নকে নির্দেশ করে। সংবিধান একটি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ দলিল। বাংলাদেশের সংবিধান একটি লিখিত দলিল। দীর্ঘ সংগ্রাম, ত্যাগ আর রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশের জনগণ সংবিধান লাভ করে। মাত্র নয় মাসে সদিচ্ছা, আন্তরিকতা আর জনগণের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রæতির প্রতি সৎ থেকে সংক্ষিপ্ততম সময়ে বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংবিধান প্রণীত হয়েছে বঙ্গবন্ধুর সরকারের নেতৃত্বে। বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্যে সরকার ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ মার্চ ‘গণপরিষদ আদেশ’ জারি করে। ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দের নির্বাচনে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান থেকে নির্বাচিত জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদ সদস্যদের নিয়ে গণপরিষদ গঠন করা হয়। বাংলাদেশের জন্য সংবিধান প্রণয়নই ছিল গণপরিষদের একমাত্র কাজ। এই আদেশটি ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ২৬ মার্চ থেকে কার্যকর করা হয়। এই আদেশ জারির মধ্য দিয়ে সংবিধান প্রণয়নের আনুষ্ঠানিক কাজ শুরু হয়। আওয়ামী লীগ পার্লামেন্টারি পার্টি বঙ্গবন্ধুকে গণপরিষদের দলীয় নেতা নির্বাচন করে। গণপরিষদের প্রথম অধিবেশন বসে ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ১০ এপ্রিল। বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় গণপরিষদের প্রথম স্পিকার নির্বাচিত হন শাহ আবদুল হামিদ এবং ডেপুটি স্পিকার পদে নির্বাচিত হন মোহাম্মদ উল্লাহ। দ্রæততম সময়ের মধ্যে সংবিধানের খসড়া প্রণয়নের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়। ড. কামাল হোসেন এই কমিটির আহŸায়কের দায়িত্ব পালন করেন। কমিটির সদস্য সংখ্যা ছিল ৩৪। খসড়া সংবিধান ১৯৭২-এর ১১ অক্টোবরের মধ্যে কমিটি চ‚ড়ান্তভাবে প্রণয়ন শেষ করে। ১৯ অক্টোবর থেকে সংবিধান বিল সম্পর্কে গণপরিষদ সাধারণ আলোচনা শুরু হয়। দীর্ঘ সময় ধরে আলাপ-আলোচনার পর ১৯৭২-এর ৪ নভেম্বর সংবিধান বিল গণপরিষদে পাস হয়। ১৯৭২-এর ১৬ ডিসেম্বর প্রথম বিজয় দিবসে সংবিধান কার্যকর হয়।
ঘ বরকতপুর উন্নয়ন সংস্থার নিয়মনীতির মতো ৭২ খ্রিষ্টাব্দের সংবিধানের মাধ্যমে বাঙালি জাতির আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটেছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন হলো বাংলাদেশের সংবিধান। এ বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করে ৭২ খ্রিষ্টাব্দের সংবিধানে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি হিসেবে সংবিধানের প্রস্তাবনায় চারটি আদর্শকে গ্রহণ করা হয়। ভাষা ও সংস্কৃতিকে কেন্দ্র করে বাঙালি জাতীয়তাবাদের জন্ম হয়। শোষণহীন সমাজ গঠনের জন্য সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রচলনের প্রচেষ্টা নেওয়া হয়। সংবিধানে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ রাষ্ট্রটি হবে একটি গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র। ধর্মনিরপেক্ষতার প্রশ্নে বলা হয়, প্রতিটি নাগরিকের ধর্মীয় অধিকার ও আচার-অনুষ্ঠান পালনের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেবে রাষ্ট্র। এছাড়া সংবিধানে মৌলিক অধিকারসমূহকে অলঙ্ঘণীয় ও পবিত্র বলে ঘোষণা করা হয়েছে। ৭২-এর সংবিধান অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে সারা দেশের প্রশাসন পরিচালিত হয়, ৭২ এর সংবিধান রাষ্ট্রের সকল নির্বাহী ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার ওপর ন্যস্ত ছিল। ৭২ এর সংবিধানে সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে আইন পরিষদ গঠনের বিধান রাখা হয়। দুষ্পরিবর্তনীয় এ সংবিধানে একটি স্বাধীন নিরপেক্ষ বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠার উল্লেখ আছে। সর্বোপরি ৭২-এর সংবিধানের মূলনীতির সঙ্গে মিল রেখে ধর্মভিত্তিক, রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয় যাতে কেউ বিভেদ তৈরি করতে না পারে। বস্তুত ৭২-এর সংবিধান বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় উন্নতমানের এবং সুলিখিত দলিল। সদ্য স্বাধীন দেশের জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটেছে এই সংবিধানের বিধানাবলির মধ্যে। নবীন রাষ্ট্রের পথচলার ক্ষেত্রে মূলনীতিসমূহ আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করেছে।

প্রশ্ন- ২  স্বাধীনতা পরবর্তী উন্নয়ন পুনর্গঠন ও পুনর্বাসন কার্যক্রম

সদ্য স্বাধীন হওয়া একটি দেশের মহান নেতা যিনি জাতির জনক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন, তিনি যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের উন্নতির জন্য ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন। তিনি একটি পরিবারের জন্য সর্বাধিক ১০০ বিঘা পর্যন্ত জমির মালিকানা নির্ধারণ করে দেন। বাইশ লাখের অধিক কৃষক পরিবারকে পুনর্বাসনের কার্যক্রম গ্রহণ করেন।
[এস. ভি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জ]
ক. স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় কত খ্রিষ্টাব্দে? ১
খ. ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে সংবিধানের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হিসেবে সমাজতন্ত্রের ব্যাখ্যা দাও। ২
গ. উদ্দীপকে পাঠ্যপুস্তকের যে ধারণার প্রতিফলন ঘটেছে তার ব্যাখ্যা দাও। ৩
ঘ. উদ্দীপকে মহান নেতার একটি পরিবারের জন্য সর্বাধিক ১০০ বিঘা পর্যন্ত জমির মালিকানা নির্ধারণ বঙ্গবন্ধুর কৃষি উন্নয়নের অনুরূপ কার্যক্রম মতামত দাও। ৪

ক স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দে।
খ ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের সংবিধানের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সমাজতন্ত্র। সংবিধানে সমাজতন্ত্রকে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করা হয়। মূলত মানুষের ওপর মানুষের শোষণহীন সমাজ গঠনের জন্য সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা চালু করাই ছিল এর লক্ষ্য।
গ উদ্দীপকে পাঠ্যপুস্তকের যে ধারণার প্রতিফলন ঘটেছে তাহলো স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের উন্নয়ন, পুনর্গঠন ও পুনর্বাসন কার্যক্রম। স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশের অবস্থা ছিল ভয়াবহ। পাকিস্তান বাহিনীর ‘পোড়ামাটি’ নীতির কারণে বাংলাদেশ ভ‚খণ্ড এক বিধ্বস্ত জনপদে পরিণত হয়। স্বাধীনতার পর পর বাংলাদেশের মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের উন্নয়ন, পুনর্গঠন ও পুনর্বাসনের জন্য বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করেন। এছাড়া সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে প্রথম পাঁচসালা পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। অনুরূপভাবে উদ্দীপকেও দেখা যায়, সদ্য স্বাধীন হওয়া একটি দেশের জাতির জনক হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া মহান নেতা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের উন্নতির জন্য ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন যা পাঠ্যপুস্তকে স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের উন্নয়ন, পুনর্গঠন ও পুনর্বাসন কার্যক্রমের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
ঘ উদ্দীপকে মহান নেতার একটি পরিবারের জন্য সর্বাধিক ১০০ বিঘা পর্যন্ত জমির মালিকানা নির্ধারণ বঙ্গবন্ধুর কৃষি উন্নয়নের অনুরূপ কার্যক্রম বলে আমি মনে করি। উদ্দীপকে বর্ণিত সদ্য স্বাধীন হওয়া একটি দেশের মহান নেতা যিনি জাতির জনক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন, তিনি যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের উন্নতির জন্য ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন। তিনি একটি পরিবারের জন্য সর্বাধিক ১০০ বিঘা পর্যন্ত জমির মালিকানা নির্ধারণ করে দেন। তার এ কার্যক্রমের সাথে বঙ্গবন্ধুর কৃষি উন্নয়নের তুলনা করা যায়। স্বাধীনতার পর পর বাংলাদেশের শতকরা ৮৫ ভাগ জনগণের জীবিকা ছিল কৃষির ওপর নির্ভরশীল। জাতীয় আয়ের অর্ধেকেরও বেশি আসত কৃষিখাত থেকে। তাই বঙ্গবন্ধু কৃষিব্যবস্থার উন্নয়নে বিশেষ মনোযোগ দিয়েছিলেন। যেমন :
১. ২৫ বিঘা পর্যন্ত জমির খাজনা মওকুফসহ পূর্বের সমস্ত বকেয়া খাজনা মওকুফ করে দেন।
২. একটি পরিবারের জন্য সর্বাধিক ১০০ বিঘা পর্যন্ত জমির মালিকানা নির্ধারণ করেন।
৩. বাইশ লাখের অধিক কৃষক পরিবার পুনর্বাসন করা হয়।
আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায়, উদ্দীপকে মহান নেতার একটি পরিবারের জন্য সর্বাধিক ১০০ বিঘা পর্যন্ত জমির মালিকানা নির্ধারণ বঙ্গবন্ধুর কৃষি উন্নয়নের অনুরূপ কার্যক্রম।

প্রশ্ন- ৩  বাংলাদেশের প্রথম সাধারণ নির্বাচন, ১৯৭৩

বুকের ভেতর হঠাৎ তীব্র মোচড়। কারণ আসলাম সাহেবের চোখ পড়ল ১৫ আগস্টের এক ক্রোড়পত্রের কবিতার কয়েকটি পঙক্তিতে
‘যতকাল রবে পদ্মা যমুনা
গৌরী মেঘনা বহমান,
ততকাল রবে কীর্তি তোমার
শেখ মুজিবুর রহমান।’
[যশোর জিলা স্কুল]
ক. ‘যতদিন রবে পদ্মা যমুনা গৌরী মেঘনা বহমান’ এটি কোন কবির উক্তি? ১
খ. ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের সংবিধানের একটি মূলনীতি ব্যাখ্যা কর। ২
গ. কোন মহানায়কের জন্য আসলাম সাহেবের বুকের ভেতর তীব্র মোচড় দেয়? বাংলাদেশের প্রথম সাধারণ নির্বাচনে উক্ত নেতার দলের অবস্থান বর্ণনা কর। ৩
ঘ. বাংলাদেশের অস্তিত্ব ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে উক্ত নেতার পররাষ্ট্র নীতির ভ‚মিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মূল্যায়ন কর। ৪

ক ‘যতদিন রবে পদ্মা যমুনা গৌরী মেঘনা বহমান’ এটি কবি অন্নদাশঙ্কর রায়ের উক্তি।
খ ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের সংবিধানের চারটি মূলনীতি ছিল। এগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে জাতীয়তাবাদ।
জাতীয়তাবাদ : পাকিস্তান আমলের ধর্মভিত্তিক জাতীয়তাবাদ মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাতিল হয়ে যায়। এর বিপরীতে ভাষা ও সংস্কৃতিকে কেন্দ্র করে বাঙালি জাতীয়তাবাদের জন্ম। অসা¤প্রদায়িক চেতনা হলো বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তি।
গ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্য আসলাম সাহেবের বুকের ভেতর তীব্র মোচড় দেয়। উদ্দীপকে দেখা যায় ১৫ আগস্টের এক ক্রোড়পত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে লেখা কবিতার কয়েকটি পঙক্তি পড়ে আসলাম সাহেবের বুকের ভেতর তীব্র মোচড় দেয়। বাংলাদেশের প্রথম সাধারণ নির্বাচনে উক্ত নেতার অর্থাৎ বঙ্গবন্ধুর দলের অবস্থান ছিল অত্যন্ত সুসংহত। স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দের ৭ মার্চ। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করে। জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনসহ ৩১৫টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৩০৬, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ২, বাংলাদেশ জাতীয় লীগ ১ এবং স্বতন্ত্র সদস্যরা ৬ আসনে জয়লাভ করেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ মার্চ নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত হয়।
ঘ উক্ত নেতা হলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলাদেশের অস্তিত্ব ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পররাষ্ট্রনীতির ভ‚মিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বঙ্গবন্ধু ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ দেশে ফিরে আসার পূর্বে ভারত ও ভুটান ছাড়া আর কোনো রাষ্ট্রের স্বীকৃতি পায়নি বাংলাদেশ। পাকিস্তান ও তার মিত্রদের বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারণায় বিশ্বের অধিকাংশ রাষ্ট্র তখনও বিভ্রান্ত। অন্যদিকে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়ের সাহায্য-সহযোগিতা লাভ জরুরি হয়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধু তার দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও মেধা দিয়ে উপলব্ধি করেছেন যে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিতে দুটি বিষয়কে গুরুত্ব দিতে হবে।
১. স্বীকৃতি আদায়ের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি করা।
২. দেশ পুনর্গঠনে বিদেশি সাহায্য-সহযোগিতা নিশ্চিত করা।
নবীন রাষ্ট্রটির পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারকের ভ‚মিকায় ছিলেন স্বয়ং বঙ্গবন্ধু। তিনি সবসময় স্বাধীন ও জোটনিরপেক্ষ পররাষ্ট্রনীতির কথা বলেছেন। তিনি পররাষ্ট্রনীতির দিক-নির্দেশনা দিতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার সুইজারল্যান্ড হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।’ ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের সংবিধানে পররাষ্ট্রনীতির রূপরেখায় বঙ্গবন্ধুর চিন্তা-ভাবনার প্রতিফলন লক্ষ করা যায়। পররাষ্ট্রনীতির মূল কথা হলো, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এবং সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রæতা নয়। সাম্রাজ্যবাদ, উপনিবেশবাদ ও বর্ণবাদের বিরুদ্ধে বিশ্বের নিপীড়িত জনগণের পক্ষে থাকবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের জন্য স্বীকৃতি আদায়ের কাজটি খুব একটা সহজসাধ্য ছিল না। কারণ, পাকিস্তানের বৈরী প্রচারণায় মুসলিম বিশ্বসহ চীন বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করত। বঙ্গবন্ধুর সফল নেতৃত্বে ১৯৭৪ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যেই বাংলাদেশ বিশ্বের অধিকাংশ রাষ্ট্র ও জাতিসংঘসহ প্রায় সকল আন্তর্জাতিক সংস্থার স্বীকৃতি লাভ করে। সুতরাং বলা যায়, বাংলাদেশের অস্তিত্ব ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পররাষ্ট্রনীতির ভ‚মিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

প্রশ্ন- ৪  মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান

আজ বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে অন্ধকারময় একটি দিন। আজকে এই দিনে এ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানকে সপরিবারে হত্যা করেছিল ঘাতকরা। এ মহান নেতার সারাজীবনের সংগ্রাম ছিল সুখী, সমৃদ্ধ গণতান্ত্রিক ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে। এদেশের মানুষের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির দাবিতে তিনি দীর্ঘ রাজনৈতিক ও সংগ্রাম পরিচালনা করেছেন। জাতি তাই আজ স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি এই মহান নেতাকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছে।
[আলমডাঙ্গা পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, চুয়াডাঙ্গা]
ক. বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস কত তারিখে? ১
খ. ১৯৭২ এর ২৩ মার্চ গণপরিষদ আদেশ জারি করা হয় কেন? ২
গ. উদ্দীপকে কোন মহান নেতার কথা বলা হয়েছে? রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার পদ্ধতির প্রবর্তনে উক্ত নেতার ভ‚মিকা উল্লেখ কর। ৩
ঘ. উক্ত মহান নেতাকে জাতি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করার কারণ বিশ্লেষণ কর। ৪

ক বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস ২৬ মার্চ।
খ বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্যে ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ মার্চ গণপরিষদ আদেশ জারি করা হয়। সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন জরুরি ছিল। বাংলাদেশের জন্য সংবিধান প্রণয়ন করাই ছিল গণপরিষদের একমাত্র কাজ। ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ১১ অক্টোবর খসড়া সংবিধান প্রণীত হয় এবং ৪ নভেম্বর তা গণপরিষদে বিল আকারে পাস হয়। ১৬ ডিসেম্বর তা কার্যকর করা হয়।
গ উদ্দীপকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা বলা হয়েছে। কারণ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ঘাতকরা সপরিবারে হত্যা করে যা উদ্দীপকেও বলা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার পদ্ধতির প্রবর্তনে উক্ত নেতা তথা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভ‚মিকা নিচে উল্লেখ করা হলো। ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দের ৭ মার্চ স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৩০৬টি আসন পেয়ে বিজয়ী হয়। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ মার্চ নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত হয়। বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে সরকার পদ্ধতির পরিবর্তন আনা হয়। ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ জানুয়ারি দেশে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার পদ্ধতির প্রবর্তন করা হয়। রাষ্ট্রপতি সকল ক্ষমতার অধিকারী হয়ে পড়েন। এই ব্যবস্থায় মন্ত্রিপরিষদ ও জাতীয় সংসদের কোনো ক্ষমতা ছিল না। সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে সরকার পদ্ধতির পরিবর্তন আনা হয়। এই সংশোধনী অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে ৫ বছরের জন্য নির্বাচিত হবেন। তিনি ইচ্ছানুযায়ী উপরাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী এবং অন্যান্য সরকারি বিভাগের কর্মকর্তা নিয়োগ ও বরখাস্ত করতে পারবেন। এছাড়া বাংলাদেশের জন্য জাতীয়ভিত্তিক একটি রাজনৈতিক দল গঠনের কর্তৃত্বও রাষ্ট্রপতিকে দেয়া হয়।
ঘ উক্ত মহান নেতা হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতি বিভিন্ন কারণে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১-এর ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। ১৯৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর চ‚ড়ান্ত বিজয় অর্জনের পরও বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি ছিলেন। অবশেষে ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ১০ জানুয়ারি তিনি দেশে ফিরে আসেন। দেশে ফিরেই তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে মনোনিবেশ করেন। বঙ্গবন্ধু কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির এদেশে কৃষিব্যবস্থার উন্নয়নে বিশেষ মনোযোগ দেন। সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্তে¡ও বঙ্গবন্ধু মানবসম্পদের উন্নয়নে শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের মাত্র ছয় মাসের মধ্যে তিনি স্বাধীন দেশের উপযোগী শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলার কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এ লক্ষ্যে বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ড. মুহাম্মদ কুদরত-ই-খুদার নেতৃত্বে ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ২৬ জুলাই শিক্ষা কমিশন গঠন করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় ধ্বংসপ্রাপ্ত সকল ব্রিজ-সেতু জরুরি ভিত্তিতে পুনর্নির্মাণ শুরু হয়। এছাড়া সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রথম পাঁচসালা পরিকল্পনা প্রণয়ন ও কার্যকর করা হয়। বঙ্গবন্ধু মাত্র নয় মাসে দেশের জন্য একটি সংবিধান প্রণয়ন করেন। পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন। তার শাসনামলে বাংলাদেশ ১৩০টি রাষ্ট্রের স্বীকৃতি অর্জন করে এবং ১৪টি আন্তর্জাতিক সংগঠনের সদস্যপদ লাভ করে। মাত্র সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে বঙ্গবন্ধু স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার ভিত্তি নির্মাণে কৃতিত্বের পরিচয় দেন। বাংলাদেশের রূপকার এ মহান নেতাকে জাতি তাই শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে।
 মাস্টার ট্রেইনার প্রণীত সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ৫  বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন

‘ক’ একটি সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত দেশ। দেশটির শীর্ষ নেতা ‘খ’ বিদ্রোহের অভিযোগে যুদ্ধের সময় বন্দী হন। স্বাধীন হওয়ার পর মুক্তি পেয়ে ভিন্ন একটি দেশ হয়ে নিজ দেশে ফিরে আসেন। বিমানবন্দর থেকে একটি ময়দান পর্যন্ত লক্ষ লক্ষ জনতা উপস্থিত হয়ে তাকে অভ্যর্থনা জানায়। তিনি দেশে রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসনব্যবস্থা চালু করেন।
ক. বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস কবে? ১
খ. ধর্মনিরপেক্ষতা বলতে কী বোঝায়? ২
গ. উদ্দীপকের ঘটনাটি বাংলাদেশের কোন ঘটনার প্রতিফলন? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. শাসনসংক্রান্ত বিষয়ে উদ্দীপকের ‘খ’ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে ভিন্নতা রয়েছে Ñ বিশ্লেষণ কর। ৪

ক বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস ২৬ মার্চ।
খ ধর্মনিরপেক্ষতার অর্থ হলো সা¤প্রদায়িকতা পরিহার করা। কোনো ধর্মকে রাজনৈতিক মর্যাদা দান না করা। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মকে ব্যবহার করা যাবে না। রাষ্ট্র কোনো ধর্মকে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করবে না। প্রতিটি নাগরিকের ধর্মীয় অধিকার ও আচার-অনুষ্ঠান পালনের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেবে রাষ্ট্র। একেই ধর্মনিরপেক্ষতা বলা হয়।
গ উদ্দীপকের ঘটনাটি বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের প্রতিফলন। ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ১০ জানুয়ারি দেশে ফেরার আগে পাকিস্তান থেকে সরাসরি বঙ্গবন্ধুকে লন্ডন নিয়ে যাওয়া হয় পাকিস্তান বাহিনীর বিশেষ বিমানে। অতঃপর ব্রিটিশ রাজকীয় কমেট বিমানে দিল্লি হয়ে তিনি ঢাকায় আসেন। ঢাকায় মহান নেতাকে জানানো হয় অভ‚তপূর্ব অভিনন্দন। ভালোবাসায় সিক্ত হলেন বঙ্গবন্ধু। অবিসংবাদিত নেতার প্রতি জনগণের আবেগময় অভিনন্দন ছিল স্বতঃস্ফ‚র্ত। রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু তার বক্তৃতায় সদ্য স্বাধীন রাষ্ট্রের আশুকরণীয় ও নীতিনির্ধারণী বিষয়ে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। অনুরূপভাবে উদ্দীপকেও দেখা যায়, সদ্য স^াধীনতাপ্রাপ্ত ‘ক’ রাষ্ট্রের শীর্ষ নেতা ‘খ’ বঙ্গবন্ধুর মতো দেশের স্বাধীনতার জন্য দীর্ঘদিন কারাভোগের পর দেশে ফেরত আসেন। তিনিও বঙ্গবন্ধুর মতো জনগণের ভালোবাসায় সিক্ত হন। সুতরাং বলা যায়, উদ্দীপকের ঘটনাটি বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের প্রতিফলন।
ঘ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে সংসদীয় পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থা চালু করেন। কিন্তু উদ্দীপকের ‘খ’ তার ‘ক’ রাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসনব্যবস্থা চালু করেন। এতে উভয়ের, শাসনসংক্রান্ত বিষয়ে মতপার্থক্যের ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
সংসদীয় সরকার ব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রী থাকেন ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে এবং তাকে কেন্দ্র করেই শাসনব্যবস্থা পরিচালিত হয়। ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে স্বাধীনতা লাভের সময় শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি। কিন্তু যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলার উন্নয়ন এবং আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করে দেশের মর্যাদা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে তিনি দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র চালু করেন। তিনি প্রধান বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমের নিকট পদত্যাগ করে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন এবং বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী রাষ্ট্রপতি হন। কিন্তু উদ্দীপকে ভিন্ন প্রেক্ষাপট পরিলক্ষিত হয়। সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত রাষ্ট্রের নেতা ‘খ’ দেশটিতে রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসনব্যবস্থা চালু করেন। এ শাসনব্যবস্থায় রাষ্ট্রপতি সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী এবং তাকে কেন্দ্র করে শাসনব্যবস্থা পরিচালিত হয়। এ ধরনের শাসনব্যবস্থা বঙ্গবন্ধু কর্তৃক প্রণীত সংসদীয় শাসনব্যবস্থা থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। সুতরাং বলা যেতে পারে, শাসন সংক্রান্ত বিষয়ে বঙ্গবন্ধু ও ‘খ’-এর মতাদর্শের মধ্যে বৈসাদৃশ্য রয়েছে।

প্রশ্ন- ৬  যুদ্ধপরবর্তী দেশ পুনর্গঠন

‘ঢ’ দেশটি সদ্য স্বাধীন হয়েছে। প্রায় বছরখানেক যুদ্ধ করে দেশটি যখন স্বাধীন হয়, তখন সেদেশের রূপকার, সে দেশের জাতির পিতা ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন। যুদ্ধ বিধ্বস্ত সে দেশকে তিনি পিতার মতোই গড়ে তুলতে থাকেন। মাত্র সাড়ে তিন বছরে তিনি দেশটিকে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করিয়ে দেন।
ক. ঢাকা-লন্ডন রুটে প্রথম ফ্লাইট কত তারিখে চালু হয়? ১
খ. সড়ক, রেল ও বিমান যোগাযোগের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ভ‚মিকা কেমন ছিল? ২
গ. ‘ঢ’ দেশের মতো একটি দেশের স্বাধীনতা পরবর্তী দেশের সার্বিক অবস্থা ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. দেশ পুনর্গঠন ও পুনর্বাসন কার্যক্রমে উক্ত দেশের নেতার ভ‚মিকা ছিল অপরিসীম-তুমি কি এ বক্তব্যের সাথে একমত? তোমার মতামত উপস্থাপন কর। ৪

ক ঢাকা-লন্ডন রুটে প্রথম ফ্লাইট চালু হয় ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দের ১৮ জুন।
খ বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে মুক্তিযুদ্ধের সময় ধ্বংসপ্রাপ্ত সকল ব্রিজ-সেতু জরুরি ভিত্তিতে পুনর্নির্মাণ শুরু হয়। ১৯৭৪ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা একটি সন্তোষজনক অবস্থায় উন্নীত হয়। ঢাকা-আরিচা অভিমুখের বড় বড় সড়ক, সেতুগুলোসহ ৯৭টি নতুন সড়ক নির্মাণ করা হয়। হার্ডিং ব্রিজসহ ধ্বংসপ্রাপ্ত অন্যান্য রেলসেতুগুলোও চালু হয়। আন্তর্জাতিক উভয় রুটে বিমান চালু করা হয়।
গ উদ্দীপকে উল্লিখিত ‘ঢ’ দেশের মতোই বাংলাদেশ প্রায় নয় মাস যুদ্ধ করে স্বাধীনতা লাভ করে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন এবং সাড়ে তিন বছরে দেশকে সুসংহত অবস্থানে নিয়ে যান। তার সরকার প্রধানের দায়িত্বকালীন সময়ে দেশের সার্বিক অবস্থা ব্যাখ্যা করা হলো :
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ১২ জানুয়ারি সরকার প্রধানের দায়িত্ব নেওয়ার সময় বাংলাদেশের অবস্থা ছিল অত্যন্ত ভয়াবহ। এ সময় প্রশাসন, ভৌত অবকাঠামো সবকিছুই ছিল বিপর্যস্ত। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারত ও ভুটান ব্যতীত কোনো রাষ্ট্র বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়নি। ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর তাণ্ডবে সারা দেশে প্রায় ৪৩ লক্ষ বসতবাড়ি, ৩ হাজার অফিস ভবন, ১৮ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। প্রায় ২৭৪টি ছোট বড় সড়ক সেতু ও ৩০০টি রেল সেতু ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। ব্যাংকসমূহে রক্ষিত কাগজের নোটগুলো পুড়িয়ে দেওয়ায় ব্যাংক তহবিলশূন্য হয়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে পুনর্গঠন করেছিলেন।
ঘ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ পুনর্গঠন ও পুনর্বাসন কার্যক্রমে এক বিরাট ভ‚মিকা পালন করেছিলেন। এ বিষয়ে আমি একমত পোষণ করি। আমার মতামত উপস্থাপন করলাম। পুনর্বাসন ও পুনর্গঠনের কঠিন দায়িত্ব নিয়ে কাজ শুরু করে শেখ মুজিব সরকার। প্রশাসনিক কাঠামো ভেঙে পড়ায় রেডক্রস সোসাইটি এবং ত্রাণ ও পুনর্বাসন কমিটির মাধ্যমে জেলা থেকে গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়। ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের শুরুতে পুনর্বাসন কার্যক্রমের জন্য সরকারি হিসেবে মাসিকভিত্তিক এক চাহিদাপত্র তৈরি করা হয়। শেখ মুজিব সরকার প্রধান হিসেবে ১৪ জানুয়ারি ১৯৭২ প্রথম সংবাদ সম্মেলনে সরকারের জরুরি কর্ম পরকল্পনা উপস্থাপনের পাশাপাশি বিশ্বের সকল রাষ্ট্র, স্বাধীনতাপ্রিয় মানুষ ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে উদারহস্তে সাহায্য প্রদানের আহŸান জানান। তিনি বিজ্ঞানী ড. মুহাম্মদ কুদরত-ই খুদার নেতৃত্বে ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ২৬ জুলাই শিক্ষা কমিশন গঠন করেন। শিক্ষার উন্নয়নের জন্য ৯০০ কলেজ ভবন ও ৪০০ হাইস্কুল পুনর্নিমাণ করেন। ১ লক্ষ ৬৫ হাজার শিক্ষকের চাকরি সরকারীকরণ করা হয়। তিনি যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নকল্পে অনেক সড়ক ও সেতু নির্মাণ করেন। আকাশ পথে পরিবহন ব্যবস্থা উন্নয়নকল্পে ঢাকা থেকে অনেক আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষির উন্নয়নকল্পে ২৫ বিঘা পর্যন্ত জমির খাজনা মওকুফ করেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠন, দারিদ্র্য হ্রাস করার জন্য প্রবৃদ্ধি হার ৩% থেকে ৫.৫%-এ উন্নীত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। আলোচনা থেকে বলা যায়, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান অপরিসীম।

প্রশ্ন- ৭  যুদ্ধপরবর্তী দেখা পুনর্গঠন ও সংবিধান প্রণয়ন

স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত এদেশের পুনর্বাসন ও পুনর্গঠনের কঠিন দায়িত্ব নিয়ে তিনি কাজ শুরু করেন। কিন্তু নিষ্ঠুর নিয়তির কী নির্মম পরিহাস! ‘আমাকে কোনো বাঙালি মারবে না’- যে মানুষটি গর্ব করে এই কথাটি বলতেন তাকেই কি না নির্মমভাবে হত্যা করা হলো সপরিবারে।
ক. অস্থায়ী সংবিধান আদেশ জারি হয় কত তারিখে? ১
খ. সংসদীয় পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থা সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখ। ২
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত অবস্থার প্রেক্ষিতে যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে গৃহীত পদক্ষেপগুলো ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উক্ত সময়ে জাতি পেয়েছিল একটি সুন্দর সংবিধান তুমি কি এই বক্তব্যের সাথে একমত? তোমার মতের পক্ষে যুক্তি দাও। ৪

ক অস্থায়ী সংবিধান আদেশ জারি হয় ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ১১ জানুয়ারিতে।
খ মুক্তিযুদ্ধের সূচনালগ্নে গঠিত বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রপতি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কিন্তু বাংলাদেশের সরকার ব্যবস্থার ধরন কী হবে, এ সম্পর্কে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পরদিনই ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ১১ জানুয়ারি শেখ মুজিবুর রহমান মন্ত্রিসভায় দীর্ঘ আলোচনার পর অস্থায়ী আদেশ জারি করে দেশে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন।
গ উদ্দীপকে বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনকাল উল্লিখিত হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে তার সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ ছিল প্রশংসনীয়। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের সময় ধ্বংসপ্রাপ্ত সকল ব্রিজ-সেতু জরুরি ভিত্তিতে পুনর্নির্মাণ শুরু হয়। ১৯৭৪ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা একটি সন্তোষজনক অবস্থায় উন্নীত হয়। ঢাকা-আরচা সহকের বড় বড় সড়ক সেতুগুলোসহ ৯৭টি নতুন সড়ক সেতু নির্মাণ করা হয়। হার্ডিং ব্রিজসহ ধ্বংসপ্রাপ্ত অন্যান্য রেল সেতুগুলোও চালু হয়। যমুনা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। বিমান যোগাযোগের ওপরও গুরুত্বারোপ করা হয়। অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটে বিমান চালু, তেজগাঁও বিমানবন্দরকে ব্যবহার উপযোগী করার কাজ দ্রæত সম্পাদন করা হয়। ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ৭ মার্চের মধ্যে ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম, সিলেট, যশোর ও কুমিল্লার বিমান যোগাযোগ কার্যকর হয়। ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দের ১৮ জুন প্রথম ঢাকা লন্ডন রুটে ফ্লাইট চালু হয়।
ঘ উক্ত সময়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে নবপ্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের জন্য একটি সুন্দর সংবিধান প্রণয়ন করা হয়। এ বিষয়ে আমি একমত । বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সরকার ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ মার্চ গণপরিষদে আদেশ জারি করেন। ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দের নির্বাচনে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান থেকে নির্বাচিত জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যদের নিয়ে গণপরিষদ গঠন করা হয়। গণপরিষদের এই আদেশ ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ২৬ মার্চ থেকে কার্যকর করা হয়। এই আদেশ জারির মধ্য দিয়ে সংবিধান প্রণয়নের আনুষ্ঠানিক কাজ শুরু হয়। আওয়ামী লীগ পার্লামেন্টারি পার্টি বঙ্গবন্ধুকে গণপরিষদের নেতা নির্বাচন করে। গণপরিষদের প্রথম অধিবেশনে দ্রæততার সাথে সংবিধান খসড়া প্রণয়নের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়। ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে এই সংবিধান খসড়া কমিটি ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ১১ অক্টোবর তাদের কাজ সম্পন্ন করেন। এই খসড়া সংবিধান দীর্ঘ আলোচনার পর ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ৪ নভেম্বর গণপরিষদে পাস হয়। ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ ডিসেম্বর প্রথম বিজয় দিবসে সংবিধান গৃহীত হয়। দেশ পরিচালনার জন্য বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে পরিচালিত সরকারের মাধ্যমে জাতিকে একটি সুন্দর সংবিধান উপহার দিয়েছিলেন।
প্রশ্ন- ৮  বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নের পটভ‚মি

সদ্য স্বাধীন হওয়া একটি দেশের জন্য ড. মাহমুদ হাসান একটি সংবিধান প্রণয়ন করেন। এতে ছিল একটি প্রস্তাবনা, ১১টি ভাগ, ১৫৩টি অনুচ্ছেদ এবং ৪টি তফসিল। ষষ্ঠ ভাগে ছিল বিচার বিভাগ। সপ্তম ভাগে নির্বাচন, অষ্টম ভাগে মহাহিসাব নিরীক্ষা ও নিয়ন্ত্রক।
ক. চতুর্থ সংশোধনীর প্রধান বিষয় কী ছিল? ১
খ. বঙ্গবন্ধুর কৃষি উন্নয়নের ব্যাখ্যা দাও। ২
গ. উদ্দীপকে যে সংবিধানের প্রতিচ্ছবি প্রকাশিত হয়েছে তার পটভ‚মি ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ড. মাহমুদ হাসানের সংবিধানের বৈশিষ্ট্য ছিল ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের বাংলাদেশের সংবিধানের অনুরূপ- বিশ্লেষণ কর। ৪

ক চতুর্থ সংশোধনীর প্রধান বিষয় ছিল সরকার পদ্ধতির পরিবর্তন।
খ স্বাধীনতার পর পর বাংলাদেশের শতকরা ৮৫ ভাগ জনগণের জীবিকা ছিল কৃষির ওপর নির্ভরশীল। জাতীয় আয়ের অর্ধেকেরও বেশি আসত কৃষিখাত থেকে। তাই বঙ্গবন্ধু কৃষিব্যবস্থার উন্নয়নে বিশেষ মনোযোগ দিয়েছিলেন। যেমন :
১. ২৫ বিঘা পর্যন্ত জমির খাজনা মওকুফসহ পূর্বের সমস্ত বকেয়া খাজনা মওকুফ করে দেন।
২. একটি পরিবারের জন্য সর্বাধিক ১০০ বিঘা পর্যন্ত জমির মালিকানা নির্ধারণ করেন।
৩. বাইশ লাখের অধিক কৃষক পরিবার পুনর্বাসন করা হয়।
গ উদ্দীপকে ৭২-এর সংবিধানের প্রতিচ্ছবি প্রকাশিত হয়েছে। উদ্দীপকে বর্ণিত সদ্য স্বাধীন হওয়া দেশের সংবিধানে একটি প্রস্তাবনা, ১১টি ভাগ, ১৫৩টি অনুচ্ছেদ এবং ৪টি তফসিল ছিল। এছাড়া ষষ্ঠ ভাগে ছিল বিচার বিভাগ, সপ্তম ভাগে নির্বাচন এবং অষ্টম ভাগে মহাহিসাব নিরীক্ষা ও নিয়ন্ত্রক যা ’৭২-এর সংবিধানের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। ৭২-এর সংবিধানের পটভ‚মি ব্যাখ্যা করা হলো। বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্যে সরকার ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ মার্চ ‘গণপরিষদ আদেশ’ জারি করে। বাংলাদেশের জন্য সংবিধান প্রণয়নই ছিল গণপরিষদের একমাত্র কাজ। এই আদেশটি ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ২৬ মার্চ থেকে কার্যকর করা হয়। এই আদেশ জারির মধ্য দিয়ে সংবিধান প্রণয়নের আনুষ্ঠানিক কাজ শুরু হয়। আওয়ামী লীগ পার্লামেন্টারি পার্টি বঙ্গবন্ধুকে গণপরিষদের দলীয় নেতা নির্বাচন করে। গণপরিষদের প্রথম অধিবেশন বসে ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ১০ এপ্রিল। বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় গণপরিষদের প্রথম স্পিকার নির্বাচিত হন শাহ আবদুল হামিদ এবং ডেপুটি স্পিকার পদে নির্বাচিত হন মোহাম্মদ উল্লাহ। দ্রæততম সময়ের মধ্যে সংবিধানের খসড়া প্রণয়নের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়। ড. কামাল হোসেন এই কমিটির আহŸায়কের দায়িত্ব পালন করেন। কমিটির সদস্যসংখ্যা ছিল ৩৪। খসড়া সংবিধান ১৯৭২-এর ১১ অক্টোবরের মধ্যে কমিটি চ‚ড়ান্তভাবে প্রণয়ন শেষ করে। ১৯ শে অক্টোবর থেকে সংবিধান বিল সম্পর্কে গণপরিষদ সাধারণ আলোচনা শুরু হয়। দীর্ঘ সময় ধরে আলাপ-আলোচনার পর ১৯৭২ এর ৪ নভেম্বর সংবিধান বিল গণপরিষদে পাস হয়। ৭২ এর ১৬ ডিসেম্বর প্রথম বিজয় দিবসে সংবিধান কার্যকর হয়।
ঘ ড. মাহমুদ হাসানের সংবিধানের বৈশিষ্ট্য ছিল ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের বাংলাদেশের সংবিধানের অনুরূপ। ৭২-এর সংবিধান ছিল একটি লিখিত দলিল। বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় সংবিধান রচিত হয়। তবে, বাংলাকে মূল ভাষা হিসেবে গ্রহণ করা হয়। এই সংবিধানে একটি প্রস্তাবনা, ১১টি ভাগ, ১৫৩টি অনুচ্ছেদ এবং ৪টি তফসিল ছিল। সংবিধানের প্রথম ভাগে প্রজাতন্ত্রের বৈশিষ্ট্যসমূহ, দ্বিতীয় ভাগে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিসমূহ, তৃতীয় ভাগে মৌলিক অধিকারসমূহ, চতুর্থ ভাগে নির্বাহী বিভাগ, পঞ্চম ভাগে জাতীয় সংসদ, ষষ্ঠ ভাগে বিচার বিভাগ, সপ্তম ভাগে নির্বাচন, অষ্টম ভাগে মহাহিসাব নিরীক্ষণ ও নিয়ন্ত্রক, নবম ভাগে কর্মকমিশন, দশম ভাগে সংবিধান সংশোধন ও একাদশ ভাগে বিবিধ বিষয়াবলি আলোচনা করা হয়েছে। ৭২-এর সংবিধানের বৈশিষ্ট্যের সাথে ড. মাহমুদ হাসানের সংবিধানের বৈশিষ্ট্য তুলনা করলে দেখা যায়, এ সংবিধানেও একটি প্রস্তাবনা, ১১টি ভাগ, ১৫৩টি অনুচ্ছেদ এবং ৪টি তফসিল ছিল। ষষ্ঠ ভাগে ছিল বিচার বিভাগ, সপ্তম ভাগে নির্বাচন, অষ্টম ভাগে মহাহিসাব নিরীক্ষা ও নিয়ন্ত্রক। সুতরাং বলা যায়, ড. মাহমুদ হাসানের সংবিধানের বৈশিষ্ট্য ছিল ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের বাংলাদেশের সংবিধানের অনুরূপ।

প্রশ্ন- ৯  ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ড

‘ণ’ এর নির্মম হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে দেশের রাজনীতিতে চরম নৈরাজ্যকর অবস্থা সৃষ্টি হয়। খুনিচক্রের সহায়তায় রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে তারই এক সময়ের সহযোগী। অবৈধ ক্ষমতাকে স্থায়ী করার জন্য তিনি প্রথম স্বাধীন দেশে সামরিক আইন জারি করেন।
ক. কত তারিখে প্রথম পাঁচসালা পরিকল্পনা কার্যকর হয়? ১
খ. কৃষির উন্নয়নে শেখ মুজিবুর রহমানের কাজগুলো ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের ‘ণ’ এর সাথে বাংলাদেশের কোন নেতার হত্যাকাণ্ডের মিল রয়েছে? হত্যার ঘটনা ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উক্ত নেতার কৃতিত্ব বিশ্লেষণ কর। ৪

ক ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দের ১ জুলাই প্রথম পাঁচসালা পরিকল্পনা কার্যকর হয়।
খ বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন করার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কৃষির উন্নয়নের জন্য কতগুলো ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। তার কাজগুলো হলো : ক. ২৫ বিঘা পর্যন্ত জমির খাজনা মওকুফসহ পূর্বের সমস্ত বকেয়া খাজনা মওকুফ করে দেন। খ. একটি পরিবারের জন্য সর্বাধিক ১০০ বিঘা পর্যন্ত জমির মালিকানা নির্ধারণ করেন। গ. বাইশ লাখের অধিক কৃষক পরিবারের পুনর্বাসন করা হয়।
গ উদ্দীপকের ‘ণ’ এর সাথে বাংলাদেশের মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের মিল রয়েছে। ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের ইতিহাসে কলঙ্কময় একটি দিন। এ দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের আঠারো জন সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। পর্দার আড়ালে ছিল সামরিক, বেসামরিক ষড়যন্ত্রকারীরা। বঙ্গবন্ধু সপরিবারে ঘুমিয়ে ছিলেন ধানমন্ডির ৩২নং সড়কের ৬৭৭নং বাড়িতে। ঘাতকের দল ট্যাংক, কামান, স্টেনগানসহ অত্যাধুনিক মারণাস্ত্র নিয়ে আনুমানিক ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে আক্রমণ করে। তারা স্টেনগান দিয়ে বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে আক্রমণ করে। তারা স্টেনগান দিয়ে বঙ্গবন্ধুর বুকে গুলি করে তাকে হত্যা করে। অতঃপর দেশের রাজনীতিতে চরম নৈরাজ্যের সৃষ্টি হয়। এক সময় বঙ্গবন্ধুর সাথে রাজনীতি করা বিশ্বাসঘাতক খন্দকার মোশতাক ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে সামরিক আইন জারি করেন।
ঘ উদ্দীপকের মহান নেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা বলা হয়েছে। তিনি অসীম কৃতিত্বের অধিকারী। তিনি ছিলেন সাংগঠনিকভাবে দক্ষ, রাজনৈতিকভাবে দূরদর্শী, বীরত্বে গাঁথা নেতৃত্ব ইত্যাদি। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কৃতিত্ব বা অবদান অনেক। তিনি ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের মাধ্যমে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বৃদ্ধি করেন। ২৬ মার্চ তিনি এদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ২৭ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনী তাঁকে ধরে নিয়ে যায়। ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ১০ জানুয়ারি দেশে প্রত্যাবর্তন করেন। দেশে প্রত্যাবর্তন করে তিনি যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠন, নবীন রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের অন্যান্য রাষ্ট্রের স্বীকৃতি আদায়ের জন্য কাজ করেন। ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ১১ জানুয়ারি তিনি দেশে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন। তিনি কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়নে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন। তাঁর নেতৃত্বে দেশে সংবিধান প্রণয়ন করা হয়। নবগঠিত স্বাধীন বাংলাদেশ পুনর্গঠনে বঙ্গবন্ধুর কৃতিত্ব অপরিসীম।
 অনুশীলনমূলক কাজের আলোকে সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১০  স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের অবস্থা

যুদ্ধের আগে মাধবনগরের খাঁ পরিবারের বিরাট খ্যাতি ছিল। কিন্তু যুদ্ধে পাকবাহিনীকে সহায়তা না করায় হানাদার বাহিনী তার বাড়িঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, ফসল সবকিছু পুড়িয়ে দেয়। যুদ্ধের পর তাদের হাতে সামান্যতম টাকাও ছিল না। গোটা দেশের অবস্থাও খাঁ পরিবারের মতোই ছিল।
ক. বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি কয়টি? ১
খ. ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ মার্চ ‘গণপরিষদ আদেশ’ জারি করা হয় কেন? ২
গ. উদ্দীপকের খাঁ পরিবারের সাথে যুদ্ধ পরবর্তী বাংলার সাদৃশ্য ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকের খাঁ পরিবারের মতো সমগ্র বাংলাতে পাকবাহিনী ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছিল বিশ্লেষণ কর। ৪

ক বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি চারটি।
খ বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্যে ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ মার্চ গণপরিষদ আদেশ জারি করা হয়। সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন জরুরি ছিল। বাংলাদেশের জন্য সংবিধান প্রণয়ন করাই ছিল গণপরিষদের একমাত্র কাজ। ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের১১ অক্টোবর সংবিধানের খসড়া প্রণীত হয় এবং ৪ নভেম্বর তা গণপরিষদে বিল আকারে পাস হয়। ১৬ ডিসেম্বর তা কার্যকর করা হয়।
গ পাকবাহিনী কর্তৃক ধ্বংসযজ্ঞের শিকার হওয়ার দিক থেকে উদ্দীপকের খাঁ পরিবারের সাথে যুদ্ধ পরবর্তী বাংলার সাদৃশ্য রয়েছে। স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশের অবস্থা ছিল ভয়াবহ। আক্ষরিক অর্থে শূন্য হাতে যাত্রা শুরু করে বঙ্গবন্ধু সরকার। পাকিস্তান বাহিনীর ‘পোড়ামাটি’ নীতির কারণে বাংলাদেশ ভ‚খণ্ড এক বিধ্বস্ত জনপদে পরিণত হয়। প্রশাসন, ভৌত অবকাঠামো সবকিছুই ছিল বিপর্যস্ত। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারত ও ভুটান ব্যতীত কোনো রাষ্ট্র বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়নি। সামগ্রিকভাবে পরিস্থিতি ছিল অত্যন্ত হতাশাজনক। বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারবে কি না সে বিষয়ে সংশয় দেখা দেয়। অনুরূপভাবে উদ্দীপকের খাঁ পরিবারের অস্তিত্বও বিপন্ন হয়েছিল। এদিক থেকে তাদের মধ্যে সাদৃশ্য আছে।
ঘ উদ্দীপকের খাঁ পরিবারের মতো সমগ্র বাংলাতে পাকবাহিনী ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছিল। ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের মুক্তিযুদ্ধে খাঁ পরিবার যেমন ধ্বংসযজ্ঞের শিকার হয়েছিল তেমনি সমগ্র বাংলাদেশ শ্মশানে পরিণত হয়েছিল। নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর, আলশামস গণহত্যা ও নারী নির্যাতনের পাশাপাশি সম্পদ বিনষ্টের এক ধ্বংসলীলায় মেতে উঠেছিল। সারাদেশে প্রায় ৪৩ লাখ বসতবাড়ি, ৩ হাজার অফিস ভবন, ১৮ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৬ হাজার হাইস্কুল ও মাদরাসা, ৯শত কলেজ ভবন ও ১৯ হাজার গ্রামীণ হাট-বাজার জ্বালিয়ে দেয়। পরিকল্পিতভাবেই পাকিস্তানি বাহিনী যোগাযোগ ব্যবস্থাও ধ্বংস করে দেয়। ২৭৪টি ছোট-বড় সড়ক সেতু ও ৩০০টি রেল সেতু ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। রেলওয়ে ইঞ্জিন, বগি ও রেল লাইনেরও ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। মাইন পুঁতে রাখার কারণে নৌবন্দরগুলো ব্যবহার করা সম্ভব হয়নি। চ‚ড়ান্ত পরাজয়ের আগে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ব্যাংকসমূহে রক্ষিত কাগজের নোটগুলো জ্বালিয়ে দেয়। গচ্ছিত স্বর্ণ লুট করে নিয়ে যায়। ফলে ব্যাংক তহবিল শূন্য হয়ে পড়ে।

প্রশ্ন- ১১  ৭২’ সংবিধানের বৈশিষ্ট্য

সৌমেন স্যার ক্লাসে সুমিতকে ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের সংবিধানের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো লিখতে বললেন। সুমিত ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের সংবিধানের পাঁচটি বৈশিষ্ট্য লিখতে পেরেছিল। যথা :
১. গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশে সর্বোচ্চ আইন হলো সংবিধান।
২. জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা হলো রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি।
৩. সংবিধানে মৌলিক অধিকারসমূহকে অলঙ্ঘনীয় ও পবিত্র বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
৪. এই সংবিধানটি ছিল দুষ্পরিবর্তনীয়।
৫. এ সংবিধানে এক কক্ষবিশিষ্ট আইন পরিষদের ব্যবস্থা করা হয়।
ক. কার নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম শিক্ষা কমিশন গঠন করা হয়? ১
খ. বঙ্গবন্ধু কর্তৃক গৃহীত সদ্য স্বাধীন রাষ্ট্রের আশুকরণীয় নীতিগুলো ব্যাখ্যা কর। ২
গ. সুমিতের উল্লিখিত ২নং বৈশিষ্ট্যটি ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. তুমি কি মনে কর সুমিতের উল্লিখিত বৈশিষ্ট্যগুলো ছাড়া ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের সংবিধানের আরো কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে? মতামত দাও। ৪

ক ড. মুহাম্মদ কুদরত-ই-খুদার নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম শিক্ষা কমিশন গঠন করা হয়।
খ ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনী ও এদেশীয় দোসরদের লুটতরাজে ধ্বংসপ্রাপ্ত যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে বঙ্গবন্ধু অন্যতম ভ‚মিকা পালন করেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠন ও নবীন রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের অন্যান্য রাষ্ট্রের স্বীকৃতি আদায়ে সচেষ্ট হন। আদর্শ রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তোলার জন্য তিনি গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতাকে রাষ্ট্রের ভিত্তি হিসেবে নির্ধারণ করেন।
গ সৌমেন স্যারের দেওয়া কাজ সম্পন্ন করতে গিয়ে সুমিত ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের সংবিধানের বৈশিষ্ট্যগুলো তুলে ধরে। তার তৈরি করা ২নং বৈশিষ্ট্যটি ‘রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি’ সম্পর্কে ব্যাখ্যা করা হলো। সংবিধানের প্রস্তাবনায় চারটি আদর্শকে গ্রহণ করা হয় রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি হিসেবে। এ প্রসঙ্গে সংবিধানে উল্লেখ করা হয়- যে সকল মহান আদর্শ আমাদের বীর জনগণকে জাতীয় মুক্তি সংগ্রামে আত্মনিয়োগ ও বীর শহিদদেরকে প্রাণোৎসর্গ করতে উদ্বুদ্ধ করেছিল জাতীয়বাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা- সেই সকল আদর্শ এই সংবিধানের মূলনীতি হবে।’ সংবিধানের চারটি মূলনীতি নির্ধারণ করা হয় জনগণের স্বাধীনতা রক্ষা ও সার্বিক কল্যাণের জন্য।
ঘ উদ্দীপকে সুমিত ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের সংবিধানের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করতে গিয়ে ৫টি বৈশিষ্ট্যের উল্লেখ করেছে। এছাড়াও ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের সংবিধানে আরও কিছু বৈশিষ্ট্য ছিল। যথা :
১. এককেন্দ্রিক সরকার : এই সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশে এককেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়।
২. মন্ত্রিপরিষদ শাসিত সরকার : সংবিধানে মন্ত্রিপরিষদ শাসিত সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এই ব্যবস্থায় মন্ত্রিপরিষদকে সংসদের নিকট দায়ী থাকতে হয়। রাষ্ট্রপতি শাসনতান্ত্রিক প্রধান তবে রাষ্ট্রের সকল নির্বাহী ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার ওপর ন্যস্ত ছিল। রাষ্ট্রপতি নামমাত্র প্রধান।
৩. স্বাধীন বিচার বিভাগ : সংবিধানে একটি স্বাধীন নিরপেক্ষ বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠার উল্লেখ আছে। নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগকে পৃথকের মাধ্যমে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করবে রাষ্ট্র। সংবিধানের বিধানাবলি অনুযায়ী প্রধান বিচারপতি এবং অন্যান্য বিচারপতি স্বাধীনভাবে বিচারকাজ পরিচালনা করবেন।
৪. সা¤প্রদায়িক রাজনীতি নিষিদ্ধ : সংবিধানের মূলনীতির সাথে মিল রেখে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়। ধর্মের নামে কেউ যাতে বিভেদ তৈরি করতে না পারে।
সুতরাং বলা যায়, ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের সংবিধানের যেসব বৈশিষ্ট্য উদ্দীপকে সুমিত উল্লেখ করেছিল তা যথেষ্ট নয়। উক্ত সংবিধানের আরো কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আমি এ বিষয়ে সম্পূর্ণ একমত।

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন \ ১ \ মুক্তিযুদ্ধে কতটি রেল সেতু ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়?
উত্তর : মুক্তিযুদ্ধে ৩০০টি রেল সেতু ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়।
প্রশ্ন \ ২ \ ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের কত জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে আসেন?
উত্তর : ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে আসেন।
প্রশ্ন \ ৩ \ ‘বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ’ (বাকশাল) কবে গঠন করা হয়?
উত্তর : বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের ২৪ ফেব্র“য়ারি গঠন করা হয়।
প্রশ্ন \ ৪ \ বাংলাদেশের প্রথম সাধারণ নির্বাচনে সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) কতটি আসন লাভ করে?
উত্তর : বাংলাদেশের প্রথম সাধারণ নির্বাচনে সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ২টি আসন লাভ করে।
প্রশ্ন \ ৫ \ বাংলাদেশের প্রথম সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কতটি আসন লাভ করে?
উত্তর : বাংলাদেশের প্রথম সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৩০৬টি আসন লাভ করে।
প্রশ্ন \ ৬ \ ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের কত জানুয়ারি দেশে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার পদ্ধতির প্রবর্তন করা হয়?
উত্তর : ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ জানুয়ারি দেশে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার পদ্ধতির প্রবর্তন করা হয়।
প্রশ্ন \ ৭ \ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দের কত মার্চ নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত হয়।
উত্তর : বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ মার্চ নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত হয়?
প্রশ্ন \ ৮ \ ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতার অর্থ কী ছিল?
উত্তর : সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতার অর্থ ছিল সা¤প্রদায়িকতা পরিহার করা।
প্রশ্ন \ ৯ \ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলিল কী?
উত্তর : গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলিল হচ্ছে বাংলাদেশের সংবিধান।
প্রশ্ন \ ১০ \ ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের কত মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করেন?
উত্তর : ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
প্রশ্ন \ ১১ \ কত খ্রিষ্টাব্দে ১৬ ডিসেম্বর সংবিধান কার্যকর হয়?
উত্তর : ১৯৭২ ১৬ ডিসেম্বর সংবিধান কার্যকর হয়।
প্রশ্ন \ ১২ \ ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের কত নভেম্বর সংবিধান বিল গণপরিষদে পাস হয়?
উত্তর : ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ৪ নভেম্বর সংবিধান বিল গণপরিষদে পাস হয়।
প্রশ্ন \ ১৩ \ ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের কত অক্টোবর খসড়া সংবিধান চ‚ড়ান্তভাবে প্রণয়ন শেষ হয়?
উত্তর : ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ১১ অক্টোবর কমিটি খসড়া সংবিধান চ‚ড়ান্তভাবে প্রণয়ন শেষ হয়।
প্রশ্ন \ ১৪ \ সংবিধানের খসড়া প্রণয়ন কমিটির সদস্য সংখ্যা কত ছিল?
উত্তর : সংবিধানের খসড়া প্রণয়ন কমিটির সদস্য সংখ্যা ছিল ৩৪ জন।
প্রশ্ন \ ১৫ \ সংবিধানে খসড়া প্রণয়ন কমিটির আহŸায়কের দায়িত্ব পালন করেন কে?
উত্তর : সংবিধানে খসড়া প্রণয়ন কমিটির আহŸায়কের দায়িত্ব পালন করেন ড. কামাল হোসেন।
প্রশ্ন \ ১৬ \ গণপরিষদের প্রথম ডেপুটি স্পিকারের নাম কী?
উত্তর : গণপরিষদের প্রথম ডেপুটি স্পিকারের নাম মোহাম্মদ উল­াহ।
প্রশ্ন \ ১৭ \ গণপরিষদের প্রথম স্পিকারের নাম কী?
উত্তর : গণপরিষদের প্রথম স্পিকারের নাম শাহ আবদুল হামিদ।
প্রশ্ন \ ১৮ \ গণপরিষদের প্রথম অধিবেশন কখন বসে?
উত্তর : গণপরিষদের প্রথম অধিবেশন ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ১০ এপ্রিল।
প্রশ্ন \ ১৯ \ গণপরিষদের একমাত্র কাজ কী ছিল?
উত্তর : গণপরিষদের একমাত্র কাজ ছিল বাংলাদেশের জন্য সংবিধান প্রণয়ন।
প্রশ্ন \ ২০ \ ভারত ও পাকিস্তান কত খ্রিষ্টাব্দে স্বাধীনতা অর্জন করে?
উত্তর : ভারত ও পাকিস্তান ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে স্বাধীনতা অর্জন করে।
প্রশ্ন \ ২১ \ কত খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশ সরকার পরিকল্পনা কমিশন গঠন করে?
উত্তর : ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশ সরকার পরিকল্পনা কমিশন গঠন করে।
প্রশ্ন \ ২২ \ ঢাকা-লন্ডন রুটে কত খ্রিষ্টাব্দের ১৮ জুন প্রথম ফ্লাইট চালু করা হয়?
উত্তর : ঢাকা-লন্ডন রুটে ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দের ১৮ জুন প্রথম ফ্লাইট চালু করা হয়।
প্রশ্ন \ ২৩ \ কত খ্রিষ্টাব্দে যমুনা সেতুর প্রাথমিক সম্ভাব্য প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়?
উত্তর : ১৯৭৪ খ্রিষ্টাব্দে যমুনা সেতুর প্রাথমিক সম্ভাব্য প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়।
প্রশ্ন \ ২৪ \ ১৯৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর চ‚ড়ান্ত বিজয় অর্জনের পরও বঙ্গবন্ধু কোথায় বন্দি ছিলেন?
উত্তর : ১৯৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর চ‚ড়ান্ত বিজয় অর্জনের পরেও বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী ছিলেন।
প্রশ্ন \ ২৫ \ স্বাধীনতার পরে বাংলাদেশের শতকরা কতভাগ জনগণের জীবিকা ছিল কৃষির ওপর নির্ভরশীল?
উত্তর : স্বাধীনতার পরে বাংলাদেশের শতকরা ৮৫ ভাগ জনগণের জীবিকা কৃষির ওপর নির্ভরশীল ছিল।

 অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন \ ১ \ কৃষিব্যবস্থার উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু বিশেষ মনোযোগ দিয়েছিলেন কেন?
উত্তর : বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ কৃষির সাথে জড়িত হওয়ায় বঙ্গবন্ধু কৃষির উন্নয়নে বিশেষ মনোযোগ দিয়েছিলেন। যুদ্ধের পর দেশের ৮৫ ভাগ লোক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কৃষির ওপর নির্ভরশীল ছিল। এমতাবস্থায় বঙ্গবন্ধু অনুধাবন করেছিলেন কৃষির উন্নয়ন ছাড়া যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলায় পুনর্বাসন ও উন্নয়ন অসম্ভব। তাই তিনি কৃষির উন্নয়নে কতিপয় উদ্যোগ নিয়েছিলেন।
প্রশ্ন \ ২ \ প্রথম পাঁচসালা পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছিল কেন?
উত্তর : যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনর্বাসন এবং দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নের জন্য বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন সরকার ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে প্রথম পাঁচসালা পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছিলেন। মূলত যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের অর্থনীতি ও অবকাঠামো পুনর্গঠন, দারিদ্র্য হ্রাস, প্রবৃদ্ধির হার ৩% থেকে ৫.৫% এ উন্নীত করা, খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের জন্য প্রথম পাঁচসালা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছিল।
প্রশ্ন \ ৩ \ ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের সংবিধানে সমাজতন্ত্রকে মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করা হয় কেন?
উত্তর : বঙ্গবন্ধু সবসময় সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির কথা ভাবতেন। স্বাধীনতার পর দেশের মানুষের স্বপ্ন ছিল সামাজিক-অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে মৌলিক চাহিদা পূরণে রাষ্ট্র প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। তাই ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের সংবিধানে সমাজতন্ত্রকে মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করা হয়।
প্রশ্ন \ ৪ \ মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে শিক্ষার উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু কিরূপ পদক্ষেপ নিয়েছিলেন? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে শিক্ষার উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু এগিয়ে এসেছিলেন। শিক্ষাক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু জরুরি ভিত্তিতে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তিনি ৯০০ কলেজ ভবন ও ৪০০ হাইস্কুল পুনর্নির্মাণ করেন। প্রথমবারের মতো সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সরকারিকরণ করেন। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে স্বায়ত্তশাসন প্রদানের জন্য জাতীয় সংসদে ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দে বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস করেন।
প্রশ্ন \ ৫ \ খন্দকার মোশতাক কীভাবে ক্ষমতা দখল করেন?
উত্তর : বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে চরম নৈরাজ্যকর অবস্থা সৃষ্টি হয়। খুনিচক্রের সহায়তায় রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেন খন্দকার মোশতাক আহমদ। অবৈধ ক্ষমতাকে স্থায়ী করার জন্য তিনি প্রথম স্বাধীন দেশে সামরিক আইন জারি করেন।
প্রশ্ন \ ৬ \ ৭২-এর সংবিধানে কোন ধরনের সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ৭২-এর সংবিধানে মন্ত্রিপরিষদ শাসিত সরকারব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এই ব্যবস্থায় মন্ত্রিপরিষদকে সংসদের নিকট দায়ী থাকতে হয়। রাষ্ট্রপতি শাসনতান্ত্রিক প্রধান তবে রাষ্ট্রের সকল নির্বাহী ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার ওপর ন্যস্ত ছিল।
প্রশ্ন \ ৭ \ বাংলাদেশের প্রথম সাধারণ নির্বাচন সম্পর্কে ধারণা দাও।
উত্তর : স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দের ৭ মার্চ। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করে। জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনসহ ৩১৫টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৩০৬, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ২, বাংলাদেশ জাতীয় লীগ ১ এবং স্বতন্ত্র সদস্যরা ৭ আসনে জয়লাভ করেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ মার্চ নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত হয়।

 

 

Leave a Reply