সপ্তম শ্রেণির আনন্দ পাঠ বিচার নেই

বিচার নেই
আমীরুল ইসলাম

 গল্পটি পড়ে জানতে পারব
 ন্যায়বিচারের ধারণা
 মানুষের শুভবোধের জাগরণের স্বরূপ
 লেখক পরিচিতি
নাম আমীরুল ইসলাম।
জন্ম পরিচয় জন্ম তারিখ : ৭ই এপ্রিল, ১৯৬৪ খ্রিষ্টাব্দ।
জন্মস্থান : ঢাকা।
পিতৃ ও মাতৃ পরিচয় পিতার নাম : সাইফুর রহমান।
মাতার নাম : আনজিরা খাতুন।
শিক্ষাজীবন এসএসসি (১৯৭৯), ওয়েস্ট অ্যান্ড হাই স্কুল, ঢাকা।
এইচএসসি (১৯৮১), ঢাকা কলেজ।
স্নাতক ডিগ্রি (১৯৮৫), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
কর্মজীবন/পেশা সাংবাদিকতা।
সাহিত্য সাধনা ছড়াগ্রন্থ : খামখেয়ালি (১৯৮৪), যাচ্ছেতাই (১৯৮৭), রাজাকারের ছড়া (১৯৯০), আমার ছড়া (১৯৯২), বিলাই (১৯৯৭), বীর বাঙালির ছড়া (১৯৯৭), চাঁদ উঠেছে ফুল ফুটেছে (১৯৯৭)।
গল্পগ্রন্থ : আমি সাতটা (১৯৮৫), এক যে ছিল (১৯৮৬), দশ রকম দশটা (১৯৮৯), সার্কাসের বাঘ (১৯৮৯), ভ‚ত এল শহরে (১৯৯২), আমি ওয়ান আমি টু (১৯৯২), আমি একদিন পিঁপড়ে হয়ে গিয়েছিলাম (১৯৯৭), মুক্তিযুদ্ধের কিশোর গল্প (১৯৯৭)।
উপন্যাস : অচিন যাদুঘর (১৯৮৫), আমাদের গোয়েন্দাগিরি (১৯৯২), রূপঝুমপুর (১৯৯২), একাত্তরের মিছিল (১৯৭১)।
পুরস্কার ও সম্মাননা সিকান্দার আবু জাফর শিশুসাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৩), অগ্রণী ব্যাংক শিশুসাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৪, ১৯৯৪, ১৯৯৫), বাংলা একাডেমি পুরস্কার ২০০৭)।

 

 

বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর
১. কাজি বালকটিকে বধ করার জন্য রায় দিয়েছিলেন কারণÑ
র. বাদশাহর জীবনের চেয়ে বালকের জীবন মূল্যবান
রর. বালকের জীবনের চেয়ে বাদশাহর জীবন মূল্যবান
ররর. কাজি সাহেব বাদশাহর কৃপাপ্রার্থী হতে চেয়েছিলেন
নিচের কোনটি সঠিক? জ
ক. র ও রর খ. র ও ররর
গ. রর ও ররর ঘ. ররর
২. ন্যায়নীতিবর্জিত ও বিবেকহীন পাষণ্ড মানুষ নিজ স্বার্থে সবকিছু বিসর্জন দিতে পারে। তারা ক্ষমতাবান লোককে তোয়াজ করে এবং দুর্বলকে অত্যাচার করে।
তোমার পঠিত ‘বিচার নেই’ গল্পে নিচের কোন চরিত্রের মধ্য দিয়ে উদ্ধৃতাংশের বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠেছে? ছ
ক. বাদশাহ খ. কাজি
গ. বালক ঘ. চিকিৎসক
৩. ‘বিচার নেই’ গল্পে বিবেকহীন পাষণ্ড মানুষ বালককেÑ ছ
ক. বিক্রি করে দিয়েছিল
খ. বধ্যভ‚মিতে নিয়ে গিয়েছিল
গ. ডেকে পাঠিয়েছিল
ঘ. মুক্ত করে দিয়েছিল
সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
নিচের অংশটুকু পড়ো এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ফাঁসির আদেশ পাওয়া এক ডাকাত সর্দার বিচারকের উদ্দেশে বলল, ‘জনাব শুধুমাত্র আমার ফাঁসির আদেশের মধ্য দিয়ে সবকিছু শেষ হবে না। আমি আপনার কাছে আমার মায়ের জিহŸা কেটে নেওয়ারও হুকুম চাচ্ছি।’ বিচারক অবাক হয়ে তাকে জিজ্ঞেস করলেন ‘কেন?’ উত্তরে অপরাধী ব্যক্তিটি বললো, ‘আমার মায়ের জন্যই আজকে আমার এই অবস্থা। আমি যখন ছোটবেলায় পাশের বাসার গাছের ফল চুরি করে আনতাম আমার মা তখন আমাকে তিরস্কার না করে উৎসাহিত করেছে। ছোটখাটো অপরাধ করতে করতে আমি বড় অপরাধ করার সাহস পেয়েছি। আমার মা যদি শুরুতেই আমাকে সৎপথে চলার এবং অসৎ পথ পরিহার করার উপদেশ দিতেন তবে আজকে আমার এই অবস্থা হতো না। তাই আমার পাপকর্মের দায়িত্ব শুধু আমার একারই নয়। আমার মাও এর অংশীদার।’
ক. ‘বিচার নেই’ গল্পে বালকের প্রতি তার পিতা কী আচরণ করেছিলেন? ১
খ. পিতার এই রকম আচরণের কারণ কী ছিল? ২
গ. উদ্ধৃতাংশের সাথে ‘বিচার নেই’ গল্পের কী মিল রয়েছে বলে তুমি মনে কর। উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও। ৩
ঘ. সন্তানকে সঠিক পথে পরিচালনার জন্য পিতামাতার কী ভ‚মিকা রয়েছে? উদ্দীপকের আলোকে বিশ্লেষণ করো। ৪
১ এর ক নং প্র. উ.
‘বিচার নেই’ গল্পে বালকের প্রতি তার পিতা নিষ্ঠুর আচরণ করেছিলেন।
১ এর খ নং প্র. উ.
অর্থের প্রতি লোভের কারণে বালকটির পিতা নিষ্ঠুর আচরণ করেছিলেন।
 ‘বিচার নেই’ গল্পে অসুস্থ বাদশাহকে সুস্থ করতে রাজ্যের সেরা ডাক্তার কবিরাজও ব্যর্থ হন। শেষ পর্যন্ত গ্রিসের চিকিৎসক জানান, অল্প বয়স্ক বালকের হৃৎপিণ্ড দিয়ে তৈরি ওষুধেই কেবল বাদশাহ সুস্থ হতে পারেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে টাকার বিনিময়ে এক পিতা তার ছেলেকে বিক্রি করে দেয় বাদশাহর লোকদের কাছে। প্রকৃতঅর্থে টাকার লোভে লোকটা এতটাই নির্দয় ও নিষ্ঠুর হয়ে উঠেছিল যে, নিজের শিশুপুত্রকে বিক্রি করতেও কষ্ট হয়নি তার।
১ এর গ নং প্র. উ.
সন্তানের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্যহীনতার দিক দিয়ে উদ্ধৃতাংশের সাথে ‘বিচার নেই’ গল্পের মিল রয়েছে।
 ‘বিচার নেই’ গল্পে জনৈক পিতার আচরণে চরম নিষ্ঠুরতা ও দায়িত্বহীনতার পরিচয় পাওয়া যায়। বাদশাহকে সুস্থ করতে প্রয়োজন ছিল অল্প বয়স্ক বালকের হৃৎপিণ্ড। এ সুযোগে এক পাষণ্ড পিতা তার শিশুপুত্রকে বিপুল পরিমাণ টাকার বিনিময়ে বাদশাহর লোকদের নিকট বিক্রি করে দেয়। অপরদিকে, বাদশাহর লোকেরা বাদশাহের জীবনের গুরুত্ব বুঝলেও শিশুটির জীবনের প্রতি তাদের কোনো গুরুত্বই ছিল না।
 উদ্দীপকের ডাকাত সর্দার একদিনেই খারাপ চরিত্রের লোক হয়নি। বরং দিনে দিনে সে অপরাধমূলক কাজে হাত পাকিয়েছে। ছোটবেলায় যখন সে পাশের বাড়ির ফল চুরি করত, তখন তার মা তাকে তিরস্কার না করে উৎসাহিত করতেন। ফলে ছোটখাটো অপরাধ করতে করতে সে বড় অপরাধ করার সাহস পেয়েছে। পরিশেষে বলা যায়, দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হলে গল্পে বর্ণিত পিতা কোনো যুক্তিতেই তার শিশুপুত্রকে অর্থের বিনিময়ে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতে পারত না। অপরদিকে, ডাকাত সর্দারের মা দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন হলে তার ছেলে ছোটকাল থেকেই অপরাধ থেকে নিজেকে দূরে রাখত।
১ এর ঘ নং প্র. উ.
সন্তানকে সঠিক পথে পরিচালনার ক্ষেত্রে পিতামাতার গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রয়েছে।
 আমীরুল ইসলাম রচিত ‘বিচার নেই’ গল্পের মূল শিক্ষা বিবেকের জাগরণ ও মানুষের প্রতি মমত্ববোধের প্রকাশ। ন্যায়নীতিবর্জিত ও বিবেকহীন পাষণ্ড মানুষ নিজ স্বার্থে সবকিছু বিসর্জন দিতে পারেÑ এ সত্যটিও প্রকাশ পেয়েছে গল্পটিতে। এক পাষণ্ড পিতা অর্থের লোভে তার শিশুপুত্রকে বাদশাহর লোকের কাছে বিক্রি করে দেয়। অথচ শিশুটির বেড়ে ওঠার কথা তার বাবা-মায়ের স্নেহ, মায়া-মমতা ও ভালোবাসায়। এক্ষেত্রে বলা যায়, সন্তানের প্রতি পাষণ্ড পিতা তার দায়িত্ব ও কর্তব্য কোনোটিই পালন করেননি। সন্তানকে সঠিক পথে পরিচালনার বিষয়টিও তিনি ভাবেননি।
 উদ্দীপকে উল্লিখিত ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি তার কৃতকর্মের জন্য তার মাকেও সমানভাবে দায়ী করেছে। কারণ ছোটবেলায় যখন সে ছোটখাটো অপরাধ করত তখন মা তাকে শাসন করেননি, বরং উৎসাহিত করেছেন। তাই ছোটখাটো অপরাধ করতে করতে সে বড় অপরাধ করার সাহস পেয়েছে। অর্থাৎ মা যথাযথ দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে সচেতন না থাকার কারণেই তার আজকের এই পরিণতি।
 জন্মকালে কোনো শিশুই অপরাধবিষয়ক জ্ঞান নিয়ে জন্মায় না। আবার তখন তার মস্তিষ্কে সঠিক পথ সম্পর্কেও কোনো জ্ঞান থাকে না। এক্ষেত্রে সন্তানকে সঠিক পথে পরিচালনার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান মা-বাবার দায়িত্ব ও কর্তব্য। মা-বাবার নির্দেশনার অভাবে যেমন সন্তান বিপথে পরিচালিত হয়, তেমনি তাঁদের সঠিক নির্দেশনা সন্তানকে সঠিক পথে চলতে শেখায়। অর্থাৎ সন্তানকে সঠিক পথে পরিচালনার জন্য পিতা-মাতাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করতে হয়।
প্রভাবশালী পরিবারের সন্তান সায়মন লেখাপড়া না করে মাস্তানি করে বেড়ায়। সে পথচারীদের নানাভাবে নাজেহাল করে। তার ভয়ে তটস্থ থাকায় কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস করে না। অধ্যাপক সালিম সামাদ দেখলেন এভাবে চলতে দেওয়া যায় না। তিনি এলাকার বিশিষ্ট কয়েকজন ব্যক্তিকে নিয়ে সায়মনের বাবা চৌধুরী সাহেবের কাছে এর প্রতিকারের উদ্দেশ্যে গেলেন। কিন্তু সায়মনের বাবা ছেলের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ অস্বীকার করলেন। তিনি উপস্থিত সবাইকে অত্যন্ত কদর্য ভাষায় অপমানও করলেন। উপরন্তু চৌধুরী সাহেবের করা মামলায় অধ্যাপক সালিম সামাদসহ কয়েকজনকে জেলেও যেতে হয়।
ক. বাদশাহর চিকিৎসার জন্য সবশেষে কোন দেশ থেকে চিকিৎসক এসেছেন? ১
খ. বাদশাহ কেন ছোট ছেলেটিকে ডেকে পাঠালেন? ২
গ. উদ্দীপকের চৌধুরী সাহেবের সাথে বাদশাহর চরিত্রের তুলনা করো। ৩
ঘ. যে গুণের অভাবে ছেলেটির জীবন সংকটাপন্ন, সেটির অভাবেই অধ্যাপক সালিম সামাদের কারাবাস- বিশ্লেষণ করো। ৪
২ নং প্র. উ.
ক. বাদশাহর চিকিৎসার জন্য সবশেষে গ্রিস থেকে চিকিৎসক এসেছেন।
খ. নির্ভীক ছেলেটি সম্পর্কে বাদশাহর কৌতূহল জন্মেছিল বলে তিনি তাকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন।
 বাদশাহর চিকিৎসার জন্য উৎসর্গীকৃত ছেলেটিকে নিজের মৃত্যুর কথা জেনেও আনন্দ প্রকাশ করতে দেখা যায়। জল­াদ যখন তাকে ধরে-বেঁধে বধ্যভূমিতে নিয়ে যাচ্ছিল এখন সে হো হো করে হেসে ওঠল। বিষয়টি বাদশাহকেও বিচলিত করল। ছেলেটি সম্পর্কে তার আগ্রহ বেড়ে গেল। আর এজন্যই বাদশাহ তাকে ডেকে পাঠালেন।
গ. ‘বিচার নেই’ গল্পের বাদশাহ এবং উদ্দীপকের চৌধুরী সাহেব উভয়েই বিবেকহীন মানুষ বলে একই গোত্রের অন্তর্ভুক্ত।
 ‘বিচার নেই’ গল্পের বাদশাহ যখন কঠিন অসুখে পতিত হলেন তখন দূর-দূরান্ত থেকে চিকিৎসকরা এলেন। ইরান-তুরান থেকে শুরু করে কাবুল-কান্দাহার থেকেও চিকিৎসক এলেন। সবশেষে চিকিৎসক এলেন গ্রিস থেকে। তিনি বাদশাহকে সুস্থ করে তোলার জন্য একটি বালকের জীবন উৎসর্গ করতে পরামর্শ দিলেন। অর্থাৎ বালককে হত্যা করে তার হৃৎপিণ্ড থেকে তৈরিকৃত ওষুধেই বাদশাহ সুস্থ হয়ে উঠবেন। সে মোতাবেক ছেলেটির জীবন নেওয়ার আয়োজন শুরু হলো।
 উদ্দীপকে প্রভাবশালী পরিবারের সন্তান সায়মন লেখাপড়া না করে মাস্তানি করে বেড়ায়। তার ভয়ে সবাই তটস্থ থাকলেও সায়মনের বাবা চৌধুরী সাহেব ছেলেকে কখনো শাসন করেন না, বরং পরোক্ষভাবে তাকে প্রশ্রয় দিয়ে থাকেন। চৌধুরী সাহেব সায়মনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগসমূহ অস্বীকার করেন, উপরন্তু প্রভাব খাটিয়ে অভিযোগকারীদের জেল খাটান। চৌধুরী সাহেব এবং বাদশাহর চরিত্রের সাদৃশ্য এ জায়গাতেই স্পষ্ট হয়ে ওঠে। অর্থাৎ দুজনই অবিবেচকের পরিচয় দেন। বিচারহীনতার দৃষ্টান্ত দুজনই স্থাপন করেন।
ঘ. মানবতা এবং সুবিবেচনার অভাবের কারণেই ছেলেটির জীবন হয় সংকটাপন্ন এবং অধ্যাপক সালিম সামাদ হন কারাবন্দী।
 বাদশাহ কঠিন অসুখে পতিত হলে চিকিৎসক একটি বালকের হৃৎপিণ্ড থেকে তৈরিকৃত ওষুধে বাদশাহর আরোগ্য লাভের কথা জানালেন। সে লক্ষ্যে একটি বালককে নেওয়া হলো বধ করার জন্য। সেই বালকের চেয়ে বাদশাহর জীবন গুরুত্বপূর্ণ বিবেচিত হওয়ায় বাদশাহ তাতে সম্মত হলেন। কিন্তু বাদশাহ একবারও চিন্তা করলেন না বাদশাহ হিসেবে শিশু-কিশোরসহ সকলের জীবনের নিরাপত্তা বিধান করাই হচ্ছে তার পবিত্র দায়িত্ব। কিন্তু বাদশাহ তা বিস্মৃত হয়ে অবিবেচকের মতো নিজের জীবন বাঁচাতে তৎপর হলেন।
 উদ্দীপকে বর্ণিত চৌধুরী সাহেব অবিবেচকের কাজ করেছেন। তিনি নিজে সন্তানকে সঠিক পথে আনতে পারা তো দূরের কথা, কোনো উদ্যোগ পর্যন্ত নিতে পারেননি, বরং ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগকারীকেই জেলে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। এক্ষেত্রে চৌধুরী সাহেব এবং ‘বিচার নেই’ গল্পের বাদশাহ যেন একে অপরের পরিপূরক।
 যারা সমাজপতি তাদেরকে বিভিন্ন মানবীয় গুণাবলির অধিকারী হতে হয়। তাদেরকে সততা ও ত্যাগের মানসিকতা নিয়ে জনকল্যাণে কাজ করে যেতে হয়। ‘বিচার নেই’ গল্পের বাদশা ও উদ্দীপকের চৌধুরী সাহেবÑ উভয়ই এই ন্যায়-নীতির তোয়াক্কা করেন না। তারা তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে অসচেতন। এ ধরনের দায়িত্বশীল লোকেরা যদি সব ভুলে স্বার্থপরের মতো আচরণ করেন তাহলে জনগণ কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হবেন, সমাজে দেখা দেবে অস্থিরতা, আইনের শাসন অকার্যকর হয়ে পড়বে, শুরু হবে বিচারহীনতা।
 পরীক্ষায় কমন উপযোগী জ্ঞানমূলক প্রশ্নের উত্তর
১. বাদশাহ কাকে ডেকে পাঠালেন?
উত্তর : বাদশাহ বালকটিকে ডেকে পাঠালেন।
২. দূর-দূরান্ত থেকে কারা এলেন?
উত্তর : দূর-দূরান্ত থেকে চিকিৎসকরা এলেন।
৩. বাদশাহ সারাদিন কোথায় শুয়ে থাকেন?
উত্তর : বাদশাহ সারাদিন বিছানায় শুয়ে থাকেন।
৪. ছেলেটির হাসির শব্দ শুনে বাদশাহ কী করলেন?
উত্তর : ছেলেটির হাসির শব্দ শুনে বাদশাহ খুব বিচলিত হলেন।
৫. ইরান-তুরান থেকে কে এলেন?
উত্তর : ইরান-তুরান থেকে চিকিৎসক এলেন।
৬. বিচার সভায় রায় দিলেন কে?
উত্তর : বিচার সভায় রায় দিলেন কাজি।
৭. কার কঠিন অসুখ হলো?
উত্তর : বাদশাহর কঠিন অসুখ হলো।
 পরীক্ষায় কমন উপযোগী অনুধাবনমূলক প্রশ্নের উত্তর
১. দূর-দূরান্ত থেকে চিকিৎসক এলেন কেন?
উত্তর : অসুস্থ বাদশাহর চিকিৎসা করার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে চিকিৎসক এলেন।
‘বিচার নেই’ গল্পে বাদশাহর কঠিন অসুখ। তিনি অসুস্থতার কারণে সারাদিন বিছানায় শুয়ে থাকেন। বাদশাহর মনে কোনো সুখ নেই, কারণ তিনি কোনো কাজকর্ম করতে পারছেন না। এ কারণে বাদশাহকে সুস্থ করার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে চিকিৎসক এলেন।
২. অল্প বয়স্ক বালকের প্রয়োজন হলো কেন?
উত্তর : বাদশাহর চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকের কথা অনুযায়ী অল্প বয়স্ক বালকের প্রয়োজন হলো।
গ্রিস থেকে এক চিকিৎসক এলেন বাদশাহর চিকিৎসা করতে। তিনি বললেন, বাদশাহর কঠিন অসুখ। তবে তার চিকিৎসার জন্য অল্প বয়স্ক বালক প্রয়োজন। কারণ অল্প বয়স্ক বালকের হৃৎপিণ্ড দিয়ে ওষুধ তৈরি করতে হবে। তাহলেই বাদশা সুস্থ হয়ে উঠবেন।
 বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর
 সাধারণ
১. আমীরুল ইসলাম কত সালে জন্মগ্রহণ করেন? ছ
ক ১৯৬২ খ ১৯৬৪
গ ১৯৬৫ ঘ ১৯৬৬
২. আমীরুল ইসলামের জন্ম কোন জেলায়? চ
ক ঢাকা খ নারায়ণগঞ্জ
গ বরিশাল ঘ নাটোর
৩. আমীরুল ইসলাম কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন? চ
ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
খ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
গ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
ঘ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
৪. আমীরুল ইসলাম পেশায় কী? ছ
ক শিক্ষক খ সাংবাদিক
গ ব্যবসায়ী ঘ সরকারি চাকুরে
৫. নিচের কোনটি আমীরুল ইসলামের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য? জ
ক গায়ক খ চলচ্চিত্র নির্মাতা
গ শিশু সাহিত্যিক ঘ শিক্ষক
৬. আমীরুল ইসলাম কত সালে সিকান্দার আবু জাফর শিশু সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন? ছ
ক ১৯৮২ খ ১৯৮৩
গ ১৯৮৪ ঘ ১৯৮৫
৭. আমীরুল কত সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন? ছ
ক ২০০৬ খ ২০০৭
গ ২০০৮ ঘ ২০০৯
৮. বাদশাহের কী হয়েছিল? জ
ক আনন্দ খ ভয়
গ অসুখ ঘ চিন্তা
৯. কে বাদশাহর দুয়ারে এসে হানা দিয়েছে? ঝ
ক শত্রæ খ হত্যাকারী
গ বিদেশি আক্রমণকারী ঘ মৃত্যু
১০. বাদশাহর অসুখের সময় দূর-দূরান্ত থেকে কারা এলেন? জ
ক আত্মীয় স্বজন খ শুভাকাক্সক্ষীরা
গ চিকিৎসকরা ঘ সুযোগ-সন্ধানীরা
১১. বাদশাহর চিকিৎসার জন্য চিকিৎসক নিচের কোন জায়গা থেকে এসেছিল? ঝ
ক স্পেন খ চীন
গ বার্মা ঘ গ্রিস
১২. বাদশাহের চিকিৎসার জন্য কী প্রয়োজন ছিল? চ
ক অল্প বয়স্ক বালক খ দুর্লভ বৃক্ষ
গ দুর্লভ ওষুধ ঘ উন্নত চিকিৎসা
১৩. চিকিৎসকরা বাদশাহের চিকিৎসার জন্য অল্প বয়স্ক বালকের শরীরের কোন অঙ্গের কথা বললেন? ছ
ক চক্ষু খ হৃৎপিণ্ড
গ মস্তিষ্ক ঘ হাড়
১৪. ছেলের বাবা কী কারণে ছেলেকে বাদশাহের লোকদের হাতে তুলে দিল? ছ
ক ভয়ে
খ টাকার জন্য
গ ক্ষমতার জন্য
ঘ ত্যাগের মনোভাবের জন্য
১৫. গল্পে ছেলের বাবাকে কী হিসেবে চিহ্নিত করা যায়? জ
ক উদার খ ত্যাগী
গ পাষণ্ড ঘ কষ্টসহিষ্ণু
১৬. কার রায়ে ছেলের জীবন বধ করা আইনি ভিত্তি পেল? ছ
ক বাদশাহের রায়ে খ কাজির রায়ে
গ জনগণের রায়ে ঘ মোড়লের রায়ে
১৭. কাজি ছোট ছেলের জীবনকে কী বিবেচনা করল? চ
ক তুচ্ছ খ প্রয়োজনীয়
গ অপ্রয়োজনীয় ঘ মূল্যহীন
১৮. ছেলেটির জীবন বধ করার আয়োজন দেখে ছেলেটি কী করল? ছ
ক পালানোর চেষ্টা করল খ মিটিমিটি হাসল
গ আতঙ্কিত হয়ে পড়ল ঘ ভয়ে মূর্ছা গেল
১৯. ছেলেটির মিটিমিটি হাসি কী অর্থ বহন করে? ছ
ক আনন্দ খ উপহাস
গ আতঙ্ক ঘ ঘৃণা
২০. জল্লাদ ছোট বাচ্চাটিকে বেঁধে কোথায় নিয়ে যাচ্ছিল? ঝ
ক কয়েদখানায় খ রাজ দরবারে
গ কারাগারে ঘ বধ্যভ‚মিতে
২১. জল্লাদ যখন ছেলেটিকে বধ্যভ‚মিতে নিয়ে যাচ্ছিল তখন সে কীভাবে হেসে উঠল? ঝ
ক মিটি মিটি খ মুচকি হাসি
গ রহস্যময় হাসি ঘ হো হো করে
২২. ছেলেটির হাসি দেখে বাদশাহের কী প্রতিক্রিয়া হলো? জ
ক ক্ষুব্ধ হলেন খ ভীত হলেন
গ বিচলিত হলেন ঘ সন্ধিগ্ধ হলেন
২৩. কাজির দরবারে মানুষ কেন যায়? ঝ
ক মনের কথা বলার জন্য
খ শাস্তি থেকে বাঁচার জন্য
গ উপকার পাওয়ার জন্য
ঘ সুবিচার পাওয়ার জন্য
২৪. বাদশাহ কাকে রক্ষা করবেন? ঝ
ক বিত্তশালীদের খ ক্ষমতাধরদের
গ শিক্ষিতদের ঘ গরিব-দুঃখী প্রজাদের
২৫. বাদশাহ নিজের জীবনের চেয়ে অন্যের জীবনকে কী মনে করেন? ছ
ক মূল্যবান খ মূল্যহীন
গ সমমূল্য ঘ সমতুল্য
২৬. ছেলেটির কথা শুনে রাজা ছ
ক ক্ষুব্ধ হলেন খ অবাক হলেন
গ দ্বিধায় পড়ে গলেন ঘ হেসে দিলেন
২৭. শেষ পর্যন্ত ছেলেটিকে রাজা কী করলেন? চ
ক মুক্ত করে দিলেন
খ প্রাণ সংহার করলেন
গ শাস্তির আদেশ দিলেন
ঘ দাস রূপে নিয়োগ দিলেন
২৮. কিছুদিন পর বাদশাহর ভাগ্যে কী ঘটেছিল? ছ
ক মৃত্যু ঘটেছিল খ সুস্থতা
গ বনবাস ঘ অসুস্থতা
২৯. নিচের কোন স্থানটি প্রাচীন সভ্যতা ও জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চার জন্য বিখ্যাত? ঝ
ক নিউ ইয়র্ক খ ওয়াশিংটন
গ আবুধাবি ঘ গ্রিস
৩০. ‘কাজি’ শব্দের অর্থ কী? ঝ
ক সাক্ষী খ আসামি
গ বালক ঘ বিচারক
 বহুপদী সমাপ্তিসূচক
৩১. ‘বিচার নেই’ গল্পের প্রথম দিকে বাদশাহ চরিত্রের স্বরূপ ছিল
র. স্বার্থপরতা
রর. অবিচার
ররর. নির্মমতা
নিচের কোনটি সঠিক? ঝ
ক র ও রর খ রর ও ররর
গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩২. ‘বিচার নেই’ গল্পের অন্তিম পর্যায়ে বাচ্চা ছেলেটির কথায় প্রকাশ পেয়েছে
র. যুক্তিশীলতা
রর. শিশু সুলভ চপলতা
ররর. বিচারের প্রতি উপহাস
নিচের কোনটি সঠিক? ছ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ন্ধ অভিন্ন তথ্যভিত্তিক
নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং ৩৩ ও ৩৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
কামরুল ওষুধের দোকানদার। অধিক লাভের আশায় সে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি করে। সে ওষুধ খেয়ে এলাকার অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ে। চেয়ারম্যানের কাছে এ কথা জানালেও তিনি নিশ্চুপ থাকেন।
৩৩. উদ্দীপকের চেয়ারম্যান ‘বিচার নেই’ গল্পের কোন চরিত্রের প্রতিনিধি? ছ
ক বাদশাহ খ কাজি
গ বালক ঘ জল্লাদ
৩৪. কামরুল ও গল্পের বাদশার মধ্যে মিলÑ
র. স্বার্থপরতায়
রর. বিবেকহীনতায়
ররর. অনুশোচনায়
নিচের কোনটি সঠিক? চ
কর ও রর খর ও ররর
গরর ও ররর ঘর, রর ও ররর

 

Scroll to Top