সপ্তম শ্রেণির বাংলা এই অক্ষরে

এই অক্ষরে
মহাদেব সাহা
কবি ও কবিতা সম্পর্কিত তথ্য
 কবি পরিচিতি
নাম মহাদেব সাহা।
জন্ম পরিচয় জন্ম : ১৯৪৪ খ্রিষ্টাব্দ। জন্মস্থান : সিরাজগঞ্জ জেলায়
পিতৃ-মাতৃ পরিচয় পিতা : গদাধর সাহা। মাতা : বিরাজ সাহা।
শিক্ষা জীবন মাধ্যমিক : ধুনট হাইস্কুল, বগুড়া। উচ্চ মাধ্যমিক : আজিজুল হক কলেজ, বগুড়া; স্নাতক : বিএ অনার্স (বাংলা), ঢাকা কলেজ। স্নাতকোত্তর : এমএ (বাংলা), রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
পেশা/কর্মজীবন মহাদেব সাহা সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন। তিনি দীর্ঘদিন ‘দৈনিক ইত্তেফাক’ পত্রিকায় সহকারী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
সাহিত্য সাধনা প্রবন্ধ : আনন্দের মৃত্যু নেই, মহাদেব সাহার কলাম। কাব্যগ্রন্থ : চাই বিষ অমরতা, আমি ছিন্নভিন্ন, বেঁচে আছি স্বপ্নপুরুষ, এই গৃহ এই সন্ন্যাস, অস্তমিত কালের গৌরব মানব এসেছি কাছে, কী সুন্দর অন্ধ ইত্যাদি। কিশোর কবিতা : টাপুর-টুপুর মেঘের দুপুর, ছবি আঁকা পাখির পাখা সরষে ফুলের নদী ইত্যাদি।
পুরস্কার ও সম্মাননা মহাদেব সাহা একুশে পদক, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, আলাওল সাহিত্য পুরস্কারসহ অনেক পুরস্কার লাভ করেছেন।
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ
আর তাই তো কখনো আমি পড়তে দিই নি ধুলো এই কালো
এ-কারে আ-কারে
তারা যেন ক্ষেতের সোনালি পাকা ধান, থোকা থোকা
পড়ে থাকা জুঁই।
তোমার জন্য জয় করেছি একটি যুদ্ধ
একটি দেশের স্বাধীনতা।
ক. কঠিন পাথরে কী লেখা হয়?
খ. ‘এই অক্ষরে’- মাকে মনে পড়ে বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন? – ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের ‘তারা’ ‘এই অক্ষরে’ কবিতার কীসের সাথে তুলনীয়? ব্যাখ্যা কর।
ঘ.উদ্দীপকের শেষ দুটি চরণে ‘এই অক্ষরে’ কবিতার সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবার্থ ফুটে উঠেছে। – উক্তিটির যথার্থতা নিরূপণ কর।

ক কঠিন পাথরে শিলালিপি লেখা হয়।
খ এই অক্ষরে মাকে মনে পড়ে বলতে কবি বুঝিয়েছেন অক্ষর দেখলেই মাকে মনে পড়ে যায়।
বাংলা বাঙালির মাতৃভাষা। যখন একটি শিশু জন্মগ্রহণ করে তখন সে মায়ের মুখে এ ভাষায় কথা শোনে। তারপর যখন শিশুটি কথা বলতে শেখে তখন বাংলা ভাষায় মা বলে ডাকে। এ জন্য মাতৃভাষা কিংবা অক্ষরের কথা এলেই মাকে মনে পড়ে।
গ উদ্দীপকের ‘তারা’ এই অক্ষরে কবিতার বাংলা বর্ণমালা বা অক্ষরের সঙ্গে তুলনীয়।
‘এই অক্ষরে’ কবিতায় কবি মহাদেব সাহা বাংলা অক্ষর তথা বাংলা ভাষা নিয়ে আলোচনা করেছেন। বাংলা ভাষা বাঙালির প্রাণের ভাষা। বাংলা বর্ণমালা বাঙালির জাতীয় পরিচয়ের অবিনাশী সম্পদ। বাংলা বর্ণমালা মিশে আছে বাঙালির প্রাণের সঙ্গে, অস্তিত্বের সঙ্গে। বাঙালিই পৃথিবীর একমাত্র জাতি, যারা ভাষার জন্য সংগ্রাম করেছেন, প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন, বুকের তাজা রক্তে রাজপথ রঞ্জিত করেছেন।
উদ্দীপকেও বাংলা অক্ষর তথা বাংলা ভাষার প্রতি মানুষের ভালোবাসার প্রকাশ লক্ষ করা যায়। এখানেও লেখকের যে ব্যক্তিসত্তার পরিচয় পাওয়া যায়, তিনি কখনো বাংলা বর্ণমালায় ধুলা জমতে দেননি। সর্বদা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রেখেছেন। ক্ষেতের সোনালি পাকা ধান যেমন কৃষক বুক দিয়ে আগলে রাখেন, তিনি তেমনি বাংলা বর্ণমালাগুলো আগলে রাখেন। তাই বলা যায়, উদ্দীপক ও ‘এই অক্ষরে’ কবিতায় মূলত বাংলা বর্ণমালা তথা বাংলা ভাষার প্রতি বাঙালির গভীর মমত্ববোধ ফুটে উঠেছে।
ঘ “উদ্দীপকের শেষ দুটি চরণে ‘এই অক্ষরে’ কবিতার সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবার্থ ফুটে উঠেছে” উক্তিটি যথার্থ।
প্রখ্যাত কবি মহাদেব সাহা তার ‘এই অক্ষরে’ কবিতায় বাংলা বর্ণমালা নিয়ে আলোচনা করেছেন। বাংলা বর্ণমালা তথা বাংলা ভাষা বাঙালির প্রাণের ভাষা, বাঙালির মায়ের ভাষা। বাঙালি মায়ের মুখে শেখা প্রথম বুলি এ ভাষা। এজন্য মায়ের মতো এ ভাষাকে বাঙালিরা বুক দিয়ে আগলে রাখে। মাতৃভাষার মাধ্যমেই বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামীদের উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। এই ভাষায় গান লিখে মুক্তিযোদ্ধাদের উৎসাহ জোগানো হয়েছে।
উদ্দীপকেও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলা বর্ণমালা তথা বাংলা ভাষার অবদানের কথা তুলে ধরা হয়েছে। ভাষা আন্দোলন ছিল বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনের প্রথম ধাপ। এ আন্দোলনের মাধ্যমে বাঙালির মধ্যে অধিকার সচেতনতা সৃষ্টি হয়। তারা বুঝতে পারে যে, সংগ্রাম ব্যতীত তারা তাদের ন্যায্য অধিকার পাবে না। তাই তারা সংগ্রামমুখর হয়ে ওঠে। বাঙালিরা বিশ্ব দরবারে স্বাধীন জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার অভিপ্রায়ে ভাষা আন্দোলনের অনুপ্রেরণায় মুক্তিযুদ্ধে অবতীর্ণ হয় এবং ছিনিয়ে আনে বিজয়।
উল্লিখিত আলোচনায় বলা যায়, ‘এই অক্ষরে’ কবিতায় কবি বাংলা ভাষার অবদানের কথা তুলে ধরার প্রয়াস পেয়েছেন, যা উদ্দীপকের শেষ দুই চরণের মাধ্যমে আমাদের কাছে স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ

১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রæয়ারি বাঙালিদের ইতিহাসে প্রথম স্বাধিকার আন্দোলন সংগঠিত হয়। পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা উর্দু করার ঘোষণার বিরুদ্ধে বাংলার আপামর জনতা আন্দোলনে ফেটে পড়ে। ২১শে ফেব্রæয়ারি ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা’র দাবিতে আন্দোলনরত মানুষের মিছিলে পাকিস্তানি সরকারের পুলিশ বাহিনী গুলি করে হত্যা করে রফিক, জব্বার, বরকত, সালামসহ নাম না জানা আরো অনেককে।
ক. কার কাছ থেকে আমরা প্রথম মাতৃভাষা শিখি? ১
খ. ‘এই অক্ষর যেন নির্ঝর’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকটির সঙ্গে ‘এই অক্ষরে’ কবিতার সম্পর্ক নির্ণয় কর। ৩
ঘ.‘বাংলা ভাষা বাঙালির প্রাণের ভাষা’। উক্তিটি উদ্দীপক ও ‘এই অক্ষরে’ কবিতার আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪

ক মায়ের কাছ থেকে আমরা প্রথম মাতৃভাষা শিখি।
খ ‘এই অক্ষর যেন নির্ঝর’- বলতে কবি ঝরনার মতো অক্ষরের অবিরাম ছুটে চলাকে বুঝিয়েছেন।
আমরা আমাদের মাতৃভাষায় কথা বলি, লিখি। আমাদের পূর্বপুরুষেরাও তাই করতেন। যুগে যুগে আমাদের নিজস্ব স্বকীয়তার চিহ্ন হিসেবে বাংলা ভাষা নিজ গাম্ভীর্যে উপস্থিত। এ থেকে বোঝা যায়, মাতৃভাষা তথা অক্ষর অবিরাম ছুটে চলেছে।
গ উদ্দীপকটির সঙ্গে ‘এই অক্ষরে’ কবিতাটির মূল বিষয়বস্তুর গভীরভাবে সম্পর্কযুক্ত।
কবি মহাদেব সাহা রচিত ‘এই অক্ষরে’ একটি অসাধারণ কবিতা। এ কবিতায় কবি বাংলা ভাষার গুণকীর্তন করেছেন। বাংলা বাঙালির প্রাণের ভাষা। এ ভাষার সঙ্গে মায়ের একটা নিবিড় সম্পর্ক আছে। তাই প্রতিদিন বাঙালি মাকে যেমন অন্তর থেকে ভালোবাসে, শ্রদ্ধা করে বাংলা ভাষাকেও তেমনি ভালোবাসে, শ্রদ্ধা করে। বাংলা বর্ণমালা মিশে আছে বাঙালির প্রাণের সঙ্গে। তাই বাংলাকে বাদ দিয়ে বাঙালিকে কল্পনা করা যায় না।
উদ্দীপকেও বাংলা ভাষার জন্য বাঙালির আত্মত্যাগের কথা বলা হয়েছে। ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রæয়ারি বাঙালির ইতিহাসে এক স্মরণীয় দিন। এই দিনে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে আন্দোলনরত মানুষের মিছিলে পাকিস্তানি সরকারের সেনাবাহিনী গুলি করে হত্যা করে রফিক, জব্বার, বরকত, সালামসহ নাম-না-জানা আরো অনেককে। সুতরাং বলা যায়, ‘এই অক্ষরে’ কবিতা ও উদ্দীপকের মূল বিষয়বস্তু উভয় ক্ষেত্রে বাংলা ভাষা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
ঘ বাংলা ভাষা মিশে আছে বাঙালির প্রাণের সঙ্গে, অস্তিত্বের সঙ্গে তাই বাংলা বর্ণমালা তথা “বাংলা ভাষা বাঙালির প্রাণের ভাষা” উক্তিটি যথার্থ।
কবি মহাদেব সাহা তার ‘এই অক্ষরে’ কবিতায় বাঙালির জীবনে বাংলা ভাষার গুরুত্ব নিপুণভাবে তুলে ধরেছেন। বাঙালি জন্মের পর মায়ের মুখে প্রথম বাংলা ভাষায় কথা শোনে। সে তার অবচেতন মন থেকে বাংলা ভাষায় কথা বলতে শেখে।
বাংলা ভাষা ব্যতীত বাঙালি অস্তিত্বহীন। বাঙালিরা মাকে যেমন ভালোবাসে বাংলা ভাষাকেও তেমনি ভালোবাসে। তাই এ ভাষা মিশে আছে বাঙালির অন্তরের সঙ্গে। উদ্দীপকে বাংলা ভাষার জন্য বাঙালির ত্যাগের কথা বলা হয়েছে। মানুষ যে জিনিসের জন্য ত্যাগ করে থাকে সে তা ভালোবাসে। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলে এবং নিজেদের বুকের রক্তে লিখেছিল রাষ্ট্রভাষা বাংলার নাম।
ভাষা একটি জাতির অমূল্য সম্পদ। ভাষা জাতিকে বিশ্ব দরবারে পরিচিতি এনে দেয়। সেক্ষেত্রে বাংলা ভাষার গুরুত্ব অনস্বীকার্য। তাই বলা যায়, বাংলা ভাষা বাঙালির কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন- ২ ল্ফল্ফ

“মাগো, ওরা বলে
সবার কথা কেড়ে নেবে
তোমার কোলে শুয়ে
গল্প শুনতে দেবে না।
বলো, মা,
তাই কি হয়?”
[কোনো এক মা’কে : আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ]
ক. রাষ্ট্রভাষারূপে বাংলাকে প্রতিষ্ঠার জন্য যে আন্দোলন হয়েছিল তাকে কী বলা হয়? ১
খ. ‘পারস্পরিক ভাব বিনিময়ের ক্ষেত্রে মায়ের ভাষার জুড়ি নেই।’- ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত কিশোর আর মায়ের কথোপকথন ‘এই অক্ষরে’ কবিতার কোন চরণের সাথে মিলে যায় তা ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.খোকার মনে সংশয় দানাবাঁধার কারণটি বিশ্লেষণ কর। ৪

ক রাষ্ট্রভাষারূপে বাংলাকে প্রতিষ্ঠার জন্য যে আন্দোলন হয়েছিল তাকে ‘ভাষা আন্দোলন’ বলা হয়।
খ মাতৃভাষার মাধ্যমে মানুষ সহজ ও সাবলীলভাবে পারস্পরিক ভাব বিনিময় করতে পারে বলে মায়ের ভাষার জুড়ি নেই।
বাংলা ভাষা বাঙালির মায়ের ভাষা। জন্মের পরে একটি শিশু প্রথমে বাংলা ভাষায় কথা শোনে এবং যখন সে কথা বলে তখন এ ভাষায় কথা বলে। একটি শিশু তার অবচেতন মন থেকে বাংলা ভাষায় কথা বলতে শেখে। ফলে এ ভাষায় কথা বলা, মনের ভাব প্রকাশ করা তার জন্য যত সহজ-সাবলীল হয় অন্য ভাষায় ততটা হওয়া সম্ভব নয়। কারণ, হৃদয়ের গভীর থেকে স্বতঃস্ফ‚র্তভাবে মাতৃভাষা উচ্চারিত হয়।
গ উদ্দীপকের কিশোর আর মায়ের কথোপকথন ‘এই অক্ষরে’ কবিতার ‘এই অক্ষরে মাকে মনে পড়ে’ চরণের সঙ্গে মিলে যায়।
‘এই অক্ষরে’ কবিতায় কবি আমাদের মাতৃভাষা বাংলার বন্দনাগীত গেয়েছেন। বাংলা বাঙালির প্রাণের ভাষা। এ ভাষার অধিকার রক্ষায় বীর বাঙালি প্রাণ দিয়েছে। উদ্দীপকের সঙ্গে মিলে যাওয়া কবিতার চরণটি বাঙালির কাছে বাংলার গুরুত্ব তুলে ধরে। বাঙালির কাছে মায়ের সম্মান যতটুকু বাংলা ভাষার সম্মানও ততটুকু।
উদ্দীপকেও কিশোর ও মায়ের কথোপকথনের মাধ্যমে বাংলা ভাষার গুরুত্ব প্রকাশ পেয়েছে। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার ঘোষণা দেয়। তারা বাঙালির প্রাণের ভাষা বাংলার সম্মান নিয়ে ছেলেখেলা শুরু করে। বাংলার প্রতি তাদের এ অবজ্ঞা বাঙালি সহ্য করতে পারেনি। তাইতো কিশোর তার মাকে বলে, মা ওরা আমার মুখের ভাষা কেড়ে নিতে চায়। তাকে মায়ের কোলে শুয়ে গল্প শুনতে দিতে চায় না। যা উদ্দীপক ও কবিতায় বিধৃত হয়েছে। তাই বলা যায়, উদ্দীপক ও কবিতার উল্লিখিত চরণ মিলে যায়।
ঘ বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষা নিয়ে খোকার মনে সংশয় দানা বাঁধে।
‘এই অক্ষরে’ কবিতাটি একটি ভাষাভিত্তিক কবিতা। এখানে কবি বাঙালির মাতৃভাষা বাংলার গুণকীর্তন করেছেন। বাংলা বাঙালির মায়ের ভাষা। বাঙালি জন্মের পর মায়ের মুখে প্রথম বাংলা ভাষায় কথা শোনে। আবার যখন সে কথা বলতে শেখে, এ বাংলাতেই কথা বলে। তাই বাংলা ভাষার সঙ্গে বাঙালি নিবিড় সম্পর্ক বিদ্যমান। বাঙালি মাকে যেমন ভালোবাসে, শ্রদ্ধা করে ঠিক তেমনি বাংলা ভাষাকে ভালোবাসে, শ্রদ্ধা করে। এ ভাষার ওপর কেউ আঘাত হানলে বাঙালি সংগ্রামমুখর হয়ে উঠবেÑ এটাই স্বাভাবিক।
উদ্দীপকের খোকা বাংলা ভাষা নিয়ে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর ষড়যন্ত্রে সংশয়বোধ করে। পাকিস্তানিরা বাংলা ভাষার মর্যাদা নিয়ে ছেলেখেলা শুরু করে। তারা চেয়েছিল বাংলাকে অবজ্ঞা করে উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করতে। কিন্তু বাঙালি তা হতে দেয়নি। খোকা যখন পাকিস্তানিদের ঘোষণা শোনে তখন সে ভাবে যে, পাকিস্তানিরা তার মুখের ভাষা কেড়ে নিতে চায়, মায়ের কোলে শুয়ে গল্প শোনার অধিকার থেকে তাকে বঞ্চিত করতে চায়।
উল্লিখিত আলোচনায় বলা যায়, মাতৃভাষা বাংলা রক্ষা নিয়ে সংশয় দেখা দেয় খোকার মনে।
প্রশ্ন- ৩ ল্ফল্ফ
বাঙালি ও বাংলা ভাষা একে অন্যের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। এর যেকোনো একটি বাদ দিয়ে অন্যটি কল্পনা করা সম্ভব নয়। এ ভাষা বাঙালির অন্তরের সঙ্গে মিশে আছে। বাংলা ভাষার মতো এত মধুর ভাষা পৃথিবীর আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না। বাঙালিরা এ ভাষায় যতটা সাবলীলভাবে তাদের মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে, পৃথিবীর অন্য কোনো ভাষায় তা সম্ভব নয়।
ক. সুরের নূপুর বাজায় কে? ১
খ. বাংলা বর্ণমালা কীভাবে বাঙালির অস্তিত্বের সঙ্গে মিশে আছে? বুঝিয়ে দাও। ২
গ. উদ্দীপকটি ‘এই অক্ষরে’ কবিতার সঙ্গে কতটুকু সাদৃশ্যপূর্ণ? নির্ণয় কর। ৩
ঘ.‘বাংলা ভাষা ও বাঙালি একে অন্যের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত’। ‘এই অক্ষরে’ কবিতার আলোকে উক্তিটির যথার্থতা বিশ্লেষণ কর। ৪

ক সুরের নূপুর বাজায় উদাস কবি।
খ বাংলা বর্ণমালা নিবিড়ভাবে বাঙালির অস্তিত্বের সঙ্গে মিশে আছে।
বাংলা অক্ষর বাঙালির চিত্ত আনন্দে ভরিয়ে দেয়। বাংলা বাঙালির মাতৃভাষা। এ ভাষাতেই বাঙালি প্রথম কথা বলতে শেখে। এ ভাষার মর্যাদা রক্ষা করার জন্য বাঙালিকে বুকের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত করতে হয়েছে। তাই বাংলা বর্ণমালা মিশে আছে বাঙালির অস্তিত্বের সঙ্গে।
গ উদ্দীপকটি ‘এই অক্ষরে’ কবিতার সঙ্গে সম্পূর্ণ সাদৃশ্যপূর্ণ।
বাংলা বাঙালির মাতৃভাষা। বাংলা বর্ণমালা বা বাংলা ভাষা মিশে আছে বাঙালির অস্তিত্বের সঙ্গে। বাংলাকে বাদ দিয়ে যেমন বাঙালিকে কল্পনা করা যায় না তেমনি বাঙালিকে বাদ দিয়ে বাংলা ভাষাকেও কল্পনা করা যায় না। বাঙালি জন্মের পর থেকেই বাংলা ভাষা শুনতে পায় এবং এ ভাষায় কথা বলে।
উদ্দীপকেও বাংলা ভাষা ও বাঙালির মধ্যকার সম্পর্ক নিয়ে বাঙালি ও বাংলা একে অন্যের সঙ্গে সাথে জড়িত। বাংলা ভাষায় বাঙালিরা তাদের মনের ভাব যতটা সহজ ও সাবলীলভাবে আদান-প্রদান করতে পারে তা অন্য কোনো ভাষায় করা সম্ভব নয়। তাই বলা যায় যে, ‘এই অক্ষরে’ কবিতা ও উদ্দীপকের বিষয়বস্তু একই ধারায় উৎসারিত।
ঘ বাংলা ভাষা ও বাঙালি একে অন্যের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত- উক্তিটি যথার্থ।
‘এই অক্ষরে’ কবিতায় কবি বাঙালি জাতির প্রাণের ভাষা বাংলা ভাষা বা বাংলা বর্ণমালা নিয়ে আলোচনা করেছেন। বাংলা ও বাঙালি এ দুটিকে আলাদা করার কোনো উপায় নেই। কারণ এর একটি ছাড়া অন্যটি অর্থহীন। বাংলা ভাষার জন্য বাঙালি আজ বিশ্ব দরবারে স্বাধীন জাতি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। বাঙালি তাদের মাতৃভাষার জন্য রক্ত দিয়েছে।
উদ্দীপকেও বাঙালি ও বাংলা ভাষার নিবিড় সম্পর্কের কথা বলা হয়েছে। বাঙালি ও বাংলা ভাষার যেকোনো একটিকে বাদ দিয়ে অন্যটি কল্পনা করা সম্ভব নয়। বাংলা ভাষা মিশে আছে বাঙালির অন্তরের সঙ্গে। বাংলার মতো মধুর ভাষা পৃথিবীতে বিরল। মায়ের সঙ্গে সন্তানের যে সম্পর্ক বাংলা ভাষার সঙ্গে বাঙালির সম্পর্কও ঠিক তেমন।
উল্লিখিত আলোচনায় বলা যায়, বাংলা ভাষা মিশে আছে আমাদের রক্তের সঙ্গে। ‘বাংলা ভাষা ও বাঙালি একে অন্যের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত’।
প্রশ্ন- ৪ ল্ফল্ফ
আমি বাংলায় গান গাই
আমি বাংলার গান গাই
আমি বাংলায় দেখি স্বপ্ন
আমি বাংলায় বাঁধি সুর
এ বাংলা আমার তৃষ্ণার জল
বাংলা প্রাণের সুর
আমি একবার দেখি বারবার দেখি
দেখি বাংলার মুখ।
[আমি বাংলায় গাই : প্রতুল মুখোপাধ্যায়]
ক. তামার পাতের ওপর লেখাকে কী বলা হয়? ১
খ. ‘এই ভাষা দিয়ে গান লিখে নিয়ে
যুদ্ধ করেছি জয়।’ Ñবলতে কবি কী বুঝিয়েছেন? ২
গ. উদ্দীপকটি ‘এই অক্ষরে’ কবিতার বিষয়বস্তু প্রকাশে কতটুকু সার্থক? আলোচনা কর। ৩
ঘ.‘বাংলা ভাষা ও বাঙালি একে অন্যের পরিপূরক’। উদ্দীপক ও ‘এই অক্ষরে’ কবিতার আলোকে বক্তব্যটি মূল্যায়ন কর। ৪

ক তামার পাতের ওপর লেখাকে বলা হয় তাম্রলিপি।
খ মাতৃভাষায় রচিত মুক্তির গান বাঙালিকে যুদ্ধ জয় করতে সাহস ও অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে তাই কবি আলোচ্য চরণটিতে এ কথাটি বোঝাতে চেয়েছেন।
মাতৃভাষা বাঙালির প্রাণের উৎস। এ ভাষার জন্য বাঙালি বুকের তাজা রক্তে রাজপথ রঞ্জিত করেছে। ভাষা আন্দোলন ছিল বাঙালির স্বাধিকার আদায়ের প্রথম লড়াই। ভাষা আন্দোলন বাঙালি জাতিকে মুক্তিযুদ্ধে অবতীর্ণ হতে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল। মাতৃভাষার মাধ্যমেই বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামীদের উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে।
গ উদ্দীপকটি ‘এই অক্ষরে’ কবিতার বিষয়বস্তু প্রকাশে পুরোপুরি সার্থক।
বাংলা বর্ণমালা তথা বাংলা ভাষা বাঙালির জাতীয় পরিচয়ের অবিনাশী সম্পদ। এ ভাষা মিশে আছে বাঙালির প্রাণের সঙ্গে, অস্তিত্বের সঙ্গে। বাংলা আমাদের মাতৃভাষা। বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষার জন্য বাঙালি রক্ত দিয়েছে। বাঙালি জাতি পৃথিবীর একমাত্র জাতি যারা ভাষার জন্য আন্দোলন করেছে, প্রাণ বিসর্জন দিয়েছে। এ ভাষা মিশে আছে বাঙালির রক্তের সঙ্গে। তাই বাংলা ভাষা ও বাঙালিকে কখনই আলাদা করা সম্ভব নয়।
উদ্দীপকটি একটি দেশাত্মবোধক গান। এখানে বাংলা ভাষার প্রতি গভীর ভালোবাসার প্রকাশ লক্ষ করা যায়। বাংলার প্রকৃতি ব্যঞ্জনার মাধ্যমে ভালোবাসার এক জাল সৃষ্ট হয়েছে আলোচিত উদ্দীপকে। তাই বলা যায়, আলোচ্য উদ্দীপকটি ‘এই অক্ষরে’ কবিতার বিষয়বস্তু প্রকাশে পুরোপুরি সার্থক।
ঘ বাংলা ভাষা ও বাঙালি একে অন্যের পরিপূরক- বক্তব্যটি যথার্থ।
বাংলা বাঙালির মাতৃভাষা। জন্মের পরে প্রথমে বাঙালি মায়ের মুখে এ ভাষায় কথা শোনে। তাই মায়ের সঙ্গে বাংলা ভাষার একটা ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিদ্যমান। বাংলাকে বাদ দিয়ে যেমন বাঙালিকে কল্পনা করা যায় না, তেমনি বাঙালিকে বাদ দিয়ে বাংলা ভাষা কল্পনা করা অসম্ভব।
উদ্দীপকেও বাংলার সঙ্গে বাঙালির সম্পর্কের প্রকাশ লক্ষ করা যায়। বাংলা ভাষা বিশ্ব দরবারে আমাদের বাঙালি হিসেবে পরিচিতি এনে দিয়েছে। এ ভাষা মিশে আছে আমাদের অন্তরের সঙ্গে, রক্তের সঙ্গে। তাই এর একটিকে বাদ দিলে অন্যটি অস্তিত্বহীন হয়ে পড়বে।
উল্লিখিত আলোচনা প্রমাণ করে, বাংলা ভাষা ও বাঙালি একে অন্যের পরিপূরক।
প্রশ্ন- ৫ ল্ফল্ফ
বাঙালির প্রাণের সঙ্গে, অস্তিত্বের সঙ্গে মিশে আছে মাতৃভাষা বাংলা। এ ভাষার জন্য ১৯৫১ সালে বাংলার দামাল ছেলেরা তাদের বুকের তাজা রক্ত রাজপথে ঢেলে দিয়েছে। তাদের মহান আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা আমাদের মায়ের ভাষার অধিকার পেয়েছি। এই ভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করার সুযোগ পেয়েছি। তাই সকল বাঙালির কাছে বাংলা ভাষার গুরুত্ব অপরিসীম।
ক. উদাস কবি কখন সুরের নূপুর বাজান? ১
খ. ‘অক্ষর’ বলতে কবি প্রকৃত অর্থে কী বোঝাতে চেয়েছেন? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকটিতে ‘এই অক্ষরে’ কবিতার কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? নিরূপণ কর। ৩
ঘ.উদ্দীপকটিতে ‘এই অক্ষরে’ কবিতার মূল উদ্দেশ্য প্রতিফলিত হয়েছে কি? বিশ্লেষণ কর। ৪

ক উদাস কবি সকাল-দুপুর সুরের নূপুর বাজান।
খ ‘অক্ষর’ বলতে কবি প্রকৃত অর্থে মাতৃভাষা বাংলাকে বোঝাতে চেয়েছেন।
আমাদের মাতৃভাষা বাংলা। এ বাংলার সঙ্গে প্রত্যেক বাঙালির রয়েছে গভীর সম্পর্ক। কবি মহাদেব সাহা ‘এই অক্ষরে’ কবিতায় অক্ষর বলতে সীমিত অর্থে হরফ বা বর্ণ এবং বৃহৎ অর্থে অর্থাৎ প্রকৃত অর্থে মাতৃভাষাকে বুঝিয়েছেন।
গ উদ্দীপকটিতে ‘এই অক্ষরে’ কবিতার মাতৃভাষার মোহনীয় শক্তির দিকটি ফুটে উঠেছে।
বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য কবি মহাদেব সাহা। তার ‘এই অক্ষরে’ কবিতায় বাংলার অক্ষর তথা মাতৃভাষার গুরুত্বের দিকটি তুলে ধরেছেন। কারণ বাংলা বর্ণমালা বাঙালির প্রাণের সঙ্গে মিশে আছে। বর্ণমালা অতন্দ্র প্রহরী হয়ে যেন পাহারা দিয়ে রেখেছে আমাদের এই প্রিয় জন্মভ‚মিকে।
উদ্দীপকটিতে বাংলা ভাষা টিকিয়ে রাখার জন্য আমাদেরকে যে সংগ্রাম করতে হয়েছে সেই বিষয়টি উঠে এসেছে। এ ভাষার জন্য ১৯৫২ সালে বাংলার দামাল ছেলেরা তাদের বুকের তাজা রক্ত রাজপথে ঢেলে দিয়েছে। ‘এই অক্ষরে’ কবিতার কবি বাংলা ভাষার এ গুরুত্বের দিকটি, এ ভাষার সংগ্রামমুখর দিকটি তুলে ধরেছেন। বাংলার মানুষ সংগ্রাম করে এ ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করার কারণেই আজ এর সুফল ভোগ করছে। উদ্দীপকটিতেও আলোচ্য কবিতার সেই দিকটিই ফুটে উঠেছে।
ঘ উদ্দীপকটিতে ‘এই অক্ষরে’ কবিতার মূল উদ্দেশ্য প্রতিফলিত হয়েছে।
মহাদেব সাহার ‘এই অক্ষরে’ কবিতার মূল উদ্দেশ্য হলো মাতৃভাষার প্রতি শিক্ষার্থীদের শ্রদ্ধা ও সহজবোধ জাগরণ করা। কারণ এ ভাষার অক্ষর বাঙালির চিত্ত আনন্দে ভরিয়ে দেয়, বাঙালিকে করে তোলে স্বপ্নালু। বাংলার অক্ষর বাঙালির চোখে দেখা দেয় মায়ের রূপ ধরে।
উদ্দীপকটিতে বলা হয়েছে, মহান আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা আমাদের মায়ের ভাষার অধিকার রক্ষা করতে পেরেছি। বাংলা আমাদের মাতৃভাষা। এ ভাষার সঙ্গে পৃথিবীর অন্য কোনো দেশের ভাষার তুলনা হয় না। এ ভাষার কারণেই ১৯৫২ সালে বাঙালিরা যুদ্ধ করেছে। বাংলা ভাষার এই মর্যাদা অক্ষুণœ রাখার জন্য কবি ‘এই অক্ষরে’ কবিতাটি রচনা করেছেন এবং উদ্দীপকটির উদ্দেশ্যও তাই।
উল্লিখিত আলোচনায় বলা যায়, উদ্দীপকটিতে ‘এই অক্ষরে’ কবিতার মূল উদ্দেশ্য প্রতিফলিত হয়েছে।
 অনুশীলনের জন্য সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক (উত্তরসংকেতসহ)
প্রশ্ন- ৬ ল্ফল্ফ
বাংলার বুকে বাংলা ভাষা
মুখর চিরন্তন
এই ভাষাতেই বলতে কথা
স্তব্ধ শীতল মন।
এই ভাষাতেই মায়ের কাছে
প্রথম ‘মা’ ডাক শুনি
স্বপ্ন হাজার পাতায় পাতায়
এই ভাষাতেই বুনি।
ক. ‘এই অক্ষরে’ কাকে মনে পড়ে? ১
খ. ‘এই অক্ষর যেন নির্ঝর ছুটে চলে অবিরাম।’-ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের সাথে ‘এই অক্ষরে’ কবিতার মিল দেখাও। ৩
ঘ. “এই অক্ষরে” কবিতা ও উদ্দীপক একই আবেগে রচিত।- এ উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর। ৪

ক ‘এই অক্ষরে’ মাকে মনে পড়ে।
খ আলোচ্য চরণ দ্বারা কবি বাংলা ভাষার আবহমান কাল ধরে ভবিষ্যতের পানে ছুটে চলা বুঝিয়েছেন।
বাংলা আমাদের মাতৃভাষা। এ ভাষাতেই আমরা বলি ও লিখি। আমাদের পূর্বপুরুষেরাও তাই করতেন এবং আমাদের উত্তরসূরীরাও তাই করবে। মাতৃভাষার মাধ্যমে আমরা নানা কাজ করে বর্তমান থেকে ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে চলেছি। তাই বলা হয়েছে মাতৃভাষা অবিরাম ছুটে চলে।
ঢপষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে-
গ উদ্দীপক ও কবিতার সমন্বয় করে তুলনামূলক আলোচনা কর।
ঘ ‘এই অক্ষরে’ কবিতার ভাববস্তু বিশ্লেষণ কর।
প্রশ্ন- ৭ ল্ফল্ফ
আমাদের প্রাণের ভাষা, আমাদের অস্তিত্বের ভাষা হলো বাংলা ভাষা। এ ভাষার অমৃতরসে সিক্ত হয়েই আমাদের জীবন গড়ে ওঠে, আমাদের মানসিকতা বিকাশ লাভ করে। জন্মের পর থেকেই এ ভাষার মাধ্যমে আমরা নিজেদের প্রকাশ করি। অভাব, অভিযোগ তুলে ধরি, দেহ-মনের উন্নতি সাধন করি। যাবতীয় অন্যায় ও শোষণের বিরুদ্ধে শক্তির জোগান দেয় এই বাংলা ভাষা। তাই আমারে সকলের বাংলা ভাষাকে সম্মান করা এবং এর মর্যাদা রক্ষায় সচেষ্ট থাকা উচিত।
ক. বাংলা অক্ষর কীসের মতো ছুটে চলে? ১
খ. কবি বাংলা ভাষাকে ‘উপমা’ হিসেবে কীভাবে তুলে ধরেছেন? ২
গ. মাতৃভাষা আমাদের সকল কাজে কীভাবে প্রেরণা জোগায়? উদ্দীপক ও ‘এই অক্ষরে’ কবিতার আলোকে নির্ণয় কর। ৩
ঘ. ‘আমাদের সকলের বাংলা ভাষাকে সম্মান করা উচিত এবং এর মর্যাদা রক্ষায় সচেষ্ট থাকা উচিত।’ উদ্দীপক ও ‘এই অক্ষরে’ কবিতার আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪

ক বাংলা অক্ষর নির্ঝরের মতো ছুটে চলে।
খ কবি বাংলা ভাষাকে ‘উপমা’ হিসেবে তুলে ধরেছেন প্রকৃতির অপরূপ ছবি খুঁজে পাওয়ার মাধ্যমে।
বাংলা ভাষার সৌন্দর্য কবির কাছে অপরূপ ছবির মতোই। কবি তাঁর কবিতা লিখে যান বাংলা ভাষাতেই। এ ভাষায় তিনি ভাব প্রকাশের সহজ উপায় খুঁজে পান। বাংলা ভাষায় তৈরি করা ‘উপমা’ কবিকে সৌন্দর্যের ছোঁয়া দেয়। কবি খুঁজে পান তাঁর অপরূপ ছবি।
ঢপষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে-
গ ‘মাতৃভাষা আমাদের প্রেরণা’ এ সম্পর্কে আলোচনা করতে হবে।
ঘ ‘এই অক্ষরে’ কবিতার আলোকে মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষায় আমাদের করণীয় কী সে সম্পর্কে তোমার মতামত দাও।

জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

 জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন \ ১ \ মহাদেব সাহা কত খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : মহাদেব সাহা ১৯৪৪ খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন।
প্রশ্ন \ ২ \ উপমা মানে কী?
উত্তর : উপমা মানে তুলনা।
প্রশ্ন \ ৩ \ নূপুর কী?
উত্তর : নূপুর হচ্ছে পায়ে পরার অলঙ্কার।
প্রশ্ন \ ৪ \ অপরূপ অর্থ কী?
উত্তর : অপরূপ অর্থ হচ্ছে খুব সুন্দর।
প্রশ্ন \ ৫ \ তারারা কোথায় নাম লেখে?
উত্তর : তারারা আকাশেতে নাম লেখে।
প্রশ্ন \ ৬ \ ‘নির্ঝর’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : ‘নির্ঝর’ শব্দের অর্থ ‘ঝরনা।
প্রশ্ন \ ৭ \ পাথরে খোদাই করা লেখাকে কী বলা হয়?
উত্তর : পাথরে খোদাই করা লেখাকে বলা হয় শিলালিপি।
প্রশ্ন \ ৮ \ মাতৃভাষার মাধ্যমে আমরা নানা কাজ করে বর্তমান থেকে কোন দিকে এগিয়ে চলেছি?
উত্তর : মাতৃভাষার মাধ্যমে আমরা নানা কাজ করে বর্তমান থেকে ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে চলেছি।
প্রশ্ন \ ৯ \ ভাষার দৃষ্টান্ত দেখলেই কাকে মনে পড়ে যায়?
উত্তর : ভাষার দৃষ্টান্ত দেখলেই মাকে মনে পড়ে যায়।
প্রশ্ন \ ১০ \ আমরা ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত বাংলা ভাষাকে কীরূপে প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করেছি?
উত্তর : আমরা ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষারূপে প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করেছি।
প্রশ্ন \ ১১ \ মাতৃভাষা ও মাতৃভাষার জন্য আন্দোলন থেকে আমরা কী পেয়েছি?
উত্তর : মাতৃভাষা ও মাতৃভাষার জন্য আন্দোলন থেকে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতার অনুপ্রেরণা।
প্রশ্ন \ ১২ \ কীসের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামীদের উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে?
উত্তর : মাতৃভাষার মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামীদের উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে।
প্রশ্ন \ ১৩ \ বাংলা অক্ষর কার চোখে দেখা দেয় মায়ের রূপ ধরে?
উত্তর : বাংলা অক্ষর বাঙালির চোখে দেখা দেয় মায়ের রূপ ধরে।
প্রশ্ন \ ১৪ \ কবিকে ডাক নাম ধরে কে ডাক দেয়?
উত্তর : কবিকে ডাক নাম ধরে বাংলা ভাষার অক্ষর ডাক দেয়।
প্রশ্ন \ ১৫ \ প্রিয় ভাষা বুকে কী এনে দেয়?
উত্তর : প্রিয় ভাষা বুকে আশা এনে দেয়।
প্রশ্ন \ ১৬ \ কবির অন্তরে কে ঢেউ তোলে?
উত্তর : কবির অন্তরে রূপকথা ঢেউ তোলে।
প্রশ্ন \ ১৭ \ ‘এই অক্ষরে’ কবিতায় কবির মন কেমন হয়ে যায়?
উত্তর : ‘এই অক্ষরে’ কবিতায় কবির মন নদীর মতো হয়ে যায়।
প্রশ্ন \ ১৮ \ বাঙালির মিলিত সত্তার শ্রেষ্ঠতম উৎস কী?
উত্তর : বাঙালির মিলিত সত্তার শ্রেষ্ঠতম উৎস বাংলা অক্ষর।
 অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন \ ১ \ বাঙালিরা কীভাবে স্বপ্নমুখী হয়ে ওঠে? বুঝিয়ে লেখ।
উত্তর : বাংলা ভাষার মাধ্যমে বাঙালিরা স্বপ্নমুখী হয়ে ওঠে।
বাংলা ভাষা বাঙালির প্রাণের ভাষা, অস্তিত্বের ভাষা। বহু ত্যাগ স্বীকার করে বাঙালি অর্জন করেছে এ ভাষা। আমরা এ ভাষায় কথা বলি, গান গাই, এমনকি আমরা স্বপ্ন দেখার সময়ও বাংলা ভাষায় দেখি। আর এভাবেই ভাষা আমাদের স্বপ্নমুখী করে তোলে।
প্রশ্ন \ ২ \ ‘যেন কিছু তারা দিচ্ছে পাহারা, আকাশেতে লিখে নাম’- চরণটির ব্যাখ্যা দাও।
উত্তর : ‘যেন কিছু তারা দিচ্ছে পাহারা, আকাশেতে লিখে নাম’-চরণটিতে বোঝানো হয়েছে বাংলার আকাশে কতিপয় উজ্জ্বল নক্ষত্র হারিয়ে বাঙালির মায়ের ভাষা অর্জিত হয়েছে।
একসময় আমাদের বাংলাদেশ পশ্চিমা শাসকের হাতে বন্দি ছিল বলে তারা আমাদের মুখের ভাষা, মায়ের ভাষা, প্রাণের ভাষা কেড়ে নিতে চেয়েছিল। কিন্তু বাংলা মায়ের দামাল ছেলেরা তা হতে দেয়নি। বুকের রক্ত দিয়ে, নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে এ ভাষাকে অর্থাৎ এ অক্ষরকে অর্জন বা অধিকার করেছে। সে অধিকার আদায় করার জন্য অক্ষরগুলো যেন নিরবচ্ছিন্নভাবে অনুপ্রেরণার বিষয় হয়ে আছে।
প্রশ্ন \ ৩ \ ‘সকাল দুপুর সুরের নূপুর, বাজায় উদাস কবি’-চরণটির ব্যাখ্যা দাও।
উত্তর : চরণটিতে বোঝানো হয়েছে, বাংলা ভাষায় কবিতা লিখে, গান লিখে কবি সকাল দুপুর সুরের নূপুর বাজান।
বাংলা ভাষা বাঙালির প্রাণের ভাষা, মায়ের ভাষা, মুখের ভাষা। এ ভাষা বাঙালি সকল ক্ষেত্রে ব্যবহার করে। কথা বলে, লিখন লেখে এবং গান করে। কবিরা কবিতা লিখে, গান লেখে। সে গান, কবিতা সারাক্ষণ মানুষের মুখে মুখে ফেরে। সে কথা বোঝাতেই ‘চারণটির অবতারণা করা হয়েছে।
প্রশ্ন \ ৪ \ “এই ভাষা দিয়ে গান লিখে নিয়ে যুদ্ধ করেছি জয়”-এ চরণটি দ্বারা কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন?
উত্তর : আলোচ্য চরণটি দ্বারা কবি ১৯৫২ সালের চেতনায় ১৯৭১ -এর মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণাকে বুঝিয়েছেন।
মহান মুক্তিযুদ্ধে মাতৃভাষার মাধ্যমেই এদেশের স্বাধীনতাকামীদের উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। এ ভাষায় রচিত হয়েছে মুক্তির গান। আর সেই গান মুক্তিযোদ্ধাদের উৎসাহ জুগিয়েছে। এ কারণেই কবি এই ভাষা দিয়ে যুদ্ধ জয়ের কথা বলেছেন।
প্রশ্ন \ ৫ \ ‘স্বপ্নের মতো রূপকথা যত অন্তরে তোলে ঢেউ’ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : “স্বপ্নের মতো রূপকথা যত অন্তরে তোলে ঢেউ”-চরণটি দ্বারা বোঝানো হয়েছে বাংলা ভাষায় লেখা রূপকথার গল্প স্বপ্নের মতো মনে হয় এবং মানুষের অন্তরে ঢেউয়ের জোয়ার বয়ে যায়।
রূপকথার গল্প হচ্ছে রাজা-বাদশা, রাজপুত্র-রাজকন্যা, দৈত্য-দানব, রাক্ষস-খোক্ষস প্রভৃতি কাহিনি নিয়ে লেখা কাল্পনিক গল্প। যা বাংলা ভাষায় বা বাংলা অক্ষরে লেখা হয় এবং মানুষ তা পড়ে পুলকিত হয়। এমনকি মানুষের কাছে তা স্বপ্নের মতো মনে হয়। যা অন্তরে কল্পনার ঢেউ জাগিয়ে তোলে।
প্রশ্ন \ ৬ \ বাঙালির চিত্ত আনন্দে ভরে ওঠে কেন?
উত্তর : মাতৃভাষার মাধ্যমে অজানা জ্ঞান আহরণ করতে পেরে বাঙালির চিত্ত আনন্দে ভরে ওঠে।
বাংলা অক্ষর বা বর্ণ বাঙালি জাতির অনন্য সম্পদ। কবির কল্পনায় মাতৃভাষার অক্ষরগুলো যেন তাঁর দিকে মুখ তুলে তাকায়। হৃদয়ে গান বেজে ওঠে। এই গান হৃদয়ে আনন্দ সঞ্চার করে। বাঙালিকে করে তোলে স্বপ্নমুখী। দেখা দেয় মায়ের রূপ ধরে। শিক্ষাজীবন ও বিশ্বের অজানা সব তথ্যের পরিচয় ঘটে মাতৃভাষার মাধ্যমেই। তাই অজানা সবকিছু শিখতে পেরে বাঙালির চিত্ত আনন্দে ভরে ওঠে।

বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

 বিষয়ক্রম অনুযায়ী বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
ন্ধ কবি পরিচিতি
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. ‘এই অক্ষরে’ কবিতার কবির নাম কী? (জ্ঞান)
ক কালিদাস রায়  মহাদেব সাহা
গ স্বর্ণকুমারী দেবী ঘ ফয়েজ আহমদ
২. মহাদেব সাহা কত খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন? (জ্ঞান)
 ১৯৪৪ খ ১৯৪৫ গ ১৯৪৬ ঘ ১৯৪৭
৩. মহাদেব সাহা কোথায় জন্মগ্রহণ করেন? (জ্ঞান)
ক কিশোরগঞ্জ জেলায় খ ময়মনসিংহ জেলায়
 সিরাজগঞ্জ জেলায় ঘ নরসিংদী জেলায়
৪. মহাদেব সাহা কবি হিসেবে সর্বোচ্চ সম্মান কোনটি পেয়েছেন? (জ্ঞান)
ক নাসিরউদ্দীন স্বর্ণপদক
খ আদমজি পুরস্কার
 বাংলা একাডেমি পুরস্কার
ঘ নজরুল পদক
৫. ‘এই গৃহ এই সন্ন্যাস’ কী জাতীয় রচনা? (জ্ঞান)
ক নাটক  কাব্যগ্রন্থ
গ উপন্যাস ঘ গল্প
৬. ‘অস্তমিত কালের গৌরব’ গ্রন্থটির রচয়িতা কে? (জ্ঞান)
ক কালিদাস রায় খ কাজী নজরুল ইসলাম
 মহাদেব সাহা ঘ আহসান হাবীব
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৭. মহাদেব সাহা পেয়েছেন- (অনুধাবন)
র. একুশে পদক রর. বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার
ররর. আলাওল সাহিত্য পুরস্কার
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র রর ও ররর
৮. মহাদেব সাহার গ্রন্থ হলো- (অনুধাবন)
র. এই গৃহ এই সন্ন্যাস রর. সরষে ফুলের নদী
ররর. ছবি আঁকা পাখির পাখা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
ন্ধ মূলপাঠ
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৯. কিছু তারা কী করছে? (জ্ঞান)
ক খেলা করছে খ নিত্য করছে
গ দৌড়াচ্ছে  পাহারা দিচ্ছে
১০. তারাগুলো আকাশেতে কী লিখে? (জ্ঞান)
 নাম খ গান গ কবিতা ঘ গল্প
১১. অন্তরে কী জাগে? (জ্ঞান)
ক কথা  গান গ কবিতা ঘ স্বপ্ন
১২. আনন্দে কী ভরে? (জ্ঞান)
ক মন খ বুক  প্রাণ ঘ চোখ
১৩. ‘এই অক্ষরে’ কবিতায় কাকে মনে পড়ে? (জ্ঞান)
ক চাচাকে খ বাবাকে গ দাদাকে  মাকে
১৪. মাকে মনে পড়লে মন কী হয়ে যায়? (জ্ঞান)
ক সাগর খ পুকুর গ বিল  নদী
১৫. উদাস কবি কী বাজায়? (জ্ঞান)
 সুরের নূপুর খ সুরের দুল
গ গলার হার ঘ পায়ের নূপুর
১৬. রূপকথা অন্তরে কী করে? (জ্ঞান)
ক সুর তোলে খ নাচে গ গান গায়  ঢেউ তোলে
১৭. ‘শিখি তার কাছে অজানা যা আছে’ এ বাক্যটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? (অনুধাবন)
ক মানুষের শেখার শেষ নেই
খ বাংলা বর্ণমালা মা স্বরূপ
 মাতৃভাষায় অজানাকে সহজে জানা
ঘ বাংলার অক্ষরে মুক্তির গান শিখি
১৮. আপন-পর সকলেই এক বন্ধনে আবদ্ধ হয় কীসের টানে? (জ্ঞান)
 ভাষার টানে খ জাতির টানে
গ ধর্মের টানে ঘ ব্যবহারের টানে
১৯. বাংলা অক্ষর বাঙালির চিত্তকে কীসে ভরিয়ে দেয়? (জ্ঞান)
 আনন্দে খ বেদনায় গ চিন্তায় ঘ দুঃসহ যন্ত্রণায়
২০. বর্ণমালা কার চিত্তে সুখের নূপুর বাজায়? (জ্ঞান)
ক মায়ের খ বাবার  বাঙালির ঘ বোনের
২১. আপন-পর সকলকে কাছে টানে ও সব ভেদাভেদ দূর করে দেয় কোন জিনিসটি? (জ্ঞান)
 আমাদের বর্ণমালা খ আমাদের স্বদেশ
গ আমাদের জাতীয়তা ঘ আমাদের আবহাওয়া
২২. এই প্রিয় ভাষা বুকে কী দেয়? (জ্ঞান)
ক শান্তি খ সুখ গ ভরসা  আশা
২৩. এই ভাষায় কী লিখে আমরা যুদ্ধ জয় করেছি? (জ্ঞান)
ক গল্প খ কবিতা  গান ঘ নাটক
২৪. বাংলা ভাষা দিয়ে আমরা কী লিখেছি? (জ্ঞান)
ক দেশের গান  মুক্তির গান
গ চেতনার গান ঘ বিদ্রোহী গান
২৫. বাংলা অক্ষর বাঙালিকে কী করে তোলে? (জ্ঞান)
ক আশাবাদী খ অহংকারী  স্বপ্নমুখী ঘ স্বপ্নচারী
২৬. বাংলা অক্ষর বাঙালির বুকে কী সঞ্চার করে? (জ্ঞান)
ক স্বপ্ন খ অনুপ্রেরণা
গ মুক্তির স্বপ্ন  আশা
২৭. মাতৃভাষার মাধ্যমে আমরা কোন দিকে এগিয়ে চলেছি? (জ্ঞান)
ক বর্তমান থেকে অতীতে  বর্তমান থেকে ভবিষ্যতে
গ অতীত থেকে বর্তমানে ঘ অতীত থেকে বর্তমান ও ভবিষ্যতে
২৮. আকাশের তারা পাহারা দিচ্ছে কীভাবে? (অনুধাবন)
ক রাত জেগে  নাম লিখে
গ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ঘ বসে বসে
২৯. আনন্দে প্রাণ ভরে যায় কেন? (অনুধাবন)
 অজানাকে জেনে খ জানাকে ভুলে
গ শিক্ষা গ্রহণ করে ঘ গান শুনে
৩০. অপরূপ ছবি দেখি কেন? (অনুধাবন)
 মনের আনন্দে খ প্রাকৃতিক দৃশ্যে
গ সুখে ঘ কান্নায়
৩১. ‘ছুটে চলে অবিরাম’ -বলতে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন? (অনুধাবন)
ক ছুটে চলা  ভাষার প্রবহমানতা
গ অক্ষরের কথা ঘ আরামহীন
৩২. ‘অন্তরে জাগে গান’ -বলতে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন? (অনুধাবন)
 আনন্দ খ কষ্ট গ ব্যথা ঘ রাগ
৩৩. অন্তরে ঢেউ ওঠে কেন? (অনুধাবন)
ক গান শুনে খ নাচ দেখে
গ সিনেমা দেখে  এই অক্ষরে নাম ধরে ডাকলে
৩৪. ‘দেখি অপরূপ ছবি’ -বলতে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন? (অনুধাবন)
ক মা  সৌন্দর্য গ রূপ ঘ গুণ
৩৫. ‘এই ভাষা দিয়ে গান লিখে নিয়ে যুদ্ধ করেছি জয়’।- এখানে কীসের ইঙ্গিত করা হয়েছে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক দুঃখের খ সাহসের  স্বাধীনতার ঘ প্রেমের
৩৬. ‘ছুটে চলে অবিরাম’ -চরণটিতে কী প্রকাশ পেয়েছে? (উচ্চতর দক্ষতা)
 সবসময় ছুটে চলা খ ধীরে ধীরে চলা
গ বিশ্রাম নেয়া ঘ পরিশ্রম করা
৩৭. ‘এই অক্ষর যেন নির্ঝর’ এখানে কোনটি ফুটে উঠেছে? (উচ্চতর দক্ষতা)
 ভাষার গতিশীলতা খ অন্তরঙ্গ ইন্দ্রিয়ানুভ‚তির তীব্রতা
গ ঝরনাধারার গতি ঘ চাওয়া-পাওয়ার আকুতি
৩৮. ‘সকাল দুপুর সুরের নূপুর/বাজায় উদাস কবি’ চরণটিতে কী প্রকাশ পেয়েছে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক বাজায় বাঁশি খ বাজায় ঢোল
 আনন্দ ঘ বাজায় উদাস গায়ক
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৩৯. ভাষাকে ঝরনার সাথে তুলনা করার কারণ- (অনুধাবন)
র. ভাষা চলমান রর. ভাষা মনের ভাব প্রকাশ
ররর. ভাষা গতিশীল
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪০. ‘এই অক্ষরে মাকে মনে পড়ে’- বলতে বোঝানো হয়েছে (অনুধাবন)
র. অক্ষর দেখলেই মাকে মনে পড়ে
রর. মানুষ মাত্রই মায়ের প্রতি দুর্বল
ররর. এই ভাষা মায়ের কাছে থেকে শেখা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪১. ‘এই অক্ষর আত্মীয়-পর সকলেরে কাছে টানে’- বলতে বোঝায় (অনুধাবন)
র. বাংলা ভাষা আত্মীয়-পর বোঝে না
রর. বাংলা ভাষা সকল ভেদাভেদ দূর করে
ররর. বাংলা ভাষা আত্মীয় নামধারীকে অনাত্মীয়তে পরিণত করে
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪২. মাতৃভাষায় লেখা মুক্তির গান বাঙালিকে জুগিয়েছে- (অনুধাবন)
র. অনুপ্রেরণা রর. উৎসাহ
ররর. অনুশোচনা
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪৩. বাংলা বর্ণমালা মিশে আছে বাঙালির- (অনুধাবন)
র. প্রাণের সঙ্গে রর. অস্তিত্বের সঙ্গে
ররর. করুণার সঙ্গে
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪৪. ‘এই ভাষা দিয়ে গান লিখে নিয়ে যুদ্ধ করেছি জয়’- কথাটি দিয়ে যা বোঝানো হয়েছে- (অনুধাবন)
র. গণতন্ত্রের অধিকার পেয়েছি রর. মতপ্রকাশের অধিকার পেয়েছি
ররর. স্বাধিকার পেয়েছি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৪৫ ও ৪৬ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
“এ ভাষারি মান রাখিতে
হয় যদি বা জীবন দিতে
চারকোটি ভাই রক্ত দিয়ে
পুরাবে এর মনের আশা।”
৪৫. কবিতাংশের ‘এ ভাষারি’ বলতে কোন ভাষাকে ইঙ্গিত করা হয়েছে? (প্রয়োগ)
ক মাতৃভাষা  বাংলা ভাষা
গ একুশের ভাষা ঘ জনতার ভাষা
৪৬. উক্ত ভাষা অর্জনে চরম পরীক্ষা দিতে হয়েছে (উচ্চতর দক্ষতা)
র. ভাষা আন্দোলনে রর. মুক্তিযুদ্ধে
ররর. ১৯৫২ সালের আন্দোলনে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৪৭ ও ৪৮ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
বাংলা বর্ণমালা আমাদের কাছে অনেক প্রিয়। তাই এই বর্ণমালায় কিছু লিখতে পারলে আনন্দে আমাদের প্রাণ ভরে ওঠে। আমাদের অন্তরে জাগে গান।
৪৭. অনুচ্ছেদে উক্ত কবিতার যে দিক ‘এই অন্তরে’ কবিতায় যে ফুটে উঠেছেÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. বাংলা ভাষার প্রতি ভালোবাসা রর. বাংলা ভাষাপ্রীতি
ররর. বাংলার প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪৮. অনুচ্ছেদের মিল রয়েছে তোমার পঠিত কোন কবিতার সঙ্গে? (প্রয়োগ)
ক আনন্দ খ মে-দিনের কবিতা
 এই অক্ষরে ঘ মেলা
ন্ধ শব্দার্থ ও টীকা
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৪৯. পাথরে খোদাই করে লেখা লিপিকে কোন লিপি বলা হয়? (জ্ঞান)
ক তাম্রলিপি  শিলালিপি গ ব্রাহ্মীলিপি ঘ লিপি
৫০. তাম্রলিপি বলা হয় কাকে? (জ্ঞান)
ক ইটের উপরে খোদাই করা লিপি
 তামার পাতের উপরে খোদাই করা লিপি
গ তালপাতায় লেখা লিপি
ঘ পাথরে খোদাই করা লিপি
৫১. মাতৃভাষার আন্দোলন থেকে আমরা কী পেয়েছি? (জ্ঞান)
ক ছয়দফা খ শহিদ দিবস
 স্বাধীনতার অনুপ্রেরণা ঘ বিজয়
৫২. শিলালিপি লেখার উদ্দেশ্য কী? (অনুধাবন)
ক অস্থায়ীর জন্য  স্থায়িত্বের জন্য
গ সামাজিকতার জন্য ঘ ক্ষণিকের জন্য
৫৩. ‘এই অক্ষরে’ কবিতায় ‘অক্ষর’ শব্দটি কী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে? (জ্ঞান)
ক সংকেত  মাতৃভাষা গ ঝরনা ঘ চিহ্ন
৫৪. আমরা কীসের মাধ্যমে বর্তমান থেকে ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে চলেছি? (অনুধাবন)
ক কাজের মাধ্যমে  ভাষার মাধ্যমে
গ উন্নয়নের মাধ্যমে ঘ বিজ্ঞানের সাহায্যে
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৫৫. রূপকথায় থাকে- (অনুধাবন)
র. রাক্ষস-খোক্ষসের কাহিনি রর. কাল্পনিক কাহিনি
ররর. স্বাধীনতা সংগ্রামের কাহিনি
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫৬. শিলালিপি লেখা হয়- (অনুধাবন)
র. পাথরে রর. তামার পাতে
ররর. সোনার পাতে
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫৭. রূপকথা লিখিত হয় সাধারণত (অনুধাবন)
র. রাজা-বাদশার কাহিনি নিয়ে
রর. ধনী-দরিদ্রদের কাহিনি নিয়ে
ররর. দৈত্য-দানো, রাক্ষসÑখোক্ষসের কাহিনি নিয়ে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫৮. অক্ষরগুলো নিরবচ্ছিন্নভাবে আমাদের অনুপ্রেরণা দেয় (অনুধাবন)
র. সচেতন হওয়ার রর. অধিকার আদায়ের
ররর. সংগ্রাম করার
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
ন্ধ পাঠ পরিচিতি
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৫৯. ‘এই অক্ষরে’ কবিতায় আমাদের ভেতর মাতৃভাষার প্রতি কী জাগ্রত হবে? (অনুধাবন)
 শ্রদ্ধা ও মমত্ব খ ভালোবাসা
গ গভীর অনুরাগ ঘ নিরবচ্ছিন্ন অনুপ্রেরণা
৬০. ‘এই অক্ষরে’ কবিতায় কোন বিষয়টি ফুটে উঠেছে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক দেশের প্রতি ভালোবাসা খ মাটির প্রতি ভালোবাসা
গ সম্পদের গুরুত্ব  মাতৃভাষার গুরুত্ব
৬১. ‘এই অক্ষরে’ কবিতাটিতে কবির কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? (উচ্চতর দক্ষতা)
 মাতৃভ‚মির প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা
খ ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা
গ ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা
ঘ নিজ জাতির প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬২. ‘এই অক্ষরে’ কবিতায় প্রকাশ পেয়েছেÑ (অনুধাবন)
র. বাংলা ভাষার প্রতি ভালোবাসা রর. বাংলা ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা
ররর. বাংলা ভাষার প্রতি অবজ্ঞা
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬৩. ‘এই অক্ষরে’ কবিতাটি মাতৃভাষার প্রতি জাগ্রত করে- (অনুধাবন)
র. শ্রদ্ধা রর. মমত্ববোধ
ররর. সহানুভ‚তি
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬৪. মহাদেব সাহার ‘এই অক্ষরে’ কবিতার ভাববস্তুতে যা প্রকাশিত হয়েছে- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. মাতৃভ‚মিপ্রীতি রর. মাতৃভাষাপ্রীতি
ররর. মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

Share to help others:

Leave a Reply