সপ্তম শ্রেণির বাংলা মেলা

মেলা
আহসান হাবীব
কবি ও কবিতা সম্পর্কিত তথ্য

 কবি পরিচিতি
নাম আহসান হাবীব।
জন্ম পরিচয় জন্ম : ১৯১৭ খ্রিষ্টাব্দ। জন্মস্থান : পিরোজপুর জেলার শংকরপাশা গ্রাম।

শিক্ষা ও কর্মজীবন আহসান হাবীব ব্রজমোহন কলেজে আইএ পর্যন্ত পড়ালেখা করেন। এরপর আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে আর পড়ালেখা চালিয়ে যেতে পারেননি। এমন অবস্থায় জীবিকার সন্ধানে কলকাতায় গমন করেন। কর্মজীবনে তিনি সাংবাদিকতার সাথে জড়িত ছিলেন। দীর্ঘকাল তিনি দৈনিক বাংলা পত্রিকার সাহিত্য বিভাগ পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেন।

সাহিত্য সাধনা কাব্যগ্রন্থ : রাত্রিশেষ ছায়াহরিণ, সারাদুপুুর, মেঘ বলে চৈত্রে যাবো, দুই হাতে দুই আদিম পাথর, বিদীর্ণ দর্পণে মুখ।’ শিশুতোষ গ্রন্থ : ছোটদের পাকিস্তান, বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর, ছুটির দিন দুপুরে প্রভৃতি। উপন্যাস : অরণ্যে নীলিমা, রাণী খালের সাঁকো । এছাড়াও তিনি অনুবাদক হিসেবেও সুপরিচিত।
পুরস্কার ও সম্মাননা আহসান হাবীব তার সাহিত্যকর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৬১ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও ১৯৭৮ সালে একুশে পদক লাভ করেন।
জীবনাবসান ১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দ।

 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ
স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপন অনুষ্ঠানে বাংলা শিক্ষক বললেন, ’৭১ সালে দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধের পর আমরা পেয়েছি এই মুক্ত আকাশ-বাতাস, পেয়েছি ছায়া সুনিবিড়-শান্তির নীড়, এই বাংলাদেশ। প্রধান শিক্ষক বললেন, ‘তোমরা আজকের শিশু-কিশোররা আগামী দিনের স্বপ্ন। শুধু দেশ ও জাতির জন্য নয়, শিশুরা সারা বিশ্বের সম্ভাবনা।’
ক. নীল আকাশে রং কুড়িয়ে বেড়ায় কারা?
খ. কবি আহসান হাবীব ‘আলোর পাখি’ বলতে কী বুঝিয়েছেন?
গ. বাংলা শিক্ষকের বক্তব্যে ‘মেলা’ কবিতার কোন দিকটি ফুটে উঠেছে- ব্যাখ্যা কর।
ঘ.“প্রধান শিক্ষক মন্তব্যে ‘মেলা’ কবিতার মূল বক্তব্যই ফুটে উঠেছে”- বিশ্লেষণ কর।

ক ভাইরা ও বোনরা মিলে নীল আকাশে রং কুড়িয়ে বেড়ায়।
খ কবি আহসান হাবীব ‘আলোর পাখি’ বলতে প্রভাতের সূর্যের কথা বুঝিয়েছেন।
রোজ সকালে আকাশ পথে আলোর পাখি উঁকি দেয়। সেই পাখি অন্ধকার দূরীভ‚ত করে আলোকিত করে পৃথিবীর সবকিছুকে। অন্ধকারের চাদর ছুড়ে ফেলে আলোর পাখির পরশ মেখে ঝলমল করে ওঠে গোটা পৃথিবী। কবি আহসান হাবীব মূলত আলোর পাখি বলতে সেই সূর্যকেই বুঝিয়েছেন।
গ বাংলা শিক্ষকের বক্তব্যে ‘মেলা’ কবিতার একতাবদ্ধতার দিকটি ফুটে উঠেছে।
‘মেলা’ কবিতায় আমাদের চারপাশের ফুলের মেলা, পাখির মেলা ও আকাশে তারার মেলার কথা কবি ব্যক্ত করেছেন। এসবের সাথে পৃথিবীর সব শিশুকে নিয়েও একটি মেলার কল্পনা করেছেন তিনি। কবিতায় বর্ণিত সারা বিশ্বের শিশুদের মধ্যে মনের ভাষার এক ঐক্য আছে। আর এই ঐক্যের টানে তারা সব বাধা ডিঙিয়ে একটি ¯েœহ-ভালোবাসার পৃথিবী গড়ে তুলবে। তাই সাজানো পৃথিবী গড়ে তোলার জন্য চাই একতাবদ্ধ একটি সমাজ।
উদ্দীপকের বাংলা শিক্ষকের বক্তব্যেও ফুটে উঠেছে একতাবদ্ধতার কথা। ১৯৭১ সালে দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধের পর আমরা পেয়েছি এই মুক্ত আকাশ-বাতাস; পেয়েছি ছায়া সুনিবিড় এই বাংলাদেশ। এক অনন্য একতার কারণেই আজকের এই সুন্দর স্বাধীন বাংলাদেশকে আমরা পেয়েছি। অর্থাৎ বাংলা শিক্ষকের বক্তব্যে একতাবদ্ধতার বিষয়টি ফুটে উঠেছে।
ঘ “আজকের কিশোররা আগামী দিনের স্বপ্ন শুধু দেশ ও জাতির জন্য নয়, শিশুরা সারা বিশ্বের জন্য সম্ভাবনা” প্রধান শিক্ষকের উক্তিটি যথার্থ।
‘মেলা’ কবিতায় কবি দেখিয়েছেন, কচি সবুজ ভাইবোনদের হাসি-খুশির মধ্যে লাখ লাখ সবুজ মনের জগৎ ও স্নেহ-প্রীতির প্রকাশ ঘটেছে। দেশ-কালের সীমানা ভেঙে তারা অন্তরের ভালোবাসা দিয়ে গড়তে চাচ্ছে একটি সুন্দর জগৎ। সাজানো বাগানের মতো সুন্দর পৃথিবী। তখন পৃথিবী হবে একটা দেশ, মানবসমাজ হবে একটা পরিবার। আজকের শিশুরাই ভবিষ্যতে গড়ে তুলবে এমন একটা সুন্দর পৃথিবী।
উদ্দীপকের প্রধান শিক্ষকের বক্তব্যে উঠে এসেছে, আজকের শিশু কিশোররা আগামী দিনের স্বপ্ন সকল শিশুর একতাবদ্ধ হয়ে সৌহার্দ্য, প্রীতি ও শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দেবে। প্রধান শিক্ষকের এ বক্তব্যটি যৌক্তিক। কারণ শিশুরাই পারে আগামী দিনের শান্তির বার্তা দিকে দিকে পৌঁছে দিতে। ‘মেলা’ কবিতার কবি আহসান হাবীবও সেই বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
আজকের শিশুরাই আগামী দিনের জাতির কর্ণধার। তাদের হাতেই সৃষ্টি হবে বিবাদহীন নতুন পৃথিবী। ‘মেলা’ কবিতা ও উদ্দীপকে এ বিষয়টিই তুলে ধরা হয়েছে। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের প্রধান শিক্ষকের উক্তিটি অত্যন্ত যৌক্তিক।
প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ
সুজন বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। বাবা চান তাদের সন্তান সুন্দর পৃথিবীর আলো বাতাসে বেড়ে উঠুক। মুক্ত মনে সকল মানুষকে ভালোবাসতে শিখুক, কাছে টানুক। এজন্য তিনি শিশুটিকে প্রতিদিন বিকালে খেলার মাঠে নিয়ে যেতেন। চলাফেরার স্বাধীনতা দিতেন। মুক্ত মনে সবার সাথে মেশার সুযোগ করে দিতেন। যেন সে ভেদাভেদহীনভাবে বেড়ে ওঠে।
ক. ‘নিত্য’ শব্দটির অর্থ কী? ১
খ. মেলা বলতে কী বোঝায়- ব্যাখ্যা কর। ২
গ. সুজনের বাবার চাওয়ার সাথে ‘মেলা’ কবিতার বিষয়বস্তু কতটুকু সাদৃশ্যপূর্ণ- নির্ণয় কর। ৩
ঘ.‘শিশুরা মুক্ত মনের অধিকারী, তারা নতুন পৃথিবীর সন্ধান দেয়’ মন্তব্যটি ‘মেলা’ কবিতার আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪

ক ‘নিত্য’ শব্দটির অর্থ রোজ বা প্রতিদিন।
খ মেলা বলতে বোঝায় কোনো উপলক্ষে মিলিত বা একত্র হওয়া।
মেলা সাধারণত কোনো বিশেষ দিন, কোনো উৎসব বা ধর্মীয় কোনো অনুষ্ঠান উপলক্ষে হয়ে থাকে। তবে মেলা কবিতায় ‘মেলা’ শব্দটি খানিকটা ভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। এখানে মেলা বলতে বোঝানো হয়েছে জগতের আনন্দ যজ্ঞকে। ফুল, পাখি, তারা আর নওল দিনের শিশু-কিশোরের আনন্দকে।
গ ‘মেলা’ কবিতার বিষয়বস্তুর সাথে উদ্দীপকের সুজনের বাবার চাওয়া অনেকাংশে সাদৃশ্যপূর্ণ।
আহসান হাবীব তার ‘মেলা’ কবিতায় বলেছেন শিশু-কিশোররা পৃথিবী জুড়ে নবীন প্রাণে আশার আলো ছড়িয়ে দেয়। তারা ভালোবাসা দিয়ে নতুন এক জগৎ গড়তে চায়।
উদ্দীপকে সুজনের বাবা জানেন একটা সুন্দর পৃথিবী গড়ে তুলতে হলে প্রথম প্রয়োজন মুক্তমনের অধিকারী হওয়া। তাই তিনি নিজের সন্তানকে মানুষকে ভালোবাসতে, কাছে টানতে শিখিয়েছেন, চলাফেরার স্বাধীনতা দিতেন, সবার সাথে মিশতে দিতেন। তিনি তার সন্তানকে ভেদাভেদহীনভাবে বেড়ে উঠতে সাহায্য করেন। যেন সুন্দর একটা পৃথিবী সে গড়তে পারে। আর উদ্দীপকের এই বিষয়বস্তুর মধ্যে ‘মেলা’ কবিতার বিষয়বস্তুর প্রতিচ্ছবি লক্ষ করা যায়। তাই উদ্দীপকের সুজনের বাবার চাওয়ার সাথে ‘মেলা’ কবিতা বিষয়বস্তু অনেকাংশে সাদৃশ্যপূর্ণ।
ঘ ‘শিশুরা মুক্তমনের অধিকারী, তারা নতুন পৃথিবীর সন্ধান দেয়’ মন্তব্যটি যথার্থ ও সঠিক।
‘মেলা’ কবিতার সুন্দর সাজানো বাগানের মতো পৃথিবী গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে, শিশুরাই গড়ে তোলে তাদের আপন ভুবন মুক্তমন দিয়ে। তারা মুক্ত মনের অধিকারী, প্রকৃতির মতো উদার, সুন্দর ও পবিত্র। তারা ভালোবাসা দিয়ে এক নতুন পৃথিবী গড়তে চায় । যেখানে দেশ-কালের কোনো সীমানা থাকবে না। সাজানো বাগানের মতোই সুন্দর হবে তাদের তৈরি পৃথিবীটা।
উদ্দীপকেও শিশু-কিশোরদের মুক্তমনের কথা বলা হয়েছে। তারা অপার সম্ভাবনার প্রতীক। এখানে সুজনের বাবা তাকে মানুষকে ভালোবাসতে শেখায়। ভেদাভেদ ভুলে যেতে শেখায়। এসবই হলো শিশু-কিশোরদের মুক্তমনের বিকাশ হওয়ার সুযোগ তৈরি করা। শিশুরা নতুন একটি পৃথিবী বানাতে চায়, যে পৃথিবীতে থাকবে না কোনো হানাহানি বা বিবাদ। তারা তাদের ভালোবাসা দিয়ে নতুন পৃথিবী গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখে। সব মানুষকে তারা এই পৃথিবীর সন্ধান দেয়।
উদ্দীপক ও আলোচ্য কবিতার আলোকে বলা যায়, ‘শিশুরা মুক্তমনের অধিকারী তারা নতুন পৃথিবীর সন্ধান দেয়’।
প্রশ্ন- ২ ল্ফল্ফ
ড. রহমান একবার এক সেমিনারে কীভাবে নিজেকে, নিজের রাগকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় সে সম্পর্কে এবং মানুষকে ভালোবাসা সম্পর্কে আলোচনা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন- ‘আপনি ভাবুন আপনার চারপাশে যারা আছে সবাই আপনার ভাই, বোন, কেউ বন্ধু, আপনজন। আপনি বিশ্বাস করতে শিখুন, আপনার প্রতিবেশী লোকটিই আপনার সর্বোত্তম বন্ধু। কারণ আপনার বিপদে-আপদে সেই সবার আগে আসবে। আপনি ভাবুন আজ যে কোমলমতী শিশু-কিশোররা হেসে গেয়ে নেচে চলছে ওরা আপনারই সন্তান। আপনি কাজ করবেন আপনার ওই সন্তানের জন্য। একসময় দেখবেন সব ঠিক হয়ে যাবে।
ক. আহসান হাবীব দীর্ঘদিন কোন পত্রিকার সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন? ১
খ. ‘এ পৃথিবী হবে সকল মানুষের জন্য একটা অভিন্ন পৃথিবী’ ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকে ড. রহমানের চিন্তা-চেতনার সাথে ‘মেলা’ কবিতার বিষয়বস্তুগত কতটুকু মিল রয়েছে ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.‘একটি সমৃদ্ধ জাতি গঠনে মানসিকতার পরিবর্তন আবশ্যক’ মন্তব্যটি উদ্দীপক ও ‘মেলা’ কবিতা অবলম্বনে বিশ্লেষণ কর।

ক আহসান হাবীব দীর্ঘকাল ‘দৈনিক বাংলা’ পত্রিকার সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন।
খ ‘এ পৃথিবী হবে সকল মানুষের জন্য একটা অভিন্ন পৃথিবী’- চরণটি দ্বারা দেশ-কালের সীমানা ভেঙে ভালোবাসা দিয়ে পৃথিবী গড়লে সেটাই হবে সকল মানুষের জন্য অভিন্ন পৃথিবী এ বিষয়টি বোঝানো হয়েছে।
শিশু-কিশোররা সূর্যের আলো থেকে জীবনের উত্তাপ নেয়। সাত সাগরের বুক থেকে ভালোবাসার ঢেউ নেয়। তারা বিশ্ব জুড়ে নবীন প্রাণে আশার আলো ছড়িয়ে দেয়। সব শিশু-কিশোরদের ভাষার মধ্যে মিল না থাকলেও মনের ভাষার একটা মিল আছে। তারা স্থান-কাল-পাত্রভেদে ভালোবাসা দিয়ে একটা সুন্দর পৃথিবী গড়তে চায়। যেখানে কোনো বিবাদ থাকবে না। আর তখনই পৃথিবীটা অনেক সুন্দর হবে। পৃথিবীকে মনে হবে সাজানো বাগানের মতোই সুন্দর। পৃথিবীটা হবে সকল মানুষের জন্য অভিন্ন একটা পৃথিবী।
গ ‘মেলা’ কবিতায় মানুষকে ভালোবাসার যে বিষয়টি ফুটে উঠেছে সেই বিষয়টিই উদ্দীপকের ড. রহমানের চিন্তাচেতনার সাথে মিলে যায়।
কবি আহসান হাবীব তার ‘মেলা’ কবিতায় শিশু-কিশোরদের জয়গান গেয়েছেন। শিশু-কিশোরদের অপার সম্ভাবনার কথা তিনি বলেছেন, তার মতে পৃথিবীর প্রকৃতি জগতের মতো শিশু-কিশোরদের আলাদা একটা জগৎ আছে, আলাদা একটা মেলা আছে। যে জগতে প্রকৃতির উদারতা, সৌন্দর্য, পবিত্রতা পাওয়া যায়। শিশু-কিশোররা সূর্য থেকে জীবনের উত্তাপ নেয়, সাগর থেকে তুলে নেয় ভালোবাসার ঢেউ। তারা পৃথিবীতে নবীন প্রাণে আশার আলো ছড়িয়ে দেয়।
উদ্দীপকের ড. রহমানের কথার ভেতর দিয়েই একই বক্তব্য প্রকাশ পেয়েছে। তিনি ক্রোধ দমন করতে বলেছেন। আমাদের আশপাশের সবাইকে ভাই, বন্ধু ভাবতে বলেছেন, সবাই আমাদের আপনজন তিনি আমাদের প্রতিবেশীকে সর্বোত্তম বন্ধু ভাবতে বলেছেন। এমনভাবে সবকিছু ভাবলে পৃথিবীটা অনেক সুন্দর হবে। উদ্দীপকের এই বিষয়টির সাথে ‘মেলা’ কবিতার মূল বক্তব্যের সাথে অনেকাংশে সাদৃশ্য রয়েছে।
ঘ ‘একটি সমৃদ্ধ জাতি গঠন করতে হলে মানসিকতার পরিবর্তন আবশ্যক’ মন্তব্যটি যথার্থ।
‘মেলা’ কবিতায় কবি শিশু-কিশোরদের অপার সম্ভাবনার বিষয়টি তুলে ধরেছেন। তিনি শিশু-কিশোরদের জয়গান গেয়েছেন। আমরা পৃথিবীর চারপাশে তাকালেই দেখি প্রকৃতির জগতের পাশাপাশি আর একটি জগৎ আছে, আর তা হলো শিশু-কিশোরদের জগৎ। শিশু-কিশোরদের এই জগতে প্রকৃতির সব উদারতা, সৌন্দর্য ও পবিত্রতা লক্ষ করা যায়। তাদের চিন্তাচেতনা নিয়ে সব মানুষ যদি স্নেহ-ভালোবাসাপূর্ণ একটি পৃথিবী গড়ার উদ্যোগ নেয় তবে পৃথিবীটা অনেক সুন্দর হবে। পৃথিবীতে কোনো কলহ, বিবাদ, হিংসা থাকবে না।
উদ্দীপকেও ড. রহমান একই কথা বলেছেন। তিনি চারপাশের সবাইকে আপনজন ভাবতে বলেছেন। তাদেরকে ভাই, বন্ধু ভাবতে বলেছেন, প্রতিবেশীকে সর্বোত্তম বন্ধু ভাবতে বলেছেন কারণ আমার বিপদে সেই আগে ছুটে আসবে। তার এ বক্তব্যগুলো প্রকৃতপক্ষে একটি সুন্দর পৃথিবী গড়ে তোলার বক্তব্যকে সমর্থন করে, যা ‘মেলা’ কবিতার মধ্যেও লক্ষ করা যায়।
একটি সমৃদ্ধ জাতি গঠন করতে হলে আমাদের মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। পৃথিবীর সব মানুষকে আপন মনে করে ভালোবাসতে হবে, তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। যেটা ‘মেলা’ কবিতার বিষয়বস্তুকেই সমর্থন করে।
প্রশ্ন- ৩ ল্ফল্ফ
“গাহি সাম্যের গান-
মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান
নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্মজাতি,
‘সব দেশে সর্বকালে ঘরে ঘরে তিনি মানুষের জ্ঞাতি।”
ক. আহসান হাবীব রচিত একটি কাব্যগ্রন্থের নাম লিখ। ১
খ. ‘তার মাঝেই একটি সুরে, সবারই সুর যায় মিলিয়ে’- ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের সাথে ‘মেলা’ কবিতার সাদৃশ্যপূর্ণ দিকগুলো তুলে ধর। ৩
ঘ.“উদ্দীপকে বর্ণিত মানুষ এবং ‘মেলা’ কবিতায় বর্ণিত শিশুরা প্রত্যেকেই ভেদাভেদহীন সমাজ নির্মাণের স্বপ্ন দেখেছ”- মন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ কর। ৪

ক আহসান হাবীব রচিত একটি কাব্যগ্রন্থের নাম হচ্ছে- ‘ছায়া হরিণ’।
খ ‘তার মাঝেই একটি সুরে সবারই সুর যায় মিলিয়ে’ বলতে শিশু কিশোরদের সমগ্র মানুষ ও পরিবেশকে নিয়ে সাম্যবাদী বিশ্ব গড়ার স্বপ্ন ফুটে উঠেছে।
বিশ্বপ্রকৃতি নানারকম উপাদানে ভরপুর। প্রকৃতিতে বিচিত্র সব উপাদান আছে, যেগুলো মনকে আন্দোলিত করে। শিশু-কিশোররা সবকিছুকে গ্রহণ করেই বিশ্বকে আনন্দমুখর করতে চায় যেখানে সাম্যবাদী সমাজ থাকবে।
গ উদ্দীপকের সাথে ‘মেলা’ কবিতার বিষয়গত কিছু সাদৃশ্য আছে।
আহসান হাবীব রচিত ‘মেলা’ কবিতাটি প্রকৃতি ও মানুষের অপূর্ব বন্ধন তৈরি করেছে। ফুল, পাখি, আকাশ, রাত, সাগর ইত্যাদিতে যে সৌন্দর্য আছে সব মিলে একটি মেলা তৈরি করেছে। কাছের মানুষ যারা আছে, যেমন- ভাই, বোন কিংবা শিশু-কিশোরদের সমবয়সি আরো যারা আছে তাদের সবাইকে নিয়ে ভালোবাসার মেলা তৈরি হয়। সবার ভালোবাসা থেকে একটি বাগান তৈরি হয়।
উদ্দীপকে সমাজে মানুষের অবস্থানকে সাম্যবাদী মানসিকতা থেকে বর্ণনা করা হয়েছে। মানুষ মূলত নিজের সত্তা থেকে সবাই মূল্যবান। তাই তার থেকে ‘মহীয়ান’ আর কেউ নেই। কবি সব দেশকাল অনুযায়ী মানুষের জয়গান গেয়েছেন। সবার মাঝে সাম্য থাকলেই এ মানুষ জাতির প্রকৃত বন্ধন টিকে থাকবে। কবিতায় শিশু-কিশোরদের স্বপ্নে সেই সাম্যবাদী সমাজের মধ্যে উদ্দীপকের মানুষের সম্পর্ক, সাম্য ও পারস্পারিক ভালোবাসার সাদৃশ্য আছে। এসব মিলিয়ে তাদের মতো উদ্দীপকের কবিও তাঁর স্বপ্নকে সত্য করতে চান।
ঘ “উদ্দীপকে বর্ণিত মানুষ এবং ‘মেলা’ কবিতায় বর্ণিত শিশুরা প্রত্যেকেই ভেদাভেদহীন সমাজ নির্মাণের স্বপ্ন দেখেছে”- মন্তব্যটি যথার্থ।
‘মেলা’ কবিতায় শিশুরা যে সমাজকে বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখেছে তার মধ্যে তাদের মন যেমন কোমল, ঠিক সেরকম একটি সুন্দর সমাজের উপস্থিতি আছে।
প্রকৃতি দেখে তাদের মনে শিহরণ জাগে, তেমনি মানুষের মাঝেও তারা সাম্যের বন্ধন তৈরি করতে চায়। ভাই-বোন-বন্ধু মিলে যে সামাজিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে তার ভেতর তারা আত্মিক সুখ খুঁজে সবার সুরকে একটি সুরে পরিণত করে। ‘এক দুনিয়া এক মানুষ’ সৃষ্টির স্বপ্ন দেখে যায়। এভাবেই ভেদাভেদহীন সমাজ গঠন সম্ভব।
উদ্দীপকেও মানুষের নিজস্বতা অনুযায়ী সামাজিক অবস্থানকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কবি সাম্যের গান গাইতে গিয়ে মানুষকেই সবার উপরে স্থান দিয়েছেন। সব দেশকাল অনুযায়ী মানুষই একমাত্র মানুষের বন্ধু। ধর্ম বলতে মানবধর্মই সবার উপরে। তাই কবি সম্পর্ক বা জ্ঞাতি বলতে মানুষের সামাজিক সম্পর্ককে বড় করে দেখেছেন। সাম্যবাদী সমাজ মানুষের অভেদ্য সম্পর্ককেই গড়তে পারে।
কবি আহসান হাবীব যেভাবে ‘মেলা’ কবিতায় প্রকৃতি ও মানুষের বন্ধনকে এক করে দেখেছেন, তার মধ্যেই ভেদাভেদহীন সমাজ নির্মাণের স্বপ্ন আছে। উদ্দীপকেও মানুষকে সবচেয়ে বড় স্থানে রেখে কবি উদারতার মাধ্যমে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ ভুলে যাবার কথা বলেছেন । সুতরাং “উদ্দীপক ও ‘মেলা’ কবিতায় বর্ণিত শিশুরা প্রত্যেকেই ভেদাভেদহীন সমাজ নির্মাণের স্বপ্ন দেখেছে” মন্তব্যটি যথার্থ।
প্রশ্ন- ৪ ল্ফল্ফ
বর্তমান পৃথিবীতে মানুষের সংখ্যা প্রায় সাতশ’ কোটি। জনসংখ্যা বৃদ্ধির এ মিছিলে প্রতিদিন জন্মগ্রহণ করছে হাজার হাজার শিশু। কিন্তু উন্নত বিশ্বে নতুন শিশু জন্মানোর এ বিষয়টি আশীর্বাদ হলেও তৃতীয় বিশ্বের জন্য তা মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। কারণ অভাব অনটনে এসব শিশু পরিপূর্ণভাবে বিকশিত হতে পারে না। মৌলিক চাহিদার অভাবে বেড়ে চলেছে শিশুশ্রম; নানামুখী অপরাধÑ যা আমাদের দেশ ও জাতির জন্য শুভ ফলদায়ক নয়।
ক. আহসান হাবীব কত খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন? ১
খ. ‘শিশু-কিশোরদের রয়েছে আলাদা একটা জগৎ, আরেকটা মেলা’ ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপক ও ‘মেলা’ কবিতার মধ্যে যে বৈসাদৃশ্য রয়েছে তা নির্ণয় কর। ৩
ঘ.‘মৌলিক চাহিদার অভাবে বেড়ে চলেছে শিশুশ্রম ও নানামুখী অপরাধ’- মন্তব্যটির যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ কর। ৪

ক আহসান হাবীব ১৯১৭ খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন।
খ পৃথিবীতে প্রকৃতির জগতের পাশাপাশি শিশু-কিশোরদের মনের আলাদা একটা জগৎ আছে, যেখানে সব ভালোর মেলা বসে।
আমাদের আশপাশে তাকালে আমরা দেখি বাগানে ফুলের মেলা, গাছে গাছে ফুলেরা মেলা আর আকাশে পাখির মেলা। এসব কিছুই হলো প্রকৃতির জগৎ। কিন্তু শিশু-কিশোরদের আলাদা একটা জগৎ আছে, আলাদা একটা মেলা আছে। যে জগতে আছে আকাশের নীলের উদারতা, ফুলের পবিত্র সুবাস, তারার গানের সুর। এটাই হলো শিশু-কিশোরদের আলাদা জগৎ, আলাদা মেলা।
গ ‘মেলা’ কবিতার মূল বিষয়বস্তুর সাথে উদ্দীপকের মূল বিষয়বস্তুর ব্যাপক বৈসাদৃশ্য রয়েছে।
কবি আহসান হাবীব তাঁর ‘মেলা’ কবিতায় শিশু-কিশোরদের মনের অসীমতাকে ফুটিয়ে তুলেছেন। প্রকৃতির জগতের মতো শিশু-কিশোরদের আলাদা একটা জগৎ আছে। সেখানে প্রকৃতির সব উপাদান বিদ্যমান। তারা সূর্য থেকে জীবনের উত্তাপ, সাত সাগরের বুক থেকে ভালোবাসার ঢেউ নেয়। তারা বিশ্ব জুড়ে নবীন প্রাণের আশার আলো ছড়িয়ে দেয়। তারা দেশ-কালের সীমানা ভেঙে ভালোবাসা দিয়ে একটা সুন্দর জগৎ গড়তে চায়।
উদ্দীপকেও প্রধান আলোচ্য বিষয় শিশু। তবে এ শিশুরা তৃতীয় বিশ্বের গরিব দেশগুলোর। এই শিশুরা মৌলিক চাহিদার অভাবে শিশুশ্রমের দিকে ঝুঁকছে, করছে বিভিন্ন অপরাধ। তারা সম্পূর্ণভাবে বিকশিত হতে পারছে না। তাদের খাদ্যের অভাব, স্বাস্থ্যসেবার অভাব, শিক্ষার অভাব ইত্যাদি তাদের জীবনের সুষ্ঠুবিকাশের জন্য চরম হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে। অর্থাৎ ‘মেলা’ কবিতায় শিশুদের অপার সম্ভাবনার কথা বলা হলেও উদ্দীপকে সেই সম্ভাবনা নষ্ট হওয়ার বিষয়টিকে তুলে ধরা হয়েছে। তাই বলা যায় যে, শিশুদের সম্ভাবনা ও সেই সম্ভাবনা নষ্ট হয়ে যাওয়াÑ এ দুই বিষয়ে ব্যাপক বৈসাদৃশ্য বিদ্যমান।
ঘ ‘মৌলিক চাহিদার অভাবে বেড়ে চলেছে শিশুশ্রম ও নানামুখী অপরাধ’ মন্তব্যটি যথার্থ।
কবি আহসান হাবীব তার ‘মেলা’ কবিতায় পৃথিবীতে সব শিশু-কিশোরকে এক কাতারে দাঁড় করিয়েছেন। প্রকৃতির জগতের মতো শিশু-কিশোরদেরও আলাদা একটা জগৎ পাওয়া যাবে। যেখানে প্রকৃতির সৌন্দর্য, উদারতা, আনন্দ ও পবিত্রতা সবই আছে। তারা সারা বিশ্বে নবীন প্রাণের আশার আলো ছড়িয়ে দেয়। তারা দেশ-কালের সীমানা ভেঙে ভালোবাসা দিয়ে সুন্দর একটা পৃথিবী গড়তে চায়। যে পৃথিবী হবে সুন্দর বাগানের মতো। আর পৃথিবীটা হবে সব মানুষের জন্য উন্মুক্ত। আর এই বৈশিষ্ট্য সব শিশু-কিশোরদের মধ্যেই বিদ্যমান।
উদ্দীপকেও সব শিশুর বৈশিষ্ট্য ও সম্ভাবনার ক্ষেত্রে ঐক্যের কথা বলা হয়েছে। তবে বিভিন্ন সমস্যা এসে তাদের সম্ভাবনাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। এর মধ্যে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার অভাব প্রধান। ফলে তাদের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা সবই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
‘মেলা’ কবিতায় শিশু-কিশোরদের অপার সম্ভাবনার কথা বলা হলেও উদ্দীপকে সেই সম্ভাবনার ধ্বংস দেখানো হয়েছে। প্রত্যেক শিশু-কিশোরই অসীম সম্ভাবনা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে, কিন্তু বিভিন্ন সমস্যার জর্জরিত হয়ে তাদের সেই সম্ভাবনা নষ্ট হয়। শিশুরা শিশুশ্রম নানারূপ এমনকি অপরাধ করতে বাধ্য হচ্ছে। তাই বলা যায়, ‘মৌলিক চাহিদার অভাবে বেড়ে চলেছে শিশুশ্রম ও নানামুখী অপরাধ’।
প্রশ্ন- ৫ ল্ফল্ফ
হামিদ স্যার শিশুদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দিতে গিয়ে বলেন, আজকের শিশুই দেশের ভবিষ্যৎ। আজকের শিশুরাই ভবিষ্যতে নানারকম গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় নেতৃত্ব দিবে। তাই আজকের শিশুকে যোগ্য হয়ে গড়ে ওঠার জন্য সকলকেই সুযোগ দিতে হবে। তারা যেন সুনাগরিক হয়ে দেশের কল্যাণে অবদান রাখতে পারে, সেই ব্যবস্থাই আমাদেরকে করতে হবে।
ক. আহসান হাবীব কোন জেলায় জন্মগ্রহণ করেন? ১
খ. ‘লক্ষ মনের প্রীতি’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন? ২
গ. উদ্দীপকটি ‘মেলা’ কবিতার কোন দিকটিকে ইঙ্গিত করে? নিরূপণ কর। ৩
ঘ.উদ্দীপকের হামিদ স্যারের বক্তব্যকে তুমি কতটুকু প্রাসঙ্গিক মনে কর? ‘মেলা’ কবিতার আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪

ক আহসান হাবীব পিরোজপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।
খ ‘লক্ষ মনের প্রীতি’ বলতে কবি বিশ্বের সব মানুষের ঐক্যকে বুঝিয়েছেন।
পৃথিবীতে শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন। ঐক্যবদ্ধ ছাড়া পৃথিবীতে সুখশান্তি আসবে না। তাই কবি বলেছেন, পৃথিবীর সব মানুষ একতাবদ্ধ হয়ে স্নেহ-ভালোবাসাপূর্ণ একটি সমাজ যদি গড়ে তোলে, তবে এ পৃথিবীর মধ্যে আর কোনো বিবাদ থাকবে না। কবি ‘লক্ষ মনের প্রীতি’ বলতে সেই ঐক্যকেই বুঝিয়েছেন।
গ উদ্দীপক ‘মেলা’ কবিতার শিশুদের অপার সম্ভাবনার দিকটিকে ইঙ্গিত করে।
কবি আহসান হাবীব তার ‘মেলা’ কবিতায় শিশু-কিশোরদের অপার সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের কথা বলেছেন। তিনি ছেলেমেয়ে নির্বিশেষে পৃথিবীর সকল শিশু-কিশোরের মিলন বা একতার উৎসবকে অন্য এক রকমের মেলা বলেছেন। ঐ মেলায় প্রধান সারথি শিশুরা, তারা সেখানে মনের আনন্দে ঘুরে বেড়াবে, সে কাজে বাধা প্রদান করা অনুচিত।
উদ্দীপকের হামিদ স্যার শিশুদের উদ্দেশে বক্তৃতা দিতে গিয়ে বলেন, আজকের শিশুই দেশের ভবিষ্যৎ। আজকের শিশুরাই ভবিষ্যতে নানারকম গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় নেতৃত্ব দিবে। তার এই বক্তব্যে ‘মেলা’ কবিতার শিশুদের অপার সম্ভাবনার দিকটিকেই ইঙ্গিত করে।
ঘ উদ্দীপকের হামিদ স্যারের বক্তব্যকে আমি সম্পূর্ণ প্রাসঙ্গিক মনে করি।
‘মেলা’ কবিতায় কবি মেলা বলতে যা বুঝিয়েছেন তা হলো শিশু-কিশোরের মিলনমেলা। শিশুদের এই মিলনমেলার মাধ্যমেই পৃথিবী একদিন উজ্জ্বল হবে। উদ্দীপকের হামিদ স্যার শিশুদের অপার সম্ভাবনাময় হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তাই তিনি আজকের শিশুকে যোগ্য করে গড়ে তোলার জন্য সবাইকে আহŸান জানিয়েছেন। ‘মেলা’ কবিতায় শিশুদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে বলা হয়েছে। তাদের যোগ্য নেতৃত্বের দ্বারাই পৃথিবী সকল মানুষের সুন্দর আবাসভ‚মিতে পরিণত হবে।
পৃথিবীর সকল শিশু-কিশোরের ভাষা এক নয়। তবুও সব পাখির গানের মধ্যে যেমন একটা সুরের ঐক্য আছে, তেমনি পৃথিবীর শিশু-কিশোরদের মনের ভাষার মধ্যেও একটা মিল আছে।
উল্লিখিত আলোচনায় বলা যায়, পৃথিবীর সব মানুষ একতাবদ্ধ হয়ে স্নেহ-ভালোবাসাপূর্ণ একটা সমাজ যদি গড়ে তোলে, তবে এই পৃথিবীর মধ্যে আর কোনো বিবাদ থাকবে না। এ দায়িত্ব আগামী দিনের শিশুদেরই নিতে হবে। তাই উদ্দীপকের হামিদ স্যারের বক্তব্য আমি সম্পূর্ণ প্রাসঙ্গিক মনে করি।
 অনুশীলনের জন্য সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক (উত্তরসংকেতসহ)
প্রশ্ন- ৬ ল্ফল্ফ
বর্তমান বিশ্বের প্রতিটি দেশেরই একটি পরিচিত ¯েøাগান হলো- ‘শিশুর জন্য হ্যাঁ বলুন।’ ছেলেমেয়ে, দেশ-জাতি নির্বিশেষে সকল শিশুর মধ্যে সুপ্ত আছে অমিত সম্ভাবনা। দরিদ্র দেশের অজ-পাড়াগাঁয়ের একটি কন্যা-শিশুও পৃথিবীকে বদলে দিতে পারে। সেজন্য পৃথিবীকে বানাতে হবে সব শিশুর জন্য ভয়ভীতিহীন একটি মঞ্চ, যেখানে সবাই আপন রঙে রাঙাতে পারবে ধরণিকে। তাতে শিশুর প্রতিভার বিকাশ ত্বরান্বিত হবে, পৃথিবী হয়ে উঠবে শান্তির স্বর্গ।
ক. সাত সাগরে কীসের মেলা? ১
খ. এক দুনিয়া এক মানুষের বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ২
গ. উদ্দীপকটি ‘মেলা’ কবিতার সাথে কতটা সংগতিপূর্ণ -নির্ণয় কর। ৩
ঘ. পৃথিবীকে সকল শিশুর জন্য ভয়ভীতিহীন একটি মঞ্চ বানাতে হলে কী করা প্রয়োজন? উদ্দীপক ও ‘মেলা’ কবিতার আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪

ক সাত সাগরে ঢেউয়ের মেলা।
খ ‘এক দুনিয়া এক মানুষের বলতে পৃথিবীর সকল মানুষের জন্য একটা অভিন্ন পৃথিবীর কথা বোঝানো হয়েছে।
আহসান হাবীব তাঁর ‘মেলা’ কবিতায় পৃথিবীর সকল মানুষকে নিয়ে স্নেহ-ভালোবাসাপূর্ণ একটা সমাজ গঠনের কথা বলেছেন, যেখানে থাকবে না কোনো হিংসা বিবাদ। পৃথিবী হবে একটা দেশ, মানবসমাজ হবে একটি পরিবার। এ পৃথিবী হবে সকল মানুষের জন্য একটা অভিন্ন পৃথিবী।
ঢপষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে-
গ ‘মেলা’ কবিতার মূল বক্তব্য আলোচনা কর।
ঘ পৃথিবী শিশুদের বাসযোগ্য করা বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে হবে।
প্রশ্ন- ৭ ল্ফল্ফ
শিশুরা মায়ের কাছ থেকে একটি ভাষা শেখে- এ ভাষার নাম দেওয়া হয়েছে মাতৃভাষা। পৃথিবীর অঞ্চলভেদে এ ভাষার রূপ হয়ে থাকে ভিন্ন ভিন্ন। কিন্তু সব শিশুরই মনের ভাষা এক। যেমন : সব শিশু খেলনা ভালোবাসে, সব শিশু পছন্দের জিনিস না পেলে মন খারাপ করে। এগুলো মাতৃভাষা নয়, অন্তরের ভাষা। মাতৃভাষার ভেদ না মেনে অন্তরের ভাষার বিচারে সবাই এক, অভিন্ন। আরেকটি জায়গায় আমাদের এক হতে হবে- তা হলো পৃথিবীর সব মানুষ মিলে একটি স্নেহ-ভালোবাসাপূর্ণ সমাজ গড়ে তুলতে হবে। তাহলে পৃথিবী পরিণত হবে সব শিশু-কিশোরের মিলনমেলায়।
ক. আকাশ জুড়ে কীসের মেলা? ১
খ. “স্বপ্ন তারা যায় মিলিয়ে”- বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন? ২
গ. উদ্দীপকটি ‘মেলা’ কবিতার সাথে কীভাবে সংগতিপূর্ণ নিরূপণ কর। ৩
ঘ. ‘পৃথিবী পরিণত হবে সকল শিশু-কিশোরের মিলনমেলায়।’- ‘মেলা’ কবিতা অবলম্বনে উক্তিটি বিশ্লেষণ কর। ৪

ক আকশ জুড়ে তারার মেলা।
খ “স্বপ্ন তারা যায় মিলিয়ে”- বলতে কবি আগামীদিনের সুন্দর পৃথিবী প্রত্যাশাকে বুঝিয়েছেন।
পৃথিবীর সকল শিশু-কিশোরের ভাষা এক না হলেও তাদের মধ্যে একটা মিল রয়েছে। তাদের প্রত্যাশা সুন্দর একটি পৃথিবী গড়ে তোলা। যে পৃথিবীতে মানুষ একতাবদ্ধ হয়ে একটি সুন্দর সমাজ গড়ে তুলবে। যে পৃথিবীতে থাকবে না কোনো বিবাদ। সমগ্র পৃথিবী হবে একটি দেশ আর মানবসমাজ হবে সেই দেশের পরিবার। আলোচ্য উক্তিটি দ্বারা কবি এরকম পৃথিবীর প্রত্যাশাই করেছেন।
ঢপষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে-
গ কবিতার ভাববস্তু আলোচনা করতে হবে।
ঘ পৃথিবী শিশু কিশোরদের মিলন মেলা এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করতে হবে।
জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

 জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন \ ১ \ আহসান হাবীব কত খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : আহসান হাবীব ১৯১৭ খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন।
প্রশ্ন \ ২ \ আহসান হাবীবের পেশা কী ছিল?
উত্তর : আহসান হাবীবের পেশা ছিল সাংবাদিকতা।
প্রশ্ন \ ৩ \ আহসান হাবীবের লেখা উপন্যাসটির নাম কী?
উত্তর : আহসান হাবীবের লেখা উপন্যাসটির নাম ‘অরণ্যে নীলিমা’।
প্রশ্ন \ ৪ \ একটি সুরের সাথে সবারই সুর মিলিয়ে যায়, সেই সুরটি কী?
উত্তর : একটি সুরের সাথে সবারই সুর মিলিয়ে যায়, সেই সুরটি হলো এক দুনিয়া, এক মানুষ।
প্রশ্ন \ ৫ \ শিশু-কিশোররা সাত সাগরের বুক থেকে কী নেয়?
উত্তর : শিশু-কিশোররা সাত সাগরের বুক থেকে ভালোবাসার ঢেউ নেয়।
প্রশ্ন \ ৬ \ আহসান হাবীব কোন পত্রিকার সাহিত্য বিভাগের পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন?
উত্তর : আহসান হাবীব ‘দৈনিক বাংলা’ পত্রিকার সাহিত্য বিভাগের পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন।
প্রশ্ন \ ৭ \ জগৎজুড়ে কী ছড়িয়ে যায়?
উত্তর : জগৎ জুড়ে আশার আলো ছড়িয়ে যায়।
প্রশ্ন \ ৮ \ তারা সবাই কোথা থেকে সুর তুলে নেয়?
উত্তর : তারা সবাই পাখির কলকণ্ঠ থেকে সুর তুলে নেয়।
প্রশ্ন \ ৯ \ ‘ভাই বোনের এই যে মেলা’  কীসের মেলা?
উত্তর : ভাই বোনের এই হলো ভালোবাসার মেলা।
প্রশ্ন \ ১০ \ কচি সবুজ ভাইবোনদের মধ্যে কী দেখা যায়?
উত্তর : কচি সবুজ ভাইবোনদের মধ্যে লক্ষ মনের প্রীতি দেখা যায়।
প্রশ্ন \ ১১ \ সাত সাগরে কীসের মেলা বসে?
উত্তর : সাত সাগরে ঢেউয়ের মেলা বসে।
 অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন \ ১ \ “তার মাঝেই একটি সুরে/সবারই সুর যায় মিলিয়ে” চরণটিতে কবি কী বলেছেন- ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ‘তার মাঝেই একটি সুরে সবারই সুর যায় মিলিয়ে’Ñ চরণটিতে কবি মানুষদের একতাবদ্ধ হওয়ার কথা বলেছেন।
পৃথিবীর সকল শিশু-কিশোরের ভাষা একই নয়। তবে সব পাখির গানের, মধ্যে যেমন একটা সুরের ঐক্য আছে, তেমনি পৃথিবীর সব শিশু-কিশোরের মনের ভাষার একটা মিল আছে। পৃথিবীর সব মানুষ একতাবদ্ধ হয়ে স্নেহ ভালোবাসা দিয়ে যদি একটা সমাজ গড়ে তোলে তবে পৃথিবীতে কোনো বিবাদ থাকবে না এবং পৃথিবীটা অনেক সুন্দর হবে।
প্রশ্ন \ ২ \ ‘ফুলের মেলা, পাখির মেলা, আকাশ জুড়ে তারার মেলা’ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : স্রষ্টার সৃষ্টি এ ধরার যেদিকেই দেখি ফুলের মেলা পাখির মেলা দেখা যায় এবং রাতের আকাশে তারার মেলা দেখা যায়।
স্রষ্টার নিজের ইচ্ছায় এ পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন এত সুন্দর করে। কেননা এ বসুন্ধরার যেদিকেই দৃষ্টি যায় ফুল-পাখি, গাছগাছালির মেলা দেখা যায়। এ ধরণি যাতে ফুলে-ফলে, পাখপাখালিতে ভরে ওঠে এজন্য স্রষ্টা গাছগাছালি সৃষ্টি করেছেন। আর সেজন্যই যেদিকে দৃষ্টি যায় ফুলের মেলা, পাখির মেলা দেখা যায়। এমনকি রাতের আকাশের দিকে তাকালে দেখা যায় অসংখ্য তারার মেলা।
প্রশ্ন \ ৩ \ ‘রং কুড়িয়ে বেড়ায় তারা/নীল আকাশের অপার নীলে।’- কারা রং কুড়িয়ে বেড়ায়- ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ‘রং কুড়িয়ে বেড়ায় তারা নীল আকাশের অপার নীলে’ শিশু-কিশোররা নীল আকাশের অপার নীল থেকে রং কুড়িয়ে বেড়ায়।
মানুষকে সৃষ্টি করেছেন বলেই স্রষ্টা পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন এবং পৃথিবীর এত রূপ দিয়েছেন, রং দিয়েছেন। এমনকি বিভিন্ন মেলার সমন্বয় করেছেন এবং মানুষের হৃদয়ে রেখাপাত করার জন্য সকলকে পবিত্র একটা মন দিয়েছেন। যে কারণে নিষ্পাপ শিশু-কিশোররা নীল আকাশের অপার নীল থেকে মনে মনে রং কুড়িয়ে বেড়ায়।
প্রশ্ন \ ৪ \ সব পাখির গান কেন আলাদা হয়?
উত্তর : প্রকৃতিক বুকে অনেক পাখি, তাই তাদের গানও আলাদা হয়।
স্রষ্টার পৃথিবীতে প্রতিটি জীবের নিজস্বতা আছে। পাখিও তেমনি একটি জীব। পাখির অনেক ভাগ আছে। সব পাখি একইভাবে গায় না। আলাদা গান দেখে তাদেরকে আলাদাভাবে চেনাও যায়। তাই, সব পাখির গান আলাদা হয়।
প্রশ্ন \ ৫ \ ‘কচি সবুজ ভাই-বোনদের মেলা’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
উত্তর : ‘কচি সবুজ ভাই-বোনদের মেলা’ বলতে কবি সমগ্র বিশ্বের শিশু-কিশোরদের মেলার কথাই বুঝিয়েছেন।
আহসান হাবীবের ‘মেলা’ কবিতায় বর্ণিত সারা বিশ্বের শিশুদের মধ্যে মনের ভাষার এক ঐক্য আছে। এই ঐক্যের টানে তারা সব বাধা ডিঙিয়ে একটি স্নেহ-ভালোবাসাময় পৃথিবী গড়ে তুলবে। এই সাজানো পৃথিবী গড়ে তোলার জন্য কচি ও সতেজ মনের শিশু-কিশোরদের একাত্ম হওয়ার কথাই কবি বলেছেন।
প্রশ্ন \ ৬ \ ‘রোজ সকালে রঙের মেলা’- বাক্যটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর : ‘রোজ সকালে রঙের মেলা’ বলতে প্রতিদিন আকাশ নিংড়ে যে রোদ উঠে অন্ধকার দূরীভ‚ত হয়ে নতুন বিশ্ব প্রকাশ পায় সে কথা বলা হয়েছে।
সূর্যোদয়ের সাথে সাথে বিশ্বচরাচর আলোকিত হয়। সূর্য থেকে মানুষ পায় উত্তাপ। সাগরের বুকে সূর্যের আলো পড়ে সোনালি ঢেউ সৃষ্টি করে। এভাবেই প্রত্যহ সকালে রঙের মেলা বসে।
প্রশ্ন \ ৭ \ পাখির কলকণ্ঠ থেকে শিশু-কিশোররা কী তুলে নেয়- ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : পাখির কলকণ্ঠ থেকে শিশু-কিশোররা সুর তুলে নেয়।
স্রষ্টার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি মানুষের আবেগ-অনুভ‚তি আছে বলেই তারা যেকোনো সৌন্দর্যের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করে। তাই গাছে গাছে যখন পাখিরা গান করে। শিশু-কিশোররা তাদের কলকণ্ঠ থেকে সুর তুলে নেয়ার চেষ্টা করে। বিভিন্ন পাখির সুর আলাদা আলাদা বলে শিশুরা অন্যরকম একটা মজা অনুভব করে। তাছাড়া বিভিন্ন দেশের শিশুদের ভাষাও কিন্তু ভিন্ন। তবুও তাদের পাখির কলকণ্ঠ থেকে সুর তুলে নেয়া যেন একই অনুভ‚তির প্রকাশ।
প্রশ্ন \ ৮ \ ‘ভালোবাসার এই যে মেলা’ Ñ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : ‘ভালোবাসার এই যে মেলা’ বলতে শিশু-কিশোরদের মনে অন্য সবার প্রতি ভালোবাসা বোঝায়।
নিষ্পাপ শিশু-কিশোরদের মনে আলাদা একটি জগৎ তৈরি হয়ে ওঠে। যে জগতে পৃথিবীর সকল শিশু মিলেমিশে থাকবে। বাগান থেকে ফুলের সুবাস নিবে, গাছে গাছে পাখিদের কলকণ্ঠ থেকে সুর তুলে নিবে, এক সাথে আকাশের তারা গুনবে, চাঁদ মামার গল্প শুনবে, একে-অন্যের পাশে দাঁড়াবে, সবাই মিলেমিশে থাকবে। পারস্পরিক এই মেলাই ভালোবাসার মেলা।

প্রশ্ন \ ৯ \ কবি একতাবদ্ধ সমাজ গড়তে চেয়েছেন কেন?
উত্তর : ভেদাভেদহীন এক অভিন্ন পৃথিবীর প্রত্যাশায় কবি একতাবদ্ধ সমাজ গড়তে চেয়েছেন।
পৃথিবীর সবাই যদি একতাবদ্ধ একটি সমাজ গড়ে তোলে তাহলে আর কোনো বিবাদ থাকবে না। তখন সমগ্র পৃথিবী পরিণত হবে একটি দেশে, আর মানবসমাজ হবে একটি পরিবার। উদ্ধৃতিটি কবি এরকম অভিন্ন পৃথিবীর প্রতিই ইঙ্গিত করেছেন।
প্রশ্ন \ ১০ \ ‘আর এক মেলা জগৎ জুড়ে’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
উত্তর : আর এক মেলা জগৎ জুড়ে- বলতে কবি শিঁশু-কিশোরদের মিলন মেলাকে বুঝিয়েছেন।
ছেলেমেয়ে নির্বিশেষে পৃথিবীর সব শিশু-কিশোরের মিলনের বা একতার উৎসবকে কবি অন্যরকম এক মেলা বলেছেন। আমাদের চারপাশে আমরা ফুলের মেলা, পাখির মেলা, আকাশে তারার মেলা দেখতে পাই। এসবের সাথে পৃথিবীর সব শিশুকে নিয়েও একটি মেলা কল্পনা করেছেন কবি। আর এটাকেই তিনি জগৎ জুড়ে আরেক মেলা বলেছেন।

বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

 বিষয়ক্রম অনুযায়ী বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
ন্ধ কবি পরিচিতি
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. আহসান হাবীব জন্মগ্রহণ করেন কত খ্রিষ্টাব্দে? (জ্ঞান)
 ১৯১৭ খ ১৯১৯ গ ১৯২০ ঘ ১৯২৭
২. আহসান হাবীব কোন জেলায় জন্মগ্রহণ করেন? (জ্ঞান)
ক ময়মনসিংহ  পিরোজপুর গ গাজীপুর ঘ রাজশাহী
৩. আহসান হাবীবের পেশা কী ছিল? (জ্ঞান)
ক নাট্যকার খ শিক্ষকতা  সাংবাদিকতা ঘ রাজনীতিবিদ
৪. আহসান হাবীব কোন পত্রিকার সাহিত্য বিভাগ পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেন? (জ্ঞান)
ক ইত্তেফাক খ সওগাত গ আমার দেশ  দৈনিক বাংলা
৫. সারা দুপুর কী জাতীয় রচনা? (জ্ঞান)
ক উপন্যাস খ ছোটগল্প গ নাটক  কাব্যগ্রন্থ
৬. আহসান হাবীবের কী জাতীয় গ্রন্থ বেশ জনপ্রিয়? (জ্ঞান)
ক নাটক খ উপন্যাস  শিশুতোষ গ্রন্থ ঘ কাব্যগ্রন্থ
৭. ছায়া হরিণ কার লেখা? (জ্ঞান)
ক মহাদেব সাহার  আহসান হাবীবের
গ আল মাহমুদের ঘ হুমায়ুন আজাদের
৮. আহসান হাবীব কত খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন? (জ্ঞান)
 ১৯৮৫ খ ১৯৮৬ গ ১৯৯৫ ঘ ১৯৯৬
৯. আহসান হাবীব কোথায় মৃত্যুবরণ করেন? (জ্ঞান)
ক রাজশাহীতে খ খুলনায় গ ময়মনসিংহে  ঢাকায়
১০. ‘আশায় বসতি’ কাব্যগ্রন্থটি কার লেখা? (জ্ঞান)
ক মহাদেব সাহার খ স্বর্ণকুমারী দেবীর
 আহসান হাবীবের ঘ শামসুর রাহমানের
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১১. আহসান হাবীবের কাব্যগ্রন্থ হলো- (অনুধাবন)
র. ‘রাত্রিশেষ’ রর. ‘ছায়াহরিণ’ ররর. ‘সারাদুপুর’
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
১২. আহসান হাবীব ছিলেন- (অনুধাবন)
র. সাংবাদিক রর. কবি ররর. অনুবাদক
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ন্ধ মূলপাঠ
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৩. ‘মেলা’ কবিতার কবির নাম কী? (জ্ঞান)
ক ফয়েজ আহমদ খ ফররুখ আহমদ
গ শামসুর রাহমান  আহসান হাবীব
১৪. আকাশ জুড়ে কীসের মেলা? (জ্ঞান)
ক পাখির  তারার গ ফুলের ঘ রঙের
১৫. ঢেউয়ের মেলা কোথায়? (জ্ঞান)
ক আকাশে খ ফুলের বুকে
 সাত সাগরে ঘ পাখির কণ্ঠে
১৬. ‘মেলা’ কবিতাটিতে আর এক মেলা কোথায়? (জ্ঞান)
ক নদীতে খ আকাশ জুড়ে
গ ফুলের বুকে  জগৎ জুড়ে
১৭. রোজ সকালের কোন পথে আলোর পাখি ছেড়ে দেয়? (জ্ঞান)
ক ঘাটের পথে
খ নদীর পথে

 আকাশ পথে ঘ আলোর পথে
১৮. ফুলের বুকের সুবাসকে তারা কোথায় মেখে নেয়? (জ্ঞান)
 বুক ও মুখে খ হাত-পায়ে
গ ছবির রঙে ঘ চারপাশে
১৯. শিশু-কিশোররা পাখির কলকণ্ঠ থেকে কী তুলে নেয়? (জ্ঞান)
 সুর খ রং গ সুবাস ঘ আলো
২০. কিশোররা আশার আলো কোথায় ছড়িয়ে দেয়? (জ্ঞান)
খ আকাশে ক বাতাসে  পৃথিবীতে ঘ হৃদয়ে হৃদয়ে
২১. শিশু-কিশোরদের এই প্রীতির মেলা কার গড়া? (জ্ঞান)
 শিশু-কিশোরদের খ কবির
গ পিতা-মাতার ঘ ভাই-বোনদের
২২. কবির মতে, পৃথিবীর মানুষ একতাবদ্ধ হয়ে সমাজ গড়লে সেই সমাজকে কীসের সাথে তুলনা করা যাবে? (প্রয়োগ)
খ একটি গ্রাম  একটি পরিবার
গ একটি অভিন্ন পৃথিবী ঘ প্রকৃতির জগৎ
২৩. ‘মেলা’ কবিতায় পাখির গানে কী রয়েছে? (জ্ঞান)
ক ভালোবাসা খ রং  সুর ঘ আবেগ
২৪. ভাইবোনেরা মিলে কী কুড়িয়ে বেড়ায়? (জ্ঞান)
ক আলো খ সুখ  রং ঘ আনন্দ
২৫. শিশু-কিশোররা কোথা থেকে সুর তুলে নেয়? (জ্ঞান)
ক মেঘের গর্জন  পাখির কণ্ঠ
গ দখিনা বাতাস ঘ নদীর প্রবাহ
২৬. সাত সাগরের বুক থেকে শিশুরা কীসের ঢেউ তুলে নেয়? (জ্ঞান)
ক আদরের  ভালোবাসার
গ স্নেহের ঘ মায়ার
২৭. শিশু-কিশোরদের গড়া মেলাতে নিত্য কী চলে? (জ্ঞান)
ক বাহারি খেলনার বেচাকেনা
 আপন মনের খেলা
গ গানের আসর
ঘ কৌতুকাভিনয়
২৮. শিশু-কিশোররা কোন স্বপ্নে মিলিয়ে যায়? (জ্ঞান)
ক সব পাখিদের আলাদা সুর
খ অনেক ফুল আর অনেক পাখি
 এক দুনিয়া এক মানুষ
ঘ রং কুড়িয়ে বেড়ায় তারা
২৯. পৃথিবীর সকল শিশুর কোন ভাষায় মিল আছে? (প্রয়োগ)
ক মাতৃভাষায় খ শিক্ষার ভাষায়
 মনের ভাষায় ঘ জ্ঞানের ভাষায়
৩০. সারাবেলা সেই এক খেলা কেন? (অনুধাবন)
 নতুন বাগান গড়ার জন্য
খ ফুলের মালা গাঁথার জন্য
গ ফুলের বাগান করার জন্য
ঘ পুরনো বাগান ভাঙার জন্য
৩১. ‘সাত সাগরে ঢেউয়ের মেলা’ Ñবলতে কবি বুঝিয়েছেন (অনুধাবন)
ক আনন্দের কথা  প্রকৃতির কথা
গ ফুলের কথা ঘ ঢেউয়ের কথা
৩২. ‘এক দুনিয়া এক মানুষের’ বলতে কী বোঝায়? (অনুধাবন)
ক সাহসীরা পৃথিবী শাসন করে  ভেদাভেদহীন পৃথিবী
গ প্রত্যেকে নিজের জায়গায় থাকবে ঘ একজন যোগ্য মানুষ প্রয়োজন
৩৩. ‘সুর তুলে নেয় তারা সবাই’-এখানে ‘তারা’ বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে? (অনুধাবন)
ক ফুল আর পাখিকে খ সমুদ্রের ঢেউকে
গ উদাস কবির দলকে  শিশু-কিশোরদের
৩৪. ‘নতুন বাগান’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন? (অনুধাবন)
 ভেদাভেদ মুক্ত উদার পৃথিবী
খ স¤প্রদায়গত স্বাতন্ত্র্য
গ যে বাগানটি নতুন
ঘ শোষণ ও দারিদ্র্যমুক্ত পৃথিবী
৩৫. সবার সুর এক হওয়ার অর্থ কী? (অনুধাবন)
 একই উদ্দেশ্য খ সবাই সমান
গ সমান মাতৃস্নেহ ঘ সমান দেশপ্রেম
৩৬. ‘ভালোবাসার মেলা’ বলতে কী বোঝায়? (অনুধাবন)
ক প্রকৃতির প্রতি প্রেম খ ভালোবাসার শক্তি
গ সুন্দর শ্যামল দেশ  একতাবদ্ধ সমাজ
৩৭. কচি সবুজ ভাইবোনদের হাসিখুশির মধ্যে কীসের প্রকাশ ঘটছে?
(উচ্চতর দক্ষতা)
ক স্বদেশ চেতনার  স্নেহ-প্রীতির
গ সীমানার ঘ প্রতিবাদ প্রতিরোধের
৩৮. কবি দেশ-কালের সীমানা ভাঙতে চাচ্ছেন কেন? (অনুধাবন)
ক খেলার জন্য খ মেলার জন্য
গ আনন্দের জন্য  বিভেদহীন জগৎ গড়ার জন্য
৩৯. ‘গড়বে নতুন একটি বাগান।’ এখানে ‘বাগান’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? (অনুধাবন)
 পৃথিবীকে খ ফুলের বাগানকে
গ মানব সমাজকে ঘ মানবপ্রীতিকে
৪০. ‘মেলা’ কবিতায় কচি সবুজ ভাইবোনরা কীসের প্রতীক? (প্রয়োগ)
 পৃথিবীর সকল শিশুর খ সুখের
গ দেশ-কালের ঘ উন্নত সমাজের
৪১. ‘ফুলে অনেক ঘ্রাণ’ এই বাক্যটির মূলভাব ফুটে উঠেছে নিচের কোন চরণটিতে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক ফুলের মেলা পাখির মেলা
খ ভাইরা মিলে বোনরা মেলা
 ফুলের বুকে সুবাস যত
ঘ জগৎ জুড়ে যায় ছড়িয়ে
৪২. ‘এই যে হাসি এই যে খুশি’ চরণটিতে কী প্রকাশ পেয়েছে? (অনুধাবন)
ক প্রকৃতি  আনন্দ গ রং ঘ ভালোবাসা
৪৩. আট বছরের ছোট শিশু সুমাইয়া প্রতিদিন সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে ফুলবাগিচায় পানি দেয়, গাছের যতœ নেয়। উদ্দীপকের সুমাইয়ার মধ্যে ‘মেলা’ কবিতার কোন ভাবটি ফুটে উঠেছে? (প্রয়োগ)
ক স্নেহ-প্রীতির প্রকাশ  সুন্দর পৃথিবী গড়ার প্রয়াস
গ অভিন্ন মনুষ্যত্ববোধ ঘ ভালোবাসার উšে§ষ
৪৪. ‘আনন্দ ধারা বহিছে ভুবনে’- লাইনটির সমর্থনে ‘মেলা’ কবিতার কোন চেতনাটি প্রকাশ পায়? (প্রয়োগ)
 প্রকৃতিতে সৌন্দর্যের মেলা
খ অভিন্ন মানুষ জাতি
গ মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ
ঘ ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে মানুষের ঐক্যবোধ
৪৫. কমলাপুর রেলস্টেশনে একদল শিশু সারাদিন নেশা করে পড়ে থাকে-উদ্দীপকের শিশুদের মধ্যে ‘মেলা’ কবিতার কোন দিকটির অমিল রয়েছে? (প্রয়োগ)
ক মানবিক বোধ  সবুজ মনের স্নেহপ্রীতি
গ স্বার্থকেন্দ্রিকতা ঘ বিকৃত, শৈশব
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৪৬. একটি সুরের মাঝে সবার সুর মিলিয়ে যাওয়ার অর্থ হলো- (অনুধাবন)
র. একাত্ম হওয়া রর. একই লক্ষ নিয়ে কাজ করা
ররর. প্রত্যেক জাতির এক হয়ে থাকা
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪৭. মানুষে মানুষে বিভেদ না থাকলে পৃথিবী হবে- (অনুধাবন)
র. বিবাদমুক্ত রর. বৈচিত্র্যহীন ররর. প্রীতিকর
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪৮. মানুষে মানুষে বিভেদ না থাকলে পৃথিবী হবে- (অনুধাবন)
র. একঘেয়ে রর. বৈচিত্র্যহীন
ররর. প্রীতিকর
নিচের কোনটি সঠিক?
ক রর  ররর গ র ও রর ঘ রর ও ররর
৪৯. পৃথিবীর সকল মানুষ একতাবদ্ধ হলে পৃথিবী হয়ে উঠবে একটি- (অনুধাবন)
র. দেশ রর. সমাজ
ররর. পরিবার
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৫০. পৃথিবীর বুকে গড়ে ওঠা মানব-মেলায় থাকবে না- (অনুধাবন)
র. ভেদাভেদ রর. বিবাদ ররর. দূরত্ব
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৫১. স্নেহ-ভালোবাসাপূর্ণ পরিবেশ গড়ে তুলতে মানুষকে হতে হবে- (অনুধাবন)
র. স্বাতন্ত্র্য বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত রর. একতাবদ্ধ
ররর. চিন্তা-চেতনায় স্বপ্নিল
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫২. ‘আর এক মেলা জগৎ জুড়ে।’-চরণটিতে যে মেলার কথা বলা হয়েছে তা হলো- (অনুধাবন)
র. শিশু-কিশোরদের মিলন মেলাকে
রর. পৃথিবীর সকল শিশু-কিশোরের একতার উৎসবকে
ররর. মিলনের সুরে বিভেদের রেখা মুছে ফেলার মেলাকে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর
নিচের অনুচ্ছেদে পড়ে ৫৩ ও ৫৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
এ বিশ্ব আনন্দের উৎসে পূর্ণ। প্রকৃতির নানা উপকরণ এবং শিশুর সরল প্রণোচ্ছ¡লতার মধ্যে সে আনন্দ দেখা যায়। মানুষ আনন্দ পায় সুখ ও পরিতৃপ্তিতে। জগতের এই আনন্দলোকে জীবন ভরে ওঠে।
৫৩. ‘মেলা’ কবিতায় কোন ভাবটি উপরের অনুচ্ছেদে ফুটে উঠেছে? (প্রয়োগ)
ক এ বিশ্ব গানে ভরা
খ গাছে গাছে পাখি গান গায়
 এ জগৎ যেন আনন্দের মেলা
ঘ অন্তরের ভালবাসায় সুন্দর বিশ্ব নির্মাণ
৫৪. অনুচ্ছেদ এবং ‘মেলা’ কবিতার মধ্যে সাদৃশ্যপূর্ণ চরণ হলো- (অনুধাবন)
র. ফুলের মেলা, পাখির গান গায় রর. এই যে হাসি এই যে খুশি
ররর. গড়বে নতুন একটি বাগান
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৫৫ ও ৫৬ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
আজকের শিশুরা আগামী দিনের জাতিকে পরিচালনা করবে। শিশুদের রয়েছে একটি কোমলমতি মন, যেখানে আমরা ঠিক যে জিনিসটি যেভাবে স্থাপন করব সেটি ঠিক সেভাবেই গড়ে উঠবে। তাই ছোটকাল থেকে যদি শিশুদের ঐক্য ও সাম্যের শিক্ষা দেয়া উচিত তাহলেই পৃথিবী একদিন বিবাদহীন সুন্দর পৃথিবীতে পরিণত হবে।
৫৫. অনুচ্ছেদের মূলভাবটি ‘মেলা’ কবিতার যে চরণটির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ তা হলো- (প্রয়োগ)
র. তার মাঝেই একটি সুর রর. এক দুনিয়ার এক মানুষের
ররর. স্বপ্ন তারা যায় মিলিয়ে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৫৬. অনুচ্ছেদে ‘মেলা’ কবিতার কোন ভাবটি ফুটে উঠেছে? (উচ্চতর দক্ষতা)
 মানুষের একতাবদ্ধতা খ প্রকৃতির জগৎ
গ শিশুদের মন ঘ শিশুর বিকাশ
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৫৭ ও ৫৮ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
“নতুন যুগের কিশোর নতুন স্বপ্নে জাগরিত হবে।
তারা পুরানো পৃথিবীকে নতুন রূপে গড়ে তুলবে।
হাসি-গানে মুখর করবে জীবন। সেই নব পৃথিবীতে
কোনো দুঃখ-দৈন্য, হিংসা-বিভেদ থাকবে না।”
[বøু বার্ড স্কুল এন্ড কলেজ, সিলেট; ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল, ঢাকা]
৫৭. অনুচ্ছেদের কবিতার সাথে ‘মেলা’ কবিতার কোন দিক দিয়ে মিল রয়েছে? (প্রয়োগ)
ক দুঃখবোধ  আশাবাদ গ স্বাধীনতা ঘ পুরনো পৃথিবী
৫৮. হিংসা-বিভেদ দূর করতে পারলে পৃথিবী পরিণত হবে- (অনুধাবন)
র. সকল মানুষের মিলনমেলায় রর. স্নেহ ভালোবাসা পূর্ণ পরিবারে
ররর. ভৌগোলিক সীমারেখায়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৫৯ ও ৬০ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
“বংশে বংশে নাহিকো তফাত
বনেদি কে আর গর-বনেদি,
দুনিয়ার সাথে গাঁথা বুনিয়াদ
দুনিয়ার সবারি জনম বেদি।”
[গভ. ল্যাববেটরি স্কুল, ঢাকা]
৫৯. অনুচ্ছেদে ‘মেলা’ কবিতার যে দিক প্রতিফলিত তা হলোÑ (প্রয়োগ)
র. সকল মানুষের প্রতি সংবেদনশীলতা
রর. পৃথিবীর সব মানুষের ঐক্যবদ্ধতা
ররর. অসা¤প্রদায়িক চেতনা সৃষ্টি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৬০. উল্লিখিত দিকটি নিচের যে চরণে বিদ্যমান- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. আর এক মেলা জগৎ জুড়ে
ভাইরা মিলে বোনরা মিলে
রর. এই মেলাতে নিত্য চলে
আপন মনে একটি খেলা
ররর.তার মাঝেই একটি সুর
সবারই সুর যায় মিলিয়ে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ন্ধ শব্দার্থ ও টীকা
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬১. ‘নিত্য’ শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
 রোজ খ নাচ গ নগর ঘ নয়ন
৬২. ‘মেলা’ কবিতায় ‘মেলা’ শব্দটি কোন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে? (অনুধাবন)
ক উৎসব খ ভিড় করা
 মিলন ঘ আনন্দ
৬৩. ‘সুবাস’ শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক ফুল  সুগন্ধ গ গন্ধ ঘ বসবাস
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬৪. মেলা হতে পারে- (অনুধাবন)
র. বৈশাখী মাস উপলক্ষে রর. বৈজ্ঞানিক যন্ত্র প্রদর্শন উপলক্ষে
ররর. ফসল প্রদর্শন উপলক্ষে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৬৫. ‘অন্য এক রকমের মেলা’ বলতে বোঝায়Ñ (অনুধাবন)
র. শিশু-কিশোরদের মিলনমেলা রর. শিশু-কিশোরদের ঐক্যের মেলা
ররর. বুড়ো-শিশুদের ভালোবাসার মেলা
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ন্ধ পাঠ পরিচিতি
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬৬. ‘মেলা’ কবিতার মূলকথা কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক শোষণমুক্ত পৃথিবী খ সমৃদ্ধ পৃথিবী
 অভিন্ন পৃথিবী ঘ অপরাধমুক্ত পৃথিবী
৬৭. কীভাবে বিবাদহীন পৃথিবী তৈরি করা যেতে পারে? (অনুধাবন)
ক সুন্দর দালানকোঠা তৈরি করে
 সব মানুষকে ভালোবাসার বাঁধনে বেঁধে
গ আশার আলো দেখিয়ে
ঘ সুখ শান্তির আশা করে
৬৮. শিশু-কিশোররা নবীন প্রাণে কীসের আলো ছড়িয়ে দেয়? (জ্ঞান)
ক জ্ঞানের আলো খ মনুষ্যত্বের আলো
 আশার আলো ঘ ভালোবাসায় আলোর
৬৯. ‘মেলা’ কবিতাটি পাঠের উদ্দেশ্য কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক শিশু-কিশোরের মিলনমেলা
 সকল মানুষের মধ্যে ঐক্যের সুর জাগ্রত করা
গ মেলায় শিশুদের আগ্রহের জাগরণ
ঘ এক সুন্দর পৃথিবী গড়ার প্রতিজ্ঞা
৭০. ‘মেলা’ কবিতাটিতে কোন বিষয়টি ফুটে উঠেছে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক ফুলের সৌন্দর্য
 পৃথিবীর সৌন্দর্য
গ নদীর ঢেউ
ঘ তারার মেলা
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৭১. পৃথিবীর শিশু-কিশোরদের রয়েছে (অনুধাবন)
র. একটা আলাদা জগৎ রর. আরেকটা মেলা
ররর. আরেকটা পৃথিবী
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

 মাস্টার ট্রেইনার প্রণীত সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

 

 

 

Share to help others:

Leave a Reply