সপ্তম শ্রেণির বাংলা নতুন দেশ

নতুন দেশ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
লেখক পরিচিতি
নাম প্রকৃত নাম : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ছদ্মনাম : ভানুসিংহ ঠাকুর।
জন্ম পরিচয় জন্ম : ৭ই মে, ১৮৬১ খ্রিষ্টাব্দ (২৫ শে বৈশাখ, ১২৬৮ বঙ্গাব্দ)। জন্মস্থান : জোড়াসাঁকো, কলকাতা।
পিতৃ-মাতৃ পরিচয় পিতার নাম : মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর। মাতার নাম : সারদা দেবী।
শিক্ষাজীবন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছোটবেলায় ওরিয়েন্টাল সেমিনারি, বিদ্যাসাগর প্রতিষ্ঠিত নর্মাল স্কুল, বেঙ্গল একাডেমি, সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুল প্রভৃতি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন করলেও স্কুলের পাঠ শেষ করতে পারেননি। ১৭ বছর বয়সে ব্যারিস্টারি পড়তে ইংল্যান্ডে যান। সে পড়াও শেষ না হতেই দেশে ফিসে আসেন তিনি। কিন্তু স্বশিক্ষা ও স্বীয় সাধনায় বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এনে দিয়েছেন অতুলনীয় সমৃদ্ধি।
পেশা/কর্মজীবন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পিতৃ আদেশে ১৮৮৪ খ্রিষ্টাব্দ থেকে বিষয়কর্ম পরিদর্শনে নিযুক্ত হন। তিনি ১৮৯০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে জমিদারি দেখাশোনা করেন।
সাহিত্য সাধনা কাব্যগ্রন্থ : বনফুল, মানসী, কড়ি ও কোমল, সোনার তরী, চিত্রা, ক্ষণিকা, বলাকা, পূরবী, পুনশ্চ, গীতাঞ্জলি, শেষ লেখা বিশেষ উল্লেখযোগ্য। উপন্যাস : গোরা, ঘরে বাইরে, চতুরঙ্গ, চোখের বালি, যোগাযোগ, নৌকাডুবি, শেষের কবিতা, দুইবোন, মালঞ্চ ইত্যাদি। কাব্যনাট্য : কাহিনী, চিত্রাঙ্গদা, বসন্ত, বিদায় অভিশাপ, মালিনী, রাজা ও রানি ইত্যাদি। নাটক : অচলায়তন, চিরকুমার সভা, মুক্তধারা, ডাকঘর, রক্তকরবী, রাজা, বিসর্জন ইত্যাদি। গল্পগ্রন্থ : গল্পগুচ্ছ, গল্পস্বল্প, তিনসঙ্গী, লিপিকা, সে ইত্যাদি। ভ্রমণকাহিনি : জাপান যাত্রী, পথের সঞ্চয়, পারস্যে, রাশিয়ার চিঠি, য়ুরোপ যাত্রীর ডায়েরি, য়ুরোপ প্রবাসীর পত্র ইত্যাদি। শিশুসাহিত্য : শিশু ভোলানাথ, খাপছাড়া ইত্যাদি।
পুরস্কার ও সম্মাননা নোবেল পুরস্কার (১৯১৩), কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক সম্মানসূচক ডিলিট (১৯১৩), অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক সম্মানসূচক ডিলিট (১৯৪০), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক সম্মানসূচক ডিলিট (১৯৩৬) অর্জন।
জীবনাবসান ৭ই আগস্ট, ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দ (২২ শে শ্রাবণ, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ)।

 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ
শীতের ছুটিতে বাবা-মায়ের সঙ্গে হৃদিতা বেড়াতে যায় সেন্টমার্টিন দ্বীপে। সেখানকার সামুদ্রিক প্রবাল, সারি সারি নারিকেল গাছ, মাছ ধরার বড় বড় নৌকা ওর মনে কৌত‚হল জাগায়। দিগন্ত বিস্তৃত নীলাভ জলরাশি, পরিষ্কার আকাশ ওকে নিয়ে যায় অন্য এক জগতে। ওর ইচ্ছে হয় সমুদ্রের নানা রঙের মাছের সঙ্গে খেলা করতে- আবার কখনো বা আকাশে পাখি হয়ে উড়ে বেড়াতে।
ক. নীল আকাশের মাঝে কী সাজে?
খ. ‘থাকি ঘরের কোণে’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
গ. হৃদিতার সেন্টমার্টিনে দেখা দৃশ্যে ‘নতুন দেশ’ কবিতায় চিত্রিত কোন দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে- ব্যাখ্যা কর।
ঘ.“উদ্দীপকটি যেন ‘নতুন দেশ’ কবিতার মূলভাবকে ধারণ করে আছে।”- উক্তিটির যথার্থতা বিশ্লেষণ কর।

ক নীল আকাশের মাঝে পাহাড়-চ‚ড়া সাজে।
খ ‘থাকি ঘরের কোণে’ -বলতে একটি শিশুর অজানাকে জানার আকাক্সক্ষাকে বোঝানো হয়েছে।
শিশু ঘরের কোণে বাস করে কিন্তু তার মনে সাধ জাগে দূরে কোনো নগর বনে চলে যেতে। তার দৃষ্টিসীমার বাইরে গিয়ে সে সবকিছু জানতে চায়। তাই সে ঘরের কোণে বসে থাকতে চায় না। সে চায় বেরিয়ে পড়তে।
গ হৃদিতার সেন্টমার্টিনে দেখা দৃশ্যে ‘নতুন দেশ’ কবিতার চিত্রিত প্রাকৃতিক দৃশ্যটি প্রতিফলিত হয়েছে।
‘নতুন দেশ’ কবিতার অজানাকে জানার আকাক্সক্ষা ব্যক্ত হলেও চারপাশের মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্যাবলি তুলে ধরা হয়েছে। কবিতার অপরূপ ছন্দে নদীর ঘাট, জলের ঢেউ, মাঝ নদীতে নৌকার ছুটে চলা, জলের ধারে নারিকেলের বন, পাহাড়-চ‚ড়া, নীল আকাশ প্রভৃতি প্রাকৃতিক উপাদান কবি অন্য মাত্রায় ছন্দের জাদুতে ফুটিয়ে তুলেছেন। যা আমাদের চিরায়ত বাংলার নদীমাতৃক ও প্রাকৃতিক রূপটি তুলে ধরেছে।
উদ্দীপকের হৃদিতা সেন্টমার্টিন দ্বীপে ঘুরতে গিয়ে সামুদ্রিক প্রবাল, সারি সারি নারিকেল মাছ, গাছ ধরার বড় বড় নৌকো ইত্যাদি দেখতে পায়। যা তার মনে ব্যাপক কৌত‚হল জাগায়। নীলাভ জলরাশি, পরিষ্কার আকাশ তাকে নিয়ে যায় অন্য জগতে। সমুদ্রের নানা মাছের সাথে তার ভেসে বেড়াতে ইচ্ছে করে। তার ইচ্ছে করে পাখির মতো উড়তে। ‘নতুন দেশ’ কবিতায়ও কবি অনুরূপভাবে উদ্দীপকের ন্যায় প্রাকৃতিক দৃশ্যের বর্ণনা তুলে ধরেছেন।
ঘ “উদ্দীপকটি ‘নতুন দেশ’ কবিতার মূলভাবকে ধারণ করে আছে”- উক্তিটি যথার্থ।
‘নতুন দেশ’ কবিতার কিশোরের মধ্যে অজানাকে জানার সীমাহীন কৌতূহল ও রহস্য উন্মোচনের অপার আকাক্সক্ষা প্রকাশিত হয়েছে। ভাটার টানে ঘাটে বাঁধা নৌকো নদী পেরিয়ে কোথায় গিয়ে পৌঁছাবে তার ঠিক নেই। সেখানে হয়তো কোনো অসীম সৌন্দর্য, অজানা আনন্দ কিংবা অবাক বিস্ময় অপেক্ষা করছে। অজানাকে জানার ব্যাকুলতা কিশোররা তার আশপাশের সবার মধ্যেও দেখতে চায়।
উদ্দীপকের হৃদিতা তার মা-বাবার সাথে বেড়াতে যায় সেন্টমার্টিনে। সেখানে সে সামুদ্রিক প্রবাল, সারি সারি নারিকেল গাছ, মাছ ধরার বড় নৌকো, নীলাভ জলরাশি, পরিষ্কার আকাশ তাকে কৌত‚হলী করে তোলে। তার সাধ জাগে সামুদ্রিক মাছের সাথে খেলা করতে এবং পাখিদের মতো উড়তে।
উদ্দীপক ও ‘নতুন দেশ’ কবিতা পর্যালোচনা করলে আমরা পাই, উভয় স্থানে অজানাকে জানার দুর্নিবার আকাক্সক্ষা, প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা ও কৌতূহল প্রকাশিত হয়েছে। সেদিক থেকে উদ্দীপকটি ‘নতুন দেশ’ কবিতায় মূলভাবটি ধারণ করে আছে।
প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ
দেখ চেয়ে ওই ঝর্ণা ধারা কেমন ব’য়ে যায়
ঝিকমিকিয়ে মাঠের পর ছায়াপথের প্রায়।
ঘুমিয়ে ছিল সে এতদিন মেঘের স্বপন-লোক
বনগিরির শীর্ষে নেমে খুলল তাহার চোখ।
পাথর-নুড়ির সংঘাতে তার বাজে গানের সুর
আর্শি সম পেশানি তার স্বচ্ছ-সুমধুর।
সাগর পানে যায় ছুটে সে দুরন্ত দুর্বার
চলা ছাড়া জানে না সে অন্য কিছু আর।
ক. নৌকো কোথায় বাঁধা আছে? ১
খ. নৌকো জলের ঢেউয়ে নাচে বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ২
গ. উদ্দীপকের কবিতাংশের সাথে ‘নতুন দেশ’ কবিতার কোন দিকটির সাদৃশ্য আছে দেখাও। ৩
ঘ. “উদ্দীপকের ঝরনা ‘নতুন দেশ’ কবিতার নৌকোরই সমার্থক”- উক্তিটির সত্যতা যাচাই কর। ৪

ক নৌকা ঘাটের কাছে বাঁধা আছে।
খ নৌকো জলের ঢেউয়ে নাচে বলতে- ঢেউয়ের কারণে নৌকার দুলে ওঠাকে বোঝায়।
নৌকো যখন ঘাটে বাঁধা থাকে তখন নদীর ঢেউ এসে নৌকোর তলদেশে আছড়ে পড়ে তখনই নৌকোটি দুলে ওঠে এবং তা উঁচু নিচু হতে থাকে। এই অবস্থাকে কবি নৌকো জলের ঢেউয়ে নাচে বলা হয়েছে।
গ উদ্দীপকের ঝরনাধারার ছুটে চলার সাথে ‘নতুন দেশ’ কবিতার মাঝনদীতে নৌকোর ভাটার টানে ছুটে চলার বিষয়টির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
‘নতুন দেশ’ কবিতায় বলা হয়েছে যে নৌকোটি ঘাটে বাঁধা ছিল সেটি আজ ভাটার টানে মাঝনদীতে বয়ে চলেছে। এটি এখন কোথায় গিয়ে পৌঁছবে তার কোনো ঠিক নেই। হয়তো নতুন কোনো দেশে বা নতুন পরিবেশে গিয়ে তা পৌঁছাবে। নৌকোর এই চলমানতা যেন বিশেষ কোনো অর্থ প্রকাশ করে।
উদ্দীপকে উল্লেখ করা হয়েছে ঝরনাধারা বয়ে চলার কথা। ঝরনাধারা ছায়াপথের মতো নিচে নেমে আসে। বনগিরির শীর্ষে নেমে যেন তার চোখ খুলে যায়। পাথর শাড়ির সংঘাতে তার কণ্ঠে গানের সুর ভেসে ওঠে। এই ঝরনা ধারা দুরন্ত দুর্বার গতিতে সাগরের পানে ছুটে যায়। সে ছুটেই চলে। নতুন দেশ কবিতায়ও ভাটার টানে নৌকোগুলো বয়ে যায়। তাই নৌকোয় বয়ে যাওয়ার সাথে ঝরনাধারায় বয়ে চলা সাদৃশ্যপূর্ণ।
ঘ “উদ্দীপকের ঝরনা ‘নতুন দেশ’ কবিতার নৌকোরই সমার্থক”- কথাটি যুক্তিযুক্ত।
‘নতুন দেশ’ কবিতায় কবি একটি প্রবহমান নদীতে নৌকোর বয়ে চলার কথা উল্লেখ করেছে। যে নৌকাগুলো ভাটার টানে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়েছে। কবিতার শিশুটি যেন অমনি একটি নৌকোয় চেপে দূরদূরান্তে চলে যেতে চায়। প্রকতির রহস্য অনুসন্ধানে যেন এমনি একটি নৌকোর প্রয়োজন।
উদ্দীপকে ঝরনাধারা তার আপন গতিতে ছুটে চলেছে। এই ঝরনা এতদিন মেঘের দেশে ঘুমিয়েছিল। এখন সে নেমে এসে দ্রæত ধাবিত হচ্ছে সাগরের পানে। চলার পথে তার পাথর-নুড়ির সাথে সংঘর্ষ লেগে যেন গানের সুর বেজে ওঠে।
তাই উদ্দীপকে ঝরনাধারা ও ‘নতুন দেশ’ কবিতার নৌকো একইভাবে নিরুদ্দেশের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে। বিরামহীন ছুটে চলাই যেন তার ধর্ম। তাই উদ্দীপকের ঝরনাধারা ও ‘নতুন দেশ’ কবিতায় নৌকো সত্যিকার অর্থেই সমার্থক।
প্রশ্ন- ২ ল্ফল্ফ
স্বপন তার নানা বাড়িতে বেড়াতে গেল। নানা বাড়ির পাশেই নদী। নদীতে অনেক নৌকো চলে। স্বপন একদিন ছোট মামার সাথে নৌকোয় করে ঘুরতে বের হলো। নৌকোটি চলেছে নদীর মাঝ দিয়ে। দু’ধারে কত গাছগাছালি, ঘরবাড়ি। কোথাও নদীর ধার খাড়া। আবার কোথাও ঢালু। এক জায়গায় বিশাল চর। চরের পলি মাটিতে সরিষা ক্ষেত হলুদ ফুলে ভরে উঠেছে। দেখে স্বপনের মনে হলো। এযেন এক অচেনা জায়গা।
ক. কী সারে সারে দাঁড়িয়ে আছে? ১
খ. নতুন নগর বনে ভেসে যাওয়া বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ২
গ. উদ্দীপকের বর্ণনা ‘নতুন দেশ’ কবিতার ভাবার্থের সাথে কতটুকু সাদৃশ্যপূর্ণ দেখাও। ৩
ঘ.“উদ্দীপক ও ‘নতুন দেশ’ কবিতার অজানাকে জানার আনন্দের কথা প্রকাশিত হয়েছে”- কথাটি মূল্যায়ন কর। ৪

ক নারিকেলের বনগুলো সারে সারে দাঁড়িয়ে আছে।
খ ‘নতুন দেশ’ কবিতায় ‘নতুন নগর বনে’ বলতে দূরের কোনো পরিবেশে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
ভাটার পানে ঘাটে বাঁধা নৌকো মাঝ নদী পেরিয়ে কোথায় গিয়ে পৌঁছবে তার কোনো ঠিক নেই। হয়তো কোনো নতুন নগর বনে বা নতুন পরিবেশে গিয়ে সে পৌঁছবে। মূলত নতুন নগর বনে ভেসে যাওয়ার উদ্দেশ্য অদেখাকে দেখার কৌত‚হল কিশোর মনে প্রকাশ পেয়েছে।
গ উদ্দীপকের বর্ণনা ‘নতুন দেশ’ কবিতার উল্লিখিত অজানাকে জানার কৌতূহল প্রকাশের দিক দিয়ে পুরোপুরি সাদৃশ্যপূর্ণ।
‘নতুন দেশ’ কবিতায় অজানাকে জানার সীমাহীন কৌত‚হল এবং প্রকৃতির সকল রহস্য উন্মোচন করার অপার আকাক্সক্ষার কথা প্রকাশিত হয়েছে। ভাটার টানে ঘাটে বাঁধা নৌকো মাঝ নদীতে বয়ে চলছে। কোথায় গিয়ে তা পৌঁছাবে তা কেউ বলতে পারে না। হয়তো নতুন কোনো নগর, বন কিংবা নতুন কোনো পরিবেশে গিয়ে তা পৌঁছবে। সেখানে হয়তো কেউ না কেউ নৌকাটির জন্য কোনো অপার বিস্ময় অপেক্ষা করছে।
উদ্দীপকের স্বপন নানা বাড়িতে এসে তার ছোট মামার সাথে নৌকোয় ঘুরতে বের হলো। নদীর মাঝ দিয়ে নৌকো চলার সময় সে দু’ধারে গাছগাছালি, ঘরবাড়ি, নদীর পাড়, বিশাল চর, সরিষা খেত দেখে অভিভ‚ত হয়। তার কাছে মনে হলো এ এক অচেনা জায়গা। ‘নতুন দেশ’ কবিতার নতুন নগর, বন ও প্রকৃতি দেখার জন্য যে কৌতূহল ও আকাক্সক্ষা ব্যক্ত করা হয়েছে, উদ্দীপকে যেন তারই বাস্তবায়ন ঘটেছে। উভয় স্থানেই অজানাকে জানার ও অদেখাকে দেখার ইচ্ছে ব্যক্ত হয়েছে। সঙ্গত কারণেই উদ্দীপকের বর্ণনা ‘নতুন দেশ’ কবিতায় ভাবার্থের সাথে সম্পূর্ণ সঙ্গতিপূর্ণ।
ঘ ‘উদ্দীপক ও ‘নতুন দেশ’ কবিতায় অজানাকে জানার আনন্দের কথা প্রকাশিত হয়েছে’- কথাটি যথার্থ।
‘নতুন দেশ’ কবিতায় ঘাটে বাঁধা নৌকোর মাঝনদীতে ছুটে চলা দেখেই মনে কৌতূহল জাগে নৌকোগুলো কোথায় যাচ্ছে। তাছাড়া শিশুটি এভাবে ঘরের কোণে বসে না থেকে যদি নৌকো করে দূরদূরান্তে ঘুরে বেড়াতে পারত, নতুন কোনো দেশে, নতুন জায়গায়; যেখানে ফুলে ফলে সুসজ্জিত বন রয়েছে, প্রাণীরা দল বেঁধে ঘুরে বেড়ায়। এসব ভেবে ভেবে সে পুলক অনুভব করে।
উদ্দীপকে স্বপন ছোট মামার সাথে নৌকোয় করে ঘুরতে বের হয়। নদীর দু’ধারে সে দেখতে পায় বহু গাছগাছালি, ঘরবাড়ি, বিশাল চর, সরষে খেত। হলুদের সমারোহ দেখে তার মনে হলো এ এক অচেনা জায়গা। এসব দেখে সে আনন্দিত ও বিস্মিত হয়।
উদ্দীপক ও ‘নতুন দেশ’ কবিতা উভয় স্থানে রয়েছে অজানাকে জানার, অদেখাকে দেখার দুর্নিবার আকাক্সক্ষা ও প্রত্যয়। সেদিক থেকে নিঃসন্দেহে বলা যায় উদ্দীপক ও ‘নতুন দেশ’ কবিতার অজানাকে জানার আনন্দের কথা প্রকাশিত হয়েছে।
প্রশ্ন- ৩ ল্ফল্ফ
“নৌকা তোমার ঘটে বাঁধা আছে-যাবে কি অনেক দূরে?
পায়ে পড়ি মাঝি, সাথে নিয়ে চলো মোরে আর ছোকানুরে।
আমারে চেনো না? আমি-যে কানাই! ছোকানু আমার বোন
তোমার সঙ্গে বেড়াবো আমরা মেঘনা, পদ্মা, শোন।
অনেক রঙের পাল আছে মাঝি? বেগুনি, বাদামি, লাল?
হলদেও?- তবে সেটা দাও আজ, বেগুনিটা দিয়ো কাল।
সবগুলো নদী দেখাবে কিন্তু!- আগে পদ্মায় চলো,
দুপুরে রোদে ঝলমল জল ব’য়ে যায় ছলোছলো
শুয়ে-শুয়ে দেখি অবাক আকাশ, আকাশ মস্ত বড়,
পৃথিবীর সব নীল রং বুঝি সেখানে করেছে জড়ো।
ওটা চর বুঝি? একটু রাখো না!-এ তো ভারি সুন্দর,
এ যেন নতুন কার্পেট পাতা-এই পদ্মার চর?”
[নদীর স্বপ্ন : বুদ্ধদেব বসু]
ক. ‘নতুন দেশ’ কবিতাটি কোন গ্রন্থ থেকে চয়ন করা হয়েছে? ১
খ. ভাটার টান বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ২
গ. উদ্দীপকের কবিতাংশের সাথে ‘নতুন দেশ’ কবিতার সাদৃশ্য নির্ণয় কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকের কবিতাংশ ‘নতুন দেশ’ কবিতার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ হলেও পরিপূর্ণ ভাব ধারণ করতে পারেনি- কথাটি বিচার কর। ৪

ক ‘নতুন দেশ’ কবিতাটি ‘সহজ পাঠ’ গ্রন্থ থেকে চয়ন করা হয়েছে।
খ সমুদ্র বা নদীতে বেড়ে ওঠা জলের ¯্রােত কমে গিয়ে তা নিচের দিকে প্রবাহিত হওয়াকে ভাটার টান বলা হয়।
চাঁদ ও সূর্যের শক্তির আকর্ষণে সমুদ্রে বা নদীতে জল বেড়ে ওঠে। এই নদীতে জলরাশি আবার দ্রæত কমে যায়। প্রবল গতিতে জল নেমে যাওয়াকে ভাটার টান বলা হয়।
গ নতুনকে জানার দুর্নিবার আকাক্সক্ষা প্রকাশের দিক দিয়ে উদ্দীপক ও ‘নতুন দেশ’ কবিতার সাদৃশ্য রয়েছে।
‘নতুন দেশ’ কবিতার কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একটি কৌত‚হলী শিশু মনের ভাবনা ও অজানাকে জানার আগ্রহ তুলে ধরেছেন। মাঝ নদীতে ছুটে চলা নৌকোটি কোথায় কোন সুদূরে, কোন নগরে, কোন বনে গিয়ে পৌঁছায় তা নিয়ে তার ভাবনার অন্ত নেই। অন্যরা কেন তার মতো অচেনাকে চেনার জন্য ছুটে চলে না তা নিয়েও সে মন্তব্য করেছে।
উদ্দীপকে মাঝিকে কানাই অনুরোধ করছে তার বোন ছোকানুসহ মেঘনা, পদ্মা, শোন -এসব নদীতে বেড়াতে নিয়ে যেতে। রংবেরঙের পাল তুলে সব নদী দেখাবার আবদার করে সে। দুপুরের ঝলমল রোদে শুয়ে দেখে নীল আকাশ, দেখে কার্পেটে পাতা পদ্মার চর। ‘নতুন দেশ’ কবিতার কিশোর ও উদ্দীপকের কানাইয়ের ভাবনা একই সমান্তরাল। আর তা হচ্ছে অদেখাকে দেখা। তাই উদ্দীপকের কবিতাংশের সাথে ‘নতুন দেশ’ কবিতার সাদৃশ্য হচ্ছে নতুন নতুন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের স্থান অবলোকন করা।
ঘ উদ্দীপকের কবিতাংশ ‘নতুন দেশ’ কবিতার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ হলেও পরিপূর্ণ ভাব ধারণ করতে পারেনি- উক্তিটি যথার্থ।
‘নতুন দেশ’ কবিতায় কবি অজানাকে জানার সীমাহীন কৌত‚হল এবং প্রকৃতির সকল রহস্য উন্মোচন করার আকাক্সক্ষা প্রকাশিত হয়েছে। ভাটার টানে মাঝনদীতে ধাবমান নৌকো হয়তো কোনো নতুন দেশে বা নতুন পরিবেশে পৌঁছাবে তা নিয়ে সকলের কৌতূহল জাগে। হয়তো কোনো অসীম সৌন্দর্য বা অজানা আনন্দ বা অপার বিস্ময় তার জন্য অপেক্ষা করে আছে। অদেখাকে দেখার ব্যাকুলতা শিশু তার আশপাশের সবার মধ্যে দেখতে চায়।
উদ্দীপকের কানাইয়ের মাঝে অজানাকে জানার প্রবল আকাক্সক্ষা রয়েছে। সে তার বোনকে নিয়ে মেঘনা, পদ্মা ও শোন প্রভৃতি নদী দেখতে চায়। সে মাঝিকে কাতর হয়ে মিনতি করে তাদের নৌকো করে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
উদ্দীপকে অজানাকে জানার আকাক্সক্ষা থাকলেও এই ব্যাকুলতা ছোকানু আর কারো কাছে প্রকাশ করেনি। তার আকাক্সক্ষা তার মাঝেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। তাই বলা যায় উদ্দীপকের কবিতাংশ ‘নতুন দেশ’ কবিতার সাথে নতুন স্থান দেখার বিষয়ে সাদৃশ্যপূর্ণ হলেও পরিপূর্ণ ভাব ধারণ করতে পারেনি।
প্রশ্ন- ৪ ল্ফল্ফ
ঘরে বসে টিভি দেখছে অনুপ। ডিসকভারি চ্যানেলে দেখা যাচ্ছে একটি জাহাজ ভেসে চলেছে অজানার উদ্দেশ্যে। সাদা রঙের বিশাল জাহাজ লাল সমুদ্রে ভেসে চলেছে। চলার পথে মাঝে মাঝে সাদা বরফের চাঁই সামনে পড়ছে। উপরে নীল আকাশ। সাদা বরফ, নীল সমুদ্র আর দূরে দৃশ্যমান দ্বীপের সবুজ গাছপালা অনুপকে খুবআকৃষ্ট করল। তার মনে হলো- এ তো স্বপ্নের দেশ।
ক. নতুন দেশে দলে দলে কী ঘুরে বেড়ায়? ১
খ. ‘কত রাতের শেষে নৌকো ভাসা’- কী অর্থ প্রকাশ করে ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের সাথে ‘নতুন দেশ’ কবিতার সাদৃশ্য ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.‘উদ্দীপকে অনুপের মনে হওয়া স্বপ্নের দেশ, নতুন দেশেরই সমার্থক’ – কথাটির সত্যতা নির্ণয় কর। ৪

ক নতুন দেশে পশুরা দলে দলে ঘুরে বেড়ায়।
খ ‘কত রাতের শেষে নৌকো ভাসা’- বলতে সময়ের প্রবহমানতাকে বোঝানো হয়েছে।
নদীতে একদিকে দিন রাত নৌকো ভেসে চলে অন্যদিকে দিন ও রাত সমানতালে আবর্তিত হয়। সময়ের সেই পরিবর্তন বোঝাতে শত রাতের শেষে নৌকো যে যায় ভেসে কথাটি বলা হয়েছে।
গ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য প্রকাশের দিক দিয়ে উদ্দীপক ও ‘নতুন দেশ’ কবিতার সাদৃশ্য রয়েছে।
‘নতুন দেশ’ কবিতায় অজানাকে জানার আকাক্সক্ষার মধ্যদিয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের নানা দিক প্রকাশিত হয়েছে। কবিতায় নদী ঘাটের কাছে নৌকো বাঁধা। মাঝনদীতে নৌকো ভাসা, ভাটার টান, নারিকেলের বন, পাহাড় চ‚ড়া, নীল আকাশ ইত্যাদি কবিতার ছন্দে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিকভাবে তুলে ধরেছেন। কবি শিশুমনের প্রকৃতির রহস্য উন্মোচন করার বিষয়াদি সর্বসমক্ষে তুলে ধরেছেন।
উদ্দীপকে উল্লিখিত হয়েছে ডিসকভারি চ্যানেলে দেখা যায় সাদা রঙের বিশাল জাহাজ সমুদ্রে ভেসে চলেছে। মাঝে মাঝে বরফের চাঁই। উপরে নীল আকাশ নিচে সাদা বরফ, নীল সমুদ্র আর দূরে দৃশ্যমান দ্বীপের সবুজ গাছপালা অনুপকে খুব আকৃষ্ট করল।
উদ্দীপকের প্রাকৃতিক দৃশ্য অনুপকে যেমন আকৃষ্ট করে তেমনি ‘নতুন দেশ’ কবিতার শিশুর না দেখা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে আকৃষ্ট করে।
ঘ ‘উদ্দীপকের অনুপের মনে হওয়া স্বপ্নের দেশ নতুন দেশেরই সমার্থক।’- কথাটি যথার্থ।
‘নতুন দেশ’ কবিতায় কবি অনুপম ছন্দে যে প্রকৃতির রূপ তুলে ধরেছেন তাতে তা স্বপ্নের দেশ বলেই মনে হয়। শিশু মনের কল্পনায় ভেসে উঠেছে ভাটায় টানে মাঝনদীতে নৌকা ভেসে চলা, নারিকেলের বন, পাহাড়-চ‚ড়া, নীল আকাশের স্বচ্ছ ছবি। এমন দৃশ্য আমাদের কল্পনার জগতে ভাসিয়ে নিয়ে যায়।
উদ্দীপকের অনুপ টিভি চ্যানেলে দেখে সাদা রঙের বিশাল জাহাজ সমুদ্রে ভেসে চলেছে, মাঝে মাঝে বরফের চাঁই, উপরে নীল আকাশ। সাদা বরফ, নীল সমুদ্র, দ্বীপের সবুজ গাছপালা এক স্বপ্নীল জগতের কল্পনা জাগিয়ে তোলে। অনুপের কাছে তা স্বপ্নের দেশ বলেই মনে হয়েছে।
‘নতুন দেশ’ কবিতা ও উদ্দীপক পর্যালোচনা করে আমরা পাই উভয় স্থানে সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্যের বর্ণনা রয়েছে। তাই উদ্দীপকের অনুপের মনে হওয়া স্বপ্নের দেশ নতুন দেশেরই সমার্থক।
প্রশ্ন- ৫ ল্ফল্ফ

ক. ছোটদের জন্য লেখা রচনাগুলো নিয়ে সংকলিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বইটির নাম কী? ১
খ. বরফ ভেঙে ডিঙিয়ে যাওয়া বলতে কী নির্দেশ করা হয়েছে -ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের ছবিটি ‘নতুন দেশ’ কবিতার কোন দিকটির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ- ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.“উদ্দীপকের ছবিটি ‘নতুন দেশ’ কবিতাটিকে পুরোপুরি ধারণ করতে পারেনি”- বিশ্লেষণ কর। ৪

ক ছোটদের জন্য লেখা রচনাগুলো নিয়ে সংকলিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বইটির নাম ‘কৈশোরক’।
খ ‘বরফ ভেঙে ডিঙিয়ে যাওয়া’ বলতে অজানাকে জানার প্রত্যয়ে দৃঢ়তার সাথে সামনে চলার কথা বলা হয়েছে।
‘নতুন দেশ’ কবিতায় আলোচ্য পঙ্ক্তিটি অজানাকে জানার অভিযানে এক সাহসী উচ্চারণ। পাহাড়-চ‚ড়া নীল আকাশের নীলের মাঝে সেজে বসে থাকে। কিন্তু সাদা বরফের প্রাচীর ভেঙে কেউ সামনে এগিয়ে যেতে পারে না।
গ উদ্দীপকের ছবিটি ‘নতুন দেশ’ কবিতার উল্লিখিত জলের ধারে সারে সারে নারিকেলের বনের দৃশ্যের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
‘নতুন দেশ’ কবিতায় প্রকৃতির রহস্য উন্মোচন করার আকাক্সক্ষার পাশাপাশি প্রকৃতির রূপেরও বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। দূর সাগরের পারে জলের ধারে সারে সারে নারিকেলের বনের কথা বলা হয়েছে।
উদ্দীপকের ছবিটি জলের ধারের নারিকেল বনের ছবি। যা অনেক চিত্তাকর্ষক ও দৃষ্টিনন্দন হয়ে আমাদের কাছে ফুটে উঠেছে। মানুষ বার বার প্রকৃতির মাঝেই নিজেকে খুঁজে বেড়ায়। ‘নতুন দেশ’ কবিতায় অনুরূপ দৃশ্য তুলে ধরা হয়েছে এবং উদ্দীপকে জলের ধারে সারি সারি নারিকেলের বনের দৃশ্য তাই সাদৃশ্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
ঘ উদ্দীপকের ছবিতে ‘নতুন দেশ’ কবিতায় নারিকেল বনের সৌন্দর্যের দিকটি ফুটে ওঠায় তা কবিতাটিকে পুরোপুরি ধারণ করতে পারেনি।
‘নতুন দেশ’ কবিতায় অজানাকে জানার আকাক্সক্ষা ব্যক্ত হয়েছে। সেই সাথে ব্যক্ত হয়েছে প্রকৃতির রহস্য উন্মোচনের আকাক্সক্ষা। ঘাটে বাঁধা নৌকোর মাঝ নদীতে ছুটে চলা দেখে কৌত‚হল জেগেছে শিশুমনে। ওই নৌকো কোন সুদূরে গিয়ে পৌঁছবে। নতুন কোনো দেশে অথবা নতুন কোনো জায়গায়? সেই নতুন দেশে প্রাণীদের দল বেঁধে ঘুরে বেড়ানো আর ঘরের কোণে বসে না থেকে নৌকোর মতো ভেসে ভেসে নতুন নগরে বনে যাওয়ার আকাক্সক্ষা ইত্যাদি কবিতায় প্রকাশিত হয়েছে।
উদ্দীপকের চিত্রটি একটি নারিকেল বনের। যা বিশাল জলরাশির ধারে সারে সারে দাঁড়িয়ে আছে। এছাড়া নীল আকাশে সাদা মেঘও ভেসে বেড়াচ্ছে।
উদ্দীপকে জলের ধারে নারিকেল সারি কিংবা নীল আকাশের চিত্র থাকলেও ‘নতুন দেশ’ কবিতার আরো অন্যান্য বিষয় আলোচিত হয়েছে। তাই উদ্দীপকটি ‘নতুন দেশ’ কবিতাকে পুরোপুরি ধারণ করতে পারেনি।
 অনুশীলনের জন্য সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক (উত্তরসংকেতসহ)
প্রশ্ন- ৬ ল্ফল্ফ
রানু স্কুল থেকে ফিরে ঘুমিয়ে পড়েছিল। ঘুমের মধ্যে সে স্বপ্নে দেখল একটা অচেনা লোকের সাথে কোথায় যেন গেছে। জায়গাটা এর আগে সে দেখেনি। নানা রঙের ফুল ফলে ভরা বিশাল বাগান। বাগানে হরেক রকমের পাখি। বাগানের ধারেই একটা ছোট্ট পাহাড়। পাহাড়ের গায়ে ফুল বাগান। বাগানের উপরে নীল আকাশ। হঠাৎ কোথা থেকে কোনো একটা বাঘ এলো। বাঘ দেখে ভয়ে চিৎকার দিল রানু। আর তখনি তার ঘুম ভেঙে গেল।
ক. এশীয়দের মধ্যে প্রথম কে নোবেল পুরস্কার পান? ১
খ. নতুন নগর- বনে যাওয়া কী অর্থ প্রকাশ করে- ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের রানুর স্বপ্নে দেখা জায়গাগুলো ‘নতুন দেশ’ কবিতার সাথে কতটুকু সাদৃশ্যপূর্ণ- দেখাও। ৩
ঘ.“নতুন দেশ’ কবিতায় কবির ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেছে উদ্দীপকের রানুর স্বপ্নের মধ্য দিয়ে”- কথাটি বিশ্লেষণ কর। ৪

ক এশীয়দের মধ্যে সর্বপ্রথম নোবেল পুরস্কার পান রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
খ নতুন নগর-বনে যাওয়া নতুন স্থানে গমন অর্থ প্রকাশ করে।
শিশুমন সকল সময় ছুটে বেড়ায় নতুন জিনিসকে অবলোকন করার প্রত্যাশায়। তার মতো তার চারপাশের লোকেরাও কেন নতুন নগর-বন দেখার প্রত্যাশা করে না সেজন্য বালকের বিস্ময়ের অন্ত নেই। তাই শিশুটি একাই মনের ভেলায় চেপে নতুন নগর-বন দেখতে বের হয়েছে।
প্রশ্ন- ৭ ল্ফল্ফ
গ উদ্দীপকের রানুর স্বপ্নে দেখা জায়গাগুলো ‘নতুন দেশ’ কবিতার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। নানা রঙের ফুলের বাগান, পাহাড়, নীল আকাশ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে উদ্দীপক ও কবিতার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ আলোচনা করতে হবে।
ঘ ‘নতুন দেশ’ কবিতার কবির ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেছে। উদ্দীপকের রানুর স্বপ্নের মধ্য দিয়ে- এ মতের পক্ষে তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনা করতে হবে।
প্রশ্ন- ৭ ল্ফল্ফ

ক. রবীন্দ্রনাথ কত বঙ্গাব্দে জন্মগ্রহণ করেন? ১
খ. বাবা নতুন দেশে যায় না কেন? ২
গ. উদ্দীপকের নৌকোর ছবিটি কবিতার কোন অংশের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ ব্যাখ্য কর। ৩
ঘ. “উদ্দীপকের চিত্রটি ‘নতুন দেশ’ কবিতার সামগ্রিক ভাব ধারণে ব্যর্থ হয়েছে”- উক্তিটি বিশ্লেষণ কর। ৪

ক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১২৬৮ বঙ্গাব্দে জন্মগ্রহণ করেন।
খ নতুন দেশ নামে কোনো দেশের অস্তিত্ব না থাকায় বাবা নতুন দেশে যান না।
শিশুমন অদেখা সকল অঞ্চলকে নতুন দেশ হিসেবে কল্পনা করে। আর সে নতুন দেশকে দেখার আকাক্সক্ষা তার দুর্নিবার। সুযোগ পেলেই সে কল্পনার ডানা মেলে নতুন দেশে বেড়িয়ে আসে। তাই শিশুমনের স্বভাবজাত প্রশ্ন বাবা কেন নতুন দেশে যায় না।
ঢপষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে-
গ উদ্দীপকের নৌকোর ছবিটি ভাটির টানে নৌকো ভেসে চলার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।-এ বিষয়ে আলোচনা করতে হবে।
ঘ শুধুমাত্র নৌকোর ছবি ‘নতুন দেশ’ কবিতায় ভাটির টানে নৌকো ভেসে যাওয়ার ক্ষেত্রে সাদৃশ্য তৈরি হয়েছে- ‘নতুন দেশ’ কবিতায় অন্যান্য বিষয় এখানে অনুপস্থিত। এ বিষয়টি আলোচনা করতে হবে।
প্রশ্ন- ৮ ল্ফল্ফ
রাহাতদের গ্রামের বাড়ির দক্ষিণে বিশাল একটা বন আছে। অনেক দূরে পাহাড়। রাহাত কখনো ওদিকে যায়নি। এবার গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে সে বনের পথ ধরে হাঁটতে লাগল। সে কিছুদূর যাওয়ার পর অবাক হয়। বনের ভিতরে কত রংবেরঙের বুনোফুল ফুটে আছে। কত নাম না জানা পাখি। ঘন বনের গাছপালার ফাঁক দিয়ে সূর্যের আলো আসতে পারে না। স্বপ্নের মতো পরিবেশ। যেন এক স্বপ্নের দেশ।
ক. ‘নতুন দেশ’ কবিতায় শিশুটির বাবা রোজ কোথায় যায়? ১
খ. নতুন দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বর্ণনা কর। ২
গ. উদ্দীপকের সাথে ‘নতুন দেশ’ কবিতার সাদৃশ্য বর্ণনা কর। ৩
ঘ. “উদ্দীপকের রাহাতের দেখা বন বাস্তব হলেও ‘নতুন দেশ’ কবিতার দেশ একটি কল্পনা।” – কথাটি বিশ্লেষণ কর। ৪

ক ‘নতুন দেশ’ কবিতায় শিশুটির বাবা রোজ অফিসে যায়।
খ ‘নতুন দেশ’ কবিতায় একটি শিশুর চোখে প্রকৃতির নানা অনুষঙ্গ অন্য মাত্রায় ধরা পড়েছে।
‘নতুন দেশ’ কবিতায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের যে বিশেষ দিকগুলো ফুটে উঠেছে তা হচ্ছে জলের ঢেউয়ে ঘাটে বাঁধা নৌকার নাচন, ভাটির টানে নৌকোর চলে যাওয়া, নতুন দেশের ও নতুন বেশের মানুষদের সম্পর্কে জানার কৌতূহল, দূর সাগরের নারিকেলের বন, নীল আকাশ, সাজগোজ করা পাহাড়, নতুন বনের ফুল ইত্যাদি বিষয়ে বাস্তবরূপে ফুটে উঠেছে।
ঢপষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে-
গ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দিক থেকে উদ্দীপকের সাথে ‘নতুন দেশ’ কবিতার সাদৃশ্য রয়েছে এ বিষয়ে আলোচনা করতে হবে।
ঘ রাহাত বাস্তবে একটি সুন্দর বন প্রত্যক্ষ করেছে, অপরদিকে ‘নতুন দেশ’ কবিতায় শিশুটি কল্পনায় না দেখা দেশের সৌন্দর্য চিন্তা করেছে। এ বিষয়টি আলোচনা করতে হবে।

জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

 জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন \ ১ \ ‘নতুন দেশ’ কবিতাটি কে লিখেছেন?
উত্তর : ‘নতুন দেশ’ কবিতাটি লিখেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
প্রশ্ন \ ২ \ নৌকো কোথায় বাঁধা আছে?
উত্তর : নৌকোটি নদীর ঘাটের কাছে বাঁধা আছে।
প্রশ্ন \ ৩ \ নৌকোটি নাচে কেন?
উত্তর : জলের ঢেউয়ে নৌকোটি নাচে।
প্রশ্ন \ ৪ \ নৌকোটি মাঝ নদীতে কীভাবে গেল?
উত্তর : ভাটার টানে নৌকোটি মাঝ নদীতে চলে গেছে।
প্রশ্ন \ ৫ \ খোকা কোথায় থাকে?
উত্তর : খোকা ঘরের কোণে থাকে।
প্রশ্ন \ ৬ \ খোকার মনে কী সাধ জাগে?
উত্তর : খোকার মনে সাধ জাগে নৌকোর মতো নতুন নগরে অথবা বনে ভেসে যেতে।
প্রশ্ন \ ৭ \ কে সাজে?
উত্তর : পাহাড়-চ‚ড়া সাজে।
প্রশ্ন \ ৮ \ পশুরা কীভাবে ঘুরে বেড়ায়?
উত্তর : পশুরা দলে দলে কী বেড়ায়।
প্রশ্ন \ ৯ \ খোকার বাবা কোথায় যায়?
উত্তর : খোকার বাবা আপিসে যায়।
প্রশ্ন \ ১০ \ নারিকেলের বনগুলো দাঁড়িয়ে আছে কীভাবে?
উত্তর : নারিকেলের বনগুলো দাঁড়িয়ে আছে সারে সারে।
প্রশ্ন \ ১১ \ নৌকো ভেসে কোথায় যায়?
উত্তর : নৌকো ভেসে নতুন নগর বা বনে যায়।
প্রশ্ন \ ১২ \ শিশুর মতে, নৌকোটি কোথায় ভেসে যায়?
উত্তর : শিশুর মতে, নৌকোটি নতুন দেশে ভেসে যায়।
 অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন \ ১ \ জানি না কোন দেশে
পৌঁছে যাবে শেষে’- চরণটি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ‘জানি না কোন দেশে পৌঁছে যাবে শেষে’ চরণটিতে প্রকাশিত হয়েছে নৌকো অজানার উদ্দেশ্যে ভাসতে ভাসতে শেষে কোনো এক নতুন দেশে পৌঁছে যাবে।
নৌকো ভাটার টানে ভাসতে ভাসতে অজানার উদ্দেশ্যে হয়তো এক সময় নতুন একটি দেশে পৌঁছে যাবে। ‘নতুন দেশ’ কবিতায় অজানাকে জানায় সীমাহীন কৌত‚হল এবং প্রকৃতির সকল রহস্য উন্মোচন করার আকাক্সক্ষার কথা প্রকাশিত হয়েছে নৌকো প্রতীকের আড়ালে। তাই কবি ব্যক্ত করেছেন, ‘জানি না কোন দেশে, পৌঁছে যাবে শেষে’।
প্রশ্ন \ ২ \ ‘অমনি করে যাই ভেসে, যাই নতুন নগর বনে।’- এ চরণটি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : উক্ত চরণটি দ্বারা ভাটার টানে নৌকোয় ভেসে যাওয়ার দৃশ্যপট প্রকাশ পেয়েছে।
নৌকা অজানার উদ্দেশ্যে ভাসতে ভাসতে কোনো এক নতুন শহর বা বনে পৌঁছাবে। নৌকো যেমন ভাটার টানে ছুটে চলেছে অজানা কোনো শহর বা বনের দিকে। তেমনি কবিও ইচ্ছা পোষণ করেছেন স্বাধীনভাবে ছুটে যেতে নতুন দেশে বা বনে। নৌকোর ছুটে চলার দৃশ্য দেখে কবির মনে জেগে ওঠে স্বাধীনতার সাধ।
প্রশ্ন \ ৩ \ ‘পাহাড় চ‚ড়া সাজে’- এ দ্বারা কী নির্দেশিত হয়েছে?
উত্তর : ‘পাহাড় চ‚ড়া সাজে’- এ দ্বারা পাহাড়ের অপরূপ প্রকৃতিকে নির্দেশিত করা হয়েছে।
পাহাড়ের চ‚ড়া প্রকৃতির অনিন্দ্য সুন্দর উপাদান। এখান বসে সবুজের মেলা, পাহাড়ের ওপরে দিগন্ত বিস্তৃত আকাশ, পাহাড়ের চ‚ড়ায় অসংখ্য ছোট বড় বৃক্ষ দেখলে মনে হয় পাহাড় অপরূপভাবে সেজে আছে। আলোচ্য চরণটি দ্বারা পাহাড়ের এসব উপাদানকেই নির্দেশ করেছে।
প্রশ্ন \ ৪ \ ‘সেখানেতে কেমন মানুষ/ থাকে কেমন বেশে’- ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : শিশুমনের চিরন্তন কৌতূহলী প্রশ্ন নতুন দেশের নতুন মানুষগুলো কেমন হবে আর তারা কী ধরনের পোশাক পরবে।
শিশু তার চারপাশে যে জগৎকে দেখে সেভাবে এর বাইরে আরো একটা নতুন দেশ আছে। সে নতুন দেশে হয়তো নতুন বেশভ‚ষার কিছু অবাক করা মানুষ আছে। তাই কৌতূহলী শিশুমন বার বার ছুটে চলে সে অজানা দেশের সন্ধানে।

বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

 বিষয়ক্রম অনুযায়ী বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
ন্ধ কবি পরিচিতি
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কত খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন? (জ্ঞান)
 ১৮৬১ খ ১৮৬২ গ ১৮৬৩ ঘ ১৮৬৪
২. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা কত সনে জন্মগ্রহণ করেন? (জ্ঞান)
ক ১২৬৪ খ ১২৬১  ১২৬৮ ঘ ১২৬৩
৩. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নোবেল পুরস্কার লাভ করেন কোন কাব্যের জন্য? (জ্ঞান)
ক সোনার তরী খ বলাকা
 গীতাঞ্জলি ঘ রক্তকরবী
৪. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কোন পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন? (জ্ঞান)
ক সেন খ ঘোষ  ঠাকুর ঘ পাল
৫. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কোথায় জন্মগ্রহণ করেন? (জ্ঞান)
ক কলকাতার সুভাস পল্লিতে
 কলকাতার জোড়াসাঁকোতে
গ পশ্চিম দিনাজপুরে
ঘ কুমিল্লার কান্দিরপাড়ে
৬. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কত বছর বয়সে ব্যারিস্টারি পড়তে বিলেত যান? (জ্ঞান)
 ১৭ খ ১৮ গ ১৯ ঘ ২৯
৭. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম কাব্যের নাম কী? (জ্ঞান)
ক গীতাঞ্জলি খ সোনার তরী
গ চিত্রা  বনফুল
৮. ‘বিশ্বভারতী’ প্রতিষ্ঠা করেন কে? (জ্ঞান)
ক কাজী নজরুল ইসলাম খ রঙ্গলাল সেন
 রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ঘ শ্রী নন্দলাল ঠাকুর
৯. বাংলা সাহিত্যে ছোটগল্পের জনক বলা হয় কাকে? (জ্ঞান)
 রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর খ সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
গ রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায় ঘ কালিদাস রায়
১০. বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের রচয়িতা কে? (জ্ঞান)
ক কাজী নজরুল ইসলাম  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
গ ডি. এল রায় ঘ প্রমথ চৌধুরী
১১. ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটির প্রথম কত লাইন জাতীয় সংগীতের মর্যাদা পায়? (জ্ঞান)
ক ৮  ১০ গ ১৫ ঘ ২০
১২. ‘রক্তকরবী’ কোন জাতীয় রচনা? (জ্ঞান)
 নাটক খ উপন্যাস গ ছোটগল্প ঘ প্রবন্ধ
১৩. ‘শেষের কবিতা’ কোন ধরনের সাহিত্যকর্ম? (জ্ঞান)
ক কবিতা খ ছোটগল্প  উপন্যাস ঘ নাটক
১৪. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছোটদের জন্য কোন গ্রন্থটি রচনা করেছেন? (জ্ঞান)
ক গোরা  খাপছাড়া গ বলাকা ঘ ডাকঘর
১৫. ছোটদের জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা গ্রন্থ কোনটি? (জ্ঞান)
 শিশু ভোলানাথ খ সোনার তরী
গ শেষের কবিতা ঘ রাজা
১৬. রবীন্দ্রনাথ কোন সালে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন? (জ্ঞান)
ক ১৯১১ খ ১৯১২  ১৯১৩ ঘ ১৯১৪
১৭. ‘সোনার তরী’ একটি? (জ্ঞান)
ক গল্প  কাব্যগ্রন্থ গ উপন্যাস ঘ নাটক
১৮. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মৃত্যুবরণ করেন কত খ্রিষ্টাব্দে? (জ্ঞান)
 ১৯৪১ খ ১৯৪২ গ ১৯৪৩ ঘ ১৯৪৪
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৯. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন একাধারেÑ (অনুধাবন)
র. সাহিত্যিক রর. শিক্ষাবিদ
ররর. গীতিকার
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
২০. বাংলা সাহিত্যের যে শাখা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদানে ঐশ্বর্যমণ্ডিত (অনুধাবন)
র. কবিতা, ছোটগল্প রর. নাটক, উপন্যাস
ররর. প্রবন্ধ, গান
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
২১. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত কাব্যগ্রন্থ (অনুধাবন)
র. সোনার তরী রর. নৌকাডুবি
ররর. বলাকা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২২. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত নাটক (অনুধাবন)
র. ডাকঘর রর. বিসর্জন
ররর. রাজা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
২৩. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত উপন্যাস হচ্ছে- (অনুধাবন)
র. গোরা রর. ঘরে বাইরে
ররর. যোগাযোগ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর গ র ও ররর  র, রর ও ররর
ন্ধ মূলপাঠ
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২৪. ‘নতুন দেশ’ কবিতায় নদীর ঘাটের কাছে কী আছে? (জ্ঞান)
ক লঞ্চ খ স্টিমার  নৌকো ঘ ডোঙ্গা
২৫. জলের ঢেউয়ে নাচে কে? (জ্ঞান)
ক শিশু  নৌকো গ মাঝি ঘ জেলে
২৬. নৌকো কোথায় বাঁধা আছে? (জ্ঞান)
ক মাঝ নদীতে  নদীর ঘাটের কাছে
গ খালের ঘাটে ঘ ঝিলের ঘাটে
২৭. ‘জানি না কোন দেশে পৌঁছে যাবে শেষে’- চরণটির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ চরণ কোনটি? (প্রয়োগ)
 কোন বনেতে জানিনে ফুল
খ জানিনে তোন ধন রতন
গ সার্থক জন্মেছি এই দেশে
ঘ গন্ধে এমন করে আকুল
২৮. “সাধ জাগে মোর মনে, অমনি করে যাই ভেসে, যাই নতুন নগর বনে”। উক্তিটিতে কোন দিকটি প্রকাশ পেয়েছে? (উচ্চতর দক্ষতা)
 কল্পনা শক্তি খ ভাবের গভীরতা
গ আত্মভাবনা ঘ মুক্ত চেতনা
২৯. ‘দূর সাগরের পারে’ সারে সারে কী দাঁড়িয়ে আছে? (জ্ঞান)
ক তাল বন খ সুপারি বন
 নারিকেল বন ঘ শালবন
৩০. ‘নতুন দেশ’ কবিতায় কবি কোথায় থাকেন বলে ব্যক্ত করেছেন? (জ্ঞান)
ক জাহাজে  ঘরের কোণে গ বিলের ধারে ঘ বনের ধারে
৩১. লেখক নৌকোর মতো ভেসে ভেসে কোথায় যেতে চেয়েছেন? (জ্ঞান)
ক বাড়িতে  নগরে গ স্বর্গে ঘ বিদেশে
৩২. নাইতে গিয়ে কবি দেখলেন- (জ্ঞান)
ক নৌকো ডুবেছে
খ নৌকো নাই
 নৌকো জলের ঢেউয়ে নাচে
ঘ নৌকো ভাসছে মাঝ নদীতে
৩৩. দূরের দেশে তাকিয়ে কবি কী দেখলেন? (জ্ঞান)
 মাঝ নদীতে নৌকো খ নদীর ওপারে নৌকো
গ নদীর ঘাটে নৌকো ঘ নদীতে নাই নৌকো
৩৪. নতুন দেশ কবিতায় কোথায় নতুন নতুন ফুল ফোটে? (জ্ঞান)
 বনের তলে খ উঠানের পাশে গ পথের ধারে ঘ ফসলের মাঠে
৩৫. ‘নতুন দেশ’ কবিতায় নৌকো কখন ভেসে যায়? (জ্ঞান)
ক বেলা শেষে খ দুপুর শেষে
 রাত শেষে ঘ সকালে
৩৬. ‘নতুন দেশ’ কবিতার কবির মনে কী সাধ জাগে? (অনুধাবন)
 নৌকোর মতো ভেসে যেতে
খ মেঘের মতো ভেসে যেতে
গ পাখির মতো উড়ে যেতে
ঘ পরির মতো উড়ে যেতে
৩৭. ‘পাহাড় চ‚ড়া সাজে’- এ চরণটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? (অনুধাবন)
 পাহাড়ের সৌন্দর্যের কথা
খ পাহাড়ের আকৃতির কথা
গ পাহাড়ের ইতিকথা
ঘ পাহাড়ের সাজার কথা
৩৮. ‘নতুন দেশ’ কবিতায় পশুরা কেমনভাবে চলে? (অনুধাবন)
ক দলচ্যুত  দলে দলে গ দৌড়ে দৌড়ে ঘ ধীরে ধীরে
৩৯. নৌকো কীসের টানে এগিয়ে চলে? (জ্ঞান)
 ভাটার টানে খ জোয়ারের টানে
গ ¯্রােতের টানে ঘ প্রকৃতির টানে
৪০. শিশুটি কোনটি ভেঙে ডিঙ্গিয়ে যেতে পারে না? (অনুধাবন)
ক মন ভেঙে  বরফ ভেঙে গ জল ভেঙে ঘ প্রাচীর ভেঙে
৪১. শিশুটির মনে আক্ষেপ কী কারণে? (অনুধাবন)
 বাবা কেন অফিস যায় খ মা কেন রান্না করে
গ ভাই কেন কান্না করে ঘ বোন কেন স্কুলে যায়
৪২. শিশু সানি স্বপ্ন দেখে সে এক নতুন দেশে পৌঁছে গেছে। যেখানে আছে চকোলেটের নদী, আইসক্রিমের পাহাড়। ঘুম ভেঙে গেলেই সানি বুঝতে পারে এটি স্বপ্ন ছিল। সানি মনে মনে বলে এমন দেশে যদি যাওয়া যেত, খুব মজা হতো! সানির স্বপ্ন দেখার মধ্যে কোন বিষয়টি ফুটে উঠেছে? (প্রয়োগ)
 ইচ্ছে পূরণ খ চকোলেট খাবার ইচ্ছা
গ আইসক্রিম খাবার ইচ্ছা ঘ মজা করার শখ
৪৩. বনের তলে কোথায় কোথায় কী ফুটে? (অনুধাবন)
ক নানা ফল  নতুন নতুন ফুল
গ নানা প্রকারের ক্যাকটাস ঘ বিভিন্ন রঙের জবা
৪৪. কার জন্য নতুন দেশে অসীম সৌন্দর্য এবং অপার আনন্দ অপেক্ষা করে আছে? (অনুধাবন)
 শিশুর জন্য খ বাবার জন্য
গ মায়ের জন্য ঘ বোনের জন্য
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৪৫. ‘নতুন দেশ’ কবিতার শিক্ষণীয় যে বিষয় ফুটে উঠেছে- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. অনুসন্ধিৎসা রর. কল্পনাশক্তি
ররর. অজানা মানবাকাক্সক্ষা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৪৬. ভাটার সাথে সম্পর্কিত হলো- (প্রয়োগ)
র. চাঁদের রর. সূর্যের
ররর. জলের
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৪৭. “পাহাড়-চ‚ড়া সাজে, নীল আকাশের মাঝে-” এ চরণে চ‚ড়া শব্দটি যে অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে- (প্রয়োগ)
র. শীর্ষদেশ রর. শৃঙ্গ
ররর. ধনী দেশ
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪৮. ‘সাধ জাগে মোর মনে’- এখানে ‘সাধ’ শব্দটি যে অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে? (প্রয়োগ)
র. আকাক্সক্ষার্থে রর. সুবিধার্থে
ররর. ইচ্ছার্থে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৪৯ ও ৫০ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
বিন্দু শীতের শেষে গোপালগঞ্জ জেলায় মামা বাড়ি বেড়াতে যায়। মামা বাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে গেছে মধুমতি নদী। নদীর পাশ দিয়ে সারিসারি গাছপালা। প্রকৃতির অপূর্ব দৃশ্য দেখে সে অভিভ‚ত। নদীর তীরে সূর্য ডোবার দৃশ্য দেখে তার মনে নানারকম প্রশ্ন মনে জাগে।
৪৯. বিন্দুর অনুভ‚তির সাথে তোমার পাঠ্যবইয়ের কোন কবিতার মিল পরিলক্ষিত হয়?
ক মেলা খ আমার বাড়ি  নতুন দেশ ঘ সাম্য
৫০. অনুচ্ছেদটিতে উক্ত কবিতার যে ভাববস্তু ফুটে উঠেছে- (প্রয়োগ)
র. অজানাকে জানার ব্যকুলতা
রর. প্রকৃতির রহস্য উন্মোচনের আকাক্সক্ষা
ররর. অজানাকে জানার কৌত‚হল
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
ন্ধ শব্দার্থ ও টীকা
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৫১. চাঁদ ও সূর্যের শক্তির আকর্ষণে সমুদ্র বা নদীতে বেড়ে ওঠা জলের কমে যাওয়াকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
ক ভরা কটাল খ মরা কটাল গ জোয়ার  ভাটা
৫২. ‘আপিস’ শব্দটি ‘অফিস’ শব্দের কোন রূপ? (জ্ঞান)
 কথ্য খ চলিত গ সাধু ঘ আঞ্চলিক
ন্ধ পাঠ-পরিচিতি
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৫৩. ‘নতুন দেশ’ কবিতাটি কোন গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে? (জ্ঞান)
ক সোনার তরী খ গীতাঞ্জলি  সহজ পাঠ ঘ বলাকা
৫৪. ‘নতুন দেশ’ কবিতায় কীসের টানে নৌকো মাঝ নদীতে পৌঁছেছে? (অনুধাবন)
ক বৈঠার  ভাটার গ জোয়ারের ঘ সুতার
৫৫. অজানাকে জানার প্রতি কাদের ব্যাকুলতা বেশি? (জ্ঞান)
ক মহিলাদের  শিশুদের গ বৃদ্ধদের ঘ যুবকদের
৫৬. ‘নতুন দেশ’ কবিতায় কে নতুন পরিবেশে পৌঁছাবে? (জ্ঞান)
ক নববধূ  শিশু গ নৌকো ঘ ঘুড়ি
৫৭. ‘নতুন দেশ’ কবিতায় কবি কীসের রহস্য উন্মোচন করতে চেয়েছেন? (জ্ঞান)
ক রাজনীতির খ সামাজিক  প্রকৃতির ঘ আধ্যাত্মিক
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৫৮. ‘নতুন দেশ’ কবিতায় কবি অপেক্ষা করছেন- (অনুধাবন)
র. অসীম সৌন্দর্যের জন্য রর. অজানা দুঃখের জন্য
ররর. অপার বিস্ময়ের জন্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫৯. হয়তো নৌকো গিয়ে পৌঁছাবে – (অনুধাবন)
র. নতুন দেশে রর. নতুন পরিবেশে
ররর. অজানা দেশে
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

 

Share to help others:

Leave a Reply