সপ্তম শ্রেণির বাংলা শব্দ থেকে কবিতা

শব্দ থেকে কবিতা
হুমায়ুন আজাদ
লেখক ও রচনা সম্পর্কিত তথ্য

নাম হুমায়ুন আজাদ।
জন্ম পরিচয় জন্ম : ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দ। জন্মস্থান : মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানার রাড়িখাল গ্রাম।
পিতৃ ও মাতৃপরিচয় পিতা : আবদুর রাশেদ। মাতা : জোবেদা খাতুন।
শিক্ষাজীবন তিনি রাড়িখাল স্যার জগদীশচন্দ্র বসু ইনস্টিটিউশন থেকে মাধ্যমিক, ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ অনার্স এবং এমএ (বাংলা) পাস করেন। পরে এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।
কর্মজীবন কর্মজীবনে তিনি প্রথমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সহযোগী অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
সাহিত্য সাধনা গবেষণা গ্রন্থ : বাঙলা ভাষা (২ খণ্ড), নারী, বাক্যতত্ত¡, তুলনামূলক ও ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞান, ভাষা আন্দোলন; সাহিত্যিক পটভ‚মি। প্রবন্ধ গ্রন্থ : কতো নদী সরোবর, লাল নীল দীপাবলিবা বাঙলা ভাষার জীবনী, বাংলা ভাষার শত্র“মিত্র, কাফনে মোড়া অশ্রæবিন্দু প্রভৃতি। কাব্যগ্রন্থ : অলৌকিক ইস্টিমার, জ্বলো চিতাবাঘ, সবকিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে, ‘আমি বেঁচে ছিলাম অন্যদের সময়ে’। গল্প : যাদুকরের মৃত্যু।
উপন্যাস : ‘ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল, জাদুকরের মৃত্যু, সবকিছু ভেঙে পড়ে, রাজনীতিবিদগণ প্রভৃতি উলে­খযোগ্য।’
পুরস্কার ও সম্মাননা তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ অনেক পুরস্কার লাভ করেছেন।
জীবনাবসান ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দ, ১২ আগস্ট।
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ কবিতার শিল্পরূপ ও তার বৈশিষ্ট্য

মাহফুজা চমৎকার কবিতা লেখেন। জীবনে বিভিন্ন অংশের স্মৃতিকে শব্দের ভেতর সাজাতে পছন্দ তার। মাহফুজার ভাইপো নির্ঝর তাঁকে খুব পছন্দ করে। কারণ তিনি তাঁর ভাইপো নির্ঝরকে প্রায়ই নানা রকম কবিতা শোনান। নির্ঝর ফুফুকে পেলেই ছড়া শোনার বায়না ধরে। একদিন নির্ঝর তাকে বলে “ফুফু তুমি এতো সুন্দর কবিতা কীভাবে লেখ?” মাহফুজা উত্তর দেন, “তুমি তোমার চারপাশের সুন্দর স্বপ্নময় শব্দগুলোকে বুঝে ধারণ করে রাখবে, দেখবে তুমিও একদিন চমৎকার কবিতা লিখতে পারবে।”
ক. কবিতা লেখার জন্য প্রথমেই কোনটি প্রয়োজন?
খ. ‘কবিতার জন্য দরকার শব্দ – রংবেরঙের শব্দ’ – বুঝিয়ে লেখ।
গ. কবিতার বিষয়ে নির্ঝরের প্রশ্নের উত্তর ‘শব্দ থেকে কবিতা’ প্রবন্ধে কীভাবে প্রতিফলিত হয়েছে- লেখ।
ঘ. মাহফুজার উত্তর ‘শব্দ থেকে কবিতা’ প্রবন্ধের মূলভাবকে ধারণ করে কি? যুক্তিসহ বিচার কর।

ক কবিতা লেখার জন্য প্রথমেই শব্দের প্রয়োজন।
খ ‘কবিতার জন্য দরকার শব্দ রংবেরঙের শব্দ’ -উদ্ধৃত উক্তিটির সাহায্যে লেখক কবিতার বিভিন্ন রকমের শব্দ প্রয়োগের কথা বুঝিয়েছেন।
কবিতা লেখার জন্য প্রয়োজন হাজারো রং-বেরঙের শব্দ। শব্দের সাথে শব্দ মিলিয়ে সঠিক প্রয়োগ করে সার্থক কবিতা লেখা সম্ভব। শব্দকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে না পারলে কখনোই কবিতা লেখা সম্ভব নয় ।তাই ভালো কবিতা লেখার জন্য প্রয়োজন হাজারো রং-বেরঙের শব্দ।
গ কবিতার বিষয়ে নির্ঝরের প্রশ্নের উত্তর ‘শব্দ থেকে কবিতা’ প্রবন্ধের কবিতা লেখার জন্য শব্দ বুঝে ধারণ করে প্রয়োগের দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে।
‘শব্দ থেকে কবিতা’ প্রবন্ধে বলা হয়েছে- সাহিত্যের নানা রূপের মধ্যে একটি হচ্ছে কবিতা। আলোচ্য রচনায় কবিতার শিল্পরূপ ও তার বৈশিষ্ট্য অত্যন্ত চমৎকারভাবে বর্ণিত হয়েছে। কবিতা কাকে বলে? যে লেখাগুলো খুব সুন্দরভাবে ছাপানো হয়, যে লেখাগুলোর পঙ্ক্তিগুলো খুব বেশি বড় হয় না, যেগুলোতে একটি পঙ্ক্তি আরেকটি পঙ্ক্তির সমান হয়, সে লেখাগুলোই কবিতা। লেখকের মতে, যা পড়লে মনের ভিতর স্বপ্ন জেগে ওঠে, ছবি ভেসে ওঠে; তাই কবিতা। যা পড়লে দু-তিনবার পড়লে ভোলা যায় না, মনের ভেতর নাচতে থাকে, তাই কবিতা। শব্দের সঙ্গে শব্দ মিলিয়ে লেখা হয় কবিতা।
উদ্দীপকের মাহফুজা চমৎকার কবিতা লেখেন। স্কুল জীবন থেকেই তিনি নানা শব্দ নিয়ে চিন্তা করতেন। কীভাবে কবিতা লেখা যায়? নির্ঝরের এই প্রশ্নের জবাবে মাহফুজা জানান- তোমার চারপাশের সুন্দর সুন্দর স্বপ্নময় শব্দগুলোকে বুঝে ধারণ করবে, দেখবে তুমিও একদিন ভালো কবিতা লিখতে পারবে। এই দিকটিই ‘শব্দ থেকে কবিতা’ আলোচ্য বিষয়। অর্থাৎ নির্ঝারের প্রশ্নের উত্তরই ‘শব্দ থেকে কবিতা প্রবন্ধের মূল ‘প্রবেন্ধর’ প্রতিফলিত বিষয়।
ঘ মাহফুজার উত্তর শব্দ থেকে কবিতা প্রবন্ধে মূলভাবেক ধারণ করে ।
প্রদত্ত উক্তিটির আলোকে ‘শব্দ থেকে কবিতা’ প্রবন্ধের মূল বক্তব্য হলো কবিতা লিখতে হলে শব্দের রূপ-রং-গন্ধ চিনে সুন্দর সুন্দর শব্দ চয়ন এবং তা বুঝে মনের ভিতরে ধারণের ক্ষেত্রে জোর দিতে হবে।
কবিতা’ পড়লে মন নেচে ওঠে, গান গেয়ে উঠতে ইচ্ছে করে, চোখে বুকে রং-বেরঙের স্বপ্ন এসে জমা হয় তাই কবিতা। কবিতা লিখতে শব্দের প্রয়োজন হয়। একটি শব্দের পাশে আরেকটি শব্দ বসিয়ে, একটি শব্দের সাথে আরেকটি শব্দ মিলিয়ে কবিতা লিখতে হয়।
উদ্দীপকের মাহফুজার উক্তিটি কবিতা লেখার মূল প্রেরণাকে ধারণ করেছে। তাই জীবনে বিভিন্ন অংশের স্মৃতিকে শব্দের ভেতর সাজাতে পছন্দ তার। কারণ শব্দ ছাড়া কবিতা লেখা সম্ভব নয়। তাই তো মাহফুজা নির্ঝরকে স্বপ্নময় শব্দগুলোকে বুকে ধারণ করতে বলেছেন। ‘শব্দ থেকে কবিতা’ প্রবন্ধেও প্রাবন্ধিক কবিতা লেখার জন্য শব্দের গুরুত্বের কথা বলেছেন। কারণ শব্দই কবিতার গাঁথুনিকে চমৎকার করে।
উল্লিখিত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায়, মাহফুজার উত্তর শব্দ থেকে কবিতা প্রবন্ধের মূলভাব।

প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ
জীবন ও মনন দুই ভাই ছড়া কেটে কেটে খেলতে লাগল। আজকে দাদা যাবার আগে বলব যা মোর চিত্তে লাগে, নাইবা তাহার অর্থ হোক নাইবা বুঝুক বেবাক লোক, আজকে আমার মনের মাঝে ধাই ধপাধপ তবলা বাজে। হঠাৎ জীবন মননকে বলল, আমরাও তো ইচ্ছে করলে ছড়া লিখতে পারি। এই যে বলা হলো, ‘মনের মাঝে ধাই ধপাধপ তবলা বাজে, নাইবা তাহার অর্থ হোক নাই বা বুঝুক বেবাক লোক’Ñ আমরা আমাদের জন্যই শুধু রচনা করব। [ফেনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক. চাঁদের মতো স্বপ্ন দেখেন কারা? ১
খ. লেখকের মতে, কবিতা পড়লে কেমন লাগে? ২
গ. উদ্দীপকে ‘শব্দ থেকে কবিতা’ প্রবন্ধের কোন দিকটির সাদৃশ্য নির্দেশ করে-? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ‘মনের মাঝে ধাই ধপাধপ তবলা বাজে’Ñ এই উক্তিটি শব্দ থেকে কবিতা’ প্রবন্ধের আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪

ক চাঁদের মতো স্বপ্ন দেখেন কবিরা।
খ লেখকের মতে, কবিতা পড়লে মন নেচে ওঠে, গান গেয়ে উঠতে ইচ্ছা করে, চোখে বুকে রংবেরঙের স্বপ্ন এসে জমা হয়।
কবিতা কখনো আমাদের মন প্রফুল্ল করে, আবার কখনো মনকে বিষাদময় করে। কবিতা পড়লে আমাদের বিষাদময় দিন আনন্দে ভরে যায়। কবিতা মাঝে মাঝে আমাদের আবেগঘনও করে তোলে। তাই কবিতার মাধ্যমে আমাদের মনে রং ছড়িয়ে পড়ে এবং আমাদের চোখে স্বপ্ন এসে ধরা দেয়।
গ উদ্দীপকের সাথে ‘শব্দ থেকে কবিতা’ প্রবন্ধের যেকোনো বিষয় নিয়েই যে কবিতা লেখা যায় এবং কবিতা লেখার জন্য যে স্বপ্নের প্রয়োজন এই দিকটির সাদৃশ্য রয়েছে।
‘শব্দ থেকে কবিতা’ প্রবন্ধে লেখক বলেছেন, যেকোনো বিষয় নিয়েই কবিতা লেখা যায়। বাড়ির পাশের গলি, দূরের ধানখেত, পোষা বিড়াল, পুতুলকে নিয়ে কবিতা লেখা যায়, যদি স্বপ্ন থাকে। আর যা নেই তা নিয়েও কবিতা লেখা যায়, যদি স্বপ্ন থাকে। কবিতা লেখার জন্য প্রথমেই প্রয়োজন স্বপ্ন।
উদ্দীপকেও ছড়া কেটে খেলার সময় জীবন ও মনন অনুভব করে, মনে যা আসে তাই কিংবা যা দেখতে পাওয়া যায় তাই নিয়ে ছড়া লেখা উচিত। যদি তার নির্দিষ্ট কোনো অর্থ না থাকে বা মানুষ যদি তার অর্থ নাও বোঝে তাতে কোনো ক্ষতি নেই। মনে যা আসে তাই নিয়ে ছড়া ও কবিতা লেখা উচিত। তা কেউ বুঝুক বা না বুঝুক। নিজের মনের আনন্দের জন্য হলেও ছড়া লেখা উচিত এবং একসময় অভিজ্ঞতা অর্জন করলে সার্থক ছড়া রচনা করা সম্ভব। তাই বলা যায়, ছড়া ও কবিতা রচনার জন্য প্রয়োজন স্বপ্নÑ এই ক্ষেত্রে উভয়ের মাঝে সাদৃশ্য রয়েছে।
ঘ ‘শব্দ থেকে কবিতা’ প্রবন্ধের আলোকে ‘মনের মাঝে ধাই ধপাধপ তবলা বাজে’-উক্তিটির মাধ্যমে নিজের আনন্দের জন্যই শব্দের পর শব্দ সাজিয়ে ছড়া রচনার কথা বলা হয়েছে।
‘শব্দ থেকে কবিতা’ প্রবন্ধে লেখক কবিতা লেখার কিছু নিয়ম বলেছেন এবং কবিতা লেখার জন্য স্বপ্নের যে প্রয়োজন তা বর্ণনা করেছেন। কবিরাই স্বপ্ন দেখতে পারেন, তারাই পারেন স্বপ্নের ছবি আঁকতে। নতুন ছবির নতুন ভাব কেবল কবিদের চেতনায় খেলা করে বলে তারা লিখতে পারেন কবিতা। কবিতায় ব্যবহার করতে পারে শব্দের রূপ, রং, গন্ধ, বর্ণ, সুর, ছন্দ।
উদ্দীপকে জীবন ও মনন দুই ভাই ছড়া কেটে খেলতে লাগল ‘আজকে দাদা যাওয়ার আগে বলব যা মোর চিত্তে লাগে, নাইবা তাহার অর্থ হোক, নাইবা বুঝুক বেবাক লোক, আজকে আমার মনের মাঝে ধাই ধপাধপ তবলা বাজে’ এ থেকে উভয়ে সিদ্ধান্ত নিল ছড়া লেখার নিজেদের আনন্দের জন্যই ছড়া রচনা করার। যা পড়লে মনের মাঝে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। যেন মনের মাঝে ধাই ধপাধপ তবলা বাজে।
উল্লিখিত আলোচনায় বলা যায়, ‘শব্দ থেকে কবিতা’ প্রবন্ধের আলোকে উক্তিটি যথার্থ হয়েছে।

প্রশ্ন- ২ ল্ফল্ফ কবিতা লেখার উপাদান

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাব্যÑকবিতার প্রতি কাবেরীর বিশেষ দুর্বলতা। মাঝে মাঝে তারও ইচ্ছা হয় এমন সুন্দর সুন্দর কবিতা লেখার। তাই কাবেরী একদিন ড. আয়েশা বেগমকে তার এ আগ্রহের কথা জানায়। তখন ড. আয়েশা বেগম বলেনÑ কবিতা লিখতে হলে নতুন কথা ভাবতে হবে, আর সে কথাকে পরিয়ে দিতে হবে শব্দ ও ছন্দের রঙিন সাজ পোশাক।
ক. কবিতার জন্য কী দরকার? ১
খ. যার স্বপ্ন নেই সে কবি হতে পারে না কেন? ২
গ. উদ্দীপকের ড. আয়েশা বেগমের বক্তব্যের সাথে ‘শব্দ থেকে কবিতা’ প্রবন্ধের লেখকের বক্তব্যের সাদৃশ্য কোথায় ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকের ড. আয়েশা বেগম ও ‘শব্দ থেকে কবিতা’ রচনার লেখকের বক্তব্য যেন একসূত্রে গাঁথা মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর। ৪

ক কবিতার জন্য দরকার রং-বেরঙের শব্দ।
খ কবিতা লিখতে হলে স্বপ্ন দেখা প্রয়োজন। তাই যার স্বপ্ন নেই সে কবি হতে পারে না।
কবিতা কেবল কবিরাই লিখতে পারেন। কারণ কবিরা স্বপ্ন দেখতে পারেন, স্বপ্নের ছবি আঁকতে পারেন। নতুন ছবি, নতুন ভাব নিয়ে তারা চিন্তাভাবনা করেন বলে তারা কবিতা লিখতে পারেন। কবিরা তাদের দেখা স্বপ্নকে শব্দের মাধ্যমে প্রকাশ করেন। এজন্য স্বপ্ন না দেখতে পারলে কবিতা লেখা যায় না।
গ কবিতা লেখার জন্য লেখক ‘শব্দ থেকে কবিতা’ প্রবন্ধে যে বৈশিষ্ট্য বা বিষয়গুলোর কথা বলেছেন তা উদ্দীপকের ড. আয়েশা বেগমের বক্তব্যের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
‘শব্দ থেকে কবিতা’ প্রবন্ধে লেখক হুমায়ুন আজাদ কবিতা লেখার জন্য প্রথমত বলেছেন স্বপ্ন দেখার কথা। তারপর বলেছেন প্রচুর কবিতার বই পড়তে হবে। দুচোখ মেলে আশপাশের সবকিছু লক্ষ করতে হবে। নতুন ছবি নতুন ভাব নিয়ে খেলা করতে হবে। শব্দের মায়াবী রূপ জানতে ও চিনতে হবে। এগুলোর মধ্য দিয়ে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে হবে। এ অভিজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশে একসময় কবিতা হয়ে যাবে।
উদ্দীপকের ড. আয়েশা বেগম কবিতা লেখার জন্য কী করতে হবে সেটাই বলেছেন। কবিতা লেখার বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের কথাই ফুটে উঠেছে ড. আয়েশা বেগমের কথায়। কাবেরী কবিতা লেখার জন্য আগ্রহী ছিল। এজন্য তিনি কাবেরীকে নতুন কথা ভাবতে বলেছেন। আর সে কথাকে শব্দ ও ছন্দের সাজ পোশাক পরাতে বলেছেন। আর এই কথাগুলো লেখক তার ‘শব্দ থেকে কবিতা’ প্রবন্ধেও বলেছেন। তাই ড. আয়েশার কথা লেখকের কথার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।
ঘ “উদ্দীপকের ড. আয়েশা বেগমের ও ‘শব্দ থেকে কবিতা’ প্রবন্ধের লেখকের বক্তব্য যেন একসূত্রে গাঁথা।” মন্তব্যটি যথার্থ।
লেখক ‘শব্দ থেকে কবিতা’ প্রবন্ধে কবিতা লেখার অপরিহার্য বিষয় তুলে ধরেছেন। কবিতা লেখার জন্য প্রথমে প্রয়োজন স্বপ্ন দেখার। স্বপ্ন না দেখতে পারলে কবিতা লেখা সম্ভব নয়। আর স্বপ্ন দেখা শেখার জন্য ছোট থেকেই কবিতার বই পড়ার অভ্যাস করতে হবে। দুচোখে যা পড়ে সব দেখতে হবে ভালোভাবে। তাছাড়া নতুন কথা ভাবতে হবে। আর সেই কথাকে শব্দ ও ছন্দের মাধ্যমে প্রকাশ করতে হবে তাহলেই সেটা একটি কবিতা হয়ে উঠবে।
উদ্দীপকের ড. আয়েশা বেগমের কথার মধ্যে লেখকের কথা প্রকাশিত হয়েছে। তিনিও বলেছেন নতুন কথা ভাবতে, নতুন কথা, নতুন ভাবকে শব্দ ও ছন্দের সাজ পোশাক পরাতে। আর এগুলো কবিতা লেখার জন্য জরুরি। কবিতা লেখার জন্য নতুন নতুন ছবি নতুন নতুন ভাব নিয়ে খেলা করতে হবে। শব্দের মায়াবী রূপ চিনতে ও জানতে হবে। সেগুলোকে ছন্দের মাধ্যমে প্রকাশ করতে হবে। আর এই মূল বক্তব্য উদ্দীপকে ও ‘শব্দ থকে কবিতা’ প্রবন্ধে পাওয়া যায়।
উল্লিখিত আলোচনায় বলা যায়, ড. আয়েশা বেগমের বক্তব্য ও লেখকের বক্তব্য একসূত্রে গাঁথা।
প্রশ্ন- ৩ ল্ফল্ফ
বিশিষ্ট নজরুল সংগীত শিল্পী সোহরাব হোসেন একবার এক সংগীত সন্ধ্যায় বলেছিলেন- ‘কবিতাই গান, গানই কবিতা’। এজন্য অবসরে তিনি নজরুলের অনেক কবিতা মুগ্ধচিত্তে পাঠ করেন কিন্তু ইচ্ছা থাকার পরও তিনি কবিতা লিখতে পারেন না। এ প্রসঙ্গে তার বক্তব্য ‘যার কল্পনাশক্তি যত সমৃদ্ধ, যার মধ্যে শব্দভাণ্ডার সীমাহীনÑ একমাত্র সেই কবিতা লিখতে পারে। কিন্তু আমার মাঝে এসবের বড়ই অভাব।’
ক. ‘শব্দ থেকে কবিতা’ কোন ধরনের রচনা? ১
খ. কেবলমাত্র কবিরাই কবিতা লিখতে পারেন কেন? ২
গ. কবিতা প্রসঙ্গে উদ্দীপকের সোহরাব হোসেনের সাথে ‘শব্দ থেকে কবিতা’ প্রবন্ধে লেখকের বক্তব্যের সাদৃশ্য নির্ণয় কর। ৩
ঘ. ‘যার কল্পনাশক্তি যত সমৃদ্ধ, সে তত বেশি কবিতা লিখতে পারে’ মন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ কর। ৪

ক ‘শব্দ থেকে কবিতা’ প্রবন্ধ রচনা।
খ কবিরা স্বপ্ন দেখতে পারেন, শব্দের মায়াবী রূপ চিনতে পারেন বলে কেবল কবিরাই কবিতা লিখতে পারেন।
কবিরাই শুধু কবিতা লিখতে পারেন। কারণ কবিরাই স্বপ্ন দেখতে পারেন এবং সেই স্বপ্নের ছবি আঁকতে পারেন। নতুন ছবি নতুন ভাব কবিদের চেতনায় খেলা করে বলে তারা কবিতা লিখতে পারেন।
গ কবিতা প্রসঙ্গে উদ্দীপকের সোহরাব হোসেনের সাথে ‘শব্দ থেকে কবিতা’ প্রবন্ধের লেখকের বক্তব্যের সাদৃশ্য পাওয়া যায়।
‘শব্দ থেকে কবিতা’ প্রবন্ধে লেখক হুমায়ুন আজাদ কবিতার জন্য প্রয়োজনীয় বৈশিষ্ট্য ও কবিতার রচনা কৌশল নিয়ে আলোচনা করেছেন। তার মতে, কবিতা লেখার জন্য প্রয়োজন স্বপ্ন দেখা বা কল্পনাশক্তি বাড়ানো। স্বপ্ন না দেখতে পারলে কবিতা লেখা সম্ভব নয়, আশপাশের সব বিষয় ভালোভাবে লক্ষ করতে হবে। নতুনভাবে ভাবতে হবে। সবকিছুকে নতুন ভাব, নতুন ছবি, নতুন শব্দ নিয়ে ভাবতে হবে। তাহলে একদিন সেগুলো কবিতা হয়ে বের হয়ে আসবে।
উদ্দীপকের সোহরাব হোসেন কবিতার প্রতি অন্তঃপ্রাণ। তিনি অনেক কবিতা পাঠ করেন, তার ইচ্ছা কবিতা লেখার কিন্তু তিনি পারেন না। আর এ বিষয়ে তার নিজেরই অভিমত কবিতা লেখার জন্য প্রয়োজন কল্পনাশক্তি ও শব্দভাণ্ডার সমৃদ্ধ করা। কিন্তু তার ভিতরে সেটার অভাব। অর্থাৎ যার ভিতরে কল্পনাশক্তি ও শব্দভাণ্ডারের অভাব নেই তিনি কবিতা লিখতে পারবেন। আর সোহরাব হোসেনের কথা লেখকের কথাকেই সম্পূর্ণরূপে সমর্থন করে।
ঘ ‘যার কল্পনাশক্তি যত সমৃদ্ধ, সে তত বেশি কবিতা লিখতে পারে’- মন্তব্যটি যথার্থ।
‘শব্দ থেকে কবিতা’ প্রবন্ধে লেখক হুমায়ুন আজাদ বলেছেন, কবিরাই কেবল কবিতা লিখতে পারেন। কারণ তারা স্বপ্ন দেখতে পারেন। আবার সেই স্বপ্নের ছবি আঁকতেও পারেন। কবিরা শব্দের এই মায়াবী রূপ চেনেন এবং জানেন বলেই তাদের পক্ষেই কবিতা লেখা সম্ভব। কবিতার মূল উপাদান কল্পনাশক্তি। তাই যিনি যত বেশি কল্পনাপ্রবণ তিনি তত বেশি কবিতা লিখতে পারেন।
উদ্দীপকের সোহরাব হোসেন কবিতার জন্য পাগল। তিনি অনেক কবিতা পড়েছেন। কিন্তু ইচ্ছা থাকলেও কবিতা লিখতে পারেন না। কারণ তার মধ্যে স্বপ্ন দেখার অভ্যাস নেই। অর্থাৎ কল্পনাশক্তির প্রকাশ নেই। তিনি নিজেই বলেছেন কবিতা লেখার জন্য প্রয়োজন কল্পনাশক্তি ও শব্দভাণ্ডার সমৃদ্ধ করা, যা তার মধ্যে নেই।
উল্লিখিত আলোচনায় বলা যায়, কবিতা লেখার প্রসঙ্গে প্রাবন্ধিক ও উদ্দীপকের সোহরাব হোসেন একই কথা বলেছেন। তারা কবিতা লেখার প্রধান বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেছেন।
প্রশ্ন- ৪ ল্ফল্ফ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের জনপ্রিয় অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর জাতীয় কবিতা উৎসবে বলেছিলেন- ‘সাহিত্যের সবচেয়ে প্রাচীনতম ও জনপ্রিয় শাখা হচ্ছে কবিতা। গল্প, উপন্যাস, নাটক ও প্রবন্ধের চেয়ে কবিতা খুব সহজেই মানুষের মনে প্রভাব ফেলে। কবিতায় মানুষের চিন্তা-চেতনা ও পাওয়া না পাওয়াগুলো ভিন্ন ভাবে ধরা দেয়। তাই জনপ্রিয়তার বিচারে আজও কবিতাই সেরা।’
ক. মনের ভেতর স্বপ্ন জেগে ওঠে কী পড়লে? ১
খ. কবিতায় অনেক কিছু কীভাবে বলা যায়? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের বক্তব্য কি ‘শব্দ থেকে কবিতা’ প্রবন্ধের বক্তব্যকে সমর্থন করে- নির্ণয় কর। ৩
ঘ.‘জনপ্রিয়তার বিচারে আজও কবিতাই সেরা’- মন্তব্যটির যথার্থতা বিচার কর। ৪

ক মনের ভেতর স্বপ্ন জেগে ওঠে কবিতা পড়লে।
খ যেকোনো বিষয় নিয়েই কবিতা লেখা যায় বলেই কবিতায় অনেক কিছু বলা যায়।
কবিতার মাধ্যমে শব্দের রূপ-রস-গন্ধ চিনে মনের সব ধরনের ভাব এবং বিশ্বের যেকোনো ঘটনাই বলতে পারা যায়। কবিতার কোনো সুনির্দিষ্ট সীমানা নেই। এটি কোনো ফ্রেমে বন্দি নয়, কবিতা মাঝেমাঝে আনন্দঘনও করে তোলে। কবিতায় কখনো বলা যায়, ঘর ফাটানো হাসির কথা, টগবগে রাগের কথা, বলা যায় খুব চমৎকার ভালো কথা। কখনো বাজাতে পারা যায়, নাচের শব্দ, কখনো আঁকা যায়, রঙিন ছবি। আর কবিতায় বলা যায়, নাচা যায় ও ছবি আঁকা যায়। কবিতা লেখা হয় স্বপ্ন থেকে। এ কবিতার মাধ্যমে আমরা জীবনের সকল ভাবকেই প্রকাশ করতে পারি।
গ উদ্দীপকের বক্তব্য ‘শব্দ থেকে কবিতা’ প্রবন্ধের বক্তব্যকে সমর্থন করে।
‘শব্দ থেকে কবিতা’ প্রবন্ধে লেখক কবিতার বৈশিষ্ট্য, রূপ ও রচনা কৌশল সম্পর্কে আলোকপাত করেছেন। কবিতা লেখার জন্য প্রয়োজন স্বপ্ন দেখা। যে স্বপ্ন দেখতে পারে না, সে কবিতাও লিখতে পারে না। কবিরা নতুন ভাব, নতুন ছবি ও নতুন শব্দের সংমিশ্রণ ঘটিয়ে সৃষ্টি করেন কবিতা।
উদ্দীপকে সাহিত্যের বিভিন্ন রূপের কথা বলা হয়েছে। তবে সাহিত্যের নানা রূপের মধ্যে কবিতা সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। আরো বলা হয়েছে, কবিতায় মানুষের মনের চেতনা ও পাওয়া না পাওয়া নতুনভাবে ধরা দেয়। মানুষের মনে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব বিস্তার করতে কবিতার জুড়ি মেলা ভার। কবির নতুন ভাবনা, নতুন চেতনা ও নতুন ছবি কবিতায় প্রকাশিত হয়। এগুলো ‘শব্দ থেকে কবিতা’ প্রবন্ধের বক্তব্যকে সমর্থন করে।
ঘ ‘জনপ্রিয়তার বিচারে আজও কবিতাই সেরা’ মন্তব্যটি যথার্থ।

‘শব্দ থেকে কবিতা’ প্রবন্ধে লেখক কবিতা লেখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ও কবিতার রূপ কৌশল তুলে ধরেছেন। আমাদের চারপাশে অনেক জিনিস নিয়ে কবিতা লেখা যায়। কিন্তু কবিতা সবাই লিখতে পারে না। কবিতা লেখার জন্য প্রয়োজন স্বপ্ন দেখা। আর এই স্বপ্নগুলোই যখন শব্দে ছন্দে আঁকা হয় তখনই সেটা কবিতা হয়ে ওঠে। এজন্য সাধারণত কবিতা মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিতে পারে, জনপ্রিয়তা পায় মানুষের কাছে।
উদ্দীপকেও কবিতার এই দিকটি ফুটে উঠেছে। সাধারণত মানুষের স্বপ্ন ও চিন্তার যে বিষয়গুলো কবিতায় পাওয়া যায় তা সাহিত্যের আর কোনো শাখায় পাওয়া যায় না। সেগুলো শুধু কবিতার শব্দে ফুটে ওঠে। আর মানুষ এজন্যই কবিতাকে স্বাগত জানায়। কবিতা সবসময় জনপ্রিয় থাকে।
সুতরাং, জনপ্রিয়তার বিচারে আজও কবিতাই সেরামন্তব্যটি যথার্থ।

 অনুশীলনের জন্য সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক (উত্তরসংকেতসহ)
প্রশ্ন- ৫ ল্ফল্ফ

[খুলনা মডেল স্কুল এন্ড কলেজ]
ক. কবিরা কীসের মতো স্বপ্ন দেখেন? ১
খ. কবিতায় সবসময় নতুন কথা বলতে হবে কেন? ২
গ. উদ্দীপকের কবি ও কবিতার সাথে ‘শব্দ থেকে কবিতা’ প্রবন্ধের সাদৃশ্য দেখাও। ৩
ঘ. একজন কবি কীভাবে কবিতা লিখতে পারেন উদ্দীপক ও ‘শব্দ থেকে কবিতা’ প্রন্ধের আলোকে তা বিশ্লেষণ কর। ৪

ক কবিরা চাঁদের মতো স্বপ্ন দেখেন।
খ কবিতায় সব সময় নতুন কথা বলতে হবে কারণ নতুন ভাবনায় আসে নতুন শব্দ ও ছন্দ।
কবিতা লেখার ক্ষেত্রে লেখক বলেছেন, কবিতায় নতুন ছবি আঁকতে নতুন কিছু লিখতে যা এর আগে কেউ আঁকেনি, লেখেনি। সবকিছুই একেবারে নতুন হবে। যাতে কবিতার মাধ্যমে আমরা জীবনের সকল ভাব নতুন ভাবে প্রকাশ করতে পারি। তাই কবিতায় সবসময় লেখক নতুন কথা বলতে বলেছেন।
ঢপষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে-
গ ‘শব্দ থেকে কবিতা’ প্রবন্ধের আলোকে কবিতা লেখায় উপাদানের স্বরূপ তুলে ধর।
ঘ ‘শব্দ থেকে কবিতা’ প্রবেন্ধর আলোকে কবিতা সৃষ্টির উপায় বিশ্লেষণ কর।
প্রশ্ন- ৬ ল্ফল্ফ
কুয়াশাভেজা শীতের সকালে প্রিতম হাঁটতে বেরিয়েছে নদীর পাড়ে। প্রকৃতি তখন হিমসুন্দর। নদীর পানিতে কুয়াশার লুটোপুটি। কাশফুলের মাথায় আর ঘাসের মাথায় কুয়াশা বাসা বেঁধেছে। নদীর পাড়ে একটা জারুল গাছ, সে গাছের ডালে একটা মাছ শিকারি মাছরাঙা। টুপটাপ সে মাছ ধরছে। নদীর পাড় দিয়ে একটা লোক যাচ্ছে। তার কাঁধে রসের হাঁড়ি। এসব দেখে প্রিতমের মন আনন্দে নেচে উঠল। কুয়াশা মাড়িয়ে সে বাড়িতে এলো। তার মনে এখন সুন্দরের খেলা চলছে। এবার সে একটা কবিতা লিখবে, কবিতার নাম ‘হিমসকাল’।
ক. কোথায় আমরা অনেক কিছু বলতে পারি? ১
খ. কবিতা লিখতে হলে কেন শব্দ জানতে হবে- ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকে ‘শব্দ থেকে কবিতা’ প্রবন্ধের কোন দিকটি প্রকাশ পেয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকটিতে ‘শব্দ থেকে কবিতা’ প্রবন্ধের মূলভাবের পূর্ণ প্রতিফলন ঘটেছে কী? তোমার যুক্তিসহ মতামত দাও । ৪

ক কবিতায় আমরা অনেক কিছু বলতে পারি।
খ বাংলা ভাষার অফুরন্ত শব্দভাণ্ডার থাকায় কবিতা লিখতে গেলে শব্দ সম্পর্কে জানতে হবে।
কবিরা একটি শব্দের পাশে আরেকটি সর্বাধিক উপযোগী শব্দ বসিয়ে কবিতা লেখেন। চোখে বুকে রংবেরঙের স্বপ্ন এবং শব্দের প্রতি ভালোবাসা কবিদের কবিতা লেখায় অনুপ্রেরণা জোগায়। বাংলা শব্দভাণ্ডার বর্ণে, শব্দে, গন্ধে, সুরে, ছন্দে, রূপে সমৃদ্ধ। তাই কবিতা লিখতে গেলে শব্দ জানতে হবে।
ঢপষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে-
গ ‘শব্দ থেকে কবিতা’ প্রবন্ধের আলোকে কবিদের প্রকৃতির বিচিত্র ছবি দেখে কবিতা লেখার অনুভ‚তি বর্ণনা কর।
ঘ ‘শব্দথেকেকবিতা’প্রবন্ধেরমূলভাববিশ্লেষণকর।

জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন \ ১ \ হুমায়ুন আজাদ কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : হুমায়ুন আজাদ মুন্সীগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।
প্রশ্ন \ ২ \ হুমায়ুন আজাদ কত খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করে?
উত্তর : হুমায়ুন আজাদ ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন।
প্রশ্ন \ ৩ \ হুমায়ুন আজাদের রচিত ‘লাল নীল দীপাবলি’ কোন ধরনের রচনা?
উত্তর : হুমায়ুন আজাদের ‘লাল নীল দীপাবলি’ প্রবন্ধ রচনা।
প্রশ্ন \ ৪ \ কবিতা লেখা হয় কীভাবে?
উত্তর : কবিতা লেখা হয় শব্দের সঙ্গে শব্দ মিলিয়ে।
প্রশ্ন \ ৫ \ ‘পঙ্ক্তি’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : ‘পঙ্ক্তি’ শব্দের অর্থ হলো কবিতার চরণ বা লাইন।
প্রশ্ন \ ৬ \ ‘উপমা’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : ‘উপমা’ শব্দের অর্থ তুলনা।
প্রশ্ন \ ৭ \ কবিতার জন্য কী দরকার?
উত্তর : কবিতার জন্য দরকার রংবেরঙের শব্দ।
প্রশ্ন \ ৮ \ কবিরা কীসের মতো সুন্দর সুন্দর কথা বলেন?
উত্তর : কবিরা গোলাপের মতো সুন্দর সুন্দর কথা বলেন।
প্রশ্ন \ ৯ \ কোন জিনিসটি থাকলে মনের মধ্যে নতুন নতুন ভাবনা আসে?
উত্তর : স্বপ্ন থাকলে মনের মধ্যে নতুন নতুন ভাবনা আসে।
প্রশ্ন \ ১০ \ ‘শব্দ থেকে কবিতা’ প্রবন্ধে লেখক যে কবিতাটি লিখেছেন সেটার নাম কী?
উত্তর : ‘শব্দ থেকে কবিতা’ প্রবন্ধে লেখক যে কবিতাটি লিখেছেন তার নাম ‘দোকানি’।
প্রশ্ন \ ১১ \ কবিতা লেখার জন্য ছোটবেলা থেকেই কী করা উচিত?
উত্তর : কবিতা লেখার জন্য ছোটবেলা থেকেই বেশি বেশি কবিতা পড়া উচিত।
প্রশ্ন \ ১২ \ কবিতার কথা ও ছবি কেমন হতে হবে?
উত্তর : কবিতার কথা ও ছবি সবসময়ই নতুন হতে হবে।
প্রশ্ন \ ১৩ \ যার চোখে স্বপ্ন নেই সে কী হতে পারে না?
উত্তর : যার চোখে স্বপ্ন নেই সে কবি হতে পারে না।
প্রশ্ন \ ১৪ \ পায়ে পরার অলঙ্কারকে কী বলা হয়েছে?
উত্তর : পায়ে পরার অলঙ্কারকে নূপুর বলা হয়েছে।
প্রশ্ন \ ১৫ \ চাঁদের মতো স্বপ্ন দেখেন কারা?
উত্তর : কবিরা চাঁদের মতো স্বপ্ন দেখেন।
প্রশ্ন \ ১৬ \ হুমায়ুন আজাদ কত খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যু বরণ করেন?
উত্তর : হুমায়ুন আজাদ ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন।
 অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন \ ১ \ শব্দ ছাড়া কবিতা লেখা যায় না কেন?
উত্তর : কবিতার মূল উপাদান শব্দ। তাই শব্দ ছাড়া কবিতা লেখা যায় না।
কবিতা লেখা হয় শব্দের সঙ্গে শব্দ মিলিয়ে। আর এজন্য শব্দকে ভালোবাসতে হবে, আদর করতে হবে। শব্দের রূপ-রং-গন্ধ-বর্ণ-সুর ও ছন্দ সম্পর্কে জানতে হবে। শব্দের মায়াবী রূপ সম্পর্কেও জানতে হবে। তাহলেই কবিতা লেখা সম্ভব। হাজারো শব্দকে ছন্দের সাজ পোশাক পরিয়ে দিলেই তবে কবিতা লেখা সম্ভব। শব্দ নিয়ে খেলা করতে হবে, শব্দ নিয়ে ভাবতে হবে। শব্দই কবিতার প্রাণ।
প্রশ্ন \ ২ \ গোলাপের মতো সুন্দর কথা আর চাঁদের মতো স্বপ্ন দেখতে হলে কী অপরিহার্য? বুঝিয়ে লেখ।
উত্তর : গোলাপের মতো সুন্দর কথা আর চাঁদের মতো স্বপ্ন দেখতে হলে, শব্দের জন্য মনে আদর-ভালোবাসা অপরিহার্য।
মনের ভাব প্রকাশের ক্ষেত্রে শব্দের সঠিক ব্যবহার একান্ত প্রয়োজন। এক্ষেত্রে শব্দের প্রতি ভালোবাসা আগে প্রয়োজন। শব্দের প্রতি আদর-ভালোবাসা না থাকলে গোলাপের মতো সুন্দর কথা আমাদের মুখে আসবে না আর চাঁদের মতো স্বপ্নও আমরা দেখতে পারব না।
প্রশ্ন \ ৩ \ ‘শব্দ থেকে কবিতা’ রচনার মূল বিষয়বস্তু কী আলোচনা কর।
উত্তর : ‘শব্দ থেকে কবিতা’ রচনার মূল বিষয়বস্তু হলো কবিতার রূপ ও রচনার কৌশল আলোচনা।
সাহিত্যের নানা রূপের মধ্যে একটি হচ্ছে কবিতা। আলোচ্য রচনায় কবিতার শিল্পরূপ ও তার বৈশিষ্ট্য বর্ণিত হয়েছে, যা পড়লে মনের ভিতর স্বপ্ন জেগে ওঠে, ছবি ভেসে ওঠে তাই কবিতা। আর কবিতা লিখতে হলে শব্দের রূপ-রং-গন্ধ-বর্ণ-সুর ও ছন্দ চিনতে হয় এবং জানতে হয় শব্দের এসব মায়াবী রূপ।
প্রশ্ন \ ৪ \ “তুমি যদি দেখতে পাও শব্দের শরীরের রং, শুনতে পাও শব্দের সুর, টের পাও শব্দের সুগন্ধি, তাহলেই তুমি পারবে কবি হতে।”লেখক কেন একথা বলেছেন?
উত্তর : কবিতা লিখতে হলে লেখকের অভিজ্ঞতা ও অনুভ‚তি শক্তির কথা কবি প্রশ্নোল্লিখিত উক্তিটিতে করেছেন।
‘শব্দ থেকে কবিতা’ প্রবন্ধে কবি হওয়ার ও কবিতা লেখার কলাকৌশল সম্পর্কে বর্ণনা করতে গিয়ে বলেছেন বাংলা শব্দভাণ্ডারে এমন অনেক শব্দ রয়েছে যারা ভিন্ন ভিন্ন অর্থ প্রকাশ করে একেক শব্দ থেকে বের হয় একেক ধরনের সুর। তারাই কবি হতে পারে যাদের শব্দের এই সুরগুলোকে বোঝার এবং এগুলোকে অর্থ উপযোগী করে ব্যবহার করার ক্ষমতা রয়েছে।
প্রশ্ন \ ৫ \ লেখক তাঁর স্বপ্নের দোকানটিকে কীভাবে সাজাতে চান?
উত্তর : লেখক তাঁর স্বপ্নের দোকানটিকে এমন সব জিনিস দিয়ে সাজাতে চান যা কেউ কখনো বেচে না, কেউ কখনো কেনে না।
লেখক তাঁর স্বপ্নের দোকানটিকে চাঁদের আলো, লাল পাখির গান, চাঁপার গন্ধ, নাচের ছন্দ এসব দিয়ে সাজাতে চান। লেখক শুধু সেসব জিনিস বেচাকেনা করতে চান, যেগুলো শুধু স্বপ্নে পাওয়া যায়।
প্রশ্ন \ ৬ \ কবিতা পড়লে আমাদের কেমন লাগে?
উত্তর : কবিতা পড়লে মন নৃত্য করে, মনে গানের সঞ্চার হয় এবং চোখে রংবেরঙের স্বপ্ন এসে ভিড় করে।
কবিতা কখনো আমাদের মনকে প্রফুল্ল করে, আবার কখনো মনকে বিষাদময় করে। কবিতা পড়লে আমাদের বিষাদময় দিন আনন্দে ভরে যায়। কবিতা মাঝে মাঝে আমাদের আবেগঘনও করে তোলে। মোটকথা কবিতার মাধ্যমে আমাদের মনে রং ছড়িয়ে পড়ে এবং আমাদের চোখে স্বপ্ন এসে ধরা দেয়।
প্রশ্ন \ ৭ \ “কবিতা লেখার জন্য চাই অভিজ্ঞতা”- বিষয়টি বুঝিয়ে লেখ।
উত্তর : অভিজ্ঞতা ছাড়া কবিতা লেখা একেবারেই অসম্ভব কারণ শব্দ সম্পর্কে অভিজ্ঞরাই কবিতা লিখতে পারেন।
যে কেউ ইচ্ছা করলেই কবিতা লিখতে পারেন না। কবিতা লেখার জন্য দরকার অভিজ্ঞতা। আর অভিজ্ঞতার জন্য আমাদের ছোট থেকেই অনেক কবিতার বই পড়তে হবে। দুচোখে আশপাশের সবকিছুকে দেখতে হবে। সেগুলোকে নিয়ে নতুনভাবে ভাবতে হবে, ছবি আঁকতে হবে, স্বপ্ন দেখতে হবে। এভাবেই অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করা সম্ভব। আর অভিজ্ঞতা সঞ্চয় হলে কবিতা লেখা সম্ভব।

বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

 বিষয়ক্রম অনুযায়ী বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
ন্ধ লেখক পরিচিতি
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. ‘কাফনে মোড়া অশ্রæবিন্দু’ হুমায়ুন আজাদের কোন ধরনের রচনা? (জ্ঞান)
 কাব্য খ ছোটগল্প গ উপন্যাস ঘ নাটক
২. হুমায়ুন আজাদ কত খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন? [নোয়াখালী জিলা স্কুল]
 ১৯৪৭ খ ১৯৪৮ গ ১৯৫৯ ঘ ১৯৫০
৩. হুমায়ুন আজাদ কোন জেলায় জন্মগ্রহণ করেন? (জ্ঞান)
 মুন্সীগঞ্জ খ খুলনা গ ফেনী ঘ রাজশাহী
৪. হুমায়ুন আজাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন বিভাগে অধ্যাপনা করতেন? (জ্ঞান)
ক ইংরেজি বিভাগে খ গণিত বিভাগে
 বাংলা বিভাগে ঘ ইতিহাস বিভাগে
৫. কোন গ্রন্থটি হুমায়ুন আজাদের লেখা? (জ্ঞান)
 জ্বলো চিতাবাঘ খ বিষের বাঁশি
গ নীল দর্পণ ঘ ছায়া হরিণ
৬. হুমায়ুন আজাদ কত খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন? (জ্ঞান)
 ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দে খ ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দে
গ ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দে ঘ ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দে
৭. ‘কত নদী সরোবর’ হুমায়ুন আজাদের কোন ধরনের গ্রন্থ? (জ্ঞান)
ক গল্পগ্রন্থ খ উপন্যাস গ কাব্য  প্রবন্ধগ্রন্থ
৮. কোনটি হুমায়ুন আজাদের রচনা? (জ্ঞান)
ক একাত্তরের দিনগুলো  ছাপান্ন হাজার বর্গমাইল
গ মুক্তিুযুদ্ধের গল্প ঘ হাঙর নদী গ্রেনেড
৯. ‘লাল নীল দীপাবলি’ গ্রন্থটির রচয়িতা কে? (জ্ঞান)
 হুমায়ুন আজাদ খ রণেশ দাশগুপ্ত
গ হাশেম খান ঘ মোতাহার হোসেন চৌধুরী
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১০. হুমায়ুন আজাদ ছিলেন (অনুধাবন)
র. বিশিষ্ট গদ্যশিল্পী রর. ভাষাবিজ্ঞানী
ররর. ঔপন্যাসিক
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
১১. হুমায়ুন আজাদের উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হলো (অনুধাবন)
র. অলৌকিক ইস্টিমার রর. জ্বলো চিতাবাঘ
ররর. বারুদ পোড়া প্রহর
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ন্ধ মূলপাঠ
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১২. ‘শব্দ থেকে কবিতা’ প্রবন্ধের লেখক কে? (জ্ঞান)
ক আহসান হাবীব  হুমায়ুন আজাদ
গ হাশেম খান ঘ রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন
১৩. যে লেখাগুলোর পঙ্ক্তিগুলো খুব বেশি বড় হয় না তাকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক নাটক খ ছোটগল্প গ উপন্যাস  কবিতা
১৪. কবিতার জন্য কী দরকার? (জ্ঞান)
 রং-বেরঙের শব্দ খ ভালো ভালো শব্দ
গ এলোমেলো শব্দ ঘ সহজ সহজ শব্দ
১৫. কবিরা কীসের মতো সুন্দর সুন্দর কথা বলেন? (জ্ঞান)
ক শাপলার মতো  গোলাপের মতো
গ জবার মতো ঘ কামিনির মতো
১৬. কবিরা কীসের মতো স্বপ্ন দেখেন? (জ্ঞান)
 চাঁদের মতো খ সূর্যের মতো
গ আলোর মতো ঘ রঙের মতো
১৭. সারাদিন ভাবতে হবে কীসের কথা? (জ্ঞান)
 শব্দের কথা খ গানের কথা
গ নৃত্যের কথা ঘ কবিতার কথা
১৮. খেলতে হবে কীসের খেলা? (জ্ঞান)
ক ঢেউয়ের খেলা  শব্দের খেলা
গ পুতুল খেলা ঘ দাবা খেলা
১৯. শব্দ থেকে কী বের হয়? (জ্ঞান)
ক গান খ ছবি গ ভাষা  সুর
২০. কবিতা শেখার জন্য ছোটবেলা থেকেই কোন কাজটি করা অতি প্রয়োজন? (জ্ঞান)
 পড়া ও শব্দ শেখা খ পড়া ও গান শোনা
গ পড়া ও খেলা করা ঘ পড়া ও লেখা
২১. যেসব লেখা পড়লে মন নেচে গেয়ে ওঠে তাকে কী বলে? (অনুধাবন)
ক নাটক খ কৌতুক  কবিতা ঘ ঔপন্যাস
২২. কবিতার মূল উপাদান কী? (জ্ঞান)
 শব্দ খ বাক্য গ পঙ্ক্তি ঘ বিষয়বস্তু
২৩. কবিতায় শব্দ দিয়ে বলা কথা কেমন হতে হবে? (অনুধাবন)
 মৌলিক খ অনুবাদমূলক
গ জটিল ঘ সাধারণ
২৪. ‘শব্দ থেকে কবিতা’ প্রবন্ধটির মূল আলোচ্য বিষয় কী? (উচ্চতা দক্ষতা)
ক কবিতার বৈচিত্র্য খ ছন্দের বৈচিত্র্য
 কবিতার শিক্ষাগুণ ঘ ভাষার ব্যবহার
২৫. যেকোনো বিষয়েই কবিতা লেখা যায় যদি মনে কী থাকে? (জ্ঞান)
 স্বপ্ন খ ছন্দ গ আনন্দ ঘ বেদনা
২৬. ‘শব্দ থেকে কবিতা’ প্রবন্ধে লেখক যে কবিতাটি লিখেছেন তার নাম কী? (জ্ঞান)
ক বাতাবি লেবু  দোকানি
গ চাঁপা ঘ লাল-নীল স্বপ্ন
২৭. লেখক প্রবন্ধে কোন জিনিসগুলো বিক্রির কথা বলেছেন? (জ্ঞান)
ক চাঁপার গন্ধ, গোলাপের গন্ধ
 চাঁপার গন্ধ, নাচের ছন্দ
গ পাখির গান, বাতাবি লেবুর সুবাস
ঘ সাদা দুধ, খয়েরি চকোলেট
২৮. ‘শব্দ থেকে কবিতা’ প্রবন্ধে কার ঘুড়ি বানানোর কথা উল্লেখ আছে? (জ্ঞান)
ক সূচনা  উপমা গ বীথি ঘ সাথি
২৯. কে পুতুল বানাতে চায়? (জ্ঞান)
 মৌলি খ শৈলী গ ঐশি ঘ তৃষা
৩০. কবিতায় আমরা কী আঁকতে পারি? (জ্ঞান)
ক জীবন খ কল্পনা গ সুর  রঙিন ছবি
৩১. কবিতায় কীভাবে কথা বলতে হবে? (অনুধাবন)
ক তরঙ্গে খ কম্পনে  ছন্দে ঘ হেসে
৩২. ছন্দ কীভাবে আসে? (অনুধাবন)
ক হেসে হেসে খ নূপুরের তালে
 নেচে নেচে ঘ গেয়ে গেয়ে
৩৩. ‘ছন্দ’ বলতে লেখক কী বুঝিয়েছেন? (অনুধাবন)
 শব্দের মিল খ তাল
গ উপমা ঘ গন্ধ-বর্ণ-সুর
৩৪. কী থাকলে রাস্তার দোকানিকে নিয়েও কবিতা লেখা যায়? (জ্ঞান)
ক ভালো মন খ দয়া  স্বপ্ন ঘ ইচ্ছা
৩৫. দোকানির দোকানে কোন ফুলের গন্ধ বিক্রি হয়? (জ্ঞান)
ক শিউলি  চাঁপা গ গোলাপ ঘ বকুল
৩৬. শব্দ থেকে কবিতা’ প্রবন্ধে ‘দোকানি’ তার দোকানে কোন ফুলের মুখের রূপ বিক্রি করবে? (জ্ঞান)
ক গন্ধরাজ খ সূর্যমুখী গ পারুল  গোলাপ
৩৭. চড়–ই পাখির ঠোঁটে কী? (জ্ঞান)
ক শস্য খ পানি  কুটো ঘ তুলো
৩৮. ছোট বয়সে কবিতা লেখা শুরু করলে মনে কোন কথা আসে? (জ্ঞান)
ক আবোলতাবোল খ উদ্ভট কথা
 কাঁচা কথা ঘ রূপকথা
৩৯. ‘টুকটুকে লাল’ কী? (জ্ঞান)
ক রক্ত খ পুতুল গ শিল্পীর গান  পাখির গান
৪০. কবিতা লেখার প্রাথমিক শর্ত কী? (জ্ঞান)
ক শব্দ জানা খ অর্থ জানা
গ ভাবধারণ করা  ছন্দ জানা
৪১. ‘ফুলের মতো কবিতা বানাতে সারাদিন শব্দের কথা ভাবতে হবে।’- কারণ, সুন্দর কবিতায় শব্দের কী প্রয়োজন? (অনুধাবন)
ক বিচিত্র অর্থ খ যথাযথ ব্যবহার
গ সুষম আয়তন  মধুর ঝঙ্কার
৪২. ‘নানান রকমের শব্দ আছে আমাদের ভাষায়’- অর্থাৎ আমাদের ভাষার শব্দাবলি কেমন? (অনুধাবন)
 বিচিত্র খ বর্ণিল গ অসাধারণ ঘ কোমল
৪৩. কবিতায় নতুন কথা বলার অর্থ হলো, কবিকে কেমন হতে হবে? (অনুধাবন)
ক নিরপেক্ষ  স্বতন্ত্র গ বুদ্ধিমান ঘ বিনয়ী
৪৪. কবিদের ‘চাঁদের মতো স্বপ্ন’ দেখার কারণ কী? (অনুধাবন)
ক সৃজনশীল খ বাস্তব জীবনবোধসম্পন্ন
 কল্পনাবিলাসী ঘ গভীর প্রেম
৪৫. যে লেখা সহজেই মনের মধ্যে গেঁথে যায় তাকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
ক প্রবন্ধ খ উপন্যাস গ নাটক  কবিতা
৪৬. কবিতায় কোনটির যথাযথ ব্যবহারের ওপর বেশি জোর দিতে হবে? (জ্ঞান)
 শব্দ খ স্বপ্ন গ অর্থ ঘ ঐতিহ্য
৪৭. আমরা অনেক কিছু বলতে পারি কীভাবে? (অনুধাবন)
 কবিতার মাধ্যমে খ গল্পের মাধ্যমে
গ নাটকের মাধ্যমে ঘ হাসির মাধ্যমে
৪৮. ‘গোলাপ ফুলের মুখের রূপ’ বাক্যটিতে কয়টি শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে? (জ্ঞান)
ক দুই খ তিন  চার ঘ পাঁচ
৪৯. চাঁদের আলো, স্বপ্নে দেখা নাচের ছন্দ, গোলাপ ফুলের মুখের রূপ- শব্দগুলো কী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে? (প্রয়োগ)
ক রূপকার্থে খ নামহীনভাবে
 উপমা হিসেবে ঘ অর্থহীনভাবে
৫০. ‘শব্দ থেকে কবিতা’ প্রবন্ধের পাঠের উদ্দেশ্য কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক শিল্পরূপ হতে অনুপ্রাণিত করা
খ ছবি আঁকতে অনুপ্রাণিত করা
 সৃষ্টিশীল হতে অনুপ্রাণিত করা
ঘ শব্দের সঙ্গে শব্দ মিলিয়ে দেওয়া
৫১. সাহিত্যের প্রথম আধুনিকতম শাখা কোনটি? (জ্ঞান)
ক নাটক খ উপন্যাস  কবিতা ঘ গল্প
৫২. ‘একটি শালিক আকাশে ওড়ে।’ এখানের ‘শালিক’ পাখির সঙ্গে ‘শব্দ থেকে কবিতা’ প্রবন্ধের কোন পাখির সাদৃশ্য আছে? (প্রয়োগ)
 চড়–ই খ টুনটুনি গ বাবুই ঘ কোকিল
৫৩. যে স্বপ্ন দেখতে পারে, জগতের সমগ্র বস্তু ও বিষয় নিয়ে এবং পরবর্তীতে শব্দে ও ছন্দে মিলিয়ে ভাষানুভ‚তি ব্যক্ত করে এদেরকে কী বলা হয়? (প্রয়োগ)
ক গল্পকার খ ঔপন্যাসিক
গ প্রবন্ধকার  কবি
৫৪. ‘যে লেখাগুলো পড়লে মন নেচে ওঠে’-এ বাক্যটিতে কী ফুটে উঠেছে? (অনুধাবন)
 আনন্দ খ সৌন্দর্য গ ভাষা ঘ গান
৫৫. যেগুলোতে একটি পঙ্ক্তি আরেকটি পঙ্ক্তির সমান হয়, সে লেখাগুলোকে কী বলে? (উচ্চদক্ষতা)
ক গল্প খ প্রবন্ধ  কবিতা ঘ মহাকাব্য
৫৬. ‘টুকটুকে লাল পাখির গান’ বলতে লেখক কী বোঝাতে চেয়েছেন? (অনুধাবন)
ক পালা গান খ রঙিন গান
গ সুন্দর গান  মিষ্টি গান
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৫৭. সেই ব্যক্তিই কবি হতে পারে যেÑ (অনুধাবন)
র. শব্দকে খুব ভালোবাসে রর. শব্দকে আদর করে সুখ পায়
ররর. চাঁদের মতো স্বপ্ন দেখতে পারে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৫৮. কবিরা কবিতা লেখেন যেভাবে (অনুধাবন)
র. একটি শব্দের পাশে আরেকটি শব্দ বসিয়ে
রর. একটি শব্দের সঙ্গে আরেকটি শব্দ মিলিয়ে
ররর. রঙের সাথে রং মিলিয়ে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৫৯. মনে স্বপ্ন থাকলে কবিতা লেখা যায় যা নিয়ে (অনুধাবন)
র. দূরের ধানখেত রর. পোষা বিড়াল
ররর. গ্রামের পাখি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৬০. কবিতা লিখতে হবে- (অনুধাবন)
র. শব্দের সঙ্গে শব্দ মিলিয়ে রর. ছন্দ দিয়ে
ররর. ফুল দিয়ে
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬১. কবিতা হলো- (অনুধাবন)
র. যা পড়লে মনের ভিতর স্বপ্ন জেগে ওঠে
রর. যা পড়লে মনের ভিতর ছবি জেগে ওঠে
ররর. যা পড়লে মনের ভিতর নেচে গেয়ে ওঠে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৬২. অনেক শব্দ রয়েছে যেগুলো থেকেÑ (অনুধাবন)
র. বাঁশির সুর বের হয় রর. হাসির সুর বের হয়
ররর. সমুদ্রের সুর বের হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬৩. কবিতা লিখতে হলে জানতে হবে- (অনুধাবন)
র. শব্দ রর. ছন্দ ররর. উপমা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৬৪. কবিতা তখনই কবিতা হয়ে ওঠে যখন- (অনুধাবন)
র. অর্থভেদে শব্দের ব্যবহার সঠিক হয়
রর. পঙ্ক্তিতে মিল থাকে
ররর. শুনতে মধুর লাগে
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬৫. কবিতায় আমরা বলতে পারিÑ (অনুধাবন)
র. রাগের কথা রর. ভালো কথা
ররর. রঙিন স্বপ্নের কথা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৬৬. কবিরা শব্দের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলেন- (অনুধাবন)
র. রাগ রর. হাসি ররর. আনন্দ
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৬৭ ও ৬৮ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
নওশাদ স্কুলে ‘কবিতা লিখন’ প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে। এ নিয়ে বেশ চিন্তিত সে। নওশাদের চাচা খুব ভালো কবিতা লেখেন। সে তার চাচার কাছে গেল কবিতা লেখার কলাকৌশল জানতে। চাচা তাকে বললেন-হঠাৎ করে তুমি কবিতা লিখতে পারবে না।
৬৭. অনুচ্ছেদের সাথে ভাবগত দিক থেকে তোমার পাঠ্য বইয়ের কোন রচনার মিল রয়েছে? (প্রয়োগ)
ক পাখি  শব্দ থেকে কবিতা
গ ছবির রং ঘ লখার একুশে
৬৮. উক্ত রচনায় প্রকাশ পেয়েছে (উচ্চতর দক্ষতা)
র. শব্দের ভাণ্ডার সমৃদ্ধ করা রর. স্বপ্ন দেখা
ররর. কবিতা পড়া
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৬৯ ও ৭০ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
সার্থক চরিত্র সৃষ্টি নাটকের সার্থকতার অপরিহার্য শর্ত। চরিত্রানুগ আচরণের ওপর নাটকের সাফল্য অনেকটাই নির্ভরশীল। তাই একজন নাট্যকারকে মানুষের জীবনাচরণ সার্থকভাবে অনুকরণ করতে হয়। চরিত্রে সংলাপে শব্দ নির্বাচনের ক্ষেত্রে তাকে হতে হবে অত্যন্ত সাবধান।
৬৯. সুন্দর কবিতা লিখতে হলে উদ্দীপকে উল্লিখিত নাটকের কোন উপাদানের প্রতি জোর দিতে হবে? (প্রয়োগ)
 শব্দ খ চরিত্র গ সংলাপ ঘ মানুষ
৭০. উদ্দীপকের নাটকের বৈশিষ্ট্যে ‘শব্দ থেকে কবিতা’ প্রবন্ধে উল্লিখিত কবিতার যে উপাদানের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়নি- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. শব্দ রর. স্বপ্ন
ররর. ছন্দ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৭১ ও ৭২ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
জয়া ছোটবেলা থেকেই কবিতা পছন্দ করে। কবিতা লেখার প্রতি তার খুব আগ্রহ। এজন্য সে মনে মনে বিভিন্ন বিষয় নির্বাচন করলেও কিছুতেই সে এ বিষয়গুলো শব্দের গাঁথুনির মধ্যে এনে কবিতায় রূপ দিতে পারে না।
৭১. জয়ার মধ্যে কীসের অভাবের কারণে সে কবিতা লিখতে পারছে না? (প্রয়োগ)
ক ছন্দ খ ভাব গ অর্থ  শব্দ
৭২. উক্ত বিষয়ের জন্য রচনাটি (উচ্চতর দক্ষতা)
র. মনে রং ও সুর জমাতে হবে
রর. শব্দ শিখতে হবে
ররর. চারদিকের সবকিছু দেখতে হবে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
ন্ধ শব্দার্থ ও টীকা
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৭৩. ‘যা অবাক করে দেয়’ এক কথায় তাকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
ক চমৎকার খ ভালো লাগা
 চমকপ্রদ ঘ সুন্দর
৭৪. ‘উপমা’ শব্দটির অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক কঙ্কন খ পরিমান গ উদাহরণ  তুলনা
৭৫. পায়ে পরার অলংকার কোনটি? (জ্ঞান)
ক মাদুলি খ হাঁসুলি গ ঘাগড়ি  নূপুর
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৭৬. নূপুর বলতে বোঝায় (অনুধাবন)
র. পায়ে পরার অলঙ্কার রর. ঘুঙুর
ররর. নূপুরের তাল
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭৭. ‘উপমা’ শব্দের অর্থ হলোÑ (অনুধাবন)
র. তুলনা রর. উদাহরণ ররর. সাদৃশ্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ন্ধ পাঠ পরিচিতি
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৭৮. ‘শব্দ থেকে কবিতা’ প্রবন্ধে কোনটি ফুটে উঠেছে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক কবিতা লেখা খ গান লেখা
গ ছবি আঁকা  শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করা
৭৯. কবিতা লেখার জন্য শৈশব-কৈশোর থেকেই কোন কাজটি করা অতি প্রয়োজনীয়? (জ্ঞান)
 পড়া ও শব্দ শেখা খ লেখা
গ ঘুরে বেড়ানো ঘ গানশোনা
৮০. কবিতা লেখার জন্য কী প্রয়োজন? (অনুধাবন)
 মনের স্বপ্ন খ জ্ঞান গ চর্চা ঘ শিক্ষা
৮১. কবিতা পড়লে চোখে কী জমা হয়? (জ্ঞান)
ক কৌতূহল  স্বপ্ন গ স্মৃতি ঘ সুখ
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৮২. ‘শব্দ থেকে কবিতা’ প্রবন্ধে বর্ণিত হয়েছে
র. কবিতার শিল্পরূপ রর. কবিতার বৈশিষ্ট্য
ররর. কবিতার পর কবিতা
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮৩. কবিরাই পারেন
র. স্বপ্ন দেখতে রর. স্বপ্নের ছবি আঁকতে
ররর. স্বপ্নের বিনিময় করতে
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

 

Share to help others:

Leave a Reply