শ্রাবণে
সুকুমার রায়
কবি পরিচিতি
নাম সুকুমার রায়।
জন্ম ও পরিচয় সুকুমার রায় ১৮৮৭ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। সুকুমার রায় বিখ্যাত শিশু সাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর
রায় চৌধুরীর পুত্র এবং বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার ও শিশু সাহিত্যিক সত্যজিত রায়ের পিতা।
কর্মজীবন সুকুমার রায় ছিলেন বহুমখী প্রতিভার অধিকারী। তিনি প্রেসিডেন্সি কলেজে লেখাপড়া করেন। তিনি বিজ্ঞান, ফটোগ্রাফি, মুদ্রণ-প্রকৌশলেও উচ্চ শিক্ষা নিয়েছিলেন। এছাড়া কর্মজীবনে তিনি ‘সন্দেশ’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন।
সাহিত্যকর্ম সুকুমার রায় বাংলা সাহিত্যে অমর হয়ে আছেন প্রধানত হাস্যরসাত্মক কবিতা, হাসির গল্প, নাটক ইত্যাদি শিশুতোষ রচনার জন্য। তাঁর আবোল তাবোল, হ-য-ব-র-ল , পাগলা দাশু, বহুরূপী, খাইখাই ও অন্যান্য অতুলনীয় লেখার জন্য তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন।
জীবনাবসান সুকুমার ১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দের মৃত্যুবরণ করেন।
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ
উদ্দীপক (১) আজিকার রোদ ঘুমায়ে পড়িছে- ঘোলাটে মেঘের আড়ে, কেয়া বন পথে স্বপন বুনিছে- ছল ছল জলধারে।
কাহার ঝিয়ারী কদম্ব শাখে- নিঝ্ঝুম নিরালায়,
ছোট ছোট রেণু খুলিয়া দিয়াছে- অস্ফুট কলিকায়।
উদ্দীপক (২) কেউবা রঙিন কাঁথায় মেলিয়া বুকের স্বপনখানি,
তারে ভাষা দেয় দীঘল সূতার মায়াবী আখর টানি।
ক. প্রাণখোলা বর্ষায় কে স্নান করে?
খ. ‘উন্মাদ শ্রাবণ’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
গ. ১ম উদ্দীপকে ‘শ্রাবণে’ কবিতায় বর্ণিত বর্ষার কোন দিকটি চিত্রিত হয়েছে? বর্ণনা কর।
ঘ.২য় উদ্দীপকটি ‘শ্রাবণে’ কবিতার শেষ চরণে প্রতিফলিত হয়েছে কি?- যুক্তিসহ বিচার কর।
ক প্রাণখোলা বর্ষায় গাছপালা ¯œান করে।
খ শ্রাবণ মাসে অবিরাম ধারা বর্ষণ ঘটে বলে শ্রাবণকে উন্মাদ শ্রাবণ বলা হয়েছে।
শ্রাবণে বৃষ্টির ধারা বর্ষণের শেষ থাকে না। শুধু নামতেই থাকে আর নামতেই থাকে এবং তা চতুর্দিক প্লাবিত করে দেয়।
গ ১ম উদ্দীপককে ‘শ্রাবণে’ কবিতায় বর্ণিত রুক্ষ প্রকৃতিকে জলে সিক্ত করার দিকটি ফুটে উঠেছে।
‘শ্রাবণে’ কবিতায় বর্ষার জলে গাছপালা নদী-নালা থেকে শুরু করে রুক্ষ প্রকৃতি মুহূর্তেই জলে পরিপূর্ণ হয়। প্রকৃতিতে প্রাণের সঞ্চার ঘটে। গ্রীষ্মকালের রোদের চিহ্ন ধুয়ে মুছে প্রকৃতির তপ্ত হৃদয় সিক্ত হয়। গাছপালারা বর্ষার জলে ¯œান করে ধুলোবালি মুক্ত হয়ে শুদ্ধ হয়।
উদ্দীপক-১ এ বর্ণিত হয়েছে মেঘপূর্ণ আকাশে কীভাবে রোদের তীব্রতা নিঃশেষিত হয়েছে। রোদ বা সূর্য তার তীব্রতা ছড়িয়ে মেঘের আড়ালে লুকিয়ে পড়েছে। জলময় হয়ে পড়েছে কেয়াবন, কার ঝিয়ারী যেন নিঝুম নিরালায় কদম্ব বনের শাখে তার ছোট ছোট রেণু খুলে দিয়েছে। অর্থাৎ রৌদ্রের কাঠিন্যমুক্ত হয়ে প্রকৃতির মধ্যে যেন একটা স্বপ্ন জেগে উঠেছে। ‘শ্রাবণে’ কবিতায় একইভাবে বর্ষার প্রকৃতি পরিবর্তিত হয়ে নতুন রূপ ধারণ করেছে। বৃষ্টির কারণে প্রকৃতির শুষ্কতা দূরীভ‚ত হয়ে তা সিক্ত হয়ে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে।
ঘ ২য় উদ্দীপকটিতে ‘শ্রাবণে’ কবিতার শেষ চরণের ভাবধারা প্রতিফলিত হয়েছে।
‘শ্রাবণে’ কবিতার কবি সুকুমার রায় অপরিসীম দক্ষতায় শ্রাবণ দিনে বর্ষা প্রকৃতিকে কীভাবে বদলে দেয় তার অপরূপ বর্ণনা উপস্থাপন করেছেন। পাশাপাশি তুলে ধরেছেন প্রকতির এই পরিবর্তনের সাথে পরিবর্তিত মানব মনের রূপটি। অর্থাৎ প্রকৃতির সাথে মানব মনেরও রূপ বদলায়।
উদ্দীপকে ফুটে উঠেছে মানব মনের চিরন্তন স্বপ্নময়তা। মানুষ বেঁচে থাকে স্বপ্নের মধ্য দিয়ে। রঙিন কাঁথার মতো করেই সে যেন তার স্বপ্নের জাল বিস্তার করে। রঙিন কাঁথায় ফুল তোলার মতোই তার স্বপ্নকে বুনন করে। রঙিন কাঁথার মতোই মেলে ধরতে প্রয়াসী হয় মনের অন্তহীন ভাবনা কল্পনাকে। দীঘল সুতা মায়াাবী অক্ষর দিয়েই সে লিখে যায় তার মনের কথাগুলো।
‘শ্রাবণে’ কবিতার বলা হয়েছে ঋতুর পালাবদলের মতো মানব-মনের আশা-আকাক্সক্ষা ও সুখ-দুঃখের পালাবদল ঘটে। তাছাড়া বর্ষার প্রবল বর্ষণ মানব মনে গভীর প্রভাব বিস্তার করে। মনের এক ধরনের শূন্যতা থেকে তার কল্পনা শাখা-প্রশাখা বিস্তার করে।
উদ্দীপক (২)-এ যেন সেই কথারই প্রতিধ্বনি। কল্পনার রঙিন কাঁথা সেলাইয়ের মধ্যদিয়ে সেই ভাব কল্পনা লাভ করেছে।
প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ
“নীল নবঘনে আষাঢ় গগনে
তিল ঠাঁই আর নাহি রে।
ওগো আজ তোরা যাস নে ঘরের বাহিরে।
বাদলের ধারা ঝরে ঝর-ঝর।
আউশের খেত জলে ভর-ভর
কালী মাখা মেঘে ওপারে আঁধার
ঘনিয়ে দেখ চাহি রে।”
ওগো আজ তোরা যাস নে ঘরের বাহিরে।
ক. ‘জর্জর’ শব্দের অর্থ কী? ১
খ. ‘অফুরান নামতায় বাদলের ধরাপাত’- কথাটি ব্যাখ্যা করো। ২
গ. উদ্দীপকের কবিতাংশের সাথে শ্রাবণ কবিতার সাদৃশ্য ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.উদ্দীপকটি ‘শ্রাবণে’ কবিতার সামগ্রিক ভাবার্থ ধারণ করতে পেরেছে কি? যুক্তিসহ ব্যাখ্যা কর। ৪
ক ‘জর্জর’ শব্দের অর্থ কাতর।
খ গণিতে ‘নামতা’ বলতে বোঝায় গুণ করার ধারাবাহিক তালিকা। ধারাপাত হলো অঙ্ক শেখার প্রাথমিক বই। এ কবিতায় বৃষ্টি ধারার পতনকে বলা হচ্ছে ধারাপাত। বৃষ্টির পতনের অবিরাম রিমঝিম ধ্বনি অনেকটা যেন শিশুদের নামতা পড়ার শব্দের মতো।
গ বর্ষার দিনে প্রবল বৃষ্টিপাতের দিকটি তুলে ধরার ক্ষেত্রে উদ্দীপকের কবিতাংশের সাথে শ্রাবণে কবিতা সাদৃশ্যপূর্ণ।
‘শ্রাবণে’ কবিতায় বলা হয়েছে, বর্ষার জলে গাছাপালা নদী-নালা থেকে শুরু করে সর্বত্র জলে পরিপূর্ণ হয়। সারাদিন ধরে অবিরাম জল ঝরতে থাকে। গাছপালারা যেন প্রাণখোলা বর্ষার স্নান করে। কবিও যেন শ্রাবণে শুধু একই গান শুনতে পান ঢালো জল, ঢালো জল। বর্ষার চিরচেনা এ দৃশ্যই ‘শ্রাবণে’ কবিতার সকল পঙ্ক্তিতে প্রতিফলিত।
উদ্দীপকের কবিতাংশে আষাঢ় দিনের বাদল বা বৃষ্টির ধারার কথা বলা হয়েছে। সে সময় আউশের খেত থাকে জলে ভর-ভর। কালী-মাখা মেঘে যেভাবে আঁধার ঘনিয়ে আসে তাতে কবি কারোর বাইরে যাওয়া নিরাপদ মনে করেন না এবং সবাইকে বাইরে না যাবার অনুরোধ করেছেন। ‘শ্রাবণে’ কবিতা ও উদ্দীপকে আমরা বর্ষা দিনের প্রবল বর্ষণ ও বর্ষা প্রকৃতির প্রকাশই লক্ষ করি।
ঘ ‘শ্রাবণে’ কবিতার সকল দিক উদ্দীপকে প্রকাশিত না হওয়ায় তা সামগ্রিক ভাবার্থ ধারণ করতে পারেনি।
‘শ্রাবণে’ কবিতার কবি সুকুমার রায় বৃষ্টিস্নাত প্রকৃতির এক অপরূপ বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি বর্ণনা দিয়েছেন গ্রীষ্মের দাবদাহে জর্জরিত প্রকৃতি অবিরাম বর্ষার স্নান করে কীভাবে সজীব ও প্রাণবন্ত রূপ ধারণ করে সেই ছবি। বর্ষার জলে গাছপালা নদী-নালা থেকে শুরু করে রুক্ষ প্রকৃতি মুহ‚র্তেই জলে পরিপূর্ণ হয়। প্রকৃতিতে প্রাণের সঞ্চার হয়। ঋতুর পালাবদলের মতো মানব-মনের আশা-আকাক্সক্ষা, সুখ-দুঃখের পালাবদল ঘটে।
উদ্দীপকে উল্লিখিত হয়েছে আষাঢ়ের ঘন-ঘোর বাদল দিনের কথা। মেঘ আঁধারের মতো ঘনিয়ে আসছে। তাই কবি সকলকে নিষেধ করেছেন বাইরে যেতে। বাদলের এই ধারা ঝর-ঝর ঝরতে থাকে। আউশের খেত তখন থাকে জলে পরিপূর্ণ।
উদ্দীপক ও ‘শ্রাবণে’ কবিতা বিশ্লেষণ করলে আমরা পাই- উদ্দীপকে শুধু বর্ষার ঘন বৃষ্টিপাত ও ঘনঘোর পরিবেশের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ‘শ্রাবণে’ কবিতায় প্রবণ বর্ষণ ছাড়াও রুক্ষ প্রকৃতির সজীব প্রাণবন্ত হওয়া, সর্বত্র জলে পরিপূর্ণ হওয়া ঋতুর পালাবদলের সাথে মানুষের সুখ-দুঃখের পালাবদল ইত্যাদি বিষয় উল্লিখিত হয়েছে। তাই উদ্দীপকটি ‘শ্রাবণে’ কবিতার সামগ্রিক ভাবার্থ ধারণ করতে পারেনি।
প্রশ্ন- ২ ল্ফল্ফ
(র) ধেয়ে চলে আসে বাদলের ধারা
নদী ধান্য দুলে দুলে সারা,
কুলায় পাখির বাসা কাঁপিছে কাতর কপোত,
দাদুরি ব্যাঙ ডাকিছে সঘনে বারবার।
(রর) নবতৃণদলে ঘনবনছায়ে
হরষ আমার দিয়েছি বিছায়ে
পুলকিত নীপ-নিকুঞ্জে আজি
বিকশিত প্রাণ জেগেছে।
ক. নদীনালা কেমন জলে ভরে ওঠে? ১
খ. ‘অবিরাম এক গান, ঢালো জল, ঢালো জল’- কথাটি দিয়ে কী বুঝানো হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. ১ম ও ২য় উদ্দীপকটি ‘শ্রাবণে’ কবিতার মূলভাব সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ কী? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.‘২য় উদ্দীপকের শেষ দু’লাইন ও ‘শ্রাবণে’ কবিতার শেষ দু’লাইন সমার্থক’- কথাটি যুক্তিসহ বিশ্লেষণ কর। ৪
ক নদীনালা ঘোলা জলে ভরে ওঠে।
খ ‘অবিরাম একই গান, ঢালো জল, ঢালো জল- কথাটি দিয়ে বৃষ্টিপাতের কথা বুঝানো হয়েছে।
শ্রাবণে বা বর্ষার অঝোর ধারায় বৃষ্টি হতে থাকে। চারিদিক জলে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। কবির কাছে তখন মনে হয় প্রকৃতিতে যেন একই গান ঢালো জল ঢালো জল।
গ বর্ষায় বাদলের ধারাবর্ষণ ও স্নিগ্ধ পল্লি প্রকৃতি তুলে ধরার ক্ষেত্রে উদ্দীপকের দুটি কবিতাংশ ও ‘শ্রাবণে’ কবিতা সাদৃশ্যপূর্ণ।
‘শ্রাবণে’ কবিতার কবি সুকুমার রায় গ্রীষ্মের দাবদাহে জর্জরিত প্রকৃতি অবিরাম বর্ষায় স্নান করে সজীব ও প্রাণবন্ত রূপ ধারণ করেছে, কবিতায় সে ছবিই আঁকা হয়েছে। বর্ষার জলে গাছপালা নদী-নালা থেকে শুরু করে রুক্ষ প্রকৃতি মুহ‚র্তেই জলে পরিপূর্ণ হয়। গ্রীষ্মকালের রোদের চিহ্ন ধুয়ে মুছে প্রকৃতি এ সময় নতুন রূপ ধারণ করে। এভাবে ঋতুর পালাবদলে মতো মানব মনের আশা-আকাক্সক্ষা, সুখ-দুঃখের পালাবদল ঘটে।
উদ্দীপকের ১ম অংশে বলা হয়েছে বাদলের ধারার যেন নদী, ধান্য- দুলে দুলে ওঠে। বৃষ্টিতে ভিজে কাঁপছে কপোত। আর উদ্দীপকের ২য় অংশে নবতৃণদল ঘন বনবাদারে কবি নিজেকে আবিষ্কার করেছেন এক অন্যরূপে। এমন নিকুঞ্জে প্রাণ সত্যিই জেগে উঠে। ‘শ্রাবণে’ কবিতায় যেমন বর্ষা ও বৃষ্টি ধোয়া প্রকৃতি জেগে উঠে তেমনি উদ্দীপকেও প্রকৃতি জেগে উঠেছে। তাই বলা যায়, ১ম ও ২য় উদ্দীপকের সাথে ‘শ্রাবণে’ কবিতা সাদৃশ্যপূর্ণ।
ঘ প্রকৃতির প্রভাবে মানুষের জীবনে পরিবর্তন সূচিত হয়- সেদিক দিয়ে ২য় উদ্দীপকের শেষ দু’লাইন, ‘শ্রাবণে’ কবিতার শেষ দু’লাইন সমার্থক।
‘শ্রাবণে’ কবিতার শেষ দু’লাইনে কবি গভীর ভাব প্রকাশ করেছেন। তিনি বলতে চেয়েছেন প্রকৃতি যেমন রূপ বদলায় মানুষের মনেও তেমনি অনুভ‚তির পরিবর্তন হয়। অর্থাৎ মানুষের মনেরও রং বদলায়। প্রকৃতির পরিবর্তনের মধ্যদিয়ে নিরবে নিঃশব্দে পৃথিবীর মানুষের মনের সুখ দুঃখেরও পরিবর্তন ঘটে।
উদ্দীপকের ২য় অংশের শেষ দু’লাইনে মূলত প্রকৃতির জাগরণের কথা বলা হয়েছে। গাছপালা তরুলতা সবকিছুরই মাঝেই যেন নতুন করে প্রাণ সঞ্চার হয়েছে। প্রকৃতির সবকিছুতেই যেন সে পুলক অনুভ‚ত হচ্ছে।
বৃষ্টি ও বর্ষার প্রভাবে মানব জীবনের অব্যক্ত অনুভ‚তিগুলো যেন পত্র-পল্লবে বিকশিত হাত চায়। প্রকৃতিও জেগে ওঠে নতুনরূপে। ‘শ্রাবণে’ কবিতার বৃষ্টিস্নাত প্রকৃতির জেগে ওঠার সাথে উদ্দীপকের প্রকৃতি জেগে ওঠার সাথে তাই সাদৃশ্যপূর্ণ।
প্রশ্ন- ৩ ল্ফল্ফ
মনির ঘরে বসে আছে। বাহিরে তখন বৃষ্টি হচ্ছে। সে ঘর থেকে বের হতে পারছে না। ঝুম ঝুমিয়ে বৃষ্টি পড়ছে। মনির এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে বৃষ্টি দেখছে। হঠাৎ তার মনে হলো, ‘গাছেরা বৃষ্টিতে খুব আনন্দ পাচ্ছে। বৃষ্টির ধারা আনন্দে গায়ে মাখছে তারা।’ মাঠ-ঘাট পানিতে ভরে উঠছে। সজীবতায় ছেয়ে যাচ্ছে প্রকৃতি। বর্ষা যেনো প্রকৃতির নূপুর নৃত্য।
ক. ‘শ্রাবণে’ কবিতাটি কোন গ্রন্থের অন্তর্গত? ১
খ. ‘ধুয়ে যায় রৌদ্রের স্মৃতিটুকু বিশ্বের’- কথাটি দিয়ে কী বোঝানো হয়েছে? ২
গ. উদ্দীপকের মনিরের ধারণা ‘শ্রাবণে’ কবিতার কোন দিকটিকে নির্দেশ করে- বর্ণনা কর। ৩
ঘ.‘বর্ষা যে প্রকৃতির নূপুর নৃত্য’- কথাটি শ্রাবণে কবিতার আলোকে ব্যাখ্যা কর। ৪
ক ‘শ্রাবণে’ কবিতাটি সুকুমার রায়ের ‘খাই খাই’ ছড়া গ্রন্থের অন্তর্গত।
খ ‘ধুয়ে যায় রৌদ্রের স্মৃতিটুকু বিশ্বের’- বলতে বৃষ্টির মাধ্যমে রু² প্রকৃতির ধুয়ে সজীব হয়ে ওঠার কথা বলা হয়েছে।
গ্রীষ্মের প্রখর রৌদ্রে প্রকৃতি শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যায়। সবকিছু যেন প্রাণহীন মনে হয়। এখন বৃষ্টির প্রভাবে তা ধুয়ে মুছে সজীব হয়ে উঠে।
গ উদ্দীপকের মনিরের ধারণা শ্রাবণে কবিতার প্রকাশিত বর্ষার গাছপালার স্নান করে সজীব হবার দিকটিকে নির্দেশ করে।
‘শ্রাবণে’ কবিতার কবির কল্পনা নানা মাত্রিক রূপ ধারণ করেছে। শ্রাবণের বাদলধারা প্রকৃতিকে কীভাবে প্রভাবিত করে তা তুলে ধরেছেন কবি। সারাদিন জল ঝরে সবকিছু ভিজে জবজব করে। কবি তখন ভেবেছেন প্রাণখোলা এই বর্ষায় গাছপালারা যেন স্নান করছে। বর্ষার প্রভাবে প্রকৃতি যেন এভাবে সূচি-শুভ্র হয়ে উঠে।
উদ্দীপকের মনির বৃষ্টির দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। তার মনে হলো বৃষ্টিতে গাছেরা খুব আনন্দ পাচ্ছে। বৃষ্টির ধারা আনন্দে গায়ে মাখছে তারা। মনিরের এই ভাবনার সাথে ‘শ্রাবণে’ কবিতায় কবির ভাবনা মিলে গেছে। কবি যেমনটি বলেছেন, প্রাণোচ্ছল বর্ষায় গাছেরা, স্নান করে। তাই উদ্দীপক ও কবিতায় এই বিষয়টি সাদৃশ্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
ঘ বর্ষা যেনো প্রকৃতির নূপুর নৃত্য- কথাটি উদ্দীপক ও শ্রাবণে কবিতার প্রতিফলিত হয়েছে।
‘শ্রাবণে’ কবিতার বর্ষা ঋতুতে প্রকৃতি কি রূপ ধারণ করে তারই পরিচয় দেওয়া হয়েছে। তখন সারা দিন সারারাত বৃষ্টি ঝরে। শিশুদের ধারাপাত পড়ার মতো শব্দ করে বৃষ্টি নামে অঝোর ধারায়। গাছপালাগুলো যেন প্রাণখোলা বর্ষায় স্নান করে। নদী-নালা ভরে উঠে। প্রকৃতিতে জেগে ওঠে প্রাণচাঞ্চল্য। জলে জলে যেন চারদিক টলমল করে।
উদ্দীপকে উল্লিখিত হয়েছে প্রবল বৃষ্টিতে গাছেরা যেন খুব আনন্দ পাচ্ছে। বৃষ্টির ধারা গায়ে মেখে। মাঠঘাট পানিতে ভরে উঠে। সজীবতায় দেয়ে যায় প্রকৃতি। আর বর্ষা যেন প্রকৃতির নূপুর নৃত্য।
‘শ্রাবণে’ কবিতায় বর্ষার যে পরিচয় পাই তাতে বর্ষা-প্রকৃতি যেন উৎসবে মেতে ওঠে। প্রকৃতিতে জেগে ওঠে সীমাহীন আনন্দ। সেই আনন্দে প্রকৃতি নৃত্য করতে থাকে। উদ্দীপকে এই বক্তব্য ‘শ্রাবণে’ কবিতায়ও প্রতিফলিত হয়েছে।
প্রশ্ন- ৪ ল্ফল্ফ
আষাঢ় মাস শেষ। শ্রাবণ আসি আসি করছে। তবু বৃষ্টির দেখা নেই। মাঠ-ঘাটে কোথাও পানি জমেনি এবার। গাছপালা পানির অভাবে বেড়ে উঠতে পারছে না। বর্ষার চিরচেনা রূপ হঠাৎ এবার কোথায় যেনো উধাও হয়ে গেছে। জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাব শুরু হয়েছে। বৃষ্টি ছাড়া বর্ষাকাল বাংলাদেশে অসম্ভব একটি ব্যাপার।
ক. সুকুমার রায়ের পৈতিৃক নিবাস কোথায়? ১
খ. ‘আকাশের মুখ ঢাকা, ধোঁয়ামাখা চারিধার- কথাটির অর্থ- ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের সাথে শ্রাবণে কবিতার বৈসাদৃশ্য উপস্থাপন কর। ৩
ঘ. ‘বৃষ্টি ছাড়া বর্ষাকাল বাংলাদেশে অসম্ভব একটি ব্যাপার’- উক্তিটি উদ্দীপক ও ‘শ্রাবণে’ কবিতার আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪
ক সুকুমার রায়ের পৈত্রিক নিবাস ময়মনসিংহ জেলায়।
খ আকাশের মুখ ঢাকা, ধোঁয়ামাখা চারিধার- কথাটির মধ্যদিয়ে বাদলমুখর দিনের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
বাদল দিনে সারাদিন জল ঝরে। সূর্যের দেখা মেলে না। তাই আকাশের যেন মুখ ঢাকা থাকে। আর বৃষ্টি পতনের সময় চারিদিক ধোঁয়ামাখা মনে হয়।
গ উদ্দীপকে উল্লিখিত বর্ষার প্রকৃতির সাথে ‘শ্রাবণে’ কবিতার বর্ষার প্রকৃতির বৈসাদৃশ্য বিদ্যমান।
‘শ্রাবণে’ কবিতায় বলা হয়েছে, বর্ষার জলে গাছপালা নদীনালা থেকে শুরু করে রুক্ষ প্রকৃতি মুহ‚র্তেই জলে পূর্ণ হয়। নতুন প্রাণের সঞ্চার ঘটে প্রকৃতিতে। গ্রীষ্মকালের রোদের চিহ্ন ধুয়ে মুছে প্রকৃতি এ সময় নতুন রূপ ধারণ করে।
উদ্দীপকের বৃষ্টিবিহীন বর্ষার কথা বলা হয়েছে। আষাঢ় মাস শেষ হয়ে যাচ্ছে তবুও বৃষ্টির দেখা নেই। পানির অভাবে বেড়ে উঠতে পারছেনা গাছপালা। বর্ষার চিরচেনা রূপ কোথাও নেই। আমাদের দেশে বৃষ্টিপাতহীন বর্ষাকাল ভাবাই যায় না। অথচ ‘শ্রাবণে’ কবিতায় বর্ষার চিরচেনা বর্ষণমুখর প্রকৃতির পরিচয় রয়েছে। যা উদ্দীপকে অনুপস্থিত। তাই নিঃসন্দেহে বলা যায় উদ্দীপকের সাথে ‘শ্রাবণে’ কবিতায় বৈসাদৃশ্য বিদ্যমান।
ঘ ‘বৃষ্টি ছাড়া বর্ষাকাল বাংলাদেশে অসম্ভব একটি ব্যাপার’ কথাটি যথার্থ।
‘শ্রাবণে’ কবিতায় দেখানো হয়েছে বৃষ্টিই বর্ষাকালের মূল উপজীব্য। যেখানে সারাদিন সারারাত বর্ষার জল ঝরে। শিশুর নামতা পড়ার মতো নামতে থাকে বাদলের ধারা। প্রাণখোলা বর্ষার যেন গাছপালারাও স্নান করে। জলে পরিপূর্ণ ও টইটুম্বুর হয়ে যায় চারিদিক। কবি যেন অবিরাম বৃষ্টির গান শুনতে পান। ঢালো চল, ঢালো জল।
উদ্দীপকে উল্লিখিত বর্ষা প্রকৃতি এক ব্যতিক্রমি ঘটনা। বর্ষার দিনে মাঠ-ঘাটে পানি নেই। গাছপালা পানির অভাবে বেড়ে উঠতে পারছে না। এটা কোন স্বাভাবিক ঘটনা নয়। জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাবের কারণেই হয়তো এটি হয়ে থাকবে।
‘শ্রাবণে’ কবিতায় আমরা লক্ষ করি বর্ষাকালের স্বাভাবিক রূপ। যে বর্ষা আমাদের মনে গভীর প্রভাব সৃষ্টি করে। বর্ষার প্রকৃতি যেমন সিক্ত হয় তেমনি সিক্ত হয় মানুষের মন। আর উদ্দীপকে উল্লিখিত হয়েছে বৃষ্টিবিহীন বর্ষাকাল, তবে এটি বাংলাদেশের বর্ষাকালের চিরায়ত রূপ নয়। তাই বলা হয়েছে, বৃষ্টি ছাড়া বর্ষাকাল বাংলাদেশে অসম্ভব ব্যাপার।
প্রশ্ন- ৫ ল্ফল্ফ
ক. বর্ষায় কীসের শেষ নাই? ১
খ. “পৃথিবীর ছাত পিটে ঝমাঝম্। বারিধার”- উক্তিটির অর্থ ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের ছবিটির সাথে ‘শ্রাবণে’ কবিতার সাদৃশ্য দেখাও। ৩
ঘ. “জলেজলে জলময় দশদিক টলমল। কথাটি উদ্দীপক ও ‘শ্রাবণে’ কবিতার মূলভাবটিকে ধারণ করেছে- বিশ্লেষণ কর। ৪
ক বর্ষায় প্লাবনের শেষ নেই।
খ পৃথিবীর ছাত পিটে ঝমঝম বারিধার- উক্তিটি দ্বারা বৃষ্টি পতনের শব্দকে ছাদ পেটানোর শব্দের সাথে তুলনা করা হয়েছে।
বর্ষার বারিধারার ঝমঝম শব্দ খুবই মনমুগ্ধকর। কবির কাছে এটি ছাদ পেটানোর শব্দের মতো মনে হয়েছে। পৃথিবী নামক ছাদে বৃষ্টি যেন ঝমঝম শব্দ করে পেটাচ্ছে।
গ সারাদিন-সারারাত জল ঝরা ও চারিদিক জলময় হবার দিক দিয়ে উদ্দীপকের ছবিটির সাথে শ্রাবণে কবিতার সাদৃশ্য রয়েছে।
‘শ্রাবণে’ কবিতায় কবি সুকুমার রায় বর্ষার দৃশ্যকল্প অংকন করেছেন। অপূর্ব সুন্দর ছাদ তিনি বর্ষাকে উপস্থাপন করেছেন। বর্ষার অবিরাম জল ঝরে শিশুর ধারাপাত পড়ার মতো শব্দ করে। আর বর্ষার এই প্লাবনের যেন শেষ নেই। চতুর্দিক জলে পরিপূর্ণ হয়ে তবে। বৃষ্টির ঘনঘোর উৎসবে শ্রাবণ যেন উন্মাদ হয়ে পড়েছে।
উদ্দীপকের চিত্রটিতে বর্ষার দিনের এক সুন্দর ও বাস্তব রূপ ফুটে উঠেছে। যেখানে ফসলের জমি জলে পরিপূর্ণ। নারী ও শিশুর কর্দমাক্ত পিচ্ছিল পথে হেঁটে যাচ্ছে। কেউ ছাতা মাথায় বৃষ্টি থেকে বাঁচার চেষ্টা করছে। কেউ বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে রাস্তা অতিক্রম করছে। এটি বর্ষাকালের চিরকালীন এক গ্রামীণ দৃশ্য। তাই দেখা যায় শ্রাবণে কবিতার সাথে উদ্দীপকের সাদৃশ্য বিদ্যমান।
ঘ জলেজলে জলময় দশদিক টলমল- কথাটি উদ্দীপকে ও শ্রাবণে কবিতার মূলভাবটিকে ধারণ করেছে।
‘শ্রাবণে’ কবিতায় উল্লিখিত প্রশ্নোক্ত চরণে বর্ষার চারদিক কীরূপ হয়েছে। দিনরাত বৃষ্টিপাত হলে প্রকৃতির অবস্থা কেমন হয় তা সহজেই অনুমেয়। তখন নদীনালা জলে ভরে ওঠে। প্লাবনের যেন আর শেষ নেই। জলে জলময় হয়ে দশদিক টলমল করে।
উদ্দীপকের চিত্রটি বর্ষার বৃষ্টিঝরা দিনের। যখন অনবরত বৃষ্টি ঝরে। রাস্তাঘাট কর্দমাক্ত হয়। বিস্তীর্ণ ফসলি জমি পানিতে ডুবে যায়। বৃষ্টিতে ভিজে মানুষ হয়ে যায় কাকের ছা-এর মতো। বর্ষার এই সময়ে চারিদিকে শুধু জল আর জল।
‘শ্রাবণে’ কবিতা ও উদ্দীপক বিশ্লেষণ করলে এ দৃশ্যপটই আমাদের কাছে প্রতীয়মান হয় যে, বর্ষা প্রকৃতিতে বৃষ্টির প্রভাবে চারিদিক জলময় হয়ে উঠে। তাই প্রশ্নোক্ত বক্তব্যটি ‘শ্রাবণে’ কবিতা ও উদ্দীপকের মূল ভাব ধারণ করে।
অনুশীলনের জন্য সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক (উত্তরসংকেতসহ)
প্রশ্ন- ৬ ল্ফল্ফ
ক. সুকুমার রায় কত খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন? ১
খ. ‘¯œান করে গাছপালা প্রাণখোলা বরষায়’- ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের চিত্রটির সাথে ‘শ্রাবণে’ কবিতার বিষয়গত সাদৃশ্য নির্ণয় কর। ৩
ঘ. ‘উদ্দীপকের চিত্রটি শ্রাবণে কবিতার মূলভাবটি ধারণ করেছে।’ -কথাটির সত্যতা যাচাই কর। ৪
ক সুকুমার রায় ১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন।
খ বর্ষার ধারা বর্ষণে গাছপালারা মনে আনন্দে ¯œান সারে- আলোচ্য পঙ্ক্তিতে এ বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।
রুক্ষ শুষ্ক প্রকৃতি বৃষ্টির আগমনের জন্য অপেক্ষার প্রহার গোণে। কারণ বৃষ্টি এলেই মাটিতে রসের প্লাবনধারা বয়। এতে গাছপালারা মাটি থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ রস সংগ্রহ করে দ্রæত বেড়ে ওঠে। তাই বৃষ্টির পরশে সতেজ গাছপালা বাঁধনভাঙা উল্লাসে বৃষ্টিতে ভিজতে থাকে।
ঢপষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে-
গ উদ্দীপকে তুলে ধরা চিত্রটিতে শ্রাবণধারার সকল বিষয় উঠে এসেছে। অপরদিকে ‘শ্রাবণে’ কবিতাতেও বর্ষার পূর্ণ অবয়ব চিত্রায়িত হয়েছে। এ বিষয়টি সাদৃশ্যের বিষয় হিসেবে আলোচনা করতে হবে।
ঘ উদ্দীপকের চিত্রটি ‘শ্রাবণে’ কবিতার সকল বিষয় মূর্ত হয়েছে এ বিষয়টি সম্পর্কে তুলনামূলক আলোচনা করতে হবে।
প্রশ্ন- ৭ ল্ফল্ফ
“বৃষ্টি এল কাশবনে
জাগল সাড়া ঘাসবনে
বকের সারি কোথায় রে
লুকিয়ে গেল বাঁশবনে”
ক. ‘পাগলা দাশু’ কাব্যগ্রন্থটির রচয়িতা কে? ১
খ. ‘নদীনালা ঘোলাজল ভরে উঠে ভরসায়’- ব্যাখ্যা কর। ২
গ. ‘শ্রাবণে’ কবিতার সাথে উদ্দীপকের সাদৃশ্য নিরূপণ কর। ৩
ঘ. “‘শ্রাবণে’ কবিতার আংশিক দিক উদ্দীপকে প্রতিফলিত হয়েছে”- আলোচনা কর। ৪
ক ‘পাগলা দাশু’ কাব্যগ্রন্থটির রচয়িতা সুকুমার রায়।
খ শুষ্ক নদীনালা বর্ষার প্লাবনে খোলা জলে ভরে উঠে -এ বিষয়টি আলোচ্য পঙ্ক্তিতে তুলে ধরা হয়েছে।
বর্ষাকালে নদীনালায় উচ্ছলতার বান ডাকে। যে ছিল ক্ষীণ তণু- আজ দুকূল ছাপিয়ে সে পানিতে টইটম্বুর। গাছের শরীর বেয়ে আর মাটি সিক্ত হয়ে যে জলটুকু নদীতে পড়ে তা ঘোলা জলই। আর বর্ষার এ ঘোলা জলেই নদীর দুক‚ল ছাপিয়ে যায়।
ঢপষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে-
গ বৃষ্টির ফলে প্রকৃতিতে যে পরিবর্তন সূচিত হয় উদ্দীপকের সে বিষয়টির সাথে সাদৃশ্য তুলে ধরে আলোচনা করতে হবে।
ঘ ‘শ্রাবণে’ কবিতায় বর্ষার প্রকৃতির পট পরিবর্তন ইত্যাদি সকল বিষয় আলোচিত হয়েছে। উদ্দীপকে শুধুমাত্র প্রকৃতির একটি খন্ডচিত্র তুলে ধরা হয়েছে।- এ বিষয়ে তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনা করতে হবে।
জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন \ ১ \ বর্ষার ধারা কীভাবে বইতে থাকে?
উত্তর : বর্ষার ধারা অফুরান নামতায় বইতে থাকে।
প্রশ্ন \ ২ \ বর্ষায় আকাশের মুখ কীসে ঢেকে যায়?
উত্তর : বর্ষায় আকাশের মুখ মেঘে ঢেকে যায়।
প্রশ্ন \ ৩ \ বর্ষায় চারপাশ কীরূপ থাকে?
উত্তর : বর্ষায় চারপাশ ধোঁয়ামাখা থাকে।
প্রশ্ন \ ৪ \ বর্ষা কীভাবে বারিধারা বইয়ে দেয়?
উত্তর : পৃথিবীর ছাদ পিটিয়ে বর্ষা বারিধারা বইয়ে দেয়।
প্রশ্ন \ ৫ \ গাছপালা কোন ঋতুতে প্রাণভরে স্নান করে?
উত্তর : গাছপালা বর্ষা ঋতুতে প্রাণভবে স্নান করে।
প্রশ্ন \ ৬ \ বর্ষায় চারদিক কীসে টলমল করতে থাকে?
উত্তর : বর্ষায় চারদিক পানিতে টলমল করতে থাকে।
প্রশ্ন \ ৭ \ গ্রীষ্মের তাপ ধুইয়ে দেয় কোন ঋতু?
উত্তর : গ্রীষ্মের তাপ ধুইয়ে দেয় বর্ষা ঋতু।
প্রশ্ন \ ৮ \ সারা বিশ্বের রৌদ্রের স্মৃতি কোন ঋতুতে মুছে যায়?
উত্তর : সারা বিশ্বের রৌদ্রের স্মৃতি বর্ষা ঋতুতে মুছে যায়।
প্রশ্ন \ ৯ \ ধরণীর আশাভয় এবং ধরণী সুখ-দুঃখ কোন ঋতু?
উত্তর : ধরণীর আশাভয় এবং ধরণীর সুখ-দুঃখ বর্ষা ঋতু।
প্রশ্ন \ ১০ \ হৃদয়ে বীণ বাজে কোন ঋতু?
উত্তর : হৃদয়ে নিঃসঙ্গতার বীণ বাজে বর্ষা ঋতুতে।
প্রশ্ন \ ১১ \ ‘শ্রাবণে’ কবিতাটি সুকুমার রায়ের কোন ছড়া গ্রন্থ থেকে চয়ন করা হয়েছে?
উত্তর : ‘শ্রাবণে’ কবিতাটি সুকুমার রায়ের ‘খাই খাই’ ছড়াগ্রন্থ থেকে চয়ন করা হয়েছে।
প্রশ্ন \ ১২ \ প্রকৃতি সজীব ও প্রাণবন্ত রূপ ধারণ করে কোন ঋতুতে?
উত্তর : প্রকৃতি সজীব ও প্রাণবন্ত রূপ ধারণ করে বর্ষা ঋতুতে।
প্রশ্ন \ ১৩ \ সুকুমার রায়ের পৈত্রিক নিবাস কোথায়?
উত্তর : সুকুমার রায়ের পৈত্রিক নিবাস ময়মনসিংহ।
প্রশ্ন \ ১৪ \ ‘হযবরল’ গ্রন্থটির রচয়িতা কে?
উত্তর : ‘হযবরল’ গ্রন্থটির রচয়িতা সুকুমার রায়।
প্রশ্ন \ ১৫ \ সুকুমার রায় জন্মগ্রহণ করেন কত খ্রিষ্টাব্দে?
উত্তর : সুকুমার রায় জন্মগ্রহণ করেন ১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দে।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন \ ১ \ ‘জল ঝরে জল ঝরে সারাদিন সারারাত’ কথাটি দিয়ে কী বুঝানো হয়েছে?
উত্তর : বাঙালির আদরের ঋতু বর্ষা শুরু হলে তা বিরামহীনভাবে চলতে থাকে- প্রশ্নোক্ত উক্তিতে সে বিষয়টির ইঙ্গিত করা হয়েছে।
মেঘমেদুর অপরূপ বর্ষাকে তৃষ্ণাক্লান্ত প্রকৃতি জানায় সাদর আমন্ত্রণ। কিন্তু শ্রাবণের ধারা বইতে শুরু করলে বারণ না মানা দুষ্টু ছেলের মতো সে অবিরল ধারায় বইতেই থাকে। একটু যেন থামার ইচ্ছে নেই। তাই কবি বলে উঠেন- সারা দিন সারা রাত।
প্রশ্ন \ ২ \ ‘ধুয়ে যায় যত তাপ জর্জর গ্রীষ্মের’- কথাটির অন্তর্নিহিত অর্থ লিখ।
উত্তর : গ্রীষ্মের অগ্নিক্ষরা দহনে নিসর্গ প্রকৃতি দগ্ধ, কাতর ও তৃষ্ণাদীর্ণ বুকে হাহাকার করে উঠে। বর্ষায় সে হাহাকারের কষ্ট ঘোচে।
প্রাণের হিল্লোল জাগিয়ে প্রকৃতিতে নবযৌবনা বর্ষার আগমন ঘটে। তার প্রধান কাজ হচ্ছে গ্রীষ্মের রুক্ষতার মালিন্যকে মুছে দিয়ে শ্যামলিমার গান গাওয়া। তাই কবি মনে বর্ষা এসে গ্রীষ্মের যত দীর্ঘশ্বাস আছে সব ধুয়ে মুছে দেয়।
প্রশ্ন \ ৩ \ ‘জলেজলে জলময় দশদিক-টলমল্’- পঙ্ক্তিটি দ্বারা কোন বিষয়ের কথা বলা হয়েছে? – ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : সরস বর্ষা প্রাণের জয়গানে মেতে উঠে জলে জলে চারদিক ভরিয়ে দিয়েছে- প্রশ্নোক্ত পঙ্ক্তিটি দ্বারা সে বিষয়ের অবতারণা করা হয়েছে।
বাংলাদেশের মোট বষ্টিপাতের শতকরা ৮০ ভাগ বৃষ্টি বর্ষা কালেই হয়ে থাকে। তাই অবিরল ধারা বর্ষণের ঋতু বর্ষাই বাঙালির পরম আরাধ্য ঋতু। নিথর-নিস্তব্ধ প্রকৃতির যত দূর চোখ যায় শুধু পাংশুটে মেঘের আনাগোনা। তাই কবি বলেছেন অবিরল জলধারায় চারদিক্ টলমল্ করে।
প্রশ্ন \ ৪ \ ‘ধরণীর আশাভয় ধরণীর সুখদুখ।’- কথাটি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : বর্ষা ধরণীর আশা-আকাক্সক্ষার কেন্দ্রস্থল আবার অধিক বর্ষণ অনেক দুঃখের কারণ। তাই লেখক প্রশ্নোক্ত উক্তিটি করেছেন।
বর্ষা মানুষের কাছে যেমন আশীর্বাদ, তেমনি দরিদ্র পল্লিবাসীর দুঃখের কারণ। বর্ষার অকৃপণ দাক্ষিণ্যে কৃষকের মাঠ যেমন সবুজের আবাহনে ভরে ওঠে, ঠিক তেমনি অধিক বর্ষায় বাংলার ঘরে ঘরে ওঠে হাহাকার। তাই কবি কণ্ঠেও ধ্বনিত হয় ধরণীর আশাভয়, ধরণীর সুখ-দুঃখ।
প্রশ্ন \ ৫ \ নিঃঝুম ধুকধুক বলতে কী বুঝানো হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : বর্ষা মানব হৃদয়কে দিয়েছে নিত্য নতুন ভাব সম্পদের সন্ধান। তাই কবি নিঃসঙ্গ হৃদয়ের কম্পনের কথা বলেছেন।
বর্ষা বাঙালিকে করেছে কল্পনাবিলাসী। শ্যামল নীলিমার দূর-দূরান্তে সে ছড়িয়ে দিয়েছে মুক্ত মনের বিহঙ্গডানা। তাই বর্ষা এলেই নিঃসঙ্গ হৃদয়ের ধুকধুক কম্পন বেড়ে যায়। মনে পড়ে ফেলে আসা অতীত দিনের কথা।
বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
বিষয়ক্রম অনুযায়ী বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
ন্ধ কবি পরিচিতি
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. কবি সুকুমার রায় কত খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন? (জ্ঞান)
ক ১৮৮৫ খ ১৮৮৬ ১৮৮৭ ঘ ১৮৮৮
২. সুকুমার রায় কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
ক ঢাকা কলকাতা গ বোম্বে ঘ ময়মনসিংহ
৩. সত্যজিত রায়ের পিতার নাম কী? (জ্ঞান)
ক সুধীর রায় খ অলোক রায়
সুকুমার রায় ঘ সুভাষ রায়
৪. সুকুমার রায়ের পিতার নাম কী? (জ্ঞান)
উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরী
খ জ্ঞানেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরী
গ মহেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরী
ঘ প্রফুল্লকিশোর রায় চৌধুরী
৫. বাংলা সাহিত্যে বিখ্যাত শিশু সাহিত্যিকের নাম কী? (জ্ঞান)
ক সিকান্দার আবু জাফর
খ আহসান হাবীব
উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরী
ঘ মহাদেব সাহা
৬. কিংবদন্তি চলচ্চিত্র নির্মাতা ও খ্যাতিম্যান সাহিত্যিকের নাম কী? (জ্ঞান)
ক উপেন্দ্র কিশোর রায়চৌধুরী
সত্যজি রায়
গ সুকুমার রায়
ঘ দেলোয়ার জাহান ঝন্টু
৭. সুকুমার রায়ের পৈত্রিক নিবাস কোন জেলায়?
ক কুমিল্লা খ বরিশাল ময়মনসিংহ ঘ ঢাকা
৮. বাংলা সাহিত্যে সুকুমার রায় অমর হয়ে আছেন কেন? (অনুধাবন)
শিশুতোষ রচনা লেখার জন্য
খ উপন্যাস লেখার জন্য
গ প্রবন্ধ লেখার জন্য
ঘ মহাকাব্য লেখার জন্য
৯. ‘আবোল তাবোল’ রচনা করেন কে?
ক কাজী নজরুল ইসলাম খ জসীম উদ্দীন
গ মহাদেব সাহা সুকুমার রায়
১০. ‘পাগলা দাশু’ রচয়িতা কে?
ক আহসান হাবীব খ সুনির্মল বসু
সুকুমার রায় ঘ সুফিয়া কামাল
১১. ‘হযবরল’ রচনা করেন কে?
সুকুমার রায় খ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
গ হাশেম খান ঘ হারুন হাবীব
১২. ‘শ্রাবণে’ কবিতাটি সুকুমার রায়ের কোন গ্রন্থের অন্তর্গত?
খাই খাই খ আবোল তাবোল
গ হযবরল ঘ পাগলা পশু
১৩. বর্ষার গ্রীষ্মের রোদের চিহ্ন ধুয়ে মুছে প্রকৃতি কী রূপ ধারণ করে?
ক ¯িœগ্ধ রূপ নতুন রূপ
গ স্যাঁতসেঁতে রূপ ঘ সরস রূপ
১৪. সুকুমার রায় কত খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন?
১৯২৩ খ ১৯২৪ গ ১৯২৫ ঘ ১৯২৬
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৫. বাংলা সাহিত্যে সুকুমার রায় যে রচনার জন্য অমর হয়ে আছেন-
র. রসের কবিতা রর. হাসির গল্প
ররর. উপন্যাস
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৬. সুকুমার রায়ের রচনা- (অনুধাবন)
র. কৈশোরক রর. হযবরল
ররর. পাগলা দাশু
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ন্ধ মূলপাঠ
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৭. ‘শ্রাবণে’ কবিতায় বৃষ্টির ধারার পতনকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক ধারাবাহিক তালিকা খ অভিকর্ষ
ধারাপাত ঘ ছন্দপাত
১৮. ‘শ্রাবণে’ কবিতায় সারা দিন কী ঝড়ে? (জ্ঞান)
জল খ শিউলি ফুল
গ বকুল ফুল ঘ মেঘ
১৯. ‘শ্রাবণে’ কবিতায় আকাশের অবস্থা কেমন থাকে? (অনুধাবন)
ক আকাশের মুখ খোলা থাকে
আকাশের মুখ ঢাকা থাকে
গ আকাশের মুখ লাল থাকে
ঘ আকাশের মুখ কালো থাকে
২০. শ্রাবণ মাসে প্রকৃতির চারপাশের অবস্থা কেমন থাকে? (অনুধাবন)
ক ঘোলাটে ধোঁয়া মাখা
গ অন্ধকার ঘ ছায়াযুক্ত
২১. ‘পৃথিবীর ছাত পিটে ঝমাঝম্ বারিধার।’ এ চরণে ‘ছাত’ শব্দটি কোন রূপ? (প্রয়োগ)
ক চলিত খ সাধু কথ্য ঘ আঞ্চলিক
২২. “শেষ নাই শেষ নাই বরষার প্লাবনের।” এ চরণটিতে ‘শেষ’ শব্দের ভাবার্থ কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
সমাপ্তি খ পরিপূর্ণতা গ মৃত্যু ঘ শুরু
২৩. গ্রীষ্মের রুক্ষতা দূর হয় কোনটির আক্রমণে? (জ্ঞান)
শ্রাবণের আগমনে খ বন্যার আগমনে
গ জোয়ারের আগমনে ঘ বৈশাখের আগমনে
২৪. “স্নান করে গাছপালা প্রাণ খোলা বরষায়” -এ চরণটিতে কী ফুটে উঠেছে? (উচ্চতর দক্ষতা)
বৃষ্টি এলে প্রকৃতি সজীব হয়ে ওঠে
খ বৃষ্টি হলে প্রাণীকুল সজীবতা ফিরে পায়
গ বৃষ্টি হলে ফসল ফলে
ঘ বৃষ্টি হলে ফুলের গাছ প্রাণ খুলে নৃত্য করে
২৫. ‘শ্রাবণে’ কবিতায় প্রধানত প্রকৃতির মাঝে কোন রূপটি ফুটে উঠেছে? (উচ্চতর দক্ষতা)
নীবরতা খ উৎফুল্লতা
গ উৎকণ্ঠা ঘ প্রফুল্লতা
২৬. দশদিক্ শ্রাবণে টলমল করে কেন? (অনুধাবন)
ক জোয়ার এসেছে বলে বৃষ্টি হয় বলে
গ বন্যা হয় বলে ঘ শামলা ফুল ফুটেছে বলে
২৭. কবিতার চরণ বলতে কোনটিকে বোঝায়? (অনুধাবন)
ক কবিতার ছন্দ খ কবিতার অলংকার
প্রতিটি লাইন ঘ প্রতিটি স্তবক
২৮. “শুধু যেন বাজে কোথা নিঃঝুম ধুকধুক” এ চরণটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? (অনুধাবন)
মনের বনে নিরবতার কাতরতাকে
খ মনের বনে লুকোচুরি খেলা করাকে
গ মনের বনে হারিয়ে যাওয়াকে
ঘ মনের বনে মুগ্ধ হয়ে ঘুরে বেড়ানোকে
২৯. শ্রাবণের বর্ষায় জলে গাছ-পালা নদী-নালা কীসে পরিপূর্ণ থাকে? (জ্ঞান)
ক ফুলে জলে গ ফলে ঘ গানে
৩০. ‘শ্রাবণ’ কবিতায় শ্রাবণকে উন্মাদ শ্রাবণ বলা হয়েছে কেন? (জ্ঞান)
অবিরাম ধারায় বর্ষণ করে বলে
খ অবিরাম ধারায় নেচে চলে বলে
গ আকাশে মেঘ ভেসে বেড়ায় বলে
ঘ আকাশে বিদ্যুৎ চমকায় বলে
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৩১. “উৎসব ঘনঘোর উন্মাদ শ্রাবণের”- এ চরণটিতে ‘উন্মাদ’ শব্দটি যে অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে- (প্রয়োগ)
র. উন্মত্ত রর. ক্ষিপ্ত
ররর. উদ্দীপ্ত
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩২. শ্রাবণের আগমনে- (অনুধাবন)
র. সারাদিন বৃষ্টি ঝড়ে রর. গাছপালা সজীব হয়
ররর. বন্যার সৃষ্টি হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৩৩. ‘শ্রাবণে’ কবিতার কবি নির্দেশ করেছেন- (অনুধাবন)
র. শ্রাবণ দিনের আকাশের অবস্থা রর. মানব মনের অবস্থা
ররর. শ্রাবণে প্রকৃতির অবস্থা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৩৪. শ্রাবণ দিনে মানব মনের সম্পর্কে সূচিত করে- (প্রয়োগ)
র. সুখময় অতীতের কথা স্মৃতিতে দোলা দেয়
রর. দুঃখময় স্মৃতি ভেসে ওঠে
ররর. সাঁতার কাটার ইচ্ছা জেগে ওঠে
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৫. শ্রাবণের সঙ্গে যার সম্পর্ক রয়েছে- (অনুধাবন)
র. বাতাসের রর. প্রকৃতির
ররর. মনের
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৬. গ্রীষ্মের প্রচণ্ড রোদে জর্জরিত প্রকৃতিতে বর্ষার যে রূপ ফুটে ওঠে- (অনুধাবন)
র. সজীব রর. রুক্ষ
ররর. প্রাণের সঞ্চার
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৭. শ্রাবণের আগমনে মানব মনের যে পালাবদল ঘটে- (অনুধাবন)
র. আশা-আকাক্সক্ষার রর. সুখ-দুঃখের
ররর. বিরহ-বেদনার
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩৮ ও ৩৯ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
“গুরুগর্জনে নীপমঞ্জুরী শিহরে,
শিখী দম্পতি কেকা কল্লোলে বিহরে
দিগ বধূচিত হরষা
ঘন গৌরবে আসে উন্মাদ বরষা।”
৩৮. অনুচ্ছেদের সাথে তোমার পাঠ্য বইয়ের কোন কবিতার ভাবগত মিল রয়েছে? (প্রয়োগ)
ক নতুন দেশ শ্রাবণে গ এই অক্ষরে ঘ সাম্য
৩৯. অনুচ্ছেদের উন্মাদ বরষা উক্ত কবিতায় যে অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. উন্মত্ত রর. ক্ষিপ্ত
ররর. পাগল
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৪০ ও ৪১ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
সেদিন আকাশে ঘনালো বর্ষা
বাজে তার বিদ্যুতে
নেমে এল সে কি শ্রাবণের ধারা
প্রবল জীবন যেন।
৪০. অনুচ্ছেদে ‘শ্রাবণে’ কবিতার কোন দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে? (প্রয়োগ)
ক মানব মনে বেদনা ভারাক্রান্ত হওয়ার দিকটি
প্রকৃতির জগতে বর্ষার স্বাড়ম্বর আগমনের দিকটি
গ মানব মনের চরম বিরহের দিকটি
ঘ গ্রীষ্মে জর্জরিত রুক্ষ হয়ে ওঠার দিকটি
৪১. উক্ত দিকটি মানবমনের- (অনুধাবন)
র. আশা আকাক্সক্ষার পালাবদল ঘটায় রর. সুঃখ দুঃখের পালাবদল ঘটায়
ররর. আচরণিক পরিবর্তনের পালা বদল ঘটায়
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ন্ধ শব্দার্থ ও টীকা
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৪২. বৃষ্টি পতনের অবিরাম রিমঝিম ধ্বনি কীসের শব্দের মতো? (জ্ঞান)
শিশুদের নামতা পড়ার খ শিশুদের গান গাওয়ার
গ শিশুদের আরবি পড়ার ঘ শিশুদের নৃত্যের ছন্দের মতো
৪৩. ‘ছাদ’ -এর কথ্যরূপ কোনটি? (জ্ঞান)
ক চাত ছাত গ চাঁদ ঘ ছাধ
৪৪. ‘বারিধারা’ শব্দটির অর্থ কী? (জ্ঞান)
জলের ধারা খ বালির ধারা
গ জ্ঞানের ধারা ঘ বলির ধারা
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৪৫. ‘উন্মাদ’ শব্দটির অর্থ- (অনুধাবন)
র. উন্মত্ত রর. ক্ষিপ্ত
ররর. উদাম
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪৬. ‘নিঃঝুম’ শব্দটির অর্থ- (অনুধাবন)
র. নিরস রর. নীরব
ররর. নিঃশব্দ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪৭. গণিতে ‘নামতা’ বলতে বোঝায়- (অনুধাবন)
র. ধারাবাহিক সূত্র রর. ধারাবাহিক তালিকা
ররর. ধারাপাত
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ন্ধ পাঠ পরিচিতি
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৪৮. ‘শ্রাবণে’ কবিতাটি সুকুমার রায়ের কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত? (জ্ঞান)
ক কৈশোরক খ জলে ডাঙ্গায়
খাই খাই ঘ রাখালী
৪৯. প্রকৃতিতে প্রাণের সঞ্চার ঘটে কোন ঋতুতে? (জ্ঞান)
ক গ্রীষ্ম বর্ষা গ শীত ঘ শরৎ
৫০. গ্রীষ্মের জীর্নতার চিহ্ন কে ধুয়ে মুছে দেয়? (জ্ঞান)
ক বর্ষা খ শরৎ গ হেমন্ত ঘ শীত
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৫১. অবিরাম বর্ষায় ¯œান করে- (অনুধাবন)
র. গাছপালা রর. দূরের বন
ররর. কদম ফুল
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ রর ও ররর গ র ও ররর র, রর ও ররর
৫২. শ্রাবণের বর্ষায় ¯œান করে প্রকৃতি হয়- (অনুধাবন)
র. প্রাণবন্ত রর. সজীব
ররর. জড়বৎ
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ রর ও ররর গ র, রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
মাস্টার ট্রেইনার প্রণীত সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর