এইচএসসি ব্যবসায় উদ্যোগ একাদশ অধ্যায় ব্যবসায়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

অধ্যায়-১১

ব্যবসায়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার

গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন১ মি. সাব্বির ‘এবিসি’ ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী। তিনি তার ব্যাংকে সব লেনদেনের হিসাব ছাপানো খাতায় লেখার পরিবর্তে কম্পিউটারে বিশেষ ব্যবস্থায় লিপিবদ্ধ করার নিয়ম প্রবর্তন করেন। গ্রাহকের হিসাব সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য চিঠিপত্রের মাধ্যমে লেনদেনের বদলে ই-মেইল ও মোবাইল ফোনে এসএমএস পদ্ধতি চালু করেন। উন্নত গ্রাহকসেবার কারণে তার ব্যাংকের জনপ্রিয়তা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। [ঢা. বো. ১৭; চ. বো. ১৭]
অ ক. ই-মেইল কী? ১
অ খ. ন্যূনতম চাঁদা বলতে কী বোঝায়? ২
অ গ. মি. সাব্বির কোন ধরনের ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করেছেন? ব্যাখ্যা করো। ৩
অ ঘ. উদ্দীপকে গৃহীত পদ্ধতি গ্রাহকদের উন্নত সেবা প্রদানে সক্ষম হবে কি? যুক্তিসহ লেখো। ৪
১ নং প্রশ্নের উত্তর অ
ক ই-মেইল (ঊষবপঃৎড়হরপ গধরষ) বলতে ইন্টারনেটের মাধ্যমে এক কম্পিউটার হতে অন্য কোনো কম্পিউটারে কোনো তথ্য আদান-প্রদানকে বোঝায়।
খ পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির পরিমেল নিয়মাবলিতে কোম্পানি গঠনের প্রাথমিক খরচের উদ্দেশ্যে যে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ সংগ্রহের প্রতিশ্র“তির উলে­খ থাকে তাকে ন্যূনতম চাঁদা বলে।
পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি কার্যারম্ভের অনুমতিপত্র সংগ্রহ ও শেয়ার বিলির পূর্বে ন্যূনতম চাঁদা সংগ্রহের কাজ করে। এ মূলধনের অর্থ দিয়ে কোম্পানির প্রাথমিক ব্যয় ও গঠন সংক্রান্ত ব্যয় নির্বাহ করা হয়। এরূপ চাঁদা সংগ্রহ ব্যতীত পাবলিক কোম্পানি কার্যারম্ভের অনুমতি পায় না।
গ উদ্দীপকে মি. সাব্বির ই-ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করেছেন।
ই-ব্যাংকিং পদ্ধতি হলো ব্যাংকিং সেবা সুবিধা প্রদানের আধুনিক কৌশল বা পদ্ধতি। যেখানে উন্নততর প্রযুক্তি ব্যবহার করে অতিদ্রুত, নির্ভুল এবং ব্যাপক বিস্তৃত ব্যাংকিং সেবা প্রদান করা সম্ভব।
উদ্দীপকের মি. সাব্বির ‘এবিসি’ ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী। তিনি তার ব্যাংকে সব লেনদেনের হিসাব ছাপানো খাতায় লেখার পরিবর্তে কম্পিউটারে বিশেষ ব্যবস্থায় লিপিবদ্ধ করার নিয়ম চালু করেন। যার মাধ্যমে অতি দ্রুত এবং সহজে গ্রাহকদের ব্যাংকিং সেবা প্রদান করা হচ্ছে। তিনি গ্রাহকের হিসাব সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য প্রদানে চিঠিপত্রের বদলে ই-মেইল ও মোবাইল ফোনে এসএমএস পদ্ধতি চালু করেন। উদ্দীপকের এ বিশেষ ব্যবস্থাটির কার্যক্রম ই-ব্যাংকিং-এর বৈশিষ্ট্যের সাথে সামঞ্জস্য রয়েছে। সুতরাং বলা যায়, এ আধুনিক পদ্ধতিটি হলো ইলেকট্রনিক ব্যাংকিং ব্যবস্থা।
ঘ উদ্দীপকে গৃহীত ই-ব্যাংকিং পদ্ধতি গ্রাহকদের উন্নত সেবা প্রদানে সক্ষম হবে।
ই-ব্যাংকিং পদ্ধতিতে ইন্টারনেট ও কম্পিউটার প্রয্রক্তি ব্যবহার করে আধুনিক ব্যাংকিং সেবা প্রদান করা হয়। এক্ষেত্রে স্বল্প সময়ে ও ব্যয়ে অর্থ জমা, উত্তোলন, স্থানান্তর এবং লেনদেনের তথ্য পাওয়া যায়।
উদ্দীপকের এবিসি ব্যাংকে ই-ব্যাংকিং পদ্ধতিতে ব্যাংকিং লেনদেনসমূহ কম্পিউটারে লিপিবদ্ধ করা হয়। এতে গ্রাহকের কোনো ব্যাংকিং তথ্য হারানোর আশঙ্কা থাকে না। তাই গ্রাহকরা নিশ্চিন্তভাবে এখানে তাদের ব্যাংকিং লেনদেন সম্পন্ন করতে পারেন। এছাড়া তারা গ্রাহকের হিসাব সংক্রান্ত তথ্য প্রদানে চিঠিপত্রের বদলে ই-মেইল ও মোবাইল ফোনে এসএমএস পদ্ধতি চালু করেন।
আগে গ্রাহককে ব্যাংকে গিয়ে তাদের প্রয়োজনীয় ব্যাংকিং তথ্য সম্পাদন করতে হতো, যা অত্যন্ত সময়সাপেক্ষ ব্যাপার ছিল। কিন্তু বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে গ্রাহককে উন্নত সেবা দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে গ্রাহকরা ঘরে বসেই তাদের ব্যাংকিং তথ্য পাওয়ার সুবিধা অর্জন করছে, যা তাদের সময়, শ্রম ও ব্যয় হ্রাস করছে। এতে গ্রাহকরা সন্তুষ্ট হচ্ছে। সুতরাং বলা যায়, উদ্দীপকে গৃহীত ই-ব্যাংকিং পদ্ধতিই গ্রাহকদের এভাবে উন্নত সেবা প্রদানে সক্ষম হবে।
মমমপ্রশ্ন২ হায়দারের বাবা প্রতি মাসে হায়দারকে টাকা পাঠান। হায়দার নিকটস্থ বিকাশ এজেন্টের নিকট গিয়ে মোবাইল ব্যবহার করে টাকা উত্তোলন করতে পারেন। বিকাশের এ ধরনের ব্যাংকিং সেবা পেয়ে হায়দারের মতো অন্যরা বিকাশের হিসাব খোলার সিদ্ধান্ত নিলেন।
[দি.বো. ১৭]
অ ক. অনলাইন ব্যাংকিং কী? ১
অ খ. ব্যবসায়ের আধুনিকায়নে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রভাব ব্যাখ্যা করো। ২
অ গ. উদ্দীপকের আলোকে ‘বিকাশ’ কোন ধরনের ব্যাংকিং সেবা প্রদান করে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ই ঘ. হায়দারের বাবার বিকাশে টাকা পাঠানোর যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ করো। ৪
২ নং প্রশ্নের উত্তর অ
ক নেটওয়ার্কের আওতায় কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত ও কম্পিউটার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ব্যাংকিং কার্যক্রমকেই অনলাইন ব্যাংকিং বলে।
খ কম্পিউটারাইজড ব্যবস্থার মাধ্যমে দুই বা ততোধিক ব্যক্তির মধ্যে তথ্য আদান-প্রদানকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বলে।
ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে দ্রুত তথ্য বিনিময় সহজ হয়। এর মাধ্যমে কাজের গতি এবং কর্মীর দক্ষতা বৃদ্ধি পায়। এতে তথ্য হালনাগাদ করে সার্বক্ষণিক ব্যবসায়িক কাজ সম্পাদন করা সম্ভব হয়। এভাবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবসায়ের সাফল্য লাভে সহায়তা করে।
গ উদ্দীপকের ‘বিকাশ’ মোবাইল ব্যাংকিং সেবা প্রদান করে।
মোবাইল ব্যাংকিং হলো মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা, তথ্য সংগ্রহ, তথ্য প্রদান ও লেনদেন করা।এক্ষেত্রে এক ধরনের গোপন চওঘ নম্বর ব্যবহার করতে হয়।
উদ্দীপকের হায়দারের বাবা প্রতিমাসে হায়দারকে টাকা পাঠান। হায়দার নিকটস্থ বিকাশ এজেন্টের নিকট গিয়ে মোবাইল ব্যবহার করে টাকা উত্তোলন করতে পারেন। হায়দার মোবাইলে নিজস্ব চওঘ নম্বর ব্যবহার করে খুব সহজেই তার বিকাশ একাউন্টে জমাকৃত অর্থ প্রয়োজনমতো উত্তোলন করতে পারেন। এর মাধ্যমে একাউন্টের সর্বশেষ কী লেনদেন হয়েছে তার তথ্যও জানা যায়। বিকাশের এ ধরনের ব্যাংকিং সেবা মোবাইল ব্যাংকিং -এর আওতায় পড়ে। সুতরাং বলা যায়, ‘বিকাশ’ মোবাইল ব্যাংকিং সেবা প্রদান করে।
ঘ উদ্দীপকে হায়দারের বাবার বিকাশে টাকা পাঠানোর কাজটি যৌক্তিক।
দ্রুত এবং নিরাপদে আর্থিক লেনদেনের জন্য বিকাশ বর্তমানে একটি আধুনিক ব্যবস্থা। ব্র্যাক ব্যাংক বিকাশ (নশধংয) নামে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করেছে, যা এখন দেশের সর্বত্র খুবই জনপ্রিয়।
উদ্দীপকের হায়দারের বাবা তাকে প্রতিমাসে বিকাশে টাকা পাঠান। হায়দার নিকটস্থ বিকাশ এজেন্টের নিকট গিয়ে মোবাইল ব্যবহার করে টাকা উত্তোলন করতে পারেন। হায়দার বিকাশের মাধ্যমে খুব সহজেই তার বাবার পাঠানো টাকা উত্তোলন করতে পারেন। গোপন চওঘ বা কোড ব্যবহার করে এরূপ লেনদেন করা হয় বলে তার নিরাপত্তা বজায় থাকে।
দেশের সর্বত্র অসংখ্য বিকাশ এজেন্টের দোকান বর্তমানে চালু আছে। তাই যেকোনো সময় গ্রাহক বিকাশে অর্থ প্রেরণ ও গ্রহণ করতে পারেন। এতে গ্রাহকের সময় ও শ্রম দু’টিই সাশ্রয় হয়। উদ্দীপকের হায়দারের মতো অন্যরাও বিকাশের হিসাব খোলার সিদ্ধান্ত নিলেন। এতে তারাও দ্রুত ও নিরাপদে এরূপ আর্থিক লেনদেন সম্পাদন করতে পারবেন। সুতরাং বলা যায়, হায়দারের বাবার বিকাশে টাকা পাঠানো যৌক্তিক হয়েছে।
মমমপ্রশ্ন৩ মি. বুলবুল একজন ইউনিয়ন পর্যায়ের ইলেকট্রনিক ব্যবসায়ী। তিনি টিভি, ফ্রিজ, মোবাইল ফোন, ওয়াশিং মেশিন ইত্যাদি বিক্রি করেন। কিছুদিন যাবত তিনি লক্ষ করলেন যে, তার শোরুমের বিক্রয় দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে তিনি খুব হতাশ। তিনি ঐ অঞ্চলের ক্রেতাদের আধুনিক প্রযুক্তির জ্ঞান সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ ও যাচাই না করে ইন্টারনেটে ও ফেসবুকে তার প্রতিষ্ঠানের বিক্রীত পণ্যের বিজ্ঞাপন দেন। কিন্তু তারপরেও তার প্রতিষ্ঠানের বিক্রি বৃদ্ধি পায়নি।
[কু. বো. ১৭]
অ ক. ই-মেইল কী? ১
অ খ. পুনঃরপ্তানি বলতে কী বোঝায়? ২
অ গ. উদ্দীপকে মি. বুলবুল ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে যোগাযোগের কোন মাধ্যমটি ব্যবহার করেছেন? ব্যাখ্যা করো। ৩
অ ঘ. মি. বুলবুলের ব্যবসায়ের অবস্থার পরিবর্তন না হওয়ার মূল কারণ বিশ্লেষণ করো। ৪
৩ নং প্রশ্নের উত্তর অ
ক ই-মেইল (ঊষবপঃৎড়হরপ গধরষ) বলতে ইন্টারনেটের মাধ্যমে এক কম্পিউটার থেকে অন্য কোনো কম্পিউটারে কোনো তথ্য আদান-প্রদানকে বোঝায়।
খ বিদেশ থেকে পণ্যসামগ্রী আমদানি করে তা পুনরায় অন্য দেশে রপ্তানি করা হলে তাকে পুনঃরপ্তানি বলে।
পণ্য আমদানি করার পর প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে পণ্যের গুণগত মান বা আকার পরিবর্তন করে তা পুনরায় অন্য কোনো দেশে রপ্তানি করা করা যায়। উৎপাদনকারী দেশের সাথে আমদানিকারক দেশের সরাসরি ব্যবসায়িক সম্পর্ক না থাকলে সেক্ষেত্রে এ ধরনের ব্যবসায় গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়।
গ উদ্দীপকের মি. বুলবুল ব্যবসায়ের যোগাযোগের ক্ষেত্রে শাব্দিক যোগাযোগ মাধ্যমটি ব্যবহার করেছেন।
শাব্দিক যোগাযোগ হলো মৌখিক বা লিখিত শব্দ ব্যবহার করে সংবাদ বা তথ্য যোগাযোগভুক্ত পক্ষসমূহের মধ্যে বিনিময় করা। যোগাযোগের ক্ষেত্রে শাব্দিক যোগাযোগই মুখ্য। প্রতিষ্ঠানের ভেতরে ও বাইরে প্রতিদিন বিভিন্ন পক্ষের সাথে এ মাধ্যমে যোগাযোগ করা হয়।
উদ্দীপকের মি. বুলবুল একজন ইলেকট্রনিক ব্যবসায়ী। কিছুদিন যাবত তার শো-রুমের বিক্রয় হ্রাস পাওয়ায় তিনি চিন্তিত। তিনি ঐ অঞ্চলের ক্রেতাদের জন্য ইন্টারনেটে ও ফেসবুকে তার প্রতিষ্ঠানের বিক্রিত পণ্যের বিজ্ঞাপন দেন। এক্ষেত্রে তিনি এরূপ যোগাযোগে শব্দ অর্থপূর্ণভাবে লিখে উপস্থাপন ও প্রকাশ করেন। চিঠি, ই-মেইল, খুদে বার্তা প্রভৃতিও এভাবে উপস্থাপন করা হয়, যা মূলত লিখিত যোগাযোগের পর্যায়ে পড়ে। আর এ লিখিত যোগাযোগ শব্দের মাধ্যমেই প্রকাশ করা হয়। সুতরাং বলা যায়, মি. বুলবুল এ শাব্দিক যোগাযোগ মাধ্যমটিই ব্যবহার করেছেন।
ঘ উদ্দীপকের মি. বুলবুলের ব্যবসায়ের অবস্থার পরিবর্তন না হওয়ার মূল কারণ হলো ক্রেতাদের আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানের অভাব।
প্রতিটি ব্যবসায়ীদের কাছে যোগাযোগ বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন প্রতিষ্ঠানের ভেতরে ও বাইরে অসংখ্য ক্রেতা ও বিক্রেতা বা সরবরাহকারীদের সাথে তাদের যোগাযোগ করতে হয়। এজন্য উত্তম যোগাযোগ মাধ্যম নির্বাচন করা খুবই জরুরি।
উদ্দীপকের ইলেকট্রনিক ব্যবসায়ী মি. বুলবুল লক্ষ করেন তার শো-রুমের পণ্যের বিক্রয় দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। তিনি ঐ অঞ্চলের ক্রেতাদের আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ ও যাচাই না করেই ইন্টারনেটে ও ফেসবুকে প্রতিষ্ঠানের পণ্যের বিজ্ঞাপন দেন। কিন্তু তারপরও বিক্রি বৃদ্ধি পায়নি।
ব্যবসায়ী হিসেবে মি. বুলবুলের উচিত ছিল বিজ্ঞাপন প্রদানের পূর্বে ক্রেতাদের প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা। সব ধরনের ক্রেতা ইন্টারনেট ও ফেসবুক ব্যবহার করেন না। তাই তার প্রচারিত বিজ্ঞাপন সবার নজরে আসেনি। ক্রেতারা আধুনিক প্রযুক্তি সম্পর্কে অজ্ঞ ছিলেন। তাই তার পণ্য সম্পর্কে ক্রেতা ধারণা পাননি। যার ফলে বিক্রয় পূর্বের তুলনায় বৃদ্ধি পায়নি। তাই বলা যায়, ক্রেতাদের জন্য সঠিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার না করায় তার ব্যবসায়ের অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি।
মমমপ্রশ্ন৪ জনাব আজাদ সাংগু ব্যাংক, ঢাকা শাখায় একটি হিসাব খুলেছেন। তিনি উক্ত হিসাবে লেনদেনের সময় কাগুজে ডকুমেন্ট যেমন: রশিদ, চেক ব্যবহার করেন। তার হিসাবে সবসময় পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ জমা থাকে। অন্যদিকে জনাব মজিদ কুশিয়ারা ব্যাংক রংপুর শাখায় একটি হিসাব খোলেন। তিনি ব্যাংক লেনদেনে কোনো কাগুজে ডকুমেন্ট ব্যবহার করেন না। তারা দুজনই সপরিবারে কক্সবাজারে বেড়াতে গেলেন যেখানে দুটি ব্যাংকেরই শাখা আছে। দুজনই সংশ্লিষ্ট ব্যাংক শাখায় টাকা উত্তোলন করতে গেলেন। মজিদ যথাযথভাবে উত্তোলনে সমর্থন হন। আজাদ যথাযথ নিয়ম মেনে চেক উপস্থাপন করলেও অন্য শাখার চেক হওয়ায় ব্যাংক তাকে প্রয়োজনীয় সেবা প্রদানে ব্যর্থ হয়। [সি. বো. ১৭]
অ ক. ই২ঈ কী? ১
অ খ. প্রতিবন্ধ অংশীদার বলতে কী বোঝায়? ২
অ গ. উদ্দীপকে কুশিয়ারা ব্যাংক কোন ধরনের ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে? প্রযুক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা করো। ৩
অ ঘ. উদ্দীপকে সাংগু ব্যাংকের সেবা প্রদানের ব্যর্থতা দূরীকরণে করণীয় কী? যুক্তিসহ মতামত দাও। ৪
৪ নং প্রশ্নের উত্তর অ
ক ই২ঈ-এর পূর্ণরূপ হলো ইঁংরহবংং ঃড় ঈড়হংঁসবৎ. ই-বিজনেসের ই২ঈ মডেল হচ্ছে যেখানে ব্যবসায়ীরা সরাসরি ভোক্তার নিকট পণ্য বা সেবা বিক্রয় করেন।
খ ব্যবসায়ের অংশীদারগণ কোনো ব্যক্তিকে যদি অংশীদার হিসেবে পরিচয় দেয় এবং সে ব্যক্তি তা জেনেও মৌনতা অবলম্বন করে তাহলে তাকে প্রতিবন্ধ অংশীদার বলে।
অংশীদারি ব্যবসায়ে সৃষ্ট দায় এ ধরনের অংশীদারকেও অন্য সাধারণ অংশীদারের মতো বহন করতে হয়। অর্থাৎ, ব্যবসায়িক কোনো সুবিধা না পেলেও তার কারণে কেউ উক্ত ব্যবসায়ের সাথে আবদ্ধ হলে সে জন্য সৃষ্ট দায়ে সে দায়বদ্ধ হবে।
গ উদ্দীপকের কুশিয়ারা ব্যাংক ই-ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে।
ই-ব্যাংকিং পদ্ধতি হলো ব্যাংকিং সেবা সুবিধা প্রদানের আধুনিক পদ্ধতি। এটি এমন এক ধরনের ব্যাংকিং সেবা পদ্ধতি যেখানে ইন্টারনেট এবং কম্পিউটার প্রযুক্তির ব্যবহার করে অতিদ্রুত ও নির্ভুলভাবে ব্যাংকিং সেবা প্রদান করা হয়।
উদ্দীপকের জনাব মজিদ কুশিয়ারা ব্যাংক, রংপুর শাখায় একটি হিসাব খোলেন। তিনি তার ব্যাংকিং লেনদেন সম্পাদন করার জন্য কোনো ধরনের কাগজের ডকুমেন্ট ব্যবহার করেন না। তিনি রংপুর থেকে কক্সবাজার বেড়াতে গেলে ব্যাংক থেকে খুব সহজেই টাকা উত্তোলন করলেন। এজন্য কোনো কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়নি। এসব বৈশিষ্ট্য ই-ব্যাংকিং কার্যক্রমের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।। তাই বলা যায়, জনাব মজিদকে কুশিয়ারা ব্যাংক ই-ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে।
ঘ উদ্দীপকে সাংগু ব্যাংকের সেবা প্রদানের ব্যর্থতা দূর করার জন্য ই-ব্যাংকিং সেবা পদ্ধতি চালু করা প্রয়োজন।
ই-ব্যাংকিং হলো ইলেকট্রনিক ব্যাংকিং পদ্ধতি। এটি এমন এক ধরনের ব্যাংকিং সেবা পদ্ধতি যেখানে ইন্টারনেট এবং কম্পিউটার প্রযুক্তির ব্যবহার করে অতিদ্রুত ও নির্ভুলভাবে ব্যাংকিং সেবা প্রদান করা হয়।
উদ্দীপকের জনাব আজাদ সাংগু ব্যাংক, ঢাকা শাখায় একটি হিসাব খোলেন। ব্যাংকটি তাদের সব কার্যক্রম কাগজে ডকুমেন্ট যেমন: রশিদ, চেক ইত্যাদির মাধ্যমে সম্পন্ন করেন। অর্থাৎ ব্যাংকিং সব কার্যক্রম ম্যানুয়েল পদ্ধতিতে সম্পন্ন হয়। তাই জনাব আজাদ কক্সবাজার গিয়ে টাকা উত্তোলনের জন্য ব্যাংকে গেলে ব্যাংক তাকে অর্থ দিতে অপারগতা জানায়।
ইলেকট্রনিক ব্যাংকিং পদ্ধতির মাধ্যমে এক শাখায় হিসাব খুলে দেশের সর্বত্রই টাকা জমা ও উত্তোলন করা যায়। এতে ব্যাংকের গ্রাহকদের বিড়ম্বনার সম্মুখীন হতে হয় না। সাংগু ব্যাংকটি তাদের সব কার্যক্রম ম্যানুয়েল পদ্ধতিতে করায় জনাব আজাদ ঢাকায় হিসাব খুলে কক্সবাজার গিয়ে টাকা তুলতে ব্যর্থ হন। যদি সাংগু ব্যাংকটির কার্যক্রম ই-ব্যাংকিং পদ্ধতিতে হতো তাহলে জনাব মজিদের মতো তিনিও কক্সবাজার গিয়ে টাকা তুলতে পারতেন। তাই আমি মনে করি, সাংগু ব্যাংকের ব্যর্থতা দূর করার জন্য ব্যাংকটির সব কার্যক্রম ই-ব্যাংকিং পদ্ধতিতে হওয়া উচিত।
মমমপ্রশ্ন৫ মিসেস সাহানা একজন ব্যাংকার। তাকে অফিসে ৫টা পর্যন্ত কাজ করতে হয়। অধিকন্তু তিন রাস্তার ট্রাফিক জ্যাম, লম্বা লাইন, এ দোকান সে দোকান ঘোরার ভয়ে ভীত। তাই তিনি এবারের ঈদে ঘরে বসেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে পোশাক কেনাকাটার কাজ সেরে নিলেন।
[ব. বো. ১৭]
অ ক. ই-ব্যাংকিং কী? ১
অ খ. মোবাইল ব্যাংকিং গুরুত্বপূর্ণ কেন? ২
অ গ. উদ্দীপকে অনলাইন ব্যবসায়ের কোন ক্ষেত্রটির বর্ণনা আছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
অ ঘ. ব্যবসায়ে আই.সি.টি ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা উদ্দীপকের আলোকে ব্যাখ্যা করো। ৪
৫ নং প্রশ্নের উত্তর অ
ক ইন্টারনেট প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যাংক আমানত গ্রহণ, ঋণ প্রদান, অর্থ স্থানান্তর ও বিনিময়, বিনিয়োগ, উত্তোলন, বিল পরিশোধ প্রভৃতি ব্যাংকিং কার্যাবলি সম্পাদন করাকে ই-ব্যাংকিং বলে।
খ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা, তথ্য সংগ্রহ ও প্রদান এবং লেনদেন করাকেই মোবাইল ব্যাংকিং বলে।
মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ব্যাংকের আর্থিক ও হিসাব সংক্রান্ত তথ্য গ্রাহক ঘরে বসেই যেকোনো সময় সংগ্রহ করতে পারেন । এ পদ্ধতিতে দ্রুত লেনদেন কার্যক্রম করা যায়, যা গ্রাহকের সময় ও শ্রম উভয়ই হ্রাস করে। এজন্য মোবাইল ব্যাংকিং গুরুত্বপূর্ণ।
গ উদ্দীপকে অনলাইন ব্যবসায়ের ‘অনলাইন শপিং’ ক্ষেত্রটির বর্ণনা আছে।
অনলাইন শপিং পদ্ধতিতে খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান থেকে অনলাইনে পণ্য ক্রয় করা হয়। এরূপ প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে পণ্যের ক্যাটালগ দেওয়া থাকে। ক্রেতা তার চাহিদা অনুযায়ী পণ্য ও পরিমাণ অনলাইনে বিক্রেতাকে জানান। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই ক্রেতা ঘরে বসেই পণ্য পেয়ে যান।
উদ্দীপকের মিসেস সাহানা ট্রাফিক জ্যাম, লম্বা লাইন, এ দোকান, সে দোকান ঘোরার ভয়ে ভীত। তাই তিনি ঈদে ঘরে বসেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে পোশাক কেনাকাটার কাজ সেরে নিলেন। সাহানা ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে পণ্য অর্ডার করেছেন। তার চাহিদা অনুযায়ী পণ্য বিক্রেতা নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছে দেয়। এক্ষেত্রে পণ্যমূল্য প্রদানের সময় তাকে অতিরিক্ত চার্জ দিতে হয়েছে। বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী এসব কার্যক্রম অনলাইন শপিং ব্যবসায়ের আওতায় পড়ে। এজন্যই বলা যায়, উদ্দীপকে অনলাইন শপিং ক্ষেত্রটির বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।
ঘ ব্যবসায়ে সাফল্য আনয়নে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবস্থায় ইন্টারনেট প্রযুক্তির সাহায্যে তথ্যের দ্রুত আদান-প্রদান ও যোগাযোগ স্থাপন করা হয়।
উদ্দীপকের মিসেস সাহানা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে যে অনলাইনে শপিং করেছেন তা বর্তমানে ব্যবসায়ীদের বিক্রয় বৃদ্ধি করছে। এ ব্যবস্থার মাধ্যমে অধিক পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের ফলে গ্রাহকদের প্রয়োজন পূরণের জন্য পণ্যের উৎপাদনশীলতা বাড়ে। এতে গ্রাহকরা কম পরিশ্রমে ঘরে বসেই পণ্য পেয়ে যাচ্ছেন বলে এ ব্যবস্থা জনপ্রিয় হচ্ছে।
এছাড়া তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবস্থায় ব্যবসায়ীরা কম খরচে ব্যবসায় সম্প্রসারণ করতে পারেন। ব্যবসায়ীরা স্বাধীনভাবে এ ব্যবস্থায় ব্যবসায় করার সুবিধা পান। ব্যবসায়িক যোগাযোগ ও আর্থিক লেনদেনে এ ব্যবস্থা খুব দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করা যায়। বর্তমানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবস্থা ব্যবসায়ীদের আরও আধুনিক ও উন্নত পণ্য উৎপাদন ও বিপণনে সহায়তা করছে। সুতরাং বলা যায়, ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবস্থা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

মমমপ্রশ্ন৬ জনাব ফাহিম আলফা ব্যাংকের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা। আলফা ব্যাংক লেজার বুকের পরিবর্তে কম্পিউটারে গ্রাহকদের হিসাব সংরক্ষণ করে। তথ্য আদান-প্রদানে চিঠির পরিবর্তে ই-মেইল, মোবাইল ফোন ইত্যাদি প্রযুক্তি ব্যবহার করে। গ্রাহকগণ ব্যাংকে না গিয়ে চেক ছাড়াই মুহূর্তে কার্ড ব্যবহার করে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা টাকা তুলতে পারেন। [ঢা. বো., সি. বো. ১৬]
অ ক. তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি কী? ১
অ খ. মোবাইল ব্যাংকিং বলতে কী বোঝায়? ২
অ গ. আলফা ব্যাংকে কোন ধরনের ব্যাংকিং পদ্ধতি চালু আছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
অ ঘ. ‘তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার আর্থিক লেনদেনকে সহজতর করে দিয়েছে’Ñ উদ্দীপকের আলোকে বিশ্লেষণ করো। ৪
৬ নং প্রশ্নের উত্তর অ
মক উপাত্ত সংগ্রহ, পরিবর্তন, প্রক্রিয়াকরণ ইত্যাদির সাথে ইন্টারনেট প্রযুক্তির সাহায্য তথ্যের দ্রুত আদান-প্রদান ও যোগাযোগ স্থাপনের প্রযুক্তিই হলো ওঈঞ বা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি।
মখ মোবাইল ফোন প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে গ্রাহককে ব্যাংকিং ও আর্থিক সেবা তথা অর্থ জমাদান, উত্তোলন, মূল্য ও বিল পরিশোধ, বেতন-ভাতা প্রদান ইত্যাদি কার্যক্রম পরিচালনার সুবিধা প্রদান করাই মোবাইল ব্যাংকিং।
মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে স্বল্প খরচে দক্ষতার সঙ্গে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ব্যাংকিং ও আর্থিক সেবা প্রদান করা হয়। এক্ষেত্রে মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে অ্যাকাউন্ট বা হিসাব খুলে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা বা সেবা নেওয়া হয়।
মগ উদ্দীপকে আলফা ব্যাংকে ই-ব্যাংকিং পদ্ধতি চালু আছে।
আধুনিক ইলেকট্রনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে অতি দ্রুত, নির্ভুল ও বিস্তৃত কার্য পরিচালনায় সক্ষম ব্যাংক ব্যবস্থাই হলো ই-ব্যাংকিং। এতে স্বয়ংক্রিয় গণনা যন্ত্র, অনলাইন ব্যাংকিং, হোম ব্যাংকিং ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়।
জনাব ফাহিম আলফা ব্যাংকের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা। আলফা ব্যাংক লেজার বুকের পরিবর্তে কম্পিউটারে গ্রাহকদের হিসাব সংরক্ষণ করে। তথ্য আদান-প্রদানে চিঠির পরিবর্তে ই-মেইল, মোবাইল ফোন ইত্যাদি প্রযুক্তি ব্যবহার করে। অর্থাৎ স্বয়ংক্রিয় গণনা যন্ত্র দ্বারা আলফা ব্যাংক গ্রাহকদের সেবা দিয়ে থাকে। প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকদের ডেবিট কার্ড ব্যবহারের সুবিধাও দিয়ে থাকে। ফলে গ্রাহকরা যেকোনো সময় টাকা উত্তোলন করতে পারে। অর্থাৎ আলফা ব্যাংকের সব ধরনের কার্যক্রম সম্পাদনে ইন্টারনেট প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। তাই বলা যায়, আলফা ব্যাংক ই-ব্যাংকিং সেবা প্রদানের মাধ্যমে গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করছে।
মঘ ‘তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার আর্থিক লেনদেনকে সহজতর করে দিয়েছে’ কথাটি অধিক যুক্তিযুক্ত।
তথ্য সংগ্রহ, প্রক্রিয়াকরণ, সংরক্ষণ ও বিতরণ সংশ্লিষ্ট আধুনিক কম্পিউটারাইজড ব্যবস্থাকে তথ্য প্রযুক্তি বলে। এতে কম্পিউটার, ইন্টারনেট ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়। ফলে তথ্যের দ্রুত প্রেরণ ও কাজের গতি বৃদ্ধি পায়।
আলফা ব্যাংক লেজার বুকের পরিবর্তে কম্পিউটারে হিসাব সংরক্ষণ করে। ব্যাংকটি তথ্য আদান-প্রদানে ই-মেইল, মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। এছাড়া গ্রাহকদের ২৪ ঘণ্টা টাকা উত্তোলনের সুযোগ প্রদান করে।
আলফা ব্যাংকটি তার যাবতীয় ব্যাংকিং কাজে তথ্য প্রযুক্তির সমন্বয় করেছে। ই-মেইল, মোবাইল ব্যবহারে তথ্য দ্রুত প্রেরণ করা যায়। এতে গ্রাহকরাও সন্তুষ্ট থাকে। যেকোনো সময় অর্থ উত্তোলনের সুযোগ থাকায় গ্রাহকদের লেনদেন করতেও সুবিধা হয়, যা তথ্যপ্রযুক্তির কারণে ঘটেছে। পরিশেষে বলা যায়, তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার আর্থিক লেনদেনকে সহজতর করে দিয়েছে।

মমমপ্রশ্ন৭ ফাহিম একজন উচ্চপদস্থ সরকারি চাকরিজীবী। দীর্ঘদিন কর্ণফুলী ব্যাংকের সাথে সুনামের সাথে লেনদেন করে আসছেন। ব্যাংক তাকে এমন এক ধরনের কার্ড সরবরাহ করে যাতে সে তার জমাকৃত অর্থের অতিরিক্ত ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারে। ১ মার্চ, ২০১৬ তারিখে দোকানে কার্ড ব্যবহার করে পণ্য ক্রয় করতে চাইলে দোকানদার তাকে জানায় পণ্যমূল্য ১ লক্ষ টাকা। তাকে ৫,০০০ টাকা নগদ পরিশোধ করতে হবে। [কু. বো. ১৬]
অ ক. ওঈঞ কী? ১
অ খ. ই-মার্কেটিং বলতে কী বোঝায়? ২
অ গ. উদ্দীপকে উলি­খিত কার্ডটির ধরন কী? ব্যাখ্যা করো। ৩
অ ঘ. ১ মার্চ, ২০১৬ তারিখে তার জমার স্থিতি কত ছিল? ব্যাখ্যা দাও। ৪
৭ নং প্রশ্নের উত্তর অ
মক উপাত্ত সংগ্রহ, পরিবর্তন, প্রক্রিয়াকরণ ইত্যাদির সাথে ইন্টারনেট প্রযুক্তির সাহায্যে তথ্যের দ্রুত আদান-প্রদান ও যোগাযোগ স্থাপনের প্রযুক্তিই হলো ওঈঞ বা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি।
মখ ইন্টারনেট নির্ভর প্রযুক্তির মাধ্যমে পণ্য বা সেবার বাজারজাতকরণ এবং ক্রেতার সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলাই হচ্ছে ই-মার্কেটিং।
ই-মার্কেটিং অনলাইন ব্যবসায়ের একটি শাখা। এটি নতুন বাজার সৃষ্টি করে পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি করে। এছাড়া পণ্যের ব্র্যান্ড ভ্যালুও সৃষ্টি করে। এটি বর্তমানে অধিক জনপ্রিয়।
মগ উদ্দীপকে উলি­খিত কার্ডটি হলো ক্রেডিট কার্ড।
ঋণ সুবিধা সম্বলিত চুম্বকীয় শক্তিসম্পন্ন যে প্লাস্টিক কার্ড ব্যাংক তার গ্রাহকদের অর্থ উত্তোলন ও ফান্ড স্থানান্তরের জন্য সরবরাহ করে তাই হলো ক্রেডিট কার্ড। নির্দিষ্ট মার্চেন্ট প্রতিষ্ঠান থেকে পণ্য ও সেবা ক্রয়ে ক্রেডিট কার্ড বহুল ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক সেবা পদ্ধতি।
ফাহিমকে ব্যাংক এমন এক ধরনের কার্ড সরবরাহ করেছে যাতে সে তার জমাকৃত অর্থের অতিরিক্ত ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত উত্তোলন করতে পারে। অর্থাৎ, ফাহিমের কার্ডটি ঋণ সুবিধা সম্বলিত। ক্রেডিট কার্ডের ক্ষেত্রে ক্রেডিট লিমিট বা ঋণ সুবিধার পরিমাণ নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়, যা ফাহিমের কার্ডেও করা আছে। তাই বলা যায়, ফাহিমের ব্যবহৃত আধুনিক কার্ডটিতে ক্রেডিট কার্ডের বৈশিষ্ট্য প্রতিফলিত হয়।
মঘ ১ মার্চ, ২০১৬ তারিখে ফাহিমের জমার স্থিতির পরিমাণ জানার জন্য ক্রেডিট কার্ডের নিট পরিমাণ বের করতে হবে।
ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে গ্রাহককে ক্রেডিট বা ঋণ সুবিধা প্রদান করা হয় বলে তা ক্রেডিট কার্ড নামে পরিচিত। এ কার্ডের মাধ্যমে গ্রাহক কত টাকা ঋণ সুবিধা নিতে পারবে তার পরিমাণ নির্দিষ্ট করে দেওয়া থাকে।
উদ্দীপকের ফাহিমকে তার ব্যাংক এমন এক ধরনের কার্ড সরবরাহ করেছে যাতে সে তার জমাকৃত অর্থের অতিরিক্ত ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারে। ১ মার্চ, ২০১৬ তারিখে দোকানে এ কার্ড ব্যবহার করে ১ লক্ষ টাকার পণ্য ক্রয় করতে গেলে দোকানদার তাকে জানায় ৫,০০০ টাকা নগদ পরিশোধ করতে হবে। ফাহিমকে তার ৫০,০০০ টাকা ঋণ সুবিধা গ্রহণের পরেও ৫,০০০ টাকা নগদ প্রদান করতে হবে। অর্থাৎ তার জমার স্থিতি ছিলÑ
১,০০,০০০  (৫০,০০০ + ৫,০০০)
 (১,০০, ০০০ – ৫৫,০০০)
বা ৪৫,০০০ টাকা।
অতএব, ১ মার্চ ২০১৬ তারিখে ফাহিমের জমার স্থিতি ছিল ৪৫,০০০ টাকা।

মমমপ্রশ্ন৮ মনোয়ারা ঢাকা ঊচত-এর একটি কারখানায় কাজ করে। মনোয়ারার গ্রামে ব্যাংক ও পোস্ট অফিস না থাকায় বাড়িতে বেতনের টাকা পাঠানো কষ্ট হয়ে পড়ে। অথচ তার সহকর্মী সুমি মনোয়ারার ঊচত-এর পাশে একটি ব্যাংকের অনুমোদিত বুথ থেকে কার্ডের মাধ্যমে মুহূর্তে তার একাউন্ট থেকে বেতনের টাকা তুলতে পারে। সম্প্রতি মনোয়ারার গ্রামটি মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় এসেছে। এতে মনোয়ারা তার সমস্যা সমাধানে আশাবাদী। [চ. বো. ১৬]
অ ক. ই-কমার্স কী? ১
অ খ. ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ পদ্ধতির গুরুত্ব ব্যাখ্যা করো। ২
অ গ. সুমির ব্যবহৃত কার্ডটির ধরন ব্যাখ্যা করো। ৩
অ ঘ. তুমি কি মনে করো মনোয়ারার গ্রামে সম্প্রসারিত মোবাইল নেটওয়ার্কের সাহায্যে তার সমস্যার সমাধান সম্ভব? যুক্তিসহ মতামত দাও। ৪
৮ নং প্রশ্নের উত্তর অ
মক ইন্টারনেট প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নিকট পণ্যদ্রব্য বা সেবাকর্ম ক্রয়-বিক্রয় বা লেনদেন করাকে ই-কমার্স বলে।
মখ উপাত্ত সংগ্রহ, প্রক্রিয়াকরণ, সংরক্ষণ, পরিবর্তন, পরিবর্ধন ইত্যাদির পাশাপাশি ইন্টারনেট প্রযুক্তির সাহায্যে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বলে।
ব্যবসায়ের সার্বিক ক্ষেত্রেই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। উন্নত যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে অতিদ্রুত প্রয়োজনীয় তথ্য গ্রাহকদের পাঠানো সম্ভব হচ্ছে। এতে যোগাযোগ ব্যয় হ্রাস পাচ্ছে, কাজের গতি ও দক্ষতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ব্যবসায়ের নিত্যনৈমিত্তিক আধুনিকায়নে এ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে।
মগ সুমির ব্যবহৃত কার্ডটির নাম ডেবিট কার্ড।
কোনো ব্যাংক তার গ্রাহককে ইলেকট্রনিক উপায়ে অর্থ উত্তোলনের জন্য ব্যবহার করতে ক্রেডিটকার্ড সরবরাহ করে। গ্রাহকদের এ কার্ডের দ্বারা জমাকৃত অর্থের সমপরিমাণ টাকা উত্তোলন করার ক্ষমতা প্রদান করা হয়।
সুমি ঊচত-এর একটি কারখানায় কাজ করে। সে ঊচত-এর পাশে একটি ব্যাংকের অনুমোদিত বুথ থেকে কার্ডের মাধ্যমে মুহূর্তে তার একাউন্ট থেকে বেতনের টাকা তুলতে পারে। জমাকৃত টাকার সমপরিমাণ টাকা তোলার অনুমতি প্রদান করা হয় এরূপ কার্ড ব্যবহারকারীদের। সুমি এ কার্ডের মাধ্যমে তার বেতনের টাকা উত্তোলন করে। নিরাপদে অর্থ প্রদানের জন্য ব্যাংক গ্রাহকদের এরূপ সেবা প্রদান করে থাকে। সুমি নগদ লেনদেনের বিপরীতে এরূপ কার্ড ব্যবহার করছেন।
মঘ আমি মনে করি মনোয়ারার গ্রামে সম্প্রসারিত মোবাইল নেটওয়ার্কের সাহায্যে মোবাইল ব্যাংকিং-এর মাধ্যমে তার সমস্যার সমাধান সম্ভব।
মোবাইল ব্যাংকিং এমন একটি শাখাবিহীন ব্যাংকিং ব্যবস্থা, যেখানে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ব্যাংকে হিসাব নেই এমন ব্যক্তিবর্গের মধ্যে স্বল্প ব্যয়ে আর্থিক সেবা প্রদান করা হয়। মোবাইল ব্যাংকিং-এর মাধ্যমে নগদ অর্থ জমা দান, নগদ অর্থ উত্তোলন, পরিশোধ, এক হিসাব হতে অন্য হিসাবে অর্থ স্থানান্তর করা যায়।
মনোয়ারা ঢাকা ঊচত-এর একটি কারখানায় কাজ করে। মনোয়ারার গ্রামে ব্যাংক ও পোস্ট অফিস না থাকায় বাড়িতে বেতনের টাকা পাঠানো কষ্ট হয়ে পড়ে। সম্প্রতি মনোয়ারার গ্রামটি মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় এসেছে। মনোয়ারা তার সমস্যা সমাধানে মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করতে পারবে।
মোবাইল ব্যাংকিং-এর জন্য মনোয়ারাকে প্রথমে মোবাইল ব্যাংক হিসাব খুলতে হবে। এর মাধ্যমে সে বেতনের টাকা গ্রামে পাঠাতে পারবে। গ্রামে অন্য মোবাইলের ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে তার আÍীয়-স্বজন টাকা উত্তোলন করতে পারবে। সুতরাং, মোবাইল ব্যাংকিং-এর মাধ্যমে মনোয়ারা তার সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম হবে।

মমমপ্রশ্ন৯ হাফিজ লেখাপড়া শেষ করে রংপুরের সুপার মার্কেটে ‘রকমারি টি-শার্ট’ নামে একটি ব্যবসায় শুরু করে। সে টি-শার্ট বাজারজাতকরণের জন্য ফেসবুক ও বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দেয়। বিজ্ঞাপন দেখে ক্রেতারা যেকোনো সময় পছন্দানুসারে টি শার্ট সংগ্রহ করতে পারে। ফলে দেখা যায়, অন্য ব্যবসায়ীদের চেয়ে হাফিজের দোকানে ক্রেতা সমাগম বেশি ঘটে। [য. বো. ১৬]
অ ক. ডেবিট কার্ড কী? ১
অ খ. এম-কমার্স কোন ধরনের ব্যবসায়? ২
অ গ. হাফিজ কোন ধরনের বিপণন পদ্ধতি ব্যবহার করে? বর্ণনা করো। ৩
অ ঘ. তুমি কি মনে করো হাফিজ অন্যান্য ব্যবসায়ীদের চেয়ে বেশি সুবিধা ভোগ করে? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও। ৪
৯ নং প্রশ্নের উত্তর অ
মক যে প্লাস্টিক চৌম্বক ইলেকট্রনিক কার্ডের মাধ্যমে গ্রাহক গোপন নম্বর ব্যবহার করে নির্দিষ্ট বুথ থেকে জমাকৃত অর্থ উত্তোলন, স্থানান্তর বা পরিশোধ করে তাকে ডেবিট কার্ড বলে।
মখ এম-কমার্স এক ধরনের ই-কমার্স যেটি অনলাইন ব্যবসায়ের অন্তর্গত। এম-কমার্স অর্থ হলো মোবাইল কমার্স বা মোবাইলভিত্তিক বাণিজ্য ব্যবস্থা।
ই-কমার্স হচ্ছে ডিজিটাল ডেটা প্রসেসিং এবং ট্রান্সমিশনের মাধ্যমে ব্যবসায় সংক্রান্ত লেনদেন সম্পন্ন করা। মোবাইল ব্যবহার করে যখন এটি করা হয় তখন সেটি হয় এম-কমার্স। এম-কমার্স ব্যবহার করে ২৪/৭ ঘণ্টাব্যাপী অনলাইনে ব্যবসায়িক সেবা প্রদান করা হয়।
মগ উদ্দীপকের হাফিজ ই-রিটেইলিং বিপণন পদ্ধতি ব্যবহার করে।
অনলাইন বা ইন্টারনেট প্রযুক্তি ব্যবহার করে খুচরা পণ্য বিক্রয় করাই হলো ই-রিটেইলিং। এক্ষেত্রে ক্রেতা ইন্টারনেটে দোকানের ওয়েব সাইটে গিয়ে পণ্য ও মূল্যতালিকা সার্চ করে।
উদ্দীপকে হাফিজ লেখাপড়া শেষ করে ‘রকমারি টি-শার্ট’ নামে ব্যবসায় শুরু করে। সে ফেসবুক ও বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইটে টি-শার্টের বিজ্ঞাপন প্রদান করে। এক্ষেত্রে পণ্যের প্রচারে সে অনলাইন মাধ্যম ব্যবহার করে। ক্রেতারা অনলাইনেই টি-শার্ট ক্রয়ের আদেশ দিতে পারে। অর্থাৎ হাফিজের পণ্যের প্রচার এবং বিক্রয়ে ইলেকট্রনিক মাধ্যম ব্যবহার করা হচ্ছে। তিনি যেহেতু খুচরা বিপণন করেন সেহেতু তার বিপণন পদ্ধতিটি নিঃসন্দেহে ই-রিটেইলিং-এর অন্তর্ভুক্ত।
মঘ উদ্দীপকের হাফিজ অন্য ব্যবসায়ীদের চেয়ে বেশি সুবিধা ভোগ করে বলে আমি মনে করি।
আধুনিক বিপণন ব্যবস্থা হলো ই-রিটেইলিং। ই-রিটেইলিং ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের ক্ষেত্রে ব্যাপক সুবিধা নিশ্চিত করে।
উদ্দীপকে হাফিজ ই-রিটেইলিং-এর সাথে জড়িত। তিনি ‘রকমারি টি-শার্ট’ নামে অনলাইনে বিজ্ঞাপন প্রচার করেন। এতে দেশের যেকোনো মানুষ তার পণ্য সম্পর্কে জানতে পারে। বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে ওয়েব সাইটে তার টি-শার্ট দেখে যে কেউ অর্ডার করতে পারে যেটি অন্যান্য ব্যবাসায়ীদের ক্ষেত্রে অসম্ভব। ফেসবুকে স্বল্প খরচে হাফিজ পণ্যের প্রচার করে অন্য ব্যবসায়ীদের থেকে এগিয়ে থাকেন।
হাফিজ ই-রিটেইলিং-এর মাধ্যমে অধিক সংখ্যক ভোক্তাকে সন্তুষ্ট করতে পারেন। তিনি স্বল্প সময়ে পণ্যের অর্ডার গ্রহণ করে পণ্য সরবরাহ করতে পারেন। অনলাইনে বিজ্ঞাপন খরচ কম এবং বাজার সারা বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত। সুতরাং সময়, ব্যয়, বাজার প্রভৃতি বিবেচনায় হাফিজ অন্য ব্যবসায়ীদের চেয়ে বেশি সুবিধা ভোগ করে।

মমমপ্রশ্ন১০ সুমন ও কাজল দুই জন ব্যবসায়ী বন্ধু। তারা ঢ লি. ব্যাংকের গ্রাহক। ব্যাংকটির গ্রাহকরা যেকোনো শাখা হতে লেনদেন করতে পারে। সুমন ব্যাংকের এমন একটি কার্ড ব্যবহার করেন যার দ্বারা কেনাকাটা ও অঞগ বুথ হতে টাকা তোলা যায় নিজের জমানো টাকা পর্যন্ত। অন্যদিকে কাজল একটি কার্ড ব্যবহার করে যার দ্বারা সুমনের ন্যায় সুবিধা পায় এবং জমাতিরিক্ত অর্থ উত্তোলন করতে পারে।
[ব. বো. ১৬]
অ ক. ই-বিজনেস কী? ১
অ খ. তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি কেন প্রয়োজন? ব্যাখ্যা করো। ২
অ গ. ঢ লি. ব্যাংকটি গ্রাহকদের কোন ধরনের সুবিধা দেয়? ব্যাখ্যা করো। ৩
অ ঘ. সুমন ও কাজলের ব্যবহৃত কার্ড দুটির মধ্যে ব্যাংকের দৃষ্টিকোণ হতে কোনটি ভালো? মূল্যায়ন করো। ৪
১০ নং প্রশ্নের উত্তর অ
মক ইন্টারনেট প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে পণ্যদ্রব্য বা সেবা উৎপাদন হতে শুরু করে চ‚ড়ান্ত ভোক্তার নিকট পৌঁছানো পর্যন্ত তথ্য আদান-প্রদান, ক্রয়-বিক্রয়, মার্কেটিং প্রভৃতি যাবতীয় কার্যাবলির সমষ্টিকে ই-বিজনেস বলে।
মখ কম্পিউটারাইজড ব্যবস্থার মাধ্যমে দুই বা ততোধিক ব্যক্তির মধ্যে তথ্য আদান-প্রদানকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বলে।
ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে দ্রুত তথ্য বিনিময় সহজ হয়। এর মাধ্যমে কাজের গতি এবং কর্মীর দক্ষতা বৃদ্ধি পায়। এতে তথ্য হালনাগাদ করে সার্বক্ষণিক ক্রয়-বিক্রয় সম্ভব হয়। এভাবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবসায়ের সাফল্য লাভে সহায়তা করে।
মগ উদ্দীপকের ঢ লি. ব্যাংকটি গ্রাহকদের ই-ব্যাংকিং সুবিধা প্রদান করে।
ই-ব্যাংকিং হলো ইলেকট্রনিক উপায়ে ব্যাংকিং সেবা দান। এটি একটি প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক ব্যাংকিং ব্যবস্থা।
উদ্দীপকের ঢ লি. ব্যাংকটি একটি আধুনিক ব্যাংক। ব্যাংকটির গ্রাহকরা যেকোনো শাখায় লেনদেন করতে পারেন। ব্যাংকটির গ্রাহকেরা ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে এটিএম বুথ থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারে। ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড হলো ই-ব্যাংকিং পণ্য। সুতরাং আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ইলেকট্রনিক উপায়ে ঢ লি. ব্যাংকটি গ্রাহকদের যে ব্যাংকিং সুবিধা দিচ্ছে তা নিঃসন্দেহে ই-ব্যাংকিং।
মঘ উদ্দীপকের সুমন ও কাজলের ব্যবহৃত কার্ড দুটির মধ্যে ব্যাংকের দৃষ্টিকোণ থেকে ক্রেডিট কার্ডই সর্বোত্তম।
ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড হলো ই-ব্যাংকিং পণ্য। কার্ড দুটি ব্যবহার করে এটিএম বুথ থেকে টাকা উত্তোলন এবং লেনদেনের বিল পরিশোধ করা যায়।
উদ্দীপকের ঢ লি. ব্যাংকটি সুমনকে ডেবিট কার্ড সরবরাহ করেছে। তাই সুমনের ব্যাংক হিসাবে যতক্ষণ টাকা থাকে ততক্ষণ পর্যন্ত তিনি এটি ব্যবহার করে কেনাকাটা ও অঞগ বুথ হতে টাকা তুলতে পারেন। অন্যদিকে, উদ্দীপকে ঢ লি. কাজলকে ক্রেডিট কার্ড সরবরাহ করেছে। কারণ ব্যাংক হিসাবে টাকা না থাকলেও কাজল কার্ডটি ব্যবহার করে টাকা উত্তোলন ও বিল পরিশোধ করতে পারেন।
ব্যাংক একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান। ব্যাংকের মূল উদ্দেশ্য হলো মুনাফা অর্জন। ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে ব্যাংকের সুদ অর্জিত হয় না। কিন্তু ক্রেডিট কার্ড এক ধরনের ঋণ। ক্রেডিট কার্ডের বিপরীতে ব্যাংক চার্জ এবং সুদ আদায় করে। যত বেশি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার হবে তত বেশি ব্যাংকের আয় হবে। সুতরাং ঢ লি. ব্যাংকের জন্য ক্রেডিট কার্ডই সর্বোত্তম।

মমমপ্রশ্ন১১ অহনা তার ছেলের জš§দিনে কিছু উপহার দিতে চায়। কিন্তু সময় স্বল্পতার জন্য তিনি শপিং-এ যেতে পারছেন না। তিনি তার এক সহকর্মীর পরামর্শে ইন্টারনেটে ঙহষরহব ঝঃড়ৎব এ প্রবেশ করে তার ছেলের জন্য ঘড়ি দেখে এবং পছন্দ করে। ঘড়িটি ক্রয় করে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে মূল্য পরিশোধ করে। এতে তার ক্রয়ের কাজ সহজ হয়ে যায়।
[রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, ঢাকা]
অ ক. নারী উদ্যোক্তা কে? ১
অ খ. “ওঈঞ”-এর ব্যবহার ব্যাংকিং ব্যবসায় কে সহজতর করেছে”- ব্যাখ্যা করো। ২
অ গ. উদ্দীপকে ই-বিজনেসের কোন ক্ষেত্রটির উলে­খ আছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
অ ঘ. অহনার পণ্যের মূল্য পরিশোধ প্রণালি কিরূপ হতে পারে বলে তুমি মনে করো? ৪
১১ নং প্রশ্নের উত্তর
মক কোনো নারী একক মালিকানায় বা অংশীদারি ও কোম্পানির ক্ষেত্রে ৫১% শেয়ারের মালিক হলে তাকে নারী উদ্যোক্তা বলে। অ
মখ আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে যে ব্যাংকিং কার্যাবলি সম্পাদিত হয় তাকে ই-ব্যাংকিং বলে। অ
আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে ব্যাংকিং কাজ যেমন: আমানত গ্রহণ, চেক গ্রহণ, অর্থ উত্তোলন ইত্যাদি সহজ হয়েছে। এক্ষেত্রে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যাংকিং কাজ করা যায়। ব্যাংকের বিভিন্ন শাখার সাথে সেকেন্ডেই যোগাযোগ করা যায় ইত্যাদি কারণে বলা যায়, ওঈঞ এর ব্যবহার ব্যাংকিং ব্যবসায়কে সহজতর করেছে।
মগ উদ্দীপকে ই-বিজনেসের ব্যবসায় থেকে ভোক্তা (ইঁংরহবংং ঃড় পড়হংঁসবৎ ড়ৎ ই২ঈ) ক্ষেত্রটির উলে­খ আছে। অ
এটি ই-বিজনেসের একটা বিশেষ রূপ। এখানে কোনো মধ্যস্থ ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা ছাড়াই সরাসরি ইন্টারনেটের মাধ্যমে গ্রাহক পণ্য ক্রয় করতে পারে। এক্ষেত্রে ক্রেতা ইন্টারনেটের দোকানের ওয়াবসাইটে গিয়ে পণ্য ও মূল্য তালিকা থেকে পণ্য পছন্দ করে। অতঃপর অনলাইনে ফরমায়েশ দেয়। মূল্য পরিশোধের ক্ষেত্রে ইলেকট্রনিক পদ্ধতি ব্যবহার করেন।
উদ্দীপকের অহনা তার ছেলের জš§দিনে কিছু উপহার দিতে চায়। কিন্তু সময় স্বল্পতার জন্য তিনি শপিংয়ে যেতে পারছেন না। তিনি ইন্টারনেটে ঙহষরহব ংঃড়ৎব এ প্রবেশ করে তার ছেলের জন্য ঘড়ি দেখেন। ঘড়ি পছন্দ করে ক্রয় করেন। ঘড়ির মূল্য তিনি অনলাইনেই পরিশোধ করেন। তার এই কাজ ই-বিজনেসের ই২ঈ এর সাথে সম্পৃক্ত। সুতরাং উদ্দীপকেই-বিজনেসের ই২ঈ ক্ষেত্রটির উলে­খ আছে।
মঘ অহনা ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে মূল্য পরিশোধ করেন। অ
ডেবিট কার্ড ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক গ্রাহককে ইস্যুকৃত এক ধরনের প্লাস্টিক ‘কার্ড’। এটি নগদ অর্থ ও চেকের বিকল্প হিসেবে কাজ করে। গ্রাহক গোপন নাম্বার ব্যবহার করে টাকা পরিশোধ করে থাকে। টাকা উত্তোলনের ক্ষেত্রেও এ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।
উদ্দীপকের অহনা তার ছেলের জš§দিন উপহার দিতে চান। কিন্তু তিনি ব্যস্ততার জন্য সময় পাচ্ছেন না। তাই তিনি ঙহষরহব ংঃড়ৎব এ গিয়ে তার ছেলের জন্য ঘড়ি পছন্দ করেন। অনলাইনে ফরমায়েশ দেন। মূল্য পরিশোধের ক্ষেত্রে তিনি ডেবিট কার্ড ব্যবহার করেন।
ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে অহনা তার ক্রীত পণ্যের মূল্য পরিশোধ করেন। এক্ষেত্রে তার কার্ডে আগে টাকা জমা রাখতে হয়। ঐ টাকা গোপন নাম্বার ব্যবহার করে মূল্য পরিশোধ করেন। তিনি অনলাইনের ক্ষেত্রে বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানকে তার কার্ডের নাম্বার দেন। বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান ঐ নাম্বার ব্যবহার করে অনলাইনের মাধ্যমে পণ্যের মূল্য রেখে দেন। এতে সময় ও কাজ সহজ হয়।

মমমপ্রশ্ন১২ ঢণ কোম্পানি লি. একটি সাইকেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। তারা সাইকেলের বিভিন্ন পার্টস অন্য প্রতিষ্ঠান থেকে ক্রয় করে আনে। কোম্পানির ব্যবস্থাপক দেখলেন পার্টস শেষ হয়ে যাওয়ার আগে পুনরায় ক্রয় করতে না পারার কারণে উৎপাদন কিছু সময় থেমে থাকে। তাই তিনি এক্ষেত্রে একটি কম্পিউটার সফটওয়্যার ব্যবহার করলেন যেখানে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কখন কতটি পার্টস ব্যবহৃত হচ্ছে এ সংক্রান্ত তথ্য সংরক্ষিত হয়, যেন আগে থেকে পুনরায় ফরমায়েশ প্রদানের ব্যাপারে ব্যবস্থাপক সতর্ক হতে পারেন। [ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
অ ক. যোগাযোগ কী? ১
অ খ. উর্ধ্বগামী যোগাযোগ বলতে কী বুঝায়? ২
অ গ. উদ্দীপকে বর্ণিত কোম্পানিতে কোন ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
অ ঘ. উদ্দীপকের বর্ণিত কোম্পানির ব্যবসায় কি অনলাইন ব্যবসায়?- তোমার উত্তরের স্বপক্ষে যুক্তি দেখাও। ৪
১২ নং প্রশ্নের উত্তর
মক দুই বা ততোধিক ব্যক্তির মধ্যে তথ্য ও সংবাদ বিনিময় করা হলে তাকে যোগাযোগ বলে। অ
মখ প্রতিষ্ঠানের অধস্তন কর্মচারীগণ কোনো সংবাদ নিয়ে ঊর্ধ্বতনদের সাথে যোগাযোগ করলে তাকে ঊর্ধ্বগামী যোগাযোগ বলে। অ
পণ্য বাজার, প্রতিযোগীদের অবস্থা এসব তথ্য জানাতে নিæ পর্যায়ের কর্মীরা এ ধরনের যোগাযোগ করে থাকে। আবার ঊর্ধ্বতন নির্বাহীগণের পাঠানো সংবাদের উত্তর প্রদান, পরামর্শ প্রদানে এ যোগাযোগ করা হয়। এতে তথ্যের প্রবাহ ঊর্ধ্বমুখী হয়। মূলত নিæ পর্যায়ের কর্মচারীগণ উচ্চ পর্যায়ের সাথে যোগাযোগ করায় এটি উর্ধ্বগামী যোগাযোগ।
মগ উদ্দীপকে বর্ণিত কোম্পানিতে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। অ
কম্পিউটারের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ, প্রক্রিয়াকরণ ও সংরক্ষণই হলো তথ্য প্রযুক্তি। এক্ষেত্রে ডেটাবেজ তৈরি, সফটওয়্যার কেন্দ্রিক ইনপুট ও আউটপুট ব্যবস্থার মাধ্যমে তথ্যের উপস্থাপন করা যায়। এতে তথ্য সম্পর্কে সহজে ধারণা পাওয়া যায়। ফলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ সহজ হয়।
উদ্দীপকে ঢণ কোম্পানি লি. তাদের সাইকেলের বিভিন্ন পার্টস অন্য প্রতিষ্ঠান থেকে ক্রয় করে আনে। কোম্পানির ব্যবস্থাপক দেখলেন, পার্টস শেষ হওয়ার আগে পুনরায় ক্রয় করতে না পারলে উৎপাদন থেমে থাকে। পরবর্তীতে তিনি কম্পিউটার সফটওয়্যার ব্যবহার করেছেন। এতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্যবহৃত পার্টস সংক্রান্ত তথ্য সংরক্ষিত হচ্ছে। ফলে আগে থেকে পুনরায় ফরমায়েশ প্রদানের ব্যাপারে সতর্ক হতে পারছেন। সফটওয়্যার ভিত্তিক এ ধরনের ব্যবস্থার সাথে তথ্যপ্রযুক্তির মিল রয়েছে। সুতরাং বলা যায়, সফটওয়্যারের মাধ্যমে তথ্য সংরক্ষণে উদ্দীপকে বর্ণিত কোম্পানিতে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।
মঘ ইন্টারনেট প্রযুক্তি ব্যবহার না করায় উদ্দীপকে বর্ণিত কোম্পানি ব্যবসায় অনলাইন ব্যবসায় নয়। অ
অনলাইন ব্যবসায়ে ইন্টারনেট প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে ব্যবসায়িক কার্যাবলি সম্পাদন করা হয়। এক্ষেত্রে পণ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে ভোক্তার কাছে পণ্য পৌঁছে দেওয়া পর্যন্ত সব কাজ ইন্টারনেট প্রযুক্তিতে সম্পন্ন হয়। এছাড়া পণ্য উৎপাদনের আগে কাঁচামাল সরবরাহকারীকে অনলাইন মাধ্যমে ফরমায়েশ প্রদান করা হয়ে থাকে।
উদ্দীপকে ঢণ কোম্পানি লি. আগে থেকে ব্যবহৃত পার্টস সংক্রান্ত তথ্য জানতে না পারায় পুনরায় পার্টস ক্রয় করতে পারেনি। এতে উৎপাদন কিছু সময় বন্ধ থাকে। পরবর্তীতে কম্পিউটার সফটওয়্যার ব্যবহার পার্টস সংক্রান্ত তথ্য এখন স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংরক্ষিত হচ্ছে। এতে ব্যবস্থাপক পুনরায় ফরমায়েশ প্রদানে সতর্ক হতে পারছেন। ফরমায়েশ প্রদানে ঢণ কোম্পানি লি. ইন্টারনেট প্রযুক্তি ব্যবহার করেনি। কম্পিউটার সফটওয়্যারের মাধ্যমে তথ্য সংরক্ষণ করায় প্রতিষ্ঠানটি শুধু তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করছে। মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট, ওয়ারলেস নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ফরমায়েশ প্রদান করা হলে যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহারও হতো। পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠানটি অনলাইন ব্যবসায়ে পরিণত হতো। অতএব, ইন্টারনেট প্রযুক্তি ব্যবহার করে অনলাইনে ব্যবসায়িক কাজ সম্পাদন না করায় উদ্দীপকে বর্ণিত কোম্পানিটির ব্যবসায় অনলাইন ব্যবসায় নয়।

মমমপ্রশ্ন১৩ মি. শিহাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে আশানুরূপ চাকরি না পেয়ে ব্যবসায় করার সিদ্ধান্ত নিল। যেখানে তার কোন বিক্রয়কেন্দ্র থাকবে না। ওয়েবসাইট ও ফোন কলের মাধ্যমে সে খুচরা পণ্যের অর্ডার নিবে এবং তার বিক্রয় কর্মীরা ক্রেতাদের বাসায় পণ্যটি পৌঁছে দিবে। এতে একদিকে যেমন তার খরচ বাঁচবে অন্যদিকে ক্রেতাও ঘরে বসে তাদের পছন্দের পণ্যটি পাবে। [নটর ডেম কলেজ, ঢাকা]
অ ক. চওঘ-এর পূর্ণরূপ কী? ১
অ খ. ই-ব্যাংকিং এর ধারণাটি ব্যাখ্যা করো। ২
অ গ. মি. শিহাব কোন ধরনের ব্যবসায়ের চিন্তা করছেন বলে তুমি মনে করো? মতামতের স্বপক্ষে যুক্তি দেখাও। ৩
অ ঘ. তথ্যপ্রযুক্তির এ যুগে মি. শিহাবের এ উদ্যোগ কতটুকু যুক্তিযুক্ত বলে তুমি মনে করো? তোমার মতামত বিশ্লেষণ করো। ৪
১৩ নং প্রশ্নের উত্তর
মক চওঘ এর পূর্ণরূপ হলো চবৎংড়হধষ ওহফবহঃরভরপধঃরড়হ ঘঁসনবৎ. অ
মখ আধুনিক ইলেক্ট্রনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে অতি দ্রুত, নির্ভুল ব্যাংকিং কার্য পরিচালনা করাকে ই-ব্যাংকিং বলে। অ
ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনলাইনে সার্বক্ষণিক ব্যাংকিং সুবিধা দেয়া যায়। এক্ষেত্রে স্বল্প সময় ও ব্যয়ে অর্থ জমা, উত্তোলন ও স্থানান্তর করা যায়। তাছাড়া ই-ব্যাংকিং অঞগ কার্ডের মাধ্যমে গ্রাহকদের ২৪ ঘণ্টা লেনদেন সুবিধা দেয়া হয়। এক্ষেত্রে গ্রাহককে অনলাইনে ব্যাংকের ওয়েবসাইটে গিয়ে তার ব্যাংক একাউন্টে প্রবেশ করতে হয়। তারপর পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে ব্যাংকিং কাজ করতে হয়।
মগ মি. শিহাব ই-রিটেইলিং ব্যবসায়ের চিন্তা করছেন। অ
ই-রিটেইলিং পদ্ধতিতে খুচরা ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান তাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ক্রেতার কাছে পণ্য ও সেবা নিয়ে বিক্রয় করে। এক্ষেত্রে ক্রেতা ইন্টারনেট বা ফোন কলের মাধ্যমে পণ্যের অর্ডার দিয়ে থাকে। বিক্রেতা ক্রেতার ঠিকানায় অর্ডারকৃত পণ্য পৌঁছে দেয়। তার মূল্য পরিশোধের জন্য ক্রেতা বিক্রেতাকে তার ডেবিট অথবা ক্রেডিট কার্ডের তথ্য দিয়ে থাকে। বিক্রেতা উক্ত তথ্য ব্যবহার করে পণ্যের মূল্য আদায় করেন।
উদ্দীপকে মি. শিহাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে আশানুরুপ চাকরি না পেয়ে ব্যবসায় করার সিদ্ধান্ত নিল। যেখানে কোন বিক্রয় কেন্দ্র থাকবে না। ওয়েবসাইট ও ফোন কলের মাধ্যমে সে খুচরা পণ্যের অর্ডার নিবে বিক্রয় কর্মীরা ক্রেতাদের বাসায় পণ্যটি পৌঁছে দিবে। তার এই ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের বৈশিষ্ট্যের সাথে ই-রিটেইলিং-এর মিল রয়েছে। সুতরাং মি. শিহাব ই-রিটেইলিং ব্যবসায়ের চিন্তা করছেন।
মঘ তথ্যপ্রযুক্তির যুগে মি. শিহাবের উদ্যোগ যুক্তিযুক্ত। অ
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিপ্লবের ফলে সকল ক্ষেত্রেই পরিবর্তন হয়েছে। এতে উৎপাদন, ক্রয়, বিক্রয়, প্রমোশন সব ক্ষেত্রেই উন্নতি হয়েছে। ফলে ক্রেতা বা ভোক্তার রুচি ও চাহিদার পরিবর্তন হয়েছে। ই-কমার্স, ই-বিজনেস, ই-রিটেইলিং, ই-ব্যাংকিং-এর মতো পদ্ধতির উদ্ভব হয়েছে, যা ব্যবসায়ের কাজকে আরও সহজ করেছে।
উদ্দীপকে মি. শিহাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে আশানুরূপ চাকরি না পেয়ে ব্যবসায়ের সিদ্ধান্ত নিল। যেখানে তার কোন বিক্রয় কেন্দ্র থাকবে না। ওয়েবসাইট ও ফোন কলের মাধ্যমে সে খুচরা পণ্যের অর্ডার নিবে। অর্ডার মতো পণ্য ক্রেতার কাছে পৌঁছে দিবে। এতে তার খরচ বাঁচবে। ক্রেতারাও ঘরে বসেই পছন্দের পণ্যটি পাবে। তা ব্যবসায়টি ই-রিটেইলিং ব্যবসায়।
প্রযুক্তির উন্নতির ফলে ব্যবসায় জগতে যেমন নতুন নতুন ধারণার জš§ হচ্ছে। তেমনি তা ক্রেতাদের কাছে আকর্ষণীয় হচ্ছে। ক্রেতারা আগের মতো দোকানে গিয়ে পণ্য ক্রয় পছন্দ করে না, বরং ঘরে বসেই তারা প্রয়োজনীয় পণ্য পেতে পছন্দ করে। তাছাড়া পণ্যের মূল্যের ক্ষেত্রে ক্রেতা ইলেট্রনিক পদ্ধতি বেশি পছন্দ করে। নগদ টাকা হাতে নিয়ে লেনদেনের গ্রহণযোগ্যতা কমে যাচ্ছে। মি. শিহাবের উদ্যোগটি যুগোপযোগী ই-রিটেইলিং একটি জনপ্রিয় মাধ্যম ক্রয়বিক্রয়ের জন্য। ক্রেতারা অনলাইনে বা ফোন কলের মাধ্যমে পণ্য ঘরে বসেই পেতে চায়। যা মি. শিহাবের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান প্রদান করছে। এতে সে ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী পণ্য বিক্রয় করে সফল হতে পারবে। সুতরাং তথ্য প্রযুক্তির এ যুগে মি. শিহাবের এ উদ্যোগ যুক্তিযুক্ত।

 

Leave a Reply