এইচএসসি ব্যবসায় উদ্যোগ সপ্তম অধ্যায় রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

অধ্যায়-৭

রাষ্ট্রীয় ব্যবসায়

গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন১ অমিত রবীন্দ্রনাথের ছোট গল্পটি পড়েছে। তৎকালীন সময় তথা ব্রিটিশ আমল থেকে অদ্যবধি এ সার্ভিস চালু আছে। তবে মোবাইল ফোন, কুরিয়ার সার্ভিস ইত্যাদির উদ্ভবের কারণে এর গুরুত্বকে হ্রাস করেছে। বাংলাদেশে ব্রিটিশ আমল থেকে চলে আসা আরেকটি নিরাপদ ও সাশ্রয়ী গণপরিবহন সার্ভিস রয়েছে। সহজ ও আরামদায়ক সেবা হওয়ায় এর চাহিদা বেশি। এ প্রতিষ্ঠানকে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের সাথে প্রতিযোগিতা করতে হয় না। তা সত্তে¡ও প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকদের সন্তুষ্টি অর্জনে সক্ষম হয়নি। [ঢা. বো. ১৭]
অ ক. ইঞঞই কী? ১
ই খ. বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন বলতে কী বোঝ? ২
অ গ. উদ্দীপকে প্রথমত কোন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের কথা বলা হয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ই ঘ. উদ্দীপকে পরবর্তীতে যে প্রতিষ্ঠানের কথা বলা হয়েছে তার গ্রাহকসেবার মান বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে মতামত দাও। ৪
১ নং প্রশ্নের উত্তর অ ই
ক বাংলাদেশে স্থায়ী টেলিফোন সঞ্চালন লাইন প্রতিষ্ঠা, পরিচালন, সংযোগ প্রদান এবং ইন্টারনেট সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে নিয়োজিত সরকারি প্রতিষ্ঠান হলো বাংলাদেশ টেলিগ্রাফ অ্যান্ড টেলিফোন বোর্ড (ইঞঞই  ইধহমষধফবংয ঞবষবমৎধঢ়য ্ ঞবষবঢ়যড়হব ইড়ধৎফ)।
খ বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন হলো বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি বিধিবদ্ধ সংস্থা।
এটি দেশের জাতীয় পর্যটন সংস্থা, যা পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে কাজ করে। এটি দেশে ও দেশের বাহিরে পর্যটকদের জন্য অভ্যর্থনার ব্যবস্থা করে। এছাড়া এটি প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহের ব্যবস্থাও করে; যাতে পর্যটকরা স্বাচ্ছন্দ্যে দেশ পরিভ্রমণ করতে পারে।
গ উদ্দীপকে প্রথমত ‘বাংলাদেশ ডাক বিভাগ’Ñএ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের কথা বলা হয়েছে।
ডাক বিভাগ সংশ্লিষ্ট পণ্য বা সেবা জনগণের নিকট পৌঁছে দেওয়ার জন্য ডাক বিভাগ। এটি দেশের সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি বিভাগ সরকারি মালিকানায় প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত হয়। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের জনগণকে অল্প খরচে চিঠিপত্র ও অর্থ আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে এটি ভ‚মিকা রাখে।
উদ্দীপকে উলে­খ্য, তৎকালীন সময়ে তথা ব্রিটিশ আমল থেকে অদ্যবধি একটি সার্ভিস চালু আছে। তবে মোবাইল ফোন, কুরিয়ার সার্ভিস ইত্যাদির উদ্ভবের কারণে এর গুরুত্বকে হ্রাস করছে। এটি ব্রিটিশ আমল থেকেই সাশ্রয়ী ও নির্ভরযোগ্য সেবা দিয়ে আসছে। বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে এটিকে চালানো যাচ্ছে না। এত বড় ও সম্ভাবনাময় এ প্রতিষ্ঠানটিকে প্রযুক্তিনির্ভর কর্মকাণ্ডে পরিচালিত করতে পারলে সাধারণ মানুষ অল্প খরচে আরও অনেক বেশি সেবা গ্রহণের সুযোগ পাবে। এসব কার্যক্রম বাংলাদেশ ডাক বিভাগ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের ডাকসেবার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। সুতরাং, উদ্দীপকে প্রথমে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের কথাই বলা হয়েছে।
ঘ উদ্দীপকে পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রতিষ্ঠানের কথা বলা হয়েছে, যার গ্রাহকসেবার মান বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা অনেক।
সরকারি মালিকানায় ও পরিচালনায় দেশের প্রধান পরিবহন সংস্থা হলো বাংলাদেশ রেলওয়ে। এটি যাত্রীদেরকে সাশ্রয়ী, নিরাপদ ও স্বল্প ব্যয়ে পরিবহন সেবা প্রদান করে।
উদ্দীপকে উলে­খ্য, এদেশে ব্রিটিশ আমল থেকে চলে আসা আরেকটি নিরাপদ ও সাশ্রয়ী গণপরিবহন সার্ভিস আছে। সহজ ও আরামদায়ক সেবা হওয়ায় যাত্রীদের কাছে এর চাহিদা বেশি। এ প্রতিষ্ঠানকে অন্য প্রতিষ্ঠানের সাথে প্রতিযোগিতা করতে হয় না। তা সত্তে¡ও প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহক সন্তুষ্টি অর্জনে সক্ষম হয়নি। এ প্রতিষ্ঠানটি হলো বাংলাদেশ রেলওয়ে।
রেলওয়ে পরিবহন সেবা জনগণের কাছে আরও গ্রহণযোগ্য করে তুলতে এ সংস্থাকে বিশেষ পদক্ষেপ নিতে হবে। যাত্রীদের সুবিধার্থে এটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ, কেবিন সুবিধা ইত্যাদি বৃদ্ধি করতে পারে। ইন্টারনেটে ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে রেলের টিকিট সংগ্রহের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। স্বয়ংক্রিয় ও কম্পিউটারাইজড রেলসেবার উদ্যোগ ইতিমধ্যে নেয়া হয়েছে; যা যাত্রীদেরকে সুলভ মূল্যে এবং কম সময়ে দক্ষ রেল পরিবহন সেবা দিতে সহায়ক হবে। এতে যাত্রীদের থেকে রেলওয়ে পরিবহনের প্রতি স্থায়ীভাবে আস্থা ও সন্তুষ্টি অর্জন করা সম্ভব হবে। সুতরাং, রেলওয়ে প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকসেবার মান বৃদ্ধি অত্যন্ত ফলপ্রসূ হবে।

মমমপ্রশ্ন২ সরকার চায় দেশের সর্বত্র শিল্প ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে। সরকার সাশ্রয়ী মূল্যে মানুষ ও পণ্য পরিবহনের কথা চিন্তা করে সারাদেশে গণপরিবহন পরিচালনা করে আসছে। যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অধীন গণপরিবহন গণমানুষের সেবা দিতে আগ্রহী হলেও তাদের বাস ও ট্রাকের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় একবারেই কম বলে তা সম্ভব হচ্ছে না। [রা. বো. ১৭]
অ ক. বিআরটিসি কী? ১
অ খ. কোন ব্যবসায়ের উদ্দেশ্য জনকল্যাণ? ব্যাখ্যা করো। ২
অ গ. উদ্দীপকে বর্ণিত শিল্প গড়ার ক্ষেত্রে সরকারের কোন উদ্দেশ্যের প্রতিফলন ঘটছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ই ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত গণপরিবহন জনগণকে আরও উন্নত সেবা দিতে পারবে কি? তোমার মতামত ব্যক্ত করো। ৪
২ নং প্রশ্নের উত্তর অ
ক বাংলাদেশে সাশ্রয়ী মূল্যে সড়কপথে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত সরকারি দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান হলো বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সংস্থা (ইধহমষধফবংয জড়ধফ ্ ঞৎধহংঢ়ড়ৎঃ ঈড়ৎঢ়ড়ৎধঃরড়হ) বলে।
খ রাষ্ট্রীয় ব্যবসায়ের মূল উদ্দেশ্য হলো জনকল্যাণ সাধন করা।
রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয় না বরং রাষ্ট্রের প্রত্যেকটি ব্যক্তি যাতে উপকৃত হয়, তা নিশ্চিত করা। তবে এ ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা অব্যাহত রাখার জন্য পরিচালন খরচ ওঠানোর চেষ্টা করে। এ ব্যবসায়ের মাধ্যমে জনকল্যাণ নিশ্চিত করা সম্ভব হয়। তাই, রাষ্ট্রীয় ব্যবসায়ের মূল উদ্দেশ্য হয় জনকল্যাণ সাধন করা।
গ উদ্দীপকে বর্ণিত শিল্প গড়ার ক্ষেত্রে সরকারের ‘সুষম শিল্পায়ন’ উদ্দেশ্যের প্রতিফলন ঘটছে।
অনুন্নত দেশে প্রয়োজনীয় মূলধন ও উদ্যোগের অভাবে ব্যক্তিমালিকানায় শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে না। তাই সরকার নিজে উদ্যোগী হয়ে দেশে দ্রুত শিল্পায়নের জন্য শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে। এটি হয় সুষম শিল্পায়ন।
উদ্দীপকে উলে­খ্য, সরকার দেশের সর্বত্র শিল্প ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে চায়। সরকারের এরূপ উদ্যোগ অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের দ্রুত উন্নয়নে অবদান রাখে। অনুন্নত দেশগুলোতে সরকার এভাবে শিল্পায়ন ব্যবস্থা করতে চায়। এতে শিল্পায়ন খাতে দেশের সম্পদের সুষ্ঠু বণ্টন ও ব্যবহার হয়। এর ফলে সম্পদ কোনো একটি নির্দিষ্ট শ্রেণির হাতে পুঞ্জিভ‚ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। কারণ, সরকার নিজ উদ্যোগেই শিল্প ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার জন্য অধিক পরিমাণ মূলধন বিনিয়োগ করে থাকে। এভাবে সরকার শিল্প গড়ার ক্ষেত্রে সুষম শিল্পায়ন উদ্দেশ্যের প্রতিফলন ঘটাতে চায়।
ঘ উদ্দীপকে বর্ণিত গণপরিবহন ব্যবস্থা ‘বাংলাদেশ রেলওয়ে’ জনগণকে উন্নত সেবা দিতে পারবে বলে আমি মনে করি।
বাংলাদেশ রেলওয়ে সরকারি মালিকানায় ও পরিচালনায় দেশের প্রধান গণপরিবহন সংস্থা হিসেবে কাজ করে। এর লক্ষ্য হলো রেল ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও জনগণকে নিরাপদ এবং স্বল্প ব্যয়ে পরিবহন সেবা প্রদান করা।
উদ্দীপকে উলে­খ্য, সরকার সাশ্রয়ী মূল্যে মানুষ ও পণ্য পরিবহনের কথা চিন্তা করে সারাদেশে গণপরিবহনের পরিচালনা করে আসছে। এখানে গণপরিবহন বলতে বাংলাদেশ রেলওয়ে ব্যবস্থাকে বোঝানো হয়েছে, যা অন্যান্য পরিবহনের চেয়ে অধিক নিরাপদ ও সাশ্রয়ী মূল্যে যাত্রীদের পরিবহন সেবা প্রদান করে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে বর্তমানে কিছু নতুন মিশন বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে, যা যাত্রীদের আরও উন্নত সেবা নিশ্চিত করবে। সরকার সারা দেশে রেলপথ ও স্টেশন অবকাঠামো উন্নত ও বৃদ্ধি করছে। নিরাপদ, গতিসম্পন্ন ও দক্ষ ট্রেন চালনা নিশ্চিত করছে, অর্থাৎ রেলওয়ে সেক্টর সরকারের পরিবহন পলিসি বাস্তবায়ন করছে, যা যাত্রীদের আরও সুলভ মূল্যে নিরাপদ পরিবহন সেবা নিশ্চিত করবে। এভাবে বাংলাদেশ রেলওয়ে জনগণকে আরও উন্নত সেবা দিতে পারবে।

মমমপ্রশ্ন৩ দেশের জনগণের জন্য নিরাপদে যাতায়াত ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সরকার একটি প্রতিষ্ঠান গঠনের জন্য সংসদে আইন পাস করে। প্রতিষ্ঠানটি নানা রকম অব্যবস্থাপনার কারণে লোকসান দিতে থাকে। লোকসান কমানোর জন্য সরকার অন্যান্য বিকল্পের কথা চিন্তা করছে এবং সেবার মান বাড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। [দি. বো. ১৭]
অ ক. চচচ বলতে কী বোঝায়? ১
ই খ. কীভাবে রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় প্রাকৃতিক সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার করে? ব্যাখ্যা করো। ২
অ গ. উদ্দীপকে কোন প্রতিষ্ঠানের কথা বলা হয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ই ঘ. “দক্ষ ব্যবস্থাপনার অভাবই প্রতিষ্ঠানটির লোকসানের অন্যতম কারণ” যুক্তি দেখাও। ৪
৩ নং প্রশ্নের উত্তর অ
ক সরকারি-বেসরকারি যৌথ অর্থায়নে ও সহযোগিতায় গঠিত, পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত ব্যবসায় কার্যক্রমকে চচচ (চঁনষরপ চৎরাধঃব চধৎঃহবৎংযরঢ়) বা সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বভিত্তিক ব্যবসায় বলে।
খ যেসব প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রের বৃহত্তর স্বার্থে গঠিত হয় এবং রাষ্ট্র কর্তৃক পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয়, তাকে রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় বলে।
দেশের প্রাকৃতিক সম্পদগুলো (তেল, গ্যাস, কয়লা প্রভৃতি) খনি থেকে উত্তোলন করে বেসরকারিভাবে ব্যবসায় করা খুবই ব্যয়বহুল, এমনকি ঝুঁকিপূর্ণ। তাই রাষ্ট্র এসব খনিজসম্পদ উত্তোলন ও পরিশোধন করে। প্রাকৃতিক সম্পদের যাতে সদ্ব্যবহার হয় সেজন্য সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এভাবে রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় প্রাকৃতিক সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করে।
গ উদ্দীপকে ইজঞঈ (ইধহমষধফবংয জড়ধফ ঞৎধহংঢ়ড়ৎঃ ঈড়ৎঢ়ড়ৎধঃরড়হ) প্রতিষ্ঠানের কথা বলা হয়েছে।
সাশ্রয়ী মূল্যে সড়কপথে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে সরকারি দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান হলো ইজঞঈ। এটি একটি গণপরিবহন সংস্থা হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। এ পরিবহন সংস্থাকে আরও শক্তিশালী ও সেবাধর্মী করে গড়ে তোলার জন্য সরকার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে।
উদ্দীপকে উলে­খ্য, দেশের জনগণের জন্য নিরাপদ যাতায়াত ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সরকার একটি প্রতিষ্ঠান গঠনের জন্য সংসদে আইন পাস করে; যা স্বাধীনতার পর আরও সেবাধর্মী পরিবহন সংস্থা হিসেবে গড়ে ওঠে। এর উদ্দেশ্য হলো পরিবহন ক্ষেত্রে বেসরকারি খাতকে সহায়তা এবং নতুন নতুন যাত্রাপথ চালু করা; যাতে ন্যায্য ও স্বল্প ভাড়ায় যাত্রীরা দক্ষ ও নিরাপদ পরিবহন সেবা পায়। এসব বৈশিষ্ট্য ইজঞঈ প্রতিষ্ঠানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। সুতরাং, উদ্দীপকে ইজঞঈ প্রতিষ্ঠানের কথা বলা হয়েছে।
ঘ “দক্ষ ব্যবস্থাপনার অভাবই প্রতিষ্ঠানটির লোকসানের অন্যতম কারণ”Ñ ইজঞঈ প্রতিষ্ঠানের জন্য উক্তিটি যৌক্তিক।
পরিবহন খাতে নিরাপত্তা বৃদ্ধি, দুর্ঘটনা হ্রাস ও পরিবেশ দূষণ রোধের জন্য ইজঞঈ পরিবহন ব্যবস্থা চালু করা হয়। কিন্তু দক্ষ ব্যবস্থাপনার অভাবে এটির উদ্দেশ্যগুলো বাস্তবায়নে সমস্যা হচ্ছে।
উদ্দীপকে উলে­খ্য, সরকার দেশের জনগণের নিরাপদ যাতায়াত ব্যবস্থার জন্য গণপরিবহন সংস্থা ইজঞঈ প্রতিষ্ঠা করে। প্রতিষ্ঠানটি নানা অব্যবস্থাপনার কারণে লোকসান হতে থাকে। লোকসান কমানোর জন্য সরকার বিভিন্ন বিকল্পের ব্যবস্থার কথা চিন্তা করছে এবং সেবার মান বাড়ানোর চেষ্টা করছে।
ইজঞঈ সংস্থাটি বর্তমানে অদক্ষতার কারণে পরিবহন ব্যবসায়ে লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছে। প্রতিযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় এটি মানসম্মত ও সাশ্রয়ী পরিবহন সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। এতে সরকার ও বেসরকারি খাতের মধ্যে সম্পর্কেরও অবসান ঘটছে। এটি লোকসানের সম্মুখীন হওয়ায় দেশের পর্যটন ব্যবস্থাও দুর্বল হয়ে পড়েছে। তাই বলা যায়, অদক্ষ ব্যবস্থাপনার কারণেই ইজঞঈ পরিবহন সংস্থা লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছে।

মমমপ্রশ্ন৪ জনাব আহম্মেদ আলী একজন সরকারি চাকরিজীবী। বাজারে যখন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য ব্যাপকভাবে বেড়ে যায় তখন জনাব আহম্মেদ আলীর প্রতিষ্ঠান কম মূল্যে পণ্য বিক্রয়ের ব্যবস্থা করে। এতে জনগণ উপকৃত হয়। এ প্রতিষ্ঠানটি মুনাফার কথা বিবেচনা না করে জনকল্যাণকেই প্রাধান্য দেয়। [রা. বো., কু. বো. ১৭]
অ ক. ব্যবসায় কী? ১
অ খ. বায়িং হাউজ বলতে কী বোঝ? ২
ই গ. জনাব আহম্মেদ আলীর প্রতিষ্ঠানের নাম কী? ব্যাখ্যা করো। ৩
ই ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা উচিত কি না? যুক্তিসহ লেখো। ৪
৪ নং প্রশ্নের উত্তর অ ই
ক মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে বৈধভাবে পরিচালিত যাবতীয় অর্থনৈতিক কাজকে (যেমন: উৎপাদন, ক্রয়, বিক্রয়) ব্যবসায় বলে।
খ বায়িং হাউজ হলো আমদানিকারক ও উৎপাদনকারীর মাঝে অবস্থানকারী কমিশনভোগী ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান।
বায়িং হাউজ প্রতিষ্ঠান আমদানিকারক ও উৎপাদনকারী উভয় পক্ষের প্রতি মধ্যস্থকারী হিসেবে কাজ করে। এটি উভয়পক্ষের পণ্য সরবরাহের দায়িত্ব পালন করে। এটি ক্রেতাদের সাথে চুক্তি সাপেক্ষে প্রস্তুতকারকের মাধ্যমে পণ্য তৈরি করে তা সরবরাহের দায়িত্ব পালন করে।
গ উদ্দীপকের জনাব আহম্মেদ আলীর প্রতিষ্ঠানের নাম রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় সংগঠন।
রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় রাষ্ট্র কর্তৃক গঠিত, পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয়। এ ব্যবসায়ের মূল উদ্দেশ্য হলো জনকল্যাণ। এ ব্যবসায় মূলত সরকারি নিয়ম-কানুন পালন করে গঠন করা হয়।
উদ্দীপকের জনাব আহম্মেদ আলী একজন সরকারি চাকরিজীবী। বাজারে যখন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য ব্যাপকভাবে বেড়ে যায় তখন জনাব আহম্মেদ আলীর প্রতিষ্ঠান কমমূল্যে পণ্য বিক্রয়ের ব্যবস্থা করে। এতে জনগণ উপকৃত হয়। এ প্রতিষ্ঠানটি মুনাফার কথা বিবেচনা না করে জনকল্যাণকেই প্রাধান্য দেয়। রাষ্ট্রীয় মালিকানায় প্রতিষ্ঠিত এরূপ সরকারি প্রতিষ্ঠান জনকল্যাণের উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়। এরূপ প্রতিষ্ঠান জনকল্যাণে তাদের ন্যায্যমূল্যে উন্নতমানের পণ্য ও সেবা সরবরাহ নিশ্চিত করে। এসব কার্যক্রম রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় সংগঠন দ্বারা সম্পাদিত হয়। তাই বলা যায়, জনাব আহম্মেদ আলীর প্রতিষ্ঠানটি রাষ্ট্রীয় ব্যবসায়ের অন্তর্ভুক্ত।
ঘ রাষ্ট্রীয় ব্যবসায়ের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য উদ্দীপকের বর্ণিত প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা উচিত।
সম্পদের সুষম বণ্টন ও জণকল্যাণের উদ্দেশ্য নিয়ে রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় পরিচালিত হয়। এর মাধ্যমে দেশের একচেটিয়া ব্যবসায় রোধ হয় এবং সুষম শিল্পায়ন সম্ভব হয়।
উদ্দীপকে বর্ণিত প্রতিষ্ঠানটি রাষ্ট্রীয় ব্যবসায়। বাজারে দ্রব্যমূল্য বেড়ে গেলে প্রতিষ্ঠানটি কম মূল্যে পণ্য বিক্রয়ের ব্যবস্থা করে। এতে জনগণ উপকৃত হয়। প্রতিষ্ঠানটি জনকল্যাণকে প্রাধান্য দিয়েই এরূপ কাজ করছে।
উক্ত প্রতিষ্ঠান তাদের কার্যক্রম আরও সম্প্রসারণ করলে অন্যান্য এলাকার জনগণও ন্যায্যমূল্যে পণ্য ক্রয় করে উপকৃত হবে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রসারণের ফলে সেখানে অনেক লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এতে তারা নিজেদের অর্থনৈতিক কল্যাণের পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় কল্যাণে তাদের শ্রম ব্যয় করতে পারবে। এভাবে দেশের একচেটিয়া ব্যবসায় রোধ হবে এবং সুষম শিল্পায়ন সম্ভব হবে। দেশের সম্পদ কিছু লোকের হাতে পুঞ্জিভ‚ত না থেকে তা ব্যাপক জনগোষ্ঠীর মধ্যে সঞ্চালিত হবে। এভাবে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম সম্প্রসারণের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে। তাই আমি মনে করি, প্রতিষ্ঠানটি আরও সম্প্রসারণ করা উচিত।

মমমপ্রশ্ন৫ কক্সবাজার বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন নগরী। এখানে সরকারি-বেসরকারি অসংখ্য হোটেল-মোটেল রয়েছে। এখানে বেসরকারি উদ্যোগে বেশকিছু পাঁচতারা হোটেল স্থাপিত হলেও সরকারি সংস্থার অধীনে পরিচালিত হোটেলগুলোর গ্রহণযোগ্যতা মানুষের কাছে অনেক বেশি। বর্তমানে কক্সবাজারে যাওয়ার সুযোগ সড়কপথের বাইরে খুব সীমিত। সাধারণ পর্যটকদের কথা বিবেচনা করে একচেটিয়াভাবে পরিচালিত সরকারের গণপরিবহনের সুযোগ চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা জরুরি। এর ফলে দেশের এ পর্যটন নগরী আরও সমৃদ্ধি অর্জন করবে। [কু. বো. ১৭]
অ ক. চুক্তিপত্র কী? ১
অ খ. কপিরাইট বলতে কী বোঝ? ২
অ গ. উদ্দীপকে বর্ণিত সরকারি হোটেল-মোটেলগুলো কোন সংস্থার অধীন? ব্যাখ্যা করো। ৩
ই ঘ. উদ্দীপকে যে গণপরিবহনের সম্প্রসারণ কক্সবাজার পর্যন্ত করার কথা বলা হয়েছে তার আবশ্যকতা বিশ্লেষণ করো। ৪
৫ নং প্রশ্নের উত্তর অ
ক দুই বা ততোধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যে পত্রের মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে চুক্তি সম্পাদন করে তাকে চুক্তিপত্র বলে।
খ লেখক বা শিল্পী কর্তৃক তার সৃষ্টকর্মের ওপর একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য স্থায়ী আইনগত অধিকারকে কপিরাইট বলে।
কপিরাইট একটি আইনগত ধারণা। এর উদ্দেশ্য হলো সৃষ্টকর্ম নকল থেকে রক্ষা করে প্রকৃত লেখক, শিল্পী বা স্বত্বাধিকারীর স্বার্থ সুরক্ষা করা। কপিরাইট আইন অনুযায়ী একজন উদ্ভাবক তার বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তির ওপর পূর্ণ অধিকার লাভ করেন। সাধারণত বই, প্রবন্ধ, নৃত্য, সংগীত কৌশল ইত্যাদি বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ কপিরাইটের অন্তর্ভুক্ত।
গ উদ্দীপকে বর্ণিত সরকারি হোটেল-মোটেলগুলো বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের অধীন।
বাংলাদেশে পর্যটন শিল্পের বিকাশে নেতৃত্বদান, হোটেল-মোটেল প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত সরকারি প্রতিষ্ঠান হলো বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন সংস্থা। এর উদ্দেশ্য হলো পর্যটন সেবার উন্নতি সাধন, প্রসারে সহায়তা করা।
উদ্দীপকে উলে­খ্য, কক্সবাজার বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন নগরী। এখানে সরকারি-বেসরকারি অসংখ্য হোটেল-মোটেল আছে। বেসরকারি উদ্যোগে বেশকিছু পাঁচতারা হোটেল স্থাপিত হলেও সরকারি সংস্থার অধীনে পরিচালিত হোটেলগুলোর গ্রহণযোগ্যতা মানুষের কাছে অনেক বেশি। এ হোটেল-মোটেলগুলো একটি সরকারি সংস্থার অধীনে পরিচালিত হয়। এ সংস্থা মূলত জনগণের মধ্যে পর্যটনের আগ্রহ সৃষ্টি করতে এর অবকাঠামোগত উন্নয়ন করে থাকে। পর্যটন খাতকে আরও এগিয়ে নেওয়ার স্বার্থে এটি কাজ করে। এসব কাজ বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন সংস্থা করে থাকে। সুতরাং, উদ্দীপকে বর্ণিত হোটেল-মোটেলগুলো বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন সংস্থার অন্তর্ভুক্ত।
ঘ উদ্দীপকে গণপরিবহন হিসেবে ‘বাংলাদেশ রেলওয়ে’ কক্সবাজার পর্যন্ত সম্প্রসারণ করার কথা বলা হয়েছে, যা পরিবহন সেক্টরে অত্যন্ত আবশ্যক।
সরকারি মালিকানায় ও পরিচালনায় দেশের প্রধান পরিবহন সংস্থা হলো বাংলাদেশ রেলওয়ে। এর লক্ষ্য হলো সরকারের উন্নয়ন কৌশলের সাথে মিল রেখে রেল ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নের মাধ্যমে জনগণকে নিরাপদ ও সাশ্রয়ী মূল্যে পরিবহন সেবা প্রদান করা।
উদ্দীপকে উলে­খ্য, বর্তমানে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে যাওয়ার সুযোগ সড়কপথের বাইরে খুব সীমিত। সাধারণ পর্যটকদের কথা বিবেচনা করে সরকারের গণপরিবহনের সুযোগ চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা জরুরি। এখানে সরকারের গণপরিবহন বলতে বাংলাদেশ রেলওয়েকে বোঝানো হয়েছে।
চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেলওয়ে সম্প্রসারণ করলে পর্যটকরা আরও দ্রুত ও সহজে পর্যটন এলাকায় পৌঁছাতে পারবে। সড়ক ব্যবস্থায় পরিবহন ক্ষেত্রে যে অতিরিক্ত দুর্ঘটনা হয় রেলপথে এর মাত্রা খুবই কম। তাই যাত্রীরা নিরাপদ ও সাশ্রয়ী মূল্যে পরিবহন সেবা পেয়ে উপকৃত হবে। চট্টগ্রাম বিভাগের বাইরের অঞ্চলের পর্যটকদেরও কক্সবাজার এলাকা ভ্রমণে আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে দেশের এ পর্যটন নগরী আরও সমৃদ্ধি অর্জন করবে। তাই বলা যায়, রেলওয়ে পরিবহনের সম্প্রসারণ কক্সবাজার পর্যন্ত করা আবশ্যক।

মমমপ্রশ্ন৬ বাংলাদেশ সরকার তার নিজস্ব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ট্রেন সার্ভিস চালু করার প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে, যাতে পর্যটকগণ নিরাপদে ও আরামে কক্সবাজার যেতে পারে। অপরদিকে সরকার নিজস্ব বিনিয়োগের পাশাপাশি বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের সহায়তায় ঢাকা-চট্টগ্রাম বুলেট ট্রেন সার্ভিস দেওয়ার জন্য একটি নতুন ব্যবসায় গঠন করার উদ্যোগ নিয়েছে। [সি. বো. ১৭]
অ ক. ওয়াসা কী? ১
অ খ. কেন রাষ্ট্রীয় মালিকানায় ব্যবসায় গঠিত হয়? ২
ই গ. উদ্দীপকে পর্যটকদের নিরাপদ ও সহজ যাতায়াতের জন্য সরকারের কোন প্রতিষ্ঠান প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঈ ঘ. পদ্মা সেতুর অপর পাড়ে বৃহদায়তন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণে উদ্দীপকে উলি­খিত নতুন ব্যবসায়ের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো। ৪
৬ নং প্রশ্নের উত্তর অ ই
ক বাংলাদেশের মেট্রোপলিটন শহরে পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন সুবিধা প্রদানের দায়িত্ব পালনকারী সরকারি মালিকানায় প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত প্রতিষ্ঠানের নাম হলো ওয়াসা বা (ডধঃবৎ ঝঁঢ়ঢ়ষু ধহফ ঝববিৎধমব অঁঃযড়ৎরঃু)।
খ রাষ্ট্রীয় মালিকানায় ব্যবসায় গঠনের মূল উদ্দেশ্য হলো জনকল্যাণ।
দেশের জনগণের স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি কল্যাণের লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় গঠন করা হয়। এজন্য জননিরাপত্তামূলক বিষয় ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উৎপাদন ও বণ্টন রাষ্ট্রীয় মালিকানায় করা হয়। আবার জনস্বার্থে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতেও অনেক ব্যবসায় রাষ্ট্রীয় মালিকানায় পরিচালনা করা হয়।
গ উদ্দীপকে পর্যটকদের নিরাপদ ও সহজ যাতায়াতের জন্য সরকারের বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রতিষ্ঠান প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেন।
রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলে সাশ্রয়ী মূল্যে যাত্রী ও মালামাল পরিবহন সুবিধা প্রদানের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে সরকারি মালিকানায় পরিচালিত হচ্ছে। এটি বাংলাদেশের সরকারি মালিকানায় প্রধান পরিবহন সংস্থা।
উদ্দীপকে বাংলাদেশ সরকার দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের জন্য দেশের পর্যটন খাতের উন্নয়ন করতে চাচ্ছেন। এ লক্ষ্যে সরকার চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের ট্রেন সার্ভিস চালু করার প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এতে পর্যটকগণ নিরাপদে ও আরামে কক্সবাজার যেতে পারে। এতে কক্সবাজারে পর্যটকদের আসার পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। এসব কাজ বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রতিষ্ঠান করে থাকে। তাই বলা যায়, সরকার পর্যকটদের নিরাপদ ও সহজ যাতায়াতের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।
ঘ পদ্মা সেতুর অপর পাড়ে বৃহদায়তন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্র্মাণে উদ্দীপকে উলি­খিত সরকারি-বেসরকারি অংশীদারি ব্যবসায় গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করবে।
সরকারি-বেসরকারি অংশীদারি ব্যবসায় হলো দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারি ব্যবসায়। এখানে জনগণকে সেবা দেওয়ার উদ্দেশ্যে বেসরকারি খাত সরকারের সাথে চুক্তি করে। এরপর এরপর যৌথভাবে মূলধন বিনিয়োগ করে।
উদ্দীপকে সরকার ঢাকা-চট্টগ্রাম বুলেট ট্রেন সার্ভিস চালু করার জন্য এতে দেশীয় বেসরকারি উদ্যোক্তাদের আহŸান জানায়। এতে সরকারের আর্থিক চাপ কিছুটা কমবে। পাশাপাশি বেসরকারি বিনিয়োগকারীরাও নিরাপদে তাদের অর্থ বিনিয়োগ করতে পারবে।
এ সরকারি-বেসরকারি অংশীদারি ব্যবসায়ের মাধ্যমে পদ্মা সেতুর অপর পাড়ে বৃহদায়তন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্র্মাণ করা সম্ভব। এক্ষেত্রে সরকারের আর্থিক চাপ হ্রাসের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও কম ঝুঁকিতে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগে অংশ নিতে পারবে। তাছাড়া যৌথ উদ্যোগে বৃহদায়তন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণ করা হলে দ্রুত কাজ সম্পন্ন হবে। তাই বলা যায়, পদ্মা সেতুর অপর পাড়ে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারি ব্যবসায়ের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্র্মাণ করা ফলপ্রসূ হবে।
মমমপ্রশ্ন৭ মিসেস হাসনাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। সপরিবারে ঢাকায় থাকেন। আসন্ন ঈদে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু যানবাহনের কথা ভেবে চিন্তিত। যদিও বেসরকারি বাসের পাশাপাশি বাংলাদেশের জনগণের নিরাপদে ও সুলভে যাতায়াতের জন্য দু’ধরনের বিশেষ সংস্থা আছে। সেবার মান নিয়ে কিছু অভিযোগ আছে। সংস্থা দু’টি লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত নয়। সরকার সংস্থা দু’টির লোকসান কমানো এবং সেবার মান বাড়ানোর চিন্তা করছে। এছাড়া নতুন ‘রুট’ চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে। সেজন্য সরকার প্রয়োজনীয় অর্থের ব্যবস্থা করেছে। [য. বো. ১৭]
ই ক. ওয়াসা কী? ১
অ খ. জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান বলতে কী বোঝায়? ২
অ গ. উদ্দীপকে বর্ণিত বিশেষ সংস্থা দু’টি কী? ব্যাখ্যা করো। ৩
ই ঘ. একচেটিয়া ব্যবসায় রোধে উদ্দীপকের সংস্থা দু’টির ভ‚মিকা মূল্যায়ন করো। ৪
৭ নং প্রশ্নের উত্তর অ ই
ক বাংলাদেশের মেট্রোপলিটন শহরে পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন সুবিধা প্রদানের দায়িত্ব পালনকারী সরকারি মালিকানায় প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত প্রতিষ্ঠানের নাম হলো ওয়াসা (ডধঃবৎ ঝঁঢ়ঢ়ষু ধহফ ঝববিৎধমব অঁঃযড়ৎরঃু)।
খ জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান বলতে রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় সংগঠনকে বোঝায়।
রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় এমন একটি সংগঠন, যা জনকল্যাণের উদ্দেশ্যে গঠিত ও পরিচালিত হয়। স্বল্প ব্যয়ে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে এটি মৌলিক নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে। জনকল্যাণমূলক বিভিন্ন খাতগুলো হলোÑ ওয়াসা, রেলওয়ে, ডাক ও তার প্রভৃতি।
গ উদ্দীপকে বর্ণিত বিশেষ সংস্থা দুটো হলো বিআরটিসি ও বাংলাদেশ রেলওয়ে।
সাশ্রয়ী মূল্যে সড়কপথে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে সরকারি দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান হলো বিআরটিসি। আর, সরকারি মালিকানায় ও পরিচালনায় দেশের প্রধান পরিবহন সংস্থা হলো বাংলদেশ রেলওয়ে। উভয় প্রতিষ্ঠান জনকল্যাণের উদ্দেশ্য নিয়েই কাজ করে।
উদ্দীপকে উলে­খ্য, বেসরকারি বাসের পাশাপাশি বাংলাদেশের জনগণের নিরাপদে ও সুলভে যাতায়াতের জন্য দু’ধরনের বিশেষ সংস্থা আছে। এ সংস্থা দু’টি লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত নয়। এর একটি হলো ইজঞঈ (ইধহমষধফবংয জড়ধফ ঞৎধহংঢ়ড়ৎঃ ঈড়ৎঢ়ড়ৎধঃরড়হ)। যা ন্যায্য ও স্বল্প ভাড়ায় নিরাপদ, বিশ্বস্ত ও দক্ষ পরিবহন সেবা প্রদান করে এবং নতুন নতুন যাত্রাপথ চালু করে। অপরটি হলো বাংলাদেশ রেলওয়ে। এটি নিরাপদ, বিশ্বস্ত, স্বল্প ব্যয়সাপেক্ষ ও সময় সাশ্রয়ী পরিবহন সেবা প্রদান করে। এ উভয় প্রকার সংস্থাই জনগণের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ও কল্যাণের নিমিত্তে সেবা পরিবহন সেবা দিচ্ছে।
ঘ একচেটিয়া ব্যবসায় রোধে উদ্দীপকের সংস্থা দুটি (বিআরটিসি ও বাংলাদেশ রেলওয়ে) গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখে।
বিআরটিসি এবং বাংলাদেশ রেলওয়ে দু’টিই অলাভজনক পরিবহন সংস্থা হিসেবে পরিচিত। এটি জনকল্যাণের উদ্দেশ্য নিয়েই কাজ করে।
উদ্দীপকে উলে­খ্য, ইজঞঈ ও বাংলাদেশ রেলওয়ে এ বিশেষ সংস্থা দু’টি জনগণের নিরাপত্তা ও কম ব্যয়ে যাতায়াত নিশ্চিত করে। সরকার সংস্থা দু’টির লোকসান কমানো এবং সেবার মান বাড়ানোর চিন্তা করছে। এছাড়া নতুন ‘রুট’ চালু করার উদ্যোগ নিয়ে সরকার প্রয়োজনীয় অর্থের ব্যবস্থা করেছে।
এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়ার ফলে সংস্থা দুটি তাদের সেবার মানকে আরও উন্নত করবে। তারা সাশ্রয়ী মূল্যে জনগণকে পরিবহন সেবা দিবে। বেসরকারি পরিবহন সংস্থা যে অধিক মুনাফার্জনের জন্য সেবামূল্য বাড়ায়, এতে জনগণ ভোগান্তির শিকার হয়। এরূপ একচেটিয়া ব্যবসায় উক্ত সরকারি সংস্থা দু’টির সাথে টিকে থাকতে ব্যর্থ হবে। কারণ জনগণ তাদের নিরাপত্তায় সাশ্রয়ী পরিবহন সেবাই গ্রহণ করবে। সুতরাং, একচেটিয়া ব্যবসায় রোধে উক্ত সংস্থা দু’টি এভাবে অবদান রাখবে।

মমমপ্রশ্ন৮ প্রযুক্তি এবং প্রযুক্তিগত জ্ঞানের অভাবের কারণে একটি দেশের সরকার একটি বিদেশি নির্মাণ কোম্পানির সাথে যৌথভাবে সে দেশের একটি শহরে পাতাল রেলপথ তৈরি করল। দেশটির সরকার মূলধনের সংস্থান করল। বিদেশি কোম্পানিটি এর ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকবে। ১০ বছর পর সেদেশের সরকার ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব গ্রহণ করবে। [ব. বো. ১৭]
অ ক. রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় কী? ১
অ খ. পিপিপি (সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব) বলতে কী বোঝ? ২
ই গ. উদ্দীপকে কোন ধরনের পিপিপি’র বর্ণনা আছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঈ ঘ. তোমার জয়, আমার জয়Ñ সরকার এবং বিদেশি কোম্পানি উভয়ের জন্য এটি এ ধরনের একটি সম্পর্ক  তুমি কি একমত? বিশদভাবে ব্যাখ্যা করো। ৪
৮ নং প্রশ্নের উত্তর অ ই
ক যেসব প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রের বৃহত্তর স্বার্থে গঠিত হয় অথবা ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানকে সম্পূর্ণ বা আংশিক জাতীয়করণের মাধ্যমে রাষ্ট্র কর্তৃক পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয়, ঐসব প্রতিষ্ঠানকে রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় বলা হয়।
খ সরকারি-বেসরকারি যৌথ অর্থায়নে ও সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠিত, পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত ব্যবসায়কে পিপিপি বলে।
চচচ হলো চঁনষরপ চৎরাধঃব চধৎঃহবৎংযরঢ় বা সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বভিত্তিক ব্যবসায়। বৃহদায়তন অবকাঠামো নির্মাণ, হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সেবা প্রতিষ্ঠান গঠনে এরূপ ব্যবসায় কার্যকর। এতে উভয়ের মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটে ও সরকারের আর্থিক চাপ কমে।
গ উদ্দীপকে ইঙঙঞ (বিওওটি) পিপিপি এর বর্ণনা আছে।
ইঙঙঞ হলো নির্মাণ (ইঁরষফরহম), মালিকানা (ঙহিবৎংযরঢ়), পরিচালনা (ঙঢ়বৎধঃরহম) ও হস্তান্তর (ঞৎধহংভবৎ) এর সমন্বিত রূপ, যা পর্যায়ক্রমে সংঘটিত হয়। অর্থাৎ যৌথ উদ্যোগে নির্মিত হয়, সবাই মালিকানা পায়, একত্রে পরিচালনা করে ও একপর্যায়ে মালিকানা সরকারি খাতে স্থানান্তরিত হয়।
উদ্দীপকে উলে­খ্য প্রযুক্তি এবং প্রযুক্তিগত জ্ঞানের অভাবের কারণে একটি দেশের সরকার একটি বিদেশি নির্মাণ কোম্পানির সাথে যৌথভাবে সে দেশের একটি শহরে পাতাল রেলপথ তৈরি করল। দেশটির সরকার মূলধন সংস্থান করেছে। আর বিদেশি কোম্পানিটি এর ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকবে। ১০ বছর পর দেশের সরকার ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নিবে। সুতরাং এখানে পর্যায়ক্রমিকভাবে যৌথ উদ্যোগে নির্মাণ হয়েছে, মালিকানা পেয়েছে, একত্রে পরিচালনা হচ্ছে এবং ১০ বছর পর মালিকানা সরকারি খাতে হস্তান্তর হবে। এসব বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী সরকারি-বেসরকরি অংশীদারিত্ব ইঙঙঞ-এর আওতায় পড়ে। সুতরাং, উদ্দীপকে ইঙঙঞ পিপিপি’র বর্ণনা আছে বলা যায়।
ঘ ‘তোমার জয়, আমার জয়’Ñ সরকার ও বিদেশি কোম্পানি উভয়ের জন্য পিপিপি এ ধরনের একটি সম্পর্কÑ আমি এ বক্তব্যর সাথে একমত।
পিপিপি হলো দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারি ব্যবস্থা, যেখানে জনগণকে সেবা দেওয়ার উদ্দেশ্যে বেসরকারি খাত সরকারের সাথে চুক্তি করে যৌথভাবে মূলধন বিনিয়োগ করে।
উদ্দীপকে একটি দেশের সরকার একটি বিদেশি নির্মাণ কোম্পানির সাথে যৌথভাবে সেদেশের জন্য একটি পাতাল রেলপথ তৈরি করল। যৌথ প্রচেষ্টায় নির্মাণ কাজটি দ্রুত ও দক্ষভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এতে উভয়ের মধ্যে সহযোগিতার সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটেছে এবং সেই সাথে সরকারের আর্থিক চাপও হ্রাস পেয়েছে।
অন্যদিকে এ উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা ও সেবাখাত উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সাথে মিলে সরকার অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে যৌথ উদ্যোগে এ পিপিপি ব্যবসায় পরিচালনা করতে পারে। ফলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও তুলনামূলকভাবে কম ঝুঁকিতে ও সরকারি রাজস্ব সুবিধা ভোগ করে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগে অংশ নিতে পারে। যা দেশ সেবায় তাদের সরাসরি অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করে। সুতরাং তোমার জয়, আমার জয়Ñ এ ধারণাটি পিপিপি ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে এ ধরনেরই একটি সম্পর্ক বলে আমি মনে করি।

মমমপ্রশ্ন৯ ‘ঢ’ বাংলাদেশের একটি অনুন্নত অঞ্চল। অবকাঠামোসহ অন্যান্য অসুবিধার জন্য ঐ অঞ্চলে উলে­খ করার মতো কোনো মিল-কারখানা গড়ে ওঠেনি। তাই শুধু মুনাফার কথা না ভেবে দেশের সুষম উন্নয়নের জন্য ‘ঢ’ অঞ্চলে মিল-কারখানা গড়ে তোলার বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। [ঢা. বো. ১৬]
অ ক. সামাজিক ব্যবসায় কী? ১
অ খ. ‘বিমা হচ্ছে সদ্বিশ্বাসের চুক্তি’ ব্যাখ্যা করো। ২
অ গ. মালিকানার ভিত্তিতে ‘ঢ’ অঞ্চলে কোন ধরনের ব্যবসায় সংগঠন উপযোগী? ব্যাখ্যা করো। ৩
অ ঘ. ‘ঢ’ অঞ্চলে পরিকল্পিত ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের মুখ্য উদ্দেশ্যই হবে জনকল্যাণ উদ্দীপকের আলোকে ব্যাখ্যা করো। ৪
৯ নং প্রশ্নের উত্তর অ
ক যে ব্যবসায়ে মূলধন বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ প্রাপ্তির কোনো প্রত্যাশা থাকে না বরং সমাজের কল্যাণ ও দারিদ্র্য দূরীকরণের উদ্দেশ্যে গঠন করা হয় তাকে সামাজিক ব্যবসায় বলে।
খ চ‚ড়ান্ত সদ্বিশ্বাস বলতে বিমাকারী ও বিমাগ্রহীতার মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাসের সম্পর্ক থাকা বোঝায়।
বিমার ক্ষেত্রে বিমাগ্রহীতা বিমার বিষয়বস্তু সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বিমাকারীকে অবহিত করে। বিমাকারী বিমা চুক্তির শর্তসমূহ সম্পূর্ণভাবে বিমাগ্রহীতাকে জানায়। এতে উভয়পক্ষ ধরে নেয় প্রয়োজনীয় সব তথ্য তারা একে অপরকে অবহিত করেছে। এ বিশ্বাসের মাধ্যমে তাদের মধ্যে চুক্তি সম্পাদিত হয় বলে বিমা চুক্তিকে চ‚ড়ান্ত সদ্বিশ্বাসের চুক্তি বলা হয়।
গ উদ্দীপকে মালিকানার ভিত্তিতে ‘ঢ’ অঞ্চলে রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় উপযোগী।
রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় রাষ্ট্র কর্তৃক গঠিত বা পরবর্তী সময়ে জাতীয়করণকৃত কোনো ব্যবসায়ে মালিকানা, পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ রাষ্ট্রের অধীনে থাকে। জনকল্যাণ এর মূল উদ্দেশ্য। অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন ও সম্পদের সুষম বণ্টনে এ ব্যবসায় কাজ করে।
উদ্দীপকে ‘ঢ’ বাংলাদেশের একটি অনুন্নত অঞ্চল। অবকাঠামোসহ অন্যান্য সুবিধার জন্য ঐ অঞ্চলে উলে­খ করার মতো কোনো মিল-কারখানা গড়ে ওঠেনি। ‘ঢ’ অঞ্চলটির সুষম উন্নয়ন হয়নি। তাই মুনাফা নয় বরং এলাকার উন্নয়ন ও জনকল্যাণের জন্য এ অঞ্চলে ব্যবসায় গঠন অপরিহার্য। এতে ঐ অঞ্চলের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে, যা রাষ্ট্রীয় ব্যবসায়ের মাধ্যমে সম্ভব।
ঘ ‘ঢ’ অঞ্চলে পরিকল্পিত ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের মুখ্য উদ্দেশ্যই হবে জনকল্যাণ।
রাষ্ট্রীয় ব্যবসায়ের মূল উদ্দেশ্য মুনাফা অর্জন নয় বরং জনকল্যাণ। এ ব্যবসায়ের অন্যতম বিবেচ্য হলো এলাকার উন্নয়ন, শ্রমিক-কর্মীর উন্নয়ন এবং সমাজের প্রত্যেকের কল্যাণ সাধন। এ ব্যবসায়ের মাধ্যমে একচেটিয়া ব্যবসায় রোধ এবং আয়ের সুষম বণ্টন হয়।
উদ্দীপকে ‘ঢ’ অঞ্চলটিতে অবকাঠামোগত সুবিধা নেই। কারণ এখানে উলে­খ করার মতো কোনো মিল-কারখানা গড়ে ওঠেনি। তাই মুনাফা নয়, দেশের সুষম উন্নয়নের জন্য ‘ঢ’ অঞ্চলে মিল-কারখানা গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
বিষয়বস্তু অনুযায়ী বলা যায়, সরকার ‘ঢ’ অঞ্চলে রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় গঠনের পরিকল্পনা নিয়েছে। ফলে ঐ অঞ্চলের সুষম উন্নয়ন যেমন হবে তেমনি অবকাঠামোর উন্নয়নও ঘটবে। মিল-কারখানা গড়ে তুললে ‘ঢ’ অঞ্চলের জনগণের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। এতে তারা আর্থিকভাবে লাভবান হবে, যা সার্বিকভাবে জনকল্যাণ।

মমমপ্রশ্ন১০ জনাব শফি তার পরিবার নিয়ে শীতকালীন ছুটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম বেড়াতে যান। যাত্রার শুরুতে তিনি পরিবার নিয়ে ঢাকা থেকে রেলপথে চট্টগ্রাম যান। ঢাকার বিমানবন্দর রেলস্টেশন থেকে ট্রেন যাত্রা শুরু করে, পথে কোথাও না থেমে চট্টগ্রাম পৌঁছে। তার পরিবার ভ্রমণটি খুব উপভোগ করে এবং কর্তৃপক্ষের সেবায় তারা সন্তুষ্ট। চট্টগ্রাম থেকে সড়কপথে তারা পার্বত্য চট্টগ্রাম যায়। পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়-পর্বত, প্রাকৃতিক ঝর্ণা তাদের বিমোহিত করে। জনাব শফি চিন্তা করলেন পার্বত্য এলাকায় পর্যাপ্ত আবাসিক সুবিধা, উন্নত যাতায়াত ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পারলে দেশি-বিদেশি দর্শনার্থীদের জন্য আরও আকর্ষণীয় হবে। পাশাপাশি সরকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন ও কর্মসংস্থানের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে পারবে। [দি. বো. ১৬]
অ ক. ইজঞঈ-এর পূর্ণরূপ কী? ১
অ খ. কোন ব্যবসায়ের উদ্দেশ্য জনকল্যাণ? ব্যাখ্যা করো। ২
অ গ. উদ্দীপকে জনাব শফি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যেতে যে যাত্রাপথ ব্যবহার করেছেন তার তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো। ৩
অ ঘ. জনাব শফির চিন্তা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রায়ত্ত যে প্রতিষ্ঠানটি ভ‚মিকা রাখতে পারে উদ্দীপকের আলোকে তার কার্যকারিতা বিশ্লেষণ করো। ৪
১০ নং প্রশ্নের উত্তর অ
ক ইজঞঈ-এর পূর্ণরূপ হলো ইধহমষধফবংয জড়ধফ ঞৎধহংঢ়ড়ৎঃ ঈড়ৎঢ়ড়ৎধঃরড়হ.
খ রাষ্ট্রীয় ব্যবসায়ের মূল উদ্দেশ্য হলো জনকল্যাণ সাধন করা।
রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয় না বরং এরূপ ব্যবসায়ের উদ্দেশ্য হলো রাষ্ট্রের প্রত্যেকটি ব্যক্তি যাতে উপকৃত হয়, তা নিশ্চিত করা। তবে প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা অব্যাহত রাখার জন্য পরিচালনা খরচ ওঠানোর চেষ্টা করে এ ব্যবসায়। এ ব্যবসায়ের মাধ্যমে জনকল্যাণ নিশ্চিত করা সম্ভব হয়। তাই বলা যায়, রাষ্ট্রীয় ব্যবসায়ের মূল উদ্দেশ্য হলো জনকল্যাণ সাধন করা।
গ উদ্দীপকে জনাব শফি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যেতে ট্রেনের যাত্রাপথ ব্যবহার করেছেন যা বাংলাদেশ রেলওয়ের অধীন।
সরকারি মালিকানা ও পরিচালনায় দেশের প্রধান সংস্থা হলো বাংলাদেশ রেলওয়ে। এর লক্ষ্য হলো রেল ব্যবস্থার যথাযথ আধুনিকায়ন, সম্প্রসারণ ও সংরক্ষণ করা। এছাড়া নিরাপদ ও স্বল্প ব্যয়সাপেক্ষ এবং সময় সাশ্রয়ী পরিবহন সেবা প্রদানও এর মুখ্য উদ্দেশ্য।
উদ্দীপকে শফি সপরিবারে ঢাকা থেকে রেলপথে চট্টগ্রাম যান। ঢাকার বিমানবন্দর রেলস্টেশন থেকে ট্রেনটি যাত্রা শুরু করে কোথাও না থেমে চট্টগ্রামে পৌঁছে। তার পরিবার ভ্রমণটি খুব উপভোগ করে এবং কর্তৃপক্ষের সেবায় তারা সন্তুষ্ট। বাংলাদেশ রেলওয়ের আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থার কারণেই শফি ও তার পরিবার একটি নিরাপদ ভ্রমণ উপভোগ করতে পেরেছে।
ঘ উদ্দীপকে জনাব শফির চিন্তা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রায়ত্ত যে প্রতিষ্ঠানটি ভ‚মিকা রাখতে পারে তা হলো বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন।
১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন একজন চেয়ারম্যান ও ৩ জন সার্বক্ষণিক পরিচালক নিয়ে গঠিত হয়। এরপর থেকেই এটি দেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রেখে চলেছে।
উদ্দীপকে মি. শফি পরিবার নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বেড়াতে যান। সেখানকার পাহাড়-পর্বত, প্রাকৃতিক ঝর্ণা তাদের বিমোহিত করে। জনাব শফি চিন্তা করলেন পার্বত্য এলাকায় পর্যাপ্ত আবাসিক সুবিধা, উন্নত যাতায়াত ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পারলে দেশি-বিদেশি দর্শনার্থীদের আরও আকৃষ্ট করা যাবে।
মি. শফির চিন্তা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখতে পারে। এ সংস্থা পার্বত্য এলাকায় আবাসিক সুবিধা, উন্নত যাতায়াত ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে সক্ষম। এতে ভ্রমণকারীর সংখ্যা ও রাজস্ব বাড়বে। ফলে পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন ও অধিক কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ঘটবে।

মমমপ্রশ্ন১১ পূর্ব তিমুর সদ্য স্বাধীন রাষ্ট্রটি ঐ দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ড্রিম হ্যাভেন কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়। সমগ্র মুনাফার ৪৯% মালিক হবে সরকার। চুক্তির শর্তানুযায়ী প্রতিষ্ঠানটি দেশের বিভিন্ন স্থানে রাস্তা, ব্রিজ, কালভার্ট নির্মাণ করবে এবং বৈদেশিক বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য গভীর সমুদ্রবন্দর স্থাপন করবে। পরবর্তীকালে চুক্তির শর্ত পরিবর্তন করে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা সরকারের নিজের হাতে রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। [সি. বো. ১৬]
অ ক. রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় কী? ১
অ খ. বাংলাদেশ রসায়ন শিল্প সংস্থা বলতে কী বোঝায়? ২
অ গ. উদ্দীপকের ড্রিম হ্যাভেন ব্যবসায়টি প্রাথমিক অবস্থায় কোন ধরনের ব্যবসায় সংগঠন ছিল? বর্ণনা করো। ৩
অ ঘ. ড্রিম হ্যাভেন ব্যবসায় সংগঠনটির নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা সরকারের নিজের হাতে রাখতে হলে চুক্তিতে কী ধরনের পরিবর্তন আনতে হবে? যুক্তিসহ তোমার মতামত দাও। ৪
১১ নং প্রশ্নের উত্তর অ
ক যেসব প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রের বৃহত্তর স্বার্থে গঠিত হয় অথবা ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানকে সম্পূর্ণ বা আংশিক জাতীয়করণের মাধ্যমে রাষ্ট্র কর্তৃক পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয়, ঐসব প্রতিষ্ঠানকে রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় বলা হয়।
খ যে সরকারি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্যসামগ্রী তৈরি ও সরবরাহ করে তাকে বাংলাদেশ রাসায়নিক শিল্প সংস্থা বলে।
বাংলাদেশ রাসায়নিক শিল্প সংস্থা বড় ও মাঝারি আকারে রাসায়নিক কারখানা পরিচালনা করে। দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে শিল্পনীতির বাস্তবায়নে এটি সরকারকে সহায়তা করে। এটি শিল্পের মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে মানসম্মত পণ্য তৈরি করে ও কৃষিজ উৎপাদন সহায়ক পণ্যদ্রব্য সরবরাহ করে।
গ ড্রিম হ্যাভেন ব্যবসায়টি প্রাথমিক অবস্থায় প্রাইভেট পাবলিক পার্টনারশিপ (চচচ) সংগঠন ছিল।
দেশের শিল্পায়ন বা জনসেবার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে অনেক দেশের সরকার প্রাইভেট সেক্টরকে উৎসাহিত করতে এ ধরনের ব্যবসায় গঠন করে। সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারিত্বে প্রতিষ্ঠিত হয় চচচ ব্যবসায়।
পূর্ব তিমুর সদ্য স্বাধীন হওয়া রাষ্ট্রটি ঐ দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য বিদ্যমান বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ড্রিম হ্যাভেনের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়। সমগ্র মুনাফার ৪৯% মালিক হবে সরকার। ৫১% মুনাফার মালিক হবে কোম্পানিটি। শর্তসাপেক্ষে কোম্পানিটি দেশের বিভিন্ন স্থানে রাস্তা, ব্রিজ, কালভার্ট নির্মাণ করবে। বৈদেশিক বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য গভীর সমুদ্রবন্দর স্থাপন করবে। চুক্তি অনুযায়ী যৌথভাবে প্রতিষ্ঠানটি কাজ করবে, যা পিপিপি ব্যবসায়ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
ঘ ড্রিম হ্যাভেন ব্যবসায় সংগঠনটির নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা সরকারের নিজের হাতে রাখতে হলে পিপিপি চুক্তির আওতায় নির্মাণ পরিচালনা হস্তান্তর (বিওটি) করতে হবে।
নির্মাণ পরিচালনা হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় একত্রে প্রকল্প নির্মাণ ও পরিচালনা চুক্তিবদ্ধ নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় থাকে। সময় উত্তীর্ণ হলে পরিচালনার দায়িত্ব সরকারের নিকট হস্তান্তর করা হয়। পিপিপির অধীনে থাকা কোনো ব্যবসায়কে চুক্তির মেয়াদ শেষে সরকারের মালিকানায় নিতে নির্মাণ পরিচালনা হস্তান্তর (ইঙঞ) চুক্তি সম্পাদন করতে হয় বেসরকারি মালিকের সাথে।
ড্রিম হ্যাভেন কোম্পানির সাথে স্বাধীনতা পরবর্তী দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে পূর্ব তিমুরের সরকার পিপিপি ব্যবসায় গড়ে তোলে। পিপিপির অধীনে দেশের বিভিন্ন রাস্তাঘাটে, ব্রিজ, কালভার্ট নির্মাণ করে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিষ্ঠানটির কাজ শেষ হলে দেশটির সরকার তার মালিকানা সরকারের অধীনে রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে সরকারকে ড্রিম হ্যাভেন কোম্পানির মালিকের সাথে বিওটি (ইঙঞ) চুক্তি করতে হবে। এ চুক্তির আওতায় সরকারকে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের পাওনা ফেরত দিতে হবে। সুতরাং, ড্রিম হ্যাভেন কোম্পানিটির মালিকানা সরকারের অধীনে রাখতে হলে পূর্বের চুক্তির বাদ দিতে বিওটি চুক্তি সম্পাদন করতে হবে।

মমমপ্রশ্ন১২ রকিব উদ্দিন একজন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা। সম্প্রতি সরকার তাকে একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের পরিচালক পদে নিয়োগ প্রদান করেছেন। প্রতিষ্ঠানটি ঢাকা শহরস্থ বাংলাদেশের সড়ক যোগাযোগ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করছে। ঢাকা ও গাজীপুরে এর দুটি ওয়ার্কশপ রয়েছে। এটি সারাদেশে যাত্রী ও মালামাল পরিবহনের ক্ষেত্রে অবদান রাখছে। সম্প্রতি ঢাকা শহরে স্কুলে শিশুদের আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটি সেবা দিচ্ছে। [য. বো. ১৬]
অ ক. রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় কী? ১
অ খ. রাষ্ট্রীয় ব্যবসায়ের উদ্দেশ্য প্রায়ই ব্যর্থ হয় কেন? ২
অ গ. উদ্দীপকের উলি­খিত রকিব উদ্দিন কোন প্রতিষ্ঠানের কর্মরত রয়েছেন? ব্যাখ্যা করো। ৩
অ ঘ. উদ্দীপকের উলি­খিত প্রতিষ্ঠানটির সেবার মান সম্পর্কে তুমি কি সন্তুষ্ট? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও। ৪
১২ নং প্রশ্নের উত্তর অ
ক যেসব প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রের বৃহত্তর স্বার্থে গঠিত হয় অথবা ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানকে সম্পূর্ণ বা আংশিক জাতীয়করণের মাধ্যমে রাষ্ট্র কর্তৃক পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয় তাকে রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় বলা হয়।
খ যেসব প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রের বৃহত্তর স্বার্থে গঠিত হয় এবং রাষ্ট্র কর্তৃক পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয় তাকে রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় বলে।
সম্পদের সুষম বণ্টন ও জনকল্যাণের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় গঠিত হলেও পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণগত সমস্যার কারণে এ খাত থেকে আশানুরূপ ফল পাওয়া যায় না। এছাড়া কাক্সিক্ষত মাত্রার ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণ না থাকায় দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, ব্যাপক অপচয় ও শ্রমিক-কর্মীদের মধ্যে মারাÍক হতাশার কারণে রাষ্ট্রীয় ব্যবসায়ের উদ্দেশ্য প্রায়শই ব্যর্থ হয়।
গ উদ্দীপকের রকিব উদ্দিন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সংস্থায় কর্মরত রয়েছেন।
উদ্দীপকে সরকারের ব্যবসায় হলো রাষ্ট্রীয় ব্যবসায়। সরকার জনকল্যাণের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন খাতে রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় সংগঠন গড়ে তোলে।
রকিব উদ্দিন একটি প্রতিষ্ঠান পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেলেন। প্রতিষ্ঠানটি সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে। বাংলাদেশে সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে একমাত্র বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সংস্থা বা বিআরটিসি ভ‚মিকা রাখে। রকিব উদ্দিনের এ বিআরটিসির ঢাকা ও গাজীপুর শহরে দুটি ওয়ার্কশপ আছে। বিআরটিসি সারাদেশে যাত্রী এবং মালামাল পরিবহন করে। ঢাকা শহরে প্রতিষ্ঠানটি স্কুলবাস চালু করেছে। সুতরাং, রকিব উদ্দিনের প্রতিষ্ঠানটি কাজ ও বৈশিষ্ট্য বিবেচনায় নিঃসন্দেহে বাংলাদেশ সড়ক ও পরিবহন কর্পোরেশন।
ঘ বাংলাদেশ সড়ক ও পরিবহন কর্পোরেশনের সেবার মান সম্পর্কে আমি সন্তুষ্ট।
পুঁজিবাদী অর্থনীতি এবং একচেটিয়া ব্যবসায় থেকে জনগণকে রক্ষা করতে রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় গঠিত হয়। এ ব্যবসায়ের প্রধান কাজ হলো সেবার মাধ্যমে জনকল্যাণ নিশ্চিত করা।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন একটি রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় সংগঠন। ব্যবসায়টি পরিবহন সেবা প্রদান করে। প্রতিষ্ঠানটি পরিবহনের ক্ষেত্রে উন্নত মান ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। সরকারি প্রতিষ্ঠান হওয়ায় এটি ন্যায্য ভাড়া নিয়ে থাকে। প্রতিষ্ঠানটি দ্রুত ও আরামদায়ক সেবা প্রদান করে থাকে। সারা বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠানটির কাউন্টার আছে। দক্ষ কর্মীরা এগুলো পরিচালনা করে। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিটি গাড়িতে দক্ষ এবং প্রশিক্ষিত চালক।
বাংলাদেশ সড়ক ও পরিবহন কর্পোরেশন নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও উন্নত সেবা প্রদান করছে। প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমে পরিবহন বিশৃঙ্খলা অনেকাংশে কমেছে। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি নারী এবং শিশুদের জন্যও পরিবহন সেবা প্রদান করছে।

মমমপ্রশ্ন১৩ বাংলাদেশের যানজট সমস্যা নিরসনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার মেট্রোরেল নির্মাণের প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে ইতালিয়ান থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি কাজ শুরু করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সুবিধাসহ বিভিন্ন সুবিধা ভোগের জন্য এ ধরনের ব্যবসায় কার্যক্রমে যুক্ত হচ্ছে। [রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, ঢাকা]
ক. কৃতিত্ব অর্জন চাহিদা কী? ১
খ. ন্যূনতম মূলধন কেন সংগ্রহ করা হয়? ব্যাখ্যা করো। ২
গ. উদ্দীপকে উলি­খিত মেট্রোরেল নির্মাণের কাজটি মালিকানার ভিত্তিতে কোন ধরনের ব্যবসায় সংগঠন? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি উন্নীতকরণের লক্ষ্যে তুমি কি এ ধরনের ব্যবসায় কার্যক্রম সমর্থন করো? উত্তরের স্বপক্ষে যুক্তি দাও। ৪
১৩ নং প্রশ্নের উত্তর
মক কৃতিত্ব অর্জনের সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছার আকাক্সক্ষাকে কৃতিত্ব অর্জন চাহিদা বলে। অ
মখ পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি গঠনে প্রাথমিক ব্যয় নির্বাহের জন্য যে অর্থ সংগ্রহ করা হয় তাকে ন্যূনতম মূলধন বলে। অ
কোম্পানির শেয়ার বিলির আগেও মূলধন সংগ্রহ করতে হয়। ন্যূনতম মূলধন সংগ্রহ না করলে কোম্পানি কার্যারম্ভের অনুমতি পায় না। তাই পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিকে এই ন্যূনতম মূলধন সংগ্রহ করতে হয়।
মগ উদ্দীপকে উলি­খিত মেট্রোরেল নির্মাণের কাজটি মালিকানার ভিত্তিতে যৌথ উদ্যোগে ব্যবসায়ের অন্তর্গত। অ
এ ধরনের সংগঠন দেশি ও বিদেশি উদ্যোক্তাদের সমন্বয়ে গঠিত ও পরিচালিত হয়। একে বিশেষ কোনো প্রজেক্ট বাস্তবায়নের যৌথ উপায় হিসেবে মনে করা হয়। বর্তমানে উন্নয়নশীল ও ধনী দেশগুলোর উদ্যোক্তাদের সমন্বয়ে এরূপ ব্যবসায় জনপ্রিয়তা লাভ করছে।
উদ্দীপকে উলে­খ্য, বাংলাদেশের যানজট সমস্যা নিরসনের জন্য সরকার মেট্রোরেল নির্মাণের প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে ইতালিয়ান থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি কাজ শুরু করেছে। অর্থাৎ দুটি দেশ যৌথভাবে এ কাজ করতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। এতে দক্ষভাবে কাজ করা সম্ভব হয়। সরকারেরও আর্থিক চাপ ও দ্রুত কাজ শেষ করা যাবে। এসব কাজ যৌথ উদ্যোগে ব্যবসায় সংগঠনের সাথে সংগতিপূর্ণ। তাই বলা যায়, উদ্দীপকে মেট্রোরেল নির্মাণ কাজটি এ ব্যবসায়ের কাজেরই অন্তর্গত।
মঘ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি উন্নীতকরণের লক্ষ্যে উদ্দীপকের যৌথ উদ্যোগে গঠিত ব্যবসায় কার্যক্রমকে আমি সমর্থন করি। অ
যৌথ উদ্যোগে যে কোনো কাজই ফলপ্রসূ হয়। বর্তমানে বিদেশি দক্ষ উদ্যোক্তাদের সাথে দেশি উদ্যোক্তারা বিভিন্ন প্রজেক্ট যৌথভাবে করছেন। তাই এসব কাজ অধিক কার্যকরভাবে সম্পন্ন হচ্ছে। এ ধরনের ব্যবসায় বর্তমানে খুবই জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
উদ্দীপকে উলে­খ্য, বাংলাদেশ সরকার ইতালিয়ান থাই ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির সাথে যৌথ উদ্যোগে মেট্রোরেল নির্মাণ কাজ শুরু করেছে। বর্তমানের যানজট সমস্যা নিরসনে সরকার এ প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এ কাজটি যৌথ উদ্যোগে ব্যবসায়ের সাথে সংগতিপূর্ণ।
এ ধরনের ব্যবসায় গঠনের ফলে দেশি ও বিদেশি উদ্যোক্তাগণ একসাথে দক্ষভাবে কাজ করে। এতে বিদেশি উদ্যোক্তাদের সহচর্যে দেশি উদ্যোক্তাদের দক্ষতা বাড়ে। এছাড়া দেশের অভ্যন্তরে বিদেশি পুঁজি ও প্রযুক্তির সমন্বয় হয়। অভ্যন্তরীণ সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার করা যায়। এসব প্রকল্প শুরু করার পর এখানে অনেক লোকের কাজের ব্যবস্থা হয়। ফলে বেকার সমস্যা কমে যায়। দেশের শিল্পায়ন ও রপ্তানি বৃদ্ধি পায় দক্ষ জনশক্তির শ্রমের মাধ্যমে। এভাবে অর্থনৈতিকভাবে দেশ উন্নত হতে থাকে। তাই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে যৌথ উদ্যোগে ব্যবসায়ের কার্যক্রমকে আমি নিঃসন্দেহে সমর্থন করি।

 

Leave a Reply