এইচএসসি ব্যবসায় উদ্যোগ অষ্টম অধ্যায় যোগাযোগ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

অধ্যায়-৮: যোগাযোগ

গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

মমমপ্রশ্ন১ মি. লিটন একটা প্রাইভেট ফার্মের কর্মচারী। তিনি প্রতিষ্ঠানের নিয়ম মেনে বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে ঊর্ধ্বতনের সাথে যোগাযোগ করেন। আবার প্রতিষ্ঠানটি তাদের এজেন্টদের সাথে মোবাইল ফোনে যেকোনো বিষয়ে পরামর্শ করে। উপরন্তু বিদেশি ব্যবসায়ীদের সাথে তথ্য আদান-প্রদানে ইন্টারনেট ব্যবহার করে। ফলে দ্রুত তথ্য পাওয়া সম্ভব হয়, যা প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্যার্জনে সহায়ক। [ঢা. বো. ১৭; কু. বো. ১৭]
অ ক. উলম্ব যোগাযোগ কী? ১
অ খ. ভুল-বোঝাবুঝির অবসানে লিখিত যোগাযোগ গুরুত্বপূর্ণ কেন? ব্যাখ্যা করো। ২
অ গ. উদ্দীপকে লিটনের যোগাযোগ আনুষ্ঠানিকতার ভিত্তিতে কোন ধরনের? ব্যাখ্যা করো। ৩
অ ঘ. ‘যান্ত্রিক যোগাযোগ উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানকে গতিশীল করেছে’Ñ বিশ্লেষণ করো। ৪
১ নং প্রশ্নের উত্তর অ
ক সংগঠনের উচ্চস্তর ও নিæস্তরের ব্যক্তিবর্গের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যমে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা হলে তাকে উলম্ব যোগাযোগ বলে।
খ লিখিত যোগাযোগ হলো শব্দ বা বাক্য লিখে মনের ভাব প্রকাশ ও তথ্য বিনিময় করা।
লিখিত যোগাযোগে শব্দ ব্যবহার করে অর্থপূর্ণ সংবাদ লিখে তা প্রাপকের নিকট প্রেরণ করা হয়। এ ব্যবস্থায় সংবাদটি দলিল আকারে সংরক্ষিত থাকে। এছাড়া যোগাযোগের পক্ষসমূহের মধ্যে মতের অমিল লিখিত সংবাদ প্রমাণ হিসেবে দেখানো যায়। ফলে পক্ষসমূহের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়।
মগ উদ্দীপকে লিটনের যোগাযোগ পদ্ধতিটি আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ।
আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ সংগঠন কর্তৃক প্রণীত নিয়ম-নীতি, রীতি-পদ্ধতি অনুসরণ করে সংঘটিত হয়। এ যোগাযোগ প্রতিষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমেই সম্পন্ন হয়।
উদ্দীপকে মি. লিটন একটি প্রাইভেট ফার্মের কর্মচারী। তিনি প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন নিয়ম-কানুন মেনে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে ঊর্ধ্বতনের সাথে যোগাযোগ করেন। এক্ষেত্রে তাকে প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রণীত নিয়ম-নীতি মানতে হয়, যা আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ পদ্ধতিকে নির্দেশ করে। সুতরাং বলা যায়, প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতনের সাথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে তিনি আনুষ্ঠানিকতার ভিত্তিতে যোগাযোগ করেন।
মঘ ‘যান্ত্রিক যোগাযোগ উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানকে গতিশীল করেছে’ Ñউক্তিটির যৌক্তিকতা রয়েছে।
যান্ত্রিক যোগাযোগ হলো এক ধরনের যোগাযোগ পদ্ধতি, যার মাধ্যমে যন্ত্রের সাহায্যে বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে তথ্য, সংবাদ, ধারণা, মতামতের আদান-প্রদান হয়ে থাকে। এর মাধ্যমে সময় ও ব্যয় উভয়ই সাশ্রয় হয়।
উদ্দীপকের লিটন মিয়ার কর্মরত প্রতিষ্ঠানটি তাদের এজেন্টের সাথে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ গ্রহণ করে। এছাড়াও বিদেশি ব্যবসায়ীদের সাথে তথ্য আদান-প্রদানে ইন্টারনেট ব্যবহার করে। ফলে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন তথ্য দ্রুত পাওয়া সম্ভব হয়।
উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানটি তাদের সার্বিক কর্মকাণ্ড নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসে। ফলে বিশ্বের যেকোনো তথ্য বা সংবাদ তারা দ্রুত পাচ্ছে। এতে করে প্রতিষ্ঠানটি প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন মানুষের চাহিদা ও রুচি জেনে পণ্য উৎপাদন করতে পারে, যা প্রতিষ্ঠানটিকে তাদের লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করছে। সুতরাং বলা যায়, যান্ত্রিক যোগাযোগ পদ্ধতি ব্যবহারের কারণেই উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানকে গতিশীল করেছে।
মমমপ্রশ্ন২ নিচের চিত্রটি দেখে গ ও ঘ নং প্রশ্নের উত্তর দাও।

 

 

[রা. বো. ১৭]
অ ক. ই-মেইল কী? ১
অ খ. ভিডিও কনফারেন্সিং বলতে কী বোঝায়? ২
অ গ. প্রদত্ত চিত্রটি ব্যবস্থাপনায় কোন প্রক্রিয়া নির্দেশ করে? ব্যাখ্যা করো। ৩
অ ঘ. উক্ত প্রক্রিয়ায় চিত্রে ‘অ’ চিহ্নিত উপাদানটির ভ‚মিকা মূল্যায়ন করো। ৪
২ নং প্রশ্নের উত্তর অ
মক ই-মেইল বলতে এক কম্পিউটার/মোবাইল হতে ইন্টারনেটের মাধ্যমে অন্য কোনো কম্পিউটার/মোবাইলে কোনো তথ্য আদান-প্রদানকে বোঝায়।
সহায়ক তথ্য
ঊ-সধরষ-এর পূর্ণরূপ হলো ঊষবপঃৎড়হরপ সধরষ।
মখ ভিডিও কনফারেন্সিং হলো এক ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা, যেখানে টেলিভিশন বা মনিটরের পর্দায় মিটিংয়ে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিগণ পরস্পরে মুখোমুখি হয় ও কথোপকথনে অংশগ্রহণ করে।
টেলিকনফারেন্সিংয়ের একটি প্রক্রিয়া হলো ভিডিও কনফারেন্সিং। এজন্য কম্পিউটার ও ইন্টারনেট আবশ্যক। এ ব্যবস্থায় মনিটরের পর্দায় গ্রাহক ও প্রেরক পরস্পরকে দেখতে ও কথা বলতে পারেন। দেশে এবং বিদেশেও এ প্রক্রিয়ায় একে অন্যের সাথে যোগাযোগ করতে পারে। এ জাতীয় যোগাযোগ তুলনামূলক ব্যয়বহুল।
মগ প্রদত্ত চিত্রটি ব্যবস্থাপনার যোগাযোগ প্রক্রিয়া নির্দেশ করে।
যোগাযোগ প্রক্রিয়া বলতে এমন কতকগুলো পদক্ষেপ বা অংশের সমষ্টিকে বোঝায়, যার মধ্য দিয়ে প্রেরকের কাছ থেকে সংবাদ প্রাপকের নিকট পৌঁছে। যখন কোনো যোগাযোগ প্রক্রিয়া কার্যকরভাবে প্রত্যাশিত ফল অর্জনে সক্ষম হয়, তখন সেটি সফল হয়।
সংবাদ প্রেরক কোনো তথ্য বা সংবাদ কারো নিকট প্রেরণের ইচ্ছা পোষণ করলেই যোগাযোগ প্রক্রিয়ার সূচনা ঘটে। প্রাপ্ত সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে প্রেরকের নিকট প্রাপকের প্রত্যুত্তর প্রদানের মাধ্যমে ঐ প্রক্রিয়ার সমাপ্তি ঘটে। যোগাযোগ প্রক্রিয়া অনেকগুলো উপাদানের সমন্বয়ে গঠিত, যার প্রতিটি উপাদান একটির সাথে অন্যটি সম্পর্কযুক্ত। উদ্দীপকে সুতরাং উলি­খিত সামগ্রিকভাবে চিত্রটি যোগযোগ প্রক্রিয়াকে নির্দেশ করে।
মঘ উক্ত প্রক্রিয়ায় চিত্রে ‘অ’ চিহ্নিত উপাদানটি হলো ফলাবর্তন, যা যোগাযোগ প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখে।
তথ্য বা সংবাদ প্রেরণের পর প্রাপকের কাছ থেকে প্রেরকের কাছে যে প্রত্যুত্তর আসে তা ফলাবর্তন। ফলাবর্তনের মাধ্যমেই যোগাযোগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন এবং পরিপূর্ণতা লাভ করে।
উদ্দীপকের চিত্রটি সামগ্রিকভাবে একটি যোগাযোগ প্রক্রিয়া। যার শুরুতে রয়েছে প্রেরক এবং প্রেরকের প্রাপ্ত সংবাদের বিনিময়ে প্রাপক যে প্রত্যুত্তর দেয় তা হলো ফলাবর্তন। ফলাবর্তনের মাধ্যমেই যোগাযোগ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়। তাই চিত্রের ‘অ’ চিহ্নিত উপাদানটি হলো ফলাবর্তন।
যোগাযোগ প্রক্রিয়া শুরু হয় প্রেরকের মাধ্যমে। প্রেরকের মানসিক ধারণাকে প্রেরণযোগ্য করে সাজানোর মাধ্যমে যা তৈরি হয় তা সংবাদ। যে উপায়ে সংবাদ প্রাপকের নিকট পৌঁছায় তা হলো সংবাদ মাধ্যম। যিনি প্রেরিত সংবাদ গ্রহণ করেন তিনি হলেন প্রাপক। প্রাপক প্রত্যুত্তর প্রদানের জন্য সংবাদকে প্রেরণযোগ্য করে সাজান। সর্বশেষ প্রেরকের সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাপকের প্রদত্ত প্রত্যুত্তরের মাধ্যমে ফলাবর্তন হয়। আর ফলাবর্তন ছাড়া যোগাযোগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে পারে না। তাই, ফলাবর্তন যোগাযোগ প্রক্রিয়া সম্পাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখে।

মমমপ্রশ্ন৩ মাইক্রোসফট একটি বিশ্বখ্যাত সফটওয়্যার কোম্পানি। সারা বিশ্বে প্রতিষ্ঠানটির অসংখ্য আঞ্চলিক অফিস রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি প্রতিমাসে আঞ্চলিক প্রধানদের নিয়ে সভার আয়োজন করে। আঞ্চলিক প্রধানগণ স্ব-স্ব কর্মস্থলে বসেই এক ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করে সরাসরি এ সভায় অংশগ্রহণ করেন। সেখানে তারা নিজেদের মূল্যবান তথ্য উপস্থাপনের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ মতামত দেন। এতে আঞ্চলিক কর্মকর্তাদের প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয়ে যাতায়াতের প্রচুর ব্যয় সাশ্রয়ের পাশাপাশি সময় লাঘব হয়ে থাকে। ব্যয় হ্রাসের কারণে পণ্যের দামও তুলনামূলকভাবে কম হয়। [দি. বো. ১৭]
অ ক. সংগঠিতকরণ কী? ১
অ খ. কার্যভিত্তিক সংগঠন কখন ব্যবহার করা হয়? ব্যাখ্যা করো। ২
অ গ. উদ্দীপকে বর্ণিত প্রতিষ্ঠানের এ ধরনের সভার ব্যবস্থাকে কী বলা হয়? ব্যাখ্যা করো। ৩
অ ঘ. প্রতিষ্ঠানটির এ ধরনের সভা আহŸান করার পেছনে যোগাযোগের কোন গুণাবলি অধিকতর ভ‚মিকা পালন করে? মতামত দাও। ৪
৩ নং প্রশ্নের উত্তর অ
মক বিভিন্ন বিভাগ-উপবিভাগ ও কর্মীদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক নির্ধারণকে সংগঠিতকরণ বলে।
মখ একটি প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন প্রকৃতির (উৎপাদন, ক্রয়, বিক্রয়) কাজ চালু থাকলে, তখন কার্যভিত্তিক সংগঠন ব্যবহার করা হয়।
শিল্প প্রতিষ্ঠান কিংবা বৃহদাকার উৎপাদন প্রতিষ্ঠানের কাজ সাধারণত প্রক্রিয়াভিত্তিক হয়ে থাকে। এ প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ড পরিচালনার ক্ষেত্রে অধিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ও বিশেষজ্ঞ কর্মীর প্রয়োজন হয়। এজন্য কাজের ধরন অনুযায়ী বিভিন্ন বিভাগ তৈরি করে বিশেষজ্ঞ কর্মী নিয়োগ করা হয়। এতে বিশেষায়ণের অধিক সুবিধা অর্জিত হয়। তাই শিল্প প্রতিষ্ঠান তথা যেখানে কাজের চাপ বেশি, সেখানে কার্যভিত্তিক সংগঠন বেশি প্রয়োজন।
মগ উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানটি ভিডিও কনফারেন্সিং সভার আয়োজন করেছে।
ভৌগোলিকভাবে বিভিন্ন স্থানে বিস্তৃত বিভিন্ন ব্যক্তি বা দলের মধ্যে তথ্য বিনিময়ের একটি আধুনিক পদ্ধতি হলো ভিডিও কনফারেন্সিং। এক্ষেত্রে কম্পিউটার বা মুঠোফোনে গ্রাহক ও প্রেরক পরস্পরকে দেখতে এবং কথা বলতে পারেন।
উদ্দীপকে, উলি­খিত মাইক্রোসফট একটি বিশ্বখ্যাত সফটওয়্যার কোম্পানি। সারাবিশ্বে প্রতিষ্ঠানটির অসংখ্য আঞ্চলিক অফিস রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি প্রতিমাসে আঞ্চলিক প্রধানদের নিয়ে সভার আয়োজন করে। আঞ্চলিক প্রধানগণ স্ব-স্ব কর্মস্থলে বসেই এক ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করে সরাসরি এ সভায় অংশগ্রহণ করেন। সেখানে তারা নিজেদের মূল্যবান তথ্য উপস্থাপনের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ মতামত দেন। সুতরাং, প্রতিষ্ঠানে আয়োজিত সভাটি হলো ভিডিও কনফারেন্সিং।
মঘ প্রতিষ্ঠানটির ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে সভা আহŸান করার পেছনে যোগাযোগের ফলাবর্তন বিষয়টি অধিকতর ভ‚মিকা পালন করে।
তথ্য বা সংবাদ প্রেরণের পর প্রাপকের নিকট হতে প্রেরকের নিকট প্রত্যুত্তর আসাই হলো ফলাবর্তন। ফলাবর্তনের মাধ্যমে যোগাযোগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় এবং পরিপূর্ণতা লাভ করে।
উদ্দীপকে মাইক্রোসফট একটি বিশ্বখ্যাত সফটওয়্যার কোম্পানি। সারাবিশ্বে প্রতিষ্ঠানটির অসংখ্য আঞ্চলিক অফিস রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির আঞ্চলিক প্রধানগণ প্রতিমাসে স্ব-স্ব কর্মস্থলে বসে ভিডিও কনফারেন্স সভার আয়োজন করে। এতে করে প্রত্যেকে প্রতিটি শাখার খবরাখবর সহজে এবং সাশ্রয়ী মূল্যে পেয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ ফলাবর্তন খুব দ্রুত হচ্ছে।
যোগাযোগ প্রক্রিয়া শুরু হয় প্রেরকের মাধ্যমে। আর সম্পন্ন হয় প্রাপকের প্রদত্ত প্রত্যুত্তর অর্থাৎ ফলাবর্তনের মাধ্যমে। এ প্রত্যুত্তর পেতে দীর্ঘসময় লাগলে সময় ও খরচ উভয় বেশি হয়। কিন্তু যদি ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে সভা করা হয়, তাতে সরাসরি প্রত্যুত্তর পাওয়া যায়। উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানটিতে ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে সভা করায় আঞ্চলিক কর্মকর্তাদের প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয়ে যাতায়াতের প্রচুর ব্যয় সাশ্রয়ের পাশাপাশি সময় লাঘব হয়েছে। ব্যয় হ্রাসের কারণে পণ্যের দামও তুলনামূলকভাবে কম হয়েছে। তাই বলা যায়, প্রতিষ্ঠানটির ভিডিও কনফারেন্সিং সভা আহবান করার পেছনে যোগাযোগের ফলাবর্তন বিষয়টি অধিকতর ভ‚মিকা পালন করেছে।

মমমপ্রশ্ন৪ গ্যাসকো একটি বিদেশি গ্যাস উত্তোলনকারী কোম্পানি। কোম্পানিতে মি. জিয়াং ব্যবস্থাপক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি কর্মীদের লিখিত ও মৌখিক নির্দেশনা প্রদানের ক্ষেত্রে দুর্বোধ্য ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করেন। ফলে কর্মীদের বোঝা যেমন কষ্টকর, তেমনি দ্রুততার সাথে তার নির্দেশ পালন করাও কঠিন হয়ে ওঠেছে। এতে করে প্রতিষ্ঠানটিতে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। [দি. বো. ১৭]
অ ক. যোগাযোগ কী? ১
অ খ. কার্যবিভাজন কেন প্রয়োজন? ব্যাখ্যা করো। ২
অ গ. মি. জিয়াং যোগাযোগের কোন নীতিটি উপেক্ষা করেছেন? বর্ণনা করো। ৩
অ ঘ. গ্যাসকো কোম্পানির বিশৃঙ্খলা দূর করতে তোমার পরামর্শ প্রদান করো। ৪
৪ নং প্রশ্নের উত্তর অ
মক দুই বা ততোধিক ব্যক্তি বা পক্ষের মধ্যে সংবাদ, তথ্য, ভাব, আবেগ-অনুভ‚তি আদান-প্রদানের প্রক্রিয়াকে যোগাযোগ বলে।
মখ প্রতিষ্ঠানের কাজকে প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন ভাগে ভাগ করে প্রত্যেক কর্মীর দায়িত্ব ও কর্তৃত্ব সুস্পষ্টভাবে নির্দিষ্ট করে দেওয়াকে কার্যবিভাজন বলে।
এরূপ বিভাজনের ফলে প্রত্যেক বিভাগ, উপবিভাগ এবং সেই সাথে এতে নিয়োজিত জনশক্তি ও তাদের কাজকে সুনির্দিষ্ট করা সম্ভব হয়। তাছাড়া একই ধরনের কাজ করায় প্রতিটি বিভাগে কর্মরত কর্মীদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি পায়। এতে প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনশীলতাও বাড়ে।
মগ মি. জিয়াং যোগাযোগের ভাষাগত নীতিটি উপেক্ষা করেছেন।
সুষ্ঠু যোগাযোগের ক্ষেত্রে ভাষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। সঠিকভাবে ভাষা ব্যবহার না করতে পারলে যোগাযোগ কর্মীদের বোধগম্য হয় না এবং এর উদ্দেশ্য ব্যাহত হতে পারে।
উদ্দীপকে গ্যাসকো একটি বিদেশি গ্যাস উত্তোলনকারী কোম্পানি। উক্ত কোম্পানিতে মি. জিয়াং ব্যবস্থাপক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি কর্মীদের লিখিত ও মৌখিক নির্দেশনা প্রদানের ক্ষেত্রে দুর্বোধ্য ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করেন। ফলে কর্মীদের এ ভাষা বোঝা বেশ কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। এতে বোঝা যায়, গ্যাসকো কোম্পানিতে মি. জিয়াং যোগাযোগের ভাষাগত নীতিটি উপেক্ষা করেছেন।
মঘ গ্যাসকো কোম্পানির বিশৃঙ্খলা দূর করার জন্য ভাষাগত প্রতিবন্ধকতা দূর করা উচিত।
ভাষার ভিন্নতা মানব সমাজে একটা স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য। একেক স্থানের ভাষা ভিন্ন অর্থ বহন করতে পারে। এ ভিন্নতা থেকে যোগাযোগে যে বাধার সৃষ্টি হয়, তাকে যোগাযোগের ক্ষেত্রে ভাষাগত প্রতিবন্ধকতা হিসেবে গণ্য করা হয়।
উদ্দীপকে মি. জিয়াং গ্যাসকো কোম্পানিতে ব্যবস্থাপক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের নির্দেশ দানের ক্ষেত্রে দুর্বোধ্য ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করেন। ফলে কর্মীদের তার ভাষা বুঝতে কষ্ট হয় এবং যেকোনো নির্দেশ দ্রুত পালন করা কঠিন হয়ে পড়ে। এতে প্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।
যোগাযোগের অন্যতম প্রধান বাহন হলো ভাষা। কার্যকর যোগাযোগের ক্ষেত্রে ভাষার মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করতে গিয়ে অনেক সময় ভাষাগত জটিলতার কারণে সমস্যা দেখা দেয়। উদ্দীপকে প্রতিষ্ঠানটিতেও তা-ই হয়েছে। মি. জিয়াং-এর দুর্বোধ্য ইংরেজি ভাষা কর্মীরা বোঝে না। ফলে তারা দ্রুততার সাথে কাজও করতে পারে না। এতে প্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। তাই আমি মনে করি, মি. জিয়ং যদি সহজ সরল ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করে, তাহলে কর্মীদের তা বুঝতে কষ্ট হবে না, এবং তারা খুব স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করবে। সুতরাং এ ভাষাগত প্রতিবন্ধতা দূর করা খুব জরুরি।

মমমপ্রশ্ন৫ এরিয়া ম্যানেজার জনাব কিবরিয়া প্রতিদিন অফিসে এসে প্রথমেই প্রতিষ্ঠানের সব পর্যায়ের খবরাখবর জেনে নেন। বিভিন্ন স্থানে নিয়োজিত ডিলারদের সাথে টেলিফোনে কথা বলে বিক্রয়ের সার্বিক অবস্থা জানেন এবং বিক্রয় বাড়ানোর জন্য উৎসাহিত করেন। ডিলাররা পণ্য ক্রয়ের কোনো অর্ডার দিলে তিনি তা টেলিফোনে গ্রহণ করেন না। তাদেরকে স্বাক্ষরসহ ফরমায়েশ পাঠাতে বলেন। পণ্য পাঠানোর পর তিনি সেগুলো সংরক্ষণ করেন। [চ. বো. ১৭]
অ ক. যোগাযোগ কী? ১
অ খ. ঊর্ধ্বগামী যোগাযোগ বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা করো। ২
অ গ. উদ্দীপকে জনাব কিবরিয়া প্রথমে অফিসে এসে যেভাবে যোগাযোগ করেন শাব্দিক পদ্ধতি বিচারে তা কোন ধরনের? ব্যাখ্যা করো। ৩
অ ঘ. উদ্দীপকে জনাব কিবরিয়া পণ্য ফরমায়েশের ক্ষেত্রে যে পদ্ধতিতে যোগাযোগ করেন তার যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ করো। ৪
৫ নং প্রশ্নের উত্তর অ
মক দুই বা ততোধিক ব্যক্তি বা পক্ষের মধ্যে সংবাদ, তথ্য, ভাব, আবেগ-অনুভ‚তি আদান-প্রদানের প্রক্রিয়াকে যোগাযোগ বলে।
মখ প্রতিষ্ঠানের অধীনস্থ কর্মচারীগণ কোনো সংবাদ বা তথ্য নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে তাকে ঊর্ধ্বগামী যোগাযোগ বলে।
এটি মূলত নির্দেশনার ভিত্তিতে যোগাযোগ। প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় তথ্য, (পণ্য বাজার, প্রতিযোগীদের অবস্থা) সম্পর্কে সাধারণত নিæ পর্যায়ের কর্মীরাই অধিক তথ্য জানে। এসব তথ্য বা যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অধস্তন কর্মী তার ঊর্ধ্বতনের নিকট প্রেরণ করে। ফলে তাদের মধ্যে যে যোগাযোগ ব্যবস্থা সৃষ্টি হয় তা-ই ঊর্ধ্বগামী যোগাযোগ।
মগ উদ্দীপকে জনাব কিবরিয়া প্রথমে অফিসে এসে যেভাবে যোগাযোগ করেন তা শাব্দিক পদ্ধতি বিচারে মৌখিক যোগাযোগ।
এ যোগাযোগ সাধারণত সামনা-সামনি, কথোপকথন, সভা, সাক্ষাৎকার, টেলিফোনে কথোপকথনের মাধ্যমে সংঘটিত হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে সংবাদ প্রেরক ও প্রাপকের মধ্যে সরাসরি তথ্যের বিনিময় ঘটে।
উদ্দীপকে জনাব কিবরিয়া একজন এরিয়া ম্যানেজার। তিনি প্রতিদিন অফিস এসে প্রথমেই প্রতিষ্ঠানের সব পর্যায়ের খবরাখবর জেনে নেন। এজন্য বিভিন্ন স্থানে নিয়োজিত ডিলারদের সাথে টেলিফোনে কথা বলে বিক্রয়ের সার্বিক অবস্থা জানেন এবং বাড়ানোর জন্য তাদের উৎসাহিত করেন। যেহেতু তিনি টেলিফোনে যোগাযোগ করেন, তাই যোগাযোগ পদ্ধতিটি হলো মৌখিক যোগাযোগ। সুতরাং বলা যায়, জনাব কিবরিয়া অফিসে এসে প্রথমে মৌখিক যোগাযোগ পদ্ধতিটি ব্যবহার করেছেন।
মঘ উদ্দীপকে জনাব কিবরিয়া পণ্য ফরমায়েশের ক্ষেত্রে লিখিত যোগাযোগ পদ্ধতি ব্যবহার করেন।
লিখিত যোগাযোগ সাধারণত চিঠি, ই-মেইল, বার্তা, ওয়েব পেজ, ক্ষুদে বার্তা, টেলিভিশন, পত্রিকা, প্রতিবেদনের মাধ্যমে সংঘটিত হয়ে থাকে। এ যোগাযোগের ক্ষেত্রে সংবাদ পাঠ না করে এর মর্মার্থ উপলব্ধি করা যায় না।
উদ্দীপকে এরিয়া ম্যানেজার জনাব কিবরিয়া অফিসে এসে টেলিফোনের মাধ্যমে ডিলারদের কাছ থেকে প্রতিষ্ঠানের সার্বিক বিক্রয়ের অবস্থা সম্পর্কে খবর নেন। তবে ডিলাররা পণ্য ক্রয়ের কোনো অর্ডার দিলে তিনি তা টেলিফোনে গ্রহণ না করে ফরমায়েশ পাঠাতে বলেন। অর্থাৎ পণ্য ক্রয়ের অর্ডারের জন্য তিনি লিখিত তথ্য চান।
যোগাযোগের বিভিন্ন পদ্ধতির মধ্যে লিখিত যোগাযোগ সবচেয়ে সঠিক ও নির্ভুল যোগাযোগ পদ্ধতি। এরূপ যোগাযোগ সংবাদের ভুল ব্যাখ্যা, পক্ষসমূহের মধ্যে সন্দেহ ও ভুল বোঝাবুঝির সম্ভাবনা দূর করে। পাশাপাশি এর মাধ্যমে যোগাযোগ বার্তার স্থায়ী রেকর্ড সংরক্ষণ করা যায়। এসব কারণে জনাব কিবরিয়া ডিলারদের কাছ থেকে পণ্যের অর্ডারের জন্য টেলিফোনের পরিবর্তে স্বাক্ষরকৃত ফরমায়েশ চান, যা সহজেই সংরক্ষণ করা যায়। তাই বলা যায়, জনাব কিবরিয়ার লিখিত যোগাযোগ ব্যবহার করা যথাযথ।

মমমপ্রশ্ন৬ সুন্দরবন প্রাকৃতিক ঐতিহ্যমণ্ডিত একটি স্থান। প্রতিবছর হাজার হাজার পর্যটক এখানে ভ্রমণে আসে। পর্যটক এবং আশপাশের অধিবাসীদের জন্য কর্তৃপক্ষ নিরাপদ জায়গাসমূহ যেমন চিহ্নিত করে দিয়েছে, তেমনি বিপজ্জনক জায়গায়ও সাইনবোর্ড দিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। দুঃসাহসিক পর্যটক সানি সাইনবোর্ডের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিপজ্জনক এলাকায় প্রবেশ করে ও বিপদে পড়ে সাহায্যের জন্য চিৎকার করে। তার গাইড আজওয়াদ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বনে প্রবেশ করে তাকে উদ্ধার করে। [সি. বো. ১৭]
অ ক. গণযোগাযোগ কী? ১
অ খ. ‘নীরবতা এক ধরনের যোগাযোগের মাধ্যম’Ñ ব্যাখ্যা করো। ২
অ গ. উদ্দীপকে বর্ণিত সাইনবোর্ড দিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারিÑ পদ্ধতি অনুযায়ী কোন ধরনের যোগাযোগ? ব্যাখ্যা করো। ৩
অ ঘ. জনাব আজওয়াদের ভ‚মিকা যোগাযোগ প্রক্রিয়াকে সম্পূর্ণতা দান করেছেÑ মূল্যায়ন করো। ৪
৬ নং প্রশ্নের উত্তর অ
ক ভৌগোলিকভাবে বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ব্যাপক জনগোষ্ঠীর নিকট একই সংবাদ বা তথ্য একসাথে দ্রুত প্রেরণের জন্য ব্যবহৃত যোগাযোগ ব্যবস্থাকে গণযোগাযোগ বলে। যেমন: রেডিও, টেলিভিশন।
খ লিখিত এবং মৌখিক মাধ্যম ব্যবহার না করে শুধু নীরবতা প্রদর্শনের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলে তাকে নীরব যোগাযোগ মাধ্যম বলে।
একে এক ধরনের যোগাযোগ মাধ্যম বলে। কারণ নীরবতা কোনো সংবাদের ক্ষেত্রে ইতিবাচক বা নেতিবাচক অর্থ বহন করতে পারে।
গ উদ্দীপকে বর্ণিত সাইবোর্ড দিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারির ক্ষেত্রে লিখিত যোগাযোগ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে।
এ যোগাযোগ বলতে শব্দ ও বাক্য লিখে মনের ভাব প্রকাশ করাকে বোঝায়। যোগাযোগের ক্ষেত্রে এটি একটি উত্তম পদ্ধতি।
উদ্দীপকে সুন্দরবন প্রাকৃতিক ঐতিহ্যমণ্ডিত একটি স্থান। প্রতিবছর হাজার হাজার পর্যটক এখানে ভ্রমণে আসে। পর্যটক ও আশপাশের অধিবাসীদের জন্য কর্তৃপক্ষ নিরাপদ জায়গাসমূহ যেমন চিহ্নিত করে দিয়েছে, তেমনি বিপজ্জনক জায়গায়ও সাইনবোর্ড দিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এরূপ কাজ লিখিত যোগাাযোগ পদ্ধতির অন্তর্ভুক্ত। কারণ সাইনবোর্ডে সব তথ্য লিখিত আকারে প্রকাশ করা হয়। তাই বলা যায়, উক্ত সাইনবোর্ড দিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি লিখিত যোগাযোগ পদ্ধতির অন্তর্গত।
ঘ জনাব আজওয়াদ ফলাবর্তনের মাধ্যমে যোগাযোগ প্রক্রিয়াকে সম্পূর্ণতা দান করেছেন।
ফলাবর্তন বলতে প্রেরকের সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাপকের প্রেরিত প্রত্যুত্তর বা মনোভাব প্রকাশকে বোঝায়। একটি তথ্য বা সংবাদ প্রাপকের নিকট পৌঁছানোর পর প্রাপক তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলে যোগাযোগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
উদ্দীপকে কর্তৃপক্ষ পর্যটকদের পরিদর্শনের জন্য বিপজ্জনক জায়গা সাইনবোর্ড দিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। কিন্তু দুঃসাহসিক পর্যটক সানি উক্ত নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিপজ্জনক এলাকায় প্রবেশ করে ও বিপদে পড়ে, সাহায্যের জন্য চিৎকার করে। তার গাইড আজওয়াদ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বনে প্রবেশ করে তাকে উদ্ধার করে।
এ কাজটি ফলাবর্তনের সাথে সম্পৃক্ত। কারণ ফলাবর্তনের মাধ্যমে যোগাযোগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় এবং যোগাযোগের উদ্দেশ্য অর্জিত হয়। তাই বলা যায়, জনাব আজওয়াদ যে ভ‚মিকা পালন করেছেন তা যোগাযোগ প্রক্রিয়ার ফলাবর্তনের মাধ্যমে উক্ত প্রক্রিয়াকে সম্পূর্ণতা দান করেছে।

মমমপ্রশ্ন৭ জনাব জিম ওয়ার্ল্ডনেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপক। তিনি কম্পিউটারসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানের কাজগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে করার চেষ্টা করেন। ইন্টারনেটে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি ও উৎপাদিত পণ্যের মূল্য, গুণাবলি, ব্যবহার বিধি তুলে ধরেন। ব্যবসায় সংশ্লিষ্ট পক্ষের সাথে যোগাযোগের জন্য এবং তথ্য আদান-প্রদানের জন্য ই-মেইল ব্যবহার করেন। ফলে প্রতিষ্ঠানের যেকোনো সিদ্ধান্ত তিনি দ্রুত গ্রহণ করতে পারেন। [য. বো. ১৭]
অ ক. তথ্যপ্রযুক্তি কাকে বলে? ১
অ খ. যোগাযোগ প্রক্রিয়া বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা করো। ২
অ গ. উদ্দীপকের আলোকে ওয়ার্ল্ডনেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনায় তথ্য প্রযুক্তির ভ‚মিকা ব্যাখ্যা করো। ৩
অ ঘ. জনাব জিমের প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় ইন্টারনেট ও ই-মেইল থেকে প্রাপ্ত সুযোগ সুবিধাগুলো বর্ণনা করো। ৪
৭ নং প্রশ্নের উত্তর অ
ক তথ্য সংগ্রহ, প্রক্রিয়াকরণ, সংরক্ষণ ও বিতরণ সংশ্লিষ্ট আধুনিক কম্পিউটারাইজড ব্যবস্থায় অন্যের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বলে।
খ যোগাযোগ প্রক্রিয়া বলতে এমন কতকগুলো পদক্ষেপ বা অংশের সমষ্টিকে বোঝায়, যার মধ্য দিয়ে প্রেরকের কাছ থেকে সংবাদ প্রাপকের কাছে পৌঁছায়।
সংবাদ প্রেরক কোনো তথ্য বা সংবাদ কারো কাছে প্রেরণের ইচ্ছা পোষণ করলেই যোগাযোগ প্রক্রিয়ার সূচনা ঘটে। প্রাপ্ত সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে প্রেরকের কাছে প্রাপকের প্রত্যুত্তর বা ফলাবর্তন প্রদানের মাধ্যমে এ প্রক্রিয়ার সমাপ্তি ঘটে। প্রেরক, সংবাদ, চ্যানেল, প্রাপক, ফলাবর্তন এগুলো যোগাযোগ প্রক্রিয়ার মূল উপাদান।
গ ওয়ার্ল্ডনেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনায় তথ্য প্রযুক্তির প্রভাব বা ভ‚মিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ব্যবস্থাপনায় তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে উৎপাদনের পদ্ধতি ও কৌশলে পরিবর্তন হয়। যোগাযোগের ধরনের পরিবর্তন আসে। সিদ্ধান্ত গ্রহণের গতিও বৃদ্ধি পায়।
উদ্দীপকে জনাব জিমের প্রতিষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে কাজগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে করা যায়। প্রতিষ্ঠানের পরিচিত ও উৎপাদিত পণ্যের মূল্য, গুণাবলি, ব্যবহারবিধি তুলে ধরা হয়। এর সাহায্যে ব্যবসায় সংশ্লিষ্ট পক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হয়। তথ্য আদান-প্রদান করা হয়। সিদ্ধান্ত গ্রহণে দ্রুততা অর্জিত হয়। অর্থাৎ উক্ত প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনায় তথ্যপ্রযুক্তি ভ‚মিকা রাখছে।
ঘ জনাব জিম প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় ইন্টারনেট ও ই-মেইল ব্যবহার করায় প্রাতিষ্ঠানিকভাবে উপকার পেয়েছেন।
বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে ইন্টারনেট ও ই-মেইল ব্যবহার করে এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে তথ্য আদান-প্রদান ও খুব সহজে যোগাযোগ করা যায়। এতে সময় ও ব্যয় উভয়ই সাশ্রয় হয়।
উদ্দীপকের জনাব জিম ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি এবং পণ্য সম্পর্কে তথ্য তুলে ধরেন। এর ফলে ক্রেতারা পণ্য বা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানতে পারে। এতে ক্রেতাদের মনে ইতিবাচক ধারণার সৃষ্টি হয়। পণ্যের প্রমোশনের ক্ষেত্রে ওয়েবসাইটে পণ্যের পরিচিতি করানোর মাধ্যমে জনাব জিমের খরচও কম হয়।
অপরদিকে জনাব জিম ই-মেইল ব্যবহারের দ্বারা প্রতিষ্ঠানের স্বার্থসংশ্লিষ্ট পক্ষের সাথে যোগাযোগ করেন। ই-মেইল ব্যবহারের ফলে জনাব জিম দেশে এবং বিদেশে যেকোনো পক্ষের সাথে মুহূর্তেই যোগাযোগ করতে পারেন। পণ্যের অর্ডার গ্রহণ, কাঁচামালের অর্ডার সরবরাহ এ ধরনের ব্যবস্থাপকীয় কাজগুলো ই-মেইলে সহজেই করতে পারেন। এসব সুবিধার জন্য জনাব জিম ডিজিটাল যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত সহজেই গ্রহণ করতে পারেন।

মমমপ্রশ্ন৮

[ব. বো. ১৭]
অ ক. ইন্টারনেট কী? ১
অ খ. ভিডিও কনফারেন্সিং বলতে কী বোঝ? ব্যাখ্যা করো। ২
অ গ. উদ্দীপকের যে ঘরটিতে প্রশ্নবোধক চিহ্ন রয়েছে সেখানকার উদ্দীপকের “?” চিহ্নিত স্থানের উপাদানটি ব্যাখ্যা করো। ৩
অ ঘ. সামগ্রিকভাবে চিত্রটি যে প্রক্রিয়ার নির্দেশ করে যোগাযোগে তার আবশ্যকতা বিশ্লেষণ করো। ৪
৮ নং প্রশ্নের উত্তর অ
মক ইন্টারনেট হলো পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, যার মাধ্যমে এক কম্পিউটার হতে অন্য কম্পিউটারে তথ্যের আদান-প্রদান করা যায়।
মখ ভিডিও কনফারেন্সিং হলো এক ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা, যেখানে টেলিভিশন বা মনিটরের পর্দায় কনফারেন্স বা মিটিংয়ে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিগণ পরস্পরে মুখোমুখি হয় ও কথোপকথনে অংশগ্রহণ করে।
টেলিকনফারেন্সিংয়ের একটি প্রক্রিয়া হলো ভিডিও কনফারেন্সিং। এজন্য কম্পিউটার ও ইন্টারনেট আবশ্যক। এ ব্যবস্থায় মনিটরের পর্দায় গ্রাহক ও প্রেরক পরস্পরকে দেখতে ও কথা বলতে পারেন। দেশে এবং বিদেশেও এ প্রক্রিয়ায় একে অন্যের সাথে যোগাযোগ করতে পারে। এ জাতীয় যোগাযোগ তুলনামূলক ব্যয়বহুল।
গ উদ্দীপকের যে ঘরটিতে প্রশ্নবোধক চিহ্ন রয়েছে সেখানকার উপাদানটি হলো প্রাপক।
প্রেরক কর্তৃক প্রেরিত সংবাদ যার কাছে প্রেরণ করা হয় তিনি হলেন সংবাদের প্রাপক। যেকোনো ব্যক্তি, দল বা প্রতিষ্ঠান সংবাদের প্রাপক হতে পারে।
প্রাপকের নিকট সংবাদ পৌঁছানোর পরই যোগাযোগ প্রক্রিয়ায় প্রেরকের দায়িত্বের সমাপ্তি ঘটে। যোগাযোগ প্রক্রিয়ায় প্রথম অবস্থান প্রেরকের তারপর সংবাদ তৈরি করা ও প্রেরণ করা হয়। অতঃপর সংবাদ প্রাপক কর্তৃক গ্রহণ করা হয় এবং সর্বশেষ ফলাবর্তন। সুতরাং যোগাযোগ প্রক্রিয়ায় সংবাদ প্রেরণের পরবর্তী ধাপ হলো প্রাপক। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের যে ঘরটিতে প্রশ্নবোধক চিহ্ন রয়েছে সেখানকার উপাদানটি হলো প্রাপক।
ঘ উদ্দীপকে উলি­খিত সামগ্রিক চিত্রটি যোগাযোগ প্রক্রিয়াকে নির্দেশ করে এবং এ প্রক্রিয়ার আবশ্যকতা রয়েছে।
যোগাযোগ প্রক্রিয়া বলতে এমন কতকগুলো পদক্ষেপ বা অংশের সমষ্টিকে বোঝায়, যার মধ্য দিয়ে প্রেরকের কাছ থেকে সংবাদ প্রাপকের কাছে পৌঁছে।
যোগাযোগকারীর মানসিক ধারণাকে প্রেরণযোগ্য করে সাজানোর মাধ্যমে যা তৈরি হয়, তা সংবাদ। যেভাবে বা যে উপায়ে সংবাদ প্রাপকের নিকট পৌঁছানো হয়, তাকে সংবাদমাধ্যম বলে। তৃতীয় ধাপে মাধ্যম নির্বাচন করা হয়। অতঃপর মাধ্যম দ্বারা সংবাদ প্রেরক কর্তৃক প্রেরণযোগ্য করে সাজানো হয়।
পঞ্চম ধাপে যে বা যিনি প্রেরিত সংবাদ গ্রহণ করেন তাকে সংবাদের প্রাপক বলে। সর্বশেষ ধাপে প্রেরকের সংবাদের বিনিময়ে প্রাপকের প্রদত্ত প্রত্যুত্তরকে ফলাবর্তন বলে। সুতরাং বলা যায়, উপরিউক্ত যোগাযোগ প্রক্রিয়াটি ধারাবাহিকভাবে সম্পন্ন হওয়ার মাধ্যমে যোগাযোগ সম্পন্ন হয়। তাই যোগাযোগের ক্ষেত্রে যোগাযোগের প্রক্রিয়াটি সামগ্রিকভাবে আবশ্যক। কারণ এ প্রক্রিয়া ছাড়া যোগাযোগ করা সম্ভব নয়।

মমমপ্রশ্ন„৯ ডেল্টা কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান প্রতিষ্ঠানের মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগকে ই-মেইলের মাধ্যমে ৫ (পাঁচ) জন উৎপাদন কর্মী নিয়োগের পরামর্শ দেন। আবার মানবসম্পদ ব্যবস্থাপক তথ্যপ্রাপ্তি এবং কর্মী নিয়োগের সংবাদ ই-মেইলের মাধ্যমে চেয়ারম্যানকে জানিয়ে দেন। ফলে চেয়ারম্যান কর্মী নিয়োগের ব্যাপারে নিশ্চিত হন। [ঢা. বো. ১৬]
অ ক. নির্দেশনা কী? ১
অ খ. পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নির্দেশনার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করো। ২
অ গ. চেয়ারম্যান ই-মেইলের মাধ্যমে ব্যবস্থাপনার কোন কাজটি সম্পাদন করেছেন? ব্যাখ্যা করো। ৩
অ ঘ. যোগাযোগের উদ্দেশ্য অর্জনে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপকের প্রেরিত ই-মেইলের ভ‚মিকা মূল্যায়ন করো। ৪
৯ নং প্রশ্নের উত্তর অ
ক পরিকল্পনা অনুযায়ী কর্মীদের আদেশ-উপদেশ প্রদান করাকে নির্দেশনা বলে।
খ পরিকল্পনা হলো ভবিষ্যৎ কার্যক্রমের পূর্বনির্ধারিত নকশা বা চিত্র।
কোন কাজ কখন, কীভাবে সম্পাদন করতে হবে সে বিষয়ে ব্যবস্থাপকগণ কর্মীদের নির্দেশ প্রদানের মাধ্যমে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেন। পরিকল্পনার মাধ্যমে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। আর নির্দেশনা লক্ষ্য বাস্তবায়নে সহায়তা করে। অর্থাৎ, নির্দেশনা জারির পর সংগঠনের সর্বত্র কার্যপ্রবাহের সৃষ্টি হয়, যা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে।
গ ডেল্টা কোম্পানির চেয়ারম্যান ই-মেইলের মাধ্যমে ব্যবস্থাপনার নির্দেশনা নামক কার্যটি সম্পাদন করেছেন।
অধস্তন কর্মীদেরকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দান, উপদেশ ও পরামর্শ প্রদান এবং তত্ত¡াবধানকে নির্দেশনা বলে। নির্দেশনার মাধ্যমেই পরিকল্পিত কাজ সম্পাদিত হয়।
ডেল্টা কোম্পানির চেয়ারম্যান মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগকে ই-মেইলের মাধ্যমে ৫ জন উৎপাদনকর্মী নিয়োগের পরামর্শ দেন। অর্থাৎ তিনি ই-মেইলের মাধ্যমে কর্মী নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন। এ পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থাপনা বিভাগ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে। নির্দেশনা মৌখিক বা লিখিত যেকোনোটিই হতে পারে। চেয়ারম্যান ই-মেইলের মাধ্যমে লিখিত নির্দেশ প্রদান করেছেন। সুতরাং বলা যায়, চেয়ারম্যান ই-মেইলের মাধ্যমে ব্যবস্থাপনার নির্দেশনা কাজটি সম্পাদন করেছেন।
ঘ যোগাযোগের উদ্দেশ্য আইনে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপকের প্রেরিত ই-মেইলের ভ‚মিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ই-মেইলের পূর্ণরূপ হলো ইলেকট্রনিক মেইল। ইন্টারনেট ও কম্পিউটার ব্যবহার করে যে বার্তা প্রেরণ করা হয় তাই ই-মেইল। এটি ব্যবহারে যোগাযোগ ব্যবস্থা দ্রুত ও কার্যকর হয়।
ডেল্টা কোম্পানির চেয়ারম্যান ই-মেইলের মাধ্যমে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগকে কর্মী নিয়োগের নির্দেশনা প্রদান করেন। ই-মেইলের মাধ্যমে নির্দেশনা প্রদান করায় মানবসম্পদ বিভাগ দ্রুত বার্তাটি পেয়েছে। এতে জরুরি নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করতে পেরেছে। নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপক চেয়ারম্যানকে ই-মেইলে জানিয়ে দেয়। এতে করে নির্দেশের বাস্তবায়ন নিশ্চিত হয়েছে এবং চেয়ারম্যানও আশ্বস্ত হয়েছেন।
ই-মেইলের মাধ্যমে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপক দ্রুত চেয়ারম্যানসহ অন্যদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। এতে তেমন খরচ নেই। ই-মেইল একটি লিখিত যোগাযোগ। তাই এটি ভবিষ্যতে প্রমাণ হিসেবে ব্যবহৃত হবে। সুতরাং ই-মেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ দ্রুত, কম ব্যয়বহুল এবং সর্বজনীন, যা যোগাযোগের উদ্দেশ্য অর্জনে ভ‚মিকা রাখে।

মমমপ্রশ্ন১০ ছোট হয়ে গেছে পৃথিবী। আমরা সবাই সবার হাতের মুঠোয়। কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং-এ আলাদিনের দৈত্যের হাতে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারকারী মাধ্যমের নাম আলাদিনের চেরাগ। এ আলাদিনের চেরাগ নামক একটি সার্ভারের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করলেই বিশ্বের সব সার্ভারের সাথে যোগাযোগ হয়। ফলে মানুষ ঘরে বসেই ব্যবসায়িক সব ধরনের কার্যক্রম করতে পারছে। [রা. বো. ১৬]
অ ক. ফলাবর্তন কী? ১
অ খ. নিম্নগামী যোগাযোগ বলতে কী বোঝায়? ২
অ গ. উদ্দীপকে আলাদিনের চেরাগ নামক একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারকারী কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং মাধ্যমের নাম কী? ব্যাখ্যা করো। ৩
অ ঘ. কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং-এর মাধ্যমে কোন কোন উপাদান ব্যবহার করে আমরা সবাই সবার হাতের মুঠোয়? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও। ৪
১০ নং প্রশ্নের উত্তর অ
ক যোগাযোগকারী বা প্রেরকের সংবাদের বিপরীতে প্রাপকের প্রত্যুত্তর বা সাড়া (জবংঢ়ড়হংব) দেয়ার প্রক্রিয়াকে ফলাবর্তন (ঋববফনধপশ) বলে।
খ যোগাযোগ হলো দুই বা ততোধিক ব্যক্তির মধ্যে কোনো ঘটনা, ধারণা বা তথ্যের বিনিময়।
প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন নির্বাহীগণ যখন অধস্তনদের সাথে যোগাযোগ করে তাকে নিæগামী যোগাযোগ বলে। এক্ষেত্রে যোগাযোগ প্রবাহে তথ্য নিচের দিকে প্রবাহিত হয়। ব্যবস্থাপকগণ প্রয়োজনীয় আদেশ, নির্দেশ ও পরামর্শ অধস্তনদের প্রদান করে এবং কর্মীরা এটা পালন করে, যা ওপর থেকে নিচের দিকে ধাপে ধাপে চলতে থাকে।
গ উদ্দীপকে আলাদিনের চেরাগ নামক একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারকারী কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং মাধ্যমের নাম ইন্টারনেট।
ইন্টারনেট বলতে একটি আন্তর্জাতিক কম্পিউটার নেটওয়ার্ককে বোঝায়, যা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্যে ব্যবহৃত কম্পিউটারের সাথে যুক্ত থাকে। ইন্টারনেট ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সৃষ্ট একটি বৃহৎ কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং সিস্টেম। এর মাধ্যমে ঘরে বসে অতি সহজে এবং দ্রুত কোনো কাজ সম্পাদন করা যায়।
উদ্দীপকে কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং-এ আলাদিনের দৈত্যের হাতে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারকারী মাধ্যমের নাম আলাদিনের চেরাগ। এ চেরাগ নামক একটি সার্ভারের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করলেই বিশ্বের সব সার্ভারের সাথে যোগাযোগ হয়। বর্তমান বিশ্বে ইন্টারনেট নেটওয়ার্কিং আলাদিনের চেরাগের মতো তথ্য হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছে। এর ফলে মানুষ যখন যা চায় তা-ই করতে পারে ঘরে বসেই। শুধু মানুষের কাক্সিক্ষত জিনিস খোঁজ করার মাধ্যমে এটি পেতে পারে। ইন্টারনেট নেটওয়ার্কিং একটি সার্ভারের মাধ্যমে পৃথিবীর যেকোনো স্থানের সংবাদ, ব্যবসায় বাণিজ্য করতে পারে ঘরে বসে। তাই বলা যায়, ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক আলাদিনের চেরাগের মতো সহযোগিতা করছে।
ঘ কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং এর ইন্টারনেট উপাদানের মাধ্যমে আমরা সবাই সবার হাতের মুঠোয়।
ইন্টারনেট হলো বিশ্বময় যোগাযোগের একটি মাধ্যম। এর মাধ্যমে ঘরে বসে যেকোনো তথ্য আদান-প্রদান করা যায়। ইন্টারনেট কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং সিস্টেমের মাধ্যমে মডেম ও টেলিফোন লাইন যুক্ত করে। ফলে বিশ্বের যেকোনো সংবাদ মুহূর্তের মধ্যে পাওয়া যায়।
উদ্দীপকে বলা হয়েছে, পৃথিবীর যেকোনো তথ্য আমরা সহজে পাই। এর কারণ হলো কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং-এর ব্যবহার। ইন্টারনেট ব্যবহারের ফলে বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে তথ্য প্রেরণ করা যায়। আবার এসব তথ্য সহজে খুঁজে পাওয়া যায়। ব্যবসায় বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এটি একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন। মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারের ফলে এটি আরও দ্রুতগামী হয়েছে, যা পৃথিবীকে এনেছে হাতের মুঠোয়। আমরা যেকোনো তথ্য যেমন পেতে পারি তেমনি ভিডিও, অডিওর মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারি। আর এসব কিছু সম্ভব হয়েছে কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং বা ইন্টারনেট প্রযুক্তির মাধ্যমে। তাই বলা যায়, ইন্টারনেট বিশ্বকে নিয়েছে আমাদের হাতের মুঠোয়।

 

Leave a Reply