দ্বিতীয় অধ্যায়
ইবাদত
বিষয়-সংক্ষেপ
আল্লাহ তায়ালার দাসত্ব ও আনুগত্য স্বীকার করে তাঁর আদেশ পালন ও নিষেধ বর্জন করে জীবন পরিচালনাকে ইসলামি পরিভাষায় ইবাদত বলে। ইসলাম হলো পরিপূর্ণ জীবনবিধান। ইসলামের মৌলিক পাঁচটি বিষয় যথা : কালিমা, নামায, রোযা, যাকাত ও হজ যথাযথভাবে পালনের নাম ইবাদত। আবার মানব জীবনের প্রতিটি কাজ ইসলামি বিধিবিধান অনুযায়ী সম্পন্ন করাও ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত। পৃথিবীর সকল সৃষ্টবস্তুকে মানুষের কল্যাণের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে। আর মানুষ ও জিন জাতিকে শুধুমাত্র আল্লাহর ইবাদতের জন্যই সৃষ্টি করা হয়েছে।
পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি
ইবাদত : আল্লাহ তাআলার দাসত্ব ও আনুগত্য স্বীকার করে তাঁর আদেশ পালন ও নিষেধ বর্জন করে জীবন পরিচালনাকে ইসলামি পরিভাষায় ইবাদত বলে।
যাকাত : ‘যাকাত’ আরবি শব্দ। এর আভিধানিক অর্থ বৃদ্ধি, পবিত্রতা, পরিচ্ছন্নতা ইত্যাদি। ইসলামি পরিভাষায় ধনী ব্যক্তিদের নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকলে নির্দিষ্ট অংশ গরিব অভাবী লোকদের মধ্যে বিতরণ করে দেওয়াকে যাকাত বলে।
যাকাত ফরজ হওয়ার শর্ত : যাকাত ফরজ হওয়ার সাতটি শর্ত রয়েছে। যথা : মুসলমান হওয়া, নিসাবের মালিক হওয়া, নিসাব পরিমাণ সম্পদ প্রয়োজনের অতিরিক্ত হওয়া, ঋণগ্রস্থ না হওয়া, মাল এক বছরকাল স্থায়ী থাকা, জ্ঞানসম্পন্ন হওয়া ও বালেগ হওয়া।
যাকাতের মাসারিফ : মাসারিফ আরবি শব্দ। এর অর্থ ব্যয় করার খাত। শরিয়তের পরিভাষায় ইসলামি বিধান অনুযায়ী যাদেরকে যাকাত দেওয়া যায়, তাদেরকে বলা হয় যাকাতের মাসারিফ।
যাকাতের গুরুত্ব : ইসলামি যাকাত ব্যবস্থা সমাজে প্রচলিত থাকলে, সমাজের দরিদ্র ও অভাবী মানুষের নানাবিধ সমস্যার সমাধান হবে। আবার ধনীরাও তাদের দায়মুক্ত হওয়ার বিশেষ সুযোগ পাবে। কাজেই ইসলামে যাকাতের অনেক গুরুত্ব রয়েছে।
হজ : ‘হজ’ আরবি শব্দ। এর আভিধানিক অর্থ সংকল্প করা, ইচ্ছা করা ইত্যাদি। ইসলামি পরিভাষায় নির্দিষ্ট দিনসমূহে নির্ধারিত পদ্ধতিতে আল্লাহর নৈকট্য ও সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে পবিত্র কাবাঘর ও সংশ্লিষ্ট স্থানসমূহে বিশেষ কার্যাদি সম্পাদন করাকে হজ বলে।
হজের ফরজসমূহ : হজের তিনটি ফরজ রয়েছে। ফরজ তিনটি হলো- (১) হজের নিয়তে ইহ্রাম বাঁধা, (২) আরাফার ময়দানে ৯ই যিলহজ তারিখে অবস্থান করা, (৩) তাওয়াফে যিয়ারত করা।
কুরবানি : কুরবানির সমার্থক শব্দ ‘উযহিয়্যাহ্’। এর আভিধানিক অর্থ ত্যাগ, উৎসর্গ ইত্যাদি। শরিয়তের পরিভাষায় যিলহজ মাসের ১০ তারিখ সকাল থেকে ১২ তারিখ সন্ধ্যা পর্যন্ত আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য যে পশু জবাই করা হয় তাকে কুরবানি বলে।
বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. ‘হজ’ শব্দের অর্থ কী?
সংকল্প করা খ যিয়ারত করা
গ তাওয়াফ করা ঘ সাঈ করা
২. হজ ও উমরাহ পর পর করার মাধ্যমে দূরীভূত হয় Ñ
র. দারিদ্র্য রর. অভাব ররর. পাপ
কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৩. হজের ফরজ কয়টি?
তিন খ চার গ পাঁচ ঘ দশ
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৪ ও ৫ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
ফরহাদ সাহেব একজন ব্যবসায়ী। তিনি প্রতি রমযান মাসে সম্পদের হিসাব করেন এবং নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদ গরিব-দুঃখীদের মাঝে বিতরণ করেন।
৪. ফরহাদ সাহেবের কাজের মাধ্যমে শরিয়তের কোন বিধানটি আদায় হয়েছে?
ক মুস্তাহাব খ সুন্নাত গ ওয়াজিব ফরজ
৫. ফরহাদ সাহেবের মানসিকতার ফলে তিনি পরকালে কী পাবেন?
পুরস্কার খ নিরাপত্তা গ তিরস্কার ঘ অধিকার
৬. যাকাত আদায় করা কী?
ক সুন্নত খ মুস্তাহাব
ফরজ ঘ ওয়াজিব
৭. কোন নবীর সময় থেকে কুরবানির প্রথা চালু হয়ে আসছে?
ক হযরত আদম (আ) এর খ হযরত নূহ (আ) এর
হযরত ইবরাহিম (আ) এর ঘ হযরত ইসমাঈল (আ) এর
৮. হাজিগণ শয়তানের প্রতিকৃতিতে পাথর নিক্ষেপ করেন কেন?
ক আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা দেখানোর জন্য
হজের ওয়াজিব আদায়ের জন্য
গ কুরাইশ বংশের নিয়ম রক্ষার জন্য
ঘ হাজিগণের কল্যাণের জন্য
৯. হজ কোন ভাষার শব্দ?
আরবি খ ফারসি গ বাংলা ঘ ফরাসি
১০. সেচ ব্যবস্থায় উৎপন্ন ফসলের কতভাগ যাজাত দিতে হয়?
ক পাঁচ ভাগের এক ভাগ খ দশ ভাগের এক ভাগ
বিশ ভাগের এক ভাগ ঘ ত্রিশ ভাগের এক ভাগ
১১. যাকাত ফরজ হওয়ার শর্ত কয়টি?
ক ৫ খ ৬ ৭ ঘ ৮
১২. নিসাব বলতে বোঝায় নির্ধারিত পরিমাণ
ক মূলধন সম্পদ গ জমি ঘ মুনাফা
১৩. মাসারিফ শব্দের অর্থ কী?
ক আয় করার খাত ব্যয় করার খাত
গ জমা করার খাত ঘ গচ্ছিত রাখার খাত
১৪. কোন নবি অগ্নি-পরীক্ষার সম্মুখীন হয়েছিলেন?
হযরত ইবরাহিম (আ) খ হযরত ইউসুফ (আ)
গ হযরত মুহাম্মদ (স) ঘ হযরত মুসা (আ)
১৫. মক্কার বাহির থেকে আগত হাজিদের বিদায়কালীন তাওয়াফকে বলা হয়Ñ
ক নফল তাওয়াফ খ তাওয়াফে যিয়ারত
গ তাওয়াফে কুদুম তাওয়াফে বিদা
১৬. মুসাফিরের ওপর নিচের কোনটি ওয়াজিব নয়?
ক আকিকা খ সাদকা গ যাকাত কুরবানি
১৭. হযরত ইবরাহিম (আ) এর স্বীয় পুত্রকে জবাই করার আদেশের মাধ্যমে যে বিধান চালু হয়েছে, তা হলোÑ
ক সাদাকা খ আকিকা কুরবানি ঘ ফিদইয়া
১৮. রহিমা খাতুন দীনদার মহিলা। তিনি খুব ইবাদত বন্দেগি করেন। রহিমা খাতুনের ইবাদত কার কল্যাণের জন্য?
আল্লাহর খ রাসূলের গ নিজের ঘ ফেরেশতাদের
১৯. সাধারণত মানুষের কোনটির লিপ্সা থাকে?
অর্থের খ খাদ্যের গ ক্ষমতার ঘবিলাসিতার
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ২০ ও ২১নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
মুর্শেদার মায়ের অনেক সোনার অলংকার। মুর্শেদা তার মাকে বলল, মা তোমার এ ব্যবহার্য গহনার যাকাত দিতে হবে। মা বললেন, গহনার আবার যাকাত কিসের? আমি কোনো যাকাত দেব না।
২০. মুর্শেদার মা শরিয়তের কোন বিধানটি অস্বীকার করেছেন?
ফরজ খ ওয়াজিব গ সুন্নত ঘ মুস্তাহাব
২১. এরূপ করার করণে মুর্শেদার মা হবেনÑ
কাফির খ মুনাফিক গ দাম্ভিক ঘ নাস্তিক
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ২২ ও ২৩ নং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
সুফিয়ান সাহেব এ বছর হজ পালন করেছেন। কিন্তু কষ্টকর মনে করে তিনি ‘সাঈ’ করেন নি।
২২. সুফিয়ান সাহেব হজের কোন প্রকারের কাজ লঙ্ঘন করেছেন?
ক ফরজ ওয়াজিব গ সুন্নাত ঘ মুস্তাহাব
২৩. সুফিয়ান সাহেবের হজ শুদ্ধ করতে কী করতে হবে?
সাদা দিতে হবে খ নফল রোযা রাখতে হবে
গ জরিমানা দিতে হবে দম দিতে হবে
পাঠ-১ : যাকাত
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২৪. ‘আল্লাহর আদেশ পালন ও নিষেধ বর্জন করে জীবন পরিচালনাকে ইসলামি পরিভাষায় কী বলে? (জ্ঞান)
ইবাদত খ যাকাত গ ইমান ঘ ইসলাম
২৫. শরিয়তের দৃষ্টিতে যাকাত দেওয়া। [কান্টনমেন্ট সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক ফরজে কিফায়া ফরজে আইন গ ওয়াজিব ঘ সুন্নাতে মুয়াক্কাদা
২৬. ধন-সম্পদ বাড়ে কী করলে? [খুলনা জিলা স্কুল]
ক ব্যবসা করলে খ দান করলে
যাকাত দিলে ঘ হিসাব করে খরচ করলে
২৭. যাকাত প্রদানের ফলে যাকাত দাতার অন্তর কোনটি হতে পবিত্র হয়? [মোহাম্মদপুর মডেল স্কুল এন্ড কলেজ; সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়]
কৃপণতার কলুষতা খ অর্থ লোভের কলুষতা
গ সঞ্চয়ের মনোবৃত্তি ঘ ধোঁকা দেয়ার প্রবণতা
২৮. যাকাত দানকারীর পুরস্কার ও কৃপণ ব্যক্তির দুঃসংবাদ সম্পর্কে কোন হাদিস গ্রন্থে বর্ণনা রয়েছে? [সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক মুসলিম তিরমিজি গ নাসায়ী ঘ বুখারি
২৯. যাকাতের অন্য নাম কী? [জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড হাই স্কুল, সিলেট]
ক দান খ খয়রাত সাদাকা ঘ হেবা
৩০. ইসলামের মৌলিক বিষয় কয়টি? (জ্ঞান)
ক তিন খ চার পাঁচ ঘ ছয়
৩১. যারা যাকাত দেয় না আল্লাহ তাদেরকে কী হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ? (প্রয়োগ)
ক মুমিন কাফির গ মুশরিক ঘ মুনাফিক
৩২. যাকাতের অর্থ কাদের অধিকার? (জ্ঞান)
ক বিদেশগামী মিসকিন গ যার জমি কম ঘ চাকরিজীবী
৩৩. ইবাদত শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক নাফরমানি দাসত্ব ও আনুগত্য স্বীকার করা
গ নামায পড়া ঘ গবেষণা করা
৩৪. যাকাত শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক দান করা খ হ্রাস পাওয়া গ ধ্বংস হওয়া বৃদ্ধি পাওয়া
৩৫. সম্পদের যাকাত আদায় করলে সম্পদ কী হয়? (জ্ঞান)
ক কমে যায় বৃদ্ধি পায় গ ধ্বংস হয় ঘ উন্নত হয়
৩৬. যাকাত কী শব্দ? (জ্ঞান)
আরবি খ ফারসি গ হিন্দি ঘ বাংলা
৩৭. যাকাত কোন ধরনের ইবাদত? (জ্ঞান)
ক শারীরিক খ মানসিক আর্থিক ঘ ব্যক্তিগত
৩৮. কাকে তার অতীত জীবনের যাকাত দিতে হবে না? (অনুধাবন)
ক যে সাবালক হয় যে ব্যক্তি ইসলাম গ্রহণ করে
গ যে ব্যক্তি ইসলাম ত্যাগ করে ঘ যে বিধবা মহিলা হয়
৩৯. যাকাত দরিদ্রদের প্রতি ধনীদের কী? (অনুধাবন)
ক দয়া, অনুগ্রহ ও অনুকম্পা খ সাহায্য, সহানুভূতি
দায়বদ্ধতা পরিশোধ করা ঘ ত্যাগ ও অনুপম ভালোবাসা
৪০. সজিব যাকাত দিতে চায়। এর প্রভাবে তার কী হবে? (প্রয়োগ)
ক ধন-সম্পদ কমবে খ মান-সম্মান বাড়বে
গ অনেক সম্পদের মালিক হবে অন্তর ও সম্পদ পবিত্র হবে
৪১. “আর তোমরা নামায কায়েম কর এবং যাকাত প্রদান কর।” এটা কার নির্দেশ? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক মুসা (আ)-এর খ মহানবি (স)-এর
গ আদম (আ)-এর আল্লাহর
৪২. “আল্লাহর কসম যারা নামায ও যাকাতের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি করে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই লড়াই করব।” বাণীটি কার? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক মহানবি (স)-এর খ আল্লাহ তায়ালার
আবু বকর (রা)-এর ঘ মুসা (আ)-এর
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৪৩. যাকাতের ব্যাপারে ইসলামের বিধান- (অনুধাবন)
র. যাকাত ধনীদের ওপর ফরজ
রর. ধনীদের অনুগ্রহ
ররর. দরিদ্রের অধিকার
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও রর ঘ র, রর ও ররর
৪৪. যে বিবেচনায় যাকাত অর্থ বৃদ্ধি? [জালালাবাদ ক্যান্ট. বোর্ড হাই স্কুল, সিলেট]
র. সম্পদ ব্যক্তির হাতে পুঞ্জিভ‚ত না থাকা
রর. মানবকল্যাণে ব্যয় হওয়া
ররর. সমাজের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৪৫. যাকাত শব্দের আভিধানিক অর্থ কী? [সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, খুলনা]
র. বৃদ্ধি রর. পবিত্রতা ররর. পরিচ্ছন্নতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৪৬. যে অর্থে যাকাত অর্থ বৃদ্ধি বলা হয়ে থাকেÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. সমাজের গরিব লোকদের অবস্থার উন্নতি হয়
রর. সমাজের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হয়
ররর. সম্পদে আল্লাহ তায়ালা বরকত দান করেন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪৭. যাকাত হচ্ছে- (অনুধাবন)
র. ধনীদের অনুগ্রহ রর. দরিদ্রের অধিকার
ররর. দরিদ্রের পাওনা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪৮. মানবজাতিকে সৃষ্টির উদ্দেশ্য (উচ্চতর দক্ষতা)
র. আল্লাহর হুকুম পালন করা
রর. আল্লাহর খিলাফতের দায়িত্ব পালন করা
ররর. নিছক উপাসনা
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪৯. যাকাতের তাৎপর্য হলো (উচ্চতর দক্ষতা)
র. যাকাত সমাজকে কৃপণতা ও সংকীর্ণতা থেকে পবিত্র করে
রর. যাকাত অর্থনৈতিক ভারসাম্য রক্ষা করে
ররর. যাকাত দরিদ্রের নির্ভরশীলতা বৃদ্ধি করে
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৫০ ও ৫১ নং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
মুরশিদ আলম গ্রামের গরিব লোকদের বাছাই করে নিয়মিত যাকাত দেন এবং তাদেরকে স্বাবলম্বী করার পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। যাকাতের অর্থ দ্বারা তিনি কাউকে স্বাবলম্বী করলেও যাকাতের বিষয়টি তিনি তাদের কাছে গোপন রাখেন।
৫০. মুরশিদ আলম সাহেবের যাকাত প্রদানের সময় যাকাতের বিষয়টিÑ (প্রয়োগ)
ক গোপন রাখার ফলে যাকাত আদায় হবে না
গোপন রাখলেও যাকাত আদায় হবে, কারণ এ উদ্দেশ্যেই তিনি কাজটি করেছেন
গ আংশিক যাকাত আদায় হবে
ঘ গোপন রাখার কারণে গুনাহগার হবে
৫১. মুরশিদ আলম সাহেবের দরিদ্রদের অংশ তাদের দিয়ে দেওয়ার ফলে তার সম্পদ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. কমে যাবে রর. পবিত্র হবে ররর. বৃদ্ধি পাবে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৫২ ও ৫৩ নং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ব্যবসায়ী সবুর মিয়া অনেক সম্পদের মালিক। তার ওপর যাকাত ফরজ হলেও ধন-সম্পদ কমে যাওয়ার ভয়ে তিনি যাকাত আদায় করেন না।
৫২. এক্ষেত্রে সবুর মিয়া কোনটি লঙ্ঘন করেছে? (প্রয়োগ)
ক মুস্তাহাব ফরজ গ নফল ঘ ওয়াজিব
৫৩. সবুর মিয়ার পরকালীন পরিণতিÑ (প্রয়োগ)
র. জান্নাত রর. জাহান্নাম ররর. আল্লাহর অসন্তুষ্টি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
পাঠ-২ : যাকাত ফরজ হওয়ার শর্ত
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৫৪. যাকাত ফরজ হওয়ার প্রথম শর্ত কী? (জ্ঞান)
ক নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকা খ প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া
গ জ্ঞান সম্পন্ন হওয়া মুসলমান হওয়া
৫৫. কোন মালে যাকাত হয় না? [খুলনা জিলা স্কুল]
যে মাল এক বছর স্থায়ী থাকে না খ যে মাল অপবিত্র
গ যে মাল অবৈধ উপায়ে অর্জিত ঘ যে মাল ধ্বংস প্রাপ্ত
৫৬. স্ত্রীলোকের ব্যবহার্য অলংকারের যাকাত দিবে- [জালালাবাদ ক্যান্ট. বোর্ড হাই স্কুল, সিলেট]
স্ত্রী খ স্বামী
গ উভয় ঘ কারও দেয়া লাগবে না
৫৭. যাকাত ফরজ হওয়ার ২য় শর্ত কোনটি? (জ্ঞান)
ক মুসলমান হওয়া নিসাবের মালিক হওয়া
গ ঋণগ্রস্ত হওয়া ঘ বালেগ হওয়া
৫৮. স্বর্ণালংকার বা সোনার নিসাবের পরিমাণ হলো (অনুধাবন)
ক সাড়ে বায়ান্ন তোলা খ মূল্যমান পঞ্চাশ হাজার টাকা
সাড়ে সাত তোলা ঘ সাড়ে নয় তোলা
৫৯. রূপার নিসাবের পরিমাণ কত? (জ্ঞান)
ক সাড়ে সাত তোলা খ সাড়ে এগার তোলা
গ সাড়ে একান্ন তোলা সাড়ে বায়ান্ন তোলা
৬০. যাকাত অস্বীকারকারীকে কী বলা হয়? (অনুধাবন)
কাফির খ মুশরিক গ দেশদ্রোহী ঘ ফাসিক
৬১. আল্লাহ তায়ালা প্রদত্ত অর্থনীতির অন্যতম বিধান কোনটি? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক সালাত খ সাদাকা গ হাদিয়া যাকাত
৬২. কাদের ওপর যাকাত ফরজ নয়? (অনুধাবন)
ক মুসলমানদের খ মুমিনদের গ মুত্তাকিদের অমুসলিমদের
৬৩. কারা যাকাত দিতে বাধ্য? (অনুধাবন)
নিসাবের মালিকগণ খ ধনীরা গ ইমানদারগণ ঘ দানশীল
৬৪. নিসাব অর্থ কী? (জ্ঞন)
ক প্রচুর পরিমাণ খ অল্প পরিমাণ
নির্ধারিত পরিমাণ ঘ অনির্ধারিত পরিমাণ
৬৫. সেচ ব্যবস্থার মাধ্যমে উৎপন্ন ফসলের কয়ভাগ যাকাত দিতে হয়? (জ্ঞান)
ক দশ ভাগের একভাগ খ চল্লিশ ভাগের একভাগ
বিশ ভাগের একভাগ ঘ ত্রিশ ভাগের একভাগ
৬৬. উৎপন্ন ফসলের যাকাতকে কী বলে? [রংপুর জিলা স্কুল]
ক আশর উশর গ হাশর খ যাকাত
৬৭. “ওই সম্পদের যাকাত নেই যা পূর্ণ এক বছর মালিকানায় না থাকে।” এই নির্দেশটি যাকাতের কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক কিতাব খ ফরজ গ নিয়ম শর্ত
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬৮. যাকাত প্রদানের ক্ষেত্রে জীবনের আবশ্যকীয় বস্তু হিসেবে গণ্য? (প্রয়োগ)
র. তামা, কাঁসা, পিতল ইত্যাদি ব্যবহার্য দ্রব্য
রর. স্ত্রী লোকের ব্যবহার্য সোনা
ররর. ভ‚মির উৎপন্ন ফসল
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর ররর ঘ র, রর ও ররর
৬৯. নিসাব পরিমাণ মাল থাকলে (একজন মুসলিম ব্যক্তিকে) যাকাত দিতে হয়। এ যাকাতের অন্তর্ভুক্ত হবে Ñ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. অলংকার রর. ব্যবসায়ী সামগ্রী ররর. ঘরবাড়ি
নিচের কোনটি সঠিক ?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭০. যাকাতের ব্যাপারে ইসলামের বিধান (অনুধাবন)
র. যাকাত ধনীদের ওপর ফরজ রর. ধনীদের অনুগ্রহ
ররর. দরিদ্রের অধিকার
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৭১ ও ৭২ নং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ফরহাদ সাহেব একজন ব্যবসায়ী। তিনি প্রতি রমজান মাসে সম্পদের হিসাব করেন এবং নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদ গরিব-দুঃখীদের মাঝে বিতরণ করেন।
[সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়; যশোর জিলা স্কুল]
৭১. ফরহাদ সাহেবের কাজের মাধ্যমে শরীয়তের কোন বিধানটি আদায় হয়েছে? (প্রয়োগ)
ক মুস্তাহাব খ সুন্নত গ ওয়াজিব ফরজ
৭২. ফরহাদ সাহেবের মানসিকতার ফলে তিনি পরকালে কী পাবেন? (উচ্চতর দক্ষতা)
পুরস্কার খ নিরাপত্তা গ তিরস্কার ঘ অধিকার
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৭৩ ও ৭৩ নং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
দিদার বখত বিশিষ্ট ধনী লোক। এলাকায় তার যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। তিনি নিয়মিত যাকাত দেন এবং গরিবদের প্রতি অত্যন্ত সহানুভ‚তিশীল। মিরাজ সাহেব তার প্রতিবেশী। তিনি ধনী হলেও যাকাত দেন না। অসহায় দরিদ্রের সাহায্যে এগিয়ে আসেন না।
৭৩. দিদার বখত নিয়মিত যাকাত দেন কেন? (প্রয়োগ)
দরিদ্রের হক পরিশোধ করতে খ সুনাম ও খ্যাতি অর্জনের জন্য
গ দরিদ্রের ভালোবাসা পাওয়ার জন্য ঘ দরিদ্রের সাহায্য সহযোগিতা পাওয়ার জন্য
৭৪. পরকালে মিরাজ সাহেব কঠিন শাস্তি পাবেন। কারণ- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. তিনি দরিদ্রদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন
রর. তিনি আল্লাহর নির্দেশমতো যাকাত দেন না
ররর. তিনি অত্যন্ত অহংকারী
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র রর গ ররর ঘ র, রর ও ররর
পাঠ-৩ : যাকাতের মাসারিফ
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৭৫. মাসারিফ কোন ভাষার শব্দ?
ক বাংলা খ ইংরেজি আরবি ঘ ফারসি
৭৬. কোন খাতে যাকাতের অর্থ এখন বণ্টন করা হয় না? [রংপুর জিলা স্কুল]
মুক্তিকামী দাস খ ফি সাবিলিল্লাহ
গ ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি ঘ ধনী মুসাফির
৭৭. নিচের কোন ব্যক্তি যাকাত পাবে? [খুলনা জিলা স্কুল]
ক ব্যবসায়ী খ আনন্দভ্রমণকারী
গ মুক্তিকামী দাস সমস্যাগ্রস্ত ব্যক্তি
৭৮. যাকাতের মাসারিফ কয়টি? [রংপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক ৬ খ ৭ ৮ ঘ ৯
৭৯. হজের ফরজ কয়টি? [যশোর জিলা স্কুল]
ক দুই তিন গ চার ঘ পাঁচ
৮০. “যাকাত তো কেবল নিঃস্ব,. অভাবগ্রস্ত ও তৎসংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের জন্য, যাতের চিত্ত আকর্ষণ করা হয় তাদের জন্য, দাস মুক্তির জন্য, ঋণ ভারাক্রান্তদের, আল্লাহর পথে ও মুসাফিরদের জন্য, এটি আল্লাহর বিধান।” এটি কোন সূরার অংশ? (প্রয়োগ)
সূরা আত-তাওবা খ সূরা নাস
গ সূরা বাকারা ঘ সূরা কদর
৮১. “যে ব্যক্তি তার প্রয়োজন মোতাবেক সম্পদ পায় না, অথচ আত্মসম্মানের ভয়ে সে এমনভাবে চলে যে, তাকে অভাবী বলে বোঝাও যায় না, যাদে লোকেরা তাকে আর্থিক সাহায্য করতে পারে। আর সে সাহায্যের জন্য কারো কাছে হাতও পাতে না, কিছু চায়ও না।” এটা কোন হাদিসের কথা (প্রয়োগ)
বুখারি ও মুসলিম খ নাসাঈ গ ইবনে মাজাহ ঘ কুদসি
৮২. মিসকিন কাকে বলে? (জ্ঞান)
যারা নিঃস্ব খ যার সম্পদ কম
গ যারা বেকার ঘ যে দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করে
৮৩. ফকিরকে বাংলায় কী বলা হয়? (জ্ঞান)
ক নিঃস্ব খ অভাবী গরিব ঘ বেকার
৮৪. ‘ফি সাবিলিল্লাহ’ অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক সহজ পথ আল্লাহর পথ গ রাসুলের পথ ঘ সঠিক পথ
৮৫. মুসাফিরের ওপর নিচের কোনটি ওয়াজিব নয়? (জ্ঞন)
ক আকিকা খ সাদাকা গ যাকাত কুরবানি
৮৬. ধনী ব্যক্তি দরিদ্র ব্যক্তিকে যাকাত দেয় কেন? (অনুধাবন)
ক অনুগ্রহ স্বরূপ খ ভালোবাসা স্বরূপ
গ সাহায্য স্বরূপ দরিদ্রের অধিকার হিসেবে
৮৭. ঋণগ্রস্ত ব্যক্তিকে যাকাত দেয়া কার বিধান? (জ্ঞান)
আল্লাহর খ হযরত আবু বকর (রা)-এর
গ হযরত রাসুল (স)-এর ঘ হযরত ওমর (রা)-এর
৮৮. ইসলামে কেন ধনীদের ওপর যাকাত ফরজ করা হয়েছে? (অনুধাবন)
ক গরিবদের অর্থকষ্ট দূর করার জন্য খ সমাজে প্রভাব বিস্তারের জন্য
গ অধিক পরিমাণ অর্থ লাভের জন্য অর্থনৈতিক ভারসাম্য রক্ষার্থে
৮৯. রহিম সাহেব ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে শিল্প প্রতিষ্ঠান করেছেন। এখন তার কাছে যে সম্পদ আছে তা ঋণের সমপরিমাণ। এক্ষেত্রে রহিম সাহেবের ওপর যাকাত দেয়া কী? (প্রয়োগ)
ক ফরজ খ সুন্নাত মুস্তাহাব ঘ নফল
৯০. রকিব খুবই দরিদ্র। চক্ষুলজ্জার ভয়ে সে কোনো ব্যক্তির কাছে সাহায্য চায় না। তাকে যাকাতের টাকা দেয়া কী? (প্রয়োগ)
ক মাকরুহ ফরজ গ অবৈধ ঘ হারাম
৯১. যাদের কিছু না কিছু সম্পদ আছে কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় তা যথেষ্ট নয়।Ñ এদেরকে কী বলা হয়? (প্রয়োগ)
ক দরিদ্র ফকির গ মিসকিন ঘ টোকাই
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৯২. যাকাতের মাসারিফ হলো (অনুধাবন)
র. ফকির রর প্রভাবশালী
ররর মিসকিন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৯৩. ইসলামি বিধান অনুযায়ী যাদেরকে যাকাত দেওয়া যায় তাকে বলা হয় (অনুধাবন)
র. যাকাতের মাসারিফ
রর. যাকাতের বিধান
ররর. যাকাতের অর্থ
নিচের কোনটি সঠিক?
র খ রর গ ররর ঘ র, রর ও ররর
৯৪. আযম সাহেবের ওপর যাকাত প্রদান করা ফরজ। তিনি যাকাত প্রদান করবেন- [রংপুর জিলা স্কুল]
র. অভাবী ব্যক্তিকে রর. মিসকিনকে
ররর. ঋণগ্রস্ত আত্মীয়কে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৯৫ ও ৯৬ নং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ব্যবসায়ী হাবিব অনেক সম্পদের মালিক। তিনি তার যাকাতের অর্থ ধনী-গরিব বিচার না করে সবাইকে বিলিয়ে দেন। এ ব্যাপারে তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন এতে কোনো সমস্যা নেই।
৯৫. হাবিবের যাকাত আদায়ে কোনটি লঙ্ঘিত হয়েছে? (প্রয়োগ)
মাসারিফ খ ওয়াজিব গ সুন্নত ঘ মুস্তাহাব
৯৬. হাবিবের পরকালীন পরিণতিÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. জাহান্নাম রর. জান্নাত
ররর. আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
পাঠ-৪ : যাকাতের গুরুত্ব ও তাৎপর্য
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৯৭. ইসলামের কোন বিধানের মাধ্যমে ধনীরা দায়মুক্ত হওয়ার সুযোগ পায়? (জ্ঞান)
ক হজ যাকাত গ সালাত ঘ সাওম
৯৮. অর্থনৈতিক ভারসাম্য রক্ষার জন্য ইসলাম ধনীদের ওপর কী ফরজ করেছে? (জ্ঞান)
ক হজ যাকাত গ আয়কর ঘ সালাত
৯৯. সম্পদের প্রকৃত মালিক কে? (জ্ঞান)
ক ধনীরা খ সম্পদশালীরা আল্লাহ তায়ালা ঘ মহানবি (স)
১০০. মানুষের নিকট আমানতস্বরূপ কী? (জ্ঞান)
সম্পদ খ পিতামাতা গ সংসার ঘ স্ত্রী
১০১. সাদাকার অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক সম্পদ খ ভারসাম্য যাকাত ঘ পবিত্রতা
১০২. হযরত উমর ইবনে আব্দুল আজিজ (র) কী ছিলেন? (জ্ঞান)
একজন খলিফা খ একজন ধনী ব্যক্তি
গ একজন ব্যবসায়ী ঘ একজন চিকিৎসক
১০৩. যাকাত অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কেন? (অনুধাবন)
ক এটি ধনীদেরকে আরও ধনী করে এটি অর্থনৈতিক ভারসাম্য রক্ষা করে
গ এটি ধন-সম্পদ অর্জনে সাহায্য করে ঘ এটি গরিবদের চাহিদা পূরণ করে
১০৪. সমাজে ধনী-দরিদ্রের পার্থক্য কমে আসবে কীভাবে? (অনুধাবন)
ক সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা চালু করলে সঠিকভাবে যাকাত আদায় করলে
গ দরিদ্রদের বিনামূল্যে খাদ্য দিলে ঘ দরিদ্রদের পুনর্বাসন করলে
১০৫. খলিফা হযরত উমর ইবনে আব্দুল আজিজ (র)-এর যুগে যাকাত নেওয়ার মতো লোক খুঁজে পাওয়া কষ্টকর ছিল কেন? (অনুধাবন)
ক গরিব লোক না থাকার কারণে
যাকাত ব্যবস্থা প্রচলনের ফলে
গ ধনী লোক বেশি থাকার কারণে
ঘ খলিফাকে ভয় করার কারণে
১০৬. অসহায় প্রবাসী ব্যক্তিরা কী পাবে? (অনুধাবন)
ক যাকাত পাবে না খ কিছু যাকাত পাবে
যাকাত পাবে ঘ যাকাত দিবে
১০৭. “আল্লাহ তায়ালা লোকের ওপর সাদাকা (যাকাত) ফরজ করেছেন। তা নেয়া হবে ধনীদের নিকট থেকে এবং বিলিয়ে দেয়া হবে দুঃস্থদের মধ্যে।”-এ উক্তিটির তাৎপর্য কী? (প্রয়োগ)
ক আল্লাহ তায়ালার মাহাত্ম্য প্রচার যাকাত দানের নির্দেশ
গ হযরত সুলাইমান (আ)-এর গুণ ঘ আল্লাহর বাণী প্রচার
১০৮. যাকাতের মাধ্যমে কোন ধরনের বৈষম্য দূরীভ‚ত হয়? (প্রয়োগ)
ক শিক্ষিত ও অশিক্ষিতের খ নেতা ও নেত্রীর
গ ন্যায় ও অন্যায়ের ধনী ও দরিদ্রের
১০৯. যাদের ওপর যাকাত ফরজ অথচ তারা তা আদায় করে না এবং দিতে অস্বীকার করে তাদের ব্যাপারে শরিয়তের সিদ্ধান্ত কী? (প্রয়োগ)
ক ইহুদি হয়ে যাবে খ বৌদ্ধ হয়ে যাবে
গ মুমিন বান্দায় পরিণত হবে ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যাবে
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১১০. যাকাত ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করে মুসলমানদেরÑ (প্রয়োগ)
র. সামাজিক অবস্থা রর. অর্থনৈতিক অবস্থা
ররর. রাজনৈতিক অবস্থা
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১১১. যাকাত প্রদানের গুরুত্ব হলো [রংপুর সরকারি বালিক বিদ্যালয়]
র. ধনী দরিদ্রের বৈষম্য দূর হয়
রর. অর্থনৈতিক সমতার ক্ষেত্র তৈরি হয়
ররর. সমাজের কোনো লোক অন্নহীন থাকে না
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১১২ ও ১১৩ নং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ইউসুফ আলী গ্রামের গরিব লোকদের বাছাই করে নিয়মিত যাকাত দেন। এ উদ্দেশ্যে তিনি তাদেরকে স্বাবলম্বী করারও পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। যাকাতের অর্থ দ্বারা তিনি কাউকে স্বাবলম্বী করলেও যাকাতের বিষয়টি তাদের কাছে গোপন রাখেন।
১১২. ইউসুফ আলীর যাকাত আদায় কেমন? (প্রয়োগ)
ক যাকাত আদায় হবে না শরিয়ত সম্মত
গ আংশিক হবে ঘ গুনাহগার হবে
১১৩. উক্ত পদ্ধতিতে যাকাত দেয়ার ফলাফল (উচ্চতর দক্ষতা)
র. ধনীরা আরও ধনী হবে
রর. গরিবরা স্বাবলম্বী হবে
ররর. এটি যাকাত প্রদানের আধুনিক পদ্ধতি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
পাঠ-৫ : হজ
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১১৪. হজ শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক সাঈ করা খ তাওয়াফ করা
সংকল্প করা ঘ উৎসর্গ করা
১১৫. কাদের জন্য জীবনে একবার হজ ফরজ? (জ্ঞান)
ক অসুস্থ ব্যক্তি খ অপ্রাপ্তবয়স্ক
গ অমুসলমান সামর্থ্যবান মুসলমান
১১৬. হজে মহিলাদের সফর সঙ্গী কে হবেন? (জ্ঞান)
ক ফুফাতো ভাই খ মামাতো ভাই
গ চাচাতো ভাই
স্বামী অথবা যাদের সাথে বিবাহ সম্পর্ক হারাম
১১৭. হজ জীবনে কত বার ফরজ? (জ্ঞান)
এক খ দুই গ তিন ঘ বারবার
১১৮. হযরত ইবরাহিম (আ) কোথায় জন্মগ্রহণ করেন? (জ্ঞান)
ক মিসরে খ সিরিয়ায় ইরাকে ঘ জর্ডানে
১১৯. জাতীয় জীবনে হজ কী সৃষ্টি করে? (জ্ঞান)
ক মুসলমানদের মধ্যে ভালোবাসা বিশ্বভ্রাতৃত্ব
গ সবার প্রতি মায়া ঘ ভালো কাজের মনোভাব
১২০. একটি পবিত্র ঘরে আল্লাহ ও রাসুলের নির্দেশ মোতাবেক হজ করতে হয়। এ ঘরটিকে কী বলে? (প্রয়োগ)
ক মক্কা শরিফ খ মীনা গ আরাফা কাবাঘর
১২১. একের অধিক হজ করা কী? (জ্ঞান)
ক ফরজ খ ওয়াজিব নফল ঘ সুন্নাত
১২২. বিখ্যাত যম্যম্ ক‚পের পাশে সর্বপ্রথম কোন বংশের কাফেলা এসে জমা হয়? (অনুধাবন)
ক কুরাইশ জুরহাম গ ইসরাইলি ঘ উমাইয়া
১২৩. শরিয়তের কোন বিধান পালন করতে প্রচুর অর্থ ব্যয় হয়? (জ্ঞান)
ক সালাত খ যাকাত হজ ঘ কুরবানি
১২৪. মানুষের মধ্যে কৃপণতা ও অপচয় করার প্রবণতা দূরীভ‚ত হয় কীভাবে? (অনুধাবন)
ক প্রচুর অর্থ রোজগার করলে খ রোযা পালন করলে
গ হজ পালন করলে দান-সাদাকা করলে
১২৫. আয়ুব আলী প্রতি বছর হজ পালনের জন্য মক্কায় যায় আর ব্যবসা করে ফিরে আসে। আয়ুব আলীর হজ কীরূপ হবে? (প্রয়োগ)
ক প্রতারণা করা হবে খ হজ পালন হবে
হজ কবুল হবে না ঘ যথার্থ হবে
১২৬. “মানুষের মধ্যে যার সেখানে যাওয়ার সামর্থ্য আছে, আল্লাহর উদ্দেশ্যে ঐ গৃহে হজ করা তার অবশ্য কর্তব্য।” অনূদিত আয়াতটি দ্বারা কোনটি প্রকাশ পায়? (প্রয়োগ)
ক তাওবা করা খ সফর করা গ মক্কায় যাওয়া হজের ফরজ
১২৭. “হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের এ কাজ কবুল করুন। নিশ্চয়ই আপনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞানী।” অনূদিত আয়াতটি দ্বারা কে দোয়া করেছেন? (উচ্চতর দক্ষতা)
হযরত ইবরাহিম (আ) খ হযরত মুসা (আ)
গ হযরত মহানবি (সা) ঘ হযরত ঈসা (আ)
১২৮. ‘মানুষের মধ্যে যার সেখানে যাওয়ার সামর্থ্য আছে, আল্লাহর উদ্দেশ্যে ঐ গৃহে হজ করা তার অবশ্য কর্তব্য।’ এটি কার বাণী? (উচ্চতর দক্ষতা)
আল্লাহ তায়ালার খ হযরত মুহাম্মদ (স)-এর
গ হযরত আবু বকর (রা)-এর ঘ হযরত ওমর (রা)-এর
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১২৯. হজ একটি গুরুত্বপূর্ণÑ (অনুধাবন)
র. আর্থিক ইবাদত রর. মানসিক ইবাদত
ররর. শারীরিক ইবাদত
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ রর ও ররর র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৩০. উত্তরাধিকার সূত্রে কুরাইশ বংশে ছিলÑ (অনুধাবন)
র. কাবার রক্ষক রর. হজের তত্ত¡াবধায়ক
ররর. শ্রেষ্ঠ বংশ
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ রর ও ররর গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৩১. যে হজের প্রতিদান জান্নাত (অনুধাবন)
র. মাকবুল হজের রর. মাবরুর হজের
ররর. কিরান হজের
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ রর ও ররর গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৩২. হজ ও উমরা কোনটি দূর করে? [জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড হাই স্কুল]
র. দরিদ্রতা রর. অভাব অনটন
ররর. পাপ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর গ ররর র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৩৩ ও ১৩৪ নং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
পৃথিবীর সকল মুসলমান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের আশায় নির্দিষ্ট দিনগুলোতে মক্কায় একত্রিত হয়।
১৩৩. কোন বিধানটি পালনার্থে বিশ্বের মুসলমানরা মক্কায় উপস্থিত হন? (প্রয়োগ)
হজ খ রোজা গ সালাত ঘ কুরবানি
১৩৪. মক্কায় বিশ্বমুসলিম একত্রিত হওয়ার দ্বারা প্রমাণিত হয়Ñ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. বিশ্ব মুসলিম এক উম্মত রর. বিশ্ব মুসলিম এক জাতি
ররর. বিশ্ব মুসলিম শতধাবিভক্ত
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
পাঠ-৬ : হজের ফরজসমূহ
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৩৫. সাফা ও মারওয়া পাহাড়দ্বয় সাঈ করা কী? (জ্ঞান)
ওয়াজিব খ সুন্নাত গ মুস্তাহাব ঘ ফরজ
১৩৬. হজের ফরজ কয়টি? [যশোর জিলা স্কুল]
ক দুই তিন গ চার ঘ পাঁচ
১৩৭. আরাফাত ময়দানে অবস্থান করা কী? (জ্ঞান)
ক ওয়াজিব ফরজ গ সুন্নাত ঘ মুস্তাহাব
১৩৮. জামরাতুল আকাবায় কংকর নিক্ষেপ করা কী? (জ্ঞান)
ক সুন্নত ওয়াজিব গ ফরজ ঘ মাকরূহ
১৩৯. ইহরাম বাঁধার আগে গোসল করা কী? (জ্ঞান)
ক ফরজ খ ওয়াজিব সুন্নত ঘ মুস্তাহাব
১৪০. হজের ওয়াজিব নিচের কোনটি? (জ্ঞান)
ক আরাফার ময়দানে অবস্থান করা শয়তানকে কংকর নিক্ষেপ করা
গ তাওয়াফে কুদুম করা ঘ হাজরে আসওয়াদ চুম্বন করা
১৪১. হজের নিয়তে ইহরাম বাঁধা কী? (জ্ঞান)
হজের ফরজ খ হজের ওয়াজিব
গ হজের সুন্নাত ঘ হজের নফল
১৪২. আকবর আলী হজ করতে গিয়ে মাথা মুড়ায়নি। সে কোনটি লঙ্ঘন করেছে? (প্রয়োগ)
ক ফরজ ওয়াজিব গ সুন্নাত ঘ মুস্তাহাব
১৪৩. ৯ই যিলহজ সূর্য ওঠার পর মিনা থেকে আরাফার দিকে রওয়ানা দিতে হয়। এটি হজের কী? (প্রয়োগ)
সুন্নাত খ নফল গ ওয়াজিব ঘ ফরজ
১৪৪. হাজিগণকে তাওয়াফে যিয়ারত করতে হয়। এটি হজের কী? (প্রয়োগ)
ক সুন্নাত খ নফল গ ওয়াজিব ফরজ
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৪৫. হজের ফরজ কাজ হচ্ছেÑ (অনুধাবন)
র. ইহরাম বাঁধা রর. মাথা মুড়ানো
ররর. আরাফাতের ময়দানে অবস্থান
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৪৬. হজের সুন্নাত হলো (অনুধাবন)
র. বহিরাগতদের জন্য তাওয়াফে কুদুম করা
রর. সম্ভব হলে আরাফাতে গোসল করা
ররর. শয়তানকে কংকর নিক্ষেপ করা
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৪৭. আবুল হাশেম সাহেব আরাফার ময়দানে ৯ই যিলহজ তারিখে অবস্থান করেছেন। এক্ষেত্রে তার পালিত হয়েছে (প্রয়োগ)
র. হজের ফরজ রর. হজের ওয়াজিব
ররর. হজের সুন্নাত
নিচের কোনটি সঠিক?
র খ রর গ ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৪৮-১৫০ নং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
জোহরা জান্নাত তাঁর স্বামীর সাথে এ বছর হজে গেলেন। তিনি ইহরাম বাঁধার আগে গোসল করলেন এবং হাজরে আসওয়াদ থেকে তাওয়াফ শুরু করলেন।
১৪৮. জোহরা বেগম হজের কোনটি পালন করেছেন? (প্রয়োগ)
সুন্নাত খ ওয়াজিব গ ফরজ ঘ নফল
১৪৯. জোহরা বেগম এরূপ কাজ করার ফলে তাঁর হজÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. পরিপূর্ণ হবে না রর. পরিপূর্ণ হবে
ররর. অনেক সাওয়াবের অধিকারী হবেন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৫০. হজের ওয়াজিবÑ [রংপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, রংপুর]
র. তিনটি রর. চারটি ররর. পাঁচটি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর ররর ঘ র, রর ও ররর
পাঠ-৭ : হজ পালনের নিয়ম
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৫১. হজের ইহরাম বাঁধার স্থানকে কী বলে। (অনুধাবন)
ক কাবা খ মিনা গ মুজদালিফা মিকাত
১৫২. যিলহজ মাসের কোন তারিখটি আরাফাত দিবস হিসেবে পরিচিত? [রংপুর জিলা স্কুল]
ক ৭ খ ৮ ৯ ঘ ১০
১৫৩. আব্দুল্লাহ হজে গিয়ে মাথা মুণ্ডনের পূর্বে শয়তানকে কংকর নিক্ষেপ করেছেন- এমতাবস্থায় তার ওপর- (প্রয়োগ)
দম ওয়াজিব হবে খ উট কুরবানি করতে হবে
গ নতুন করে হজ করতে হবে ঘ সাদাকা দিতে হবে
১৫৪. প্রথম তাওয়াফকে কী তাওয়াফ বলে? (জ্ঞান)
ক তাওয়াফুল বিদা তাওয়াফে কুদুম
গ তাওয়াফে যিয়ারহ ঘ তাওয়াফে আউয়াল
১৫৫. তাওয়াফুল বিদা কাদের জন্য ওয়াজিব? (অনুধাবন)
ক স্থানীয়দের জন্য বহিরাগতদের জন্য
গ যারা প্রথমবার হজ করে তাদের জন্য
ঘ যাদের হজে ত্রæটি হয় তাদের জন্য
১৫৬. তাওয়াফে কুদুম বলতে কী বোঝায়?
ক পায়ে হেটে তাওয়াফ আগমনী তাওয়াফ
গ বিলম্বকালীন তাওয়াফ ঘ অবস্থানকালীন তাওয়াফ
১৫৭. কোন ময়দানে হাজিদের কুরবানি করতে হয়? (জ্ঞান)
মিনায় খ আরাফায় গ মদিনায় ঘ মুযদালিফায়
১৫৮. কুরবানি করতে হয় কোন মাসে? (জ্ঞান)
ক মহররম খ রজব গ রমযান যিলহজ
১৫৯. হজের দ্বিতীয় কাজ কী? (জ্ঞান)
ক সালাত আদায় সাঈ
গ ইহরাম বাঁধা ঘ আরাফয়ে অবস্থান করা
১৬০. কোন পাহাড়দ্বয়ের মাঝখানে সাঈ করতে হয়? (জ্ঞান)
ক ত‚র ও মারওয়া সাফা ও মারওয়া
গ হেরা ও সাফা ঘ হেরা ও ত‚র
১৬১. যিলহজ-এর কোন তারিখে ইমাম আরাফায় খুতবা পাঠ করেন? (জ্ঞান)
নয় খ বার গ সাত ঘ দশ
১৬২. হাজিদের ৮ই যিলহজে কোথায় যেতে হয়? (জ্ঞান)
মিনায় খ মুযদালিফায় গ মারওয়ায় ঘ মদিনায়
১৬৩. হাজিগণ মিনায় স্তম্ভ লক্ষ করে পাথর নিক্ষেপ করেন। এর প্রকৃত উদ্দেশ্য কী? (প্রয়োগ)
ক হজ ব্যবসায়ীদের অন্যায়ের প্রতিবাদ করা
খ শয়তানের শরীরে আক্রমণ করা
গ জিহাদের জন্য শক্তি পরীক্ষা করা
শয়তানের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করা
১৬৪. আকরাম হজের কার্যাবলি সম্পাদনে কুরবানি করলেন। এরপর তিনি কোন কাজ সম্পাদন করবেন? (প্রয়োগ)
ক সালাত আদায় খ তাওয়াফ মাথা মুণ্ডন ঘ গোসল
১৬৫. রমযান হজে গিয়ে ৯ই যিলহজ রাতে কোথায় অবস্থান করবে তা মুয়াল্লিমকে জিজ্ঞাসা করল। মুয়াল্লিম কোথায় অবস্থানের কথা বলবে? (প্রয়োগ)
ক মিনায় আরাফায় গ মক্কায় ঘ মুযদালিফায়
১৬৬. সাফা ও মারওয়া পাহাড়দ্বয়ের মাঝখানে হাজিগণ দৌড়াদৌড়ি করে। এ দৌঁড়াদৌঁড়ি করাকে কী বলে? (প্রয়োগ)
সাঈ খ আরাফায় অবস্থান
গ কুরবানি ঘ মাথা মুণ্ডানো
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৬৭. হাজিগণ সূর্যোদয়ের পর মিনায় আসেন যে তারিখে (অনুধাবন)
র. ৭ই যিলহজ রর. ৮ই যিলহজ ররর. ৯ই যিলহজ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র রর গ ররর ঘ র, রর ও ররর
১৬৮. সাঈ করা হয়Ñ (অনুধাবন)
র. সাফা ও মারওয়া পাহাড়দ্বয়ের মাঝখানে
রর. সাফা ও হেরা পাহাড়দ্বয়ের মাঝখানে
ররর. হেরা ও নূর পাহাড়দ্বয়ের মাঝখানে
নিচের কোনটি সঠিক?
র খ রর গ ররর ঘ র, রর ও ররর
১৬৯. ‘দম’ করতে হয়- (অনুধাবন)
র. হজের ওয়াজিব পালনে ধারাবাহিকতার ব্যতিক্রম ঘটলে
রর. ইহরাম অবস্থায় নিষিদ্ধ কাজ করলে
ররর. হারাম এলাকায় নিষিদ্ধ কাজ করলে
ক র খ রর গ ররর র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৭০ ও ১৭১ নং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
হজে সবাই মক্কা শরিফে সমবেত হয়। সবার এক পোশাক, এক উদ্দেশ্য, কাজও একই রকম। এখানে ভাষা ও বর্ণের ভিন্নতা থাকলেও উদ্দেশ্য সবার একই।
১৭০. উদ্দীপকে কোন বিষয়টি ফুটে উঠেছে? (প্রয়োগ)
আধ্যাত্মিক তাৎপর্য খ ভালোবাসা
গ মাহাত্ম্য ঘ দয়া
১৭১. হাজিগণের হজ পালনের একমাত্র উদ্দেশ্যÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন
রর. অর্থের প্রাচুর্যের কারণে
ররর. গুনাহ মাফ ও আধ্যাত্মিকতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
পাঠ-৮ : কুরবানি
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৭২. কুরবানির গোশত সাধারণত কয় ভাগে ভাগ করা যায়? (জ্ঞান)
ক ২ ৩ গ ৪ ঘ ৫
১৭৩. কোন সময় থেকে কুরবানি চালু হয়? (জ্ঞান)
হযরত ইবরাহিম (আ)-এর খ হযরত মুসা (আ)-এর
গ হযরত ইসমাঈল (আ)-এর ঘ হযরত দাউদ (আ)-এর
১৭৪. কুরবানির সময়ে আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয় ইবাদত কোনটি? (জ্ঞান)
ক যিকর খ জনসেবা গ মিলাদ কুরবানি
১৭৫. কুরবানির সমার্থক শব্দ কী? (জ্ঞান)
ক যিয়ারত খ তাওয়াফ উযহিয়্যাহ ঘ উসওয়াত
১৭৬. কুরবানি করার মাধ্যমে আল্লাহর প্রতি বান্দার কী প্রতিফলিত হয়? (জ্ঞান)
ত্যাগ খ তাকওয়া গ আনুগত্য ঘ ইমানি দৃঢ়তা
১৭৭. কুরবানি কয়দিন পর্যন্ত করা যায়? (জ্ঞান)
ক ১ খ ২ ৩ ঘ ৪
১৭৮. হযরত ইবরাহিম (আ) যখন পুত্রকে কুরবানি করার জন্য যাচ্ছিলেন তখন তাঁদের বিভ্রান্ত করতে চেষ্টা চালিয়েছিল (প্রয়োগ)
ক নফস বা কুপ্রবৃত্তি খ আত্মীয়স্বজন
গ বিবি হাজেরা শয়তান
১৭৯. কুরবানি করলে আল্লাহর নিকট কী পৌঁছায়? (জ্ঞান)
ক গোশত খ রক্ত গ ইমান তাকওয়া
১৮০. সম্পদ জমা করে রাখার ব্যাপারে ইসলামের হুকুম কী? (অনুধাবন)
ক মুবাহ খ মাকরূহ গ জায়েয হারাম
১৮১. এক থেকে সাতজন পর্যন্ত লোক কোন পশু কুরবানি করতে পারে? (অনুধাবন)
গরু, মহিষ, উট খ গরু, দুম্বা, মহিষ
গ গরু, ছাগল, মহিষ ঘ দুম্বা, গরু, ছাগল
১৮২. মুসলমানদের কুরবানির মাধ্যমে কোনটি প্রকাশ পায়? (জ্ঞান)
ক ভালোবাসা খ মমতা গ স্নেহ ত্যাগ
১৮৩. মহররম মাসে রহিম কুরবানির উদ্দেশ্যে একটি গরু ক্রয় করল। রহিম এটিকে কোন মাসে কুরবানি করবে? (প্রয়োগ)
ক যিলকদ যিলহজ গ শাবান ঘ শাওয়াল
১৮৪. জালাল কুরবানির উদ্দেশ্যে মোটাতাজা পশু ক্রয় করল। এর দ্বারা সে কী লাভ করবে? (প্রয়োগ)
আল্লাহর নৈকট্য খ ইমান গ অর্থ-সম্পদ ঘ মান-সম্মান
১৮৫. মুসলমানগণ প্রতি বছর কুরবানি করেন। এর দ্বারা মুসলমানগণ কী করেন? (প্রয়োগ)
ক জানমালের ক্ষতি করেন খ গরিবদেরকে দান করেন
নিজেদেরকে পবিত্র করেন ঘ কুরবানির পশু যবেহ করেন
১৮৬. সামর্থ্য থাকা সত্তে¡ও যে কুরবানি করল না সে যেন আমাদের ইদগাহের নিকটবর্তী না হয়’। এটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? (উচ্চতর দক্ষতা)
কুরবানির তাগিদ খ আল্লাহর সন্তুষ্টি
গ হযরত উমরের সন্তুষ্টি ঘ হযরত আবু বকর (রা)-এর সন্তুষ্টি
১৮৭. “তখন আমি তাকে আহŸান করে বললাম, হে ইবরাহিম! তুমি তো স্বপ্নাদেশ সত্যিই পালন করলে।” অনূদিত আয়াতটি দ্বারা হযরত ইবরাহিম (আ)-এর কোন দিকটি প্রকাশ পায়? (উচ্চতর দক্ষতা)
আল্লাহর আনুগত্য খ মহানবি (স)-এর আনুগত্য
গ নিজের সন্তুষ্টি ঘ বিবি হাজেরার সন্তুষ্টি
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৮৮. কুরবানির সঠিক নিয়ম হলোÑ (অনুধাবন)
র. কুরবানির গোশত পাঁচ ভাগ করতে হয়
রর. ঈদের সালাত আদায়ের পর কুরবানি করতে হয়
ররর. নিজ হাতে কুরবানি করা উত্তম
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৮৯. হাশেম হোসেনকে জিজ্ঞাসা করল সে জিলহজের কয় তারিখে কুরবানি করবে। তখন হোসেন তাকে কুরবানি করতে বলল (অনুধাবন)
র. ১০ তারিখ
রর. ১১ তারিখ
ররর. ১২ তারিখ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১৯০. কুরবানির পশু জবাই করতে হয় (অনুধাবন)
র. পশ্চিম দিকে মাথা রেখে
রর. ধারালো অস্ত্র দ্বারা
ররর. বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার বলে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৯১. কুরবানির ত্যাগ ও উৎসর্গের দ্বারা আমরা হাসিল করি-
[ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ, রংপুর]
র. আত্মমর্যাদা
রর. আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য
ররর. পাশবিকতার বিনাশ
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৯২ ও ১৯৩ নং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
আল্লাহ বলেন, “তখন আমি তাকে আহŸান করে বললাম, হে ইবরাহিম। তুমি তো স্বপ্ন দেশ সত্যিই পালন করলে।”
১৯২. উদ্ধৃত আয়াতটি কোন সূরার? (প্রয়োগ)
ক আল বাকারা খ আন নজম
আস সাফফাত ঘ সূরা ইবরাহিম
১৯৩. কুরবানির শিক্ষাÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. আত্মত্যাগ রর. আল্লাহর বৈশিষ্ট্য লাভ
ররর. বিশ্ব শান্তি
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৯৪-১৯৫ নং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
আকবর সাহেব ঋণগ্রস্ত। ঈদুল আযহার সময় মানসম্মান রক্ষার্থে এবং ছেলেমেয়ের কথা চিন্তা করে ঋণ করে কুরবানি করেন।
১৯৪. ইসলামের বিধান অনুযায়ী আকবর সাহেবের কুরবানি কী সঠিক হয়েছে? (প্রয়োগ)
ক সঠিক হয়েছে খ আংশিক সঠিক সঠিক হয়নি ঘ পুরোপুরি সঠিক
১৯৫. আকবর সাহেবের উচিত ছিল (উচ্চতর দক্ষতা)
র. আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য কুরবানি করা
রর. সামাজিকতা রক্ষার জন্য কুরবানি করা
ররর. ওয়াজিব পালনের জন্য কুরবানি করা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
পাঠ-৯ : আকিকা
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৯৬. আকিকা শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
কেটে ফেলা খ উৎসর্গ করা গ জবাই করা ঘ পুরস্কৃত করা
১৯৭. সন্তানের আকিকা করা কী? [খুলনা জিলা স্কুল]
ক ফরজ সুন্নাত গ মুস্তাহাব ঘ ওয়াজিব
১৯৮. সন্তান জন্মের কোন দিবসে আকিকা করা মুস্তাহাব? (জ্ঞান)
ক ৫ম খ ৬ষ্ঠ ৭ম ঘ ১০ম
১৯৯. কাউছার সাহেবকে ছেলে-মেয়ের জন্য ছাগল আকিকা দিতে হবে। এক্ষেত্রে সে কয়টি ছাগল আকিকা দিবে? (প্রয়োগ)
ক এক খ দুই তিন ঘ চার
২০০. মাতাপিতার কাছে সবচেয়ে প্রিয় কী? (অনুধাবন)
ক ছেলেমেয়ে খ লেখাপড়া সন্তান ঘ ধনসম্পদ
২০১. আবিদার একটি মেয়ে আছে। তার মেয়ের জন্য কয়টি বকরি আকিকা দিবে? (প্রয়োগ)
একটি খ দুটি গ তিনটি ঘ চারটি
২০২. সুলায়মান তার ছেলে-মেয়ের জন্য আকিকা করলেন। এক্ষেত্রে আকিকার পশুর গোশত সে বিভক্ত করবে কয়ভাগে? (অনুধাবন)
ক দুই তিন গ চার ঘ পাঁচ
২০৩. রহিম সাহেব দুই ছেলের আকিকা করবেন। তাকে ছাগল জবাই করতে হবে কতটি? (প্রয়োগ)
ক ২ খ ৩ ৪ ঘ ১
২০৪. জোহরার একটি ছেলে জš§গ্রহণ করল। এখন তার ছেলের আকিকার পশু কে জবাই করবেন? (প্রয়োগ)
সন্তানের পিতা খ সন্তান নিজে
গ কসাই ঘ আত্মীয়স্বজন
২০৫. করিমের পিতা করিমের আকিকা করেননি। বড় হয়ে করিম কী করবে? (প্রয়োগ)
ক কিছুই করবে না নিজে আকিকা করবে
গ ছাগলের দাম দান করবে ঘ কুরবানি করবে
২০৬. আদিল সাহেব তার ছেলের আকিকা করেন দুইটি ছাগল জবাই করে। এতে তার কী হয়েছে? (প্রয়োগ)
সুন্নাত আদায় হয়েছে খ ফরজ আদায় হয়েছে
গ নফল আদায় হয়েছে ঘ মানদুব আদায় হয়েছে
২০৭. প্রতিটি নবজাতক সন্তান আকিকার সাথে বন্দি। কথাটির তাৎপর্য কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
প্রতিটি নবজাতক সন্তানের নামে আকিকা করতে হবে
খ প্রতিটি নবজাতককে আকিকা দিতে হবে
গ প্রতিটি নবজাতক সন্তানের জন্মের পর আকিকা করা বৈধ
ঘ প্রতিটি নবজাতক সন্তানের মুক্তি আকিকার মাধ্যমে
২০৮. কে নিজের আকিকা নিজেই করেছিলেন? (অনুধাবন)
ক ইবরাহিম (আ) মহানবি (স)
গ ইসহাক (আ) ঘ ইয়াকুব (আ)
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২০৯. উম্মে আয়মান জš§ নিলে তার বাবা তিনটি কাজ করলেন। তা হলোÑ (প্রয়োগ)
র. সন্তানের ইসলামি নাম রাখা
রর. মাথার চুলের ওজন পরিমাণ সোনা বা রুপা দান করা
ররর. আকিকা করা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
২১০. আকিকার সময় পশু যবেহ করতে হবেÑ (প্রয়োগ)
র. ছেলের জন্য দুটি ছাগল বা ভেড়া
রর. মেয়ের জন্য একটি ছাগল বা ভেড়া
ররর. ছেলে ও মেয়ের জন্য দুটি ছাগল বা ভেড়া
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর ক র ও ররর খ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২১১. মাকবুরা তার ছেলের জন্য আকিকা করলেন। এতে তার লাভ হবে (উচ্চতর দক্ষতা)
র. সুন্নাত রর. আল্লাহর রহমত
ররর. সন্তানের বিপদাপদ দূর
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ২১২ ও ২১৩ নং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
কাউসার সাহেবের সন্তান জš§ নিলে আকিকা দেয়া বেহুদা কাজ। এতে অর্থের অপচয় এবং পশু হত্যা করা হয়।
২১২. কাউসার সাহেবের বিশ্বাস কিরূপ? (অনুধাবন)
কুফরি খ ভালো গ সঠিক ঘ মুস্তাহাব
২১৩. কাউসারের পরকালিন পরিণতিÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. জান্নাত রর. আল্লাহর ক্রোধ লাভ
ররর. জাহান্নাম
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
পাঠ-১০ : কুরবানির ত্যাগের শিক্ষা
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২১৪. কুরবানি দ্বারা আল্লাহ তায়ালা কী যাচাই করেন? (জ্ঞান)
ক মানুষের অর্থের খ মানুষের ইমানের
গ মানুষের মন মানুষের তাকওয়া
২১৫. কার ওপর কুরবানি ওয়াজিব নয়? (জ্ঞান)
ক ধনীর খ মালদারের গ মধ্যবিত্তদের মুসাফিরের
২১৬. কুরবানি কার স্মৃতি বহন করে? (জ্ঞান)
ক হযরত ইবরাহিম (আ)-এর খ হযরত ইসমাঈল (আ)-এর
গ হযরত মুহাম্মদ (স)-এর হযরত ইবরাহিম ও ইসমাঈল (আ)-এর
২১৭. সাধারণ মানুষ হাজিদের সম্মান করে থাকেন কেন? (অনুধাবন)
ক দেশ ভ্রমণ করার জন্য আল্লাহর ঘর তাওয়াফ করার জন্য
গ ভাগ্যবান মানুষ ভেবে ঘ বিত্তশালী লোক বলে
২১৮. “কখনো আল্লাহর নিকট পৌঁছায় না এগুলোর গোশত এবং রক্ত বরং পৌঁছায় তোমাদের তাকওয়া।” অনূদিত আয়াতটির তাৎপর্য কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক বান্দার গুনাহ খ বান্দার তাওবা
বান্দার তাকওয়া ঘ বান্দার সাওয়াব
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২১৯. আত্মত্যাগ ও আত্মসমর্পণের মূর্ত প্রতীক ছিলেন (অনুধাবন)
র. হযরত ইবরাহিম রর. হযরত ইসমাঈল
ররর. হযরত নূহ
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২২০. মহান আল্লাহ ধনীদের ওপর কুরবানি ওয়াজিব করেছেন। এর মাধ্যমে আল্লাহ দেখতে চানÑ (প্রয়োগ)
র. আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা রর. আল্লাহর ভয়
ররর. মানুষের অন্তর
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ২২১ ও ২২২ নং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
রেজাউল সাহেব প্রতি বছর হজ পালন করেন। তিনি ১০/১২ জনের একটি দল গঠন করে কৌশলে নিজের খরচ তাদের টাকায় সংকুলান করে তাদেরকে নিয়ে যান, দেখাশোনা করেন এবং আসার সময় কিছু পণ্যদ্রব্য এনে তা দিয়ে ব্যবসা করেন।
২২১. শরিয়তের দৃষ্টিতে রেজাউল সাহেবের হজ কীরূপ? (প্রয়োগ)
র. হজ কবুল হবে না রর. হজ কবুল হবে
ররর. নিয়তের ওপর ফলাফল নির্ভরশীল
নিচের কোনটি সঠিক?
র খ রর গ ররর ঘ র, রর ও ররর
২২২. হজ কবুলের জন্য রেজাউল সাহেবের করণীয় (উচ্চতর দক্ষতা)
র. নিজের খরচে হজ করা রর. ব্যবসা না করা
ররর. হজে না যাওয়া
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ২২৩ ও ২২৪ নং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
মুহিতের ধারণা যার পশু বেশি মোটা তাজা হবে এবং বেশি দাম দিয়ে কিনবে তার কুরবানির পশু আল্লাহ তাড়াতাড়ি কবুল করেন।
২২৩. মুহিতের ধারণা কিসের পরিপন্থী? [খুলনা জিলা স্কুল]
ক হাদিসের কুরআনের গ ইজমার ঘ মাসআলার
২২৪. অনুচ্ছেদটির ইবাদতে আল্লাহ কী দেখতে চান?
ক পশুর দৈহিক আকৃতি খ কত টাকা দিয়ে কেনা
তাকওয়া ঘ কত সুন্দর তা
২২৫. রফিক যাকাত দিতে চায়। এজন্য তার জানতে হবে (প্রয়োগ)
র. যাকাতের ফজিলত
রর. যাকাত ফরজ হওয়ার শর্ত
ররর. যাকাতের মাসারিফ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
২২৬. ইয়াকুব আলি হজ করতে মক্কায় গেলেন। তাকে পালন করতে হবে (প্রয়োগ)
র. হজের ফরজসমূহ
রর. হজের নিয়ম
ররর. কুরবানির শিক্ষা
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২২৭. মাহবুবে এলাহী ঈদের নামায আদায় করে তার নিজের পালিত গরুটি জবেহ করার সময় চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ে। তারপরও গরুটি জবেহ করলেন। এর প্রকৃত কারণ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. কুরবানির ত্যাগের শিক্ষা
রর. আকিকার নিয়ম
ররর. প্রিয়বস্তু উৎসর্গ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ২২৮ ও ২২৯ নং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
রাসেল যাকাত দিতে অস্বীকার করলে তার চাচা তার বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করেন। পরে জানা গেল তিনি ঋণগ্রস্ত। পরে রাসেলের চাচা হজে গিয়ে তাওয়াফে যিয়ারত করতে ভুলে গেলেন।
২২৮. রাসেলের চাচার কর্মকাণ্ড কোন খলিফার কর্মকাণ্ডের প্রতিচ্ছবি? (প্রয়োগ)
হযরত আবু বকর (রা)
খ হযরত উমর (রা)
গ হযরত উসমান (রা)
ঘ হযরত আলি (রা)
২২৯. রাসেলের চাচা ভুল করেছেন হজের ¬Ñ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. সুন্নত
রর. ওয়াজিব
ররর. ফরজ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর ররর ঘ র ও ররর
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন -১ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
নেছার সাহেব ব্যবসা করে প্রচুর সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। তিনি দুই-এক বছর পরপরই হজব্রত পালন করেন। কিন্তু তিনি তার গরিব ভাই-বোন ও সমাজের দরিদ্র-অসহায় লোকদের সাথে সম্পর্ক রাখেন না। এ নিয়ে সমাজে চলছে নানা ধরনের কথাবার্তা। এসব কথাবার্তা তার চাচা আব্দুল করিমের কানে এলে, তিনি নেছারকে বললেন, ‘সমাজে ধনী-গরিবের বৈষম্য ভুলে গিয়ে সবার প্রতি সদয় হও।’
ক. ‘ইহরাম’ শব্দের অর্থ কী?
খ. ‘বায়তুল্লাহর হজ আল্ল¬াহর প্রাপ্য।’ বুঝিয়ে লিখ।
গ. নেছার সাহেবের কার্যক্রমে কার আদেশ যথাযথভাবে পালন হয়নি Ñ ব্যাখ্যা কর।
ঘ.আব্দুল করিম সাহেবের মানসিকতা হজের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দৃষ্টিভঙ্গিতে মূল্যায়ন কর।
১নং প্রশ্নের উত্তর
ক. ইহরাম শব্দের অর্থ নিষিদ্ধ।
খ. পৃথিবীর সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ স্থান বায়তুল্লায় অনুষ্ঠিত হজ আল্লাহ তায়ালারই প্রাপ্য। কেননা তিনিই তো মানুষকে অর্থসম্পদ দিয়ে হজে খরচ করার শক্তি সামর্থ্য দিয়েছেন। সুতরাং তাঁর পাওয়াটা যুক্তিযুক্ত। আল্লাহ শুধু অর্থসম্পদই দেননি বরং হজ করার জন্য ইচ্ছাশক্তি এমনকি শারীরিক শক্তিও দিয়েছেন। সকল ইবাদতের মূল লক্ষ্যই হচ্ছে তার সন্তুষ্টি। অতএব বলা যায়, আল্লাহর অনুগ্রহে আমরা হজ করার সামর্থ্য পাই বলে তিনিই এর প্রাপ্য।
গ. উদ্দীপকের নেছার সাহেবের কার্যক্রমে আল্লাহ ও রাসুলের আদেশ যথাযথভাবে পালন হয়নি।
পিতামাতার কর্তব্য আদায়ের পর আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী আমাদের নিকট সহযোগিতা ও সদ্ব্যবহার পাওয়ার হকদার। ইসলামে এসব আত্মীয়স্বজনের হক যথাযথভাবে আদায় করার নির্দেশ রয়েছে। এ ব্যাপারে আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেন- ‘তুমি তোমার নিকট আত্মীয়ের অধিকার আদায় কর’।
উদ্দীপকে দেখা যায় নেসার সাহেব দুই-এক বছর পরপরই হজব্রত পালন করেন। কিন্তু তার গরিব ভাই-বোন ও সমাজের অবহেলিত ও অসহায় মানুষের কোনো খোঁজখবর নেন না। তাদের সাহায্য সহযোগিতার কোনো পরিকল্পনাও তার মাথায় আসে না। এতে সমাজের মানুষ তার প্রতি অসন্তুষ্ট হয়ে তার সমালোচনায় ব্যস্ত থাকে। সুতরাং বলা যায় নেছার সাহেবের কার্যক্রমের মাধ্যমে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আদেশ যথাযথভাবে পালন হয়নি।
ঘ. আব্দুল করিম সাহেবের মানসিকতা হজের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দৃষ্টিভঙ্গিতে অত্যন্ত প্রশংসনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মুসলিম স¤প্রদায় হজের মৌসুমে এক বিশেষ ধর্মীয় ও নৈতিক চেতনায় অনুপ্রাণিত হয়ে ওঠেন। যারা হজে যান তাদের মন ধর্মীয় চেতনায় উদ্দীপ্ত থাকে। তারা সকল শ্রেণির ও সংস্কৃতির মানুষের সাথে ইসলামি ভ্রাতৃত্বে একাত্ম হন।
এ উপলব্ধি ও দৃষ্টিভঙ্গি থেকে উদ্দীপকের আব্দুল করিম তার ভাতিজা নেছার সাহেবের ভাই-বোন ও গ্রামের অসহায় মানুষদের প্রতি উদাসীনতা লক্ষ করে উপদেশ দিয়ে তাকে সংশোধন করার চেষ্টা করেছেন। তার মানসিকতা এই যে, একজন প্রকৃত দীনদার ধনী-গরিব নির্বিশেষে সকলের অধিকার আদায় করতে কুণ্ঠাবোধ করবেন না।
হাজিগণ একই ধরনের কাপড় পরিধান করে ইহরাম বাঁধেন। সবার মুখে একই ধ্বনি লাব্বাইক আল্লাহুমা প্রতিধ্বনিত হয়ে আকাশ বাতাস মুখরিত হয়ে ওঠেন। হাজিগণ মক্কা ও মদিনায় একই ইমামের পেছনে নামায আদায় করেন। সমবেত মুসলিম জনতা তখন ভাষা, জাতি, দেশ ও গোত্রের কৃত্রিম বৈষম্য ভুলে গিয়ে ভ্রাতৃত্বের চেতনায় উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে। তাদের মাঝে ভাবের আদান প্রদান হয়। আদর্শ সমাজ, রাষ্ট্র, বিশ্ব গড়ার জন্য জাতিসমূহের পারস্পরিক দ্ব›দ্ব-কলহ মিটিয়ে ভালোবাসা, বন্ধুত্ব ও ভ্রাতৃত্ব স্থাপনের বিশেষ সুযোগ তৈরি হয়।
প্রশ্ন -২ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ফারাবি সাহেব একজন ধর্মপরায়ণ ব্যক্তি। এলাকায় একটি মসজিদ নির্মাণের জন্য জায়গার প্রয়োজন হলো। সবাই মিলে একটি চমৎকার জায়গা নির্বাচন করল। জায়গাটি ফারাবি সাহেবের ফসল উৎপাদনের একমাত্র অবলম্বন। কিন্তু সবাই মিলে অনুরোধ করায় তিনি তা মসজিদের জন্য নিঃস্বার্থভাবে দিতে সম্মত হন। তার এ কাজে তার বড় ভাই ফাহাদ সাহেব অসন্তুষ্ট হন এবং উক্ত জায়গা দিতে প্রচণ্ডভাবে বাধা প্রদান করেন।
ক. যিলহজ মাসের কোন তারিখে আরাফায় অবস্থান করতে হয়?
খ. ‘তাওয়াফে কুদুম’ বলতে কী বোঝায়?
গ. ফারাবি সাহেবের কাজের মাধ্যমে ইবাদতের কোন শিক্ষাটি প্রকাশ পেয়েছে ? ব্যাখ্যা কর।
ঘ.ফাহাদ সাহেবের কার্যক্রম হযরত ইবরাহিম ও হযরত ইসমাঈল (আ)-এর ঘটনার আলোকে বিশ্লেষণ কর।
ল্ফল্প ২নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. যিলহজ মাসের নবম তারিখে আরাফার ময়দানে অবস্থান করতে হয়।
খ. বহিরাগত হাজিগণ ইহরাম বাঁধার পর মক্কায় পৌঁছে যে আগমনী তাওয়াফ করে তাই তাওয়াফে কুদুম। ইহরাম বাঁধার পর মক্কায় পৌঁছে কাবা ঘরের চারপাশ দিয়ে তাওয়াফ করতে হয়। মক্কা শরিফে পৌঁছার পর এটি প্রথম তাওয়াফ বিধায় এটিকে তাওয়াফে কুদুম বা আগমনী তাওয়াফ বলা হয়। হাজরে আসওয়াদ হতে তাওয়াফ শুরু করতে হয়। বহিরাগত হাজিদের জন্য তাওয়াফে কুদুম বা আগমনী তাওয়াফ করা সুন্নাত।
গ. ফারাবি সাহেবের কাজের মাধ্যমে ইবাদতের সারবস্তু ত্যাগের মনোভাবের শিক্ষাটি প্রকাশ পেয়েছে। উদ্দীপকের ফারাবি সাহেব তার একমাত্র অবলম্বন একখণ্ড জমি দান করে ত্যাগের নজির স্থাপন করেছেন।
এলাকার মসজিদ নির্মাণের উপযুক্ত কোনো জায়গা ছিল না। ফারাবি সাহেব তার একমাত্র ফসলি জমি নিঃস্বার্থভাবে দান করে দিয়ে তার এলাকার মানুষের জন্য নামাযের উত্তম জায়গার ব্যবস্থা করলেন। তার এ রকম প্রিয় জিনিস উৎসর্গের বিষয়টি আমাদেরকে নবি ইবরাহিম (আ) এর একমাত্র প্রিয়পুত্র ইসমাঈল (আ)-কে আল্লাহর রাস্তায় উৎসর্গের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। হযরত ইবরাহিম (আ) তাঁর প্রিয় পুত্র হযরত ইসমাঈল (আ)-কে কুরবানি করতে উদ্যত হয়ে ত্যাগের যে মহিমা প্রকাশ করেছেন, তা আমাদের মানবতাবাদী চেতনার বিকাশ ঘটায়।
তাই একথা নির্দ্বিধায় বলা যায় যে, ফারাবি সাহেবের কাজের মাধ্যমে ইবাদতের সারবস্তু ত্যাগের মনোভাবের শিক্ষাটি প্রকাশ পেয়েছে।
ঘ. ফাহাদ সাহেবের কার্যক্রমে হযরত ইবরাহিম ও হযরত ইসমাঈল (আ)-এর ঘটনার শিক্ষার বিপরীত দিক প্রকাশ পেয়েছে।
নিজের প্রিয় জিনিস ত্যাগ বা কুরবানি আল্লাহর নবি হযরত ইবরাহিম (আ) ও হযরত ইসমাঈল (আ)-এর অতুলনীয় ত্যাগের স্মৃতি বহন করে। আত্মত্যাগ ও আত্মসমর্পণের মূর্ত প্রতীক ছিলেন হযরত ইবরাহিম (আ) ও হযরত ইমাঈল (আ)। তারা পশুর গলায় ছুরি চালিয়ে এর রক্ত প্রবাহিত করে আল্লাহর কাছে শপথ করে বলে হে আল্লাহ তোমার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য যেভাবে পশুর রক্ত প্রবাহিত করছি, প্রয়োজনে আমাদের শরীরের রক্ত প্রবাহিত করতেও কুণ্ঠিত হব না। কিন্তু ফাহাদ সাহেবের মাঝে ত্যাগের মহিমা প্রবল নয়। তিনি মসজিদের জন্য ফসলি জমি দিতে বাধাদান করেন। অথচ জমিটি তার নয়, তার ভাইয়ের। বস্তুত জাগতিক সম্পদ আল্লাহর দান। আল্লাহর জন্য জীবন ও সম্পদ উৎসর্গ করা ইসলামের শিক্ষা। মানুষের জীবনে এ শিক্ষা গ্রহণ করলে তারা হয়ে উঠবে একে অপরের প্রতি সহানুভ‚তিশীল, পরোপকারী ও আত্মত্যাগী। উদ্দীপকের ফাহাদ সাহেবের মধ্যে যা মোটেও খুঁজে পাওয়া যায় না।
প্রশ্ন -৩ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
আমিন সাহেব একজন ধনী ব্যক্তি। তিনি প্রতি বছর হজব্রত পালন করেন, কিন্তু তিনি তার গরিব আত্মীয়-স্বজন ও সমাজের দরিদ্র অসহায় লোকের খোঁজ খবর রাখেন না। তার বন্ধু মুমিন সাহেব তাকে বলেন, “সমাজে ধনী গরিবের বৈষম্য ভুলে গিযে সবার প্রতি সদয় হও।”
ক. ‘ইহরাম’ শব্দের অর্থ? ১
খ. ‘নিসাব’ বলতে কী বুঝানো হয়েছে? ২
গ. আমিন সাহেবের চিন্তাধারা কিসের পরিপন্থী? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.মুমিন সাহেবের পরামর্শের যৌক্তিকতা বিচার কর। ৪
ল্ফল্প ৩নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. ইহরাম শব্দের অর্থ নিষিদ্ধ।
খ. নিসাব আরবী শব্দ। যডার অর্থ নির্ধারিত পরিমাণ। যাকাত ফরজ হওয়ার জন্য সম্পদের নির্ধারিত পরিমাণই হলো নিসাব। অর্থাৎ যে পরিমাণ সম্পদ কারও কাছে ১ বছর থাকরে তার ওপর যাকাত ফরয হবে। ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায় যাকাত ফরয হওয়ার জন্য সম্পদের নির্ধারিত পরিমাণকে নিসাব বলে। আর সেই পরিমাণ হলো সোনার ক্ষেত্রে সাড়ে ৭ তোলা বা রূপার ক্ষেত্রে সাড়ে ৫২ তোলা অর্থাৎ সমমূল্যের সম্পদ।
গ. আমিন সাহেবের চিন্তাধারা ইসলামের পরিপন্থী।
আমিন সাহেব প্রচুর টাকা খরচ করে হজব্রত পালন করেন। অথচ তিনি তার দরিদ্র আত্মীয় স্বজনদের সাথে কোনো সম্পর্ক রাখেন না। আল্লাহ বলেছেন, তাদের (ধনীদের) সম্পদে অবশ্যই দরিদ্র ও বঞ্চিতদের অধিকার রয়েছে। মহানবি (স) বলেছেন, ‘কৃপণ আল্লাহ থেকে দূরে, আল্লাহর বান্দাদের থেকে দূরে এবং জাহান্নামের নিকটে।’ একজন দানশীল একজন কৃপণ আবিদ থেকে আল্লাহর কাছে অনেক বেশি পছন্দনীয়।
উদ্দীপকে দেখা যায়, আমিন সাহেব একজন ধনী ব্যক্তি। তিনি প্রতি বছর হজব্রত পালন করেন। কিন্তু তিনি তার গরিব আত্মীয় স্বজন ও সমাজের দরিদ্র অসহায় লোকদের খোঁজ খবর রাখেন না। সুতরাং আমরা বলতে পারি যে আমিন সাহেবের চিন্তা ধারা সম্পূর্ণ ইসলামের পরিপন্থি।
ঘ. উদ্দীপকের মুমিন সাহেবের পরামর্শটি যুক্তিসংগত কারণ সমাজে ধনী-দরিদ্রের মধ্যকার বিরাজমান বৈষম্য দূর করতে ইসলাম পথ নির্দেশ করেছে।
আমরা উদ্দীপকে লক্ষ করি যে আমিন সাহেব ধনী ব্যক্তি। তিনি হজব্রত পালন করলেও গরিব দুঃখীদের প্রতি উদাসীন। তার বন্ধু মুমিন সাহেব তাকে সমাজে ধনী গরিবের বৈষম্য ভুলে গিয়ে সবার প্রতি সদয় হওয়া পরামর্শ দেন। বস্তুত ইসলামের অনুশাসন অনুযায়ী ধনী ব্যক্তিরা এগিয়ে আসলে অর্থনৈতিক সমতার ক্ষেত্র প্রস্তুত হয়। আল্লাহর নির্দেশমতো যথাযথভাবে যাকাত প্রদান করলে সমাজের কোনো লোক অন্নহীন, বস্ত্রহীন, গৃহহীন থাকবে না। কেউ না খেয়ে থাকবে না। কেউ বিনা চিকিৎসায় কষ্ট পাবে না। বস্তুত ইসলাম ব্যবস্থাপনায় যাকাত আদায় করলে সমাজে ধনী-দরিদ্রের পার্থক্য কমে আসবে; কেউ বেকার থাকবে না। বরং মুসলিম সমাজের অর্থনৈতিক অবস্থার দ্রæত উন্নতি হবে। অসহায় গরিব মানুষকে অর্থ দিয়ে সাহায্য করা একটি মানবিক দায়িত্ব। যা ধনী মুসলমানদের কর্তব্য। উপরন্তু যাকাত প্রদানের মাধ্যমে এ মানবিক গুণের বিকাশ ঘটে। সুতরাং উদ্দীপকে মুমিন সাহেবের পরামর্শটি অত্যন্ত যৌক্তিক।
প্রশ্ন -৪ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
আজমল সাহেব ধনাঢ্য ব্যবসায়ী। তিনি ব্যবসায়িক কাজে সৌদি আরব গমন করেন এবং মক্কা মুর্কারমা, মদিনা মুনাওয়ারা, মিনা, আরাফা ও মুয্দালিফা ভ্রমণ করেন। মহল্লার মসজিদের ইমাম তাকে হজে যাওয়ার কথা বললে তিনি বলেন, ঐ সকল পবিত্র স্থানে আমি গিয়েছি। তাই আমার হজে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। তার ভাই আকবর সাহেব একজন বস্ত্র ব্যবসায়ী। তার দোকানের সমুদয় বস্ত্রের মূল্য প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা এবং তিনি ব্যাংক থেকে সমপরিমাণ ঋণ গ্রহণ করেছেন। তাই তিনি এ বছর যাকাত দেননি।
ক. আকিকা শব্দের অর্থ কী? ১
খ. ‘তাওয়াফে কুদুম’ কী? বুঝিয়ে লিখ। ২
গ. আকবর সাহেবের ওপর যাকাত ফরজ হওয়ার কোন শর্তটি অনুপস্থিত? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.হজ সম্পর্কে আজমল সাহেবের বক্তব্য কি সঠিক? তোমার উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও। ৪
৪নং প্রশ্নের উত্তর
ক. আকিকা শব্দের অর্থ ভাঙা, কেটে ফেলা ইত্যাদি।
খ. মক্কা শরিফ পৌঁছার পর কারাঘার সাতবার তাওয়াফ করাই হলো তাওয়াফে কুদুম। ইহরাম বাঁধার পর মক্কা পৌঁছে কাবাঘরের চারধারে তাওয়াফ করতে হয়। আর সাতবার ঘুরতে হয়। মক্কা শরিফ পৌঁছার পর এটি প্রথম তাওয়াফ। এ কারণে একে তাওয়াফে কুদুম বা আগমনী তাওয়াফ বলা হয়। হাজরে আসওয়াদ হতে তাওয়াফ শুরু করতে হয়।
গ. আকবর সাহেবের ওপর যাকাত ফরজ হওয়ার শর্ত ‘ঋণগ্রস্ত না হওয়া’ শর্তটি অনুপস্থিত।
ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলেও তার ওপর যাকাত ফরজ হবে না। ব্যক্তি জীবনধারণের মৌলিক প্রয়োজনেই ঋণ গ্রহণ করে। তবে ঋণ পরিশোধ করার পর যদি নিসাব পরিমাণ সম্পদ কারো হাতে থাকে তাহলে তাকে যাকাত দিতে হবে।
উদ্দীপকে দেখা যায় আকবর সাহেব ব্যাংক থেকে পাঁচ লক্ষ ঢাকা ঋণ নিয়েছেন। আর এই পাঁচ লক্ষ টাকা মূল্যের বস্ত্র তার দোকানে মজুদ আছে। এই অবস্থায় যাকাত ফরজ হতে হলে আকবর সাহেবের সম্পূর্ণ ঋণমুক্ত হতে হবে। বরং বলা যায় যে, যাকাতের মাসারিফ অর্থাৎ যাদের মধ্যে যাকাতের অর্থ বণ্টন করতে হয় এই আট প্রকারের এক প্রকার হলো ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি। ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি যাকাত দিবে না বরং ঋণ পরিশোধের জন্য সে নিজেই যাকাত পাওয়ার উপযুক্ত। তাই একথা নির্দ্বিধায় বলা যায় যে, আকবর সাহেবের ওপর যাকাত ফরজ হওয়ার শর্ত-‘ঋণগ্রস্ত না হওয়া’ শর্তটি অনুপস্থিত।
ঘ. হজ সম্পর্কে আজমল সাহেবের বক্তব্য সঠিক নয়।
ইসলামি পরিভাষায় নির্দিষ্ট দিনসমূহ নির্ধারিত পদ্ধতিতে আল্লাহর নৈকট্য ও সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে পবিত্র কাবাঘর ও সংশ্লিষ্ট স্থানসমূহে বিশেষ কার্যাবলি সম্পাদন করাই হজ।
উদ্দীপকের আজমল সাহেবের মধ্যে উপরিউক্ত উদ্দেশ্যের কোনোটিই উপস্থিত নেই। তিনি ব্যবসায়িক কাজে সৌদি আরবে গমন করে হজের নির্ধারিত স্থান, মক্কা, মদিনা, মিনা, আরাফা ও মুযদালিফা ভ্রমণ করেছেন। এখানে তার হজের কোনো উদ্দেশ্যই ছিল না। তার ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে তিনি যদি একাধিকবারও এসব পুণ্যস্থান ভ্রমণ করেন একবারও তার হজ হবে না। তার উচিত ছিল ব্যবসায়িক চিন্তা বাদ দিয়ে একমাত্র আল্লাহকে রাজি-খুশি করার জন্য এসব পুণ্যস্থানে যাওয়া এবং শরিয়তের নির্দিষ্ট নিয়মে হজের যাবতীয় কাজ সমাধা করা।
হজ বিশ্বের মুসলিম জাতির সম্মেলন। বিশ্বের সকল মুসলিম যে, এক উম্মত, হজ মৌসুমে মক্কায় এর বাস্তব প্রমাণ পাওয়া যায়। পৃথিবীর সকল দেশের মুসলমান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় নির্দিষ্ট দিনগুলোতে মক্কায় একত্রিত হন। সম্মিলিতভাবে অনুষ্ঠান পালন করে। সবার ধর্ম এক, উদ্দেশ্য এক, কর্মসূচি এক। সবার পরিধানে একই ধরনের সাদা পোশাক। হৃদয়ে এক আল্লাহর নাম। সুতরাং অন্য সময় বা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য সম্পাদনের জন্য হজের স্থানসমূহ ভ্রমণ করে, আজমল সাহেবের যে বক্তব্য, ‘তার হজে যাওয়ার প্রয়োজন নেই’সম্পূর্ণ অযৌক্তিক এবং শরিয়ত পরিপন্থী।
প্রশ্ন -৫ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
রশিদ সাহেব একজন ধনী ব্যক্তি; কিন্তু তিনি ধর্মকর্মের প্রতি খুবই উদাসীন। ঈদুল আজহার দিনে তিনি ঈদের সালাত আদায়ের আগেই ভোরে কুরবানির গরুটি জবাই করে গোশত বিতরণ শুরু করেন। বিজ্ঞ আলেম মাহবুব সাহেব বিষয়টি জানতে পেরে বললেন, কুরবানি করা একটি পবিত্র ইবাদত, এটাকে সঠিক নিয়মে করা উচিত। তিনি আরও বললেন, কুরবানি আমাদেরকে আত্মত্যাগী হতে শেখায়।
ক. কুরবানির সমার্থক শব্দ কী? ১
খ. ‘উশর’ বলতে কী বোঝ? সংক্ষেপে লেখ। ২
গ. রশিদ সাহেবের কুরবানি করা ইসলামের আলোকে কীরূপ হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.‘কুরবানি আমাদেরকে আত্মত্যাগী হতে শেখায়।’ মাহবুব সাহেবের উক্ত মন্তব্য পাঠ্যবইয়ের আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪
ল্ফল্প ৫নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. কুরবানির সমার্থক শব্দ উযহিয়্যাহ।
খ. সেচ ছাড়া বৃষ্টির পানিতে ফসল জš§ালে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ফসলের দশভাগের এক ভাগ যাকাত হিসেবে দেওয়াই হলো উশর।
উৎপন্ন শস্য অর্থাৎ ধান, গম, যব, খেজুর ইত্যাদি সেচ ছাড়া বিনা খরচে যদি বৃষ্টির পানি দিয়ে জš§ায় তাহলে প্রয়োজন ছাড়া অতিরিক্ত সব ফসলের দশ ভাগের একভাগ অর্থাৎ এক দশমাংশ যাকাত হিসেবে দিতে হবে। এটাই উশর। আর সেচ ব্যবস্থায় উৎপন্ন ফসলের বিশভাগের একভাগ যাকাত আদায় করতে হয়।
গ. রশিদ সাহেবের কুরবানি করা ইসলামের আলোকে সঠিক হয়নি। কারণ ঈদের সালাত আদায় করার পর কুরবানি করতে হয়। এর আগে যদি কেউ কুরবানি করে গোশত বিতরণ শুরু করে তাহলে এটা হবে তার উদাসীনতা ও সম্পূর্ণ খামখেয়ালিপূর্ণ কাজ। এটা শরিয়তের আলোকে কখনই শুদ্ধ হবে না। শরিয়ত কুরবানির সময় নির্ধারণ করেছে যিলহজ মাসের দশ তারিখ ঈদের সালাত আদায়ের পর থেকে বার তারিখ সন্ধ্যা পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যেই কুরবানি করলে জায়েয হবে অন্যথায় নয়।
উদ্দীপকের রশিদ সাহেবের স¤পূর্ণ বিপরীত। শরিয়তের যাবতীয় বিধিবিধান পালনে তার উদাসীনতা লক্ষ করা যায়। কুরবানি করার ক্ষেত্রেও এর ব্যত্যয় ঘটেনি। ঈদুল আজহার দিনে তিনি নিজে ঈদের সালাত আদায় না করে কুরবানির গরুটি জবাই করে গোশত বিতরণ শুরু করেন। কিন্তু কুরবানি একটি পবিত্র ইবাদত হওয়ায় এটাকে সঠিক সময়েই করতে হবে। সুতরাং রশিদ সাহেবের কুরবানি সঠিক হয়নি।
ঘ. ‘কুরবানি আমাদেরকে আত্মত্যাগী হতে শেখায়’-উদ্দীপকে উল্লিখিত মাহবুব সাহেবের মন্তব্যটি সঠিক।
কুরবানি বলতে শুধু গরু, ছাগল, মহিষ, দুম্বা ইত্যাদি জবাই বোঝায় না। বরং এর দ্বারা আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন বোঝায়। কুরবানি আল্লাহর নবি হযরত ইবরাহিম (আ) ও হযরত ইসমাঈল (আ)-এর অতুলনীয় ত্যাগের স্মৃতি বহন করে। এর মাধ্যমে মুসলমানগণ ঘোষণা করেন যে, তাদের কাছে নিজ জানমাল অপেক্ষা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের মূল্য অনেক বেশি। তারা পশুর গলায় ছুরি চালিয়ে এর রক্ত প্রবাহিত করে আল্লাহর কাছে শপথ করে বলেন, “হে আল্লাহ! তোমার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য যেভাবে পশুর রক্ত প্রবাহিত করছি, প্রয়োজনে নিজের শরীরের রক্ত প্রবাহিত করতেও কুণ্ঠিত হব না।
আত্মত্যাগ ও আত্মসমপর্ণের মূর্ত প্রতীক ছিলেন হযরত ইবরাহিম ও হযরত ইসমাইল (আ)। মানুষের জীবনে এ শিক্ষা গ্রহণ করলে তারা হয়ে উঠবে একে অপরের প্রতি সহানুভ‚তিশীল, পরোপকারী ও আত্মত্যাগী। আত্মত্যাগী মানুষই সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যাণকর নিজের সুখ-শান্তির বাইরে যারা সমাজের মানুষের সুখকে বড় করে দেখেন তারাই প্রকৃত মানুষ।
প্রশ্ন -৬ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
সুরিটোলা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে ৯ই জিলহজ তারিখে সুমাইয়া শিক্ষককে বলল স্যার আজ টেলিভিশনে হজ দেখাবে। শিক্ষার্থীরা তখন ছুটির বায়না ধরল। শিক্ষক বললেন, তোমরা দুই দলে ভাগ হয়ে একদল হজের ফজিলত ও অন্যদল হজের তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা কর। তাহলে ছুটি দেওয়ার চিন্তা করব। শিক্ষার্থীরা তখন আলোচনা শুরু করল।
ক. হাজিদের জন্য হজের ইহরাম বাঁধা কী? ১
খ. ইবাদত বলতে কী বোঝ? ২
গ. উদ্দীপকের শিক্ষার্থীদের আলোচিত বিষয়টির ফজিলত সম্পর্কে পাঠ্যপুস্তকের আলোকে বর্ণনা কর। ৩
ঘ.শিক্ষার্থীদের আলোচিত ইবাদতের তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর। ৪
ল্ফল্প ৭নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. হাজিদের জন্য ইহরাম বাঁধা ফরজ।
খ. ইবাদত মানে দাসত্ব, আনুগত্য, বন্দেগি করা। আলাহ তায়ালার আনুগত্য স্বীকার করে তার আদেশ নিষেধ মেনে চলাকে ইবাদত বলে। মহান আলাহ তায়ালা আমাদেরকে তার ইবাদত করার জন্যই সৃষ্টি করেছেন।
গ. উদ্দীপকের শিক্ষার্থীরা হজের ফজিলত সম্পর্কে আলোচনা করে।
হজের ফজিলত সম্পর্কে রাসূল (স) বলেনÑ
অর্থ : “যে ব্যক্তি বায়তুল্লাহ যিয়ারতে এসে কোনো অশ্লীল কাজ করল না, আল্লাহর অপছন্দনীয় কোনো কাজে লিপ্ত হলো না, সে গুনাহ বা পাপ থেকে এমনভাবে পবিত্র হয়ে ফিরল যেমন সে পবিত্র ছিল সেদিন, যেদিন সে তার মায়ের পেট থেকে জন্মগ্রহণ করেছিল।” (বুখারি ও মুসলিম)
তিনি আরও বলেন, “তোমরা হজ ও উমরাহ পর পর করতে থাক। কারণ এ দুইটি ইবাদত দারিদ্র্য, অভাব এবং গুনাহগুলোকে এমনভাবে দূর করে দেয় যেমন আগুনের ভাটি লোহা, সোনা ও রুপার ময়লা দূরীভূত করে তা বিশুদ্ধ করে দেয়।”
উদ্দীপকের সুরিটোলা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা স্বাভাবিকভাবে পাঠ্যপুস্তক থেকে হজের উপরোল্লিখিত ফজিলতই আলোচনা করছিল।
ঘ. শিক্ষার্থীদের আলোচিত ইবাদত হজের তাৎপর্য অপরিসীম।
ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে হজ পঞ্চম। সারাবিশ্বের মুসলিম জাতির মহাসম্মেলন হজ। হজের মাধ্যমে বিশ্বের সকল মুসলিম যে এক উম্মত, হজ মৌসুমে মক্কায় এর বাস্তব প্রমাণ পাওয়া যায়। পৃথিবীর সকল দেশের মুসলমানগণ আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের আশায় নির্দিষ্ট দিনগুলোতে মক্কায় একত্রিত হয়। এতে পৃথিবীর সব দেশের লোকের পরস্পর মিলনের সুযোগ হয়। পরস্পরের মধ্যে ভাবের আদান-প্রদান হয়। প্রয়োজনীয় সমস্যা সমাধানের সুযোগ হয়। এভাবে হজ সারাবিশ্বের মুসলমানকে সাম্য ও ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে আবদ্ধ করে। প্রতি বছর হাজিদের হজে গমন ও প্রত্যাবর্তনের ফলে মুসলিম জাহানের প্রত্যেক অঞ্চলে মুসলমানের প্রাণে এক অভিনব আলোড়ন সৃষ্টি হয়। ইসলামের প্রাণচাঞ্চল্য পরিবেশ বজায় রাখার ব্যাপারে হজের যে এক বিরাট অবদান আছে তা বাস্তবে প্রতিফলিত হয়।
সুতরাং উপরিউক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায়, হজের তাৎপর্য অপরিসীম।
প্রশ্ন -৮ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ওহাব সাহেব ধনী ব্যক্তি। তিনি তার সম্পদের নির্ধারিত একটি অংশ গরিব-অভাবী লোকদের মধ্যে বিতরণ করেন প্রতিবছরই। তিনি মনে করেন সম্পদের এই বিতরণ একদিকে তার সম্পদকে পবিত্র ও বৃদ্ধি করবে এবং অন্যদিকে ইসলামের একটি ফরজ আদায় হবে। আর যদি তিনি এই বিতরণ থেকে বিরত থাকেন তবে আল্লাহ তাকে এরজন্য কঠিন শাস্তি প্রদান করবেন। (পাঠ-১)
ক. পৃথিবীর সকল সৃষ্টবস্তু কার কল্যাণের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে? ১
খ. ‘যাকাত ফরজ হওয়ার অন্যতম শর্ত মুসলমান হওয়া’ ব্যাখ্যা কর। ২
গ. ওহাব সাহেব ইসলামের কোন মৌলিক ইবাদতটি পালন করেছেন? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.পবিত্র কুরআন ও হাদিসের দৃষ্টিতে ওহাব সাহেবের ইবাদতের রয়েছে বেশ গুরুত্ব-বিশ্লেষণ কর। ৪
ল্ফল্প ৮নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. পৃথিবীর সকল সৃষ্টবস্তু মানুষের কল্যাণের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে।
খ. যাকাত ফরজ হওয়ার প্রথম শর্ত হলো মুসলমান হওয়া। অমুসলিমদের ওপর যাকাত ফরজ নয়। কাজেই কোনো ব্যক্তি ইসলাম গ্রহণ করলে তাকে তার অতীত জীবনের যাকাত দিতে হবে না। যেদিন মুসলমান হবে সেদিন থেকে হিসাব করে যাকাত দিতে হবে।
গ. ওহাব সাহেব ইসলামের মৌলিক ইবাদত যাকাত পালন করেছেন। মূলত যাকাত শব্দের অর্থ হচ্ছে বৃদ্ধি পাওয়া, পবিত্র হওয়া ইত্যাদি। ইসলামি পরিভাষায় ধনী ব্যক্তিদের নিসাব (নির্ধারিত) পরিমাণ সম্পদ থাকলে নির্দিষ্ট অংশ গরিব-অভাবী লোকদের মধ্যে বিতরণ করে দেওয়াই হচ্ছে যাকাত। যাকাত দিলে সম্পদে আল্লাহ বরকত দান করেন। এটি ইসলামের পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ রুকনের মধ্যে অন্যতম।
উদ্দীপকে আমরা লক্ষ করি যে, ওহাব সাহেব ধনী ব্যক্তি। তিনি তার সম্পদের নির্ধারিত একটি অংশ গরিব-অভাবী লোকদের মধ্যে বিতরণ করেন প্রতিবছরই। তিনি মনে করেন সম্পদের এই বিতরণ একদিকে তার সম্পদকে পবিত্র ও বৃদ্ধি করবে এবং অন্যদিকে ইসলামের একটি ফরজ আদায় হবে। এ বিষয়গুলোর সাথে যাকাতের সামঞ্জস্যতা বিদ্যমান।
ঘ. পবিত্র কুরআন ও হাদিসের দৃষ্টিতে ওহাব সাহেবের ইবাদতের অর্থাৎ যাকাতের গুরুত্ব অপরিসীম।
কুরআন মজিদের বহু জায়গায় সালাতের সাথে যাকাত আদায়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, “আর তোমরা নামায কায়েম কর এবং যাকাত প্রদান কর।” (সূরা মুযযাম্মিল : ২১) হাদিসে আছে, “আল্লাহর কসম, যারা নামায ও যাকাতের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি করে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই লড়াই করব।” (বুখারি) যাকাত দিলে মাল পবিত্র হয় এবং সম্পদে আল্লাহ তায়ালা বরকত দান করেন। যাকাত আদায়কারীকে আখিরাতে অধিক পরিমাণ পুরস্কার দেওয়া হবে যা মানুষ কল্পনাও করতে পারবে না। যাকাত আদায়ের মাধ্যমে সমাজের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নতি সাধিত হয়। আর যাকাত আদায়ের দ্বারা সম্পদের সুষম বণ্টন হয়ে থাকে।
‘যাকাত’ প্রদানের মাধ্যমে সম্পদ ব্যক্তিবিশেষের হাতে পুঞ্জীভ‚ত থাকে না। আর মানুষের হাতে সম্পদ পুঞ্জীভ‚ত থাকুক আল্লাহ তায়ালা তা পছন্দ করেন না। তিনি চান সম্পদ মানুষের কল্যাণে ব্যয় হোক, সমাজের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হোক। ইসলামের পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ রুকনের মধ্যে যাকাত অন্যতম।
প্রশ্ন -৯ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
লোকমান সাহেব নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক। তার এক প্রতিবেশী তার কাছে সাহায্য চাইলে তিনি আগামী রমযান মাসে আসতে বলেন। রমযান মাস আসলে বলেন, এখনও হিসাব করিনি। ইতোমধ্যে তিনি সিডরে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে অনেক টাকা-পয়সা ও সম্পদ ব্যয় করেন। তার চাচা মাহবুব সাহেব বিষয়টি জানতে পেরে তাকে বললেন সম্পদের হিসাব করে যাকাত দাও। কারণ তোমার সম্পদের রিবদের অধিকার রয়েছে। (পাঠ-২)
ক. যাকাত শব্দের অর্থ কী? ১
খ. নিসাব বলতে কী বোঝ? ২
গ. উদ্দীপকে লোকমান সাহেবের পুনর্বাসন কাজে আর্থিক সহায়তায় যাকাত আদায় হয়েছে কী ? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.মাহবুব সাহেবের মতামত তোমার পাঠ্যপুস্তকের আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪
ল্ফল্প ৯নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. যাকাত শব্দের অর্থ বৃদ্ধি, পবিত্রতা, পরিচ্ছন্নতা ইত্যাদি।
খ. যাকাত ফরজ হওয়ার জন্য সম্পদের নির্ধারিত পরিমাণই হলো নিসাব। বছর শেষে যে পরিমাণ উদ্বৃত্ত সম্পদ বা নগদ অর্থ থাকলে যাকাত ফরজ হয়, সে পরিমাণ সম্পদকে শরিয়তের পরিভাষায় ‘নিসাব’ বলা হয়। এ পরিমাণ সম্পদ যার থাকে, তাকে সাহিবে নিসাব বলা হয়।
গ. উদ্দীপকে লোকমান সাহেবের পুনর্বাসন কাজে আর্থিক সহায়তায় যাকাত আদায় হয়নি।
নিসাবমাফিক হিসাব করে যাকাত আদায় করতে হয়। অর্থাৎ সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ বা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রৌপ্য অথবা তার বাজারমূল্য থাকলে চল্লিশ ভাগের একভাগ হারে যাকাত দিতে হয়। যাকাত গরিব-মিসকিনের প্রাপ্য। ধনীব্যক্তি যাকাতের হকদার নয়। তাছাড়া রাস্তাঘাট, মসজিদ ইত্যাদি নির্মাণেও যাকাত দেয়া যায় না। উদ্দীপকে লোকমান সাহেব যাকাতের নিয়তে দান করেননি। তাছাড়া তার এ দানে ধনী-গরিব তথা সর্বস্তরের মানুষ শরিক ছিল।
সুতরাং লোকমান সাহেবের পুনর্বাসন কাজে ক্ষতিগ্রস্ত ধনী ব্যক্তি কিংবা নিকট আত্মীয় বা জনগণের ব্যবহার্য বিষয় ছিল বিধায় তার যাকাত আদায় হয়নি।
ঘ. মাহবুব সাহেবের মতামত যাকাত প্রদানের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে।
যাকাত ফরজ হওয়ার শর্ত হলো নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হওয়া। সারা বছরের ব্যয় বাদে বছর শেষে যদি সাড়ে সাত তোলা সোনা অথবা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপা বা তার সমমূল্যের সম্পদ থাকে তবে তাকে শতকরা আড়াই টাকা নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে বিলিয়ে দিতে হবে। তবেই যাকাত হিসেবে তা গণ্য হবে। উদ্দীপকে মাহবুব সাহেব এ জন্যই হিসাব করে যাকাত আদায় করতে বলেন।
উদ্দীপকে আমরা দেখি লোকমান সাহেব যাকাত হিসেবে না দিয়ে সিডরে আক্রান্তদের মধ্যে তার সম্পদ অকাতরে দান করেছেন। তার উচিত ছিল সম্পদ হিসাব করে শরিয়তের নিয়ম অনুযায়ী যাকাত দেয়া। তার চাচা মাহবুব সাহেব তাকে এ পরামর্শ দেন। মূলত যাকাত আদায় করা, গরিবের প্রতি ধনী মুসলিমের ইমানি দায়িত্ব। যাকাত প্রদান করা গরিবদের প্রতি ধনী লোকের কোনো দয়া বা অনুগ্রহ নয়। বরং যাকাত হলো দরিদ্র লোকের প্রাপ্য বা অধিকার। তাই সম্পদশালী ব্যক্তিদের উচিত শরিয়তের বিধান মতে সম্পদ হিসাব করে যথাযথ ব্যক্তিদের যাকাত প্রদান করা। এটা তাদের অধিকার আর তাদের অধিকার অবশ্যই দিতে হবে। আর এ প্রেক্ষিতেই মাহবুব সাহেবের মতামত ছিল যাকাত হিসাব করে দিয়ে গরিবের অধিকার আদায়, যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন -১০ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
দৌলতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ তার নির্বাচিত এলাকার গরিবদের স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে কাউকে গরু, কাউকে ছাগল এবং কাউকে হাঁস-মুরগি কেনার জন্য টাকা দিয়ে সাহায্য করেন। এরপর তিনি তাদের উদ্দেশে বলেন- আগামী বছর মূল টাকা ফেরত দিলে এর দ্বিগুণ সাহায্য করবেন। আর যদি কেউ টাকা ফেরত দিতে না পারে তাহলে পরবর্তীতে কোনো সাহায্য করবেন না। তিনি এলাকাবাসীকে জানাননি আসলে এ টাকা কিসের। (পাঠ-৩ ও ৪)
ক. মাসারিফ শব্দের অর্থ কী? ১
খ. মাসারিফ বলতে কী বোঝায়? ২
গ. উদ্দীপকের আব্দুল হামিদের যাকাত আদায় হয়েছে কি? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.“ইসলামি অর্থনীতিতে পুঁজিবাদ সমর্থনযোগ্য নয়।” আব্দুল হামিদের যাকাত দানের পদ্ধতির আলোকে এর তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর। ৪
ল্ফল্প ১০নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. মাসারিফ শব্দের অর্থ ব্যয়ের খাত।
খ. ইসলামি বিধান অনুযায়ী যাদেরকে যাকাত দেওয়া যায়, তাদেরকে যাকাতের মাসারিফ বলা হয়। অর্থাৎ কোন কোন খাতে যাকাতের অর্থ ব্যয় করতে হবে আল্লাহ তায়ালা স্বয়ং তা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। তাই মাসারিফ।
গ. উদ্দীপকের আব্দুল হামিদের যাকাত আদায় হয়েছে।
যাকাত নির্দিষ্ট নিয়মে নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে দিতে হয়। কুরআনে বলা হয়েছেÑ যাকাত তো কেবল নিঃস্ব, অভাবগ্রস্ত ও তৎসংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের জন্য, যাদের চিত্ত আকর্ষণ করা হয় তাদের জন্য, দাস মুক্তির জন্য, ঋণ ভারাক্রান্তদের, আল্লাহর পথে ও মুসাফিরদের জন্য, এটি আল্লাহর বিধান।
উদ্দীপকের জনাব আব্দুল হামিদ উক্ত আটটি খাতের মধ্যে যাকাত আদায় করতে গিয়ে কাউকে গরু, কাউকে মুরগি, আবার কাউকে ছাগল কিনে দিয়ে যথাযথ কাজ করেছেন। কাজেই তার যাকাত আদায় হয়েছে। যদিও তিনি জানাননি যে এ অর্থ যাকাতের। কারণ এটি যাকাত আদায়ের একটি আধুনিক কৌশল। বাস্তব প্রেক্ষাপটে দেখা যায়, অধিকাংশ যাকাতগ্রহণকারী যাকাতের অর্থে উপকৃত হলেও এতে দারিদ্র্য বিমোচন হয় না। তাই তিনি এ পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন। তার উদ্দেশ্য হলো গরিবদের স্বাবলম্বী করা। নিঃসন্দেহে তার এ উদ্যোগ প্রশংসনীয় এবং কিয়াস অনুযায়ী বৈধ। সুতরাং বলা যায়, উদ্দীপকের আব্দুল হামিদের যাকাত আদায় হয়েছে।
ঘ. ‘ইসলামি অর্থনীতিতে পুঁজিবাদ সমর্থনযোগ্য নয়’ আব্দুল হামিদের যাকাত দানের পদ্ধতিতে এর তাৎপর্য বাস্তবায়িত হয়।
ইসলামের পাঁচটি রুকনের মধ্যে যাকাত অন্যতম। যাকাত অর্থনৈতিক ভারসাম্য রক্ষা করে। ইসলামি যাকাত ব্যবস্থা সমাজে প্রচলিত থাকলে সমাজের দরিদ্র ও অভাবী মানুষের-নানাবিধ সমস্যার সমাধান হয়। আবার ধনীরাও তাদের দায়মুক্ত হওয়ার সুযোগ পায়। এজন্য ইসলামে যাকাতের গুরুত্ব অপরিসীম। উদ্দীপকের আব্দুল হামিদও যাকাতের গুরুত্ব উপলব্ধি করে যাকাত আদায়ে সচেষ্ট হন। তার বিবেচনায়, যাকাত আদায় করলে সম্পদ পুঞ্জীভ‚ত থাকবে না। বরং তা গরিবদের হাতে পৌঁছে যাবে। এতে অর্থনৈতিক ভারসাম্য বজায় থাকবে। এজন্য তিনি এলাকার গরিবদের মাঝে যাকাতের টাকা বিতরণকল্পে কাউকে গরু, কাউকে ছাগল, হাঁস-মুরগি প্রভৃতি দিয়ে স্বাবলম্বী করতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
ইসলামি অর্থনীতিতে পুঁজিবাদ সমর্থনযোগ্য নয়। এ ব্যবস্থায় অর্থ পুঞ্জীভ‚ত থাকার কারণে তা গরিব, মিসকিন ও দরিদ্রদের নিকট পৌঁছায় না। মানুষ সম্পদ অর্জন করবে এবং প্রয়োজন মোতাবেক খরচ করবে। কিন্তু জমা করে রাখা বা কেবল নিজের ভোগবিলাসের জন্য খরচ করা ইসলাম অনুমোদন করে না। কারণ ধনীদের সম্পদে দরিদ্রদের অধিকার আছে; যা অবশ্যই আদায় করতে হবে। গরিবদের অধিকার আদায় করলে মালিক দায়মুক্ত হবে, সম্পদ পবিত্র হবে, অন্যথায় সম্পদ হালাল হবে না। এ ব্যবস্থাপনার ওপর মুসলমানদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক কল্যাণ অনেকাংশে নির্ভরশীল। মুসলিম উম্মাহ ইসলামি ব্যবস্থাপনায় আব্দুল হামিদের মতো যাকাত আদায় করলে সমাজে ধনী-দরিদ্রদের পার্থক্য কমে আসবে। আর এ লক্ষ্যেই ইসলামি অর্থনীতিতে পুঁজিবাদ সমর্থনযোগ্য নয়।
প্রশ্ন -১১ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
জনাব নাসির উদ্দিন সাহেব আল্লাহর নৈকট্য ও সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে পবিত্র কাবাঘর ও সংশ্লিষ্ট স্থানসমূহে বিশেষ কার্যাদি সম্পাদন করার নিয়ত করেছেন। তিনি মনের করেন প্রত্যেক সুস্থ, প্রাপ্তবয়স্ক, বুদ্ধিমান ও সামর্থ্যবান মুসলিম নর-নারীর ওপর জীবনে একবার এই ইবাদত পালন করা ফরজ। (পাঠ-৫, ৬ ও ৭)
ক. হযরত আবু বকর (রা) ইসলামের কততম খলিফা? ১
খ. ‘মন জয় করার উদ্দেশ্যে যাকাত প্রদান করা যায়’ ব্যাখ্যা কর। ২
গ. নাসির উদ্দিন সাহেব কোন ইবাদত পালনের ইচ্ছা করেছেন তার ব্যাখ্যা দাও। ৩
ঘ.উদ্দীপকের নাসির উদ্দিন সাহেবের মনস্থিরকৃত ইবাদতটির রয়েছে ঐতিহাসিক পটভ‚মি-মতামত দাও। ৪
ল্ফল্প ১১নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. হযরত আবু বকর (রা) ইসলামের প্রথম খলিফা।
খ. যাকাতের অন্যতম মাসারিফ হচ্ছে মন জয় করার উদ্দেশ্যে যাকাত প্রদান করা। সদ্য মুসলমান হওয়া ব্যক্তির সমস্যা দূরীকরণ এবং ইসলামের ওপর অবিচল রাখার উদ্দেশ্যে তাদের যাকাত দেওয়া যাবে। ইসলামি পরিভাষায় তাদের ‘মুআল্লাফাতুল কুলুব’ বলা হয়েছে। ইসলামের প্রাথমিক যুগে এ এরূপ লোকদের যাকাত দেওয়ার বিধান ছিল।
গ. জনাব নাসির উদ্দিন সাহেব হজ পালনের ইচ্ছা করেছেন।
হজের আভিধানিক অর্থ হচ্ছে সংকল্প করা, ইচ্ছা করা ইত্যাদি। ইসলামি পরিভাষায় নির্দিষ্ট দিনসমূহে নির্ধারিত পদ্ধতিতে আল্লাহর নৈকট্য ও সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে পবিত্র কাবাঘর ও সংশ্লিষ্ট স্থানসমূহে বিশেষ কার্যাদি সম্পাদন করাকে হজ বলে। হজ একটি গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক ও শারীরিক ইবাদত। প্রত্যেক সুস্থ, প্রাপ্তবয়স্ক, বুদ্ধিমান ও সামর্থ্যবান মুসলিম নর-নারীর ওপর জীবনে একবার হজ আদায় করা ফরজ।
উদ্দীপকের নাসির উদ্দীন সাহেব ধনী লোক। তিনি সুস্থ, বয়স্ক ও মুসলিম। তাই বলা যায় নাসির উদ্দিন সাহেব পবিত্র কাবাঘর ও সংশ্লিষ্ট স্থানসমূহে হজের বিষয়াবলির আলোকে বিশেষ কার্যাদি সম্পন্ন করতে ইচ্ছা করেছেন। অর্থাৎ তিনি হজ পালনের ইচ্ছা করেছেন।
ঘ. উদ্দীপকের জনাব নাসির উদ্দিন সাহেবের মনস্থিরকৃত ইবাদতের অর্থাৎ হজের ঐতিহাসিক পটভ‚মি রয়েছে।
প্রায় চার হাজার বছর পূর্বে হযরত ইবরাহিম (আ) আল্লাহর আদেশে বিবি হাজেরা ও শিশুপুত্র ইসলামাইল (আ) কে কাবাঘরের নিকটবর্তী জনমানবশূন্য স্থানে রেখে যান। খাদ্য ও পানীয় ফুরিয়ে গেলে মা হাজেরা শিশু পুত্রের জন্য পানির সন্ধানে বের হন। তিনি কোথাও পানি পেলেন না। এমতাবস্থায় তিনি ফিরে এসে শিশুপুত্র ইসমাইল (আ)-এর কাছে এসে দেখলেন নিকটেই মাটি ফুঁড়ে স্বচ্ছ পানির ফোয়ারা বইছে। বিবি হাজেরা শিশু ইসমাইল (আ)-কে পানি পান করান। হযরত ইসমাইল (আ) কিশোর বয়সে উত্তীর্ণ হলে আল্লাহর আদেশে হযরত ইবরাহিম (আ) আপন পুত্রকে কুরবানি করতে প্রস্তুত হয়ে এক পরীক্ষায় উপনীত হন। তারপর আল্লাহপাক ইবরাহিম (আ) কে কাবাঘর স্থানটি দেখিয়ে তা পুনর্নিমাণের আদেশ দিলেন। ইবরাহিম (আ) পুত্র ইসমাইল (আ)-কে সাথে নিয়ে পবিত্র কাবাঘর পুননির্মাণ করেন আর আল্লাহর নির্দেশে হযরত ইবরাহিম (আ) মানুষকে হজের জন্য আহŸান করেন। এই ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে উক্ত ঘটনাগুলোর স্মরণে মহান আল্লাহ কিয়ামত পর্যন্ত হজ পালনের হুকুম দিয়েছেন।
প্রশ্ন -১২ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
আবুল কাশেম ফজলুল হক হাজরে আসওয়াদ পাথর চুম্বন করে তাকবির দিয়ে কাবাঘরের চতুর্দিকে ঘুরতে থাকেন। তিনি বায়তুল্লাহর গিলাফ দুই হাতে ধরে কাঁদতে কাঁদতে মুনাজাত করে যিয়ারত শেষ করেন। পরে তিনি মিনায় পৌঁছে একটি প্রতিকৃতিকে লক্ষ্য করে কতগুলো কংকর নিক্ষেপ করেন এবং একটি পশু জবাই করে মাথার চুল মুণ্ডন করে পুনরায় মক্কায় ফিরে আসেন। সবার একই কাজ, একই পোশাক, একই ধ্বনি এবং উদ্দেশ্যও এক। এতে তার মনে অনাবিল শান্তি বয়ে যায়।
[ডা. খাস্তগীর স. বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় চট্টগ্রাম]
ক. ইহরাম শব্দের অর্থ কী? ১
খ. তাওয়াফে কুদুম কাকে বলে? ২
গ. উদ্দীপকের আবুল কাশেম ফজলুল হকের হজ আদায় হয়েছে কি? পাঠ্যপুস্তকের আলোকে ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.“সবার একই কাজ, একই পোশাক, একই ধ্বনি এবং উদ্দেশ্যও এক” উক্তিটির আলোকে হজের তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর। ৪
ল্ফল্প ১২নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. ইহরাম শব্দের অর্থ নিষিদ্ধ।
খ. মক্কায় পৌঁছার পর কাবাঘরের চারধারে আগমন উপলক্ষে তাওয়াফ করা হয় তাই তাওয়াফে কুদুম। ইহরাম বাঁধার পর মক্কা পৌঁছে কাবাঘরের চারধারে তাওয়াফ করতে হয়। অর্থাৎ সাতবার ঘুরতে হয়। মক্কা শরিফ পৌঁছার পর এটি প্রথম তাওয়াফ। এ কারণে একে তাওয়াফে কুদুম বা আগমনী তাওয়াফ বলা হয়।
গ. উদ্দীপকের আবুল কাশেম ফজলুল হকের হজ পুরোপুরি আদায় হয়েছে।
নির্দিষ্ট দিনসমূহে নির্ধারিত পদ্ধতিতে আল্লাহর নৈকট্য ও সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে পবিত্র কাবাঘর ও সংশ্লিষ্ট স্থানসমূহে বিশেষ কার্যাদি সম্পাদন করাকে হজ বলে। হজ একটি গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক ও শারীরিক ইবাদত। যিলহজ মাসের ৮ থেকে ১২ তারিখ পর্যন্ত মক্কা, মিনা, আরাফা এবং মুয্দালিফায় আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুল (স.)-এর নির্দেশ মোতাবেক বিভিন্ন কার্য সম্পাদন করাও হজের অন্তর্ভুক্ত।
উদ্দীপকেও আবুল কাশে সাহেব হজ আদায় করার নির্দিষ্ট নিয়ম যথাযথভাবে পালন করেছেন। তিনি কাবাঘর সাতবার তাওয়াফ করে কাবাঘরের অনতিদূরে অবস্থিত সাফা ও মারওয়া পাহাড়ের মাঝের পথটিতে সাতবার সাঈ করেন। ৯ই যিলহজ তারিখে তিনি আরাফার ময়দানে অবস্থান করেন। ১০ই যিলহজ তিনি মিনায় পৌঁছে কুরবানি করেন এবং পরে মাথা মুণ্ডন করে শয়তানকে লক্ষ্য করে কংকর নিক্ষেপ করেন। সবশেষে তিনি বিদায়ী তাওয়াফ করে হজের কাজ সমাধা করেন। সুতরাং একথা নির্দ্বিধায় বলা যায়, তার হজ আদায় হয়েছে।
ঘ. “সবার একই কাজ, একই পোশাক, একই ধ্বনি এবং উদ্দেশ্যও এক” উক্তিটি হজের ব্যাপারে অত্যন্ত তাৎপর্যশীল।
নির্দিষ্ট দিনসমূহে নির্ধারিত নিয়মে আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি লাভের নিয়তে কাবা শরিফ এবং হজের বিশেষ বিশেষ স্থানসমূহে নির্দিষ্ট কার্যাবলি সম্পাদন করা হয়। সবার উদ্দেশ্য, কাজ ও পোশাক এক হওয়ায় ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে কোনো তারতম্য থাকে না।
উদ্দীপকের আবুল কাশেম ফজলুল হকের হজ আদায়ের ব্যাপারেও আমরা তাই দেখি যে, সবার একই কাজ, উদ্দেশ্য ও পোশাক দেখে তার মনে অনাবিল শান্তি বয়ে যায়।
হজ সারাবিশ্বের মুসলিম জাতির মহাসম্মেলন। বিশ্বের সকল মুসলিম যে এক উম্মত, হজ মৌসুমে মক্কায় এর বাস্তব প্রমাণ পাওয়া যায়। সকলের ধর্ম এক, উদ্দেশ্য এক, কর্মসূচিও এক। সকলের পরিধানে একই ধরনের সাদা পোশাক। সকলের কণ্ঠে এক আল্লাহর নাম। হজের মাধ্যমে পরস্পরের মধ্যে ভাবের আদান প্রদান হয়। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত হাজিগণ পারস্পরিক পরিচয় ও মেলামেশার সুযোগে একে অপরের দুঃখ-কষ্ট ও সমস্যা সমাধান করতে পারে। এভাবে হজ সারাবিশ্বের মুসলমানকে সাম্য ও ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে আবদ্ধ করে। প্রতিবছর হাজিদের হজে গমন ও প্রত্যাবর্তনের ফলে মুসলিম জাহানের প্রত্যেক অঞ্চলে মুসলমানদের প্রাণে এক অভিনব আলোড়ন সৃষ্টি হয়। সুতরাং বলা যায়, হজের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনস্বীকার্য।
প্রশ্ন -১৩ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
২০১১ সালের ২২ এপ্রিল শুক্রবার জোহরা জান্নাত তার প্রথম সন্তানের জন্ম দেন। সাতদিন পর সন্তানের মাথার চুল কামিয়ে তার নাম উম্মে আয়মান রাখেন। পরবর্তী যিলহজ মাসের দশ তারিখ তার স্বামী দুটি গরু জবাই করে বিরাট অনুষ্ঠানের আয়োজন করে লোকদের দাওয়াত দিয়ে খাওয়ান। দুটি গরু জবাই করার কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, একটি সন্তানের সুন্নাত পালনের জন্য; অন্যটি ওয়াজিব পালনের নিমিত্তে। পশু জবাই-এর মাধ্যমে আত্মত্যাগ অর্জিত হয়। (পাঠ-৯ ও ১০)
ক. আকিকা শব্দের অর্থ কী? ১
খ. কুরবানি কাকে বলে? ২
গ. উদ্দীপকের জোহরা জান্নাতের স্বামীর দুটি পশু জবাই করার কারণ কী? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.“পশু জবাই-এর মাধ্যমে আত্মত্যাগ অর্জিত হয়।” উক্তিটির আলোকে কুরবানির ত্যাগের শিক্ষা বিশ্লেষণ কর। ৪
ল্ফল্প ১৩নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. আকিকা শব্দের অর্থ ভাঙা, কেটে ফেলা ইত্যাদি।
খ. যিলহজের ১০ তারিখ ফজর হতে ১২ তারিখ সন্ধ্যা পর্যন্ত যদি কেউ নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদের মালিক হয় তবে তার ওয়াজিব পালনের উদ্দেশ্যে যে পশু জবাই করতে হয় তাকে কুরবানি বলে। কুরবানির আভিধানিক অর্থ ত্যাগ, উৎসর্গ ইত্যাদি। শরিয়তের পরিভাষায় আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য যে পশু জবাই করা হয় তাই কুরবানি।
গ. উদ্দীপকের জোহরা জান্নাতের স্বামীর দুটি পশু জবাই করার কারণ হলো কুরবানি ও আকিকা সম্পন্ন করা।
জিলহজের মাসের ১০ তারিখে সকাল থেকে ১২ তারিখ সন্ধ্যা পর্যন্ত আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য পশু জবাই করাই কুরবানি। আর সন্তান জšে§র পর সপ্তম দিনে তার কল্যাণ কামনা করে আল্লাহর নামে কোনো হালাল পশু জবাই করাই আকিকা। তবে এ আকিকা পরবর্তী যেকোনো দিন করা যায়।
উদ্দীপকেও আমরা তাই দেখি যে, জোহরা জান্নাতের স্বামী তার প্রথম সন্তান জন্মের অনেক পরে অর্থাৎ পরবর্তী যিলহজ মাসের দশ তারিখ দুটি পশু জবাই করেন যার মধ্যে একটি সন্তান জন্মের কারণে যা সুন্নাত। আর অন্যটি জবাই করার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, যিলহজ মাসের দশ তারিখ সামর্থ্যবান ব্যক্তির ওপর কুরবানি করা ওয়াজিব। সুতরাং ওয়াজিব হিসেবে অন্য পশুটি জবাই করা হয়েছে।
ঘ. “পশু জবাইয়ের মাধ্যমে আত্মত্যাগ অর্জিত হয়”Ñএ উক্তির মধ্যে কুরবানির ত্যাগের শিক্ষার তাৎপর্য নিহিত।
কুরবানি বলতে শুধু গরু, ছাগল, মহিষ, দুম্বা ইত্যাদি জবাই করা বোঝায় না। বরং এর দ্বারা আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন বোঝায়। কুরবানি আল্লাহর নবি হযরত ইবরাহিম (আ) ও হযরত ইসমাঈল (আ)-এর অতুলনীয় ত্যাগের স্মৃতি বহন করে।
কুরবানির সময় পশু জবাই করা হয় আল্লাহর নামে। পশু জবাইয়ের দ্বারা আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করা হয়। কুরবানি করা ওয়াজিব। সামর্থ্যবান ব্যক্তির পশু জবাইয়ের মাধ্যমে আত্মত্যাগ অর্জিত হয়। এর মাধ্যমে মুসলমানগণ ঘোষণা করেন যে, তাদের কাছে নিজ জানমাল অপেক্ষা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের মূল্য অনেক বেশি। তারা পশুর গলায় ছুরি চালিয়ে এর রক্ত প্রবাহিত করে আল্লাহর কাছে শপথ করে বলে, “হে আল্লাহ! তোমার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য যেভাবে পশুর রক্ত প্রবাহিত করছি, প্রয়োজনে আমাদের শরীরের রক্ত প্রবাহিত করতেও কুণ্ঠিত হব না।” কে কত টাকা খরচ করে পশু ক্রয় করেছে, কার পশু কত মোটাতাজা, কত সুন্দর আল্লাহ তা দেখতে চান না। তিনি দেখতে চান কার অন্তরে কতটুকু আল্লাহর ভালোবাসা ও তাকওয়া আছে। মানুষের জীবনে এ শিক্ষা গ্রহণ করলে তারা হয়ে উঠবে একে অপরের প্রতি সহানুভ‚তিশীল, পরোপকারী ও আত্মত্যাগী। সুতরাং পশু জবাইয়ের মাধ্যমে আত্মত্যাগ অর্জিত হয় তখনই যখন তা কুরবানির ত্যাগের শিক্ষায় মহিমান্বিত হয়।
প্রশ্ন -১৪ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
আখিরাতের শান্তি লাভ করার উদ্দেশ্যে সর্বপ্রথম ইমান আনা আবশ্যক। আকাইদের বিষয়সমূহের ওপর দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস স্থাপন করে নামায, রোযা, যাকাত, হজ প্রভৃতি পালন করতে হবে। এর মধ্যে হজ সারাবিশ্বের মুসলমানকে সাম্য ও ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে আবদ্ধ করে।
ক. নিফাক শব্দের অর্থ কী? ১
খ. কিয়ামত কাকে বলে? ২
গ. উদ্দীপকে আখিরাতের শান্তি লাভের যে উপায় বর্ণনা করা হয়েছে, তা পাঠ্যপুস্তকের আলোকে বর্ণনা কর। ৩
ঘ.হজের তাৎপর্য সম্পর্কে উদ্দীপকের বক্তব্য বিশ্লেষণ কর। ৪
ল্ফল্প ১৪নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. নিফাক শব্দের অর্থ ভণ্ডামি, কপটতা, প্রতারণা, দ্বিমুখী নীতি ইত্যাদি।
খ. কবর থেকে মানুষ উঠে, সেদিন আল্লাহর সামনে দণ্ডায়মান হবে, তাই একে বলা হয় কিয়ামত। কিয়ামতে মানুষকে পুনরায় জীবিত করা হবে। এরপর নেককারদের জান্নাতে এবং পাপীদের জাহান্নামে প্রবেশ করানো হবে।
গ. উদ্দীপকে যথার্থই বলা হয়েছে আখিরাতের শান্তি লাভের জন্য দুনিয়াতে সর্বপ্রথম ইমান আনা আবশ্যক। আকাইদের সব বিষয়ের ওপর দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতে হবে। অতঃপর যথাযথভাবে নেক কাজ করতে হবে। নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত সালাত সুন্দরভাবে আদায় করতে হবে। সালাতের পাশাপাশি রোযা পালন, যাকাত আদায় ও হজ করতে হবে। তাছাড়া যাবতীয় সৎ কাজ, উত্তম চরিত্র ও নৈতিকতা অনুশীলন করতে হবে। সকল প্রকার অন্যায় ও পাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। আল্লাহ তায়ালা বলেন-
অর্থ : “আর যে ব্যক্তি তার রবের সামনে দণ্ডায়মান হওয়াকে ভয় করবে এবং নিজেকে কুপ্রবৃত্তি থেকে বিরত রাখবে, নিঃসন্দেহে জান্নাতই হবে তার আবাসস্থল।” (সূরা আন নাযিআত, আয়াত ৪০-৪১)।
ঘ. উদ্দীপকের বক্তব্যে স্পষ্ট মুসলিমদের সাম্য ও ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে আবদ্ধ রাখতে হজের তাৎপর্য অপরিসীম।
হজ সারাবিশ্বের মুসলিম জাতির মহা সম্মেলন। বিশ্বের সকল মুসলিম যে এক উম্মত, হজ মৌসুমে মক্কায় এর বাস্তব প্রমাণ পাওয়া যায়। পৃথিবীর সকল দেশের মুসলমানগণ আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের আশায় নির্দিষ্ট দিনগুলোতে মক্কায় একত্র হয়। সম্মিলিতভাবে হজ অনুষ্ঠান পালন করে। সকলের ধর্ম এক, উদ্দেশ্য এক, কর্মসূচিও এক। সকলের হৃদয়ে এক আল্লাহর নাম। এখানে পৃথিবীর সব দেশের মুসলিমের পরস্পর মিলনের সুযোগ হয়। পরস্পরের মধ্যে ভাবের আদান প্রদান হয়। প্রয়োজনীয় সমস্যা সমাধানের সুযোগ সৃষ্টি হয়। এভাবে হজ মুসলিমকে সাম্য ও ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে আবদ্ধ করে। প্রতি বছর হাজিদের হজে গমন ও প্রত্যাবর্তনের ফলে মুসলিম জাহানের প্রত্যেক মুসলমানের প্রাণে এক অভিনব আলোড়ন সৃষ্টি হয়। ইসলামের প্রাণচাঞ্চল্য পরিবেশ বজায় রাখার জন্য হজের যে এক বিরাট অবদান আছে এর মাধ্যমে তা বাস্তবে প্রতিফলিত হয়।
সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক
প্রশ্ন -১৫ ল্ফ মজনু সাহেব তার গ্রামের গরিবদের বাছাই করে স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে কাউকে গরু, কাউকে ছাগল এবং কাউকে হাঁস-মুরগি কেনার জন্য টাকা দিয়ে সাহায্য করেন। এরপর তিনি তাদের বলেন, ‘আগামী বছর মূল টাকা ফেরত দিলে এর দ্বিগুণ টাকা সাহায্য করবেন। আর যদি কেউ ফেরত দিতে না পারে তাহলে তিনি তাকে পরবর্তীতে কোনো আর্থিক সাহায্য করবেন না।’ মজনু সাহেব গ্রামবাসীকে জানাননি যে আসলে এগুলো কিসের টাকা।
ক. ‘যাকাত’ শব্দের অর্থ কী? ১
খ. যাকাতের ফজিলত বর্ণনা কর। ২
গ. মজনু সাহেবের যাকাত আদায় হয়েছে কি? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. কুরআন ও হাদিসের আলোকে মজনু সাহেবের কার্যক্রম বিশ্লেষণ কর। ৪
প্রশ্ন -১৬ ল্ফ মামুন সাহেব একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন। অবসর নেওয়ার পর কল্যাণ ট্রাস্ট হতে যে অর্থ পেয়েছেন তা থেকে কিছু অংশ সংসারের ব্যয়ভার বহনের জন্য রেখে বাকি অর্থ মহৎ উদ্দেশ্যে ব্যয় করবেন বলে মনস্থির করেছেন। একজন সৎ ব্যক্তি হিসেবে এলাকায় মামুন সাহেবের বেশ জনপ্রিয়তা ও সুনাম রয়েছে।
ক. হজের ফরজ কয়টি? ১
খ. হজের ওয়াজিবসমূহ বর্ণনা কর। ২
গ. উদ্দীপকের মামুন সাহেবের ওপর হজ ফরজ হয়েছে কি? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. মামুন সাহেবের সুনামের প্রকৃত কারণ বিশ্লেষণ কর। ৪
প্রশ্ন -১৭ ল্ফ আরিফ চৌধুরী প্রতি বছর রমযান মাসে সম্পদের হিসাব করেন এবং নির্দিষ্ট অংশ তার এলাকার দরিদ্র, অভাবীদের মাঝে বণ্টন করেন। তিনি তাদেরকে নগদ টাকা না দিয়ে রিকশা, ভ্যান, গরু, ছাগল, ব্যবসার কাঁচামাল ইত্যাদি কিনে দেন। তাঁর ছোট ভাই সাদেক চৌধুরী সমাজে প্রতিষ্ঠা লাভের জন্য বছর শেষে হিসেবে করে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ তার পছন্দের লোকদের মাঝে বিতরণ করেন।
ক. ‘নিসাব’ শব্দের অর্থ কী? ১
খ. যাকাতের নিসাব বলতে কী বোঝায়? ২
গ. সাদেক চৌধুরীর কাজের মাধ্যমে কার আদেশ লঙ্ঘিত হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. আরিফ চৌধুরীর এভাবে অর্থদানের যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ কর। ৪
প্রশ্ন -১৮ ল্ফ জুমআর নামাযের খুৎবায় মাওলানা আনসার উদ্দীন, ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বললেন, এমন একটি ইবাদত আছে যা নির্দিষ্ট নিয়মে, নির্ধারিত সময়ে, নির্ধারিত স্থানে, তওয়াফের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হয় এবং তা সকল মুসলমানের ওপর ফরজ নয়। হাদিসে এসেছে, এই ইবাদতের প্রতিদান একমাত্র জান্নাত। আলোচনা শুনে জনাব আহমদ বললেন, ‘উক্ত ইবাদতের মাধ্যমে বিশ্বের মুসলিমদের মাঝে ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ব সৃষ্টি হয়’।
ক. কুরবানির সমার্থক শব্দ কী? ১
খ. আকিকা বলতে কী বোঝায়? ২
গ. জনাব মাওলানা আনসার উদ্দীন তাঁর বক্তব্যে কোন ইবাদতের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. জনাব আহমদের বক্তব্যটি পাঠ্যবইয়ের আলোকে পর্যালোচনা কর। ৪
অনুশীলনের জন্য দক্ষতাস্তরের প্রশ্ন ও উত্তর
জ্ঞানমূলক //
প্রশ্ন \ ১ \ ইবাদত কাকে বলে?
উত্তর : আলাহ তায়ালার আনুগত্য স্বীকার করে তাঁর আদেশ-নিষেধ মেনে চলাকে ইবাদত বলে।
প্রশ্ন \ ২ \ যাকাত কাকে বলে?
উত্তর : ধনী ব্যক্তিদের প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদের নির্দিষ্ট অংশ গরিব অভাবী লোকদের মধ্যে বিতরণ করে যাকাত বলে।
প্রশ্ন \ ৩ \ যাকাত শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : যাকাত শব্দের অর্থ বৃদ্ধি বা পবিত্রতা।
প্রশ্ন \ ৪ \ ইবাদত শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : ইবাদত শব্দের অর্থ দাসত্ব, আনুগত্য ও বন্দেগি করা।
প্রশ্ন \ ৫ \ যাকাত ফরজ হওয়ার শর্ত কয়টি?
উত্তর : যাকাত ফরজ হওয়ার শর্ত সাতটি।
প্রশ্ন \ ৬ \ মাসারিফ অর্থ কী?
উত্তর : মাসারিফ অর্থ ব্যয় করার খাতসমূহ।
প্রশ্ন \ ৭ \ হজ অর্থ কী?
উত্তর : হজ অর্থ সংকল্প করা, ইচ্ছা করা ইত্যাদি।
প্রশ্ন \ ৮ \ ইবরাহিম (আ) কোন দেশে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : ইবরাহিম (আ) ইরাকে জন্মগ্রহণ করেন।
প্রশ্ন \ ৯ \ কাবা গৃহে কতটি মূর্তি ছিল?
উত্তর : কাবা ঘরে ৩৬০টি মূর্তি ছিল।
প্রশ্ন \ ১০ \ হজের ফরজ কয়টি?
উত্তর : হজের ফরজ তিনটি। যথা : ক. ইহরাম বাঁধা, খ. আরাফার ময়দানে অবস্থান করা ও গ. তাওয়াফে যিয়ারত।
প্রশ্ন \ ১১ \ হজের ওয়াজিব কয়টি?
উত্তর : হজের ওয়াজিব পাঁচটি।
প্রশ্ন \ ১২ \ হজের সুন্নত কয়টি?
উত্তর : হজের সুন্নাত দশটি?
প্রশ্ন \ ১৩ \ হজের নিয়তে ইহরাম বাঁধা কী?
উত্তর : হজের নিয়তে ইহরাম বাঁধা ফরজ।
প্রশ্ন \ ১৪ \ ইহরাম অর্থ কী?
উত্তর : ইহরাম অর্থ নিষিদ্ধ।
প্রশ্ন \ ১৫ \ তাওয়াফে কুদুম অর্থ কী?
উত্তর : তাওয়াফে কুদুম অর্থ আগমনী তাওয়াফ।
প্রশ্ন \ ১৬ \ আরাফার দিবস কবে?
উত্তর : আরাফার দিবস হলো ৯ই যিলহজ।
প্রশ্ন \ ১৭ \ কুরবানির আভিধানিক অর্থ কী?
উত্তর : কুরবানির আভিধানিক অর্থ ত্যাগ, উৎসর্গ ইত্যাদি।
প্রশ্ন \ ১৮ \ ইবরাহিম (আ) কীভাবে কুরবানি করার নির্দেশ পান?
উত্তর : ইবরাহিম (আ) স্বপ্নযোগে কুরবানি করার নির্দেশ পান।
প্রশ্ন \ ১৯ \ ইসমাঈল (আ)-এর পরিবর্তে কী কুরবানি হয়েছিল?
উত্তর : ইসমাঈল (আ)-এর পরিবর্তে একটি দুম্বা কুরবানি হয়েছিল।
প্রশ্ন \ ২০ \ কুরবানির গোস্তকে কয়ভাগে ভাগ করতে হয়?
উত্তর : কুরবানির গোস্তকে তিনভাগে ভাগ করতে হয়।
অনুধাবনমূলক //
প্রশ্ন \ ১ \ ইবাদত বলতে কী বোঝ?
উত্তর : ইবাদত মানে দাসত্ব, আনুগত্য, বন্দেগি করা। আলাহ তায়ালার আনুগত্য স্বীকার করে তার আদেশ নিষেধ মেনে চলাকে ইবাদত বলে। মহান আলাহ তায়ালা আমাদেরকে তার ইবাদত করার জন্যই সৃষ্টি করেছেন।
প্রশ্ন \ ২ \ যাকাত বলতে কী বোঝ?
উত্তর : যাকাত শব্দের অর্থ বৃদ্ধি, পবিত্রতা। ইসলামি দৃষ্টিতে, ধনী ব্যক্তির প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদের নির্দিষ্ট পরিমাণ অংশ গরিব অভাবী লোকদের মধ্যে বিতরণ করে দেয়াকে যাকাত বলে।
প্রশ্ন \ ৩ \ মিসকিন বলতে কী বোঝ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : যারা নিঃস্ব, নিজের পেটের অন্ন জোগাড় করতে পারে না এবং অভাবগ্রস্ত হওয়া সত্তে¡ও আত্মসম্মানের ভয়ে কারো দারস্থ হয় না, তাদেরকে মিসকিন বলে।
প্রশ্ন \ ৪ \ ‘সম্পদের প্রকৃত মালিক আলাহ’ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : সম্পদের প্রকৃত মালিক আলাহ তায়ালা। মানুষের নিকট তা আমানতস্বরূপ। মানুষ সম্পদের সাময়িক রক্ষণাবেক্ষণকারীর দায়িত্ব পালন করেন। মানুষ বৈধ পন্থায় উপার্জন করবে এবং প্রয়োজন মোতাবেক সম্পদ খরচ করবে। কিন্তু সম্পদ জমা করে রাখা বা কেবল নিজের ভোগ বিলাসের জন্য খরচ করাকে ইসলাম অনুমোদন করে না। কারণ ধনীদের সম্পদে দরিদ্রের অধিকার আছে।
প্রশ্ন \ ৫ \ যাকাতের সামাজিক গুরুত্ব আলোচনা কর।
উত্তর : ইসলামের যাকাত প্রথার মাধ্যমে সমাজে ধনী-দরিদ্রের মধ্যকার বিরাজমান বৈষম্য দূর হয়। তাদের মধ্যে অর্থনৈতিক ভারসাম্য তৈরি হয়। যাকাত সঠিকভাবে আদায় করলে সমাজের কোনো লোক দরিদ্র, অভাবগ্রস্ত, নিঃস্ব ও বেকার থাকবে না। মানুষের মৌলিক অধিকার যেমন : খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা ইত্যাদি নিশ্চিত করা যাবে। যাকাতের টাকা দিয়ে অনেক জনকল্যাণমূলক কাজ করা যায়। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা যায়। যাকাতের অর্থ দিয়ে বিভিন্নভাবে দরিদ্রদের স্বাবলম্বী করে তোলা যায়। এভাবে যাকাত সামাজিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।
প্রশ্ন \ ৬ \ হজের পরিচয় দাও।
উত্তর : হজ একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। হজ শব্দের আভিধানিক অর্থ সংকল্প করা, ইচ্ছা করা ইত্যাদি। ইসলামি পরিভাষায় নির্দিষ্ট দিনসমূহে নির্ধারিত পদ্ধতিতে আল্লাহর নৈকট্য ও সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে পবিত্র কাবাঘর ও সংশ্লিষ্ট স্থানসমূহে বিশেষ কার্যাদি সম্পাদন করাকে হজ বলে।
প্রশ্ন \ ৭ \ হজের ফজিলত বর্ণনা কর।
উত্তর : ইসলামে হজের অনেক গুরুত্ব ও ফজিলত রয়েছে। হজের ফজিলত সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (স) বলেন : ‘‘যে ব্যক্তি বায়তুল্লাহ যিয়ারতে এসে কোনো অশ্লীল কাজ করল না, আল্লাহর অপছন্দনীয় কোনো কাজে লিপ্ত হলো না, সে গুনাহ বা পাপ থেকে এমনভাবে পবিত্র হয়ে ফিরল যেমন সে পবিত্র ছিল সেদিন, যেদিন সে তার মাযের পেট থেকে জন্মগ্রহণ করেছিল।’ (বুখারি ও মুসলিম)
প্রশ্ন \ ৮ \ কুরবানির তিনটি নিয়ম লিখ।
উত্তর : কুরবানির নিয়ম তিনটি নিম্নরূপ :
১. যিলহজ মাসের ১০, ১১, ১২ তারিখ পর্যন্ত তিনদিন কুরবানি করা যায়। প্রথম দিন করা উত্তম।
২. ঈদুল আযহার নামাযের আগে কুরবানি করা সঠিক নয়। নামায আদায়ের পর কুরবানি করতে হয়।
৩. নিজ হাতে কুরবানি করা উত্তম।
প্রশ্ন \ ৯ \ সন্তান জন্মের সপ্তম দিনে করণীয় কাজগুলো কী কী?
উত্তর : সন্তান জন্মের সপ্তম দিনে নিম্নোক্ত কাজগুলো করতে হয়।
ক. সন্তানের ইসলামি নাম রাখা।
খ. মাথা মুণ্ডন করা।
গ. মাথার চুলের ওজন পরিমাণ সোনা অথবা রুপা দান করা।
ঘ. আকিকা করা।