Loading [MathJax]/jax/input/TeX/config.js

অষ্টম শ্রেণি

অষ্টম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বাংলাদেশের জনসংখ্যা ও উন্নয়ন

নবম অধ্যায় বাংলাদেশের জনসংখ্যা ও উন্নয়ন বিষয়-সংক্ষেপ সাধারণভাবে দেশের জনসংখ্যা বিষয়ে জাতীয় পর্যায়ে যে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয় তাকেই বলা হয় দেশটির জনসংখ্যানীতি। দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এ নীতি প্রণয়ন করা হয়। এ নীতির লক্ষ্য হলো জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করে দেশের নাগরিকদের জীবনমানের উন্নতি এবং দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা। স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলো (ঘএঙ) বাংলাদেশের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করছে। মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের মানুষকে পুনর্বাসনে সহায়তার মাধ্যমে তারা কাজ শুরু করে। বর্তমানে এ সংস্থাগুলোর কাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হচ্ছে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ও পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে তাদের কার্যক্রমের মধ্যে কমিউনিটিভিত্তিক পরিবার পরিকল্পনা প্রকল্প, দুই সন্তানের পরিকল্পিত পরিবার গড়ার লক্ষ্য বাস্তবায়ন, প্রশিক্ষণ কার্যক্রম, সচেতনতা কার্যক্রম, ধর্মীয় নেতাদের উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি উল্লেখযোগ্য। জমির পরিমাণ ও বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের জনসংখ্যা এমনিতেই খুব বেশি। আগের তুলনায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কিছুটা কমে এলেও চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতির ফলে শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার কমে আসায় দেশের জনসংখ্যা বাড়ছে। দেশের অশিক্ষিত কর্মহীন জনগোষ্ঠীর বিশেষ করে তরুণদের জন্য শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও উপযুক্ত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে জনসংখ্যাকে অনায়াসে জনসম্পদে পরিণত করা সম্ভব। এভাবে দেশ দ্রæত অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাবে। এ ব্যাপারে আমরা চীন, ভারত প্রভৃতি দেশের অনুকরণ করতে পারি। তাছাড়া জনসংখ্যাকে জনসম্পদে পরিণত করতে বাংলাদেশ সরকারও নানা উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। সরকারি এসব উদ্যোগের বাস্তবায়ন বর্তমানে একটি চলমান প্রক্রিয়া। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ এর সুফল পাবে বলে আশা করা যায়। পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি জনসংখ্যানীতি : সাধারণভাবে দেশের জনসংখ্যা বিষয়ে জাতীয় পর্যায়ে যে পরিকল্পনা করা হয় তাকে জনসংখ্যানীতি বলে। দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এ নীতি প্রণয়ন করা হয়। এ নীতির লক্ষ্য হলো জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করে দেশের নাগরিকদের জীবনমানের উন্নতি এবং দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে বেসরকারি উদ্যোগ : জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশে কর্মরত বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর উদ্যোগ হলো কমিউনিটিভিত্তিক পরিবার পরিকল্পনা প্রকল্প, দুই সন্তানের পরিকল্পিত পরিবার গড়ার লক্ষ্য বাস্তবায়ন, বাল্যবিবাহ রোধে উদ্বুদ্ধকরণ, প্রশিক্ষণ কার্যক্রম, সচেতনতা কার্যক্রম ও ধর্মীয় নেতাদের উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি। জনসম্পদ : জনসংখ্যা যদি দক্ষ এবং পেশাজীবী হয় তবে জনসম্পদ হিসেবে বিবেচিত হয়। আবার সম্পদের তুলনায় জনসংখ্যা কম হলে সেই জনসংখ্যাকে জনসম্পদ বলা যায়। দেশের সম্পদের তুলনায় জনসংখ্যা অধিক হলে উক্ত জনসংখ্যাকে দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করলে জনসম্পদ সৃষ্টি হবে। আর এজন্য প্রয়োজন জনসংখ্যাকে সম্পদে পরিণত করার কৌশলের প্রয়োগ। জনসংখ্যাকে সম্পদে রূপান্তরের কৌশল : উপযুক্ত পরিকল্পনা প্রণয়নের মাধ্যমে একটি দেশের জনসংখ্যাকে জনসম্পদে পরিণত করা যায়। জনসংখ্যাকে সম্পদে রূপান্তরের কতগুলো কৌশল রয়েছে। এগুলো হলো : কারিগরি ও কর্মমুখী শিক্ষার প্রসার, নারীশিক্ষার প্রসার, কৃষির আধুনিকীকরণ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিকে অগ্রাধিকার প্রদান, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের বিস্তার এবং উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য বিশ্বের উন্নত ও প্রযুক্তি সমৃদ্ধ দেশে অধিক সংখ্যক মেধাবী শিক্ষার্থী প্রেরণ। বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ১. প্রতি বছর কোন তারিখ বাংলাদেশের জাতীয় জনসংখ্যা দিবস উদযাপন করা হয়?  ২রা ফেব্র“য়ারি খ ২১শে ফেব্র“য়ারি গ ৮ই মার্চ ঘ ১লা মে ২. বাংলাদেশে জনসংখ্যাকে সম্পদে পরিণত করার উপায় হচ্ছেÑ র. শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা গ্রহণ রর. কৃষি, শিল্প এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অগ্রাধিকার ররর. দক্ষ জনশক্তিকে বিদেশে রপ্তানি করা নিচের কোনটি সঠিক? ক র  র ও রর গ রর ঘ রর ও ররর ৩. কোন ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য ২০১০ সালে বাংলাদেশ জাতিসংঘ পুরস্কার লাভ করে? ক দুর্নীতি দূরীকরণ খ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা গ মাতৃমৃত্যু হ্রাস  শিশুমৃত্যু হ্রাস ৪. কত তারিখে বাংলাদেশে জাতীয় জনসংখ্যা দিবস পালন করা হয়? ক ০১ জানুয়ারি খ ১০ জানুয়ারি  ০২ ফেব্রæয়ারি ঘ ১০ ফেব্রæয়ারি ৫. রুনা ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। সে ২০০ টাকা হারে উপবৃত্তি পায়। সে কোন শ্রেণি পর্যন্ত উপবৃত্তি পাবে? ক সপ্তম খ অষ্টম গ দশম  দ্বাদশ ৬. জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সরকারের উদ্যোগ নয় কোনটি? ক কাজি অফিসে বিয়ে রেজিষ্ট্রেশনের ওপর জোর দেওয়া  সবার অধিকার নিশ্চিত করা গ হাঁস-মুরগির খামার প্রকল্প চালু করা ঘ বিনামূল্যে বই সরবরাহ করা ৭. বাংলাদেশের জনসংখ্যা নীতির মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কয়টি? ক ৫  ৭ গ ৯ ঘ ১১ ৮. তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে কোন দেশ বেশ এগিয়ে আছে?  ভারত খ নেপাল গ বাংলাদেশ ঘ মায়ানমার ৯. শিশুমৃত্যু হ্রাসের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ জাতিসংঘ পুরস্কার লাভ করে কত সালে? ক ২০১৫ খ ২০১৪ গ ২০১২  ২০১০ ১০. বাংলাদেশের জনগণের মাথাপিছু আয় কত? ক ১১৬০ মার্কিন ডলার খ ১১৭০ মার্কিন ডলার গ ১১৮০ মার্কিন ডলার  ১১৯০ মার্কিন ডলার ১১. প্রতি বছর বাংলাদেশে কোন তারিখে জাতীয় জনসংখ্যা দিবস উদযাপন করা হয়?  ২রা ফেব্রæয়ারি খ ২১শে ফেব্রæয়ারি গ ৮ই মার্চ ঘ ১লা মে ১২. বাংলাদেশের প্রতি বর্গ কিলোমিটারে কতজন লোক বাস করে? ক ১০০৫ খ ১০১০  ১০১৫ ঘ ১০২০ ১৩. পরিকল্পিত পরিবারের কতজন সন্তান থাকে? ক ১  ২ গ ৩ ঘ ৪ ১৪. কোনো দেশে অর্থনৈতিক উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ অবদান কোনটির?  জনসম্পদ খ খনিজসম্পদ গ কৃষিজসম্পদ ঘ শিল্পসম্পদ ১৫. বাংলাদেশে বর্তমানে মাতাপিছু আয় কত মার্কিন ডলার? ক ১১৫০  ১১৯০ গ ১২৫০ ঘ ১২৯০ ১৬. আমেরিকার প্রতি বর্গকিলোমিটারে কত জন লোক বাস করে?  ৩২ খ ৩৪ গ ৪২ ঘ ৪৪ ১৭. বাংলাদেশে জাতীয় জনসংখ্যা দিবস কোন তারিখে পালন করা হয়? ক ৮ জানুয়ারি  ২ ফেব্রæয়ারি গ ১ জুন ঘ ৩ জুলাই ১৮. কমিউনিটিভিত্তিক পরিবার পরিকল্পনা প্রকল্পের আওতায় যে সেবা প্রদান করা হয়, তা হলোÑ র. বিনামূল্যে জটিল রোগের চিকিৎসা প্রদান রর. পরিবার ছোট রাখার জন্য পরামর্শ প্রদান ররর. পুষ্টি শিক্ষা প্রদান নিচের কোনটি সঠিক? ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর ১৯. সরকারের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপসমূহ হচ্ছে- র. নিরক্ষরতা দূরীকরণ রর. শিক্ষার হার বাড়ানো ররর. নারীশিক্ষার প্রসার নিচের কোনটি সঠিক? ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর ২০. জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে ও নারীশিক্ষা প্রসারে সরকারের গৃহীত কোন পদক্ষেপটি অধিক কার্যকর? র. বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ রর. সমাপনী পরীক্ষা চালু ররর. উপবৃত্তি প্রদান নিচের কোনটি সঠিক? ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ২১ ও ২২নং প্রশ্নের উত্তর দাও : রহিমা একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে কাজ করে। তার বড় বোন জামিলা শিক্ষকতা করেন। তার মা বাড়িতে হাঁস-মুরগি পালন করেন। ২১. রহিমা ও জমিলার মতো নারীদের কাজটি কোন বিষয়টি নির্দেশ করে? ক নারীদের সেবাগ্রহণ খ নারীর শিক্ষাগ্রহণ  নারীর অংশগ্রহণ ঘ নারীর বৃত্তিগ্রহণ ২২. উক্ত বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করেÑ র. নিরক্ষরতা দূরীকরণে রর. শিক্ষার হার বৃদ্ধিতে ররর. জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে নিচের কোনটি সঠিক? ক র খ রর  ররর ঘ র, রর ও ররর নিচের অনুচ্ছেদটি

অষ্টম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বাংলাদেশের জনসংখ্যা ও উন্নয়ন Read More »

অষ্টম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বাংলাদেশের দুর্যোগ

অষ্টম অধ্যায় বাংলাদেশের দুর্যোগ বিষয়-সংক্ষেপ বিজ্ঞানের বিস্ময়কর অগ্রগতির মাধ্যমে পৃথিবীতে মানুষ একদিকে যেমন তার জীবনকে করেছে সুখ ও স্বাচ্ছন্দ্যময়, তেমনি করেছে পৃথিবীর প্রাকৃতিক পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত ও ভারসাম্যহীন। ফলে নানা কারণে দিন দিন বেড়ে চলেছে পৃথিবীর উষ্ণতা যাকে বলে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন। প্রকৃতি ও জলবায়ুর নানা পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট এ বৈশ্বিক উষ্ণায়নের অন্যতম প্রধান কারণ গ্রিন হাউস গ্যাস। যা মানুষের প্রাণহানি ঘটানোর পাশাপাশি স্বাভাবিক জীবনযাপনকে বিপর্যস্ত করে ও পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে তাকে বলে দুর্যোগ। দুর্যোগ দুই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং মানবসৃষ্ট দুর্যোগ। প্রাকৃতিক দুর্যোগ আকস্মিকভাবে ঘটে এবং তার ওপর সাধারণত মানুষের হাত থাকে না। কিন্তু মানবসৃষ্ট দুর্যোগ অনেকটা মানুষের কর্মকাণ্ডের ফল এবং মানুষ সচেতন ও সতর্ক থাকলে তা থেকে আত্মরক্ষা করতে পারে। প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর মধ্যে-বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ¡াস, টর্নেডো ইত্যাদি। আর মানবসৃষ্ট দুর্যোগগুলোর মধ্যে যুদ্ধবিগ্রহ, সা¤প্রদায়িক দাঙ্গা, বনভ‚মি বিনাশ ইত্যাদি অন্যতম। বছরের বিভিন্ন সময়ে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চল কোনো না কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হয়। তবে এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে ‘সুনামি’ সর্বাধিক বিস্ময় সৃষ্টিকারী ও সর্বাপেক্ষা ধ্বংসকারী বলে পরিগণিত। সুনামি ছাড়া অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে কয়েকটি হচ্ছে ভ‚মিধস, বন উজাড়, জলাভ‚মি ভরাট ও অগ্নিকাণ্ড। ভৌগোলিক অবস্থান ও প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যের কারণে বাংলাদেশ একটি দুর্যোগপ্রবণ অঞ্চল। এদেশের মানুষ যুগ যুগ ধরে দুর্যোগের সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে আছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোধ করা যায় না। তবে উপযুক্ত পূর্বপ্রস্তুতি এবং কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করে এসব দুর্যোগে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব। পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি জলবায়ুর পরিবর্তন : পৃথিবীর তাপমাত্রা বা বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণে জলবায়ু পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। তাছাড়া গ্রিনহাউস গ্যাসের বৃদ্ধির ফলে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ঘটছে। ফলে পৃথিবীর সর্বত্র জলবায়ুর পরিবর্তন পরিলক্ষিত হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব : জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে উষ্ণমণ্ডলীয় দেশে শুষ্ক মৌসুমে ফসলের উৎপাদন হ্রাস পাবে। এছাড়া বর্ষাকালে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত, বন্যা ও জলাবদ্ধতা, শুষ্ক মৌসুমে অনাবৃষ্টি ও অত্যধিক খরা, টর্নেডো, সাইক্লোন ও জলোচ্ছ¡াসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটবে। শীত মৌসুমে হঠাৎ শৈত্য ও উষ্ণ প্রবাহ, কুয়াশা, শিলাবৃষ্টি, ভ‚মিক্ষয় এবং উপক‚ল অঞ্চলে লবণাক্ততা বৃদ্ধি পাবে। বাংলাদেশে ইতোমধ্যেই জলবায়ু পরিবর্তনের এ প্রভাব লক্ষ করা যাচ্ছে। গ্রিনহাউস প্রতিক্রিয়া : ব্যাপকহারে গাছপালা নিধন, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার, কলকারখানা, যানবাহনের ধোঁয়ার ফলে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কার্বন ডাই-অক্সাইড বৃদ্ধির ফলে পরিবেশে যে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয় তাকে গ্রিনহাউস প্রতিক্রিয়া বলে। গ্রিনহাউস মূলত কতগুলো গ্যাসের সমন্বয়ে গঠিত একটি আচ্ছাদন। গ্রিনহাউস গ্যাসকে তাপ বৃদ্ধিকারক গ্যাসও বলে। বৈশ্বিক উষ্ণায়ন : গ্রিনহাউস গ্যাস পৃথিবীকে ঘিরে চাদরের মতো একটি আচ্ছাদন তৈরি করেছে। সূর্যের তাপ এ চাদর শোষণ করে এবং তা পৃথিবীপৃষ্ঠে ছড়িয়ে দেয়। এভাবেই পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ছে। একেই বলা হয় বৈশ্বিক উষ্ণায়ন। এ উষ্ণায়নের ফলে বায়ুমণ্ডল ও পৃথিবী ক্রমাগত উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। সমুদ্র পৃষ্ঠের পানির উচ্চতা বাড়ছে। দুর্যোগ : প্রাকৃতিক অথবা মানবসৃষ্ট কোনো দুর্ঘটনা বা বিপর্যয় যখন কোনো জনপদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে বিপর্যস্ত করে তোলে তখন তাকে দুর্যোগ বলে। দুর্যোগের ধরন : দুর্যোগ দুই ধরনের। প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট। প্রাকৃতিক দুর্যোগ আকস্মিকভাবে ঘটে এবং তার ওপর মানুষের হাত থাকে না। কিন্তু মানবসৃষ্ট দুর্যোগ অনেকটা মানুষের কর্মকাণ্ডের ফল এবং মানুষ সচেতন ও সতর্ক থাকলে তা থেকে আত্মরক্ষা করতে পারে। সুনামি : সুনামি একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগের নাম যার অর্থ হলো সমুদ্র তীরের ঢেউ। সমুদ্রের তলদেশে প্রচণ্ড ভ‚মিকম্প বা অগ্ন্যুৎপাতের ফলে, কিংবা অন্য কোনো কারণে ভ‚-আলোড়নের সৃষ্টি হলো বিস্তৃত এলাকা জুড়ে প্রবল ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়। যা উপক‚লভাগে এসে তীব্র বেগে আছড়ে পড়ে এবং এ গতিবেগ ঘণ্টায় ৮০০-১৩০০ কি.মি. পর্যন্ত হতে পারে। দাবানল : প্রচণ্ড দাবদাহের কারণে কোনো কোনো দেশে বনাঞ্চলে অগ্নিকাণ্ড ঘটতে দেখা যায়। একে দাবানল বলে। এর ফলে বৃক্ষ সম্পদ নষ্ট হয়। নষ্ট হয় জীববৈচিত্র্য, আমাদের দেশে সাধারণত দাবানলের ঘটনা ঘটে না। দুর্যোগ মোকাবিলা : ভৌগোলিক অবস্থান ও প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যের কারণে বাংলাদেশ একটি দুর্যোগপ্রবণ অঞ্চল। এ দেশের মানুষ যুগ যুগ ধরে দুর্যোগের সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে আছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোধ করা যায় না, তবে উপযুক্ত পূর্বপ্রস্তুতি এবং কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করে এসব দুর্যোগে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব। বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ১. কোনো দেশের মোট আয়তনের শতকরা কত ভাগ বনভ‚মি থাকা প্রয়োজন? ক ১৬ খ ১৯ গ ২০  ২৫ ২. বনভ‚মির বৃক্ষ নিধনের ফলেÑ র. বৃষ্টিপাতের পরিমাণ হ্রাস পাচ্ছে রর. পৃথিবী মরুময় হয়ে যাচ্ছে ররর. সুনামির সৃষ্টি হচ্ছে নিচের কোনটি সঠিক?  র ও রর খ রর ও ররর গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও : অনিন্দ্য টেলিভিশনে দেখতে পেল একটি দেশের পার্শ্ববর্তী সমুদ্র তলদেশে অগ্ন্যুৎপাত ঘটায় দেশটির জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ৩. উক্ত ঘটনার ফলে কোন দুর্যোগটি ঘটতে পারে?  সুনামি খ খরা গ সাইক্লোন ঘ ভূমিধস ৪. উক্ত ঘটনার ফলে সৃষ্ট দুর্যোগটি বেশি ঘটার সম্ভাবনা রয়েছেÑ র. পাহাড়ি এলাকায় রর. সমুদ্রতীরবর্তী এলাকায় ররর. ভ‚মিকম্পপ্রবণ অঞ্চলে নিচের কোনটি সঠিক? ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর ৫. বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে মরুকরণের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে? ক পূর্বাঞ্চল খ পশ্চিমাঞ্চল  উত্তরাঞ্চল ঘ দক্ষিণাঞ্চল ৬. বায়ুর মূল উপাদান হলোÑ ক অক্সিজেন ও কার্বন ডাইঅক্সাইড খ অক্সিজেন ও মিথেন গ নাইট্রোজেন ও কার্বন ডাইঅক্সাইড  নাইট্রোজেন ও অক্সিজেন ৭. কোন দুর্যোগ চলাকালীন সময়ে লিফ্ট ব্যবহার করা যাবে না? ক অগ্নিকাণ্ড খ ঘূর্ণিঝড়  ভ‚মিকম্প ঘ সুনামি ৮. পরিবেশ দূষণের সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ কারণ কোনটি? ক শিল্পকারখানার বর্জ্য খ কালো ধোঁয়া  বন উজাড়করণ ঘ জীবাশ্ম জালানির ব্যবহার ৯. গাছাপালা প্রাণীদের কাছ থেকে কী পায়?  কার্বন ডাইঅক্সাইড খ নাইট্রোজেন গ অক্সিজেন ঘ হাইড্রোজেন ১০. কোনটি থেকে এইচসিএফসি গ্যাস উৎপন্ন হয়?  রেফ্রিজারেট খ মোটরগাড়ি গ কলকারখানার ধোঁয়া ঘ ডিজেলচালিত ইঞ্জিন ১১. জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান কারণ হলোÑ  বৈশ্বিক উষ্ণায়ন খ রাসায়নিক সার গ কীটনাশক ঘ জনসংখ্যা বৃদ্ধি ১২. ভ‚পৃষ্ঠের নিকটতম স্তর কোনটি?  ট্রপোস্ফিয়া খ মেসোমণ্ডল গ তাপমণ্ডল ঘ ওজনস্তর ১৩. বাংলাদেশ দুর্যোগপ্রবণ অঞ্চল হওয়ার কারণ কী? ক সামাজিক বিশৃঙ্খলা খ রাজনৈতিক অস্থিরতা  ভৌগোলিক অবস্থান ঘ মানুষের অসাবধানতা ১৪. সূর্য হতে নিঃসৃত অতি বেগুনি রশ্মি শোষণ করে বায়ুমণ্ডলের কোন স্তর? ক ট্রোপোস্ফিয়ার  ওজন স্তর গ লিথোস্ফিয়ার ঘ হাইড্রোস্ফিয়ার ১৫. বনাঞ্চলে অগ্নিকাণ্ডের কারণ কোনটি? ক অসাবধানতা  প্রচণ্ড দাবদাহ গ গাছে গাছে ঘর্ষণ ঘ রাসায়নিক বিক্রিয়া ১৬. সমুদ্রের তলদেশে প্রচণ্ড ভ‚মিকম্প ও অগ্ন্যুৎপাতের ফলে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দেয়? ক টর্নেডো খ টাইফুন  সুনামি ঘ সিডর ১৭. সমুদ্রের পানির উচ্চতা বেড়ে গেলেÑ ক জমির উর্বরতা বাড়বে  উপক‚ল প্লাবিত হবে গ গাছপালা বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হবে ঘ গবাদি পশু ক্ষতিগ্রস্ত হবে ১৮. ওজন স্তর ক্ষয়ের কারণে ভ‚পৃষ্ঠের অতি বেগুণি রশ্মির প্রভাব কতভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে? ক ৩  ৫ গ

অষ্টম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বাংলাদেশের দুর্যোগ Read More »

অষ্টম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বাংলাদেশের রাষ্ট্র ও সরকার ব্যবস্থা

সপ্তম অধ্যায় বাংলাদেশের রাষ্ট্র ও সরকার ব্যবস্থা বিষয়-সংক্ষেপ রাষ্ট্র একটি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। রাষ্ট্র গঠনের চারটি উপাদানের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো সরকার। যুগে যুগে সরকারের ধরন ও ধারণার পরিবর্তন ঘটেছে। সংবিধান হচ্ছে রাষ্ট্র পরিচালনার দলিল। যেকোনো রাষ্ট্র তার প্রণীত সংবিধান অনুযায়ী পরিচালিত হয়। বাংলাদেশের সংবিধান একটি উত্তম সংবিধান। রাষ্ট্রকে সুশৃঙ্খল ও সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য যাবতীয় কার্যাবলি রাষ্ট্র পরিচালনা করে। এসব কার্যাবলি পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ সরকারের রয়েছে তিনটি বিভাগ। এগুলো হলো আইন, শাসন ও বিচার বিভাগ। বাংলাদেশে স্থানীয় পর্যায়ে শাসনব্যবস্থা ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত ব্যবস্থা হলো স্থানীয় সরকারব্যবস্থা। সরকারের সেবা সবার কাছে পৌঁছানোই এর উদ্দেশ্য। এ ব্যবস্থায় রয়েছে জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ, সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভা। পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি সরকার : রাষ্ট্রের অপরিহার্য চারটি মৌলিক উপাদানের মধ্যে অন্যতম একটি উপাদান হচ্ছে সরকার। সরকার রাষ্ট্রের মূল চালিকাশক্তি। সরকার হলো শাসন বিভাগ, আইন বিভাগ, বিচার বিভাগের সমন্বিত রূপ। গণতান্ত্রিক সরকার : জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সরকারকে গণতান্ত্রিক সরকার বলে। গণতন্ত্রে সার্বভৌম ক্ষমতা জনগণের হাতে ন্যস্ত থাকে। জনগণই সকল ক্ষমতার মূল উৎস। জনগণ তাদের পছন্দের রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তিদের ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে। এসব নির্বাচিত প্রতিনিধি সরকার গঠন ও দেশ পরিচালনা করেন। এ ধরনের সরকারকে গণতান্ত্রিক সরকার বলে। যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার : যে শাসনব্যবস্থায় সংবিধান কর্তৃক কেন্দ্রীয় সরকার ও প্রাদেশিক সরকারের মধ্যে ক্ষমতা বণ্টন করে দেওয়া হয়, তাকে যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার বলে। যেমন : ভারত ও আমেরিকায় যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার বিদ্যমান। যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থায় দুই প্রকারের সরকার থাকে। একটি কেন্দ্রীয় সরকার এবং অন্যটি অঙ্গরাজ্যের সরকার। রাষ্ট্রের সংবিধানের নিয়মানুসারে যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার কেন্দ্রীয় ও অঙ্গরাজ্যের সরকারের মধ্যে ক্ষমতা বণ্টন করে দেয়। এভাবে যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার পরিচালিত হয়। সংবিধান : সংবিধান হচ্ছে রাষ্ট্র পরিচালনা দলিল। একটি ভবন বা ইমারত যেমন এর নকশা দেখে তৈরি করা হয়, তেমনি সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রের শাসনব্যবস্থা পরিচালিত হয়। সরকার কী ধরনের হবে, নাগরিক হিসেবে আমরা কী অধিকার ভোগ করব, সরকারের বিভিন্ন বিভাগ কী ক্ষমতা ভোগ করবে তার সবকিছুই এতে লিপিবদ্ধ থাকে। বাংলাদেশের রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি : ১৯৭২ সালের মূল সংবিধান এবং সংবিধানের পঞ্চদশ সংশাধনী অনুযায়ী বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতি যথা : জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা। বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন অঙ্গ : সরকার রাষ্ট্রের মূল চালিকা শক্তি। রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য সরকার বিভিন্ন রকম কাজ করে। সরকারের এ কাজগুলো সম্পাদনের জন্য তিনটি বিভাগ রয়েছে। এগুলোকে বলা হয় ১. আইন বিভাগ, ২. শাসন বিভাগ এবং ৩. বিচার বিভাগ। স্থানীয় সরকার : সাধারণভাবে স্থানীয় সরকার হলো স্থানীয় পর্যায়ে শাসন ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারব্যবস্থা। বর্তমানকালে রাষ্ট্রের আয়তন বড় ও লোকসংখ্যা বেশি হওয়ায় কেন্দ্রে বসে সরকারের পক্ষে আঞ্চলিক সকল সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। তাই স্থানীয় পর্যায়ের সমস্যার সুষ্ঠু সমাধানের জন্য স্থানীয় পর্যায়ে এ ধরনের শাসনব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। স্থানীয় সরকার কাঠামো : বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার কাঠামোকে প্রধানত দুভাগে ভাগ করা যায়। যথা : গ্রামাঞ্চল ও শহরাঞ্চল। বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চল তিনস্তর বিশিষ্ট স্থানীয় কাঠামো চালু রয়েছে। যেমন : ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও জেলা পরিষদ। অন্যদিকে শহরাঞ্চলের স্থানীয় সরকারকে দুটি স্তরে ভাগ করা হয়েছে। যথা : পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশন। স্থানীয় সরকার গঠন : একমাত্র জেলা পরিষদ ছাড়া স্থানীয় সরকারের সকল কাঠামোর নেতৃত্বই নির্বাচিত হন জনগণের সরাসরি ভোটে। এগুলোর প্রতিটিরই কার্যকাল পাঁচ বছর। স্থানীয় সরকারের কাজ : স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধিত্বমূলক। এটি স্বশাসিত ও সরকারের প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণমুক্ত। জনহিতকর কাজ থেকে শুরু করে স্থানীয় পর্যায়ের অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করে থাকে স্থানীয় সরকার। স্থানীয় পর্যায়ে উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি স্থানীয় সরকারের হাতে। বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ১. বাংলাদেশের সংবিধান ২০১১ সাল পর্যন্ত কতবার সংশোধন হয়েছে? ক ১১ খ ১৩  ১৫ ঘ ১৮ ২. বাংলাদেশ একটি গণপ্রজাতন্ত্রী রাষ্ট্র। কারণ- র. জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস রর. রাষ্ট্রপ্রধান উত্তরাধিকার সূত্রে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ররর. সরকার জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত নিচের কোনটি সঠিক? ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও : মিসেস তাসলিমা জাতীয় সংসদের একজন সদস্য। কিন্তু তিনি সংসদ নির্বাচনের সময় ৩০০ আসনের কোনোটিতেই প্রার্থী ছিলেন না। তিনি একজন নির্বাচিত সদস্য হিসাবে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে সরকারি চাকুরির ক্ষেত্রে নারীর কোটা বৃদ্ধি বিল উত্থাপন করেন। ৩. মিসেস তাসলিমা কাদের ভোটে সদস্য নির্বাচিত হলেন? ক জনগণের খ মন্ত্রী পরিষদের  সাংসদদের ঘ উপজেলা চেয়ারম্যানদের ৪. মিসেস তাসলিমাকে সংসদ সদস্য হিসাবে নির্বাচনের কারণ হচ্ছে- র. মহিলাদের প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধি করা রর. সংসদের সদস্য সংখ্যা বাড়ানো ররর. নারীর স্বার্থ সংরক্ষণ করা নিচের কোনটি সঠিক? ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর ৫. বাংলাদেশের সংবিধানে কয়টি অনুচ্ছেদ রয়েছে? ক ১৫১  ১৫৩ গ ১৬৪ ঘ ১৭০ ৬. রাষ্ট্রের মূল চালিকাশক্তি কোনটি? ক সার্বভৌমত্ব  সরকার গ মন্ত্রী ঘ রাজনৈতিক দল ৭. ‘সরকারের সকল ক্ষমতা জনগণ কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত’Ñএটি কোন সরকারব্যবস্থার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য? ক সমাজতন্ত্র খ একনায়কতন্ত্র  গণতন্ত্র ঘ রাজতন্ত্র ৮. বাংলাদেশের সংসদ সদস্য সংখ্যা যদি ৩০০ জন হয় তাহলে কতজন সদস্যের ভোটে সংবিধান সংশোধন করা যাবে? ক ১৫০  ২০০ গ ২৫০ ঘ ৩০০ ৯. প্রধান বিচারপতিকে কে নিয়োগ দেন? ক প্রধানমন্ত্রী খ আইনমন্ত্রী গ প্রশাসন  রাষ্ট্রপতি ১০. গ্রামাঞ্চলে স্থানীয় সরকার কাঠামোর সর্বনিম্ন স্তর কোনটি? ক গ্রাম পরিষদ খ জেলা পরিষদ  ইউনিয়ন পরিষদ ঘ উপজেলা পরিষদ ১১. ‘ক’ অঞ্চলের অধিবাসীরা একই ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতিতে আবদ্ধ। উক্ত অঞ্চল বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় কোন মূলনীতিটি অনুসরণ করে? ক গণতন্ত্র খ সমাজতন্ত্র  জাতীয়তাবাদ ঘ ধর্মনিরপেক্ষতা ১২. কত সালে স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান প্রণীত হয়? ক ১৯৭১  ১৯৭২ গ ১৯৭৩ ঘ ১৯৭৪ ১৩. বাংলাদেশে কয়টি ইউনিয়ন পরিষদ আছে? ক ৪২২৫ খ ৪২৫০ গ ৪৪৫০  ৪৫৫০ ১৪. কোন দেশের সংবিধানে ১৫৩টি অনুচ্ছেদ রয়েছে? ক ভারত  বাংলাদেশ গ পাকিস্তান ঘ শ্রীলংকা ১৫. ক্ষমতা বণ্টনের নীতি অনুসারে গণতান্ত্রিক সরকারকে কয় ভাগে ভাগ করা যায়?  দুই খ তিন গ চার ঘ পাঁচ ১৬. কোনটি রাষ্ট্রের মূল চালিকাশক্তি?  সরকার খ স্বাধীন বিচার বিভাগ গ ব্যাংক বীমা ঘ আইন বিভাগ ১৭. বিশিষ্ট অতিথিদের অভ্যর্থনার ব্যবস্থা করা কোন স্থানীয় সরকারের কাজ? ক ইউনিয়ন পরিষদ  পৌরসভা গ জেলা পরিষদ ঘ উপজেলা পরিষদ ১৮. এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য ছোটখাটো বিবাদ নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করার দায়িত্ব হলোÑ ক পল্লী পরিষদের খ গ্রাম পঞ্চায়েতের গ উপজেলা পরিষদের  ইউনিয়ন পরিষদের ১৯. সংবিধান কোন সংশোধনের মাধ্যমে চারটি মূলনীতি গ্রহণ করে? ক নবম সংশোধনী খ দশম সংশোধনী গ চতুর্দশ সংশোধনী  পঞ্চদশ সংশোধনী ২০. পরোক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচিত হয় কোন স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায়? ক ইউনিয়ন পরিষদে খ পৌরসভায় গ সিটি কর্পোরেশনে  জেলা পরিষদে ২১. রাষ্ট্রের অপরিহার্য

অষ্টম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বাংলাদেশের রাষ্ট্র ও সরকার ব্যবস্থা Read More »

অষ্টম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বাংলাদেশের অর্থনীতি

ষষ্ঠ অধ্যায় বাংলাদেশের অর্থনীতি বিষয়-সংক্ষেপ কোনো দেশের অর্থনীতিতে জাতীয় উৎপাদন ও জাতীয় আয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। দেশের কৃষি, শিল্প ও সেবা খাতে উৎপাদন ও আয় বৃদ্ধির মূল লক্ষ্য হচ্ছে জনগণের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি। বাংলাদেশের জাতীয় আয়ের উৎস হিসেবে কৃষি, বনজ ও মৎস্য সম্পদ, শিল্প, খনিজ, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানি সম্পদ, নির্মাণ শিল্প, পাইকারি ও খুচরা বিপণন, হোটেল রেস্তোরাঁ, পরিবহন ও যোগাযোগ, ব্যাংক-বীমা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক সেবা, ব্যবসা-বাণিজ্য, শুল্ক প্রভৃতি অন্যতম। কৃষিনির্ভর দেশ হলেও বর্তমানে আমাদের মোট জাতীয় আয়ে শিল্পের অবদানই সর্বাধিক। বর্তমানে সেবা খাতসমূহও দেশের অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রাখছে। কৃষিশিক্ষা, যোগাযোগ, সেবা প্রভৃতি খাতের উন্নয়নে প্রযুক্তির বিকাশকে কাজে লাগিয়ে আমরা সহজেই আমাদের জাতীয় উন্নয়নকে ত্বরান্বিত ও জাতীয় আয় বৃদ্ধি করতে পারি। তবে এজন্য প্রয়োজন দক্ষ মানুষ বা মানবসম্পদ। অদক্ষ মানুষকে শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ইত্যাদির সাহায্যে দক্ষ মানুষ বা মানবসম্পদে রূপান্তরিত করা যায়। বাংলাদেশের বিপুল জনসংখ্যাকে জনশক্তি বা মানবসম্পদে পরিণত করা গেলে তাতে দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। বিদেশে কর্মরত শ্রমিক, কর্মচারী ও পেশাজীবীরা তাদের অর্জিত অর্থের একটা অংশ ব্যাংকের মাধ্যমে পরিবারের কাছে পাঠায়। এ অর্থ কেবল তাদের পরিবারের প্রয়োজনই মেটায় না কিংবা তাদের জীবনযাত্রার মানই বাড়াচ্ছে না, বরং নানা ক্ষেত্রে বিনিয়োগ হয়ে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখছে। বর্তমানে বাংলাদেশের জাতীয় আয়ের একটি বড় অংশ আসছে প্রবাসীদের প্রেরিত রেমিটেন্স থেকে। পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি উৎপাদন ও আয় বৃদ্ধির লক্ষ্য : দেশের কৃষি, শিল্প ও সেবা খাতে উৎপাদন ও আয় বৃদ্ধির মূল লক্ষ্য হচ্ছে জনগণের জীবনযাত্রার মান বাড়ানো; দারিদ্র্য হ্রাস, মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়নো, কর্মসংস্থানের সুযোগ, বেকারত্ব হ্রাস ইত্যাদি। বাংলাদেশের জাতীয় আয়ের উৎস : বাংলাদেশের জাতীয় আয়ের প্রধান উৎসগুলো হলো কৃষি ও বনজ, মৎস্যসম্পদ, শিল্প, খনিজ, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানিসম্পদ, নির্মাণশিল্প, পাইকারি ও খুচরা বিপণন, হোটেল-রেঁস্তোরা, পরিবহন ও যোগাযোগ, ব্যাংক-বিমা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক সেবা, ব্যবসা-বাণিজ্য, শুল্ক প্রভৃতি। মানবসম্পদ উন্নয়ন : প্রতিটি অদক্ষ মানুষকে শ্রমশক্তিসম্পন্ন বা মানবসম্পদে পরিণত করাই হচ্ছে মানব সম্পদের উন্নয়ন। দেশের সকল মানুষকে তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী শিক্ষার মাধ্যমে জ্ঞানলাভের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। শিক্ষার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় দক্ষতা সৃষ্টি করতে হবে। দক্ষতা অনুযায়ী কাজ করার জন্য সুস্বাস্থ্যের ব্যবস্থা করতে হবে। চাহিদা অনুযায়ী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ ও উৎপাদনমুখী সম্পদ হিসেবে গড়ে তোলাই মানবসম্পদের উন্নয়ন। মানবসম্পদ উন্নয়নে করণীয় : বাংলাদেশের বিপুল জনসংখ্যাকে জনশক্তি বা মানবসম্পদে পরিণত করা গেলে তা দেশের জন্য বোঝা না হয়ে বরং দেশের উন্নয়নের নিয়ামক হিসেবে কাজে আসবে। এ লক্ষ্যে একটি সুচিন্তিত মানবসম্পদ উন্নয়ন নীতি প্রণয়ন ও তার সুষ্ঠু বাস্তবায়ন করে দিতে হবে। দেশের সকল নাগরিক যেন শিক্ষার সুযোগ পায় তার ব্যবস্থা করতে হবে। শিক্ষিত-অশিক্ষিত সকল বেকার তরুণ-তরুণীদের বিভিন্ন পেশায় কারিগরি প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মের সুযোগ করে দিতে হবে। আমাদের দেশ থেকে দক্ষ-অদক্ষ শ্রমিক ও বিভিন্ন পেশাজীবীদের বিদেশে প্রেরণ করে অধিকতর কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে হবে। রেমিটেন্স : প্রবাসে কর্মরত নাগরিকদের স্বদেশে প্রেরিত অর্থকে রেমিটেন্স বলে। বিদেশে কর্মরত শ্রমিক, কর্মচারী ও পেশাজীবীরা তাদের অর্জিত অর্থের একটা অংশ ব্যাংকের মাধ্যমে পরিবারের কাছে পাঠায়। এ অর্থ কেবল তাদের প্রয়োজনই মিটায় না, কিংবা তাদের জীবনযাত্রার মানই বাড়াচ্ছে না, নানা ক্ষেত্রে বিনিয়োগ হয়ে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখছে।             বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ১. ২০০৯-২০১০ অর্থবছরে এউচ-তে পরিবহন ও যোগাযোগ খাতের অবদান কত শতাংশ? ক ২৯.৯৫ খ ১৫.৬৫ গ ১৪.৩০  ১০.৭৬ ২. বাংলাদেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মূলে রয়েছে- র. প্রবাসীদের আয় রর. দেশজ উৎপাদন বৃদ্ধি ররর. শিল্পের কাঁচামাল আমদানি বৃদ্ধি নিচের কোনটি সঠিক?  র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও : হারুন দরিদ্র পরিবারের সন্তান। তার বাবা লেখাপড়ার খরচ বহন করতে না পারায় একপর্যায়ে সে লেখাপড়া ছেড়ে দেয়। পরে শেখ হাসিনা জাতীয় যুবকেন্দ্র, সাভার থেকে পশুপালনের উপর প্রশিক্ষণ নেয়। গ্রামে ফিরে সামান্য ঋণ নিয়ে একটি গরুর খামার করে। এ থেকে তার লাভ হয়। হারুনকে দেখে উৎসাহিত হয়ে তার কয়েকজন বেকার বন্ধুও খামার করে। ফলে গ্রামবাসীদের অবস্থার উন্নতি হয়। ৩. অর্থনীতির ভাষায় হারুনের পরিচয়  ক আত্মকর্মী  স্বাবলম্বী গ সহকর্মী ঘ শ্রমজীবী ৪. উদ্দীপকে বর্ণিত কাজের মাধ্যমে হারুন ও তার বন্ধুরা পরিণত হয়েছে  জনশক্তিতে খ শ্রমশক্তিতে গ পেশাজীবীতে ঘ বিনিয়োগকারীতে ৫. এউচ বলতে বোঝায়Ñ  দেশের অভ্যন্তরের মোট উৎপাদন খ মোট জাতীয় উৎপাদন গ প্রবৃদ্ধির হার ঘ মাথাপিছু আয় ৬. প্রবাসীদের আয়কে কী বলে? ক লভ্যাংশ খ এডভান্স  রেমিটেন্স ঘ এভিডেন্স ৭. ২০১২-১৩ অর্থ বছরে আমাদের মোট জাতীয় উৎপাদনে কোনটির অবদান সবচেয়ে বেশি? ক মৎস্য খাত  শিল্প খাত গ পরিবহন ও যোগাযোগ খাত ঘ স্বাস্থ্য ও সেবা খাত ৮. অদক্ষ জনগোষ্ঠী বলতে বোঝায়? ক অশিক্ষিত জনগোষ্ঠী খ অর্ধ-শিক্ষিত জনগোষ্ঠী গ কর্মহীন জনগোষ্ঠী  প্রশিক্ষণবিহীন জনগোষ্ঠী ৯. আমাদের দেশে রেমিটেন্সের ফলে উন্নয়ন ঘটেÑ ক সাংস্কৃতিক খ রাজনৈতিক গ সামাজিক  অর্থনৈতিক ১০. ২০০৯ সালে বিশ্বের সর্বোচ্চ রেমিটেন্সপ্রাপ্ত দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান কততম ছিল?  ৮ম খ ৭ম গ ৬ষ্ঠ ঘ ৫ম ১১. মানবসম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার যেসব পদক্ষেপ নিচ্ছে তা হলো-  প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা খ প্রযুক্তি ও কারিগরি শিক্ষা গ যুব উন্নয়ন ঘ নারী শিক্ষা বাড়ানো ১২. বিশ্বব্যাংকের হিসাবমতে ২০০৮ সালে সর্বোচ্চ রেমিটেন্সপ্রাপ্ত দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান কততম ছিল? ক ৬ষ্ঠ খ ৭ম গ ৮ম  ১২ম ১৩. ২০০৯ সালে রেমিটেন্স প্রাপ্তিতে সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান কততম ছিল?  ২য় খ ৩য় গ ৪র্থ ঘ ৫ম ১৪. বাংলাদেশের জাতীয় আয়ে ১০.৮০ শতাংশ অবদান কোন খাতের? ক মৎস্যখাত খ শিল্পখাত  পরিবহন ও যোগাযোগ খাত ঘ স্বাস্থ্য ও সেবাখাত ১৫. আমাদের দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ কোন সুযোগ থেকে বঞ্চিত? ক প্রযুক্তির স্বাস্থ্যের খ স্বাস্থ্যের গ কর্মসংস্থানের  শিক্ষার ১৬. জনগণের জীবনযাত্রার মান নিশ্চিতভাবে বৃদ্ধি পাবেÑ ক এঘচ বাড়লে খ এউচ বাড়লে  মাথাপিছু আয় বাড়লে ঘ সঞ্চয় বাড়লে ১৭. ২০১২-১৩ অর্থবছরে জাতীয় উৎপাদনে শিল্পখাতের অবদান কত ছিল? ক ১৪.৩৩%  ১৯.৫৪% গ ২০.৫৪% ঘ ২৪.৩৩% ১৮. বাংলার অর্থনীতির মেরুদণ্ড কোনটি?  কৃষি খ তাঁত গ ভূমি ঘ ব্যবসা ১৯. এঘচ-এর পূর্ণরূপ কী?  এৎড়ংং হধঃরড়হধষ চৎড়ফঁপঃ খ এৎড়ংং ঘধঃরড়হধষ চবড়ঢ়ষব গ এৎড়ংং ঘধঃরড়হধষ চধৎঃু ঘ এৎড়ংং ঘধঃরড়হধষ চৎড়ফঁপঃরড়হ ২০. শিল্পখাতের উপখাত নয় কোনটি? ক খনিজ ও খনন খ ম্যানুফ্যাকচারিং গ বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানি  পরিবহন ২১. বাংলাদেশের জাতীয় আয়ের বৃহৎ খাত কোনটি? ক মৎস্য খ স্বাস্থ্যসেবা  শিল্প ঘ পরিবহন ও যোগাযোগ ২২. মানুষের জš§গত অধিকার কোনটি? ক বস্ত্র খ বাসস্থান গ বিনোদন  শিক্ষা ২৩. জনগণের জীবনমানের উন্নয়নে নিচের কোনটি করা প্রয়োজন? ক শিল্প খাতের উৎপাদন বাড়ানো খ সেবা খাতে বিনিয়োগ কমানো গ কৃষি খাতকে আরও আধুনিকায়ন করা  পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন খাতের মধ্যে সমন্বয় সাধন করা

অষ্টম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বাংলাদেশের অর্থনীতি Read More »

অষ্টম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় সামাজিকীকরণ ও উন্নয়ন

পঞ্চম অধ্যায় সামাজিকীকরণ ও উন্নয়ন বিষয়-সংক্ষেপ ব্যক্তির সুষ্ঠু বিকাশের জন্য সামাজিকীকরণ প্রয়োজন। জন্মের পর থেকেই মানবশিশু সমাজের নিয়মকানুন ও রীতিনীতি শিখতে থাকে। একেই বলা হয় তার সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়া। সামাজিকীকরণের প্রথম ও প্রধান বাহন হচ্ছে পরিবার। শিশুর সামাজিকীকরণের ক্ষেত্রে পরিবার বা বাবা-মায়ের পর স্থানীয় সমাজই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে। স্থানীয় সমাজের নানা উপাদান বা সংগঠন ব্যক্তির চিন্তা, দৃষ্টিভঙ্গি ও আচার-আচরণের উপর গভীর প্রভাব ফেলে। গণমাধ্যম এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যক্তির সামাজিকীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখে। আজকের দিনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে এর গুরুত্ব ক্রমেই বাড়ছে। সামাজিকীকরণের ক্ষেত্রে সংবাদপত্র একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। এছাড়া রেডিও, টেলিভিশন, চলচ্চিত্র মানুষের সামাজিকীকরণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে। বর্তমান যুগ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যুগ। তাই ই-মেইল, ই-কমার্স, ফেসবুক, টুইটার প্রভৃতি বর্তমানে মানুষের সামাজিকীকরণের ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করছে। পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি সামাজিকীকরণ : প্রত্যেক সমাজের কিছু নিয়মরীতি, মূল্যবোধ, বিশ্বাস ও আদর্শ রয়েছে। মানুষকে এগুলো আয়ত্ব করতে হয়। সমাজের এ নিয়মরীতি আয়ত্ব করার প্রক্রিয়াকেই বলা হয় সামাজিকীকরণ। সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়া জন্মের পর হতে শুরু হয় এবং মৃত্যুর মাধ্যমে এর অবসান ঘটে। এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যক্তি সমাজজীবনের কাক্সিক্ষত আচরণ উপযোগী হয়ে ওঠে। এ প্রক্রিয়ায় সমাজের নিয়মনীতি, মূল্যবোধ, বিশ্বাস, আদর্শ ইত্যাদি আয়ত্ব করে ব্যক্তি যেমন নিজের উন্নয়ন ঘটায় তেমনি সমাজ উন্নয়নেও সহায়তা করে। সামাজিকীকরণে সমবয়সী সঙ্গীর ভ‚মিকা : শিশুর সামাজিকীকরণে সমবয়সী বন্ধু বা সঙ্গীরা গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে। খেলার সাথীরা কথাবার্তা, আচার-আচরণ ও চাল-চলনের ক্ষেত্রে একে অন্যকে প্রভাবিত করে। এর মধ্য দিয়ে তাদের মধ্যে সহমর্মিতা, সহযোগিতা, সহনশীলতা ও নেতৃত্বের গুণগুলো বিকশিত হয়। সামাজিকীকরণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা পরস্পরের সাথে মিলিত হওয়ার পর্যাপ্ত সুযোগ পায়। ফলে একে অপরের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখে। চালচলনে, কথাবার্তা, আচার-আচরণের মাধ্যমে তারা একে অন্যকে প্রভাবিত করে। এর মধ্য দিয়ে তাদের মধ্যে সহমর্মিতা, সহযোগিতা, সহনশীলতা ও নেতৃত্বের গুণগুলো বিকশিত হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আচার-আচরণ, কথাবার্তা, সহনশীলতা ইত্যাদি শিক্ষার্থীদের মাঝে ফুটে ওঠে। সামাজিকীকরণে গণমাধ্যম : বৃহৎ জনগোষ্ঠীর নিকট সংবাদ, ধ্যানধারণা, বিনোদন প্রভৃতি পরিবেশন করার মাধ্যমই গণমাধ্যম। এগুলোর মধ্যে রয়েছে সংবাদপত্র, বেতার, চলচ্চিত্র, টেলিভিশন প্রভৃতি। এগুলোর ব্যবহারের ওপর নির্ভর করছে ব্যক্তির সুষ্ঠু সামাজিকীকরণ। দেশ ও বিদেশের মানুষের মধ্যে সম্পর্ক ও সংযোগ সৃষ্টির বাহন গণমাধ্যম। সামাজিকীকরণে তথ্য প্রযুক্তি : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে ইন্টারনেট প্রযুক্তি বর্তমান দেশ বা দেশের বাহিরে এক মানুষের সঙ্গে অন্য মানুষের যোগাযোগকে খুবই সহজ করে দিয়েছে। আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধু-বন্ধবের সঙ্গে ভাববিনিময়, পরস্পরের খোঁজাখবর নেওয়া কিংবা ব্যবসায়িক প্রতিপক্ষের সঙ্গে পণ্য বিনিময় সংক্রান্ত আলোচনা, চুক্তি ইত্যাদি তখন ঘরে বসে ও অল্প সময়ে করা যায়। এভাবে ব্যক্তির সামাজিকীকরণে ও সমাজের উন্নয়নে তথ্য প্রযুক্তি খুব গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখছে। বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ১. স্থানীয় সমাজের উপাদান কোনটি?  বিজ্ঞান ক্লাব খ ইউনিয়ন পরিষদ গ জাতীয় সংসদ ঘ সিটি কর্পোরেশন ২. সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়া চলতে থাকে- ক শৈশব থেকে কৈশোর পর্যন্ত খ শৈশব থেকে যৌবন পর্যন্ত গ কৈশোর থেকে যৌবন পর্যন্ত  শৈশব থেকে মৃত্যু পর্যন্ত নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও : মহসিন বাবা মায়ের প্রচেষ্টায় নিয়মিত পড়াশুনা করে। সে এখন আবৃত্তি দলের সদস্য হয়ে কাজ করছে। তার মা লক্ষ করল যে সে এখন পরিবারের সদস্য ও বন্ধুবান্ধবের সাথে আগের চেয়ে ভালো ব্যবহার করছে। ৩. মহসিনের পরিবর্তনে কোন প্রক্রিয়াটি কাজ করেছে?  সামাজিকীকরণ খ অর্থনৈতিক গ রাজনৈতিক ঘ পারিবারিক ৪. উক্ত প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ব্যক্তিÑ র. সমাজের নিয়ম পালনে অভ্যস্ত হয়ে গড়ে উঠে রর. সঠিক আচরণ করতে শিখে ররর. সুনাগরিক হয়ে গড়ে উঠে নিচের কোনটি সঠিক? ক র খ ররর গ রর  র ও রর ৫. বড়দের সালাম দেওয়া আমাদের সমাজের একটি রীতি। এ রীতি আয়ত্ব করার প্রক্রিয়াকে কী বলা হয়? ক সামাজিক মূল্যবোধ  সামাজিকীকরণ গ সামাজিক আদর্শ ঘ সামাজিক শিষ্টাচার ৬. কোনটি মানুষের চিন্তাভাবনা ও জীবনযাপনকে নানাভাবে প্রভাবিত করে?  টেলিভিশন খ প্রেস মিডিয়া গ রেডিও ঘ চলচ্চিত্র ৭. সামাজিকীকরণের প্রধান বাহন কী? ক বিদ্যালয়  পরিবার গ মসজিদ ঘ স্থানীয় সমাজ ৮. স্থানীয় সমাজের উপাদান কোনটি?  বিজ্ঞান সংঘ খ জাতীয় সংসদ গ ইউনিয়ন পরিষদ ঘ সিটি কর্পোরেশন ৯. কোন প্রযুক্তি বর্তমানে দেশ ও দেশের বাইরে এক মানুষের সঙ্গে অন্য মানুষের যোগাযোগকে খুবই সহজ করে দিয়েছে? ক টেলিভিশন খ টেলিফোন  ইন্টারনেট ঘ সিনেমা ১০. পরিবর্তনশীল বিশ্বের সাথে খাপ খাওয়ানোর জন্য কোনটি বেশি প্রয়োজন? ক সংবাদপত্র খ টেলিভিশন  তথ্য প্রযুক্তি ঘ চলচ্চিত্র ১১. সামাজিকীকরণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে কোনটি? ক চলচ্চিত্র খ রেডিও  পরিবার ঘ সংবাদপত্র ১২. কিসের মাধ্যমে খুব অল্প সময়ে ও কম খরচে দেশে-বিদেশে চিঠি ও তথ্য আদান-প্রদান করা যায়? ক ই-কমার্স  ই-মেইল গ ফেসবুক ঘ টুইটার ১৩. কোন গণমাধ্যমটি নতুন প্রজন্মকে তার দেশ, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচিত করে তোলে? ক সংবাদপত্র খ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গ রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান  টেলিভিশন ১৪. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিশুরা একে অপরকেÑ ক সহমর্মিতা শেখায়  প্রভাবিত করে গ নেতৃত্ব শেখায় ঘ মাদকাসক্ত করে ১৫. নিচের কোনটি জনশিক্ষার একটি প্রধান মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত? ক বেতার খ টেলিভিশন গ চলচ্চিত্র  সংবাদপত্র ১৬. শিশুর মধ্যে সহমর্মিতা, সহযোগিতা, সহনশীলতা ও নেতৃত্বের গুণগুলো বিকশিত হয়Ñ ক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে খ রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গ পরিবারের মাধ্যমে  সমবয়সী সঙ্গীদের মাধ্যমে ১৭. বাবা-মা বা পরিবারের পর শিশুর সামাজিকীকরণে কোনটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখে? ক খেলার সাথী খ শিক্ষক গ মসজিদের ইমাম  স্থানীয় সমাজ ১৮. নতুন প্রজন্মের মানুষের মধ্যে টেলিভিশন কী জাগিয়ে তোলে? ক সৌন্দর্যবোধ খ বিলাসিতা  দেশপ্রেম ঘ চাহিদা ১৯. আজকের পৃথিবীতে সবচেয়ে শক্তিশালী ও জনপ্রিয় গণমাধ্যম কোনটি? ক সংবাদপত্র খ রেডিও  টেলিভিশন ঘ চলচ্চিত্র ২০. বেতার মানুষের মনে প্রসার ঘটায়Ñ র. পারস্পরিক অবহেলা রর. সংস্কৃতিবোধ ররর. গণসচেতনতা নিচের কোনটি সঠিক? ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর ২১. রহিম তার বাড়ির পাশে খেলার মাঠে ছেলেমেয়েদের সাথে নিয়মিতভাবে সমসাময়িক খেলাধুলা করে। রহিমের মধ্যে যে আচরণগুলো পরিলক্ষিত করা যায় তা হলো- র. নেতৃত্ব রর. সচেতনতা ররর. সহমর্মিতা নিচের কোনটি সঠিক? ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ২২ ও ২৩নং প্রশ্নের উত্তর দাও : স্কুল পড়–য়া জিসান তার বন্ধুদের সাথে খেলতে ভালোবাসে। সহপাঠী শাকিলের কাছ থেকে সে কম্পিউটার শেখে এবং যেকোনো অনুষ্ঠানে নেতৃত্ব দেয়। ২২. অনুচ্ছেদে জিসানের সামাজিকীকরণে কোনটি ভ‚মিকা রাখে? ক মা-বাবা খ শ্রেণি শিক্ষক  সমবয়সী সঙ্গী ঘ সাংস্কৃতিক সংঘ ২৩. জিসানের অর্জিত গুণ হলো র. সহমর্মিতা রর. নেতৃত্ব ররর. সৃষ্টিশীল কর্ম নিচের কোনটি সঠিক?  র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে

অষ্টম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় সামাজিকীকরণ ও উন্নয়ন Read More »

অষ্টম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ঔপনিবেশিক যুগের প্রত্ন পরিচয় 

চতুর্থ অধ্যায় ঔপনিবেশিক যুগের প্রত্ন পরিচয়  বিষয়-সংক্ষেপ প্রতœসম্পদের মধ্য দিয়ে সংশ্লিষ্ট কালের মানুষের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অবস্থা, জীবনযাত্রা, বিশ্বাস, সংস্কার, রুচি বা দৃষ্টিভঙ্গি ইত্যাদি সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যায়। ঔপনিবেশিক যুগের ঢাকার স্থাপত্যকর্মের মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু মসজিদ, মন্দির ও গির্জা। এছাড়াও ঢাকার পুরনো স্থাপত্যকর্মের মধ্যে রয়েছে বাহাদুর শাহ পার্ক, রূপলাল হাউস, রোজ গার্ডেন, কার্জন হল, পুরনো হাইকোর্ট ভবন। ব্রিটিশ আমলে মসলিন শাড়ির উৎপাদন ও ব্যবসাকে কেন্দ্র করে সোনারগাঁওয়ে গড়ে ওঠে পানামনগর। এ নগরে এখনও ৫২টি ইমারত টিকে আছে। ঔপনিবেশিক আমলে জমিদারদের তৈরি কিছু অনুপম সুন্দর স্থাপত্য নিদর্শন রয়েছে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো : ময়মনসিংহের শশীলজ, মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার বালিয়াটি জমিদার বাড়ি, রংপুরের তাজহাট জমিদার বাড়ি, নাটোরের দিঘাপতিয়ার জমিদারের প্রাসাদ ইত্যাদি। বাংলাদেশের পুরাকীর্তিগুলো থেকে পাওয়া অনেক প্রতœনিদর্শন জাদুঘরে ও সংগ্রহশালায় সংরক্ষণ ও প্রদর্শন করা হয়। ঢাকায় রয়েছে আমাদের জাতীয় জাদুঘর। আমাদের দেশে বড় কয়েকটি সংগ্রহশালা হলো ঢাকার আহসান মঞ্জিল, রংপুরের তাজহাট সংগ্রহশালা, কুষ্টিয়ার কুঠিবাড়ি ইত্যাদি। জাদুঘর ও সংগ্রহশালা থেকে একটি জাতির ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে সাধারণ ধারণা পাওয়া যায়। পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি প্রতœসম্পদ : ‘প্রতœ’ শব্দের অর্থ হলো পুরনো বা প্রাচীন। ‘সম্পদ’ হলো ধন, ঐশ্বর্য ইত্যাদি। সুতরাং প্রতœসম্পদ বলতে পুরনো স্থাপত্য ও শিল্পকর্ম, মূর্তি বা ভাস্কর্য, অলঙ্কার, প্রাচীন আমলের মুদ্রা, পুরনো মূল্যবান আসবাবপত্র ইত্যাদি বোঝায়। ঔপনিবেশিক ঢাকার প্রতœনিদর্শন : ঔপনিবেশিক যুগের ঢাকার উল্লেখযোগ্য স্থাপত্যকর্মের মধ্যে রয়েছে লালবাগ মসজিদ, সূত্রাপুরের সিতারা বেগম মসজিদ, হোসেনি দালান, ঢাকেশ্বরী মন্দির, রমনা কালিমন্দির, আর্মেনিয়ান চার্চ, বাহাদুর শাহ পার্ক নওয়াবদের তৈরি প্রাসাদ, আহসান মঞ্জিল, বৃপলাল হাউস ইত্যাদি। আন্টাঘর ময়দান : আন্টাঘর ময়দানের নামের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ১৮৫৭ সালের প্রথম ভারতীয় স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস। ১৮৫৭ সালে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর এদেশীয় সৈন্যরা ইংরেজদের বিদ্রোহ করে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু করেন। ইংরেজরা একে বলে সিপাহী বিদ্রোহ। যুদ্ধে ভারতীয় সৈন্যরা জিততে পারেন নি। বিদ্রোহী সৈন্যদের যারা ঢাকায় ইংরেজদের হাতে বন্দী হন র্তাঁদের ইংরেজরা এ আন্টাঘর ময়দানে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে ফাঁসি দেয়। এজন্যই আন্টাঘর ময়দান ইতিহাসে এত গুরুত্বপূর্ণ। ঢাকার বাইরের স্থাপত্য নিদর্শন : ঔপনিবেশিক যুগের ঢাকার বাইরের উল্লেখযোগ্য স্থাপত্য কর্মের মধ্যে রয়েছে সোনারগাঁওয়ের পানাম নগরের সরদারবাড়ি, আনন্দমোহান পোদ্দারের বাড়ি, ময়মনসিংহের শশীলজ, মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় বালিয়াটির জমিদার বাড়ি, রংপুরের তাজহাট জমিদার বাড়ি, নাটোরের দিঘাপতিয়ার জমিদারের প্রাসাদ ইত্যাদি। জাতীয় জাদুঘর : বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরটি ঢাকায় অবস্থিত। জাতীয় জাদুঘরের গ্যালারিতে ঔপনিবেশিক যুগের বাংলার জমিদার, ঢাকার নবাব ও ইংরেজ শাসনসংশ্লিষ্ট বেশকিছু প্রতœ নিদর্শন প্রদর্শিত আছে। এখনও বহু জমিদারের ব্যবহার্য দ্রব্যাদি সংরক্ষিত আছে। লোকশিল্প জাদুঘর : সরদারবাড়িতে স্থাপিত হয়েছে বর্তমান বাংলাদেশের লোকশিল্প জাদুঘর। ১৯০১ সালে এ বাড়িটি নির্মাণ করা হয়। দুটি বড় প্রাসাদকে ঘিরে এ বাড়িটি তৈরি করা হয়েছে। একটি করিডোর বা লম্বা বারান্দা দিয়ে প্রাসাদ দুটি একে অপরের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। দোতলা এ বাড়িতে রয়েছে ৭০টি কক্ষ। রঙিন মোজাইকের নানা কারুকাজে শোভিত হয়েছে সরদার বাড়ি। উত্তরা গণভবন : নাটোরের দিঘাপতিয়ার জমিদারের প্রাসাদ বর্তমানে উত্তরা গণভবন নামে পরিচিত। দেশের মূল্যবান স্থাপত্য কীর্তির নিদর্শন এ জমিদার বাড়িটি। এতে সংরক্ষণ করা হয়েছে জমিদারের ব্যবহার্য জামাকাপড়, তৈজসপত্র, মৃৎপাত্র, অলঙ্কার প্রভৃতি নানা মূল্যবান দ্রব্যদি। এজন্য উত্তরা গণভবন বর্তমানে আমাদের দেশে একটি বিখ্যাত আঞ্চলিক জাদুঘর হিসেবে পরিচিতি লাভ করছে। বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ১. বাংলাদেশে ঔপনিবেশিক যুগ ছিল কোনটি? ক ১৭৫৭ – ১৮৫৭  ১৭৫৭ – ১৯৪৭ গ ১৭৮১ – ১৮৫৭ ঘ ১৮৫৭ – ১৯৫৭ ২. সোনারগাঁও-এর পানাম নগরটি ছিল- র. সুলতানি আমলে বাংলার কেন্দ্রস্থল রর. ইউরোপীয় স্থাপত্য রীতিতে তৈরি ইমারতের সারিবদ্ধ রূপ ররর. চওড়াপথের ধারে নিরাপত্তার জন্য রক্ষিত পরিখাসমৃদ্ধ নিচের কোনটি সঠিক? ক র খ রর  র ও রর ঘ র ও ররর নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও : বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হলে শিক্ষক আজাদ সাহেব শিক্ষার্থীদের নিয়ে শাহবাগে একটি ভবন পরিদর্শনে যান। ভবনটিতে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীরা বইয়ে পড়া প্রাচীন নিদর্শনগুলো বাস্তবে দেখে খুবই অভিভ‚ত হয়। ৩. আজাদ সাহেব শিক্ষার্থীদের কোন ভবন পরিদর্শনে নিয়ে যান? ক বাংলা একাডেমি খ শিল্পকলা একাডেমি গ জাতীয় গ্রন্থাগার  জাতীয় জাদুঘর ৪. আজাদ সাহেব শিক্ষার্থীদেরকে এ ধরনের ভবন পরিদর্শনে নেয়ার কারণ হলো- র. জমিদারদের নিত্যব্যবহার্য দ্রব্যাদি প্রদর্শন রর. ইতিহাসের চরিত্রগুলোর সাথে পরিচিত করানো ররর. বিভিন্ন আমলের ঐতিহ্যকে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়া নিচের কোনটি সঠিক? ক র খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর ৫. পানামনগরের চারপাশ দিয়ে পরিখা খনন করা হয়েছিল কেন? ক যুদ্ধের জন্য খ পানির জন্য  নিরাপত্তার জন্য ঘ সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য ৬. আহসানমঞ্জিল নির্মিত হয় কোন নদীর তীরে? ক শীতলক্ষ্যা খ পদ্মা গ মেঘনা  বুড়িগঙ্গা ৭. সিফাত প্রতœসম্পদ সংরক্ষিত আছে এমন একটি স্থানে গিয়ে হরিণের মাথা দেখে বেশ অবাক হয়। তার দেখা স্থানটি হলোÑ  ময়মনসিংহ জাদুঘর খ জাতীয় জাদুঘর গ রবীন্দ্রনাথের কুঠিবাড়ি ঘ রংপুরের তাজহাট প্রাসাদ ৮. জাতীয় মন্দির কোনটি? ক কালি মন্দির  ঢাকেশ্বরী মন্দির গ নিশ্চিতপুর মন্দির ঘ রামকৃষ্ণ মন্দির ৯. ‘প্রতœ’ শব্দের অর্থ কী? ক নতুন খ আধুনিক  পুরনো ঘ উন্নত ১০. সরদার বাড়িতে কতটি কক্ষ আছে? ক ৬০  ৭০ গ ৮০ ঘ ৯০ ১১. ঢাকার পুরনো গির্জা কোনটি?  আর্মেনিয়ান চার্চ খ সেপ্ট টমাস এ্যাংলিকান চার্চ গ যোসেফ চার্চ ঘ হলিক্রস চার্চ ১২. কোন নগরের অধিবাসীরা ইমারতের চারপাশে পরিখা খনন করেছিল? ক কাঞ্চন নগর খ রূপনগর গ জাহাঙ্গীরনগর  পানামনগর ১৩. রীমা একটি সংগ্রহশালায় যায়, সেখানে সে সংস্কৃত ও আরবি ভাষায় লেখা পাণ্ডুলিপি দেখতে পায়। রীমার দেখা সংগ্রহশালাটি কোথায় অবস্থিত?  রংপুরে খ দিনাজপুরে গ শিলাইদহে ঘ ময়মনসিংহ ১৪. দিঘাপতিয়ার জমিদার প্রাসাদ কোথায় অবস্থিত? ক রাজশাহী  নাটোর গ ময়মনসিংহ ঘ ঢাকা ১৫. ভারতের সর্বশেষ মোঘল সম্রাট কে ছিলেন? ক আওরঙ্গজেব খ ঈশা খাঁ গ মীর কাশিম  বাহাদুর শাহ জাফর ১৬. স্থানীয় জমিদার ও ব্যবসায়ীরা সম্মিলিতভাবে তৈরি করেছিলেনÑ  পানামনগর খ জাহাঙ্গীরাবাদ গ ঢাকা ঘ পুণ্ড্রনগর ১৭. “আর্মেনিয়ান চার্চ” প্রতিষ্ঠিত হয় কত সালে?  ১৭৮১ খ ১৭৯৩ গ ১৮৫৬ ঘ ১৯৬৯ ১৮. পানামনগরের কোন বাড়িতে লোকশিল্প জাদুঘর স্থাপিত হয়েছে? ক আনন্দমোহন পোদ্দারের বাড়ি খ মুক্তাগাছার জমিদার বাড়ি  বড় সরদার বাড়ি ঘ হাসিময় সেনের বাড়ি ১৯. ‘ভিক্টোরিয়া’ পার্কের অপর নাম কী?  আন্টাঘর ময়দান খ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান গ রমনা পার্ক ঘ পল্টন ময়দান ২০. ঔপনিবেশিক যুগে ঢাকার স্থাপত্য কর্ম কোনটি? ক ঢাকেশ্বরী মন্দির  চিনি টিকরি মসজিদ গ শশী লজ ঘ পানাম নগর ২১. সিপাহী বিদ্রোহ কত সালে হয়েছিল? ক ১৭৫৭ খ ১৭৮১  ১৮৫৭ ঘ ১৯৫৭ ২২. সুলতানি আমলে বাংলার রাজধানী ছিল কোনটি? ক ইসলামাবাদ খ জাহাঙ্গীরনগর  সোনারগাঁও ঘ ঢাকা ২৩. পানাম নগরে কয়টি ইমারত টিকে আছে? ক ২১ খ ৩১ গ ৪০  ৫২ ২৪. তাজহাট জমিদার প্রাসাদ কোন জেলায় অবস্থিত?  রংপুর খ কুমিল্লা গ নাটোর ঘ

অষ্টম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ঔপনিবেশিক যুগের প্রত্ন পরিচয়  Read More »

অষ্টম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বাঙালির সংস্কৃতি ও শিল্পকলা

তৃতীয় অধ্যায় বাঙালির সংস্কৃতি ও শিল্পকলা বিষয়-সংক্ষেপ বাঙালি সমৃদ্ধ সংস্কৃতির অধিকারী একটি প্রাচীন জাতি। সৃষ্টিশীল কাজ ও ঐতিহ্য আমাদের চিন্তাশক্তি ও সৃজনশীল প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে ভ‚মিকা রাখে। এ সমস্ত শিল্পকলার চর্চা হয়ে আসছে প্রাচীণ কাল থেকে। দৃশ্যশিল্প, সাহিত্যশিল্প ও সংগীত শিল্প এই তিন শাখায় আমাদের অবদান ও কীর্তি চিরস্মরণীয়। পোড়ামাটির শিল্প, তাঁতশিল্প, স্থাপত্য নির্দশণ ইত্যাদি দৃশ্যশিল্পের অন্তর্ভুক্ত। সাহিত্যশিল্প সমৃদ্ধ হয়েছে বাঙালির প্রথম সাহিত্যকর্ম চর্যাপদের পর বৈষ্ণব পদাবলী, বিভিন্ন মঙ্গলকাব্য ও পুঁথিসাহিত্যের পথ ধরে। ইংরেজ আমলে বাংলা গদ্যের সূচনা হয়। তখন থেকে আধুনিক বাংলা সাহিত্যের বিকাশ শুরু। কীর্তনগান, আঞ্চলিক লোকগান, শহরাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী গান ও নাগরিক সংগীতের বিকাশের মধ্য দিয়ে আধুনিক বাংলা গান সমৃদ্ধি লাভ করেছে। আধুনিক কালের মননচর্চা ও সৃজনশীলতা চর্চার জন্য গড়ে উঠেছে নানান সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি শিক্ষা, সাহিত্য, শিল্পে অর্থাৎ সকল ক্ষেত্রে অসংখ্য গুণীজন ও প্রতিভাধর ব্যক্তি নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এসব ব্যক্তিত্বের অবদানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের কৃতিত্ব বিশ্ব পরিসরে আমাদের পরিচিতি দিয়েছে। পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি শিল্পকলা : মানুষ যেভাবে জীবনযাপন করে, যেসব জিনিস ব্যবহার করে, যেসব আচার-অনুষ্ঠান পালন করে, যা কিছু সৃষ্টি করে, সব নিয়েই তার সংস্কৃতি। সংস্কৃতিতে জাতির চিন্তাশক্তি ও সৃজনশীল প্রতিবার পরিচয় পাওয়া যায়। এগুলোকে আমরা বলি শিল্পকলা। সংস্কৃতি : মানুষ যেভাবে জীবনযাপন করে, যেসব জিনিস ব্যবহার করে, যেসব আচার-অনুষ্ঠান পালন করে, যা কিছু সৃষ্টি করে, সব নিয়েই তার সংস্কৃতি, খাদ্য, বাসস্থান, তৈজসপত্র, যানবাহন, পোশাক, অলঙ্কার, উৎসব, গীতবাদ্য, ভাষা-সাহিত্য সবই তার সংস্কৃতির অংশ। টেরাকোটা : মাটির ফলক বা পাত তৈরি করে তাতে ছবি উৎকীর্ণ করে পুড়িয়ে স্থায়ী রূপ দেওয়াই হলো টেরাকোটা। টেরাকোটা বা পোড়ামাটির শিল্প দৃশ্যশিল্পে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। দিনাজপুরের কান্তজির মন্দিরে পোড়ামাটির মাধ্যমে রামায়নের কাহিনী ও পাহাড়পুরের সোমপুর বিহারের পোড়ামাটির কাজ টেরাকোটার উদাহরণ। নকশিকাঁথা : নকশিকাঁথা বলতে বোঝায় এক ধরনের নকশা অঙ্কিত কাঁথা। বাংলার লোকজ সংস্কৃতির একটি অন্যতম উপাদান হলো এই নকশিকাঁথা। মূলত বর্ষাকালে পল্লিগ্রামের মেয়েদের হাতে যখন কোনো কাজ থাকে না সেই অবসরে একান্তে বসে বসে সুুঁই-সুতার শৈল্পিক বুননে কাঁথার মধ্যে নানা নকশা ফুটিয়ে তোলে। ফুল, পাখি, পরিবেশ, নিজেদের জীবনের দুঃখ-দৈন্য, আনন্দ-বেদনার নিবিড় স্পর্শ জড়িয়ে থাকে নকশিকাঁথার প্রতিটা গাঁথুনিতে। আবহমান বাংলার সমৃদ্ধ লৌকিক সংস্কৃতির এক আশ্চর্য সৃজনশীল উপাদান হলো এই নকশিকাঁথা। চর্যাপদ : বাঙালির প্রথম যে সাহিত্যকর্মের সন্ধান পাওয়া যায় তাই চর্যাপদ নামে পরিচিত। চর্যাপদের পদগুলো প্রাচীনকালের বৌদ্ধ ভিক্ষু সাধকগণের মুখ নিঃসৃত ধর্মীয় বাণী। পণ্ডিত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী প্রথম নেপালের রাজ দরবার থেকে চর্যাপদ আবিষ্কার করেন। চর্যাগীতির বিখ্যাত রচয়িতাদের মধ্যে ছিলেন লুই পা ও কহ্ন পা, বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন হলো চর্যাপদ। বৈষ্ণব পদবলী : সুলতানি আমলে শ্রীচৈতন্যের বৈষ্ণব ভাবধারার প্রভাবে বাংলায় কীর্তন গান রচনার জোয়ার আসে। শ্রীকৃষ্ণ ও রাধার কাহিনী নিয়ে এসব আবেগপূর্ণ গান রচিত হয়েছে। এগুলোকে বলা হয় বৈষ্ণব পদাবলী। এ পদাবলীর বিখ্যাত পদকর্তাদের মধ্যে আছেন বিদ্যাপতি, চণ্ডীদাস, জ্ঞানদাস, গোবিন্দ দাস প্রমুখ। অনেক মুসলমান কবিও বৈষ্ণব পদাবলী রচনা করেন। বাংলার চিরসংগীত : বাংলা চিরকালই সংগীতের দেশ। কীর্তনগান, বাউল, ভাটিয়ালি, মুর্শিদি, পালাগান, বারমাস্যা, ভাওয়াইয়া, গম্ভীরা ইত্যাদি বহু ধরনের আঞ্চলিক লোকগান ছড়িয়ে আছে সারা বাংলা জুড়ে। বাংলা একাডেমি : ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পটভ‚মিতে ১৯৫৪ এর যুক্তফ্রন্টের নির্বাচিত অঙ্গীকার অনুযায়ী প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বাংলা একাডেমি। বাংলাভাষা ও সাহিত্যের উন্নতির জন্য এ প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই অবিরাম গবেষণা ও প্রকাশনা চালিয়ে যাচ্ছে। এটিকে জাতির মিলনের প্রতীক বলা হয়। বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ১. প্রাচীনকালে বাংলার কোন কাপড়ের বেশ সুনাম ছিল? ক কার্পাস খ পত্রোর্ণ গ ক্ষৌম  দুক‚ল ২. সুলতানি আমলে বাংলার কোন ক্ষেত্রে ইরানি তুরানি প্রভাব বেশি লক্ষ করা যায়? ক সাহিত্যকর্মে  স্থাপত্যশিল্পে গ উচ্চাঙ্গ সংগীতে ঘ তাঁতশিল্পে ৩. কীর্তনগান রচনায় মুসলমান কবিগণও অংশগ্রহণ করেছিলেন। কেননা সুলতানি আমলে- র. হিন্দু-মুসলমানদের সম্পর্ক ছিল ঘনিষ্ঠ রর. শ্রীচৈতন্যের বৈষ্ণব ভাবধারার প্রভাব ছিল ব্যাপক ররর. এটিই বাঙালির প্রথম সাহিত্যকর্ম ছিল নিচের কোনটি সঠিক? ক র খ রর  র ও রর ঘ র ও ররর নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৪ ও ৫ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও : মনু মাঝি নৌকা বাইছে। নতুন ধানে ভরা তার নৌকা। মনের সুখে গলা ছেড়ে গাইছে বাংলার চির পরিচিত একটি গান। ‘মন মাঝি তোর বৈঠা নেরে আমি আর বাইতে পারলাম না।’ [ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড আন্তঃ বিদ্যালয়] ৪. মনু মাঝি কোন ধরনের গান গাইছেন?  মুর্শিদি খ বারমাস্যা গ ভাওয়াইয়া ঘ বাউল ৫. মনু মাঝির গানের মধ্যে কোনটি বেশি প্রকাশ পেয়েছে?  আধ্যাত্মিক সাধনা খ নিজস্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য গ নৈসর্গিক অবস্থা ঘ সাহিত্য শিল্পের চর্চা ৬. হিন্দু ও বৌদ্ধরা দেবদেবী ও ঈশ্বরের মূর্তি বানানোর জন্য এটেলমাটির সাথে আর কী ব্যবহার করত? ক সাদা পাথর খ ইট গ বাঁশ  কালো কাষ্ট পাথর ৭. বাংলার প্রথম সাহিত্য কনার নাম কী? ক মহাভারত খ চণ্ডিদাস  চর্যাপদ ঘ সীতার বনবাস ৮. মুর্শিদি, পালাগান, গাম্ভীরা ইত্যাদি কী ধরনের গান? ক উচ্চাঙ্গসংগীত খ আধুনিক গান  আঞ্চলিক লোকগান ঘ রবীন্দ্রসংগীত ৯. প্রায় কত বছর আগে চর্যাপদ রচিত হয়েছিল? ক এক হাজার বছর  দেড় হাজার বছর গ দুই হাজার বছর ঘ তিন হাজার বছর ১০. কোন আমলে শ্রীচৈতন্যের ভাবধারার প্রভাবে বাংলায় কীর্তন গান রচনার জোয়ার আসে? ক পাল খ সেন গ মোঘল  সুলতানি ১১. কাজী নজরুল ইসলাম কত হাজার গান লিখেছেন? ক প্রায় তিন হাজার খ প্রায় চার হাজার গ প্রায় পাঁচ হাজার  প্রায় ছয় হাজার ১২. ছোট সোনা মসজিদ, নবাব কাটারা কোন আমলের স্থাপত্য নিদর্শন? ক মোঘল  সুলতানি গ ব্রিটিশ ঘ পাকিস্তানি ১৩. কাকে চিত্রকলার পথিকৃৎ বলা হয়? ক কামরুল হাসান  জয়নুল আবেদিন গ এস, এম সুলতান ঘ সফিউদ্দিন আহমেদ ১৪. লোকগানে আবদুল আলীম কী হিসেবে পরিচিত ছিলেন? ক সম্রাট খ রাজা  যুবরাজ ঘ ওস্তাদ ১৫. দেশীয় দেবদেবীকে নিয় রচিত কাব্যকাহিনী কী নামে পরিচিত?  মঙ্গলকাব্য খ রোমান্টিক কাব্য গ গদ্যকাব্য ঘ ছন্দকাব্য ১৬. দিনাজপুর কান্তজি মন্দিরের টেরাকোটা শিল্পকর্মে ফুটে উঠেছেÑ  সামাজিক জীবনের প্রতিচ্ছবি খ অর্থনৈতিক জীবনের প্রতিচ্ছবি গ সাংস্কৃতিক জীবনের প্রতিচ্ছবি ঘ যুদ্ধের কলাকৌশলের প্রতিচ্ছবি ১৭. সুলতানি আমলে বাংলার কোন ক্ষেত্রে ইরানি সংস্কৃতির প্রভাব বেশি লক্ষ করা যায়? ক সাহিত্য কর্মে  স্থাপত্য শিল্পে গ তাঁত শিল্পে ঘ উচ্চাঙ্গ সংগীতে ১৮. প্রাচীনকালে বাংলায় কোন কাপড়ের বেশ সুনাম ছিল? ক কার্পাস  দুক‚ল গ ক্ষৌম ঘ পত্রোর্ণ ১৯. পুঁথিশিল্প সমৃদ্ধ ছিল কোন যুগে? ক সেন খ পাল গ মোঘল  সুলতানি ২০. নকশি কাঁথা শিল্পকর্মটি টিকিয়ে রেখেছেন কারা? ক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন  দরিদ্র নারীরা গ সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ঘ শিল্প প্রতিষ্ঠান ২১. রাইসা শিক্ষা সফরে পাহাড়পুরের সোমপুর বিহার হতে ঘুরে এসেছে। রাইসা বাংলাদেশের শিল্পকলার কোন শাখার সাথে পরিচিত হয়েছে? ক চিত্রশিল্প খ লোকশিল্প  দৃশ্যশিল্প ঘ সাহিত্যশিল্প ২২. খাসা, এলাচি, মলমল, সুসিজ এগুলো কিসের নাম? ক মসলার নাম  কাপড়ের নাম গ মজাদার

অষ্টম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বাঙালির সংস্কৃতি ও শিল্পকলা Read More »