এইচএসসি

এইচএসসি ব্যবসায় উদ্যোগ তৃতীয় অধ্যায় পরিকল্পনা প্রণয়ন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

অধ্যায়-৩ পরিকল্পনা প্রণয়ন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর প্রশ্ন১ সরকার দেশের উন্নয়ন ও জনগণের স্বার্থের দিক বিবেচনায় নিয়ে ঢাকায় মেট্রোরেল স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যা নির্মাণ করতে বেশ কয়েক বছর সময় লাগবে। যে অবস্থা বিবেচনা করে পরিকল্পনা প্রস্তুত হয় তা সবসময় মিলতে না-ও পারে। তাই ভবিষ্যৎ অবস্থার পরিবর্তন হলে পরিকল্পনা সংশোধনীসহ কর্তৃপক্ষ করণীয় ঠিক করে রাখেন, যাতে মেট্রোরেল নির্মাণের উদ্দেশ্য অর্জিত হয়। [ঢা. বো. ১৭] অ ক. সিদ্ধান্ত গ্রহণ কী? ১ অ খ. ভিশন গুরুত্বপূর্ণ কেন? ২ অ গ. উদ্দীপকের মেট্রোরেল স্থাপন প্রকৃতি ভিত্তিতে কোন ধরনের পরিকল্পনা? ব্যাখ্যা করো। ৩ অ ঘ. পরিকল্পনার যে বৈশিষ্ট্যটি ভবিষ্যৎ অবস্থার পরিবর্তনকে সহজ করে তোলেÑ উদ্দীপকের আলোকে তা মূল্যায়ন করো। ৪ ১ নং প্রশ্নের উত্তর অ মক সিদ্ধান্ত গ্রহণ হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট সমস্যা সমাধানের সঠিক ও সর্বোত্তম কর্মপন্থা নির্ধারণ করা হয়। মখ ভিশন হলো প্রতিষ্ঠানের দীর্ঘমেয়াদি ভবিষ্যৎ লক্ষ্য, যেখানে প্রতিষ্ঠানটি যেতে চায় বা অর্জন করতে চায়। একটি প্রতিষ্ঠান যখন তার ভিশন নির্ধারণ করে তখন তাতে এর ভবিষ্যৎ লক্ষ্য ফুটে ওঠে। প্রতিষ্ঠানের ভিশন বা মূল লক্ষ্য নির্ধারণ করার ফলে প্রতিটি কর্মী ও বিভাগ তা অর্জনের জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালায়। এতে উদ্দেশ্য অর্জন অনেক সহজ হয়। এজন্য ভিশন গুরুত্বপূর্ণ। মগ উদ্দীপকের মেট্রোরেল স্থাপন কাজটি প্রকৃতি ভিত্তিতে একার্থক পরিকল্পনার অন্তর্গত। একার্থক পরিকল্পনা কোনো একটি বিশেষ কার্যসম্পাদনের লক্ষ্যে তৈরি করা হয়। তবে প্রণীত পরিকল্পনাটি বাস্তবায়িত হয়ে গেলে উক্ত পরিকল্পনাটি তার গ্রহণযোগ্যতা হারায়। উদ্দীপকে দেখা যায়, সরকার দেশের উন্নয়ন ও জনগণের স্বার্থের কথা চিন্তা করে ঢাকায় মেট্রোরেল স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়। যদিও মেট্রোরেল তৈরি করতে বেশ কয়েক বছর সময় লাগবে। তবুও সরকার চায় এ উদ্দেশ্যটি যেন বাস্তবায়িত হয়। এ লক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে। সরকার একটি বিশেষ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে এ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে, উদ্দেশ্য অর্জিত হলে এর কার্যকারিতাও শেষ হয়ে যাবে। এটি একার্থক পরিকল্পনার বৈশিষ্ট্যের সাথে সংগতিপূর্ণ। তাই বলা যায়, মেট্রোরেল স্থাপন একটি একার্থক পরিকল্পনা। মঘ পরিকল্পনার নমনীয়তা বৈশিষ্ট্যটি ভবিষ্যৎ অবস্থার পরিবর্তনের সাথে সমন্বয়কে সহজ করে তোলে। নমনীয়তার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ অবস্থা ও সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে পরিকল্পনার পরিবর্তন করা হয়। ভবিষ্যৎ সর্বদাই অনিশ্চিত। তাই পরিকল্পনা সময়, স্থান ও অবস্থাভেদে পরিবর্তনযোগ্য হওয়া বাঞ্ছনীয়। উদ্দীপকে দেখা যায়, সরকার দেশের জনগণের কথা চিন্তা করে ঢাকায় একটি মেট্রোরেল স্থাপনের পরিকল্পনা করে। যে অবস্থা বিবেচনা করে পরিকল্পনা প্রস্তুত করা হয় তা সবসময় না-ও মিলতে পারে। তাই কর্তৃপক্ষ ভবিষ্যৎ অবস্থার পরিবর্তন হলে সে অবস্থা অনুযায়ী পরিকল্পনার সংশোধনীগুলোও ঠিক করে নেয়। অর্থাৎ তারা যেকোনো অবস্থার মধ্য দিয়ে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য চেষ্টা করে। পরিবর্তিত পরিস্থিতির সাথে সঙ্গতি বিধানের সামর্থ্যই হলো নমনীয়তা। একটি উত্তম পরিকল্পনায় নমনীয়তার সুযোগ থাকা আবশ্যক। কারণ, একই অবস্থার মধ্য দিয়ে পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবে তা সবসময় আশা করা যায় না। তাই উদ্দীপকে সরকারি কর্মকর্তাগণও ঢাকায় মেট্রোরেল নির্মাণের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য পরিকল্পনায় সম্ভাব্য ও প্রয়োজনীয় সংশোধনীর ব্যবস্থা করে রাখেন। তাই বলা যায়, পরিকল্পনার নমনীয়তা বৈশিষ্ট্যটি ভবিষ্যৎ অবস্থার পরিবর্তনকে সহজ করে তোলে। মমমপ্রশ্ন২ সুইট হোম লি. একটি ডেভেলপার কোম্পানি। কোম্পানিটি একেকটি প্রকল্পের অন্য একেকটি পরিকল্পনা গ্রহণ করে। নির্মাণ শেষে পরিকল্পনার সমাপ্তি ঘটে। সম্প্রতি নতুন একটি প্রকল্প ২০ তলা বিল্ডিং নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করে এবং এর নকশা সি.ডি.এ.-তে জমা দেওয়া হয়। জায়গার পরিমাণ, মূল রাস্তা থেকে জায়গার দূরত্ব, রাস্তার প্রশস্ততা ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করে সর্বোচ্চ ১৫ তলার বেশি নির্মাণ করা অবাস্তব ও ত্র“টিপূর্ণ হবে বলে সি.ডি.এ. প্রকল্প পরিকল্পনাটি বাতিল করে দেয়। পরবর্তীতে সুইটস হোম লি. ১৫ তলা বিল্ডিং নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করে এবং সি.ডি.এ. পরিকল্পনাটি অনুমোদন দেয়। [রা. বো. ১৭] অ ক. সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ার প্রথম পদক্ষেপ কোনটি? ১ অ খ. “পরিকল্পনা ব্যবস্থাপনার অন্যান্য কাজের ভিত্তি”Ñ ব্যাখ্যা করো। ২ অ গ. ‘সুইট হোম লি.’-এর গৃহীত পরিকল্পনাগুলো প্রকৃতিভেদে কোন ধরনের পরিকল্পনা? ব্যাখ্যা করো। ৩ অ ঘ. পরিকল্পনার যে বৈশিষ্ট্যের কারণে ‘সুইট হোম লি.-এর প্রকল্পটি সিডিএ’র অনুমোদন পায় তার যৌক্তিকতা মূল্যায়ন করো। ৪ ২ নং প্রশ্নের উত্তর অ মক সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ার প্রথম পদক্ষেপ হলো সমস্যা চিহ্নিতকরণ ও সংজ্ঞায়িতকরণ। মখ প্রতিষ্ঠানের কাক্সিক্ষত উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য কোন কাজ কে করবে, কখন করবে, কত সময়ের মধ্যে করা হবে ইত্যাদি নির্ধারণ করার কর্মসূচি বা নকশা প্রণয়নের কাজকে পরিকল্পনা বলে। পরিকল্পনা হলো ব্যবস্থাপনার প্রথম কাজ। এটি বাস্তবায়নের জন্যই সংগঠন, কর্মীসংস্থান, নেতৃত্ব দান ইত্যাদি কাজ করা হয়। আর নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে পরিকল্পনা আদর্শমানের ভ‚মিকা পালন করে। এছাড়া ব্যবস্থাপনার অন্যান্য (সংগঠন, কর্মীসংস্থান, নেতৃত্ব দান) কাজ সম্পাদনেও প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হয়। তাই পরিকল্পনাকে অন্যান্য কাজের ভিত্তি বলে গণ্য করা হয়। মগ উদ্দীপকের সুইট হোম লি.-এর গৃহীত পরিকল্পনাগুলো প্রকৃতিভেদে একার্থক পরিকল্পনা। একার্থক পরিকল্পনা কোনো একটি বিশেষ কার্যসম্পাদনের জন্য তৈরি করা হয়। তবে প্রণীত পরিকল্পনাটি বাস্তবায়িত হলে তা পরে আর ব্যবহৃত হয় না। উদ্দীপকের সুইট হোম লি. একটি ডেভেলপার কোম্পানি। কোম্পানিটি একেকটি প্রকল্পের জন্য একেকটি পরিকল্পনা গ্রহণ করে। নির্মাণ শেষে পরিকল্পনার সমাপ্তি ঘটে। সম্প্রতি কোম্পানিটি ২০ তলা বিল্ডিং নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করে। কিন্তু সি.ডি.এ জায়গার পরিমাণ, রাস্তার প্রশস্থতা ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করে ১৫ তলার বেশি নির্মাণ করা যাবে না বলে প্রকল্পের পরিকল্পনাটি বাতিল করে দেয়। পরবর্তীতে সুইট হোম লি. ১৫ তলা বিল্ডিং নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করে। বিল্ডিং নির্মাণ শেষে পরিকল্পনাটির সমাপ্তি ঘটবে। এসব বৈশিষ্ট্যানুযায়ী এটি একার্থক পরিকল্পনার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তাই বলা যায়, সুইট হোম লি.-এর গৃহীত পরিকল্পনাগুলো হলো একার্থক পরিকল্পনা। মঘ পরিকল্পনার নমনীয়তা বৈশিষ্ট্যের কারণে ‘সুইট হোম লি.’-এর প্রকল্পটি সি.ডি.এ.-এর অনুমোদন পায়Ñ কথাটি যৌক্তিক। ভবিষ্যৎ সর্বদাই অনিশ্চিত। তাই পরিকল্পনা সময়, স্থান ও অবস্থাভেদে পরিবর্তনযোগ্য হওয়া আবশ্যক। নমনীয়তা বৈশিষ্ট্যের কারণে পরিকল্পনাকে অবস্থা ও সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে পরিবর্তন করা যায়। উদ্দীপকের সুইট হোম লি. প্রথমত ২০ তলা ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা করে এবং এর নকশা সি.ডি.এ-তে জমা দেয়। জায়গার পরিমাণ ও রাস্তার কারণে সি.ডি.এ. ২০তলা ভবনের পরিবর্তে ১৫ তলার অনুমোদন দেয়। এতে সুইট হোম লি. পরিস্থিতি অনুযায়ী তাদের পরিকল্পনায় পরিবর্তন এনে ১৫ তলা ভবনের সিদ্ধান্ত নেয়; যা পরিকল্পনার নমনীয়তা বৈশিষ্ট্যের সাথে মিল পাওয়া যায়। যেকোনো সময়, পরিবেশ তথা পারিপার্শ্বিকতার পরিবর্তনের কারণে পরিকল্পনা পরিবর্তন করতে হতে পারে। উদ্দীপকেও এমন পরিবর্তনের প্রয়োজন হয়েছে। সুইট হোম লি. প্রতিষ্ঠানটি প্রথমত ২০ তলা ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিলেও তা বাতিল হয়ে যায়। পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠানটি পরিকল্পনায় পরিবর্তন এনে ১৫ তলা ভবন নির্মাণের চ‚ড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়, যা সি.ডি.এ. অনুমোদন দেয়। তাই বলা যায়, পরিকল্পনার নমনীয়তার কারণেই সুইট হোম লি.-এর প্রকল্পটি সি.ডি.এ.-এর অনুমোদন পায়। মমমপ্রশ্ন৩ জাগোয়ার করপোরেশনের চারটি বিভাগ রয়েছে। উৎপাদন বিভাগ ২০১৬ সালের জন্য ৫০০০ একক উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে। অর্থ বিভাগ প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ না করায় উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০০০ একক কম হয়। অন্যদিকে মানবসম্পদ বিভাগ বিপণন বিভাগের জন্য অতিরিক্ত লোক নিয়োগ করায় খরচ বেড়ে যায়। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণ বিভাগে লোক স্বল্পতার কারণে নষ্ট মেশিন ঠিক করতে না পারায় উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটে। [রা.

এইচএসসি ব্যবসায় উদ্যোগ তৃতীয় অধ্যায় পরিকল্পনা প্রণয়ন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর Read More »

এইচএসসি ব্যবসায় উদ্যোগ দ্বিতীয় অধ্যায় ব্যবস্থাপনা নীতি সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

অধ্যায়-২ ব্যবস্থাপনা নীতি গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর প্রশ্ন১ অই লি.-এর উৎপাদন বিভাগ তার কাজগুলোকে প্রকৃতি অনুযায়ী বিভিন্ন ভাগে ভাগ করে প্রত্যেকের দায়িত্ব ও ক্ষমতা নির্দিষ্ট করে দেয়। এতে কর্মীর কাজ সহজ হয়। আবার পরিচালক পর্ষদের ২০% উৎপাদন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে প্রতিষ্ঠানের সকল বিভাগের কর্মকর্তারা একই লক্ষ্যকে সামনে রেখে অধস্তনদের পরামর্শ ও নির্দেশনা প্রদান করেন। ফলে কার্যক্ষেত্রে জটিলতা না থাকায় লক্ষ্য পূরণ সহজ হয়। [ঢা. বো. ১৭] অ ক. প্রশাসন কী? ১ অ খ. ব্যবস্থাপকীয় দক্ষতা কার্য পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ কেন? ২ অ গ. উদ্দীপকের উৎপাদন বিভাগ ফেয়লের কোন নীতি অনুসরণ করে? ব্যাখ্যা করো। ৩ অ ঘ. ‘নির্দেশনার ঐক্যেই পরিচালক পর্ষদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে’Ñ উদ্দীপকের আলোকে বিশ্লেষণ করো। ৪ ১ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ স্তর যেখানে প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা, কৌশল ও নীতি নির্ধারণ করা হয় তাকে প্রশাসন বলে। খ ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্ট কাজগুলো সঠিক সময়ে, স্বল্প ব্যয়ে এবং সঠিকভাবে সম্পাদন করার সামর্থ্যকে ব্যবস্থাপকীয় দক্ষতা বলে। একজন ব্যবস্থাপকের দক্ষতার ওপর নির্ভর করে যে, তিনি কত ন্যূনতম শক্তি, সামর্থ্য ও সম্পদকে কাজে লাগিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্য অর্জন করতে পারেন। একজন ব্যবস্থাপক কার্যসম্পাদনে যতই দক্ষ হন, ততই তিনি প্রাতিষ্ঠানিক উপকরণসমূহের সদ্ব্যবহার করতে পারেন। আর প্রাতিষ্ঠানিক উপকরণের সদ্ব্যবহারের ওপরই প্রতিষ্ঠানের সফলতা নির্ভর করে। এজন্যই ব্যবস্থাপকীয় দক্ষতা কার্য পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ। গ উদ্দীপকের উৎপাদন বিভাগ ফেয়লের কার্যবিভাজন নীতি অনুসরণ করে। প্রতিষ্ঠানের কাজকে প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন বিভাগে ভাগ করে প্রতিটি বিভাগের দায়িত্ব এক একজন কর্মীর ওপর অর্পণ করা হয় কার্যবিভাজনের নীতিতে প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেক বিভাগ ও উপবিভাগে নিয়োজিত জনশক্তির কাজকে সুনির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়। উদ্দীপকের অই লি. প্রতিষ্ঠানটি উৎপাদন বিভাগের কাজকে কাজের প্রকৃতি অনুযায়ী বিভিন্ন ভাগে ভাগ করে। কাজগুলোকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করার পর প্রত্যেক কর্মীর দায়িত্ব ও ক্ষমতা নির্দিষ্ট করে দেয়। এতে কর্মীরা যার যা দায়িত্ব রয়েছে, তা সহজে বুঝতে পারেন এবং তাদের কাজ সহজে করতে পারেন। কার্যবিভাজনের নীতিতেও এভাবে কাজকে ভাগ করা হয় এবং কর্মীদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয়। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের উৎপাদন বিভাগ ফেয়লের কার্যবিভাজনের নীতিটি অনুসরণ করছে। ঘ ‘নির্দেশনার ঐক্যের মাধ্যমেই পরিচালক পর্ষদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে’Ñ আমি এর সাথে একমত। নির্দেশনার ঐক্যের নীতির মূলকথা হলো একটি প্রধান উদ্দেশ্যের আলোকে প্রতিষ্ঠানের সব কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। এ প্রধান উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের বিষয়টি মাথায় রেখে তার আলোকে প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়। উদ্দীপকের অই লি.-এর পরিচালনা পর্ষদ তাদের প্রতিষ্ঠানে ২০% উৎপাদন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেন। এ লক্ষ্যকে বাস্তবায়নের জন্য প্রতিষ্ঠানের সব বিভাগের কর্মকর্তারা অধস্তনদের পরামর্শ ও নির্দেশনা প্রদান করেন। ফলে কার্যক্ষেত্রে জটিলতা না থাকায় প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য পূরণ সহজ হয়েছে। উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানটি একটি লক্ষ্যের আলোকে সব বিভাগের কর্মীদের কাজের নির্দেশনা প্রদান করেছে। এতে সব বিভাগ ও উপবিভাগের কর্মকাণ্ড একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যকেন্দ্রিক হয়েছে। ফলে প্রত্যেক কর্মী নিজের দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট হয়েছে। এজন্য প্রতিষ্ঠানের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নও সহজ হয়েছে। তাই বলা যায়, নির্দেশনার ঐক্য মেনে চলার কারণেই পরিচালক পর্ষদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে। মমমপ্রশ্ন২ জাহানারা বুটিকসে ভিন্ন ভিন্ন কর্মদক্ষতাসম্পন্ন ১৫ জন লোক কর্মরত আছেন। তাদের কাজ নির্দিষ্ট করা নেই। সবাই সব কাজ করে থাকেন। তৈরি পোশাক বিক্রয় কিংবা হিসাব-নিকাশের জন্যও নির্দিষ্ট কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। তাতে প্রায়শই হিসাবে ভুল হয়। কর্মীদের কার্য পরিমাপও জটিল হয়ে পড়ে। বুটিকসের মালিক জাহানারা বেগম লক্ষ করলেন যে, কিছু কাজে কিছু লোক অন্যদের চেয়ে বেশি পারদর্শী। তিনি কাজের পারদর্শিতা অনুসারে কর্মীদের কাজ বিভক্ত করার সিদ্ধান্ত নেন। [রা. বো. ১৭] অ ক. আদেশের ঐক্য নীতি কী? ১ অ খ. ব্যবস্থাপকীয় দক্ষতা বলতে কী বোঝায়? ২ অ গ. উদ্দীপকে উলি­খিত জাহানারা বুটিকসে প্রথম পর্যায়ে ব্যবস্থাপনার কোন নীতি উপেক্ষিত হয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৩ অ ঘ. উদ্দীপকে উলি­খিত বুটিকসে পরবর্তী পর্যায়ে গৃহীত সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা মূল্যায়ন করো। ৪ ২ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক একজন কর্মী প্রত্যক্ষভাবে একই সময়ে শুধু একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নিকট হতে আদেশ গ্রহণ করবে, এ নীতিকে আদেশের ঐক্য নীতি বলে। খ ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্ট কাজগুলো সঠিক সময়ে, স্বল্প ব্যয়ে এবং সঠিকভাবে সম্পাদন করার সামর্থ্যকে ব্যবস্থাপকীয় দক্ষতা বলে। একজন ব্যবস্থাপকের দক্ষতার ওপর নির্ভর করে তিনি কত ন্যূনতম শক্তি, সামর্থ্য ও সম্পদকে কাজে লাগিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্য অর্জন করতে পারেন। একজন ব্যবস্থাপক কার্যসম্পাদনে যতই দক্ষ হন, ততই তিনি প্রাতিষ্ঠানিক উপকরণসমূহের সদ্ব্যবহার করতে পারেন। আর প্রাতিষ্ঠানিক উপকরণের সদ্ব্যবহারের ওপরই প্রতিষ্ঠানের সফলতা নির্ভর করে। গ উদ্দীপকের জাহানারা বুটিকসে প্রথম পর্যায়ে ব্যবস্থাপনার কার্যবিভাজনের নীতি উপেক্ষিত হয়েছে। এ নীতি অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের কাজকে প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন বিভাগে ভাগ করে প্রতিটি বিভাগের দায়িত্ব একজন কর্মীর ওপর অর্পণ করা হয়। কার্যবিভাজনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেক বিভাগ ও উপবিভাগে নিয়োজিত জনশক্তির কাজকে সুনির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়। উদ্দীপকে জাহানারা বুটিকসে ভিন্ন ভিন্ন কর্মদক্ষতাসম্পন্ন ১৫ জন লোক কর্মরত আছেন। তাদের কাজ নির্দিষ্ট করা নেই। ফলে সবাই সব ধরনের কাজ করেন। কাজ নির্দিষ্ট না থাকায় কাউকে তার কাজের জন্য জবাবদিহি করতে হচ্ছে না। ফলে কোনো কাজই মানসম্মতভাবে হচ্ছে না। তাই বলা যায়, জাহানারা বুটিকসে কার্যবিভাজনের নীতি উপেক্ষিত হয়েছে। ঘ জাহানারা বুটিকসে পরবর্তী পর্যায়ে গৃহীত শৃঙ্খলতার নীতির সিদ্ধান্তটি যৌক্তিক। শৃঙ্খলতার নীতি অনুযায়ী যোগ্য ব্যক্তিকে যোগ্য স্থানে এবং সঠিক বস্তুকে সঠিক স্থানে স্থাপন করা হয় । যোগ্য ব্যক্তিকে যোগ্য স্থানে বসানো না গেলে কখনোই তার নিকট থেকে কাক্সিক্ষত ফল লাভ সম্ভব হয় না। উদ্দীপকে জাহানারা বুটিকসে কর্মরত কর্মীদের কাজ সুনির্দিষ্টভাবে ভাগ করা নেই। ফলে কর্মীরা উৎপাদন প্রক্রিয়ার সব ধরনের কাজ করছেন। এ অবস্থায় বুটিকসের মালিক জাহানারা বেগম সিদ্ধান্ত নিলেন কর্মীর কাজের পারদর্শিতা অনুযায়ী কাজকে ভাগ করে দিবেন। অর্থাৎ যোগ্য ব্যক্তিকে যোগ্য স্থানে নিয়োগ দেবেন, যা শৃঙ্খলার নীতির আওতায় পড়ে। শৃঙ্খলা নীতির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মীদের যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ সুনির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়। এতে প্রত্যেকে যার যার কাজ যথাসময়ে বাস্তবায়ন করতে পারেন। তাছাড়া একজন কর্মীর কাজ সুনির্দিষ্ট করা হলে ঐ কাজে কর্মী দক্ষতা অর্জনের সুযোগ পান। ফলে কার্যসম্পাদন সহজ ও সুন্দর হয় এবং কর্মীর কাজে নিপুণতা আসে। তাই বলা যায়, জাহানারা বুটিকসে গৃহীত সিদ্ধান্তটি অত্যন্ত যৌক্তিক। মমমপ্রশ্ন৩ মি. মলি­ক বি.বি.এ পাস করে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি পেয়েছেন। প্রথম দিন অফিসে গিয়ে তিনি দেখলেন প্রতিটি কর্মীরই কাজ নির্দিষ্ট আছে। তিনি ভাবলেন এ নীতিতে সত্যিই কাজে গতি ও মান বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেদিন তার বিভাগীয় প্রধান তাকে ডেকে বললেন, তাদের প্রতিষ্ঠানে পদমর্যাদা অনুসারে ভিন্ন ভিন্ন নির্দিষ্ট বেতন কাঠামো আছে। যেন কর্মীদের মধ্যে কার্যসন্তুষ্টি বিরাজ করে। [কু. বো. ১৭] অ ক. বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনার জনক কে? ১ অ খ. লক্ষ্য অর্জনে ‘একতাই বল’ নীতি গুরুত্বপূর্ণ কেন? ব্যাখ্যা করো। ২ অ গ. উদ্দীপকে মি. মলি­ক প্রথমত কোন নীতির কথা ভেবেছিলেন? ব্যাখ্যা করো। ৩ অ ঘ. বিভাগীয় প্রধান যে নীতিকে ইঙ্গিত করেছেন, তা কর্মী সন্তুষ্টি অর্জনে সহায়কÑ বিশ্লেষণ করো। ৪ ৩ নং প্রশ্নের উত্তর অ মক বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনার জনক হলেন আমেরিকান মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ফ্রেডেরিক উইন্সলো টেলর (ঋৎবফবৎরপশ ডরহংষড়ি ঞধুষড়ৎ)। মখ প্রতিষ্ঠানের

এইচএসসি ব্যবসায় উদ্যোগ দ্বিতীয় অধ্যায় ব্যবস্থাপনা নীতি সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর Read More »

এইচএসসি ব্যবসায় উদ্যোগ দ্বাদশ অধ্যায় ব্যবসায় নৈতিকতা ও সামাজিক দায়বব্ধতা সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

অধ্যায়-১২ ব্যবসায় নৈতিকতা ও সামাজিক দায়বব্ধতা গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর প্রশ্ন১ জনাব রবি একজন পেঁয়াজ আমদানিকারক। গত রমজানের একমাস আগে তিনি ৬০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করলেও সে সময়ে বাজারে তা সরবরাহ করেননি। রমজানে বাজারে পেঁয়াজের মূল্য বেড়ে যায় বলে রবি প্রচুর মুনাফা অর্জন করেন। [রা. বো., দি. বো. ১৭] অ ক. ব্যবসায়ে নৈতিকতা কী? ১ অ খ. কর্পোরেট সামাজিক দায়িত্ব কী? ব্যাখ্যা করো। ২ অ গ. উদ্দীপকে রবি সমাজের কোন পক্ষের প্রতি দায়িত্ব পালনে অবজ্ঞা করছেন? ব্যাখ্যা করো। ৩ অ ঘ. নৈতিকতার মানদণ্ডে রবির কর্মকাণ্ড মূল্যায়ন করো। ৪ ১ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক ব্যবসায় পরিচালনায় ন্যায়-অন্যায়, উচিত-অনুচিত, ভালো-মন্দ বিচারের মাপকাঠিকে ব্যবসায় নৈতিকতা বলে। খ কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলো যেসব সুযোগ-সুবিধা প্রদানমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করে তাকে কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচি (ঈঝজচ) বলে। ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানসমূহ তাদের সক্ষমতা অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচি গ্রহণ করে। বাংলাদেশে বড় বড় ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানসমূহ ঈঝজচ-এর পৃথক খাত ও বরাদ্দের ব্যবস্থা করে এবং সে অনুযায়ী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে থাকে। গ উদ্দীপকে রবি সমাজের ক্রেতা ও ভোক্তাদের প্রতি সামাজিক দায়িত্ব পালনে অবহেলা করছেন। ক্রেতা বা ভোক্তা বলতে গেলে ব্যবসায়ের প্রাণস্বরূপ। তাদের আস্থা ও সহযোগিতার ওপর ব্যবসায়ের সফলতা বিশেষভাবে নির্ভরশীল। প্রত্যেক ব্যবসায়ীর জন্য ক্রেতা ও ভোক্তাদের প্রতি দায়িত্ব পালন জরুরি। উদ্দীপকের জনাব রবি একজন পেঁয়াজ আমদানিকারক। গত রমজানের একমাস আগে তিনি ৬০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করেন। কিন্তু তিনি সেসময়ে বাজারে তা সরবরাহ করেননি। রমজানে বাজারে পেঁয়াজের মূল্য বেড়ে যায়, ফলে জনাব রবি প্রচুর মুনাফা অর্জন করেন। সমাজে বসবাসকারী ক্রেতা বা ভোক্তারা সবসময় ন্যায্যমূল্যে পর্যাপ্ত পণ্য পাওয়ার প্রত্যাশা করেন। কিন্তু ব্যবসায়ী হিসেবে জনাব রবি পর্যাপ্ত পণ্য সরবরাহ করেননি। পণ্যের বাজার অস্থিতিশীল করে বেশি দামে তিনি পণ্য বিক্রি করেন। যার ফলে ক্রেতা ও ভোক্তারা দুর্ভোগের শিকার হন। এভাবে তিনি ক্রেতা ও ভোক্তাদের প্রতি সামাজিক দায়িত্ব পালনে অবহেলা করছেন। ঘ ব্যবসায় নৈতিকতার মানদণ্ডে রবির কর্মকাণ্ড অনৈতিক। ব্যবসায় নৈতিকতা হচ্ছে ব্যবসায়ে ভালো-মন্দ, সত্য-মিথ্যা, সঠিক-ভুল বিচারে প্রত্যাশিত আচরণ প্রদর্শন করা। ব্যবসায় পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রতিটি ব্যবসায়ীকে নৈতিকভাবে ব্যবসায় পরিচালনা করা উচিত। ওজনে কম দেওয়া, অত্যধিক মুনাফা লাভ, নিæমানের পণ্য দেওয়া প্রভৃতি ব্যবসায়ের অনৈতিক কার্যাবলি। উদ্দীপকের জনাব রবি পেঁয়াজ আমদানি করেন। তিনি গত রমজানের একমাস আগে ৬০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করেন, যা ভোক্তাদের জন্য পর্যাপ্ত ছিল। কিন্তু যথাসময়ে তিনি তা বাজারজাত করেননি। রমজানে পেঁয়াজের বাজারমূল্য বাড়ার পর তা বিক্রি করে তিনি প্রচুর মুনাফা অর্জন করেন। এভাবে ব্যবসায় ভালো চললেও পরবর্তী সময়ে তার বিক্রয়ের পরিমাণ কমে যাবে। জনাব রবি যেভাবে অধিক লাভের আশায় সঠিক সময়ে ও ন্যায্যমূল্যে পণ্য সরবরাহ করেননি তা ব্যবসায়ের নৈতিকতাবর্জিত। তার এরূপ কর্মকাণ্ডের ফলে ক্রেতা ও ভোক্তারা ভোগান্তির শিকার হন। যার ফলে ক্রেতা সমাজে তার সুনাম নষ্ট হবে। ভবিষ্যতে তিনি অন্য সৎ ব্যবসায়ীদের সাথে টিকে থাকতে পারবেন না। এছাড়া ক্রেতারাও অসন্তুষ্ট হন। সুতরাং, নৈতিকতার মানদণ্ডে রবির ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড সম্পূর্ণ অনৈতিক। মমমপ্রশ্ন২ জনাব আব্দুর রাজ্জাক কিছু ফল কেনার জন্য বাজারে গেলেন। তিনি লক্ষ করলেন কোনো ফলের উপর মাছি নেই আবার পচনের কোনো দাগও ফলে দেখা যাচ্ছে না। তিনি ভাবলেন, অতীতে ফলের উপর মৌমাছি বা মাছি উড়তে দেখলেও এখন তা নেই কেন? বিষয়টি ভেবে তিনি কোনো ফল না কিনেই বাড়ি ফিরলেন। বিষয়টি তাকে বেশ শঙ্কিত করে তুললো। [রা. বো., কু. বো. ১৭] অ ক. ওঝঙ-এর পূর্ণরূপ লেখো। ১ অ খ. সামাজিক ব্যবসায় বলতে কী বোঝায়? ২ অ গ. ফলের উপর মাছি না বসায় ব্যবসায়ীদের কোন বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৩ অ ঘ. জনাব রাজ্জাকের শঙ্কা হ্রাসে সমাজের প্রতি ব্যবসায়ীদের দায়বদ্ধতা আছে কি? বিশ্লেষণ করো। ৪ ২ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক ওঝঙ-এর পূর্ণরূপ হলো ওহঃবৎহধঃরড়হধষ ঙৎমধহরুধঃরড়হ ভড়ৎ ঝঃধহফধৎফরুধঃরড়হ। খ যে ব্যবসায় মুনাফা অর্জনের জন্য গঠিত না হয়ে সমাজের দারিদ্র্য দূরীকরণ ও কল্যাণের উদ্দেশ্যে গঠিত হয় তাই সামাজিক ব্যবসায়। এ ব্যবসায়ে বিনিয়োগকারী শুধু তাদের বিনিয়োগকৃত অর্থ ফেরত পান, কোনো মুনাফা পান না। মুনাফার অর্থ দিয়ে যাবতীয় খরচ নির্বাহ করা হয়, যা ব্যবসায় সম্প্রসারণে পুনঃবিনিয়োগ হিসেবে ধরা হয়। সুতরাং মানসিক সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে মালিক এ ধরনের ব্যবসায়ে অর্থ বিনিয়োগ করেন। গ উদ্দীপকে ফলের উপর মৌমাছি না বসায় ব্যবসায়ীদের নৈতিকতার বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। ব্যবসায় পরিচালনাগত বিষয়ে ন্যায়-অন্যায়, উচিত-অনুচিত ইত্যাদি বিষয়ের বিচারের মাপকাঠি হলো ব্যবসায় নৈতিকতা। ব্যবসায়ের সঠিক মূল্যবোধ ও নৈতিকতার পরিচয় হলো পণ্যে ভেজাল না দেওয়া, ক্ষতিকর কোনো উপকরণ ব্যবহার না করা। উদ্দীপকে জনাব আব্দুর রাজ্জাক ফল কিনতে গিয়ে দেখলেন যে, ফলে মৌমাছি বসছে না আবার পচনের কোনো দাগও নেই। অর্থাৎ এখানে ফলকে সতেজ দেখাতে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ ফরমালিন ব্যবহার করা হয়েছে। এটি ফলমূল দীর্ঘদিন সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হয়, যা গ্রহণ করলে মানবদেহ স্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্মুখীন হয়। ব্যবসায় নৈতিকতার দিক দিয়ে এটি অপরাধমূলক কাজ। উক্ত রাসায়নিক ব্যবহারের ফলেই ফলমূলে কোনো মৌমাছি বসছে না। এভাবে ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদেরকে ঠকাচ্ছেন এবং তাদের ক্ষতি করছেন। এজন্য এক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের নৈতিকতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। ঘ উদ্দীপকের জনাব রাজ্জাকের শঙ্কা হ্রাসে সমাজের প্রতি ব্যবসায়ীদের দায়বদ্ধতা পালন একান্ত আবশ্যক। ব্যবসায়ের সামাজিক দায়িত্ব বলতে ব্যবসায়ের সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত বিভিন্ন পক্ষের প্রতি জণকল্যাণমূলক দায়িত্ব পালন করাকে বোঝায়। উদ্দীপকে জনাব রাজ্জাক ফল কিনতে গিয়ে দেখেন বিক্রেতারা ফলে ফরমালিন দিয়েছেন। তাই ফলে মাছি বসছে না। এ ক্ষতিকর পদার্থ মানব শরীরের মারÍক ক্ষতি করে। তাই বিষয়টি তাকে বেশ শঙ্কিত করে তোলে। সমাজের ক্রেতা ও ভোক্তাদের প্রতি ব্যবসায়ীদের দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত হলো পণ্যে ভেজাল না দেওয়া, সঠিক মানের ও ওজনের পণ্য সরবরাহ করা, ক্ষতিকর পণ্য সরবরাহ না করা। এসব দায়িত্ব পালন না করলে কোনো ব্যবসায়ীর পক্ষে চ‚ড়ান্তভাবে সফলতা অর্জন করা অসম্ভব। কিন্তু উদ্দীপকের বিক্রেতারা এসব নৈতিকতা না মেনে ক্রেতাদের ঠকিয়ে পণ্যে ভেজাল দ্রব্য মেশাচ্ছেন। এ রকম বিক্রেতা ব্যবসায়ীরা সমাজে বেশিদিন ব্যবসায় টিকিয়ে রাখতে পারবেন না। ব্যবসায়ী হিসেবে স্থায়ীভাবে টিকে থাকতে হলে সমাজের ক্রেতা ও ভোক্তাদের প্রতি দায়বদ্ধতা পালন করা আবশ্যক। মমমপ্রশ্ন৩ কাপড় ব্যবসায়ী জনাব আকতার পার্বত্য এলাকায় বৈসাবির সময় কম মূল্যে কাপড় বিক্রি করেন। তিনি সমাজের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে যতটুকু সম্ভব অংশগ্রহণ করেন। অন্যদিকে বিখ্যাত ব্যবসায়ী জনাব মোক্তার গত অর্থবছরে আয়কর রিটার্নে সম্পত্তির মূল্য কম দেখিয়ে কর প্রদান করেন। [য. বো. ১৭] অ ক. ঈঝজচ কী? ১ অ খ. পরিবেশ কীভাবে দূষিত হয়? ২ অ গ. উদ্দীপকে জনাব মোক্তার সমাজের কোন পক্ষের প্রতি দায়িত্ব লঙ্ঘন করেছেন? ব্যাখ্যা করো। ৩ অ ঘ. মূল্যবোধের আলোকে জনাব আকতারের কার্যক্রম বিশ্লেষণ করো। ৪ ৩ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক ঈঝজচ-এর পূর্ণরূপ হলো ঈড়ৎঢ়ড়ৎধঃব ঝড়পরধষ জবংঢ়ড়হংরনরষরঃু চৎড়মৎধস। খ কোনো কারণে পরিবেশের ভারসাম্য বিঘিœত হওয়াকে সাধারণ অর্থে পরিবেশ দূষণ বলে। মাটি, পানি ও বায়ুর অনাকাক্সিক্ষত পরিবর্তনের মাধ্যমে পরিবেশ দূষিত হয়। মাটি, পানি ও বায়ুতে যখন বিষাক্ত পদার্থ মিশে তখন পরিবেশ দƒষিত হয়। যেমন: কল-কারখানার বর্জ্য সরাসরি মাটিতে

এইচএসসি ব্যবসায় উদ্যোগ দ্বাদশ অধ্যায় ব্যবসায় নৈতিকতা ও সামাজিক দায়বব্ধতা সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর Read More »

এইচএসসি ব্যবসায় উদ্যোগ একাদশ অধ্যায় ব্যবসায়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

অধ্যায়-১১ ব্যবসায়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর প্রশ্ন১ মি. সাব্বির ‘এবিসি’ ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী। তিনি তার ব্যাংকে সব লেনদেনের হিসাব ছাপানো খাতায় লেখার পরিবর্তে কম্পিউটারে বিশেষ ব্যবস্থায় লিপিবদ্ধ করার নিয়ম প্রবর্তন করেন। গ্রাহকের হিসাব সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য চিঠিপত্রের মাধ্যমে লেনদেনের বদলে ই-মেইল ও মোবাইল ফোনে এসএমএস পদ্ধতি চালু করেন। উন্নত গ্রাহকসেবার কারণে তার ব্যাংকের জনপ্রিয়তা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। [ঢা. বো. ১৭; চ. বো. ১৭] অ ক. ই-মেইল কী? ১ অ খ. ন্যূনতম চাঁদা বলতে কী বোঝায়? ২ অ গ. মি. সাব্বির কোন ধরনের ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করেছেন? ব্যাখ্যা করো। ৩ অ ঘ. উদ্দীপকে গৃহীত পদ্ধতি গ্রাহকদের উন্নত সেবা প্রদানে সক্ষম হবে কি? যুক্তিসহ লেখো। ৪ ১ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক ই-মেইল (ঊষবপঃৎড়হরপ গধরষ) বলতে ইন্টারনেটের মাধ্যমে এক কম্পিউটার হতে অন্য কোনো কম্পিউটারে কোনো তথ্য আদান-প্রদানকে বোঝায়। খ পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির পরিমেল নিয়মাবলিতে কোম্পানি গঠনের প্রাথমিক খরচের উদ্দেশ্যে যে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ সংগ্রহের প্রতিশ্র“তির উলে­খ থাকে তাকে ন্যূনতম চাঁদা বলে। পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি কার্যারম্ভের অনুমতিপত্র সংগ্রহ ও শেয়ার বিলির পূর্বে ন্যূনতম চাঁদা সংগ্রহের কাজ করে। এ মূলধনের অর্থ দিয়ে কোম্পানির প্রাথমিক ব্যয় ও গঠন সংক্রান্ত ব্যয় নির্বাহ করা হয়। এরূপ চাঁদা সংগ্রহ ব্যতীত পাবলিক কোম্পানি কার্যারম্ভের অনুমতি পায় না। গ উদ্দীপকে মি. সাব্বির ই-ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করেছেন। ই-ব্যাংকিং পদ্ধতি হলো ব্যাংকিং সেবা সুবিধা প্রদানের আধুনিক কৌশল বা পদ্ধতি। যেখানে উন্নততর প্রযুক্তি ব্যবহার করে অতিদ্রুত, নির্ভুল এবং ব্যাপক বিস্তৃত ব্যাংকিং সেবা প্রদান করা সম্ভব। উদ্দীপকের মি. সাব্বির ‘এবিসি’ ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী। তিনি তার ব্যাংকে সব লেনদেনের হিসাব ছাপানো খাতায় লেখার পরিবর্তে কম্পিউটারে বিশেষ ব্যবস্থায় লিপিবদ্ধ করার নিয়ম চালু করেন। যার মাধ্যমে অতি দ্রুত এবং সহজে গ্রাহকদের ব্যাংকিং সেবা প্রদান করা হচ্ছে। তিনি গ্রাহকের হিসাব সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য প্রদানে চিঠিপত্রের বদলে ই-মেইল ও মোবাইল ফোনে এসএমএস পদ্ধতি চালু করেন। উদ্দীপকের এ বিশেষ ব্যবস্থাটির কার্যক্রম ই-ব্যাংকিং-এর বৈশিষ্ট্যের সাথে সামঞ্জস্য রয়েছে। সুতরাং বলা যায়, এ আধুনিক পদ্ধতিটি হলো ইলেকট্রনিক ব্যাংকিং ব্যবস্থা। ঘ উদ্দীপকে গৃহীত ই-ব্যাংকিং পদ্ধতি গ্রাহকদের উন্নত সেবা প্রদানে সক্ষম হবে। ই-ব্যাংকিং পদ্ধতিতে ইন্টারনেট ও কম্পিউটার প্রয্রক্তি ব্যবহার করে আধুনিক ব্যাংকিং সেবা প্রদান করা হয়। এক্ষেত্রে স্বল্প সময়ে ও ব্যয়ে অর্থ জমা, উত্তোলন, স্থানান্তর এবং লেনদেনের তথ্য পাওয়া যায়। উদ্দীপকের এবিসি ব্যাংকে ই-ব্যাংকিং পদ্ধতিতে ব্যাংকিং লেনদেনসমূহ কম্পিউটারে লিপিবদ্ধ করা হয়। এতে গ্রাহকের কোনো ব্যাংকিং তথ্য হারানোর আশঙ্কা থাকে না। তাই গ্রাহকরা নিশ্চিন্তভাবে এখানে তাদের ব্যাংকিং লেনদেন সম্পন্ন করতে পারেন। এছাড়া তারা গ্রাহকের হিসাব সংক্রান্ত তথ্য প্রদানে চিঠিপত্রের বদলে ই-মেইল ও মোবাইল ফোনে এসএমএস পদ্ধতি চালু করেন। আগে গ্রাহককে ব্যাংকে গিয়ে তাদের প্রয়োজনীয় ব্যাংকিং তথ্য সম্পাদন করতে হতো, যা অত্যন্ত সময়সাপেক্ষ ব্যাপার ছিল। কিন্তু বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে গ্রাহককে উন্নত সেবা দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে গ্রাহকরা ঘরে বসেই তাদের ব্যাংকিং তথ্য পাওয়ার সুবিধা অর্জন করছে, যা তাদের সময়, শ্রম ও ব্যয় হ্রাস করছে। এতে গ্রাহকরা সন্তুষ্ট হচ্ছে। সুতরাং বলা যায়, উদ্দীপকে গৃহীত ই-ব্যাংকিং পদ্ধতিই গ্রাহকদের এভাবে উন্নত সেবা প্রদানে সক্ষম হবে। মমমপ্রশ্ন২ হায়দারের বাবা প্রতি মাসে হায়দারকে টাকা পাঠান। হায়দার নিকটস্থ বিকাশ এজেন্টের নিকট গিয়ে মোবাইল ব্যবহার করে টাকা উত্তোলন করতে পারেন। বিকাশের এ ধরনের ব্যাংকিং সেবা পেয়ে হায়দারের মতো অন্যরা বিকাশের হিসাব খোলার সিদ্ধান্ত নিলেন। [দি.বো. ১৭] অ ক. অনলাইন ব্যাংকিং কী? ১ অ খ. ব্যবসায়ের আধুনিকায়নে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রভাব ব্যাখ্যা করো। ২ অ গ. উদ্দীপকের আলোকে ‘বিকাশ’ কোন ধরনের ব্যাংকিং সেবা প্রদান করে? ব্যাখ্যা করো। ৩ ই ঘ. হায়দারের বাবার বিকাশে টাকা পাঠানোর যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ করো। ৪ ২ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক নেটওয়ার্কের আওতায় কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত ও কম্পিউটার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ব্যাংকিং কার্যক্রমকেই অনলাইন ব্যাংকিং বলে। খ কম্পিউটারাইজড ব্যবস্থার মাধ্যমে দুই বা ততোধিক ব্যক্তির মধ্যে তথ্য আদান-প্রদানকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বলে। ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে দ্রুত তথ্য বিনিময় সহজ হয়। এর মাধ্যমে কাজের গতি এবং কর্মীর দক্ষতা বৃদ্ধি পায়। এতে তথ্য হালনাগাদ করে সার্বক্ষণিক ব্যবসায়িক কাজ সম্পাদন করা সম্ভব হয়। এভাবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবসায়ের সাফল্য লাভে সহায়তা করে। গ উদ্দীপকের ‘বিকাশ’ মোবাইল ব্যাংকিং সেবা প্রদান করে। মোবাইল ব্যাংকিং হলো মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা, তথ্য সংগ্রহ, তথ্য প্রদান ও লেনদেন করা।এক্ষেত্রে এক ধরনের গোপন চওঘ নম্বর ব্যবহার করতে হয়। উদ্দীপকের হায়দারের বাবা প্রতিমাসে হায়দারকে টাকা পাঠান। হায়দার নিকটস্থ বিকাশ এজেন্টের নিকট গিয়ে মোবাইল ব্যবহার করে টাকা উত্তোলন করতে পারেন। হায়দার মোবাইলে নিজস্ব চওঘ নম্বর ব্যবহার করে খুব সহজেই তার বিকাশ একাউন্টে জমাকৃত অর্থ প্রয়োজনমতো উত্তোলন করতে পারেন। এর মাধ্যমে একাউন্টের সর্বশেষ কী লেনদেন হয়েছে তার তথ্যও জানা যায়। বিকাশের এ ধরনের ব্যাংকিং সেবা মোবাইল ব্যাংকিং -এর আওতায় পড়ে। সুতরাং বলা যায়, ‘বিকাশ’ মোবাইল ব্যাংকিং সেবা প্রদান করে। ঘ উদ্দীপকে হায়দারের বাবার বিকাশে টাকা পাঠানোর কাজটি যৌক্তিক। দ্রুত এবং নিরাপদে আর্থিক লেনদেনের জন্য বিকাশ বর্তমানে একটি আধুনিক ব্যবস্থা। ব্র্যাক ব্যাংক বিকাশ (নশধংয) নামে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করেছে, যা এখন দেশের সর্বত্র খুবই জনপ্রিয়। উদ্দীপকের হায়দারের বাবা তাকে প্রতিমাসে বিকাশে টাকা পাঠান। হায়দার নিকটস্থ বিকাশ এজেন্টের নিকট গিয়ে মোবাইল ব্যবহার করে টাকা উত্তোলন করতে পারেন। হায়দার বিকাশের মাধ্যমে খুব সহজেই তার বাবার পাঠানো টাকা উত্তোলন করতে পারেন। গোপন চওঘ বা কোড ব্যবহার করে এরূপ লেনদেন করা হয় বলে তার নিরাপত্তা বজায় থাকে। দেশের সর্বত্র অসংখ্য বিকাশ এজেন্টের দোকান বর্তমানে চালু আছে। তাই যেকোনো সময় গ্রাহক বিকাশে অর্থ প্রেরণ ও গ্রহণ করতে পারেন। এতে গ্রাহকের সময় ও শ্রম দু’টিই সাশ্রয় হয়। উদ্দীপকের হায়দারের মতো অন্যরাও বিকাশের হিসাব খোলার সিদ্ধান্ত নিলেন। এতে তারাও দ্রুত ও নিরাপদে এরূপ আর্থিক লেনদেন সম্পাদন করতে পারবেন। সুতরাং বলা যায়, হায়দারের বাবার বিকাশে টাকা পাঠানো যৌক্তিক হয়েছে। মমমপ্রশ্ন৩ মি. বুলবুল একজন ইউনিয়ন পর্যায়ের ইলেকট্রনিক ব্যবসায়ী। তিনি টিভি, ফ্রিজ, মোবাইল ফোন, ওয়াশিং মেশিন ইত্যাদি বিক্রি করেন। কিছুদিন যাবত তিনি লক্ষ করলেন যে, তার শোরুমের বিক্রয় দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে তিনি খুব হতাশ। তিনি ঐ অঞ্চলের ক্রেতাদের আধুনিক প্রযুক্তির জ্ঞান সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ ও যাচাই না করে ইন্টারনেটে ও ফেসবুকে তার প্রতিষ্ঠানের বিক্রীত পণ্যের বিজ্ঞাপন দেন। কিন্তু তারপরেও তার প্রতিষ্ঠানের বিক্রি বৃদ্ধি পায়নি। [কু. বো. ১৭] অ ক. ই-মেইল কী? ১ অ খ. পুনঃরপ্তানি বলতে কী বোঝায়? ২ অ গ. উদ্দীপকে মি. বুলবুল ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে যোগাযোগের কোন মাধ্যমটি ব্যবহার করেছেন? ব্যাখ্যা করো। ৩ অ ঘ. মি. বুলবুলের ব্যবসায়ের অবস্থার পরিবর্তন না হওয়ার মূল কারণ বিশ্লেষণ করো। ৪ ৩ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক ই-মেইল (ঊষবপঃৎড়হরপ গধরষ) বলতে ইন্টারনেটের মাধ্যমে এক কম্পিউটার থেকে অন্য কোনো কম্পিউটারে কোনো তথ্য আদান-প্রদানকে বোঝায়। খ বিদেশ থেকে পণ্যসামগ্রী আমদানি করে তা পুনরায় অন্য দেশে রপ্তানি করা হলে তাকে

এইচএসসি ব্যবসায় উদ্যোগ একাদশ অধ্যায় ব্যবসায়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর Read More »

এইচএসসি ব্যবসায় উদ্যোগ দশম অধ্যায় ব্যবসায় উদ্যোগ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

অধ্যায়-১০ ব্যবসায় উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর প্রশ্ন১ কৃষি শিক্ষায় উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে জনাব রনি একটি কৃষি খামার স্থাপন করলেন। তার খামারে উৎপাদিত ফসল স্থানীয় বাজারে বিক্রি করায় একদিকে যেমন বাজারে পণ্য সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়েছে, অন্যদিকে তেমনি স্থানীয় বেকার যুবকরা তার খামারে কাজ পেয়ে বেকারত্বের অভিশাপ ঘুচিয়েছে। এলাকায় তিনি একজন সফল মানুষ হিসেবে বিবেচিত হন। [দি. বো. ১৭] অ ক. ব্যবসায় উদ্যোগ কী? ১ অ খ. উদ্যোক্তাকে ঝুঁকি নিতে হয় কেন? ২ অ গ. উদ্দীপকে রনির খামারে বেকারদের কাজ পাওয়ায় তিনি উদ্যোগের কোন কাজটি করেছেন? ব্যাখ্যা করো। ৩ অ ঘ. আÍকর্মসংস্থান সৃষ্টিতে জনাব রনির কাজটির ভ‚মিকা বিশ্লেষণ করো। ৪ ১ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে ঝুঁকি নিয়ে কোনো ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান স্থাপনের কর্মপ্রচেষ্টাকে ব্যবসায় উদ্যোগ বলা হয়। খ আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কাকে ঝুঁকি বলে। উদ্যোক্তাকে ঝুঁকি নিয়ে ব্যবসায় স্থাপন করতে হয়। মুনাফা হবে ধরে নিয়েই ব্যবসায়ী ব্যবসায় স্থাপন করলেও পণ্য বিনষ্ট হওয়া, চাহিদা হ্রাস পাওয়া, মূল্য কমে যাওয়া প্রভৃতি কারণে লোকসান হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এ ঝুঁকি না নিলে ব্যবসায় করা যায় না। ঝুঁকি বা ক্ষতির আশঙ্কা আছে জেনেও উদ্যোক্তাকে মূলধন বিনিয়োগ এবং লাভের আশায় ব্যবসায় পরিচালনা করতে হয়। তাই উদ্যোক্তাকে ঝুঁকি গ্রহণ করতে হয়। গ উদ্দীপকে রনির খামারে বেকারদের কাজ পাওয়ায় তিনি উদ্যোগের সামাজিক দায়িত্ব পালনের কাজটি করেছেন। সমাজের প্রতি করণীয় রয়েছে উদ্যোক্তার এ বোধ বা চিন্তাই হলো তার সামাজিক দায়িত্ববোধ। একজন উদ্যোক্তাকে সফলতা লাভে সমাজের বিভিন্ন পক্ষের (ক্রেতা-ভোক্তা, শ্রমিক-কর্মচারী, সরকার, বিনিয়োগকারী) সাথে কাজ করতে হয়। সংশ্লিষ্ট পক্ষের প্রতি দায়িত্ব পালনের স্বাভাবিক অনুভ‚তি যদি তার না থাকে তবে তার পক্ষে সংশ্লিষ্টদের সহানুভ‚তি অর্জন সম্ভব হয় না। উদ্দীপকের জনাব রনি কৃষি শিক্ষায় ডিগ্রি নিয়ে কৃষি খামার স্থাপন করলেন। তার খামারে উৎপাদিত ফসল স্থানীয় বাজারে বিক্রি করায় বাজারে পণ্য সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। স্থানীয় বেকার যুবকরাও তার খামারে কাজ পেয়ে বেকারত্ব দূর করতে পেরেছে। এতে তারা নিজেদের ও তাদের পরিবারের আর্থিক কল্যাণ করতে পারছে। যার ফলে তাদের জীবনমান উন্নত হচ্ছে। এখানে জনাব রনি তার সামাজিক দায়িত্ববোধ থেকেই এ বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। এভাবে রনি সমাজের মানুষের প্রতি তার সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছেন। ঘ আÍকর্মসংস্থান সৃষ্টিতে উদ্দীপকের জনাব রনির খামার স্থাপনের কাজটির ভ‚মিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সক্ষম প্রতিটা মানুষকেই তার জীবিকা অর্জনের জন্য কোনো না কোনো কাজ করতে হয়। স্ব-উদ্যোগে স্বল্প পুঁজি ও ঝুঁকি নিয়ে এভাবে নিজের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করাই হলো আÍকর্মসংস্থান। উদ্দীপকের রনি কৃষি শিক্ষায় উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে একটি কৃষি খামার স্থাপন করলেন। নিজ উদ্যোগে তিনি যে কাজের ক্ষেত্র তৈরি করেছেন তা হলো আÍকর্মসংস্থান। তার এ খামারে বেকার যুবকরা কাজ পেয়ে বেকারত্বের অভিশাপ ঘুচিয়েছে। বর্তমানে এলাকায় তিনি একজন সফল মানুষ হিসেবে বিবেচিত হন। নিজ উদ্যোগে নিজের কার্যক্ষেত্র তৈরির পাশাপাশি তার খামারে অন্য যুবকরাও কাজের সুযোগ পেয়েছে। তার এ উদ্যোগ ও সাফল্য দেখে অনেকেই নিজ কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্যোগ নিতে আগ্রহী হবে। এতে তারা নিজেদের আর্থিক কল্যাণ করতে পারবে। দেশের কর্মসংস্থান ও মানুষের মাথাপিছু আয়ও বাড়বে, দেশের অর্থনৈতিক কল্যাণেও অবদান রাখবে। নিজ নিজ উদ্যোগে এভাবে বেকার যুবসমাজ আÍকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে নিজের ও দেশের উন্নতি করতে ভ‚মিকা রাখবে। তাই বলা যায়, আÍকর্মসংস্থান সৃষ্টিতে রনির খামার স্থাপনের কাজটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মমমপ্রশ্ন২ জনাব সোবহান ‘একের ভিতর তিন’ নামে একটি নতুন কলম বাজারে চালু করেন। যেখানে একই কলম দিয়ে লাল, সবুজ ও কালো রঙের কালি দিয়ে লেখা সম্ভব। কলমটির বাজারে ব্যাপক চাহিদা আছে। কারখানার যন্ত্রপাতির উৎপাদন ক্ষমতা থাকা সত্তে¡ও কর্মীদের আচরণকে প্রভাবিত করে উৎপাদনমুখী করে পর্যাপ্ত পরিমাণ কলম উৎপাদন করতে না পারায় তিনি বাজারের চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ হন। কোরবান নামক একজন ব্যবসায়ী সোবহানের বিনা অনুমতিতে উক্ত পণ্য উৎপাদন শুরু করেছেন। [সি. বো. ১৭] অ ক. ইএগঊঅ কী? ১ অ খ. পরিবেশ দূষণ বলতে কী বোঝায়? ২ অ গ. উদ্দীপকে উদ্যোক্তার কোন গুণের অভাবে সোবহান বাজারে চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ হন? ব্যাখ্যা করো। ৩ অ ঘ. উদ্দীপকে কোরবানের কার্যাবলি, ব্যবসায়ের নৈতিকতার আলোকে বিশ্লেষণ করো। ৪ ২ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক বাংলাদেশের তৈরি পোশাক প্রস্তুকারক ও রপ্তানিকারকদের স্বার্থরক্ষা ও ব্যবসায়িক উন্নয়নের জন্য গঠিত বেসরকারি সংস্থা হলো ইএগঊঅ (ইধহমষধফবংয এধৎসবহঃ গধহঁভধপঃঁৎবৎং ধহফ ঊীঢ়ড়ৎঃবৎং অংংড়পরধঃরড়হ)। খ প্রাকৃতিক বিভিন্ন উপাদানের (পানি, বায়ু, মাটি প্রভৃতি) সাথে জীবনের যে স্বাভাবিক ভারসাম্য বিদ্যমান, কোনো কারণে তা ব্যাহত হলে বা প্রকৃতিতে তার নেতিবাচক প্রভাব প্রতিফলিত হলে তাকে পরিবেশ দূষণ বলে। পরিবেশ দূষণ মানুষসহ অন্যান্য জীবজন্তু এবং তাদের পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। বিভিন্ন দূষণ ও বিষাক্ত পদার্থের মাধ্যমে পরিবেশ দূষিত হয়, যা মানুষের স্বাভাবিক চলাফেরা বা জীবনযাপনে বাধা সৃষ্টি করে। গ উদ্দীপকে উদ্যোক্তার সাংগঠনিক ক্ষমতা গুণের অভাবে সোবহান বাজারে চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ হন। সাংগঠনিক ক্ষমতা বলতে উদ্যোক্তার এমন এক ধরনের ক্ষমতাকে বোঝায় যেখানে প্রতিষ্ঠানের মানবীয় (শ্রমিক-কর্মী) ও বস্তুগত (কাঁচামাল, মেশিন) উপকরণাদিকে কার্যকরভাবে পরিচালনা করা যায়। এ গুণ প্রতিষ্ঠানকে সফলতার দিকে পরিচালিত করতে সহায়তা করে। উদ্দীপকের জনাব সোবহান ‘একের ভিতর তিন’ নামে একটি নতুন কলম বাজারে চালু করেন। যা দিয়ে লাল, সবুজ ও কালো রং এর কালি দিয়ে লেখা সম্ভব হয়। কলমটির বাজারে ব্যাপক চাহিদা ও যন্ত্রপাতির উৎপাদন ক্ষমতা থাকা সত্তে¡ও কর্মীদের আচরণকে প্রভাবিত করে উৎপাদন করতে না পারায় তিনি বাজারের চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ হন। এ থেকে বোঝা যায়, জনাব সোবহান কর্মীদের ঠিক মতো পরিচালনা করতে পারছেন না। অর্থাৎ তার মধ্যে উদ্যোক্তার সাংগঠনিক ক্ষমতাগুণের অভাব রয়েছে। এ গুণের অভাবেই জনাব সোবহান বাজারে পণ্যের চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ হন। ঘ উদ্দীপকের কোরবানের কার্যাবলি নৈতিকতার মানদণ্ডে অনৈতিক। যা করা উচিত তা করা এবং যা করা উচিত নয় তা থেকে বিরত থাকাই হলো নৈতিকতা। নৈতিকতা মানুষের আচার-আচরণ ও রীতি-নীতি সম্পর্কিত বিষয়। ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে কোনটি ভালো, কোনটি মন্দ, কোনটি উচিত, কোনটি অনুচিত এসব প্রশ্ন মানুষের মনে সর্বদা বিরাজ করে। নৈতিকতা মানুষকে সবসময় ভালো ও ন্যায়ের প্রতি উৎসাহিত করে। উদ্দীপকের জনাব সোবহান নামক এক ব্যবসায়ী ‘একের ভিতর তিন’ নামে একটি নতুন কলম চালু করেন। কিন্তু তিনি বাজারের পর্যাপ্ত চাহিদা পূরণ করতে ব্যর্থ হন। অন্যদিকে কোরবান নামক এক ব্যবসায়ী জনাব সোবহানের বিনা অনুমতিতে উক্ত পণ্য উৎপাদন শুরু করেন। যা নৈতিকতার মানদণ্ডে অনৈতিক কাজ। নৈতিকতা মানুষকে সত্য ও ন্যায়ের পথে চলতে সহায়তা করে। কিন্তু উদ্দীপকের কোরবান নামক ব্যবসায়ী জনাব সোবহানের উদ্ভাবিত কলম নকল করে বাজারে ছাড়েন, যা সম্পূর্ণ অবৈধ ও অন্যায়। এতে বোঝা যায়, তার মধ্যে ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায় বোঝার ক্ষমতা নেই। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের কোরবানের কার্যাবলি নৈতিকতার মানদণ্ডে অনৈতিক। মমমপ্রশ্ন৩ শান্ত নতুন একটা কিছু করতে চায়। সে এইচএসসি পরীক্ষা শেষ করে স্থানীয় যুব উন্নয়ন অফিস থেকে ৬ মাস মেয়াদি একটি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করল। সে তার নিজ জেলা শহরে ছোট একটি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ সেন্টার খুলে বসল। মাঝে মাঝে সে নানারকম চ্যালেঞ্জ এবং পরিবর্তনের সম্মুখীন হয়। বর্তমানে সে দেশে ও বিদেশে একজন সুপরিচিত সফটওয়্যার ফার্মের মালিক হিসেবে

এইচএসসি ব্যবসায় উদ্যোগ দশম অধ্যায় ব্যবসায় উদ্যোগ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর Read More »

এইচএসসি ব্যবসায় উদ্যোগ নবম অধ্যায় ব্যবসায়ে সহায়ক সেবা সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

অধ্যায়-৯ ব্যবসায়ে সহায়ক সেবা গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর প্রশ্ন১ রংপুরের মিতালী দত্ত নাটোর ও পাবনা থেকে মাছ সংগ্রহ করে শুঁটকি তৈরি করে তা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করেন। ঋণের জন্য তিনি বিভিন্ন ব্যাংকে যোগাযোগ করলেও জামানত ছাড়া ঋণ নিতে পারেন না। তার এক বন্ধু তাকে একটি ব্যাংকের নাম বলে যেখানে তার মতো ব্যবসায়ীদের জামানত ছাড়া ঋণ পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। তিনি ঐ ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করে সফল হন এবং ব্যবসায় সম্প্রসারণ করতে সক্ষম হন। [ঢা. বো., কু. বো., চ. বো. ১৭] অ ক. ইঝঈওঈ-এর পূর্ণরূপ কী? ১ অ খ. এসএমই ফাউন্ডেশন বলতে কী বোঝায়? ২ অ গ. মিতালী দত্ত জামানত ছাড়া কোন ব্যাংক থেকে ঋণ পেতে পারেন? ব্যাখ্যা করো। ৩ অ ঘ. নারী উদ্যোক্তা উন্নয়নে এরূপ ব্যাংক ঋণ কতটুকু অবদান রাখতে সক্ষম? যুক্তিসহকারে বিশ্লেষণ করো। ৪ ১ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক ইঝঈওঈ-এর পূর্ণরূপ হলো ইধহমষধফবংয ঝসধষষ ধহফ ঈড়ঃঃধমব ওহফঁংঃৎরবং ঈড়ৎঢ়ড়ৎধঃরড়হ। বাংলাদেশে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প গড়ে তোলায় সহায়তাদানকারী প্রতিষ্ঠান হলো বিসিক (ইঝঈওঈ)। খ ঝগঊ -এর পূর্ণরূপ হলো ঝসধষষ ধহফ গবফরঁস ঊহঃবৎঢ়ৎরংব। ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায় সম্প্রসারণ ও উন্নয়নের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদানকারী বাংলাদেশ সরকারের স্বাধীন, স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হলো এসএমই ফাউন্ডেশন। এ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায় খাতে ঋণ প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক দাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সহায়তায় পুনঃঅর্থায়ন করায় দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো এ খাতে ঋণ দিতে যথেষ্ট আগ্রহ দেখাচ্ছে; যা দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গ উদ্দীপকের মিতালী দত্ত জামানত ছাড়া গ্রামীণ ব্যাংক থেকে ঋণ পেতে পারেন। গ্রামীণ ব্যাংক গ্রামের বিত্তহীন, দুস্থ নারী ও পুরুষদের ব্যাংকিং এবং ঋণ সুবিধা দেয়। দরিদ্র ও ভ‚মিহীন জনগোষ্ঠীকে ঋণ প্রদান কর্মসূচি নিয়ে এ প্রকল্প গঠিত হয়। উদ্দীপকের মিতালী দত্ত নাটোর ও পাবনা থেকে মাছ সংগ্রহ করে শুঁটকি তৈরি করেন। এরপর তা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করেন। ব্যবসায়টি সম্প্রসারণ করতে ঋণের জন্য তিনি বিভিন্ন ব্যাংকে যোগাযোগ করলেও জামানত ছাড়া ঋণ নিতে পারেন না। বন্ধুর পরামর্শে তিনি একটি ব্যাংকে ঋণের জন্য যান, যেখানে ব্যবসায়ীদের জামানত ছাড়া ঋণ পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। ব্যাংকটি নারী উদ্যোক্তাদের এরূপ ঋণ সুবিধা প্রদান করে থাকে। এ ধরনের ঋণদান কার্যক্রম গ্রামীণ ব্যাংক সম্পাদন করে থাকে। সুতরাং, মিতালী দত্ত গ্রামীণ ব্যাংক হতে জামানত ছাড়া ঋণ পেতে পারেন। ঘ নারী উদ্যোক্তা উন্নয়নে গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম। গ্রামীণ ব্যাংক যা দরিদ্র নারী উদ্যোক্তাদের জামানতবিহীন ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান করে। এটি নারী উদ্যোক্তা উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সহায়তা করে থাকে। উদ্দীপকের মিতালী দত্ত গ্রামীণ ব্যাংক হতে জমানাতবিহীন ঋণ পেয়ে তার ব্যবসায়িক কার্যক্রমকে সম্প্রসারণ করেন। যার ফলে তিনি নিজের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন করতে পারেন। তিনি একজন নারী উদ্যোক্তা হিসেবে এরূপ ঋণ পেয়ে সহজেই তার ব্যবসায়িক উন্নতি সাধন করতে সক্ষম হয়েছেন। এদেশে অসংখ্য দরিদ্র নারী উদ্যোক্তা রয়েছে যারা সহজ শর্তে ঋণের অভাবে নিজস্ব ব্যবসায় গঠনে পিছিয়ে পড়ছে। গ্রামীণ ব্যাংক এরূপ দরিদ্র নারী উদ্যোক্তাদের দলগতভাবে জামানতবিহীন ঋণ দিয়ে থাকে। এতে সহজেই নারী ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসায় চালাতে ও সম্প্রসারণ করে লাভবান হতে পারেন। মহাজন শ্রেণির ঋণের অতিরিক্ত সুদের প্রকোপ থেকে এরা রক্ষা পেতে পারেন। এ ধরনের ঋণ নিয়ে তারা মৎস্য চাষ, হাঁস-মুরগির খামার তৈরি করে ক্ষুদ্র শিল্প ও প্রকল্প উন্নয়ন করতে পারেন; যা অন্য নারীদেরও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে। অন্যরাও উদ্যোগ গ্রহণে আগ্রহী হন। সুতরাং, নারী উদ্যোক্তা উন্নয়নে গ্রামীণ ব্যাংকের জামানতবিহীন ঋণ অত্যন্ত ফলপ্রসূ ভ‚মিকা পালন করে। মমমপ্রশ্ন২ জনাব জাহিদ একজন চিংড়ি রপ্তানিকারক। তিনি হিমায়িত চিংড়ি প্যাকেট করার জন্য উন্নত মানের যন্ত্রপাতি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু এক্ষেত্রে সরকারি সহায়তা পর্যাপ্ত না হওয়ায় যন্ত্রপাতি আমদানি বিলম্বিত হচ্ছে। সম্প্রতি সরকার চিংড়িখাতে কর অবকাশ প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে। বিষয়গুলো নিয়ে জনাব জাহিদ খুব চিন্তিত। অথচ জনাব জাহিদ ২০১২ সালে একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান হতে সেরা রপ্তানিকারকের পুরস্কার পেয়েছিলেন। রপ্তানি উন্নয়নে ঐ প্রতিষ্ঠানের প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতেও তিনি অংশগ্রহণ করেছেন। [ঢা. বো. ১৭] অ ক. অঝঊঅঘ কী? ১ অ খ. ব্যবসায়ের সহায়ক সেবা বলতে কী বোঝ? ২ অ গ. জনাব জাহিদ কোন প্রতিষ্ঠান হতে সেরা রপ্তানিকারকের স্বীকৃতি পান? ব্যাখ্যা করো। ৩ অ ঘ. সমর্থনমূলক সহায়তার অভাবই জনাব জাহিদের দুশ্চিন্তার মূল কারণ  তুমি কি একমত? যুক্তি দাও। ৪ ২ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক অঝঊঅঘ-এর পূর্ণরূপ হচ্ছে অংংড়পরধঃরড়হ ড়ভ ঝড়ঁঃয ঊধংঃ অংরধহ ঘধঃরড়হং। আঞ্চলিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিভিন্ন বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা ও অবাধ বাণিজ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন রাষ্ট্র মিলে যে সংস্থা গড়ে তুলেছে তাকে আসিয়ান বলে। খ ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে গঠন ও পরিচালনায় সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের যে সেবার প্রয়োজন পড়ে তাকে সহায়ক সেবা বলে। ব্যবসায় স্থাপন ও পরিচালনা ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায় সফলভাবে টিকিয়ে রাখার জন্য উদ্যোক্তা বা ব্যবসায়ী সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন। এজন্য শুধু নিজের বুদ্ধিমত্তা বা সামর্থ্য দিয়ে সব কাজ করা সম্ভব নাও হতে পারে। এক্ষেত্রে অন্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাহায্য-সহযোগিতা নিতে হয়। আর অন্যের সাহায্য-সহযোগিতাই হলো ব্যবসায়ের সহায়ক সেবা। গ উদ্দীপকের জনাব জাহিদ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো প্রতিষ্ঠান হতে সেরা রপ্তানিকারকের স্বীকৃতি পান। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো দেশের রপ্তানি আয় বৃদ্ধি করে অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে কাজ করছে। এটি একটি আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। এটি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মেলায় অংশগ্রহণ করে উৎপাদিত পণ্যের আন্তর্জাতিক বাজার সৃষ্টি ও বৃদ্ধিতে কাজ করে থাকে। উদ্দীপকের জনাব জাহিদ একজন চিংড়ি রপ্তানিকারক। তিনি ২০১২ সালে একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান হতে সেরা রপ্তানিকারকের পুরস্কার পেয়েছিলেন। রপ্তানি উন্নয়নে ঐ প্রতিষ্ঠানের প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতেও তিনি অংশগ্রহণ করেছেন। প্রতিষ্ঠানটি দেশের রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করে। এটি দেশীয় রপ্তানিকারকদের সাথে বিদেশি ক্রেতাদের বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনে সহায়তা করে। রপ্তানি বাণিজ্যে অর্থ সংগ্রহেও উৎপাদক ও রপ্তানিকারকদের সহায়তা করে। এসব কার্যক্রম দেশের রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমে সম্পাদিত হয়। সুতরাং, উদ্দীপকে এ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো প্রতিষ্ঠান উলে­খ করা হয়েছে; যা জনাব জাহিদকে সেরা রপ্তানিকারকের স্বীকৃতি দিয়েছে। ঘ সমর্থনমূলক নয় বরং সংরক্ষণমূলক সহায়তার অভাবই জনাব জাহিদের দুশ্চিন্তার মূল কারণ বলে আমি মনে করি। উদ্যোক্তা ব্যবসায় গঠনে আগ্রহী হওয়ার পর তা বাস্তবে গঠন করার জন্য সমর্থনমূলক সহায়তার প্রয়োজন হয়। আর নবগঠিত ব্যবসায়কে টিকিয়ে রাখার জন্য সংরক্ষণমূলক সহায়তা প্রয়োজন হয়। কর অবকাশ, ভর্তুকি প্রদান সংরক্ষণমূলক সহায়তার আওতাভুক্ত। উদ্দীপকের চিংড়ি রপ্তানিকারক জনাব জাহিদ হিমায়িত চিংড়ি প্যাকেট করার জন্য উন্নত যন্ত্রপাতি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু এক্ষেত্রে সরকারি সহায়তা পর্যাপ্ত না থাকায় যন্ত্রপাতি আমদানি বিলম্বিত হচ্ছে। সম্প্রতি সরকার চিংড়ি খাতে কর অবকাশ প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে। সরকারের কর অবকাশ সুবিধা না পেলে জনাব জাহিদ তার গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে পারবেন না। এ কারণে তিনি চিন্তিত। একজন ব্যবসায়ী হিসেবে তিনি যখন ব্যবসায় শুরু করেছেন তখন সমর্থনমূলক সহায়তা পেয়েছেন। যার ফলে তিনি ব্যবসায়টিকে বাস্তবে গঠন করতে পেরেছিলেন। কিন্তু বর্তমানে তার ব্যবসায়কে সম্প্রসারণ কিংবা টিকিয়ে রাখার জন্য সংরক্ষণমূলক সহায়তার প্রয়োজন। তাই, সরকারি কর অবকাশ প্রত্যাহারের কারনেই তিনি দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। মমমপ্রশ্ন৩ জার্মানি, স্পেন ও ইতালি অর্থনৈতিকভাবে উন্নত তিনটি দেশ। একই

এইচএসসি ব্যবসায় উদ্যোগ নবম অধ্যায় ব্যবসায়ে সহায়ক সেবা সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর Read More »

Scroll to Top