নবম-দশম

নবম-দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় তৃতীয় অধ্যায় সৌরজগৎ ও ভূমন্ডল

তৃতীয় অধ্যায় সৌরজগৎ ও ভূমন্ডল অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সংক্ষেপে জেনে রাখি  সৌরজগৎ : সূর্য এবং এর গ্রহ, উপগ্রহ, গ্রহাণুপুঞ্জ, ধূমকেতু, উল্কা নিয়ে সূর্যের যে পরিবার তাকে বলা হয় সৌরজগৎ। সৌরজগতের প্রাণকেন্দ্র হলো সূর্য। সৌরজগতের ৮টি গ্রহ, ৪৯টি উপগ্রহ, হাজার হাজার গ্রহাণুপুঞ্জ ও লক্ষ লক্ষ ধূমকেতু রয়েছে।  সূর্য : সৌরজগতের সকল গ্রহ ও উপগ্রহের নিয়ন্ত্রক হলো সূর্য। সূর্য একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র।  গ্রহ : মহাকর্ষ বলের প্রভাবে মহাকাশে কতকগুলো জ্যোতিষ্ক সূর্যের চারদিকে নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট কক্ষপথে পরিক্রমণ করছে; এদের গ্রহ বলা হয়। সৌরজগতে গ্রহের সংখ্যা ৮টি। বুধ (গঁৎপঁৎু), শুক্র (ঠবহঁং), পৃথিবী (ঊধৎঃয), মঙ্গল (গধৎং), বৃহস্পতি (ঔঁঢ়রঃবৎ), শনি (ঝধঃঁৎহ), ইউরেনাস (টৎধহঁং), নেপচুন (ঘবঢ়ঃঁহব)।  গুরুমণ্ডল : অশ্মমণ্ডলের নিচে প্রায় ২,৮৮৫ কিলোমিটার পর্যন্ত মূলত ব্যাসল্ট শিলা দিয়ে গঠিত পুরুমণ্ডলকে গুরুমণ্ডল বলে।  কেন্দ্রমণ্ডল : গুরুমণ্ডলের নিচ থেকে পৃথিবীর কেন্দ্র পর্যন্ত মণ্ডলটিকে কেন্দ্রমণ্ডল বলে। এ স্তর প্রায় ৩,৪৮৬ কিলোমিটার পুরু।  অক্ষাংশ : পৃথিবীর কেন্দ্র দিয়ে উত্তর দক্ষিণে কল্পিত রেখাকে অক্ষ (অীরং) বা মেরুরেখা বলে। দুই মেরু থেকে সমান দূরত্বে পৃথিবীকে পূর্ব-পশ্চিমে বেষ্টন করে একটি রেখা কল্পনা করা হয়েছে। এ রেখাকে বলা হয় নিরক্ষরেখা বা বিষুবরেখা। নিরক্ষরেখা থেকে উত্তর বা দক্ষিণে অবস্থিত কোনো স্থানের কৌণিক দূরত্বকে সেই স্থানের অক্ষাংশ বলে। ২৩.৫ উত্তর অক্ষাংশকে বলা হয় কর্কটক্রান্তি। ২৩.৫ দক্ষিণ অক্ষাংশকে বলা হয় মকরক্রান্তি। বিষুবরেখাকে বলা হয় মহাবৃত্ত।  দ্রাঘিমারেখা : নিরক্ষরেখাকে ডিগ্রি, মিনিট ও সেকেন্ডে ভাগ করে প্রত্যেক ভাগ বিন্দুর ওপর দিয়ে উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরু পর্যন্ত যে রেখাগুলো কল্পনা করা হয়েছে তাকে দ্রাঘিমারেখা বলে। দ্রাঘিমারেখাকে মধ্যরেখাও বলা হয়।  মূল মধ্যরেখা : যুক্তরাজ্যের লন্ডন শহরের উপকণ্ঠে গ্রিনিচ মান মন্দিরের ওপর দিয়ে উত্তর মেরু ও দক্ষিণ মেরু পর্যন্ত বিস্তৃত যে মধ্যরেখা অতিক্রম করেছে তাকে মূল মধ্যরেখা বলে। এই রেখার মান ০ ধরা হয়েছে।  সমাক্ষরেখা : পৃথিবীর বৃত্তের কেন্দ্রে উৎপন্ন কোণ ৩৬০। এই কোণকে ডিগ্রী (), মিনিট () ও সেকেন্ডে () বিভক্ত করা হয়। নিরক্ষরেখা থেকে প্রত্যেক মেরুর কৌণিক দূরত্ব ৯০। এই কোণকে ডিগ্রী ও মিনিটে ভাগ করে নিরক্ষরেখার সমান্তরাল যে রেখা কল্পনা করা হয় তাকে সমাক্ষরেখা বলে।  স্থানীয় সময় : পৃথিবীর আবর্তনের ফলে কোনো স্থানে সূর্য যখন ঠিক মাথার উপর আসে বা সর্বোচ্চে অবস্থান করে তখন ঐ স্থানে মধ্যা‎‎হ্ন এবং ঐ স্থানের ঘড়িতে তখন দুপুর ১২টা ধরা হয়। এ মধ্যা‎‎হ্ন সময় থেকে দিনের অন্যান্য সময় স্থির করা হয়। একে ঐ স্থানের স্থানীয় সময় বলা হয়।  প্রমাণ সময় : প্রত্যেক দেশেই সেই দেশের মধ্যভাগের কোনো স্থানের দ্রাঘিমারেখা অনুযায়ী যে সময় নির্ণয় করা হয় সে সময়কে ঐ দেশের প্রমাণ সময় বলে।  প্রতিপাদ স্থান : ভ‚পৃষ্ঠের ওপর অবস্থিত কোনো বিন্দুর ঠিক বিপরীত বিন্দুকে সেই বিন্দুর প্রতিপাদ স্থান বলে।  আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা : জলভাগের ওপর মানচিত্রে ১৮০ দ্রাঘিমারেখাকে অবলম্বন করে একটি রেখা কল্পনা করা হয়েছে। এটিই আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা।  আ‎িহ্নক গতি : পৃথিবীর একটি পূর্ণ আবর্তনের সময়কে সৌরদিন বলে। নিরক্ষরেখায় পৃথিবীর আ‎িহ্নক গতির বেগ সবচেয়ে বেশি। এখানে পৃথিবীর আ‎ি‎হ্নক গতি ঘণ্টায় ১,৬১০ কিলোমিটারেরও বেশি। পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণ মেরুতে এ গতিবেগ শূন্যের কাছাকাছি।  বার্ষিক গতি : পৃথিবী সৌরজগতের অন্যতম গ্রহ বলে পৃথিবীও প্রতিনিয়ত উপবৃত্তাকার পথে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে। পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে পৃথিবীর এ পরিভ্রমণকে পরিক্রমণ গতি বা বার্ষিক গতি বলে।  জোয়ার-ভাটার কারণ : প্রধানত দুটি কারণে জোয়ার-ভাটার সৃষ্টি হয় যথা : ১. চাঁদ ও সূর্যের মহাকর্ষ শক্তির প্রভাব। ২. পৃথিবীর আবর্তনের ফলে উৎপন্ন কেন্দ্রাতিগ শক্তি।  জোয়ার-ভাটার প্রভাব : মানবজীবনে জোয়ার-ভাটার অনেক প্রভাব দেখা যায়। জোয়ার-ভাটার প্রভাবে নদীর মোহনা পরিষ্কার থাকে, জলবিদ্যুৎ উৎপন্ন করা যায়, ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধা হয় ইত্যাদি।  বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর  ১. ইউরেনাসের উপগ্রহ কোনটি? ক ক্যাপিটাস  এরিয়েল গ নেরাইড ঘ গ্যানিমেড ২. শনির বায়ুমণ্ডলে কোন গ্যাসগুলোর মিশ্রণ রয়েছে? ক নাইট্রোজেন ও হিলিয়াম  হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম গ কার্বন ডাই অক্সাইড ও হিলিয়াম ঘ অক্সিজেন ও হিলিয়াম ৩. পৃথিবী উপবৃত্তাকার পথে পরিক্রমণ করার কারণেÑ র. বিভিন্ন ঋতুর আবির্ভাব হয় রর. মাধ্যাকর্ষণ শক্তির হ্রাস বৃদ্ধি ঘটে ররর. দিন-রাত্রির দৈর্ঘ্যরে তারতম্য ঘটে নিচের কোনটি সঠিক? ক র খ র ও রর  র ও ররর ঘ রর ও ররর নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৪ ও ৫ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও। অর্পিতা প্রতিদিন খুব ভোরে পড়তে বসে। একদিন সে লক্ষ করে, পূর্বদিকের আকাশে ভোরবেলাতেও একটি তারা দেখা যাচ্ছে। অর্পিতা বুঝতে পারে যে সে একটি গ্রহ দেখেছে। ৪. অর্পিতার দেখা গ্রহটির নাম কী?  শুক্র খ শনি গ মঙ্গল ঘ নেপচুন ৫. পৃথিবীর সাথে উক্ত গ্রহের কোন বৈসাদৃশ্য পরিলক্ষিত হবে?  গ্রহটির উপগ্রহ নেই খ গ্রহটিতে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে থাকে গ গ্রহটির চারদিকে বলয় আছে ঘ গ্রহটি নীলাভ বর্ণের  জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর  প্রশ্ন \ ১ \ কোনটি একটি উজ্জ¦ল নক্ষত্র? উত্তর : সূর্য একটি উজ্জ¦ল নক্ষত্র। প্রশ্ন \ ২ \ সূর্য পৃথিবী অপেক্ষা কত লক্ষ গুণ বড়? উত্তর : সূর্য পৃথিবী অপেক্ষা ১৩ লক্ষ গুণ বড়। প্রশ্ন \ ৩ \ সূর্য কত দিনে নিজ অক্ষের উপর একবার আবর্তন করে? উত্তর : সূর্য ২৫ দিনে নিজ অক্ষের উপর একবার আবর্তন করে। প্রশ্ন \ ৪ \ কোনটি সৌরজগতের ক্ষুদ্রতম গ্রহ? উত্তর : বুধ সৌরজগতের ক্ষুদ্রতম গ্রহ। প্রশ্ন \ ৫ \ সূর্যের চারদিকে পরিক্রমণ করতে বুধের কত দিন সময় লাগে? উত্তর : সূর্যের চারদিকে পরিক্রমণ করতে বুধের ৮৮ দিন সময় লাগে। প্রশ্ন \ ৬ \ পৃথিবীর আয়তন কত বর্গকিলোমিটার? উত্তর : পৃথিবীর আয়তন ৫১০,১০০,৪২২ বর্গকিলোমিটার। প্রশ্ন \ ৭ \ সূর্য থেকে পৃথিবীর গড় দূরত্ব কত? উত্তর : সূর্য থেকে পৃথিবীর গড় দূরত্ব ১৫ কোটি কিলোমিটার। প্রশ্ন \ ৮ \ ইউরেনাসের কয়টি উপগ্রহ আছে? উত্তর : ইউরেনাসের ৫টি উপগ্রহ আছে । প্রশ্ন \ ৯ \ শনি গ্রহ পৃথিবী থেকে কত গুণ বড়? উত্তর : শনি গ্রহ পৃথিবী থেকে নয় গুণ বড়। প্রশ্ন \ ১০ \ মঙ্গল গ্রহের কয়টি উপগ্রহ আছে? উত্তর : মঙ্গল গ্রহের ২টি উপগ্রহ আছে । প্রশ্ন \ ১১ \ পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ কোনটি? উত্তর : পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চন্দ্র। প্রশ্ন \ ১২ \ নেপচুনের উপগ্রহ কয়টি? উত্তর : নেপচুনের উপগ্রহ দুইটি। অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর  প্রশ্ন \ ১ \ গ্রহ কী? ব্যাখ্যা কর। উত্তর : মহাকর্ষ বলের প্রভাবে মহাকাশে কতকগুলো জ্যোতিষ্ক সূর্যের চারদিকে নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট কক্ষপথে পরিক্রমণ করছে; এদের গ্রহ বলা হয়। যথা : বুধ (গঁৎপঁৎু), শুক্র (ঠবহঁং), পৃথিবী (ঊধৎঃয), মঙ্গল (গধৎং), বৃহস্পতি (ঔঁঢ়রঃবৎ), শনি (ঝধঃঁৎহ), ইউরেনাস (টৎধহঁং), নেপচুন (ঘবঢ়ঃঁহব)। গ্রহগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় গ্রহ হচ্ছে বৃহস্পতি এবং সবচেয়ে ছোট গ্রহ বুধ। প্রশ্ন \ ২ \ বৃহস্পতি গ্রহ সম্পর্কে বর্ণনা কর। উত্তর : সৌরজগতের সর্ববৃহৎ গ্রহ বৃহস্পতি। সূর্য থেকে বৃহস্পতি গ্রহের অবস্থান পঞ্চম স্থানে।

নবম-দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় তৃতীয় অধ্যায় সৌরজগৎ ও ভূমন্ডল Read More »

নবম – দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় দ্বিতীয় অধ্যায় স্বাধীন বাংলাদেশ

দ্বিতীয় অধ্যায় স্বাধীন বাংলাদেশ অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সংক্ষেপে জেনে রাখি  বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ : ১৯৭০ সালের নির্বাচনে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে পাকিস্তানের সামরিক সরকার ক্ষমতা হস্তান্তর না করায়, পাকিস্তানের রাজনৈতিক অঙ্গনে এক অস্থিরতার সৃষ্টি হয়। সারা দেশব্যাপী নানারকম উদ্বেগ, উত্তেজনার মধ্যে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ছিল জাতির জন্য সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা।  ২৫ মার্চের গণহত্যা : ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে বাঙালির তথা পৃথিবীর ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়ের সূচনা হয়। সে সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনী পূর্ব পাকিস্তানের নিরস্ত্র, নিরীহ, স্বাধীনতাকামী সাধারণ জনগণের ওপর হামলা করে এবং নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালায়। পাকিস্তান তাদের এ অভিযানের নাম দেয় ‘অপারেশন সার্চ লাইট’।  স্বাধীনতার ঘোষণা ও স্বাধীনতা দিবস : গ্রেফতার হওয়ার পূর্বমুহূর্তে ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে (২৫ মার্চ রাত ১২টার পর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। এজন্যই ২৬ মার্চ আমাদের মহান স্বাধীনতা দিবস।  ১৯৭১ এ বাংলাদেশ সরকার (মুজিবনগর সরকার) : ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী গণহত্যা শুরু করলে প্রাথমিকভাবে পূর্ব প্রস্তুতি ও সাংগঠনিক তৎপরতা ছাড়াই পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। মুক্তিযুদ্ধ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য ১০ এপ্রিল গঠিত হয় বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার। এ সরকার শপথ গ্রহণ করে ১৭ এপ্রিল মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথ তলায়। ১৯৭০-৭১ সালের নির্বাচনে বিজয়ী জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য দ্বারা মুজিবনগর সরকার গঠন করা হয়।  মুক্তিযুদ্ধে বিভিন্ন শ্রেণি পেশাজীবী মানুষের ভ‚মিকা : দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক আন্দোলন-সংগ্রামের ফসল মহান মুক্তিযুদ্ধ। তাই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিপক্ষে কিছু মতদ্বৈধতা বা বিরোধ থাকলেও ২৬ মার্চ থেকেই পাকবাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসরদের অত্যাচার, নির্যাতন, হত্যা এদেশের জনগণকে আরও বেশি ঐক্যবদ্ধ করেছে। স্বতঃস্ফ‚র্তভাবে ছাত্র, কৃষক, শ্রমিক, নারী, শিক্ষক, কবি, সাংবাদিক, চিকিৎসক, শিল্পীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ মুক্তির সংগ্রামে শামিল হয়।  স্বাধীনতা অর্জনে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের অবদান : বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের অবদান অপরিসীম। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবর্গ বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। নানা অত্যাচার-নিপীড়ন সহ্য করেছেন। রাজনীতিবিদগণ স্বাধীনতা সংগ্রামের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত জীবনবাজি রেখে রাজনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে গেছেন। আর বলা বাহুল্য, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল নেতৃত্বে ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার সারা জীবনের কর্মকাণ্ড, আন্দোলন-সংগ্রাম নির্দেশিত হয়েছে বাঙালির জাতীয় মুক্তির লক্ষ্যে।  মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বজনমত ও বিভিন্ন দেশের ভ‚মিকা : ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নারকীয় তাণ্ডব বিশ্ব বিবেককে নাড়া দেয়। পাকিস্তানবাহিনী ও স্বাধীনতাবিরোধী এদেশীয় দোসরদের দ্বারা সংঘটিত লুটতরাজ, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ, হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে বিশ্ব বিবেক জাগ্রত হয়। বিভিন্ন দেশ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় এবং মুক্তিযুদ্ধের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করে।  জাতিসংঘের ভ‚মিকা : বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা করা জাতিসংঘের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। বাংলাদেশের নির্বাচিত গণপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা না দিয়ে সামরিক শাসক ইয়াহিয়া খান যখন বাঙালি নিধনে তৎপর, তখন জাতিসংঘ বলতে গেলে নীরব দর্শকের ভ‚মিকা পালন করে। নারকীয় হত্যাযজ্ঞ, মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি। প্রকৃতপক্ষে ‘ভেটো’ ক্ষমতাসম্পন্ন পাঁচটি বৃহৎ শক্তিধর রাষ্ট্রের বাইরে জাতিসংঘের নিজস্ব উদ্যোগে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করার ক্ষমতাও ছিল সীমিত।  সংবিধান প্রণয়ন ১৯৭২ : সংবিধান একটি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ দলিল। এই দলিল লিখিত বা অলিখিত হতে পারে। বাংলাদেশের সংবিধান একটি লিখিত দলিল। দীর্ঘ সংগ্রাম, ত্যাগ আর রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশের জনগণ এই সংবিধান লাভ করে। মাত্র নয় মাসে সদিচ্ছা, আন্তরিকতা আর জনগণের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রæতির প্রতি সৎ থেকে সংক্ষিপ্ততম সময়ে বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংবিধান প্রণীত হয়েছে বঙ্গবন্ধুর সরকারের নেতৃত্বে।  বৈদেশিক সম্পর্ক : তৃতীয় বিশ্বের সদ্য স্বাধীন একটি রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অস্তিত্ব ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পররাষ্ট্রনীতির ভ‚মিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নবীন রাষ্ট্রটির পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারকের ভ‚মিকায় ছিলেন স্বয়ং বঙ্গবন্ধু। তিনি সব সময় স্বাধীন ও জোটনিরপেক্ষ পররাষ্ট্রনীতির কথা বলেছেন। ১৯৭২ সালের সংবিধানে পররাষ্ট্রনীতির রূপরেখায় বঙ্গবন্ধুর চিন্তা-ভাবনার প্রতিফলন লক্ষ করা যায়। পররাষ্ট্রনীতির মূল কথা হলো, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এবং সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রæতা নয়।  ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ড : ১৫ আগস্ট, ১৯৭৫ বাংলাদেশের ইতিহাসে কলঙ্কময় একটি দিন। ঘাতকরা এই দিন জাতির পিতা ও তার পরিবারের সদস্যদের নৃশংসভাবে হত্যা করে। বর্বর হত্যাযজ্ঞে মেতে ওঠা খুনিরা ছিল সেনাবাহিনীর বিপথগামী কিছু সদস্য। পর্দার অন্তরালে ছিল সামরিক ও বেসামরিক ষড়যন্ত্রকারীরা।  খোন্দকার মোশতাক : ইতিহাসের কলঙ্কজনক অধ্যায় : ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী খোন্দকার মোশতাক আহমদ রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে নেন। প্রায় তিন মাসের মতো ক্ষমতায় ছিলেন মোশতাক। দীর্ঘদিন বঙ্গবন্ধুর সাথে রাজনীতিও করেছেন। বঙ্গবন্ধুর আস্থা ও বিশ্বাসভাজনদের অন্যতম ছিলেন মোশতাক। তিনিই বঙ্গবন্ধুর সাথে জঘন্য বিশ্বাসঘাতকতা করলেন। তিনি এদেশের ইতিহাসে জন্ম দিয়েছেন কলঙ্কিত অধ্যায়।  জিয়াউর রহমানের শাসনামল : জিয়াউর রহমান তার শাসনকালে নিজ ক্ষমতা সংহতকরণে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেন। সেনাবাহিনীতে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা পূর্বক তিনি বিচারপতি সায়েমের কাছ থেকে বলপূর্বক ক্ষমতা দখল করে ২৩ এপ্রিল। ১৯৭৭ সালে সামরিক ফরমান জারি করে বাহাত্তরের সংবিধানের আমূল পরিবর্তন করেন। ১৯৭৬ সালের ২৮ জুলাই ‘রাজনৈতিক দলবিধি’ জারি করে ঘরোয়া রাজনীতি চালু করেন। নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করে তিনি ক্ষমতাকে গণতান্ত্রিক ধারায় সুসংহত ও বৈধ করার প্রয়াস পান। ১৯৭৭ সালের ৩০ এপ্রিল তিনি ১৯ দফা নীতি ও উন্নয়ন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। বস্তুত এভাবে তিনি বেশ জনপ্রিয়ও হয়ে ওঠেন।  সামরিক অভ্যুত্থান : জেনারেল এরশাদের সরকার : লে: জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ১৯৮২ সালে ক্ষমতা দখল করে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ শাসন করেন। ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক আর ১৯৮৩ সালের ১১ ডিসেম্বর থেকে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছিলেন রাষ্ট্রপতি।  নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থান ও এরশাদের পতন : দীর্ঘ নয় বছরের প্রায় পুরো সময়টাই জনগণ জেনারেল এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন। ধারাবাহিক আন্দোলনের পথ ধরে ১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির পাশে পুলিশের গুলিতে ডা: শামসুল আলম খান মিলন নিহত হলে এরশাদবিরোধী আন্দোলন গণ-অভ্যুত্থানের রূপ ধারণ করে। ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর বিচারপতি শাহাবুদ্দীন আহমদ এর কাছে এরশাদ ক্ষমতা হস্তান্তরে বাধ্য হন। ছাত্র-জনতার এই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এরশাদের পতনের ফলে দীর্ঘ স্বৈরশাসনের অবসান ঘটে।  বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর  ১. মুজিবনগর সরকারের ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী কে ছিলেন? ক এম. মনসুর আলী খ তাজউদ্দিন আহমেদ গ খন্দকার মোশতাক আহমেদ  এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান ২. মুক্তিযুদ্ধের প্রতি বিশ্ব জনমত গঠনের জন্য সরকার ও রাজনৈতিক নেতৃত্বÑ র. স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র পরিচালনা করেন রর. গেরিলা যোদ্ধাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন ররর. বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে বক্তব্য রাখেন নিচের কোনটি সঠিক?  র ও রর খ রর ও ররর গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও : বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনের কার্যক্রম শুরু হয়। এই পুনর্গঠনের পদক্ষেপ হিসেবে বঙ্গবন্ধু সরকার ১৯৭২ সাল পর্যন্ত বকেয়া সুদসহ কৃষি জমির খাজনা মওকুফ করে দেন। পরবর্তী সময়ে তিনি ‘দ্বিতীয় বিপ্লব’ ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন। ৩. অনুচ্ছেদের আলোকে বঙ্গবন্ধুর গৃহীত

নবম – দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় দ্বিতীয় অধ্যায় স্বাধীন বাংলাদেশ Read More »

নবম – দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় প্রথম অধ্যায় পূর্ব বাংলার আন্দোলন ও জাতীয়তাবাদের উত্থান (১৯৪৭- ১৯৭০)

প্রথম অধ্যায় পূর্ব বাংলার আন্দোলন ও জাতীয়তাবাদের উত্থান (১৯৪৭- ১৯৭০) অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সংক্ষেপে জেনে রাখি  ভাষা আন্দোলন : ভাষা আন্দোলন ছিল বাঙালির সাংস্কৃতিক স্বাধিকার আন্দোলন। পরবর্তীকালে এই আন্দোলন অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক আন্দোলনের জন্ম দেয়। বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনা বিকাশের প্রথম পদক্ষেপ ছিল এই আন্দোলন।  শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের গুরুত্ব : ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দের ভাষা আন্দোলনের পরের বছর থেকে প্রতিবছর ২১ ফেব্রæয়ারি দিনটি বাঙালির শহিদ দিবস হিসেবে উদ্যাপিত হয়ে আসছে। ২১-এর প্রভাতফেরি ও প্রভাতফেরির গান বাঙালি সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গে পরিণত হয়েছে। ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দের ২১ ফেব্রæয়ারি বাঙালি জাতি রক্তের বিনিময়ে মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষা করেছিল। বিশ্বের ইতিহাসে অনন্যসাধারণ ঘটনা হিসেবে আমাদের ভাষা ও শহিদ দিবস আজ আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়ের স্বীকৃতি লাভ করেছে।  ১৯৫৬ খ্রিষ্টাব্দের সংবিধান : সংবিধান একটি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন। সংবিধানের মাধ্যমে একটি রাষ্ট্রের শাসনকার্য পরিচালিত হয়। ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম নেওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন পর্যায়ে দ্রæত সংবিধান রচনার দাবি ওঠে। কিন্তু শাসকগোষ্ঠীর অনিচ্ছায় নতুন রাষ্ট্র পাকিস্তান ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দের ভারত স্বাধীনতা আইন দ্বারা পরিচালিত হতে থাকে। বহু ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে ১৯৫৬ খ্রিষ্টাব্দে সংবিধান প্রণীত হলেও তা মাত্র দুই বছর স্থায়ী ছিল। ১৯৫৮ খ্রিষ্টাব্দে আইয়ুব খান সামরিক শাসন জারি করলে পাকিস্তানে সাংবিধানিক শাসনের অবসান ঘটে।  ১৯৫৮ খ্রিষ্টাব্দের সামরিক শাসন ও আইয়ুব খানের মৌলিক গণতন্ত্র : ১৯৫৮ খ্রিষ্টাব্দের ৭ অক্টোবর প্রেসিডেন্ট ইস্কান্দার মির্জা মালিক ফিরোজ খানের সংসদীয় সরকার উৎখাত করে দেশে সামরিক শাসন জারি করেন। এর কিছু দিনের মধ্যে ২৭ অক্টোবর প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক জেনারেল আইয়ুব খান ইস্কান্দার মির্জাকে অপসারণ করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে এবং শাসন ও রাজনৈতিক কাঠামোর আমূল পরিবর্তন করার উদ্যোগ নেন। তিনি এক অদ্ভুত ও নতুন নির্বাচন কাঠামো প্রবর্তন করেন। তার এই নির্বাচনের মূলভিত্তি ছিল ‘মৌলিক গণতন্ত্র’। মৌলিক গণতন্ত্র হচ্ছে এক ধরনের সীমিত গণতন্ত্র। ১৯৫৯ খ্রিষ্টাব্দে মৌলিক গণতন্ত্র আদেশ জারি করা হয়।  পূর্ব পাকিস্তানের প্রতি বৈষম্য : ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দের লাহোর প্রস্তাব অনুসারে পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম হয়। কিন্তু লাহোর প্রস্তাবের মূলনীতি অনুযায়ী পূর্ব বাংলা পৃথক রাষ্ট্রের মর্যাদা পায়নি। দীর্ঘ ২৪ বছর পূর্ব বাংলাকে স্বায়ত্তশাসনের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হয়েছে। এ সময় পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকেরা রাজনৈতিক, প্রশাসনিক, সামরিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে পূর্ব পাকিস্তানের প্রতি বৈষম্য ও নিপীড়নমূলক নীতি অনুসরণ করে। এরই প্রতিবাদে পূর্ব পাকিস্তান তথা বাংলায় স্বাধিকার ও স্বাধীনতা আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটে।  ৬ দফা ও বাঙালি জাতীয়তাবাদ : পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শাসন ও শোষণ থেকে মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ খ্রিষ্টাব্দে ৬ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন। বঙ্গবন্ধুর উদ্দেশ্য ছিল, ৬ দফা দাবি আদায়ের মাধ্যমে পূর্ব পাকিস্তানকে বৈষম্যের হাত থেকে রক্ষা করা। মূলত ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ অবসানের পর পূর্ব পাকিস্তানের নিরাপত্তার প্রতি পশ্চিম পাকিস্তানি সরকারের চরম অবহেলা, পাশাপাশি রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, প্রশাসনিক, সামরিক, শিক্ষা প্রভৃতি ক্ষেত্রে পূর্ব পাকিস্তানের প্রতি সীমাহীন বৈষম্যের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু সোচ্চার হন। ৬ দফা কর্মসূচি ছিল বাঙালি জাতীয়তাবাদের চ‚ড়ান্ত প্রকাশ। এটি ছিল বাঙালির আশা-আকাক্সক্ষার প্রতীক বা মুক্তির সনদ।  ঐতিহাসিক আগরতলা মামলা : আগরতলা মামলাটি দায়ের করা হয় ১৯৬৮ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারি মাসে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের অভিযোগ ছিল বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলাতে ভারতীয় সরকারি কর্মকর্তাদের গোপন বৈঠক হয়। সেখানে ভারতের সহায়তায় সশস্ত্র আন্দোলনের মাধ্যমে পূর্ব পাকিস্তানকে স্বাধীন করার পরিকল্পনা করা হয়। এজন্য মামলাটির নাম হয় ‘আগরতলা মামলা’। সরকারি নথিতে মামলার নাম হলো ‘রাষ্ট্র’ বনাম শেখ মুজিবুর রহমান এবং অন্যান্য।  ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দের গণ-অভ্যুত্থানের তাৎপর্য : ঐতিহাসিক আগরতলা মামলা থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তির পর ঊনসত্তরের গণ-আন্দোলন নতুন রূপ লাভ করে। ২৩ ফেব্রæয়ারির সংবর্ধনা সভায় বঙ্গবন্ধু ১১ দফা দাবির প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেন এবং ৬ দফা ও ১১ দফা বাস্তবায়নে বলিষ্ঠ প্রতিশ্রæতি দেন। ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানে গ্রাম ও শহরের কৃষক ও শ্রমিকদের মাঝে শ্রেণি চেতনার উন্মেষ ঘটে। পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের মধ্যে স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের আকাক্সক্ষা বৃদ্ধি পায়। বাঙালি জাতীয়তাবাদ পরিপূর্ণতা লাভ করে, যাতে বলীয়ান হয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামে বাঙালি ঝাঁপিয়ে পড়ে।  ’৭০ এর নির্বাচনের গুরুত্ব : বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পেছনে ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দের নির্বাচনের গুরুত্ব অনেক। ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দের নির্বাচনের পর এটিই ছিল সবচেয়ে বেশি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দের পর থেকে বাঙালি জাতি ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি সর্বক্ষেত্রে যে স্বাতন্ত্র্য দাবি করে আসছিল, ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দের নির্বাচনে বাঙালির সে স্বাতন্ত্র্যবাদের বিজয় ঘটে। বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর  ১. ভাষা আন্দোলন পূর্ববাংলায় কোন ভাবাদর্শ ছড়িয়ে দেয়?  বাঙালি জাতীয়তাবাদ খ অসা¤প্রদায়িক মনোভাব গ দ্বিজাতিতত্ত¡ ঘ স্ব-জাত্যবোধ নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ২ ও ৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও। রিফাত প্রতিবছর ২১ ফেব্র“য়ারিতে ঘরে বসে টিভির পর্দায় কার্টুন ছবি দেখে। কিন্তু সে এ বছর ২১ ফেব্র“য়ারিতে প্রভাতফেরিতে অংশ নিতে স্কুলে আসে এবং প্রতিজ্ঞা করে যে, সে প্রতিবছর শহিদ মিনারে ফুল দেবে এবং ইংরেজি অক্ষরে আর বাংলা লিখবে না। ২. প্রতিবছর শহিদ মিনারে ফুলদানের প্রতিজ্ঞা, রিফাতের আচরণে প্রকাশ পেয়েছেÑ র. ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা রর. বাহবা পাবার প্রত্যাশা ররর. শহিদদের স্মৃতি হৃদয়ে লালন করা নিচের কোনটি সঠিক? ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর ৩. রিফাতের এই মানসিক পরিবর্তনের মূলে যে মূল্যবোধ প্রতিফলিত হয়েছে, তা হলোÑ ক বাঙালি জাতীয়তাবাদের প্রতি শ্রদ্ধা খ অনুকরণ করার মানসিকতা  নিজ ভাষার প্রতি মমত্ববোধ ঘ ইংরেজি ভাষা লেখার প্রতি অনিহা জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর  প্রশ্ন \ ১ \ ভারতবর্ষে ব্রিটিশ শাসনের অবসান হয় কত সালে? উত্তর : ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষে ব্রিটিশ শাসনের অবসান হয় । প্রশ্ন \ ২ \ কার নেতৃত্বে ‘তমদ্দুন মজলিস’ গঠিত হয়? উত্তর : আবুল কাশেমের নেতৃত্বে ‘তমদ্দুন মজলিস’ গঠিত হয় । প্রশ্ন \ ৩ \ তমদ্দুন মজলিস কবে গঠিত হয়? উত্তর : ১৯৪৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর তমদ্দুন মজলিস গঠিত হয় । প্রশ্ন \ ৪ \ সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয় কবে? উত্তর : ১৯৪৮ সালের ২ মার্চ সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয় । প্রশ্ন \ ৫ \ কত তারিখে পূর্ববাংলায় সাধারণ ধর্মঘট পালিত হয়? উত্তর : ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ পূর্ববাংলায় সাধারণ ধর্মঘট পালিত হয়। প্রশ্ন \ ৬ \ কত সালে বাংলা ভাষা পাকিস্তানের সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হয়? উত্তর : ১৯৫৬ সালে বাংলা ভাষা পাকিস্তানের সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হয় । প্রশ্ন \ ৭ \ ইউনেস্কো কত সালে ২১ ফেব্র“য়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ ঘোষণা দেয়? উত্তর : ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কো ২১ ফেব্র“য়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ ঘোষণা দেয় । প্রশ্ন \ ৮ \ প্রথম শহিদ মিনার উদ্বোধন করেন কে? উত্তর : \ প্রথম শহিদ মিনার উদ্বোধন করেন শফিউরের পিতা । প্রশ্ন \ ৯ \ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার এক নম্বর আসামি কে ছিলেন? উত্তর : আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার এক নম্বর আসামি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। প্রশ্ন \ ১০ \ ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ কত দিন অব্যাহত

নবম – দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় প্রথম অধ্যায় পূর্ব বাংলার আন্দোলন ও জাতীয়তাবাদের উত্থান (১৯৪৭- ১৯৭০) Read More »

নবম-দশম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান তৃতীয় অধ্যায় হৃদযন্ত্রের যত কথা

এসএসসি সাধারণ বিজ্ঞান তৃতীয় অধ্যায় হৃদযন্ত্রের যত কথা পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি রক্ত : রক্ত একটি ক্ষারধর্মী তরল জটিল টিস্যু। হিমোগেøাবিনের উপস্থিতির জন্য রক্ত লাল হয়। হিমোগেøাবিন অক্সি হিমোগেøাবিন হিসেবে রক্তে অক্সিজেন পরিবহন করে।  রক্তের উপাদান : রক্তের প্রধান উপাদানগুলো হলো- রক্তরস বা প্লাজমা এবং রক্তকণিকা। রক্তের ৫৫% রক্তরস এবং বাকি ৪৫% রক্তকণিকা। রক্তকণিকাগুলো প্রধানত তিন রকমের। যথা : লোহিত রক্তকণিকা, শ্বেত রক্তকণিকা এবং অণুচক্রিকা।  রক্তকণিকার কাজ : র. লোহিত কণিকার প্রধান কাজ হলো দেহের প্রতিটি কোষে অক্সিজেন সরবরাহ করা। রর. শ্বেতকণিকার প্রধান কাজ হলো ফ্যাগোসাইটোসিস প্রক্রিয়ায় জীবাণু ধ্বংস করা। ররর. অণুচক্রিকার প্রধান কাজ হলো রক্ত তঞ্চন করতে সাহায্য করা।  রক্তের কাজ : র. শ্বাসকার্য : রক্ত অক্সিজেনকে ফুসফুস থেকে টিস্যু কোষে এবং টিস্যু কোষ থেকে কার্বন ডাইঅক্সাইডকে ফুসফুসে পরিবহন করে। লোহিত কণিকা ও রক্তরস প্রধানত এ কাজটি করে। রর. হরমোন পরিবহন : অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হরমোন দেহের বিভিন্ন অংশে পরিবহন করে। ররর. খাদ্যসার পরিবহন : দেহের সঞ্চয় ভাণ্ডার থেকে এবং পরিপাককৃত খাদ্যসার দেহের টিস্যু কোষগুলোতে বহন করে। রা. বর্জ্য পরিবহন : নাইট্রোজেনঘটিত বর্জ্য পদার্থগুলোকে বৃক্কে পরিবহন করে। া. উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণ : দেহে তাপের বিস্তৃতি ঘটিয়ে দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ার. রোগ প্রতিরোধ : দেহে রোগজীবাণু প্রবেশ করলে মনোসাইট ও নিউট্রোফিল শ্বেত কণিকা ফ্যাগোসাইটোসিস পদ্ধতিতে জীবাণুকে গ্রাস করে ধ্বংস করে। লিম্ফোসাইট শ্বেত কণিকা অ্যান্টিবডি গঠন করে দেহের ভেতরের জীবাণুকে ধ্বংস করে এবং বাইরের থেকে জীবাণু দ্বারা আক্রমণ প্রতিহত করে।  রক্তের গ্রæপের বৈশিষ্ট্য : অ্যান্টিজেনের উপস্থিতির ভিত্তিতে রক্তের শ্রেণিবিন্যাসকে রক্তের গ্রæপ বলে। অ্যান্টিজেন অ ও ই এই দুই ধরনের হয়। যে মানুষের রক্তকোষে অ অ্যান্টিজেন থাকে তাকে গ্রæপ অ, যে মানুষের রক্তকোষে ই অ্যান্টিজেন থাকে তাকে গ্রæপ ই, যে মানুষের রক্তে অ ও ই উভয় অ্যান্টিজেন থাকে তাকে অই গ্রæপ এবং যার মধ্যে অ ও ই অ্যান্টিজেনের কোনোটিই থাকে না, তাকে গ্রæপ ঙ বলে আখ্যায়িত করা হয়।  নিচে অ, ই, ঙ ও অই রক্ত গ্রæপের সম্পর্ক এবং রক্তদাতা ও গ্রহীতার সম্পর্ক দেখানো হলো : রক্তের গ্রæপ লোহিত কণিকায় অ্যান্টিজেন রক্তরসে অ্যান্টিবডি যে গ্রæপকে রক্ত দিতে পারবে যে গ্রæপের রক্ত গ্রহণ করতে পারবে অ অ ধহঃর-ই অ ও অই অ ও ঙ ই ই ধহঃর-অ ই ও অই ই ও ঙ অই অ, ই কোনো অ্যান্টিবডি নেই অই অ, ই, অই ও ঙ ঙ কোনো অ্যান্টিজেন নেই ধহঃর-ই, ধহঃর-অ উভয় আছে অ, ই, অই ও ঙ ঙ  রক্ত গ্রহণে প্রয়োজনীয় সতর্কতা : এক ব্যক্তির দেহ থেকে রক্ত অন্য ব্যক্তির দেহে প্রদান করতে হলে উভয় ব্যক্তির রক্ত সমবিভাগের হতে হয়। সমবিভাগের না হলে ভিন্ন গ্রæপের রক্ত গ্রহিতার রক্তকে জমাট বাঁধিয়ে প্রাণহানির কারণ হতে পারে। মাদকসেবী, জটিল রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে।  জয ফ্যাক্টর : জয ফ্যাক্টর রেসাস (জযবংঁং) নামক বানরের সাথে রক্তকণিকায় অবস্থিত এক ধরনের অ্যাগøুটিনোজেন। জয ফ্যাক্টরের গুরুত্ব : সন্তানসম্ভবা মহিলাদের ক্ষেত্রে জয ফ্যাক্টর খুব গুরুত্বপূর্ণ। একজন জয (জয নেগেটিভ) মহিলার সঙ্গে জয+ (জয পজেটিভ) পুরুষের বিয়ে হলে তাদের প্রথম সন্তান হবে জয+, কারণ জয+ একটি প্রকট বৈশিষ্ট্য। ভ্রƒণ অবস্থায় সন্তানের জয+ ফ্যাক্টরযুক্ত লোহিত কণিকা অমরার মাধ্যমে রক্তে এসে পৌঁছাবে। ফলে মায়ের রক্ত জয হওয়ায় তার রক্তরসে অ্যান্টি জয ফ্যাক্টর (অ্যান্টিবডি) উৎপন্ন হবে। অ্যান্টি জয ফ্যাক্টর মায়ের রক্ত থেকে অমরার মাধ্যমে ভ্রƒণের রক্তে প্রবেশ করে ভ্রƒণের লোহিত কণিকাকে ধ্বংস করে। ফলে ভ্রƒণও বিনষ্ট হয় এবং গর্ভপাত ঘটে। এ অবস্থায় শিশু জীবিত থাকলেও তার দেহে প্রচণ্ড রক্তস্বল্পতা এবং জন্মের পর জন্ডিস রোগ দেখা দেয়। যেহেতু জয বিরোধী অ্যান্টিবডি মাতৃদেহে খুব ধীরে ধীরে উৎপন্ন হয়, তাই প্রথম সন্তানের কোনো ক্ষতি হয় না এবং সুস্থ জন্মায়। কিন্তু পরবর্তী গর্ভাধারণ থেকে জটিলতা শুরু হয় এবং ভ্রƒণ এতে মারা যায়। তাই বিয়ের আগে হবু বর-কনের রক্ত পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত এবং একই জয ফ্যাক্টরযুক্ত (হয় জয+ নয়তো, জয) দম্পতি হওয়া উচিত।  রক্ত সঞ্চালন : মানুষের রক্তসংবহনতন্ত্র হৃৎপিণ্ড, ধমনি, শিরা ও কৈশিক জালিকা নিয়ে গঠিত। মানুষের হৃৎপিণ্ড অবিরাম সংকুচিত ও প্রসারিত হয়ে ধমনি ও শিরার মাধ্যমে রক্ত সংবহন করে। হৃৎপিণ্ডের স্বতঃস্ফ‚র্ত সংকোচনকে সিস্টোল এবং স্বতঃস্ফ‚র্ত প্রসারণকে ডায়াস্টোল বলে। অলিন্দে যখন সিস্টোল হয় নিলয় তখন ডায়াস্টোল অবস্থায় থাকে। এভাবে হৃৎপিণ্ডের পর্যায়ক্রমে সিস্টোল ও ডায়াস্টোলের মাধ্যমে মানুষের দেহে রক্ত সঞ্চালিত হয়।  আদর্শ রক্তচাপ, হার্টবিট, হার্টরেট এবং পালসরেটের মধ্যে সম্পর্ক : হৃৎপিণ্ডের সংকোচন ও প্রসারণের ফলে হৃৎপিণ্ড থেকে রক্ত ধমনির মধ্য দিয়ে প্রবাহকালে ধমনি প্রাচীরে যে পার্শ্বচাপ সৃষ্টি হয় তাকে রক্তচাপ বলে। স্বাভাবিক রক্তচাপকে ১৪০/৯০ (সসঐম) আকারে প্রকাশ করা হয়। একটি সিস্টোল ও একটি ডায়াস্টোলের সমন্বয়ে একটি হৃদস্পন্দন হয়। সময় লাগে প্রায় ০.৮ সেকেন্ড। একজন সুস্থ মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রতি মিনিটে ৬০-১০০ বার হয়। এটিকে হার্টবিট বলে। হৃদস্পন্দন বা হার্টবিটকে যখন প্রতি মিনিটে হাতের কবজিতে গণনা করা হয়, তখন তাকে পালসরেট বলে। আমাদের হাতের কবজির রেডিয়াল ধমনিতে হার্টবিটের স্পন্দন গণনা করা যায়। আবার বুকের বাম দিকে নির্দিষ্ট স্থানে স্টেথোস্কোপের ডায়াফ্রাম বসিয়ে এবং স্টেথোস্কোপের নলের শেষ প্রান্ত দুটি কান লাগিয়েও এ শব্দ অনুভব করা যায়।  রক্তচাপজনিত শারীরিক সমস্যা সৃষ্টির কারণ ও প্রতিরোধের কৌশল : শরীর ও মনের স্বাভাবিক অবস্থায় রক্তচাপ যদি বয়সের জন্য নির্ধারিত মাত্রার উপরে অবস্থান করতে থাকে, তবে তাকে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন বলে। রক্তের চাপ যদি কম থাকে তা হলে তাকে নিম্ন রক্তচাপ বলে। হাইপারটেনশন হওয়ার প্রকৃত কারণ আজও জানা যায়নি। তবে অতিরিক্ত শারীরিক ওজন, অতিরিক্ত লবণ খাওয়া, অপর্যাপ্ত শারীরিক পরিশ্রম, ডায়াবেটিস, অস্থিরচিত্ত ও মানসিক চাপ, রক্তে কোলেস্টেরলের আধিক্য ব্যক্তিদের মধ্যে এ রোগের আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। এক্ষেত্রে যেসব সমস্যা দেখা দিতে পারে তার মধ্যে রয়েছেÑ স্ট্রোক, প্যারালাইসিস, হৃৎপিণ্ড বড় হয়ে যাওয়া, হার্ট অ্যাটাক ও ফেইলিউর, বৃক্কের কার্যক্ষমতা কমে যাওয়া, দৃষ্টিশক্তির ব্যাঘাত প্রভৃতি। নি¤œ রক্তচাপ উচ্চ রক্তচাপের মতো মারাত্মক নয়। তবে রক্তচাপ যথেষ্ট কমে গেলে নানা রকম অসুবিধা সৃষ্টি হয়। রক্তচাপজনিত সমস্যা প্রতিরোধে যেসব কৌশল গ্রহণ করা যেতে পারে তা হলো- ১. ডায়াবেটিস যদি থাকে তা নিয়ন্ত্রণ করা, ২. দেহের ওজন বৃদ্ধি না করা, ৩. চর্বিযুক্ত খাদ্য বর্জন করা, ৪. মদ্যপান এবং ধূমপান থেকে বিরত থাকা, ৫. নিয়মিত ব্যায়াম করা, ৬.৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো ইত্যাদি। অনুশীলনীর বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ১. জমাট বাঁধানো কোনটির কাজ? ক লোহিত কণিকা  অণুচক্রিকা গ শ্বেত কণিকা ঘ লসিকা কোষ ২. অক্সিজেনযুক্ত রক্ত সরবরাহ করেÑ ক ধমনি ও পালমোনারি ধমনি খ শিরা ও পালমোনারি শিরা  ধমনি ও পালমোনারি শিরা ঘ শিরা ও ধমনি গুরুত্বপূর্ণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩ ও ৪নং প্রশ্নের উত্তর দাও : অভিষেক ঢাকা হতে মানিকগঞ্জ যাবার পথে গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়ে। এতে তার বন্ধুর মারাত্মক রক্তক্ষরণ হয়। ফলে রক্তের প্রয়োজন। বন্ধুর রক্ত পরীক্ষা ছাড়াই অভিষেক বলল আমি

নবম-দশম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান তৃতীয় অধ্যায় হৃদযন্ত্রের যত কথা Read More »

নবম-দশম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান দ্বিতীয় অধ্যায় জীবনের জন্য পানি

এসএসসি সাধারণ বিজ্ঞান দ্বিতীয় অধ্যায় জীবনের জন্য পানি পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি পানির ধর্ম : বরফের গলনাঙ্ক ০ সেলসিয়াস। পানির স্ফুটনাঙ্ক ১০০ সেলসিয়াস। ৪ সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পানির ঘনত্ব সর্বোচ্চ। বিশুদ্ধ পানি তড়িৎ পরিবহন করে না তবে তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ দ্রবীভ‚ত থাকলে তড়িৎ পরিবহন করে। পানি একটি উভধর্মী পদার্থ হিসেবে কাজ করে। বিশুদ্ধ পানি পুরোপুরি নিরপেক্ষ অর্থাৎ এর ঢ়ঐ ৭।  পানির গঠন : পানি দুটি হাইড্রোজেন পরমাণু ও একটি অক্সিজেন পরমাণু দিয়ে গঠিত। ঐ২ঙ হলো পানির রাসায়নিক সংকেত। আমরা যে পানি দেখি সেখানে অনেক পানির অণু ক্লাস্টার আকারে থাকে।  পানির উৎস : পানির সবচেয়ে বড় উৎস হলো সাগর, মহাসাগর বা সমুদ্র। পানির আরেকটি অন্যতম উৎস হলো হিমবাহ ও তুষার স্রোত যেখানে পানি মূলত বরফ আকারে থাকে। ব্যবহার উপযোগী উৎস হলো নদনদী, খালবিল, হ্রদ, পুকুর ও ভ‚গর্ভস্থ পানি।  জলজ উদ্ভিদ ও জলজ প্রাণীর জন্য পানির প্রয়োজনীয়তা : পানি না থাকলে বেশির ভাগ জলজ উদ্ভিদ জš§াতই না, অথবা কিছু কিছু জš§ালেও বেড়ে উঠতে পারত না। জলজ উদ্ভিদ না থাকলে মাছসহ অন্যান্য জলজ প্রাণী বাঁচতে পারত না।  পানির মানদণ্ড : পানির নির্দিষ্ট মান যদি বজায় না থাকে তাহলে এটি জীববৈচিত্র্য বা পরিবেশের জন্য যেমন ক্ষতিকর হবে, তেমনি অন্যান্য কাজে এর ব্যবহার ব্যাহত হবে। পানির মানদণ্ড কেমন হওয়া উচিত তা নির্ভর করে এর বর্ণ ও স্বাদ, ঘোলাটে ভাব, তেজস্ক্রিয় পদার্থের উপস্থিতি, ময়লা-আবর্জনার উপস্থিতি, দ্রবীভ‚ত অক্সিজেনের পরিমাণ, তাপমাত্রা, ঢ়ঐ, লবণাক্ততা ইত্যাদির ওপর। সাধারণত ব্যবহারের ধরনের ওপর ভিত্তি করে পানির মানদণ্ড ঠিক করা হয়।  ঢ়ঐ : ঢ়ঐ হলো এমন একটি রাশি, যার দ্বারা বোঝা যায় পানি বা জলীয় দ্রবণ এসিডিক, ক্ষারীয় না নিরপেক্ষ। নিরপেক্ষ হলে ঢ়ঐ হয় ৭, এসিডিক হলে মান হয় ৭ এর কম আর ক্ষারীয় হলে মান হয় ৭ এর বেশি। এসিডের পরিমাণ যত বাড়বে ঢ়ঐ এর মান তত কমবে; অন্যদিকে ক্ষারের পরিমাণ যত বাড়বে ঢ়ঐ এর মান তত বাড়বে।  পরিবেশ সংরক্ষণে পানির পুনঃআবর্তনের ধাপসমূহ : দিনের বেলা সূর্যের তাপে ভ‚পৃষ্ঠের পানি বাষ্পীভ‚ত হয়ে বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে। একপর্যায়ে বাষ্প ঘনীভ‚ত হলে প্রথমে মেঘ ও পরে বৃষ্টির আকারে ফিরে আসে। এই বৃষ্টির পানির বড় একটি অংশ নদনদী, খালবিল ও সমুদ্রে গিয়ে পড়ে এবং আবার বাষ্পীভ‚ত হয় ও বৃষ্টি আকারে ফিরে আসে।  মানসম্মত পানির প্রয়োজনীয়তা : পানি যদি মানসম্মত না হয় তাহলে প্রতিটি কাজেই বিঘœ ঘটবে। খাওয়ার পানি যদি মানসম্মত না হয়, বিশেষ করে এতে যদি রোগজীবাণু থাকে তাহলে মারাত্মক স্বাস্থ্য বিপর্যয় ঘটাতে পারে। সমুদ্রের পানিতে প্রচুর লবণ থাকে যা শিল্প কারখানায় ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির ক্ষয় সাধন করে ও নষ্ট করে ফেলে। একইভাবে আমাদের বেশিরভাগ ফসলাদিই লবণ পানিতে জš§াতে পারে না। শিল্প কারখানা থেকে শুরু করে কৃষিকাজ ও দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি কাজেই মানসম্মত পানি অত্যাবশ্যকীয়।  পানি বিশুদ্ধকরণ প্রক্রিয়া : যে সমস্ত প্রক্রিয়ায় সাধারণত পানি বিশুদ্ধকরণ করা হয় সেগুলো হলো পরিস্রাবণ, ক্লোরিনেশন, স্ফুটন, পাতন ইত্যাদি। ১. পরিস্রাবণ : পরিস্রাবণ হলো তরল ও কঠিন পদার্থের মিশ্রণ থেকে কঠিন পদার্থকে আলাদা করার একটি প্রক্রিয়া। এক্ষেত্রে বালির স্তরের মধ্য দিয়ে পানিকে প্রবাহিত করা হয়। এতে করে পানিতে অদ্রবণীয় ময়লার কণাগুলো বালির স্তরে আটকা পড়ে যায়। বালির স্তর ছাড়াও খুব সূ²ভাবে তৈরি কাপড় ব্যবহার করেও পরিস্রাবণ করা যায়। ২. ক্লোরিনেশন : পানিতে রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণু দূর করা হয় জীবাণুনাশক ব্যবহার করে। এদের মধ্যে অন্যতম হলো ক্লোরিন গ্যাস (ঈষ২)। এছাড়া বিøচিং পাউডার [ঈধ(ঙঈষ)ঈষ এবং আরও কিছু পদার্থ যার মধ্যে ক্লোরিন আছে এবং যা জীবাণু ধ্বংস করতে পারে তা ব্যবহার করা হয়। ক্লোরিন ছাড়াও ওজোন (ঙ৩) গ্যাস দিয়ে অথবা অতি বেগুনি রশ্মি দিয়েও পানিতে থাকা রোগ জীবাণু ধ্বংস করা যায়। ৩. স্ফুটন : পানিকে খুব ভালোভাবে ফুটালে এতে উপস্থিত জীবাণু মরে যায়। স্ফুটন শুরু হওয়ার পর ১৫-২০ মিনিট ধরে ফুটালে পানি জীবাণুমুক্ত হয়। ৪. পাতন : এই প্রক্রিয়ায় একটি পাত্রে পানি নিয়ে তাপ দিয়ে বাষ্পে পরিণত করা হয়। পরে ওই বাষ্পকে আবার ঘনীভ‚ত করে বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহ করা হয়।  বাংলাদেশের পানির উৎসে দূষণের কারণ : বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত বর্জ্যপানির বড় একটি অংশ নর্দমার মাধ্যমে নদনদীতে নিয়ে ফেলা হয় এবং তা পানিকে মারাত্মকভাবে দূষিত করে। পঁচা বর্জ্য যেখানে রোগজীবাণুসহ নানারকম রাসায়নিক পদার্থ বিদ্যমান থাকে, তা বৃষ্টির পানির সাথে মিশে নদনদী, খাল বিল বা লেকের পানিকে দূষিত করে। বৃষ্টি হলে অথবা বন্যার সময় কৃষিজমি প্লাবিত হলে কৃষি জমিতে ব্যবহৃত রাসায়নিক ও জৈবসার ও কীটনাশক পানিতে মিশে পানিকে দূষিত করে। চামড়ার কারখানা থেকে প্রচুর বর্জ্য নদীতে গিয়ে পড়ার ফলে পানি দূষিত হচ্ছে। স্টিমার ও জাহাজ থেকে ফেলা মলমূত্রে ও তেল জাতীয় পদার্থের মাধ্যমে নদনদী ও সমুদ্রের পানি দূষিত হয়।  পানি দূষণের প্রভাব : নদনদী, পুকুর, খালবিল ও ভ‚গর্ভস্থ প্রভৃতি উৎসের পানি দূষিত হলে তা উদ্ভিদ, প্রাণী ও মানুষের ওপর নানা রকম ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে এমনকি কখনোও কখনোও তা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। টাইফয়েড, জ্বর, কলেরা, আমাশয়, সংক্রামক হেপাটাইটিস বি এসবই পানিবাহিত রোগ। পানিতে ফসফেট ও নাইট্রোজেন খুব বেড়ে গেলে তা প্রচুর শ্যাওলা জš§াতে সাহায্য করে। এই শ্যাওলাগুলো যখন মরে যায় তখন পানিতে থাকা দ্রবীভ‚ত অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে। এর ফলে পানিতে অক্সিজেন স্বল্পতা দেখা দেয় এবং তার ফলে মাছসহ সকল প্রাণী মারা যায়। অজৈব পদার্থসমূহ (যেমন : এসিড, ক্ষার, লবণ) পানিতে বসবাসকারী উদ্ভিদ ও প্রাণীর জন্য খুবই ক্ষতিকর। পানিতে যদি ক্ষতিকর ধাতব পদার্থ (যেমন : পারদ, সিসা, আর্সেনিক ইত্যাদি) থাকে ওই পানি পান করলে তা মানুষের দেহে নানাবিধ রোগের কারণ হতে পারে। নিচে পারদ, সিসা ও আর্সেনিকের প্রভাব উল্লেখ করা হলো : ১. পারদ : মস্তিষ্কের বিকল হওয়া, ত্বকের ক্যান্সার, বিকলাঙ্গ হওয়া। ২. সিসা : বিতৃষ্ণাবোধ বা খিটখিটে মেজাজ, শরীর জ্বালাপোড়া, রক্তশূন্যতা, কিডনি বিকল হওয়া, পরিমাণে খুব বেশি হলে মস্তিষ্ক বিকল হওয়া। ৩. আর্সেনিক : আর্সেনিকোসিস, ত্বক ও ফুসফুসের ক্যান্সার, পাকস্থলীর রোগ। তেজস্ক্রিয় পদার্থ যেমন : ইউরেনিয়াম, থোরিয়াম, সিজিয়াম, রেডন প্রভৃতি দ্বারা পানি দূষিত হলে তা জীবদেহে ক্যান্সার ও শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত রোগ সৃষ্টি করে। পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কারখানার বর্জ্য, পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কারখানা থেকে সৃষ্ট বর্জ্যরে দ্বারা পানিতে তেজস্ক্রিয় পদার্থ ছড়িয়ে পড়েও পানি দূষিত হয়।  বাংলাদেশের মিঠা পানিতে বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রভাব : বৈশ্বিক উষ্ণতা হলো বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া। তাপমাত্রার সামান্য বৃদ্ধিতেই মেরু অঞ্চলসহ অন্যান্য জায়গায় সঞ্চিত বরফ গলতে শুরু করে। এর ফলে সমুদ্রের পানির উচ্চতা বেড়ে যাবে। সমুদ্রের লবণাক্ত পানি নদনদী, খালবিল, পুকুর, ভ‚গর্ভস্থ ও হ্রদের পানিতে মিশে যাবে। ফলে পানির সকল উৎসই লবণাক্ত হয়ে পড়বে। মিঠা পানিতে বসবাসকারী জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণী মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখে পড়বে এবং এক পর্যায়ে মৃত্যু নিশ্চিত হয়ে পড়বে।  বাংলাদেশে পানি দূষণের প্রতিরোধের কৌশল এবং নাগরিকের দায়িত্ব : ১. জলাভ‚মি রক্ষা : জলাভ‚মি, বনভ‚মি এগুলো রক্ষা করার ব্যবস্থা

নবম-দশম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান দ্বিতীয় অধ্যায় জীবনের জন্য পানি Read More »

নবম-দশম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় উন্নততর জীবনধারা

এসএসসি সাধারণ বিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় উন্নততর জীবনধারা অনুশীলনীর বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ১. গাজরে প্রধানত কোনটি পাওয়া যায়?  গøুকোজ খ ফ্রুকটোজ গ সুক্রোজ ঘ বিটা ক্যারোটিন ২. স্নেহে দ্রবণীয় ভিটামিনগুলো হলোÑ র. অ, উ, ঊ রর. অ, ই, ঈ ররর. অ, উ, ক নিচের কোনটি সঠিক? ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩ ও ৪নং প্রশ্নের উত্তর দাও : রহিমার ওজন ৫০ কেজি ও উচ্চতা ১.৫ মিটার। গতকাল সকাল থেকে তার বমি ও পাতলা পায়খানা হওয়ায় দেহে পানির অভাবসহ ওজন হ্রাস পেয়ে ৪৭ কেজি হয়ে গেছে। ৩. রহিমার দেহে প্রয়োজনীয় উপাদানটির অভাবে- র. রক্ত চলাচলে বিঘœ ঘটে রর. পেশি নাজুক হয়ে পড়ে ররর. লবণের ভারসাম্য বজায় থাকে নিচের কোনটি সঠিক?  র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর ৪. অসুস্থ হওয়ার পর রহিমার ভরসূচি (ইগও) কত হয়েছে? ক ২২.৩ (প্রায়)  ২০.৯ (প্রায়) গ ৪৯.২৫ (প্রায়) ঘ ৪৪.৭৫ (প্রায়) গুরুত্বপূর্ণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ৫. নিচের কোনটির অভাবে বয়স্ক মহিলাদের অস্টিমম্যালেসিয়া রোগ হয় ক ফসফরাসের খ লৌহের  ক্যালসিয়ামের ঘ পটাসিয়ামের ৬. ৬৫ কেজি দেড় মিটার উচ্চতা বিশিষ্ট একজন ব্যক্তির ইগও নিচের কোনটি? ক ৯৭.৫ খ ৪৩.৩৩  ২৮.৮৯ ঘ ০.০৩ ৭. ভিটামিন ঊ এর অভাবে নিচের কোনটি ঘটে?  ভ্রূণের মৃত্যু হতে পারে খ বুক ধড়ফড় করতে পারে গ অস্থির গঠন মজবুত হতে পারে ঘ ধমনিতে ক্যালসিয়াম জমা হতে পারে ৮. খাদ্যের উপাদান কত প্রকার? ক দুই খ চার  ছয় ঘ আট ৯. এক গ্রাম শর্করা জারণে কত কিলোক্যালরি শক্তি উৎপন্ন হয়?  ৪.১ খ ৪.২ গ ৪.৩ ঘ ৪.৪ ১০. আমিষ গঠনের একক কোনটি? ক হাইড্রোক্লোরিক এসিড খ কার্বোলিক এসিড গ ফরমিক এসিড  অ্যামাইনো এসিড ১১. পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন কোনটি? ক অ  ঈ গ উ ঘ ক ১২. প্রভার উচ্চতা ১.৭ মিটার এবং ওজন ৭০ কেজি। তার বি.এম.আই (ইগও) কত? ক ২৬.২২ খ ২৫.২২  ২৪.২২ ঘ ২৩.২২ ১৩. রক্তে হিমোগেøাবিন্ তৈরি করে কোনটি? ক শর্করা খ ভিটামিন গ আমিষ  খনিজ লবণ ১৪. কোনটির অভাবে অস্থির গঠন শক্ত ও মজবুত হতে পারে না? ক খনিজ লবণ খ প্রোটিন  ভিটামিন-সি ঘ ভিটামিন-এ ১৫. তরমুজে কোনটি পাওয়া যায়? ক গøুকোজ খ ফ্রুকটোজ গ সুক্রোজ  সেগুলোজ ১৬. ১০ গ্রাম চিংড়িতে ১.৯১ গ্রাম আমিষ আছে। এটি থেকে কী পরিমাণ শক্তি পাওয়া যাবে? ক ৯৩ ক.ঈধষ খ ৮৯ ক.ঈধষ  ৮.৯ ক.ঈধষ ঘ ৭.৮ ক.ঈধষ ১৭. একটি বাড়ন্ত শিশুর প্রত্যহ কী পরিমাণ ক্যালসিয়াম প্রয়োজন হয়?  ৫০০৬০০ সম খ ৪৫০৫৫০ সম গ ৪০০৪৫০ সম ঘ ৩০০৪০০ সম ১৮. তুবার ওজন ৫০ কেজি এবং উচ্চতা ১.১ মিটার। তুবার বি এম আই কত?  ৪১.৩২ খ ৪২.৩২ গ ৪৪.৩২ ঘ ৪৬.৩২ ১৯. মানুষের প্রধান খাদ্য কোনটি? ক স্নেহ  শর্করা গ আমিষ ঘ ভিটামিন ২০. রাফেজ-এর কাজ কোনটি? ক তাপ ও শক্তি উৎপন্ন করে খ দাঁতের মাড়ি সুস্থ রাখে গ হিমোগেøাবিন গঠন করে  অতিরিক্ত চর্বি কমানো ২১. রহিমের ওজন ৭২ কেজি এবং উচ্চতা ১.৮ মিটার, রহিমের ইগও কত?  ২২.২ (প্রায়) খ ২৩.২ (প্রায়) গ ২৪.২ (প্রায়) ঘ ২৫.২ (প্রায়) ২২. কোন জাতীয় খাদ্য আঁশযুক্ত?  সেলুলোজ খ স্টার্চ গ প্রোটিন ঘ ভিটামিন ২৩. কোন জাতীয় খাদ্য সবচেয়ে বেশি তাপ ও শক্তি উৎপন্ন করে? ক খাদ্যপ্রাণ  স্নেহ পদার্থ গ খনিজ লবণ ঘ শর্করা ২৪. কোনটি পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন? ক ভিটামিন অ খ ভিটামিন উ গ ভিটামিন ঈ  ভিটামিন ই ২৫. মানবদেহে কয় ধরনের অ্যামাইনো এসিড রয়েছে?  ২০ খ ১৮ গ ১৬ ঘ ১৪ ২৬. ভিটামিন ঈ এর অভাবে কোন রোগটি হয়?  স্কার্ভি খ অ্যানিমিয়া গ বেরিবেরি ঘ রাতকানা ২৭. ঁেঢকি ছাঁটা চাল ও আটায় কোন ভিটামিন থাকে? ক রাইবোফ্ল্যাভিন খ পিরিডক্সিন গ কোবালমিন  থায়ামিন ২৮. মিলনের ওজন ৭০ কেজি, উচ্চতা ১.৫ মিটার হলে তার বি.এম.আই কত?  ৩১.১১ খ ৩৫.১৫ গ ৪০.১৩ ঘ ৪৬.৬৬ ২৯. ফুসফুসের ক্যান্সারের জন্য দায়ী র. সালফার ডাইঅক্সাইড রর. কার্বন মনোঅক্সাইড ররর. নাইট্রোস অক্সাইড নিচের কোনটি সঠিক?  র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর ৩০. ভিটামিন ‘সি’ র. অস্থির গঠন শক্ত ও মজবুত করে রর. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ররর. ত্বকে ঘা সৃষ্টি করে, ক্ষত শুকাতে দেরি হয় নিচের কোনটি সঠিক?  র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর ৩১. নিচের তথ্যগুলোর ভিত্তিতে প্রযোজ্য র. একমাত্র প্রাণিজ উৎস থেকে ভিটামিন ডি পাওয়া যায় রর. পামতেল ভিটামিন “ঊ” এর উত্তম উৎস ররর. “ই” ভিটামিন সংখ্যায় এগারটি নিচের কোনটি সঠিক?  র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর  প্রশ্ন \ ১ \ নিউট্রিয়েন্টস কী? উত্তর : খাদ্যের যেসব জৈব অথবা অজৈব উপাদান জীবের জীবনীশক্তির জোগান দেয়, তাদের একসঙ্গে পরিপোষক বা নিউট্রিয়েন্টস বলে। প্রশ্ন \ ২ \ খাদ্য উপাদানগুলোর মধ্যে কোনগুলো দেহ পরিপোষক? উত্তর : খাদ্য উপাদানগুলোর মধ্যে শর্করা, আমিষ ও স্নেহ পদার্থ বা ফ্যাট দেহ পরিপোষক। প্রশ্ন \ ৩ \ খাদ্য উপাদানগুলোর মধ্যে কোনগুলো দেহ সংরক্ষক? উত্তর : ভিটামিন, খনিজ লবণ ও পানি দেহ সংরক্ষক খাদ্য উপাদান। প্রশ্ন \ ৪ \ শর্করা কী দ্বারা গঠিত? উত্তর : শর্করা কার্বন, হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন নিয়ে গঠিত। প্রশ্ন \ ৫ \ প্রতি গ্রাম শর্করা জারণে কী পরিমাণ শক্তি উৎপন্ন হয়? উত্তর : প্রতি গ্রাম শর্করা জারণে ৪.১ কিলোক্যালরি শক্তি উৎপন্ন হয়। প্রশ্ন \ ৬ \ আমিষে কী পরিমাণ নাইট্রোজেন থাকে? উত্তর : আমিষে ১৬% পরিমাণ নাইট্রোজেন থাকে। প্রশ্ন \ ৭ \ মানুষের মধ্যে কয় ধরনের অ্যামাইনো এসিডের সন্ধান পাওয়া গেছে? উত্তর : মানুষের মধ্যে ২০ ধরনের অ্যামাইনো এসিডের সন্ধান পাওয়া গেছে। প্রশ্ন \ ৮ \ চর্বি কী? উত্তর : চর্বি হলো সম্পৃক্ত ফ্যাটি এসিড। প্রশ্ন \ ৯ \ উৎস অনুযায়ী স্নেহ পদার্থ কয় প্রকার? উত্তর : উৎস অনুযায়ী স্নেহ পদার্থ দুই প্রকার। প্রশ্ন \ ১০ \ ভিটামিন উ কোথায় সংশ্লেষিত হয়? উত্তর : ভিটামিন উ মানুষের দেহে সংশ্লেষিত হয়। প্রশ্ন \ ১১ \ লৌহের প্রধান কাজ কী? উত্তর : লৌহের প্রধান কাজ হিমোগেøাবিন গঠনে সাহায্য করা। প্রশ্ন \ ১২ \ অস্টিওম্যালেসিয়া কী? উত্তর : অস্টিওম্যালেসিয়া বয়স্ক মহিলাদের ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত রোগ। প্রশ্ন \ ১৩ \ থায়ামিন কী? উত্তর : ভিটামিন ই১ কে থায়ামিন বলে। প্রশ্ন \ ১৪ \ শর্করা ও প্রোটিনের ক্যালরি মান কত? উত্তর : শর্করা ও প্রোটিনের ক্যালরি

নবম-দশম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় উন্নততর জীবনধারা Read More »

নবম-দশম ইসলাম পঞ্চম অধ্যায় আদর্শ জীবনচরিত

পঞ্চম অধ্যায় আদর্শ জীবনচরিত অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর  বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর  ১. ‘আল-কানুন ফিত-তিব্ব’ গ্রন্থটির প্রণেতা কে? ক আল বিরুনি  ইবনে সিনা গ আল রাযি ঘ ইবনে রুশদ ২. খলিফা আল-মানসুর কাকে প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব নিতে প্রস্তাব দিয়েছিলেন? ক ইমাম গাযালি (র) খ ইমাম শাফি (র) গ ইমাম বুখারি (র)  ইমাম আবু হানিফা (র) ৩. ন্যায়বিচার বলতে বোঝায় র. আইন অনুযায়ী বিচার করা রর. গণ্যমান্যদের সম্মান প্রদর্শন করা ররর. সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা নিচের কোনটি সঠিক? ক র ও রর খ রর ও ররর  র ও ররর ঘ র, রর ও ররর নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৪ ও ৫ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও : হাফিজ সাহেবের সন্তান যায়েদ বন্ধুদের সাথে মিলে খালেদকে প্রহার করে। খালেদ যায়েদের পিতার কাছে বিচারপ্রার্থী হলে তিনি তাঁর সন্তানকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেন এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকার প্রতিশ্রæতি নেন। ৪. হাফিজ সাহেবের কাজের মাধ্যমে কোন খলিফার আদর্শ ফুটে উঠেছে? ক হযরত আবু বকর (রা)  হযরত উমর (রা) গ হযরত উসমান (রা) ঘ হযরত আলি (রা) ৫. হাফিজ সাহেবের বিচারের ফলে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হবে র. ভ্রাতৃত রর. শান্তি ররর. শৃঙ্খলা নিচের কোনটি সঠিক? ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর  সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন- ১  হযরত মুহাম্মদ (স) এর মক্কা বিজয় ও বিদায় হজ সামাজিক প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে জনাব সিহাব চৌধুরী লোকমান সাহেবকে মারাত্মকভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন। কিছুদিন পর লোকমান সাহেব প্রতিশোধ নেওয়ার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েও এ থেকে বিরত থাকেন। এ ধরনের উদারতা দেখে জনাব সিহাব চৌধুরীর মধ্যে বেশ পরিবর্তন আসে। তিনি প্রতিজ্ঞা করেন যে, কোনো মানুষের সাথে আর অন্যায় আচরণ করবেন না। গোত্র-বর্ণ ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে সকলের সাথে ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে আবদ্ধ হবেন। সকল কাজকর্মে কুরআন ও হাদিসকে অনুকরণ করে চলবেন। ক. মদিনা সনদের ধারা কয়টি? খ. রাসুলের জীবনাদর্শ অনুকরণীয় কেন? গ. লোকমান সাহেবের আচরণে মহানবি (স)-এর কোন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার আদর্শ ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর। ঘ. সিহাব সাহেবের পরিবর্তন বিদায় হজের ভাষণের আলোকে পর্যালোচনা কর। ক মদিনা সনদের ধারা মোট ৪৭টি। খ রাসুল (স) সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী ছিলেন বলে তাঁর জীবনাদর্শ আমাদের জন্য অনুকরণীয়। তাঁর চরিত্রে সব ধরনের সৎগুণাবলি পাওয়া যায়। আল্লাহ বলেন, ‘অবশ্যই তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসুলের জীবনে রয়েছে উত্তম আদর্শ।’ আল্লাহর নির্দেশ মতো রাসুলের জীবনাদর্শ অনুকরণ করে আদর্শ মানুষ হওয়া যায়। এজন্যই রাসুল (স)-এর জীবনাদর্শ অনুকরণীয়। গ লোকমান সাহেবের আচরণে মহানবি (স)-এর মক্কা বিজয়পরবর্তী অপূর্ব ক্ষমার আদর্শ ফুটে উঠেছে। ষষ্ঠ হিজরিতে মক্কার কুরাইশরা মহানবি হযরত মুহাম্মদ (স) ও মুসলমানদের সাথে হুদায়বিয়ার সন্ধি করে। কুরাইশরা সন্ধির শর্ত ভঙ্গ করলে রাসুল (স) ৬৩০ খ্রিষ্টাব্দে ১০০০০ (দশ হাজার) মুসলিম বাহিনী নিয়ে মক্কা অভিমুখে অভিযান পরিচালনা করেন। অতঃপর বিনা রক্তপাতে ও বিনা বাধায় মুসলিম বাহিনী মক্কা বিজয় করে। মক্কা বিজয়ের পর মহানবি হযরত মুহাম্মদ (স) সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে বলেন- ‘আজ তোমাদের প্রতি আমার কোনো অভিযোগ নেই, যাও তোমরা মুক্ত ও স্বাধীন।’ মক্কা বিজয়ের পর মহানবি (স) ইসলামের চরম শত্রæ আবু সুফিয়ানসহ সকলকে হাতের নাগালে পেয়েও যেভাবে ক্ষমা করে দেন মানবতার ইতিহাসে তা বিরল। এ অপূর্ব ক্ষমার আদর্শ ফুটে উঠেছে উদ্দীপকের লোকমান সাহেবের আচরণে। সামাজিক প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে সিহাব চৌধুরী তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করেন। অথচ কিছু দিন পর লোকমান সাহেব প্রতিশোধ নেওয়ার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েও এ থেকে বিরত থাকেন। কেননা তিনি মহানবি (স)-এর মক্কাবিজয় পরবর্তী অপূর্ব ক্ষমা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেছেন। সুতরাং বলা যায়, মহানবি (স)-এর আদর্শ অনুসরণ করে উদ্দীপকের লোকমান সাহেব শত্রæকে ক্ষমা করে মহানুভবতার পরিচয় দিয়েছেন। ঘ সিহাব সাহেবের পরিবর্তন মহানবি (স)-এর বিদায় হজের ভাষণের আলোকে বিশ্লেষণ করা হলো। সামাজিক প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে জনাব সিহাব চৌধুরী লোকমান সাহেবকে মারাত্মকভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করলেও উদ্দীপকের লোকমান সাহেব প্রতিশোধ নেওয়ার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েও এ থেকে বিরত থাকেন। এ ধরনের উদারতা দেখে জনাব সিহাব চৌধুরীর মধ্যে বেশ পরিবর্তন আসে। তিনি প্রতিজ্ঞা করেন, কোনো মানুষের সাথে অন্যায় আচরণ করবেন না, গোত্র-বর্ণ ভেদাভেদ ভুলে সকলের সাথে ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে আবদ্ধ হবেন। সকল কাজকর্মে কুরআন ও হাদিস অনুকরণ করে চলবেন। বিদায় হজের ভাষণে মহানবি (স) অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করতে নিষেধ করেছেন। জনাব সিহাব চৌধুরী মহানবি (স)-এর এ বক্তব্য গ্রহণ করেছেন। মহানবি (স) গোত্র-বর্ণ ভেদাভেদ ভুলে সকলের সাথে ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে আবদ্ধ হতে বলেছেন। জনাব সিহাব চৌধুরীর মধ্যে এ বক্তব্যের প্রতিফলন লক্ষ করা যায়। মহানবি (স) আরও বলেছেন, ‘তোমাদের পথ প্রদর্শনের জন্য আল­াহর বাণী তথা আল-কুরআন এবং রাসুল (স)-এর আদর্শ তথা হাদিস রেখে যাচ্ছি। এগুলো যতদিন তোমরা আঁকড়ে থাকবে ততদিন তোমরা বিপথগামী হবে না।’ জনাব সিহাব চৌধুরী বিপথগামী হতে চান না। একারণে সকল কাজকর্মে তিনি কুরআন ও হাদিস অনুকরণ করে চলতে চান। সুতরাং বলা যায়, জনাব সিহাব সাহেবের পরিবর্তনের মূলে রয়েছে রাসুল (স)-এর বিদায় হজের ভাষণের প্রভাব। প্রশ্ন- ২  হযরত ফাতিমা (রা) এবং হযরত উসমান (রা) জামিল সাহেব টঙ্গী এলাকার একজন শিল্পপতি। তিনি এলাকার মানুষের পানির তীব্র সংকট দূর করার উদ্দেশ্যে দশ লক্ষ টাকা ব্যয় করে একটি পানির পাম্প স্থাপন করেন। এছাড়া এলাকায় মুসলি­দের তুলনায় মসজিদ ছোট হওয়ায় উহা স¤প্রসারণের ব্যবস্থা করেন। তাঁর সহধর্মিণী মিসেস নাবিলা নিয়মিত সালাত আদায়ের পাশাপাশি ইসলামের মৌলিক বিধানগুলো মেনে চলার আপ্রাণ চেষ্টা করেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি সংসারের সকল কাজ নিজ হাতে সম্পাদন করেন। ক. কোন সাহাবি তাবুক যুদ্ধে সকল সম্পদ ব্যয় করেছিলেন? খ. ‘হযরত উমর (রা) ছিলেন ন্যায় ও ইনসাফের এক মূর্ত প্রতীক’Ñ বুঝিয়ে লেখ। গ. মিসেস নাবিলা কাজের মাধ্যমে কোন মহীয়সী নারীর আদর্শের অনুকরণ করার চেষ্টা করেছেন? ব্যাখ্যা কর। ঘ. জামিল সাহেবের কার্যক্রম হযরত উসমান (রা)-এর জীবনাদর্শের আলোকে মূল্যায়ন কর। ক হযরত আবু বকর (রা) তাবুক যুদ্ধে সকল সম্পদ ব্যয় করেছিলেন। খ হযরত উমর ফারুক (রা) ছিলেন ন্যায় ও ইনসাফের এক মূর্ত প্রতীক। আইনের চোখে তিনি ধনী-গরিব, উঁচু-নীচু, আপন-পর কোনো ভেদাভেদ করতেন না। তাঁর নীতি ছিল ‘আইন সবার জন্য সমান’। এজন্য মদপানের অপরাধে স্বীয় পুত্র আবু শাহমাকে তিনি কঠোর শাস্তি দিয়েছিলেন। গ মিসেস নাবিলা কাজের মাধ্যমে যে মহীয়সী নারীর আদর্শের অনুকরণ করার চেষ্টা করেছেন তিনি হলেন মহানবি (স) কলিজার টুকরা নবি তনয়া হযরত ফাতিমা (রা)। ইসলামের ইতিহাস পাঠে জানা যায় যে, হযরত আলি (রা) মুসলিম জাহানের খলিফা হওয়ার পরও বাসায় কোনো কাজের লোক রাখেননি। তাঁর স্ত্রী রাসুলের (স) আদরের কন্যা ফাতিমা (রা) নিজ হাতে যাঁতায় গম পিষে গুঁড়ো করতেন ও রুটি তৈরি করতেন। উদ্দীপকের শিল্পপতি জামিল সাহেবের স্ত্রী মিসেস নাবিলা নিয়মিত সালাত আদায়ের পাশাপাশি ইসলামের মৌলিক বিধানগুলো মেনে চলার আপ্রাণ চেষ্টা করেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি সংসারের সকল কাজ নিজ হাতে সম্পাদন করেন। উপরিউক্ত আলোচনা থেকে প্রতীয়মান হয় যে,

নবম-দশম ইসলাম পঞ্চম অধ্যায় আদর্শ জীবনচরিত Read More »

Scroll to Top