সপ্তম শ্রেণি

সপ্তম শ্রেণির বাংলা মেলা

মেলা আহসান হাবীব কবি ও কবিতা সম্পর্কিত তথ্য  কবি পরিচিতি নাম আহসান হাবীব। জন্ম পরিচয় জন্ম : ১৯১৭ খ্রিষ্টাব্দ। জন্মস্থান : পিরোজপুর জেলার শংকরপাশা গ্রাম। শিক্ষা ও কর্মজীবন আহসান হাবীব ব্রজমোহন কলেজে আইএ পর্যন্ত পড়ালেখা করেন। এরপর আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে আর পড়ালেখা চালিয়ে যেতে পারেননি। এমন অবস্থায় জীবিকার সন্ধানে কলকাতায় গমন করেন। কর্মজীবনে তিনি সাংবাদিকতার সাথে জড়িত ছিলেন। দীর্ঘকাল তিনি দৈনিক বাংলা পত্রিকার সাহিত্য বিভাগ পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেন। সাহিত্য সাধনা কাব্যগ্রন্থ : রাত্রিশেষ ছায়াহরিণ, সারাদুপুুর, মেঘ বলে চৈত্রে যাবো, দুই হাতে দুই আদিম পাথর, বিদীর্ণ দর্পণে মুখ।’ শিশুতোষ গ্রন্থ : ছোটদের পাকিস্তান, বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর, ছুটির দিন দুপুরে প্রভৃতি। উপন্যাস : অরণ্যে নীলিমা, রাণী খালের সাঁকো । এছাড়াও তিনি অনুবাদক হিসেবেও সুপরিচিত। পুরস্কার ও সম্মাননা আহসান হাবীব তার সাহিত্যকর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৬১ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও ১৯৭৮ সালে একুশে পদক লাভ করেন। জীবনাবসান ১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দ।  সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপন অনুষ্ঠানে বাংলা শিক্ষক বললেন, ’৭১ সালে দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধের পর আমরা পেয়েছি এই মুক্ত আকাশ-বাতাস, পেয়েছি ছায়া সুনিবিড়-শান্তির নীড়, এই বাংলাদেশ। প্রধান শিক্ষক বললেন, ‘তোমরা আজকের শিশু-কিশোররা আগামী দিনের স্বপ্ন। শুধু দেশ ও জাতির জন্য নয়, শিশুরা সারা বিশ্বের সম্ভাবনা।’ ক. নীল আকাশে রং কুড়িয়ে বেড়ায় কারা? খ. কবি আহসান হাবীব ‘আলোর পাখি’ বলতে কী বুঝিয়েছেন? গ. বাংলা শিক্ষকের বক্তব্যে ‘মেলা’ কবিতার কোন দিকটি ফুটে উঠেছে- ব্যাখ্যা কর। ঘ.“প্রধান শিক্ষক মন্তব্যে ‘মেলা’ কবিতার মূল বক্তব্যই ফুটে উঠেছে”- বিশ্লেষণ কর। ক ভাইরা ও বোনরা মিলে নীল আকাশে রং কুড়িয়ে বেড়ায়। খ কবি আহসান হাবীব ‘আলোর পাখি’ বলতে প্রভাতের সূর্যের কথা বুঝিয়েছেন। রোজ সকালে আকাশ পথে আলোর পাখি উঁকি দেয়। সেই পাখি অন্ধকার দূরীভ‚ত করে আলোকিত করে পৃথিবীর সবকিছুকে। অন্ধকারের চাদর ছুড়ে ফেলে আলোর পাখির পরশ মেখে ঝলমল করে ওঠে গোটা পৃথিবী। কবি আহসান হাবীব মূলত আলোর পাখি বলতে সেই সূর্যকেই বুঝিয়েছেন। গ বাংলা শিক্ষকের বক্তব্যে ‘মেলা’ কবিতার একতাবদ্ধতার দিকটি ফুটে উঠেছে। ‘মেলা’ কবিতায় আমাদের চারপাশের ফুলের মেলা, পাখির মেলা ও আকাশে তারার মেলার কথা কবি ব্যক্ত করেছেন। এসবের সাথে পৃথিবীর সব শিশুকে নিয়েও একটি মেলার কল্পনা করেছেন তিনি। কবিতায় বর্ণিত সারা বিশ্বের শিশুদের মধ্যে মনের ভাষার এক ঐক্য আছে। আর এই ঐক্যের টানে তারা সব বাধা ডিঙিয়ে একটি ¯েœহ-ভালোবাসার পৃথিবী গড়ে তুলবে। তাই সাজানো পৃথিবী গড়ে তোলার জন্য চাই একতাবদ্ধ একটি সমাজ। উদ্দীপকের বাংলা শিক্ষকের বক্তব্যেও ফুটে উঠেছে একতাবদ্ধতার কথা। ১৯৭১ সালে দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধের পর আমরা পেয়েছি এই মুক্ত আকাশ-বাতাস; পেয়েছি ছায়া সুনিবিড় এই বাংলাদেশ। এক অনন্য একতার কারণেই আজকের এই সুন্দর স্বাধীন বাংলাদেশকে আমরা পেয়েছি। অর্থাৎ বাংলা শিক্ষকের বক্তব্যে একতাবদ্ধতার বিষয়টি ফুটে উঠেছে। ঘ “আজকের কিশোররা আগামী দিনের স্বপ্ন শুধু দেশ ও জাতির জন্য নয়, শিশুরা সারা বিশ্বের জন্য সম্ভাবনা” প্রধান শিক্ষকের উক্তিটি যথার্থ। ‘মেলা’ কবিতায় কবি দেখিয়েছেন, কচি সবুজ ভাইবোনদের হাসি-খুশির মধ্যে লাখ লাখ সবুজ মনের জগৎ ও স্নেহ-প্রীতির প্রকাশ ঘটেছে। দেশ-কালের সীমানা ভেঙে তারা অন্তরের ভালোবাসা দিয়ে গড়তে চাচ্ছে একটি সুন্দর জগৎ। সাজানো বাগানের মতো সুন্দর পৃথিবী। তখন পৃথিবী হবে একটা দেশ, মানবসমাজ হবে একটা পরিবার। আজকের শিশুরাই ভবিষ্যতে গড়ে তুলবে এমন একটা সুন্দর পৃথিবী। উদ্দীপকের প্রধান শিক্ষকের বক্তব্যে উঠে এসেছে, আজকের শিশু কিশোররা আগামী দিনের স্বপ্ন সকল শিশুর একতাবদ্ধ হয়ে সৌহার্দ্য, প্রীতি ও শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দেবে। প্রধান শিক্ষকের এ বক্তব্যটি যৌক্তিক। কারণ শিশুরাই পারে আগামী দিনের শান্তির বার্তা দিকে দিকে পৌঁছে দিতে। ‘মেলা’ কবিতার কবি আহসান হাবীবও সেই বিষয়টি স্বীকার করেছেন। আজকের শিশুরাই আগামী দিনের জাতির কর্ণধার। তাদের হাতেই সৃষ্টি হবে বিবাদহীন নতুন পৃথিবী। ‘মেলা’ কবিতা ও উদ্দীপকে এ বিষয়টিই তুলে ধরা হয়েছে। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের প্রধান শিক্ষকের উক্তিটি অত্যন্ত যৌক্তিক। প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ সুজন বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। বাবা চান তাদের সন্তান সুন্দর পৃথিবীর আলো বাতাসে বেড়ে উঠুক। মুক্ত মনে সকল মানুষকে ভালোবাসতে শিখুক, কাছে টানুক। এজন্য তিনি শিশুটিকে প্রতিদিন বিকালে খেলার মাঠে নিয়ে যেতেন। চলাফেরার স্বাধীনতা দিতেন। মুক্ত মনে সবার সাথে মেশার সুযোগ করে দিতেন। যেন সে ভেদাভেদহীনভাবে বেড়ে ওঠে। ক. ‘নিত্য’ শব্দটির অর্থ কী? ১ খ. মেলা বলতে কী বোঝায়- ব্যাখ্যা কর। ২ গ. সুজনের বাবার চাওয়ার সাথে ‘মেলা’ কবিতার বিষয়বস্তু কতটুকু সাদৃশ্যপূর্ণ- নির্ণয় কর। ৩ ঘ.‘শিশুরা মুক্ত মনের অধিকারী, তারা নতুন পৃথিবীর সন্ধান দেয়’ মন্তব্যটি ‘মেলা’ কবিতার আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪ ক ‘নিত্য’ শব্দটির অর্থ রোজ বা প্রতিদিন। খ মেলা বলতে বোঝায় কোনো উপলক্ষে মিলিত বা একত্র হওয়া। মেলা সাধারণত কোনো বিশেষ দিন, কোনো উৎসব বা ধর্মীয় কোনো অনুষ্ঠান উপলক্ষে হয়ে থাকে। তবে মেলা কবিতায় ‘মেলা’ শব্দটি খানিকটা ভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। এখানে মেলা বলতে বোঝানো হয়েছে জগতের আনন্দ যজ্ঞকে। ফুল, পাখি, তারা আর নওল দিনের শিশু-কিশোরের আনন্দকে। গ ‘মেলা’ কবিতার বিষয়বস্তুর সাথে উদ্দীপকের সুজনের বাবার চাওয়া অনেকাংশে সাদৃশ্যপূর্ণ। আহসান হাবীব তার ‘মেলা’ কবিতায় বলেছেন শিশু-কিশোররা পৃথিবী জুড়ে নবীন প্রাণে আশার আলো ছড়িয়ে দেয়। তারা ভালোবাসা দিয়ে নতুন এক জগৎ গড়তে চায়। উদ্দীপকে সুজনের বাবা জানেন একটা সুন্দর পৃথিবী গড়ে তুলতে হলে প্রথম প্রয়োজন মুক্তমনের অধিকারী হওয়া। তাই তিনি নিজের সন্তানকে মানুষকে ভালোবাসতে, কাছে টানতে শিখিয়েছেন, চলাফেরার স্বাধীনতা দিতেন, সবার সাথে মিশতে দিতেন। তিনি তার সন্তানকে ভেদাভেদহীনভাবে বেড়ে উঠতে সাহায্য করেন। যেন সুন্দর একটা পৃথিবী সে গড়তে পারে। আর উদ্দীপকের এই বিষয়বস্তুর মধ্যে ‘মেলা’ কবিতার বিষয়বস্তুর প্রতিচ্ছবি লক্ষ করা যায়। তাই উদ্দীপকের সুজনের বাবার চাওয়ার সাথে ‘মেলা’ কবিতা বিষয়বস্তু অনেকাংশে সাদৃশ্যপূর্ণ। ঘ ‘শিশুরা মুক্তমনের অধিকারী, তারা নতুন পৃথিবীর সন্ধান দেয়’ মন্তব্যটি যথার্থ ও সঠিক। ‘মেলা’ কবিতার সুন্দর সাজানো বাগানের মতো পৃথিবী গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে, শিশুরাই গড়ে তোলে তাদের আপন ভুবন মুক্তমন দিয়ে। তারা মুক্ত মনের অধিকারী, প্রকৃতির মতো উদার, সুন্দর ও পবিত্র। তারা ভালোবাসা দিয়ে এক নতুন পৃথিবী গড়তে চায় । যেখানে দেশ-কালের কোনো সীমানা থাকবে না। সাজানো বাগানের মতোই সুন্দর হবে তাদের তৈরি পৃথিবীটা। উদ্দীপকেও শিশু-কিশোরদের মুক্তমনের কথা বলা হয়েছে। তারা অপার সম্ভাবনার প্রতীক। এখানে সুজনের বাবা তাকে মানুষকে ভালোবাসতে শেখায়। ভেদাভেদ ভুলে যেতে শেখায়। এসবই হলো শিশু-কিশোরদের মুক্তমনের বিকাশ হওয়ার সুযোগ তৈরি করা। শিশুরা নতুন একটি পৃথিবী বানাতে চায়, যে পৃথিবীতে থাকবে না কোনো হানাহানি বা বিবাদ। তারা তাদের ভালোবাসা দিয়ে নতুন পৃথিবী গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখে। সব মানুষকে তারা এই পৃথিবীর সন্ধান দেয়। উদ্দীপক ও আলোচ্য কবিতার আলোকে বলা যায়, ‘শিশুরা মুক্তমনের অধিকারী তারা নতুন পৃথিবীর সন্ধান দেয়’। প্রশ্ন- ২ ল্ফল্ফ ড. রহমান একবার এক সেমিনারে কীভাবে নিজেকে, নিজের রাগকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় সে সম্পর্কে এবং মানুষকে ভালোবাসা সম্পর্কে আলোচনা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন- ‘আপনি ভাবুন আপনার চারপাশে যারা আছে সবাই আপনার ভাই, বোন, কেউ বন্ধু, আপনজন। আপনি বিশ্বাস করতে শিখুন, আপনার প্রতিবেশী

সপ্তম শ্রেণির বাংলা মেলা Read More »

সপ্তম শ্রেণির বাংলা এই অক্ষরে

এই অক্ষরে মহাদেব সাহা কবি ও কবিতা সম্পর্কিত তথ্য  কবি পরিচিতি নাম মহাদেব সাহা। জন্ম পরিচয় জন্ম : ১৯৪৪ খ্রিষ্টাব্দ। জন্মস্থান : সিরাজগঞ্জ জেলায় পিতৃ-মাতৃ পরিচয় পিতা : গদাধর সাহা। মাতা : বিরাজ সাহা। শিক্ষা জীবন মাধ্যমিক : ধুনট হাইস্কুল, বগুড়া। উচ্চ মাধ্যমিক : আজিজুল হক কলেজ, বগুড়া; স্নাতক : বিএ অনার্স (বাংলা), ঢাকা কলেজ। স্নাতকোত্তর : এমএ (বাংলা), রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। পেশা/কর্মজীবন মহাদেব সাহা সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন। তিনি দীর্ঘদিন ‘দৈনিক ইত্তেফাক’ পত্রিকায় সহকারী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সাহিত্য সাধনা প্রবন্ধ : আনন্দের মৃত্যু নেই, মহাদেব সাহার কলাম। কাব্যগ্রন্থ : চাই বিষ অমরতা, আমি ছিন্নভিন্ন, বেঁচে আছি স্বপ্নপুরুষ, এই গৃহ এই সন্ন্যাস, অস্তমিত কালের গৌরব মানব এসেছি কাছে, কী সুন্দর অন্ধ ইত্যাদি। কিশোর কবিতা : টাপুর-টুপুর মেঘের দুপুর, ছবি আঁকা পাখির পাখা সরষে ফুলের নদী ইত্যাদি। পুরস্কার ও সম্মাননা মহাদেব সাহা একুশে পদক, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, আলাওল সাহিত্য পুরস্কারসহ অনেক পুরস্কার লাভ করেছেন। সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ আর তাই তো কখনো আমি পড়তে দিই নি ধুলো এই কালো এ-কারে আ-কারে তারা যেন ক্ষেতের সোনালি পাকা ধান, থোকা থোকা পড়ে থাকা জুঁই। তোমার জন্য জয় করেছি একটি যুদ্ধ একটি দেশের স্বাধীনতা। ক. কঠিন পাথরে কী লেখা হয়? খ. ‘এই অক্ষরে’- মাকে মনে পড়ে বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন? – ব্যাখ্যা কর। গ. উদ্দীপকের ‘তারা’ ‘এই অক্ষরে’ কবিতার কীসের সাথে তুলনীয়? ব্যাখ্যা কর। ঘ.উদ্দীপকের শেষ দুটি চরণে ‘এই অক্ষরে’ কবিতার সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবার্থ ফুটে উঠেছে। – উক্তিটির যথার্থতা নিরূপণ কর। ক কঠিন পাথরে শিলালিপি লেখা হয়। খ এই অক্ষরে মাকে মনে পড়ে বলতে কবি বুঝিয়েছেন অক্ষর দেখলেই মাকে মনে পড়ে যায়। বাংলা বাঙালির মাতৃভাষা। যখন একটি শিশু জন্মগ্রহণ করে তখন সে মায়ের মুখে এ ভাষায় কথা শোনে। তারপর যখন শিশুটি কথা বলতে শেখে তখন বাংলা ভাষায় মা বলে ডাকে। এ জন্য মাতৃভাষা কিংবা অক্ষরের কথা এলেই মাকে মনে পড়ে। গ উদ্দীপকের ‘তারা’ এই অক্ষরে কবিতার বাংলা বর্ণমালা বা অক্ষরের সঙ্গে তুলনীয়। ‘এই অক্ষরে’ কবিতায় কবি মহাদেব সাহা বাংলা অক্ষর তথা বাংলা ভাষা নিয়ে আলোচনা করেছেন। বাংলা ভাষা বাঙালির প্রাণের ভাষা। বাংলা বর্ণমালা বাঙালির জাতীয় পরিচয়ের অবিনাশী সম্পদ। বাংলা বর্ণমালা মিশে আছে বাঙালির প্রাণের সঙ্গে, অস্তিত্বের সঙ্গে। বাঙালিই পৃথিবীর একমাত্র জাতি, যারা ভাষার জন্য সংগ্রাম করেছেন, প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন, বুকের তাজা রক্তে রাজপথ রঞ্জিত করেছেন। উদ্দীপকেও বাংলা অক্ষর তথা বাংলা ভাষার প্রতি মানুষের ভালোবাসার প্রকাশ লক্ষ করা যায়। এখানেও লেখকের যে ব্যক্তিসত্তার পরিচয় পাওয়া যায়, তিনি কখনো বাংলা বর্ণমালায় ধুলা জমতে দেননি। সর্বদা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রেখেছেন। ক্ষেতের সোনালি পাকা ধান যেমন কৃষক বুক দিয়ে আগলে রাখেন, তিনি তেমনি বাংলা বর্ণমালাগুলো আগলে রাখেন। তাই বলা যায়, উদ্দীপক ও ‘এই অক্ষরে’ কবিতায় মূলত বাংলা বর্ণমালা তথা বাংলা ভাষার প্রতি বাঙালির গভীর মমত্ববোধ ফুটে উঠেছে। ঘ “উদ্দীপকের শেষ দুটি চরণে ‘এই অক্ষরে’ কবিতার সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবার্থ ফুটে উঠেছে” উক্তিটি যথার্থ। প্রখ্যাত কবি মহাদেব সাহা তার ‘এই অক্ষরে’ কবিতায় বাংলা বর্ণমালা নিয়ে আলোচনা করেছেন। বাংলা বর্ণমালা তথা বাংলা ভাষা বাঙালির প্রাণের ভাষা, বাঙালির মায়ের ভাষা। বাঙালি মায়ের মুখে শেখা প্রথম বুলি এ ভাষা। এজন্য মায়ের মতো এ ভাষাকে বাঙালিরা বুক দিয়ে আগলে রাখে। মাতৃভাষার মাধ্যমেই বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামীদের উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। এই ভাষায় গান লিখে মুক্তিযোদ্ধাদের উৎসাহ জোগানো হয়েছে। উদ্দীপকেও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলা বর্ণমালা তথা বাংলা ভাষার অবদানের কথা তুলে ধরা হয়েছে। ভাষা আন্দোলন ছিল বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনের প্রথম ধাপ। এ আন্দোলনের মাধ্যমে বাঙালির মধ্যে অধিকার সচেতনতা সৃষ্টি হয়। তারা বুঝতে পারে যে, সংগ্রাম ব্যতীত তারা তাদের ন্যায্য অধিকার পাবে না। তাই তারা সংগ্রামমুখর হয়ে ওঠে। বাঙালিরা বিশ্ব দরবারে স্বাধীন জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার অভিপ্রায়ে ভাষা আন্দোলনের অনুপ্রেরণায় মুক্তিযুদ্ধে অবতীর্ণ হয় এবং ছিনিয়ে আনে বিজয়। উল্লিখিত আলোচনায় বলা যায়, ‘এই অক্ষরে’ কবিতায় কবি বাংলা ভাষার অবদানের কথা তুলে ধরার প্রয়াস পেয়েছেন, যা উদ্দীপকের শেষ দুই চরণের মাধ্যমে আমাদের কাছে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রæয়ারি বাঙালিদের ইতিহাসে প্রথম স্বাধিকার আন্দোলন সংগঠিত হয়। পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা উর্দু করার ঘোষণার বিরুদ্ধে বাংলার আপামর জনতা আন্দোলনে ফেটে পড়ে। ২১শে ফেব্রæয়ারি ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা’র দাবিতে আন্দোলনরত মানুষের মিছিলে পাকিস্তানি সরকারের পুলিশ বাহিনী গুলি করে হত্যা করে রফিক, জব্বার, বরকত, সালামসহ নাম না জানা আরো অনেককে। ক. কার কাছ থেকে আমরা প্রথম মাতৃভাষা শিখি? ১ খ. ‘এই অক্ষর যেন নির্ঝর’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন? ব্যাখ্যা কর। ২ গ. উদ্দীপকটির সঙ্গে ‘এই অক্ষরে’ কবিতার সম্পর্ক নির্ণয় কর। ৩ ঘ.‘বাংলা ভাষা বাঙালির প্রাণের ভাষা’। উক্তিটি উদ্দীপক ও ‘এই অক্ষরে’ কবিতার আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪ ক মায়ের কাছ থেকে আমরা প্রথম মাতৃভাষা শিখি। খ ‘এই অক্ষর যেন নির্ঝর’- বলতে কবি ঝরনার মতো অক্ষরের অবিরাম ছুটে চলাকে বুঝিয়েছেন। আমরা আমাদের মাতৃভাষায় কথা বলি, লিখি। আমাদের পূর্বপুরুষেরাও তাই করতেন। যুগে যুগে আমাদের নিজস্ব স্বকীয়তার চিহ্ন হিসেবে বাংলা ভাষা নিজ গাম্ভীর্যে উপস্থিত। এ থেকে বোঝা যায়, মাতৃভাষা তথা অক্ষর অবিরাম ছুটে চলেছে। গ উদ্দীপকটির সঙ্গে ‘এই অক্ষরে’ কবিতাটির মূল বিষয়বস্তুর গভীরভাবে সম্পর্কযুক্ত। কবি মহাদেব সাহা রচিত ‘এই অক্ষরে’ একটি অসাধারণ কবিতা। এ কবিতায় কবি বাংলা ভাষার গুণকীর্তন করেছেন। বাংলা বাঙালির প্রাণের ভাষা। এ ভাষার সঙ্গে মায়ের একটা নিবিড় সম্পর্ক আছে। তাই প্রতিদিন বাঙালি মাকে যেমন অন্তর থেকে ভালোবাসে, শ্রদ্ধা করে বাংলা ভাষাকেও তেমনি ভালোবাসে, শ্রদ্ধা করে। বাংলা বর্ণমালা মিশে আছে বাঙালির প্রাণের সঙ্গে। তাই বাংলাকে বাদ দিয়ে বাঙালিকে কল্পনা করা যায় না। উদ্দীপকেও বাংলা ভাষার জন্য বাঙালির আত্মত্যাগের কথা বলা হয়েছে। ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রæয়ারি বাঙালির ইতিহাসে এক স্মরণীয় দিন। এই দিনে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে আন্দোলনরত মানুষের মিছিলে পাকিস্তানি সরকারের সেনাবাহিনী গুলি করে হত্যা করে রফিক, জব্বার, বরকত, সালামসহ নাম-না-জানা আরো অনেককে। সুতরাং বলা যায়, ‘এই অক্ষরে’ কবিতা ও উদ্দীপকের মূল বিষয়বস্তু উভয় ক্ষেত্রে বাংলা ভাষা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। ঘ বাংলা ভাষা মিশে আছে বাঙালির প্রাণের সঙ্গে, অস্তিত্বের সঙ্গে তাই বাংলা বর্ণমালা তথা “বাংলা ভাষা বাঙালির প্রাণের ভাষা” উক্তিটি যথার্থ। কবি মহাদেব সাহা তার ‘এই অক্ষরে’ কবিতায় বাঙালির জীবনে বাংলা ভাষার গুরুত্ব নিপুণভাবে তুলে ধরেছেন। বাঙালি জন্মের পর মায়ের মুখে প্রথম বাংলা ভাষায় কথা শোনে। সে তার অবচেতন মন থেকে বাংলা ভাষায় কথা বলতে শেখে। বাংলা ভাষা ব্যতীত বাঙালি অস্তিত্বহীন। বাঙালিরা মাকে যেমন ভালোবাসে বাংলা ভাষাকেও তেমনি ভালোবাসে। তাই এ ভাষা মিশে আছে বাঙালির অন্তরের সঙ্গে। উদ্দীপকে বাংলা ভাষার জন্য বাঙালির ত্যাগের কথা বলা হয়েছে। মানুষ যে জিনিসের জন্য ত্যাগ করে থাকে সে তা ভালোবাসে। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলে এবং নিজেদের বুকের রক্তে লিখেছিল রাষ্ট্রভাষা বাংলার নাম। ভাষা একটি জাতির অমূল্য সম্পদ। ভাষা জাতিকে বিশ্ব দরবারে পরিচিতি এনে দেয়। সেক্ষেত্রে বাংলা ভাষার গুরুত্ব অনস্বীকার্য। তাই

সপ্তম শ্রেণির বাংলা এই অক্ষরে Read More »

সপ্তম শ্রেণির বাংলা সাম্য

সাম্য সুফিয়া কামাল সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ অমিত সাহেব একটি পাঠাগার স্থাপনের জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। কিন্তু তাঁর একার পক্ষে এত বিশাল কাজ সম্পাদন কোনোভাবেই সম্ভব হচ্ছে না। তিনি কারো সহযোগিতা নিতে সম্মত নন। পরে গ্রামের সকল শ্রেণির মানুষের সার্বিক সহযোগিতায় পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়। এখন সবাই পাঠাগার থেকে বই সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় জ্ঞান আহরণ করতে পারছে। ক. ‘সাম্য’ কবিতায় কোনটির মাধ্যমে জীবন মহীয়ান হয়? খ. ‘সংগ্রামে সাহসে প্রজ্ঞা’ দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? গ. অমিত সাহেবের চরিত্রে ‘সাম্য’ কবিতার বৈসাদৃশ্যের দিকটি ব্যাখ্যা কর। ঘ.“উদ্দীপকের মূলভাব যেন ‘সাম্য’ কবিতারই প্রতিরূপ” বিশ্লেষণ কর। ক ‘সাম্য’ কবিতায় কর্মের মাধ্যমে জীবন মহীয়ান হয়। খ সংগ্রামে আর সাহসে প্রজ্ঞা দ্বারা কর্মবীর মানুষের গুণাবলিকে বোঝানো হয়েছে। মানুষ যুগে যুগে মহতী কর্মের স্বাক্ষর রেখেছে তাদের সংগ্রাম, সাহস আর প্রজ্ঞা দিয়ে। জীবনযুদ্ধে জয়ী হতে হলে সাহস, বুদ্ধিমত্তা আর লড়াই করার মানসিকতা নিয়েই এগিয়ে যেতে হয়। নতুবা সামান্য বাধা পেলেই যে থমকে দাঁড়ায়। সে জীবনে সফল হতে পারে না তাই দৃঢ়তা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। গ ‘সাম্য’ কবিতার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় কাজ করার কথা বলা হলেও উদ্দীপকের অমিত সাহেব নিজ উদ্যোগে পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছেন। ‘সাম্য’ কবিতায় কবি বলেছেন, কোনো বড় কাজ মানুষ একা করতে পারে না। মানুষের মিলিত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়েই তা সম্ভব হয়ে থাকে। পৃথিবীর দেশে দেশে মানুষ ঐক্যবদ্ধ ও কঠোর শ্রমের মাধ্যমেই বড় বড় সাফল্য অর্জন করেছে। মানবসভ্যতায় বর্তমান অগ্রগতি শুধু সম্মিলিত কাজের মধ্য দিয়েই বাস্তবায়িত হয়েছে। উদ্দীপকে অমিত সাহেবের উদ্দেশ্য অনেক মহৎ। তিনি পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছেন ব্যক্তিগত উদ্যোগে। কারো সহযোগিতা তিনি নেবেন না কিছুতেই। তাই তার প্রচেষ্টা সফল হয়নি। পরবর্তী সময়ে সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে তা সম্ভব হয়েছিল। ‘সাম্য’ কবিতার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বড় বড় কাজ সম্পাদনের কথা বলা হলেও উদ্দীপকের অমিত সাহেব তা করেননি। সেদিক দিয়ে অমিত সাহেবের চরিত্র ‘সাম্য’ কবিতায় সাথে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ। ঘ উদ্দীপকে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পাঠাগার প্রতিষ্ঠার ঘটনাটি ‘সাম্য’ কবিতার প্রতিরূপ হয়ে উঠেছে। ‘সাম্য’ কবিতায় মানুষের মিলিত প্রচেষ্টায় বড় বড় মহৎ কর্ম সম্পাদনের কথা বলা হয়েছে। একা একা কোনো বড় কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। পৃথিবীর বহু দেশ উন্নত হয়েছে সম্মিলিত কাজের মাধ্যমে। সাহস ও সম্মিলিত সাধনার মধ্য দিয়েই মানুষ পৃথিবীতে তার বিজয় পতাকা ঊর্ধ্বে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে। উদ্দীপকে অমিত সাহেব কারো সহযোগিতা ছাড়াই ব্যক্তিগত উদ্যোগে পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি সফল হন নি। পরবর্তী সময় ঐ এলাকায় সকল জনগণের সম্মিলিত উদ্যোগে পাঠাগার প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়েছে। সবাই এখন পাঠাগার থেকে বই সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় জ্ঞান আহরণ করতে পারছে। উদ্দীপকে অমিত সাহেব ব্যক্তিগত উদ্যোগে পাঠাগার প্রতিষ্ঠার চেষ্টা ব্যর্থ হলেও পরবর্তীতে পাঠাগার প্রতিষ্ঠার মতো মহৎ কর্মটি সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সম্পন্ন হয়েছে। পাঠাগার থেকে সবাই জ্ঞান আহরণ করতে পারছে। ‘সাম্য’ কবিতায় সেই সত্যটিই কবি গভীর ব্যঞ্ছনায় তুলে ধরেছেন। তাই বলা যায় উদ্দীপকের মূলভাব যেন সাম্য কবিতারই প্রতিরূপ। প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ বন্যার পানিতে রাস্তা ভেঙে গেছে। পানি গ্রামে ঢুকছে। রাস্তা মেরামত না করলে গ্রাম তলিয়ে যাবে। লোকজন চলে এলো। সবাই কাজে নামল। কোদাল খুন্তা দিয়ে মাটি কেটে তারা বস্তা ভরল। হাতে হাত ধরে যুবকেরা ¯্রােতের মধ্যে নেমে পড়ল। জীবনের ঝুঁকি নিয়েও তারা স্রোতকে হার মানালো। সবাই সম্মিলিত চেষ্টায় রাস্তা ঠিক হলো বেঁচে গেল গ্রাম। ক. ‘সমুন্নত’ অর্থ কী? ১ খ. ‘শতেকের সাথে শতেক হস্ত’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে। ব্যাখ্যা কর। ২ গ. উদ্দীপকের সাথে ‘সাম্য’ কবিতার সাদৃশ্য উপস্থাপন কর? ৩ ঘ.উদ্দীপকটি যেন ‘সাম্য’ কবিতার প্রতিচ্ছবি- বিশ্লেষণ কর। ৪ ক ‘সমুন্নত’ অর্থ অতিশয় উঁচু। খ ‘শতেকের সাথে শতেক হস্ত’ বলতে মিলেমিশে কাজ করাকে বোঝানো হয়েছে। কোনো বড় কাজ কেউ একা করতে পারে না। এর জন্য প্রয়োজন হয় সকলের সম্মীলিত অংশগ্রহণ। পৃথিবীর অনেক মহৎ কাজের পেছনেই ছিল মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টা। হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করার বিষয়ে ‘শতেকের সাথে শতেক হস্ত’ কথাটি বলা হয়েছে। গ সম্মিলিত প্রচেষ্টায় কাজ করার দিক দিয়ে উদ্দীপকের সাথে ‘সাম্য’ কবিতার সাদৃশ্য রয়েছে। ‘সাম্য’ কবিতায় কবি সুফিয়া কামাল বলতে চেয়েছেন, কোনো বড় কাজ কেউ একা করতে পারে না। সেজন্য দরকার হয় মানুষের মিলিত অংশগ্রহণ। পৃথিবীর বড় বড় কীর্তি ও মহৎ কাজের পেছনে রয়েছে মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টা। সম্মিলিত সাধনা ও সংগ্রামের মধ্য দিয়েই মানুষ এই পৃথিবীতে তার বিজয় ঘোষণা করেছে। উদ্দীপকে ও দেখা যায় বন্যার পানিতে রাস্তা ভেঙে গ্রামে পানি ঢুকছে। রাস্তা মেরামত না করলে গ্রাম তলিয়ে যাবে। তাই গ্রামবাসী যুবকেরা হাতে হাত ধরে, কোদাল-শাবল নিয়ে নেমে পড়ল রাস্তা মেরামতে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা সবাই মিলে রাস্তা ঠিক করল। ফলে গ্রামবাসীর জীবন রক্ষা পেল। উদ্দীপকের এই সম্মিলিত সফলতার কথাই ‘সাম্য’ কবিতার বলা হয়েছে। সম্মিলিত কাজে অসাধ্য সাধন করা যায় সেটিই উদ্দীপক ও কবিতার প্রমাণিত। তাই উদ্দীপকের সাথে ‘সাম্য’ কবিতার সম্মিলিতভাবে কাজ করার ক্ষেত্রে সাদৃশ্য রয়েছে। ঘ অন্তর্নিহিত ভাবের দিক দিয়ে উদ্দীপকটি যেন ‘সাম্য’ কবিতার প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছে। ‘সাম্য’ কবিতায় মানুষের সফলতা ও মহৎ কাজের পেছনে সম্মিলিত কাজের গুরুত্বকে তুলে ধরা হয়েছে। সকলকে নিয়ে সম্মিলিত কাজের মধ্যদিয়েই পৃথিবীর বহু দেশ, বহু জনগোষ্ঠী উন্নতির শিখরে অবস্থান করেছেন। একা একা কোনো বড় কাজই করা সম্ভব নয়। সম্মিলিত সাধনা ও সংগ্রামের মধ্যদিয়েই মানুষ পৃথিবীতে বিজয়ীর বেশে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। উদ্দীপকে ভেঙে যাওয়া রাস্তা মেরামতের জন্য গ্রামের যুবকরা ও লোকজন মিলে কোদাল-শাবল নিয়ে লেগে গেল। রাস্তাটি রক্ষা করতে না পারলে গ্রামটিকে বাঁচানো যাবে না। তাই সম্মিলিত চেষ্টায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তা মেরামত করা হয়। ‘সাম্য’ কবিতার যেমন ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় যাবতীয় মহৎকর্ম সম্পাদনের কথা বলা হয়েছে উদ্দীপকেও তেমনি সবাই মিলে একটি বড় কাজ সম্পাদন করেছে। রাস্তাটি মেরামত না হলে ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি সংঘটিত হতো। তাই বলা যায়, উদ্দীপকটি যেন ‘সাম্য’ কবিতাই প্রতিচ্ছবি। প্রশ্ন- ২ ল্ফল্ফ রহিম সাহেব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। তিনি সবার মঙ্গলের জন্য কাজ করেন। তবে যারা নির্বাচনের সময় তার বিরোধিতা করেছিল তাদের জন্য কাজ করেন না। তারা কাজের জন্য তার কাছে এলে তিনি বলেন যাকে ভোট দিয়েছ তার কাছে যাও। তাই তার ইউনিয়নের কোনো কোনো এলাকার উন্নয়ন হলো আর কোনো কোনো এলাকা অনুন্নতই থাকল। ক. ‘মহীয়ান’ শব্দের অর্থ কী? ১ খ. ‘কর্মের আহŸানে অনন্তকাল চলে- বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ২ গ. উদ্দীপকের সাথে সাম্য কবিতার বৈসাদৃশ্যগুলো তুলে ধর। ৩ ঘ.“উদ্দীকের রহিম সাহেব সাম্য সৃষ্টিতে অন্তরায়।”  কথাটি উদ্দীপক ও সাম্য কবিতার আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪ ক ‘মহীয়ান’ শব্দের অর্থ সুমহান। খ ‘কর্মের আহŸানে অনন্তকাল চলে’- বলতে বোঝানো হয়েছে মানুষ কর্মের মাঝেই অনন্তকাল বেঁচে থাকে। কর্মই মানুষকে মহীয়ান গরীয়ান করে। যুগ যুগ ধরে পৃথিবী চলে এসেছে কর্মচাঞ্চল্যের মধ্য দিয়ে। কর্মই জীবন। কর্মই মানুষকে গতিশীল করে রেখেছে। গ ‘সাম্য’ কবিতায় কর্মের মধ্য দিয়ে সমুন্নত হওয়ার কথা বলা হলেও উদ্দীপকে চেয়ারম্যানের উন্নয়ন কর্মকান্ডে কোনো কোনো এলাকা অনুন্নত থেকে গেছে সেদিক দিয়ে উদ্দীপক ও কবিতার মূলভাব বৈসাদৃশ্যপূর্ণ। ‘সাম্য’

সপ্তম শ্রেণির বাংলা সাম্য Read More »

সপ্তম শ্রেণির বাংলা শ্রাবণে

শ্রাবণে সুকুমার রায়  কবি পরিচিতি নাম সুকুমার রায়। জন্ম ও পরিচয় সুকুমার রায় ১৮৮৭ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। সুকুমার রায় বিখ্যাত শিশু সাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরীর পুত্র এবং বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার ও শিশু সাহিত্যিক সত্যজিত রায়ের পিতা। কর্মজীবন সুকুমার রায় ছিলেন বহুমখী প্রতিভার অধিকারী। তিনি প্রেসিডেন্সি কলেজে লেখাপড়া করেন। তিনি বিজ্ঞান, ফটোগ্রাফি, মুদ্রণ-প্রকৌশলেও উচ্চ শিক্ষা নিয়েছিলেন। এছাড়া কর্মজীবনে তিনি ‘সন্দেশ’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। সাহিত্যকর্ম সুকুমার রায় বাংলা সাহিত্যে অমর হয়ে আছেন প্রধানত হাস্যরসাত্মক কবিতা, হাসির গল্প, নাটক ইত্যাদি শিশুতোষ রচনার জন্য। তাঁর আবোল তাবোল, হ-য-ব-র-ল , পাগলা দাশু, বহুরূপী, খাইখাই ও অন্যান্য অতুলনীয় লেখার জন্য তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন। জীবনাবসান সুকুমার ১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দের মৃত্যুবরণ করেন।  সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ উদ্দীপক (১) আজিকার রোদ ঘুমায়ে পড়িছে- ঘোলাটে মেঘের আড়ে, কেয়া বন পথে স্বপন বুনিছে- ছল ছল জলধারে। কাহার ঝিয়ারী কদম্ব শাখে- নিঝ্ঝুম নিরালায়, ছোট ছোট রেণু খুলিয়া দিয়াছে- অস্ফুট কলিকায়। উদ্দীপক (২) কেউবা রঙিন কাঁথায় মেলিয়া বুকের স্বপনখানি, তারে ভাষা দেয় দীঘল সূতার মায়াবী আখর টানি। ক. প্রাণখোলা বর্ষায় কে স্নান করে? খ. ‘উন্মাদ শ্রাবণ’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? গ. ১ম উদ্দীপকে ‘শ্রাবণে’ কবিতায় বর্ণিত বর্ষার কোন দিকটি চিত্রিত হয়েছে? বর্ণনা কর। ঘ.২য় উদ্দীপকটি ‘শ্রাবণে’ কবিতার শেষ চরণে প্রতিফলিত হয়েছে কি?- যুক্তিসহ বিচার কর। ক প্রাণখোলা বর্ষায় গাছপালা ¯œান করে। খ শ্রাবণ মাসে অবিরাম ধারা বর্ষণ ঘটে বলে শ্রাবণকে উন্মাদ শ্রাবণ বলা হয়েছে। শ্রাবণে বৃষ্টির ধারা বর্ষণের শেষ থাকে না। শুধু নামতেই থাকে আর নামতেই থাকে এবং তা চতুর্দিক প্লাবিত করে দেয়। গ ১ম উদ্দীপককে ‘শ্রাবণে’ কবিতায় বর্ণিত রুক্ষ প্রকৃতিকে জলে সিক্ত করার দিকটি ফুটে উঠেছে। ‘শ্রাবণে’ কবিতায় বর্ষার জলে গাছপালা নদী-নালা থেকে শুরু করে রুক্ষ প্রকৃতি মুহূর্তেই জলে পরিপূর্ণ হয়। প্রকৃতিতে প্রাণের সঞ্চার ঘটে। গ্রীষ্মকালের রোদের চি‎হ্ন ধুয়ে মুছে প্রকৃতির তপ্ত হৃদয় সিক্ত হয়। গাছপালারা বর্ষার জলে ¯œান করে ধুলোবালি মুক্ত হয়ে শুদ্ধ হয়। উদ্দীপক-১ এ বর্ণিত হয়েছে মেঘপূর্ণ আকাশে কীভাবে রোদের তীব্রতা নিঃশেষিত হয়েছে। রোদ বা সূর্য তার তীব্রতা ছড়িয়ে মেঘের আড়ালে লুকিয়ে পড়েছে। জলময় হয়ে পড়েছে কেয়াবন, কার ঝিয়ারী যেন নিঝুম নিরালায় কদম্ব বনের শাখে তার ছোট ছোট রেণু খুলে দিয়েছে। অর্থাৎ রৌদ্রের কাঠিন্যমুক্ত হয়ে প্রকৃতির মধ্যে যেন একটা স্বপ্ন জেগে উঠেছে। ‘শ্রাবণে’ কবিতায় একইভাবে বর্ষার প্রকৃতি পরিবর্তিত হয়ে নতুন রূপ ধারণ করেছে। বৃষ্টির কারণে প্রকৃতির শুষ্কতা দূরীভ‚ত হয়ে তা সিক্ত হয়ে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। ঘ ২য় উদ্দীপকটিতে ‘শ্রাবণে’ কবিতার শেষ চরণের ভাবধারা প্রতিফলিত হয়েছে। ‘শ্রাবণে’ কবিতার কবি সুকুমার রায় অপরিসীম দক্ষতায় শ্রাবণ দিনে বর্ষা প্রকৃতিকে কীভাবে বদলে দেয় তার অপরূপ বর্ণনা উপস্থাপন করেছেন। পাশাপাশি তুলে ধরেছেন প্রকতির এই পরিবর্তনের সাথে পরিবর্তিত মানব মনের রূপটি। অর্থাৎ প্রকৃতির সাথে মানব মনেরও রূপ বদলায়। উদ্দীপকে ফুটে উঠেছে মানব মনের চিরন্তন স্বপ্নময়তা। মানুষ বেঁচে থাকে স্বপ্নের মধ্য দিয়ে। রঙিন কাঁথার মতো করেই সে যেন তার স্বপ্নের জাল বিস্তার করে। রঙিন কাঁথায় ফুল তোলার মতোই তার স্বপ্নকে বুনন করে। রঙিন কাঁথার মতোই মেলে ধরতে প্রয়াসী হয় মনের অন্তহীন ভাবনা কল্পনাকে। দীঘল সুতা মায়াাবী অক্ষর দিয়েই সে লিখে যায় তার মনের কথাগুলো। ‘শ্রাবণে’ কবিতার বলা হয়েছে ঋতুর পালাবদলের মতো মানব-মনের আশা-আকাক্সক্ষা ও সুখ-দুঃখের পালাবদল ঘটে। তাছাড়া বর্ষার প্রবল বর্ষণ মানব মনে গভীর প্রভাব বিস্তার করে। মনের এক ধরনের শূন্যতা থেকে তার কল্পনা শাখা-প্রশাখা বিস্তার করে। উদ্দীপক (২)-এ যেন সেই কথারই প্রতিধ্বনি। কল্পনার রঙিন কাঁথা সেলাইয়ের মধ্যদিয়ে সেই ভাব কল্পনা লাভ করেছে। প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ “নীল নবঘনে আষাঢ় গগনে তিল ঠাঁই আর নাহি রে। ওগো আজ তোরা যাস নে ঘরের বাহিরে। বাদলের ধারা ঝরে ঝর-ঝর। আউশের খেত জলে ভর-ভর কালী মাখা মেঘে ওপারে আঁধার ঘনিয়ে দেখ চাহি রে।” ওগো আজ তোরা যাস নে ঘরের বাহিরে। ক. ‘জর্জর’ শব্দের অর্থ কী? ১ খ. ‘অফুরান নামতায় বাদলের ধরাপাত’- কথাটি ব্যাখ্যা করো। ২ গ. উদ্দীপকের কবিতাংশের সাথে শ্রাবণ কবিতার সাদৃশ্য ব্যাখ্যা কর। ৩ ঘ.উদ্দীপকটি ‘শ্রাবণে’ কবিতার সামগ্রিক ভাবার্থ ধারণ করতে পেরেছে কি? যুক্তিসহ ব্যাখ্যা কর। ৪ ক ‘জর্জর’ শব্দের অর্থ কাতর। খ গণিতে ‘নামতা’ বলতে বোঝায় গুণ করার ধারাবাহিক তালিকা। ধারাপাত হলো অঙ্ক শেখার প্রাথমিক বই। এ কবিতায় বৃষ্টি ধারার পতনকে বলা হচ্ছে ধারাপাত। বৃষ্টির পতনের অবিরাম রিমঝিম ধ্বনি অনেকটা যেন শিশুদের নামতা পড়ার শব্দের মতো। গ বর্ষার দিনে প্রবল বৃষ্টিপাতের দিকটি তুলে ধরার ক্ষেত্রে উদ্দীপকের কবিতাংশের সাথে শ্রাবণে কবিতা সাদৃশ্যপূর্ণ। ‘শ্রাবণে’ কবিতায় বলা হয়েছে, বর্ষার জলে গাছাপালা নদী-নালা থেকে শুরু করে সর্বত্র জলে পরিপূর্ণ হয়। সারাদিন ধরে অবিরাম জল ঝরতে থাকে। গাছপালারা যেন প্রাণখোলা বর্ষার স্নান করে। কবিও যেন শ্রাবণে শুধু একই গান শুনতে পান ঢালো জল, ঢালো জল। বর্ষার চিরচেনা এ দৃশ্যই ‘শ্রাবণে’ কবিতার সকল পঙ্ক্তিতে প্রতিফলিত। উদ্দীপকের কবিতাংশে আষাঢ় দিনের বাদল বা বৃষ্টির ধারার কথা বলা হয়েছে। সে সময় আউশের খেত থাকে জলে ভর-ভর। কালী-মাখা মেঘে যেভাবে আঁধার ঘনিয়ে আসে তাতে কবি কারোর বাইরে যাওয়া নিরাপদ মনে করেন না এবং সবাইকে বাইরে না যাবার অনুরোধ করেছেন। ‘শ্রাবণে’ কবিতা ও উদ্দীপকে আমরা বর্ষা দিনের প্রবল বর্ষণ ও বর্ষা প্রকৃতির প্রকাশই লক্ষ করি। ঘ ‘শ্রাবণে’ কবিতার সকল দিক উদ্দীপকে প্রকাশিত না হওয়ায় তা সামগ্রিক ভাবার্থ ধারণ করতে পারেনি। ‘শ্রাবণে’ কবিতার কবি সুকুমার রায় বৃষ্টিস্নাত প্রকৃতির এক অপরূপ বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি বর্ণনা দিয়েছেন গ্রীষ্মের দাবদাহে জর্জরিত প্রকৃতি অবিরাম বর্ষার স্নান করে কীভাবে সজীব ও প্রাণবন্ত রূপ ধারণ করে সেই ছবি। বর্ষার জলে গাছপালা নদী-নালা থেকে শুরু করে রুক্ষ প্রকৃতি মুহ‚র্তেই জলে পরিপূর্ণ হয়। প্রকৃতিতে প্রাণের সঞ্চার হয়। ঋতুর পালাবদলের মতো মানব-মনের আশা-আকাক্সক্ষা, সুখ-দুঃখের পালাবদল ঘটে। উদ্দীপকে উল্লিখিত হয়েছে আষাঢ়ের ঘন-ঘোর বাদল দিনের কথা। মেঘ আঁধারের মতো ঘনিয়ে আসছে। তাই কবি সকলকে নিষেধ করেছেন বাইরে যেতে। বাদলের এই ধারা ঝর-ঝর ঝরতে থাকে। আউশের খেত তখন থাকে জলে পরিপূর্ণ। উদ্দীপক ও ‘শ্রাবণে’ কবিতা বিশ্লেষণ করলে আমরা পাই- উদ্দীপকে শুধু বর্ষার ঘন বৃষ্টিপাত ও ঘনঘোর পরিবেশের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ‘শ্রাবণে’ কবিতায় প্রবণ বর্ষণ ছাড়াও রুক্ষ প্রকৃতির সজীব প্রাণবন্ত হওয়া, সর্বত্র জলে পরিপূর্ণ হওয়া ঋতুর পালাবদলের সাথে মানুষের সুখ-দুঃখের পালাবদল ইত্যাদি বিষয় উল্লিখিত হয়েছে। তাই উদ্দীপকটি ‘শ্রাবণে’ কবিতার সামগ্রিক ভাবার্থ ধারণ করতে পারেনি। প্রশ্ন- ২ ল্ফল্ফ (র) ধেয়ে চলে আসে বাদলের ধারা নদী ধান্য দুলে দুলে সারা, কুলায় পাখির বাসা কাঁপিছে কাতর কপোত, দাদুরি ব্যাঙ ডাকিছে সঘনে বারবার। (রর) নবতৃণদলে ঘনবনছায়ে হরষ আমার দিয়েছি বিছায়ে পুলকিত নীপ-নিকুঞ্জে আজি বিকশিত প্রাণ জেগেছে। ক. নদীনালা কেমন জলে ভরে ওঠে? ১ খ. ‘অবিরাম এক গান, ঢালো জল, ঢালো জল’- কথাটি দিয়ে কী বুঝানো হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ২ গ. ১ম ও ২য় উদ্দীপকটি ‘শ্রাবণে’ কবিতার মূলভাব সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ কী? ব্যাখ্যা কর। ৩ ঘ.‘২য় উদ্দীপকের শেষ দু’লাইন ও ‘শ্রাবণে’ কবিতার শেষ দু’লাইন সমার্থক’- কথাটি যুক্তিসহ বিশ্লেষণ কর। ৪ ক নদীনালা

সপ্তম শ্রেণির বাংলা শ্রাবণে Read More »

সপ্তম শ্রেণির বাংলা সবার আমি ছাত্র

সবার আমি ছাত্র সুনির্মল বসু লেখক ও রচনা সম্পর্কিত তথ্য নাম সুনির্মল বসু। জন্ম পরিচয় জন্ম : ১৯০২ খ্রিষ্টাব্দে। জন্মস্থান : পশ্চিমবঙ্গের বিহার। পৈতৃক নিবাস : বৃহত্তর ঢাকার বিক্রমপুর। শিক্ষাজীবন ১৯২০ সালে পাটনা থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাস। কলকাতায় সেন্ট পলস কলেজে অধ্যয়নকালীন সময়ে মহাত্মা গান্ধির অসহযোগে আন্দোলনে যোগদান পরবর্তী সময় অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রতিষ্ঠিত আর্ট কলেজে কিছুকাল পড়াশোনা করেন। কর্মজীবন/পেশা শিশু পাক্ষিক ‘কিশোর এশিয়া’র পরিচালক, বঙ্গসাহিত্য সম্মেলনের শিশু সাহিত্য শাখায় সভাপতিত্ব করেন। সাহিত্য সাধনা গ্রন্থ : ছানাবড়া, বেড়ে মজা, হৈচৈ, হুলস্থূল, কথা শেখা, পাততাড়ি, মরণের ডাক, ছন্দের টুংটাং, আনন্দ লডু, শহুরে মামা, কিপটে ঠাকুর্দা, বীর শিকারি, কবিতা শেখা, ছন্দের গোপন কথা, আমার ছড়া, পাহাড়ে জঙ্গলে, জীবন খাতার কয়েক পাতা। পুরস্কার ও সম্মাননা ১৯৫৬ সালে ভুবনেশ্বরী পদক লাভ করেন। জীবনাবসান ১৯৫৭ সালের ২৫ ফেব্রæয়ারি।  সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ ১. উদ্দীপক ১ম অংশ : মক্কার পথে প্রান্তরে পৌত্তলিকের প্রস্তরঘায়ে মহানবি আহত হইয়াছেন, ব্যঙ্গ বিদ্রƒপে বারবার উপহাসিত হইয়াছেন; কিন্তু তাহার অন্তর ভেদিয়া একটি মাত্র প্রার্থনার বাণী জাগিয়াছে;- ‘এদের জ্ঞান দাও প্রভু, এদের ক্ষমা কর’। ২. উদ্দীপক ২য় অংশ : মহানবি হযরত মুহম্মদ (স.) সবার আদর্শ ও অনুকরণীয়ও বটে। সদা হাস্যোজ্জ্বল ও মিষ্টভাষী মহানবি সবার কাছে ‘মাটির মানুষ’। তাঁর সান্নিধ্যে সবাই যেমন কাজে গতি পেত, তেমনি সবাই তার কাছ থেকে শিখেছিল সুন্দর সুন্দর চিন্তা করতে। আর প্রয়োজনে কঠিন হতেও তিনি পিছপা হতেন না। ক. কোনটি আমাদেরকে ‘দিল খোলা’ হওয়ার শিক্ষা দেয়? খ. ‘সবার আমি ছাত্র’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন? গ. উদ্দীপকের ১ম অংশে ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতার কোন অংশের পরিচয় রয়েছে- ব্যাখ্যা কর। ঘ.মহানবি হযরত মুহম্মদ (স.) এর জীবনাদর্শ যেন মানুষের জন্য ‘বিশ্বজোড়া পাঠশালা’র মতোই- উদ্দীপক ও কবিতার আলোকে বিশ্লেষণ কর। ক খোলা মাঠের উপদেশ আমাদেরকে ‘দিল খোলা’ হওয়ার শিক্ষা দেয়। খ ‘সবার আমি ছাত্র’ বলতে পৃথিবীর সকল বস্তু বা ব্যক্তির কাছ থেকে শিক্ষা লাভের কথা বলা হয়েছে। মানুষ মানুষের কাছে শিক্ষা লাভ করে এটা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু এই মানুষ প্রকৃতির কাছেও কীভাবে শিক্ষা লাভ করে তাই চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতায়। কারণ আকাশ, পাহাড়, বায়ু, খোলা মাঠ, চাঁদ, সূর্য, নদী, মাটি, ঝরনা, বনানী প্রভৃতির কাছে মানব চরিত্রের সকল গুণের শিক্ষা লাভ করা যায়। গ উদ্দীপকের ১ম অংশে ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতায় উল্লিখিত সহিষ্ণুতার শিক্ষা অংশের পরিচয় রয়েছে। ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতায় কবি সুনির্মল বসু এক অপূর্ব ছন্দে প্রকৃতির কাছ থেকে সকলকে শিক্ষা নেওয়ার কথা বলেছেন। তিনি মনে করেন আমরা প্রকৃতির সন্তান। প্রকৃতির কাছে তাই অনেক কিছু শিক্ষা নেওয়ার আছে। আকাশের কাছে উদার হবার দীক্ষা নিতে পারি। মাটির কাছে শিক্ষা নিতে পারি সহিষ্ণুতার।কারণ মাটি তার উপর সংঘটিত সবকিছু সহ্য করে নেয়। মাটির উপর যতই আঘাত আসুক না কেন সে থাকে স্থির নিশ্চুপ। কবি তাই আমাদের মাটির মতো সহিষ্ণু হতে বলেছেন। কারণ সহিষ্ণুতা মানুষের জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ মানবীয় গুণ। উদ্দীপকে উল্লিখিত হয়েছে মহানবি (স.) পৌত্তলিকদের পাথরের আঘাতে আহত হয়েছেন। তাদের ব্যঙ্গ বিদ্রæপে বারবার উপহাসিত হয়েছেন। অকথ্য নির্যাতন সহ্য করেছেন। কিন্তু মহানবি তাদের উদ্দেশ্যে মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছেন, এদের জ্ঞান দাও প্রভু, এদের ক্ষমা কর। সহিষ্ণুতায় এমন নজির পৃথিবীতে বিরল। উদ্দীপকে কবি মাটির কাছে সহিষ্ণুতা শিক্ষা লাভ করতে বলেছেন। তাই উদ্দীপকের ১ম অংশে ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতায় সহিষ্ণুতা লাভের পরিচয় রয়েছে। ঘ “মহানবি হযরত মুহম্মদ (স.) এর জীবনাদর্শ যেন মানুষের জন্য বিশ্বজোড়া পাঠশালায় মতোই”- উক্তিটি যথার্থ। ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতায় কবি জীবনের এক চরম সত্য তুলে ধরেছেন। তিনি বলতে চেয়েছেন শুধু বিদ্যালয় নয়, প্রকৃতি থেকে আমরা শিক্ষা নিতে পারি। কবির মতে, আমরা আকাশের কাছে উদারতা, পাহাড়ের কাছে মৌন-মহান এবং মাটির কাছে সহিষ্ণুতা ইত্যাদি শিখতে পারি। শিখতে পারি চাঁদ, সূর্য, নদী, ঝরনা, বনানীর কাছ থেকেও। তাই শিক্ষাগুণেই পরিপূর্ণ মানুষ হতে সহায়তা করবে। উদ্দীপকে মহানবি (স.)কে একজন পরিপূর্ণ মহামানব হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। মক্কার পথে প্রান্তরে পৌত্তলিকদের পাথরের আঘাতে রক্তাক্ত ও জর্জরিত হয়েও তিনি তাদের প্রতি কোনো প্রতিশোধ নেননি। প্রতিশোধ গ্রহণ না করে সহিষ্ণুতায় চরম উদাহরণ পেশ করেছেন। আবার তিনি মাটির মানুষ হিসেবে কোমল ব্যবহার দিয়ে সকলের মনও জয় করেছেন। তাঁর কাছে সবাই নতুন পথের দিশা পেয়েছে। তাঁর নিকট থেকে সবাই সুন্দর সুন্দর চিন্তা করতে শিখেছে। অন্যায়ের প্রতি তিনি আবার কঠোর হয়ে সুবিচার নিশ্চিত করেছেন। উদ্দীপকে আমরা মহানবি (স.) একজন মানবীয় গুণসম্পন্ন পরিপূর্ণ মানুষ রূপে পাই। তার কাছে আমরা সকল সৎ গুণাবলির শিক্ষা নিতে পারি। আবার ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতায় উল্লিখিত প্রকৃতির কাছে আমরা বিভিন্ন বিষয়ে দীক্ষা নিতে পারি। যা আমাদেরকে কল্যাণের পথে নিয়ে যাবে। তাই একথা নিঃসন্দেহে বলা যায় মহানবি হযরত মুহম্মদ (স.) -এর জীবনাদর্শ যেন মানুষের জন্য বিশ্বজোড়া পাঠশালার মতোই। প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ রানাদের ক্লাসে বাংলা স্যার পড়াচ্ছেন তিনি বললেন, তোমরা উদার হও, পৃথিবীর কাছে শিক্ষা নাও। মানুষের কাছে শিক্ষা নাও। রানা বাংলা স্যারকে জিজ্ঞাসা করল, স্যার, পৃথিবীর কাছ থেকে আমরা শিক্ষা নিব কীভাবে? স্যার বললেন, পৃথিবীর সমস্ত কিছু নিদিষ্ট নিয়মে চলে। এই নিয়মনিষ্ঠা জীবনের সকল ক্ষেত্রে অনুসরণ করলে জীবন সার্থক হবে। ক. ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতায় কে উদার হতে শিক্ষা দেয়? ১ খ. ‘সূর্য আপন তেজে জ্বলতে মন্ত্রণা দেয়’- বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ২ গ. উদ্দীপকের বাংলা স্যারের বক্তব্যের সাথে ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতার সাদৃশ্য ব্যাখ্যা কর। ৩ ঘ.উদ্দীপকের রানার প্রশ্নটির উত্তর প্রকাশিত হয়েছে সবার আমি ছাত্র কবিতায় কথাটি সবার আমি ছাত্র ও উদ্দীপকের আলোকে বিশ্লেষণ কর? ৪ ক ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতায় উদার হতে শিক্ষা দেয় আকাশ। খ কবি প্রশ্নোক্ত চরণটিতে সূর্যের দীপ্ততার কথা প্রকাশ করেছেন। প্রকৃতি আমাদের শিক্ষক। সূর্য প্রকৃতির সবচাইতে বড় শক্তিদাতা। সূর্যের আলো ও তাপে প্রকৃতি প্রাণ ফিরে পায়। আমরা মানুষ সূর্যের কাছে যদি দীপ্ততার শিক্ষা নেই। তাহলে সততার বলে বলীয়ান হয়ে বেঁচে থাকতে পারব। আর সেই মন্ত্রণাই হয়তো সূর্য মানুষকে দেয়। এ কথাই এই চরণটিতে প্রকাশিত। গ উদ্দীপকটির মধ্যে প্রকাশিত বাংলা স্যারের বক্তব্য ও মতামতের সাথে কবি সুনির্মল বসু রচিত কবিতা ‘সবার আমি ছাত্র’ এর বক্তব্যগত সাদৃশ্য লক্ষ করা যায়। ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতায় আমরা দেখতে পাই। কবি প্রকৃতির আকাশ, বাতাস, নদী, মাটি, সমুদ্র, ঝরনা, সবুজ শ্যামলিমা এসব কিছুর কাছে শিক্ষা নিতে বলেছেন। কারণ কবি মনে করেন, প্রকৃতি হচ্ছে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক। আমরা যেমন মায়ের কাছে প্রথম কথা বলতে শিখি, মায়ের ভাষায়। তেমনি প্রকৃতি আমাদের মা। প্রকৃতির মাঝেই সব শিখতে হবে। অন্যদিকে উদ্দীপকে আমরা দেখি বাংলা স্যার তার ক্লাসের ছাত্রদের বলছেন, উদার হতে, পৃথিবী ও পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জীব মানুষের কাছে শিক্ষা নিতে। পৃথিবীর নিয়ম নিষ্ঠার কাছে পাঠ নিয়ে নিজের জীবন সার্থক করতে। স্যার যথার্থই বলেছেন। পৃথিবীই যথার্থ শিক্ষক। পৃথিবীর ব্যাপ্তি ও দান মানুষের কাছে শিক্ষার বিষয়। সুতরাং এভাবে দেখা যায় উদ্দীপক ও ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতায় বক্তব্য সাদৃশ্য রয়েছে। ঘ প্রশ্নের উদ্দীপকে রানা তার

সপ্তম শ্রেণির বাংলা সবার আমি ছাত্র Read More »

সপ্তম শ্রেণির বাংলা শোন একটি মুজিবরের থেকে

শোন একটি মুজিবরের থেকে গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার  কবি পরিচিতি নাম গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার। জন্ম পরিচয় জন্ম : ১৯২৪ খ্রিষ্টাব্দ। জন্মস্থান : পাবনা জেলার ফরিদপুর উপজেলার গোপালনগর গ্রামে। শিক্ষাজীবন শৈশবে কলকাতা গিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আবার পাবনায় ফিরে আসেন। সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ থেকে আইএ পাস করেন। ১৯৫১ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এমএ পাস করেন। পরে আবার বাংলা সাহিত্যে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। পেশা/কর্মজীবন প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়ার সময় তার গান রেকর্ড করে প্রচার করা হলে গীতিকার হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। পরবর্তী সময় চলচ্চিত্রের জন্য গান লেখার জন্য পুরোপুরিভাবে আত্মনিয়োগ করেন। সাহিত্য সাধনা তার রচিত বিখ্যাত সংগীত- শোন একটি মুজিবরের থেকে, আমরা সবাই বাঙালি, মাগো ভাবনা কেন, পথের ক্লান্তি ভুলে, কফি হাউসের সেই আড্ডাটা, ও নদীরে, নিশিরাত বাঁকা চাঁদ, মঙ্গল দীপ জ্বেলে, যদি হিমালয়-আল্পসের, ও পলাশ ও শিমুল, আকাশ কেন ডাকে সহ অসংখ্য গানের রচয়িতা। পুরস্কার ও সম্মাননা মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ‘মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা-২০১২ প্রদান করা হয়। জীবনাবসান প্রায় দশ বছর ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ১৯৮৬ খ্রিষ্টাব্দের ২০শে আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন।    সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ মুজিবুর রহমান ওই নামে যেন বিসুভিয়াসের অগ্নি-উগারী বাণ। বঙ্গদেশের এ প্রান্ত হতে সকল প্রান্ত ছেয়ে জ্বালায় জ্বলিছে মহাকালানল ঝঞ্ঝা অশনি বেয়ে। মায়ের বুকের ভায়ের বুকের বোনের বুকের জ্বালা, তব সম্মুখে পথে পথে আজ দেখায়ে চলিছে আলা। ক. কোন কবির চোখে বাংলাদেশ ‘রূপসী বাংলা’? খ. ‘অন্ধকারে পুব আকাশে উঠবে আবার দিনমণি’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? গ. উদ্দীপকের ২য় চরণে ‘শোন একটি মুজিবরের থেকে’ কবিতার কোন দিকটি ফুটে উঠেছে- ব্যাখ্যা কর। ঘ.উদ্দীপকটি ‘শোন একটি মুজিবরের থেকে’ কবিতার সম্পূর্ণ ভাব বহন করে কি? স্বপক্ষে যুক্তি দাও। ক জীবনানন্দের চোখে বাংলাদেশ ‘রূপসী বাংলা’। খ অন্ধকার পুর আকাশে উঠবে আবার দিনমণি- বলতে দুঃসময় কাটিয়ে সম্ভাবনার দিকে এগিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বাঙালির ওপর ১৯৭১-এ ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালালে জাতির সামনে এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সে সময় আশার বাণী শুনিয়ে বলা হয় পুব আকাশে সূর্য উঠবেই, তখন অন্ধকার কেটে যাবে। গ উদ্দীপকের ২য় চরণে ‘শোন একটি মুজিবরের থেকে’ কবিতায় লক্ষ মুজিবরের কণ্ঠস্বরের ধ্বনি আকাশে-বাতাসে বেজে ওঠার দিকটি ফুটে উঠেছে। ‘শোন একটি মুজিবরের থেকে’ কবিতায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্মম নির্যাতনের প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে গর্জে উঠেছিলেন তা লক্ষ জনতার মধ্যেও প্রতিধ্বনিত হয়েছিল। সেদিন বাঙালি বিদ্রোহী চেতনায় জেগে উঠেছিল বলেই আমরা বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি। এক মুজিবুর থেকে লক্ষ মুজিব সেদিন সোচ্চার হয়েছিল কণ্ঠে কণ্ঠে মিলিয়ে। উদ্দীপকের ২য় চরণে প্রকাশিত হয়েছে বিসুভিয়াস নামক আগ্নেয়গিরির জ্বলন্ত লাভা উদ্গীরণের কথা। মুজিবুর রহমান মানেই যেন বিসুভিয়াসের অগ্নি-উগারী বাণ। কারণ তাঁর জন্য সেদিন আগ্নেয়গিরির মতোই জ্বলে উঠেছিল বীর বাঙালি। বঙ্গবন্ধুর সেদিনের বজ্রবণ্ঠ অগ্নি-উগারী বাণ হয়ে শত্রæদের ওপর নিক্ষিপ্ত হয়েছিল। যে বাণ তাদের ছিন্ন ভিন্ন করে দিয়েছিল। উদ্দীপকের ২য় চরণে ‘শোন একটি মুজিবরের থেকে’ কবিতায় বঙ্গবন্ধুর কণ্ঠস্বরের ধ্বনি লক্ষ জনতার কণ্ঠ হয়ে তা বাণের মতোই শত্রæকে পরাজিত করছিল সেদিকটি উদ্দীপকেও ফুটে উঠেছে। ঘ ‘শোন একটি মুজিবরের থেকে’ কবিতার সকল দিক উদ্দীপকে ফুটে ওঠেনি তাই তা কবিতার সম্পূর্ণ ভাব বহন করে না। ‘শোন একটি মুজিবরের থেকে’ কবিতা মূলত মুক্তিযুদ্ধের সময়কালীন একটি বিখ্যাত গান। যেখানে বলা হয় একটি মুজিবর থেকে লক্ষ মুজিবের কণ্ঠস্বরের ধ্বনি আকাশে-বাতাসে ধ্বনিত প্রতিধ্বনিত হয়েছে। সবুজ-শ্যামল অপরূপ এই বাংলাকে আবার ফিরে পাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত হয়েছে। এটি সেই বাংলাদেশ যার রূপের কোনো শেষ নেই। এ বাংলাকে বিশ্বকবির সোনার বাংলা নজরুলের বাংলাদেশ ও জীবনানন্দের ‘রূপসী বাংলা’ বলেছেন কবি। হারানো বাংলাকে ফিরে পেতে জয়বাংলা শ্লোগান তুলে এগিয়ে যেতে হবে। তাহলে অন্ধকারময় পুব আকাশে আবার সূর্য উঠবে। উদ্দীপকে বাঙালির স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভ‚মিকার কথা বলা হয়েছে। তার নামটিই যেন আগ্নেয়গিরি অগ্নি-উগারী বাণ। যা দেশের এ প্রান্ত থেকে সকল প্রান্তে ছেয়ে গেছে। সেদিনের মায়ের, ভায়ের ও বোনের বুকের জ্বালা আজ আলো হয়ে আমাদের সম্মুখে চলার পথ দেখাচ্ছে। ‘শোন একটি মুজিবরের থেকে’ কবিতায় শত্রæদের মোকাবিলায় দুর্র্জয় প্রতিরোধ, বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, বাংলার রূপ, বাঙালির চেতনা ও আগামীর সম্ভাবনা ইত্যাদি বিষয় উঠে এসেছে। কিন্তু উদ্দীপকে প্রতিবাদ বিক্ষোভ ও আন্দোলনের দিকটি প্রকাশিত হয়েছে। তাই ‘শোন একটি মুজিবরের থেকে’ কবিতায় সমগ্র ভাব উদ্দীপকে বহন করে না। বরং আংশিকভাব বহন করে মাত্র। প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ শত বছরে সংগ্রাম শেষে, রবীন্দ্রনাথের মতো দৃপ্ত পায়ে হেঁটে অতঃপর কবি এসে জনতার মঞ্চে দাঁড়ালেন। তখন পলকে দারুণ ঝলকে তরীতে উঠিল জল, হৃদয়ে লাগিল দোলা, জনসমুদ্রে জাগিল জোয়ার সকল দুয়ার খোলা। কে রোধে তাঁর বজ্রকণ্ঠ বাণী? গণসূর্যের মঞ্চ কাঁপিয়ে কবি শোনালেন তাঁর অমর কবিতাখানি : ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ [স্বাধীনতা, এ শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো- নির্মলেন্দু গুণ] ক. কে ‘বাংলাদেশ’ নামে কবিতা লেখেন? ১ খ. একটি মুজিবর বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ২ গ. উদ্দীপকের কবিতাংশের সাথে শোন একটি মুজিবরের থেকে কবিতার ভাবগত সাদৃশ্য ব্যাখ্যা কর। ৩ ঘ. ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ – কথাটির মধ্যে উদ্দীপক ও ‘শোন একটি মুজিবরের থেকে’ কবিতার মূলসুর নিহিত আছে- কথাটি বিশ্লেষণ কর। ৪ ক জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ‘বাংলাদেশ’ নামে কবিতা লেখেন। খ একটি মুজিবর বলতে একজন মুজিবকে বোঝানো হয়েছে। বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন স্বাধীনতাকামী বাঙালি জাতির আশা-ভরসার একক আশ্রয়স্থল। তার অনলবর্ষী ভাষণ শুনেই বাঙালিরা মুক্তির সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে। কারণ তিনি একমাত্র বাঙালি, যার বজ্রকণ্ঠ বীর বাঙালির রক্তে জাগিয়ে তুলেছিল স্বাধীনতার নেশা। তাই কবি তাঁকে একটি মুজিবর বলে অভিহিত করেছেন। গ স্বাধীনতার উত্তাল দিনে বঙ্গবন্ধুর কণ্ঠস্বর জাতিকে জাগিয়ে তুলেছিল। সেদিক দিয়ে উদ্দীপকের কবিতাংশের সাথে ‘শোন একটি মুজিবরের থেকে’ কবিতার ভাবগত সাদৃশ্য বিদ্যমান। ‘শোন একটি মুজিবরের থেকে’ কবিতায় বাঙালির স্বপ্নকে মুজিবুর রহমানের উদ্দীপনাময় কণ্ঠস্বর ধ্বনির কথা বলা হয়েছে। যে কণ্ঠস্বর জাতিকে জাগিয়ে তুলেছিল, উদ্দীপিত করেছিল। তার কণ্ঠ লক্ষ কণ্ঠে প্রতিধ্বনিত হয়েছিল। শত্রæর হাত থেকে সুজলা-সুফলা বাংলাকে আবার ফিরে পেতে তার সাহসী উচ্চারণ মন্ত্রের মতো কাজ করেছিল। বাঙালির ভাগ্যাকাশে তাই আবার নতুন সূর্য ওঠে। উদ্দীপকে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের কথা বলা হয়েছে। আন্দোলন সংগ্রামের মধ্যদিয়ে বেড়ে উঠেছেন বঙ্গবন্ধু। সেদিন জনতার উদ্দেশ্যে ভাষণ দেয়ার জন্য রবীন্দ্রনাথের মতো দৃপ্ত পায়ে হেঁটে মঞ্চে ওঠেন। মঞ্চ কাঁপিয়ে তিনি সেদিন জনতার উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন- যাকে অমর কবিতা শোনানোর কথা বলা হয়েছে। তার সেই বিদ্রোহের বাণী, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম। ‘শোন একটি মুজিবরের থেকে’ কবিতায় বঙ্গবন্ধুর দৃপ্ত উচ্চারণে সকলের মধ্যে স্বাধীনতার আকাক্সক্ষা জাগিয়ে তোলার কথাই বলা হয়েছে। সেদিক থেকে উদ্দীপক ও কবিতার ভাবগত সাদৃশ্য বিদ্যমান। ঘ ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ কথাটির মধ্যে উদ্দীপক ও ‘শোন একটি মুজিবরের থেকে’ কবিতার মূল সূর নিহিত আছে- কথাটি যথার্থ। ‘শোন একটি মুজিবরের থেকে’ কবিতায় বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের

সপ্তম শ্রেণির বাংলা শোন একটি মুজিবরের থেকে Read More »

সপ্তম শ্রেণির বাংলা আমার বাড়ি

আমার বাড়ি জসীমউদ্দীন  কবি পরিচিতি নাম জসীমউদ্দীন। জন্ম পরিচয় জন্ম : ১৯০৩ খ্রিষ্টাব্দের ১লা জানুয়ারি। জন্মস্থান : ফরিদপুর জেলার তাম্বুলখানা গ্রামের মাতুলালয়। পিতৃভ‚মি : গোবিন্দপুর গ্রাম। পিতৃ-মাতৃ পরিচয় পিতার নাম : আনসারউদ্দীন মোল্লা। মাতার নাম : আমেনা খাতুন। শিক্ষাজীবন মাধ্যমিক : এসএসসি, ফরিদপুর জিলা স্কুল। উচ্চ মাধ্যমিক : ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজ। উচ্চতর শিক্ষা : বিএ (পাস), রাজেন্দ্র কলেজ, ফরিদপুর। এমএ (বাংলা), ১৯৩১ সাল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। পেশা/কর্মজীবন ১৯৩১ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। ১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ১৯৪৩ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন। ১৯৪৪ খ্রিষ্টাব্দে প্রাদেশিক সরকারের পাবলিসিটি বিভাগের অফিসার পদে নিযুক্ত হন। সরকারি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পর তিনি আমৃত্যু সাহিত্য সাধনায় নিমগ্ন ছিলেন। সাহিত্য সাধনা কাহিনি কাব্য : নক্সী কাঁথার মাঠ, সোজন বাদিয়ার ঘাট, সখিনা, মা যে জননী কান্দে ইত্যাদি। খণ্ডকাব্য : রাখালী, বালুচর, ধানখেত, রূপবতী, মাটির কান্না ইত্যাদি। গদ্যগ্রন্থ : যাঁদের দেখেছি, জীবন কথা, ঠাকুর বাড়ির আঙিনায়, বোবা কাহিনী ইত্যাদি। শিশুতোষ রচনা : হাসু, এক পয়সার বাঁশি, ডালিম কুমার, বাঙালির হাসির গল্প ইত্যাদি। নাটক : পদ্মাপাড়, বেদের মেয়ে, মধুমালা, বাঁশের বাঁশি, পল্লিবধূ ইত্যাদি। গানের বই : রঙ্গিলা নায়ের মাঝি, গাঙ্গের পাড় ইত্যাদি। পুরস্কার ও সম্মাননা একুশে পদক (১৯৭৬), বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় প্রদত্ত সম্মানসূচক ডি. লিট ডিগ্রি লাভ করেন। জীবনাবসান ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দের ১৪ই মার্চ।  সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ তুমি যাবে ভাই – যাবে মোর সাথে, আমাদের ছোট গাঁয়, গাছের ছায়ায় লতায় পাতায় উদাসী বনের বায়, মায়া মমতায় জড়াজড়ি করি মোর দেহখানি রহিয়াছে ভরি মায়ের বুকেতে, বোনের আদরে, ভাইয়ের স্নেহের ছায়। ক. ‘আমার বাড়ি’ কবিতায় কাজলা দিঘির কাজল জলে কী ভাসে? খ. ‘আমার বাড়ি’ কবিতায় বন্ধুকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন কেন? গ. উদ্দীপকের প্রথম চরণের সাথে ‘আমার বাড়ি’ কবিতার কোন অংশের মিল আছে? ব্যাখ্যা কর। ঘ.উদ্দীপক ও আমার বাড়ি কবিতার ভাবার্থ কি এক? বিশ্লেষণ কর। ক ‘আমার বাড়ি’ কবিতার কাজলা দিঘির কাজল জলে হাঁসগুলো ভাসে। খ ‘আমার বাড়ি’ কবিতায় কবি তার বন্ধুকে আপ্যায়নের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। কবিতার কবি তার বন্ধুকে পরম মমতায় শালি ধানের চিঁড়া, বিন্নি ধানের খই, কবরী কলা এবং গামছা-বাঁধা দই দিয়ে আপ্যায়ন করতে চেয়েছেন। গ উদ্দীপকের প্রথম চরণের সাথে ‘আমার বাড়ি’ কবিতার প্রথম চরণ ‘আমার বাড়ি যাইও ভোমর’ এই অংশের সাথে মিল রয়েছে। ‘আমার বাড়ি’ কবিতার প্রথম চরণ ‘আমার বাড়ি যাইও ভোমর এর মধ্যদিয়ে মূলত কবি তার প্রিয়জনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। প্রিয়জন যদি তাঁর আমন্ত্রণে বাড়ি যায় তবে তিনি শালি ধানের চিঁড়া, বিন্নি ধানের খই, করবী কলা এবং ঘামছা বাঁধা দই দিয়ে আপ্যায়ন করবেন। পাশাপাশি কবি তাঁর বাড়ির (গ্রামের) নয়নাভিরাম দৃশ্যের বর্ণনা দিয়েছেন। যা দেখে তাঁর ভোমর বা প্রিয়জন নিশ্চয়ই আনন্দিত হবে। উদ্দীপকের প্রথম চরণ, তুমি যাবে ভাই-যাবে মোর সাথে আমাদের ছোট গাঁয়-এর মধ্য দিয়ে কবি তার বন্ধুকে নিমন্ত্রণ জানিয়েছেন তাঁর ছোট গাঁয়ে যাওয়ার জন্য। গাছের ছায়ায় ঘেরা, উদাসী বনের সেই গ্রাম সেখানে সবাই মিলেমিশে মায়া-মমতায় জড়াজড়ি করে থাকে। মায়ের বুকে, বোনের আদরে, ভাইয়ের স্নেহের ছায় কবির সেখানে আনন্দঘন দিন কাটে। উদ্দীপকের প্রথম চরণের এই আহŸানের সাথে ‘আমার বাড়ি’ কবিতায় প্রথম চরণের মিল রয়েছে। উভয় চরণের মধ্যদিয়ে কবি তাঁর বন্ধু বা প্রিয়জনকে আমন্ত্রণ জানিয়াছেন। ঘ উদ্দীপক ও ‘আমার বাড়ি’ কবিতায় কবির বন্ধুকে আপ্যায়ন এবং মনোরঞ্জনের জন্য যে আহŸান জানিয়েছেন সেদিক দিয়ে উভয়ের ভাবার্থ একই। ‘আমি বাড়ি’ কবিতায় কবি তাঁর প্রিয়জনকে নিজের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। কবি তাকে বিভিন্ন খাবার দিয়ে আপ্যায়িত করবেন। কবি তাকে নিয়ে সারাদিন খেলা করবেন। আম-কাঁঠালের বনের ধারে আঁচল পেতে শোয়াবেন, গাছের শাখা দুলিয়ে বাতাস করবেন এমনি চমকপ্রদ ভালোবসা ও সৌজন্যের প্রকাশ ঘটিয়েছেন। উদ্দীপকে কবি তাঁর ছোট গাঁয়ে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়াছেন তাঁর বন্ধুকে। কবির গ্রামটি এক ভালোবাসার আশ্রয়। যেখানে সবাই মায়া-মমতায় জড়াজড়ি করে থাকে। মা-বোন- ভাইয়ের এমন আদর-স্নেহর জায়গা আর কোথাও নেই। এখানে এলে তাঁর বন্ধুর মন ভরে যাবে। ‘আমার বাড়ি’ কবিতা ও উদ্দীপক উভয় স্থানে আছে ভালোবাসার আমন্ত্রণ। বন্ধুকে ভালোবেসে কাছে টেনে অকৃত্রিম পরিবেশে হৃদয়ের গভীর আর্তিসহ আতিথেয়তার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। কবি ভালোলাগা অনুভ‚তি বন্ধুর মাঝে সঞ্চারিত করতে চান। তাই তিনি বন্ধুকে নানাভাবে মনোরঞ্জনের চেষ্টা করেছেন। তাই ‘আমার বাড়ি’ ও উদ্দীপক একই ভাবার্থ বহন করে প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ “ঘুম হতে আজ জেগেই দেখি শিশির-ঝরা ঘাসে, সারা রাতের স্বপন আমার মিঠেল রোদে হাসে। আমার সাথে করতো খেলা প্রভাত হাওয়া, ভাই, সরষে ফুলের পাঁপড়ি নাড়ি ডাকছে মোরে তাই। চলতে পথে মটরশুঁটি জড়িয়ে দুখান পা, বলছে ডেকে, ‘গাঁয়ের রাখাল একটু খেলে যা!’ সারা মাঠের ডাক এসেছে, খেলতে হবে ভাই! সাঁঝের বেলা কইব কথা এখন তবে যাই!” ক. ‘আমার বাড়ি’ কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থের? ১ খ. ‘গামছা বাঁধা দই’ বাক্যটি কী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে? ২ গ. উদ্দীপকের কবিতাংশের সাথে ‘আমার বাড়ি’ কবিতার কোন দিন দিয়েসাদৃশ্য রয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩ ঘ. উদ্দীপকের কবিতাংশ আর আমার বাড়ি কবিতা গ্রামবাংলার চিরচেনা দৃশ্য ধারণ করেছে কথাটি বিশ্লেষণ কর। ৪ ক ‘আমার বাড়ি’ কবিতাটি ‘হাসু’ কাব্যগ্রন্থের। খ গামছা বাঁধা দই বলতে ঘন দই অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। কবি গামছা-বাঁধা দই দিয়ে প্রিয়জনকে আপ্যায়ন করতে চেয়েছেন। অধিক ঘনত্বের জন্য যে দই গামছায় রাখলেও রস গাড়িয়ে পড়ে না। এমন দইকে বোঝানো হয়েছে। গ পল্লি প্রকৃতির রূপ-বৈচিত্র্যের দিক দিয়ে উদ্দীপকের কবিতাংশের সাথে ‘আমার বাড়ি’ কবিতার সাদৃশ্য রয়েছে। ‘আমার বাড়ি’ কবিতায় কবি তাঁর বন্ধুকে গ্রামের বাড়িতে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। যেখানে রয়েছে আম-কাঁঠালের বন, চাঁদ, তারার ফুল। গাই দোহনের শব্দ, ডামিল গাছ, কাজলা দিঘি, হাঁসের পাল, মৌরিফুল ইত্যাদি। প্রকৃতির এই উপাদানগুলোর মধ্যদিয়ে কবি এক সুন্দর গ্রামীণ চিত্র এঁকেছেন। উদ্দীপকের কবি তাঁর কবিতাংশে গ্রামীণ সৌন্দর্যকেই তুলে ধরেছেন। তাঁর কবিতায় উপজীব্য হয়ে উঠেছে শিশির-ঝরা ঘাস, মিঠেল রোদ, প্রভাত হাওয়া, সরষে ফুলের পাপড়ি, মটরশুঁটি, গাঁয়ের রাখাল, সাঁঝের বেলা ইত্যাদি উপাদান। যা আমাদের সত্যিই কল্পনার সেই গ্রামে নিয়ে যায়। তাই দেখা যায় উদ্দীপক ও ‘আমার বাড়ি’ কবিতায় একইরূপ প্রাকৃতিক উপাদান কবিতায় তুলে ধরা হয়েছে। এক্ষেত্রে উদ্দীপকের কবিতাংশের সাথে ‘আমার বাড়ি’ কবিতায় সাদৃশ্য রয়েছে। ঘ আবহমান গ্রাম বাংলার সৌন্দর্য তুলে ধরার ক্ষেত্রে উদ্দীপকের কবিতাংশ আর ‘আমার বাড়ি’ কবিতায় কবি গ্রামবাংলার চিরচেনা দৃশ্য ধারণ করেছে। ‘আমার বাড়ি’ কবিতায় পল্লিকবি জসীমউদ্দীন তার প্রিয়জন বা বন্ধুকে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার আহŸান জানিয়েছেন গ্রামের মায়াময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখা ও উপভোগ করার জন্য। তিনি গ্রমীণ খাবারে তাকে আপ্যায়ন করতে চেয়েছেন। আবার আম-কাঁঠালের বনের ধারে আঁচল পেতে শুতে দেবেন। গাছের শাখা দুলিয়ে বাতাস করবেন। এমন উপমা কোথাও পাওয়া যায় না। এছাড়া কবি কবিতায় চাঁদ, ফুল, গাই দোহনের শব্দ, ডালিমগাছ, কাজলা দিঘি, হাঁসের পাল, মৌরি ফুল ইত্যাদি গ্রামবাংলার উপকরণ ব্যবহার করেছেন। উদ্দীপকে উল্লিখিত শিশির ঝরা ঘাস, মিঠেল রোদ, প্রভাত হাওয়া, সরষে ফুলের পাঁপড়ি মটরশুঁটি, গায়ের রাখাল ইত্যাদি আবহমান গ্রামবাংলার প্রাকৃতিক উপাদান। যা কবিতাংশটি আমাদের চিত্তাকর্ষণ করে তুলেছে। উদ্দীপকে ও ‘আমার বাড়ি’ কবিতা পড়লে’ আমরা সেখানে গ্রামবাংলার

সপ্তম শ্রেণির বাংলা আমার বাড়ি Read More »

Scroll to Top