সপ্তম শ্রেণি

সপ্তম শ্রেণির বাংলা কুলি-মজুর

কুলি-মজুর কাজী নজরুল ইসলাম কবি ও কবিতা সম্পর্কিত তথ্য  কবি পরিচিতি নাম কাজী নজরুল ইসলাম। জন্ম পরিচয় জন্ম : ২৪শে মে, ১৮৯৯ খ্রিষ্টাব্দ (১১ই জ্যৈষ্ঠ, ১৩০৬ বঙ্গাব্দ)। জন্মস্থান : বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রাম। পিতৃ-মাতৃপরিচয় পিতার নাম : কাজী ফকির আহমেদ। মাতার নাম : জাহেদা খাতুন। শিক্ষাজীবন কাজী নজরুল ইসলাম প্রথমে গ্রামের মক্তবে ও পরে ময়মনসিংহের ত্রিশালে দরিরামপুর স্কুলে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেন। পেশা/কর্মজীবন কাজী নজরুল ইসলাম বাল্যকালে মক্তবে শিক্ষকতা, লেটোর দলে গান রচনা ও রুটির দোকানে কাজ করেন। পরে সেনাবাহিনীতে যোগদান। অতঃপর পত্রিকা সম্পাদনা ও সাহিত্য সাধনাই তাঁর নেশা ও পেশা ছিল। সাহিত্য সাধনা কাব্যগ্রন্থ : অগ্নিবীণা, দোলনচাঁপা, বিষের বাঁশি, ছায়ানট, সাম্যবাদী, সর্বহারা, সিন্ধু-হিন্দোল, সন্ধ্যা। শিশুতোষ কাব্যগ্রন্থ : ঝিঙে ফুল, সঞ্জিতা, পিলে পটকা পুতুলের বিয়ে, ঘুম জাগানো পাখি, ঘুমপাড়ানি মাসিপিসি। প্রবন্ধগ্রন্থ : যুগবাণী, রাজবন্দীর জবানবন্দী, দুর্দিনের যাত্রী, রুদ্রমঙ্গল, ধূমকেতু। উপন্যাস : বাঁধনহারা, মৃত্যুক্ষুধা, কুহেলিকা। নাটক : ঝিলিমিলি, আলেয়া, পুতুলের বিয়ে। গানের সংকলন : বুলবুল, চোখের চাতক, গীতি শতদল নজরুলগীতি, গানের মালা। অনুবাদ গ্রন্থ : রুবাইয়াৎ-ই-হাফিজ, রুবাইয়াৎ-ই-ওমর খৈয়াম। সম্পাদিত পত্রিকা : ধূমকেতু, লাঙল, দৈনিক নবযুগ। পুরস্কার ও সম্মাননা বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নাগরিকত্ব প্রদান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ‘ডি-লিট’ উপাধি (১৯৭৪) একুশে পদক (১৯৭৬) প্রদান। জীবনাবসান ২৯শে আগস্ট, ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দ (১২ই ভাদ্র, ১৩৮৩ বঙ্গাব্দ)। সমাধিস্থান : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণ।  সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর  প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ চেয়ারম্যান আজমল সাহেবের এলাকায় একজন ভালো মানুষ হিসেবে যথেষ্ট সুনাম রয়েছে, কিন্তু তার ছেলে কারণে-অকারণে বাড়ির কাজের লোক, আশে-পাশের খেটে খাওয়া মানুষের সাথে খারাপ আচরণ করে, তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে। চেয়ারম্যান ছেলেকে ডেকে বুঝিয়ে বলেন, তুমি যাদের আজ তুচ্ছ জ্ঞান করছ- সত্যিকার অর্থে তারাই আধুনিক সভ্যতার নির্মাতা, তাদের কারণেই আমরা সুন্দর জীবন যাপন করছি। ক. ‘কুলি-মজুর’ কবিতায় রেলপথে কোনটি চলে? খ. ‘শুধিতে হইবে ঋণ’- কথাটির দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? গ. চেয়ারম্যান সাহেবের ছেলের আচরণে ‘কুলি-মজুর’ কবিতার কোন দিকটি প্রকাশ পেয়েছে – ব্যাখ্যা কর। ঘ.“চেয়ারম্যান সাহেবের মনোভাব ‘কুলি-মজুর’ কবিতার মূলভাবেরই প্রতিফলন”- বিশ্লেষণ কর। ক “কুলি-মজুর” কবিতার রেলপথে রেলগাড়ি চলে। খ কবি আলোচ্য উক্তিটি দ্বারা ধনিকশ্রেণি ও শোষণ নির্যাতনকারীদের প্রতি হুঁশিয়ার বাণী উচ্চারণ করেছেন। শ্রমজীবীরাই মানবসভ্যতার রূপকার। এদের শ্রম ও ঘামে মোটর, রেলগাড়ি ও জাহাজ চলছে। কিন্তু এরাই সমাজে নানাভাবে বঞ্চিত। এক শ্রেণির স্বার্থান্ধ মানুষ এদের শোষণ করে বিশাল ধন-সম্পদের মালিক হয়েছে। মূলত কবি এসব মানুষকে লক্ষ করেই আলোচ্য হুঁশিয়ার বাণী উচ্চারণ করেছেন। গ উদ্দীপকের চেয়ারম্যান সাহেবের ছেলের আচরণে ‘কুলি-মজুর’ কবিতায় শোষকশ্রেণি কর্তৃক শোষিত শ্রেণির নিপীড়িত হওয়ার দিকটি প্রকাশ পেয়েছে। কাজী নজরুল ইসলাম ‘কুলি-মজুর’ কবিতায় বলেছেন- যুগ যুগ ধরে কুলি-মজুরদের মতো লক্ষকোটি শ্রমজীবী মানুষের হাতে গড়ে উঠেছে মানব সভ্যতা। এদেরই অক্লান্ত শ্রমে চলছে মোটর, জাহাজ, রেলগাড়ি; গড়ে উঠেছে দালানকোঠা, কলকারখানা। এদের শোষণ করেই ধনিকশ্রেণি হয়েছে বিত্ত ও সম্পদের মালিক। কিন্তু যুগ যুগ ধরে এই কুলি-মজুররাই সবচেয়ে বঞ্চিত ও উপেক্ষিত। উদ্দীপকের চেয়ারম্যান আজমল সাহেব এলাকায় একজন ভালো মানুষ হিসেবে খ্যাত কিন্তু তার ছেলে কারণে অকারণে বাড়ির কাজের লোক, আশপাশের খেটে খাওয়া মানুষের সাথে খারাপ আচরণ করে, তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে। চেয়ারম্যান ছেলেকে ডেকে সুন্দর করে বুঝিয়ে বলেন, তুমি যাদের তুচ্ছ করে অবজ্ঞা করছ এরাই সত্যিকার অর্থে আধুনিক সভ্যতার নির্মাতা, তাদের কারণেই আমরা সুন্দর জীবনযাপন করছি। অর্থাৎ উদ্দীপকে বর্ণিত চেয়ারম্যান আজমল সাহেবের ছেলের আচরণে সমাজের নিম্নশ্রেণির মানুষকে অবহেলার চিত্র প্রতীকীভাবে চিত্রিত হয়েছে। ঘ “চেয়ারম্যান সাহেবের মনোভাব ‘কুলি-মজুর’ কবিতার মূলভাবেরই প্রতিফলন”- মন্তব্যটি যথার্থ। কাজী নজরুল ইসলাম ‘কুলি-মজুর’ কবিতায় সেসব মানুষের জয়গান করেছেন যারা পৃথিবীর সভ্যতাকে নিজেদের শ্রম দিয়ে গড়ে তুলছেন। মোটর, জাহাজ, রেলগাড়ি, দালানকোঠা তাদের শ্রমেরই ফসল। উদ্দীপকের চেয়ারম্যান আজমল সাহেবও ‘কুলি-মজুর’ কবিতায় মানব সভ্যতার রূপকার শ্রমজীবী মানুষদের জয়গান করা হয়েছে। উদ্দীপকের চেয়ারম্যান আজমল সাহেবের ও এলাকায় একজন ভালো মানুষ হিসেবে যথেষ্ট সুনাম রয়েছে, কিন্তু তার ছেলে কারণে-অকারণে বাড়ির কাজের লোক, আশপাশের খেটে খাওয়া মানুষের সাথে খারাপ আচরণ করে, তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে। চেয়ারম্যান ছেলেকে বলেন, তুমি যাদের আজ তুচ্ছ জ্ঞান করছ- সত্যিকার অর্থে তারাই আধুনিক সভ্যতার নির্মাতা, তাদের কারণেই আমরা সুন্দর জীবন যাপন করছি। ‘কুলি-মজুর’ কবিতায়ও কবি বলেছেন, পৃথিবীর সভ্যতা জন্ম নিয়েছে শ্রমজীবী মানুষের হাত ধরে। কিন্তু সেসব শ্রমজীবী সভ্যতার সুখ ভোগ করতে পারে না। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের চেয়ারম্যান সাহেবের মনোভাব ‘কুলি-মজুর’ কবিতার মূলভাবেরই প্রতিফলন। প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ বেতন দিয়াছ? – চুপ রও যত মিথ্যাবাদীর দল! কত পাই দিয়ে কুলিদের তুই কত ক্রোর পেলি বল্? রাজপথে তব চলিছে মোটর, সাগরে জাহাজ চলে, রেলপথে চলে বাষ্প-শকট, দেশ ছেয়ে গেল কলে, বল তো এসব কাহাদের দান! ক. কবি কাদের বেতন দেওয়ার কথা বলেছেন? ১ খ. কবি কাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন? ব্যাখ্যা কর। ২ গ. সমাজ উন্নয়নে শ্রমিকদের কীভাবে ব্যবহার করা উচিত? উদ্দীপকের আলোকে উপস্থাপন কর। ৩ ঘ.উদ্দীপকে মানবসভ্যতার যে দিক তুলে ধরা হয়েছে তা বিশ্লেষণ কর। ৪ ক কবি কুলিদের বেতন দেওয়ার কথা বলেছেন। খ কবি শোষক শ্রেণির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। শ্রমজীবীদের শোষণ করেই ধনিকশ্রেণি সম্পদের পাহাড় গড়েছে। শ্রমিকদের শ্রমে ও ঘামে রাজপথে মোটর, সাগরে জাহাজ এবং রেলপথে রেলগাড়ি চলছে, কলকারখানা ও দালানকোঠা গড়ে উঠেছে। অথচ তারা এর বিনিময়ে উপযুক্ত মজুরি পাচ্ছে না। কিন্তু ধনীরা শ্রমিকদের যথার্থ প্রাপ্য দিচ্ছে বলে মিথ্যা কথা বলে। কবি সেজন্য শোষকশ্রেণির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। গ সমাজ উন্নয়নের জন্য শ্রমিকদের প্রাপ্য সম্মান দেয়া উচিত। সমাজ উন্নয়নে শ্রমিকদের যথার্থ মর্যাদা দেয়া উচিত। কারণ যুগে যুগে কুলি-মজুরদের মতো শ্রমজীবী মানুষের অক্লান্ত পরিশ্রমে গড়ে উঠেছে আধুনিক মানবসভ্যতা। তাদের আত্মত্যাগে সমাজের উন্নতি সাধিত হয়েছে। শ্রমিকের হাত হলো সমাজ বিনির্মাণের অন্যতম প্রধান হাতিয়ার। তাদের পরিশ্রমেই গড়ে ওঠে বড় বড় প্রাসাদ-দালান, রাস্তাঘাট, বাড়িঘর- তাঁরা তাদের রক্ত, ঘামে পরিণত করে প্রতিনিয়ত সমাজ গড়ে তোলার কাজে, মানবসভ্যতা বিকাশের কাজে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো তারা তাদের শ্রমের মূল্যায়ন কখনো পায় না বরং তারা সবখানে হয় নির্যাতিত, নিপীড়িত। সমাজের উঁচুতলার মানুষগুলো কখনো তাদের সঠিকভাবে মূল্যায়ন করে না, মূল্যায়ন করে না তাদের অবদানকে। সমাজ উন্নয়নে শ্রমিকদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করা উচিত। তারা যেন তাদের উপযুক্ত মজুরি পায় সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। উপযুক্ত কাজের পরিবেশ তৈরি করতে হবে। মালিকপক্ষকে সহানুভ‚তিশীল হতে হবে এবং তাদেরকে শ্রমিকদের সহযোগী হিসেবে কাজ করার মানসিকতা তৈরি করতে হবে তবেই সমাজের উন্নয়ন সম্ভব। তাই উদ্দীপকের আলোকে বলা যায়, সমাজ উন্নয়নে শ্রমিকদের প্রাপ্যটুকু বুঝে দিতে হবে। ঘ উদ্দীপকে মানবসভ্যতার অগ্রযাত্রায় শ্রমজীবীদের অবদান এবং তাদের প্রতি অবিচার ও বঞ্চনার দিকটি তুলে ধরা হয়েছে। কবিতায় কবি মানবসভ্যতা গড়ে তোলার প্রধান কারিগর কুলি-মজুররা যে সমাজে সবচেয়ে অবহেলিত শ্রেণি হিসেবে বিবেচিত তা তুলে ধরেছেন। সেই আদিম সমাজ থেকে শুরু করে আজ অবধি সমাজ ও সভ্যতার যে বিকাশ তার নেপথ্যে রয়েছে এই শ্রমজীবী শ্রেণি। অথচ তাদের পরিশ্রমের সঠিক মূল্যায়ন তারা কখনো পায়নি, সমাজসভ্যতা কখনো তাদের ত্যাগকে সঠিকভাবে স্বীকৃতি দেয়নি, এটি মানবসমাজ ও সভ্যতার এক

সপ্তম শ্রেণির বাংলা কুলি-মজুর Read More »

সপ্তম শ্রেণির বাংলা নতুন দেশ

নতুন দেশ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লেখক পরিচিতি নাম প্রকৃত নাম : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ছদ্মনাম : ভানুসিংহ ঠাকুর। জন্ম পরিচয় জন্ম : ৭ই মে, ১৮৬১ খ্রিষ্টাব্দ (২৫ শে বৈশাখ, ১২৬৮ বঙ্গাব্দ)। জন্মস্থান : জোড়াসাঁকো, কলকাতা। পিতৃ-মাতৃ পরিচয় পিতার নাম : মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর। মাতার নাম : সারদা দেবী। শিক্ষাজীবন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছোটবেলায় ওরিয়েন্টাল সেমিনারি, বিদ্যাসাগর প্রতিষ্ঠিত নর্মাল স্কুল, বেঙ্গল একাডেমি, সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুল প্রভৃতি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন করলেও স্কুলের পাঠ শেষ করতে পারেননি। ১৭ বছর বয়সে ব্যারিস্টারি পড়তে ইংল্যান্ডে যান। সে পড়াও শেষ না হতেই দেশে ফিসে আসেন তিনি। কিন্তু স্বশিক্ষা ও স্বীয় সাধনায় বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এনে দিয়েছেন অতুলনীয় সমৃদ্ধি। পেশা/কর্মজীবন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পিতৃ আদেশে ১৮৮৪ খ্রিষ্টাব্দ থেকে বিষয়কর্ম পরিদর্শনে নিযুক্ত হন। তিনি ১৮৯০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে জমিদারি দেখাশোনা করেন। সাহিত্য সাধনা কাব্যগ্রন্থ : বনফুল, মানসী, কড়ি ও কোমল, সোনার তরী, চিত্রা, ক্ষণিকা, বলাকা, পূরবী, পুনশ্চ, গীতাঞ্জলি, শেষ লেখা বিশেষ উল্লেখযোগ্য। উপন্যাস : গোরা, ঘরে বাইরে, চতুরঙ্গ, চোখের বালি, যোগাযোগ, নৌকাডুবি, শেষের কবিতা, দুইবোন, মালঞ্চ ইত্যাদি। কাব্যনাট্য : কাহিনী, চিত্রাঙ্গদা, বসন্ত, বিদায় অভিশাপ, মালিনী, রাজা ও রানি ইত্যাদি। নাটক : অচলায়তন, চিরকুমার সভা, মুক্তধারা, ডাকঘর, রক্তকরবী, রাজা, বিসর্জন ইত্যাদি। গল্পগ্রন্থ : গল্পগুচ্ছ, গল্পস্বল্প, তিনসঙ্গী, লিপিকা, সে ইত্যাদি। ভ্রমণকাহিনি : জাপান যাত্রী, পথের সঞ্চয়, পারস্যে, রাশিয়ার চিঠি, য়ুরোপ যাত্রীর ডায়েরি, য়ুরোপ প্রবাসীর পত্র ইত্যাদি। শিশুসাহিত্য : শিশু ভোলানাথ, খাপছাড়া ইত্যাদি। পুরস্কার ও সম্মাননা নোবেল পুরস্কার (১৯১৩), কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক সম্মানসূচক ডিলিট (১৯১৩), অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক সম্মানসূচক ডিলিট (১৯৪০), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক সম্মানসূচক ডিলিট (১৯৩৬) অর্জন। জীবনাবসান ৭ই আগস্ট, ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দ (২২ শে শ্রাবণ, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ)।  সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ শীতের ছুটিতে বাবা-মায়ের সঙ্গে হৃদিতা বেড়াতে যায় সেন্টমার্টিন দ্বীপে। সেখানকার সামুদ্রিক প্রবাল, সারি সারি নারিকেল গাছ, মাছ ধরার বড় বড় নৌকা ওর মনে কৌত‚হল জাগায়। দিগন্ত বিস্তৃত নীলাভ জলরাশি, পরিষ্কার আকাশ ওকে নিয়ে যায় অন্য এক জগতে। ওর ইচ্ছে হয় সমুদ্রের নানা রঙের মাছের সঙ্গে খেলা করতে- আবার কখনো বা আকাশে পাখি হয়ে উড়ে বেড়াতে। ক. নীল আকাশের মাঝে কী সাজে? খ. ‘থাকি ঘরের কোণে’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? গ. হৃদিতার সেন্টমার্টিনে দেখা দৃশ্যে ‘নতুন দেশ’ কবিতায় চিত্রিত কোন দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে- ব্যাখ্যা কর। ঘ.“উদ্দীপকটি যেন ‘নতুন দেশ’ কবিতার মূলভাবকে ধারণ করে আছে।”- উক্তিটির যথার্থতা বিশ্লেষণ কর। ক নীল আকাশের মাঝে পাহাড়-চ‚ড়া সাজে। খ ‘থাকি ঘরের কোণে’ -বলতে একটি শিশুর অজানাকে জানার আকাক্সক্ষাকে বোঝানো হয়েছে। শিশু ঘরের কোণে বাস করে কিন্তু তার মনে সাধ জাগে দূরে কোনো নগর বনে চলে যেতে। তার দৃষ্টিসীমার বাইরে গিয়ে সে সবকিছু জানতে চায়। তাই সে ঘরের কোণে বসে থাকতে চায় না। সে চায় বেরিয়ে পড়তে। গ হৃদিতার সেন্টমার্টিনে দেখা দৃশ্যে ‘নতুন দেশ’ কবিতার চিত্রিত প্রাকৃতিক দৃশ্যটি প্রতিফলিত হয়েছে। ‘নতুন দেশ’ কবিতার অজানাকে জানার আকাক্সক্ষা ব্যক্ত হলেও চারপাশের মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্যাবলি তুলে ধরা হয়েছে। কবিতার অপরূপ ছন্দে নদীর ঘাট, জলের ঢেউ, মাঝ নদীতে নৌকার ছুটে চলা, জলের ধারে নারিকেলের বন, পাহাড়-চ‚ড়া, নীল আকাশ প্রভৃতি প্রাকৃতিক উপাদান কবি অন্য মাত্রায় ছন্দের জাদুতে ফুটিয়ে তুলেছেন। যা আমাদের চিরায়ত বাংলার নদীমাতৃক ও প্রাকৃতিক রূপটি তুলে ধরেছে। উদ্দীপকের হৃদিতা সেন্টমার্টিন দ্বীপে ঘুরতে গিয়ে সামুদ্রিক প্রবাল, সারি সারি নারিকেল মাছ, গাছ ধরার বড় বড় নৌকো ইত্যাদি দেখতে পায়। যা তার মনে ব্যাপক কৌত‚হল জাগায়। নীলাভ জলরাশি, পরিষ্কার আকাশ তাকে নিয়ে যায় অন্য জগতে। সমুদ্রের নানা মাছের সাথে তার ভেসে বেড়াতে ইচ্ছে করে। তার ইচ্ছে করে পাখির মতো উড়তে। ‘নতুন দেশ’ কবিতায়ও কবি অনুরূপভাবে উদ্দীপকের ন্যায় প্রাকৃতিক দৃশ্যের বর্ণনা তুলে ধরেছেন। ঘ “উদ্দীপকটি ‘নতুন দেশ’ কবিতার মূলভাবকে ধারণ করে আছে”- উক্তিটি যথার্থ। ‘নতুন দেশ’ কবিতার কিশোরের মধ্যে অজানাকে জানার সীমাহীন কৌতূহল ও রহস্য উন্মোচনের অপার আকাক্সক্ষা প্রকাশিত হয়েছে। ভাটার টানে ঘাটে বাঁধা নৌকো নদী পেরিয়ে কোথায় গিয়ে পৌঁছাবে তার ঠিক নেই। সেখানে হয়তো কোনো অসীম সৌন্দর্য, অজানা আনন্দ কিংবা অবাক বিস্ময় অপেক্ষা করছে। অজানাকে জানার ব্যাকুলতা কিশোররা তার আশপাশের সবার মধ্যেও দেখতে চায়। উদ্দীপকের হৃদিতা তার মা-বাবার সাথে বেড়াতে যায় সেন্টমার্টিনে। সেখানে সে সামুদ্রিক প্রবাল, সারি সারি নারিকেল গাছ, মাছ ধরার বড় নৌকো, নীলাভ জলরাশি, পরিষ্কার আকাশ তাকে কৌত‚হলী করে তোলে। তার সাধ জাগে সামুদ্রিক মাছের সাথে খেলা করতে এবং পাখিদের মতো উড়তে। উদ্দীপক ও ‘নতুন দেশ’ কবিতা পর্যালোচনা করলে আমরা পাই, উভয় স্থানে অজানাকে জানার দুর্নিবার আকাক্সক্ষা, প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা ও কৌতূহল প্রকাশিত হয়েছে। সেদিক থেকে উদ্দীপকটি ‘নতুন দেশ’ কবিতায় মূলভাবটি ধারণ করে আছে। প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ দেখ চেয়ে ওই ঝর্ণা ধারা কেমন ব’য়ে যায় ঝিকমিকিয়ে মাঠের পর ছায়াপথের প্রায়। ঘুমিয়ে ছিল সে এতদিন মেঘের স্বপন-লোক বনগিরির শীর্ষে নেমে খুলল তাহার চোখ। পাথর-নুড়ির সংঘাতে তার বাজে গানের সুর আর্শি সম পেশানি তার স্বচ্ছ-সুমধুর। সাগর পানে যায় ছুটে সে দুরন্ত দুর্বার চলা ছাড়া জানে না সে অন্য কিছু আর। ক. নৌকো কোথায় বাঁধা আছে? ১ খ. নৌকো জলের ঢেউয়ে নাচে বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ২ গ. উদ্দীপকের কবিতাংশের সাথে ‘নতুন দেশ’ কবিতার কোন দিকটির সাদৃশ্য আছে দেখাও। ৩ ঘ. “উদ্দীপকের ঝরনা ‘নতুন দেশ’ কবিতার নৌকোরই সমার্থক”- উক্তিটির সত্যতা যাচাই কর। ৪ ক নৌকা ঘাটের কাছে বাঁধা আছে। খ নৌকো জলের ঢেউয়ে নাচে বলতে- ঢেউয়ের কারণে নৌকার দুলে ওঠাকে বোঝায়। নৌকো যখন ঘাটে বাঁধা থাকে তখন নদীর ঢেউ এসে নৌকোর তলদেশে আছড়ে পড়ে তখনই নৌকোটি দুলে ওঠে এবং তা উঁচু নিচু হতে থাকে। এই অবস্থাকে কবি নৌকো জলের ঢেউয়ে নাচে বলা হয়েছে। গ উদ্দীপকের ঝরনাধারার ছুটে চলার সাথে ‘নতুন দেশ’ কবিতার মাঝনদীতে নৌকোর ভাটার টানে ছুটে চলার বিষয়টির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। ‘নতুন দেশ’ কবিতায় বলা হয়েছে যে নৌকোটি ঘাটে বাঁধা ছিল সেটি আজ ভাটার টানে মাঝনদীতে বয়ে চলেছে। এটি এখন কোথায় গিয়ে পৌঁছবে তার কোনো ঠিক নেই। হয়তো নতুন কোনো দেশে বা নতুন পরিবেশে গিয়ে তা পৌঁছাবে। নৌকোর এই চলমানতা যেন বিশেষ কোনো অর্থ প্রকাশ করে। উদ্দীপকে উল্লেখ করা হয়েছে ঝরনাধারা বয়ে চলার কথা। ঝরনাধারা ছায়াপথের মতো নিচে নেমে আসে। বনগিরির শীর্ষে নেমে যেন তার চোখ খুলে যায়। পাথর শাড়ির সংঘাতে তার কণ্ঠে গানের সুর ভেসে ওঠে। এই ঝরনা ধারা দুরন্ত দুর্বার গতিতে সাগরের পানে ছুটে যায়। সে ছুটেই চলে। নতুন দেশ কবিতায়ও ভাটার টানে নৌকোগুলো বয়ে যায়। তাই নৌকোয় বয়ে যাওয়ার সাথে ঝরনাধারায় বয়ে চলা সাদৃশ্যপূর্ণ। ঘ “উদ্দীপকের ঝরনা ‘নতুন দেশ’ কবিতার নৌকোরই সমার্থক”- কথাটি যুক্তিযুক্ত। ‘নতুন দেশ’ কবিতায় কবি একটি প্রবহমান নদীতে নৌকোর বয়ে চলার কথা উল্লেখ করেছে। যে নৌকাগুলো ভাটার টানে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়েছে। কবিতার শিশুটি যেন অমনি একটি নৌকোয় চেপে দূরদূরান্তে চলে যেতে চায়। প্রকতির রহস্য অনুসন্ধানে যেন এমনি একটি নৌকোর প্রয়োজন। উদ্দীপকে ঝরনাধারা তার আপন গতিতে ছুটে চলেছে। এই ঝরনা এতদিন মেঘের দেশে

সপ্তম শ্রেণির বাংলা নতুন দেশ Read More »

সপ্তম শ্রেণির ইংরেজি ২য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ সমাধান

সপ্তম শ্রেণির ইংরেজি ২য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ সমাধান

৭ম শ্রেণীর প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা তোমরা নিশ্চয়ই সপ্তম শ্রেণির ইংরেজি ২য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ সমাধান খুজছো। আমরা তোমাদের সেই কাঙ্খিত দ্বিতীয় সপ্তাহের ইংরেজি অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। সপ্তম শ্রেণির ইংরেজি ২য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ তোমরা যারা সপ্তম শ্রেণীতে পড়ো তারা নিশ্চয় ২০২২ সালের অ্যাসাইনমেন্ট এর প্রথম সপ্তাহের বাংলা এবং গণিত অ্যাসাইনমেন্ট লিখেছ। এবং তোমরা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক প্রকাশিত অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ এ দ্বিতীয় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট লেখার জন্য প্রস্তুত হয়েছে। আমরা তোমাদের সেই দ্বিতীয় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট গুলো নিয়ে হাজির হয়েছি। এই পোস্টের মাধ্যমে তোমাদের ইংরেজি প্রথম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট এর নমুনা উত্তর প্রদান করা হবে। তোমরা যদি না জেনে থাকো তবে একটা কথা জেনে নাও সেটা হচ্ছে অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ এর দ্বিতীয় সপ্তাহে সপ্তম শ্রেণির জন্য অ্যাসাইনমেন্ট লিখতে হবে একটি হচ্ছে ইংরেজি এবং অন্যটি হচ্ছে বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়। আমরা তোমাদের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় দ্বিতীয় সপ্তাহ ২০২২ এর অ্যাসাইনমেন্ট লিখে দিব সেটার লিংক নিচে দেওয়া থাকবে। ৭ম শ্রেণির ইংরেজি ২য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ প্রশ্ন Ass. No: 01 Assignment (With Title): Write an informal letter to a friend inviting her/him to attend your birthday party with a map that shows the way to your home. Learning Outcome/ Content: Students will be able to- follow instructions, commands, requests, announcement ts and act accordingly write informal letters. Unit 1:  Attention, please (English for Today) Guidelines for Writing Assignment (Steps/Stages): Please note: You have to write to a friend who lives in another district Now, you have to- ➢ sketch a map from the nearest bus/train/launch station to your home ➢ mention the turning points and road names ➢ describe the instructions from the station to your home ➢ mention features of an informal letter (Heading, Greeting/ Salutation, Body, Complimentary Closing, Envelop with Address; Go to page: 197, 243 of your English Grammar and Composition Textbook) ৭ম শ্রেণির ইংরেজি ২য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ সমাধান অ্যাসাইনমেন্ট শুরু February 17,2022 Navaron, Jashore Dear Sakib , My love to you. Hope you are well. You will be glad to know that I am going to be thirteen on Monday next. My parents will arrange a birthday party. All arrangements have been completed. I invite you to join my birthday party. I will be very happy to get you here in our midst. Have you known the way to my house ? It will not be hard to find it. For sure , I need to give you some directions . I think you know Mirpur stadium . From there , Go to South Gabtoli Bus stand . From there get on the bus for Jashore. You need to get off the bus in Jashore bus terminal. From there take a rickshaw and go to Mazar road. At the end of the road , take an easy – bike for Mujib – street .My address is Navaron Keya Tola just two minutes from Mujib – street. I Believe you must come to my birthday party . I think your parents will allow you to visit my home . Thank you so much. your friend Rifat আরো পড়ুনঃ সকল অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ দেখুন এখানে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ইংরেজি ২য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ ৭ম শ্রেণির ইংরেজি ২য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ ৮ম শ্রেণির ইংরেজি ২য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ ৯ম শ্রেণির ইংরেজি ২য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ ১০ম শ্রেণির ইংরেজি ২য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ ৯ম শ্রেণির বিজ্ঞান ২য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ ১০ম শ্রেণির বিজ্ঞান ২য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ ৬ষ্ঠ শ্রেণির বাওবি ২য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ ৭ম শ্রেণির বাওবি ২য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ ৮ম শ্রেণির বাওবি ২য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ ৯ম শ্রেণির বাওবি ২য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ ১০ম শ্রেণির বাওবি ২য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ ১০ম শ্রেণির বাংলা ২য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ আমাদের ইউটিউব লিংক https://www.youtube.com/channel/UCea_DqYt9NegZgE5A-mdIag ফেজবুক পেজ (সমস্যা ও সমাধান) https://web.facebook.com/shomadhan.net assignment all class (6-9)📝📝 https://web.facebook.com/groups/287269229272391

সপ্তম শ্রেণির ইংরেজি ২য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ সমাধান Read More »

সপ্তম শ্রেণির বাংলা শব্দ থেকে কবিতা

শব্দ থেকে কবিতা হুমায়ুন আজাদ লেখক ও রচনা সম্পর্কিত তথ্য নাম হুমায়ুন আজাদ। জন্ম পরিচয় জন্ম : ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দ। জন্মস্থান : মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানার রাড়িখাল গ্রাম। পিতৃ ও মাতৃপরিচয় পিতা : আবদুর রাশেদ। মাতা : জোবেদা খাতুন। শিক্ষাজীবন তিনি রাড়িখাল স্যার জগদীশচন্দ্র বসু ইনস্টিটিউশন থেকে মাধ্যমিক, ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ অনার্স এবং এমএ (বাংলা) পাস করেন। পরে এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। কর্মজীবন কর্মজীবনে তিনি প্রথমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সহযোগী অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সাহিত্য সাধনা গবেষণা গ্রন্থ : বাঙলা ভাষা (২ খণ্ড), নারী, বাক্যতত্ত¡, তুলনামূলক ও ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞান, ভাষা আন্দোলন; সাহিত্যিক পটভ‚মি। প্রবন্ধ গ্রন্থ : কতো নদী সরোবর, লাল নীল দীপাবলিবা বাঙলা ভাষার জীবনী, বাংলা ভাষার শত্র“মিত্র, কাফনে মোড়া অশ্রæবিন্দু প্রভৃতি। কাব্যগ্রন্থ : অলৌকিক ইস্টিমার, জ্বলো চিতাবাঘ, সবকিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে, ‘আমি বেঁচে ছিলাম অন্যদের সময়ে’। গল্প : যাদুকরের মৃত্যু। উপন্যাস : ‘ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল, জাদুকরের মৃত্যু, সবকিছু ভেঙে পড়ে, রাজনীতিবিদগণ প্রভৃতি উলে­খযোগ্য।’ পুরস্কার ও সম্মাননা তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ অনেক পুরস্কার লাভ করেছেন। জীবনাবসান ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দ, ১২ আগস্ট। সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ কবিতার শিল্পরূপ ও তার বৈশিষ্ট্য মাহফুজা চমৎকার কবিতা লেখেন। জীবনে বিভিন্ন অংশের স্মৃতিকে শব্দের ভেতর সাজাতে পছন্দ তার। মাহফুজার ভাইপো নির্ঝর তাঁকে খুব পছন্দ করে। কারণ তিনি তাঁর ভাইপো নির্ঝরকে প্রায়ই নানা রকম কবিতা শোনান। নির্ঝর ফুফুকে পেলেই ছড়া শোনার বায়না ধরে। একদিন নির্ঝর তাকে বলে “ফুফু তুমি এতো সুন্দর কবিতা কীভাবে লেখ?” মাহফুজা উত্তর দেন, “তুমি তোমার চারপাশের সুন্দর স্বপ্নময় শব্দগুলোকে বুঝে ধারণ করে রাখবে, দেখবে তুমিও একদিন চমৎকার কবিতা লিখতে পারবে।” ক. কবিতা লেখার জন্য প্রথমেই কোনটি প্রয়োজন? খ. ‘কবিতার জন্য দরকার শব্দ – রংবেরঙের শব্দ’ – বুঝিয়ে লেখ। গ. কবিতার বিষয়ে নির্ঝরের প্রশ্নের উত্তর ‘শব্দ থেকে কবিতা’ প্রবন্ধে কীভাবে প্রতিফলিত হয়েছে- লেখ। ঘ. মাহফুজার উত্তর ‘শব্দ থেকে কবিতা’ প্রবন্ধের মূলভাবকে ধারণ করে কি? যুক্তিসহ বিচার কর। ক কবিতা লেখার জন্য প্রথমেই শব্দের প্রয়োজন। খ ‘কবিতার জন্য দরকার শব্দ রংবেরঙের শব্দ’ -উদ্ধৃত উক্তিটির সাহায্যে লেখক কবিতার বিভিন্ন রকমের শব্দ প্রয়োগের কথা বুঝিয়েছেন। কবিতা লেখার জন্য প্রয়োজন হাজারো রং-বেরঙের শব্দ। শব্দের সাথে শব্দ মিলিয়ে সঠিক প্রয়োগ করে সার্থক কবিতা লেখা সম্ভব। শব্দকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে না পারলে কখনোই কবিতা লেখা সম্ভব নয় ।তাই ভালো কবিতা লেখার জন্য প্রয়োজন হাজারো রং-বেরঙের শব্দ। গ কবিতার বিষয়ে নির্ঝরের প্রশ্নের উত্তর ‘শব্দ থেকে কবিতা’ প্রবন্ধের কবিতা লেখার জন্য শব্দ বুঝে ধারণ করে প্রয়োগের দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে। ‘শব্দ থেকে কবিতা’ প্রবন্ধে বলা হয়েছে- সাহিত্যের নানা রূপের মধ্যে একটি হচ্ছে কবিতা। আলোচ্য রচনায় কবিতার শিল্পরূপ ও তার বৈশিষ্ট্য অত্যন্ত চমৎকারভাবে বর্ণিত হয়েছে। কবিতা কাকে বলে? যে লেখাগুলো খুব সুন্দরভাবে ছাপানো হয়, যে লেখাগুলোর পঙ্ক্তিগুলো খুব বেশি বড় হয় না, যেগুলোতে একটি পঙ্ক্তি আরেকটি পঙ্ক্তির সমান হয়, সে লেখাগুলোই কবিতা। লেখকের মতে, যা পড়লে মনের ভিতর স্বপ্ন জেগে ওঠে, ছবি ভেসে ওঠে; তাই কবিতা। যা পড়লে দু-তিনবার পড়লে ভোলা যায় না, মনের ভেতর নাচতে থাকে, তাই কবিতা। শব্দের সঙ্গে শব্দ মিলিয়ে লেখা হয় কবিতা। উদ্দীপকের মাহফুজা চমৎকার কবিতা লেখেন। স্কুল জীবন থেকেই তিনি নানা শব্দ নিয়ে চিন্তা করতেন। কীভাবে কবিতা লেখা যায়? নির্ঝরের এই প্রশ্নের জবাবে মাহফুজা জানান- তোমার চারপাশের সুন্দর সুন্দর স্বপ্নময় শব্দগুলোকে বুঝে ধারণ করবে, দেখবে তুমিও একদিন ভালো কবিতা লিখতে পারবে। এই দিকটিই ‘শব্দ থেকে কবিতা’ আলোচ্য বিষয়। অর্থাৎ নির্ঝারের প্রশ্নের উত্তরই ‘শব্দ থেকে কবিতা প্রবন্ধের মূল ‘প্রবেন্ধর’ প্রতিফলিত বিষয়। ঘ মাহফুজার উত্তর শব্দ থেকে কবিতা প্রবন্ধে মূলভাবেক ধারণ করে । প্রদত্ত উক্তিটির আলোকে ‘শব্দ থেকে কবিতা’ প্রবন্ধের মূল বক্তব্য হলো কবিতা লিখতে হলে শব্দের রূপ-রং-গন্ধ চিনে সুন্দর সুন্দর শব্দ চয়ন এবং তা বুঝে মনের ভিতরে ধারণের ক্ষেত্রে জোর দিতে হবে। কবিতা’ পড়লে মন নেচে ওঠে, গান গেয়ে উঠতে ইচ্ছে করে, চোখে বুকে রং-বেরঙের স্বপ্ন এসে জমা হয় তাই কবিতা। কবিতা লিখতে শব্দের প্রয়োজন হয়। একটি শব্দের পাশে আরেকটি শব্দ বসিয়ে, একটি শব্দের সাথে আরেকটি শব্দ মিলিয়ে কবিতা লিখতে হয়। উদ্দীপকের মাহফুজার উক্তিটি কবিতা লেখার মূল প্রেরণাকে ধারণ করেছে। তাই জীবনে বিভিন্ন অংশের স্মৃতিকে শব্দের ভেতর সাজাতে পছন্দ তার। কারণ শব্দ ছাড়া কবিতা লেখা সম্ভব নয়। তাই তো মাহফুজা নির্ঝরকে স্বপ্নময় শব্দগুলোকে বুকে ধারণ করতে বলেছেন। ‘শব্দ থেকে কবিতা’ প্রবন্ধেও প্রাবন্ধিক কবিতা লেখার জন্য শব্দের গুরুত্বের কথা বলেছেন। কারণ শব্দই কবিতার গাঁথুনিকে চমৎকার করে। উল্লিখিত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায়, মাহফুজার উত্তর শব্দ থেকে কবিতা প্রবন্ধের মূলভাব। প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ জীবন ও মনন দুই ভাই ছড়া কেটে কেটে খেলতে লাগল। আজকে দাদা যাবার আগে বলব যা মোর চিত্তে লাগে, নাইবা তাহার অর্থ হোক নাইবা বুঝুক বেবাক লোক, আজকে আমার মনের মাঝে ধাই ধপাধপ তবলা বাজে। হঠাৎ জীবন মননকে বলল, আমরাও তো ইচ্ছে করলে ছড়া লিখতে পারি। এই যে বলা হলো, ‘মনের মাঝে ধাই ধপাধপ তবলা বাজে, নাইবা তাহার অর্থ হোক নাই বা বুঝুক বেবাক লোক’Ñ আমরা আমাদের জন্যই শুধু রচনা করব। [ফেনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়] ক. চাঁদের মতো স্বপ্ন দেখেন কারা? ১ খ. লেখকের মতে, কবিতা পড়লে কেমন লাগে? ২ গ. উদ্দীপকে ‘শব্দ থেকে কবিতা’ প্রবন্ধের কোন দিকটির সাদৃশ্য নির্দেশ করে-? ব্যাখ্যা কর। ৩ ঘ. ‘মনের মাঝে ধাই ধপাধপ তবলা বাজে’Ñ এই উক্তিটি শব্দ থেকে কবিতা’ প্রবন্ধের আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪ ক চাঁদের মতো স্বপ্ন দেখেন কবিরা। খ লেখকের মতে, কবিতা পড়লে মন নেচে ওঠে, গান গেয়ে উঠতে ইচ্ছা করে, চোখে বুকে রংবেরঙের স্বপ্ন এসে জমা হয়। কবিতা কখনো আমাদের মন প্রফুল্ল করে, আবার কখনো মনকে বিষাদময় করে। কবিতা পড়লে আমাদের বিষাদময় দিন আনন্দে ভরে যায়। কবিতা মাঝে মাঝে আমাদের আবেগঘনও করে তোলে। তাই কবিতার মাধ্যমে আমাদের মনে রং ছড়িয়ে পড়ে এবং আমাদের চোখে স্বপ্ন এসে ধরা দেয়। গ উদ্দীপকের সাথে ‘শব্দ থেকে কবিতা’ প্রবন্ধের যেকোনো বিষয় নিয়েই যে কবিতা লেখা যায় এবং কবিতা লেখার জন্য যে স্বপ্নের প্রয়োজন এই দিকটির সাদৃশ্য রয়েছে। ‘শব্দ থেকে কবিতা’ প্রবন্ধে লেখক বলেছেন, যেকোনো বিষয় নিয়েই কবিতা লেখা যায়। বাড়ির পাশের গলি, দূরের ধানখেত, পোষা বিড়াল, পুতুলকে নিয়ে কবিতা লেখা যায়, যদি স্বপ্ন থাকে। আর যা নেই তা নিয়েও কবিতা লেখা যায়, যদি স্বপ্ন থাকে। কবিতা লেখার জন্য প্রথমেই প্রয়োজন স্বপ্ন। উদ্দীপকেও ছড়া কেটে খেলার সময় জীবন ও মনন অনুভব করে, মনে যা আসে তাই কিংবা যা দেখতে পাওয়া যায় তাই নিয়ে ছড়া লেখা উচিত। যদি তার নির্দিষ্ট কোনো অর্থ না থাকে বা মানুষ যদি তার অর্থ নাও বোঝে তাতে কোনো ক্ষতি নেই। মনে যা আসে তাই নিয়ে ছড়া ও কবিতা লেখা উচিত। তা কেউ বুঝুক বা না বুঝুক। নিজের মনের আনন্দের জন্য

সপ্তম শ্রেণির বাংলা শব্দ থেকে কবিতা Read More »

সপ্তম শ্রেণির বাংলা মরু-ভাস্কর

মরু-ভাস্কর হবীবুল্লাহ্ বাহার লেখক ও রচনা সম্পর্কিত তথ্য  লেখক পরিচিতি  নাম হবীবুল্লাহ্ বাহার জন্ম পরিচয় জন্ম : ১৯০৬ খ্রিষ্টাব্দ। জন্মস্থান : ফেনী। পিতৃ পরিচয় পিতার নাম : মোহাম্মদ নুরুল্লাহ চৌধুরী। শিক্ষাজীবন এসএসসি চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যাল স্কুল (১৯২২); আইএসসি চট্টগ্রাম কলেজ (১৯২৪); বিএ কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ (১৯২৮)। কর্মজীবন/পেশা সাংবাদিকতা, সম্পাদক সাহিত্য পত্র : বুলবুল। ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দে বঙ্গীয় মুসলিম লীগের নির্বাহী পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৪৬ খ্রিষ্টাব্দে ফেনীর পরশুরাম নির্বাচনি এলাকা থেকে বঙ্গীয় আইনসভার সদস্য নির্বাচিত হন এবং মন্ত্রিত্বের দায়িত্ব পালন করেন। সাহিত্য সাধনা গদ্য : পাকিস্তান, ওমর ফারুক, আমীর আলী, মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ। রচনার বৈশিষ্ট্য গদ্য রচনা। জীবনাবসান ১৫ এপ্রিল ১৯৬৬ খ্রিষ্টাব্দ। সৃজনশীলপ্রশ্নওউত্তর প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ হযরত মুহাম্মদ (স.) সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ। কিন্তু শ্রেষ্ঠত্বের কোনো অহমিকা তাঁর ছিল না। মানুষের প্রতি তাঁর ভালোবাসা ছিল অফুরন্ত। সকলের প্রতি তাঁর আচরণ ছিল হাসিমাখা। ছোট ছোট শিশুদের তিনি খুব বেশি স্নেহ করতেন। তাঁর বালক-বন্ধুর সাথে দেখা হলে তিনি বন্ধুর বুলবুলি পাখির খবর নিতেও ভুলে যেতেন না। ক. হযরত মুহাম্মদ (স.) কোন ধর্মের প্রবর্তক ছিলেন? খ. মানুষের প্রতি হযরত মুহাম্মদ (স.) এর আচরণ কীরূপ ছিল উদ্দীপকের আলোকে ব্যাখ্যা কর। গ. সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা উন্নয়নে রাসুল (স.) এর আদর্শ কতটুকু ফলদায়ক যুক্তিসহ উপস্থাপন কর। ঘ.বালক-বন্ধুর কাছে তিনি বুলবুলির খবর জানতে চাইলেন, এ ঘটনার মধ্য দিয়ে তাঁর চরিত্রের কোন বৈশিষ্ট্যের পরিচয় পাওয়া যায় বিশ্লেষণ কর। ক হযরত মুহাম্মদ (স.) ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক ছিলেন। খ মানুষের প্রতি হযরত মুহাম্মদ (স.) এর আচরণ ছিল কুসুমের মতো কোমল। মানুষের প্রতি তাঁর ভালোবাসা ছিল অফুরন্ত। ছোট শিশুদের তিনি খুব বেশি স্নেহ করতেন। শ্রেষ্ঠত্বের অহংকার তাঁর ছিল না। কাউকে তিনি কড়া কথা বলেননি। কাউকে অভিসম্পাত দেননি। নিজে নির্যাতিত হয়েও প্রতিদানে তিনি ক্ষমা করেছেন। গ সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা উন্নয়নে রাসুল (স.) এর আদর্শ এক বিস্ময়কর অবদান রাখে। ‘মরু-ভাস্কর’ প্রবন্ধে আমরা পাই- রাসুল (স.) ছিলেন পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব। অত্যন্ত সহজ সরল জীবনযাপন করেছেন তিনি। তাঁর ঘরে ছিল একখানা খেজুর পাতার বিছানা আর একটি পানির সুরাই। অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটিয়েছেন তিনি। জীবনে কাউকে কড়া কথা বলেননি। মক্কা ও তায়েফে যারা তাঁকে অত্যাচারে জর্জরিত করেছে তাদের অভিসম্পতি দেননি- বলেছেন, এদের জ্ঞান দাও প্রভু এদের ক্ষমা কর। দাসত্বপ্রথা দূর করা, নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠা তার চরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। জ্ঞান অর্জনের প্রতি গুরুত্ব প্রদান করেছেন, কুসংস্কার দূর করেছেন। হযরত মুহাম্মদ (স.) শ্রেষ্ঠ মহামানব ছিলেন কিন্তু তাঁর সে শ্রেষ্ঠত্বের অহমিকা ছিল না। মানুষের প্রতি তাঁর ভালোবাসা ছিল অফুরন্ত। ছোট শিশুদের তিনি অত্যন্ত স্নেহ করতেন। তাঁর বালক বন্ধুদের পোষা পাখির খবর নিতেও তিনি ভুলতেন না। তাঁর এই বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত আদর্শ সমাজে শান্তি ও শৃঙ্খলা আনয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে। অন্য ধর্মের প্রতি তিনি ছিলেন উদার ও সহিষ্ণু। তাঁর চরিত্র মাধুর্য মানুষে মানুষে বন্ধুত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করেছিল। ফলে সমাজ থেকে মারামারি হানাহানি হিংসা-বিদ্বেষ দূরীভ‚ত হয়ে শান্তি স্থাপিত হয়েছিল। ঘ বালক বন্ধুর কাছে তিনি বুলবুলির খবর জানতে চাইতেন। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে ছোট শিশুদের অধিক স্নেহ করার গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠেছে। হযরত মুহাম্মদ (স.) ছিলেন কুসুমের মতো কোমল হৃদয়ের অধিকারী। শিশুর মন নিয়ে তিনি মিশতেন শিশুদের সাথে। পথে দেখা হলে বালক-বন্ধুকে তার বুলবুলির খবর নিতে তিনি ভুলতেন না। শিশুদের কান্না তিনি সহ্য করতে পারতেন না। শিশুদের মাথায় প্রায়ই হাত বুলিয়ে দিতেন, আদর করতেন। মহানবি (স.) এভাবেই শিশুদের হাসিখুশি রাখতে চেষ্টা করতেন। তিনি মনে করতেন এ শিশুই একদিন বড় হবে। সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে তার মানসিক বিকাশ অত্যন্ত জরুরি। তিনি বড়দের নির্দেশ দিয়েছেন ছোটদের স্নেহ করতে। সামাজিক ভারসাম্যের জন্য এটি জরুরি । মহানবির চরিত্রে সকল সগুণাবলির সমাবেশ ঘটেছিল। শিশুর প্রতি স্নেহশীলতার আচরণ তাঁর চরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল। প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ শিক্ষক হাসানুজ্জামান শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বললেন, তোমরা যদি আদর্শ মানুষ হতে চাও তাহলে একজন আদর্শ মানুষ খুঁজে নাও। যিনি বিপুল ঐশ্বর্য ও ক্ষমতার অধিকারী হয়েও ছিলেন সাধারণ মানুষের মতো। মানুষের অগাধ ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা যাঁর চলার একমাত্র পাথেয়। যাঁর মনে রয়েছে প্রেম ও অসীম দয়া। যাঁর সাধনা ও ত্যাগ কেবল মানুষের কল্যাণকে ঘিরেই। ক. হযরত মোস্তফা (স.) মানবতার কী ছিলেন? ১ খ. মক্কা বিজয়ের পর ভয়ে কাঁপতে থাকা এক ব্যক্তিকে মহানবি কীভাবে আশ্বস্ত করলেন? ২ গ. উদ্দীপকের আদর্শ মানুষ-এর চরিত্র মরু-ভাস্কর প্রবন্ধের কোন চরিত্রের অনুরূপ-ব্যাখ্যা কর। ৩ ঘ.“যিনি বিপুল ঐশ্বর্যের অধিকারী হয়েও ছিলেন সাধারণ মানুষের মতো”-উক্তিটি ‘মরু-ভাস্কর’ প্রবন্ধের আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪ ক হযরত মোস্তফা (স.) মানবতার গৌরব ছিলেন। খ মক্কা বিজয়ের পর সাফা পর্বতের পাদদেশে বসে হযরত মুহাম্মদ (স.) বক্তৃতা করছিলেন। একজন লোক তাঁর সামনে এসে ভয়ে কাঁপতে লাগল। হযরত অভয় দিয়ে বললেন, ভয় করছ কেন? আমি রাজা নই, কারও মুনিবও নই- এমন মায়ের সন্তান আমি শুষ্ক খাদ্যই যার আহার্য। গ উদ্দীপকের আদর্শ মানুষ এর চরিত্র ‘মরু-ভাস্কর’ প্রবন্ধের হযরত মুহাম্মদ (স.) এর চরিত্রের অনুরূপ। ‘মরু-ভাস্কর’ প্রবন্ধে মহানবি হযরত মুহাম্মদ (স.) এর অতুলনীয় চরিত্র মাধুর্যের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি ছিলেন মানবপ্রেমে, জীবপ্রেমে মহীয়ান। সবসময় তিনি সহজ-সরল অনাড়ম্বর জীবন-যাপন করেছেন। আত্মীয়স্বজন সবার সঙ্গে ব্যক্তিগত আচরণে তিনি ছিলেন কুসুমের মতো কোমল। জীবনে কাউকে তিনি কড়া কথা বলেননি। কাউকে অভিসম্পাত দেননি। নিজে নির্যাতিত হয়েও প্রতিদানে তিনি ক্ষমা করেছেন। ক্রীতদাস প্রথার বিলোপ, নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠা, অমুসলিমদের অধিকারসহ মানবতার কল্যাণে যুগান্তকারী অবদান রাখেন। উদ্দীপকে শিক্ষক হাসানুজ্জামান শিক্ষার্থীদের এমন একজন আদর্শ মানুষকে অনুসরণ করতে বলেন, যিনি বিপুল ঐশ্বর্য ও ক্ষমতার অধিকারী হয়েও ছিলেন সাধারণ মানুষের মতো। যিনি লাভ করেছিলেন মানুষের অগাধ ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা। তাঁর প্রেম, অসীম দয়া, সাধনা, ত্যাগ কেবল মানুষের কল্যাণকেই ঘিরে। উদ্দীপকের আদর্শ মানুষের বৈশিষ্ট্য কেবলমাত্র মহানবি হযরত মুহাম্মদ (স.) এর মাঝেই পাওয়া যায়। উদ্দীপকে উল্লিখিত চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ‘মরু-ভাস্কর’ প্রবন্ধে মহানবি (স.) এর সাথেই কেবল মিল পাওয়া যায়। ঘ যিনি বিপুল ঐশ্বর্যের অধিকারী হয়েও ছিলেন সাধারণ মানুষের মতো- মহানবি (স.) এর ক্ষেত্রে উক্তিটি যথার্থ। ‘মরু-ভাস্কর’ প্রবন্ধে উল্লিখিত মহানবি (স.) সত্যিই ‘মরু-ভাস্কর’ বা মরুর সূর্য ছিলেন। কারণ তিনি তাঁর আলোকে পৃথিবী আলোকিত করেছিলেন। আল্লাহর নবি হওয়া সত্তে¡ও তিনি নিজেকে সাধারণ মানুষই মনে করতেন। সাধারণ জীবনযাপন করতেন। এক এতিম শিশু হলেন আরবের অবিসংবাদিত নেতা। হযরত মুহাম্মদ (স.) যখন মদিনার অধিনায়ক, তখন তাঁর ঘরের আসবাব ছিল একখানা খেজুর পাতার বিছানা আর একটি পানির সুরাই। অনাহারে থাকতে হতো তাঁকে এবং অনেক সময় উননে আগুন জ্বলত না। উদ্দীপকে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমরা এমন একজন আদর্শ মানুষ খুঁজে নাও যিনি বিপুল ঐশ্বর্য ও ক্ষমতার অধিকারী হয়েও ছিলেন সাধারণ মানুষের মতো। বংশ গৌরব কিংবা মিথ্যা অহংকার তাঁর ছিল না। তিনি কাজ করে গেছেন শুধু মানুষের কল্যাণে। তাঁর সাধনা ও ত্যাগ ছিল শুধু মানুষের কল্যাণে। উদ্দীপক ও ‘মরু-ভাস্কর’ প্রবন্ধে পর্যালোচনা করলে আমরা একই সত্যের প্রতিধ্বনি লক্ষ করি। মহানবি ছিলেন মানব দরদি, ব্যক্তিগত সুখ-স্বাচ্ছন্দের কথা তিনি কখনই ভাবেননি। রাষ্ট্রক্ষমতা, প্রভাব প্রতিপত্তি সবই তাঁর ছিল কিন্তু ক্ষমতার

সপ্তম শ্রেণির বাংলা মরু-ভাস্কর Read More »

সপ্তম শ্রেণির বাংলা লখার একুশে

লখার একুশে আবুবকর সিদ্দিক লেখক ও রচনা সম্পর্কিত তথ্য  লেখক পরিচিতি নাম আবুবকর সিদ্দিক। জন্ম পরিচয় জন্ম : ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দ। জন্মস্থান : বাগেরহাট। পিতৃ-মাতৃ পরিচয় পিতা : মতিউর রহমান পাটোয়ারী। মাতা : মতিবিবি। শিক্ষাজীবন আবুবকর সিদ্দিক ১৯৫২ সালে বাগেরহাট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে প্রবেশিকা, ১৯৫৪ সালে বাগেরহাট পিসি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং ১৯৫৬ সালে একই কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৮ সালে স্নাতকোত্তর পাস করেন। পেশা/কর্মজীবন আবুবকর সিদ্দিক কর্মজীবনে দীর্ঘদিন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে অধ্যাপনা করেছেন। এছাড়াও তিনি কুইন্স ইউনিভার্সিটি (১৯৯৬Ñ১৯৯৭) এবং নটর ডেম কলেজে (১৯৯৭Ñ২০০০) অধ্যাপনা করেন। সাহিত্য সাধনা উপন্যাস : জলরাক্ষস, খরাদাহ, বারুদ পোড়া প্রহর, একাত্তরের হৃদয়ভস্ম প্রভৃতি। পুরস্কার ও সম্মাননা বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৮), বাংলাদেশ লেখিকাসংঘ পুরস্কার, বাংলাদেশ কথাশিল্পী সংসদ পুরস্কার, খুলনা সাহিত্য পরিষদ পুরস্কার, কলকাতার ‘অতন্দ্র সাহিত্যপ্রসার সমিতি’ পুরস্কার লাভ করেন প্রভৃতি। সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ আজ মহান একুশে ফেব্র“য়ারি। তোমরা নিশ্চয়ই আজ শহিদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে শহিদ মিনারে উপস্থিত হয়েছ। আজ তোমাদের সাথে শামিল হওয়ার জন্য দূর দেশে বসে মন কাঁদছে আমারও। ইতি তোমার বন্ধু হাসান ক. কী দেখলে বুক কাঁপে লখার? ১ খ. লখার দিন কাটে কীভাবে? ২ গ. হাসানের আবেগের মধ্যে লখার আবেগের প্রতিফলন কীভাবে ঘটেছে ব্যাখ্যা কর। ৩ ঘ.“লখা ও হাসানের মতো মানুষের আবেগই শহিদদের যুগ যুগ ধরে বাঁচিয়ে রাখবে।” মন্তব্যটি মূল্যায়ন কর। ৪ ক ছায়া দেখলে বুক কাঁপে লখার। খ লখার দিন কাটে নানারকম খেলে, বন্ধুদের সাথে মারামারি করে আর দুষ্টুমি করে। লখার মা সকাল হলেই ভিক্ষা করতে বেরিয়ে যায়। লখার দিন কাটে গুলি খেলে, ছেঁড়া কাগজ কুড়িয়ে, বন্ধুদের সঙ্গে মারামারি করে আর খাবারের দোকানের এঁটোপাতা চেটে। এরপর খিদে পেটে নিয়ে যখন ফুটপাতের কঠিন শানে মায়ের পাশে ঘুমাতে যায় তখন সে খিদের কষ্ট ভুলে যায়। এভাবে অনাহারে-অর্ধাহারে লখার দিন কাটে। গ হাসানের শহিদের স্মরণে শহিদ বেদিতে ফুল দেবার আবেগের মধ্য দিয়ে লখার আবেগের প্রতিফলন ঘটেছে। ‘লখার একুশে’ গল্পে লখা একটি বাক্প্রতিবন্ধী টোকাই ছেলে। ফুল কেনার সামর্থ্য না থাকলেও সে অতি কষ্ট করে ফুল সংগ্রহ করে। শীতের কষ্ট, সাপের ভয়, কাঁটার আঘাত সব সহ্য করে সে ফুল সংগ্রহ করে। তারপর সে ফুল নিয়ে প্রভাতফেরিতে সবার সাথে অংশগ্রহণ করে। সবার সাথে গেয়ে ওঠে আঁ আঁ আঁ আঁ (আমার ভায়ের রক্তে রাঙানো) এতে সে আত্মতৃপ্তি পায় শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারার আনন্দে। উদ্দীপকের হাসান দূর দেশে থাকায় সে লখার মতো সরাসরি শহিদ মিনারে ফুল দিতে পারে না। সে কারণে অতীত স্মৃতির কথা মনে করে তার মন কেঁদে ওঠে। তাই সে বন্ধুর কাছে পত্র লিখেছে। আর এভাবেই একুশে ফেব্র“য়ারি উদ্যাপনের চেতনার প্রতিফলন ঘটেছে লখা ও হাসানের আবেগের মধ্যে। হাসানের শহিদ দিবস উদ্যাপনের আবেগের মধ্য দিয়ে লখার শহিদ দিবস উদ্যাপনের আবেগই প্রকাশ পায়। ঘ ‘লখা ও হাসানের মতো মানুষের আবেগই শহিদদের যুগ যুগ ধরে বাঁচিয়ে রাখবে’এ উক্তিটি যথার্থ। ‘লখার একুশে’ গল্পে লখার মাঝে আমরা অমর শহিদদের প্রতি হৃদয় নিংড়ানো একুশের আবেগ দেখতে পাই। সে শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহিদদের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠে, একুশে ফেব্র“য়ারির আগের রাতে ফুল সংগ্রহের জন্য অসহ্য কষ্ট সহ্য করে এবং শহিদ মিনারে গিয়ে ফুল দেয়। লখা ‘আঁ আঁ আঁ আঁ’ করে সবার সঙ্গে গলা মিলিয়ে ভাষা শহিদদের স্মরণ করে। অর্থাৎ লখা নিজে শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে শহিদ দিবস উদ্যাপন করছে। অন্যদিকে দূর দেশ থেকে হাসান তার বন্ধুকে ভাষা শহিদের প্রতি আবেগ প্রকাশ করেছে। বন্ধুদের সাথে মারামারি করে হাসান দূর দেশে থাকার কারণে বন্ধুদের সাথে শহিদ মিনারে গিয়ে ফুল দিয়ে একুশে ফেব্র“য়ারি পালন করতে পারবে না। কিন্তু একুশে ফেব্র“য়ারি দিনটি উদ্যাপনের জন্য মন ব্যাকুল হয়ে উঠেছিল। উল্লিখিত আলোচনায় বলা যায় যে, ‘লখা ও হাসানের মতো মানুষের আবেগ শহিদদের যুগ যুগ ধরে বাঁচিয়ে রাখবে’। প্রশ্ন- ২ ল্ফল্ফ জমির মিয়া একজন প্রতিবন্ধী, সে বৃদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধে তিনি তার দুটি পা ও একটি হাত হারিয়ে এ পঙ্গুত্ব বরণ করেন। কিন্তু তিনি আজও পুরোদস্তুর একজন মুক্তিযোদ্ধা। এখন তিনি যুদ্ধ করেন কলম দিয়ে, দেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস উন্মোচন করেন। আর বিজয় দিবস এলে তিনি আজও প্রাণের আবেগে সহযোদ্ধাদের স্মরণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। ক. ‘মেঙে’ শব্দের অর্থ কী? ১ খ. লখাকে কেন ভারি মজার দুষ্টু ছেলে বলা হয়েছে? ২ গ. উদ্দীপকের জমির মিয়ার সাথে লখার সাদৃশ্য নির্ণয় কর। ৩ ঘ. ‘লখা ও জমির মিয়া লাখো বাঙালির প্রতিচ্ছবি’Ñ উক্তিটি বিশ্লেষণ কর। ৪ ক ‘মেঙে’ শব্দের অর্থ চেয়ে। খ লখার দুষ্টুমির ধরন দেখে লেখক তাকে ভারি মজার দুষ্ট ছেলে বলেছেন। লখা পিতৃহীন টোকাই। সারাদিন বন্ধুদের সাথে কাগজ কুড়িয়ে আর মারামারি করে সময় কাটায়। মাঝে-মধ্যে রেললাইনের ইটের টুকরা দিয়ে ইস্পাত লাইনে টুকটুক আঘাত করে তার ওপর কান পাতে, গুন গুন আওয়াজ শোনে অনেকক্ষণ ধরে। এমনভাবে শোনে যেন গানের সুরলহরি বয়ে যাচ্ছে তার কানের ভেতর দিয়ে। লখার এমন খেয়ালিপনা দেখে তাকে লেখক বলেছেন, ‘ভারি মজার দুষ্টু ছেলে।’ গ শহিদদের প্রতি গভীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা নিবেদনের দিক থেকে উদ্দীপকের জমির মিয়ার সাথে লখার সাদৃশ্য রয়েছে। ‘লখার একুশে’ গল্পে লখা চরিত্রে ফুটে উঠেছে এক দেশপ্রেমিক বাঙালির প্রতিচ্ছবি। লখা একজন বাক প্রতিবন্ধী টোকাই হলেও শহিদদের অবদান সম্পর্কে অবগত। যার ওপর ভিত্তি করে তার মনে ভাষা শহিদদের প্রতি জন্ম নিয়েছে অকৃত্রিম শ্রদ্ধাবোধ। ভোর না হতেই যোগ দিয়েছে প্রভাতফেরির মিছিলে। শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে শান্ত করেছে অতৃপ্ত মনকে। ভাষা শহিদদের আমরা মনে প্রাণে শ্রদ্ধা ও স্মরণ করি। দেশের আপামর জনসাধারণ তাদের কৃতকর্মের জন্য কৃতজ্ঞ। যা আমরা উদ্দীপকের জমির মিয়া ও লখার শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে দেখতে পাই। জমির মিয়া ছিলেন মুক্তিযোদ্ধাদের একজন। তিনি শাহাদাত বরণ না করলেও হাত-পা হারিয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। কিন্তু তিনি আজও তার সহযোদ্ধাদের মৃত্যুযন্ত্রণা অনুভব করে ব্যথিত হন। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এক্ষেত্রে আমরা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে লখা ও জমির মিয়ার ভাবাবেগের সাদৃশ্য লক্ষ করি। ঘ ‘লখা ও জমির মিয়া লাখো বাঙালির প্রতিচ্ছবি।’ Ñউক্তিটি যথার্থ। ‘লখার একুশে’ একটি দেশপ্রেমের চেতনা সৃষ্টিমূলক গল্প। লখা বাক্ প্রতিবন্ধী কিশোর বালক কিন্তু শহিদদের প্রতি তার হৃদয়ে ছিল এক অনন্য শ্রদ্ধাবোধ। তাই শীতের কুয়াশা আর সব ভয়ভীতি উপেক্ষা করে সে মায়ের চোখ ফাঁকি দিয়ে গাছে উঠে ফুল সংগ্রহ করার জন্য। শ্রদ্ধা জানানোর তীব্র বাসনা থেকে মনের জোরে অতি কষ্টে সে পেড়ে আনে রক্ত রাঙা লাল ফুল। শ্রদ্ধা নিবেদনে লখা ও জমির মিয়ার দেশপ্রেম লাখো বাঙালির মানসিক অনুভ‚তির প্রতিনিধিত্ব করে। উদ্দীপকের জমির মিয়াও একজন দেশপ্রেমি বাঙালি । যিনি যুদ্ধে নিজের হাত-পা হারালেও আজও বিজয় দিবসে সহযোদ্ধাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধায় শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শহিদ দিবস এলে শহিদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ বিষয়টি ‘লখার একুশে’ গল্পের লখা ও উদ্দীপকের জমির মিয়ার মধ্যে পরিলক্ষিত হয়। উপর্যুক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায় যে,

সপ্তম শ্রেণির বাংলা লখার একুশে Read More »

সপ্তম শ্রেণির বাংলা কাবুলিওয়ালা

 গদ্য  কাবুলিওয়ালা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লেখক ও রচনা সম্পর্কিত তথ্য নাম প্রকৃত নাম : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ছদ্মনাম : ভানুসিংহ ঠাকুর। জন্ম পরিচয় জন্ম : ৭ই মে, ১৮৬১ খ্রিষ্টাব্দ (২৫শে বৈশাখ, ১২৬৮ বঙ্গাব্দ)। জন্মস্থান : জোড়াসাঁকো, কলকাতা। পিতৃ ও মাতৃপরিচয় পিতার নাম : মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর। মাতার নাম : সারদা দেবী। শিক্ষাজীবন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছোটবেলায় ওরিয়েন্টাল সেমিনারি, বিদ্যাসাগর প্রতিষ্ঠিত নর্মাল স্কুল, বেঙ্গল একাডেমি, সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুল প্রভৃতি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন করলেও স্কুলের পাঠ শেষ করতে পারেননি। ১৭ বছর বয়সে ব্যারিস্টারি পড়তে ইংল্যান্ডে যান। সে পড়াও শেষ না হতেই দেশে ফিরে আসেন তিনি। কিন্তু স্বশিক্ষা ও স্বীয় সাধনায় বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এনে দিয়েছেন অতুলনীয় সমৃদ্ধি। পেশা/কর্মজীবন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পিতৃ আদেশে ১৮৮৪ খ্রিষ্টাব্দ থেকে বিষয়কর্ম পরিদর্শনে নিযুক্ত হন। তিনি ১৮৯০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে জমিদারি দেখাশোনা করেন। সাহিত্য সাধনা কাব্যগ্রন্থ : বনফুল, মানসী, কড়ি ও কোমল, সোনার তরী, চিত্রা, ক্ষণিকা, বলাকা, পূরবী, পুনশ্চ, গীতাঞ্জলি, শেষ লেখা বিশেষ উল্লেখযোগ্য। উপন্যাস : গোরা, ঘরে-বাইরে, চতুরঙ্গ, চোখের বালি, যোগাযোগ, নৌকাডুবি, শেষের কবিতা, দুইবোন, মালঞ্চ ইত্যাদি। কাব্যনাট্য : কাহিনী, চিত্রাঙ্গদা, বসন্ত, বিদায় অভিশাপ, মালিনী, রাজা ও রানি ইত্যাদি। নাটক : অচলায়তন, চিরকুমার সভা, মুক্তধারা, ডাকঘর, রক্তকরবী, রাজা, বিসর্জন ইত্যাদি। গল্পগ্রন্থ : গল্পগুচ্ছ, গল্পস্বল্প, তিনসঙ্গী, লিপিকা ইত্যাদি। ভ্রমণকাহিনি : জাপান যাত্রী, পথের সঞ্চয়, পারস্য, রাশিয়ার চিঠি, য়ুরোপ যাত্রীর ডায়েরি, য়ুরোপ প্রবাসীর পত্র ইত্যাদি। শিশুসাহিত্য : শিশু ভোলানাথ, খাপছাড়া ইত্যাদি। পুরস্কার ও সম্মাননা নোবেল পুরস্কার (১৯১৩), কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক সম্মানসূচক ডিলিট (১৯১৩), অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক সম্মানসূচক ডিলিট (১৯৪০), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক সম্মানসূচক ডিলিট (১৯৩৬) অর্জন। জীবনাবসান ৭ই আগস্ট, ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দ (২২শে শ্রাবণ, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ)। সৃজনশীলপ্রশ্নওউত্তর   প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ উদ্দীপক-১ : নতুন দারোয়ান সামাদ মিয়ার সাথে ছেলের বেশি ভাব-বন্ধুত্ব কিছুতেই মেনে নিতে পারেন না আবীরের মা। তিনি স্বামীকে বোঝান- বিভিন্ন ফন্দি করে মানুষ এখন অন্যের বাচ্চা চুরি করে। সামাদ মিয়াও তো একদিন তেমন কিছু করে বসতে পারে। উদ্দীপক-২ : বারো বছর আগের ছোট্ট আবীর আজ কলেজ থেকে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় হাসপাতালে। রক্তের জন্য বাবা-মা বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করছেন। খবর পেয়ে সামাদ মিয়া ছুটে এসে হাউমাউ করে কাঁদতে কাঁদতে বলে- ‘সাহেব, আবীর বাবার জন্য আমার সব রক্ত নেন, আমার নিজের ছেলেরে হারাইছি, ওরে হারাইলে আমি বাঁচুম না।’ ক. কাবুলিওয়ালার মলিন কাগজটিতে কী ছিল? খ. রহমতকে কারাবরণ করতে হয়েছিল কেন? গ. উদ্দীপক-১ অংশে ‘কাবুলিওয়ালা’ গল্পের কোন দিকটি প্রকাশ পেয়েছে ব্যাখ্যা কর। ঘ. ‘উদ্দীপকের সামাদ মিয়া যেন কাবুলিওয়ালা গল্পের মূল ভাবকেই ধারণ করে আছে’- বিশ্লেষণ কর। ক কাবুলিওয়ালার মলিন কাগজটিতে ছিল একটি ছোট হাতের ছাপ। খ ধারের টাকা নিয়ে বচসা হওয়াকালীন সময়ে জেদের বশে কাবুলিওয়ালা লেখকের প্রতিবেশী রামপুরিকে ছুরি বসিয়ে দেয়। আর এ কারণেই তার কারাদণ্ড হয়েছিল। কাবুলিওয়ালা কলিকাতার রাস্তায় বিভিন্ন জিনিসের সওদা করত। লেখকের এক প্রতিবেশী রামপুরী চাদরের জন্য কাবুলিওয়ালার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নিয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী সময় সে মিথ্যা কথা বলে ধারের কথা অস্বীকার করে। এ বিষয়ে প্রতিবেশীর সাথে ঝগড়ারত অবস্থায় কাবুলিওয়ালা তাকে ক্রোধের বশবর্তী হয়ে ছুরি বসিয়ে দেয়। এ কারণে হাকিমের আদালতে কাবুলিওয়ালার কারাদণ্ড হয়েছিল। গ সন্তানের যেকোনো প্রকারের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা উদ্দীপক-১ ও ‘কাবুলিওয়ালা’ গল্পে সমানভাবে প্রকাশিত হয়েছে। ‘কাবুলিওয়ালা’ গল্পে কাবুলিওয়ালার ভেতরে পিতৃস্নেহ জেগে ওঠায় শিশু মিনির প্রতি এক ধরনের সখ্যতা গড়ে ওঠে। মিনি ও কাবুলিওয়ালার প্রতি কৌত‚হলী হয়ে ওঠে। তাদের কথাবার্তা যোগাযোগ ও বন্ধুত্বকে লেখক প্রশ্রয় দিলেও মিনির মা বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে দেখেননি। তিনি ছিলেন অত্যন্ত শঙ্কিত স্বভাবের লোক। কাবুলিওয়ালা সম্পর্কে তিনি নিঃসংশয় ছিলেন না। তার প্রতি দৃষ্টি রাখতে লেখককে বার বার অনুরোধ করেছেন। উদ্দীপক-১ এ দারোয়ান সামাদ মিয়ার সাথে ছেলের বেশি ভাব-বন্ধুত্ব মেনে নিতে পারেন না আবীরের মা। তিনি মনে করেন এভাবেই বিভিন্ন ফন্দি করে মানুষ অপরের বাচ্চা চুরি করে। সামাদ মিয়াও এমন কিছু করে বসতে পারে। সন্তান চিন্তায় ব্যাকুল নারী স্বামীকে একথা বোঝানোর চেষ্টা করেন। উদ্দীপকের সন্তানের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কার দিকটি ‘কাবুলিওয়ালা’ গল্পের মিনির মায়ের মধ্যে সমানভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। মিনিকে নিয়ে মিনির মায়ের মনে একই দুর্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছিল। উদ্দীপক ও ‘কাবুলিওয়ালা’ গল্প উভয় স্থানে সন্তান চিন্তায় উদ্বিগ্ন মা শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। ঘ উদ্দীপকের সামাদ মিয়ার কাছে সন্তানবাৎসল্য মুখ্য হয়ে ওঠায় তা ‘কাবুলিওয়ালা’ গল্পের মূল ভাবকেই ধারণ করে আছে। ‘কাবুলিওয়ালা’ গল্পে কাবুলিওয়ালা ও মিনির সম্পর্ককে কেন্দ্র করেই গল্পের কাহিনি আবর্তিত হয়েছে। কাবুলিওয়ালার মিনির বয়সি এক মেয়ে আছে। জীবন জীবিকার সন্ধানে কাবুলিওয়ালাকে তার নিজ দেশ থেকে বিদেশ বিভঁ‚ইয়ে ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে। কিন্তু মেয়ের স্মৃতি সে ভুলতে পারে না। চঞ্চল মিনিকে দেখে তার মধ্যে পিতৃত্ব আরো বেশি জেগে ওঠে। নিজের সন্তান ভেবে মিনির সাথে দেখা করে। গল্প করে, বাদাম, কিসমিস মেওয়া ইত্যাদি তাকে দেয়। তাদের এই সম্পর্ক অকৃত্রিম। তাই মিনির বিয়ের দিন মিনির সাথে দেখা হবে না জেনে কাবুলিওয়ালা খুব ব্যথিত হয়। অন্যদিকে উদ্দীপকে আমরা লক্ষ করি সামাদ মিয়ার ছিল আবীরের বয়সি ছেলে। সন্তান হারানোর দুঃখ ভুলতে সে আবীরের প্রতি আগ্রহ দেখায়। সড়ক দুর্ঘটনায় আবীর আহত হলে হাসপাতালে রক্তের প্রয়োজন হয়। আবীরের এই দুর্ঘটনার খবর শুনে সামাদ মিয়া হাউমাউ করে কাঁদতে থাকে। আর বলে সাহেব, আবীর বাবার জন্য আমার সব রক্ত নেন। আমার ছেলেরে হারাইছি, ওরে হারাইলে আমি বাঁচুম না। ‘কাবুলিওয়ালা’ গল্পে মিনির প্রতি কাবুলিওলার ছিল অপরিসীম স্নেহ ও ভালোবাসা। মিনিকে দেখে সে নিজের মেয়েকে না দেখার কষ্ট ভুলে থাকত। মিনির বিয়ের দিন সে প্রথম বারের মতো অনুভব করেছে মিনির মতো তার মেয়েটিও বিবাহযোগ্য হয়ে উঠেছে। তাছাড়া নিজের মেয়ের হাতের ছাপ সে একটি কাগজে তুলে নিয়ে তা বুকে আগলে রেখেছে। সন্তানের প্রতি এই ভালোবাসার কোনো তুলনা হয় না। উদ্দীপকেও সামাদ মিয়া আবীরের জন্য রক্ত দিতে এগিয়ে এসেছে। মৃত সন্তানের স্মৃতি ভুলে থাকার জন্য সে আবীরের মাঝেই সন্তানকে খুঁজেছে। আবীরের যতœ নিয়েই সে নিজের পিতৃত্বকে শান্ত করতে পেরেছে। তাই বলা যায় উদ্দীপকের সামাদ মিয়া যেন ‘কাবুলিওয়ালা’ গল্পের মূল ভাবকেই ধারণ করে আছে। প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ একমাত্র ছেলে রায়হানকে উচ্চ শিক্ষার্থে বিদেশ পাঠিয়েছেন জালাল মাস্টার। ছেলের দেয়া চিঠিটি যতœ করে পকেটে রাখেন তিনি। ছেলের অবর্তমানে তার বুকটা যেন ফাঁকা হয়ে গেছে। বন্ধু-বান্ধবদের সাথে তিনি সন্তানের বিষয়ে কথা বলেন। মাঝে মাঝে চিঠিটি বের করে দেখেন। কখনো কখনো কেমন যেন আনমনা হয়ে যান তিনি। ক. মিনির বয়স কত? ১ খ. কাবুলিওয়ালাকে দেখে মিনি অন্তঃপুরে দৌড় দিল কেন? ২ গ. উদ্দীপকের সাথে ‘কাবুলিওয়ালা’ গল্পের কোন অংশটুকুর মিল রয়েছে ব্যাখ্যা কর। ৩ ঘ. প্রিয় সন্তানকে কাছে না পাওয়ার গভীর আকুতি উদ্দীপক ও ‘কাবুলিওয়ালা’ গল্পের আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪ ক মিনির বয়স পাঁচ বছর। খ একটা ভয়মিশ্রিত আশঙ্কা থেকে মিনি কাবুলিওয়ালাকে দেখে অন্তঃপুরে দৌড় দিল। মিনি মনে করত কাবুলিওয়ালার ঝুলিটার মধ্যে তার মতো দুটো-চারটে জীবিত মানব সন্তান পাওয়া যেতে পারে। কাবুলিওয়ালাছিল মিনির কাছে সম্পূর্ণ অপরিচিত একজন ব্যক্তি। তাই অন্ধ বিশ্বাসজনিত

সপ্তম শ্রেণির বাংলা কাবুলিওয়ালা Read More »

Scroll to Top