গুরুচণ্ডালী
শিবরাম চক্রবর্তী
গল্পটি পড়ে জানতে পারব
বাংলা ভাষার গুরুচণ্ডালী দোষ সম্পর্কে ধারণা
কোনো কিছু নিয়ে অতিরিক্ত বাড়াবাড়ির কুফল
স্থানভেদে যথাযথ ভাষা ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা
লেখক পরিচিতি
নাম শিবরাম চক্রবর্তী।
জন্ম পরিচয় জন্ম তারিখ : ২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৩১০ বঙ্গাব্দ।
পিতৃ পরিচয় পিতার নাম : শিবপ্রসাদ চক্রবর্তী।
শিক্ষাজীবন সিদ্ধেশ্বরী ইনস্টিটিউশন (মালদহ)।
কর্মজীবন/পেশা সাংবাদিকতা।
সাহিত্য সাধনা গ্রন্থ : বাড়ি থেকে পালিয়ে, ঈশ্বর পৃথিবী ভালোবাসা, ভালোবাসা পৃথিবী ঈশ্বর, কিশোর রচনা সমগ্র (হায়াৎ মামুদ সম্পাদিত)।
মৃত্যু ১১ই ভাদ্র ১৩৮৭ বঙ্গাব্দে (২৮শে আগস্ট ১৯৮০ খ্রিষ্টাব্দ)।
অনুশীলনী: বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর
১. ‘গুরুচণ্ডালী’ কাকে বলে? জ
ক. চলিত ও আঞ্চলিকতার মিশ্রণকে
খ. সাধু ও আঞ্চলিকতার মিশ্রণকে
গ. সাধু ও কথ্য রীতির মিশ্রণকে
ঘ. প্রাচীন ও আধুনিকতার মিশ্রণকে
২. গুরুচণ্ডালী গল্পে কিছু শব্দ ব্যবহার করা হয়েছেÑ
র. দুগ্ধফেননিভ, আয়েস, উপবেশন
রর. পরিগ্রহ, সমাসীন, মুলতবি
ররর. আয়াসসাধ্য, পরিগ্রহ, উপবেশন
নিচের কোনটি সঠিক? জ
ক. র খ. র ও রর
গ. ররর ঘ. রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
স্যার, তখন আমি কী বলেছিলাম? আমি অত করে বললাম, তা আপনি কানই দিলেন না, আদৌ কর্ণপাতই করেন না! গণেশ অনেকটা এগিয়ে এসেছে ততক্ষণে। দোকানের মুখে পৌঁছে মাস্টারের সম্মুখে পড়েছে। ‘কী বলেছিলে তুমি? তুমি তো আমায় কাল ব্যগ্র হতে বলেছিলে? আর এদিকে আমার আজ সর্বনাশ হয়ে গেল।’
৩. উদ্দীপকটি তোমার পঠিত কোন গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে? চ
ক. গুরুচণ্ডালী খ. লালু
গ. তোতাকাহিনী ঘ. আদুভাই
৪. উদ্দীপকটিতে গণেশের কী ধরনের পরিচয় ফুটে উঠেছে? জ
ক. নিষ্ঠুরতা খ. উদাসীনতা
গ. মূর্খতা ঘ. রসিকতা
৫. স্যারের সর্বনাশের কারণÑ
র. তাঁর অসচেতনতা
রর. ভাষা বুঝতে না পারা
ররর. গণেশের মূর্খতা
নিচের কোনটি সঠিক? জ
ক. র খ. রর
গ. র ও রর ঘ. ররর
সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
দুগ্ধফেননিভের সঙ্গে আয়েস? সীতানাথবাবুর মুখখানা উচ্ছের পায়েস খেলে যেমন হয় তেমনি ধারা হয়ে ওঠে ‘ওহে বাপু! গুরুচণ্ডালী কাকে বলে তা কি তোমাদের মগজে ঢুকেছে? মনে কর যে, যে চাঁড়ালটা আমাদের এ স্কুলে ঝাঁট দেয় সে যদি হেডমাস্টার মশায়ের সঙ্গে একাসনে বসে, তাহলে সেটা দেখতে কেমন লাগে? সেটা যেমন দৃষ্টিকটু দেখাবে, কতগুলো সাধু-শব্দের মধ্যে একটা অসাধু শব্দ ঢুকলে ঠিক সেই রকম খারাপ দেখায়, তাই না?’
ক. দুগ্ধফেননিভ শব্দের অর্থ কী? ১
খ. সাধু ও কথ্যরীতি মিশিয়ে ফেললে কী ধরনের সমস্যা হয়? ২
গ. একটি রচনাকে সুন্দর ও আকর্ষণীয় করার জন্য কী করা প্রয়োজনÑ উদ্দীপকের আলোকে উপস্থাপন করো। ৩
ঘ. ‘গুরুচণ্ডালী’ গল্পের আলোকে ভাষা প্রয়োগের কৌশল বিশ্লেষণ করো। ৪
১ এর ক নং প্র. উ.
‘দুগ্ধফেননিভ’ শব্দের অর্থ দুধের ফেনার মতো সাদা ও কোমল।
১ এর খ নং প্র. উ.
সাধু ও কথ্যরীতি মিশিয়ে ফেললে গুরুচণ্ডালী দোষ সৃষ্টি হয়।
সাধু ভাষা শুধুই লেখালেখিতে ব্যবহার করা হয়। এর রয়েছে আলাদা কিছু বৈশিষ্ট্য। সাধারণ মানুষের জন্য এ ভাষা উপযোগী নয়। সাধারণ মানুষ যে ভাষা সচরাচর ব্যবহার করে থাকে তা হলো কথ্য ভাষা। তাই এই দুই ভাষার মিশ্রণ অর্থাৎ গুরুচণ্ডালী দোষ ঘটলে ভাষা দুর্বোধ্য হয়ে ওঠে, রচনায় অসংগতি সৃষ্টি হয়, কথা বললে তা শ্রæতিকটু শোনায়।
১ এর গ নং প্র. উ.
একটি রচনাকে সুন্দর ও আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য গুরুচণ্ডালী দোষ পরিহার করা প্রয়োজন।
‘গুরুচণ্ডালী’ রচনায় বর্ণিত পণ্ডিতমশাই চান শিক্ষার্থীরা সাবলীল ভাষায় রচনা তৈরি করতে শিখুক। কিন্তু কোনোভাবেই তিনি তাদের মধ্য থেকে গুরুচণ্ডালী দোষজনিত সমস্যা দূর করতে পারেন না। সাধু ও কথ্য রীতি রচনায় না মেশানোর জন্য তিনি ছাত্রদের বারবার উপদেশ দেন।
রচনার সবচেয়ে বড় গুণ হলো প্রাঞ্জলতা। প্রাঞ্জলতা বলতে বোঝায় রচনার সহজবোধ্যতা। একটি রচনা যত সহজ সরল ভাষায় রচিত হবে পাঠককে তা তত বেশি আকৃষ্ট করবে। সাধু ভাষার সাথে কথ্য ভাষার মিশ্রণ ঘটালে রচনার সেই সহজবোধ্যতা নষ্ট হয়। তাই রচনার সময় এ বিষয়গুলো খেয়াল রাখা উচিত।
১ এর ঘ নং প্র. উ.
‘গুরুচণ্ডালী’ গল্পের আলোকে বলা যায়, ভাষা প্রয়োগের ক্ষেত্রে পরিবেশ পরিস্থিতির কথা মাথায় রাখতে হবে।
‘গুরুচণ্ডালী’ গল্পে বর্ণিত শিক্ষার্থীরা রচনার বিভিন্ন গুণ সম্পর্কে সঠিকভাবে জানে না। পণ্ডিত সীতানাথবাবু তাই প্রাণান্ত চেষ্টা করেন তাদের ত্রæটি দূর করার। কিন্তু তার প্রভাব এতটাই বেশি ছিল যে, একসময় তা হিতে বিপরীত হয়ে যায়।
উদ্দীপকে সীতানাথবাবু ছাত্রদের গুরুচণ্ডালী দোষ সম্পর্কে বোঝাতে গিয়ে গলদঘর্ম হয়েছেন। ছাত্ররাও তাঁর ভাষা সম্পর্কিত অত্যাচারে অতিষ্ঠ। তাই প্রতিক‚ল পরিস্থিতিতেও তারা এর চর্চা করে যায়।
গুরুচণ্ডালী দোষ এড়াতে গিয়ে গল্পের গণেশ গুরু সীতানাথবাবুর সর্বনাশ ঠেকাতে পারে না। পকেটমার তার অর্থ আত্মসাৎ করে নিয়ে যায়। প্রকৃতপক্ষে গুরুমশাই তাদের শিখিয়েছিলেন রচনার ভাষা প্রয়োগ সম্পর্কে। কথ্য ভাষায় সেটি প্রয়োগের চেষ্টা করলে অনর্থ ঘটার আশঙ্কাই বেশি। গল্পের গণেশ সেটি করতে গিয়েছিল বলেই তার স্যারের বিপদ ঠেকাতে পারেনি। সুতরাং বোঝা যাচ্ছে, ভিন্ন ভিন্ন পরিস্থিতিতে মনের ভাব প্রকাশের জন্য রয়েছে ভাষার ভিন্ন ভিন্ন রূপ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. আজগর ফুলপুর বিদ্যালয়ের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হলেন। সংস্কৃতের প্রতি বিশেষভাবে দুর্বল ড. আজগর প্রচুর সংস্কৃত শব্দ ব্যবহার করে বক্তব্য উপস্থাপন করলেন। তাঁর বক্তব্য শুধু ছাত্রদের কাছেই দুর্বোধ্য বলে মনে হয়নি, শিক্ষকরাও তা অনুধাবনে ব্যর্থ হয়েছেন। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁকে যে উদ্দেশ্যে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তা ব্যর্থ হলো এবং ড. আজগরের মূল্যবান উপদেশবাণী থেকে শিক্ষার্থীরাও বঞ্চিত হলো।
ক. গণেশ সরকারি রেশনের দোকানে পণ্ডিত সীতানাথকে কী বলেছিল? ১
খ. কোন দৃশ্যটি অবাক হয়ে দেখার মতো ছিল? ২
গ. পণ্ডিত সীতানাথবাবুর ব্যর্থতা এবং ড. আজগরের ব্যর্থতার স্বরূপ ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. ‘একটি বিষয়ে সতর্ক থাকলে ড. আজগর ও সীতানাথ সফল হতে পারতেন’ উদ্দীপক এবং ‘গুরুচণ্ডালী’ গল্পের আলোকে বিশ্লেষণ করো। ৪
২ নং প্র. উ.
ক. গণেশ সরকারি রেশনের দোকানে পণ্ডিত সীতানাথকে বলেছিল, ‘ব্যগ্র হোন কল্য’।
খ. সরকারি রেশনের দোকানে সবার সাথে একই লাইনে দাঁড়িয়ে সীতানাথবাবুর রেশন সংগ্রহের দৃশ্যটি অবাক হয়ে দেখার মতো ছিল।
গণেশ সরকারি রেশন আনতে গিয়ে সীতানাথবাবুকেও সবার সাথে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখল। সেই লাইনে ঝাড়–দার-চামার থেকে শুরু করে পাড়ার গুণ্ডারাও ছিল। চণ্ডালদের মধ্যে গুরুদেবের এমন অভাবিত মিলন দৃশ্যে গণেশ হতবাক হয়ে পড়ল। গণেশের কাছে সে দৃশ্য অবাক হয়ে দেখার মতো মনে হয়েছিল।
গ. গুরুচণ্ডালী দোষের প্রতি পণ্ডিত সীতানাথবাবুর অতিরিক্ত সতর্কতা এবং সংস্কৃত ভাষার প্রতি ড. আজগরের অতিরিক্ত অনুরাগ উভয়কে ব্যর্থতায় নিপতিত করেছিল।
পণ্ডিত সীতানাথ তার ছাত্রদেরকে সংস্কৃত শব্দ ও দেশজ শব্দের মিশ্রণের ব্যাপারে যথেষ্ট সতর্ক করে তোলার চেষ্টা করেন। সাধু-চলিতের মিশ্রণকে তিনি গুরুতর অপরাধ বলেই বিবেচনা করতেন। কিন্তু সরকারি রেশনের লাইনে দাঁড়িয়ে রেশন সংগ্রহ করার সময় পকেটমার যখন তাঁর পকেট মেরে দিচ্ছিল তখন তাঁর ছাত্র গণেশের অশুদ্ধ সাধু ভাষার সতর্কবাণী কোনো কাজে আসেনি। ‘ব্যগ্র হোন কল্য’ বক্তব্য অনুধাবন করতে করতেই পণ্ডিতের যা ক্ষতি হওয়ার তা হয়ে গেল।
উদ্দীপকে বর্ণিত অধ্যাপক ড. আজগর ফুলপুর বিদ্যালয়ে নবীনবরণ অনুষ্ঠানে যে বক্তব্য দেন তা শিক্ষার্থীদের বোধগম্য হয়নি। কেননা ড. আজগর তাঁর বক্তব্যে অতিরিক্ত মাত্রায় সংস্কৃত শব্দ প্রয়োগ করেন। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্য ছিল ড. আজগরের বক্তব্যে ছাত্ররা উপকৃত হবে অর্থাৎ ছাত্ররা অনুপ্রাণিত হয়ে অধ্যয়নে মনোনিবেশ করবে। কিন্তু কোমলমতি ছাত্ররা তাঁর বক্তব্যের সারবস্তু উপলব্ধি করতে পারেনি। কাজেই বলতে পারি, ভাষার শুদ্ধ ব্যবহারের প্রতি মাত্রাতিরিক্ত অনুরাগের ফলস্বরূপ পণ্ডিত সীতানাথ আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হন এবং অতিরিক্ত সংস্কৃত শব্দ প্রয়োগের কারণে ড. আজগরের বক্তব্য দুর্বোধ্য বলে পরিগণিত হয়।
ঘ. ভাষা প্রয়োগের ক্ষেত্রে পরিবেশ পরিস্থিতি সম্পর্কে সতর্ক থাকলে ড. আজগর ও সীতানাথবাবু স্ব স্ব ক্ষেত্রে সফল হতে পারতেন।
গুরুচণ্ডালী দোষের প্রতি পণ্ডিত সীতানাথের অতি সতর্কতা শিক্ষার্থীদের কাছে বাড়াবাড়ি বলেই প্রতীয়মান হয়েছে। তিনি শিক্ষার্থীদেরকে সব সময় গুরুচণ্ডালী দোষ থেকে মুক্ত থাকতে চাপ সৃষ্টি করতেন। কিন্তু গুরুচণ্ডলী দোষের প্রতি তাঁর অতিরিক্ত সতর্কতা বাস্তব জীবনে বিপত্তি ডেকে আনে।
ড. আজগরের জ্ঞান ও প্রজ্ঞার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়েই ফুলপুর বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁকে প্রধান অতিথির আসনে বসান। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রত্যাশা ছিল তাঁর জ্ঞানগর্ভ বক্তব্য শিক্ষার্থীদেরকে অনুপ্রাণিত করবে। কিন্তু ড. আজগর যে ভাষা প্রয়োগ করে বক্তব্য রাখলেন তা বিজ্ঞজনের কাছে গ্রহণযোগ্য হলেও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কাছে দুর্বোধ্য বলে বিবেচিত হলো। সংস্কৃতের প্রতি এ ধরনের আগ্রহ তাঁকে তাঁর লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত করেছিল। এদিক থেকে বিবেচনা করলে ড. আজগর এবং পণ্ডিত সীতানাথ উভয়ে ব্যর্থ হয়েছেন।
প্রকৃত পক্ষে সাধু ভাষা অত্যন্ত উচ্চমার্গীয় ভাষা। এ ভাষায় উচ্চতর জ্ঞানচর্চা চলে। পুস্তকে এ ভাষার ব্যবহার ভাষার গাম্ভীর্য আনে। সাধু ভাষার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন না থাকলেও স্থান-কাল-পাত্র বিবেচনায় এটি প্রয়োগ করতে হয়। ড. আজগর বা পণ্ডিত সীতানাথ যদি ভাষা প্রয়োগে বাস্তবতা উপলব্ধি করতেন তবে তাদেরকে অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হতো না।
পরীক্ষায় কমন উপযোগী জ্ঞানমূলক প্রশ্নের উত্তর
১. সীতানাথবাবুর ব্যাগ কে চুরি করেছিল?
উত্তর : সীতানাথবাবুর ব্যাগ চুরি করেছিল বাবুর পেছনে দাঁড়ানো লোকটি।
২. গুরুচণ্ডালী কী?
উত্তর : সাধু ভাষার সঙ্গে কথ্য ভাষার ব্যবহাররূপ দোষকে গুরুচণ্ডালী বলে।
৩. সীতানাথবাবু কী পড়াতেন?
উত্তর : সীতানাথবাবু বাংলা পড়াতেন।
৪. ফেননিভের মতো নিভে যায় কে?
উত্তর : গণেশ ফেননিভের মতো নিভে যায়।
৫. ব্যগ্র হোন কল্য- এ কথাটি কে বলেছিল?
উত্তর : ব্যগ্র হোন কল্যÑ এ কথাটি বলেছিল গণেশ।
৬. স্কুলের সেকেন্ড পণ্ডিত কে ছিলেন?
উত্তর : স্কুলের সেকেন্ড পণ্ডিত ছিলেন সীতানাথবাবু।
৭. ‘দুগ্ধফেননিভ’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : ‘দুগ্ধফেননিভ’ অর্থ দুধের ফেনার মতো সাদা ও কোমল।
পরীক্ষায় কমন উপযোগী অনুধাবনমূলক প্রশ্নের উত্তর
১. ছাত্ররা সীতানাথবাবুকে সীতার অগ্নি পরীক্ষার মতো ভয় পেত কেন?
উত্তর : ছাত্ররা সীতানাথবাবুকে সীতার অগ্নি পরীক্ষার মতো ভয় পেত, কারণ সীতানাথবাবুর চোখে ভুল ধরা পড়লে ছাত্রদের তিনি খুব বকা দিতেন।
সীতানাথবাবু ছিলেন বাংলার শিক্ষক। ছাত্রদেরকে সপ্তাহের একটা ঘণ্টা তিনি রচনা লেখা শেখাতেন। কিন্তু ছাত্রদের লেখায় শুধুই গুরুচণ্ডালী দোষ থাকত। তা কোনোভাবেই সীতানাথবাবুর চোখে এড়াত না। এসব কারণেই ছাত্ররা সীতানাথবাবুকে সীতার অগ্নি পরীক্ষার মতো ভয় পেত।
২. রেশনের দাম দিতে গিয়ে সীতানাথবাবুর চোখ কপালের কানায় ঠেকেছিল কেন?
উত্তর : পকেটে টাকা নেই বুঝতে পেরে রেশনের দাম দিতে গিয়ে সীতানাথবাবুর চোখ কপালের কানায় ঠেকেছিল।
সীতানাথবাবু রেশন আনতে বিশাল লাইনে দাঁড়ান। ভিড়ের মধ্যে কেউ একজন তার পকেট মেরে টাকা নিয়ে যায়। রেশনের দাম দিতে গিয়ে তিনি দেখেন পকেটে টাকা নেই। তাই তাঁর চোখ কপালের কানায় ঠেকেছিল।
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর
সাধারণ
১. শিবরাম চক্রবর্তী কত বঙ্গাব্দে জন্মগ্রহণ করেন? জ
ক ১৩০৫ খ ১৩০৭
গ ১৩১০ ঘ ১৩১৩
২. শিবরাম চক্রবর্তীর পিতার নাম কী? চ
ক শিবপ্রসাদ চক্রবর্তী খ শিবদাস চক্রবর্তী
গ শিবরাম দাস ঘ শিবপ্রকাশ
৩. শিবরাম চক্রবর্তীর পেশা কী ছিল? চ
ক সাংবাদিকতা খ শিক্ষকতা
গ চাকরি ঘ চিকিৎসা
৪. শিশু-কিশোরদের জন্য লেখায় শিবরাম কী ছিলেন? ঝ
ক অনাগ্রহী খ উৎসাহী
গ দক্ষ ঘ সিদ্ধহস্ত
৫. নিচের কোনটি শিবরাম রচিত রচনা? ঝ
ক বিরাজ বৌ খ গৃহদাহ
গ দেনা পাওনা ঘ ঈশ্বর পৃথিবী ভালোবাসে
৬. শিবরাম কত সালে মৃত্যুবরণ করেন? জ
ক ১৯৭০ খ ১৯৭৫
গ ১৯৮০ ঘ ১৯৮৫
৭. সীতানাথবাবুর পদবি কী ছিল? জ
ক পণ্ডিত খ ফার্স্ট পণ্ডিত
গ সেকেন্ড পণ্ডিত ঘ থার্ড পণ্ডিত
৮. সীতানাথবাবু ছাত্রদের লেখায় কোন সমস্যাটি মোটেই সইতে পারতেন না? ছ
ক খারাপ হাতের লেখা খ গুরুচণ্ডালী দোষ
গ ভুল বানান ঘ ভুল পদবিন্যাস
৯. ছেলেদের রচনার জন্য সপ্তাহের কয় ঘণ্টা বরাদ্দ ছিল? চ
ক এক ঘণ্টা খ দুই ঘণ্টা
গ তিন ঘণ্টা ঘ চার ঘণ্টা
১০. সীতানাথবাবু ছেলেদের রচনা পড়ে পড়ে কী হতেন? ছ
ক মুগ্ধ হতেন খ আগুন হতেন
গ ক্ষুব্ধ হতেন ঘ তৃপ্ত হতেন
১১. পণ্ডিত সীতানাথের মতে সাধুভাষা ও কথ্যভাষা মিশে কী হয়? চ
ক খিচুড়ি খ নিরামিষ
গ পোলাও ঘ পায়েস
১২. দুগ্ধফেননিভ শয্যায় সে ধপাস করিয়া বসিয়া পড়িল- কে লিখেছিল? জ
ক সীতানাথবাবু খ মানস
গ গণেশ ঘ সরিৎ
১৩. কার কথা শুনে সীতানাথবাবুর চেহারা উচ্ছের পায়েস খেলে যেমন হয় তেমন হয়ে গেল? ঝ
ক গণেশ খ মানস
গ প্রীতম ঘ সরিৎ
১৪. সীতানাথবাবু সরকারি দোকানে কী আনতে গিয়েছিলেন? ছ
ক বইপত্র খ রেশন
গ কাপড়-চোপড় ঘ মাছ-তরকারি
১৫. সরকারি দোকানে রেশন সংগ্রহকারীদের লাইনটি রীতিমতোই কী? ছ
ক বানান ভুল খ গুরুচণ্ডালী
গ বিরামচিহ্নের ত্রæটি ঘ ধ্বনি বিপর্যয়
১৬. সরকারি দোকানে রেশন সংগ্রহকারীদের লাইনটি কীভাবে এগুচ্ছিল? ছ
ক খরগোশের মতো খ কচ্ছপের মতো
গ অজগরের মতো ঘ ঘোড়ার মতো
১৭. ‘ব্যগ্র হোন কল্য’- কে বলেছিল? জ
ক নিরঞ্জন খ সরিৎ
গ গণেশ ঘ মানস
১৮. ‘গুরুচণ্ডালী’ গল্পে কার পকেট মারা গেল? চ
ক সীতানাথবাবুর খ নিরঞ্জনের
গ গণেশের ঘ মানসের
১৯. সীতানাথবাবু গণেশকে কী বলে তিরস্কার করলেন? ছ
ক হতভাগা খ হতমুখ্য
গ গর্দভ ঘ অপদার্থ
২০. সংস্কৃত শব্দের সঙ্গে দেশজ শব্দের মিশ্রণের অসংগতিকে কী বলে? ছ
ক ব্যগ্র খ গুরুচণ্ডালী
গ লঘুচণ্ডালী ঘ জগা খিচুড়ি
২১. ‘আয়েস’ শব্দের অর্থ কী? চ
ক আরাম খ কষ্ট
গ দুঃখ ঘ শাস্তি
বহুপদী সমাপ্তিসূচক
২২. পণ্ডিত মশাইয়ের পকেট মার হওয়ার কারণ
র. গণেশের গুরুচণ্ডালীমুক্ত কথা বলার চেষ্টা
রর. গণেশ উচ্চারিত সতর্কবাণী পণ্ডিত মশাইয়ের বোধগম্য না হওয়া
ররর. পণ্ডিত মশাইয়ের রেশন লাইনে নিজের অবস্থান ধরে রাখার চেষ্টা
নিচের কোনটি সঠিক? চ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৩. পণ্ডিত মশাই সম্পর্কে যে কথাগুলো প্রযোজ্য
র. সাধু ভাষায় অতিরিক্ত আসক্তি
রর. রূঢ় স্বভাবের
ররর. অসচেতন
নিচের কোনটি সঠিক? ঝ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৪. ‘গুরুচণ্ডালী’ গল্প থেকে প্রতীয়মান হয়
র. সাধু ভাষার আড়ষ্টতা
রর. সাধু ভাষায় প্রাঞ্জলতার অভাব
ররর. দৈনন্দিন কাজে সাধু ভাষা প্রয়োগে অসুবিধা
নিচের কোনটি সঠিক? ঝ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ন্ধ অভিন্ন তথ্যভিত্তিক
নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং ২৫ ও ২৬ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
নুরুল আমীন বর্তমান সময়ের একজন লেখক। তার রচিত উপন্যাসগুলো সাধু ভাষায় লিখিত। পাঠকের কাছে সেগুলো দুর্বোধ্য বলে মনে হয়। আর সে কারণে তার পাঠক সংখ্যাও কম।
২৫. উদ্দীপকের নুরুল আমিন ‘গুরুচণ্ডালী’ গল্পের কার প্রতিচ্ছবি? জ
ক গণেশের খ মানসের
গ সীতানাথ বাবুর ঘ দীপকের
২৬. উদ্দীপকের নুরুল আমীনের সাথে ‘গুরুচণ্ডালী’ গল্পের পণ্ডিত মশাইয়ের সাদৃশ্য হচ্ছে?
র. উভয়েরই সাধু ভাষার প্রতি আসক্তি প্রবল
রর. ভাষা উভয়ের ক্ষেত্রে যোগাযোগের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে
ররর. ভাষার কারণেই উভয়ে ক্ষতিগ্রস্ত
নিচের কোনটি সঠিক? ঝ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর