লালু
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
লেখক পরিচিতি
নাম শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
জন্ম পরিচয় জন্ম তারিখ : ১৫ই সেপ্টেম্বর, ১৮৭৬ খ্রিষ্টাব্দ।
জন্মস্থান : দেবানন্দপুর, হুগলি, পশ্চিমবঙ্গ।
শিক্ষাজীবন আর্থিক সংকটের কারণে এফএ শ্রেণিতে পড়ার সময় ছাত্রজীবনের পরিসমাপ্তি ঘটে।
কর্মজীবন কেরানির চাকরি। পরবর্তীতে সাহিত্য রচনাকেই পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন।
সাহিত্য সাধনা বাংলা কথাসাহিত্যে দুর্লভ জনপ্রিয়তার অধিকারী। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ : ‘বড়দিদি’ ‘বিরাজবৌ’ ‘রামের সুমতি’ ‘দেবদাস’, ‘বিন্দুর ছেলে’, ‘পণ্ডিত মশাই’, ‘হরিল²ী’, ‘চরিত্রহীন’, ‘পথের দাবী’, ‘শ্রীকান্ত’, ‘গৃহদাহ’, ‘দেনা পাওনা’ ইত্যাদি।
পুরস্কার ও সম্মাননা ১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দে জগত্তারিণী পদক (কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়), ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দে ডি. লিট উপাধি (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)।
মৃত্যু ১৬ই জানুয়ারি, ১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দে।
অনুশীলনী: বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর
১. লালু কত টাকা পুঁজি নিয়ে ঠিকাদারি শুরু করল? চ
ক. দশ খ. বিশ
গ. ত্রিশ ঘ. পঞ্চাশ
২. ‘স্থির হয়ে চেয়ে দেখÑ আমি পাঁঠা নই, মানুষ’Ñ মনোহর চাটুজ্জে এ উক্তি করেনÑ
র. মৃত্যুর ভয়ে রর. উৎসর্গিত হওয়ার ভয়ে
ররর. পরিচয় দেওয়ার জন্য
নিচের কোনটি সঠিক? ছ
ক. র খ র ও রর
গ. রর ঘ. ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৩-৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও।
চাটুজ্জে কাঁদতে কাঁদতে বললেন, কোনো দিন নয় বাবা, আর কোনো দিন নয়, মায়ের সুমুখে তিন সত্যি করছি, আজ থেকে আমার বাড়িতে বলি বন্ধ।
৩. চাটুজ্জে কাঁদতে কাঁদতে কাকে কথাগুলো বলেছিলেন? ছ
ক. পুরোহিতকে খ. লালুকে
গ. জ্যাঠামশাইকে ঘ. লালুর বাবাকে
৪. উল্লিখিত ‘মায়ের সুমুখে তিন সত্যি করছি’Ñ এর অর্থ কী? ছ
ক. প্রতিজ্ঞা করা খ. দৃঢ়ভাবে প্রতিজ্ঞা করা
গ. তিনবার সত্যি বলা ঘ. মাকে সত্য বলা
সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
অনুচ্ছেদটি পড় এবং নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
সে জানিনে। আমার খুন চেপেছেÑ চলো তোমাকে বলি দেব! মায়ের আদেশ! চাটুজ্জে ডুকরে কেঁদে উঠলেনÑ না বাবা, মায়ের আদেশ নয়, কখনো নয়, মা যে জগজ্জননী। লালু বললেÑ জগজ্জননী! সে জ্ঞান আছে তোমার? আর দেবে পাঁঠা বলি? ডেকে পাঠাবে আমাকে পাঁঠা কাটতে? বলো।
চাটুজ্জে কাঁদতে কাঁদতে বললেন, কোনো দিন নয় বাবা, আর কোনো দিন নয়, মায়ের সুমুখে তিন সত্যি করছি, আজ থেকে আমার বাড়িতে বলি বন্ধ।
ক. চাটুজ্জে ডুকরে কেঁদে উঠলেন কেন? ১
খ. ‘সে জ্ঞান আছে তোমার?’ এখানে কী জ্ঞানের কথা হয়েছে? ২
গ. উদ্ধৃত অংশটুকু সাধুভাষায় রূপান্তর করো। ৩
ঘ. মাকে ‘জগজ্জননী’ বলে আখ্যায়িত করার তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো। ৪
১ এর ক নং প্র. উ.
চাটুজ্জে প্রাণের ভয়ে ডুকরে কেঁদে উঠলেন।
১ এর খ নং প্র. উ.
চাটুজ্জে মশাই মায়ের দোহাই দিয়ে প্রাণ বাঁচাতে চাওয়ায় লালু উক্ত মন্তব্যটি করেছে।
মনোহর চাটুজ্জের বাড়িতে পাঁঠা বলি দিতে গিয়ে ‘লালু’ গল্পে বর্ণিত লালু বিষম কাণ্ড বাধিয়ে দিয়েছিল। পাঁঠা বলির পর চাটুজ্জেকেই বলি দিতে নিয়ে যাচ্ছিল। চাটুজ্জে ছাড়া পেতে চাইলে সে বলল, মায়ের অর্থাৎ দেবীর আদেশ। চাটুজ্জে তখন বলে তা হতে পারে না। কেননা মা তাঁর সন্তানের প্রতি এত নিষ্ঠুর হতে পারেন না। অথচ এই চাটুজ্জে মশাই নিজ বাড়িতে মায়ের নামে পাঁঠা বলির আয়োজন করেছিল। চাটুজ্জেকে এই সত্য বোঝাতেই লালু আলোচ্য উক্তিটি করেছিল।
১ এর গ নং প্র. উ.
উদ্ধৃত অংশটুকু নিচে সাধু ভাষায় রূপান্তর করা হলো :
তাহা জানি না। আমার খুন চাপিয়াছে – চল তোমাকে বলি দিব! মাতার আদেশ! চাটুজ্জে ডুকরিয়া কাঁদিয়া উঠিলেন – না বাবা, মাতার আদেশ নহে, কখনো নহে, মা যে জগজ্জননী। লালু বলিল – জগজ্জননী! সেই জ্ঞান তোমার আছে? আর দিবে পাঁঠা বলি? ডাকিয়া পাঠাইবে আমাকে পাঁঠা কাটিতে? কহ।
চাটুজ্জে কাঁদিতে কাঁদিতে কহিলেন, কোনও দিন নহে বাবা, আর কোনও দিন নহে, মাতার সম্মুখে তিন সত্য করিতেছি, আজ হইতে আমার গৃহে বলি বন্ধ।
১ এর ঘ নং প্র. উ.
‘জগজ্জননী’ বলার মাধ্যমে মা কালীর মাহাত্ম্য নির্দেশিত হয়েছে।
‘লালু’ গল্পে শক্তির দেবী মা কালীকে জগজ্জননী বলা হয়েছে। কেননা সনাতন হিন্দুদের বিশ্বাস অনুযায়ী মা কালী হলেন ঈশ্বরের মাতৃরূপ। জগতের সব মানুষকে তিনি মমতাময়ী মায়ের মতোই আগলে রাখেন।
‘লালু’ গল্পে চাটুজ্জে মশাই বিপদে পড়ে মা কালীকে জগজ্জননী বলে উল্লেখ করেছেন। লালু তাঁকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য বলি দেওয়ার ভান করে পূজা মণ্ডপের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল। সে চাটুজ্জেকে বলে যে এটি মায়ের আদেশ। চাটুজ্জে মশাই তখন লালুকে বোঝাতে চান যে মা কালী তো জগজ্জননী। তিনি এমন হুকুম দিতেই পারেন না।
নিজের প্রাণ বিপন্ন হওয়ার সময় চাটুজ্জে মশাইয়ের মনে এই বিষয়টি বিশেষভাবে ধরা পড়েছিল। অথচ অবলা পাঁঠাগুলো বলি দেওয়ার সময় তাঁর মনে কোনো দয়ামায়া জাগ্রত হয় নি। মা কালী জগজ্জননী বলে তিনি সকল প্রাণীর প্রতি সমান মমতাময়ী। তাই কোনো প্রাণীকেই হৃদয়হীনভাবে কষ্ট দেওয়া উচিত নয়।
দরিদ্র কৃষক নিয়ামত অন্যের জমিতে বর্গাচাষি হিসেবে কাজ করে সংসার চালাত। অভাব-অনটন ছিল নিত্যসঙ্গী। জায়গা-জমি কিছুই ছিল না তার। ছিল শুধু হালের দুটি বলদ। এ বছর তীব্র খাদ্য সংকট দেখা দিলে প্রতিবেশী হামিদ বলদগুলো বিক্রি করে দেওয়ার পরামর্শ দেয়। কিন্তু নিয়ামত জানে গরুগুলো হাটে বিক্রি করে দিলেই সেগুলো মানুষের খাদ্যে পরিণত হবে। তীব্র অভাব সত্তে¡ও গরু দুটির প্রাণ রক্ষার্থে নিয়ামত বিকল্প কিছু ভাবা শুরু করল।
ক. লালু কয়দিনের জন্য পালিয়ে গেল? ১
খ. লালু হাঃ হাঃ করে হেসে উঠল কেন? ২
গ. উদ্দীপকটি ‘লালু’ গল্পের যে বিশেষ দিকটি মনে করিয়ে দেয় তা ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. প্রচেষ্টাগত পার্থক্য থাকলেও লালু ও নিয়ামত উভয়ের উদ্দেশ্য একই উদ্দীপক এবং লালু গল্পের আলোকে বিশ্লেষণ করো। ৪
২ নং প্র. উ.
ক. লালু সাত-আট দিনের জন্য পালিয়ে গেল।
খ. মানুষের জীবন বাঁচানোর হাস্যকর প্রচেষ্টা লালুর হাসির উদ্রেক করল।
পাঁঠা বলি দেওয়ার পর লালু যখন মানুষ বলি দিতে উদ্যত হলো তখন প্রাণ বাঁচাতে সকলেই ছুটোছুটি শুরু করে দিল। মনোহর চাটুজ্জেকে প্রচণ্ড ভয় দেখানোর পর লালু খোঁজ করল গুরুদেব ও পুরুতকে। দুজনেই প্রতিমার পেছনে লুকিয়ে ছিল। সেখান থেকে তাদের ভয়ার্ত গলার ক্রন্দন ভেসে আসল। সে ক্রন্দন এতই অদ্ভুত শোনাল যে, লালু হাসি সামলাতে পারল না।
গ. অবলা জীবের প্রতি মমতা প্রদর্শনের দিক থেকে উদ্দীপকটি ‘লালু’ গল্পের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
‘লালু’ গল্পে লালু পাঁঠা বলি বন্ধ করতে তথা জীবের প্রাণ রক্ষায় অভিনব পন্থা অবলম্বন করেছিল। সে মনোহর চাটুজ্জেকে জিম্মি করে পাঁঠা বলি বন্ধের শপথ করিয়ে নেয়। ফলে প্রতিমার সামনে শপথকারী মনোহর চাটুজ্জে আর কখনো পাঁঠা বলি দিতে পারে না।
উদ্দীপকের নিয়ামত তীব্র খাদ্য সংকটে নিজের এবং পরিবারে সকলের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে বলদ দুটিকে রক্ষা করেছে। নিয়ামত ভালো করেই জানে যে, গরুগুলো বিক্রি করে দিলে সেগুলো খাদ্য হিসেবে বাজারে বিক্রি হবে। গরুগুলোর এমন পরিণতি নিয়ামতের কাম্য ছিল না। তাই সে প্রতিবেশী হামিদের পরামর্শ গ্রহণ না করে অন্য উপায় খুঁজতে থাকল। এর মাধ্যমে নিয়ামতের জীবপ্রেম প্রকাশিত হয়েছে।
ঘ. লালু ও নিয়ামতের প্রচেষ্টার স্বরূপ ভিন্ন হলেও অবলা জীবের প্রাণ রক্ষাই ছিল উভয়ের উদ্দেশ্য।
চাটুজ্জে বাড়িতে পাঁঠা বলি স্থায়ীভাবে বন্ধ করার জন্য লালু এক অভিনব পন্থা অবলম্বন করল। বাবার আদেশে লালু কালীপূজার দিন মনোহর চাটুজ্জের বাড়িতে পাঁঠা বলি দিতে সম্মত হয়েছিল। কিন্তু বলি সম্পন্ন করেই লালু মনোহর চাটুজ্জেকেই বলি দিতে উদ্যত হয়। চাটুজ্জে প্রাণ ভিক্ষার আবেদন করলে লালু চাটুজ্জে মশাইকে পাঁঠা বলি না দেওয়ার শপথ করিয়ে নেয়। এভাবেই সে জীবের প্রাণ রক্ষায় ভূমিকা রাখে।
তীব্র খাদ্য সংকটে নিয়ামত পরিবার নিয়ে অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে। পরিবারে অস্তিত্ব রক্ষার্থে তার একটি মাত্র পথ খোলা ছিল। তা হলো হালের বলদ বিক্রি করে দেওয়া। কিন্তু বলদ দুটো তার এতই প্রিয় ছিল যে, সে চায়নি বলদগুলোর প্রাণ সংহার হোক। এজন্য প্রতিবেশী হামিদের পরামর্শ গ্রহণ না করে সে অন্য কিছু ভাবতে থাকে। গল্পের লালুর প্রচেষ্টা অনেকটা ঝুঁকিপূর্ণ হলেও নিয়ামত ত্যাগের মনোভাব প্রদর্শন করেছে।
‘লালু’ গল্পে লালুর পাঁঠা বলি বন্ধ করার পরিকল্পনা জীবের প্রতি তার সহানুভ‚তির প্রমাণ। নিয়ামত যেমন শান্তিপূর্ণ উপায়ে জীবের প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শন করেছে লালু তেমন পন্থা অবলম্বন করেনি। সে মনোহর চাটুজ্জের বাড়িতে রীতিমত হুলস্থুল কাণ্ড বাধিয়ে দিয়েছিল। সবাইকে তটস্থ করে অবশেষে মনোহর চাটুজ্জেকে পাঁঠা বলি বন্ধের শপথ করিয়ে নেয়। লালু ও নিয়ামত উভয়ের কর্মপ্রক্রিয়া ভিন্ন হলেও তাদের কারণে রক্ষা পেয়েছে অবলা প্রাণী। আর এ উদ্দেশ্য সাধনে একজনকে ঝুঁকি আরেকজনকে ত্যাগের মনোভাব দেখাতে হয়েছে। ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করলেও লালু ও নিয়ামতের উদ্দেশ্য ছিল জীবের কল্যাণ।
পরীক্ষায় কমন উপযোগী জ্ঞানমূলক প্রশ্নের উত্তর
১. লালু কী কাজ শুরু করেছিল ?
উত্তর : লালু ঠিকাদারি কাজ শুরু করেছিল।
২. পাঁঠা কাটতে পারে কে?
উত্তর : পাঁঠা কাটতে পারে লালু।
৩. ‘ফন্দি’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : ‘ফন্দি’ শব্দের অর্থ চাতুরি।
৪. লালুকে দেখে কার ভাবনা ঘুচে গেল?
উত্তর : লালুকে দেখে চাটুজ্জে মশাইয়ের ভাবনা ঘুচে গেল।
৫. কার কাছ থেকে লালু ব্যবসায়ের মূলধন সংগ্রহ করছিল?
উত্তর : লালু ব্যবসায়ের মূলধন সংগ্রহ করেছিল মায়ের কাছ থেকে।
৬. কত দিন ধরে লালুর কেউ খোঁজ পেল না?
উত্তর : সাত-আট দিন ধরে কেউ লালুর খোঁজ পেল না।
৭. মনোহর চাটুজ্জের বাড়িতে কী অনুষ্ঠান ছিল?
উত্তর : মনোহর চাটুজ্জের বাড়িতে কালীপূজার অনুষ্ঠান ছিল।
পরীক্ষায় কমন উপযোগী অনুধাবনমূলক প্রশ্নের উত্তর
১. লালুকে সকলে মিস্ত্রি বলত কেন?
উত্তর : বইয়ের থলির মধ্যে বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি থাকত বলে সবাই লালুকে মিস্ত্রি বলত।
লালু ছোটবেলা থেকে সবার উপকার করে বেড়াত। সে যখন স্কুলে পড়ত, তখন তার বইয়ের থলির মধ্যে সবসময় ভাঙা ছুরি, পুরোনো তুরপুনের ফলা, একটা ঘোড়ার নাল ইত্যাদি থাকত। এসব যন্ত্র দিয়ে সে সকলের নষ্ট হওয়া জিনিস ঠিক করে দিত। আর এ কারণে লালুকে সকলে মিস্ত্রি বলত।
২. চাটুজ্জে মশাই ভয় পেল কেন?
উত্তর : লালু চাটুজ্জে মশাইকে বলি দিতে উদ্যত হওয়ার চাটুজ্জে প্রচণ্ড ভয় পেয়ে গেল।
চাটুজ্জের বাড়িতে পাঁঠা বলি দিতে লালুকে ডাকা হয়। দুটো পাঁঠা বলি দেওয়ার পর সে হঠাৎ সবাইকে ভয় দেখানোর ফন্দি আঁটে। আরো পাঁঠা না পেলে নরবলি দেওয়ার হুমকি দেয় সে। একপর্যায়ে খড়গ নিয়ে উপস্থিত সবাইকে মারতে যাওয়ার অভিনয় করে। চাটুজ্জেকেও মারতে উদ্যত হলে চাটুজ্জে মশাই ভয় পেয়ে যায়।
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর
সাধারণ
১. শরৎচন্দ্র কত সালে জন্মগ্রহণ করেন? জ
ক ১৯৬৫ সালে খ ১৯৬৮ সালে
গ ১৮৭৬ সালে ঘ ১৮৭৮ সালে
২. শরৎচন্দ্র ভাগ্য অন্বেষণে বার্মা যান কত সালে? চ
ক ১৯০৩ খ ১৯০৫
গ ১৯০৬ ঘ ১৯০৭
৩. শরৎচন্দ্র কত সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি লিট উপাধি লাভ করেন? ছ
ক ১৯৩৫ খ ১৯৩৬
গ ১৯৩৭ ঘ ১৯৩৮
৪. শরৎচন্দ্র কত সালে মৃত্যুবরণ করেন? জ
ক ১৯৩৬ খ ১৯৩৭
গ ১৯৩৮ ঘ ১৯৩৯
৫. লালু মায়ের কাছ থেকে কত টাকা নিয়ে ঠিকাদারি ব্যবসা শুরু করল? ছ
ক পাঁচ টাকা খ দশ টাকা
গ পনেরো টাকা ঘ বিশ টাকা
৬. ছোটকালে গল্পকথক যখন বাংলা স্কুলে পড়তেন, তখন লালু সকলের কী ছিল? জ
ক বন্ধু খ খেলার সাথি
গ মিস্ত্রি ঘ বিপদের বন্ধু
৭. ‘ছট’ পরবের দিন লালু কত টাকার খেলনা বিক্রি করে ফেলল? ছ
ক দুই টাকার খ আড়াই টাকার
গ তিন টাকার ঘ সাড়ে তিন টাকার
৮. খেলনা বিক্রির টাকা দিয়ে লালু সবাইকে পেট ভরে কী খাওয়ালো? ছ
ক মিষ্টি খ চিনাবাদাম
গ শিঙাড়া-সমুচা ঘ খিচুড়ি
৯. কিসের আখড়ায় কেউ লালুর সমকক্ষ ছিল না? ছ
ক কুস্তির আখড়ায়
খ জিমন্যাস্টিকের আখড়ায়
গ পাঞ্জার আখড়ায়
ঘ ক্যারমের আখড়ায়
১০. লালু কিসের সুযোগ পেলে নিজেকে সামলাতে পারত না? জ
ক মজাদার খাবারের খ কাউকে অপমানের
গ কাউকে ভয় দেখাবার ঘ কারো উপকারের
১১. কার বাড়িতে কালীপূজার আয়োজন করা হয়েছিল? চ
ক মনোহর চাটুজ্জে খ মনোতোষ চাটুজ্জে
গ হরিপদ চাটুজ্জে ঘ মানিক চাটুজ্জে
১২. কিসের ব্যথায় অচেতন হয়ে পাঁঠা বলির কামার মনোহর চাটুজ্জের বাড়িতে আসতে পারেনি? ছ
ক মাথার ব্যথায় খ পেটের ব্যথায়
গ পায়ের ব্যথায় ঘ পিঠের ব্যথায়
১৩. কার আদেশ অমান্য করার সাধ্য লালুর নেই? ছ
ক মায়ের খ বাবার
গ বন্ধুর ঘ শিক্ষকের
১৪. লালু কয়টি পাঁঠা বলি দেয়? ছ
ক একটি খ দুইটি
গ তিনটি ঘ চারটি
১৫. পাঁঠা বলির সময় মনোহর চাটুজ্জে মুদ্রিত নেত্রে কী করছিলেন? চ
ক ইষ্টনাম জপ করছিলেন
খ ধ্যান করছিলেন
গ পাঁঠা বলির তাৎপর্য উপলব্ধি করছিলেন
ঘ ঘুমাচ্ছিলেন
১৬. লালু রক্তমাখা খাড়াটা মাথার ওপর কয়বার ঘুরাল? চ
ক দুইবার খ তিনবার
গ চারবার ঘ পাঁচবার
১৭. ‘লালু’ গল্পে সবাই একসঙ্গে কোন দিকে ছুটল? চ
ক সদর দরজার দিকে খ বাইরের দিকে
গ ঘরের দিকে ঘ উঠানের দিকে
১৮. পুরুত কোথায় লুকিয়েছিল? জ
ক চালের বস্তার আড়ালে খ খাটের নিচে
গ প্রতিমার আড়ালে ঘ গোসলখানায়
১৯. দালানের একটা মোটা থামের পেছনে গা-ঢাকা দিয়েছিলেন কে? ঝ
ক পুরুত খ মনোহর চাটুজ্জে
গ লালু ঘ গুরুদেব
২০. লালু কার আচরণে হাঃ হাঃ হাঃ করে হেসে উঠল? ছ
ক চাটুজ্জে মশাইয়ের খ পুরুতের
গ লালুর বাবার ঘ চাটুজ্জে গিন্নির
২১. মনোহর চাটুজ্জে লালুর বাবাকে দিয়ে লালুকে কত ঘা জুতো খাওয়ানো অঙ্গীকার ব্যক্ত করলেন? চ
ক পঞ্চাশ ঘা খ একশ ঘা
গ দুইশ ঘা ঘ তিনশ ঘা
২২. পালিয়ে যাওয়ার কয়কদিন পর লালু আবার ফিরে এলো? চ
ক দিন সাতেক পর খ দিন দুয়েক পর
গ দিন নয়েক পর ঘ দিন দশেক পর
২৩. চাটুজ্জে বাড়ির কোন পূজায় পাঁঠা বলি উঠে গেল? ছ
ক সরস্বতী পূজায় খ কালী পূজায়
গ কুমারী পূজায় ঘ চড়ক পূজায়
২৪. পশু বলি দেওয়ার কাষ্ঠ নির্মিত ফাঁদকে কী বলা হয়? ছ
ক কড়ি কাঠ খ হাড়ি কাঠ
গ ছেদকাঠ ঘ সেগুন কাঠ
বহুপদী সমাপ্তিসূচক
২৫. লালুর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য হলো-
র. পরোপকারী
রর. কর্মকুশলী
ররর. সাহসী
নিচের কোনটি সঠিক? ঝ
ক র ও রর খ রর ও ররর
গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৬. পাঁঠা বলি দেওয়ার পর লালু যে কর্মকাণ্ড করেছিল তাতে-
র. সাইকে ভয় দেখানো গিয়েছিল
রর. মনোহর চাটুজ্জের বাড়ি থেকে পাঁঠা বলি উঠে গেল
ররর. সবাইকে পেট ভরে বাদাম খাওয়ানো গেল
নিচের কোনটি সঠিক? চ
ক র ও রর খ রর ও ররর
গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৭. মনোহর চাটুজ্জের মাঝে লক্ষণীয়-
র. ধর্মভীরুতা
রর. দুর্বল চিত্ত
ররর. যুক্তিপ্রিয়তা
নিচের কোনটি সঠিক? চ
ক র ও রর খ রর ও ররর
গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৮. ‘লালু’ গল্পটির উল্লেখযোগ্য দিক-
র. জীবপ্রেম
রর. ধর্মের নামে পশুবলি বন্ধ করা
ররর. লালুর ধর্মপ্রীতি
নিচের কোনটি সঠিক? চ
ক র ও রর খ রর ও ররর
গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ন্ধ অভিন্ন তথ্যভিত্তিক
নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং ২৯ ও ৩০ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
বাদলদের বাড়িতে দুটি মুরগি আনা হয়েছে। সেগুলোকে জবাই দেওয়ার সময় বাদল দূরে দাঁড়িয়ে ছিল। বাবার আদেশে নিতান্ত অনাগ্রহে বাদল মুরগি দুটি জবাইয়ে সাহায্য করল।
২৯. উদ্দীপকের বাদলের সাথে ‘লালু’ গল্পের কোন চরিত্রটি সাদৃশ্যপূর্ণ? ছ
ক মনোহর চাটুজ্জে খ লালু
গ পুরুত ঘ লালুর বাবা
৩০. উক্ত সাদৃশ্য-
র. জীব হত্যায় ভ‚মিকা রাখায়
রর. জীবহত্যা বন্ধে ভ‚মিকা রাখায়
ররর. পিতৃভক্তিতে
নিচের কোনটি সঠিক? ছ
ক র ও রর খ রর ও ররর
গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর