কুলি-মজুর
কাজী নজরুল ইসলাম
কবি ও কবিতা সম্পর্কিত তথ্য
কবি পরিচিতি
নাম কাজী নজরুল ইসলাম।
জন্ম পরিচয় জন্ম : ২৪শে মে, ১৮৯৯ খ্রিষ্টাব্দ (১১ই জ্যৈষ্ঠ, ১৩০৬ বঙ্গাব্দ)। জন্মস্থান : বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রাম।
পিতৃ-মাতৃপরিচয় পিতার নাম : কাজী ফকির আহমেদ। মাতার নাম : জাহেদা খাতুন।
শিক্ষাজীবন কাজী নজরুল ইসলাম প্রথমে গ্রামের মক্তবে ও পরে ময়মনসিংহের ত্রিশালে দরিরামপুর স্কুলে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেন।
পেশা/কর্মজীবন কাজী নজরুল ইসলাম বাল্যকালে মক্তবে শিক্ষকতা, লেটোর দলে গান রচনা ও রুটির দোকানে কাজ করেন। পরে সেনাবাহিনীতে যোগদান। অতঃপর পত্রিকা সম্পাদনা ও সাহিত্য সাধনাই তাঁর নেশা ও পেশা ছিল।
সাহিত্য সাধনা কাব্যগ্রন্থ : অগ্নিবীণা, দোলনচাঁপা, বিষের বাঁশি, ছায়ানট, সাম্যবাদী, সর্বহারা, সিন্ধু-হিন্দোল, সন্ধ্যা। শিশুতোষ কাব্যগ্রন্থ : ঝিঙে ফুল, সঞ্জিতা, পিলে পটকা পুতুলের বিয়ে, ঘুম জাগানো পাখি, ঘুমপাড়ানি মাসিপিসি। প্রবন্ধগ্রন্থ : যুগবাণী, রাজবন্দীর জবানবন্দী, দুর্দিনের যাত্রী, রুদ্রমঙ্গল, ধূমকেতু। উপন্যাস : বাঁধনহারা, মৃত্যুক্ষুধা, কুহেলিকা। নাটক : ঝিলিমিলি, আলেয়া, পুতুলের বিয়ে। গানের সংকলন : বুলবুল, চোখের চাতক, গীতি শতদল নজরুলগীতি, গানের মালা। অনুবাদ গ্রন্থ : রুবাইয়াৎ-ই-হাফিজ, রুবাইয়াৎ-ই-ওমর খৈয়াম। সম্পাদিত পত্রিকা : ধূমকেতু, লাঙল, দৈনিক নবযুগ।
পুরস্কার ও সম্মাননা বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নাগরিকত্ব প্রদান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ‘ডি-লিট’ উপাধি (১৯৭৪) একুশে পদক (১৯৭৬) প্রদান।
জীবনাবসান ২৯শে আগস্ট, ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দ (১২ই ভাদ্র, ১৩৮৩ বঙ্গাব্দ)। সমাধিস্থান : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণ।
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ
চেয়ারম্যান আজমল সাহেবের এলাকায় একজন ভালো মানুষ হিসেবে যথেষ্ট সুনাম রয়েছে, কিন্তু তার ছেলে কারণে-অকারণে বাড়ির কাজের লোক, আশে-পাশের খেটে খাওয়া মানুষের সাথে খারাপ আচরণ করে, তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে। চেয়ারম্যান ছেলেকে ডেকে বুঝিয়ে বলেন, তুমি যাদের আজ তুচ্ছ জ্ঞান করছ- সত্যিকার অর্থে তারাই আধুনিক সভ্যতার নির্মাতা, তাদের কারণেই আমরা সুন্দর জীবন যাপন করছি।
ক. ‘কুলি-মজুর’ কবিতায় রেলপথে কোনটি চলে?
খ. ‘শুধিতে হইবে ঋণ’- কথাটির দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
গ. চেয়ারম্যান সাহেবের ছেলের আচরণে ‘কুলি-মজুর’ কবিতার কোন দিকটি প্রকাশ পেয়েছে – ব্যাখ্যা কর।
ঘ.“চেয়ারম্যান সাহেবের মনোভাব ‘কুলি-মজুর’ কবিতার মূলভাবেরই প্রতিফলন”- বিশ্লেষণ কর।
ক “কুলি-মজুর” কবিতার রেলপথে রেলগাড়ি চলে।
খ কবি আলোচ্য উক্তিটি দ্বারা ধনিকশ্রেণি ও শোষণ নির্যাতনকারীদের প্রতি হুঁশিয়ার বাণী উচ্চারণ করেছেন।
শ্রমজীবীরাই মানবসভ্যতার রূপকার। এদের শ্রম ও ঘামে মোটর, রেলগাড়ি ও জাহাজ চলছে। কিন্তু এরাই সমাজে নানাভাবে বঞ্চিত। এক শ্রেণির স্বার্থান্ধ মানুষ এদের শোষণ করে বিশাল ধন-সম্পদের মালিক হয়েছে। মূলত কবি এসব মানুষকে লক্ষ করেই আলোচ্য হুঁশিয়ার বাণী উচ্চারণ করেছেন।
গ উদ্দীপকের চেয়ারম্যান সাহেবের ছেলের আচরণে ‘কুলি-মজুর’ কবিতায় শোষকশ্রেণি কর্তৃক শোষিত শ্রেণির নিপীড়িত হওয়ার দিকটি প্রকাশ পেয়েছে।
কাজী নজরুল ইসলাম ‘কুলি-মজুর’ কবিতায় বলেছেন- যুগ যুগ ধরে কুলি-মজুরদের মতো লক্ষকোটি শ্রমজীবী মানুষের হাতে গড়ে উঠেছে মানব সভ্যতা। এদেরই অক্লান্ত শ্রমে চলছে মোটর, জাহাজ, রেলগাড়ি; গড়ে উঠেছে দালানকোঠা, কলকারখানা। এদের শোষণ করেই ধনিকশ্রেণি হয়েছে বিত্ত ও সম্পদের মালিক। কিন্তু যুগ যুগ ধরে এই কুলি-মজুররাই সবচেয়ে বঞ্চিত ও উপেক্ষিত।
উদ্দীপকের চেয়ারম্যান আজমল সাহেব এলাকায় একজন ভালো মানুষ হিসেবে খ্যাত কিন্তু তার ছেলে কারণে অকারণে বাড়ির কাজের লোক, আশপাশের খেটে খাওয়া মানুষের সাথে খারাপ আচরণ করে, তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে। চেয়ারম্যান ছেলেকে ডেকে সুন্দর করে বুঝিয়ে বলেন, তুমি যাদের তুচ্ছ করে অবজ্ঞা করছ এরাই সত্যিকার অর্থে আধুনিক সভ্যতার নির্মাতা, তাদের কারণেই আমরা সুন্দর জীবনযাপন করছি। অর্থাৎ উদ্দীপকে বর্ণিত চেয়ারম্যান আজমল সাহেবের ছেলের আচরণে সমাজের নিম্নশ্রেণির মানুষকে অবহেলার চিত্র প্রতীকীভাবে চিত্রিত হয়েছে।
ঘ “চেয়ারম্যান সাহেবের মনোভাব ‘কুলি-মজুর’ কবিতার মূলভাবেরই প্রতিফলন”- মন্তব্যটি যথার্থ।
কাজী নজরুল ইসলাম ‘কুলি-মজুর’ কবিতায় সেসব মানুষের জয়গান করেছেন যারা পৃথিবীর সভ্যতাকে নিজেদের শ্রম দিয়ে গড়ে তুলছেন। মোটর, জাহাজ, রেলগাড়ি, দালানকোঠা তাদের শ্রমেরই ফসল। উদ্দীপকের চেয়ারম্যান আজমল সাহেবও ‘কুলি-মজুর’ কবিতায় মানব সভ্যতার রূপকার শ্রমজীবী মানুষদের জয়গান করা হয়েছে।
উদ্দীপকের চেয়ারম্যান আজমল সাহেবের ও এলাকায় একজন ভালো মানুষ হিসেবে যথেষ্ট সুনাম রয়েছে, কিন্তু তার ছেলে কারণে-অকারণে বাড়ির কাজের লোক, আশপাশের খেটে খাওয়া মানুষের সাথে খারাপ আচরণ করে, তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে। চেয়ারম্যান ছেলেকে বলেন, তুমি যাদের আজ তুচ্ছ জ্ঞান করছ- সত্যিকার অর্থে তারাই আধুনিক সভ্যতার নির্মাতা, তাদের কারণেই আমরা সুন্দর জীবন যাপন করছি।
‘কুলি-মজুর’ কবিতায়ও কবি বলেছেন, পৃথিবীর সভ্যতা জন্ম নিয়েছে শ্রমজীবী মানুষের হাত ধরে। কিন্তু সেসব শ্রমজীবী সভ্যতার সুখ ভোগ করতে পারে না। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের চেয়ারম্যান সাহেবের মনোভাব ‘কুলি-মজুর’ কবিতার মূলভাবেরই প্রতিফলন।
প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ
বেতন দিয়াছ? – চুপ রও যত মিথ্যাবাদীর দল!
কত পাই দিয়ে কুলিদের তুই কত ক্রোর পেলি বল্?
রাজপথে তব চলিছে মোটর, সাগরে জাহাজ চলে,
রেলপথে চলে বাষ্প-শকট, দেশ ছেয়ে গেল কলে,
বল তো এসব কাহাদের দান!
ক. কবি কাদের বেতন দেওয়ার কথা বলেছেন? ১
খ. কবি কাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. সমাজ উন্নয়নে শ্রমিকদের কীভাবে ব্যবহার করা উচিত? উদ্দীপকের আলোকে উপস্থাপন কর। ৩
ঘ.উদ্দীপকে মানবসভ্যতার যে দিক তুলে ধরা হয়েছে তা বিশ্লেষণ কর। ৪
ক কবি কুলিদের বেতন দেওয়ার কথা বলেছেন।
খ কবি শোষক শ্রেণির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
শ্রমজীবীদের শোষণ করেই ধনিকশ্রেণি সম্পদের পাহাড় গড়েছে। শ্রমিকদের শ্রমে ও ঘামে রাজপথে মোটর, সাগরে জাহাজ এবং রেলপথে রেলগাড়ি চলছে, কলকারখানা ও দালানকোঠা গড়ে উঠেছে। অথচ তারা এর বিনিময়ে উপযুক্ত মজুরি পাচ্ছে না। কিন্তু ধনীরা শ্রমিকদের যথার্থ প্রাপ্য দিচ্ছে বলে মিথ্যা কথা বলে। কবি সেজন্য শোষকশ্রেণির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
গ সমাজ উন্নয়নের জন্য শ্রমিকদের প্রাপ্য সম্মান দেয়া উচিত।
সমাজ উন্নয়নে শ্রমিকদের যথার্থ মর্যাদা দেয়া উচিত। কারণ যুগে যুগে কুলি-মজুরদের মতো শ্রমজীবী মানুষের অক্লান্ত পরিশ্রমে গড়ে উঠেছে আধুনিক মানবসভ্যতা। তাদের আত্মত্যাগে সমাজের উন্নতি সাধিত হয়েছে।
শ্রমিকের হাত হলো সমাজ বিনির্মাণের অন্যতম প্রধান হাতিয়ার। তাদের পরিশ্রমেই গড়ে ওঠে বড় বড় প্রাসাদ-দালান, রাস্তাঘাট, বাড়িঘর- তাঁরা তাদের রক্ত, ঘামে পরিণত করে প্রতিনিয়ত সমাজ গড়ে তোলার কাজে, মানবসভ্যতা বিকাশের কাজে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো তারা তাদের শ্রমের মূল্যায়ন কখনো পায় না বরং তারা সবখানে হয় নির্যাতিত, নিপীড়িত। সমাজের উঁচুতলার মানুষগুলো কখনো তাদের সঠিকভাবে মূল্যায়ন করে না, মূল্যায়ন করে না তাদের অবদানকে। সমাজ উন্নয়নে শ্রমিকদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করা উচিত। তারা যেন তাদের উপযুক্ত মজুরি পায় সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। উপযুক্ত কাজের পরিবেশ তৈরি করতে হবে। মালিকপক্ষকে সহানুভ‚তিশীল হতে হবে এবং তাদেরকে শ্রমিকদের সহযোগী হিসেবে কাজ করার মানসিকতা তৈরি করতে হবে তবেই সমাজের উন্নয়ন সম্ভব। তাই উদ্দীপকের আলোকে বলা যায়, সমাজ উন্নয়নে শ্রমিকদের প্রাপ্যটুকু বুঝে দিতে হবে।
ঘ উদ্দীপকে মানবসভ্যতার অগ্রযাত্রায় শ্রমজীবীদের অবদান এবং তাদের প্রতি অবিচার ও বঞ্চনার দিকটি তুলে ধরা হয়েছে।
কবিতায় কবি মানবসভ্যতা গড়ে তোলার প্রধান কারিগর কুলি-মজুররা যে সমাজে সবচেয়ে অবহেলিত শ্রেণি হিসেবে বিবেচিত তা তুলে ধরেছেন। সেই আদিম সমাজ থেকে শুরু করে আজ অবধি সমাজ ও সভ্যতার যে বিকাশ তার নেপথ্যে রয়েছে এই শ্রমজীবী শ্রেণি। অথচ তাদের পরিশ্রমের সঠিক মূল্যায়ন তারা কখনো পায়নি, সমাজসভ্যতা কখনো তাদের ত্যাগকে সঠিকভাবে স্বীকৃতি দেয়নি, এটি মানবসমাজ ও সভ্যতার এক চরম বাস্তবতা।
উদ্দীপকেও মানবসভ্যতার বিকাশে শ্রমজীবী মানুষের অবদানের দিকটি ফুটে উঠেছে। শ্রমজীবী মানুষের শ্রমে ও ঘামে রাজপথে মোটর, সাগরে জাহাজ, রেলপথে চলে রেলগাড়ি। কলকারখানা ও দালানকোঠা গড়ে উঠেছে। অথচ তারা তাদের কাজের উপযুক্ত মজুরি পাচ্ছে না।
উল্লিখিত আলোচনা শেষে বলা যায়, স্বার্থান্বেষী সমাজের বিষাক্ত বাষ্প তিলে তিলে গ্রাস করেছে মানুষের মৌলিক মানবতাবোধকে যত দিন সমাজ থেকে স্বার্থ, লোভ, হিংসা, অহংকারের এই বিষবৃক্ষকে সমূলে উৎপাটিত করা না যাবে তত দিন সমাজে প্রকৃত শান্তি কখনো আসবে না।
প্রশ্ন- ২ ল্ফল্ফ
ময়না রাজধানীর একটি গার্মেন্টেসে চাকরি করে। কিন্তু ১২/১৪ ঘণ্টা কঠোর পরিশ্রম করার পরও মাস শেষে দেরিতে বেতন পায় ও ন্যায্য মজুরি পায় না। এছাড়াও বিভিন্ন অজুহাতে মালিক তার বেতন কেটে নেয় এবং ওভারটাইম ঠিকমতো দিতে অস্বীকৃতি জানায়। অসুস্থ হলেও তাকে ছুটি দিতে অস্বীকৃতি জানায় মালিক। রহমান সাহেব কোম্পানির মালিক হলেও তিনি তার কর্মচারীদের প্রতি সদয় হন না। কিন্তু ময়নার মতো শ্রমিকের শ্রমের বিনিময়ে রহমান সাহেব আজ সম্পদশালী ব্যক্তি। রহমান সাহেবের মতো এ সমাজের অনেক ব্যক্তি শ্রমিককে শোষণ করে ধনিকশ্রেণিতে পরিণত হয়েছে।
ক. ‘কুলি-মজুর’ কবিতায় কুলি-মজুরদের কার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে? ১
খ. মানবসভ্যতার সৃষ্টিতে শ্রমজীবী মানুষের অবদান গুলো লেখ। ২
গ. শ্রমজীবী হিসেবে ময়নার সঙ্গে ‘কুলি-মজুর’ কবিতার শ্রমজীবী মানুষের সাদৃশ্য ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.শ্রমজীবীকে শোষণ করেই ধনিকশ্রেণির উত্থান উদ্দীপক ও ‘কুলি-মজুর’ কবিতার আলোকে উক্তিটি মূল্যায়ন কর। ৪
ক ‘কুলি-মজুর’ কবিতায় কুলি-মজুরদের দধীচি মুনির সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
খ মানবসভ্যতার সৃষ্টিতে বা বিকাশে শ্রমজীবী মানুষের অবদান অনস্বীকার্য।
যুগ যুগ ধরে কুলি-মজুরের মতো লক্ষ-কোটি শ্রমজীবী মানুষের হাতে গড়ে উঠেছে মানবসভ্যতা। এদেরই অক্লান্ত শ্রম ও ঘামে মোটর, জাহাজ, রেলগাড়ি চলছে। গড়ে উঠেছে দালানকোঠা, কলকারখানা। যাদের বহু আত্মত্যাগের বিনিময়ে গড়ে উঠেছে মানবসভ্যতা। তাই বলা যায় যে, মানবসভ্যতার সৃষ্টিতে শ্রমজীবী মানুষের অবদান অফুরন্ত, তারাই সভ্যতার রূপকার।
গ উদ্দীপকের ময়না ও ‘কুলি-মজুর’ কবিতার শ্রমজীবী মানুষের সাদৃশ্য হলো তারা উভয়ই সমাজে অবহেলিত ও অধিকারবঞ্চিত।
‘কুলি-মজুর’ কবিতায় কবি শ্রমজীবী মানুষের উপর যে অন্যায়, অত্যাচার শোষণ আর নির্যাতন চলছে তার প্রতিচ্ছবি ফুটিয়ে তুলেছেন। শ্রমজীবী মানুষেরাই প্রকৃত সভ্যতার নির্মাতা হলেও এর সুফল ভোগ করছে ধনিকশ্রেণি।
উদ্দীপকের দেখা যায়, ময়না রহমান সাহেবের গার্মেন্টেসে কাজ করে। ১২-১৪ ঘণ্টা কঠোর পরিশ্রম করার পরও মাস শেষে দেরিতে বেতন পায় ও ন্যায্য মজুরি পায় না। ময়নার মতো কুলি-মজুর কবিতার শ্রমজীবী মানুষের ও সমাজে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে। অথচ তারা অবহেলিত ও লাঞ্ছিত এবং ধনিকশ্রেণি দ্বারা। ময়না ও ‘কুলি-মজুর’ কবিতার শ্রমজীবী স¤প্রদায় প্রতারিত ও অবহেলিত হচ্ছে। অর্থাৎ শ্রমজীবী হিসেবে ময়না কঠোর পরিশ্রম করার পরও যেমন অবহেলিত ও অধিকারবঞ্চিত ঠিক তেমনি কুলি-মজুর কবিতার শ্রমজীবী স¤প্রদায়ও অবহেলিত। এক্ষেত্রে উভয়ের সাদৃশ্য পরিলক্ষিত হয়।
ঘ শ্রমজীবীকে শোষণ করেই ধনিকশ্রেণির উত্থান উদ্দীপক ও ‘কুলি মজুর’ কবিতার আলোকে উক্তিটি যথার্থ।
কুলি-মজুরের মতো লক্ষকোটি শ্রমজীবী যুগ যুগ ধরে সমাজে বঞ্চিত ও উপেক্ষিত। সমাজে যেন তারা ঘৃণিত, লাঞ্ছিত ও অবহেলিত। অবজ্ঞাই যেন তাদের পাওনা। তারা সভ্যতার প্রকৃত রূপকার হলেও এর সুফল ভোগ করছে ধনিকশ্রেণি।
উদ্দীপকে রহমান সাহেবের গার্মেন্টেসে ১২-১৪ ঘণ্টা পরিশ্রম করার পরও ময়না সঠিক সময়ে বেতন ও ন্যায্য মজুরি পায় না। কথায় কথায় তার বেতন কাটা হয় এবং তার প্রতি অমানবিক আচরণ করা হয়। যদিও রহমান সাহেব ময়নার মতো শ্রমিকের কঠোর পরিশ্রমের কারণেই সমাজে সুপ্রতিষ্ঠিত। রহমান সাহেবের মতো এ সমাজের ধনিকশ্রেণি শ্রমজীবী মানুষের ঘাম ঝরানো শ্রমের মূল্য দেয়ার পরিবর্তে তাদের শোষণ করেই হয়েছে অঢেল সম্পদের মালিক। অন্যায়, শোষণ ও নির্যাতন করেই ধনিকশ্রেণি সম্পদের পাহাড় গড়েছে আর শ্রমজীবী মানুষকে করছে প্রতারিত ও বঞ্চিত। মূলত শ্রমজীবী মানুষের পরিবর্তে ধনিকশ্রেণিই ভোগ করছে সভ্যতার ফল।
উল্লিখিত আলোচনা শেষে বলা যায় যে, যুগে যুগে ধনিকশ্রেণির উত্থান ঘটেছে শ্রমজীবী মানুষের অধিকার হরণ করে। এই অধিকার হরণ ও ধনীক শ্রেণীর উত্থানের কথা কবিতা ও উক্ত উদ্দীপকে ফুটে উঠেছে।
প্রশ্ন- ৩ ল্ফল্ফ
এ জগতে হায়,
সেই বেশি চায় আছে যার ভ‚রি ভ‚রি
রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি।
ক. ‘কুলি-মজুর’ কবিতাটি কোন কাব্যের অন্তর্গত? ১
খ. ‘কুলি-মজুর’ কবিতায় কবি কাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন? ২
গ. উদ্দীপকটিতে ‘কুলি-মজুর’ কবিতার মূলভাব কীভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.“উদ্দীপকের রাজা ‘কুলি-মজুর’ কবিতায় উল্লিখিত শোষক শ্রেণির প্রতিনিধি।” উক্তিটি বিশ্লেষণ কর। ৪
ক ‘কুলি-মজুর’ কবিতাটি কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘সাম্যবাদী’ কাব্যের অন্তর্ভুক্ত।
খ উদ্দীপকে কবি শোষকশ্রেণির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
শ্রমজীবীদের শোষণ করেই ধনিকশ্রেণি সম্পদের পাহাড় গড়েছে। শ্রমিকদের শ্রমে ও ঘামে রাজপথে মোটর, সাগরে জাহাজ এবং রেলপথে রেলগাড়ি চলছে। কলকারখানা ও দালানকোঠা গড়ে উঠেছে। অথচ তারা এর বিনিময়ে উপযুক্ত মজুরি পাচ্ছে না। কিন্তু শ্রমিকদের যথার্থ প্রাপ্য ধনীরা দিচ্ছে বলে যে মিথ্যা কথা বলে কবি সেজন্য শোষকশ্রেণির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
গ উদ্দীপকটিতে ‘কবি নজরুল ইসলামের ‘কুলি-মজুর’ কবিতার মূলভাব প্রতিফলিত হয়েছে।
‘কুলি-মজুর’ কবিতায় মানবসভ্যতার অগ্রযাত্রায় শ্রমজীবীদের অবদান এবং তাদের প্রতি শোষকশ্রেণির অবিচারের চিত্র ফুটে উঠেছে। একই চিত্র প্রতিফলিত হয়েছে উদ্দীপকেও।
আমাদের সমাজে ধনিকশ্রেণি সবসময়ই শোষকরূপেই আবিভর্‚ত হয়। যুগ যুগ ধরে ‘কুলি-মজুর’ শ্রমজীবী মানুষেরা ধনিকশ্রেণির শোষণের শিকার হয়েছে। অথচ আধুনিক সভ্যতার সবগুলোর পেছনে অবদান রয়েছে শ্রমজীবী মানুষদের। শ্রমজীবী মানুষদের ধনসম্পদ ধনিকশ্রেণিরা আত্মসাৎ করে। উদ্দীপকেও দেখি, রাজার অর্থাৎ ধনবান ব্যক্তির যতই থাকুক না কেন তারা আরো চাই। গরিবদের ধনের ওপর তাদের খুব লোভ। তাদের ভ‚রি ভ‚রি থাকলেও কাঙালের ধন চুরি করে। তাই বলা যায়, উদ্দীপকটিতে আলোচ্য কবিতার মূলভাব প্রতিফলিত হয়েছে।
ঘ উদ্দীপকের রাজা ‘কুলি-মজুর’ কবিতায় উল্লিখিত শোষকশ্রেণির প্রতিনিধি।
শ্রমজীবীদের শোষণ করেই শোষকশ্রেণি সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছে। শ্রমিকদের প্রতি শোষকশ্রেণির অবিচারের নির্মম চিত্রই ফুটে উঠেছে কবিতায় ও উল্লিখিত উদ্দীপকে।
যুগ যুগ ধরে কুলি-মজুরের মতো লক্ষকোটি শ্রমজীবী মানুষের হাতে গড়ে উঠেছে মানবসভ্যতা। এদেরই অক্লান্ত শ্রম ও ঘামে মোটর, জাহাজ, রেলগাড়ি চলছে। গড়ে উঠেছে দালানকোঠা, কলকারখানা। এদের শোষণ করেই ধনিকশ্রেণি হয়েছে বিত্ত-সম্পদের মালিক। কিন্তু যুগ যুগ ধরে সমাজে এই কুলি-মজুররাই সবচেয়ে বঞ্চিত ও উপেক্ষিত। এক শ্রেণির হৃদয়হীন স্বার্থান্ধ মানুষ এদের শ্রমের বিনিময়ে পাওয়া বিত্ত-সম্পদের সবটুকুই ভোগ করছে অথচ এদের তারা মানুষ হিসেবেও গণ্য করতেও নারাজ। উদ্দীপকের রাজার অঢেল সম্পত্তি। একটি রাজ্যের রাজা। ভ‚রিভ‚রি সম্পত্তির অধিকারী হওয়া সত্তে¡ও রাজা ‘কুলি-মজুর’ কবিতার ধনিক শোষকশ্রেণির মতো কাঙালের ধন চুরি করে।
উল্লিখিত আলোচনা শেষে বলা যায় যে, উদ্দীপকের শোষক রাজা আলোচ্য কবিতায় শোষকশ্রেণির প্রতিনিধি।
প্রশ্ন- ৪ ল্ফল্ফ
দালানকোঠা গড়ে ওঠে
শ্রমজীবীর পরিশ্রমে
গাড়িঘোড়া যত চলে
কুলি-মজুরের হাত ধরে
কলকারখানা গড়ে ওঠে
গরিবের ঘামে।
ক. জগৎজুড়ে কারা মার খাচ্ছে? ১
খ. কাজী নজরুল ইসলাম ‘কুলি-মজুর’ কবিতায় কাদের পক্ষে কলম ধরেছেন এবং কেন? ২
গ. দালানকোঠা কীভাবে গড়ে ওঠে? ‘কুলি-মজুর’ কবিতার আলোকে ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.“গাড়িঘোড়া যত চলে কুলি-মজুরের হাত ধরে” চরণটি যেন ‘কুলি-মজুর’ কবিতার পরিপূরক বিশ্লেষণ কর। ৪
ক জগৎজুড়ে দুর্বলরা মার খাচ্ছে।
খ কাজী নজরুল ইসলাম ‘কুলি-মজুর’ কবিতায় শ্রমজীবী মানুষের অধিকারের পক্ষে কলম ধরেছেন। কারণ, যারা মানবসভ্যতার যথার্থ রূপকার অথচ তারাই নির্যাতিত, অবহেলিত, বঞ্চিত ও উপেক্ষিত।
শ্রমজীবী মানুষের পরিশ্রমে সবকিছু গড়ে উঠছে। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে রেলগাড়ি, মোটর, জাহাজ চলছে। গড়ে উঠেছে দালানকোঠা, কলকারখানা। অথচ তাদের কোনো অধিকার নেই। তারা সমাজে নির্যাতিত, বঞ্চিত ও অবহেলিত। তাই কবি কাজী নজরুল ইসলাম শ্রমজীবী মানুষের অধিকারের পক্ষে ‘কুলি-মজুর’ কবিতায় কলম ধরেছেন।
গ দালানকোঠা গড়ে উঠেছে শ্রমজীবী মানুষের পরিশ্রমে।
‘কুলি-মজুর’ কবিতায় দেখি যুগ যুগ ধরে মানবসভ্যতা গড়ে উঠেছে কুলি-মজুরের মতো শ্রমজীবী মানুষের হাতে। তাদের শ্রমে ও ঘামে জাহাজ, মোটর ও রেলগাড়ি চলছে। শ্রমজীবী মানুষের পরিশ্রমে গড়ে উঠছে কলকারখানা, দালনাকোঠা।
উদ্দীপকেও আমরা দেখতে পাই শ্রমজীবীদের পরিশ্রমে দালানকোঠা গড়ে উঠেছে। শ্রমজীবীদের পরিশ্রমে সবকিছু চলছে। কুলি-মজুরদের পরিশ্রমে চলছে গাড়িঘোড়া। গরিবের ঘামের বিনিময়ে কলকারখানা গড়ে ওঠে। কুলি-মজুর কবিতায়ও আমরা দেখতে পাই কুলি-মজুরের মতো শ্রমজীবী মানুষের হাতে দালানকোঠা গড়ে ওঠে।
ঘ “গাড়িঘোড়া যত চলে, কুলি-মজুরের হাত ধরে” চরণটি ‘কুলি-মজুর’ কবিতার সম্পূর্ণ পরিপূরক।
‘কুলি-মজুর’ কবিতায় বলা হয়েছে- কুলি-মজুরদের পরিশ্রমে গাড়িঘোড়া চলে। তাদেরই পরিশ্রমে গড়ে ওঠে দালানকোঠা। কলকারখানা তেমনি উদ্দীপকেও শ্রমজীবীদের এ অবদানের চিত্র ফুটে উঠেছে।
‘কুলি-মজুর’ কবিতায় দেখা যায় মানবসভ্যতা যথার্থভাবে গড়ে উঠেছে কুলি-মজুরের মতো শ্রমজীবীদের হাতে। এই শ্রমজীবী কুলি-মজুরদের অক্লান্ত শ্রমে ও ঘামে জাহাজ, মোটর, রেলগাড়ি চলছে। তাদেরই পরিশ্রমে গড়ে উঠছে কলকারখানা, দালানকোঠা। উদ্দীপকেও দেখি শ্রমজীবীদের পরিশ্রমে দালানাকোঠা গড়ে উঠছে। গাড়িঘোড়া মোটর সবকিছু কুলি-মজুরদের পরিশ্রমে চলছে। গরিব কুলি-মজুরের ঘামে গড়ে উঠছে কলকারখানা। কুলি-মজুরদের পরিশ্রম ছাড়া কোনো কিছুই চলে না। ‘কুলি-মজুর’ কবিতায়ও দেখি শ্রমজীবীদের পরিশ্রমে মানবসভ্যতা গড়ে উঠেছে। তাদের অক্লান্ত শ্রমে ও ঘামে মোটর জাহাজ রেলগাড়ি চলছে।
উল্লিখিত আলোচনা শেষে বলা যায় যে, গাড়িঘোড়া যত চলে কুলি-মজুরের হাত ধরেÑ উদ্দীপকের উক্ত চরণটি ‘কুলি-মজুর’ কবিতার পরিপূরক।
প্রশ্ন- ৫ ল্ফল্ফ
রক্ত চুষি গরিবের
ধনী মালিক সম্পদের
শোষণের শিকার তারা
সমাজে গরিব যারা
ধনীদের অর্থ সঞ্চিত
গরিব দুঃখী বঞ্চিত
ক. ‘কুলি-মজুর’ কবিতার কবির নাম কী? ১
খ. কবির চোখ ফেটে জল এলো কেন? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকটির সঙ্গে ‘কুলি-মজুর’ কবিতার কোন দিকটির সঙ্গে সাদৃশ্য আছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.উদ্দীপকের মূলভাব ‘কুলি-মজুর’ কবিতার আলোকে নির্ণয় কর। ৪
ক ‘কুলি-মজুর’ কবিতার কবির নাম কাজী নজরুল ইসলাম।
খ বাবু সাব কুলিকে ঠেলে নিচে ফেলে দেয়ার দৃশ্য দেখে কবির চোখ ফেটে জল এলো।
একদিন রেলস্টেশনে এক বাবু সাহেব এক কুলিকে ঠেলে নিচে ফেলে দিল। কুলি-মজুররা দুর্বল বলে তাদের ওপর ধনীরা অত্যাচার করে। জগৎজুড়ে সবসময় দুর্বলরা মার খেয়ে আসছে। স্টেশনে বাবু সাব কুলিকে ঠেলে নিচে ফেলে দিলে কবির চোখ ফেটে জল এলো।
গ উদ্দীপকের সঙ্গে ‘কুলি-মজুর’ কবিতার মেহনতি মানুষরাই আজ ধনীদেরা শোষণের শিকারের দিক দিয়ে যথেষ্ট সাদৃশ্য আছে।
মানবসভ্যতার বিকাশে শ্রমজীবীদের অবদান সবচেয়ে বেশি। তাদের অক্লান্ত শ্রমেই টিকে আছে সভ্যতা। অথচ সেই মেহনতি মানুষেরাই আজ নির্যাতিত অবহেলিত।
‘কুলি-মজুর’ কবিতায় দেখি শ্রমিকরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে। কিন্তু তাদের ওপর ধনীরা নানা দিক থেকে অত্যাচার করে। তারা দুর্বল বলে সবসময় তারা মার খায়। শ্রমজীবী মানুষদের শোষণ করে ধনিকশ্রেণি সম্পদের মালিক হয়েছে। অথচ কুলি-মজুররাই যুগযুগ ধরে সমাজে সবচেয়ে বঞ্চিত ও উপেক্ষিত। উদ্দীপকেও দেখি গরিবের রক্ত চুষে ধনীকশ্রেণি সম্পদের মালিক হচ্ছে। সমাজে গরিবরা সবসময় বঞ্চিত। ধনীদের শোষণের শিকার গরিবরা। তাই বলা যায় যে, উদ্দীপকের সঙ্গে ‘কুলি-মজুর’ কবিতার সাদৃশ্য আছে।
ঘ উদ্দীপকের মূলভাবে ‘কুলি-মজুর’ কবিতার মূলভাবেরই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।
উদ্দীপকে আমরা দেখি গরিব শ্রমজীবীদের রক্ত চুষে ধনীরা সম্পদের মালিক হয়েছে। অথচ তারাই সমাজের সবচেয়ে বঞ্চিত মানুষ। ধনীদের সমাজে যারা গরিব তারা শোষণের শিকার। তাদের ওপর যত নির্যাতন, অত্যাচার। গরিবদেরও বঞ্চিত করেই ধনীরা অর্থ সঞ্চয় করে।
‘কুলি-মজুর’ কবিতায় দেখি কুলি-মজুররাই সব পরিশ্রম করে আসছে। অথচ সমাজে তারা যুগ যুগ ধরে বঞ্চিত, অবহেলিত ও উপেক্ষিত। কবিতায় কবি গরিব শ্রমজীবী মানুষের অধিকারের পক্ষে আলোচনা করেছেন। কুলি-মজুরের মতো লক্ষকোটি শ্রমজীবী মানুষের হাতেই মানবসভ্যতা গড়ে উঠছে। তাদের পরিশ্রমের বদলে দালানকোঠা, কলকারখানা, রেলগাড়ি, জাহাজ মোটর চলছে। সমাজে যারা গরিব তারা ধনীদের শোষণের শিকার। গরিবদের বঞ্চিত করে ধনীরা সম্পদের পাহাড় গড়ছে।
আলোচনা শেষে বলা যায় যে, উদ্দীপকের মূলভাবটি ‘কুলি-মজুর’ কবিতার আলোকে বিশেষিত হয়েছে।
অনুশীলনের জন্য সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক (উত্তরসংকেতসহ)
প্রশ্ন- ৬ ল্ফল্ফ
আমাদের কী অসীম শক্তি
তা তো অনুভব করেছ বারবার
তবু কেন বোঝ না
আমরা বন্দি থাকব না, তোমাদের পকেটে পকেটে,
আমরা বেরিয়ে পড়ব, আমরা ছড়িয়ে পড়ব
শহরে, গঞ্জে, গ্রামে-দিগন্ত থেকে দিগন্তে।
ক. মানবসভ্যতার যথার্থ রূপকার কারা? ১
খ. ‘তোমার অট্টালিকা কার খুনে রাঙা?’- ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপক ও ‘কুলি-মজুর’ কবিতার বিষয়গত সাদৃশ্য নিরূপণ কর। ৩
ঘ. ‘অত্যাচারিত-নিপীড়িত মানুষ তাদের অধিকার আদায়ে সংগ্রামের পথ বেছে নেয়।’- উদ্দীপক ও ‘কুলি-মজুর’ কবিতার আলোকে উক্তিটির যথার্থতা মূল্যায়ন কর। ৪
ক মানব সভ্যতার যথার্থ রূপকার শ্রমজীবী মানুষেরা।
খ কাজী নজরুল ইসলাম ‘কুলি-মজুর’ কবিতায় বলেছেন- রক্ত ঝরানো খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষের রক্তে ধনিকশ্রেণির অট্টালিকা তৈরি হয়।
‘কুলি-মজুর’ কবিতায় কবি মানব সভ্যতার যথার্থ রূপকার শ্রমজীবী মানুষের অধিকারের পক্ষে কথা বলেছেন। যুগ যুগ ধরে শ্রমজীবী মানুষের হাতে গড়ে উঠেছে মানব সভ্যতা। তাদের অক্লান্ত শ্রমে ও ঘামে মোটর, জাহাজ, রেলগাড়ি চলছে। গড়ে উঠেছে কলকারখানা। কিন্তু যুগ যুগ ধরে সমাজে এরাই সবচেয়ে বঞ্চিত ও উপেক্ষিত। এদের শোষণ করেই ধনিকশ্রেণি হয়েছে। বিত্ত-সম্পদের মালিক। অথচ তাদের অট্টালিকা এদের রক্তেই এত রাঙা হয়ে উঠেছে।
ঢপষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে-
গ ‘কুলি-মুজুর’ কবিতার স্বরূপ তুলে ধর।
ঘ ‘কুলি-মুজুর’ কবিতার মূলভাব তুলে ধর।
প্রশ্ন- ৭ ল্ফল্ফ
হাশেম মিয়া একজন শ্রমিক। সারাদিন কলকারখানায় কাজ করে যা পায় তা দিয়েই সে জীবিকা নির্বাহ করে। একদিন কাজ করতে না পারলে, বউ-বাচ্চা নিয়ে না খেয়ে থাকতে হয়। হাশেম মিয়া তার শ্রমের সঠিক মূল্য পায় না। তারপরও তাকে হাড়ভাঙা শ্রম দিতে হয়।
ক. ‘কুলি-মজুর’ কবিতায় কবি কাদের পক্ষে কলম ধরেছেন? ১
খ. কবি মালিকশ্রেণিকে ‘মিথ্যাবাদীর দল’ বলেছেন কেন? ২
গ. উদ্দীপকের হাশেম মিয়ার মধ্যে ‘কুলি-মজুর’ কবিতার কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? নিরূপণ কর। ৩
ঘ. ‘উদ্দীপকের হাশেম মিয়াদের মতো শ্রমিকদের পক্ষেই কবি কলম ধরেছেন।’- কুলি-মজুর কবিতার আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪
ক ‘কুলি-মজুর’ কবিতায় কবি শ্রমজীবী মানুষের পক্ষে কলম ধরেছেন।
খ কবি মালিকশ্রেণিকে ‘মিথ্যাবাদীর দল’ বলেছেন কারণ তারা শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার দেয় না।
পৃথিবীতে শ্রমজীবীদের প্রতি শোষকশ্রেণির অত্যাচার সবসময় হয়। ‘কুলি মজুর’ কবিতায় বাবুশ্রেণি কুলিদের নির্যাতন করেছে। ন্যায্য মজুরি দেয়নি। তারা শ্রমিকদের দেয়া কথা না রেখে নিজেরাই অত্যাচারী হয়েছে। তাই কবি তাদের ‘মিথ্যাবাদীর দল’ বলেছেন।
ঢপষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে-
গ ‘কুলিমজুর’ কবিতার শোষিত শ্রেণির মানুষের স্বরূপ তুলে ধর।
ঘ ‘কুলি-মজুর’ কবিতার কবির মনোভাব বিশ্লেষণ কর।
প্রশ্ন- ৮ ল্ফল্ফ
গাহি সাম্যের গান
মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান
নাই দেশ-কাল, পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্মজাতি
সব দেশে সব কালে ঘরে ঘরে তিনি মানুষের জ্ঞাতি।
ক. ‘কুলি-মজুর’ কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত? ১
খ. কবি কাদের দধীচির সাথে তুলনা করেছেন? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের সাথে ‘কুলি-মজুর’ কবিতার তুলনামূলক আলোচনা কর। ৩
ঘ. যাদের অক্লান্ত শ্রমে বিশ্ব আজ সভ্যতার দ্বারপ্রান্তে, তাদের স্বীকৃতির কথাই বলা হয়েছে উদ্দীপক ও ‘কুলি-মজুর’ কবিতায় উক্তিটির সত্যতা যাচাই কর। ৪
ক ‘কুলি মজুর’ কবিতাটি সাম্যবাদী কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত।
খ কবি শ্রমজীবী মানুষ কুলি-মজুরদের দধীচি মুনির সাথে তুলনা করেছেন।
শ্রমজীবী মানুষরা সভ্যতার নির্মাতা। কিন্তু তারাই আজ অবহেলিত। তাদের শ্রমের ওপর ভর করে যারা ধনী হয়েছেন তারাই সকল সুবিধাভোগী। অর্থাৎ কবি দুঃখ করে ত্যাগী দধীচির সঙ্গে ত্যাগী কুলি-মজুরের তুলনা করেছেন।
ঢপষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে-
গ ‘কুলি-মজুর’ কবিতার সাম্যবাদী দিকটি তুলে ধর।
ঘ ‘কুলি-মজুর’ কবিতায় মানবসভ্যতার পেছনে যাদের অবদান সে বিষয়টি সত্যতা বিচার কর।
জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন \ ১ \ কাজী নজরুল ইসলামের জন্মস্থান কোথায়?
উত্তর : কাজী নজরুল ইসলামের জন্মস্থান বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে।
প্রশ্ন \ ২ \ কবি কাজী নজরুল ইসলাম কোথায় প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন?
উত্তর : কবি কাজী নজরুল ইসলাম গ্রামের মক্তবে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন।
প্রশ্ন \ ৩ \ মানবসভ্যতা কাদের হাতে গড়ে উঠেছে?
উত্তর : মানবসভ্যতা শ্রমজীবী মানুষের হাতে গড়ে উঠেছে।
প্রশ্ন \ ৪ \ শ্রমজীবী মানুষদের শোষণ করে কারা?
উত্তর : শ্রমজীবী মানুষদের শোষণ করে ধনিকশ্রেণি।
প্রশ্ন \ ৫ \ বিত্তসম্পদের মালিক কারা হয়েছে?
উত্তর : বিত্তসম্পদের মালিক ধনিকশ্রেণি হয়েছে।
প্রশ্ন \ ৬ \ ধনিকশ্রেণি শ্রমজীবী মানুষকে কী করতে নারাজ?
উত্তর : ধনিকশ্রেণি শ্রমজীবী মানুষকে মানুষ হিসেবে গণ্য করতে নারাজ।
প্রশ্ন \ ৭ \ কবি কাদের মানুষরূপী দেবতা বলেছেন?
উত্তর : কবি শ্রমজীবী মানুষদের মানুষরূপী দেবতা বলেছেন।
প্রশ্ন \ ৮ \ দধীচি কে?
উত্তর : দধীচি হলেন পৌরাণিক কাহিনীতে বর্ণিত একজন মহামুনি অর্থাৎ সাধক।
প্রশ্ন \ ১০ \ কাদের হাড় দিয়ে বাষ্প-শকট চলে?
উত্তর : দধীচিদের হাড় দিয়ে বাষ্প-শকট চলে।
প্রশ্ন \ ১১ \ বাবু সাব এসে কীসে চড়ল?
উত্তর : বাবু সাব এসে বাষ্প-শকটে চড়ল।
প্রশ্ন \ ১২ \ পথের কোন জিনিসটি শ্রমজীবী মানুষের অবদানের কথা জানে?
উত্তর : পথের প্রতিটি ধূলিকণা শ্রমজীবী মানুষের অবদানের কথা জানে।
প্রশ্ন \ ১৩ \ ‘কুলি-মজুর’ কবিতায় হাতুড়ি শাবল গাঁইতি চালিয়ে কী ভাঙার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর : ‘কুলি-মজুর’ কবিতায় হাতুড়ি শাবল গাঁইতি চালিয়ে পাহাড় ভাঙার কথা বলা হয়েছে।
প্রশ্ন \ ১৪ \ কুলি-মজুর কবিতায় দেশ কীসে ছেয়ে গেছে?
উত্তর : ‘কুলি-মজুর’ কবিতায় দেশ কলে অর্থাৎ কলকারখানায় ছেয়ে গেছে।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন \ ১ \ দধীচি কে ছিলেন? কবি কেন কুলি-মজুরের সঙ্গে দধীচির তুলনা করেছেন?
উত্তর : দধীচি হলেন প্রাচীন ভারতীয় পৌরাণিক কাহিনীর একজন মহামুনি বা সাধক।
দেবরাজ ইন্দ্রের অনুরোধে এই দধীচি মুনি প্রাণ ত্যাগ করেছিলেন এবং তার হাড় দিয়ে বানানো হয়েছিল অস্ত্র-বজ্র। আর সেই বজ্র দিয়ে ইন্দ্র বৃত্রাসুরকে বধ করে স্বর্গরাজ্য উদ্ধার করেছিলেন। তাই কবি ত্যাগী দধীচির সঙ্গে ত্যাগী কুলি-মজুরের তুলনা করেছেন।
প্রশ্ন \ ২ \ কবি ‘কুলি-মজুর’ কবিতায় কুলি-মজুরদের পক্ষে কলম ধরেছেন কেন?
উত্তর : কুলি-মজুররা অবহেলিত, উপেক্ষিত ও বঞ্চিত বিধায় কবি তাদের পক্ষে কলম ধরেছেন।
যুগ যুগ ধরে কুলি-মজুরদের অর্থাৎ লক্ষ-কোটি শ্রমজীবী মানুষের হাতে গড়ে উঠেছে মানব সভ্যতা। এদেরই শ্রমে ও ঘামে চলছে কলকারখানা। অথচ তারাই এ জগতে সবচেয়ে বঞ্চিতশ্রেণি। তাই কবি ‘কুলি-মজুর’ কবিতায় মানবসভ্যতার যথার্থ রূপকার শ্রমজীবী মানুষের অধিকারের পক্ষে কলম ধরেছেন।
প্রশ্ন \ ৩ \ শ্রমজীবী মানুষের প্রতি ধনিকশ্রেণির আচরণ কেমন?
উত্তর : শ্রমজীবী মানুষের প্রতি ধনিকশ্রেণির আচরণ অত্যন্ত নিষ্ঠুর ও অমানবিক।
ধনিকশ্রেণি এই শ্রমজীবী মানুষেরই সম্পদ শোষণ করে হয় বিত্তসম্পদের মালিক। অথচ তারা এই শ্রমজীবী মানুষদের ঘৃণা করে। ধনিকশ্রেণি এসব শ্রমজীবীদেরকে মানুষ হিসেবে গণ্য করতে নারাজ।
প্রশ্ন \ ৫ \ কবি ঋণ শোধের কথা বলেছেন কেন?
উত্তর : কবি ‘কুলি-মজুর’ কবিতায় ঋণ শোধের কথা বলেছেন।
শ্রমজীবীর অক্লান্ত শ্রমে রাজপথে মোটর চলছে। সাগরে জাহাজ চলছে। গড়ে উঠেছে দালানকোঠা। মূলত লক্ষ-কোটি শ্রমিকের হাতে গড়ে উঠছে মানবসভ্যতা। আর সেই সভ্যতার ফল ভোগ করছে ধনিকশ্রেণি। দীর্ঘকাল ধরে শোষণের ফলে শ্রমজীবী মানুষের দাবি অনেক, আর তাদের মনে জমেছে ক্ষোভের পাহাড়। দিনে দিনে তাদের কাছে ধনিকশ্রেণির যে দেনা হয়েছে, তা শোধের কথাই বলেছেন কবি।
প্রশ্ন \ ৬ \ কবি কেন ধনিকশ্রেণির বিরুদ্ধাচরণ করেছেন?
উত্তর : শ্রমজীবী মানুষরা ধনিকশ্রেণির মানুষের আরাম-আয়েশের জন্য খেটে মরে, কিন্তু ধনিকশ্রেণি তাদের শ্রমের মর্যাদা না দেয়ার কারণে তাই কবি ধনিকশ্রেণির বিরুদ্ধাচরণ করেছেন।
কুলি-মজুরের মতো শ্রমজীবী মানুষের হাতে গড়ে উঠেছে বর্তমান সভ্যতা। তাদের অক্লান্ত শ্রমে ও ঘামে মোটর, জাহাজ, রেলগাড়ি চলছে; গড়ে উঠেছে দালানকোঠা, কলকারখানা। কিন্তু যুগ যুগ ধরে এরা সকল সুযোগ থেকে বঞ্চিত, অবহেলিত। যাদের জন্য ধনিকশ্রেণির জীবন আরাম-আয়েশে কাটে তাদেরকে এরা ন্যূনতম মর্যাদাটুকুও দেয় না। তাই কবি ধনিকশ্রেণির বিরুদ্ধাচরণ করেছেন।
প্রশ্ন \ ৭ \ কবি শ্রমজীবী মানুষের জয়গান করেছেন কেন?
উত্তর : কবি কাজী নজরুল ইসলাম ‘কুলি-মজুর’ কবিতায় শ্রমজীবীদের জয়গান করেছেন।
শ্রমজীবী মানুষের হাতে গড়ে উঠেছে মানবসভ্যতা। এদের অক্লান্ত পরিশ্রমে গড়ে উঠেছে অফিস, আদালত, দালানকোঠা, কলকারখানা। অথচ এদেরই শোষণ করেই ধনিকশ্রেণি হয়েছে বিত্ত-সম্পদের মালিক। যুগ যুগ ধরে সমাজে এই কুলি-মজুর, শ্রমিক শ্রেণিরাই বঞ্চিত ও উপেক্ষিত। কবি নজরুল শ্রমজীবীদের অবদান অনুধাবন করেই কুলি-মজুরদের জয়গান করেছেন।
বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
বিষয়ক্রম অনুযায়ী বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
ন্ধ কবি পরিচিতি
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. বিদ্রোহী কবি কে? (জ্ঞান)
কাজী নজরুল ইসলাম খ কালিদাস রায়
গ জসীমউদ্দীন ঘ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
২. কাজী নজরুল ইসলাম কত খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন? (জ্ঞান)
ক ১৮৮৯ খ ১৮৯০ ১৮৯৯ ঘ ১৯০১
৩. কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা কত সনে জন্মগ্রহণ করেন? (জ্ঞান)
১৩০৬ খ ১৩০৭ গ ১৩০৮ ঘ ১৩১৩
৪. কাজী নজরুল ইসলাম কোন জেলায় জন্মগ্রহণ করেন? (জ্ঞান)
ক ঢাকা খ চট্টগ্রাম বর্ধমান ঘ খুলনা
৫. কাজী নজরুল ইসলাম বর্ধমান জেলার কোন গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন? (জ্ঞান)
চুরুলিয়া খ আসানসোল
গ শিলিগুড়ি ঘ জলপাইগুড়ি
৬. কাজী নজরুল ইসলাম মৃত্যুবরণ করেন কত খ্রিষ্টাব্দে? (জ্ঞান)
ক ১৮৭০ খ ১৯৭৪ গ ১৯৭৫ ১৯৭৬
৭. কাজী নজরুল ইসলাম মৃত্যুবরণ করেন কোথায়? (জ্ঞান)
ক কলকাতায় ঢাকায়
গ ময়মনসিংহ ঘ রাজশাহী
৮. কাজী নজরুল ইসলাম ছেলেবেলায় কোন দলে গান করেছেন? (জ্ঞান)
ক বাউল গানের খ মুর্শিদি গানের
লেটো গানের ঘ হিন্দি গানের
৯. কাজী নজরুল ইসলাম কীসের দোকানের কারিগর হয়েছিলেন? (জ্ঞান)
রুটির খ চায়ের গ কাপড়ের ঘ বিস্কুটের
১০. কাজী নজরুল ইসলাম কোন বাহিনীতে যোগদান করেছিলেন? (জ্ঞান)
ক নৌবাহিনীতে খ বিমান বাহিনীতে
গ পুলিশ বাহিনীতে সেনাবাহিনীতে
১১. কাজী নজরুল ইসলাম কোন রাজের বিরুদ্ধে রাজদ্রোহ করেছিলেন? (জ্ঞান)
ব্রিটিশরাজের খ পাকিস্তানি রাজের
গ নীলরাজাদের ঘ বাঙালি রাজের
১২. কাজী নজরুল ইসলাম কারাবরণ করেছিলেন কেন? (জ্ঞান)
ক গান গাওয়ার জন্য খ নাটক লেখার অপরাধে
রাজদ্রোহের জন্য ঘ গান লেখার অপরাধে
১৩. আমাদের রণসংগীত কোন গানটি? (জ্ঞান)
ক গাহি সাম্যের গান খ কারার ঐ লোহ কপাট
চল্-চল্-চল্ ঘ আমার সোনার বাংলা
১৪. চল্-চল্-চল্ গানটি কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত? (জ্ঞান)
ক অগ্নি-বীণা খ বিষের বাঁশি
গ সাম্যবাদী সন্ধ্যা
১৫. কবি হিসেবে কাজী নজরুল ইসলামের বৈশিষ্ট্য কোনটি? (অনুধাবন)
অন্যায়, শোষণ ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ
খ দেশের শত্রæদের সাথে শোভন আচরণ
গ শাসকদের জয়গান
ঘ বাস্তব ও অবাস্তবের সমন্বয় সাধন
১৬. নিচের কোন বাংলা সনটি কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যু সন? (জ্ঞান)
ক ১৩৪৮ খ ১৩৬৮ গ ১৩৮০ ১৩৮৩
১৭. বাংলাদেশের রণসংগীতের রচয়িতা কে? (জ্ঞান)
ক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কাজী নজরুল ইসলাম
গ জসীমউদ্দীন ঘ দ্বিজেন্দ্রলাল রায়
১৮. কাজী নজরুল ইসলামের গান ও কবিতা কাদের অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে? (জ্ঞান)
ক ছাত্রদের খ কবিদের
গ রাজাকারদের মুক্তিযোদ্ধাদের
১৯. ‘চুপ রও যত মিথ্যাবাদীর দল’Ñকাদের বিরুদ্ধে কবি এখানে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক মিথ্যাবাদীদের খ ধনীদের
গ সুবিধাভোগীদের স্বার্থপর সম্পদশালীদের
২০. ‘কুলি-মজুর’ কবিতায় কবি কাদের জয়গান করেছেন? (জ্ঞান)
ক কুলিদের খ মজুরদের
শ্রমজীবীদের ঘ বঞ্চিতদের
২১. ‘দেখিনু সে দিন রেলে’- এ চরণের ‘দেখিনু’ শব্দের প্রকৃত ভাবÑ (প্রয়োগ)
ক দেখে খ দেখিয়া গ হেরি দেখলাম
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২২. কাজী নজরুল ইসলাম ছোট বেলায়- (অনুধাবন)
র. লেটোর দলে গান করেছেন
রর. রুটির দোকানের কারিগর হয়েছেন
ররর. ব্যবসা করেছেন
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৩. কাজী নজরুল ইসলাম বিদ্রোহী কবি হিসেবে নন্দিত হয়েছেন (অনুধাবন)
র. দেশপ্রেমের উদ্দীপনাময় কবিতা লিখে
রর. হাবিলদার পদে যোগদান করে
ররর. অন্যায়, শোষণের বিরুদ্ধে কলম ধরে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৪. নজরুল ইসলাম রচিত ছোটদের জন্য কাব্যগ্রন্থ (অনুধাবন)
র. সঞ্চয়, ঝিঙেফুল
রর. পিলে পটকা, পুতুলের বিয়ে
ররর. পিলে পটকা, ঘুম জাগানো পাখি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ন্ধ মূলপাঠ
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২৫. কাজী নজরুল ইসলাম ‘কুলি-মজুর’ কবিতাটি লিখলেন কেন? (অনুধাবন)
ক মনের আনন্দে
খ মনের কষ্টে
শ্রমজীবীদের অধিকার আদায় করতে
ঘ দেশকে ভালোবাসতেন না বলে
২৬. কাদের হাড় দিয়ে বাষ্প-শকট চলে? (জ্ঞান)
ক দুর্বলদের খ সবলদের গ ধনীদের দধীচিদের
২৭. কবি কাকে চুপ থাকতে বলেছেন? (জ্ঞান)
ক কুলিদের মিথ্যাবাদীদের
গ ধনীদের ঘ গরিবদের
২৮. মোটর চলেছে কোথায়? (জ্ঞান)
ক ভাঙা রাস্তায় খ মাটির রাস্তায়
গ পাকা পথে রাজপথে
২৯. দধীচি কে ছিলেন? (জ্ঞান)
ক একজন বিখ্যাত কবি একজন মুনি
গ একজন মনীষী ঘ একজন কৃষক
৩০. বিত্তবানরা কোথায় বাস করে? (জ্ঞান)
অট্টালিকায় খ পাহাড়ে গ সাগরপাড়ে ঘ বিদেশে
৩১. কুলি-মজুররা কাদের ঘৃণার পাত্র? (জ্ঞান)
ক সমাজের খ সাধারণ মানুষের
গ দধীচির বিত্তবানদের
৩২. ধনিকশ্রেণি কীভাবে সুরম্য অট্টালিকার মালিক হয়েছে? (অনুধাবন)
ক মিথ্যা বলে খ ব্যবসা-বাণিজ্য করে
গ পরিশ্রম করে শ্রমজীবীদের শোষণ করে
৩৩. ‘শকট’ কোন জাতীয় শব্দ? (অনুধাবন)
ক অর্ধতৎসম তৎসম গ দেশি ঘ বিদেশি
৩৪. কীসে দেশ ছেয়ে গেল? (জ্ঞান)
ক মেশিনে খ মানুষে গ মোটরে কলে
৩৫. ‘যে দধীচিদের হাড় দিয়ে ঐ বাষ্প-শকট চলে’Ñচরণটিতে কবি কী বুঝিয়েছেন? (অনুধাবন)
শ্রমজীবী মানুষের পরিশ্রমে রেলগাড়ি চলে
খ ধনীর পরিশ্রমে রেলগাড়ি চলে
গ বাতাসে গাড়ি উড়ে চলে
ঘ হাড় দিয়ে গাড়ি চলে
৩৬. ‘কুলি-মজুর’ কবিতায় কবি কাদের অধিকার রক্ষায় সচেষ্ট? (অনুধাবন)
ক ধনীদের শ্রমজীবীদের
গ দধীচিদের ঘ মুনিদের
৩৭. বাবু সা’ব তারে ঠেলে নিচে ফেলে দিল কেন? (অনুধাবন)
কুলি বলে খ ধনী বলে
গ গরিব বলে ঘ কালো বলে
৩৮. ‘ঠুলি খুলে দেখ’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন? (অনুধাবন)
ক চশমা খুলতে খ চোখ বন্ধ করতে
গ চোখ খুলতে
চোখের ওপর থেকে অন্যায় পর্দা সরাতে
৩৯. ‘গাহি তাহাদেরি গান’ বলে কী বোঝানো হয়েছে? (অনুধাবন)
শ্রমজীবীদের কথা খ গরিবদের কথা
গ ব্যবসায়ীদের কথা ঘ ধনীদের কথা
৪০. কুলি-মজুরদের আত্মত্যাগের নিদর্শন হিসেবে কোনটি চিহ্নিত করা যায়? (প্রয়োগ)
সভ্যতার উন্নতি খ স্বদেশের স্বাধীনতা
গ শিক্ষার হার বৃদ্ধি ঘ ধনীদের বিড়ম্বনা
৪১. ‘কুলি বলে এক বাবু সাব তারে ঠেলে দিলে নিচে ফেলে’!Ñ চরণটিতে ফুটে উঠেছেÑ (অনুধাবন)
দরিদ্রদের প্রতি অবহেলা
খ দরিদ্রদের প্রতি ভালোবাসা
গ দরিদ্রদের দান সাদরে গ্রহণ
ঘ ধনীলোককে ভালোবাসা
৪২. ‘কুলি-মজুর’ কবিতায় ‘নব উত্থান’ বলতে কীসের ইঙ্গিত দিয়েছেন? (অনুধাবন)
ক মানুষের অধিকার ক্ষুণœ করা
খ সভ্যতার উন্নতি
গ নতুন স্বপ্ন দেখা
মানবমুক্তির নতুন দিন
৪৩. ‘শ্রেণি-সংগ্রাম’ ধারণার সঙ্গে কোন কবিতাটি যুক্ত? (প্রয়োগ)
ক বঙ্গবন্ধু খ মেলা গ স্মৃতিসৌধ কুলি-মজুর
৪৪. মানবসভ্যতা কাদের দান? (অনুধাবন)
শ্রমজীবী মানুষের দান খ কৃষকের দান
গ শ্রমিকের দান ঘ বড়লোকদের দান
৪৫. ‘কুলি-মজুর’ কবিতাটি থেকে আমাদের শিক্ষণীয় কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক শ্রমজীবীদের অবহেলা করতে হবে
খ কবিতা লেখা অভ্যাস করতে হবে
গ মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে হবে
শ্রমজীবীদের সম্মান করতে হবে
৪৬. ‘তারাই মানুষ, তারাই দেবতা’ বলতে কবি কাদের বুঝিয়েছেন? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক মুক্তিযোদ্ধাদের খ তান্ত্রিকদের
শ্রমজীবীদের ঘ ধনিকশ্রেণিদের
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৪৭. ধনীদের সেবা করে যারা- (অনুধাবন)
র. মজুর রর. মুটে
ররর. কুলি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৪৮. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে কাজী নজরুলের যে দিকটি- (অনুধাবন)
র. উপন্যাস রর. গান
ররর. কবিতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪৯. কবি চুপ থাকতে বলেছেন- (অনুধাবন)
র. শ্রমজীবীদের রর. মিথ্যাবাদীদের
ররর. ধনিকশ্রেণিকে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫০. তারাই মানুষ, তারাই দেবতা, গাহি তাহাদেরি গান- উক্তিটি তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, যারা- (প্রয়োগ)
র. বাষ্প-শকট চড়ে রর. অঙ্গে ধূলি লাগিয়েছে
ররর. মজুর, মুটে ও কুলি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫১. ‘দিনে দিনে বহু বাড়িয়াছে দেনা’ লাইনটি দ্বারা বোঝানো হয়েছে- (অনুধাবন)
র. শ্রমজীবীদের অর্জিত সম্পদ
রর. শ্রমজীবীদের প্রতি বিত্তবানদের দায়
ররর. শ্রমিক বঞ্চনা ও অবহেলার ইতিহাস
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫২. ধনীদের শোষণের ধরন হলো- (অনুধাবন)
র. উপযুক্ত মজুরি না দেওয়া রর. অতিরিক্ত সময় খাটানো
ররর. পাওনা দেয়া
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের কবিতাংশটি পড় এবং ৫৩ ও ৫৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
কৃষকরাই জাতির মেরুদণ্ড। কৃষকেরা রোদে পুড়ে ও বৃষ্টিতে ভিজে সোনার ফসল ফলায়। তারা সারাদিন অক্লান্ত পরিশ্রমে পুরো জাতির মুখে খাবার তুলে দেয়। অথচ আজকের দুনিয়ায় কৃষকই অবহেলিত।
৫৩. কৃষকের অবহেলার মতো ‘কুলি-মজুর’ কবিতায় অবহেলিত শ্রেণি বোঝাতে প্রযোজ্যÑ (প্রয়োগ)
কুলি-মজুর খ মুক্তিযোদ্ধা
গ ভাষাসৈনিক ঘ ধনিকশ্রেণি
৫৪. উদ্দীপকের মূলভাব ‘কুলি-মজুর’ কবিতার বিষয়বস্তুকে যেভাবে নির্দেশ করে- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. কৃষকের অবদান রর. ধনীদের শোষণ
ররর. শ্রমজীবীদের প্রতি অত্যাচার
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ন্ধ শব্দার্থ ও টীকা
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৫৫. ‘ঘানি’ নামক দেশি যন্ত্র টানা হতো কোন প্রাণী দিয়ে? (জ্ঞান)
ক ঘোড়া খ মহিষ গরু ঘ গাধা
৫৬. ‘ক্রোর’ শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক কোল খ শত হাজার কোটি ঘ ক্ষুব্ধ
৫৭. ‘শকট’ শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক বাড়ি গাড়ি গ হাঁড়ি ঘ ঘড়ি
৫৮. ‘পাই’ কথাটি ব্যবহৃত হয় কিসের ক্ষেত্রে? (জ্ঞান)
মুদ্রার একক বিশেষ খ নোট
গ স্বল্পতা ঘ পাওয়া
৫৯. কবিতায় বাষ্প-শকট বলতে কোন গাড়ি বোঝানো হয়েছে? (অনুধাবন)
ক বাস খ লঞ্চ রেলগাড়ি ঘ ইস্টিমার
৬০. ‘গাঁইতি’ কী কাজে ব্যবহার করা হয়? (অনুধাবন)
ক মাটি খোঁড়ার কাজে ব্যবহৃত যন্ত্র বিশেষ
পাথর নির্মিত কঠিন স্থান খোঁড়ার যন্ত্র বিশেষ
গ স্বর্ণমণ্ডিত মন্দির খোঁড়ার যন্ত্র বিশেষ
ঘ লোহার খনিতে কাজ করার যন্ত্র বিশেষ
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬১. মহাত্মা গান্ধী ভারতের জনগণের জন্য নিজের সুখ ত্যাগ করেছেন তার সাথে আলোচ্য কবিতায় তুলনীয় (প্রয়োগ)
র. কুলি রর. মজুর
ররর. শ্রমজীবী মানুষ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
ন্ধ পাঠ পরিচিতি
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬২. ‘কুলি-মজুর’ কবিতার কবির নাম কী? (জ্ঞান)
ক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কাজী নজরুল ইসলাম
গ কালিদাস রায় ঘ কামিনী রায়
৬৩. ‘কুলি-মজুর’ কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত? (জ্ঞান)
সাম্যবাদী খ সন্ধ্যা গ দোলনচাঁপা ঘ চক্রবাক
৬৪. মানবসভ্যতার রূপকার কারা? (জ্ঞান)
ক কবিরা খ কৃষকরা শ্রমজীবীরা ঘ বিজ্ঞানীরা
৬৫. ‘কুলি-মজুর’ কবিতায় কবি মূলভাবটি ফুটিয়ে তুলেছেন কোন বিষয়টি প্রয়োগের মাধ্যমে? (প্রয়োগ)
ক কবিতার আঙ্গিক গঠন
খ কুলিদের জীবন
গ মজুরদের জীবন
শ্রমজীবী মানুষের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদ
৬৬. ‘কুলি-মজুর’ কবিতাটিতে কোনটি ফুটে উঠেছে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক গরিবের কথা
শ্রমজীবী মানুষের অধিকারের কথা
গ শ্রমজীবী মানুষের জীবনযাপনের কথা
ঘ ধনীদের কথা
৬৭. ‘কুলি-মজুর’ কবিতা পাঠের উদ্দেশ্য কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক শ্রমজীবীদের অধিকার নিশ্চিত করা
খ ধনীদের শায়েস্তা করা
বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার শ্রমজীবী মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ
ঘ বিদ্রোহ করা
৬৮. ‘কুলি-মজুর’ কবিতার মাধ্যমে কবি কী প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন? (উচ্চতর দক্ষতা)
শ্রমজীবীরা অধিকার বুঝে নেবে
খ স্বার্থান্ধ মানুষের দিন শেষ হবে
গ কর্মজীবীরা তাদের ন্যায্য পাওনা বুঝে নেবে
ঘ অত্যাচারীর বিরুদ্ধে আন্দোলন করবে
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬৯. ‘কুলি-মজুর’ কবিতার মূল প্রতিপাদ্য- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. শ্রমজীবী মানুষের অধিকার রর. শ্রমজীবী মানুষের বন্দনা
ররর. শ্রমজীবী মানুষের আত্মত্যাগ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৭০. ‘কুলি-মজুর’ কবিতাটিতে ফুটে উঠেছেÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. শ্রমিকদের শ্রমের কথা
রর. শ্রমিকদের অধিকারের কথা
ররর. ধনী দ্বারা শ্রমিকদের শোষণের কথা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৭১. যুগ যুগ ধরে কুলি-মজুররা (অনুধাবন)
র. বঞ্চিত রর. উপেক্ষিত
ররর. অবহেলিত
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
মাস্টার ট্রেইনার প্রণীত সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর