এইচএসসি ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং দ্বিতীয় অধ্যায় আর্থিক বাজারের আইনগত দিকসমূহ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

অধ্যায়-২: আর্থিক বাজারের আইনগত দিকসমূহ

গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

মমমপ্রশ্ন„১ রফিক ও ফারুক দুই বন্ধু। তারা দু’জনই বাংলাদেশের নাগরিক। দীর্ঘদিন পর সম্প্রতি তারা দু’জনই বিদেশ থেকে দেশে ফিরেছেন। রফিক তার অর্জিত অর্থ শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। অন্যদিকে ফারুক বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয়-বিক্রয়ে যুক্ত হয়েছেন। কিন্তু তিনি যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট হতে অনুমতি গ্রহণ করেননি। এই কারণে আইন প্রয়োগকারী বাহিনী তাকে গ্রেপ্তার করেছে। [ঢা. বো. ১৭]
অ ক. বি.এস.ই.সি. কী? ১
অ খ. মুদ্রা বাজারে অংশগ্রহণকারী কারা? ২
অ গ. উদ্দীপকে জনাব রফিকের বিনিয়োগের জন্য কোন ধরনের আর্থিক বাজার উপযোগী? ব্যাখ্যা করো। ৩
অ ঘ. তুমি কি মনে করো উদ্দীপকে আইন প্রয়োগকারী বাহিনী সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে? তোমার মতামত দাও। ৪
১ নং প্রশ্নের উত্তর অ
মক বি. এস. ই. সি. (বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন) হলো বাংলাদেশের শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
মখ বাণিজ্যিক ব্যাংক, বিমা কোম্পানি ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ মুদ্রা বাজারে অংশগ্রহণ করে থাকে ।
এ বাজারে সাধারণত ১ বছর বা তার কম মেয়াদি আর্থিক সম্পদ ক্রয়-বিক্রয় করা হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারের পক্ষে মুদ্রা বাজারে ট্রেজারি বিল বিক্রয় করে। বাণিজ্যিক ব্যাংক ও নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক হতে এ সকল ট্রেজারি বিল ক্রয় করে। কোম্পানি বিভিন্ন ব্যাংক ও বিমা কোম্পানির নিকট বাণিজ্যিকপত্র বিক্রয় করে মুদ্রা বাজারের মাধ্যমে তাদের স্বল্পমেয়াদি অর্থায়নের চাহিদা মিটিয়ে থাকে।
মগ উদ্দীপকে জনাব রফিকের বিনিয়োগের জন্য পুঁজি বাজার উপযোগী।
মূলধন বা পুঁজি বাজারে দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক সম্পদের লেনদেন করা হয়। সরকার ও বিভিন্ন কোম্পানি এ বাজারে শেয়ার ও বন্ড বিক্রয় করে তাদের দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের চাহিদা পূরণ করে।
উদ্দীপকে রফিক ও ফারুক দুই বন্ধু। তারা দু’জনই বাংলাদেশের নাগরিক। দীর্ঘদিন পর সম্প্রতি তারা দু’জনই বিদেশ থেকে দেশে ফিরেছেন। রফিক তার অর্জিত অর্থ শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। বিনিয়োগ আগ্রহ পূরণ করতে তাকে পুঁজি বাজারে অংশগ্রহণ করতে হবে। এ বাজারে সাধারণ শেয়ার, অগ্রাধিকার শেয়ার ও বন্ড ক্রয়-বিক্রয় করা হয়। এদের মধ্যে যেকোনো একটিতে বিনিয়োগ করে মি. রফিক পুঁজি বাজারে প্রবেশ করতে পারবেন।
মঘ উদ্দীপকে বৈদেশিক বিনিময়ের বিষয়ে আইন প্রয়োগকারী বাহিনী সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
বৈদেশিক বিনিময় বলতে এক দেশের মুদ্রাকে অন্য দেশের মুদ্রায় রূপান্তর করার কাজকে বোঝায়। আমদানি-রপ্তানি ও অন্যান্য কার্যক্রম হতে সৃষ্ট বৈদেশিক দায় পরিশোধে বৈদেশিক মুদ্রার প্রয়োজন।
উদ্দীপকে দুই বন্ধু রফিক ও ফারুক বাংলাদেশের নাগরিক। সম্প্রতি তারা দু’জনই বিদেশ থেকে দেশে ফিরেছেন। রফিক শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করেন। অন্যদিকে ফারুক বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয়-বিক্রয় শুরু করেছেন। এর জন্য সে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট হতে অনুমতি গ্রহণ করেননি। কিছুদিন পরই আইন প্রয়োগকারী বাহিনী তাকে গ্রেপ্তার করে। কারণ, তিনি আইন মোতাবেক বৈদেশিক মুদ্রার ক্রয়-বিক্রয় শুরু করেননি।
এক দেশের মুদ্রা অন্য দেশে অচল। এজন্য বিদেশে ভ্রমণ বা বৈদেশিক দেনা-পাওনা নিষ্পত্তিতে বৈদেশিক মুদ্রার প্রয়োজন হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ লক্ষ্যে বৈদেশিক মুদ্রার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা করে থাকে। বাংলাদেশ ব্যাংক হতে অনুমতিপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা বৈদেশিক মুদ্রার ক্রয়-বিক্রয়ের বৈধ ক্ষমতা রাখে। এর বাইরে অন্য কেউ বৈদেশিক মুদ্রার ক্রয়-বিক্রয়ে জড়িত হতে পারে না। উদ্দীপকের ফারুক বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি ব্যতীতই বৈদেশিক মুদ্রার ক্রয়-বিক্রয় শুরু করে উক্ত আইন লঙ্ঘন করেছেন। এজন্যই আইন প্রয়োগকারী বাহিনী তাকে গ্রেপ্তার করেছে, যা যৌক্তিক হয়েছে বলে আমি মনে করি।

মমমপ্রশ্ন„২ হক এন্ড সন্স এবং রায় এন্ড ব্রাদার্স উভয়ই আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। হক এন্ড সন্স-এর আমদানিকৃত পণ্য চট্টগ্রাম বন্দরে খালাসের জন্য ১০ লক্ষ টাকার প্রয়োজন। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক ব্যাংক ঋণ নিয়ে তার আর্থিক সমস্যার সমাধান করেন। কিন্তু রায় এন্ড ব্রাদার্স-এর ব্যবস্থাপক বিভিন্ন সময় বন্দরে মালামাল খালাসের জন্য বাণিজ্যিক কাগজ ইস্যু করে আর্থিক সংকটের সমাধান করেন। [রা. বো. ১৭]
অ ক. ট্রেজারি বিল কী? ১
অ খ. মূলধন বাজার বলতে কী বোঝ? ২
অ গ. উদ্দীপকের রায় এন্ড ব্রাদার্স কোং লি.-এর গৃহীত পদক্ষেপের যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ করো। ৩
অ ঘ. উদ্দীপকের দুটি কোম্পানির আর্থিক সংকট মোকাবিলায় গৃহীত পদক্ষেপের তুলনামূলক যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করো। ৪
২ নং প্রশ্নের উত্তর অ
ক ভবিষ্যতে কোনো নির্দিষ্ট তারিখে পরিশোধের অঙ্গীকার করে সরকার যে স্বল্পমেয়াদি অঙ্গীকারপত্র ইস্যু করে তা হলো ট্রেজারি বিল।
খ আর্থিক বাজারের যে অংশে দীর্ঘমেয়াদে অর্থ ও আর্থিক সম্পদের লেনদেন করা হয় তাকে মূলধন বাজার বলে।
মূলধন বাজারের হাতিয়ারসমূহ হলো- সাধারণ শেয়ার, অগ্রাধিকার শেয়ার, বন্ড, ডিবেঞ্চার ইত্যাদি। মূলধন বাজার দুই প্রকার; যথা: ইক্যুইটি বাজার ও বন্ড বাজার।
গ উদ্দীপকের রায় এন্ড ব্রাদার্স কোং লি.-এর বাণিজ্যিক কাগজ ইস্যু করার পদক্ষেপটি যৌক্তিক।
বাণিজ্যিক কাগজ একটি স্বল্পমেয়াদি জামানতবিহীন অঙ্গীকারপত্র। এই অঙ্গীকারপত্রের মেয়াদ সাধারণত ৯০ দিন থেকে ২৭০ দিন পর্যন্ত হয়ে থাকে।
উদ্দীপকের রায় এন্ড ব্রাদার্স একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন সময়ে বন্দরে মালামাল খালাসের প্রয়োজন হয়। এই মালামাল খালাসের জন্য প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপকের স্বল্পমেয়াদে নগদ অর্থের প্রয়োজন পড়ে। তিনি বাণিজ্যিক কাগজ ইস্যুর মাধ্যমে এই আর্থিক সংকট মোকাবিলা করেন। যেহেতু বাণিজ্যিক কাগজ স্বল্পমেয়াদে অর্থ সংগ্রহের একটি অন্যতম হাতিয়ার তাই তার গৃহীত পদক্ষেপটি যথাযথ হয়েছে।
জামানত : স্থায়ী বা চলতি সম্পদ যা ঋণদাতার নিকট ঋণ পরিশোধের নিশ্চয়তাস্বরূপ জমা রাখা হয়।
ঘ উদ্দীপকের আমদানিকারক হক এন্ড সন্স ব্যাংকের স্বীকৃতিপত্রের সাহায্যে এবং রায় এন্ড ব্রাদার্স বাণিজ্যিক কাগজ ইস্যুর মাধ্যমে আর্থিক সংকট মোকাবিলা করে।
ব্যাংকের স্বীকৃতিপত্র হলো অভ্যন্তরীণ বা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের স্বল্পমেয়াদি অর্থসংস্থানের উদ্দেশ্যে প্রস্তুতকৃত ব্যাংক ড্রাফট। এটি ব্যাংক কর্তৃক অর্থ পরিশোধের নিশ্চয়তাপত্র। অন্যদিকে, নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে সম্পূর্ণ মূল্য পরিশোধের শর্তে ব্যাংক স্বল্পমেয়াদে ও বাট্টায় যে অঙ্গীকারপত্র বিক্রয় করে- তাই বাণিজ্যিক কাগজ।
উদ্দীপকের হক এন্ড সন্স এবং রায় এন্ড ব্রাদার্স উভয়ই বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করেন। উভয়েরই বিভিন্ন সময়ে বন্দরে মালামাল খালাসের জন্য অর্থের প্রয়োজন পড়ে।
পণ্য খালাসের জন্য সাধারণত স্বল্পমেয়াদে অর্থের প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে স্বল্পমেয়াদি ঋণের হাতিয়ার হিসেবে ব্যাংকের স্বীকৃতিপত্র ও বাণিজ্যিক কাগজ উভয়ই বেশ জনপ্রিয়। তবে ব্যাংকের স্বীকৃতিপত্রের মেয়াদ ৯০ দিন থেকে ১৮০ দিন এবং বাণিজ্যিক কাগজের মেয়াদ ৯০ দিন থেকে ২৭০ দিন পর্যন্ত হয়ে থাকে। এ কারণে রায় এন্ড ব্রাদার্স পণ্যের মূল্য পরিশোধে বেশি সময় পাচ্ছেন। অন্যদিকে, বাণিজ্যিক কাগজ ইস্যুর পর রায় এন্ড ব্রাদার্সকে তা সরাসরি বা ডিলারের মাধ্যমে বিক্রয়ের প্রয়োজন হয়। কিন্তু ব্যাংকের স্বীকৃতিপত্রে হক এন্ড সন্সকে এই ধরনের জটিলতার সম্মুখীন হতে হয় না। তাছাড়া আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে অর্থসংস্থানের ক্ষেত্রে ব্যাংকের স্বীকৃতিপত্রই সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং জটিলতামুক্ত ঋণের দলিল। তাই আর্থিক সংকট মোকাবেলায় হক এন্ড সন্সের গৃহীত পদক্ষেপটি রায় এন্ড ব্রাদার্স এর গৃহীত পদক্ষেপ অপেক্ষা অধিক যুক্তিযুক্ত।
ডিলার: যারা নির্দিষ্ট কমিশনের বিনিময়ে ইস্যুকারীর পক্ষে সিকিউরিটিজ বিক্রয়ের দায়িত্ব পালন করেন তারাই ডিলার।

মমমপ্রশ্ন„৩ মি. ফাহমিদ একজন সাধারণ বিনিয়োগকারী। তিনি দেখলেন বাজারে খই কোম্পানির স্থির আয় ও জামানতযুক্ত মেয়াদি সিকিউরিটি আছে, যা ক্রয় করলে আয় প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাওয়া যাবে কিন্তু কোম্পানির সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশগ্রহণ করা যাবে না। অন্যদিকে, একই রকম আয় ও মেয়াদযুক্ত সরকারি সিকিউরিটি বাজারে বিক্রয় হয় যার ঋণ জামানত নাই। মি. ফাহমিদ জামানত না থাকার কারণে সরকারি সিকিউরিটিতে বিনিয়োগ না করে খই কোম্পানির সিকিউরিটিতে বিনিয়োগ করেন। [দি. বো. ১৭]
অ ক. আর্থিক বাজার কী? ১
অ খ. মুদ্রা বাজার ও মূলধন বাজারের মধ্যে পার্থক্য লিখ। ২
অ গ. উদ্দীপকে উলি­খিত খই কোম্পানিটি কোন ধরনের সিকিউরিটি বিক্রয় করছে তা ব্যাখ্যা করো। ৩
অ ঘ. উদ্দীপকে উলি­খিত মি. ফাহমিদের বিনিয়োগ সিদ্ধান্তের যথার্থতা মূল্যায়ন করো। ৪
৩ নং প্রশ্নের উত্তর অ
ক যে বাজারে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক সম্পদ ক্রয়-বিক্রয় করা হয় তাকে আর্থিক বাজার বলে।
সহায়ক তথ্য
আর্থিক সম্পদ যেমন : শেয়ার, সিকিউরিটিজ, বন্ড ইত্যাদি।
খ মুদ্রা বাজার ও মূলধন বাজারের পার্থক্য নিæরূপ:
ক্রমিক নং মুদ্রা বাজার মূলধন বাজার
১. মুদ্রাবাজারে স্বল্পমেয়াদি আর্থিক সম্পদ ক্রয়-বিক্রয় করা হয়। মূলধন বাজারে দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক সম্পদ ক্রয়-বিক্রয় করা হয়।
২. ট্রেজারি বিল, বাণিজ্যিক কাগজ, ব্যাংকের স্বীকৃতিপত্র ইত্যাদি হলো মুদ্রা বাজারের হাতিয়ার। সাধারণ শেয়ার, অগ্রাধিকার শেয়ার এবং ঋণপত্র ইত্যাদি হলো মূলধন বাজারের হাতিয়ার।
৩. মুদ্রা বাজারের হাতিয়ারের মেয়াদ সাধারণত ১ বছর বা এর চেয়ে কম হয়। মূলধন বাজারের হাতিয়ারের মেয়াদ সাধারণত ৫ বছর বা এর চেয়ে বেশি হয়ে থাকে।
গ উদ্দীপকে উলি­খিত খই কোম্পানিটি বন্ড সিকিউরিটি বিক্রয় করছে।
বন্ড হলো এক ধরনের দলিল। এ দলিলের মাধ্যমে কোম্পানি জনগণ বা অন্য প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ঋণ গ্রহণ করে। এরূপ ঋণের মেয়াদ দীর্ঘমেয়াদি হয়ে থাকে।
উদ্দীপকে মি. ফাহমিদ একজন সাধারণ বিনিয়োগকারী। তিনি পর্যবেক্ষণ করলেন যে, খই কোম্পানির নিকট হতে তিনি সিকিউরিটি ক্রয় করতে পারেন। এতে তিনি স্থির আয় পাবেন। তবে এর বিপরীতে তাকে জামানত দিতে হবে এবং কোম্পানির সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। সাধারণত বন্ডে বিনিয়োগ করলে মি. ফাহমিদের মতো বিনিয়োগকারীরা নির্দিষ্ট হারে সুদ পাবে। তবে কোম্পানির সিদ্ধান্তের বিষয়ে মতামত দিতে পারবে না। এরূপ সিকিউরিটি জামানতযুক্ত হওয়ায় নির্দ্বিধায় বলা যায়, প্রতিষ্ঠানটি বন্ড বিক্রয় করছে।
ঘ আর্থিক ঝুঁকি বিবেচনায় মি. ফাহমিদের বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত যথার্থ হয়নি।
আর্থিক ঝুঁকি বলতে ঋণের আসল ও সুদ পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনাকে বোঝায়। অর্থাৎ প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাকে বোঝায়।
উদ্দীপকে মি. ফাহমিদ দুটি সিকিউরিটির যেকোনো একটিতে বিনিয়োগ করতে পারেন। প্রথমত, জামানতযুক্ত খই কোম্পানির মেয়াদি সিকিউরিটিতে। দ্বিতীয়ত, জামানতবিহীন সরকারি সিকিউরিটিতে। তিনি খই কোম্পানির সিকিউরিটিতে বিনিয়োগ করেন।
মূলত জামানতের ওপর ভিত্তি করে তিনি খই কোম্পানির সিকিউরিটিতে বিনিয়োগ করেন। খই কোম্পানি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হওয়ায় যেকোনো সময় দেউলিয়া হয়ে যেতে পারে। পক্ষান্তরে সরকারি সিকিউরিটিতে দেউলিয়াত্বের ঝুঁকি বা আর্থিক ঝুঁকি নেই। এ সকল বিষয় বিবেচনায় বলা যায়, মি. ফাহমিদের বিনিয়োগটি সঠিক হয়নি।

মমমপ্রশ্ন৪ ফারহান ও করিম দুই বন্ধু। তারা আর্থিক বাজারে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। করিমের সঞ্চিত অর্থ অল্প থাকায় সে এক বছরের কম সময়ের জন্য বিনিয়োগ করাটাকেই শ্রেয় মনে করছে। অন্যদিকে, ফারহানের বাবা ফারহানকে এমন একটি ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করতে পরামর্শ দিলেন যেখানে ক্ষতির সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। কারণ তিনি যেক্ষেত্রে বিনিয়োগ করেছেন তা তাকে বিগত তিন বছর কোনো মুনাফা প্রদান করেনি। পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাও বাজারটিকে সুষ্ঠুভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না, বিধায় তিনি এই বাজারের প্রতি আস্থা হারাচ্ছেন। [কু. বো. ১৭]
ক. মূলধন বাজার কাকে বলে? ১
খ. আর্থিক প্রতিষ্ঠান বলতে কী বোঝ? ২
গ. করিম কোন বাজারে বিনিয়োগের চিন্তা করছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকে ফারহানের বাবার আস্থা ফিরিয়ে আনতে নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার ভ‚মিকা বিশ্লেষণ করো। ৪
৪ নং প্রশ্নের উত্তর অ
মক মূলধন বাজার হলো আর্থিক বাজারের সেই অংশ যেখানে দীর্ঘমেয়াদের (১ বছরের বেশি) জন্য অর্থ ও আর্থিক সম্পদের লেনদেন হয়ে থাকে।
মখ যে সকল প্রতিষ্ঠান ব্যাংকের ন্যায় আমানত গ্রহণ করে, সুদের বিনিময়ে ঋণ দেয় কিন্তু জমাকৃত অর্থ উত্তোলনে ব্যাংকের ন্যায় চেক ইস্যু করতে পারে না সেই সকল প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বলা হয়।
বিনিয়োগ কোম্পানি, বিল্ডিং সোসাইটি, মার্চেন্ট ব্যাংক, মিউচুয়্যাল কোম্পানি, লিজিং কোম্পানি ইত্যাদি আর্থিক প্রতিষ্ঠান। এই সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠান ১৯৯৩ সালের আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন দ্বারা পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয়।
মগ উদ্দীপকের করিম অর্থ বাজারে বিনিয়োগের চিন্তা করছে।
অর্থ বাজার হলো আর্থিক বাজারের সেই অংশ যেখানে স্বল্পমেয়াদি (১ বছর বা তার কম) অর্থ বা আর্থিক সম্পদ (শেয়ার, বন্ড প্রভৃতি) ক্রয়-বিক্রয় করা হয়। অর্থ বাজারকে মুদ্রা বাজার নামেও অভিহিত করা হয়।
উদ্দীপকের করিম আর্থিক বাজারে বিনিয়েগে আগ্রহী। বিনিয়োগের জন্য তার কাছে অল্প পরিমাণ অর্থ সঞ্চিত আছে। সাধারণত দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ তথা মূলধন বাজারে বিনিয়োগ আয় বেশি তবে এক্ষেত্রে বেশি পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হয়। তাই করিমের সঞ্চয় দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগের জন্য যথেষ্ট নয়। এজন্য সে স্বল্পমেয়াদে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়। যেহেতু অর্থ বাজারে স্বল্পমেয়াদি আর্থিক সম্পদ লেনদেন হয় সেহেতু বলা যায় যে, করিম অর্থ বাজারে বিনিয়োগের চিন্ত—া করছে।
মঘ উদ্দীপকের ফারহানের বাবার আস্থা ফিরিয়ে আনতে মূলধন বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (ইঝঊঈ) গুরুত্বপƒর্ণ ভ‚মিকা পালন করে।
দীর্ঘমেয়াদি অর্থ বা আর্থিক সম্পদ মূলধন বাজারে ক্রয়-বিক্রয় হয়। এই মূলধন বাজার বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
উদ্দীপকের ফারহানের বাবা সাধারণ শেয়ারে বিনিয়োগ করেছেন। কিন্তু ঐ প্রতিষ্ঠানের মুনাফা না হওয়ায় তিনি কোনো লভ্যাংশ পাননি। তার এই ক্ষতির পিছনে কারণ হলো নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার মূলধন বাজার সুষ্ঠুভাবে নিয়ন্ত্রণে অপারগতা। তাই তিনি এই বাজারের প্রতি আস্থা হারাচ্ছেন।
ফারহানের বাবা যে বাজারে অর্থ বিনিয়োগ করেছেন সেটি মূলধন বাজার। ১৯৪৭ সালের ক্যাপিটাল আইনের আওতায় বিএসইসি (ইঝঊঈ) এই বাজার পরিচালনা করছে। সাধারণত নতুন কোনো কোম্পানিকে বাজারে শেয়ার ছাড়তে হলে এই প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন নিতে হয়। যে সকল প্রতিষ্ঠান আর্থিকভাবে স্বচ্ছল কেবল মাত্র তারাই অনুমোদন পাবে। ফলে ফারহানের বাবার মতো বিনিয়োগকারীরা মুনাফা হতে বঞ্চিত হবেন না। তাই বিএসইসি (ইঝঊঈ) যদি কঠোরভাবে প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুমোদন দেয় এবং কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে, তবে ফারহানের বাবার মতো সকল বিনিয়োগকারীরাই লাভবান হবেন। এতে ফারহানের বাবা ও অন্যান্য বিনিয়োগকারীদের অর্থ বিনিয়োগের প্রতি আস্থা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।

মমমপ্রশ্ন৫ সুলতান সাহেব শেয়ারে বিনিয়োগ করেন। তিনি বিভিন্ন ব্যাংক, বিমা ও উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ক্রয় করে পরবর্তীতে বাড়তি দামে বিক্রি করে লাভ করার চেষ্টা করেন। মাঝে মাঝে তিনি ওচঙ-তেও আবেদন করেন। শেয়ারের দাম প্রতিনিয়ত ওঠানামা করে। তিনি প্রায়ই লক্ষ্য করেন যে, শেয়ারের মূল্য অতিমূল্যায়িত হয় আবার অবমূল্যায়িত হয়। [চ. বো. ১৭]
ক. ইকুইটি মূলধন কাকে বলে? ১
খ. ঙঞঈ মার্কেট বলতে কি বোঝায়? ২
গ. সুলতান সাহেব কোন ধরনের বাজারে বিনিয়োগ করেন উদ্দীপকের আলোকে ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. ঝুঁকিমুক্ত বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কোন পদ্ধতিটি প্রযোজ্য? উদ্দীপকের আলোকে মূল্যায়ন করো। ৪
৫ নং প্রশ্নের উত্তর অ
মক কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের মালিকানা বিক্রির মাধ্যমে যে মূলধন সংগ্রহ করা হয় তাকে ইক্যুইটি মূলধন বলে।
মখ যে বাজারের মাধ্যমে অতালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় করা হয় তাকে ওভার দ্যা কাউন্টার (ঙঞঈ-ঙাবৎ ঞযব ঈড়ঁহঃবৎ) মার্কেট বলা হয়।
সাধারণত ডিলারের মাধ্যমে এ বাজারে সিকিউরিটিজ ক্রয়-বিক্রয় হয়ে থাকে। স্টক এক্সচেঞ্জ হতে তালিকাচ্যুত কোম্পানির শেয়ারও এ বাজারে লেনদেন হয়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ঙঞঈ বাজার চালু রয়েছে।
মগ সুলতান সাহেব ইক্যুইটি বাজারে বিনিয়োগ করেন।
যে বাজারে ইক্যুইটি সিকিউরিটিজ হিসেবে শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় হয় তা-ই ইক্যুইটি বাজার। কোম্পানির তহবিল সংগ্রহের লক্ষ্যে শেয়ার বিক্রি করা হয়।
সুলতান সাহেব শেয়ারে বিনিয়োগ করেন। তিনি বিভিন্ন ব্যাংক, বিমা ও উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ক্রয় করেন। পরবর্তীতে বেশি দামে তা বিক্রির মাধ্যমে লাভ করেন। এখানে তিনি ইক্যুইটি বাজারে বিনিয়োগ করছেন কেননা এসব সাধারণ শেয়ার ক্রয়ের মাধ্যমে তিনি উক্ত কোম্পানিগুলোর মালিকানা লাভ করেন। এছাড়া তিনি মাঝে মাঝে ওচঙ-তেও আবেদন করেন। যা মূলত ইক্যুইটি বাজারেরই একটি অংশ।
মঘ ঝুঁকিমুক্ত বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ওচঙ-তে আবেদন করাই প্রযোজ্য।
প্রাথমিক বাজারে ওচঙ (ওহরঃরধষ চঁনষরপ ঙভভবৎরহম) এর মাধ্যমে জনগণের নিকট শেয়ার বিক্রি করা হয়। এক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীরা লিখিত মূল্যে বা অধিহারে বা অবহারে শেয়ার কিনে থাকেন। অন্যদিকে মাধ্যমিক বাজারে শেয়ারের দাম বিনিয়োগকারীদের চাহিদার ওপর নির্ভর করে। ফলে শেয়ারের মূল্য অনেক বেশি ওঠানামা করে।
উদ্দীপকে সুলতান সাহেব একজন বিনিয়োগকারী। তিনি বিভিন্ন ব্যাংক, বিমা বা অন্য প্রতিষ্ঠানের শেয়ারে বিনিয়োগ করেন। এক্ষেত্রে তিনি অধিক লাভের আশায় মাধ্যমিক বাজারে বিনিয়োগ করেন। আবার মাঝে মাঝে প্রাথমিক বাজারেও বিনিয়োগ করেন।
সুলতান সাহেব লক্ষ্য করলেন যে শেয়ারের মূল্য অনেক বেশি উঠানামা করে। তিনি আরও লক্ষ্য করলেন শেয়ারের মূল্য অতিমূল্যায়িত হয় আবার অবমূল্যায়িত হয়। সাধারণত মাধ্যমিক বাজারে এই অতিমূল্যায়ন বা অবমূল্যায়নের প্রভাব অনেক বেশি। তাছাড়া মূল্যের ওঠানামাও মাধ্যমিক বাজারকে প্রত্যক্ষভাবে প্রভাবিত করে। এক্ষেত্রে প্রাথমিক বাজার এ সকল নেতিবাচক প্রভাব হতে মুক্ত। এই বাজারে বিনিয়োগে ঝুঁকিও কম। তাই ঝুঁকিমুক্ত বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রাথমিক বাজারে বিনিয়োগ করাই উত্তম।

মমমপ্রশ্ন৬ মাহিন সাহেবের একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান আছে। তিনি আমদানি-রপ্তানি ব্যবসায় করেন। পণ্য ক্রয়ের জন্য ১০ কোটি টাকা হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে প্রেরণ করেন। বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশনের দৃষ্টিগোচর হলে তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নেন। তদন্তে প্রতিষ্ঠানটি দোষী সাব্যস্ত হলে শাস্তির সুপারিশ করা হয়। [সি. বো. ১৭]
ক. কলমানি রেট কী? ১
খ. ঋণ নিয়ন্ত্রণ কেন করা হয়? ২
গ. উদ্দীপকে উলি­খিত প্রতিষ্ঠানটি কোন আইন লঙ্ঘন করেছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. বর্তমান প্রচলিত আইনে প্রতিষ্ঠানটি কি শাস্তির আওতায় পড়বে? বিশ্লেষণ করো। ৪
৬ নং প্রশ্নের উত্তর অ
মক আন্তঃব্যাংক লেনদেনের সুদের হারকে কলমানি রেট বলে।
মখ মুদ্রার মান ও দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার জন্য ঋণ নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
যে পদ্ধতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অর্থ বাজারে ঋণের কাম্যস্তর বজায় রাখে তাকে ঋণ নিয়ন্ত্রণ বলে। দেশের সুষম অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বাজারে অর্থের ঘাটতি এবং উদ্বৃত্ত অবস্থা – কোনোটাই কাম্য নয়। তাই ঋণ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে দেশের মুদ্রা বাজারে ঋণের পরিমাণ কাক্সিক্ষত সীমার মধ্যে রাখা হয়। এতে মূল্যস্তর তথা অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকে।
মগ উদ্দীপকে উলি­খিত প্রতিষ্ঠানটি হুন্ডির মাধ্যমে ‘মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০০২’ লঙ্ঘন করেছে।
অবৈধভাবে সম্পদ বা অর্থ উপার্জন এবং অবৈধভাবে অর্থের স্থানান্তরকে মানি লন্ডারিং বলে। দেশের অর্থনীতি, নিরাপত্তা ও সামাজিক অবস্থা সঠিকভাবে পরিচালনার স্বার্থে মানি লন্ডারিং অপরাধ দমন করার জন্য প্রণীত আইন হলো মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন।
উদ্দীপকের মাহিন সাহেব একজন ব্যবসায়ী। তিনি আমদানি-রপ্তানি ব্যবসায় করেন। পণ্য ক্রয়ের জন্য তিনি ১০ কোটি টাকা হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে প্রেরণ করেন। এক্ষেত্রে তিনি অবৈধ উপায়ে অর্থ বিদেশে প্রেরণ করে মানি লন্ডারিং অপরাধে জড়িত হয়েছেন। এই ধরনের অবৈধ অর্থ লেনদেন বা স্থানান্তরের প্রতিরোধকল্পে ২০০২ সালে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন প্রণীত হয়। উদ্দীপকে উলি­খিত ঘটনায় মাহিন সাহেব মানি লন্ডারিং অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত হয়েছেন। সুতরাং, তিনি মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন লঙ্ঘন করেছেন।
মঘ বর্তমান প্রচলিত আইনে প্রতিষ্ঠানটি অবশ্যই শাস্তির আওতায় পড়বে।
কোনো একটি দেশ থেকে অন্য দেশে সরাসরি অর্থ স্থানান্তর করা যায় না। তাই অনেকে অবৈধ উপায়ে অর্থ স্থানান্তর করে। হুন্ডি হলো এমনই একটি অবৈধ পন্থা। এই সকল অবৈধ পন্থায় অর্থ উপার্জন ও অর্থ স্থানান্তরকে প্রতিহত করার লক্ষ্যে প্রায় সকল দেশেই ‘মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন’ রয়েছে।
উদ্দীপকের মাহিন সাহেব হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে অর্থ প্রেরণ করেন। অর্থাৎ অবৈধ পন্থায় বিদেশে অর্থ স্থানান্তর করে তিনি মানি লন্ডারিং আইন লঙ্ঘন করেছেন। দুর্নীতি দমন কমিশন বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পেরে তদন্ত করে। তদন্তে প্রতিষ্ঠানটি দোষী সাব্যস্ত হয়।
উদ্দীপকের মাহিন সাহেবের প্রতিষ্ঠানটি ‘মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০০২’-এর আওতায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় উক্ত প্রতিষ্ঠান যথাযথ শাস্তি পাবে। এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটির মালিক মাহিন সাহেবের ন্যূনতম ৪ বছর থেকে অনধিক ১২ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। তাছাড়াও তিনি অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত হতে পারেন। এক্ষেত্রে মাহিন সাহেবের অর্থদণ্ডের পরিমাণ হবে বিদেশে প্রেরণকৃত অর্থের দ্বিগুণ পরিমাণ বা ১০ লক্ষ টাকার মধ্যে যেটি অধিক। তিনি ১০ কোটি টাকা হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে প্রেরণ করেছেন। তাই তার অর্থদণ্ডের পরিমাণ হবে ১০ কোটি টাকার দ্বিগুণ অর্থাৎ ২০ কোটি টাকা হতে পারে। সুতরাং, মাহিন সাহেব কারাদণ্ডের পাশাপাশি ২০ কোটি টাকার অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন।

মমমপ্রশ্ন৭ বাংলাদেশের শেয়ার বাজার অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করছে। দেশে দুটি শেয়ার বাজার রয়েছে। এখানে প্রতিদিনের লেনদেনের পরিমাণও বেশি। দুটি শেয়ার বাজারকে একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণ করে। দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্প প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে প্রতিষ্ঠানটি কাজ করছে। [য. বো. ১৭]
ক. বাংলাদেশের শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা কোনটি? ১
খ. প্রাথমিক বাজার বলতে কী বোঝ? ২
গ. উদ্দীপকে কোন দুটি শেয়ার বাজারের কথা বলা হয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকে যে সরকারি প্রতিষ্ঠানের কথা বলা হয়েছে তার ভ‚মিকা বর্ণনা করো। ৪
৭ নং প্রশ্নের উত্তর অ
মক বাংলাদেশের শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা হলো Ñ ‘বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন’।
মখ প্রাথমিক বাজার বলতে কোম্পানি যে বাজারে শেয়ার, বন্ড ইত্যাদি বিক্রির প্রথম প্রস্তাব পেশ করে সে বাজারকে বোঝায়।
সাধারণত যৌথ মূলধনী কোম্পানি তাদের দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের জন্য মাধ্যমিক বাজারে প্রবেশের আগে জনগণের নিকট শেয়ার ইস্যু করে। জনগণের নিকট যে বাজারে শেয়ার ইস্যু করে সে বাজারই হলো প্রাথমিক বাজার। এ বাজারকে আইপিও (ওচঙ: ওহরঃরধষ চঁনষরপ ঙভভবৎরহম) বাজারও বলা হয়ে থাকে।
মগ উদ্দীপকে শেয়ার বাজার হিসেবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের কথা বলা হয়েছে।
শেয়ার বাজার হলো সেই বাজার যেখান হতে যৌথ মূলধনী কোম্পানি দীর্ঘমেয়াদি তহবিল সংগ্রহ করে। সরকারি ও বেসরকারি কোম্পানির মূলধন সংগ্রহের ক্ষেত্রে শেয়ার বাজার গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে।
উদ্দীপকে বাংলাদেশের দুটি শেয়ার বাজারের কথা বলা হয়েছে। এ বাজার দুটি হলো ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ। এ বাজারে প্রতিদিনের লেনদেনের পরিমাণও অনেক বেশি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের সর্বপ্রথম ও সর্ববৃহৎ মাধ্যমিক শেয়ার বাজার। অপরদিকে, বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্টক এক্সচেঞ্জ হলো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ। এ দুটি শেয়ার বাজারের মাধ্যমেই বাংলাদেশের সকল পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি মূলধন সংগ্রহ করে থাকে। আবার, কোম্পানির তালিকাভুক্তকরণ ও কোম্পানির মূল্য সংক্রান্ত সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশ করার কাজগুলোও এ বাজারে হয়ে থাকে।
মঘ উদ্দীপকে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন নামক সরকারি প্রতিষ্ঠানের কথা বলা হয়েছে।
‘বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন’ বা ‘বিএসইসি’ হলো বাংলাদেশের শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা। মূলধন বাজার বা শেয়ার বাজারকে সুসংগঠিত ও সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করাই হলো এ সংস্থার মুখ্য দায়িত্ব।
উদ্দীপকে বাংলাদেশের দুটি শেয়ার বাজারের কথা বলা হয়েছে। এ দুটি শেয়ার বাজারকে মূলত বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এছাড়াও দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্প প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে প্রতিষ্ঠানটি কাজ করছে।
আর্থিক বাজারে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণ ও পুঁজি বাজারের উন্নয়নে এ প্রতিষ্ঠানটি গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখে। কোনো ব্রোকার অবৈধ লেনদেনের সাথে জড়িত থাকলে ‘বিএসইসি’ তা চিহ্নিত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে। শেয়ার বাজারের তালিকাভুক্ত সকল কোম্পানির আর্থিক বিবরণীর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করার ব্যবস্থা এ প্রতিষ্ঠান করে থাকে। এছাড়া বিএসইসি বিনিয়োগকারীদের জন্য শিক্ষার প্রসার ও বিনিয়োগে গণসচেতনতা বৃদ্ধিতে ভ‚মিকা রাখে।
ব্রোকার : কোম্পানির শেয়ার বিক্রির দায়িত্ব যে নেয় তাকে ব্রোকার বলে।
আর্থিক বাজার : যে বাজারে শেয়ার, বন্ড, বাণিজ্যিক কাগজ ইত্যাদি বিক্রয় করা হয় সেটি হলো আর্থিক বাজার।

মমমপ্রশ্ন৮ ময়না কোম্পানি লিমিটেড একটি বৃহৎ প্রতিষ্ঠান। কোম্পানিটির স্বল্পমেয়াদি অর্থায়নের প্রয়োজন হওয়ায় ৯০ দিন মেয়াদি বাণিজ্যিক পত্র বিক্রয় করে। কোম্পানিটি লিখিত মূল্যের চেয়ে কম মূল্যে বাণিজ্যিক পত্র বিক্রয় করে। [য. বো. ১৭]
ক. বাণিজ্যিক পত্র কী? ১
খ. আর্থিক বাজার বলতে কী বোঝ? ২
গ. ময়না কোম্পানি কোন বাজারে বাণিজ্যিক পত্র বিক্রি করেছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকে ময়না কোম্পানি লিমিটেড বাজারে কম মূল্যে বাণিজ্যিকপত্র বিক্রয় করার কারণ কী? বিশ্লেষণ করো। ৪
৮ নং প্রশ্নের উত্তর অ
মক বাণিজ্যিক পত্র হলো স্বল্পমেয়াদি ঋণপত্র, যা মুদ্রাবাজারে বিক্রি করে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান অর্থসংস্থান করে থাকে।
মখ যে বাজারে স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক সম্পদ ক্রয়-বিক্রয় করা হয় সে বাজারকে আর্থিক বাজার বলে।
আর্থিক বাজারকে মূলত দুই ভাগে ভাগ করা যায়। প্রথমত, মুদ্রা বাজার এবং দ্বিতীয়ত মূলধন বাজার। মুদ্রা বাজারে স্বল্পমেয়াদি আর্থিক সম্পদ এবং মূলধন বাজারে দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক সম্পদ ক্রয়-বিক্রয় করা হয়।
বাণিজ্যিক পত্র, ট্রেজারি বিল, শেয়ার, বন্ড ও ঋণপত্র ইত্যাদি হলো আর্থিক সম্পদ।
মগ উদ্দীপকে ময়না কোম্পানি মুদ্রা বাজারে বাণিজ্যিক পত্র বিক্রি করেছে।
মুদ্রা বাজার বলতে সেই বাজারকে বোঝায় যেখানে স্বল্পমেয়াদি অর্থ ও আর্থিক সম্পদের লেনদেন হয়। এরূপ স্বল্পমেয়াদি আর্থিক সম্পদগুলো হলো বাণিজ্যিক পত্র, ট্রেজারি বিল, ব্যাংকের স্বীকৃতিপত্র ইত্যাদি।
উদ্দীপকের ময়না কোম্পানি লিমিটেড হলো একটি বৃহৎ প্রতিষ্ঠান। কোম্পানিটির ব্যবসায় পরিচালনায় স্বল্পমেয়াদি অর্থায়নের প্রয়োজন হওয়ায় বাণিজ্যিক পত্র বিক্রয় করে অর্থসংস্থান করে। এই বাণিজ্যিক পত্রের মেয়াদ হলো ৯০ দিন। এখানে বাণিজ্যিকপত্র হলো একটি স্বল্পমেয়াদি আর্থিক সম্পদ। আর স্বল্পমেয়াদি আর্থিক সম্পদের কেনা-বেচা মুদ্রা বাজারে করা হয়। তাই বলা যায়, ময়না কোম্পানি এই বাণিজ্যিক পত্রটি মুদ্রা বাজারে বিক্রি করে স্বল্পমেয়াদি অর্থসংস্থান করেছে।
মঘ বিনিয়োগকারীদের বাণিজ্যিক পত্রে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করার জন্যই ময়না কোম্পানি এটি লিখিত মূল্যের চেয়ে কম মূল্যে বিক্রয় করে।
বাণিজ্যিক পত্র হলো একটি স্বল্পমেয়াদি ঋণের দলিল। কোম্পানি মূলত স্বল্পমেয়াদি তহবিল সংগ্রহের উদ্দেশ্যে বাণিজ্যিক পত্র বিক্রয় করে।
উদ্দীপকে ময়না কোম্পানি বাজারে ৯০ দিন মেয়াদযুক্ত বাণিজ্যিক পত্র বিক্রয় করে। কোম্পানি এই বাণিজ্যিক পত্র লিখিত মূল্যের চেয়ে কম মূল্যে বিক্রয় করেছে।
মূলত বাণিজ্যিকপত্রের লিখিত মূল্য ও বিক্রয় মূল্যের পার্থক্যই হলো বাণিজ্যিক পত্র ক্রয়কারীর মুনাফা। অর্থাৎ বাণিজ্যিক পত্র ক্রয়কারী কোনো মুনাফা বা সুদ না পেলে কখনই এ পত্রে বিনিয়োগ করবে না। অতএব, বিনিযোগকারীদের তাদের মুনাফার অংশ দেখিয়ে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করার জন্যই কোম্পানি বাণিজ্যিক পত্রটি নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কম মূল্যে বিক্রয় করেছে।

মমমপ্রশ্ন৯ ঞধঃধ ঋড়ড়ফ ঈড়সঢ়ধহু সম্প্রতি বাজারে নতুন শেয়ার ছেড়েছে। মি. উজ্জ্বল আবেদন করলে লটারির মাধ্যমে ১০০টি শেয়ার পান। অন্যদিকে তৃষ্ণা লি. নতুন একটি কোমল পানীয় বাজারে আনার পরিকল্পনা করছে যার জন্য বড় অঙ্কের মূলধন প্রয়োজন। কোম্পানি শেয়ার বিক্রয়ের মাধ্যমে মূলধন সংগ্রহের জন্য পুঁজি বাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইঝঊঈ এর কাছে আবেদন করলে সংস্থাটি তা নাকচ করে দেয়। তাছাড়া কোম্পানির যথেষ্ট পরিমাণ নগদ অর্থও নেই যার মাধ্যমে এটি নতুন প্রকল্প শুরু করতে পারে। [ব. বো. ১৭]
ক. আর্থিক বাজার কী? ১
খ. কোন ধরনের কোম্পানি বাণিজ্যিকপত্র বিক্রয় করতে পারে? ব্যাখ্যা করো। ২
গ. মি. উজ্জ্বলের বিনিয়োগটি কোন বাজার সম্পর্কিত? বর্ণনা করো। ৩
ঘ. তৃষ্ণা লি. বিকল্প কোন বাজার থেকে মূলধন সংগ্রহ করতে পারবে? যুক্তি দাও। ৪
৯ নং প্রশ্নের উত্তর অ
মক যে বাজারে স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক সম্পদ ক্রয়-বিক্রয় করা হয় তাকে আর্থিক বাজার বলে।
মখ বৃহৎ আয়তন ও স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানসমূহ বাণিজ্যিকপত্র বিক্রয় করতে পারে।
প্রতিষ্ঠানের স্বল্পমেয়াদি অর্থায়নের প্রয়োজন মিটানোর জন্যই এ ধরনের পত্র বিক্রি করা হয়। এটি মুদ্রাবাজারে ব্যবহৃত স্বল্পমেয়াদি ঋণের দলিল। এ পত্রের মেয়াদ ৯০ দিন থেকে ২৭০ দিন পর্যন্ত হয়ে থাকে। সাধারণত বাণিজ্যিকপত্র লিখিত মূল্যের চেয়ে কম মূল্যে বিক্রি করা হয়।
মগ উদ্দীপকে মি. উজ্জলের বিনিয়োগটি পুঁজি বা মূলধন বাজার সম্পর্কিত।
মূলধন বাজারে মূলত দীর্ঘমেয়াদের জন্য অর্থ ও আর্থিক সম্পদের লেনদেন করা হয়। এ বাজারকে শেয়ার বাজারও বলা হয়ে থাকে। এ বাজারকে প্রাথমিক বাজার এবং মাধ্যমিক বাজার এই দুই ভাগে ভাগ করা যায়।
উদ্দীপকে ঞধঃধ ঋড়ড়ফ ঈড়সঢ়ধহু সম্প্রতি বাজারে নতুন শেয়ার ইস্যু করেছে। মি. উজ্জল আবেদন করলে লটারির মাধ্যমে ১০০টি শেয়ার পান। কোম্পানি হিসেবে ঞধঃধ ঋড়ড়ফ ঈড়সঢ়ধহু তাদের নতুন শেয়ার বিক্রির প্রাথমিক প্রস্তাব অবশ্যই প্রাথমিক বাজারেই করেছে। কেননা নতুন কোম্পানিকে শেয়ার ইস্যু করতে হলে প্রাথমিক বাজারেই তা বিক্রি করতে হয়। আর প্রাথমিক বাজার হলো মূলধন বাজারেরই অংশ। অর্থাৎ এখানে মি. উজ্জল মূলধন বাজারে বিনিয়োগ করেছেন।
শেয়ার, ঋণপত্র, বন্ড ইত্যাদি হলো আর্থিক সম্পদের উদাহরণ।
মঘ উদ্দীপকে তৃষ্ণা লি. বিকল্প হিসেবে মুদ্রা বাজার থেকে মূলধন সংগ্রহ করতে পারে।
মুদ্রা বাজার হলো আর্থিক বাজারের সেই অংশ যেখানে স্বল্পমেয়াদি আর্থিক সম্পদ ক্রয়-বিক্রয় করা হয়। সাধারণত ট্রেজারি বিল, বাণিজ্যিক কাগজ, ব্যাংকের স্বীকৃতিপত্র ইত্যাদি দলিল বিক্রয়ের মাধ্যমে এ বাজারে অর্থসংস্থান করা হয়।
উদ্দীপকে তৃষ্ণা লি. শেয়ার বিক্রির জন্য পুঁজি বাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইঝঊঈ এর কাছে আবেদন করে। ইঝঊঈ তৃষ্ণা লি. এর আবেদনটি বাতিল করে দেয়।
তৃষ্ণা লি. মুদ্রাবাজার হতেও অর্থসংস্থান করতে পারে। প্রতিষ্ঠানটি বাণিজ্যিক কাগজ, হস্তান্তরযোগ্য আমানত সার্টিফিকেট, ব্যাংকের স্বীকৃতিপত্র ইত্যাদি দলিলের মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করতে পারেন। এছাড়া বাণিজ্যিক ব্যাংক মুদ্রা বাজারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ বিধায় তৃষ্ণা লি. এই সকল ব্যাংক হতে ঋণ নিয়েও মূলধন সংস্থান করতে পারে। অর্থাৎ মূলধন বাজারের পরিবর্তে তৃষ্ণা লি. মুদ্রা বাজার হতে প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহ করতে পারে।

মমমপ্রশ্ন„১০ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশে ক্ষুদ্র অর্থায়ন ব্যবস্থার গুরুত্ব অপরিসীম। প্রয়োজনের তাগিদেই এদেশে ক্ষুদ্র অর্থায়ন ব্যবস্থার ব্যাপক প্রসার ও বিকাশ ঘটেছে। সরকার নিজ উদ্যোগেই এ খাতের শৃঙ্খলা রক্ষা ও গ্রহণযোগ্য প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে আইন প্রণয়ন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা গঠন করেছে। [ঢা. বো. ১৬]
অ ক. কলমানি রেট কী? ১
অ খ. মানি লন্ডারিং বলতে কী বোঝায়? ২
অ গ. উদ্দীপকে যে ধরনের অর্থায়ন ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে, তা নিয়ন্ত্রণে সরকার যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা বর্ণনা করো। ৩
অ ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত শৃঙ্খলা রক্ষায় গঠিত প্রতিষ্ঠানের ভ‚মিকা বিশ্লেষণ করো। ৪
১০ নং প্রশ্নের উত্তর অ
মক যে সুদের হারে অর্থবাজার হতে খুবই স্বল্প সময়ের (সর্বোচ্চ ১ দিন) জন্য অর্থায়ন করা হয় তাকে কলমানি রেট বলে।
মখ অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করে অবৈধভাবে স্থানান্তর করাকে মানি লন্ডারিং বলে।
অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ গোপন করার উদ্দেশ্যে মানুষ বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে থাকে। যাতে তদন্তকারী কর্তৃপক্ষ সহজে অবৈধ উপার্জন সম্পর্কে জানতে না পারে। প্রথমে অবৈধ উপার্জন ব্যাংকে জমা করে পরিচিতজনদের হিসাবে স্থানান্তর করে। পরিচিতজনদের হিসাব হতে উক্ত অর্থ উত্তোলন করে বৈধ কাজে ব্যবহার করা হয়, যাতে লোকজন অর্থের উৎস সম্পর্কে প্রশ্ন তুলতে না পারে। এভাবে অর্থের স্থানান্তরই হলো মানি লন্ডারিং।
মগ উদ্দীপকে ক্ষুদ্র অর্থায়ন ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণে সরকার ‘ক্ষুদ্রঋণ কর্তৃপক্ষ’ গঠন করেছে।
ক্ষুদ্রঋণ দানকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক দারিদ্র্য বিমোচন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের আর্থিক সহায়তা হিসেবে প্রদত্ত ঋণ সুবিধাকে ক্ষুদ্র অর্থায়ন বলে।
উদ্দীপকে বলা হয়েছে বাংলাদেশে ক্ষুদ্র অর্থায়ন ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ। প্রয়োজনই এদেশে ক্ষুদ্র অর্থায়ন ব্যবস্থার উৎপত্তি ও বিকাশ ঘটায়। সরকার নিজ উদ্যোগে এ খাতের শৃঙ্খলা রক্ষা করতে চায়। এ লক্ষ্যে সরকার আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগকারী সংস্থা গঠন করেছে। ২০০৬ সালে ক্ষুদ্র অর্থায়ন ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে সরকার ‘ক্ষুদ্রঋণ কর্তৃপক্ষ’ গঠন করেছে। উদ্দীপকে সরকারের পদক্ষেপ হিসেবে এ সংস্থার গঠন ও কর্মতৎপরতাকে বোঝানো হয়েছে। সুতরাং ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণে এবং ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের দক্ষ নিয়ন্ত্রণে সরকার ২০০৬ সালে ‘ক্ষুদ্রঋণ কর্তৃপক্ষ’ প্রতিষ্ঠা করেছে।
মঘ উদ্দীপকে বর্ণিত শৃঙ্খলা রক্ষায় ক্ষুদ্রঋণ কর্তৃপক্ষ গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে।
বাংলাদেশে ক্ষুদ্রঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ এবং ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে গঠিত কর্তৃপক্ষকে ক্ষুদ্রঋণ কর্তৃপক্ষ বলে।
উদ্দীপকে উলে­খ্য, বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে ক্ষুদ্র অর্থায়নের প্রয়োজন রয়েছে। অধিক চাহিদা থাকায় দ্রুত ক্ষুদ্র অর্থায়ন এখানে প্রসার লাভ করে। সরকারি উদ্যোগে এ খাতের শৃঙ্খলা ও গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধিকল্পে একটি কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করা হয়, যা ‘ক্ষুদ্রঋণ কর্তৃপক্ষ’ নামে পরিচিত। এটিই উদ্দীপকে বর্ণিত শৃঙ্খলা রক্ষায় গঠিত প্রতিষ্ঠান।
ক্ষুদ্রঋণ কর্তৃপক্ষ দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্য বিমোচন ও তাদের সার্বিক কল্যাণে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানকে সনদ প্রদান করে। প্রয়োজনে এ সনদ বাতিলও করতে পারে। সনদ বাতিলের ভয়ে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ম-কানুন মেনে চলে। ফলে এ খাতের শৃঙ্খলা রক্ষা পায়। পাশাপাশি দরিদ্র জনগোষ্ঠী স্বল্প সুদে ঋণ সুবিধা পেয়ে ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে সক্ষম হয়। এছাড়াও কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান একীভ‚তকরণে ভ‚মিকা পালন করে। বিনিয়োগকারীদের অনুরোধে প্রতিষ্ঠানের হিসাব নিরীক্ষার ব্যবস্থা করে। সরকারের অনুমোদন বলে এ সম্পর্কিত নীতিমালাও প্রণয়ন করে।

Leave a Reply