অধ্যায়-৭: মূলধন ব্যয়
গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
মমমপ্রশ্ন১ অইঈ লিমিটেডের মূলধন কাঠামো নিচে ছকে দেয়া হলো:
মূলধনের উৎস মূলধন ব্যয় মূলধনের পরিমাণ (টাকায়)
সাধারণ শেয়ার ১৭% ৪০,০০,০০০
অগ্রাধিকার শেয়ার ১০% ১০,০০,০০০
বন্ড ১৪% ৩০,০০,০০০
মোট মূলধন ৮০,০০,০০০
অইঈ কোম্পানির আরও অতিরিক্ত ২০,০০,০০০ টাকা মূলধন প্রয়োজন। কোম্পানির আর্থিক ব্যবস্থাপক অতিরিক্ত মূলধন ১৪% বন্ডের মাধ্যমে সংগ্রহ করার প্রস্তাব দেয়। কোম্পানির করের হার ৪০%। [ঢা. বো. ১৭]
অ ক. সুযোগ ব্যয় কী? ১
অ খ. মূলধন ব্যয়ের অনুমিত শর্তাবলি লিখ। ২
অ গ. অইঈ লিমিটেডের গড় মূলধন ব্যয় কত হবে নির্ণয় করো? ৩
অ ঘ. ‘আর্থিক ব্যবস্থাপকের প্রস্তাব গ্রহণ করলে কোম্পানি লাভবান হবে’-এ মন্তব্যের যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করো। ৪
১ নং প্রশ্নের উত্তর অ
মক যখন কোনো একটি প্রকল্পে বিনিয়োগ করলে অন্য আরেকটি প্রকল্পে বিনিয়োগের আয় ত্যাগ করতে হয় ঐ ত্যাগকৃত বিনিয়োগের আয়কে সুযোগ ব্যয় বলে।
মখ প্রতিষ্ঠানের প্রত্যাশিত সর্বনিæ আয়ের হার হচ্ছে মূলধন ব্যয়।
মূলধন ব্যয়ের অনুমিত শর্তগুলো হলো- এটি নির্ণয়ে ব্যবসায় ঝুঁকি অপরিবর্তিত থাকে, আর্থিক ঝুঁকির পরিমাণ স্থির থাকে, কোম্পানির করের হার নির্দিষ্ট থাকে, দেশের মুদ্রাস্ফীতির হার স্থির থাকে। তবে এর কারণে কোম্পানির লভ্যাংশ নীতির কোনো পরিবর্তন ঘটে না।
মগ অইঈ লিমিটেড-এর গড় মূলধন ব্যয় নির্ণয়:
দেয়া আছে,
সাধারণ শেয়ারের ব্যয় (কব) = ১৭% বা ০.১৭
অগ্রাধিকার শেয়ারের ব্যয় (কঢ়) = ১০% বা ০.১০
বন্ডের ব্যয় = ১৪% বা ০.১৪
¯ কর-পরবর্তী বন্ডের ব্যয় (কফ) = ০.১৪(১ ০.৪০) = ০.০৮৪
সাধারণ শেয়ারের ভার (ডব) = ৪০০০০০০৮০০০০০০ = ০.৫০
অগ্রাধিকার শেয়ারের ভার (ডঢ়) = ১০০০০০০৮০০০০০০ = ০.১২৫
বন্ডের ভার (ডফ) = ৩০০০০০০৮০০০০০০ = ০.৩৭৫
আমরা জানি,
গড় মূলধন ব্যয় = ডবকব + ডঢ়কঢ় + ডফকফ
= (০.৫০ ূ ০.১৭) + (০.১২৫ ূ ০.১০) + (০.৩৭৫ ূ ০.০৮৪)
= ০.০৮৫ + ০.০১২৫ + ০.০৩১৫
= ০.১২৯
= ১২.৯%
উত্তর : ১২.৯%
মঘ অতিরিক্ত মূলধন ২০,০০,০০০ টাকা সহ
মোট মূলধন = (৮০,০০,০০০ + ২০,০০,০০০)
= ১,০০,০০,০০০ টাকা
¯ সাধারণ শেয়ারের ভার (ডব) = ৪০০০০০০১০০০০০০০ = ০.৪০
অগ্রাধিকার শেয়ারের ভার (ডঢ়) = ১০০০০০০১০০০০০০০ = ০.১০
বন্ডের ভার (ডফ) = ৫০০০০০০১০০০০০০০ = ০.৫০
¯ গড় মূলধন ব্যয় = ডবকব + ডঢ়কঢ় + ডফকফ
= (০.৪০ – ০.১৭) + (০.১০ – ০.১০) + (০.৫০ – ০.০৮৪)
= ০.০৬৮ + ০.০১ + ০.০৪২
= ০.১২ = ১২%
উদ্দীপকে অইঈ কোম্পানি অতিরিক্ত মূলধন বন্ডের মাধ্যমে সংগ্রহ করলে তার গড় মূলধন ব্যয় ১২.৯% থেকে ১২% হবে। তাই অইঈ কোম্পানির ব্যবস্থাপকের প্রস্তাবটি গ্রহণ করলে কোম্পানি লাভবান হবে।
মমমপ্রশ্ন২ নিæে সুপার পাওয়ার কোং লি. মূলধন কাঠামো প্রদত্ত হলো:
মূলধনের উৎস টাকার পরিমাণ
১৩% সাধারণ শেয়ার ৩,৫০,০০০
১২% অগ্রাধিকার শেয়ার ২,০০,০০০
১০% ডিবেঞ্চার ৩,০০,০০০
মোট ৮,৫০,০০০
আগামী বছর কোম্পানির প্রত্যাশিত মুনাফা অর্জন হার ২০% হবে বলে আশা করা যায়। [রা. বো. ১৭]
অ ক. ঋণ মূলধন ব্যয় কাকে বলে? ১
অ খ. সংরক্ষিত আয় কি ব্যয়মুক্ত? ব্যাখ্যা করো। ২
অ গ. সুপার পাওয়ার কোম্পানির ‘গুরুত্ব প্রদত্ত গড় মূলধন ব্যয়’ (ডঅঈঈ) নির্ণয় করো। ৩
অ ঘ. সুপার পাওয়ার কোম্পানি যদি ৩,৫০,০০০ টাকা ঋণ ১০% সুদে ‘উত্তরবঙ্গ’ ব্যাংক থেকে সংগ্রহ করতো তবে তা কতটুকু যুক্তিযুক্ত হবে বলে তুমি মনে করো? উদ্দীপকের আলোকে ব্যাখ্যা করো। ৪
২ নং প্রশ্নের উত্তর অ
ক ঋণ মূলধন যেমন: বন্ড, ঋণপত্র, দীর্ঘমেয়াদি ব্যাংক ঋণ ইত্যাদি উৎস হতে মূলধন সংগ্রহের ব্যয়ই হলো ঋণ মূলধন ব্যয়।
সহায়ক তথ্য
উদাহরণ : আজিম একটি গাড়ি ক্রয় করবেন বলে ঠিক করেছেন। তার কাছে গাড়ি কেনার সম্পূর্ণ টাকা না থাকায় তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন ১৩% সুদে যমুনা ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করবেন। এখানে আজিমের ঋণ মূলধন ব্যয় শতকরা ১৩ ভাগ।
খ সাধারণত প্রতিষ্ঠানের মুনাফা থেকে লভ্যাংশ প্রদানের পর অবশিষ্ট মুনাফাই হলো সংরক্ষিত আয়। যদিও সংরক্ষিত আয় হতে মূলধন সংগ্রহের কোনো প্রত্যক্ষ ব্যয় নেই তবে এর সুযোগ ব্যয় রয়েছে।
অর্থাৎ এই সংরক্ষিত আয় অন্য কোনো প্রকল্পে বিনিয়োগ করলে মুনাফা অর্জন করা যেত। কিন্তু প্রতিষ্ঠানে মূলধন হিসেবে এই আয় ব্যবহার করার ফলে প্রতিষ্ঠান সেই মুনাফা থেকে বঞ্চিত হয়, যা প্রতিষ্ঠানের সুযোগ ব্যয় বলে বিবেচিত। তাই বলা যায়, সংরক্ষিত আয় ব্যয়মুক্ত নয়।
সহায়ক তথ্য
সুযোগ ব্যয় : একাধিক প্রকল্প হতে একটি প্রকল্প নির্বাচনের কারণে অন্য একটি অনির্বাচিত প্রকল্প হতে সৃষ্ট সম্ভাব্য আয় থেকে বঞ্চিত হওয়াকে সুযোগ ব্যয় বলে।
গ সুপার পাওয়ার কোম্পানির গুরুত্ব প্রদত্ত গড় মূলধন ব্যয় (ডঅঈঈ) নির্ণয়:
দেয়া আছে,
সাধারণ শেয়ারের ব্যয়, কব = ১৩%
অগ্রাধিকার শেয়ারের ব্যয়, কঢ় = ১২%
ডিবেঞ্চারের ব্যয়, কফ = ১০%
সাধারণ শেয়ারের ভার (ডবরমযঃ), ডব = ৩৫০০০০৮৫০০০০ = ০.৪১১৮
অগ্রাধিকার শেয়ারের ভার (ডবরমযঃ), ডঢ় = ২০০০০০৮৫০০০০ = ০.২৩৫৩
ডিবেঞ্চারের ভার (ডবরমযঃ), ডফ = ৩০০০০০৮৫০০০০ = ০.৩৫২৯
গড় মূলধন ব্যয়, ডঅঈঈ = (ডব কব) + (ডঢ় কঢ়) + (ডফ কফ)
= (০.৪১১৮ ১৩%) + (০.২৩৫৩ ১২%) + (০.৩৫২৯ ১০%)
= ৫.৩৫৩৪ + ২.৮২৩৬ + ৩.৫২৯
= ১১.৭০৬%
অতএব, সুপার পাওয়ার কোম্পানির গুরুত্ব প্রদত্ত গড় মূলধন ব্যয় হলো ১১.৭০৬%।
উত্তর: ১১.৭০৬%।
সহায়ক তথ্য
ডঅঈঈ : এর পূর্ণরূপ হলো ডবরমযঃবফ আবৎধমব ঈড়ংঃ ড়ভ ঈধঢ়রঃধষ।
ঘ সুপার পাওয়ার কোম্পানি যদি ৩,৫০,০০০ টাকা ঋণ ১০% সুদে ‘উত্তরবঙ্গ’ ব্যাংক থেকে সংগ্রহ করতো তবে তার মোট মূলধনের পরিমাণ হবে = (৩,৫০,০০০ + ২,০০,০০০ + ৩,৫০,০০০) টাকা
= ৯,০০,০০০ টাকা
সাধারণ শেয়ারের ভার, ডব = ৩৫০০০০৯০০০০০ = ০.৩৮৮৯
অগ্রাধিকার শেয়ারের ভার, ডঢ় = ২০০০০০৯০০০০০ = ০.২২২২
ঋণ মূলধনের ভার, ডফ = ৩৫০০০০৯০০০০০ = ০.৩৩৮৯
গুরুত্ব প্রদত্ত গড় মূলধন ব্যয়,
ডঅঈঈ = (০.৩৮৮৯ ১৩%) + (০.২২২২ ১২%) + (০.৩৮৮৯ ১০%)
= ৫.০৫৫৭% + ২.৬৬৬৪% + ৩.৮৮৯%
= ১১.৬১%
অতএব, সুপার পাওয়ার কোম্পানি ব্যাংক থেকে ৩,৫০,০০০ টাকা ঋণ হিসেবে সংগ্রহ করলে নতুন গড় মূলধন ব্যয় হবে ১১.৬১%, যা পূর্বের গড় মূলধন ব্যয় ১১.৭০৬% অপেক্ষা কম। তাই সুপার পাওয়ার কোম্পানির ১০% সুদে উত্তরবঙ্গ ব্যাংক হতে ৩,৫০,০০০ টাকা ঋণ মূলধন সংগ্রহ করা যুক্তিযুক্ত হয়েছে বলে আমি মনে করি।
মমমপ্রশ্ন৩ ঝচ লি.-এর মূলধন কাঠামো নিচের ছকে দেওয়া হলো :
মূলধনের উৎস টাকা
সাধারণ শেয়ার মূলধন ৪,০০০
১০% অগ্রাধিকার শেয়ার ১,০০০
১৪% ডিবেঞ্চার ৩,০০০
মোট মূলধন ৮,০০০
কোম্পানির শেয়ার বর্তমানে বাজারে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এটা ধারণা করা হচ্ছে যে, কোম্পানিটি আগামী বছর প্রতি শেয়ারে ২ টাকা করে লভ্যাংশ প্রদান করবে যেটা সবসময় ৭% হারে বৃদ্ধি পাবে। কোম্পানির কর হার ৫০%। [দি. বো. ১৭]
অ ক. মূলধন ব্যয় কী? ১
অ খ. সংরক্ষিত আয়ের ব্যয় কেন নতুন সাধারণ শেয়ারের মূলধন ব্যয় থেকে কম হয় তা ব্যাখ্যা করো। ২
অ গ. ঝচ লি. এর গড় মূলধন ব্যয় (ডঅঈঈ) নির্ণয় করো। ৩
অ ঘ. কোম্পানি যদি অতিরিক্ত ২,০০০ টাকা ১৪% ডিবেঞ্চারের মাধ্যমে ঋণ মূলধন সংগ্রহ করে তবে এর ভার আরোপিত গড় মূলধন ব্যয় (ডঅঈঈ) এর উপর যে প্রভাব পড়বে তা বিশ্লেষণ করো। ৪
৩ নং প্রশ্নের উত্তর অ
ক প্রতিষ্ঠানের সংগৃহীত তহবিলের খরচ মেটানোর জন্য যে ন্যূনতম হারে প্রতিষ্ঠানকে আয় করতে হয় তা-ই মূলধন ব্যয়।
সহায়ক তথ্য
উদাহরণ : ১২% হারে অগ্রাধিকার শেয়ার ইস্যু করা হলে মূলধন ব্যয় হবে ১২%।
খ উত্তরণ ব্যয়ের কারণে সংরক্ষিত আয়ের ব্যয় নতুন শেয়ারের মূলধন ব্যয় থেকে কম হয়।
উত্তরণ ব্যয় বলতে নতুন শেয়ার বিক্রয়জনিত খরচকেই বোঝানো হয়। নতুন শেয়ারের ক্ষেত্রে শেয়ারের বাজারমূল্য হতে উত্তরণ ব্যয় বাদ দিয়ে নিট বিক্রয় মূল্য নির্ণয় করা হয়। অপরদিকে, সংরক্ষিত আয়ের ক্ষেত্রে এ উত্তরণ ব্যয় বাদ দেয়া হয় না। ফলে সংরক্ষিত আয়ের ক্ষেত্রে বেশি মূল্য দিয়ে প্রত্যাশিত লভ্যাংশকে ভাগ করা হয় বিধায় এর মূলধন ব্যয় কম হয়।
গ ঝচ লি.-এর গড় মূলধন ব্যয় নির্ণয়:
আমরা জানি,
গড় মূলধন ব্যয়, ডঅঈঈ = ডফকফ + ডঢ়কঢ় + ডপকপ
এখানে,
ঋণ মূলধনের ভার, ডফ = ৩০০০৮০০০ = ০.৩৭৫
অগ্রাধিকার শেয়ার মূলধনের ভার, ডঢ় = ১০০০৮০০০ = ০.১২৫
সাধারণ শেয়ার মূলধনের ভার, ডপ = ৪০০০৮০০০ = ০.৫০
করপরবর্তী ঋণ মূলধন ব্যয়,
কফ = করপূর্ববর্তী ঋণ মূলধন ব্যয় ূ (১ কর হার)
= ১৪ ূ (১ ০.৫০)
= ৭%
অগ্রাধিকার শেয়ার ব্যয়, কঢ় = ১০%
সাধারণ শেয়ারের ব্যয়,
কপ = উ১চ০ + ম ূ ১০০
= ২২০ + ০.০৭ ূ ১০০
= ০.১৭ ূ ১০০
= ১৭% এখানে,
উ১ = ২ টাকা
ম = ৭% বা ০.০৭
চ০ = ২০ টাকা
¯ গড় মূলধন ব্যয়,
ডঅঈঈ = (০.৩৭৫ ূ ৭) + (০.১২৫ ূ ১০) + (০.৫০ ূ ১৭)
= ২.৬২৫ + ১.২৫ + ৮.৫০
= ১২.৩৭৫ বা ১২.৩৮% (প্রায়)
¯ ঝচ লি. এর গড় মূলধন ব্যয় ১২.৩৮%।
উত্তর: ১২.৩৮%।
ঘ কোম্পানি যদি অতিরিক্ত ২০০০ টাকা ১৪% ডিবেঞ্চারের মাধ্যমে ঋণ মূলধন সংগ্রহ করে,
কোম্পানির মোট মূলধন = (৪,০০০ + ১,০০০ + ৩,০০০ + ২,০০০)
= ১০,০০০ টাকা
আমরা জানি,
গড় মূলধন ব্যয়, ডঅঈঈ = ডফকফ + ডঢ়কঢ় + ডপকপ
এখানে,
ঋণ মূলধনের ভার, ডফ = ৩০০০ + ২০০০১০০০০ = ০.৫০
অগ্রাধিকার শেয়ারের ভার, ডঢ় = ১০০০১০০০০ = ০.১০
সাধারণ শেয়ারের ভার, ডপ = ৪০০০১০০০০ = ০.৪০
করপরবর্তী ঋণ মূলধন ব্যয়, কফ = ৭% [গ হতে আনীত]
অগ্রাধিকার শেয়ারের ব্যয়, কঢ় = ১০%
সাধারণ শেয়ারের ব্যয়, কপ = ১৭%
¯ গড় মূলধন ব্যয়-
ডঅঈঈ = (০.৫০ ূ ৭) + (০.১০ ূ ১০) + (০.৪০ ূ ১৭)
= ৩.৫ + ১ + ৬.৮
= ১১.৩০
কোম্পানির পূর্বের গড় মূলধন ব্যয় হয়েছিল = ১২.৩৮% [গ নং থেকে প্রাপ্ত]
কোম্পানির বর্তমান গড় মূলধন ব্যয় = ১১.৩০%।
অতএব, অতিরিক্ত ২,০০০ টাকা ডিবেঞ্চারের মাধ্যমে ঋণ মূলধন সংগ্রহ করলে কোম্পানির গড় মূলধন ব্যয় হ্রাস পাবে।
মমমপ্রশ্ন৪ বিটা লিমিটেড-এর মূলধনের উৎস এবং প্রতিটি উৎসের ব্যয় ও ভার নিæরূপ :
মূলধনের প্রকার ভার ব্যয়
সাধারণ শেয়ার ৫০% –
অগ্রাধিকার শেয়ার ২০% ১০%
ঋণপত্র ২৫% ১৫%
সংরক্ষিত আয় ৫% –
মোট ১০০% –
অন্যান্য তথ্যসমূহ: প্রতিষ্ঠানটির অপরিহারযোগ্য ঝুঁকির পরিমাণ ০.৫০। ঝুঁকিবিহীন আয়ের হার ১০% এবং বাজার আয়ের হার ১৫%। কোম্পানির কর্পোরেট কর হার ৩৭% ও ব্যক্তিগত কর হার ২৫%।
[কু. বো. ১৭]
ক. উত্তরণ ব্যয় কী? ১
খ. ঋণ তহবিল সর্বাপেক্ষা কম ব্যয়যুক্ত মূলধনের উৎস কেন? ২
গ. বিটা লিমিটেড-এর সাধারণ শেয়ারের ব্যয় নির্ণয় করো। ৩
ঘ. বিটা লিমিটেড তাদের গড় মূলধন ব্যয় ১২% এর মধ্যে ধরে রাখতে সক্ষম হবে কি? তোমার মতামত দাও। ৪
৪ নং প্রশ্নের উত্তর অ
মক কোনো কোম্পানির সিকিউরিটিজ ইস্যু বাবদ যে ব্যয় হয় তাকে উত্তরণ ব্যয় বলে।
মখ কর সুবিধার কারণে ঋণ তহবিলকে সর্বাপেক্ষা কম ব্যয়যুক্ত মূলধনের উৎস বলা হয়।
ঋণ মূলধনের ওপর যে সুদ প্রদান করা হয় তা কর বাদযোগ্য খরচ। অর্থাৎ যে পরিমাণ অর্থ সুদ বাবদ পরিশোধ করা হয় তার ওপর কোনো কর প্রদান করতে হয় না। তাই ঋণ মূলধনের ব্যয় তুলনামূলকভাবে সাধারণ শেয়ার, অগ্রাধিকার শেয়ার এবং সংরক্ষিত মুনাফার ব্যয়ের চেয়ে কম হয়।
মগ বিটা লিমিটেডের সাধারণ শেয়ারের ব্যয় নির্ণয়:
সাধারণ শেয়ারের ব্যয়, কব = জভ + (জস – জভ) দ্ধ
= ১০% + (১৫% ১০%) দ্ধ ০.৫০
= ১০% + ৫% ূ ০.৫০
= ১০% + ২.৫০%
= ১২.৫০%
অতএব, বিটা লিমিটেডের সাধারণ শেয়ারের ব্যয় ১২.৫০%।
উত্তর: ১২.৫০%।
মঘ বিটা লিমিটেড-এর গড় মূলধন ব্যয় নির্ণয়:
করপরবর্তী ঋণ মূলধন ব্যয়, কফ = কর (১ – ঞপ)
= ১৫% (১ ০.৩৭)
= ১৫% ূ ০.৬৩
= ৯.৪৫%
সংরক্ষিত মুনাফার ব্যয়, কৎ = কব (১ – ঞঢ়)
= ১২.৫০% ূ (১ ০.২৫)
= ১২.৫০% ূ ০.৭৫
= ৯.৩৭৫%
গড় মূলধন ব্যয়,
ডঅঈঈ = কব ডব + কঢ় ডঢ়
+ কফ ডফ + কৎ ডৎ
= ১২.৫০% – ০.৫০ + ১০% – ০.২০ + ৯.৪৫% – ০.২৫ + ৯.৩৭৫% – ০.০৫
= ৬.২৫% + ২% + ২.৩৬২৫% + ০.৪৬৮৭৫%
= ১১.০৮১২৫%
= ১১.০৮%
যেহেতু বিটা লিমিটেডের গড় মূলধন ব্যয় ১১.০৮% সেহেতু তারা তাদের গড় মূলধন ব্যয় ১২% এর মধ্যে ধরে রাখতে সক্ষম হবে বলে আমার বিশ্বাস।
মমমপ্রশ্ন৫ রূপসা কোম্পানি লি.-এর সাধারণ শেয়ার মূলধন ৫০ কোটি টাকা। সাধারণ শেয়ারের বাজারমূল্য ১৪০ টাকা। কোম্পানি এ বছর সাধারণ শেয়ার মালিকদের প্রতি শেয়ারে ১৪ টাকা লভ্যাংশ প্রদান করেছে এবং অতীতে কোম্পানি কর্তৃক প্রদত্ত লভ্যাংশ ৫% হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কর হার ৪০%। একটি নতুন প্রকল্পে বিনিয়োগের জন্য কোম্পানির আরো ৫০ কোটি টাকা প্রয়োজন। নিæের দুটি প্রকল্পের একটি হতে কোম্পানিকে তহবিল সংগ্রহ করতে হবে।
বিকল্প-১: ১৫% সুদের হারে ১০ বছর মেয়াদি বন্ড ইস্যু করে প্রতিটি বন্ডের লিখিত মূল্য ১,০০০ টাকা এবং বাজারমূল্য ১,১০০ টাকা।
বিকল্প-২: ১৩% চিরস্থায়ী অগ্রাধিকার শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করা যায়। অগ্রাধিকার শেয়ারের বাজারমূল্য ১০০ টাকা। উত্তরণ ব্যয় (ঋষড়ধঃরহম পড়ংঃ) ২ টাকা। [চ. বো. ১৭]
ক. মূলধন ব্যয় কী? ১
খ. অগ্রাধিকার শেয়ারকে কেন শংকর সিকিউরিটি বলা হয়? ২
গ. রূপসা কোম্পানি লি.-এর সাধারণ শেয়ারের ব্যয় নির্ণয় করো। ৩
ঘ. রূপসা কোম্পানি লি.-এর তহবিল সংগ্রহের ক্ষেত্রে কোন বিকল্পটি গ্রহণ করলে তা লাভজনক হবে? উদ্দীপকের আলোকে বিশ্লেষণ করো। ৪
৫ নং প্রশ্নের উত্তর অ
মক প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন উৎস (অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক) হতে মূলধন সংগ্রহের ফলে যে ব্যয় সংঘটিত হয় তাকে মূলধন ব্যয় বলে।
মখ অগ্রাধিকার শেয়ারের মধ্যে সাধারণ শেয়ার ও বন্ড এই উভয় সিকিউরিটিজের বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়। তাই অগ্রাধিকার শেয়ারকে হাইব্রিড সিকিউরিটি বা শংকর সিকিউরিটি বলা হয়।
সাধারণ শেয়ার ও অগ্রাধিকার শেয়ার উভয়ই কোম্পানির মালিকানা নির্দেশ করে। উভয় ক্ষেত্রে কোম্পানি লভ্যাংশ প্রদান না করলে শেয়ারহোল্ডাররা দেউলিয়া হয়ে যায় না। আবার, অগ্রাধিকার শেয়ারহোল্ডার ও বন্ডহোল্ডারদের উভয়েরই কোনো ভোটাধিকার নেই এবং উভয়ই হলো স্থির আয়যুক্ত সিকিউরিটিজ। অগ্রাধিকার শেয়ারের সাথে সাধারণ শেয়ার ও বন্ডের বৈশিষ্ট্যগত মিল থাকার কারণে একে শংকর সিকিউরিটি বলা হয়।
মগ রূপসা কোম্পানি লি.-এর সাধারণ শেয়ারের ব্যয় নির্ণয়:
এখানে,
উ০ = ১৪ টাকা
ম = ৫% বা ০.০৫
চ০ = ১৪০ টাকা
সাধারণ শেয়ারের ব্যয়, কব = উ০ (১ + ম)চ০ + ম দ্ধ ১০০
= ১৪ (১ + ০.০৫)১৪০ + ০.০৫ দ্ধ ১০০
= ১৪.৭০১৪০ + ০.০৫ দ্ধ ১০০
= ১৫.৫০%
রূপসা কোম্পানির সাধারণ শেয়ারের ব্যয় ১৫.৫০%।
উত্তর: ১৫.৫০%।
মঘ তহবিল সংগ্রহের ক্ষেত্রে কোন বিকল্পটি লাভজনক হবে তা নির্ণয়ের জন্য উভয় বিকল্পের মূলধন ব্যয় নির্ণয় করতে হবে।
বন্ডের মূলধন ব্যয় নির্ণয়:
করপরবর্তী ঋণ মূলধন ব্যয়,
কফ = ও(১ – ঞ) + গঠ – ঘঝঠহগঠ + ঘঝঠ২ দ্ধ ১০০
এখানে,
ও = সুদের পরিমাণ = ১০০০ দ্ধ ১৫% = ১৫০ টাকা
ঞ = কর হার = ৪০% = ০.৪০
গঠ = পরিশোধ্য মূল্য = ১,০০০
ঝঠ = বাজারমূল্য = ১,১০০
ঘঝঠ = ১,১০০
হ = মেয়াদ = ১০
= ১৫০(১ – ০.৪০) + ১০০০ – ১১০০১০১০০০ + ১১০০২ দ্ধ ১০০
= ৯০ – ১০০১০২১০০২ দ্ধ ১০০
= ৯০ – ১০১০৫০ দ্ধ ১০০
= ৭.৬২%
অগ্রাধিকার শেয়ারের মূলধন ব্যয় নির্ণয়:
এখানে,
চিরস্থায়ী অগ্রাধিকার শেয়ারের মূলধন ব্যয়-
কঢ় = উঢ়ঘঝঠ দ্ধ ১০০
= ১৩৯৮ দ্ধ ১০০ = ১৩৯৮ ূ ১০০
=১৩.২৭% = ১৩.২৭% উঢ়=লভ্যাংশ=১৩
ঝঠ=বাজারমূল্য= ১০০
ঋ = উত্তরণ ব্যয় = ২
ঘঝঠ = ঝঠ – ঋ
= ১০০ ২
= ৯৮
সুতরাং, অগ্রাধিকার শেয়ারের মূলধন ব্যয় বন্ডের মূলধন ব্যয় অপেক্ষা বেশি। তাই রূপসা কোম্পানি লি.-এর তহবিল সংগ্রহের ক্ষেত্রে বিকল্প-১ (বন্ড ইস্যু) গ্রহণ করা উচিত।
মমমপ্রশ্ন৬ মেঘনা কোম্পানির বর্তমান শেয়ারের বাজারমূল্য ২০০ টাকা। শেয়ারপ্রতি ১৫ টাকা করে কোম্পানিটি লভ্যাংশ প্রদান করে। কোম্পানির লভ্যাংশ গড়ে ৫% করে বৃদ্ধি পায়। এক্ষেত্রে কোম্পানির প্রয়োজনীয় আয়ের হার ২০%। [সি. বো. ১৭]
ক. মূলধন ব্যয় কী? ১
খ. অগ্রাধিকার শেয়ার বলতে কী বোঝায়? ২
গ. মেঘনা কোম্পানির সাধারণ শেয়ারের মূলধন ব্যয় কত? নির্ণয় করো। ৩
ঘ. কোম্পানির সাধারণ শেয়ারের বাজারমূল্য ২০ টাকা কমলে সাধারণ শেয়ারের মূলধন ব্যয়ের ওপর কি প্রভাব পড়বে? মূল্যায়ন করো। ৪
৬ নং প্রশ্নের উত্তর অ
মক বিভিন্ন উৎস হতে সংগৃহীত মূলধনের মালিকদের প্রত্যাশিত আয় মেটাতে প্রতিষ্ঠানকে তার বিনিয়োগের ওপর সর্বনিæ যে হারে আয় করতে হয় সেটিই মূলধন ব্যয়।
মখ যে শেয়ারের মালিকগণ লভ্যাংশ গ্রহণ ও মূলধন প্রত্যাবর্তনে অন্যান্য শেয়ার মালিকগণের চেয়ে অগ্রাধিকার পায় তাকে অগ্রাধিকার শেয়ার বলে।
কোম্পানির মুনাফা হলে এরূপ শেয়ার মালিকগণ অবশ্যই নির্দিষ্ট হারে লভ্যাংশ পেয়ে থাকেন। এই শেয়ারের মালিকগণ কোম্পানির পরিচালনায় অংশগ্রহণ কিংবা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন না।
মগ মেঘনা কোম্পানির সাধারণ শেয়ারের মূলধন ব্যয় নির্ণয়:
সাধারণ শেয়ার মূলধন ব্যয়, কব = উড়(১ + ম)চড় + ম ১০০
= ১৫(১ + ০.০৫)২০০ + ০.০৫ ূ ১০০
= ১৫.৭৫২০০ + ০.০৫ ূ ১০০
= (০.০৭৮৭৫ + ০.০৫) ূ ১০০
= ০.১২৮৭৫ ূ ১০০
= ১২.৮৮%
অতএব, মেঘনা কোম্পানির সাধারণ শেয়ারের মূলধন ব্যয় ১২.৮৮%।
উত্তর: ১২.৮৮%।
মঘ কোম্পানির সাধারণ শেয়ারের বাজারমূল্য ২০ টাকা কমলে, সাধারণ শেয়ারের পরিবর্তিত বাজারমূল্য হবে (২০০ ২০) টাকা বা ১৮০ টাকা। তাহলে, সাধারণ শেয়ারের পরিবর্তিত মূলধন ব্যয়
= ১৫(১ + ০.০৫)১৮০ + ০.০৫ ূ ১০০
= ১৫.৭৫১৮০ + ০.০৫ ূ ১০০
= (০.০৮৭৫ + ০.০৫) ূ ১০০
= ০.১৩৭৫ ূ ১০০
= ১৩.৭৫%
অতএব, কোম্পানির সাধারণ শেয়ারের বাজারমূল্য ২০ টাকা কমলে সাধারণ শেয়ারের মূলধন ব্যয় (১৩.৭৫% ১২.৮৮%) বা, ০.৮৭% বাড়বে।
মমমপ্রশ্ন৭ সনি কোম্পানি লিমিটেড-এর মূলধন কাঠামো নিæরূপ :
মূলধনের উৎস টাকার পরিমাণ
সাধারণ শেয়ার ১০,০০,০০০
১০% অগ্রাধিকার শেয়ার ২,৫০,০০০
১৪% ঋণপত্র ৭,৫০,০০০
২০,০০,০০০
প্রতিটি সাধারণ শেয়ারের বিক্রয়মূল্য ৫০ টাকা। এই বছর প্রত্যাশিত আয়ের হার ৪ টাকা। লভ্যাংশ প্রবৃদ্ধির হার ৫%। কোম্পানির কর হার ৪০%।
[য. বো. ১৭]
ক. কাম্য মূলধন কাঠামো কী? ১
খ. উত্তরণ ব্যয় বলতে কী বোঝায়? ২
গ. কোম্পানির সাধারণ শেয়ারের ব্যয় কত? ৩
ঘ. উদ্দীপকে কোম্পানির ভার আরোপিত মূলধন ব্যয় নির্ণয় করে তা বিশ্লেষণ করো। ৪
৭ নং প্রশ্নের উত্তর অ
মক কাম্য মূলধন কাঠামো হলো ঋণ ও মালিকানা তহবিলের এমন একটি মিশ্রণ যেখানে মূলধন ব্যয় সবচেয়ে কম হয়।
মখ উত্তরণ ব্যয় বলতে কোনো কোম্পানির সিকিউরিটিজ ইস্যু ও বিক্রয় বাবদ যে ব্যয় হয় তাকে বোঝায়।
নতুন শেয়ার ইস্যু বা বিক্রয়ের ক্ষেত্রে কোম্পানিকে কিছু অতিরিক্ত ব্যয় বহন করতে হয়। যেমন: ইস্যু খরচ, অবলেখকের কমিশন ইত্যাদি। এ সকল খরচকেই উত্তরণ ব্যয় বলে। নতুন শেয়ারের মূলধন ব্যয় নির্ণয়ের ক্ষেত্রে এ উত্তরণ ব্যয় শেয়ারের বাজারমূল্য থেকে বাদ দিয়ে দেখান হয়।
মগ কোম্পানির সাধারণ শেয়ারের ব্যয় নির্ণয় :
আমরা জানি,
সাধারণ শেয়ারের ব্যয়, কব = উ১চ০ + ম ১০০
এখানে, প্রত্যাশিত লভ্যাংশ, উ১ = ৪ টাকা
বৃদ্ধির হার, ম = ৫% বা ০.০৫
শেয়ারের বাজারমূল্য, চ০ = ৫০ টাকা
সাধারণ শেয়ারের ব্যয়, কব = ৪৫০ + ০.০৫ ১০০
= (০.০৮ + ০.০৫) ১০০
= ০.১৩ ১০০
= ১৩%
অতএব, কোম্পানির সাধারণ শেয়ারের ব্যয় ১৩%।
উত্তর : ১৩%।
মঘ ভার আরোপিত মূলধন ব্যয় নির্ণয় :
আমরা জানি,
ভার আরোপিত মূলধন ব্যয়, (ডঅঈঈ) = ডফকফ + ডঢ়কঢ় + ডবকব
এখানে,
ঋণ মূলধনের ভার, ডফ = ৭৫০০০০২০০০০০০ = ০.৩৭৫
অগ্রাধিকার শেয়ারের ভার, ডঢ় = ২৫০০০০২০০০০০০ = ০.১২৫
সাধারণ শেয়ারের ব্যয়, ডব = ১০০০০০০২০০০০০০ = ০.৫০
করপরবতীট্ট ঋণ মƒলধন বঞ্ঝয়, কফ = করপƒবট্টবতীট্ট ঋণ মƒলধন বঞ্ঝয় (১ করহার)
= ১৪% (১ ০.৪০)
= ৮.৪০%
অগ্রাধিকার শেয়ারের ব্যয়, কঢ় = ১০%
সাধারণ শেয়ারের ব্যয়, কফ = ১৩% [‘গ’ নং থেকে প্রাপ্ত]
ডঅঈঈ = (০.৩৭৫ ৮.৪০) + (০.১২৫ ১০) + (০.৫০ ১৩)
= ৩.১৫ + ১.২৫ + ৬.৫০ = ১০.৯০%
অতএব, কোম্পানির ভার আরোপিত গড় মূলধন ব্যয় ১০.৯০%।
উদ্দীপকের তথ্য অনুযায়ী সানি কোম্পানি লি. এর মূলধন কাঠামো বিশ্লেষণে দেখা যায়, প্রতিটি উৎসের আলাদা আলাদা ব্যয় রয়েছে। এক্ষেত্রে মূলধন কাঠামো সাধারণ শেয়ার, অগ্রাধিকার শেয়ার ও ঋণপত্রের সমন্বয়ে তৈরি করা হয়েছে। উক্ত উৎসগুলোর ব্যয় যথাক্রমে ১৩%, ১০% এবং ৮.৪০%। তবে সকল উৎসের ভার নির্ণয় করে ভার আরোপিত মূলধন ব্যয় দাড়ায় ১০.৯০%, যা প্রতিটি উৎসের একক ব্যয় হতে কম। তাই সানি কোম্পানি লি. যেকোনো একটি উৎস হতে মূলধন সংগ্রহ না করে তিনটি উৎস হতে মূলধন সংগ্রহ করায় প্রতিষ্ঠানটির সামগ্রিক মূলধন ব্যয় হ্রাস পেয়েছে।
মমমপ্রশ্ন৮ ম্যাগপাই লি. গত বছর প্রতি শেয়ার ২ টাকা করে লভ্যাংশ ঘোষণা করে যেটি প্রতি বছর ৬% হারে বাড়বে। বর্তমানে কোম্পানির প্রতিটি শেয়ার ১৫০ টাকা করে বিক্রয় হচ্ছে। অন্যদিকে, রেইনবো লি. এর মূলধন কাঠামো সাধারণ শেয়ার, অগ্রাধিকার শেয়ার ও ঋণ মূলধন নিয়ে গঠিত। কোম্পানির মূলধনের উৎসসমূহের ভার ও কর পরবর্তী ব্যয় নিæরূপ
মূলধনের উৎস ভার করপরবর্তী ব্যয়
সাধারণ শেয়ার ৭০% ১৪%
অগ্রাধিকার শেয়ার ১০% ১১%
ঋণ মূলধন ২০% ৬%
উলেখ্য, রেইনবো লি. ১৩% মুনাফার প্রত্যাশায় একটি প্রকল্পে বিনিয়োগ করে। [ব. বো. ১৭]
ক. সংরক্ষিত তহবিলের ব্যয় কী? ১
খ. উত্তরণ ব্যয় সাধারণ শেয়ার মূলধন ব্যয়ের উপর কী প্রভাব ফেলে? ব্যাখ্যা করো। ২
গ. ম্যাগপাই লি. এর সাধারণ শেয়ারের ব্যয় নির্ণয় করো। ৩
ঘ. রেইনরো লি. এর বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত যৌক্তিক হয়েছে কিনা তা বিশ্লেষণ করো। ৪
৮ নং প্রশ্নের উত্তর অ
মক কোম্পানির অর্জিত মুনাফা কোম্পানিতে সংরক্ষিত মুনাফা হিসেবে না রেখে শেয়ার মালিকদের মধ্যে বণ্টন করলে শেয়ার মালিকরা অন্যত্র বিনিয়োগ করে যে মুনাফা অর্জন করতে পারত তাকে সংরক্ষিত তহবিলের ব্যয় বলে।
মখ উত্তরণ ব্যয়ের হ্রাস-বৃদ্ধির ফলে সাধারণ শেয়ার মূলধনের ব্যয়েরও হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে।
উত্তরণ ব্যয় বলতে নতুন শেয়ার ইস্যু বাবদ যে খরচ হয় তাকে বোঝায়। এ ব্যয় বৃদ্ধি পেলে নতুন ইস্যুকৃত সাধারণ শেয়ারের ব্যয় বৃদ্ধি পায়। আবার, এ ব্যয় হ্রাস পেলে নতুন ইস্যুকৃত সাধারণ শেয়ারের ব্যয়ও হ্রাস পায়।
মগ ম্যাগপাই লি. এর সাধারণ শেয়ারের ব্যয় নির্ণয় :-
আমরা জানি,
সাধারণ শেয়ারের ব্যয়, কব = উ১চ০ + ম ১০০
এখানে,
প্রদত্ত লভ্যাংশ, উ০ = ২ টাকা
বৃদ্ধির হার, ম = ৬% বা ০.০৬
প্রত্যাশিত লভ্যাংশ, উ১ = ২ (১ + ০.০৬)
= ২.১২ টাকা
শেয়ারের বাজার মূল্য, চ০ = ১৫০ টাকা
সাধারণ শেয়ারের ব্যয়, কব = ২.১২১৫০ + ০.০৬ ১০০
= (০.০১৪১৩৩ + ০.০৬) ১০০
= ০.০৭৪১ ১০০
= ৭.৪১%
ম্যাগপাই লি.-এর সাধারণ শেয়ারের ব্যয় ৭.৪১%।
উত্তর : ৭.৪১%।
মঘ রেইনবো লি. এর গড় মূলধন ব্যয় নির্ণয় :
আমরা জানি,
গড় মূলধন ব্যয়, ডঅঈঈ = ডফকফ + ডঢ়কঢ় + ডপকপ
এখানে,
ঋণ মূলধনের ভার, ডফ = ০.২০
অগ্রাধিকার শেয়ারের ভার, ডঢ় = ০.১০
সাধারণ শেয়ারের ভার, ডব = ০.৭০
করপরবর্তী ঋণ মূলধন ব্যয়, কফ = ৬%
অগ্রাধিকার শেয়ারের ব্যয়, কঢ় = ১১%
সাধারণ শেয়ারের ব্যয়, কপ = ১৪%
গড় মূলধন ব্যয়, ডঅঈঈ = (০.২০ ৬) + (০.১০ ১১) + (০.৭০ ১৪)
= ১.২০ + ১.১০ + ৯.৮০
= ১২.১০%
এখানে, রেইনবো লি. এর গড় মূলধন ব্যয় ১২.১% এবং প্রত্যাশিত মুনাফার হার ১৩%। অর্থাৎ মূলধন ব্যয় অপেক্ষা প্রত্যাশিত মুনাফার হার বেশি, যা প্রতিষ্ঠানের লাভকেই নির্দেশ করে। অর্থাৎ রেইনবো লি. এর বিনিয়োগ সিদ্ধান্তটি যথার্থ।
মমমপ্রশ্ন৯ আকাশ কোম্পানির মূলধন কাঠামো এবং মূলধনের পরিমাণ নিæরূপ:
বিবরণ মূলধনের পরিমাণ
সাধারণ শেয়ার মূলধন [প্রতিটি ১০০ টাকা] ৪,০০,০০,০০০
১২% অগ্রাধিকার শেয়ার মূলধন ৩,০০,০০,০০০
১৫% ঋণকৃত মূলধন ৩,০০,০০,০০০
মোট = ১০,০০,০০,০০০
কোম্পানির সাধারণ শেয়ার প্রতিটি বর্তমানে ১২০ টাকায় বিক্রয় হচ্ছে। শেয়ারপ্রতি প্রত্যাশিত লভ্যাংশের পরিমাণ ১০ টাকা। প্রবৃদ্ধির হার ৫%। কোম্পানির করের হার ৪০%। প্রত্যাশিত সামগ্রিক মূলধন ব্যয় ১২.১৫%। [ঢা. বো. ১৬]
অ ক. মূলধন ব্যয় কী? ১
অ খ. নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান বলতে কী বোঝায়? ২
অ গ. উদ্দীপকে বর্ণিত প্রতিষ্ঠানের সাধারণ শেয়ারের ব্যয় নির্ণয় করো। ৩
অ ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক মূলধন ব্যয় হ্রাস করা সম্ভব কিনা? গাণিতিকভাবে বিশ্লেষণ করো। ৪
৯ নং প্রশ্নের উত্তর অ
মক প্রতিষ্ঠানের সংগৃহীত তহবিলের খরচ মেটানোর জন্য যে ন্যূনতম হারে প্রতিষ্ঠানকে আয় করতে হয় তাই মূলধন ব্যয়।
মখ যেসব ব্যাংকবহিভর্‚ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান শিল্প, বাণিজ্য, কৃষি ও গৃহায়নের জন্য ঋণ সহায়তা প্রদান করে তারাই নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান।
নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ব্যাংকের মতো জনগণের নিকট হতে আমানত গ্রহণ করে কিন্তু উক্ত আমানত চেকে উত্তোলনের সুযোগ প্রদান করে না। এসব প্রতিষ্ঠান সরকার বা কোম্পানি কর্তৃক ইস্যুকৃত শেয়ার ও বন্ডের দায় গ্রহণ, বিনিয়োগ ও পুনঃবিনিয়োগে জড়িত। নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন ১৯৯৩ অনুসরণ করা হয়। বিনিয়োগ কোম্পানি নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের উদাহরণ।
মগ আকাশ কোম্পানির সাধারণ শেয়ারের ব্যয় নির্ণয়:
দেয়া আছে,
সাধারণ শেয়ারের বাজারমূল্য (চ০) = ১২০ টাকা
প্রত্যাশিত লভ্যাংশ (উ১) = ১০ টাকা
প্রবৃদ্ধির হার (ম) = ৫% = ০.০৫
আমরা জানি,
সাধারণ শেয়ারের ব্যয় (কব) = উ১চ০ + ম
= ১০১২০ + ০.০৫
= ০.০৮৩৩ + ০.০৫
= ০.১৩৩৩
= ১৩.৩৩%
আকাশ কোম্পানির সাধারণ শেয়ারের ব্যয় ১৩.৩৩%
উত্তর: ১৩.৩৩%।
মঘ সাধারণ শেয়ারের ব্যয় (কব) = ০.১৩৩৩ (গ হতে প্রাপ্ত)
অগ্রাধিকার শেয়ারের ব্যয় (কঢ়) = ১২% = ০.১২
ঋণকৃত মূলধনের ব্যয় (কফ) = ০.১৫ (১ ০.৪) = ০.০৯
সাধারণ শেয়ারের ভার (ডব) = ৪০০০০০০০১০০০০০০০০ = ০.৪০
অগ্রাধিকার শেয়ারের ভার (ডঢ়) = ৩০০০০০০০১০০০০০০০০ = ০.৩০
ঋণকৃত মূলধনের ভার (ডফ) = ৩০০০০০০০১০০০০০০০০ = ০.৩০
সামগ্রিক মূলধন ব্যয় (ডঅঈঈ) = ডবকব + ডঢ়কঢ় + ডফকফ
= (০.৪০ ূ ০.১৩৩৩) + (০.৩০ ূ ০.১২) + (০.৩০ ূ ০.০৯)
= ০.১১৬৩২
= ১১.৬৩২%
অতএব, নির্ণীত সামগ্রিক মূলধন ব্যয় প্রত্যাশিত মূলধন ব্যয় হতে কম। তাই সামগ্রিক মূলধন ব্যয় হ্রাস করা সম্ভব।
মমমপ্রশ্ন১০ ঢণ কোম্পানির মূলধন কাঠামো নিæরূপ:
মূলধনের উৎস টাকার পরিমাণ ব্যয়হার
সাধারণ শেয়ার ১০,০০,০০০ ১৮%
অগ্রাধিকার শেয়ার ৬,০০,০০০ ১৪%
ঋণপত্র ৪,০০,০০০ ১০%
কর্পোরেট করের হার ৪০%। [রা. বো., সি. বো. ১৬]
অ ক. মূলধন ব্যয় কী? ১
অ খ. কখন একটি কোম্পানি অবহারে শেয়ার বিক্রি করে? ২
অ গ. ঢণ কোম্পানির মূলধন ব্যয় নির্ণয় করো। ৩
অ ঘ. উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পর্ষদ ঋণ মূলধন ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এমতাবস্থায় অন্যান্য উৎস হতে সমহারে মূলধন সংগ্রহ করলে মূলধন ব্যয়ের ওপর কিরূপ প্রভাব পড়বে? তা বিশ্লেষণ করো। ৪
১০ নং প্রশ্নের উত্তর অ
মক প্রতিষ্ঠানের সংগৃহীত তহবিলের খরচ মেটানোর জন্য যে ন্যূনতম হারে প্রতিষ্ঠানকে আয় করতে হয় তাই মূলধন ব্যয়।
মখ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ক্রয়ে আকৃষ্ট করার জন্য কোম্পানি অবহারে শেয়ার বিক্রি করে।
বিনিয়োগকারীগণ সব কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী নয়। শুধু আর্থিকভাবে সচ্ছল বৃহৎ নামকরা প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ক্রয় করতে চায়। কারণ এক্ষেত্রে ঝুঁকি কম থাকে। অন্যদিকে ছোট বা নতুন কোম্পানি বাজারে যাদের খুব একটা পরিচিতি বা সুনাম এখনও সৃষ্টি হয় নি। বাজারে তাদের শেয়ার ক্রয়ে আগ্রহী বিনিয়োগকারী কম থাকে। এক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ক্রয়ে আগ্রহী করতে কোম্পানি কৌশল হিসেবে অবহারে শেয়ার বিক্রি করে।
মগ ঢণ কোম্পানির মূলধন ব্যয় নির্ণয়:
দেয়া আছে,
সাধারণ শেয়ার ব্যয়, কব = ১৮%
অগ্রাধিকার শেয়ার ব্যয়, কঢ় = ১৪%
ঋণপত্রের ব্যয়, কফ = করপূর্ব ঋণ মূলধন ব্যয় (১ করের হার)
= ১০% (১ ৪০%) = ৬%
ডব = ১০০০০০০২০০০০০০ = ০.৫০
ডঢ় = ৬০০০০০২০০০০০০ = ০.৩০
ডফ = ৪০০০০০২০০০০০০ = ০.২০
আমরা জানি,
মূলধন ব্যয় (ডঅঈঈ) = ডবকব + ডঢ়কঢ় + ডফকফ
= (০.৫০ ূ ০.১৮) + (০.৩০ ূ ০.১৪) + (০.২০ ূ ০.০৬)
= ০.০৯ + ০.৪৪২ + ০.০১২
= ০.১৪৪
= ১৪.৪০%
ঢণ কোম্পানির মূলধন ব্যয় ১৪.৪০%।
উত্তর: ১৪.৪০%।
মঘ উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পর্ষদ ঋণ মূলধন ব্যবহার না করে অন্যান্য উৎস হতে সমহারে মূলধন সংগ্রহ করবে। অর্থাৎ ২,০০,০০০ টাকা সাধারণ শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে এবং ২,০০,০০০ টাকা অগ্রাধিকার শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে সংগ্রহ করতে হবে। সেক্ষেত্রে নতুন ভার হবে নিæরূপ:
সাধারণ শেয়ারের ভার, (ডব) = ১২০০০০০২০০০০০০ = ০.৬
অগ্রাধিকার শেয়ারের ভার (ডঢ়) = ৮০০০০০২০০০০০০ = ০.৪
এখন ঢণ কোম্পানির মূলধন ব্যয়
ডঅঈঈ = ডঢ়কঢ় + ডবকব
= (০.৪ ূ ১৪) + (০.৬ ূ ১৮)
= ৫.৬ + ১০.৮ = ১৬.৪%
উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পর্ষদ ঋণ মূলধন ব্যবহার না করে অন্যান্য উৎস হতে সমহারে মূলধন সংগ্রহ করলে মূলধন ব্যয় ১৪.৪% হতে বৃদ্ধি পেয়ে ১৬.৪% হবে।
মমমপ্রশ্ন১১ ‘ক’ সুগার মিলস্ লি. মূলধন বৃদ্ধিকল্পে নতুন সাধারণ শেয়ার ইস্যুর কথা চিন্তা করছে। বর্তমানে কোম্পানির শেয়ার বাজারে ২৭ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। কোম্পানিটি গত বছর শেয়ার প্রতি ৩ টাকা করে লভ্যাংশ প্রদান করেছে এবং তারা প্রত্যাশা করছে ভবিষ্যতে এই লভ্যাংশ বৃদ্ধির হার সবসময় ৬% হবে। নতুন সাধারণ শেয়ার ইস্যু করতে বাজার মূল্যের ৬% উত্তরণ ব্যয় হবে। [দি. বো. ১৬]
অ ক. সুযোগ ব্যয় কী? ১
অ খ. সাধারণ শেয়ারের মূলধন ব্যয় বলতে কী বোঝ? ২
অ গ. ‘ক’ সুগার মিলস্ লি. এর সাধারণ শেয়ার মূলধন ব্যয় নির্ণয় করো। ৩
অ ঘ. উত্তরণ ব্যয় যদি ৩% হয় তবে সাধারণ শেয়ার মূলধন ব্যয়ের ওপর কী প্রভাব পড়বে তা বিশ্লেষণ করো। ৪
১১ নং প্রশ্নের উত্তর অ
মক একাধিক প্রকল্প হতে একটি প্রকল্প নির্বাচনের কারণে অন্যান্য অনির্বাচিত প্রকল্প হতে সৃষ্ট সম্ভাব্য আয় হতে বঞ্চিত হওয়াকে সুযোগ ব্যয় বলে।
মখ সাধারণ শেয়ারের মূলধন ব্যয় হলো এমন একটি হার, যা দিয়ে বিনিয়োগকারীরা একটি ফার্মের ভবিষ্যৎ লভ্যাংশকে বাট্টাকরণ করে এর শেয়ারের মূল্য নির্ণয় করে।
সাধারণ শেয়ারের মূলধন ব্যয় নির্ণয়ে ব্যবহৃত তথ্য যেমন: প্রত্যাশিত লভ্যাংশ সম্পূর্ণ অনুমাননির্ভর হওয়ায় এটি নির্ণয় যথেষ্ট জটিল। তাছাড়া এ ব্যয় নির্ণয়ে একক কোনো পদ্ধতি নেই। বিভিন্ন অনুমানের ওপর ভিত্তি করে সাধারণ শেয়ারের মূলধন ব্যয় নির্ণয়ের বিভিন্ন পদ্ধতি উদ্ভাবন করা হয়েছে।
মগ ‘ক’ সুগার মিলস্ লি.-এর সাধারণ শেয়ার মূলধন ব্যয় নির্ণয়:
দেয়া আছে,
শেয়ারপ্রতি বাজারমূল্য, চ০ = ২৭ টাকা
লভ্যাংশ বৃদ্ধির হার, ম = ৬% = ০.০৬
প্রত্যাশিত লভ্যাংশ, উ১ = উ০ (১ + ম)
= ৩ (১ + ০.০৬)
= ৩.১৮ টাকা
উত্তরণ ব্যয়, ঋ = (চ০ ূ ৬%) টাকা
= ২৭ ূ ০.০৬ টাকা
= ১.৬২ টাকা
সাধারণ শেয়ার মূলধন ব্যয়, কব = উ১চ০ ঋ + ম
= ৩.১৮২৭ ১.৬২ + ০.০৬
= ৩.১৮২৫.৩৮ ০.০৬
= ০.১২৫৩ + ০.০৬
= ০.১৮৫৩
= ১৮.৫৩%
উত্তর: ১৮.৫৩%।
মঘ উত্তরণ ব্যয় ৩% হলে সাধারণ শেয়ার মূলধন ব্যয় নির্ণয়:
উত্তরণ ব্যয় বাজারমূল্যের ৩% হলে,
উত্তরণ ব্যয়, ঋ = ২৭ ূ ০.০৩ টাকা
= ০.৮১ টাকা
সাধারণ শেয়ার মূলধন ব্যয়, কব = ৩.১৮২৭ ০.৮১ + ০.০৬
= ৩.১৮২৬.১৯ + ০.০৬
= ০.১২১৪ + ০.০৬
= ০.১৮১৪
= ১৮.১৪%
সাধারণত উত্তরণ ব্যয় শেয়ার মূলধন ব্যয়কে বাড়িয়ে দেয়। উদ্দীপকে উলিখিত ‘ক’ সুগার মিলস্ লি.-এর উত্তরণ ব্যয় হ্রাস পেয়ে ৬% থেকে ৩% হলে সাধারণ শেয়ার মূলধন ব্যয় হ্রাস পেয়ে ১৮.৫৩% থেকে ১৮.১৪% হবে।
মমমপ্রশ্ন১২ পরমা কোম্পানি লি. ঢাকা স্টক একচেঞ্জের তালিকাভুক্ত একটি কোম্পানি। সম্প্রতি কোম্পানিটি দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহ করার কথা ভাবছে। তাই এমন উৎস থেকে তহবিল সংগ্রহ করতে চাচ্ছে যেখানে খরচ সর্বনিæ হয়। প্রতিষ্ঠানটি ২টি বিকল্প উৎস মূল্যায়ন করছে। সাধারণ শেয়ার এর ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটি এ বছর ১০ টাকা হারে লভ্যাংশ দিয়েছে এবং ভবিষ্যতে তা অপরিবর্তিত থাকবে। কোম্পানির শেয়ারের বাজার মূল্য ১০৫ টাকা। অন্যদিকে ১০% কুপন রেটে ১০ বছর মেয়াদি ১,০০০ টাকা লিখিত মূল্যের বন্ড ১১০০ টাকায় ইস্যু করতে পারবে। যার ইস্যু বাবদ খরচ হবে ২০ টাকা এবং কর হার ২৫%। [কু. বো. ১৬]
অ ক. উত্তরণ ব্যয় কী? ১
অ খ. বাজার ঝুঁকিকে একজন বিনিয়োগকারী কেন পরিহার করতে পারে না? ব্যাখ্যা করো। ২
অ গ. পরমা কোম্পানি লি. এর সাধারণ শেয়ার মূলধন এর ব্যয় নির্ণয় করো। ৩
অ ঘ. কোন উৎস থেকে পরমা কোম্পানি লি.-এর তহবিল সংগ্রহ অধিক যুক্তিযুক্ত হবে তা মূল্যায়ন করো। ৪
১২ নং প্রশ্নের উত্তর অ
মক কোনো কোম্পানির সিকিউরিটিজ ইস্যু ও বিক্রয় বাবদ যে ব্যয় হয় তাকে উত্তরণ ব্যয় বলে।
মখ বাজার ঝুঁকি কোম্পানির নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকায় একজন বিনিয়োগকারী এ ঝুঁকি পরিহার করতে পারে না।
বাজার ঝুঁকি সৃষ্টি হয় আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন, সরকারের নীতির পরিবর্তন, অর্থনৈতিক মন্দা ও মুদ্রাস্ফ্রীতি ইত্যাদি উৎস হতো। এসকল উৎসসমূহ নিয়ন্ত্রণযোগ্য নয়। একারণেই একজন বিনিয়োগকারীকে এ ঝুঁকি বহন করতে হয় যা অপরিহারযোগ্য।
মগ আমরা জানি,
সাধারণ শেয়ারে মূলধন ব্যয়, কব = উ১চড় ১০০
এখানে, উ১ = বছর শেষে প্রত্যাশিত লভ্যাংশ ১০ টাকা
চ০ = সাধারণ শেয়ারের বর্তমান বাজারমূল্য ১০৫ টাকা
কব = সাধারণ শেয়ার মূলধন ব্যয়
কব = ১০১০৫ ১০০ = ৯.৫২%
পরমা কোম্পানি লি.-এর সাধারণ শেয়ার মূলধন ব্যয় = ৯.৫২%
উত্তর: ৯.৫২%।
মঘ পরমা কোম্পানি লি.-এর করপরবর্তী ঋণ মূলধন ব্যয় নির্ণয়:
এখানে, সুদ, ও = ১,০০০ ূ .১০ = ১০০ টাকা
লিখিত মূল্য, গঠ = ১১০০ টাকা
নিট বিক্রয়মূল্য, ঘঝঠ = ১,১০০ ২০ = ১,০৮০ টাকা
মেয়াদকাল, হ = ১০ বছর
কর হার, ঞ = ২৫%
ঋণ মূলধনের ব্যয় কফ = ?
আমরা জানি,
কফ = ও (১ ঞ) + গঠ ঘঝঠহ গঠ + ঘঝঠ২ ১০০
= ১০০ (১ .২৫) + ১০০০ ১০৮০১০ ১০০০ + ১০৮০২ ১০০ = ৬.৪৪%
পরমা কোম্পানি লিমিটেডের সাধারণ শেয়ার মূলধনের ব্যয় ৯.৫২% এবং ঋণ মূলধনের ব্যয় ৬.৪৪%। ঋণ মূলধনের ব্যয় অপেক্ষাকৃত কম। সুতরাং পরমা কোম্পানি লি.-এর ঋণ মূলধন সংগ্রহ কর