এইচএসসি

এইচএসসি ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং দ্বাদশ অধ্যায় নৌ বিমা সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

অধ্যায়-১২: নৌ বিমা গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর মমমপ্রশ্ন১ এমভি সাগরকন্যা নামে একটি জাহাজ ১ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ছেড়ে রিয়াদ বন্দরে যাবে বলে নৌ বিমার চুক্তিপত্রে লেখা ছিল। কিন্তু কোনো এক কারণে জাহাজটি ৩ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে যাত্রা করে। তারপর জাহাজের ক্যাপ্টেন নিজের ইচ্ছানুযায়ী যাত্রাপথ পরিবর্তন করেন। চলতে চলতে এক পর্যায়ে সমুদ্রের গভীরে থাকা একটি হিমবাহতে ধাক্কা লেগে জাহাজটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর বিমা কোম্পানির নিকট ক্ষতিপূরণ দাবি করলে বিমা কোম্পানি তা পরিশোধ করতে অপরাগতা প্রকাশ করে। [ঢা. বো. ১৭] অ ক. জাহাজ বিমা কী? ১ অ খ. সমুদ্রে পণ্য নিক্ষেপণ কেন করা হয়? ২ অ গ. এমভি সাগরকন্যাকে কোন ধরনের নৌ বিপদ মোকাবিলা করতে হয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৩ অ ঘ. বিমা কোম্পানিটি বিমা দাবি প্রত্যাখানের যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ করো। ৪ ১ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক পণ্য পরিবহনে ব্যবহৃত জাহাজের সম্ভাব্য ক্ষতির বিপরীতে যে বিমা করা হয় তা হলো জাহাজ বিমা। খ সামুদ্রিক ঝড়, জলোচ্ছ¡াস বা অন্যবিধ কারণে বিপদগ্রস্ত জাহাজকে হালকা করার জন্য পণ্য সমুদ্রে নিক্ষেপ করা হয়। পণ্য নিক্ষেপ শুধু জাহাজ ও এর অধিকাংশ মালামালকে বিপদমুক্ত করার প্রয়োজনেই করা হয়ে থাকে। যা মানুষ সৃষ্ট বা অপ্রাকৃতিক বিপদ হিসেবে দেখা হয়। তবে সামুদ্রিক ক্ষতির ক্ষেত্রে পণ্য নিক্ষেপ আংশিক ক্ষতির সৃষ্টি করে। গ উদ্দীপকের এমভি সাগরকন্যাকে প্রাকৃতিক নৌ বিপদ মোকাবেলা করতে হয়েছে। সমুদ্রপথে জাহাজ চলাকালে প্রাকৃতিক কারণে সংঘটিত বিপর্যয় বা দুর্ঘটনাসমূহ হলো প্রাকৃতিক বিপদ। আকস্মিকভাবে এ ধরনের বিপদ ঘটায়, সতর্ক হওয়ার পূর্বেই অনেক সময় বিপদগ্রস্ত হতে হয়। উদ্দীপকে এমভি সাগরকন্যা নামের একটি জাহাজ সমুদ্রে চলাচলকালে সমুদ্রের গভীরে নিমজ্জিত একটি হিমবাহতে ধাক্কা লাগে। যার ফলে জাহাজটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এক্ষেত্রে সাগর কন্যা জাহাজটি প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে, যা নৌ বিমার ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক বিপদের আওতাভুক্ত। ঘ উদ্দীপকে নৌ বিমার ব্যক্ত শর্তাবলি ভঙ্গ হওয়ায় বিমা কোম্পানি কর্তৃক এমভি সাগরকন্যার বিমা দাবি প্রত্যাখ্যান করা যৌক্তিক হয়েছে। নৌ বিমা একটি লিখিত আনুষ্ঠানিক চুক্তি। চুক্তিপত্রে উলে­খ্য শর্তসমূহ বিমাপত্রের জন্য ব্যক্ত শর্তাবলি। এটি ভঙ্গের কারণে বিমাকারী বিমা দাবি পরিশোধে অস্বীকৃতি জানাতে পারে। উদ্দীপকের এমভি সাগরকন্যা নামে একটি জাহাজ নৌ বিমাপত্রের চুক্তিতে আবদ্ধ হয়। তবে চুক্তিপত্রে জাহাজটি ১ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ছেড়ে রিয়াদ বন্দরে যাবে বলে উলে­খ ছিল। কিন্তু জাহাজটি ৩ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে যাত্রা শুরু করে। পথিমধ্যে সমুদ্রে নিমজ্জিত হিমবাহতে ধাক্কা লেগে জাহাজটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিমাপত্রে উলি­খিত সমুদ্রযাত্রার তারিখ বিমাপত্রের জন্য একটি লিখিত শর্ত। অর্থাৎ যাত্রার তারিখ উভয়পক্ষের সম্মতিক্রমে নির্ধারিত হয় এবং তা চুক্তিপত্রে লিখিত থাকে। এই শর্ত ভঙ্গ হলে বিমাকারী বিমা দাবি পরিশোধে অস্বীকৃতি জানানোর অধিকার রাখে। তাই উলে­খ্য তথ্য বিশ্লেষণে বলা যায়, বিমা কোম্পানির বিমা দাবি প্রত্যাখ্যান যথার্থ হয়েছে। মমমপ্রশ্ন২ কর্ণফুলি কোম্পানি লি. ৪৫ কোটি টাকা দামের একটি জাহাজ ‘ঢ’, ‘ণ’, ‘ত’ তিনটি বিমা কোম্পানির নিকট সমানমূল্যে বিমা করে। জাহাজটি অন্য একটি জাহাজের সাথে ধাক্কা লেগে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং মেরামত করতে ৯ কোটি টাকা খরচ হয়। কর্ণফুলি কোম্পানি লি. ‘ঢ’ বিমা কোম্পানির নিকট থেকে সম্পূর্ণ ক্ষতিপূরণ আদায় করে। পরবর্তীতে ‘ঢ’ বিমা কোম্পানি ‘ণ’ ও ‘ত’ বিমা কোম্পানির নিকট থেকে আনুপাতিক হারে ক্ষতিপূরণ দাবি করে। [রা. বো.; কু. বো. ১৭] অ ক. নৌ বিমা কী? ১ অ খ. নৌ বিমা চুক্তিকে কেন ক্ষতিপূরণের চুক্তি বলা হয়? ব্যাখ্যা করো। ২ অ গ. কর্ণফুলি কোম্পানি লি. কোন ধরনের বিমা করেছে? ব্যাখ্যা করো। ৩ অ ঘ. উদ্দীপকে ‘ঢ’ কোম্পানি কর্তৃক ‘ণ’ ও ‘ত’ বিমা কোম্পানির নিকট ক্ষতিপূরণ দাবির যৌক্তিকতা মূল্যায়ন করো। ৪ ২ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক নৌ বিমা হচ্ছে ক্ষতিপূরণের চুক্তি যেখানে নির্দিষ্ট প্রিমিয়ামের বিনিময়ে বিমাকারী নৌযাত্রায় ব্যবহৃত জাহাজ বা জাহাজে রক্ষিত পণ্য সামগ্রীর কোনো ক্ষতি হলে বিমাগ্রহীতাকে ক্ষতিপূরণের অঙ্গীকার প্রদান করে। খ যে বিমা চুক্তি অনুযায়ী বিমাকারী প্রতিষ্ঠান বিমাগ্রহীতাকে শুধু ক্ষতিপূরণ দেয় তাকে ক্ষতিপূরণের চুক্তি বলা হয়। নৌ বিমা চুক্তিতে বিমাকৃত বিষয়বস্তুর কোনো ক্ষতি হলে বিমাকারী প্রতিষ্ঠান বিমাগ্রহীতাকে ক্ষতিপূরণ প্রদানে বাধ্য থাকে। তবে শুধু যতটুকু ক্ষতি হয় নৌ বিমা তা পূরণ করে বিধায় একে ক্ষতিপূরণের চুক্তি বলা হয়। গ উদ্দীপকে কর্ণফুলী কো. লি. বৃহৎ ঝুঁকির বিমা করেছে। এই বিমাপত্রের ক্ষেত্রে একাধিক বিমা কোম্পানি একত্রিত হয়ে বৃহৎ অঙ্কের নৌ বিমার দায়িত্ব গ্রহণ করে। উক্ত বিমা কোম্পানিগুলো চুক্তি অনুযায়ী দায় পরিশোধে বাধ্য থাকে। উদ্দীপকে কর্ণফুলী কোম্পানি ৪৫ কোটি টাকার একটি জাহাজ তিন বিমা কোম্পানির (ঢ, ণ, ত) কাছে বিমা করে। এখানে প্রতিটি বিমা কোম্পানির নিকট সমানমূল্যে বিমা চুক্তি করা হয়েছে। তাই বিমাকৃত জাহাজটির ক্ষতি হলে তিনটি বিমা কোম্পানি সমানভাবে ক্ষতিপূরণ বহন করবে। সাধারণত বৃহৎ ঝুঁকির বিমাপত্রের ক্ষেত্রে অনেকগুলো বিমা কোম্পানি একত্রিত হয়ে একটি বিমা চুক্তি করে থাকে। এখানেও তিনটি বিমা কোম্পানি একত্রিত হয়ে ৪৫ কোটি টাকার বিমাচুক্তি করেছে। সুতরাং বলা যায়, কর্ণফুলী কোম্পানি বৃহৎ ঝুঁকির বিমা করেছে। ঘ নৌ বিমার আনুপাতিক অংশগ্রহণের (চৎড়ঢ়ড়ৎঃরড়হধঃব পড়হঃৎরনঁঃরড়হ) নীতি অনুযায়ী ‘ঢ’ কোম্পানি ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে যা সম্পূর্ণ যৌক্তিক। এই নীতি অনুযায়ী একটি সম্পত্তি একাধিক কোম্পানির নিকট বিমা করা হলে প্রতিটি কোম্পানি আনুপাতিক হারে ঐ সম্পদের ক্ষতিপূরণ প্রদানে বাধ্য থাকবে। উদ্দীপকে তিনটি কোম্পানি একত্রিত হয়ে কর্ণফুলী কোম্পানির সাথে জাহাজের জন্য বিমাচুক্তি করে। জাহাজটির সাথে অন্য জাহাজের ধাক্কা লাগার কারণে ৯ কোটি টাকা ক্ষতি হয়। ‘ঢ’ কোম্পানি সম্পূর্ণ ৯ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদান করে। পরবর্তীতে সেটি অন্য দুটি কোম্পানির কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করে। এখানে প্রতিটি বিমাকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে কর্ণফুলি কোম্পানি লি. সমানমূল্যে বিমা করায় ‘ঢ’ কোম্পানির মতো ‘ণ’ এবং ‘ত’ কোম্পানিও সমভাবে দায়বদ্ধ। তাই ৯ কোটি টাকার ক্ষতি তিনটি কোম্পানির মধ্যে সমান ভাগে ভাগ হবে। সুতরাং বলা যায় যে, ‘ঢ’ কোম্পানি যৌক্তিক দাবি করেছে। মমমপ্রশ্ন৩ ‘ঢ’ ফার্মাসিউটিক্যাল লি. যুক্তরাজ্য থেকে কাঁচামাল আমদানির জন্য ‘মডার্ন শিপিং লাইনস’ এর সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়। আমদানিকৃত পণ্য সম্পূর্ণ বিমা করা হয়েছে এবং প্রিমিয়ামের টাকা সম্পূর্ণ পরিশোধ করা হয়েছে। যাত্রাপথে কোনো সমস্যা ছাড়াই মডার্ন শিপিং লাইনস এর জাহাজটি বন্দরে এসে পৌঁছে। [দি. বো. ১৭] অ ক. দুর্ঘটনা বিমা কী? ১ অ খ. গবাদিপশু বিমা বলতে কী বোঝ? ২ অ গ. ‘ঢ’ ফার্মাসিউটিক্যাল লি.-এর বিমাপত্রটি ছিল কী ধরনের? ব্যাখ্যা করো। ৩ অ ঘ. ‘ঢ’ ফার্মাসিউটিক্যাল লি. প্রিমিয়ামের টাকা ফেরত পাবে কি? তোমার মতামতের সপক্ষে যুক্তি দাও। ৪ ৩ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক অপ্রত্যাশিতভাবে ঘটে যাওয়া কোনো ঘটনার ফলে ব্যক্তির জীবন বা সম্পত্তির ক্ষতি হলে তা আর্থিকভাবে মোকাবিলা করার জন্য বিমাগ্রহীতা ও বিমাকারীর মধ্যে যে চুক্তি সম্পাদিত হয় তাকে দুর্ঘটনা বিমা বলে। খ যে বিমা চুক্তিতে বিমাকারী গবাদি পশুর মৃত্যুজনিত ক্ষতি আর্থিকভাবে মোকাবিলা করার নিশ্চয়তা প্রদান করে তাকে গবাদি পশু বিমা বলে। গবাদি পশু বিমার ক্ষেত্রে বিমাগ্রহীতা ও বিমাকারী উভয়পক্ষ পরম বিশ্বাসের নীতি মেনে বিমাচুক্তি সম্পাদন করে। এ ক্ষেত্রে বিমাপত্রে উলি­খিত কোনো রোগে বা দুর্ঘটনায় গবাদি পশুর মৃত্যু হলে বিমাকারী ক্ষতিপূরণ প্রদান করে থাকে। গবাদি পশু বিমার চুক্তির মেয়াদ

এইচএসসি ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং দ্বাদশ অধ্যায় নৌ বিমা সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর Read More »

এইচএসসি ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং একাদশ অধ্যায় জীবন বিমা সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

অধ্যায়-১১: জীবন বিমা গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর মমমপ্রশ্ন১ জনাব রহিমের বর্তমান বয়স ৪৫ বছর। তিনি শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত। তিনি তার সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে নিজ নামে ১৫ বছরের একটি জীবন বিমাপত্র গ্রহণ করেন। তিনি তার স্ত্রীকে বিমাপত্রের নমিনি করেন। পরপর ৩ বছর কিস্তি প্রদান করার পর জনাব রহিমের মৃত্যু হয়। মেয়াদপূর্তির পর তার স্ত্রী বিমা কোম্পানির নিকট বিমা দাবি পেশ করে। [ঢা. বো. ১৭] অ ক. প্রিমিয়াম কী? ১ অ খ. সমর্পণ মূল্য বলতে কী বোঝায়? ২ অ গ. জনাব রহিম কোন ধরনের বিমাপত্র গ্রহণ করেছেন? ব্যাখ্যা করো। ৩ অ ঘ. উদ্দীপকের আলোকে জনাব রহিমের স্ত্রী কি বিমা দাবি করতে পারবেন? যুক্তিসহ ব্যাখ্যা করো। ৪ ১ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক বিমা চুক্তিতে বিমাগ্রহীতা এককালীন অথবা নির্দিষ্ট সময় অন্তর বিমাকারীকে যে অর্থ প্রদান করে তাকে প্রিমিয়াম বলে। খ যদি বিমাগ্রহীতা কর্তৃক বিমাপত্রের প্রিমিয়াম নিয়মিত পরিশোধ করা সম্ভব না হয়, তাহলে তিনি বিমাপত্র কোম্পানিকে সমর্পণ করে কিছু অর্থ গ্রহণ করেন। একে সমর্পণ মূল্য বলে। সমর্পণ মূল্য প্রিমিয়ামের একটি অংশ। বিমা চুক্তির মেয়াদ কমপক্ষে দুই বছর উত্তীর্ণ হওয়ার পর সমর্পণ মূল্য পরিশোধ করা হয়। গ উদ্দীপকের জনাব রহিম মেয়াদি বিমাপত্র গ্রহণ করেছেন। এই বিমাপত্রে উলি­খিত নির্দিষ্ট মেয়াদপূর্তিতে বিমাগ্রহীতাকে বিমা দাবির অর্থ বিমাকারী পরিশোধ করে থাকে। সাধারণত মেয়াদি বিমাপত্র নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্যই গৃহীত হয়। উদ্দীপকের জনাব রহিম শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত। তিনি সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে নিজ নামে ১৫ বছরের জন্য একটি বিমাপত্র গ্রহণ করেন। অর্থাৎ তিনি নির্দিষ্ট একটি মেয়াদকালের জন্য জীবন বিমাপত্রটি গ্রহণ করেছেন। যা জীবন বিমার আওতাভুক্ত মেয়াদি বিমাপত্র। উক্ত বিমাপত্রটি মেয়াদপূর্তিতে অথবা তার অবর্তমানে উত্তরাধিকারীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে। ঘ উদ্দীপকের জনাব রহিমের গৃহীত মেয়াদি বিমাপত্রের একমাত্র মনোনীত ব্যক্তি তার স্ত্রী হওয়ায় তিনি বিমা দাবির যোগ্য অধিকারী। মেয়াদি বিমাপত্রে নির্দিষ্ট মেয়াদপূর্তিতে বিমাগ্রহীতাকে বিমা দাবির অর্থ একত্রে পরিশোধ করা হয়। বিমাগ্রহীতার মৃত্যুতে তার মনোনীত ব্যক্তি বিমা চুক্তির অর্থ গ্রহণের অধিকার রাখে। উদ্দীপকে জনাব রহিম ১৫ বছরের জন্য মেয়াদি একটি মেয়াদি জীবন বিমাপত্র গ্রহণ করেন। উক্ত বিমাপত্রে জনাব রহিম তার স্ত্রীকে নমিনি হিসেবে মনোনয়ন করেন। তবে পরপর তিন বছর বিমা কিস্তি প্রদানের পর জনাব রহিম মারা যান। জনাব রহিমের স্ত্রী এ পর্যায়ে বিমাপত্রের একমাত্র দাবিদার। মেয়াদি বিমাপত্রের শর্ত পূরণ করে জনাব রহিম তিন বছর পর্যন্ত প্রিমিয়াম প্রদান করেছেন। আর তার গৃহীত বিমাপত্রে তিনি তার স্ত্রীকে নমিনি হিসেবে উলে­খ করায় বিমাকারী প্রতিষ্ঠান তার স্ত্রীকে বিমা দাবি পরিশোধে বাধ্য। সঙ্গত কারণে জনাব রহিমের স্ত্রী বিমা দাবি করতে পারবেন। মমমপ্রশ্ন২ জনাব তৌহিদ ১৫ বছরের জন্য ৫ লক্ষ টাকার একটি জীবন বিমা চুক্তি সম্পাদন করেন। ৫ বছর প্রিমিয়াম পরিশোধের পর তিনি আর্থিক অসামর্থের কারণে তার পক্ষে বিমাপত্রটি চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় বলে বিমা কোম্পানিকে জানান এবং বিমা দাবি আদায়ের জন্য আবেদন করেন। [রা. বো. ১৭] অ ক. জীবন বিমা কী? ১ অ খ. জীবন বিমাকে নিশ্চয়তার চুক্তি বলা হয় কেন? ব্যাখ্যা করো। ২ অ গ. জনাব তৌহিদ কোন ধরনের জীবন বিমাপত্র গ্রহণ করেছেন- আলোচনা করো। ৩ অ ঘ. জনাব তৌহিদ কী বিমাকারী কোম্পানি থেকে বিমা দাবি পাওয়ার অধিকারী হবেন? যুক্তি দাও। ৪ ২ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক প্রিমিয়াম বা বিমা সেলামির বিনিময়ে বিমাগ্রহীতা নিজের বা অন্যের জীবনের ঝুঁকিজনিত ক্ষতির প্রতিরোধ বা লাঘব করার জন্য বিমা কোম্পানির কাছ থেকে যে প্রতিশ্র“তি পেয়ে থাকেন তাকে জীবন বিমা বলা হয়। খ যে বিমা চুক্তিতে কোনো ক্ষতি সংঘটিত হলে ক্ষতিপূরণ না করে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদানের প্রতিশ্র“তি দেয়া হয় তাকে নিশ্চয়তার চুক্তি বলা হয়। জীবনহানি হলে বা দুর্ঘটনায় পড়লে, মানুষের ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা যায় না। তাই জীবন বিমাকৃত কেউ মারা গেলে বা পঙ্গু হলে কী পরিমাণ অর্থ প্রদান করা হবে- বিমা কোম্পানি তার নিশ্চয়তা দিয়ে থাকে। এ জন্য জীবন বিমাকে নিশ্চয়তার চুক্তি বলা হয়। গ উদ্দীপকে জনাব তৌহিদ জীবন বিমার মেয়াদি বিমাপত্র (ঊহফড়সিবহঃ ঢ়ড়ষরপু) গ্রহণ করেছেন। সাধারণত একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য মেয়াদি বিমাপত্র করা হয়ে থাকে। এই বিমাপত্রে এমন শর্ত থাকে যে, উক্ত সময়ের মধ্যে বিমাগ্রহীতা মারা গেলে তার মনোনীত ব্যক্তি বিমাকৃত অর্থ পাবেন। উদ্দীপকে জনাব তৌহিদ ১৫ বছরের জন্য ৫ লক্ষ টাকার একটি জীবন বিমা চুক্তি করেছেন। তাই এ বিমা পলিসির টাকা তিনি ১৫ বছর পর উত্তোলন করতে পারবেন। কিন্তু তিনি এই সময়ের মধ্যে মারা গেলে তার মনোনীত ব্যক্তি এ অর্থ পাবেন। এখানে জনাব তৌহিদের বিমাটি ১৫ বছরের জন্য করা হয়েছে বিধায় তা একটি মেয়াদি জীবন বিমাপত্র হিসেবে বিবেচিত হবে। ঘ উদ্দীপকের জনাব তৌহিদ বিমা দাবি পাওয়ার অধিকারী হবেন না, তবে তিনি বিমাপত্রের সমর্পণ (ঝঁৎৎবহফবৎ াধষঁব) মূল্য পাবেন। বিমাগ্রহীতা আর্থিক অসচ্ছলতা বা অন্য কোনো কারণে বিমা চালু রাখতে সক্ষম না হলে বিমা কোম্পানির কাছে তা সমর্পণ করতে পারেন। এর ফলে বিমাকারী কোম্পানি থেকে বিমাগ্রহীতা যে অর্থ পান তাকে বিমাপত্রের সমর্পণ মূল্য বলা হয়। উদ্দীপকে জনাব তৌহিদ ৫ লক্ষ টাকার একটি মেয়াদি জীবন বিমাপত্র গ্রহণ করেন। ১৫ বছরের বিমাপত্রে তিনি ৫ বছর প্রিমিয়াম পরিশোধের পর আর্থিকভাবে অসমর্থ হয়ে পড়েন। তাই তিনি বিমা দাবি আদায়ের জন্য আবেদন করেন। এখানে তিনি চুক্তি অনুযায়ী বিমাকৃত সম্পূর্ণ মূল্য দাবি করতে পারবেন না। কারণ বিমাপত্রের মেয়াদ আরও ১০ বছর বাকি আছে এবং তিনি এখনও জীবিত আছেন। তবে তিনি বিমাপত্রের সমর্পণ মূল্য দাবি করতে পারেন। সমর্পণ মূল্য পাওয়ার ক্ষেত্রে একটি শর্ত হলো ন্যূনতম ২ বছর পর্যন্ত কিস্তি প্রদান করতে হবে। এখানে জনাব তৌহিদ ৫ বছর কিস্তি প্রদান করেছেন। তাই তিনি সম্পূর্ণ বিমা দাবি না পেলেও সমর্পণ মূল্য পাবেন। মমমপ্রশ্ন৩ ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে মি. কামাল একটি জীবন বিমা পলিসি গ্রহণ করেন। যার উত্তরাধিকারী করা হয় তার স্ত্রীকে। বিমা পলিসি গ্রহণকালে তিনি তার একটি মারাÍক রোগের কথা গোপন রাখেন। তিনটি প্রিমিয়ামের টাকা প্রদানের পর মি. কামাল মৃত্যুবরণ করেন। মিসেস কামাল বিমা দাবি পেশ করলে বিমা কোম্পানি তা প্রত্যাখ্যান করে। [দি. বো. ১৭] অ ক. স্থলাভিষিক্তকরণ নীতি কী? ১ অ খ. ‘বিমা হলো ক্ষতিপূরণের চুক্তি’Ñ ব্যাখ্যা করো। ২ অ গ. মি. কামাল কোন ধরনের জীবন বিমা করেছিলেন? ব্যাখ্যা করো। ৩ অ ঘ. বিমা কোম্পানি মিসেস কামালের বিমা দাবি প্রত্যাখ্যান করে কেন? বুঝিয়ে বলো। ৪ ৩ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক যে নীতি অনুযায়ী বিমাকৃত সম্পত্তির ক্ষতিতে সম্পূর্ণ ক্ষতিপূরণের পর অবশিষ্ট সম্পত্তির মালিকানা বিমা কোম্পানির নিকট স্থানান্তরিত হয় তাকে স্থলাভিষিক্তকরণ নীতি বলে। উদাহরণ : জনাব আসগর তার ব্যক্তিগত গাড়িটি ৩০ লক্ষ টাকার বিমা করেন। দুর্ঘটনায় গাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে বিমা কোম্পানি জনাব আসগরের বিমাদাবি পরিশোধ করে। এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িটি বিমা কোম্পানি জনাব রহমানের নিকট ২০,০০০ টাকায় বিক্রি করে। স্থলাভিষিক্তকরণ নীতি অনুযায়ী এই ২০,০০০ টাকা জনাব আসগর দাবি করতে পারবেন না। এই অর্থ বিমা কোম্পানির। খ বিমা হলো এক ধরনের লিখিত চুক্তি। এই চুক্তিতে বিমাগ্রহীতা বিমাকৃত বস্তুর ক্ষতির

এইচএসসি ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং একাদশ অধ্যায় জীবন বিমা সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর Read More »

এইচএসসি ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং দশম অধ্যায় বিমা সম্পর্কে মৌলিক ধারণা সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

অধ্যায়-১০: বিমা সম্পর্কে মৌলিক ধারণা গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর মমমপ্রশ্ন১ মি. সিহান তার বাবার সাথে একই বাড়িতে থাকেন। বাড়িটি সিহানের বাবার নামে। ভ‚মিকম্প হলে বাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এই কথা চিন্তা করে মি. সিহান বাড়িটি বিমা করতে গেলে বিমা কোম্পানি বাড়িটি বিমা করতে অস্বীকৃতি জানায়। তখন মি. সিহানের বাবা নিজেই বাড়িটি বিমা করেন। তারপর মি. সিহান বিমা কোম্পানিকে না জানিয়ে বাড়ির ২য় তলার কাজ শুরু করেন। ২য় তলার কাজ শেষ হওয়ার পরপরই বাড়িটি একপাশে হেলে যায়। মি. সিহানের বাবা বিমা দাবি পেশ করলে বিমা কোম্পানি বিমা দাবি পূরণে অস্বীকৃতি জানায়। [ঢা. বো. ১৭] অ ক. বিমা কী? ১ অ খ. বিমাযোগ্য স্বার্থ বলতে কী বোঝায়? ২ অ গ. কোন নীতির জন্য মি. সিহানের প্রস্তাবে বিমা কোম্পানি বাড়িটি বিমা করতে সম্মত হয়নি? ব্যাখ্যা করো। ৩ অ ঘ. উদ্দীপকের আলোকে সিহানের বাবা কি বিমা দাবি পাওয়ার যোগ্য? বিশ্লেষণ করো। ৪ ১ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক বিমা হলো এক ধরনের লিখিত চুক্তি, যেখানে বিমাগ্রহীতা নির্দিষ্ট প্রিমিয়ামের বিনিময়ে তার সম্ভাব্য ঝুঁকি বা বিপদের ভার বিমাকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ওপর অর্পণ করে। খ বিমাকৃত বিষয়বস্তুতে বিমাগ্রহীতার যে আর্থিক স্বার্থ থাকে তাকে বিমাযোগ্য স্বার্থ বলে। এ ধরনের স্বার্থ না থাকলে বিমা চুক্তি করা যায় না। সাধারণত বিমাযোগ্য স্বার্থ বিমাকারী প্রতিষ্ঠান দ্বারা সংরক্ষিত হয়। মূলত বিমার বিষয়বস্তুর ওপর বিমাকারীর আর্থিক স্বার্থ থাকে এবং বিমাকারী প্রতিষ্ঠান এ বিমাকৃত বিষয়বস্তুর আর্থিক ক্ষতি হলে তা পূরণের দায়িত্ব গ্রহণ করে। গ উদ্দীপকে বিমাযোগ্য স্বার্থের অভাবে মি. সিহানের বিমা চুক্তির প্রস্তাব বিমা কোম্পানি প্রত্যাখ্যান করেছে। বিমাযোগ্য স্বার্থ বলতে মালিকানা স্বত্ব বা আর্থিক স্বার্থকে বোঝায়। অর্থাৎ বিমাকৃত বিষয়বস্তুর ক্ষতিতে বিমাগ্রহীতার আর্থিক ক্ষতির বিষয়টি জড়িত থাকে। উদ্দীপকে মি. সিহান যে বাড়িতে বাস করেন তা তার বাবার নামে ছিল। অর্থাৎ বাড়িটির প্রকৃত মালিক মি. সিহানের বাবা। ভ‚মিকম্পজনিত ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে মি. সিহান বাড়িটি বিমা করার প্রস্তাব করলে বিমা কোম্পানি এতে অস্বীকৃতি জানায়। এক্ষেত্রে বিমা কোম্পানি মূলত বিমাযোগ্য স্বার্থের নীতির আলোকে বিমা প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করেছে। কারণ বাড়িটি ভ‚মিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হলে প্রকৃতপক্ষে বাড়িটির মালিক মি. সিহানের বাবা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, যা মি. সিহানের ওপর প্রত্যক্ষভাবে কোনো প্রভাব ফেলবে না। ঘ উদ্দীপকের উলে­খ্য পরিস্থিতিতে প্রত্যক্ষ কারণে ক্ষতিপূরণ ও সদ্বিশ্বাসের নীতি লঙ্ঘিত হওয়ায় মি. সিহানের বাবা বিমা দাবি আদায়ে অযোগ্য হবেন। বিমা চুক্তি দ্বারা বিমাকারী ও বিমাগ্রহীতার মধ্যে সদ্বিশ্বাসের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। আর তাই উভয় পক্ষ বিমা সম্পর্কিত সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সঠিকভাবে প্রদানে বাধ্য থাকে। উদ্দীপকে মি. সিহানের বাবা নিজ মালিকানাধীন বাড়িটি বিমা করেন। এক্ষেত্রে বিষয়বস্তুর ক্ষতির সম্ভাব্য ঝুঁকি হিসেবে ভ‚মিকম্পকে উলে­খ করা হয়েছে। পরবর্তীতে মি. সিহান বিমা কোম্পানিকে না জানিয়ে বাড়ির ২য় তলার কাজ শুরু করেন। যার প্রেক্ষিতে বাড়িটি একপাশে হেলে পরে, যা বিমা শর্তের অন্তর্ভূক্ত ছিল না। উলে­খ্য পরিস্থিতিতে মি. সিহানের বাবা বিমা দাবি পাওয়ার অযোগ্য। কারণ বিমাকৃত বাড়িটির সম্ভব্য ঝুঁকি হিসেবে ভ‚মিকম্পকে উলে­খ করা হলেও তা পুনঃনির্মাণ ত্র“টিতে হেলে পড়ে। এর দ্বারা বিমা চুক্তির প্রত্যক্ষ কারণ নীতির ব্যত্যয় (ঠরড়ষধঃব) ঘটেছে। এছাড়াও মি. সিহান বাড়ির পুনঃনির্মাণের বিষয়টি বিমা কোম্পানির নিকট গোপন করেছেন, যা বিমা চুক্তির সদ্বিশ্বাসের সম্পর্ককে লঙ্ঘন করেছে। তাই মি. সিহানের বাবা বিমা দাবি আদায় করতে পারবেন না। মমমপ্রশ্ন২ জনাব জমিরের একটি পোশাক তৈরির কারখানা আছে। তিনি তার প্রতিষ্ঠানটি ৫০ লক্ষ টাকায় বিমা করেছিলেন। দুর্ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং জনাব জমির বিমা দাবি পেশ করেন। বিমা কোম্পানি সম্পূর্ণ ক্ষতিপূরণ প্রদান করে। উদ্ধারকৃত সম্পত্তি বিমা কোম্পানি দাবি করায়, জনাব জমির শুরুতে তা হস্তান্তরে অস্বীকৃতি জানালেও পরবর্তীতে তা প্রদানে বাধ্য হন। [রা. বো. ১৭] অ ক. বিমা কাকে বলে? ১ অ খ. বিমাকে পরম বিশ্বাসের চুক্তি বলা হয় কেন? ব্যাখ্যা করো। ২ অ গ. উদ্দীপকে উলি­খিত সম্পত্তি হস্তান্তর বিমার কোন নীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ? আলোচনা করো। ৩ ঘ. সম্পূর্ণ ক্ষতিপূরণ পাওয়ার পরেও জনাব জমিরের সম্পত্তি হস্তান্তরে অস্বীকৃতির সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল কি না? তোমার মতামত দাও। ৪ ২ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক বিমা হলো এক ধরনের লিখিত চুক্তি, যেখানে বিমাগ্রহীতা নির্দিষ্ট প্রিমিয়ামের বিনিময়ে তার সম্ভাব্য ঝুঁকি বা বিপদের দায় বিমাকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ওপর অর্পণ করেন। খ বিমাকারী ও বিমাগ্রহীতা উভয়পক্ষই আবশ্যকীয় সব তথ্য একে অন্যকে প্রদানে বাধ্য থাকেন বিধায় বিমা চুক্তিকে পরম বিশ্বাসের চুক্তি বলা হয়। বিমা চুক্তির মাধ্যমে বিমাকারী ও বিমাগ্রহীতার মধ্যে সদ্বিশ্বাসের (ঋরফঁপরধৎু) সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। সে কারণে চুক্তিবদ্ধ পক্ষসমূহ একে অন্যের কাছে চুক্তির বিষয়ে সব তথ্য সঠিক ও সম্পূর্ণভাবে প্রকাশে বাধ্য থাকেন। গ উদ্দীপকে উলি­খিত সম্পত্তি হস্তান্তর বিমার স্থলাভিষিক্তকরণের (ঝঁনৎড়মধঃরড়হ) নীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই নীতি অনুযায়ী, বিমাকৃত সম্পদের সম্পূর্ণ ক্ষতিপূরণ করলে বিমা কোম্পানি ঐ সম্পত্তির ভগ্নাবশেষ বা যা কিছু অবশিষ্ট থাকে তার মালিকানা পায়। এটি বিমা ব্যবসায়ের একটি অন্যতম মূলনীতি। উদ্দীপকে জনাব জমিরের একটি পোশাক তৈরির কারখানা আছে। প্রতিষ্ঠানটি দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হলে তিনি বিমা কোম্পানির কাছে বিমা দাবি পেশ করেন। সম্পূর্ণ ক্ষতিপূরণ প্রদানের পর বিমা কোম্পানি উদ্ধারকৃত সম্পত্তি হস্তান্তরের দাবি জানায়। জনাব জমির প্রথমে এতে অসম্মতি জানায়। কিন্তু তিনি পরে সম্পত্তি হস্তান্তরে বাধ্য হন। বিমার স্থলাভিষিক্তকরণের নীতিটি এক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়েছে বলা যায়। কারণ, এখানে বিমা কোম্পানি বিমাকৃত সম্পত্তির ক্ষতির সম্পƒর্ণ অংশের ক্ষতিপূরণ প্রদান করেছে। তাই এ নীতি অনুযায়ী এ সম্পত্তির অবশিষ্টাংশের মালিকানা পাবে বিমা কোম্পানি। ঘ উদ্দীপকে জনাব জমিরের বিমাকৃত সম্পত্তি হস্তান্তরে অস্বীকৃতির সিদ্ধান্তটি স্থলাভিষিক্তকরণ (ঝঁনৎড়মধঃরড়হ) নীতি অনুযায়ী সঠিক ছিল না। বিমা চুক্তির একটি অপরিহার্য উপাদান হলো স্থলাভিষিক্তকরণ। বিমা চুক্তি অনুযায়ী, সম্পূর্ণ ক্ষতিপূরণ প্রদান করলে বিমা কোম্পানি বিমাকৃত সম্পত্তির অবশিষ্ট অংশের মালিক হবে। উদ্দীপকে জনাব জমির তার প্রতিষ্ঠানের জন্য বিমা করেন। দুর্ঘটনায় প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি হলে বিমা কোম্পানি তাকে সম্পূর্ণ ক্ষতিপূরণ প্রদান করে। তবুও উদ্ধারযোগ্য সম্পত্তি হস্তান্তর করতে জনাব জমির অস্বীকৃতি জানান। এখানে, জনাব জমিরের প্রতিষ্ঠানটি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তিনি বিমাকৃত সম্পূর্ণ মূল্যই বিমা কোম্পানি থেকে ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন। অর্থাৎ তিনি তার ন্যায্য পাওনা পেয়েছেন। স্থলাভিষিক্তকরণ নীতি অনুযায়ী ক্ষতিপূরণকৃত সম্পত্তি থেকে যদি কিছু উদ্ধার করা যায়- তার মালিক হবে বিমা কোম্পানি। তাই বলা যায়, উদ্ধারযোগ্য সম্পত্তি হস্তান্তরে জনাব জমিরের অস্বীকৃতি জানানো উচিত হয়নি। মমমপ্রশ্ন৩ মি. চৌধুরী জাহাজ ব্যবসায়ী। বিদেশ থেকে পণ্য আনা-নেয়া তার কাজ। বৈদ্যুতিক সর্ট সার্কিটের মাধ্যমে আগুন লেগে তার একটি জাহাজের দুই-তৃতীয়াংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তিনি বিমা কোম্পানির কাছে সম্পূর্ণ জাহাজের ক্ষতিপূরণ চেয়ে বিমা দাবি পেশ করেন। বিমা কোম্পানি প্রথমে দাবি পূরণে অপারগতা প্রকাশ করলেও পরবর্তীতে শর্ত সাপেক্ষে তা পূরণ করতে চায়। [দি. বো. ১৭] ক. বিমা কী? ১ খ. বিমাকে পরম বিশ্বাসের চুক্তি বলা হয় কেন? ২ গ. মি. চৌধুরীর দাবি পূরণে বিমা কোম্পানির অপারগতা প্রকাশের কারণ কী? ৩ অ ঘ. কি শর্তে বিমা কোম্পানি মি. চৌধুরীর দাবি পূরণ করবে বলে তুমি মনে করো? তোমার মতের সপক্ষে যুক্তি দাও। ৪ ৩ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক বিমা হলো এক ধরনের লিখিত চুক্তি,

এইচএসসি ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং দশম অধ্যায় বিমা সম্পর্কে মৌলিক ধারণা সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর Read More »

এইচএসসি ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং নবম অধ্যায় ইলেকট্রনিক ও আধুনিক ব্যাংকিং সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

অধ্যায়-৯: ইলেকট্রনিক ও আধুনিক ব্যাংকিং গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর মমমপ্রশ্ন১ মি. নাহিদ ও মি. শাকিল দুই ভাই ফাইভ স্টার হোটেলে চাকরি করেন। তাদের দুই ভাইয়েরই পদ্মা ব্যাংকে হিসাব রয়েছে। পদ্মা ব্যাংক মি. নাহিদকে একটি প্লাস্টিক কার্ড প্রদান করেছে যার মাধ্যমে সে তার জমাকৃত টাকা উত্তোলন করা ছাড়াও পণ্য ক্রয় করতে পারে। অপরদিকে, পদ্মা ব্যাংক মি. শাকিলকেও একটি প্লাস্টিক কার্ড সরবরাহ করেছে, যেটি দ্বারা বাকিতে পণ্য ক্রয় করা ছাড়াও ধারে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। পদ্মা ব্যাংক দেশের বিভিন্ন এলাকায় শাখা স্থাপন করে সেবা প্রদান করছে। তাছাড়া গ্রাহকদের আরো আধুনিক সেবা কিভাবে বাড়ানো যায় তা নিয়ে ব্যাংকটি ভাবছে। [ঢা. বো. ১৭] অ ক. ই-ব্যাংকিং কী? ১ অ খ. অনলাইন ব্যাংকিং জগতে কাগজি মুদ্রার ব্যবহার হ্রাস পাওয়ার কারণ কী? ব্যাখ্যা করো। ২ অ গ. উদ্দীপকে উলি­খিত ব্যাংকটি মি. নাহিদকে কোন ধরনের কার্ড ইস্যু করেছে? ব্যাখ্যা করো। ৩ অ ঘ. মি. শাকিলের কার্ড দ্বারা অর্থ স্থানান্তর করা কি সম্ভব? ব্যাখ্যা করো। ৪ ১ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক উন্নততর ইলেকট্রনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে অতি দ্রুত, নির্ভুল ও বিস্তৃত কার্য পরিচালনায় সক্ষম ব্যাংক ব্যবস্থাকেই ই-ব্যাংকিং বলে। খ অনলাইন ব্যাংকিং প্রক্রিয়ায় কম্পিউটার প্রযুক্তিনির্ভর একটি নেটওয়ার্ক ব্যবস্থায় গ্রাহক ব্যাংকের যেকোনো শাখা হতে ব্যাংকিং সুবিধা ভোগ করে, যা কাগজি মুদ্রার ব্যবহার হ্রাস করেছে। অর্থ জমাদান, অর্থ সংগ্রহ, চেকের অর্থ সংগ্রহ, বিল প্রদান ইত্যাদি কাজে অনলাইন ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ করা যায়। যার ফলে গ্রাহককে ব্যাংকের নির্দিষ্ট শাখায় ব্যাংকিং-এর জন্য নগদ অর্থ বহন করতে হয় না। এজন্যই অনলাইন ব্যাংকিং জগতে কাগজি মুদ্রার ব্যবহার হ্রাস পাচ্ছে। গ উদ্দীপকের উলি­খিত ব্যাংকটি মি. নাহিদকে ডেবিট কার্ড ইস্যু করেছে। এ কার্ডের মাধ্যমে একজন গ্রাহক তার ব্যাংক হিসাব থেকে জমাকৃত অর্থ উত্তোলনের সুযোগ পান। এছাড়াও কেনাকাটা ক্ষেত্রে ডেবিট কার্ড অর্থের ন্যায় কাজ করে। উদ্দীপকের মি. নাহিদ পদ্মা ব্যাংকে একটি হিসাব পরিচালনা করেন। তার হিসাবের বিপরীতে ব্যাংক তাকে একটি বিশেষ ধরনের প্লাস্টিক কার্ড প্রদান করেছে। এর দ্বারা মি. নাহিদ তার ব্যাংক হিসাব থেকে অর্থ উত্তোলনসহ পণ্য ক্রয়েরও সুযোগ পেয়ে থাকেন। অর্থাৎ মি. নাহিদের গৃহীত কার্ডটির সাথে ডেবিট কার্ডের সাদৃশ্য রয়েছে। তাই বলা যায়, মি. নাহিদের কার্ডটি বৈশিষ্ট্যগত দিক থেকে একটি ডেবিট কার্ড। ডেবিট কার্ড : ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের জন্য ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক গ্রাহককে প্রদত্ত চুম্বুকভিত্তিক সাংকেতিক নম্বরযুক্ত এক বিশেষ ধরনের প্লাস্টিক কার্ডকে ডেবিট কার্ড বলে। এ কার্ডের মাধ্যমে ক্রয়কৃত পণ্যের মূল্য পরিশোধ, নগদ টাকা বা চেকের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যায়। ঘ উদ্দীপকের মি. শাকিলের কার্ডটি একটি ক্রেডিট কার্ড। উক্ত কার্ডটি দ্বারা অর্থ স্থানান্তর করা অসম্ভব। ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের গ্রাহকরা ঋণ সুবিধাসহ ধারে পণ্য ক্রয়ের সুবিধা পেয়ে থাকেন। তবে ডেবিট কার্ডহোল্ডারের ন্যায় অর্থ স্থানান্তরে কোনোরূপ সুবিধা তারা পান না। উদ্দীপকে মি. শাকিল পদ্মা ব্যাংক থেকে এক ধরনের প্লাস্টিক কার্ড গ্রহণ করেছেন। যার দ্বারা বাকিতে পণ্য ক্রয় করা ছাড়াও তিনি ধারে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। অর্থাৎ মি. শাকিল পদ্মা ব্যাংক থেকে ক্রেডিট কার্ড গ্রহণ করেছেন। মি. শাকিলের গৃহীত কার্ড দ্বারা ক্রেডিট কার্ডের সকল সুবিধা গ্রহণ করা সম্ভব। তবে ক্রেডিট কার্ডের সকল সুবিধা গ্রহণ সম্ভব। তবে ক্রেডিট কার্ডের গ্রাহকদের যেহেতু ব্যাংক হিসাবে অর্থ জমা থাকার প্রয়োজন হয় না, সেহেতু কার্ডহোল্ডাররা অর্থ স্থানান্তরের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন। আর তাই মি. শাকিল একজন ক্রেডিট কার্ডহোল্ডার হওয়ায় তার কার্ড দ্বারা অর্থ স্থানান্তর করা সম্ভব হবে না। ক্রেডিট কার্ড : যে কার্ড ব্যবহার করে পণ্য বা সেবা বাকিতে ক্রয় করা যায় তাকে ক্রেডিট কার্ড বলে। এ কার্ড নগদ অর্থের প্রয়োজন মেটায়। ব্যাংকের সাথে লেনদেনকারী স্বচ্ছল গ্রাহকগণ এ ধরনের প্লাস্টিক কার্ড গ্রহণ করেন। মমমপ্রশ্ন২ ‘ত’ ব্যাংক লিমিটেড কেনাকাটার সুবিধার্থে গ্রাহকদের এক ধরনের কার্ড সরবরাহ করেছে। ভবিষ্যতে গ্রাহক সেবা আরো উন্নত করার লক্ষ্যে ব্যাংকটি যখন যেখানে প্রয়োজন, সেখানেই গ্রাহককে নগদ অর্থ- উত্তোলনের সুযোগ দিয়ে এই ধরনের কার্ড ইস্যুর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। [রা. বো. ১৭] অ ক. ইলেকট্রনিক ব্যাংকিং কী? ১ অ খ. স্বয়ংক্রিয় নিকাশঘর বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা করো। ২ অ গ. ‘ত’ ব্যাংক লি. গ্রাহকদের সুবিধার্থে কী ধরনের কার্ড সরবরাহ করেছে? ব্যাখ্যা করো। ৩ অ ঘ. গ্রাহক সেবা বৃদ্ধিতে ‘ত’ ব্যাংক লিমিটেড কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ তাদের প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়নে কতটুকু ভ‚মিকা রাখবে বলে তুমি মনে করো? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও। ৪ ২ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর কম্পিউটারাইজড প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দ্রুত ও নির্ভুলভাবে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করাকে ইলেকট্রনিক ব্যাংকিং বলা হয়। খ স্বয়ংক্রিয় নিকাশঘর (অঁঃড়সধঃবফ ঈষবধৎরহম ঐড়ঁংব) একটি সমন্বিত ইলেকট্রনিক সেবা পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের লেনদেনসমূহ ইলেকট্রনিক উপায়ে বিনিময় ও নিষ্পন্ন করা হয়। এতে আলাদা করে চেক কাটা, চেক প্রদান, গ্রাহক কর্তৃক পুনরায় চেক জমা, এসব ঝামেলা থেকে মুক্ত থাকা যায়। সাধারণত দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিকাশঘরের কাজটি পরিচালনা করে। গ উদ্দীপকে ‘ত’ ব্যাংক লি. গ্রাহকদের সুবিধার্থে তাদেরকে ডেবিট কার্ড সরবরাহ করেছে। এটি চুম্বকীয় শক্তিসম্পন্ন এক ধরনের প্লাস্টিক কার্ড। গ্রাহকের হিসাব থেকে অর্থ উত্তোলন ও স্থানান্তরের জন্য ব্যাংক তার গ্রাহকদেরকে এই কার্ড সরবরাহ করে। গ্রাহকের হিসাবে পর্যাপ্ত অর্থ থাকলেই তিনি এ কার্ডের মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন। উদ্দীপকে ‘ত’ ব্যাংক লিমিটেড কেনাকাটার সুবিধার্থে গ্রাহকদের এক ধরনের কার্ড সরবরাহ করেছে। গ্রাহক সেবা আরো উন্নত করার লক্ষ্যে ব্যাংকটি এ কার্ড ইস্যু করেছে। এ কার্ড ব্যবহার করে গ্রাহক ব্যাংকের যে কোনো এটিএম বুথ থেকে নগদ অর্থ উত্তোলন করার সুযোগ পাবেন। গ্রাহকের হিসাবের বিপরীতে ব্যাংক এ কার্ড ইস্যু করেছে। ফলে গ্রাহক তার জমাকৃত অর্থ এ কার্ডের মাধ্যমে নগদ উত্তোলন করতে পারবেন। সুতরাং আমরা বলতে পারি যে, ব্যাংকটি গ্রাহকদেরকে ডেবিট কার্ড ব্যবহারের সুবিধা প্রদান করেছে। ঘ উদ্দীপকে গ্রাহক সেবা বৃদ্ধিতে ‘ত’ ব্যাংক গ্রাহকদেরকে ডেবিট কার্ড সরবরাহ করেছে, যা ব্যাংকটির প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখবে। ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে ব্যাংক গ্রাহকদেরকে আধুনিক ও ইলেকট্রনিক ব্যাংকিং সেবা প্রদান করতে পারে। ফলে গ্রাহকদেরকে সন্তষ্ট করা যায়। ব্যাংকিং ব্যবসায়ের সাফল্য অনেকাংশেই গ্রাহক সন্তুষ্টির ওপর নির্ভর করে। উদ্দীপকে ‘ত’ ব্যাংক লি. কেনাকাটার সুবিধার্থে গ্রাহকদের এক ধরনের কার্ড সরবরাহ করেছে। গ্রাহক সেবাকে আরো উন্নত করার লক্ষ্যেই ব্যাংক এ কার্ড ইস্যু করেছে। এই কার্ডের মাধ্যমে গ্রাহক এটিএম বুথ থেকে যেকোনো সময় নগদ অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন। এই কার্ড ইস্যুর কারণে ‘ত’ ব্যংকের পক্ষে নতুন গ্রাহক সৃষ্টি করা সহজ হবে। কারণ, সহজ পদ্ধতিতে অর্থ উত্তোলনের সুযোগ থাকায় অনেকেই এ ব্যাংকে হিসাব খুলবেন। কোনো ব্যাংক কর্মীর সহযোগিতা ছাড়াই গ্রাহক অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন। ফলে ব্যাংকের ব্যয় কমানোর সুযোগ থাকবে। এছাড়াও, উন্নত সেবার কারণে অন্যান্য প্রতিযোগী ব্যাংকের গ্রাহকও ‘ত’ ব্যাংকে আসতে পারেন। সুতরাং, ‘ত’ ব্যাংক কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ তাদের প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়নকে গতিশীল করবে এবং কাক্সিক্ষত সাফল্য অর্জনে ভ‚মিকা রাখবে বলে আমি মনে করি। মমমপ্রশ্ন৩ মি. জহির সপরিবারে কক্সবাজার বেড়াতে যান। সঙ্গে অল্প কিছু নগদ টাকা ছাড়াও এক ধরনের প্লাস্টিকের কার্ড নিয়ে যান। যা দিয়ে

এইচএসসি ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং নবম অধ্যায় ইলেকট্রনিক ও আধুনিক ব্যাংকিং সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর Read More »

এইচএসসি ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং অষ্টম অধ্যায় বৈদেশিক বিনিময় ও বৈদেশিক মুদ্রা সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

অধ্যায়-৮: বৈদেশিক বিনিময় ও বৈদেশিক মুদ্রা গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর মমমপ্রশ্ন১ জনাব সোহেল খুলনায় ‘সোহেল এ্যাপারেলস লি.’ নামে একটি গার্মেন্টস পরিচালনা করছেন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে একাটি অর্ডারের বিপরীতে তিনি ছয় লাখ ডলারের একটি ড্রাফট (জবপবরঢ়ঃ) পেয়েছেন। অন্যদিকে স্বীকৃতি (খবঃঃবৎ ড়ভ পৎবফরঃ) দিয়ে যুক্তরাজ্য থেকে আমদানিকৃত সাত লাখ টাকার কাপড়ের মূল্য তাকে দ্রুত পরিশোধ করতে হবে। [রা. বো. ১৭] অ ক. বৈদেশিক বিনিময় কী? ১ অ খ. আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে বিনিময় হার নির্ধারণ গুরুত্বপূর্ণ কেন? ব্যাখ্যা করো। ২ অ গ. রপ্তানির বিপরীতে গৃহীত ড্রাফটের অর্থ জনাব সোহেল কীভাবে সংগ্রহ করবেন? ব্যাখ্যা করো। ৩ অ ঘ. যুক্তরাজ্য থেকে আমদানিকৃত কাপড়ের মূল্য দ্রুত পরিশোধে সোহেল কোন পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন বলে তুমি মনে করো? যুক্তি দাও। ৪ ১ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক বৈদেশিক বিনিময় বলতে সাধারণত এক দেশের সাথে অন্য দেশের লেনদেন বা বিনিময়কে বোঝায়। খ আমদানি রপ্তানি ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে পণ্যের মূল্য পরিশোধের জন্য বিনিময় হার নির্ধারণ করা গুরুত্বপূর্ণ। দুটি দেশের মুদ্রার মূল্যের তুলনা করে বিনিময় হার নির্ধারণ করা হয়। পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি দেশের নিজস্ব মুদ্রা আছে। তাই সাধারণত এক দেশের মুদ্রা অন্য দেশে ব্যবহার করা যায় না। এজন্য বৈদেশিক লেনদেন নিষ্পত্তি করতে মুদ্রার বিনিময় হার নির্ধারণ করা প্রয়োজন। গ উদ্দীপকে রপ্তানির বিপরীতে গৃহীত ড্রাফটি ব্যাংকে ভাঙ্গিয়ে জনাব সোহেল অর্থ সংগ্রহ করবেন। ব্যাংক ড্রাফট হলো একটি হস্তান্তরযোগ্য ঋণের দলিল, যা চাহিবামাত্র হস্তান্তর করা যায়। প্রাপক ব্যাংক ড্রাফটের অর্থ সরাসরি ব্যাংক থেকে সংগ্রহ করতে পারেন। উদ্দীপকে জনাব সোহেল “সোহেল এ্যাপারেলস লি.” নামে একটি গার্মেন্টস পরিচালনা করছেন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে একটি অর্ডারের বিপরীতে তিনি ছয় লাখ ডলারের একটি ড্রাফট পেয়েছেন। অর্থাৎ উক্ত অর্ডারের বিপরীতে তিনি ব্যাংক ড্রাফট গ্রহণ করেছেন। আমদানিকারক যখন ব্যাংক ড্রাফট পাঠিয়েছেন তখন তাকে কমিশনসহ সম্পূর্ণ অর্থ ব্যাংকে জমা দিতে হয়েছে। তাই জনাব সোহেল ব্যাংক ড্রাফটি ব্যাংকে জমা দিয়ে তার পাওনা অর্থ সংগ্রহ করতে পারবেন। ঘ যুক্তরাজ্য থেকে আমদানিকৃত কাপড়ের মূল্য দ্রুত পরিশোধে জনাব সোহেল বৈদেশিক বিনিময় বিল (ইরষষ ড়ভ বীপযধহমব) ব্যবহার করতে পারেন। এরূপ বিলের মাধ্যমে, পাওনাদার অর্থ পরিশোধের জন্য বিদেশি দেনাদারের ওপর একটি শর্তহীন লিখিত নির্দেশ প্রদান করতে পারেন। আমদানিকারক বিলে স্বীকৃতি দিলে তা বৈধ বিলে পরিণত হয়। ফলে রপ্তানিকারক তা ব্যাংকে জমা দিয়ে অথবা আগাম বাট্টা বা বিক্রয় করে অর্থ সংগ্রহ করতে পারেন। উদ্দীপকে জনাব সোহেল খুলনায় একটি গার্মেন্টস পরিচালনা করছেন। ব্যবসায়ের প্রয়োজনে তাকে যুক্তরাজ্য হতে কাপড় আমদানি করতে হয়েছে। তাই আমদানিকৃত কাপড়ের সাত লক্ষ টাকা মূল্য তাকে দ্রুত পরিশোধ করতে হবে। জনাব সোহেল বৈদেশিক বিনিময় বিলের মাধ্যমে কাপড়ের মূল্য দ্রুত পরিশোধ করতে পারবেন। তিনি বিলে স্বীকৃতি দিলে তা বৈধ বিলে পরিণত হবে। ফলে রপ্তানিকারক বিলটি ব্যাংকে বাট্টাকরণ (উরংপড়ঁহঃরহম) করে মেয়াদপূর্তির পূর্বেই অর্থ সংগ্রহ করতে পারবেন। সুতরাং, জনাব সোহেল বৈদেশিক বিনিময় বিলে স্বীকৃতি দিয়ে দ্রুত পণ্য মূল্য পরিশোধ করতে পারবেন। বাট্টাকরণ : রপ্তানিকারক কর্তৃক বিনিময় বিলের মূল্যের কিছু কম মূল্যে অর্থ সংগ্রহ করাকে বাট্টাকরণ বলে। মমমপ্রশ্ন২ মেসার্স খাঁন এন্টারপ্রাইজ একটি পোশাক রপ্তানিকারী প্রতিষ্ঠান। যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে তাদের ৫ লক্ষ পিস জিন্সের প্যান্ট রপ্তানির চুক্তি হয়। মেসার্স খাঁন এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মি. খানের ধারণা প্রতি প্যান্ট থেকে তিনি ৮০ টাকা করে মুনাফা করবেন। এক্ষেত্রে তাঁর মুনাফার পরিমাণ হবে ৪ কোটি টাকা। কিন্তু ব্যবসায় শেষে দেখা গেল মুনাফার পরিমাণ তার ধারণার চেয়ে বেশ কিছু বেশি হয়েছে। [দি. বো. ১৭] অ ক. ফ্যাক্টরিং কী? ১ অ খ. প্রত্যয়পত্র বলতে কী বোঝ? ২ অ গ. যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে মেসার্স খাঁন এন্টারপ্রাইজের যে চুক্তিটি হয় তা কোন প্রক্রিয়ায় সংঘটিত হয়? এ প্রক্রিয়ার তিনটি নিয়ম উলে­খ করো। ৩ অ ঘ. মি. খাঁনের ধারণার চেয়ে মুনাফা বৃদ্ধির কারণ কী? ব্যাখ্যা করো। ৪ ২ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক কোনো ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিকট বাট্টায় প্রাপ্য বিল বিক্রি করলে তাকে ফ্যাক্টরিং বলে। খ আমদানিকারকের পক্ষে রপ্তানিকারকের অনুক‚লে অর্থ পরিশোধের নিশ্চয়তা প্রদান করে ব্যাংক যে পত্র ইস্যু করে তাকে প্রত্যয়পত্র বলে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকের মধ্যকার দূরত্বে মুদ্রার মানের ভিন্নতাসহ বিভিন্ন বাধার সৃষ্টি হয়। এতে বৈদেশিক বাণিজ্যে মূল্য পরিশোধ বিষয়ে জটিলতা ও সন্দেহের সৃষ্টি হয়ে থাকে। আর এসব সমস্যা দূর করার জন্য মূল্য পরিশোধের নিশ্চয়তা দিয়ে ব্যাংক প্রত্যয়পত্র ইস্যু করে। গ উদ্দীপকে যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে মেসার্স খাঁন এন্টারপ্রাইজের যে চুক্তিটি হয় তা বিনিময় হার নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় সংঘটিত হয়। এ হার নির্ধারণে দেশীয় মুদ্রা দ্বারা বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয় বা বিক্রয় করা হয়। অর্থাৎ কোনো দেশের এক একক মুদ্রা অন্য আরেকটি দেশের যে পরিমাণ মুদ্রা ক্রয় করতে সক্ষম তা-ই মূলত বৈদেশিক বিনিময় হার। উদ্দীপকে মেসার্স খাঁন এন্টারপ্রাইজ পোশাক রপ্তানিকারক। যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে তাদের পাঁচ লক্ষ পিস জিন্সের প্যান্ট রপ্তানির চুক্তি হয়। এ রপ্তানি চুক্তির মূল্য পরিশোধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের টাকার বিপরীতে ডলারের বিনিময় হার নির্ধারণ করবে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে বিনিময় হার নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় দুটি দেশের মুদ্রার ক্রয় ক্ষমতা দ্বারা রপ্তানি মূল্য পরিশোধিত হবে। এছাড়াও এ হার নির্ধারণে স্বর্ণমান ব্যবস্থা এবং মুদ্রার চাহিদা ও যোগান তত্ত¡ ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ঘ উদ্দীপকে দেশীয় মুদ্রায় বিনিময় হার হ্রাস পাওয়ায় মি. খানের ধারণার চেয়ে মুনাফা বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশীয় মুদ্রায় বিনিময় হার হ্রাস বলতে দেশের অপেক্ষাকৃত বেশি মুদ্রায় বিদেশের কম মুদ্রা গ্রহণকে বোঝায়। মূলত দুটি দেশের মুদ্রার চাহিদা ও যোগানের তারতম্যের কারণে বিনিময় হারের হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে। উদ্দীপকে মেসার্স খান এন্টারপ্রাইজ পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান। যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠনের সাথে তাদের পাঁচ লক্ষ পিস জিন্সের প্যান্ট রপ্তানির চুক্তি হয়। মি. খান প্রত্যাশা করেন প্রতি প্যান্ট থেকে তিনি ৮০ টাকা করে মুনাফা করবেন। অর্থাৎ এক্ষেত্রে সর্বমোট প্রত্যাশিত মুনাফার পরিমাণ চার কোটি টাকা। কিন্তু ব্যবসা শেষে দেখা গেল মুনাফার পরিমাণ প্রত্যাশার তুলনায় অধিক হয়েছে। এ রপ্তানি চুক্তিতে দেশীয় মুদ্রায় বিনিময় হার হ্রাস পাওয়ায় মি. খান অধিক মুনাফা করেছেন। অর্থাৎ দেশে ডলারের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় টাকার মূল্য হ্রাস পেয়েছে। এ পর্যায়ে মি. খান রপ্তানি মূল্য হিসেবে দেশে ডলারের যোগান দেয়ায় তিনি পূর্বের তুলনায় অপেক্ষাকৃত বেশি টাকা পেয়েছেন। যার ফলে তার মুনাফার পরিমাণ প্রত্যাশার চেয়ে বেশি হয়েছে। দেশীয় মুদ্রায় বিনিময় হার হ্রাস : দেশের অপেক্ষাকৃত বেশি মুদ্রায় বিদেশের কম মুদ্রা পাওয়া গেলে বিনিময় হার হ্রাস পেয়েছে বলা যায়। ধরা যাক, বাংলাদেশের ৭০ টাকায় ১ ডলার পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে টাকার সাথে ডলারের বিনিময় হার ১৭০ ভাগ। কিন্তু ডলারের মূল্য বৃদ্ধির কারণে ৮০ টাকা দিয়ে ১ ডলার পাওয়া গেলে বিনিময় হার কমে দাঁড়ায় ১৮০ ডলার। মমমপ্রশ্ন৩ আমাদের দেশে রপ্তানির তুলনায় আমদানি বেশি হওয়ার কারণে রপ্তানি আয় আমাদের মুদ্রাকে শক্তিশালী করছে না। তবে আশার কথা এই যে, আমাদের দেশ থেকে অনেক শ্রমিক এখন বিদেশে যাচ্ছে এবং তাদের পাঠানো অর্থ আমাদের বৈদেশিক বিনিময় সামর্থ্যকে ধরে রাখছে। কিন্তু আমাদের পাঠানো অধিকাংশ শ্রমিক অদক্ষ বলে তাদের পারিশ্রমিক অনেক কম। যদি দক্ষ শ্রমিক পাঠানো যায়, তবে

এইচএসসি ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং অষ্টম অধ্যায় বৈদেশিক বিনিময় ও বৈদেশিক মুদ্রা সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর Read More »

এইচএসসি ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং সপ্তম অধ্যায় ব্যাংক তহবিলের উৎস ও ব্যবহার সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

অধ্যায়-৭: ব্যাংক তহবিলের উৎস ও ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর মমমপ্রশ্ন১ রূপসা ব্যাংকের কাছে অ ফার্মের ব্যবস্থাপক চলতি মূলধনের চাহিদা পূরণের জন্য দুই কোটি টাকার ঋণের আবেদন করেছেন। অন্যদিকে ই কোম্পানি লি. একটি উৎপাদনমুখী প্রতিষ্ঠান, যেটি পাঁচটি ভিন্ন ধরনের প্রকল্পের জন্য দুই কোটি টাকা ঋণের আবেদন করেছে। উক্ত প্রকল্পগুলোর প্রতিটির খরচ চলি­শ লাখ টাকা। অবশ্য রূপসা ব্যাংক শুধু একই ধরনের প্রকল্পে ঋণ না দিয়ে বিভিন্ন প্রকল্পে ঋণ দিয়ে থাকে। [রা. বো. ১৭] অ ক. ব্যাংক তহবিল কী? ১ অ খ. ঋণ মঞ্জুরের কালে গ্রাহকের চরিত্র বিবেচনা করতে হয় কেন? ব্যাখ্যা করো। ২ অ গ. উদ্দীপকে উলি­খিত রূপসা ব্যাংকটি ঋণ মঞ্জুরের সময় কোন বিষয়টি অধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকে? ব্যাখ্যা করো। ৩ অ ঘ. উদ্দীপকে উলি­খিত রূপসা ব্যাংকের দুইটি ঋণের মধ্যে কোন ঋণটি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ? যুক্তি সহকারে ব্যাখ্যা করো। ৪ ১ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক ব্যবসায়িক প্রয়োজনে নিজস্ব (সঞ্চিতি তহবিল, আমানত) বা বহিস্থ (সাধারণ শেয়ার) উৎস থেকে ব্যাংক যে অর্থ সংগ্রহ করে তার সমষ্টিকে ব্যাংক তহবিল বলা হয়। খ ঋণের অর্থ ফেরত পাওয়ার নিশ্চয়তা যাচাই করার জন্য ব্যাংক ঋণ মঞ্জুর করতে ঋণগ্রহীতার চরিত্র বিবেচনা করে। ঋণগ্রহীতার সুনাম ও সততা যাচাই করে দেখা উচিত। কোনো ব্যক্তির সামাজিক সুনাম ও সততা না থাকলে তাকে ঋণ মঞ্জুর করা উচিত নয় । এরূপ ব্যক্তিকে ঋণ প্রদান করলে উক্ত ঋণের টাকা ফেরত পেতে ব্যাংককে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়। এজন্য ঋণ মঞ্জুর কালে গ্রাহকের চরিত্র বিবেচনা করতে হয়। গ উদ্দীপকে রূপসা ব্যাংকটি ঋণ মঞ্জুরের সময় প্রকল্পের বৈচিত্র্যায়নের বিয়ষটিকে অধিক গুরুত্ব দেয়। ঋণ প্রদানে বৈচিত্রায়ণ বলতে, একই ধরনের প্রকল্পের পরিবর্তে একাধিক খাতকে গুরুত্ব দেয়াকে বোঝায়। এর মাধ্যমে ঝুঁকি কমানো যায়। উদ্দীপকে রূপসা ব্যাংকের কাছে অ ও ই কোম্পানি ঋণের জন্য আবেদন করেছে। অ কোম্পানি চলতি মূলধনের চাহিদা পূরণের জন্য ঋণের আবেদন করেছে। অপরদিকে, ই কোম্পানি পাঁচটি ভিন্ন ধরণের প্রকল্পের জন্য ঋণের আবেদন করেছে। রূপসা ব্যাংক একই প্রকল্পে ঋণ না দিয়ে বিভিন্ন প্রকল্পে ঋণ দিয়ে থাকে। এতে কোন একটি খাতে লোকসান হলেও অন্যান্য প্রকল্প হতে প্রাপ্ত মুনাফা দ্বারা তারা ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার সুযোগ পাবে। তাই বলা যায় যে, রূপসা ব্যাংক বৈচিত্রায়নের নীতিটি অনুসরণ করেছে। ঘ উদ্দীপকে অ কোম্পনিকে ঋণ দেয়া রূপসা ব্যাংকের জন্য অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। ঝুঁকি এড়ানোর জন্য ঋণ মঞ্জুরকালে ব্যাংক তার নিজের তারল্য, প্রকল্পের বৈচিত্রতা, জামানতের পরিমাণ, ঋণ গ্রহণের উদ্দেশ্য বিবেচনা করে। ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে ভুল হলে, ঋণের টাকা ফেরত পেতে ব্যাংকগুলোকে অনেক ঝামেলায় পরতে হয়। উদ্দীপকে রূপসা ব্যাংকের নিকট অ কোম্পানি চলতি মূলধনের চাহিদা পূরণের জন্য ঋণের আবেদন করেছে। অপরদিকে ই কোম্পানি তাদের পাঁচটি ভিন্ন ভিন্ন প্রকল্পের জন্য ঋণের আবেদন করেছে। কোম্পানি দুটির প্রত্যেকেই দুই কোটি টাকার জন্য উক্ত আবেদন করেছে। তাই আমরা বলতে পারি যে, অ কোম্পানি ঋণ নিয়ে তা কোম্পানির চলতি মূলধন হিসেবে বিনিয়োগ করবে। ফলে কোম্পানির লোকসান হলে ব্যাংক প্রদত্ত ঋণ পরিশোধ করা তাদের জন্য কঠিন হয়ে পরবে। অন্যদিকে, ই কোম্পানি ঋণ নিয়ে তা পাঁচটি ভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করবে। ফলে কোন কারণে একটি প্রকল্পে লোকসান হলেও অন্যগুলোতে মুনাফা করার সুযোগ থাকবে। সুতরাং বলা যায় যে, অ কোম্পানিকে ঋণ দেয়া হলে ব্যাংককে অধিক ঝুঁকি বহন করতে হবে। মমমপ্রশ্ন২ মি. আজাদ একজন মুরগির খামারি। তার খামারে মূলত মুরগির বাচ্চা উৎপাদন করা হয়। তিনি তার ফার্মের সকল অর্থ মধুমতি ব্যাংকের চলতি হিসাবে জমা রাখেন। মুরগির বাচ্চার চাহিদা বৃদ্ধির কারণে তিনি তার ব্যাংক হিসাবে রক্ষিত টাকার চেয়ে অতিরিক্ত ১০ লক্ষ টাকা ঋণ হিসেবে গ্রহণ করেন। এছাড়াও তার খামারটি বড় করার লক্ষ্যে তিনি সম্পূর্ণ খামারটি ঐ ব্যাংকের নিকট বন্ধক রাখা ছাড়াও একজন বিশিষ্ট ব্যক্তির সুপারিশে আরো ৩০ লক্ষ টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। [দি. বো. ১৭] অ ক. ই-ব্যাংকিং কী? ১ অ খ. নগদ ব্যবস্থাপনা বলতে কী বোঝ? ২ অ গ. মি. আজাদ প্রথমে যে ঋণ নিয়েছিলেন সেটা কী ঋণ? ব্যাখ্যা করো। ৩ অ ঘ. মি. আজাদ কোন কোন জামানতের ভিত্তিতে পরবর্তী ঋণ গ্রহণ করেন? ব্যাখ্যা করো। ৪ ২ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক উন্নত ইলেকট্রনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে অতি দ্রুত, নির্ভুল ও বিস্তৃত কার্য পরিচালনায় সক্ষম ব্যাংক ব্যবস্থাকেই ই-ব্যাংকিং বলে। খ দক্ষতার সাথে নগদ আদায়, নগদ পরিশোধ এবং কী পরিমাণ অর্থ হাতে রাখা প্রয়োজন তা নির্ধারণ করাকে নগদ ব্যবস্থাপনা বলে। ব্যবসায়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নগদ অর্থ প্রয়োজন। আবার অপ্রত্যাশিত কোনো ঘটনা মোকাবিলা করার জন্যও নগদ ব্যবস্থাপনা জরুরি। এছাড়াও লাভজনক বিনিয়োগের সুযোগ গ্রহণ করতে নগদ ব্যবস্থাপনা করা হয়ে থাকে। গ উদ্দীপকে মি. আজাদ প্রথমে তার ব্যাংক হিসাবে রক্ষিত টাকার চেয়ে অতিরিক্ত দশ লক্ষ টাকা ঋণ হিসেবে গ্রহণ করেন, যা ব্যাংক জমাতিরিক্ত ঋণ। চলতি হিসাবে জমার অতিরিক্ত পরিমাণ অর্থ উত্তোলনের সুযোগই জমাতিরিক্ত ঋণ। এ ধরনের ঋণ ব্যাংক তার চলতি হিসাবের গ্রাহককে প্রদান করে থাকে। স্বল্পমেয়াদি ঋণের প্রয়োজন মিটানোর জন্য গ্রাহকরা এ ধরনের ঋণ নেয়। উদ্দীপকে মি. আজাদ একজন মুরগির খামারী। তার খামারে মূলত মুরগির বাচ্চা উৎপাদন করা হয়। তিনি তার ফার্মের সকল অর্থ মধুমতি ব্যাংকের চলতি হিসাবে জমা রাখেন। অর্থাৎ তিনি মধুমতি ব্যাংকের একজন চলতি হিসাবধারী। তবে বাজারে মুরগির বাচ্চার চাহিদা বৃদ্ধির কারণে তিনি তার ব্যাংক হিসাবে রক্ষিত টাকার চেয়ে অতিরিক্ত দশ লক্ষ টাকা বেশি উত্তোলন করেন। এ অতিরিক্ত দশ লক্ষ টাকা তিনি ঋণ হিসেবে গ্রহণ করেন। যা ব্যাংকের চলতি হিসাবের গ্রাহকের জন্য জমাতিরিক্ত ঋণ। ঘ উদ্দীপকে মি. আজাদ পরবর্তীতে খামার বন্ধক রাখা ছাড়াও একজন বিশিষ্ট ব্যক্তির সুপারিশে ঋণ গ্রহণ করেন, যা জামানতের ভিত্তি অনুযায়ী অব্যক্তিক ও ব্যক্তিক জামানত। ঋণ গ্রহণের সময় ঋণগ্রহীতা কোনো প্রকার সম্পত্তি বন্ধক না দিয়েও কেবল ব্যক্তিক জামানতের ভিত্তিতে ঋণ গ্রহণ করে থাকে। তবে অব্যক্তিক জামানতের ভিত্তিতে ঋণ গ্রহণে ঋণগ্রহীতাকে অবশ্যই স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বন্ধক রাখতে হয়। উদ্দীপকে মি. আজাদ মুরগির খামারি। তিনি খামারটি বড় করার লক্ষ্যে ব্যাংক থেকে ত্রিশ লক্ষ টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। এক্ষেত্রে তিনি ঋণের জামানত হিসেবে ব্যাংকে সম্পূর্ণ খামারটি বন্ধক রাখেন। এছাড়াও একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি এ ঋণের জন্য ব্যাংকে সুপারিশ করেন। অর্থাৎ বিশিষ্ট ব্যক্তির সুপারিশ এ ঋণের ক্ষেত্রে ব্যাংকের জন্য ব্যক্তিগত জামানত হিসেবে কাজ করেছে। মি. আজাদের গৃহীত ঋণের বিপরীতে তার খামারটি জামানত হিসেবে কাজ করেছে, যা স্থাবর সম্পত্তি। অর্থাৎ খামারটি অব্যক্তিক জামানত হিসেবে গণ্য। এক্ষেত্রে মি. আজাদের ত্রিশ লক্ষ টাকা গৃহীত ঋণের বিপক্ষে ব্যাংক ব্যক্তিক ও অব্যক্তিক উভয় ধরনের জামানত গ্রহণ করেছে। মমমপ্রশ্ন৩ কোনো দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নে ব্যাংক গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে। ব্যাংক তার তহবিল থেকে বিভিন্ন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে সুদের বিনিময়ে ঋণ দিয়ে থাকে। এই ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় বিবেচনা করে ব্যাংককে ঋণ দিতে হয়। কারণ ঋণের অর্থ সময়মত ফেরত না এলে ব্যাংক আর্থিক বিপর্যয়ে পড়বে এবং আমানতিদের অর্থ সময়মত ফেরত দিতে পারবে না। [কু. বো. ১৭] অ ক. ভ্রাম্যমাণ নোট কী? ১ অ খ. ভোগ্যপণ্য

এইচএসসি ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং সপ্তম অধ্যায় ব্যাংক তহবিলের উৎস ও ব্যবহার সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর Read More »

এইচএসসি ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং ষষ্ঠ অধ্যায় চেক, বিল অব এক্সচেঞ্জ ও প্রমিসরি নোট সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

অধ্যায়-৬: চেক, বিল অব এক্সচেঞ্জ ও প্রমিসরি নোট গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর মমমপ্রশ্ন১ মি. সাজ্জাদ তার ব্যাংক হিসাবের একটি চেক জনাব সিফাতকে দিলেন। চেকে প্রাপকের ঘরে কোনো নাম লেখা ছিল না। জনাব সিফাত চেকটি তার ব্যাংক হিসাবে জমা দেয়ার জন্য তার কর্মচারীকে ব্যাংকে পাঠালেন। তবে জমা দেয়ার আগে চেকের বামপাশে দুটি রেখা পাশাপাশি টেনে দেন। প্রাপকের নাম না থাকায় ব্যাংক কর্মকর্তা ম্যানেজার সাহেবকে বিষয়টি জানান। ম্যানেজার সাহেব বললেন, চেকের টাকা মি. সিফাতের হিসাবে জমা করে দিলে কোনো সমস্যা নেই। [ঢা. বো. ১৭] অ ক. বাসি চেক কী? ১ অ খ. চেকের অনুমোদন-এর ধারণাটি ব্যাখ্যা করো। ২ অ গ. মি. সাজ্জাদ, জনাব সিফাতকে কোন ধরনের চেক প্রদান করেছিলেন? বর্ণনা করো। ৩ অ ঘ. চেকটি জনাব সিফাতের ব্যাংক হিসাবে জমা দেয়ার যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ করো। ৪ ১ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক প্রস্তুত তারিখের পর থেকে চেক ভাঙানোর আইনানুগ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে চেক ভাঙানো না হলে উক্ত চেককে বাসি চেক বলে। খ হস্তান্তরের উদ্দেশ্যে চেকের আদেষ্টা বা প্রাপক বা ধারক কর্তৃক চেকের উল্টোপিঠে কিংবা উক্ত কাগজে কোনো কিছু লিখে বা না লিখে স্বাক্ষর করাকে চেকের অনুমোদন বলে। চেক একটি হস্তান্তরযোগ্য দলিল। চেক হস্তান্তরের জন্য অনুমোদনের প্রয়োজন হতেও পারে আবার নাও হতে পারে। চেক অনুমোদনের মুখ্য উদ্দেশ্য হলো চেকটি হস্তান্তর করা অর্থাৎ অনুমোদনকারী কর্তৃক অন্যকে চেকের স্বত্ব প্রদান করা। হস্তান্তরের জন্য বাহক চেকে অনুমোদন প্রয়োজন হয় না কিন্তু দাগকাটা চেকের ক্ষেত্রে অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। গ উদ্দীপকের মি. সাজ্জাদ, জনাব সিফাতকে বাহক চেক প্রদান করেছিলেন। এই চেকের টাকা ব্যাংক যেকোনো বাহককে প্রদান করে। চেকে প্রাপকের নাম লেখা থাকলেও ব্যাংক চেকের অর্থ এর বাহককে পরিশোধ করে থাকে। এই চেকটি কেবল হাত বদলের দ্বারাই স্বত্ব হস্তান্তরিত হয়। উদ্দীপকে মি. সাজ্জাদ তার ব্যাংক হিসাবের একটি চেক জনাব সিফাতকে প্রদান করেন। অর্থাৎ মি. সাজ্জাদ, জনাব সিফাতকে চেকটি প্রদানের মাধ্যমে এর স্বত্ব হস্তান্তর করেছেন। আর শুধু বাহক চেকের ক্ষেত্রেই হাত বদলের দ্বারা স্বত্ব পরিবর্তীত হয়। তবে উক্ত চেকে প্রাপকের নামের স্থানটি ফাঁকা ছিল, যা বাহক চেক হিসেবে ব্যাংক গ্রহণ করে থাকে। ঘ উদ্দীপকের জনাব সিফাতের ব্যাংক হিসাবে প্রাপকের নাম ছাড়া দাগকাটা চেকটি জমা দেয়ার কোনো প্রকার যৌক্তিকতা নেই। বাহক বা হুকুম চেকের বামকোণে দুটি আড়াআড়ি দাগ টানা চেকই মূলত দাগকাটা চেক। এ চেকের অর্থ প্রাপ্তিতে চেকে অবশ্যই প্রাপকের নাম উলে­খ করতে হয়। উদ্দীপকের মি. সাজ্জাদ তার ব্যাংক হিসাবের একটি চেক জনাব সিফাতকে দিলেও তাতে প্রাপকের নামের স্থানটি ফাঁকা ছিল। অর্থাৎ মি. সাজ্জাদ, জনাব সিফাতকে একটি বাহক চেক ইস্যু করেছিল। পরবর্তীতে জনাব সিফাত চেকটিতে দুটি দাগ টেনে দাগকাটা চেকে রূপান্তর করেন। তবে দাগকাটার মাধ্যমে চেকটি দাগকাটা চেকে পরিণত হলেও তাতে প্রাপকের নামের স্থানটি ফাঁকাই ছিল। জনাব সিফাত পরবর্তীতে চেকটি জমা দিতে তার কর্মচারীকে ব্যাংকে পাঠালেন। ব্যাংক কর্মকর্তা ব্যাংকের ম্যানেজারের পরামর্শে জনাব সিফাতের ব্যাংক হিসাবে চেকটি জমা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। এক্ষেত্রে দাগকাটা চেক কেবল গ্রাহকের ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে নগদায়ন (ওহ পধংয) হওয়ায় এ চেকে প্রাপকের নাম থাকা অবশ্যক, যা জনাব সিফাতের গৃহীত চেকে ছিল না। তাই বলা যায়, ব্যাংক ম্যানেজারের আদেশে চেকটি জনাব সিফাতের হিসাবে জমা দেয়ার সিদ্ধান্তটি অযৌক্তিক। মমমপ্রশ্ন২ মি. রহিম একজন ব্যবসায়ী। তিনি তার পাওনাদারের নিকট থেকে একটি চেক পান যার বাম পাশে আড়াআড়িভাবে দুটি দাগের মধ্যে ‘হস্তান্তরযোগ্য নয়’ কথাটি লেখা ছিল। চেকটি ব্যাংকে উপস্থাপন করলে ম্যানেজার সাহেব সরাসরি চেকের টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তবে টাকা ওঠানোর জন্য তিনি মি. রহিমকে একটি সহজ উপায় বলে দেন। [দি. বো. ১৭] অ ক. হুকুম চেক কী? ১ অ খ. অগ্রিম চেক বলতে কী বোঝ? ২ অ গ. মি. রহিম পাওনাদারের নিকট থেকে যে চেকটি পেয়েছিলেন সেটি কী চেক? এ চেকের তাৎপর্য সংক্ষেপে বর্ণনা করো। ৩ অ ঘ. ব্যাংক ম্যানেজার মি. রহিমকে টাকা উঠানোর জন্য কী সহজ উপায় বলে দেন? বিশ্লেষণ করো। ৪ ২ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক যে চেকে প্রাপকের নামের শেষে “অথবা আদেশানুসারে” শব্দদ্বয় লেখা থাকে তাকে হুকুম চেক বা আদেশ চেক বলে। খ যে চেক ভবিষ্যতের কোনো তারিখ দিয়ে প্রস্তুত করা হয় তাকে অগ্রিম চেক বলে। এ ধরনের চেক প্রস্তুতে চেক ইস্যুর তারিখ উলে­খ না করে কোনো ভবিষ্যৎ বা পরবর্তী তারিখের উলে­খ করা হয়। আর উলি­খিত তারিখের পূর্বে এ চেক ভাঙ্গানো যায় না। গ উদ্দীপকে মি. রহিম পাওনাদারের নিকট থেকে যে চেকটি পেয়েছিলেন তা একটি সাধারণভাবে দাগকাটা চেক। যদি কোনো দাগকাটা চেকের দুই দাগের মাঝখানে ব্যাংক শব্দের উলে­খ না থাকে তবে উক্ত চেক সাধারণভাবে দাগকাটা চেক হিসেবে গণ্য হয়। এ ধরনের চেকে দুই দাগের মাঝখানে এন্ড কোং, প্রাপকের হিসাব, হস্তান্তরযোগ্য নয় শব্দদ্বয়ের উলে­খ থাকে। উদ্দীপকে মি. রহিম একজন ব্যবসায়ী। তিনি তার পাওনাদারের নিকট থেকে একটি চেক গ্রহণ করেন। চেকটির উপরিভাগের বাম প্রান্তে আড়াআড়িভাবে দুটি দাগ টানা ছিল। অর্থাৎ মি. রহিমের প্রাপ্ত চেকটি একটি দাগকাটা চেক। তবে চেকটিতে দুই দাগের মাঝখানে ‘হস্তান্তরযোগ্য নয়’ কথাটির উলে­খ ছিল। এ চেকের দুইদাগের মাঝখানে এ ধরনের শর্তে ‘ব্যাংক’ শব্দের উলে­খ না থাকায় তা সাধারণভাবে দাগকাটা চেকের বৈশিষ্ট্যপূর্ণ। উক্ত চেকের অর্থ মি. রহিম নিজের ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে সংগ্রহ করতে পারবেন। দাগকাটা চেক : বাহক চেক বা হুকুম চেকের উপরিভাগের বামকোণে কিছু লিখে বা না লিখে আড়াআড়িভাবে দুটি দাগ টানলে সেটি দাগকাটা চেকে রূপান্তরিত হয়। ঘ উদ্দীপকে ব্যাংক ম্যানেজার মি. রহিমকে দাগকাটা চেকের টাকা উত্তোলনে চেকের প্রস্তুতকারী দ্বারা চেকের দাগ অপসারণের বিষয়টি অবগত করেন। দাগকাটা চেকের অর্থ নগদায়নে চেকটি প্রাপকের হিসাবের মাধ্যমে ব্যাংকে উপস্থাপনের প্রয়োজন হয়। যার প্রেক্ষিতে ব্যাংক চেকের অর্থ প্রাপকের হিসাবে জমা করে। অর্থাৎ এ চেকের অর্থ ব্যাংক নগদে প্রদান করে না। উদ্দীপকে মি. রহিম একজন ব্যবসায়ী। তিনি তার পাওনাদার হতে একটি দাগকাটা চেক সংগ্রহ করেন। তবে চেকটি ব্যাংকে উপস্থাপন করলে ব্যাংক ম্যানেজার নগদে চেকের অর্থ দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এ পর্যায়ে ব্যাংক ম্যানেজার মি. রহিমকে চেকের টাকা নগদায়নের একটি সহজ উপায় বলে দেন। ব্যাংক ম্যানেজার মূলত মি. রহিমকে চেকটির দাগ অপসারণের বিষয়ে পরামর্শ দেন। এক্ষেত্রে মি. রহিম চেকের প্রস্তুতকারী দ্বারা চেকের বাম প্রান্তের আড়াআড়ি দাগ দুটি কেটে নিতে পারেন। তবে উক্ত স্থানে চেক প্রস্তুতকারীর স্বাক্ষরও গ্রহণ করতে হবে। এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দাগকাটা চেকটি হুকুম চেকে পরিণত হবে। যার অর্থ ব্যাংক এর প্রাপককে নগদে প্রদানে বাধ্য থাকবে। নগদায়ন : নগদায়ন বলতে নগদ অর্থে রূপান্তরকে বোঝায়। মমমপ্রশ্ন৩ জনাব সোহেল একজন ব্যবসায়ী। তিনি জনাব রাশেদের নিকট থেকে ২০ লক্ষ টাকার একটি চেক আনার জন্য তার ম্যানেজারকে পাঠাল। তিনি একটু চিন্তায় ছিলেন, কারণ চেকটি বড় অঙ্কের অর্থের। চেক হাতে পাওয়ার পর তিনি নিশ্চিন্ত হলেন। কারণ চেকটির বামপার্শ্বে দুটি আড়াআড়ি দাগ কাটা আছে। [কু. বো. ১৭] অ ক. হস্তান্তরযোগ্য দলিল কী? ১ অ খ. সরকারি নোট ও ব্যাংক নোটের মধ্যে পার্থক্য কী? ব্যাখ্যা করো। ২ অ গ.

এইচএসসি ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং ষষ্ঠ অধ্যায় চেক, বিল অব এক্সচেঞ্জ ও প্রমিসরি নোট সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর Read More »

Scroll to Top