এইচএসসি ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং পঞ্চম অধ্যায় হস্তান্তরযোগ্য ঋণের দলিল সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
অধ্যায়-৫: হস্তান্তরযোগ্য ঋণের দলিল গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর মমমপ্রশ্ন১ মি. কামাল ‘রূপসা ব্যাংকে’ চাকরি করেন। ঈদ সেলামি হিসেবে তিনি তার মেয়ে ঐশীকে কিছু ৫ টাকা, ১০ টাকা ও ২০ টাকার নতুন নোট উপহার দিলেন। ঐশী জানতে চাইল, এই নতুন টাকাগুলো ‘রূপসা ব্যাংক’ ছাপায় কিনা? মি. কামাল বললেন যে, কিছু টাকা সরকার ও কিছু টাকা ‘গড়াই ব্যাংক’ ছাপায় কিন্তু ‘রূপসা ব্যাংক’ কোনো টাকা ছাপাতে পারে না। [ঢা. বো. ১৭] অ ক. অঙ্গীকারপত্র কী? ১ অ খ. হস্তান্তরযোগ্য ঋণ দলিল বলতে কী বোঝায়? ২ অ গ. উদ্দীপকে উলিখিত নোটগুলো কী ধরনের নোট ব্যাখ্যা করো। ৩ অ ঘ. ‘গড়াই ব্যাংকে’র পক্ষে বাংলাদেশের প্রচলিত ১ টাকা ও ২ টাকার নোট প্রচলন করা কী সম্ভব? ৪ ১ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক অঙ্গীকারপত্র বা প্রমিসরি নোট বলতে এমন কোনো পত্র বা দলিলকে বোঝায় যাতে কোনো ব্যক্তি অপর ব্যক্তিকে কোনো নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ নির্দিষ্ট সময় পর প্রদানের অঙ্গীকার প্রদান করে। খ হস্তান্তরের মাধ্যমে যে দলিলের মালিকানার পরিবর্তন ঘটে তাকে হস্তান্তরযোগ্য ঋণের দলিল বলে। যথানিয়মে একহাত থেকে অন্যহাতে হস্তান্তরের মাধ্যমে এ দলিলের হস্তান্তরগ্রহীতা এর বৈধ মালিকানা অর্জন করে। আমাদের দেশে হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইন অনুসারে অঙ্গীকারপত্র, বিনিময় বিল ও চেক হস্তান্তরযোগ্য দলিল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। গ উদ্দীপকে উলেখ্য ৫ টাকা হলো সরকারি নোট এবং ১০ টাকা ও ২০ টাকা হলো ব্যাংক নোট। সরকারি নোট মূলত দেশের সরকার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ইস্যু করে থাকে। অন্যদিকে, ব্যাংক নোট সরকারের অনুমতিক্রমে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইস্যু করে থাকে। উদ্দীপকের প্রদত্ত তথ্যে ৫, ১০ ও ২০ টাকার নোটের উলেখ রয়েছে। এক্ষেত্রে উলিখিত নোটগুলোর মধ্যে ৫ টাকার নোট সাধারণত সরকার কর্তৃক ইস্যুকৃত। অর্থাৎ এ নোটে অর্থ সচিবের স্বাক্ষর রয়েছে, যা সরবারি নোটের পরিচয় বহন করছে। বাংলাদেশের সরকার ১ টাকা, ২ টাকা ও ৫ টাকার নোট ইস্যু করে থাকে। উক্ত তিনটি নোট ব্যতীত সকল নোটই ব্যাংক নোট। তাই উলেখ্য ১০ টাকা ও ২০ টাকার নোটকে স্বাভাবিকভাবেই ব্যাংক নোট বলা যায়। ঘ উদ্দীপকের ‘গড়াই ব্যাংক’ দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক হওয়ায় ব্যাংকটির পক্ষে বাংলাদেশের প্রচলিত ১ ও ২ টাকার সরকারি নোট প্রচলন করা সম্ভব। বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে সাধারণত সরকারি নোট ছাপা হয়। বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারের পক্ষে জনসাধারণের উদ্দেশ্যে এরূপ নোট প্রচলনের দায়িত্ব গ্রহণ করে। উদ্দীপকের ঐশী কৌতুহলের বশে জানতে চাইলো ৫ টাকা, ১০ টাকা ও ২০ টাকার নোট তার বাবা অর্থাৎ মি. কামালের ব্যাংকটি ছাপায় কিনা। মি. কামাল তাকে বললেন, কিছু টাকা সরকার ও কিছু টাকা ‘গড়াই ব্যাংক’ ছাপায়। এক্ষেত্রে উদ্দীপকে উলিখিত ৫ টাকার নোট সরকার কর্তৃক ইস্যুকৃত। আর বাকি দু’টি নোট কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসেবে ‘গড়াই ব্যাংক’ ইস্যু করে। উদ্দীপকের কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসেবে গড়াই ব্যাংকের পক্ষে কেবল ব্যাংক নোটগুলো ইস্যু করা সম্ভব। অর্থাৎ সরকারি নোট হিসেবে চিহ্নিত ১ টাকা, ২ টাকা ও ৫ টাকার নোট ‘গড়াই ব্যাংক’ ইস্যু করে না, যা শুধু সরকারের অর্থমন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রচলন করা হয়। মমমপ্রশ্ন২ রাজশাহীর রানু দাস ব্যবসায়ের প্রয়োজনে ঢাকার চকবাজারের মনু মোলাকে ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকার একটি চেক প্রদান করেন। মনু মোলা সেটি তার হিসাবে জমা দেন। তবে ১ জানুয়ারি তারিখে ইস্যুকৃত চেকটি ৮ জুলাই তারিখে ব্যাংকে জমা দেন। [চ. বো. ১৬] অ ক. প্রত্যয়পত্র কী? ১ অ খ. লভ্যাংশ ওয়ারেন্ট বলতে কী বোঝায়? ২ অ গ. উদ্দীপকে বর্ণিত চেকটি কোন ধরনের? এ চেকের সুবিধা বর্ণনা করো। ৩ অ ঘ. মনু মোলা কীভাবে তার প্রাপ্য টাকা আদায় করতে পারবেন? বিশ্লেষণ করো। ৪ ২ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক যে পত্রের মাধ্যমে ব্যাংক আমদানিকারকের পক্ষে রপ্তানিকারকের অনুক‚লে আমদানিকৃত পণ্যের মূল্য পরিশোধের নিশ্চয়তা প্রদান করে তাকে প্রত্যয়পত্র বলে। খ লভ্যাংশ ঘোষণার পর তা ব্যাংক হতে সংগ্রহের জন্য কোম্পানি শেয়ার মালিকদের যে প্রমাণপত্র প্রদান করে তাকে লভ্যাংশ ওয়ারেন্ট বলে। লভ্যাংশ ওয়ারেন্টে প্রাপ্ত মোট লভ্যাংশের পরিমাণ উলেখ থাকে। এটি ব্যাংকে জমা দিয়ে শেয়ার মালিক অর্থ সংগ্রহ করে নিতে পারে। এরূপ ওয়ারেন্ট দাগকাটা না হলে যথানিয়মে অবাধে হস্তান্তরযোগ্য। এর দ্বারা হস্তান্তরগ্রহীতা এর অর্থ সংগ্রহের অধিকারী হয়। গ উদ্দীপকে মনু মোলা কর্তৃক প্রাপ্ত চেকটি একটি দাগকাটা চেক। বাহক চেক বা হুকুম চেকের উপরিভাগের বাম প্রান্তে কিছু লিখে বা না লিখে দু’টি আড়াআড়ি দাগ টানলে তাকে দাগকাটা চেক বলে। দাগকাটা চেকের অর্থ ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে পরিশোধিত হয়। উদ্দীপকে রাজশাহীর রানু দাস ব্যবসায়িক লেনদেন হিসেবে ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকার একটি চেক ঢাকার মনু মোলাকে প্রদান করে। মনু মোলা চেকটি তার হিসাবে জমা দেন। অর্থাৎ তিনি চেকের অর্থ তার হিসাবের মাধ্যমে গ্রহণ করেন, যা কেবল দাগকাটার চেকের একক বৈশিষ্ট্য। দাগকাটা চেকের টাকা নগদায়নের ক্ষেত্রে ব্যক্তি মূলত ব্যাংক কাউন্টার থেকে নগদে অর্থ গ্রহণ করতে পারে না। তা ব্যক্তির হিসাবে জমাদান পূর্বক হিসাবের মাধ্যমে উত্তোলন করতে হয়। এক্ষেত্রে মনু মোলা তার প্রাপ্ত চেকের অর্থ উত্তোলনের জন্য দাগকাটা চেকের অর্থ উত্তোলন পদ্ধতি অনুসরণ করায় বলা যায় তার প্রাপ্ত চেকটি একটি দাগকাটা চেক। ঘ উদ্দীপকের মনু মোলার চেকটি বাসি হওয়ায় তার প্রাপ্য টাকা আদায়ে তিনি বাসি চেকের অর্থ প্রাপ্তির পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন। প্রস্তুতের তারিখের পর থেকে চেক ভাঙানোর আইনানুগ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে চেক ভাঙানো না হলে উক্ত চেককে বাসি চেক বলে। চেক ইস্যুর তারিখ থেকে পরবর্তী ছয় মাস উত্তীর্ণ হলে চেকটি বাসি চেকে পরিণত হয়। উদ্দীপকে রাশাহীর রানু দাস ব্যবসায়িক লেনদেন হিসেবে ঢাকার মনু মোলাকে একটি ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকার চেক ইস্যু করে। রানু দাস চেকটি জানুয়ারির ১ তারিখে ইস্যু করলেও মনু মোলা উক্ত চেকটি ৮ জুলাই তারিখে ব্যাংকে উপস্থাপন করে। অর্থাৎ চেকটি ইস্যু তারিখ থেকে ছয় মাস অতিক্রান্ত হয়েছে। তাই এটি বাসি চেকে রূপান্তরিত হয়েছে। মনু মোলা বাসি চেকের অর্থপ্রাপ্তিতে তা পুনরায় নবায়ন করে এর অর্থ সংগ্রহ করতে পারেন। অর্থাৎ মনু মোলা রানু দাসের কাছে পুনরায় বাসি চেকটি উপস্থাপন করবে। এরপর রানু দাস চেকের তারিখ পরিবর্তনের পর উক্ত স্থানে স্বাক্ষর সংযুক্ত করে চেকটিকে পুনরায় নবায়ন করবে। নবায়নকৃত চেকটি ব্যাংকে জমাদানের মাধ্যমে মনু মোলা বাসি চেকের অর্থ আদায়ে সক্ষম হবেন। মমমপ্রশ্ন৩ ফাতেমাকে তার বাবা কলেজে আসার সময় ৫ টাকা ও ১০ টাকার কয়েকটি নোট দিলেন। সে দেখল এতে বাংলাদেশ ব্যাংকের লোগো ব্যবহৃত হয়েছে এবং তাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের স্বাক্ষর রয়েছে। সে বাসে যেতে তার ব্যাগ থেকে একটা নোট বের করল যার ওপর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার লেখা এবং অর্থসচিব এতে স্বাক্ষর করেছেন। [ব. বো. ১৬] অ ক. পে-অর্ডার কী? ১ অ খ. ব্যাংক ড্রাফট বলতে কী বোঝায়? ২ অ গ. ফাতেমা পরবর্তীতে যে নোট ব্যাগ থেকে বের করেছে তা কোন ধরনের নোট? ব্যাখ্যা করো। ৩ অ ঘ. ‘বড় ধরনের লেনদেনে বাবা প্রদত্ত নোট ফাতেমার নিকট থাকা নোট অপেক্ষা অধিক গুরুত্বপূর্ণ’- বক্তব্যের সত্যতা মূল্যায়ন করো। ৪ ৩ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক যে দলিলের মাধ্যমে ব্যাংকের কোনো একটি শাখা এর প্রাপককে
এইচএসসি ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং পঞ্চম অধ্যায় হস্তান্তরযোগ্য ঋণের দলিল সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর Read More »