এইচএসসি

এইচএসসি ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং পঞ্চম অধ্যায় হস্তান্তরযোগ্য ঋণের দলিল সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

অধ্যায়-৫: হস্তান্তরযোগ্য ঋণের দলিল গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর মমমপ্রশ্ন১ মি. কামাল ‘রূপসা ব্যাংকে’ চাকরি করেন। ঈদ সেলামি হিসেবে তিনি তার মেয়ে ঐশীকে কিছু ৫ টাকা, ১০ টাকা ও ২০ টাকার নতুন নোট উপহার দিলেন। ঐশী জানতে চাইল, এই নতুন টাকাগুলো ‘রূপসা ব্যাংক’ ছাপায় কিনা? মি. কামাল বললেন যে, কিছু টাকা সরকার ও কিছু টাকা ‘গড়াই ব্যাংক’ ছাপায় কিন্তু ‘রূপসা ব্যাংক’ কোনো টাকা ছাপাতে পারে না। [ঢা. বো. ১৭] অ ক. অঙ্গীকারপত্র কী? ১ অ খ. হস্তান্তরযোগ্য ঋণ দলিল বলতে কী বোঝায়? ২ অ গ. উদ্দীপকে উলি­খিত নোটগুলো কী ধরনের নোট ব্যাখ্যা করো। ৩ অ ঘ. ‘গড়াই ব্যাংকে’র পক্ষে বাংলাদেশের প্রচলিত ১ টাকা ও ২ টাকার নোট প্রচলন করা কী সম্ভব? ৪ ১ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক অঙ্গীকারপত্র বা প্রমিসরি নোট বলতে এমন কোনো পত্র বা দলিলকে বোঝায় যাতে কোনো ব্যক্তি অপর ব্যক্তিকে কোনো নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ নির্দিষ্ট সময় পর প্রদানের অঙ্গীকার প্রদান করে। খ হস্তান্তরের মাধ্যমে যে দলিলের মালিকানার পরিবর্তন ঘটে তাকে হস্তান্তরযোগ্য ঋণের দলিল বলে। যথানিয়মে একহাত থেকে অন্যহাতে হস্তান্তরের মাধ্যমে এ দলিলের হস্তান্তরগ্রহীতা এর বৈধ মালিকানা অর্জন করে। আমাদের দেশে হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইন অনুসারে অঙ্গীকারপত্র, বিনিময় বিল ও চেক হস্তান্তরযোগ্য দলিল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। গ উদ্দীপকে উলে­খ্য ৫ টাকা হলো সরকারি নোট এবং ১০ টাকা ও ২০ টাকা হলো ব্যাংক নোট। সরকারি নোট মূলত দেশের সরকার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ইস্যু করে থাকে। অন্যদিকে, ব্যাংক নোট সরকারের অনুমতিক্রমে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইস্যু করে থাকে। উদ্দীপকের প্রদত্ত তথ্যে ৫, ১০ ও ২০ টাকার নোটের উলে­খ রয়েছে। এক্ষেত্রে উলি­খিত নোটগুলোর মধ্যে ৫ টাকার নোট সাধারণত সরকার কর্তৃক ইস্যুকৃত। অর্থাৎ এ নোটে অর্থ সচিবের স্বাক্ষর রয়েছে, যা সরবারি নোটের পরিচয় বহন করছে। বাংলাদেশের সরকার ১ টাকা, ২ টাকা ও ৫ টাকার নোট ইস্যু করে থাকে। উক্ত তিনটি নোট ব্যতীত সকল নোটই ব্যাংক নোট। তাই উলে­খ্য ১০ টাকা ও ২০ টাকার নোটকে স্বাভাবিকভাবেই ব্যাংক নোট বলা যায়। ঘ উদ্দীপকের ‘গড়াই ব্যাংক’ দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক হওয়ায় ব্যাংকটির পক্ষে বাংলাদেশের প্রচলিত ১ ও ২ টাকার সরকারি নোট প্রচলন করা সম্ভব। বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে সাধারণত সরকারি নোট ছাপা হয়। বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারের পক্ষে জনসাধারণের উদ্দেশ্যে এরূপ নোট প্রচলনের দায়িত্ব গ্রহণ করে। উদ্দীপকের ঐশী কৌতুহলের বশে জানতে চাইলো ৫ টাকা, ১০ টাকা ও ২০ টাকার নোট তার বাবা অর্থাৎ মি. কামালের ব্যাংকটি ছাপায় কিনা। মি. কামাল তাকে বললেন, কিছু টাকা সরকার ও কিছু টাকা ‘গড়াই ব্যাংক’ ছাপায়। এক্ষেত্রে উদ্দীপকে উলি­খিত ৫ টাকার নোট সরকার কর্তৃক ইস্যুকৃত। আর বাকি দু’টি নোট কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসেবে ‘গড়াই ব্যাংক’ ইস্যু করে। উদ্দীপকের কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসেবে গড়াই ব্যাংকের পক্ষে কেবল ব্যাংক নোটগুলো ইস্যু করা সম্ভব। অর্থাৎ সরকারি নোট হিসেবে চিহ্নিত ১ টাকা, ২ টাকা ও ৫ টাকার নোট ‘গড়াই ব্যাংক’ ইস্যু করে না, যা শুধু সরকারের অর্থমন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রচলন করা হয়। মমমপ্রশ্ন২ রাজশাহীর রানু দাস ব্যবসায়ের প্রয়োজনে ঢাকার চকবাজারের মনু মোল­াকে ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকার একটি চেক প্রদান করেন। মনু মোল­া সেটি তার হিসাবে জমা দেন। তবে ১ জানুয়ারি তারিখে ইস্যুকৃত চেকটি ৮ জুলাই তারিখে ব্যাংকে জমা দেন। [চ. বো. ১৬] অ ক. প্রত্যয়পত্র কী? ১ অ খ. লভ্যাংশ ওয়ারেন্ট বলতে কী বোঝায়? ২ অ গ. উদ্দীপকে বর্ণিত চেকটি কোন ধরনের? এ চেকের সুবিধা বর্ণনা করো। ৩ অ ঘ. মনু মোল­া কীভাবে তার প্রাপ্য টাকা আদায় করতে পারবেন? বিশ্লেষণ করো। ৪ ২ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক যে পত্রের মাধ্যমে ব্যাংক আমদানিকারকের পক্ষে রপ্তানিকারকের অনুক‚লে আমদানিকৃত পণ্যের মূল্য পরিশোধের নিশ্চয়তা প্রদান করে তাকে প্রত্যয়পত্র বলে। খ লভ্যাংশ ঘোষণার পর তা ব্যাংক হতে সংগ্রহের জন্য কোম্পানি শেয়ার মালিকদের যে প্রমাণপত্র প্রদান করে তাকে লভ্যাংশ ওয়ারেন্ট বলে। লভ্যাংশ ওয়ারেন্টে প্রাপ্ত মোট লভ্যাংশের পরিমাণ উলে­খ থাকে। এটি ব্যাংকে জমা দিয়ে শেয়ার মালিক অর্থ সংগ্রহ করে নিতে পারে। এরূপ ওয়ারেন্ট দাগকাটা না হলে যথানিয়মে অবাধে হস্তান্তরযোগ্য। এর দ্বারা হস্তান্তরগ্রহীতা এর অর্থ সংগ্রহের অধিকারী হয়। গ উদ্দীপকে মনু মোল­া কর্তৃক প্রাপ্ত চেকটি একটি দাগকাটা চেক। বাহক চেক বা হুকুম চেকের উপরিভাগের বাম প্রান্তে কিছু লিখে বা না লিখে দু’টি আড়াআড়ি দাগ টানলে তাকে দাগকাটা চেক বলে। দাগকাটা চেকের অর্থ ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে পরিশোধিত হয়। উদ্দীপকে রাজশাহীর রানু দাস ব্যবসায়িক লেনদেন হিসেবে ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকার একটি চেক ঢাকার মনু মোল­াকে প্রদান করে। মনু মোল­া চেকটি তার হিসাবে জমা দেন। অর্থাৎ তিনি চেকের অর্থ তার হিসাবের মাধ্যমে গ্রহণ করেন, যা কেবল দাগকাটার চেকের একক বৈশিষ্ট্য। দাগকাটা চেকের টাকা নগদায়নের ক্ষেত্রে ব্যক্তি মূলত ব্যাংক কাউন্টার থেকে নগদে অর্থ গ্রহণ করতে পারে না। তা ব্যক্তির হিসাবে জমাদান পূর্বক হিসাবের মাধ্যমে উত্তোলন করতে হয়। এক্ষেত্রে মনু মোল­া তার প্রাপ্ত চেকের অর্থ উত্তোলনের জন্য দাগকাটা চেকের অর্থ উত্তোলন পদ্ধতি অনুসরণ করায় বলা যায় তার প্রাপ্ত চেকটি একটি দাগকাটা চেক। ঘ উদ্দীপকের মনু মোল­ার চেকটি বাসি হওয়ায় তার প্রাপ্য টাকা আদায়ে তিনি বাসি চেকের অর্থ প্রাপ্তির পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন। প্রস্তুতের তারিখের পর থেকে চেক ভাঙানোর আইনানুগ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে চেক ভাঙানো না হলে উক্ত চেককে বাসি চেক বলে। চেক ইস্যুর তারিখ থেকে পরবর্তী ছয় মাস উত্তীর্ণ হলে চেকটি বাসি চেকে পরিণত হয়। উদ্দীপকে রাশাহীর রানু দাস ব্যবসায়িক লেনদেন হিসেবে ঢাকার মনু মোল­াকে একটি ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকার চেক ইস্যু করে। রানু দাস চেকটি জানুয়ারির ১ তারিখে ইস্যু করলেও মনু মোল­া উক্ত চেকটি ৮ জুলাই তারিখে ব্যাংকে উপস্থাপন করে। অর্থাৎ চেকটি ইস্যু তারিখ থেকে ছয় মাস অতিক্রান্ত হয়েছে। তাই এটি বাসি চেকে রূপান্তরিত হয়েছে। মনু মোল­া বাসি চেকের অর্থপ্রাপ্তিতে তা পুনরায় নবায়ন করে এর অর্থ সংগ্রহ করতে পারেন। অর্থাৎ মনু মোল­া রানু দাসের কাছে পুনরায় বাসি চেকটি উপস্থাপন করবে। এরপর রানু দাস চেকের তারিখ পরিবর্তনের পর উক্ত স্থানে স্বাক্ষর সংযুক্ত করে চেকটিকে পুনরায় নবায়ন করবে। নবায়নকৃত চেকটি ব্যাংকে জমাদানের মাধ্যমে মনু মোল­া বাসি চেকের অর্থ আদায়ে সক্ষম হবেন। মমমপ্রশ্ন৩ ফাতেমাকে তার বাবা কলেজে আসার সময় ৫ টাকা ও ১০ টাকার কয়েকটি নোট দিলেন। সে দেখল এতে বাংলাদেশ ব্যাংকের লোগো ব্যবহৃত হয়েছে এবং তাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের স্বাক্ষর রয়েছে। সে বাসে যেতে তার ব্যাগ থেকে একটা নোট বের করল যার ওপর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার লেখা এবং অর্থসচিব এতে স্বাক্ষর করেছেন। [ব. বো. ১৬] অ ক. পে-অর্ডার কী? ১ অ খ. ব্যাংক ড্রাফট বলতে কী বোঝায়? ২ অ গ. ফাতেমা পরবর্তীতে যে নোট ব্যাগ থেকে বের করেছে তা কোন ধরনের নোট? ব্যাখ্যা করো। ৩ অ ঘ. ‘বড় ধরনের লেনদেনে বাবা প্রদত্ত নোট ফাতেমার নিকট থাকা নোট অপেক্ষা অধিক গুরুত্বপূর্ণ’- বক্তব্যের সত্যতা মূল্যায়ন করো। ৪ ৩ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক যে দলিলের মাধ্যমে ব্যাংকের কোনো একটি শাখা এর প্রাপককে

এইচএসসি ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং পঞ্চম অধ্যায় হস্তান্তরযোগ্য ঋণের দলিল সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর Read More »

এইচএসসি ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং চতুর্থ অধ্যায় ব্যাংক হিসাব সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

অধ্যায়-৪: ব্যাংক হিসাব গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর মমমপ্রশ্ন১ আড়পাড়ার আনিস সাহেব অস্ট্রেলিয়ায় চাকরি করেন। তিনি ব্যাংকের মাধ্যমে প্রতিমাসে দেশে টাকা পাঠিয়ে থাকেন, যা স্থানীয় ‘নবগঙ্গা ব্যাংক’-এ জমা হচ্ছে। তবে তিনি এবার দেশে ফিরে কিছু টাকা একত্র করে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অধিক লাভজনক ব্যাংক হিসাবে রেখে দেয়ার কথা চিন্তা করছেন। [ঢা. বো. ১৭] অ ক. ব্যাংক হিসাব কী? ১ অ খ. নমুনা স্বাক্ষর কার্ড কেন প্রয়োজন হয়? ব্যাখ্যা করো। ২ অ গ. আনিস সাহেব কোন ধরনের হিসাবে টাকা জমা করছেন? ব্যাখ্যা করো। ৩ অ ঘ. আনিস সাহেবের নতুন হিসাবে টাকা জমা করা কি অধিক লাভজনক হবে? ব্যাখ্যা করো। ৪ ১ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক গ্রাহকের নামে হিসাব খুলে ব্যাংক গ্রাহককে অর্থ লেনদেন ও ব্যাংকিং সেবা গ্রহণের যে সুযোগ প্রদান করে তাকে ব্যাংক হিসাব বলা হয়। খ ব্যাংক হিসাব খোলার সময় ব্যাংক কর্তৃক সরবরাহকৃত যে ছাপানো কার্ডে গ্রাহক তার নাম ও নমুনা স্বাক্ষর প্রদান করে তাকে নমুনা স্বাক্ষর কার্ড বলে। এই কার্ডে গৃহীত অনুরূপ স্বাক্ষর দিয়েই গ্রাহককে পরবর্তীতে ব্যাংকের সঙ্গে সব ধরনের লেনদেন সম্পন্ন করতে হয়। চেকের স্বাক্ষরের সাথে কার্ডের স্বাক্ষরে কোনো অমিল হলে ব্যাংক চেকটি ফেরত দেয়। তাই নমুনা স্বাক্ষর কার্ডের গুরুত্ব অপরিসীম। গ উদ্দীপকের আনিস সাহেব সঞ্চয়ী হিসাবে টাকা জমা করছেন। ব্যাংকিং লেনদেনের পাশাপাশি সঞ্চয়ের উদ্দেশ্যে গ্রাহক ব্যাংকে সঞ্চয়ী হিসাব খুলে থাকে। সাধারণত এ হিসাবে কার্যদিবসে যতবার প্রয়োজন অর্থ জমা দেয়া যায় এবং সপ্তাহে সর্বোচ্চ দু’বার অর্থ উত্তোলন করা যায়। উদ্দীপকে আনিস সাহেব অস্ট্রেলিয়ায় কর্মরত একজন প্রবাসী। তিনি ব্যাংকের মাধ্যমে প্রতিমাসে দেশে টাকা পাঠান। উক্ত টাকা স্থানীয় ‘নবগঙ্গা ব্যাংক’-এ জমা হচ্ছে। অর্থাৎ তিনি সঞ্চয়ের উদ্দেশ্যে দেশীয় একটি ব্যাংকে টাকা জমা রাখছেন। যেহেতু সঞ্চয়ের উদ্দেশ্যে তিনি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে টাকা পাঠান, সেহেতু বলা যায় তিনি সঞ্চয়ী হিসাবেই টাকা জমা করছেন। ঘ উদ্দীপকের আনিস সাহেব যে নতুন ব্যাংক হিসাব খোলার চিন্তা করছেন সেটি হলো স্থায়ী হিসাব। উক্ত হিসাবে টাকা জমা করা তার জন্য অধিক লাভজনক হবে। অধিক মুনাফার উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য গ্রাহকরা ব্যাংকে স্থায়ী হিসাব খুলে থাকে। মেয়াদপূর্তিতে গ্রাহকরা অধিক মুনাফাসহ জমাকৃত অর্থ উত্তোলনের সুযোগ পান। উদ্দীপকে আনিস সাহেব তার সঞ্চয়ী হিসাবের জমাকৃত অর্থ নির্দিষ্ট সময়ের জন্য লাভজনক হিসাবে জমা রাখতে আগ্রহী। অর্থাৎ এমন একটি ব্যাংক হিসাব খোলার চিন্তা করছেন যা থেকে তিনি নির্দিষ্ট সময় পরে অধিক মুনাফা সহ জমাকৃত অর্থ ফেরত পাবেন। উদ্দীপকের পরিস্থিতিতে আনিস সাহেবের জন্য ব্যাংকের স্থায়ী হিসাব অধিক উপযোগী। কারণ স্থায়ী হিসাবের গ্রাহকগণ নির্দিষ্ট মেয়াদে অর্থ বিনিয়োগের পাশাপাশি অন্যান্য ব্যাংক হিসাবের তুলনায় সর্বাধিক মুনাফা পেয়ে থাকেন, যা আনিস সাহেবের চিন্তার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। মমমপ্রশ্ন২ খুলনার মি. সালেক একজন চাকরিজীবী। তার মাসিক ব্যয় নির্বাহ করার পর তিনি কিছু টাকা সঞ্চয় করতে পারেন। চিত্রা ব্যাংকে তিনি একটি হিসাব খুলেছেন। উক্ত হিসাবে তিনি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অর্থ জমা রাখেন। হিসাব খোলার কয়েকদিন পরেই অর্থ উত্তোলন করতে ব্যাংকে গেলে, শর্ত পূরণ হয়নি বলে, তাকে টাকা দিতে ব্যাংক অপারগতা জানায়। এতে তিনি ক্ষুদ্ধ হয়ে, নিয়মিত জমা ও উত্তোলন করা যায় এমন একটি হিসাবে অর্থ জমা রাখার সিদ্ধান্ত নেন। [রা. বো. ১৭] অ ক. ব্যাংক হিসাব কী? ১ অ খ. একজন ছাত্রের জন্য কোন ধরনের হিসাব উপযোগী? ব্যাখ্যা দাও। ২ অ গ. নির্দিষ্ট সময়ের জন্য মি. সালেক ব্যাংকে কোন ধরনের হিসাব খুলেছেন? ব্যাখ্যা করো। ৩ অ ঘ. নিয়মিত অর্থ জমা রাখা ও উত্তোলনের বিষয়ে মি. সালেক যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা কতটুকু বাস্তবসম্মত? যুক্তিসহ ব্যাখ্যা করো। ৪ ২ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক গ্রাহকের নামে যে হিসাব খুলে ব্যাংক গ্রাহককে অর্থ লেনদেন ও অন্যান্য ব্যাংকিং সেবা পাওয়ার সুযোগ দেয় তাকে ব্যাংক হিসাব বলা হয়। খ একজন ছাত্রের জন্য সঞ্চয়ী হিসাব উপযোগী। সঞ্চয়ী হিসাব হলো এমন এক ধরনের হিসাব, যে হিসাবে আমানতকারী দিনে যতবার ইচ্ছা টাকা জমা দিতে পারেন কিন্তু নির্দিষ্ট নিয়মের বাইরে উত্তোলন করতে পারেন না । যেকোনো পরিমান টাকা এই হিসাবে জমা করা যায়। তাই ছাত্ররা তাদের খরচের টাকা থেকে কিছু অর্থ বাঁচিয়ে এ হিসাবে জমা রাখতে পারে। গ উদ্দীপকে মি. সালেক নির্দিষ্ট সময়ের জন্য স্থায়ী হিসাব খুলেছেন। স্থায়ী হিসাবে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য টাকা জমা রাখা যায়। উক্ত সময়ের পূর্বে সাধারণত এধরনের হিসাব হতে জমাকৃত অর্থ উত্তোলনের সুযোগ থাকে না। উদ্দীপকে মি. সালেক একজন চাকরিজীবি। তিনি প্রতি মাসে কিছু টাকা সঞ্চয় করতে পারেন। তিনি চিত্রা ব্যাংকে একটি হিসাব খুলে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অর্থ জমা রাখেন। হিসাব খোলার পর তিনি অর্থ উত্তোলন করতে গেলে ব্যাংক এতে অপারগতা জানায়। সাধারণত, স্থায়ী হিসাবের ক্ষেত্রেই গ্রাহকগণ নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অর্থ জমা রাখেন। মি. সালেকও নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অর্থ জমা রেখেছেন। মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার আগে তিনি এ অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন না। তবে তিনি অধিক হারে সুদ পাবেন। এসব বৈশিষ্ট্য বিবেচনায় বলা যায়, মি. সালেকের ব্যাংক হিসাবটি হলো স্থায়ী হিসাব। ঘ সঞ্চয়ী হিসাবের মাধ্যমে নিয়মিত অর্থ জমা রাখা ও উত্তোলনের বিষয়ে মি. সালেকের সিদ্ধান্তটি যথেষ্ট বাস্তব সম্মত হয়েছে । সঞ্চয়ী হিসাবে দিনে যতবার খুশি অর্থ জমা দেয়া যায়। এই হিসাব খোলার জন্য নূন্যতম জমার কোনো নির্দিষ্ট সীমা নেই। স্বল্প বা স্থায়ী আয়ের ব্যক্তিদের জন্য এ হিসাব বিশেষ উপযোগী। বর্তমানে প্রায় সব ব্যাংকই এই হিসাব থেকে যতবার খুশি অর্থ উত্তোলনের সুযোগ দেয়। উদ্দীপকে মি. সালেক তার সঞ্চিত অর্থ চিত্রা ব্যাংকের স্থায়ী হিসাবে জমা রাখেন। হিসাব খোলার পর তিনি অর্থ উত্তোলন করতে গেলে ব্যাংক তা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। তাই তিনি নিয়মিত অর্থ জমা ও উত্তোলন করা যায় এমন হিসাব খোলার সিদ্ধান্ত নেন। মি. সালেক স্থায়ী হিসাবের পরিবর্তে সঞ্চয়ী হিসাবের মাধ্যমে এ সুবিধা পেতে পারেন। সঞ্চয়ী হিসাব থেকে অর্থ উত্তোলনের ক্ষেত্রে তেমন কোনো বিধি-নিষেধ নেই। তাই সঞ্চয়ের পাশাপাশি যেকোনো সময়ে সহজে অর্থ উত্তোলনের সুযোগ পাওয়া যায়। সুতরাং, চিত্রা ব্যাংকে সঞ্চয়ী হিসাব খুলে মি. সালেক তার সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়ন করতে পারবেন। মমমপ্রশ্ন৩ মিসেস সাহিদা একজন স্বল্প আয়ের চাকরিজীবী। তিনি ভবিষ্যতের জন্য কিছু সঞ্চয় করতে আগ্রহী। এজন্য পদ্মা ব্যাংকে একটি হিসাবও খোলেন। কিন্তু কোনোভাবেই সেখানে সঞ্চয় করতে পারছেন না। মাঝে মাঝে যা সঞ্চয় করেন তা আবার উঠিয়ে নেন। এক সহকর্মীর পরামর্শে তিনি ঐ ব্যাংকে ১০ বছর মেয়াদি আরেকটি হিসাব খোলেন। যেখানে তিনি প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা দেন। এখন তিনি একটু কষ্ট করে হলেও সঞ্চয় করতে পারছেন। [দি. বো. ১৭] অ ক. তারল্য কী? ১ অ খ. কণঈ বলতে কী বোঝ? ২ অ গ. মিসেস সাহিদা প্রথমে কী হিসাব খুলেছিলেন? সেই হিসাবে ঠিকমতো সঞ্চয় করতে না পরার কারণ কী? ব্যাখ্যা করো। ৩ অ ঘ. মিসেস সাহিদা পরবর্তীতে কী হিসাব খুলেছিলেন? ‘এখন তিনি একটু কষ্ট করে হলেও সঞ্চয় করতে পারছেন’Ñ উক্তিটি বুঝিয়ে লেখো। ৪ ৩ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক গ্রাহকদের জমাকৃত অর্থ চাহিবামাত্র তাকে ফেরত দানের ক্ষমতাকে ব্যাংকের তারল্য বলা হয়।

এইচএসসি ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং চতুর্থ অধ্যায় ব্যাংক হিসাব সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর Read More »

এইচএসসি ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং তৃতীয় অধ্যায় বাণিজ্যিক ব্যাংক সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

অধ্যায়-৩: বাণিজ্যিক ব্যাংক গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর মমমপ্রশ্ন১ সাজীন ও তাজিন সদ্য এমবিএ পাস করেছেন। দু’জনেরই লক্ষ্য ভালো কোনো ব্যাংকে চাকরি করা। সেই লক্ষ্যে সাজীন খুলনার একটি ব্যাংকে সিনিয়র এক্সিকিউটিভ পদে যোগদান করেন, যেটি শুধু দেশের শিল্পোন্নয়নে কাজ করে। অপরদিকে, তাজিনও একটি নামকরা ব্যাংকে যোগদান করেন। ব্যাংকটি একটি কেন্দ্রীয় অফিস দ্বারা পরিচালিত হয়। ব্যাংকটির মূল কাজ আমানত সংগ্রহ, ব্যবসা-বাণিজ্যে ঋণ দান ও আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে নানারকম সহায়তা করা। [ঢা. বো. ১৭] অ ক. ব্যাংক কাকে বলে? ১ অ খ. ব্যাংক কীভাবে বিনিময়ের মাধ্যম সৃষ্টি করে? ব্যাখ্যা করো। ২ অ গ. উদ্দীপকে উলি­খিত সাজীনের ব্যাংকটি কোন ধরনের ঋণ প্রদান করে? আলোচনা করো। ৩ অ ঘ. তাজিনের ব্যাংকটি সাজিনের ব্যাংক অপেক্ষা কেন আলাদা প্রকৃতির? বিশ্লেষণ করো। ৪ ১ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক ব্যাংক হলো এমন একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান যা আমানত হিসেবে অর্থ সংগ্রহ করে, ঋণ দেয় ও ব্যাংক সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ সম্পাদন করে। খ ব্যাংক মূলত অর্থ ও অর্থের মূল্যে পরিমাপযোগ্য দলিল দ্বারা বিনিময়ের মাধ্যম সৃষ্টি করে। চেক, ক্রেডিট কার্ড, ব্যাংক ড্রাফট, পে-অর্ডার ইত্যাদি হলো ব্যাংক সৃষ্ট বিনিময় মাধ্যম। এই সব দলিল ও উপকরণ দ্বারা সহজে অর্থ লেনদেন করা যায়। উপরিউক্ত দলিল ও উপকরণের প্রচলন ঘটিয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংক বিনিময়ের মাধ্যম সৃষ্টি করে থাকে। গ উদ্দীপকের সাজীন যে ব্যাংকে কর্মরত আছেন তা একটি শিল্প ব্যাংক, যা স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি ঋণ প্রদান করে থাকে। দেশের শিল্প খাতের উন্নয়নের লক্ষ্যে মূলত শিল্প ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়। এই ব্যাংকের মূল কাজ হলো শিল্প উদ্যোক্তাদেরকে প্রয়োজনীয় দীর্ঘমেয়াদি ও স্বল্পমেয়াদি ঋণ প্রদান করা। উদ্দীপকে সাজীন এমবিএ পাস করে একটি ব্যাংকে সিনিয়র এক্সিটিউটিভ পদে যোগদান করেন। তবে তার ব্যাংকটি শুধু দেশের শিল্প উন্নয়নে কাজ করে। অর্থাৎ সাজীনের ব্যাংকটি বিশেষায়িত ব্যাংকের আওতাভুক্ত শিল্প ব্যাংক। এই ধরনের ব্যাংক শিল্প খাতের উন্নয়নে উদ্যোক্তাদেরকে প্রয়োজনীয় মূলধন হিসেবে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ প্রদান করে। এছাড়াও শিল্প খাতের উন্নয়নে ধারাবাহিক গতিশীলতা ধরে রাখতে ব্যাংকটি স্বল্পমেয়াদেও ঋণ প্রদান করে থাকে। ঘ উদ্দীপকের ব্যাংকের কার্যভিত্তিক বৈশিষ্ট্যের ভিন্নতায় তাজিন যে ব্যাংকে কর্মরত তা একটি বাণিজ্যিক ব্যাংক। এই ব্যাংকটি সাজীনের ব্যাংকের বৈশিষ্ট্য অপেক্ষা ভিন্ন। বাণিজ্যিক ব্যাংকের মূল কাজ হলো জনগনের কাছ থেকে অর্থ বিভিন্ন হিসাব (চলতি, সঞ্চয়ী ও স্থায়ী)-এর মাধ্যমে আমানত হিসেবে সংগ্রহ করা। এছাড়াও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রয়োজনীয় অর্থের যোগানে এই ব্যাংক ঋণদানসহ বৈদেশিক বাণিজ্যেও সহায়ক ভ‚মিকা রাখে। উদ্দীপকে সাজীন একটি শিল্প ব্যাংকে কর্মরত। উক্ত ব্যাংকের কাজ হলো কেবল শিল্প খাতের উন্নয়ন নিশ্চিত করা। অর্থাৎ সাজীনের ব্যাংকটি কার্যাবলির ভিত্তিতে একটি শিল্প ব্যাংক। অন্যদিকে, তাজিনের ব্যাংকটি একটি কেন্দ্রীয় অফিসের দ্বারা পরিচালিত হয়। উক্ত ব্যাংকটির প্রধান কাজ হলো আমানত সংগ্রহ ও ঋণদান করা। অর্থাৎ ব্যাংকটির কার্যাবলির বৈশিষ্ট্যসমূহ বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাজের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। উদ্দীপকের সাজীন ও তাজিনের ব্যাংক দুটি কেবল কার্যাবলির ভিন্নতার জন্য পৃথক। এক্ষেত্রে সাজীনের ব্যাংকটি দেশের শিল্প খাতকে সমৃদ্ধ করার কাজে নিয়োজিত থাকলেও তাজিনের ব্যাংক জনসাধারণের আর্থিক নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত উন্নয়কে নিশ্চিত করে। উপরিউক্ত আলোচনা সাপেক্ষে বলা যায়, ব্যাংক দুটির মধ্যকার কাজের ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়েছে। মমমপ্রশ্ন২ মধুমতি ব্যাংক ঢাকার আগারগাঁও শাখার মাধ্যমে দীর্ঘদিন যাবৎ তার ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। আগারগাঁও এর পাশেই ‘রূপায়ণ গার্ডেন সিটি’ নামে একটি নতুন আবাসিক এলাকা গড়ে উঠেছে। সেখানে নতুন স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল এবং শপিং মলও গড়ে উঠেছে। এলাকাবাসীর সুবিধার কথা বিবেচনা করে মধুমতি ব্যাংক ‘রূপায়ণ গার্ডেন সিটি’র পাশেই একটি শাখা স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়। [রা. বো. ১৭] অ ক. বাণিজ্যিক ব্যাংকের সংজ্ঞা দাও। ১ অ খ. ‘বাণিজ্যিক ব্যাংক ঋণ আমানত সৃষ্টি করে’Ñ ব্যাখ্যা করো। ২ অ গ. উদ্দীপকে উলি­খিত মধুমতি ব্যাংক সাংগঠনিক কাঠামোর ভিত্তিতে কোন ধরনের ব্যাংক তা আলোচনা করো। ৩ অ ঘ. মধুমতি ব্যাংকের নতুন শাখা স্থাপনের যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ করো। ৪ ২ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক বাণিজ্যিক ব্যাংক হলো একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান যা জনগণের কাছ থেকে অল্প সুদে আমানত সংগ্রহ করে এবং অপেক্ষাকৃত অধিক সুদে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেয় । খ ঋণগ্রহীতাকে দেয়া অর্থ থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংক ঋণ আমানত সৃষ্টি করে। ব্যাংক যখন কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ঋণ মঞ্জুর করে, তখন সরাসরি নগদ অর্থ প্রদান করেনা। ঋণ গ্রহীতাকে ব্যাংকে একটি আমানত হিসাব খুলতে হয়। ব্যাংক উক্ত হিসাবে ঋণের অর্থ প্রদান করে। এই অর্থ ব্যাংকের কাছে ঋণ আমানত হিসেবে বিবেচিত হয়। চেকের মাধ্যমে এই হিসাব থেকে ঋণগ্রহীতা অর্থ উত্তোলন করতে পারেন। এভাবে প্রদত্ত ঋণ থেকে ব্যাংকগুলো আমানত সৃষ্টি করতে পারে। উদাহরণ : মনে করি, ব্যাংকের তহবিল থেকে রহিমকে ১০,০০০ টাকা ঋণ মঞ্জুর করা হলো। এ টাকা ব্যাংক নগদে প্রদান না করে রহিমের ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করবে। এখন উক্ত আমানত থেকে বিধিবদ্ধ তারল্য অর্থাৎ পর্যাপ্ত নগদ জমা রেখে, বাকি অর্থ অন্য কোন গ্রাহককে ঋণ হিসাবে প্রদান করা যায়। যদি উক্ত অর্থের ২০% নগদ হিসেবে ব্যাংক তহবিলে জমা রাখতে হয়, তবে বাকি {১০,০০০  (১০,০০০  ২০%)} = ৮,০০০ টাকা নতুন ঋণ হিসেবে দেয়া যেতে পারে। গ উদ্দীপকে উলি­খিত মধুমতি ব্যাংক সাংগঠনিক কাঠামোর ভিত্তিতে একটি শাখা ব্যাংক। শাখা ব্যাংক বলতে এমন ব্যাংককে বোঝায় যা অনেকগুলো শাখার মাধ্যমে ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু রাখে। এসব ব্যাংকের কার্যক্রম মূলত একটি প্রধান কার্যালয়ের তত্ত¡াবধানে পরিচালিত হয়ে থাকে। উদ্দীপকে মধুমতি ব্যাংক ঢাকার আগারগাঁও শাখার মাধ্যমে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বর্তমানে আগারগাঁও এর পাশে নতুন আবাসিক এলাকা “রূপায়ণ গার্ডেন সিটি” গড়ে উঠেছে। এলাকাবাসীর কথা বিবেচনা করে মধুমতি ব্যাংক রূপায়ন গার্ডেন সিটির পাশে নতুন শাখা স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়। মূলত শাখা ব্যাংকই একাধিক শাখার মাধ্যমে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে। মধুমতি ব্যাংক একটি প্রধান কার্যালয়ের তত্ত¡াবধানে এবং একাধিক শাখার মাধ্যমে বাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এসব বিষয় বিবেচনা করে বলা যায়, সাংগঠনিক কাঠামোর ভিত্তিতে মধুমতি ব্যাংক হলো একটি শাখা ব্যাংক। ঘ উদ্দীপকে মধুমতি ব্যাংকের নতুন শাখা স্থাপনের সিদ্ধান্তটি যৌক্তিক। শাখা ব্যাংকিং ব্যবস্থায় কেন্দ্রীয় অফিসের অধীনে অনেকগুলো শাখা অফিস ব্যাংকিং কার্যাবলি পরিচালনা করে। এই ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে ব্রিটিশ ব্যাংকিং পদ্ধতিও বলা হয়ে থাকে। উদ্দীপকে মধুমতি ব্যাংক আগারগাঁও শাখার মাধ্যমে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সম্প্রতি নতুন আবাসিক এলাকা ‘রূপায়ন গার্ডেন সিটি’র পাশেও ব্যাংকটি শাখা স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়। মধুমতি ব্যাংক নতুন শাখা সৃষ্টির মাধ্যমে নতুন গ্রাহক সৃষ্টি করতে পারবে। কারন, নতুন আবাসিক এলাকার অনেকেই ব্যাংকে হিসাব খুলে আমানত রাখবে এবং ঋণ নিবে। এতে ব্যাংকের আর্থিক মূলধন গঠিত হবে। আবার, অন্যদিকে জনগণও ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে ব্যাংকও ঋণের বিপরীতে সুদ পাবে, যা ব্যাংকের মুনাফা বৃদ্ধি করবে। তাই বলা যায় যে, মধুমতি ব্যাংকের নতুন শাখা স্থাপনের সিদ্ধান্তটি সঠিক এবং যৌক্তিক হয়েছে। মমমপ্রশ্ন৩ মি. তালুকদার রূপসা ব্যাংক, রাজশাহী শাখার ব্যবস্থাপক। তিনি ব্যাংকের উন্নয়নের জন্য সদা তৎপর। ব্যাংকের টাকা ঋণ নিয়ে কেউ যদি তা পরিশোধে ব্যর্থ হয়, এ ভয়ে তিনি ঋণ প্রদানে গড়িমসি করেন। ফলে ঋণ গ্রহীতারা ঋণ নিতে নিরুৎসাহিত হন। এতে ব্যাংকের সার্বিক অবস্থা দিন দিন খারাপের দিকে চলে যায়। [দি. বো. ১৭] অ ক.

এইচএসসি ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং তৃতীয় অধ্যায় বাণিজ্যিক ব্যাংক সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর Read More »

এইচএসসি ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং দ্বিতীয় অধ্যায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

অধ্যায়-২: কেন্দ্রীয় ব্যাংক গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর মমমপ্রশ্ন১ ঢাকার ব্যাংকপাড়ায় একটি বড় ব্যাংক আছে যাকে অন্য ব্যাংকসমূহের মুরব্বি বলা হয়। ঢাকা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এই ব্যাংকের আঞ্চলিক কার্যালয় আছে যা তার কার্যক্রম পরিচালনায় সহায়তা করে। সব কার্যালয়ে একটি নির্দিষ্ট কক্ষ থাকে যেখানে আন্তঃব্যাংকিং দেনা-পাওনা নিষ্পত্তির জন্য প্রতিদিন সকল ব্যাংকের চেক, ড্রাফট ইত্যাদি এসে জমা হয়। [ঢা. বো. ১৭] অ ক. ব্যাংক হার কী? ১ অ খ. ঋণ নিয়ন্ত্রণ বলতে কী বোঝায়? ২ অ গ. উদ্দীপকে যে ব্যাংকের কথা বলা হয়েছে সেটি সম্পর্কে আলোচনা করো। ৩ অ ঘ. উদ্দীপকে উলি­খিত যে কার্যাবলির কথা উলে­খ করা হয়েছে তা কি অন্যান্য ব্যাংক করতে পারে? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও। ৪ ১ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো যে সুদের হারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করে বা প্রথম শ্রেণির সিকিউরিটিজ (শেয়ার, বন্ড) বাট্টা করে নেয় সেই হারকে ব্যাংক হার বলে। খ ঋণের পরিমাণ কাম্য মাত্রায় বজায় রাখাকে ঋণ নিয়ন্ত্রণ বলে। ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান স্ব-স্ব ক্ষেত্রে ঋণ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। দেশের সামগ্রিক ঋণের পরিমাণ কাম্য মাত্রায় বজায় রাখার জন্য দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক দায়িত্ব পালন করে থাকে। ব্যাংক ঋণ বাজারে অর্থ যোগানের গুরুত্বপূর্ণ উৎস। তাই এই ঋণকে কাম্য মাত্রায় বজায় রাখতে ঋণ নিয়ন্ত্রণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গ উদ্দীপকে আলোচিত ব্যাংকটি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। জনকল্যাণের উদ্দেশ্যে সরকারি নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত দেশের এক ও অনন্য ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানই হলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এই ব্যাংক দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আঞ্চলিক কার্যালয় স্থাপনের মাধ্যমে তালিকাভুক্ত ব্যাংকসমূহের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ ও তদারকি করে। উদ্দীপকে উলে­খ্য ঢাকার ব্যাংকপাড়ায় একটি বড় ব্যাংক অবস্থিত, যাকে অন্য ব্যাংকসমূহের মুরব্বি বলা হয়। ব্যাংকটি ঢাকা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কার্যালয় স্থাপনের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করে। এছাড়াও ব্যাংকটির প্রতিটি কার্যালয়ে অন্য ব্যাংকসমূহের মধ্যকার আন্তঃব্যাংকিং দেনা-পাওনা নিষ্পত্তির জন্য প্রতিদিন চেক, ড্রাফট ইত্যাদি জমা হয়। অর্থাৎ ব্যাংকটি আন্তঃব্যাংকিং দেনা-পাওনা নিষ্পত্তিতে নিকাশঘরের দায়িত্ব পালন করে থাকে, যা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈশিষ্ট্যের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। ঘ উদ্দীপকে উলি­খিত ব্যাংকটির নিকাশঘর কার্যক্রম কেবল কেন্দ্রীয় ব্যাংক দ্বারা পরিচালিত হয় বিধায় তা অন্যান্য ব্যাংক পরিচালনা করতে পারে না। নিকাশঘর হলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত আন্তঃব্যাংকিং দেনা-পাওনা নিষ্পত্তির স্থান। নির্দিষ্ট এলাকায় অবস্থিত তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর মধ্যকার চেক, ড্রাফট, বিল প্রভৃতি লেনদেন থেকে সৃষ্ট দায়-দেনা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নেতৃত্বে পরিচালিত নিকাশঘর নিষ্পত্তি করে থাকে। উদ্দীপকে উলে­খ্য ঢাকার ব্যাংকপাড়ায় অবস্থিত কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কার্যালয় স্থাপন করে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তালিকাভুক্ত ব্যাংকের মধ্যকার দেনা-পাওনা নিষ্পত্তির কাজটিও মূলত এ ব্যাংকই করে থাকে। অন্য ব্যাংকসমূহের মুরুব্বি নামে পরিচিত উদ্দীপকের কেন্দ্রীয় ব্যাংকটি নিকাশঘরের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই কাজটি সম্পাদনে একক অধিকারী প্রতিষ্ঠান। সুতরাং, উপরে উলি­খিত নিকাশঘরের কাজটি অন্য ব্যাংকসমূহ করতে পারে না। মমমপ্রশ্ন২ ঢাকার মতিঝিলে একটি ব্যাংক আছে যাকে অন্য ব্যাংকের অভিভাবক বলা হয়। ব্যাংকটি তার প্রধান কার্যালয় ছাড়াও বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় আঞ্চলিক কার্যালয় স্থাপনের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করে। প্রতিটি কার্যালয়ে একটি নির্দিষ্ট কক্ষ আছে, যেখানে প্রতিদিন বিভিন্ন ব্যাংকের চেক, ড্রাফট এসে জমা হয় আন্তঃব্যাংকিং নিষ্পত্তির জন্য। [রা. বো. ১৭] অ ক. ঋণ নিয়ন্ত্রণ কী? ১ অ খ. ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংক অন্যান্য ব্যাংকের ব্যাংকার’Ñ ব্যাখ্যা করো। ২ অ গ. উদ্দীপকে উলি­খিত ব্যাংকটি কোন ধরনের ব্যাংক তা আলোচনা করো। ৩ অ ঘ. উদ্দীপকে উলি­খিত ব্যাংকের যে কার্যাবলির কথা উলে­খ করা হয়েছে তা কি অন্যান্য ব্যাংক পালন করতে পারে? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও। ৪ ২ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহের ঋণ সৃষ্টির ক্ষমতা কাম্য মাত্রায় বজায় রাখাকে ঋণ নিয়ন্ত্রণ বলে। খ কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলো প্রয়োজনে ঋণ নিতে ও অন্যান্য ব্যাংকিং সেবা ভোগ করতে পারে। এ জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংককে অন্যান্য ব্যাংকের ব্যাংকার বলা হয়। সাধারণ জনগণ যেভাবে বাণিজ্যিক ব্যাংকে হিসাব খুলে ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ করেন, তেমনি তালিকাভুক্ত ব্যাংকসমূহও কেন্দ্রীয় ব্যাংকে হিসাব খুলে লেনদেন করে। বাংলাদেশের প্রত্যেক তালিকাভুক্ত ব্যাংককে তাদের আমানতের ৫ ভাগ বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা রাখতে হয়। বিনিময়ে তারা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যাংকিং সুবিধা পেয়ে থাকে। গ উদ্দীপকে উলি­খিত ব্যাংকটি কেন্দ্রীয় ব্যাংক। একটি দেশের ব্যাংক ব্যবস্থার প্রাণকেন্দ্র হলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এটি মুদ্রা প্রচলন; ব্যাংকিং ব্যবস্থার উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ; বৈদেশিক বিনিময় হার নিয়ন্ত্রণ; আর্থিক নীতির প্রণয়ন এবং সরকারের আর্থিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সরকারকে সক্রিয়ভাবে সহায়তা প্রদান করে। উদ্দীপকে ঢাকার মতিঝিলের একটি ব্যাংকের কথা বলা হয়েছে। ব্যাংকটি তার প্রধান কার্যালয় ছাড়াও অন্যান্য আঞ্চলিক কার্যালয়ে মাধ্যমে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে। অন্য ব্যাংকগুলো এই ব্যাংকের মাধ্যমে তাদের দেনাপাওনা নিষ্পত্তি করে। তাই ব্যাংকটিকে অন্যান্য ব্যাংকের অভিভাবক বলা হয়। অর্থাৎ উলি­খিত ব্যাংকটি অভিভাবকরূপে মূলত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে পরামর্শ ও নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এরূপ অভিভাবকের দায়িত্ব শুধু কেন্দ্রীয় ব্যাংকই পালন করতে পারে। সুতরাং উদ্দীপকে উলি­খিত ব্যাংকটি হলো একটি কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ঘ উদ্দীপকে উলি­খিত ব্যাংকের নিকাশঘরের কার্যাবলি অন্যান্য ব্যাংক পালন করতে পারে না। নিকাশঘর বলতে আন্তঃব্যাংকিং দেনা-পাওনা নিষ্পত্তির স্থলকেই বোঝায়। এ নিকাশঘরের দায়িত্ব পালন করতে পারে মূলত কেন্দ্রীয় ব্যাংক। উদ্দীপকে ঢাকার মতিঝিলে একটি ব্যাংকের কথা উলে­খ করা হয়েছে। এই ব্যাংকটি অন্যান্য ব্যংকের অভিভাবক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করে। অর্থাৎ ব্যাংকটি হলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংকটির প্রতিটি কার্যালয়ে একটি নির্দিষ্ট কক্ষে অন্যান্য ব্যাংকের চেক, ড্রাফট এসে জমা হয়। নিকাশঘর ব্যবস্থার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সরাসরি তত্ত¡াবধানে আন্তঃব্যাংকিং দেনা-পাওনা নিষ্পত্তি করা হয়। এ ব্যবস্থায় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক লেনদেন নিষ্পত্তি করতে পারে। মূলত কেন্দ্রীয় ব্যাংক সকল ব্যাংকের ব্যাংকার হিসেবে এ কার্যাবলি সম্পাদন করতে পারে। অর্থাৎ কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যতীত অন্য কোনো ব্যাংকের এ দায়িত্ব পালন করার অধিকার নেই। সুতরাং, উদ্দীপকে উলি­খিত কার্যাবলিসমূহ অন্যান্য ব্যাংক পালন করতে পারে না। মমমপ্রশ্ন৩ কেন্দ্রীয় ব্যাংক একটি দেশের মুদ্রার প্রচলন ও মান নিয়ন্ত্রণ করে। এই ব্যাংক দেশের অনেক ব্যাংকের অভিভাবক হিসাবে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে। [কু. বো. ১৭] অ ক. কেন্দ্রীয় ব্যাংক কী? ১ অ খ. ঋণের শেষ আশ্রয়স্থল কোন ব্যাংককে বলা হয় এবং কেন? ২ অ গ. কেন্দ্রীয় ব্যাংকটি মুদ্রা প্রচলনসহ কী ধরনের সাধারণ কার্যাবলি সম্পাদন করে তা আলোচনা করো। ৩ অ ঘ. কেন্দ্রীয় ব্যাংকটি দেশের অন্য ব্যাংকের জন্য কী ধরনের কার্যাবলি সম্পাদন করে বলে তুমি মনে করো? ৪ ৩ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক জনকল্যাণের উদ্দেশ্যে দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত এবং সরকারি নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত দেশের এক ও অনন্য ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলে। খ ঋণের শেষ আশ্রয়স্থল বলা হয় কেন্দ্রীয় ব্যাংককে। তালিকাভুক্ত ব্যাংকসমূহ যেকোনো কারণেই তারল্য সংকটে বা আর্থিক সংকটে পড়তে পারে। এ সময় ব্যাংকগুলো যখন অন্য কোনো উৎস থেকে অর্থ সংগ্রহে ব্যর্থ হয় তখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঋণ সরবরাহে এগিয়ে আসে। এ ধরনের ভ‚মিকা রাখে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে ঋণদানের শেষ আশ্রয়স্থল বলা হয়। গ উদ্দীপকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকটি মুদ্রা প্রচলনের পাশাপাশি, মুদ্রামান, সংরক্ষণ, ঋণ নিয়ন্ত্রণ, বৈদেশিক বিনিময় নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি সাধারণ কার্যাবলি সম্পাদন করে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক হলো দেশের প্রধান ব্যাংক এবং অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাংকের অভিভাবক। দেশের মুদ্রাবাজার নিয়ন্ত্রণ ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার

এইচএসসি ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং দ্বিতীয় অধ্যায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর Read More »

এইচএসসি ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং প্রথম অধ্যায় ব্যাংক ব্যবস্থার প্রাথমিক ধারণা সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

অধ্যায়-১: ব্যাংক ব্যবস্থার প্রাথমিক ধারণা গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর মমমপ্রশ্ন১ ‘চিত্রা ব্যাংক’ কালীগঞ্জ শাখার মাধ্যমে অনেকদিন যাবত ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। কালীগঞ্জের পাশেই মধুগঞ্জ মডেল টাউন নামে নতুন আবাসিক এলাকা গড়ে উঠেছে। এখানে নতুন স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, বড় বড় শপিংমল গড়ে উঠেছে। এলাকার লোকজনের সুবিধার কথা বিবেচনা করে ‘চিত্রা ব্যাংক’ মধুগঞ্জ মডেল টাউনের মধ্যে একটি নতুন শাখা স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়। ‘কপোতাক্ষ ব্যাংক’ নামে এখানে একটি ব্যাংক আছে। এ ব্যাংক অন্য কোনো স্থানে শাখা খুলতে পারে না। [ঢা. বো. ১৭] অ ক. বাণিজ্যিক ব্যাংক কী? ১ অ খ. বাণিজ্যিক ব্যাংকের দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দেয়া উচিত নয় কেন? ২ অ গ. উদ্দীপকে উলি­খিত ‘চিত্রা ব্যাংক’ সাংগঠনিক কাঠামোর ভিত্তিতে কোন ধরনের ব্যাংক? আলোচনা করো। ৩ অ ঘ. ‘কপোতাক্ষ ব্যাংক’-এর নতুন শাখা স্থাপনের ব্যর্থতার যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ করো। ৪ ১ নং প্রশ্নের উত্তর অ মক যে ব্যাংক মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে আমানত সংগ্রহ, ঋণ প্রদান ও অন্যান্য আর্থিক কার্যাবলি সম্পাদন করে তাকে বাণিজ্যিক ব্যাংক বলে। মখ বাণিজ্যিক ব্যাংক সংগৃহীত আমানত চাহিবামাত্র ফেরত দানে বাধ্য থাকে তাই তাদের দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দেয়া উচিত নয়। বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহের তহবিলের মূল উৎস হলো জনগণের নিকট থেকে সংগৃহীত আমানত। এ অর্থ চাহিবামাত্র ব্যাংক তাদের ফেরত দেয়। তাই বাণিজ্যিক ব্যাংক এ অর্থ দীর্ঘমেয়াদে ঋণ প্রদান বা বিনিয়োগ না করে স্বল্পমেয়াদে ঋণ দেয়। মগ উদ্দীপকের উলি­খিত ‘চিত্রা ব্যাংক’ সাংগঠনিক কাঠামোর ভিত্তিতে একটি শাখা ব্যাংক। একটি কেন্দ্রীয় অফিসের অধীনে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থানে একই নামে অনেকগুলো শাখা স্থাপনের মাধ্যমে এ ব্যাংক ব্যাংকিং সেবা প্রদান করে। এ ব্যাংকিং ব্যবস্থায় নিয়ন্ত্রণকারী অফিসকে প্রধান অফিস এবং বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত শাখাগুলোকে শাখা ব্যাংক বলে আখ্যায়িত করা হয়। উদ্দীপকে ‘চিত্রা ব্যাংক’ কালীগঞ্জ শাখার মাধ্যমে অনেকদিন যাবত ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। তবে বর্তমানে ব্যাংকটি মধুগঞ্জ মডেল টাউনের মধ্যে একটি নতুন শাখা স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থাৎ ‘চিত্রা ব্যাংক‘ দীর্ঘদিন প্রধান অফিস দ্বারা পরিচালিত হলেও ব্যাংকটি একাধিক শাখা স্থাপনের অধিকার রাখে। সুতরাং, ‘চিত্রা ব্যাংক’-এর বৈশিষ্ট্যটি কাঠামোগত বিচারে শাখা ব্যাংকের সাথে সামঞ্জস্যúূর্ণ। মঘ উদ্দীপকের ‘কপোতাক্ষ ব্যাংক’টি একক ব্যাংক হওয়ায় এটি নতুন শাখা স্থাপনে ব্যর্থ হয়েছে। একক ব্যাংক ব্যবস্থায় শুধু একটি অফিসের মাধ্যমে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এর ফলে ব্যাংকটির কার্য পরিসর সীমিত হয়। উদ্দীপকে কপোতাক্ষ ব্যাংক নামে একটি ব্যাংকের উলে­খ রয়েছে। মধুগঞ্জ মডেল টাউনে ব্যাংকটির অফিস আছে। এ ব্যাংকটি একক ব্যাংক হওয়ায় অন্য কোথাও নতুন শাখা খুলতে পারে না। উলে­খ্য ‘কপোতাক্ষ ব্যাংক’টি নতুন শাখা খোলার অধিকার রাখে না। কারণ এ ব্যাংকটি একক ব্যাংকের বৈশিষ্ট্যের আলোকে কেবল একটি অফিসের মাধ্যমে তাদের কার্যক্রম সম্পাদন করতে পারবে। সুতরাং, একক ব্যাংকের সাংগঠনিক কাঠামো অনুসারে ‘কপোতাক্ষ ব্যাংক’-এর নতুন শাখা স্থাপনের ব্যর্থতা যুক্তিযুক্ত হয়েছে। মমমপ্রশ্ন২ গড়াই কো-অপারেটিভ ফাইন্যান্স লি. দেশের বিভিন্ন জায়গায় তার শাখা স্থাপন করে জনগণের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করে থাকে। কিন্তু তাদের ওপর জনগণের আস্থা কম। কারণ প্রতিষ্ঠানটি কোনো শক্তিশালী প্রতিষ্ঠানের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে না। তাই প্রতিষ্ঠানটি আর্থিক সংকটে পড়লে উদ্ধার করার কেউ নেই। তারা তাদের ব্যবসায়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেক চিন্তিত। এ জন্য তাদের কাঠামো পরিবর্তন করে তারা একটি শক্তিশালী ব্যাংকের অধীনে পরিচালিত হতে চায়। এ ব্যাংকটি তাদের ঋণ দানের শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে কাজ করবে। [রা. বো. ১৭] অ ক. ব্যাংকিং কী? ১ অ খ. কণঈ কেন প্রয়োজন? ব্যাখ্যা করো। ২ অ গ. গড়াই কো-অপারেটিভ ফাইন্যান্স লি. কোন ধরনের প্রতিষ্ঠান? আলোচনা করো। ৩ অ ঘ. উদ্দীপকে উলি­খিত প্রতিষ্ঠানটি তার কাঠামো পরিবর্তনের ফলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কি বেশি ভ‚মিকা রাখতে পারবে? তোমার মতামতের সপক্ষে যুক্তি দাও। ৪ ২ নং প্রশ্নের উত্তর অ মক ব্যাংক সম্পাদিত সকল কাজের সমষ্টিকে ব্যাংকিং বলা হয়। মখ ব্যাংক যে ফরমের মাধ্যমে গ্রাহক সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে তাকে কণঈ (কহড়ি ণড়ঁৎ ঈঁংঃড়সবৎ) ফরম বলা হয়। কণঈ ফরমের মাধ্যমে গ্রাহকের সঠিক পরিচয় শনাক্ত করা যায়। গ্রাহক কী উদ্দেশ্যে হিসাব খুলবেন, কেমন লেনদেন করবেন, কোনো অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত কিনা-তা এই ফরম-এর তথ্য থেকে বোঝা যায়। এসব উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য ব্যাংক কণঈ ফরম সংরক্ষণ করে। মগ উদ্দীপকে গড়াই কো-অপারেটিভ ফাইন্যান্স লি. একটি অতালিকাভুক্ত ব্যাংক। অতালিকাভুক্ত ব্যাংক বলতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংরক্ষিত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত নয় এমন ব্যাংককে বোঝায়। এসব ব্যাংককে অ-তফসিলি ব্যাংকও বলা হয়ে থাকে। উদ্দীপকে গড়াই কো-অপারেটিভ ফাইন্যান্স লি. নিজস্ব শাখা অফিসের মাধ্যমে মানুষের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করছে। তবে, তারা কোন শক্তিশালী প্রতিষ্ঠানের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে না। অর্থাৎ গড়াই কো-অপারেটিভ ব্যাংকটি সরাসরি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অধীনে নয়। ফলে আর্থিক সংকটে পড়লে ব্যাংকটি কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারবে না। সাধারণত, অতালিকাভুক্ত ব্যাংকসমূহ কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণের শেষ আশ্রয়স্থলের সুবিধাটি পায় না। এসকল বৈশিষ্ট্য বিবেচনায় বলা যায়, গড়াই কো-অপারেটিভ ফাইন্যান্স লি. প্রতিষ্ঠানটি কেন্দ্রিয় ব্যাংকের আওতাভুক্ত নয়। তাই প্রতিষ্ঠানটি একটি অ-তফসিলি বা অতালিকাভুক্ত ব্যাংক। মঘ উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানটির কাঠামো পরিবর্তন করে অতালিকাভুক্ত থেকে তালিকাভুক্ত ব্যাংকে পরিণত করা হলে, সেটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বেশি ভ‚মিকা রাখতে পারবে। তালিকাভুক্ত ব্যাংক বলতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংরক্ষিত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ব্যাংককে বোঝায়। এসব ব্যাংক পরিচালনা করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা মেনে চলতে হয়। উদ্দীপকে গড়াই কো-অপারেটিভ ফাইন্যান্স লি. জনগণের কাছ থেকে আমানত সংগ্রহ করে। প্রতিষ্ঠানটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তালিকাভুক্ত নয়। এজন্য এর প্রতি মানুষের আস্থা কম। এই সমস্যা সমাধানের জন্য প্রতিষ্ঠানটি তার কাঠামো পরিবর্তন করার মাধ্যমে অতালিকাভুক্ত ব্যাংক থেকে তালিকাভুক্ত ব্যাংকে পরিণত হতে চায়। কাঠামোগত এ পরিবর্তনের ফলে জনগণের আস্থা অর্জন করা ব্যাংকটির জন্য সহজ হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণে থাকলে, প্রতিষ্ঠানটির বিনিয়োগে স্বচ্ছতা আসবে। এটির আর্থিক সংকটে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঋণের শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে কাজ করবে। ফলে ব্যাংকটি তার কার্যক্রম বাড়াতে পারবে, যা দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভ‚মিকা রাখবে। মমমপ্রশ্ন৩ ইছামতি ব্যাংক বেশ কয়েক বছর ধরে চরম তারল্য সংকটে ভুগছে। ব্যাংকটি তাদের গ্রাহকদের ঠিকমতো অর্থ পরিশোধ করতে পারছে না, ঋণ গ্রহীতারাও ঋণের আবেদন করে ব্যর্থ হচ্ছে। ব্যাংকের সুনাম দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। সকল উৎস থেকে ঋণ সংগ্রহের চেষ্টা করে ব্যাংকটি ব্যর্থ হয়। এমন সময় তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে ইছামতি ব্যাংকটি আবার নতুন জীবন লাভ করে। [দি. বো. ১৭] অ ক. ব্যাংক কী? ১ অ খ. ‘ব্যাংক ধার করা অর্থের ধারক’Ñ ব্যাখ্যা করো। ২ অ গ. ইছামতি ব্যাংকের তারল্য সংকটের কারণ সংক্ষেপে লেখো। ৩ অ ঘ. ইছামতি ব্যাংকের সাহায্যে এগিয়ে আসে কোন ব্যাংক এবং কেন? উদ্দীপক অনুসারে বিশ্লেষণ করো। ৪ ৩ নং প্রশ্নের উত্তর অ মক ব্যাংক হলো এমন একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান যা আমানত হিসেবে অর্থ সংগ্রহ করে, ঋণ দেয় ও অন্যান্য অর্থসংক্রান্ত কার্যাবলি সম্পাদন করে। মখ ব্যাংক একজনের জমাকৃত অর্থ অন্যজনকে ঋণ হিসেবে প্রদান করে বলে ব্যাংক-কে ধার করা অর্থের ধারক বলা হয়। ব্যাংক স্বল্প সুদের বিনিময়ে গ্রাহকের অর্থ আমানত হিসেবে সংগ্রহ করে কিছু অর্থ জমা রেখে বাকিটা অধিক সুদে ঋণ দেয়। আমানতের মাধ্যমে ধার করা অর্থ পরবর্তীতে ঋণ হিসেবে প্রদান করে ব্যবসায় পরিচালনা করে বলে

এইচএসসি ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং প্রথম অধ্যায় ব্যাংক ব্যবস্থার প্রাথমিক ধারণা সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর Read More »

এইচএসসি ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং নবম অধ্যায় ঝুঁকি এবং মুনাফার হার সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

অধ্যায় ৯ ঝুঁকি এবং মুনাফার হার গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর মমমপ্রশ্ন„১ জনাব করিম মূলধন বাজারে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। তিনি বিনিয়োগ করার জন্য নিæোক্ত দুটি সিকিউরিটির তথ্য বিবেচনা করছেন: সম্ভাবনা প্রত্যাশিত আয় সিকিউরিটি-অ সিকিউরিটি-ই ০.৪০ ৩০% ২৫% ০.২০ ২০% ৩৫% ০.৪০ ১৮% ৩২% [ঢা. বো. ১৭] অ ক. ঝুঁকি কী? ১ অ খ. একক ঝুঁকি বলতে কী বোঝ? ২ অ গ. সিকিউরিটি-অ এর আদর্শ বিচ্যুতি নির্ণয় করো। ৩ অ ঘ. “সিকিউরিটি-ই অধিক ঝুঁকিপূর্ণ” উক্তিটির যথার্থতা গাণিতিকভাবে বিশ্লেষণ করো। ৪ ১ নং প্রশ্নের উত্তর অ মক বিনিয়োগ হতে প্রত্যাশিত আয় ও প্রকৃত আয়ের বিচ্যুতিকেই ঝুঁকি বলে। মখ একটি কোম্পানিতে বা সম্পদে অর্থ বিনিয়োগজনিত কারণে যে ঝুঁকির সৃষ্টি হয় তাকে একক ঝুঁঁকি বলে। একক সম্পদে বা কোম্পানিতে বিনিয়োগ করলে ঝুঁকি অধিক হয়। ফলে সৃষ্ট লোকসান অন্য বিনিয়োগের লাভ দ্বারা পুষিয়ে নেয়ার সম্ভাবনা থাকে না। এ জন্য পোর্টফোলিও গঠন করে একক ঝুঁকি হ্রাস করতে হয়। মগ সিকিউরিটি অ-এর আদর্শ বিচ্যুতি নির্ণয় : সিকিউরিটি অ-এর প্রত্যাশিত আয়ের হারÑ জঅ = হর =১ জর  চর = (০.৩০ ূ ০.৪০) + (০.২০ ূ ০.২০) + (০.১৮ ূ ০.৪০) = ০.১২ + ০.০৪ + ০.০৭২ = ০.২৩২ = ২৩.২০% ¯ আদর্শ বিচ্যুতি, অ = (জর – জ)২  চর = = ০.০০১৮৪৯৬ + ০.০০০২০৪৮ + ০.০০১০৮১৬ = ০.০০৩১৩৬ = ০.০৫৬ = ৫.৬০% উত্তর : ৫.৬০% মঘ সিকিউরিটি ই-এর ঝুঁকি নির্ণয়: প্রত্যাশিত আয়ের হার, –জই = হর = ১জর  চর = (০.২৫  ০.৪০) + (০.৩৫  ০.২০) + (০.৩২  ০.৪০) = ০.১০ + ০.০৭ + ০.১২৮ = ০.২৯৮ = ২৯.৮০% আদর্শ বিচ্যুতি ই = (জর  ¯জ)২  চর = = ০.০০০৯২১৬ + ০.০০০৫৪০৮ + ০.০০০১৯৩৬ = ০.০০১৬৫৬ = ০.০৪০৭ = ৪.০৭% সিকিউরিটি ই-এর আদর্শ বিচ্যুাতি ৪.০৭% যা সিকিউরিটি অ-এর আদর্শ বিচ্যুতি ৫.৬০% এর চেয়ে কম। সিকিউরিটি ই সিকিউরিটি অ-এর তুলনায় কম ঝুঁকিপূর্ণ। অর্থাৎ “সিকিউরিটি-ই অধিক ঝুঁকিপূর্ণ”  উক্তিটি যথার্থ নয়। মমমপ্রশ্ন„২ মি. সাকিব অবসর গ্রহণ করার পর কোম্পানি হতে ১,০০,০০,০০০ টাকা পেলেন। তিনি এর মধ্যে ৫০,০০,০০০ টাকা দুটি প্রকল্পে বিনিয়োগ করেন। তিনি মোট বিনিয়োগের ৬০% প্রকল্প ‘অ’ তে এবং ৪০% প্রকল্প ‘ই’ তে বিনিয়োগ করেন। বিভিন্ন অর্থনৈতিক অবস্থায় প্রকল্প দুটির আয়ের হার এবং সম্ভাবনা নিæে দেয়া হলো : অর্থনৈতিক অবস্থা সম্ভাবনা আয়ের হার প্রকল্প-অ প্রকল্প-ই মন্দাবস্থা ০.২০ ২০% ১২% স্বাভাবিক ০.৬০ ১৫% ১০% তেজি ভাব ০.২০ ৩০% ২৫% মি. সাকিবের প্রত্যাশিত আয়ের হার ১৪%। [ঢা. বো. ১৭] অ ক. আর্থিক ঝুঁকি কী? ১ অ খ. আয় ও ঝুঁকির মধ্যে সম্পর্ক কীরূপ? ব্যাখ্যা করো। ২ অ গ. প্রকল্প ‘অ’ এবং ‘ই’ এর প্রত্যাশিত আয়ের হার নির্ণয় করো। ৩ অ ঘ. উদ্দীপকের আলোকে পোর্টফোলিও আয় নির্ণয় করো এবং পোর্টফোলিও বিনিয়োগের যৌক্তিকতা বিচার করো। ৪ ২ নং প্রশ্নের উত্তর অ মক বিনিয়োগ হতে ফেরত প্রাপ্তির অনিশ্চয়তা হলো আর্থিক ঝুঁকি। মখ ঝুঁকি ও আয়ের মাঝে ধনাÍক সম্পর্ক বিদ্যমান। যে প্রকল্পের ঝুঁকি বেশি ঐ প্রকল্পের আয়ও বেশি হয়। আবার ঝুঁকি কম হলে আয়ও কম হয়। তাই ঝুঁকি ও আয়ের মাঝে সমমুখী সম্পর্ক রয়েছে। মগ প্রকল্প অ ও ই এর প্রত্যাশিত আয়ের হার নির্ণয়: প্রত্যাশিত আয়ের হার (প্রকল্প-অ), –জঅ = হর = ১জর  চর = (০.২০ ূ ০.২০) + (০.১৫ ূ ০.৬০) + (০.৩০ ূ ০.২০) = ০.০৪ + ০.০৯ + ০.০৬ = ০.১৯ = ১৯% প্রত্যাাশিত আয়ের হার (প্রকল্প-ই), –জই = হর = ১জর  চর = (ø ০.১২ ূ ০.২০) + (০.১০ ূ ০.৬০) + (০.২৫ ূ ০.২০) = ø ০.০২৪ + ০.০৬ + ০.০৫ = ০.০৮৬ = ৮.৬০% উত্তর : ১৯% ও ৮.৬০%। মঘ উদ্দীপকের আলোকে পোর্টফোলিও আয় নির্ণয় : দেয়া আছে, ডঅ = ০.৬০; ডই = ০.৪০ আমরা জানি, পোর্টফোলিও আয়, –জচ = হর = ১ডর  জর = (০.৬০ ূ ০.১৯) + (০.৪০ ূ ০.০৮৬) = ০.১১৪ + ০.০৩৪৪ = ০.১৪৮৪ = ১৪.৮৪% সকল অর্থ একটি সম্পদে বিনিয়োগ না করে একাধিক সম্পদে বিনিয়োগ করার নীতিকে পোর্টফোলিও বিনিয়োগ বলে। উদ্দীপকে মি. সাকিব অবসর গ্রহণ করার পর কোম্পানি হতে ১,০০,০০,০০০ টাকা পেলেন। তিনি এর মধ্যে ৫০,০০,০০০ টাকা দুটি প্রকল্পে বিনিয়োগ করেন। তিনি পোর্টফোলিও বিনিয়োগের নীতি অনুসরণ করেছেন। এর ফলে তিনি একটি বিনিয়োগের লোকসান অন্য বিনিয়োগের লাভ দ্বারা পুষিয়ে নিতে পারবেন। কারণ একই সাথে উভয় প্রকল্পে লোকসান বা লাভ হওয়ার সম্ভাবনা বাস্তবে কম হয়। এ জন্য মি. সাকিবের পোর্টফোলিও বিনিয়োগ যৌক্তিক। মমমপ্রশ্ন„৩ জনাব বেলাল তার জমানো ১০ লক্ষ টাকা কোনো একটি লাভজনক প্রকল্পে বিনিয়োগে আগ্রহী। তার সামনে নিচের দুটি প্রকল্প রয়েছে। তিনি প্রকল্প দু’টির মধ্য থেকে কম ঝুঁকিপূর্ণ প্রকল্প বাছাই করতে চান। আর্থিক অবস্থা প্রত্যাশিত আয় সম্ভাবনা প্রকল্প-ঢ প্রকল্প-ণ মহাউন্নতি ২০,০০০ ১৬,০০০ ৫০% স্বাভাবিক ১২,০০০ ১০,০০০ ৩০% মহামন্দা ২০,০০০ ১৫,০০০ ২০% [রা. বো. ১৭] অ ক. পোর্টফোলিও ঝুঁকি কী? ১ অ খ. বাজার ঝুঁকিকে কেন অপরিহারযোগ্য ঝুঁকি বলে? ২ অ গ. উপরের বর্ণিত উদ্দীপকের আলোকে প্রকল্প-ঢ এর আদর্শ বিচ্যুতি নির্ণয় করো। ৩ অ ঘ. জনাব বেলালের জন্য কোন প্রকল্পটি গ্রহণ করা ভালো হবে বলে তুমি মনে করো? প্রকল্প দু’টির বিভেদাঙ্কের মানের আলোকে তা বিশ্লেষণ করো। ৪ ৩ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক পোর্টফোলিও ঝুঁকি বলতে বিভিন্ন আর্থিক সম্পদ বা প্রকল্পে বিনিয়োগের মাধ্যমে যে পোর্টফোলিও গঠন করা হয় তার ঝুঁকিকে বোঝায়। সহায়ক তথ্য উদাহরণ : পোর্টফোলিও বিনিয়োগের ফলে প্রত্যাশিত আয় পাওয়া বা না পাওয়ার যে সম্ভাবনা থাকে সেটিই পোর্টফোলিও ঝুঁকি। খ বাজার ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ করা যায় না বলে একে অপরিহারযোগ্য ঝুঁকি বলে। সুদ হারের ঝুঁকি, মুদ্রাস্ফীতি (ওহভষধঃরড়হ), অর্থনৈতিক মন্দাবস্থা ইত্যাদি বাজার ঝুঁকির উদাহরণ। এই সকল ঝুঁকি কোম্পানিকে প্রভাবিত করে। কিন্তু এই ঝুঁকি কোম্পানি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। তাই একে অপরিহারযোগ্য ঝুঁকি বলা হয়। সহায়ক তথ্য সুদ হারের ঝুঁকি : ভবিষ্যতে সুদের হার পরিবর্তনের ফলে যে ঝুঁকির সৃষ্টি হয় তাকে সুদ হারের ঝুঁকি বলা হয়। গ প্রকল্প-ঢ এর আদর্শ বিচ্যুতি (ঝঃধহফধৎফ উবারধঃরড়হ) নির্ণয়: প্রত্যাশিত মুনাফা জী = জর  চর [জর = প্রত্যাশিয় আয়; চর = সম্ভাবনা] = ২০০০০  ০.৫০ + ১২,০০০  ০.৩০ + ২০,০০০  ০.২০ = ১০,০০০ + ৩,৬০০ + ৪,০০০ = ১৭,৬০০ জর চর জর  জ জর  জ২ জর  জ২  চর ২০,০০০ ০.৫০ ২,৪০০ ৫৭,৬০,০০০ ২৮,৮০,০০০ ১২,০০০ ০.৩০ ৫,৬০০ ৩,১৩,৬০,০০০ ৯৪,০৮,০০০ ২০,০০০ ০.২০ ২৪০০ ৫৭,৬০,০০০ ১১,৫২,০০০ জর  জ২  চর = ১,৩৪,৪০,০০০ আদর্শ বিচ্যুতি, ী = জর  জ২  চর = ১৩৪৪০০০০ = ৩,৬৬৬.০৬০৬ উত্তর: ৩,৬৬৬.০৬০৬। ঘ কোন প্রকল্পটি ভালো হবে তা নির্ণয়ের জন্য প্রকল্প-ঢ ও প্রকল্প-ণ এর বিভেদাঙ্ক (ঈড়বভভরপরবহঃ ড়ভ াধৎরধঃরড়হ) নির্ণয় করতে হবে। প্রকল্প- ণ এর বিভেদাঙ্ক নির্ণয়: প্রত্যাশিত মুনাফা, জু = জর  চর =

এইচএসসি ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং নবম অধ্যায় ঝুঁকি এবং মুনাফার হার সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর Read More »

এইচএসসি ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং অষ্টম অধ্যায় মূলধন বাজেটিং ও বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

অধ্যায়-৮: মূলধন বাজেটিং ও বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর মমমপ্রশ্ন„১ স্কয়ার কোম্পানির নিকট বিনিয়োগের জন্য ১,৬০,০০০ টাকা রয়েছে। কোম্পানিটি বিনিয়োগের জন্য নিæোক্ত দু’টি প্রকল্প বিবেচনা করছে: প্রকল্প প্রারম্ভিক বিনিয়োগ কর-পরবর্তী মুনাফা ১ ২ ৩ অ ৭৫,০০০ ১৮,০০০ ১২,০০০ ১০,০০০ ই ৭৫,০০০ ২০,০০০ ১৫,০০০ ৮,০০০ স্কয়ার কোম্পানি লি.-এর মূলধন ব্যয় ১০%। [ঢা. বো. ১৭] অ ক. অভ্যন্তরীণ আয়ের হার কী? ১ অ খ. স্বাধীন প্রকল্পসমূহের ক্ষেত্রে কীভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়? ২ অ গ. প্রকল্প-অ এর গড় আয়ের হার নির্ণয় করো। ৩ অ ঘ. নিট বর্তমান মূল্য-এর ভিত্তিতে স্কয়ার কোম্পানির বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত সুপারিশ করো। ৪ ১ নং প্রশ্নের উত্তর অ মক যে বাট্টা হার মোট নগদ আন্তঃপ্রবাহের বর্তমান মূল্যকে মোট নগদ বহিঃপ্রবাহের বর্তমান মূল্যের সমান করে তাকে অভ্যন্তরীণ আয়ের হার বলে। মখ স্বাধীন প্রকল্পসমূহের ক্ষেত্রে মূলধন নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। যে প্রকল্পের নগদ প্রবাহ অন্য কোনো প্রকল্পের নগদ প্রবাহের সাথে সম্পর্কিত নয় তাকে স্বাধীন প্রকল্প বলে। এক্ষেত্রে মূলধনের পর্যাপ্ততা অনুযায়ী প্রথমে সবচেয়ে লাভজনক প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয় এবং পর্যায়ক্রমে মূলধন পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকা সাপেক্ষে অন্য প্রকল্পগুলো গ্রহণযোগ্যতার ভিত্তিতে গ্রহণ করা হয়, যা মূলধন নিয়ন্ত্রণ নামে পরিচিত। মগ প্রকল্প-অ এর গড় আয়ের হার নির্ণয় : দেয়া আছে, প্রাথমিক বিনিয়োগ = ৭৫,০০০ টাকা কর-পরবর্তী মুনাফা১ = ১৮,০০০ টাকা কর-পরবর্তী মুনাফা২ = ১২,০০০ টাকা কর-পরবর্তী মুনাফা৩ = ১০,০০০ টাকা  গড় কর-পরবর্তী মুনাফা = ১৮০০০ + ১২০০০ + ১০০০০৩ = ১৩,৩৩৩.৩৩ টাকা  গড় বিনিয়োগ = প্রাথমিক বিনিয়োগ + ভগ্নাবশেষ মল্য২ = ৭৫০০০ + ০২ = ৩৭,৫০০  গড় মুনাফার হার = গড় মুনাফাগড় বিনিয়োগ  ১০০ = ১৩৩৩৩.৩৩৩৭৫০০  ১০০ = ৩৫.৫৬% উত্তর : ৩৫.৫৬%। মঘ নিট বর্তমান মূল্যের ভিত্তিতে স্কয়ার কোম্পানির বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নির্ণয় : উভয় প্রকল্পের বার্ষিক অবচয় = ৭৫০০০৩ = ২৫,০০০ টাকা প্রকল্প অ এর নগদ প্রবাহ নির্ণয় : বিবরণ ১ম বছর ২য় বছর ৩য় বছর কর-পরবর্তী মুনাফা ১৮,০০০ ১২,০০০ ১০,০০০ যোগ : অবচয় ২৫,০০০ ২৫,০০০ ২৫,০০০ নগদ আন্তঃপ্রবাহ ৪৩,০০০ ৩৭,০০০ ৩৫,০০০  ঘচঠঅ = ৪৩০০০(১ + .১০)১ + ৩৭০০০(১ + .১০)২ + ৩৫০০০(১ + .১০)৩  ৭৫,০০০ = ৩৯,০৯০.৯১ + ৩০,৫৭৮.৫১ + ২৬,২৯৬.০২  ৭৫,০০০ = ৯৫,৯৬৫.৪৪  ৭৫,০০০ = ২০,৯৬৫.৪৪ প্রকল্প ই এর নগদ আন্তঃপ্রবাহ নির্ণয় : বিবরণ ১ম বছর ২য় বছর ৩য় বছর কর-পরবর্তী মুনাফা ২০,০০০ ১৫,০০০ ৮,০০০ যোগ : অবচয় ২৫,০০০ ২৫,০০০ ২৫,০০০ নগদ আন্তঃপ্রবাহ ৪৫,০০০ ৪০,০০০ ৩৩,০০০  ঘচঠই = ৪৫০০০(১ + .১০)১ + ৪০০০০(১ + .১০)২ + ৩৩০০০(১ + .১০)৩  ৭৫,০০০ = ৪০,৯০৯.০৯ + ৩৩,০৫৭.৮৫ + ২৪,৭৯৩.৩৯  ৭৫,০০০ = ৯৮,৭৬০.৩৩  ৭৫,০০০ = ২৩,৭৬০.৩৩ এখানে, দু’টি প্রকল্পের নিট বর্তমান মূল্যই ধনাÍক। যেহেতু স্কয়ার কোম্পানির নিকট বিনিয়োগের পর্যাপ্ত অর্থ রয়েছে, সেহেতু উভয় প্রকল্পেরই বিেিনয়াগ করা উচিত। মমমপ্রশ্ন„২ জনাব রায়হান সিপলা কোং লি. এর আর্থিক ব্যবস্থাপক। তিনি কোম্পানির মুনাফার কিছু অংশ কোনো লাভজনক প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে চান। জনাব রায়হানের সামনে বিনিয়োগের জন্য দুটি প্রকল্প রয়েছে। উভয় প্রকল্পের মেয়াদকাল ৫ বছর এবং করের হার ৫০%। প্রকল্প দুটির অবচয় ও কর পূর্ববর্তী মুনাফার বিবরণ নিæে দেয়া হলো: বছর প্রকল্প-ঢ প্রকল্প-ণ ১ ৪০,০০০ ৭০,০০০ ২ ৪০,০০০ ৬০,০০০ ৩ ৪০,০০০ ৫০,০০০ ৪ ৪০,০০০ ৫০,০০০ ৫ ৪০,০০০ ৪০,০০০ দু’টি প্রকল্পেরই প্রাথমিক বিনিয়োগ ৫০,০০০ টাকা। প্রকল্প-ঢ এর কোনো ভগ্নাবশেষ মূল্য (ঝধষাধমব াধষঁব) নেই। তবে প্রকল্প-ণ এর ভগ্নাবশেষ মূল্য আছে ৫,০০০ টাকা। [রা. বো. ১৭] অ ক. মূলধন রেশনিং কী? ১ অ খ. “মূলধন বাজেটিং প্রতিষ্ঠানের মুনাফা অর্জন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে”  ব্যাখ্যা করো। ২ অ গ. উদ্দীপকের প্রকল্প-ঢ এর পরিশোধকাল নির্ণয় করো। ৩ অ ঘ. দুটি প্রকল্পের মধ্যে জনাব রায়হানের জন্য কোন প্রকল্পটি অধিক গ্রহণযোগ্য বলে তোমার মনে হয়? উদ্দীপকের আলোকে তা বিশ্লেষণ করো। ৪ ২ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক মূলধনের অপর্যাপ্ততার কারণে প্রকল্পের গ্রহণযোগ্যতার অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে মূলধন বরাদ্দকরণকে মূলধন রেশনিং বলে। খ সর্বাধিক লাভজনক প্রকল্প নির্বাচন গ্রহণের মাধ্যমে মূলধন বাজেটিং প্রতিষ্ঠানের মুনাফা অর্জন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। মূলধন বাজেটিং-এর মাধ্যমে একজন ব্যবস্থাপক সম্ভাব্য প্রকল্পগুলোর মূলধন ব্যয় ও লাভজনকতা বিশ্লেষণ করে। এই বিশ্লেষণের ফলাফল মূল্যায়ন করে সবচেয়ে কম মূলধন ব্যয়ে সর্বাধিক লাভজনক প্রকল্প বিনিয়োগের জন্য বাছাই করা হয়। ফলে সর্বাধিক লাভজনক প্রকল্পে বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের মুনাফা অর্জন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। গ প্রকল্প-ঢ এর পরিশোধকাল নির্ণয়: অবচয় = প্রাথমিক বিনিয়োগ ­ ভগ্নাবশেষ মল্যআয়ুষ্কাল = ৫০০০০ ­ ০৫ = ১০,০০০ প্রকল্প-ঢ এর নগদ আন্তঃপ্রবাহ নির্ণয়: অবচয় ও করপূর্ব মুনাফা ৪০,০০০ বাদ : অবচয় ১০,০০০ করপূর্ব মুনাফা ৩০,০০০ বাদ : কর ৫০% ১৫,০০০ অবচয় ও করপরবর্তী মুনাফা ১৫,০০০ যোগ : অবচয় ১০,০০০ নগদ আন্তঃপ্রবাহ ২৫,০০০ পরিশোধকাল, চইচ = প্রাথমিক বিনিয়োগবার্ষিক নগদ আšঃপ্রবাহ = ৫০০০০২৫০০০ = ২ বছর সুতরাং, প্রকল্প-ঢ এর পরিশোধকাল হচ্ছে ২ বছর। উত্তর: ২ বছর। ঘ কোন প্রকল্পটি অধিক গ্রহণযোগ্য তা নির্ণয়ের জন্য প্রকল্প-ণ এর পরিশোধকাল নির্ণয় করতে হবে। অবচয় = ৫০০০০ ­ ৫০০০৫ =৪৫০০০৫ = ৯,০০০ টাকা প্রকল্প-ণ এর নগদ আন্তঃপ্রবাহ নির্ণয়: বছর ১ ২ ৩ ৪ ৫ অবচয় ও করপƒবট্ট মুনাফা ৭০,০০০ ৬০,০০০ ৫০,০০০ ৫০,০০০ ৪০,০০০ বাদ : অবচয় ৯,০০০ ৯,০০০ ৯,০০০ ৯,০০০ ৯,০০০ করপƒবট্ট মুনাফা ৬১,০০০ ৫১,০০০ ৪১,০০০ ৪১,০০০ ৩১,০০০ বাদ : কর ৫০% ৩০,৫০০ ২৫,৫০০ ২০,৫০০ ২০,৫০০ ১৫,৫০০ করপরবতট্টী মুনাফা ৩০,৫০০ ২৫,৫০০ ২০,৫০০ ২০,৫০০ ১৫,৫০০ যৈাগ : অবচয় ৯,০০০ ৯,০০০ ৯,০০০ ৯,০০০ ৯,০০০ যৈাগ : ভ™²াবএশষ মƒলঞ্ঝ ৫,০০০ নগদ আ¯¦ঃপণ্ঠবাহ ৩৯,৫০০ ৩৪,৫০০ ২৯,৫০০ ২৯,৫০০ ২৯,৫০০ কত্থমএযাজিত নগদ আ¯¦ঃপণ্ঠবাহ ৩৯,৫০০ ৭৪,০০০ ১,০৩,৫০০ ১,৩৩,০০ ১,৬২,৫০০ এখানে, অ = যে বছরে অর্জিত নগদ প্রবাহ নিট বিনিয়োগের কাছাকাছি আসে ঘঈঙ = নিট বিনিয়োগ ঈ = অ বছরে অর্জিত যোজিত নগদ প্রবাহ উ = অ বছরের পরবর্তী বছরে অর্জিত নগদ প্রবাহ আমরা জানি, পে-ব্যাক সময় (চইচ) = অ + ঘঈঙ – ঈউ = ১ + ৫০০০০ ­ ৩৯৫০০৩৪৫০০ = ১ + ১০৫০০৩৪৫০০ = ১ + ০.৩০৪৩ = ১.৩০ বছর যেহেতু প্রকল্প-ণ এর পরিশোধকাল প্রকল্প-ঢ অপেক্ষা কম তাই প্রকল্প-ণ অধিক গ্রহণযোগ্য। তাই দুটি প্রকল্পের মধ্যে জনাব রায়হানের প্রকল্প-ণ গ্রহণ করা উচিত হবে বলে আমি মনে করি। মমমপ্রশ্ন„৩ বিহন লি. এর ২টি বিনিয়োগ প্রস্তাব আছে। প্রতিটি প্রকল্পের প্রাথমিক বিনিয়োগ হবে ৫০,০০০ টাকা। প্রতিষ্ঠানটির সুযোগ ব্যয় হলো ১০%। প্রকল্প দুটির নগদ বার্ষিক আন্তঃপ্রবাহ নিæে দেওয়া হলো বছর প্রকল্প-ক (টাকা) প্রকল্প-খ (টাকা) ১ ৩০,০০০ ২০,০০০ ২ ২০,০০০ ২০,০০০ ৩ ২০,০০০ ২০,০০০ ৪ ১০,০০০ ২০,০০০ [দি. বো. ১৭] অ ক. মূলধন বাজেটিং কী? ১ অ খ. মূলধন বাজেটিং কেন করা হয়? বুঝিয়ে লেখো। ২ অ গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত ২টি প্রকল্পের পে-ব্যাক সময় নির্ণয় করো। ৩ অ ঘ. প্রকল্প দুটির ঘচঠ নির্ণয় করে বিহন লি.-কে প্রকল্পের গ্রহণযোগ্যতার ব্যাপারে পরামর্শ দাও। ৪ ৩ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক স্থায়ী সম্পত্তিতে মূলধন বিনিয়োগের মূল্যায়ন প্রক্রিয়াই হলো মূলধন

এইচএসসি ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং অষ্টম অধ্যায় মূলধন বাজেটিং ও বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর Read More »

Scroll to Top