নবম-দশম

নবম-দশম শ্রেণির ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং দশম অধ্যায় বাণিজ্যিক ব্যাংক ও তার পরিচিতি সৃজনশীল ও জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর

দশম অধ্যায় বাণিজ্যিক ব্যাংক ও তার পরিচিতি  বাণিজ্যিক ব্যাংক মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে যে প্রতিষ্ঠান অর্থ ও অর্থের মূল্য পরিমাপযোগ্য বা সেবা লেনদেন করে থাকে তাকে বাণিজ্যিক ব্যাংক বলা হয়। বাণিজ্যিক ব্যাংক একটি মুনাফাভিত্তিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান, যা অর্থের লেনদেন ও আদান-প্রদানের মাধ্যমে মুনাফা অর্জন করে থাকে। ব্যাংকটি মুনাফা অর্জনের জন্য গঠিত হলেও এটি বিভিন্ন ধরনের কার্যাবলি সম্পাদন করে। বাণিজ্যিক ব্যাংক বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে চেক, হুন্ডি, বিনিময় বিলের প্রচলন করে।  বাণিজ্যিক ব্যাংকের উদ্দেশ্য ১. মুনাফা অর্জন ৮. কর্মসংস্থান সৃষ্টি ২. মূলধন গঠন ৯. ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য হ্রাসকরণ ৩. বিনিময়ের মাধ্যম ১০. সঞ্চয় প্রবণতা সৃষ্টি ৪. জনকল্যাণ ১১. নিরাপত্তা ৫. ঋণ নিয়ন্ত্রণের সহযোগিতা ১২. অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ৬. পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে সহযোগিতা ১৩. শিল্প ও বাণিজ্যিক উন্নয়ন ৭. সম্পদের সুষম বণ্টন ১৪. জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন।  বাণিজ্যিক ব্যাংকের কার্যাবলি ক. প্রধান কার্যাবলি : ১. আমানত গ্রহণ ও সুদ প্রদান ৬. নোট ইস্যু ২. মূলধন গঠন ৭. অছি হিসেবে কাজ ৩. ঋণ মঞ্জুর ও সুদ গ্রহণ ৮. আমদানি-রপ্তানি সাহায্য ৪. ঋণ আমানত সৃষ্টি ৯. সরকারের কোষাগার হিসেবে কাজ করে ৫. বিনিময় মাধ্যম সৃষ্টি ১০. বিনিময় বিল ভাঙানো। খ. বিশেষ ও অন্যান্য কার্যাবলি : ১. মূলধন বিনিয়োগ ৬. কর্মসংস্থান ২. অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভ‚মিকা ৭. ঋণ নিয়ন্ত্রণ ৩. অর্থ স্থানান্তর ৮. কৃষি উন্নয়ন ৪. অর্থের নিরাপত্তা প্রদান ৯. শিল্পোন্নয়ন ৫. পরামর্শ দান ১০. আঞ্চলিক উন্নয়ন।  বাণিজ্যিক ব্যাংকের তহবিলের উৎস ১. পরিশোধিত মূলধন ৩. আমানত ২. সংরক্ষিত তহবিল ৪. ধার গ্রহণ।  বাণিজ্যিক ব্যাংকের আয়ের উৎসসমূহ ১. ঋণের সুদ ৭. প্রতিনিধিত্ব ২. বিনিয়োগ ৮. শেয়ার ক্রয়-বিক্রয়ে মধ্যস্থতা ৩. বিল বাট্টাকরণ ৯. বৈদেশিক বিনিময় ৪. ব্যাংক ড্রাফট, ট্রাভেলারস চেক হতে প্রাপ্ত কমিশন ১০. আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ৫. যোগাযোগ ১১. প্রত্যয়পত্র ৬ লকার ভাড়া ১২. অছি।  বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যায়ের খাতসমূহ ১. আমানতকারীর আমানতের উপর সুদ প্রদান ৮. অফিস ঘর ও গুদাম ঘরের ভাড়া ২. কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রদত্ত ধারের উপর সুদ প্রদান ৯. শুল্ক ও কর ৩. অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাংক হতে গৃহীত ঋণের উপর সুদ প্রদান ১০. বিমা প্রিমিয়াম ৪. কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বেতন-ভাতা ও বোনাস প্রদান ১১. যোগাযোগ খরচ যেমন : ডাক, তার, টেলিফোন, টেলেক্স, ফ্যাক্স, সুইফট ইত্যাদি। ৫. পরিচালক ও ব্যবস্থাপকের ভাতা ১২. বিজ্ঞাপন খরচ ৬ নিরীক্ষকের বিল ১৩. কর্মীদের প্রশিক্ষণ খরচ। ৭. অনাদায়ী ঋণের মামলা-মোকাদ্দমার খরচ অনুশীলনীর সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন-১  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও : মিসেস শীলা রোজারিও প্রতিষ্ঠিত ব্যাংকের উচ্চপদে আসীন বিধায় তিনি তার দুই প্রতিবেশী মোঃ আরাফ ও মৃদুল শেখকে তাদের ব্যবসা ক্ষেত্রে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। মৃদুল শেখ পাটের একজন আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ী এবং মোঃ আরাফের ব্যবসাটি হলো আবাসন প্রকল্পের, যেখানে কিনা তার বেশ বড় অংকের ঋণের প্রয়োজন হয়। সে জন্যই তারা মিসেস শীলা রোজারিওর শরণাপন্ন হন। তিনি বললেন যে, এভাবেই আমরা চেষ্টা করি দেশের মানুষদেরকে সেবা প্রদান করতে, জনগণের সেবাই তো আমাদের কাজ। ক. কোনটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের মৌলিক উদ্দেশ্য? খ. বাণিজ্যিক ব্যাংক কিসের মাধ্যমে আমানত সৃষ্টি করে-ব্যাখ্যা কর। গ. মিসেস শীলার কার্যাবলির ধরন বিবেচনায় তিনি কোন ব্যাংকের কর্মকর্তা তা বর্ণনা কর। ঘ. জনগণের সেবাদানই মূলত আমাদের কাজ-মিসেস শীলা রোজারিওর এই উক্তিটিকে মূল্যায়ন কর।  ১নং প্রশ্নের উত্তর  ক. বাণিজ্যিক ব্যাংকের মৌলিক উদ্দেশ্য হলো মুনাফা অর্জন। খ. বাণিজ্যিক ব্যাংক ঋণের মাধ্যমে আমানত সৃষ্টি করে। ঋণ গ্রহণের সময় ঋণগ্রহীতাকে ব্যাংকের সাথে একটি হিসাব খুলতে হয়। ঋণের অর্থ ঐ হিসাবে জমা বা ক্রেডিট করা হয়। এরপর ঋণগ্রহীতা যত পরিমাণ টাকা সেই হিসাব থেকে উত্তোলন করে সেটা ঐ হিসাবে ডেবিট করা হয়। এভাবে ব্যাংক ঋণের মাধ্যমে আমানত সৃষ্টি করে। গ. মিসেস শীলার কার্যাবলির ধরন বিবেচনায় তিনি বাণিজ্যিক ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা। বাণিজ্যিক ব্যাংক একটি মুনাফাভিত্তিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান, যা অর্থের লেনদেন ও আদান-প্রদানের মাধ্যমে মুনাফা অর্জন করে থাকে। বাণিজ্যিক ব্যাংকের অন্যতম প্রধান কাজ হলো ঋণদান করা। ঋণদানের মাধ্যমে অর্জিত সুদই বাণিজ্যিক ব্যাংকের আয়ের মূল উৎস। উদ্দীপকে মিসেস শীলা ব্যাংকের ঋণদান কর্মসূচির সাথে জড়িত কর্মকর্তা। তিনি তার দুই প্রতিবেশী মোঃ আরাফ ও মৃদুল শেখকে তাদের ব্যবসায় ক্ষেত্রে ঋণদানের মাধ্যমে সহযোগিতা করেন। মৃদুল শেখ আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ী বলে তাকে প্রত্যয়নপত্র খোলার সুযোগ করে দিয়ে তার ব্যবসায় করাকে সহজ করেছেন। এছাড়া মোঃ আরাফের ব্যবসায়টি আবাসন প্রকল্পের হওয়ায় তার জন্য মিসেস শীলা বড় ধরনের ঋণের ব্যবস্থা করেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঋণ প্রদান করে না, বাণিজ্যিক ব্যাংকই জনগণকে ঋণ প্রদান করতে পারে। মিসেস শীলা যেহেতু উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে আবাসন খাতে ঋণ প্রদান করেছেন সেহেতু তার ব্যাংকটি বাণিজ্যিক ব্যাংক নির্দ্বিধায় বলা যায়। ঘ. ‘জনগণের সেবাদানই মূলত আমাদের কাজ’ উক্তিটির মাধ্যমে মিসেস শীলা রোজারিও তার ব্যাংকের কাজকে ফুটিয়ে তুলেছেন। বাণিজ্যিক ব্যাংককে মুনাফাভোগী প্রতিষ্ঠান মনে করা হলেও এটি কেবল মুনাফা অর্জনই করে না, বিভিন্ন সামাজিক ও সেবামূলক কার্যাদি সম্পাদন করে। আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাণিজ্যিক ব্যাংক দেশের শিল্প, বাণিজ্য, অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে বিভিন্ন রকম সেবা প্রদান করে থাকে। সেবা প্রদানের মাধ্যমে মুনাফা অর্জনই ব্যাংকের মূল উদ্দেশ্য। উদ্দীপকে মিসেস শীলা বাণিজ্যিক ব্যাংকের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে তার প্রতিবেশী দুই ব্যবসায়ীকে প্রত্যয়নপত্র ইস্যু ও ঋণদান করে ব্যাংকিং সেবা প্রদান করেছেন। এছাড়াও তার ব্যাংক আর্থিক লেনদেন ও দেনা-পাওনা নিষ্পত্তির মাধ্যম হিসাবে চেক, হুন্ডি, বিনিময় বিল, প্রত্যয়নপত্র, পে-অর্ডার ইত্যাদির প্রচলন করেও জনগণের সেবা প্রদান করে। আবার মক্কেলের অর্থ, মূল্যবান দলিল ও সম্পদের নিরাপত্তা এবং মক্কেলের সম্পদের অছি হিসেবেও তাদের সেবা দিয়ে থাকে। ব্যাংকটি জনগণকে এসব সেবা প্রদান করে কারণ ব্যাংকটি জনগণের অর্থেই পরিচালিত হয়। আর জনগণের সন্তুষ্টির ওপরই তার সাফল্য অনেকটা নির্ভরশীল। সুতরাং, ব্যাংকের সেবাদান সম্পর্কে মিসেস রোজারিওর উক্তিটিই যথার্থ। প্রশ্ন-২  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও : স্কুলশিক্ষিকা জনাব শায়লা শবনম বর্তমান সামাজিক অবস্থার কথা চিন্তা করে তার গহনাসমূহ ও মূল্যবান দলিলপত্র নিয়ে একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরামর্শ কামনা করেন। সেখানে তাকে যে পরামর্শ দেয়া হয় তা তিনি গ্রহণ করেন। তিনি জমি ক্রয়ের জন্য নগদ অর্থ নিয়ে সাভার যাওয়ার পথে ছিনতাইয়ের শিকার হন। ক. ঋণগ্রহীতাকে ব্যাংকের সাথে ঋণগ্রহণের সময় কী খুলতে হয়? খ. সংরক্ষিত তহবিল কী? বর্ণনা কর। গ. শায়লা শবনম তার মূল্যবান দলিলপত্র ও গহনার জন্য কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন? ব্যাখ্যা কর। ঘ. এই ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে আর্থিক প্রতিষ্ঠান কী ভ‚মিকা রাখতে পারে? আলোচনা কর।  ২নং প্রশ্নের উত্তর  ক. ঋণগ্রহীতাকে ব্যাংকের সাথে ঋণগ্রহণের সময় একটি হিসাব খুলতে হয়। খ. বাণিজ্যিক ব্যাংকের তহবিল সংগ্রহের একটি অন্যতম উৎস হলো সংরক্ষিত তহবিল। প্রতি বছর মুনাফার একটি অংশ শেয়ারহোল্ডার বা মালিকগণের মধ্যে বণ্টন না করে ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করে রাখা হয় তাকে সংরক্ষিত তহবিল বলে। এই অর্থ ভবিষ্যতে মূলধন হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। গ. শায়লা শবনম তার মূল্যবান দলিলপত্র ও গহনার জন্য ব্যাংকিং ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। বাণিজ্যিক ব্যাংক জনগণের অর্থের নিরাপত্তার সাথে সাথে তাদের মূল্যবান

নবম-দশম শ্রেণির ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং দশম অধ্যায় বাণিজ্যিক ব্যাংক ও তার পরিচিতি সৃজনশীল ও জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর Read More »

নবম(৯ম) শ্রেণির ৩য় সপ্তাহের বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২

নবম(৯ম) শ্রেণির ৩য় সপ্তাহের বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২

নবম(৯ম) শ্রেণির ৩য় সপ্তাহের বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২ পোস্টটিতে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের স্বাগতম। এই পোস্টে তোমাদের নবম শ্রেণির বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট তৃতীয় সপ্তাহ ২০২২ এর নমুনা উত্তর প্রদান করা হবে। নবম শ্রেণির ৩য় সপ্তাহের বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ প্রিয় নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী বন্ধুরা তোমরা নিশ্চয়ই ৩য় সপ্তাহের বাংলা এসাইনমেন্ট ২০২২ খুঁজছিলে। ঘটেছে বলে আশা করা যায়। কারণ আমরা এখানে তোমাদের যে ৩য় সপ্তাহের বাংলা নমুনা অ্যাসাইনমেন্ট প্রদান করেছি তা যথাযথ। অর্থাৎ এই উত্তর পেয়ে তোমাদের আর অন্য কোথাও নমুনা উত্তর খোঁজার প্রয়োজন পড়বে না। বাংলা এসাইনমেন্ট তৃতীয় সপ্তাহ নবম শ্রেণী তোমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তোমরা প্রশ্ন যদি না পেয়ে থাকো তবে নিচের প্রশ্ন দেখে বুঝে নাও তোমাদের কিভাবে উত্তরটি লিখতে হবে। তোমরা যদি প্রশ্ন করে বুঝতে না পারো তবে উত্তরটি ভালো করে একবার পড়ে নিবে তারপর আবার প্রশ্নটিই দেখবে তাহলে তোমরা বুঝে যাবে যে তোমাদের কি লিখতে হবে। নবম শ্রেণীর অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে যারা প্রশ্ন গুলো না পড়েই উত্তর লেখা শুরু করে দেয়। পরবর্তীতে যদি তাদের জিজ্ঞেস করা হয় যে তোমরা কোন বিষয়ে আছে এমন লিখেছ তবে সেটা আর বলতে পারেনা। তোমরাই বলো তাহলে এই অ্যাসাইনমেন্ট লেখার অর্থটা কি। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর ডিসিশন নিয়েছে তোমাদের অ্যাসাইনমেন্ট দেবে সেই এসাইনমেন্ট দেয়া মূল কারণ হচ্ছে তোমাদের শিখন ফল অর্জন। তোমরা যদি অ্যাসাইনমেন্ট করে শিখন ফল অর্জন করতে না পারো তাহলে এই অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়ার মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে। তাইতো অনুরোধ থাকবে তোমরা অবশ্যই প্রশ্নগুলো পড়বে এবং উত্তরগুলো যথাযথ লেখার চেষ্টা করবে। নবম শ্রেণীর তৃতীয় সপ্তাহের বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্ন উপরের প্রশ্নগুলোর পড়ে তোমরা বুঝতে পারছ যে তোমাদের কি লিখতে হবে। আজ তোমাদের ৩য় সপ্তাহের বাংলা এসাইনমেন্ট ২০২২ নবম শ্রেণি এর উত্তর খুব সংক্ষেপে লিখে দেয়ার চেষ্টা করব। নবম শ্রেণীর ৩য় সপ্তাহের বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান অ্যাসাইনমেন্ট শুরু অ্যাসাইনমেন্ট শেষ আরো পড়ুনঃ সকল শ্রেণির সকল অ্যাসাইনমেন্ট দেখুন ৬ষ্ঠ শ্রেণির ৩য় সপ্তাহের বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২ ৭ম শ্রেণির ৩য় সপ্তাহের বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২ ৮ম শ্রেণির ৩য় সপ্তাহের বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২ ৯ম শ্রেণির ৩য় সপ্তাহের বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২ ১০ম শ্রেণির ৩য় সপ্তাহের বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২ ষষ্ঠ শ্রেণির ৩য় সপ্তাহের বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২ ৭ম শ্রেণির ৩য় সপ্তাহের বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২ ৮ম শ্রেণির ৩য় সপ্তাহের বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২ ৯ম শ্রেণির ৩য় সপ্তাহের ব্যসসায় ‍উদ্যোগ অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২ ১০ম শ্রেণির ৩য় সপ্তাহের ব্যসসায় ‍উদ্যোগ অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২ ৯ম শ্রেণির ৩য় সপ্তাহের রসায়ন অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২ ১০ম শ্রেণির ৩য় সপ্তাহের রসায়ন অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২ ৯ম শ্রেণির ৩য় সপ্তাহের ভূগোল ও পরিবেশ অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২ ১০ম শ্রেণির ৩য় সপ্তাহের ভূগোল ও পরিবেশ অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২  

নবম(৯ম) শ্রেণির ৩য় সপ্তাহের বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২ Read More »

নবম-দশম শ্রেণির ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং নবম অধ্যায় ব্যাংকিং ব্যবসা ও তার ধরন সৃজনশীল ও জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর

নবম অধ্যায় ব্যাংকিং ব্যবসা ও তার ধরন  ব্যাংকের উদ্দেশ্যাবলি ক. ব্যাংকের মালিক ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের প্রেক্ষাপটে ব্যাংকের উদ্দেশ্যাবলি : র. তহবিলের বিনিয়োগ ও মুনাফা অর্জন : ব্যাংকের মালিক, অংশীদার ও শেয়ারহোল্ডারদের সঞ্চিত অর্থের সঠিক বিনিয়োগ করা ব্যাংকের একটি লক্ষ্য। এই উদ্দেশ্য যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের কাক্সিক্ষত হারে মুনাফা অর্জন করা প্রয়োজন। রর. সুনাম অর্জন : ব্যাংকিং ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের সাথে সুনাম শব্দটি জড়িত। প্রতিষ্ঠানের সুনাম বৃদ্ধি পেলে মালিকের সুনামও বৃদ্ধি পায়। ররর. সামাজিক অবদান : ব্যাংকের অর্জিত মুনাফার একটি অংশ সামাজিক উন্নয়নে ও সমাজ গঠনমূলক কাজে ব্যয় করা তাদের একটি উদ্দেশ্য। খ. সরকার ও রাষ্ট্রীয় পক্ষের প্রেক্ষাপটে ব্যাংকের উদ্দেশ্যাবলি র. নোট ও মুদ্রার প্রচলন : কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রা প্রচলন করে থাকে। সরাসরি মুদ্রা প্রচলন করা বাণিজ্যিক ব্যাংকের পক্ষে সম্ভব নয়। বাংলাদেশে নোট ও মুদ্রা প্রচলনের একমাত্র অধিকারী হলো বাংলাদেশ ব্যাংক। রর. মূলধন গঠন : ব্যাংক বিভিন্নভাবে মূলধন গঠনে সরকারকে সহায়তা করে থাকে। এটা ব্যাংকের অন্যতম উদ্দেশ্য। ররর. বিনিয়োগ ও শিল্পায়ন : দেশে ভারসাম্যপূর্ণ বিনিয়োগ ও শিল্পায়নে ব্যাংকের ভ‚মিকা অনস্বীকার্য। রা. মুদ্রাবাজার নিয়ন্ত্রণ : কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারের পক্ষে দেশের মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সর্বদা মুদ্রাবাজার নিয়ন্ত্রণ করে। া. কর্মসংস্থান : ব্যাংক বিভিন্ন প্রকল্পে অর্থায়নের সময় জাতীয় স্বার্থে কর্মসংস্থানের বিষয়টি বিবেচনার পাশাপাশি নিজ প্রতিষ্ঠানে অনেক লোকের কর্মসংস্থান ব্যবস্থা করে। গ. ব্যাংক গ্রাহকদের প্রক্ষাপটে ব্যাংকের উদ্দেশ্যাবলি র. আমানত : গ্রাহকদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সঞ্চয় সংগ্রহ করে ব্যাংক বিভিন্ন ধরনের আমানত সৃষ্টি করে। রর. নিরাপত্তা : গ্রাহকের অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রীর নিরাপত্তা প্রদান করা ব্যাংকের একটি উদ্দেশ্য। ররর. প্রতিনিধি ও অছি : সেবার মূল্য গ্রহণের বিনিময়ে মক্কেলের পক্ষে প্রতিনিধি/ অছি হিসাবে কাজ করা ব্যাংকের একটি উদ্দেশ্য। রা. উপদেষ্টা ও পরামর্শদাতা : ব্যাংক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করে থাকে। গ্রাহককে অর্থসংক্রান্ত পরামর্শ দিয়ে থাকে। া. জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন : গ্রাহকের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নকল্পে ব্যাংক বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন সেবা ও পণ্য সৃষ্টি করে।  ব্যাংকের গঠন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আইন অনুযায়ী বর্তমানে সর্বনি¤œ ২ জন ও সর্বোচ্চ ১৩ জন পরিচালকের সমন্বয়ে প্রাইভেট ব্যাংক স্থাপন করা যায়। পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির মালিকানায় ব্যাংকের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৭ জন এবং সর্বোচ্চ সীমাহীন পরিচালকের সমন্বয়ে ব্যাংক প্রতিষ্ঠান করা যায়। বাংলাদেশে যে কোনো বাণিজ্যিক ব্যাংক প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনহীন ব্যাংকগুলো সমবায় বা অন্য যে কোনো নামে পরিচালিত হলেও তা বেআইনি ব্যাংকিং ব্যবস্থা হিসাবে চি‎ি‎হ্নত হবে।  ব্যাংকিং ব্যবসার মূলনীতি ১. নিরাপত্তার নীতি ৫. দক্ষতার নীতি ৯. সুনামের নীতি ১৩. মিতব্যয়িতার নীতি ২. মুনাফার নীতি ৬. সেবার নীতি ১০. বিনিয়োগ নীতি ১৪. সততা ও বিশ্বস্ততার নীতি ৩. তারল্য নীতি ৭. প্রচার নীতি ১১. উন্নয়নের নীতি ১৫. সাবধানতার নীতি ৪. প্রাচুর্য বা সচ্ছলতার নীতি ৮. গোপনীয়তার নীতি ১২. উদ্দেশ্যের নীতি ১৬. বিশেষায়নের নীতি  ব্যাংকের শ্রেণিবিন্যাস ক. কাঠামোভিত্তিক শ্রেণিবিভাগ : ১. একক ব্যাংক, ২. শাখা ব্যাংক, ৩. চেইন ব্যাংক ও ৪. গ্রæপ ব্যাংক। খ. কার্যভিত্তিক শ্রেণিকরণ : ১. কেন্দ্রীয় ব্যাংক, ২. বাণিজ্যিক ব্যাংক, ৩. কৃষি ব্যাংক, ৪. শিল্প ব্যাংক, ৫. সমবায় ব্যাংক, ৬. বিনিয়োগ ব্যাংক, ৭. সঞ্চয়ী ব্যাংক, ৮. বন্ধকি ব্যাংক, ৯. পরিবহন ব্যাংক, ১০. ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প ব্যাংক, ১১. আমদানি-রপ্তানি ব্যাংক। গ. ব্যবসায় সংগঠনভিত্তিক শ্রেণিকরণ : ১. একমালিকানা ব্যাংক, ২. অংশীদারি ব্যাংক, ৩. যৌথ মালিকানা ব্যাংক, ৪. সমবায় ব্যাংক ও ৫. রাষ্ট্রীয় ব্যাংক। ঘ. মালিকানাভিত্তিক শ্রেণিকরণ : ১. সরকারি ব্যাংক, ২. বেসরকারি ব্যাংক, ৩. এনজিও ব্যাংক, ৪. স্বায়ত্তশায়িত ব্যাংক, ৫. আংশিক ব্যাংক, ৬. বিদেশি মালিকানাধীন ব্যাংক। ঙ. অঞ্চলভিত্তিক শ্রেণিকরণ : ১. আঞ্চলিক ব্যাংক, ২. জাতীয় ব্যাংক, ৩. আন্তর্জাতিক ব্যাংক। চ. নিবন্ধনভিত্তিক শ্রেণিকরণ : ১. দেশি ব্যাংক, ২. বিদেশি ব্যাংক। ছ. বিশেষ মক্কেলভিত্তিক শ্রেণিকরণ : ১. শ্রমিক ব্যাংক, ২. মহিলা ব্যাংক, ৩. স্কুল ব্যাংক ও ৪. ভোক্তাদের ব্যাংক। জ. নিয়ন্ত্রণভিত্তিক শ্রেণিকরণ : ১. পূর্ণ রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রিত ব্যাংক, ২. আংশিক নিয়ন্ত্রিত ব্যাংক, ৩. বাজার নিয়ন্ত্রিত ব্যাংক। ঝ. ধর্মীয় দৃষ্টিকোণভিত্তিক ব্যাংক। অনুশীলনীর সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন-১  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও : নবাবপুর হাটে নতুন করে ব্যাংকের শাখা দেখে রমিজ তার বড় ভাইকে প্রশ্ন করল যে এই গ্রাম্য হাটে ব্যাংকের প্রয়োজনীয়তা কি খুব বেশি? তখন রমিজের ভাই বলল যে আমরা যে পাট ব্যবসায়ীরা এই গ্রামে আছি এই ব্যাংক আমাদের বিভিন্ন আর্থিক সমস্যা সমাধানকল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখবে এবং কাজকে অনেক সহজতর করবে এবং অল্প কিছুদিন পরই দেখা গেল যে তাদের গ্রামের অনেকেই বিভিন্ন কলকারখানা স্থাপনসহ বিভিন্ন শিল্পোদ্যোগ গ্রহণ করল এই ব্যাংকের বিভিন্ন সহযোগিতার মাধ্যমে। ক. পাবলিক লি. ব্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন পরিচালক সংখ্যা কতজন থাকে? খ. ব্যাংকের তারল্যনীতিটি ব্যাখ্যা কর। গ. রমিজের ভাইয়ের বর্ণনা অনুযায়ী আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে ব্যাংকের ভ‚মিকা পর্যালোচনা কর। ঘ. ব্যাংকিং সেবা চালু করায় নবাবপুর হাটে স্থানীয় লোকেরা শিল্প-কারখানা স্থাপনে আগ্রহী হলো-বিষয়টির সাথে তুমি একমত কি না তা বর্ণনা কর।  ১নং প্রশ্নের উত্তর  ক. পাবলিক লি. ব্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন পরিচালক সংখ্যা ৭ জন। খ. তারল্যনীতি হলো যেখানে অতিরিক্ত তারল্যও থাকবে না আবার তারল্য সংকটও হবে না। আমানতকারীরা যে কোনো মুহ‚র্তে তাদের অর্থ ফেরত নিতে পারে বা প্রয়োজন অনুযায়ী টাকা উত্তোলন করতে পারে। তাই প্রতিটি ব্যাংক মোট আমানতের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অংশ তার কাছে নগদ জমা রেখে বাকি অর্থ স্বল্প মেয়াদে বিনিয়োগ করে থাকে। ঐ নগদ অংশের পরিমাণকে ব্যাংকের ভাষায় তারল্যনীতি বলা হয়। গ. রমিজের ভাইয়ের বর্ণনা অনুযায়ী আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে ব্যাংকের অবদান অপরিসীম। যে কোনো উন্নয়নশীল দেশের উন্নয়নের পেছনে ব্যাংকের অসামান্য ভ‚মিকা রয়েছে। কারণ ব্যাংকই দেশে ব্যবসায় বাণিজ্য গড়ে তোলার পেছনে সকল আর্থিক সমস্যার সমাধানে কাজ করে থাকে। উদ্দীপকের রমিজের ভাইয়ের বর্ণনা অনুযায়ী ব্যাংক তাদের গ্রামের পাট ব্যবসায়ীদের ঋণসহ অন্যান্য আর্থিক সমস্যা সমাধান করতে পারবে। ব্যবসায়িক বিভিন্ন কাজে পরামর্শ দিয়ে তাদের কাজ সহজতর করবে। ব্যাংক ঐ গ্রামের জনগণের সঞ্চিত অর্থ থেকে মূলধন গঠন করবে। সংগৃহীত মূলধন বিভিন্ন লাভজনক খাতে যেমন : শিল্পকারখানা, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ইত্যাদিতে বিনিয়োগ করবে। এতে ব্যবসায় বাণিজ্যের উন্নতির সাথে সাথে অধিকতর কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। ফলে ঐ গ্রামের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে। এভাবেই ধীরে ধীরে এই গ্রামের উন্নতি ঘটবে এবং এই গ্রামের মতো করে আমাদের দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও যথেষ্ট অবদান রাখবে। ঘ. ব্যাংকিং সেবা চালু করায় নবাবপুর হাটে স্থানীয় লোকেরা শিল্প-কারখানা স্থাপনে আগ্রহী হলো-বিষয়টির সাথে আমি সম্পূর্ণভাবে একমত। মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে ব্যাংক ব্যবসায়ের যাত্রা শুরু হলেও এটি গ্রাহকদের জন্য এবং সমাজের জন্য নানামুখী সেবামূলক কর্মকাণ্ড সম্পাদন করে যা দেশ ও জাতির জন্য মঙ্গলজনক। উদ্দীপকে নবাবপুর গ্রামের হাটের ব্যাংকটি শাখা স্থাপনের অল্প কিছুদিন পরেই গ্রামের অনেকেই কলকারখানা স্থাপনসহ বিভিন্ন শিল্পোদ্যাগ গ্রহণ করেছে। কারণ মূলধনের অভাবে এতো দিন নবাবপুর গ্রামের স্থানীয় লোকেরা শিল্প-কারখানার কথা চিন্তা করতে পারেননি। তাই গ্রামের স্থাপিত ব্যাংকের সহযোগিতা পাওয়া মাত্রই তারা

নবম-দশম শ্রেণির ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং নবম অধ্যায় ব্যাংকিং ব্যবসা ও তার ধরন সৃজনশীল ও জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর Read More »

নবম-দশম শ্রেণির ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং অষ্টম অধ্যায় মুদ্রা, ব্যাংক ও ব্যাংকিং সৃজনশীল ও জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর

অষ্টম অধ্যায় মুদ্রা, ব্যাংক ও ব্যাংকিং  মুদ্রা ও তার ইতিহাস মুদ্রার ইতিহাস খুবই বিচিত্র। ইতিহাস থেকে দেখা যায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন আকার এবং প্রকৃতির মুদ্রা বিভিন্ন দেশে ব্যবহৃত হতো। বিনিময় মাধ্যমে মুদ্রা হিসেবে বিভিন্ন সময় কড়ি, হাঙ্গরের দাঁত, হাতির দাঁত, পাথর, ঝিনুক, পোড়া মাটি, তামা, রূপা ও সোনার ব্যবহার লক্ষ করা যায়। ব্যবহার, স্থানান্তর, বহন এবং অন্যান্য প্রয়োজনের কারণে ধাতব মুদ্রার ব্যবহার বেশিদিন স্থায়িত্ব লাভ করতে পারেনি। ধাতব পদার্থের সরবরাহে ঘাটতি দেখা দেয়। তাছাড়া স্বর্ণ এবং রৌপ্যের অলঙ্কারাদিসহ অন্যান্য ব্যবহারের কারণে কাগজি মুদ্রার প্রচলন ঊনবিংশ শতাব্দীতে শুরু হয়। কাগজের সহজলভ্যতা, সহজে বহনযোগ্য হওয়া এবং বর্তমানে বিভিন্ন রকমের নিরাপত্তা নিশ্চিত হওয়ায় কাগজি মুদ্রা ব্যাপক প্রসার লাভ করেছে।  মুদ্রা কী কার্যকারিতার ভিত্তিতে মুদ্রা বলতে আমরা বুঝি ‘মুদ্রা’ একটি বিনিময় মাধ্যম, যা সবার নিকট গ্রহণীয় এবং যা মূল্যের পরিমাপক ও সঞ্চয়ের বাহন হিসেবে কাজ করে’। অর্থাৎ যেকোনো লেনদেন করার জন্য মুদ্রা ব্যবহার করা হয়।  মুদ্রা ও ব্যাংকের সম্পর্ক মুদ্রা প্রচলনের পরপরই ব্যাংক ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়, যার জন্য মুদ্রাকে ব্যাংক ব্যবস্থার জননী বলা হয়। মানুষের কাছে থাকা প্রয়োজনের অতিরিক্ত অর্থ তার সঞ্চয় হিসাবে সংগ্রহের মাধ্যমে ব্যাংক আমানতের সৃষ্টি করে এবং সঞ্চয়কারীকে একটি নির্দিষ্ট সুদ বা মুনাফা দিয়ে থাকে। এ আমানত ঋণগ্রহীতাকে বর্ধিত সুদে ঋণ প্রদানের মাধ্যমে ব্যাংক তার ব্যবসায়িক মুনাফা করে থাকে। মুদ্রা ছাড়া যেমন ব্যাংক চলতে পারে না তেমনি ব্যাংক ছাড়া মুদ্রার ব্যবহারও সীমিত।  ব্যাংক, ব্যাংকিং ও ব্যাংকার ব্যাংক : ব্যাংক হলো একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান, যা জনগণের কাছ থেকে সুদের বিনিময়ে আমানত সংগ্রহ করে, মুনাফা অর্জনের নিমিত্তে তা বিনিয়োগ করে এবং চাহিবামাত্র অথবা নির্দিষ্ট সময়ান্তে সঞ্চয়কারীর কাছে তা ফেরত দিতে বাধ্য থাকে। অর্থাৎ ব্যাংক হচ্ছে অর্থ জমা, তোলা ও ঋণদানের একটি নিরাপদ প্রতিষ্ঠান। ব্যাংকিং : জনসাধারণের কাছ থেকে চলতি, সঞ্চয়ী ও মেয়াদি হিসাবে অর্থ গ্রহণ, চেক গ্রহণ ও পরিশোধ, ঋণ প্রদান, বিল বাট্টাকরণ, একস্থান থেকে অন্যস্থানে গ্রাহকদের অর্থ স্থানান্তরে সাহায্যকরণ প্রভৃতি কাজকে সমষ্টিগতভাবে ব্যাংকিং বলা হয়। অর্থাৎ ব্যাংক কর্তৃক গ্রাহকদের জন্য সম্পাদিত সকল কার্যাবলি হলো ব্যাংকিং। ব্যাংকার : যে ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ ব্যাংকিং ব্যবসায় পরিচালনার সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকে তাকে ব্যাংকার বলা হয়।  ব্যাংক ব্যবসায়ের ইতিহাস ও ক্রমবিকাশ মুদ্রা ব্যবস্থার আবির্ভাব এবং মুদ্রা ব্যবহারের প্রথম যুগ থেকেই ব্যাংক ব্যবস্থার শুরু। মুদ্রা আবিষ্কারের পর পর ব্যবসায় বাণিজ্য, লেনদেন এবং মুদ্রার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তা ব্যাংক সৃষ্টিতে ব্যাপক অবদান রাখে। খ্রিষ্টপূর্ব পাঁচ হাজার সালে প্রথম ব্যাংক ব্যবস্থা ইতিহাসে স্থান করে নেয়। পরবর্তীতে ব্যাবিলনীয় সভ্যতা, রোমান সভ্যতা, চৈনিক সভ্যতা, গ্রিক সভ্যতা ব্যাংকিং ব্যবসায়কে উত্তরোত্তর উন্নতি সাধনে অবদান রাখে।  বাংলাদেশ ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক মুদ্রা প্রচলন, ঋণ নিয়ন্ত্রণ এবং ব্যাংকিং ব্যবসায়ের অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করে এবং সব ব্যাংকের জাতীয়করণ করেন। যার কারণে সোনালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক ও উত্তরা ব্যাংক রাষ্ট্রেয়ত্ত¡ ব্যাংক জš§ লাভ করে। অনুশীলনীর সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন-১  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও : ওমর আলী একজন কৃষক। তিনি জমি চাষ করে ধান, গমসহ বিভিন্ন রকম ফসল ফলান। তার প্রতিবেশী মতিন একজন দর্জি। তিনি ছেলে মেয়ে সবার জন্য পোশাক তৈরি করেন। মুদ্রার প্রচলন না থাকায় ওমর আলী মতিনের কাছ থেকে পরিবারের সদস্যদের জন্য দরকারি পোশাক সংগ্রহ করেন। মতিনও কাপড়ের বিনিময়ে পরিবারের খাদ্যের চাহিদা মেটাতে পারেন। এটাই দ্রব্য বিনিময় প্রথা। ক. কোনটি নিরাপদ বিনিময় মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত? ১ খ. ‘দ্রব্যের বিনিময়ে দ্রব্য’ এ প্রথাটি ব্যাখ্যা কর। ২ গ. ওমর আলী ও মতিনের পণ্য বিনিময় কিসের অভাব ফুটিয়ে তুলেছে? বর্ণনা কর। ৩ ঘ. ওমর আলী ও মতিনের চাহিদা মেটাতে ‘দ্রব্যের বিনিময়ে দ্রব্য’কতটুকু কার্যকর তা মূল্যায়ন কর। ৪  ১নং প্রশ্নের উত্তর  ক. কাগজি মুদ্রা নিরাপদ বিনিময় মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত। খ. ‘দ্রব্যের বিনিময়ে দ্রব্য’ এই প্রথাটিই বিনিময় প্রথা হিসেবে পরিচিত। প্রথাটি মুদ্রা প্রচলনের পূর্বের একটি প্রাচীন বিনিময় প্রথা। মানব সৃষ্টি ও সভ্যতার বিবর্তনের সাথে সাথে মানুষের প্রয়োজন, কর্মকাণ্ড এবং সামাজিক বন্ধনের পরিধি প্রসার লাভ করতে থাকে। তখন মানুষ নিজেদের পরস্পরের মধ্যে তার প্রয়োজনের অতিরিক্ত দ্রব্যাদি বিনিময়ের মাধ্যমে নিজেদের চাহিদা পূরণ করত। এটাই ‘দ্রব্যের বিনিময়ে দ্রব্য’ প্রথা। গ. ওমর আলী ও মতিনের পণ্য বিনিময় বিনিময় মাধ্যম হিসেবে মুদ্রার অভাব ফুটিয়ে তুলেছে। মানব সৃষ্টি ও সভ্যতার বিবর্তনের সাথে সাথে মানুষের প্রয়োজন, কর্মকাণ্ড ও সামাজিক পরিধি বৃদ্ধিতে মানুষের চাহিদার মাত্রা বেড়ে গেল। মানুষ একে অপরের চাহিদা মেটাতে দ্রব্য বিনিময় করত। উদ্দীপকে ওমর আলী ও মতিন দ্রব্য বিনিময় ঘটিয়ে নিজেদের প্রয়োজন পূরণ করেছেন। বিনিময় মাধ্যম না থাকায় তারা দ্রব্য বা পণ্য বিনিময়ে বাধ্য হয়েছেন। একক বিনিময় মাধ্যম হিসেবে পরিচিত মুদ্রা প্রচলিত থাকলে তারা প্রতিটি পণ্য বা বস্তুর মূল্য পরিমাপ করতে পারতেন। আর মূল্য পরিমাপ করতে পারলে মুদ্রার মাধ্যমে বিনিময় কাজ সম্পন্ন করতে পারতেন। কিন্তু সভ্যতার শুরুতে মুদ্রা না থাকায় ওমর আলী ও মতিনকে পণ্য বা দ্রব্য বিনিময়ের মাধ্যমে চাহিদা মেটাতে হয়েছে। ঘ. মুদ্রার প্রচলন না থাকায় ওমর আলী ও মতিনের চাহিদা মেটাতে দ্রব্যের বিনিময়ে দ্রব্য কার্যকর ভ‚মিকা পালন করছে। মানব সৃষ্টি ও সভ্যতার বিবর্তনের সাথে সাথে মানুষের প্রয়োজন, কর্মকাণ্ড এবং সামাজিক বন্ধনের পরিধি প্রসার লাভ করতে থাকে। প্রথমদিকে মানুষের চাহিদা ছিল খুব সীমিত এবং পরস্পরের মধ্যে তারা প্রয়োজনের অতিরিক্ত দ্রব্যাদি বিনিময়ের মাধ্যমে নিজেদের চাহিদা পূরণ করত। দ্রব্যের বিনিময়ে দ্রব্যের আদান-প্রদানের এ ব্যবস্থাই হলো বিনিময় প্রথা। উদ্দীপকের ওমর আলী কৃষক হিসেবে যেসব ফসল ফলাত তার সবটুকু তার প্রয়োজন হতো না। ফলে প্রয়োজনের অতিরিক্ত দ্রব্য মতিনের সাথে বিনিময় করতেন। মতিনও ওমর আলীকে পোশাক সরবরাহের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় খাদ্যশস্য সংগ্রহ করতেন। এভাবে দ্রব্য বিনিময়ের মাধ্যমে ওমর আলী ও মতিন নিজেদের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হন। কারণ ঐ সময়ে মুদ্রার প্রচলন ছিল না। সুতরাং, ওমর আলী ও মতিনের চাহিদার প্রয়োজনেই মূলত বিনিময় প্রথার উদ্ভব হয়েছে। প্রশ্ন-২  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও : মকবুল একজন নির্মাণ শ্রমিক। তার দৈনিক মজুরি ৫০০ টাকা। কিন্তু একই সময়ে কাজ করে তার সহকারী নিয়ামতের মজুরি ৩০০ টাকা। আবার ১ কেজি বাসমতি চাল ১৫০ টাকা হলেও ১ কেজি নাজির চাল ৪০ টাকা। একই সময় বা একই পণ্য হলেও এদের বিনিময়ে তারতম্য দেখা যায়। এ তারতম্যতা অনুধাবনের মাধ্যমে ব্যবসায়িক লেনদেনগুলো বোধগম্য হয়। ক. বিনিময় প্রথার মূল কথা কী? ১ খ. বিরাষ্ট্রীয়করণ প্রক্রিয়া বলতে কী বোঝ? ২ গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত লেনদেনে মুদ্রা কী হিসেবে কাজ করেছে? বর্ণনা কর। ৩ ঘ. উদ্দীপকে মুদ্রার ভ‚মিকা অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপে কী কোনো প্রভাব ফেলেছে? তোমার মতামত দাও। ৪  ২নং প্রশ্নের উত্তর  ক. বিনিময় প্রথার মূলকথা হলোÑ দ্রব্যের বিনিময়ে দ্রব্য। খ. যে প্রক্রিয়ায় একটি ব্যাংক ব্যক্তি বা বেসরকারি মালিকানায় গঠিত ও পরিচালিত হয় তাই বিরাষ্ট্রীয়করণ প্রক্রিয়া নামে পরিচিত। বিরাষ্ট্রীয়করণ প্রক্রিয়ায় ব্যাংকগুলোর অধিকাংশ শেয়ারের মালিক বেসরকারি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান। এ

নবম-দশম শ্রেণির ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং অষ্টম অধ্যায় মুদ্রা, ব্যাংক ও ব্যাংকিং সৃজনশীল ও জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর Read More »

নবম-দশম শ্রেণির ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং সপ্তম অধ্যায় শেয়ার, বন্ড ও ডিবেঞ্চার সৃজনশীল ও জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর

সপ্তম অধ্যায় শেয়ার, বন্ড ও ডিবেঞ্চার  শেয়ারের শ্রেণিবিভাগ পাবলিক লি. কোম্পানির তহবিল বা মূলধন সংগ্রহের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস হচ্ছে শেয়ার বিক্রয়। শেয়ার হচ্ছে বড় অংকের মূলধনের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশ। শেয়ার ক্রয়ের মাধ্যমে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীগণ বিনিয়োগে আগ্রহী হয়। বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার জন্য কোম্পানি সংগঠনগুলো বিভিন্ন প্রকার শেয়ারের প্রচলন করে থাকে।  সাধারণ শেয়ার আইনানুযায়ী যে শেয়ারের মালিকগণ অধিকার, দায়িত্ব ও কর্তব্যের বিভিন্ন দিক বিচারে অধিক সুবিধা ও মর্যাদা ভোগ করলেও লভ্যাংশ বণ্টন ও কোম্পানি বিলোপের সময় মূলধন প্রত্যাবর্তনে অগ্রাধিকার পায় না তাকে সাধারণ শেয়ার বলে। শেয়ারহোল্ডারদের বিনিয়োগকৃত অর্থ ফেরতযোগ্য নয়। শেয়ারহোল্ডাররাই কোম্পানির মালিক।  সাধারণ শেয়ারের সুবিধা  অধিক আয় : কোম্পানি অধিক আয় করলে সাধারণ শেয়ার থেকে বিনিয়োগকারীদের প্রাপ্ত আয়ও বৃদ্ধি পায়।  সীমাবদ্ধ দায় : কোনো অবস্থাতেই একজন সাধারণ শেয়ার মালিকের ঝুঁকি তার বিনিয়োগকৃত অর্থের অধিক হয় না।  তারল্য : সাধারণ শেয়ার মালিকরা যেকোনো সময় ইচ্ছে করলে তার ধারণকৃত শেয়ার বিক্রি করে নগদ টাকা সংগ্রহ করতে পারে।  সাধারণ শেয়ারের অসুবিধা  ঝুঁকি : শেয়ারবাজারে অনেক ফটকা বিনিয়োগকারী থাকে। ফলে বুঝে-শুনে বিনিয়োগ না করলে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।  মুনাফা ও সম্পত্তি বণ্টনে অধিকার : কোম্পানি মুনাফা বণ্টনে সবার দায় তথা অগ্রাধিকার শেয়ার, বন্ড ও ঋণপত্র মালিকদের প্রাপ্ত আয় পরিশোধের পর অবশিষ্ট মুনাফার ওপর সাধারণ শেয়ার মালিকদের অধিকার থাকে। অনুরূপভাবে, কোম্পানির অবসায়নকালে সম্পত্তি বিক্রির প্রাপ্ত অর্থ থেকে সব দায় পরিশোধ করার পর অবশিষ্ট অর্থ শেয়ার মালিকরা ভাগাভাগি করে নেয়।  অগ্রাধিকার শেয়ার যেসব বিনিয়োগকারী শেয়ারে বিনিয়োগ থেকে নির্দিষ্ট হারে আয় প্রত্যাশা করে তাদের জন্য অগ্রাধিকার শেয়ার একটি ভালো বিনিয়োগ হাতিয়ার হিসেবে বিবেচিত হয়। সাধারণ শেয়ারের ন্যায় অগ্রাধিকার শেয়ারের নিজস্ব কিছু স্বকীয়তা ও বৈশিষ্ট্য রয়েছে।  মালিকানা : অগ্রাধিকার শেয়ার মালিকদের কোম্পানির পুরোপুরি মালিক বলা হয় না। তাদেরকে সাধারণ শেয়ার মালিক এবং বন্ড ও ঋণপত্র মালিকদের মাঝামাঝি অবস্থানে বিবেচনা করা হয়।  রূপান্তরযোগ্যতা : অনেক অগ্রাধিকার শেয়ার একটি নির্দিষ্ট সময় পর সাধারণ শেয়ারে রূপান্তর করার বিকল্প সুযোগ থাকে। ফলে বিনিয়োগকারী ইচ্ছে করলে এই সুযোগ ব্যবহার করে সাধারণ শেয়ার মালিক হতে পারে।  অগ্রাধিকার শেয়ারের সুবিধা  নির্দিষ্ট হারে আয় : অগ্রাধিকার শেয়ার মালিকরা নির্দিষ্ট হারে লভ্যাংশ পায়। ফলে শেয়ার মালিকদের আয়ের অনিশ্চয়তা কম থাকে।  মুনাফা আয়ের ওপর অগ্রাধিকার : লভ্যাংশ প্রদানে অগ্রাধিকার শেয়ার মালিকরা সাধারণ শেয়ার মালিকদের লভ্যাংশ প্রদানের আগে অগ্রাধিকার পায়।  সম্পদের ওপর দাবি : কোম্পানির অবসায়ন বা বিলুপ্তির সময় সম্পদের ওপর অগ্রাধিকার শেয়ার মালিকদের দাবি সাধারণ শেয়ার মালিকদের দাবির পূর্বে বিবেচনা করা হয়।  অগ্রাধিকার শেয়ারের অসুবিধা  নিয়ন্ত্রণ : ভোটাধিকার না থাকায় অগ্রাধিকার শেয়ার মালিকদের কোম্পানির ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না।  সীমিত আয় : কোম্পানি অতিরিক্ত মুনাফা করলেও অগ্রাধিকার শেয়ার মালিকরা পূর্ব নির্ধারিত হারেই মুনাফা পায়।  বিলম্বিত শেয়ার যে শেয়ার ক্রয় করলে শেয়ার মালিকগণ অন্যান্য সকল প্রকার শেয়ার মালিকদের লভ্যাংশ কর্তনের পর আনুপাতিক হারে লভ্যাংশ পায় অর্থাৎ বিলম্বে লভ্যাংশ পেয়ে থাকে তাকে বিলম্বিত শেয়ার বলে। কোম্পানি অবসায়নের ক্ষেত্রে এই শেয়ারহোল্ডারদের দাবি সকলের পরে মিটানো হয়।  রাইট শেয়ার কোম্পানি গঠনের পরবর্তী সময়ে শেয়ার বিক্রয় করার ক্ষেত্রে যখন পুরাতন শেয়ার মালিকগণ ঐ শেয়ার ক্রয়ে অগ্রাধিকার পেয়ে থাকে তাকে রাইট শেয়ার বলে। অর্থাৎ পরবর্তী সময়ে কোম্পানির মূলধন সংগ্রহের প্রয়োজনে শেয়ার বিক্রয় করা হলে পুরাতন শেয়ার মালিকগণ যখন ঐ শেয়ার ক্রয়ের অধিকার সংরক্ষণ করেন তখন ঐ বিক্রয়যোগ্য শেয়ারকে রাইট শেয়ার বলা হয়ে থাকে।  বোনাস শেয়ার কোনো কোম্পানির অবণ্টিত মুনাফা যখন শেয়ার মালিকদের মধ্যে লভ্যাংশ হিসেবে বণ্টন না করে অবণ্টিত মুনাফা শেয়ারে রূপান্তর করে পুরাতন শেয়ার মালিকদের মধ্যে আনুপাতিক হারে বণ্টন করা হয় তখন এ ধরনের শেয়ারকে বোনাস শেয়ার বলে।  বন্ড যে দলিল বা চুক্তিপত্রের মাধ্যমে কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের থেকে ঋণ মূলধন সংস্থান করে সেটিকে বন্ড বলা হয়। বিনিয়োগকারীর দৃষ্টিকোণ থেকে বন্ডের কিছু আলাদা স্বকীয়তা বা বৈশিষ্ট্য রয়েছে।  জামানত : বন্ডের বিপরীতে কোম্পানি সাধারণত স্থায়ী সম্পত্তি বা দলিলপত্রাদি জামানত হিসেবে রাখে।  পরিপক্বতার তারিখ : কোম্পানি কর্তৃক ইস্যুকৃত বন্ডের একটি নির্দিষ্ট পরিপক্বতার তারিখ থাকে। উক্ত পরিপক্বতার তারিখে বিনিয়োগকারী বন্ডে উল্লিখিত লিখিত মূল্য ফেরত পায়।  ঋণদাতা : বন্ড মালিকরা কোম্পানির ঋণদাতা হিসেবে গণ্য হয়। ফলে তাদের কোনো ভোটাধিকার থাকে না।  রূপান্তরযোগ্যতা : কোম্পানি অনেক সময় বিনিয়োগকারীদের কাছে রূপান্তরযোগ্য বন্ড বিক্রি করে থাকে।  বন্ডের সুবিধা  সুদের হার : সুদের হার নির্দিষ্ট থাকে বিধায় বন্ডে বিনিয়োগকারীদের আয় নির্দিষ্ট থাকে।  ঝুঁকি কম : বন্ডের বিপরীতে স্থায়ী বা অন্যান্য সম্পত্তি জামানত হিসেবে রাখা হয় বিধায় বন্ড বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকি হ্রাস পায়।  মুনাফা ও সম্পদের ওপর অধিকার : কোম্পানি কর্তৃক অর্জিত আয় থেকে সর্বপ্রথম বন্ড মালিকদের সুদ প্রদান করা হয়। অন্যদিকে কোম্পানি বিলুপ্তি বা অবসায়নকালে সম্পদ বিক্রির প্রাপ্ত অর্থ থেকে সর্বপ্রথম বন্ড মালিকদের পাওনা টাকা পরিশোধ করা হয়।  বন্ডের অসুবিধা  কম আয় হার : সাধারণ শেয়ার এবং অগ্রাধিকার শেয়ারের তুলনায় কম ঝুঁকিপূর্ণ বিধায় বন্ড মালিকদের আয় হার কম হয়।  নিয়ন্ত্রণ : বন্ড মালিকদের ভোটাধিকার থাকে না বিধায় বন্ড মালিকরা কোম্পানির নিয়ন্ত্রণে অংশগ্রহণ করতে পারে না।  ডিবেঞ্চার ডিবেঞ্চার হচ্ছে একটি জামানতবিহীন বন্ড। ফলে বন্ডের অধিকাংশ বৈশিষ্ট্য ডিবেঞ্চারে বিদ্যমান। তবে এক্ষেত্রে কোনো জামানত থাকে না।  ডিবেঞ্চারের সুবিধা  নিয়মিত আয় : বন্ডের ন্যায় বিনিয়োগকারীরা ডিবেঞ্চার থেকে নির্দিষ্ট হারে নিয়মিত আয় পায়।  নির্দিষ্ট সময় : ডিবেঞ্চারের নির্দিষ্ট মেয়াদের কারণে অনেক বিনিয়োগকারীর কাছে এটি জনপ্রিয়।  ডিবেঞ্চারের অসুবিধা  জামানতহীনতা : ডিবেঞ্চারের বিপরীতে কোনো জামানত থাকে না বিধায় এটি ঝুঁকিপূর্ণ।  নিয়ন্ত্রণ : ডিবেঞ্চার মালিকদের ভোটাধিকার থাকে না বিধায় কোম্পানির পরিচালনায় তাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না।  মুনাফা ও সম্পদের অধিকার : কোম্পানির অর্জিত আয় থেকে ডিবেঞ্চার মালিকদের সুদ দেওয়ার আগে বন্ড মালিকদের সুদ পরিশোধ করা হয়। অনুরূপভাবে কোম্পানির বিলুপ্তির সময় বন্ড মালিকদের পর ডিবেঞ্চার মালিকদের পাওনা পরিশোধ করা হয়।  বাংলাদেশের শেয়ারবাজার মূলধন সংগ্রহের জন্য শেয়ারবাজার একটি জনপ্রিয় উৎস। ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া সত্তে¡ও শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ একটি জনপ্রিয় বিনিয়োগ ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। তবে সঠিক ধারণা ছাড়া শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করা উচিত নয়। বাংলাদেশে শেয়ারবাজার পরিচালনা করে স্টক এক্সচেঞ্জ অথরিটি। বাংলাদেশে দুটি স্টক এক্সচেঞ্জ রয়েছে। যথা : র. ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (উঝঊ) ও রর. চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (ঈঝঊ)।  শেয়ারে বিনিয়োগ পদ্ধতি দুই পদ্ধতিতে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করা যায়। যথা : র. প্রাথমিক বাজার : যখন কোনো কোম্পানি প্রথমবারের মতো শেয়ার বিক্রি করে তখন তাকে শেয়ার বিক্রির প্রথম প্রস্তাব বলে এবং যে বাজারে এই প্রথম প্রস্তাব করা হয় তাকে প্রাথমিক বাজার বলে। রর. সেকেন্ডারি বাজার : যে বাজারে বিনিয়োগকারীরা নিজেদের মধ্যে শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় করে তাকে সেকেন্ডারি বাজার বলে।  লভ্যাংশ লাভ বা মুনাফার যে অংশ শেয়ার মালিকদের মধ্যে বণ্টন করা হয় সে অংশকে লভ্যাংশ বলা

নবম-দশম শ্রেণির ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং সপ্তম অধ্যায় শেয়ার, বন্ড ও ডিবেঞ্চার সৃজনশীল ও জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর Read More »

নবম-দশম শ্রেণির ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং ষষ্ঠ অধ্যায় মূলধন ব্যয় সৃজনশীল ও জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর

ষষ্ঠ অধ্যায় মূলধন ব্যয়  মূলধন ব্যয় নির্ণয়ের তাৎপর্য : মূলধন ব্যয় নির্ণয় একটি প্রতিষ্ঠানের মুনাফা অর্জন, পরিচালনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখে। একটি প্রতিষ্ঠানকে অবশ্যই এর আয়ের অনুপাতে ব্যয় তথা খরচ করতে হবে। অর্থাৎ যদি প্রতিষ্ঠানের মূলধন ব্যয় এর আয়ের চেয়ে বেশি হয় তবে ব্যবসায় ক্ষতির সম্মুখীন হবে। একটি প্রতিষ্ঠানকে মূলধন ব্যয়ের মাধ্যমে ব্যয় জেনে ঋণ মূলধন সংগ্রহ করতে হবে। ব্যবসায়ের মূলধন কাঠামো অর্থাৎ মূলধনের কত অংশ ঋণ হবে, কত অংশ অভ্যন্তরীণ হবে তা নির্বাচনের ক্ষেত্রেও মূলধন ব্যয় নির্ণয় তাৎপর্য বহন করে। অর্থাৎ দুটি ক্ষেত্রে মূলধন খরচের তাৎপর্য অপরিসীম। ১. বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত সংক্রান্ত ও ২. মূলধন কাঠামো সংক্রান্ত।  মূলধন ব্যয় নির্ণয় : ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান তাদের দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সাধারণত দীর্ঘমেয়াদি তহবিলের উৎস থেকে সংগ্রহ করে। এসব দীর্ঘমেয়াদি তহবিলের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ মূলধন, অগ্রাধিকার শেয়ার মূলধন, সাধারণ শেয়ার মূলধন এবং সংরক্ষিত আয় অন্যতম। ক. ঋণ মূলধন ব্যয় : ব্যবসায় পরিচালনার জন্য নিজস্ব মূলধনের সাথে ঋণ মূলধনও প্রয়োজন হয়। ঋণ মূলধন সংগ্রহ করে ব্যবহার করতে গেলে কোম্পানিকে সেই মূলধনের জন্য খরচ বহন করতে হয়। ঋণ মূলধন ব্যয় বলতে আমরা সাধারণত ঐ ঋণের জন্য দেয় সুদের হারকে বুঝে থাকি। ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান সাধারণত ঋণ মূলধন বাবদ যে পরিমাণ সুদ পরিশোধ করে তা করপূর্ব মুনাফা থেকে বাদ দিয়ে প্রতিষ্ঠানের করযোগ্য মুনাফা নির্ধারণ করা হয়। ফলে কোম্পানিকে কর দিতে হয়। সুবিধা বিবেচনা করে করপূর্ব ঋণ মূলধন ব্যয়কে সমন্বয় করার প্রয়োজন হয়। নিচে বর্ণিত সূত্রের মাধ্যমে করপূর্ব মুনাফাকে সমন্বয় করা হয় : কর সমন্বয়কৃত ঋণ মূলধন খরচ = করপূর্ব ঋণ মূলধন ব্যয়  (১ Ñ কর হার)। খ. অগ্রাধিকার শেয়ার ব্যয় : অগ্রাধিকার শেয়ারের ব্যয় নির্ধারণ ঋণ মূলধনের ব্যয় নির্ধারণ থেকে আলাদা। অগ্রাধিকার শেয়ারের লভ্যাংশ এবং শেয়ার বিক্রি থেকে প্রাপ্ত অর্থের অনুপাত নির্ণয় করলে অগ্রাধিকার শেয়ারের ব্যয় পাওয়া যায়। অগ্রাধিকারযুক্ত শেয়ারের খরচ নির্ণয় করার জন্য খেয়াল রাখতে হবে যে, বন্ডের সুদের মতো অগ্রাধিকার লভ্যাংশ কর বাদযোগ্য খরচ নয়। তাই অগ্রাধিকার শেয়ারের খরচ বের করার জন্য কোনো প্রকার কর সমন্বয় এর দরকার হয় না। অগ্রাধিকার শেয়ারের ব্যয় নির্ধারণের সূত্র হলো : অগ্রাধিকার শেয়ারের ব্যয় = শেয়ার মালিকদের প্রত্যাশিত লভ্যাংশশেয়ার বিক্রি থেকে প্রাপ্ত অর্থ  ১০০ গ. সাধারণ শেয়ার মূলধন ব্যয় : কোম্পানির শেয়ার মালিকরা সাধারণত লভ্যাংশ এবং শেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি থেকে লাভ প্রাপ্তির আশায় শেয়ার কিনে। ফলে শেয়ার মূলধনের ব্যয় বলতে বিনিয়োগকারীদের বা শেয়ার মালিকদের লভ্যাংশ এবং শেয়ারের মূল্য বৃদ্ধিজনিত লাভ থেকে প্রত্যাশিত আয়ের হারকে বোঝানো হয়। বিভিন্ন অনুমানের ওপর ভিত্তি করে মূলধন ব্যয় নির্ণয়ের বিভিন্ন পদ্ধতি উদ্ভাবন করা হয়। নিম্নে দুটি পদ্ধতি আলোচনা করা হলো : র. শূন্য লভ্যাংশ বৃদ্ধি পদ্ধতি : এটি মূলধন ব্যয় নির্ণয়ের একটি সহজ পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে মনে করা হয় কোম্পানি বর্তমান বছরে যে লভ্যাংশ দিয়েছে ভবিষ্যৎ বছরগুলোতেও সমপরিমাণ লভ্যাংশ ঘোষণা করবে। শূন্য লভ্যাংশ বৃদ্ধি পদ্ধতির সূত্র হলো : সাধারণ শেয়ার মূলধন ব্যয় = লভ্যাংশ১শেয়ার মূল্য০ এখানে, লভ্যাংশ১ = বছরের শেষে প্রত্যাশিত লভ্যাংশ শেয়ারমূল্য০ = শেয়ারের বর্তমান বাজারমূল্য। রর. স্থির হারে লভ্যাংশ বৃদ্ধি পদ্ধতি : সাধারণত কোম্পানিগুলো একেক বছর বিভিন্ন হারে লভ্যাংশ দিয়ে থাকে। স্থির হারে লভ্যাংশ বৃদ্ধি পদ্ধতি এমন একটি পদ্ধতি, যাতে ধরে নেয়া হয় যে কোম্পানি প্রতিবছর সমপরিমাণ লভ্যাংশ দেয় না। এ পদ্ধতির অনুমিত শর্ত হলো কোম্পানির লভ্যাংশ প্রতিবছর বৃদ্ধি পাবে এবং এ বৃদ্ধির হার প্রতিবছর একই পরিমাণ থাকবে। নি¤েœাক্ত সূত্রের মাধ্যমে স্থির হারে লভ্যাংশ বৃদ্ধি পদ্ধতিতে সাধারণ শেয়ার মূলধন ব্যয় নির্ণয় করা যায় : সাধারণ শেয়ার মূলধন ব্যয় = লভ্যাংশ১শেয়ার মূল্য০ + বৃদ্ধির হার এখানে, লভ্যাংশ১ = লভ্যাংশ০ (১ + বৃদ্ধির হার) লভ্যাংশ০ = বর্তমান বছরের লভ্যাংশ শেয়ার মূল্য০ = শেয়ারের বর্তমান বাজারমূল্য বৃদ্ধির হার = লভ্যাংশ বৃদ্ধির হার। ঘ. সংরক্ষিত আয়ের ব্যয় : কোম্পানি প্রতিবছর যে পরিমাণ টাকার মুনাফা অর্জন করে সেটির পুরোটা শেয়ার মালিকদের মধ্যে লভ্যাংশ হিসেবে বণ্টন না করে কিছু অংশ প্রতিষ্ঠানে রেখে দেয়। এটাই সংরক্ষিত আয়। সংরক্ষিত আয়ের আপাতদৃষ্টিতে কোনো ব্যয় না থাকলেও এর একটি সুযোগ ব্যয় রয়েছে। সংরক্ষিত আয়টুকু শেয়ার মালিকদের মধ্যে বণ্টন করলে শেয়ার মালিকরা সেই অর্থ অন্যত্র বিনিয়োগ করে অতিরিক্ত আয় করতে পারতো। এখানে অতিরিক্ত আয় থেকে বঞ্চিত হওয়াটাই হচ্ছে সংরক্ষিত আয়ের সুযোগ ব্যয়।  গড় মূলধনি ব্যয় : যখন কোনো কোম্পানি বিভিন্ন উৎস থেকে মূলধন সংগ্রহ করে, তখন মূলধন ব্যয় নির্ণয়ের জন্য সবগুলোর গড় অর্থাৎ সব উৎসের ব্যয় বের করে তারপর কোম্পানির সর্বমোট মূলধনে প্রতিটি উৎসের কত অংশ তা বের করতে হবে। প্রতিটি শতাংশ দিয়ে উৎসের ব্যয়কে গুণ করে গুণফলের যোগফল করলে তাই হবে কোম্পানির মূলধনের গড় ব্যয়। অনুশীলনীর সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন-১  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও : প্রিয়ন্তী টেক্সটাইল লি. এর পরিশোধিত মূলধন ১০ কোটি টাকা যার মধ্যে প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যের সাধারণ শেয়ার মূলধন ৫ কোটি টাকা, ৬% অগ্রাধিকার শেয়ার মূলধন ৩ কোটি এবং অবশিষ্ট ৮% ঋণ মূলধন। ২০১২ সালে কোম্পানি শেয়ার প্রতি ১ টাকা লভ্যাংশ প্রদানের এবং তা প্রতিবছর ১০% বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং মুনাফার বৃহৎ একটি অংশ দ্বারা ঋণ পরিশোধের উদ্যোগ গ্রহণ করে। ক. ঋণ মূলধনের ক্ষেত্রে সুদের হারকে ব্যবসায়ে কী বলে? খ. ‘বিনিয়োগ যত ঝুঁকিপূর্ণ প্রত্যাশিত আয় তত বেশি’ ব্যাখ্যা কর। গ. প্রিয়ন্তী টেক্সটাইলের গড় মূলধন ব্যয় নির্ণয় কর। ঘ. মুনাফা দ্বারা ঋণ পরিশোধ করা কোম্পানির জন্য লাভজনক হবে কিনা, তা মূল্যায়ন কর।  ১নং প্রশ্নের উত্তর  ক. ঋণ মূলধনের ক্ষেত্রে সুদের হারকে ব্যবসায়ে ঋণ মূলধন ব্যয় বলে। খ. দীর্ঘমেয়াদি তহবিলের প্রতিটি উৎসের বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশিত আয় এবং ঝুঁকির ধরনে ভিন্নতা আছে। এ প্রত্যাশিত আয় ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের মূলধন খরচ হিসাবে গণ্য হয়। সাধারণত অর্থে সরবরাহকারীরা তাদের বিনিয়োগকে যত বেশি ঝুঁকিপূর্ণ মনে করবে তাদের প্রত্যাশিত আয়ের হারও তত বেশি হবে। কারণ বেশি ঝুঁকি বেশি মুনাফার সুযোগ সৃষ্টি করে। গ. প্রিয়ন্তী টেক্সটাইলের গড় মূলধন ব্যয় নির্ণয়ের জন্য প্রতিটি মূলধনের আলাদাভাবে ব্যয় নির্ণয় করতে হবে। প্রিয়ন্তী টেক্সটাইলের গড় মূলধন ব্যয় নির্ণয় করা হলো : সাধারণ শেয়ার মূলধন ব্যয় = লভ্যাংশ১শেয়ার মূল্য০ + বৃদ্ধির হার  ১০০ এখানে, লভ্যাংশ১ = লভ্যাংশ০ + (১ + বৃদ্ধির হার) = ১ (১ + ০১০) শেয়ার মূল্য০ = ১০ টাকা বৃদ্ধির হার = ১০% = ০১০  সাধারণ শেয়ার মূলধন = ১(১ + ০.১০)১০ +০.১০  ১০০ = ১(১.১০)১০ + ০.১০  ১০০ = ২১% ঋণ মূলধন ব্যয় = ৮% অগ্রাধিকার শেয়ার ব্যয় = ৬% সর্বমোট মূলধনের ওপর প্রতিটি উৎসের অংশ নির্ণয় : তহবিলের উৎস মূলধন (কোটি টাকা) ব্যয়ের হার মোট মূলধনের অংশ সাধারণ শেয়ার ৫ ২১% ৫১০ = ০.৫ অগ্রাধিকার শেয়ার ৩ ৬% ৩১০ = ০.৩ ঋণ মূলধন ২ ৮% ২১০ = ০.২ মোট ১০  গড় মূলধন ব্যয় = (০.২১

নবম-দশম শ্রেণির ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং ষষ্ঠ অধ্যায় মূলধন ব্যয় সৃজনশীল ও জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর Read More »

নবম-দশম শ্রেণির ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং পঞ্চম অধ্যায় মূলধনি আয়-ব্যয় প্রাক্কলন সৃজনশীল ও জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর

পঞ্চম অধ্যায় মূলধনি আয়-ব্যয় প্রাক্কলন  মূলধন বাজেটিং যেকোনো প্রতিষ্ঠানের জন্য মূলধনী ব্যয়ের ক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ। স্থায়ী সম্পত্তিতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের হাতে অসংখ্য প্রকল্প থাকে। এসব প্রকল্প থেকে সর্বোৎকৃষ্ট নির্বাচন করার প্রক্রিয়াটি হলো মূলধন বাজেটিং। প্রতিষ্ঠানের স্থায়ী সম্পত্তি যেমন : জমি, দালানকোঠা, আসবাবপত্র, যন্ত্রপাতি ইত্যাদি ক্রয় থেকে শুরু করে এসব সম্পত্তির প্রতিস্থাপন, ব্যবসায়ের স¤প্রসারণ যেমন : নতুন মেশিন স্থাপন, উৎপাদন পদ্ধতির আধুনিকায়ন এবং অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ সিদ্ধান্তের আয়-ব্যয় প্রাক্কলন করে সম্ভাব্য লাভজনকতা বিশ্লেষণ করে তদনুসারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।  মূলধন বাজেটিংয়ের গুরুত্ব কোনো প্রতিষ্ঠানের দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে মূলধন বাজেটিং এর গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ বিনিয়োগ প্রকল্প নির্বাচনের ক্ষেত্রে ভুল সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠানের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। সঠিক দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনাকে তাই মূলধন বাজেটের ওপর যথেষ্ট নির্ভর করতে হয়। মূলধন বাজেটিং অধিক গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার কারণ হলো :  মুনাফা সংক্রান্ত : কোনো প্রতিষ্ঠানের মুনাফা অর্জন ক্ষমতার ওপর মূলধন বাজেটিং এর যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। সঠিক বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠানকে কাক্সিক্ষত ফলাফল এনে দেয়। অপরপক্ষে ভুল বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্বকে বিপন্ন করে তোলে।  বিনিয়োগের বিশাল আকার : সম্পত্তির প্রয়োজন যদি সঠিকভাবে নির্ধারণ করা না যায় তবে এটি প্রতিষ্ঠানের জন্য মারাত্মক অবস্থা সৃষ্টি করে। বিনিয়োগ অত্যধিক হলে অহেতুক খরচের উদ্ভব হয়, আবার কম হলে প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে হয়। ফলে মূলধন বাজেট সর্বদা বিনিয়োগের ভারসাম্য রক্ষা করে।  ঝুঁকির ভিত্তিতে : ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ সিদ্ধান্তই অনুমান নির্ভর যেমন : কত টাকা পণ্যের উৎপাদন ব্যয়, উৎপাদন পরিমাণ, বিক্রির পরিমাণ ইত্যাদি। তাই প্রতিটি বিনিয়োগের ঝুঁকি নিরূপণ এবং এর গ্রহণযোগ্যতা যাচাই করা জরুরি। এ ক্ষেত্রে মূলধন বাজেটিং গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে।  মূলধন বাজেটিংয়ের প্রয়োগ দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের সব ক্ষেত্রে মূলধন বাজেটিং প্রয়োগ করা হয়। স্থায়ী সম্পত্তি ক্রয় থেকে শুরু করে ব্যবসায় প্রসার, ব্যবসায়ের আধুনিকায়ন, স্থায়ী সম্পত্তির প্রতিস্থাপন এবং নতুন পণ্য বাজারে আনা সংক্রান্ত সকল প্রকার বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মূলধন বাজেটিংয়ের প্রয়োগ রয়েছে। মূলধন বাজেটিং প্রয়োগের কয়েকটি জনপ্রিয় ক্ষেত্র হলো ১. স্থায়ী সম্পত্তি ক্রয় : কোনো ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান নতুনভাবে কাজ শুরু করার জন্য বা অন্য যে কোনো কাজের জন্য নতুন স্থায়ী সম্পত্তি যেমন : ভ‚মি, দালানকোঠা, যন্ত্রপাতি, যানবাহন ইত্যাদি ক্রয়ের ক্ষেত্রে মূলধন বাজেটিং প্রয়োগ করা হয়। ২. ব্যবসায়ের পণ্য উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধিকল্পে স¤প্রসারণ : যে কোনো ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান নতুন যন্ত্রপাতি স্থাপনের মাধ্যমে তার উৎপাদন পদ্ধতি বদলাতে পারে। এক্ষেত্রে নতুন যন্ত্রপাতির দামের সাথে পুরাতন উৎপাদন পদ্ধতির বদলের কারণে কী পরিমাণ পরিচালনা খরচ কমানো যায় তার মধ্যে তুলনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য মূলধন বাজেটিংয়ের সাহায্যে নিতে হয়। ৩. পণ্য বৈচিত্র্যায়ণ : পুরাতন ব্যবসায়ে বৈচিত্র্য আনার লক্ষ্যে নতুন পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এক্ষেত্রে পরিবর্তিত আয়-ব্যয় প্রাক্কলনে মূলধন বাজেটিং ব্যবহার বা প্রয়োগ করা হয়। ৪. প্রতিস্থাপন ও আধুনিকায়ন : এক্ষেত্রে পুরাতন উৎপাদন পদ্ধতির সাথে নতুন পদ্ধতির বিভিন্ন ধরনের তুলনা করা হয়। উভয়ের পরিচালনা খরচ, বাজার মূল্য, মেয়াদ শেষের মূল্য প্রভৃতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এক্ষেত্রেও মূলধন বাজেটিং পদ্ধতির প্রয়োগ করা হয়।  মূলধন বাজেটিংয়ের প্রক্রিয়া মূলধন বাজেটিং প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে কতগুলো ধাপ রয়েছে যেগুলো এ প্রক্রিয়াকে অধিকতর কার্যকর করতে বিশেষভাবে সহায়ক। এ ধাপগুলো তথা মূলধন বাজেটিং প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠানের নীতি ও সিদ্ধান্তের ওপর যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করে। প্রতিষ্ঠানের আকার, বিকল্প প্রকল্পের প্রকৃতি, এদের সংখ্যা সম্ভাব্য জটিলতা ও অসামঞ্জস্যতা প্রভৃতি বিষয়গুলোর ওপর মূলধন বাজেটিং প্রক্রিয়ার ধাপগুলো নির্ভরশীল। মূলধন বাজেট প্রণয়নে নিম্নোক্ত পদক্ষেপসমূহ গ্রহণ করতে হয় : ১. নগদ প্রবাহ প্রাক্কলন : মূলধন বাজেটিং পদ্ধতির প্রথম গুরুত্বপূর্ণ ধাপটি হলো নগদ প্রবাহ প্রাক্কলন করা। এ নগদ প্রবাহ প্রাক্কলন দুইভাবে হতে পারে; আন্তঃপ্রবাহ বা ঘবঃ ঈধংয ওহভষড়ি এবং বহিঃপ্রবাহ বা ঘবঃ ঈধংয ঙঁঃভষড়।ি নগদ প্রবাহের সঠিক প্রাক্কলন নির্ভর করে পণ্যের ভবিষ্যৎ বছরগুলোতে বিক্রয়মূল্য এবং কী পরিমাণ বিক্রি হবে তার ওপর। ফলে নগদ বহিঃপ্রবাহ অনুমানে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। বিক্রয় অনুমানের মতো বিভিন্ন ধরনের খরচ অনুমান যেমন : চলতি খরচ, স্থায়ী খরচ ইত্যাদি পূর্বানুমানেও সাবধান থাকতে হয়। ২. বাট্টা হার নির্ধারণ : মূলধন বাজেটিং সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে বাট্টার হার নির্ধারণ একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় উপাদান হিসেবে বিবেচিত। বাট্টার হার ভিন্নতার কারণে প্রকল্পের লাভ-লোকসানের ক্ষেত্রেও ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়। নগদ প্রবাহ প্রাক্কলনের পর সেগুলোকে নগদ মূল্যে রূপান্তর করতে হয় বাট্টাকরণের মাধ্যমে। বাট্টাকরণ দ্বারা ভবিষ্যৎ নগদ প্রবাহকে বর্তমান মূল্যে রূপান্তর করা হয়। সাধারণত মূলধন খরচকে মূলধন বাজেটিং প্রক্রিয়ায় বাট্টা হার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ৩. মূলধন বাজেটিং পদ্ধতির নির্বাচন ও প্রয়োগ : নগদ প্রবাহ প্রাক্কলন ও বাট্টা হার নির্ধারণের পর মূলধন বাজেটিং পদ্ধতি ঠিক করতে হয়। প্রকল্পের ধরন, ঝুঁকি এবং অন্যান্য বিষয় বিচার করে সঠিক পদ্ধতি দ্বারা মূলধন বাজেটিং করতে হয়।  মূলধন বাজেটিংয়ের পদ্ধতিসমূহ প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ সিদ্ধান্তে সঠিক দিক-নির্দেশনা দেয়ার ক্ষেত্রে মূলধন বাজেটিংয়ের বিভিন্ন পদ্ধতি প্রচলিত আছে। প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্যের সাথে সংগতিপূর্ণ এবং সার্বিকভাবে লাভজনক বিনিয়োগ বা প্রকল্প নির্বাচন করাই মূলধন বাজেটিং পদ্ধতিসমূহের কাজ। মূলধন বাজেটিংয়ে যে সকল পদ্ধতি রয়েছে তা হলো : ১. গড় মুনাফার হার পদ্ধতি ২. পে-ব্যাক সময় পদ্ধতি ৩. নিট বর্তমান মূল্য পদ্ধতি ৪. অভ্যন্তরীণ মুনাফার হার পদ্ধতি। ১. গড় মুনাফার হার পদ্ধতি : এটি মূলধন বাজেটিংয়ের সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি। গড় মুনাফার হার নির্ধারণ করা হয় প্রতিষ্ঠানের আর্থিক প্রতিবেদন হতে প্রাপ্ত তথ্য থেকে। বিক্রয় থেকে করসহ সব খরচ বাদ দিলে পাওয়া যায় নিট মুনাফা। প্রতি বছরের প্রত্যাশিত নিট মুনাফাকে মোট বছরের সংখ্যা দিয়ে ভাগ করলে গড় মুনাফা এবং বিনিয়োগকে ২ দ্বারা ভাগ করলে গড় বিনিয়োগ পাওয়া যায়। সূত্র : গড় মুনাফার হার = গড় নিট মুনাফাগড় বিনিয়োগ ২. পে-ব্যাক সময় পদ্ধতি : ব্যবসায় বা প্রকল্পে বিনিয়োগকৃত অর্থ কত দিনে ফেরত আসবে তা পে-ব্যাক সময় পদ্ধতি নির্দেশ করে। ব্যবসায় বিনিয়োগ বা প্রকল্প থেকে আগত আন্তঃপ্রবাহগুলো যদি সমান হয় তবে বিনিয়োগকৃত টাকাকে বার্ষিক নগদ প্রবাহ দিয়ে ভাগ করলে পে-ব্যাক সময় নির্ণয় করা যায়। এক্ষেত্রে প্রকল্পের ভগ্নাবশেষ (ঝধষাধমব ঠধষঁব) মূলকে বিবেচনায় আনা হয় না। অপেক্ষাকৃত অনিশ্চিত, দীর্ঘায়ু ও ঝুঁকিবহুল প্রকল্পসমূহ নির্বাচনে এ পদ্ধতি বিশেষ উপযোগী। স্বাধীন প্রকল্পের ক্ষেত্রে প্রকল্পের মেয়াদের চেয়ে ছোট হলে গ্রহণ ও বড় হলে বর্জন করা হয়। সূত্র : পে-ব্যাক সময় = বিনিয়োগবার্ষিক নগদ প্রবাহ অনুশীলনীর সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন-১  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও : শতদল কোম্পানি সর্বদাই মূলধন বাজেটিং-এর অত্যন্ত গ্রহণযোগ্য পদ্ধতিতে প্রকল্পের বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। স¤প্রতি উক্ত কোম্পানি এর সমবিনিয়োগের দুটি প্রকল্প ‘দিবা’ ও ‘নিশি’-এর পে-ব্যাক সময় নির্ণয় করতে গিয়ে ৩য় বছরে ক্রমযোজিত নগদ প্রবাহ যথাক্রমে ০ ও -১০ পেল। ৪র্থ বছরে উভয় প্রকল্পের নগদ প্রবাহ ২০। ক. মূলধন বাজেটিং-এর ব্যর্থতার দায়ভার নিতে হয় কাকে? খ. নগদ আন্তঃপ্রবাহ ও নিট মুনাফার পার্থক্য নির্ণয়কারী উপাদানটি ব্যাখ্যা কর। গ. উদ্দীপক হতে প্রকল্প ‘নিশি’-এর পে-ব্যাক সময় নির্ণয় কর। ঘ. দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের

নবম-দশম শ্রেণির ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং পঞ্চম অধ্যায় মূলধনি আয়-ব্যয় প্রাক্কলন সৃজনশীল ও জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর Read More »

Scroll to Top