এইচএসসি

এইচএসসি ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং সপ্তম অধ্যায় মূলধন ব্যয় সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

অধ্যায়-৭: মূলধন ব্যয় গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর মমমপ্রশ্ন„১ অইঈ লিমিটেডের মূলধন কাঠামো নিচে ছকে দেয়া হলো: মূলধনের উৎস মূলধন ব্যয় মূলধনের পরিমাণ (টাকায়) সাধারণ শেয়ার ১৭% ৪০,০০,০০০ অগ্রাধিকার শেয়ার ১০% ১০,০০,০০০ বন্ড ১৪% ৩০,০০,০০০ মোট মূলধন ৮০,০০,০০০ অইঈ কোম্পানির আরও অতিরিক্ত ২০,০০,০০০ টাকা মূলধন প্রয়োজন। কোম্পানির আর্থিক ব্যবস্থাপক অতিরিক্ত মূলধন ১৪% বন্ডের মাধ্যমে সংগ্রহ করার প্রস্তাব দেয়। কোম্পানির করের হার ৪০%। [ঢা. বো. ১৭] অ ক. সুযোগ ব্যয় কী? ১ অ খ. মূলধন ব্যয়ের অনুমিত শর্তাবলি লিখ। ২ অ গ. অইঈ লিমিটেডের গড় মূলধন ব্যয় কত হবে নির্ণয় করো? ৩ অ ঘ. ‘আর্থিক ব্যবস্থাপকের প্রস্তাব গ্রহণ করলে কোম্পানি লাভবান হবে’-এ মন্তব্যের যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করো। ৪ ১ নং প্রশ্নের উত্তর অ মক যখন কোনো একটি প্রকল্পে বিনিয়োগ করলে অন্য আরেকটি প্রকল্পে বিনিয়োগের আয় ত্যাগ করতে হয় ঐ ত্যাগকৃত বিনিয়োগের আয়কে সুযোগ ব্যয় বলে। মখ প্রতিষ্ঠানের প্রত্যাশিত সর্বনিæ আয়ের হার হচ্ছে মূলধন ব্যয়। মূলধন ব্যয়ের অনুমিত শর্তগুলো হলো- এটি নির্ণয়ে ব্যবসায় ঝুঁকি অপরিবর্তিত থাকে, আর্থিক ঝুঁকির পরিমাণ স্থির থাকে, কোম্পানির করের হার নির্দিষ্ট থাকে, দেশের মুদ্রাস্ফীতির হার স্থির থাকে। তবে এর কারণে কোম্পানির লভ্যাংশ নীতির কোনো পরিবর্তন ঘটে না। মগ অইঈ লিমিটেড-এর গড় মূলধন ব্যয় নির্ণয়: দেয়া আছে, সাধারণ শেয়ারের ব্যয় (কব) = ১৭% বা ০.১৭ অগ্রাধিকার শেয়ারের ব্যয় (কঢ়) = ১০% বা ০.১০ বন্ডের ব্যয় = ১৪% বা ০.১৪ ¯ কর-পরবর্তী বন্ডের ব্যয় (কফ) = ০.১৪(১ ­ ০.৪০) = ০.০৮৪ সাধারণ শেয়ারের ভার (ডব) = ৪০০০০০০৮০০০০০০ = ০.৫০ অগ্রাধিকার শেয়ারের ভার (ডঢ়) = ১০০০০০০৮০০০০০০ = ০.১২৫ বন্ডের ভার (ডফ) = ৩০০০০০০৮০০০০০০ = ০.৩৭৫ আমরা জানি, গড় মূলধন ব্যয় = ডবকব + ডঢ়কঢ় + ডফকফ = (০.৫০ ূ ০.১৭) + (০.১২৫ ূ ০.১০) + (০.৩৭৫ ূ ০.০৮৪) = ০.০৮৫ + ০.০১২৫ + ০.০৩১৫ = ০.১২৯ = ১২.৯% উত্তর : ১২.৯% মঘ অতিরিক্ত মূলধন ২০,০০,০০০ টাকা সহ মোট মূলধন = (৮০,০০,০০০ + ২০,০০,০০০) = ১,০০,০০,০০০ টাকা ¯ সাধারণ শেয়ারের ভার (ডব) = ৪০০০০০০১০০০০০০০ = ০.৪০ অগ্রাধিকার শেয়ারের ভার (ডঢ়) = ১০০০০০০১০০০০০০০ = ০.১০ বন্ডের ভার (ডফ) = ৫০০০০০০১০০০০০০০ = ০.৫০ ¯ গড় মূলধন ব্যয় = ডবকব + ডঢ়কঢ় + ডফকফ = (০.৪০ – ০.১৭) + (০.১০ – ০.১০) + (০.৫০ – ০.০৮৪) = ০.০৬৮ + ০.০১ + ০.০৪২ = ০.১২ = ১২% উদ্দীপকে অইঈ কোম্পানি অতিরিক্ত মূলধন বন্ডের মাধ্যমে সংগ্রহ করলে তার গড় মূলধন ব্যয় ১২.৯% থেকে ১২% হবে। তাই অইঈ কোম্পানির ব্যবস্থাপকের প্রস্তাবটি গ্রহণ করলে কোম্পানি লাভবান হবে। মমমপ্রশ্ন„২ নিæে সুপার পাওয়ার কোং লি. মূলধন কাঠামো প্রদত্ত হলো: মূলধনের উৎস টাকার পরিমাণ ১৩% সাধারণ শেয়ার ৩,৫০,০০০ ১২% অগ্রাধিকার শেয়ার ২,০০,০০০ ১০% ডিবেঞ্চার ৩,০০,০০০ মোট ৮,৫০,০০০ আগামী বছর কোম্পানির প্রত্যাশিত মুনাফা অর্জন হার ২০% হবে বলে আশা করা যায়। [রা. বো. ১৭] অ ক. ঋণ মূলধন ব্যয় কাকে বলে? ১ অ খ. সংরক্ষিত আয় কি ব্যয়মুক্ত? ব্যাখ্যা করো। ২ অ গ. সুপার পাওয়ার কোম্পানির ‘গুরুত্ব প্রদত্ত গড় মূলধন ব্যয়’ (ডঅঈঈ) নির্ণয় করো। ৩ অ ঘ. সুপার পাওয়ার কোম্পানি যদি ৩,৫০,০০০ টাকা ঋণ ১০% সুদে ‘উত্তরবঙ্গ’ ব্যাংক থেকে সংগ্রহ করতো তবে তা কতটুকু যুক্তিযুক্ত হবে বলে তুমি মনে করো? উদ্দীপকের আলোকে ব্যাখ্যা করো। ৪ ২ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক ঋণ মূলধন যেমন: বন্ড, ঋণপত্র, দীর্ঘমেয়াদি ব্যাংক ঋণ ইত্যাদি উৎস হতে মূলধন সংগ্রহের ব্যয়ই হলো ঋণ মূলধন ব্যয়। সহায়ক তথ্য উদাহরণ : আজিম একটি গাড়ি ক্রয় করবেন বলে ঠিক করেছেন। তার কাছে গাড়ি কেনার সম্পূর্ণ টাকা না থাকায় তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন ১৩% সুদে যমুনা ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করবেন। এখানে আজিমের ঋণ মূলধন ব্যয় শতকরা ১৩ ভাগ। খ সাধারণত প্রতিষ্ঠানের মুনাফা থেকে লভ্যাংশ প্রদানের পর অবশিষ্ট মুনাফাই হলো সংরক্ষিত আয়। যদিও সংরক্ষিত আয় হতে মূলধন সংগ্রহের কোনো প্রত্যক্ষ ব্যয় নেই তবে এর সুযোগ ব্যয় রয়েছে। অর্থাৎ এই সংরক্ষিত আয় অন্য কোনো প্রকল্পে বিনিয়োগ করলে মুনাফা অর্জন করা যেত। কিন্তু প্রতিষ্ঠানে মূলধন হিসেবে এই আয় ব্যবহার করার ফলে প্রতিষ্ঠান সেই মুনাফা থেকে বঞ্চিত হয়, যা প্রতিষ্ঠানের সুযোগ ব্যয় বলে বিবেচিত। তাই বলা যায়, সংরক্ষিত আয় ব্যয়মুক্ত নয়। সহায়ক তথ্য সুযোগ ব্যয় : একাধিক প্রকল্প হতে একটি প্রকল্প নির্বাচনের কারণে অন্য একটি অনির্বাচিত প্রকল্প হতে সৃষ্ট সম্ভাব্য আয় থেকে বঞ্চিত হওয়াকে সুযোগ ব্যয় বলে। গ সুপার পাওয়ার কোম্পানির গুরুত্ব প্রদত্ত গড় মূলধন ব্যয় (ডঅঈঈ) নির্ণয়: দেয়া আছে, সাধারণ শেয়ারের ব্যয়, কব = ১৩% অগ্রাধিকার শেয়ারের ব্যয়, কঢ় = ১২% ডিবেঞ্চারের ব্যয়, কফ = ১০% সাধারণ শেয়ারের ভার (ডবরমযঃ), ডব = ৩৫০০০০৮৫০০০০ = ০.৪১১৮ অগ্রাধিকার শেয়ারের ভার (ডবরমযঃ), ডঢ় = ২০০০০০৮৫০০০০ = ০.২৩৫৩ ডিবেঞ্চারের ভার (ডবরমযঃ), ডফ = ৩০০০০০৮৫০০০০ = ০.৩৫২৯  গড় মূলধন ব্যয়, ডঅঈঈ = (ডব  কব) + (ডঢ়  কঢ়) + (ডফ  কফ) = (০.৪১১৮  ১৩%) + (০.২৩৫৩  ১২%) + (০.৩৫২৯  ১০%) = ৫.৩৫৩৪ + ২.৮২৩৬ + ৩.৫২৯ = ১১.৭০৬% অতএব, সুপার পাওয়ার কোম্পানির গুরুত্ব প্রদত্ত গড় মূলধন ব্যয় হলো ১১.৭০৬%। উত্তর: ১১.৭০৬%। সহায়ক তথ্য ডঅঈঈ : এর পূর্ণরূপ হলো ডবরমযঃবফ আবৎধমব ঈড়ংঃ ড়ভ ঈধঢ়রঃধষ। ঘ সুপার পাওয়ার কোম্পানি যদি ৩,৫০,০০০ টাকা ঋণ ১০% সুদে ‘উত্তরবঙ্গ’ ব্যাংক থেকে সংগ্রহ করতো তবে তার মোট মূলধনের পরিমাণ হবে = (৩,৫০,০০০ + ২,০০,০০০ + ৩,৫০,০০০) টাকা = ৯,০০,০০০ টাকা  সাধারণ শেয়ারের ভার, ডব = ৩৫০০০০৯০০০০০ = ০.৩৮৮৯ অগ্রাধিকার শেয়ারের ভার, ডঢ় = ২০০০০০৯০০০০০ = ০.২২২২ ঋণ মূলধনের ভার, ডফ = ৩৫০০০০৯০০০০০ = ০.৩৩৮৯  গুরুত্ব প্রদত্ত গড় মূলধন ব্যয়, ডঅঈঈ = (০.৩৮৮৯  ১৩%) + (০.২২২২  ১২%) + (০.৩৮৮৯  ১০%) = ৫.০৫৫৭% + ২.৬৬৬৪% + ৩.৮৮৯% = ১১.৬১% অতএব, সুপার পাওয়ার কোম্পানি ব্যাংক থেকে ৩,৫০,০০০ টাকা ঋণ হিসেবে সংগ্রহ করলে নতুন গড় মূলধন ব্যয় হবে ১১.৬১%, যা পূর্বের গড় মূলধন ব্যয় ১১.৭০৬% অপেক্ষা কম। তাই সুপার পাওয়ার কোম্পানির ১০% সুদে উত্তরবঙ্গ ব্যাংক হতে ৩,৫০,০০০ টাকা ঋণ মূলধন সংগ্রহ করা যুক্তিযুক্ত হয়েছে বলে আমি মনে করি। মমমপ্রশ্ন„৩ ঝচ লি.-এর মূলধন কাঠামো নিচের ছকে দেওয়া হলো : মূলধনের উৎস টাকা সাধারণ শেয়ার মূলধন ৪,০০০ ১০% অগ্রাধিকার শেয়ার ১,০০০ ১৪% ডিবেঞ্চার ৩,০০০ মোট মূলধন ৮,০০০ কোম্পানির শেয়ার বর্তমানে বাজারে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এটা ধারণা করা হচ্ছে যে, কোম্পানিটি আগামী বছর প্রতি শেয়ারে ২ টাকা করে লভ্যাংশ প্রদান করবে যেটা সবসময় ৭% হারে বৃদ্ধি পাবে। কোম্পানির কর হার ৫০%। [দি. বো. ১৭] অ ক. মূলধন ব্যয় কী? ১ অ খ. সংরক্ষিত আয়ের ব্যয় কেন নতুন সাধারণ শেয়ারের মূলধন ব্যয় থেকে কম হয় তা ব্যাখ্যা করো। ২ অ গ. ঝচ লি. এর গড় মূলধন ব্যয় (ডঅঈঈ) নির্ণয় করো। ৩ অ ঘ. কোম্পানি যদি অতিরিক্ত ২,০০০ টাকা ১৪% ডিবেঞ্চারের মাধ্যমে ঋণ মূলধন সংগ্রহ করে

এইচএসসি ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং সপ্তম অধ্যায় মূলধন ব্যয় সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর Read More »

এইচএসসি ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং ষষ্ঠ অধ্যায় দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়ন অর্থায়ন সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

অধ্যায়-৬: দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়ন গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর মমমপ্রশ্ন„১ জনাব আয়নাল হক বন্ড বাজারে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। তিনি বিনিয়োগের জন্য নিæোক্ত দুটি বন্ড বিবেচনা করছেন : বন্ড কুপন হার মেয়াদ বাজারমূল্য চ ১৩% ৫ বছর ১,১৯০ টাকা ছ ১১% ” ৮০০ টাকা উভয় বন্ডের অভিহিত মূল্য ১,০০০। জনাব আয়নাল হকের প্রত্যাশিত আয়ের হার ১০% এবং তিনি ছ বন্ডে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। [ঢা. বো. ১৭] অ ক. জিরো কুপন বন্ড কী? ১ অ খ. অগ্রাধিকার শেয়ারকে কেন শংকর জাতীয় সিকিউরিটি বলা হয়? ২ অ গ. চ বন্ডের বর্তমান মূল্য নির্ণয় করো। ৩ অ ঘ. তুমি কি মনে করো উদ্দীপকে জনাব আয়নাল হক সঠিক বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন? বন্ডের অন্তর্নিহিত মূল্যের ভিত্তিতে তোমার মতামত দাও। ৪ ১ নং প্রশ্নের উত্তর অ মক যে বন্ডের লিখিত মূল্যের ওপর কোনো সুদ প্রদান করা হয় না তাকে জিরো কুপন বন্ড বলে। মখ অগ্রাধিকার শেয়ারে সাধারণ শেয়ার ও ঋণপত্র উভয়ের বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান থাকায় এ ধরনের শেয়ারকে হাউব্রিড বা সংকর জাতীয় সিকিউরিটি বলে। অগ্রাধিকার শেয়ার ও সাধারণ শেয়ার উভয়ই কোম্পানির মালিকানা নির্দেশ করে। অন্যদিকে অগ্রাধিকার শেয়ার ও ঋণপত্র উভয়ই স্থির আয়যুক্ত সিকিউরিটি। এজন্য অগ্রাধিকার শেয়ারকে হাইব্রিড বা সংকর জাতীয় সিকিউরিটি বলে। মগ উদ্দীপক হতে চ বন্ডের বর্তমান মূল্য নির্ণয়: দেয়া আছে. কুপন হার = ১৩% মেয়াদ (হ) = ৫ বছর প্রত্যাশিত আয়ের হার (কফ) = ১০% বা ০.১০ ধরি, লিখিত মূল্য (গঠ) = ১,০০০ টাকা  সুদের পরিমাণ (ও) = ১,০০০  ১৩% = ১৩০ টাকা বন্ডের বর্তমান মূল্য ঠই = ও  ১ –১(১+কফ)হকফ + গঠ(১ + কফ)হ = ১৩০  ১ –১(১+ ০.১০)৫০.১০ + ১০০০(১ + ০.১০)৫ = ১৩০  ৩.৭৯ + ৬২০.৯২ = ৪৯২.৮০ + ৬২০.৯২ = ১,১১৩.৭২ টাকা উত্তর: ১,১১৩.৭২ টাকা। মঘ ছ বন্ডের অন্তর্নিহিত (বর্তমান) মূল্য নির্ণয়: দেয়া আছে, কুপন = ১১% প্রত্যাশিত আয়ের হার (কফ) = ১০% বা ০.১০ ধরি, লিখিত মূল্য (গঠ) = ১,০০০ টাকা  সুদের পরিমাণ (ও) = ১,০০০  ১১% = ১১০ টাকা বন্ডের বর্তমান মূল্য (ঠই) = ওকফ = ১১০০.১০ = ১,১০০ টাকা ছ বন্ডের বর্তমান মূল্য ১,১০০ টাকা; বাজারমূল্য ৮০০ টাকা এবং চ বন্ডের বর্তমান মূল্য ১,১১৩.৭২ টাকা, বাজারমূল্য ১,১৯০ টাকা। এখানে ছ বন্ডটি ক্রয় করা লাভজনক। সুতরাং, জনাব আয়নাল সঠিক বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মমমপ্রশ্ন„২ সিগমা কোং লি. শেয়ার ইস্যু করে নতুন প্রকল্পের জন্য মূলধন সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেয়। কোম্পানি শেয়ার প্রতি লভ্যাংশ ২০ টাকা, প্রত্যাশিত প্রবৃদ্ধির হার ৮% ও উপার্জন হার ১০% ঘোষণা করে। পক্ষান্তরে, হাইটেক কোং লি. শেয়ার ইস্যুর পরিবর্তে বন্ড বিক্রি করে নতুন প্রকল্পের জন্য মূলধন সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেয়। কোম্পানি ১,০০০ টাকা মূল্যের বন্ড ইস্যু করে। প্রতিটি বন্ডের বাজারমূল্য ৮০০ টাকা, কুপন হার ৬% এবং মেয়াদকাল ৫ বছর। [রা. বো. ১৭] অ ক. কর্পোরেট বন্ড কী? ১ অ খ. “অগ্রাধিকার শেয়ার হলো নিশ্চিত নিরাপদ আয়ের উৎস” ব্যাখ্যা করো। ২ অ গ. সিগমা কোং লিমিটেডের প্রতিটি শেয়ারের মূল্য কত? ৩ অ ঘ. জনাব জামান একজন বিনিয়োগকারী। তিনি বিনিয়োগ করতে চাইলে কোন কোম্পানিতে বিনিয়োগ করবেন? উদ্দীপকের আলোকে তা বিশ্লেষণ করো। ৪ ২ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক কর্পোরেট বন্ড হলো কোম্পানি বা কর্পোরেশন কর্তৃক ইস্যুকৃত দীর্ঘমেয়াদি ঋণপত্র। খ প্রতিষ্ঠানের মুনাফা হলেই অগ্রাধিকার শেয়ারহোল্ডারগণ পূর্বে উলি­খিত নির্দিষ্ট হারে লভ্যাংশ পেয়ে থাকেন। তাই অগ্রাধিকার শেয়ারকে নিশ্চিত নিরাপদ আয়ের উৎস বলা হয়। মুনাফা হলে প্রতিষ্ঠান অগ্রাধিকার শেয়ার মালিকদের লভ্যাংশ প্রদানে বাধ্য। তাছাড়া আর্থিক সংকটের কারণে লভ্যাংশ প্রদানে ব্যর্থ হলে পরবর্তীতে মুনাফা অর্জিত হলেই অগ্রাধিকার শেয়ার মালিকদের পূর্বের বকেয়াসহ সকল লভ্যাংশ পরিশোধ করা হয়। এজন্য অগ্রাধিকার শেয়ারকে নিশ্চিত ও নিরাপদ আয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। গ সিগমা কোম্পানির শেয়ারের মূল্য নির্ণয়: দেওয়া আছে, শেয়ার প্রতি প্রত্যাশিত লভ্যাংশ, উ১ = ২০ টাকা প্রত্যাশিত প্রবৃদ্ধির হার, ম = ৮% বা ০.০৮ উপার্জন হার, কব = ১০% বা ০.১০ শেয়ারের মূল্য, চ০ = ? আমরা জানি, সাধারণ শেয়ারের ব্যয় কব = উ১চ০ + ম বা, ০.১০ = ২০চ০ + ০.০৮ বা, ২০চ০ = ০.১০ ­ ০.০৮ বা, ২০চ০ = ০.০২ বা, ০.০২ চ০ = ২০ ¯ চ০ = ১,০০০ অতএব, সিগমা কোম্পানির শেয়ারের মূল্য হবে ১,০০০ টাকা। উত্তর: ১,০০০ টাকা। ঘ কোন কোম্পানিতে বিনিয়োগ করা উত্তম তা নির্ণয়ের জন্য উভয় কোম্পানির আয়ের হার নির্ণয় করতে হবে। বন্ডের আয়ের হার নির্ণয়: মেয়াদপূর্তিতে আয়ের হার, ণঞগ = ও + গঠ – ঝঠহগঠ + ঝঠ২ ূ ১০০ = ৬০ + ১০০০ ­ ৮০০৫১০০০ + ৮০০২ ূ ১০০ = ৬০ + ৪০৯০০ ূ ১০০ = ১১.১১% হাইটেক কোং লি. কর্তৃক ইস্যুকৃত বন্ডের আয়ের হার ১১.১১%। অন্যদিকে সিগমা কোং লি. কর্তৃক ইস্যুকৃত সাধারণ শেয়ারের উপার্জন হার ১০% যা বন্ডের আয়ের হার অপেক্ষা কম। তাই বিনিয়োগকারী হিসেবে জনাব জামানের বন্ড ইস্যুকারী কোম্পানি হাইটেক কোং লি.-এ বিনিয়োগ করা উচিত। মমমপ্রশ্ন„৩ মিসেস ফেরদৌসী একজন গৃহিণী। তিনি তার জমানো অর্থ ১২% সুদের হারে ১০ বছর মেয়াদে কুপণ বন্ডে বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিলেন। প্রতিটি কুপন বন্ডের অভিহিত মূল্য ১০,০০০ টাকা হলেও বাজার মূল্য ১১,৫০০ টাকা। উলে­খ্য, মিসেস ফেরদৌসীর প্রত্যাশিত আয়ের হার ১০%। [দি. বো. ১৭] অ ক. জিরো কুপন বন্ড কী? ১ অ খ. কোনো বন্ডের অন্তর্নিহিত মূল্য বাজারমূল্য অপেক্ষা বেশি হলে বিনিয়োগকারী কী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে? ২ অ গ. উদ্দীপকে উলি­খিত বন্ডের চলতি আয়ের হার নির্ণয় করো। ৩ অ ঘ. মিসেস ফেরদৌসীর বন্ডটি ক্রয় করা লাভজনক হবে কি? বিশ্লেষণ করো। ৪ ৩ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক যে বন্ডের ক্ষেত্রে এর ধারককে কোনো সুদ প্রদান করা হয় না তাকে জিরো কুপন বন্ড বলে। সহায়ক তথ্য উদাহরণ : মনে করি, অঈও কোম্পানি ৫ বছর মেয়াদি ২০% রূপান্তরযোগ্য জিরো কুপন বন্ড ৬২০ টাকায় ইস্যু করেছে যার লিখিত মূল্য ১,০০০ টাকা। এক্ষেত্রে বন্ডহোল্ডার বা বিনিয়োগকারীগণ মেয়াদ শেষে ১,০০০ টাকা পাবেন। সুতরাং, এখানে বিনিয়োগকারীর মুনাফা হলো (লিখিত মূল্য, ১,০০০ টাকা – ক্রয়মূল্য, ৬২০ টাকা) ৩৮০ টাকা। খ কোনো বন্ডের অন্তর্নিহিত মূল্য (ওহঃৎরহংরপ াধষঁব), বাজারমূল্য অপেক্ষা বেশি হলে বিনিয়োগকারী বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। বন্ডের অন্তর্নিহিত মূল্য মূলত বন্ড হতে সম্ভাব্য প্রাপ্ত নগদ প্রবাহের বর্তমান মূল্যকেই নির্দেশ করে। অর্থাৎ বন্ড হতে প্রাপ্তির প্রকৃত মূল্য নির্দেশ করে। যদি অন্তর্নিহিত মূল্য, বাজারমূল্য অপেক্ষা বেশি হয় তবে তা মুনাফা নির্দেশ করে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে বিনিয়োগকারী বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। গ উদ্দীপকে উলি­খিত বন্ডের চলতি আয়ের হার নির্ণয়: আমরা জানি, চলতি আয়ের হার, ঈণ = ওঝঠ  ১০০ এখানে, বন্ডের অভিহিত মূল্য = ১০,০০০ টাকা  বন্ডের বার্ষিক সুদের পরিমাণ, ও = (১০,০০০  ১২%) = ১২০০ টাকা বন্ডের বর্তমান বাজারমূল্য ঝঠ = ১১,৫০০ টাকা চলতি আয়ের হার, ঈণ = ১২০১১৫০০  ১০০ = ১০.৪৩% উত্তর: ১০.৪৩%। ঘ বন্ডটি ক্রয় করা

এইচএসসি ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং ষষ্ঠ অধ্যায় দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়ন অর্থায়ন সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর Read More »

এইচএসসি ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং পঞ্চম অধ্যায় স্বল্প ও মধ্যমেয়াদি অর্থায়ন সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

অধ্যায়-৫: স্বল্প ও মধ্যমেয়াদি অর্থায়ন গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর মমমপ্রশ্ন„১ বিডি ফুডস লি. প্রক্রিয়াজাত খাদ্য সামগ্রী বাজারজাত করে। বাজারে বার্ষিক চাহিদা ১,২০,০০০ প্যাকেট এবং প্রতি প্যাকেটের ক্রয়মূল্য ২২ টাকা। ফরমায়েশ প্রতি ব্যয় ৮০ টাকা। বহন খরচ প্রতি একক পণ্য ২ টাকা। ক্রয়াদেশ প্রদানের পর গুদামে পণ্য পৌঁছাতে ৪ দিন সময় লাগে। কোম্পানি তাৎক্ষণিক ক্রেতা চাহিদা মেটাতে ১,২০০ প্যাকেট পণ্য মজুদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। কোম্পানির মোট কার্য দিবস ৩০০ দিন। মজুদ ব্যবস্থাপক ২,০০০ প্যাকেট পণ্য মজুদ থাকা অবস্থায় পুনঃফরমায়েশ প্রদান করেন। [ঢা. বো. ১৭] অ ক. স্বতঃস্ফ‚র্ত অর্থায়ন কী? ১ অ খ. ঋণ রেখা ও ঘূর্ণায়মান ঋণের মধ্যে পার্থক্য করো। ২ অ গ. বিডি ফুডস লি. এর বার্ষিক মজুদ ব্যয় নির্ণয় করো। ৩ অ ঘ. উদ্দীপকে মজুদ ব্যবস্থাপকের পুনঃফরমায়েশের সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা গাণিতিকভাবে মূল্যায়ন করো। ৪ ১ নং প্রশ্নের উত্তর অ মক ধারে ক্রয়, বকেয়া খরচ ও ক্রেতা হতে অগ্রিম গ্রহণের মাধ্যমে ব্যবসায়ের অর্থায়ন করাকে স্বতঃস্ফ‚র্ত অর্থায়ন বলে। মখ ঋণ রেখা ও ঘূর্ণায়মান ঋণ উভয়ই জামানতবিহীন ব্যাংক ঋণ। তথাপি উভয়ের মধ্যকার উলে­খযোগ্য পার্থক্য নিæে ছকে দেয়া হলো: পাথর্ক্যরে বিষয় ঋণ রেখা ঘূর্ণায়মান ঋণ ঋণের মেয়াদ সাধারণত ১ বছর হয়ে থাকে। ১ বছর বা তার বেশি সময়ের জন্য হয়ে থাকে। চুক্তির ধরন এটি একটি অনানুষ্ঠানিক চুক্তি। এটি একটি আনুষ্ঠানিক চুক্তি। অর্থ উত্তোলন এরূপ ঋণের অর্থ এককালীন উত্তোলন করতে হয়। এরূপ ঋণের অর্থ ভেঙ্গে ভেঙ্গে উত্তোলন করা যায়। মগ বিডি ফুডস লি.-এর বার্ষিক মজুদ ব্যয় নির্ণয়: দেয়া আছে, বার্ষিক চাহিদা (অ) = ১,২০,০০০ প্যাকেট ফরমায়েশ প্রতি ব্যয় (ঙ) = ৮০ টাকা বহন ব্যয় (ঈ) = ২ টাকা আমরা জানি, মিতব্যয়ী ফরমায়েশের পরিমাণ (ঊঙছ) = ২অঙঈ = ২ – ১২০০০০ – ৮০২ = ১৯২০০০০০২ = ৯৬০০০০০ = ৩,০৯৮.৩৯ মোট মজুদ ব্যয় = অঊঙছ  ঙ + ঊঙছ২  ঈ = ১২০০০০৩০৯৮.৩৯ – ৮০ + ৩০৯৮.৩৯২ – ২ = (৩,০৯৮.৩৮ + ৩,০৯৮.৩৯) = ৬,১৯৬.৭৭ টাকা উত্তর: ৬,১৯৬.৭৭ টাকা। মঘ উদ্দীপকে মজুদ ব্যবস্থাপকের পুনঃফরমায়েশের যৌক্তিকতা মূল্যায়ন: দেয়া আছে, ক্রয়াদেশ প্রদানের পর গুদামে পণ্য পৌঁছাতে সময় লাগে (লিড টাইম) = ৪ দিন নিরাপত্তা মজুদ = ১,২০০ প্যাকেট কোম্পানির মোট কার্য দিবস = ৩০০ দিন বার্ষিক চাহিদা = ১,২০,০০০ প্যাকেট  দৈনিক গড়ে মজুদ ব্যবহার = বার্ষিক চাহিদাকার্য দিবস = ১২০০০০৩০০ = ৪০০ দিন  পুনঃফরমাএয়শ ’¦র = নিরাপল্ফা মজুদ + (লিড টাইম – ৗদনিক গড় মজুদ বঞ্ঝবহার) = ১,২০০ + (৪ ূ ৪০০) প্যাকেট = ১,২০০ + ১৬০০ প্যাকেট = ২,৮০০ প্যাকেট উদ্দীপকে মজুদ ব্যবস্থাপকের পুনঃফরমায়েশ স্তর ২,৮০০ প্যাকেট কিন্তু তিনি ২,০০০ প্যাকেটকে পুনঃফরমায়েশ স্তর হিসেবে গ্রহণ করেছেন যা প্রকৃত পুনঃফরমায়েশ স্তরের চাইতে কম। তাই তার সিদ্ধান্তটি যৌক্তিক নয়। মমমপ্রশ্ন„২ জনাব এমরান একজন কাপড় ব্যবসায়ী। শীত মৌসুমের প্রাক্কালে তিনি ঢাকার জেসিকো গার্মেন্টস থেকে বাকিতে ১০ লক্ষ টাকার গরম কাপড় ক্রয় করেন। এক্ষেত্রে বাকির শর্ত হচ্ছে ৪/১০, নিট ৩০। [রা. বো. ১৭] অ ক. ব্যবসায় ঋণ কাকে বলে? ১ অ খ. কেন চলতি মূলধন কাম্যস্তরে রাখা একজন আর্থিক ব্যবস্থাপকের অন্যতম দায়িত্ব? ব্যাখ্যা করো। ২ অ গ. জনাব এমরান জেসিকো গার্মেন্টস-এর ধার ৩০তম দিনে পরিশোধ করলে জনাব এমরানের ব্যবসায় ঋণের ব্যয় কত হবে? ৩ অ ঘ. জনাব এমরান সর্বোচ্চ কতদিনের মধ্যে ধার পরিশোধ করলে মোট ধারের অর্থ অপেক্ষা কম পরিশোধ করতে হবে এবং কত কম পরিশোধ করতে হবে? ৪ ২ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক পুনরায় বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে বাকিতে পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের মাধ্যমে সৃষ্ট ঋণকে ব্যবসায় ঋণ বলে। খ তারল্য মুনাফার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য চলতি মূলধন কাম্যস্তরে রাখা একজন আর্থিক ব্যবস্থাপকের অন্যতম দায়িত্ব। চলতি মূলধন ব্যবস্থাপনায় রক্ষণশীল নীতি অনুসরণ করলে তারল্য বেশ ভালো অবস্থানে থাকলেও মুনাফা অর্জন হ্রাস পাবে। অন্যদিকে কঠোর নীতির অনুসরণ মুনাফালভ্যতাকে বৃদ্ধি করলেও সেটা তারল্যকে হ্রাস করবে। কেবল সমন্বয় নীতির মাধ্যমে চলতি মূলধন কাম্যস্তরে রাখলে তারল্য ও মুনাফার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করা সম্ভব। তাই চলতি মূলধন কাম্যস্তরে রাখা আর্থিক ব্যবস্থাপকের একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। সহায়ক তথ্য চলতি মূলধন : চলতি সম্পদ ও চলতি দায়ের পার্থক্যই চলতি মূলধন। রক্ষণশীল নীতি : স্থায়ী সম্পদ, স্থায়ী চলতি সম্পদ এবং পরিবর্তনশীল চলতি সম্পদের অংশ বিশেষ দীর্ঘমেয়াদি উৎস হতে অর্থায়ন করা। কঠোর নীতি : পরিবর্তনশীল চলতি মূলধনের সবটুকু এবং স্থায়ী চলতি মূলধনের একটি অংশ স্বল্পমেয়াদি উৎস হতে সংগ্রহ করা। সমন্বয় নীতি : স্থায়ী সম্পদ ও স্থায়ী চলতি সম্পদ দীর্ঘমেয়াদি উৎস হতে এবং পরিবর্তনশীল চলতি সম্পদ স্বল্পমেয়াদি উৎস হতে অর্থায়ন করা। গ দেয়া আছে, নগদ বাট্টার হার, ঈউজ = ৪% নগদ বাট্টার মেয়াদ, উচ = ১০ দিন ঋণের মেয়াদ, ঈচ = ৩০ দিন আমরা জানি, ব্যবসায় ঋণের ব্যয়, কঞঈ = ঈউজ১০০  ঈউজ  ৩৬০ঈচ  উচ  ১০০ = ৪১০০  ৪  ৩৬০৩০  ১০  ১০০ = ৪৯৬  ১৮  ১০০ = ৭৫% অতএব, জনাব এমরান জেসিকো গারমেন্টস-এর ধার ৩০ তম দিনে পরিশোধ করলে তার ব্যবসায় ঋণের ব্যয় হবে ৭৫%। উত্তর : ৭৫%। ঘ জনাব এমরান সর্বোচ্চ ১০ দিনের মধ্যে ধার পরিশোধ করলে মোট ধারের অর্থ অপেক্ষা কম পরিশোধ করতে হবে কারণ এক্ষেত্রে তিনি নগদ বাট্টার সুযোগ পাবেন। জনাব এমরান নগদ বাট্টার সুযোগ গ্রহণ করলে তাকে মোট মূল্যের ৪%, অর্থাৎ (১০,০০,০০০  ৪%) = ৪০,০০০ টাকা কম পরিশোধ করতে হবে। সহায়ক তথ্য নগদ বাট্টা : বাকিতে বিক্রীত পণ্যের মূল্য বা পাওনা টাকা যথাসময়ে আদায়ের জন্য ক্রেতা বা দেনাদারকে যে ছাড় বা উরংপড়ঁহঃ দেয়া হয় তাকে নগদ বাট্টা বলে। যেমন: ‘২/১০’; ঘ/৩০ এর অর্থ হলো ধারে বিক্রয়ের প্রথম ১০ দিনের মধ্যে দেনাদার মূল্য পরিশোধ করলে ২% হারে বাট্টা বাবদ কম টাকা নেয়া হবে এবং ৩০ দিনের মধ্যে অবশ্যই সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করতে হবে। মমমপ্রশ্ন„৩ ইএঋ লি. বাজারে নতুন ব্র্যান্ডের পোশাক বাজারজাতকরণ করতে যাচ্ছে। সারা বছর তাদের ৬৪,০০০ একক পণ্যের প্রয়োজন হবে। প্রতি একক পণ্যের ক্রয়মূল্য ১,০০০ টাকা, প্রতি ফরমায়েশ ব্যয় ৫০০ টাকা, বহন ব্যয় ক্রয়মূল্যের ১% নিরাপত্তা মজুদ ৫০০ একক এবং সংগ্রহ সময় ৩ দিন। [দি. বো. ১৭] অ ক. মিতব্যয়ী ফরমায়েশ পরিমাণ (ঊঙছ) কী? ১ অ খ. ইএঋ লি.-এর মোট মজুদ ব্যয় কত হবে? ২ অ গ. উদ্দীপকের তথ্য অনুসারে ইএঋ লি.-এর পুনঃফরমায়েশ বিন্দু নির্ণয় করো। ৩ অ ঘ. যদি সংগ্রহ সময় ৩ দিনের স্থলে ৫ দিন হয় তাহলে মজুদ ব্যবস্থায় কী ধরনের সমস্যা হবে বলে তুমি মনে করো? ৪ ৩ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক যে ফরমায়েশ পরিমাণে পণ্যের বহন ও ফরমায়েশ ব্যয় শূন্য তাকে মিতব্যয়ী ফরমায়েশ পরিমাণ (ঊঙছ  ঊপড়হড়সরপ ঙৎফবৎ ছঁধহঃরঃু) বলে। খ ইএঋ লি.-এর মোট মজুদ ব্যয় নির্ণয়: আমরা জানি, মোট মজুদ ব্যয় = অঊঙছ  ঙ + ঊঙছ২  ঈ এখানে, ঊঙছ = ২অঙঈ = ২ – ৬৪০০০ – ৫০০১০০০ – ১% = ২৫৩০

এইচএসসি ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং পঞ্চম অধ্যায় স্বল্প ও মধ্যমেয়াদি অর্থায়ন সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর Read More »

এইচএসসি ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং চতুর্থ অধ্যায় আর্থিক বিশ্লেষণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

অধ্যায়-৪: আর্থিক বিশ্লেষণ গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর মমমপ্রশ্ন„১ সিঙ্গার কোম্পানি লি. বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বাতি উৎপাদন ও বিক্রয় করে। কোম্পানিটির কিছু তথ্য নিæে দেয়া হলো: বার্ষিক বিক্রয় ৬০,০০০ একক কারখানা ভাড়া (বাৎসরিক) ৮০,০০০ টাকা গোডাউন ভাড়া (বাৎসরিক) ৬০,০০০ টাকা অফিস ভাড়া (মাসিক) ৫,০০০ টাকা একক প্রতি বিক্রয় মূল্য ৪০ টাকা এককপ্রতি পরিবর্তনশীল ব্যয় ২০ টাকা কোম্পানিটির ব্যবস্থাপক এককপ্রতি বিক্রয় মূল্য ২৫% বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। [ঢা. বো. ১৭] অ ক. আর্থিক বিশ্লেষণ কী? ১ অ খ. কন্ট্রিবিউশন মার্জিন অনুপাত কীভাবে সমচ্ছেদ বিন্দুকে প্রভাবিত করে? ২ অ গ. সিঙ্গার কোম্পানি লি. এর সমচ্ছেদ বিন্দু (একক) নির্ণয় করো। ৩ অ ঘ. তুমি কি মনে করো উদ্দীপকে ব্যবস্থাপক কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্তটি সিঙ্গার কোম্পানি লি. এর সমচ্ছেদ বিন্দুকে প্রভাবিত করবে? গাণিতিক বিশ্লেষণের ভিত্তিতে তোমার মতামত দাও। ৪ ১ নং প্রশ্নের উত্তর অ মক আর্থিক বিবরণীর (আয় বিবরণী, আর্থিক অবস্থার বিবরণী, নগদ প্রবাহ বিবরণী) বিভিন্ন উপাদানের মধ্যে সম্পর্ক নির্ণয়ের মাধ্যমে কোনো প্রতিষ্ঠানের সফলতা বা দুর্বলতা অনুসন্ধান করাই হলো আর্থিক বিশ্লেষণ। মখ কন্ট্রিবিউশন মার্জিন অনুপাত সমচ্ছেদ বিন্দুকে ঋণাত্বকভাবে প্রভাবিত করে। একক প্রতি বিক্রয় মূল্য ও পরিবর্তনশীল ব্যয়ের পার্থক্যকে একক প্রতি বিক্রয়মূল্য দ্বারা ভাগ করলে কন্ট্রিবিউশন মার্জিন অনুপাত পাওয়া যায়। স্থির ব্যয়কে এ অনুপাত দ্বারা ভাগ করলে টাকার অঙ্কে সমচ্ছেদ বিন্দু পাওয়া যায়। কন্ট্রিবিউশন মার্জিন অনুপাত বাড়তে থাকলে সমচ্ছেদ বিন্দু (টাকায়) কমতে থাকে। আবার কন্ট্রিবিউশন মার্জিন অনুপাত কমতে থাকলে সমচ্ছেদ বিন্দু (টাকায়) বাড়তে থাকে। এভাবেই কন্ট্রিবিউশন মার্জিন অনুপাত সমচ্ছেদ বিন্দুকে ঋনাÍকভাবে প্রভাবিত করে। মগ সিঙ্গার কোম্পানি লি.-এর সমচ্ছেদ বিন্দু (একক) নির্ণয়: দেয়া আছে, একক প্রতি বিক্রয়মূল্য = ৪০ একক প্রতি পরিবর্তনশীল ব্যয় = ২০ বিবরণ টাকা কারখানা ভাড়া (বাৎসরিক) ৮০,০০০ গোডাউন ভাড়া (বাৎসরিক) ৬০,০০০ অফিস ভাড়া (১২  ৫,০০০) ৬০,০০০ বাৎসরিক মোট স্থির ব্যয় ২,০০,০০০ আমরা জানি, সমএœছদ বিক্টদু (কৈক) = মৈাট র্’ির বঞ্ঝয় কৈক পণ্ঠতি বিকত্থয়মƒলঞ্ঝ  কৈক পণ্ঠতি পরিবতট্টনশীল বঞ্ঝয় = ২০০০০০৪০  ২০ = ২০০০০০২০ = ১০,০০০ একক উত্তর: সমচ্ছেদ বিন্দু ১০,০০০ একক। মঘ দেয়া আছে, বাৎসরিক স্থির ব্যয় = ২,০০,০০০ টাকা (গ হতে প্রাপ্ত) একক প্রতি পরিবর্তনশীল ব্যয় = ২০ টাকা একক প্রতি বিক্রয়মূল্য ২৫% বৃদ্ধি করলে, একক প্রতি নতুন বিক্রয়মূল্য হবে = {৪০ + (৪০ ূ ২৫%)} টাকা = (৪০ + ১০) টাকা = ৫০ টাকা সমএœছদ বিক্টদু (কৈক) = মৈাট র্’ির বঞ্ঝয় কৈক পণ্ঠতি বিকত্থয়মƒলঞ্ঝ  কৈক পণ্ঠতি পরিবতট্টনশীল বঞ্ঝয় = ২০০০০০৫০  ২০ = ২০০০০০৩০ = ৬,৬৬৬.৬৭ একক একক প্রতি বিক্রয়মূল্য ২৫% বৃদ্ধি করলে, সিঙ্গার কোম্পানি লি. এর সমচ্ছেদ বিন্দু (একক) ১০,০০০ একক হতে ৬,৬৬৬.৬৭ এককে নেমে আসবে। সুতরাং, ব্যবস্থাপনা কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত (একক প্রতি ২৫% বিক্রয়মূল্য বৃদ্ধি) সিঙ্গার কোম্পানি লি. এর সমচ্ছেদ বিন্দুকে প্রভাবিত করবে। মমমপ্রশ্ন„২ ইঞঈ কোং লি. একটি ভোগ্যপণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির স্থায়ী ব্যয় ৮ লক্ষ টাকা। প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদিত পণ্যের প্রতি এককের বিক্রয়মূল্য ৬০ টাকা এবং প্রতি একক পণ্যের পরিবর্তনশীল ব্যয় ২০ টাকা। [রা. বো. ১৭] অ ক. দত্তাংশ কী? ১ অ খ. “সমচ্ছেদ বিন্দুর অবস্থান স্থায়ী ব্যয়, পরিবর্তনশীল ব্যয় ও বিক্রয়মূল্যের হ্রাস-বৃদ্ধির সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়” ব্যাখ্যা করো। ২ অ গ. ইঞঈ কোং লি. এর সমচ্ছেদ বিন্দু নির্ণয় করো। ৩ অ ঘ. যদি ইঞঈ কোং লি. এর প্রতি এককের বিক্রয়মূল্য ১৬২/৩% কমে যায়, তবে উদ্দীপকের ইঞঈ কোং লি.-এর সমচ্ছেদ বিন্দুতে কি প্রভাব পড়বে তা বিশ্লেষণ করো। ৪ ২ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক বিক্রয়মূল্য ও পরিবর্তনশীল ব্যয়ের পার্থক্যই হচ্ছে দত্তাংশ বা কন্ট্রিবিউশন মার্জিন। সহায়ক তথ্য কন্ট্রিবিউশন মার্জিন অনুপাত: পণ্যের একক প্রতি বিক্রয় মূল্য ও পরিবর্তনশীল ব্যয়ের পার্থক্যকে একক প্রতি বিক্রয়মূল্য দ্বারা ভাগ করলে কন্ট্রিবিউশন মার্জিন অনুপাত পাওয়া যায়। খ সমচ্ছেদ বিন্দুতে মোট বিক্রয়লব্ধ আয় মোট ব্যয়ের সমান হয়। এই সমচ্ছেদ বিন্দু নির্ণয়ে স্থায়ী ব্যয়, পরিবর্তনশীল ব্যয় ও এককপ্রতি বিক্রয়মূল্য ব্যবহার করা হয়। এই সকল উপাদানের হ্রাস-বৃদ্ধি সমচ্ছেদ বিন্দুকে প্রভাবিত করে। তাই এই সকল উপাদানের পরিবর্তন সমচ্ছেদ বিন্দুর অবস্থানকে পরিবর্তন করে। গ ইঞঈ কোং লি.-এর সমচ্ছেদ বিন্দু নির্ণয় : দেয়া আছে, স্থির ব্যয় = ৮,০০,০০০ টাকা এককপ্রতি বিক্রয় মূল্য = ৬০ টাকা এককপ্রতি পরিবর্তনশীল ব্যয় = ২০ টাকা আমরা জানি, সমচ্ছেদ বিন্দু (ইঊচ) = স্থির ব্যয়এককপ্রতি বিক্রয়মল্য  এককপ্রতি পরিবর্তনশীল ব্যয় = ৮০০০০০৬০  ২০ = ৮০০০০০৪০ = ২০,০০০ একক অতএব, ইঞঈ কোং লি. এর সমচ্ছেদ বিন্দু ২০,০০০ একক। উত্তর: ২০,০০০ একক। ঘ ইঞঈ কোং লি. -এর একক প্রতি বিক্রয়মূল্য ১৬ ২৩% কমে গেলে নতুন এককপ্রতি বিক্রয়মূল্য হবে = ৬০  ৬০  ১৬ ২৩% টাকা = (৬০  ৬০  ০.১৬৬৭) টাকা = (৬০  ১০) টাকা = ৫০ টাকা সুতরাং, পরিবর্তিত সমচ্ছেদ বিন্দু = ৮০০০০০৫০  ২০ = ৮০০০০০৩০ = ২৬, ৬৬৭ একক অর্থাৎ এককপ্রতি বিক্রয়মূল্য ১৬ ২৩% কমে কমে গেলে সমচ্ছেদ বিন্দু (২৬,৬৬৭  ২০,০০০) একক বা, ৬,৬৬৭ একক বেড়ে যাবে। মমমপ্রশ্ন„৩ ইঋ লি. একটি চেয়ার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। তাদের উৎপাদিত প্রতিটি চেয়ার ৪৫০ টাকা করে বিক্রয় করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির সারা বছরে মোট স্থির ব্যয় হয় ১৮,০০,০০০ টাকা এবং প্রতি একক পণ্যের জন্য পরিবর্তনশীল ব্যয় ২০০ টাকা। প্রতিষ্ঠানটি বছরে ১৩,০০০টি চেয়ার বিক্রয় করে ১২,০০,০০০ টাকা মুনাফা করতে চায়। উলে­খ্য যে, প্রতিষ্ঠানটি বাজার প্রতিযোগিতার কথা বিবেচনা করে প্রতি ইউনিটের বিক্রয়মূল্যের কোনো পরিবর্তন করতে চায় না। [দি. বো. ১৭] অ ক. ইঊচ কী? ১ অ খ. প্রতি ইউনিট পরিবর্তনশীল ব্যয় কোম্পানির ইঊচ-কে কীভাবে প্রভাবিত করে? ২ অ গ. ইঋ লি. এর ব্রেক ইভেন এককে নির্ণয় করো। ৩ অ ঘ. কোম্পানিটি তার কাক্সিক্ষত মুনাফা অর্জনের জন্য কী সিদ্ধান্ত নিতে পারে তার পরামর্শ দাও। ৪ ৩ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক ইঊচ(ইৎবধশ ঊাবহ চড়রহঃ) হলো এমন একটি বিন্দু যেখানে মোট বিক্রয়লব্ধ আয় মোট ব্যয়ের সমান। খ প্রতি ইউনিট পরিবর্তনশীল ব্যয়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে ইঊচ(ইৎবধশ ঊাবহ চড়রহঃ) -ও পরিবর্তিত হবে। প্রতি ইউনিট পরিবর্তনশীল ব্যয় বাড়লে সমচ্ছেদ বিন্দু বা ইঊচ-ও বাড়বে। বিপরীতভাবে, প্রতি ইউনিট পরিবর্তনশীল ব্যয় কমলে ইঊচ বা সমচ্ছেদ বিন্দুও কমবে। এভাবেই এটি ইঊচ বা সমচ্ছেদ বিন্দুকে প্রভাবিত করবে। গ ইঋ লি.-এর ব্রেক ইভেন বিন্দু (একক) নির্ণয়: আমরা জানি, বৈত্তক ইএভন বিক্টদু (কৈক) = র্’ির বঞ্ঝয়কৈক পণ্ঠতি বিকত্থয়মƒলঞ্ঝ ­ কৈক পণ্ঠতি পরিবতট্টনশীল বঞ্ঝয় এখানে, স্থির ব্যয় = ১৮,০০,০০০ টাকা একক প্রতি বিক্রয়মূল্য = ৪৫০ টাকা একক প্রতি পরিবর্তনশীল ব্যয় = ২০০ টাকা ¯ ব্রেক ইভেন বিন্দু (একক) = ১৮০০০০০৪৫০ ­ ২০০ = ৭,২০০ একক ¯ ইঋ লি.-এর ব্রেক ইভেন বিন্দু ৭২০০ একক। উত্তর: ৭,২০০ একক। ঘ আমরা জানি, পণ্ঠএয়াজনীয় বিকত্থয় কৈক = র্’ির বঞ্ঝয় + কা›িপ্টত মুনাফাকৈক পণ্ঠতি বিকত্থয়মƒলঞ্ঝ ­ কৈক পণ্ঠতি পরিবতট্টনশীল বঞ্ঝয় এখানে, স্থির ব্যয় = ১৮,০০,০০০ টাকা কাক্সিক্ষত মুনাফা = ১২,০০,০০০ টাকা একক প্রতি বিক্রয়মূল্য = ৪৫০ টাকা একক প্রতি পরিবর্তনশীল ব্যয় = ২০০ টাকা ¯ প্রয়োজনীয় বিক্রয় একক

এইচএসসি ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং চতুর্থ অধ্যায় আর্থিক বিশ্লেষণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর Read More »

এইচএসসি ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং তৃতীয় অধ্যায় অর্থের সময়মূল্য সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

অধ্যায়-৩: অর্থের সময়মূল্য গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর মমমপ্রশ্ন„১ নুর একজন কৃষক। তার কাছে বিনিয়োগের জন্য ১,০০,০০০ টাকা আছে। তার ভাই তাকে মাছ চাষ করার পরামর্শ দেন। যেখান থেকে আগামী ৫ বছর যথাক্রমে ২৫,০০০, ২৮,০০০, ২২,০০০, ২৫,০০০, ৫০,০০০ টাকা পাওয়া যাবে। অন্যদিকে তার বন্ধু পোল্ট্রিফার্ম দিতে বলে, যেখান থেকে আগামী ৫ বছর প্রতি বছর শেষে ৩০,০০০ টাকা করে পাওয়া যাবে। উভয়ক্ষেত্রে প্রত্যাশিত আয়ের হার ১০%। [ঢা. বো. ১৭] অ ক. সাধারণ বার্ষিক বৃত্তি কী? ১ অ খ. বর্তমান মূল্য ও ভবিষ্যৎ মূল্যের মধ্যে পার্থক্য দেখাও। ২ অ গ. নুরের ভাইয়ের পরামর্শ অনুযায়ী নুরের নগদ আন্তঃপ্রবাহের বর্তমান মূল্য কত হবে? ৩ অ ঘ. নুরের পোল্ট্রি ফার্ম -এ বিনিয়োগ করা কি যৌক্তিক হবে? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও। ৪ ১ নং প্রশ্নের উত্তর অ মক যে বৃত্তির নগদ প্রবাহ প্রতি সময় কালের শেষে সংঘটিত হয় তাকে সাধারণ বৃত্তি বলে। মখ বর্তমান মূল্য ও ভবিষ্যৎ মূল্যের মধ্যে পার্থক্য নিæরূপ: পার্থক্যের বিষয় বর্তমান মূল্য ভবিষ্যৎ মূল্য ১. সংজ্ঞা ভবিষ্যতে প্রাপ্য টাকার আজকের মূল্যকে বর্তমান মূল্য বলে। আজকের নির্ধারিত টাকা ভবিষ্যতে চক্রবৃদ্ধির সুদে যে পরিমাণ হবে তাকে ভবিষ্যৎ মূল্য বলে। ২. পদ্ধতির নাম বর্তমান মূল্য নির্ণয় করার কৌশলকে বাট্টাকরণ বলে। ভবিষ্যৎ মূল্য নির্ধারণ করার কৌশলকে চক্রবৃদ্ধিকরণ বলে। ৩. প্রভাব ভবিষ্যৎ মূল্যের ওপর বাট্টা করে বর্তমান মূল্য নির্ধারণ করা হয় বলে ভবিষ্যৎ মূল্য অপেক্ষা কম হয়। বর্তমান মূল্যের সাথে সুদ যোগ করে ভবিষ্যৎ মূল্য বের করতে হয় বলে ভবিষ্যৎ মূল্য, বর্তমান মূল্য অপেক্ষা বেশি হয়। মগ ভাইয়ের পরামর্শ অনুযায়ী নুরের নগদ আন্তঃপ্রবাহের বর্তমান মূল্য নির্ণয়: দেয়া আছে; ১ম বছরে প্রাপ্ত (ঋঠ১) = ২৫,০০০ টাকা ২য় বছরে প্রাপ্ত (ঋঠ২) = ২৮,০০০ টাকা ৩য় বছরে প্রাপ্ত (ঋঠ৩) = ২২,০০০ টাকা ৪র্থ বছরে প্রাপ্ত (ঋঠ৪) = ২৫,০০০ টাকা ৫ম বছরে প্রাপ্ত (ঋঠ৫) = ৫০,০০০ টাকা প্রত্যাশিত আয়ের হার (র) = ১০% বা ০.১০ আমরা জানি, বতট্টমান মƒলঞ্ঝ (চঠ) = ঋঠ১(১ + র)১ + ঋঠ২(১ + র)২ + ঋঠ৩(১ + র)৩ ঋঠ৪(১ + র)৪ + ঋঠ৫(১ + র)৫ = ২৫০০০(১ + ০.১০)১ + ২৮০০০(১ + ০.১০)২ + ২২০০০(১ + ০.১০)৩ + ২৫০০০(১ + ০.১০)৪ + ৫০০০০(১ + ০.১০)৫ = ২২,৭২৭.২৭ + ২৩,১৪০.৫০ + ১৬,৫২৮.৯৩ + ১৭,০৭৫.৩৪ + ৩১,০৪৬.০৭ = ১,১০,৫১৮.১১ টাকা উত্তর: ১,১০,৫১৮.১১ টাকা। মঘ পোল্ট্রি ফার্ম হতে প্রাপ্ত আন্তঃপ্রবাহের বর্তমান মূল্য নির্ণয়: দেয়া আছে, বার্ষিক নগদ আন্তঃপ্রবাহ (অ) = ৩০,০০০ টাকা সময় (হ) = ৫ বছর প্রত্যাশিত আয়ের হার (র) = ১০% বা ০.১০ আমরা জানি, বার্ষিক বৃত্তির বর্তমান মূল্য (চঠঅ) = অ  ১  ১১ + রহর = ৩০,০০০ ১  ১১ + ০.১০৫০.১০ = ৩০,০০০  ৩.৭৯০৭৮৭ = ১,১৩,৭২২.৪১ টাকা মাছ চাষ হতে প্রাপ্ত নগদ প্রবাহের বর্তমান মূল্য = ১,১০,৫১৮.১১ টাকা [গ হতে প্রাপ্ত] পোল্ট্রি ফার্ম হতে প্রাপ্ত নগদ প্রবাহের বর্তমান মূল্য = ১,১৩,৭২২.৪১ টাকা। এখানে পোল্টি ফার্ম থেকে প্রাপ্ত নগদ প্রবাহের বর্তমান মূল্য, মাছ চাষ থেকে প্রাপ্ত নগদ প্রবাহের বর্তমান মূল্য অপেক্ষা বেশি। তাই নুরের পোল্ট্রি ফার্ম -এ বিনিয়োগ করা যৌক্তিক হবে। মমমপ্রশ্ন„২ মি. রহিম একজন ব্যাংকার। তিনি সম্প্রতি ঢাকার গুলশানে একটি এপার্টমেন্ট ক্রয়ের কথা চিন্তা করছেন। এপার্টমেন্টটি ক্রয় করতে তার ৮০,০০,০০০ টাকার প্রয়োজন। মি. রহিম এপার্টমেন্ট ক্রয়ের জন্য দুটি বিকল্পের কথা বিবেচনা করছেন। প্রথমত ৮০,০০,০০০ টাকা নগদে পরিশোধ করে দেয়া। দ্বিতীয়ত এপার্টমেন্ট মূল্যের ৫০% নগদে এবং বাকি ৪,৫০,০০০ টাকা সমান কিস্তিতে ১০ বছরের মধ্যে পরিশোধ করে দেয়া। মি. রহিমের সুযোগ ব্যয় হচ্ছে ১২% এবং তিনি ১ম বিকল্পটি গ্রহণ করেন। [ঢা. বো. ১৭] অ ক. বাট্টাকরণ কী? ১ অ খ. কার্যকরী সুদের হার বলতে কী বোঝায়? ২ অ গ. উদ্দীপকে মি. রহিম যে বার্ষিক কিস্তি প্রদান করবে তার বর্তমান মূল্য কত? ৩ অ ঘ. মি. রহিম যে বিকল্পটি গ্রহণ করেছে তার যৌক্তিকতা মূল্যায়ন করো। ৪ ২ নং প্রশ্নের উত্তর অ মক ভবিষ্যতে প্রাপ্ত অর্থের বর্তমান মূল্য নির্ণয় করার কৌশলকে বাট্টাকরণ বলে। মখ প্রকৃত পক্ষে যে হারে সুদ অর্জিত হয় তাকে কার্যকরী সুদের হার বলে। কার্যকরী সুদের হার মূলত চক্রবৃদ্ধিকরণের সাথে জড়িত। ফলে চক্রবৃদ্ধির সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে কার্যকরী সুদের হার বৃদ্ধি পায়। আবার চক্রবৃদ্ধির সংখ্যা কমলে কার্যকরী সুদের হারও কমে। কার্যকরী সুদের হার নির্ণয়ের সূত্রটি হলো ঊঅজ = ১ + রসস – ১ মগ উদ্দীপকের আলোকে মি. রহিমের বার্ষিক কিস্তির বর্তমান মূল্য নির্ণয়: দেয়া আছে, বার্ষিক কিস্তির পরিমাণ (অ) = ৪,৫০,০০০ টাকা সময় (হ) = ১০ বছর সুযোগ ব্যয় (র) = ১২% বা ০.১২ আমরা জানি,  বর্তমান মূল্য (চঠঅ) = অ  ১  ১(১ + র)হর = ৪,৫০,০০০ ূ ১  ১(১ + ০.১২)১০০.১২ = ৪,৫০,০০০ ূ ৫.৬৫০২২৩ = ২৫,৪২,৬০০ উত্তর: ২৫,৪২,৬০০ টাকা। মঘ মি. রহিমের দ্বিতীয় বিকল্পটির জন্য মোট পরিশোধিত অর্থের পরিমাণ নির্ণয় বিবরণ টাকা কি’ি¦এত পরিএশাধঞ্ঝ অএ^ট্টর বতট্টমান মƒলঞ্ঝ (গ হএত পণ্ঠাক্র¦) ২৫,৪২,৬০০ নগএদ পরিএশাধঞ্ঝ ঞ্ঝৈাপাটট্টএমএ´Ÿর বাকি অবশি”¡ মƒলঞ্ঝ (৮০,০০,০০০  ৫০%) ৪০,০০,০০০ মৈাট পরিএশাধিত অ^ট্ট ৬৫,৪২,৬০০ উদ্দীপকের মি. রহিম প্রথম বিকল্পটি গ্রহণ করায় তাকে নগদে ৮০,০০,০০০ টাকা প্রদান করতে হয়েছে। অন্যদিকে দ্বিতীয় বিকল্পটি গ্রহণ করলে তার ব্যয় হতো ৬৫,৪২,৬০০ টাকা। যেহেতু সে দ্বিতীয় বিকল্পটি গ্রহণ করেননি, সেহেতু তার সিদ্ধান্তটি যৌক্তিক ছিল না। মমমপ্রশ্ন„৩ জনাব ছিদ্দিক ১০ লক্ষ টাকা ‘এসো গড়ি’ ব্যাংকে ৮% সুদে ১০ বছরের জন্য স্থায়ী আমানত হিসাবে জমা রাখেন। পক্ষান্তরে, জনাব হারুন একজন চাকরিজীবী। তিনি প্রতি মাসে ৮,০০০ টাকা করে ‘মাটির ডাক’ ব্যাংকে ১০% সুদে ১০ বছর সঞ্চয় করেন। [রা. বো. ১৭] অ ক. বার্ষিকী কী? ১ অ খ. “সময় ও সুদের হারের কারণে অর্থের মূল্যের পরিবর্তন ঘটে” ব্যাখ্যা করো। ২ অ গ. জনাব হারুন ১০ বছর পরে কত টাকা পাবেন? ৩ অ ঘ. ১০ বছর পরে কে বেশি লাভবান হবে তা উদ্দীপকের আলোকে বিশ্লেষণ করো। ৪ ৩ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সমপরিমাণ নগদ প্রবাহের (আন্তঃপ্রবাহ অথবা বহিঃপ্রবাহ) ধারাকে বার্ষিকী বা বার্ষিক বৃত্তি বা অ্যানুইটি বলা হয়। খ অন্যান্য বিষয় (অর্থের পরিমাণ, সুদ) ঠিক রেখে কেবল সময় বৃদ্ধি পেলে অধিক বাট্টাকরণের ফলে এককালীন অর্থের বর্তমান মূল্য হ্রাস পায়। একইভাবে অন্যান্য বিষয় (অর্থের পরিমাণ, সময়) ঠিক রেখে কেবল সুদের হার বৃদ্ধি পেলেও অর্থের বর্তমান মূল্য হ্রাস পায়। তাছাড়া সময় বৃদ্ধি বা সুদের হারের বৃদ্ধি চক্রবৃদ্ধি হারকে প্রভাবিত করে এবং অর্থের ভবিষ্যৎ মূল্যকে বাড়িয়ে দেয়। আবার, সময় বা সুদের হারের হ্রাসের ফলে বর্তমান মূল্যের বৃদ্ধি ঘটে বা ভবিষ্যৎ মূল্য হ্রাস পায়। সুতরাং, সময় ও সুদের হারের কারণে অর্থের মূল্যের পরিবর্তন ঘটে। উদাহরণ : ১০% সুদের হারে ৫ বছর পর ১০,০০০ টাকার ভবিষ্যৎ মূল্য হবে = ১০,০০০ (১ + ০.১০)৫ = ১৬,১০৫ টাকা। আবার, ১২% সুদের হারে ৫ বছর পর ১০,০০০ টাকার ভবিষ্যৎ মূল্য হবে = ১০,০০০ (১ +

এইচএসসি ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং তৃতীয় অধ্যায় অর্থের সময়মূল্য সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর Read More »

এইচএসসি ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং দ্বিতীয় অধ্যায় আর্থিক বাজারের আইনগত দিকসমূহ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

অধ্যায়-২: আর্থিক বাজারের আইনগত দিকসমূহ গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর মমমপ্রশ্ন„১ রফিক ও ফারুক দুই বন্ধু। তারা দু’জনই বাংলাদেশের নাগরিক। দীর্ঘদিন পর সম্প্রতি তারা দু’জনই বিদেশ থেকে দেশে ফিরেছেন। রফিক তার অর্জিত অর্থ শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। অন্যদিকে ফারুক বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয়-বিক্রয়ে যুক্ত হয়েছেন। কিন্তু তিনি যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট হতে অনুমতি গ্রহণ করেননি। এই কারণে আইন প্রয়োগকারী বাহিনী তাকে গ্রেপ্তার করেছে। [ঢা. বো. ১৭] অ ক. বি.এস.ই.সি. কী? ১ অ খ. মুদ্রা বাজারে অংশগ্রহণকারী কারা? ২ অ গ. উদ্দীপকে জনাব রফিকের বিনিয়োগের জন্য কোন ধরনের আর্থিক বাজার উপযোগী? ব্যাখ্যা করো। ৩ অ ঘ. তুমি কি মনে করো উদ্দীপকে আইন প্রয়োগকারী বাহিনী সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে? তোমার মতামত দাও। ৪ ১ নং প্রশ্নের উত্তর অ মক বি. এস. ই. সি. (বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন) হলো বাংলাদেশের শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা। মখ বাণিজ্যিক ব্যাংক, বিমা কোম্পানি ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ মুদ্রা বাজারে অংশগ্রহণ করে থাকে । এ বাজারে সাধারণত ১ বছর বা তার কম মেয়াদি আর্থিক সম্পদ ক্রয়-বিক্রয় করা হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারের পক্ষে মুদ্রা বাজারে ট্রেজারি বিল বিক্রয় করে। বাণিজ্যিক ব্যাংক ও নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক হতে এ সকল ট্রেজারি বিল ক্রয় করে। কোম্পানি বিভিন্ন ব্যাংক ও বিমা কোম্পানির নিকট বাণিজ্যিকপত্র বিক্রয় করে মুদ্রা বাজারের মাধ্যমে তাদের স্বল্পমেয়াদি অর্থায়নের চাহিদা মিটিয়ে থাকে। মগ উদ্দীপকে জনাব রফিকের বিনিয়োগের জন্য পুঁজি বাজার উপযোগী। মূলধন বা পুঁজি বাজারে দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক সম্পদের লেনদেন করা হয়। সরকার ও বিভিন্ন কোম্পানি এ বাজারে শেয়ার ও বন্ড বিক্রয় করে তাদের দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের চাহিদা পূরণ করে। উদ্দীপকে রফিক ও ফারুক দুই বন্ধু। তারা দু’জনই বাংলাদেশের নাগরিক। দীর্ঘদিন পর সম্প্রতি তারা দু’জনই বিদেশ থেকে দেশে ফিরেছেন। রফিক তার অর্জিত অর্থ শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। বিনিয়োগ আগ্রহ পূরণ করতে তাকে পুঁজি বাজারে অংশগ্রহণ করতে হবে। এ বাজারে সাধারণ শেয়ার, অগ্রাধিকার শেয়ার ও বন্ড ক্রয়-বিক্রয় করা হয়। এদের মধ্যে যেকোনো একটিতে বিনিয়োগ করে মি. রফিক পুঁজি বাজারে প্রবেশ করতে পারবেন। মঘ উদ্দীপকে বৈদেশিক বিনিময়ের বিষয়ে আইন প্রয়োগকারী বাহিনী সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। বৈদেশিক বিনিময় বলতে এক দেশের মুদ্রাকে অন্য দেশের মুদ্রায় রূপান্তর করার কাজকে বোঝায়। আমদানি-রপ্তানি ও অন্যান্য কার্যক্রম হতে সৃষ্ট বৈদেশিক দায় পরিশোধে বৈদেশিক মুদ্রার প্রয়োজন। উদ্দীপকে দুই বন্ধু রফিক ও ফারুক বাংলাদেশের নাগরিক। সম্প্রতি তারা দু’জনই বিদেশ থেকে দেশে ফিরেছেন। রফিক শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করেন। অন্যদিকে ফারুক বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয়-বিক্রয় শুরু করেছেন। এর জন্য সে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট হতে অনুমতি গ্রহণ করেননি। কিছুদিন পরই আইন প্রয়োগকারী বাহিনী তাকে গ্রেপ্তার করে। কারণ, তিনি আইন মোতাবেক বৈদেশিক মুদ্রার ক্রয়-বিক্রয় শুরু করেননি। এক দেশের মুদ্রা অন্য দেশে অচল। এজন্য বিদেশে ভ্রমণ বা বৈদেশিক দেনা-পাওনা নিষ্পত্তিতে বৈদেশিক মুদ্রার প্রয়োজন হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ লক্ষ্যে বৈদেশিক মুদ্রার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা করে থাকে। বাংলাদেশ ব্যাংক হতে অনুমতিপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা বৈদেশিক মুদ্রার ক্রয়-বিক্রয়ের বৈধ ক্ষমতা রাখে। এর বাইরে অন্য কেউ বৈদেশিক মুদ্রার ক্রয়-বিক্রয়ে জড়িত হতে পারে না। উদ্দীপকের ফারুক বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি ব্যতীতই বৈদেশিক মুদ্রার ক্রয়-বিক্রয় শুরু করে উক্ত আইন লঙ্ঘন করেছেন। এজন্যই আইন প্রয়োগকারী বাহিনী তাকে গ্রেপ্তার করেছে, যা যৌক্তিক হয়েছে বলে আমি মনে করি। মমমপ্রশ্ন„২ হক এন্ড সন্স এবং রায় এন্ড ব্রাদার্স উভয়ই আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। হক এন্ড সন্স-এর আমদানিকৃত পণ্য চট্টগ্রাম বন্দরে খালাসের জন্য ১০ লক্ষ টাকার প্রয়োজন। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক ব্যাংক ঋণ নিয়ে তার আর্থিক সমস্যার সমাধান করেন। কিন্তু রায় এন্ড ব্রাদার্স-এর ব্যবস্থাপক বিভিন্ন সময় বন্দরে মালামাল খালাসের জন্য বাণিজ্যিক কাগজ ইস্যু করে আর্থিক সংকটের সমাধান করেন। [রা. বো. ১৭] অ ক. ট্রেজারি বিল কী? ১ অ খ. মূলধন বাজার বলতে কী বোঝ? ২ অ গ. উদ্দীপকের রায় এন্ড ব্রাদার্স কোং লি.-এর গৃহীত পদক্ষেপের যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ করো। ৩ অ ঘ. উদ্দীপকের দুটি কোম্পানির আর্থিক সংকট মোকাবিলায় গৃহীত পদক্ষেপের তুলনামূলক যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করো। ৪ ২ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক ভবিষ্যতে কোনো নির্দিষ্ট তারিখে পরিশোধের অঙ্গীকার করে সরকার যে স্বল্পমেয়াদি অঙ্গীকারপত্র ইস্যু করে তা হলো ট্রেজারি বিল। খ আর্থিক বাজারের যে অংশে দীর্ঘমেয়াদে অর্থ ও আর্থিক সম্পদের লেনদেন করা হয় তাকে মূলধন বাজার বলে। মূলধন বাজারের হাতিয়ারসমূহ হলো- সাধারণ শেয়ার, অগ্রাধিকার শেয়ার, বন্ড, ডিবেঞ্চার ইত্যাদি। মূলধন বাজার দুই প্রকার; যথা: ইক্যুইটি বাজার ও বন্ড বাজার। গ উদ্দীপকের রায় এন্ড ব্রাদার্স কোং লি.-এর বাণিজ্যিক কাগজ ইস্যু করার পদক্ষেপটি যৌক্তিক। বাণিজ্যিক কাগজ একটি স্বল্পমেয়াদি জামানতবিহীন অঙ্গীকারপত্র। এই অঙ্গীকারপত্রের মেয়াদ সাধারণত ৯০ দিন থেকে ২৭০ দিন পর্যন্ত হয়ে থাকে। উদ্দীপকের রায় এন্ড ব্রাদার্স একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন সময়ে বন্দরে মালামাল খালাসের প্রয়োজন হয়। এই মালামাল খালাসের জন্য প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপকের স্বল্পমেয়াদে নগদ অর্থের প্রয়োজন পড়ে। তিনি বাণিজ্যিক কাগজ ইস্যুর মাধ্যমে এই আর্থিক সংকট মোকাবিলা করেন। যেহেতু বাণিজ্যিক কাগজ স্বল্পমেয়াদে অর্থ সংগ্রহের একটি অন্যতম হাতিয়ার তাই তার গৃহীত পদক্ষেপটি যথাযথ হয়েছে। জামানত : স্থায়ী বা চলতি সম্পদ যা ঋণদাতার নিকট ঋণ পরিশোধের নিশ্চয়তাস্বরূপ জমা রাখা হয়। ঘ উদ্দীপকের আমদানিকারক হক এন্ড সন্স ব্যাংকের স্বীকৃতিপত্রের সাহায্যে এবং রায় এন্ড ব্রাদার্স বাণিজ্যিক কাগজ ইস্যুর মাধ্যমে আর্থিক সংকট মোকাবিলা করে। ব্যাংকের স্বীকৃতিপত্র হলো অভ্যন্তরীণ বা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের স্বল্পমেয়াদি অর্থসংস্থানের উদ্দেশ্যে প্রস্তুতকৃত ব্যাংক ড্রাফট। এটি ব্যাংক কর্তৃক অর্থ পরিশোধের নিশ্চয়তাপত্র। অন্যদিকে, নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে সম্পূর্ণ মূল্য পরিশোধের শর্তে ব্যাংক স্বল্পমেয়াদে ও বাট্টায় যে অঙ্গীকারপত্র বিক্রয় করে- তাই বাণিজ্যিক কাগজ। উদ্দীপকের হক এন্ড সন্স এবং রায় এন্ড ব্রাদার্স উভয়ই বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করেন। উভয়েরই বিভিন্ন সময়ে বন্দরে মালামাল খালাসের জন্য অর্থের প্রয়োজন পড়ে। পণ্য খালাসের জন্য সাধারণত স্বল্পমেয়াদে অর্থের প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে স্বল্পমেয়াদি ঋণের হাতিয়ার হিসেবে ব্যাংকের স্বীকৃতিপত্র ও বাণিজ্যিক কাগজ উভয়ই বেশ জনপ্রিয়। তবে ব্যাংকের স্বীকৃতিপত্রের মেয়াদ ৯০ দিন থেকে ১৮০ দিন এবং বাণিজ্যিক কাগজের মেয়াদ ৯০ দিন থেকে ২৭০ দিন পর্যন্ত হয়ে থাকে। এ কারণে রায় এন্ড ব্রাদার্স পণ্যের মূল্য পরিশোধে বেশি সময় পাচ্ছেন। অন্যদিকে, বাণিজ্যিক কাগজ ইস্যুর পর রায় এন্ড ব্রাদার্সকে তা সরাসরি বা ডিলারের মাধ্যমে বিক্রয়ের প্রয়োজন হয়। কিন্তু ব্যাংকের স্বীকৃতিপত্রে হক এন্ড সন্সকে এই ধরনের জটিলতার সম্মুখীন হতে হয় না। তাছাড়া আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে অর্থসংস্থানের ক্ষেত্রে ব্যাংকের স্বীকৃতিপত্রই সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং জটিলতামুক্ত ঋণের দলিল। তাই আর্থিক সংকট মোকাবেলায় হক এন্ড সন্সের গৃহীত পদক্ষেপটি রায় এন্ড ব্রাদার্স এর গৃহীত পদক্ষেপ অপেক্ষা অধিক যুক্তিযুক্ত। ডিলার: যারা নির্দিষ্ট কমিশনের বিনিময়ে ইস্যুকারীর পক্ষে সিকিউরিটিজ বিক্রয়ের দায়িত্ব পালন করেন তারাই ডিলার। মমমপ্রশ্ন„৩ মি. ফাহমিদ একজন সাধারণ বিনিয়োগকারী। তিনি দেখলেন বাজারে খই কোম্পানির স্থির আয় ও জামানতযুক্ত মেয়াদি সিকিউরিটি আছে, যা ক্রয় করলে আয় প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাওয়া যাবে কিন্তু কোম্পানির সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশগ্রহণ করা যাবে না। অন্যদিকে, একই রকম আয় ও মেয়াদযুক্ত সরকারি সিকিউরিটি বাজারে বিক্রয় হয় যার ঋণ জামানত নাই। মি. ফাহমিদ জামানত না থাকার কারণে সরকারি সিকিউরিটিতে বিনিয়োগ না করে খই

এইচএসসি ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং দ্বিতীয় অধ্যায় আর্থিক বাজারের আইনগত দিকসমূহ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর Read More »

এইচএসসি ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং প্রথম অধ্যায় অর্থায়নের সূচনা সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

অধ্যায়-১: অর্থায়নের সূচনা গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর মমমপ্রশ্ন„১ মি. রাকিব একজন সফল ব্যবসায়ী। তিনি বিভিন্ন খাতে যেমন: টেক্সটাইল, ভোগ্যপণ্য, ফার্মাসিউটিক্যাল, স্টীল ইত্যাদিতে বিনিয়োগ করেন। গত বছর তিনি একটি সিমেন্ট ফ্যাক্টরি প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে চিন্তা করেছিলেন। ব্যবসা শুরু করার জন্য তার ৪০ কোটি টাকা প্রয়োজন ছিল। তার নিয়োগকৃত আর্থিক ব্যবস্থাপক তাঁকে দ্রুত বিনিয়োগ ফেরত পাওয়া এবং মুনাফা সর্বোচ্চকরণের ব্যাপারে নজর দেয়ার পরামর্শ দিলেন। কিন্তু মি. রাকিব আর্থিক ব্যবস্থাপকের পরামর্শ গ্রহণ করেননি। তার মূল লক্ষ্য ছিল সম্পদ সর্বোচ্চকরণ, মুনাফা সর্বোচ্চকরণ নয়। তিনি এ লক্ষ অর্জনে প্রয়োজনে কিছু মুনাফা ত্যাগ করতেও প্রস্তুত ছিলেন। [ঢা. বো. ১৭] অ ক. ব্যবসায় অর্থায়ন কী? ১ অ খ. অর্থায়নের সামাজিক দায়বদ্ধতা বলতে কী বোঝায়? ২ অ গ. কোন নীতি অনুযায়ী মি. রাকিব নতুন ব্যবসায় শুরু করতে চেয়েছিলেন? ব্যাখ্যা করো। ৩ অ ঘ. মি. রাকিব কর্তৃক গৃহীত সম্পদ সর্বোচ্চকরণ সিদ্ধান্তটির সাথে তুমি কি একমত? উক্তির সাথে যুক্তি দেখাও। ৪ ১ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক সুষ্ঠুভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে প্রয়োজনীয় অর্থ কোন উৎস থেকে সংগ্রহ করা হবে এবং কোন খাতে বিনিয়োগ করা হবে তার সিদ্ধান্তকে ব্যবসায় অর্থায়ন বলে। খ সমাজের বিভিন্ন পক্ষের (যেমন- শেয়ারহোল্ডার, ভোক্তা, কর্মকর্তা-কর্মচারী, সরকার) প্রতি দায়িত্ব পালন করাকে অর্থায়নের সামাজিক দায়বদ্ধতা বলা হয়। সমাজের দিকে দৃষ্টি রেখে প্রতিষ্ঠানে প্রয়োজনীয় দ্রব্য বা সেবার উৎপাদন এবং তা সঠিক মূল্যে বিতরণ করা উচিত। বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণের সময় সম্পদ সর্বাধিকরণের পাশাপাশি সামাজিক কল্যাণের বিষয়টি বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ। এরূপ দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের সুনাম বৃদ্ধি পায়। গ পোর্টফোলিও বৈচিত্র্যায়নের নীতি অনুযায়ী মি. রাকিব নতুন ব্যবসায় শুরু করতে চেয়েছিলেন। পোর্টফোলিও বৈচিত্র্যায়নের নীতি ব্যবহার করে ব্যবসায়ীরা একই সাথে একাধিক পণ্যের ব্যবসা করে থাকেন। এতে তাদের ব্যবসায়ের ঝুঁকি হ্রাস পায়। উদ্দীপকে মি. রাকিব একজন সফল ব্যবসায়ী। তিনি বিভিন্ন খাতে যেমন: টেক্সটাইল, ভোগ্যপণ্য, ফার্মাসিউটিক্যাল, স্টিল ইত্যাদিতে বিনিয়োগ করেন। গত বছর তিনি একটি সিমেন্ট ফ্যাক্টরি প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে চিন্তা করেছিলেন। সিমেন্ট ফ্যাক্টরি প্রতিষ্ঠা করলে মি. রাকিবের পোর্টফোলিও সংখ্যা বৃদ্ধি পেত। অধিকসংখ্যক পোর্টফোলিও ঝুঁকির মাত্রা সর্বনিæকরণে সহায়ক। কারণ এর মাধ্যমে যেকোনো একটি বিনিয়োগে ক্ষতির সম্মুখীন হলেও তা অন্য বিনিয়োগের মুনাফার সাথে সমন্বয় করে নেয়া সম্ভব। এজন্যই উদ্দীপকে মি. রাকিব নতুন ব্যবসায় হিসেবে সিমেন্ট ফ্যাক্টরি প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন, যা পোর্টফোলিও বৈচিত্র্যায়নের নীতির যথাযথ প্রয়োগ। ঘ মি. রাকিব কর্তৃক গৃহীত সম্পদ সর্বোচ্চকরণ সিদ্ধান্তের সাথে আমি একমত। সম্পদ সর্বোচ্চকরণ সিদ্ধান্তে প্রতিষ্ঠানের স্বল্পমেয়াদি মুনাফাকে গুরুত্ব না দিয়ে দীর্ঘমেয়াদি সুবিধা লাভকে গুরুত্ব দেয়া হয়। প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধির মাধ্যমে সম্পদ সর্বোচ্চকরণ নিশ্চিত হয়। উদ্দীপকে সফল ব্যবসায়ী মি. রাকিব টেক্সটাইল, ভোগ্যপণ্য, ফার্মাসিউটিক্যাল ও স্টীল ব্যবসায়ের সাথে জড়িত। তিনি একটি সিমেন্ট ফ্যাক্টরি প্রতিষ্ঠার কথা চিন্তা করছিলেন। ব্যবসায় শুরু করতে তার ৪০ কোটি টাকা প্রয়োজন। তার নিয়োগকৃত আর্থিক ব্যবস্থাপক তাকে দ্রুত বিনিয়োগ ফেরত পাওয়া ও মুনাফা সর্বোচ্চকরণের পরামর্শ দিলেন। তিনি উক্ত পরামর্শ বর্জন করে সম্পদ সর্বোচ্চকরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। মুনাফা সর্বোচ্চকরণের মাধ্যমে ব্যবসায়ের স্বল্পমেয়াদি লক্ষ্য অর্জিত হলেও দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য অর্জন বাধাগ্রস্ত হয়। অন্যদিকে সম্পদ সর্বোচ্চরণের ফলে ব্যবসায়ের দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য বাস্তবায়িত হয়। একই সাথে ব্যবসায়িক ও আর্থিক ঝুঁকি হ্রাস পায়। কারণ এটি অর্থের সময়মূল্য, বিনিয়োগ ঝুঁকি ও নগদ প্রবাহকে বিবেচনা করে, যা মুনাফা সর্বোচ্চকরণে গণ্য করা হয় না। এজন্যই উদ্দীপকে মি. রাকিব সম্পদ সর্বোচ্চকরণের সিদ্ধান্তটি বেছে নিয়েছেন। মমমপ্রশ্ন„২ জনাব আলী তার সঞ্চিত ১০ লক্ষ টাকা ব্যাংকে জমা না রেখে ঝুঁকিমুক্ত কোনো বিনিয়োগ প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে চান এবং নির্দিষ্ট হারে নিশ্চিত মুনাফা আশা করেন। কিন্তু জনাব হক অধিক মুনাফার আশায় অধিক ঝুঁকি নিতেও প্রস্তুত। [রা. বো. ১৭] অ ক. তারল্য কী? ১ অ খ. হস্তান্তরযোগ্য ঝুঁকি বলতে কী বোঝ? ২ অ গ. জনাব আলী যদি আর্থিক বাজারের সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করতে চান, তবে তিনি কোন ধরনের সিকিউরিটিজ ক্রয় করবেন তা ব্যাখ্যা করো। ৩ অ ঘ. উদ্দীপকের জনাব হক-এর গৃহীত বিনিয়োগ সিদ্ধান্তটি অর্থায়নের কোন নীতির অন্তর্ভুক্ত? জনাব আলী ও জনাব হক-এর বিনিয়োগ সিদ্ধান্তের তুলনামূলক চিত্র বিশ্লেষণ করো। ৪ ২ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক কোনো দ্রব্য বা সম্পদ বিক্রয়ের মাধ্যমে দ্রুত নগদ অর্থে রূপান্তরযোগ্যতাকে তারল্য বলে । খ মোট ঝুঁকি থেকে অপরিহারযোগ্য ঝুঁকি বাদ দেয়ার পর যে ধরনের ঝুঁকি অবশিষ্ট থাকে তাকে হস্তান্তরযোগ্য ঝুঁকি বলে। হস্তান্তরযোগ্য ঝুঁকি পরিহারযোগ্য। সাধারণত পোর্টফোলিও গঠনের মাধ্যমে কোম্পানি ঝুঁকি পরিহার করা যায়। বিশেষ কোনো প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির সাথে এ ধরনের ঝুঁকি সম্পর্কিত। সহায়ক তথ্য কোম্পানি ঝুঁকি : কোম্পানির সাথে সম্পর্কিত ঝুঁকিকে কোম্পানি ঝুঁকি বলে। ব্যবসায়িক ঝুঁকি, তারল্য ঝুঁকি প্রভৃতি উৎস থেকে কোম্পানি ঝুঁকি সংঘটিত হতে পারে। গ উদ্দীপকের জনাব আলী যদি আর্থিক বাজারের সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করতে চান, তবে তিনি ট্রেজারি বিল ক্রয় করবেন। মুদ্রা বাজারের অন্যতম জনপ্রিয় হাতিয়ার হচ্ছে ট্রেজারি বিল। এটি সরকারের ট্রেজারি বিভাগ হতে ইস্যু করা হয়। আর্থিক বাজারে ঝুঁকিমুক্ত সিকিউরিটিজ বলতে ট্রেজারি বিলকেই বোঝানো হয়। উদ্দীপকে জনাব আলীর নিকট ১০ লক্ষ টাকা সঞ্চিত আছে। তিনি তার এই সঞ্চিত টাকা ব্যাংকে জমা রাখতে আগ্রহী নন। বরং তিনি কোনো ঝুঁকিমুক্ত বিনিয়োগ প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। ট্রেজারি বিলের দেউলিয়াত্ব ঝুঁকি না থাকায় এটিকে ঝুঁকিমুক্ত সিকিউরিটিজ বলা হয়। যেহেতু জনাব আলী ঝুঁকিমুক্ত কোনো বিনিয়োগ প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে চান সেহেতু তার জন্য ট্রেজারি বিলে বিনিয়োগ করাই উত্তম। সহায়ক তথ্য দেউলিয়াত্ব ঝুঁকি: আর্থিকভাবে সর্বস্বান্ত হওয়ার বা দায় পরিশোধে অপরাগতার ঝুঁকিই হলো দেউলিয়াত্ব ঝুঁকি। ঘ উদ্দীপকে জনাব হক-এর গৃহীত বিনিয়োগ সিদ্ধান্তটি অর্থায়নের ঝুঁকি-মুনাফা নীতির অন্তর্ভুক্ত। বিনিয়োগ হতে প্রাপ্ত নগদ সুবিধা হচ্ছে মুনাফা। আর বিনিয়োগ হতে প্রত্যাশিত মুনাফা অপেক্ষা প্রকৃত মুনাফা কম হওয়ার সম্ভাবনাই হচ্ছে ঝুঁকি। ঝুঁকি-মুনাফা নীতি অনুসারে বিনিয়োগ যত ঝুঁকিপূর্ণ হবে প্রত্যাশিত মুনাফার হার তত বেশি হবে। উদ্দীপকের জনাব হক একজন অধিক মুনাফা প্রত্যাশী বিনিয়োগকারী। অধিক ঝুঁকি গ্রহণের মাধ্যমে হলেও তিনি অধিক মুনাফা অর্জন করতে চান। তার এই সিদ্ধান্তটি ঝুঁকি-মুনাফা নীতি অনুসরণ করছে। সাধারণত ঝুঁকি ও মুনাফার মধ্যে সমমুখী সম্পর্ক বিদ্যমান। তাই জনাব হক যত বেশি ঝুঁকিযুক্ত প্রকল্পে বিনিয়োগ করবেন, তিনি তত বেশি মুনাফা প্রত্যাশা করবেন। উদ্দীপকের জনাব আলী ঝুঁকিমুক্ত প্রকল্পে বিনিয়োগে উৎসাহী। অন্যদিকে, জনাব হক অধিক মুনাফার আশায় ঝুঁকিযুক্ত প্রকল্পে বিনিয়োগে আগ্রহী। জনাব আলী অধিক মুনাফা প্রত্যাশী নন বরং নির্দিষ্ট হারে নিশ্চিত মুনাফা আশা করছেন। যেহেতু জনাব আলী ঝুঁকিমুক্ত প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে চান সেহেতু তার মুনাফাও কম হবে। অন্যদিকে, জনাব হক যেহেতু অধিক ঝুঁকিপূর্ণ প্রকল্পে বিনিয়োগ করবেন তাই তার মুনাফা অর্জনের সম্ভাবনা বেশি হবে। সুতরাং বলা যায়, তুলনামূলক ঝুঁকি বিবেচনায় জনাব আলী অপেক্ষা জনাব হক অধিক মুনাফা প্রত্যাশী বিনিয়োগকারী, তাই তিনি বেশি ঝুঁকি গ্রহণ করেছেন। মমমপ্রশ্ন„৩ জেনিম কোং লি. আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন একটি তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি কর্মীদের ভবিষ্যৎ তহবিল, চিকিৎসা সুবিধা, সন্তানদের শিক্ষার ব্যবস্থাসহ নানা ধরনের সেবা প্রদান করে থাকে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি তার স্থায়ী সম্পদের অবচয় হিসাব যথোপযুক্তভাবে সংরক্ষণ করে। পক্ষান্তরে হানিম কোং লি. একটি বিখ্যাত ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির কর্মীদের সুযোগ-সুবিধার দিকে তেমন মনোযোগ নেই। তবে

এইচএসসি ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং প্রথম অধ্যায় অর্থায়নের সূচনা সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর Read More »

Scroll to Top