এইচএসসি

এইচএসসি ব্যবসায় উদ্যোগ দশম অধ্যায় নিয়ন্ত্রণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

অধ্যায়-১০: নিয়ন্ত্রণ গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর মমমপ্রশ্ন১ ফাইজা গার্মেন্টস এক লক্ষ একক পোশাক তিন মাসের মধ্যে সরবরাহের অর্ডার পায়। প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী মি. ইলিয়াস উক্ত অর্ডার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রতিনিয়ত কারখানার কাজ তদারকি করতে লাগলেন। তিনি কর্মীদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিতে থাকলেন। পরিকল্পনার সাথে বাস্তব কাজের বিচ্যুতি থাকলে সংশোধনের ব্যবস্থা নেন। ফলে নির্ধারিত সময়েই লক্ষ্যার্জন হয়। [ঢা. বো. ১৭] অ ক. চঊজঞ কী? ১ অ খ. ইঊচ বিশ্লেষণ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ কেন? ২ অ গ. উদ্দীপকের লক্ষ্যমাত্রা মেয়াদ ভিত্তিতে কোন ধরনের পরিকল্পনা? ব্যাখ্যা করো। ৩ অ ঘ. ‘ফাইজা গার্মেন্টসে যথাযথ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে লক্ষ্যার্জন সম্ভব হয়েছে’Ñ উদ্দীপকের আলোকে এর যথার্থতা বিশ্লেষণ করো। ৪ ১ নং প্রশ্নের উত্তর ই মক যে পদ্ধতিতে প্রতিষ্ঠানের কোন কাজ কখন শুরু হবে এবং কখন শেষ হবে তা নির্ধারণ করার পর একটি চার্টের মাধ্যমে কাজগুলোকে সংযুক্ত করা হয়, সেই পদ্ধতিকে চৎড়মৎধস ঊাধষঁধঃরড়হ ধহফ জবারবি ঞবপযহরয়ঁব (চঊজঞ) বলা হয়। মখ যে বিন্দুতে প্রতিষ্ঠানের মোট আয় ও মোট ব্যয় সমান হয় তাকে ইৎবধশ ঊাবহ চড়রহঃ (ইঊচ) বা ভারসাম্য বিন্দু বলে। ইঊচ-এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের বিক্রয়ের পরিমাণ কোন পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারলে লোকসান হবে না, তা জানা যায়। এর বাইরেও প্রতিষ্ঠানের বিক্রয় কী পরিমাণ হলে মুনাফার পরিমাণ কত হবে, সে সম্পর্কে আগাম ধারণা লাভ করা যায়। এর ফলে আদর্শমান নির্ধারণ সহজ হয় এবং প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা কার্যকর হয়। তাই ইঊচ বিশ্লেষণ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ। মগ উদ্দীপকের লক্ষ্যমাত্রা মেয়াদভিত্তিতে স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনার অন্তর্গত। এক বছর বা তার চেয়ে কম সময়ের জন্য স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। এ পরিকল্পনা সাধারণত সাপ্তাহিক, মাসিক, ত্রৈমাসিক (তিন মাস) বা এক বছরের জন্য হয়ে থাকে। প্রতিষ্ঠানের বিভাগীয় ও উপবিভাগীয় পর্যায়ে এরূপ পরিকল্পনা করা হয়। উদ্দীপকে ফাইজা গার্মেন্টস এক লক্ষ একক পোশাক উৎপাদনের অর্ডার পায়। এ পোশাক তাদেরকে তিন মাসের মধ্যে সরবরাহ করতে হবে। অর্থাৎ, পোশাক সরবরাহের জন্য তাদের সময় এক বছরেরও কম; যা স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনার বৈশিষ্ট্যের সাথে সংগতিপূর্ণ। সুতরাং, ফাইজা গার্মেন্টসের লক্ষ্যমাত্রা মেয়াদি ভিত্তিতে স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা। মঘ ‘ফাইজা গার্মেন্টসে যথাযথ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে লক্ষ্যার্জন সম্ভব হয়েছে’Ñ উদ্দীপকের আলোকে বক্তব্যটি যৌক্তিক। নিয়ন্ত্রণ একটি ধারাবাহিক ব্যবস্থাপকীয় প্রক্রিয়া। এখানে পরিকল্পনা অনুযায়ী সম্পাদিত কার্য মূল্যায়ন, আদর্শমানের সাথে তুলনাকরণ, ত্র“টি-বিচ্যুতি নির্ণয় ও সংশোধনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। উদ্দীপকে ফাইজা গার্মেন্টসের প্রাপ্ত অর্ডার যথাসময়ে সরবরাহের জন্য প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী প্রতিনিয়ত কারখানার কাজ তদারকি করেন। ভুল-ত্র“টি হলে কর্মীদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন এবং সংশোধনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেন। এ কাজগুলো ব্যবস্থাপনার নিয়ন্ত্রণের কাজের সাথে সম্পৃক্ত। নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপকীয় কার্যাবলির সর্বশেষ ধাপ। যা আদর্শমান নির্ধারণ দিয়ে শুরু হয়ে সংশোধনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে শেষ হয়। এটি ব্যবহারের মাধ্যমে একটি প্রতিষ্ঠান সহজেই সফলতা অর্জন করতে পারে। উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানের নির্বাহীও নিয়ন্ত্রণের এ পদক্ষেপগুলো ব্যবহার করে সফল হয়েছেন। তাই বলা যায়, ‘ফাইজা গার্মেন্টসে’ যথাযথ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই লক্ষ্যার্জন সম্ভব হয়েছে। মমমপ্রশ্ন২ কোমল পানীয় প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ‘পিপাসা’ ২০১৬ সালের জন্য দশ লাখ লিটার উৎপাদন ও বিক্রয় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে। বছর শেষে দেখা যায়, লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে উৎপাদন ষাট হাজার লিটার বেশি হয়েছে কিন্তু বিক্রয় হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে পঞ্চাশ হাজার লিটার কম। ফলে এক লাখ দশ হাজার লিটার অবিক্রীত থেকে যায়। মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ অতিক্রম করায় প্রতিষ্ঠানটি বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হয়। [রা. বো. ১৭] অ ক. চঊজঞ-এর পূর্ণরূপ কী? ১ অ খ. নিয়ন্ত্রণকে ‘কালান্তিক কাজ’ বলা হয় কেন? ২ অ গ. নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ার কোন পদক্ষেপটি উপেক্ষিত হওয়ায় বিক্রয় ও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম-বেশি হয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৩ অ ঘ. ‘নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ার পদক্ষেপসমূহ যথাযথভাবে অনুসৃত হলে প্রতিষ্ঠানটি বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হতো নাÑ তুমি কি একমত? যুক্তি দাও। ৪ ২ নং প্রশ্নের উত্তর অ মক চঊজঞ-এর পূর্ণরূপ হলো চৎড়মৎধস ঊাধষঁধঃরড়হ ধহফ জবারবি ঞবপযহরয়ঁব। মখ কালান্তিক কাজ হলো যে কাজ কোনো নির্দিষ্ট সময় পরপর করা হয়। নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ সম্পাদিত হচ্ছে কি না, তা দেখা ও প্রয়োজনীয় সংশোধনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এ কাজগুলো দিন, সপ্তাহ, মাস বা বছর শেষে হতে পারে। অর্থাৎ নির্দিষ্ট সময় শেষেই কার্যফল পরিমাপ, তুলনা, বিচ্যুতি নির্ণয় ও সংশোধনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ প্রভৃতি কাজ সম্পাদিত হয়। তাই নিয়ন্ত্রণকে কালান্তিক কাজ বলা হয়। মগ নিয়ন্ত্রণ প্রকিয়ার আদর্শমান উপেক্ষিত হওয়ায় বিক্রয় ও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম-বেশি হয়েছে। আদর্শমান বলতে একটা কাজ কতটুকু গুণ, মান, পরিমাণ, ব্যয় আয় বা সময়সাপেক্ষ হলে সঠিকভাবে সম্পাদিত হয়েছে বলা হবে তা নির্ণয়কে বোঝায়। আদর্শমান নির্ধারণ এক ধরনের পরিকল্পনা, যা নিয়ন্ত্রণের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে। উদ্দীপকে কোমল পানীয় প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ‘পিপাসা’ ২০১৬ সালের জন্য দশ লাখ লিটার উৎপাদন ও বিক্রয় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে। কিন্তু বছর শেষে দেখা যায়, লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে উৎপাদন ষাট হাজার লিটার বেশি হয়েছে এবং বিক্রয় হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে পঞ্চাশ হাজার লিটার কম। সুতরাং, প্রতিষ্ঠানে সঠিকভাবে আদর্শমান নির্ধারিত না হওয়ায় বিক্রয় ও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম-বেশি হয়েছে। মঘ নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া যথাযথভাবে অনুসৃত হলে প্রতিষ্ঠানটি বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হতো নাÑএ বিষয়ে আমি একমত। নিয়ন্ত্রণ এমন একটি ধারাবাহিক ব্যবস্থাপকীয় প্রক্রিয়া, যা পরিকল্পনা অনুযায়ী সম্পাদিত কার্য মূল্যায়ন, আদর্শমানের সাথে তুলনাকরণ, ত্র“টি-বিচ্যুতি নির্ণয় ও সংশোধনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে। উদ্দীপকে কোমল পানীয় প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ‘পিপাসা’ ২০১৬ সালের জন্য দশ লাখ লিটার উৎপাদন ও বিক্রয় লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করে। কিন্তু নির্ধারিত সময় শেষে দেখা যায়, এক লাখ দশ হাজার লিটার অবিক্রীত থেকে যায়। নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া শুরু হয় আদর্শমান নির্ধারণ দিয়ে এবং শেষ হয় সংশোধনমূলক ব্যবস্থার মাধ্যমে। কোমল পানীয় প্রতিষ্ঠানটি নিয়ন্ত্রণের আদর্শমানের সাথে কার্যফলের তুলনা পর্যন্ত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করেছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানে কেন বিচ্যুতি হয়েছে তার কারণ নির্ধারণ করেনি। এর প্রয়োজনীয় সংশোধনমূলক ব্যবস্থাও গ্রহণ করেনি। যার কারণে প্রতিষ্ঠানটি বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হয়। তাই বলা যায়, প্রতিষ্ঠানটি যদি নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ার পদক্ষেপসমূহ যথাযথভাবে অনুসরণ করতো তবে বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হতো না। মমমপ্রশ্ন৩ জনাব মামুন তার শিল্প প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন বিভাগের মাসিক টার্গেট ১,০০০ একক নির্ধারণ করে প্রতিদিন শ্রমিক-কর্মীদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন। নির্দিষ্ট সময় শেষে দেখা গেল উৎপাদনের পরিমাণ ১০০ একক কম হয়েছে। কাক্সিক্ষত ফল লাভের জন্য তিনি অধীনস্থ শ্রমিকদের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি সুপারভাইজারদের অন্য বিভাগে বদলি করেন এবং উক্ত পদে দক্ষ সুপারভাইজারকে পদায়ন করেন। [দি. বো. ১৭] অ ক. নিয়ন্ত্রণ কী? ১ অ খ. নিয়ন্ত্রণকে কেন পরবর্তী পরিকল্পনার ভিত্তি বলা হয়? ২ অ গ. উদ্দীপকে বর্ণিত জনাব মামুন নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ার কোন ধাপের সাহায্যে উৎপাদনের মাত্রা কম হওয়ার কারণ চিহ্নিত করেছিলেন? ব্যাখ্যা করো। ৩ অ ঘ. উদ্দীপকে উলি­খিত জনাব মামুনের কাক্সিক্ষত ফল লাভের জন্য গৃহীত ব্যবস্থার যৌক্তিকতা মূল্যায়ন করো। ৪ ৩ নং প্রশ্নের উত্তর অ মক পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের সকল কার্যক্রম সঠিকভাবে সম্পন্ন হচ্ছে কি না, তা যাচাই করা এবং কোনো প্রকার গরমিল পাওয়া গেলে তা সংশোধন করার উপায়কে নিয়ন্ত্রণ বলে। মখ নিয়ন্ত্রণ হলো পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ সম্পাদিত হচ্ছে কি না তা দেখা, বিচ্যুতি নির্ণয় এবং প্রয়োজনে সংশোধনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ। নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান পরিকল্পনার ত্র“টি-বিচ্যুতির কারণ জানতে পারে। এসব

এইচএসসি ব্যবসায় উদ্যোগ দশম অধ্যায় নিয়ন্ত্রণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর Read More »

এইচএসসি ব্যবসায় উদ্যোগ নবম অধ্যায় সমন্বয়সাধন সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

অধ্যায়-৯: সমন্বয়সাধন গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর মমমপ্রশ্ন১ সিলভার এন্টারপ্রাইজ-এর কর্ণধার মি. হাবিব। তিনি বেশি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিজে নেন এবং অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা পর্যায়ক্রমে ব্যবস্থাপনার নিচের স্তরে দেন। আবার প্রতিষ্ঠানের সকল স্তরের কর্মীর কার্যসম্পাদনে যাতে কোনো সমস্যা না হয় সেজন্য তিনি একে অন্যের সাথে যোগাযোগ রাখতে উৎসাহিত করেন। ফলে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন সহজ হয়। [ঢা. বো., কু. বো. ১৭] অ ক. লক্ষ্য কী? ১ অ খ. সমন্বয় কেন প্রয়োজন? ২ অ গ. উদ্দীপকে সিদ্ধান্ত গ্রহণে ব্যবস্থাপনার কোন নীতি অনুসৃত হয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৩ অ ঘ. সুষ্ঠু সমন্বয় ব্যবস্থা সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সহায়ক ভ‚মিকা রাখেÑ উদ্দীপকের আলোকে বিশ্লেষণ করো। ৪ ১ নং প্রশ্নের উত্তর অ মক কোনো কাজের প্রত্যাশিত ফলাফলই হলো লক্ষ্য। মখ সমন্বয় হলো প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের মধ্যে দলীয় প্রচেষ্টা, ঐক্য ও শৃঙ্খলা বিধানের প্রক্রিয়া। প্রতিষ্ঠানের কর্মী ও বিভাগের কাজের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ কর্মপ্রচেষ্টা জোরদার হলে কাজে ভারসাম্য সৃষ্টি হয়। সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক কাজে গতিশীলতা ছাড়াও কর্মীদের মনোবল উন্নয়ন সম্ভব হয়। ফলে মূল লক্ষ্য অর্জন সহজ হয়। এজন্যই প্রতিষ্ঠানে সমন্বয় অত্যন্ত জরুরি। মগ উদ্দীপকে সিদ্ধান্ত গ্রহণে ব্যবস্থাপনার কেন্দ্রীকরণ (ঈবহঃৎধষরুধঃরড়হ) ও বিকেন্দ্রীকরণ (উবপবহঃৎধষরুধঃরড়হ) নীতি অনুসৃত হয়েছে। কেন্দ্রীকরণ বলতে উচ্চ স্তরের ব্যবস্থাপনার হাতে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা কেন্দ্রীভ‚ত করে রাখাকে বোঝায়। অন্যদিকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা শুধু উচ্চস্তরের ব্যবস্থাপনার হাতে না রেখে বিভিন্ন স্তরের ব্যবস্থাপকদের ওপর দেওয়াকে বলা হয় বিকেন্দ্রীকরণ। কেন্দ্রীকরণের ফলে প্রতিষ্ঠানের অধস্তন কর্মীদের গুরুত্ব হ্রাস পায়; কিন্তু বিকেন্দ্রীকরণে বৃদ্ধি পায়। উদ্দীপকের সিলভার এন্টারপ্রাইজের কর্ণধার মি. হাবিব। তিনি প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো নিজে গ্রহণ করেন। এক্ষেত্রে তিনি অন্যদের কোনো সুযোগ প্রদান করেন না। এর মাধ্যমে কেন্দ্রীকরণ নীতি ফুটে ওঠে। আবার তিনি প্রতিষ্ঠানের অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা নিচের স্তরের ব্যবস্থাপকদের হাতে দেন। এর মাধ্যমে নিচের স্তরের ব্যবস্থাপকরা সিদ্ধান্ত গ্রহণে ভ‚মিকা রাখতে পারছে। ফলে প্রতিষ্ঠাটিতে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ নীতি ফুটে ওঠেছে। তাই বলা যায়, উদ্দীপকে সিদ্ধান্ত গ্রহণে কেন্দ্রীকরণ ও বিকেন্দ্রীকরণ উভয় নীতি অনুসৃত হয়েছে। মঘ ‘সুষ্ঠু সমন্বয় ব্যবস্থা সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সহায়ক ভ‚মিকা রাখে’Ñ উদ্দীপকের আলোকে বক্তব্যটি যৌক্তিক। একটি প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ব্যক্তি ও বিভাগ এক সাথে কাজ করে। এক্ষেত্রে প্রতিটি ব্যক্তি ও বিভাগ যদি নিজেদের ইচ্ছামতো কাজ করে তাহলে প্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে। ফলে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জন কঠিন হয়ে পড়ে। এজন্য বিভাগগুলোর কাজের মধ্যে পারস্পরিক সমন্বয় প্রয়োজন। উদ্দীপকের সিলভার এন্টারপ্রাইজের কর্ণধার মি. হাবিব। তিনি প্রতিষ্ঠানের এক বিভাগের সাথে অন্য বিভাগের কাজের যোগসূত্র স্থাপন করে দেন। প্রত্যেক কর্মী যাতে সুষ্ঠুভাবে কার্যসম্পাদন করতে পারেন সেজন্য তিনি এ ধরনের সমন্বয়ের ব্যবস্থা করে দেন। মি. হাবিবের উক্ত পদক্ষেপে প্রতিটি বিভাগের কার্যক্রম সমান তালে এগিয়ে যায়। প্রত্যেকটি বিভাগ একটি অপরটির ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় সব বিভাগই যোগাযোগের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের চেষ্টা করে। এতে প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য অর্জন সহজ হয়। তাই বলা যায়, প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনের জন্য দলীয় প্রচেষ্টা ও সব কাজের মধ্যে সমন্বয়সাধন গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখে। মমমপ্রশ্ন২ মি. রাতুল তার প্রতিষ্ঠানের কাজগুলোকে বিভাগ অনুযায়ী ভাগ করেছেন। তবে বিভাগের যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা তার হাতে রেখে দিয়েছেন। এতে বিভাগীয় ব্যবস্থাপকরা কোনো সিদ্ধান্ত স্বাধীনভাবে নিতে পারেন না। এদিকে প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠানের চেয়ে তার বিক্রয় কমে যাওয়ায় তিনি নতুন করে পরিকল্পনা করার চিন্তা করছেন। [দি. বো. ১৭] ক. উলম্ব যোগাযোগ কী? ১ খ. ব্যবস্থাপনার উচ্চ স্তরটি ব্যাখ্যা করো। ২ গ. সমন্বয়ের কোন নীতির ব্যত্যয় ঘটায় মি. রাতুলের প্রতিষ্ঠানের বিক্রয় হ্রাস পেয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. মি. রাতুলের নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সমন্বয়ের কোন শর্তটি থাকা আবশ্যক? তোমার মতামত দাও। ৪ ২ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক প্রতিষ্ঠানের উচ্চস্তর ও নিæস্তরের ব্যক্তিবর্গের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান হলে তাকে উলম্ব যোগাযোগ বলে। যেমন: পরিচালনা পর্ষদের সাথে উৎপাদন ব্যবস্থাপকের যোগাযোগ। খ ব্যবস্থাপনার যে স্তরে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য ও কৌশল নির্ধারণ, পরিকল্পনা প্রণয়ন ও নীতি নির্ধারণ করা হয় তাকে উচ্চস্তরের ব্যবস্থাপনা বলে। প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান, পরিচালনা পর্ষদ, কোম্পানির সচিব, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মহাব্যবস্থাপক প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ উচ্চ স্তরের আওতাভুক্ত। এ স্তরের কর্মকর্তাগণ প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য ও নীতি নির্ধারণ, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন ও কৌশল গ্রহণ করেন। এসব কাজে অধিক মাত্রায় চিন্তা-চেতনার প্রয়োজন। তাই বলা হয়, উচ্চস্তরের ব্যবস্থাপকগণ চিন্তাশীল কাজের সাথে জড়িত থাকেন। গ সমন্বয়ের দলীয় সমঝোতার নীতির ব্যত্যয় ঘটায় মি. রাতুলের প্রতিষ্ঠানের বিক্রয় হ্রাস পেয়েছে। দলীয় সমঝোতার নীতি অনুযায়ী প্রতিটি ব্যক্তি, দল ও উপ-দল, বিভাগ ও উপ-বিভাগ পারস্পরিক সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করে। এভাবে দলীয় প্রচেষ্টাকে সমন্বিত করা গেলে প্রতিষ্ঠানের কাজে গতি বাড়ে। এতে যেকোনো সিদ্ধান্ত সহজেই বাস্তবায়ন করা যায়। উদ্দীপকে দেখা যায়, মি. রাতুল তার প্রতিষ্ঠানের কাজগুলোকে বিভাগ (যেমন: ক্রয়, বিক্রয়, হিসাব ও উৎপাদন বিভাগ) অনুযায়ী ভাগ করেছেন। কিন্তু প্রতিটি বিভাগের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা তিনি নিজের কাছে রেখে দিয়েছেন। ফলে বিভাগীয় ব্যবস্থাপকরা কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। তাই বিভাগসমূহের মধ্যে দলীয় প্রচেষ্টাও জোরদার হয় না। তাই বলা যায়, দলীয় সমঝোতার নীতির ব্যত্যয় ঘটায় উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানের বিক্রয় কমেছে। ঘ মি. রাতুলের নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কর্মীদের স্বতঃস্ফ‚র্ত সমন্বয়ের শর্তটি থাকা আবশ্যক। এর মাধ্যমে কর্মীরা নিজ থেকেই বিভিন্ন বিভাগের কাজের সমন্বয়সাধন করে। প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের সমন্বয় গড়ে উঠলে কর্মীরা স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হয়ে কাজ সম্পাদন করে। যেমন: উৎপাদন ব্যবস্থাপক সরাসরি বিক্রয় ব্যবস্থাপকের কাছ থেকে বিক্রয় লক্ষ্যমাত্রা জানবেন এবং সে অনুযায়ী উৎপাদন করবেন। এতে প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য অর্জন সহজ হবে। উদ্দীপকের মি. রাতুল তার প্রতিষ্ঠানের কাজগুলোকে বিভিন্নভাবে (ক্রয়, বিক্রয়, হিসাব ও উৎপাদন বিভাগ) ভাগ করেন। কিন্তু প্রতিটি বিভাগের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা নিজের কাছে রেখেছেন। এতে বিভাগগুলোর কাজের মধ্যে সমন্বয় রাখা যায়নি। ফলে ঠিক সময়ে কার্যসম্পন্ন হচ্ছে না। এতে প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠানের চেয়ে তার বিক্রয় কমে গেছে। যার ফলশ্র“তিতে মি. রাতুল প্রতিষ্ঠানের জন্য নতুন পরিকল্পনা নেওয়ার চিন্তা করছেন। মি. রাতুলের নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কর্মীদের স্বতঃস্ফ‚র্ত সমন্বয় প্রয়োজন। কর্মীদের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করা গেলে সব বিভাগের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠবে। এতে প্রতিটি বিভাগের কর্মীরা স্বপ্রণোদিত হয়ে সমান তালে কার্যসম্পাদন করবে। ফলে বিভাগগুলোর কাজের মধ্যে সুশৃঙ্খলা বজায় থাকবে, যা প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হবে। তাই বলা যায়, মি. রাতুলের নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কর্মীদের স্বতঃস্ফ‚র্ত সমন্বয় ইতিবাচক ভ‚মিকা রাখবে। মমমপ্রশ্ন„৩ জনাব দুলাল মিয়া মধুমতি টেক্সটাইল মিলের প্রধান নির্বাহী। প্রতিষ্ঠানটির একটি বিভাগের কাজের সাথে অন্য বিভাগের কাজ সম্পর্কযুক্ত। মানবসম্পদ বিভাগ এটি বিবেচনা না করে কর্মীদের গণবদলি করে। এতে বিভিন্ন বিভাগে কর্মী সংখ্যার হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে। ফলে দক্ষ ও অদক্ষ কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। কয়েক মাসের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন হ্রাস পায়। [কু. বো. ১৭] অ ক. উদ্দেশ্যের ঐক্য কী? ১ অ খ. দলীয় সমঝোতার নীতি কীভাবে সমন্বয়কে সহায়তা করে? ব্যাখ্যা করো। ২ অ গ. মধুমতি টেক্সটাইলে কর্মী বদলির ক্ষেত্রে সমন্বয়ের কোন নীতি লঙ্ঘিত হয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৩ অ ঘ. সুষ্ঠু সমন্বিত ব্যবস্থার অভাবই মধুমতি টেক্সটাইলের উৎপাদনের অন্তরায়Ñ উদ্দীপকের আলোকে বিশ্লেষণ করো। ৪ ৩ নং প্রশ্নের উত্তর অ মক সঠিক সমন্বয় ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হলে একটি প্রতিষ্ঠানের

এইচএসসি ব্যবসায় উদ্যোগ নবম অধ্যায় সমন্বয়সাধন সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর Read More »

এইচএসসি ব্যবসায় উদ্যোগ অষ্টম অধ্যায় যোগাযোগ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

অধ্যায়-৮: যোগাযোগ গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর মমমপ্রশ্ন১ মি. লিটন একটা প্রাইভেট ফার্মের কর্মচারী। তিনি প্রতিষ্ঠানের নিয়ম মেনে বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে ঊর্ধ্বতনের সাথে যোগাযোগ করেন। আবার প্রতিষ্ঠানটি তাদের এজেন্টদের সাথে মোবাইল ফোনে যেকোনো বিষয়ে পরামর্শ করে। উপরন্তু বিদেশি ব্যবসায়ীদের সাথে তথ্য আদান-প্রদানে ইন্টারনেট ব্যবহার করে। ফলে দ্রুত তথ্য পাওয়া সম্ভব হয়, যা প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্যার্জনে সহায়ক। [ঢা. বো. ১৭; কু. বো. ১৭] অ ক. উলম্ব যোগাযোগ কী? ১ অ খ. ভুল-বোঝাবুঝির অবসানে লিখিত যোগাযোগ গুরুত্বপূর্ণ কেন? ব্যাখ্যা করো। ২ অ গ. উদ্দীপকে লিটনের যোগাযোগ আনুষ্ঠানিকতার ভিত্তিতে কোন ধরনের? ব্যাখ্যা করো। ৩ অ ঘ. ‘যান্ত্রিক যোগাযোগ উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানকে গতিশীল করেছে’Ñ বিশ্লেষণ করো। ৪ ১ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক সংগঠনের উচ্চস্তর ও নিæস্তরের ব্যক্তিবর্গের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যমে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা হলে তাকে উলম্ব যোগাযোগ বলে। খ লিখিত যোগাযোগ হলো শব্দ বা বাক্য লিখে মনের ভাব প্রকাশ ও তথ্য বিনিময় করা। লিখিত যোগাযোগে শব্দ ব্যবহার করে অর্থপূর্ণ সংবাদ লিখে তা প্রাপকের নিকট প্রেরণ করা হয়। এ ব্যবস্থায় সংবাদটি দলিল আকারে সংরক্ষিত থাকে। এছাড়া যোগাযোগের পক্ষসমূহের মধ্যে মতের অমিল লিখিত সংবাদ প্রমাণ হিসেবে দেখানো যায়। ফলে পক্ষসমূহের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়। মগ উদ্দীপকে লিটনের যোগাযোগ পদ্ধতিটি আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ। আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ সংগঠন কর্তৃক প্রণীত নিয়ম-নীতি, রীতি-পদ্ধতি অনুসরণ করে সংঘটিত হয়। এ যোগাযোগ প্রতিষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমেই সম্পন্ন হয়। উদ্দীপকে মি. লিটন একটি প্রাইভেট ফার্মের কর্মচারী। তিনি প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন নিয়ম-কানুন মেনে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে ঊর্ধ্বতনের সাথে যোগাযোগ করেন। এক্ষেত্রে তাকে প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রণীত নিয়ম-নীতি মানতে হয়, যা আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ পদ্ধতিকে নির্দেশ করে। সুতরাং বলা যায়, প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতনের সাথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে তিনি আনুষ্ঠানিকতার ভিত্তিতে যোগাযোগ করেন। মঘ ‘যান্ত্রিক যোগাযোগ উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানকে গতিশীল করেছে’ Ñউক্তিটির যৌক্তিকতা রয়েছে। যান্ত্রিক যোগাযোগ হলো এক ধরনের যোগাযোগ পদ্ধতি, যার মাধ্যমে যন্ত্রের সাহায্যে বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে তথ্য, সংবাদ, ধারণা, মতামতের আদান-প্রদান হয়ে থাকে। এর মাধ্যমে সময় ও ব্যয় উভয়ই সাশ্রয় হয়। উদ্দীপকের লিটন মিয়ার কর্মরত প্রতিষ্ঠানটি তাদের এজেন্টের সাথে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ গ্রহণ করে। এছাড়াও বিদেশি ব্যবসায়ীদের সাথে তথ্য আদান-প্রদানে ইন্টারনেট ব্যবহার করে। ফলে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন তথ্য দ্রুত পাওয়া সম্ভব হয়। উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানটি তাদের সার্বিক কর্মকাণ্ড নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসে। ফলে বিশ্বের যেকোনো তথ্য বা সংবাদ তারা দ্রুত পাচ্ছে। এতে করে প্রতিষ্ঠানটি প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন মানুষের চাহিদা ও রুচি জেনে পণ্য উৎপাদন করতে পারে, যা প্রতিষ্ঠানটিকে তাদের লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করছে। সুতরাং বলা যায়, যান্ত্রিক যোগাযোগ পদ্ধতি ব্যবহারের কারণেই উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানকে গতিশীল করেছে। মমমপ্রশ্ন২ নিচের চিত্রটি দেখে গ ও ঘ নং প্রশ্নের উত্তর দাও।     [রা. বো. ১৭] অ ক. ই-মেইল কী? ১ অ খ. ভিডিও কনফারেন্সিং বলতে কী বোঝায়? ২ অ গ. প্রদত্ত চিত্রটি ব্যবস্থাপনায় কোন প্রক্রিয়া নির্দেশ করে? ব্যাখ্যা করো। ৩ অ ঘ. উক্ত প্রক্রিয়ায় চিত্রে ‘অ’ চিহ্নিত উপাদানটির ভ‚মিকা মূল্যায়ন করো। ৪ ২ নং প্রশ্নের উত্তর অ মক ই-মেইল বলতে এক কম্পিউটার/মোবাইল হতে ইন্টারনেটের মাধ্যমে অন্য কোনো কম্পিউটার/মোবাইলে কোনো তথ্য আদান-প্রদানকে বোঝায়। সহায়ক তথ্য ঊ-সধরষ-এর পূর্ণরূপ হলো ঊষবপঃৎড়হরপ সধরষ। মখ ভিডিও কনফারেন্সিং হলো এক ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা, যেখানে টেলিভিশন বা মনিটরের পর্দায় মিটিংয়ে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিগণ পরস্পরে মুখোমুখি হয় ও কথোপকথনে অংশগ্রহণ করে। টেলিকনফারেন্সিংয়ের একটি প্রক্রিয়া হলো ভিডিও কনফারেন্সিং। এজন্য কম্পিউটার ও ইন্টারনেট আবশ্যক। এ ব্যবস্থায় মনিটরের পর্দায় গ্রাহক ও প্রেরক পরস্পরকে দেখতে ও কথা বলতে পারেন। দেশে এবং বিদেশেও এ প্রক্রিয়ায় একে অন্যের সাথে যোগাযোগ করতে পারে। এ জাতীয় যোগাযোগ তুলনামূলক ব্যয়বহুল। মগ প্রদত্ত চিত্রটি ব্যবস্থাপনার যোগাযোগ প্রক্রিয়া নির্দেশ করে। যোগাযোগ প্রক্রিয়া বলতে এমন কতকগুলো পদক্ষেপ বা অংশের সমষ্টিকে বোঝায়, যার মধ্য দিয়ে প্রেরকের কাছ থেকে সংবাদ প্রাপকের নিকট পৌঁছে। যখন কোনো যোগাযোগ প্রক্রিয়া কার্যকরভাবে প্রত্যাশিত ফল অর্জনে সক্ষম হয়, তখন সেটি সফল হয়। সংবাদ প্রেরক কোনো তথ্য বা সংবাদ কারো নিকট প্রেরণের ইচ্ছা পোষণ করলেই যোগাযোগ প্রক্রিয়ার সূচনা ঘটে। প্রাপ্ত সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে প্রেরকের নিকট প্রাপকের প্রত্যুত্তর প্রদানের মাধ্যমে ঐ প্রক্রিয়ার সমাপ্তি ঘটে। যোগাযোগ প্রক্রিয়া অনেকগুলো উপাদানের সমন্বয়ে গঠিত, যার প্রতিটি উপাদান একটির সাথে অন্যটি সম্পর্কযুক্ত। উদ্দীপকে সুতরাং উলি­খিত সামগ্রিকভাবে চিত্রটি যোগযোগ প্রক্রিয়াকে নির্দেশ করে। মঘ উক্ত প্রক্রিয়ায় চিত্রে ‘অ’ চিহ্নিত উপাদানটি হলো ফলাবর্তন, যা যোগাযোগ প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখে। তথ্য বা সংবাদ প্রেরণের পর প্রাপকের কাছ থেকে প্রেরকের কাছে যে প্রত্যুত্তর আসে তা ফলাবর্তন। ফলাবর্তনের মাধ্যমেই যোগাযোগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন এবং পরিপূর্ণতা লাভ করে। উদ্দীপকের চিত্রটি সামগ্রিকভাবে একটি যোগাযোগ প্রক্রিয়া। যার শুরুতে রয়েছে প্রেরক এবং প্রেরকের প্রাপ্ত সংবাদের বিনিময়ে প্রাপক যে প্রত্যুত্তর দেয় তা হলো ফলাবর্তন। ফলাবর্তনের মাধ্যমেই যোগাযোগ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়। তাই চিত্রের ‘অ’ চিহ্নিত উপাদানটি হলো ফলাবর্তন। যোগাযোগ প্রক্রিয়া শুরু হয় প্রেরকের মাধ্যমে। প্রেরকের মানসিক ধারণাকে প্রেরণযোগ্য করে সাজানোর মাধ্যমে যা তৈরি হয় তা সংবাদ। যে উপায়ে সংবাদ প্রাপকের নিকট পৌঁছায় তা হলো সংবাদ মাধ্যম। যিনি প্রেরিত সংবাদ গ্রহণ করেন তিনি হলেন প্রাপক। প্রাপক প্রত্যুত্তর প্রদানের জন্য সংবাদকে প্রেরণযোগ্য করে সাজান। সর্বশেষ প্রেরকের সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাপকের প্রদত্ত প্রত্যুত্তরের মাধ্যমে ফলাবর্তন হয়। আর ফলাবর্তন ছাড়া যোগাযোগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে পারে না। তাই, ফলাবর্তন যোগাযোগ প্রক্রিয়া সম্পাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখে। মমমপ্রশ্ন৩ মাইক্রোসফট একটি বিশ্বখ্যাত সফটওয়্যার কোম্পানি। সারা বিশ্বে প্রতিষ্ঠানটির অসংখ্য আঞ্চলিক অফিস রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি প্রতিমাসে আঞ্চলিক প্রধানদের নিয়ে সভার আয়োজন করে। আঞ্চলিক প্রধানগণ স্ব-স্ব কর্মস্থলে বসেই এক ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করে সরাসরি এ সভায় অংশগ্রহণ করেন। সেখানে তারা নিজেদের মূল্যবান তথ্য উপস্থাপনের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ মতামত দেন। এতে আঞ্চলিক কর্মকর্তাদের প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয়ে যাতায়াতের প্রচুর ব্যয় সাশ্রয়ের পাশাপাশি সময় লাঘব হয়ে থাকে। ব্যয় হ্রাসের কারণে পণ্যের দামও তুলনামূলকভাবে কম হয়। [দি. বো. ১৭] অ ক. সংগঠিতকরণ কী? ১ অ খ. কার্যভিত্তিক সংগঠন কখন ব্যবহার করা হয়? ব্যাখ্যা করো। ২ অ গ. উদ্দীপকে বর্ণিত প্রতিষ্ঠানের এ ধরনের সভার ব্যবস্থাকে কী বলা হয়? ব্যাখ্যা করো। ৩ অ ঘ. প্রতিষ্ঠানটির এ ধরনের সভা আহŸান করার পেছনে যোগাযোগের কোন গুণাবলি অধিকতর ভ‚মিকা পালন করে? মতামত দাও। ৪ ৩ নং প্রশ্নের উত্তর অ মক বিভিন্ন বিভাগ-উপবিভাগ ও কর্মীদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক নির্ধারণকে সংগঠিতকরণ বলে। মখ একটি প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন প্রকৃতির (উৎপাদন, ক্রয়, বিক্রয়) কাজ চালু থাকলে, তখন কার্যভিত্তিক সংগঠন ব্যবহার করা হয়। শিল্প প্রতিষ্ঠান কিংবা বৃহদাকার উৎপাদন প্রতিষ্ঠানের কাজ সাধারণত প্রক্রিয়াভিত্তিক হয়ে থাকে। এ প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ড পরিচালনার ক্ষেত্রে অধিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ও বিশেষজ্ঞ কর্মীর প্রয়োজন হয়। এজন্য কাজের ধরন অনুযায়ী বিভিন্ন বিভাগ তৈরি করে বিশেষজ্ঞ কর্মী নিয়োগ করা হয়। এতে বিশেষায়ণের অধিক সুবিধা অর্জিত হয়। তাই শিল্প প্রতিষ্ঠান তথা যেখানে কাজের চাপ বেশি, সেখানে কার্যভিত্তিক সংগঠন বেশি প্রয়োজন। মগ উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানটি ভিডিও কনফারেন্সিং সভার আয়োজন করেছে। ভৌগোলিকভাবে বিভিন্ন স্থানে বিস্তৃত বিভিন্ন ব্যক্তি বা দলের মধ্যে তথ্য বিনিময়ের একটি আধুনিক পদ্ধতি হলো ভিডিও কনফারেন্সিং।

এইচএসসি ব্যবসায় উদ্যোগ অষ্টম অধ্যায় যোগাযোগ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর Read More »

এইচএসসি ব্যবসায় উদ্যোগ সপ্তম অধ্যায় প্রেষণা সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

অধ্যায়-৭: প্রেষণা গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর মমমপ্রশ্ন১ গ ্ গ কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ কর্মীদের কার্যপরিবেশ উন্নত করায় শ্রমিক-কর্মীরা স্বচ্ছন্দে কাজ করছে। আবার পরিচালনা পর্ষদ বাংলা নববর্ষ উৎসব পালনের জন্য প্রত্যেককে বোনাস প্রদানের ঘোষণা দেন। এর ফলে শ্রমিক-কর্মীরা বিপুল উদ্দীপনা নিয়ে দায়িত্ব পালন করছে। [ঢা. বো., কু. বো. ১৭] অ ক. জৈবিক চাহিদা কী? ১ অ খ. ‘ণ’ তত্ত¡কে ইতিবাচক বলা হয় কেন? ২ অ গ. উদ্দীপকের কার্যপরিবেশ কোন ধরনের ইতিবাচক প্রেষণা? ব্যাখ্যা করো। ৩ অ ঘ. ‘আর্থিক প্রেষণা কর্মীদের কাজের গতিকে বৃদ্ধি করে’Ñ উদ্দীপকের আলোকে বিশ্লেষণ করো। ৪ ১ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক মানুষের বেঁচে থাকা তথা জীবন ধারণের জন্য প্রয়োজনীয় মৌলিক উপকরণের (খাদ্য,বস্ত্র ও বাসস্থান প্রভৃতি) চাহিদাগুলোকে সামগ্রিকভাবে জৈবিক চাহিদা বলে। চাহিদার স্তর: জৈবিক চাহিদা => নিরাপত্তার চাহিদা => সামাজিক চাহিদা => আÍতৃপ্তির চাহিদা => আÍপূূর্ণতার চাহিদা। খ ডগলাস ম্যাকগ্রেগর প্রেষণার ণ তত্তে¡র প্রবক্তা। এ তত্তে¡ কর্মীদের সম্পর্কে উচ্চ ধারণা পোষণ করা হয়। এক্ষেত্রে মনে করা হয় তারা উদ্যোগী এবং কাজ করতে পছন্দ করে। এ কারণে কর্মীদের ওপর অহেতুক চাপ সৃষ্টি না করে তাদেরকে স্বেচ্ছায় কাজ করতে দেওয়া হয়। এর ফলে কর্মীদের মনে প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ইতিবাচক চিন্তা আসে। তাই ণ তত্ত¡কে ইতিবাচক বলা হয়। গ উদ্দীপকের কার্র্যপরিবেশকে বলা যায় ‘অনার্থিক ইতিবাচক প্রেষণা’। কর্মীদের প্রণোদিত করার জন্য অর্থ ছাড়া যেসব উদ্দীপক (গড়ঃরাধঃড়ৎ) ব্যবহৃত হয় সেগুলোই অনার্থিক প্রেষণা। সুষ্ঠু কার্র্যপরিবেশ, চাকরির নিরাপত্তা, উত্তম ব্যবহার, ভালো কাজের প্রশংসা, প্রশিক্ষণ সুবিধা ইত্যাদি অনার্থিক প্রেষণার অন্তর্গত। কর্মীরা সবসময় মনোরম, নিরিবিলি ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশে কাজ করতে চায়। এজন্য উদ্দীপকের গ ্ গ কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ কাজের পরিবেশ উন্নত করেছে। ফলে কর্মীরা ঝুঁকিমুক্ত পরিবেশে কাজ করার সুযোগ পেয়েছে। তারা এখন স্বাচ্ছন্দে কাজ করছে। এ ধরনের কাজের পরিবেশ কর্মীদের আর্থিকভাবে কোনো প্রাপ্তি যোগ করে না। অথচ সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকলে তারা স্বচ্ছন্দে কাজ করতে পারত না। তাই বলা যায়, গ ্ গ কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের কাছ থেকে কাজ আদায়ের জন্য অনার্থিক প্রেষণা প্রদান করছেন। ইতিবাচক প্রেষণাকে দু’ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথা: ১. আর্থিক প্রেষণা (ন্যায্য পারিশ্রমিক,বোনাস ও মুনাফার অংশ প্রভৃতি); ২. অনার্থিক প্রেষণা (অনুক‚ল কার্যপরিবেশ, চাকরির নিরাপত্তা ও উত্তম ব্যবহার প্রভৃতি)। ঘ ‘আর্থিক প্রেষণা কর্মীদের কাজের গতিকে বৃদ্ধি করে’Ñউদ্দীপকের আলোকে বক্তব্যটি যৌক্তিক। আর্থিক (ন্যায্য বেতন, বোনাস) সুযোগ-সুবিধা দিয়ে কর্মীকে কাজের প্রতি উৎসাহিত করা হয়। ন্যায্য বেতনের পাশাপাশি বোনাস দেওয়া হলে কর্মীদের মাঝে ইতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি হয়। ফলে তারা স্বতঃস্ফ‚র্তভাবে কাজ করতে আগ্রহী হয়। উদ্দীপকের গ ্ গ কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ প্রথমে কর্মীদের সুষ্ঠু কার্যপরিবেশের ব্যবস্থা করেন। এতে তারা স্বাচ্ছন্দে কাজ করতে আগ্রহী হয়। অতঃপর পরিচালনা পর্ষদ বাংলা নববর্ষের উৎসব পালনের জন্য প্রত্যেক কর্মীকে বোনাস প্রদানের ঘোষণা দেন। এতে তারা উদ্দীপনা নিয়ে কাজ করতে থাকে। উক্ত আর্থিক প্রেষণা কর্মীদের মানসিক অবস্থা পরিবর্তন করে দেয়। বোনাস প্রদানের ঘোষণা কর্মীদের মনে বাড়তি উদ্দীপনা সৃষ্টি করে। তারা মনে করে প্রতিষ্ঠান কর্মীদের প্রতি আন্তরিক। এজন্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিও তাদের আনুগত্য বেড়ে যায়। তাই প্রত্যেক কর্মী নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট হয়। এ কারণেই বলা যায়, আর্থিক প্রেষণা কর্মীদের কাজের গতি বাড়াতে সহায়তা করে। মমমপ্রশ্ন২ জনাব কফিল ‘সাহানা গার্মেন্টস’-এর সহকারী উৎপাদন ব্যবস্থাপক। এম.বি.এ পাসের পর তিনি বর্তমান কর্মস্থলে যোগদান করেন। একটি বড় কক্ষে তিনি অন্যান্য বিভাগের পাঁচজন ব্যবস্থাপক ও সহকারী ব্যবস্থাপকের সাথে একসঙ্গে বসে অফিস কার্যসম্পাদন করেন। গত পাঁচ বছরে একই পদে তার বেতন বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। কিন্তু একই বেতনে তিনি সালেহা গার্মেন্টসে চলে যাওয়ার প্রবল ইচ্ছা পোষণ করলে কর্তৃপক্ষ বেতন না বাড়িয়ে তাকে ব্যবস্থাপক পদে পদোন্নতি দেন এবং তার জন্য অন্য একটি সুসজ্জিত কক্ষ বরাদ্দ করেন। জনাব কফিল এতে অত্যন্ত খুশি হন এবং পূর্বের চেয়ে আরও বেশি উদ্দীপনা নিয়ে কাজ করতে থাকেন। [রা. বো. ১৭] অ ক. আÍতৃপ্তির চাহিদা কী? ১ অ খ. প্রেষণা ও মনোবলের মধ্যে সম্পর্ক দেখাও। ২ অ গ. উদ্দীপকে উলি­খিত প্রতিষ্ঠানটিতে প্রথম পর্যায়ে জনাব কফিলকে কোন ধরনের প্রেষণা প্রদান করা হয়েছিল? ব্যাখ্যা করো।৩ অ ঘ. যে ধরনের প্রেষণা প্রদানের ফলে জনাব কফিল প্রতিষ্ঠানটি ছেড়ে যাননি তার যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ করো। ৪ ২ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক বন্ধু-বান্ধব, আÍীয়স্বজন ও সহকর্মীদের অবস্থান থেকে একটু বেশি উপরে ওঠার আগ্রহকে আÍতৃপ্তির চাহিদা (ঊংঃববস হববফং) বলে। চাহিদার স্তর: জৈবিক চাহিদা => নিরাপত্তার চাহিদা => সামাজিক চাহিদা => আÍতৃপ্তির চাহিদা => আÍপূূর্ণতার চাহিদা। খ কর্মীদের কাজের প্রতি উৎসাহিত করার প্রক্রিয়াই হলো প্রেষণা। আর মনোবল হলো মানসিক শক্তি সংশ্লিষ্ট বিষয়। প্রেষণা প্রদানের মাধ্যমে মূলত কর্মীকে উৎসাহিত করা হয়। প্রেষণা মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের সাথে জড়িত। এতে কাজের প্রতি কর্মীর আগ্রহ ও মনোবল বাড়ে। আবার প্রেষণার অনুপস্থিতিতে কর্মীর মনোবল ভেঙে যায় এবং কাজের গতিও কমে যায়। তাই বলা হয়, প্রেষণা মনোবলের সাথে সম্পর্কযুক্ত। গ উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানটিতে প্রথম পর্যায়ে জনাব কফিলকে আর্থিক প্রেষণা প্রদান করা হয়েছিল। আর্থিক প্রেষণা হলো অর্থ ও আর্থিক সুযোগ-সুবিধার সাথে সম্পৃক্ত এমন প্রণোদনামূলক ব্যবস্থা। বেতন, বোনাস ও যাতায়াত ভাতা প্রদান প্রভৃতি আর্থিক প্রেষণার সাথে জড়িত। আর্থিক প্রেষণা প্রদানের মাধ্যমে কর্মীর অর্থসংক্রান্ত চাহিদা পূরণ করা হয়। উদ্দীপকের জনাব কফিল ‘সাহানা’ গার্মেন্টস’-এর সহকারী উৎপাদন ব্যবস্থাপক। তিনি এ প্রতিষ্ঠানে পাঁচ বছর যাবৎ কর্মরত। এ সময়ে তার বেতন বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। এ বেতন অর্থসংশ্লিষ্ট একটি উপাদান। তাই বলা যায়, জনাব কফিলকে প্রথমে আর্থিক প্রেষণা প্রদান করা হয়েছিল। ঘ আর্থিক প্রেষণার পাশাপাশি অনার্থিক প্রেষণা প্রদানের ফলে জনাব কফিল প্রতিষ্ঠানটি ছেড়ে যাননি। কর্মীদের প্রণোদিত করার জন্য অর্থের বাইরে যেসব উদ্দীপক (গড়ঃরাধঃড়ৎ) ব্যবহৃত হয় সেগুলোই অনার্থিক প্রেষণা। সুষ্ঠু কার্র্যপরিবেশ, পদোন্নতি, উত্তম ব্যবহার, ভালো কাজের প্রশংসা, প্রশিক্ষণ সুবিধা প্রভৃতি অনার্থিক প্রেষণার অন্তর্গত। আর্থিক প্রেষণার পাশাপাশি অনার্থিক প্রেষণা প্রদান করা হলে কর্মী প্রতিষ্ঠানের প্রতি অনুগত থাকেন। উদ্দীপকের জনাব কফিল ‘সাহানা গার্মেন্টস’-এর সহকারী উৎপাদন ব্যবস্থাপক। তিনি একটি বড় কক্ষে বসে অন্যান্য সহকর্মীদের সাথে কার্য সম্পাদন করেন। গত পাঁচ বছর যাবৎ তিনি উক্ত প্রতিষ্ঠানে একই পদে কর্মরত। এ সময়ে তার বেতন বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। কিন্তু উক্ত সময়ে তিনি কোনা পদোন্নতি ও সুষ্ঠু কাজের পরিবেশ পাননি। তাই তিনি একই বেতনে সালেহা গার্মেন্টসে চলে যেতে চান। এজন্য ‘সাহানা গার্মেন্টস’ তাকে ব্যবস্থাপক পদে পদোন্নতি প্রদান করে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটি তার জন্য একটি সুসজ্জিত কক্ষ বরাদ্দ করে। এ ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের মাধ্যমেই দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মীদের প্রতিষ্ঠানে র্দীর্ঘদিন ধরে রাখা যায়। উদ্দীপকের জনাব কফিলকে অনার্থিক প্রেষণা প্রদান করায় তার আÍসন্তুষ্টি এসেছে। তিনি মনে করছেন, প্রতিষ্ঠান তাকে যথাযথ মর্যাদা প্রদান করেছে। এজন্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিও তাঁর শ্রদ্ধা ও আনুগত্য বেড়ে গেছে। তাই তিনি উক্ত প্রতিষ্ঠান ছেড়ে যাননি। বরং তিনি অত্যন্ত খুশি এবং পূর্বের চেয়ে আরও অধিক উদ্দীপনা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। তাই বলা যায়, অনার্থিক প্রেষণা প্রদানের কারণেই জনাব কফিল প্রতিষ্ঠানটি ছেড়ে যাননি। মমমপ্রশ্ন৩ ‘নিশাত’ গ্র“পের ব্যবস্থাপক কর্মীদের কাছ থেকে জোর করে কাজ আদায় করেন। তিনি মনে করেন, কর্মীরা

এইচএসসি ব্যবসায় উদ্যোগ সপ্তম অধ্যায় প্রেষণা সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর Read More »

এইচএসসি ব্যবসায় উদ্যোগ ষষ্ঠ অধ্যায় নেতৃত্ব সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

অধ্যায়-৬: নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর মমমপ্রশ্ন১ মি. ঢ কর্মীদের কোনো মতামতকে গুরুত্ব দেন না। তিনি প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ বিবেচনা না করেই কর্মীদের যা করতে বলেন তা পালনে বাধ্য করেন। এককভাবেই তিনি সব সিদ্ধান্ত নেন। ভবিষ্যৎ সম্পর্কে মূল্যায়ন না করেই তিনি বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে ১০০ টন পণ্য আমদানি করেন। পরবর্তীতে উক্ত পণ্য বিক্রয়ে মুনাফা লাভে ব্যর্থ হন, যা প্রতিষ্ঠানকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। [ঢা. বো., কু. বো. ১৭] অ ক. নেতা কাকে বলে? ১ অ খ. গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব উত্তম কেন? ২ অ গ. উদ্দীপকে কোন ধরনের নেতৃত্ব বিদ্যমান? ব্যাখ্যা করো। ৩ অ ঘ. ‘মি. ঢ-এর দূরদর্শিতার অভাবই প্রতিষ্ঠানকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে’Ñ উদ্দীপকের আলোকে মূল্যায়ন করো। ৪ ১ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক যিনি প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে অধীনস্থদের প্রভাবিত করে তাদের সর্বাধিক সামর্থ্যকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেন, তিনিই নেতা। খ যে নেতৃত্বে নেতা অধস্তনদের সাথে আলাপ-আলোচনা, পরামর্শ করে কাজ পরিচালনা করেন তাকে গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব বলে। এক্ষেত্রে নেতা সব ক্ষমতা নিজের হাতে কেন্দ্রীভ‚ত না রেখে প্রয়োজনীয় কর্তৃত্ব অধীনস্থদের নিকট অর্পণ করেন। তাছাড়া সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে অধীনস্থদের সঙ্গে পরামর্শ করেন। যার কারণে নেতার প্রতি কর্মীদের ইতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হয়। ফলে এরূপ নেতৃত্বের প্রতি অধীনস্থরা সন্তুষ্ট থাকেন। এতে কর্মীদের মনোবল বৃদ্ধি পায় এবং তারা সর্বোচ্চ সামর্থ্য দিয়ে লক্ষ্য অর্জনের চেষ্টা করেন। তাই বলা হয়, সাংগঠনিক ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক নেতৃত্বই উত্তম। গ উদ্দীপকে স্বৈরতান্ত্রিক নেতৃত্বের কথা বলা হয়েছে। স্বৈরতান্ত্রিক নেতৃত্বে নেতা নিজের কাছে সব ক্ষমতা কেন্দ্রীভ‚ত করে রাখেন। তিনি নিজের ইচ্ছেমতো একক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এক্ষেত্রে নেতা কর্মীদের কোনা মতামতকে গুরুত্ব দেন না। নেতার নিদের্শনা কর্মীরা বিনাবাক্যে মানতে বাধ্য থাকেন। উদ্দীপকের মি. ঢ কর্মীদের কাজের দিকনিদের্শনা দেন। কর্মীদের কোনো মতামত তিনি গ্রহণ করেন না । তিনি যা ভালো মনে করেন তাই কর্মীদের ওপর চাপিয়ে দেন। তিনি কর্মীদেরকে আদেশ পালনে বাধ্য করেন। এসব বৈশিষ্ট্য স্বৈরতান্ত্রিক নেতৃত্বের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের মি. ঢ স্বৈরতান্ত্রিক নেতৃত্ব প্রদান করছেন। ঘ ‘মি. ঢ-এর দূরদর্শিতার অভাবই প্রতিষ্ঠানকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে’Ñ উদ্দীপকের আলোকে বক্তব্যটি যথার্থ। জ্ঞানচক্ষু বা বিশেষ জ্ঞান দ্বারা ভবিষ্যতকে উপলব্ধি করতে পারার সামর্থ্যই হলো দূরদর্শিতা। দূরদর্শী নেতা সময়োপযোগী সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হন। তিনি সম্ভাব্য করণীয় পূর্বেই নির্ধারণ করে রাখতে পারেন। এতে তিনি সহজেই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারেন। উদ্দীপকের মি. ঢ ভবিষ্যৎ সম্পর্কে মূল্যায়ন না করেই বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে ১০০ টন পণ্য আমদানি করেন। পরবর্তীতে দেখা যায়, তিনি উক্ত পণ্য বিক্রয় করে মুনাফা অর্জনে ব্যর্থ হন। ফলে প্রতিষ্ঠানটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে বোঝা যায়, মি. ঢ ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আগাম ধারণা করতে পারেননি। ভবিষ্যৎ সর্বদাই অনিশ্চিত। এ অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়েই একজন নেতাকে সফলতা অর্জন করতে হয়। কিন্তু মি. ঢ ভবিষ্যৎ মূল্যায়নে অতীত ও বর্তমানের বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করেন নি। ফলে তিনি ভবিষ্যতে কী পরিমাণ পণ্য কত দামে বিক্রয় হবে তা বিবেচনা না করে ১০০ টন পণ্য আমদানি করেন। পরবর্তীতে তা বিক্রয় না হওয়ায় তিনি মুনাফা অর্জনে ব্যর্থ হন । এ কারণে প্রতিষ্ঠানটি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই বলা যায়, মি. ঢ-এর দূরদর্শিতার অভাবই প্রতিষ্ঠানকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। মমমপ্রশ্ন২ একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী তার অধস্তনদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে কাজ আদায়ে বিশ্বাসী। সব সিদ্ধান্ত তিনি নিজেই নেন। আবার অধস্তনদের কাছ থেকে শর্তহীন আনুগত্য প্রত্যাশা করেন। কিন্তু কর্মীরা তার নেতৃত্বকে ভালোভাবে নেয় না। তারা মানসিক কষ্ট নিয়ে কাজ করতে থাকে। এক পর্যায়ে কর্মীরা দুই-একজন করে চাকরি ছেড়ে দিতে থাকে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি সংকটাবস্থায়। [ঢা. বো., কু. বো. ১৭] অ ক. নির্দেশনা কী? ১ অ খ. পরামর্শমূলক নির্দেশনা অনেকটা গণতান্ত্রিক কেন? ২ অ গ. উদ্দীপকে প্রধান নির্বাহীর নেতৃত্ব ডগলাস মারে ম্যাকগ্রেগরের কোন তত্ত¡ সংশ্লিষ্ট? ব্যাখ্যা করো। ৩ অ ঘ. ‘স্বৈরাচারী নির্দেশনা উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে’Ñ বিশ্লেষণ করো। ৪ ২ নং প্রশ্নের উত্তর অ ক লক্ষ্য অর্জনে অধস্তনদের আদেশ, উপদেশ ও পরামর্শ প্রদান এবং তত্ত¡াবধান কাজকে নির্দেশনা বলে। খ কোনো কাজের নির্দেশ দেওয়ার পূর্বে যারা তা বাস্তবায়ন করবে তাদের সাথে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করাকে পরামর্শমূলক নির্দেশনা বলে। গণতান্ত্রিক নেতৃত্বে নেতা সংখ্যাগরিষ্ঠ কর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নে সচেষ্ট থাকেন। এক্ষেত্রে কর্মীদের মতামতকে ইতিবাচক হিসেবে গ্রহণ করা হয়। পরামর্শমূলক নির্দেশনায়ও যারা নির্দেশ পালনের সাথে জড়িত কর্তৃপক্ষ তাদের সাথে আলাপ-আলোচনা করেন এবং গঠনমূলক মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। এজন্যই বলা হয় পরামর্শমূলক নির্দেশনা অনেকটা গণতান্ত্রিক নেতৃত্বের মতো। গ উদ্দীপকের প্রধান নির্বাহীর নেতৃত্ব ডগলাস মারে ম্যাকগ্রেগরের ঢ তত্ত¡ সংশ্লিষ্ট। ঢ তত্তে¡ মনে করা হয় কর্মীরা কাজকে অপছন্দ করে ও সুযোগ পেলেই কাজে ফাঁকি দেয়। এজন্য এ তত্তে¡ কঠোর নিয়ন্ত্রণ, ভয়ভীতি ও শাস্তি প্রদানের মাধ্যমে তাদেরকে দিয়ে কাজ করানোকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। উদ্দীপকে দেখা যায়, একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী তার অধস্তন কর্মীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে কাজ আদায় করেন। তিনি প্রতিষ্ঠানের যেকোনো সিদ্ধান্ত একাই গ্রহণ করেন। কর্মীদের ভুল-ভ্রান্তির জন্য শাস্তি প্রদান করেন। এছাড়া তিনি কর্মীদের কাছ থেকে শর্তহীন আনুগত্য প্রত্যাশা করেন। এসব বৈশিষ্ট্য ঢ তত্তে¡র সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের নির্বাহীর নেতৃত্বটি ডগলাস মারে ম্যাকগ্রেগরের ঢ তত্ত¡ সংশ্লিষ্ট। ডগলাস মারে ম্যাকগ্রেগর (উড়ঁমষধং গঁৎৎধু গপএৎবমড়ৎ) ‘ঞযব ঐঁসধহ ঝরফব ড়ভ ঊহঃবৎঢ়ৎরুব’ নামক গ্রন্থে কর্মীর মনোভাব সম্পর্কে দুই ধরনের তত্তে¡র উলে­খ করেন, যা ঢ ও ণ তত্ত¡ নামে পরিচিত। ঢ তত্তে¡ (নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি) মনে করা হয়Ñ কর্মীরা কাজকে অপছন্দ করে ও সুযোগ পেলেই কাজে ফাঁকি দেয়। এজন্য কঠোর নিয়ন্ত্রণ, ভয়ভীতি ও শাস্তির মাধ্যমে তাদেরকে দিয়ে কাজ করাতে হবে। কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণে কর্মীদেরকে মতামত প্রদানের সুযোগ দেওয়া যাবে না। ণ তত্তে¡ (ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি) মনে করা হয়Ñ কর্মীরা কাজকে পছন্দ করে এবং তারা স্বপরিচালিত ও স্বনিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। উপযুক্ত পরিবেশ পেলে তারা দায়িত্ব গ্রহণ, সমস্যা সমাধানে সহযোগিতা প্রদান ও সিদ্ধান্ত গ্রহণেও যোগ্যতার প্রমাণ রাখে। ঘ ‘স্বৈরাচারী নির্দেশনা উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে’Ñ বক্তব্যটি যৌক্তিক। স্বৈরাচারী নির্দেশনায় নেতা সব ক্ষমতা নিজের কাছে কেন্দ্রীভ‚ত রাখেন। তিনি চাপ সৃষ্টি করে কর্মীদের কাছ থেকে কাজ আদায় করেন। এ নেতৃত্বে নেতা নিজে যা ভালো মনে করেন তা-ই করেন। এক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন নির্দেশ দানের ক্ষেত্রে অধস্তনদের মতামত বা চিন্তা-ভাবনাকে কোনো বিবেচনায় আনেন না। উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মীদের কাছ থেকে কাজ আদায়ে চাপ সৃষ্টি করেন। তিনি সব বিষয়ে নিজের সিদ্ধান্তকেই প্রাধান্য দেন। যারা নির্দেশনা বাস্তবায়ন করবে তিনি তাদের উপেক্ষা করেন। এভাবে প্রধান নির্বাহী স্বৈরাচারী নির্দেশনা প্রদান করেন। উক্ত স্বৈরাচারী নির্দেশনা কর্মীরা ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করে না। তাদের মতামতকে মূল্যায়ন না করায় তারা কাজে নিরুৎসাহিত হয়। তারা প্রতিষ্ঠানে কাজ করার মতো যথোপযুক্ত প্রেষণাও পায় না। ফলে প্রতিষ্ঠানকে তারা আপন ভাবতে পারে না। এজন্য দুই-একজন কর্মী প্রতিষ্ঠান ছেড়ে চলে যায়, যা প্রতিষ্ঠানকে সংকটে ফেলে দেয়। তাই বলা যায়, স্বৈরাচারী নির্দেশনা উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। মমমপ্রশ্ন৩ জনাব সাব্বির অইঈ সিমেন্ট ইন্ডাস্ট্রিজের উৎপাদন ব্যবস্থাপক। কর্মীদের কাজ তিনি সময় ও মান অনুযায়ী নির্দিষ্ট করে দেন এবং এর ভিত্তিতে কাজ হচ্ছে কিনা

এইচএসসি ব্যবসায় উদ্যোগ ষষ্ঠ অধ্যায় নেতৃত্ব সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর Read More »

এইচএসসি ব্যবসায় উদ্যোগ পঞ্চম অধ্যায় কর্মীসংস্থান সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

অধ্যায়-৫: কর্মীসংস্থান গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর মমমপ্রশ্ন১ সম্প্রতি চছ লি. ১০০০ জন শ্রমিক-কর্মী নিয়োগ দিয়ে দক্ষ করে গড়ে তোলে। কারণ চছ লি. তাদের প্রোডাকশন লাইনে তিনটি নতুন পণ্য সংযোজন করেছে। এজন্য প্রতিষ্ঠানটি পণ্য অ, ই ও ঈ নামে তিনটি প্রজেক্ট খোলে। কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক এজন্য সংগঠন কাঠামোতে পরিবর্তন আনেন। যেখানে একদিকে থাকে বিভিন্ন কার্য্যকি ব্যবস্থাপক ও অন্যদিকে প্রজেক্ট ব্যবস্থাপক। বর্তমান সংগঠন কাঠামোতে চছ লি. অধিক স্বাচ্ছন্দ্যের সাথে কার্য পরিচালনা করছে। [ঢা. বো., কু. বো. ১৭] অ ক. কর্মী সংগ্রহ কী? ১ অ খ. আনুষ্ঠানিক সংগঠন শৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ কেন? ২ অ গ. উদ্দীপকের চছ লি. কোন প্রক্রিয়ায় কর্মী দক্ষ করে গড়ে তোলে? ব্যাখ্যা করো। ৩ অ ঘ. যে সংগঠন কাঠামোতে চছ লি. সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছেÑ উদ্দীপকের আলোকে তা বিশ্লেষণ করো। ৪ ১ নং প্রশ্নের উত্তর অ মক যথাযথ উপায়ে সম্ভাব্য চাকরিপ্রার্থীদেরকে নির্দিষ্ট পদে আবেদন করতে ও নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে উৎসাহিত করাকে কর্মী সংগ্রহ বলে। মখ প্রতিষ্ঠানের রীতি-নীতি বা আনুষ্ঠানিকতা অনুযায়ী যে সংগঠন কাঠামো গঠিত হয় তাকে আনুষ্ঠানিক সংগঠন বলে। আনুষ্ঠানিক সংগঠনে প্রতিটি কর্মীর কাজের দায়-দায়িত্ব, কর্তৃত্ব ও জবাবদিহিতা সুস্পষ্ট থাকে। ফলে প্রতিটি কর্মী প্রতিষ্ঠানের রীতি-নীতি অনুযায়ী নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকেন। নির্দিষ্ট নিয়ম-কানুনের ছকের মধ্য থেকেই কর্মীগণ উদ্দেশ্য অর্জনের প্রচেষ্টা চালান। এতে প্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির আশঙ্কা কমে যায়। এজন্য বলা হয়, আনুষ্ঠানিক সংগঠন শৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ। মগ উদ্দীপকে চছ লি. প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মীদের দক্ষ করে গড়ে তোলে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মীর যোগ্যতা ও দক্ষতার উন্নয়ন ঘটানো যায়। এর মাধ্যমে কর্মীর কাজের দক্ষতা বৃদ্ধি পায়। ফলে কর্মীর মধ্যে কাজের প্রতি মনোযোগ বৃদ্ধি পায়। উদ্দীপকে চছ লি. সম্প্রতি তাদের প্রতিষ্ঠানে ১০০০ জন শ্রমিক-কর্মী নিয়োগ দেয়। নিয়োগ দেয়ার পর কর্মীদের দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য প্রতিষ্ঠানটি নিয়োগকৃতদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করে। একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মীর কাজে দক্ষতা বাড়ানোর উপায় হলো প্রশিক্ষণ। তাই বলা যায়, উদ্দীপকে চছ লি. নিয়োগকৃত কর্মীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে গড়ে তোলে। মঘ চছ লি.-এর সংগঠন কাঠামোটি হলো মেট্রিক্স সংগঠন। মেট্রিক্স সংগঠন হলো দ্রব্য ও কার্যভিত্তিক বিভাগীয়করণের সমন্বয়ে গঠিত সংগঠন কাঠামো। এটি এক ধরনের মিশ্র সংগঠন। এরূপ সংগঠন জটিল বা বৃহদায়তন প্রকৃতির প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে উপযোগী। উদ্দীপকে চছ লি. তাদের প্রোডাকশন লাইনে তিনটি নতুন পণ্য সংযোজন করে। এ তিনটি পণ্যের জন্য তারা অ, ই ও ঈ নামে তিনটি প্রজেক্ট খোলে। এজন্য কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক সংগঠন কাঠামোতে পরিবর্তন আনেন। যেখানে সংগঠন কাঠামোর একদিকে থাকে কার্যিক ব্যবস্থাপক ও অন্যদিকে থাকে প্রজেক্ট ব্যবস্থাপক। এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটি মেট্রিক্স সংগঠন কাঠামো ব্যবহার করছে। মেট্রিক্স সংগঠনে দু’ধরনের কর্তৃপক্ষ একই সাথে কাজ করে এবং তাদের ওপর সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে কার্যভিত্তিক ব্যবস্থাপক জনশক্তি, উপকরণ ও সেবা সরবরাহ করেন। আর প্রকল্পভিত্তিক ব্যবস্থাপক বিশেষ প্রকল্প বা দ্রব্যের সম্পূর্ণ দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তারা উভয়ে তাদের কাজের জন্য নির্বাহীর কাছে জবাবদিহি করেন। এতে প্রতিষ্ঠানের কাজ পরিচালনা করা অনেক সহজ হয়েছে। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানটি যেহেতু মেট্রিক্স সংগঠন ব্যবহার করছে তাই তাদের প্রতিষ্ঠানটি সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে। মমমপ্রশ্ন২ জনাব সবুর সাহেব ‘প্যাসিফিক ফাইন্যান্স’ নামক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান মানবসম্পদ ব্যবস্থাপক। সারাদেশে প্রতিষ্ঠানের ৭টি শাখায় ৫৬০ জন লোক কর্মরত আছেন। প্রতিষ্ঠানটিতে জুনিয়র অফিসার পদে নিয়োগ লাভের পর যোগ্যতা, কর্মদক্ষতা ও চাকরির অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে অফিসারগণ বিভিন্ন পদে পদোন্নতি পেয়ে থাকেন। গত ছয় বছর প্রতিষ্ঠানের কাউকেই পদোন্নতি দেওয়া হয়নি। বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে উচ্চ পদে লোক নিয়োগ করা হয়েছে। এবার তৃতীয়বারের মতো উচ্চ পদে লোক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হলে প্রতিষ্ঠানটির অভ্যন্তরে অসন্তোষ দেখা দেয় এবং কিছু দক্ষ অফিসার প্রতিষ্ঠান ছেড়ে যেতে শুরু করেছেন। [রা. বৈা. ১৭] অ ক. শিক্ষানবিশ প্রশিক্ষণ কী? ১ অ খ. কর্মীসংস্থান ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ কেন? ২ অ গ. উদ্দীপকে উলি­খিত প্রতিষ্ঠানটিকে কোন উৎস হতে উচ্চ পদে লোক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৩ অ ঘ. প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে অসন্তোষ ও কিছু দক্ষ অফিসার প্রতিষ্ঠান ছেড়ে যাওয়ার কারণ চিহ্নিত করে করণীয় উদ্দীপকের আলোকে যুক্তিসহ বিশ্লেষণ করো। ৪ ২ নং প্রশ্নের উত্তর অ মক প্রশিক্ষণার্থীকে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তার তত্ত¡াবধানে রেখে কাজ সম্পর্কে তাত্তি¡ক ও ব্যবহারিক শিক্ষা প্রদান করাকে শিক্ষানবিশ প্রশিক্ষণ পদ্ধতি বলে। মখ প্রতিষ্ঠানের জন্য দক্ষ জনবল সৃষ্টির লক্ষ্যে কর্মী সংগ্রহ, নির্বাচন, নিয়োগ, প্রশিক্ষণ ও উন্নয়নের কাজকে কর্মীসংস্থান বলে। ব্যবস্থাপনার উপকরণসমূহের মধ্যে জনশক্তি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। জনশক্তি যোগ্য, দক্ষ ও উৎসাহী না হলে অন্য উপাদান যতই মানসম্পন্ন হোক না কেন তাকে সঠিকভাবে কাজে লাগানো যায় না। তাই প্রতিষ্ঠানের জন্য দক্ষ ও যোগ্য কর্মীবাহিনী গঠনের প্রয়োজন পড়ে, যা ব্যবস্থাপনার কর্মীসংস্থান কাজের মাধ্যমে সম্পাদিত হয়। এ কারণে কর্মীসংস্থান ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ। মগ উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানটিতে বাহ্যিক উৎস হতে উচ্চ পদে লোক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের প্রত্যক্ষ তত্ত¡াবধানে বাইরের উৎস হতে কর্মী সংগ্রহ করা হয়। যখন অভ্যন্তরীণ উৎস হতে কর্মী সংগ্রহ করা সম্ভব হয় না, তখন বাহ্যিক উৎস হতে কর্মী সংগ্রহ করার প্রয়োজন পড়ে। উদ্দীপকে জনাব সবুর সাহেব ‘প্যাসিফিক ফাইন্যান্স’ নামক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান মানবসম্পদ ব্যবস্থাপক। তিনি তার প্রতিষ্ঠানে উচ্চ স্তরে লোক নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেন। প্রতিষ্ঠানে কর্মী সংগ্রহের উৎস দুটি; একটি অভ্যন্তরীণ উৎস এবং অন্যটি বাহ্যিক উৎস। পত্রিকায় বিজ্ঞাপন বাহ্যিক উৎসের অন্তর্গত। তাই বলা যায়, প্রতিষ্ঠানটির উচ্চ পদে লোক নিয়োগের জন্য কর্মী সংগ্রহের বাহ্যিক উৎস ব্যবহার করা হয়েছে। মঘ প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে অসন্তোষ ও কিছু দক্ষ অফিসার প্রতিষ্ঠান ছেড়ে যাওয়ার কারণ প্রতিষ্ঠানে পদোন্নতির অভাব। পদোন্নতির মাধ্যমে কোনো ব্যক্তিকে তার বর্তমান পদ থেকে উচ্চতর পদে পদায়ন করা হয়। পদোন্নতির ফলে একজন কর্মীর দায়িত্ব, কর্তব্য ও মর্যাদা বৃদ্ধি পায়। সাথে সাথে তার বেতন ও সুযোগ-সুবিধাও বৃদ্ধি পেতে পারে। উদ্দীপকে জনাব সবুর সাহেব ‘প্যাসিফিক ফাইন্যান্স’ নামক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান মানবসম্পদ ব্যবস্থাপক। তিনি গত বছরে প্রতিষ্ঠানের কাউকে পদোন্নতি প্রদান করেননি। বরং বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের উচ্চ পদে লোক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তৃতীয়বারের মতো তিনি উচ্চ পদে লোক নিয়োগে অভ্যন্তরীণ উৎস ব্যবহার না করে বিজ্ঞপ্তি দেন। তখন প্রতিষ্ঠানটির অভ্যন্তরে অসন্তোষ দেখা দেয়। ফলে কিছু দক্ষ অফিসার প্রতিষ্ঠান ছেড়ে যেতে শুরু করেন। ‘প্যাসিফিক ফাইন্যান্স’ প্রতিষ্ঠানটিতে দীর্ঘদিন যাবৎ অভ্যন্তরীণ উৎস হতে কর্মীর পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে না। ফলে প্রতিষ্ঠানটিতে যারা দীর্ঘদিন যাবৎ কাজ করছেন তাদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি হয়েছে। অথচ অভ্যন্তরীণ উৎস হতে কর্মী নিয়োগ করলে কর্মীদের মনোবল বৃদ্ধি পেত এবং তারা কাজে মনোনিবেশ করত। তাই উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক যখন তৃতীয়বারের মতো কর্মী নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি দেন, তখন পদোন্নতি না পেয়ে প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে অসন্তোষের সৃষ্টি হয় ও কিছু দক্ষ অফিসার প্রতিষ্ঠান ছেড়ে চলে যায়। মমমপ্রশ্ন৩ নিচের চিত্রটি দেখে গ ও ঘ নং প্রশ্নের উত্তর দাও।         [রা. বো. ১৭] অ ক. আউটসোর্সিং কী? ১ অ খ. পদ আবর্তন বলতে কী বোঝায়? ২ অ গ. উদ্দীপকে উলি­খিত প্রক্রিয়াটি ব্যবস্থাপনার কোন কাজটি নির্দেশ করে? ব্যাখ্যা করো। ৩ অ ঘ. উদ্দীপকে চিহ্নিত প্রশিক্ষণ ও উন্নয়নের যে দুটি কৌশলের ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে

এইচএসসি ব্যবসায় উদ্যোগ পঞ্চম অধ্যায় কর্মীসংস্থান সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর Read More »

এইচএসসি ব্যবসায় উদ্যোগ চতুর্থ অধ্যায় সংগঠিতকরণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

অধ্যায়-৪: সংগঠিতকরণ গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর প্রশ্ন১ মি. জামান তার প্রতিষ্ঠানে নির্বাহীদেরকে সহযোগিতা করার জন্য বিশেষজ্ঞ ব্যবহার করেন। আবার প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পর্যায়ে নিযুক্ত প্রত্যেক ব্যবস্থাপক প্রত্যক্ষভাবে কতজন অধস্তনের কাজ দেখাশোনা করবেন তাও ঠিক করে দেন। এতে নির্বাহীদের কার্যভার লাঘব হয়। ফলে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্যার্জন সহজ হয়। [ঢা. বো., কু. বো. ১৭] অ ক. কার্যভিত্তিক সংগঠনের প্রবক্তা কে? ১ অ খ. দ্বৈত অধীনতা সংগঠনে পরিহার করতে হয় কেন? ২ অ গ. উদ্দীপকে কোন ধরনের সংগঠন বিদ্যমান? ব্যাখ্যা করো। ৩ অ ঘ. কার্য পরিচালনায় সংগঠনের যে নীতির সুষ্ঠু ব্যবহার উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানে সফলতা এনেছে তা বিশ্লেষণ করো। ৪ ১ নং প্রশ্নের উত্তর অ মক কার্যভিত্তিক সংগঠনের প্রবক্তা হলেন ফ্রেডেরিক উইন্সলো টেলর (ঋৎবফবৎরপশ ডরহংষড়ি ঞধুষড়ৎ) মখ একজন কর্মী একই সাথে একাধিক ঊর্ধ্বতনের অধীনে থাকলে তাকে দ্বৈত অধীনতা বলে। সংগঠন প্রক্রিয়ায় কে কার অধীন, তা উলে­খ করা হয়। এক্ষেত্রে যদি কোনো ব্যক্তি বা বিভাগকে একাধিক ঊর্ধ্বতনের কর্তৃত্বাধীন করা হয়, তবে ঐ অধস্তনের পক্ষে একাধিক ঊর্ধ্বতনের নির্দেশ যথাযথভাবে পালন সম্ভব হয় না। এতে কার্যক্ষেত্রে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। তাই সংগঠনে দ্বৈত অধীনতা পরিহার করা উচিত। মগ উদ্দীপকে সরলরৈখিক ও পদস্থ কর্মী সংগঠন বিদ্যমান। এ সংগঠন কাঠামোতে সরলরৈখিক নির্বাহীকে সহযোগিতা করার জন্য বিশেষজ্ঞ কর্মী নিয়োগ করা হয়। এ ধরনের সংগঠন কাঠামোতে সরলরৈখিক কর্মকর্তাগণ নির্বাহীর ক্ষমতা ভোগ করলেও উপদেষ্টাগণ শুধু পরামর্শক হিসেবে কাজ করেন। উদ্দীপকে মি. জামান তার প্রতিষ্ঠানের নির্বাহীদের কার্যভার লাঘব করার জন্য বিশেষজ্ঞ কর্মী নিয়োগ দান করেন। এ বিশেষজ্ঞ কর্মী নির্বাহীকে শুধু পরামর্শ দেন কিন্তু প্রতিষ্ঠানের কোনো সিদ্ধান্ত তিনি দিতে পারেন না। তাছাড়া নির্বাহী কর্মকর্তাদের ওপর কোনোরূপ নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে পারেন না। উক্ত সংগঠন কাঠামোর সাথে সরলরৈখিক ও পদস্থ কর্মী সংগঠনের মিল পাওয়া যায়। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানে সরলরৈখিক ও পদস্থ কর্মী সংগঠন বিদ্যমান। মঘ কার্য পরিচালনায় উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানে সংগঠনের কাম্য পরিসর নির্ধারণের নীতি ব্যবহৃত হয়েছে। এ নীতি অনুযায়ী একজন নির্বাহীর সরাসরি তত্ত¡াবধানে কতজন অধস্তন থাকবে তা নির্ধারণ করা হয়। একজন নির্বাহীর প্রত্যক্ষ তত্ত¡াবধানে কাম্য সংখ্যক অধস্তনের কাজ সঠিকভাবে তত্ত¡াবধান করার জন্য এ নীতি ব্যবহার করা হয়। উদ্দীপকে মি. জামান তার প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পর্যায়ে নিযুক্ত প্রত্যেক ব্যবস্থাপক প্রত্যক্ষভাবে কতজন অধস্তনের কাজ দেখাশোনা করবেন তা নির্ধারণ করে দেন। এতে নির্বাহীদের কার্যভার লাঘব হয়। তারা তাদের অধীনস্থ কর্মীদের কাজ সরাসরি তদারক করতে পারেন, ভুল-ত্র“টি হলে শুধরে দিতে পারেন। একটি প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পর্যায়ে নিযুক্ত প্রত্যেক নির্বাহী প্রত্যক্ষভাবে কতজন অধস্তনের কাজ তত্ত¡াবধান করবেন তা সংগঠন কাঠামোতে নির্দিষ্ট করা হয়। এতে নির্বাহী সঠিকভাবে তার অধস্তনদের কাজ তত্ত¡াবধান করতে পারেন। উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানটিতেও একজন নির্বাহী কতজন অধস্তনের কাজ দেখাশোনা করবেন তা নির্ধারণ করে দেন। এতে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্যার্জন সহজ হয়। তাই বলা যায়, কার্য পরিচালনায় সংগঠনের কাম্য পরিসরের নীতির সুষ্ঠু ব্যবহার উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানে সফলতা এনেছে। মমমপ্রশ্ন২ দীর্ঘদিন বিদেশে চাকরি শেষে দেশে ফিরে মোবারক সাহেব গ্রামে একটি ডেইরি ফার্ম প্রতিষ্ঠা করেন। ফার্মটিতে ৫০ জন লোক নিয়োজিত। বি.কম ডিগ্রিধারী একজন ব্যবস্থাপক হিসাবরক্ষণসহ সার্বিক বিষয় দেখাশোনা করেন। পশুপালন বিষয়ে দক্ষ কেউ না থাকায় প্রায়শই জটিল সমস্যা দেখা দেয়। এমতাবস্থায় মোবারক সাহেব গ্রামের একজন অবসরপ্রাপ্ত উপজেলা পশুপালন কর্মকর্তাকে বিশেষজ্ঞ হিসেবে খণ্ডকালীন নিয়োগ দান করেন। [রা. বো. ১৭] অ ক. কমিটি কী? ১ অ খ. সংগঠন চার্ট পুরো প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে কীভাবে ধারণা দেয়? ব্যাখ্যা করো। ২ অ গ. উদ্দীপকে উলি­খিত মোবারকের ফার্মে প্রথম পর্যায়ে কোন ধরনের সংগঠন কাঠামো বিদ্যমান ছিল? ব্যাখ্যা করো। ৩ অ ঘ. পরিবর্তিত নতুন সংগঠন কাঠামোটি চিহ্নিত করো এবং পরিবর্তনের যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ করো। ৪ ২ নং প্রশ্নের উত্তর অ মক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কোনো সমস্যার সমাধান বা বিশেষ কোনো প্রশাসনিক দায়িত্বভার একাধিক ব্যক্তির ওপর অর্পণ করা হলে ঐ ব্যক্তিবর্গের সমষ্টিকে কমিটি বলে। মখ একটা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বিভিন্ন ব্যক্তি, বিভাগ ও উপবিভাগের মধ্যকার সম্পর্ককে একটা চিত্রে উপস্থাপন করা হলে তাকে সংগঠন চার্ট বলে। সংগঠন চার্টে প্রতিষ্ঠানের উপর থেকে নিচ পর্যন্ত কর্মীর অবস্থান, পদ, বিভাগ ও উপবিভাগ সম্পর্কে জানা যায়। এতে কে কার সরাসরি অধীন, সে বিষয়েও ধারণা পাওয়া যায়। তাছাড়া কর্তৃত্ব প্রবাহ, কর্তৃত্ব রেখা ইত্যাদি বিষয়েও জানা যায়। তাই বলা যায়, সংগঠন চার্ট পুরো প্রতিষ্ঠান সম্পর্কেই একটা ধারণা প্রদানে সক্ষম। মগ মোবারক সাহেবের ফার্মে প্রথম পর্যায়ে সরলরৈখিক সংগঠন কাঠামো বিদ্যমান ছিল। সরলরৈখিক সংগঠন কাঠামোতে কর্তৃত্ব রেখা প্রতিষ্ঠানের উচ্চ পর্যায় থেকে ক্রমান্বয়ে সরল রেখার মতো নিচের দিকে প্রবাহিত হয়। তবে এরূপ সংগঠনের জবাবদিহিতা নিæ হতে উচ্চ পর্যায়ে প্রবাহিত হয়। এটি সবচেয়ে সহজ প্রকৃতির সংগঠন। উদ্দীপকের মোবারক সাহেব বিদেশ থেকে দেশে ফিরে একটি ডেইরি ফার্ম প্রতিষ্ঠা করেন। ফার্মটিতে ৫০ জন লোক নিয়োজিত। বি.কম ডিগ্রিধারী একজন ব্যবস্থাপক হিসাবরক্ষণসহ সার্বিক বিষয় দেখাশোনা করেন। এছাড়াও তিনি কর্মীদের কাজের তদারকি করেন। ফলে তিনি তার প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের প্রতি কর্তৃত্বশীল হন এবং প্রতিষ্ঠানের কর্তৃত্ব উপর থেকে নিচের দিকে প্রবাহিত হয়। তাই মোবারক সাহেবের ফার্মের সংগঠন কাঠামোটি হলো সরলরৈখিক সংগঠন। মঘ পরিবর্তিত নতুন সংগঠন কাঠামোটি হলো সরলরৈখিক ও পদস্থ কর্মী সংগঠন, যা প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে গঠন করা যৌক্তিক হয়েছে। সরলরৈখিক ও পদস্থ কর্মী সংগঠন কাঠামোতে সরলরৈখিক নির্বাহীকে সহযোগিতা করার জন্য বিশেষজ্ঞ কর্মী নিয়োগ করা হয়। এ ধরনের সংগঠন কাঠামোতে সরলরৈখিক কর্মকর্তাগণ নির্বাহীর ক্ষমতা ভোগ করলেও উপদেষ্টাগণ নির্বাহীর ক্ষমতা ভোগ করেন না। উদ্দীপকে মোবারক সাহেব গ্রামে একটি ডেইরি ফার্ম প্রতিষ্ঠা করেন। ফার্মটির ৫০ জন লোক দেখাশোনার জন্য বি. কম ডিগ্রিধারী একজন ব্যবস্থাপক রয়েছে। তিনি প্রতিষ্ঠানের সার্বিক বিষয় দেখাশোনা করেন বিধায় প্রতিষ্ঠানে প্রায়ই জটিল সমস্যা দেখা দেয়। এমতাবস্থায় মোবারক সাহেব তার কাজে সহযোগিতার জন্য অবসরপ্রাপ্ত উপজেলা পশুপালন কর্মকর্তাকে বিশেষজ্ঞ হিসেবে নিয়োগ দেন। প্রতিষ্ঠানের নতুন সংগঠন কাঠামোটি হলো সরলরৈখিক ও পদস্থ কর্মী সংগঠন। ডেইরি ফার্মের সার্বিক বিষয় একজন ব্যবস্থাপক দেখাশোনা করায় তার কার্যভার বেড়ে যায় এবং সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হয়। তাই তার কাজে সহযোগিতার জন্য মোবারক সাহেব যখন বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দেন তখন উভয়ের মিলিত চেষ্টায় সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হয়। এতে প্রতিষ্ঠানের যেকোনো সমস্যার দ্রুত সমাধান হয়। তাই বলা যায়, সাংগঠনিক কাঠামোর ধরন পরিবর্তনের ফলে উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানের উন্নতি হচ্ছে। মমমপ্রশ্ন৩ নাভানা টেক্স লি. একটি বৃহদায়তন তৈরি পোশাক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা কার্যাবলিকে কাজের প্রকৃতি অনুযায়ী বিভিন্ন বিভাগে ভাগ করা হয়। তারপর প্রত্যেক বিভাগের দায়িত্ব একেক জন বিশেষজ্ঞ কর্মীর ওপর ন্যস্ত করা হয়। বিশেষজ্ঞগণ মূলত নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে থাকেন। ফলে প্রতিষ্ঠানের কার্যাবলি সফলতার সাথে সম্পন্ন হয়। [দি. বো. ১৭] অ ক. বাজেটীয় নিয়ন্ত্রণ কী? ১ অ খ. ‘ব্যবস্থাপনার সর্বজনীনতা’ ব্যাখ্যা করো। ২ অ গ. উদ্দীপকে বর্ণিত নাভানা টেক্স লি.-এর সংগঠন কাঠামো কোন ধরনের? ব্যাখ্যা করো। ৩ অ ঘ. নাভানা টেক্স লি.-এর এ ধরনের সংগঠন কাঠামো ব্যবহারের যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ করো। ৪ ৩ নং প্রশ্নের উত্তর অ মক বাজেটের সাথে অর্জিত ফলাফলের তুলনা করে ত্র“টি-বিচ্যুতি নির্ণয় এবং সংশোধনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ কার্যসম্পাদন প্রক্রিয়াকে বাজেটীয় নিয়ন্ত্রণ বলা হয়। মখ ‘ব্যবস্থাপনা সর্বজনীন’ উক্তিটি গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিসের

এইচএসসি ব্যবসায় উদ্যোগ চতুর্থ অধ্যায় সংগঠিতকরণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর Read More »

Scroll to Top